আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وتسعين

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي فيها من المشاهير والأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৩৫৭


ইবন খাল্লিকান বলেন : সাঈদ ইবন জুবায়র ইবন হিশাম আল-আসাদী একজ্যা বিদ্বান
তাবিঈ, কুফাবাসী ও বনু ওয়ালিবার মিত্র ছিলেন ৷ তার শরীরের রং ছিল কালো ৷ তিনি
ফাতওয়া লিখতেন না ৷ কািহু ইবন আব্বাস (রা) যখন অন্ধ হয়ে গেলেন, তখন তিনি ফাতওয়া
লিখতে লাপলেন ৷ এতে ইবন আব্বাস (রা) রাপাৰিত হলেন ৷ তারপর ইবন খাল্লিকান তার
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুর্ববৎ উল্লেখ করেন ৷ তিনি আরো উল্লেখ করেন, সাঈদের হত্যাকাণ্ডটি
শা রান মাসে সংঘ ঘটিত হয়েছিল ৷ আর হাজ্জাজ তার পরে রমাযান সালে মারা যান ৷ কেউ কেউ
বলেন, ছয় মাস পরে মারা যান ৷ ইমাম আহমদ (র) হতে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, সাঈদ
ইবন জুবায়র যখন শহীদ হন, তখন মহান আল্লাহর যমীনে তার জ্ঞানের মুখাপেক্ষী ছিলেন
সকলে ৷ কথিত আছে যে, তার পরে হাজ্জাজ আর কারো উপর বুলুম করতে পারেনি ৷ ইবন
জারীর (র) বলেন, এ বছরকে ফকীহগণের বহ্ব বলে অভিহিত করা হয় ৷ কেননা, এ বছরেই
পবিত্র মদীনায় সাধারণ ফকীহগণ ইনৃতিকাল করেন ৷ এ বছরের প্রথম দিকে আলী ইবন আল-
হুসায়ন ইবন যায়নুল আবিদীন ইন্তিকাল করেন ৷ তারপর উরওরাহ ইবন আয-যুবায়র
ইনৃতিকাল করেন ৷ তারপর সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব ৷ এরপর আবু বাক্য আবদুর রহমান,
ইবনুল হারিছ ইবন হিশাম ৷ পবিত্র মক্কাবাসিগণের মধ্য হতে সাঈদ ইবন জুবায়র শহীদ হন ৷
এসব মনীষীর জীবনী আত তাকমীল নামক কিভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছরেই আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক সিরিয়ার
সুলায়মান ইবন সুরাদাকে কাষী নিযুক্ত করেন ৷ এ বছরেই আল-আব্বাস ইবন আল ওয়ালীদ
লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক
লোকজ্যাকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ পবিত্র মক্কার নায়েব ছিলেন খালিদ আল-কাছরী ৷ পবিত্র
মদীনার নাইব ছিলেন উছমান ইবন হায়্যান, পুর্ণ পুর্বাঞ্চলের নায়েব ছিলেন আল-হাজ্জাজ ইবন
ইউসুফ আর খুরাসানের আমীর ছিলেন কুতায়বা ইবন মুসলিম ৷ হলোঃ পক্ষ থেকে কুফার
নায়েব ছিলেন যিয়াদ ইবন জারীর, তথাকার কাষী ছিলেন আবু বাকৱ ইবন আবু মুসা ৷ আর
হাজ্জাজের পক্ষ থেকে বসরার নায়েব ছিলেন আ,ল-জাযাহ ইবন আবদুল্লাহ আল-হাকামী ৷
তথাকার কাষী ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন আযীনাহ্ ৷ র্মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

যেসব ব্যক্তিত্ব এ বছর ইনতিকাল করেন

সাঈদ ইবন জুবায়র

তার পুর্ণ নাম আবু মুহাম্মদ সাঈদ ইবন জুবায়র আল আসাদী আলওয়ালিবী আল-কুফী
আল-মাকী ৷ কেউ কেউ বলেন, তার কুনিয়ত আবু আবদুল্লাহ ৷ তিনি আবল্লোহ্ ইবন আব্বাস
(রা) এর প্রবীণ সাথীদের অন্যতম ৷ তিনি তাফসীর, ফিকাহ ও অন্যান্য শাস্থের ইমাম্গণের
অন্যতম ছিলেন ৷ তিনি অধিক শুন্াৰু আমল করতেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি ৩রহম করুন ৷
তিনি সাহাবায়ে কিরামের অনেককে দেখেছেন এবং বিরাট একটি দল থেকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ আর তার থােক তারিঈগণেব অনেকেই হাদীস বর্ণনা কারন ৷ কথিত আছে যে,
তিনি মাগরিব ও ইশম্মে সালাতের মধ্যবর্তী সালাতে পুর্ণ কুরআন খতম করতেন ৷ তিনি ক৷ বা
শরীফে বসতেন এবং সেখানে কুরআন খতম করতেন ৷ অনেক সময় তিনি কা “বা শরীফের
ভিতরে এক :fl$<fiflfi: কুরআন খতম করতেন ৷ তার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি কা বা
শরীফে একরাতে সালাতে আড়ইিবার কুরআন খতম করতেন ৷


مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ مَكَّةَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ عُثْمَانُ بْنُ حَيَّانَ، وَعَلَى الْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ، وَعَلَى خُرَاسَانَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ زِيَادُ بْنُ جَرِيرٍ، وَعَلَى قَضَائِهَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، وَعَلَى إِمْرَةِ الْبَصْرَةِ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُذَيْنَةَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ] سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ الْأَسَدِيُّ الْوَالِبِيُّ مَوْلَاهُمْ، أَبُو مُحَمَّدٍ، وَيُقَالُ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، الْكُوفِيُّ الْمَكِّيُّ، مِنْ أَكَابِرِ أَصْحَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ، كَانَ مِنْ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ فِي التَّفْسِيرِ وَالْفِقْهِ وَأَنْوَاعِ الْعُلُومِ، وَكَثْرَةِ الْعَمَلِ الصَّالِحِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ رَأَى خَلْقًا مِنَ الصَّحَابَةِ، وَرَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْهُمْ، وَعَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ، يُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فِيمَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ خَتْمَةً تَامَّةً، وَكَانَ يَقْعُدُ فِي الْكَعْبَةِ الْقَعْدَةَ فَيَقْرَأُ فِيهَا الْخَتْمَةَ، وَرُبَّمَا قَرَأَهَا فِي رَكْعَةٍ
পৃষ্ঠা - ৭৩৫৮

সুফিয়ান আছ-সাওরী আমর ইবন মায়মুনের মাধ্যমে তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, সাঈদ ইবন জুবায়র ইনৃতিকাল করেন ৷ আর মহান আল্লাহ্র যমীনে এমন কোন
ব্যক্তি ছিলেন না যিনি তার জ্ঞানের মুখাপেক্ষী ছিলেন না ৷ তিনি ঐসব লোকের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন
যারা ইবনুল আশআছের সাথে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন ৷ যখন হাজ্জাজ
সফলকাম হয়, তখন সাঈদ ইস্পাহানে পালিয়ে যান ৷ তারপর তিনি প্রতি বছর পবিত্র মক্কায়
দুই বার গমন করেন ৷ একবার উমরার জন্য, অন্য একবার হাজ্জর জন্য ৷ কোন কোন সময়
তিনি কুফায় প্ররেশষ্করাতন এবং সেখানে হাদীস বর্ণনা করতেন ৷ তিনি খুরাসানে কোন হাদীস
বর্ণনা করতেন না ৷ কেননা, সেখানে কোন ব্যক্তি জ্ঞান সম্বন্ধে তাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা
করতেন না ৷ তিনি বলতেন, আমাকে যে বন্তুটি চিস্তিত করে তুলছে তা হলো আমার জ্ঞান ৷
আমি চাই মানুষ আমার নিকট থেকে জ্ঞান আহরণ করুক ৷ তিনি হাজ্জাজ থেকে লুকিয়ে
জীবনের প্রায় বারটি বছর অতিবাহিত করেন ৷ তারপর তাকে খালিদ আল্-কাছরী পবিত্র মক্কা
হতে হাজ্জাজের কাছে প্রেরণ করেন ৷ এরপর তাদের মধ্যে যে কখোপকথন্ হয় তা পুর্বে বর্ণনা
করাহয়েছে ৷ ন্ ন্শ্ ন্ ন্ ন্
আবু নুয়ায়ম আল-হুল্ইয়াহ্ নামক, তার কিভাবে বলেন, আবু হামিদ ইবন জিবিল্লাহ্
সালিম ইবন আবু হাফসা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সাঈদ ইবন জুবায়রকে যখন
হাজ্জাজের কাছে আনয়ন করা হলো, তখন হাজ্জাজ তাকে ঠাট্টা-বিদ্ধপ করে বলে, তুমি সাঈদ
ইবন জুবায়র না হয়ে তুমি আশন্শ্া৷কী ইবন কুসায়র ৷ ” তিনি বললেন, না আমি সাঈদ ইবন
জুবায়র ৷ হাজ্জাজ বলল, তোমাকে আমি অবশ্যই হত্যা করব ৷ সাঈদ বলেন, তাহলে আমি
তখন সাঈদ বা সৌভাগ্যবান হবো ৷ যেমন আমার মাতা আমার নাম ব্লেখেছিলেন ৷ হাজ্জাজ
বলল, তৃমি দৃর্ভাগা এবং তোমার মাও দৃর্ভাগা ৷ সাঈদ বলেন, এটা সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা
তোমার যেই ৷ তারপর সে বলল, তোমরা তার গর্দান কর্তন কর ৷ তখন সাঈদ বলেন, আমাকে
দুই রাকআত সালাত আদায় করার সময় দাও ৷ হাজ্জাজ বলল, তাকে ন্বৃণ্টানদের কিবলার দিকে

ঘুরিয়ে দাও ৷ তিনি বললেন, ণ্এ৷ ৷ র্দুৰুট্রু ন্ছুট্র ৷ টুপু খু; ট্রুপ্ অর্থাৎ মহান আল্লাহ বলেন, তুমি
যেদিকে মুখ ফিরাবে সেদিকেই মহান আল্লাহ বিরাজমান ৷ সুরায়ে বাকারা আয়াত ও ১১৫ ৷

হাজ্জাজ বলল, আমি তোমার থেকে আশ্রয় চাই, যেমন আশ্রয় চেয়েছিল মারইয়াম ৷ তিনি
বললেন, “মারইয়াম কিসের আশ্রয় চেয়েছিল ? হাজ্জাজ বলল, হযরত মারইয়াম বলেছিলেন,

অর্থাৎ “মারইয়াম বললেন ও ৷

তুমি যদি মহান আল্লাহ্কে ভয় কর, তবে আমি তােমা হতে দয়াময়ের শরণ নিচ্ছি’ সুরায়ে
মারইয়াম ও আয়াত ১৮ ৷

সুফিয়ান বলেন ও এরপরে সে মাত্র একজনকে হত্যা করতে পেয়েছিল ৷ অন্য এক বর্ণনায়
আছে সে তাকে বলেফ্লি “আমি তোমার এ দৃনিয়াকে উস্কে দেওয়া জাহান্নামে পরিণত করব ৷
তিনি বললেন ও আমি যদি এটা তোমার হাতে আছে বলে জানতাম, তাহলে তোমাকে ইলাহ
মনে করতাম ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, যখন সে তার হত্যার সংকল্প করল, তখন বলল ও

তাকে খ্রিস্টানদের কিবলার দিতে ঘুরিয়ে দাও ৷ তখন তিনি বললেন ও ন্পুট্র :fi;’: দু
ব্লুএে ৷ হ্ট্রু ট্রু অর্থাং তুমি যেদিকে মুখ ফিরাবে সেদিকেই মহান আল্পাহ্ বিরাজমান ৷ সুরায়ে
বাকারা আয়াত নং ১ ১ ৫ ৷ সে বলল ও মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে তুমি সজােরে আঘাত কর ৷

তিনি বললেন ও অর্থাং
“মৃত্তিকা হতে তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এটাতেই তােমাদেরকে ফিরিয়ে দিন এবং এটা হতে


فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ، وَقَدْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَقَدْ أَتَاهُ أَهْلُ الْكُوفَةِ يَسْأَلُونَهُ: أَلَيْسَ فِيكُمْ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ؟ وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَقَدْ مَاتَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَمَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَحَدٌ إِلَّا وَهُوَ مُحْتَاجٌ إِلَى عِلْمِهِ. وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ عَلَى الْحَجَّاجِ، فَلَمَّا ظَفِرَ الْحَجَّاجُ هَرَبَ سَعِيدٌ إِلَى أَصْبَهَانَ، ثُمَّ كَانَ يَتَرَدَّدُ فِي كُلِّ سَنَةٍ إِلَى مَكَّةَ مَرَّتَيْنِ; مَرَّةً لِلْعُمْرَةِ وَمَرَّةً لِلْحَجِّ، وَرُبَّمَا دَخَلَ الْكُوفَةَ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ فَحَدَّثَ بِهَا، وَكَانَ بِخُرَاسَانَ يَتَحَزَّنُ; لِأَنَّهُ كَانَ لَا يَسْأَلُهُ أَحَدٌ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْعِلْمِ هُنَاكَ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ مِمَّا يُهِمُّنِي مَا عِنْدِي مِنَ الْعِلْمِ، وَدِدْتُ أَنَّ النَّاسَ أَخَذُوهُ. وَاسْتَمَرَّ فِي هَذَا الْحَالِ مُخْتَفِيًا مِنَ الْحَجَّاجِ قَرِيبًا مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، ثُمَّ أَرْسَلَهُ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْحَجَّاجِ، فَكَانَ مِنْ مُخَاطَبَتِهِ لَهُ مَا ذَكَرْنَاهُ قَرِيبًا. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ " حِلْيَةِ الْأَوْلِيَاءِ ": ثَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ جَبَلَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ قَالَ: لَمَّا أُتِيَ بِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ إِلَى الْحَجَّاجِ قَالَ لَهُ: أَنْتَ شَقِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৩৫৯

পুনর্বার ণ্র্চুতাযাদেরকে বের করব ৷” তখন সে বলল, “তাকে যবহ কর ৷” সাঈদ বললেন :

১ শ্ ব্লু শ্

ৰু৷ ণ্,ষ্এ ৷ অর্থাং হে আল্লাহ আমার পরে কারোর উপর তুমি তাকে
শক্তি দিও না ৷

তার হত্যাকাণ্ড সম্বন্ধে অনেক দুর্বল হাদীস রয়েছে তার অধিকাংশ শগুলাে অশুদ্ধ ৷ এরপর
হাজ্জাজকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং তার শা ৷ন্তিকে তুরাম্বিত করা হয়েছে ৷ এরপর সে অল্প
কিছুদিন বেচে ছিল ৷ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, যে
তারপর ১৫ দিন জীবিত ছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৪০ দিন জীবিত ল্পি ৷ আবার কেউ
কেউ বলেন, ছয় মাস জীবিত ছিল ৷ মহান আল্লাহ অধিক পবিজ্ঞা ৷৩ ৷
সাঈদ ইবন জুবায়র (র) শহীদ হন ৷ কিন্তু তার বয়স সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ মতবিরোধ
করেন ৷ কেউ কেউ বলেন তার বয়স ছিল ৪৯ বছর ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার বয়স ছিল
৫৭ বছর ৷ আবুল কাসিম আল-লালকাঈ বলেন, তার শাহাদতের ঘটনা জ্জি ৯৫ হিজরীতে ৷
আর ইবন জারীর (র) উল্লেখ করেন যে, তার শহীদ হওয়ার ঘটনা ছিল এবছর অর্থাৎ ৯৪
হিজরী ৷ মহান আল্লাহ আইাক পরিজ্ঞাত ৷ ’
আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, সাঈদ ইবন জুবায়রের কিছু কথা আমি এখানে পেশ
, করছি ৷ তিনি বলতেন, উত্তম ভয় হলো মহান আল্লাহ্কে তুমি এমনভাবেও ভয় করবে, যে ভয়
তোমার ও তোমার গুনাহের মধ্যে অত্তরায় সৃষ্টি করে এবং তোমাকে মহান আল্লাহর ইবাদতে
উৎসাহিত করে ৷ আর এই ভয়ই হলো কল্যাণকর ৷ মহান আল্লাহর যিকিং হলো মহান আল্লাহর
ইবাদত ৷ যে মহান আল্লাহর ইবাদত করল যে তার যিকির করল ; আর যে তার ইবাদত করল
না, সে তার যিকিরও করল না যদিও সে বেশী বেশী করে তাসৰীহ ও কুরআন তিলাওয়াত
করে ৷ একদিন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো কোন ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী ইবাদতগুযার ? তিনি
জবাবে বলেন, যে ব্যক্তি গুনাহ হতে বিরত থাকে ৷ যখনই কোন ব্যক্তি তার গুনাহ স্মরণ করে
সে তখন তার আমলকে নপণ্য মনে করে ৷ হাজ্জাজ তাকে বলেছিল, তোমার জন্য দুর্ভাগ্য,
তখন তিনি বলেছিলেন, দুর্ভাগ্য ঐ ব্যক্তির জন্য যে জান্নাত হতে দুরে থাকে এবং জাহান্নামে
প্রবেশ করে ৷ সে বলল, তার গর্দান কর্তন কর ৷ তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ হে আল্লাহ ! আমি
তোমার কাছে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে পবিত্রাণ চাই ৷ হে হাজ্জাজ ! মহান আল্লাহর
দরবারে আমি তোমার প্রতিদ্বম্বী হব ৷ তারপর সে তাকে গর্দান দিয়ে যবাহ করল ৷ এ সংবাদ
হাসানের (রা) কাছে পৌছার পর তিনি বলেন, হে আল্লাহ হে পরাক্রমশালীদের চুর্ণশ্
বিচুর্ণকারী! হাজ্জাজকে তুমি চুর্ণ ৰিচুর্ণ করে দাও ৷ এরপর হাজ্জাজ মাত্র তিন দিন জীবিত
ছিল ৷ তার পেটে কিড়া জন্ম নেয় ৷ দুর্গান্ধর সৃষ্টি হয় এবং এভাবে সে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷
হাজ্জাজ যখন সাঈদের হত্যার হুকুম দেয়, তখন সাঈদ হাসি দেয় ৷ হাজ্জাজ বলল, তুমি হাসছ
কেন ? সাঈদ বললেনং “আমার প্ৰতি তোমার হিৎসা এবং তোমার প্ৰতি ৩আল্লাহ্র ধৈর্য দেখে
হাস্ছি ৷” বাংলায় ইসলামিক বই ডাউনালাড করতে তিজিট করুণঃ ইসলামি বই ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট

সাঈদ ইৰ্নুল মৃসাব্যিব
তার পুর্ণ নাম , আবু মুহাম্মদ সাঈদ ইবনুল মুসারািব ইবন হাযান ইবন আবু ওয়াহব ইবন
আইন ইবন ইমরান ইবন মাখবুম আল-কারশী আল-মুদনিফ ৷ সাধারণত তিনি তাবিঈগণের


بْنُ كُسَيْرٍ؟ قَالَ: لَا، إِنَّمَا أَنَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ. قَالَ: لَأَقْتُلَنَّكَ. قَالَ: أَنَا إِذًا كَمَا سَمَّتْنِي أُمِّي. ثُمَّ قَالَ: دَعُونِي أُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ. قَالَ: وَجِّهُوهُ إِلَى قِبْلَةِ النَّصَارَى. قَالَ: {فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ} [البقرة: 115] . قَالَ: إِنِّي أَسْتَعِيذُ مِنْكَ بِمَا اسْتَعَاذَتْ بِهِ مَرْيَمُ. قَالَ: وَمَا عَاذَتْ بِهِ؟ قَالَ: قَالَتْ: {إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَنِ مِنْكَ إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا} [مريم: 18] قَالَ سُفْيَانُ: لَمْ يَقْتُلْ بَعْدَهُ إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا. وَقَدْ ذَكَرْنَا صِفَةَ مَقْتَلِهِ إِيَّاهُ، وَقَدْ رُوِيَتْ آثَارٌ غَرِيبَةٌ فِي صِفَةِ مَقْتَلِهِ، أَكْثَرُهَا لَا يَصِحُّ، وَقَدْ عُوقِبَ الْحَجَّاجُ بَعْدَهُ وَعُوجِلَ بِالْعُقُوبَةِ، فَلَمْ يَلْبَثْ بَعْدَهُ إِلَّا قَلِيلًا ثُمَّ أَخَذَهُ اللَّهُ أَخَذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ كَمَا سَنَذْكُرُ وَفَاتَهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ فَقِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ بَعْدَهُ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: سِتَّةَ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَاخْتَلَفُوا فِي عُمْرِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، حِينَ قُتِلَ، فَقِيلَ: كَانَ عُمْرُهُ تِسْعًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: سَبْعًا وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬০

সরদার ছিলেন ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব ,(রা)-এর খিলাফতের দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর
তিনি জন্মগ্নহণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, দুই বছর বাকী থাকতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷
আবার কেউ কেউ বলেন, চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷

আল-হাকিম আবু আবদুল্লাহ-এর পেশকৃত অভিমত যে, তিনি দশজন সাহাবীর সাক্ষাত
পেয়েছেন, তার একটি ধারণা মাত্র ৷ মহান আল্লাহ অধিক পবিজ্ঞাত ৷ তবে তিনি তাদের থেকে
মুরসাল হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যেমন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে৩ তিনি অধিকাংশ সময়ে মুরসাল
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ হযরত উমর (রা) হতে তিনি বেশী হাদীস বর্ণনা করেন ৷ কেউ কেউ
বলেন, তিনি তার থেকে হাদীস শুনেছেন ৷ তিনি হযরত উছমান (রা), হযরত আলী (বা),
হযরত সাঈদ (রা) ও হযরত আবু হুরায়রাহ্ (রা) হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি হযরত
উমর (রা)-এর জামাত৷ ছিলেন ৷ আর তিনি হযরত উমর (রা)-এর হাদীস সম্পর্কে সকলের
চেয়ে বেশী জ্ঞাত ছিলেন ৷ এভাবে তিনি সাহাবীগণের একটি বড় দল হতে ৩হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি তাবিঈগণের একটি বড় জামাআত হা ন্ও হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আর তাদের
ব্যতীত অন্যদের থেকেও হাদীস বর্ণনা করেন ৷

হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেন, সাঈদ (বা) বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানী উলামায়ে
কিরামের অন্যতম ৷ ইমাম ৰুহয়ী বলেন, আমি তার কাছে সাতটি বছর উঠাবসা করেছি তবে
তিনি ব্যতীত অন্য কারো নিকট এরুপ জ্ঞান আছে বলে আমি ধারণা করি না ৷ মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক মাকহুল হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বিদ্যা অম্বেষণে আমি থবীর বহু জায়গায়
ভ্রমণ করেছি ৷ কিন্তু, সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রব হতে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি আর কাউকে পাই
নাই ৷ আওযাঈ (র) বলেন, আয-যুহরী ও মাকহ্রলকে জিজ্ঞাসা করা হলো : তোমরা যেসব
ফকীহগণের সাথে সাক্ষাত করেছ তাদের মধ্যে সব চেয়ে বড় ফকীহ কে ? তারা জওয়াবে
বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব ৷ অন্যান্যরা বলেন, তাকে ফকীহগণের ফর্কীহ বলা হয় ৷
ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ্যে৷ মাধ্যমে মালিক, সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্রব হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি ’
বলেন, আমি একটি হাদীসের অম্বেষণে কয়েকদিন যাবত ভ্রমণ করতেছিলড়াম ৷ মালিক বলেন,
আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সাঈদ ইবন আল মৃসায়িদ্রব এর
কাছে লোক প্রেরণ করে তার কাছে হযরত উমর (রা)-এর বিচার ও সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে প্রশ্ন
করতেন ৷ আর রাবী, আশ-শাফিঈ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সাঈদ ইবনুল
মুসায়িত্রবের মুরসাল হাদীস আমাদের কাছে হাসান হিসেবে গণ্য ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল
বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিবের মুরসাল হাদীসগুলো সহীহ্ ৷ তিনি আরো বলেন, সাঈদ
ইবনুল মুসায়িবে তাবিঈগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷

আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তাবিঈগণের মধ্যে জ্ঞানের দিক দিয়ে সাঈদ ইবনুল
মৃসায়িদ্রবের ন্যায় এত প্রশস্ত আমি আর কাউকে মনে করি না ৷ তিনি আরো বলেন, সাঈদ যদি
বলে, এ ব্যাপারে হাদীস বর্ণিত আছে, তাহলে এটাই তে ৷মার জন্যে যথেষ্ট ৷ তিনি আরো
বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব আমার কাছে৩ তাবিঈগণের শ্রেষ্ঠ ৷

আহমদ ইবন আবদুল্লাহ আল-আজালী বলেন৪ সাঈদ (র) একজন ফকীহ ও সৎ ব্যক্তি ৷
তিনি কোন উপচৌকন গ্রহণ করতেন না ৷ তার চারশত দীনার মুল্যমান সামগ্রী ছিল ৷ তিনি
তেলের ব্যবসা করতেন ৷ তিনি ছিলেন কানা ৷ আবু যুরআ বলেন, তাবিঈগণের মধ্যে তার চেয়ে
অধিক সম্মানী আর কেউ ছিলেন না ৷ তিনি আবু হুরায়রাহ্ (রা) সম্বন্ধে দৃঢ় আস্থা পােষণকারী
ছিলেন ৷ আল্পাম৷ আল ওয়াকিদী (র) বলেন, তিনি ফকীহগণের ইনৃতিকা ৷লের বছর ইন্তিকাল
করেন ৷ আর এটা হল ৯৪ হিজরীর কথা ৷ তার বয়স হয়েজ্যি ৭৫ বছর ৷ মহান আল্লাহ্ তার
উপর রহম করুন ৷


قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ اللَّالَكَائِيُّ: كَانَ مَقْتَلُهُ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ مَقْتَلَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ; سَنَةِ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ بْنُ حَزْنِ بْنِ أَبِي وَهْبِ بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ الْمَخْزُومِيُّ، سَيِّدُ التَّابِعِينَ عَلَى الْإِطْلَاقِ، وُلِدَ لِسَنَتَيْنِ مَضَتَا - وَقِيلَ: بَقِيَتَا - مِنْ خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. وَقِيلَ: لِأَرْبَعٍ مَضَيْنَ مِنْهَا. وَقَوْلُ الْحَاكِمِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّهُ أَدْرَكَ الْعَشَرَةَ. وَهْمٌ مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَكِنْ أَرْسَلَ عَنْهُمْ كَمَا أَرْسَلَ كَثِيرًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْ عُمَرَ كَثِيرًا، فَقِيلَ: سَمِعَ مِنْهُ. وَقِيلَ: لَمْ يَسْمَعْ. وَعَنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَسَعْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَكَانَ زَوْجَ ابْنَتِهِ وَأَعْلَمَ النَّاسِ بِحَدِيثِهِ وَرَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَحَدَّثَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَخَلْقٍ مِمَّنْ سِوَاهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬১

সাঈদ ইবনুল ,মুসায়িকুব তার আর ব্যয় সম্পর্কে একজন অত্যন্ত পরাহযগার ব্যক্তি ছিলেন ৷
দুনিয়ার আসবাবপত্র সম্পর্কে জনগণের মধ্যে খুব পরহেযগার ছিলেন ৷ অনর্থক কথাবার্তা বলা
হতে বিরত থাকতেন ৷ হাদীস সম্পর্কে খুব আদর রক্ষা করতেন ৷ একদিন এক ব্যক্তি তার
নিকট আগমন করল ৷ তিনি ছিলেন পীড়িত ৷ ণ্লাকটি তাকে একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করল ৷ তখন তিনি উঠে বললেন ও তাকে হাদীস শুনালেন ৷ তারপর তিনি শুয়ে পড়লেন
লোকটি বলল, আপনি সোজা হয়ে উঠে কষ্ট না করুন এটাই আমি চইি ৷ তিনি বললেন, আমি
শুয়ে শুয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাদীস বর্ণনা করাকে খারাপ মনে করি ৷ তার গোলাম বাবদ
বলেন, ৪০ বছর যাবত আমি দেখেছি যখনই সালাতের জন্য আধান দেওয়া হতো তখনই
সাঈদ মসজিদে সালাতেব জন্য উপস্থিত থাকতেন ৷

ইবন ইদরীস বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্রব সালাতে ইশার উবু দিয়ে পঞ্চাশ বছর যাবত
সালাতে ফজর আদায় করছেন ৷
সাঈদ বলেনং : তোমরা যালিমদের সহায়তায় সুখ-ভোগ করো না এবং অন্তর দিয়ে
এগুলোর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে তাতে তোমাদের সৎ আমল নষ্ট হয়ে না ৷ তিনি আরো
বলেন, শয়তান ঐ সব বস্তু হতে নিরাশ হয়ে যায়, যা মহিলাদের পক্ষ থেকে আসে ৷ তিনি
আরো বলেন, বান্দাদের কাছে মহান আল্লাহ্র ইবাদতের ন্যায় সম্মানী বস্তু আর কিছুই নেই ;
অনুরুপভাবে মহান আল্লাহর নাফরমানীর ন্যায় অপমানজ্যাক বস্তু বন্দোর কাছে আর কিছুই
নেই ৷ তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তির জন্য তার শত্রুকে মহান আল্লাহ্র নাফরমানী করতে
দেখা তার জন্যে মহান আল্লাহর একটি বড় সাহায্য হিসাবে গণ্য ৷ তিনি আরো বলেন, যিনি
মহান আল্লাহর উপর নিভর করেন সকল লোকই তার মুখাপেক্ষী হয় ৷ তিনি আরো বলেন,
দুনিয়াটা নগণ্য এবং ইহা প্রতিটি নপণ্য বস্তুর দিকেই বেশী আকৃষ্ট ৷ যে ব্যক্তি অসৎ উপায়ে
দুনিয়া অর্জন করে এবং অসৎ পথে তা ব্যয় করে সে দুনিয়া হতে বেশী নিকৃষ্ট ৷ তিনি আরো
বলেন, যেকোন ভদ্র, বিদ্বান ও মর্যাদাবান ব্যক্তির মধ্যে কিছু না কিছু ত্রুটি আছে, , তবে
জনগণের মধ্যে এমন লোকও আছে যার দোষ উল্লেখ করা সমীচীন নয়৷ তিনি আরো বলেন,
যার দোষ থেকে গুণ বেশী, গুণের জন্যই দােষকে বিসর্জন দিতে হয় ৷

সাঈদ ইবনুল মুসায়িব দুই দিরহাম মাহরের বিনিময়ে তার কন্যাকে কাহীর ইবন আবু
ওদাআর কাছে বিয়ে দেন ৷ কন্যা ছিলেন খুব সুন্দরী, শিষ্টাচারিণী, মহান আল্লাহ্র কিতাব ও
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সুন্নাত সম্পর্কে অত্যন্ত জ্ঞানী এবং স্বামীর অধিকার সম্পর্কে সকলের চেয়ে
বেশী ওয়াকিফহাল ৷ তার স্বামীর আর্থিক অবস্থা ছিল অসচ্ছল ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রব পাচ
হাজার মুদ্রা কেউ কেউ বলেন, বিশ হাজার মুদ্রা প্রেরণ করেন এবং বলেন এটা হতে খরচ কর ৷
এ ব্যাপারে তার ঘটনাটি খুবই প্রসিদ্ধ ৷ আবদুল মালিক তার ছেলে আল-ওয়ালীদের সাথে
সাঈদ ইবনুল মুসায়িদ্রবের কন্যার বিয়ের জন্যে প্রস্তাব দেন ৷ রুিন্তু, সাঈদ তার কন্যাকে বিয়ে
দিতে অস্বীকার করেন ৷ আবদুল মালিক তার উপর অসভুষ্ট হন এবং তাকে বেত্রাঘাত করেন ৷
আবদুল মালিকের খিলাফ্ত আমলে আল-ওয়ালীদেয় প্রতি বায়আত করার বিষয়টি যখন পবিত্র
মদীনায় প্রচারিত হলো তখন সাঈদ বায়আত করতে অস্বীকার করার পবিত্র মদীনায় নায়েব
হিশাম ইবন ইসমাঈল তাকে বেত্রাঘাত করে ও তাকে পবিত্র মদীনায় প্রদক্ষিণ করার ৷ তবে
তরবারির সামনে উপস্থিত করা হয় ৷ তিনি স্থানটি অতিক্রম করেন ৷ কিন্তু বায়আত করলেন
না ৷ যখন তারা তাকে তলোয়ারের ভয় দেখলে, তখন তাকে একজন মহিলা দেখে বলল, হে
সাঈদ ! এটা কি অপমান নয় ? সাঈদ বলেন, তুমি তাে দেখছো অপমান হতে আমি দুরে


قَالَ ابْنُ عُمَرَ: كَانَ سَعِيدٌ أَحَدَ الْمُفْتِينَ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: جَالَسْتُهُ سَبْعَ حِجَجٍ، وَأَنَا لَا أَظُنُّ عِنْدَ أَحَدٍ عِلْمًا غَيْرَهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: طُفْتُ الْأَرْضَ كُلَّهَا فِي طَلَبِ الْعِلْمِ، فَمَا لَقِيتُ أَعْلَمَ مِنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: سُئِلَ الزُّهْرِيُّ وَمَكْحُولٌ: مَنْ أَفْقَهُ مَنْ لَقِيتُمَا؟ قَالَا: سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ. وَقَالَ قَتَادَةُ: مَا رَأَيْتُ أَعْلَمَ بِالْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مِنْهُ. وَكَانَ الْحَسَنُ إِذَا أَشْهَلَ عَلَيْهِ شَيْءٌ كَتَبَ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ. وَقَالَ غَيْرُهُ كَانَ يُقَالُ لَهُ: فَقِيهُ الْفُقَهَاءِ. وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ: كُنْتُ أَرْحَلُ الْأَيَّامَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৬২
وَاللَّيَالِيَ فِي طَلَبِ الْحَدِيثِ الْوَاحِدِ. قَالَ مَالِكٌ: وَبَلَغَنِي أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُرْسِلُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ يَسْأَلُهُ عَنْ قَضَايَا عُمَرَ وَأَحْكَامِهِ. وَقَالَ الرَّبِيعُ عَنِ الشَّافِعِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: إِرْسَالُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عِنْدَنَا حَسَنٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: هِيَ صِحَاحٌ. قَالَ: وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَفْضَلُ التَّابِعِينَ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: لَا أَعْلَمُ فِي التَّابِعِينَ أَوْسَعَ عِلْمًا مِنْهُ. وَإِذَا قَالَ سَعِيدٌ: مَضَتِ السُّنَّةُ. فَحَسْبُكَ بِهِ، وَهُوَ عِنْدِي أَجْلُّ التَّابِعِينَ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ: كَانَ سَعِيدُ رَجُلًا صَالِحًا فَقِيهًا، كَانَ لَا يَأْخُذُ الْعَطَاءَ، وَكَانَتْ لَهُ بِضَاعَةٌ، أَرْبَعُمِائَةِ دِينَارٍ، وَكَانَ يَتَّجِرُ فِي الزَّيْتِ، وَكَانَ أَعْوَرَ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: مَدَّنِيٌّ ثِقَةٌ إِمَامٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৩

থাকার চেষ্টা করছি ৷ অর্থাৎ যদি আমি তাদের কথা মান্য করি, তাহলে আমি দুনিয়া ও
আখিরাতে অপমানিত হয় ৷ তিনি তার পিঠে বকরীৱ কাচা চামড়া বহন করতেন ৷ তার ছিল
কিছু সামগ্রী, তা দিয়ে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন এবং বলাতন, হে আল্লাহ! তুমি তাে
জানাে, আমি তো কৃপণতা কিত্বা অর্থের লোড লালসা, দুনিয়ার মহব্বত এবং পার্থিব
সুখ-শান্তি অর্জনের জন্যে এ সম্পদ ধরে রাখিনি ৷ বরং আমি এ সম্পদ দ্বারা বনু মারওয়ান
হতে আমার নিজকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি, যতক্ষণ না আমি মহান আল্লাহর সাথে মুলাকাত
করব, তখন তিনি আমার ও তাদের মধ্যে ফায়সালা করবেন ৷ এ সম্পদ দ্বারা আমি আমার
আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখছি ৷ তার থেকে তাদের হক আদায় করছি এবং এ সম্পদ দ্বারা

ক্রো, ফকীর, মিসকীন, ইয়াতীম ও প্রতিবেশীদের খিদমত করে যাচ্ছি ৷ মহান আল্লাহ
তা আল৷ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

তাল্ক ইবন হাবীব আল-আনাষী
তিনি একজন সম্মানিত তাবিঈ ৷ তিনি জানান (রা), জাবির (রা), ইবন যুবায়র (রা),

ইবন আব্বাস (রা) , আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ও অন্যান্য থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আর
তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, হুমায়দ আত-তাবীল, আল-আমাশ এবং তাওস ৷ তারা
ছিলেন তার সমসাময়িক ৷ আমর ইবন দীনার তার প্রশংসা করেন ৷ একের অধিক ইমামগণও
তার প্রশংসা করেন ৷ বিভু, তারা তার সম্বন্ধে কিছু আপত্তি পেশ করেন ৷ এ হিসেবে যে, তিনি
ইরজা’ এ বিশ্বাস করেন ৷ যারা ইবনুল আশআছের সাথে সপ্রোম করেছিল তিনি তাদের

ক্তছিভ্রুলন ৷ তিনি বলা তন তাকওয়ার মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী কর ৷ তাকে বলা হলো
তাকওয়৷ কি বর্ণনা করুন ৷ তিনি বললেন, তাকওয়৷ মহান আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে মহান
আল্লাহর নুরের আলোকে মহান আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা রেখে আমল করা ৷ মহান
আল্লাহর নুরের আলোকে মহান আল্লাহর আযাবকে ভয় করে মহান আল্লাহর নাফরমানী বর্জন
করা ৷ তিনি আরো বলেন, বান্দা মহান আল্লাহর অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠিত করার চেয়ে মহান
আল্লাহর অধিকারগুলোর পরিধি অনেক বড় ৷ মহান আল্লাহর নিয়ামতসমুহ অগণিত এবং বান্দার
নিআমতের শুকরগুযারী হতে নিআমতের পরিধি অনেক বড় ৷ তবে তোমরা সকালে ও বিকালে
মহান আল্লাহর কাছে তাওবা কর ৷ তালক যখন সালাত আদায় করতে বের হতেন, তখন তার
সাথে সাদকাহ্ করার জন্যে কিছু সামগ্রী থাকত ৷ আর যদি কোন সামগ্রী সাথে নেওয়া সম্ভব
হতো না, তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক পুনজীবিত করতেন ৷ তিনি বলতেন, আল্লাহ তাআলা

ণ্ )

অর্থাৎ“ হে মু মিনগণ ৷ তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে চুপি চুপি কথা বলতে চাইলে, তার

পুর্বে সাদাকাহ প্রদান করবে ৷ ” (সুরায়ে মুজাদালাহ : আয়াত নং ১২) কাজেই মহান আল্লাহর
সাথে চুপি চুপি কথা বলতে চইিলে তার পুর্বে সাদাকাহ করা অনেক বড় কাজ ৷

মালিক বলেন, তালুক ইবন হাবীবকে হাজ্জাজ হত্যা করে এবং এক জামাআত কারীকেও
সে হত্যা করে ৷ তাদের মধ্যে একজন সাঈদ ইবন জুবায়ৱ ৷ ইবন জারীর উল্লেখ করেন, খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ আল কাসরী পবিত্র মক্কা হতে তিন জনকে হাজ্জ্বাজের কাছে প্রেরণ করেছিল ৷
তারা মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়ৱ এবং তালক ইবন হাবীব ৷ তারপর তালক রাস্তায়
ইনুতিকাল করেন এবং মুজাহিদকে বন্দী করা হয় ও সাঈদ ইবন জুবায়রকে যবাহ করে শহীদ
ব্বা হয় ৷


وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَيْسَ فِي التَّابِعِينَ أَنْبَلُ مِنْهُ، وَهُوَ أَثْبَتُهُمْ فِي أَبِي هُرَيْرَةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ الْفُقَهَاءِ، وَهِيَ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ، عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৪


উরওয়াহ্ ইবনুয যুবায়র ইবনুল আওয়াম

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু আবদৃল্লাহ্ উরওয়াহ্ ইবনুয যুবায়র ইবনুল আওয়াম আল-কারশী
আল আসাদী আল-মাদানী ৷ তিনি একজন সম্মানিত তাবিঈ ৷ তিনি তার পিতা ও চারজন
আবদুল্লাহ্ যথা আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা), আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা), আবদুল্লাহ্ ইবন
মাসউদ (বা) ও আবদুল্লাহ ইবন জাফর (রা), আমীর মুআবিয়া (রা), আল-মুগীরা (বা),
আবু হুরায়রা (বা), তার মাতা আসম৷ (বা), তীর খালা আইশা (বা) এবং উম্মে সালাম৷ (রা)
হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাবিঈগণের একটি বড় জামাআত ও তাদের ব্যতীত বহু লোকজন
তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেন, উরওয়াহ্ বিশ্বস্ত, বহু হাদীস বর্ণনাকারী যোগ্য ও দক্ষ
আলিম ৷ অ ল আজালী বলেন, তিনি একজন মাদানী তাবিঈ ও সৎ ব্যক্তি ৷ তিনি কখনও
ণ্কা ন ৷ফিতনার সাথে জড়িত হননি ৷

আল্পামা আ ল ওয়াকিদী (র) বলেন, তিনি একজন ফকীহ, আলিম, হাফিয, বিশ্বস্ত, সুদক্ষ
ও সীরাত সম্বন্ধে ওয়াকিহাল ৷ তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি কিতাবুল মাগাযী অর্থাৎ মহান আল্পাহ্র
পথে জিহাদকারিগণের গুণগরিমা ও ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কিত বিবরণী রচনা করেন ৷ তিনি পবিত্র
মদীনায় বিশিষ্ট ফকীহগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণও তাকে বহু
মাসআলা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতেন ৷ তিনি ছিলেন জনগণের মধ্যে কবিতার প্রতি অধিক আগ্রহী
ও আত্মতৃপ্ত ৷ তার ছেলে হিশাম বলেন, জ্ঞান অর্জন তিনজনের যে কোন একজনের জন্য প্রাপ্য ৷;
বংশ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি যাকে তার বংশ মর্যাদার ণ্শাভ৷ বর্ধন করে , কিৎবা দীনদার ব্যক্তি যায়
দ্বীন বা ধর্ম তাকে সব সময় চিন্তায় মগ্ন রাখে কিৎবা যিনি বাদশাহর সাথে মিলামিশা করেন ৷
বাদশাহ্ তাকে প্রচুর সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে উপহার দেয় ৷ আর ঐ লোকটি জ্ঞানের বদৌলতে
তার থেকে পরিত্রাণ পায় এবং ধ্বংসে পতিত হয় না ৷ তিনি আরো বলেন, উপরোক্ত তিনটি শর্ত
উরওয়াহ্ ইবন যুবায়র (র) ও উমর ইবন আবদুল আযীয (র) ব্যতীত অন্য কারো মধ্যে পাওয়া
যায় বলে আমার জানা নেই ৷ উরওয়াহ্ ইবনুয যুবায়র (র) প্রতিদিন পবিত্র কুরআনের এক-
চতৃর্থাং শ পাঠ করতেন এবং রাতের বেলায় সালাতে তা পুনরায় তিলাওয়াত করতেন ৷ তিনি
খেজুর থাকার সময় বাগানের দেওয়ালেয় মুখ জনগণের জন্যে খুলে দিতেন ৷ জনগণ বাগানে
ঢুকত এবং খেজুর ভক্ষণ করত ৷ থাকার সময় শেষ হয়ে গেলে পুনরায় মুখ বন্ধ করে দিতেন ৷

আয-যুহরী (র) বলেন : উরওয়াহ্ এক বিদ্যার সাগর ছিলেন, যার পানি কোন কািও
শুকায় না কিংবা বালতি ও তার তলদ্যেশ কাদা জমাট করে না ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
বলেন, উরওয়াহ্ থেকে অধিক বিদ্বান আর কেউ নেই ৷ আর যা আমি জানি না তা তিনি জানেন
বলেও আমি তাকে মনে করি না ৷ একাধিক ব্যক্তি ৩াকে, পবিত্র মদীনায় ঐরুপ সাতজ্যা
ফকীহর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন, যায়৷ আমার নিকটবর্তী ৷ তিনি উক্ত দশজন ফকীহ্র অন্তর্ভুক্ত
ছিলেন, যাদের থেকে পবিত্র মদীনায় আমীর উমর ইবন আবদুল আযীয (র) তার আমলে
পরামর্শ গ্রহণ করতেন ৷ একাধিক উৎস থেকে জানা যায় যে, তিনি দামেশৃকে আল ওয়ালীদের
কাছে একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে সাক্ষাত করেন ৷ যখন তিনি সেখান থেকে ফেরত
আসছিলেন, তখন তার পায়ে ক্ষতোত্পাদক রোগ দেখা দেয় ৷ চিকিৎসকগণ তার পা কেটে
ফেলার পরামর্শ দেন এবং তাকে একটি সিরাপ বা পানীয় পান করতে বলেন, যার ফলে
ক্ষণিকের জন্যে বুদ্ধিমত্তা হারিয়ে যায় এবং কোন প্রকার ব্যথা অনুভুত হয় না ৷ আর তারাও
তার পা অনায়াসে কেটে নিতে পারে ৷ তখন তিনি বলেন, যে মহান আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস


طَلْقُ بْنُ حَبِيبٍ الْعَنَزِيُّ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَنَسٍ، وَجَابِرٍ، وَابْنِ الزُّبَيْرِ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، وَالْأَعْمَشُ وَطَاوُسٌ، وَهُوَ مِنْ أَقْرَانِهِ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي قِرَاءَتِهِ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَلَكِنْ تَكَلَّمُوا فِيهِ مِنْ جِهَةِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ بِالْإِرْجَاءِ. وَقَدْ كَانَ فِيمَنْ خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَكَانَ يَقُولُ: اتَّقُوهَا بِالتَّقْوَى. فَقِيلَ لَهُ: صِفْ لَنَا التَّقْوَى. فَقَالَ: التَّقْوَى الْعَمَلُ بِطَاعَةِ اللَّهِ عَلَى نُورٍ مِنَ اللَّهِ، رَجَاءَ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَالتَّقْوَى تَرْكُ مَعَاصِي اللَّهِ، عَلَى نُورٍ مِنَ اللَّهِ; مَخَافَةَ عَذَابِ اللَّهِ. وَقَالَ أَيْضًا: إِنَّ حُقُوقَ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ أَنْ يَقُومَ بِهَا الْعِبَادُ، وَإِنَّ نِعَمَهُ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ تُحْصَى، وَلَكِنْ أَصْبِحُوا تَائِبِينَ، وَأَمْسُوا تَائِبِينَ. قَالَ مَالِكٌ: قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ وَجَمَاعَةً مِنَ الْقُرَّاءِ; مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৫

রাখে আমি মনে করি না যে, যে এমন পানীয় পান করতে পারে যার দ্বারা ক্ষণিকের জন্যে
হলেও তার বুদ্ধিমত্তা হারিয়ে যায়৷ ফলে সে তার প্রতিপালককে ভুলে যায় ৷ বরং তোমরা
এগিয়ে এস এবং তোমরা আমার পা কেটে নাও ৷ তারা;তার পা হার্টু থেকে কেটে নিল, তিনি
চুপচাপ ছিলেন, কোন কথা বলেননি এবং কোন উহ-আহ বলেননি ৷ বর্ণিত রয়েছে চিকিৎসকরা
তার পা কোট নিয়েছেন ৷ আর তিনি ছিলেন সালাত আদায়ে নিমগ্ন ৷ সালাতে মগ্ন থাকায় তিনি
কোন প্রকার ব্যথা অনুভব করেননি ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ যে রাতে তীর পা কেটে
খেলা হয়, মুহাম্মদ নামী তার অত্যন্ত প্রিয় সন্তান ঘরের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা যায় ৷
লোকজন তীর কাছে প্রবেশ করল ও সমবেদন৷ জ্ঞাপন করল ৷ তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্!
তোমার জন্যেই সকল প্রশংসা ৷ আমার সন্তানেরা ছিল সাত জন, তুমি একজনকে নিয়ে পেছ ৷
তারা এখন বাকী রয়েছে ছয়জন ৷ আর আমার ছিল চারটি অঙ্গ ৷ তার মধ্যে থেকে তুমি একটি
নিয়ে পেছ আর বাকী রয়েছে তিনটি ৷ তুমি নিয়ে নিতে পার, কেননা, তৃমিই তো প্রদান
কারছিলে ৷ আর তুমি যদি এই নেওয়ার দ্বারা আমাকে পরীক্ষা করে থাক তাহলে তুমি আমার
নিরাপত্তা বিধান কর ৷

আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, একাধিক ইতিহাসবিদ উল্লেখ করেন যে, উরওয়াহ্
ইবন যুবায়র (র) যখন আল-ওয়ালীদের কাছে সাক্ষাতের জন্যে দামেশৃকের উদ্দো;শ্য পবিত্র
মদীনা ত্যাগ করেন ৷ পবিত্র মদীনায় নিকটবর্তী একটি উপত্যকায় তার পায়ে ক্ষভােৎপাদক
রোগ দেখা দেয় ৷ আর সেখানেই ছিল তার এ রোগের প্রারম্ভ ৷ তিনি ধারণা করেছিলেন, যে
রোগ দেখা দিয়েছে এটা বেশী দিন থাকবে না ৷ তাই তিনি নিশ্চিন্তায় পথ চলতে লাগলেন ৷
যখন তিনি দামেশৃকে পৌছেন, তখন দেখা গেল যে, তীর পায়ের নলীর অর্ধেক এ রোগ খােয়
ফেলেছে ৷ তিনি তখন ওয়ালীদের কাছে প্রবেশ করলেন ৷ আল-ওয়ালীদ বিজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে
উরওয়াহ্ এর চিকিৎসার জন্যে একত্রিত করলেন ৷ চিকিৎসকরা অভিমত ব্যক্ত করলেন যে, যদি
তার পা কেটে ফেলে না দেওয়া হয় তাহলে এ রোগ উরওয়াহ্র উরুর উপরিভাগ পর্যন্ত খেয়ে
নেবে এবং ভবিষ্যতে তা সমস্ত শরীরকে গ্রাস করতে পারে ও খেয়ে নিতে পারে ৷ এ তথ্য
জানা পর উরওয়াহ্ তার পা কর্তনের সম্মতি প্রদান করলেন ৷ তখন তারা তাকে বললেন, আমরা
কি আপনার চেতনা শক্তি বিলুপ্ত করার জন্যে মুরাক্কিদ নামক একটি শরবত পান করতে দেব
না ? যার দরুন আপনার চেতনাশক্তি লোপ পেয়ে যাবে তাও আবার ক্ষণিকের জন্যে, আর
আপনি কর্তনের কোন ব্যথা অনুভব করবেন না ৷ উরওয়াহ্ বললেন, না, মহান আল্লাহর শপথ,
আমি মনে করি না যে, কেউ এ শরবত পান করতে পারে কিৎবড়া এমন কিছু পেতে পারে, যার
দ্বারা তার বুদ্ধিমত্তা লোপন্ পেয়ে যাবে ৷ তবে যদি আপনাদের এটা করতেই হয়, তাহলে
আপনারা তাই করুন আর আমি সালাতে মগ্ন থাকর ও কোন প্রকার ব্যথা অনুভব করব না ৷
এমনকি এ ব্যাপারে কোন খবরও থাকবে না ৷ বর্ণনাকারী বলেন : চিকিৎসকরা ক্ষত জায়গার
উপরাংশের অক্ষত স্থান থেকে পা কেটে নিলেন যাতে ক্ষত কোন জায়গা বাকী না থাকে ৷ আর
তিনি ছিলেন সালাতে নিমগ্ন ৷ তিনি কোন প্রকার নড়াচড়াও করেননি ৷ যখন সালাত সমাপ্ত
করলেন, আল-ওয়ালীদ তার পায়ের জন্য তার কাছে সমবেদন৷ জ্ঞাপন করলেন, উরওয়াহ্ তখন
বললেন, হে আল্লাহ্৷ তােমারই জন্যে সমস্ত প্রশংসা, আমার চারটি অংগ ছিল তুমি একটি নিয়ে
গেছ ৷ যদি তুমি নিয়ে থাক, বাকীও তাে রেখে পেছ ৷ আর যদি তুমি আমাকে পরীক্ষা কর,
তাহলে তুমি আমার নিরাপত্তা বিধান কর ৷ তুমি যদি নিয়েই যাও, তাহলে ভুমিই তো আমাকে
দান করেছিলে ৷ দামেশৃকে যখন র্তড়ার কাজ সমাপ্ত হয় তখন তিনি পবিত্র মদীনায় প্রত্যাবর্তন


وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِيمَا سَبَقَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ بَعَثَ مِنْ مَكَّةَ ثَلَاثَةً إِلَى الْحَجَّاجِ، وَهُمْ مُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَطَلْقُ بْنُ حَبِيبٍ، فَمَاتَ طَلْقٌ فِي الطَّرِيقِ، وَحُبِسَ مُجَاهِدٌ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِ سَعِيدٍ مَا كَانَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيُّ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَبِيهِ، وَعَنِ الْعَبَادِلَةِ، وَمُعَاوِيَةَ، وَالْمُغِيرَةِ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأُمِّهِ أَسْمَاءَ، وَخَالَتِهِ عَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَخَلْقٌ مِمَّنْ سِوَاهُمْ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ عُرْوَةُ ثِقَةً، كَثِيرَ الْحَدِيثِ، عَالِمًا مَأْمُونًا ثَبَتًا. وَقَالَ الْعِجْلِيُّ: مَدَّنِيٌّ، تَابِعِيٌّ، رَجُلٌ صَالِحٌ، لَمْ يَدْخُلْ فِي شَيْءٍ مِنَ الْفِتَنِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ فَقِيهًا، عَالِمًا، حَافِظًا، ثَبَتًا، حُجَّةً، عَالِمًا بِالسِّيَرِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ صَنَّفَ الْمَغَازِيَ، وَكَانَ مِنْ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ الْمَعْدُودِينَ، وَلَقَدْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ، وَكَانَ أَرْوَى النَّاسِ لِلشِّعْرِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ: الْعِلْمُ لِوَاحِدٍ مِنْ ثَلَاثَةٍ: لِذِي حَسَبٍ يُزَيِّنُهُ بِهِ، أَوْ ذِي دِينٍ
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৬

করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন ৪ আমরা কখনও তাকে তার পা এবং সন্তান হারিয়ে যাবার কথা
উল্লেখ করতে শুনি নাই ৷ এ ব্যাপারে তিনি কারো কাছে অভিযােগও করেন নাই ৷ তিনি
ওয়াদিউল কুরা নামক স্থানে প্রবেশ করেন ৷ উক্ত জায়গার যেখানে তার ক্ষাতাৎপাদক রোগ
দেখা দিয়েজ্জি, সেখানে পৌছার পর তিনি সুরায়ে কাহফের ৬২নং আয়াতাং শ তিলাওয়াত
অর্থাৎ আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত
হয়ে পড়েছি ৷ যখন তিনি পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করেন লোকজন এসে তাকে সালাম করল এবং
তার পা ও সন্তানের জন্যে সমবেদনা জ্ঞাপন করল ৷ যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, কেউ কেউ
বলছে কোন বিরটি পাপের জন্যেই তিনি এ মুসীবতে পতিত হয়েছেন ৷ তখন উরওয়াহ্ এ
সম্পর্কে নীচের কবিতাগুলো পাঠ করেন ৷ কবিতাগুলো মাআন ইবন আওসের রচিত বলে
ইতিহাসবিদগণ মনে করেন ৷

“তোমার আয়ুর শপথ, আমার হাত কোন দিনও কোন সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়নি ৷
আর আমার পাও কোন সময় আমাকে ব্যভিচারী কাজের দিকে নিয়ে যায়নি ৷ আমার শ্রবণশক্তি
ও দৃষ্টিশক্তি আমাকে ব্যভিচারের প্রতি প্রলুব্ধ করেনি ৷ আমার অভিমত ও আমার বিবেক-বুদ্ধি
আমাকে ব্যতিচারের দিকে পথ প্রদর্শন করেনি ৷ আমার জীবিতকালে আমি কোন প্রকার খারাপ
কাজের দিকে পা বাড়াইনি ৷ আর এরুপ খারাপ কাজের দিকে আমার মত কোন মানুষ পা
রাড়ায় না ৷ আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আমার আত্মা কোন দিনও পক্ষপাতািছু করেনি ৷ তবে আমার
ও আমার পরিবারের কাছে যতদিন মেহমান অবস্থান করে, সেরা শুশ্রাষায় তাকে আমি আমার
চেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দেই ৷ আমি জানি যে কোন সময় কোন মুসীবত আমাকে এরুপে স্পর্শ
করতে পারে ৷ যেমন আমার মত অন্য কোন যুবককে এরুপ মুসীবত স্পর্শ করে থাকে ৷

অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, উরওয়াহ্ ইবন যুবায়র (র) বলেন, হে আল্লাহ্ ! আমার হ্নিা
চারটি ছেলে সন্তান ৷ তুমি একটি নিয়ে গেছ ৷ আর তিনটি বাকী রেখে গেছ ৷” এ হাদীসটি
হিশামও উল্লেখ করেছেন ৷ মাসলামাহ ইবন মুহারিব বলেন : উরওয়াহ্-এর পায়ে ক্ষতোৎপাদক
রোগ দেখা দেয়, তখন তার পা কেটে ফেলা হয় ৷ এ কাজের সময় কেউ তাকে জোর করে ধরে
রাখেনি এবং সে রাতে তিনি তার নিয়মিত ওয়াযীফাও বর্জন করেননি ৷ আল-আণ্ডযাঈ (রা)
বলেন : উরওয়াহ্ (র)-এর পা যখন কেটে ফেলা হয়, তখন তিনি বলেন, হে আল্পাহ্৷ তুমি তো
জান আমি এ পা দিয়ে কোন দিন খারাপ কাজে গমন করিনি ৷ তিনি পুর্ববর্তী দুটি কবিতা
আবৃত্তি করেন ৷ উরওয়াহ্ (র) একদিন এক লোককে হাল্কাভাবে সালাত আদায় করতে
দেখলেন ৷ তিনি তখন তাকে কাছে ডাকেন ও বলেন, হে ভাই ! তোমার এরুপ সালাতের
প্রয়োজন কি আল্লাহ্ রাববুল আলামীনের আছে ? আমি আমার সালাতে আল্লাহ্ রাববুল
আলামীনের কাছে সবকিছু চইি এমনকি তার কাছে লবণও চইি ৷ উরওয়াহ্ (র) আরো বলেন :
অনেক সময় আমার ধারণকৃত খারাপ কথাই আমাকে প্রচুর সম্মানের অধিকারী করেছে ৷ তিনি
তার সত্তানগণকে বলেন : যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে নেক আমল করতে দেখবে, জেনে
রাখবে, তার কাছে অন্য একটি নেক আমলও আছে ৷ অন্যদিকে যখন তোমরা কোন এক
ব্যক্তিকে খারাপ কাজ করতে দেখবে, তাহলে জেনে ব্লেখো, তার কাছে অন্য একটি খারাপ
কাজও আছে ৷ কেননা, একটি নেক আমল অন্য একটি নেক আমলের দিকে ধাবিত করে ৷
অনুরুপভাবে একটি বদ কাজও অন্য একটি বদ কাজের দিকে ধাবিত করে ৷ উরওয়াহ্ (র) যখন
তার বাগানে প্রবেশ করতেন, তখন তিনি বাগান থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত সুরায়ে


يَسُوسُ بِهِ دِينَهُ، أَوْ مُخْتَلِطٍ بِسُلْطَانٍ يُتْحِفُهُ بِعِلْمِهِ. وَقَالَ: وَلَا أَعْلَمُ أَحَدًا أَشْرَطَ لِهَذِهِ الْخِصَالِ الثَّلَاثِ إِلَّا عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَعُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَكَانَ عُرْوَةُ يَقْرَأُ كُلَّ يَوْمٍ رُبْعَ الْقُرْآنِ، وَيَقُومُ بِهِ فِي اللَّيْلِ. وَكَانَ أَيَّامَ الرُّطَبِ يَثْلِمُ حَائِطَهُ، ثُمَّ يَأْذَنُ لِلنَّاسِ، فَيَدْخُلُونَ فَيَأْكُلُونَ وَيَحْمِلُونَ، فَإِذَا ذَهَبَ الرُّطَبُ أَعَادَهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ عُرْوَةُ بَحْرًا لَا يُنْزَفُ، وَقَالَ مَرَّةً: كَانَ بَحْرًا لَا تُكَدِّرُهُ الدِّلَاءُ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَا أَحَدٌ أَعْلَمُ مِنْ عُرْوَةَ، وَمَا أَعْلَمُهُ يَعْلَمُ شَيْئًا أَجْهَلُهُ. وَقَدْ ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ فِي فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ السَّبْعَةِ الَّذِينَ يُنْتَهَى إِلَى قَوْلِهِمْ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ الْفُقَهَاءِ الْعَشَرَةِ الَّذِينَ كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَرْجِعُ إِلَى قَوْلِهِمْ فِي زَمَنِ وِلَايَتِهِ عَلَى الْمَدِينَةِ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّهُ وَفَدَ عَلَى الْوَلِيدِ بِدِمَشْقَ، فَلَمَّا رَجَعَ أَصَابَتْهُ فِي رِجْلِهِ الْأَكِلَةُ، فَأَرَادُوا قَطْعَهَا، فَعَرَضُوا عَلَيْهِ أَنْ يَشْرَبَ شَيْئًا يُغَيِّبُ عَقْلَهُ، حَتَّى لَا يَحِسَّ بِالْأَلَمِ، وَيَتَمَكَّنُوا مِنْ قَطْعِهَا،
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৭
فَقَالَ: مَا ظَنَنْتُ أَنَّ أَحَدًا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ يَشْرَبُ شَيْئًا يُغَيِّبُ عَقْلَهُ حَتَّى لَا يَعْرِفَ رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَكِنْ هَلُمُّوا فَاقْطَعُوهَا. فَقَطَعُوهَا مِنْ رُكْبَتِهِ وَهُوَ صَامِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ، وَلَا يُسْمَعُ لَهُ حِسٌّ. وَرُوِيَ أَنَّهُمْ قَطَعُوهَا وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ فَلَمْ يَشْعُرْ لِشُغْلِهِ بِالصَّلَاةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَوَقَعَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ الَّتِي قُطِعَتْ فِيهَا رِجْلُهُ وَلَدٌ لَهُ يُسَمَّى مُحَمَّدًا كَانَ أَحَبَّ أَوْلَادِهِ مِنْ سَطْحٍ فَمَاتَ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَعَزَّوْهُ فِيهِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ، كَانُوا سَبْعَةً فَأَخَذْتَ وَاحِدًا، وَأَبْقَيْتَ سِتَّةً، وَكُنَّ أَطْرَافًا أَرْبَعًا، فَأَخَذْتَ وَاحِدَةً، وَأَبْقَيْتَ ثَلَاثًا، فَلَئِنْ كُنْتَ قَدْ أَخَذْتَ فَلَقَدْ أَعْطَيْتَ، وَلَئِنْ كُنْتَ قَدِ ابْتَلَيْتَ فَلَقَدْ عَافَيْتَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا رَأَى الْمَقْطُوعَةَ فِي الطَّسْتِ، قَالَ: اللَّهُ أَعْلَمُ أَنِّي مَا مَشَيْتُ بِهَا إِلَى مَعْصِيَةٍ قَطُّ. قِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ فِي حَيَاةِ عُمَرَ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ وُلِدَ بَعْدَ عُمَرَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ مِائَةٍ. وَقِيلَ: إِحْدَى وَتِسْعِينَ. وَقِيلَ: إِحْدَى وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ اثْنَتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ أَوْ أَرْبَعٍ، أَوْ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৮


কাহফের ৬৯নং আয়াতা ংশ বারবার পাঠ করতেনং এেষ্টু ৷১ ;ট্রা১ন্ ;পুহ্র৷ ৷ ৷ ৰুাটুাট্রু
এ্যা ৰু৷ ৷ %;: ৰু৷ ¢ ৷ অর্থাৎ তুমি যখন তোমার উদ্যানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না
আল্লাহ্ যা চান তা ই হয়, আল্লাহ্র সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি নাই ?’ মহান আল্লাহ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷ কেউ কেউ বলেন, “তিনি উমর (রা)-এর জীবদ্দশায় জন্মগ্রহণ করেন ৷ বিশুদ্ধ
অভিমত হলো এই যে, তিনি হযরত উমর (রা)-এর ইনৃতিকালের পর ২৩ হিজরীতে জন্মখহণ
করেন ৷ আর প্রসিদ্ধ মতামত অনুযায়ী তিনি ৯৪ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ প্ কেউ কেউ
বলেন, ৯০ হিজরীতে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ১০০ হিজরীতে, আবার কেউ কেউ বলেন,
৯১ হিজরীতে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ১০১ হিজরীতে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯২
হিজরীতে কিত্ব৷ ৯৩ হিজরীতে, কিংবা ৯৪ হিজরীতে কিংবা ৯৫ হিজরীতে তিনি ইনৃতিকাল
করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯৯ হিজরীতে তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক
পরিজ্ঞাত

আলী ইবনুল হুসায়ন (র)

তার পুর্ণ নাম আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবু তালিব আল-কারশী,
আল-হাশিমী ৷ তিনি যায়নুল আবেদীন বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ তার মাতা ছিলেন ক্রীতদনীি ৷ তার
নাম ছিল সালামা ৷ তার চেয়ে বড় ছিলেন তার এক ভাই, যার নামও ছিল আলী ৷ পিতার সাথে
শাহাদাত বরণ করেন ৷ আলী তার পিতা, চাচা হাসান ইবন আলী (রা), জাবির (রা), ইবন
আব্বাস (বা), আল- মিসওয়ার ইবন মাখরাম৷ (বা) আবু হুরায়রা (রা), মু’মিনগণের মাতা
সাফিয়্যা (রা), আইশা (রা) ও উম্মে সালামা (রা) হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তার থেকে
উলামায়ে কিরামেৱ একদল হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ তার ছোলগণ যায়দ,
আবদুল্লাহ ও উমর, আবু জা ফর মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন কারৱ, যায়দ ইবন আসলাম, তার
সমসাময়িক তাউস, আয-যুহরী, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আল-আনসারী, তার সমসাময়িক আবু
সালামা ও আরো অনেক ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, পারস্যের শেষ সম্রাট ইয়াযদগারদ-এর কন্যা ছিলেন উষ্মে সালামা ৷
রাবীউল আবরার নামী কিভাবে আল্পামা যামাখৃশারী (বা) উল্লেখ করেন যে, উমর ইবন খাত্তাব
(রা) এর আমলে ইয়াযদপারদ-এর তিন কন্যা বন্দী হয়েছিলেন ৷ তাদের মধ্যে একজনকে
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) লাভ করেন এবং তার গর্ভে যে সন্তান জন্ম যেন তার নাম সালিম ৷
দ্বিতীয় কন্যাকে মুহাম্মদ ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রা) লাভ করেন এবং তার গর্ভে যে সন্তান
জন্য যেন তার নাম ছিল কাসিম ৷ তৃতীয় কন্যাকে হুসায়ন ইবন আলী (রা) লাভ করেন এবং
তার গর্ভে যে সন্তান জন্ম যেন তার নাম ছিল আলী বা যায়নুল আবেদীন ৷ তইি তারা সকলে
গ্লোতাে ডাই

ইবন খাল্পিকান বলেন, কুতায়বা ইবন মুসলিম যখন ফিরোয ইবন ইয়াযদগারদকে হত্যা
করেন, তখন তিনি তার দুই কন্যাকে হাজ্জৰুাজের কাছে প্রেরণ করেন ৷ একটিকে হাজ্জাজ, নিজে
গ্রহণ করেন এবং অন্যটিকে আল-ওয়ালীদেয় কাছে প্রেরণ করেন ৷ তার গর্ভে যে সন্তান ড্ডা
দেয় তার নাম ছিল ইয়াযীদ নাকিস ৷ ইবন কৃতায়বা বিশ্বকোষে উল্লেখ করেন যে, যায়নুল্
আৰেদীনের মাতা ছিলেন সিন্ধী মাইিলা ৷ তার নাম ছিল সালামা ৷ কেউ কেউ বলেন, তার নাম
ছিষ্া গাযালাহ ৷ যায়নুল আবেদীন তার পিতার সাথে কারবালা ময়দানে অবস্থান করেন ৷ তার
বয়স কম হওয়ায় কেউ কেউ বলেন তিনি পীড়িত থাকায় বেচে যান ৷ তার বয়স ছিল তখন ২৩


عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، الْمَشْهُورُ بِزَيْنِ الْعَابِدِينَ وَأُمُّهُ أَمُّ وَلَدٍ اسْمُهَا سَلَّامَةُ، وَكَانَ لَهُ أَخٌ أَكْبَرُ مِنْهُ يُقَالُ لَهُ: عَلِيٌّ أَيْضًا، قُتِلَ مَعَ أَبِيهِ، رَوَى عَلِيٌّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، وَعَمِّهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَجَابِرٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَصَفِيَّةَ، وَعَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ، أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ. وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ بَنُوهُ: زَيْدٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعُمَرُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْبَاقِرُ، وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، وَطَاوُسٌ وَهُوَ مِنْ أَقْرَانِهِ، وَالزُّهْرِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ، وَأَبُو سَلَمَةَ، وَهُوَ مِنْ أَقْرَانِهِ، وَخَلْقٌ. قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ: كَانَتْ أُمُّهُ سَلَّامَةَ بِنْتَ يَزْدَجِرْدَ آخِرِ مُلُوكِ الْفُرْسِ. وَذَكَرَ الزَّمَخْشَرِيُّ فِي " رَبِيعِ الْأَبْرَارِ ": أَنَّ يَزْدَجِرْدَ كَانَ لَهُ ثَلَاثُ بَنَاتٍ سُبِينَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَحَصَلَتْ وَاحِدَةٌ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَأَوْلَدَهَا سَالِمًا، وَالْأُخْرَى لِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَأَوْلَدَهَا الْقَاسِمَ، وَالْأُخْرَى لِلْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ فَأَوْلَدَهَا عَلِيًّا زَيْنَ الْعَابِدِينَ هَذَا، فَكُلُّهُمْ بَنُو خَالَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬৯


বছর ৷ কেউ কেউ বলেন, তার বয়স ছিল ২৩ বছরের অধিক ৷ উবায়দুল্পাহ্ ইবন যিয়াদ তাকে
হত্যা করতে চেয়েছিল ৷ পর মহান আল্লাহ্ তাকে এ কাজ থেকে বিরত রাখেন ৷ কোন কোন
পাপিষ্ঠ তাকে হত্যা করার জন্যে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়াকে ইঙ্গিত করেছিল, তাকেও আল্লাহ্
তা জানা এ কাজ থেকে বিরত রাখেন ৷ এরপর ইয়াযীদ তাকে সষ্মা ন করত, মর্যাদা প্রদান
করত এবং নিজের সাথে মজলিসে বসন্ত ৷ যায়নুল আবেদীনকে ব্যতীত ইয়াযীদ খাদ্য গ্রহণ
করত না ৷ তারপর ইয়াযীদ যায়নুল আবেদীন ও তার পরিবারকে পবিত্র মদীনায় প্রেরণ করে ৷
পবিত্র মদীনাতেও যায়নুল আবেদীন সম্মানিত ও মর্যাদাবান ছিলেন ৷
ইবন আসাকির বলেন, দামেশৃকে একটি মসজিদ তৈরী করা হয়েছে, যা মসজিদে যায়নুল
আবেদীন নামে প্রসিদ্ধ ৷ আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, দামেশ্কে জামে মসজিদের পুর্বদিকে
যায়নুল আবেদীনের মায়ার অবস্থিত ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তাকে দ্বিতীয় বার
দামেশৃকে আপ্যায়ন করেছিলেন এবং রোমের সম্রাট থেকে প্রাপ্ত পত্রের উত্তর প্রদান কালে, মুদ্রা
সংক্রান্ত ব্যাপারে ও পত্র লিখার নিয়ম পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি যায়নুল আবেদীন থেকে পরামর্শ
গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইমাম যুহরী (র) বলেন, আমি কুরায়শেৱ কোন ব্যক্তিকে তার চেয়ে বেশী
পরহেযগার ও মর্যাদবােন দেখি নাই ৷ তার পিতা ইমাম হুসায়ন (রা) যখন শাহাদতবরণ
করেন, তখন তিনি তার পিতার সাথে ছিলেন ৷ তিনি পীড়িত ছিলেন এবং তার বয়স ছিল তখন
২৩ বছর ৷ উমর ইবন সাদ বলেন, এ পীড়িত সােকটির কোন ক্ষতি সাধন করো না ৷
আল্পামা আল-ওয়াকিদী বলেন, তিনি ছিলেন লোকজলের মধ্যে বেশী পরহেযগার, বেশী
ইবাদতগুযার এবং মহান আল্লাহ্র ভয়ে বেশী ভীতসস্ত্রস্ত ৷ যখন তিনি চলাফেৱা করতেন তিনি
গর্ববােধ বা অহংকার করতেন না ৷ তিনি সাদা পাগড়ী বীধতেন এবং পিছনের দিকে পাগড়ীর
লেজ ঝুলিয়ে দিতেন ৷ তার কুনিয়াত আবুল হাসান ৷ কেউ কেউ বলেন, তার কুনিয়ত আবু
মুহাম্মদ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার কুনিয়ত আবু আবল্লোহ্ ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত, আমানতদার, অধিক হাদীস বর্ণনাকারী,
মর্যাদারান, মহান ও পরহেযগার ৷ তার মাতার নাম গাযালাহ ৷ ইমাম হুসায়ন (রা)-এর
শাহাদত বরণ করার পর তারউপর কর্তৃতু করেন তার গোলাম, যুবায়দ ৷ তার গর্ভে যে সন্তান
জন্ম নেয় তার নাম আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়দ ৷ তিনি ছিলেন ছোট আলী ৷ আর বড় আলী তার
পিতার সাথে নিহত হন ৷ একাধিক বর্ণনাকারী উপরোক্ত মন্তব্যটি পেশ কব্লেস্র ৷

সাঈদ ইবন মুসড়ায়িদ্রব, যায়দ ইবন আসলাম, মালিক ও আবু হাযিম বলেন, আহলে
বায়তের সদস্যদের মধ্যে কেউ তার মত ছিলেন না ৷

ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আল-আনসারী বলেন, আলী ইবন হুসায়ন ছিলেন শ্রেষ্ঠ হাশিমী ৷

তাকে আমি বলতে শুনেছি তিনি বলতেনং হে মানবমণ্ডলী ! তামরা আমাদেরকে ইসলামের

ন্যায় ভালবাস ৷ আমরা সন্তুমে সজ্জিত হওয়া পর্যন্ত যেন তোমাদের মহব্বত আমাদের জন্যে সব
সময় অক্ষুগ্ন থাকে ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ না তোমরা জনগণের কাছে আমাদের
জন্যে হিৎস৷ ৷র পাত্র হয়ে উঠবে ৷

আল আসমাঈ (র) বলেন, শুধুমাত্র আলী ইবন হুসায়ন (যায়নুল আবেদীন) এর মাধ্যমে
ইমাম হুসায়ন (রা) এর বংশধারা জারী ছিল ৷ তার চাচা হাসানের সন্তানের মাধ্যমে ব্যতীত
আলী ইবন হুসায়ন বা যায়নুল আবেদীনের কোন বংশধারা বিরাজমান ছিল না ৷ মারওয়ান ইবন
হাকাম তাকে বলল, যদি আপনি দাসী গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার সন্তান বেশী হয়ে ৷ তিনি


قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَلَمَّا قَتَلَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ فَيْرُوزَ بْنَ يَزْدَجِرْدَ بَعَثَ بِابْنَتَيْهِ إِلَى الْحَجَّاجِ فَأَخَذَ إِحْدَاهُمَا، وَبَعَثَ بِالْأُخْرَى إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَوْلَدَهَا الْوَلِيدُ يَزِيدَ النَّاقِصَ. وَذَكَرَ ابْنُ قُتَيْبَةَ فِي كِتَابِ " الْمَعَارِفِ " ; أَنَّ زَيْنَ الْعَابِدِينَ هَذَا كَانَتْ أُمُّهُ سِنْدِيَّةً، يُقَالُ لَهَا: سَلَّامَةُ. وَيُقَالُ: غَزَالَةُ. وَكَانَ مَعَ أَبِيهِ بِكَرْبَلَاءَ، فَاسْتُبْقِيَ لِصِغَرِهِ، وَقِيلَ: لِمَرَضِهِ. فَإِنَّهُ كَانَ ابْنَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ هَمَّ بِقَتْلِهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، ثُمَّ صَرَفَهُ اللَّهُ عَنْهُ. وَأَشَارَ بَعْضُ الْفَجَرَةِ عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِقَتْلِهِ أَيْضًا، فَمَنَعَهُ اللَّهُ تَعَالَى مِنْ ذَلِكَ، فَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، ثُمَّ كَانَ يَزِيدُ بَعْدَ ذَلِكَ يُكْرِمُهُ وَيُعَظِّمُهُ، وَيُجْلِسُهُ مَعَهُ، وَلَا يَأْكُلُ إِلَّا وَهُوَ عِنْدَهُ، ثُمَّ بَعَثَهُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ مُكَرَّمِينَ، وَكَانَ عَلِيٌّ بِالْمَدِينَةِ مُحْتَرَمًا مُعَظَّمًا. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَمَسْجِدُهُ بِدِمَشْقَ الْمَنْسُوبُ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ. قُلْتُ: وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: مَشْهَدُ عَلِيٍّ شَرْقِيَّ جَامِعِ دِمَشْقَ، وَقَدِ اسْتَقْدَمَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ مَرَّةً أُخْرَى إِلَى دِمَشْقَ فَاسْتَشَارَهُ فِي جَوَابِ مَلِكِ الرُّومِ عَنْ بَعْضِ مَا كَتَبَ إِلَيْهِ فِيهِ مِنْ أَمْرِ السَّكَّةِ وَطِرَازِ الْقَرَاطِيسِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৭০


তখন বললেন, আমার এরুপ সম্পদ নেই যার দ্বারা আমি দাসী খরিদ করব ৷ তখন তিনি তাকে
এক লাখ মুদ্রা ধার দেন এবং তার জন্য কিছুসং খ্যক দাসী খরিদ করেন ৷ তারা তার জন্যে
সন্তান জন্ম দিন এবং এভাবে তার বংশ বৃদ্ধি পেল ৷ তারপর মারওয়ান যখন মৃত্যু শয্যায়
শয্যাপত হয়, তখন সে ওসিয়ত করে যায় যেন তার এ ঋণের অর্থ যায়নুল আবেদীন হতে
নেওয়া না হয় ৷ তার থেকেই হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর সমস্ত বংশ দেখতে পাওয়া যায় ৷
আবু বাকর ইবন আবু শায়বাহ্ বলেন, ইমাম যুহবী যায়নুল আবেদীন হতে, তিনি তার পিতা ও
তার দাদা হতে শুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেন যে, ইমাম যায়নুল আবেদীন একদিন যে ঘরে দাড়িয়ে
সালাত আদায় করছিলেন সে ঘরটি আগুন লেগে পুড়ে যায় ৷ যখন তিনি সালাত শেষ করেন,
তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে বলল, আপনি কেন সালাত থেকে বিরত রইলেন না ? তিনি
বলেন, আমি এ অগ্নি থেকে অন্য অগ্নি নিয়েই বেশী বিভাের ছিলাম ৷ তিনি যখন উবুকরতেন,
তখন বিবর্ণ হয়ে যেতেন ৷ আর যখন সালাতে র্দাড়াতেন ভয়ে র্কাপতে থাকতেন ৷ যখন তাকে এ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো , তখন তিনি বলেন, তোমরা কি জান, আমি কার সামনে র্দাড়াচ্ছি?
এবং কার সামনে চুপি চুপি কথা বলছি ? যখন তিনি হজ্জ করতে মনস্থু করেন ও তালবিয়াহ
পড়ার ইচ্ছে করলেন, তিনি র্কাপতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, আমার ভয় হচ্ছে যদি
আমি বলি লাব্বায়কা আল্লাহুষ্ম৷ লাব্বায়কা অর্থাৎ “ হে আল্লাহ্ ৷ আমি তোমার কাছে হাষির,
হে আল্লাহ্৷ আমি তোমার কাছে হাযির ৷” যদি আমাকে বলা হয় , লা লাব্বায়কা অর্থাৎ
তোমার উপস্থিতি মনবুর করা হবে না ৷ তারপর তারা সকলে তাকে তালবিয়াহ পড়ার জন্য
উৎসাহিত করল ৷ যখন তিনি তালবিয়াহ পাঠ করলেন, তখন তিনি বেহুশ হয়ে গেলেন এমনকি
সাওয়ারী থেকে নীচে পড়ে গেলেন ৷ তিনি দিবারাত্র এক হাজার রাকআত সালাত আদায়
করতেন ,

তাউস বলেন : হাতীমের কাছে সিজদারত অবস্থায় তাকে আমি বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলেন, ণ্তামার নগণ্য বান্দাহ্ তোমার প্রতি উৎসর্গিত, তোমার ভিখারী তোমার প্রতি
উৎসল্লি , তোমার ফকীর তোমার প্রতি উৎসল্লি ৷

তাউস আরো বলেন, আল্পাহ্র শপথ, আমি যে মুনীবতেই তার দৃআ কামনা করতাম, যে
মুসীবতই আমা হতে দুর হয়ে যেত ৷

ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন যে, তিনি ছিলেন রাতের বেলায় বেশী বেশী সাদাকা
প্রদানকারী এবং তিনি বলতেন, রাতের সাদাকা প্রতিপালকের ৫ক্রাধকে নিৰ্বাপিত করে, অন্তর
ও কবরকে আলোকিত করে এবং কিয়ামহ্ তর দিন বন্দো হতে অন্ধকার দুর করবে ৷ আর
আল্লাহ্ তা আলা তার সম্পদকে দ্বিগুণ করে দেবেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক বলেন, কতিপয় লোক পবিত্র মদীনায় খুব সৃখে৩ জীবন যাপন
বল্মতেন ৷ কিন্তু তারা জানতেন না কোথা হতে৩ ৩তারা জীবনােপকরণ পেতেন এবং কে তাদেরকে
এ জীবনােপকরণ সরবরাহ করতেন ৷ তবে আলী ইবন হুসায়ন (র) যখন ইনতিকাল করেন
তখন তারা এ সুযোগ হারিয়ে ফেলে এবং তারা বুঝতে পারে যে, তিনিই ঐ ব্যক্তি যিনি রাতের
বেলায় তাদের যাবতীয় সামগ্রী তাদের ঘরে পৌছিয়ে দিতেন ৷ তিনি যখন ইনৃতিকাল করেন,
তখন পরিবারের সদস্যরা তার পিঠে ও হাতে বোঝ৷ বহন করার দাগ দেখতে পেলেন ৷ তিনি
বিধবা এবং মিসকীনদের ঘরে রাতের বেলায় বোঝা পৌছিয়ে দিতেন ৷ কেউ কেউ বলেন,৩ তিনি
পবিত্র মদীনায় ১০০টি পরিবারের রসদ সরবরাহ করতেন ৷ কিন্তু, তারা তার ওফাত পর্যন্ত
সরবরাহ্কারীকে জানত না ৷ একদিন মুক্কুাষ্মদ্বু ইব উসামা ইবন যায়দের ঘরে সেবা শুশ্রুষার


قَالَ الزُّهْرِيُّ: مَا رَأَيْتُ قُرَشِيًّا أَفْضَلَ مِنْهُ، وَكَانَ مَعَ أَبِيهِ يَوْمَ قُتِلَ ابْنَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَهُوَ مَرِيضٌ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ: لَا تَعَرَّضُوا لِهَذَا الْمَرِيضِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ مِنْ أَوْرَعِ النَّاسِ، وَأَعْبَدِهِمْ، وَأَتْقَاهُمْ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَانَ إِذَا مَشَى لَا يَخْطُرُ بِيَدِهِ، وَكَانَ يَعْتَمُّ بِعِمَامَةٍ بَيْضَاءَ يُرْخِيهَا مِنْ وَرَائِهِ، وَكَانَ كُنْيَتَهُ أَبُو الْحَسَنِ، وَقِيلَ: أَبُو مُحَمَّدٍ. وَقِيلَ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا، كَثِيرَ الْحَدِيثِ، عَالِيًا، رَفِيعًا وَرِعًا. وَأُمُّهُ غَزَالَةُ خَلَفَ عَلَيْهَا بَعْدَ الْحُسَيْنِ مَوْلَاهُ زُبَيْدٌ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زُبَيْدٍ. وَهُوَ عَلِيٌّ الْأَصْغَرُ، فَأَمَّا عَلِيٌّ الْأَكْبَرُ فَقُتِلَ مَعَ أَبِيهِ، وَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، وَمَالِكٌ، وَأَبُو حَازِمٍ: لَمْ يَكُنْ فِي أَهْلِ الْبَيْتِ مِثْلُهُ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ وَهُوَ أَفْضَلُ هَاشِمِيٍّ أَدْرَكْتُهُ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَحِبُّونَا حُبَّ الْإِسْلَامِ، فَمَا بَرِحَ بِنَا حُبُّكُمْ حَتَّى صَارَ عَلَيْنَا عَارًا. وَفِي رِوَايَةٍ: حَتَّى بَغَّضْتُمُونَا إِلَى النَّاسِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: لَمْ يَكُنْ لِلْحُسَيْنِ عَقِبٌ إِلَّا مِنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৭৩৭১


জন্য আলী ইবন হুসায়ন (র) প্রবেশ করেন ৷ তখন ইবন উসামা ত্রুন্দন করতে লাগলেন ৷ তিনি
তখন তাকে বললেন, তুমি কেন র্কাদছ ? তিনি বললেন, ঋণ পরিশোধের জন্য ৷ তিনি বললেন,
তোমার ঋণ কত দীনার ? ইবন উসামা বলেন, ১৫ হাজার দীনার ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে ১৭
হাজার দীনার ৷ আলী ইবন হুসায়ন (র) বললেন, এ ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমি নিলাম ৷
আলী ইবন হুসায়ন (র) বলেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও হযরত উমর (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবদ্দশায় যেরুপ মান-মর্যাদার অধিকারী ছিলেন, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
ইনৃতিকালেৱ পরেও তার কাছে তাদের সে রুপই মানমর্যাদা অক্ষুগ্ন রয়েছে ৷ একদিন এক ব্যক্তি
তার নিকট থেকে কিছু দান-খয়রাত গ্রহণ করে, কিভু তিনি তাকে উপেক্ষা করছিলেন ৷ মনে
হয় যেন তিনি তার কথা শুনছিলেন না ৷ তখন তাকে লোকটি বলল, আমাকে আরো কিছু
সাহায্য করুন ৷ আলী ইবন হুসায়ন (র) তাকে বললেন, আমি তোমাকে উপেক্ষা করছি ৷

তিনি একদিন মসজিদ থেকে বের হন, তখন একটি লোক তাকে পালি দিল ৷ লোকজন
তাকে তাড়া করল ৷ আলী ইবন হুসায়ন (র) বলেন, তাকে তোমরা ছেড়ে দাও ৷ তারপর তিনি
তাকে সম্বোধন করেন এবং বলেন, তোমার কাছে আল্লাহ্ তাআল৷ আমাদের যেসব দোষত্রুটি
লুকিয়ে রেখেছেন তা অনেক ৷ তোমার কি কোন প্রয়োজন আছে যা দুর করার জন্য আমি
তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারি ? লোকটি তখন লজ্জাবােধ করতে লাগল ৷ তারপর তিনি
তার গায়ের কালো চাদরটি দিয়ে দেন ও তাকে এক হাজার দিরহাম দেওয়ার হুকুম দেন ৷
এরপর লোকটি যখনই আলী ইবন হুসায়নকে দেখতেন, তখনই বলতেন, আপনি ত নবীর
সন্তান ৷

ইতিহাসবিদগণ বলেনও একদিন আলী ইবন হুসায়ন (র) বলেন, চিত্তাধ্ারা একটি দর্পণের
ন্যায়, তার মধ্যে মু মিন বান্দা তার কল্যাণ ও অকল্যাণ দেখতে পায় ৷

ইতিহাসবিদগণ আরো বলেন, একদিন আলী ইবন হুসায়ন (র) এবং হাসান ইবন হাসান
(র)-এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ৷ আর এ দু’জনের প্রতিদ্বশ্বিত৷ বিরাজমান ছিল ৷ হাসান
ইবন হাসান কিছু কটু কথা বললেন ৷ কিন্তু, আলী ইবন হুসায়ন (র) চুপ থাকলেন ৷ যখন রাত
এল আলী ইবন হুসায়ন, হাসান ইবন হাসান-এর বাড়ী গেলেন এবং বললেন, হে চাচাত তাই!
যদি তুমি সত্য বলে থাক মহান আল্পাহ্ যেন আমাকে ক্ষমা করেন ৷ আর যদি তুমি মিথ্যে বলে
থাক, তাহলে মহান আল্লাহ্ যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন ৷ন্ তোমার উপর মহান আল্লাহর
রহমত বর্ধিত হোক ৷ তারপর তিনি ফিরে আসলেন ৷ এরপর হাসান ইবন হাসান, আলী ইবন
হুসায়ন-এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তার সাথে ষ্সন্ধি করেন ৷ আলী ইবন হুসায়নকে একদিন
জিজ্ঞাসা করা হলো, জনগণের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশী আশংকাজনক অবস্থায় আছে ? তিনি
বললেন, যিনি দুনিয়াকে নিজের জন্য কোন গুরুতুই দেন না ৷ তিনি আরো বলেন,
বন্ধু৮বান্ধবদের হারানােই দীনতা ৷ তিনি আরো বলতেন, একটি সম্প্রদায় মহান আল্লাহ্কে ভয়
করে ইবাদত করে ৷ আর এই ইবাদত গোলামদের ইবাদত ৷ অন্য একটি সম্প্রদায় মহান
আল্লাহর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারই ইবাদত করে ৷ এ হলো ব্যবসায়ীদের ইবাদত ৷ অন্য একটি
দল মহান আৰুল্লাহ্র প্রতি মহব্বত ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপলের জন্য মহান আল্লাহর ইবাদত করে ৷
আর তা হলো স্বাধীন সৎ লোকের ইবাদত ৷ একবার তিনি তার ছেলেকে বলেন, ফাসিকের
সাথে বন্ধুত্ব ন্থাপন করবে না ৷ কেননা, সে তোমাকে এক টুকরো খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করে
দেবে ৷ এমনকি তার চেয়ে কম মুল্যমানের বস্তুর বিনিময়েও তোমাকে বিক্রি করবে ৷ যা সে
অত্তনি করতে প্রয়াস পাবে ৷ কিন্তু, তা তার জন্য সম্ভব হবে না ৷ তুমি কোন কৃপণ ব্যক্তির সাথে


يَكُنْ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ نَسْلٌ إِلَّا مِنَ ابْنَةِ عَمِّهِ الْحَسَنِ، فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ: لَوِ اتَّخَذْتَ السِّرَارِيَّ حَتَّى يَكْثُرَ أَوْلَادُكُ. فَقَالَ: لَيْسَ لِي مَا أَتَسَرَّى بِهِ. فَأَقْرَضَهُ مِائَةَ أَلْفٍ، فَاشْتَرَى لَهُ السِّرَارِيَّ، فَوَلَدْنَ لَهُ، وَكَثُرَ نَسْلُهُ، ثُمَّ لَمَّا مَرِضَ مَرْوَانُ أَوْصَى أَنْ لَا يُؤْخَذَ مِنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ مَا كَانَ أَقْرَضَهُ، فَجَمِيعُ الْحُسَيْنِيِّينَ مِنْ نَسْلِهِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: أَصَحُّ الْأَسَانِيدِ كُلِّهَا الزُّهْرِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ احْتَرَقَ الْبَيْتُ الَّذِي هُوَ فِيهِ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالُوا لَهُ: مَا لَكَ لَمْ تَنْصَرِفْ؟ فَقَالَ: إِنِّي اشْتَغَلْتُ عَنْ هَذِهِ النَّارِ بِالنَّارِ الْأُخْرَى. وَكَانَ إِذَا تَوَضَّأَ يَصْفَرُّ لَوْنُهُ، فَإِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ ارْتَعَدَ مِنَ الْفَرَقِ، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ: أَلَا تَدْرُونَ بَيْنَ يَدَيْ مَنْ أُرِيدُ أَنْ أَقُومَ وَلِمَنْ أُنَاجِي؟ وَلَمَّا حَجَّ أَرَادَ أَنْ يُلَبِّيَ، فَارْتَعَدَ وَقَالَ: أَخْشَى أَنْ أَقُولَ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ. فَيَقُولُ لِي: لَا لَبَّيْكَ. فَشَجَّعُوهُ، وَقَالُوا: لَا بُدَّ مِنَ التَّلْبِيَةِ؟ فَلَمَّا لَبَّى غُشِيَ عَلَيْهِ حَتَّى سَقَطَ عَنِ الرَّاحِلَةِ، وَأَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَلْفَ رَكْعَةٍ. وَقَالَ طَاوُسٌ: سَمِعْتُهُ وَهُوَ سَاجِدٌ عِنْدَ الْحِجْرِ يَقُولُ: عُبَيْدُكَ بِفِنَائِكَ،
পৃষ্ঠা - ৭৩৭২
مِسْكِينُكَ بِفِنَائِكَ، سَائِلُكَ بِفِنَائِكَ، فَقِيرُكَ بِفِنَائِكَ. قَالَ طَاوُسٌ: فَوَاللَّهِ مَا دَعَوْتُ بِهَا فِي كَرْبٍ قَطُّ إِلَّا كُشِفَ عَنِّي، وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ كَثِيرَ الصَّدَقَةِ بِاللَّيْلِ، وَكَانَ يَقُولُ: صَدَقَةُ اللَّيْلِ تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ. وَأَنَّهُ قَاسَمَ اللَّهُ تَعَالَى مَالَهُ مَرَّتَيْنِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ نَاسٌ بِالْمَدِينَةِ يَعِيشُونَ، لَا يَدْرُونَ مِنْ أَيْنَ يَعِيشُونَ وَمَنْ يُعْطِيهِمْ، فَلَمَّا مَاتَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ فَقَدُوا ذَلِكَ، فَعَرَفُوا أَنَّهُ هُوَ الَّذِي كَانَ يَأْتِيهِمْ فِي اللَّيْلِ بِمَا يَأْتِيهِمْ بِهِ. وَلَمَّا مَاتَ وَجَدُوا فِي ظَهْرِهِ وَأَكْتَافِهِ أَثَرَ حَمْلِ الْجُرْبِ إِلَى بُيُوتِ الْأَرَامِلِ وَالْمَسَاكِينِ فِي اللَّيْلِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يَعُولُ مِائَةَ أَهْلِ بَيْتٍ بِالْمَدِينَةِ، وَلَا يَدْرُونَ بِذَلِكَ حَتَّى مَاتَ. وَدَخَلَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ يَعُودُهُ، فَبَكَى ابْنُ أُسَامَةَ، فَقَالَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: عَلَيَّ دَيْنٌ. قَالَ: وَكَمْ هُوَ؟ قَالَ: خَمْسَةَ عَشَرَ أَلْفَ دِينَارٍ. وَفِي رِوَايَةٍ سَبْعَةَ عَشَرَ أَلْفَ دِينَارٍ فَقَالَ: هِيَ عَلَيَّ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَيَاتِهِ بِمَنْزِلَتِهِمَا مِنْهُ بَعْدَ وَفَاتِهِ. وَنَالَ مِنْهُ رَجُلٌ يَوْمًا فَجَعَلَ يَتَغَافَلُ عَنْهُ يُرِيهِ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৩


বন্ধুত্ব স্থাপন করবে না ৷ কেননা, সে তোমাকে তার কাছে রাখা তোমার প্রয়ােত্তনীিয় সম্পদের
অপমান করবে ৷ কোন মিথুক্লকের সাথেও বন্ধুত্ব স্থাপন করবে না ৷ কেননা, সে মরীচিকার ন্যায়
দৃরবর্তীতে অবস্থিত লোককে তোমার নিকটে দেখাবে ৷ আর নিকটবর্তীতে অবস্থিত লোককে
তোমার থেকে অনেক দুরে দেখাবে ৷ কোন বোকা লোকের সাথেও তুমি বন্ধুতু স্থাপন করবে
না ৷ কেননা, সে তোমার উপকার করতে গিয়েও তোমার ক্ষতি করে বসবে ৷ কোন
সম্পর্কত্বেছদকারীর সাথে বন্ধুতু স্থাপন করবে না ৷ কেননা, সে মহান আল্লাহ্র কিভাবে মালউন
(লানতপ্রাপ্ত কিংবা অতিশন্ত্রপ্ত) বলে অভিহিত হয়েছে ৷ সুরায়ে মুহাম্মদ-এর ২২ ও ২৩ নং
আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা আল৷ বলেন :



অর্থাৎ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে এবং

আত্মীয়তার বন্ধন জ্জি করবে ৷ আল্লাহ তা আলা তাদেরকে করেন অভিশপ্ত, আর করেন বধির ও
দৃষ্টিশক্তিহীন ৷

আলী ইবন হুসায়ন (র) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন, তখন তিনি সােকজনের কাধ
ডিঙ্গিয়ে যােতন ও যায়দ ইবন আসলামের মজলিসে উপবিষ্ট হতেন ৷ নাফি ইবন জুবায়র ইবন
মুতইম তাকে বলেন : “আল্লাহ পাক আপনাকে ক্ষমা করুন ৷ আপনি জনগণের সরদার ৷
শিক্ষিত লোক ও কুরায়শদের মজলিস ডিঙ্গিয়ে আপনি কালো গোলামের মজলিসে গিয়ে কেন
উপৰিষ্ট হন ?” আলী ইবন হুসায়ন (র) তাকে বলেন, “একজন মানুষ ঐ জায়গায় বসেন,
যেখানে তিনি উপকার লাভ করেন ৷ আর জ্ঞানতো যেখানে থাকে সেখান থেকে অনৈষণ করতে
হয় ৷” মাসউদ ইবন মালিক হতে আল-আমাশ বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমাকে
আলী ইবন হুসায়ন (র) বলেন, “তুমি কি আমার ও সাঈদ ইবন জুবায়রের মধ্যে একদিন
সাক্ষাত করাতে পার ?” আমি বললাম,’ এতে আপনার কি কাজ হবে ? তিনি বললেন, “আমি
তাকে এমন কয়টি কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই যেগুলোর দ্বারা আল্লাহ তাআলা আমাদের
উপকার করবেন, অপকার করবেন না ৷ কেননা, তারা (ইরাকবাসীরা) আমাদেরকে এমন
কয়েকটি দােষে দোষারোপ করহ্নে৷ যেগুলো আমাদের মধ্যে কিছুই নেই ৷”

ইমাম আহমদ (র) বলেন, “ইয়াহ্য়া ইবন আদম ইবন ওবায়দ হতে আমাদের কাছে
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে
হ্নিবাম, তখন আলী ইবন হুসায়ন (র) ঘরে প্রবেশ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)
তাকে বলেন, বন্ধুর ছেলে বন্ধুকে স্বাগতম ৷ আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়৷ আসসুলী
বলেন, আল-আলা আমাদরকে আবু যুবায়র হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন
আমি জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর কাছে ছিলাম ৷ আলী ইবনুল হুসায়ন (র) তার কাছে
প্রবেশ করলেন ৷ তখন জাবির (রা) বলেন, “একদিন আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ছিলাম ৷
তখন তার কাছে হুসায়ন ইবন আলী (বা) প্রবেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের
শরীরের সাথে মিলালেন এবং তাকে চুম্বন দিলেন ও নিজের পাশে বসালেন ৷ তারপর তিনি
বললেন, আমার এ সন্তানের একটি সন্তান হবে যার নাম হবে আলী, কিয়ামত যেদিন সংঘটিত
হয়ে মহান আল্লাহর আরশের মধ্য থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দিবেন, যেন
ইবাসত-পােযারদেৱ সরদার দণ্ডায়মান হন ৷ তখন সে দণ্ডায়মান হবে ৷ ” এ হাদীসটি গরীব ৷
ইবন আসাকির উল্লেখ করেন ৷


لَمْ يَسْمَعْهُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: إِيَّاكَ أَعْنِي. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: وَعَنْكَ أُغْضِي. وَخَرَجَ يَوْمًا مِنَ الْمَسْجِدِ، فَسَبَّهُ رَجُلٌ، فَابْتَدَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَقَالَ: دَعُوهُ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَا سُتِرَ عَنْكَ مِنْ أَمْرِنَا أَكْثَرُ، أَلَكَ حَاجَةٌ نُعِينُكَ عَلَيْهَا؟ فَاسْتَحْيَا الرَّجُلُ، فَأَلْقَى إِلَيْهِ خَمِيصَةً كَانَتْ عَلَيْهِ، وَأَمَرَ لَهُ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، فَكَانَ الرَّجُلُ بَعْدَ ذَلِكَ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنَّكَ مِنْ أَوْلَادِ الْأَنْبِيَاءِ. قَالُوا: وَاخْتَصَمَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ وَحَسَنُ بْنُ حَسَنٍ وَكَانَ بَيْنَهُمَا مُنَافَسَةٌ فَنَالَ مِنْهُ حَسَنُ بْنُ حَسَنٍ، وَهُوَ سَاكِتٌ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ ذَهَبَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَقَالَ: يَا ابْنَ عَمِّ، إِنْ كُنْتَ صَادِقًا يَغْفِرُ اللَّهُ لِي، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. ثُمَّ رَجَعَ، فَلَحِقَهُ فَصَالَحَهُ. وَقِيلَ لَهُ: مَنْ أَعْظَمُ النَّاسِ خَطَرًا؟ فَقَالَ: مَنْ لَمْ يَرْضَ الدُّنْيَا لِنَفْسِهِ خَطَرَا. وَقَالَ أَيْضًا: الْفِكْرَةُ مِرْآةٌ تُرِي الْمُؤْمِنَ حَسَنَاتِهِ وَسَيِّئَاتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৪


ইমাম যুহরী (র) বলেন, আলী ইবন হুসায়ন (র)-এর সাথে আমার অধিকাৎশ সময়ই
উঠাবসা ছিল ৷ আমি তার থেকে বেশী ফকীহ আর কাউকে দেখি নইি ৷ তিনি কম হাদীস বর্ণনা
করাক্তা ৷ আর তিনি ছিলেন তার পরিবারের সমসাময়িক সদস্যদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং ইবাদতের
দিক দিয়ে উত্তম ৷ তিনি মারওয়ান ও তার ছেলে আবদুল মালিকের কাছে পরিবারের অন্যান্য
সদস্যদের চেয়ে অধিক প্রিয় ছিলেন ৷ তারা তাংক যায়নুল আবেদীন বলে আখ্যায়িত করতেন ৷
অর্থাৎ ইবাদত গোযারদের শোভা ৷ জুওয়ায়রিয়া ইবন আসমা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তিনি কখনও কারো থেকে এক দিরহামও আত্মসাৎ করেন বলে প্রমাণ
পাওয়া যায়নি ৷ মহান আল্পাহ্ তার প্রতি রহম করুন ও আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷ মুহাম্মদ
ইবন সাদ বলেন, “আলী ইবন মুহাম্মদ, সাঈদ ইবন খালিদের মাধ্যমে আল-মাকবারী হতে

ৎবাদ দেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন আল-মুখতার আলী ইবন হুসায়ন (র)-এর কাছে এক

লাখ মুদ্রা প্রেরণ করেন ৷ তিনি তা গ্রহণ করতে খারাপ মনে করলেন এবং তা প্রত্যাখ্যান
করতেও ভয় পেলেন ৷ কাজেই তিনি তার কাছে উল্লিখিত পরিমাণ সম্পদ আমানতস্বরুপ রেখে
দিলেন ৷ আল-মুখতড়ার যখন নিহত হয়, তিনি খলীফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের কাছে
পত্র লিখে বলেন, আল-মুখতাৱ আমার কাছে এক লাখ মুদ্রা প্রেরণ করেছিল তা আমি গ্রহণ
করা কিৎবা প্রত্যাখ্যান করা উভয়টাকে খারাপ মনে বল্মছিলাম ৷ এখন তুমি আমার কাছে কোন
একজন লোককে প্রেরণ করে এ সম্পদ সরকারী তহবিলে নিয়ে নাও ৷ আবদুল মালিক তার
কাছে পত্রের উত্তর প্রেরণ করলেন এবং বললেন, হে চাচাত ভইি ! আপনি এটা নিয়ে নিন ৷
আমি আপনার জন্য এটা বৈধ ঘোষণা করলাম ৷ তারপর তিনি তা কবুল করলেন ৷

আলী ইবন হুসায়ন (র) বলেন, “দুনিয়ার জনগণের সরদার হলেন দাতা ও পরাহযপারগণ
এবং আখিরাতে সরদার হলেন, দ্বীনদার, মর্যাদাবান, উলামা ও পরহেযপারগণ ৷ কেননা,
উলামাই নবীগণের উত্তরাধিকারী ৷ তিনি আরো বলেন, “আমি মহান আল্লাহ্র কাছে লজ্জাবােধ
করছি একথা ভেবে যে, আমি আমার কোন ভাইকে দেখব এবং তার জন্যে জান্নাতের্ দরখাস্ত
করব ও দুনিয়ার ব্যাপারে তার জন্যে কৃপণত৷ করব ৷ যখন কিয়ামতের দিবস সংঘটিত হয়ে
আমাকে বলা হবে, “যখন জান্নাত তোমার হাতে ছিল তুমি ছিলে এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড়
কৃপণ ! সবচেয়ে বড়কৃপণ ! সবচেয়ে বড় কৃপণ!

ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেন : তিনি ছিলেন অধিকাংশ সময়ে ক্রন্দনকারী ৷ তাকে এ
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “ইয়াকুব (আ) ইউসুফ (অ)-এর জন্য ক্রন্দন
করতেন এবং তার চোখ সাদা বা দৃষ্টিহীন হয়ে গিয়েছিল অথচ তিনি জানতেন না যে ইউসুফ
(আ) ইন্তিকাল করছেন কি না ৷ অন্যদিকে আমি আমার পরিবারের তের জনের অধিক
সদস্যকে আমার সামনে একটি সকাল বেলায় শহীদ হয়ে যেতে দেখেছি ৷ তোমরা কি মনে
করছ তাদের শোক আমার অন্তর থেকে কখনও মুছে যাবে?”

আবদুর রাযযাক বলেন, আলী ইবন হুসায়ন (র)-এর জন্যে একজন বাদী উযুর পানি
ঢালছিল ৷ অমনি তার হাত থেকে পানির পাত্রটি আলী ইবন হুসায়নেৱ চেহারায় পড়ে যায় এবং
তিনি যখমী হন ৷ তিনি তখন বীদীটির দিকে মাথা উঠিয়ে দেখলেন ৷ বাদীটি বলল, “আল্লাহ্
তাআলা সুরায়ে আলে-ইমরানের ১৩৪নং আয়াতে ইরশাদ করেন : ৷ষ্ন্৷ ৷ ন্ পু ণ্াষ্াব্র৷ ,

অর্থাৎ মুত্তাকীগণের একটি গুণ হলো তারা ণ্ক্রাধ সংবরণকারী ৷ আলী ইবন হুসায়ন (র)
বলেন, আমি ক্রোধ সংবরণকারী ৷ বাদীটি বলল, অর্থাৎ তারা মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল

,,শ্ার্দু৷ ;,ন্ছু: :--ষ্এে ৷, তিনি বললেন, মহান আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করুন বাদীটি কাল’

ৰুাা৷’এ অর্থাৎ আল্পাহ্ পাক সত্কর্মপরায়ণদের ভালবাসেন ৷ তখন আলী
ইবন হুসায়ন (র) বললেন, তুমি মহান আল্লাহর সত্তুষ্টির জন্য মুক্ত ৷


وَقَالَ: فَقْدُ الْأَحِبَّةِ غُرْبَةٌ. وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ قَوْمًا عَبَدُوا اللَّهَ رَهْبَةً، فَتِلْكَ عِبَادَةُ الْعَبِيدِ، وَآخَرُونَ عَبَدُوهُ رَغْبَةً فَتِلْكَ عِبَادَةُ التُّجَّارِ، وَآخَرُونَ عَبَدُوهُ مَحَبَّةً وَشُكْرًا، فَتِلْكَ عِبَادَةُ الْأَحْرَارِ الْأَخْيَارِ. وَقَالَ لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ، لَا تَصْحَبْ فَاسِقًا; فَإِنَّهُ يَبِيعُكَ بِأَكْلَةٍ وَأَقَلَّ مِنْهَا، يَطْمَعُ فِيهَا ثُمَّ لَا يَنَالُهَا، وَلَا بَخِيلًا; فَإِنَّهُ يَخْذُلُكَ فِي مَالِهِ أَحْوَجَ مَا تَكُونُ إِلَيْهِ، وَلَا كَذَّابًا; فَإِنَّهُ كَالسَّرَابِ يُقَرِّبُ مِنْكَ الْبَعِيدَ وَيُبَاعِدُ عَنْكَ الْقَرِيبَ، وَلَا أَحْمَقَ; فَإِنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَنْفَعَكَ فَيَضُرُّكَ، وَلَا قَاطِعَ رَحِمٍ; فَإِنَّهُ مَلْعُونٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ} [محمد: 22] (مُحَمَّدٍ: 22) . وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ تَخَطَّى النَّاسَ حَتَّى يَجْلِسَ فِي حَلْقَةِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فَقَالَ لَهُ نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ: غَفَرَ اللَّهُ لَكَ، أَنْتَ سَيِّدُ النَّاسِ تَأْتِي تَخَطَّى حَتَّى تَجْلِسَ مَعَ هَذَا الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ؟ فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ: إِنَّمَا يَجْلِسُ الرَّجُلُ حَيْثُ يَنْتَفِعُ، وَإِنَّ الْعِلْمَ يُبْتَغَى وَيُؤْتَى، وَيُطْلَبُ مِنْ حَيْثُ كَانَ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ:
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৫


আবৃ-যুবায়র ইবন বিকার বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইবরাহীম ইবন কুদামাহ আল-লাখমী
আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবন আলীর পিতা হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইরাকের
একটি সম্প্রদায়ের কিছুসংখ্যক লোক এক জায়গায় বললেন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও
উমর (রা) সম্বন্ধে আলোচনা করেন এবং অনেক কথাই তাদের সম্বন্ধে বলেন ৷ তারপর তারা
হযরত উছমান (রা)-এর সম্বন্ধে আলোচনা শুরু করেন ৷ তখন আলী ইবনুল হুসায়ন তাদেরকে
বললেন, “আমাকে আপনারা সংবাদ দিন, আপনারা কি ঐসব প্রথা;মাক্ত মুহাজিরগণের
অভৃর্তুক্ত, যাদের কথা সুরায়ে হাশরের ৮নং আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন ং

শ্ : ’ ’ ৷ৰ্ শ্ ব্লু ’ ষ্ ’ : শ্ :

’ ন্ওা৷৷ ৷ ণ্’ওা;৷ , ৷ ওা শু’,, অর্থাৎ “যারা নিজেদের ঘরবাড়ী ও সম্পত্তি হতে উৎখাত

হয়েছে, তারা আল্লাহর অনুগ্নহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে এবং আল্পাহ্ ও তার রাসুলের সাহায্য
করে ৷ তারাই তো সত্যাশ্রয়ী” ৷ তারা বলল, না’ ৷ আলী ইবনুল হুসায়ন (র) বলেন, তাহলে
তোমরা কি ঐসব ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের কথা সুরায়ে হাশরের ৯নং আয়াতে বলা হয়েছে :

অর্থাৎ মুহাজিংদের আগমনের পুর্বে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে ও ঈমান এসেছে
তারা মুহাজিরদেরকে ভালবাসে ৷ ” তারা তখন বলল, না’ ৷ তিনি তখন তাদেরকে বললেন,
তোমরা স্বীকার করেছ এবং নিজেরাই সাক্ষ্য দিয়েছ যে, তোমরা এ সম্প্রদায়েরও অন্তর্ভুক্ত নও
এবং ঐ সম্প্রদায়েরও অন্তর্ভুক্ত নও ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তোমরা তিন নং সম্প্রদায়ের
অন্তর্ভুক্ত নও, যাদের সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা সুরায়ে হাশরের ১০নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন ং


৷ ’ ’ণ্

“যারা তাদের পরে এসেছে
তারা বলেন, হে আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে এবং ঈমানে অ্যাণী আমাদের ভ্রাতাগণকে

ক্ষমা কর এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অম্ভার হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না ৷ কাজেই তোমরা
আমার এখান থেকে উঠে যাও ৷ আল্লাহ্ যেন তোমাদের মধ্যে বরকত দান না করেন ৷
তোমাদের বাসস্থানকে যেন আল্লাহ্পাক হেরেমের নিকটবর্তী না করেন ৷ তোমরা ইসলাম সম্বন্ধে
ঠট্টো-বিদ্ধপ করছ ৷ তোমরা ইসলামের যোগ্য নও ৷

একবার এক লোক এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হযরত আলী (রা) কে কখন উঠানো
হবে ? তিনি বলেন, আল্লাহ্র শপথ, কিয়ামতের দিন তাকে উঠানো হবে ৷ ইবন আবুদ-দুনিয়া
বলেন, সাঈদ ইবন সুলায়মান হতে আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে যে, আলী ইবনুল
হ্না৷য়ন (র) যখন তার ঘর থেকে বের হতেন, তখন তিনি বলতেন, হে আল্লাহ্! আজকের
দিলে আমি আমার ইয্যত-হুরমতকে ঐ ব্যক্তির জন্য সাদাকা করে দিচ্ছি, যে এটাকে হালাল
আনে ৷ ইবন আবুদ-দৃনিয়াআংরা বলেন : একদিন তার এক গোলামের হাত থেকে কাবাব
সিদ্ধ করা শিক আলী ইবন হুসায়ন (র)-এর একটি বাচ্চার মাথায় পড়ে ৷ গোলাম চুলায়
কাবার তৈরী করছিল ৷ ফলে, বাচ্চাঢি নিহত হয়৷ আলী ইবনুল হুসায়ন (র) দ্রুত এগিয়ে
আসলেন এবং বাচ্চাটির দিকে দৃষ্টিপাত করলেন ও গোলামকে বললেন, তুমি নিশ্চয়ই ইচ্ছে
করে এটা করনি ৷ তাইতৃমি মুক্ত ৷ তারপর তিনি তার সন্তানের দাফনকাফন শুরু করেন ৷
আল-মাদইিনী বলেন, আমি সুফিয়ান্য ক বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আলী ইবনুল হুসায়ন (র)


أَتَسْتَطِيعُ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنِي وَبَيْنَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ؟ فَقُلْتُ: مَا تَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ: أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَهُ عَنْ أَشْيَاءَ يَنْفَعُنَا اللَّهُ بِهَا، إِنَّهُ لَيْسَ عِنْدَنَا مَا يَرْمِينَا بِهِ هَؤُلَاءِ. وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْعِرَاقِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ رَزِينِ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَأَتَى عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَرْحَبًا بِالْحَبِيبِ ابْنِ الْحَبِيبِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الصُّولِيُّ، ثَنَا الْعَلَائِيُّ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ قَالَ: «كُنَّا عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ فَقَالَ: كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، فَضَمَّهُ إِلَيْهِ وَقَبَّلَهُ وَأَقْعَدَهُ إِلَى جَنْبِهِ، ثُمَّ قَالَ: يُولَدُ لِابْنِي هَذَا ابْنٌ يُقَالُ لَهُ عَلِيٌّ، إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادَى مُنَادٍ مِنْ بُطْنَانِ الْعَرْشِ: لِيَقُمْ سَيِّدُ الْعَابِدِينَ، فَيَقُومُ هُوَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ أَكْثَرُ مُجَالَسَتِي مَعَ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَمَا رَأَيْتُ أَفْقَهَ مِنْهُ، وَكَانَ قَلِيلَ الْحَدِيثِ، وَكَانَ مِنْ أَفْضَلِ أَهْلِ بَيْتِهِ وَأَحْسَنِهِمْ طَاعَةً، وَأَحَبِّهِمْ
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৬


বলতেন “অপমান সহকারে যদি লাল উট আমার ভাগে পতিত হয়, তাহলে এটা আমাকে খুশী
করতে পারে না ৷ জুবায়র ইবন বিকার এ হাদীস অন্য পন্থায়ও বর্ণনা করেছেন ৷ এক ব্যক্তির
এক সন্তান মারা যায় ৷ সন্তান তার নিজ্যে৷ উপর যুলুম করত ৷ তার পিতা তার এ যুলুমের জন্য
দুঃখ প্রকাশ করল ও মহান আল্লাহ্র দরবারে কাকুতি-মিনতি করল ৷ আলী ইবনুল হুসায়ন (র)
লোকটিকে বললেন, “তোমার সন্তানের জন্যে তিনটি উপহার রয়েছেও একটি হলো,
কালেমায়ে তায়িবাের সাক্ষ্য, দ্বিতীয়টি হলো মহান আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর শাফাআত এবং
তৃতীয়টি হলো আল্পাহ্ তা জানার রহমত ৷

আল-মাদইিনী বলেন, একবার ইমাম যুহয়ী (র) একটি গুনাহের কাজ করেন ৷ এতে তিনি
ভয় পেয়ে যান এবং হতাশ হয়ে পড়েন ৷ তিনি তার পরিবার ও ধন-সম্পদ ছেড়ে অন্যত্র চলে
যান ৷ তারপর যখন আলী ইবনুল হুসায়ন (র)-এর সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ তখন তিনি তাকে
বলেন, হে ইমাম যুহয়ী! মহান আল্লাহ্র রহমত থেকে তোমার নৈরাশ্য সব জিনিসকে গ্রাস
করে ফেলেছে এবং এটা তোমার গুনাহ্র চেয়ে অনেক বড় ৷ ইমাম যুহয়ী (র) তখন সুরায়ে


আনআমের ১২৪ নং আয়াতাংশ পাঠ ৷ অর্থাৎ
আল্লাহর রিসালাতের তার কার উপর অর্পণ করবেন, তা তিনিই ভাল জানেন ৷

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি ভুলত্রুমে কোন একটি নিষিদ্ধ খুনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে
পড়েছিলেন ৷ তখন আলী ইবনুল হুসায়ন (র) তাকে তাওবাহ্-ইসতিগৃফার করার হুকুম দেন
এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারকে নিহত ব্যক্তির রক্তমুল্যও প্রদান করতে বলে ৷ তিনি তা করেন, ৷
ইমাম যুহয়ী (র) বলতেন, আলী ইবনুল হুসায়ন (র) আমার কাছে কৃতজ্ঞতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে
বড ব্যক্তি ৷ ’

সুফিয়ান ইবন উয়ায়না বলেন, “আলী ইবনুল হুসায়ন (র) বলতেন, না জেনে-শুনে যদি
কেউ কারো সম্পর্কে কোন কল্যাণের কথা বলে, তাহলে সে না জেনে তার সম্পর্কে অকল্যাণের
কথা বলারও সম্ভাবনা থাকে ৷ যদি দুই ব্যক্তি কোন গুনাহের কাজ একত্রে মিলে করে, তাহলে
তাদের অবাধ্যতার দরুন পৃথক হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে ৷ ইতিহসেবিদগণ উল্লেখ করেন,
তিনি তার মাতাকে তার গােলামের সাথে বিয়ে দেন ৷ তিনি তার মাতাকে আযাদ করে দেন
এবং তাকে বিয়ে দেন ৷ খলীফা আবদুল মালিক একজন লোক প্রেরণ করে এ ব্যাপারে তাকে
তিরস্কার করেন ৷ তখন তিনি তার কাছে পত্র লিখেন ও সুরায়ে আহযাবের ২১নং আয়াত
তিলাওয়াত করেন৪
৷ , অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাতকে ভয়

করে এর আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম
আদর্শ ৷” রাসুলুল্পাহ্ (সা) হযরত সাফিয়্যা (না)-কে আযাদ করেন ৷ তারপর তাকে বিয়ে করেন
এবং নিজের আযাদকৃত গোলাম যায়দ ইবন হারিছার সাথে ফুফাভাে বোন যায়নাববিন্ত
জাহশকে বিয়ে দেন ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, শীতের দিলে তিনি মোটা কালো রেশমী কাপড় পরিধান করতেন,
যার মুল্য ছিল পঞ্চাশ দীনার ৷ যখন গরমকাল আস৩ , তখন তা তিনি সাদাকা করে দিতেন ৷
গরমকালে তিনি তড়ালিওয়ালা কাপড় পরিধান করতেন এবং কুরআনের সুরায়ে আরাফের ৩২


إِلَى مَرْوَانَ، وَابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ يُسَمِّيهِ: زَيْنَ الْعَابِدِينَ. وَقَالَ جُوَيْرِيَّةُ بْنُ أَسْمَاءَ: مَا أَكَلَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بِقَرَابَتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمًا قَطُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، قَالَ: بَعَثَ الْمُخْتَارُ إِلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَكَرِهَ أَنْ يَقْبَلَهَا، وَخَافَ أَنْ يَرُدَّهَا، فَاحْتَبَسَهَا عِنْدَهُ، فَلَمَّا قُتِلَ الْمُخْتَارُ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ بَعَثَ إِلَيَّ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَقْبَلَهَا، وَكَرِهْتُ أَنْ أَرُدَّهَا، فَابْعَثْ مَنْ يَقْبِضُهَا. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ: يَا ابْنَ عَمٍّ، خُذْهَا فَقَدْ طَيَّبْتُهَا لَكَ. فَقَبِلَهَا. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ: سَادَةُ النَّاسِ فِي الدُّنْيَا الْأَسْخِيَاءُ الْأَتْقِيَاءُ، وَفِي الْآخِرَةِ أَهْلُ الدِّينِ وَأَهْلُ الْفَضْلِ وَالْعِلْمِ ; لِأَنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ. وَقَالَ أَيْضًا: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ أَرَى الْأَخَ مِنْ إِخْوَانِي، فَأَسْأَلَ اللَّهَ لَهُ الْجَنَّةَ، وَأَبْخَلَ عَلَيْهِ بِالدُّنْيَا، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ قِيلَ لِي: لَوْ كَانَتِ الْجَنَّةُ بِيَدِكَ لَكُنْتَ بِهَا أَبْخَلَ وَأَبْخَلَ وَأَبْخَلَ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ كَثِيرَ الْبُكَاءِ، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৭
السَّلَامُ، بَكَى حَتَّى ابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ عَلَى يُوسُفَ، وَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّهُ مَاتَ، وَإِنِّي رَأَيْتُ بِضْعَةَ عَشَرَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُذْبَحُونَ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ، أَفَتَرَوْنَ حُزْنَهُمْ يَذْهَبُ مِنْ قَلْبِي أَبَدًا؟! وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: سَكَبَتْ جَارِيَةٌ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَلَيْهِ مَاءً لِيَتَوَضَّأَ، فَسَقَطَ الْإِبْرِيقُ مِنْ يَدِهَا عَلَى وَجْهِهِ فَشَجَّهُ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهَا، فَقَالَتِ الْجَارِيَةُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ} [آل عمران: 134] فَقَالَ: قَدْ كَظَمْتُ غَيْظِي. قَالَتْ: {وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ} [آل عمران: 134] . فَقَالَ: قَدْ عَفَا اللَّهُ عَنْكِ. فَقَالَتْ: {وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ} [آل عمران: 134] (آلِ عِمْرَانَ: 134) . قَالَ: فَاذْهَبِي، أَنْتِ حُرَّةٌ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَبُو قُدَامَةَ الْجُمَحِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جَلَسَ إِلَيَّ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَذَكَرُوا أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، فَنَالُوا مِنْهُمَا، ثُمَّ ابْتَدَءُوا فِي عُثْمَانَ، فَقُلْتُ لَهُمْ: أَخْبِرُونِي، أَنْتُمْ مِنَ {الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيارِهِمْ} [الحشر: 8] وَإِلَى قَوْلِهِ: {أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ} [الحشر: 8] (الْحَشْرِ: 8) ؟ قَالُوا: لَا، لَسْنَا مِنْهُمْ. قُلْتُ: فَأَنْتُمْ مِنَ الَّذِينَ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ} [الحشر: 9]
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৮


নং আয়াত তিলাওয়াত করতেন০
; ,;; ৷ ট্রু ন্ৰু এপু পু ঠু ৷ ৷ এ অর্থাৎ “হে রাসুল, আপনি বলুন, আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য যেসব

শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করেছেন, তা কে নিষিদ্ধ করেছে

বিভিন্ন সনদে আস-সুলী এবং আলজারীরী ও অন্যান্য অনেকে বর্ণনা করেছেন যে, হিশাম
ইবন আবদুল মালিক তার পিতার খিলাফত আমলে এবং তার ভাই আল ওয়ালীদের খিলাফত
আমলে হজ্জ করেছেন ৷ একবার তিনি বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফকালে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন
করার ইচ্ছে করলেন কিন্তু, তিনি তা করতে পারলেন না ৷ তইি তার জন্যে সেখানে একটি
মিম্বর রাখা হলো ৷ তিনি তার উপর বসলেন এবং হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করলেন ৷ আর
সিরিয়াবাসীরা তার কাছে দণ্ডায়মান ছিলেন ৷ তার এ অবস্থার মাঝে দেখা গেল আলী ইবনুল
হুসায়ন (র) এগিয়ে আসলেন ৷ যখন তিনি হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার জন্যে নিকটবর্তী
হলেন তখন লোকজন তার সম্মনোর্থে ও ভয়ে তার থেকে দুরে সরে যায় ৷ আর তিনি
নাদুশ দুশ চেহারার অধিকারী ছিলেন এবং একটি সুন্দর কাপড় পরিহিত ছিলেন ৷
সিরিয়াবাসীরা হিশামকে বললেন, তিনি কে ? হিশাম তখন বললেন, আমি তাকে চিনি না ৷
উদ্দেশ্য ছিল তাকে নগণ্য ও হীন বলে প্রকাশ করা যাতে সিরিয়াবাসীরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
না পড়ে ৷

আল-ফারাযদাক নামী একজন কবি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, আমি তাকে
চিনি ৷ তারা বললেন, তিনি কে ? তখন আল-ফারাযদাক নিম্নে বর্ণিত কবিতাগুলো আবৃত্তি
করেন ৷ “তাকে পবিত্র মক্কার প্রশস্ত ভুমি ও কাদা মাটি চিনে ৷ মহান আল্লাহ্র ঘর ও হোরম
শরীফের এলাকা এবং হোরমের বাইরের এলাকা তাকে চিনে ৷ তিনি মহান আল্লাহর সমস্ত
বান্দার উত্তম বন্দোর সন্তান ৷ তিনি পরাহযগার, পবিত্র, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বিদ্বান ৷ তাকে
যখন কুরায়শরা দেখে তখন কুরায়শের মুখপাত্র বলে যে, এ ব্যক্তির মর্যাদা পর্যত্তই মর্যাদার
শেষ প্রান্ত ৷ তার কাছেই সম্মানের চুড়া অবস্থিত ৷ যে সষ্মান অর্জন করতে এখনকার ইসলামে
দীক্ষিত আরব ও অনারব অসমর্থ ছিল ৷ যখন তিনি রুকনে হাভীমকে স্পর্শ করতে আসেন,
তখন তার পরিচিত লোকজন তাকে অবরোধ করে ফেলার উপক্রম হয়েছিল ৷ ঈমানী ল্জ্জাবােধ্
তাকে আবৃত করে রাখত এবং তার ভয়ে মানুষ তার কাছে সশ্রদ্ধ থাকত ৷ তার সাথে লোকজন
তখনই কথা বলত, যখন তিনি মুচকি হাসি হাসতেন ৷ তার হাতে থাকত একটি ষষ্টি যার
সুগন্ধি ছিল মনােমুগ্ধকর ৷ আর এটা তার মত বীরের কৱকমলে শোভা পেত ৷ যার ছিল
সিংহস্বরুপ সুউচ্চ ও গৌরবময় নাক ৷ যার বংশ ধারা মহান আল্লাহ্রশ্ রাসুল (সা) হতে নিঃসৃত ৷
যার মুলছিল ণ্শ্রষ্ঠ এবং আচার আচরণ ছিল শিষ্টাচারপুর্ণ ও জনপ্রিয় ৷ তার সমুজ্জ্বল আলো
হতে হিদায়াতের আলো বিকশিত ৷ যেমন সুর্যের তাপ থেকে মেঘমালা বিকশিত হয়ে থাকে ৷
জনগণ যখন কষ্টে পতিত হতো, তখন তিনি তাদের বোঝা উঠাতেন ৷ আবার তার সুমধুর
আচরণের জন্যে তার কাছে জনগণ ও সকল ঐশ্বর্য ভিড় জমাত ৷ যদি তুমি তাকে না চিন
তাহলে জেনে ব্লেখো তিনি ফাতিমার সন্তান এবং তার নানার কাছেই মহান আল্লাহ্র নবীগণের
আগমন ধারার পরিসমাপ্তি ঘটেছে ৷ তার নানার কাছেই মহান আল্লাহ্র রাসুলগণের গ্রেষ্ঠতু
ৰ্াৰ্র্ডিংদ্র হয়েছে ৷ তার দয়া বিশ্ববাসীকে করেছে ধন্য ৷ আর ধরা থেকে বিলুপ্ত হয়েছে বিভ্রান্তি,
মৈং৷ ও অত্যাচার, অনাচার ও ব্যভিচার ৷ জ্যাগণের অভাব-অনটন দুরীকরণে ছিল তার দুই
হস্ত সর্বদা প্রশস্ত ও প্রসারিত ৷ তার দয়ার ভাণ্ডার সকলের জন্যে উন্মুক্ত ও অফুরম্ভ ৷ তিনি
অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী ৷ যার থেকে গ্যেপ্ৰুদ্ভুঙ্কুঢ তা ও অ সৌজন্যমুলক ব্যবহারের কোন আশংকা


إِلَى قَوْلِهِ: {فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الحشر: 9] (الْحَشْرِ: 9) . قَالُوا: لَا، لَسْنَا مِنْهُمْ. قَالَ: فَقُلْتُ لَهُمْ: أَمَّا أَنْتُمْ فَقَدَ تَبَرَّأْتُمْ وَأَقْرَرْتُمْ وَشَهِدْتُمْ أَنْ تَكُونُوا مِنْهُمْ، وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّكُمْ لَسْتُمْ مِنَ الْفِرْقَةِ الثَّالِثَةِ، الَّذِينَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ: {وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ} [الحشر: 10] (الْحَشْرِ: 10) قُومُوا عَنِّي، لَا بَارَكَ اللَّهُ فِيكُمْ، وَلَا قَرَّبَ دُورَكُمْ، أَنْتُمْ مُسْتَهْزِئُونَ بِالْإِسْلَامِ، وَلَسْتُمْ مِنْ أَهْلِهِ. وَجَاءَ رَجُلٌ فَسَأَلَهُ: مَتَى يُبْعَثُ عَلِيٌّ؟ فَقَالَ: يُبْعَثُ وَاللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَتَهُمُّهُ نَفْسُهُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حُدِّثْتُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَصَدَّقُ الْيَوْمَ أَوْ أَهَبُ عِرْضِي الْيَوْمَ مَنِ اسْتَحَلَّهُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا أَنَّ غُلَامًا سَقَطَ مِنْ يَدِهِ سَفُّودٌ، وَهُوَ يَشْوِي شَيْئًا فِي التَّنُّورِ عَلَى رَأْسِ صَبِيٍّ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ فَقَتَلَهُ، فَنَهَضَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ مُسْرِعًا، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ قَالَ لِلْغُلَامِ: يَا بُنَيَّ، إِنَّكَ لَمْ تَتَعَمَّدْ أَنْتَ حُرٌّ. ثُمَّ شَرَعَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৩৭৯


নেই ৷ তাকে দুটো বিশেষ গুণ মহিমাষিত করেছে, তাহলো ধৈর্য ও মর্যাদার সৌন্দর্য ৷ তিনি

ৎগীকার ভদ্বুঙ্গ করেননি ৷ অনুপস্থিত বা অবর্তমান থাকাকালেও তিনি সৌভাগ্যবান ৷ যার চত্র
অত্যন্ত প্রশস্ত ৷ সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ৷ আর তিনি এমন এক সম্প্রদায়ের
মহৎ ব্যক্তি যাদের সাথে মহব্বত রাখাটাই ধর্মের অংগ ৷ যাদের হিংসা বন্মটি৷ কুফরীর মধ্যে
শামিল ৷ আর তাদের নৈকট্য অর্জন নাজাত লাভের অসীলাও আশ্রয়স্থুল ৷ তাদের মহব্বতের
মাধ্যমে অকল্যাণ ও মুসীবত দুর করার কামনা করা হয় ৷ আর তাদের মহব্বতের মাধ্যমে
ইহসান ও নিআমতের বৃদ্ধির আশা করা হয়ে থাকে ৷ মহান আল্লাহর স্মরণের পর প্রতিটি ক্ষেত্রে
তাৰ্দ্যা স্মরংইি সবকিছুর অগ্রে স্থান দেওয়া হয় ৷ আর তাদের মহব্বত উল্লেখ সহকারে কথার
সমাপ্তি ঘটানো হয় ৷ যদি পরাহযগার লোকদের মানমর্যাদা সম্পর্কে হিসাব নেওয়া হয় ৷ তাহলে ধ্
তারা ইমাম হিসেবে গণ্য হবেন ৷ অথবা যদি বলা হয়, ভুপৃষ্ঠে উত্তম ব্যক্তি কারা তাহলে
জওয়াবে বলা হয় যে তারাই ৷ কোন দান-খয়রাতকারী ব্যক্তি তাদের মান মর্যাদার গভীরতু
পর্যন্ত পৌছতে পারে না ৷ কোন সম্প্রদায়ের লোকেরা সম্মানে ভুষিত হলেও তারা তাদের
নিকটেও পৌছতে পারে না ৷ যখন দেশে কোন প্রকার দুর্তিক্ষ ও বিপর্যয় দেখা দেয়, তখন
তারাই দাতা হিসেবে বিবেচিত হন ৷ তার সিৎহস্বরুপ দ্রুতগামী বিবেচিত হন, অথচ বিপর্যয়
থাকে ভুঙ্গে ৷ দৃর্নাম তাদের চত্বরে প্রবেশ করতে পারে না বা প্রবেশ করতে অস্বীকার করে ৷
তারা খুব ভদ্র ও সম্মানিত এবং সমাজে শক্তিধর হিসেবে বিবেচ্য ৷ তাদের বদান্যতার দরুন
অন্যদের মাঝে শুন্যতাহ্রাস পায় না বরং বৃদ্ধি পায় ৷ তারা কাউকে কিছু দান করুক কিংবা নইি
করুক অন্যদের কাছে তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ৷ কেননা, তাদের মর্যাদার কেউ পৌছতে
পারে না ৷ এমন কে আছে যাদের ক্ষেত্রে তাদের অগ্ৰাধিকার প্রমাণিত হয়নি ? হীা, তাদের
অগাধিকার প্রমাণিত হয়েছে বার বার ৷ তাই তোমার কোন কথা বা মন্তব্যই তার অনিষ্ট করতে
পারে না ৷ যাকে তুমি চিনতেছ না তাকে আরব ও অনার ব সকলেই চিনে, তাকে মহান আল্লাহ
চিনেন এবং তার অগ্ৰাধিকারকেও মহান আল্লাহ চিনেন ৷ এ পরিবার থেকেই অন্যান্য লোকেরা
দ্বীন হাসিল করেছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, উপরোক্ত কবিতাগুলো শুনে হিশাম ভীষণ রাগাষিত হল এবং পবিত্র

মক্কাহ্ মদীনায় মাঝামাঝি অবস্থিত উছফান নামক স্থানে ফারাযদুককে বন্দী করার হুকুম দিল ৷
আলী ইবনুল হুসায়নের কাছে এ সংবাদ পৌছার পর তিনি ১২ (বার) হাজার দিবহামসহ এক
ব্যক্তিকে ফারাযদুকের কাছে প্রেরণ করেন বিক্ষ্ম তিনি তা কবুল করলেন না এবং বললেন,
“আমি যা বলেছি, তা মহান আল্লাহ্র সভুষ্টি ও সত্যের সাহায্য এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর
বংশধরদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি বলেছি ৷ এর
পরিবর্তে আমি কোন কিছু বিনিময় গ্রহণ করব না ৷ আলী ইবনুল হুসায়ন তার কাছে এক
ব্যক্তিকে প্রেরণ করলেন এবং তাকে বলতে বললেন, এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ তোমার যথার্থ
নিয়ত সম্বন্ধে অবগত আছেন ৷ আমি তোমার প্রতি আল্লাহ্র শপথ সহকারে বলছি, তুমি যেন
তা কবুল কর ৷ তারপর তিনি তার থেকে তা কবুল করলেন এবং হিশামের বদনাম গইিতে
লাগলেন ৷ এই বদনাম পথোর কিছু অংশ নীচে উপস্থাপন করা হল ৷ তিনি বলেন, “তৃমি
আমাকে বন্দী করে রেখেছো, পবিত্র মদীনাও এমন শহরের মধ্যবর্তী জায়গায় যার দিকে
ক্ষাগণের অন্তর বিশেষ করে তাদের মধ্যে যে তাওবাকারী তার অন্তর আকৃষ্ট হয়, তাওবাকারী
যদি উদ্ধত সর্দার না হয়ে থাকে তাহলে সে তার মস্তক ও তীর্যক দৃষ্টি সম্পন্ন দুই চক্ষুকে
পরিবর্তন করে অন্যান্যদের দােষত্রুটি প্রকুশ্লোফ্লু,রগ্লুৰুবুন্াধ্০জ্যো

جَهَازِ ابْنِهِ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ يَقُولُ: كَانَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ يَقُولُ: مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي بِنَصِيبِي مِنَ الذُّلِّ حُمْرَ النَّعَمِ. وَرَوَاهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْهُ. وَمَاتَ لِرَجُلٍ وَلَدٌ مُسْرِفٌ عَلَى نَفْسِهِ، فَجَزِعَ عَلَيْهِ مِنْ أَجْلِ إِسْرَافِهِ، فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ إِنَّ مِنْ وَرَاءِ ابْنِكَ خِلَالًا ثَلَاثًا: شَهَادَةَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَشَفَاعَةَ رَسُولِ اللَّهِ، وَرَحْمَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: قَارَفَ الزُّهْرِيُّ ذَنْبًا، فَاسْتَوْحَشَ مِنْهُ، وَهَامَ عَلَى وَجْهِهِ، وَتَرَكَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ بِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ لَهُ: يَا زُهْرِيُّ، قُنُوطُكَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَنْبِكِ. فَقَالَ الزُّهْرِيُّ: {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ كَانَ أَصَابَ دَمًا خَطَأً، فَأَمَرَهُ عَلِيٌّ بِالتَّوْبَةِ وَالِاسْتِغْفَارِ، وَأَنْ يَبْعَثَ الدِّيَةَ إِلَى أَهْلِهِ. وَكَانَ الزُّهْرِيُّ يَقُولُ: عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ أَعْظَمُ النَّاسِ عَلَيَّ مِنَّةً. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: كَانَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ يَقُولُ: لَا يَقُولُ رَجُلٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৩৮০


আলী ইবনুল হুসায়ন হতে বর্ণিত রয়েছে যে, যখন তার সামনে দিয়ে কোন লাশের জানাযা
অতিক্রা বন্মাতা, তখন তিনি নিম্নে বর্ণিত দুইটি কবিতা আবৃত্তি করতেনং

“লাশের কোন জানাযা যখন আমাদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, তখন আমরা তা
দেখে ভয় পেয়ে যাই ৷ আর যখন আমরা হালকা বৃষ্টির মধ্যে চলাফেরা করি, তখন আমরা
আনন্দ বোধ করি ৷ আমাদের কাছে লড়াশের ভয় সাতজন গুহাবাসীর প্রতি একটি আক্রমণাত্মক
দলের ভরের মতই অনুভুত হয় ৷ যখন তারা জাগ্রত হওয়ার পর আবার নিরুদ্দেশ হয়, তখন
তাদের আশেপাশের অঞ্চল শস্য-শ্যামল ও তল্দোতায় ভরে যায় ৷

আল-হাফিয ইবন আসাকির মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল-মুকরী হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাহ, ইমাম যুহরী হতে আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, ইবাদতগােযারাদর সর্দার আলী ইবনুল হুসায়নকে তার নিজের সম্বন্ধে
যাচইি-বাছাই করার উদ্দেশ্যে ও নিজের প্রতিপালকের সাথে মুনাজাতের লক্ষেক্ত বলতে শুনেছি ৷
তিনি বলেন, হে আমার আত্মা ! এ দুনিয়ার তুমি কতদিন পর্যন্ত থাকতে পারবে এবং এ দুনিয়ার

ন্ প্রাসাদে কতক্ষণ তুমি স্থায়ী থাকতে পারবে ? তুমি কি তোমার পুর্ব পুরুষদের মধ্যে যারা চলে
গেছে তাদের থেকে উপদেশ গ্রহণ কর না ? আর তোমার বন্ধু-রান্ধবদের যাদেরকে এ পৃথিবী
ঢেকে নিয়েছে তোমার মৃত ভাইদের যাদেরকে তুমি ভয় করছ, তোমার বন্ধু-বান্ধবদের যারা
ভুতলে চলে গেছে, এসব থেকে কি তুমি উপদেশ অর্জন করছ না ? তারা দুনিয়াতে প্রকাশ
পাওয়ার পর এখন পৃথিবীর গর্ভে চলে গেছে এবং তাদের সৌন্দর্য পৃথিবীর গর্ভে ধ্বংস হওয়ার
উপক্রম হয়ে পড়েছে ৷

তাদের ঘরবাড়ীগুলাে খালী পড়ে রয়েছে ৷ তাদের বাড়ীর চতৃরগুলো জনশুন্য হয়ে পড়েছে ৷
তাদেরকে তাদের নিয়তি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে; তারা দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গিয়েছে ৷
আর তারা দুনিয়ার জন্যে যে সম্পদ সংগ্রহ করেছিল তাও বিদায় হয়ে গিয়েছে; মাটির নীচের
গর্তগুলাে তাদেরকে স্বীয় বুকে টেনে নিয়েছে; মৃত্যুর হাত কত যুগের পর যুগকে ধ্বংস করে
দিয়েছে; আর এ ভুপৃষ্ঠ স্বীয় মুসীবতের মাধ্যমে কতকিছুকে বিবর্ণ করে দিয়েছে, আর ভু-পৃষ্ঠের

মৃত্তিকা কত কিছুকে ঢেকে নিয়েছে, বিভিন্ন দল ও গোত্রের লোক যাদের সাথে তুমি বসবাস

করতে তাদেরকে পরীক্ষাগার (কবর) বিলুপ্ত করে দিয়েছে ৷ তারপর মৃত্যুর হাত তাদের থেকে
ফকীর-মিসকীনদের ক্রিয়া কলাপের প্রতি প্রত্যাবর্তন করে ৷

তুমি দুনিয়ার মস্তক অবনতকারী ও হিংসুক ব্যক্তি, দুনিয়ার ধন-সষ্পদ অর্জনে তুমি লোভী
ও বেশী বেশী দুনিয়া অর্জনের প্ৰতি আকৃষ্ট ৷ তুমি সর্বদা বিপদের ঝুকি নিয়ে অন্য মনস্ক হয়ে
সকালবিকাল অতিবাহিত করছ ৷ তোমার যদি বুদ্ধিশুদ্ধি থাকে তাহলে তুমি কি জান কি কি
বিষয়ে ণ্তামাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ? এক ব্যক্তি অব্যাহততাবে দুনিয়া লাভে চেষ্টা
করে যাচ্ছে এবং তার আখিরাতকে ভুলে যাচ্ছে ৷ নিঃসন্দেহে সে ক্ষতিগ্রস্ত ৷ কাজেই দুনিয়ার
সমাপ্তি কি তোমার মুখ্য বস্তু ? দুনিয়ার আস্বাদনই কি তোমার পেশাও নেশা ?

অভাব অনটন তোমাকে কিৎকতব্যিবিমুঢ় করে দিয়েছে ৷ আর তোমার কাছে আখিরাতের
ভয় প্রদর্শনকারীও এসে গেছে অথচ তুমি তোমার লক্ষ্য বস্তুর প্রতি উদাসীন এবং বর্ত্যা৷নের
স্বাদগ্রহণের প্রতি আগ্রহশীল ও ভবিষ্যত স্বাদ গ্রহণের প্রতি অন্যমনস্ক ৷ আর তুমি প্রবৃত্তির
অনুসারীদের বিপ্লব দেখছ এবং তাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়েছে, তাও তুমি লক্ষ্য
কারছ ৷


رَجُلٍ مِنَ الْخَيْرِ مَا لَا يَعْلَمُ إِلَّا أَوْشَكَ أَنْ يَقُولَ فِيهِ مِنَ الشَّرِّ مَا لَا يَعْلَمُ، وَمَا اصْطَحَبَ اثْنَانِ عَلَى مَعْصِيَةٍ إِلَّا أَوْشَكَ أَنْ يَفْتَرِقَا عَلَى غَيْرِ طَاعَةِ اللَّهِ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ زَوَّجَ ابْنَةً مِنْ مَوْلًى لَهُ، وَأَعْتَقَ أَمَةً فَتَزَوَّجَهَا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ يَلُومُهُ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ} [الأحزاب: 21] وَقَدْ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ فَتَزَوَّجَهَا، وَزَوَّجَ مَوْلَاهُ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ مِنِ ابْنَةِ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ. قَالُوا: وَكَانَ يَلْبَسُ فِي الشِّتَاءِ خَمِيصَةً مِنْ خَزٍّ بِخَمْسِينَ دِينَارًا، فَإِذَا جَاءَ الصَّيْفُ تَصَدَّقَ بِهَا، وَيَلْبَسُ فِي الصَّيْفِ الثِّيَابَ الْمُرَقَّعَةَ وَدُونَهَا، وَيَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ} [الأعراف: 32] (الْأَعْرَافِ: 32) . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ ذَكَرَهَا الصُّولِيُّ وَالْجُرَيْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، أَنَّ هِشَامَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ حَجَّ فِي خِلَافَةِ أَبِيهِ أَوْ أَخِيهِ الْوَلِيدِ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَسْتَلِمَ الْحَجَرَ لَمْ يَتَمَكَّنْ حَتَّى نُصِبَ لَهُ مِنْبَرٌ، فَاسْتَلَمَ وَجَلَسَ عَلَيْهِ، وَقَامَ أَهْلُ الشَّامِ حَوْلَهُ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَقْبَلَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْحَجَرِ; لِيَسْتَلِمَهُ تَنَحَّى عَنْهُ النَّاسُ إِجْلَالًا لَهُ وَهِيبَةً وَاحْتِرَامًا، وَهُوَ فِي بِزَّةٍ حَسَنَةٍ، وَشَكْلٍ مَلِيحٍ، فَقَالَ أَهْلُ الشَّامِ لِهِشَامٍ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: لَا أَعْرِفُهُ. لِئَلَّا يَرْغَبَ فِيهِ أَهْلُ الشَّامِ. فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮১


মৃত্যু, কবর, মুসীবত ইত্যাদির ভয়ানক অবস্থা উল্লেখ করার মধ্যে এবং গেল তামাশাও
দুনিয়ার আস্বাদন থেকে বিরত থাকার মধ্যে কোন এক ব্যক্তির জন্যে রয়েছে ধমক প্রদানকারী ৷
প্রতীক্ষ৷ ও বার্ধক্য চল্লিশের অত্যাসন্নকে দুরে ঠেলে দিয়েছে ৷ আর যুলুম ও অত্যাচার বৃদ্ধকে ভয়
প্রদর্শনকারী হিসেবে বিবেচিত ৷ দুনিয়ার তোমার আচরণে মনে হয় তোমার জন্যে যেটা
ক্ষতিকারক সেটার দিকেই তুমি বেশী আসক্ত ৷ আর হিদায়াতের রাস্তা থেকে বিভ্রাস্তিতে
পতিত ৷ যে সব সম্প্রদায় চলে গেছে ও যে সব শাসক ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের দিকে লক্ষ্য কর
কেমন করে যুগের পরিণতি তাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এবং মৃত্যু তাদেরকে অপহরণ
করেছে দুনিয়ার তাদের চিহ্নসমুহ মিটে গেছে এবং তাদের সংবাদ দুনিয়ার বাকী রয়েছে ৷
কিরড়ামতের দিন পর্যন্ত মৃত্তিকায়৩ তাদের ধ্বংসাবশেষ বাকী থাকবে ৷ তারা মৃত্তিকায় ধ্বৎসাবশেষে
পরিণত হয়েছে ৷৩ তাদের মজলিস ও মাহফিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাদের প্রাসাদগুলো খালি হয়ে
গিয়েছে ৷ তারা এমন ঘরে প্রবেশ করেছে যেখানে তাদের মধ্যে পরস্পর কোন দেখা সাক্ষাত
নেই ৷ কবরের বাসিন্দাদের জন্যে পরস্পর সাক্ষাতের সুযােগও কোথায় ? তুমি যদি লক্ষ্য কর
একটি কবরই দেখবে তারা এটাকে খেজুরের পাতায় চাটাইয়ের মত বিন্তুতভাবে বরাবর
করেছে ৷ আর এটাকে যেন যুগ বরন করেছে ৷ কত শক্তিশালী সৈন্য-সামন্তের অধিকারী ও
সাহায্যকারী দ্বারা পরিবেষ্টিত শক্তিধর রয়েছে যারা দুনিয়া অর্জন করেছে এবং দুনিয়ার যা কিছু
চোয়ছে তাই অর্জন করেছে ৷ আর দুনিয়ার প্রাসাদ নির্মাণ করেছে ও পৃথিবীতে জনপদ গড়ে
তৃলেছে ৷ ঐসব প্রাসাদে ধন-সম্পদ ও মাল-দৌলত সংগ্রহ করেছে, ক্রীতদাসী ও আযাদ
রমণীদের সমাহার ঘটিয়েছে ৷ ,

মৃত্যু যখন এল তার কাছে ধন-সম্পদ পুঞ্জীভুত থাকা সত্বেও তখন তার থাব৷ ফিরে
যায়নি ৷ আর তার নির্মিত প্রাসাদগুলােও তাকে রক্ষা করতে পারেনি ৷ প্রাসাদগুলোর পাশ দিয়ে
বয়ে পােছ নদী নালা ৷ আর গড়ে উঠেছে অসংখ্য জনপদ ৷ মৃত্যু তার কোন প্রকার চা ৷লাকিতে
বিজয় লাভ করার সুযোগ দের নাই এবং সৈন্য-সামন্তও তাকে রক্ষা করার জন্যে এগিয়ে
আসেনি ৷

মহান আল্লাহর তরফ হতে এমন বস্তু এল যাকে কেউ রদ করতে পারে না ৷ এমন আদেশ
নাযিল হল যাকে কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না ৷ মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তা আলাই
একমাত্র মালিক ৷ তিনি আধিপত্য ৰিস্তারকারী, অহংকার প্রদর্শনকারী, মহাপরাক্রাম্ভ ও প্রবল
প্রতাপাঘিত ৩৷ পরাক্রমশালীদেরচুর্ণ বিচুর্ণকারী, অহৎকারকারীদের ধ্বৎসক৷ রীা, যার সম্মানের
সামনে সকল শক্তিধর অবনর্ত এবং যার শক্তিতে প্রতিটি সুক্ষ্ম প্রতিফল প্রদানকারী ধ্বংসযজ্ঞ
চালায় ৷

তিনি মাসিক, পরাক্রমশালী, যার হুকুম লৎঘন করা যায় না ৷ যিনি প্রজ্ঞাময়, তত্ত্বজ্ঞানী,
প্রশাসন পরিচালনাকারী প্রতাপাম্বিত, প্রতিটি সম্মানি ব্যক্তি মহান আল্লাহর সম্মানের জন্যই
সম্মান পেয়ে থাকে ৷ আর কত শক্তিধর তত্ত্বধারণকারী মহান আল্লাহর কাছে নগণ্য ৷ আরশের
মালিক মহান আল্লাহ্র ইঘৃযতের কাছে পরাক্রমশালী বাদশাগণ অনুনয়-বিনর প্রকাশ করে,
আনুগত্য প্রকাশ করে ও নিজকে অধং ষ্পতিত মনে করে ৷ কা ৷জেই দৌড়াও দৌড়াও, দুনিয়া এবং
দুনিয়ার ষড়যন্ত্র হতে দুরে থাক, দুরে থাক ৷ দুনিয়া তোমার জন্য যে জাল বিস্তার করেছে, তার
ণ্শাভাগুলােকে তোমার ব্যবহারের জন্য বৈধ ঘোষণা করেছে, তার মনােমুশ্বাকর সৌন্দর্যকে
তোমার সম্মুখে বিকশিত ৩করেছে ৷ আস্বাদিত বস্তুসমুহকে তোমার কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে ৷
আর তার ধ্বংসকারী উপকরণ ও উপাদানগুল্কলাকে তোমার কাছে লুকিয়ে বেখেছে ৷ এরুপ
দুনিয়া থেকে দুরে থাক ৷


الْفَرَزْدَقُ وَكَانَ حَاضِرًا: أَنَا أَعْرِفُهُ. فَقَالُوا: وَمَنْ هُوَ؟ فَأَنْشَأَ الْفَرَزْدَقُ يَقُولُ: هَذَا الَّذِي تَعْرِفُ الْبَطْحَاءُ وَطْأَتَهُ ... وَالْبَيْتُ يَعْرِفُهُ وَالْحِلُّ وَالْحَرَمُ هَذَا ابْنُ خَيْرِ عِبَادِ اللَّهِ كُلِّهِمُ ... هَذَا التَّقِيُّ النَّقِيُّ الطَّاهِرُ الْعَلَمُ إِذَا رَأَتْهُ قُرَيْشٌ قَالَ قَائِلُهَا ... إِلَى مَكَارِمِ هَذَا يَنْتَهِي الْكَرَمُ يُنْمَى إِلَى ذُرْوَةِ الْعِزِّ الَّتِي قَصُرَتْ ... عَنْ نَيْلِهَا عَرَبُ الْإِسْلَامِ وَالْعَجَمُ يَكَادُ يُمْسِكُهُ عِرْفَانَ رَاحَتِهِ ... رُكْنُ الْحَطِيمِ إِذَا مَا جَاءَ يَسْتَلِمُ يُغْضِي حَيَاءً وَيُغْضَى مِنْ مَهَابَتِهِ ... فَمَا يُكَلَّمُ إِلَّا حِينَ يَبْتَسِمُ بِكَفِّهِ خَيْزُرَانٌ رِيحُهَا عَبِقٌ ... مِنْ كَفِّ أَرْوَعَ فِي عِرْنِينِهِ شَمَمُ مُشْتَقَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ نَبْعَتُهُ ... طَابَتْ عَنَاصِرُهَا وَالْخِيمُ وَالشِّيَمُ يَنْجَابُ نُورُ الْهُدَى مِنْ نُورِ غُرَّتِهِ ... كَالشَّمْسِ يَنْجَابُ عَنْ إِشْرَاقِهَا الْقَتَمُ حَمَّالُ أَثْقَالِ أَقْوَامٍ إِذَا فُدِحُوَا ... حُلْوُ الشَّمَائِلِ تَحْلُو عِنْدَهُ نَعَمُ هَذَا ابْنُ فَاطِمَةٍ إِنْ كُنْتَ جَاهِلَهُ ... بِجَدِّهِ أَنْبِيَاءُ اللَّهِ قَدْ خُتِمُوا اللَّهُ فَضَّلَهُ قِدْمًا وَشَرَّفَهُ ... جَرَى بِذَاكَ لَهُ فِي لَوْحِهِ الْقَلَمُ مَنْ جَدُّهُ دَانَ فَضْلُ الْأَنْبِيَاءِ لَهُ ... وَفَضْلُ أُمَّتِهِ دَانَتْ لَهَا الْأُمَمُ عَمَّ الْبَرِّيَّةَ بِالْإِحْسَانِ فَانْقَشَعَتْ ... عَنْهَا الْغَيَابَةُ وَالْإِمْلَاقُ وَالظُّلَمُ كِلْتَا يَدَيْهِ غِيَاثٌ عَمَّ نَفْعُهُمَا ... يَسْتَوْكِفَانِ وَلَا يَعْرُوهُمَا الْعَدَمُ سَهْلُ الْخَلِيقَةِ لَا تُخْشَى بَوَادِرُهُ ... يَزِينُهُ اثْنَانِ حُسْنُ الْخُلْقِ وَالْكَرَمُ لَا يُخْلِفُ الْوَعْدَ مَيْمُونٌ نَقِيبَتُهُ ... رَحْبُ الْفِنَاءِ أَرِيبٌ حِينَ يَعْتَزِمُ مِنْ مَعْشَرٍ حُبُّهُمْ دِينٌ وَبُغْضُهُمُ ... كَفْرٌ وَقُرْبُهُمْ مَنْجَى وَمُعْتَصَمُ يُسْتَدْفَعُ السُّوءُ وَالْبَلْوَى بِحُبِّهِمُ ... وَيُسْتَرَبُّ بِهِ الْإِحْسَانُ وَالنِّعَمُ مُقَدَّمٌ بَعْدَ ذِكْرِ اللَّهِ ذِكْرُهُمُ ... فِي كُلِّ حُكْمٍ وَمَخْتُومٌ بِهِ الْكَلِمُ إِنْ عُدَّ أَهْلُ التُّقَى كَانُوا أَئِمَّتَهُمْ ... أَوْ قِيلَ مَنْ خَيْرُ أَهْلِ الْأَرْضِ قِيلَ هُمُ لَا يَسْتَطِيعُ جَوَادٌ بُعْدَ غَايَتِهِمْ ... وَلَا يُدَانِيهِمُ قَوْمٌ وَإِنْ كَرُمُوا هُمُ الْغُيُوثُ إِذَا مَا أَزْمَةٌ أَزَمَتْ ... وَالْأُسْدُ أُسْدُ الشَّرَى وَالْبَأْسُ مُحْتَدِمُ يَأْبَى لَهُمْ أَنْ يَحِلَّ الذَّمُّ سَاحَتَهُمْ ... خِيمٌ كَرِيمٌ وَأَيْدٍ بِالنَّدَى هُضُمُ لَا يَنْقُصُ الْعُسْرُ بَسْطًا مِنْ أَكُفِّهِمُ ... سِيَّانَ ذَلِكَ إِنْ أَثْرَوْا وَإِنْ عَدِمُوا أَيُّ الْخَلَائِقِ لَيْسَتْ فِي رِقَابِهِمُ ... لِأَوَّلِيَّةِ هَذَا أَوْ لَهُ نِعَمُ فَلَيْسَ قَوْلُكَ " مَنْ هَذَا؟ " بِضَائِرِهِ ... الْعُرْبُ تَعْرِفُ مَنْ أَنْكَرْتَ وَالْعَجَمُ مَنْ يَعْرِفِ اللَّهَ يَعْرِفْ أَوَّلِيَّةَ ذَا ... فَالدِّينُ مِنْ بَيْتِ هَذَا نَالَهُ الْأُمَمُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮২
قَالَ: فَغَضِبَ هِشَامٌ مِنْ ذَلِكَ، وَأَمَرَ بِحَبْسِ الْفَرَزْدَقِ بِعُسْفَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ بَعَثَ إِلَى الْفَرَزْدَقِ بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَأَرْسَلَ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ أَنْ لَيْسَ عِنْدَهُ الْيَوْمَ غَيْرُهَا، فَرَدَّهَا الْفَرَزْدَقُ، وَقَالَ: إِنَّمَا قُلْتُ مَا قُلْتُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَنُصْرَةً لِلْحَقِّ، وَقِيَامًا بِحَقِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذُرِّيَّتِهِ، وَلَسْتُ أَعْتَاضُ عَنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَ اللَّهُ صِدْقَ نِيَّتِكَ فِي ذَلِكَ، وَأَقْسَمْتُ لَتَقْبَلَنَّهَا. فَقَبِلَهَا مِنْهُ ثُمَّ جَعَلَ يَهْجُو هِشَامًا، فَكَانَ مِمَّا قَالَ فِيهِ: يُحَبِّسُنِي بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَالَّتِي ... إِلَيْهَا قُلُوبُ النَّاسِ يَهْوِي مُنِيبُهَا يُقَلِّبُ رَأْسًا لَمْ يَكُنْ رَأْسَ سَيِّدٍ ... وَعَيْنَيْنِ حَوْلَاوَيْنِ بَادٍ عُيُوبُهَا وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ أَنَّهُ كَانَ إِذَا مَرَّتْ بِهِ الْجِنَازَةُ يَقُولُ: نُرَاعُ إِذَا الْجَنَائِزُ قَابَلَتْنَا ... وَنَلْهُو حِينَ تَمْضِي ذَاهِبَاتِ كَرَوْعَةِ ثَلَّةٍ لِمُغَارِ سَبْعٍ ... فَلَمَّا غَابَ عَادَتْ رَاتِعَاتِ وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُقْرِئِ، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ سَيِّدَ الْعَابِدِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৩


দুনিয়ার যে সব ষ্ ভয়াবহতা আমি প্রত্যক্ষ করেছি এগুলোর চেয়ে কম ভয়াবহতাকে
প্রতিরোধ করার জন্যে আহ্বায়ক রয়েছে এবং এগুলো থেকে পরিত্রাণের হুকুমদাতাও রয়েছে ৷
কাজেই তুমি চেষ্টা করবে, অলসতা করবে না এবংসজাগ থাকবে ৷ কেননা, কিছুদিনের মধ্যে
ঘরের বাসিন্দা (প্রত্যেক মানুষ) ঘর অগভ্যা ছেড়ে দেবে ৷ কাজেই ভুমিও দৌড়াবে, অনবরত
দৌড়াবে, মোটেই থামবে না ৷ কেননা, তোমার আয়ু ক্ষণন্থায়ী ও তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে ৷ আর তুমি
স্থায়ী ঘরের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী ৷ দুনিয়া অন্বেষণ করবে না ৷ কেননা, দুনিয়ার ৰু নিআমতসমুহ
যদিও তুমি আৎশিক অর্জন করেছ, ভবিষ্যতে এগুলো তোমাকে ক্ষতির সম্মুখীন করবে ৷
কাংলৌ, ণ্কান বুদ্ধিমান ব্যক্তি কি এগুলোর জন্য লোড করতে পারে ? কিৎবা কোন দক্ষ ব্যক্তি
কি এগুলো নিয়ে খুশী হতে পারে ? বুদ্ধিমান ব্যক্তি এগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত
এবং এগুলোর স্থায়িৰ্তুর ব্যাপারে আশাম্বিত নন ৷ যে ব্যক্তি রাত্রি জাগরণকে ভয় করে তার
চোখ কেমন করে নিদ্রা যেতে পারে৷ আর যার সমস্ত কাজের মধ্যেই মৃত্যুর হস্তহ্মেপের
আশংকা করা যায়, তার আত্মা কেমন করে শান্তি লাভ করতে পারে ৷ সাবধান ! এ রকম নয়
বরং আমরা আমাদেরকে ঘোকা দিচ্ছি ৷ আর দুনিয়ার আস্বাদন আমাদেরকে এমন বস্তুকে মগ্ন
রেখেছে, যেগুলোর থেকে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ৷ যে ব্যক্তি যাবতীয়
রহস্যের দিন কিৎবা কিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারের স্থানে দণ্ডায়মান হবে বলে বিশ্বাস রাখে, সে
কেমন করে জীবনের আস্বাদন উপভোগ করতে পারে ? আমরা যেন অভিমত দিচ্ছি যে,
আমাদেরকে কিয়ামতের দিন পুনরায় জীবিত হতে হবে না ৷ আমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করা
হয়েছে এবং মৃত্যুর পরেও আমাদের কোন হিসাব-বিকাশ হবে না ৷ আর অচিরেই দুনিয়াদার
দুনিয়ার স্বাদ ভোগ করবে এবং দুনিয়ার সৌন্দর্য থেকে উপকৃত হবে ৷ বিভিন্ন রকমের বিস্ময়কর
ও ভয়াবহতার মাঝে যে বিরাজ করবে ৷ দুনিয়া অন্বেষণেও তা অর্জনে বহু দৃর্দশার সম্মুখীন হয়ে
এবং রোগ, ব্যাধি, ব্যথা বেদনা ইত্যাদািকও সে ভোগ করবে ৷ আমরা কি প্রতিদিন লক্ষ্য
করছিনা যে দুনিয়ার আবর্তন আমাদের কাছে সকাল-সন্ধ্য৷ হিসেবে প্রকাশ পায় ৷ দুনিয়ার
মৃসীবত ও পেরেশানী আমাদেরকে বিনিদ্রিত রজনী যাপন করতে বাধ্য করছে ৷ আর কত
ন্ লোককে ভুমি দেখবে দুনিয়ার পেরেশানীতে বিনিদ্রিত রজনী যাপন ব্যতীত তার বিকল্প কিছু
নেই ৷ সে দুনিয়া নিয়ে হিংসার পাত্র হয়েছে ৷ কিন্তু, সে নিরাপদ নয় তবে তার নাফস দুনিয়া
অম্বেষণ থেকে কখনও পিছপা হয় না ৷ যারা দৃনিয়াকে স্থায়ী বাসস্থান মনে করে তাদেরকে
দুনিয়া প্রভাবিত করেছে ৷ আর যে দুনিয়ার প্রতি আত্মসমর্পণ করেছে তাকে দুনিয়া ’কােণঠাসা
কার ব্লেখেছে ৷ দুনিয়া তাকে তার ছোবল থেকে মুক্ত হতে দেয় না ৷ দুনিয়া ব্যথা বেদনা হতে
তাকে ব্লেহাই দেয় না ৷ আর রোগ-ব্যাধি হতে তাকে সুস্থ থাকতে দেয় না এবং দুনিয়া তাকে
তার দোষ ত্রুটি থেকে নিকৃতি দেয় না ৷ বরং তাকে ইয্যত, সমান ও প্রতিরোধের ধ্বংসের পর
এমন খারাপ অবস্থায় নিয়ে আসে, যেখানে থেকে তার বের হবার আর কোন রাস্তা থাকে না ৷
দুনিয়াদার এমন পর্যায়ে পৌছে, তখন সে উপলব্ধি করতে পারে যে তার কোন পরিত্রাণ নেই ৷
আর মৃত্যুও, তাকে তার ভীতিপুর্ণ জায়গা থেকে রক্ষা করছে না ৷ লোকটি তখন লজ্জিত হয়ে
যায়, যখন লজ্জা তাকে আর কোন ফায়দা দেয় না ৷ তাকে তার কবীরা গুনাহ্ ক্রন্দন করতে
বাধ্য করে ৷ যখন সে তার অতীত গুনাহের জন্য ক্রন্দন করে এবং তার দুনিয়া যা অতিবাহিত
হয়ে গেছে তার জন্য আফসােস করে আর মহান আল্পাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে যখন এ
ক্ষমা প্রার্থনা তার কোন উপকারে আসেনা এবং মৃত্যু ও বালা মুনীবত নিপতিত হওয়ার সময়
তার কোন অজুহাতই তাকে রক্ষা করতে পারে না ৷ তার দুঃখ-দুর্দণা ও পেরেশানী তাকে


يُحَاسِبُ نَفْسَهُ، وَيُنَاجِي رَبَّهُ يَقُولُ: يَا نَفْسُ حَتَّامَ إِلَى الدُّنْيَا غُرُورُكِ، وَإِلَى عِمَارَتِهَا رُكُونُكِ، أَمَا اعْتَبَرْتِ بِمَنْ مَضَى مِنْ أَسْلَافِكِ، وَمَنْ وَارَتْهُ الْأَرْضُ مِنْ أُلَّافِكِ؟ وَمَنْ فُجِعْتِ بِهِ مِنْ إِخْوَانِكِ، وَنُقِلَ إِلَى الْبِلَى مِنْ أَقْرَانِكِ؟ فَهُمْ فِي بُطُونِ الْأَرْضِ بَعْدَ ظُهُورِهَا ... مَحَاسِنُهُمْ فِيهَا بِوَالٍ دَوَاثِرُ خَلَتْ دُورُهُمْ مِنْهُمْ وَأَقْوَتْ عِرَاصُهُمْ ... وَسَاقَتْهُمْ نَحْوَ الْمَنَايَا الْمَقَادِرُ وَخُلُّوا عَنِ الدُّنْيَا وَمَا جَمَعُوا لَهَا ... وَضَمَّتْهُمُ تَحْتَ التُّرَابِ الْحَفَائِرُ كَمْ تَخَرَّمَتْ أَيْدِي الْمَنُونِ مِنْ قُرُونٍ بَعْدَ قُرُونٍ، وَكَمْ غَيَّرَتِ الْأَرْضُ بِبَلَائِهَا، وَغَيَّبَتْ فِي ثَرَاهَا مِمَّنْ عَاشَرْتَ مِنْ صُنُوفِ النَّاسِ، وَشَيَّعْتَهُمْ إِلَى الْأَرْمَاسِ، وَأَنْتَ عَلَى الدُّنْيَا مُكِبٌّ مُنَافِسٌ ... لِخُطَّابِهَا فِيهَا حَرِيصٌ مُكَاثِرُ عَلَى خَطَرٍ تُمْسِي وَتُصْبِحُ لَاهِيًا ... أَتَدْرِي بِمَاذَا لَوْ عَقَلْتَ تُخَاطِرُ وَإِنَّ امْرَأً يَسْعَى لِدُنْيَاهُ دَائِبًا ... وَيَذْهَلُ عَنْ أُخْرَاهُ لَا شَكَّ خَاسِرُ فَحَتَّامَ عَلَى الدُّنْيَا إِقْبَالُكَ؟ وَبِشَهَوَاتِكَ اشْتِغَالُكَ؟ وَقَدْ وَخَطَكَ الْقَتِيرُ،
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৪

মোঃ করেছে ৷ দুর্ভাগ্যর৩ ভরাডুবিতে সে হাবুভুবু খাচ্ছে ৷ মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে তার কোন
শ্ নিষ্কৃতি নেই ৷ ভীতি ও সন্ত্রস্ততা থেকে রক্ষা করারও তার কোন সাহায্যকারী নেই ৷ তার আত্মা
মৃত্যুর করবে তার থেকে মনে হয় দুর করে দিয়েছে ৷ কিন্তু, তার কণ্ঠনালী ও আলাজিহ্বা বার
বার তাকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ৷
এ পর্যায়ে তার সেবা-শুশ্রাষায় ডাটা পড়ে ৷ তার পরিবার-পরিজন তাকে ছেড়ে দেয়, তার
স্বজনেরা উচ্চস্বরে ক্রন্দন করতে থাকে ৷ তার অসুস্থতার তারা নিরাশ হয়ে যায় ৷ তারা তাদের
হাত দ্বারা তার ইেচক্ষু বন্ধ করে দেয় ৷ তার রুহ বের হবার সময় সে তার পা লম্বা করে দেয় ৷
তার বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনেরা তাকে ছেড়ে চলে যায় ৷

কত দরদী ণ্শাকাহত হয়ে তার জন্য ক্রন্দন করছে ৷ তার শোক প্রকাশে ধৈর্য প্রদর্শন
করছে ৷ অথচ সে ধৈর্যধারণকারী নয় ৷ তার জন্য ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন
পড়েছে ৷ আল্লাহ্র কাছে কায়মনােবাক্যে তার জন্য প্রার্থনা করেছে এবং তার উল্লেখযোগ্য
গুণাবলী বার বার উল্লেখ করছে ৷ আবার কিছুসংখ্যক লোক রয়েছে যারা তার মৃত্যুতে খুশী
হয়েছে এবং তার ইনৃতিকালের সুসংবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যে যা হবার হয়ে যাবে ৷

তার ত্রীগণ ওড়না ছিড়ে ফেলবে, বাদীরা তাদের গালে মুখে চপেটাঘাত করতে থাকবে;
প্ৰতিবেশীরা তাকে হারিয়ে হাউ মাউ করে র্কাদবে; তার ভাইয়ের৷ তার বিপদে ব্যথা অনুভব
করছে; তারপর তারা সকলে তার কাফনের জন্যে এগিয়ে এল এবং তা সুসম্পন্ন করার জন্য
দৌড়িয়ে এল মনে হচ্ছে যেন তাদের মধ্যে এ উপকারী প্রিয় ব্যভিটি এবং প্রকাশ্য বন্ধুটি
কােনদিনও ত্যাদ্যা মধ্যে ছিলই না ৷ ,

সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ব্যক্তিটি তার অতিশয় নিকটতম ছিল যে এগিয়ে আসে, তার
কাফনের ব্যাপারে আলোচনা করে ও ত্রা করে ৷ যারা তার কাছে হাবিব হয়েছে তারা তাকে
গোসল দেওয়ার জন্যে তুরা করে ৷ যিনি কবর খােদবে তারা তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ৷
তাকে দুইটি কাপড়ে কাফন দেওয়া হয় ৷ তার জানাযার পিছে পিছে যাওয়ার জন্যে তার তাই ও
আত্মীয়রা তার পাশে একত্রিত হয়েছে ৷

তার ছোট সন্তানটির দিকে যদি তুমি লক্ষ্য করতে ৷ তার অস্তরের উপর দুঃখের চাপ
পড়েছে ৷ পিতার জন্যে ধৈর্য হারানো হতাশ হওয়াকে সে ভয় করছে ৷ অশ্রু তার চােখকে রঙ্গীন
করেছে ৷ সে তার পিতার জন্যে ব্লোদন করছে ও বলছে হায়রে যুদ্ধ! হায়ার যুদ্ধ! মৃত্যুর অশুভ
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমি এমন একটি দৃশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করছি বা কোন একটি মহিলার
জন্য ভয়াবহতা সৃষ্টি করে এবং তাতে কোন একজন দৃষ্টি নিক্ষেপকারীও ভীত-সভ্রস্ত হয়ে পড়ে ৷
বড় বড় সম্ভানেরা যুদ্ধের ভয়াবহতায় তাদের উপজীবিকা অর্জনে বাধাগ্ৰাপ্ত হয়েছে অথচ ছোট
ছোট সন্তানেরা ধীরে ধীরে তাকে ভুলে যেতে বসেছে ৷ মহিলাদের অজ্জিবক তার জন্যে
ণ্শাকাহত আর পালের উপর অশ্রুধারার বন্যা যেন প্রবাহিত ৷
তারপর তাকে তার প্রশস্ত কামরা থেকে বের করে নিয়ে সংকীর্ণ কামরা কিৎবা কবরের
দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ যখন তাকে কবরে স্থাপন করা হয় তখন তার উপরে ইটের ছাউনি
দেওয়া হয় ৷ তার যিন্দিগীর আমল তাকে ডীত করে দেয় ও তার অন্যায়গুলো তাকে বেষ্টন করে
ফেলে ৷ সব কিছুই যেন তার জন্যে সংকীর্ণরুপ ধারণ করছে ৷ এরপর তার সাথীরা মাটি কুড়িয়ে
এসে তার উপর ন্তুপ করতে থাকবে ৷ তার জন্যে র্কাদতে ও ব্লোদন করতে থাকবে ৷ তার কাছে


وَأَتَاكَ النَّذِيرُ، وَأَنْتَ عَمَّا يُرَادُ بِكَ سَاهٍ، وَبِلَذَّةِ يَوْمِكَ لَاهٍ. وَفِي ذِكْرِ هَوْلِ الْمَوْتِ وَالْقَبْرِ وَالْبِلَى ... عَنِ اللَّهْوِ وَاللَّذَّاتِ لِلْمَرْءِ زَاجِرُ أَبَعْدَ اقْتِرَابِ الْأَرْبَعِينَ تَرَبُّصٌ ... وَشَيْبِ قَذَالٍ مُنْذِرٌ لَكَ كَاسِرُ كَأَنَّكَ مَعْنِيٌّ بِمَا هُوَ صَائِرٌ ... لِنَفْسِكَ عَمْدًا أَوْ عَنِ الرُّشْدِ جَائِرُ انْظُرْ إِلَى الْأُمَمِ الْمَاضِيَةِ، وَالْمُلُوكِ الْفَانِيَةِ كَيْفَ أَفْنَتْهُمُ الْأَيَّامُ وَوَافَاهُمُ الْحِمَامُ; فَانْمَحَتْ مِنَ الدُّنْيَا آثَارُهُمْ، وَبَقِيَتْ فِيهَا أَخْبَارُهُمْ. وَأَضْحَوْا رَمِيمًا فِي التُّرَابِ وَعُطِّلَتْ ... مَجَالِسُ مِنْهُمْ أَقْفَرَتْ وَمَقَاصِرُ وَحَلُّوا بِدَارٍ لَا تَزَاوُرَ بَيْنَهُمْ ... وَأَنَّى لِسُكَّانِ الْقُبُورِ تَزَاوُرُ فَمَا إِنْ تَرَى إِلَّا جُثًى قَدْ ثَوَوْا بِهَا ... مُسَطَّحَةً تُسْفِي عَلَيْهَا الْأَعَاصِرُ كَمْ مِنْ ذِي مَنَعَةٍ وَسُلْطَانٍ، وَجُنُودٍ وَأَعْوَانٍ، تَمَكَّنَ مِنْ دُنْيَاهُ، وَنَالَ فِيهَا مَا
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৫


তারা কিছুক্ষণের জন্যে দণ্ডায়মান থাকবে ও তার উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে এবং নিরাশ হয়ে
পড়বে ৷ শেষ পর্যন্ত তারা তাকে তার অজ্যি সম্পদ আমলের কাছে আমানত রেখে উক্ত জায়গা
থেকে প্রন্থান করবে ৷

তার সাথীরা এমন সাথীর জন্যে র্কাদতে কাদ্যত ফেরত চলল, যার সাথে তার ভাইয়েরা
সাবধানতা সহকারে মুলাকা৩ করেছে ৷ তারা নিরাপদে চারণভুমিতে বিচরণকারী বকরীদের
ন্যায় দল বেধে প্রত্যাগমন করছে ৷ যেগুলোর রাখাল যেন হাতে ণ্ডুছুরি নিয়ে দুইবাহু বিস্তার করে
খালি মাথায় বের হয়ে পড়েছে ৷ বকরীগুলো চরল, বেশ সময় পর্যন্ত, তারপর ফেরত ডাক পড়ল
যখন য়বাহ্কারী তাদের থেকে বিদায়ের মনন্থ করল ৷ বকরীগুলো তাদের চারণভুমিতে পুনরায়
আগমন করল, তাদের সঙ্গীর উপর যবাহ্ করার ন্যায় যে মুসীবত অবতীর্ণ হয়েছিল তারা তা
তুলে গেল ৷ আমরা কি জীবডস্থের আচরণের অনুকরণ করছি না ? কিংবা তাদের নীতিতে চলছি
না ? ধ্বংসের আবাস বা কিয়ামতের দিকে ধাবিত হওয়ার বিষয়টি বারবার স্মরণ কর ৷ অতল
গহ্বরে ভয়াবহতার মাঝে স্থান লাভ ও পরিত্রাণ লাভ সম্পর্কে উপদেশ গ্রহণ কর ৷

মৃত ব্যক্তিটিকে একাকী তার করবে দাফন করা হয়েছে ৷ তার বংশধর ও আত্মীয়রা তার
সম্পদ বণ্টন করে নিয়েছে ৷ তার সম্পদকে পুরাপুরি বন্টন করার জন্যে তারা মনোযােগী
হয়েছে ৷ তার সম্পদকে পুরাপুরি বণ্টন করার জন্যে তারা মনােযােগী হয়েছে ৷ তার সম্পদ
সম্বন্ধে কোন প্রশংসাকারী কিংবা ধন্যবাদ প্রদানকারী নেই ৷ কাজেই, হে দুনিয়ার বসবাসকারী!
হে দুনিয়ার সম্পদের জন্যে আপ্রাণ চেষ্টাকারী ! এবং যুগের মুসীবতসমুহ থেকে নিজেকে নিরাপদ
ধারণাকারী৷ কেমন করে তুমি এ অবস্থায় নিজেকে নিরাপদ মনে করছ, অথচ তুমি নির্ঘ্যত
দুনিয়ার মুসীবতের শিকার হয়ে ? তুমি কেমন করে তোমার আয়ুকে নষ্ট করছ অথচ এটাই
তোমার মৃত্যুর দিকে প্ৰভ্যাগমনের সেতু স্বরুপ ? তুমি কেমন করে তোমার খাদ্য ভক্ষণের পর
তৃপ্তি বোধ করছ অথচ তুমি তোমার মৃত্যুর অপেক্ষা করছ ? তুমি কেমন করে প্রবৃত্তিকে
মুবারকবাদ জানাচ্ছ অথচ এটাই তোমার যাবতীয় বালা-মুসীবতের বাহন হিসেবে বিবেচ্য ?

তুমি সফরের জন্যে পাথেয় সংগ্রহ কর নাই, অথচ সফরে বের হবার সময় অভিনয়
সন্নিকট ৷ প্রকৃতপক্ষে তুমি সফরের অবস্থায়ই বসবাস করছ ৷ আমার জীবনের জন্য আফসােস ৷
কতবার আমি আমার তাওবা ভঙ্গ করেছি! আমার আয়ুতাে শেষ হবার পথে আর ধ্বংস আমার
দিকে তাকিয়ে আছে ৷ আমার জীবনে আমি যা কিছু করেছি সবই রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়ে
রয়েছে ৷ শক্তিমান মহা ন্যায়বিচারক তার প্রতিদান প্রদান করবেনই ৷ কাজেই, তুমি কতবার
তোমার আখিরাতকে দুনিয়া দ্বারা মিশ্রিত করবে, তালি দিবে এবং বিভ্রান্তি ও ৫স্বচ্ছাচারিতার
আশ্রয় নেবে ? আমি তোমার দৃঢ়তাকে নড়বড়ে দেখছি ৷ হে ধর্ম বা আখিরাতের চেয়ে দুনিয়াকে
প্রাধান্য প্রদানকারী দয়াময় আল্লাহ তা আলা কি তোমাকে এরুপ কাজ করার হুকুম দিয়েছেন ?
কিৎবা এ ব্যাপারে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে? তোমার সামনে যে কঠিন হিসাব ও
অত্যন্ত খারাপ পরিণতি ৩রয়েছে৩ তা কেন স্মরণ করছ না ? যে ব্যক্তি ধন-সম্পদ সৎগ্নহ করছে ও
উপভোগ করছে, তার অবস্থা কেন অনুভব করছ না ? আর যে সুউচ্চ আবাস তৈরী করেছে,
জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ অর্জন করেছে ও অধিক আবু লাভ করেছে তার অবস্থা কেন অবলোকন
করছ না ? তাদের ন্যায় লোকেরা কি ধ্বংস হয়ে যায়নি ? আর তাদের আবাসভুমি কি করবে
পরিণত হয়নি ?

যে সম্পদ বাকী আছে তাও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে আর দীর্ঘ আয়ুও একদিন নিংশেষ
হয়ে যাবে ৷ কাজেই সম্পদও দুনিয়ায় ভরপুর থাকবে না, জনপদও আবাদ এবং স্থায়ী থাকবে


تَمَنَّاهُ، وَبَنَى فِيهَا الْقُصُورَ وَالدَّسَاكِرَ، وَجَمَعَ الْأَعْلَاقَ، وَالذَّخَائِرَ. فَمَا صَرَفَتْ كَفَّ الْمَنِيَّةِ إِذْ أَتَتْ ... مُبَادِرَةً تَهْوِي إِلَيْهِ الذَّخَائِرُ وَلَا دَفَعَتْ عَنْهُ الْحُصُونُ الَّتِي بَنَى ... وَحَفَّ بِهَا أَنْهَارُهُ وَالدَّسَاكِرُ وَلَا قَارَعَتْ عَنْهُ الْمَنِيَّةَ حِيلَةٌ ... وَلَا طَمِعَتْ فِي الذَّبِّ عَنْهُ الْعَسَاكِرُ أَتَاهُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا يُرَدُّ، وَنَزَلَ بِهِ مِنْ قَضَائِهِ مَا لَا يُصَدُّ، فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْجَبَّارُ، الْمُتَكَبِّرُ، الْقَهَّارُ قَاصِمُ الْجَبَّارِينَ، وَمُبِيدُ الْمُتَكَبِّرِينَ. مَلِيكٌ عَزِيزٌ لَا يُرَدُّ قَضَاؤُهُ ... حَكِيمٌ عَلِيمٌ نَافِذُ الْأَمْرِ قَاهِرُ عَنَا كُلُّ ذِي عِزٍّ لِعِزَّةِ وَجْهِهِ ... فَكُلُّ عَزِيزٍ لِلْمُهَيْمِنِ صَاغِرُ لَقَدْ خَضَعَتْ وَاسْتَسْلَمَتْ وَتَضَاءَلَتْ ... لِعِزَّةِ ذِي الْعَرْشِ الْمُلُوكُ الْجَبَابِرُ فَالْبِدَارَ الْبِدَارَ، وَالْحِذَارَ الْحِذَارَ مِنَ الدُّنْيَا وَمَكَايِدِهَا، وَمَا نَصَبَتْ لَكَ مِنْ مَصَايِدِهَا، وَتَحَلَّتْ لَكَ مِنْ زِينَتِهَا، وَأَظْهَرَتْ لَكَ مِنْ بَهْجَتِهَا.
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৬


না ৷ যদি হঠাৎ তোমার মৃত্যু তোমার কাছে পৌছে যায়, তাহলে তোমার কি করার আছে ?
কল্যাণ অর্জন না করার জন্যে মহান আল্লাহ্র কাছে কি তোমার কোন অজুহাত আছে ? তুমি
কি এটাতে খুশী যে, তোমার আয় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ তোমার ধর্ম
এখনও অসম্পুর্ণ রয়ে গেছে ৷ অন্যদিকে তোমার সম্পদ পুর্ণতা অর্জন করেছে ?

আলী ইবনুল হুসায়ন ওরফে যায়নুল আবেদীন কোন সালে ইনৃতিকাল করেন তা নিয়ে
ইতিহাসবিদগণ মতভেদ করেন ৷ অধিকাৎশের কাছে প্রসিদ্ধ হলো যে, তিনি এ বছর অর্থাৎ ৯৪
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন৷ এ বছরের প্রথম দিকেই ৫৮ বছর বয়সে তিনি ইনৃতিকাল
করেন ৷ জান্নাভুল বাকীতে তার সালাতে জানাযা পড়া হয় ও তাকে সেখানে দাফন করা হয় ৷
আলফাল্লাস বলেন, ’৯৪ হিজরীতে আলী ইবনুল হুসায়ন, সাঈদ ইবনুল মুসায়িব, উরওয়াহ
এবং আবু বাকর ইবন আবদুর রহমান ইনৃতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, আলী ইবনুল
হ্না৷য়ন ৯২ কিৎবা ৯৩ হিজরীতে ইন্তিকাল করেন ৷ আল-মাদাইনী এ কথা বলে অবাক করে
দিয়েছেন যে, আলী ইবনুল হুসায়ন ৯৯ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷

আল্পাম৷ ইবন-কাহীর (র) বলেন : আলী ইবনুল হুসায়নের জীবনী এখানেই শেষ করা
হলো তবে আমি তার কিছু মুল্যবান বাণী এখানে উল্লেখ করব, যেগুলোর দ্বারা আমার বিশ্বাস
পাঠকবর্গ খুব উপকৃত হবেন ৷

হাফ্স ইবন গিয়াছ হাজ্জাজ ও আবু জাফরের মাধ্যমে আলী ইবনুল হুসায়ন (র) হতে

বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ং “শরীরে যখন কোন প্রকার ণ্রাগ-ব্যাধি হয় না, তখন সে অহংকার
করে ও অকল্যাণের প্রতি আশ্রয় নেয় ৷ যে শরীর খারাপ কাজে প্রলুব্ধ করে ও অহংকার করে,
তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই ৷

আবু বাকর ইবন আল-আম্বারী বলেন : আহমদ ইবন সালত মুহাম্মদ হতে হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন : “আলী ইবনুল হুসায়ন (র) বলেন : “বন্ধু-বান্ধবদের হারিয়ে ফেলাই
হলো প্রকৃত দীনতা ৷” তিনি আরো বলতেন : “হে আল্লাহ্৷ আমি তোমার কাছে আশ্রয় চইি,
যেন তুমি মানুষের চোখে আমার প্রকাশ্যটাকে উত্তম করে দেখাবে ৷ আর মানুষের অন্তরে
আমার পােপনীয়তাকে খারাপ করে দেখাবে ৷ হে আল্লাহ! আমি খারাপ কাজ করছিআর তুমি
ৰু আমার প্রতি ইহসান করছ বা দয়া দেখাচ্ছ ৷ তারপর যখন আমি পুনরায় খারাপ কাজ করব
তুমিও আমার প্রতি পুনরায় ইহসান করবে ৷ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে এমন ব্যক্তির মহব্বত
দান কর, যার রিয্ক তুমিহ্রাস করে দিয়েছ অথচ তুমি আমার প্রতি তোমার মেহেরবানীকে
প্রসারিত করে দিয়েছ ৷

একদিন তিনি তার ছেলেকে বললেন০ ং হে বেটা! পায়খানা ব্যবহার করার কালে পৃথক
কাপড় পরিধান করবে ৷ কেননা, আমি লক্ষ্য করেছি যে, মাছি আবর্জনার উপর বসে এবৎ পরে
কাপড়ের উপরেও বসে ৷ত তারপর তিনি সতর্ক হলেন এবং বললেন, অ“াল্লাহ্র রাসুল (সা) ও
তার সাহাবীগণের একাধিক কাপড় ছিল না ৷ তাই, তিনি উপরোক্ত অভিমত প্রত্যাখ্যান
করলেন ৷

আবু হামযাহ আছ-ছুমালী বলেন, “একদিন আমি আলী ইবনুল হুসায়ন (রা) এর দরযায়
পৌছলাম ৷ তাকে সশব্দে ডাকাটা আমি পসন্দ করলাম না ৷ তইি তার দ-রযায় বসে পড়া৷ম ৷
অতঃপর তিনি বের হলেন ৷ আমি তাকে সালাম করলাম ও দু আ চাইলাম, তিনি আমার
সালামের জবাব দিলেন এবং আমার জন্যে দৃআ করলেন ৷ এরপর তিনি একটি ণ্দওয়ালেয়
দিকে গমন করলেন এবং বললেন, হে আবু হামযাহ৷ তুমি কি এ দেওয়ালটি দেখছ ? আমি


وَفِي دُونِ مَا عَايَنْتَ مِنْ فَجَعَاتِهَا ... إِلَى رَفْضِهَا دَاعٍ وَبِالزُّهْدِ آمِرُ فَجِدَّ وَلَا تَغْفُلْ فَعَيْشُكَ زَائِلٌ ... وَأَنْتَ إِلَى دَارِ الْإِقَامَةِ صَائِرُ وَلَا تَطْلُبِ الدُّنْيَا فَإِنَّ طِلَابَهَا وَإِنْ نِلْتَ مِنْهَا غُبَّةً لَكَ ضَائِرُ فَهَلْ يَحْرِصُ عَلَيْهَا لَبِيبٌ، أَوْ يُسَرُّ بِهَا أَرِيبٌ؟ وَهُوَ عَلَى ثِقَةٍ مِنْ فَنَائِهَا، وَغَيْرُ طَامِعٍ فِي بَقَائِهَا، أَمْ كَيْفَ تَنَامُ عَيْنَا مَنْ يَخْشَى الْبَيَاتَ، وَتَسْكُنُ نَفْسُ مَنْ يَتَوَقَّعُ الْمَمَاتَ. أَلَا لَا وَلَكِنَّا نَغُرُّ نُفُوسَنَا ... وَتَشْغَلُنَا اللَّذَّاتُ عَمَّا نُحَاذِرُ وَكَيْفَ يَلَذُّ الْعَيْشَ مَنْ هُوَ مُوقِنٌ ... بِمَوْقِفِ عَدْلٍ يَوْمَ تُبْلَى السَّرَائِرُ كَأَنَّا نَرَى أَنْ لَا نُشُورَ وَأَنَّنَا ... سُدًى مَا لَنَا بَعْدَ الْمَمَاتِ مَصَائِرُ وَمَا عَسَى أَنْ يَنَالَ صَاحِبُ الدُّنْيَا مِنْ لَذَّتِهَا، وَيَتَمَتَّعُ بِهِ مِنْ بَهْجَتِهَا، مَعَ صُنُوفِ عَجَائِبِهَا وَكَثْرَةِ تَعَبِهِ فِي طَلَبِهَا، وَمَا يُكَابِدُ مِنْ أَسْقَامِهَا وَأَوْصَابِهَا وَآلَامِهَا؟ أَمَا قَدْ تَرَى فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ... يَرُوحُ عَلَيْنَا صَرْفُهَا وَيُبَاكِرُ ؟ تُعَاوِرُنَا آفَاتُهَا وَهُمُومُهَا وَكَمْ قَدْ تُرَى يَبْقَى لَهَا الْمُتَعَاوِرُ ... فَلَا هُوَ مَغْبُوطٌ بِدُنْيَاهُ آمِنٌ وَلَا هُوَ عَنْ تَطْلَابِهَا النَّفْسَ قَاصِرُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৭
كَمْ قَدْ غَرَّتِ الدُّنْيَا مِنْ مُخْلِدٍ إِلَيْهَا، وَصَرَعَتْ مِنْ مُكِبٍّ عَلَيْهَا، فَلَمْ تُنْعِشْهُ مِنْ عَثْرَتِهِ، وَلَمْ تُقِمْهُ مِنْ صَرْعَتِهِ، وَلَمْ تَشْفِهِ مِنْ أَلَمِهِ، وَلَمْ تُبْرِهِ مِنْ سَقَمِهِ. بَلَى أَوْرَدَتْهُ بَعْدَ عِزٍّ وَمَنْعَةٍ ... مَوَارِدَ سُوءٍ مَا لَهُنَّ مَصَادِرُ فَلَمَّا رَأَى أَنْ لَا نَجَاةَ وَأَنَّهُ ... هُوَ الْمَوْتُ لَا يُنْجِيهِ مِنْهُ التَّحَاذُرُ تَنَدَّمَ إِذْ لَمْ تُغْنِ عَنْهُ نَدَامَةٌ ... عَلَيْهِ وَأَبْكَتْهُ الذُّنُوبُ الْكَبَائِرُ بَكَى عَلَى مَا سَلَفَ مِنْ خَطَايَاهُ، وَتَحَسَّرَ عَلَى مَا خَلَفَ مِنْ دُنْيَاهُ، حِينَ لَا يَنْفَعُهُ الِاسْتِغْفَارُ، وَلَا يُنْجِيهِ الِاعْتِذَارُ، عِنْدَ هَوْلِ الْمَنِيَّةِ وَنُزُولِ الْبَلِيَّةِ. أَحَاطَتْ بِهِ أَحْزَانُهُ وَهُمُومُهُ ... وَأَبْلَسَ لَمَّا أَعْجَزَتْهُ الْمَعَاذِرُ فَلَيْسَ لَهُ مِنْ كُرْبَةِ الْمَوْتِ فَارِجٌ ... وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا يُحَاذِرُ نَاصِرُ وَقَدْ جَشَأَتْ خَوْفَ الْمَنِيَّةِ نَفْسُهُ ... تُرَدِّدُهَا مِنْهُ اللَّهَا وَالْحَنَاجِرُ هُنَالِكَ خَفَّ عُوَّادُهُ، وَأَسْلَمَهُ أَهْلُهُ وَأَوْلَادُهُ، وَارْتَفَعَتِ الرَّنَّةُ بِالْعَوِيلِ، وَقَدْ أَيِسُوا مِنَ الْعَلِيلِ، فَغَمَّضُوا بِأَيْدِيهِمْ عَيْنَيْهِ، وَمَدَّ عِنْدَ خُرُوجِ رُوحِهِ رِجْلَيْهِ. فَكَمْ مُوجَعٍ يَبْكِي عَلَيْهِ وَمُفْجَعٍ ... وَمُسْتَنْجِدٍ صَبْرًا وَمَا هُوَ صَابِرُ وَمُسْتَرْجِعٍ دَاعٍ لَهُ اللَّهَ مُخْلِصًا ... يُعَدِّدُ مِنْهُ خَيْرَ مَا هُوَ ذَاكِرُ وَكَمْ شَامِتٍ مُسْتَبْشِرٍ بِوَفَاتِهِ ... وَعَمَّا قَلِيلٍ كَالَّذِي صَارَ صَائِرُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৮

বললাম হীা’ ৷ তিনি বললেন, “আমি এটাতে একদিন হেলান দিয়েছিলাম এবং আমি ছিলাম
চিভাযুক্ত ৷ এমন সময় মনােমুগ্ধকর চেহারা ও চমৎকার পোশাকধারী এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে
তিনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন এবং আমাকে বলছেন, হে আলী ইবনুল হুসায়ন!
আমি তোমাকে দুনিয়ার জন্যে অত্যন্ত চিন্তাশীল দেখছি ৷ এটার কারণ কি ? দুনিয়া একটি খাদ্য
ভাণ্ডার তার থেকে সৎ ও অসৎ সকলেই খাদ্য গ্রহণ করে থাকে ৷ আমি বললাম, আপনি যেরুপ
বলছেন এ হিসেবে আমি দুনিয়ার জন্যে চিন্তিত নই ৷ তিনি বললেন, তাহলে কি আখিরাতের
জন্য দুনিয়ার প্ৰতি আপনি চিন্তিত ? আখিরাত একটি সভা অঙ্গীকার ৷ সর্বশক্তিমান মালিক
সেখানে বিচার করবেন ৷ আমি বললাম, আপনি যেরুপ বলছেন এ হিসেবেও আমি দুনিয়ার জন্য
চিস্তিত নই ৷ তিনি বললেন : তাহলে আপনার চিন্তাটা কিসের জন্যে ? তখন আমি বললাম,
“আমি আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (না)-এর ফিতনাকে ভয় করছি ৷ তিনি আমাকে বললেন, হে
আলী ! আপনি কি এমন ব্যক্তি দেখেছেন যে, মহান আল্লাহকে ডেকেছে অথচ মহান আল্লাহ্
তাকে দান করেননি ? আমি বললাম না’ ৷ তিনি আবার বললেন, “আপনি কি এমন ব্যক্তি
দেখেছেন, যে মহান আল্লাহ্কে ভয় করে অথচ মহান আল্লাহ্ তার জন্যে যথেষ্ট হননি ? আমি
বললাম, না’ ৷ তারপর তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন ৷ তখন আমাকে বলা হলো, হে আলী ! তিনিই
খিষির (আ) ৷ শ্যে£ষাক্ত কথাটি কোন বর্ণনাকারীর অতিরিক্ত বক্তব্য ৷

তাবারানী বলেন : মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল-খিযরী উমর ইবন হারিছ হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আলী ইবনুল হুসায়ন (র) যখন ইনতিকাল করেন ৷ তখন তার গোসল
প্রদানের সদস্যরা তাকে গোসল দেন এবং তারা তার পিঠে কাল কাল দাগ দেখতে পান ৷ তারা
জিজ্ঞাসা করলেন এগুলো কি ? তখন বলা হলো, তিনি রাতে আটার বস্তা বহন করতেন এবং
পবিত্র মদীনাবাসী ফকীরদেরকে আটা দান করতেন ৷ ইবন আইশা বলেন, পবিত্র
মদীনাবাসীদেরকে আমি বলতে শুনেছি ৷ তারা বলেন : আলী ইবনুল হুসায়ন (র)-এর মৃত্যুর
পর আমরা গোপনে সাদাকা কারীকে হারালাম ৷ ”

আবদুল্লাহ ইবন হাম্বল ইবন আশকাব ও মুহাম্মদ ইবন বাশারের মাধ্যমে আবুল মিনহাল
আত্তাঈ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আলী ইবনুল হুসায়ন (র) যখন মিসকীনকে
সাদাকা প্রদান করতেন, তখন যে তা কবুল করত ৷ তারপর তিনি আরো দান করতেন ৷

আত-তাবারী বলেনষ্ট ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া আল গুলাবী আল আতাবীর মাধ্যমে
উবাই হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আলী ইবনুল হুসায়ন (র) বনু হাশিমের শ্রেষ্ঠ
চার ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন ৷ তিনি বলেনং হে আমার সন্তান! মুসীবতের সময় ধৈর্যধারণ
করবে, কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে না, তোমার দীনী ভইিকে কোন ব্যাপারে নিরাশ করবে
না ৷ তবে যে ক্ষেত্রে তোমার উপকারিতা থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশী ৷ তাবারানীও স্বীয় সনদে
নীচে বর্ণিত বংনািটি উল্লেখ করেছেন যে, একদিন আলী ইবনুল হুসায়ন (র) একটি মজলিসে
বলেছিলেন ৷ তারপর র্তার ঘরে একজন আহবায়িকার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন ৷ তিনি উঠে
গেলেন ৷ ঘরে ঢুকলেন ৷ তারপর মজলিসে ফিরে আসলেন ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো ৷ কোন
ঘটনার জন্যেই কি আহবায়িকা আপনাকে আহ্বান করেছিল ? তিনি বললেন, হীা’ ৷ মজলিসের
লোকজন তার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং তারা তার ধৈর্ষ দেখে অবাক হলেন ৷ তারপর
তিনি বলেন, আমরা আহলে বায়তের সদস্য ৷ আল্পাহ্ তাআলা আমাদেরকে যা দান করেছেন
তার জন্যে মহান আল্লাহ্র আনুগত্য করি ৷ আর যা তিনি দেন নাই, তার জন্যে মহান আল্লাহ্র
প্রশংসা করি ৷


فَشَقَّ جُيُوبَهَا نِسَاؤُهُ، وَلَطَمَ خُدُودَهَا إِمَاؤُهُ، وَأَعْوَلَ لِفَقْدِهِ جِيرَانُهُ، وَتَوَجَّعَ لِرُزْئِهِ إِخْوَانُهُ، ثُمَّ أَقْبَلُوا عَلَى جَهَازِهِ، وَشَمَّرُوا لِإِبْرَازِهِ. وَظَلَّ أَحَبُّ الْقَوْمِ كَانَ لِقُرْبِهِ ... يَحُثُّ عَلَى تَجْهِيزِهِ وَيُبَادِرُ وَشَمَّرَ مَنْ قَدْ أَحْضَرُوهُ لِغَسْلِهِ ... وَوَجَّهَ لَمَّا قَامَ لِلْقَبْرِ حَافِرُ وَكُفِّنَ فِي ثَوْبَيْنِ وَاجْتَمَعَتْ لَهُ ... مُشَيِّعَةً إِخْوَانُهُ وَالْعَشَائِرُ فَلَوْ رَأَيْتَ الْأَصْغَرَ مِنْ أَوْلَادِهِ، وَقَدْ غَلَبَ الْحُزْنُ عَلَى فُؤَادِهِ، وَغُشِيَ مِنَ الْجَزَعِ عَلَيْهِ، وَخَضَّبَتِ الدُّمُوعُ خَدَّيْهِ، وَهُوَ يَنْدُبُ أَبَاهُ وَيَقُولُ: يَا وَيْلَاهُ. لَعَايَنْتَ مِنْ قُبْحِ الْمَنِيَّةِ مَنْظَرًا ... يُهَالُ لِمَرْآهُ وَيَرْتَاعُ نَاظِرُ أَكَابِرُ أَوْلَادٍ يَهِيجُ اكْتِئَابُهُمْ ... إِذَا مَا تَنَاسَاهُ الْبَنُونَ الْأَصَاغِرُ وَرَنَّةُ نِسْوَانٍ عَلَيْهِ جَوَازِعٍ ... مَدَامِعُهُمْ فَوْقَ الْخُدُودِ غَوَازِرُ ثُمَّ أُخْرِجَ مِنْ سَعَةِ قَصْرِهِ إِلَى ضِيقِ قَبْرِهِ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ فِي اللَّحْدِ وَهَى عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮৯


আলী ইবনুল হুসায়ন (র) থেকে তাৰারানী আরো বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : “যখন
কিয়ামতের দিন সংঘটিত হবে ৷ একজন আহ্বানকারী আহ্বান করবেন যে, সম্মানী ব্যক্তিরা
যেন দাড়িয়ে যান ৷ তখন কিছুসংখ্যক লোক দাড়িয়ে যাবেন ৷ তাষ্কদ্যাকে বলা হবে, আপনারা
জান্নাতের দিকে চলুন ৷ তারপর ফেরেশতাগণ তাদের সাথে মুলাকাত করবেন এবং তারা
বলবেন, আপনারা কোথায় যান ? তারা বলবেন : জান্নাতের দিকে ৷ ফেরেশতারা বলবেন
হিসাবের পুর্বেই ? তারা বলবেন, ছুা’ ৷ ফেরেশতারা বলবেন, আপনারা কে ? তারা বলবেন,
আমরা আহলুল ফাযুল অর্থাৎ সম্মানী ব্যক্তিবর্গ ৷ ফেরেশতারা বলবেন : আপনাদের ফযীলত বা
সম্মান কী? তারা বলবেন, কেউ আমাদের প্রতিকুলে অজান্তে কোন কাজ করলে আমরা তা
সহ্য করেছি ৷ আমাদের প্রতি কেউ যুলুম করলে আমরা তাতে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি ৷
আমাদের প্রতি কেউ কোন খারাপ ব্যবহার করলে আমরা তা ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ ফোরর্শতরাে
তাদেরকে বলবেন, “আপনারা জান্নাতে প্রবেশ করুন ৷ সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কত উত্তম ৷
তারপর একজন আহবায়ক আহ্বান করবেন যে, ধৈর্যশীলগণ দাড়িয়ে যান ৷ তখন কিছু সংখ্যক
লোক দাড়িয়ে যাবেন ৷ তাদেরকে বলা হবে আপনারা জান্নাতের দিকে চলুন ৷ তারপর
ফেরেশতাগণ তাদের সাথে মুলাকাত করবেন এবং পুর্বের মত বলবেন ৷ তারা বলবেন, আমরা
ণ্ ধৈর্যশীলদের অন্তর্গত হ্নিা৷ম ৷ ফেরেশতারা বলবেন, আপনার কী ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করতেন ৷
তারা বলবেনঃ আমরা আল্লাহ্ তাআলার ইবাদতের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের উপর আমরা
ধৈর্যধারণ করেহ্নিমম এবং মহান আল্লাহ্র নাফরমানী থেকে বীচার জন্যেও আমরা ধৈর্যধারণ
করেছিলাম ৷ আর বালা-মুসীবাতর ক্ষেত্রেও আমরা ধৈর্যধারণ করেছিলাম ৷ ফেরেশতারা তখন
তাদেরকে বলবেন, আপনারা জান্নাতে প্রবেশ করুন ৷ সৎকর্মশীলগণের পুরস্কার কতই উত্তম ৷
তারপর একজন আহবানকারী আহ্বান করবেন, আল্লাহ্র ঘরের পড়শীরা দাড়িয়ে যান ৷ তখন
কিছুসংখ্যক লোক দাড়াবেন ৷ তারা সংখ্যায় নগণ্য ৷ তাদেরকে বলা হবে আপনারা জান্নাতের
দিকে চলুন ৷ তারপর তাদের সাথে ফেরেশতারা মুলাকাত করবেন ৷ তাদেরকেও ফেরেশতারা
অনুরুপ বলবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন, আপনারা কেমন করে মহান আল্লাহ্র ঘরের পড়শী
বলে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারলেন ? তখন তারা বলবেন, আমরা মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির
জন্যে পরস্পর মিলিত হতাম; মহান আল্পাহ্র সন্তুষ্টির জন্যে আমরা একে অন্যের সাথে
মজলিসে উঠা-বসা করতাম; মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যের জন্যে খরচ করতাম ৷
তখন তাদেরকে বলা হবে জান্নহতে প্রবেশ করুন ৷ সত্কর্মশীলদেয় পুরস্কার কত উত্তম :
আলী ইবনুল হুসায়ন (র) বলেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা গুনাহ্গার তাওবাকারী মু’মিন
বান্দাকে পসন্দ করেন ৷ তিনি আরো বলেন : “ভাল কাজের আদেশ দান ও অসং কাজের নিষেধ
প্রদান” বর্জনকারী মহান আল্লাহ্র কিতাবকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করার ন্যায় বিবেচিত ৷ তবে যদি কেউ
পরহেযগারীর ন্যায় পরহেযগারী অবলম্বন করে ৷ শাগরিদগণ বলেন : পরহেযগারীর ন্যায়
পরহ্বহযগারী-এর অর্থ কি ? তিনি বলেন : পরাক্রমশালী ও আধিপত্য বিস্তারকারী আল্লাহ্কে
ভয় করা যে, তিনি তার উপর“ হামলা করতে পারেন ও তার প্রতি রুঢ় ব্যবহার করতে পারেন ৷
এক ব্যক্তি সাঈদ ইবনুল মুসায়িক্তব (র)-ণ্ক বলেন, অমুক ব্যক্তি থােক বেশী পরহেযগার আমি
কাউকে দেখি নাই ৷” সাঈদ (র) তাকে বললেন, তুমি কি আলী ইবনুল হুসায়ন (ব)-কে
দেখেছ ? তিনি বললেন না’ সাঈদ (রা) বললেন, “আমি তার থেকে বেশী পরহেযগার আর
কাউকে দেখি নাই ৷”


اللَّبِنُ، وَحَثَوْا بِأَيْدِيهِمْ عَلَيْهِ التُّرَابَ، وَأَكْثَرُوا التَّلَدُّدَ عَلَيْهِ وَالِانْتِحَابَ، ثُمَّ وَقَفُوا سَاعَةً عَلَيْهِ، وَأَيِسُوا مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ. فَوَلَّوْا عَلَيْهِ مُعْوِلِينَ وَكُلُّهُمْ ... لِمِثْلِ الَّذِي لَاقَى أَخُوهُ مُحَاذِرُ كَشَاءٍ رِتَاعٍ آمِنِينَ بَدَا لَهَا ... بِمُدْيَتِهِ بَادِي الذِّرَاعَيْنِ حَاسِرُ فَرِيعَتْ وَلَمْ تَرْتَعْ قَلِيلًا وَأَجْفَلَتْ ... فَلَمَّا نَأَى عَنْهَا الَّذِي هُوَ جَازِرُ عَادَتْ إِلَى مَرْعَاهَا، وَنَسِيَتْ مَا فِي أُخْتِهَا دَهَاهَا، أَفَبِأَفْعَالِ الْبَهَائِمِ اقْتَدَيْنَا؟ أَمْ عَلَى عَادَتِهَا جَرَيْنَا؟ عُدْ إِلَى ذِكْرِ الْمَنْقُولِ إِلَى دَارِ الْبِلَى وَالثَّرَى، وَاعْتَبِرْ بِمَوْضِعِهِ تَحْتَ الثَّرَى، الْمَدْفُوعِ إِلَى هَوْلِ مَا تَرَى. ثَوَى مُفْرَدًا فِي لَحْدِهِ وَتَوَزَّعَتْ ... مَوَارِيثَهُ أَرْحَامُهُ وَالْأَوَاصِرُ وَأَحْنَوْا عَلَى أَمْوَالِهِ يَقْسِمُونَهَا ... فَلَا حَامِدٌ مِنْهُمْ عَلَيْهَا وَشَاكِرُ فَيَا عَامِرَ الدُّنْيَا وَيَا سَاعِيًا لَهَا ... وَيَا آمِنًا مِنْ أَنْ تَدُورَ الدَّوَائِرُ كَيْفَ أَمِنْتَ هَذِهِ الْحَالَةَ وَأَنْتَ صَائِرٌ إِلَيْهَا لَا مَحَالَةَ؟! أَمْ كَيْفَ تَتَهَنَّأُ لِحَيَاتِكَ، وَهِيَ مَطِيَّتُكَ إِلَى مَمَاتِكَ؟! أَمْ كَيْفَ تَسِيغُ طَعَامَكَ وَأَنْتَ مُنْتَظِرٌ حِمَامَكَ؟! .
পৃষ্ঠা - ৭৩৯০


সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাহ ইমাম যুহরী থেকে বর্ণনা করেন ৷ ইমাম যুহরী বলেন, একদিন
আমি আলী ইবনুল হুসায়ন (র)-এর কাছে গমন করলাম ৷ তখন তিনি বললেন, হে যুহরী!
তুমি কী করছিলে ? আমি বললাম, আমরা সিয়াম নিয়ে আলোচনা করছিলাম ৷ তারপর আমার
ও আমার সঙ্গীদের অভিমত হলো যে, রামাযানেৱ সিয়াম ব্যতীত অন্য কোন ওয়াজিব সিয়াম
নেই ৷ তিনি বললেন, “হে যুহরী! তুমি যা বলছ তা সঠিক নয় ৷ প্রকৃতপক্ষে সিয়াম চল্লিশ
প্রকারের হয়ে থাকে ৷ তন্মধ্যে দশ প্রকার হলো ওয়াজিব যেমন রামাযানেৱ ওয়াজিব সিয়াম; দশ ,
প্রকার হলো হারাম; চৌদ্দ প্রকার সিয়াম যার পালনকারীর ইচ্ছে, যদি তিনি চান সিয়াম পালন
করবেন আর যদি চান সিয়াম পালন করবেন না; মাম্নতের সিয়াম ওয়াজিব এবং ই’তিকাফেয়
সিয়াম ওয়াজিব ৷ ইমাম যুহরী বলেন, আমি বললাম, হে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সন্তান ৷
এগুলোকে একটু বিস্তারিত বলুন ৷ তিনি বললেন : ওয়াজিব সিয়াম হলো রামাযান মাসের
সিয়াম; ভৃলক্রমে অনুষ্ঠিত হত্যার বেলায় গোলাম আযাদ করতে না পারলে একাধারে ইেমাস
সিয়াম পালন করা ওয়াজিব; কসমেরকাফ্ফারায় ক্ষেত্রে যিনি খাদ্যদানে অপারগ, তার জন্যে
তিনদিন সিয়াম পালন করা ওয়াজিব ৷ হাজ্জ তামাত্তুর ক্ষেত্রে যিনি কুরবানী করতে অপারগ
অথবা কোন ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্যে কাফ্ফারা স্বরুপ দম আদায়ে অপারগ, তার জন্যে সিয়াম
পালন ওয়াজিব ৷ শিকারী শিকারের মুল্য স্থির করবে এবং তা গমের ন্যায় মিসকীনদের মধ্যে
বন্টন করে দেবে ৷ যে সিয়ামে সিয়াম পালনকারী ইচ্ছে করে সিয়াম পালন করবেন কিংবা
সিয়াম পালন না করবেন ৷ তা হলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করা; রামাযানেৱ
পর শাওয়ালের ছয় দিন সিয়াম পালন; আরাফাতের দিন ও আশুরার দিন সিয়াম পালন করা,
এগুলোর ব্যাপারে সিয়াম পালনকারী ইচ্ছে করলে সিয়াম পালন করবেন কিংবা সিয়াম পালন
করবেন না ৷ শিকারের শান্তির জন্যে সিয়াম পালন ওয়াজিব ৷ অনুমতিরসিয়াম হলো; শ্রী তার
স্বামীর অনুমতি ব্যতীত সিয়াম পালন করবে না ৷ অনুরুপভাবে গোলাম ও বাদী তাদের মুনীবের
অনুমতি ব্যতীত সিয়াম পালন করবে না ৷ হারাম সিয়াম হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার
দিন, তাশরীকের দিনগুলোতে (যুল-হাজ্জাহ্ মাসের ১ ১ ,১২,১৩ তারিখ) সন্দেহের দিন এদিন
রামাযানেৱ সিয়াম পালনও নিষেধ করা হয়েছে ৷ সিয়ামে বিসাল একাধারে না খেয়ে কয়েকদিন
সিয়াম পালন করা) চুপচাপ থেকে সিয়াম পালন করা, গুনাহেৱ কাজের জন্য সিয়াম মান্নত
করা এবং সিয়ামুদ-দাহার অর্থাৎ সব সময় সিয়াম পালন করা ৷ মেহমান তার সাথীর
অনুমতিক্রাম নফল সিয়াম আদায় করতে পারে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি
কোন সম্প্রদায়ের যেহমান হবে সে যেন তাদের অনুমতি ব্যতীত সিয়াম পালন না করেন ৷
মুবাহ সিয়াম হচ্ছে যদি কেউ ভুলে পানাহার করে, তাহলে তার সিয়ামের কোন ব্যাঘাত ঘটবে
না ৷ রুগ্ন ও মুর্সাফিরেৱ সিয়াম সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, তারা সিয়াম পালন করবে ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, তারা সিয়াম পালন করবে না, আবার কেউ কেউ বলেন, যদি তাদের ইচ্ছে
হয় সিয়াম পালন করবে আর যদি ইচ্ছে হয় সিয়াম পালন করবে না ৷ তবে আমাদের অভিমত

হলো এ দুই অবন্থায়ই সিয়াম পালন করবে না ৷ যদি সফরে ও রুগ্ন অবস্থায় সিয়াম পালন করে
তাহলে তা কাযা করতে হবে ৷

আবু বকর ইবন আবদুর রহমান ইবন আল-হারিস

তার পুর্ণ নাম আবু বকর ইবন আবদুর রহমান ইবন আল-হারিছ ইবন হিশাম ইবন
আল-মুগীরা ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন উমর ইবন মাখবুম আল-কারশী আল-মাদানী ৷ তিনি সপ্ত
প্রসিদ্ধ ফ্কীহর অন্যতম ৷ কেউ কেউ বলেন, তার নাম মুহাম্মদ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার
নাম আবু বকর ৷ আর তার কুনিয়ত আবু আবদুর রহমান ৷ বিশুদ্ধ হলো তার নাম ও কুনিয়ত


وَلَمْ تَتَزَوَّدْ لِلرَّحِيلِ وَقَدْ دَنَا ... وَأَنْتَ عَلَى حَالٍ وَشِيكًا مُسَافِرُ فَيَا لَهْفَ نَفْسِي كَمْ أُسَوِّفُ تَوْبَتِي ... وَعُمْرِيَ فَانٍ وَالرَّدَى لِي نَاظِرُ وَكُلُّ الَّذِي أَسْلَفْتُ فِي الصُّحْفِ مُثْبَتٌ ... يُجَازِي عَلَيْهِ عَادِلُ الْحُكْمِ قَادِرُ فَكَمْ تُرَقِّعُ بِآخِرَتِكَ دُنْيَاكَ؟ وَتَرْكَبُ فِي ذَلِكَ هَوَاكَ؟ أَرَاكَ ضَعِيفَ الْيَقِينِ، يَا مُؤْثِرَ الدُّنْيَا عَلَى الدِّينِ، أَبِهَذَا أَمَرَكَ الرَّحْمَنُ؟ أَمْ عَلَى هَذَا نَزَلَ الْقُرْآنُ؟ تُخَرِّبُ مَا يَبْقَى وَتَعْمُرُ فَانِيًا ... فَلَا ذَاكَ مَوْفُورٌ وَلَا ذَاكَ عَامِرُ وَهَلْ لَكَ إِنْ وَافَاكَ حَتْفُكَ بَغْتَةً ... وَلَمْ تَكْتَسِبْ خَيْرًا لَدَى اللَّهِ عَاذِرُ أَتَرْضَى بِأَنْ تَفْنَى الْحَيَاةُ وَتَنْقَضِيَ ... وَدِينُكَ مَنْقُوصٌ وَمَالُكَ وَافِرُ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ التَّارِيخِ فِي السَّنَةِ الَّتِي تُوَفِّيَ فِيهَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ زَيْنُ الْعَابِدِينَ; فَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ فِي أَوَّلِهَا عَنْ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَصُلِّيَ عَلَيْهِ بِالْبَقِيعِ، وَدُفِنَ بِهِ. قَالَ الْفَلَّاسُ: مَاتَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَعَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، وَعُرْوَةُ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: تُوُفِّيَ ثِنْتَيْنِ - أَوْ ثَلَاثٍ - وَتِسْعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৯১


একই ৷ তার ছেলেমেয়ে ও ভাই-বোন ছিল অনেক ৷ তিনি একজন সম্মানিত তাবিঈ ৷ তিনি
যাদের থেকে হাদীস বর্ণনা করেছিলেন তারা হলেন : হযরত আমার (বা), হযরত আবু হুরায়ৱা
(রা), হযরত আসমা বিনৃত আবু বকর (রা), হযরত আইশা (রা), উম্মে সালামা (রা) ও
অন্যান্য ৷ তার থেকে উলামায়ে কিরামেৱ একটি বড় দ্যা হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাদের মধ্যে
প্রসিদ্ধ হলেন তার ছেলেগণ সালামা, আবদুল্লাহ্, আবদুল মালিক, উমর, তার গোলাম
সার্মী ৷ অন্যান্যগণ হলেন, আমির আশ-শাবী,উমৱ ইবন আবদুঃন আযীয , আমর ইবন দীনার,
মুজাহিদ আয-যুহরী ৷

উমর (রা) এর খিলাফতকালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর তার অধিক সা ৷লাতের জন্য
তাকে বলা হতো কুরায়শদের রাহিব (সত্সারত্যার্গী সন্যুাসী ৷ তিনি ছিলেন অন্ধ ৷ তিনি
সিয়ামুদ-দাহার পালন করতেন ৷ তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত, আমানতদার, ফকীহ এবং বড় ধরনের
বিশুদ্ধ বর্ণনাকারী ৷ আবু দাউদ (রা) বলেন£ তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তিনি যখন সিজদা
করতেন, তখন একটি ণ্বা৷র্ভুগর জন্য তিনি চিলুমচিতে হাত রাখ্যক্তা ৷ বিশুদ্ধ মতে তিনি এ
বছর ইনৃতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেনং এর পুর্বের বছর ৷ আবার বেল্ট কেউ বলেন, এর
পরের বছর ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পবিজ্ঞাত ৷

আল্পামা ইবন কাহীর (ব) বলেনং কোন কোন করি সাতজন ককীহকে উল্লেখ করে
নিম্নবর্ণিত দুই লাইন কবিতা রচনা করেছেন ং

সাবধান ! যে ব্যক্তি ইমামগণের অনুসরণ করে না, সে একজন আলিম হিলেবে ন্যায়ের
কাজে অং শগ্রহণ থেকে বহির্ভুত ৷ কাজেই, তাদের অনুসরণ কর, তারা হলেনং উবায়দুল্লাহ্,
উরওয়াহ্, কাসিম, সাঈদ, আবু বকর, সুলায়মান ও খারিজা ৷
এ বছরেই আল-ফযল ইবন যিয়াদ আর-রাকাশী ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন বসরার
পরহেযগারদের অন্যতম ৷ তার রয়েছে বহু গুণাবলী ও শ্রেষ্ঠতু ৷ তিনি বলেন, জনগণ যেন
তোমাকে তােমা থেকে অন্য কাজে ব্যস্ত করে না রাখে ৷ কেননা, তাদেরকে ছাড়াই তোমার
বিষয়টি তোমার কাছে একনিষ্ঠ বলে পরিচিতি লাভ করবে ৷ তোমার দিবারাতকে অমুক অমুক,
অনর্থক কাজে লিপ্ত করে৷ না ৷ কেননা, তুমি যা কিছুই কর না কেন, তা তােম৷ র জন্যে রেকর্ড
করা হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেন০ পুরানো গুনাহের জন্যে নতুন করে ভাবনা থেকে কোন উত্তম
দ্রব্যের অম্বেষণ ও অতি দ্রুত উপলব্ধি করার মত কোন বস্তু আমি দেখি নাই ৷

আবু সালামা আবু আবদুর রহমান ইবন আওফ আয-যুহরী পবিত্র মদীনায় একজন
অন্যতম ফকীহ ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন একজন ইমাম ও প্রখ্যাত আলিম ৷ সাহাবায়ে কিরামেৱ
একটি বিরাট জামাআত থেকে তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি ছিলেন প্রশস্ত জ্ঞানের
অধিকারী ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷

আবদুর রহমান ইবন আইয আল-ইযদী কর্তৃক বহু হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি ছিলেন
একজন স্বনামধন্য প্রখ্যাত আলিম ৷ তার জ্ঞানের নিদর্শন স্বরুপ তিনি বহু মুল্যবান কিতাব রেখে
, গেছেন ৷ সাহাবায়েকিরামের একটি জামাআত হতে তিনি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইবনুল
আশআছের ঘটনার দিন তিনি বন্দী হন ৷ তারপর হাজ্জাজ তাকে মুক্ত করে দেন ৷

আবদুর রহমান ইবন মুআবিয়া ইবন খুযায়মা ৷ তিনি উমর ইবন আরদুল আযীয ইবন
মারওয়ানের জন্য মিসরের কাযী ছিলেন ৷ তিনি তার পুলিশ সুপারও ছিলেন ৷ তিনি একজন বড়

ন্ ধরনের আলিম ও ফাযিল ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি হাদীস বর্ণনা করেন, এবং তার থেকেও একটি
জামাআত হাদীস বর্ণনা করেন ৷


وَأَغْرَبَ الْمَدَائِنِيُّ فِي قَوْلِهِ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيُّ الْمَدَنِيُّ، أَحَدُ الْفُقَهَاءِ السَّبْعَةِ، قِيلَ: اسْمُهُ مُحَمَّدٌ. وَقِيلَ: اسْمُهُ أَبُو بَكْرٍ، وَكُنْيَتُهُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ اسْمَهُ وَكُنْيَتَهُ وَاحِدٌ، وَلَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ وَالْإِخْوَةِ كَثِيرٌ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ عَمَّارٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ، وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ: مِنْهُمْ بَنُوهُ سَلَمَةُ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ، وَعُمَرُ، وَمَوْلَاهُ سُمَيٌّ، وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَالزُّهْرِيُّ. وُلِدَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: رَاهِبُ قُرَيْشٍ. لِكَثْرَةِ صَلَاتِهِ، وَكَانَ مَكْفُوفًا، وَكَانَ يَصُومُ الدَّهْرَ، وَكَانَ مِنَ الثِّقَةِ وَالْأَمَانَةِ وَالْفِقْهِ وَصِحَّةِ الرِّوَايَةِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ. وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ يُكْرِمُهُ وَيَعْرِفُ فَضْلَهُ، وَيَقُولُ: إِنِّي أَهُمُّ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯২
بِالشَّيْءِ أَفْعَلُهُ بِأَهْلِ الْمَدِينَةِ; لِسُوءِ أَثَرِهِمْ عِنْدَنَا، فَأَذْكُرُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأَسْتَحِي مِنْهُ، وَأَتْرُكُ ذَلِكَ الْأَمْرَ مِنْ أَجْلِهِ. وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَكَانَ قَدْ كُفَّ، وَكَانَ إِذَا سَجَدَ يَضَعُ يَدَهُ فِي طَسْتٍ; لِعِلَّةٍ كَانَ يَجِدُهَا. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.