আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى ومائة

مناقب عمر بن عبد العزيز

পৃষ্ঠা - ৭৫৭৪


আবদুল আযীযকে সাথে নিয়ে তার সেনা ছাউনিতে আগমন করলেন ৷ সেখা নে ছিল বিপুল
, ৎখ্যক সৈন্যদল, তাদের বাহন ঘোড়া, উট ও খচ্চরের পাল এবং অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ ইত্যাদি ৷
তখন (গর্ব প্রকাশার্থে) সুলায়মান তাকে প্রশ্ন করলেন, হে উমর! আমাদের এই সমরশক্তি ও
সৈন্যদলের ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ? তিনি বললেন, আমি তো এমন দুনিয়া (পার্থিব
উপায়-উপকরণ) দেখছি ৷ যার একাৎশ একাৎশকে গ্রাস করছে ৷ আর এসব কিছু সম্পর্কে
আপনিই জিজ্ঞাসিত হবেন ৷ এরপর তারা যখন সেনা ছাউনির আরও নিকটবর্তী হলেন, তখন
হঠাৎ একটি কাক সুলায়মানের র্তাবু হতে মুখে এক গ্রাস খাবার নিয়ে উড়াল দিল এবং একবার
কা-কা রবে ডেকে উঠল ৷ তখন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক উমর ইবন আবদুল আযীযকে
বলেন, হে উমর এটা কী ? তিনি বললেন, আমি জানি না ৷ এরপর তিনি (উমর) বলেন,
আপনার কী ধারণা হয়ত বা যে বলছে, এসব কোথা হতে এস্যেছ এবং সে এসব কোথায় নিয়ে
যাবে ? সুলায়মান তাকে বলেন, কী আশ্চর্যজনক কথা তে ৷মার! তখন উমর বলেন, আপনি ঐ
ব্যক্তি হতে আশ্চর্যবােধ করুন, যে মহান আল্লাহ্কে জানার পর তার নাফরমানী করে, যে
শয়তানকে চেনার পর তার আনুগত্য করে এবং যে দুনিয়ার (ক্ষণন্থায়িতৃ) অবস্থা জানার পর
তার প্ৰতি আসক্তি বোধ করে ৷
ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক এবং উমর ইবন
, আবদুঃা আযীয আরাফায় অবস্থানকালে মানুষের আধিক্য দেখতে পেলেন ৷ উমর তাকে বললেন,
আজ এরা আপনার শাসিত প্রজা আর আগড়ামীকাল আপনি তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন ৷
অন্য একটি বর্ণনার ভাষ্য হলো ৷ কিয়ামতের দিন এরা আপনার প্রতিপক্ষবিবাদী একথা শুনে
সুলায়মান কেদে বলেন, আমরা আল্লাহ্রই সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ এছাড়া এও বর্ণিত হয়েছে
যে, যখন তারা সেই বৃষ্টি ও বজে র করলে পতিত হলেন, তখন সুলায়মান ভীত-শঙ্কিত হয়ে
পড়লেন ৷ উমর হেসে ফেলেন ৷ সুলায়মান তাকে বলেন, এ অবস্থায় তুমি হাসছ ? তখন তিনি
বলেন, ই৷ ৷ এ হলো মহান আল্লাহর অস্কুগহের চিহ্ন ও নিদর্শন, এতেই আমাদের এ অবন্থা
তাহলে ভেবে দেখুন, তার ক্রোধ ;ও শাস্তির নিদর্শন দেখলে সে সময় আমাদের কী অবস্থা হতে
পারে ৷ ইমাম মালিক উল্লেখকরেন, একবার সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক এবং উমর ইবন
আবদুল আযীয বাদানুবাদে লিপ্ত হলেন ৷ কথার এক পর্যায়ে সুলায়মান তাকে বলে বললেন,
তুমি মিথ্যা বলেছ ৷ উমর (রা) বলেন, আপনি আমাকে বলছেন, আমি মিথ্যা বলেছি ?
আল্লাহর কসম! মিথ্যাবাদীর ক্ষপিত করে এই উপলব্ধি হওয়ার পর হতে আমি কখনও মিথ্যা
বলিনি ৷ এরপর উমর সুলায়মানের সাহচর্য ত্যাগ করে মিসরে চলে যাওয়ার সংকল্প করলেন ৷
কিন্তু সুলায়মান তাকে সেই সুযোগ দিলেন না ৷ এরপর তিনি তার কাছে লোক পাঠিয়ে তার
সাথে সন্ধি করে নিলেন এবং তাকে বলেন, যখনই আমি কোন গুরুত্বপুর্ণ ৰিষয়েরস্তুম্মুখীন
হয়েছি, তখনই (সে ব্যাপারে পরামর্শের জন্য) আমার মনে তোমার কথা উদিত হয়েছে ৷ আর
ইতোপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হলো ৷ তিনি উমর ইবন
আবদুল আযীযকে তার পরবর্তী খলীফারুপে মনোনীত করলেন ৷ পরবর্তীতে তার উপর ভিত্তি
করেই খিলাফতের সুষ্ঠুরুপ প্রকাশ পেল ৷ আর প্ৰশং সা সমহান আল্লাহ্র প্রাপ্য ৷

পরি ছেদ

আবু দাউদ তায়ালিসী বর্ণনা করেন, আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সালামা
আলমাজিশুন সুত্রে দীনার হতে ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর বলেন, হার আশ্চর্য! লোকেরা বলে,
দুনিয়া ততদিন শেষ হবে না, যতদিন উঞ্জোবুধুশুব্লব্ল;ল্গুরআষ্কৃাৰু ব্যক্তি মুসলমানদের শাসন কর্তৃতু

[مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ] فَصْلٌ (مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ) قَالَ: أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: يَا عَجَبًا! يَزْعُمُ النَّاسُ أَنَّ الدُّنْيَا لَا تَنْقَضِي حَتَّى يَلِيَ رَجُلٌ مِنْ آلِ عُمَرَ يَعْمَلُ بِمِثْلِ عَمَلِ عُمَرَ. قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَهُ بِلَالَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: وَكَانَ بِوَجْهِهِ أَثَرٌ، فَلَمْ يَكُنْ هُوَ، وَإِذَا هُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأُمُّهُ ابْنَةُ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَ الْحَاكِمُ، أَنَا أَبُو حَامِدٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَقْرِيُّ، ثَنَا أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ لَاحِقٍ، عَنْ جُوَيْرِيَّةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: إِنَّ مِنْ وَلَدِي رَجُلًا بِوَجْهِهِ شَيْنٌ يَلِي، فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا. قَالَ نَافِعٌ مِنْ قَبْلِهِ: وَلَا أَحْسَبُهُ إِلَّا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَرَوَاهُ مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: لَيْتَ شِعْرِي، مَنْ هَذَا الَّذِي مِنْ وَلَدِ عُمَرَ فِي وَجْهِهِ عَلَامَةٌ يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا؟ وَقَالَ: وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ: بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلًا دَخَلَ مِنْ بَابِ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৫


লাভ করবে ৷ যিনি উমরের ন্যায় শাসনকার্য পরিচালনা করবেন ৷ রাবী বলেন, তারা মনে
করতেন, এই ব্যক্তি বিলাল ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ৷ রাবী বলেন, তার চেহারায় ক্ষতচিহ্ন
ছিল ৷ কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তি নন ৷ সেই ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তার আশা
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাবের ছেলে আসিমের কন্যা ৷ বায়হাকী বর্ণনা করেন, হাকিম
সুত্রে নাফি হতে ৷ তিনি বলেন, আমাদের কাছে পৌছেছে যে, ইবনুল খাত্তাব বলেন,
মুখম্ণ্ডলে ক্ষতচিহ্ন বিশিষ্ট আমার এক অধস্তন সন্তান শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করবে, এরপর সে
পৃথিবীকে ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার দ্বারা পুর্ণ করে দেবে ৷ এরপর নাফি তার নিজের পক্ষ
হতে বলেন, আমার ধারণা, সে উমর ইবন আবদুল আযীয ছাড়া আর কেউ নয় ৷ মুবারক ইবন
ফুযালা তা রিওয়ায়াত করেছেন ,উবায়দুল্লাহ্র সুত্রে নাফি হতে ৷ তিনি বলেন, উমর বলতেন,
হায় যদি আমি জানতে পারতাম উমরের অধস্তন বংশধর কে এই ব্যক্তি যার মুখমণ্ডলে চিহ্ন
থাকবে, যিনি পৃথিবীকে ন্যায় ও ইনসাফ দ্বারা পরিপুর্ণ করে দিবেন? ওয়াহায়ব ইবন ওয়ারদ
বলেন, একবার আমি ঘুমম্ভ অবস্থায় দেখলাম, এক ব্যক্তি যেন বাবে বানু শায়বাহ দিয়ে প্রবেশ
করে বলতে লাগল, হে লোক সকল! তোমাদের উপর কিতাবুল্লাহ্র শাসন প্রতিষ্ঠা করা হলো ৷
আমি তখন প্রশ্ন করলাম, কে তা করলেন ৷ তখন লোকটি তার নখেব দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷
আমি তখন সেখানে , ণ্ব্লু (উমর) লেখা দেখতে পেলাম ৷ ওয়াহায়ব বলেন, এরপরই উমর
ইবন আবদুল আযীষের অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ বাকীয়্যা বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন আবু
রায়ীন সুত্রে উমর ইবন আবদুল আযীয হতে যে, (স্বপ্নযােগে)৩ তিনি (একবার) রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে সবুজ উদ্যানে দেখতে পেলেন, তখন নবী করীম (না)
তাকে বলেন, র্টঅচিরেই তুমি আমার উম্মতের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করবে ৷ তখন তুমি রক্তপাত
হতে নিজেকে বিরত রেখো , রক্তপাত হতে নিজেকে বিরত ব্লেখো ৷ মানুষের মাঝে তোমার নাম
উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তবে মহান আল্লাহ্র দরবারে তোমার নাম জাবির ৷” আবু বাকর
ইবনুল মুকরি বলেন, আবু আরুৰাহ্ হুসাইন ইবন মুহাম্মদ সুত্রে রিয়াহ ইবন উবায়দাহ্ সুত্রে
তিনি বলেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয নামাষে বের হলেন, এক বৃদ্ধ তার হাতে ভর
দিয়ে চলতে লাগল ৷ আমি মনে মনে ভাবলাম, এই বৃদ্ধ ণ্লাকটির সৌজন্যবােধ নেই ৷ এরপর
নামায ণ্শষে তিনি যখন পুনরায় ভিতরে (দারুল খিলাফতে) প্রবেশ করলেন, আমি তার পিছে
পিছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ আমীরুল মু’মিনীনের কল্যাণ করুন ৷ এই বৃদ্ধ
কে যে আপনার হাতে ভর দিয়ে আসল ? তিনি বলেন, হে রিয়াহ৷ তুমি কি তাকে লক্ষ্য
করেছ? আমি বললাম, ইম ! তিনি বলেন, রিয়াহ্ তোমাকে তো একজন ভাল লোকই গণ্য
করি ! তিনি হলেন আমার ভাই’ খাযির তিনি আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন যে,
অচিরেই আমি এই উম্মতের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করা এবং তাদের মাঝে ন্যায় ও ইনসাফ
অবলম্বন করব ৷

ইয়া কুব ইবন সুফয়ান বর্ণনা করেন, আবু উমায়র সুত্রে আবু আনবাস হতে তিনি
বলেন, একবার আমি খালিদ ইবন ইয়াষীদ ইবন মুআৰিয়ার সাথে বসা ছিলাম, সেখানে
নকশা করা চাদর পরিচিত এক যুবক আসল এবং খালিদের হাত ধরে বলল, আমাদেরকে
পর্যবেক্ষণকারী কোন ঢ়ক্ষু আছে কি ? আবুআনবাস বলেন, আমি বললাম, মহান আল্লাহর পক্ষ
থেকে তোমাদের দুইজনকে পর্যাবক্ষণকারী দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণকারী শ্রবণশক্তি নিয়োজিত
আছে ৷ আবু আনবাস বলেন, একথা শুনে সেই তরুণের চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল এবং সে
খালিদের হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেল ৷ আমি প্রশ্ন করলাম, কে এ ? খালিদ বলল, এ হলো


شَيْبَةَ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، وُلِّيَ عَلَيْكُمْ كِتَابُ اللَّهِ. فَقُلْتُ: مَنْ؟ فَأَشَارَ إِلَى ظَهْرِهِ، فَإِذَا مَكْتُوبٌ عَلَيْهِ: عُ مَ رُ. قَالَ: فَجَاءَتْ بَيْعَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَقِيَّةُ، عَنْ عِيسَى بْنِ أَبِي رَزِينٍ، حَدَّثَنِي الْخُزَاعِيُّ، «عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ، فَقَالَ لَهُ: " إِنَّكَ سَتَلِي أَمْرَ أُمَّتِي فَزَعْ عَنِ الدَّمِ، فَإِنَّ اسْمَكَ فِي النَّاسِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَاسْمُكَ عِنْدَ اللَّهِ جَابِرٌ» ". وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ الْمُقْرِيِّ: ثَنَا أَبُو عَرُوبَةَ الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَوْدُودٍ الْحَرَّانِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَزَّانُ، ثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، ثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى، عَنْ رَبَاحِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى الصَّلَاةِ، وَشَيْخٌ مُتَوَكِّئٌ عَلَى يَدِهِ، فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: إِنَّ هَذَا الشَّيْخَ جَافٌّ، فَلَمَّا صَلَّى وَدَخَلَ لَحِقْتُهُ، فَقُلْتُ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، مَنِ الشَّيْخُ الَّذِي كَانَ مُتَّكِئًا عَلَى يَدِكَ؟ فَقَالَ: يَا رَبَاحُ رَأَيْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا أَحْسَبُكَ يَا رَبَاحُ إِلَّا رَجُلًا صَالِحًا، ذَاكَ أَخِي الْخَضِرُ، أَتَانِي فَأَعْلَمَنِي أَنِّي سَأَلِي أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَنِّي سَأَعْدِلُ فِيهَا. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي حَمْلَةَ، عَنْ أَبِي الْأَعْيَسِ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৬


খলীফার ভাতিজা উমর ইবন আবাক্বা আযীয ৷ মহান আল্লাহ্ যদি তোমাকে দীর্ঘজীবী করেন,
তাহলে অবশইি তুমি তাকে সুপথপ্রাপ্ত শাসকরুপে দেখতে পাবে ৷ আলাবিদায়ার গ্রন্থকার
বলেন, খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে পুর্ববর্তীদের ইতিহাস ও বক্তব্যসমুহের
একটা ভাল সংগ্রহ ছিল ৷ এছাড়া তিনি জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসা শাশ্রের চর্চা করতেন ৷
ইতোপুর্বে সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের জীবনী আলোচনার সময় আমরা উল্লেখ করেছি
যে, যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হলো, তখন তিনি তার ছেলেদের একজনকে পরবর্তী
খলীফারুপে নির্ধারণ করতে চইিলেন ৷ বিন্দু তার লেক ওয়াযীব রজা ইবন হায়ওয়া তাকে তা
থেকে বিরত রাখেন ৷ তার প্রচেষ্টায়ই মুলত তিনি (সুলায়মান) পরবর্তী খলীফারুপে উমর ইবন
আবদুল আযীযকে নিয়োগ করেন ৷ আর রজা ইবন হায়ওয়া তাকে সমর্থন করেন ৷ তখন
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার ফরমান লিখালেন এবং তাকে সীলমােহর দ্বারা আবদ্ধ
করলেন ৷ ,সুলায়মান এবং রজা ইবন হায়ওয়া ব্যতীত উমর ইবন আবদুল আযীয কিৎবা বানু
মারওয়ানের কেউই এ বিষয়টি আচ করতে পারল না ৷ তারপর তিনি সিপাহী প্রধানকে নির্দেশ
দিলেন সকল আমীর-উমারা এবং বানুমারওয়ানের এবং অন্যদের নেতৃস্থানীয় সকলকে উপস্থিত
করতে ৷ তারা উপস্থিত হয়ে সীলমােহরকৃত ফরমানে যা বিদ্যমান তা মেনে সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের কাছে বায়আত করেন ৷ তারপর প্রস্থান করেন ৷ এরপর খলীফা মৃত্যুমুখে
পতিত হলে রজা ইবন হায়ওয়া তাদেরকে পুনরায় ডেকে পাঠালেন ৷ তারা খলীফার মৃত্যু
সম্পর্কে জানার পুর্বে এই ফরমান মেনে নিয়ে দ্বিতীয়বার বায়আত করল ৷ এরপর তিনি তাদের
সামনে তা খুলে তাদেরকে পাঠ করে গােনালেন ৷ দেখা গেল তাতে উমর ইবন আবদুল
আষীযের অনুকুলে বায়আতের নির্দেশ বিদ্যমান ৷ তখন সকলে তাকে এনে মিম্বরে বসালেন ৷
তারপর তার হাতে বায়আত হলো ৷ এভাবে তার অনুকুলে বায়আত অনুষ্ঠিত হলো ৷

এই ধরনের কাজের বৈধতার ব্যাপারে ইমামগণ মতবিরোধ করেছেন যে কোন ব্যক্তি
কোন লিখিত ওয়াসিয়াত করল এবং সাক্ষীদেরকে তা না শুনিয়ে তাদেরকে সে ব্যাপারে সাক্ষী
বানান, তারপর তারা এর অনুকুলে সাক্ষী দিন এবং সে সাক্ষীর ভিত্তিতে সেই ওয়াসিয়াত
কার্যকর করা হলো একদল উলামা একে বৈধ রায় দিয়েছেন ৷ কাযী আবুল ফারাজ আল
মুআফী ইবন যাকারিয়্যা আল-জারীরী বলেন, হিজাযবাসী অধিকাংশ আলিম এই ধরনের
ওয়াসিয়াতকে অনুমোদন করেছেন, সে অনুযায়ী ফায়সালা করাকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন ৷
আর এ রায়মত, বর্ণিত হয়েছে সালিম ইবন আবদুল্লাহ থেকে ৷ আর এটাই ইমাম মালিক,
মুহাম্মদ ইবন মাসলামা আল-মাখয়ুমী মাকহুল, নুমায়র ইবন আওস, যুরআহ্ ইবন ইবরড়াহীম,
আওযায়ী সাঈদ ইবন আবদুল আযীয এবং তাদের সাথে একমত পােষণকারী শামীয়
ফকীহগণের মায্হাব বা মত ৷ খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবু মালিক তার পিতা এবং তার
ফৌজী কাযীদের থেকে অনুরুপ সিদ্ধান্ত বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া এটা লায়ছ ইবন সাল এবং
তার সাথে ঐকমত্য পােষণকারী মিসর ও মরক্কোবাসী ফকীহ্গণের মত এবং বসরারকাযী ও
ফকীহগণেরও মত ৷ আর কাতাদ৷ সাওওয়ার ইবন আবদুল্লাহ উবায়দুল্লাহ্ ইবন হাসান, মুআয
ইবন মুআয আল আম্বরী এবং তাদের অনুসারী আলিমগণ থেকেও এই মতই উদ্ধৃত হয়েছে ৷
উপরন্তু বহু সংখ্যক আহলে হাদীস আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন ৷ তাদের মধ্যে আবু উবায়দ
এবং ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হি অন্যতম ৷

আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, ইমাম বুখড়ারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বিষয়টির প্রতি সযতু
হয়েছেন ৷ মুআফী বলেন, ইরাকের একদল ককীহ অবশ্য এর বৈধতা মানতে সম্মত নন ৷


فَجَاءَ شَابٌّ عَلَيْهِ مُقَطَّعَاتٌ، فَأَخَذَ بِيَدِ خَالِدٍ، فَقَالَ: هَلْ عَلَيْنَا مِنْ عَيْنٍ؟ فَقَالَ أَبُو الْأَعْيَسِ: فَقُلْتُ: عَلَيْكُمَا مِنَ اللَّهِ عَيْنٌ بَصِيرَةٌ وَأُذُنٌ سَمِيعَةٌ، قَالَ: فَتَرَقْرَقَتْ عَيْنَا الْفَتَى. فَأَرْسَلَ يَدَهُ مِنْ يَدِ خَالِدٍ وَوَلَّى، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ابْنُ أَخِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّهُ إِمَامَ هُدًى. قُلْتُ: قَدْ كَانَ عِنْدَ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ شَيْءٌ جَيِّدٌ مِنْ أَخْبَارِ الْأَوَائِلِ وَأَقْوَالِهِمْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ عَزَمَ أَنْ يَكْتُبَ الْعَهْدَ بِاسْمِ أَحَدِ أَوْلَادِهِ، فَمَا زَالَ بِهِ وَزِيرُهُ الصَّادِقُ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ حَتَّى صَرَفَهُ عَنْ ذَلِكَ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ أَنْ يَجْعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ لِأَصْلَحِ النَّاسِ لَهُمْ، فَأَلْهَمَ اللَّهُ الْخَلِيفَةَ رُشْدَهُ، فَعَيَّنَ لَهَا ابْنَ عَمِّهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَجَوَّدَ رَأْيَهُ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ وَصَوَّبَهُ، فَكَتَبَ سُلَيْمَانُ الْعَهْدَ فِي صَحِيفَةٍ، وَخَتَمَهَا، وَلَمْ يَشْعُرْ بِذَلِكَ عُمَرُ، وَلَا أَحَدٌ مِنْ بَنِي مَرْوَانَ سِوَى سُلَيْمَانَ وَرَجَاءٍ، ثُمَّ أَمَرَ صَاحِبَ الشُّرَطَةِ بِإِحْضَارِ الْأُمَرَاءِ، وَرُءُوسِ النَّاسِ مِنْ بَنِي مَرْوَانَ وَغَيْرِهِمْ، فَبَايَعُوا سُلَيْمَانَ عَلَى مَا فِي الصَّحِيفَةِ الْمَخْتُومَةِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ الْخَلِيفَةُ اسْتَدْعَاهُمْ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَبَايَعُوا ثَانِيَةً، قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا مَوْتَ الْخَلِيفَةِ، ثُمَّ فَتَحَهَا فَقَرَأَهَا عَلَيْهِمْ، فَإِذَا فِيهَا الْبَيْعَةُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَأَخَذُوهُ فَأَجْلَسُوهُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَبَايَعُوهُ، فَانْعَقَدَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي مِثْلِ هَذَا الصَّنِيعِ فِي الرَّجُلِ يُوصِي الْوَصِيَّةَ فِي كِتَابٍ وَيُشْهِدُ عَلَى مَا فِيهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُقْرَأَ عَلَى الشُّهُودِ، ثُمَّ يَشْهَدُونَ عَلَى مَا فِيهِ فَيَنْفُذُ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৭


তন্মধ্যে রয়েছেন ইররাহীম, হাম্মাদ এবং হাসান ৷ আর সেট ই ইমাম শাফেঈ ও অ ৷বু ছাওরের
মাযহাব ৷ মৃ আফী বলেন, এটা আমাদের শায়থ আবু জা ফরের বক্তব্য ৷ তবে ইমাম শাফেঈর
কোন কোন ইরাকী শিষ্য প্রথম মত ৩গ্রহণ করেছেন ৷ পরিশেষে আল জারীরী বলেন, আমরাও
প্রথম মতটিকেই গ্রহণ করছি ৷ ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে উমর ইবন আবদুল আযীয যখন
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের দাফন শেষে ফিরলেন, তখন তার আরােহণের জন্য খলীফার
বিশেষ বাহনসমুহ আনা হলো ৷ কিন্তু তিনি তাতে আরোহণ না করে আবৃত্তি করলেন ও


যদি আল্পাহ্ভীতি, বিবেকবুদ্ধি আর মৃত্যু ভয় না থাকত, তাহলে বিনোদন আসক্তিতে
আমি সকল নিষেধকা রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতাম ৷’


অতীতে সে যেটুকু বিনোদন লাভ করার করে নিয়েছে এরপর আর তুমি তার মাঝে কোন
বিনােদনাসক্তি দেখবে না ৷

তারপর তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যা চান (তাই হয়) ৷ তিনি ব্যতীত (কারও) কোন

শক্তি নেই ৷ আমার খচ্চর নিয়ে আস ৷ এরপর তিনি খলীফার সেই সকল বিশেষ বাহন নিলামে
বিক্রয়ের নির্দেশ দিলেন ৷ আর এগুলি ছিল অত্যন্ত উৎকৃষ্ট জাতের মুল্যবান অশ্ব ৷ এগুলি বিক্রির
পর তিনি তার মুল্য বায়তুল মালে জমা দিলেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তার অনুকুন্সে বাইআত
গ্রহণের এবং তার খিলাফতে র দায়িতু সুন্থির ও সুনিশ্চিত হওয়ার পর তিনি যখন থলীফা
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের দাফন থেকে ফিরলেন, তখন তাকে বেশ বিষপ্ন ও
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখাচ্ছিল ৷ তার এ অবস্থা দেখে তার মাওলা (আযাদকৃর্ভ দাস) তাকে বলে,
আপনার কী হয়েছে ? আপনাকে এমন বিষপ্ন ও দৃশ্চিন্তগ্রেস্ত দেখাচ্ছে কেন ? এখন তো এমন
থাকার সময় নয় ৷ তিনি তাকে ভভুসনা করে বলেন, কী বলছ তুমি ! কীভাবে আমি দৃজ্যিগ্রেস্ত
হব না, অথচ এই বিশাল ব্যাপ্ত ইসলামী সাম্রাজের পুর্ব পশ্চিমে এই উম্মতের এমন সদস্য
নেই, যে আমার কাছেত তার প্রাপ্য অধিকার আদায় করার জন্য দায়ী করছে না ৷ সে বিষয়ে যে
আমার কাছে লিখুক কিৎব৷ না লিখুক আবেদন করুক কিৎব৷ না করুক ৷ ঐতিহাসিকগণ আরো
বলেন এরপর তিনি তার শ্রী ফাতিমাহ্ বিনত আবদুল মালিককে ইচ্ছাধিকাব প্রদান করেন,
ইচ্ছা হলে এই শর্তে তিনি তার সাহচর্যে অবস্থান করতে পারেন যে, তার সান্নিধ্য সময়
কাটানোর তার আর অবকাশ নেই ; অন্যথায় তিনি তার পিতৃগৃহে নিয়ে অবস্থান করতে
পারেন ৷ স্বামীর একথা শুনে ফাতিমাহ্ কেদে ফেলেন এবং তার কান্নায় তার বাদীরাও কেদে
উঠল ৷ ফলে তখন তার গৃহে কান্নার রোল পড়ে পেল ৷ অবশ্য তিনি পরিশেষে সর্বাবস্থায় স্বামীর
সাহচর্যকেই গ্রহণ করলেন ৷ আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷ একবার এক ব্যক্তি তাকে বলল,
আমীরুল মু’মিনীন আমাদের জন্য একটু অবসর গ্রহণ করুন ৷ তিনি আবৃত্তি করলেন :

মহাব্যস্ততার আবির্ভাব হয়েছে আর তুমি নিরাপদ পথ থেকে সরে এসেছ :
অবসর অতীত হয়েছে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আর আমাদের কোন অবসর নেই ৷


فَسَوَّغَ ذَلِكَ جَمَاعَاتٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ; قَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجُرَيْرِيُّ: أَجَازَ ذَلِكَ وَأَمْضَاهُ وَأَنْفَذَ الْحُكْمَ بِهِ جُمْهُورُ أَهْلِ الْحِجَازِ. وَرُوِيَ ذَلِكَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ مَذْهَبُ مَالِكٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْمَخْزُومِيِّ، وَمَكْحُولٍ، وَنُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، وَزُرْعَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمَنْ وَافَقَهُمْ مِنْ فُقَهَاءِ الشَّامِ. وَحَكَى نَحْوَ ذَلِكَ خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ وَقُضَاةِ جُنْدِهِ، وَهُوَ قَوْلُ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ فِي مَنْ وَافَقَهُ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ مِصْرَ وَالْمَغْرِبِ، وَهُوَ قَوْلُ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَقُضَاتِهِمْ. وَرُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ، وَعَنْ سَوَّارِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَمُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيِّ فِي مَنْ سَلَكَ سَبِيلَهُمْ. وَأَخَذَ بِهَذَا عَدَدٌ كَثِيرٌ مِنْ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، مِنْهُمْ: أَبُو عُبَيْدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ. قُلْتُ: وَقَدِ اعْتَنَى بِهِ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ". قَالَ الْمُعَافَى: وَأَبَى ذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنْ فُقَهَاءِ الْعِرَاقِ، مِنْهُمْ: إِبْرَاهِيمُ، وَحَمَّادٌ، وَالْحَسَنُ، وَهُوَ مَذْهَبُ الشَّافِعِيِّ، وَأَبِي ثَوْرٍ. قَالَ: وَهُوَ قَوْلُ شَيْخِنَا أَبِي جَعْفَرٍ، وَكَانَ بَعْضُ أَصْحَابِ الشَّافِعِيِّ بِالْعِرَاقِ يَذْهَبُ إِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ. قَالَ الْجَرِيرِيُّ: وَإِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ نَذْهَبُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৮


যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, মুহাম্মদ ইবন সালাম সুত্রে সালাম ইবন সুলায়ম থেকে ৷
তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিম্বরে আরোহণ করার
পর সর্বপ্রথম যে খুতব৷ প্রদান করলেন, তাতে তিনি প্রথমে মহান আল্লাহ্র হাম্দ ও ছানা
বর্ণনার পর বললেন, হে মানবমণ্ডলী ! যে আমাদের সাহচর্য অবলম্বন করবে, সে যেন পাচটি
বিষয় অবলম্বন করে, অন্যথায় সে যেন আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ ১ যে আমাদের
কাছে ঐ (অক্ষয়) ব্যক্তির প্রয়োজন তুলে ধরার যে নিজে তা তুলে ধরতে পারে না ৷ ২ সে
তার সাধ্যমত আমাদেকে কল্যাণ কাজে সহযোগিতা করবে ৷ ৩ সে আমাদেরকে ঐ সকল
বল্মাণের সন্ধান দিয়ে যে ওলির সন্ধান আমাদের কাছে নেই ৷ ৪ যে আমাদের কাছে পরচর্চা
(গীবত) করবে না ৷ ৫ সে তার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন বিষয়ে প্রবৃত্ত হবে না ৷
তার একথার মর্ম উপলব্ধি করে চাটুকার কবি ও বক্তারা সরে পড়ল ৷ আর ফ্কীহ ও
যাহিদগণ তার সাহচর্য অবলম্বন করল এবং তারা বলল, এই ব্যক্তি তার কথার বিপরীত কাজ
করার পুর্বে আমরা তাকে ত্যাগ করতে পারি না ৷
সুফয়ান ইবন উয়ায়নাহ্ বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফা হলেন, তখন
তিনি মুহাম্মদ ইবন কাব, রজা ইবন হায়ওয়া এবং সালিম ইবন আবদুল্লাহ্র কাছে লোক
পাঠিয়ে বললেন, তোমরা তো দেখছ আমাকে কী দ্বারা পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে এবং আমার
উপর কী গুরু দায়িত্ব আপতিত হয়েছে ৷ তোমাদের কাছে এর কী সমাধান রয়েছে ? তখন
মুহাম্মদ ইবন কাব বললেন, আপনি বৃদ্ধকে পিতা, যুবককে ভইি এবং শিশুকে ছেলে মনে
করুন ৷ তারপর পিতার সাথে সদাচারপুণ্যাচার করুন, ভাইয়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন
এবং ছেলের সাথে স্নেহসুলভ আচরণ করুন ৷ আর রজা ইবন হায়ওয়া বলেন, মানুষের জন্য
তাই অনুমোদন করবেন যা আপনি নিজের জন্য অনুমোদন করেন ৷ যে আচরণ আপনার কাছে
অপ্রিয় তাদের প্রতি সে আচরণ করবেন না ৷ আর একথা বিশ্বাস করুন যে, আপনি হলেন
মরণশীল প্রথম খলীফ৷ ৷ আর সালিম বলেন, সকল বিষয় ও কর্তৃত্কে এক ও অভিন্ন করুন
ত্তাতে পার্থিব কামনা-বাসনা ও চাহিদা ও আকাক্ষো থেকে সৎষম অবলম্বন করুন এবং
সৎযমের শেষ সীমা নির্ধারণ করুন মৃত্যুকে ৷
এ সকল উপদেশ শুনে উমর বলেন, মহান আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহ ব্যতীত কারও
(এসবের) কোন শক্তি-সামর্থ নেই ৷
অন্য এক বর্ণনাকারী বলেন, একদিন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) লোকদের সম্বোধন
করে বললেন, এসময় অশ্রুতে তিনি বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ৷ হে মানবমণ্ডলী ৷ তােমরা
তোমাদের আখিরাতকে ঠিক করে নাও, তাহলে মহান আল্লাহ্ তোমাদের দুনিয়াকে ঠিক করে
দিবেন ৷ ণ্তামরা নিজেদের গোপন বিষয়গুলি সংশোধন করে নাও, মহান আল্লাহ তোমাদের
প্রকাশ্য বিষয়কে সংশোধন করে দিবেন ৷ আল্লাহর কসম ! তার এক বান্দ৷ তো এমন রয়েছে যায়
ও আদমের (আ) মাঝে জীবিত কোন পিতৃপুরুষের অস্তিত্ব নেই, তিনি তো তার জন্য মৃত্যুর
শিকড়ের বিস্তার ঘটিয়েছেন ৷ অপর এক থুতবায় তিনি বলেন, কত মষবুত আবাসস্থল সামান্য
সময়ের ব্যবধানে বিরানে পরিণত হয়, কত ঈর্ষণীয় আবাস গ্রহণকারী সামান্য সময়ের ব্যবধানে
প্রবাসীতে পরিণত হয় ৷ মহান-আল্লাহ্ তােমাদেরকে রহম করুন ৷ কাজেই, তোমরা তোমাদের
কাছের সর্বোত্তম বাহনে দুনিয়া থেকে সর্বোত্তম ভাবে প্রন্থান কর ৷ দুনিয়াতে মানব সন্তানকে
হঠাৎ আল্লাহ্ তাআল৷ তাকদীর বা নির্ধারণ দ্বারা আহবান করে বলেন এবং তাকে মৃভ্যুবাণ দ্বারা
বিদ্ধ করেন, পরিণামে তিনি তার দুনিয়া হরণ করেন এবং তার আবাস-নিবাসকে অন্যের কাছে
হস্তান্তরিত করেন ৷ দুনিয়া যে পরিমাণ কষ্ট দেয়দুংখ দেয়, যে পরিমাণ আনন্দ দেয় না ৷ সে


وَتَقَدَّمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَمَّا رَجَعَ مِنْ جِنَازَةِ سُلَيْمَانَ أُتِيَ بِمَرَاكِبِ الْخِلَافَةِ لِيَرْكَبَهَا، فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ: فَلَوْلَا التُّقَى ثُمَّ النُّهَى خَشْيَةَ الرَّدَى ... لَعَاصَيْتُ فِي حُبِّ الصِّبَا كُلَّ زَاجِرِ قَضَى مَا قَضَى فِيمَا مَضَى ثُمَّ لَا تَرَى ... لَهُ صَبْوَةً أُخْرَى اللَّيَالِي الْغَوَابِرِ ثُمَّ قَالَ: مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، قَدِّمُوا إِلَيَّ بَغْلَتِي. ثُمَّ أَمَرَ بِبَيْعِ تِلْكَ الْمَرَاكِبِ الْخَلِيفِيَّةِ فِي مَنْ يُرِيدُ، وَكَانَتْ مِنَ الْخُيُولِ الْجِيَادِ الْمُثَمَّنَةِ، فَبَاعَهَا وَجَعَلَ أَثْمَانَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ. قَالُوا: فَلَمَّا رَجَعَ مِنَ الْجِنَازَةِ، وَقَدْ بَايَعَهُ النَّاسُ، وَاسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ بِاسْمِهِ، انْقَلَبَ وَهُوَ مُغْتَمٌّ مَهْمُومٌ، فَقَالَ لَهُ مَوْلَاهُ: مَا لَكَ هَكَذَا مُغْتَمًّا مَهْمُومًا، وَلَيْسَ هَذَا بِوَقْتِ هَذَا؟ فَقَالَ: وَيْحَكَ! وَمَا لِي لَا أَغْتَمُّ، وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ إِلَّا وَهُوَ يُطَالِبُنِي بِحَقِّهِ ; أَنْ أُؤَدِّيَهُ إِلَيْهِ، كَتَبَ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَكْتُبْ، طَلَبَهُ مِنِّي أَوْ لَمْ يَطْلُبْ. قَالُوا: ثُمَّ إِنَّهُ خَيَّرَ امْرَأَتَهُ فَاطِمَةَ بَيْنَ أَنْ تُقِيمَ مَعَهُ عَلَى أَنَّهُ لَا فَرَاغَ لَهُ إِلَيْهَا، وَبَيْنَ أَنْ تَلْحَقَ بِأَهْلِهَا، فَبَكَتْ وَبَكَى جَوَارِيهَا لِبُكَائِهَا، فَسُمِعَتْ ضَجَّةٌ فِي دَارِهِ، ثُمَّ اخْتَارَتْ مُقَامَهَا مَعَهُ عَلَى كُلِّ حَالٍ، رَحِمَهَا اللَّهُ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: تَفَرَّغْ لَنَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ قَدْ جَاءَ شُغْلٌ شَاغِلٌ ... وَعَدَلْتُ عَنْ طُرُقِ السَّلَامَهْ ذَهَبَ الْفَرَاغُ فَلَا فَرَا ... غَ لَنَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَهْ
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৯
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ، عَنْ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، وَكَانَ أَوَّلَ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ صَحِبَنَا فَلْيَصْحَبْنَا بِخَمْسٍ، وَإِلَّا فَلْيُفَارِقْنَا ; يَرْفَعُ إِلَيْنَا حَاجَةَ مَنْ لَا يَسْتَطِيعُ رَفْعَهَا، وَيُعِينُنَا عَلَى الْخَيْرِ بِجُهْدِهِ، وَيَدُلُّنَا مِنَ الْخَيْرِ عَلَى مَا لَا نَهْتَدِي إِلَيْهِ، وَلَا يَغْتَابَنَّ عِنْدَنَا الرَّعِيَّةَ، وَلَا يَعْرِضَنَّ فِيمَا لَا يَعْنِيهِ. فَانْقَشَعَ عَنْهُ الشُّعَرَاءُ وَالْخُطَبَاءُ، وَثَبَتَ مَعَهُ الْفُقَهَاءُ وَالزُّهَّادُ، وَقَالُوا: مَا يَسَعُنَا أَنْ نُفَارِقَ هَذَا الرَّجُلَ حَتَّى يُخَالِفَ فِعْلُهُ قَوْلَهُ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعَثَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَرَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ وَسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُمْ: قَدْ تَرَوْنَ مَا ابْتُلِيتُ بِهِ وَمَا قَدْ نَزَلَ بِي، فَمَا عِنْدَكُمْ؟ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ: اجْعَلِ الشَّيْخَ أَبًا، وَالشَّابَّ أَخًا، وَالصَّغِيرَ وَلَدًا، فَبِرَّ أَبَاكَ، وَصِلْ أَخَاكَ، وَتَعَطَّفْ عَلَى وَلَدِكَ. وَقَالَ رَجَاءٌ: ارْضَ لِلنَّاسِ مَا تَرْضَى لِنَفْسِكَ، وَمَا كَرِهْتَ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْكَ فَلَا تَأْتِهِ إِلَيْهِمْ، وَاعْلَمْ أَنَّكَ أَوَّلُ خَلِيفَةٍ تَمُوتُ. وَقَالَ سَالِمٌ اجْعَلِ الْأَمْرَ يَوْمًا وَاحِدًا صُمْ فِيهِ عَنْ شَهَوَاتِ الدُّنْيَا، وَاجْعَلْ آخِرَ فِطْرِكَ فِيهِ الْمَوْتَ، فَكَأَنْ قَدْ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৮০

সামান্য আনন্দ দেয় এবং অনেক দুঃখ দেয় ৷ ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ বলেন, আমর ইবন
যুহাজির থেকে ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন
লোকদের উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে হামদ ও ছানার পর বললেন, হে মানবমণ্ডলী ! পবিত্র কুরআনের পর
কোন কিতাব নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া সাল্লামা-এর পর কোন নবী নেই ৷
আর আমি বিচারক নই-বাস্তবায়নকারী এবং আমি উদ্ভাবক নই অনুসারী ৷ অত্যাচারী শাসক
থেকে পলায়নকারী ব্যক্তি অত্যাচারী নয় বরং অত্যাচারী শাসকই হলো নাফরমান ৷ শুনে রাখ,
মহান স্রষ্টার অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয় ৷ অন্য এক রিওয়ায়াতে আছে, তিনি
তাতে বলেছিলেন, আমি তো তোমাদের কারও চেয়ে উত্তম নই, বরং আমি তোমাদের মাঝে
সবচেয়ে ভারাক্রাত ৷ তোমরা শুনে রাখ, মহান আল্লাহর নাফরমানীতে কোন মাখলুকের
আনুগত্য বৈধ নয় ৷ শুনে রাখ, আমি তোমাদেরকে শুনিয়ে দিলাম ৷
আহমাদ ইবন মারওয়ান বলেন, আহমাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-হুলওয়ানী সুত্রে ;
সাঈদ ইবনুল আসের ছেলে থেকে ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর সর্বশেষ
প্রদত্ত খুতবায় হামদ ও ছানার পর তিনি বললেন, আসল কথা হলো, তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি
করা হয়নি এবং এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়া হয়নি ৷ তোমাদের জন্য এক প্রতিশ্রুতি স্থান ও কাল
বিদ্যমান ৷ তোমাদের মাঝে বিচার ও ফায়সালা করার জন্য মহান আল্লাহ্ তাতে হাষির হবেন ৷
কা৷জ্জী, যে আল্পাহ্র রহমত থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এমন জান্নাত থেকে বঞ্চিত
হয়েছে যারৰুব্যপ্তি আসমান-যমীন বরাবর, সে নিঃসন্দেহে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তোমরা কি
জান না, ঐ ব্যক্তি ছাড়া বেস্ট ভবিষ্যতে নিরাপদ নয়, যে শেষ দিনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন
করেছে, তাকে ভয় করেছে এবং স্থায়ীর বিনিময়ে অন্থায়ীকে, অসীমের বিনিময়ে সসীমকে,
অধিকের বিনিময়ে অল্পাক, নিরাপত্তার বিনিময়ে ভয়কে বিক্রি করেছেবিসর্জ্য দিয়েছে ৷ তোমরা
কি লক্ষ্য কর না, তোমরা মৃতদের থেকে রেখে দেওয়া অর্থ-সম্পদ ভোগ কয়ছ, আর তা তো
অচিরেই তোমাদের মৃত্যুর পর অবশিষ্টদের হয়ে যাবে ৷ এমনভাবে চলতে থাকবে পরিশেষে
তোমরা চুড়ান্ত উত্তরাধিকারীর সমীপে উপনীত হবে ৷ তারপর দেখ প্রতিদিন সকাল-সন্ধায়
তোমরা তোমাদেরই একেকজ্যাকে মহান আল্লাহর পথে এমনভাবে বিদায় করে দিচ্ছ যে, সে
আর ফিরছে না ৷ সে তার আয়ুষ্কাল পুর্ণ করেছে ৷ ফলে, তোমরা তাকে ভু পৃষ্ঠের এক ফটিলে
বিছানা ও শয্যাহীন অবস্থায় রেখে অদৃশ্য করে দিচ্ছ ৷ সে তার প্রিয়জনদেৱ থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়েছে এবং মাটিতে শায়িত অবস্থায় হিসাবের মুখোমুখি হয়েছে ৷ আর সে তার আমলে
দায়বদ্ধ, যা কিছু রেখে গেছে তাতে তার কোন প্রয়োজন নেই ৷ বিন্দু যা সে সামনে পাঠিয়েছে
(অর্থাৎ লেক আমল) তাতে তার প্রয়োজন রয়েছে ৷ কাংজ্জী তোমরা চুড়ান্ত বিচার ও
ফায়্সালার পুর্বে মহান আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তোমাদের মৃত্যু আমার পুর্বে তার ব্যাপারে
সাবধান হয়ে যাও ৷ শুনে রাখ, আমি একথা বলছি এরপর তিনি তার চাদরের প্রাত তার
মুখমগুলে রাখলেন এবং নিজে র্কাদলেন, শ্রোতাদ্যোকে কাদালেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে,
আল্লাহ্র শপথ ! আমি ণ্তামাদেরকে একথা বলছি, অথচ তোমাদের কারও পাপ আমার চেয়ে
বেশী বলে আমার জানা নেই ৷ কিন্তু তা (খিলাফত)সেগুলাে মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ন্যায়
সঙ্গত বিধান ৷ তিনি তাতে তার আনুপত্যের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অৰাধ্যতা থেকে নিষেধ
করেছেন ৷ আর আমি মহান আল্লাহ্র কাছে স্ফীমা প্রার্থনা করছি ৷ একথা বলে তিনি তার আস্তিন
তার মুখমণ্ডলে রাখলেন এবং অঝোরে র্কাদতে লাগলেন, এমনকি তার দাড়ি তিজে গেল ৷
এরপর মৃত্যুর পুবে তিনি আর কোন মজ্বলিসে আং সননি ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷


وَقَالَ غَيْرُهُ: خَطَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَوْمًا النَّاسَ فَقَالَ، وَقَدْ خَنَقَتْهُ الْعَبْرَةُ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَصْلِحُوا آخِرَتَكُمْ تَصْلُحْ لَكُمْ دُنْيَاكُمْ، وَأَصْلِحُوا سَرَائِرَكُمْ تَصْلُحْ لَكُمْ عَلَانِيَتُكُمْ، وَاللَّهِ إِنَّ عَبْدًا لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ آدَمَ أَبٌ إِلَّا قَدْ مَاتَ، إِنَّهُ لَمُعْرَقٌ لَهُ فِي الْمَوْتِ. وَقَالَ فِي بَعْضِ خُطَبِهِ: كَمْ مِنْ عَامِرٍ مُؤَنَّقٍ عَمَّا قَلِيلٍ يَخْرُبُ، وَكَمْ مِنْ مُقِيمٍ مُغْتَبِطٍ عَمَّا قَلِيلٍ يَظْعَنُ، فَأَحْسِنُوا - رَحِمَكُمُ اللَّهُ - مِنَ الدُّنْيَا الرِّحْلَةَ بِأَحْسَنِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ مِنَ النَّقْلَةِ، بَيْنَمَا ابْنُ آدَمَ فِي الدُّنْيَا يُنَافِسُ فِيهَا قَرِيرَ الْعَيْنِ قَانِعًا، إِذْ دَعَاهُ اللَّهُ بِقَدَرِهِ وَرَمَاهُ بِيَوْمِ حَتْفِهِ، فَسَلَبَهُ آثَارَهُ وَدُنْيَاهُ، وَصَيَّرَ لِقَوْمٍ آخَرِينَ مَصَانِعَهُ وَمَغْنَاهُ، إِنَّ الدُّنْيَا لَا تَسُرُّ بِقَدْرِ مَا تَضُرُّ، تَسُرُّ قَلِيلًا، وَتُحْزِنُ طَوِيلًا. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُهَاجِرٍ، قَالَ: لَمَّا اسْتُخْلِفَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَامَ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَا كِتَابَ بَعْدَ الْقُرْآنِ، وَلَا نَبِيَّ بَعْدَ مُحَمَّدٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَإِنِّي لَسْتُ بِقَاضٍ وَلَكِنِّي مُنْفِذٌ، وَإِنِّي لَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ وَلَكِنِّي مُتَّبِعٌ، إِنَّ الرَّجُلَ الْهَارِبَ مِنَ الْإِمَامِ الظَّالِمِ لَيْسَ بِظَالِمٍ، أَلَا إِنَّ الْإِمَامَ الظَّالِمَ هُوَ الْعَاصِي، أَلَا لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮১


আবু বকর ইবন আবুদ্ দুনৃয়া উমর ইবন আবদুল আযীয থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
একবার স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে দেখতে পেলেন ৷ তিনি তাকে
বললেন, “উমর কাছে আস, আমি তার খুব কাছে অড়াসলাম এমনকি তার শরীরের সাথে লেগে
যাওয়ার আশঙ্কা করলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন, তুমি যখন মুসলমানদের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ
করবে, তখন এ দৃইজনের ন্যায় আমল করবে ৷ তখন আমি দেখলাম তাকে বিয়ে ইে গৌঢ়
দাড়িয়ে আছেন ৷ আমি তখন প্রশ্ন করলাম, তারা কে ? তিনি বলেন, এ আবু বাকর (বা), এ
উমর (বা) আর আমরা বর্ণনা করেছি যে, তিনি সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমরকে
বলেছিলেন, আমাকে উমর ইবনুল খাত্তাবের শাসক চরিত লিখে দিন, যাতে আমি সে অনুযায়ী
আমল করতে পারি ৷ তখন সালিম তাকে বলেন, আপনি তা করতে পারবেন না ৷ তিনি
বললেন, কেন ? সালিম বলেন, আপনি যদি সে অনুযায়ী আমল করতে পারতেন, তাহলে
উমরের চেয়ে উত্তম হতেন ৷ কেননা, তিনি কল্যাণ কাজে অনেক সহযোগী পেতেন ৷ কিন্তু
আপনি এমন কাউকে পাবেন না, যে আপনাকে কল্যাণ কাজে সাহায্য করবে ৷ বর্ণিত আছে যে,
তার আৎটির থােদিত নকশা ছিল এক আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তার কোন শরীক
নেই ৷ অন্য এক বংনািয় আছে তা ছিল আমি আল্লাহ্কে বিশ্বাস করি ৷ আরেক বর্ণনায় আছে,
তা ছিল ওয়াফাদারী কঠিন ৷ একদিন তিনি নেতৃস্থানীয় লোকদের সমবেত করে তাদেরকে
সম্বোবুধ্ন করে বললেন, ফাদাক ছিল ম হান আল্লাহ্র রাসুলের হাতে ৷ তিনি তাকে সেভাবে
রাখতেন যেভাবে মহান আল্লাহ্ তাকে দেখিয়েছিলেন ৷ তারপর আবু বাকর ও উমরও সে
অবন্থায়ই তা বহাল রাখলেন ৷ আসমায়ী বলেন, আমি জানি না তিনি উছমানের ব্যাপারে কী
বলেছেন ৷ তিনি বললেন, তারপর সারওয়ান তাকে ব্যক্তি-মালিকানায় বণ্টন করল এবং আমি
তার একাত্শ লাভ করলাম ৷ আর ওয়ালীদ ও সুলায়মান আমাকে তাদের অংশদ্বয় প্রদান
করলেন ৷ বায়তুল সালে ফিরিয়ে দেওয়ার মত এর চেয়ে মুল্যবান কোন সহায়-সম্পত্তি আমার
সেই ৷ এখন আমি তাকে বায়তুল সালে ঐ অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যে অবস্থায় মহান আল্পাহ্র
রাসুলের জীবদ্দশায় ছিল ৷ রাবী বলেন, লোকেরা তখন অন্যায় ভাবে গৃহীত ও আত্মসাতকৃত
সকল ভুসম্পত্তির আশা ছেড়ে দিল ৷ এরপর তিনি বানু উসায়্যার একদলঅনেক সদস্যের
সহায়-সম্পত্তি বায়তুল সালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন এবং এগুলোকে
অন্যায়ভাবে গৃহীত অর্থ সম্পদ’ নাম দিলেন ৷ তখন এসকল অর্থ-সম্পদের অধিকারীরা তার
,প্রিয়পাত্রদের মাধ্যমে তার কাছে সুপারিশ করল এবং এ ব্যাপারে তারা তার ফুফু ফাতিমা
বিনৃত সারওয়ানকে সাধ্যম বানাল ৷ কিন্তু কোন কিছুতেই কোন ফল হল না ৷ (তিনি তার
ঘোষণা ও সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলেন) এবং তিনি তাদেরকে বললেন, তিনি যেন আমাকে
আসার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেন, অন্যথায় আমি পবিত্র মক্কায় চলে যাব ৷ তার ফুফু তার
(ম ধ্যন্থতাকারী) অবস্থান থেকে সরে দাড়ালেন ৷ এ সময় উমর বললেন, আল্পাহ্র কসম ৷ আমি
যদি তােমাদের মাঝে পঞ্চাশ বছরও শাসনকার্য পরিচালনা করি, তাহলেও আমি তোমাদের
মাঝে আমার কাজ্জিত ন্যায়শাসন প্রতিষ্ঠা করতে থাকর ৷ আর এই বিষয়টি আমি চাই-ই ৷

ইমাম আহমাদ বলেন, আবদুর বায্যাক সুত্রে ওয়াহ্ব ইবন মুনাবৃবিহ থেকে, তিনি
বলেন, এই উম্মতের যদি কোন মাহদী (সৃপথপ্রাপ্ত সুশাসক) থেকে থাকেন তাহলে তিনি হলেন
উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তার সম্পর্কে কাতাদা, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব এবং আরো
একাধিক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ তাউস বলেন, নিঃসন্দেহে তিনি সৃপথপ্রাপ্ত
খলীফা ৷ তবে তিনি ন্যায় ও ইনসাফ পরিপুর্ণ করতে পারেননি ৷


عَزَّ وَجَلَّ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ فِيهَا: وَإِنِّي لَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْ أَحَدٍ مِنْكُمْ وَلَكِنِّي أَثْقَلُكُمْ حِمْلًا، أَلَا لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، أَلَا هَلْ أَسْمَعْتُ؟ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الْحَلْوَانِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ صَفْوَانَ، حَدَّثَنِي ابْنٌ لِسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: كَانَ آخِرُ خُطْبَةً خَطَبَهَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى، عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّكُمْ لَمْ تُخْلَقُوا عَبَثًا، وَلَنْ تُتْرَكُوا سُدًى، وَإِنَّ لَكُمْ مَعَادًا يَنْزِلُ اللَّهُ فِيهِ لِلْحُكْمِ فِيكُمْ وَالْفَصْلِ بَيْنَكُمْ، فَخَابَ وَخَسِرَ مَنْ خَرَجَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَحُرِمَ جَنَّةً عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ، أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّهُ لَا يَأْمَنُ غَدًا إِلَّا مَنْ حَذِرَ الْيَوْمَ الْآخِرَ وَخَافَهُ، وَبَاعَ نَافِدًا بِبَاقٍ، وَقَلِيلًا بِكَثِيرٍ، وَخَوْفًا بِأَمَانٍ؟ أَلَا تَرَوْنَ أَنَّكُمْ فِي أَسْلَابِ الْهَالِكِينَ، وَسَيَكُونُ مِنْ بَعْدِكُمْ لِلْبَاقِينَ، كَذَلِكَ حَتَّى نُرَدَّ إِلَى خَيْرِ الْوَارِثِينَ؟ ثُمَّ إِنَّكُمْ فِي كُلِّ يَوْمٍ تُشَيِّعُونَ غَادِيًا وَرَائِحًا إِلَى اللَّهِ، قَدْ قَضَى نَحْبَهُ حَتَّى تُغَيِّبُوهُ فِي صَدْعٍ مِنَ الْأَرْضِ، فِي بَطْنِ صَدْعٍ غَيْرِ مُوَسَّدٍ وَلَا مُمَهَّدٍ، قَدْ فَارَقَ الْأَحْبَابَ، وَبَاشَرَ التُّرَابَ، وَوَاجَهَ الْحِسَابَ، فَهُوَ مُرْتَهَنٌ بِعَمَلِهِ، غَنِيٌّ عَمَّا تَرَكَ، فَقِيرٌ إِلَى مَا قَدَّمَ، فَاتَّقُوا اللَّهَ قَبْلَ انْقِضَاءِ مُرَاقَبَتِهِ وَنُزُولِ الْمَوْتِ بِكُمْ، أَمَا إِنِّي أَقُولُ هَذَا. ثُمَّ وَضَعَ طَرْفَ رِدَائِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَايْمِ اللَّهِ، إِنِّي لَأَقُولَ قَوْلِي هَذَا، وَمَا أَعْلَمُ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنَ الذُّنُوبِ أَكْثَرَ مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ نَفْسِي، وَلَكِنَّهَا سُنَنٌ مِنَ اللَّهِ عَادِلَةٌ ; أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮২


সম্পদের ব্যাপারে উদার, নিযুক্ত প্রশাসক ও গভর্নরদের প্রতি কঠোর, নিঃস্ব দরিদ্রদের প্ৰতি
দয়ার্দ্র ৷ ইমাম মালিক বর্ণনা করেন, আবদুর রহমান ইবন হারমালাহ্ সুত্রে সাঈদ ইবনুল
মুসাব্যিব থেকে যে, তিনি বলেন, খলীফ৷ হলেন আবু বকর (বা) এবং দুই উমর ৷ তখন তাকে
প্রশ্ন করা হলো আবুবকর ও উমর তাদের দুই জনকে তাে আমরা চিনলাম, বিক্ষ্ম আরেকজন
উমর তিনি কে ? তিনি বললেন, যদি তুমি বেচে থাক, তাহলে অচিরেই তার সাক্ষাৎ পারে,
এ বলে তিনি উমর ইবন আবদুল আযীযকে উদ্দেশ্য করলেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় তার থেকে
একথা বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, যে হলো বানু মারওয়ানের আশাজ্জ’ (মুখমওলে
ক্ষতচিহ্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি) ৷ সুফ্য়ান ছাওরীর সহচর উববাদ আসৃ-সাম্মাক বলেন, আমি ছাওরীকে
বলতে শুনেছি, খলীফা হলেন পাচজন, আবু বকর, উমর, উছমান, আলী এবং উমর ইবন
আবদুল আযীয ৷ আবু বকর ইবন আয়্যাশ, শাফিঈ এবং একাধিক ইমাম থেকেও এরুপ মন্তব্য
উদ্ধৃত হয়েছে ৷ এছাড়া এ ব্যাপারে সকল শীর্ষস্থানীয় আলিম একমত যে, উমর ইবন আবদুল
আযীয হলেন সুপথপ্রাপ্ত খলীফা, হিদায়াতপ্রাপ্ত ইমাম এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকদের অন্যতম
একজন ৷ আর একাধিক ইমাম তাকে ঐ দ্বার্দর্শইমাষ্মেৱ অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাদের ব্যাপারে
সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে,
ণ্ধ্ৰুা£

০ ’

এই উস্মতের শাসন-কর্তৃত্বের বিষয়টি সঠিক থাকবে তাদের মাঝে বারজন খলীফার
আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত যাদের প্রত্যেকে হবে কুরায়শী ৷ ’

তিনি তার সংক্ষিপ্ত খিলাফতকালে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ৷ অন্যায়ভাবে
গৃহীত অর্থ-সম্পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং প্রত্যেক প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য পৌছে দিয়েছেন ৷
প্রতিদিন তার ঘোষক ঘোষণা করত, ঋণগ্রস্তরা কোথায় ? বিবাহে ইচ্ছুকগণ কোথায়? নিঃস্ব
দরিদ্ররা কোথায় ? ইয়াতীহীরা কোথায় ? এরা সকলে আসুক, এদের অভাব ও প্রয়োজন পুরণ
করে দেওয়া হবে ৷ এ ব্যাপারে আলিমগণ মত বিরােধে লিপ্ত হয়েছো, কে উত্তম উমর ইবন
আবদুল আযীয, নাকি মুআবিয়া ইবন আবুসুফ্য়ান ? এরপর কেউ কেউ (খিলাফতকালীন)
জীবন চরিত, ন্যায়পরায়ণতা, পার্থিব নির্মোহতা এবং ইবাদতপরায়ণ৩ ৷র কারণে উমর ইবন
আবদুল আযীযকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন ৷ আর অন্যরা ইসলামের অগ্নবজ্যি৷ ও নবী সাহচর্যের কারণে ,
হযরত মুআবিয়াকে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন ৷ এমনকি তাদের কেউ বলেছেন, মুআবিয়ার (রা)
রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সালামের সাহচর্যের একটি দিনও উমর ইবন আবদুল
আযীয, তার গোটা জীবনকাল ও স্বজন পরিজন থেকে উত্তম ৷ ইবন আসাকির তার তারীখে
(ইতিহাসগ্রহু) উল্লেখ করেছেন, উমর ইবন আবদুল আযীয তার ত্রী ফাতিম৷ বিনৃত আবদুল
মালিকের একটি বাদীর গুণমুগ্ধ ছিলেন ৷ একবার তিনি তার কাছে বাদীটি চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু
ফাতিম৷ তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ৷ তারপর তিনি যখন খলীফ৷ হলেন, তখন তার ত্রী
বাদীটিকে সুন্দর পােশাকে সুগন্ধি মাখিয়ে তাকে দান করো তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ এরপর
তিনি যখন তাকে ৰ্বাদীৰু সাথে নির্জনে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিলেন, তখন উমর বাদীটিকে
এড়িয়ে গেলেন ৷ তখন ৰীদী তার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করল ৷ কিন্তু তিনি তাকে উপেক্ষা


فِيهَا بِطَاعَتِهِ، وَنَهَى فِيهَا عَنْ مَعْصِيَتِهِ. وَاسْتَغْفَرَ اللَّهَ، وَوَضَعَ كُمَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فَبَكَى حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ، فَمَا عَادَ لِمَجْلِسِهِ حَتَّى مَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ، وَهُوَ يَقُولُ: " ادْنُ يَا عُمَرُ ". قَالَ: فَدَنَوْتُ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ أُصِيبَهُ، فَقَالَ: " إِذَا وُلِّيتَ فَاعْمَلْ نَحْوًا مِنْ عَمَلِ هَذَيْنِ ". وَإِذَا كَهْلَانِ قَدِ اكْتَنَفَاهُ، فَقُلْتُ: وَمَنْ هَذَانِ؟ قَالَ: " هَذَا أَبُو بَكْرٍ، وَهَذَا عُمَرُ ". وَرُوِّينَا أَنَّهُ قَالَ لِسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ اكْتُبْ لِي سِيرَةَ عُمَرَ حَتَّى أَعْمَلَ بِهَا، فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: إِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: إِنَّكَ إِنْ عَمِلْتَ بِهَا كُنْتَ أَفْضَلَ مِنْ عُمَرَ ; لِأَنَّهُ كَانَ يَجِدُ عَلَى الْخَيْرِ أَعْوَانًا، وَأَنْتَ لَا تَجِدُ مَنْ يُعِينُكَ عَلَى الْخَيْرِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ كَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: آمَنْتُ بِاللَّهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: الْوَفَاءُ عَزِيزٌ. وَقَدْ جَمَعَ يَوْمًا رُءُوسَ النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ، فَقَالَ: إِنَّ فَدَكَ كَانَتْ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضَعُهَا حَيْثُ أَرَاهُ اللَّهُ، ثُمَّ وَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ كَذَلِكَ. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: وَمَا أَدْرِي مَا قَالَ فِي عُثْمَانَ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ مَرْوَانَ أَقْطَعَهَا فَحَصَلَ لِي مِنْهَا نَصِيبٌ، وَوَهَبَنِي الْوَلِيدُ وَسُلَيْمَانُ نَصِيبَهُمَا، وَلَمْ يَكُنْ مِنْ مَالِي شَيْءٌ أَرَدَّ عَلَيَّ مِنْهَا، وَقَدْ رَدَدْتُهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَيَئِسَ النَّاسُ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৩

করলেন ৷ তখন বাদী (অবাক হয়ে) প্রশ্ন করল, হে জনাব! আমার প্রতি আপনার যে আগ্রহ
প্রকাশ পেত, তা কোথায় ? তিনি বলেন, আল্পাহ্র কসম ৷ তোমার প্ৰতি আমার আগ্রহ
অপরিবর্তিত আছে, কিন্তু এখন আমার নারীতে কোন আসক্তি নেই ৷ এমন এক গুরুতর বিষয়
আমার কাছে এসেছে, যা আমাকে তোমার থেকে এবং অন্যদের থেকে নিরাসক্ত করে
ফেলেছে ৷ তারপর তিনি তাকে তার বংশপরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন এবং জানতে চাইলেন কোথা
থেকে তাকে আনা হয়েছে ৷ শ্ সে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! মরক্কো দেশে আমার পিতা
একটি শাস্তিযােগ্য অপরাধে লিপ্ত হন ৷ তখন মুসা ইবন নুসায়র তার সহায়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
করেন ৷ এরপর আমাকে এক অপরাধে ধরে আনা হয় এবং মুসা আমাকে খলীফা ওয়ালীদের
কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি আমাকে তার ভগী ও আপনার শ্রী ফাতিমাকে দান করলেন এবং
অবশেষে ফাতিমা আমাকে আপনার জন্য উপহার স্বরুপ পাঠালেন ৷ বাদর এই বৃত্তান্ত শুনে উমর
ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রার্জিউন পড়েন এবং বলেন, আল্লাহ্র শপথ আমরা তো
তোমার কারণে অপদস্থত৷ ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছিলাম ৷ তারপর তিনি বাদীকে সসম্মানে
তার স্বদেশ ও স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠাবার নির্দেশ দেন ৷

তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক বলেন, একদিন আমি উমরের সাক্ষাতে গিয়ে
দেখলাম তিনি তার জায়নামায়ে পালে হাত দিয়ে বসে আছেন ৷ আর তার গণ্ডদ্বয় যেয়ে অশ্রু
প্রবাহিত হচ্ছে ৷ আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনার কী হয়েছে ? তিনি বলেন, ফাতিমা!
আল্লাহ্ তোমার বোধোদয় করুন! এই উম্মতের কী গুরুদায়িতৃ আমি গ্রহণ করেছি, তা একবার
ভেবে দেখ ৷ তইি আমাকে ভাবতে হয় ক্ষুধার্ত দরিদ্রের কথা, মুমুর্বু রোগীর কথা, বস্ত্রহীন কাষ্ট
নিপত্যিতর কথা, পিতৃহীন বিপর্যস্তের কথা, নিঃসঙ্গ বিধবার কথা, নির্যাতিত-নিপীড়িতের কথা,
-আশ্রয়হীন ও বন্দীর কথা ৷ অতি বুদ্ধের কথা ৷ বহুপোয্য তারাক্রাম্ভ অভাবীর কথা এবং এদের
ন্যায় সকল অসহায় ও বিপন্নদেৱ কথা, যারা আমার সাম্রাজ্যের দিকদিগন্তে এবং দুরতম প্রান্তে
ছড়িয়ে রয়েছে ৷ আর আমি একথাও জানি যে, আমার মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক কাল
কিয়ামতের দিন আমাকে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন ৷ আর তাদের পক্ষে আমার
প্রতিপক্ষে হবেন স্বয়ং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সালাম ৷ আমার আশঙ্কা যে, তার সাথে
বিবহুকারুল আমার কোন যুক্তি প্রমাণই গৃহীত হবে না ৷ তাই নিজের প্রতি করুণাবশত আমি
কাদ ৷

মায়মুন ইবন মাহ্রান বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয আমাকে একটি অঞ্চলের
প্রশাসক নিযুক্ত করে বললেন, তোমার কাছে যদি আমার কোন অন্যায় ফরমান সম্বলিত পত্র
পৌছে, তবে তুমি তা মাটিতে ছুড়ে মারবে ৷ তিনি একবার তার জনৈক গভর্নরকে লিখলেন,
মানুষের উপর তোমার কর্ততু ও ক্ষমতা যদি তোমাকে কোন অন্যায়-অত্যাচারে প্ররােচিত
করে, তাহলে তোমার উপর আল্লাহ্র ক্ষমতা ও নিরঙ্কুশ কর্তৃতুকে স্মরণ কর এবং তাদের প্রতি
তোমার কর্তৃত্বের নিঃণেষতা ও তোমার প্রতি তাদের অভিযােগেরইাব্লিত্বের কথা স্মরণ কর ৷
আবদুর রহমান ইবন মাহদী বর্ণনা করেন, জারীর ইবন হাযিম সুত্রে ঈসা ইবন আসিম থেকে ৷
তিনি বলেন, (একবার) উমর ইরুিন আবদুল আযীয আদী ইবন আদীকে লিখে পাঠাল্টো
নিঃসন্দেহে ইসলামের কতক পথ ও পন্থা এবং বিধি বিধান রয়েছে ৷ যে ব্যক্তি সেগুলো পুর্ণরুপে
পালন করে, সে ঈমানকে পুর্ণ করে ৷ আর যে তা পুর্ণরুপে মানল না, সে ঈমানকে পরিপুর্ণ
করল না ৷ আমি যদি বেচে থাকি, তাহলে আমি তোমাদের সামনে তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করব,


ذَلِكَ مِنَ الْمَظَالِمِ، ثُمَّ أَخَذَ أَمْوَالَ جَمَاعَةٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ فَرَدَّهَا إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَسَمَّاهَا أَمْوَالُ الْمَظَالِمِ، فَاسْتَشْفَعُوا إِلَيْهِ بِالنَّاسِ، وَتَوَسَّلُوا إِلَيْهِ بِعَمَّتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ مَرْوَانَ فَلَمْ يَنْجَعْ فِيهِ وَلَمْ يَرُدُّهُ عَنِ الْحَقِّ شَيْءٌ، وَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَتَدَعُنِّي، وَإِلَّا ذَهَبْتُ إِلَى مَكَّةَ فَنَزَلْتُ عَنْ هَذَا الْأَمْرِ لِأَحَقِّ النَّاسِ بِهِ. وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَقَمْتُ فِيكُمْ خَمْسِينَ عَامًا مَا أَقَمْتُ فِيكُمْ مَا أُرِيدُ مِنَ الْعَدْلِ، وَإِنِّي لَأُرِيدُ الْأَمْرَ فَمَا أُنْفِذُهُ إِلَّا مَعَ طَمَعٍ مِنَ الدُّنْيَا حَتَّى تَسْكُنَ قُلُوبُهُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنْ كَانَ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ مَهْدِيٌّ فَهُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَنَحْوَ هَذَا قَالَ قَتَادَةُ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ طَاوُسٌ: هُوَ مَهْدِيٌّ وَلَيْسَ بِهِ، إِنَّهُ لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْعَدْلَ كُلَّهُ، إِذَا كَانَ الْمَهْدِيُّ تِيبَ عَلَى الْمُسِيءِ مِنْ إِسَاءَتِهِ، وَزِيدَ الْمُحْسِنُ فِي إِحْسَانِهِ، سَمْحٌ بِالْمَالِ، شَدِيدٌ عَلَى الْعُمَّالِ، رَحِيمٌ بِالْمَسَاكِينِ، وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّهُ قَالَ: الْخُلَفَاءُ أَبُو بَكْرٍ وَالْعُمَرَانِ. فَقِيلَ لَهُ: أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ قَدْ عَرَفْنَاهُمَا، فَمَنْ عُمَرُ الْآخَرُ؟ قَالَ: يُوشِكُ إِنْ عِشْتَ أَنْ تَعْرِفَهُ. يُرِيدُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: هُوَ أَشَجُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَقَالَ عَبَّادٌ السَّمَّاكُ وَكَانَ يُجَالِسُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৪

যাতে তোমরা সে অনুযায়ী আমল করতে পার ৷ আর যদি আমি মরে যাই তাহলে জোন রাখ,
আমি তোমাদের সাহর্বৃচর্যের জন্য লালায়িত নই ৷ ইমাম বুখারী এই রিওয়ায়াতকে তার
সহীহ্গ্নন্থে তালীক বা সনদবিহীন পরিচ্ছেদ শ্যিরানামরন্থপে আস্থার সাথে উল্লেখ করেছেন ৷

ঐতিহাসিক আসসুলী উল্লেখ করেছেন যে, (একবার) উমর ইবন আবদুল আযীয তার এক
গর্ভনরের কাছে লিখলেন, তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ কেননা, তা ছাড়া অন্য কিছু (আমল)
গৃহীত হয় না এবং মুত্তাকী ছাড়া অন্যরা দয়াপ্রাপ্ত হয় না এবং তাকওয়ার ভিত্তি ছাড়া কাউকে
বিনিময় দেওয়া হয় না ৷ তাকওয়ার কথা বলে উপদেশ দানকারীর সংখ্যা অনেক ৷ কিন্তু সে
অনুযায়ী আমলকারীর সংখ্যা অল্প ৷ তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে যে, তার
কথাও তার আমলের’ মধ্যে গণ্য, তখন সংশ্লিষ্ট ও উপকারী বিষয় ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তার কথা
হ্রাস পাবে ৷ আর যে ব্যক্তি মৃত্যুঃক অধিক স্মরণ করবে, সে দুনয়াতে সামান্যকেই যথেষ্ট মনে
করবে ৷ তিনি বলেন, আর যে তার কথাকে আমলের’ অন্তর্ভুক্ত গণ্য করবে না, তার পাপসমুহ
বৃদ্ধি পাবে ৷ যে ব্যক্তি না জেনে আল্লাহর ইবাদত করবে, তা তাকে যতটুকু সংশোধন করবে
তার চেয়ে অধিক নষ্ট করবে ৷

একদিন এক ব্যক্তি তার সাথে কথা বলে তাকে ক্রুদ্ধ করল ৷ তিনি তাকে শাস্তি দিতে
উদ্যত হলেন ৷ বিচ্ছু পরে নিজেকে সংযত করে লোকটিকে বলেন, তুমি তো আমাকে শাসকের
ক্ষমতা দ্বারা বিভ্রান্ত করতে চোয়ছ, যাতে আমি তোমার সাথে দুর্ব্যহার করি, যার বদলা তুমি
আমার থেকে নেবে কাল কিয়ামতের দিন ৷ যাও ! মহান আল্লাহ্ তোমাকে অব্যাহতি দিন,
তোমার সাথে বিবাদ করার আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তিনি বলতেন, আল্পাহ্র কাছে
প্রিয়তম বিষয়সমুহ হলো চেষ্টায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করা, প্রতিশোধের সামর্থ সাত্ত্বও ক্ষমা করা

এবং শাসনকার্যে কােমলতা অবলম্বন করা ৷ যে কোন ব্যক্তি (মুসলমান) অপর ব্যক্তির প্রতি

দুনয়াতে দয়ার্দ্র ও কোমল আচরণ করে আল্লাহ্পাক কিয়ামতের দিন তার প্রতি কোমল ও দয়ার্দ্র
আচরণ করবেন ৷

একবার তার শিশু ছেলে সমবয়সী বালকের সাথে খেলতে বের হলো ৷ খেলার সময়
আরেকটি বালক তার মাথায় আঘাত করে ক্ষত সৃষ্টি করল ৷ সকলে সেই আঘাতকারী
বালককে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে নিয়ে আসে ৷ তিনি কােলাহল শুনে তাদের কাছে
বেরিয়ে আসেন ৷ এক ক্ষুদ্রাকৃতির ত্রীলোক বলতে লাগল, সে আমার ছেলে ! সে পিতৃহীন ৷ উমর
তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, তুমি শান্ত হও উদ্বিগ্ন হয়াে না ৷ তারপর উমর তাকে জিজ্ঞাসা
করলেন, তাকে কি রেশন প্রদান করা হয় ? সে বলল, না ৷ তিনি নির্দেশ দিলেন, তাকে অনাথ
শিশুদের তালিকাভুক্ত করে নাও ৷ এ সময় তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক তাকে
বলেন, আপনি তার সাথে এরুপ সদাচার করছেন, অথচ যে আপনার ছেলের মাথা কাটিয়ে
দিয়েছে! আল্লাহ্পাক যেন তার উপযুক্ত (শাস্তির) ব্যবস্থা করেন ৷ আবারও যে আপনার ছেলের
মাথা ফাটাবে ৷ তখনি তিনি ত্রীকে ভৎসনা করে বলেন, যে পিতৃহীন, আর তোমরা তাকে

আতঙ্কগ্রস্ত করে তৃলেছে৷ ৷

মালিক ইবন দীনার বলেন, লোকেরা (আমার সম্পর্কে) বলে বেড়ায় মালিক যাহিদ
নির্মোহ! আমার কাছে কোনৃ নির্মোহ্তা আছে ? প্রকৃত নির্মোহ হলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয (রহ) ৷ দুনৃইয়ার তামাম ভোগ-উপভােগের উপকরণ তার পায়ে লুটিয়ে পড়েছে ৷ কিন্তু,
তিনি তা সম্পুর্ণরুপে বর্জন করেছেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তার পরিধেয় ছিল একটি মাত্র


سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ: سَمِعْتُ الثَّوْرِيَّ يَقُولُ: الْخُلَفَاءُ خَمْسَةٌ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، وَالشَّافِعِيِّ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ. وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ قَاطِبَةً عَلَى أَنَّهُ مِنْ أَئِمَّةِ الْعَدْلِ، وَأَحَدِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّينَ. وَذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ فِي الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، الَّذِينَ جَاءَ فِيهِمُ الْحَدِيثُ الصَّحِيحُ: " «لَا يَزَالُ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ مُسْتَقِيمًا حَتَّى يَكُونَ فِيهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» ". وَقَدِ اجْتَهَدَ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ مَعَ قِصَرِهَا حَتَّى رَدَّ الْمَظَالِمَ، وَصَرَفَ إِلَى كُلِّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ، وَكَانَ مُنَادِيهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ يُنَادِي: أَيْنَ الْغَارِمُونَ؟ أَيْنَ النَّاكِحُونَ؟ أَيْنَ الْمَسَاكِينُ؟ أَيْنَ الْيَتَامَى؟ حَتَّى أَغْنَى كُلًّا مِنْ هَؤُلَاءِ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ أَيُّهُمَا أَفْضَلُ هُوَ أَوْ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ؟ فَفَضَّلَ بَعْضُهُمْ عُمَرَ لِسِيرَتِهِ وَمَعْدَلَتِهِ وَزُهْدِهِ وَعِبَادَتِهِ، وَفَضَّلَ آخَرُونَ مُعَاوِيَةَ لِسَابِقَتِهِ وَصُحْبَتِهِ، حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ: لَيَوْمٌ شَهِدَهُ مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرٌ مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَيَّامِهِ، وَأَهْلِ بَيْتِهِ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ يُعْجِبُهُ جَارِيَةٌ مِنْ جَوَارِي زَوْجَتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَانَ يَسْأَلُهَا إِيَّاهَا ; إِمَّا بَيْعًا أَوْ هِبَةً، فَكَانَتْ تَأْبَى عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ أَلْبَسَتْهَا وَطَيَّبَتْهَا وَأَهْدَتْهَا إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৫
وَوَهَبَتْهَا لَهُ، فَلَمَّا أَخْلَتْهَا بِهِ أَعْرَضَ عَنْهَا، فَتَعَرَّضَتْ لَهُ فَصَدَفَ عَنْهَا، فَقَالَتْ لَهُ: يَا سَيِّدِي، فَأَيْنَ مَا كَانَ يَظْهَرُ لِي مِنْ مَحَبَّتِكَ إِيَّايَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ مَحَبَّتَكِ لَبَاقِيَةٌ كَمَا هِيَ، وَلَكِنْ لَا حَاجَةَ لِي فِي النِّسَاءِ، فَقَدْ جَاءَنِي أَمْرٌ شَغَلَنِي عَنْكِ، وَعَنْ غَيْرِكِ. ثُمَّ سَأَلَهَا عَنْ أَصْلِهَا، وَمِنْ أَيْنَ جَلَبُوهَا، فَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ أَبِي أَصَابَ جِنَايَةً بِبِلَادِ الْمَغْرِبِ، فَصَادَرَهُ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ فَأُخِذْتُ فِي الْجِنَايَةِ، وَبَعَثَ بِي إِلَى الْوَلِيدِ فَوَهَبَنِي الْوَلِيدُ لِأُخْتِهِ فَاطِمَةَ زَوْجَتِكَ، فَأَهْدَتْنِي إِلَيْكَ. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، كِدْنَا وَاللَّهِ نَفْتَضِحُ وَنَهْلَكُ، ثُمَّ أَمَرَ بِرَدِّهَا مُكَرَّمَةً إِلَى بِلَادِهَا وَأَهْلِهَا. وَقَالَتْ زَوْجَتُهُ فَاطِمَةُ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَيْهِ وَهُوَ جَالِسٌ فِي مُصَلَّاهُ وَاضِعًا خَدَّهُ عَلَى يَدِهِ، وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى خَدَّيْهِ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: وَيْحَكِ يَا فَاطِمَةُ، إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ مِنْ أَمْرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ مَا وُلِّيتُ، فَتَفَكَّرْتُ فِي الْفَقِيرِ الْجَائِعِ، وَالْمَرِيضِ الضَّائِعِ، وَالْعَارِي الْمَجْهُودِ، وَالْيَتِيمِ الْمَكْسُورِ، وَالْأَرْمَلَةِ الْوَحِيدَةِ، وَالْمَظْلُومِ الْمَقْهُورِ، وَالْغَرِيبِ، وَالْأَسِيرِ، وَالشَّيْخِ الْكَبِيرِ، وَذِي الْعِيَالِ الْكَثِيرِ وَالْمَالِ الْقَلِيلِ، وَأَشْبَاهِهِمْ فِي أَقْطَارِ الْأَرْضِ وَأَطْرَافِ الْبِلَادِ، فَعَلِمْتُ أَنَّ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ سَيَسْأَلُنِي عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَّ خَصْمِي دُونَهُمْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَشِيتُ أَنْ لَا يَثْبُتَ لِي حُجَّةٌ عِنْدَ خُصُومَتِهِ، فَرَحِمْتُ نَفْسِي فَبَكَيْتُ. وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ وَلَّانِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عِمَالَةً، ثُمَّ قَالَ لِي: إِذَا جَاءَكَ كِتَابٌ مِنِّي
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৬
عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ فَاضْرِبْ بِهِ الْأَرْضَ. وَكَتَبَ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: إِذَا دَعَتْكَ قُدْرَتُكَ عَلَى النَّاسِ إِلَى ظُلْمِهِمْ، فَاذْكُرْ قُدْرَةَ اللَّهِ عَلَيْكَ، وَنَفَادَ مَا تَأْتِي إِلَيْهِمْ، وَبَقَاءَ مَا يَأْتُونَ إِلَيْكَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ: إِنَّ لِلْإِسْلَامِ سُنَنًا وَشَرَائِعَ وَفَرَائِضَ، فَمَنِ اسْتَكْمَلَهَا اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَكْمِلْهَا لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْإِيمَانَ، فَإِنْ أَعِشْ أُبَيِّنْهَا لَكُمْ لِتَعْمَلُوا بِهَا، وَإِنْ أَمُتْ فَوَاللَّهِ مَا أَنَا عَلَى صُحْبَتِكُمْ بِحَرِيصٍ. وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " تَعْلِيقًا مَجْزُومًا بِهِ. وَذَكَرَ الصُّولِيُّ أَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ، فَإِنَّهَا هِيَ الَّتِي لَا يُقْبَلُ غَيْرُهَا، وَلَا يُرْحَمُ إِلَّا أَهْلُهَا، وَلَا يُثَابُ إِلَّا عَلَيْهَا، وَإِنَّ الْوَاعِظِينَ بِهَا كَثِيرٌ، وَالْعَامِلِينَ بِهَا قَلِيلٌ. وَقَالَ أَيْضًا: مَنْ عَلِمَ أَنَّ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ أَقَلَّ مِنْهُ إِلَّا فِيمَا يَنْفَعُهُ، وَمَنْ أَكْثَرَ ذِكْرَ الْمَوْتِ اجْتَزَأَ مِنَ الدُّنْيَا بِالْيَسِيرِ. وَقَالَ أَيْضًا: مَنْ لَمْ يَعُدَّ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ كَثُرَتْ خَطَايَاهُ، وَمَنْ عَبَدَ اللَّهَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ مَا يُفْسِدُهُ أَكْثَرَ مِمَّا يُصْلِحُهُ. وَكَلَّمَهُ رَجُلٌ يَوْمًا حَتَّى أَغْضَبَهُ فَهَمَّ بِهِ عُمَرُ ثُمَّ أَمْسَكَ نَفْسَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ: أَرَدْتَ أَنْ يَسْتَفِزَّنِي الشَّيْطَانُ بِعِزَّةِ السُّلْطَانِ فَأَنَالَ مِنْكَ مَا تَنَالُهُ مِنِّي غَدًا! قُمْ عَافَاكَ اللَّهُ، لَا حَاجَةَ لَنَا فِي مُقَاوَلَتِكَ. وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ أَحَبَّ الْأُمُورِ إِلَى اللَّهِ الْقَصْدُ فِي الْجِدِّ، وَالْعَفْوُ فِي الْمَقْدِرَةِ، وَالرِّفْقُ فِي الْوِلَايَةِ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৭


আর তার পেয়ালার সংখ্যা হবে আকাশের তারকার সংখ্যা বরাবর ৷ তার থেকে একবার যে
পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না ৷ সর্বপ্রথম তাতে পান করতে আসবে দরিদ্র
মুহাজিরগণ ৷ যাদের মাথার চুল অবিন্যস্ত ও ধুলামলিন, কাপড়চোপড় ময়লাযুক্ত, যারা বিলাসী
নারীদের বিবাহ করে না, আর তাদের জন্য বদ্ধ দরযা খোলা হয় না ৷ উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেন, কিত্তু আমি তো বিলাসী নারীকে বিবাহ করেছি, যে হলো খলীফা-তনয়া
ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক ৷ কাজেই, আমি অবশ্যই মাথায় পানি দিব না যাতে মাথার চুল
অবিন্যস্ত ও ধুলামলিন হয় এবং ভালভাবে ময়লাযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার কাপড় ছাড়ব না ৷
বর্ণনাকারীগণ বলেন, তার ব্যক্তিগত একটি প্রদীপ ছিল যার আলোয় তিনি নিজের প্রয়োজনীয়
বিষয়সমুহ লিখতেন এবং একটি প্রদীপ ছিল বায়তৃল মালের যার আলোতে তিনি
মুসলমানগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি লিখতেন ৷ এর আলোতে তিনি নিজের ব্যক্তিগত
প্রয়োজনে একটি বর্ণও লিখতেন না ৷ প্রতিদিন সকালে তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত
করতেন তবে পরিমাণ দীর্ঘ করতেন না ৷ তার (বিশেষ) সিপাহী সংখ্যা ছিল তিনশ’ জন এবং
প্রহরীর সংখ্যা তিনশ’ জন ৷ তার স্বজনদের এক ব্যক্তি তাকে কিছু আপেল হাদিয়া দিল ৷ তিনি
সেই আপেলের ঘ্রাণ শুকে তা বহনকারীর মাধ্যমে ফেরত পাঠালেন এবং তাকে বলে দিলেন,
তুমি তাকে বলবে, তুমি তার হাদিয়া যথাস্থানে পৌছে দিয়েছে৷ ৷ জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল, হে
আমীরুল মু’মিনীন ৷ আল্লাহর রাসুলও তো হাদিয়া গ্রহণ করতেন ৷ তা ছাড়া এ ব্যক্তি তো
আপনার স্বজনগণের অন্তর্ভুক্ত ৷ একথা শুনে তিনি বলেন, হাদিয়া আল্লাহর রাসুলের জন্য
হাদিয়াই ছিল ৷ কিন্তু আমাদের জন্য৩ তা উৎকোচে পরিণত হয়েছে ৷ বর্ণনাকারিগণ বলেন, তিনি
তার৷ ষ্ ৷তাবদের মোটা অৎরু কর ভাতা প্রদান করতেন ৷ তাদের একেকজনকে তিনি মাসে একশ’
থেকে দু শ্া’ দীনার পর্যন্ত মাসোহারা দিতে তন ৷ আর এর সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলতেন, তারা
যদি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দো মুসলমানগণের কাজের জন্য
অবসর হতে পারবে ৷ তারা তাকে বলল, গতারদের জন্য আপনি যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে
থাকেন, তার সমপরিমাণ যদি নািজ্যা পােষ্যদের জন্যও ব্যয় করতেন, তাহলে তাে বেশ হতো ৷
তিনি বলেন, আমি যেমন তাদেরকে প্রাপ্য কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করব না, অন্যের প্রাপ্য
হকও তাদেরকে প্রদান করব না ৷ ফলে, তার পােষ্য পরিজন খুব কাষ্ট দিন কাটাত ৩৷ তিনি এ
কথা বলে তার কৈফিয়ত দিতেন যে, পুর্ব যুগের বহু সলফেসালেহীর্ল এই অবস্থায় কালাতিপাত
করেছেন ৷ কোন একদিন হযরত আলীর এক অধস্তনকে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর কাছে
আমি এ বিষয়ে লজ্জাবােধ করি যে, আপনি আমার দরযায় দাড়াবেন আর আপনাকে অনুমতি
দেওয়া হবে না ৷ তাদের অন্য এক ব্যক্তিকে তিনি বলেন, , মহান আল্লাহ আপনাদেরকে দীনের যে
সম্মান দান করেছেন, তারপর আপনাদেরকে দুনইয়৷ দ্বারা কলুষিত করতে আমি অনাগ্রহ এবং
আল্লাহ হতে লজ্জাবােধ করি ৷ তিনি এ কথাও বলেন, আমরা বানু উমায়্যা এবং আমাদের
চাচাতো ভাইয়ের দল বানু হাশিমের অবস্থা ছিল পালাক্রমিক ৷ একবার অবস্থা আমাদের
অনুকুল হতো একবার প্রতিকুল ৷ একবার আমরা তাদের আশ্রয় গ্রহণ করতাম ৷ আরেকবার
তারা আমাদের আশ্রয় গ্রহণ করত ৷ অবশেষে রিসালাতরুপী সুর্যের উদয় হলো তখন তা সকল
চালুকে অচল করে দিল, সকল বিরোধীকে বাক্হীন করে দিল এবং সকল সবাক্ (প্রতিদ্বন্দীকে)
নির্বাকাকরে দিল ৷
আহমাদ ইবন মাওয়ান বর্ণনা করেন, খাত্তাবের ভইিয়ের ছেলে আবু বাকর সুত্রে মুহাম্মাদ
ইবন উয়ায়নার মেয়পালক মুসা ইবন আয়মান হতে তিনি বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল

হু

وَمَا رَفَقَ عَبْدٌ بِعَبْدٍ فِي الدُّنْيَا إِلَّا رَفَقَ اللَّهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَخَرَجَ ابْنٌ لَهُ وَهُوَ صَغِيرٌ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَشَجَّهُ صَبِيٌّ مِنْهُمْ، فَاحْتَمَلُوا الصَّبِيَّ الَّذِي شَجَّ ابْنَهُ وَجَاءُوا بِهِ إِلَى عُمَرَ، فَسَمِعَ الْجَلَبَةَ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَإِذَا مُرَيْئَةٌ تَقُولُ: إِنَّهُ ابْنِي، وَإِنَّهُ يَتِيمٌ. فَقَالَ لَهَا عُمَرُ: أَلَهُ عَطَاءٌ فِي الدِّيوَانِ؟ قَالَتْ: لَا، قَالَ: فَاكْتُبُوهُ فِي الذُّرِّيَّةِ. فَقَالَتْ زَوْجَتُهُ فَاطِمَةُ: فَعَلَ اللَّهُ بِهِ وَفَعَلَ إِنْ لَمْ يَشُجَّ ابْنَكَ ثَانِيَةً. فَقَالَ: وَيْحَكِ، إِنَّكُمْ أَفْزَعْتُمُوهُ. وَقَالَ مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ يَقُولُونَ: مَالِكٌ زَاهِدٌ. أَيُّ زُهْدٍ عِنْدِي! إِنَّمَا الزَّاهِدُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَتَتْهُ الدُّنْيَا فَاغِرَةً فَاهَا فَتَرَكَهَا. قَالُوا: وَلَمْ يَكُنْ لَهُ سِوَى قَمِيصٍ وَاحِدٍ فَكَانَ إِذَا غَسَلُوهُ جَلَسَ فِي الْمَنْزِلِ حَتَّى يَيْبَسَ. وَقَدْ وَقَفَ مَرَّةً عَلَى رَاهِبٍ، فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ عِظْنِي. فَقَالَ لَهُ: عَلَيْكَ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ تَجَرَّدْ مِنَ الدُّنْيَا فَإِنَّكَ إِنَّمَا ... خَرَجْتَ إِلَى الدُّنْيَا وَأَنْتَ مُجَرَّدُ قَالُوا: فَكَانَ يُعْجِبُهُ وَيُكَرِّرُهُ وَعَمِلَ بِهِ حَقَّ الْعَمَلِ. قَالُوا: وَدَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ يَوْمًا فَسَأَلَهَا أَنْ تُقْرِضَهُ دِرْهَمًا أَوْ فُلُوسًا يَشْتَرِي
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৮


আযীযের খিলাফতকালে যেষ, সিংহ ও অন্যান্য হিংস্রপ্রাণী একই চারণতুমিতে অবস্থান করত ৷
এরপর একদিন একটি নেকড়ে একটি মেয়ের পিছু নিল ৷ তখন আমি ইন্ন৷ লিল্লাহ পড়ে
ভাব লাম, আমার তো মনে হয় মহান আল্লাহ্র সেই লেক বান্দাহ্ ইন্তিকাল করেহ্নে৷ ৷ তিনি
বলেন, আমরা দিন গণনা করে হিসাব করে দেখলাম, তিনি সেই রাত্রেই ইন্তিকাল করেছেন ৷
তিনি ছাড়া অন্য এক রাবীও হাম্মাদ হতে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (হাম্মাদ) বলেন, তিনি
কিরমান অঞ্চাল্ মেষ চরাতেন, এরপর তিনি অনুরুপ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া অন্য
সুত্রেও এই বর্ণনার এক শাহিদ’ বা সমর্থক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷

তার উল্লেখযোগ্য দুআ হলো, হে আল্লাহ! কতক লোক এমন অতীত হয়েছেন যারা
আপনার আদেশ-নিষেধের বিষয়ে আপনার আনুগত্য করেছেন ৷ হে আল্লাহ্! আপনার
আনুগত্যের পুর্বেই আপনি তাদেরকে তাওফীক দিয়েছেন ৷ কাজেই, আপনি আমাকেও তাওফীক
দান করুন ৷ আরেকটি দুআ হলো হে আল্লাহ্! উমর তো এর উপযুক্ত নয় যে, আপনার রহমত
তার নাগাল পারে, তবে আপনার রহমতের পক্ষে উমরের নাগাল পাওয়া সম্ভব ৷ এক ব্যক্তি
তাকে বলল, আল্লাহ্ আপনাকে ততদিন জীবিত রাখুন, যতদিন জীবন আপনার জন্য কল্যাণকর
হয় ৷ তিনি বলেন, এটা এমন বিষয় যার সিদ্ধান্ত স্থির হয়ে গেছে ৷ তুমি বরং এভাবে বল,
আল্লাহ্ আপনাকে লেক হায়াত দান করুন এবং ণ্নক্কারগণের সাথে মৃত্যু দান করুন ৷ জনৈক
ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করল হে আমীরুল মু ’মিনীন! কী অবস্থায় আপনার সকাল হলো ? তিনি
বলেন, ধীর, পুর্ণ উদর ও পাপ কলুষিত এবং মহান আল্লাহর কাছে ভিখারী অবস্থায় আমার
সকাল হলো ৷ একবার এক ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন,
আপনার পুর্বেকার খলীফাদের জন্য খিলাফত ছিল অলঙ্কার আর আপনি হলেন খিলাফাতর
অলঙ্কার অহঙ্কার ৷ আপনার দৃষ্টান্ত কবির ভাষ্যের ন্যায়-

fl , ’

; ৷

সচরাচর মােতি মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যকে গােভামণ্ডিত করে, কিত্তু আপনার মুখমণ্ডলের
সৌন্দর্য যেন মোতির শোভা বৃদ্ধি করেছে ৷’

বর্ণনাকারী বলেন, এ পঙ্ক্তি শুনে উমর সেই ব্যক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷ রজ৷ ইবন
হায়ওয়াহ্ বলেন, কোন এক রাত্রে আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে আলোচনারত
ছিলাম ৷ আমাদের ৫৩ তলের বাতি নিস্তেজ হয়ে গেল ৷ আমি বললাম, হে আমীরুল মু মিনীন!
বাতিটি ঠিক করার জন্য আমি কি আপনার খাদিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিব ? তিনি বললেন,
না, তাকে ঘুমাতে দাও ৷ আমি তার উপর এক সাথে দুটি কাজ চাপিয়ে দিতে চইি না ৷ আমি
বললাম, তাহলে আমি গিয়ে তা ঠিক করে দিই ৷ তিনি বলেন, না ! অতিথিকে কাজে লাগানো
শিষ্টতার পরিচায়ক , নয় ৷ তারপর নিজে উঠে গিয়ে তা ঠিক করলেন এবং তাতে নতুন তেল
ঢেলে কৰুতারপর আসলেন ৷ এরপর তিনি বলেন, আমি যখন উঠে গেলাম, তখনও আমি উমর
ইবন আবদুল আযীয, আবার যখন ফিরে এসে বললাম, তখনও উমর ইবন আবদুল আযীয ৷
এছাড়া তিনি বল্যতন, তোমরা মহান আল্লাহর প্রদত্ত অনুগ্রহ ও নিআমতের কথা অধিক স্মরণ
কর ৷ কেননা, তার স্মরণই তার কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ৷ তিনি বলতেন, আত্মম্ভরিতার আশঙ্কা
আমাকে তা অধিক স্মরণ করা থেকে বিরত রাখে ৷ একবার তার কাছে সংব বাদ আসল যে, তার
জনৈক বন্ধু ইন্তিকাল করেছেন ৷ তিনি তার স্বজনদের কাছে আসলেন তার ব্যাপারে তাদেরকে


لَهُ بِهَا عِنَبًا، فَلَمْ يَجِدْ عِنْدَهَا شَيْئًا، فَقَالَتْ لَهُ: أَنْتَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَلَيْسَ فِي خِزَانَتِكَ مَا تَشْتَرِي بِهِ عِنَبًا؟ ! فَقَالَ: هَذَا أَيْسَرُ مِنْ مُعَالَجَةِ الْأَغْلَالِ وَالْأَنْكَالِ غَدًا فِي نَارِ جَهَنَّمَ. قَالُوا: وَكَانَ سِرَاجُ بَيْتِهِ عَلَى ثَلَاثِ قَصَبَاتٍ فِي رَأْسِهِنَّ طِينٌ. قَالُوا: وَبَعَثَ يَوْمًا غُلَامَهُ لِيَشْوِيَ لَهُ لَحْمَةً فَجَاءَهُ بِهَا سَرِيعًا مَشْوِيَّةً، فَقَالَ: أَيْنَ شَوَيْتَهَا؟ قَالَ: فِي الْمَطْبَخِ. فَقَالَ: فِي مَطْبَخِ الْمُسْلِمِينَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: كُلْهَا فَإِنِّي لَمْ أُرْزَقْهَا، هِيَ رِزْقُكَ. وَسَخَّنُوا لَهُ مَاءً فِي الْمَطْبَخِ الْعَامِّ فَرَدَّ بَدَلَ ذَلِكَ بِدِرْهَمٍ حَطَبًا. وَقَالَتْ زَوْجَتُهُ: مَا جَامَعَ وَلَا احْتَلَمَ وَهُوَ خَلِيفَةٌ. قَالُوا: وَبَلَغَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي سَلَّامٍ الْأَسْوَدِ أَنَّهُ يُحَدِّثُ عَنْ ثَوْبَانَ فِي الْحَوْضِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ فَأَحْضَرَهُ عَلَى الْبَرِيدِ، وَقَالَ لَهُ كَالْمُتَوَجِّعِ: مَا أَرَدْنَا الْمَشَقَّةَ عَلَيْكَ يَا أَبَا سَلَّامٍ، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تُشَافِهَنِي بِالْحَدِيثِ مُشَافَهَةً. فَقَالَ: سَمِعْتُ ثَوْبَانَ، يَقُولُ قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «حَوْضِي مَا بَيْنَ عَدَنَ إِلَى عَمَّانَ الْبَلْقَاءِ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ، أَكَاوِيبُهُ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ، مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا، وَأَوَّلُ النَّاسِ وُرُودًا عَلَيْهِ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ، الشُّعْثُ رُءُوسًا، الدُّنْسُ ثِيَابًا، الَّذِينَ لَا يَنْكِحُونَ الْمُتَنَعِّمَاتِ، وَلَا تُفْتَحُ لَهُمُ السُّدَدُ» .
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৯


সান্তুনা দেওয়ার জন্য ৷ এ সময় তারা মৃতের গোকে তার সামনে বিলাপ কান্ন৷ শুরু করল ৷
তিনি তাদেরকে বলেন, তোমরা এই মাতম করা হতে নিবৃত্ত হও ! তোমাদের এই মৃত ব্যক্তি
তোমাদের রিয্ক্ দিতেন না ৷ আর যিনি তোমাদেরকে রিয্ক্ দেন তিনি তো চিরঞ্জীব ৷ আর
ণ্তামাদের এই মৃত ব্যক্তি তোমাদের কবরের কোন গর্ত পুর্ণ করেননি, তিনি তো তার নিজের
কবরের গর্ত পুর্ণ করেছেন ৷ শুনে রাখ, তোমাদের প্রতেকের জন্য একটি করে কবরগর্ত
রয়েছে ৷ আল্পাহ্র কলম, তাকে তা পুরণ করভৈআ হয়ে ৷ আল্লাহ্ তাআলা যখন দুনিয়া সৃষ্টি
করেছেন, তখনই তার ধ্বংসের এবং তার অধিবাসীদের মৃত্যুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ৷
যে গৃহ কোন হাসি-আনন্দে পুর্ণ হয়, সে গৃহই আবার অশ্রুতে পুর্ণ হয় ৷ লোকেরা সমরেত হতে
না হতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এভাবে চলতে থাকবে অবশেষে আল্লাহ্ তাআলাই পৃথিবী ও
পৃথিবীবাসীর চুড়ান্ত উত্তরাধিকারী হবেন ৷ কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কাদতে চায়,
তাহলে নিজের জন্য কাদুক ৷ কেননা, আজ তোমাদের মৃত ব্যক্তির যে পরিণতি হয়েছে একদিন
না একদিন সকল মানুষের এই একই পরিণতি হবো

মায়মুন ইবন মাহরান বলেন, একবার আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের সাথে কবরন্থানে
যেয়ে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি আমাকে বলেন, হে আবু আয়ুদ্রব! এগুলি আমার পিতৃপুরুষদের
সমাধি ৷ আজ তাদের অবস্থা এমন যেন তারা কোন দিন দুনিয়াবাসীর সাথে বসবাস ও
তােগবিলাস করেননি ৷ তুমি কি তাদেরকে দেখছ না তারা ভুপর্ভে অদৃশ্য হয়ে গেছে ৷ আর
তাদের পুর্বে বহু দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসমুহ বিগত হয়েছে এবং তাদের জীর্ণত৷ আরও দৃঢ় হয়েছে
এরপর তিনি কাদতে কাদতে বেহুশ হয়ে গেলেন ৷ তারপর ছুশ ফিরে পেয়ে বলেন, চল, আমরা
চলে যাই ৷ আল্লাহর কলম! ঐ ব্যক্তির চেয়ে অধিক সুখ ও সৌভাগ্যের অধিকারী কারও কথা
আমি জানি না, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র আমার থেকে নিরাপদ হয়ে তার ছাওয়াবের অপেক্ষমাণরুপে
এই কবরের বাসিন্দা হয়েছে ৷

আরেক বর্ণনা কারী বলেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয (র) এক ব্যক্তির জানাযায়
হাযির হলেন ৷ তার দাফন শেষে তিনি তার সঙ্গীদের বলেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর, আমি
আমার প্রিয়ত্তনেদের কবর যিয়ারত করে আমি ৷ তিনি তাদের কবরে এসে কেদে কেদে দু অ৷
করতে লাগলেন ৷ তখন যেন মাটি থেকে শোনা গেল, হে উমর ! আমাকে কি তুমি জিজ্ঞাসা
করবে না তোমার প্রিয়জনদের সাথে আমি কী আচরণ করেছি ? উমর বলেন, আমি বললাম,
তুমি তাদের সাথে কী আচরণ করেছ ? সে বলল, আমি ন্কাফনকে ছিন্নভিন্ন করেছি, মৃতদেহকে
গ্রাস করেছি, চোখের অক্ষি গোলকদ্বয়কে নিশ্চিহ্ন করেছি এবং মণিদ্বয়কে গ্রাস করেছি ৷ হাতের
কজিদ্বয়কে তার নিম্নার্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি এবং নিন্নার্ধদ্বয়কে উর্দ্ধার্ধদ্বয় থেকে, উর্দ্ধার্ধদ্বয়
থেকে স্কন্ধদ্বয় থেকে, স্কন্ধদ্বয়কে মেরুদণ্ড থেকে, পায়ের পাতাদ্বয়কে গে’াছাদ্বয় থেকে,
গোছাদ্বয়কে উরুদ্বয় থেকে, উরুদ্বয়কে উরুমুল থেকে এবং উরুমুলকে মেরুদণ্ডের (নিমাংশ)
থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি ৷ এরপর তিনি প্ৰস্থান করতে উদ্যত ৩হ,লেন সে বলল, হে উমর আমি কি
তোমাকে এমন কাফনের সন্ধান দিব না যা কখনও জীর্ণ হয় না ? তিনি বললেন, তা কি ? ণ্স
বলল, তা হল তাক্ওয়া ও লেক আমল ৷

একবার তিনি তার জনৈক সহচরকে বলেন, আজকের রাত্রি আমি চিন্তাভাবনা করে

বিনিদ্র অবস্থায় কাটিয়েছি ৷ সে বলল, কিসের ব্যাপারে জ্যিাভাবনা করে কাটিয়েছেন হে
আমীরুল মু’মিনীন ! তিনি বলেন, কবর ও কবরবাসীর ব্যাপারে ৷ যদি তুমি দাফনের তিন দিন


فَقَالَ عُمَرُ: لَكِنِّي نَكَحْتُ الْمُتَنَعِّمَاتِ، فَاطِمَةَ بِنْتَ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَفُتِحَتْ لِيَ السُّدَدُ فَلَا جَرَمَ لَا أَغْسِلُ رَأْسِي حَتَّى يَشْعَثَ، وَلَا أُلْقِى ثَوْبِي حَتَّى يَتَّسِخَ. قَالُوا: وَكَانَ لَهُ سِرَاجٌ يَكْتُبُ عَلَيْهِ حَوَائِجَهُ، وَسِرَاجٌ لِبَيْتِ الْمَالِ يَكْتُبُ عَلَيْهِ مَصَالِحَ الْمُسْلِمِينَ، لَا يَكْتُبُ عَلَى ضَوْئِهِ لِنَفْسِهِ حَرْفًا. وَكَانَ يَقْرَأُ فِي الْمُصْحَفِ كُلَّ يَوْمٍ أَوَّلَ النَّهَارِ، وَلَا يُطِيلُ الْقِرَاءَةَ، وَكَانَ لَهُ ثَلَاثُمِائَةِ شُرَطِيٍّ، وَثَلَاثُمِائَةِ حَرَسِيٍّ، وَأَهْدَى لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ تُفَّاحًا فَاشْتَمَّهُ ثُمَّ رَدَّهُ مَعَ الرَّسُولِ، وَقَالَ لَهُ: قُلْ لَهُ: قَدْ بَلَغَتْ مَحَلَّهَا. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ، وَهَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِكَ. فَقَالَ: إِنَّ الْهَدِيَّةَ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدِيَّةً، فَأَمَّا نَحْنُ فَهِيَ لَنَا رِشْوَةٌ. قَالُوا: وَكَانَ يُوَسِّعُ عَلَى عُمَّالِهِ فِي النَّفَقَةِ ; يُعْطِي الرَّجُلَ مِنْهُمْ فِي الشَّهْرِ مِائَةَ دِينَارٍ، وَمِائَتَيْ دِينَارٍ، وَكَانَ يَتَأَوَّلُ أَنَّهُمْ إِذَا كَانُوا فِي كِفَايَةٍ تَفَرَّغُوا لِأَشْغَالِ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالُوا لَهُ: لَوْ أَنْفَقْتَ عَلَى عِيَالِكَ كَمَا تُنْفِقُ عَلَى عُمَّالِكَ؟ فَقَالَ: لَا أَمْنَعُهُمْ حَقًّا لَهُمْ، وَلَا أُعْطِيهِمْ حَقَّ غَيْرِهِمْ. وَكَانَ أَهْلُهُ قَدْ بَقُوا فِي جَهْدٍ عَظِيمٍ فَاعْتَذَرَ بِأَنَّ مَعَهُمْ سَلَفًا كَثِيرًا مِنْ قَبْلِ ذَلِكَ، وَقَالَ يَوْمًا لِرَجُلٍ مِنْ وَلَدِ عَلِيٍّ: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ أَنْ تَقِفَ بِبَابِي وَلَا يُؤْذَنُ لَكَ. وَقَالَ لِآخَرَ مِنْهُمْ: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ وَأَرْغَبُ بِكَ أَنْ أُدَنِّسَكَ بِالدُّنْيَا لِمَا أَكْرَمَكُمُ اللَّهُ بِهِ. وَقَالَ أَيْضًا: كُنَّا نَحْنُ وَبَنُو عَمِّنَا بَنُو هَاشِمٍ، مَرَّةً لَنَا وَمَرَّةً عَلَيْنَا، نَلْجَأُ إِلَيْهِمْ وَيَلْجَئُونَ إِلَيْنَا، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭৫৯০


পর কবরে মৃতের পরিণতি দেখতে, তাহলে তার সাহচর্যে দীর্ঘ অন্তরঙ্গতা লাভ করার পরও
তার নিকটবর্তীব্লু হওে ৩তৃমি নি৪সঙ্গত৷ ভীতি বোধ করতে ৷ সেখানে তুমি এমন এক গৃহ দেখতে
পেতে যেখানে বিষাক্ত পােকামাকড় বিচরণ করছে এবং কীট-প্রত্যঙ্গ আসা-যাওয়া করছে ৷
সেখানে পুজ প্রবাহিত হচ্ছে, দুর্পন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পরিচ্ছন্ন, সুগন্ধিময় ও সুন্দর কাফন নােৎরা ও
জীর্ণ হয়ে আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস টেনে নিয়ে বেছুশ হয়ে পড়ে
পেলেন ৷ মুকাতিল ইবন হায়্যান বলেন, (একবার) আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের পিছে
নামায পড়লাম ৷ তিনি এই আয়াত পড়লেন ১টুটুছুট্রুহু ন্ট্রুৰুক্ট্র৷ ণ্ণ্ড্রটুব্লুঘ্রটু তারপর তাদেরকে
থামাও, কারণ তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে (৩৭৪ ২৪) ৷
এরপর তিনি বারবার তা পড়তে লাগলেন ৷ বিক্ষ্ম,৩ তিনি তা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে
পারলেন না ৷ তার ত্রী ফাতিমা বিনত আবদুল মালিক বলেন, তার চেয়ে অধিক
সালাতসাওমের পাবন্দ এবং মহান আল্লাহর ভয়ে ভীত কাউকে আমি দেখিনি ৷ ইনার নামাযের
পর তিনি বলে র্কাদতেন এবং র্চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত হতো ৷ এরপর তিনি একটু সংযত সতর্ক
হতেন এবং আবার র্কাদতে থাকতেন ৷ এমনকি তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত্ত হতো ৷ ফাতিমাহ্
বলেন, যখন তিনি আমার পাশে বিছানায় শায়িত অবস্থায় থাকতেন, তখন তিনি আখিরাতের
কোন বিষয় স্মরণ করতেন এবং চডুই যেমন পানিতে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে, তেমনিভাবে
(আখিরাতের ভয়ে) গা ঝাড়া দিয়ে (কেপে) উঠতেন এবং উঠে বসে র্কাদতে থাকতেন ৷ তার
এরুপ অন্থিরতা দেখে দয়াবশত আমি তার শরীরে লেপ জড়িয়ে দিতাম ৷ আর তখন আমি
বলতাম, হার! যদি আমাদের মা নুে এবং খিলাফতের মাঝে দুই পুর্বাচ্লের দুরত্ব হতো!
আল্লাহর কসম, খিলাফতের সংস্পর্শে আসার পর থেকে আমরা কোন আনন্দের দেখা পাইনি ৷
আলী ইবন যায়দ বলেন, হাসান বসরী এবং উমর ইবন আবদুল আযীয এর ন্যায় দুই
ব্যক্তিকে আমি দেখিনি, তাদেরকে দেখলে মনে হতে তা জাহান্নামকে যেন শুধু তাদের দুইজনের
জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, কান্নার আধিক্যের কারণে আমি তার
চক্ষু দিয়ে অশ্রুর পরিবর্তে রক্ত প্রবাহিত হতে ৩দেখেছি ৷ বর্ণনাকারিগণ বলেন,৩ তিনি যখন শয্যা
গ্রহণ করতেন, তখন এই আয়াত পড়তেন :
ণ্াষ্টু৷ হ্দ্বু : ট্রুটু১ংটুর্চা’াটু ; ;ঝুৰুপুএ ৷ টুগুছু ’;;এ ৷ ইএপু ৷ ন্ধুষ্টুটু ৰু;, ৷
তােমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন’ (সুরা
আরাফ৪ ৫৪) ৷
ড্রু;র্দুাড়া
তবে কি জনপদবাসীরা ভয় করে না যে আমার শাস্তি তাদের উপর আসবে রাত্রে যখন
তারা ঘুমম্ভ থাকবে (৭ : ৯৭) এবং এ জাতীয় আয়াতসমুহ ৷ প্রত্যেক রাত্রে তার ফকীহ
সহ চরগণ তার কাছে সমবেত হতেন এবং৩ তারা মৃত্যু ও আখিরাত ছাড়া অন্য কিছুর আলোচনা
করতেন না ৷ এরপর তারা সকলে এমনভাবে কাদতেন যেন তাদের মাঝে কোন জানাযা
রয়েছে ৷
আবু বাকর আসসুলী বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয কবির এই পঙ্ক্তিগুলে৷
আবৃত্তি করতেনং


طَلَعَتْ شَمْسُ الرِّسَالَةِ فَأَكْسَدَتْ كُلَّ نَافِقٍ، وَأَخْرَسَتْ كُلَّ مُنَافِقٍ، وَأَسْكَتَتْ كُلَّ نَاطِقٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: ثَنَا أَبُو بَكْرٍ أَخُو خَطَّابٍ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَعْيَنَ الرَّاعِي وَكَانَ يَرْعَى الْغَنَمَ لِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عُيَيْنَةَ قَالَ: كَانَتِ الْغَنَمُ وَالْأُسْدُ وَالْوَحْشُ تَرْعَى فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ، فَعَرَضَ لِشَاةٍ مِنْهَا ذِئْبٌ، فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ، مَا أَرَى الرَّجُلَ الصَّالِحَ إِلَّا قَدْ هَلَكَ. قَالَ: فَحَسَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ قَدْ هَلَكَ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ حَمَّادٍ، فَقَالَ: كَانَ يَرْعَى الشَّاةَ بِكَرْمَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ. وَمِنْ دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ إِنْ رِجَالًا أَطَاعُوكَ فِيمَا أَمَرْتَهُمْ، وَانْتَهَوْا عَمَّا نَهَيْتَهُمْ، اللَّهُمَّ وَإِنَّ تَوْفِيقَكَ إِيَّاهُمْ كَانَ قَبْلَ طَاعَتِهِمْ إِيَّاكَ، فَوَفِّقْنِي. وَمِنْهُ: اللَّهُمَّ، إِنَّ عُمَرَ لَيْسَ بِأَهْلٍ أَنْ تَنَالَهُ رَحْمَتُكَ، وَلَكِنَّ رَحْمَتَكَ أَهْلٌ أَنْ تَنَالَ عُمَرَ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَبْقَاكَ اللَّهُ مَا كَانَ الْبَقَاءُ خَيْرًا لَكَ. فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ، وَلَكِنْ قُلْ: أَحْيَاكَ اللَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً، وَتَوَفَّاكَ مَعَ الْأَبْرَارِ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: كَيْفَ أَصْبَحْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: أَصْبَحْتُ بَطِيئًا بَطِينًا، مُتَلَوِّثًا بِالْخَطَايَا، أَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৯১
وَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ كَانَتِ الْخِلَافَةُ لَهُمْ زَيْنٌ، وَأَنْتَ زَيْنُ الْخِلَافَةِ، وَإِنَّمَا مَثَلُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: وَإِذَا الدُّرُّ زَانَ حُسْنَ وُجُوهٍ ... كَانَ لِلدُّرِّ حُسْنُ وَجْهِكَ زَيْنَا قَالَ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ عُمَرُ. وَقَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ سَمَرْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَعَشِيَ السِّرَاجُ فَقُلْتُ: أَلَا أُنَبِّهُ هَذَا الْغُلَامَ يُصْلِحُهُ؟ فَقَالَ: لَا، دَعْهُ يَنَامُ. فَقُلْتُ: أَفَلَا أَقُومُ أُصْلِحُهُ؟ فَقَالَ: لَا، لَيْسَ مِنْ مُرُوءَةِ الرَّجُلِ اسْتِخْدَامُ ضَيْفِهِ. ثُمَّ قَامَ بِنَفْسِهِ فَأَصْلَحَهُ وَصَبَّ فِيهِ زَيْتًا، ثُمَّ جَاءَ وَقَالَ: قُمْتُ وَأَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَجِئْتُ وَأَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ: أَكْثِرُوا ذِكْرَ النِّعَمِ فَإِنَّ ذِكْرَهَا شُكْرُهَا. وَقَالَ: إِنَّهُ لَيَمْنَعُنِي مِنْ كَثْرَةِ الْكَلَامِ مَخَافَةَ الْمُبَاهَاةِ. وَبَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ تُوُفِّيَ، فَجَاءَ إِلَى أَهْلِهِ لِيُعَزِّيَهُمْ فِيهِ، فَصَرَخُوا فِي وَجْهِهِ بِالْبُكَاءِ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَهْ، إِنَّ صَاحِبَكُمْ لَمْ يَكُنْ يَرْزُقُكُمْ، وَإِنَّ الَّذِي يَرْزُقُكُمْ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ هَذَا، لَمْ يَسُدَّ شَيْئًا مِنْ حُفَرِكُمْ، وَإِنَّمَا سَدَّ حُفْرَةَ نَفْسِهِ، وَإِنَّ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْكُمْ حُفْرَةً لَا بُدَّ وَاللَّهِ أَنْ يَسُدَّهَا، إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا خَلَقَ الدُّنْيَا حَكَمَ عَلَيْهَا بِالْخَرَابِ وَعَلَى أَهْلِهَا بِالْفَنَاءِ، وَمَا امْتَلَأَتْ دَارٌ حَبْرَةً إِلَّا امْتَلَأَتْ عَبْرَةً، وَلَا اجْتَمَعُوا إِلَّا تَفَرَّقُوا، حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ هُوَ الَّذِي يَرِثُ الْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ بَاكِيًا فَلْيَبْكِ عَلَى نَفْسِهِ، فَإِنَّ الَّذِي صَارَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯২


শ্শ্শ্শ্শ্শ্


বিচ্ছেদের প্রতাতে নিজের সঞ্চিত কোন কিছুকেই সে পাথেয়রুপে গ্রহণ করতে পারেনি,
শুধু কয়েক টুকরা ছিন্ন কাপড়ের ভাজে সামান্য সুগন্ধি ব্যতীত


ৰ্ট

এবং কয়েকটি প্রজ্বলিত সৃগন্ধি কাঠির ধুম্র-সুগন্ধি ৷ আর কোন পথচারীর জন্য পাথেয়রুপে

এটা সত্যিই সামান্য ৷

যে শহরে তার মৃত্যু লেখা আছে, যদি স্বেচ্ছায় সে তার উদ্দেশ্যে পথ না চলে, তাহলে
তাকে সেদিকে হ কিযে নেওয়া হবে ৷

কোন এক জানাযার সাথে পথ চলতে গিয়ে তিনি কিছুসং খ্যক লোককে দেখলেন তারা
এক ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে ধুলা ও রোদ থেকে নিজেদেরকে আড়াল করল ৷ তখন তিনি কেদে
আবৃত্তি করলেন-

াট্রুট্রুগ্ৰুদ্বুা৷এ গ্লুাব্লু ট্রু র্মুন্
যে ব্যক্তি রৌদ্রক্লিষ্ট কিত্বা ধুলামলিন হওয়ার সময় খুতযুক্ত ও অব্লিন্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা
বোধ করে ৷
এবং তার মুখমণ্ডলের উদ্ভাস অপরিবর্তিত থাকার জন্য সে ছায়া পসন্দ করে কিত্তু অচিরেই
একদিন সে অনিচ্ছা সাত্ত্বও কবরের বাসিন্দা হবে,
শ্রো চেত্ন

ধুলিধুসর ভীতিপ্রদ অন্ধকার গহ্বরে সে থাকবে সেই গহ্বরের তলদেশে সে মাটির নীচে
দীর্ঘকাল অবস্থান করবে ৷


হে আমার নফস (চিত্ত) (অনন্তকালের সফরের জন্য) মৃত্যুর পুর্বে পর্যাপ্ত পাথেয় সামগ্রী
প্রস্তুত করে নাও, তোমাকে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি ৷

এই কবিতা পঙ্ক্তিগুলো আল-আজারী ষ্,এ ৷ ৷ ’ র্চুন্৷ গ্রন্থে ঈষৎ বৃদ্ধিসহ উল্লেখ
করেছেন ৷ তিনি বর্ণনা করেন, আবুবাকর সুত্রে আবদুস সামাদ ইবন আবদুল আ’লা ইবন আবু
উমরার এক ছেলে থেকে তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (র) দুর্বিনীত রোম সম্রাটকে
ইসলামের দিকে আহ্বান করার জন্য তাকে দুত হিস্যেব পাঠাতে চাইলেন ৷ আবদুল আলা
তাকে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার সাথে যাওয়ার জন্য আমার একজন ছেলেকে
অনুমতি দিন ৷ উল্লেখ্য যে, আবদুল আ’ লার দশ ছেলে জ্জি ৷ তিনি তাকে বলেন, ভুমিই বল
তোমার কোনৃ ছেলে তোমার সাথে যাবে ৷ আবদুল আ লা বলেন, আবদুল্লাহ ৷ উমর তাকে
বলেন, তোমার ছেলে আবদুল্লাহ্কে আমি অপসন্দনীয় ও ঘৃণা ভঙ্গিডে হীটতে দেখেছি ৷ আর


صَاحِبُكُمْ، كُلُّكُمْ يَصِيرُ إِلَيْهِ غَدًا. وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ إِلَى الْقُبُورِ، فَقَالَ لِي: يَا أَبَا أَيُّوبَ، هَذِهِ قُبُورُ آبَائِي بَنِي أُمَيَّةَ، كَأَنَّهُمْ لَمْ يُشَارِكُوا أَهْلَ الدُّنْيَا فِي لَذَّتِهِمْ وَعَيْشِهِمْ، أَمَا تَرَاهُمْ صَرْعَى قَدْ خَلَتْ فِيهِمُ الْمَثُلَاتُ، وَاسْتَحْكَمَ فِيهِمُ الْبَلَاءُ؟ ثُمَّ بَكَى حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ، فَقَالَ: انْطَلِقُوا بِنَا فَوَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ أَحَدًا أَنْعَمَ مِمَّنْ صَارَ إِلَى هَذِهِ الْقُبُورِ، وَقَدْ أَمِنَ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي جِنَازَةٍ، فَلَمَّا دُفِنَتْ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: قِفُوا حَتَّى آتِيَ قُبُورَ الْأَحِبَّةِ. فَأَتَاهُمْ فَجَعَلَ يَبْكِي وَيَدْعُو، إِذْ هَتَفَ بِهِ التُّرَابُ، فَقَالَ: يَا عُمَرُ أَلَا تَسْأَلُنِي مَا فَعَلْتُ فِي الْأَحِبَّةِ؟ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا فَعَلْتَ بِهِمْ؟ قَالَ: مَزَّقْتُ الْأَكْفَانَ، وَأَكَلْتُ اللُّحُومَ، وَشَدَخْتُ الْمُقْلَتَيْنِ، وَأَكَلْتُ الْحَدَقَتَيْنِ، وَنَزَعْتُ الْكَفَّيْنِ مِنَ السَّاعِدَيْنِ، وَالسَّاعِدَيْنِ مِنَ الْعَضُدَيْنِ، وَالْعَضُدَيْنِ مِنَ الْمَنْكِبَيْنِ، وَالْمَنْكِبَيْنِ مِنَ الصُّلْبِ، وَالْقَدَمَيْنِ مِنَ السَّاقَيْنِ، وَالسَّاقَيْنِ مِنَ الْفَخْذَيْنِ، وَالْفَخْذَيْنِ مِنَ الْوِرْكِ، وَالْوِرْكَ مِنَ الصُّلْبِ وَعُمَرُ يَبْكِي. فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَذْهَبَ قَالَ لَهُ: يَا عُمَرُ، أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَكْفَانٍ لَا تَبْلَى؟ قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: تَقْوَى اللَّهِ، وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ. وَقَالَ مَرَّةً لِرَجُلٍ مِنْ جُلَسَائِهِ: لَقَدْ أَرِقْتُ اللَّيْلَةَ مُفَكِّرًا. قَالَ: وَفِيمَ يَا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৩


আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, সে কবিতা রচনা করে ৷ তখন আবদুল আ লা তাকে বলেন,
তার হাটার ভঙ্গিমা তার জন্মগত ত্রুটি ৷ আর কবিতা সে রচনা করে তা দ্বারা নিজের শোকে
মাতম প্রকাশের জন্য ৷ তখন উমর তাকে বলেন, আবদুল্লাহ্কে আমার কাছে আসতে বল ৷ আর
তুমি নিজের সাথে অন্য কাউকে নিয়ে যাও ৷ আবদুল আ লা সন্ধ্যাকালে তার ছেলে আবদুল্লাহ্কে
তার কাছে নিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি তাকে আবৃত্তি করতে বলেন ৷ সে তাকে পুর্বোক্ত
কয়েকটি পঙ্ক্তিসহ নিম্নলিখিত পঙক্তিগুলি আবৃত্তি করে শোনাল,

০ ! ষ্ শ্

হে আমার নফস৷ (অনম্ভকালের সফরের জন্য) মৃত্যুর পুর্বেই পর্যাপ্ত পাথেয় সামগ্রী প্রস্তুত
করে নাও, আর তোমাকে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি ৷
ধু এ

যে বেচে থাকবে অহেতুক তার জন্য কষ্ট করােনা এবং দারিদ্র্য অবলম্বন করে৷ না ৷ আর
যে বেচে থাকবে এবং যে যার উত্তরাধিকারী হবে উভয়ের চুড়ান্ত উত্তরাধিকারী মৃত্যু ৷

ৰু,ৰু;ন্টু
দ্বুাপুএশ্১
কালের ধীর আবর্তনের দুর্যোগ দুর্বিপাককে ভয় কর এবং সজাগ থাক, আর ঐ ব্যক্তির মত

হয়ো না যে এমন তরবারির সন্ধান করেছে যা তার কাল হয়েছে ৷ সে তার কর্মের পুর্ণ প্রতিফল ,
লাভ করেছে ৷

@ ’


বিলড়াসিত৷ সৃষ্টিকারী বিশ্বাসঘাতক কালের আঘাতকে বিশ্বাস করো না ৷ তার কাছে
ভাল-মন্দ সকলে বরাবর ৷

যে ব্যক্তি রৌদ্ররুিষ্ট কিংবা ধুলামলিন হওয়ার সময় খুতষুক্ত ও অবিন্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা
বোধ করে ৷

এবং তার মুখমণ্ডলের উদ্ভাসচমক অপরিবজ্যি থাকার জন্য সে ছায়া পসন্দ করে ৷ কিভু
অচিরেই সে একদিন অনিচ্ছায় কবরের বাসিন্দা হবে ৷

নির্জ্য৷ ভীতিপ্ৰদ এবং ধুলিধুসর অন্ধকার গৃহে সে বাস করবে, যার তলদেশের মাটির নীচে
সে দীর্ঘকাল অবস্থান করবে ৷

ইবন আবুদ দুনইয়৷ এই পঙ্ক্তিগুলি উল্লেখ করেছেন আর উমর তার উদ্ধৃতিতে তা আবৃত্তি
করেছেন ৷ আর আল্লাহ তা জানা সৰ্বাধিক জানেন ৷ আর উমর ইবন আবদুল আযীয প্রায়শই
এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করতেন এবং কাদতেন ৷ »


الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: فِي الْقَبْرِ وَسَاكِنِهِ، إِنَّكَ لَوْ رَأَيْتَ الْمَيِّتَ بَعْدَ ثَالِثَةٍ فِي قَبْرِهِ لَاسْتَوْحَشْتَ مِنْ قُرْبِهِ بَعْدَ طُولِ الْأُنْسِ مِنْكَ بِنَاحِيَتِهِ، وَلَرَأَيْتَ بَيْتًا تَجُولُ فِيهِ الْهَوَامُّ، وَيَجْرِي فِيهِ الصَّدِيدُ، وَتَخْتَرِقُهُ الدِّيدَانُ، مَعَ تَغَيُّرِ الرِّيحِ، وَبِلَى الْأَكْفَانِ بَعْدَ حُسْنِ الْهَيْئَةِ، وَطِيبِ الرِّيحِ، وَنَقَاءِ الثَّوْبِ. قَالَ: ثُمَّ شَهِقَ شَهْقَةً خَرَّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ. وَقَالَ مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ: صَلَّيْتُ وَرَاءَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَرَأَ {وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ} [الصافات: 24] فَجَعَلَ يُكَرِّرُهَا وَمَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُجَاوِزَهَا. وَقَالَتِ امْرَأَتُهُ فَاطِمَةُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ صَلَاةً وَصِيَامًا مِنْهُ، وَلَا أَحَدًا أَشَدَّ فَرَقًا مِنْ رَبِّهِ مِنْهُ، كَانَ يُصَلِّي الْعِشَاءَ ثُمَّ يَجْلِسُ يَبْكِي حَتَّى تَغْلِبَهُ عَيْنُهُ، ثُمَّ يَنْتَبِهُ فَلَا يَزَالُ يَبْكِي حَتَّى تَغْلِبَهُ عَيْنُهُ. قَالَتْ: وَلَقَدْ كَانَ يَكُونُ مَعِي فِي الْفِرَاشِ فَيَذْكُرُ الشَّيْءَ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ ; فَيَنْتَفِضُ كَمَا يَنْتَفِضُ الْعُصْفُورُ فِي الْمَاءِ، وَيَجْلِسُ يَبْكِي، فَأَطْرَحُ عَلَيْهِ اللِّحَافَ رَحْمَةً لَهُ، وَأَنَا أَقُولُ: يَا لَيْتَ كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْخِلَافَةِ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ، فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا سُرُورًا مُنْذُ دَخَلْنَا فِيهَا. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ: مَا رَأَيْتُ رَجُلَيْنِ كَأَنَّ النَّارَ لَمْ تُخْلَقْ إِلَّا لَهُمَا مِثْلَ الْحَسَنِ، وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُهُ يَبْكِي حَتَّى بَكَى دَمًا. قَالُوا: وَكَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَرَأَ {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ} [الأعراف: 54] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৪

ফযল ইবন আব্বাস আলহালাবী বলেন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) প্রায়শই এই
পঙ্ক্তিটি আবৃত্তি করতেন

) :

মোঃ ঘু
ঐ ব্যক্তির বেচে থাকার মাঝে কোন কল্যাণ নেই, আখিরাত্তে যার জন্য মহান আল্লাহ্র
পক্ষ থেকে কোন অংশ নির্ধারিত হয়নি ৷
কেউ কেউ এর সাথে আরেকটি চমৎকার পঙ্ক্তি সংযেজেন করেছেন :
ণ্
দৃনৃয়া যদি (তার মােহ দ্বারা) কতক মানুষকে মুগ্ধ করে থাকে তাহলে জেনে রাখ তা অতি

সামান্য ভোগ্য সামগ্রী যার বিলুপ্তি অত্যাসন্ন ৷
ইবনুল জাওযী তার নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিসমুহ আবৃত্তি করেছেন-

)


আমি মরণশীল আর মরণশীল নয় এমন কে আছে ? আমি নিশ্চিত জানি যে, অচিরেই
আমি মৃত্যুবরণ করব ৷

মৃত্যু যে বাদশাহীকে বিলুপ্ত করে দেয় তাভাে কোন বাদশাহী নয়, প্রকৃত বাদশাহী তার যার
কোন মৃত্যু নেই ৷
ণ্পুান্ ণ্,প্পুপ্রু ৷ ১ ণ্ন্ ৷ ;াদুাঢ় র্টু;ছু ৷ ৷ৰুহ্র ৰুর্চুও
তুমি তাে ধ্বংসশীল৷ রা জ্যতু আনন্দিত এবং অলীক কল্পনায় উৎফুলু যেমন ঘুমন্ত ব্যক্তি স্বপ্নে
আনন্দ উপভোগ করে প্রভাবিতঘ্ব্র হয় ৷
এ’১ষ্-৫-ট্ট
হে প্রবঞ্চিত ! তোমার দিন কাটে ভুল ও অসতর্কতায় আর রাত কাটে নিদ্রায় অথচ তোমার
মৃত্যু অপরিহার্য ৷
আর তোমার ঢেষ্টা-সাধনা এমন বিষয়ে যার পরিণাম অচিরেই ষ্তােমার কাছে অপ্রিয় হবে
আর এভাবে দুনয়াতে বাস করে চতুষ্পদ প্রাণী ৷
মুহাম্মাদ ইবন কাহীর বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেকে তিরস্কার করে বলেন :
তুমি কি আজ ঘৃমন্ত না জাগ্রত আর যে হতবুদ্ধি ও উদভ্রাস্ত সে কিভাবে ঘুম পাড়াবে ?

) : )


তুমি যদি প্রভাতকালে জাগ্রত হত্ত ত, তাহলে অশ্রুর অঝোর ধারা তোমার চক্ষুকোটরদ্বয়কে
জ্বালিয়ে দিত ৷


وَيَقْرَأُ: {أَفَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرَى أَنْ يَأْتِيَهُمْ بَأْسُنَا بَيَاتًا وَهُمْ نَائِمُونَ} [الأعراف: 97] وَنَحْوَ هَذِهِ الْآيَاتِ، وَكَانَ يَجْتَمِعُ كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ مِنَ الْفُقَهَاءِ فَلَا يَذْكُرُونَ إِلَّا الْمَوْتَ وَالْآخِرَةَ، ثُمَّ يَبْكُونَ حَتَّى كَأَنَّ بَيْنَهُمْ جِنَازَةً. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصُّولِيُّ عَنِ الْمُبَرِّدِ كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَتَمَثَّلُ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ: فَمَا تَزَوَّدَ مِمَّا كَانَ يَجْمَعُهُ ... سِوَى حَنُوطٍ غَدَاةَ الْبَيْنِ فِي خِرَقِ وَغَيْرَ نَفْحَةِ أَعْوَادٍ تُشَبُّ لَهُ ... وَقَلَّ ذَلِكَ مِنْ زَادٍ لِمُنْطَلِقِ بِأَيِّمَا بَلَدٍ كَانَتْ مَنِيَّتُهُ ... إِنْ لَا يَسِرْ طَائِعًا فِي قَصْدِهَا يُسَقِ وَنَظَرَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ فِي جِنَازَةٍ، إِلَى قَوْمٍ قَدْ تَلَثَّمُوا مِنَ الْغُبَارِ وَالشَّمْسِ، وَانْحَازُوا إِلَى الظِّلِّ، فَبَكَى وَأَنْشَدَ: مَنْ كَانَ حِينَ تُصِيبُ الشَّمْسُ جَبْهَتَهُ ... أَوِ الْغُبَارُ يَخَافُ الشَّيْنَ وَالشَّعَثَا وَيَأْلَفُ الظِّلَّ كَيْ تَبْقَى بَشَاشَتُهُ ... فَسَوْفَ يَسْكُنُ يَوْمًا رَاغِمًا جَدَثًا فِي قَعْرِ مُظْلِمَةٍ غَبْرَاءَ مُوحِشَةٍ ... يُطِيلُ فِي قَعْرِهَا تَحْتَ الثَّرَى لُبْثَا تَجَهَّزِي بِجَهَازٍ تَبْلُغِينَ بِهِ ... يَا نَفْسُ قَبْلَ الرَّدَى لَمْ تُخْلَقِي عَبَثَا وَقَالَ الْمُفَضَّلُ بْنُ غَسَّانَ الْغَلَّابِيُّ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَا يَجِفُّ فُوهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৫

ৰ্ ষ্মোঃন্

ভুমি দীর্ঘ নিদ্রায় অচেতন হয়ে আছ অথচ বিরাট সব ভয়ানক বিষয়সমুহ তোমার
নিকটবর্তী হয়েছে ৷
চ্ার্ন্তা

তুমি তো এমন সকল বিষয়ে কষ্ট স্বীকার করছ অচিরেই তুমি যার পরিণাম অপসন্দ
করবে ৷ আর দুনয়াতে এভাবে বেচে থাকে চতুষ্পদ প্রাণী ৷
ট্রুপ্নড্রু£; টু,াশুহ্ব;পু দ্বুাম্ভট্রুব্লুা ৷ হৃষ্ ;;;ন্ ১া ; এয়এেপ্রু ৷ৰুপ্রুঠু ণ্া, ৷ ধ্হৃ ;ই৷ ১াট্রুণ্

আ না তুমি ঘুমন্তদের মাঝে কোন একদিন নিরাপদ, আর না জাপ্রতদের মাঝে
আত্মপ্রত্যয়ী ৷
ইবন আবুদ দৃনয়া তার সুত্রে ফাতিমা বিনত আবদুল মালিকের উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন,
তিনি (ফাতিমা) বলেন, কোন এক রাত্রে ঘুম থেকে জেগে উমর ইবন আবদুল আযীয বলতে
লাগলেন, আজ রাত্রে আমি এক আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখলাম ৷ আমি বললাম, আমাকে তা
অবহিত করুন ৷ তিনি বলেন, সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর ৷ এরপর তিনি ফজরের নামায পড়িয়ে
ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ আমি তাকে (স্বপ্নের কথা) জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বলতে লাগলেন,
আমি দেখলাম, আমাকে এক প্রশস্ত সবুজ ভুখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেন তা সবুজ গালিচা ৷
সেখানে আমি একটি প্রাসাদ দেখতে পেলাম যেন তা রৌপ্য নির্মিত ৷ এরপর সেখান থেকে এক
ব্যক্তি বের হয়ে ঘোষণা করল, কোথায় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ কোথায় রাসুলুল্লাহ্ ? এমন
সময় রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আগমন করে ঐ প্রাসাদে প্রবেশ করলেন ৷
এরপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা করলেন, আবু বকর সিদ্দীক কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ
করলেন ৷ তারপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা করলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব কোথায় ? তিনি
এসে প্রবেশ করলেন, অতঃপর আরেক ব্যক্তি বের হয়ে ঘোষণা করলেন, উছমান ইবন
আফ্ফান কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা
করলেন, আলী ইবন আবুতালিব কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর আরেকজন
বের হয়ে ঘোষণা করলেন উমর ইবন আবদুল আযীয কোথায় ? আমি উঠে গিয়ে ভিতরে
প্রবেশ করে আমার পিতৃপুরুয উমর ইবনুল খাত্তারের পাশে বসলাম, আর তিনি রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের বাম পাভৈশ আর আবু বকর তারডান পাশে ছিলেন ৷ তার
(আবু বকর) ও রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মাঝে এক ব্যক্তি ছিলেন ৷ আমি
আমার পিতৃপুরুষকে প্রশ্ন করলাম, ইনি কে ? তিনি বললেন, ইনি হযরত ঈসা ইবন
মারইয়াম ৷ এরপর আমি এক অদৃশ্য ঘোষককে ঘোষণা করতে শুনলাম, হে উমর ইবন
আবদুল আযীয তুমি তোমার বর্তমান অবস্থাকে দৃঢ়ডাবে অবলম্বন কর এবং তার উপর সুন্থির
থাক ৷ এরপর আমাকে যেন বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো ৷ ফলে আমি বের হয়ে
আসলাম ৷ আমি পিছন ফিরে তাকালাম, দেখতে পেলাম হযরত উছমড়ান (রা) একথা বলতে
বলতে প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসছেদী, প্রশং সা আল্লাহ্র যিনি আমার বব, যিনি আমাকে

সাহায্য করেছেন ৷ এরপর দেখলাম তার পিছে আলী ৷ তিনি বলছেন, প্রশং সা আল্লাহ্র যিনি
আমার বব, যিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন ৷


مِنْ هَذَا الْبَيْتِ: وَلَا خَيْرَ فِي عَيْشِ امْرِئٍ لَمْ يَكُنْ لَهُ ... مِنَ اللَّهِ فِي دَارِ الْقَرَارِ نَصِيبُ وَزَادَ غَيْرُهُ مَعَهُ بَيْتًا حَسَنًا، وَهُوَ قَوْلُهُ: فَإِنْ تُعْجِبُ الدُّنْيَا أُنَاسًا فَإِنَّهَا ... مَتَاعٌ قَلِيلٌ وَالزَّوَالُ قَرِيبُ وَمِنْ شَعْرِهِ الَّذِي أَنْشَدَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: أَنَا مَيْتٌ وَعَزَّ مَنْ لَا يَمُوتُ ... قَدْ تَيَقَّنْتُ أَنَّنِي سَأَمُوتُ لَيْسَ مُلْكٌ يُزِيلُهُ الْمَوْتُ مُلْكًا ... إِنَّمَا الْمُلْكُ مُلْكُ مَنْ لَا يَمُوتُ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ: تُسَرُّ بِمَا يَبْلَى وَتَفْرَحُ بِالْمُنَى ... كَمَا اغْتَرَّ بِاللَّذَّاتِ فِي النَّوْمِ حَالِمُ نَهَارُكَ يَا مَغْرُورُ سَهْوٌ وَغَفْلَةٌ ... وَلَيْلُكَ نَوْمٌ وَالرَّدَى لَكَ لَازِمُ وَسَعْيكُ فِيمَا سَوْفَ تَكْرَهُ غِبَّهُ ... كَذَلِكَ فِي الدُّنْيَا تَعِيشُ الْبَهَائِمُ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَلُومُ نَفْسَهُ وَيُعَاتِبُهَا: أَيَقِظَانُ أَنْتَ الْيَوْمَ أَمْ أَنْتَ نَائِمُ ... وَكَيْفَ يُطِيقُ النَّوْمَ حَيْرَانُ هَائِمُ فَلَوْ كَنْتَ يَقْظَانَ الْغَدَاةَ لَحَرَّقَتْ ... مَدَامِعَ عَيْنَيْكَ الدُّمُوعُ السَّوَاجِمُ نَهَارُكَ يَا مَغْرُورُ سَهْوٌ وَغَفْلَةٌ ... وَلَيْلُكَ نَوْمٌ وَالرَّدَى لَكَ لَازِمُ بَلَ اصْبَحْتَ فِي النَّوْمِ الطَّوِيلِ وَقَدْ دَنَتْ ... إِلَيْكَ أُمُورٌ مُفْظِعَاتٌ عَظَائِمُ وَشُغْلُكَ فِيمَا سَوْفَ تَكْرَهُ غِبَّهُ ... كَذَلِكَ فِي الدُّنْيَا تَعِيشُ الْبَهَائِمُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৬
وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا بِسَنَدِهِ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَتْ: انْتَبَهَ عُمَرُ ذَاتَ لَيْلَةٍ، وَهُوَ يَقُولُ: لَقَدْ رَأَيْتُ رُؤْيَا مُعْجِبَةً. فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي بِهَا. فَقَالَ: حَتَّى نُصْبِحَ. فَلَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ بِالْمُسْلِمِينَ دَخَلَ فَسَأَلْتُهُ عَنْهَا، فَقَالَ: رَأَيْتُ كَأَنِّي دُفِعْتُ إِلَى أَرْضٍ خَضْرَاءَ وَاسِعَةٍ كَأَنَّهَا بِسَاطٌ أَخْضَرُ، وَإِذَا فِيهَا قَصْرٌ كَأَنَّهُ الْفِضَّةُ، فَخَرَجَ مِنْهُ خَارِجٌ فَنَادَى: أَيْنَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ؟ أَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ إِذْ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى دَخَلَ ذَلِكَ الْقَصْرَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَقُمْتُ - فَدَخَلْتُ فَجَلَسْتُ إِلَى جَانِبِ أَبِي عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَهُوَ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ يَمِينِهِ، وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ، فَقُلْتُ لِأَبِي: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ. ثُمَّ سَمِعْتُ هَاتِفًا يَهْتِفُ، بَيْنِي وَبَيْنَهُ نُورٌ لَا أَرَاهُ، وَهُوَ يَقُولُ: