আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وتسعين

فصل فيما روي في جامع دمشق من الآثار

পৃষ্ঠা - ৭৪৭৫

প্রবাহিত হতে পারে ৷ আর ঝড়ের সময় বাতাস খুব প্রকট আকার ধারণ করে ৷ তার যেঝেটা
শ্বেতপাথৱ দ্বারা বিছানাে রয়েছে ৷ এগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দৃষ্টিশক্তি আরো প্রশস্ত হয়ে
যায় ৷ মসজিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সমাবেশওলাে খুবই পসন্দনীয় ক্রিয়াকলাপ ৷ এসব
মজলিসে বসলে অন্তর প্রশস্ত হয় ৷ প্রতিটি দরযার কাছেই রয়েছে গোসলখানা ও পবিত্র হওয়ার
জায়গা ৷ মানুষ তার প্রতিরোধকারী থেকে হিফাযত অর্জন করেছে ৷ উপকার অর্জন করার
জায়গাগুলো থেকে লোকজন উপকার অর্জন করছে ৷ আর উপকারী জায়পাণ্ডালা উপকার থেকে
বিরত থাকছে না ৷ সব সময় সর্বত্র পানি প্রবাহের ব্যবস্থা বিরাজ ছিল যখন প্রাকৃতিক উৎস
পানির ঘাট থেকে পানি সংগ্রহ ছিল মুশকিল ৷ তার বাজারগুলাে ছিল সবসময় লোকে
সোকারণ্য এবং রাস্তাগুলো ছিল লোকে ভরপুর ৷ তারা সব সময় ফল-ফলাদি ভক্ষণে ছিল মগ্ন ৷
আর দামেশকের মালপত্র নিয়ে ছিল না তারা ব্যস্ত ৷ যদি তার ভয়াবহ জায়গাগুলো না থাকত,
তাহলে দামেশক ছিল যেন তাদের জন্যে এ পৃথিবীতে নগদ জান্নাত ৷ দৃশমনের অপসন্দ সত্বেও
দামেশক ছিল নিরাপদ জায়গা ৷ আল্লাহ তাআলা দামেশৃককে তার যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে
রেখেছেন মুক্ত ৷

পরিছেদ

দামেশকের জামি মসজিদ সম্বন্ধে যেসব হাদীস
সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ থেকে বর্ণিত তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

আল্লামা কাতাদা (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি সুরায়ে ভীনের ১নং আয়াতে উল্লিখিত গ্লু,ট্রু ঠু এ ’,
তাফসীরে বলেন : এর মধ্যে শুৰুএ ৷ এ এর অর্থ
দাব্বময়কের মসজিদ আর ব্লু,প্রু; ড্রু এ এর অর্থ বায়তৃল মুকাদ্দাসের মসজিদ আর , ;াপ্রু
০:^;ৰু এর অর্থ যেখানে মহান আল্পাহ্ মুসা (আ)-এর সাথে কথা বলেছেন ৷ তৃতীয় আয়াত
;ণ্র্দু ;ণ্ৰুাং৷ এ ৷ ৷;াণ্এ অর্থাৎ শপথ এ নিরাপদ নগরীর ৷ আর এটা পবিত্র মক্কা শরীফ ৷
উপরোক্ত হাদীস ইবন আসাকিরও বর্ণনা করেন ৷ সাফওয়ান ইবন সালিহ্ আতিয়াহ্ ইবন
কায়সুল কিলাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কাবুল আহবার বলেছেন, দামেশকে এমন
একটি মসজিদ তৈরী করা হবে যা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও চল্লিশ বছর বাকী থাকবে ৷
আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম আবু আবদুর রহমান আল-কাসিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আল্লাহ্ তাআলা কাসিয়ুন পাহাড়ের কাছে ওহী প্রেরণ করেছেন, “তুমি তোমার ছায়া ও
স্তম্ভকে বায়তৃল মুকাদ্দাসের পাহাড়কে দান কর ৷” বর্ণনাকারী বলেন, “সে তাই করেছে ৷
তারপর আল্লাহ্ তাআলা পুনরায় ঐ পাহাড়ের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন, “তুমি যখন আমার
আদেশ পালন করেছ আমি তোমার এলাকায় আমার জন্যে এমন একটি ঘর তৈরী করার যার
মধ্যে পৃথিবী “ধ্বংস হওয়ার পরও চল্লিশ বছর যাবত আমার ইবাদত করা হবে ৷ রাত ও দিন
অতিবাহিত হয়ে যাবে আর আমি তোমার ছায়া ও তোমার স্তম্ভ তোমার কাছে ফেরত দেব ৷ ”
বর্ণনাকারী বলেন, ঐ পাহাড়টি মহান আল্লাহ্র কাছে একজন দুর্বল ও বিনয়ী ব্যক্তির ন্যায়
বিবেস্তি হয়েছিল ৷
আল্লামা দাহীম বলেন, মসজিদের চারটি দেওয়ালই হযরত হ্রদ (আ) তৈরী করেছিলেন,
আর দেওয়ালের উপরের অংশে যে মর্মর পাথর লাগানো হয়েছে তা করিয়েছিলেন আল-ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক অর্থাৎ আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক দেওয়ালগুলোকে শ্বেতপাথর ও


وَكُلُّ بَابٍ عَلَيْهِ مَطْهَرَةٌ ... قَدْ أَمِنَ النَّاسُ دَفْعَ مَانِعِهَا يَرْتَفِقُ الْخَلْقُ مِنْ مَرَافِقِهَا ... وَلَا يَصُدُّونَ عَنْ مَنَافِعِهَا وَلَا تَزَالُ الْمِيَاهُ جَارِيَةً ... فِيهَا لِمَا شُقَّ مِنْ مَشَارِعِهَا وَسُوقُهَا لَا تَزَالُ آهِلَةً ... لِيَزْدَحِمَ النَّاسُ فِي شَوَارِعِهَا لِمَا يَشَاءُونَ مِنْ فَوَاكِهِهَا ... وَمَا يُرِيدُونَ مِنْ بَضَائِعِهَا كَأَنَّهَا جَنَّةٌ مُعَجَّلَةٌ ... فِي الْأَرْضِ لَوْلَا سُرَى فَجَائِعِهَا دَامَتْ بِرَغْمِ الْعِدَى مُسَلَّمَةً ... وَحَاطَهَا اللَّهُ مِنْ قَوَارِعِهَا [فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ فِي جَامِعِ دِمَشْقَ مِنَ الْآثَارِ] وَمَا وَرَدَ فِي فَضْلِهِ مِنَ الْأَخْبَارِ، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ السَّادَةِ الْأَخْيَارِ رُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ قَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالتِّينِ} [التين: 1] قَالَ: هُوَ مَسْجِدُ دِمَشْقَ. {وَالزَّيْتُونِ} [التين: 1] قَالَ: هُوَ مَسْجِدُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. {وَطُورِ سِنِينَ} [التين: 2] حَيْثُ كَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى {وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ} [التين: 3] وَهُوَ مَكَّةُ. وَنَقَلَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّهُمْ قَالُوا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالتِّينِ} [التين: 1] هُوَ مَسْجِدُ دِمَشْقَ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৬


কারুকার্যের সীমানা থেকে উপরের দিকে সমুন্নত করেছিলেন ৷ অন্যান্যরা বলেন, হুদ (আ)
শুধুমাত্র সামনের দেওয়ালটি তৈরী করেছিলেন ৷

উছমান ইবন আবুল আতিকাহ বিশেষজ্ঞগণের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তারা মহান
আল্পাহ্র বাণী সুরায়ে৩ ভীনের প্রথম আয়াতে উল্লিখিত :প্রু:াৰু এর তাফসীৱ সম্বন্ধে বলেন,
“তা হলো দামেশকের মসজিদ ৷”

আবু বকর আহমাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আল-ফারাজ ওরফে ইবনুল বারামী
আদ-দামেশকী বলেন, আমাদেরকে আবদুর রহমান ইবনইয়াহ্ইয়া ইবন ইসমাঈল ইবন
উবায়দুল্পাহ্ ইবন আবুল মুহাজির বলেন, “বাবুস সাআতের বইিরে একটি বড় পাথর ছিল,
এটার উপর কুরবানীর আনোয়ার রাখা হতো ৷ কুরবানীর মধ্যে যেটা গ্রহণীয় হতো অগ্নি এসে
এটাকে খেয়ে নিত ৷ আর যেটা গ্রহণীয় হত না সেটা তার নিজ অবস্থায় বাকী থাকত ৷ ,
আল্পাম৷ ইবন কাহীর (র)ৰুবলেন, এ পাথরটি বাবুস সাআতের ভিতরে স্থানান্তর করা
স্কয়ছে ৷ আর এটা আজ পর্যন্ত মণ্ডজুদ রয়েছে ৷ জনগণের কেউ কেউ মনে করেন এ পাথরটির
উপরই হযরত আদম (না)-এর দুই সন্তান তাদের দৃইজনের কৃরবানী ণ্ রখেছিলেন ৷ একজনের
কুরবানী গ্রহণীয় হয়েছিল, আর অপরজনুের কুরবানী গ্রহণ করা হয়নি ৷ মহান আল্লাহ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷ ধ্
হিশাম ইবন আমার ব,লেন “আলশ্হাসান ইবন ইয়াহ্ইয়া আল হাসানী আমাদেরকে
হাদীস বর্ণনা করেন যে, “রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে যখন মি রাজের রজনীতে ভ্রমণ করানো
হয়েছিল, তখন তিনি দামেশকের মসজিদের জায়গায় সালাত আদায় করেছিলেন ৷ ইবন
আসাকির বলেন, এ হাদীস মুনকাতা ও মুনকার অর্থাৎ বর্ণনাকারীদের মধ্য হতে কোন একজন
বর্ণনাকারী বিলুপ্ত ৷ এ হাদীস উল্লিখিত বর্ণনাকারী অথবা অন্য কোন বর্ণনাকারী হতে সৃদৃঢ়ডাৰে
প্রম৷ ৷ণিত নয়

আবু বাকর আল-বারামী বলেন, আমাদেরকে আবু ইসহাক ইব্রাহীম ইবনআবদৃল
মালিক ইবনুল মৃগীরা আল মুক্য়ী হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “এক রাত আল-ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক মসজিদের একটি স্তস্তের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, “আজকের
রাতেএ মসজিদে আমি স ৷লাত আদায় করতে চাই ৷ তাই তোমরা কাউকে এ রাতে এখানে
সালাত আদায় করতে দেবে না ৷” তখন কেউ কেউ খলীফাকে বললেন, “হে আমীৱম্স
মু’মিনীন! এ মসজিদে প্রতি রাতে খিযির (আ) সালাত আদায় করে থাকেন ৷” অন্য এক
বর্ণনায় আছে আল-ওয়ালীদ তার সঙ্গীদেরকে বললেন, তোমরা কাউকে এ রাত মসজিদে প্রবেশ
করতে দেবে না ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ বাবুস সাআতের কাছে আগমন করলেন এবং দরযা
খুলনার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ৷ তার জন্য দরযা খুলে দেওয়া হলো ৷ তখন তিনি এক ব্যক্তিকে
দেখলেন, মিহরাবের নিকটে বাবুল খাজরা ও বাবুস-সাআতের মধ্যবর্তী,জায়গায় তিনি সালাত
আদায় করছেন ৷ তবে তিনি বাবুস মধ্যে থেকে বাংলা খাজরার দিকে অধিক নিকটবর্তী ছিলেন ৷
আল-ওয়ালীদ তখন পাহারাদারকে বললেন, “আমি তােমাদেরকে কি হুকুম দেই নইি যে,
তোমরা কাউকে আজকের রাতের জন্য এ মসজিদে সালাত আদায় করতে অনুমতি দেবে না ?
তখন তাদের কেউ কেউ খলীফা আল-ওয়ালীদকে বলল, “হে আমীরুল মু’মিনীন! ইনিই
হযরত খিযির (আ) ৷ প্রতি রাতে তিনি মসজিদে সালাত আদায় করে থাকেন ৷”


وَقَالَ صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الْخَالِقِ بْنِ زَيْدِ بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ الْكِلَابِيِّ، قَالَ: قَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَيُبْنَيَنَّ فِي دِمَشْقَ مَسْجِدٌ يَبْقَى بَعْدَ خَرَابِ الدُّنْيَا أَرْبَعِينَ عَامًا. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى جَبَلِ قَاسِيُونَ أَنْ هَبْ ظِلَّكَ وَبَرَكَتَكَ إِلَى جَبَلِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ: فَفَعَلَ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: أَمَا إِذْ فَعَلْتَ فَإِنِّي سَأَبْنِي لِي فِي حِضْنِكَ بَيْتًا أُعْبَدُ فِيهِ بَعْدَ خَرَابِ الدُّنْيَا أَرْبَعِينَ عَامًا، وَلَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْكَ ظِلَّكَ وَبَرَكَتَكَ. قَالَ: فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ الضَّعِيفِ الْمُتَضَرِّعِ. وَقَالَ دُحَيْمٌ: حِيطَانُ الْمَسْجِدِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ بِنَاءِ هُودٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَا كَانَ مِنَ الْفُسَيْفِسَاءِ إِلَى فَوْقَ فَهُوَ مِنْ بِنَاءِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ يَعْنِي أَنَّهُ رَفَعَ الْجِدَارَ فَعَلَّاهُ مِنْ حَدِّ الرُّخَامِ وَالْكَرْمَةِ إِلَى فَوْقَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: إِنَّمَا بَنَى هُودٌ الْجِدَارَ الْقِبْلِيَّ فَقَطْ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَرَجِ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْبِرَامِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৭
الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ، سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُلَّاسٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَحْيَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ قَالَ: كَانَ خَارِجَ بَابِ السَّاعَاتِ صَخْرَةٌ يُوضَعُ عَلَيْهَا الْقُرْبَانُ، فَمَا تُقُبِّلَ مِنْهُ جَاءَتْ نَارٌ فَأَكَلَتْهُ، وَمَا لَمْ يُتَقَبَّلْ مِنْهُ بَقِيَ عَلَى حَالِهِ. قُلْتُ: وَهَذِهِ الصَّخْرَةُ نُقِلَتْ إِلَى دَاخِلِ بَابِ السَّاعَاتِ، وَهِيَ مَوْجُودَةٌ إِلَى الْآنَ، وَبَعْضُ الْعَامَّةِ يَزْعُمُ أَنَّهَا الصَّخْرَةُ الَّتِي وَضَعَ عَلَيْهَا ابْنَا آدَمَ قُرْبَانَهُمَا، فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْخُشَنِيُّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ صَلَّى فِي مَوْضِعِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ» . قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. قُلْتُ: وَمُنْكَرٌ جِدًّا، وَلَا يَثْبُتُ أَيْضًا لَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَا مِنْ غَيْرِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبِرَامِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ تَقَدَّمَ إِلَى الْقُوَّامِ لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي فَقَالَ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُصَلِّيَ اللَّيْلَةَ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَا تَتْرُكُوا فِيهِ أَحَدًا حَتَّى أُصَلِّيَ اللَّيْلَةَ. ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى بَابَ السَّاعَاتِ، فَاسْتَفْتَحَ الْبَابَ فَفُتِحَ لَهُ، فَإِذَا رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৮


উপরোক্ত ঘটনার সনদ ও শুদ্ধতা সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ কেননা, এ ধরনের ঘটনার
দ্বারা হযরত খিষির (আ)-এর অস্তিতু কিত্বা সেখানে তার সালাত আদায় করার সত্যতা
প্রমাণিত হয় না ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

পরবর্তী যুগে এ কথাটি অভ্যস্ত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে, বাবুল মি’যানাতৃল গারবিয়াহর
কাছে কিবলার দিকে যে কােণটি অবস্থিত তাকে বলা হয় যাবিয়াতৃল খিযির ৷ তার কারণ,
আমার জানা নেই ৷ তবে এখানে সাহাবীগণের সালাত আদায় করার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে
প্রমাণিত হয়েছে ৷ মসজিদের এ জায়গা এবং অন্যান্য জায়গার শ্রেষ্ঠতু প্রমাণ করার জন্যে এ
তথ্যটি যথেষ ৷ট যে, সাহাবীগণ এ জায়গায় সালাত আদায় করেছেন ৷ প্রথম যে সাহাবী
মসজিদে ইমাম হিসেবে সালাত আদায় করেছেন তিনি হলেন হযরত আবু উবায়দাহ ইবনুল
জাৰ্বাহ্ ৷ তিনি ছিলেন সিরিয়ার প্রেরিত আমীরগণেরও আমীর ৷ আর সাহাবাগণের মধ্যে যে
দশজনকে জান্না তের শুভ সংবাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ৷ তিনি এ
উষ্মতের ,আমীন বা আমানতদার ছিলেন ৷ আর এ মসজিদে মুআয ইবন জাবাল ও অন্যান্য
সাহাবী সালাত আদায় করেছিলেন ৷ তবে তারা তাতে ঐ সময় সালাত আদায় করেছিলেন যখন
আল ওয়ালীদ মসজিদের মধ্যে বর্তমান পরিবর্তন আনেননি ৷ আর এ পরিবর্তন আনার পর
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) ব্যতীত অন্য কোন সাহাবী তথায় সালাত আদায় করেছেন
বলে কোন প্রমাণ নেই ৷ হযরত আনাস (বা) ৯২ হিজরীতে দামেষ্কে আগমন করেছিলেন এবং
ঐ সময় আল-ওয়ালীদ সেখানে মসজিদ তৈরী করছিলেন ৷ আর আনাস (বা) সেখানে সালাত
আদায় করেন ৷ হযরত আনাস (রা) আল-ওয়ালীদকে সেখানে দেখেন এবং সালাতকে তার শ্
শেষ ওয়াক্তে আদায় করার জন্যে আল-ওয়ালীদের প্রতি অসভুষ্টি প্রকাশ করেন ৷ এ ব্যাপারে
হযরত আনাস (রা)-এর জীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেছি, ৯৩ হিজরীতে তার মৃত্যুর
কথা উল্লেখ করেছি ৷ আর এ মসজিদে মারইয়াম তনয় হযরত ঈস৷ (আ) সালাত আদায়
করবেন, যখন তিনি শেষ যামানায় আগমন করবেন, যখন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং তার
কারণে দুঃখ-দৃর্দশা সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আকারে দেখা দিবে ৷ আর জনগণ তার থেকে
পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে দামেশকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে ৷ মাসীহুল হুদা অর্থাৎ সৎপথ প্রদর্শিত
মাসীহ (আ) অবতরণ করবেন ৷ তিনি গুমরাহ মাসীহকে হত্যা করবেন ৷ আর তিনি ফজরের
সালাতের সময় দামেশকের পুর্ব মিনারা দিয়ে অবতরণ করবেন ৷ তিনি যখন আগমন করবেন
তখন দেখা যাবে সালাতের জন্যে ইকামাত দেওয়া হয়েছে ৷ তখন জনগণের ইমাম তাকে
বলবেন, সামনে এগিয়ে আসুন, হে রুহ্বাহ্! তখন তিনি বলবেন, আপনার জন্যে ইকামাত
দেওয়া হয়েছে ৷ তখন ঈসা (আ) এ উম্মতের এক ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায় করবেন ৷ যার
নাম হল হযরত ইমাম মাহ্দী (আ) ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

হযরত ঈসা (আ) জনগণকে নিয়ে সগ্রোম শুরু করবেন ৷ তিনি আকাবায়ে আফীক নামক
স্থানে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন ৷ কেউ কেউ বলেন, বারে লুদ নামক স্থানে ঈসা (আ)
দাজ্জালকে নিজ হাতে হত্যা করবেন ৷ আল্লাম৷ ইবন কাহীর (র) বলেন, সুরায়ে নিসা ১৫৯নং
আয়াতের তাফসীর বর্ণনাকালে আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ আয়াতটি হলো
নিম্নরুপ ং
ছু৮ষ্ত্র৫



قَائِمٌ بَيْنَ بَابِ السَّاعَاتِ، وَبَابِ الْخَضْرَاءِ الَّذِي يَلِي الْمَقْصُورَةَ يُصَلِّي، وَهُوَ أَقْرَبُ إِلَى بَابِ الْخَضْرَاءِ مِنْهُ إِلَى بَابِ السَّاعَاتِ، فَقَالَ لِلْقُوَّامِ: أَلَمْ آمُرْكُمْ أَنْ لَا تَتْرُكُوا أَحَدًا اللَّيْلَةَ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ؟ فَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا الْخَضِرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، يُصَلِّي كُلَّ لَيْلَةٍ فِي الْمَسْجِدِ. فِي إِسْنَادِ هَذِهِ الْحِكَايَةِ وَصِحَّتِهَا نَظَرٌ، وَلَا يَثْبُتُ بِمِثْلِهَا وُجُودُ الْخَضِرِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَا صَلَاتُهُ فِي هَذَا الْمَكَانِ الْمَذْكُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اشْتُهِرَ فِي الْأَعْصَارِ الْمُتَأَخِّرَةِ أَنَّ الزَّاوِيَةَ الْقِبْلِيَّةَ عِنْدَ بَابِ الْمِئْذَنَةِ الْغَرْبِيَّةِ تُسَمَّى زَاوِيَةَ الْخَضِرِ، وَمَا أَدْرِي مَا سَبَبُ ذَلِكَ، وَالَّذِي ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ صَلَاةُ الصَّحَابَةِ فِيهِ، وَأَوَّلُ مَنْ صَلَّى فِيهِ إِمَامًا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، وَهُوَ أَمِيرُ الْأُمَرَاءِ بِالشَّامِ، وَأَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَصَلَّى فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، لَكِنْ قَبْلَ أَنْ يُغَيِّرَهُ الْوَلِيدُ إِلَى هَذِهِ الصِّفَةِ، فَأَمَّا بَعْدَ أَنْ غُيِّرَ إِلَى هَذَا الشَّكْلِ فَلَمْ يَرَهُ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ كَذَلِكَ إِلَّا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، فَإِنَّهُ وَرَدَ دِمَشْقَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ، وَهُوَ يَبْنِي فِي هَذَا الْجَامِعِ، فَصَلَّى فِيهِ أَنَسٌ وَرَاءَ الْوَلِيدِ، وَأَنْكَرَ أَنَسٌ عَلَى الْوَلِيدِ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ إِلَى آخِرِ وَقْتِهَا، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ أَنَسٍ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ. وَسَيُصَلِّي فِيهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ إِذَا نَزَلَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، إِذَا خَرَجَ الدَّجَّالُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৯

অর্থাৎ কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পুর্বে তাকে হযরত ঈসা (আ) বিশ্বাস
করবেই এবং কিয়ামতের দিন তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে
বিশুদ্ধরুপে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে
আমার প্রাণ, তোমাদের মধ্যে মারইয়াম তনয় একজন ন্যায়পরায়ণ আদেশদাত৷ ও ন্যায়
বিচারক ইমাম হিসেবে অবতরণ করবেন ৷ তারপর তিনি ক্রুশ ধ্বংস করবেন, শুকর হত্যা
করবেন, কর ব্যবস্থা প্রত্যাহার করবেন এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না ৷

বন্তুতঃ দামেশকের পুর্ব মিনারাহ দিয়ে হযরত ঈসা (আ) অবতরণ করবেন ৷ আর শহরটি
থাকবে দাজ্জালের প্রভাব থেকে সুরক্ষিতা ৷ কাডেইি, তিনি মিনারাহ দিয়ে অবতরণ করবেন যে
মিনারাটি আমাদের যমা৷নায় খৃক্টানদের সম্পদ দিয়ে তৈরী হয়েছে ৷ তারপর হযরত ঈসা
(আ)-এর অবতরণ হবে ৷ তিনি তাদের জন্যে হবেন মৃত্যু, ধ্বংস ও হত্যার শামিল ৷ তিনি
দুইজন ফে রেশতার কাধে ভর দিয়ে অবতরণ করবেন ৷ তার পায়ে থাকবে দুইটি চাদর ৷ একটি
বর্ণনায় আছে দৃট্রু চাদরই লাল মাটির দ্বারা রঞ্জিত হবে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, হালকা
হলদে রংয়ে রঞ্জিত হবে ৷ তার মাথা থেকে পানির ফৌটা টপটপ করে পড়তে থাকবে ৷ মনে
হবে যেন তিনি এ মাত্র গোসলখানা হতে বের হয়ে আ সছেন ৷ আর ঐ সময় হবেফজরের
ওয়াক্ত ৷ তিনি মিনারায় অবতরণ করবেন, সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হবে ৷ আর এ
ঘটনাটি ঘটবে দামেস্কের জামি মসজিদে ৷ মুসলিম শরীফে আননাওয়াস ইবন সামআন
আল- কিলাৰী হতে একটি বিশুদ্ধ বর্ণনা এসেছে তা হলো নিম্নরুপ : নিঃসন্দেহে হযরত ঈসা
(আ) পুর্ব দামেশকে সাদা রংয়ের মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ এ বর্ণনাটি মনে হয় যেন অর্থের
দিক দিয়ে বর্ণনাকারীর উপলব্ধি মুতাবিক বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণনা হয়েছে ৷ কেননা, হযরত ঈসা
(আ) দামেশকের পুর্ব দিকের মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ এ হাদীস বহুল প্রচলিত ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, এ সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি ৷ কিন্তু, উপরোক্ত বর্ণনা মুতাবিক হাদীস সম্পর্কে
আমার জানা হয়নি ৷ এ হাদীসের কিছু শব্দ আর কিছু সংকলন সম্বন্ধে জানার জন্যে মহান
আল্লাহ্র কাছে তাওফীকের প্রার্থনা করা হয়েছে ৷ এর আলোবকা উপরোক্ত বর্ণনা পেশ করা
হলো ৷ তবে শহরের মধ্যে পুর্বপ্রান্তে এটা ব্যতীত আর অন্য কোন মিনারা নেই ৷ আর এটা
নিজেই সাদা রংয়ের ৷ সিরিয়ার প্রদেশগুলোতে এর থেকে উত্তম ও সৌন্দর্যময় এবং সুউচ্চ
মিনারা আর দ্বিতীয়টি নেই ৷ মহানু আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন৪ বনু উমায়ায় নির্মিত জামি মসজিদের মিনারায় হযরত
ঈসা (আ)-এর অবতরণের ব্যাপারটি অপরিচিত নয় ৷ কেননা, দাজ্জালের ভয়াবহ দুর্যোগটি এত
শ্ বিন্তুতি লাভ করবে যে, জনগণ দাজ্জালের ভয়ে শহরের অভ্যন্তরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে ৷ দাজ্জাল
তাদেরকে সেখানে অবরোধ করবে ৷ শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা ব্যতীত কেউই থাকতে
পারবে না ৷ তাও আবার দাজ্জালের অনুচর হিসেবে কিংবা দাজ্জাল কর্তৃক বন্দীকৃত অবস্থায় তাহৃ
সাথে সঙ্গী হয়ে থাকতে হবে ৷ আর দামেস্ক শহরটি মুসলমানগণের জন্য দাজ্জাল থেকে নিরাপঢ
জায়গা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে ৷ এরুপ পরিস্থিতিতে শহরের বাইরে কে এমন থাকবে যে,
সালাত আদায় করবে ? মুসলমানগণ সকলেই শহরের অভ্যন্তরে অবস্থান করবেন ৷ এমন সময়
ঈসা (আ) অবতরণ করবেন ৷ সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হবে এবং তিনি মুসলমানগণের
সাথে সালাত আদায় করবেন ৷ তারপর তিনি মুসলমানগণকে সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ
করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য দাজ্জালকে বোজ করবেন ৷ জনসাধারণের মধ্যে কেউ
কেউ বলেন, দামেষ্কের পুর্ব মিনারায় দ্বারা দামেশকের পুর্ব দয়যার বাইরে মসজিদে বালাশুর


وَعَمَّتِ الْبَلْوَى بِهِ، وَانْحَصَرَ النَّاسُ مِنْهُ بِدِمَشْقَ، فَيَنْزِلُ مَسِيحُ الْهُدَى فَيَقْتُلُ مَسِيحَ الضَّلَالَةِ، وَيَكُونُ نُزُولُهُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ وَقْتَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَيَأْتِي وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، فَيَقُولُ لَهُ إِمَامُ النَّاسِ: تَقَدَّمْ يَا رُوحَ اللَّهِ. فَيَقُولُ: إِنَّمَا أُقِيمَتْ لَكَ. فَيُصَلِّي عِيسَى تِلْكَ الصَّلَاةَ خَلْفَ رَجُلٍ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ. يُقَالُ إِنَّهُ الْمَهْدِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ يَخْرُجُ عِيسَى بِالنَّاسِ، فَيُدْرِكُ الدَّجَّالَ عِنْدَ عَقَبَةِ أَفِيقَ، وَقِيلَ: بِبَابِ لُدٍّ. فَيَقْتُلُهُ بِيَدِهِ هُنَالِكَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ} [النساء: 159] (النِّسَاءِ: 159) ، وَفِي الصَّحِيحِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيَنْزِلَنَّ فِيكُمُ ابْنُ مَرْيَمَ حَكَمًا مُقْسِطًا، وَإِمَامًا عَادِلًا، فَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَلَا يَقْبَلُ إِلَّا الْإِسْلَامَ» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَنْزِلُ وَالْبَلَدُ مُحَصَّنٌ مِنَ الدَّجَّالِ، وَيَكُونُ نُزُولُهُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ وَهِيَ هَذِهِ الْمَنَارَةُ الْمَبْنِيَّةُ فِي زَمَانِنَا مِنْ أَمْوَالِ النَّصَارَى; حَيْثُ أَحْرَقُوهَا فَجُدِّدَتْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ ثُمَّ يَكُونُ نُزُولُ عِيسَى حَتْفًا لَهُمْ، وَهَلَاكًا وَدَمَارًا عَلَيْهِمْ، يَنْزِلُ بَيْنَ مَلَكَيْنِ وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৪৮০
مَنَاكِبِهِمَا، وَعَلَيْهِ مَهْرُودَتَانِ وَفِي رِوَايَةٍ: مُمَصَّرَتَانِ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً، كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ، وَذَلِكَ وَقْتَ الْفَجْرِ، فَيَنْزِلُ مِنَ الْمَنَارَةِ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَهَذَا إِنَّمَا يَكُونُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَعْظَمِ بِدِمَشْقَ، وَهُوَ هَذَا الْجَامِعُ. وَمَا وَقَعَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ رِوَايَةِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلَابِيُّ: «فَيَنْزِلُ عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ» كَأَنَّهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ مَرْوِيٌّ بِالْمَعْنَى بِحَسَبِ مَا فَهِمَهُ الرَّاوِي، وَإِنَّمَا هُوَ يَنْزِلُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ، وَقَدْ أُخْبِرْتُ - وَلَمْ أَقِفْ عَلَيْهِ إِلَّا الْآنَ - أَنَّهُ كَذَلِكَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ هَذَا الْحَدِيثِ فِي بَعْضِ الْمُصَنَّفَاتِ، وَاللَّهُ الْمَسْئُولُ الْمَأْمُولُ أَنْ يُوَفِّقَنِي، فَيُوقِفَنِي عَلَى هَذِهِ اللَّفْظَةِ. وَلَيْسَ فِي الْبَلَدِ مَنَارَةٌ تُعْرَفُ بِالشَّرْقِيَّةِ سِوَى هَذِهِ، وَهِيَ بَيْضَاءُ بِنَفْسِهَا، وَلَا يُعْرَفُ فِي بِلَادِ الشَّامِ مَنَارَةٌ أَحْسَنُ مِنْهَا، وَلَا أَبْهَى وَلَا أَعْلَى مِنْهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.