আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة مائة من الهجرة النبوية

بدو دعوة بني العباس

পৃষ্ঠা - ৭৫৫৬

তোমার কাছে তার প্রাপ্য অধিকতর ৷ আর ৫ত ৷মাকে মুসলমানদের হিত সাধন এবং তাদের
প্রাপ্য হক পুর্ণ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে ৷ তোমাকে যে
আমানত অর্পণ করা হয়েছে৩ তা প্রত্যর্পণ করবে ৷ অসতা ও অন্যায়ের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া হতে
সাবধান থাকবে ৷ কেননা, মহান আল্লাহর কাছে কোন কিছু গোপন থাকে না ৷ মহান আল্লাহ
হতে বিমুখ হয়ে কোন পথ অবলম্বন করে৷ না ৷ কেননা, মহান আল্লাহর দিকে যাওয়া ছাড়া
মহান আল্লাহ হতে বীচার কোন আশ্রয়ন্থল নেই ৷ এছাড়া তিনিও তার পভর্নরদের কাছে এ
জাতীয় বহু উপদেশনাম৷ লিখেন ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয আদী ইবন আদীকে লিখে পাঠালেন, ঈমানের কতক বিধি-বিধান, সীমারেখা এবং পথ
ও পন্থা রয়েছে ৷ যে ব্যক্তি এসব পুর্ণ করল, যে তার ঈমানকে পুর্ণ করল ৷ আর যে তা পুর্ণ
করল না, সে ঈমানও পুর্ণ করল না ৷ মহান আল্লাহ যদি আমাকে হায়াত দেন, তাহলে আমি
তােমাদেরকে তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে দিব আর যদি আমি মারা যাই, তাহলে জেনে রাখো
আমি তোমাদের সাহচর্যের জন্য লালারিত নই ৷

বানু আব্বাসের খিলাফতের প্রচারণার সুচনা

এ বছরেই বানু আব্বাসের অনুকুলে খিলাফতের প্রচারণা সুচিত হয় ৷ আশৃশারা ভুখণ্ডে
অবস্থানরত মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস তার পক্ষ হতে মায়সারাহ্
নামক এক ব্যক্তিকে ইরাকে প্রেরণ করেন এবং আরেকটি দলে মুহাম্মাদ ইবন খুনায়ছ ও আবু
ইকরিমা আসসাররাজ যিনি আবু মুহাম্মাদ আস-সাদিক নামেও পরিচিত, ইবরড়াহীম ইবন
সালামার মামা হায়্যান আল্আত্তারকে থােরাসানে প্রেরণ করেন ৷ থােরাসানের তৎকালীন শাসক
ছিলেন আল-জাররাহ্ ইবন আবদুল্লাহ আল-হাশেমী যদিও তিনি রমযড়ানে অপসারিত হন ৷ তিনি
তার প্রেরিত এই ব্যক্তিদেরকে তার ও তার পরিবারবর্গের দিকে আহ্বানের নির্দেশ দেন ৷ তখন
তারা যাদের সাথে সম্ভব সাক্ষাৎ করেন ৷ তারপর তাদের আহ্বানে সাড়া দানকারীদের পত্রসমুহ
নিয়ে ইরাকে অবস্থানরত মায়সারার কাছে গমন করে ৷ মায়সারা তখন সে সকল পত্র মুহাম্মাদ
ইবন আলীর কাছে প্রেরণ করেন এবং ইবন আলী তাকে শুভ লক্ষণ বিবেচনা করে পুলকিত
হন ৷ তাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে, মহা ন অ ৷ল্লাহ্ তার এই প্রাথমিক উদ্যেড়াগেকে পুর্ণতা
দান করেন এবং প্রাথমিক সিদ্ধ ন্তকে দৃঢ়তা দান করেন ৷ যার কারণ বানু উমায়্যার শাসন
কতৃত্বে দুর্বলতা ও অযােগ্যতার চিহ্নসমুহ প্রকট হয়ে দেখা দেয় ৷ বিশেষতঃ হযরত উমর ইবন
আবদুল আযীযের মৃত্যুর পর ৷ যেমন সামনে তার বিবরণ আসছে ৷

এদিকে এই কার্যক্রমের জন্য আবু মুহাম্মাদ সাদিক , মুহাম্মাদ ইবন আলীর জন্য দ্বাদশ দুত
নিয়োগ করেন্য ৷ তারা হলেন, সুলায়মান ইবন কাহীর আল থুযাঈ, লাহিয ইবন কুরায়য
আত্তামীমী, কাহতাবা ইবন শাবীব আতৃতাঈ, মুসা ইবন কা’ব আত্তামীমী, বানু অড়ামর ইবন
শায়বান ইবন যুহাল-এরর্ব সদস্য আবু দাউদ খালিদ ইবন ইবরাহীম, কাসিম ইবন মুশাজি
আত্তামীমী আবু মুআয়ত পরিবারের মাওলা আবুন নাজম ইমরান ইবন ইসমাঈল মালিক
ইবন হায়ছাম আল থুযাঈ, তালহ৷ ইবন যুরায়ক পাল খুযাঈ, বানু খুযাআরমাওলা আবু
হামযাহ্ আমর ইবন আয়ান বানু হানীফার মাওলা আবু আলী অড়াল-হারাবী শিবল ইবন
তাহমান, এবং বানু খুযাআর আরেকজন মাওলা ঈস৷ ইবন আয়ান ৷ এছাড়া তিনি এ কাজের
সহযোগী রুপে আরও সত্তর জন লোক নির্বাচন করেন ৷ এরপর মুহাম্মাদ ইবন আলী তাদের
উদ্দেশ্যে একখানি বিশদপত্র লিখে পাঠান যা ছিল তাদের অনুসরণ ও পথচলার আদর্শ দৃষ্টান্ত
এবং পন্থা ও পথনির্দেশ ৷


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ: إِنَّ لِلْإِيمَانِ فَرَائِضَ وَشَرَائِعَ وَحُدُودًا وَسُنَنًا، مَنِ اسْتَكْمَلَهَا اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَكْمِلْهَا لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْإِيمَانَ، فَإِنْ أَعِشْ فَسَأُبَيِّنُهَا لَكُمْ حَتَّى تَعْمَلُوا بِهَا، وَإِنْ أَمُتْ فَمَا أَنَا عَلَى صُحْبَتِكُمْ بِحَرِيصٍ. [بُدُوُّ دَعْوَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ بُدُوُّ دَعْوَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ وَذَلِكَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَكَانَ مُقِيمًا بِأَرْضِ الشُّرَاةِ بَعَثَ مِنْ جِهَتِهِ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مَيْسَرَةُ. إِلَى الْعِرَاقِ وَأَرْسَلَ طَائِفَةً أُخْرَى وَهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ خُنَيْسٍ وَأَبُو عِكْرِمَةَ السَّرَّاجُ وَهُوَ أَبُو مُحَمَّدٍ الصَّادِقُ وَحَيَّانُ الْعَطَّارُ خَالُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَلَمَةَ إِلَى خُرَاسَانَ وَعَلَيْهَا يَوْمئِذٍ الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ قَبْلَ أَنْ يُعْزَلَ فِي رَمَضَانَ وَأَمَرَهُمْ بِالدُّعَاءِ إِلَيْهِ، وَإِلَى أَهْلِ بَيْتِهِ فَلَقُوا مَنْ لَقُوا ثُمَّ انْصَرَفُوا بِكُتُبِ مَنِ اسْتَجَابَ مِنْهُمْ إِلَى مَيْسَرَةَ، الَّذِي بِالْعِرَاقِ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ فَفَرِحَ بِهَا وَاسْتَبْشَرَ وَسَرَّهُ وَكَانَ مَبَادِئَ أَمْرٍ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ إِتْمَامَهُ وَأَوَّلَ رَأْيٍ قَدْ أَحْكَمَ اللَّهُ إِبْرَامَهُ،