আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

خلافة يزيد بن عبد الملك

خلافة يزيد بن عبد الملك

পৃষ্ঠা - ৭৬০৯


পত্র প্রেরণ করেন তার কথা হলো, এমন কতক লোক রয়েছে যারা এই শরাবপানে আসক্ত
অবস্থায় বার্ধকে উপনীত হয়েছে ৷ এই শরাবের নেশায় তারা এমনসব বিষয়ে লিপ্ত হয় যা তারা ন্
করে থাকে তাদের আকলবুদ্ধি ণ্লা প পাওয়ার সময় এবং বিবেক ও বিবেচনা বোধ নিক্রিয়
হওয়ার সময় ৷ ফলে, তারা এ সময় রক্তপাত ঘটায়, ব্যতিচারে লিপ্ত হয় এবং অবৈধ উপার্জান
প্রবৃত্ত হয় ৷ অথচ আল্পাহ্ তাআলা তার পরিবর্তে অনেক হালাল পানীয়ের অবকাশ রেখেছেন ৷
কাজেই, তোমাদের কেউ যদি নাবীয বা তাড়ি বানায় সে যেন চামড়ার মশকেই বানায় ৷ আর
আল্লাহর হালালকৃত পানীয় পান করে হারাম পানীয় পরিহার করে চলে ৷ আমাদের এই
সতর্কীকরণের পর যদি আমরা কাউকে হারাম পানীয় পান করতে দেখি, তাহলে আমরা তাকে
কঠিন শাস্তি প্রদান করব ৷ আর মহান আল্লাহর হারামকৃত বিষয়কে যে লঘু গণ্য করবে, সে
জোন রাখুক যে, আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোরতর ৷

ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের খিলাফত

তার ভইি খলীফা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের এক ফরমান দ্বারা তার অনুকুলে এই
মর্মে বায়আত গৃহীত হয়েছিল যে, উমর ইবন আবদুল আযীষের পর তিনিই শাসন কর্তৃত্বের
অধিকার হবেন ৷ তারপর যখন এ বছর অর্থাৎ একশ’ এক হিজরীর রজব মাংস উমর ইবন
আবদুল আযীয ইন্তিকাল করলেন, তখনসকলে ব্যাপকভাবে তার কাছে বায়আত করল ৷ এ
সময় তার বয়স উনত্রিশ বছর ৷ দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বছরের রমযান মাংস তিনি পবিত্র
মদীনায় প্রশাসক পদ থেকে আবু বাকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযমকে অপসারণ
করেন এবং নতুন প্রশাসকরুপে আবদুল রহমান ইবন যাহ্হাক ইবন কায়সকে নিয়োগ করেন ৷
ফলে তার মাঝে এবং আবু বাকর ইবন হাযমের মাঝে পারস্পরিক প্রতিদ্বস্থিতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি
হয় ৷ এমনকি এই পর্যন্ত পড়ায় যে, আবু বাকর ইবন হাযম তার বিরুদ্ধে সংব্শাধনমুলক একটি
শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করে ৷

এ ছাড়া এ বছর বুসতাম খারিজীর অনুসারী খারিজীদের মাঝে এবং কুফার সেনাবাহিনীর
মাঝে লড়াই সংঘটিত হয় ৷ খারিজীদের সংখ্যা ছিল কম, আর কুফার সেনাবাহিনীর সংখ্যা ছিল
প্রায় দশ সহস্র অশ্বারোহী ৷ তা সত্বেও খারিজীরা তাদেরকে পর্বুদস্ত করার উপক্রম হয় ৷ তখন
তারা পারস্পরিক ভহ্সনার মাধ্যমে একে অন্যকে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করে খারিজীদের বিধ্বস্ত করে
এবং তাদের সকলকে হত্যা করে ৷ তাদের সকল বিদ্রোহী গােষ্ঠীকে তারা নির্মুল করে ৷ এ
বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব বিদ্রোহ করে এবং ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের বায়আত
প্রত্যাহার করে বসরায় নিজের কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করে ৷ এ জন্য তাকে দীর্ঘ অবরোধ ও লড়াইয়ের
সম্মুখীন হতে হয় ৷ তারপর সে যখন তার কর্তৃত্ব লাভ করে, তখন সে তার অধিবাসীদের মাঝে
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং অর্থসম্পদ অকাতরে ব্যয় করে ৷ এ সময় সে বসরার গভর্নর
আদী ইবন আরআসাকে বন্দী করে ৷ কেননা, সে বসরায় অবস্থানকারী মুহাল্লাব পরিবারের
সদস্যদের বন্দী করে যখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব উমর ইবন আবদুল আযীষের বব্দীখানা থেকে
পলায়ন করে যেমন আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব যখন গভর্নরের
প্রাসাদের দখল লাভ করল, তখন আদী ইবন আরতাআকে হাযির করা হলো ৷ এ সময় সে
হাসতে হাসতে প্রবেশ করল ৷ তখন ইবন মুহাল্লাব তাকে বলল, তোমার হাসি দেখে আমি
আশ্চর্য বোধ করছি ৷ কেননা, প্রথমত তুমি নারীদের ন্যায় যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেছ,


[خِلَافَةُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ] بُويِعَ لَهُ بِعَهْدٍ مِنْ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ فِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَمِائَةٍ بَايَعَهُ النَّاسُ الْبَيْعَةَ الْعَامَّةَ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، فَعَزَلَ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَجَرَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، مُنَافَسَاتٌ وَضَغَائِنُ، حَتَّى آلَ الْأَمْرُ إِلَى أَنِ اسْتَدْرَكَ عَلَيْهِ حُكُومَةً فَحَدَّهُ حَدَّيْنِ فِيهَا. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةٌ بَيْنَ الْخَوَارِجِ، وَهُمْ أَصْحَابُ بِسِطَامٍ الْخَارِجِيِّ، وَبَيْنَ جُنْدِ الْكُوفَةِ وَكَانَتِ الْخَوَارِجُ جَمَاعَةً قَلِيلَةً، وَكَانَ جَيْشُ الْكُوفَةِ نَحْوًا مِنْ عَشْرَةِ آلَافِ فَارِسٍ وَكَادَتِ الْخَوَارِجُ أَنْ تَكْسِرَهُمْ، فَتَذَامَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، فَطَحَنُوا الْخَوَارِجَ طَحْنًا عَظِيمًا، وَقَتَلُوهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، فَلَمْ يُبْقُوا مِنْهُمْ ثَائِرًا. وَفِيهَا خَرَجَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَخَلَعَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْبَصْرَةِ وَذَلِكَ بَعْدَ مُحَاصَرَةٍ طَوِيلَةٍ وَقِتَالٍ طَوِيلٍ، فَلَمَّا ظَهَرَ عَلَيْهَا بَسَطَ الْعَدْلَ فِي أَهْلِهَا، وَبَذَلَ الْأَمْوَالَ، وَحَبَسَ عَامِلَهَا عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ حَبَسَ آلَ الْمُهَلَّبِ الَّذِينَ كَانُوا بِالْبَصْرَةِ، حِينَ هَرَبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৬১০

আর এখন তোমাকে ক্রী৩ দাসের ন্যায় ণ্টনে-£হচাড় আমার সামনে হাযির করা হয়েছে ৷ তখন
আদী বলল, আমি এ জন্য হাসছি যে, আমার জীবনের নিরাপত্তাণ্ আমার জীবনের নিরাপত্তার
সাথে অভিন্ন সুত্রে পাথা হয়ে গেছে, আর আমার পিছনে এক পশ্চাদ্ধাবনকারী রয়েছে, যে
আমাকে ছেড়ে দিয়ে না ৷ ইবন মুহাল্লাব বলল, যে কে ? সে বলল, তারা হলো শামে
অবস্থানরত বানু উমায়্যার সেনাবাহিনী ৷ আর তারা তােমাকেও ছেড়ে দিয়ে না ৷ কাজেই,
সমুদ্রের ঢেউ তোমার উপর আছড়ে পড়ার পুর্বেই আত্মরক্ষা কর ৷ কেননা, তখন তুমি
অব্যাহতি চাইলেও তোমাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না ৷ তখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তার
কথার উত্তর দিল ৷ তারপর তাকে এবং তার স্বজন-পরিজনকে বন্দী করল ৷ এদিকে বসরায়
ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের কর্তৃত্ব সুসংহত হলো এবং যে বিভিন্ন দিকে তার প্রতিনিধি ও
নায়িবদের প্রেরণ করল ৷ এ সময় সে আহ্ওয়াযে প্রশাসক নিয়োগ করল এবং একদল যােদ্ধাসহ
তার ভইি মুদরিক ইবন মুহাল্লাবকে থােরাসানের প্রশাসক নিয়োগ করে পাঠাল ৷ এদিকে খলীফা
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে তার এ সকল তৎপরতার সংবাদ পৌছল ৷ তিনি তার
বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বসরা অভিমুখে তার ভাতিজা আব্বাস ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিককে চার হাজার যােদ্ধাসহ প্রেরণ করলেন শ্৷ আববাসের নেতৃত্বাধীন এই বাহিনী ছিল
শামের নিয়মিত বাহিনীতে অবস্থানরত তার চাচা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের অনুবর্তী
অগ্রবর্তী বাহিনী স্বরুপ ৷ এদিকে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কাছে যখন তার বিরুদ্ধে প্রেরিত
খলীফা ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার সংবাদ পৌছল, সে বসরা
ত্যাগ করল এবং তার ভাই মারওয়ান ইবন মুহাল্লাবকে তার স্থুলব্র্তী করল ৷ বসরা থেকে বের
হয়ে সে ওয়াসিত-এ অবস্থান গ্রহণ করল ৷ সেখানে সে তার অনুসারী আমীরদের কাছে পরবর্তী
করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চাইল ৷ তখন তারা রায় প্রদানে মতবিরোধে লিপ্ত হলো ৷ তাদের কেউ
কেউ তাকে আহওয়ালে গিয়ে সেখানকার পাহাড়ের চুড়ায় আত্মরক্ষা করতে পরামর্শ দিল ৷ তখন
সে বলল, তোমরা তো দেখছি আমাকে পাহাড় চুড়ায় অবস্থানগ্রহণকারী পাখী বানাতে চাচ্ছ ৷
আর ইরাকীগণ তাকে পরামর্শ দিল আল জাষীরায় গিয়ে সেখানকার সবচেয়ে দুর্ভেদ্য দুর্গে
অবস্থান গ্রহণ করতে এবং জাযীরাবাসীকে সমবেত করে তাদের সাহায্যে শামবাসীর বিরুদ্ধে
লড়াই করতে ৷ এ বছর যখন অতিবাহিত হয়, তখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব শুয়াসিতে
অবস্থানরত আর শামের ফৌজ তার বিরুদ্ধে অগ্রসর হয় ৷

এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন পবিত্র মদীনায় আমীর আবদুর রহমান ইবন যাহ্হাক ইবন
কায়স ৷ এ সময় পবিত্র মক্কার আমীর আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খালিদ ইবন
উসায়দ, কুফার আমীর আবদুল হামীদ ইবন আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবনুল খাত্তাব আর
তার কাযী আমির শাবী, এছাড়া বসরার আমীর ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব খলীফা ইয়াযীদ ইবন
আবদুল মালিকের বায়আত প্রত্যাহার করে নিজেই তার শাসন কর্তৃত্ব গ্রহণ করে ৷ এ বছরই
উমর ইবন আবদুল আযীয বিবঈ ইবন হিরাশ এবং আবু সালিহ আসৃসাম্মান ইনৃতিকাল করেন ৷
আবু সালিহ আসৃসাম্মান নিতরিযোগ্য ও সত্যনিষ্ঠ আবিদ ৷ আমাদের সংকলিত আত্তাক্মীল’
গ্রন্থে আমরা তার জীবনী উল্লেখ করেছি ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷


مَحْبَسِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَمَا ذَكَرْنَا، وَكَانَ لَمَّا ظَهَرَ عَلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ أَتَى بِعَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ، فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ إِنِّي لَأَتَعَجَّبُ مِنْ ضَحِكِكَ لِأَنَّكَ هَرَبْتَ مِنَ الْقِتَالِ كَمَا تَهْرُبُ النِّسَاءُ، وَإِنَّكَ جِئْتَنِي وَأَنْتَ تُتَلُّ كَمَا يُتَلُّ الْعَبْدُ. فَقَالَ عَدِيٌّ: إِنِّي لَأَضْحَكُ لِأَنَّ بَقَائِي بَقَاءٌ لَكَ، وَإِنَّ مِنْ وَرَائِي طَالِبًا لَا يَتْرُكُنِي. قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: جُنُودُ بَنِي أُمَيَّةَ بِالشَّامِ لَا يَتْرُكُونَكَ، فَتَدَارَكْ نَفْسَكَ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ إِلَيْكَ الْبَحْرُ بِأَمْوَاجِهِ فَتَطْلُبَ الْإِقَالَةَ فَلَا تُقَالُ. فَرَدَّ عَلَيْهِ يَزِيدُ جَوَابَ مَا قَالَ، ثُمَّ سَجَنَهُ كَمَا سَجَنَ أَهْلَهُ. وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ بِالْبَصْرَةِ، وَبَعَثَ نُوَّابَهُ فِي النَّوَاحِي وَالْجِهَاتِ، وَاسْتَنَابَ فِي الْأَهْوَازِ، وَأَرْسَلَ أَخَاهُ مُدْرِكَ بْنَ الْمُهَلَّبِ عَلَى نِيَابَةِ خُرَاسَانَ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُ الْخَلِيفَةَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ جَهَّزَ ابْنَ أَخِيهِ الْعَبَّاسَ بْنَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، مُقَدَّمَةً بَيْنَ يَدَيْ عَمِّهِ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ فِي جُنُودِ الشَّامِ قَاصِدِينَ الْبَصْرَةَ لِقِتَالِهِ، وَلَمَّا بَلَغَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ مَخْرَجُ الْجُيُوشِ قَاصِدَةً إِلَيْهِ، خَرَجَ مِنَ الْبَصْرَةِ وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا أَخَاهُ مَرْوَانَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَجَاءَ حَتَّى نَزَلَ وَاسِطًا، وَاسْتَشَارَ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ فِي مَاذَا يَعْتَمِدُهُ؟ فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ فِي الرَّأْيِ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُهُمْ بِأَنَّ يَسِيرَ إِلَى الْأَهْوَازِ لِيَتَحَصَّنَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَقَالَ: إِنَّمَا تُرِيدُونَ أَنْ تَجْعَلُونِي طَائِرًا فِي رَأْسِ جَبَلٍ. وَأَشَارَ عَلَيْهِ رِجَالُ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَنْ يَسِيرَ إِلَى الْجَزِيرَةِ فَيَنْزِلَهَا، وَيَتَحَصَّنَ بِأَجْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৭৬১১

১০২ হিজরীর সুচনা

এ বছরেই মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের মুখোমুখি
হয়েছিলেন ৷ তার প্রেক্ষাপট হলো ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তার ছেলে মুআবিয়াকে ওয়াসিত এ
নিজের স্থলবর্তী করে সেখান থেকে ফৌজ নিয়ে অগ্রসর হয় ৷ এ সময় তার অপ্রবর্তী বাহিনীতে
তার ভাই আবদুল মালিক ইবন মুহাল্লাব ছিল ৷ অবশেষে ইবন মুহাল্লাব যখন আকার নামক
, স্থানে পৌছল, তখন মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক এক অপ্রতিরোধ্য ও বিশাল বাহিনী নিয়ে
সেখানে উপনীত হলেন ৷ এ সময় দুই বাহিনীর অপ্রবর্তী সেনারা প্রথমে মুখোমুখি হলো তারা
প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হলো ৷ এ সময় বসরার সৈনিকরা শামের সৈনিকদের পরাজিত করল ৷
তারপর শামবাসীরা পারস্পরিক ভর্ধসনার মাধ্যমে একে অন্যকে যুদ্ধে আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করল ৷
তখন তারা একযোগে আক্রমণ করে বসরাবাসীদের পরাজিত করল এবং তাদের একদল বীর
ও সাহসী যোদ্ধ৷ হত্যা করল, তন্মধ্যে অন্যতম হল মানভুফ ৷ সে ছিল বানু বাকর ইবন

ওয়াইলের মাওলা প্রসিদ্ধ বীর ৷ এ প্রসঙ্গে করিকারাযদাক বলেন-

মানতুফের গােকে বকর ইবন ওয়ইিল র্কাদছে আর মুসমিরুএর দুই ছেলের শোকে
কান্নাকারীকে নিষেধ করছে ৷ ন্
জাহমিয়্যাদের শুরু, ছাওরীদের মাওলা জা’দ ইবন দিরহাম হামদানী যাকে থালিদ ইবন
আবদুল্লাহ আল কাসরী ঈদ্যা আযহার দিনযবাহ কারছিল যে এর জবাবে আবৃত্তি করল
আপন সম্প্রদায়কে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমরা মানতৃফের ণ্শাকে বগদছি ৷ হায় !
বকর ইবন ওয়ইিল শত্রু গোত্রের আঙিনায় আক্রমণ করতে চইিল ৷
এে ১াষ্
সুতরাং তার৷ দু’জন যেন ক্ষণিকের জংও আল্লাহ থেকে স্বন্তি লাভ না করে এবং তাদের
দুইজনের ণ্শাকে কান্নাকারীর চক্ষুদ্বয় যেন অশ্রুশুন্য না হয় ৷
আমরা যদি তাদের দুইজনের শোকে কাদ তাহলে কি প্রতারণার শিকার হব, অথচ
প্রতারণার কারণেই তারা দুইজন মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে ৷’

-মাসলামাহ্ এবং তার ভাতিজা আব্বাস ইবন ওয়ালীদ যখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাৰেব্র
ফৌজের নিকটবর্তী হলেন তখন সে তার অনুগামী যােদ্ধাদের উদ্দেশ্যে থুত্ব৷ প্রদান করে এবং
তাদেরকে শামবাসীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্ দ্বুদ্ধ করে ৷ আর ইয়াযীদের সাথে ছিল একলক্ষ বিশ
হাজার যোদ্ধা ৷ যারা তার পুর্ণ আনুগত্য এবং কুরআন-সুন্নাহর বিধান কার্যকরকরণে তার হাতে
বায়আত করেছিল ৷ এছাড়া বায়আতকালে তারা এ বিষয়েও অঙ্গীকার করেছিল যে, কোন


حِصْنٍ فِيهَا، وَيُبَعِّضَ عَلَيْهِ رِجَالَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَيَجْتَمِعُ عَلَيْهِ أَهْلُ الْجَزِيرَةِ فَيُقَاتِلُ بِهِمْ أَهْلَ الشَّامِ. وَانْسَلَخَتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُوَ نَازِلٌ بِوَاسِطٍ، وَجَيْشُ الشَّامِ قَاصِدُهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ. وَعَلَى مَكَّةَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا وَخَلَعَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ. وَأَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ وَكَانَ عَابِدًا صَادِقًا ثَبْتًا، وَقَدْ تَرْجَمْنَاهُ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ". وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬১২
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَمِائَةٍ فَفِيهَا كَانَ اجْتِمَاعُ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مَعَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَذَلِكَ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ رَكِبَ مِنْ وَاسِطٍ وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا ابْنَهُ مُعَاوِيَةَ، وَسَارَ هُوَ فِي جَيْشٍ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ أَخُوهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الْمُهَلَّبِ حَتَّى بَلَغَ مَكَانًا يُقَالُ لَهُ: الْعَقْرُ. وَانْتَهَى إِلَيْهِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي جُنُودٍ لَا قِبَلَ لِيَزِيدَ بِهَا، وَقَدِ الْتَقَتِ الْمُقَدَّمَتَانِ أَوَّلًا، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَهَزَمَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ أَهْلَ الشَّامِ ثُمَّ تَذَامَرَ أَهْلُ الشَّامِ فَحَمَلُوا عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ فَكَشَفُوهُمْ، فَهَزَمُوهُمْ، وَقَتَلُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً مِنَ الشُّجْعَانِ، مِنْهُمُ الْمَنْتُوفُ، وَكَانَ شُجَاعًا مَشْهُورًا، وَكَانَ مِنْ مَوَالِي بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ: فَقَالَ فِي ذَلِكَ الْفَرَزْدَقُ: تُبَكِّي عَلَى الْمَنْتُوفِ بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ ... وَتَنْهَى عَنِ ابْنَيْ مَسْمَعٍ مَنْ بَكَاهُمَا فَأَجَابَهُ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ مَوْلَى الثَّوْرِيِّينَ مِنْ هَمْدَانَ، وَهَذَا الرَّجُلُ هُوَ أَوَّلُ الْجَهْمِيَّةِ، وَهُوَ الَّذِي ذَبَحَهُ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ يَوْمَ عِيدِ الْأَضْحَى، فَقَالَ الْجَعْدُ:
পৃষ্ঠা - ৭৬১৩


বিদেশী শক্তি তাদের দেশ পদদলিত করবে না এবং তাদের উপর ফাসিক হাজ্জাজের
শাসন-বিধানের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এবং এ সকল শর্তে যারা তাদের কাছে বায়আত প্রস্তাব
করবে তারা তা গ্রহণ করবে, আর যারা তাদের বিরোধিতা করবে তারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই
করবে ৷ আর এ সময় হযরত হাসান বসরী (রহ) লোকজনকে সংযত থাকার এবং
গোলাযা-বিশৃগ্রলা পরিহার করতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং এ বিষয়ে তাদেরকে কঠােরভাবে
নিষেধ করতেন ৷ এর কারণ হলো ইব ন আশআছ-এর সময়ে দীর্ঘ ও ব্যাপক লড়াই সংঘটিত
হয়েছিল এবং সে কারণে আেসৎখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল ৷ তাই এ সময় হযরত হাসান
বসরী (রা) লোকদের উদ্যোশ্য থুতুবা প্রদানপ্করতে লাগলেন এবং তাদেরকে উপদেশমুলক
কথা বলে তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে লাগলেন ৷ বসরার তৎকালীন প্রশাসক আবদুব্দে
মালিক ইবন মুহাল্লাবের কাছে যখন এ সংবাদ পৌছল, তখন সে লোকদের সমাবেশে খুত্বা
দিয়ে তাদেরকে দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে জিহাদের উদ্দোশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অগসর
হওয়ার নির্দেশ দিল ৷ তারপর সে হাসান বসরীর নাম উল্লেখ না করে বলল, আমার কাছে এ
ত্বাদ পৌছেছে যে, লৌকিকতার এই বিভ্রান্ত শায়খ লোকজনকে নিরুৎসাহিত করছে ৷
সাবধান ! আল্লাহ্র কসম, সে যেন অবশ্যই ক্ষাত হয় অন্যথায় আমি তার বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা গ্রহণ করব ৷ এভাবে সে হাসান বসরীকে হুমকি দিল ৷ এদিকে হযরত হাসান যখন তার
বক্তব্য জানতে পারলেন, তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ! আল্লাহ্ যদি তার দুর্ব্যবহার দ্বারা
অপদস্থতার দ্বারা আমাকে সম্মানিত করেন, তাহলে আমি তা অপসন্দ করব না ৷ পরবত্তীল্কিত
অবশ্য আল্লাহ্ তাকে তার থেকে নিরাপদ ব্লেখেছিলেন, এমনকি তাদের কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হয়েছিল
তার তা ঘট্রেছিল এভাবে ৷ উভয় বাহিনী যখন মুখোমুখি হল তখন তারা সামান্য দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত
হলো ৷ এরপর লড়াই তীব্র আকার ধারণ করতে না করতেই ইরাকীবাহিনী দ্রুত পলায়ন করতে
লাগল ৷ কারণ, তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছেছিল যে, তারা যে পুলসেতৃ পার হয়ে এখানে
এসেছে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এ খবর শ্যেনড়ামাত্র তারা পরাজয় মেনে নিয়ে পলায়ন
করতে লাগল ৷ এ অবস্থা দেখে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব বলল, লোকদের কী হলো ? পলায়ন
করার মত তো কিছু ঘটেনি ৷ তাকে বলা হলো, তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছেছে যে, যে সেতু
পার হয়ে তারা এখানে পৌছেছে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ একথা শুনে সে বলল, আল্লাহ
তাদেরকে লাঞ্ছিত করুন ! তারপর সে পলায়নােদ্যতদের ফিরানাের চেষ্টা করল ৷ কিন্তু তার
পক্ষে সম্ভব হলো না ৷ তখন সে তার সহযােদ্ধাদের একটি দল নিয়ে অবিচলভাবে লড়াই
অব্যাহত রাখল ৷ কিন্তু এদেরও কেউ কেউ তার অজ্ঞাতসারে সটকে পড়তে লাগল ৷ অবশেষে,
তার সাথে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সহযােদ্ধা থাকল ৷ এ সত্বেও সে তার সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকল
এবং শ ক্র বাহিনীর যে অশ্বারােহী যােদ্ধাদের সম্মুখীন হতে লাগল তাদেরকেই পরাজিত করতে
লাগল ৷, তার আক্রমণের তীব্রতার মুখে শামীয় যােদ্ধারা তার ডানে-বামে সরে যেতে লাগল ৷
ইত্যবসরে তার ভাই হাবীব ইবন মুহাল্লাব নিহত হলো, ফলে তার (ক্রাধ ও জিঘাত্সা আরও
বৃদ্ধি পেল ৷ এ সময় সে তার একটি ধুসর বর্ণের ঘোড়ার সওয়ার ছিল ৷ পরিশেষে সে, আর
কোনও উপায় না দেখে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে মাসলামা ইবন মালিককে হত্যার
উদ্দেশ্যে একরোখাভাবে তার দিকে অগ্রসর হলো ৷ সে যখন মাসলামার মুখোমুখি পৌছল,
তখন শামী অশ্বারোহীরা তার উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷ এ সময় তারা তার সাথে


نُبَكِّي عَلَى الْمَنْتُوفِ فِي نَصْرِ قَوْمِهِ ... وَلَسْنَا نُبَكِّي الشَّائِدَيْنِ أَبَاهُمَا أَرَادَ فِنَاءَ الْحَيِّ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ ... فَعِزُّ تَمِيمٍ لَوْ أُصِيبَ فِنَاهُمَا فَلَا لَقِيَا رَوْحًا مِنَ اللَّهِ سَاعَةً ... وَلَا رَقَأَتْ عَيْنَا شَجِيٍّ بَكَاهُمَا أَفِي الْغِشِّ نَبْكِي إِنْ بَكَيْنَا عَلَيْهِمَا ... وَقَدْ لَقِيَا بِالْغِشِّ فِينَا رَدَاهُمَا وَلَمَّا اقْتَرَبَ مَسْلَمَةُ، وَابْنُ أَخِيهِ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ جَيْشِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ خَطَبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ النَّاسَ، وَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ يَعْنِي عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَ مَعَ يَزِيدَ نَحْوٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا قَدْ بَايَعُوهُ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَعَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى أَنْ لَا تَطَأَ الْجُنُودُ بِلَادَهُمْ، وَعَلَى أَنْ لَا تُعَادَ عَلَيْهِمْ سِيرَةُ الْفَاسِقِ الْحَجَّاجِ، وَمَنْ بَايَعْنَا عَلَى ذَلِكَ قَبِلْنَا مِنْهُ، وَمَنْ خَالَفَنَا قَاتَلْنَاهُ. وَكَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى الْكَفِّ وَتَرْكِ الدُّخُولِ فِي الْفِتْنَةِ، وَيَنْهَاهُمْ أَشَدَّ النَّهْيِ، وَذَلِكَ لِمَا وَقَعَ مِنَ الشَّرِّ الطَّوِيلِ الْعَرِيضِ فِي أَيَّامِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَمَا قُتِلَ بِسَبَبِ ذَلِكَ مِنَ النُّفُوسِ الْعَدِيدَةِ، وَجَعَلَ الْحَسَنُ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَيَعِظُهُمْ فِي ذَلِكَ، وَيُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْكَفِّ، فَبَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৭৬১৪

তার ভাই মুহাম্মাদ ইবন মুহাল্লাব এবং সামায়যা “নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ৷ ইয়াযীদ
ইবন মুহাল্লাবকে যে ব্যক্তি হত্যা করে, তার নাম আল-কাহ্ল ইবন আয়্যাশ, সেও ইবন
মুহাল্পাবের পাশে নিহত হয় ৷ হত্যার পর তারা ইয়াষীদেৱ মাথা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল
মালিকের কাছে নিয়ে আসে ৷ তিনি তা খালিদ ইবন ওয়ালীদ ইবন উকবা ইবন আবু মুআয়তের
সাথে তার ভাই আমীরুল মুমিনীন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠিয়ে দেন ৷
আর মাসলামাহ্ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের ফৌজের অবশিষ্টাত্ভ্রুশর উপর কর্তৃতু লাভ করেন ৷ এ
সময় তিনি তাদের মধ্য থেকে তিনশ’ জনকে বন্দী করে কুফায় প্রেরণ করেন এবং তাদের
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে তার ভইিয়ের কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ তাদের হত্যার নির্দেশ নিয়ে তার
পত্র আসে ৷ এরপর মাসলামাহ্ তার বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হন এবং হীরায় অবস্থান গ্রহণ করেন ৷

এদিকে ওয়াসিত-এ অবস্থানরত ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের ছেলে মুআবিয়ার কাছে যখন
তার পিতার পরাজয়ের সংবাদ পৌছে, তখন সে তার কাছে বিদ্যমান তিরিশজন বন্দীকে হত্যা
করে ৷ এদের অন্যতম হলেন উমর ইবন আবদুল আযীষের নইিব নিয়োগকৃত প্রশাসক আদী
ইবন আরতআে, তার ছেলে, মুসমিএর দুই ছেলে মালিক ও আবদুল মালিক এবং ড্রোন্ত
লোকদের একটি দল ৷ তারপর যে বিভিন্ন প্রকার ধনসম্পদের ডাণ্ডারসমুহ নিয়ে বসরায়
আগমন করে এবং তার সাথে তার চাচা মুফায্যাল ইবন মুহাল্লাবও সেখানে আগমন করে ৷
এভাবে বসরায় মুহাল্লাব পরিবারের সকল সদস্য সমবেত হয় ৷ এ সময় তারা যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত
করে এবং পুর্ণতম সমরসজ্জা গ্রহণ করে যুদ্ধের জন্য সৰ্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ পরে তারা
তাদের স্বজন-পরিজন ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম ন্সবসহ কিরমানের পার্বত্য অঞ্চলে গমন করে এবং
সেখানে অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এ সময় ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের একদল সহযােদ্ধাও তাদের
সাথে যোগ দেয় ৷ তারা সকলে মিলে যুফাঘৃযাল ইবন মুহাল্লাবকে তাদের আমীর সেনাপতি
মনোনীত করে ৷ এদিকে মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক মুহাল্লাব পরিবারের পশ্চাদ্ধাবনের
জন্যহিলাল ইবন মাজুর মুহারিবীর নেতৃত্বে একদল ফৌজ প্রেরণ করলেন ৷ বলা হয় তারা
মুদরিক ইবন যাবৃ আলকালবী নামক অপর এক ব্যক্তিকে তাদের আমীর সেনাপতি মনোনীত
করেছিল ৷ এরপর হিলাল ইবন মাজুর তাদেরকে অনুসরণ করে কিরমানের পার্বত্য অঞ্চলে
পৌছে তাদের মুখোমুখি হলেন ৷ সেখানে উভয় বাহিনী তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হলো ৷ এ সময়
মুফায্যালের সহযােদ্ধাদেৱ একদল নিহত হলো এবং তাদের নেতৃস্থানীয় একদল বন্দী হলো
এবং বাকীরা পরাজিত হলো ৷ তারপর হিলাল বাহিনী মুফায্যালকে অনুসরণ করে তাকে হত্যা
করল এবং তার মাথা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠানো হলো ৷ এ ছাড়া এ
সময় ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের সহযােদ্ধাদের একটি দলও আগমন করল ৷ শামের আমীর
থেকে তাদের জন্য নিরাপত্তা-পত্র গ্রহণ করা হলো ৷ তন্মধ্যে উল্লেখষেগ্যে হলেন মালিক ইবন
ইব্রাহীম ইবন আশতার আননাখঈ ৷ এরপর তারা যুদ্ধবন্দী নারী, শিশু, অস্ত্রশস্ত্র এবং
ধন-সস্পদ মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠালেন ৷ এদের সাথে ছিল মুফাঘৃযাল
এবং আবদুল মালিক ইবন মুহাল্লাবের মাথা ৷ মাসলামাহ্ এই মাথা দুটির সাথে নয়জন সুন্দর
বালককে তার ভাই খলীফা ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠালেন ৷ ইয়াযীদ এদের
শিরচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর তাদের মাথাসমুহ দামেশকে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো ৷
কিছুদিন পর সেগুলি হলবে প্রেরণ করা হলো এবং সেখানেও জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো ৷ এ


ذَلِكَ نَائِبَ الْبَصْرَةِ مَرْوَانَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، فَقَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَأَمَرَهُمْ بِالْجِدِّ وَالْجِهَادِ وَالنَّفِيرِ إِلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ قَالَ: وَلَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ هَذَا الشَّيْخَ الضَّالَّ الْمُرَائِيَ وَلَمْ يُسَمِّهِ يُثَبِّطُ النَّاسَ عَنَّا، أَمَا وَاللَّهِ لَيَكُفَنَّ عَنْ ذَلِكَ، أَوْ لَأَفْعَلَنَّ وَلَأَفْعَلَنَّ، وَتَوَعَّدَ الْحَسَنَ، فَلَمَّا بَلَغَ الْحَسَنَ قَوْلُهُ، قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا أَكْرَهُ أَنْ يُكْرِمَنِي اللَّهُ بِهَوَانِهِ. فَسَلَّمَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى زَالَتْ دَوْلَتُهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْجُيُوشَ لَمَّا تَوَاجَهَتْ تَبَارَزَ النَّاسُ قَلِيلًا، وَلَمْ تَنْشَبِ الْحَرْبُ شَدِيدًا، فَلَمْ يَثْبُتْ أَهْلُ الْعِرَاقِ حَتَّى فَرُّوا سَرِيعًا، وَبَلَغَهُمْ أَنَّ الْجِسْرَ الَّذِي جَاءُوا عَلَيْهِ قَدْ حُرِقَ فَانْهَزَمُوا، فَقَالَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ مَا بَالُ النَّاسِ؟ وَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْأَمْرِ مَا يُفَرُّ مِنْ مِثْلِهِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ بَلَغَهُمْ أَنَّ الْجِسْرَ قَدْ حُرِقَ. فَقَالَ: قَبَّحَهُمُ اللَّهُ. ثُمَّ رَامَ أَنْ يَرُدَّ الْمُنْهَزِمِينَ فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ، فَثَبَتَ فِي عِصَابَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَسَلَّلُونَ مِنْهُ حَتَّى بَقِيَ فِي شِرْذِمَةٍ مِنْهُمْ قَلِيلَةٍ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَسِيرُ قُدُمًا لَا يَمُرُّ بِخَيْلٍ إِلَّا هَزَمَهُمْ، وَأَهْلُ الشَّامِ يَنْحَازُونَ عَنْهُ يَمِينًا وَشِمَالًا، وَقَدْ قُتِلَ قَبْلَهُ أَخُوهُ حَبِيبُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَازْدَادَ حَنَقًا وَغَضَبًا، وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْهَبَ، ثُمَّ قَصَدَ نَحْوَ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ لَا يُرِيدُ غَيْرَهُ، فَلَمَّا وَاجَهَهُ حَمَلَتْ عَلَيْهِ خُيُولُ الشَّامِ فَقَتَلُوهُ، وَقَتَلُوا مَعَهُ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَقَتَلُوا
পৃষ্ঠা - ৭৬১৫
السَّمَيْدَعَ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْقَحْلُ بْنُ عَيَّاشٍ. فَقُتِلَ إِلَى جَانِبِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَجَاءُوا بِرَأْسِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَرْسَلَهُ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ إِلَى أَخِيهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَاسْتَحْوَذَ مَسْلَمَةُ عَلَى مَا فِي مُعَسْكَرِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَأَسَرَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، فَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى الْكُوفَةِ، وَبَعَثَ إِلَى أَخِيهِ فِيهِمْ، فَجَاءَ كِتَابُ يَزِيدَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ بِقَتْلِهِمْ، وَسَارَ مَسْلَمَةُ فَنَزَلَ الْحِيرَةَ. وَلَمَّا انْتَهَتْ هَزِيمَةُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ إِلَى ابْنِهِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ بِوَاسِطٍ، عَمَدَ إِلَى نَحْوٍ مِنْ ثَلَاثِينَ أَسِيرًا فِي يَدِهِ فَقَتَلَهُمْ ; مِنْهُمْ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَابْنُهُ، وَمَالِكٌ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ ابْنَا مَسْمَعٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأَشْرَافِ، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى أَتَى الْبَصْرَةَ وَمَعَهُ الْخَزَائِنُ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَجَاءَ عَمُّهُ الْمُفَضَّلُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، فَاجْتَمَعَ آلُ الْمُهَلَّبِ بِالْبَصْرَةِ، فَأَعَدُّوا السُّفُنَ، وَتَجَهَّزُوا أَتَمَّ الْجِهَازِ، وَاسْتَعَدُّوا لِلْهَرَبِ، فَسَارُوا بِعِيَالِهِمْ وَأَثْقَالِهِمْ، فَلَمْ يَزَالُوا سَائِرِينَ، حَتَّى أَتَوْا جِبَالَ كَرْمَانَ فَنَزَلُوهَا، وَاجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ فَلَّ مِمَّنْ كَانَ مَعَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ،