আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس ومائة

ممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬৩৪


হয় ৷ তিনি তার পরবর্তী খলীফারুপে তার ভাই হিশামকে এবং তার পরবর্তী খলীফা রুপে নিজ
ছেলে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদকে মনোনীত করে ফরমান দিয়ে যান ৷ ফলে তার মৃত্যুর পর
সকলে হিশাম ইবন আবদুল মালিকের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করে ৷

হিশাম ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের খিলাফত

এ বছর অর্থাৎ একশ’ পাচ হিজরীর শাবান মাসের ২৬ তারিখে শুক্রবার ভাইয়ের মৃত্যুর
পর তার অনুকুলে খিলাফতের বায়আত গৃহীত হয় ৷ এ সময় তার বয়স চৌত্রিশ বছর কয়েক
মাস ৷

কেননা, তার পিতা আবদুল মালিক যখন ৭২ হিজরীতে মুসআব ইবন যুবায়রকে হত্যা
করেন, তখন তার জন্ম হয় ৷ তাই তিনি সুলক্ষণ গ্রহণ করে তার নাম রাখেন মানসুর
(বিজয়প্রাপ্ত) তারপর আগমন করে দেখেন তার মা নিজ পিতার নামে তার নাম রেখেছেন
হিশাম ৷ তিনি তার এ নাম অন্যুটুমাদন করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, তিনি যখন খিলাফতের জন্য
মনোনীত হন, তখন তিনি দায়ছুনাতে তার এক বাড়ীতে অবস্থানরত ছিলেন ৷ তখন সরকারী
ডাকদুত তার কাছে খলীফার জন্য নির্ধারিত ছড়ি এবং সীলমােহরযুক্ত আৎটি নিয়ে আসে এবং
তাকে খলীফাতুল মুসলিমীন সম্বোধন করে সালাম করে ৷ এরপর তিনি রাস্সাফা থেকে
আরোহণ করে দামেশকে আগমন করেন এবং পরিপুর্ণভাবে খিলাফতের দায়িত্ব পালন শুরু
করেন ৷ এ সময় তিনি এ বছরের শাওয়াল মাসে ইরাক ও থােরাসানের গভর্নর পদ থেকে উমর
ইবন হুবায়রাকে অপসারণ করেন এবং তার পরিবর্তে সেখানে খালিদ ইবন, আবদুল্লাহ
আলকাসরীকে নিয়োগ করেন ৷ অবশ্য কারও কারও মতে তিনি একশ’ ছয় হিজরীতে তাকে
ইরাকে গভর্নর নিয়োগ করেন ৷ তবে প্রথম মতটি প্রসিদ্ধ ৷ এছাড়া এ বছর আমীরুল
মু’মিনীনের মাতৃল তার আশা অইিশা বিনৃত হিশাম ইবন ইসমাঈলের ভ্রাতা ইব্রাহীম ইবন
হিশাম ইবন ইসমাঈল হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ আইশা বিনৃত হিশাম আবদুল মালিকের ঔরসে
হিশামের জন্ম দেওয়ার পর পরই তিনি তাকে তালাক প্রদান করেন ৷ কেননা, আইশা ছিলেন
নির্বোধ ৷ এছাড়া এ বছরই গোপনে বানু আব্বাসের অনুকুলে খিলাফত সংক্রান্ত প্রচার ও
আহ্বানের তৎপরতা ইরাক ভুখণ্ডে শক্তিশালী হয় এবং তাদের প্রচারক ও কর্মীরা বিপুল
পরিমাণ অর্থ সম্পদ সংগ্রহ করে যা তাদেরকে তাদের কাজ্জিত ও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা
করে ৷ আর এ বছর যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন-

আবান ইবন উছমান ইবন আফ্ফান১

পচাশি সালের আলোচনায় তার ওফাংতর আলোচনা বিগতহ্য়েছে ৷ তিনি ফকীহ ও
আলিম তাবিঈগণের অন্যতম ৷ তার সম্পর্কে আমর ইবন শুআয়ব বলেন, হাদীস এবং ফিকহ্
সম্পর্কে তার চেয়ে অধিক অবগত কোন ব্যক্তিকে আমি দেখিনি ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ

১ আখবারুল কৃযাত ১১২৯, তারীখুল ইসলাম ৩২৪ ১ , তারীখুল বুখারী ১৪৫০, তাহযীব ইবন আসাকির
১৩৪২, তাহযীবৃল আসমা ওয়াললুপাত ১ম অংশ ১ম খণ্ড ৯৭, তাহযীবুৎ তাহযীব ১৯৭, তাহষীৰুল
কামাল ৪৮, আলজারহ ওয়াততাদীল ১ম অংশ, ১ম ভলিউম ২৯৫, শাজারাতৃযযাহাব ১১৩১ , তাবাকাত্
ইবন সাদ ৫১৫১, তাবাকাত খলীফা ২০৫৮, আলইবার ১১২৯, আলমাআরিফ ২০১, আন্নুজ্বম্
আযযাহিরা ১২৫৩ ৷


[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، كَانَ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَعُلَمَائِهِمْ. قَالَ عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ: مَا رَأَيْتُ أَعْلَمَ مِنْهُ بِالْحَدِيثِ وَالْفِقْهِ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ: فُقَهَاءُ الْمَدِينَةِ عَشْرَةٌ. فَذَكَرَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ أَحَدَهُمْ وَخَارِجَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَسَالِمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَعِيدَ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، وَعُرْوَةَ، وَالْقَاسِمَ، وَقَبِيصَةَ بْنَ ذُؤَيْبٍ، وَأَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ بِهِ صَمَمٌ وَوَضَحٌ، وَأَصَابَهُ الْفَالِجُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِسَنَةٍ. وَتُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَةٍ. أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ مِنْ رِجَالِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৬৩৫
قَوْلٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ وَكُثَيِّرُ عَزَّةَ فِي قَوْلٍ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا، كَمَا سَيَأْتِي.