আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

سبب وفاة عمر بن عبد العزيز رحمه الله

سبب وفاة عمر بن عبد العزيز رحمه الله

পৃষ্ঠা - ৭৬০২


ৰন্ধুমিত্র ৷ এরপর সে মহান আল্লাহর মিত্রগণের দুঃখ ও দুশ্চিন্তায় নিপতিত করে ৷ আর
শত্রুদের বিচ্ছিন্ন, প্রভাবিত করে মহান আল্লাহ হতে দুরে সরিয়ে দেয় ৷ তিনি বলেন, ঐ ব্যক্তি
সফ্ফাকাম যে অন্যায় কলহ-বিবাদ, ণ্ক্রাধ ও লোড হতে আত্মরক্ষা করতে পারে ৷ একবার তিনি
এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, তোমার সম্প্রদায়ের নেতা, শ্রেষ্ঠ কে ? সে বলে, আমি ৷ তিনি
বলেন, তুমি যদি তেমন হতে তাহলে তা বলতে না ৷ তিনি বলেন, সবচেয়ে দুনিয়াৰিমুখ ব্যক্তি
আলী ইবন আবু তালিব (বা) ৷ তিনি বলেন, কোন বান্দার ঐ প্রয়োজনে অবশ্যই কল্যাণ নিহিত
রয়েছে, যার ব্যাপারে সে মহান আল্লাহ্র কাছে বারবার (অধিক) প্রার্থনা করেছে, সে প্রয়োজন
যে লাভ করুক বা না করুক ৷ তিনি বলেন, তোমার জ্ঞানকে লেখার বৃত্তে আবদ্ধ করে রাখ ৷
তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, তোমার ছেলেকে সবচেয়ে বড় ধর্যজ্ঞানধর্মতত্ত্ব শিক্ষা দাও ৷ তা
হলো অল্পে ভুষ্টি এবং অন্যকে কষ্ট দান থেকে বিরত থাক ৷ একবার তার কাছে এক ব্যক্তি
বাক্কুশলতার পরিচয় দিয়ে চমৎকারভাবে কথা বলল, তখন তিনি বলেন, এটাই হলো বৈধ
জাদু ৷ আর আবু হাযিমের সাথে তার কথোপকথনের বর্ণনা বেশ দীর্ঘ ৷ খলীফা হওয়ার পর
তিনি যখন শ্-দেখলেন, যে, কৃচ্ছুতার কারণে তার চেহারা বিবর্ণ এবং অবস্থা পরিবর্তিত, তিনি
তাকে প্রশ্ন করলেন, ইতোপুর্বে আপনার পরিধেয় কি পরিচ্ছন্ন ছিল না ? আপনার চেহারা কি
দীপ্তিময় জ্জি না ? আপনার খাবার কি সুস্বাদু ছিলে না ? আপনার বাহন কি আরামপ্রদ ছিল না?
উমর জবাব দেন, আপনি কি আমাকে আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেননি যে, রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করেছেন ১৷ ৷ৰু,£ ই ছু; ণ্ধু ৷ , , ৰু ,ন্ , ৷
&,;; ,,, £ ১৷ ৷ ৷দ্বুদ্বুশুপু “তে ৷মাদেৱ পশ্চাতে রয়েছে এক দুর্গম গিরিপথ, শীর্ণকায়
ছিপছিপে গড়লের (প্রশিক্ষিত) বাহনই তা অতিক্রম করতে পারবে ৷” এরপর তিনি কেদে

ফেলেন এবং বেছুশ হয়ে পড়েন ৷ পরে তিনি চেতনা ফিরে পেয়ে বলেন, তিনি তার এই
অচেতন অবস্থায় দেখলেন যে কিয়ামত সংঘটিত হয়েছে এবং চার খলীফার প্রত্যেককে ডাকা
হলো, তারপর তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো ৷৩ তারপর তিনি এই
চারজন এবং তার নিজের মধ্যবর্তী সময়ের খলীফাদের কথা উল্লেখ করলেন, বিৎ তাদের
ব্যাপারে কী রায় হল তা তিনি বলতে পারলেন না ৷ তারপর তাকে ডাকা হলো এবং জান্নড়াতে
নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়৷ হলো ৷ এরপর তিনি একাকী হলো, এক প্রশ্নকারী তাকে তার
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে ৷ তিনি তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করেন ৷ তারপর তিনি প্রশ্নকারীকে
বলেন, তুমি কে ? সে বলে, আমি হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ আমার প্রতিপালক আমাকে প্রত্যেক
হত্যার শান্তিস্বরুপ একবার করে হত্যা করেছেন ৷ তারপর আমি তার প্রভীক্ষা করছি যার
প্ৰতীক্ষা করে থাকে একতুবাদীরা ৷ এছাড়াও উমর ইবন আবদুল আযীষের বহু গুণাগুণ ও
সুকীর্তি বিদ্যমান ৷ আমরা যা উল্লেখ করলাম আশা করি তাই যথেষ্ট ৷ আর সমস্ত প্রশংসা ও
অনুগ্নহ্ মহান আল্পাহ্র ৷ তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং অতিউত্তম কর্ম বিধায়ক ৷ তিনি
ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি নেই, সামর্থ নেই ৷

তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত আলোচনা

তার মৃত্যুর কারণ ছিলে যক্ষা বা ক্ষয় রোগ ৷ অবশ্য এও বর্ণিত আছে, তারই এক মাওলা
(আযাদকৃত দাস) তার খাদ্যে বা পানীয়ে ণোবিহুপ্রয়োগৃ করে (তাকে হত্যা করে ৷) এ জন্য তাকে


أَبِي حَازِمٍ مُطَوَّلَةٌ حِينَ رَآهُ خَلِيفَةً وَقَدْ شَحَبَ وَجْهُهُ مِنَ التَّقَشُّفِ، وَتَغَيَّرَ حَالُهُ، فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ يَكُنْ ثَوْبُكَ نَقِيًّا؟ وَوَجْهُكَ وَضِيًّا؟ وَطَعَامُكَ شَهِيًّا؟ وَمَرْكَبُكَ وَطِيًّا؟ فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ تُخْبِرْنِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ عَقَبَةً كَئُودًا لَا يَجُوزُهَا إِلَّا كُلُّ ضَامِرٍ مَهْزُولٍ» ؟ ثُمَّ بَكَى حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَذَكَرَ أَنَّهُ رَأَى فِي غَشْيَتِهِ تِلْكَ أَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، وَقَدِ اسْتُدْعِيَ بِكُلٍّ مِنَ الْخُلَفَاءِ الْأَرْبَعَةِ، فَأُمِرَ بِهِمْ إِلَى الْجَنَّةِ، ثُمَّ ذُكِرَ مَنْ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ فَلَمْ يَدْرِ مَا صُنِعَ بِهِمْ، ثُمَّ دُعِيَ هُوَ فَأُمِرَ بِهِ إِلَى الْجَنَّةِ، فَلَمَّا انْفَصَلَ لَقِيَهُ سَائِلٌ فَسَأَلَهُ عَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فَأَخْبَرَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلسَّائِلِ: فَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، قَتَلَنِي رَبِّي بِكُلِّ قَتْلَةٍ قَتْلَةً، ثُمَّ هَا أَنَا أَنْتَظِرُ مَا يَنْتَظِرُهُ الْمُوَحِّدُونَ. وَفَضَائِلُهُ وَمَآثِرُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ وَهُوَ حَسْبُنَا وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. [سَبَبُ وَفَاةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ] ذِكْرُ سَبَبِ وَفَاتِهِ رَحِمَهُ اللَّهُ كَانَ سَبَبُهَا السُّلَّ، وَقِيلَ: سَبَبُهَا أَنَّ مَوْلًى لَهُ سَمَّهُ فِي طَعَامٍ أَوْ شَرَابٍ، وَأُعْطِيَ عَلَى ذَلِكَ أَلْفَ دِينَارٍ. فَحَصَلَ لَهُ بِسَبَبِ ذَلِكَ مَرَضٌ، فَأُخْبِرَ أَنَّهُ مَسْمُومٌ، فَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتُ يَوْمَ سُقِيتُ السُّمَّ. ثُمَّ اسْتَدْعَى مَوْلَاهُ الَّذِي سَقَاهُ، فَقَالَ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৭৬০৩

সুপারিশ করল ৷ তখন সে আমাকে তার কারণে মুক্ত করে দিল ৷ এরপর সেই পাদ্রী আমাকে
নিজ গৃহে নিয়ে গেল ৷ সেখানে গিয়ে দেখলাম তার এক অনিন্দাসুন্দরী যুবতী কন্যা রয়েছে ৷
তখন সে তাকে আমার সামনে এই শর্তে নিবেদন করল যে, সে তার সকল অর্থ-সম্পদে
আমাকে শরীক করবে এবং আমি তার সাথে তার ধর্ম গ্রহণ করব ৷ কিন্তু আমি অস্বীকার
করলাম ৷ এরপর তার কন্যা একান্তে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেকে নিবেদন করল ৷ কিন্তু
আমি বিরত থাকলাম ৷ তখন সে বলল, কিসে তোমাকে বিরত রাখছে ? আমি বললাম,
আমার দীন আমাকে বাধা দিচ্ছে ৷ একজন রমণী কিৎবা অন্য কিছুর মােহের কারণে আমি
আমার দীন ত্যাগ করতে পানি না ৷ তখন সে আমাকে বলল, তুমি কি তোমার দেশে ফিরে
যেতে চাও ? আমি বললাম, ইভ্রা ৷ সে বলল, এই তারকা দেখে দেখে রাত্রিকালে পথ চলবে
আর দিনের বেলা আত্মগােপন করে থাকবে ৷ এভাবে (চলতে থাকলে) তুমি তোমার স্বদেশে
পৌছে যাবে ৷ উমায়র বলেন, এভাবে আমি চলতে শুরু করলাম ৷ তিনি বলেন, চতুর্থ দিবসে
আমি যখন আত্মগােপন করে ছিলাম হঠাৎ তখন একদল অশ্বারোহীর আবির্ভাব হলো ৷ তখন
আমি আশঙ্কা করলাম হয়তবা এরা আমার সন্ধানে বের হয়েছে ৷ বিক্ষ্ম অকস্মাৎ আমি দেখলাম
এরা আমার নিহত সঙ্গী আর তাদের সাথে অন্যরাও রয়েছেন ৷ এরা সকলেই ধুসর বর্ণের বাহনে
সওয়ার হয়ে আহ্নে৷ ৷ আমাকে দেখে তারা বললেন, উমায়র ? আমি বললাম, ইভ্রা উমাইর ৷
এরপর আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা কি নিহত হওনি ? তারা বলল অবশ্যই ! বিভু আল্লাহ্
তাআলা শহীদদের পুনর্জীবিত করেছেন এবং তাদেরকে উমর ইবন আবদুল আযীষের জানাযায
শরীক হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷ উমায়র বলেন, এরপর তাদের একজন আমাকে বলল, হে
উমায়র ! আমাকে তোমার হাত দাও ৷ তখন সে আমাকে তার বাহনে তার পিছে বসিয়ে নিল ৷
এ অবস্থায় আমরা খানিকটা পথ চললাম ৷ তারপর সেই বাহন আমাকে নিয়ে একটি লাফ দিল ৷
তখন আমি অক্ষত অবস্থায় আল-জাযীরায় অবস্থিত আমার বাড়ীর নিকটে গিয়ে পতিত হলাম ৷
রজা ইবন হায়ওয়াহ্ বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয তার মৃত্যুর পর আমাকে তার
গোসল ও কাফনের দায়িত্ব পালনের ওসিয়ত করেছিলেন ৷ এ সময় আমি যখন তার কাফনের
বন্ধন খুলে তার মুখমণ্ডলের দিকে তাকালাম ৷ দেখলাম তা কাগজের ন্যায় শ্যুভ্রাজ্জ্বল ৷ তিনি
আমাকে অবহিত করেছিলেন ইভােপুর্বে তিনি যে সকল খলীফাকে দাফন করেছিলেন তিনি
তাদের মুখমণ্ডলের বন্ধন খুলে দেখেছিলেন, তাদের মুখমগুল ছিলমলিন ৷ ইউসুফ ইবন
মাহিকের জীবনীতে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা যখন উমর ইবন
আবদুল আযীষের কবরের মাটি সমান করছি এমন সময় উপর থেকে আমাদের কাছে একটি
পত্র পতিত হয় ৷ তাতে এ কথা ছিল পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে এটা উমর ইবন
আবদুল আযীষের জন্য জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তার সনদ ৷ তিনি তা রিওয়ায়াত করেছেন
ইব্রাহীম ইবন বাশৃশার সুত্রে উবাদা ইবন আমর থেকে ইউসুফ ইবন মাহিকের
উদ্ধৃতিতে ৷ এই বর্ণনাতে তীব্র অভিনবতু (যথেষ্ট অগ্রহণযোগ্যতা) রয়েছে ৷ আর আল্লাহ্
সর্বাধিক জানেন ৷ এছাড়া তার অনুকুলে বহু শুভ স্বপ্ন দৃষ্ট হয়েছে ৷ তার জন্য সাধারণ বিশেষ
সকলেই আফসােস করেছেন ৷ বিশেষত আলিমগণ, যাহিদগণ এবং আবিদগণ ৷ এছাড়া কবিরাও
তার মৃত্যুতে ণ্শাক গাথা রচনা করেছেন ৷ এ সকল ণ্শাক কাব্যের অন্যতম একটি নিম্নে দেওয়া
(গল-যা আবৃত্তি করেছেন আবু আমর আশৃ-শায়বানী আর রচনা করেছেন কুছানয়্যার আয্যা-শ্


