আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع ومائة

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

ممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬২৬


আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস ৷ সাফ্ফাহ্ তার উপাধি ৷ তিনি বানু আব্বাসের প্রথম খলীফা
ইরাকবাসীদের একটি দল গোপনে তার পিতার কাছে বায়আত করে আর এ বছর যে সকল
বিশিষ্ট ব্যক্তি ইন্তিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন

খালিদ ইবন সাদান আল কিলাঈ১

ইনি একজন বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ একদল সাহাবী থেকে তার একাধিক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷
তিনি তৎকালীন মুষ্টিমেয় ও প্রসিদ্ধ উলামা ও ইমামগণের অন্যতম ৷ তিনি প্রতিদিন ণ্রাযা
রাখতেন এবং বোমা থাকা অবস্থায় প্রতিদিন চল্লিশ হাজার বার তাসবীহ্ পাঠ করতেন ৷ তিনি
হিমসৃবাসীর ইমাম ছিলেন ৷ রমযান মাসে তারাবীহ্র নামাষে প্রতিরাত্রে তিনি দশ পারা
তিলাওয়াত করতেন ৷ জাওয্জানী তার থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কারো
নিন্দার মাধোমে আল্পাহ্র প্রশংসা করবে, আল্লাহ্ তা আলা তার সেই সকল প্রশংসাকে নিন্দায়
পরিণত করবেন ৷ ইবন আবুদ্ দুনৃইয়া তার থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, প্রত্যেক বান্দার
চারটি চক্ষু রয়েছে ৷ দুটি হলো চর্যচক্ষু যা দ্বারা সে তার পার্থিব বিষয়সমুহ অবলোকন করে ৷
আর দুটি হলো অন্তর্বৃষ্টি যা দ্বারা সে তার পারলৌকিক বিষয়াদি প্রত্যক্ষ করে ৷ আর মহান
আল্লাহ্ যখন কোন বান্দার কল্যাণ চান, তখন তার অন্তর্বৃষ্টি উন্মুক্ত করে দেন ৷ তখন যে তা
দ্বারা তার আখিরাতের বিষয় অবলোকন করে ৷ ফলে সে অদৃশ্য ভাবেই অদৃশ্য পারলৌকিক
বিপদ থেকে নিরাপদ থাকে ৷ আর মহান আল্পাহ্ যখন বন্দোর জন্য তার বিপরীত কিছু চান,
তখন বান্দার অন্তর্বৃষ্টিকে তার অবস্থায় ছেড়ে দেন ৷ ফলে, তুমি তাকে দেখবে সে তাকাচ্ছে ৷
কিত্তু উপকৃত হচ্ছে না ৷ কিত্তু সে যখনঅন্তর্বৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করে, তখন উপকার লাভ
করে ৷ তিনি বলেন, অন্তর্বৃষ্টি হলো আখিরাত অববলাকনের জন্য আর চর্মচক্ষু হলো দুনিয়া
দর্শনের জন্য ৷ এ ছাড়াও তার বহু গুণ ও কীর্তি বিদ্যমান ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷

আমির ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস আল-লায়ছ২

তিনি বিশিষ্ট নির্ভরযোগ্য তাবিঈ ৷ তার পিতা ও অন্যদের থেকে তিনি বহু হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

১ তারীখুল ইসলাম ৪১ :৯, তারীখুল ৰুখারী ৩১ ৭৬, তাহষীবুত তাহষীব ১১৮, তাহষীব ইবন আসাকির
৫৮৯, তাহষীবুল কামাল, ৩৬৫, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৮৭ , আলজারহ ওয়াত্তাদীল ২য় অংশ ১ম
ভলিউম ৩৫১, আল-ইিলইয়া, ৫২১০, খুলাসাভৃ তাহষীবুত তাহষীব ১০৩, যায়লুল মুযায়য়াল ৬৩২,
শাজারাতৃয্ যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ৭৪৫৫, তাবাকাত খলীফা ২৯২৮ ৷ তাৰাকুতৃস সুয়ুতী
৩৬, আল-ইবার ব১১২৬ আলমাআরিফ ৬২৫, আলমা রিফা ওয়াততারীখ ২৩৩২, আনৃনুজুম আয্যাহিয়া
১২৫২ ৷

২ তারীখুল ইসলাম ৪১৩০ তারীখুল বুখারী ৬৪৪৯, তাহষীবুত তাহষীব ৫৬৩, তাহষীবুল কামাল, ৬৪ ১ ,
আলজারহ্ ওয়াত্তা দীল ১ম অংশ ৩য় ভলিউম ৩২১, খুলাসাভু তাহষীবুত তাহষীব ১৮৪, শাজারাতৃয
যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ৫১৬৭, তাবাকাত খলীফা ২০৭৯ আল ইবার ১১২৬,
শ্আলমাআহ্বরফ ২৪৪, আলমারিফাতু ওয়াত্তারীখ ১৩৬৮ ৷


[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: خَالِدُ بْنُ مَعْدَانِ الْكَلَاعِيُّ. وَعَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ عَنْ أَبِيهِ وَغَيْرِهِ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، ثِقَةٌ مَشْهُورٌ. وَعَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৬২৭


আমির ইবন শারাহীল আশ্শা’বী১

একটি মত অনুযায়ী তিনি এ বছর ইনতিকাল করেন ৷ শাবী ছিলেন হামাদান অঞ্চলের
অধিবাসী হামাদান গোত্রীয় ৷ তার উপনাম আবু আমর ৷ তিনি কুফার মহাজ্ঞানী অড়ালিম এবং
হাফিযে হাদীস, ইমাম, বহু শাস্ত্র জ্ঞানের অধিকারী ৷ তিনি বেশ কয়েকজন সাহাবীর সাহচর্য
পেয়েছেন এবং তাদের থেকে এবং তাবিঈগণের একটি জামাআত থেকে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এছাড়া তার থেকেও একদ্যা তাবিঈ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু মুজলিয বলেন,
আমি ইমাম শাবীর চেয়ে বিজ্ঞ ফকীহদেখিনি ৷ মাকহ্রল বলেন, সুসাব্যস্ত সুন্নাত সম্পর্কে তার
চেয়ে জ্ঞানী কাউকে আমি দেখিনি ৷ দাউদ আলআওদী বলেন, (একবার) শাবী আমাকে
বলেন, আমার সাথে এখানে আস আমি তোমাকে একটি জ্ঞান দান করি ৷ বরং বলা যায় তা
জ্ঞানের শীর্ষ ৷ আমি বললাম, আপনি আমাকে কোন জ্ঞান শেখাবেন ৷ তিনি বলেন, যদি
তোমাকে এমন বিষয় জিজ্ঞাসা করা হয় যা তুমি জান না, তাহলে বল, আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত ৷
কেননা, তা উত্তম জ্ঞানের পরিচায়ক ৷ তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ইয়ামানের দুরতম অঞ্চল
থেকে এমন একটি শব্দ ণ্শখার জন্য সফর করে আসে যা ভবিষ্যত জীবনে তার উপকার
করবে, তড়াহলেও আমি তার এই দীর্ঘ সফরকে সার্থক মনে করব ৷ আর যদি সে দুনিয়ার
কামনা-বাসনার প্রিয়বন্তুর সন্ধানে এই মসজিদের বাইরেও বের হয়, তাহলে আমি তার এই
অতি সংক্ষিপ্ত সফরকেও অর্থহীন ও শান্তিস্বরুপ গণ্য করব ৷ তিনি বলেন, জ্ঞানের কথাবাণী
চুলের ন্যায় অসংখ্য ৷ কাজেই, প্রত্যেক বিষয়ের সর্বোত্তম জ্ঞান আহরণ কর ৷

আবু বুরদা ইবন আবু মুসা আলআশ্আেরী২

ইনি তিশাবী (র)-এর পুর্বে কুফার কাযীর দায়িত্ব পালন করেন ৷ আর শাবী (র) উমর ইবন
আবদুল আযীযের খিলাফতকালে কাযীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং আমৃত্যু এ দায়িতৃ পালন
করেন ৷

১ আল-ইক্লীল ৮১৪ ৫, আখরারুল কৃসাত ২৪ ১৩, তারীখুল ইসলাম, ৪১৩০, তারীখুল বুখারী ৬৪ ৫০ ,
তারীখুল বুখারী আসৃসাগীর ১২৪৩-২৫৩-২৫৪ , তারীখে বাগদাদ, ১২২২৭, তায্কিরাভুল হুফ্ফায
১৭৪ , তাহযীব ইবন আসাকির ৭১৪ ১ , তাহযীবুল কামাল ৬৪২, আলজারহ ওয়াত তাদীল ১ম অংশ ৩য়
ভলিউম ৩২২, আল-জামৃউ বায়না রিজালুস সহীহায়ন ৩৭৭, আল-হিলইয়া ৪৩১০, খুলাসাভু
তাহযীবুত্-তাহযীব ১৮৪, সিমভুল লাআলী ৭৫১, শাজারাতুর্বৃযাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ
৬২৪৬, তাবাকাতুল হুফ্ফায সুয়ুতী ৩৭, তাবাকাতু খালীফা ১১৪৪, তাবাকাতৃশ শাফিঈয়্যা আববাদী ৫৮, ন্

ধ্ তাবাকাতৃল ফুকাহা শীরাযী ৮১, তাবাকাভু ফুকাহাউল ইয়ামান ৭০, তাবাকাতুল মুতাযিলা ১৩০, ১৩৯,
আল-ইবার ১১২৭, পায়াতুন নিহায়া ১৫০০, আললুবাব ২২১, আল মাসারিফ ৪৪৯, আল মা’রিফা
ওয়াত্তারীখ ২৫৯২, মুজামুল বুলদান আনুনুজুম আঘৃযাহিরা ১২৫৩, ৩ফায়াতুল আয়ান ৩১ ৷

২ আল-ইকলীল ১০৪৬, আখবারুলকুয়াত্ত ২৪ :৮, তারীখুল ইসলাম ৪২১৬, তারীখুল বুখারী ৬৪ : ৭,
তারীখুল বুখারী আসসগীর ১২৪৮, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৮৯, তাহযীবুল কামাল ১৫৭৮,
শাজারাতুয যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ১২৬৮, তাবাকাতুল হুফ্ফায-সুয়ুতী ৩৬, তাবাকাত
খলীফা ১১৫৩, আল-ইবার ১১২৮, আল-মাআরিফ ৫৮৯, আনৃনুজুম আয্যাহিরা ১২৫২ ৷


وَأَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ تَوَلَّى قَضَاءَ الْكُوفَةِ قَبْلَ الشَّعْبِيِّ ; فَإِنَّ الشَّعْبِيَّ تَوَلَّى فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَاسْتَمَرَّ إِلَى أَنْ مَاتَ، وَأَمَّا أَبُو بُرْدَةَ فَإِنَّهُ كَانَ قَاضِيًا فِي زَمَنِ الْحَجَّاجِ، ثُمَّ عَزَلَهُ الْحَجَّاجُ وَوَلَّى أَخَاهُ أَبَا بَكْرٍ وَكَانَ أَبُو بُرْدَةَ فَقِيهًا حَافِظًا عَالِمًا، لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ. أَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ.