আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

إن الله يبعث لهذه الأمة على رأس كل مائة سنة من يجدد لها أمر دينها

পৃষ্ঠা - ৭৫৯৭


পরিচ্ছেদ

নবুওয়াতের প্রমাণসমুহের বর্ণনায় আমরা ঐ হাদীস উল্লেখ করেছি যা ইমাম আবুদাউদ
তার সুনান গ্রন্থে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, আল্লাহ্ তাআলা প্রত্যেক শতাব্দীর শেষে এই উম্মঢ তর মাঝে তাদের দীনের
একেকজন সংস্কারক পাঠাবেন’ ৷ এ হাদীসের প্রতি লক্ষ্য রেখে একদল আলিম বলেন, ইমাম
আহমাদ ইবন হাম্বল এদের গণ্যতম যেমন ইবনুল জাওযী ও অন্যান্যগণ উল্লেখ করেছেন যে,
উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ আবির্ভার হয়েছিল প্রথম শতাব্দীর শেষে ৷ আর একক নেতৃতু,
ব্যাপক ও সর্বজনীন শাসন-কর্তৃত্ব এবং ন্যায় ও সত্যের বাস্তবায়নে তার চেষ্টা ও তৎপরতার
কারণে তিনি এ সংস্কারক হওয়ার সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত ৷ তার শাসক চরিত ছিল হযরত
উমর ইবনুল খাত্তা বের শাসক চরিতের সদৃশ ৷ আর বহু ক্ষেত্রেই তিনি তার সাদৃশ্য অবলম্বন
করেছেন ৷ শায়াখ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী উমরইবনুল খাত্তাব ও উমর ইবন আবদুল
আযীযেৱ জীবন চরিতকে একত্রে সৎ কলন করেছেন ৷ আর আমরা উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা) এর জীবন চরিতকে স্বতন্ত্র একটি গ্রন্থাৎৰুশ এবং তার মুসনাদ’ কে বিশাল একটি গ্রহুাৎশে
উল্লেখ করেছি ৷ আর উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ জীবন চরািতর উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা
এখানে উল্লেখ করলাম যা তার জীবন চরিতে অনুল্লিখিত বিষয়েরও প্রমাণ ৷ ফিক্হশাস্ত্র শিক্ষা,
ইলমের প্রচার এবং কুরআন অধ্যয়নের জন্য যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে দিমাশকের পাশে
মসজিদে ই’ তিকাফে মগ্ন হতে তন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) তাদেরকে ৰায়তুল সাল হতে
বাৎসরিক একশ দীনার ভাতা প্রদান করতেন ৷ আর তিনি তার গভর্নরদের যথাযথভাবে সুন্নাত
অবলম্বনের নির্দেশ দিতেন এবং বলতেন, সুন্নাত যদি তাদের সংশোধন না করে, তাহলে
আল্লাহ্ও যেন তাদের সৎশোধন না করেন ৷ তিনি সকল অঞ্চলে এই ফরমান পাঠান যে, কোন
ইয়াহুদী, খৃপ্টান কিৎব৷ অন্য কোন যিঘী তাদের বাহনে যীন বা গদি ব্যবহার করবে না এবং
জুব্বা, আলখিল্লা বা পাজামা (অর্থাৎ মর্যাদাপ্রকাশক কোন পরিধেয়) পরিধান করবে না ৷
তাদের কেউ সংযুক্ত অগ্নভাগ বিশিষ্ট চামড়ার বেস্ট ছাড়৷ পথে বের হয়ে না ৷ তাদের মধ্যে
যাদের গৃহে কোন অস্ত্র পাওয়া যাবে তাদের থেকে তা নিয়ে নেওয়া হবে ৷ তিনি আরও লিখেন,
আহলে কুরআন ব্যতীত অন্য কাউকে যেন কোন কাত্তেরে দায়িত্ব প্রদান করা না হয় ৷ কেননা,
তাদের কাছে যদি কোন কল্যাণ না থাকে, তাহলে অন্যদের কাছে কল্যাণ না থাকার সম্ভাবনা
আরও অধিক ৷ এছাড়া তিনি তার গভারদের লিখতেন, তোমরা নামাযের সময় ব্যস্ততা পরিহার
করবে, কেননা, যে তাতে অবহেলা করে সে ইসলামের অন্যান্য বিধানের ক্ষেত্রে আরও অধিক
অবহেলাকারী হবে ৷ কখনও কখনও তিনি তার কোন গভর্নরকে উপদেশনামা লিখে পাঠাতেন
আর সে তার দায়িত্বে অব্যাহতি প্রদান করে সরে দাড়াত ৷ কখনও বা তাদের কেউ তার
উপদেশের তীব্রে প্রভাবের কারণে গড়র্নরের দায়িত্ব থেকে নিজেকে অপসারিত করে দেশা ভার
সফরে বেরিয়ে পড়ত ৷ আর এর কারণ হলো উপদেশ যখন উপদেশদাতার অন্তর থেকে বের
হয়, তখন তা উপদেশ গ্রহণকারীর অস্তরে প্রবেশ করে ৷ অনেক ইমাম সুস্প্ষ্টিভা ৷বে উল্লেখ
করেছেন যে, উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ নিয়ােগকৃত সকল গভর্নর ও প্রশাসক নির্ভরযোগ্য
ছিলেন ৷ হযরত হাসান বসরী তার কাছে সুন্দর সব উপদেশ লিখে পাঠিয়েছিলেন ৷ আমরা যদি
তার সব উল্লেখ করতে যইি তাহলে এই পরিচ্ছেদ দীর্যায়িত হবে ৷ তবে এমন বিষয় উল্লেখ


يَا عُمَرُ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَمَسَّكْ بِمَا أَنْتَ عَلَيْهِ، وَاثْبُتْ عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ كَأَنَّهُ أُذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ فَخَرَجْتُ، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْقَصْرِ، وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَصَرَنِي رَبِّي، وَإِذَا عَلِيٌّ فِي إِثْرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي غَفَرَ لِي رَبِّي. [إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةٍ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا] فَصْلٌ (إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا) وَهُوَ ذِكْرُنَا فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي سُنَنِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا» . فَقَالَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَغَيْرُهُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الْأُولَى. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ جَدَّدَ اللَّهُ بِهِ أَمْرَ الدِّينِ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الْأُولَى، وَإِنْ كَانَ هُوَ أَوْلَى مَنْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ وَأَحَقَّ ; لِإِمَامَتِهِ، وَعُمُومِ وِلَايَتِهِ، وَاجْتِهَادِهِ وَقِيَامِهِ فِي تَنْفِيذِ الْحَقِّ، فَقَدْ كَانَتْ سِيرَتُهُ شَبِيهَةً بِسِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَكَانَ كَثِيرًا مَا يَتَشَبَّهُ بِهِ. وَقَدْ جَمَعَ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ سِيرَةَ الْعُمَرَيْنِ ; عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدْ أَفْرَدْنَا سِيرَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي مُجَلَّدٍ عَلَى حِدَةٍ، وَمُسْنَدَهُ فِي مُجَلَّدٍ ضَخْمٍ، وَأَمَّا سِيرَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৮
فَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْهَا طَرَفًا صَالِحًا هُنَا، يُسْتَدَلُّ بِهِ عَلَى مَا لَمْ نَذْكُرْهُ. وَقَدْ كَانَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ يُعْطِي مَنِ انْقَطَعَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، مِنْ بَلَدِهِ وَغَيْرِهَا، لِلْفِقْهِ وَنَشْرِ الْعِلْمِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ، فِي كُلِّ عَامٍ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ مِائَةَ دِينَارٍ، وَكَانَ يَكْتُبُ إِلَى عُمَّالِهِ أَنْ يَأْخُذُوا النَّاسَ بِالسُّنَّةِ، وَيَقُولَ: إِنْ لَمْ تُصْلِحْهُمُ السُّنَّةُ فَلَا أَصْلَحَهُمُ اللَّهُ. وَكَتَبَ إِلَى سَائِرِ الْبِلَادِ أَنْ لَا يَرْكَبَ ذِمِّيٌّ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَغَيْرِهِمْ عَلَى سَرْجٍ، وَلَا يَلْبَسُ قَبَاءً وَلَا طَيْلَسَانًا وَلَا السَّرَاوِيلَ وَلَا يَمْشِيَنَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا بِزُنَّارٍ مِنْ جِلْدٍ، وَهُوَ مَقْرُونُ النَّاصِيَةِ، وَمَنْ وُجِدَ مِنْهُمْ فِي مَنْزِلِهِ سِلَاحٌ أُخِذَ مِنْهُ، وَكَتَبَ أَيْضًا أَنْ لَا يُسْتَعْمَلَ عَلَى الْأَعْمَالِ إِلَّا أَهْلُ الْقُرْآنِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُمْ خَيْرٌ فَغَيْرُهُمْ أَوْلَى أَنْ لَا يَكُونَ عِنْدَهُ خَيْرٌ. وَكَانَ يَكْتُبُ إِلَى عُمَّالِهِ: اجْتَنِبُوا الْأَشْغَالَ عِنْدَ حُضُورِ الصَّلَوَاتِ، فَإِنَّ مَنْ أَضَاعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا مِنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ أَشَدُّ تَضْيِيعًا. وَقَدْ كَانَ يَكْتُبُ الْمَوْعِظَةَ إِلَى الْعَامِلِ مِنْ عُمَّالِهِ فَيَنْخَلِعُ بِهَا قَلْبُهُ، وَرُبَّمَا عَزَلَ بَعْضُهُمْ نَفْسَهُ عَنِ الْعِمَالَةِ مِنْ شِدَّةِ مَا تَقَعُ مَوْعِظَتُهُ مِنْهُ، وَذَلِكَ أَنَّ الْمَوْعِظَةَ إِذَا خَرَجَتْ مِنْ قَلْبِ الْوَاعِظِ دَخَلَتْ قَلْبَ الْمَوْعُوظِ. وَقَدْ صَرَّحَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ بِأَنَّ كُلَّ مَنِ اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثِقَةٌ، وَقَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ بِمَوَاعِظَ حِسَانٍ وَلَوْ تَقَصَّيْنَا ذَلِكَ لَطَالَ هَذَا الْفَصْلُ، وَلَكِنْ قَدْ ذَكَرْنَا مَا فِيهِ إِشَارَةً إِلَى ذَلِكَ. وَكَتَبَ إِلَى بَعْضِ