আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৫০৯


৯৭ হিজরীর সুচনা
এ বছরেই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক কনট্যান্টিনােপল অভিমুখে মুসলিম বাহিনী
, প্রেরণ করেন এবং এ বছরেই তিনি তার ছেলে দাউদকে সাইফা’-এর আমীর নিয়োগ করলে
তিনি ;ন্,৷ ৷ দুর্গ জয় করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, এ বছরেই মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক
আল-ওয়াঘৃযাহিয়াহ্ রাজ্যের ভু-খণ্ডে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন এবং ওয়ায্যাহিয়ড়ার শাসক
আলওয়ায্যাহ নির্মিত দুর্গ জয় করেন ৷ এছাড়া মাসলামাহ্ এ বছর বারজামা নামক ভু-ন্খণ্ড
আক্রমণ করে তা জয় করেন এবং তার সাথে আল-হাদীদ ও অন্যান্য কয়েকটি দুর্গ এবং সারার
অঞ্চল জয় করেন এবং রােমক ভু -খণ্ডে শীত যাপন করেন৷ এ বছরে উমর ইবন হুবায়রাহ্
আল-ফাযারী সমুদ্র পথে বোমক ভুখণ্ড আক্রমণ করেন এবং সেখানে শীত যাপন করেন ৷ এ
বছরে মুসা ইবন নুসায়রের ছেলে আবদুল আযীয নিহত হন এবং হাবীব ইবন আবু উবায়দ
আল-ফিহ্রীর সাথে তার কর্ভিত মস্তক আমীরুল মু’মিনীন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের
সামনে পেশ করা হয় ৷ এছাড়া এ বছর খলীফা সুলায়মান ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে তার ন্
নিজের শাসনাধীন ইরাক অঞ্চলের সাথে থােরাসানের শাসনভার অর্পণ করেন ৷ আর এর কারণ
হল যে কুতায়বাইবন মুসলিম ও তার ছেলেদের হত্যা করে ওয়াকী ইবন আবু সুদ যখন
কুতায়বার মাথা সুলায়মানুের কাছে, পাঠাল, তখন সে তার কাছে বিশেষ স্থান লাভ করল এবং
খলীফা সুলায়মান তাকে থােরাসানের গভর্নর নািয়াগের ফরমান লিখে পাঠালেন ৷ ইয়াযীদ ইবন ,
মুহাল্পাব আবদুর রহমান ইবন আহতামকে খলীফা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে
পাঠাল তার কাছে ওয়ার্কী ইবন সুদের সমালোচনা করে থােরাসানের শাসন পরিচালনা করে ৷
থােরাসানের শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের যোগ্যতা ও উপযুক্ততা তুলে
ধরতে ৷ তখন দুর্ত ও চতুর ইবন আহতাম সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের সাক্ষাতে
উপস্থিত হল এবং তার সাথে অব্যাহতভাবে তার কৌশল ও চতুরতা প্রয়োগ করতে থাকল ৷
পরিশেষে, খলীফা ওয়াকীকে থােরাসানের গভর্নর পদ হতে অপসারণ করে ইয়াযীদ ইবন
মুহাল্লাবকে ইরাকের সাথে ণ্খারাস্যানরও,গতর্নর নিযুক্ত করলেন এবং ইবন আহ্তামের সাথে
তার ফরমান পাঠালেন ৷ ইবন আহতাম সাতজনের প্রহরায় ইয়াযীদের কাছে এসে উপস্থিত হয়
এবং তাকে ইরাকের সাথে খোরাস্যানর শাসক নিযুক্ত হওয়ার ফরমান অর্পণ করে ৷ ইতিপুর্বে
ইয়াযীদ তাকে এই কর্মেব’ জন্য এক লক্ষ দিরহাম প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কার্য
সিদ্ধির পর সে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ৷ এদিকে খলীফার ফরমান পাওয়ার পর ইয়াযীদ,
তার ছেলে মুখাল্লাদকে খােরাসানে পাঠাল আর তার সাথে আমীরুল মু’মিনীনের পত্র যার
বিষয়বস্তু হল যে, কায়স গোত্র দাবী করছে যে কুতায়বা ইবন মুসলিম খলীফার আনুগত্য
প্রত্যাহার করেননি ৷ আর আনুগত্য প্রত্যাহারের অপরাধে যদি ওয়াকী তার পিছু দিয়ে থাকে
এবং তার প্রতি উত্তেজিত হ্য়ে তাকে হত্যা করে থাকে, আর তিনি প্রকৃতপক্ষে আনুগত্য
প্রত্যাহার না করে থাকেন তাহলে ওয়াকীকে বন্দী করে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও ৷ তখন
কুতায়বার ছেলে মুখাল্লাদ অগ্রসর হল এবং তার পিতার আগমনের পুবেই ওয়াকীকে
পাকড়াও করে শান্তি প্রদান করে এবং বন্দী করে রাখে ৷ তাই কুতায়বার হআকারী ওয়াফী
ইবন আবু সুদের শাসনকাল ছিল নয় বা দশ মাস ৷৩ তার ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের আগমন ঘটে
এবং তিনি থােরাসানের দায়িতু গ্রহণ করে সেখানে অবস্থান করেন ৷ আর বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি
একাধিক নইিব বা প্রশাসক নিযুক্ত করেন ইবন জারীর যাদের কথা উল্লেখ করেছেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] وَفِيهَا جَهَّزَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْجُيُوشَ إِلَى الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ. وَفِيهَا أَمَّرَ ابْنَهُ دَاوُدَ عَلَى الصَّائِفَةِ، فَفَتَحَ حِصْنَ الْمَرْأَةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَرْضَ الْوَضَّاحِيَّةِ فَافْتَتَحَ الْحِصْنَ الَّذِي فَتَحَهُ الْوَضَّاحُ صَاحِبُ الْوَضَّاحِيَّةِ. وَفِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ أَيْضًا بَرْجَمَةَ، فَفَتَحَ حُصُونًا، وَبَرْجَمَةَ، وَحِصْنَ الْحَدِيدِ وَسَرْدَوْسَلَ، وَشَتَّى بِأَرْضِ الرُّومِ. وَفِيهَا غَزَا عُمَرُ بْنُ هُبَيْرَةَ الْفَزَارِيُّ فِي الْبَحْرِ أَرْضَ الرُّومِ وَشَتَّى بِهَا. وَفِيهَا قُتِلَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ، وَقَدِمَ بِرَأْسِهِ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ حَبِيبُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ الْفِهْرِيُّ. وَفِيهَا وَلَّى سُلَيْمَانُ نِيَابَةَ خُرَاسَانَ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، مُضَافًا إِلَى مَا بِيَدِهِ مِنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ وَكِيعَ بْنَ أَبِي سُودٍ لَمَّا قُتِلَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ وَذُرِّيَّتُهُ، بَعَثَ بِرَأْسِ قُتَيْبَةَ إِلَى سُلَيْمَانَ فَحَظِيَ عِنْدَهُ، وَكَتَبَ لَهُ بِإِمْرَةِ خُرَاسَانَ فَبَعَثَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْأَهْتَمِ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ; لِيُحَسِّنَ عِنْدَهُ أَمْرَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ فِي إِمْرَةِ خُرَاسَانَ وَيَنْتَقِصُ عِنْدَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫১০


তিনি বলেন, এরপর ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব অগ্রসর হয়ে জুরজান আক্রমণ করেন ৷ আর
সে সময় প্রাচীর বেষ্টিত সুরক্ষিত কোন শহর ছিল না, তা ছিল কতক পাহাড় ও উপত্যকার
সমষ্টি ৷ তার রাজা জ্জি সুল’ নামক এক ব্যক্তি ৷ আক্রমণের মুখে সে নিয়ে সেখানেয় একটি
দুর্গে আশ্রয় নেয় ৷ কারও কারও মতে সেখানের এক হ্রদের দ্বীপে ৷ এরপর মুসলমানরা তাকে
সেই দ্বীপ থেকে বন্দী করে আসে এবং বহু জুরজানবাসীকে হত্যা করে ৷ এ সময় তারা
অনেককে বন্দী করে এবং গনীমত লাভ করে ৷ ইবন জারীর বলেন, এ বছরেই সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিক হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ আর এর পুর্বের বছরের আলোচনায় নানা দেশের
নইিব বা প্রশাসক্যারে কথা উল্লিখিত হয়েছে ৷ তবে এ বছরেই ওয়াকী ইবন সুদ থােরাসানের
গভর্নর পদ হতে অপসারিত হন এবং ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব ইবন আবুসুফর৷ ইরাকের সাথে
তার শাসনভার গ্রহণ করেন ৷ এ বছর যেসকল খ্যাতিমান ও বিশিষ্ট ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত
তাদের অন্যতম

হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু তান্বিার১
তিনি আবু মুহাম্মদ আল-কারশী আল-হাশিমী ৷ তিনি তার পিতার সুত্রে দাদার উদ্ধৃতিতে
মারকু রু পে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এই হাদীসখানি :
“যে ব্যক্তি কোন মুসলমান পরিবারকে একদিন এক রাতের থােরাক যোগান দিবে আল্লাহ
তাআলা তার পাপসমুহ ক্ষমা করে দিবেন ৷” এছাড়া তিনি আবল্লোহ্ ইবন জাফ্যা সুত্রে আলী
(রা) হতে বিপদকালীন দুআ বিষয়ে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তার ত্রী ফাতিমাহ্বিনৃত
হুসায়ন হতে রিওয়ায়াত করেহ্নে৷ ৷ আর তার থেকে তার ছেলে আবদুল্লাহ এবং একদল রাবী
রিওয়ায়াত করেচছা ৷

এরপর তিনি আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের কাছে প্রতিনিধি দল নিয়ে উপস্থিত হন,
তখন আবদুল মালিক তাকে সমান সমাদৱ করেন ৷ তাকে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে সাহায্য করেন
এবং একবভেড়াৰে হযরত আলীর সাদকার অভিভাবক নিযুক্ত করেন ৷ ইবন আসাকির সুন্দরভাবে
তার জীবন চরিত উপস্থাপন করেছেন ৷ তার সম্পর্কে তিনি এমন সব গৌরবময় কীর্তির উল্লেখ
করেছেন, যা তার নেতৃত্ব ও আভিজাত্যের প্রমাণ ৷ বর্ণিত আছে (একবার) খলীফা ওয়ালীদ
ইবন আব্দুল মালিক পবিত্র মদীনায় তার গভর্নরকে লিখে পাঠান, হাসান ইবন হাসনুে
ইরাকবাসীর সালে পত্র বিনিময় করেছেন ৷ তোমার কাছে যখন আমার এই পত্র পৌছবে তখন
তুমি তাকে লোক সমক্ষে দাড় করিয়ে একশ’ চাবুক মারবে ৷ আর তুমি দেখো, আমি তাকে
হত্যা করব ৷ তখন সে তার পশ্চাতে দুত পাঠাল ৷ এসময় আলী ইবনুল হুসায়ন (রা) তাকে
বিপদ থেকে উদ্ধারের দৃআ শিখিয়ে দিলেন, আর তিনি পবিত্র মদীনায় গর্লোরর কাছে প্রবেশ
কালে তা পড়লেন ৷ ফলে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে রক্ষা করলেন ৷ আর তা (দুআটি) হলো-
“সহনশীল ও মহান আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই ৷ সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ্ ব্যতীত কোন
উপাস্য নেই, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই ৷ যিনি সাত আসমানের রব্ব, যমীনের রব্ব,
মহান আরশের রব্ব ৷” তিনি পবিত্র মদীনায় ইনৃতিকাল করেন ৷ তার আম্মা ছিলেন খাওলা
১ তারীখুল ইসলাম ৩৩৫৬, তারীখুল বুখারী ২২৮৯, তাহযীব ইবন আসাকির ৪১৬৫, তাহষীবুৎ তাহযীব

২২৬৩, তাহযীবুল কামাল-২৫৫, আল জারহু ওয়াৎ তাদীল ২শ্ন তাপ ৫ম ভলিউম, ৫খুলাসা তাহষীবুতৃ

তাহযীব-২প, তাবাকাত ইবন সাদ ৫৩১৯, তাবাকাত খালফিয়৷ ২০৪৫, আল ইবার ১১৯৬, আল
মাআরিফ্ ২১২, মুসআব রচিত কুরায়শের নসব-৪৬ ৷


وَكِيعَ بْنَ أَبِي سُودٍ، فَسَارَ ابْنُ الْأَهْتَمِ وَكَانَ ذَا دَهَاءٍ وَمَكْرٍ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى عَزَلَ وَكِيعًا عَنْ خُرَاسَانَ وَوَلَّى عَلَيْهَا يَزِيدَ مَعَ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ، وَبَعَثَ بِعَهْدِهِ مَعَ ابْنِ الْأَهْتَمِ فَسَارَ فِي سَبْعٍ حَتَّى جَاءَ يَزِيدَ، فَأَعْطَاهُ عَهْدَ خُرَاسَانَ مَعَ الْعِرَاقِ، وَكَانَ يَزِيدُ وَعَدَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ فَلَمْ يَفِ لَهُ بِهَا، وَبَعَثَ يَزِيدُ ابْنَهُ مَخْلَدًا بَيْنَ يَدَيْهِ إِلَى خُرَاسَانَ وَمَعَهُ كِتَابُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ; مَضْمُونُهُ أَنَّ قَيْسًا زَعَمُوا أَنَّ قُتَيْبَةَ بْنَ مُسْلِمٍ لَمْ يَكُنْ خَلَعَ الطَّاعَةَ، فَإِنْ كَانَ وَكِيعٌ قَدْ تَعَرَّضَ لَهُ وَثَارَ عَلَيْهِ بِسَبَبِ أَنَّهُ خَلَعَ وَلَمْ يَكُنْ خَلَعَ فَقَيِّدْهُ، وَابْعَثْ بِهِ إِلَيَّ. فَتَقَدَّمَ مَخْلَدٌ فَأَخَذَ وَكِيعًا فَعَاقَبَهُ، وَحَبَسَهُ قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ أَبُوهُ، فَكَانَتْ إِمْرَةُ وَكِيعِ بْنِ أَبِي سُودٍ عَلَى خُرَاسَانَ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ أَوْ عَشْرَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ قَدِمَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَتَسَلَّمَ خُرَاسَانَ وَأَقَامَ بِهَا، وَاسْتَنَابَ فِي الْبِلَادِ نُوَّابًا، ذَكَرَهُمُ ابْنُ جَرِيرٍ قَالَ: وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَنُوَّابُ الْبِلَادِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا، غَيْرَ أَنَّ خُرَاسَانَ عُزِلَ عَنْهَا وَكِيعُ بْنُ أَبِي سُودٍ، وَوَلِيَهَا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ مَعَ الْعِرَاقِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ
পৃষ্ঠা - ৭৫১১


বিনৃত মানষুর আল ফাযারী ৷ একদিন তিনি জনৈক রাফিযীকে বললেন, “আল্লাহর কল
তোমাকে হত্যা করা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের মাধ্যম ৷” সােকটি তাকে বলল, আপ্
আমার সাথে পরিহাস করছেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, এটা আমার পরিহ
নয়, আন্তরিক কথা ৷ তাদের আরেকজন তাকে বলল, আল্লাহর রাসুল কি একথা বলেনন্
’’>(,§ ৰু ন্াপ্ট্র ’§,; ’ :-,§ আমি যার মাওলা আলী তার মাওলা ? তখন তিনি বললে
অবশ্যই, তবে তিনি যদি (আলীর জন্য) খিলাফত চইিতেন, তাহলে লোকদের সম্বোধন কা
বলে যেতেন, হে লোক সকল ৷ তোমরা জেনে রাখ এ হলো আমার পর তােমাদেন্
, কর্তৃতুাধিকারী ৷ সেই তোমাদের তত্তুাবধ্ায়ক ৷ কাজেই, তোমরা তার কথা শোন এবং তাৰে
মান্য কর ৷ আল্লাহর কসম, যদি আল্পাহ্ ও তার রাসুল আলীকে এ বিষয়ের জন্য মনোনীত ক্যা
থাকেন, তারপর আলী তা বর্জন করেন, তাহলে তিনি আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রথম নির্দো
বর্জনকারী হলেন ৷ তিনি তাদের উদ্দেশ্যে একথাও বলেন, আল্লাহর কসম৷ আমাদের যদি
নিক কর্তৃতু ও ক্ষমতাও প্রদান করা হয়,প্রুতাহলে অবশ্যই আমরা বিপরীত দিক হতে
তোমাদের হাত-পা কর্তন করব ৷ তারপর তোমাদের কোন তাওব৷ কবুল করব না ৷ সর্বনাশ
হোক তোমাদ্যো৷ তোমরা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের ব্যাপারে ধোকায় ফ্লোলছ, ধ্বংস
হোক ৷;তামাদের! আমল ছাড়া আত্মীরতার সম্পর্ক যদি কোন কাজে আসত, তাহলে তা তার
বাবা-মারের কাজে আসত ৷ আমাদের ব্যাপারে তোমাদের কথা যদি সত্য হয়, তাহলে তো
আমাদেরকে তা না জানিয়ে আমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাদের প্ৰতি অন্যায় করেছেন এবং
আমাদের থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয়কে গোপন করেছেন ৷ আল্লাহর কসম, আমার আশঙ্কা যে,
আমাদের মাঝে যে নাফরমান তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে, যেমনভাবে আশা করি,
আমাদের মাঝে যে সত্কর্যশীল তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ সর্বনাশ হোক ৷তামাদের,
আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করি, তাহলে সে আনুগন্ত্যর কারণে আমাদের তোমরা
ভালবাসবে আর আমরা যদি আল্লাহর অবাধ্য হই, তাহলে তার অবাধ্যতার কারণে
আমাদেরকে ঘৃণা করবে ৷ ন্

মুসা ইবন নুসায়র আবু আবদুর রহমান আলু ম্ন্া৷খমী১

তিনি লাখৃম গোত্রের্মাওলা বা আযাদকৃত দাস, তিনি ছিলেন তাদের এক ত্রীলােকের
মাওলা ৷ কারও মতে অবশ্য তিনি বানু উমায়্যার মাওলা ৷ তিনি মরক্কো জয় করেন এবং সেখান
হতে অগণিত ধন-সম্পদ গর্নীম ত রুপে লাভ করেন ৷ সেখানে তার সাহসিকতা ও বীরত্বের বহু
প্রসিদ্ধ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল ৷ বলা হয়, তিনি কিছুটা ঘোড়৷ ছিলেন ৷ তার জন্য তারিখ
সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি উনিশ হিজরীতে ড্ডাগ্রহণ করেন ৷ তার পুর্ব পুরুষগণ হীনুত্তামৃরের
অধিবাসী ৷ মতাস্তরে বিল্পা অঞ্চলের আরাশা এলাকার অধিবাসী ৷ হযরত সিদ্দীকে আকবরের
খিলাফতকালে তার পিতা শামের জাবালুলখালীল হতে বন্দী হন ৷ তার পিতার নাম ছিল
নাসুর ৷ পরবর্তীতে তা নুসায়রে (ক্ষুদ্রতাজ্ঞাপক) পরিবর্তন করা হয় ৷ তিনি হযরত
তামীম-আদ্দারী হতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন তার ছেলে
আবদুল আযীয ও ইয়াযীদ ইবন মাসরুক আলয়াহ্সাবী ৷ এছাড়া তিনি হযরত মুঅঠবিয়াৱ
নৌযােদ্ধারুপে সমুদ্রাভিযানে অংশগ্রহণ করেন ৷ এসময় তিনি সাইপ্রাস আক্রমণ করেন এবং

১ আল বায়াব্লুল মুগ রিব ১৪৬, বুগয়াতৃল ঘুলতামিস ৪৪২, তারীখুল ইসলাম ৪৫৮, তারীখুল উলামাউল
আন্দালুস ২১৮, জাযওয়াতুল মুকতাবিস ৩১৭, আল্হুল্লাত্ল্ বাররা, ৩০, শাযারাতুবৃযাহাব ১১১২, আল
ইৰার ১১ ১৬ আননুজুম আয্যাহিরা ১২৩৫, নাফহ্নত্তীব ১২২৯ ২৮৩, ওফায়াতুল আ রান ৫গ্রা

€০া৷া



الْحَسَنُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ. رَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ مَرْفُوعًا: «مَنْ عَالَ أَهْلَ بَيْتٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَهُمْ وَلَيْلَتَهُمْ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ» . وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَلِيٍّ فِي دُعَاءِ الْكَرْبِ، وَعَنْ زَوْجَتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ، وَعَنْهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَجَمَاعَةٌ. وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَأَكْرَمَهُ وَنَصَرَهُ عَلَى الْحَجَّاجِ، وَأَقَرَّهُ وَحْدَهُ عَلَى وِلَايَةِ صَدَقَةِ عَلِيٍّ. وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فَأَحْسَنَ، وَذَكَرَ عَنْهُ آثَارًا تَدُلُّ عَلَى سِيَادَتِهِ وَعِلْمِهِ وَتَسَنُّنِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقِيلَ: إِنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ كَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ بِالْمَدِينَةِ: إِنَّ الْحَسَنَ بْنَ الْحَسَنِ كَاتَبَ أَهْلَ الْعِرَاقِ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا فَاجْلِدْهُ مِائَةَ ضَرْبَةٍ، وَقِفْهُ لِلنَّاسِ، وَلَا أُرَانِي إِلَّا قَاتِلَهُ. فَأَرْسَلَ خَلْفَهُ فَعَلَّمَهُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ كَلِمَاتِ الْكَرْبِ، فَقَالَهَا حِينَ دَخَلَ عَلَيْهِ فَنَجَّاهُ اللَّهُ مِنْهُمْ، وَهِيَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ. تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ أُمُّهُ خَوْلَةَ بِنْتَ مَنْظُورٍ الْفَزَارِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৭৫১২
وَقَالَ يَوْمًا لِرَجُلٍ مِنَ الرَّافِضَةِ: وَاللَّهِ إِنَّ قَتْلَكَ لَقُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: إِنَّكَ تَمْزَحُ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا هَذَا مِنِّي بِمَزْحٍ وَلَكِنَّهُ الْجِدُّ. وَقَالَ لَهُ آخَرُ مِنْهُمْ: أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» ؟ فَقَالَ: بَلَى، وَلَوْ أَرَادَ الْخِلَافَةَ لَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، اعْلَمُوا أَنَّ هَذَا وَلِيُّ أَمْرِكُمْ وَهُوَ الْقَائِمُ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، وَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ اخْتَارَ عَلِيًّا لِهَذَا الْأَمْرِ ثُمَّ تَرَكَهُ عَلِيٌّ لَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَرَكَ أَمْرَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ. وَقَالَ لَهُمْ أَيْضًا: وَاللَّهِ لَئِنْ وُلِّينَا مِنَ الْأَمْرِ شَيْئًا لَنُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ، ثُمَّ لَا نَقْبَلُ لَكُمْ تَوْبَةً، وَيْلَكُمْ غَرَرْتُمُونَا مِنْ أَنْفُسِنَا، وَيَلْكُمْ لَوْ كَانَتِ الْقَرَابَةُ تَنْفَعُ بِلَا عَمَلٍ لَنَفَعَتْ أَبَاهُ وَأُمَّهُ. فَلَوْ كَانَ مَا تَقُولُونَ فِينَا حَقًّا لَكَانَ آبَاؤُنَا إِذْ لَمْ يُعْلِمُونَا بِذَلِكَ قَدْ ظَلَمُونَا وَكَتَمُوا عَنَّا أَفْضَلَ الْأُمُورِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخْشَى أَنْ يُضَاعَفَ لِلْعَاصِي مِنَّا الْعَذَابُ ضِعْفَيْنِ، كَمَا إِنِّي لَأَرْجُوَ لِلْمُحْسِنِ مِنَّا أَنْ يَكُونَ لَهُ الْأَجْرُ مَرَّتَيْنِ، وَيْلَكُمْ أَحِبُّونَا إِنْ أَطَعْنَا اللَّهَ، وَأَبْغِضُونَا إِنْ عَصَيْنَا اللَّهَ. مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ اللَّخْمِيُّ مَوْلَاهُمْ، كَانَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ
পৃষ্ঠা - ৭৫১৩

সেখানে তিনি আলমাপুসা, বানিস ও অন্যান্য দুর্গ নিমর্বণ করেন ৷ হযরত মুআবিয়া সাতাইশ
হিজরীতে সাইপ্রাস জয় করার পর তিনি সেখানে হযরত মুআবিয়ার নিযুক্ত প্রশাসক ছিলেন ৷
তিনি যাহ্হাক ইবন কায়সের সাথে রাহিতের গোলযােগ ও বিশৃগ্রলা প্রত্যক্ষ করেন ৷ তারপর
যখন যাহ্হাক নিহত হন তখন মুসা ইবন নুসায়র আবদুল আযীয ইবন মারওয়ানের আশ্রয়
গ্রহণ করেন ৷ তারপর মারওয়ান যখন মিসরে প্রবেশ করেন তখন তিনি তার সাথে ছিলেন,
এসময় মারওয়ান তাকে তার ছেলে আবদুল আষীযের কাছে রেখে যান ৷ তারপর আবদুল
মালিক যখন ইরাকের শাসন কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন তখন তিনি ইবন নুসায়রকে তার ভাই ৰিশর
ইবন মারওয়ান্থনর ওয়াযীর নিয়োগ করেন ৷
আমাদের আলোচিত মুসা ইবন নুসায়র বিচক্ষণ, দুরদর্শী ও সমরকুশলী ৷ ইমাম বাগাবী
বলেন, মুসা ইবন নুসায়র উনাশি হিজরীতে আফ্রিকার শাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ এসময়
তিনি বহু দেশ, নগর, জনপদ ও অঞ্চল জয় করেন ৷ ইহ্বতাপুর্বেৰুআমরা উল্লেখ করেছি যে,
তিনি আন্দালুস জয় করেন ৷ আর তা জ্জি ন্যার, জনপদ ও সবুজ শ্যড়ামল শস্যভুমিতে পুর্ণ
ভুখণ্ড এসময় তিনি সেখান হতে এবং অন্যান্য দেশ হতে বহু মানুষকে বন্দী করেন এবং বিশাল
বিপুল সম্পদ গনীমতরুপে লাভ করেন, বিশেষত অগণিত স্বর্ণ ও মুল্যবান রত্নসমুহ ৷ আর এসব
বিজয়কালে তিনি যে বিপুল সংখ্যক দ্রব্য সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, উপায় উপকরণ ও গবাদি পশু লাভ
করেন তার হিসাব উল্লেখ করা সম্ভব নয় ৷ এছাড়া তিনি বহু সংখ্যক (সন্নান্ত বংশীয়) নারী ও
শিশুদের য়ুদ্ধবন্দী রুপে লাভ করেন ৷ এমন কি তার সম্পর্কে বলা হয়েছে শর্বৃক্রুচদর থেকে এত
বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলবৃধ সম্পদ তার মত আর কেউ অর্জন করতে পারেনি ৷ মরক্কোবাসী১ তার
হাতে ইসলাম গ্রহণ করে এবংত তিনি তাদের মাঝে দীন ও কুরআনের প্রসার ঘটান ৷ তিনি যখন
কোন স্থানে রওয়ানা হতেন, তখন তার সাথে সফর সামগ্রীর আধিক্য এবং নির্ধারিত বাহনসমুহ
তা বহ্নে অক্ষম হওয়ায় তা চাকার গাড়িতে বহন করা হতো ৷
এ সময় ইসলামের বিজয়াভিযান অপ্রতিহত গতিতে অগ্রসর হয় ৷ একদিকে মুসা ইবন
নুসায়র মরক্কোতে বিজয়াভিযা ৷ন পরিচালনা করছিলেন ৷ আর অন্যদিকে ইসলামী সাম্রাজ্যের পুর্ব
প্রান্তে বিজয়াভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কুতায়বা ইবন মুসলিম ৷ আল্লাহ্ ইসলামের এই মহান
, দুই যােদ্ধাকে সর্বোত্তম বিনিময় দান করুন ৷ এরা উভয়ে বহু দেশ, অঞ্চল ও ভুখণ্ড জয় করেন ৷
তবে মুসা ইবন নুসায়র যে অভ৷ ৷বনীয় ও অকল্পনীয় গনীমত লাভ করেন কুতায়বা তা লাভ
করেননি ৷ এমনকি বর্ণিত আছে,,মুসা যখন আন্দালুস জয় করলেন, তখন এক ব্যক্তি ,এসে
তাকে বলল, আমার সাথে কয়েকজন লোক পাঠান ৷ তাহলে আমি আপনাকে বিশাল এক
ধনডাণ্ডারের সন্ধান দিতে পারব ৷ তখন তিনি তার সাথে কয়েকজন লোক পাঠালেন ৷
লোকদেরকে নিয়ে সে একন্থানে উপনীত হয়ে বলল, তোমরা এই স্থান খনন কর, তখন তারা
যে স্থান খনন করল এবং শেষে একটি বিশাল ও সুদৃশ্য কক্ষে পৌছল ৷ সেখানে তারা যে বিপুল
পরিমাণ মণি-মানিক্য ও মুল্যবান রত্নসমুহ রক্ষিত দেখতে গেলো, তা তাদেরকে হতবুদ্ধি করে
দিল ৷ আর স্বর্ণের পরিমাণের কথা তো ভাষায় প্রকাশ করাই দুষ্কর ৷ যে স্থানে তারা এমন সব
মুল্যবান ও সুদৃশ্য গালিচ৷ পেল যা স্বর্ণের তার দিয়ে বোনা এবং তার সাথে মুলবান মুক্তোদানা
জড়ানাে, কোনটি আবার অন্য কোন মুল্যবান রত্ন এবং অনন্য সুদৃশ্য ও স্বচ্ছ নীলকান্ত মণি দিয়ে ন্
মােড়া ৷ সেদিন এক অদৃশ্য ঘোষকের ঘোষণা শোনা গেল, হে মুসলমানগণ৷ তোমাদের জন্য
জাহান্নামেৱ একটি দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো ৷ কাজেই তোমরা তোমাদের সাবধানতা

১ এখানে মরক্কো (আলমাগরিব) দ্বারা উদ্দেশ্য বর্তা৷ন মরক্কো ও তার পার্শ্ববর্তী দেশসমুহ ৷


مِنْهُمْ، وَقِيلَ: كَانَ مَوْلًى لِبَنِي أُمَيَّةَ. افْتَتَحَ بِلَادَ الْمَغْرِبِ، وَغَنِمَ مِنْهَا أَمْوَالًا لَا تُعَدُّ وَلَا تُوصَفُ، وَلَهُ بِهَا مَقَامَاتٌ مَشْهُورَةٌ هَائِلَةٌ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ أَعْرَجَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ وُلِدَ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ. وَأَصْلُهُ مِنْ عَيْنِ التَّمْرِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ مِنْ إِرَاشَةَ مِنْ بَلِيٍّ. سُبِيَ أَبُوهُ مِنْ جَبَلِ الْخَلِيلِ مِنَ الشَّامِ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ اسْمُ أَبِيهِ نَصْرًا فَصُغِّرَ. رَوَى عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَرَوَى عَنْهُ ابْنُهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَيَزِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ الْيَحْصُبِيُّ. وَوَلِيَ غَزْوَ الْبَحْرِ لِمُعَاوِيَةَ، فَغَزَا قُبْرُصَ، وَبَنَى هُنَالِكَ حُصُونًا كَالْمَاغُوصَةِ وَحِصْنِ يَانِسَ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْحُصُونِ الَّتِي بَنَاهَا بِقُبْرُصَ وَكَانَ نَائِبَ مُعَاوِيَةَ عَلَيْهَا بَعْدَ أَنْ فَتَحَهَا مُعَاوِيَةُ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ. وَشَهِدَ مَرْجَ رَاهِطٍ مَعَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَلَمَّا قُتِلَ الضَّحَّاكُ لَجَأَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ إِلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، ثُمَّ لَمَّا دَخَلَ مَرْوَانُ بِلَادَ مِصْرَ كَانَ مَعَهُ فَتَرَكَهُ عِنْدَ ابْنِهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثُمَّ لَمَّا أَخَذَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِلَادَ الْعِرَاقِ جَعَلَهُ وَزِيرًا عِنْدَ أَخِيهِ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ. وَكَانَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ هَذَا ذَا رَأْيٍ وَتَدْبِيرٍ وَحَزْمٍ وَخِبْرَةٍ بِالْحَرْبِ. قَالَ الْفَسَوِيُّ: وَلِيَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ إِمْرَةَ بِلَادِ إِفْرِيقِيَّةَ سَنَةَ تِسْعٍ وَسَبْعِينَ، فَافْتَتَحَ
পৃষ্ঠা - ৭৫১৪
بِلَادًا كَثِيرَةً. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ افْتَتَحَ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ، وَهِيَ بِلَادٌ ذَاتُ مُدُنٍ وَقُرًى وَرِيفٍ، فَسَبَى مِنْهَا وَمِنْ غَيْرِهَا خَلْقًا كَثِيرًا، وَغَنِمَ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، مِنَ الذَّهَبِ وَالْجَوَاهِرِ النَّفِيسَةِ شَيْئًا لَا يُحْصَى وَلَا يُعَدُّ، وَأَمَّا الْآلَاتُ وَالْمَتَاعُ وَالدَّوَابُّ فَشَيْءٌ لَا يُدْرَى مَا هُوَ، وَسَبَى مِنَ الْغِلْمَانِ الْحِسَانِ وَالنِّسَاءِ الْحِسَانِ شَيْئًا كَثِيرًا، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يَسْبِ أَحَدٌ مِثْلَهُ مِنَ الْأَعْدَاءِ، وَأَسْلَمَ أَهْلُ الْمَغْرِبِ عَلَى يَدَيْهِ، وَبَثَّ فِيهِمُ الدِّينَ وَالْقُرْآنَ، وَكَانَ إِذَا سَارَ إِلَى مَكَانٍ، تُحْمَلُ الْأَمْوَالُ مَعَهُ عَلَى الْعَجَلِ لِكَثْرَتِهَا وَعَجْزِ الدَّوَابِّ عَنْهَا. وَقَدْ كَانَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ هَذَا يَفْتَحُ فِي بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَقُتَيْبَةُ يَفْتَحُ فِي بِلَادِ الْمَشْرِقِ، فَجَزَاهُمَا اللَّهُ خَيْرًا، فَكِلَاهُمَا فَتَحَ مِنَ الْأَقَالِيمِ وَالْبُلْدَانِ شَيْئًا كَثِيرًا، وَلَكِنَّ مُوسَى بْنَ نُصَيْرٍ حَظِيَ بِأَشْيَاءَ لَمْ يَحْظَ بِهَا قُتَيْبَةُ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا فَتَحَ الْأَنْدَلُسَ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: ابْعَثْ مَعِي رِجَالًا حَتَّى أَدُلَّكَ عَلَى كَنْزٍ عَظِيمٍ، فَبَعَثَ مَعَهُ رِجَالًا فَأَتَى بِهِمْ إِلَى مَكَانٍ، فَقَالَ: احْفِرُوا. فَحَفَرُوا فَأَفْضَى بِهِمُ الْحَفْرُ إِلَى قَاعَةٍ عَظِيمَةٍ ذَاتِ لَوَاوِينَ حَسَنَةٍ، فَوَجَدُوا هُنَاكَ مِنَ الْيَوَاقِيتِ وَالْجَوَاهِرِ وَالزَّبَرْجَدِ مَا أَبْهَتَهُمْ، وَأَمَّا الذَّهَبُ فَشَيْءٌ لَا يُعَبَّرُ عَنْهُ، وَوَجَدُوا فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ الطَّنَافِسَ، الطِّنْفِسَةُ مِنْهَا مَنْسُوجَةٌ بِقُضْبَانِ الذَّهَبِ، مَنْظُومَةٌ بِاللُّؤْلُؤِ الْغَالِي الْمُفْتَخِرِ، وَالطِّنْفِسَةُ مَنْظُومَةٌ بِالْجَوْهَرِ الْمُثَمَّنِ، وَالْيَوَاقِيتِ الَّتِي لَيْسَ لَهَا نَظِيرٌ فِي شَكْلِهَا
পৃষ্ঠা - ৭৫১৫

অবলম্বন করে ৷ বর্ণিত আছে, তারা এই গুপ্ত ধনভাণ্ডারের মাঝে হযরত সুলায়মান আলায়হিস
সালামের (স্বর্ণ) খাঞ্চাও লাভ করেছিল যাতে তিনি আহার করতেন ৷ আবু মুআৰিয়া মাআরিক
ইবন মারওয়ান ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবন মুসা ইবন নুসায়র আননুসায়রী
নামক মুসা ইবন নুসায়রের অধস্তন এক ব্যক্তি তার যুদ্ধাতিযানসমুহের বিশদ বিবরণ সং কলন
করেছেন ৷

হাফিয ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, খলীফা ওয়ালীদের খিলাফতকালে মুসা ইবন নুসায়র
যখন দামেশকে আগমন করলেন, তখন উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে প্রশ্ন করলেন
সমুদ্রাভিযানে তার দেখা সবচে আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে ৷ তিনি বললেন, একবার আমরা
এক নিজন দ্বীপে পৌছে সেখানে ষোলটি কলস দেখতে পেলাম ৷ এদের প্রতিটিতে হযরত
সুলায়মান ইবন দাউদের আঙ্টির সীলমােহর দিয়ে মুখ বন্ধ করা ছিল ৷ ইবন নুসায়র বলেন,
আমি নির্দেশ দিলাম ৷ ফলে চারটি কলস বের করা হলো, এরপর নির্দেশ দিলাম এগুলির
একটি ছিদ্র করা হলো ৷ অকম্মাৎ তার ভিতর থেকে এক শয়তান (দুষ্ট জিন) মাথা ঝাড়া দিয়ে
বের হয়ে বলতে লাগল, শপথ ঐ সত্তার, যিনি আপনাকে নবুণ্ডয়াত দ্বারা সম্মানিত করেছেন ৷
এরপর আর আমি কোন দিন পৃথিবীতে কোন বিপর্যয় বিশৃগ্রলা সৃষ্টি করা না ৷ ইবন নুসায়র-
বললেন, এরপর সেই শয়তান চারদিকে তাকিয়ে বলল, কী ব্যাপার আমি তাে হযরত
সুলায়মানের সাম্রাজ্য ও তার জাকজমক দেখতে পাচ্ছি না ৷ এরপর সে ভুগর্তে অদৃশ্য হয়ে
গেল ৷ ইবন নুসায়র বললেন, এরপর আমি অবশিষ্ট তিনটি কলস পুর্বস্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার
নির্দেশ দিলাম এবং তা ফিরিয়ে দেওয়া হলো ৷

ঐতিহাসিক আসৃসাম আনী ও অন্যরা ইবন নুসায়রের উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেন যে, এরপর
তিনি মরক্কোর দুরতম প্রান্তে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকুলস্থ আনৃনুহাস শহর অভিমুখে
যাত্রা করলেন ৷ তারা যখন সেই শহরের নিকটবর্তী হলেন, তখন বেশ দুর হতে তার দেওয়ান
ও ঝুলবারান্দাসমুহ তাদ্দের দৃষ্টিগােচর হলো ৷ শহরের উপকণ্ঠে পৌছে তারা সেখানে অবতরণ
করলেন ৷ তারপর মুসা ইবন নুসায়র একশ জন অশ্বারােহী সহ তার একজন একান্ত সহচরকে
পাঠালেন এবং তাকে নির্দেশ দিলেন নগর প্রাচীরের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করে দেখতে তাতে কোন
দ্বার কিংবা প্ৰবেশস্থুল আছে কিনা ৷ বর্ণিত আছে, সেই ব্যক্তি একদিন একরাত এই শহর প্রাচীর
প্রদক্ষিণ করল, তারপর ইবন নুসায়রের কাছে ফিরে এসে৩ তাকে অবহিত করল যে, যে তাতে
কোন দ্বার কি না প্রবেশস্থুল দেখতে পায়নি ৷ তখন তার নির্দেশে তারা তাদের সাখের সকল দ্রব্য
সামগ্রী একটার উপরে একটা রেখে দ্ভুপ বানাল, কিন্তু নগর প্রাচীরের শীর্ষে পৌছুতে পারল না ৷
এরপর তার নির্দেশে কয়েকটি সিড়ির মত বানান হলো এবং তারা তাতে আরোহণ করল ৷
বর্ণিত আছে, ইবন নুসায়র এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলেন, যে নগর প্রাচীরে আরোহণ করল ৷ যে
ভিতরে যা দেখল তাতে আত্মসংবরণ করতে না পােরপ্রাচীরাভভোরন্ঝাপিয়ে পন্দে ৷ এটাই
ছিল তার শেষ কর্ম ৷ আরেকজনেরও অনুরুপ অবস্থা হলো ৷ এ অবস্থা দেখে লোকেরা তাতে
আরোহণ হতে বিরত থাকল, ফলে এই শহরের অভ্যন্তরে কী বিদ্যমান তাদের কারও পক্ষে
আর তা জানা সম্ভব হলো না ৷ অতঃপর সেই শহর ত্যাগ করে তার নিকটবর্তী একহ্রত্তদর দিকে
জগ্রসর হলো ৷ বর্ণিত আছে পুর্বে উল্লিখিত কলসগুলি তারা এই হ্রদেই পেয়েছিল এবং এক
ব্যক্তিকে তার প্রহরায় নিযুক্ত পেয়েছিল ৷ ইবন নুসায়র তাকে প্রশ্ন করেন, কে তুমি ? তখন সে
বলে, জিন সম্প্রদায়ের একজন ৷ আমার পিতা এই হ্ররুদ বন্দী, হযরত সুলায়মান (আ) তাকে
বন্দী করেছেন ৷ তইি আমি বছরে একবার তাকে দেখতে আমি ৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন,


وَحُسْنِهَا وَصِفَاتِهَا. وَلَقَدْ سُمِعَ يَوْمَئِذٍ مُنَادٍ يُنَادِي لَا يَرَوْنَ شَخْصَهُ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ قَدْ فُتِحَ عَلَيْكُمْ بَابٌ مِنْ أَبْوَابِ جَهَنَّمَ فَخُذُوا حِذْرَكُمْ. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ وَجَدُوا فِي هَذَا الْكَنْزِ مَائِدَةَ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الَّتِي كَانَ يَأْكُلُ عَلَيْهَا. وَقَدْ جَمَعَ أَخْبَارَهُ وَمَا جَرَى لَهُ فِي حُرُوبِهِ وَغَزَوَاتِهِ رَجُلٌ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مُعَاوِيَةَ مُعَارِكُ بْنُ مَرْوَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ النُّصَيْرِيُّ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ سَأَلَ مُوسَى بْنَ نُصَيْرٍ حِينَ قَدِمَ دِمَشْقَ أَيَّامَ الْوَلِيدِ عَنْ أَعْجَبِ شَيْءٍ رَآهُ فِي الْبَحْرِ، فَقَالَ: انْتَهَيْنَا مَرَّةً إِلَى جَزِيرَةٍ فِيهَا سِتَّ عَشْرَةَ جَرَّةً خَضْرَاءَ مَخْتُومَةً عَلَيْهَا بِخَاتَمِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ فَأَمَرْتُ بِأَرْبَعَةٍ مِنْهَا فَأُخْرِجَتْ، وَأَمَرْتُ بِوَاحِدَةٍ مِنْهَا فَنُقِبَتْ فَإِذَا شَيْطَانٌ يَنْفُضُ رَأْسَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ بِالنُّبُوَّةِ لَا أَعُودُ بَعْدَهَا أُفْسِدُ فِي الْأَرْضِ. قَالَ: ثُمَّ نَظَرَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَرَى بِهَا سُلَيْمَانَ وَمُلْكَهُ. فَانْسَاخَ فِي الْأَرْضِ فَذَهَبَ، قَالَ: فَأَمَرْتُ بِالثَّلَاثِ الْبَوَاقِي فَرُدَّتْ إِلَى مَكَانِهَا.
পৃষ্ঠা - ৭৫১৬
وَقَدِ اسْتَسْقَى مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ بِالنَّاسِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ حِينَ أَقْحَطُوا بِإِفْرِيقِيَّةَ، فَأَمَرَهُمْ بِصِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ قَبْلَ الِاسْتِسْقَاءِ، ثُمَّ خَرَجَ بَيْنَ النَّاسِ، وَمَيَّزَ أَهْلَ الذِّمَّةِ عَنِ الْمُسْلِمِينَ، وَفَرَّقَ بَيْنَ الْبَهَائِمِ وَأَوْلَادِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِرَفْعِ الضَّجِيجِ وَالْبُكَاءِ، وَهُوَ يَدْعُو اللَّهَ تَعَالَى حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ، ثُمَّ نَزَلَ فَقِيلَ لَهُ: أَلَا دَعَوْتَ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: هَذَا مَوْطِنٌ لَا يُذْكَرُ فِيهِ إِلَّا اللَّهُ. فَسَقَاهُمُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، لَمَّا قَالَ ذَلِكَ. وَقَدْ وَفَدَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ عَلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي آخِرِ أَيَّامِهِ، فَدَخَلَ دِمَشْقَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ وَالْوَلِيدُ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَقَدْ لَبِسَ مُوسَى ثِيَابًا حَسَنَةً وَهَيْئَةً حَسَنَةً، وَمَعَهُ ثَلَاثُونَ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ وَالْأَشْبَانِ، وَقَدْ أَلْبَسَهُمْ تِيجَانَ الْمُلُوكِ مَعَ مَا مَعَهُمْ مِنَ الْخَدَمِ وَالْحَشَمِ وَالْأُبَّهَةِ الْعَظِيمَةِ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِمْ الْوَلِيدُ وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ عَلَى مِنْبَرِ جَامِعِ دِمَشْقَ بُهِتَ إِلَيْهِمْ، لِمَا رَأَى عَلَيْهِمْ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭৫১৭
২৭৬ : ন্ৰু , অলে-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তুমি কি কখনও কাউকে এই শহরে প্রবেশ করতে কিৎব৷ এই শহর হতে বের হতে দেখেছ ?
সে বলল, না, তবে এক ব্যক্তিকে আমি দেখেছি যিনি প্রতি বছর এই হ্রদে এসে কয়েকদিন
ইবাদত বন্দেগীতে কাটান, তারপর চলে যান এবং তার পর আর তদ্র্যপ করেন না ৷ মহান

আল্লাহ্ই ভাল জানেন তা কী ? তারপর ইবন নুসায়র আফ্রিকায় ফিরে আসেন ৷ আর এ বর্ণনার
যথার্থত৷ সম্পর্কে মহান আরাহ্ অধিক জানেন ৷ আর এর দায় সেই বহন করবে যে প্রথমে তা
উল্লেখ ও বর্ণনা করেছে ৷

তিরানব্বই হিজরীতে আফ্রিকার অধিবাসীরা অনাবৃষ্টির করলে পড়ল ৷ মুসা ইবন নুসায়র
তাদেরকে নিয়ে ইসতিসৃকার নামায পড়লেন ৷ ইসতিসৃকার পুর্বে৩ তিনি তাদেরকে তিন দিন
রােয৷ রাখার নির্দেশ দিলেন ৷৩ তারপর তিনি লোকদের মাঝে বের হলেন এবং অমুসলিম
ষিগীদের মুসলমানদের নিকট হতে পৃথক করে নিলেন এবং গবাদিপশু ও তাদের শাবকদের
পৃথক করে দিলেন ৷ তারপর সকলকে উচ্চস্বরে ত্রুন্দন করার নির্দেশ দিয়ে দ্বিপ্ৰহর পর্যন্ত মহান
আল্লাহ্র পাক দরবারে (কাকুতি মিনতি সহ) দু আ করতে লাগলেন ৷ তিনি নেমে আসলেন ৷
তাকে বলা হল আপনি তো আমীরুল মু’মিনীনের জন্য দৃআ করলেন না তিনি বললেন,
এখাৰন এক ত্মাল্লাহু তা আল৷ বদ্রভীত অন্য কাউকে স্মরণ করা অশোভনীর ৷ এরপর আল্পাহ্





:; ; “ ৰুৰু , নঃশ্যিকর খিলাকভকালেব শেষ্ সময়ে মুস৷ ইবন নুসায়ব
প্রতিনিধি দলনিংর তার সাথে সাকাৎ করেন ৷ কোন এক জুমৃআহয় দািন তিনি যখন মিম্বরেন্
উপরিষ্ট তখন মুসা দামেশকে প্রবেশ করেন ৷ দামেস্কে প্রবেশকালে মুসা সুদৃশ্য অবয়বে সুন্দর
পোশাক পরিধান করেন ৷ তার সাথে তিরিশজন তরুণ ছিল, যারা তার হাতে বন্দী রাজপুত্র
এবং স্পেনীয় বংশোদ্ভুত ছিল ৷ এদের প্রত্যেককে তিনি রাজমুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর
তাদের সাথে জ্জি তাদের অনুপামী সেবক অনুচরবর্গ ও মহা জাকজ্যাক ৷ দামেশকের জামে

মসজিদে লোকদের উদ্দেশ্যে খুৎবা প্রদানকালে খলিফা ওয়ালীদ তাদের রেশমী পোশাক,
মুলবান রত্বালঙ্কার ও দৃষ্টিনন্দন সাজশয্যা দেখে বিমুঢ় হ্য়েত তাকিয়ে থাকলেন ৷ এরপর মুসা
ইবন নুসায়র আগমৃন করে ওয়ালীদকে মিম্বরে উপবিষ্ট অবস্থায় সালাম করলেন এবং তার
সঙ্গীদের নির্দেশ দিলেন তখন তারা মিম্বরের ডানে বামে সুশৃগ্রলভাবে র্দাড়িয়ে গেল ৷ এসময়
খলীফ৷ ওয়ালীদ আল্লাহ্ তা আলা তাকে যে সামর্থ ও সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তি দান করেছেন সেজন্য
তার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন এবং সুদীর্ঘ দু আ ও হামদ শোকরে মগ্ন হলেন
এমনকি জুমুআর সময়অতিবাহিভ হওয়ার উপক্রম হল ৷ এরপর তিনি মিম্বর হতে নেমে
<লাকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন এবং নামায শেষে মুস৷ ইবন নুসায়রকে তােক পাঠালেন ৷
তিনি তাকে মুল্যবান পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন এবং অনেক কিছু প্রদান করলেন ৷ তদ্রপ মুসা
ইবন নুসায়রও খলীফার জন্যত তার সাথে বহু মুল্যবান উপচৌকন নিয়ে এসেছিলেন ৷ তন্মধ্যে
অন্যতম হলো হযরত সুলায়মান আলায়হিস সালামের খাবারের খাঞ্চা যাতে তিনি থেতেন ৷
এটি স্বর্ণ ও বৌগ্যের মিশ্রণে তৈরী ছিল আর এতে মুক্তা ও মুল্যবান রত্নের তিনটি তাক ছিল
যার কোন তুলনা ছিল না ৷ আন্দালুসের টলেডো শহরে আরও বহু ধনভাণ্ডারের সাথে তিনি
(ইবন নুসায়র) তা পেয়েছিলেন ৷ বর্ণিত আছে যে, তিনি তার ছেলে মারওয়ানকে এক ফৌজের
সেনাপতি করে যুদ্ধে পাঠালেনঃ ৷ সে একলক্ষ যুদ্ধবন্দী লাভ করল ৷ এছাড়া তিনি তার


الْحَرِيرِ وَالْجَوَاهِرِ وَالزِّينَةِ الْبَالِغَةِ، وَجَاءَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ فَسَلَّمَ عَلَى الْوَلِيدِ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَأَمَرَ أُولَئِكَ فَوَقَفُوا عَنْ يَمِينِ الْمِنْبَرِ وَشِمَالِهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ الْوَلِيدُ، وَشَكَرَهُ عَلَى مَا أَيَّدَهُ بِهِ وَوَسَّعَ مُلْكَهُ، وَأَطَالَ الدُّعَاءَ وَالتَّحْمِيدَ وَالشُّكْرَ حَتَّى خَرَجَ وَقْتُ الْجُمُعَةِ، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِمُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ وَأَعْطَاهُ شَيْئًا كَثِيرًا، وَكَانَ مُوسَى قَدْ قَدِمَ مَعَهُ بِمَائِدَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، الَّتِي كَانَ يَأْكُلُ عَلَيْهَا وَكَانَتْ مِنْ خَلِيطَيْنِ، ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ وَعَلَيْهَا ثَلَاثَةُ أَطْوَاقِ لُؤْلُؤٍ وَجَوْهَرٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، وَجَدَهَا فِي مَدِينَةِ طُلَيْطِلَةَ مِنْ بِلَادِ الْأَنْدَلُسِ مَعَ أَمْوَالٍ كَثِيرَةٍ، وَقِيلَ: إِنَّهُ بَعَثَ ابْنَهُ مَرْوَانَ عَلَى جَيْشٍ، فَأَصَابَ مِنَ السَّبْيِ مِائَةَ أَلْفِ رَأْسٍ، وَبَعَثَ ابْنَ أَخِيهِ فِي جَيْشٍ، فَأَصَابَ مِائَةَ أَلْفِ رَأْسٍ أَيْضًا مِنَ الْبَرْبَرِ، فَلَمَّا جَاءَ كِتَابُهُ إِلَى الْوَلِيدِ وَذَكَرَ فِيهِ أَنَّ خُمُسَ الْغَنَائِمِ أَرْبَعُونَ أَلْفَ رَأْسٍ. قَالَ النَّاسُ: إِنَّ هَذَا أَحْمَقُ، مِنْ أَيْنَ لَهُ أَرْبَعُونَ أَلْفَ رَأْسٍ خُمُسُ الْغَنَائِمِ؟ فَبَلَغَهُ ذَلِكَ فَأَرْسَلَ أَرْبَعِينَ أَلْفَ رَأْسٍ وَهِيَ خُمُسُ مَا غَنِمَ، وَلَمْ يُسْمَعْ فِي الْإِسْلَامِ بِمِثْلِ سَبَايَا مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ أَمِيرِ الْمَغْرِبِ. وَقَدْ جَرَتْ لَهُ عَجَائِبُ فِي فَتْحِهِ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ، وَقَالَ: لَوِ انْقَادَ النَّاسُ لِي لَقُدْتُهُمْ حَتَّى أَفْتَحَ بِهِمْ مَدِينَةَ رُومِيَّةَ وَهِيَ الْمَدِينَةُ الْعُظْمَى فِي بِلَادِ الْفِرِنْجِ ثُمَّ لَيَفْتَحَنَّهَا اللَّهُ عَلَى يَدَيَّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَلَمَّا قَدِمَ عَلَى الْوَلِيدِ قَدِمَ مَعَهُ بِثَلَاثِينَ أَلْفًا مِنَ السَّبْيِ غَيْرَ مَا ذَكَرْنَا، وَذَلِكَ خُمُسُ مَا كَانَ غَنِمَهُ فِي آخِرِ غَزَاةٍ غَزَاهَا بِبِلَادِ
পৃষ্ঠা - ৭৫১৮
الْمَغْرِبِ، وَقَدِمَ مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالتُّحَفِ وَاللَّآلِئِ وَالْجَوَاهِرِ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ. وَلَمْ يَزَلْ مُقِيمًا بِدِمَشْقَ حَتَّى مَاتَ الْوَلِيدُ وَتَوَلَّى سُلَيْمَانُ، وَكَانَ عَاتِبًا عَلَى مُوسَ ى فَحَبَسَهُ عِنْدَهُ، وَطَالَبَهُ بِأَمْوَالٍ عَظِيمَةٍ. وَلَمْ يَزَلْ فِي يَدِهِ حَتَّى حَجَّ سُلَيْمَانُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَأَخَذَهُ مَعَهُ فَمَاتَ بِالْمَدِينَةِ. وَقِيلَ: بِوَادِي الْقُرَى. وَقَدْ قَارَبَ الثَّمَانِينَ، وَقِيلَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.