আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وتسعين

ذكر سبب مقتل قتيبة بن مسلم

পৃষ্ঠা - ৭৫০৩


এদিকে কুতায়বা ইবন মুসলিমের কাছে যখন সুলায়মানের খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের সংবাদ
পৌহ্নিৰ ৷ তখন তিনি তার বরাবর একটি পত্র লিখলেন ৷ এতে তিনি প্রথমে সুলড়ায়মানকে তার
ভ্রাতৃ বিয়ােগে সান্তুনা দিলেন এবং খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানালেন ৷ তারপর
তাতে নিজের ত্যাগ তিতিক্ষা সমরকুশলতা, এবং শত্রুদের হৃদয়ে তার ভীতির কথা এবং
আল্লাহ তা আলা তার নেতৃত্বে সে সকল নগর, জনপদ ও দেশে শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় দান
করেছেন তার কথা উল্লেখ করলেন ৷ এরপর তিনি উল্লেখ করলেন, যদি তিনি থােরাসানের
গভর্নর পদ হতে অপসারিত না হন, তাহলে তার জন্যওত তিনি তার ভইি ওয়ালীকৃদৃয় অনুরুপ
আনুগত্য ও হিতাকাক্ষো পোষণ করবেন ৷ এ পত্রে তিনি ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের সমালোচনা
করলেন ৷ এরপর তিনি দ্বিতীয় একটি পত্র লিখলেন ৷ এতে তিনি তার সমরকুশলতা ও
বিজয়সমুহের কথা এবং শত্রু শাসক ও পারসিকদের অন্তরে তার ভীতির কথা উল্লেখ করলেন ৷
এবং এতেও ইয়াযীদ ইবন যুহাল্লাবের সমালোচনা করলেন ৷ আর তাতে শপথ করে বললেন,
সুলায়মান যদি তাকে অপসারিত করে ইয়াযীদকে নিয়োগ করে তাহলে তিনি সুলায়মানকে
খলীফার পদ থেকে অপসারিত করবেন ৷ এরপর তিনি তৃতীয় একপত্র লিখলেন যাতে তিনি
সম্পুর্ণরুপে সুলায়মানের আনুগত্য প্রত্যাহার করে নিলেন এবং ডাকদুতের মাধ্যমে পত্রগুলাে
প্রেরণ করলেন ৷ আর তিনি দুতকে বলে দিলেন, প্রথমে তুমি প্রথম পত্রঢি তাকে অর্পণ করবে ৷
যদি যে তা পাঠ করে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে অর্পণ করে তাহলে তুমি তাকে দ্বিতীয় পত্রটি
অর্পণ করবে ৷ তারপর যদি যে তা পাঠ করে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কাছে অর্পণ করে তবে
তাকে তৃতীয় পত্রটি অর্পণ করবে ৷ পরবর্তীতে সুলায়মান যখন প্রথম পত্রটি পাঠ করল
ঘটনাত্রুমে ইয়াযীদ তখন সুলায়মানের কাছে উপন্থিতজ্জি তখন যে তা ইয়াযীদের কাছে অর্পণ
করল ফলে সেও তা পড়ল ৷ এরপর ভাকদুত তাকে দ্বিতীয় পত্রটি অর্পণ করল, এবং যে তা

পাঠ করে ইয়াযীদের কাছে অর্পণ করল ৷ এরপর ভাকদুত তাকে তৃতীয়পএটি অর্পণ করল ৷
সুলায়মান তখন দেখল সে পত্রে তাকে অপসারণের হুমকি রয়েছে এবং তার কাছে বায়আত
প্রত্যাহার করা হয়েছে, ফলে ক্রোধে তার চেহারা বিবর্ণ হল ৷ তারপর যে তা নিজ হাতে ধরে
রাখল ইয়াযীদের কাছে অর্পণ করল না ৷ তারপর সে ডাকদুতকে শাহী মেহমানখানায়
আপ্যায়নের নির্দেশ প্রদান করল ৷ রা ত্রিকালে ডাকদুতকে ডেকে পাঠিয়ে ভাংকস্বর্ণমুদ্রা
উপচৌকন দিল এবং থােরাসানের গভার পদে কুতায়বার পুনর্বহালের ফরমান সম্বলিত পত্র
অর্পণ করল ৷ আর ঐ ডাকদুতের সাথে তাকে তার পদে বহাল রাখার জন্য আরেকজন ভাকদুত
প্রেরণ করল ৷ তারপর উভয় দুত যখন খে,রােসানে পৌছল তখন তারা জানতে পারল যে,
কুতায়বা খলিফার আনুগত্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৷ তখন সুলায়মানের ভাকদুত তার পত্র
কুতায়বার ডাকদুতের কাছে অর্পণ করল ৷ এরপর সুলায়মানের ভাকদুত ফিরে আসার পুরুৰুইি
তাদের কাছে কুতায়বার নিহত হওয়ার সৎবাদ পৌছল ৷

কুতায়বা ইবন মুসলিমের হত্যকােও

এই হত্যাকাণ্ডের প্টিভুমি হলো সুলায়মান ইবন আবদুল মালিককে খিলাফতের পদ হতে
অপসারণ এবং তার আনুগত্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কুতায়বা ইবন মুসলিম তার অধীনস্থ
ফৌজ ও সৈনিকদের সমবেত করলেন ৷ এরপর তিনি তাদের সামনে তার উ চ্চ মনােবল, বিজয়
ও তাদের ব্যাপারে ন্যায়ইনসাফের কথা এবং তাদেরকে বিপুল অর্থসম্পদ প্রদানের কথা উল্লেখ
করে সকলকে তার আনুগত্যের আহ্বান জানালেন ৷ তার কথা ও বক্তব্য শেষ হলো ৷ বিক্ষ্ম,
কেউ তার আহ্বানে সাড়া দিল না ৷ তখন তিনি তাদেরকে গোত্র গোত্র ও দল দল করে ভর্ভুসনা


فَدَفَعَ بَرِيدُ سُلَيْمَانَ الْكِتَابَ الَّذِي مَعَهُ إِلَى بَرِيدِ قُتَيْبَةَ، ثُمَّ بَلَغَهُمَا مَقْتَلُ قُتَيْبَةَ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ بَرِيدُ سُلَيْمَانَ. [ذِكْرُ سَبَبِ مَقْتَلِ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ] وَذَلِكَ أَنَّهُ جَمَعَ الْجُنْدَ وَالْجُيُوشَ، وَعَزَمَ عَلَى خَلْعِ سُلَيْمَانَ وَتَركِ طَاعَتِهِ، وَذَكَرَ لَهُمْ هِمَّتَهُ وَفُتُوحَهُ وَعَدْلَهُ فِيهِمْ، وَدَفْعَهُ الْأَمْوَالَ الْجَزِيلَةَ إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ مَقَالَتِهِ، لَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَى مَقَالَتِهِ، فَشَرَعَ فِي تَأْنِيبِهِمْ وَذَمِّهِمْ، قَبِيلَةً قَبِيلَةً، وَطَائِفَةً طَائِفَةً، فَغَضِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ وَنَفَرُوا عَنْهُ وَتَفَرَّقُوا، وَعَمِلُوا عَلَى مُخَالَفَتِهِ وَسَعَوْا فِي قَتْلِهِ، وَكَانَ الْقَائِمُ بِأَعْبَاءِ ذَلِكَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: وَكِيعُ بْنُ أَبِي سُودٍ، فَجَمَعَ جُمُوعًا كَثِيرَةً ثُمَّ نَاهَضَهُ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى قَتَلَهُ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَتَلَ مَعَهُ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا مِنْ إِخْوَتِهِ وَأَبْنَاءِ إِخْوَتِهِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ سِوَى ضِرَارِ بْنِ مُسْلِمٍ وَكَانَتْ أُمُّهُ الْغَرَّاءَ بِنْتَ ضِرَارِ بْنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، فَحَمَتْهُ أَخْوَالُهُ وَعَمْرُو بْنُ مُسْلِمٍ، وَكَانَ عَامِلَ الْجَوْزَجَانِ. وَقُتِلَ قُتَيْبَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ وَصَالِحٌ وَبَشَّارٌ، وَهَؤُلَاءِ أَبْنَاءُ مُسْلِمٍ، وَأَرْبَعَةٌ مِنْ أَبْنَائِهِمْ فَقَتَلَهُمْ كُلَّهُمْ وَكِيعُ بْنُ سُودٍ. وَقَدْ كَانَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُصَيْنِ بْنِ رَبِيعَةَ أَبُو حَفْصٍ الْبَاهِلِيُّ، مِنْ سَادَاتِ الْأُمَرَاءِ وَخِيَارِهِمْ، وَكَانَ مِنَ الْقَادَةِ النُّجَبَاءِ الْكُبَرَاءِ، وَالشُّجْعَانِ وَذَوِي
পৃষ্ঠা - ৭৫০৪


ও নিন্দা করতে লাগলেন ৷ তখন সকলে ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে ত্যাগ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে গেল
এবং এরপর তার বিরোধিতায় তৎপর হলো এবং তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে লাগল ৷ ওয়াকী

ইবন আবুসুদ নামক এক ব্যক্তি তাকে হত্যার যাবভীয়৷ দ ৷য়িতু পালন করল ৷ প্রথমে সে তার
পক্ষে বহু সংখ্যক লোক সমবেত করল ৷ এরপর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তাকে হত্যা
করল ৷ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো এ বছরের যুল্হাজ্জাহ্ মাসে ৷ এসময় কুতায়বা ইবন
মুসলিমের সাথে তার এগার ছেলে ও ভাতিজা নিহত হয় ৷ তাদের মাঝে একমাত্র যিরার ইবন
মুসলিম জীবিত ছিল ৷ তার যা ছিল গাবৃরা বিনৃত যিরার ইবনুল কা ক’া ইবন মা বদ ইবন সা দ
ইবন যুরারাহ্, তার মাতুলেরা তাকে রক্ষা করে ৷ এছাড়া আমর ইবন মুসলিম সে সময়
জাওঘৃজানের প্রশাসক ছিল ৷ আর কুতায়বার সাথে আবদুর রহমান; আবদৃল্পাহ্, উবায়দুল্পাহ্,
সালিহ্, ইয়াসার নিহত হয় এরা মুসলিমের ছেলে (অর্থাৎ কুতায়বার ভ্রাতা) এবং এদের ছেলে
চারজন নিহত হয়, যাদের প্ৰত্যেককে হত্যা করে ওয়াকী ইবন সুদ ৷

কুতায়বা ইবন মুসলিম ইবন আমর ইবন হাসীন ইবন রাবীআ আবু হাফস আল বাহিলী
সর্বোত্তম ও নেতৃস্থানীয় আমীরদের অন্যতম ৷ উপরন্তু, তিনি ছিলেন গুণী ও খ্যাতিমান বিশিষ্ট
সেনানায়ক, দুঃসাহসী, সমরকুশলী বিজেত৷ এবং দুরদর্শিতাৱ অধিকারী ৷ তার হাতে অগণিত
মানুষ হিদায়াত লাভ করেছিল এবং তারা সকলে ইসলাম গ্রহণ করে মহান আল্পাহ্র আনুগত্য
মেনে নািয়ছিল ৷ এছাড়া তিনি বহু বড় বড় নগর জনপদ ও দেশ ও ভু খণ্ড জয় করেছিলেন ৷ যা
ইভােপুর্বে বিশদ ও সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর মহান আল্লাহ্ নিশ্চয় তার চেষ্ট্য-সাধনা

বংত্যাগ ও জিহাদকে নিম্ফল করবেন না ৷

কিন্তু, তিনি একটি মাত্র পদয়লনের শিকার হলেন, আর তাতেই তার অকাল মৃত্যু হলো ৷
এমন একটি কাজ করলেন যাতে তিনি অপদস্থু হলেন, ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করে
নিলেন, ফলে মৃত্যু তার দিকে দ্রুত ধাবিত হলো ৷ মুসলমানদের জামাআত হতে বিচ্ছিন্ন হলেন
ফলে জাহিলিয়াতের মৃত্যুর শিকার হলেন ৷ কিন্তু তার আমলনামায় এত পরিমাণ লেক আমল
রয়েছে যা দ্বারা নিশ্চয়’ আল্লাহ্ তার পাপসমুহ মােচন করবেন এবং পুণ্যসমুহ দ্বিগুণ করবেন ৷
আল্লাহ্ তাকে ছাড় দিবেন এবং ক্ষমা করবেন এবং শত্রুর মুকাবিলায় তিনি যা কিছু সহ্য
করেছেন তার থেকে তা কবুল করবেন ৷ তিনি নিহত হন থােরাসানের দুরতম , প্রান্ত
ফারগানাৰুত ৷ এ বছরের যুল্-হাজ্জাহ্ মাসে ৷ তখন তার বয়স ছিল আটচল্লিশ বছর ৷ তার পিতা
ছিলেন আবু সালিহৃ মুসলিম যিনি হযরত মুসআব ইবন যুৰায়রের সাথে নিহত হয়েছিলেন ৷
তিনি দশ বছর থােরাসানের গভর্নর ছিলেন ৷ এ সময়ে তিনি নিজে যেমন প্রভুত কল্যাণ অর্জন
করেছেন, তেমনি প্রজাদের মাঝেও প্রণ্ডু ৩ কল্যাণ বিস্তার করেছেন ৷ করি আবদুর রহমান ইবন
জুমানা আল বাহিনী তার মৃত্যুতে শ্যেকপাথা রচনা করে বলেন :

১দ্বুহ্র
আবুহাফস কুতায়বা যেন কোন দিন কোন ফৌজ নিয়ে ফৌজ অভিমুখে অগ্রসর হননি এবং
কখনও কোনও মিম্বরে আরোহণ করেননি ৷

ষ্ণ্১
যােদ্ধারা তাকে কেন্দ্র করে র্দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় যেন যুদ্ধ ঝাণ্ডাসমুহ আন্দোলিত হয়নি
বংণ্লাকের৷ যেন তার অনুগত কেপিজৌজ্রশুর্চগুদুব্লোন্নিষ্ঠে

الْحُرُوبِ وَالْفُتُوحَاتِ السَّعِيدَةِ، وَالْآرَاءِ الْحَمِيدَةِ، وَقَدْ هَدَى اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ خَلْقًا لَا يُحْصِيهِمْ إِلَّا اللَّهُ، فَأَسْلَمُوا وَدَانُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَفَتَحَ مِنَ الْبِلَادِ وَالْأَقَالِيمِ الْكِبَارِ وَالْمُدُنِ الْعِظَامِ شَيْئًا كَثِيرًا، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُفَصَّلًا مُبَيَّنًا، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ لَا يُضِيعُ سَعْيَهُ، وَلَا يُخَيِّبُ تَعَبَهُ وَجِهَادَهُ. وَلَكِنْ زَلَّ زَلَّةً كَانَ فِيهَا حَتْفُهُ، وَفَعَلَ فَعْلَةً رَغِمَ فِيهَا أَنْفُهُ، وَخَلَعَ الطَّاعَةَ فَبَادَرَتْ إِلَيْهِ الْمَنِيَّةُ، وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ، فَمَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً، لَكِنْ سَبَقَ لَهُ مِنَ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ مَا قَدْ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهَا عَنْهُ مِنْ سَيِّئَاتِهِ، وَيَمْحُو بِهَا عَنْهُ مِنْ خَطِيَّاتِهِ، وَاللَّهُ يُسَامِحُهُ وَيَعْفُو عَنْهُ، وَيَتَقَبَّلُ مِنْهُ مَا كَانَ يُكَابِدُهُ مِنْ مُنَاجَزَةِ الْأَعْدَاءِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِفَرْغَانَةَ مِنْ أَقْصَى بِلَادِ خُرَاسَانَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَمَانٍ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، وَكَانَ أَبُوهُ أَبُو صَالِحٍ مِمَّنْ قُتِلَ مَعَ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَتْ وِلَايَتُهُ عَلَى خُرَاسَانَ عَشْرَ سِنِينَ، وَاسْتَفَادَ وَأَفَادَ فِيهَا خَيْرًا كَثِيرًا، وَقَدْ رَثَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُمَانَةَ الْبَاهِلِيُّ فَقَالَ: كَأَنَّ أَبَا حَفْصٍ قُتَيْبَةَ لَمْ يَسِرْ ... بِجَيْشٍ إِلَى جَيْشٍ وَلَمْ يَعْلُ مِنْبَرَا وَلَمْ تَخْفِقِ الرَّايَاتُ وَالْقَوْمُ حَوْلَهُ ... وُقُوفٌ وَلَمْ يَشْهَدْ لَهُ النَّاسُ عَسْكَرَا دَعَتْهُ الْمَنَايَا فَاسْتَجَابَ لِرَبِّهِ ... وَرَاحَ إِلَى الْجَنَّاتِ عَفًّا مُطَهَّرَا فَمَا رُزِئَ الْإِسْلَامُ بَعْدَ مُحَمَّدٍ ... بِمَثَلِ أَبِي حَفْصٍ فَبَكِّيهِ عَبْهَرَا
পৃষ্ঠা - ৭৫০৫


াৰুন্াৰুহু

মৃত্যুরা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকল ৷ তখন তিনি স্বীয় রবৈর আহ্বানে সাড়া দিলেন এবং
পবিত্র ও সচ্চরিত্র অবস্থায় জান্নাতেব দিকে ধাবিত হলেন ৷

’ ¢


আবু হাফসের মৃত্যুতে ইসলামের যে ক্ষতি হয়েছে মুহাম্মদ (সা )-এর মৃত্যুর পর আর
ইসলামের এতবড় ক্ষতি হয়নি ৷ কাজেই আবহার তুমি তার শোকে কাদ ৷

কবিতার শেষ পঙ্ক্তিত্বে কবির অসংযত আবাে:গর প্রকাশ ঘটেছে ৷ আবহার তার ছেলের
নাম ৷ ওয়াকী ইবন সুদের হাতে কুতায়বার নিহত হওয়ার এই ঘটনায় করি তিরিম্মাহ বলেন :

ঞাপুষ্

এক সম্প্রদায় তারা কুতায়ৰ্াকে জোরপুর্বক হত্যা করল আর অশ্বদল ^তখন অবাধ্য ও
ধুলিধুসরিত ৷
এ১ব্রশ্ব

খোরাসাৰ্পুনর চীন সংলগ্ন উর্বর ভুখণ্ডে যেখানে মুযার গোত্র স্পষ্টরুপে আবিষ্কার করল ৷;ক
সবচে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানীং :

, ; শ্ শ্


, যখন আতঙ্কে গোটা রাবীআহ্ গোত্র মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ হলো আর মু যার ও সাথে
অবস্থানকারীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷

ইরাকের আয্দ গোত্র ও মাযহিজ গোত্র মৃত্যুর জন্য অগ্রসর হলো, যারা একই
পিতপুরুষের বংশধর ৷

ণ্ ন্ধ্র !

১এি
এরা বানুর্কাহতান প্রত্যেক অস্ত্রসজ্জিতের মাথার আঘাত করে ৷

১ আবহার দ্বারা উদ্দেশ্য নার্গিস বা ইয়াসমীন কুল ৷


وَلَقَدْ بَالَغَ هَذَا الشَّاعِرُ فِي بَيْتِهِ الْأَخِيرِ، وَعَبْهَرُ أُمُّ وَلَدٍ لَهُ. وَقَالَ الطِّرْمَاحُ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا قُتَيْبَةُ عَلَى يَدِ وَكِيعِ بْنِ أَبِي سُودٍ: لَوْلَا فَوَارِسُ مَذْحِجِ ابْنَةِ مَذْحِجِ ... وَالْأَزْدُ زُعْزِعَ وَاسْتُبِيحَ الْعَسْكَرُ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْبِلَادُ وَلَمْ يَؤُبْ ... مِنْهُمْ إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ مُخَبِّرُ وَاسْتَضْلَعَتْ عُقَدُ الْجَمَاعَةِ وَازْدَرَى ... أَمْرُ الْخَلِيفَةِ وَاسْتُحِلَّ الْمُنْكَرُ قَوْمٌ هُمُو قَتَلُوا قُتَيْبَةَ عَنْوَةً ... وَالْخَيْلُ جَانِحَةٌ عَلَيْهَا الْعِثْيَرُ بِالْمَرْجِ مَرْجِ الصِّينِ حَيْثُ تَبَيَّنَتْ ... مُضَرُ الْعِرَاقِ مَنِ الْأَعَزُّ الْأَكْبَرُ إِذْ حَالَفَتْ جَزَعًا رَبِيعَةُ كُلُّهَا ... وَتَفَرَّقَتْ مُضَرٌ وَمَنْ يَتَمَضَّرُ وَتَقَدَّمَتْ أَزْدُ الْعِرَاقِ وَمَذْحِجٌ ... لِلْمَوْتِ يَجْمَعُهَا أَبُوهَا الْأَكْبَرُ قَحْطَانُ تَضْرِبُ رَأْسَ كُلَّ مُدَجَّجٍ ... تَحْمِي بَصَائِرَهُنَّ إِذْ لَا تُبْصِرُ وَالْأَزْدُ تَعْلَمُ أَنَّ تَحْتَ لِوَائِهَا ... مُلْكًا قُرَاسِيَةً وَمَوْتٌ أَحْمَرُ فَبِعِزِّنَا نُصِرَ النَّبِيُّ مُحَمَّدٌ ... وَبِنَا تَثَبَّتَ فِي دِمَشْقَ الْمِنْبَرُ وَقَدْ بَسَطَ ابْنُ جَرِيرٍ هَذِهِ الْقِصَّةَ بَسَطًا كَثِيرًا وَذَكَرَ أَشْعَارًا كَثِيرَةً جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৭৫০৬



শো১া
আয্দ গোত্র আসে তার ঝাণ্ডা তলে রয়েছে বিরটি সাম্রাজ্য এবং লাল মৃত্যু ৷
আমাদের শক্তি ও প্রতাপেই নবী মুহাম্মদ (সা) বিজয় লাভ ক্বেছেন এবং আমাদের
শক্তিতেই দামেশকেৱ সিংহাসন সুস্থির রয়েছে ৷
ইবন জারীর এই কবিতাকে অতি বিশদ্ভাবে উল্লেখ করেক্কছা এবং আরও বহু কবিতা
পঙ্ক্তি উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন, করি জারীর কুতায়বা ইবন মুসলিমেৱ

শোকগথাে রচনা করেছেন ৷ মহান আল্লাহ্ কুতায়বাকে রহম বব্রুন, তার সাথে উদার ও মহৎ
আচরণ করুন, তাকে সম্মানিত আশ্রয় দান করুন এবং ক্ষমা করুন ৷

আর্মীর ইবন ঘুসলিমকে হত্যা করে তোমরা অনুতপ্ত হয়েছ আর যখন তোমরা মহান
, অন্মোহুর সম্মুখীন হবে, আর আরও অনুতপ্ত হরে ৷

“ ষ্

:তার নেতৃত্বের যুদ্ধাভিষানে €তামরা পনীমত লাভ করতে কিন্তু আজ তোমরা যে শত্রুর
সাক্ষাৎ পারে তাদের গনীম্তে পরিণত হয়ে ৷

তবে তিনি তো জান্নাতের হ্রদের সান্নিধ্যে পৌছে গেছেন ৷ আর তোমরা অচিরেই
জাহান্নামের্ মহাৰিপদে আবদ্ধ হবে ৷
ইবন খাল্লিকান বলেন, তার ছেলে ও বংশধরদের অনেকে বিভিন্ন নগরের প্রশাসকের
দায়িত্ব লাভ করেন ৷ এদের মধ্যে “উমর ইবন সাঈদ ইবন কুতায়বা ইবন মুসলিম অন্যতম ৷
ইনি ছিলেন বদান্য ও প্রশং সাভাজন ৷ তার মৃত্যু হলে করি আবু আমর আশজা ইবন আমর
আসসুলামী আলু মুররী যিনি বসরার অধিবাসী ছিলেন, তিনি একটি শোকগথো রচনা করেন ৷
তিনি আবৃত্তি কারন :
ইবন সাঈদ মৃত্যুবরণ করেছেন এমন অবস্থায় যে, সকল স্থানে তার প্ৰশংসাকারী
বিদ্যমান ৷
ট্র৩ স্
সমাধি প্রস্তর তাকে অদৃশ্য করার পুর্বে আমি জানতে পারিনি মানুষের প্রতি তার দান ও
অনুগ্রহ কী পরিমাণ ৷
তিনি আজ’ তুগর্ভের এক সংকীর্ণ সমাধিতে শায়িত অথচ তার জীবদ্দশায় বিশাল
জলভাগও ছিল সংকীর্ণ ৷



وَقَالَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ: وَقَالَ جَرِيرٌ فِي قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ رَحِمَهُ اللَّهُ وَسَامَحَهُ: نَدِمْتُمْ عَلَى قَتْلِ الْأَغَرِّ ابْنِ مُسْلِمٍ ... وَأَنْتُمْ إِذَا لَاقَيْتُمُ اللَّهَ أَنْدَمُ لَقَدْ كُنْتُمُ مِنْ غَزْوِهِ فِي غَنِيمَةٍ ... وَأَنْتُمْ لِمَنْ لَاقَيْتُمُ الْيَوْمَ مَغْنَمُ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَى إِلَى حُورِ جَنَّةٍ ... وَتُطْبِقُ بِالْبَلْوَى عَلَيْكُمْ جَهَنَّمُ قَالَ: وَقَدْ وَلِيَ مِنْ أَوْلَادِهِ وَذُرِّيَّتِهِ جَمَاعَةٌ الْإِمْرَةَ فِي الْبُلْدَانِ، فَمِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ سَلْمِ بْنِ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، وَكَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، رَثَاهُ حِينَ مَاتَ أَبُو عَمْرٍو أَشْجَعُ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ الرِّقِّيُّ نَزِيلُ الْبَصْرَةِ بِقَوْلِهِ: مَضَى ابْنُ سَعِيدٍ حِينَ لَمْ يَبْقَ مَشْرِقٌ ... وَلَا مَغْرِبٌ إِلَّا لَهُ فِيهِ مَادِحُ وَمَا كُنْتُ أَدْرِي مَا فَوَاضِلُ كَفِّهِ ... عَلَى النَّاسِ حَتَّى غَيَّبَتْهُ الصَّفَائِحُ وَأَصْبَحَ فِي لَحْدٍ مِنَ الْأَرْضِ ضَيِّقٍ ... وَكَانَتْ بِهِ حَيًّا تَضِيقُ الصَّحَاصِحُ سَأُبْكِيكَ مَا فَاضَتْ دُمُوعِي فَإِنْ تَغِضْ ... فَحَسْبُكَ مِنِّي مَا تُجِنُّ الْجَوَانِحُ
পৃষ্ঠা - ৭৫০৭


র্যতোদিন আমার চোখে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে ততদিন আমি তোমার শোকে কেদে যাব ৷
আর যদি তা শুকিয়ে যায়, তাহলে আমার ত ন্তোর যে শোক ও বেদনা সুপ্ত আছে, তাই তোমার
জ্যাদ্র যথেষ্ট ৷

’রু প্রুট্টণ্ এে
তোমার মৃত্যুর পর আমি আমার কোন ণ্শাকেই কাতর হব না এবং কোন আনন্দেই
উফ্তে হব না ৷

অবস্থা এমন যেন তুমি ছাড়া অন্য কেউ কোন দিন মৃত্যুবরণ করেনি এবং তুমি ছাড়া অন্য
কারও ণ্শাকে মাতমকারিণীরা বিলাপ করেনি ৷ ণ্


আজ যদি তোমার ব্যাপারে শোকপাথা ও তার উল্লেখ সুন্দর হয়ে থাকে, তাহলে আশ্চর্যের
কিছু নেই ৷ কেননা, ইতোপুর্বে তোমার ব্যাপারে ন্তুতিগাথাও সুন্দর হয়েছিল ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, নিঃসন্দেহে এই শ্লোকপথোঢি বেশ সুন্দর ৷ আর এতে বীরতু ও
শৌর্য বীর্যের প্রকাশ রয়েছে ৷ আর তা হামাসা’ অধ্যায়ে বিদ্যমান ৷ এরপর তিনি বাহিলা গোত্র
সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, এরা আরবের অতি ইতর গোত্র ৷ তিনি বলেন, কোন মজলিসে
আমাকে রিওয়ায়াত করা হয়েছে যে (একবার) আশৃআছ ইবন কায়স বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
আমাদের (সকল সম্রান্ত ও ইতর) রক্ত কি সমমর্যাদা সম্পন্ন ৷ তিনি বললেন : ণ্াওশুপু ! ;;’;
এ্যা হুা£ ;,, ১া এ হীা! তুমি যদি বানুবাহিলার কোন ব্যক্তিকেও হত্যা কর, তাহলেও
আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ র্জ্যনক আরবকে বলা হলো, বাহিলা গোত্রের সদস্য হয়ে কি তুমি
জান্নাতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ? জবাবে সে বলল, হী৷ ! আমি তাতে সম্মত আছি, তবে শর্ত
হলো জান্নাতবাসীরা যেন বিষয়টি জানতে না পারে ৷ জনৈক আরব এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা
করল, তুমি কোন গোত্রের লোক ৷ সে বলল, বানুবাহিলার ৷ তখন সে তার জন্য সমবেদনা ও
শোক প্রকাশ করতে লাগল ৷ এরপর লোকটি বলল, আমি তোমাকে আরেকটি বাড়তি তথ্য
দিব ৷ তা হলো আমি তাদের বংশজাত নই, তাদের সাহচর্যে অবস্থানকারী আযাদকৃত দাস ৷
একথা শুনে আরব লোকটি তার হাবত-পায়ে চুমু খেতে লাগল ৷ সে বলল, এটা আপনি কেন
করছেন ? সে বলল, কেননা (আমার নিশ্চিত বিশ্বাস) আখিরাতে বিনিময়রুপে জান্নাত প্রদানের
জ্যাদ্র আল্লাহ্ তোমাকে দুনিয়াতে এই বিপদ দ্বারা পরীক্ষায় ফেলেছেনঃ ৷

তারপর ইবন জারীর বলেন, এ বছরের মিসরের আমীর ও শাসক কুবরা ইবন শারীক
আল আবসী ওফাতপ্রাপ্ত হন ৷ আল বিদায়ার প্রস্থুকার বলেন, ইনি হলেন কুবরা ইবন শারীক
যিনি খলীফা ওয়ালীদের পক্ষ হতে মিসরের আমীর ও প্রশাসক ছিলেন ৷ ইনিই আল ফায়ুম-এর
জামি মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ আর এ বছর লোকদের হজ্জ পরিচালনা করেন আবু বাকর
মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায্ম ৷ যিনি পবিত্র মদীনায় প্রশাসক ছিলেন ৷ আর এ সময় পবিত্র
মক্কার প্রশাসক ছিলেন আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন খালিদ ইবন উসায়দ ৷ আর
ইরাকের যুদ্ধ ও সালাতের দায়িত্বে ছিল ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব, আর খারাজ-কর আদায়ের
দায়িত্বে সালিহ ইবন আবদুর রহমান ৷ এছাড়া ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের নাইবরুপে বসরার
দায়িত্বে ছিল সুফ্য়ান ইবন আবদুল্লাহ আলু কিনৃদী আর কাযী ছিল আবদুর রহমান ইবন
উযায়নাহ ৷ কুফার কাযী ছিল আবু বকর ইবন আবু মুসা এবং খােরাসানের সমরকর্তা ছিল
ওয়াকী ইবন সুদ ৷ আর সুমহান আল্পাহ্ই সৰ্বাধিক জানেন ৷


فَمَا أَنَا مِنْ رُزْءٍ وَإِنْ جَلَّ جَازِعٌ ... وَلَا بِسُرُورٍ بَعْدَ مَوْتِكَ فَارِحُ كَأَنْ لَمْ يَمُتْ حَيٌّ سِوَاكَ وَلَمْ تَقُمْ ... عَلَى أَحَدٍ إِلَّا عَلَيْكَ النَّوَائِحُ لَئِنْ حَسُنَتْ فِيكَ الْمَرَاثِي وَذِكْرُهَا ... لَقَدْ حَسُنَتْ مِنْ قَبْلُ فِيكَ الْمَدَائِحُ قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَهِيَ مِنْ أَحْسَنِ الْمَرَاثِي، وَهِيَ فِي الْحَمَاسَةِ. ثُمَّ تَكَلَّمَ عَلَى بَاهِلَةَ، وَأَنَّهَا قَبِيلَةٌ مَرْذُولَةٌ عِنْدَ الْعَرَبِ، قَالَ: وَقَدْ رَأَيْتُ فِي بَعْضِ الْمَجَامِيعِ «أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَتَكَافَأُ دِمَاؤُنَا؟ قَالَ: نَعَمْ، وَلَوْ قَتَلْتَ رَجُلًا مِنْ بَاهِلَةَ لَقَتَلْتُكَ بِهِ» وَقِيلَ لِبَعْضِ الْعَرَبِ: أَيَسُرُّكَ أَنْ تَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَأَنْتَ بَاهِلِيٌّ؟ قَالَ: بِشَرْطِ أَنْ لَا يَعْلَمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ بِذَلِكَ. وَسَأَلَ بَعْضُ الْأَعْرَابِ رَجُلًا: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ بَاهِلَةَ. فَجَعَلَ يَرْثِي لَهُ. فَقَالَ: وَأَزِيدُكَ أَنِّي لَسْتُ مِنَ الصَّمِيمِ وَإِنَّمَا أَنَا مِنْ مَوَالِيهِمْ. فَجَعَلَ يُقَبِّلُ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، فَقَالَ: وَلِمَ تَفْعَلُ هَذَا؟ فَقَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى مَا ابْتَلَاكَ بِهَذِهِ الرَّزِيَّةِ فِي الدُّنْيَا إِلَّا لِيُعَوِّضَكَ الْجَنَّةَ فِي الْآخِرَةِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ قُرَّةُ بْنُ شَرِيكٍ الْقَيْسِيُّ أَمِيرُ مِصْرَ مِنْ جِهَةِ الْوَلِيدِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَكَانَ هُوَ الْأَمِيرَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَعَلَى مَكَّةَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ
পৃষ্ঠা - ৭৫০৮
بْنِ أُسَيْدٍ، وَعَلَى حَرْبِ الْعِرَاقِ وَصَلَاتِهَا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، وَعَلَى خَرَاجِهَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَلَى نِيَابَةِ الْبَصْرَةِ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ سُفْيَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُذَيْنَةَ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، وَعَلَى حَرْبِ خُرَاسَانَ وَكِيعُ بْنُ أَبِي سُودٍ.