আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৬২৪


বলেন, হে আবু হাজ্জাজ, তুমি আমাকে ঐ বিষয় জিজ্ঞাসা করেছ, যা আমি আল্লাহ্র রাসুলকে
ডিজ্ঞোসা করেছিলাম ৷ তিনি বলেছিলেন, শপথ ঐ সভার, যার হাতে আমার প্রাণ, বান্দা কর্তৃক
আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য সুষ্ঠু জ্ঞানবুদ্ধির চেয়ে উত্তম কিছু নেই ৷ যদি জ্ঞান-বৃদ্ধির সাথে
করা না হয়, তাহলে আল্লাহ কোন বান্দার নামায রােযা কিৎবা অন্য কোন লেক আমল কবুল
করেন না ৷ আর যদি কোন জাহিল ইবাদত-বন্দেগীতে মুজতাহিদদের ছাড়িয়েও যায়, তাহলে
যতটুকু পড়বে তার চেয়ে বেশী বিগড়াবে ৷ আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, এই হাদীসে
আকল-বুদ্ধির উল্লেখ এবং তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম থেকে মারকু রুপে
রিওয়ায়াত করা হাদীসকে মুনকার ও মাওঘু অর্থাৎ অগ্রহণযোগ্য ও জাল সাব্যস্ত করে ৷
উল্লিখিত গুণত্রায়র রিওয়ায়াতটি ইবন উমর থেকে মাওকুফ রুপে বর্ণিত ৷ তার এই বক্তব্য
থেকে, যে ব্যক্তি তিনটি গুণের মাঝে সমন্বয় সাধন করতে পারবে ইবন আবব্াসের মন্তব্য তিনি
সত্য বলেছেন ৷ আর এ রিওয়ায়াতের পরবর্তী অংশ হাদীসে মারফু কিৎব৷ মাওকুফ কোন
ভাবেই সাব্যস্ত হয়নি ৷ আর এর রাবী দাউদ ইবন মুহবির-এর উপনাম আবুসুলায়মান ৷ হাকিম
বলেন, এই ব্যক্তি বাগদাদে একদল নির্ভরযোগ্য রাবী থেকে একাধিক জাল হাদীস রিওয়ায়াত
করেছে ৷ তার থেকে হারিছ ইবন আবুউসামা সেগুলো রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কিতাবুল আকল’
নামে তার গ্রন্থ সংকলন রয়েছে ৷ তার এই কিতাবের অধিকাংশই রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়া সাল্লামের নামে জাল করা হয়েছে৷ আর আকল-বুদ্ধির উল্লেখ সম্বলিত এই মারফু
বিওয়ায়াতটিও সম্ভবত ঐ সকল জাল রিওয়ায়াতের অন্তর্ভুক্ত ৷ আল্পাহই সৰ্বাধিক জানেন ৷
এছাড়া ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল তাকে মিথ্যাবাদী’ সাব্যস্ত করেছেন ৷

মুসআব ইবন সা দ ইবন আবু ওয়াককাসং-

তিনি একজন বিশিষ্ট তাবেঈ ৷ মুসা ইবন তালহা ইবন উবায়দৃল্লাহ্ আত্তামীমী ৷ তার
সততার কারণে তাকে আল মাহ্দী উপাধি প্রদান করা হয় ৷ নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের অন্যতম ৷
মহান আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷

১০৪ হিজরীর সুচনা

এ বছরেই থােরাসানের নায়েব সাঈদ ইবন আমর আল-হারাশী সাগদ্বাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হন এবং খজনাদাহ্বাসীকে অবরোধ করেন ৷ এ সময় তিনি বহুসংখ্যক শত্রু হত্যা
করেন ৷ এ ছাড়া তাদের থেকে বিপুল অর্থসম্পদ জব্দ করেন এক বিরাট স খ্যককে দাসরুপে
যুদ্ধবন্দী করেন ৷ তিনি খলীফা ইয়াযীদ ইবন আবুল মা ৷লিককে এ বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত
করেন ৷ কেননা, তিনিই তাকে এর দায়িতু প্রদান করেন ৷ এ বছরের রবীউল আওয়াল মাসে
খলীফ৷ ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক হারামায়নের গভর্নর পদ থেকে আবদুর রহমান ইবন
যাহ্হাক ইবন কায়সকে পদচ্যুত করেন ৷ আর এর কারণ হ্নিা, এ সময় আবদুর রহমান
ফাতিমাহ্ বিনত হুসায়নের কাছে বিবাহের পয়গাম পাঠায় ৷ কিভু তিনি তার এ প্রস্তাবে
১ তারীখুল ইসলাম ৪২০৪ , তারীখুল বুখারী ৭৩৫০ , তাহযীবুল আসমা ওয়াল লুগাত ১ম অংশ ২য় খণ্ড টু ৯৫,

তাহযীবুত তাহযীব ১০১৬০, তাহষীবুল কামাল ১ত৩৩, আল জাৱহ ওয়াত তাদীল প্রথম অংশ ৪র্থ
ভলিউম ৩০৩, খুলাসাতু তাহযীবুত তা হযীব ৩৭৭, শাজারাতুবৃযাহাব ১১২৫, তাবাকাত ইবন সাদ ৫
১৬৯, ৬২২২, তাবাকাতু খালীফা ২০৮২, আল-ইবাৱ ১১২৫, আলমাআরিফ ২৪৪ ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا قَاتَلَ سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الْحَرَشِيُّ نَائِبُ خُرَاسَانَ أَهْلَ الصُّغْدِ، وَحَاصَرَ أَهْلَ خُجَنْدَةَ، وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا، وَأَخَذَ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَأَسَرَ رَقِيقًا كَثِيرًا جِدًّا، وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَوَجَدَ عَلَيْهِ أَمِيرُ الْعِرَاقِ عُمَرُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِذْ لَمْ يَكْتُبْ إِلَيْهِ فَيَكْتُبَ هُوَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، لِأَنَّهُ هُوَ الَّذِي وَلَّاهُ. وَفِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا عَزَلَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ إِمْرَةِ الْحَرَمَيْنِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، وَكَانَ سَبَبُهُ أَنَّهُ خَطَبَ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْحُسَيْنِ، فَامْتَنَعَتْ مِنْ قَبُولِ ذَلِكَ، فَأَلَحَّ عَلَيْهَا وَتَوَعَّدَهَا، فَأَرْسَلَتْ إِلَى يَزِيدَ تَشْكُوهُ إِلَيْهِ، فَبَعَثَ إِلَى عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّضْرِيِّ نَائِبِ الطَّائِفِ، فَوَلَّاهُ الْمَدِينَةَ، وَأَنْ يَضْرِبَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الضَّحَّاكِ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتَهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى فِرَاشِهِ بِدِمَشْقَ وَأَنْ يَأْخُذَ مِنْهُ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ رَكِبَ إِلَى دِمَشْقَ فَاسْتَجَارَ بِمَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَدَخَلَ عَلَى أَخِيهِ فَقَالَ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً. فَقَالَ: كُلُّ حَاجَةٍ تَقُولُهَا فَهِيَ لَكَ إِلَّا أَنْ تَكُونَ ابْنَ الضَّحَّاكِ. فَقَالَ: هُوَ وَاللَّهِ حَاجَتِي. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَقْبَلُهَا وَلَا أَعْفُو عَنْهُ. فَرَدَّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَتَسَلَّمَهُ عَبْدُ الْوَاحِدِ فَضَرَبَهُ وَأَخَذَ مَالَهُ حَتَّى تَرَكَهُ فِي جُبَّةِ صُوفٍ، فَسَأَلَ النَّاسَ
পৃষ্ঠা - ৭৬২৫

অস্বীকৃতি জানান তখন যে এ বিষয়ে পীড়াপীড়ি করে এবং তাকে হুমকি প্রদান করে ৷ তখন
তিনি (ফাতিমা) খলীফা ইয়াযীদেয় কাছে দুত পাঠিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ৷ এরপর
খলীফা তইিফের নায়েব আবদুঃা ওয়াহিদ ইবন আবদুল্লাহ আনৃনযরীয় কাছে দুত পাঠিয়ে তাকে
পবিত্র মদীনায় নায়েব নিয়োগ করেন এবং৩ তাকে নির্দেশ প্রদান করেন, আবদুর রহমান ইবন
যাহ্হাককে এমন সশব্দ ও ভীষণ প্ৰহার করতে যে তিনি যেন দামেশকে তার আসনে হেলান
দিয়ে বসে তার শব্দ শুনতে পান ৷ এছাড়া তিনি তাকে ইবন যাহ্হাক থেকে চল্লিশ হাজার দীনার
উসুল করার নির্দেশ দেন ৷ এদিকে আবদুর রহমানের কাছে যখন এ সংবাদ পৌছে তখন সে
মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের আশ্রয় গ্রহণের জন্য দামেশকে রওয়া নৃ৷ হয়ে যায় এরপর
খলীফার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে সে বলে, আপনার কাছে আমার একটি বিশেষ প্রয়োজন
আছে ৷ মাসলামাহ্ বলেন, তোমার সবপ্রয়োজন পুর্ণ করা হবে, যদি তুমি ইবন যাহ্হাক না হয়ে
থাক ৷ সে বলে, আল্লাহর কলম, সেটইি আমার প্রয়োজন ৷ তিনি বলেন, আল্পাহ্য় কলম!
তাহলে আমি তা গ্রহণ করব না এবং তাকে ক্ষমাও করব না ৷ এরপর তিনি তাকে পবিত্র
মদীনায় ফেরত পাঠান, আবদুল ওয়াহিদ তাকে গ্রহণ করেন এবং প্রহায় করেন ৷ এরপর তিনি
তার ^সমুদয় অর্থসস্পদ যব্দ করেন এবং তাকে শুধু পরিধেয় এক বত্রে ছেড়ে দেন ৷ সে পবিত্র
মদীনাবাসীর কাছে হাত পাত তে শুরু করে ৷ অথচ ইতোপুর্বে সেই তিন বছর কয়েক মাস
পবিত্র মদীনায় শাসন পরিচালনা “করে ৷ ইমাম যুহরী তাকে একটি সুপরামর্শ প্রদান করেন ৷
তিনি তাকে জটিল ব্যাপারে আলিমগণেয় সাহায্য গ্রহণের কথা বলেন ৷ বিন্তু যে তা প্রত্যাখ্যান ন্
করে ৷ ফলে যে সাধারণ মানুষের ঘৃণা এবং কবিদের নিন্দার পাত্রে পরিণত হয় ৷ এরপর তার
শেষ পরিণতি ৩হয় এই ৷

এছাড়া এ বছর উমর ইবন হুবায়য়াই সাঈদ ইবন আমর আল্হারাশীকে অপসারণ করেন ৷
এর কারণ সে ইবন হুবায়রার নির্দেশকে কোন গুরুত্ব দিত না ৷ ইবন হুবায়রাহ্ তাকে অপসারণ
করে তার সামনে উপস্থিত করে শাস্তি প্রদান করে এবং তার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পৃদ
জব্দ করে ৷ এমনকি সে তাকে হত্যার নিদেশ প্রদান করে, পরে অবশ্য তাকে ক্ষমা করে ৷ আর
মুসলিম ইবন সাঈদ ইবন আসলড়াম ইবন যুরআ আলকিলাবীকে খােরাসানেয় প্রশাসক নিয়োগ
করে ৷ তখন মুসলিম সেখানে গিয়ে এমন বহু অর্থ সম্পদ উদ্ধার করে যা সাঈদ ইবন আময়
আল হারাশীর সময়ে গোয়া গিয়েছিল ৷ এ বছরেই আর্মেনিয়া ও আযারবায়জানের নায়েব
জাবৃরাহ ইবন আবদুল্লাহ্ আল হাকামী তুর্কিস্তান আক্রমণ করেন ৷ এ সময় তিনি বালানজার
জয় করেন এবং তুর্কী যােদ্ধাদের পরাজিত করেন ৷ তিনি তাদেরকে এবং তাদের নারী-শিত্তদের
পানিতে নিমজ্যি করেন এবং এদের বহুসৎখ্যককে যুদ্ধবন্দী করেন ৷ এ সময় তিনি বালানৃজার
সংলগ্ন অধিকাংশ দুর্গ জয় করেন এবং তাদের অধিকাংশ অধিবাসীকে নির্বাসিত করেন ৷ এরপর
তিনি তা৩ ৷রী সম্রাট খাকানের মুখোমুখি হন ৷ তখন তাদের মাঝে প্রচণ্ড ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের
সুত্রপাত হয় এবং শেষ পর্যন্ত খাকান পরাজিত হয় ৷ এ সময় মুসলমানগণ তাদের পশ্চাদ্ধাবন
করে তাদের বিপুলসংখ্যক যােদ্ধাকে হত্যা করে ৷ এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন তাইফ্ এবং
হারামায়নের আমীর আবদুল ওয়াহিদ ইবন আবদৃল্লাহ্ আননায্রী ৷ এ সময় ইরাক ও
ন্ খােরাসানেয় নাইব উমর ৷ আর ঘোরাসানে তার নাইব মুসলিম ইবন সাঈদ ৷ এ বছরেই
সাফ্ফাহ্ জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি আবুল আব্বাস আবদুল্পাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন


بِالْمَدِينَةِ، وَكَانَ قَدْ بَاشَرَ نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ ثَلَاثَ سِنِينَ وَأَشْهُرًا، وَكَانَ الزُّهْرِيُّ قَدْ أَشَارَ عَلَيْهِ بِرَأْيٍ سَدِيدٍ ; وَهُوَ أَنْ يَسْأَلَ الْعُلَمَاءَ إِذَا أَشْكَلَ عَلَيْهِ أَمْرٌ، فَلَمْ يَقْبَلْ وَلَمْ يَفْعَلْ، فَأَبْغَضَهُ النَّاسُ، وَذَمَّهُ الشُّعَرَاءُ، ثُمَّ كَانَ هَذَا آخِرَ أَمْرِهِ. وَفِيهَا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ هُبَيْرَةَ، سَعِيدَ بْنَ عَمْرٍو الْحَرَشِيَّ وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَسْتَخِفُّ بِأَمْرِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، فَلَمَّا عَزَلَهُ أَحْضَرَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَعَاقَبَهُ وَأَخَذَ مِنْهُ أَمْوَالًا كَثِيرَةً، وَأَمَرَ بِقَتْلِهِ ثُمَّ عَفَا عَنْهُ، وَوَلَّى عَلَى خُرَاسَانَ مُسْلِمَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ أَسْلَمَ بْنِ زُرْعَةَ الْكِلَابِيَّ، فَسَارَ إِلَيْهَا، فَاسْتَخْلَصَ أَمْوَالًا كَانَتْ مُنْكَسِرَةً فِي أَيَّامِ سَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو الْحَرَشِيَّ. وَفِيهَا غَزَا الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ نَائِبُ إِرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ أَرْضَ التُّرْكِ، فَفَتَحَ بَلَنْجَرَ وَهَزَمَ التُّرْكَ، وَغَرَّقَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ فِي الْمَاءِ، وَسَبَى مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَافْتَتَحَ عَامَّةَ الْحُصُونِ الَّتِي تَلِي بَلَنْجَرَ، وَأَجْلَى عَامَّةَ أَهْلِهَا. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّضْرِيُّ أَمِيرُ الْحَرَمَيْنِ وَالطَّائِفِ، وَعَلَى نِيَابَةِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ عُمَرُ بْنُ هُبَيْرَةَ، وَنَائِبُهُ عَلَى خُرَاسَانَ مُسْلِمُ بْنُ سَعِيدٍ يَوْمَئِذٍ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وُلِدَ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَهُوَ الْمُلَقَّبُ بِالسَّفَّاحِ أَوَّلُ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ وَقَدْ بَايَعَ أَبَاهُ فِي الْبَاطِنِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ.
পৃষ্ঠা - ৭৬২৬


আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস ৷ সাফ্ফাহ্ তার উপাধি ৷ তিনি বানু আব্বাসের প্রথম খলীফা
ইরাকবাসীদের একটি দল গোপনে তার পিতার কাছে বায়আত করে আর এ বছর যে সকল
বিশিষ্ট ব্যক্তি ইন্তিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন

খালিদ ইবন সাদান আল কিলাঈ১

ইনি একজন বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ একদল সাহাবী থেকে তার একাধিক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷
তিনি তৎকালীন মুষ্টিমেয় ও প্রসিদ্ধ উলামা ও ইমামগণের অন্যতম ৷ তিনি প্রতিদিন ণ্রাযা
রাখতেন এবং বোমা থাকা অবস্থায় প্রতিদিন চল্লিশ হাজার বার তাসবীহ্ পাঠ করতেন ৷ তিনি
হিমসৃবাসীর ইমাম ছিলেন ৷ রমযান মাসে তারাবীহ্র নামাষে প্রতিরাত্রে তিনি দশ পারা
তিলাওয়াত করতেন ৷ জাওয্জানী তার থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কারো
নিন্দার মাধোমে আল্পাহ্র প্রশংসা করবে, আল্লাহ্ তা আলা তার সেই সকল প্রশংসাকে নিন্দায়
পরিণত করবেন ৷ ইবন আবুদ্ দুনৃইয়া তার থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, প্রত্যেক বান্দার
চারটি চক্ষু রয়েছে ৷ দুটি হলো চর্যচক্ষু যা দ্বারা সে তার পার্থিব বিষয়সমুহ অবলোকন করে ৷
আর দুটি হলো অন্তর্বৃষ্টি যা দ্বারা সে তার পারলৌকিক বিষয়াদি প্রত্যক্ষ করে ৷ আর মহান
আল্লাহ্ যখন কোন বান্দার কল্যাণ চান, তখন তার অন্তর্বৃষ্টি উন্মুক্ত করে দেন ৷ তখন যে তা
দ্বারা তার আখিরাতের বিষয় অবলোকন করে ৷ ফলে সে অদৃশ্য ভাবেই অদৃশ্য পারলৌকিক
বিপদ থেকে নিরাপদ থাকে ৷ আর মহান আল্পাহ্ যখন বন্দোর জন্য তার বিপরীত কিছু চান,
তখন বান্দার অন্তর্বৃষ্টিকে তার অবস্থায় ছেড়ে দেন ৷ ফলে, তুমি তাকে দেখবে সে তাকাচ্ছে ৷
কিত্তু উপকৃত হচ্ছে না ৷ কিত্তু সে যখনঅন্তর্বৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করে, তখন উপকার লাভ
করে ৷ তিনি বলেন, অন্তর্বৃষ্টি হলো আখিরাত অববলাকনের জন্য আর চর্মচক্ষু হলো দুনিয়া
দর্শনের জন্য ৷ এ ছাড়াও তার বহু গুণ ও কীর্তি বিদ্যমান ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷

আমির ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস আল-লায়ছ২

তিনি বিশিষ্ট নির্ভরযোগ্য তাবিঈ ৷ তার পিতা ও অন্যদের থেকে তিনি বহু হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

১ তারীখুল ইসলাম ৪১ :৯, তারীখুল ৰুখারী ৩১ ৭৬, তাহষীবুত তাহষীব ১১৮, তাহষীব ইবন আসাকির
৫৮৯, তাহষীবুল কামাল, ৩৬৫, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৮৭ , আলজারহ ওয়াত্তাদীল ২য় অংশ ১ম
ভলিউম ৩৫১, আল-ইিলইয়া, ৫২১০, খুলাসাভৃ তাহষীবুত তাহষীব ১০৩, যায়লুল মুযায়য়াল ৬৩২,
শাজারাতৃয্ যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ৭৪৫৫, তাবাকাত খলীফা ২৯২৮ ৷ তাৰাকুতৃস সুয়ুতী
৩৬, আল-ইবার ব১১২৬ আলমাআরিফ ৬২৫, আলমা রিফা ওয়াততারীখ ২৩৩২, আনৃনুজুম আয্যাহিয়া
১২৫২ ৷

২ তারীখুল ইসলাম ৪১৩০ তারীখুল বুখারী ৬৪৪৯, তাহষীবুত তাহষীব ৫৬৩, তাহষীবুল কামাল, ৬৪ ১ ,
আলজারহ্ ওয়াত্তা দীল ১ম অংশ ৩য় ভলিউম ৩২১, খুলাসাভু তাহষীবুত তাহষীব ১৮৪, শাজারাতৃয
যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ৫১৬৭, তাবাকাত খলীফা ২০৭৯ আল ইবার ১১২৬,
শ্আলমাআহ্বরফ ২৪৪, আলমারিফাতু ওয়াত্তারীখ ১৩৬৮ ৷


[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: خَالِدُ بْنُ مَعْدَانِ الْكَلَاعِيُّ. وَعَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ عَنْ أَبِيهِ وَغَيْرِهِ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، ثِقَةٌ مَشْهُورٌ. وَعَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৬২৭


আমির ইবন শারাহীল আশ্শা’বী১

একটি মত অনুযায়ী তিনি এ বছর ইনতিকাল করেন ৷ শাবী ছিলেন হামাদান অঞ্চলের
অধিবাসী হামাদান গোত্রীয় ৷ তার উপনাম আবু আমর ৷ তিনি কুফার মহাজ্ঞানী অড়ালিম এবং
হাফিযে হাদীস, ইমাম, বহু শাস্ত্র জ্ঞানের অধিকারী ৷ তিনি বেশ কয়েকজন সাহাবীর সাহচর্য
পেয়েছেন এবং তাদের থেকে এবং তাবিঈগণের একটি জামাআত থেকে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এছাড়া তার থেকেও একদ্যা তাবিঈ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু মুজলিয বলেন,
আমি ইমাম শাবীর চেয়ে বিজ্ঞ ফকীহদেখিনি ৷ মাকহ্রল বলেন, সুসাব্যস্ত সুন্নাত সম্পর্কে তার
চেয়ে জ্ঞানী কাউকে আমি দেখিনি ৷ দাউদ আলআওদী বলেন, (একবার) শাবী আমাকে
বলেন, আমার সাথে এখানে আস আমি তোমাকে একটি জ্ঞান দান করি ৷ বরং বলা যায় তা
জ্ঞানের শীর্ষ ৷ আমি বললাম, আপনি আমাকে কোন জ্ঞান শেখাবেন ৷ তিনি বলেন, যদি
তোমাকে এমন বিষয় জিজ্ঞাসা করা হয় যা তুমি জান না, তাহলে বল, আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত ৷
কেননা, তা উত্তম জ্ঞানের পরিচায়ক ৷ তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ইয়ামানের দুরতম অঞ্চল
থেকে এমন একটি শব্দ ণ্শখার জন্য সফর করে আসে যা ভবিষ্যত জীবনে তার উপকার
করবে, তড়াহলেও আমি তার এই দীর্ঘ সফরকে সার্থক মনে করব ৷ আর যদি সে দুনিয়ার
কামনা-বাসনার প্রিয়বন্তুর সন্ধানে এই মসজিদের বাইরেও বের হয়, তাহলে আমি তার এই
অতি সংক্ষিপ্ত সফরকেও অর্থহীন ও শান্তিস্বরুপ গণ্য করব ৷ তিনি বলেন, জ্ঞানের কথাবাণী
চুলের ন্যায় অসংখ্য ৷ কাজেই, প্রত্যেক বিষয়ের সর্বোত্তম জ্ঞান আহরণ কর ৷

আবু বুরদা ইবন আবু মুসা আলআশ্আেরী২

ইনি তিশাবী (র)-এর পুর্বে কুফার কাযীর দায়িত্ব পালন করেন ৷ আর শাবী (র) উমর ইবন
আবদুল আযীযের খিলাফতকালে কাযীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং আমৃত্যু এ দায়িতৃ পালন
করেন ৷

১ আল-ইক্লীল ৮১৪ ৫, আখরারুল কৃসাত ২৪ ১৩, তারীখুল ইসলাম, ৪১৩০, তারীখুল বুখারী ৬৪ ৫০ ,
তারীখুল বুখারী আসৃসাগীর ১২৪৩-২৫৩-২৫৪ , তারীখে বাগদাদ, ১২২২৭, তায্কিরাভুল হুফ্ফায
১৭৪ , তাহযীব ইবন আসাকির ৭১৪ ১ , তাহযীবুল কামাল ৬৪২, আলজারহ ওয়াত তাদীল ১ম অংশ ৩য়
ভলিউম ৩২২, আল-জামৃউ বায়না রিজালুস সহীহায়ন ৩৭৭, আল-হিলইয়া ৪৩১০, খুলাসাভু
তাহযীবুত্-তাহযীব ১৮৪, সিমভুল লাআলী ৭৫১, শাজারাতুর্বৃযাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ
৬২৪৬, তাবাকাতুল হুফ্ফায সুয়ুতী ৩৭, তাবাকাতু খালীফা ১১৪৪, তাবাকাতৃশ শাফিঈয়্যা আববাদী ৫৮, ন্

ধ্ তাবাকাতৃল ফুকাহা শীরাযী ৮১, তাবাকাভু ফুকাহাউল ইয়ামান ৭০, তাবাকাতুল মুতাযিলা ১৩০, ১৩৯,
আল-ইবার ১১২৭, পায়াতুন নিহায়া ১৫০০, আললুবাব ২২১, আল মাসারিফ ৪৪৯, আল মা’রিফা
ওয়াত্তারীখ ২৫৯২, মুজামুল বুলদান আনুনুজুম আঘৃযাহিরা ১২৫৩, ৩ফায়াতুল আয়ান ৩১ ৷

২ আল-ইকলীল ১০৪৬, আখবারুলকুয়াত্ত ২৪ :৮, তারীখুল ইসলাম ৪২১৬, তারীখুল বুখারী ৬৪ : ৭,
তারীখুল বুখারী আসসগীর ১২৪৮, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৮৯, তাহযীবুল কামাল ১৫৭৮,
শাজারাতুয যাহাব ১১২৬, তাবাকাত ইবন সাদ ১২৬৮, তাবাকাতুল হুফ্ফায-সুয়ুতী ৩৬, তাবাকাত
খলীফা ১১৫৩, আল-ইবার ১১২৮, আল-মাআরিফ ৫৮৯, আনৃনুজুম আয্যাহিরা ১২৫২ ৷


وَأَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ تَوَلَّى قَضَاءَ الْكُوفَةِ قَبْلَ الشَّعْبِيِّ ; فَإِنَّ الشَّعْبِيَّ تَوَلَّى فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَاسْتَمَرَّ إِلَى أَنْ مَاتَ، وَأَمَّا أَبُو بُرْدَةَ فَإِنَّهُ كَانَ قَاضِيًا فِي زَمَنِ الْحَجَّاجِ، ثُمَّ عَزَلَهُ الْحَجَّاجُ وَوَلَّى أَخَاهُ أَبَا بَكْرٍ وَكَانَ أَبُو بُرْدَةَ فَقِيهًا حَافِظًا عَالِمًا، لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ. أَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ.