আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وتسعين

ترجمة الوليد بن عبد الملك وذكر وفاته

পৃষ্ঠা - ৭৪৯৩


(ইয়া কুব ইবন সুফয়ানের বক্তব্যে) একাধিক সঠিক ও উপকারী তথ্য রয়েছে, তবে তাতে
ভৃলও রয়েছে ৷ আর সেই ভৃণ হল তার এই বক্তব্য যে, তারা এই মসজিদ নির্মাণে সাত বছর
ব্যয় করেছে ৷ আসলে সঠিক হলো দশ বছর ৷ কেননা, এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই যে,
খলীফাহ্ ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক এ বছরে অর্থাৎ ছিয়ানব্বই হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন ৷
ঐতিহাসিক ইবন জারীর এ বিষয়ে জীবনীগ্রস্থ প্রণেতাদের ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
আর এই মসজিদের অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন খলীফা ওয়ালীদের ভাই সুলায়মান,
হিশাম নয় ৷ আল্লাহ্ই অধিক জানেন, তিনি সুমহান ৷

আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, ইবন আসাকিরের স্বলিখিত হ্স্তলিপি হতে উদ্ধৃত করা
হয়েছে, যা ইতােপুর্বে বিগত হয়েছে এরপর এই মসজিদে একাধিক নতুন স্থাপনা নির্মিত
হয়েছে ৷ তন্মধ্যে এর চতৃরের পম্বুজত্রয় যাদ্দো আলোচনা বিগত হয়েছে ৷ বলা হয় পুর্বদিকের
গম্বুজটি নির্মিত হয়েছে ঘুসতানসির আলউবায়দির আমলে চারশ পঞ্চাশ হিজরীতে ৷ এতে
তার নাম এবং ঐ দ্বাদশ ব্যক্তির নাম লিখিত ছিল যাদেরকে রাফিযীরা তাদের ইমাম বলে দাবী
করে থাকে ৷ আর তার চতুরে স্থাপিত স্তন্তদ্বয় নির্মিত হয়েছিল জুমুআহ্র রাতসমুহে
আালাকসজ্জার জন্য ৷ শহরের কাষী আবুমুহাষ্মাদের নির্দেশে চারশ একচল্পিশ হিজরীর রমাযান
মাংস এই আংয় নির্মাণ করা হয় ৷

আমি দামেশ্র্কেয় নির্মাতা ওয়ালীদ ইবন আব্দুল মালিকের
জীবন চরিত এবং এ বছরে তার ওফ্াতের আলোচনা

তিনি হলেন, ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবনুল হ্াকাম ইবন আবুল
আস ইবন উমায়্যাহ্ ইবন আবদ শামস ইবন আবদ মানাফ ৷ তার উপনাম আবুল আব্বাস
আলউমাবী ৷ পিতার মৃত্যুর পর ছিয়াশি হিজরীয় শাওয়াল সালে তার ওয়াসিয়াত মুতাবিক তার
অনুকুাল খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ তিনি তার পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ঘোষিত
যুবরাজ ৷ তার মাতা ওয়ালাদাহ্ বিনৎ আল আব্বাস ইবন হাযন ইবনুল হারিছ ইবন যুহায়র
আলআৰ্সী ৷ খশীফ৷ ওয়ালীদ্দের জন্ম পঞ্চাশ হিজরীতে ৷ তার পিতামাতা তাকে বিলাসিতায়
প্রতিপালন করেছিল ৷ তাই যে বিশেষ কোন শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই বেড়ে উঠেছিল ৷ আর সে
বিশুদ্ধভা৷ব আরবী বলতে পারত না ৷ সে ছিল দীর্শ্বকায়, তবে গাত্রবর্ণছিল বাদামী ৷ তার
শরীরে বসস্তের অস্পষ্ট চিহ্ন হিল ৷ তার নাক ছিল চ্যাপ্টা ৷ হীটার সময় দাম্ভিকতার সাথে
ইাটত ৷ সে দেখতে সুশ্রী ছিন্ন, আবার বলা হয় কুশ্রী ৷ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণকালে তার
দাড়ির সম্মুখডাপ পাক ধারছিল ৷ সে হযরত সাহল ইবন সাদের দেখা পেয়েছিল এবং হযরত
আনাস ইবন মালিক হতে হাদীস শ্রবণ কারত্যি ৷ সে যখন তার কাছে এসেছিল-, তখন তাকে
কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল, যেমন হযরত আনাষের জীবনীতে বিগত হয়েছে ৷
এছাড়া যে সাঈদ ইবনুল মুসামািব হতে হাদীস শ্রবণ করেছে এবং যুহ্রী ও অন্যদের নিকট হাত
হাদীস বর্ণনা করেছে ৷

বর্ণিত আছে, তার পিতা আবদুল মালিক তার জীবদ্দশায় ওয়ালীদকে সিংহাসানর
উত্তরাধিকারী ঘোষণা করতে গিয়েও বিরত হলেন ৷ কেননা, সে বিশুদ্ধ আরবী বলতে পারত
না ৷ এরপর ওয়ালীদ তার কাছে একদল আরবী ভাষা ও ব্যাকরণবিদের সমাবেশ ঘটান এবং
তারা এক বছর কাল তার কাছে অবস্থান করে তাকে শিক্ষা দিল ৷ বলা হয় ছয় মাস ৷ কিত্তু সে
পুর্বের চেয়ে অজ্ঞ অবস্থায় শিক্ষা সমাপন করল ৷ তখন আবদুস মালিক বললেন, যে যথেষ্ট চেষ্টা,

ণো ণো ণো
হু

هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَقَدْ حَكَى أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ عَلَى ذَلِكَ إِجْمَاعَ أَهْلِ السِّيَرِ. وَقَوْلُهُ: لَمْ يَتِمَّ بِنَاؤُهُ فِي زَمَنِ الْوَلِيدِ. بَلْ قَدْ تَمَّ، وَلَكِنْ بَقِيَتْ بَقِيَّاتٌ مِنَ الزَّخْرَفَةِ، فَأَكْمَلَهَا أَخُوهُ سُلَيْمَانُ لَا هِشَامٌ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [تَرْجَمَةُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ، وَذِكْرُ وَفَاتِهِ فِي هَذَا الْعَامِ هُوَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، أَبُو الْعَبَّاسِ الْأُمَوِيُّ، بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَبِيهِ بِعَهْدٍ مِنْهُ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِهِ وَالْوَلِيَّ مِنْ بَعْدِهِ، وَأُمُّهُ وَلَّادَةُ بِنْتُ الْعَبَّاسِ بْنِ جُزِيِّ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زُهَيْرٍ الْعَبْسِيِّ. وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ خَمْسِينَ، وَكَانَ أَبَوَاهُ يُتْرِفَانِهِ، فَشَبَّ بِلَا أَدَبٍ، وَكَانَ لَا يُحْسِنُ الْعَرَبِيَّةَ، وَكَانَ طَوِيلًا أَسْمَرَ، بِهِ أَثَرُ جُدَرِيٍّ، أَفْطَسَ الْأَنْفِ سَائِلَهُ، وَكَانَ إِذَا مَشَى يَتَوَكَّفُ فِي الْمِشْيَةِ أَيْ يَتَبَخْتَرُ وَكَانَ جَمِيلًا، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ دَمِيمًا، قَدْ شَابَ فِي مُقَدَّمِ لِحْيَتِهِ، وَقَدْ رَأَى سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ وَسَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ; لَمَّا قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৪


ৰ্ৰোরও খুজে পেলাম না ৷ তখন আমি নিজের লােভের প্রায়শ্চিত্তস্বরুপ৷ শান্তির জন্য এই শপথ
করলাম (যতদিন জীবিত থাকর) আমি সব সময় রুচি ও মাটি ছাড়া আর কিছু পরে না ৷
একথা শোনার পর খলীফা তাকে বললেন, তোমার কি পোষ্য পরিজন আছে ? সে বলল জী
হ্যা তখন খলীফা তার জন্য বায়ভুল সাল হতে ভাতা নির্ধারণ করে দিলেন ৷
ইবন জারীৱ বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি যে, (লোকটির) ঐ সকল বাহন পথ চলে
বায়তুং৷ সালে এসে পৌছেছিল ৷ তখন বায়তৃল মাসের প্রহরী তা গ্রহণ করে তা সেখানে
সংরক্ষণ করেছিল ৷ বর্ণিত আছে, ওয়ালীদ তাকে বলেছিলেন তোমার আহরিত সেই সম্পদ
আমাদের কাছে পৌছেছে ৷ যাও গিয়ে তোমার উটগুলো নিয়ে যাও ৷ এছাড়া একথাও বর্ণিত
আছে যে, তিনি তাকে সেই সম্পদের একাংশ দিয়েছিলেন যা তার ও তার পােষ্যপরিজানর
খোরাকের জন্য পর্যাপ্ত ছিল ৷ নুমায়র ইবন আবদুল্লাহ্ আশৃশানানী তার পিতা হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, একবার ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক বলেন, মহান আল্পাহ্ যদি পবিত্র
কুরআনে লুত সম্প্রদায়ের উল্লেখ না করতেন, তাহলে আমার এ ধারণা হতো না যে, কোন
পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এই কাজ করতে পারে ৷
আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, খলীফ্৷ ওয়ালীদ একথা দ্বারা এই কুৎসিত ও জঘন্য স্বভাব
এবং নিন্দনীয় অশ্লীল কর্ম হতে নিজের নিঃসষ্পর্কতার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ আর এই
কুকর্মের কারণে আল্পাহ্ তা জানা লুত সম্প্রদায়কে বিভিন্ন প্রকার শান্তি প্রদান করেছেন এবং
এমনসব দৃষ্টাত্তমুলক আযাবে পা কড়াও করেছেন তার নযীর পুর্ববর্তী কোন সম্প্রদায়ের ইতিহাসে
নেই ৷ আর এটা হলো পুৎমৈথুন যার শিকার হয়েছে বহুসংখ্যক রাজা-বাদশাহ, আমীব-উমাবা ,
ব্যবসায়ী, সাধারণ লোক, লিখক, ফিকাহবিদ, কাষী ও অন্যরা ৷ তবে আল্পাহ্ পাক যাদেরকে
রক্ষা করেছেন তাদের কথা ভিন্ন ৷ পুৎমৈথুনের ক্ষতি ও অপকার গণনা করে শেষ করা যায় না ৷
এ কারণেই এই কুকর্মে লিপ্তদের জন্য বিভিন্ন প্রকার শান্তি নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ পুৎমৈথুনের
শিকার হওয়ার চেয়ে নিহত হওয়া গ্রেয় ৷ কেননা, তা তাকে এমন বিকৃতরুচির শিকার করে
যার কোন সংশোধন প্রত্যাশা করা যায় না ৷ তবে যদি মহান আল্লাহ কারও সংশোধন চান
তাহলে তা ব্যতিক্রম ৷ কাণ্ডেইি, প্রত্যেকের কর্তব্য হলো আপন সন্তানদের শৈশবে ও কৈশরে
াপুৎমৈথুনের অভিশাপ হতে রক্ষা করা এবং মহান আল্লাহর রাসুলের যবানে অভিপপ্ত এই সকল
শয়তানের সাহচর্ষ হতে বাচিয়ে রাখা ৷ আল্লাহ তা জানা সকলকে হিফাযাত করুন ৷ আমীনা
এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে যে, পুৎমৈথুনের শিকার ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত
কিনা? তবে এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত বা রায় হলো পুৎ মৈথুনের শিকার ব্যক্তি যদি বিশুদ্ধরুপে
খাটি তাওবা করে এবং আল্লাহ্ভিমুখিতা ও সংশোধনপ্ৰাপ্ত হয়, তার পাপসমুহকে পুণ্য দ্বারা
পরিবর্ত্য৷ করে নেয়, বিভিন্ন প্রকার বন্দেগী ও আনুগত্য দ্বারা নিজেকে তা হতে পবিত্র করে নেয়
এবং পরবর্তীতে স্বীয় দৃষ্টি অবনত রাখে, লজ্জান্থালের হিফাযত করে এবং স্বীয় প্রতিপালকেৱ
সাথে নিজের আচরণকে একান্ত ও একনিষ্ঠ করে নেয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে
এবং জান্নাতবাসী হবে ৷ কেননা, আল্লাহ্ তার দিকে প্রত্যাবর্ত্যব্ক্তকারীদের পাপ ক্ষমা করে
থাকেন
চু,পুৰুপুঞ্জো ছু; ;াদ্বুণ্,ভ্রুংষ্ ;;; ;,fl ;,;,
আর যারা নিবত্ত না হয়, তার যালিম, (৪৯ং ১১)


عَلَيْهِ سَأَلَهُ مَاذَا سَمِعَ فِي أَشْرَاطِ السَّاعَةَ؟ كَمَا تَقَدَّمَ فِي تَرْجَمَةِ أَنَسٍ، وَسَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، وَحَكَى عَنِ الزُّهْرِيِّ وَغَيْرِهِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ أَرَادَ أَنْ يَعْهَدَ إِلَيْهِ ثُمَّ تَوَقَّفَ; لِأَنَّهُ لَا يُحْسِنُ الْعَرَبِيَّةَ، فَجَمَعَ الْوَلِيدُ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِ النَّحْوِ عِنْدَهُ فَأَقَامُوا سَنَةً، وَقِيلَ: سِتَّةَ أَشْهُرٍ. فَخَرَجَ يَوْمَ خَرَجَ أَجْهَلَ مِمَّا كَانَ، فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: قَدْ أُجْهِدَ وَأُعْذِرَ. وَقِيلَ: إِنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الْمَلِكِ أَوْصَاهُ عِنْدَ مَوْتِهِ، فَقَالَ لَهُ: لَا أَلْفَيَنَّكَ إِذَا مِتُّ، تَجْلِسُ تَعْصِرُ عَيْنَيْكَ، وَتَحِنُّ حَنِينَ الْأَمَةِ، وَلَكِنْ شَمِّرْ وَائْتَزِرْ وَدَلِّنِي فِي حُفْرَتِي وَخَلِّنِي وَشَأْنِي، وَادْعُ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ; فَمَنْ قَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا فَقُلْ بِسَيْفِكَ هَكَذَا. وَقَالَ اللَّيْثُ: وَفِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَسَبْعَيْنِ غَزَا الْوَلِيدُ بِلَادَ الرُّومِ، وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَيْضًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: غَزَا فِي الَّتِي قَبْلَهَا، وَفِي الَّتِي بَعْدَهَا بِلَادَ مَلَطْيَةَ وَغَيْرَهَا. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: أُؤْمِنُ بِاللَّهِ مُخْلِصًا. وَقِيلَ: كَانَ نَقْشُهُ: يَا وَلِيدُ إِنَّكَ مَيِّتٌ. وَيُقَالُ: إِنَّ آخِرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي عَبْلَةَ: قَالَ لِي الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَوْمًا: فِي كَمْ تَخْتِمُ الْقُرْآنَ؟ قُلْتُ: فِي كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى شُغْلِهِ يَخْتِمُهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৫

’ন্,ৰু ,;১’,”,টু’১ছু ট্রা৷ ৷
কিন্তু সীমালঙ্ঘন করার পর কেউ তাওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলে আল্লাহ তার
প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হবেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (৫ং ৩৯) ৷
কিন্তু যে পুৎমৈথুনের শিকার শৈশবের চেয়ে বয়ঃপ্রাপ্ত অবস্থায় আরও বেপরওয়া হয়ে উঠে,
তার তাওবা দুঃসাধ্য, অসম্ভব ৷ কোন বিশুদ্ধ তাওবা কিংবা তার অতীত পাপকর্ম মােচনকারী
কোন লেক আমলের সে উপযুক্ত হবে এ সম্ভাবনাও সদুরপরাহত ৷ উপরন্তু তার বেঈমান অবস্থায়
মৃত্যুর আশঙ্কা বিদ্যমান ৷ যেমন বহুজনের ভাগ্যে ঘটেছে ৷ যারা তাদের এই সকল ,
পাপপঙ্কিলতাসহ মৃত্যুবরণ করেছে ৷ দুনিয়া ত্যাগের পুর্বে তা হতে পবিত্রত৷ অর্জন করতে
পারেনি ৷ আর কারও কারও নিকৃষ্টতম মৃত্যু ঘটেছে এমনকি এই পাপাসক্তি তাকে অমাদ্ভনীিয়
মহাপাপ শিরকে নিপতিত করেছে ৷ আর পুৎমৈথুনে অভ্যস্ত এবৎ অন্যান্য যৌন বিকারগ্রস্তদের
বহু ঘটনা রয়েছে যার উল্লেখ এ পরিচ্ছেদের কলেবর বৃদ্ধি করবে ৷ আমাদের উদ্দেশ্য একথা
বর্ণনা করা যে, পাপাসক্তি, অবা ধ্যতা, প্রবৃত্তিপরায়ণত৷ বিশেষত যৌন প্রবৃত্তি মানুষকে মৃত্যুকালে
শয়তড়ানের সহযােগীরুপে অপদন্থতার শিকার করে ৷ ফলে ঈমানের দুর্বলত্বার সাথে সে যখন
এই অপদস্থতার শিকার হয়, তখন তা তাকে মন্দ পরিণতি বা ঈমানশুন্য মৃত্যুর শিকারে
পরিণত করে ৷ আল্লাহ
তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক (২৫০ : ২৯) ৷ ’
এমনকি পুৎমৈথুনে লিপ্ত হয়নি এমন অনেকেও ঈমানশুন্য মৃত্যুর করলে পতিত হয়েছে,
যায়৷ এর চেয়ে লঘুপারুপ জড়িত ছিল ৷ আর ঈমানহীন মৃত্যু হতে মহান আল্লাহ আমাভ্রুদ্যা আশ্রয়
দান করুন যে পতিত হবে না আল্লাহর সাথে যার ভিতরের ও বাইরের সম্পর্ক ঠিক আছে,
বিশুদ্ধ আছে এবৎ যে তার কথায় ও কাজে সর্ত্যপন্থী ৷ কেননা, এটা অশ্রুতপুর্ব যেমন আবদুল
হক আল-ইশবীলী (সেভিলীয়) উল্লেখ করেছেন ৷ আসলে ঈমানহীন মৃত্যু তার ভাগ্যে ঘটে, যার
অভ্যন্তরের আকীদা ও সকল বাহ্যিক আমল নষ্ট হয়ে গেছে এবৎ নির্দিধায় সে কবীরা গুনাহে
ণ্ লিপ্ত এবং অপরাধ সং ×ঘটনে দুঃসাহসী ৷ আর কখনও তার এ অবস্থা প্ৰচল হয়ে দেখা দেয় এবং
তাওবার পুর্বে তার মৃত্যু এসে উপস্থিত হয় ৷
সারকথা এই যে, পুৎমৈথুন হলো মহা অনাচাৱ ও জঘন্যতম পাপাচার ৷ পুর্ববর্তী আরবাদ্যা
মাঝে এর কোন পরিচয়, প্রচলন ছিল না ৷ যেমন, একাধিক নির্ভরযোগ্য আরব ঐতিহাসিক তা
উল্লেখ করেছেন ৷ এ কারণেই ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক বলেছেন, যদি না আল্লাহ তা আলা
আমাদেরকে লুত আলায়হিস সালামের সম্প্রদায়ের কাহিনী বর্ণনা করতেন, তাহলে আমি ধারণা
করতে পারতাম না যে, কোন পুরুষ অন্য পুরুষে উপগত হতে পারে ৷ হযরত ইবন আব্বাস
(রা) বর্ণিত হাদীসে আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

