আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

ترجمة الحجاج بن يوسف الثقفي وذكر وفاته

পৃষ্ঠা - ৭৩৯৫


৯৫ ইিজয়ীর আশমন

এ বছরেই আলষ্আব্বাস ইবন আল-ওয়ান্সীদ রোমের বিজ্জি প্রাদশণ্ডালন্তেত যুদ্ধ করেন
এবং বহু দুর্গ তিনি জয়লাভ করেন ৷ এ বছরেই মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক রোমের
প্রদেশগুলোর একটি প্রদেশ জয় করেন ৷ এটাকে প্রথমত পুড়িয়ে দেন এবং দশ বছর পরে
এটাকে পুনঃনির্মাণ করেন ৷ এ বছরেই মুহাম্মদ ইবন কাসিম হিন্দুস্তানের মু লতান শহর জয়
করেন এবং সেখান থেকে বহু সম্পদ হস্তগত করেন ৷

এ বছরেই মুসা ইবন নুসারর অল্যাংসর অ্যাংলাে হতে আফ্রিকার দিকে অগ্রসর হলেন ৷
তার সাথে প্রচুর সম্পদ ও তাৎক্ষণিকভারে পরািবশনযােগ্য খাবার বহন করা হতো এবং তার
সাথে ছিল ত্রিশ হাজার যুদ্ধবন্দী ’৷ এ বছরেই ণ্কুতায়বা ইবন মুসলিম আশ শাশ এর
শ হরগুলােতে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি বহু শহর ও প্রদেশ জ্যা করেন ৷ যখন তিনি সেখানে ছি লেন
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের মৃত্যু সংবাদ তথায় পৌছল তখন তিনি চোখে অন্ধকার দেখতে
লাশলেন এবং লোকজনকে নিয়ে মারড শহরের দিকে প্রত্যাবর্জা করেন ও কোন এক কবির
কবিতা উদাহরণ স্বরুপ আবৃত্তি করেন : “আমার আয়ুর শপথ, হুরানে অবন্থানরত আলে
জাফরের সোকটি কতই ন৷ ভাল ৷ যাকে জ্যাপণেৱ স্নেহেৱ বন্ধন জড়িয়ে রেখেদ্বে ৷ তাকে লক্ষ্য
করে আমি বলছি, তোমার জীবিত অবস্থায় আমি তোমার অধীন, আমার জীবনের মালিক
আমি নই ৷ আর তোমার মৃত্যুর পর আমার জীবনে কোন প্রকার আয়-উন্নতি নেই ন্ ৷

এ বছরেই খলীফাহ্ অলে-ওয়ালীদ কুতায়ৰাকে পত্র লিখে জানান সে যেন তার দুশমনের
বিরুদ্ধে তার তৎপরতা বজায় রাখে ৷ আর এ কাজের জন্যে বলীফ৷ তাকে যথাযথ পুরস্কার দান
করবেন এবং তার জিহাদ, বিভিন্ন শহর বিজয় ও কাফিরদের বিরুদ্ধে ঘুদ্ধ-কািহ চালিয়ে

যাওয়ার জন্যে তার ভুরসী প্রশংসা করেন ৷ হাজ্জাজ সালাত পরিচালনার জন্যে তার ছেলে
আবদৃল্লাহ্কে দায়িতু প্রদান করেন ৷ অন্যদিকে খলীফ৷ আল-ওয়ালীদ কুফা ও বসরায় সালাত
আদায় ও যুদ্ধৰিগ্রচ্হ্ৰু’ৰ্ জন্য ইয়াযীদ ইবন আবু কাবশাহকে দায়িত্ব প্রদান করেন ৷ উক্ত দুই
শহরের কর আদায়ের জন্যে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইয়াযীদ ইবন মুসলিমকে ৷ কেউ কেউ বলেন,
হাজ্জাজই তাদের দুহজ্যাকে দায়িত্ব দিয়ে যান এবং আলণ্ওরালীদ তাদেরকে নিজ দায়িত্বে
বহাল রাখেন ৷ অনুরুপভাবে হাজ্জাজের সকল নওয়াবকে তাদের পলেনীর দায়িত্বে বহাল রাখা
হয় ৷ হাজ্জাজ রামাযান মাসের পাচ দিন, কেউ কেউ বলেন, তিন দিন বাকী থাকতে ইন্তিকাল
করে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, যে এ বছরের শাওয়ান মাসে ইনৃতিকাল করে ৷

আবু মা শর ও আল-ওয়াকিদী বলেন, এ বছরেই বাশার ইবন আল-ওয়লীেদ ইবন আবদুল
মালিক ণ্লাকজ্নকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ এ বছরেই রোম ভুখণ্ডে আল -ওয়াযাহী নিহত
হন ৷ তার সাথে ছিল তার এক হাজার সাথী-সঙ্গী ৷ এ বছরেই আবু৷ জা কর আল-মানসুর
আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস অ্যাংহণ করেন ৷

স্তো ইবন ইউসুক আহ-ছাকাফী-এর জীবনী ও তার ওষাত

তার পুর্ণ নাম আবু ম্হাস্মদ আল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ইবন আবু উকায়ল ইবন মাসউদ
ইবন আমির ইবন যা তার, ইবন মালিক, ইবন কা ব ইবন আমর ইবন সা দ ইবন আওফ্
ইবন ছাকীফ ৷ তিনিই কাসী ইবন যুনাব্বিহ ইবন বাকর ইবন হাওয়াযিন আহু-ছাকাফী ৷ সে
আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) হতে হাদীস শুন্মোছু ৷ সে আনসে (রা), সামুরাই ইবন জুনদাব


[تَرْجَمَةُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ هُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي عَقِيلِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ عَامِرِ بْنِ مُعَتِّبِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ وَهُوَ قَسِيُّ بْنُ مُنَبِّهِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ أَبُو مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيُّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَرَوَى عَنْ أَنَسٍ، وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، وَعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَأَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى. وَرَوَى عَنْهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، وَمَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، وَجَرَادُ بْنُ مُجَالِدٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، قَالَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قَالَ: وَكَانَتْ لَهُ بِدِمَشْقَ آدُرٌ مِنْهَا دَارُ الزَّاوِيَةِ بِقُرْبِ قَصْرِ ابْنِ أَبِي الْحَدِيدِ، وَوَلَّاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ الْحِجَازَ، فَقَتَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنْهَا وَوَلَّاهُ الْعِرَاقَ، وَقَدِمَ دِمَشْقَ وَافِدًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْمُغِيرَةِ بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: خَطَبَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، فَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৬

(রা) , আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ও আবু বুরায়দাহ ইবন আবু মুসা (র) হতে হাদীস বর্ণনা

করেছে ৷ আবার তার থেকে যারা হাদীস বর্ণনা করেন তারা হলেন, আনাস ইবন মালিক (রা) ,
ছাবিত আল বানানী, হুমায়দ আত ত,াবীল মালিক ইবন দীনার, জাওয়াদ ইবন মুজালিদ,
কুতায়বা ইবন মুসলিম ও সাঈদ ইবন আবু আরুবাহ ৷ উপরোক্ত মন্তব্যটি ইবন আসাকির


বর্ণনাকারী বলেন, দারু মশৃকে তার কয়েকটি বাড়ী ছিল ৷ একটির নাম দারুর রাবিয়াহ যা
ইবন আবুল হাদীদের রাজ-প্রাসাদের নিকটে অবস্থিত ৷ আবদুল মালক তাকে হিজাযের শাসক
নিযুক্ত করেন ৷ সে আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা)-কে হত্যা করে ৷ তারপর তাকে হিজায
থেকে বরখাস্ত করে ইরাকের শাসক নিযুক্ত করেন ৷ দামেশ্কে আবদুল মালিকের কাছে একটি
প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে আগমন করে ৷ আল্লামা আসাকির আল-মুগীরা ইবন মুসলিমের
মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি উবায়কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, একদিন
আল-হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আমাদেরকে সম্বোধন করে এবং কবরের কথা উল্লেখ করে ৷ সে
বলতে থাকে যে, কবর একার্কীর ঘর ও দীনতার ঘর ৷ এরপর সে ক্রন্দন করল এবং
আশেপাশের লোকজনও র্কাদলেন ৷ তারপর সে বলে, আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানকে আমি বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, আমি মারওয়ানকে বলতে শুনেছি তিনি তার
খুতবাতে বলেন, একদিন হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (বা) তার খুতবাতে বলেন, রাসুলুল্লাহ
(না) যখন কোন কবর দেখতেন কিত্ব৷ তার কাছে কবরের কথা উল্লেখ করা হতো, তখন
তিনি র্কাদতেন ৷ সুনানে আবু দাউদ ও অন্যান্য হাদীদের কিভাবে এ ধরনের হাদীস বর্ণিত
রয়েছে ৷ আবু দাউদ আহমদ ইবন আবদুল জাব্বারের মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
ইয়াসার জাফারর মাধ্যমে মালিক ইবন দীনার হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন
আমি হাজ্জাজের কাছে প্রবেশ করলাম ৷ সে আমাকে বলল, হে আবু ইয়াহ্ইয়া৷ আমি কি
তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সা) হতে বর্ণিত একটি উত্তম হাদীস শুনাব ?” তখন আমি বললাম,
হ্যা ৷ সে বলল, আবু বুবদাহ (রা) আবু মুসা (বা) হতে আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যার জন্যে মহান আল্লাহর কাছে কোন প্রয়োজন
আছে, সে যেন সেই সম্বন্ধে ফরয সালাতের পিছনে মহান আল্লাহ্কে ডাকে বা মহান আল্লাহর
কাছে দু আ করে ৷ অন্যান্য সুনানের কিতাব ও মুসনাদে ফুযালাহ ইবন উবায়দ ও অন্যান্য থেকে
এ হাদীসটির সাক্ষ্য বা শাহেদ রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, যিনি উল্লেখ করেছেন তার থেকে আমি বলেছি যে,
আল-মুগীরাহ ইবন শুবাহ (রা) একদিন তার ত্রীর নিকট প্রবেশ করলেন ৷ তিনি খিলাল
করতে ছিলেন অর্থাৎ দাতের মধ্যে যে ময়লা লেগেছিল তা পরিষ্কার করার জন্যে দাতকে ঘষতে
ছিলেন ৷ আর এটা ছিল দিনের প্রথম বেলায় ৷ আল মুগীরা (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ, তুমি
যদি সকালে খাবার খেয়ে নিতে ৷ তুমি অবশ্যই নীচ গৃহিণী ৷ গত রাতের খাদ্যের কিছু টুকরা
যদি তোমার মুখে থেকে থাকে, তাহলে এটা হবে পচা আবর্জনা ৷ তখন তিনি তাকে তালাক
দেন ৷ তার শ্রী বললেন, আল্লাহর শপথ, তুমি যা উল্লেখ করেছ, এ ধরনের কোন বস্তু আমার
মুখে নেই ৷ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেরুপ সকাল বেলায় মিসওয়াক করে থাকে আমিও তদ্র্যপ
মিসওয়াক করছি ৷ এ মিসওয়াক থেকে আমার মুখে যা কিছু বাকী ছিল তা বের করার জন্যেই
আমি ইচ্ছে করছিলাম ৷ আল-মুগীরা তখন হ জ্জাজের পিতা ইউসুফকে বললেন,তু মি তাকে
বিয়ে কর ৷ কেননা, যে এখন একটি পুরুষকে গর্ভধাৱণ করবে যে ভবিষ্যতে জনগণের নেতৃত্ব


الْقَبْرَ، فَمَا زَالَ يَقُولُ: إِنَّهُ بَيْتُ الْوَحْدَةِ، وَبَيْتُ الْغُرْبَةِ. حَتَّى بَكَى وَبَكَى مَنْ حَوْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ يَقُولُ: سَمِعْتُ مَرْوَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: خَطَبَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «مَا نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَبْرٍ أَوْ ذَكَرَهُ إِلَّا بَكَى» . وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَاهِدٌ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ " وَغَيْرِهِ، وَسَاقَ مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ: ثَنَا سَيَّارٌ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لِي: يَا أَبَا يَحْيَى، أَلَا أُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ حَسَنٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْتُ: بَلَى. فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَتْ لَهُ إِلَى اللَّهِ حَاجَةٌ فَلْيَدْعُ بِهَا فِي دُبُرِ صَلَاةٍ مَفْرُوضَةٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَاهِدٌ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ وَغَيْرِهِ فِي السُّنَنِ وَالْمَسَانِيدِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: سَمِعْتُ مَنْ يَذْكُرُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ وَهِيَ تَتَخَلَّلُ أَيْ تُخَلِّلُ أَسْنَانَهَا لِيَخْرُجَ مَا بَيْنَهَا مِنْ أَذًى وَكَانَ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ كُنْتِ بَاكَرْتِ الْغَذَاءَ إِنَّكَ لِرَغِيبَةٌ دَنِيَّةٌ، وَإِنْ كَانَ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৭


দান করবে ৷ তখন আবুল হাজ্জাজ ইউসুফ তাকে বিয়ে করলেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) বলেন,
আমাকে এ বিষয়ে অবগত করানো হয়েছে যে, যখন ইউসুফ তাকে নিয়ে বাসর ঘর করে এবং
তার সাথে সত্গম করার পর নিদ্রায় মগ্ন হয়, তখন তাকে নিদ্রার অবস্থায় বলা হয় ধ্বংসযজ্ঞ

পরিচালনাকারীকে মহিলাটি কত শীঘ্রই না গর্ভধারণ করল ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, তার মায়ের নাম ছিল আল ফারিয়া বিনৃত হুমাম ইবন উরওয়াহ
ইবন মাসউদ আছ-ছাকড়াফী ৷ মহিলাঢির স্বামীর নাম ছিল আল হারিছ ইবন কালদা
আছ-ছাকাফী ৷ তিনি ছিলেন আরবদের একজন চিকিৎসক ৷ মিস্ওয ক সম্বন্ধে তার থেকেই

ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে ৷

আল-আকদ নামক কিতাবের লিখক উল্লেখ করেন ৷ হাজ্জাজ ও তার পিতা দুই জনেই
তাইফে ছেলেমেয়েদেরকে মক্তবে পড়াত ৷ তারপর সে দামেশৃকে আগমন করে এবং আবদুল
মালিকের উযীর রাওহ ইবন যাম্ব৷ ৷র কাছে অবস্থান করে ৷ একদিন আবদুল মালিক বা ওহেব
কাছে অভিযোগ করেন যে, সেনাবাহিনী তার কথায় সময়মত কোন অভিযানে যাত্রা করে না
কিংবা যাত্রা ভঙ্গও করে না ৷ রাওহ তখন বললেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি আছে এ ব্যাপারে
তাকে দায়িত্ব প্রদান করুন ৷ আবদুল মালিক হাজ্জাজকে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব প্রদান করলেন ৷
এখন একজনও যাত্রাকালে কিৎবা যাত্রা ভঙ্গকালে আর বিলম্ব করে না ৷ রাওহ ইবন যাম্বার
তাবু অতিক্রমকালে হাজ্জাজ দেখল যে, তাবুর সৈন্যরা খাওয়া-দাওয়৷ করছে ৷ সে তাদেরকে
প্রহার করল তাদেরকে নিয়ে ঘুৱাঘুরি করল এবৎ৩ তাবুটি জ্বালিয়ে দিল ৷ রাওহ এ ব্যাপারে
আবদুল মালিকের কাছে অভিযোগ পেশ করল ৷ আবদুল মালিক হাজ্জাজকে বললেন, কেন তুমি
এরুপ করলে ? হাজ্জাজ বলল, আমি এটা করি নাই, এটা করেছেন আপনি ৷ কেননা, আমার
হাতই আপনার হাত এবং আমার রেতই আপনার যেত ৷ আপনার কোন ক্ষতি হবে না যদি
আপনি রাওহকে তার র্তাবুর পরিবর্তে দুইটি তাবু দান করেন এবং তাকে এক পােলামের
পরিবর্তে দুই গোলাম দান করেন ৷ আমাকে আপনি যে ব্যাপারে দায়িত্ব দিয়েছেন তার মধ্যে
কোন মধ্যহুতা করবেন না ৷ আবদুল মালিক এরপর থেকে কোন প্রকার মধ্যস্থুতা করলেন না

বংহাজ্জাজও তার নিকটবর্তীহতে লাগল ৷

বর্ণনাকারী বলেন, ’৮৪ হিজরীতে ওয়াসিত শহরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ৮৬
হিজরীতে তার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় ৷ কেউ কেউ বলেন, তারও পুর্বে শেষ হয় ৷ বংনািকারী
আরো বলেন, তার আমলেই কুরআনুল কারীমের নুকতার প্রবর্তন করা হয় ৷ হাজ্জাজের
কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাকে প্রথমত াহ্র বলা হতো, পরে তার নাম দেওয়া
হয়েছে হাজ্জাজ ৷ এরুপও উল্লেখ আছে যে, যখন সে জন্ম নেয়, তখন তার পায়খানা ও প্রস্রাবের
কোন রাস্তা ছিল না ৷ তারপর রাস্তা তৈরী করা হয় ৷ কিছুদিন যাবত সে দুধ পান করেনি,
যতক্ষণ না তাকে এক বছরের বকরীর বড়াচ্চার রক্তপান করানো হয় ৷ এরপর অস্ত্রধারীর রক্ত
দ্বারা তার চেহারা রঙ্গিন করা হয় ৷ তারপর সে দুধ পান করল ৷ তার মধ্যে ছিল তীক্ষ্ণ ধীশক্তি
এবং বক্তপাতের অদম্য ম্পৃহা ৷ কেননা, সে ছিল প্রথম ব্যক্তি যে তার ঢেহারায় মাখানাে রক্ত
পান করেছিল ৷ কেউ কেউ বলে, তার মাতা নসর ইবন হাজ্জাজ ইবন ইলাতের অভিকাৎখিতা
ল্লি ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, যে ছিল তার পি৩ ৷র মাতা ৷ মহান আল্পাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

তার মধ্যে ছিল সুক্ষ্ম ও বড় ধীশক্তি, তার তলোয়ার ছিল অত্যন্ত খামখেয়ালীপুর্ণ, যে
সামান্য সন্দেহের বশে এমন এমন ব্যক্তিদেরকে হত্যা করে ফেলত, যাদেরকে হত্যা করতে
মহান আল্লাহ্ বারংবার নিষেধ করেছেন, যে বাদশাহদের মতই বাপাযিত হয়ে যেত ৷ তার


تُخَلِّلِينَ مِنْهُ شَيْءٌ بَقِيَ فِي فِيكِ مِنَ الْبَارِحَةِ إِنَّكِ لِقَذِرَةٌ. فَطَلَّقَهَا، فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا كَانَ شَيْءٌ مِمَّا ذَكَرْتَ، وَلَكِنَّنِي بَاكَرْتُ مَا تُبَاكِرُهُ الْحُرَّةُ مِنَ السِّوَاكِ، فَبَقِيَتْ شَظِيَّةٌ فِي فَمِي مِنْهُ فَحَاوَلْتُهَا لِأُخْرِجَهَا. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ لِيُوسُفَ أَبِي الْحَجَّاجِ: تَزَوَّجْهَا، فَإِنَّهَا لِخَلِيقَةٌ أَنْ تَأْتِيَ بِرَجُلٍ يَسُودُ. فَتَزَوَّجَهَا يُوسُفُ أَبُو الْحَجَّاجِ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: فَأُخْبِرْتُ أَنَّ أَبَا الْحَجَّاجِ لَمَّا بَنَى بِهَا وَاقَعَهَا فَنَامَ، فَقِيلَ لَهُ فِي النَّوْمِ: مَا أَسْرَعَ مَا أَلْقَحْتَ بِالْمُبِيرِ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَاسْمُ أُمِّهِ الْفَارِعَةُ بِنْتُ هَمَّامِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيِّ، وَكَانَ زَوْجُهَا الْحَارِثُ بْنُ كَلَدَةَ الثَّقَفِيُّ طَبِيبَ الْعَرَبِ. وَذَكَرَ عَنْهُ هَذِهِ الْحِكَايَةَ فِي السِّوَاكِ. وَذَكَرَ صَاحِبُ " الْعِقْدِ " أَنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ هُوَ وَأَبُوهُ يُعَلِّمَانِ الْغِلْمَانَ بِالطَّائِفِ، ثُمَّ قَدِمَ دِمَشْقَ فَكَانَ عِنْدَ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ وَزِيرِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَشَكَا عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى رَوْحٍ أَنَّ الْجَيْشَ لَا يَنْزِلُونَ لِنُزُولِهِ وَلَا يَرْحَلُونَ لِرَحِيلِهِ، فَقَالَ رَوْحٌ: عِنْدِي رَجُلٌ تُوَلِّيهِ ذَلِكَ. فَوَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ الْحَجَّاجَ أَمْرَ الْجَيْشِ، فَكَانَ لَا يَتَأَخَّرُ أَحَدٌ فِي النُّزُولِ وَالرَّحِيلِ، حَتَّى اجْتَازَ إِلَى فُسْطَاطِ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ وَهُمْ يَأْكُلُونَ، فَضَرَبَهُمْ وَطَوَّفَ بِهِمْ، وَأَحْرَقَ الْفُسْطَاطَ، فَشَكَا رَوْحٌ ذَلِكَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَقَالَ لِلْحَجَّاجِ: لِمَ صَنَعْتَ هَذَا؟ فَقَالَ: لَمْ أَفْعَلْهُ، إِنَّمَا فَعَلَهُ أَنْتَ; فَإِنَّ يَدِي يَدُكَ وَسَوْطِي سَوْطُكَ، وَمَا ضَرَّكَ إِذَا أَعْطَيْتَ رَوْحًا فُسْطَاطَيْنِ بَدَلَ فُسْطَاطِهِ، وَبَدَلَ الْغُلَامِ غُلَامَيْنِ، وَلَا تَكْسِرُنِي فِي الَّذِي وَلَّيْتَنِي؟ فَفَعَلَ ذَلِكَ، وَتَقَدَّمَ الْحَجَّاجُ عِنْدَهُ. قَالَ: وَبَنَى وَاسِطَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ، وَفَرَغَ مِنْهَا فِي سَنَةِ سِتٍّ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৮
وَثَمَانِينَ. وَقِيلَ قَبْلَ ذَلِكَ. قَالَ: وَفِي أَيَّامِهِ نُقِطَتِ الْمَصَاحِفُ. وَذُكِرَ فِي حِكَايَتِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ أَوَّلًا يُسَمَّى كُلَيْبًا، ثُمَّ سُمِّيَ الْحَجَّاجَ. وَذُكِرَ أَنَّهُ وُلِدَ وَلَا مَخْرَجَ لَهُ حَتَّى فُتِقَ لَهُ مَخْرَجٌ، وَأَنَّهُ لَمْ يَرْتَضِعْ أَيَّامًا حَتَّى سَقَوْهُ دَمَ جَدْيٍ أَيَّامًا، ثُمَّ دَمَ سَالِخٍ، وَلُطِّخَ وَجْهُهُ بِدَمِهِ فَارْتَضَعَ، وَكَانَتْ فِيهِ شَهَامَةٌ وَحُبٌّ لِسَفْكِ الدِّمَاءِ; لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَا ارْتَضَعَ ذَلِكَ الدَّمُ الَّذِي لُطِّخَ بِهِ وَجْهُهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ أُمَّهُ هِيَ الْمُتَمَنِّيَةُ لِنَصْرِ بْنِ حَجَّاجِ بْنِ عِلَاطٍ. وَقِيلَ: إِنَّهَا أُمُّ أَبِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَتْ فِيهِ شَهَامَةٌ عَظِيمَةٌ، وَفِي سَيْفِهِ رَهَقٌ، وَكَانَ كَثِيرَ قَتْلِ النُّفُوسِ الَّتِي حَرَّمَهَا اللَّهُ بِأَدْنَى شُبْهَةٍ، وَكَانَ يَغْضَبُ غَضَبَ الْمُلُوكِ، وَكَانَ فِيمَا يَزْعُمُ يَتَشَبَّهُ بِزِيَادِ بْنِ أَبِيهِ، وَكَانَ زِيَادٌ يَتَشَبَّهُ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فِيمَا يَزْعُمُ أَيْضًا. وَلَا سَوَاءٌ وَلَا قَرِيبٌ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ سُلَيْمِ بْنِ عِتْرٍ التُّجِيبِيِّ قَاضِي مِصْرَ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ خُطْبَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْجَابِيَةِ، وَكَانَ مِنَ الزَّهَادَةِ وَالْعِبَادَةِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ، وَكَانَ يَخْتِمُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ ثَلَاثَ خَتَمَاتٍ فِي الصَّلَاةِ وَغَيْرِهَا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ مَعَ أَبِيهِ بِمِصْرَ فِي جَامِعِهَا، فَاجْتَازَ بِهِمَا سُلَيْمُ بْنُ عِتْرٍ هَذَا، فَنَهَضَ إِلَيْهِ أَبُو الْحَجَّاجِ فَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৯


চিস্তা-ধাৱার দিক দিয়ে সে ছিল যিয়াদ ইবন আবীহির ন্যায় ৷ আর মিঃা-ঢেতনার দিক দিয়ে
যিয়াদ ছিল হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এর ন্যায় ৷ তবে হযরত উমর (রা) এর সমকক্ষ
কিৎবা নিকটতরও তারা ছিল না ৷ মিসরের কাযী সুলায়মান ইবন আনায আত-তাজীবীর্
জীবনীতে ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ছিলেন প্রবীণ তাবিঈগণের অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি
ঐ ব্যক্তিবর্ণের অম্ভর্ভুক্ত ছিলেন যারা আল-জাবীয়াহ নামক স্থানে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা)-এর খুতবাশ্যুনছেন ৷ তিনি বড় পরহেযগার ও ইবাদতগুযারত্তদ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি
প্রতি রাতে সালাত ও অন্য অবস্থায় কুরআনুল কারীম তিনবার খতম করতেন ৷

হাজ্জাজ় তার পিতার সাথে মিসরের জামে মসজিদে ছিল ৷ তাদের কাছ দিয়ে
উপরােল্পিখিত সুলায়ম ইবনআনায অতিক্রম করছিলেন ৷ হাজ্জাজের পিতা তাকে দেখে উঠে
র্দাড়ালেন ও তাকে সালাম করলেন এবং তাকে বললেন, আমি আমীরুল মু’মিনীনের কাছে
যাচ্ছি তার কাছে আপনার কোন দরকার আছে নাকি ? তিনি বললেন, হীা, তাকে তৃমি বলবে,
তিনি ”যেন আমাকে কাযীর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, সুবহানাল্পাহ্!
আল্লাহ্র শপথ, আপনার চেয়ে অধিক উপযুক্ত কায়ী আমার জানা নেই ৷ তারপর তিনি তার
ছেলে হাজ্জাজের দিকে লক্ষ্য করলেন ৷ তখন তার ছেলে তাকে বলল, হে আমার পিতা ! আপনি
এমন একটি লোকের সম্মানার্থে র্দাড়ালেন যার প্রয়োজন আপনি নিয়ে যাবেন অথচ আপনি
একজন ছাকাফী৷ তিনি তার ছেলেকে বললেন, হে আমার ছেলে ! আল্লাহর শপথ, আমি মনে
করি যে, জনগণ তার প্রতি ও এ ধরনের লোকদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে থাকেন ৷ হাজ্জাজ
বলল, আল্লাহর শপথ, আমীরুল মু’মিনীনের জন্যে উনি এবং উনির মত লোকজ্যনর ন্যায়
অধিক অপকারী লোক আর কাউকে আমি মনে করি না ৷ তিনি বললেন, কেন হে আমার বৎস?
হাজ্জাজ বলল, কেননা, এ ব্যক্তি ও তার ন্যায় ব্যক্তিরা জনগণকে তাদের কাছে , একত্রিত
করবে ৷ তাদের কাছে হযরত আবু বকর (বা) ও হযরত উমর (না)-এর সীরাত বর্ণনা করবে ৷
তাতে জনগণ আমীরম্প মু’মিনীনের সীরাতকে অবজ্ঞা করতে থাকবে এবং উপরোক্ত দুইজনের
সীরাতের সামনে আমীরম্স মু’মিনীনেরসীরাতকে তারা কিছুই মনে করবে না ৷ কাজেই তারা
আমীরুল মুমিনীনকে প্রত্যাখ্যান করবে, তার বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম করবে এবং তাকে তারা
রাগাষিত করবে ৷ তারা তার আনুগত্য করবে না ৷ আল্লাহ্র শপথ, যদি আমাকে রন্থীয় ক্ষমতা
দেওয়া হয়, তাহলে আমি উনিকে এবং উনির ন্যায় অন্যান্য লোকদেরকে হত্যা করে ফেলব ৷
তখন তার পিতা তাকে বললেন, হে আমার সন্তান আল্লাহর শপথ, তাহলে আমি ধারণা করছি
পরাক্রমশালী অ ৷ল্লাহ্ তা আলা তোমাকে হতভাগ্া৷ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ৷ উপরোক্ত ঘটনা
প্রমাণ করে যে, হাজ্জাজের পিতা খলীফার কাছে একজন সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন এবং সুর্য
ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন ৷ তার পুত্র ভবিষ্যতে কী হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী তিনি নির্ভুলভাবে
আন্দায করেছেন ৷

ইতিহাসবিদগটুণ বলেন, হাজ্জাজের ক্ষা ছিল ৩৯ ইিজরী ৷ কেউ কেউ বলেন, ৪০ ইিজরী ৷
কেউ কেউ বলেন, : ১ হিজরীতে ৷ তারপর সে একজন বুদ্ধিমান, বিশুদ্ধভাষী, বাশ্মী ও
কুরআনুল কারীমের হাফিয হিসেবে যৌবনে পদার্পণ করে ৷ পুর্বেকার কোন কোন লোক বলেন,
হাজ্জাজ প্রতি রাতে কুরআন পাঠ করত ৷ আবু আমর ইিবন আল-আল৷ বলেন,হাজ্জাজ ও
হাসান বসরী হতে অধিকতর বিশুদ্ধ বাশী আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ ণ্ তবে এ দৃইজনের মধ্যে
হাসান বসরী ছিলেন অধিকতর বিশুদ্ধ বাশ্মী ৷ ন্ প্


عَلَيْهِ، وَقَالَ لَهُ: إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَهَلْ مِنْ حَاجَةٍ لَكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ، تَسْأَلُهُ أَنْ يَعْزِلَنِي عَنِ الْقَضَاءِ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! وَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ قَاضِيًا الْيَوْمَ خَيْرًا مِنْكَ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى ابْنِهِ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ: يَا أَبَهْ، أَتَقُومُ إِلَى رَجُلٍ مِنْ تُجِيبَ وَأَنْتَ ثَقَفِيٌّ؟ فَقَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَحْسَبُ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا يُرْحَمُونَ بِهَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: وَاللَّهِ مَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَضَرُّ مِنْ هَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ: وَلِمَ يَا بُنَيَّ؟ قَالَ: لِأَنَّ هَذَا وَأَمْثَالَهُ يَجْتَمِعُ النَّاسُ إِلَيْهِمْ فَيُحَدِّثُونَهُمْ عَنْ سِيرَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ، فَيُحَقِّرُ النَّاسُ سِيرَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَرَوْنَهَا شَيْئًا عِنْدَ سِيرَتِهِمَا، فَيَخْلَعُونَهُ وَيَخْرُجُونَ عَلَيْهِ، وَيَبْغَضُونَهُ وَلَا يَرَوْنَ طَاعَتَهُ، وَاللَّهِ لَوْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَ هَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ: يَا بُنَيَّ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَكَ شَقِيًّا. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ أَبَاهُ كَانَ ذَا وَجَاهَةٍ عِنْدَ الْخَلِيفَةِ، وَأَنَّهُ كَانَ ذَا فِرَاسَةٍ صَحِيحَةٍ; فَإِنَّهُ تَفَرَّسَ فِي ابْنِهِ مَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُهُ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالُوا: وَكَانَ مَوْلِدُ الْحَجَّاجِ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. ثُمَّ نَشَأَ شَابًّا لَبِيبًا فَصِيحًا بَلِيغًا حَافِظًا لِلْقُرْآنِ، قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: كَانَ الْحَجَّاجُ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ. وَقَالَ أَبُو الْعَلَاءِ: مَا رَأَيْتُ أَفْصَحَ مِنْهُ وَمِنَ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ. وَكَانَ الْحَسَنُ أَفْصَحَ مِنْهُ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ذَكَرَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৪০০


মাদ-দারা কুতনী বলেন, সুলায়মান ইবন আবু মানীহ্, সালিহ্ ইবন সুলায়মান থেকে বর্ণনা
ৰ্ৰৰ্ন ৷ তিনি বলেন, উকবাহ্ ইবন আমর বলেন, আমিট্রুন্মানুবের বিবেকবুদ্ধি অবলোকন
ৰৰেছি ৷ একজনের সাথে অন্য জনের বিবেক-বৃদ্ধির নিকটবর্তিত৷ রয়েছে ৷ কিন্তু হাজ্জাজ ও
সৈ ইবন মুআবিয়৷ ৷ তাদের দৃইজনের বিবেকবুদ্ধি জনগণের বিবেকবুদ্ধি থেকে প্রাধান্যের
লীেদার ৷ একথা পুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবদুল মাসিক ৭৩ হিজরীতে যখন মুসআব
ৰ্বৃনুৰ্ ষুবায়রকে হত্যা করে, তখন হাজ্জাজকেতার বড় ভইি আবদুল্পাহ্র বিরুদ্ধে পবিত্র মক্কায়
মোঃ করে ৷ সে তাকে পবিত্র মক্কায় অবরোধ করে এবং ঐ বছরই সােকর্জনবু ক নিয়ে হজ্জ
গ্গ্ন করে ৷ কিন্তু, হক্কজ্জর আহকাম পরিপুচ্তািবে আদায় করা সম্ভব হয়নি ৷ সে ও তার সাথীরা
ৰ্াদ্ধৃস্লাহ্র তওয়াফ করতে পারেনি ৷ অন্যদিকে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) ও তার সাথীরা
ক্ষ্মাফ্াতে অবস্থান করতে পারেনি ৷ অবরোধ অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না ৭৩ হিজরীর জুমাদাল
ষ্া৷ সালে যে বিজয় লাভ করে ৷ তারপর আবদুল মালিক তাকে পবিত্র মক্কা, মদীনা, তাইফ ও
ইয়মােনের নায়েব নিযুক্ত করলেন ৷ তার ভাই ৰাশারের মৃত্যুর পর তাকে আবদুল মালিক
ইরাকে স্থানান্তর করেন ৷ সে কুফায় প্রবেশ করে ৷ আর কুফাবাসীদের সাথে তার
আচার-আচরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে ৷ তাদের সাথে সে বিশঢি বছর অতিক্রাম্ভ
করে ৷ এ বিশ বছরে সে বহু বিজয় অর্জন করে, বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয় ৷
তার সেনাবাহিনী হিন্দুস্তানের সিন্ধু প্রদেশ পর্যন্ত পৌছে যায় ষ্ ৷ সেখানে বিজ্যি শহর ও প্রদেশ জয়
করে ৷ সেনাবাহিনী বিজয় লাভ করতে করতে চীন পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ তা বিস্তারিতভাবে
ৰ্ৰ্াস্থানে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এখানে তার সাহসিকতা, বীরতু, অণ্নপামিতা, বড় বড় বিষয়ে
তার খামখেয়ালীপনা, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি যা কোন প্রশাসকের ঘোষ ও গুণ হিসেবে বিবেচিত
হয়ে থাকে, যেগুলো সম্বন্ধে ইবন আসাকির ও অন্যরা বর্ণনা রেখেছেন ৷

আবু বাকৱ ইবন আবু খায়ছুামাহ্ আবদুল্লাহ্ ইবন কাহীর ইবন আখী ইসমাঈল ইবন
ঙ্গাফর আলৰুমাদীনী হতে অর্থের দিক দিয়ে বর্ণনা করেন ৷ একদিন হাজ্জাজ্ব ইবন ইউসুফ
সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রবের পার্শে সালাত আদায় করছিল আর এটা ছিল প্রশাসনিক দায়িত্ব
পাওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ হাজ্জাজ ইমামের পুর্বে সিজদায় যেত ও মাথা উ ঠাত ৷ সালাতের সালাম
ষিম্মানাের পর সাঈদ তার চাদরের কিনারা ধরলেন ও তার নির্ধারিত তাসবীহ পড়তে লাগলেন ৷
আর এদিকে হাজ্জাজ তার চাদরের আরেক কিনা ৷রা ধরে টানছিল ৷ তাসবীহ শেষ হওয়ায় পর
সাঈদ হাজ্জাজের দিকে মনোযোগ দিলেন এবং তাকে বললেন, “হে চোর ৷ হে খিয়ানতকারী ৷
এভাবে তুমি সালাত আদায় করছ ? আমি আমার এ জুতা ণ্তামার মুখে মারার মনস্থু
ম্নহ্নিা৷ম ৷ হাজ্জাজ সাঈদের কোন প্রতি উত্তর করল না ৷ সে হজ্জ পালন করতে চলে গেল ৷
ম্নো পর সে সিরিয়ার ফিরে আসল ৷ তারপর সে হিজাযের নায়েব নিযুক্ত হলো ৷ যখন
গ্ৰদুঃা৷হ্ ইবন যুবায়র (রা) শহীদ হন, তখন হাজ্জাজ, পবিত্র মদীনায় নায়েব হয়ে পবিত্র
মদীনায় ফিরে আসে ৷ যখন সে মসজিদে প্রবেশ করে সাঈদ ইববুল মুসাব্যিবের মজলিস
মোঃ পায় ৷ হাজ্জাজ তার কাছে আসল ৷ তাতে লোকজন সাঈদেরজন্যে ভয় করতে লাগল ৷
লোঃ এগিয়ে এসে সাঈক্ক দর সামনে, বসল এবং সাঈদকে বলল, তুমি কি ঐ ব্যক্তি যে
মোঃ এ কথাগুলো বলেছিলে ? তখন সাঈদ আপন হাত নিজের বুকে রেখে বললেন,
হ্যা ৷ হাজ্জাজ বলল, মহান আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন ৷ আপনি কতই না


قَالَ عُتْبَةُ بْنُ عَمْرٍو: مَا رَأَيْتُ عُقُولَ النَّاسِ إِلَّا قَرِيبًا بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ، إِلَّا الْحَجَّاجَ وَإِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّ عُقُولَهُمَا كَانَتْ تَرْجَحُ عَلَى عُقُولِ النَّاسِ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ لَمَّا قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ بَعَثَ الْحَجَّاجَ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بِمَكَّةَ فَحَاصَرَهُ بِهَا، وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ عَامَئِذٍ، وَلَمْ يَتَمَكَّنِ الْحَجَّاجُ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ، وَلَا تَمَكَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ، وَلَمْ يَزَلْ مُحَاصِرَهُ حَتَّى ظَفِرَ بِهِ فِي جُمَادَى سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، ثُمَّ اسْتَنَابَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ وَالْيَمَنِ، ثُمَّ وَلَّاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ الْعِرَاقَ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ بِشْرٍ، فَدَخَلَ الْكُوفَةَ كَمَا ذَكَرْنَا، وَقَالَ لَهُمْ وَفَعَلَ بِهِمْ مَا تَقَدَّمَ إِيرَادُهُ مُفَصَّلًا، فَأَقَامَ بَيْنَ ظَهْرَانِيهِمْ عِشْرِينَ سَنَةً كَامِلَةً. وَفَتَحَ فِيهَا فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً هَائِلَةً مُنْتَشِرَةً، حَتَّى وَصَلَتْ خُيُولُهُ إِلَى بِلَادِ الْهِنْدِ وَالسِّنْدِ، فَفَتَحَ فِيهَا جُمْلَةَ مُدُنٍ وَأَقَالِيمَ، وَوَصَلَتْ خُيُولُهُ أَيْضًا إِلَى قَرِيبٍ مِنْ بِلَادِ الصِّينِ، وَجَرَتْ لَهُ فُصُولٌ قَدْ ذَكَرْنَاهَا. وَنَحْنُ نُورِدُ هُنَا أَشْيَاءَ أُخَرَ مِمَّا وَقَعَ لَهُ مِنَ الْأُمُورِ وَالْجَرَاءَةِ وَالْإِقْدَامِ، وَالتَّهَوُّرِ فِي الْأُمُورِ الْعِظَامِ، مِمَّا يُمْدَحُ عَلَى مِثْلِهِ، وَمِمَّا يُذَمُّ بِقَوْلِهِ وَفِعْلِهِ، مِمَّا سَاقَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ: فَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৭৪০১


উত্তম শিক্ষক ও প্রশি ৷ক্ষক ৷ আপনার সাথে সালাত আদায় করার পর যখনি আমি সালাত আদায়
করতাম, তখনি আপনার কথা আমি স্মরণ করতাম ৷৩ তারপর হাজ্জাজ উঠে দাড়াল এবং নিজ
কাজে চলে গেল ৷

আর রায়্যাশী আল-আসমাঈ ও আবু যায়দ হতে আবু আমর ইবন আল-আলার ভাই,
মুআয ইবন আল-আলার মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ যখন আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা) কে হত্যা করে, তখন পবিত্র মক্কা জনগণের কান্নাকাঢিতে প্রকম্পিত ৩হয়ে উঠে ৷
হাজ্জাজ জনগণকে মসজিদে একত্রিত হবার আদেশ দান করে ৷ যখন তারা মসজিদে প্রবেশ
করলেন, হাজ্জাজ মিম্বরে দাড়াল এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে বাংলা :
হে মক্কাবাসীগণ আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা)ত এর হত্যাকাণ্ড আপনাদের কাছে একটি বিরাট

আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র এ উম্মতের একজন নবিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি খিলাফত লাভে আকৃষ্ট হন
এবং যাদের হাতে খিলাফত এখন বর্তমানে রয়েছে, তাদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করেন এবং
মহান আল্লাহর আনুণত্যের সাথেও বিরোধিতা করেন ও মহান আল্লাহর হেরেমে আশ্রয় নেন ৷
যদি কোন বস্তু নাফরমানদের রক্ষা করতে পারত, তাহলে তা আদম (আ)-কে আল্পাহ্

তা জানার হুরমত বা প্রদত্ত শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারত ৷ নিশ্চয়ই আল্পাহ্ তাআলা তাকে
নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ৷তার মধ্যে নিজের রুহ ফুৎকার করে দিয়েছেন ৷ ফেরেশতাদের দিয়ে
তাকে সিজদা করিয়েছেন ৷ত র্তীকে মহা সম্মানে ভুষিত ৩করিয়েছেন এবং নিজেই জান্নাতে বসবাস
করার ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি যখন ভুল করলেন, তখন তার ত্রুটির জন্যে তাকে
জান্নাত থেকে বের করে দিলেন ৷ হযরত আদম (আ) মহান আল্লাহর কাছে আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা) থেকে বেশী সম্মানিত ৷ আর জান্নাত ও কা বা থেকে বেশী সম্মানিত ৷ কাজেই
আপনারা মহান আল্লাহ্কে স্মরণ করুন, মহান আল্লাহ্ও আপনাদের স্মরণ করবেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ইসহাক ইবন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন : আওন, আবু আস-সিদ্দীক আন-নাজী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ং হাজ্জাজ
একদিন আসম৷ বিনৃত ৩আবুবকর সিদ্দীক (রা) এর ঘরেত তার পুত্র আবদুল্লাহ শহীদ হওয়ার পর
প্রবেশ করে এবং বলে, তোমার ছেলেকে এ ঘরে দাফন করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তাকে মর্মন্তুদ
শাস্তি ভোগ করিয়েছেন ৷ আর তোমার ছেলে অন্যায় করেছে ৷ তিনি তখন বলেন, তুমি মিথ্যা
বলেছ ৷ সে ছিল পিতা-মাতার অনুগত, সিয়ায পালনকারী ও ইবাদতগুযার ৷ আল্পাহ্র শপথ !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বনু ছাকীফ হতে দুইজন মিথ্যাবাদী উদ্ভুত
হবে৷ দ্বিতীয় জন প্রথম জন থেকে বেশী অনিষ্টকারী, সে হবে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷
উপরোক্ত হাদীসটি আবু ইয়র্টলা আবু আস সিদ্দীক হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,-
আমাকে অবহিত করানো হয়েছে যে, হাজ্জাজ একদিন আসম৷ (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করেন
“এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় উল্লেখ করেন ৷ আবু ইয়াল৷ অন্য এক সনদে আসম৷ বিনৃত আবু
বকর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যুসলা হতে নিষেধ
করতে শুনেছি ৷ মুছলা হলো যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া ৷
তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন : বনু ছাকীফ
থেকে দুইজন লোক আবির্ভুত হবে একজন হয়ে মিথ্যাবাদী এবং অন্য একজন ধ্ব ৎসযজ্ঞ
পরিচালনাকারী ৷ হযরত আসম৷ (রা) বলেনং : মিথ্যাবাদীকে তো আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ৷
আর ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকা রী ভুমিই হে হাজ্জাজ !


كَثِيرٍ ابْنِ أَخِي إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَدِينِيِّ مَا مَعْنَاهُ أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ صَلَّى مَرَّةً بِجَنْبِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ شَيْئًا فَجَعَلَ يَرْفَعُ قَبْلَ الْإِمَامِ وَيَقَعُ قَبْلَهُ فِي السُّجُودِ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَخَذَ سَعِيدٌ بِطَرْفِ رِدَائِهِ وَكَانَ لَهُ ذِكْرٌ يَقُولُهُ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَمَا زَالَ الْحَجَّاجُ يُنَازِعُهُ رِدَاءَهُ حَتَّى قَضَى سَعِيدٌ ذِكْرَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ سَعِيدٌ فَقَالَ لَهُ: يَا سَارِقُ يَا خَائِنُ، تُصَلِّي هَذِهِ الصَّلَاةَ! لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَضْرِبَ بِهَذَا النَّعْلِ وَجْهَكَ. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ مَضَى الْحَجَّاجُ إِلَى الْحَجِّ، ثُمَّ رَجَعَ فَعَادَ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ جَاءَ نَائِبًا عَلَى الْحِجَازِ، فَلَمَّا قَتَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ نَائِبًا عَلَيْهَا، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ إِذَا مَجْلِسُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فَقَصَدَهُ الْحَجَّاجُ فَخَشِيَ النَّاسُ عَلَى سَعِيدٍ مِنْهُ، فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ صَاحِبُ الْكَلِمَاتِ؟ فَضَرَبَ سَعِيدٌ صَدْرَهُ بِيَدِهِ وَقَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَجَزَاكَ اللَّهُ مِنْ مُعَلِّمٍ وَمُؤَدِّبٍ خَيْرًا، مَا صَلَّيْتُ بَعْدَكَ صَلَاةً إِلَّا وَأَنَا أَذْكُرُ قَوْلَكَ. ثُمَّ قَامَ وَمَضَى. وَرَوَى الرِّيَاشِيُّ، عَنِ الْأَصْمَعِيِّ وَأَبِي زَيْدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ الْعَلَاءِ أَخِي أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ قَالَ: لَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الزُّبَيْرِ ارْتَجَّتْ مَكَّةُ بِالْبُكَاءِ، فَأَمَرَ بالنَّاسِ فَجُمِعُوا فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ: يَا أَهْلَ مَكَّةَ، بَلَغَنِي إِكْبَارُكُمْ قَتْلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، أَلَا وَإِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ مِنْ خِيَارِ هَذِهِ الْأُمَّةِ، حَتَّى رَغِبَ فِي الْخِلَافَةِ وَنَازَعَ فِيهَا أَهْلَهَا، فَنَزَعَ طَاعَةَ اللَّهِ وَاسْتَكَنَّ بِحَرَمِ اللَّهِ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٌ مَانِعَ الْعُصَاةِ لَمَنَعَتْ آدَمَ حُرْمَةُ اللَّهِ; إِنَّ اللَّهَ خَلَقَهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ وَأَبَاحَ لَهُ كَرَامَتَهُ، وَأَسْكَنَهُ جَنَّتَهُ، فَلَمَّا أَخْطَأَ أَخْرَجَهُ مِنَ الْجَنَّةِ بِخَطِيئَتِهِ، وَآدَمُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَالْجَنَّةُ أَعْظَمُ حُرْمَةً
পৃষ্ঠা - ৭৪০২
مِنَ الْكَعْبَةِ، اذْكُرُوا اللَّهَ يَذْكُرْكُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، أَنَّ الْحَجَّاجَ دَخَلَ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ بَعْدَمَا قَتَلَ ابْنَهَا عَبْدَ اللَّهِ فَقَالَ: إِنَّ ابْنَكِ أَلْحَدَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَذَاقَهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَفَعَلَ بِهِ وَفَعَلَ. فَقَالَتْ: كَذَبْتَ، كَانَ بَرًّا بِوَالِدَيْهِ، صَوَّامًا قَوَّامًا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابَانِ; الْآخَرُ مِنْهُمَا شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ، وَهُوَ مُبِيرٌ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ وَهْبِ بْنِ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ. قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ الْحَجَّاجَ دَخَلَ عَلَى أَسْمَاءَ. . . فَذَكَرَ مِثْلَهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ، وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ رَجُلَانِ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» . قَالَتْ: فَقُلْتُ لِلْحَجَّاجِ: أَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ هُوَ يَا حَجَّاجُ. وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ: أَنْبَأَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَ الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ تَقُولُ لِلْحَجَّاجِ حِينَ دَخَلَ عَلَيْهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪০৩

উবায়দ ইবন হুমায়দ বলেন, ইয়াষীদ ইবন হারুনট্র আল আওয়াম ইবন হাওশাব এর
মাধ্যমে সং বাদ দেন ৷ তিনি বলেন, যিনি আসমা বিনৃত আবু বকর (রা) থেকে শুনেছেন, তিনি
আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ যখন তার ছেলে শহীদ হওয়ায়
সমবেদনা জ্ঞাপন করার জন্যে হযরত আসমা (রা) এর কাছে প্রবেশ করেন, তখন হযরত
আসমা (রা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, বনু ছাকীফ হতে
দুই ব্যক্তি আবির্ভু৩ হবে একজন মিথ্যাবাদী ও অন্যজন ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷ মিথ্যাবাদী
হলো ইবন আবুউবায়দ অর্থাৎ আল মুখতার ৷ আর ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী সেটা হচ্ছ তুমি ৷
সহীহ্ মুসলিম শরীফে অন্য সনদে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে ৷ আসমা ব্যতীত অন্য ল্যেকও
রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

আবু ইয়া ল৷ বলেন, “আহমদ ইবন উমর আল ওয়াকীঈ, ওয়াকীঈর মাধ্যমে একজন
মহিলা থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ মহিলাটির নাম ছিল আকীলাহ্ ৷ তিনি স ৷লাম৷ বিনৃত আল-
হুর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, বনু ছাকীফের মধ্যে একজন
রয়েছে মিথ্যাবাদী এবং অন্য একজন রয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷ এটা আবুইয়া লার
একক বর্ণনা ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী হতে, তিনি উম্মে আ’রাব হতে যার নাম তাল্হা, তিনি
আকীলাহ্ থেকে, তিনি সালাম৷ হতে সালাত সম্পর্কে অন্য একটি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আবু
দাউদ ও ইবন মাজাহ এ হাদীস উল্লেখ করেন ৷ ইবন উমর (রা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত
রয়েছে ৷ আবু ইয়ালা বলেন আবদুল্লাহ ইবন আসিম৷ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমি ইবন উমর (রা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সংবাদ
দিয়েছেন যে, বনু ছার্কীফে মিথ্যাবাদী ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী জন্ম নেবে ৷ তিরমিযীও এ
হাদীস বর্ণনা করেন এবং এটাকে উত্তম হাদীস বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, “আমাদেরকে মুসলিম ইবন খালিদ ইবন জুরায়জ থেকে হাদীস
বর্ণনা করেন ৷ তিনি নাফি হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর যুদ্ধের সময় পৃথকভাবে বসবাস করেন ৷ হাজ্জাজ মিনড়ায়
অবস্থান করছিল ৷ কিভৃ, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হাজ্জাজের সাথে সালাত আদায় করতেন
না ৷ আছ-ছাওরী মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি জাবির (বা) হতে বর্ণনা
করেন যে, তিনি হাজ্জাজের কাছে প্রবেশ করতেন কিন্তু তাকে সালাম করতেন না এবং তার
পিছনে সালাতও আদায় করতেন না ৷

ইসহাক ইবন রাহওয়ায়হ বলেন-, জারীর আমাদেরকে কাকা ইবনুল সালাত থেকে সংবাদ
দেন ৷ তিনি বলেন, একদিন হাজ্জাজ খুতবা দিল এবং বলল, “আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র মহান
আল্লাহর কিতাবের মধ্যে পরিবর্তন এন্যেছ ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বললেন,
“আল্লাহ তাআলা তাকে এ কাজ করতে ক্ষমতা দেননি ৷ তার সাথে ভোমাকেও ক্ষমতা
দেননি ৷ তুমি যদি চাও, তাহলে আমি বলতে পারি, তুমি একটি ডাহা মিথ্যা বলেছ ৷”

শাহর ইবন হাওশাব ও অন্যান্য থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, একদিন হাজ্জাজ খুতব৷ দীর্ঘায়িত
করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কয়েক বার বলছিলেন সালাত সালাত শু তিনি তারপর
দাড়িয়ে গেলেন এবং সালাত আদায় করলেন ৷ এরপর লোকজনও দাড়িয়ে গেল এবং হাজ্জাজ
লোকজনকে নিয়ে সালাত আদায় করল ৷ যখন স সালাত শেষ করল আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা)-কে সে বলল, তুমি এরুপ করলে স্লোন্নপ্রুড্রুৰু,স্থুাবৃদ্বুৰুল্লুা,হ ইবন উমর (রা) বললেন, “আমরা

يُعَزِّيهَا فِي ابْنِهَا: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ رَجُلَانِ مُبِيرٌ وَكَذَّابٌ» . فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَابْنُ أَبِي عُبَيْدٍ تَعْنِي الْمُخْتَارَ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ. وَتَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَوْرَدْنَاهُ عِنْدَ مَقْتَلِ ابْنِهَا عَبْدِ اللَّهِ، وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ أَسْمَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، ثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ غُرَابٍ، عَنِ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: عَقِيلَةُ. عَنْ سَلَّامَةَ بِنْتِ الْحُرِّ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو يَعْلَى. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ أُمِّ غُرَابٍ وَاسْمُهَا طَلْحَةُ عَنْ عَقِيلَةَ، عَنْ سَلَّامَةَ حَدِيثًا آخَرَ فِي الصَّلَاةِ. وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ. وَرُوِيَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بَسْطَامٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، «أَنْبَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ فِي ثَقِيفٍ مُبِيرًا وَكَذَّابًا» . وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ وَيُقَالُ: عِصْمَةَ وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৪০৪


৫ত৷ সালাত আদায় করতে আসি ৷ কাজেই সমযমত সালাত আদায় করতে দাও ৷ তারপর
তোমার যা কিছু বলার আছে বলে ৫রড়াও ৷”

আল-আসমাঈ বলেন, আমি আমার চাচা৫ক বলতে শু৫নছি, তিনি বলেন, আমার কাছে
সৎবাদ পৌছেছে যে, হাজ্জাজ যখন আবদুল্লাহ, ইবন যুবায়র (রা) থেকে অবসর গ্রহণ করে তখন
সে পবিত্র মদীনায় আগমন করে ৷ পবিত্র মদীনায় বাইরে যে একজন বুদ্ধের সাথে সাক্ষাত
করে, এবং পবিত্র মদীনাবাসিগণের অবস্থা সম্পর্কে যে তাকে জ্ঞাত করে ৷ বৃদ্ধ বলল, পবিত্র
মদীনাৰাসীগণ খুব দুরবস্থায় আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আত্মী৫য়র সভান৫ক হত্যা করা
হম্নে৫ছপ্ হাজ্জাজ বলল, তা৫ক ৫ক হত্যা করেছে ? বৃদ্ধটি বলল, পাপী অভিশপ্ত হাজ্জাজ, তার
উপর আল্লাহ্র লানত ও ধ্বংস পতিত হোক ৷ সে আল্লাহর প্রতি খুব কমই ৫তায়াক্কা করে ৷
এতে হাজ্জাজ ভীষণ রেগে গেল এবং বলতে লাগল ৷ হে বৃদ্ধ! তুমি কি হাজ্জাজ৫ক ৫দুখলে
চিনতে পারবে ? সে বলল, হ্যা, আল্লাহ, যেন তার মঙ্গল না করেন এবং তাকে ধ্বংস থেকে
রক্ষা না করেন ৷ হাজ্জাজ তখন তার মুখোশ খুলে ৫ফলল এবং বলল, হে বৃদ্ধ! এখনি তুমি টের
পারে যখন তোমার রক্ত প্রবাহিত হয়ে ৷ যখন বৃদ্ধ ব্যাপারটি বুঝতে পারল ৷ তখন বলল,
আল্লাহর শপথ, এটা তো বিস্ময়কর ব্যাপার হে হাজ্জাজ৷ যদি তুমি আমাকে চিনতে, তাহলে
তুমি এ ধরনের কথা বলতে না ৷ আমি হলাম আল-আব্বাস ইবন আবু দাউদ, আমি প্রতিদিন
পাচবার কুস্তি লড়ি ৷ তখন হাজ্জাজ বলল, যাও, তুমি চলে যাও আল্লাহ যেন তোমার এ
পাগলামির আরোগ্য না করেন এবং তোমার এ রোগ দুরীভৃত না করেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আবদুস সামাদ হাম্মাদ ইবন সালামা হতে আমাদের কাছে হাদীস
বংনাি করেন ৷ তিনি ইবন আবু রাফি ও আবদুল্লাহ ইবন জ,৷ ফর হতে বর্ণন৷ করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়া খলীফা আবদুল মালিককে বলেন, তুমি
, , কি তাকে একাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে ? খলীফা আবদুল মালিক বললেন, এটাতে
, কোন ক্ষতি ৫ন ই ৷ খালিদ বলেন, আল্লাহর শপথ, সে অত্যন্ত শক্ত ব্যক্তি ৷ আবদুল মালিক
বললেন, কেমন করে ? খালিদ বললেন, আল্লাহর শপথ, হে আমীরুল মু মিনীনা যেদিন আমি
রাযলাহ বিনত যুৰায়্বৃ৫ক বিয়ে করেছি, সেদিন থেকে যুবায়রের বংশধর সম্পর্কে আমার অভ৫র
যা ছিল তা দুরীভুত হয়ে গেছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সে যেন নিদ্রিত ছিল এবং এখন তাকে
জাগিয়ে দেওয়া হলো ৷ কাজেই, খলীফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের কা৫ছু পত্র লিখল যে, ৫স
যেন রামলাহর তালা৫কর ব্যবস্থা করে ৷ আর সে তার তালা কের ব্যবস্থা করল ৷

সাঈদ ইবন আবু আরুৰাহ বলেন, একবার হাজ্জাজ হজ্জ পালন করে পবিত্র মক্কা ও
মদীনায় মধ্যবর্তী স্থানে আন্ামন করে ৷ তার সামনে খাবার হাষির করা হ৫লা ৷ তখন সে, তার
দারােয়ানকে বলল, “৫দখ৫তা কাউকে পাওয়া যায় কিনা যে আমার সাথে খাবার খাবে ৷
দারােয়ার্ন বের হয়ে গেল এবং এক ঘুমম্ভ মরুবাসী৫ক দেখতে পেল ৷ তখন তাকে মৃদু লাথি,
প্রদান করল এবং বলল, আমী৫রর ডাকে সাড়া দাও ৷ মরুবাসী ৫লাকটি ঘুম থেকে উঠল এবং
হাজ্জাজের কাছে আগমন করল ৷ হাজ্জাজ তাকে বলল, তোমার হাত ধুয়ে এসো, তারপর
আমার সাথে খাদ্য গ্রহণ কর ৷ মরুবাসী ব্যক্তিটি বলল, তোমার থেকে যিনি উত্তম আমি তার
ডাকে সাড়া দিয়েছি ৷ হাজ্জাজ বলল, তিনি কে ? ৫লাকটি বলল, তিনি মহান আল্লাহ ৷ যিনি
আমাকে সিয়াম পালন করতে ৫ড৫কছেন, আর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছি ৷ হাজ্জাজ বলল,
এত তীব্র গরমের মধ্যে তুমি সিয়াম পালন করছ ? ৫লাকটি রলল হা৷ ৷ এর থেকে বেশী
গর৫মর দিলেও আমি সিয়াম পালন করেছি ৷ হাজ্জাজ বলল, এখন খেয়ে নাও আগামী দিন না


وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ اعْتَزَلَ لَيَالِيَ قِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَالْحَجَّاجِ بِمِنًى، فَكَانَ يُصَلِّي مَعَ الْحَجَّاجِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى الْحَجَّاجِ فَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ يُصَلِّي وَرَاءَهُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ: أَنْبَأَ جَرِيرٌ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ الصَّلْتِ قَالَ: خَطَبَ الْحَجَّاجُ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ غَيَّرَ كِتَابَ اللَّهِ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: مَا سَلَّطَهُ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ، وَلَا أَنْتَ مَعَهُ وَلَوْ شِئْتُ أَنْ أَقُولَ: كَذَبْتَ، لَفَعَلْتُ. وَرُوِيَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ وَغَيْرِهِ أَنَّ الْحَجَّاجَ أَطَالَ الْخُطْبَةَ، فَجَعَلَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ، مِرَارًا، ثُمَّ قَامَ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَقَامَ النَّاسُ، فَصَلَّى الْحَجَّاجُ بِالنَّاسِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا نَجِيءُ لِلصَّلَاةِ، فَصَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا، ثُمَّ بَقْبِقْ مَا شِئْتَ بَعْدُ مِنْ بَقْبَقَةٍ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: سَمِعْتُ عَمِّي يَقُولُ: بَلَغَنِي أَنَّ الْحَجَّاجَ لَمَّا فَرَغَ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَقَدِمَ إِلَى الْمَدِينَةِ لَقِيَ شَيْخًا خَارِجًا مِنَ الْمَدِينَةِ فَسَأَلَهُ عَنْ حَالِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: بِشَرِّ حَالٍ; قُتِلَ ابْنُ حَوَارِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: وَمَنْ قَتَلَهُ؟ قَالَ: الْفَاجِرُ اللَّعِينُ الْحَجَّاجُ عَلَيْهِ لَعَائِنُ اللَّهِ وَتَهْلُكَتُهُ; مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৪০৫
قَلِيلِ الْمُرَاقَبَةِ لِلَّهِ. فَغَضِبَ الْحَجَّاجُ غَضَبًا شَدِيدًا، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا الشَّيْخُ، أَتَعْرِفُ الْحَجَّاجَ إِذَا رَأَيْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَلَا عَرَّفَهُ اللَّهُ خَيْرًا، وَلَا وَقَاهُ ضُرًّا. فَكَشَفَ الْحَجَّاجُ عَنْ لِثَامِهِ، وَقَالَ: سَتَعْلَمُ أَيُّهَا الشَّيْخُ الْآنَ إِذَا سَالَ دَمُكَ السَّاعَةَ. فَلَمَّا تَحَقَّقَ الشَّيْخُ الْجَدُّ، قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْعَجَبُ يَا حَجَّاجُ، لَوْ كُنْتَ تَعْرِفُنِي مَا قُلْتَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ، أَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، أُصْرَعُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: انْطَلِقْ، فَلَا شَفَى اللَّهُ الْأَبْعَدَ مِنْ جُنُونِهِ وَلَا عَافَاهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَنَّهُ زَوَّجَ ابْنَتَهُ مِنَ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، فَقَالَ لَهَا: إِذَا دَخَلَ بِكِ فَقُولِي: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ قَالَ هَذَا. قَالَ حَمَّادٌ: فَظَنَنْتُ أَنَّهُ قَالَ: فَلَمْ يَصِلْ إِلَيْهَا. قَالَ الشَّافِعِيُّ: لَمَّا تَزَوَّجَ الْحَجَّاجُ بِنْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ: أَتُمَكِّنُهُ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: وَمَا بَأْسٌ بِذَلِكَ؟ قَالَ: أَشَدُّ الْبَأْسِ وَاللَّهِ. قَالَ: كَيْفَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَقَدْ ذَهَبَ مَا فِي صَدْرِي عَلَى آلِ الزُّبَيْرِ مُنْذُ تَزَوَّجْتُ رَمْلَةَ بِنْتَ الزُّبَيْرِ. قَالَ: فَكَأَنَّهُ كَانَ نَائِمًا فَأَيْقَظَهُ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ يَعْزِمُ عَلَيْهِ فِي طَلَاقِهَا فَطَلَّقَهَا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ: حَجَّ الْحَجَّاجُ مَرَّةً، فَمَرَّ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَأُتِيَ