আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৩৯৩
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا غَزَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بِلَادَ الرُّومِ، وَافْتَتَحَ حُصُونًا كَثِيرَةً. وَفِيهَا افْتَتَحَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ مَدِينَةَ الْبَابِ مِنْ إِرْمِينِيَّةَ، وَخَرَّبَهَا، ثُمَّ بَنَاهَا مَسْلَمَةُ بَعْدَ ذَلِكَ بِتِسْعِ سِنِينَ. وَفِيهَا افْتَتَحَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ الثَّقَفِيُّ مَدِينَةَ الْمُولْتَانِ مِنْ أَرْضِ الْهِنْدِ، وَأَخَذَ مِنْهَا أَمْوَالًا جَزِيلَةً. وَفِيهَا قَدِمَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ مِنْ بِلَادِ الْأَنْدَلُسِ إِلَى إِفْرِيقِيَّةَ، وَمَعَهُ الْأَمْوَالُ عَلَى الْعَجَلِ تُحْمَلُ مِنْ كَثْرَتِهَا، وَمَعَهُ ثَلَاثُونَ أَلْفَ رَأْسٍ مِنَ السَّبْيِ. وَفِيهَا غَزَا قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ بِلَادَ الشَّاشِ فَفَتَحَ مُدُنًا وَأَقَالِيمَ كَثِيرَةً، فَلَمَّا كَانَ هُنَاكَ جَاءَهُ الْخَبَرُ بِمَوْتِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، فَقَمَعَهُ ذَلِكَ، وَرَجَعَ بِالنَّاسِ إِلَى مَدِينَةِ مَرْوَ، وَتَمَثَّلَ بِقَوْلِ بَعْضِ الشُّعَرَاءِ: لَعَمْرِي لَنِعْمَ الْمَرْءُ مِنْ آلِ جَعْفَرٍ ... بِحَوْرَانَ أَمْسَى أَعْلَقَتْهُ الْحَبَائِلُ فَإِنْ تَحْيَ لَا أَمْلَلْ حَيَاتِي وَإِنْ تَمُتْ ... فَمَا فِي حَيَاتِي بَعْدَ مَوْتِكَ طَائِلُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৪
وَفِيهَا كَتَبَ الْوَلِيدُ إِلَى قُتَيْبَةَ بِأَنْ يَسْتَمِرَّ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ مِنْ مُنَاجَزَةِ الْأَعْدَاءِ، وَيَعِدُهُ عَلَى ذَلِكَ، وَيَجْزِيهِ خَيْرًا، وَيُثْنِي عَلَيْهِ بِمَا صَنَعَ مِنَ الْجِهَادِ، وَفَتْحِ الْبِلَادِ، وَقِتَالِ أَهْلِ الْكُفْرِ وَالْعِنَادِ، وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ اسْتَخْلَفَ عَلَى الصَّلَاةِ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ، فَوَلَّى الْوَلِيدُ الصَّلَاةَ وَالْحَرْبَ بِالْمِصْرَيْنِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ يَزِيدَ بْنَ أَبِي كَبْشَةَ، وَوَلَّى خَرَاجَهُمَا يَزِيدَ بْنَ مُسْلِمٍ، وَقِيلَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ يَسْتَخْلِفُهُمَا عَلَى ذَلِكَ، فَأَقَرَّهُمَا الْوَلِيدُ. وَاسْتَمَرَّ سَائِرُ نُوَّابِ الْحَجَّاجِ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ، وَكَانَتْ وَفَاةُ الْحَجَّاجِ لِخَمْسٍ، وَقِيلَ: لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ. وَقِيلَ: مَاتَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا بِشْرُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ. وَفِيهَا قُتِلَ الْوَضَّاحِيُّ بِأَرْضِ الرُّومِ، وَمَعَهُ أَلْفٌ مِنْ أَصْحَابِهِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ مَوْلِدُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৫


৯৫ ইিজয়ীর আশমন

এ বছরেই আলষ্আব্বাস ইবন আল-ওয়ান্সীদ রোমের বিজ্জি প্রাদশণ্ডালন্তেত যুদ্ধ করেন
এবং বহু দুর্গ তিনি জয়লাভ করেন ৷ এ বছরেই মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক রোমের
প্রদেশগুলোর একটি প্রদেশ জয় করেন ৷ এটাকে প্রথমত পুড়িয়ে দেন এবং দশ বছর পরে
এটাকে পুনঃনির্মাণ করেন ৷ এ বছরেই মুহাম্মদ ইবন কাসিম হিন্দুস্তানের মু লতান শহর জয়
করেন এবং সেখান থেকে বহু সম্পদ হস্তগত করেন ৷

এ বছরেই মুসা ইবন নুসারর অল্যাংসর অ্যাংলাে হতে আফ্রিকার দিকে অগ্রসর হলেন ৷
তার সাথে প্রচুর সম্পদ ও তাৎক্ষণিকভারে পরািবশনযােগ্য খাবার বহন করা হতো এবং তার
সাথে ছিল ত্রিশ হাজার যুদ্ধবন্দী ’৷ এ বছরেই ণ্কুতায়বা ইবন মুসলিম আশ শাশ এর
শ হরগুলােতে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি বহু শহর ও প্রদেশ জ্যা করেন ৷ যখন তিনি সেখানে ছি লেন
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের মৃত্যু সংবাদ তথায় পৌছল তখন তিনি চোখে অন্ধকার দেখতে
লাশলেন এবং লোকজনকে নিয়ে মারড শহরের দিকে প্রত্যাবর্জা করেন ও কোন এক কবির
কবিতা উদাহরণ স্বরুপ আবৃত্তি করেন : “আমার আয়ুর শপথ, হুরানে অবন্থানরত আলে
জাফরের সোকটি কতই ন৷ ভাল ৷ যাকে জ্যাপণেৱ স্নেহেৱ বন্ধন জড়িয়ে রেখেদ্বে ৷ তাকে লক্ষ্য
করে আমি বলছি, তোমার জীবিত অবস্থায় আমি তোমার অধীন, আমার জীবনের মালিক
আমি নই ৷ আর তোমার মৃত্যুর পর আমার জীবনে কোন প্রকার আয়-উন্নতি নেই ন্ ৷

এ বছরেই খলীফাহ্ অলে-ওয়ালীদ কুতায়ৰাকে পত্র লিখে জানান সে যেন তার দুশমনের
বিরুদ্ধে তার তৎপরতা বজায় রাখে ৷ আর এ কাজের জন্যে বলীফ৷ তাকে যথাযথ পুরস্কার দান
করবেন এবং তার জিহাদ, বিভিন্ন শহর বিজয় ও কাফিরদের বিরুদ্ধে ঘুদ্ধ-কািহ চালিয়ে

যাওয়ার জন্যে তার ভুরসী প্রশংসা করেন ৷ হাজ্জাজ সালাত পরিচালনার জন্যে তার ছেলে
আবদৃল্লাহ্কে দায়িতু প্রদান করেন ৷ অন্যদিকে খলীফ৷ আল-ওয়ালীদ কুফা ও বসরায় সালাত
আদায় ও যুদ্ধৰিগ্রচ্হ্ৰু’ৰ্ জন্য ইয়াযীদ ইবন আবু কাবশাহকে দায়িত্ব প্রদান করেন ৷ উক্ত দুই
শহরের কর আদায়ের জন্যে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইয়াযীদ ইবন মুসলিমকে ৷ কেউ কেউ বলেন,
হাজ্জাজই তাদের দুহজ্যাকে দায়িত্ব দিয়ে যান এবং আলণ্ওরালীদ তাদেরকে নিজ দায়িত্বে
বহাল রাখেন ৷ অনুরুপভাবে হাজ্জাজের সকল নওয়াবকে তাদের পলেনীর দায়িত্বে বহাল রাখা
হয় ৷ হাজ্জাজ রামাযান মাসের পাচ দিন, কেউ কেউ বলেন, তিন দিন বাকী থাকতে ইন্তিকাল
করে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, যে এ বছরের শাওয়ান মাসে ইনৃতিকাল করে ৷

আবু মা শর ও আল-ওয়াকিদী বলেন, এ বছরেই বাশার ইবন আল-ওয়লীেদ ইবন আবদুল
মালিক ণ্লাকজ্নকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ এ বছরেই রোম ভুখণ্ডে আল -ওয়াযাহী নিহত
হন ৷ তার সাথে ছিল তার এক হাজার সাথী-সঙ্গী ৷ এ বছরেই আবু৷ জা কর আল-মানসুর
আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস অ্যাংহণ করেন ৷

স্তো ইবন ইউসুক আহ-ছাকাফী-এর জীবনী ও তার ওষাত

তার পুর্ণ নাম আবু ম্হাস্মদ আল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ইবন আবু উকায়ল ইবন মাসউদ
ইবন আমির ইবন যা তার, ইবন মালিক, ইবন কা ব ইবন আমর ইবন সা দ ইবন আওফ্
ইবন ছাকীফ ৷ তিনিই কাসী ইবন যুনাব্বিহ ইবন বাকর ইবন হাওয়াযিন আহু-ছাকাফী ৷ সে
আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) হতে হাদীস শুন্মোছু ৷ সে আনসে (রা), সামুরাই ইবন জুনদাব


[تَرْجَمَةُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ هُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي عَقِيلِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ عَامِرِ بْنِ مُعَتِّبِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ وَهُوَ قَسِيُّ بْنُ مُنَبِّهِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ أَبُو مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيُّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَرَوَى عَنْ أَنَسٍ، وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، وَعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَأَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى. وَرَوَى عَنْهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، وَمَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، وَجَرَادُ بْنُ مُجَالِدٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، قَالَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قَالَ: وَكَانَتْ لَهُ بِدِمَشْقَ آدُرٌ مِنْهَا دَارُ الزَّاوِيَةِ بِقُرْبِ قَصْرِ ابْنِ أَبِي الْحَدِيدِ، وَوَلَّاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ الْحِجَازَ، فَقَتَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنْهَا وَوَلَّاهُ الْعِرَاقَ، وَقَدِمَ دِمَشْقَ وَافِدًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْمُغِيرَةِ بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: خَطَبَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، فَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৬

(রা) , আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ও আবু বুরায়দাহ ইবন আবু মুসা (র) হতে হাদীস বর্ণনা

করেছে ৷ আবার তার থেকে যারা হাদীস বর্ণনা করেন তারা হলেন, আনাস ইবন মালিক (রা) ,
ছাবিত আল বানানী, হুমায়দ আত ত,াবীল মালিক ইবন দীনার, জাওয়াদ ইবন মুজালিদ,
কুতায়বা ইবন মুসলিম ও সাঈদ ইবন আবু আরুবাহ ৷ উপরোক্ত মন্তব্যটি ইবন আসাকির


বর্ণনাকারী বলেন, দারু মশৃকে তার কয়েকটি বাড়ী ছিল ৷ একটির নাম দারুর রাবিয়াহ যা
ইবন আবুল হাদীদের রাজ-প্রাসাদের নিকটে অবস্থিত ৷ আবদুল মালক তাকে হিজাযের শাসক
নিযুক্ত করেন ৷ সে আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা)-কে হত্যা করে ৷ তারপর তাকে হিজায
থেকে বরখাস্ত করে ইরাকের শাসক নিযুক্ত করেন ৷ দামেশ্কে আবদুল মালিকের কাছে একটি
প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে আগমন করে ৷ আল্লামা আসাকির আল-মুগীরা ইবন মুসলিমের
মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি উবায়কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, একদিন
আল-হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আমাদেরকে সম্বোধন করে এবং কবরের কথা উল্লেখ করে ৷ সে
বলতে থাকে যে, কবর একার্কীর ঘর ও দীনতার ঘর ৷ এরপর সে ক্রন্দন করল এবং
আশেপাশের লোকজনও র্কাদলেন ৷ তারপর সে বলে, আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানকে আমি বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, আমি মারওয়ানকে বলতে শুনেছি তিনি তার
খুতবাতে বলেন, একদিন হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (বা) তার খুতবাতে বলেন, রাসুলুল্লাহ
(না) যখন কোন কবর দেখতেন কিত্ব৷ তার কাছে কবরের কথা উল্লেখ করা হতো, তখন
তিনি র্কাদতেন ৷ সুনানে আবু দাউদ ও অন্যান্য হাদীদের কিভাবে এ ধরনের হাদীস বর্ণিত
রয়েছে ৷ আবু দাউদ আহমদ ইবন আবদুল জাব্বারের মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
ইয়াসার জাফারর মাধ্যমে মালিক ইবন দীনার হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন
আমি হাজ্জাজের কাছে প্রবেশ করলাম ৷ সে আমাকে বলল, হে আবু ইয়াহ্ইয়া৷ আমি কি
তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সা) হতে বর্ণিত একটি উত্তম হাদীস শুনাব ?” তখন আমি বললাম,
হ্যা ৷ সে বলল, আবু বুবদাহ (রা) আবু মুসা (বা) হতে আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যার জন্যে মহান আল্লাহর কাছে কোন প্রয়োজন
আছে, সে যেন সেই সম্বন্ধে ফরয সালাতের পিছনে মহান আল্লাহ্কে ডাকে বা মহান আল্লাহর
কাছে দু আ করে ৷ অন্যান্য সুনানের কিতাব ও মুসনাদে ফুযালাহ ইবন উবায়দ ও অন্যান্য থেকে
এ হাদীসটির সাক্ষ্য বা শাহেদ রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, যিনি উল্লেখ করেছেন তার থেকে আমি বলেছি যে,
আল-মুগীরাহ ইবন শুবাহ (রা) একদিন তার ত্রীর নিকট প্রবেশ করলেন ৷ তিনি খিলাল
করতে ছিলেন অর্থাৎ দাতের মধ্যে যে ময়লা লেগেছিল তা পরিষ্কার করার জন্যে দাতকে ঘষতে
ছিলেন ৷ আর এটা ছিল দিনের প্রথম বেলায় ৷ আল মুগীরা (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ, তুমি
যদি সকালে খাবার খেয়ে নিতে ৷ তুমি অবশ্যই নীচ গৃহিণী ৷ গত রাতের খাদ্যের কিছু টুকরা
যদি তোমার মুখে থেকে থাকে, তাহলে এটা হবে পচা আবর্জনা ৷ তখন তিনি তাকে তালাক
দেন ৷ তার শ্রী বললেন, আল্লাহর শপথ, তুমি যা উল্লেখ করেছ, এ ধরনের কোন বস্তু আমার
মুখে নেই ৷ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেরুপ সকাল বেলায় মিসওয়াক করে থাকে আমিও তদ্র্যপ
মিসওয়াক করছি ৷ এ মিসওয়াক থেকে আমার মুখে যা কিছু বাকী ছিল তা বের করার জন্যেই
আমি ইচ্ছে করছিলাম ৷ আল-মুগীরা তখন হ জ্জাজের পিতা ইউসুফকে বললেন,তু মি তাকে
বিয়ে কর ৷ কেননা, যে এখন একটি পুরুষকে গর্ভধাৱণ করবে যে ভবিষ্যতে জনগণের নেতৃত্ব


الْقَبْرَ، فَمَا زَالَ يَقُولُ: إِنَّهُ بَيْتُ الْوَحْدَةِ، وَبَيْتُ الْغُرْبَةِ. حَتَّى بَكَى وَبَكَى مَنْ حَوْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ يَقُولُ: سَمِعْتُ مَرْوَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: خَطَبَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «مَا نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَبْرٍ أَوْ ذَكَرَهُ إِلَّا بَكَى» . وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَاهِدٌ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ " وَغَيْرِهِ، وَسَاقَ مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ: ثَنَا سَيَّارٌ، عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لِي: يَا أَبَا يَحْيَى، أَلَا أُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ حَسَنٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْتُ: بَلَى. فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَتْ لَهُ إِلَى اللَّهِ حَاجَةٌ فَلْيَدْعُ بِهَا فِي دُبُرِ صَلَاةٍ مَفْرُوضَةٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَاهِدٌ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ وَغَيْرِهِ فِي السُّنَنِ وَالْمَسَانِيدِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: سَمِعْتُ مَنْ يَذْكُرُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ وَهِيَ تَتَخَلَّلُ أَيْ تُخَلِّلُ أَسْنَانَهَا لِيَخْرُجَ مَا بَيْنَهَا مِنْ أَذًى وَكَانَ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ كُنْتِ بَاكَرْتِ الْغَذَاءَ إِنَّكَ لِرَغِيبَةٌ دَنِيَّةٌ، وَإِنْ كَانَ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৭


দান করবে ৷ তখন আবুল হাজ্জাজ ইউসুফ তাকে বিয়ে করলেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) বলেন,
আমাকে এ বিষয়ে অবগত করানো হয়েছে যে, যখন ইউসুফ তাকে নিয়ে বাসর ঘর করে এবং
তার সাথে সত্গম করার পর নিদ্রায় মগ্ন হয়, তখন তাকে নিদ্রার অবস্থায় বলা হয় ধ্বংসযজ্ঞ

পরিচালনাকারীকে মহিলাটি কত শীঘ্রই না গর্ভধারণ করল ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, তার মায়ের নাম ছিল আল ফারিয়া বিনৃত হুমাম ইবন উরওয়াহ
ইবন মাসউদ আছ-ছাকড়াফী ৷ মহিলাঢির স্বামীর নাম ছিল আল হারিছ ইবন কালদা
আছ-ছাকাফী ৷ তিনি ছিলেন আরবদের একজন চিকিৎসক ৷ মিস্ওয ক সম্বন্ধে তার থেকেই

ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে ৷

আল-আকদ নামক কিতাবের লিখক উল্লেখ করেন ৷ হাজ্জাজ ও তার পিতা দুই জনেই
তাইফে ছেলেমেয়েদেরকে মক্তবে পড়াত ৷ তারপর সে দামেশৃকে আগমন করে এবং আবদুল
মালিকের উযীর রাওহ ইবন যাম্ব৷ ৷র কাছে অবস্থান করে ৷ একদিন আবদুল মালিক বা ওহেব
কাছে অভিযোগ করেন যে, সেনাবাহিনী তার কথায় সময়মত কোন অভিযানে যাত্রা করে না
কিংবা যাত্রা ভঙ্গও করে না ৷ রাওহ তখন বললেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি আছে এ ব্যাপারে
তাকে দায়িত্ব প্রদান করুন ৷ আবদুল মালিক হাজ্জাজকে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব প্রদান করলেন ৷
এখন একজনও যাত্রাকালে কিৎবা যাত্রা ভঙ্গকালে আর বিলম্ব করে না ৷ রাওহ ইবন যাম্বার
তাবু অতিক্রমকালে হাজ্জাজ দেখল যে, তাবুর সৈন্যরা খাওয়া-দাওয়৷ করছে ৷ সে তাদেরকে
প্রহার করল তাদেরকে নিয়ে ঘুৱাঘুরি করল এবৎ৩ তাবুটি জ্বালিয়ে দিল ৷ রাওহ এ ব্যাপারে
আবদুল মালিকের কাছে অভিযোগ পেশ করল ৷ আবদুল মালিক হাজ্জাজকে বললেন, কেন তুমি
এরুপ করলে ? হাজ্জাজ বলল, আমি এটা করি নাই, এটা করেছেন আপনি ৷ কেননা, আমার
হাতই আপনার হাত এবং আমার রেতই আপনার যেত ৷ আপনার কোন ক্ষতি হবে না যদি
আপনি রাওহকে তার র্তাবুর পরিবর্তে দুইটি তাবু দান করেন এবং তাকে এক পােলামের
পরিবর্তে দুই গোলাম দান করেন ৷ আমাকে আপনি যে ব্যাপারে দায়িত্ব দিয়েছেন তার মধ্যে
কোন মধ্যহুতা করবেন না ৷ আবদুল মালিক এরপর থেকে কোন প্রকার মধ্যস্থুতা করলেন না

বংহাজ্জাজও তার নিকটবর্তীহতে লাগল ৷

বর্ণনাকারী বলেন, ’৮৪ হিজরীতে ওয়াসিত শহরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ৮৬
হিজরীতে তার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় ৷ কেউ কেউ বলেন, তারও পুর্বে শেষ হয় ৷ বংনািকারী
আরো বলেন, তার আমলেই কুরআনুল কারীমের নুকতার প্রবর্তন করা হয় ৷ হাজ্জাজের
কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাকে প্রথমত াহ্র বলা হতো, পরে তার নাম দেওয়া
হয়েছে হাজ্জাজ ৷ এরুপও উল্লেখ আছে যে, যখন সে জন্ম নেয়, তখন তার পায়খানা ও প্রস্রাবের
কোন রাস্তা ছিল না ৷ তারপর রাস্তা তৈরী করা হয় ৷ কিছুদিন যাবত সে দুধ পান করেনি,
যতক্ষণ না তাকে এক বছরের বকরীর বড়াচ্চার রক্তপান করানো হয় ৷ এরপর অস্ত্রধারীর রক্ত
দ্বারা তার চেহারা রঙ্গিন করা হয় ৷ তারপর সে দুধ পান করল ৷ তার মধ্যে ছিল তীক্ষ্ণ ধীশক্তি
এবং বক্তপাতের অদম্য ম্পৃহা ৷ কেননা, সে ছিল প্রথম ব্যক্তি যে তার ঢেহারায় মাখানাে রক্ত
পান করেছিল ৷ কেউ কেউ বলে, তার মাতা নসর ইবন হাজ্জাজ ইবন ইলাতের অভিকাৎখিতা
ল্লি ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, যে ছিল তার পি৩ ৷র মাতা ৷ মহান আল্পাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

তার মধ্যে ছিল সুক্ষ্ম ও বড় ধীশক্তি, তার তলোয়ার ছিল অত্যন্ত খামখেয়ালীপুর্ণ, যে
সামান্য সন্দেহের বশে এমন এমন ব্যক্তিদেরকে হত্যা করে ফেলত, যাদেরকে হত্যা করতে
মহান আল্লাহ্ বারংবার নিষেধ করেছেন, যে বাদশাহদের মতই বাপাযিত হয়ে যেত ৷ তার


تُخَلِّلِينَ مِنْهُ شَيْءٌ بَقِيَ فِي فِيكِ مِنَ الْبَارِحَةِ إِنَّكِ لِقَذِرَةٌ. فَطَلَّقَهَا، فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا كَانَ شَيْءٌ مِمَّا ذَكَرْتَ، وَلَكِنَّنِي بَاكَرْتُ مَا تُبَاكِرُهُ الْحُرَّةُ مِنَ السِّوَاكِ، فَبَقِيَتْ شَظِيَّةٌ فِي فَمِي مِنْهُ فَحَاوَلْتُهَا لِأُخْرِجَهَا. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ لِيُوسُفَ أَبِي الْحَجَّاجِ: تَزَوَّجْهَا، فَإِنَّهَا لِخَلِيقَةٌ أَنْ تَأْتِيَ بِرَجُلٍ يَسُودُ. فَتَزَوَّجَهَا يُوسُفُ أَبُو الْحَجَّاجِ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: فَأُخْبِرْتُ أَنَّ أَبَا الْحَجَّاجِ لَمَّا بَنَى بِهَا وَاقَعَهَا فَنَامَ، فَقِيلَ لَهُ فِي النَّوْمِ: مَا أَسْرَعَ مَا أَلْقَحْتَ بِالْمُبِيرِ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَاسْمُ أُمِّهِ الْفَارِعَةُ بِنْتُ هَمَّامِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيِّ، وَكَانَ زَوْجُهَا الْحَارِثُ بْنُ كَلَدَةَ الثَّقَفِيُّ طَبِيبَ الْعَرَبِ. وَذَكَرَ عَنْهُ هَذِهِ الْحِكَايَةَ فِي السِّوَاكِ. وَذَكَرَ صَاحِبُ " الْعِقْدِ " أَنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ هُوَ وَأَبُوهُ يُعَلِّمَانِ الْغِلْمَانَ بِالطَّائِفِ، ثُمَّ قَدِمَ دِمَشْقَ فَكَانَ عِنْدَ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ وَزِيرِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَشَكَا عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى رَوْحٍ أَنَّ الْجَيْشَ لَا يَنْزِلُونَ لِنُزُولِهِ وَلَا يَرْحَلُونَ لِرَحِيلِهِ، فَقَالَ رَوْحٌ: عِنْدِي رَجُلٌ تُوَلِّيهِ ذَلِكَ. فَوَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ الْحَجَّاجَ أَمْرَ الْجَيْشِ، فَكَانَ لَا يَتَأَخَّرُ أَحَدٌ فِي النُّزُولِ وَالرَّحِيلِ، حَتَّى اجْتَازَ إِلَى فُسْطَاطِ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ وَهُمْ يَأْكُلُونَ، فَضَرَبَهُمْ وَطَوَّفَ بِهِمْ، وَأَحْرَقَ الْفُسْطَاطَ، فَشَكَا رَوْحٌ ذَلِكَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَقَالَ لِلْحَجَّاجِ: لِمَ صَنَعْتَ هَذَا؟ فَقَالَ: لَمْ أَفْعَلْهُ، إِنَّمَا فَعَلَهُ أَنْتَ; فَإِنَّ يَدِي يَدُكَ وَسَوْطِي سَوْطُكَ، وَمَا ضَرَّكَ إِذَا أَعْطَيْتَ رَوْحًا فُسْطَاطَيْنِ بَدَلَ فُسْطَاطِهِ، وَبَدَلَ الْغُلَامِ غُلَامَيْنِ، وَلَا تَكْسِرُنِي فِي الَّذِي وَلَّيْتَنِي؟ فَفَعَلَ ذَلِكَ، وَتَقَدَّمَ الْحَجَّاجُ عِنْدَهُ. قَالَ: وَبَنَى وَاسِطَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ، وَفَرَغَ مِنْهَا فِي سَنَةِ سِتٍّ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৮
وَثَمَانِينَ. وَقِيلَ قَبْلَ ذَلِكَ. قَالَ: وَفِي أَيَّامِهِ نُقِطَتِ الْمَصَاحِفُ. وَذُكِرَ فِي حِكَايَتِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ أَوَّلًا يُسَمَّى كُلَيْبًا، ثُمَّ سُمِّيَ الْحَجَّاجَ. وَذُكِرَ أَنَّهُ وُلِدَ وَلَا مَخْرَجَ لَهُ حَتَّى فُتِقَ لَهُ مَخْرَجٌ، وَأَنَّهُ لَمْ يَرْتَضِعْ أَيَّامًا حَتَّى سَقَوْهُ دَمَ جَدْيٍ أَيَّامًا، ثُمَّ دَمَ سَالِخٍ، وَلُطِّخَ وَجْهُهُ بِدَمِهِ فَارْتَضَعَ، وَكَانَتْ فِيهِ شَهَامَةٌ وَحُبٌّ لِسَفْكِ الدِّمَاءِ; لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَا ارْتَضَعَ ذَلِكَ الدَّمُ الَّذِي لُطِّخَ بِهِ وَجْهُهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ أُمَّهُ هِيَ الْمُتَمَنِّيَةُ لِنَصْرِ بْنِ حَجَّاجِ بْنِ عِلَاطٍ. وَقِيلَ: إِنَّهَا أُمُّ أَبِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَتْ فِيهِ شَهَامَةٌ عَظِيمَةٌ، وَفِي سَيْفِهِ رَهَقٌ، وَكَانَ كَثِيرَ قَتْلِ النُّفُوسِ الَّتِي حَرَّمَهَا اللَّهُ بِأَدْنَى شُبْهَةٍ، وَكَانَ يَغْضَبُ غَضَبَ الْمُلُوكِ، وَكَانَ فِيمَا يَزْعُمُ يَتَشَبَّهُ بِزِيَادِ بْنِ أَبِيهِ، وَكَانَ زِيَادٌ يَتَشَبَّهُ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فِيمَا يَزْعُمُ أَيْضًا. وَلَا سَوَاءٌ وَلَا قَرِيبٌ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ سُلَيْمِ بْنِ عِتْرٍ التُّجِيبِيِّ قَاضِي مِصْرَ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ خُطْبَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْجَابِيَةِ، وَكَانَ مِنَ الزَّهَادَةِ وَالْعِبَادَةِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ، وَكَانَ يَخْتِمُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ ثَلَاثَ خَتَمَاتٍ فِي الصَّلَاةِ وَغَيْرِهَا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ مَعَ أَبِيهِ بِمِصْرَ فِي جَامِعِهَا، فَاجْتَازَ بِهِمَا سُلَيْمُ بْنُ عِتْرٍ هَذَا، فَنَهَضَ إِلَيْهِ أَبُو الْحَجَّاجِ فَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯৯


চিস্তা-ধাৱার দিক দিয়ে সে ছিল যিয়াদ ইবন আবীহির ন্যায় ৷ আর মিঃা-ঢেতনার দিক দিয়ে
যিয়াদ ছিল হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এর ন্যায় ৷ তবে হযরত উমর (রা) এর সমকক্ষ
কিৎবা নিকটতরও তারা ছিল না ৷ মিসরের কাযী সুলায়মান ইবন আনায আত-তাজীবীর্
জীবনীতে ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ছিলেন প্রবীণ তাবিঈগণের অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি
ঐ ব্যক্তিবর্ণের অম্ভর্ভুক্ত ছিলেন যারা আল-জাবীয়াহ নামক স্থানে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা)-এর খুতবাশ্যুনছেন ৷ তিনি বড় পরহেযগার ও ইবাদতগুযারত্তদ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি
প্রতি রাতে সালাত ও অন্য অবস্থায় কুরআনুল কারীম তিনবার খতম করতেন ৷

হাজ্জাজ় তার পিতার সাথে মিসরের জামে মসজিদে ছিল ৷ তাদের কাছ দিয়ে
উপরােল্পিখিত সুলায়ম ইবনআনায অতিক্রম করছিলেন ৷ হাজ্জাজের পিতা তাকে দেখে উঠে
র্দাড়ালেন ও তাকে সালাম করলেন এবং তাকে বললেন, আমি আমীরুল মু’মিনীনের কাছে
যাচ্ছি তার কাছে আপনার কোন দরকার আছে নাকি ? তিনি বললেন, হীা, তাকে তৃমি বলবে,
তিনি ”যেন আমাকে কাযীর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, সুবহানাল্পাহ্!
আল্লাহ্র শপথ, আপনার চেয়ে অধিক উপযুক্ত কায়ী আমার জানা নেই ৷ তারপর তিনি তার
ছেলে হাজ্জাজের দিকে লক্ষ্য করলেন ৷ তখন তার ছেলে তাকে বলল, হে আমার পিতা ! আপনি
এমন একটি লোকের সম্মানার্থে র্দাড়ালেন যার প্রয়োজন আপনি নিয়ে যাবেন অথচ আপনি
একজন ছাকাফী৷ তিনি তার ছেলেকে বললেন, হে আমার ছেলে ! আল্লাহর শপথ, আমি মনে
করি যে, জনগণ তার প্রতি ও এ ধরনের লোকদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে থাকেন ৷ হাজ্জাজ
বলল, আল্লাহর শপথ, আমীরুল মু’মিনীনের জন্যে উনি এবং উনির মত লোকজ্যনর ন্যায়
অধিক অপকারী লোক আর কাউকে আমি মনে করি না ৷ তিনি বললেন, কেন হে আমার বৎস?
হাজ্জাজ বলল, কেননা, এ ব্যক্তি ও তার ন্যায় ব্যক্তিরা জনগণকে তাদের কাছে , একত্রিত
করবে ৷ তাদের কাছে হযরত আবু বকর (বা) ও হযরত উমর (না)-এর সীরাত বর্ণনা করবে ৷
তাতে জনগণ আমীরম্প মু’মিনীনের সীরাতকে অবজ্ঞা করতে থাকবে এবং উপরোক্ত দুইজনের
সীরাতের সামনে আমীরম্স মু’মিনীনেরসীরাতকে তারা কিছুই মনে করবে না ৷ কাজেই তারা
আমীরুল মুমিনীনকে প্রত্যাখ্যান করবে, তার বিরুদ্ধে তারা সংগ্রাম করবে এবং তাকে তারা
রাগাষিত করবে ৷ তারা তার আনুগত্য করবে না ৷ আল্লাহ্র শপথ, যদি আমাকে রন্থীয় ক্ষমতা
দেওয়া হয়, তাহলে আমি উনিকে এবং উনির ন্যায় অন্যান্য লোকদেরকে হত্যা করে ফেলব ৷
তখন তার পিতা তাকে বললেন, হে আমার সন্তান আল্লাহর শপথ, তাহলে আমি ধারণা করছি
পরাক্রমশালী অ ৷ল্লাহ্ তা আলা তোমাকে হতভাগ্া৷ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ৷ উপরোক্ত ঘটনা
প্রমাণ করে যে, হাজ্জাজের পিতা খলীফার কাছে একজন সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন এবং সুর্য
ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন ৷ তার পুত্র ভবিষ্যতে কী হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী তিনি নির্ভুলভাবে
আন্দায করেছেন ৷

ইতিহাসবিদগটুণ বলেন, হাজ্জাজের ক্ষা ছিল ৩৯ ইিজরী ৷ কেউ কেউ বলেন, ৪০ ইিজরী ৷
কেউ কেউ বলেন, : ১ হিজরীতে ৷ তারপর সে একজন বুদ্ধিমান, বিশুদ্ধভাষী, বাশ্মী ও
কুরআনুল কারীমের হাফিয হিসেবে যৌবনে পদার্পণ করে ৷ পুর্বেকার কোন কোন লোক বলেন,
হাজ্জাজ প্রতি রাতে কুরআন পাঠ করত ৷ আবু আমর ইিবন আল-আল৷ বলেন,হাজ্জাজ ও
হাসান বসরী হতে অধিকতর বিশুদ্ধ বাশী আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ ণ্ তবে এ দৃইজনের মধ্যে
হাসান বসরী ছিলেন অধিকতর বিশুদ্ধ বাশ্মী ৷ ন্ প্


عَلَيْهِ، وَقَالَ لَهُ: إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَهَلْ مِنْ حَاجَةٍ لَكَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ، تَسْأَلُهُ أَنْ يَعْزِلَنِي عَنِ الْقَضَاءِ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! وَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ قَاضِيًا الْيَوْمَ خَيْرًا مِنْكَ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى ابْنِهِ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ: يَا أَبَهْ، أَتَقُومُ إِلَى رَجُلٍ مِنْ تُجِيبَ وَأَنْتَ ثَقَفِيٌّ؟ فَقَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَحْسَبُ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا يُرْحَمُونَ بِهَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: وَاللَّهِ مَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَضَرُّ مِنْ هَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ: وَلِمَ يَا بُنَيَّ؟ قَالَ: لِأَنَّ هَذَا وَأَمْثَالَهُ يَجْتَمِعُ النَّاسُ إِلَيْهِمْ فَيُحَدِّثُونَهُمْ عَنْ سِيرَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ، فَيُحَقِّرُ النَّاسُ سِيرَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَرَوْنَهَا شَيْئًا عِنْدَ سِيرَتِهِمَا، فَيَخْلَعُونَهُ وَيَخْرُجُونَ عَلَيْهِ، وَيَبْغَضُونَهُ وَلَا يَرَوْنَ طَاعَتَهُ، وَاللَّهِ لَوْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَ هَذَا وَأَمْثَالِهِ. فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ: يَا بُنَيَّ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَكَ شَقِيًّا. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ أَبَاهُ كَانَ ذَا وَجَاهَةٍ عِنْدَ الْخَلِيفَةِ، وَأَنَّهُ كَانَ ذَا فِرَاسَةٍ صَحِيحَةٍ; فَإِنَّهُ تَفَرَّسَ فِي ابْنِهِ مَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُهُ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالُوا: وَكَانَ مَوْلِدُ الْحَجَّاجِ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. ثُمَّ نَشَأَ شَابًّا لَبِيبًا فَصِيحًا بَلِيغًا حَافِظًا لِلْقُرْآنِ، قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: كَانَ الْحَجَّاجُ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ. وَقَالَ أَبُو الْعَلَاءِ: مَا رَأَيْتُ أَفْصَحَ مِنْهُ وَمِنَ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ. وَكَانَ الْحَسَنُ أَفْصَحَ مِنْهُ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ذَكَرَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৪০০


মাদ-দারা কুতনী বলেন, সুলায়মান ইবন আবু মানীহ্, সালিহ্ ইবন সুলায়মান থেকে বর্ণনা
ৰ্ৰৰ্ন ৷ তিনি বলেন, উকবাহ্ ইবন আমর বলেন, আমিট্রুন্মানুবের বিবেকবুদ্ধি অবলোকন
ৰৰেছি ৷ একজনের সাথে অন্য জনের বিবেক-বৃদ্ধির নিকটবর্তিত৷ রয়েছে ৷ কিন্তু হাজ্জাজ ও
সৈ ইবন মুআবিয়৷ ৷ তাদের দৃইজনের বিবেকবুদ্ধি জনগণের বিবেকবুদ্ধি থেকে প্রাধান্যের
লীেদার ৷ একথা পুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবদুল মাসিক ৭৩ হিজরীতে যখন মুসআব
ৰ্বৃনুৰ্ ষুবায়রকে হত্যা করে, তখন হাজ্জাজকেতার বড় ভইি আবদুল্পাহ্র বিরুদ্ধে পবিত্র মক্কায়
মোঃ করে ৷ সে তাকে পবিত্র মক্কায় অবরোধ করে এবং ঐ বছরই সােকর্জনবু ক নিয়ে হজ্জ
গ্গ্ন করে ৷ কিন্তু, হক্কজ্জর আহকাম পরিপুচ্তািবে আদায় করা সম্ভব হয়নি ৷ সে ও তার সাথীরা
ৰ্াদ্ধৃস্লাহ্র তওয়াফ করতে পারেনি ৷ অন্যদিকে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) ও তার সাথীরা
ক্ষ্মাফ্াতে অবস্থান করতে পারেনি ৷ অবরোধ অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না ৭৩ হিজরীর জুমাদাল
ষ্া৷ সালে যে বিজয় লাভ করে ৷ তারপর আবদুল মালিক তাকে পবিত্র মক্কা, মদীনা, তাইফ ও
ইয়মােনের নায়েব নিযুক্ত করলেন ৷ তার ভাই ৰাশারের মৃত্যুর পর তাকে আবদুল মালিক
ইরাকে স্থানান্তর করেন ৷ সে কুফায় প্রবেশ করে ৷ আর কুফাবাসীদের সাথে তার
আচার-আচরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে ৷ তাদের সাথে সে বিশঢি বছর অতিক্রাম্ভ
করে ৷ এ বিশ বছরে সে বহু বিজয় অর্জন করে, বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয় ৷
তার সেনাবাহিনী হিন্দুস্তানের সিন্ধু প্রদেশ পর্যন্ত পৌছে যায় ষ্ ৷ সেখানে বিজ্যি শহর ও প্রদেশ জয়
করে ৷ সেনাবাহিনী বিজয় লাভ করতে করতে চীন পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ তা বিস্তারিতভাবে
ৰ্ৰ্াস্থানে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এখানে তার সাহসিকতা, বীরতু, অণ্নপামিতা, বড় বড় বিষয়ে
তার খামখেয়ালীপনা, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি যা কোন প্রশাসকের ঘোষ ও গুণ হিসেবে বিবেচিত
হয়ে থাকে, যেগুলো সম্বন্ধে ইবন আসাকির ও অন্যরা বর্ণনা রেখেছেন ৷

আবু বাকৱ ইবন আবু খায়ছুামাহ্ আবদুল্লাহ্ ইবন কাহীর ইবন আখী ইসমাঈল ইবন
ঙ্গাফর আলৰুমাদীনী হতে অর্থের দিক দিয়ে বর্ণনা করেন ৷ একদিন হাজ্জাজ্ব ইবন ইউসুফ
সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রবের পার্শে সালাত আদায় করছিল আর এটা ছিল প্রশাসনিক দায়িত্ব
পাওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ হাজ্জাজ ইমামের পুর্বে সিজদায় যেত ও মাথা উ ঠাত ৷ সালাতের সালাম
ষিম্মানাের পর সাঈদ তার চাদরের কিনারা ধরলেন ও তার নির্ধারিত তাসবীহ পড়তে লাগলেন ৷
আর এদিকে হাজ্জাজ তার চাদরের আরেক কিনা ৷রা ধরে টানছিল ৷ তাসবীহ শেষ হওয়ায় পর
সাঈদ হাজ্জাজের দিকে মনোযোগ দিলেন এবং তাকে বললেন, “হে চোর ৷ হে খিয়ানতকারী ৷
এভাবে তুমি সালাত আদায় করছ ? আমি আমার এ জুতা ণ্তামার মুখে মারার মনস্থু
ম্নহ্নিা৷ম ৷ হাজ্জাজ সাঈদের কোন প্রতি উত্তর করল না ৷ সে হজ্জ পালন করতে চলে গেল ৷
ম্নো পর সে সিরিয়ার ফিরে আসল ৷ তারপর সে হিজাযের নায়েব নিযুক্ত হলো ৷ যখন
গ্ৰদুঃা৷হ্ ইবন যুবায়র (রা) শহীদ হন, তখন হাজ্জাজ, পবিত্র মদীনায় নায়েব হয়ে পবিত্র
মদীনায় ফিরে আসে ৷ যখন সে মসজিদে প্রবেশ করে সাঈদ ইববুল মুসাব্যিবের মজলিস
মোঃ পায় ৷ হাজ্জাজ তার কাছে আসল ৷ তাতে লোকজন সাঈদেরজন্যে ভয় করতে লাগল ৷
লোঃ এগিয়ে এসে সাঈক্ক দর সামনে, বসল এবং সাঈদকে বলল, তুমি কি ঐ ব্যক্তি যে
মোঃ এ কথাগুলো বলেছিলে ? তখন সাঈদ আপন হাত নিজের বুকে রেখে বললেন,
হ্যা ৷ হাজ্জাজ বলল, মহান আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন ৷ আপনি কতই না


قَالَ عُتْبَةُ بْنُ عَمْرٍو: مَا رَأَيْتُ عُقُولَ النَّاسِ إِلَّا قَرِيبًا بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ، إِلَّا الْحَجَّاجَ وَإِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّ عُقُولَهُمَا كَانَتْ تَرْجَحُ عَلَى عُقُولِ النَّاسِ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ لَمَّا قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ بَعَثَ الْحَجَّاجَ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بِمَكَّةَ فَحَاصَرَهُ بِهَا، وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ عَامَئِذٍ، وَلَمْ يَتَمَكَّنِ الْحَجَّاجُ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ، وَلَا تَمَكَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ، وَلَمْ يَزَلْ مُحَاصِرَهُ حَتَّى ظَفِرَ بِهِ فِي جُمَادَى سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، ثُمَّ اسْتَنَابَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ وَالْيَمَنِ، ثُمَّ وَلَّاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ الْعِرَاقَ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ بِشْرٍ، فَدَخَلَ الْكُوفَةَ كَمَا ذَكَرْنَا، وَقَالَ لَهُمْ وَفَعَلَ بِهِمْ مَا تَقَدَّمَ إِيرَادُهُ مُفَصَّلًا، فَأَقَامَ بَيْنَ ظَهْرَانِيهِمْ عِشْرِينَ سَنَةً كَامِلَةً. وَفَتَحَ فِيهَا فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً هَائِلَةً مُنْتَشِرَةً، حَتَّى وَصَلَتْ خُيُولُهُ إِلَى بِلَادِ الْهِنْدِ وَالسِّنْدِ، فَفَتَحَ فِيهَا جُمْلَةَ مُدُنٍ وَأَقَالِيمَ، وَوَصَلَتْ خُيُولُهُ أَيْضًا إِلَى قَرِيبٍ مِنْ بِلَادِ الصِّينِ، وَجَرَتْ لَهُ فُصُولٌ قَدْ ذَكَرْنَاهَا. وَنَحْنُ نُورِدُ هُنَا أَشْيَاءَ أُخَرَ مِمَّا وَقَعَ لَهُ مِنَ الْأُمُورِ وَالْجَرَاءَةِ وَالْإِقْدَامِ، وَالتَّهَوُّرِ فِي الْأُمُورِ الْعِظَامِ، مِمَّا يُمْدَحُ عَلَى مِثْلِهِ، وَمِمَّا يُذَمُّ بِقَوْلِهِ وَفِعْلِهِ، مِمَّا سَاقَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ: فَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৭৪০১


উত্তম শিক্ষক ও প্রশি ৷ক্ষক ৷ আপনার সাথে সালাত আদায় করার পর যখনি আমি সালাত আদায়
করতাম, তখনি আপনার কথা আমি স্মরণ করতাম ৷৩ তারপর হাজ্জাজ উঠে দাড়াল এবং নিজ
কাজে চলে গেল ৷

আর রায়্যাশী আল-আসমাঈ ও আবু যায়দ হতে আবু আমর ইবন আল-আলার ভাই,
মুআয ইবন আল-আলার মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ যখন আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা) কে হত্যা করে, তখন পবিত্র মক্কা জনগণের কান্নাকাঢিতে প্রকম্পিত ৩হয়ে উঠে ৷
হাজ্জাজ জনগণকে মসজিদে একত্রিত হবার আদেশ দান করে ৷ যখন তারা মসজিদে প্রবেশ
করলেন, হাজ্জাজ মিম্বরে দাড়াল এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে বাংলা :
হে মক্কাবাসীগণ আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা)ত এর হত্যাকাণ্ড আপনাদের কাছে একটি বিরাট

আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র এ উম্মতের একজন নবিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি খিলাফত লাভে আকৃষ্ট হন
এবং যাদের হাতে খিলাফত এখন বর্তমানে রয়েছে, তাদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করেন এবং
মহান আল্লাহর আনুণত্যের সাথেও বিরোধিতা করেন ও মহান আল্লাহর হেরেমে আশ্রয় নেন ৷
যদি কোন বস্তু নাফরমানদের রক্ষা করতে পারত, তাহলে তা আদম (আ)-কে আল্পাহ্

তা জানার হুরমত বা প্রদত্ত শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারত ৷ নিশ্চয়ই আল্পাহ্ তাআলা তাকে
নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ৷তার মধ্যে নিজের রুহ ফুৎকার করে দিয়েছেন ৷ ফেরেশতাদের দিয়ে
তাকে সিজদা করিয়েছেন ৷ত র্তীকে মহা সম্মানে ভুষিত ৩করিয়েছেন এবং নিজেই জান্নাতে বসবাস
করার ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি যখন ভুল করলেন, তখন তার ত্রুটির জন্যে তাকে
জান্নাত থেকে বের করে দিলেন ৷ হযরত আদম (আ) মহান আল্লাহর কাছে আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা) থেকে বেশী সম্মানিত ৷ আর জান্নাত ও কা বা থেকে বেশী সম্মানিত ৷ কাজেই
আপনারা মহান আল্লাহ্কে স্মরণ করুন, মহান আল্লাহ্ও আপনাদের স্মরণ করবেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ইসহাক ইবন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন : আওন, আবু আস-সিদ্দীক আন-নাজী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ং হাজ্জাজ
একদিন আসম৷ বিনৃত ৩আবুবকর সিদ্দীক (রা) এর ঘরেত তার পুত্র আবদুল্লাহ শহীদ হওয়ার পর
প্রবেশ করে এবং বলে, তোমার ছেলেকে এ ঘরে দাফন করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তাকে মর্মন্তুদ
শাস্তি ভোগ করিয়েছেন ৷ আর তোমার ছেলে অন্যায় করেছে ৷ তিনি তখন বলেন, তুমি মিথ্যা
বলেছ ৷ সে ছিল পিতা-মাতার অনুগত, সিয়ায পালনকারী ও ইবাদতগুযার ৷ আল্পাহ্র শপথ !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বনু ছাকীফ হতে দুইজন মিথ্যাবাদী উদ্ভুত
হবে৷ দ্বিতীয় জন প্রথম জন থেকে বেশী অনিষ্টকারী, সে হবে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷
উপরোক্ত হাদীসটি আবু ইয়র্টলা আবু আস সিদ্দীক হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,-
আমাকে অবহিত করানো হয়েছে যে, হাজ্জাজ একদিন আসম৷ (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করেন
“এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় উল্লেখ করেন ৷ আবু ইয়াল৷ অন্য এক সনদে আসম৷ বিনৃত আবু
বকর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যুসলা হতে নিষেধ
করতে শুনেছি ৷ মুছলা হলো যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া ৷
তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন : বনু ছাকীফ
থেকে দুইজন লোক আবির্ভুত হবে একজন হয়ে মিথ্যাবাদী এবং অন্য একজন ধ্ব ৎসযজ্ঞ
পরিচালনাকারী ৷ হযরত আসম৷ (রা) বলেনং : মিথ্যাবাদীকে তো আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ৷
আর ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকা রী ভুমিই হে হাজ্জাজ !


كَثِيرٍ ابْنِ أَخِي إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَدِينِيِّ مَا مَعْنَاهُ أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ صَلَّى مَرَّةً بِجَنْبِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ شَيْئًا فَجَعَلَ يَرْفَعُ قَبْلَ الْإِمَامِ وَيَقَعُ قَبْلَهُ فِي السُّجُودِ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَخَذَ سَعِيدٌ بِطَرْفِ رِدَائِهِ وَكَانَ لَهُ ذِكْرٌ يَقُولُهُ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَمَا زَالَ الْحَجَّاجُ يُنَازِعُهُ رِدَاءَهُ حَتَّى قَضَى سَعِيدٌ ذِكْرَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ سَعِيدٌ فَقَالَ لَهُ: يَا سَارِقُ يَا خَائِنُ، تُصَلِّي هَذِهِ الصَّلَاةَ! لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَضْرِبَ بِهَذَا النَّعْلِ وَجْهَكَ. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ مَضَى الْحَجَّاجُ إِلَى الْحَجِّ، ثُمَّ رَجَعَ فَعَادَ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ جَاءَ نَائِبًا عَلَى الْحِجَازِ، فَلَمَّا قَتَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ نَائِبًا عَلَيْهَا، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ إِذَا مَجْلِسُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فَقَصَدَهُ الْحَجَّاجُ فَخَشِيَ النَّاسُ عَلَى سَعِيدٍ مِنْهُ، فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ صَاحِبُ الْكَلِمَاتِ؟ فَضَرَبَ سَعِيدٌ صَدْرَهُ بِيَدِهِ وَقَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَجَزَاكَ اللَّهُ مِنْ مُعَلِّمٍ وَمُؤَدِّبٍ خَيْرًا، مَا صَلَّيْتُ بَعْدَكَ صَلَاةً إِلَّا وَأَنَا أَذْكُرُ قَوْلَكَ. ثُمَّ قَامَ وَمَضَى. وَرَوَى الرِّيَاشِيُّ، عَنِ الْأَصْمَعِيِّ وَأَبِي زَيْدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ الْعَلَاءِ أَخِي أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ قَالَ: لَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الزُّبَيْرِ ارْتَجَّتْ مَكَّةُ بِالْبُكَاءِ، فَأَمَرَ بالنَّاسِ فَجُمِعُوا فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ: يَا أَهْلَ مَكَّةَ، بَلَغَنِي إِكْبَارُكُمْ قَتْلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، أَلَا وَإِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ مِنْ خِيَارِ هَذِهِ الْأُمَّةِ، حَتَّى رَغِبَ فِي الْخِلَافَةِ وَنَازَعَ فِيهَا أَهْلَهَا، فَنَزَعَ طَاعَةَ اللَّهِ وَاسْتَكَنَّ بِحَرَمِ اللَّهِ، وَلَوْ كَانَ شَيْءٌ مَانِعَ الْعُصَاةِ لَمَنَعَتْ آدَمَ حُرْمَةُ اللَّهِ; إِنَّ اللَّهَ خَلَقَهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ وَأَبَاحَ لَهُ كَرَامَتَهُ، وَأَسْكَنَهُ جَنَّتَهُ، فَلَمَّا أَخْطَأَ أَخْرَجَهُ مِنَ الْجَنَّةِ بِخَطِيئَتِهِ، وَآدَمُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَالْجَنَّةُ أَعْظَمُ حُرْمَةً
পৃষ্ঠা - ৭৪০২
مِنَ الْكَعْبَةِ، اذْكُرُوا اللَّهَ يَذْكُرْكُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، أَنَّ الْحَجَّاجَ دَخَلَ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ بَعْدَمَا قَتَلَ ابْنَهَا عَبْدَ اللَّهِ فَقَالَ: إِنَّ ابْنَكِ أَلْحَدَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَذَاقَهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَفَعَلَ بِهِ وَفَعَلَ. فَقَالَتْ: كَذَبْتَ، كَانَ بَرًّا بِوَالِدَيْهِ، صَوَّامًا قَوَّامًا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابَانِ; الْآخَرُ مِنْهُمَا شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ، وَهُوَ مُبِيرٌ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ وَهْبِ بْنِ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ. قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ الْحَجَّاجَ دَخَلَ عَلَى أَسْمَاءَ. . . فَذَكَرَ مِثْلَهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُثْلَةِ، وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ رَجُلَانِ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» . قَالَتْ: فَقُلْتُ لِلْحَجَّاجِ: أَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ هُوَ يَا حَجَّاجُ. وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ: أَنْبَأَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَ الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ تَقُولُ لِلْحَجَّاجِ حِينَ دَخَلَ عَلَيْهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪০৩

উবায়দ ইবন হুমায়দ বলেন, ইয়াষীদ ইবন হারুনট্র আল আওয়াম ইবন হাওশাব এর
মাধ্যমে সং বাদ দেন ৷ তিনি বলেন, যিনি আসমা বিনৃত আবু বকর (রা) থেকে শুনেছেন, তিনি
আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ যখন তার ছেলে শহীদ হওয়ায়
সমবেদনা জ্ঞাপন করার জন্যে হযরত আসমা (রা) এর কাছে প্রবেশ করেন, তখন হযরত
আসমা (রা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, বনু ছাকীফ হতে
দুই ব্যক্তি আবির্ভু৩ হবে একজন মিথ্যাবাদী ও অন্যজন ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷ মিথ্যাবাদী
হলো ইবন আবুউবায়দ অর্থাৎ আল মুখতার ৷ আর ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী সেটা হচ্ছ তুমি ৷
সহীহ্ মুসলিম শরীফে অন্য সনদে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে ৷ আসমা ব্যতীত অন্য ল্যেকও
রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

আবু ইয়া ল৷ বলেন, “আহমদ ইবন উমর আল ওয়াকীঈ, ওয়াকীঈর মাধ্যমে একজন
মহিলা থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ মহিলাটির নাম ছিল আকীলাহ্ ৷ তিনি স ৷লাম৷ বিনৃত আল-
হুর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, বনু ছাকীফের মধ্যে একজন
রয়েছে মিথ্যাবাদী এবং অন্য একজন রয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী ৷ এটা আবুইয়া লার
একক বর্ণনা ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী হতে, তিনি উম্মে আ’রাব হতে যার নাম তাল্হা, তিনি
আকীলাহ্ থেকে, তিনি সালাম৷ হতে সালাত সম্পর্কে অন্য একটি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আবু
দাউদ ও ইবন মাজাহ এ হাদীস উল্লেখ করেন ৷ ইবন উমর (রা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত
রয়েছে ৷ আবু ইয়ালা বলেন আবদুল্লাহ ইবন আসিম৷ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমি ইবন উমর (রা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সংবাদ
দিয়েছেন যে, বনু ছার্কীফে মিথ্যাবাদী ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনাকারী জন্ম নেবে ৷ তিরমিযীও এ
হাদীস বর্ণনা করেন এবং এটাকে উত্তম হাদীস বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, “আমাদেরকে মুসলিম ইবন খালিদ ইবন জুরায়জ থেকে হাদীস
বর্ণনা করেন ৷ তিনি নাফি হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর যুদ্ধের সময় পৃথকভাবে বসবাস করেন ৷ হাজ্জাজ মিনড়ায়
অবস্থান করছিল ৷ কিভৃ, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হাজ্জাজের সাথে সালাত আদায় করতেন
না ৷ আছ-ছাওরী মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি জাবির (বা) হতে বর্ণনা
করেন যে, তিনি হাজ্জাজের কাছে প্রবেশ করতেন কিন্তু তাকে সালাম করতেন না এবং তার
পিছনে সালাতও আদায় করতেন না ৷

ইসহাক ইবন রাহওয়ায়হ বলেন-, জারীর আমাদেরকে কাকা ইবনুল সালাত থেকে সংবাদ
দেন ৷ তিনি বলেন, একদিন হাজ্জাজ খুতবা দিল এবং বলল, “আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র মহান
আল্লাহর কিতাবের মধ্যে পরিবর্তন এন্যেছ ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বললেন,
“আল্লাহ তাআলা তাকে এ কাজ করতে ক্ষমতা দেননি ৷ তার সাথে ভোমাকেও ক্ষমতা
দেননি ৷ তুমি যদি চাও, তাহলে আমি বলতে পারি, তুমি একটি ডাহা মিথ্যা বলেছ ৷”

শাহর ইবন হাওশাব ও অন্যান্য থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, একদিন হাজ্জাজ খুতব৷ দীর্ঘায়িত
করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কয়েক বার বলছিলেন সালাত সালাত শু তিনি তারপর
দাড়িয়ে গেলেন এবং সালাত আদায় করলেন ৷ এরপর লোকজনও দাড়িয়ে গেল এবং হাজ্জাজ
লোকজনকে নিয়ে সালাত আদায় করল ৷ যখন স সালাত শেষ করল আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা)-কে সে বলল, তুমি এরুপ করলে স্লোন্নপ্রুড্রুৰু,স্থুাবৃদ্বুৰুল্লুা,হ ইবন উমর (রা) বললেন, “আমরা

يُعَزِّيهَا فِي ابْنِهَا: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ رَجُلَانِ مُبِيرٌ وَكَذَّابٌ» . فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَابْنُ أَبِي عُبَيْدٍ تَعْنِي الْمُخْتَارَ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ. وَتَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَوْرَدْنَاهُ عِنْدَ مَقْتَلِ ابْنِهَا عَبْدِ اللَّهِ، وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ أَسْمَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ الْوَكِيعِيُّ، ثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ غُرَابٍ، عَنِ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: عَقِيلَةُ. عَنْ سَلَّامَةَ بِنْتِ الْحُرِّ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو يَعْلَى. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ أُمِّ غُرَابٍ وَاسْمُهَا طَلْحَةُ عَنْ عَقِيلَةَ، عَنْ سَلَّامَةَ حَدِيثًا آخَرَ فِي الصَّلَاةِ. وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ. وَرُوِيَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بَسْطَامٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، «أَنْبَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ فِي ثَقِيفٍ مُبِيرًا وَكَذَّابًا» . وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُصْمٍ وَيُقَالُ: عِصْمَةَ وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৪০৪


৫ত৷ সালাত আদায় করতে আসি ৷ কাজেই সমযমত সালাত আদায় করতে দাও ৷ তারপর
তোমার যা কিছু বলার আছে বলে ৫রড়াও ৷”

আল-আসমাঈ বলেন, আমি আমার চাচা৫ক বলতে শু৫নছি, তিনি বলেন, আমার কাছে
সৎবাদ পৌছেছে যে, হাজ্জাজ যখন আবদুল্লাহ, ইবন যুবায়র (রা) থেকে অবসর গ্রহণ করে তখন
সে পবিত্র মদীনায় আগমন করে ৷ পবিত্র মদীনায় বাইরে যে একজন বুদ্ধের সাথে সাক্ষাত
করে, এবং পবিত্র মদীনাবাসিগণের অবস্থা সম্পর্কে যে তাকে জ্ঞাত করে ৷ বৃদ্ধ বলল, পবিত্র
মদীনাৰাসীগণ খুব দুরবস্থায় আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আত্মী৫য়র সভান৫ক হত্যা করা
হম্নে৫ছপ্ হাজ্জাজ বলল, তা৫ক ৫ক হত্যা করেছে ? বৃদ্ধটি বলল, পাপী অভিশপ্ত হাজ্জাজ, তার
উপর আল্লাহ্র লানত ও ধ্বংস পতিত হোক ৷ সে আল্লাহর প্রতি খুব কমই ৫তায়াক্কা করে ৷
এতে হাজ্জাজ ভীষণ রেগে গেল এবং বলতে লাগল ৷ হে বৃদ্ধ! তুমি কি হাজ্জাজ৫ক ৫দুখলে
চিনতে পারবে ? সে বলল, হ্যা, আল্লাহ, যেন তার মঙ্গল না করেন এবং তাকে ধ্বংস থেকে
রক্ষা না করেন ৷ হাজ্জাজ তখন তার মুখোশ খুলে ৫ফলল এবং বলল, হে বৃদ্ধ! এখনি তুমি টের
পারে যখন তোমার রক্ত প্রবাহিত হয়ে ৷ যখন বৃদ্ধ ব্যাপারটি বুঝতে পারল ৷ তখন বলল,
আল্লাহর শপথ, এটা তো বিস্ময়কর ব্যাপার হে হাজ্জাজ৷ যদি তুমি আমাকে চিনতে, তাহলে
তুমি এ ধরনের কথা বলতে না ৷ আমি হলাম আল-আব্বাস ইবন আবু দাউদ, আমি প্রতিদিন
পাচবার কুস্তি লড়ি ৷ তখন হাজ্জাজ বলল, যাও, তুমি চলে যাও আল্লাহ যেন তোমার এ
পাগলামির আরোগ্য না করেন এবং তোমার এ রোগ দুরীভৃত না করেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আবদুস সামাদ হাম্মাদ ইবন সালামা হতে আমাদের কাছে হাদীস
বংনাি করেন ৷ তিনি ইবন আবু রাফি ও আবদুল্লাহ ইবন জ,৷ ফর হতে বর্ণন৷ করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়া খলীফা আবদুল মালিককে বলেন, তুমি
, , কি তাকে একাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে ? খলীফা আবদুল মালিক বললেন, এটাতে
, কোন ক্ষতি ৫ন ই ৷ খালিদ বলেন, আল্লাহর শপথ, সে অত্যন্ত শক্ত ব্যক্তি ৷ আবদুল মালিক
বললেন, কেমন করে ? খালিদ বললেন, আল্লাহর শপথ, হে আমীরুল মু মিনীনা যেদিন আমি
রাযলাহ বিনত যুৰায়্বৃ৫ক বিয়ে করেছি, সেদিন থেকে যুবায়রের বংশধর সম্পর্কে আমার অভ৫র
যা ছিল তা দুরীভুত হয়ে গেছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সে যেন নিদ্রিত ছিল এবং এখন তাকে
জাগিয়ে দেওয়া হলো ৷ কাজেই, খলীফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের কা৫ছু পত্র লিখল যে, ৫স
যেন রামলাহর তালা৫কর ব্যবস্থা করে ৷ আর সে তার তালা কের ব্যবস্থা করল ৷

সাঈদ ইবন আবু আরুৰাহ বলেন, একবার হাজ্জাজ হজ্জ পালন করে পবিত্র মক্কা ও
মদীনায় মধ্যবর্তী স্থানে আন্ামন করে ৷ তার সামনে খাবার হাষির করা হ৫লা ৷ তখন সে, তার
দারােয়ানকে বলল, “৫দখ৫তা কাউকে পাওয়া যায় কিনা যে আমার সাথে খাবার খাবে ৷
দারােয়ার্ন বের হয়ে গেল এবং এক ঘুমম্ভ মরুবাসী৫ক দেখতে পেল ৷ তখন তাকে মৃদু লাথি,
প্রদান করল এবং বলল, আমী৫রর ডাকে সাড়া দাও ৷ মরুবাসী ৫লাকটি ঘুম থেকে উঠল এবং
হাজ্জাজের কাছে আগমন করল ৷ হাজ্জাজ তাকে বলল, তোমার হাত ধুয়ে এসো, তারপর
আমার সাথে খাদ্য গ্রহণ কর ৷ মরুবাসী ব্যক্তিটি বলল, তোমার থেকে যিনি উত্তম আমি তার
ডাকে সাড়া দিয়েছি ৷ হাজ্জাজ বলল, তিনি কে ? ৫লাকটি বলল, তিনি মহান আল্লাহ ৷ যিনি
আমাকে সিয়াম পালন করতে ৫ড৫কছেন, আর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছি ৷ হাজ্জাজ বলল,
এত তীব্র গরমের মধ্যে তুমি সিয়াম পালন করছ ? ৫লাকটি রলল হা৷ ৷ এর থেকে বেশী
গর৫মর দিলেও আমি সিয়াম পালন করেছি ৷ হাজ্জাজ বলল, এখন খেয়ে নাও আগামী দিন না


وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ اعْتَزَلَ لَيَالِيَ قِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَالْحَجَّاجِ بِمِنًى، فَكَانَ يُصَلِّي مَعَ الْحَجَّاجِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى الْحَجَّاجِ فَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ يُصَلِّي وَرَاءَهُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ: أَنْبَأَ جَرِيرٌ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ الصَّلْتِ قَالَ: خَطَبَ الْحَجَّاجُ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ غَيَّرَ كِتَابَ اللَّهِ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: مَا سَلَّطَهُ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ، وَلَا أَنْتَ مَعَهُ وَلَوْ شِئْتُ أَنْ أَقُولَ: كَذَبْتَ، لَفَعَلْتُ. وَرُوِيَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ وَغَيْرِهِ أَنَّ الْحَجَّاجَ أَطَالَ الْخُطْبَةَ، فَجَعَلَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ، مِرَارًا، ثُمَّ قَامَ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَقَامَ النَّاسُ، فَصَلَّى الْحَجَّاجُ بِالنَّاسِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا نَجِيءُ لِلصَّلَاةِ، فَصَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا، ثُمَّ بَقْبِقْ مَا شِئْتَ بَعْدُ مِنْ بَقْبَقَةٍ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: سَمِعْتُ عَمِّي يَقُولُ: بَلَغَنِي أَنَّ الْحَجَّاجَ لَمَّا فَرَغَ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَقَدِمَ إِلَى الْمَدِينَةِ لَقِيَ شَيْخًا خَارِجًا مِنَ الْمَدِينَةِ فَسَأَلَهُ عَنْ حَالِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: بِشَرِّ حَالٍ; قُتِلَ ابْنُ حَوَارِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: وَمَنْ قَتَلَهُ؟ قَالَ: الْفَاجِرُ اللَّعِينُ الْحَجَّاجُ عَلَيْهِ لَعَائِنُ اللَّهِ وَتَهْلُكَتُهُ; مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৪০৫
قَلِيلِ الْمُرَاقَبَةِ لِلَّهِ. فَغَضِبَ الْحَجَّاجُ غَضَبًا شَدِيدًا، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا الشَّيْخُ، أَتَعْرِفُ الْحَجَّاجَ إِذَا رَأَيْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَلَا عَرَّفَهُ اللَّهُ خَيْرًا، وَلَا وَقَاهُ ضُرًّا. فَكَشَفَ الْحَجَّاجُ عَنْ لِثَامِهِ، وَقَالَ: سَتَعْلَمُ أَيُّهَا الشَّيْخُ الْآنَ إِذَا سَالَ دَمُكَ السَّاعَةَ. فَلَمَّا تَحَقَّقَ الشَّيْخُ الْجَدُّ، قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْعَجَبُ يَا حَجَّاجُ، لَوْ كُنْتَ تَعْرِفُنِي مَا قُلْتَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ، أَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، أُصْرَعُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: انْطَلِقْ، فَلَا شَفَى اللَّهُ الْأَبْعَدَ مِنْ جُنُونِهِ وَلَا عَافَاهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَنَّهُ زَوَّجَ ابْنَتَهُ مِنَ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، فَقَالَ لَهَا: إِذَا دَخَلَ بِكِ فَقُولِي: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ قَالَ هَذَا. قَالَ حَمَّادٌ: فَظَنَنْتُ أَنَّهُ قَالَ: فَلَمْ يَصِلْ إِلَيْهَا. قَالَ الشَّافِعِيُّ: لَمَّا تَزَوَّجَ الْحَجَّاجُ بِنْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ: أَتُمَكِّنُهُ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: وَمَا بَأْسٌ بِذَلِكَ؟ قَالَ: أَشَدُّ الْبَأْسِ وَاللَّهِ. قَالَ: كَيْفَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَقَدْ ذَهَبَ مَا فِي صَدْرِي عَلَى آلِ الزُّبَيْرِ مُنْذُ تَزَوَّجْتُ رَمْلَةَ بِنْتَ الزُّبَيْرِ. قَالَ: فَكَأَنَّهُ كَانَ نَائِمًا فَأَيْقَظَهُ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ يَعْزِمُ عَلَيْهِ فِي طَلَاقِهَا فَطَلَّقَهَا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ: حَجَّ الْحَجَّاجُ مَرَّةً، فَمَرَّ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَأُتِيَ
পৃষ্ঠা - ৭৪০৬


হয় সিয়াম পালন করবে ৷, লোকটি বলল, যদি তুমি আমার আগামী দিনের জীবিত থাকার
নিশ্চয়তা দিতে পার, তাহলে আগামী দিন আমি সিয়াম পালন করব , ৷ হাজ্জাজ বলল, এটাতে
আমার কোন ক্ষমতা নেই ৷ বৃদ্ধটি বলল, তাহলে তুমি আমাকে কেমন করে ভবিষ্যত কাজের
পরিবর্তে যার ক্ষমতা তুমি রাখ না ব্র্তমানের কাজটি করার জন্যে আমাকে অনুরোধ করছ ?
হাজ্জাজ বলল, আমার খাদ্য নিঃসন্দেহে পবিত্র খাদ্য ও মজাদার ৷ বৃদ্ধটি বলল, তবে তুমি
কিৎবা বাবুর্চি এটাকে পবিত্র ও মজাদার করনি ৷ হ্যা, যদি কেউ এটা খেয়ে শাস্তি পায়, তখনি
এটা হবে মজদােৱ ৷ ৰু ণ্

পব্লিম্মেদ

৭৫ ইিজরীতে হাজ্জাজ কেমন করে অতর্কিতে কুফা শহরে প্রবেশ করে, খুত্বা প্রদান করে
এবং মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে তা পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ জনগণ তাকে অত্যন্ত ভয় করতে
লাগল আর সে তদুকুক্ষণিকভ্যবে উমায়র ইবন যাবীকে হত্যা করে এবং কুমায়্ল ইবন
যিয়াদকেও বন্দী অবস্থায় হত্যা করে ৷ তারপর ইবনুল আশআছের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ যা
পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তারপর তার সাথে যেসব সরদার, আমীর, গোলাম ও কারী ছিলেন
তাদেরকে সে হত্যা করে ৷ আর সর্বশেষ হত্যা করে সাঈদ ইবন ত্ত;বােয়রকে (রা) ৷

আল-কায়ী আল-মাঅ্াফী যাকারিয়্যা বলেন, আমাদেরকে আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন
সাদ আল-কালবী আসিম হতে হার্দী স বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, জামাজিম আশ্রমের
ঘটনার পর হাজ্জার্জইরাকবাসীদের সম্বোধন করে এবং সে বলে, হে ইরাকের বাসিন্দারা!
শয়তান তােমাদেরকে প্রভাবিত করেছে, সে তোমাদের মাংস, রক্ত, কান ও (চাপের মধ্যে
বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে ৷ তারপর সে কানের ভিতর, মগয, দীর্ঘ দেহৰুওগ্র আত্মা পর্যন্ত পৌছেছে ৷
এরপর শস্য-শ্যামল ভুমিতে অবতরণ করে সেখানে ক্ষণস্থায়ী বাসা নির্মাণ করে ৷ ডিম পাড়ে,
বাচ্চা দেয় বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে ও চলাফেরা করতে থাকে ৷ তারপর সে
তােমাদেরকে প্রতারণা ও অবাধ্যতা দিয়ে পরিপুর্ণ করে এবং বিরোধিতার জ্ঞান দান করে ৷
তোমরা তাকে অনুকরণীয়, পথ প্রদশ্কি এবং অনুষ্ৰুণীয় নেতা মেনে নিয়েছ ৷ আর তাকে
সুরক্ষিত পরামর্শদাতা হিসেবে গ্রহণ করেছ ৷ এখন তােমাৰদরাক অভিজ্ঞতা কেমন করে উপকার
দিবে কিৎবা কোন দিক নির্দেশনায় তােমাদ্যোকে কোন ফায়দা দিবে ? তোমরা কি আহওয়াযে
আমার সাথী ছিলে না ? যেখানে তোমরা প্রতারণার ইচ্ছে করেছিলে, বিশ্বাসঘাতকতার মনস্থ
করেছিলে, কুফরী করার জন্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলে এবং ধারণা করেছিলে যে , আল্লাহ্ তাআলা
তোমাদের ধর্মকে অপ,দস্থ করবেন এবং ণ্তামাদের খিলাফতকে পর্বুদস্ত করবেন ৷ আল্লাহর
শ্াভুঘখ, অ্যাম্ ঢেমোঃদ্বৱষ্এছি দৃষ্টি স্নিক্ষপ্ করাইল্যাং আর তোমরা“ চুণি চুণি সরে পড়হিংল
এবং শীঘ্র,শীঘ্র পরাজয় বরণ করহ্যিল ৷ ইয়াণ্ডমুয যাবিয়াহকে স্মরণ কর, আর, ইয়াওমুয
যাবিয়াহ্ কি তোমরা বিষ্ ষ্র্দুজান ? তা ছিল তােমাদের কাপুরুষতা, পরস্পর বিরোধ, ঝগড়া,
অপদস্থতা, আকুস্নাহ্র অ্সতুষ্টি এবং তোমাদের অত্তরের ভীতি ৷ তোমরা ছিলে দুরবর্তী বাসস্থান
থেকে পলায়নকারী ন্উটের ন্যায় ৷ তোমাদের মধ্যে এক ভইি অন্য ভাইয়ের কোন ঘোজ-খবরাদি
নিত না ৷ আর ণ্কান বৃদ্ধ তার সন্তানের জন্য দয়া অ্নুভব করত না ৷ যপন তোমাদের উপর
হাতিয়ার প্রয়োগ করা হয়েছিল, তীর নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ স্মরণ কর, জামাজিম আশ্রমের
দিনের কথা ৷ জামাজিম্ আশ্রমের দিন কী ? তা কি তোমরা জান ? যেদিন যুদ্ধ-বিগ্নহ সংঘটিত
হয়েহিঃা, এমন আঘাত এসেছিল যা মস্তককে তার জায়গা থেকে পৃথক করে ৰু দেয় এবং বন্ধুকে
বন্ধু থেকে ভুলিয়ে দেয় ৷ , হে ইরাকের ,,বাসিন্দাগণ ! পাপের কার্যে মত্ত অ কৃতজ্ঞগণ ! অপমানিত্ত ও


بِغَدَائِهِ فَقَالَ لِحَاجِبِهِ: انْظُرْ مَنْ يَأْكُلُ مَعِي. فَذَهَبَ فَإِذَا أَعْرَابِيٌّ نَائِمٌ فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: أَجِبِ الْأَمِيرَ. فَقَامَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى الْحَجَّاجِ قَالَ لَهُ: اغْسِلْ يَدَيْكَ ثُمَّ تَغَدَّ مَعِي. فَقَالَ: إِنَّهُ دَعَانِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ فَأَجَبْتُهُ. قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: اللَّهُ دَعَانِي إِلَى الصَّوْمِ فَأَجَبْتُهُ. قَالَ: فِي هَذَا الْحَرِّ الشَّدِيدِ؟ قَالَ: نَعَمْ صُمْتُ لِيَوْمٍ هُوَ أَشَدُّ حَرًّا مِنْهُ. قَالَ: فَأَفْطِرْ وَصُمْ غَدًا. قَالَ: إِنْ ضَمِنْتَ لِيَ الْبَقَاءَ إِلَى غَدٍ. قَالَ: لَيْسَ ذَلِكَ إِلَيَّ. قَالَ: فَكَيْفَ تَسْأَلُنِي عَاجِلًا بِآجِلٍ لَا تَقْدِرُ عَلَيْهِ؟ قَالَ: إِنَّ طَعَامَنَا طَعَامٌ طَيِّبٌ. قَالَ: لَمْ تُطَيِّبْهُ أَنْتَ وَلَا الطَّبَّاخُ، إِنَّمَا طَيَّبَتْهُ الْعَافِيَةُ. [فَصْلُ كَيْفِيَّةِ دُخُولِ الْحَجَّاجِ الْكُوفَةَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ] قَدْ ذَكَرْنَا كَيْفِيَّةَ دُخُولِ الْحَجَّاجِ الْكُوفَةَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ، وَخُطْبَتَهُ إِيَّاهُمْ بَغْتَةً، وَتَهْدِيدَهُ وَوَعِيدَهُ إِيَّاهُمْ، وَأَنَّهُمْ خَافُوهُ مَخَافَةً شَدِيدَةً، وَأَنَّهُ قَتَلَ عُمَيْرَ بْنَ ضَابِئٍ، وَكَذَلِكَ قَتَلَ كُمَيْلَ بْنَ زِيَادٍ صَبْرًا أَيْضًا، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي قِتَالِ ابْنِ الْأَشْعَثِ مَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ; مِنْ ظَفَرِهِ بِهِ بَعْدَ الْمُطَاوَلَةِ وَالْمُقَاتَلَةِ، وَتَسَلُّطِهِ عَلَى مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الرُّؤَسَاءِ وَالْأُمَرَاءِ وَالْعُبَّادِ وَالْقُرَّاءِ، حَتَّى كَانَ آخِرُ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ الْقَاضِي الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الْكَلْبِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا
পৃষ্ঠা - ৭৪০৭


বিশ্বাসঘাতকগণ৷ ঝপড়াঝাটিতে লিপ্ত ফ্যাসাদিগণ! যদি আমি তোমাদেরকে সীমান্ত পাহারায়
প্রেরণ করি , তাহলে তোমরা কর্তব্যকাজ সম্পাদন না করে ফিরে আসবে ও খিয়ানত করবে ৷
যদি তোমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় তোমরা গুজব রটাবে ৷ আর যদি তোমরা ভয় পা ও
নিফাক করবে ৷ মোট কথা,৫ তামরা কোন নিআম৩ কেই স্মরণ করছ না এবং কোন ইহ্সানের
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছ না ৷ তোমাদেরকে কোন ওয়াদা ভঙ্গকারী তৃচ্ছ মনে করেনি ৷ কোন
পথভ্রাম্ভ তোমাদেরকে ভ্রান্ত পথে ডাকেনি ৷ তোমাদেরকে কোন পাপী রক্ষা করতে চায়নি ৷
তোমাদেরকে কোন যালিম সাহায্য করতে চায়নি এবং তােমাদেরৰ্ক কোন সাহায্যকারী সাহায্য
করতে চায়নি; বরং তোমরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছ ৷ তার আওয়াষে প্রতি উত্তর করেছ ৷
তার দিকে একাকী কিৎব৷ দলবদ্ধভাবে আরােহী রুপ কিৎব৷ পদব্রজেধাবিত হয়েছ ৷ হে ইরাকের
বাসিন্দারা! কোন হৈচৈকারী হৈচৈ করে নাই কিংবা কোন কা,কা, রব উচ্চারণকারী কা, কা,
করে নাই ৷ কোন পাথেয় সৎগ্রহকারী পাথেয় সংগ্রহ করে নইি ৷ কোন চিৎকারকারী চিৎকার
করে নাই, বরৎ৫ তোমরা তার অনুসারী ও সাহায্যকারীতে পরিণত হয়েছে ৷ হে ইরাকের
বাসিন্দারা কোন উপদেশ কি তোমাদের উপকারে আসেনি ? বিভিন্ন ঘটনাবলী কি তোমাদের
মধ্যে অনুশোচনার উদ্রেক করেনি ? আল্লাহ্ কিণ্ ৩ামাদেরকে শক্ত হাতে পাকড়াও করেনি ?
আল্লাহ্ কি তার তলোয়ারের ধার এবং মর্যন্তুদ শাস্তির স্বাদ তােমাৰুদ্দা আম্বাদন করাননি ?

তারপর সে সিরিয়াবাসীদের দিকে লক্ষ্য করল ও বলল, “হে সিরিয়াবাসীরা! আমি
তোমাদের জন্যে উট পাখীর ন্যায় দরদী, যে তার বাচ্চাদেরাক অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে, তাদের
থেকে আবর্জন৷ দুর করে ৷ তাদের থেকে আক্রমণ প্রতিহত করে, বৃষ্টি থেকে তাদেরকে রক্ষা
করে, ওই সাপ থেকে তাদেরকে হিফ৷ ৷যত করে এবং মশা-মাছি থেকে তাদেরকে পাহারা দেয় ৷
৫হ্ সিরিয়াবাসীরা ৷ তোমরাই ঘুদ্ধাস্ত্র, শিলাবৃষ্টি এবং তোমরা পাড়যুক্ত চাদর, সুরক্ষিত চামড়া,
তোমরা বন্ধু-বান্ধব, সাহায্যকারী, ছায়াদার বৃক্ষ, উপরে পরিহিত কোট, তোমাদের দ্বারা শহর,
জনপদ ও গোত্র বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ তোমাদের দ্বারাই শত্রুদের দলের উপর তীর নিক্ষেপ করা হয়
এবং যারা অবাধ্য ও পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী তারা তোমাদের দ্বারা পরাজিত হয় ৷

ইবন আবুদ-দুনিয়া বলেন, আমাকে মুহাম্মদ ইবনুল হুসায়ন উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ
আত তামীমী হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি কুরায়শদের এক বৃদ্ধ থেকে
শুনেছি যাকে আবু বাকর আততামীমী বলা হয় ৷ তিনি বলেন, “হাজ্জাজ তার খুতবাতে বলত,
(এবং সে ছিল বয়স্ক) নিশ্চয়ই অ ৷ল্লাহ্ ত৷ আলা হযরত আদম (আ) ও তার বৎশধরদের মাটি
দ্বারা তৈরী করেন ৷ তারপর তাদেরকে ভুপৃষ্ঠের উপর চলাফের৷ করতে দেন, তারা পৃথিবীর
ফল-মুল ভক্ষণ করে এবং পৃথিবীর নদী-নালা ও জলাশয়ের পান পান করে ৷ মই ও তাদের
চলাচল দ্বারা ভুপৃষ্ঠের উচু-সিচু দুরীভুত করে ৷ তারপর আল্লাহ তা জানা ভুপৃষ্ঠকে তাদের দ্বারা
আবাদ করেন এবং মৃত্যুর পর তাদেরকে সে ভুমিতে ফেরত প্রেরণ করেন ৷ ভুমি তাদের মাংস

ভক্ষণ করে, যেমন তারা ভুমির ফলমুল ভক্ষণ করেছিল ৷ ভুমি তাদের রক্ত পান করে, যেমন

তারা ভুমির নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি পান করেছিল ৷ ভুমি ৷দেরকেত টুকরো টুকরো করে
তার পেটে ঢুকিয়ে নেয় এবং তাদের হাড়ের জোড়াগুলাে পৃথক পৃথক করে ফেলে ৷ যেমন তারা
পৃথিবীটাকে মই ও তাদের চলাচল দ্বারা অসমতল থাকলে সমতল করে নিয়েছে ৷”

একাধিক বর্ণনাকারী হাজ্জাজ থেকে বর্ণনা করে যে, সে তার থুতবায় উপদেশ আকারে
বলত, তোমাদের সামনে উপস্থিত প্রত্যেক লোকের সাথে এমন এক লোক বা সত্তা প্রতিনিধিত্ব
করে, যে তার নাফসকে স্তব্ধ করেছে, ,,ভুছেঃ,ন্নুলোঃরৰুৰু,রশি দ্বার৷ তাকে বেধেছে এবং এ রশি

الْغَلَّابِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَطَاءٍ يَعْنِي ابْنَ مُصْعَبٍ عَنْ عَاصِمٍ قَالَ: خَطَبَ الْحَجَّاجُ أَهْلَ الْعِرَاقِ بَعْدَ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ فَقَالَ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدِ اسْتَبْطَنَكُمْ فَخَالَطَ اللَّحْمَ وَالدَّمَ وَالْعَصَبَ وَالْمَسَامِعَ وَالْأَطْرَافَ ثُمَّ أَفْضَى إِلَى الْأَسْمَاخِ وَالْأَمْخَاخِ وَالْأَشْبَاحِ وَالْأَرْوَاحِ، ثُمَّ ارْتَفَعَ فَعَشَّشَ، ثُمَّ بَاضَ وَفَرَّخَ، ثُمَّ دَبَّ وَدَرَجَ، فَحَشَاكُمْ نِفَاقًا وَشِقَاقًا، وَأَشْعَرَكُمْ خِلَافًا، اتَّخَذْتُمُوهُ دَلِيلًا تَتَّبِعُونَهُ، وَقَائِدًا تُطِيعُونَهُ، وَمُؤَامِرًا تُشَاوِرُونَهُ وَتَسْتَأْمِرُونَهُ، فَكَيْفَ تَنْفَعُكُمْ تَجْرِبَةٌ أَوْ يَنْفَعُكُمْ بَيَانٌ؟ أَلَسْتُمْ أَصْحَابِي بِالْأَهْوَازِ حَيْثُ رُمْتُمُ الْمَكْرَ وَأَجْمَعْتُمْ عَلَى الْكُفْرِ، وَظَنَنْتُمْ أَنَّ اللَّهَ يَخْذُلُ دِينَهُ وَخِلَافَتَهُ؟ وَأَنَا أَرْمِيكُمْ بِطَرْفِي وَأَنْتُمْ تَتَسَلَّلُونَ لِوَاذًا، وَتَنْهَزِمُونَ سِرَاعًا. يَوْمُ الزَّاوِيَةِ وَمَا يَوْمُ الزَّاوِيَةِ؟ مِمَّا كَانَ مِنْ فَشَلِكُمْ وَتَنَازُعِكُمْ وَتَخَاذُلِكُمْ وَبَرَاءَةِ اللَّهِ مِنْكُمْ وَنُكُوسِ قُلُوبِكُمْ; إِذْ وَلَّيْتُمْ كَالْإِبِلِ الشَّارِدَةِ عَنْ أَوْطَانِهَا النَّوَازِعِ، لَا يَسْأَلُ الْمَرْءُ عَنْ أَخِيهِ، وَلَا يَلْوِي الشَّيْخُ عَلَى بَنِيهِ حِينَ عَضَّكُمُ السِّلَاحُ وَنَخَسَتْكُمُ الرِّمَاحُ. يَوْمُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ وَمَا يَوْمُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ! بِهَا كَانَتِ الْمَعَارِكُ وَالْمَلَاحِمُ، بِضَرْبٍ يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ، وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭৪০৮
يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، يَا أَهْلَ الْكَفَرَاتِ بَعْدَ الْفَجَرَاتِ، وَالْغَدَرَاتِ بَعْدَ الْخَتَرَاتِ، وَالنَّزْوَةِ بَعْدَ النَّزَوَاتِ، إِنْ بَعَثْنَاكُمْ إِلَى ثُغُورِكُمْ غَلَلْتُمْ وَخُنْتُمْ، وَإِنْ أَمِنْتُمْ أَرَجَفْتُمْ، وَإِنْ خِفْتُمْ نَافَقْتُمْ، لَا تَذْكُرُونَ نِعْمَةً وَلَا تَشْكُرُونَ مَعْرُوفًا، هَلِ اسْتَخَفَّكُمْ نَاكِثٌ أَوِ اسْتَغْوَاكُمْ غَاوٍ، أَوِ اسْتَنْقَذَكُمْ عَاصٍ، أَوِ اسْتَنْصَرَكُمْ ظَالِمٌ، أَوِ اسْتَعْضَدَكُمْ خَالِعٌ إِلَّا لَبَّيْتُمْ دَعْوَتَهُ، وَأَجَبْتُمْ صَيْحَتَهُ، وَنَفَرْتُمْ إِلَيْهِ خِفَافًا وَثِقَالًا، وَفُرْسَانًا وَرِجَالًا؟ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، هَلْ شَغَبَ شَاغِبٌ أَوْ نَعَبَ نَاعِبٌ، أَوْ زَفَرَ زَافِرٌ إِلَّا كُنْتُمْ أَتْبَاعَهُ وَأَنْصَارَهُ؟ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، أَلَمْ تَنْفَعْكُمُ الْمَوَاعِظُ؟ أَلَمْ تَزْجُرْكُمُ الْوَقَائِعُ؟ أَلَمْ يُشَدِّدِ اللَّهُ عَلَيْكُمْ وَطْأَتَهُ، وَيُذِقْكُمْ حَرَّ سَيْفِهِ، وَأَلِيمَ بَأْسِهِ وَمَثُلَاتِهِ؟ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ فَقَالَ: يَا أَهْلَ الشَّامِ، إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ كَالظَّلِيمِ الرَّامِحِ عَنْ فِرَاخِهِ، يَنْفِي عَنْهَا الْقَذَرَ، وَيُبَاعِدُ عَنْهَا الْحَجَرَ، وَيُكِنُّهَا مِنَ الْمَطَرِ، وَيَحْمِيهَا مِنَ الضَّبَابِ، وَيَحْرُسُهَا مِنَ الذُّبَابِ، يَا أَهْلَ الشَّامِ، أَنْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৪০৯


সহকারে আল্লাহর ইবাদতের দিকে নিজেকে পরিচালিত করছে ৷ আর এ রশি দ্বারা তাকে
আল্পাহ্ গুনাহ্ হতে বিরত ব্লেখেছে ৷ আল্পাহ্ এমন ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে তার নাফসকে
পরিত্যাগ করেছে ৷ এমন ব্যক্তির উপর বহন করুন, যে তার নাফসকে দোষারোপ করেছে ৷
এমন ব্যক্তির উপর বহন করুন, যে তার নাফসকে দুশনন হিসেবে গ্রহণ করেছে ৷ এমন ব্যক্তির
উপর বহন করুন, যে তার হিসাব অন্যের কাছে যাওয়ার পুর্বে নিজেই তার হিসাব যাচাই
করেছে ৷ এমন ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে তার মীযান বা পাল্লার প্রাত লক্ষ্য করেছে ৷ এমন
ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে তার হিসাবের প্রতি লক্ষ্য করেছে ৷ এমন ব্যক্তির উপর রহম
করুন, যে তার কার্যত্রুনকে ওযন করেছে ৷ এমন ব্যক্তির উপর আল্লাহ রহম করুন, যে
আপামীকাল কুরআন শরীফের কোথায় তিলাওয়াত করবে তা চিন্তা করে রাখে ৷ আর
আপামীকাল (ভবিষ্যতে) তার পাল্লায় কি দেখবে তা চিন্তা করে ৷ সে তার অম্ভারর কাছে ধনক
প্রদানকারী ও তার ইচ্ছার কাছে হুকুমদাত৷ আল্লাহ্কে উপস্থিত পায় ৷ আল্লাহ্ এমন ব্যক্তির
উপর রহম করুন, যে তার কার্যকলাপের লাগান শক্ত করে ধরেছে ৷ যেমন, কেউ তার নিজের
উটের লাগান শক্ত করে ধরে ৷ যদি এ লাগান তাকে আল্পাহ্র আনুগত্যের দিকে পরিচালনা
করে, তাহলে সে তার অনুসরণ করে ৷ আর যদি এ লাগান তাকে আল্লাহ্র গুনাহের দিকে
প্ররােচিত করে, তাহলে সে তার থেকে বিরত থাকে ৷ আল্লাহ্ এমন ব্যক্তির উপর রহম করুন,
যিনি তার কার্যকলাপে আল্পাহ্ থেকে নিজেকে বেধে নিয়েছে ৷ আল্লাহ্ এমন ব্যক্তির উপর রহম
করুন, যে প্রাধান্য লাভ করেছে কিৎবা প্রাধান্য লাভ করার চেষ্টা করছে ৷ আর গুনাহ্ ও
প্রতারণার কার্যকলাপের সাথে হিংসা পোষণ করছে ৷ যা কিছু আল্লাহ্রই কাছে আছে তার
প্রতিই তার কামনা বাসনা নিবেদিত ও নিয়োজিত ৷ অ ৷ল্লাহ্ এমন ব্যক্তিকে বহন করুন, আল্লাহ্
এমন ব্যক্তিকে রহম করুন, বলতে বলতে যে অঝোর নয়নে র্কাদতে লাগল ৷

আল-মাদাইনী (র) আওয়ানা ইবনুল হাকাম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আশৃ-শাবী বলেছেন, “আমি হাজ্জাজকে এমন এমন কথা বলতে শুনেছি, যে কথা তার আগে
কাউকে বলতে শুনেনি ৷ সে বলত আম্ম৷ বাদ অর্থাৎ আল্লাহ্র হানদ ও রাসুলের লাভের পর
সমাচার এই যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা দুনিয়ার উপর ধ্বংসকে লিপিবদ্ধ করেছেন এবং
আখিরাতের উপর স্থায়িতুকে লিপিবদ্ধ করেছেন কাজেই যার উপর স্থায়িতুকে লিপিবদ্ধ করেছেন
তার কোন ধ্বংস নেই ৷ আর যার উপর ধ্বংনকে লিপিবদ্ধ করেছেন তার কোন স্থায়িতু নেই ৷

তাই তে ৷নাদেরকে বর্তমান দুনিয়া যেন ভবিষ্যতের আমিরাত সম্পর্কে প্রভাবিত না করে ৷ আর

দুনিয়াবাসীরা যেন দুনিয়ার ক্ষণস্থুায়িতু দ্বারা আখিরাতের দীর্ঘ স্থায়িতু কামনা-বাসনড়াকে স্তব্ধ
করে না দের ৷

আল-নাদাইনী আবু আবদুল্লাহ আছ-ছাকাফী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি তার চাচা থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : একদিন আমি হাসান বসরী (র) কে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন,
একটি বাক্য আমাকে প্রচণ্ড আঘাত হেন্যেছ যা আমি হাজ্জাজ থেকে শুনেছি ৷ সে এসব
উপলক্ষে কথাটি বলেছিল, “যদি কোন ব্যক্তির জীবনের একটি মুহুর্ত অন্য কাজে ব্যবহৃত হয়,
যার জন্যে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তার এ কাজের জন্যে আফসােস
প্রলন্বিত হওয়া উচিত ৷”

কাযী শুরায়ক আবদুল মালিক ইবন উমায়র হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন
হাজ্জাজ বলেন৪ যদি কেউ কোন কাজ সম্পাদনের জন্য কোন মুসীব্য তর ৷শকার হয়ে থাকে,
তাহলে তাকে আমি তার মুসীবতের গভীরতা অনুযায়ী পুরস্কার প্রদান করে থাকি ৷ তখন এক
ব্যক্তি দণ্ডায়মান হলো এবং বলল, আপনি আমাকে প্লুরস্কার প্রদান করুন ৷ কেননা, আমি


الْجُنَّةُ وَالرِّدَاءُ، وَأَنْتُمُ الْمُلَاءَةُ وَالْحِذَاءُ، أَنْتُمُ الْأَوْلِيَاءُ وَالْأَنْصَارُ، وَالشِّعَارُ وَالدِّثَارُ، بِكُمْ يُذَبُّ عَنِ الْبَيْعَةِ وَالْحَوْزَةِ، وَبِكُمْ تُرْمَى كَتَائِبُ الْأَعْدَاءِ، وَيُهْزَمُ مَنْ عَانَدَ وَتَوَلَّى. قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ، سَمِعْتُ شَيْخًا مِنْ قُرَيْشٍ يُكَنَّى أَبَا بَكْرٍ التَّيْمِيَّ، قَالَ: كَانَ الْحَجَّاجُ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ وَكَانَ لَسِنًا: إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ وَذُرِّيَّتَهُ مِنَ الْأَرْضِ فَأَمْشَاهُمْ عَلَى ظَهْرِهَا، فَأَكَلُوا ثِمَارَهَا، وَشَرِبُوا أَنْهَارَهَا، وَهَتَكُوهَا بِالْمَسَاحِي وَالْمُرُورِ، ثُمَّ أَدَالَ اللَّهُ الْأَرْضَ مِنْهُمْ فَرَدَّهُمْ إِلَيْهَا، فَأَكَلَتْ لُحُومَهُمْ كَمَا أَكَلُوا ثِمَارَهَا، وَشَرِبَتْ دِمَاءَهُمْ كَمَا شَرِبُوا أَنْهَارَهَا، وَقَطَّعَتْهُمْ فِي جَوْفِهَا، وَفَرَّقَتْ أَوْصَالَهُمْ كَمَا هَتَكُوهَا بِالْمَسَاحِي وَالْمُرُورِ. وَمِمَّا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْحَجَّاجِ أَنَّهُ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ فِي الْمَوَاعِظِ: أَيُّهَا الرَّجُلُ، وَكُلُّكُمْ ذَلِكَ الرَّجُلُ، رَجُلٌ خَطَمَ نَفْسَهُ وَزَمَّهَا فَقَادَهَا بِخِطَامِهَا إِلَى طَاعَةِ اللَّهِ، وَكَفَّهَا بِزِمَامِهَا عَنْ مَعَاصِي اللَّهِ، رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً رَدَّ نَفْسَهُ، امْرَأً اتَّهَمَ نَفْسَهُ، امْرَأً
পৃষ্ঠা - ৭৪১০

, নিঃসন্দেহে ইমাম হুসায়নকে হত্যা করেছি ৷ হাজ্জাজ বলল, “তুমি তাকে কেমন করে হত্যা
করেছ ?” ন্ সে বলল, আমি তার দিকে তীর নিক্ষেপ করে তাকে ভীরবিদ্ধ করেছি এবং
তলোয়ার দ্বারা তার মাথা কর্তন করেছি ৷ আর তাকে হত্যা করার ক্ষেত্রে আমি আর কাউকে
অংশীদার কবিনি ৷ তখন সে বলল, আল্লাহর শপথ, ভুমি এবং সে এক জায়গায় একত্রিত হতে
পারে৷ না ৷ এ কথা বলে সে তাকে কিইে প্রদান করল না ৷

আল-হায়ছাম ইবন আদী বলেন, একদিন এক ব্যক্তি হাজ্জাজের কচছে আগমন করে বলল,

আমার ভইি ইবনুল আশআছের সাথে সংগ্রামে যোগ দিয়েছিল ৷ সে আমার নামও তালিকাভুক্ত
করেছিল ৷ তুমি আমার ভাতা বন্ধ করে দিয়েছ এবং আমার ঘর ধ্বংস করে দিয়েছ ৷ হাজ্জাজ
বলল, তুমি কি একজন কবির কথা শুন নইি ৷ কবি বলেছিল, “যে ব্যক্তি তোমাকে অন্যায়ভাবে
দোষারোপ করেছে, সে যেন তোমার উপর অনুগ্রহ করেছে ৷ কেননা, অনেক সময় খুজলী রোগে
আক্রান্ত উটের পােয়াল সুস্থ উটের রুগ্ন হওয়ার কারণ হয়ে পড়ে ৷ আর বহু লোক পাকড়াও হয়,
তার নিকটবর্তী ব্যক্তির অন্যায়ের দরুন ৷ আর যে অপরাধী গুনাহ্গার সে নাজাত পেয়ে যায় ৷
সোকটি বলল, আমি ণ্তাআল্লাহ্কেঅন্যরুপ বলতে শ্যুনছি ৷ আল্লাহর কথা তোমার এ কবির
কথার চেয়ে বেশী সত্য ৷ হাজ্জাজ বলল, আল্লাহ্ কি বলেছেন? সােকটি বলল, সুরায়ে ইউসুফের
৭৮ ণ্ ও ৭৯নং আয়াতে আল্লাহ বলেন :

াপুৰুাপুন্ধ্র
৷ টু,;ষ্

ট্রু-,,ণ্;া৷াপু ৷ ; ৷

অর্থাৎ “তারা বলল, হে আযীয তার পিতা জীবিত রয়েছেন ৷ তিনি অতিশয় বৃদ্ধ ৷ কাজেই
তার স্থলে আপনি আমাদের একজনকে রাখুন ৷ আমরা তাে আপনাকে দেখছি মহানুভব
ব্যক্তিদের একজন ৷ সে বলল, যার নিকট আমরা আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে
রাখার অপরাধ হতে আল্লাহর শরণ নিচ্ছি ৷ এরুপ করলে আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী
হব ৷” হাজ্জাজ তখন বলল, হে যুবক ৷ তার নাম তালিকাভুক্ত কর, তার ছেলের নামও
তালিকাভুক্ত কর এবং যথারীতি ভাতা প্রদান কর ৷ আর একজন আহবায়ককে ঘোষণা কজ্জ,
নির্দেশ দাও যে, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং কবি মিথ্যা বলেছে ৷ আল-হায়ছাম ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আবদুল মালিক
হাজ্জাজের কাছে একটি পত্র লিখেন এবৎ৩ তাকে আদেশ দেন যে, আসলাম ইবন আবদুল
বিকরীর মাথা আমার কাছে প্রেরণ কর ৷ যখন তার কাছে এ পত্র পৌছল, হাজ্জাজ তখন
লোকটিকে নিকটে ডাকল ৷ তখন সে হাজ্জাজকে বলল, “হে আমীর! আপনি তো উপস্থিত বা

অবগত আর আমী রপ্স যু মিনীন অনুপস্থিত, অনবগত ৷ আর আল্লাহ তা জানা সুৱায়ে হুজুরাতের
৬নৎ আয়াতে বলেনং ন্

০ ’ : ষ্

র্দুপ্ৰুপ্রুছু

,
অর্থাৎ “হে যু মিনগণ! মনি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ন করে,
তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখরে ৷ যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না


اتَّخَذَ نَفْسَهُ عَدُوَّهُ، امْرَأً حَاسَبَ نَفْسَهُ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ الْحِسَابُ إِلَى غَيْرِهِ، امْرَأً نَظَرَ إِلَى مِيزَانِهِ، امْرَأً نَظَرَ إِلَى حِسَابِهِ، امْرَأً وَزَنَ عَمَلَهُ، امْرَأً فَكَّرَ فِيمَا يَقْرَأُ غَدًا فِي صَحِيفَتِهِ، وَيَرَاهُ فِي مِيزَانِهِ، وَكَانَ عِنْدَ قَلْبِهِ زَاجِرًا، وَعِنْدَ هَمِّهِ آمِرًا، امْرَأً أَخَذَ بِعِنَانِ عَمَلِهِ كَمَا يَأْخُذُ بِعِنَانِ جَمَلِهِ، فَإِنْ قَادَهُ إِلَى طَاعَةِ اللَّهِ تَبِعَهُ وَإِنْ قَادَهُ إِلَى مَعْصِيَةِ اللَّهِ كَفَّ، امْرَأً عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَمْرَهُ، امْرَأً فَاقَ وَاسْتَفَاقَ وَأَبْغَضَ الْمَعَاصِيَ وَالنِّفَاقَ، وَكَانَ إِلَى مَا عِنْدَ اللَّهِ بِالْأَشْوَاقِ. فَمَا زَالَ يَقُولُ امْرَأً امْرَأً. حَتَّى بَكَى مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ عَوَانَةَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ تَكَلَّمَ بِكَلَامٍ مَا سَبَقَهُ إِلَيْهِ أَحَدٌ; يَقُولُ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ عَلَى الدُّنْيَا الْفَنَاءَ، وَعَلَى الْآخِرَةِ الْبَقَاءَ، فَلَا فَنَاءَ لِمَا كُتِبَ عَلَيْهِ الْبَقَاءُ، وَلَا بَقَاءَ لِمَا كُتِبَ عَلَيْهِ الْفَنَاءُ، فَلَا يَغُرَنَّكُمْ شَاهِدُ الدُّنْيَا عَنْ غَائِبِ الْآخِرَةِ، وَاقْهَرُوا طُولَ الْأَمَلِ بِقِصَرِ الْأَجَلِ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَمِّهِ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ يَقُولُ: وَقَذَتْنِي كَلِمَةٌ سَمِعْتُهَا مِنَ الْحَجَّاجِ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ عَلَى هَذِهِ الْأَعْوَادِ: إِنَّ امْرَأً ذَهَبَتْ سَاعَةٌ مِنْ عُمْرِهِ فِي غَيْرِ مَا خُلِقَ لَهُ لَحَرِيٌّ أَنْ تَطُولَ عَلَيْهَا حَسْرَتُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَقَالَ شَرِيكٌ الْقَاضِي، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: قَالَ الْحَجَّاجُ يَوْمًا: مَنْ كَانَ لَهُ بَلَاءٌ أَعْطَيْنَاهُ عَلَى قَدْرِهِ. فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: أَعْطِنِي فَإِنِّي قَتَلْتُ
পৃষ্ঠা - ৭৪১১
الْحُسَيْنَ. فَقَالَ: وَكَيْفَ قَتَلْتَهُ؟ قَالَ: دَسَرْتُهُ بِالرُّمْحِ دَسْرًا، وَهَبَرْتُهُ بِالسَّيْفِ هَبْرًا، وَمَا أَشْرَكْتُ مَعِي فِي قَتْلِهِ أَحَدًا. فَقَالَ: اذْهَبْ، فَوَاللَّهِ لَا تَجْتَمِعُ أَنْتَ وَهُوَ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ. وَلَمْ يُعْطِهِ شَيْئًا. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى الْحَجَّاجِ فَقَالَ: إِنَّ أَخِي خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَضُرِبَ عَلَى اسْمِي فِي الدِّيوَانِ، وَمُنِعْتُ الْعَطَاءَ، وَقَدْ هُدِمَتْ دَارِي. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: أَمَا سَمِعْتَ قَوْلَ الشَّاعِرِ: جَانِيكَ مَنْ يَجْنِي عَلَيْكَ وَقَدْ ... تُعْدِي الصِّحَاحَ مَبَارِكُ الْجُرْبِ وَلَرُبَّ مَأْخُوذٍ بِذَنْبِ قَرِيبِهِ ... وَنَجَا الْمُقَارِفُ صَاحِبُ الذَّنْبِ فَقَالَ الرَّجُلُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنِّي سَمِعْتُ اللَّهَ يَقُولُ غَيْرَ هَذَا، وَقَوْلُ اللَّهِ أَصْدَقُ مِنْ هَذَا. قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: {قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ إِنَّ لَهُ أَبًا شَيْخًا كَبِيرًا فَخُذْ أَحَدَنَا مَكَانَهُ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ نَأْخُذَ إِلَّا مَنْ وَجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهُ إِنَّا إِذًا لَظَالِمُونَ} [يوسف: 78] [يُوسُفَ: 78، 79] . قَالَ: يَا غُلَامُ، أَعِدِ اسْمَهُ فِي الدِّيوَانِ، وَابْنِ دَارَهُ، وَأَعْطِهِ عَطَاءَهُ، وَمُرْ مُنَادِيًا يُنَادِي: صَدَقَ اللَّهُ وَكَذَبَ الشَّاعِرُ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَيَّاشٍ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ أَنِ
পৃষ্ঠা - ৭৪১২

কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও ৷ তার কাছে যে সংবাদটি পৌছেছে
তা অসত্য ৷ আর আমি ২৪ জন মহিলার অভিভাবকতৃ করি, তাদের জীবিকা অর্জন করার মত
কোন লোক নইি ৷ আর তারা আপনার দরযায় দণ্ডায়মান ৷ তাদেরকে উপস্থিত করানোর জন্য
আদেশ দিল ৷ যখন তারা উপস্থিত হলে৷ তাদের মধ্যে একজন বলল, আমি তার খালা, অন্য
একজন বলল, আমি তার ফুফু, অন্য একজন বলল, আমি তার বোন, অন্য একজন বলল,
আমি তার শ্রী, আবার অন্য একজন বলল, আমি তার মেয়ে ৷ এমন সময় আট বছরের অধিক
ও দশ বছরের কম বয়সী একটি বালিকা সামর্নে এগিয়ে ৰুআসল ৷ হাজ্জাজ তাকে বলল, তুমি
কে ? বালিকা বলল, আমি তার মেয়ে ৷ তারপর যে বলল, আল্পাহ্ আমীরের মঙ্গল করুন,
আমি তার সামনে হাযির ৷ এ কথা বলে যে কিছু কবিতা পাঠ করল , যা নিম্নে প্রদত্ত হলো : হে
হাজ্জাজ, আপনি তার মেয়েদের ও ফুফুদের মান-মর্যাদা লক্ষ্য করেননি ? তারা সকলে সারা
রাত্রি তার জন্যে ব্লোদন করছে ৷ হে হাজ্জাজ, যদি আপনি তাকে হত্যা করেন, তাহলে আপনি
কি চিন্তা করে দেখেছেন যে, আপনি তার হত্যার মাধ্যমে কতজনকে হত্যা করেছেন ৷ তারা
হলেন ২৪ জন, হে হাজ্জাজ কে তার পরিবর্তে আমাদের দেখাশুন৷ করবে ? কাজেই তাকে
আপনি ছেড়ে দিন ৷ আর যদি আপনি আমাদের উপর অন্যায় করেন, তাহলে আমাদের গৃহাদি
বসিয়ে যমীন বরাবর করে দিন ৷ হে হাজ্জাজা হয়তো আমার পিতাকে ছেড়ে দিয়ে আপনি
আমাদের উপর একটি নিআমত দান করুন, অন্যথায় আমাদের সকলকে একত্রে মেরে ফেলুন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হাজ্জাজ ক্রব্দন করল এবং বলল, আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের
উপর কোন প্রকার বিপদ আপতিত করব না এবং তোমাদের উপর কোন প্রকার যুলুমও করব
না যাতে তোমরা একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাও ৷ হাজ্জাজ আবদুল মালিকের কাছে পত্র লিখে
উল্লিখিত ব্যক্তিটির উক্তি এবং তার কন্যার উক্তি সম্বন্ধে আবদুল মালিককে অবগত করল ৷
তখন আবদুল মালিক হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখে আদেশ দিলেন যেন ণ্লাকটিকে ছেড়ে দেওয়া
হয় এবং তার সাথে তাল আচরণ করা হয় ৷ বালিকার প্রতি দয়া করা হয় এবং সব সময় তার
ঘোজখবৱ নেওয়া হয় ৷ কথিত আছে, একদিন হাজ্জাজ খুতৃবা দিল এবং জনগণকে বলল, হে
মানবমণ্ডলী! জেনে ব্লেখো, আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তুসমুহ হর্তে বিরত;থাকার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ
ৰু আল্লাহ্র্ আমার সহ্য করার ধৈর্যধারণ থেকে অনেক সহজ ৷ তখন এক ব্যক্তি উঠে র্দাড়াল এবং
হাজ্জাজকে লক্ষ্য করে বলল, “দুর্ভাগ্য তোমার হে হাজ্জাজ ! কত নির্লজ্জ চেহারা ণ্তামার ! এবং
কত কম হুতামার লজ্জা ৷ যা করার তুমি কর, আর এ ধরনের উচ্চৰাক্য তুমি উচ্চারণ কর ৷
তোমার সদ্ব্যবহারের চেষ্টা নিম্ফল ও ব্যর্থ ৷ হাজ্জাজ তার দেহরক্ষীকে বলল, “তাকে ধরে
ব্লেখো ৷” য়খন হাজ্জাজ খুত্ৰা শেষ করল, তখন ঐ লোকটিকে বলল, কেন তুমি আমার উপর
এত ধৃষ্টত৷ দেখালে ? উত্তরে লোকটি বলল : দুর্ভাগ্য তোমার হে হাজ্জাজা তুমি আল্লাহ্র প্রতি
ধৃষ্টতা দেখাচ্ছ, আমি তো ৫তামার প্রতি ধৃষ্টত৷ দেখাচ্ছি না ৷ তুমি এমন কোন ব্যক্তি যে,
াতামার প্রতি আমি ধৃষ্টত৷ দেখাতে পারব না ? অথচ তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ
তা আলায় প্রতি ধৃষ্টতা দেখাচ্ছ ৷ হাজ্জাজ তখন বলল, তাকে শৃৎখলমুক্ত করে দাও ৷ তারপর
তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ ,

আল-মাদাইনী বলেনং ইবনুল আশআছেৱ দুইজন সাথীকে কয়েদী হিসেবে একদিন
হাজ্জাজের সামনে আনয়ন করা হলো ৷ হাজ্জাজ তাদেরকে হত্যার হুকুম দিল ৷ তখন তাদের
মধ্যে একজন বলল, তোমার প্রতি আমার একটি অনুগ্রহ রয়েছে ৷ হাজ্জাজ বলল, সেটা কি ?
দােকটি বলল, একদিন ইবনুল আশআছ তোমার মাতা সম্বন্ধে উল্লেখ করে ৷ তখন আমি তার


ابْعَثْ إِلَيَّ بِرَأْسِ أَسْلَمَ بْنِ عَبْدٍ الْبَكْرِيِّ; لِمَا بَلَغَنِي عَنْهُ. فَأَحْضَرَهُ الْحَجَّاجُ، فَقَالَ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، أَنْتَ الشَّاهِدُ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْغَائِبُ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ} [الحجرات: 6] (الْحُجُرَاتِ: 6) وَمَا بَلَغَهُ عَنِّي فَبَاطِلٌ، وَإِنِّي أَعُولُ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ امْرَأَةً مَا لَهُنَّ كَاسِبٌ غَيْرِي، وَهُنَّ بِالْبَابِ. فَأَمَرَ الْحَجَّاجُ بِإِحْضَارِهِنَّ، فَلَمَّا حَضَرْنَ جَعَلَتْ هَذِهِ تَقُولُ: أَنَا خَالَتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا عَمَّتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا أُخْتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا ابْنَتُهُ. وَهَذِهِ: أَنَا زَوْجَتُهُ. وَتَقَدَّمَتْ إِلَيْهِ جَارِيَةٌ فَوْقَ الثَّمَانِي وَدُونَ الْعَشَرَةِ، فَقَالَ لَهَا الْحَجَّاجُ: مَنْ أَنْتِ؟ فَقَالَتْ: أَنَا ابْنَتُهُ. ثُمَّ قَالَتْ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، وَجَثَتْ عَلَى رُكْبَتَيْهَا، وَقَالَتْ: أَحَجَّاجُ لَمْ تَشْهَدْ مَقَامَ بَنَاتِهِ ... وَعَمَّاتِهِ يَنْدُبْنَهُ اللَّيْلَ أَجْمَعَا أَحَجَّاجُ كَمْ تَقْتُلْ بِهِ إِنْ قَتَلْتَهُ ... ثَمَانًا وَعَشْرًا وَاثْنَتَيْنِ وَأَرْبَعَا أَحَجَّاجُ مَنْ هَذَا يَقُومُ مَقَامَهُ ... عَلَيْنَا فَمَهْلًا أَنْ تَزِدْنَا تَضَعْضُعَا أَحَجَّاجُ إِمَّا أَنْ تَجُودَ بِنِعْمَةٍ ... عَلَيْنَا وَإِمَّا أَنْ تُقَتِّلَنَا مَعَا قَالَ: فَبَكَى الْحَجَّاجُ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَعَنْتُ عَلَيْكُنَّ، وَلَا زِدْتُكُنَّ تَضَعْضُعًا، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بِمَا قَالَ الرَّجُلُ، وَبِمَا قَالَتِ ابْنَتُهُ هَذِهِ، فَكَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ يَأْمُرُهُ بِإِطْلَاقِهِ وَحُسْنِ صِلَتِهِ، وَبِالْإِحْسَانِ إِلَى هَذِهِ الْجَارِيَةِ، وَتَفَقُّدِهَا فِي كُلِّ وَقْتٍ. وَقِيلَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، الصَّبْرُ عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ أَيْسَرُ مِنَ الصَّبْرِ عَلَى عَذَابِ اللَّهِ. فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ يَا حَجَّاجُ، مَا أَصْفَقَ وَجْهَكَ، وَأَقَلَّ حَيَاءَكَ، تَفْعَلُ مَا تَفْعَلُ وَتَقُولُ مِثْلَ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৭৪১৩


বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি ৷ হাজ্জাজ বলল, এ ঘটনার ব্যাপারে৫ আমার কি কোন সাক্ষী আছে ? সে
বলল, “হ্যা, আমার এ সাথীটি ৷ হাজ্জাজ তখন তাকে জিজ্ঞাসা করল ৷ ণ্লাকটির সাথী বলল,
হ্যা ৷ হাজ্জাজ বলল, ইবনুল আশআছ যা করেছে তা তুমি করলে না কেন ? সে বলল, তোমার
প্রতি প্রতিহিংসা আমাকে বিরত ব্লেখেছিল ৷ হাজ্জাজ বলল, কে আছ তোমরা এ ব্যক্তিটিকে তার
সতব্রুবাদিতার জন্যে ছেড়ে দাও আর অপরজনকে তার কাজের জন্যে ছেড়ে দাও ৷ হাজ্জাজের
সাথীরা দৃইজনবেইি ছেড়ে দেয় ৷

মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ ইবনুল আরাবী থেকে উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, বনু হুনায়ফার এক
ব্যক্তি ইয়ামামা অঞ্চলে একজন বীরপুরুষ ছিলেন ৷৩ তার নাম ছিল জাহদার ইবন মালিক ৷
হাজ্জাজ সে দেশের নায়েবের কাছে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করে ঐ বীর পুরুযটিকে গ্রেফতার
করতে না পারার তাকে তিরস্কার করে ৷ কাজেই নায়েব বীর পুরুষটিকে তীব্রতাবে খোজ করতে
লাগল ৷ কিছুদিন পর সে তাকে বন্দী করল ৷ পরে তাকে হাজ্জ জ্জাজের কাছে প্রেরণ করল ৷ তখন
হাজ্জাজ তাকে বলল, তুমি যা করছিলে, কেন ৷৩ তুমি এরুপ করছিলে ? বীর পুরুষটি বলল,
আমাকে এ কাজ করার জন্য যে বস্তুটি প্ররোচিত করেছিল তা হলো অন্তরের দুঃসাহ্স,
শাসনকর্তার অত্যাচার এবং হাল যামানার কুকুর বা লোভ-লালসা ৷ যদি আমীর আমাকে
পরীক্ষা করেন, তাহলে তিনি আমাকে তার সৎসাহায্যকারী ও অশ্বারোহী সৈন্যদের মধ্যে
আমাকে সুক্ষ্ম ধীশক্তিসস্পন্ন ব্যক্তিদের অন্যতম পাবেন ৷ আর আমাকে তার সৎসাহসী প্রজাবর্গের
মধ্যে অন্যতম পাবেন ৷ আমি যে কোন সময় কোন অশ্বারোহীর সাথে মুকাবিলা করেছি তাকে
পরাস্ত করেছি ৷ হাজ্জাজ তখন তাকে বলল, আমরা তোমাকে একটি কুয়ার কাছে ফেলে দোবা
যেখানে থাকবে একটি হিংস্র সিংহ ৷ যদি সেই হিংস্র সিংহটি ণ্তামাকে হত্যা করতে পারে,
তোমার পরিবার-পরিজনের ভরণপােষণ আমরা বহন করব ৷ আর যদি তুমি তাকে হত্যা করতে
পার আমরা তোমাকে ছেড়ে দেবো ৷” তারপর হাজ্জ্বাজ তাকে কারাগারে বন্দী করে রাখল ৷
তার ডান হাতটি তার গর্দানের সাথে শিকল দিয়ে বাধা ছিল ৷ অন্যদিকে হাজ্জাজ কাসকার
নামক স্থানের নায়েবের কাছে পত্র লিখে নির্দেশ দিল, যেন একটি বড় হিংস্র ও ক্ষতিকারক
সিংহকে প্রেরণ করে ৷ জাহদার তার বন্দীশালায় কিছু কবিত ৷ পাঠ করে সে তার শ্রী উষ্মে আমর
সুলায়মারপ্রতি দুঃখ প্রকাশ করছে ৷ সে বলছিল, “রাত কি আমাকে এবং উষ্মে আমরকে
একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিবে না ? এটা নিয়ে হয়তো তুমি চিন্তা করছ এবং আমাকে নিকটে
পাওয়ার কামনা করছ! হী৷ (রাত সে সুযোগ দিবে) তুমি নতুন র্চাদকে দেখবে, যেমন আমি
তাকে দেখছি ৷ চীদ যখন আকাশের উপরিভাগে উঠতে থাকবে, তখন রাত সমাপ্ত হয়ে দিন
প্রকাশ পাবে ৷ যখন তোমরা নজদের খেজুর বাগান অতিক্রম করে ইয়ামামার উপত্যকায়
পৌছবে, তখন হয়তো আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনবে ৷ জাহদারকে তোমরা শুভ কামনা কর ৷
কেননা, ইয়ামানী ধারাল তলোয়ারের উপর বাপাইয়া পড়ার জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছে ৷”
হাজ্জাজের কাছে যখন সিংহটি পৌছল, তখন তাকে তিনদিন অনাহারে রাখার জন্য নির্দেশ
দেওয়া হলো ৷ তারপর তাকে একটি বাগানে ছেড়ে দেওয়া হলো এবং জাহদারকে শৃত্খলাবস্থায়
তার ডান হাতকে গর্দানের সাথে বেধে রাখা হলো ৷ আর তার বাম হাতে একটি তলােয়া স্কুা
দেওয়া হলো ৷ সিংহ আর জাহদারের মধ্যে লড়াই ৰ্বাধিয়ে দেওয়া হলো ৷ হাজ্জাজ ও তার
সাথীরা একটি গ্যালাবীতে বসে দৃশ্য উপভোগ করতে লাগল ৷ জাহদার সিংহটির দিকে অগ্রসর
হলো এবং সে বলছিল, “দুটি সিংহ খুব সংকীর্ণ জায়গার মধ্যে মুকাবিলা করছে ৷ দুটোই
সমুন্নত নাকের অধিকারী ৷ তারা অত্যন্ত কঠিন ও বীরত্পুর্ণ সংঘর্ষে লিপ্ত ৷ যদি আল্পাহ্ তাআলা


الْكَلَامِ؟ خِبْتَ وَضَلَّ سَعْيُكَ. فَقَالَ لِلْحَرَسِ: خُذُوهُ. فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ خُطْبَتِهِ قَالَ لَهُ: مَا الَّذِي جَرَّأَكَ عَلَيَّ؟ فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا حَجَّاجُ أَنْتَ تَجْتَرِئُ عَلَى اللَّهِ وَلَا أَجْتَرِئُ أَنَا عَلَيْكَ! وَمَنْ أَنْتَ حَتَّى لَا أَجْتَرِئَ عَلَيْكَ، وَأَنْتَ تَجْتَرِئُ عَلَى اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ؟ فَقَالَ: خَلُّوا سَبِيلَهُ. فَأُطْلِقَ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: أُتِيَ الْحَجَّاجُ بِأَسِيرَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَأَمَرَ بِقَتْلِهِمَا، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: إِنَّ لِي عِنْدَكَ يَدًا. قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: ذَكَرَ ابْنُ الْأَشْعَثِ يَوْمًا أُمَّكَ، فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ. فَقَالَ: وَمَنْ يَشْهَدُ لَكَ؟ قَالَ: صَاحِبِي هَذَا. فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَفْعَلَ كَمَا فَعَلَ؟ قَالَ: بُغْضُكَ. قَالَ: أَطْلِقُوا هَذَا لِصِدْقِهِ، وَهَذَا لِفِعْلِهِ، فَأَطْلَقُوهُمَا. وَحَكَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ الْحَجَّاجَ نَادَى فِي الْبَلَدِ; أَنَّ مَنْ خَرَجَ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ مِنْ بَيْتِهِ قُتِلَ، فَأُتِيَ لَيْلَةً بِرَجُلٍ، فَقَالَ: مَا أَخْرَجَكَ مِنْ بَيْتِكَ هَذِهِ السَّاعَةَ مِنْ بَعْدِ مَا سَمِعْتَ الْمُنَادِيَ؟ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَا أَكْذِبُ الْأَمِيرَ، إِنَّ أُمِّي مَرِيضَةٌ هَالِكَةٌ، وَأَنَا عِنْدَهَا مُنْذُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَلَمَّا كَانَ السَّاعَةُ أَفَاقَتْ، وَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ إِنِّي أَعْزِمُ عَلَيْكَ بِحَقِّي عَلَيْكَ إِلَّا مَضَيْتَ إِلَى أَهْلِكَ وَأَوْلَادِكَ، فَإِنَّهُمْ مَغْمُومُونَ بِتَخَلُّفِكَ عَنْهُمْ. فَخَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهَا، فَأَخَذَنِي الْعَسَسُ وَأَتَوْا بِي إِلَيْكَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: نَنْهَاكُمْ وَتَعْصُونَنَا. ثُمَّ أَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. قَالَ: ثُمَّ أُتِيَ بِآخَرَ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: مَا أَخْرَجَكَ هَذِهِ السَّاعَةَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَكْذِبُكَ، إِنَّهُ كَانَ عِنْدِي
পৃষ্ঠা - ৭৪১৪
لِرَجُلٍ دَرَاهِمُ فَأَقْعَدَنِي عَلَى بَابِهِ وَلَزِمَنِي، وَقَالَ: لَا أُفَارِقُكَ إِلَّا بِحَقِّي. فَلَمَّا كَانَ هَذِهِ السَّاعَةُ دَخَلَ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَأَغْلَقَ بَابَهُ، وَتَرَكَنِي عَلَى بَابِهِ، فَجَاءَنِي طَائِفُكَ فَأَخَذَنِي إِلَيْكَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: اضْرِبُوا عُنُقَهُ. قَالَ: ثُمَّ أُتِيَ بِآخَرَ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَخْرَجَكَ هَذِهِ السَّاعَةَ؟ فَقَالَ: كُنْتُ أَشْرَبُ مَعَ قَوْمٍ، فَلَمَّا سَكِرْتُ خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِمْ وَأَنَا لَا أَدْرِي، فَأَخَذُونِي إِلَيْكَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ لِرَجُلٍ كَانَ عِنْدَهُ: مَا أَرَاهُ إِلَّا صَادَقًا. ثُمَّ قَالَ: خَلُّوا سَبِيلَهُ. فَخَلَّوْا سَبِيلَهُ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادِ بْنِ الْأَعْرَابِيِّ فِيمَا بَلَغَهُ أَنَّهُ كَانَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: جَحْدَرُ بْنُ مَالِكٍ. وَكَانَ فَاتِكًا بِأَرْضِ الْيَمَامَةِ، فَأَرْسَلَ الْحَجَّاجُ إِلَى نَائِبِهَا يُؤَنِّبُهُ وَيَلُومُهُ عَلَى عَدَمِ أَخْذِهِ، فَمَا زَالَ نَائِبُهَا فِي طَلَبِهِ حَتَّى أَسَرَهُ، وَبَعَثَ بِهِ إِلَى الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا كُنْتَ تَصْنَعُهُ؟ فَقَالَ: جَرَاءَةُ الْجَنَانِ، وَجَفَاءُ السُّلْطَانِ، وَكَلْبُ الزَّمَانِ، وَلَوِ اخْتَبَرَنِي الْأَمِيرُ لَوَجَدَنِي مِنْ صَالِحِ الْأَعْوَانِ، وَبُهْمِ الْفُرْسَانِ، وَلَوَجَدَنِي مِنْ أَصْلَحِ رَعِيَّتِهِ، وَذَلِكَ أَنِّي مَا لَقِيتُ فَارِسًا قَطُّ إِلَّا كُنْتُ عَلَيْهِ فِي نَفْسِي مُقْتَدِرًا. فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: إِنَّا قَاذِفُوكَ فِي حَائِرٍ فِيهِ أَسَدٌ عَاقِرٌ، فَإِنْ قَتَلَكَ كَفَانَا مُؤْنَتَكَ، وَإِنْ قَتَلْتَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪১৫

সন্দেহের পর্দা খুলে দেন , তাহলে বিজয়ী হবে তুরস্কের যথাযোপ্য আবাসের অধিকারী ৷ সিংহটি
যখন জাহদারের দিকে তাকাল, তখনপ্রকটভাবে গর্জন করতে লাগল, ৫হলে-দুলে চলতে লাগল
এবং তার দিকে অগ্রসর হতে লাগল ৷ যখন সে এক তীর পরিমাণ জায়গায় পৌছল, তখন
সিংহটি জাহদারের উপর প্রচণ্ডভাবে বাপিয়ে পড়ল ৷ জাহদার তলোয়ার দিয়ে তার মুকাবিলা
করল এবং তাকে প্রচণ্ড আঘাত করল ৷ তলোয়ারের মাথা তার আলজিভকে ছিদ্র করে ৫ফলল ৷
প্রচণ্ড বাতাসে উপড়িয়ে ফেলা তাবুর ন্যায় সিংহটি প্রচণ্ড আঘাত ৫খয়ে মাটিতে মৃত্যুর কোলে
লুটিয়ে পড়ল ৷ সিংহের প্রচণ্ড থাবার জন্যে এবং শিকলের প্রবল ঘর্ষণে জাহদারও ক্লান্ত হয়ে
নিচে পড়ে গেল ৷ তখন হুহ্জ্জাজ় ও তার সাথীরা আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিল ৷ আর জাহদার
বলতে লাগলেন, “হে সুন্দর! তুমি যদি অন্ধকার ও ধুলিময় তয়াবহতার দিনে আমার দুরবস্থা
দেখতে ৷ এগিয়ে এসো এমন এক সিংহের জন্যে যে শৃত্খলাবস্থায় ও হাত প৷ বন্দী অবস্থায়
রয়েছে, যাতে তার কংকনসমুহ তার বের হয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আর প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না করে ৷
সিংহের থাবাগুলো রুক্ষ হয়ে গেছে, তার দীতগুলাে যেন কুড়ালের ঝাঝর৷ মুখ কিং×বা র্কাচের
শলাকার ধারের ন্যায় ৷ সিংহটি দুই চক্ষু নিয়ে উপরের দিকে তা ৷কাচ্ছে ৷ত তুমি ৫দখরে দুই চক্ষুর
মধ্যে বাতাসমিশ্রিত ধুলাবালি যেন বাতির শিখার ন্যায় ঝলমল করছে ৷ মনে হয় যেন তার
উপর তালিওয়ালা জামা ৫সলা করে দেওয়া হয়েছে অথবা মোটা ৫রশমী কাপড়ের টুকরোগুলো
তার উপর সংযুক্ত করা হয়েছে ৷ নিশ্চয়ই তুমি জানতে ত৫পরেছ যে, আমি মর্যাদাবান সংরক্ষণের
অধিকারী ও মহিমাঘিত সম্প্রদায়ের বংশধরতুক্ত ৷”
তারপর হাজ্জাজ তাকে ইখতিয়ার দিল যদি সে চায় তাহলে সে হাজ্জাজের কাছে থাকতে
পারে ৷ আর যদি সে চায় তাহলে নিজের দেশে বা শহরে চলে যেতে পারে ৷ সে হাজ্জাজের
কাছে থাকাট ই পসন্দ করল ৷ হাজ্জাজত তাকে উত্তম পুরস্কার দিল ও সম্পদ দান করল ৷ তবে
হাজ্জাজ একদিন হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বং ×শধরের মধ্যে গণ্য
করতে অস্বীকার করল ৷ কেননা, তিনি হলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এৱ কন্যার সন্তান ৷ ইয়াহ্ইয়া
ইবন ইয়াসার হাজ্জাজকে বলল, তুমি মিথ্যা বলছ ৷ হাজ্জাজ বলল, তুমি যা বলছ তার সপক্ষে
আল্লাহ্র কিতাব থেকে দলীল পেশ করতে হবে অথবা আমি তোমার গর্দান ৫মরে দেব ৷ এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে আনআমের ৮৪ ও ৮৫নং আয়াতদ্বয়ে বলেন ং



০ ’




৷ ; অপুটু ন্;স্ পু,ট্রু;ঠু ; ৷ছু,হ্র১;
অর্থাৎ এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক, ইয়াকুব ও তাদের প্রত্যেককে সৎপথে
পরিচালিত করেছিলাম ৷ পুর্বে হযরত নুহ (আ)-৫ক সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার
ৎশধর দাউদ (আ), সুলায়মান (আ), আয়ুব (আ), ইউসুফ (আ), মুসা (আ) ও হারুন
(আ)-৫কও আর এভাবেই সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করি এবং যাকারিয়া (আ) , ইযাহ্ইয়৷
(আ), ঈসা (আ) ও ইল্ইয়াস (আ)-৫কও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ৷ তারা সকলে
স্বজনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কাজেই, ঈসা (আ) ইব্রাহীম (আ)-এর বংশধরের অন্তর্ভুক্ত ৷ তিনি তার
মাতা মারইয়ামের অন্তর্ভুক্ত ৷ ইমাম আল-হুসায়ন (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যার সন্তান ৷
হাজ্জাজ তখন বলল, তুমি সত্যি রলেছ ৷ এরপর সে তাকে খুরাসানে নির্বাসন দিল ৷


خَلَّيْنَا سَبِيلَكَ. ثُمَّ أَوْدَعَهُ السِّجْنَ مُقَيَّدًا مَغْلُولَةً يَدُهُ الْيُمْنَى إِلَى عُنُقِهِ، وَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى نَائِبِهِ بِكَسْكَرَ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِ بِأَسَدٍ عَظِيمٍ ضَارٍ، وَقَدْ قَالَ جَحْدَرٌ هَذَا فِي مَحْبَسِهِ هَذَا أَشْعَارًا يَتَحَزَّنُ فِيهَا عَلَى امْرَأَتِهِ سُلَيْمَى أَمِّ عَمْرٍو، يَقُولُ فِي بَعْضِهَا: أَلَيْسَ اللَّيْلُ يَجْمَعُ أُمَّ عَمْرٍو ... وَإِيَّانَا فَذَاكَ بِنَا تَدَانِي بَلَى وَنَرَى الْهِلَالَ كَمَا تَرَاهُ ... وَيَعْلُوهَا النَّهَارُ إِذَا عَلَانِي إِذَا جَاوَزْتُمَا نَخَلَاتِ حَجْرٍ ... وَأَوْدِيَةَ الْيَمَامَةِ فَانْعَيَانِي وَقُولَا جَحْدَرٌ أَمْسَى رَهِينًا ... يُحَاذِرُ وَقْعَ مَصْقُولٍ يَمَانِي فَلَمَّا قَدِمَ الْأَسَدُ عَلَى الْحَجَّاجِ أَمَرَ بِهِ فَجُوِّعَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أُبْرِزَ إِلَى حَائِرٍ وَهُوَ الْبُسْتَانُ وَأَمَرَ بِجَحْدَرٍ، فَأُخْرِجَ فِي قُيُودِهِ وَيَدُهُ الْيُمْنَى مَغْلُولَةٌ بِحَالِهَا، وَأُعْطِيَ سَيْفًا فِي يَدِهِ الْيُسْرَى، وَخُلِّيَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْأَسَدِ، وَجَلَسَ الْحَجَّاجُ وَأَصْحَابُهُ فِي مَنْظَرَةٍ، وَأَقْبَلَ جَحْدَرٌ نَحْوَ الْأَسَدِ، وَهُوَ يَقُولُ: لَيْثٌ وَلَيْثٌ فِي مَجَالِ ضَنْكِ ... كِلَاهُمَا ذُو أَنَفٍ وَمَحْكِ وَشِدَّةٍ فِي نَفْسِهِ وَفَتْكِ ... إِنْ يَكْشِفِ اللَّهُ قِنَاعَ الشَّكِّ فَهْوَ أَحَقُّ مَنْزِلٍ بِتَرْكِ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ الْأَسَدُ زَأَرَ زَأْرَةً شَدِيدَةً، وَتَمَطَّى وَأَقْبَلَ نَحْوَهُ، فَلَمَّا صَارَ مِنْهُ عَلَى قَدْرِ رُمْحٍ وَثَبَ الْأَسَدُ عَلَى جَحْدَرٍ وَثْبَةً شَدِيدَةً، فَتَلَقَّاهُ جَحْدَرٌ بِالسَّيْفِ، فَضَرَبَهُ ضَرْبَةً حَتَّى خَالَطَ ذُبَابُ السَّيْفِ لَهَوَاتِهِ، فَخَرَّ الْأَسَدُ كَأَنَّهُ خَيْمَةٌ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৭৪১৬

হাজ্জাজ উত্তম ভাষাজ্ঞান ও উচ্চতর ভাষা জ্ঞানে জ্ঞানী হওয়া সত্বেও কুরআন শরীফের
অক্ষরসমুহে ভুল করত ৷ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন ইয়া মার তা অপসন্দ করতেন ৷ তন্মধ্যে একটি ভুল
হলো, যে সব সময় ইন্না ম কসুবাহকে ইন্না মাফ্তৃহায়ে পরিবর্তন করত ৷ আর ইন্না
মাফভুহাহুক ইন্ন৷ মাকসীরাহ্-এ পরিবর্তন করত এবং সে পড়ত ণ্ব্লু ,ান্ ৷ ;,া £ষ্টু, ৷ টুাট্রু


৷ পড়ত ৷ আল-আসমাঈ
ও অন্যরা বলেন, একদিন আবদুল মালিক হাজ্জাহুত্তরে কাছে একটি পত্র লিখলেন ৷ পরে তিনি

তাকে আমল, আল-ইয়াওম ও গাদ অর্থাৎ গতকাল, অদ্য ও আগামীকাল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা
করেন ৷ হাজ্জাজ দুতকে বলল, খুয়ায়লিদ ইবন ইয়াযীদ ইবনমুআবিয়া কি তার কাছে উপস্থিত
আছে ? দুত বলল, হয় ৷ তখন হাজ্জাজ আবদুল মালিকের কাছে লিখল ও আমৃসৃ অর্থ মৃত্যু,
,আল-ইয়াওম অর্থ আমল এবং গাদান অর্থ আশা-আকাংখ৷ ৷ ইবন দারীদ, আবু হাতিম আস
সিজিস্তানীর মাধ্যমে আবু উবায়দ মামার ইবন আল-ষুছান্না হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
হা জ্জাজ যখন ইবনুল আশআছকে হত্যা করে, তখন তার কাছে ইরাকের প্রশংসা করা হয় এবং,
সে ইরাকের লোকজনকে বেশী বেশী ভাতা প্রদান করে “৷ তখন আবদুল মালিক তার কাছে পত্র
লিখলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহর গ্রুংাৎসার পর সমাচার এই যে, আমীরুল মু’মিনীনের
কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, তুমি আজকাল একদিনে যা খরচ বন্মছ আমীরুল মুমিনীন তা
সাতদিনেও খরচ করেন না এবং তুমি এক সপ্তাহে যা খরচ করছ আমীরুল মু’যিনীন তা এক
মাসেও খরচ করেন না ৷ তারপর তিনি নীচের কবিতাটি আবৃত্তি করলেন, “সব ব্যাপড়াহুরই
তোমার উচিত মহান আল্লাহ্কে ভয় করা ৷ হে উরায়্দুঃা৷হ! তুমি মহান আল্লাহ্হুক ভয় কর ও
তার কাছে কাকুতি-মিনতি কর ৷ মুসলমানদের কর ও যুদ্ধলন্ধু সম্পদের পুরাপুরি হিসাব গ্রহণ
কর এবং তাদের জন্য একটি দুর্গ হিসাবে কাজ কর যা তাদেরকে আশ্রয় দেবে এবং তাদের
অধিকার সংরক্ষণ হবে ৷ হাজ্জাজ তখন আবদুল মালিকের কাছে পত্রেব জওয়ার লিখল, যা
নিম্নরুপং
আমার আযুর শপথ ৷ আপনার দুত আমার ক ছে আপনার পত্র নিয়ে পৌছেছে ৷ পত্রটি
কয়েক পৃষ্ঠা কাগজে লিখিত হয়েছে ৷ তারপর ছাপানো হয়েছে, যথাযথভাবে এটাকে ভাজ করা
হয়েছে ৷ যে পত্রের মধ্যে আমার জন্য রয়েছে নরম কথা ও শক্ত কথ৷ ৷ আমি তার থােক
নসীহত গ্রহণ করেছি ৷ আর নসীহত,বুদ্ধিমানের উপকারে আসে ৷ আমার সামনে অনেক সমস্যা
এসেছিল, এগুলোকে আমি সমাধান করছি কিংবা কোন সময় যেগুলোকে সাধ্যের বাইরে মনে
করেছি তাই এগুলো হতে আমি বিরত থাকছি ৷ যদি তাদের উপর আপনার শান্তি আপনি
আরোপ করেন তাহলে আমার তরফ থেকে তাদের জন্যে কোন উপকার সাধিত হবার লহুক্ষ্য
আমি এ ব্যাপারে (কানআগ্রহী হই না ৷ এ ব্যাপারে জনগণ খুশী থাকুক কিহ্বা এটাকে
অসন্তুষ্টির কারণ মনে করুক, তাতে কিছু আসেযায় না: ৷ আপনার সন্তুষ্টিই আমার একমাত্র
লক্ষ্য ৷ তাদের মধ্যে কারো আমি প্রশংসা করি কিং×বা কষ্ট দেই, এমনকি পালি দেই, তাতেও
কিছুআসে-যায় না ৷ ণ্এমন কতগুলো শহর আমি অতিক্রম করেছিযেগুহুলাহুতশক্রতার ও
বিরোধিতাৱ আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল ৷ আপনি জানেন, তার মধ্য থেকে কিছু আমি সহ্য
করেছি আর বাকীগুলাে নিয়ে ধন্তাধস্তি করছি এমনকি মৃত্যুর কাছাকাছি হয়ে পড়েছি ৷ বিদ্রোহীরা
কত গুজব রটিয়েছে, সেগুলো আমি শুনেছি ৷ বিন্দু, আমি আত ত্কিত হ্ইনি ৷ আমা র পরিবর্তে
যদি অন্য কেউ প্রশাসক হতো, তাহলে সে ভয়ে ওষ্ঠাগত হতো ৷ বিদ্বোহীর৷ যখন তাদের কোন
একজ্যা সধ্থা মীর মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিহুয়ছিল, তখন তাদের জন্য
আমি শুধু আফসোস করেছিলাম, তবে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট খাকারও তান করিনি ৷ তাদের


صَرَعَتْهَا الرِّيحُ، مِنْ شِدَّةِ الضَّرْبَةِ، وَسَقَطَ جَحْدَرٌ مِنْ شِدَّةِ وَثْبَةِ الْأَسَدِ; وَشِدَّةِ مَوْضِعِ الْقُيُودِ عَلَيْهِ، فَكَبَّرَ الْحَجَّاجُ وَكَبَّرَ أَصْحَابُهُ، وَأَنْشَأَ جَحْدَرٌ يَقُولُ: يَا جُمْلُ إِنَّكِ لَوْ رَأَيْتِ كَرِيهَتِي ... فِي يَوْمِ هَوْلٍ مُسْدِفٍ وَعَجَاجِ وَتَقَدُّمِي لِلَّيْثِ أَرْسُفُ مُوَثَقًا ... كَيْمَا أُثَاوِرَهُ عَلَى الْأَحْرَاجِ شَثْنٌ بَرَاثِنُهُ كَأَنَّ نُيُوبَهُ ... زُرْقُ الْمَعَاوِلِ أَوْ شِبَاهُ زُجَاجِ يَسْمُو بِنَاظِرَتَيْنِ تَحْسَبُ فِيهِمَا ... لَهَبًا أَحَدُّهُمَا شُعَاعُ سِرَاجِ وَكَأَنَّمَا خِيطَتْ عَلَيْهِ عَبَاءَةٌ ... بَرْقَاءُ أَوْ خِرَقٌ مِنَ الدِّيبَاجِ لَعَلِمْتِ أَنِّي ذُو حِفَاظٍ مَاجِدٌ ... مِنْ نَسْلِ أَقْوَامٍ ذَوِي أَبْرَاجِ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى الْحَجَّاجِ، فَقَالَ: عَلِمَ النِّسَاءُ بِأَنَّنِي لَا أَنْثَنِي ... إِذْ لَا يَثِقْنَ بِغَيْرَةِ الْأَزْوَاجِ وَعَلِمْتُ أَنِّي إِنْ كَرِهْتُ نِزَالَهُ ... أَنِّي مِنَ الْحَجَّاجِ لَسْتُ بِنَاجِ فَعِنْدَ ذَلِكَ خَيَّرَهُ الْحَجَّاجُ إِنْ شَاءَ أَقَامَ عِنْدَهُ، وَإِنْ شَاءَ انْطَلَقَ إِلَى بِلَادِهِ، فَاخْتَارَ الْمَقَامَ عِنْدَ الْحَجَّاجِ، فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ وَأَعْطَاهُ أَمْوَالًا. وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ مَعَ فَصَاحَتِهِ وَبَلَاغَتِهِ يَلْحَنُ فِي حُرُوفٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَنْكَرَهَا يَحْيَى بْنُ يَعْمُرَ; مِنْهَا أَنَّهُ كَانَ يُبْدِلُ " إِنِ " الْمَكْسُورَةَ بِ " أَنِ " الْمَفْتُوحَةِ، وَعَكْسُهُ،
পৃষ্ঠা - ৭৪১৭
وَكَانَ يَقْرَأُ: {قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ} [التوبة: 24] إِلَى قَوْلِهِ: {أَحَبَّ إِلَيْكُمْ} [التوبة: 24] (التَّوْبَةِ: 24) فَيَقْرَؤُهَا بِرَفْعِ " أَحَبَّ ". وَأَنْكَرَ يَوْمًا أَنْ يَكُونَ الْحُسَيْنُ مِنْ ذُرِّيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِكَوْنِهِ ابْنَ بِنْتِهِ، فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ يَعْمُرَ: كَذَبْتَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: لَتَأْتِيَنِّي عَلَى مَا قُلْتَ بِبَيِّنَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَوْ لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ. فَقَالَ: قَالَ اللَّهُ: {وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ} [الأنعام: 84] إِلَى قَوْلِهِ: {وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى} [الأنعام: 85] (الْأَنْعَامِ: 84، 85) فَعِيسَى مِنْ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ، وَهُوَ إِنَّمَا يُنْسَبُ إِلَى أُمِّهِ مَرْيَمَ، وَالْحُسَيْنُ ابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: صَدَقْتَ. وَنَفَاهُ إِلَى خُرَاسَانَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ وَغَيْرُهُ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ يَسْأَلُهُ عَنْ أَمْسِ وَالْيَوْمَ وَغَدٍ، فَقَالَ لِلرَّسُولِ: أَكَانَ خُوَيْلِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ عِنْدَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ: أَمَّا أَمْسِ فَأَجَلٌ، وَأَمَّا الْيَوْمَ فَعَمَلٌ، وَأَمَّا غَدًا فَأَمَلٌ. وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ مَعْمَرِ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: لَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الْأَشْعَثِ، وَصَفَتْ لَهُ الْعِرَاقُ وَسَّعَ عَلَى النَّاسِ فِي الْعَطَاءِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ بَلَغَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّكَ تُنْفِقُ فِي الْيَوْمِ مَا لَا يُنْفِقُهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي الْأُسْبُوعِ، وَتُنْفِقُ فِي الْأُسْبُوعِ مَا لَا يُنْفِقُهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي الشَّهْرِ، ثُمَّ قَالَ مُنْشِدًا:
পৃষ্ঠা - ৭৪১৮

সরদারগণ যদি আমার প্রতিরক্ষার চেষ্টা না করত, তাহলে আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গই
নেকড়ে হিসেবে কাজ করত ও অনিষ্ট-সাধন করার জন্যে আমি হাত বাড়াতাম ৷ বর্ণনাকারী
বলেন : তখন আবদুল মালিক হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখলেন এবং বললেন, তোমার পসন্দমত
কাজ করে যাও ৷ আছ-ছাওরী মুহাম্মদ ইবনু মুসতাওরিদ আল-জামহী থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একদিন হাজ্জাজের কাছে একটি চােরকে আনা হলো ৷ হাজ্জাজ তাকে বলল,
“যদি তুমি অন্যায় কাজটি না করতে, তাহলে তোমাকে বিচারকের কাছেও আনা হতো না এবং
তিনিও তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলাে হতে একটি অঙ্গকে অকেজাে বলে ঘোষণা করতেন না ৷”
ণ্লাকটি বলল, “যখন সম্পদ কমে যায়, তখন প্রাণটিও সাহায্যকারীর দিকে ধাবিত হয় ৷”
হাজ্জাজ বলল, সত্যি বলেছ, আল্লাহর শপথ ! যদি এমন কোন গ্রহণযোগ্য উত্তম অজুহাত পাওয়া
যেত যার মাধ্যমে এ দণ্ডবিধিকে বাতিল করা যায়, তাহলে আমি তার জন্য সুযোগ হাতছাড়া
করতাম না ৷ হে যুবক ! তলোয়াৱ ধারাল আর তলোয়াৱ চালনাকারী লেড়াকও নিজের কর্তব্য
কাজ সম্পাদন করতে প্রস্তুত ৷ তারপর সে তার হাত কেটে দিল ৷ আবু বাকর ইবন মুজাহিদ
মুহাম্মদ ইবনুল জাহমের মাধ্যমে আল ফারা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ
একদিন আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের সাথে নাশৃতা গ্রহণ করেন ৷ যখন তাদের
দুইজনের নাশৃতা খাওয়া শেষ হলো ৷ তখন আল ওয়ালীদ (খলীফা) হাজ্জাজকে শরাব পান
করতে আহ্বান করল ৷ হাজ্জাজ বলল, হে আমীরুল মু মিনীন, আপনি যা হলোল মনে করেন,
তাই আমি হলোল মনে করি ৷ তবে আমি এ শরাব হতে ইরাকবাসীদের ও আমার
কার্যপরিষদের সদস্যদেরকে নিষেধ করি ৷ আর আমি সৎ বান্দার কথার বিরোধিতা করাকে
অপসন্দ করি ৷ আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে হ্রদের ৮৮নং আয়াতে ইরশাদ করেন :
ব্লুট্রুছু ন্হ্র ঢু;া

অর্থাৎ আমি তােমাদেরকে যা নিষেধ করি আমি তা নিজে করতে ইচ্ছে করি না ৷

উমর ইবন শিবাহ তার উন্তাদদের থেকে বর্ণনা করে বলেন, একদিন আবদুল মালিক
সম্পদ ব্যয়ে ও রক্তপাতে অতিরিক্ত করার জন্যে তিরস্কার করে হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখেন ও
বলেন, সমস্ত সম্পদ মহান আল্লাহ্র মালিকানাধীন আর আমরা তার পাহারাদার মাত্র ৷ কারোর
অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কিৎবা কাউকে অনর্থক দান করা একই কথা ৷ আর তিনি পত্রের
নিচেরাংশে নিম্নের কয়েকটি লাইন লিখে দেন ও যে সব কাজ করা আমি খারাপ মনে করি
সেগুলো যদি তুমি প্রত্যাখ্যান না কর, যে বস্তুকে আমি পসন্দ করি তা কার্যে পরিণত করে তুমি
আমার সন্তুষ্টি যদি চাও, তোমার যত লোক মহান আল্লাহ্র প্রতি ধাবিত হয়ে কোন কাজ
করতে যদি ভয় কর, তাহলে তুমি ঐ ব্যক্তির ন্যায় কাজ করলে যে দুধ দোহন করে তা নষ্ট
করে দেয় ৷ কাজেই তুমি যদি আমার থেকে কোন বিচ্ছিন্ন আকারের অলসতা লক্ষ্য কর,
তাহলে জেনে ব্লেখো, এটার উদাহরণ হলো, অনেক সময় পানি পানকারীর গলায় কোন সময়
পানি আটকিয়ে যায় ৷ আর যদি তুমি আমার থেকে কোন প্রকার মুর্থের ন্যায় আক্রমণ দেখ,
তাহলে মনে রাখবে এ ধরনের সব কাজেরই কর্তা আমি ৷ কাজেই, আমার থেকে যা কিছু
সংঘটিত হয় তার তুমি পুনরাবৃত্তি করো না ৷ যদি করে থাক, তবে এখন তা বন্ধ করে দাও ৷
সেই কাজের প্রতিক্রিয়া ভুমি একদিন জানতে পারবে ৷ হাজ্জাজ যখন এ পত্রটি পড়ল তখন

পত্রোত্তরে বলল, আল্লাহর প্রুণং সার পর সমাচার এই যে, আমার কাছে তা মীরুল মু ’মিনীনের
একটি পত্র পৌছেছে ৷ যেই পত্রে সম্পদ ব্যয়ে ও রক্তপাতে আমার অতিরিক্ত করার অভিযোগ

€০া৷া

عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي الْأَمْرِ كُلِّهِ ... وَكُنْ لِوَعِيدِ اللَّهِ تَخْشَى وَتَضْرَعُ وَوَفِّرْ خَرَاجَ الْمُسْلِمِينَ وَفَيْئَهُمْ ... وَكُنْ لَهُمُ حِصْنًا تُجِيرُ وَتَمْنَعُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ: لَعَمْرِي لَقَدْ جَاءَ الرَّسُولُ بِكُتْبِكُمْ ... قَرَاطِيسَ تُمْلَى ثُمَّ تُطْوَى فَتُطْبَعُ كِتَابٌ أَتَانِي فِيهِ لِينٌ وَغِلْظَةٌ ... وَذُكِّرْتُ وَالذِّكْرَى لِذِي اللُّبِّ تَنْفَعُ وَكَانَتْ أُمُورٌ تَعْتَرِينِي كَثِيرَةٌ ... فَأَرْضَخُ أَوْ أَعْتَلُّ حِينًا فَأَمْنَعُ إِذَا كُنْتُ سَوْطًا مِنْ عَذَابٍ عَلَيْهِمُ ... وَلَمْ يَكُ عِنْدِي بِالْمَنَافِعِ مَطْمَعُ أَيَرْضَى بِذَاكَ النَّاسُ أَوْ يَسْخَطُونَهُ ... أَمُ احْمَدُ فِيهِمْ أَمْ أُلَامُ فَأُقْذَعُ وَكَانَتْ بِلَادٌ جِئْتُهَا حِينَ جِئْتُهَا ... بِهَا كُلُّ نِيرَانِ الْعَدَاوَةِ تَلْمَعُ فَقَاسَيْتُ مِنْهَا مَا عَلِمْتَ وَلَمْ أَزَلْ ... أُصَارِعُ حَتَّى كِدْتُ بِالْمَوْتِ أُصْرَعُ وَكَمْ أَرَجَفُوا مِنْ رَجْفَةٍ قَدْ سَمِعْتُهَا ... وَلَوْ كَانَ غَيْرِي طَارَ مِمَّا يُرَوَّعُ وَكُنْتُ إِذَا هَمُّوا بِإِحْدَى قَنَاتِهِمْ ... حَسَرْتُ لَهُمْ رَأْسِي وَلَا أَتَقَنَّعُ فَلَوْ لَمْ يَذُدْ عَنِّي صَنَادِيدُ مِنْهُمُ ... تُقَسِّمُ أَعْضَائِي ذِئَابٌ وَأَضْبُعُ قَالَ: فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ أَنِ اعْمَلْ بِرَأْيِكَ. وَقَالَ التَّوْزِيُّ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُسْتَوْرِدِ الْجُمَحِيِّ، قَالَ: أُتِيَ الْحَجَّاجُ بِسَارِقٍ، فَقَالَ لَهُ: لَقَدْ كُنْتَ غَنِيًّا أَنْ يَأْتِيَكَ الْحُكْمُ، فَيُبْطِلَ عَلَيْكَ عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِكَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: إِذَا قَلَّ ذَاتُ الْيَدِ سَخَتِ النَّفْسُ بِالْمَتَالِفِ. قَالَ: صَدَقْتَ، وَاللَّهِ لَوْ كَانَ حُسْنُ اعْتِذَارٍ يُبْطِلُ
পৃষ্ঠা - ৭৪১৯
حَدًّا لَكُنْتُ لَهُ مُوضِعًا، يَا غُلَامُ، سَيْفٌ صَارِمٌ وَرَجُلٌ قَاطِعٌ. فَقَطَعَ يَدَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْجَهْمِ، عَنِ الْفَرَّاءِ قَالَ: تَغَدَّى الْحَجَّاجُ يَوْمًا مَعَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَلَمَّا انْقَضَى غَدَاؤُهُمَا دَعَاهُ الْوَلِيدُ إِلَى شُرْبِ النَّبِيذِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، الْحَلَالُ مَا أَحْلَلْتَ، وَلَكِنِّي أَنْهَى عَنْهُ أَهْلَ عَمَلِي، وَأَكْرَهُ أَنْ أُخَالِفَ قَوْلَ الْعَبْدِ الصَّالِحِ: {وَمَا أُرِيدُ أَنْ أُخَالِفَكُمْ إِلَى مَا أَنْهَاكُمْ عَنْهُ} [هود: 88] . وَقَالَ عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ، عَنْ أَشْيَاخِهِ، قَالَ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ يَعْتِبُ عَلَيْهِ فِي إِسْرَافِهِ فِي صَرْفِ الْأَمْوَالِ وَسَفْكِ الدِّمَاءِ، وَيَقُولُ لَهُ: إِنَّمَا الْمَالُ مَالُ اللَّهِ وَنَحْنُ خُزَّانُهُ، وَسِيَّانَ مَنْعُ حَقٍّ وَإِعْطَاءُ بَاطِلٍ. وَكَتَبَ فِي أَسْفَلِ الْكِتَابِ: إِذَا أَنْتَ لَمْ تَتْرُكْ أُمُورًا كَرِهْتَهَا ... وَتَطْلُبْ رِضَائِي فِي الَّذِي أَنَا طَالِبُهْ وَتَخْشَى الَّذِي يَخْشَاهُ مِثْلُكَ هَارِبًا ... إِلَى اللَّهِ مِنْهُ ضَيَّعَ الدُّرَّ جَالِبُهْ فَإِنْ تَرَ مِنِّي غَفْلَةً قُرَشِيَّةً ... فَيَا رُبَّمَا قَدْ غَصَّ بِالْمَاءِ شَارِبُهْ وَإِنْ تَرَ مِنِّي وَثْبَةً أُمَوِيَّةً ... فَهَذَا وَهَذَا كُلُّهُ أَنَا صَاحِبُهْ فَلَا تَعْدُ مَا يَأْتِيكَ مِنِّي فَإِنْ تَعُدْ ... تَقُمْ فَاعْلَمَنْ يَوْمًا عَلَيْكَ نَوَادِبُهْ فَلَمَّا قَرَأَهُ الْحَجَّاجُ كَتَبَ: أَمَّا بَعْدُ فَقَدْ جَاءَنِي كِتَابُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، يَذْكُرُ فِيهِ سَرَفِي فِي الْأَمْوَالِ وَالدِّمَاءِ، فَوَاللَّهِ مَا بَالَغْتُ فِي عُقُوبَةِ أَهْلِ الْمَعْصِيَةِ وَلَا قَضَيْتُ حَقَّ أَهْلِ الطَّاعَةِ، فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ سَرَفًا فَلْيُحِدَّ لِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ حَدًّا أَنْتَهِي
পৃষ্ঠা - ৭৪২০


আনা হয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি কোন অপরাধীর শাস্তি প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত করিনি এবং
অনুগতদের অধিকারও ক্ষুগ্ন করিনি ৷ আমি যা করছি আমীরুল মু’মিনীন যদি তা সীমা লংঘন
মনে করেন তাহলে তিনি যেন আমার জন্যে একটি সীমা নির্ধারণ করে দেন ৷ আমি সেই সীমা
পর্যন্ত পৌছব এবং তা অতিক্রম করব না ৷ হাজ্জাজ পত্রের নিচেরাংশে নিম্ন বর্ণিত কয়েক লাইন
কবিতা সংযোজন করে ৷ যদি আমি তোমার সন্তুষ্টি অম্বেষণ না করি এবং তোমাকে কষ্ট দেওয়া
থেকে বিরত থাকি, তাহলে আমার সেই দিনের তারকাগুলো অস্ত যাবে না (অর্থাৎ আমি শান্তি
পাব না) ৷ তোমার ব্যাপারে হাজ্জাজ যদি কোন ভুল করে ফেলে, তাহলে সকাল বেলাই তার
মধ্যে যে ভুলের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ৷ কোন নম্রতা প্রদর্শনকারীর সাথে যদি তুমি সন্ধি কর,
তাহলে আমিও তার সাথে সন্ধি করি ৷ আর যদি তুমি তার সাথে সন্ধি না কর, তাহলে আমি
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত ৷ যদি আমি কোন মোহরবান লোকের নসীহত শুনার জন্যে তার
নিকটবর্তী না হই ৷ আর তার শত্রুরা আমাকে বা পরামর্শ দেয় সে অনুযায়ী কাজ করি, তাহলে
কে আছে বর্তমানে আমাকে রক্ষা করবে ? আর ভবিষ্যতে আমার সামনে যেসব বিপদ-আপদ
আসবে তা কেটে যাওয়ার আশা করবে ৷ বিস্ময়কর ঘটনাবলীর আধার হলো মহাকাল ৷

ইমাম শাফিঈ (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিক পায় ইবন রাবীআকে বলেন, সে যেন হাজ্জাজকে হাজ্জাজ ও আল-ওয়ালীদের মধ্যে যে
সম্পর্ক, তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কি দুনিয়ার কোন উল্লেখযোগ্য সম্পদ পেয়েছে বলে মনে
করে ? কাজেই তাকে তিনি তার আদেশ মুতাবিক জিজ্ঞাসা করেন ৷ হাজ্জাজ তখন বলল,
আল্লাহর শপথ, আমার কর্তৃপক্ষের আনুগত্যের ব্যাপারে আমাকে পরীক্ষা করার বদলে লেবানন
অথবা সাইবেরিয়ার সমপরিমাণশ্ স্বর্ণ যদি আমার হাতে আসে যা আমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ
করব তা আমার কাছে অধিক প্রিয় নয় ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

পরািচ্ছদ

যে সব হিতসাধনকারী কথাবার্তা এবং দৃসােহসিক পদক্ষেপ তার থেকে
বর্ণিত রয়েছে

ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবনুল আলা আবু বাকরের মাধ্যমে আসিম হতে
বর্ণান করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি হাজ্জাজকে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি ৷ সে বলে,
যতদুর সম্ভব আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ এর মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দু নেই ৷ শুন এবং আমীরম্স মু’মিনীন
আবদুল মালিকের আনুগত্য কর ৷ এর মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্বন্দু নেই ৷ আল্লাহর শপথ, যদি আমি
লোকজনকে মসজিদের এ দরযা দিয়ে বের হতে হুকুম করি, আর তারা অন্য দরযা দিয়ে বের
হলো, তাহলে তাদের রক্ত ও মান আমার জন্যে হালাল হয়ে গেল ৷ আল্লাহর শপথ! যদি আমি
মুযার গোত্রের বিরুদ্ধে রাবীআ গোত্রকে পাকড়াও করি, তাহলে এটাও আমার জন্যে আল্লাহর
তরফ থেকে হালাল হয়ে যাবে ৷ আবদে হুযায়লের কোন ওযর আমার কাছে গ্রহণীয় নয় ৷
কেননা, তার কাছে মওজুদ কুরআনটি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে বলে যে মনে করে ৷
আল্লাহর শপথ, এটা আরবদের রচিত কবিতাসমুহের অংশ বিশেষ ৷ আল্লাহ তাআলা তার
নবীর উপর এটা অবতীর্ণ করেননি ৷ এ দ্বিপ্রহরের তীব্র গরমের অজুহাত আমার কাছে গ্রহণীয়
নয় ৷ এরুপ মতবাদের অনুসারীরা মনে করেন তাদের একজনকে পাথর দ্বারা নিক্ষেপ করা হবে,
তখন সে আমাকে বলবে, যদি পাথর পতিত হয় তাহলে কোন একটি বড় ঘটনা ঘটবে ৷


إِلَيْهِ، وَلَا أَتَجَاوَزُهُ. وَكَتَبَ فِي أَسْفَلِ الْكِتَابِ: إِذَا أَنَا لَمْ أَطْلُبْ رِضَاكَ وَأَتَّقِي ... أَذَاكَ فَيَوْمِي لَا تَوَارَتْ كَوَاكِبُهْ إِذَا قَارَفَ الْحَجَّاجُ فِيكَ خَطِيئَةً ... فَقَامَتْ عَلَيْهِ فِي الصَّبَاحِ نَوَادِبُهْ أُسَالِمُ مَنْ سَالَمْتَ مِنْ ذِي هَوَادَةٍ ... وَمَنْ لَمْ تُسَالِمْهُ فَإِنِّي مُحَارِبُهْ إِذَا أَنَا لَمْ أُدْنِ الشَّفِيقَ لِنُصْحِهِ ... وَأُقْصِ الَّذِي تَسْرِي إِلَيَّ عَقَارِبُهْ فَمَنْ يَتَّقِي يَوْمِي وَيَرْجُو إذًا غَدِي ... عَلَى مَا أَرَى وَالدَّهْرُ جَمٌّ عَجَائِبُهْ وَعَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ لِلْغَازِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنْ يَسْأَلَ الْحَجَّاجَ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ; هَلْ يَجِدُ فِي نَفْسِهِ مِمَّا أَصَابَ مِنَ الدِّمَاءِ شَيْئًا؟ فَسَأَلَهُ كَمَا أَمَرَهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي لُبْنَانَ أَوْ سَنِيرًا ذَهَبًا أُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَكَانَ مَا أَبْلَانِي اللَّهُ مِنَ الطَّاعَةِ. [فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ عَنِ الْحَجَّاجِ مِنَ الْكَلِمَاتِ النَّاقِصَةِ وَالْجَرَاءَةِ الْبَالِغَةِ] فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ عَنْهُ مِنَ الْكَلِمَاتِ النَّاقِصَةِ وَالْجَرَاءَةِ الْبَالِغَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ، وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: اتَّقَوْا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ لَيْسَ فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪২১


আল্লাহর শপথ, আমি তাদেরকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী অতীতের ন্যায় বিলুপ্ত করে দো বা ৷ বর্ণনাকা রী
বলেন, হাজ্জাজের উপরোক্ত মন্তব্য আমি আ মাব;শব কাছে উল্লেখ করলাম, তখন তিনি
বললেন, আল্লাহর শপথ, আমিও তার থেকে এরুপ শুনেছি ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটি আবু বাকর ইবন অাবু খায়ছামা আসিম ইবন আবু নজুদ এবং, আমাশ
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা দুইজনে হাজ্জাজকে এটা বলতে শুনেছেন ৷ এ বর্ণনায় আারো সংযুক্ত
আছে যে হাজ্জাজ বলে, আল্লাহর শপথ, যদি আমি তে আমাদেরকে আদেশ করি ণ্য, এ দরযা
দিয়ে বের হও, আর যদি তোমরা অন্য দরযা দিয়ে বের হও, তাহলে তোমাদের রক্ত আমার
জন্যে হালাল হয়ে যাবে ৷ আর যদি আমি কাউকে পাই যে, ইবন আবদের কিরাআত অনুযায়ী
কুরআন পাঠ করে, তাহলে আমি তার গর্দান মেরে দেবো ৷ আর ঐ কিরাআতটিকে শুকরের
পাজরের হাড় দিয়ে হলেও আমি কুরআন হতে ঘষে মিটিয়ে দিবাে ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটি অনুরুপভাবে আবুবাকর ইবন আয়াশ থেকে অনেকে বংনাি করেছেন ৷
অন্য এক বর্ণনায় আছে, হাজ্জাজ বলে আল্লাহর শপথ, যদি আমি আবদ হুযায়লকে নাপালে
পাই আমি তার পর্দা ন মেরে দিবাে ৷ এটা হাজ্জাজের একটি দুঃসাহস ৷ (আল্লাহ তা আলা তার
অমঙ্গল করুন), মন্দ কথা ও অবৈধ খুন-খারাবীর প্রতি পদক্ষেপ ৷ আমরা সাধারণত ইবন
মাসউদ (রা)#এর কিরাআত গ্রহণ থেকে বিরত থাকি ৷ কেননা, এটা হযরত উছমান (রা)-এর
সর্বসষ্মতিরুপে প্রণীত মুসহাফের কিরা আতের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ প্রকাশ থাকে যে ইবন মাসউদ
(রা) উছমান (রা) ও তার সমর্থকদের মতের প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছেন ৷ আল্পাহ্ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুবাশৃশির আসৃ-সালত ইবন দীনার থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজকে ওয়াসিত নামক এক শহরের মিন্বরে দাড়িয়ে বলতে শুনেছি ৷ সে
বলেছিল, আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসউদ মুনাফিকদের সরদার ৷ যদি আমি৩ তাকে কোন দিন নাগালের
মধ্যে পাই, তাহলে আমি তার রক্ত দিয়ে মাটিতে সেচ দিব ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তাকে
ওয়াসিতের মিম্বরে দাড়িয়ে সুরায়ে সোয়াদের ৩৫ নৎ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনেছি ৷ সে
তিলাওয়াত শ্রো ৰু,এ গ্রাট্রুধ্ অর্থাৎ হে আমার
প্রতিপালকা আমাকে র্দান কর এমন এক রাজ যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ না হয় ৷
হাজ্জাজ বলে, আল্লাহর শপথ, সুলায়মান পয়গম্বর ছিলেন একজন বড় হিংসুটে ৷ এটা একটি বড়
দুঃসাহসিক্ মন্তব্য যা তাকে কুফরীর দিকে ধাবিত করে ৷ আল্লাহ তার অমঙ্গল করুন ৷ তাকে
অপমানিত করুন ৷ আল্লাহ তাকে রহমত থেকে দুরে রাখুন ৷

আবু নুআয়ম বলেন, আল-আমাশ আমাদের কাছে ইবরাহীমেব মাধ্যমে আলকামা হতে
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন একজন লোক হযরত উমর ইবনুল পাতায়
(বা) এর কাছে আগমন করে এবং বলে আমি আপনার কাছে এমন এক ব্যক্তির নিকট হতে
এসেছি, যে কুরআন মুখস্থ (মুসহাফ বহিভু৩ ৩) পাঠ করে ৷ হযরত উমর (রা) ভীত হয়ে পড়েন
ও রাপাৰিত হন এবং বলেন, তোমার দুর্ভাগ্য ৷ লক্ষ কর তুমি কি বলছ ? ল্যেকটি বলল
আমি আপনার কাছে সত ত কথা বলছি ৷ হযরত উমর (রা) বললেন যে লোকটি কে ? ল্যোকটি
বলল, তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)৷ হযরত ৩উমর (রা) বলেন, এ বাপারে তার
চেয়ে অধিক হকদার আমি আর কাউকে মনে করি না ৷ এ বাপারে আমি তাযাকে এখনি
একটি হাদীস শুনাব ৷ একদিন আমরা হযরত আবু বকর (রা)-এর ঘরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্এব
ণ্কানপ্রয়ােজনীয় কাজে অধিক রাত জাগরণ করলাম ৷ তারপর আমরা রাসুলুল্পাহ (না)-এর

০০াা

مَثْنَوِيَّةٌ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا لَيْسَ فِيهَا مَثْنَوِيَّةٌ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَاللَّهِ لَوْ أَمَرْتُ النَّاسَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ فَخَرَجُوا مِنْ بَابٍ آخَرَ لَحَلَّتْ لِي دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، وَاللَّهِ لَوْ أَخَذْتُ رَبِيعَةَ بِمُضَرَ لَكَانَ ذَلِكَ لِي مِنَ اللَّهِ حَلَالًا، وَمَا عَذِيرِي مِنْ عَبْدِ هُذَيْلٍ يَزْعُمُ أَنَّ قُرْآنَهُ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا هِيَ إِلَّا رَجَزٌ مِنْ رَجَزِ الْأَعْرَابِ مَا أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَذِيرِي مِنْ هَذِهِ الْحَمْرَاءِ، يَزْعُمُ أَحَدُهُمْ يَرْمِي بِالْحَجَرِ فَيَقُولُ: إِلَى أَنْ يَقَعَ الْحَجَرُ حَدَثَ أَمْرٌ. فَوَاللَّهِ لَأَدَعَنَّهُمْ كَالْأَمْسِ الدَّابِرِ. قَالَ: فَذَكَرْتُهُ لِلْأَعْمَشِ، فَقَالَ: وَأَنَا وَاللَّهِ سَمِعْتُهُ مِنْهُ. وَرْوَرَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ وَالْأَعْمَشِ، أَنَّهُمَا سَمِعَا الْحَجَّاجَ قَبَّحَهُ اللَّهُ يَقُولُ ذَلِكَ، وَفِيهِ: وَاللَّهِ لَوْ أَمَرْتُكُمْ أَنْ تَخْرُجُوا مِنْ هَذَا الْبَابِ، فَخَرَجْتُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ، لَحَلَّتْ لِي دِمَاؤُكُمْ، وَلَا أَجِدُ أَحَدًا يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ إِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ، وَلَأَحُكَّنَّهَا مِنَ الْمُصْحَفِ وَلَوْ بِضِلْعِ خِنْزِيرٍ. وَرْوَرَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ بِنَحْوِهِ وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ: وَاللَّهِ لَوْ أَدْرَكْتُ عَبْدَ هُذَيْلٍ لَضَرَبْتُ عُنُقَهُ. وَهَذَا مِنْ جَرَاءَةِ الْحَجَّاجِ - قَبَّحَهُ اللَّهُ -
পৃষ্ঠা - ৭৪২২


সাথে বের হলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর (রা) ও আমার মধ্যখড়ানে হাটছিলের্ন, যখন
আমরা মসজিদে পৌছলাম, তখন দেখলাম, একজন লোক কুরআন পাঠ করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তার তিলাওয়াত ওনার জন্য দাড়িয়ে গেলেন ৷ তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল
(সা) ! আমি অধিক রাত করে ফেলছি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করলেন
অর্থাৎ চুপ থাক ৷ বর্ণনাকারী বলেন, ঐ ব্যক্তিটি কিরাআত পাঠ করল, রুকু করল, সিজদাহ্
করল, বসল, দৃআ৷ করল ও ইসতিগৃফার করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, তাকে তার অবস্থায়
ছেড়ে দাও ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, যে কুরআনকে সতেজ পড়তে চায় যেরুপ অবতীর্ণ
হয়েছে সে যেন ইবন উষ্মে আরব-এর কিরাআত পাঠ করে ৷ তখন আমার সাথী ও আমি
জানতে পারলাম যে, তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) ৷ এর পরদিন সকালে আমি
সৃসংবাদ দেবার জন্যে তার কাছে গেলাম ৷ তিনি বললেন, তোমার পুকেহ আবু বকর (বা)
আমার কাছে এ সংবাদ নিয়ে এসেছিলেন ৷ তখন হযরত উমর (রা) বলেন, যখনি আমরা কোন
প্রতিযোগিতা করেছি, তিনি আমাকে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দেন ৷ এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে
বর্ণিত রয়েছে ৷ হাবীব ইবন হাসৃসান, যায়দ ইবন ওয়াহবের মাধ্যমে উমর (বা) হতে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ শুবা ষুহায়র, খাদীজ, আবু ইসহাক ও আবু উবায়দের মাধ্যমে আবদুল্লাহ
হতেও হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ আসিম আবদুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন ৷ আছ-ছাওরী ও যায়িদাহ
আল আমাশ হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

আবু দাউদ (র) বলেন, উমর ইবন সাবিত, আবু ইসহাকের মাধ্যমে হুমায়র ইবন মালিক
হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-কে বলতে
শুনেছি ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পবিত্র মুখ থেকে সত্তরটি সুরা সংগ্নহ করেছি ৷
আর তখন যড়ায়দ ইবন ছাবিত ছিলেন ছোট ছোট ছোলামায়াদর সঙ্গী ও সাথী ৷ কাজেই, আমি
যা কিছু রাসুলুল্লাহ (সা)-এর পবিত্র মুখ থােক সংগ্রহ করেছি তা পরিত্যাগ করব না ৷
আছ-ছাওরী ও ইসরাফীল আবু ইসহাক থেকেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ অন এক বর্ণনায়
আছে তাবারানী উল্লেখ করেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
পবিত্র মুখ থেকে আমি সত্তরটি সুরা শিখেছি ৷ যায়দ ইবন ছাবিত মুসলমান হবার পুর্বে আমি
এগুলোকে মযবুত করে শিখেছি ৷ তার মাথায় ছিল চুলের বেশী ৷ সে ছেলেমেয়েদের সাথে খেলা
করত ৷ আবু দাউদ (বা) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতেও এ হাদীস বর্ণনা করেন এবং
তিনি উকবা ইবন আবু মুআয়তের বকরী চবাবার কাহিনীও উল্লেখ করেন ৷ তিনি আরো বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলছিলেন, তুমি শিক্ষিত যুবক ৷ তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর পবিত্র মুখ থেকে আমি সত্তরটি সুরা সংগ্রহ করেছি ৷ যার একটি সম্পর্কেও কেউ
আমার সাথে মতবিরোধ করেনি ৷

উপরোক্ত হাদীসকে আবু আব্যুব আল-আফরিকী ও আবু আওয়ানা আসিমের মাধ্যমে যুরর
হতে ও তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
বলেন, আমি তে ৷মাকে বিনা পর্দায় চলাচল ও তোমাকে নিষেধ না করা পর্যন্ত আমার গোপনীয়
কথাবার্তা গুনবার অনুমতি দিলাম ৷ আর এ হাদীস তার থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷

আত-তাবারানী আবদৃল্লাহ্ইবন শাদ্দাদ ইবন আল হাদ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বালিশ, মিসওয়াক, জুতা ও গোপন
তথ্যের বহনকারী ৷ অন্য এক ব্যক্তি আলকামা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি সিরিয়ার


وَإِقْدَامِهِ عَلَى الْكَلَامِ السَّيِّئِ وَالدِّمَاءِ الْحَرَامِ. وَإِنَّمَا نَقَمَ عَلَى قِرَاءَةِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِكَوْنِهِ خَالَفَ الْقِرَاءَةَ عَلَى الْمُصْحَفِ الْإِمَامِ، الَّذِي جَمَعَ النَّاسَ عَلَيْهِ عُثْمَانُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ رَجَعَ إِلَى قَوْلِ عُثْمَانَ وَمُوَافِقِيهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ، عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ عَلَى مِنْبَرِ وَاسِطٍ يَقُولُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَأْسُ الْمُنَافِقِينَ، لَوْ أَدْرَكْتُهُ لَأَسْقَيْتُ الْأَرْضَ مِنْ دَمِهِ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ عَلَى مِنْبَرِ وَاسِطٍ وَتَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: {وَهَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي} [ص: 35] قَالَ: وَاللَّهِ إِنْ كَانَ سُلَيْمَانُ لَحَسُودًا. وَهَذِهِ جَرَاءَةٌ عَظِيمَةٌ تُفْضِي بِهِ إِلَى الْكُفْرِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ وَأَخْزَاهُ، وَأَبْعَدَهُ وَأَقْصَاهُ. وَمِنِ الطَّامَّاتِ أَيْضًا مَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الطَّالْقَانِيُّ، ثَنَا جَرِيرٌ (ح) . وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ بَزِيعِ بْنِ خَالِدٍ الضَّبِّيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ الْحَجَّاجَ يَخْطُبُ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: رَسُولُ أَحَدِكُمْ فِي حَاجَتِهِ أَكْرَمُ عَلَيْهِ أَمْ خَلِيفَتُهُ فِي أَهْلِهِ؟ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ لَا أُصَلِّيَ خَلْفَكَ صَلَاةً أَبَدًا، وَإِنْ وَجَدْتُ قَوْمًا يُجَاهِدُونَكَ لَأُجَاهِدَنَّكَ مَعَهُمْ. زَادَ إِسْحَاقُ فِي حَدِيثِهِ: فَقَاتَلَ فِي الْجَمَاجِمِ حَتَّى قُتِلَ. فَإِنْ صَحَّ هَذَا عَنْهُ فَظَاهِرُهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪২৩


গমন করেছিলাম, তখন আমি আবুদ-দারদা’ (রা)-এর কাছে বসলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন,
তুমি কোথা হতে এসেছ ? আমি বললাম, আমি কুফাবাসীদের নিকট হতে এসেছি ৷ তিনি
বললেন, তোমাদের মধ্যে কি বালিশ ও মিসওয়াক বহনকারী রয়েছেন ?

আল-হারিছ ইবন আবু উসামা বলেন, আমাদেরকে আবু ওয়ায়িল হাদীস বর্ণনা করেন ৷
ন্ তিনি বলেন, আমি হুযায়ফা (র) হতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, সেখানে আবদৃল্লাহ্ইবন মাসউদ
(রা) দণ্ডায়মান ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংরক্ষণকারী সাহাবীগণ জেনে নিয়েছেন যে,
কিয়ামতের দিন ওয়াসীলা হিসেবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী নৈকট্য অর্জনকারী কে ৷ এ
হাদীস হুযায়ফা (বা) হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত রয়েছে ৷ যেমন শু’বাহ আবু ওয়ায়িলের মাধ্যমে
হুযইিফাহ (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ আবু ওয়ায়িল হতে আমি ইবন আবু রাশিদ, উবায়দাহ,
আবু সিনান আশৃ-শায়বানী, হার্কীম ইবন জুবায়র ও অন্যান্যগণ বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর
রহমান ইবন ইয়দ্বযীদ হুযায়ফা (র) থেকেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
আবু দাউদ আত-তায়ালিসী বলেন, আবু ইসহাক হতে শু’বাহ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন,
আমরা হুযায়ফা (র)-কে বললাম , আমাদেরকে এমন একটি লোক সম্পর্কে সংবাদ দিন যার
সীরাত ও পথ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সীরাত ও প্রদর্শিত পথের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ তা
হলে তাকে আমরা অনুসরণ করব ৷ হুযায়ফা (র) বললেন, আমি আর কাউকে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সীরাত ও প্রদর্শিত পথের সাথে ইবন উম্মে আবদ হতে আধ্কতর সামঞ্জস্যপুর্ণ জানি
না ৷ যাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরের দেওয়াল ঢেকে রাখবে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
সাহাবীগণের মধ্যে সংরক্ষণকারিগণ জেনে নিয়েছেন যে, ইবন উম্মে আবদ অর্থাৎ আবদুল্লাহ
ইবন মাসউদ (রা) আল্লাহর কাছে ওয়াসীলা হিসেবে তাদের চেয়ে অধিক নৈকট্য লাভ করেছে ৷

আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, তিনি হুযায়ফা ইবন আল-ইয়ামান (রা), যিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গোপন তথ্যের অধিকারী ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সম্পর্কে
এটাই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাণী ৷ কিন্তু হাজ্জাজ তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, ফখর করল,
তার সম্বন্ধে নানারুপ কথা রচনা করল, যা অগ্নি ও পাথর গিলে ফেলার সমতুল্য ৷ সে তার প্রতি
নিফাকের দুর্নাম ছড়িয়ে দিল এবং তার বর্ণিত কিরআতকে হুযায়লের রচিত কবিতা বলে
আখ্যায়িত করল ৷ সে বলল, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের কিরাঅড়াত কুরআন হতে শুকরের
পজ্যেরর হাড় দিয়ে হলেও মুছে দিতে হবে ৷ সে আরো বলল, যদি সে তাকে নাগালের ভিতরে
পায়, তাহলে সে তাকে হত্যা করবে ৷ বস্তুত সে অত্যন্ত খারাপ নিয়তের বশবর্তী হয়ে উপরোক্ত
সব গুনাহই অর্জন করল ৷

আফ্ফান বলেন, আমাদেরকে হাম্মাদ (রা) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে হাদীস
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য আরাক গাছের মিসওয়া-ক
সঞ্চাহ করছিলাম ৷ তখন বাতাস তার কাপড় অগােছালো করছিল এবং তার সরু পায়ের নলী
দেখা যাচ্ছিল ৷ তাতে উপস্থিত লোকেরা হাসি দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, তোমরা হড়াসছ
কেন ? তারা তখন বলল, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের সরু নলীর জন্যে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ করে বলছি, এ সরু নলীগুলাে কিয়ামতের দিন
পাল্লায় উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বেশী ভারী বলে গণ্য হবে ৷ উপরোক্ত হাদীস জারীর এবং আলী
ইবন আসিম মুগীরা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি উম্মে মুসার মাধ্যমে আলী ইবন আবু তালিব


كُفْرٌ إِنْ أَرَادَ تَفْضِيلَ مَنْصِبَ الْخِلَافَةِ عَلَى الرِّسَالَةِ، أَوْ أَرَادَ أَنَّ الْخَلِيفَةَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ أَفْضَلُ مِنَ الرَّسُولِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، ثَنَا أَبُو حَفْصٍ الثَّقَفِيُّ، قَالَ: خَطَبَ الْحَجَّاجُ يَوْمًا فَأَقْبَلَ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ: أَلَا إِنَّ الْحَجَّاجَ كَافِرٌ، ثُمَّ أَطْرَقَ فَقَالَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ كَافِرٌ. ثُمَّ أَطْرَقَ فَأَقْبَلَ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ: أَلَا إِنَّ الْحَجَّاجَ كَافِرٌ. فَعَلَ ذَلِكَ مِرَارًا، ثُمَّ قَالَ: كَافِرٌ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، ثَنَا ابْنُ شَوْذَبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ: بَيْنَمَا الْحَجَّاجُ يَخْطُبُنَا يَوْمًا، إِذْ قَالَ: الْحَجَّاجُ كَافِرٌ. قُلْنَا: مَا لَهُ؟ أَيُّ شَيْءٍ يُرِيدُ؟ قَالَ: الْحَجَّاجُ كَافِرٌ بِيَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ وَالْبَغْلَةِ الشَّهْبَاءِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَوْمًا لِلْحَجَّاجِ: إِنَّهُ مَا مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَهُوَ يَعْرِفُ عَيْبَ نَفْسِهِ، فَصِفْ لِي عَيْبَ نَفْسِكَ. فَقَالَ: اعْفِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَأَبَى، فَقَالَ: أَنَا لَجُوجٌ حَقُودٌ حَسُودٌ. فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: مَا فِي الشَّيْطَانِ شَرٌّ مِمَّا ذَكَرْتَ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ: إذًا بَيْنَكَ وَبَيْنَ إِبْلِيسَ نَسَبٌ. وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ نِقْمَةً عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ بِمَا سَلَفَ لَهُمْ مِنَ الذُّنُوبِ، وَالْخُرُوجِ عَلَى الْأَئِمَّةِ، وَخُذْلَانِهِمْ لَهُمْ، وَعِصْيَانِهِمْ وَمُخَالَفَتِهِمْ، وَالِافْتِيَاتِ
পৃষ্ঠা - ৭৪২৪


(বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ সালামাহ ইবন নাহশাল আবুয যারা-এর মাধ্যমে আবদুল্লাহ ইবন ’
মাসউদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন : তোমরা
আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাসউদের অঙ্গীকারকে দৃঢ়তাবে ধর ৷ এ হাদীস ইমাম তিরমিযী ও
তাবারানী উল্লেখ করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবন জাফর শু’বার মাধ্যমে আবু
ইসহাক থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আবুল আহওয়াযকে বলতে শুনেছি ৷
তিনি বলেন, যখন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) ইন্তিকাল করেন ৷ তখন আমি আবু মুসা ও
আবু মাসউদের কাছে উপস্থিত ছিলাম ৷ তাদের একজন অপর একজনকে বলছিলেন তুমি মনে
কর আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা ) তার ইনৃতিক৷ ৷লের পর তার মত কাউকে এ পৃথিবীতে রেখে
গেছেন ? জবাবে তিনি বলেন,৩ তার সম্বন্ধে যদি কিছু বলি, তাহলে বলতে হয়, যখন
আমাদেরকে পর্দার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হতো, তখন তাকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে
প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতো ৷ আর যখন আমরা অনুপস্থিত থাকতাম, তখন সে থাকত
হাযির ৷ আল আমাশ বলেন, তিনিই হলেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা ) ৷
আবু মুআবিয়া বলেন, আল-আমাশ আমাদেরকে যায়দ ইবন ওয়াহ্ব থেকে হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা ) আগমন করলেন এবং উমর (রা)
উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, ফিকাহ ব্া৷স্ত্র কতদুর পর্যন্ত পরিপুর্ণ হয়েছে ? উমর ইবন
হাফস বলেন আসিম ইবন আলী আমাদেরকে আবু আতিয়াহ্ হতে ৩হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন একদিন আবু মুসা আল আশআবী বলেন যতদিন পর্যন্ত হযরত মুহাম্মদ (সা) এবং
সাহাবীগণের মধ্য হা, ৩ ণ্বিশিষ্ট আ ৷লিম অর্থাৎঅ মাবদুল্পাহ্ ইবন মাসউদ (রা ) আমাদের মধ্যে
জীবিত থাকবে, আমাদেরকে কোন ৷বষয় সম্বন্ধে ৷:তামর৷ জিজ্ঞেস করো না ৷
জারীর আল-আ’মাশ হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি আমর ইবন উরওয়াহ-এর মাধ্যমে আবুল
ৰুখতারী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম হযরত আলী (রা)-কে বললেন,
হযরত মুহাম্মদ (সা)এর সাহাবীগণের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করুন ৷ তিনি
বললেন, কাদের থেকে ? তারা বললেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে হাদীস বর্ণনা করুন ৷
তখন হযরত আলী (বা) বললেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ পবিত্র কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান
অর্জন করেছেন ৷ তারপর তিনি শেষ প্রান্তে পৌছেছেন ৷ তিনি এ ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান লাভ
করেছেন ৷ আলী (র৷ ) হতে অন্য বংনিায় আছে, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ পবিত্র
কুরআন শিখেছেন, তারপর তিনি পবিত্র কুরআনের হিফাযত করেন এবং তার হিফাযত যথেষ্ট
বলে প্রমাণিত হয়েছে ৷ সাহাবায়ে কিরাতুমর মধ্য হতে যারা তার সম্বন্ধে জানত এবং তার জ্ঞান
বুদ্ধি সম্বন্ধে পরিচিত ছিল তারা আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন ৷৩ তারা স্বার্থবাদী ও সত্য
থেকে বিচ্যুত সদস্যদের থেকে অধিক সত্যবাদী ছিলেন এবং অনুসরণের ব্যাপারে অধিক
উপযুক্ত ছিলেন ৷ হাজ্জাজও অন্যান্য স্বার্থবাদীদের কখাবা৩ ৷ ও বাণীসমুহ ছিল অর্থহীন,
বানােয়৷ ৷ট ও মিথ্যা প্রলাপের অন্তর্ভুক্ত ৷ এগুলোর কিছু কিছু ছিল কুফরী ও ধর্মদ্রোইিতা ৷ হাজ্জাজ
ছিল হযরত ৩উছমান (রা) এর বং শবর ও বনু উমায়্যার অন্তর্ভুক্ত ৷ তাই সে৩ তাদের দিকে বেশী
ঝুকে পহ্ড়াছল এবং তাদের বিরোধিতা ৷কে কুফরী মনে করত ৩৷ আর বিরোধীদের রক্তকে হালাল
মনে করত ৷ এ ব্যাপারে কারো কোন তিরস্ক৷ ৷র তা ৷র কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না ৷
ভয়াবহ বিষয়াদির মধ্যে একটি হলো, যা আবু দা ৷উদ (র) বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
ইসহাক ইবন ইসমাঈল আত তালিকানী বুযায় ইবন খালিদ আযযাবী হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি হাজ্জাজকে খুতবা দিতে শুনেছি, সে তার থুতবাতে বলে,


عَلَيْهِمْ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ مَنْ حَدَّثَهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ حَصَبُوا أَمِيرَهُمْ فَخَرَجَ غَضْبَانَ، فَصَلَّى لَنَا صَلَاةً، فَسَهَا فِيهَا حَتَّى جَعَلَ النَّاسُ يَقُولُونَ: سُبْحَانَ اللَّهِ سُبْحَانَ اللَّهِ. فَلَمَّا سَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: مَنْ هَاهُنَا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ؟ فَقَامَ رَجُلٌ، ثُمَّ قَامَ آخَرُ، ثُمَّ قُمْتُ أَنَا ثَالِثًا أَوْ رَابِعًا، فَقَالَ: يَا أَهْلَ الشَّامِ، اسْتَعِدُّوا لِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ بَاضَ فِيهِمْ وَفَرَّخَ، اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ قَدْ لَبَسُوا عَلَيْهِمْ فَالْبِسْ عَلَيْهِمْ، وَعَجِّلْ عَلَيْهِمْ بِالْغُلَامِ الثَّقَفِيِّ، يَحْكُمُ فِيهِمْ بِحُكْمِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَقْبَلُ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَلَا يَتَجَاوَزُ عَنْ مُسِيئِهِمْ. وَقَدْ رَوَيْنَاهُ فِي كِتَابِ " مُسْنَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ " مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَذْبَةَ الْحِمَّصِيِّ، عَنْ عُمَرَ مِثْلَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ اللَّهُمَّ كَمَا ائْتَمَنْتُهُمْ فَخَانُونِي وَنَصَحْتُ لَهُمْ فَغَشُّونِي، فَسَلِّطْ عَلَيْهِمْ فَتَى ثَقِيفٍ الذَّيَّالَ الْمَيَّالَ يَأْكُلُ خَضِرَتَهَا، وَيَلْبَسُ فَرْوَتَهَا، وَيَحْكُمُ فِيهَا بِحُكْمِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: يَقُولُ الْحَسَنُ: وَمَا خُلِقَ الْحَجَّاجُ يَوْمَئِذٍ. وَرَوَاهُ مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৭৪২৫
الْحَدَثَانِ، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: الشَّابُّ الذَّيَّالُ أَمِيرُ الْمِصْرَيْنِ، يَلْبَسُ فَرْوَتَهَا، وَيَأْكُلُ خَضِرَتَهَا وَيَقْتُلُ أَشْرَافَ أَهْلِهَا، يَشْتَدُّ مِنْهُ الْفَرَقُ، وَيَكْثُرُ مِنْهُ الْأَرَقُ، وَيُسَلِّطُهُ اللَّهُ عَلَى شِيعَتِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْمَحْبُوبِيُّ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْعُودٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَ الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ لِرَجُلٍ: لَا مِتَّ حَتَّى تُدْرِكَ فَتَى ثَقِيفٍ. قِيلَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَا فَتَى ثَقِيفٍ؟ قَالَ: لَيُقَالَنَّ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: اكْفِنَا زَاوِيَةً مِنْ زَوَايَا جَهَنَّمَ. رَجُلٌ يَمْلِكُ عِشْرِينَ أَوْ بِضْعًا وَعِشْرِينَ - سَنَةً، لَا يَدَعُ لِلَّهِ مَعْصِيَةً إِلَّا ارْتَكَبَهَا، حَتَّى لَوْ لَمْ يَبْقَ إِلَّا مَعْصِيَةٌ وَاحِدَةٌ وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا بَابٌ مُغْلَقٌ لَكَسَرَهُ حَتَّى يَرْتَكِبَهَا، يَقْتُلُ بِمَنْ أَطَاعَهُ مَنْ عَصَاهُ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى السَّدِّيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ عُمَرَ بْنِ سِنَانٍ الْجَدَلِيَّةِ قَالَتْ: اسْتَأْذَنَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ عَلَى عَلِيٍّ فَرَدَّهُ قُنْبُرٌ فَأَدْمَى أَنْفَهُ، فَخَرَجَ عَلِيٌّ فَقَالَ: مَا لَكَ وَلَهُ يَا أَشْعَثُ؟ أَمَا وَاللَّهِ لَوْ بِعَبْدِ ثَقِيفٍ
পৃষ্ঠা - ৭৪২৬


তোমাদের মধ্যে কারোর কাছে তার প্রয়োজনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেশী সম্মানিত, না তার খলীফা
বেশী সম্মানিত ? তখন আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহ্র শপথ, আমি তোমার পিছনে আর
কখনও সালাত আদায় করব না ৷ আর যদি কোন সম্প্রদায়কে তােমাব বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
দেখতে পাই, তাহলে আমি তাদের সাথে যোগ দিয়েণ্ আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ ইসহাক
বলেন, তিনি পরে আল-জামাজিম যুদ্ধে অং শ্াগ্নহণ করেন এবং শাহাদতবরণ করেন ৷

উপরোক্ত হাদীস যদি শুদ্ধ হয়, তাহলে রিসালাতের উপর খিলাফতের মর্যাদাকে শ্রেষ্ঠত্হ্
প্রদান করে সে সরাসরি কুফরী করেছে ৷ অথবা বনুউমায়্যার খলীফাকে রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে
শ্রেষ্ঠ মনে করেও সে কুফরী করেছে ৷

আল-আসমাঈ বলেন, আবু আসিম আন-নাবীল আমাদেরকে আবু হাফস আছ-ছাকাফী
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন হাজ্জাজ খুতবা দিল ৷ তারপর সে তার
ডানদিকে ফিরল এবং বলল, সাবধান ! নিশ্চয়ই হাজ্জাজ কাফির ৷ তারপর চুপ রইল ৷ আবার
বলল, “নিশ্চয়ই হাজ্জাজ কাফির ৷ আবার চুপ রইল ও বামদিকে ফিরল এবং বলল, সাবধান ৷
নিশ্চয়ই হাজ্জাজ কাফির ৷ এরুপ সে কয়েকবার করল ৷ তারপর সে বলল, হে ইরাকের
বাসিন্দারা ! সে লাভ ও উঘৃয়৷ সম্পর্কে কাফির ৷

হাম্বল ইবন ইসহাক বলেন : হারুন ইবন মারুফ আমাদেরকে মালিক ইবন দীনার হতে
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন হাজ্জাজ খুতবা দিল এবং বলতে লাগল,“হড়াজ্জাজ
কাফির ৷” আমরা তখন বললাম, কী হলো ? এটার দ্বারা যে কী বুঝাতে চায় ? বর্ণনাকারী
বলেনঃ “হৰুজ্জাজ বুধবার সম্পর্কে এবং বলবান খচ্চব সম্পর্কে কাফির ৷”

(প্রচলিত কুসংষ্কাব সম্পর্কে) আল-আসমাঈ বলেন : আবদুল মালিক একদিন হাজ্জাজকে
বললেন : দুনিয়ার এমন কোন ব্যক্তি নেই যে নিজের দোষত্রুটি চিহ্ন ন৷ ৷ তাই তোমার
নিজের কি দোষ আছে ? হাজ্জাজ বলল, “আমাকে এ কথা প্রকাশ করা থেকে ক্ষমা করুন, (হ
আমীরুল মু’মিনীন !” খলীফ৷ অস্বীকার করেন ৷ তখন হাজ্জাজ বলল, “আমি বিবাদ সৃষ্টিকারী,
বিদ্বেষ পােষণকারী এবং হিংসুক ৷ আবদুল মালিক বললেন, শয়তানের মধ্যেও এরুপ মারাত্মক
ত্রুটি নেই যা তোমার মধ্যে আছে বলে তুমি উল্লেখ করেছ ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে তিনি
বলেন, “তাহলে তোমার আর শয়তানের মধ্যে পৈতৃক দিক থেকে তা ৷ত্মীয়ত৷ ৷রয়েছে ৷”

মােটের উপর ইরাকবাসীদের অতীত গুনাহ, ইমামগণের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন,
তাদের দ্বারা তাদের ইমাযগণের পর্বুদস্ততা, তাদের বিরোধিতা, তাদের অবাধ্যত৷ এবং তাদের
বিরুদ্ধে আঘাত হানা ইত্যাদি পাপাচারের শান্তি স্বরুপ তাদের মধ্যে হাজ্জাজের আবির্ভাব ঘটে ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন : “আমাদেরকে আবু সালিহ্ আবদুল্লাহ ইবন সালিহ্
মুআবিয়৷ ইবন সালিহ্-এর মাধ্যমে শুরায়হ্ ইবন উবায়দ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন এক ব্যক্তি হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এব কাছে আগমন করেন এবং তাকে
সংবাদ দেন যে, ইরাকের বাসিন্দারা তাদের আমীরের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করেছে ৷ হযরত

উমর (রা) রাগাম্বিত হয়ে বের হলেন এবং আমাদেরকে সালাত পড়ান ৷ তিনি সালাতে ভুল
করেন ৷ লোকজন বলতে লাগলেন, সুবহান৷ ল্লাহ্! সুবহানাল্লাহ্! যখন তিনি সালাম ফিরালেন
জনগণের প্রতি তিনি মুখ ফিরালেন এবং বললেন৪ এখান থেকে সিরিয়াবাসীদের থেকে তাই
না ? এক ব্যক্তি দাড়ালেন, তারপর অন্য একজন দাড়ালেন, এরপর আমি দ ড়ালাম ৷ আমি
তিন নম্বরে কিৎব৷ চার নম্বরে দীড়ালাম ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, হে সিরিয়াবাসীরা
ইরাকবাসীদেরকে শান্তি দেওয়ার জন্য তোমরা তৈরী হয়ে যাও ৷ কেননা , শয়তান তাদের মধ্যে


تَمَرَّسْتَ لَاقْشَعَرَّتْ شُعَيْرَاتُ اسْتِكَ. قِيلَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَمَنْ عَبْدُ ثَقِيفٍ؟ قَالَ: غُلَامٌ يَلِيهِمْ لَا يُبْقِي أَهْلَ بَيْتٍ مِنَ الْعَرَبِ إِلَّا أَلْبَسَهُمْ ذُلًّا. قِيلَ: كَمْ يَمْلِكُ؟ قَالَ: عِشْرِينَ إِنْ بَلَغَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَ الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ أَيُّوبَ، ثَنَا أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ التِّنِّيسِيُّ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَوْ جَاءَتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِخَبِيثِهَا وَجِئْنَا بِالْحَجَّاجِ لَغَلَبْنَاهُمْ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النُّجُودِ أَنَّهُ قَالَ: مَا بَقِيَتْ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ حُرْمَةٌ إِلَّا وَقَدِ ارْتَكَبَهَا الْحَجَّاجُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ: «إِنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا» ، وَقَدْ ذَكَرْنَا شَأْنَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، وَهُوَ الْكَذَّابُ الْمَذْكُورُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَقَدْ كَانَ يُظْهِرُ الرَّفْضَ أَوَّلًا، وَيُبْطِنُ الْكُفْرَ الْمَحْضَ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَهُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ هَذَا، وَقَدْ كَانَ نَاصِبِيًّا يُبْغِضُ عَلِيًّا وَشِيعَتَهُ فِي هَوَى آلِ مَرْوَانَ بَنِي أُمَيَّةَ، وَكَانَ جَبَّارًا عَنِيدًا مِقْدَامًا عَلَى سَفْكِ الدِّمَاءِ بِأَدْنَى شُبْهَةٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَلْفَاظٌ بَشِعَةٌ شَنِيعَةٌ ظَاهِرُهَا الْكُفْرُ كَمَا قَدَّمْنَا، فَإِنْ كَانَ قَدْ تَابَ مِنْهَا وَأَقْلَعَ عَنْهَا، وَإِلَّا فَهُوَ بَاقٍ فِي عُهْدَتِهَا، وَلَكِنْ قَدْ يُخْشَى أَنَّهَا رُوِيَتْ عَنْهُ بِنَوْعٍ مِنْ زِيَادَةٍ عَلَيْهِ; فَإِنَّ الشِّيعَةَ كَانُوا
পৃষ্ঠা - ৭৪২৭


ডিম পেড়েছে এবং বাচ্চা দিয়েছে ৷ হে আল্লাহ! তারা তাদের মধ্যে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করেছে ৷
তৃমিও তাদের মধ্যে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করো এবং তাদের মধ্যে ছাকাফী যুবকের সতৃর আবির্ভাব
ঘটাও ৷ যে তাদের মধ্যে জাহিলিয়াচতর ধারা অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করবে ৷ সে তাদের
মধ্যে ভাল চলাকদেরচক গ্রহণ ও কবুল করবে না ৷ আর তাদের অন্যায় অপরাধও ক্ষমার চোখে
চদখচব না ৷ এ হাদীস উমর ইবলুল খাত্তাৰ (রা)-এর মুসনাদ কিতাবে আবু আযুবা আল-
হিম্সী-এব সনচদ উমর (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করা হয়েছো

আবদুর রায্ষাক বলেন : আমাদেরকে জাফ্যা ইবন সুলায়মান, মালিক ইবন দীনারের
মাধ্যমে হযরত ইমাম হাসান (র) হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ হযরত হাসান (রা) বলেন, আলী
ইবন আবু৩ তালিব (রা) বচলচছন৪ হে আল্লাহ! আমি তাদেরকে যেমন করে বিশ্বাস করেছিলাম,

তারা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, আর আমি তাদেরকে নসীহত করেছিলাম তারা ন্

আমার সাথে প্রতারণা করেছিল ৷ তদ্রাপ তুমি তাদের উপর নীচ, হিৎসুচট, প্রতারক ছাক কাফী ,
যুবককে ক্ষমতা দান করো ৷ যে অন্যায়ভাবে তাদের শাক-সবজি খাবে, যে তাদের শ্ৰীলোকচদর
চাদর পরবে এবং তাদের মধ্যে জাহিলিয়াচতর রীতি-নীতি অনুযায়ী বিচার আচার পরিচালনা
করবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হাসান যখন বলছেন, সে সময় কিন্তু হাজ্জাজের আবির্ভাব ঘচটনি ৷
উক্ত হাদীসটি মুতামির ইবন সুলায়মানও আলী (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নীচমনা
যুবকটি বারবার অন্যায় সৎঘটনকায়ীদের আমীর, শ্রীলোকদের চাদর পরিধান করবে, তাদের
শাক সবজি খাবে, তাদের সম্মানিত লোকদেরচক হত্যা করবে ও তার থেকে ভয়ভীতি প্রকট
আকার ধারণ করবে ৷ জনগণের নিদ্রাহীনতা বৃদ্ধি পাবে এবং মহান আল্লাহ তাকে তার গোষ্ঠীর
উপর জয়যুক্ত করবে ৷

আল-হাফিয বায়হাকী দালায়য়িলুন নবুওয়াত’ নামক কিভাবে বলেন, আমাদেরকে আবু
আবদুল্লাহ্ আল হাফিয হাবীব ইবন আবু ছাবিত হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন
আলী (বা) এক ব্যক্তিকে বলেন, তুমি মরবে না যতক্ষণ না তুমি একজন ছ কাফী যুবকের
আবির্ভাব দেখতে পাবে ৷ চলাকটি বলল, ছাকাফী যুবকটি কি করবে ? হযরত আলী (রা)
বলেন, তাকে কিয়ামচতর দিন বলা হবে জাহান্নামের খানকাগুলো থেকে তোমার ন্যায় একটি
খানকা আমাদের জন্য যথেষ্ট ৷ এ লোকটি দুনিয়ার বিশ বছর কিৎবা তারও অধিককাল শাসন
করবে ৷ এমন কোন গুনাহ নেই যেটা সে করবে না ৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত একটি গুনাহ্ বাকী
থাকবে ৷ তার মধ্যে ও তার গুনাহের মধ্যে একটি বদ্ধ দরযা থাকবে সেটা ভাঙ্গার পরই যে
সেই গুনাহটির শিকার হবে ৷ সে তার অনুগত লোকদের দ্বারা বিদ্রোহী চলাকচদরকে হত্যা
করাবে ৷

আত তাবারানী বলেন, আল-কাসিম ইবন যাকারিয়া উচম্ম হাকিম বিনত উমর ইবন
সিনান আজ জাদালিয়া হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আল আশআছ ইবন কায়স
আলী (রা) এর কাচছ প্রবেশ করার অনুমতি চান ৷ তখন কুম্বার৩ তাকে প্রতিরোধ করে ৷
আল আশআছ তার নাচক আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে ৷ তখন হযরত আলী (রা)
বের হয়ে আসেন এবং বলেন, হে আল-আশআছ! তোমার ও তার মধ্যে কি ঘটনা ঘটচছ ?
খবরদারা আল্লাহর শপথ, যদি ছাকাফী যুবকের সাথে তোমার সংঘর্ষ বাধত তাহলে তোমার
নিস্নাৎশের ছোট ছোট চুলগুলাে কেচপ উঠত ৷ তাকে বলা হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন!
ছাকাফী যুবক চক ? তিনি বললেন এমন যুবক ত চাদর শাসক হবে, যার ফলে আরবের কোন
একটি পরিবার বাকী থাকচব না যায় সদস্যচদরচক সে অপদন্থ করবে না ৷ তাকে বলা হলো ,
কত বছর সে শাসন করবে ৷ তিনি বললেন, বিশ বছর ৷


يُبْغِضُونَهُ جِدًّا لِوُجُوهٍ، وَرُبَّمَا حَرَّفُوا عَلَيْهِ بَعْضَ الْكَلِمِ، وَزَادُوا فِيمَا يَحْكُونَهُ عَنْهُ بَشَاعَاتٍ وَشَنَاعَاتٍ. وَقَدْ رُوِّينَا عَنْهُ، أَنَّهُ كَانَ يَتَدَيَّنُ بِتَرْكِ الْمُسْكِرِ، وَكَانَ يُكْثِرُ تِلَاوَةَ الْقُرْآنِ، وَيَتَجَنَّبُ الْمَحَارِمَ، وَلَمْ يَشْتَهِرْ عَنْهُ شَيْءٌ مِنَ التَّلَطُّخِ بِالْفُرُوجِ، وَإِنْ كَانَ مُتَسَرِّعًا فِي سَفْكِ الدِّمَاءِ. فَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ وَحَقَائِقِ الْأُمُورِ وَسَائِرِهَا، وَخَفِيَّاتِ الصُّدُورِ وَضَمَائِرِهَا. وَقَالَ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجُرَيْرِيُّ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ طَرَارَا الْبَغْدَادِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ الْأَنْبَارِيُّ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ، ثَنَا عَوَانَةُ بْنُ الْحَكَمِ الْكَلْبِيُّ، قَالَ: دَخَلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ سَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: إِيهٍ إِيهٍ يَا أُنَيْسُ، يَوْمٌ لَكَ مَعَ عَلِيٍّ، وَيَوْمٌ لَكَ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَيَوْمٌ لَكَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَاللَّهِ لَأَسْتَأْصِلَنَّكَ كَمَا تُسْتَأْصَلُ الشَّأْفَةُ، وَلَأَدْمَغَنَّكَ كَمَا تُدْمَغُ الصَّمْغَةُ. فَقَالَ أَنَسٌ: إِيَّايَ يَعْنِي الْأَمِيرُ أَصْلَحَهُ اللَّهُ؟ قَالَ: إِيَّاكَ، سَكَّ اللَّهُ سَمْعَكَ. قَالَ أَنَسٌ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَاللَّهِ لَوْلَا الصِّبْيَةُ الصِّغَارُ مَا بَالَيْتُ
পৃষ্ঠা - ৭৪২৮


আল-বায়হাকী (র) বলেন, আল-হাকিম ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-গানী হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আষীয বলেন, যদি দুনিয়ার সকলে নিজেদের
কদর্যতা প্রকাশ করতে চায়, প্রতেকে নিজ নিজ কদর্যতা প্রদর্শন করতে আসে আমরাও
হাজ্জাজকে নিয়ে যদি প্রতিযোগিতায় অবতরণ করি, তাহলে আমরাই জয়লাভ করব ৷ আবু
বাকর ইবন আয়্যাশ আসিম ইবন আবুন নাজুদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ্র
কোন নিষিদ্ধ কাজ বাকী নেই যার শিকার হাজ্জাজ হয়নি ৷
পুর্বেও এ হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে যে, বনু ছাকীফে একজন মিথুক ও অন্য একজন
হত্যাযজ্ঞ পবিচালনাকারীর আবির্ভাব ঘটবে ৷ এ হাদীসে উল্লিখিত মিথ্যাবাদী ছিল
আল-মুখতার ৷ প্রথমত সে নিজেকে রাফিযী বলে প্রকাশ করে ৷ কিত্তু গোপনে সে ছিল কাফির ৷
আর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারী হলো আল-হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ, সে নাসিবী, আলী (রা) ও
তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে হিংসা-ৰিদ্বেষ পোষণ করত এবং বনু উমায়্যার মারওয়ান বংশধরব্দের
ভালবাসত ৷ আর সে ছিল আধিপত্য বিস্তারকারী ও অন্যায় পথে বিচরণকারী ৷ সামান্য সন্দেহের
বশবর্তী হয়ে রক্তপাত ঘটানোর জন্যে সে ছিল অগ্রগামী ৷ তার থেকে কদর্যপুর্ণ ও মন্দ
বাক্যালাপ বণিতি রয়েছে, যেগুলো কুফরী প্রকাশ করে ৷ তার কিছু বর্ণনা পুর্বেও দেওয়া হয়েছে ৷
যদি সেগুলো হতে সে তাওবা করে থাকে ও এগুলো থেকে বিরত থাকে, তাহলে অত্যন্ত ভাল
কথা ৷ অন্যথায় সে তার জঘন্য কুকর্মে বহাল বলেই চিহ্নিত থাকবে ৷ কিন্তু, অনেক সময়
আশংকা থাকে যে, তার থেকে যেসব কথাবার্তা বর্ণিত হয়েছে এগুলোকে অতিরঞ্জিত করা
হয়েছে ৷ কেননা, শীআ’রা বিভিন্ন কারণে তার প্রতি অত্যন্ত হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করত ৷
এমনকি অনেক সময় তারা তার কোন কোন কথাকে বিকৃত করে পরিবেশন করত ৷ আর তার
থেকে যেসব কথাবার্তা বর্ণনা করা হতো, তার সাথে বিভিন্ন জঘন্য ও কুরুচিসম্পন্ন বাক্যাদি
সংযোজন করত ৷ আমরা তার থেকে বর্ণনা পেয়েছি যে, সে মাদকদ্রব্য পরিহার করে চলত ও
অধিক সময় পর্যন্ত পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করত এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকত ৷
নারীঘটিত কোন কেলেঙ্কারির ঘটনা তার সাথে প্রসিদ্ধি লাভ করেনি যদিও সে রক্তপাতের
ব্যাপারে ছিল অত্যন্ত অগ্রগামী ৷ আল্লাহ্ তাআলা সঠিক তথ্য সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, হাজ্জাজের যেসব কাজ বিশুদ্ধরদ্বপে আমাদের কাছে
পৌছেছে তার রক্তপাত ঘটানোর কাজটি সর্বপ্ৰধান ৷ আর মহার্নঅল্লোহ্র কাছে তার শান্তি
পাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট ৷ তবে সে জিহাদ পরিচালনা ও বিভিন্ন শহর জয় করার প্রতি ছিল
অত্যন্ত আগ্রহী ৷ পবিত্র কুরআন চর্চাকারীদেরকে বিপুল সম্পদ প্রদানের ব্যাপারে তার বদান্যতা
প্রকাশ পেত ৷ সে কুরআন চর্চার খুব বেশী খরচ করত ৷ যখন সে মারা যায়, তখন সে মাত্র
৩০০ দিরহাম রেখে যায় ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আলমুআফী ইবন যাকারিয়া আল জারীরী ওরফে ইবন তার্বার আল-বাগদাদী বলেন,
আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবন আল-কাসিম আল-অড়াম্বারী আওয়ানা ইবনুল হাকাম আল-কালবী
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আনাস ইবন মালিক (বা) হাজ্জাজের কাছে
প্রবেশ করেন ৷ যখন তিনি তার সামনে দীড়ালেন, হাজ্জাজ তখন তাকে বলল, হিঃ হিঃ হে
আনাসা একদিন তুমি থাক আলী (রা)-এর সাথে আরেকদিন তুমি থাকে৷ আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়রের সাথে ৷ আবার অন্য একদিন থাক ইবনুল আশআছের সাথে ৷ আল্লাহ্র শপথ, আমি
তোমার চামড়া উঠায়ে নিব যেমন করে বকরীর চামড়া উঠায়ে নেওয়া হয় ৷ আর গাছের আঠা
যে রকম গুটিয়ে নেওয়া হয়, তোমাকে আমি এমনভাবে গুটিয়ে নিব ৷ হযরত আনাস (বা)


أَيَّ قِتْلَةٍ قُتِلْتُ، وَلَا أَيَّ مِيتَةٍ مِتُّ. ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ الْحَجَّاجِ فَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يُخْبِرُهُ بِمَا قَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ، فَلَمَّا قَرَأَ عَبْدُ الْمَلِكِ كِتَابَ أَنَسٍ اسْتَشَاطَ غَضَبًا، وَصَفَّقَ عَجَبًا، وَتَعَاظَمَ ذَلِكَ مِنَ الْحَجَّاجِ، وَكَانَ كِتَابُ أَنَسٍ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَمَّا بَعْدُ; فَإِنَّ الْحَجَّاجَ قَالَ لِي هُجْرًا، وَأَسْمَعَنِي نُكْرًا، وَلَمْ أَكُنْ لِذَلِكَ أَهْلًا، فَخُذْ لِي عَلَى يَدَيْهِ، فَإِنِّي أَمُتُّ بِخِدْمَتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصُحْبَتِي إِيَّاهُ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. فَبَعَثَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ وَكَانَ مُصَادِقًا لِلْحَجَّاجِ فَقَالَ لَهُ: دُونَكَ كِتَابَيَّ هَذَيْنِ فَخُذْهُمَا، وَارْكَبِ الْبَرِيدَ إِلَى الْعِرَاقِ، وَابْدَأْ بِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَادْفَعْ كِتَابِي إِلَيْهِ، وَأَبْلِغْهُ مِنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، قَدْ كَتَبْتُ إِلَى الْحَجَّاجِ الْمَلْعُونِ كِتَابًا، إِذَا قَرَأَهُ كَانَ أَطْوَعَ لَكَ مِنْ أَمَتِكَ. وَكَانَ كِتَابُ عَبْدِ الْمَلِكِ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ خَادِمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَّا بَعْدُ; فَقَدْ قَرَأْتُ كِتَابَكَ، وَفَهِمْتُ مَا ذَكَرْتَ مِنْ شِكَايَتِكَ الْحَجَّاجَ، وَمَا سَلَّطْتُهُ عَلَيْكَ، وَلَا أَمَرْتُهُ بِالْإِسَاءَةِ إِلَيْكَ، فَإِنْ عَادَ لِمِثْلِهَا اكْتُبْ إِلَيَّ بِذَلِكَ أُنْزِلْ بِهِ عُقُوبَتِي، وَتَحْسُنْ لَكَ مَعُونَتِي، وَالسَّلَامُ. فَلَمَّا قَرَأَ أَنَسٌ كِتَابَهُ وَأُخْبِرَ بِرِسَالَتِهِ قَالَ: جَزَى اللَّهُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَنِّي خَيْرًا، وَعَافَاهُ وَكَفَاهُ، وَكَافَأَهُ بِالْجَنَّةِ، فَهَذَا كَانَ ظَنِّي بِهِ وَالرَّجَاءَ مِنْهُ. فَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ لِأَنَسٍ:
পৃষ্ঠা - ৭৪২৯

বললেন, আমাকে ? আল্লাহ আমীরের প্রতি মঙ্গল করুন ৷ হাজ্জাজ বলল, হীড়া, হীড়া তোমাকে,
আল্লাহ যেন তোমার শ্রবণশক্তি অকেজাে করে দেয় ৷ আনাস (বা) বলেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলায়হিরাল্টিন অর্থাৎ আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে আল্লাহর দিকেই ফিরে
যেতে হবে ৷ আল্লাহর শপথ, যদি আমার ঘরে ছোট ছেলেমেয়ে না থাকত, তাহলে যে ধরনের
হত্যা তুমি আমাকে করতে অথবা যে ধরনের মৃত্যু আমি বরণ করতাম, তাতে আমি কোন
প্রকার দ্বিধাদ্ববুন্দুর আশ্রয় নিতাম না ৷ তারপর তিনি হাজ্জাজের কাছ থেকে বের হয়ে গেলেন
এবং তাকে হাজ্জাজ যেসব কথাবার্তা বলেছে তার বিবরণ দিয়ে তিনি আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ আবদুল মালিক যখন হযরত আনাস (রা)-এর পত্র পাঠ
করলেন তিনি রাগে টগবগ করতে লাগলেন, লাল মুর্তি ধারণ করলেন, হাজ্জাজের তরফ থেকে
এটাকে ধৃষ্টতা মনে করলেন ৷ আবদুল মালিকের কাছে প্রেরিত আনাস (রা)-এর পত্রটি ছিল
নিম্নরুপ : পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে ৷ আনাস ইবন মালিক হতে আমীরুল মৃ’মিনীন
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের প্রতি ৷ আল্লাহর প্রশংসা ও রাসৃলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি দরুদ
প্রেরণের পর সমাচার এই যে, হাজ্জাজ আমাকে বাজে কথা বলেছে এবং এমন মন্দ কথা
শুনিয়েছে যার যোগ্য আমি নই ৷ সে আমাকে মুখোমুখি পর্বুদস্ত করেছে ৷ আমি আজীবন
ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমত করেছি ও তাকে সঙ্গ দিয়েছি ৷ তোমার উপর আল্লাহর শান্তি ও
রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক ৷ তারপর আবদুল মালিক ইসমাঈল ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবনৃল
মুহাজিরকে হাজ্জাজের নিকট প্রেরণ করেন ৷ সে ছিল হাজ্জাজের বন্ধু ৷ তিনি তাকে বললেন, এ
দুটি পত্র তুমি গ্রহণ কর এবং ইরাকের দিকে রওয়ানা হয়ে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাহাবী
হযরত আনাস ইবন মালিক (রন্ব)-এর কাছে গমন কর ৷ তার কাছে আমার পত্রটি হস্তান্তর কর
এবং তার কাছে আমার সালাম পৌছে দাও ৷ আর তাকে বল : হে আবু হড়ামযা৷ অভিশপ্ত
হাজ্জাজের কাছে আমি একটি পত্র লিখেছি ৷ যখন সে আমার এ পত্রটি পড়বে তোমার বীদী
থেকেও তোমার কাছে বেশী অনুগত হয়ে যাবে ৷ আনাস ইবন মালিক (রা)-এর কাছে লিখিত
আবদুল মালিকের পত্রটিছিল লিম্নরুপ :

পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে আবদুল মালিক ইবন মড়ারওয়ান হতে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর খাদিম আনাস ইবন মালিক (রা)-এর প্রতি-আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর প্রতি দরুদ প্রেরণের পর সমাচার এই যে, আমি আপনার পত্রটি পড়েছি এবং
হাজ্জাজের বিরুদ্ধে আপনার যে অভিযোগ আছে তা আমি অনুধাবন করেছি ৷ আমি তাকে
আপনার উপর আধিপত্য স্থাপন করতে অনুমতি দেইনি এবং আপনার সাথে রুঢ় আচরণ
করতেও আমি তাকে আদেশ করিনি ৷ যদি সে তার কাজের পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে তার প্রতি
আমার শান্তি ও আপনার প্রতি ইহসান ও সাহায্য করার জন্যে আমাকে লিখবেন ৷ শুভেচ্ছাম্ভে ৷

আনাস (রা) যখন আমীরুল মুমিনীনের পত্রটি পড়লেন ও তার পয়গাম সম্বন্ধে অবহিত
হলেন, তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আমীজ্যে মু’মিনীনকে আমার জন্যে কল্যাণ দান
করুন, তাকে ক্ষমা করুন, তার প্রতি দৃষ্টি রাখুন এবং জান্নাতের মাধ্যমে তাকে প্রতিদান দিন ৷
এ ব্যাপারে তার প্রতি আমার ধারণা এবং আশাও অনুরুপ ছিল ৷ ইসমাঈল ইবন উবায়দৃল্লাহ্
হযরত আনাস (রা)-কে বলেন : হে আবু হামযা! হাজ্জাজ আমীরুল মু’মিনীনের কর্মচারী ৷
তোমার অথবা তোমার পরিবারের দ্বারা তার কাজ চলবে না ৷ তোমার জন্যে যদি সমাজে
একটি সুন্দর অবস্থার সৃষ্টি করে তোমাকে প্রদান করা হয়, তাহলে তুমি হাজ্জাজের নিকটবর্তী
হও এবং তার সাথে তাল ব্যবহার কর ৷ ফলে তার সাথে তোমার যিন্দিগী হবে সুখময় ও
শান্তিপুর্ণ ৷” আনাস (রা) বলেন, ইনশাআল্লাহ্, আমি সৃমধুর আচরণ করব ৷


يَا أَبَا حَمْزَةَ، إِنَّ الْحَجَّاجَ عَامِلُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَيْسَ بِكَ عَنْهُ غِنًى، وَلَا بِأَهْلِ بَيْتِكَ، وَلَوْ جُعِلَ لَكَ فِي جَامِعَةٍ ثُمَّ دُفِعَ إِلَيْكَ لَقَدَرَ أَنْ يَضُرَّ وَيَنْفَعَ، فَقَارِبْهُ وَدَارِهِ; تَعِشْ مَعَهُ بِخَيْرٍ وَسَلَامٍ. فَقَالَ أَنَسٌ: أَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. ثُمَّ خَرَجَ إِسْمَاعِيلُ مِنْ عِنْدِهِ فَدَخَلَ عَلَى الْحَجَّاجِ، فَلَمَّا رَآهُ الْحَجَّاجُ قَالَ: مَرْحَبًا بِرَجُلٍ أُحِبُّهُ وَكُنْتُ أُحِبُّ لِقَاءَهُ. فَقَالَ إِسْمَاعِيلُ: أَنَا وَاللَّهِ كُنْتُ أُحِبُّ لِقَاءَكَ فِي غَيْرِ مَا أَتَيْتُكَ بِهِ. فَتَغَيَّرَ لَوْنُ الْحَجَّاجِ، وَقَالَ: مَا أَتَيْتَنِي بِهِ؟ قَالَ: فَارَقْتُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَهُوَ أَشَدُّ النَّاسِ عَلَيْكَ غَضَبًا، وَمِنْكَ بُعْدًا. قَالَ: فَاسْتَوَى الْحَجَّاجُ جَالِسًا مَرْعُوبًا فَرَمَى إِلَيْهِ إِسْمَاعِيلُ بِالطُّومَارِ، فَجَعَلَ الْحَجَّاجُ يَنْظُرُ فِيهِ مَرَّةً وَيَعْرَقُ، وَيَنْظُرُ إِلَى إِسْمَاعِيلَ أُخْرَى، فَلَمَّا نَقَضَهُ قَالَ: قُمْ بِنَا إِلَى أَبِي حَمْزَةَ نَعْتَذِرُ إِلَيْهِ وَنَتَرَضَّاهُ. فَقَالَ لَهُ إِسْمَاعِيلُ: لَا تَعْجَلْ. فَقَالَ: كَيْفَ لَا أَعْجَلُ، وَقَدْ أَتَيْتَنِي بِآبِدَةٍ؟ وَكَانَ فِي الطُّومَارِ: إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، أَمَّا بَعْدُ; فَإِنَّكَ عَبْدٌ طَمَتْ بِكَ الْأُمُورُ فَسَمَوْتَ فِيهَا، وَعَدَوْتَ طَوْرَكَ، وَجَاوَزْتَ قَدْرَكَ، وَرَكِبْتَ دَاهِيَةً إِدًّا، وَأَرَدْتَ أَنْ تَبُورَنِي، فَإِنْ سَوَّغْتُكَهَا مَضَيْتَ قُدُمًا، وَإِنْ لَمْ أُسَوِّغْهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৩০
رَجَعْتَ الْقَهْقَرَى، فَلَعَنَكَ اللَّهُ عَبْدًا أَخْفَشَ الْعَيْنَيْنِ، مَنْقُوصَ الْجَاعِرَتَيْنِ، أَنَسِيتَ مَكَاسِبَ آبَائِكَ بِالطَّائِفِ، وَحَفْرَهُمُ الْآبَارَ، وَنَقْلَهُمُ الصُّخُورَ عَلَى ظُهُورِهِمْ فِي الْمَنَاهِلِ؟ يَا ابْنَ الْمُسْتَفْرِمَةِ بِعُجْمِ الزَّبِيبِ، وَاللَّهِ لَأَغْمِزَنَّكَ غَمْزَ اللَّيْثِ الثَّعْلَبَ، وَالصَّقْرَ الْأَرْنَبَ، وَثَبْتَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، فَلَمْ تَقْبَلْ لَهُ إِحْسَانَهُ، وَلَمْ تَجَاوَزْ لَهُ إِسَاءَتَهُ، جُرْأَةً مِنْكَ عَلَى الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ، وَاسْتِخْفَافًا مِنْكَ بِالْعَهْدِ، وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى رَأَتْ رَجُلًا خَدَمَ عُزَيْرَ بْنَ عِزْرَا وَعِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ لَعَظَّمَتْهُ وَشَرَّفَتْهُ وَأَكْرَمَتْهُ، فَكَيْفَ وَهَذَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ خَادِمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ سِنِينَ، يُطْلِعُهُ عَلَى سِرِّهِ، وَيُشَاوِرُهُ فِي أَمْرِهِ، ثُمَّ هُوَ مَعَ هَذَا بَقِيَّةٌ مِنْ بَقَايَا أَصْحَابِهِ، فَإِذَا قَرَأْتَ كِتَابِي هَذَا فَكُنْ أَطْوَعَ لَهُ مِنْ خُفِّهِ وَنَعْلِهِ، وَإِلَّا أَتَاكَ مِنِّي سَهْمٌ مُثْكَلٌ بِحَتْفٍ قَاضٍ، وَلِكُلِّ نَبَأٍ مُسْتَقَرٌّ، وَسَوْفَ تَعْلَمُونَ. وَقَدْ تَكَلَّمَ ابْنُ طَرَارَا عَلَى مَا وَقَعَ فِي هَذَا الْكِتَابِ مِنَ الْغَرِيبِ، وَكَذَلِكَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ أَئِمَّةِ اللُّغَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৩১


তারপর ইসমাঈল আনাস (রা)-এর কাছ থেকে বের হয়ে গেলেন এবং হাজ্জাজের কাছে
প্রবেশ করেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, এমন লোকঢিকে স্বাগতম যাকে আমি পসন্দ করি এবং তার
সাক্ষাতকেও পসন্দ করি ৷ ইসমাঈল তখন বললেন, আল্লাহ্র শপথ, আমিও তোমার সাক্ষাতকে
পসন্দ করি ৷ তবে আমি যে কাজ নিয়ে এসেছি তার মধ্যে নয় ৷ হাজ্জাজ বিবর্ণ হয়ে গেল এবং
ভয় করতে লাগল ৷ আর বলল, তুমি কি নিয়ে এসেছ ? ইসমাঈল বলেন, যখন আমি আমীরুল
মু’মিনীন থেকে বিদায় নেই তখন তাকে আমি তোমার উপর অত্যন্ত রাগান্বিত দেখেছি এবং
তোমার থেকে বহু দুরবর্তী তাকে আমি অনুভব করেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে
হাজ্জাজ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সোজা হয়ে বসল ৷ ইসমাঈল তার কাছে একটি পত্রের খাম নিক্ষেপ
করেছিল ৷ হাজ্জাজ পত্রের দিকে একবার তাকাল ও ঘর্মাক্ত বোধ করল ৷ আবার দ্বিতীয় বার
ইসমাঈলের দিকে তাকাল ৷ যখন সে শ্পত্রের খাম খুলল, বলতে লাগল আমাকে নিয়ে আবু
হামযার কাছে চল আমি তার কাছে অজুহাত পেশ করব ও তাকে রাযী করার ৷ ইসমাঈল
তাকে বলল, ব্যাপারটি নিয়ে এত তাড়াহুড়া করো না ৷ হাজ্জাজ বলল, কেমন করে তাড়াহুড়া
করব না তুমি আমার কাছে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপদ নিয়ে এসেছ ? আর তা হলো পত্রটির
মধ্যে ৷ পত্রটি ছিল নিম্নরুপ €
পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে ৷ আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক ইবন

মারওয়ানের পক্ষ থেকে আল-হাজ্জ ৷জ ইবন ইউসুফের প্রতি ৷ আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রতি দরুদ প্রেরণের পর সমাচার এই যে, তুমি এমন একটি লোক যার দরুন নানা
বিষয়াদি প্রকট আকার ধারণ করছে ৷ সেগুলোতে তুমি সিংহভাগ অৎশ নিয়েছ ও বস্তুগুলাের শেষ

সীমার পৌছেছ ৷ তুমিণ্; তামার সীমা লৎঘন করছ ৷ কঠিন বিপদ ডেকে এনেছ ৷ আর এটা
আমার উপরে প্রতিফলিত করার তুমি ইচ্ছে করেছ ৷ যদি আমি তােম কে এগুলোর ব্যাপারে
বৈধ মনে করি তাহলে তুমি দৃঢ়পদে অগ্রসর হয়ে, আর যদি আমি এগুলোকে বৈধ মনে না করি
তুমি বাধ্য হয়ে পিছু হটে আসবে ৷ কা ৷জেই তােমা র প্রতি ৩মহান আল্লাহর অভিশাপ ৷ তুমি এমন
একটি লোক যার দুই চোখ ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন এবৎ যে রক্ত৷ ক্ত দুই পাছার অধিকারী ৷৩ ৩মি কি
ভুলে গেছ তাইফে তোমার বাপ-দাদারা কী কাজ করত ? তারা কুয়া খনন করত এবং কুয়ার
পাড়ে পিঠের উপর পাথর বহন করত ৫াহ সংগমের সময় যোনিপথ সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া
শ্ৰীলোকের সন্তান আল্লাহর শপথ, চি৩ ৷বাঘ যেমন করে শিয়ালকে ধরে এবং বাজপাখী যেমন
করে খরগােশকে ধরে, ঠিক এমনিভাবে আমি তোমাকে কঠিন হস্তে ধরব ৷ আমাদের মাঝে
উপস্থিত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণের একজনের উপর তমি ঝাপিয়ে পড়েছ ৷ তুমি তার
প্রতি কোন ইহসান করলে না ও তার কোন অপরাধ ক্ষমা করলে না ৷ এটা মহা ন তা ৷ল্লাহ্র উপর

তামার ধৃষ্ট৩ তা প্রদর্শন এবং তোমার দারি হ্ পালনের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ব্যতীত অন্য কিছাং
নয় ৷ আল্লাহ্র শপথ, যদি ইয়াহুদী ও খৃন্টানরা কোন ব্যক্তিকে দেখত যে, সে উযায়র ইবন
আযরী ও ঈসা ইবন মারইয়াম-এর খিদমত করছে, তাহলে তারা তাকে সম্মান করত,
তাযীম-ণ্তায়ায করত ও মহব্বত করত ৷ এমনকি যদি ঐ ব্যক্তিকে দেখত, যে উযায়র
(আৰু)-এর গাধার খিদমত করছে কিৎবা ঈসা (আ) ও তার সঙ্গীদের খিদমত করছে, তাহলে
তারা তারও সম্মান করত এবৎ৩ — ৷যীম করত ৷ আর এটা কেমন যে, আনাস ইবন মালিক (রা)
আট বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খাদিম ছিলেন ৷৩ তাকে তার গোপনীয় কাজ সম্বন্ধে অবহিত
করতেন ৷ নিজের ব্যাপারে তিনি তার থেকে পরামর্শ নিতেন ৷ এতদ্ব্যভীত তিনি তার অবশিষ্ট
সাহাবীগণের মধ্যে সর্বশেষ সাহাবী হিসেবে গণ্য ৷ তুমি যখন আমার এ পত্রটি পড়বে তুমি তার


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّبَيْرِ يَعْنِي ابْنَ عَدِيٍّ قَالَ: «شَكَوْنَا إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ مَا نَلْقَى مِنَ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ: اصْبِرُوا; فَإِنَّهُ لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ عَامٌ أَوْ يَوْمٌ إِلَّا وَالَّذِي بَعْدَهُ شَرٌّ مِنْهُ، حَتَّى تَلْقَوْا رَبَّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ، سَمِعْتُهُ مِنْ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَهَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ وَهُوَ الثَّوْرِيُّ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «لَا يَأْتِي عَلَيْكُمْ زَمَانٌ إِلَّا وَالَّذِي بَعْدَهُ شَرٌّ مِنْهُ» الْحَدِيثَ. قُلْتُ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَرْوِي هَذَا الْحَدِيثَ بِالْمَعْنَى فَيَقُولُ: كُلُّ عَامٍ تَرْذُلُونَ. وَهَذَا اللَّفْظُ لَا أَصْلَ لَهُ، وَإِنَّمَا هُوَ مَأْخُوذٌ مِنْ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُصَلُّونَ فِيهِ عَلَى الْحَجَّاجِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي السَّفْرِ قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: وَاللَّهِ لَئِنْ بَقِيتُمْ لَتَمَنَّوُنَّ الْحَجَّاجَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قِيلَ لِلْحَسَنِ: إِنَّكَ تَقُولُ: الْآخِرُ شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ. وَهَذَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ الْحَجَّاجِ. فَقَالَ الْحَسَنُ: لَا بُدَّ لِلنَّاسِ مِنْ تَنْفِيسَاتٍ. وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ بَعَثَ الْحَجَّاجُ إِلَى الْحَسَنِ وَقَدْ هَمَّ بِهِ، فَلَمَّا قَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ، قَالَ: يَا حَجَّاجُ، كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ آدَمَ مِنْ أَبٍ؟ قَالَ: كَثِيرٌ. قَالَ: فَأَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩২

কাছে তার সোনা ও জুতা থেকে অধিক অনুগত হয়ে যাবে ৷ অন্যথায় আমার তরফ থেকে
তোমার কাছে এমন ডীরস্বরুপ শান্তি পৌছরে যা সৰ্বাবন্থার মৃত্যু ঘটাতে পারে ৷ আর এতিটি
বাণীরই একটি অবস্থান-স্থল রয়েছে ৷ অতি সহসায় তুমি সব কিছু জানতে পারবে ৷

উপরেক্তে পত্রে যে সব বিস্ময়কর ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে, সেগুলো সম্বন্ধে ইবন তার্বার
সমালোচনা করেছেন ৷ অনুরুপভাৰে ইবন কুতায়বার ন্যায় অন্যান্য ডাষাৰিদগণও এগুলো সম্বন্ধে
সমালােলো করেছেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী সুফিয়ানের মাধ্যমে মুবড়ায়র ইবন আদী
হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি আনাস ইবন মালিক (রা)এর কাছে
আগমন করলাম এবং হাজ্জাজের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ পেশ করলাম ৷ তখন তিনি
বললেন, তুমি ধৈর্য ধর ৷ ৷কননা, তোমাদের উপর বর্তমান সংকট থেকে অধিক প্রকট সহ্কট
কোন বছর কিংবা কাল কিংবা দিনে আসবে না ৷ তারপর তোমরা আল্লাহ-এর সাথে মিলিত
হবে ৷ আমি এ হাদীস তোমাদের রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে শুনেছি ৷ এ হাদীস ইমাম বুখারী (র)-ও
হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তেমোদের কাছে এর থেকে অধিক
খারাপ যুগ আসবে না ৷ আল্লামা ইবন কাহীব বলেন, উপরোক্ত হাদীস অর্থের সিংচ দিয়ে নাম
স্যপুর্ণ হিসেবে অনেকে বর্ণনা করেছেন এবং বলছেন ;-,:,§;;: ণ্ৰুষ্ র্দুাই সব সময় তোমরা কিছু
ন কিছু অপসন্দ বস্তুর কিত্বা হীনতার ও দীনতার সম্মুখীন হর্বে ৷ এ শব্দটির ৷কােন ভিত্তি সেই ৷
এটা হাদীসের অর্থ থেকে সংগৃহীত হয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পব্লিজ্ঞাত ৷

আল্লামা ইব ন কাহীর (র) বলেন, পুর্বে আমি হযরত আইশা (রা) কর্তৃক বর্ণিত ণ্ট্রুন্ন্ টুা’হ্র
,,fi§;: ব্যণীটি এেড্রু;গ্লু , ণ্প্রুদ্বুগ্লু একবার উল্লেখ করেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) হাতে বর্ণিত
এক রাণী আমি উপস্থাপন করছি ৷ হাদীসে রয়েছে ৷ক্ট্র ট্রু; ৷ট্রু ৰু -, এভ্রু; ণ্ প্রুট্রু র্দুগ্র প্রতিদিনই
তোমরা ইতর লােৰেল্ম সম্মুখীন হবে ৷ ইমাম আহমদ হতে ব্লু প্রুব্র , হিসেব্লুব বর্ণিত হওয়ারও
সস্তহ্ববনা রয়েছে ৷ বেনেনা , ইমাম আহমদের মত লোক ভিত্তিহীন £কান কথা বলেন না ৷ হাসান
বসরী (র) হতেও অনুরুপ বর্ণনা করা হয়েছে ৷ মহান আল্পাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ কাজেই
প্রমাণিত হলো যে এর ভিত্তি রয়েছে ঠু প্ব্র , হাদীস হিসেবে কিৎৰা পুর্বযুগের মনীষিগৰ্পুণর
বাণী হিসেবে ৷ যুগে যুগে মানুষ তা বর্ণনা করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত এ যুগে পৌছেছে ৷ প্রতিদিন
আমরা এ হাদীসের কার্যকারিতা লক্ষ্য করছি বরং প্রতিটি ঘন্টার এর সৃগব্ধি সৌরভিত হচ্ছে
বিশেষ করে তৈমুর সহ্য়ের সৎ টের পর ৷ আজকাল আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে দৈন্য লক্ষ্য করছি ৷
যারা চিম্ভা-তাবনা করেন তাদের কাছে বিষয়টি সহজে অনুমের ৷

সৃফিয়ান আছ-ছাওরী, ইসমাঈল ইবন আবু বালিদ-এর মাধ্যমে আশণ্শাবী (র) হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এমন এক যামানা আসবে যখন লােজেন হাজ্জাজের উপর দরুদ
পড়তে থাকবে ৷ আবু নৃআয়ম আৰুস সফর হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আশ-শাৰী
বলেছেন, আল্লাহ্ৱ শপথশ্ তোমরা যদি বেচে থাক তোমরা হাজ্জাজেব আকাত্তক্ষা করবে ৷
আস-আসমাঈ বলেন, হাসান বসরী
ন্ ,ৰুা৷ অর্থাৎ পরবর্তী পুর্ববভীব্লি চোর খারাপ ৷ রুিত্ত্ব হাজ্জাজেব পর এসেছেন হযরত উমর ইবন
আবদুস আঘীয (র ) ৷ হাসান বললেনৰু মানুষের একটু স্বস্তি প্রয়োজন ৷

মায়মুন ইবন মিহরান বলেন , একদিন হাজ্জাজ হাসান বসরীর কাছে লোক প্রেরণ করে ৷
আর তাকে সে হত্যা করার মনস্থু করে ৷ যখন তিনি হাজ্জাজের সামনে র্দাড়ালেন, তখন তিনি


هُمْ؟ قَالَ: مَاتُوا. قَالَ: فَنَكَّسَ الْحَجَّاجُ رَأْسَهُ، وَخَرَجَ الْحَسَنُ. وَقَالَ أَيُّوبُ السِّخْتِيَانِيُّ: إِنَّ الْحَجَّاجَ أَرَادَ قَتْلَ الْحَسَنِ مِرَارًا، فَعَصَمَهُ اللَّهُ مِنْهُ. وَقَدْ ذَكَرَ لَهُ مَعَهُ مُنَاظَرَاتٍ، عَلَى أَنَّ الْحَسَنَ لَمْ يَكُنْ مِمَّنْ يَرَى الْخُرُوجَ عَلَيْهِ، وَكَانَ يَنْهَى أَصْحَابَ ابْنِ الْأَشْعَثِ عَنْ ذَلِكَ، وَإِنَّمَا خَرَجَ مَعَهُمْ مُكْرَهًا، كَمَا قَدَّمْنَا، وَكَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ: إِنَّمَا هُوَ نِقْمَةٌ، فَلَا تُقَابَلُ نِقْمَةُ اللَّهِ بِالسَّيْفِ، وَعَلَيْكُمْ بِالصَّبْرِ وَالسَّكِينَةِ وَالتَّضَرُّعِ. وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الْخَضِرِ، عَنِ ابْنِ عَائِشَةَ قَالَ: أُتِيَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بِرَجُلٍ مِنَ الْخَوَارِجِ، فَقِيلَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ؟ فَأَثْنَى خَيْرًا، قَالَ: فَعُثْمَانَ؟ فَأَثْنَى خَيْرًا، حَتَّى قِيلَ لَهُ: فَمَا تَقُولُ فِي عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ؟ فَقَالَ: الْآنَ جَاءَتِ الْمَسْأَلَةُ، مَا أَقُولُ فِي رَجُلٍ الْحَجَّاجُ خَطِيئَةٌ مِنْ خَطَايَاهُ؟ وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْلِمٍ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ: أُتِيَ الْحَجَّاجُ بِامْرَأَةٍ مِنَ الْخَوَارِجِ، فَجَعَلَ يُكَلِّمُهَا وَهِيَ لَا تَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَلَا تَرُدُّ عَلَيْهِ كَلَامًا، فَقَالَ لَهَا بَعْضُ الشُّرَطِ: يُكَلِّمُكِ الْأَمِيرُ وَأَنْتِ مُعْرِضَةٌ عَنْهُ؟ فَقَالَتْ: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ أَنْ أَنْظُرَ إِلَى مَنْ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِ. فَأَمَرَ بِهَا فَقُتِلَتْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ كَيْفِيَّةَ مَقْتَلِ الْحَجَّاجِ لِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَمَا دَارَ بَيْنَهُمَا مِنَ الْكَلَامِ وَالْمُرَاجَعَةِ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৩

বললেন, হে হাজ্জাজা তোমার ওহযরত আদম (আ)-এর মধ্যে কতজন পিতা অতিবাহিত হয়ে
গিয়েছে ? সে বলল, বহু পিতা ৷ হাসান বললেন, তারা এখন কোথায় ? হাজ্জাজ বলল, তারা
মারা গেছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হাজ্জাজ মাথানত করল এবং হাসান বের হয়ে চলে গেলেন ৷

আয়ুদ্রব আস-সুখতিয়ানী বলেন, হাজ্জাজ হাসানকে হত্যা করারজন্য কয়েকবার ইচ্ছে
পোষণ করেছে ৷ কিন্তু আল্পাহ্ তাআলা তাকে তার থেকে রক্ষা করেন ৷ হাসানের সাথে
হাজ্জাজের কয়েকটি কথোপকথনের ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেন ৷ তবে হাসান ঐ ব্যক্তিগণের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যারা হাজ্জাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন পসন্দ করতেন না ৷ তিনি ইবনুল
আশআছের সাথীদেরকে আন্দোলন করতে নিষেধ করতেন ৷ তবে তিনি তাদের সাথে একবার
অনিচ্ছা সত্বেও সংগ্রামে বের হয়েছিলেন যা আমি পুর্বে বর্ণনা করেছি ৷ হাসান বলতেন, হাজ্জাজ
একটি গযৰ ৷ কাজেই, তলোয়ার দিয়ে মহান আল্লাহ্র গযবের মুকাবিলা হয় না ৷ কাজেই,
তোমাদের উচিত ধৈর্ষ ধরা ও শান্ত থাকা এবং মহান আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করা ৷
আল-হসােন ইবন আল-হাযারের মাধ্যমে ইবন দারীদ ইবন অইিশা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে একজন খারিজী লোককে উপস্থিত
করা হলো আর তাকে বলা হলো, তুমি আবু বকর (বা) এবং উমর (রা) সম্পর্কে কি বল ? সে
তখন তাদের প্রশৎ সা সকরল ৷ তাকে হযরত উছমান (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো তখন সে
তার প্রশংসা করল ৷ এরপর তাকে বলা হলো, আলী (রা) সম্পর্কে তুমি কী বল ? সে তারও
প্রশং সা সকরল ৷ এভাবে খলীফাদের সম্পর্কে একজন একজন করে জিজ্ঞাসা করা হলো এবং
সেও তাদের প্রত্যেকের ব্যাপারে যথান্থযাগ্য প্রশংসা করল ৷ তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো,
তুমি আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান সম্পর্কে কি বল ? সে বলল, এখনি তাে সমস্যা দেখা
দিল ৷ আমি হাজ্জাজের কোন লোকের কোন দােষ-গুণ সম্পর্কে কিছুই বলব না ৷

আল-আসমাঈ ন্ আলী ইবন মুসলিম আল-বাহ্নিণী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন
এক খারিজী মহিলাকে হাজ্জাজের সামনে উপস্থিত করা হলো ৷ হাজ্জাজ তার সাথে কথা
বলছিল ৷ কিত্তু, মহিলা তার দিকে নযর করছিল না এবং তার কোন কথারও কোন উত্তর
দিল্লি না ৷ তখন তাকে একজন পুলিশ বলল, তোমার সাথে আমীর কথা বলছেন আর তুমি
তার থেকে পিছন ফিরে রয়েছ ? মহিলা বলল, আমি আল্লাহ্র কাছে লজ্জাবােধ করছি এমন
লোকটিৱ দিকে নযর করতে, যার দিকে আল্পাহ্ নযর করেন না ৷ তারপর মহিলাকে হত্যার
হুকুম দেওয়া হলো এবং সে নিহত হলো ৷

৯৪ হিজরীতে হাজ্জাজ কিভাবে সাঈদ ইবন জুবায়রকে হত্যা করেছিল, তাদের দুইজনের
মধ্যে কি কথাবার্তা ও বাদানুবাদের ঘটনা ঘটেছিল তা আমি বিস্তারিত বর্ণনা করেছি ৷

আবু বকর ইবন আবু খায়ছামা বলেন, আবু যাফার জাফর ইবন সুলায়মান বুস্তাম ইবন
মুসলিমের মাধ্যমে কাতাদা হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন সাঈদ ইবন
জুবায়রকে জিজ্ঞাসা করা হলো ৷ তুমি কি হাজ্জাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছ ? তিনি জবাবে
বললেন, আল্লাহ্র শপথ, আমি তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করি নাই যতক্ষণ পযন্ত না সে কুফরী
করেছে ৷ কথিত আছে যে, হাজ্জাজ সাঈদ ইবন জুবায়রের পর শুধুমাত্র এক ব্যক্তিকে হত্যা
করেছে যার নাম ছিল মাহান ৷ অথচ তার পুর্বে অনেক লোককে সে হত্যা করেছিল ৷ তাদের
অধিকাৎশই ইবনুল আশআছের সাথে মিলিত হয়ে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল ৷

আবু ঈসা আত তিরমিযী (র) বলেন, আবু দাউদ সুলায়মান ইবন মুসলিম আলবালখী,
আন-নাযর ইবন শুমায়লের মাধ্যমে হিশামপুে ইবন হাসান হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি


وَقَدْ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا أَبُو ظَفَرٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ بِسْطَامَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قِيلَ لِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ: خَرَجْتَ عَلَى الْحَجَّاجِ؟ قَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ عَلَيْهِ حَتَّى كَفَرَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَقْتُلْ بَعْدَهُ إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا اسْمُهُ مَاهَانُ، وَكَانَ قَدْ قَتَلَ قَبْلَهُ خَلْقًا كَثِيرًا، أَكْثَرُهُمْ مِمَّنْ خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ. وَقَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ الْبَلْخِيُّ، ثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، قَالَ: أَحْصَوْا مَا قَتَلَ الْحَجَّاجُ صَبْرًا فَبَلَغَ مِائَةَ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ قَحْذَمٍ، قَالَ: أَطْلَقَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ أَحَدًا وَثَمَانِينَ أَلْفَ أَسِيرٍ، وَعُرِضَتِ السُّجُونُ بَعْدَ الْحَجَّاجِ فَوَجَدُوا فِيهَا ثَلَاثَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا، لَمْ يَجِبْ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ قَطْعٌ وَلَا صَلْبٌ، وَكَانَ فِي مَنْ حُبِسَ أَعْرَابِيٌّ وُجِدَ يَبُولُ فِي أَصْلِ رَبَضِ مَدِينَةِ وَاسِطٍ، وَكَانَ فِي مَنْ أُطْلِقُ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: إِذَا نَحْنُ جَاوَزْنَا مَدِينَةَ وَاسِطٍ ... خَرَيْنَا وَصَلَّيْنَا بِغَيْرِ حِسَابِ وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ مَعَ هَذَا الْعُنْفِ الشَّدِيدِ لَا يَسْتَخْرِجُ مِنْ خَرَاجِ الْعِرَاقِ كَبِيرَ أَمْرٍ. قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৪


বলেন, হাজ্জাজ যত লোককে বন্দী করে হত্যা করেছিল তাদের একটি সংখ্যা ইতিহাসবিদপণ
উল্লেখ করেছেন আর তা হল এক লক্ষ বিশ হাজার ৷ আল-আসমাঈ বলেন, আবু আসিম
উব্বাদ ইবন কাহীরের মাধ্যমে কাহদাম হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সুলায়মান
ইবন আবদুল মালিক খলীফা হওয়ার পর একদিন সকাল বেলা ৮১ হাজার কয়েদীকে ছেড়ে
দেন ৷ যারা হাজ্জাজের কয়েদখানায় বন্দী ছিল ৷ আরো কথিত আছে যে, হাজ্জাজের বন্দীশালায়
৮০ হাজার লোক বন্দী ছিল ৷ তাদের মধ্যে ৩০ হাজার ছিল মহিলা ৷ হাজ্জাজের মৃত্যুর পর তার
কয়েকখানাগুলো পরিদর্শন করা হলে ৩৩ হাজার লোক এরুপ পাওয়া গেল যাদের মধ্যে কোন
নির্দিষ্ট অপরাধ কিত্বা শাস্তির অভিযোগ ছিল না ৷ যাদেরকে বন্দী করা হয়েছে তাদের মধ্যে এক
মরুবাসীকে পাওয়া গেল, যে ওয়াসিত শহরের গোয়াল ঘরের আশেপাশে প্রস্রাব করেছিল ৷
তাদের মধ্যে যে ছাড়া পেয়েছিল, ছাড়া পাওয়ার পর সে একটি কবিতা পাঠ করল ৷ যখন
আমরা ওয়াসিত শহর অতিক্রম করলাম, তখন অসংখ্য বার আমরা পড়ে গেলাম এবং সালাত
আদায় করলাম ৷

হাজ্জাজের উপরোক্ত অভ্যাচার-অবিচার সত্বেও সে ইরাক থেকে কোন উল্লেখযোগ্য
সরকারী কর আদায় করত না ৷ ইবন আবুদ দুনিয়া ও ইব্রাহীম আল-হারাবী বলেন,
আমাদেরকে সুলায়মান ইবন আবু সানড়াহ, সালিহ্ ইবন সুলায়মান হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয বলেছেন, যদি পৃথিবীর সম্প্রদায়গুলো নিজেদের
কদর্যতা প্রকাশ করার মনস্থু করে আর প্রত্যেক সম্প্রদায় তার কদর্যতা নিয়ে প্রতিযোগিতার
লক্ষে মাঠে নামে এবং প্রতিযোগিতার জন্য আমরাও হাজ্জাজকে নিয়ে মাঠে নামি, তাহলে
আমরাই জয়লাভ করবো ৷ হাজ্জাজ দুনিয়া কিংবা আখিরাত কােনটার জন্যে মঙ্গল বয়ে আনে
নাই ৷ সে ইরাকের শাসক নিযুক্ত হয়েছিল ৷ অঞ্চলটি পুরাপুরি আবাদ হওয়া সত্বেও : কোটি
মুদ্রা কর আদায়ে ব্যর্থ হয়েছিল ৷ অথচ এ বছর আমার অন্যান্য কর্মকর্তাপণ ৮ কোটি মুদ্রা কর
আদায়ে সক্ষম হয়েছিল ৷ আর যদি আমি আগামী বছর পর্যন্ত জীবিত থাকি, তাহলে আমি
আশা করছি যে, এরুপ কর আদায় হবে যেরুপ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর যুগে
আদায় হতো ৷ আর তা হলো ১২ কোটি মুদ্রা ৷

আবু বকর ইবনুল মুকরী বলেন, আমাদের আবু আরুবা আমর ইবন উছমানের মাধ্যমে
উছমান থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আষীয আদী ইবন
আরতাতকে পত্র লিখেন ৷ পত্রে লিখেন যে, আমার কাছে সংবাদ ণ্;পীছেছে যে, তুমি হাজ্জাজের
নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করছ ৷ এখন হতে তুমি আর তার নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করবে না ৷ সে
ওয়াকতের পরে সালাত আদায় করত ৷ অন্যায়ভাবে যাকাত আদায় করত ৷ এছাড়াও যে অন্যান্য
দিক দিয়ে ছিল অত্যন্ত ক্ষতিকারক ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন, সাঈদ ইবন আসাদ যামরার মাধ্যমে রায়্যান ইবন মুসলিম
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয়্ হাজ্জাজের পরিবারৰ্র্গকে
ইয়ামড়ানের শাসনকর্তার কাছে প্রেরণ করেন এবং তাকে পত্র লিখে বলেন, আল্লাহর প্রশংসা ও
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি দরুদ প্রেরণের পর সমাচার এই যে, আমি তোমার কাছে আবু
উকায়লের বংশধর তথা হাজ্জাজের পরিবার-পরিজণকে প্রেরণ করলাম ৷ ৩ার৷ কার্য৩ একটি
খারাপ পরিবার ৷ তাদেরকে মহান আল্লাহ্র নিকট হীন মর্যাদা অনুযায়ী পৃথক করে রাখবে ৷
তোমার উপর শান্তি বর্ধিত হোক ৷ এ পত্র দ্বারা তিনি তাদেরকে নির্বাসিত করলেন ৷

০০ ৷৷া



صَالِحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَوْ تَخَابَثَتِ الْأُمَمُ وَجِئْنَا بِالْحَجَّاجِ لَغَلَبْنَاهُمْ، وَمَا كَانَ يَصْلُحُ لِدُنْيَا وَلَا لِآخِرَةٍ، لَقَدْ وَلِيَ الْعِرَاقَ وَهُوَ أَوْفَرُ مَا يَكُونُ فِي الْعِمَارَةِ، فَأَخَسَّ بِهِ حَتَّى صَيَّرَهُ إِلَى أَرْبَعِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَلَقَدْ أُدِّيَ إِلَيَّ فِي عَامِي هَذَا ثَمَانُونَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَإِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ رَجَوْتُ أَنْ يُؤَدَّى إِلَيَّ مَا أُدِّيَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ; مِائَةُ أَلْفِ أَلْفٍ وَعَشَرَةُ آلَافِ أَلْفٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ الْمُقْرِئِ: ثَنَا أَبُو عَرُوبَةَ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، ثَنَا أَبِي سَمِعْتُ جَدِّي قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى عَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ: بَلَغَنِي أَنَّكَ تَسْتَنُّ بِسَنَنِ الْحَجَّاجِ فَلَا تَسْتَنَّ بِسَنَنِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي الصَّلَاةَ لِغَيْرِ وَقْتِهَا، وَيَأْخُذُ الزَّكَاةَ مِنْ غَيْرِ حَقِّهَا، وَكَانَ لِمَا سِوَى ذَلِكَ أَضْيَعَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَسَدٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ الرَّيَّانِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: بَعَثَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِآلِ أَبِي عَقِيلٍ أَهْلِ بَيْتِ الْحَجَّاجِ إِلَى صَاحِبِ الْيَمَنِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ بَعَثْتُ بِآلِ أَبِي عَقِيلٍ وَهُمْ شَرُّ بَيْتٍ فِي الْعَرَبِ، فَفَرِّقْهُمْ فِي الْعَمَلِ عَلَى قَدْرِ هَوَانِهِمْ عَلَى اللَّهِ وَعَلَيْنَا، وَعَلَيْكَ السَّلَامُ. وَإِنَّمَا نَفَاهُمْ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُخَيْمِرَةَ يَقُولُ: كَانَ الْحَجَّاجُ يَنْقُضُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৫


আল-আওযাঈ বলেন, আমি আল-কাসিম ইবন মুখায়মারাকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলাতন, হাজ্জাজ ইসলামের খোলা অঙ্গ-প্রতদ্রঙ্গগুলোবক নড়বড়ে করে দিচ্ছিল ৷ এরপর তিনি
একটি কা ড়াহিনীও বর্ণনা করেন ৷ আবু বকর ইবন আয়্যাশ, আসিম থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, মহান আল্লাহর ঘোষিত প্রতিটি সম্মানিত বস্তুর স মান বিনষ্ট করেছে হাজ্জাজ ইবন
ইউসুফ ৷

ইয়াহ্ইয়া ইবন ঈসা আর রামলী, আল-আমাশ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
উলামায়ে কিরাম হাজ্জাজ সম্বন্ধে মতবিরোধ করেন ৷ তারা আল্লামা মুজাহিদকে জিজ্ঞাসা
ৰু করেন ৷ তখন তিনি বলেনঃ তোমরা কাফির বৃদ্ধ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছ ?

ইবন আসাকির আশ-শাবী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হাজ্জাজ ছিল জাদু ও
শয়তানে বিশ্বাসী, মহান আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আছ-ছাওরী, সামার ইবন তাউস তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমাদের
ইরাকী ভাইদের জন্যে অবাক হতে হয় যে, তারা হাজ্জাজকে মু’মিন বলে মনে করে ৷
আছ-ছাওরী ইবন আওফ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আবু ওয়ায়িলকে হাজ্জাজের
সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি ৷৩ তড়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “আপনি কি হাজ্জাজকে জাহান্নামী
বলে সাক্ষ্য দেন ? তিনি বলেন, তোমরা; কি আল্লাহ তা আলার ঘোষণার বিরুদ্ধে আমাকে
সাক্ষ্য দিতে বলছ ? আছ-ছাওরী মানসুর হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি ইব্রাহীমকে
হাজ্জাজ কিৎবা অন্য কোন আধিপত্য বিস্তারকারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন :
আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে হ্রদ-এর ১৮ নং আয়াতে কি ঘোষণা দেননি ?

ব্ব৷ অর্থাৎ “সাবধান! যালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত ৷

ইবৃরাহীর্মতার সম্পর্কে আরো বললেন, “কোন ব্যক্তিকে অন্ধ ঘোষণা বরাের জন্যে যথে ষ্ট যদি
হাজ্জাজের ব্যাপারে না জানার ভাল করে ৷ ”

সালাম ইবন আবু মুতী বলেন : আমি হাজ্জাজ সম্পর্কে আমর ইবন উবায়দ থেকে বেশী
আশাবাদী ৷ কেননা, হাজ্জাজ জ্যাগণকে পৃথিবীতে হত্যা করেছে ৷ আর আমৱ ইবন উবায়দ
জনগণের ত্তন্যে বিভ্রান্তিকর বিদআতের জন্ম দিয়েছে ৷ জ্যাগণ পরস্পরকে হত্যা করেছে ৷

আয-যুবায়র বলেন : একদিন আমি আবু ওয়ায়িলের সামনে হাজ্জাজকে পালি দিলাম ৷
তিনি বললেন, “তাকে পালি দিও না ৷ সে কোন এক দিন হয়ত বলেছে, হে আল্লাহ! আমার
প্রতি রহমত কর, আর আল্লাহ তাকে রহমত করেছেন ৷ তুমি এমন লোকের অংশ থেকে
নিজেকে রক্ষা করবে, যে বলে, তুমি কি এটা দেখনি ? তুমি কি ঐটা দেখনি ?”
আওফ বলেন, একদিন মুহাম্মদ ইবন সীরীনের সামনে হাজ্জ ৷জের কথা উত্থাপন করা
হলো, তিনি বললেন : আবু মুহাম্মদ একজন মিসকীন, যদি মহান আল্লাহ তাকে আবার দেন,
তাহলে এটা তার গুনাহ্র জন্য, আর যদি তাকে মাফ করে দেন, তাহলে এটা তার জন্যে
আনন্দের কথা ৷ যদি সে কালবে সালীম নিয়ে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে পারে,
তাহলে যে আমাদের থেকে উত্তম ৷ কেননা, তার থেকে উত্তম ব্যক্তিও গুনাহের শিকার হয়ে
থাকে ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো কালবে সালীম কি ? তিনি বলেন, “যদি আল্লাহ তাআলা
তার থেকে হায়া ও ঈমান কবুল করে নেন, যদি যে এ কথা জানে ও প্রকাশ করে যে, নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ সভ্য, নিশ্চয়ই কিয়ামত সত্য ও অনুষ্ঠিত হবেই আর যারা কবরে আছে তাদেরকে
মহান আল্লাহ একদিন কবর থেকে উঠাবেন ৷ ”


عُرَى الْإِسْلَامِ. وَذَكَرَ حِكَايَةً. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ: لَمْ يُبْقِ لِلَّهِ حُرْمَةً إِلَّا ارْتَكَبَهَا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ: اخْتَلَفُوا فِي الْحَجَّاجِ، فَسَأَلُوا مُجَاهِدًا، فَقَالَ: تَسْأَلُونِي عَنِ الشَّيْخِ الْكَافِرِ؟ وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: الْحَجَّاجُ مُؤْمِنٌ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ، كَافِرٌ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ. كَذَا قَالَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَجَبًا لِإِخْوَانِنَا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ; يُسَمُّونَ الْحَجَّاجَ مُؤْمِنًا! وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُسْأَلُ عَنِ الْحَجَّاجِ: أَتَشْهَدُ أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ؟ قَالَ: أَتَأْمُرُونِي أَنْ أَشْهَدَ عَلَى اللَّهِ الْعَظِيمِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ لَعْنِ الْحَجَّاجِ أَوْ بَعْضِ الْجَبَابِرَةِ، فَقَالَ: أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ: {أَلَا لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ} [هود: 18] (هُودٍ: 18) ؟ وَبِهِ; قَالَ إِبْرَاهِيمُ: وَكَفَى بِالرَّجُلِ عَمًى أَنْ يَعْمَى عَنْ أَمْرِ الْحَجَّاجِ. وَقَالَ سَلَامُ بْنُ أَبِي مُطِيعٍ: لَأَنَا لِلْحَجَّاجِ أَرْجَى مِنِّي لِعَمْرِو بْنِ عُبَيْدٍ; لَأَنَّ الْحَجَّاجَ قَتَلَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৬
النَّاسَ عَلَى الدُّنْيَا، وَعَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ أَحْدَثَ لِلنَّاسِ بِدْعَةً، فَقَتَلَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا. وَقَالَ الزِّبْرِقَانُ: سَبَبْتُ الْحَجَّاجَ يَوْمًا عِنْدَ أَبِي وَائِلٍ، فَقَالَ: لَا تَسُبُّهُ; لَعَلَّهُ قَالَ يَوْمًا: اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي. فَيَرْحَمُهُ، إِيَّاكَ وَمُجَالَسَةَ مَنْ يَقُولُ: أَرَأَيْتَ أَرَأَيْتَ. وَقَالَ عَوْفٌ: ذُكِرَ الْحَجَّاجُ عِنْدَ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، فَقَالَ: مِسْكِينٌ أَبُو مُحَمَّدٍ; إِنْ يُعَذِّبْهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَبِذَنْبِهِ، وَإِنْ يَغْفِرْ لَهُ فَهَنِيئًا لَهُ، وَإِنْ يَلْقَ اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ، فَقَدْ أَصَابَ الذُّنُوبَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ. فَقِيلَ لَهُ: مَا الْقَلْبُ السَّلِيمُ؟ قَالَ: أَنْ تَعْلَمَ أَنَّ اللَّهَ حَقٌّ، وَأَنَّ السَّاعَةَ حَقٌّ قَائِمَةٌ، وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ. وَقَالَ أَبُو قَاسِمٍ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ: اشْهَدْ عَلَى الْحَجَّاجِ وَعَلَى أَبِي مُسْلِمٍ أَنَّهُمَا فِي النَّارِ. قَالَ: لَا، إِذَا أَقَرَّا بِالتَّوْحِيدِ. وَقَالَ الرِّيَاشِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْأَزْرَقُ، عَنِ السِّرِّيِّ بْنِ يَحْيَى قَالَ: مَرَّ الْحَجَّاجُ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَسَمِعَ اسْتِغَاثَةً، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ لَهُ: أَهْلُ السُّجُونِ يَقُولُونَ: قَتَلَنَا الْحَرُّ. فَقَالَ: قُولُوا لَهُمْ: اخْسَئُوا فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৭


আবুল কাসিম আল-বাগবী বলেন, আবু সাঈদ আবু উসামা থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি সুফিয়ান আছ-ছাওরীকে বলেন, আপনি কি সাক্ষ্য দিলেন যে,
আলহাজ্জাজ এবং আবু মুসলিম আল-খুরাসানী তারা দৃইজনেই জাহান্নামী ? তিনি বলেন, না,
যদি তারা তাওহীদ স্বীকার করে ৷

আর-রায়্যাশী বলেন, আব্বাস আল-আয্রাক আস-সারী ইবন ইয়াহ্ইয়া হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, এক জুমুআর দিনে হাজ্জাজ এক জায়গা অতিক্রম করছিলেন ৷ এমন
সময় যে কারো ফরিয়াদ শুনতে পেল ৷ তখন সে বলল, এটা কী ? উত্তরে বলা হলো
কারাবাসিন্দারা বলছে গরম আমাদেরকে মেরে ফোাল ৷ হাজ্জাজ বলল, তাদেরকে বলে দাও
“অপমানিত হয়ে বন্দীশালায় থাক কোন কথা বলবে না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ ঘটনার পর
হাজ্জাজ এক জুমুআর কম সময় জীবিত জ্যি ৷ সমস্ত আধিপত্য বিস্তারকারীদের চুর্ণ-বিচুর্ণকারী
আল্লাহ্ তাআলা তাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিলেন ৷ কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন ৪ আমি তাকে
জুমুআর দিন জুমুআর সালাত আদায় করার জন্য আসতে দেখেছি ৷ আর সে ছিল পীড়ার জন্যে
মৃতপ্রায় ৷ আল-আসমাঈ বলেন : হাজ্জাজ যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন জনগণ তার মৃত্যু
সন্নিকট জেনে উৎসুক হয়ে উঠে ৷ তখন সে তার খুতবায় বলে, হততাগা ও মুনাফিকদের একটি
দলের মধ্যে শয়তান প্রভাব বিস্তার করেছে ৷ তাই তারা বলছে, হাজ্জাজ মারা গেছে ৷ হাজ্জাজ
মারা গেলে তাতে কি ? হাজ্জাজ কি মৃত্যুর পরে কল্যাণ চায় না ? আল্পাহ্র শপথ, যদি
পৃথিযীটা এবং পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে আমার জন্যে হয়ে যায় আর আমি মৃত্যুমুখে পতিত
না হই ৷ এ কথাটি আমাকে আনন্দ দেয় না ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা তার নিকৃষ্টতম মাখলুক
ইবলীসের জন্যেই অনস্তকাল জীবিত থাকার অনুমতি প্রদান করেছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তাকে
বলেহ্নে৷ (সুরায়ে ৷ অর্থাৎ যাদেরকে অবকাশ
দেওয়া হয়েছে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হলে ৷ এতাবে আল্লাহ্তাঅাল৷ তাকে কিয়ামতের দিন
পর্যন্ত আবকাশ দিলেন ৷ আর আল্লাহ তাআলাকে তার সৎ বান্দা ডাকলেন এবং বললেন,
(সুরায়ে সােয়াদ আয়াত নং ৩৫)
আমার প্ৰতিপালক! আমাকে দান কর এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না
হয় ৷’ আল্লাহ্ তা আলা তাকে তা দান করেন ৷ তবে তাকে চিরস্থায়ী করেন নইি ৷ মহান
আল্লাহ্র সৎ বান্দা তার কাজ শেষ হওয়ার পর সৎ ও সহজ মৃত্যু কামনা করেন ৷ (সুরায়ে
ইউসুফ আয়াত নং ১০১ ৰু,ন্১া৷র্দুশুা৷ন্ ণ্ৰুৰুপু ৷ , ৷গুা ;ভ্র,; অর্থাৎ মি, আমাকে
মুসলমান হিসেবে মৃত্যু দাও এবং আমাকে সৎকর্যপরায়ণদের অতভুক্ত কর ৷’

হে মানুযট্রু তুমি কি ঐরুপ ব্যক্তি হতে চাও, আসলে তোমাদের সকলেই ঐরুপ হতে চাও ৷
আল্লাহর শপথ, আমি যেন তোমাদের প্রতিটি জীবিত লোকের কাছে মৃত এবং প্রতিটি
তরুতাজা খানের কাছে শুকনো ঘাস ৷ তারপর তাকে তার কাফনের কাপড়ে স্থানান্তর করা
হবে ৷ তা হবে তিনগজ লম্বা ও এক গজ চওড়া ৷ এর পর মাটি তার গোশত খেয়ে নিৰে, মাটি
তার পুজ চুষে নেবে, তার নিকৃষ্ট সন্তান বাড়ী ফিরে যাবে এবং তার নিকৃষ্ট সম্পদ বণ্টন করার
কাজে মগ্ন হবে ৷ যারা বুঝে শুনে তারাই আমার কথা বুঝবে ৷ এরপর সে মিম্বার থেকে নেমে
পেল ৷ ইব্রাহীম ইবন হিশাম ইবন ইয়াহ্ইয়া আল গাস্সানী তার পিতা ও দাদার মাধ্যমে
উমর ইবন আবদুল আযীয হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মহান অ ৷ল্লাহ্র দুশমন হাজ্জাজের
সাথে আমি শুধুমাত্র কুরআনের মহব্বত এবং কুরআন চর্চাকারীদের মোটা অংকের দান করার


وَلَا تُكَلِّمُونَ. قَالَ: فَمَا عَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَّا أَقَلَّ مِنْ جُمُعَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُهُ وَهُوَ يَأْتِي الْجُمُعَةَ، وَقَدْ كَادَ يَهْلِكُ مِنَ الْعِلَّةِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: لَمَّا مَرِضَ الْحَجَّاجُ أَرْجَفَ النَّاسُ بِمَوْتِهِ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنْ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنَهُمْ، فَقَالُوا: مَاتَ الْحَجَّاجُ، وَمَاتَ الْحَجَّاجُ. فَمَهْ، وَهَلْ يَرْجُو الْحَجَّاجُ الْخَيْرَ إِلَّا بَعْدَ الْمَوْتِ؟ وَاللَّهُ مَا يَسُرُّنِي أَنْ لَا أَمُوتَ وَأَنَّ لِيَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَمَا رَأَيْتُ اللَّهَ رَضِيَ التَّخْلِيدَ إِلَّا لِأَهْوَنِ خَلْقِهِ عَلَيْهِ إِبْلِيسَ، قَالَ اللَّهُ لَهُ: {إِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ} [الأعراف: 15] . فَأَنْظَرَهُ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ، وَلَقَدْ دَعَا اللَّهُ الْعَبْدَ الصَّالِحَ، فَقَالَ: {وَهَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي} [ص: 35] . فَأَعْطَاهُ اللَّهُ ذَلِكَ إِلَّا الْبَقَاءَ، فَمَا عَسَى أَنْ يَكُونَ أَيُّهَا الرَّجُلُ، وَكُلُّكُمْ ذَلِكَ الرَّجُلُ، كَأَنِّي وَاللَّهِ بِكُلِّ حَيٍّ مِنْكُمْ مَيِّتًا، وَبِكُلِّ رَطْبٍ يَابِسًا، ثُمَّ نُقِلَ فِي ثِيَابِ أَكْفَانِهِ إِلَى ثَلَاثَةِ أَذْرُعٍ طُولًا فِي ذِرَاعٍ عَرْضًا، فَأَكَلَتِ الْأَرْضُ لَحْمَهُ، وَمَصَّتْ صَدِيدَهُ، وَانْصَرَفَ الْحَبِيبُ مِنْ وَلَدِهِ يَقْسِمُ الْحَبِيبَ مِنْ مَالِهِ، إِنَّ الَّذِينَ يَعْقِلُونَ يَعْقِلُونَ مَا أَقُولُ. ثُمَّ نَزَلَ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ قَالَ: مَا حَسَدْتُ الْحَجَّاجَ عَدُوَّ اللَّهِ عَلَى شَيْءٍ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৮

ক্ষেত্রে হিংসা করতাম ৷ মৃত্যুর সময় সে যা বলেছিল এ ক্ষেত্রেও তার প্রতি আমার হিংসা হয় ৷
সে বলেছিল, হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও ৷ কেননা, লোকজনেরা মনে করে তুমি
আমাকে ক্ষমা করবে না ৷

আবু বকর ইবন আবুদৃ-দুনিয়া বলেন, আলী ইবন আলজা দ মুহাস্মদ ইবন আল-
মুনকাদির হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেনং উমর ইবন আবদুল আযীয হাজ্জাজের প্রতি হিংসা
করতেন ৷ তারপর তিনি মৃত্যুর সময় হাজ্জাজ যে কথাটি বলেছিল, সে কথাটি তিনিও বলেন,
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও ৷ কেননা, জনগণ ধারণা করে তুমি আমাকে ক্ষমা করবে
না৷ বর্ণনকোরী বলেন, আমাকে একজন শিক্ষিত লোক হাদীস বর্ণনা করে বলেন : হাসানকে
বলা হলো যে, হাজ্জাজ মৃত্যুর সময় এরুপ এরুপ বলেছে ৷ তিনি বললেন, সত্যি কি যে এরুপ
বলেছে ? উপস্থিত জনগণ বললেন, হীা’, তাতে তিনি বললেন, “তা হলে মাগফিরাত আশা
করা যায় ৷ ”

আবুল আব্বাস আলমারী আর রায়্যাশীর মাধ্যমে আল-আসমাঈ থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, যখন হাজ্জাজের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন সে নীচের দুটি কবিতা আবৃত্তি করে ং
“হে আমার প্রতিপালক আমার দৃশমনেরা হলফ করে বলছে যে, আমি জাহান্নামের
বাসিন্দাদের নিঃসন্দেহে একজন, আর তা প্রচার করার জন্যে তারা অহরহ চেষ্টা করছে ৷ তারা
কি অজানা একটি ব্যাপারে শপথ করছে না ? তাদের দুর্তাগ্য, মহা ক্ষমাকারীর বড় ক্ষমা
সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বলতে কিছুই নেই ৷” বর্ণনাকারী বলেন, এ কবিতার ব্যাপারে ইমাম
হাসানকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ, যদি হাজ্জাজ নাজাত পায়, তাহলে
এ দুটো কবিতার দ্বারাই সে নাজাত পেয়ে যাবে ৷ কেউ কেউ উপরের দুটো কবিতার সাথে
নীচের দুটো কবিতাকেও সংযোজন করেন ৷ “নিশ্চয়ই প্রতুগণ যখন তাদের গোলামকে গোলামী
অবস্থায় যৌবনে পদার্পণ করতে দেখেন, তখন তারা তাদেরকে নেককারদের ন্যায় আযাদ করে
দেয় ৷ হে আমার সৃষ্টিকর্তা! তুমি এ সম্মানে ঘোষিত হওয়ার সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত ৷ আমিও
গোলামীতে বয়ােবৃদ্ধ হয়েছি ৷ সুতরাং তুমি আমাকে জাহান্নামের গোলামী থেকে মুক্তি দাও ৷”

ইবন আবুদৃ-দৃনিয়া বলেন, আমাদেরকে আহমদ ইবন আবদুল্লাহ আত্-তায়মী হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, যখন হাজ্জাজ মারা যায় তার মৃত্যু সম্বন্ধে কেউ অবগত হয়নি ৷ এমন
সময় একজন বাদী র্কাদতে র্কাদতে এগিয়ে আসল এবং বলল, খবরদারা খবরদারা নিশ্চয়ই
আহার্য প্রদানকারী, ইয়াতীমদের ইয়াতীম হওয়ার জন্যে দায়ী এবং ত্রীলোকদের গণহারে বিধবা
হওয়ার জন্যে দায়ী, শিরচ্ছেদকারী ও সিরিয়াবাসীদেব সরদার ইতোমধ্যে মারা গেছে ৷ তারপর
বাদী একটি কবিতা পাঠ করলং যারা আমাদেরকে হিংসা করত ,তারা আজ আমাদের প্রতি
মেহেরবানী করবে ৷ যারা আমাদেরকে ভয় পেত, তারা আমাদেরকে আজ আশ্রয় দেবে ৷

আবদুর রায্যাক মা মায়ের মাধ্যমে ইবন তাউস ও তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, তাকে কয়েকবার হ জ্জাজের মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে ৷ যখন তিনি তার মৃত্যু
সম্পর্কে নিশ্চিত হন, তখন তিনি বলেন : সুরায়ে আনআম আয়াত নং ৪৫

’ ’
অর্থাৎ তারপর যালিম সম্প্রদায়ের মুল উচ্ছেদ করা হলো এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই

যিনি জগতসমুহের প্রতিপালক ৷

একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেন যে, হাসানকে যখন হাজ্জাজের মৃত্যুর শুতসং বাদ জান ড়ানাে
হয়, তখন তিনি মহান আল্লাহর শুক্র বজায় রাখার জন্যে সিজদায় পড়ে যান ৷ তিনি ছিলেন



حَسَدِي إِيَّاهُ عَلَى حُبِّهِ الْقُرْآنَ وَإِعْطَائِهِ أَهْلَهُ، وَقَوْلِهِ حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، فَإِنَّ النَّاسَ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ لَا تَفْعَلُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يُبْغِضُ الْحَجَّاجَ، فَنَفَسَ عَلَيْهِ بِكَلِمَةٍ قَالَهَا عِنْدَ الْمَوْتِ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي فَإِنَّهُمْ زَعَمُوا أَنَّكَ لَا تَفْعَلُ. قَالَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، قَالَ: قِيلَ لِلْحَسَنِ: إِنَّ الْحَجَّاجَ قَالَ عِنْدَ الْمَوْتِ كَذَا وَكَذَا قَالَ: أَقَالَهَا؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: عَسَى. وَقَالَ أَبُو الْعَبَّاسِ الْمُبَرِّدُ، عَنِ الرِّيَاشِيِّ، عَنِ الْأَصْمَعِيِّ قَالَ: لَمَّا حَضَرَتِ الْحَجَّاجَ الْوَفَاةُ أَنْشَأَ يَقُولُ: يَا رَبِّ قَدْ حَلَفَ الْأَعْدَاءُ وَاجْتَهَدُوا ... بِأَنَّنِي رَجُلٌ مِنْ سَاكِنِي النَّارِ أَيَحْلِفُونَ عَلَى عَمْيَاءَ وَيْحَهُمُ ... مَا عِلْمُهُمْ بِعَظِيمِ الْعَفْوِ غَفَّارِ قَالَ: فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ الْحَسَنُ فَقَالَ: تَاللَّهِ إِنْ نَجَا فَبِهِمَا. وَزَادَ بَعْضُهُمْ فِي ذَلِكَ: إِنَّ الْمَوَالِيَ إِذَا شَابَتْ عَبِيدُهُمْ ... فِي رِقِّهِمْ عَتَقُوهُمْ عِتْقَ أَبْرَارِ وَأَنْتَ يَا خَالِقِي أَوْلَى بِذَا كَرَمًا ... قَدْ شِبْتُ فِي الرِّقِّ فَاعْتِقْنِي مِنَ النَّارِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩৯


ৰুআত্মগােপনকারী ৷ এরপর তিনি প্রকাশ হয়ে পডলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তুমি তাকে
আমাদের থেকে নিয়ে গেছে৷ তাই আমাদের থেকে তার কর্ম পদ্ধতিও নিয়ে নাও ৷

হাম্মাদ ইবন আবু সুলায়মান বলেন, আমি যখন ইব্রাহীম আন নাখঈকে হাজ্জাজের মৃত্যু
সম্পর্কে অবহিত করলাম, তখন তিনি আনন্দে কেদে ফেলেন ৷

আবু বাকর ইবন আবু খায়ছামা বলেনং : সুলায়মান ইবন আবু শায়খ আমাদেরকে সালিহ্

ইবন সুলায়মান হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যিয়াদ ইবন আররাবী, ইবন
আল-হারিছ কারাবাসীদেরকে বলেন : হাজ্জাজ তার বর্তমান অসুস্থতার অমুক রাত্রে মারা
যাবে ৷ তখন সেই রাত উপস্থিত হলে আনন্দে কারাবাসীরা নিদ্র৷ যায়নি, বসে বলে তারা
অপেক্ষা করতে লাগল ৷ তারা মৃত্যুর আহ্বানকারীর আহবান শুনতে পেল ৷ আর এ রাতটি ছিল
রামাযান মাসের ২৭ তারিখের রাত ৷ কেউ কেউ বলেন, রামাযান মাসের ৫ দিন বাকী থাকতে
হাজ্জাজের মৃত্যু ঘটে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন এবছরের শাওয়াল সালে তার মৃত্যু ঘটে ৷
তখন তার বয়স ছিল ৫৫ বৎসর ৷ কেননা, তার জন্ম ছিল জামাআতের বছর অর্থাৎ ৪০
হিজরীতে ৷ কেউ কেউ বলেন, এর এক বছর পর ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার এক বছর
পুর্বে ৷ হাজ্জাজ ওয়াসিত নামক শহরে মারা যায় এবং তার কবরের চিহ্নকে মুছে ফেলা হয় ৷
কবরের উপর প্রচুর পানি প্রবাহিত করা হয় যাতে কেউ লাশ ত্যুল নিতে না পারে ও পুড়িয়ে
দিতে না পারে ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আল আসমাঈ বলেন, হাজ্জাজের সবচেয়ে বিস্ময়কর অবস্থা হলো এই যে, মৃত্যুকালে সে
৩০০ দিরহাম রেখে যায় ৷

আল্লামা আল-ওয়াকিদী বলেন : আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আমাকে আবদুর
রহমান ইবন উবায়দুল্লাহ ইবন ফারাক-এর মাধ্যমে আমার চাচা হতে হাদীস বর্ণনা করেনা
তিনি বলেন : ইতিহাসবিদগণ মনে করেন যে, হাজ্জাজ যখন মারা যায়, তখন সে ৩০০
দিরহাম, এক জিলদ কুরআন শরীফ, একটি তলোয়ার, একটি যীন, একটি হাওদাজ ও একশত
বন্দকী যুদ্ধ-জামা (বর্ষ) রেখে যায় ৷ শিহাব ইবন খারাশ বলেন, আমাকে আমার চাচা ইয়াযীদ
ইবন হাওশাব বলেন, আমার কাছে খলীফা আবু জাফার আল-মুনসুর এক ব্যক্তিকে প্রেরণ
করে বলেন, তুমি আমাকে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের ওসিয়ত সম্বন্ধে কিছু বলো ৷ তখন তিনি
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! এ ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন ৷ খলীফা বললেন, তুমি
আমাকে এ সম্বন্ধে বলো, তখন আমি বললাম : পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে এটা
একটি ওসিয়ত যা হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ব্যক্ত করেছে যে, সে সাক্ষী দিচ্ছে এক আল্লাহ ব্যতীত
অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ আর এই আল্লাহর কোন শরীক নেই ৷ সে আরো সাক্ষ্য দিচ্ছে
যে,মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল ৷ সে আরো সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আল-ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের আনুগত্য ছাড়া সে আর কিছু বুঝে না ৷ এ আনুগত্যের উপর যে বেচে
থাকবে, মৃত্যুমুখে পতিত হবে এবং মৃত্যুর পরে জীবিত হয়ে উঠবে ৷ সে নয়শত লোহার জামা
সম্পর্কে ওসিয়ত করে ৷ তন্মধ্যে ছয়শ৩ তটি হলো ইরা কবাসী মুনাফিকদের জন্যে, যেগুলোর দ্বারা
তারা যুদ্ধ করার ৷ আর তিন শতটি হলো তুর্কীদের ৷ বণ্নািকারী বলেন, এ কথা শুনে আবু
জা ফর আবুল আব্বাস অ ৷ত্তুসীর দিকে তাকালেন ৷ তিনি তার মাথায় কাছে দাড়িয়ে ছিলেন ৷
তিনি বললেন, এগুলো ? আল্লাহর শপথ, এগুলো একটি দলের সম্পদ, তোমাদের নয় ৷

আল-আসমাঈ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি স্বপ্নে
হাজ্জাজকে দেখলাম ৷ আমি বললাম, মহান আল্লাহ তোমার সাথে কিরুপ ব্যবহার করেছেন ?


وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّيْمِيُّ، قَالَ: لَمَّا مَاتَ الْحَجَّاجُ لَمْ يُعْلَمْ بِمَوْتِهِ حَتَّى أَشْرَفَتْ جَارِيَةٌ فَبَكَتْ، فَقَالَتْ: أَلَا إِنَّ مُطْعِمَ الطَّعَامِ وَمُفَلِّقَ الْهَامِ، وَسَيِّدَ أَهْلِ الشَّامِ قَدْ مَاتَ، ثُمَّ أَنْشَأَتْ تَقُولُ: الْيَوْمَ يَرْحَمُنَا مَنْ كَانَ يَغْبِطُنَا ... وَالْيَوْمَ يَأْمَنُنَا مَنْ كَانَ يَخْشَانَا وَرَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أُخْبِرَ بِمَوْتِ الْحَجَّاجِ مِرَارًا، فَلَمَّا تَحَقَّقَ وَفَاتَهُ قَالَ: {فَقُطِعَ دَابِرُ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الأنعام: 45] (الْأَنْعَامِ: 45) . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ الْحَسَنَ لَمَّا بُشِّرَ بِمَوْتِ الْحَجَّاجِ سَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ تَعَالَى، وَكَانَ مُخْتَفِيًا فَظَهَرَ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ أَمَتَّهُ فَأَذْهِبْ عَنَّا سُنَّتَهُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ: لَمَّا أَخْبَرْتُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيَّ بِمَوْتِ الْحَجَّاجِ بَكَى مِنَ الْفَرَحِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: قَالَ زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ الْحَارِثِيُّ لِأَهْلِ السِّجْنِ: يَمُوتُ الْحَجَّاجُ فِي مَرَضِهِ هَذَا فِي لَيْلَةِ كَذَا وَكَذَا. فَلَمَّا كَانَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةُ لَمْ يَنَمْ أَهْلُ السِّجْنِ فَرَحًا، جَلَسُوا يَنْتَظِرُونَ حَتَّى سَمِعُوا الْوَاعِيَةَ، وَذَلِكَ لَيْلَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَقِيلَ: كَانَ ذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ. وَقِيلَ: فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪০

সে বলল, আমি যতগুলাে হত্যা করেছি প্রত্যেকটি হত্যার বদলে আমাকে একবার করে হত্যা
করা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, তার এক বছর পর আমি তাকে আবার স্বপ্নে দেখলাম ৷ আমি
বললাম, হে আবু মুহাম্মদ ! তোমার সাথে মহান আল্লাহ কেমন ব্যবহার করেছেন ? সে বলল,
হে মায়ের যোনিস্তম্ভ ণ্চাষণকারী! তুমি কি এ সম্পর্কে গত বছর আমাকে জিজ্ঞাসা কর নাই ?
কাযী আবু ইউসুফ বলেন একদিন আমি হারুনুর রশীদের দরবারে ছিলাম ৷ এমন সময় এক
ব্যক্তি দরবারে প্রবেশ করল এবং বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! গতরাতে আমি হাজ্জাজকে
স্বপ্নে দেখেছি ৷ খলীফা বললেন é “তুমি তাকে কি অবস্থায় দেখেছ ?” লোকটি বলল, “আমি
তাকে খারাপ অবস্থায় দেখেছি ৷ তখন আমি তাকে বললাম, তোমার সাথে মহান আল্লাহ কেমন
ব্যবহার করেছেন ? সে তখন বলল, তোমার মধ্যে আর আমার অবস্থার মধ্যে কি সম্পর্ক
থাকতে পারে, হে নিজের মায়ের য়োনিস্তন্ত চােষণকারী! খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন,
“আল্লাহর শপথ, সে সত্য কথা বলেছে ৷ হে আগন্তুক তুমি হাজ্জাজকে সত্যি সত্যি দেখেছ ৷
কেননা, আবু মুহাম্মদ জীবিত কিত্ব৷ মৃত অবস্থার কোন সময় তার চতৃরতাকে বর্জন করে না ৷

হাম্বল ইবন ইসহাক , বলেন, হারুন ইবন মা রুফ যামরাহ্ ইবন আবু শুযাবের মাধ্যমে
আশআছ আল-খারায হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজকে স্বপ্নে খারাপ অবস্থায়
দেখলাম ৷ তখন আমি বললাম, হে আবু মুহাম্মদ ! তোমার প্রতিপালক তোমার সাথে কিরুপ
ব্যবহার করেছে ? সে বলল, আমার প্রত্যেকটি হত্যার বদলে আমাকে ততবার হত্যা করা
হয়েছে ৷ সে বলল, তারপর আমাকে জাহান্নামে হুপ্ররণের নির্দেশ প্রদান করা হয় ৷ আমি
বললাম, এরপর কি হলো ? হাজ্জাজ বলল এরপর ধ্৷ ৷ ৰু৷ ৷ ;এ ৷ ১৷ উচ্চারণকারী যা আশা করে
আমিও তা আশা করছি ৷

বর্ণনাকারী বলেন, “মুহাম্মদ ইবন সীরীন, হাজ্জাজ সম্বন্ধে বলেন, আমি তার মাগফিরাতের
আশা রাখি ৷ হাসান এ সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর বলেন, আল্লাহর শপথ, হাজ্জাজ সম্পর্কে
ইবন সীরীনের আশাবাদের বিরোধিতা আল্লাহ্ অবশ্যই করবেন ৷ আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী
বলেন, আবু সুলায়মান আদৃদারানীকে আমি বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, হাসান বসরী (র)
কোন মজলিন্সে বললেই হাজ্জাজের কথা উল্লেখ করতেন এবং তার জন্য বদ-দুআকরতেনৃ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, একদিন তিনি তাকে স্বপ্নে দেখেন, তখন হাসান তাকে বলেন, তুমি কি
হাজ্জাজ ? সে বলল, হী৷ আমি হাজ্জাজ ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমার সাথে কেমন ব্যবহার
করেছেন ? হাজ্জাজ বলল, প্রত্যেকটি খুনের বদলেই আমাকে একবার করে খুন করা হয়েছে ৷
তারপর আমাকে একতৃবাদীদের সাথে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে
হাসান বসরী তাকে পালি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইবন-আবুদ্-দুনিয়া বলেন, “হামযা ইবন আল আব্বাস সুফিয়ান হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি

বলেন, একবার আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দরবারে হাজ্জাজ একটি প্রতিনিধি দলের
প্রধান হিসেবে আগমন করে ৷ তার সাথে ছিল মুআবিয়া ইবন কুররাহ ৷ আবদুল মালিক
মুআবিয়াকে হাজ্জাজ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তখন মুআবিয়৷ বলেন, যদি আমরা আপনাদের
কাছে সত্য বলি, আপনারা আমাদেরকে হত্যা করবেন ৷ আর যদি আমরা আপনাদের কাছে
মিথ্যা বলি, তাহলে মহা পরাক্রমশালী আল্পাহ্কে ভয় করি ৷ তখন হাজ্জ্ব ৷র্জ তার দিকে দৃষ্টি
নিক্ষেপ করল ৷ আবদুল মালিক তাকে বললেন, তার সাথে সৃৎঘষে লিপ্ত হয়ে৷ না ৷ তখন তাকে
সিন্ধুর দিকে নির্বাসনে দিল ৷ সেখানেও তাকে নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ৷


السَّنَةِ. وَكَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ خَمْسًا وَخَمْسِينَ سَنَةً; لِأَنَّ مَوْلِدَهُ كَانَ عَامَ الْجَمَاعَةِ سَنَةَ أَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: قَبْلَهَا بِسَنَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. مَاتَ بِوَاسِطٍ، وَعُفِيَ قَبْرُهُ، وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ الْمَاءُ لِكَيْلَا يُنْبَشَ وَيُحْرَقَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: مَا كَانَ أَعْجَبَ الْحَجَّاجَ، مَا تَرَكَ إِلَّا ثَلَاثَمِائَةِ دِرْهَمٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَرِيبٍ، ثَنَا عَمِّي قَالَ: زَعَمُوا أَنَّ الْحَجَّاجَ مَاتَ وَلَمْ يَتْرُكْ إِلَّا ثَلَاثَمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَمُصْحَفًا، وَسَيْفًا، وَسَرْجًا، وَرَحْلًا، وَمِائَةَ دِرْعٍ مَوْقُوفَةٍ. وَقَالَ شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ: حَدَّثَنِي عَمِّي يَزِيدُ بْنُ حَوْشَبٍ قَالَ: بَعَثَ إِلَيَّ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ فَقَالَ: حَدِّثْنِي بِوَصِيَّةِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ. فَقُلْتُ: اعْفِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: حَدِّثْنِي بِهَا. فَقُلْتُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّهُ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّهُ لَا يَعْرِفُ إِلَّا طَاعَةَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَيْهَا يَحْيَا، وَعَلَيْهَا يَمُوتُ، وَعَلَيْهَا يُبْعَثُ، وَأَوْصَى بِتِسْعِمِائَةِ دِرْعٍ حَدِيدٍ; سِتِّمِائَةٍ مِنْهَا لِمُنَافِقِي أَهْلِ الْعِرَاقِ يَغْزُونَ بِهَا، وَثَلَاثِمِائَةٍ لِلتُّرْكِ. قَالَ: فَرَفَعَ أَبُو جَعْفَرٍ رَأْسَهُ إِلَى أَبِي الْعَبَّاسِ الطُّوسِيِّ وَكَانَ قَائِمًا عَلَى رَأْسِهِ فَقَالَ: هَذِهِ وَاللَّهِ الشِّيعَةُ لَا شِيعَتُكُمْ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: رَأَيْتُ الْحَجَّاجَ فِي الْمَنَامِ فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: قَتَلَنِي بِكُلِّ قَتْلَةٍ قَتَلْتُ بِهَا إِنْسَانًا. قَالَ: ثُمَّ رَأَيْتُهُ بَعْدَ الْحَوْلِ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৭৪৪১
يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، مَا صَنَعَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: يَا مَاصَّ بَظْرِ أُمِّهِ، أَمَا سَأَلْتَ عَنْ هَذَا عَامَ أَوَّلَ؟ وَقَالَ الْقَاضِي أَبُو يُوسُفَ كُنْتُ عِنْدَ الرَّشِيدِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، رَأَيْتُ الْحَجَّاجَ الْبَارِحَةَ فِي النَّوْمِ، قَالَ: فِي أَيِّ زِيٍّ رَأَيْتَهُ؟ قَالَ: فِي زِيٍّ قَبِيحٍ. فَقُلْتُ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: مَا أَنْتَ وَذَاكَ يَا مَاصَّ بَظْرِ أُمِّهِ؟ فَقَالَ هَارُونُ: صَدَقْتَ وَاللَّهِ، أَنْتَ رَأَيْتَ الْحَجَّاجَ حَقًّا، مَا كَانَ أَبُو مُحَمَّدٍ لِيَدَعَ صَرَامَتَهُ حَيًّا وَمَيِّتًا. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، ثَنَا ابْنُ شَوْذَبٍ، عَنْ أَشْعَثَ الْحُدَّانِيِّ. قَالَ: رَأَيْتُ الْحَجَّاجَ فِي الْمَنَامِ فِي حَالَةٍ سَيِّئَةٍ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ مَا صَنَعَ بِكَ رَبُّكَ؟ قَالَ: مَا قَتَلْتُ أَحَدًا قِتْلَةً إِلَّا قَتَلَنِي بِهَا. فَقُلْتُ: ثُمَّ مَهْ. قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ بِي إِلَى النَّارِ. قُلْتُ: ثُمَّ مَهْ. قَالَ: ثُمَّ أَرْجُو مَا يَرْجُو أَهْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: وَكَانَ ابْنُ سِيرِينَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَرْجُو لَهُ. فَبَلَغَ ذَلِكَ الْحَسَنَ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَيُخْلِفَنَّ اللَّهُ رَجَاءَهُ فِيهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيَّ يَقُولُ: كَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ لَا يَجْلِسُ مَجْلِسًا إِلَّا ذَكَرَ فِيهِ الْحَجَّاجَ فَدَعَا عَلَيْهِ، قَالَ: فَرَآهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪২
ণ্ন্প্মা৪মা$

এ বছরে যে সব ব্যক্তিত্ব ইন্তিকাল্ করেছিলেন তাদের বিবরণ

ইব্রাহীম ইবন ইয়াযীদ আন-নাখৃঈ

তিনি বলতেন, যখন আমরা কোন জানাযায় হাযির হতাম অথবা কোন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে
খবর শুনতাম কিছু দিন যাবত আমাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা হতো ৷ কেননা, আমরা
জানতাম তার উপর এমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে যার দরুন সে জান্নাতে যাবে অথবা
জাহান্নামে যাবে ৷

তিনি আরো বলতেন, তােমরদ্দে আমাদের মৃত ব্যক্তিদের শুধু দুনিয়া সম্বন্ধে পর্যালোচনা
করছ ৷ তিনি আরো বলতেন পরিদর্শন ব্যতীত সিদ্ধান্ত ঠিক হয় না এবং সিদ্ধান্ত ব্যতীতও
পরিদর্শন হয় না ৷ তিনি আরো বলতেন, যখন তুমি কোন ব্যক্তিকে সালাতের প্রথম তাকবীরকে ,
তুচ্ছ করতে দেখবে, তখন তার উন্নতি থেকে তোমার আশা পরিত্যাগ করতে হবে ৷

তিনি আরো বলতেন, আমি অনেক সময় ত্রুটিপুর্ণ বস্তু দেখি এবং তা পরিহার করি এ
ভয়ে যে, এ ত্রুটির দ্বারা হয়ত আমাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ তার মৃত্যুর সময় তিনি খুব
র্কাদছিলেন ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি কেন কাদছেন ? তিনি বললেন, আমি
আষ্রাঈলের অপেক্ষা করছি ৷ আমার জানা নেই তিনি কি আমার কাছে জান্নাতের কিৎবা
জাহান্ন৷ মের সব বাদ নিয়ে আসবেন ৷

আল-হাসান ইবন মুহাম্মদ ইবন আল-হানাফিয়্যা

তার কুনিয়াত আবু মুহাম্মদ ৷ তিনি তার ভাইদের মধ্যে ছিলেন অগ্রগামী ৷ তিনি ছিলেন
একজন বড় আলিম ও ফকীহ ৷ ইমামগণের মতবিরোধ ও ফিকাহ শাস্ত্র সম্বন্ধে তিনি ছিলেন
অত্যন্ত পারদর্শী ৷

আয়ুদ্রব আস-সুখতিয়ানী ও অন্যগণ বলেন, “তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি ইরজা সম্বন্ধে কথা
বলেন ৷ এ সম্বন্ধে তিনি একটি ছোট কিতাব লিখেন ও পরে এ ব্যাপারে লজ্জিত হন ৷ অন্যরা
বলেন, তিনি হযরত উছমান (বা) , হযরত আলী (রা), হযরত তালহা (বা) ও হযরত
আয-যুবায়র (রা) সম্বন্ধে মৌনতা অবলম্বন করতেন ৷ তাদের প্রশংসাও করতেন না এবং দৃর্নামও
করতেন না ৷ যখন তার পিতা মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যার কাছে এ সংবাদ পৌছে, তখন তিনি
তাকে প্রহার করেন এবং আহত করেন ৷ আর বলেন, ”তোমার দুভাগ্য, তুমি তােমার-দাদাকে
ভালবাস্ না ৷”

আবু উবায়দ বলেন, তিনি ৯৫ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ খলীফ৷ বলেন, “তিনি উমর

ইবন আবদুল আযীযের যুগে ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ আয-যুহরী

তার মায়ের নাম ছিল উম্মে কুলছুম বিনৃত উকবা ইবন আবু মুঈত ৷ তিনি মায়ের দিক
দিয়ে হযরত উছমান ইবন আফ্ফান (না)-এর ভগ্নি ৷ হুমায়দ একজন বড় আলিম ও প্ ফকীহ ৷
তার বর্ণিত বহু রিওয়ায়াত রয়েছে ৷

মুতার্রাফ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আশ-শিখৃধীর

তার জীবনী পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ মুতাররাফ ও অন্যদের জীবনী আত্তাকমীল’ নামক
কিভাবে বর্ণিত রয়েছে ৷ আর এ বছরেই ওয়াসিত শহরে হাজ্জাজ মারা যায় ৷ তার বিস্তারিত


فِي مَنَامِهِ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ الْحَجَّاجُ؟ قَالَ: أَنَا الْحَجَّاجُ. قَالَ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ قَالَ: قُتِلْتُ بِكُلِّ قَتِيلٍ قَتَلْتُهُ، ثُمَّ عُزِلْتُ مَعَ الْمُوَحِّدِينَ. قَالَ: فَأَمْسَكَ الْحَسَنُ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ شَتْمِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ: إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ النَّخَعِيُّ قَالَ: كُنَّا إِذَا حَضَرْنَا جِنَازَةً، أَوْ سَمِعْنَا بِمَيِّتٍ عُرِفَ ذَلِكَ فِينَا أَيَّامًا; لِأَنَّا قَدْ عَرَفْنَا أَنَّهُ نَزَلَ بِهِ أَمْرٌ صَيَّرَهُ إِلَى الْجَنَّةِ أَوْ إِلَى النَّارِ، وَإِنَّكُمْ فِي جَنَائِزِكُمْ تَتَحَدَّثُونَ بِأَحَادِيثَ دُنْيَاكُمْ. وَقَالَ: لَا يَسْتَقِيمُ رَأْيٌ إِلَّا بِرِوَايَةٍ، وَلَا رِوَايَةٌ إِلَّا بِرَأْيٍ. وَقَالَ: إِذَا رَأَيْتَ الرَّجُلَ يَتَهَاوَنُ بِالتَّكْبِيرَةِ الْأُولَى فَاغْسِلْ يَدَيْكَ مِنْ فَلَاحِهِ. وَقَالَ إِنِّي لَأَرَى الشَّيْءَ مِمَّا يُعَابُ فَلَا يَمْنَعُنِي مِنْ عَيْبِهِ إِلَّا مَخَافَةُ أَنْ أُبْتَلَى بِهِ. وَبَكَى عِنْدَ مَوْتِهِ فَقِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ فَقَالَ: انْتِظَارُ مَلَكِ الْمَوْتِ، مَا أَدْرِي يُبَشِّرُنِي بِجَنَّةٍ، أَوْ بِنَارٍ. الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ كُنْيَتُهُ أَبُو مُحَمَّدٍ، كَانَ الْمُقَدَّمَ عَلَى إِخْوَتِهِ فِي الْفَضْلِ، وَكَانَ أَعْلَمَ النَّاسِ بِالِاخْتِلَافِ وَالْفِقْهِ وَالتَّفْسِيرِ، وَكَانَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৩
ظُرَفَاءِ بَنِي هَاشِمٍ وَعُقَلَائِهِمْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ عَقِبٌ. قَالَ أَيُّوبُ السِّخْتِيَانِيُّ وَغَيْرُهُ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْإِرْجَاءِ. وَكَتَبَ فِي ذَلِكَ رِسَالَةً ثُمَّ نَدِمَ عَلَيْهَا. وَقَالَ غَيْرُهُمْ: كَانَ يَتَوَقَّفُ فِي عُثْمَانَ، وَعَلِيٍّ، وَطَلْحَةَ، وَالزُّبَيْرِ، فَلَا يَتَوَلَّاهُمْ، وَلَا يَذُمُّهُمْ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ أَبَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ الْحَنَفِيَّةِ ضَرَبَهُ فَشَجَّهُ، وَقَالَ: وَيْحَكَ، أَلَا تَتَوَلَّى أَبَاكَ عَلِيًّا؟ وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ: تُوُفِّيَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ وَأُمُّهُ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَهِيَ أُخْتُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لِأُمِّهِ، وَكَانَ حُمَيْدٌ فَقِيهًا نَبِيلًا عَالِمًا، لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ. مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ. وَهَؤُلَاءِ كُلُّهُمْ لَهُمْ تَرَاجِمُ فِي كِتَابِ " التَّكْمِيلِ ".
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৪
وَفِيهَا كَانَ مَوْتُ الْحَجَّاجِ بِوَاسِطٍ كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مَبْسُوطًا مُسْتَقْصًى، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَفِيهَا كَانَ مَقْتَلُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، فِي قَوْلِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدَائِنِيِّ، وَجَمَاعَةٍ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ، كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.