’ ,


وَيْحَكَ، مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ فَقَالَ: أَلْفُ دِينَارٍ أُعْطِيتُهَا. فَقَالَ: هَاتِهَا. فَأَحْضَرَهَا فَوَضَعَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: اذْهَبْ حَيْثُ لَا يَرَاكَ أَحَدٌ فَتَهْلَكَ. ثُمَّ قِيلَ لِعُمَرَ: تَدَارَكْ نَفْسَكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ شِفَائِي أَنْ أَمْسَحَ شَحْمَةَ أُذُنِي، أَوْ أُوتَى بِطِيبٍ فَأَشُمَّهُ مَا فَعَلْتُ. فَقِيلَ لَهُ: هَؤُلَاءِ بَنُوكَ وَكَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ أَلَا تُوصِي لَهُمْ بِشَيْءٍ ; فَإِنَّهُمْ فُقَرَاءُ؟ فَقَالَ {إِنَّ وَلِيِّيَ اللَّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ} [الأعراف: 196] وَاللَّهِ لَا أُعْطِيهِمْ حَقَّ أَحَدٍ، وَهُمْ بَيْنَ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا صَالِحٌ فَاللَّهُ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ، وَإِمَّا غَيْرُ صَالِحٍ فَمَا كُنْتُ لِأُعِينَهُ عَلَى فِسْقِهِ وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَا أُبَالِي فِي أَيِّ وَادٍ هَلَكَ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَفَأَدَعُ لَهُ مَا يَسْتَعِينُ بِهِ عَلَى مَعْصِيَةِ اللَّهِ، فَأَكُونَ شَرِيكَهُ فِيمَا يَعْمَلُ بَعْدَ الْمَوْتِ؟ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى بِأَوْلَادِهِ فَوَدَّعَهُمْ وَعَزَّاهُمْ بِهَذَا، وَأَوْصَاهُمْ بِهَذَا الْكَلَامِ، ثُمَّ قَالَ: انْصَرِفُوا عَصَمَكُمُ اللَّهُ، وَأَحْسَنَ الْخِلَافَةَ عَلَيْكُمْ. قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْنَا بَعْضَ أَوْلَادِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَحْمِلُ عَلَى ثَمَانِينَ فَرَسًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَكَانَ بَعْضُ أَوْلَادِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مَعَ كَثْرَةِ مَا تَرَكَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ يَتَعَاطَى وَيَسْأَلُ مِنْ أَوْلَادِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ لِأَنَّ عُمَرَ وَكَلَ وَلَدَهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَسُلَيْمَانُ وَغَيْرُهُ إِنَّمَا يَكِلُونَ أَوْلَادَهُمْ إِلَى مَا يَدَعُونَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ الْفَانِيَةِ، فَيَضِيعُونَ وَتَذْهَبُ أَمْوَالُهُمْ فِي شَهَوَاتِ أَوْلَادِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৭৬০৪

,এশ্৷ ৷
র্তারা এমন তিনজন আমার চোখ যাদের সদৃশ কাউকে দেখেনি ৷ যাদের অস্থিসমুহকে
কবর মসজিদে ধারণ করে রেখেছে ৷ ন্
আর আপনি তাদের অনুসরণে চেষ্টায় কোন ত্রুটি করেননি
যদি আমি সক্ষম হতাম, তাহলে বহু কল্যাণের বাহক উমর থেকে দায়রে সামআন নামক
স্থানে মৃত্যুকে প্রতিহত করতাম ৷ কিত্তু তাকদীৱ অপ্রতিহত, তার আগমন কখনও সন্ধ্যায়
কখনও প্রডাতকান্সে ৷
ঐতিহাসিকপণ বলেন, হিমস ভুখণ্ডের দায়রে সামআন অঞ্চলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷
এদিন ছিল বৃহস্পতিবার মতাম্ভরে শুক্রবার ৷ আর এটা ছিল একশ’ এক কিত্বা দুই হিজরীর
রজব মাসের হয় কিংবা ছাবিবশ মতাম্ভা:র একুশ তারিখ ৷ এ সময় তার জানাযার নামায পড়ান
তার চাচাতো ভাই মাসলামা ইবন আবদুল মালিক, মতান্তরে ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক ৷
আবার কারো মতে তার ছেলে আবদুল আযীয ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল উনচল্লিশ বছর
কয়েক মাস ৷ কারো মতে চল্লিশ বছর কয়েক মাস ৷ আবার বলা হয় এক চল্লিশ বছর ৷ কারো
মতে আরো অধিক ৷ এছাড়া বলা হয়, তিনি তেষট্টি বছর জীবিত ছিলেন, কিংবা ছত্রিশ বছর,
কিৎবা সাইত্রিশ বছর, কিত্বা আটত্রিশ বছর কিত্বা ত্রিশ ও চল্লিশের মধ্যবর্তী সময়ে ৷ মা’মার
থেকে আবদুর রায্যাক সুত্রে আহমাদ বলেন, তিনি পয়তাল্লিশ বছরের মাথায় ইন্তিকাল
করেন ৷ ইবন আসাকিং মন্তব্য করে বলেন, এটা বিভ্রান্তিকর ৷ প্রথম মতঢিই বিশুদ্ধ অর্থাৎ
উনচল্পিশ বছর কয়েক মাস ৷ আর তার খিলাফতক ল ছিল দুই বছর পাচ মাস চার দিন ৷
আবার বলা হয় দুই বছর পাচ মাস চৌদ্দ দিন কিংবা আড়াই বছর ৷
উমর ইবন আবদুল আযীয বাদামী পাত্র বর্ণের অধিকারী ৷ সুন্দর ও ভীক্ষ্ণ চেহারা ছিপছিপে
গড়ন ও সুদৃশ দাড়ির অধিকারী ৷ তার চক্ষুদ্বয় ছিল ণ্কাটরাগত, কপালে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন ৷
তার চুলে ঈষৎ পাক ধরেজ্যি এবং৩ তিনি খেষাব ব্যবহার করেছিলেন ৷ আল্পাহ্ তা জানা অধিক
জানেন ৷

পরাি:চ্ছদ

উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফ৷ মনোনীত হলেন, তখন সিপাহী প্রধান (পার্ড অফ
অনার প্রদানের উদ্দেশ্যে) তার কাছে আসল বর্শা নিয়ে তার সামনে সামনে চলার জন্য ৷ আর
এটা ইতােপুর্বের খলীফাদের অভিষেক অনুষ্ঠানের অংশ ছিল ৷ এসময় উমর তাকে বলেন,
তোমার সাথে আমার কি কাজ ? তুমি সরে যাও ৷ আর্মি মুসলমানদের সাধারণ এক ব্যক্তি ৷
এরপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং লোকেরা সকলে তার সাথে অগ্রসর হয়ে মসজিদে প্রবেশ
করল ৷ এসময় তিনি মিম্বরে আং রাহণ করলেন আর লোকজ্যা তাকে কেন্দ্র করে সমবেত হলো ৷
— ৪৩


وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ أَتَيْتَ الْمَدِينَةَ فَإِنْ قَضَى اللَّهُ مَوْتًا دُفِنْتَ فِي الْقَبْرِ الرَّابِعِ مَعَ رَسُولِ صَلَّى الْهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَنْ يُعَذِّبَنَا اللَّهُ بِكُلِّ عَذَابٍ، إِلَّا النَّارَ فَإِنَّهُ لَا صَبْرَ لِي عَلَيْهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَعْلَمَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِي أَنِّي لِذَلِكَ الْمَوْضِعِ أَهْلٌ. قَالُوا: وَكَانَ مَرَضُهُ بِدَيْرِ سَمْعَانَ مِنْ قُرَى حِمْصَ وَكَانَتْ مُدَّةُ مَرَضِهِ عِشْرِينَ يَوْمًا. وَلَمَّا احْتُضِرَ قَالَ: أَجْلِسُونِي. فَأَجْلَسُوهُ، فَقَالَ: إِلَهِي، أَنَا الَّذِي أَمَرْتَنِي فَقَصَّرْتُ، وَنَهَيْتَنِي فَعَصَيْتُ ثَلَاثًا وَلَكِنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَحَدَّ النَّظَرَ، فَقَالُوا: إِنَّكَ لَتَنْظُرُ نَظَرًا شَدِيدًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: إِنِّي لَأَرَى حَضَرَةً مَا هُمْ بِإِنْسٍ وَلَا جَانٍّ. ثُمَّ قُبِضَ مِنْ سَاعَتِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لِأَهْلِهِ: اخْرُجُوا عَنِّي. فَخَرَجُوا وَجَلَسَ عَلَى الْبَابِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأُخْتُهُ فَاطِمَةُ، فَسَمِعُوهُ يَقُولُ: مَرْحَبًا بِهَذِهِ الْوُجُوهِ الَّتِي لَيْسَتْ بِوُجُوهِ إِنْسٍ وَلَا جَانٍّ، ثُمَّ قَرَأَ {تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [القصص: 83] ثُمَّ هَدَأَ الصَّوْتُ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَوَجَدُوهُ قَدْ غُمِّضَ، وَسُوِّيَ إِلَى الْقِبْلَةِ، وَقُبِضَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৭৬০৫

এ ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ? আব্বাস বলেন, হীড়া! আমীয়প্সমু’মিনীনঃ ওয়ালীদ আমাকে তা
জায়র্গীৱ স্বরুপ দান করেছিলেন এবং এ ব্যাপারে আমার অনুকুলে ফরমান লিখে দিয়েছিলেন ৷
উমর বলেন, হে যিমী৷ তোমার বক্তব্য কী এখন ? সে বলল, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! আমি
আপনার কাছে কিতাবুল্পাহ্র বিধান চাই ৷ উমর বলেন, হ্যা, কিতাবুল্লাহর নির্দেশ ওয়ালীদের
নির্দেশের চেয়ে অনুসরণের অধিক উপযুক্ত যোগ্য ৷ যাও ! আব্বাস তুমি তাকে তার ভু-সম্পত্তি
ফিরিয়ে দাও ৷ আব্বাস তা ফিরিয়ে দিলেন ৷ এরপর লোকেরা একের পর এক তাদের
আত্মসাতকৃত হকসমুহের অভিযোগ উত্থাপন করতে লাগল ৷ তার কাছে যে যে হকের দাবী ,
উথাপিত হলো তিনি তার সব প্রকৃত প্রাপককে ফিরিয়ে দিলেন ৷ দাবীকৃত সেই হকপ্রাপ্য তার
নিজের দখলে হোক কিৎবা অন্যের দখলে ৷ এমনকি বানু মারওয়ান ও অন্যদের দখলে
অন্যায়ভাবে যে সকল অর্থ-সম্পত্তি ছিল, তিনি তা তাদের থেকে উদ্ধার করলেন ৷ বানু
মারওয়ান তাদের দখলের এসকল অর্থ-সম্পদ রক্ষার্থে সকল নেতৃস্থানীয় ও সম্রাভ ব্যক্তিদের
সাহায্যপ্রহণ করে ৷ কির্ভু তা তাদের কোন উপকারে আসেনি ৷ অবশেষে, তারা তাদের ফুফু
এবং উমর ইবন আবদুল আষীষের ফুফু ফাতিমা বিনৃতে মারওয়ালের কাছে এসে তাদের সাথে
উমর ইবন আবদুল আযীযের কৃত আচরণের অভিযোগ করে যে, তিনি তাদের সব অর্থ-সম্পদ
বাযেয়াপ্ত করেছেন এবং তার দরবারে তাদেরকে অপমানিত হতে দেখেও তার কোন প্রতিকার
করেননি ৷ বানু উমায়্যার এই সম্মানিতা নারী পুর্ববর্তী খলীফাদের কাছে বিশেষ সমীহের পাত্রী
ছিলেন ৷ তার কোন প্রয়োজন তাদের কাছে অপুর্ণ থাকত না ৷ তারা সকলে তাকে বিশেষ সমান
ও শ্রদ্ধা করতেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীযও তার খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পুর্ব হতে তার
সাথে অনুরুপ আচরণ করতেন ৷ ভাতিজাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি তার বাহনে আরোহণ
করে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে গেলেন ৷ তিনি উমারর সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷
উমর তাকে যথাযথ খাতির সম্মান করলেন ৷ বেক্ষানা, তিনি তার আপন ফুফু ৷ আরামদায়ক
বসার জন্য তাকে বালিশ এগিয়ে দিলেন ৷ এরপর তিনি তার সাথে কথা বলতে শুরু করলেন ৷
তিনি তাকে তার অভ্যাসের বিপরীত রাগাম্বিত অবস্থায় দেখলেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
তাকে বলেন, ফুফুজান! আপনার কী হয়েছে ? তিনি বলেন, আমার তাতিজারা তোমার
খিলাফ্তকালে অপমান-অপদস্থতার শিকার ৷ তুমি তাদের অর্থ-সষ্পদ নিয়ে অন্যদেরন্হাতে
ভুলে দিয়েছ ৷ তোমার উপস্থিতিতে তাদের সমালোচনা করা হয়েছে ৷ কিন্তু তুমি তার কোন
প্রতিকার করােনি ৷ উমর হেসে ফেলেন এবং বুঝতে পারলেন তিনি তার প্রতি অপ্রসন্ন তার
জ্ঞান;বুদ্ধিতে বার্ধক্যের প্রভাব পড়েছে ৷ এরপর তিনি তার সাথে পুনরায় কথাবার্তা বলতে
লাগলেন ৷ কিন্তু তার ফুফুর রাগ দুর হয়নি ৷ তিনি যখন এ অবস্থা দেখলেন তখন তার সাথে
কোমলতা পরিহার করে বললেন, ফুফু আমা! আপনার জানা উচিত যে, মৃত্যুকালে নবী
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা তার উম্মতকে এক পরিপুর্ণ পানির উৎসের সন্ধান দিয়ে
গেছেন ৷ তারপর এক ব্যক্তি সেই উৎসের তত্ত্বাবধান করলেন, ন্কিত্তু তিনি তার থেকে কিছুহ্রাস
করলেন না, এমনকি ইনতিকাল করে গেলেন ৷ এরপর সেই পানির উৎসের তত্ত্বাবধান করলো
আরেক ব্যক্তি তিনিও তার থেকে কিছুহ্রাস করলেন না ৷ এমনকি ইনতিকাল করলেন, এরপর
সেই পানির উৎসের দায়িত্ব লাভ করলেন তৃতীয় এক ব্যক্তি ৷ ইনি তার সাথে একটি সংযোগ
খাল খনন করলেন ৷ তারপর থেকে এ উৎসের তত্ত্বাবধায়কেরা একের পর এক খাল খনন


عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَمَّا وُضِعَ عِنْدَ قَبْرِهِ هَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَسَقَطَتْ صَحِيفَةٌ بِأَحْسَنِ كِتَابٍ فَقَرَءُوهَا فَإِذَا فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ النَّارِ. فَأَدْخَلُوهَا بَيْنَ أَكْفَانِهِ، وَدَفَنُوهَا مَعَهُ. وَرُوِيَ نَحْوُ هَذَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِسَنَدِهِ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ الْحُبَابِ السُّلَمِيِّ، قَالَ: أُسِرْتُ أَنَا وَثَمَانِيَةٌ فِي زَمَنِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَأَمَرَ مَلِكُ الرُّومِ بِضَرْبِ رِقَابِنَا، فَقُتِلَ أَصْحَابِي، وَشَفَعَ فِيَّ بِطْرِيقٌ مِنْ بَطَارِقَةِ الْمَلِكِ، فَأَطْلَقَنِي لَهُ، فَأَخَذَنِي إِلَى مَنْزِلِهِ، وَإِذَا لَهُ ابْنَةٌ مِثْلُ الشَّمْسِ، فَعَرَضَهَا عَلَيَّ، وَعَلَى أَنْ يُقَاسِمَنِي نِعْمَتَهُ، وَأَدْخُلَ مَعَهُ فِي دِينِهِ، فَأَبَيْتُ، وَخَلَتْ بِي ابْنَتُهُ فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيَّ فَامْتَنَعْتُ، فَقَالَتْ: مَا يَمْنَعُكَ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقُلْتُ: يَمْنَعُنِي دِينِي، فَلَا أَتْرُكُ دِينِي لِامْرَأَةٍ وَلَا لِشَيْءٍ. فَقَالَتْ: تُرِيدُ الذَّهَابَ إِلَى بِلَادِكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَتْ: سِرْ عَلَى هَذَا النَّجْمِ بِاللَّيْلِ، وَاكْمُنْ بِالنَّهَارِ ; فَإِنَّهُ يُلْقِيكَ إِلَى بِلَادِكَ. قَالَ: فَسِرْتُ كَذَلِكَ. قَالَ: فَبَيْنَا أَنَا فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ مُكْمِنٌ، وَإِذَا بِخَيْلٍ مُقْبِلَةٍ فَخَشِيتُ أَنْ تَكُونَ فِي طَلَبِي ; فَإِذَا أَنَا بِأَصْحَابِي الَّذِينَ قُتِلُوا، وَمَعَهُمْ آخَرُونَ عَلَى دَوَابَّ شُهْبٍ، فَقَالُوا: عُمَيْرٌ؟ فَقُلْتُ: عُمَيْرٌ، فَقُلْتُ: أَوَلَيْسَ قَدْ قُتِلْتُمْ؟ قَالُوا: بَلَى، وَلَكِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، نَشَرَ الشُّهَدَاءَ، وَأَذِنَ لَهُمْ أَنْ يَشْهَدُوا جِنَازَةَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: ثُمَّ قَالَ لِي بَعْضُهُمْ: نَاوِلْنِي يَدَكَ يَا عُمَيْرُ، فَأَرْدَفَنِي، فَسِرْنَا يَسِيرًا، ثُمَّ قَذَفَ بِي قَذْفَةً وَقَعْتُ قُرْبَ مَنْزِلِي بِالْجَزِيرَةِ، مِنْ غَيْرِ
পৃষ্ঠা - ৭৬০৬

ও মুল্যবান রত্নাদি রেখে গেছেন ৷ ফাতিমা দুত পাঠিয়ে তাকে জানালেন, সম্মানিত ভ্রাতা! উমর
তো কোন কিছুই রেখে যাননি, তবে শুধু এই রুমালে যা আছে তা এবং তিনি দুতের সাথে এই
রুমালটিও ইয়াযীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ ইয়াযীদ সেই রুমালের বন্ধন খুললেন, তাতে
একটি মোটা কাপড়ের তালিযুক্ত জামা, একটি অমসৃণ চাদর এবং একটি জীর্ণ মোটা কাপড়ের
জুব্ব৷ পেলেন ৷ এসব দেখে ইয়াযীদ তার দুতকে বললেন, তুমি গিয়ে ফাতিমাকে বলো, আমি
তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিনি, এটা আমার উদ্দেশ্যও নয়, আমি তাকে ঐ কক্ষ দুটির মধ্যে
কী আছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি ৷ ফাতিমা তাকে বলে পাঠালেন, শপথ ঐ সত্তার যিনি
আমাকে বিধবা করেছেন, তিনি খিলাফতের দায়িত্গ্রহণের পর থেকে আমি ঐ কক্ষ দুটিতে
প্রবেশ করিনি ৷ কেননা, আমি জানতাম তিনি তা অপসন্দ করতেন ৷ এগুলি কক্ষ দুটির চাবি,
আপনি এসে তাতে যা আছে তা নিয়ে বায়ভুল মালে স্থানান্তরিত করুন ৷ ইয়াযীদ, উমর ইবনুল
ওয়ালীদকে সাথে নিয়ে উমর ইবন আবদুল আযীযের গৃহে, প্রবেশ করলেন ৷ এরপর তাদের
উপস্থিতিতে একটি কক্ষ খোলা হল, দেখা গেল তাতে একটি চামড়ার ঘোড়া এবং ঘোড়ার
কাছে চারটি ৰিছানাে পাকা ইট এবং একটি পিতলের জগ রয়েছে ৷ উমর ইবনুল ওয়ালীদর্ম
বলল, আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন ৷ তারপর দ্বিতীয় কক্ষটি খোলা হলো ৷ সেখানে পাওয়া
গেল, কঙ্কর ৰিছানাে জায়নামায এবং কক্ষের ছাদের সাথে সংযুক্ত একটি শিকল যার প্রাস্তভাগে
মানুষের মাথা ঘাড় পর্যন্ত প্রবেশ করে এরুপ আকৃতির একটি বেড়ির মত উপকরণ, তিনি যখন
ইৰাদতে নিন্তেজ হয়ে পড়াতন কিৎবা নিজের কোন পাপের কথা স্মরণ করতেন, তখন সেই
ণ্বড়ি তিনি নিজের গলায় পরাতেন, কখনও বা তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে ঘুম দুর করার জন্য তা
গলায় প্রবেশ করাতেন ৷ এছাড়া তারা সেখানে একটি তালাবদ্ধ সিন্দুক পেলেন, তখন তা খুলে
তাতে একটি পাত্র কৌট৷ পাওয়া গেল ৷ আর সেটা খুলে পাওয়া গেল একটি অমসৃণ পশমী
জুবৃবা এবং অনুরুপ একটি খাটো পায়জামা ৷ এসব দেখে ইয়াযীদ ও তার সাথীরা কান্না স বরণ
করতে পারলেন না ৷ ইয়াযীদ বললেন, আমার ভাই আল্লাহ আপনাকে রহম করুন ৷ আপনার
বাইরের অবস্থা যেমন পরিচ্ছন্ন ও নির্মল ছিল, তেমনি আপনার ভিতরের অবস্থাও নির্মল,
নিষ্কলুষ ৷ তখন (অভিযোগ উথাপনকারী) উমর ইবন ওয়ালীদ লজ্জিত ও অনুশোচনাদগ্ধ হয়ে
একথা বলতে বলতে বের হয়ে আসল, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন ৷ আমি তাে শুধু তাই
বলেছি যা আমাকে বলা হয়েছে ৷
-ৱজা ইবন হায়ওয়াহ্ বলেন, যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হয়, তখন তিনি বলতে
লাগলেন, হে আল্লাহ! আপনার ফায়সালার প্রতি আমাকে সন্তুষ্ট করুন এবং আপনার তাকদীর
ও নির্ধাণে আমার জন্য বরকত প্রদান করুন যাতে আপনি যা ত্বরান্বিত করেছেন তার জন্য আমি
বিলম্বকরণ পসন্দ না করি এবং আপনি যা বিলম্বিত করেছেন তার জন্য তৃরান্বিতকয়ণ পসন্দ না
করি ৷ একথা বলতে বলতে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ তিনি বলাতন, আল্লাহ্র ফায়সা লাকৃত
নিধর্টরিত ক্ষেত্রসমুহ ব্যতীত আমার বিষয়াদিতে আমার কতৃতৃ খেয়ালখুশীতে পরিণত হয়েছে ৷
শুআয়ব ইবন সফওয়ান বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতের দায়িতুগ্রহণ
করলেন ৷ হযরত সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর লিখলেন উমর! পর কথা হলো, তোমার
পুর্বেও অনেকে খিলাফতের এবং প্রজা শাসনের কর্তৃত্ব লাভ করেছে, এরপর তারা সকলেই
ইনতিকাল করেছে, যেমন তুমি প্রত্যক্ষ করেছ ৷ আর তারা তাদের সেবক, অনুচর, বংশধর ও
প্রজ৷ সমাবেশের মাঝে থাকার পর নিঃসঙ্গ ও একাকী অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছে ৷


أَنْ يَكُونَ لَحِقَنِي شَرٌّ. وَقَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَدْ أَوْصَى إِلَيَّ أَنْ أُغَسِّلَهُ وَأُكَفِّنَهُ، وَأَدْفِنَهُ فَإِذَا حَلَلْتُ عُقْدَةَ الْكَفَنِ، أَنْ أَنْظُرَ فِي وَجْهِهِ، قَالَ: فَلَمَّا فَعَلْتُ ذَلِكَ إِذَا وَجْهُهُ كَالْقَرَاطِيسِ بَيَاضًا، وَكَانَ قَدْ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ دَفَنَ ثَلَاثَةً مِنَ الْخُلَفَاءِ فَيَحُلُّ عَنْ وُجُوهِهِمْ فَإِذَا هِيَ مُسْوَدَّةٌ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ نُسَوِّي التُّرَابَ عَلَى قَبْرِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِذْ سَقَطَ عَلَيْنَا مِنَ السَّمَاءِ كِتَابٌ فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، أَمَانٌ مِنَ اللَّهِ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ النَّارِ. سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بَشَّارٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ الْبَصْرِيِّ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ فَذَكَرَهُ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُئِيَتْ لَهُ مَنَامَاتٌ صَالِحَةٌ، وَتَأَسَّفَ عَلَيْهِ الْخَاصَّةُ وَالْعَامَّةُ، لَا سِيَّمَا الْعُلَمَاءُ وَالزُّهَّادُ وَالْعُبَّادُ. وَرَثَاهُ الشُّعَرَاءُ ; فَمِنْ ذَلِكَ مَا أَنْشَدَهُ أَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ لِكُثَيِّرِ عَزَّةَ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَمَّتْ صَنَائِعُهُ فَعَمَّ هَلَاكُهُ ... فَالنَّاسُ فِيهِ كُلُّهُمْ مَأْجُورُ وَالنَّاسُ مَأْتَمُهُمْ عَلَيْهِ وَاحِدٌ ... فِي كُلِّ دَارٍ رَنَّةٌ وَزَفِيرُ يُثْنِي عَلَيْكَ لِسَانُ مَنْ لَمْ تُولِهِ ... خَيْرًا لِأَنَّكَ بِالثَّنَاءِ جَدِيرُ رَدَّتْ صَنَائِعُهُ عَلَيْهِ حَيَاتَهُ ... فَكَأَنَّهُ مِنْ نَشْرِهَا مَنْشُورُ
পৃষ্ঠা - ৭৬০৭


বলেন, আবুআয়ুবাে তুমি এখন আমার থেকে দুরে সরে যাও ৷ মানুষকে উপদেশ প্রদানে ক্ষতির
দিক রয়েছে যা থেকে উপদেশদাতাও নিষ্কৃতি ৩পায় না ৷ আর মুমিনের জন্য কথার চেয়ে কাজ
বেশী যরুরী ৷ ইবন আবুদ্ দুনইয়া তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, আমরা
এমন কতক লোককে প্রশাসক নিয়োগ করতে চাইলাম যাদেরকে পুণ্যবান ও সজ্জন গণ্য
করতাম ৷ তারপর যখন আমরা তাদেরকে নিয়োগ করলাম, দেখলাম তারা পাপাচারী ৷
পাপাচারে লিপ্ত হতে লাগল ৷ আল্লাহ পাক তাদেরকে ধ্বংস করুন ৷ তারা কি কবরের পাশ দিয়ে
হেটে যায় না! আবদুর রায্যাক বর্ণনা করে বলেন, আমি মামারকে উল্লেখ করতে শুনেছি,
তিনি বলেন, আদী ইবন আরতাআ সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু তথ্য জানার পর উমর ইবন
আবদুল আযীয (র) তাকে লিখলেন, পর কথা হলো, তোমার ব্যাপার আমাকে ধোকাগ্রস্ত
করেছে ৷ আলিমগণের সাথে তোমার উঠাবস৷ এবং মাথার পিছনে তোমার কাল পাগড়ী ঝুলিয়ে
দেওয়া ৷ তুমি যেমন তোমার বাহ্যিক অবন্থাকে সুন্দর করে প্রকাশ করেছ, তেমনি আমরাও
তোমার প্ৰতি সুধারণা পোষণ করেছি ৷ অবশ্য এখন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তোমার
অনেক কৃতকর্মের খবর অবহিত করেছেন ৷

ইমাম তাবারানী, দারা কুতনী এবং একাধিক আলিম উমর ইবন আবদুল আযীয পর্যন্ত
প্রলম্বিত তাদের বর্ণনা সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, (একবার) তিনি তার জনৈক গভর্নরকে
লিখলেনর্ত পর কথা হলো, আমি তোমাকে বিশেষভাবে উপদেশ দিচ্ছি আ ৷ল্লাহ্ভীতি তঅবলম্বনের,
তার রাসুলের সুন্নাত অনৃসরংণর এবং তার নির্দেশ পালনে মধ্যপন্থা অবলম্বনের ৷ এছাড়া সুন্নাত
বিরোধী বিদআতপন্থীরা তার পর যা কিছুর উদ্ভব ঘঢিয়েছে তা বর্জনের ৷ তারপর তুমি জেনে
রাখ, এমন কোন বিদ্আত নেই যে, তার পুর্বেত তার অসারতা সাব্যস্তকারী প্রমাণ বিদ্যমান
নেই ৷ সুতরাৎ তুমি সুন্নাতকে আকডে ধর ৷ কেননা, সুন্নাত যিনি প্রবর্তন করেছেনত তিনি জানেন
তার বিরোধিতায় কি বক্রতা, বিচ্যুতি, নির্বুদ্ধিতা, ত্রুটি ও বাড় বাড়ি রয়েছে ৷ আর সুন্নাতের
অনুসারী পুর্ববর্তীরা বিষয়াদির রহস্য উদঘাটনে অধিক সক্ষম ছিলেন ৷ কঠিন আমলে অধিক
পারঙ্গম ছিলেন ৷ আর তাদের কাজ ছিল অধিক সঠিক ৷ আর তোমরা নিজেদের উপর
(বিদআতের) যে বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছ, তাতে যদি কোন ভাল দিক থাকত, তাহলে তারা তা
গ্রহণের অধিক উপযুক্ত হতেন এবৎ৩ তার দিকে দ্রুত তর গতিতে ধাবিত হতেন ৷ কেননা,
প্রত্যেক কল্যাণে তারাই সবগ্রিবর্তী ৷ আর তুমি যদি একথা বল তাদের পরও তো কোন কোন
কল্যাণের উদ্ভব হয়েছে, তাহলে জেনে নাও, তার উদ্ভব ঘটিয়েছে এমন ব্যক্তি যে মু’মিনদের
পথের পরিবর্তে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে এবৎ তাদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তাদের
প্রতি তার অন্তর বিমুখ হয়েছে ৷ তার ব্যাপারে তারা যথেষ্ট বলেছেন এবং পর্যাপ্ত বর্ণনা
করেছেন ৷ যে তাদের থেকে পিছিয়ে থাকবে, যে অবহেলাকারী আর যে তাদেরকে ছাড়িয়ে
যেতে চাইবে, সে অশিষ্টত৷ প্রদর্শনকারী ৷ কতক লোক তাদের দীনকে সংক্ষিপ্ত করেছে ৷ ফলে
তারা অচল হয়ে পড়েছে ৷ আবার কতক লোক লালসাগ্রস্ত হয়েছে ৷ ফলে তারা অতিরঞ্জন ও
বাড়াবাড়ি করেছে ৷

আবদুল আযীষের ছেলেকে আল্লাহ রহম করুন ৷ কি চমৎকার তার এই বক্তব্য যা নিঃসৃত
হয়েছে এমন এক অন্তর থেকে যা সুন্নাতের অনুপমন এবং সাহাবায়ে কিরামের অবস্থার প্রতি
ভালবাসার পুর্ণ ছিল ৷ ফকীহ বা অন্যদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে আছে যে এমনভাবে বলতে
পারে ৷ কাজেই আল্লাহ্ তাকে অনুগ্রহ করুন এবং ক্ষমা করুন ৷


وَقَالَ جَرِيرٌ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى يَنْعَى النُّعَاةُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَنَا ... يَا خَيْرَ مَنْ حَجَّ بَيْتَ اللَّهِ وَاعْتَمَرَا حَمَلْتَ أَمْرًا عَظِيمًا فَاضْطَلَعْتَ بِهِ ... وَقُمْتَ فِيهِ بِأَمْرِ اللَّهِ يَا عُمْرَا الشَّمْسُ كَاسِفَةٌ لَيْسَتْ بِطَالِعَةٍ ... تَبْكِي عَلَيْكَ نُجُومُ اللَّيْلِ وَالْقَمَرَا وَقَالَ مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ رَحِمَهُ اللَّهُ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: لَوْ أَعْظَمَ الْمَوْتُ خَلْقًا أَنْ يُوَاقِعَهُ ... لِعَدْلِهِ لَمْ يُصِبْكَ الْمَوْتُ يَا عُمَرُ كَمْ مِنْ شَرِيعَةِ عَدْلٍ قَدْ نَعَشْتَ لَهُمْ ... كَادَتْ تَمُوتُ وَأُخْرَى مِنْكَ تُنْتَظَرُ يَا لَهَفَ نَفْسِي وَلَهَفَ الْوَاجِدِينَ مَعِي ... عَلَى الْعُدُولِ الَّتِي تَغْتَالُهَا الْحَفْرُ ثَلَاثَةٌ مَا رَأَتْ عَيْنِي لَهُمْ شَبَهًا ... تَضُمُّ أَعْظُمَهُمْ فِي الْمَسْجِدِ الْحُفَرُ وَأَنْتَ تَتْبَعُهُمْ لَمْ تَأْلُ مُجْتَهِدًا ... سُقْيًا لَهَا سُنَنٌ بِالْحَقِّ تَفْتَقِرُ لَوْ كُنْتُ أَمْلِكُ وَالْأَقْدَارُ غَالِبَةٌ ... تَأْتِي رَوَاحًا وَتِبْيَانًا وَتَبْتَكِرُ صَرَفْتُ عَنْ عُمَرَ الْخَيْرَاتِ مَصْرَعَهُ ... بِدَيْرِ سَمْعَانَ لَكِنْ يَغْلِبُ الْقَدْرُ قَالُوا: وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدَيْرِ سَمْعَانَ مِنْ أَرْضِ حِمْصَ يَوْمَ الْخَمِيسِ، وَقِيلَ:
পৃষ্ঠা - ৭৬০৮


দেখলাম, ইতোপুর্বে আমি আপনাকে এমনভাবে র্কাদতে দেখিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উমর
কেদে ফেলেন, তারপর বলেন, বৎস! তখন আমি আল্লাহ্র সামনে র্দাড়াবনারৰ্ কথা স্মরণ
করেছিলাম ৷ ইবন আবুদু দুনৃইয়া বলেন, তারপর তিনি বেহুশ হয়ে গেলেন এবং বেশ খানিকটা
বেলা হওয়া পর্যন্ত ভুশ ফিরে পেলেন না ৷ তিনি বলেন, এরপর হতে মৃত্যু পর্যন্ত তাকে আমি
হাসতে দেখিনি ৷ একদিন তিনি এই আয়াত জ্যিড়াওয়াত করলেন-

তৃমি যে কোন অবস্থায় থাক এবং তুমি সে সম্পর্কে কুরআন থেকে যা আবৃত্তি কর এবং
তোমরা যে কোন কাজ কর আমি তোমাদের পরিদর্শক’ (১০ : ৬১) ৷ এবং ভীষণভাবে
র্কাদতে লাগলেন, এমনকি, বাড়ীর অন্যান্য সকলে সে কান্নার আওয়ায শুনতে পেল ৷ তার শ্রী
ফাতিমা বিনত আবদুল মালিক আসলেন এবং স্বামীর কান্না দেখে বসে র্কাদতে লাগলেন-
এরপর তাদের দৃইজনের কান্না দেখে বাড়ীর অন্যরাও র্কাদতে লাগল ৷ এ সময় তার ছেলে
আবদুল মালিক সকলের এ অবস্থায় সেখানে আসলেন এবং তার পিতার উদ্দেশ্যে বললেন,
আব্বাজান! আপনি র্কাদছেন কেন ? তিনি বললেন, বৎস৷ ভাল কারণেই আমি র্কাদছি ৷
তোমার পিতা কামনা করেছে যদি সে দুনিয়াকে না চিনত এবংদৃনিয়া তাকে না চিনত, তাহলে
কত ভাল হতো ৷ আল্লাহ্র কসম, হে বাংলা আমার আশঙ্কা হয়েছে যে, মৃত্যুর পর আমি না
জাহান্নামবাসী হয়ে যাই !
এছাড়া ইবন আবুদু দুনৃইয়া বর্ণনা করেন, আবদুল আলা ইবন আবু আবদুল্লাহ্ আল আম্বরী
হতে তিনি বলেন, (একবার) আমি জুমুআর দিন উমর ইবন আবদুল আযীযকে তৈলাক্ত কাপড়
পরিহিত অবস্থায় বের হতে দেখলাম ৷ এ সময় তার পিছনে এক হাবশী ছুাটছিল্ ৷ তারপর তিনি
যখন লোক সমাবেশে পৌছে গেলেন, তখন হাবশী ফিরে আসল ৷ আর উমর ইবন আবদুল
আযীয যখন দুই ব্যক্তির কাছে পৌছতেন, তখন বলতেন, এভাবে মহান আল্লাহ ণ্তড়ামাংদর
দৃইজনকে রহম করুন ৷ অবশেষে তিনি মিম্বরে আংরাহণ করে খুত্রা শুরু করলেন ৷ খুত্বায়
তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন-

শ্ ’ ষ্

১ ৷ এরপর তিনি বলেন, আর
সুর্যের কী অবস্থা হবে ? এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন ং



-জাহান্নামের আগুন যখন উসৃকে
ন্ দেওয়া হবে, এবং জান্নড়াত যখন নিকটবর্তীকরা হবে (৮১ং ১২ ১৩) ৷

এরপর তিনি র্কাদতে লাগলেন এবং মসজিদে উপস্থিত সকলেই কাদতে লাগল এবং
সকলের সমস্বরে কান্নার শব্দ মসজিদে প্রতিধ্বনিত ও প্রকম্পিত হতে লাগল ৷ এমনকি আমার
মনে হলো তার সাথে সাথে মসজিদের দেওয়ালসমুহও যেন র্কাদছে ৷ একবার জনৈক বেদুঈন
আরব তার সাথে সাক্ষাত্করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! প্রয়োজন আমাকে আপনার দ্বারস্থ
করেছে ৷ এখন আমি আমার চেষ্টায় চুড়ান্ত সীমার উপনীত হয়েছি ৷ আর আল্লাহ্ আপনাকে
আমার সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন ৷ তখন উমর কেদে ফেলেন এবং তাকে বলেন, তোমার পােষ্য


الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ مَضَيْنَ. وَقِيلَ: بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ. وَقِيلَ: لِعَشْرٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ إِحْدَى - وَقِيلَ: ثِنْتَيْنِ - وَمِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: تُوُفِّيَ فِي جُمَادَى سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَمِائَةٍ. وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُ عَمِّهِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقِيلَ: صَلَّى عَلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقِيلَ: ابْنُهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ تِسْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً وَأَشْهُرًا، وَقِيلَ: إِنَّهُ جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ بِأَشْهُرٍ. وَقِيلَ: بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: بِأَكْثَرَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: سِتًّا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: سَبْعًا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: مَا بَيْنَ الثَّلَاثِينَ إِلَى الْأَرْبَعِينَ وَلَمْ يَبْلُغْهَا. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ: مَاتَ عُمَرُ عَلَى رَأْسِ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا وَهْمٌ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، يَعْنِي تِسْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً وَأَشْهُرًا. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ سَنَتَيْنِ وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: سَنَتَانِ وَنِصْفٌ. وَكَانَ - رَحِمَهُ اللَّهُ - أَسْمَرَ دَقِيقَ الْوَجْهِ حَسَنَهُ، نَحِيفَ الْجِسْمِ حَسَنَ اللِّحْيَةِ، غَائِرَ الْعَيْنَيْنِ، بِجَبْهَتِهِ أَثَرُ شَجَّةٍ، وَكَانَ قَدْ شَابَ وَخَضَّبَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.