হু; হুাদ্বু£৬ন্থ, ৷ , ৰুা৬ান্দ্বু ৷ ৷,৬,ণ্ ৬টু’৷ ণ্ট্রু,’ও ড্রু’৬’৬ র্টুপু£ট্রঠু হুটু’৬’:ংাপুর্মু , ;,ন্,
“তোমরা যাদেরকে লুত সম্প্রদায়ের কমে লিপ্ত দেখবে তাদের কর্তা’ ও কৃত’ উভয়কে
হত্যা করবে ৷” সুনান সৎকলকগণ হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং ইবন হিবৃবান ও
অন্যরা তাকে বিশুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন ৷ পুৎমৈথুনকারীকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া
সাল্লাম তিনবার অভিশাপ করেছেন ৷ আর এই পাপ ছাড়া অন্য কোন পাপকাজে তিনি তিনবার
অভিশাপ করেননি ৷ উপরন্তু, এ ক্ষেত্রে তিনি কর্তা’ ও কৃত’ উভয়কে হত্যা করার নির্দেশ ,


كُلِّ ثَلَاثٍ. وَقِيلَ: فِي كُلِّ سَبْعٍ. قَالَ: وَكَانَ يَقْرَأُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ سَبْعَ عَشْرَةَ خَتْمَةً. قَالَ إِبْرَاهِيمُ، رَحِمَهُ اللَّهُ: الْوَلِيدُ! وَأَيْنَ مِثْلُهُ؟ بَنَى مَسْجِدَ دِمَشْقَ وَكَانَ يُعْطِينِي قِصَاعَ الْفِضَّةِ، فَأُقَسِّمُهَا عَلَى قُرَّاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادٍ رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجَ الْوَلِيدُ يَوْمًا مِنَ الْبَابِ الْأَصْغَرِ، فَرَأَى رَجُلًا عِنْدَ الْمِئْذَنَةِ الشَّرْقِيَّةِ يَأْكُلُ شَيْئًا، فَأَتَاهُ فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَإِذَا هُوَ يَأْكُلُ خُبْزًا وَتُرَابًا، فَقَالَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: الْقُنُوعُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَذَهَبَ إِلَى مَجْلِسِهِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِهِ، فَقَالَ: إِنْ لَكَ لَشَأْنًا، فَأَخْبِرْنِي بِهِ وَإِلَّا ضَرَبْتُ الَّذِي فِيهِ عَيْنَاكَ. فَقَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كُنْتُ رَجُلًا جَمَّالًا، فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ قَاصِدًا إِلَى الْكُسْوَةِ إِذْ زَرَتَنِي الْبَوْلُ، فَعَدَلْتُ إِلَى خَرِبَةٍ لِأَبُولَ، فَإِذَا سَرَبٌ فَحَفَرْتُهُ فَإِذَا مَالٌ صَبِيبٌ، فَمَلَأْتُ مِنْهُ غَرَائِرِي، ثُمَّ انْطَلَقْتُ أَقُودُ بِرَوَاحِلِي، وَإِذَا بِمِخْلَاةٍ مَعِي فِيهَا طَعَامٌ فَأَلْقَيْتُهُ مِنْهَا، وَقُلْتُ: إِنِّي سَآتِي الْكُسْوَةَ، وَرَجَعْتُ إِلَى الْخَرِبَةِ، لِأَمْلَأَ تِلْكَ الْمِخْلَاةَ مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ، فَلَمْ أَهْتَدِ إِلَى الْمَكَانِ بَعْدَ الْجَهْدِ فِي الطَّلَبِ، فَلَمَّا أَيِسْتُ رَجَعْتُ إِلَى الرَّوَاحِلِ فَلَمْ أَجِدْهَا وَلَمْ أَجِدِ الطَّعَامَ، فَآلَيْتُ عَلَى نَفْسِي أَنِّي لَا آكُلُ إِلَّا خُبْزًا وَتُرَابًا. قَالَ: فَهَلْ لَكَ عِيَالٌ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৬


দিয়েছেন ৷ কারণ, তাদের স্বভাব ও রুচি-বিকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ পৈশাচিকতার কারণে
মানবসমাজে তাদের থাকার কোন অধিকার নেই ৷ আর যে এ জাতীয় বিকৃত যৌনাচারের স্তরে
পৌছে গেছে তার বেচে থাকার মাঝে র্কারও ণ্কান কল্যাণ নেই ৷ বরং আল্লাহ পাক যখন
সকলকে তাদের থেকে নিষ্কৃতি ও স্বস্তি দিবেন, তখন সকলের জীবিকা ও ধার্মিকতার বিষয়টি
সংশোধিত হবে ৷ এছাড়া লা নত বা অভিশাপ হলো বিতাড়ন ও বিদুরণ ৷ আর যে মহান আল্লাহ
হতে, তার রাসুল (সা) হতে, তার নাযিলকৃত কিতাব হতে এবং তার সৎ বান্দাদের নিকট হতে
বিদুরিত ও বিতাড়িত, তার মাঝে ও তার নৈকটো ও সাহচর্যে কোন কল্যাণ নেই ৷ আর
আল্লাহ্পাক যাকে সন্ধানী দৃষ্টি ও দুরদশিতাি এবং আলোকিত বিবেক ও বিচক্ষণতা দান
করেছেন, সে মানুষের অবয়ব ও মুখাকৃতি হতে তাদের কর্মের ধারণা লাভ করে ৷ কেননা,
মানুষের মুখাবয়ৰে, চোখে এবং কথায় তাদের কর্মের প্রকার ও প্রকৃতি সুস্পষ্টরুপে প্রকা ৷শিত
হয়ে থাকে ৷ আল্লাহ্ তা আলা এই অপকর্মের উল্লেখ করে, তাকে পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্নদের জন্য
নিদর্শন স্বরুপ করেছেন ৷ তিনি বলেন


ণ্




“তারপর সুর্যোদয়েয় সময়ে মহানাদ তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি (সেই) জনপদকে
উন্টিয়ে উপর-নীচ করে দিলাম এবং তাদের উপর প্রস্তর-কঙ্কর বর্ষণ করলাম ৷ অবশ্যই এতে
পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শনাদি রয়েছে” (১৫ং : ৭৩ ৭৫) ৷

আল্লাহ্ তা আল৷ আরও ইরশাদ করেন০ :

০০০০০০



যাদের অম্ভরে ব্যাধি আছে তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ্ত তাদের বিদ্বেষভ৷ ৷ব প্রকাশ করে
দিবেন না ? আমি ইচ্ছা করলে ণ্তামাকে তাদের পরিচয় দিতাম ৷ ফলে তুমি তাদের লক্ষণ
দেখে তাদেরকে চিনতে পারবে, তবে তুমি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবে ৷
আল্পাহ্ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত ৷ আমি অবশ্যই তােমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না
আমি জেনে নিব তোমাদের মধ্যে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীলদেরক্তক এবং আমি তোমাদের
ব্যাপারে পরীক্ষা করি” (৪ ৭ ২৯৩১) ৷

এ ছাড়া এ সম্পকিতি আয়াত ও হাদীসসমুহ ৷ আর পুৎমৈথুনকারীর স্বভাব ও রুচি-বিকৃতি
ঘটেছে, ফলে সে পুরুষে উপগত হয়েছে আর আল্পাহ্ তার অম্ভরকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন
এবং তার বিষয়কে বিপরীতমুখী কার দিয়েছেন ৷ পরিণামে তার সংশোধন ও সুমতি সদুর
পরাহত ৷ তবে যে তাওব৷ করে ঈমান এসেছে এবং নৎকর্ম করেছে, তারপর সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে
তার কথা স্বতন্ত্র ৷ আর প্রকৃত তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য আল্লাহ্ পাক সুরা তাওবার শেষাৎশে উল্লেখ
করে বল্যেছন টু,র্টু; ;ট্রু৷ ৷ ছু,টু’;ার্দু;া৷ অর্থাৎ তাওবাকারী হলো ইবাদতকারিগণ ৷ কাজেই
তাওবাকারী বা পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত ব্যক্তিকে ইবাদত-বন্দেগী এবং আখিরাতের উদ্দেশ্যে-
আমলের জন্য তৎপর হতে হবে ৷ অন্যথায় নফস বা মানবচিত্ত হলো অস্থির ও নিতানতৃন


نَعَمْ. فَفَرَضَ لَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ. قَالَ ابْنُ جَابِرٍ: وَبَلَغَنَا أَنَّ تِلْكَ الرَّوَاحِلَ سَارَتْ حَتَّى أَتَتْ بَيْتَ الْمَالِ، فَتَسَلَّمَهَا خَازِنُهُ فَوَضَعَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ. وَقَالَ نُمَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السَّمْعَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ ذَكَرَ قَوْمَ لُوطٍ فِي الْقُرْآنِ مَا ظَنَنْتُ أَنَّ أَحَدًا يَفْعَلُ هَذَا. قَالُوا: وَكَانَ الْوَلِيدُ لَحَّانًا. كَمَا جَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ الْوَلِيدَ خَطَبَ يَوْمًا، فَقَرَأَ فِي خُطْبَتِهِ: {يَا لَيْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِيَةَ} [الحاقة: 27] فَضَمَّ التَّاءَ مِنْ لَيْتَهَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَا لَيْتَهَا كَانَتْ عَلَيْكَ وَأَرَاحَنَا اللَّهُ مِنْكَ. وَكَانَ يَقُولُ: يَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ. وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَوْمًا لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ: إِنَّكَ لَرَجُلٌ لَوْلَا أَنَّكَ تَلْحَنُ. فَقَالَ: وَهَذَا ابْنُكَ الْوَلِيدُ يَلْحَنُ. فَقَالَ: لَكِنَّ ابْنِي سُلَيْمَانَ لَا يَلْحَنُ. فَقَالَ الرَّجُلُ: وَأَخِي أَبُو فُلَانٍ لَا يَلْحَنُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৭


অভিপ্রায় প্রবণ তুমি যদি তাকে ন্যায় ও সত্যে ব্যস্ত না রাখ, তাহলে সে তোমাকে অসত্য ও
অন্যায়ে লিপ্ত করবে ৷ কাজেই, তাওবাকারীকে অবশ্যই তার যে সকল সময় নাফরমানীতে
অতিবাহিত হয়েছে তা পরিবর্তন করে আনুগত্যে ব্যয় করতে হবে ৷ এবং তাতে যে অবহেলা ও
শিথিলতা হয়েছে তার ক্ষতিপুরণ করতে হবে ৷ এবং পুর্বেকার অন্যায় ও পাপের পথের
পদক্ষেপসমুহকে ন্যায় ও কল্যাণের পথের পদক্ষেগে পরিণত করতে হবে ৷ উপরভু, নিজের
প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ প্রতিটি উচ্চারণ এবং প্রতিটি ভাবনা ও কল্পনড়াকে পাপ ও
অন্যায় হতে রক্ষা করতে হবে ৷ একবার এক ব্যক্তি জুনায়দ (রহ)-কে বলল, আমাকে
উপদেশ প্রদান করুন ৷ তিনি বললেন, এমনভাবে তাওবাহ্ করবে যেন পুনরায় গোনাহের কোন
ইচ্ছা বাকী না থাকে, এমন আল্লাহ্ভীতি অবলম্বন করবে যা অহংবােধ বা সম্মানবোধ দুর করে
দেয়, মহান আল্লাহর প্রতি এমন আশা পোষণ করবে যা তোমাকে কল্যাণের বিভিন্ন পথে চলতে
সদা তটস্থ করে রাখে এবং অতরের চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে “মহান আল্লাহ তোমাকে পর্যবেক্ষণ
করছেন এই বিশ্বাস বজায় রাখবে ৷ কাজেই এগুলি হলো তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য ৷ তারপর
আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন ং
অর্থাৎ আল্লাহর প্রশংসাকারী সিয়াম
পালনকারীরুকু ও সিজদীকারী ৷ কাতেইি, দেখা যাচ্ছে আল্লাহ তাআলার ভাষ্য মতে এগুলো
তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য ৷ যেমন আল্লাহ তাটআলা যখন বললেন, ,টুৰু ওর্চু৷ অর্থাৎ তাওবাকারী
তখন যেন কেউ প্রশ্ন করল, কারা তারা ? তখন বলা হলো, তার৷ হলো ইবাদতকারী, সিয়াম
পালনকারী আঘাতের শেষ পর্যন্ত ৷ অন্যথায় তাওৰা করার পর তাওবাকারী যদি মহান আল্লাহর
নৈকাট্যর মাধ্যম গ্রহণ ও অবলম্বন না করে, তাহলে সে দুরত্বে ও পশ্চড়াতে অবস্থান করবে,
ভৈনকাট্য ও সম্মুখে নয় ৷ যেমন কেউ কেউ আনুগত্য ছেড়ে নিষিদ্ধ নাফরমানীতে লিপ্ত হয়ে মহান
আল্লাহর ব্যাপারে প্রভাবিত হয়ে থাকে ৷ কেননা, আনুগত্য ছেড়ে নাফরমানীতে লিপ্ত হওয়া
কুপ্ৰবৃত্তির বশবর্তী হয়ে হারামে লিপ্ত হওয়ার চোয় গুরুতর ৷ প্রকৃত তওবাকারী সেই ব্যক্তি যে
নিষিদ্ধ বিষয়াদি এড়িয়ে চলে এবং নির্দেশিত বিষয়াদি পালন করে, সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে
ধৈর্যধারণ করে ৷ আর সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ তাআলাই হলেন একমাত্র সাহায্যকারী ও
তাওফীক দাতা ৷ আর তিনি অম্ভর্যামী ৷ , ,

ঐতিহাসিকগণ বলেন, খলীফা ওয়ালীদ বিশুদ্ধ আরবী বলতে পারতেন না ৷ যেমন,
একাধিক সুত্রে বণিতি আছে যে, ওয়ালীদ তার খুতবাতে এই আয়াত ;ঠুওাহু ৷ট্রু; ৷ঠু
২ঠু,৯ঠো ! হার আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হতো ৷ পড়তে গিয়ে ব্যাকর,ণগত ক্তৃ৷ করল
তা হরফক্কক খবরের পরিবর্তে পেশ দিয়ে পড়ল তখন উমর ইবন আবদুল আযীয বললেন,
হার! এই মৃত্যু যদি তোমার ভাগ্যে ঘটত এবং আল্লাহ আমাদেরকে তোমার থেকে স্বন্তি

দিতেন! সে পবিত্র মদীনাবাসীকে সম্বোধন করে বলত, ইয়া আহলুল মদীনা ৷ ১ খলীফা আবদুল
মালিক একদিন কুরায়শের এক ব্যক্তিকে বললং তুমি তাে বেশ চৌকস ব্যক্তি,৩ তবে তুমি
অশুদ্ধ আরবী না বললে বেশ হতো ৷ তখন সে বলল, আপনার ছেলে ওয়ালীদ সেও তো অশুদ্ধ
আরবী বলে ৷ তখন আবদুল মালিক বলল, কিন্তু আমার ছেলে সুলায়মান বিশুদ্ধ আরবী বলে ৷
তখন লোকটি বলল, আমার ভইি অমুক সেও বিশুদ্ধ আরবী বলে ৷ ইবন জারীর বলেন, উমর
সুত্রে আলী ইবন মুহাম্মাদ আল-মাদইিনী হতে তিনি বলেন, শামবাসীদের কাছে ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিক ছিলেন সর্বোত্তম খলীফা ৷ তিনি দা মেশকে বহু মসজিদ নির্মাণ করেছেন, বহু

১ সঠিক হলো ইয়৷ আহ্লাল-মাদীনাহ বলা ৷


قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنِي عُمَرُ، ثَنَا عَلِيٌّ يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيَّ قَالَ: كَانَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عِنْدَ أَهْلِ الشَّامِ أَفْضَلَ خَلَائِفِهِمْ، بَنَى الْمَسَاجِدَ بِدِمَشْقَ، وَوَضَعَ الْمَنَارَ، وَأَعْطَى النَّاسَ وَأَعْطَى الْمَجْذُومِينَ، وَقَالَ لَهُمْ: لَا تَسْأَلُوا النَّاسَ، وَأَعْطَى كُلَّ مُقْعَدٍ خَادِمًا، وَكُلَّ ضَرِيرٍ قَائِدًا، وَفَتَحَ فِي وِلَايَتِهِ فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً عِظَامًا، فَفَتَحَ الْهِنْدَ وَالسِّنْدَ وَالْأَنْدَلُسَ، وَغَيْرَ ذَلِكَ. قَالَ: وَكَانَ مَعَ هَذَا يَمُرُّ بِالْبَقَّالِ فَيَأْخُذُ حُزْمَةَ الْبَقْلِ بِيَدِهِ، وَيَقُولُ: بِكَمْ تَبِيعُ هَذِهِ؟ فَيَقُولُ: بِفَلْسٍ. فَيَقُولُ: زِدْ فِيهَا فَإِنَّكَ تَرْبَحُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يَبَرُّ حَمَلَةَ الْقُرْآنِ وَيُكْرِمُهُمْ، وَيَقْضِي عَنْهُمْ دُيُونَهُمْ. قَالُوا: وَكَانَتْ هِمَّةُ الْوَلِيدِ فِي الْبِنَاءِ وَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ، فَيَقُولُ: مَاذَا بَنَيْتَ؟ مَاذَا عَمَرْتَ؟ وَكَانَتْ هِمَّةُ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ فِي النِّسَاءِ، فَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ، فَيَقُولُ: كَمْ تَزَوَّجْتَ؟ مَاذَا عِنْدَكَ مِنَ السَّرَارِيِّ؟ وَكَانَتْ هِمَّةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ، وَالصَّلَاةِ وَالْعِبَادَةِ، فَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ فَيَقُولُ: كَمْ وِرْدُكَ؟ كَمْ تَقْرَأُ كُلَّ يَوْمٍ؟ مَاذَا صَلَّيْتَ الْبَارِحَةَ؟ . وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ الْوَلِيدُ جَبَّارًا ذَا سَطْوَةٍ شَدِيدَةٍ لَا يَتَوَقَّفُ إِذَا غَضِبَ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৮

মিনার স্থাপন করেছেন, সাধারণ লোক এবং কুষ্ঠরোগীদের উদার হ৫স্ত দান করেছেন,
জ্যাসাধারণকে বলেছেন, তোমরা লোকদের কাছে প্রার্থনা করো না ৷ এ ছাড়া তিনি প্রত্যেক
প্ৰতিবন্ধীকে একজন সেবক এবং প্রত্যেক অন্ধকে একজন পথপ্রদর্শক দান করেছেন ৷ তার
খিলাফতকালে তিনি বহু বিশাল বিজয়ের অধিকারী হয়েছেন ৷ ৫রাম আক্রমণের প্রতিটি
অভিযানকালে তিনি তার ছেলেদের পাঠাতেন ৷ তার আমলে তিনি ভারত, সিন্ধু, স্পেন এবং
পারস্য দেশের বহু অঞ্চলে বিজয় অর্জন করেন ৷ এমনকি তার প্রেরিত সেনাবাহিনী চীন ও
অন্যান্য ৫দশেও প্রবেশ করে ৷ আলী আল-মড়াদইিনী বলেন, এসব সত্বেও তিনি সবজি বিক্রেতার
কাছে যেতেন এবং সবৃজিং৷ আটি হাতে ধরে বলতেন, এটা তুমি কত দিয়ে বিক্রি করবে ৷ তখন
সে বলত, এক পয়সায় ৷ এরপর তিনি বলতেন, তার মুল্য বাড়িয়ে বলো, তাহলে তুমি লাভবান
হবে ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন, হাফি৫য কুরআনগণের সমাদর ও সম্মান করতেন এবং
তাদের পক্ষে,তাদের ঋণসমুহ পরিশোধ করতেন ৷ ঐতিহাসিকগণ আরও বলেন, খলী ফা
ওয়ালীদের চিন্তা-ভাবনা আবর্তিত হতো ভবন ইত্যাদি নির্মাণ নিয়ে ৷ আর তার প্রজারাও ছিল
তেমন ৷ একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করত, তুমি কী নির্মাণ
করেছে৷ ? তুমি কী গড়েছো? আর তার ভাই সুলায়মানের চিম্ভা-ভাবনা ছিল রমণীকেদ্রিক ৷
ফলে তার আমলে প্রজাদের অবন্থাও ছিল তদ্র্যপ ৷ কারও সাথে কারও সাক্ষাৎ হলে সে তাকে
জিজ্ঞাসা করত, তুমি কতজন রমণী বিবাহ করেছে৷ ? তোমার কাছে কতজন দাসী-বীদী রয়েছে
? আর হযরত উমর ইবন আবদুল আযীযের চিম্ভা-ভাবনা ছিল কুরআন তিলাওয়াত এবং
সালাত ও ইবাদত-বন্দেপী নিয়ে ৷ আর ৫স সময় প্রজাদের অবস্থাও তেমন ছিল ৷ একজনের
সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করত, তোমার দৈনিক ওযীফা কী পরিমাণ ?
প্রতিদিন তুমি কতটুকু তিলাওয়াত কর ? গতরা৫ত তুমি কত রাকআত নামায পড়েছো ?
বলা হয় যে প্রজারা রাজার অনুসারী, অনুবর্তী হয়ে থাকে ৷ রাজা যদি মদ্যপ হয়, তাহলে
মদের প্রসার ঘটে, সে যদি পুং মৈথুনকারী হয়, তাহলে প্রজারাও তার অনুসারী হয় ৷ সে যদি
কৃপণ ও ৫লাভী হয়ে থাকে, তাহলে প্রজারাও অরুপ, সে যদি লোভী, অত্যাচারী ও নিপীড়ক হয়
তাহলে প্রজারা অরুপ, আর সে যদি ধার্মিক, আল্লাহ্ভীরু, সদাচারী ও অনুগ্রহ্শীল হয়, তাহলে
তার প্রজারাও অরুপ হয় ৷ আর এটা বহু যুগের এক যুগে এবং বহুজনের একজনের ক্ষেত্রে হয়ে
থাকে ৷ আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷

ওয়াকিদী বলেন, খলীফা ওয়ালীদ ছিলেন পরা ক্রমের অধিকারী প্রতাপনালী শাসক ৷ ক্রুদ্ধ
হলে অপ্ৰতিহত, নাছোড় স্বভাবের একরেথো এবং অধিক আহার ও রমণকার্যে অভ্যস্ত এবং
তালাক প্রদানে সিদ্ধহস্ত ৷ বলা হয় অগণিত দাসী-র্বীদী ব্যতীত তিনি (৬৩) ৫তষট্টিজন নারীকে
বিবাহ করেন ৷ অবশ্য আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, যে হলো ফাসিক শাসক ওয়ালীদ ইবন
যায়িদ, জামি দামেশকের নির্মাতা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক নয় ৷ আর আল্লাহ সর্বাধিক
জানেন ৷

গ্রন্থকার আরও বলেন, খলীফা ওয়ালীদ জামি দামেশক নির্মাণ করেন আমাদের
পুর্বোল্লিখিত ধরণে’ , তৎকালীন পৃথিবীতে তার কোন তুলনা ছিল না ৷ এছাড়া তিনি বায়তুল
মাকদিসের সাখরা নির্মাণ করে তার উপর গম্বুজ গড়ে তোলেন এবং মসজিদে নববীকে
পুনর্নির্মাণ করে এত সম্প্রসারিত করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামও তার
সাথীদ্বয়ের কবর সম্বলিত হুজরাখানি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ৷ এছাড়াও তার আরও বহু
সুকীর্তি রয়েছে ৷ আর তার ওফাত সংঘটিত হয় এ বছরের জুমাদাল উখরা মাসের পনের ৰু


لَجُوجًا، كَثِيرَ الْأَكْلِ وَالْجِمَاعِ، مِطْلَاقًا، يُقَالُ: إِنَّهُ تَزَوَّجَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ امْرَأَةً غَيْرَ الْإِمَاءِ. قُلْتُ: وَقَدْ يُرَادُ بِهَذَا الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْفَاسِقُ لَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي الْجَامِعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: بَنَى الْوَلِيدُ الْجَامِعَ عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي ذَكَرْنَا، فَلَمْ يَكُنْ لَهُ فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ، وَبَنَى صَخْرَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ عَقَدَ عَلَيْهَا الْقُبَّةَ، وَبَنَى مَسْجِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَسَّعَهُ، حَتَّى دَخَلَتِ الْحُجْرَةُ الَّتِي فِيهَا الْقَبْرُ فِيهِ، وَلَهُ آثَارٌ حِسَانٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، ثُمَّ كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي يَوْمِ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَهَذَا قَوْلُ جَمِيعِ أَهْلِ السِّيَرِ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ وَجَمَاعَةٌ: كَانَتْ وَفَاتُهُ يَوْمَ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سِتٍّ - وَقِيلَ: ثَلَاثٍ، وَقِيلَ: تِسْعٍ، وَقِيلَ: أَرْبَعٍ - وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدَيْرِ مُرَّانَ، فَحُمِلَ عَلَى أَعْنَاقِ الرِّجَالِ حَتَّى دُفِنَ بِمَقَابِرِ بَابِ الصَّغِيرِ، وَقِيلَ: بِمَقَابِرِ بَابِ الْفَرَادِيسِ. حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَكَانَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ; لِأَنَّ أَخَاهُ سُلَيْمَانَ كَانَ بِالْقُدْسِ الشَّرِيفِ، وَقِيلَ: صَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَقِيلَ: بَلْ صَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ سُلَيْمَانُ. وَالصَّحِيحُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৯

তারিখ শনিবার ৷ ইবন জারীর বলেন, সকল জীবন-চরিত সংকলক এ ব্যাপারে একমত ৷ তবে
উমর ইবন আলী আল-ফালুলাস এবং একদল ঐতিহাসিক বলেন, তার ওফাত সংঘটিত হয় এ
বছরের রবীউল আওয়াল মাসের পনের তারিখ শনিবার ছিচল্লিশ কিৎবা তেতাল্লিশ কিৎবা
উঃপঞ্চাশ কিৎবা চুয়াল্লিশ বছর বয়সে ৷ তার ওফাত হয় দায়রে মারান নামক স্থানে ৷ এরপর
লোকদের র্কাধে তার শবদেহ বহন করা হয় এবং তাকে বাবুস সাগীর নামক সমাধিতে সমাধিস্থ
করা হয় ৷ কারও কারও মতে তাকে সমাহিত করা হয় বাবুল ফারাদীস নামক সমাধিক্ষেত্রে ৷
ইবন আসাকির তা বর্ণনা করেছেন ৷ আর তার জানাযার নামায পড়ান উমর ইবন আবদুল
আযীয কেননা, তার ভইি সুলায়মান তখন আলকুদ্সৃ শরীফে অবস্থান করছিল ৷ কারও মতে
তার জানাযার নামায পড়ান তার ছেলে আবদুল আযীয কারও মতে তার জানাযার নামায
পড়ান তার ভাই সুলায়মান ৷ তবে সঠিক হল উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ আর আল্লাহ্ সৰ্বাধিক
জানেন ৷ আর তিনিই তাকে কবরে নানান এবং নামানাের সময় তিনি বলেন, তাকে কোন
শয্য৷ ও বালিশ ছাড়াই আমরা কবরে নামাচ্ছি ৷ আর তুমি তোমার প্রিয় অর্জন’ পশ্চাতে রেখে
এসেছ, প্রিয়জ্যা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ, মাটিতে বসবাস শুরু করেছ এবং হিসাবের
মুখোমুখি হয়েছ ৷ আর এখন তুমি তোমার পুর্বে প্রেরিত লেক আমলের মুখাপেক্ষী এবং
পরিত্যক্ত ধনসম্প দের অমুখাপেক্ষী ৷ একাধিক সুত্রে হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয হতে
বর্ণিত যে, তিনি যখন ওয়ালীদকে তার কবরে শুইয়ে দিলেন, তখন সে তার কাফনের মাঝে
নড়ে উঠল এবং তার পা দুটি (ভাজ করে) গলা বরাবর গুটিয়ে আনল ৷ প্রসিদ্ধ বর্ণনা অনুযায়ী
তার খিলাফতকাল ছিল নয় বছর আট মাস ৷ আর আল্লাহ্ সর্বাধিক জানেন ৷

আল-মাদাইনী বলেন, খলীফা ওয়ালীদের উনিশজন ছেলে সন্তান ছিল ৷ তারা আবদুল
আযীয, মুহাম্মদ, আব্বাস, ইব্রাহীম, তামৃমাম, খালিদ, আবদুর রহমান, মুবাশৃশির, মাসরুর
আবু উবায়দাহ্, সাদকা, মানসুর, মারওয়ান, আনবাসা, উমর, রুহ, বিশর, ইয়াযীদ,
ইয়াহ্ইয়া ৷ এদের মধ্যে আবদুল আযীয ও মুহাম্মদের মা হ্লেন তার পিতৃব্য আবদুল আযীয
ইবন মারওয়ানের কন্যা উম্মুল বা নীন, আর আবু উবায়দার মা হলেন ফাষারিয়া ৷ এছাড়া তার
অন্য সকল ছেলেরা হলেন বিজ্যি দাসীর গর্ভজাত ৷ আল-মাদাইনী বলেন, তার মৃত্যুতে করি
জারীর শোক গাখায় আবৃত্তি করেছিলং


হে আমার চক্ষু, অশ্রুবর্ষণে উদার হও, প্রিয়জনের স্মরণ যাকে উত্বেলিত করেছে, আজকের
পর আর তোমার অশ্রু সঞ্চিত রাখা নিম্প্রয়ােজন ৷

০ × :

খলীফার বদান্য স্বভাবকে আবৃত করেছে এমন ধুসর-সমাধি যার পার্শ্বদেশে বক্রতা রয়েছে ৷
মহা ৰিপর্যয়গ্রস্ত তার ছেলেদের অবস্থা হয়েছে ঐষ্তারকাপুঞ্জেব্র ন্যায় যাদের মধ্য হতে চন্দ্র

-খসে পড়েছে ৷-

তারা সকলেই ছিল ৰিন্তু আবদুল আযীয, রুহ কিহ্বা উমর কেউই তার মৃত্যু বোধ করতে
পারল না ৷


وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَهُ إِلَى قَبْرِهِ، وَقَالَ حِينَ أَنْزَلَهُ: لَتَنْزِلَنَّهُ غَيْرَ مُوَسَّدٍ وَلَا مُمَهَّدٍ، قَدْ خَلَّفْتَ الْأَسْبَابَ، وَفَارَقْتَ الْأَحْبَابَ، وَسَكَنْتَ التُّرَابَ، وَوَاجَهْتَ الْحِسَابَ، فَقِيرًا إِلَى مَا تُقْدِمُ عَلَيْهِ، غَنِيًّا عَمَّا تُخَلِّفُ. وَجَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّهُ أَخْبَرَ أَنَّهُ لَمَّا وَضَعَ الْوَلِيدَ فِي لَحْدِهِ ارْتَكَضَ فِي أَكْفَانِهِ، وَجُمِعَتْ رِجْلَاهُ إِلَى عُنُقِهِ. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ تِسْعَ سِنِينَ وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ تِسْعَةَ عَشَرَ وَلَدًا ذَكَرًا; وَهُمْ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَمُحَمَّدٌ، وَالْعَبَّاسُ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَتَمَّامٌ، وَخَالِدٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَمُبَشِّرٌ، وَمَسْرُورٌ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَصَدَقَةُ، وَمَنْصُورٌ، وَمَرْوَانُ، وَعَنْبَسَةُ، وَعُمَرُ، وَرَوْحٌ، وَبِشْرٌ، وَيَزِيدُ، وَيَحْيَى، فَأُمُّ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمُحَمَّدٍ; أُمُّ الْبَنِينَ بِنْتُ عَمِّهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، وَأُمُّ أَبِي عُبَيْدَةَ فَزَارِيَّةٌ، وَسَائِرُهُمْ مِنْ أُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ شَتَّى. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَقَدْ رَثَاهُ جَرِيرٌ فَقَالَ: