আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৬১৮

দেন ৷ এ সময় তারা তাদের সাংকেতিক শ্লোগান নির্ধারণ করেন ইয়া মুহাম্মাদ এরপর তারা
একযোগে তাতারীদের উপর তীব্র আক্রমণ করেন ৷ এ আক্রমণে তারা তাদের বহু যােদ্ধাকে
হত্যা করেন এবং বহুসংখ্যক বাহন পশু আহত করেন ৷ আর অতর্কিত আক্রমণের ধাক্কা
সামলে এবার তাতারীরাও তাদেরকে আক্রমণ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই করে ৷ এ
অবস্থায় অধিকাৎশ মুসলমান যোদ্ধা পলায়ন করেন এবং মুসলিম সেনাপতি মুসায়িব্রবের অশ্ব
তার পশ্চাদদেশে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ৷ তিনি এবং তার সঙ্গী বীরেরা পদাতিক যােদ্ধায় পরিণত হন
এবং এ অবস্থায়ও তারা শত্রুর বিরুদ্ধে অপ্রতিরােধ আক্রমণ চালিয়ে বলে আর এই মুষ্টিমেয়
যােদ্ধার দল মুসড়ায়িবেকে ঘিরে অবিচলভাবে শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে থাকেন এবং
অবশেষে আল্লাহ্ তাদেরকে বিজয় দান করেন ৷ এ সময় মুশরিকরা দিগিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে
তাদের সামনে থেকে পলায়ন করে অথচ তাদের সংখ্যা ছিল বিপুল ৷ এ সময় মুসায়িক্তবের
যােষৰু ঘোষণা করে, তোমরা কোন শত্রুর পশ্চাদ্ধাবন করো না, তোমরা কাসরে বাহিনী এবং
তার অধিবাসীদের উদ্ধার কর ৷ তখন তারা তাদেরকে সফরের বাহন সরবরাহ করে এবং ঐ
সকল তাতারীদের সেনা ছাউনি, সকল অর্থ-সম্পদ ও মুল্যবান বস্তু অধিকার করে ৷ এরপর
তারা কাসরে বাহিলীতে’ অবরুদ্ধ মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে ফিরে আসে ৷ পরদিন
যখন তাতারীরা ফিরে এসে সেখানে কোন জনমানবের চিহ্ন দেখল না, তখন তারা মনে মনে
ডাবল, গতকাল আমরা যাদের মুখোমুখি হয়েছিলাম তারা মানুষ ছিল না, তারা ছিল জিন ৷
ন্ আর এ বছর যে সকল প্রখ্যাত ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন :

যাহ্হাক ইবন মুযাহিম আল হিলালী১

ন্ তিনি আবুল কাসিম মতাতরে আবু মুহাম্মাদ আল খােরাসানী ৷ ইনি বলখ, সমরকন্দ ও
নিশাপুরে অবস্থান করতেন ৷ তিনি বিশিষ্ট তাবেঈ ৷ হযরত আনাস, ইবন উমর, আবু হুরড়ায়রা
এবং তাবিঈগণের এক দল থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অবশ্য কারও কারও মতে
সাহাবীণণের কারও থেকে তিনি সরাসরি কোন হাদীস শুনেননি, এমনকি কনিষ্ঠতম সাহাবী
ইবন আব্বাস থেকেও না ৷ যদিও তার সম্পর্কে একথা বর্ণিত আছে যে, তিনি সাত বছর তার
সাহচর্যে ছিলেন ৷ যাহ্হাক ইবন মুযাহিম তাফসীর শাস্তের ইমাম ছিলেন ৷ ছাওরী বলেন,
তোমরা চার ব্যক্তি থেকে তাফসীর শিক্ষা কর ৷ মুজাহিদ, ইকরিমা, সাঈদ ইবন জুবায়র এবং
যাহ্হাক ইবন মুযাহিম ৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেন, তিনি নির্ভরযেগ্যে, তবে ইমাম শু’বাহ্
ইবন আব্বাস থেকে তার হাদীস শোনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ তিনি বলেন, আসলে
যাহ্হাক সাঈদ সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন সাঈদ আল কাত্তান
বলেন, তিনি দুর্বল ছিলেন ৷ তবে ইবন হিবৃবান তাকে নির্ত্যযােগ্য গণ্য করেছেন ৷ তিনি তার
সম্পর্কে বলেন, তিনি কোন সাহাবী থেকে সরাসরি কোন রিওয়ায়াত শ্রবণ করেননি ৷ আর যে
ব্যক্তি দাবী করে যে, তিনি ইবন আব্বাসের সাক্ষাৎ লাভ করেছেন যে বিভ্রান্তি ও ভুলের
১ তারীখুল ইসলাম ৪১২৫,তারীখুল বুখারী ৪৩৩২, তাহযীবুৎ তাহযীব ৪৪৫ও, তাহযীবুল কামাল পৃ৪
১৬৮, আলজ্যরহ ওয়াৎ তাদীল ১ম অংশ ২য় ভলিউম ৪২৮, খুলাসাতু তাহষীবুত তাহযীব ১৭৭,
শাজারাতুয্ ষাহাব ১১২৪ , তাবকাভু ইবন সা’দ ৬৩০০, ৭ও৬৯ তারকাতু খালীফা ২৯৫০,তবােকাতুল

মুফাসৃসিরীন, মিরআতৃল জিনান ১২১৩, আলমুপীনী ফী আয্যুআফা ১৩১২, আনৃনুজুম আয্যাহিরা


الْغَزْوَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا، فَسَارَ إِلَيْهِمْ فَقَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا حَتَّى نَصَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَقَبَضَ مَا وَجَدَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ. وَفِيهَا عَزَلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخَاهُ مَسْلَمَةَ عَنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ يَصْرِفُ أَمْوَالَ الْغَنِيمَةِ فِيمَا يُرِيدُ، وَلَمْ يَصْرِفْ إِلَى أَخِيهِ يَزِيدَ شَيْئًا فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، وَطَمِعَ فِي أَخِيهِ فَعَزَلَهُ عَنْهَا، وَوَلَّى عَلَيْهَا بَدَلَهُ عُمَرَ بْنَ هُبَيْرَةَ عَلَى الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا أَمِيرُ الْمَدِينَةِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ: عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ الْفَزَارِيُّ، نَائِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى الْبَصْرَةِ وَهُوَ الَّذِي قَبَضَ عَلَى يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ وَبَعَثَ بِهِ مُقَيَّدًا إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَمَرَ بِسَجْنِهِ، فَلَمَّا مَرِضَ عُمَرُ هَرَبَ مِنَ السِّجْنِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ ظَهَرَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَنَصَبَ رَايَاتٍ سُودًا، وَطَلَبَ الْبَصْرَةَ وَمَلَكَهَا، وَجَرَتْ لَهُ فُصُولٌ قَدْ ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ إِنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ لَمَّا بَلَغَهُ قَتْلُ أَبِيهِ أَخْرَجَ عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ هَذَا مِنَ الْحَبْسِ وَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ مَعَهُ جَمَاعَةً نَحْوَ ثَلَاثِينَ إِنْسَانًا. يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ كَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَلَهُ فُتُوحَاتٌ كَثِيرَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৬১৯
وَكَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، لَهُ أَخْبَارٌ فِي الْكَرَمِ وَالشَّجَاعَةِ، وَآخِرُ أَمْرِهِ أَنَّهُ قُتِلَ، وَقُتِلَ مِنْ إِخْوَتِهِ وَأَوْلَادِهِ جَمَاعَةٌ، وَأُخِذَتْ أَمْوَالُهُ وَنِسَاؤُهُ وَأَوْلَادُهُ، وَزَالَ مَا كَانَ فِيهِ، وَقَدْ كَانُوا نَحْوَ ثَمَانِينَ نَفْسًا آلَ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، وَقَدْ جَمَعُوا شَيْئًا كَثِيرًا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْجَوَاهِرِ، فَمَا أَفَادَهُمْ ذَلِكَ شَيْئًا بَلْ سُلِبُوا ذَلِكَ جَمِيعَهُ. قَالَ: وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ وَالسَّادَةِ الضَّحَّاكُ بْنُ مُزَاحِمٍ الْهِلَالِيُّ أَبُو الْقَاسِمِ وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ الْخُرَاسَانِيُّ، كَانَ يَكُونُ بِبَلْخٍ وَسَمَرْقَنْدَ وَنَيْسَابُورَ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَنَسٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَجَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يَصِحَّ لَهُ سَمَاعٌ مِنَ الصَّحَابَةِ حَتَّى وَلَا مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَإِنْ كَانَ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ جَاوَرَهُ سَبْعَ سِنِينَ. وَكَانَ الضَّحَّاكُ إِمَامًا فِي التَّفْسِيرِ، قَالَ الثَّوْرِيُّ: خُذُوا التَّفْسِيرَ عَنْ أَرْبَعَةٍ ; مُجَاهِدٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالضَّحَّاكِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: هُوَ ثِقَةٌ مَأْمُونٌ. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ: وَهُوَ ثِقَةٌ. وَأَنْكَرَ شُعْبَةُ
পৃষ্ঠা - ৭৬২০
سَمَاعَهُ مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: إِنَّمَا أَخَذَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ: كَانَ ضَعِيفًا. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ "، وَقَالَ: لَمْ يُشَافِهْ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّهُ لَقِيَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَدْ وَهِمَ. وَحَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ سَنَتَيْنِ، وَوَضَعَتْهُ وَلَهُ أَسْنَانٌ، وَكَانَ يُعَلِّمُ الصِّبْيَانَ حِسْبَةً، وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ فِي مَكْتَبِهِ ثَلَاثَةُ آلَافِ صَبِيٍّ، وَكَانَ يَرْكَبُ حِمَارًا، وَيَدُورُ مِنَ الْعَلْيَاءِ عَلَيْهِمْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ - وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ - وَمِائَةٍ. وَقَدْ بَلَغَ الثَّمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَبُو الْمُتَوَكِّلِ عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ النَّاجِيُّ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، ثِقَةٌ، رَفِيعُ الْقَدْرِ.