আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة مائة من الهجرة النبوية

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৫৫৭

এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন পবিত্র মদীনায় প্রশাসক আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন
আমর ইবন হাযম ৷ আর অন্যান্য অঞ্চলের প্রশাসকদের কথা এর পুর্ববর্তী বছরের আলোচনায়
বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে এ বছর যারা প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত হয়েছিল বা যারা নতুন দ ৷যিতৃ
গ্রহণ করেছিল তাদের কথা ভিন্ন ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক জানেন ৷ উমর ইবন আ বদৃল আযীয
খিলাফতের দায়িতৃ গ্রহণের পর মুসলমানদের স্বার্থে ব্যস্ত থাকায় হজ্জ করতে পারেননি ৷ তবে,
তিনি পবিত্র মদীনায় ডাকদুত পাঠিয়ে তাকে নির্দেশ দিতেন, আমার পক্ষ হতে রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়৷ স ৷ল্লামাকে সালাম পৌছে দিও ৷ অচিরেই তা বংনি৷ সুত্রসহ উল্লিখিত
হবে ইনশাআ ৷ল্লাহ্ ৷ এ বছরে যে সকল প্রখ্যাত ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন০ :

সালিম ইবন আবুল জাদ আল্াআশজাঈ১

তিনি বানু আশ ৷জা এর কুফাবাসী মাওলা, যিয়াদ আবদুল্লাহ, উবাযদুল্লাহ্ ইমরান ও
মুসলিমের ভাই ৷ ইনি একজন বিশিষ্ট তাবেয়ী ৷ ইনি হযরত ছা,ওবান জাবির, আবদুল্লাহ ইবন
উমর আবদুল্লাহ ইবন আমর, নুমান ইবন বাশীর ও অন্যান্যদের থেকে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন কাত তাদাহ আ মাশ প্রমুখগণ ৷ আর তিনি বিশিষ্ট
গুণী অভিজাত ও আন্থাভ ৩াজন ব্যক্তি ৷

আবু উমাম৷ সাহল ইবন হানীফ২

তিনি বানু আওস গোত্রের সদস্য পবিত্র মদীনাবাসী এবং আনসারী ৷ ইনি নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আ ৷লায়হি ওয়া সাল্লামার মদীনা তাব্যিবাতে অবস্থানকালে জনআেহণ করেন এবং তার
দর্শন লাভ করেন ৷ তিনি হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন৩ তার পিতা সাহ্ল ইবন হানীফ হতে এবং
হযরত উমর, উছমান, যায়দ ইবন ছ বি৩ , মুআবিয়া ও ইবন আব্বাস (রা) হতে ৷ আর তার
থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ইমাম যুহরী, আবু হাষিম এবং আরও একদল রাবী ৷ তার
সম্পর্কে ইমাম যুহরী বলেন, তিনি নেত তৃন্থানীয়৷ আানসর আলিমগণের অন্যতম এবং বদরযুদ্ধে
অংশ গ্রহণকারী সাহাবীর সন্তান ৷ ইয়ুসুফ ইবন মাজিশুন বংনি৷ করেন উত্বাহ ইবন মুসলিম
হতে ৷ তিনি বলেন, হযরত উছমান ইবন আফফ৷ ন (রা ) যখন সর্বশেষ বার জুমুআর নামায়ের
উদ্দেশ্যে বের হলেন তখন লোকেরা (বিদ্রোহীরা) তাকে রেষ্টন করে নামায পড়তে দিল না ৷
নামায পড়ালেন আবু উমাম৷ সাহ্ল ইবন হানীফ , ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনি একশ’
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক জানেন ৷

১ আত্তারীখ আসৃসর্গীর ১২১১, ২১২, আত্তারীখ আলকাবীর ৪১০৭, তারীখুল ইসলাম ৩৩৬৯,
তাহযীবুত তাহযীব ৩৪৩২৩ তাহযীবুল কামাল ৪৬০, আল ল-জারহ্ ওয়াত তাদীল ৪১৮১, খুলাসাতৃ
তাহযীবুল কামাল ১৩১ শাজারাতৃয যাহাব ১১১৮, তাবাকাতু ইবন সাদ ৬২৯১, তাবাকাতু খালীফা
১৫৬, আল ইবার ১৮৯৯ ৷

২ আল-ইসাবা ৪৯, আলই-সতীআব ৮২, উসদুল গাবাহ্ ৩৪ ৭০, তারীখুল ইসলাম ৪৭১, তাহযীবুত
তাহযীব ১২৬৩, তাহযীবু ইবন আসাকির ৩৭, খুলাসা তাহযীবুল কামাল ৩৮, তাবাকাতু ইবন সাদ
৬৮২,৩ তাবাকাতু খালীফ৷ ৬৫৪ ২১৭৬ আল ইবার ১১১৮, মিরআভুয-যামান ১২০৭, আলমা’রিফা
ওয়াত তারীখ ১৩৭৫, মাশাহীরু উলামা আল-আমসার ১৩৯ ৷


وَذَلِكَ أَنَّ دَوْلَةَ بَنِي أُمَيَّةَ قَدْ بَانَ عَلَيْهَا مَخَايِلُ الْوَهْنِ وَالضَّعْفِ، وَلَا سِيَّمَا بَعْدَ مَوْتِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَقَدِ اخْتَارَ أَبُو مُحَمَّدٍ الصَّادِقُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا وَهُمْ; سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ الْخُزَاعِيُّ وَلَاهِزُ بْنُ قُرَيْظٍ التَّمِيمِيُّ وَقَحْطَبَةُ بْنُ شَبِيبٍ الطَّائِيُّ وَمُوسَى بْنُ كَعْبٍ التَّمِيمِيُّ وَخَالِدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو دَاوُدَ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ شَيْبَانَ بْنِ ذَهَبٍ وَالْقَاسِمُ بْنُ مُجَاشِعٍ التَّمِيمِيُّ وَعِمْرَانُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو النَّجْمِ مَوْلًى لِآلِ أَبِي مُعَيْطٍ وَمَالِكُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيُّ وَطَلْحَةُ بْنُ زُرَيْقٍ الْخُزَاعِيُّ وَعَمْرُو بْنُ أَعْيَنَ أَبُو حَمْزَةَ مَوْلًى لِخُزَاعَةَ وَشِبْلُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو عَلِيٍّ الْهَرَوِيُّ مَوْلًى لِبَنِي حَنِيفَةَ وَعِيسَى ابْنُ أَعْيَنَ مَوْلَى خُزَاعَةَ أَيْضًا. وَاخْتَارَ مِنْهُمْ سَبْعِينَ رَجُلًا أَيْضًا. وَكَتَبَ إِلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ كِتَابًا يَكُونُ مِثَالًا وَسِيرَةً يَقْتَدُونَ بِهَا وَيَسِيرُونَ بِهَا. وَقَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. وَالنُّوَّابُ عَلَى الْأَمْصَارِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا سِوَى مَنْ ذَكَرْنَا مِمَّنْ عُزِلَ وَتَوَلَّى غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يَحُجَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ لِشُغْلِهِ بِالْأُمُورِ، وَلَكِنَّهُ كَانَ يُبْرِدُ الْبَرِيدَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَيَقُولُ لَهُ: سَلِّمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِّي. وَسَيَأْتِي بِإِسْنَادِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৮
سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ الْأَشْجَعِيُّ مَوْلَاهُمُ الْكُوفِيُّ أَخُو زِيَادٍ وَعَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ وَعِمْرَانُ وَمُسْلِمٌ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ رَوَى عَنْ ثَوْبَانَ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ قَتَادَةُ وَالْأَعْمَشُ وَآخَرُونَ وَكَانَ ثِقَةً نَبِيلًا جَلِيلًا، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ الْمَدَنِيُّ وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَآهُ وَحَدَّثَ عَنْ أَبِيهِ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَمُعَاوِيَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ. وَعَنْهُ الزُّهْرِيُّ وَأَبُو حَازِمٍ وَجَمَاعَةٌ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ مِنْ عِلْيَةِ الْأَنْصَارِ وَعُلَمَائِهِمْ وَمِنْ أَبْنَاءِ الَّذِينَ شَهِدُوا بَدْرًا. وَقَالَ يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: آخِرُ خَرْجَةٍ خَرَجَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى الْجُمُعَةِ، حَصَبَهُ النَّاسُ وَحَالُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلَاةِ فَصَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَئِذٍ أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ. قَالُوا: تُوُفِّيَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৯


আবুয্ যাহিবিয়্যাহ্ হুদায়র ইবন কুরায়ব আল হিন্মাসী১

তিনি একজন বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ তিনি আবু উমামা সুদা ইবন আজলান ও আবদুল্লাহ্ ইবন
বুসর হতে হাদীস শুনেছেন ৷ বলা হয়, তিনি সাহা ৷বী হযরত আবুদ দা ৷রদা’র সাক্ষাৎ পেয়েছেন ৷
তবে বিশুদ্ধ মত হলো হযরত আবুদ দারদা’ ও হুযায়ফাহ্ সুত্রেত তার বিওয়ায়াত মুরসাল ৷ তার
শহরের একদল রাবী তার থেকে হাদীস বিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ আর ইবন মুঈন ও অন্যান্য
হাদীস সমালোচকগণ তাকে নির্ত্যাযােগ্য আখ্যা দিয়েছেন ৷ শিহাব ইবন খিরাশ সুত্রে আবুয
যাহিবিয়্যাহ্ হতে কুতায়বাহ যে বিওয়ায়াত করেছেন-ত তাই তার সুত্রে বর্ণিত সবচেয়ে গরীব
(অদ্ভুত) বিওয়ায়াত ৷ তিনি বলেন, একবার আমি বায়তৃল মাক্দিসের সাখরাতে তন্দ্রচ্ছেন্ন
হলাম ইত্যবসরে মসজ্যিদরত ত্ত্বতাবধায়কগণ এসে আমাকে ভিতরে রেখে দরয৷ বন্ধ করে দিল ৷
এরপর ফোরশতাদের,তাসবীহ্ শুনে আমি জেগে উঠলাম এবং আতঙ্কে লাফ দিলাম ৷

আমি তখন দেখতে পেলাম ফেরেশতারা সাবিরদ্ধভাবে দণ্ডায়মান, এরপর আমি তাদের
সারিতে ঢুকে গেলাম ৷ আবু উবায়দাহ্ ও অন্যরা বলেন, ইনি একশ’ হিজরীতে ইনৃতিকাল
করেন ৷

আবুত্-ভুফায়ল আমির ইবন ওয়াছিলাহ২

ইবন আবদুল্পা হ ইবন আমব আল-লায়হী আল-কিনানী ৷ ইনি সাহাবী এবং সর্বসম্মতিত্রুমে
নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে দেখা মৃত্যুবরণকারী সর্বশেষ ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন,
আমি নবী কবীম সা ল্লাল্লা হ্ আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে তার বাকামাথা বিশিষ্ট লাঠি দিয়ে রুকনে
কা বা স্পর্শ করতে দেখেছি ৷ এছাড়া তিনি নবী পাকের দৈহিক বিবরণ উল্লেখ করেছেন এবং
হযরত আবু, বাকর, উমর, আলী, মুআয ও ইবন মাসউদ হতে হাদীস বিওয়ায়াত করেছেন ৷
আর তার থেকে হাদীস বিওয়ায়াত করেছেন যুহরী, কাতাদা, আমব ইবন দীনার, আবুঘৃযুবায়র
এবং তাব্রিঈদেরু একটি দল ৷

তিনি ছিলেন হযরত আলীর সমর্থক ও সহযোগী ৷ তার সাহচর্যে তিনি তার সকল যুদ্ধে
, অংশ্যাহণ করেন ৷ কিন্তু মুখতার ইবন আবু উবায়দের সাহচর্য অবলম্বনের কারণে কেউ কেউ
তার সমালোচনা করেছে ৷ বলা হয়ত তিনি তার ঝাণ্ডাবাহক ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে, হযরত আলীর
শাহাদতের পর তিনি একবার হযরত মুআবিয়ার সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷ তখন মুআবিয়া
তাকে প্রশ্ন করলেন, আলীকে হারানাের পর-তৃমি কেমন দুঃখ পেয়েছে৷ ? তিনি বলেন, নিঃস্ব

১ আততারীথুস সগীর ৩০১, তারীখুল ইসলাম ৫১৯৪ , তারীখুল বুখারী ৯৮৩ তারীখুল ফাসাবী ২৪ ৪৮,
৩২০৩ , তাহযীবুত তাহযীব ২২১৮, তাহযীব ইবন আসাকির ৪৯৩,-৯৫, তাহযীবৃল কামাল ২৪১,
আল-জারহ ওয়াত তাদীল ৩২৯৫, হিলইয়াতৃল আওলিয়া ৬১ :০, খুলাসাতৃ তাহযীবুল কামাল ৯৭,
তাবাকাতৃল খলীফা ৩১১ ৷

২ আলইসাবা ৪১ ১৩, আল ইসতীআব ১৩৪৪, উসদুল গাবা ৩১ড্রু৫,,৬২৭৯, তারীখুল বুখারী ৬৪ ৪৬,
তারীখে বাগদাদ ১১৯৮, তাহযীবু ইবন আসাকির ৭২০৩, তাহষীবুল কামাল ৬৪ ৭, ১৬২৩, আলজারহ
ওয়াত তাদীল ৬৩২৮, জামহারাতৃ আনসাৰুল আরব ১৮৩, আলজামউ বায়না বিজালীস সইইিায়ান
১৩ ৭৮ , খাযানাভুল আদাব ৪৪ ১, ২৯১ , খুলাসাতৃ তাহ্যীবুল কামাল ১৫ ৭ , শাজারাতৃয্ যাহাব ১১ ১৮ ,
তাবাকাতৃ ইবন সাদ ৫৪৫৭, ৬৬৪ , তাবাকাতৃ খালীফাহ্ ১৭৬, ৮৪১, ২৫১৯, আল-ইবায় ১১১৮,
১৩৬, আল-ইকদুছ ছামীন ৫৮ ৭ , মিরআতৃল জিনান ১ ১২০ ৭ , আলমুসতাদরাক ৩৬১৮ ৷


أَبُو الزَّاهِرِيَّةِ حُدَيْرُ بْنُ كُرَيْبٍ الْحِمْصِيُّ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ سَمِعَ أَبَا أُمَامَةَ صَدَى بْنَ عَجْلَانَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُسْرٍ وَيُقَالُ أَنَّهُ أَدْرَكَ أَبَا الدَّرْدَاءِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ رِوَايَتَهُ عَنْهُ وَعَنْ حُذَيْفَةَ مُرْسَلَةٌ، وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ بَلَدِهِ وَقَدْ وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ. وَمِنْ أَغْرَبِ مَا رُوِيَ عَنْهُ قَوْلُ قُتَيْبَةَ: ثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ قَالَ: أَغْفَيْتُ فِي صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَجَاءَتِ السَّدَنَةُ، فَأَغْلَقُوا عَلَيَّ الْبَابَ، فَمَا انْتَبَهْتُ إِلَّا بِتَسْبِيحِ الْمَلَائِكَةِ فَوَثَبْتُ مَذْعُورًا، فَإِذَا الْمَلَائِكَةُ صُفُوفٌ; فَدَخَلْتُ مَعَهُمْ فِي الصَّفِّ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَغَيْرُهُ: مَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. أَبُو الطُّفَيْلِ عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ الْكِنَانِيُّ صَحَابِيٌّ وَهُوَ آخِرُ مَنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بِالْإِجْمَاعِ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَآهُ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ وَذَكَرَ صِفَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعَلِيٍّ وَمُعَاذٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَحَدَّثَ عَنْهُ الزُّهْرِيُّ وَقَتَادَةُ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الزُّبَيْرِ وَجَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ. وَكَانَ مِنْ أَنْصَارِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬০
عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ شَهِدَ مَعَهُ حُرُوبَهُ كُلَّهَا لَكِنْ نَقِمَ بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ كَوْنَهُ كَانَ مَعَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ حَامِلَ رَايَتِهِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ لَهُ: مَا أَبْقَى لَكَ الدَّهْرُ مِنْ ثَكْلِكَ عَلِيًّا؟ فَقَالَ: ثُكْلَ الْعَجُوزِ الْمِقْلَاتِ وَالشَّيْخِ الرَّقُوبِ. قَالَ: كَيْفَ حُبُّكَ لَهُ؟ قَالَ: حُبُّ أُمِّ مُوسَى لِمُوسَى وَإِلَى اللَّهِ أَشْكُو التَّقْصِيرَ. قِيلَ: إِنَّهُ أَدْرَكَ مِنْ حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانَ سِنِينَ وَمَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ عَشْرٍ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ: وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ مِنَ الصَّحَابَةِ مُطْلَقًا وَمَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدَيُّ وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ الْبَصْرِيُّ، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ وَحَجَّ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ مَرَّتَيْنِ، وَأَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرَهُ، وَأَدَّى فِي زَمَانِهِ الزَّكَاةَ ثَلَاثَ سِنِينَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; وَمِثْلُ هَذَا يُسَمِّيهِ أَئِمَّةُ الْحَدِيثِ مُخَضْرَمًا. وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَمِعَ مِنْهُ وَمِنْ عَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَخَلْقٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَصَحِبَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَّ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً حَتَّى دَفَنَهُ. وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ، مِنْهُمْ أَيُّوبُ وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ وَسُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ. وَقَالَ عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: أَدْرَكْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ يَغُوثَ; صَنَمًا مِنْ رَصَاصٍ يُحْمَلُ عَلَى جَمَلٍ أَجْرَدَ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৬১


বুদ্ধা ও অক্ষম বুদ্ধের শোক ৷ তিনি বলেন, তার প্রতি তোমার ভালবাসা কেমন ? উত্তরে আবু
তুফায়ল বলেন, যেমন ভালবাসা ছিল হযরত মুসা (আ) এর মায়ের তার প্রতি ৩৷ আর আমি
মহান আল্লাহ্র কাছেই অবহেলার অনুযােগ করছি ৷ বলা হয়, তিনি নবী কয়ীম সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়া সাল্লামকে অটি বছর পেয়েছেন এবং একশ’ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন ৷ কারও
মতে একশ’ সাত হিজরীতে ৷ সঠিক বিষয় মহান আল্লাহ জানেন ৷ তার ব্যাপারে মন্তব্য করে
ঐতিহাসিক মাসলামাহ্ ইবন হাজ্জা জ বলেন, সর্বমতে৩ তিনি সর্বশ্যেষ মৃত্যুমুখে পতিত সাহাবী ৷
আর তিনি ইনতিকাল করেন একশ’ হিজরীতে ৷

আবু উছমান আন নাহদী১

তার নাম আবদুর রহমান ইবন মুল আলবাসরী ৷ তিনি জাইিলিয়্যাতের যুগ পেয়েছিলেন
এবং জাহিলিয়্যাতে দু’বার হজ্জ করেন ৷ আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের
সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তবে তার দর্শন লাভ করেননি ৷ নবী পাকের হারাতে তার
নিয়োজিত যাকাত উসুলকারীদের কাছে তিনি তিন বছর যাকাত আদায় করেন ৷ হাদীস
শাস্ত্রবিদগণের পরিভাষায় এ ধরনের অর্থাৎ জাহিলিয়্যা ও ইসলামী যুগ উভয়ের সাক্ষী ব্যক্তিকে
মুখযারিম বলা হয় ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব (না)-এর খিলাফতকালে তিনি পবিত্র মদীনায়
ইিজরত করেন ৷ তারপর তার থেকে এবং হযরত আলী ইবন মাসউদ ও আরও অনেক সাহারা
থেকে হাদীস শ্রবণ করেন ৷ এছাড়া তিনি দীর্ঘ বার বছর হযরত সালমান ফারিসীর (রা)
সাহচর্যে অবস্থান করেন ৷ এমনকি, তাকে দাফনও করেন ৷ তার থেকে একাধিক তাবিঈ ও
অন্যগণ হাদীস বিওয়ায়াত করেন ৷ তন্মধ্যে অন্যতম হলেন, আয়ুব্রব, হুমায়দ আত্তাবীল,
সুলায়মান ইবন তিররিখান আত ত ড়ায়মী ৷
আসিম আল আহ্ওয়াল বলেন, আমি তাকে (আবু উছমানকে) বলতে শুনেছি, আমি
জাহিলিয়্যাতে র প্রতিমা ইয়ানুসের সাক্ষাৎ পেয়েছি ৷ এটা ছিল সীসা নির্মিত প্রতিমা বিশেষ
মাঝে একটি হাওদাবিহীন নব উটের পিঠে বহন করা হত ৷ উটটি যখন তাকে নিয়ে কোন
উপত্যকায় পৌছে বসে যেত ৷ তখন তারা বলত , তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য এই
উপত্যকা মনোনীত করেছেন এবং এরপর তারা সেখানে অবস্থান করত ৷ আসিম বলেন,
একবার তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি কি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে
পেয়েছেন ? তখন আমি তাকে বলতে শুনলাম, হীা, আমি তার সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেছি
এবং তার (উসুলকারীদের) কাছে তিনবার যাকাত আদায় করেছি ৷ কিন্তু তার সাক্ষাৎ লাভ
করিনি ৷ আর পরবর্তীকালে আমি ইয়ারমুক, কাদিসিয়্যা, জালুলাহ্ ও নাহাওয়ানদের যুদ্ধে শরীক
হয়েছি ৷ আবু উছমান দিনে রোযা রাখতেন এবং রাত্রিকালে নামায পড়তেন ৷ আর এ দুটি
আমল তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে করতেন কখনও তরক করতেন না ৷ এত অধিক নামায পড়তেন
যে মাঝে মাঝে তিনি চেতনা হারাতেন ৷ তিনি সর্বমোট আটবার হজ্জ ও উমরাহ্ করেন ৷
সুলায়মান আততায়মী বলেন, আমার তো মনে হয় না তার কোন পাপ করার সুযোগ ছিল ৷
কেননা, তার দিন কাটত ব্লোযা রেখে আর রাত কাটত নামায পড়ে ৷ কেউ কেউ বলেন, আমি

১ আল-ইসাবা ৬৩৭৯, আল ইসভীআব ১৪৬১, উসদৃল গাবা ৩৩২৪, তারীখুল ইসলাম ৪৮২, তারীখে
বাগদাদ ১ :২০২, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৬১ , তাহযীবুৎ তাহষীব ৬২৭ ৭ তাহযীবুল কামাল ৬৩২,
আলজারহু ওয়াতুর্তাদীল ২য় অংশ ২য় ভলিউম ৩৮৩, খুলাসাতু তাহযীবুত্তাহযীব ২৩৫, শাজারাতুয যাহাব
১১ ১৮, তাবাকাতু ইবন সাদ ৭৯৭ , তাবাকাতুল হুন্নাত, (সৃয়ুতী রচিত) ২৫, ২৬, তাবাকাতু খালীফা ৰু

১৬৭, আল ইবার ১১ ১৯, আলমাআরিফ ৪২৬, ১ম অংশ ২য় খণ্ড ৭৯ ৷


فَإِذَا بَلَغَ وَادِيَا بَرَكَ فِيهِ فَيَقُولُونَ: قَدْ رِضَى رَبُّكُمْ لَكُمْ هَذَا الْوَادِيَ فَيَنْزِلُونَ فِيهِ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ وَقَدْ قِيلَ لَهُ: أَدْرَكْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ أَسْلَمْتُ عَلَى عَهْدِهِ وَأَدَّيْتُ إِلَيْهِ الزَّكَاةَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَلَمْ أَلْقَهُ وَشَهِدْتُ الْيَرْمُوكَ وَالْقَادِسِيَّةَ وَجَلُولَاءَ وَنَهَاوَنْدَ وَتُسْتَرَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَرُسْتُمْ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْبَشِيرَ إِلَى عُمَرَ فِي فَتْحِ نَهَاوَنْدَ. قَالُوا: وَكَانَ أَبُو عُثْمَانَ صَوَّامًا قَوَّامًا; يَسْرُدُ الصَّوْمَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ لَا يَتْرُكُهُ وَكَانَ يُصَلِّي حَتَّى يُغْشَى عَلَيْهِ. وَحَجَّ سِتِّينَ مَرَّةً مَا بَيْنَ حِجَّةٍ وَعُمْرَةٍ. قَالَ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ: إِنِّي لَأَحْسَبُهُ لَا يُصِيبُ ذَنْبًا; لِأَنَّهُ كَانَ لَيْلَهُ قَائِمًا وَنَهَارَهُ صَائِمًا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ يَقُولُ: أَتَتْ عَلَيَّ ثَلَاثُونَ وَمِائَةُ سَنَةٍ وَمَا مِنِّي شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ أَنْكَرْتُهُ خَلَا أَمَلِي فَإِنِّي أَجِدُهُ كَمَا هُوَ. وَقَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ حِينَ يَذْكُرُنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: فَنَقُولُ لَهُ: مِنْ أَيْنَ تَعْلَمُ ذَلِكَ؟ فَيَقُولُ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ} [البقرة: 152] فَإِذَا ذَكَرْتُ اللَّهَ ذَكَرَنِي. قَالَ: وَكُنَّا إِذَا دَعَوْنَا اللَّهَ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَنَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৭৫৬২
{وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ} [غافر: 60] قَالُوا: وَعَاشَ مِائَةً وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَهُ هُشَيْمٌ وَغَيْرُهُ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَقَالَ الْفَلَّاسُ: تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَالصَّحِيحُ سَنَةَ مِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَكَانَ يَفْضُلُ عَلَى وَالِدِهِ فِي الْعِبَادَةِ وَالِانْقِطَاعِ عَنِ النَّاسِ، وَلَهُ كَلِمَاتٌ حِسَانٌ مَعَ أَبِيهِ وَوَعْظِهِ إِيَّاهُ.