আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৬২৮


আবু বুরদাহ্ কাযী ছিলেন হ ৷জ্জাজ ইবন ইউসুফের শাসনামলে ৷ পরবর্তীতে হাজ্জাজ তাকে
অপসারণ করে তার ভাইকে কাযী নিয়োগ করে ৷ আর আবু বুরদাহ হাফিযে হাদীস এবং বিশিষ্ট
আলিম ও ফকীহ এবং তিনি বহুসংখ্যক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবু কিলাব৷ আলজারমীষ্

আবদুল্লাহ ইবন ইয়াষীদ আন-ব্যসরী ৷ একদল সাহারা এবং অন্যদের থেকে তার
বহুসৎ খ্যক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷ তিনি শীর্ষ স্থানীয় আলিম ও ফকীহদের অন্যতম ৷ তাকে
কাযী বিচারকের পদ গ্রহণ করতে বলা হলে তিনি তা থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য দেশাম্ভরিত
হন ৷ এ সময় তিনি শামে আগমন করেন এবং দারায়্যা নামক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং
সেখানেই ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্পাহ্ তাকে রহম করুন ৷ আবু কিলাবাহ্ বলেন, মহান
আল্লাহ যখন তোমাকে ইল্ম দান করেন তুমি তখন তার (গােকর স্বরুপ) ইবাদতে মশগুল
হও ৷ আর লোকজন কী আলোচনা করল তা যেন তােমাকে পেয়ে না বলে ৷ হতে পারে অন্য
কেউ উপকৃত হবে এবং অভাবমুক্ত হবে আর তুমি অন্ধকারে হোচট খেতে থাকবে ৷ আর আমি
তো মনে করি (প্রচলিত) এইসব মজলিস জ্যাসা বেকার ও নিষ্কর্মাদেৱ আড্ডাখানা ৷ এছাড়া
তিনি বলেন, তোমার কোন মুসলিম ভাইসম্পর্কে যদি তোমার কাছে কোন অপ্রিয় বিষয় পৌছে
তাহলে যথাসম্ভব তার হয়ে অজুহাত খুজে নাও ৷ আর যদি কোন অজুহাত খুজে না পাও, তাহলে
একথা ভাববে যে, হয়ত আমার ভাইয়ের এমন কোন অজুহাত রয়ােছ যা আমি জানি না ৷

১০৫ হিজরীর সুচনা

এ বছরেই জাররাহ ইবন আব্দুল্লাহ আল-হাকামী আল্লান ভুখণ্ডে যুদ্ধাতিযান পরিচালনা
করে ৷ বহুসৎ খ্যক দুর্গ জয় করেন এবং বালানজারের পশ্চাদভাগে বিশাল ব্যাপ্ত দেশসমুহ জয়
করেন ৷ এ সময় তিনি বিপুল পরিমাণ গনীমত লাভ করেন এবং তুর্কী যােদ্ধাদেৱ উল্লেখযোগ্য
ৎখ্যক সত্তান-সন্ততিকে যুদ্ধবন্দী করেন ৷ এছাড়া এ বছরেই মুসলিম ইবন সাঈদ তুফীস্তিানে
যুদ্ধাতিযান পরিচালনা করেন এবং সুগদ অঞ্চলের এক বিশাল নগর অবরোধ করেন ৷ তখন সে
অঞ্চলের শাসক বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তার সাথে সন্ধি করে ৷ এ বছরেই সাঈদ ইবন
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান রোম দেশ আক্রমণ করেন ৷ এ সময় তিনি অগ্রবর্তী বাহিনী
রুপে এক হাজার অশ্বারােহী যোদ্ধার এক ঝঢিকা বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ আর তারা সকলেই
শত্রুর হাতে নিহত হ্ন ৷
আর এ বছরের শা বাস মাসের পচিশ তারিখ শুক্রবার আমীরুল মুমিনীন ইয়াষীদ ইবন
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বালকা ভুখণ্ডের আররাদ অঞ্চলে ইনৃতিকাল করেন ৷ এ সময়
তার বয়স হয়েছিল ত্রিশ ও চল্লিশের মাঝামাঝি ৷ নিম্নে তার সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত উল্লিখিত
১ তারীখুল ইসলাম ৪২২১ , তারীখুল বুখারী ৫৯২, তারীখু দারায় ব্রু৷ ৬০, তায্কিরাতৃল হুফ্ফায ১৮৮,
তাহযীবু ইবন আসাকির ৭৪২৯, তাহযীবুত্তাহযীব ৫২২৪, তাহযীবুল কামাল ৬৪৫, আলজারহ
ওয়াততা দীল ২য় অ ৎশ ২য়৩ ভলিউম ৫৭, আল হিল্ইয়া ২২৮২, খুলাসাতু তাহষীবুত তাহষীব ১৯৮,
শ্া৷জারাতৃয্ যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন স৷ দ ৭১৮৩, তাবাকাতু খালীফা ৷১৭৩০, তাবাকাভুল ফুকাহা

শীৱাযী রচিত ৮৯, আলইবার ১১২৭, আলমা রিফা ওয়াত্তারীখ ২৬৫, আলমাসারিফ্ ৪৪৬, আনৃনুজুম
আঘৃযাহিরা ১২৫৪ ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَمِائَةٍ فِيهَا غَزَا الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ بِلَادَ اللَّانِ، وَفَتَحَ حُصُونًا كَثِيرَةً، وَبِلَادًا مُتَّسِعَةَ الْأَكْنَافِ مِنْ وَرَاءِ بَلَنْجَرَ 72، وَأَصَابَ غَنَائِمَ جَمَّةً، وَسَبَى خَلْقًا مِنْ أَوْلَادِ الْأَتْرَاكِ. وَفِيهَا غَزَا مُسْلِمُ بْنُ سَعِيدٍ بِلَادَ التُّرْكِ، وَحَاصَرَ مَدِينَةً عَظِيمَةً مِنْ بِلَادِ الصُّغْدِ فَصَالَحَهُ مَلِكُهَا عَلَى مَالٍ كَثِيرٍ يَحْمِلُهُ إِلَيْهِ. وَفِيهَا غَزَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بِلَادَ الرُّومِ، فَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ سِرِّيَّةً أَلْفَ فَارِسٍ فَأُصِيبُوا جَمِيعًا. وَفِيهَا لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْهَا تُوَفِّيَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بِأَرْبَدَ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَعُمْرُهُ مَا بَيْنَ الثَّلَاثِينَ وَالْأَرْبَعِينَ، وَهَذِهِ تَرْجَمَتُهُ: هُوَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ أَبُو خَالِدٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأُمُّهُ عَاتِكَةُ
পৃষ্ঠা - ৭৬২৯


তিনি আমীরুল মু’মিনীন ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান আবু খালিদ আল-
কুরাশী আল উমাবী ৷ তার আম্ম৷ আতিকা বিনৃত ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ৷ বর্ণিত আছে যে,
তাকে আতিকা নামক মহল্লার কবরন্তানে সমাহিত করা হয় ৷ মহান আল্লাহ্ই সর্বাধিক
পরিজ্ঞাত ৷

তার ভাই খলীফ৷ সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের এই ফরমান অনুযায়ী যে উমর ইবন
আবদুল আযীষের পর তিনি খলীফ৷ হবেন-একশ’ এক হিজরীর রজব মাসের পচিশ তারিখে
উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর পরে তার অনুকুলে খিলাফতের বায়আত গৃহীত হয় ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আয্-যুহলী বর্ণনা করেন, কাহীর ইবন হিশাম সুত্রে যুহরী থেকে ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আবু বকর, উমর, উছমান
ও আলীর আমলে মুসলমান কাফিরের এবং কাফির মুসলমানের উত্তরাধিকারী হতো না ৷
এরপর হযরত মুআবিয়৷ খলীফ৷ হলে তিনি মুসলমানকে কাফিরের উত্তরাধিকারী করেন ৷ বিত্
কাফিরকে মুসলমানের উত্তরাধিকারী করলেন না ৷ আর তার পরবর্তী খলীফারাও তার নীতি
অনুসরণ করল ৷ কিত্তু উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফ৷ হলেন, তখন তিনি প্রথম
সুন্নড়াত পন্থা ফিরিয়ে আনলেন ৷ আর এ বিষয়ে ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক তারই অনুসরণ
করলেন ৷’ তারপর হিশাম যখন খলীফ৷ হলেন, তখন তিনি খলীফাদের পন্থা অনুসরণ করলেন,
অর্থাৎ মুসলমানকে কাফিরের উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করলেন ৷ ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বর্ণনা
করেন, জাবির সুত্রে তিনি বলেন, একবার আমরা মাক্হুলের মজলিনে বসা ছিলাম ৷ এমন
সময় সেখানে ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক আগমন করলেন ৷ আমরা তার জন্য জায়গা ছেড়ে
দিতে উদ্যত হলাম ৷ কিন্তু মাকহুল বললেন, যে মজলিসের যেখানে জায়গা পায় তাকে
সেখানেই বসতে দাও, এতে যে বিনয় শিখতে পারবে ৷

খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বে ইয়াযীদ প্রায়শই আলিম-উলামার সাথে উঠাবসা
করতেন ৷ তারপর তিনি যখন খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, তখন উমর ইবন আবদুল
আযীষের পদাঙ্ক অনুসরণের সংকল্প করলেন ৷ কিত্তু তার অসৎ সহচরগণ তার সাহচর্য ত্যাগ
করল না; বরং তারা তার সামনে অনাচার-অবিচারকে সুদৃশ্য করে দেখাতে লাগল ৷ হারমালা
বর্ণনা করেন, ইবন ওয়াহ্ব সুত্রে আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলাম থেকে ৷ তিনি
বলেন, ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক যখন খলীফ৷ হলেন, তখন তার সহচর-ত্মনুচরদের
নির্দেশ প্রদান করলেন ৷ তে ৷মর৷ উমরের (ইবন আবদুল আযীষের) জীবন চরিত অনুসরণ কর ৷
তখন তারা এভাবে চল্লিশ দিন অতিবাহিত করল ৷ এরপর তার কাছে চল্লিশজন শায়খকে
উপস্থিত করা হল, যারা সম্মিলিতভাবে তার সামনে সাক্ষ্য দিল খলীফাদের জন্য কোন
হিসাব-কিতাব বা শাস্তির বিধ৷ ৷ন থাকবে না ৷ ন্
কোন কোন সমালোচক ইয়াযীদের ধার্মিকতায় অপবাদ আরোপ করেছেন ৷ কিন্তু তা
সঠিক নয় ৷ প্রকৃতপক্ষে সে অপবাদের পাত্র হলত তার ছেলে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ যেমন
অচিরেই আসছে ৷ আর ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের এ ধরনের কোন সমস্যা ছিল না ৷ তার
পুর্ববর্তী খলীফ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে পত্রযোগে লিখেছিলেন পর কথা, আমার তো
বিশ্বাস এটাই আমার মৃত্যুশয্যা এবং আমার মৃত্যুর পর তৃমিই খিলাফতের দায়িত্ব লা ৷ভ করব্রে ৷
কাজেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া সাল্লামের উম্মতের ব্যাপারে সদাসর্বদা মহান


بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي رَجَبٍ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَمِائَةٍ، بِعَهْدٍ مِنْ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ أَنْ يَكُونَ الْخَلِيفَةَ بَعْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ: حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ قَالَ: كَانَ لَا يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ وَلَا الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَعَلِيٍّ، فَلَمَّا وَلِيَ مُعَاوِيَةُ وَرَّثَ الْمُسْلِمَ مِنَ الْكَافِرِ، وَلَمْ يُورِّثِ الْكَافِرَ مِنَ الْمُسْلِمِ، وَأَخَذَ بِذَلِكَ الْخُلَفَاءُ مِنْ بَعْدِهِ، فَلَمَّا قَامَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَاجَعَ السُّنَّةَ الْأُولَى، وَتَبِعَهُ فِي ذَلِكَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فَلَمَّا قَامَ هِشَامٌ أَخَذَ بِسُّنَّةِ الْخُلَفَاءِ. يَعْنِي أَنَّهُ وَرَّثَ الْمُسْلِمَ مِنَ الْكَافِرِ. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ مَكْحُولٍ إِذْ أَقْبَلَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فَهَمَمْنَا أَنْ نُوَسِّعَ لَهُ، فَقَالَ مَكْحُولٌ: دَعُوهُ يَجْلِسُ حَيْثُ انْتَهَى بِهِ الْمَجْلِسُ، يَتَعَلَّمُ التَّوَاضُعَ. وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ هَذَا يُكْثِرُ مِنْ مُجَالَسَةِ الْعُلَمَاءِ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ الْخِلَافَةَ، فَلَمَّا وَلِيَ عَزَمَ أَنْ يَتَأَسَّى بِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَمَا تَرَكَهُ قُرَنَاءُ السُّوءِ، وَحَسَّنُوا لَهُ الظُّلْمَ، كَمَا قَالَ حَرْمَلَةُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: لَمَّا وَلِيَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ: سِيرُوا بِسِيرَةِ عُمَرَ. فَمَكَثَ كَذَلِكَ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، فَأُتِيَ بِأَرْبَعِينَ شَيْخًا، فَشَهِدُوا لَهُ أَنَّهُ مَا عَلَى الْخُلَفَاءِ مِنْ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৩০

আল্লাহ্কে ভয় করবে ৷ অচিরেই তুমি মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে এবং দুনিয়া ত্যাগ করে এমন সত্তার
সামনে দীড়াবে যিনি৫ আমার কোন কৈফিয়ত অজুহাত গ্রহণ করবেন না, ওয়াসৃ সালাম ৷
এছাড়া ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক তার ভাই হিশামকে লিখেন-পর কথা, আমীরুল
মু’মিনীনের কাছে এ সংবাদ পৌছেছে যে, তুমি তার জীবনকালকে দীর্ঘ মনে করছ, তার মৃত্যু
কামনা করছ এবং খিলাফতে র প্রত্যশো করছ ৷ এ পত্রের শেষে তিনি এই পঙতিগুলি উদ্ধৃত
করেন ং

¢ ,


কতক লোক আমার মৃত্যু কামনা করেছে, আর আমি যদি মরে যইি, তাহলে তাে আমি
একাই সে পথের পথিকনই ৷

তারা তো ভালভাবেই জানে, আমার মৃতৃবুকালেরঅবগতি তাদের কোন উপকারে যদি
এসেও থাকে কিন্তু আমার মৃত্যুকাড়ক্ষীতো অমর নয় ৷

০ × é : × ন্ শ্
ষ্

তার মৃত্যু ধাবমান এক নির্ধারিত সময়ের জন্য আর কোন একদিন ;অনির্ধারিত সময়ে তার
মৃত্যু তার সাথে সাক্ষাৎ করবে ৷ন্ ন্
ক্যাজই যে বিগত হয়েছে তার বিপরীতে পরিবর্তে তাকে বল, যে বেচে আছে, তুমি
অনুরুপ কিছুর জা প্রস্তুত হও ৷
তখন হিশাম তাকে লিখেন, আপনার পুর্বে মহান জ্বাৰ্বাহ্ যেন আমাকে এবং আপনার
সন্তানদের পুর্বে আমার সন্তানদের মৃত্যুদান করেন ৷ আপনার মৃত্যুর পর আমার জীবন ধারণে
কোন কল্যাণ নেই ৷ ং
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের দাসী ছিল যাকে হাৰাবা বলা হতো, তার নাম ছিল
আলিয়া ৷ দাসীঢি ছিল অনিন্দা সুন্দরী ৷৩ তার ভাই খলীক্ষা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের
খিলাফতকালে উছমান ইবন সাহ্ল ইবন হনীিফ থেকে তিনি তাকে চার হাজার দীনারের
বিনিময়ে খরিদ করেন ৷ তখন ভাই সুলায়মান তাকে বলেন, আমি তোমাকে এ ক্রয় থেকে
বিরত রাখতে উদ্যত হয়েছিলাম ৷ তখন তিনি তাকে বিক্রি করে দেন ৷ এরপর তিনি যখন
খিলাফওে তর দাযিৎ গ্রহণ করেন, তখন তার শ্রী সা দা একদিন তাকে জিজ্ঞাসা কারন, হে
আমীরুল মু মিনীন ! আপনার কি দুনিয়ার কোন প্রুথ্যে প্রাপ্তি ক্রোহ্ব রয়েছে ? তিনি বলেন, হ্যা,
সে হলো হবোবা ৷ তখন তার শ্রী ৫লাক পাঠিয়ে তার জন্য বীদীটি খরিদ করেন ৷ তারপর তাকে
পোশাক পরিচ্ছদে সুসজ্জি৩ করে পর্দার আড়ালে বসিয়ে পুনরক্রর তারে জিজ্ঞাসা করেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কি দৃনিয়াবী কোন খাহেশ অপুবৃর্ণ আছে ? তিনি বলেন, আাম কি
তোমাকে সে বিষয়ে অবহিত করিনি ? তখন তার ত্রীণ্ ৰ্বার্দীঢি তব্লে সম্মেনএনে তার একান্ত
সাহচর্যে দিয়ে বলে গেলেন, এই যে, অপনার কাডিকত ইহ্থোর£গ্লুতখন ৰ্বাদীটি তার প্রিয়তাজন


وَقَدِ اتَّهَمَهُ بَعْضُهُمْ فِي الدِّينِ، وَلَيْسَ بِصَحِيحٍ، إِنَّمَا ذَاكَ وَلَدُهُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ كَمَا سَيَأْتِي، أَمَّا هَذَا فَمَا كَانَ بِهِ بَأْسٌ، وَقَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي لَا أُرَانِي إِلَّا لِمَا بِي، وَمَا أَرَى الْأَمْرَ إِلَّا سَيُفْضِي إِلَيْكَ، فَاللَّهَ اللَّهَ فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; فَإِنَّكَ عَمَّا قَلِيلٍ مَيِّتٌ، فَتَدَعُ الدُّنْيَا لِمَنْ لَا يَحْمَدُكَ، وَتُفْضِي إِلَى مَنْ لَا يَعْذِرُكَ، وَالسَّلَامُ. وَكَتَبَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ إِلَى أَخِيهِ هِشَامٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ بَلَغَهُ أَنَّكَ اسْتَبْطَأْتَ حَيَاتَهُ، وَتَمَنَّيْتَ وَفَاتَهُ، وَرُمْتَ الْخِلَافَةَ. وَكَتَبَ فِي آخِرِهِ: تَمَنَّى رِجَالٌ أَنْ أَمُوتَ وَإِنْ أَمُتْ ... فَتِلْكَ سَبِيلٌ لَسْتُ فِيهَا بِأَوْحَدِ وَقَدْ عَلِمُوا لَوْ يَنْفَعُ الْعِلْمُ عِنْدَهُمْ ... مَتَى مِتُّ مَا الْبَاغِي عَلَيَّ بِمُخْلَدِ مَنِيَّتُهُ تَجْرِي لِوَقْتٍ وَحَتْفُهُ ... يُصَادِفُهُ يَوْمًا عَلَى غَيْرِ مَوْعِدِ فَقُلْ لِلَّذِي يَبْغِي خِلَافَ الَّذِي مَضَى ... تَهَيَّأْ لِأُخْرَى مِثْلِهَا فَكَأَنْ قَدِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ هِشَامٌ: جَعَلَ اللَّهُ يَوْمِي قَبْلَ يَوْمِكَ، وَوَلَدِي قَبْلَ وَلَدِكَ، فَلَا خَيْرَ فِي الْعَيْشِ بَعْدَكَ. وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ هَذَا يُحِبُّ حَظِيَّةً مِنْ حَظَايَاهُ يُقَالُ لَهَا: حَبَّابَةُ - بِتَشْدِيدِ
পৃষ্ঠা - ৭৬৩১


হলো, এবং তার ত্রী তার সাথে বীদীটির বিবাহ দিয়ে দিলেন ৷ একদিন তিনি বলেন, আমার
মন চায় আমি এক প্রাসাদে হাবাবার সাথে একান্তে থাকর, আমাদের কাছে আর কেউ থাকবে
না ৷ এরপর তিনি তা করেন এবং তার প্রাসাদে হাবাবার একান্ত সাহচর্য গ্রহণ করেন ৷ এসময়
তার জন্য প্রাসাদটিকে মুল্যবান ও চমকপ্রদ ফরাশ ইত্যাদি দ্বারা সুসজ্জিত করা হয় এবং তাতে
বহুবিধ ভোগ-উপকরণের সমাবেশ ঘটানো হয় ৷ এভাবে আনন্দ-বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণের
মাঝে তারা দুজন যখন প্রকুল্পতায় ও আনন্দে বিভাের হয়ে তাদের সামনে রাখা আঙুৰুর থােকা
থেকে খাচ্ছিলেন এমন সময় ইয়াযীদের দেয়৷ একটি আঙুর খেতে গিয়ে তা গলায় আটকে
হাবাবা মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তখন তার মৃত্যুতে হতবুদ্ধি ইয়াযীদ তাকে কয়েকদিন-যাবত মৃত
অবস্থায় আগলে চুমু খেতে থাকেন ৷ অবশেষে তার মৃতদেহে যখন পচন ধরে এবং তা থােক
ংদুর্গহ্ম নির্গত হতে শুরু করে, তখন তিনি তাকে দাফনের নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তাকে দাফন

করার পর উদভ্রান্ত হয়েও তিনি কয়েকদিন তার কবরের সামনে দাড়িয়ে থাকেন ৷ এরপর তিনি
গৃহে প্রভ্যাবর্তন করেন ৷ তারপর পুনরায় তার কবরে ফিরে গিয়ে তার সামনে দাড়িয়ে আবৃত্তি


আমার মন যদি তোমার ব্যাপারে সাত্না লাভ করে কিংবা ণ্তামার আসক্তি ত্যাগ করে,
তাহলে তা নিরাশার কারণে মানসিক দৃঢ়তার কারণে নয় ৷


আর তোমার মৃত্যুর পর যে বন্ধুই আমার দর্শনে এসেছে তোমার মৃত্যু শোকের কারণে
সেই আমার সম্বন্ধে বলেছে এতো মৃত্যুপথযাত্রী ৷

এরপর তিনি স্বগৃহে প্রতাবর্তা করেন এবং তার নিজের শবদেহ বের হওয়ার পুর্বে আর
তিনি বের হননি ৷

তার মৃত্যুর কারণ ছিল ক্ষয়রােয় ৷ এ বছর অর্থাৎ একশ’ পাচ হিজরীর শাবান মাসের ২৬
তারিখে তিনি বর্তমান জর্দানের পল্লী অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেন ৷৩ তার খিলাফতকাল ছিল চার
শ্ন্ বছর কয়েক মাস এটা হলো প্রসিদ্ধ মত ৷ তবে কারও কারও মতে এ সময়কাল আরও কম ৷
আর মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল তেত্রিশ বছর ৷ মতাস্তরে পয়ত্রিশ, কিংবা ছত্রিশ কিৎবা আট ত্রিশ
কিৎবা উনচল্লিশ বছর ৷ আর কারও কারও মতে এ সময় তিনি চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত
হয়েছিলেন ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷

ইয়াযীদ ছিলেন দীর্ঘকায় বিশা লদেহী, ফর্সা, গোলাকার চেহারার অধিকারী ৷ তার উপরের
দিকের সামনের র্দাত উচু ছিল এবং মৃত্যুকালে তার চুল-দাড়িতে বার্ধক্য প্রকাশ পায়নি ৷ বর্ণিত
আছে, তিনি জাওলান নামক স্থানে মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ মতান্তরে হাওরানে ৷ আর তার
জানাযার নামায পড়ে তার পনের বছর বয়সী ছেলে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ৷ কারও কারও মতে
তার জানাযার নামায পড়েন তার পরবর্তী খলীফ৷ তার ভাই হিশাম ইবন আবদুল মালিক ৷
তাবেছু বহন করে নিয়ে দামেশকে বাবুল জাবিয়া এবং বাবুসপীর এর মধ্যবর্তী স্থানে দাফন করা


الْبَاءِ الْأُولَى، وَالصَّحِيحُ تَخْفِيفُهَا - وَاسْمُهَا الْعَالِيَةُ، وَكَانَتْ جَمِيلَةً جِدًّا، وَكَانَ قَدِ اشْتَرَاهَا فِي زَمَنِ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِينَارٍ، مِنْ عُثْمَانَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حَنِيفٍ فَقَالَ أَخُوهُ سُلَيْمَانُ: لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَحْجُرَ عَلَى يَزِيدَ. فَبَاعَهَا يَزِيدُ فَلَمَّا أَفْضَتْ إِلَيْهِ الْخِلَافَةُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ سَعْدَةُ يَوْمًا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ بَقِيَ فِي نَفْسِكَ مَنْ أَمْرِ الدُّنْيَا شَيْءٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، حَبَّابَةُ. فَبَعَثَتِ امْرَأَتُهُ، فَاشْتَرَتْهَا لَهُ وَلَبَّسَتْهَا وَصَنَّعَتْهَا وَأَجْلَسَتْهَا مِنْ وَرَاءِ السِّتَارَةِ، وَقَالَتْ لَهُ أَيْضًا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ بَقِيَ فِي نَفْسِكَ مِنَ الدُّنْيَا شَيْءٌ؟ قَالَ: أَوَمَا أَخْبَرْتُكِ؟ فَقَالَتْ: هَذِهِ حَبَّابَةُ وَأَبْرَزَتْهَا لَهُ، وَأَخْلَتْهُ بِهَا، وَتَرَكَتْهُ وَإِيَّاهَا، فَحَظِيَتِ الْجَارِيَةُ عِنْدَهُ، وَكَذَلِكَ زَوْجَتُهُ أَيْضًا، فَقَالَ يَوْمًا: أَشْتَهِي أَنْ أَخْلُوَ بِحَبَّابَةَ فِي قَصْرٍ مُدَّةً مِنَ الدَّهْرِ لَا يَكُونُ عِنْدَنَا أَحَدٌ. فَفَعَلَ ذَلِكَ، وَجَمَعَهَا إِلَيْهِ فِي قَصْرٍ، فَبَيْنَمَا هُوَ مَعَهَا عَلَى أَسَرِّ حَالٍ وَأَنْعَمِ بَالٍ، إِذْ رَمَاهَا بِحَبَّةِ رُمَّانٍ - وَيُرْوَى: بِعِنَبَةٍ - فِي فَمِهَا وَهِيَ تَضْحَكُ، فَشَرِقَتْ بِهَا فَمَاتَتْ، فَمَكَثَ أَيَّامًا يُقَبِّلُهَا وَيَرْشُفُهَا وَهِيَ مَيِّتَةٌ، حَتَّى أَنْتَنَتْ وَجَيَّفَتْ، فَأَمَرَ بِدَفْنِهَا، فَلَمَّا دَفَنَهَا أَقَامَ أَيَّامًا عِنْدَ قَبْرِهَا هَائِمًا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَنْزِلِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى قَبْرِهَا، فَوَقَفَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: فَإِنْ تَسْلُ عَنْكِ النَّفْسُ أَوْ تَدَعِ الصَّبَا ... فَبِالْيَأْسِ تَسْلُو عَنْكِ لَا بِالتَّجَلُّدِ وَكُلُّ خَلِيلٍ زَارَنِي فَهُوَ قَائِلٌ ... مِنْ أَجْلِكِ هَذَا هَامَةُ الْيَوْمِ أَوْ غَدِ ثُمَّ رَجَعَ، فَمَا خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِهِ حَتَّى خُرِجَ بِنَعْشِهِ، وَكَانَ مَرَضُهُ بِالسُّلِّ، وَذَلِكَ بِالسَّوَادِ سَوَادِ الْأُرْدُنِّ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ،
পৃষ্ঠা - ৭৬৩২
أَعْنِي سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَةٍ. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ أَرْبَعَ سِنِينَ وَشَهْرًا عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ. وَكَانَ عُمْرُهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: خَمْسًا - وَقِيلَ: سِتًّا. وَقِيلَ: ثَمَانِيًا. وَقِيلَ: تِسْعًا - وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ بَلَغَ الْأَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ طَوِيلًا جَسِيمًا أَبْيَضَ مُدَوَّرَ الْوَجْهِ، أَفْقَمَ الْفَمِ، لَمْ يَشِبْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ بِالْجَوْلَانِ. وَقِيلَ: بِحَوْرَانَ. وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ وَعُمْرُهُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةٍ، وَقِيلَ: بَلْ صَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ الْخَلِيفَةُ بَعْدَهُ، وَحُمِلَ عَلَى أَعْنَاقِ الرِّجَالِ حَتَّى دَفُنِ بَيْنَ بَابِ الْجَابِيَةِ وَبَابِ الصَّغِيرِ بِدِمَشْقَ، وَكَانَ قَدْ عَهِدَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ لِأَخِيهِ هِشَامٍ وَمِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَبَايَعَ النَّاسُ مِنْ بَعْدِهِ هِشَامًا.
পৃষ্ঠা - ৭৬৩৩
[خِلَافَةُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَةٍ - وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ أَرْبَعٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً وَأَشْهَرٌ ; لِأَنَّهُ وُلِدَ لَمَّا قَتَلَ أَبُوهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، مُصْعَبَ بْنَ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعَيْنِ، فَسَمَّاهُ مَنْصُورًا تَفَاؤُلًا، ثُمَّ قَدِمَ فَوَجَدَ أُمَّهُ قَدْ أَسْمَتْهُ بِاسْمِ أَبِيهَا هِشَامٍ فَأَقَرَّهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَتَتْهُ الْخِلَافَةُ وَهُوَ بِالزَّيْتُونَةِ فِي مَنْزِلٍ لَهُ، فَجَاءَهُ الْبَرِيدُ بِالْعَصَا وَالْخَاتَمِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، فَرَكِبَ مِنَ الرَّصَافَةِ حَتَّى أَتَى دِمَشْقَ، فَقَامَ بِأَمْرِ الْخِلَافَةِ أَتَمَّ الْقِيَامِ، فَعَزَلَ فِي شَوَّالٍ مِنْهَا عَنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ عُمَرَ بْنَ هُبَيْرَةَ وَوَلَّى عَلَيْهَا خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ وَقِيلَ: إِنَّهُ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الْعِرَاقِ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَمِائَةٍ. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ خَالُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، أَخُو أُمِّهِ عَائِشَةَ بِنْتِ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَلَمْ تَلِدْ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ سِوَاهُ حَتَّى طَلَّقَهَا ; لِأَنَّهَا كَانَتْ حَمْقَاءَ. وَفِيهَا قَوِيَ أَمْرُ دَعْوَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ فِي السِّرِّ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ وَحَصَلَ لِدُعَاتِهِمْ أَمْوَالٌ جَزِيلَةٌ يَسْتَعِينُونَ بِهَا عَلَى أَمْرِهِمْ وَمَا هُمْ بِصَدَدِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৬৩৪


হয় ৷ তিনি তার পরবর্তী খলীফারুপে তার ভাই হিশামকে এবং তার পরবর্তী খলীফা রুপে নিজ
ছেলে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদকে মনোনীত করে ফরমান দিয়ে যান ৷ ফলে তার মৃত্যুর পর
সকলে হিশাম ইবন আবদুল মালিকের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করে ৷

হিশাম ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের খিলাফত

এ বছর অর্থাৎ একশ’ পাচ হিজরীর শাবান মাসের ২৬ তারিখে শুক্রবার ভাইয়ের মৃত্যুর
পর তার অনুকুলে খিলাফতের বায়আত গৃহীত হয় ৷ এ সময় তার বয়স চৌত্রিশ বছর কয়েক
মাস ৷

কেননা, তার পিতা আবদুল মালিক যখন ৭২ হিজরীতে মুসআব ইবন যুবায়রকে হত্যা
করেন, তখন তার জন্ম হয় ৷ তাই তিনি সুলক্ষণ গ্রহণ করে তার নাম রাখেন মানসুর
(বিজয়প্রাপ্ত) তারপর আগমন করে দেখেন তার মা নিজ পিতার নামে তার নাম রেখেছেন
হিশাম ৷ তিনি তার এ নাম অন্যুটুমাদন করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, তিনি যখন খিলাফতের জন্য
মনোনীত হন, তখন তিনি দায়ছুনাতে তার এক বাড়ীতে অবস্থানরত ছিলেন ৷ তখন সরকারী
ডাকদুত তার কাছে খলীফার জন্য নির্ধারিত ছড়ি এবং সীলমােহরযুক্ত আৎটি নিয়ে আসে এবং
তাকে খলীফাতুল মুসলিমীন সম্বোধন করে সালাম করে ৷ এরপর তিনি রাস্সাফা থেকে
আরোহণ করে দামেশকে আগমন করেন এবং পরিপুর্ণভাবে খিলাফতের দায়িত্ব পালন শুরু
করেন ৷ এ সময় তিনি এ বছরের শাওয়াল মাসে ইরাক ও থােরাসানের গভর্নর পদ থেকে উমর
ইবন হুবায়রাকে অপসারণ করেন এবং তার পরিবর্তে সেখানে খালিদ ইবন, আবদুল্লাহ
আলকাসরীকে নিয়োগ করেন ৷ অবশ্য কারও কারও মতে তিনি একশ’ ছয় হিজরীতে তাকে
ইরাকে গভর্নর নিয়োগ করেন ৷ তবে প্রথম মতটি প্রসিদ্ধ ৷ এছাড়া এ বছর আমীরুল
মু’মিনীনের মাতৃল তার আশা অইিশা বিনৃত হিশাম ইবন ইসমাঈলের ভ্রাতা ইব্রাহীম ইবন
হিশাম ইবন ইসমাঈল হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ আইশা বিনৃত হিশাম আবদুল মালিকের ঔরসে
হিশামের জন্ম দেওয়ার পর পরই তিনি তাকে তালাক প্রদান করেন ৷ কেননা, আইশা ছিলেন
নির্বোধ ৷ এছাড়া এ বছরই গোপনে বানু আব্বাসের অনুকুলে খিলাফত সংক্রান্ত প্রচার ও
আহ্বানের তৎপরতা ইরাক ভুখণ্ডে শক্তিশালী হয় এবং তাদের প্রচারক ও কর্মীরা বিপুল
পরিমাণ অর্থ সম্পদ সংগ্রহ করে যা তাদেরকে তাদের কাজ্জিত ও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা
করে ৷ আর এ বছর যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন-

আবান ইবন উছমান ইবন আফ্ফান১

পচাশি সালের আলোচনায় তার ওফাংতর আলোচনা বিগতহ্য়েছে ৷ তিনি ফকীহ ও
আলিম তাবিঈগণের অন্যতম ৷ তার সম্পর্কে আমর ইবন শুআয়ব বলেন, হাদীস এবং ফিকহ্
সম্পর্কে তার চেয়ে অধিক অবগত কোন ব্যক্তিকে আমি দেখিনি ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ

১ আখবারুল কৃযাত ১১২৯, তারীখুল ইসলাম ৩২৪ ১ , তারীখুল বুখারী ১৪৫০, তাহযীব ইবন আসাকির
১৩৪২, তাহযীবৃল আসমা ওয়াললুপাত ১ম অংশ ১ম খণ্ড ৯৭, তাহযীবুৎ তাহযীব ১৯৭, তাহষীৰুল
কামাল ৪৮, আলজারহ ওয়াততাদীল ১ম অংশ, ১ম ভলিউম ২৯৫, শাজারাতৃযযাহাব ১১৩১ , তাবাকাত্
ইবন সাদ ৫১৫১, তাবাকাত খলীফা ২০৫৮, আলইবার ১১২৯, আলমাআরিফ ২০১, আন্নুজ্বম্
আযযাহিরা ১২৫৩ ৷


[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، كَانَ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَعُلَمَائِهِمْ. قَالَ عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ: مَا رَأَيْتُ أَعْلَمَ مِنْهُ بِالْحَدِيثِ وَالْفِقْهِ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ: فُقَهَاءُ الْمَدِينَةِ عَشْرَةٌ. فَذَكَرَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ أَحَدَهُمْ وَخَارِجَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَسَالِمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَعِيدَ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، وَعُرْوَةَ، وَالْقَاسِمَ، وَقَبِيصَةَ بْنَ ذُؤَيْبٍ، وَأَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ بِهِ صَمَمٌ وَوَضَحٌ، وَأَصَابَهُ الْفَالِجُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِسَنَةٍ. وَتُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَةٍ. أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ مِنْ رِجَالِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৬৩৫
قَوْلٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ وَكُثَيِّرُ عَزَّةَ فِي قَوْلٍ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا، كَمَا سَيَأْتِي.