আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وتسعين

فتح سمرقند

পৃষ্ঠা - ৭৩৩০

শর্তের উপর যে, কুতায়বা তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও পরাস্ত করে তার ভাইকে তার
কাছে সোপর্দ করবেন ৷ কেননা, সে ইতোমধ্যে দেশে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের
প্রতি যুলুম ও নির্যাতন করেছে ৷ আর তার ভাইটির জঘন্য অভ্যাস ছিল, যখনই সে শুনত যে,
কারোর কাছে কোন একটি ভাল জিনিস আছে, সেখানে সে লোক প্রেরণ করত এবং তার
থেকে তা ছিনিয়ে নিত, ঐ বস্তুটি সম্পদ হোক কিত্বা মহিলা হোক কিৎবা ছোল-মেয়ে হোক
কিংবা চতুষ্পদ ত্তস্থে হোক কিংবা অন্য কিছু হোক ৷ কুতায়বা তার সাহায্য করার জহ্বন্য এগিয়ে
আসলেন এবং আল্লাহ তাআলা তাকে বিজয় দান করলেন ৷ তখন খাওয়ারিযম শাহ যেসব
জিনিসের শর্তে সন্ধি করেছিলেন তার সব কিছুই কুতায়বার কাছে সমর্পণ করেন ৷ কুতায়বাহ্
খাওয়ারিযম শাহের ভাইয়ের শহভৈর সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা শত্রুদের বহু লোককে হত্যা
করে, তার ভাইকে বন্দী করে যার সাথে ছিল চার হাজার প্রবীণ বন্দী এবং তাকে তার ভইিয়ের
কাছে সোপর্দ করে ৷ তুর্কী ও অন্যান্য দুশমনদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করার জন্যে কুতায়বা বন্দীদের
সম্পর্কে আদেশ দিলেন যে, তাদেরকে হত্যা করা হোক : তার সামনে দুই হাজার, ডানে দুই
হাজার, বামে দুই হাজার এবং পিছনের দিক দিয়ে দুই হাজারকে যেন হত্যা করা হয় ৷ আর
তইি করা হলো ৷

সমরকন্দ বিজয়

উপরোক্ত কার্যকলাপ থেকে কুতায়বা যখন অবসর গ্রহণ করেন, তখন তিনি তার দেশে
ফিরে যাওয়ার মনস্থু করেন ৷ তখন তাকে একজন আমীর বললেন, সুপদেৱ বাসিন্দারা
আপনাকে শুধু এ এক বছরের জন্যেই নিরাপত্তা দিয়েছে ৷ এখন যদি আপনি তাচদ্যা দিকে
অগ্রসর হতে চান এ অবস্থায় যে, তারা তা জানে না তাহলে এখনই সময়ং৷ আপনি যদি তা
করেন তাহলে চিরদিনের জন্য আপনি তা নিয়ে নিতে পারেন ৷ কুতায়বা তখন এ আমীরাক
বললেন, তুমি কি একথাটি কাউকে বলেছ ? সে বলল, না’ ৷ কুতায়বা বললেন, যদি একথাটি
কেউ তোমার থেকে শুনে থাকে, তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ তারপর কুতইিৰা তার
ভইি আবদুর রহমান, ইবন মুসলিমকে ২০ (বিশ) হাজার সৈন্য সহ সামনের দিকে প্রেরণ
করেন ৷ তার তাই তার পুর্বেই সমরকন্দ পৌছে ৷ অবশ্য কুতায়বা বাকী সৈন্যদ্যোকে নিয়ে তার
সাথে মিলিত হন ৷ ভুর্কীরা যখন তাদের দিকে মুসলমানদের আগমনের কথা শুনল, তখন তারা
তাদের সাহসী বাদশাহ্ ও আমীরদের সম্ভানদেরকে তাদের মধ্য থেকে নির্বাচন করলেন এবং
তাদেরকে আদেশ করলেন যেন তারা রাতের অন্ধকারে কুতায়বার দিকে অগ্রসর হন ৷ এবং
মুসলিম সৈন্যদের ছিন্নভিন্ন করে দেন ৷ তাদের এ দুরভিসন্ধির সংবাদ যখন কুতায়বার কাছে
পৌছে তখন তিনি তার ভাই সালিহ্কে ছয়শত সাহসী অশ্বারোহী সৈন্য সহকারে প্রেরণ করেন
এবং নির্দেশ দেন যে, “তাদেরকে রাস্তায় পাকড়াও কর ৷ ” তখন তারা অগ্রসর হলো এবং তারা
রাস্তার মধ্যে দাড়িয়ে গেল ৷ আর তারা নিজেদেরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করল ৷ তখন শত্রু
সৈন্যরা রাতের অন্ধকারে তাদেরকে অতিক্রম করতে যাচ্ছিল, তারা মুসলিম সৈন্যদের উপস্থিতি
সম্বন্ধে পুরাপুরি অজ্ঞ ছিল, তখনই মুসলিম সৈন্যরা তাদের উপর হামলা চালাল ও তাদেরকে
হত্যা করল ৷ মাত্র কিছু সংখ্যক তুর্কী সৈন্য বাকী রইল এবং তারা নিহত সৈন্যদের মাথা কেটে
নিল ও তাদের সাথে সোনা দিয়ে মােড়ানাে যে সব হাতিয়ার ছিল এবং আসবাবপত্র ছিল তারা
সবকিছু গনীমত হিসেবে লাভ করল ৷ তাদের কেউ কেউ তাদেরকে বলল, তোমরা জেনে
রেখো, এ জায়গায় তোমরা যাদেরকে হত্যা করেছ তারা সকলেই রাজপুত এবং হাতে গোনা
সাহসী একশত কিংবা এক হাজার অশ্বারোহী সৈন্য ৷ তখন কুতায়বা শত্রু সৈন্যদের থেকে প্রাপ্ত
সমুদয় স্বর্ণও অক্কুদ্বশস্ত্র গনীমত হিসেবে মুসলিম সেনাদেরকে অর্পণ করেন এবং সুগদের বড় শহর
সমরকন্দের নিকটবর্তী হলেন ৷ সেখানে পাথর নিক্ষেপণ যন্ত্র স্থাপন করেন এবং প্রস্তর নিক্ষেপ


[فَتْحُ سَمَرْقَنْدَ] وَذَلِكَ أَنَّ قُتَيْبَةَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ هَذَا كُلِّهِ، وَعَزَمَ عَلَى الرُّجُوعِ إِلَى بِلَادِهِ، قَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: إِنَّ أَهْلَ الصُّغْدِ قَدْ أَمِنُوكَ عَامَكَ هَذَا، فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَعْدِلَ إِلَيْهِمْ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ، فَإِنَّكَ مَتَى فَعَلْتَ ذَلِكَ أَخَذْتَهَا إِنْ كُنْتَ تُرِيدُهَا يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ. فَقَالَ قُتَيْبَةُ لِذَلِكَ الْأَمِيرِ: هَلْ قُلْتَ هَذَا لِأَحَدٍ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَلَئِنْ يَسْمَعْهُ مِنْكَ أَحَدٌ أَضْرِبْ عُنُقَكَ، ثُمَّ بَعَثَ قُتَيْبَةُ أَخَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مُسْلِمٍ بَيْنَ يَدَيْهِ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا، فَسَبَقَهُ إِلَى سَمَرْقَنْدَ، وَلَحِقَهُ قُتَيْبَةُ فِي بَقِيَّةِ الْجَيْشِ، فَلَمَّا سَمِعَتِ الْأَتْرَاكُ بِقُدُومِهِمْ إِلَيْهِمُ انْتَخَبُوا مِنْ بَيْنِهِمْ كُلَّ شَدِيدِ السَّطْوَةِ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ وَالْأُمَرَاءِ، وَأَمَرُوهُمْ أَنْ يَسِيرُوا إِلَى قُتَيْبَةَ فِي اللَّيْلِ، فَيَكْبِسُوا جَيْشَ الْمُسْلِمِينَ، وَجَاءَتِ الْأَخْبَارُ إِلَى قُتَيْبَةَ بِذَلِكَ، فَجَرَّدَ أَخَاهُ صَالِحًا فِي سِتِّمِائَةِ فَارِسٍ مِنَ الْأَبْطَالِ الَّذِينَ لَا يُطَاقُونَ، وَقَالَ: خُذُوا عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ. فَسَارُوا فَوَقَفُوا لَهُمْ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، وَتَفَرَّقُوا ثَلَاثَ فِرَقٍ، فَلَمَّا اجْتَازُوا بِهِمْ فِي اللَّيْلِ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ بِأَمْرِهِمْ ثَارُوا عَلَيْهِمْ، فَاقْتَتَلُوا هُمْ وَإِيَّاهُمْ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْ أُولَئِكَ الْأَتْرَاكِ إِلَّا النَّفَرُ الْيَسِيرُ، وَاحْتَزُّوا رُءُوسَهُمْ، وَغَنِمُوا مَا كَانَ مَعَهُمْ مِنَ الْأَسْلِحَةِ الْمُحَلَّاةِ بِالذَّهَبِ وَالْأَمْتِعَةِ، وَقَالَ لَهُمْ بَعْضُ أُولَئِكَ: تَعْلَمُونَ أَنَّكُمْ لَمْ تَقْتُلُوا فِي مَقَامِكُمْ هَذَا إِلَّا ابْنَ مَلِكٍ، أَوْ بَطَلًا مِنَ الْأَبْطَالِ الْمَعْدُودِينَ بِمِائَةِ فَارِسٍ، أَوْ بِأَلْفِ فَارِسٍ، فَنَفَلَهُمْ قُتَيْبَةُ جَمِيعَ مَا غَنِمُوهُ مِنْهُمْ مِنْ ذَهَبٍ وَسِلَاحٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩১


বন্দিনীদের মধ্যে তিনি ইরানের শাহ ইয়াযদিগারদের বংশের একজন বাদী পেলেন ৷ তিনি
তাকে হাদিয়৷ স্বরুপ আল-ওয়ালীদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ তার গর্ভে জন্ম নেয় ইয়াযীদ ইবন
আল ওয়ালীদ ৷৩ তারপর কুতায়বা সমরকন্দবাসীদের ডাকালন এবং তাদেরকে বললেন, আমি
আপনাদের সাথে যেরুপ সন্ধি করেছি তার থেকে বেশী কিছু চাই না ৷ তবে আমাদের পক্ষ
থেকে আপনাদের মাঝে শান্তি রক্ষার জন্যে একদল সৈন্য থাকবে, শহরের প্রশাসক গাওরাক
খান সেখান থেকে স্থানান্তর হন ৷ তখন কুতায়বা সুরায়ে নাজমের ৫০ ও ৫১ আয়াতদ্বয়

তিলাওয়াত করেন : প্রু৷ অর্থাৎ “আর এই যে,
তিনিই আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন এবং ছামুদ সম্প্রদায়কেও কাউকেও তিনি বাকী

রাখেননি ৷” এরপর কুতায়বা সেখান থেকে মারভ শহরের দিকে প্রত্যাগমন করেন এবং
সমরকন্দে তার ভাই আবদুল্লাহ ইবন মুসলিমকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে যান ৷ আর তাকে
বলেন, সমরকন্দ শহরের দরজায় মাটি দ্বারা প্রচলিত মােহরকৃত হস্ত ব্যতীত মুশবিকদের
কাউকে তুমি প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না ৷ তারপর তাকে মােহরের মাটির আর্দ্রতা শুকাবার
বেশী সময় পর্যন্ত অবস্থান করার অনুমতি দেবে না ৷ আর যদি মাটির আর্দ্রতাৰুশুকিয়ে যায় ও
তুমি তাকে সেখানে দণ্ডায়মান দেখতে পাও তাহলে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ আর তাদের
মধ্যে যার সাথে তুমি কোন অস্ত্র বা ছুরি দেখতে পারে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ যখন তুমি
শহরের দরযা বন্ধ করে দেবে এবং সেখানে কাউকে পাবে তাকেও হত্যা করার ৷ এ সম্পর্কে
কাব আল-আশকারী বলেন, আবার কেউ কেউ বলেন, এ কবিতাটি জুফী বংশের কোন এক
ব্যক্তির যা নিম্নরুপ :

“প্রতিদিন কুতায়বা লুটের মাল জমা করছে, সম্পদের সাথে আরো নতুন সম্পদ বৃদ্ধি করে
যাচ্ছে ৷ কোন কোন বাসিন্দাকে সে মুকুট পরিয়েছে ৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার ও ভয়াবহতার কারণে তার
কালো চুলের সিথি সাদা হয়ে গেছে ৷ বিভিন্ন ধরনের সেনাবাহিনী প্রবেশের মাধ্যমে সুগদকে
কুতায়ব৷ লাঞ্ছিত করেছে ৷ এমনকি সুগদকে বস্ত্রহীন অবস্থায় উপবিষ্ট করে হেড়েছে ৷ সন্তান তার
পিতাকে হারিয়ে কাদছে এবং পিতা তার সন্তানের জন্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে র্কাদছে ৷ যখনই সে
কোন শহরে অবতরণ করছে কিত্বা কোন শহরে আগমন করছে সেই শহরের জীব-জন্তু ও
জানোয়ারকে গভীর গর্ভে নিপতিত করা হচ্ছে ৷

এ বছরেই মরক্কোর নাইব মুসা ইবন নুসায়র তার আযাদকৃত ক্রীতদাস তারিককে
আন্দুলুস থেকে বরখাস্ত করেন ৷ তিনি তাকে তালীতালাহ নামক শহরে প্রেরণ করেছিলেন ৷
তিনি এটাকে জয় করেন এবং সেখানে সুলায়মান ইবন দাউদ (আ)-এর দস্তরখান দেখতে
পান ৷ তার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মুক্ত৷ আরো কত কিছু ৷ তিনি এটাকে আল-ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের কাছে প্রেরণ করেন ৷ যখন এ দস্তরখান তার কাছে পৌছে, তখন তিনি মারা প্
যান এবং তার ভাই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক আমীরুল মু’মিনীন মনোনীত হয়েছেন ৷ এ
দস্তরখান সম্বন্ধে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ এটার মধ্যে এমন এমন জিনিস রয়েছে
যা মানুষকে অবাক করে দেয় ৷ এর চেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কােথায়ও দেখতে পাওয়া যায়

া৷ মুসা ইবন নুসায়র নিজ আযাদকৃত গোলাম তারিক ইবন যিয়াদের পরিবর্তে নিজের ছেলে

আবদুল আযীয ইবন মুসা ইবন নুসায়রকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷

এ বছরেই মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরগুলাে তে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা আন্দুলুস
দ্বীপের বহু শহর জয় করে ৷ এগুলোর মধ্যে কর্তোডা ও তানজা অভ্যস্ত প্রসিদ্ধ ৷ তারপর মুসা
নিজেই আন্দুলুসের পশ্চিমপ্রাত্তে অগ্রসর হন এবং বাজাহ শহর ও শুভ্র শহরের ন্যায় অন্যান্য বড়


وَاقْتَرَبَ قُتَيْبَةُ مِنَ الْمَدِينَةِ الْعُظْمَى الَّتِي بِالصُّغْدِ، وَهِيَ سَمَرْقَنْدُ، فَنَصَبَ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقَ، فَرَمَاهَا بِهَا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يُقَاتِلُهُمْ لَا يُقْلِعُ عَنْهُمْ، وَنَاصَحَهُ مَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ بُخَارَى وَخَوَارِزْمَ، فَقَاتَلُوا أَهْلَ الصُّغْدِ قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ غَوْزَكُ مَلِكُ الصُّغْدِ: إِنَّمَا تُقَاتِلُنِي بِإِخْوَتِي وَأَهْلِ بَيْتِي، فَأَخْرِجْ إِلَيَّ الْعَرَبَ. فَغَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ قُتَيْبَةُ، وَمَيَّزَ الْعَرَبَ مِنَ الْعَجَمِ وَأَمَرَ الْعَجَمَ بِاعْتِزَالِهِمْ، وَقَدَّمَ الشُّجْعَانَ مِنَ الْعَرَبِ، وَأَعْطَاهُمْ جَيِّدَ السِّلَاحِ، وَانْتَزَعَهُ مِنْ أَيْدِي الْجُبَنَاءِ، وَزَحَفَ بِالْأَبْطَالِ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَرَمَاهَا بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ فِيهَا ثُلْمَةً، فَسَدَّهَا التُّرْكُ بِغَرَائِرِ الدُّخْنِ، وَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَوْقَهَا، فَجَعَلَ يَشْتُمُ قُتَيْبَةَ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِسَهْمٍ فَقَلَعَ عَيْنَهُ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ قَفَاهُ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ قَبَّحَهُ اللَّهُ فَأَعْطَى قُتَيْبَةُ الَّذِي رَمَاهُ عَشَرَةَ آلَافٍ، ثُمَّ دَخَلَ اللَّيْلُ فَلَمَّا أَصْبَحُوا رَمَاهُمْ بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ أَيْضًا ثُلْمَةً، وَصَعِدَ الْمُسْلِمُونَ فَوْقَهَا، وَتَرَامَوْا هُمْ وَأَهْلُ الْبَلَدِ بِالنُّشَّابِ، فَقَالَتِ التَّرْكُ لِقُتَيْبَةَ: ارْجِعْ عَنَّا يَوْمَكَ هَذَا، وَنَحْنُ نُصَالِحُكَ غَدًا. فَرَجَعَ عَنْهُمْ، وَصَالَحُوهُ مِنَ الْغَدِ عَلَى أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَةِ أَلْفٍ يَحْمِلُونَهَا إِلَيْهِ فِي كُلِّ عَامٍ، وَعَلَى أَنْ يُعْطُوهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ ثَلَاثِينَ أَلْفَ رَأْسٍ مِنَ الرَّقِيقِ، لَيْسَ فِيهِمْ صَغِيرٌ وَلَا شَيْخٌ وَلَا عَيْبٌ، وَفِي رِوَايَةٍ: مِائَةَ أَلْفٍ مِنْ رَقِيقٍ، وَعَلَى أَنْ يَأْخُذَ حِلْيَةَ الْأَصْنَامِ، وَمَا فِي بُيُوتِ النِّيرَانِ، وَعَلَى أَنْ يُخْلُوا الْمَدِينَةَ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ حَتَّى يَبْنِيَ فِيهَا قُتَيْبَةُ مَسْجِدًا، وَيُوضَعُ لَهُ فِيهِ مِنْبَرٌ يَخْطُبُ عَلَيْهِ، وَيَتَغَدَّى وَيَخْرُجُ، فَأَجَابُوهُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩২

মুক্তা ও স্বর্ণ ইত্যাদি নিয়ে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এভাবে বনু উমায়্যার মধ্যে জিহাদের প্রেরণা
উজ্জীবিত ছিল ৷ এছাড়া তাদের অন্য কোন পেশার দিকে মনোযোগও ছিল না ৷ পৃথিবীর প্রাচ্যে
ও প্রতীচ্যে, সাগরে ও নগরে ইসলামের আওয়ায সমুন্নত হলো; তারা কুফরী ও কাফিরদেরকে
পর্বুদন্থ করল ৷ মুশরিকদের অন্তর মুসলমানদের৩ ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ৷ মুসলমানগণ বিভিন্ন
এলাকার যেই দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন তা জয়লাভ করে নিতেন ৷ জিহাদেরত সৈন্যদের
মধ্যে পুণ্যবান, আওলিয়া এবং প্রবীণ তাবিঈগণের উলামায়ে কিরাম অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
প্রত্যেকটি সৈন্যদলেই এ ধরনের একটি বড় জামাআত যাকত, মহান আল্লাহ তাদের ওসীলায়
ইসলামের বিজয় দান করেন ৷

কুতায়বা ইবন মুসলিম তুর্কী শহরগুলোতে বিজয়ের ধ্বনি সমুন্নত রাখেন ৷ তিনি শত্রু
সেনাদ্দেরকে হত্যা করছিলেন, বন্দী করছিলেন এবং তাদের থেকে প্রচুর গনীমতের মাল অর্জ্যা
করছিলেন ৷ তিনি শহরের পর শহর জয় করছিলেন এমনকি চীনের সীমান্ত পর্যন্ত তিনি পৌছে
যান ণ্৷ সেখানকার বাদশাহর কাছে তিনি দুত পাঠান ৷ এতে ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে বাদশাহ তার কাছে
উপচৌকন হিসেবে প্রচুর সম্পদ প্রেরণ করেন এবং অত্যন্ত ক্ষমতা ও প্রচুর সৈন্য থাকা সাত্ত্বও
সদাচরণের খাতিরে তিনি দুত পাঠান ৷ এভাবে আশেপাশের বাদশাহগণ তার প্ৰতি ভীত হয়ে
কর আদায় করতে লাগলেন ৷ যদি হাজ্জাজ বেচে থাকত, তাহলে চীনের শহরগুলো হতে সৈন্য
প্রত্যাহার করা হত না এবং চীনের বাদশাহর সাথে মুসলমানদের সৌজন্য সাক্ষাত হতো ৷ কিন্তু
হাজ্জাজ য খন মারা যায়, তখন মুসলিম সৈন্যরা প্রত্যাবর্তন করেন ৷

তারপর কুতায়বা নিহত হন ৷ সম্ভবত কোন মুসলমানই তাকে হত্যা করে ৷ অন্যদিকে
মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, আমীরুল মু ’মিনীন আল-ওয়ালীব্বদ্যা ছেলে ও
তার অন্য তাই রোমের শহরগুলোতে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত ব্লেখেছিল ৷ তারা সিরিয়ার
সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল এবং তারা কুস্তানতীনয়া পৌছে যায় ৷ মাসলামাহ সেখানে একটি
জামে মসজিদ তৈরী করেন, যেখানে মহান আল্লাহর ইবাদত করা হয় ৷ ফ্রান্সের বাসিন্দাদের
অন্তর মুসলমানদের প্রতি ভীত-প্সস্ত্রস্ত হয়ে উঠে ৷ অন্যদিকে হাজ্জাজের ভাতিজ৷ মুহাম্মদ ইবন
কাসিম হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করছিল এবং বিভিন্ন শহর জয় করছিল ৷

মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরাঃলোতে যুদ্ধ করছিল বিভিন্ন শহর জয়লাভ করছিল, এবং
মিসরীয় শহরগুলােস্থতও জয় অব্যাহত ছিল ৷

এ এলাকাগুলোর বাসিন্দাগণ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় প্রবেশ করে এবং দেব-দেবীর পুজা
প্রত্যাহার করে ৷ এর পুর্বে সাহাবায়ে কিরাম হযরত উমর (না) ও হযরত উছমান (রা)-এর
যুগে এসব এলাকায় কিছু শহর জয় করে প্রবেশাধিকার অর্জন করেন ৷ তইি পরে মুসলমানগণ
বিরাট এলাকা যেমন সিরিয়া, মিসর, ইরাক, ইয়ামান ও তুর্কীয় প্রধান শহরগুলো জয় করেন ৷
তারা মাওরাউনৃনাহার’ ও মরক্কোর প্রধান শহরগুলো পর্যন্ত পৌছে যান ৷ রাসুপুল্লাহ্ (সা)-এর
হিজরতের পর থেকে প্রথম শতাব্দীতে বনু উমায়্যার খিলাফতের সমাপ্তি পর্যন্ত মুসলমানদের
মধ্যে জিহাদের চেতনা বিদ্যমান থাকে ৷ আবার বনু আব্বান্সের খিলাফতকালে যেমন খলীফা
মানসুর ও তার আওলাদ, খলীফা হারুনুর রশীদ ও তার আওলাদেৱ মধ্যে জিহাদের চেতনা
বিরাজমান ছিল ৷ মাহমুদ সুবুক্তগীন ও তার সন্তান, তা,দ্যো যুগে হিন্দুস্তানের বহু শহর জয়
করেন ৷ বনু উমায়্যা থােক যারা মরক্কোতে পালিয়ে গিয়েজ্যি ৷ তারা ফ্রান্সের ভুমিতে জিহাদের
চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছিল ৷ তারপর যখন এ সব এলাকায় জিহাদের চেতনা স্তিমিত হয়ে গেল ৷
ঐ সব এলাকা শত্রুদের দখলে চলে গেল এবং মুসলমানরা দুর্বল হয়ে পড়ল ৷ তারপর যখন


إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا دَخَلَهَا قُتَيْبَةُ دَخَلَهَا وَمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنَ الْأَبْطَالِ، وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ بُنِيَ الْمَسْجِدُ، وَوُضِعَ فِيهِ الْمِنْبَرُ، فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ وَخَطَبَ وَتَغَدَّى، وَأُتِيَ بِالْأَصْنَامِ الَّتِي لَهُمْ فَسُلِبَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأُلْقِيَتْ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ، حَتَّى صَارَتْ كَالْقَصْرِ الْعَظِيمِ، ثُمَّ أَمَرَ بِتَحْرِيقِهَا، وَقَالَ الْمَجُوسُ: إِنَّ فِيهَا أَصْنَامًا قَدِيمَةً مَنْ أَحْرَقَهَا هَلَكَ. وَجَاءَ الْمَلِكُ غَوْزَكُ فَنَهَى عَنْ ذَلِكَ، وَقَالَ لِقُتَيْبَةَ: إِنِّي لَكَ نَاصِحٌ. فَقَالَ: أَنَا أُحَرِّقُهَا بِيَدِي، ثُمَّ أَخَذَ شُعْلَةً مِنْ نَارٍ، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا، وَهُوَ يُكَبِّرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَلْقَى فِيهَا النَّارَ فَاحْتَرَقَتْ، فَوَجَدَ مِنْ بَقَايَا مَا كَانَ فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ خَمْسِينَ أَلْفَ مِثْقَالٍ مِنْ ذَهَبٍ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا أَصَابَ قُتَيْبَةُ فِي السَّبْيِ جَارِيَةً مِنْ وَلَدِ يَزْدَجِرْدَ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْحَجَّاجِ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْوَلِيدِ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى قُتَيْبَةُ بِأَهْلِ سَمَرْقَنْدَ فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي لَا أُرِيدُ مِنْكُمْ أَكْثَرَ مِمَّا صَالَحْتُكُمْ عَلَيْهِ، وَلَكِنْ لَا بُدَّ مِنْ جُنْدٍ يُقِيمُونَ عِنْدَكُمْ مِنْ جِهَتِنَا، فَانْتَقَلَ عَنْهَا مَلِكُهَا غَوْزَكُ خَانَ فَتَلَا قُتَيْبَةُ: {وَأَنَّهُ أَهْلَكَ عَادًا الْأُولَى وَثَمُودَ فَمَا أَبْقَى} [النجم: 50] (النَّجْمِ: 50، 51) الْآيَاتِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ عَنْهَا قُتَيْبَةُ إِلَى بِلَادِ مَرْوَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى سَمَرْقَنْدَ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُسْلِمٍ، وَقَالَ لَهُ: لَا تَدَعَنَّ مُشْرِكًا يَدْخُلُ بَابَ سَمَرْقَنْدَ إِلَّا مَخْتُومَ الْيَدِ، ثُمَّ لَا تَدَعْهُ بِهَا إِلَّا مِقْدَارَ مَا تَجِفُّ طِينَةُ خَتْمِهِ، فَإِنْ جَفَّتْ وَهُوَ بِهَا فَاقْتُلْهُ، وَمَنْ رَأَيْتَهُ مِنْهُمْ وَمَعَهُ حَدِيدَةٌ أَوْ سِكِّينَةٌ فَاقْتُلْهُ بِهَا، وَإِذَا أَغْلَقْتَ الْبَابَ فَوَجَدْتَ بِهَا أَحَدًا مِنْهُمْ فَاقْتُلْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৩


এটা প্রমাণিত যে, তার মাতা তাকে নিয়ে অন্য এক বর্ণনায় তার চাচা, মায়ের স্বামী আবু
তাল;হা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! এর নাম
আনাস, বুদ্ধিমান, আপনার খিদমত করবে ৷ তিনি তাকে এ কাজের জন্য দান করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (যা) তাকে গ্রহণ করেন ৷ তার যা তার জন্যে দু আ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
অনুরোধ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু আ করলেন গ্রষ্৷ , ষ্টুএটুপ্রু ৰু৷ ৷ ঢ় ,£ ৷ স্পোা৷ ৷
ধ্ন্! ৷ হে আল্পাহ্! তার সম্পদ বৃদ্ধি করুন তার আওলাদ বৃদ্ধি করুন এবংজ জান্নাতে তাকে

দাখিল করুন ৷

হযরত আনাস (বা) হতে বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি
খেজুর গাছ দান করেছিলেন ৷ তার থেকে আমি ফল সংগ্রহ করতাম ৷ হযরত আবু বকর (রা)
এরপরে হযরত উমর (রা) তাকে বাহরায়ন প্রদেশের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন এবং উত্তম
সেবার জন্যে তাকে তারা ধন্যবাদ দিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনৃতিকালের পর তিনি
বসরায় বসবাস করেন ৷ সেখানে তার চারটি বাড়ী জ্যি ! হাজ্জাজ তাকে কষ্ট দিয়েছিল ৷ আর
এটা ঘটেছিল ইব ন আশআছের সমস্যার সময় ৷ হাজ্জাজ ধারণা করেছিল, এ ব্যাপারে আনাস
(রা)-এর হাত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে তিনি ফাতওয়া প্রদান করেছেন ৷ ’হাজ্জাজ তার গর্দানে
ষোহর £মরেছিল ৷ এটা ছিল হাজ্জাজের ধৃষ্টতা ৷ আনাস (বা) খলীফা আবদুল মালিকের কাছে
অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ এ ব্যাপারে পুর্বে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷ হাজ্জাজের কাছে
আবদুল মালিক কঠোর ভাষায় পত্র লিখেছিলেন ৷ ফলে হাজ্জাজ ডীত হয়েছিল এবং আনাস
(রা)-এর সাথে সন্ধি করেছিল ৷ খলীফা আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের আমলে হযরত
ন্নড়াস (বা) প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে তার দরবারে এসেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ৯২
হিজরীতে এ ঘটনা ঘটেছিল ৷ তিনি দামেস্কের জামে মসজিদ তৈরী করছিলেন ৷ মাকহ্ন৷ (র)
বলেন, আমি দামেস্কের মসজিদে হযরত আনাস (রা)-কে হাটতে দেখেছি ৷ তিনি বলেন, আমি
তার কাছে গেলাম এবং জানাযার সালাতের পর উয়ু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন,
এরপর কোন উয়ু করতে হবে না ৷ আল-আওযায়ী (র) বলেন : ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আবুল মুহাজির আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, একবার আল ওয়ালীদের কাছে
আনাস (বা) আগমন করেন ৷ তাকে আল-ওয়ালীদ বলেন, কিয়ামত সম্পর্কে তুমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে কিছু বলতে শুনেছ ? তিনি বললেন “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি
বলতেন, তোমরা ও কিয়ামতের মাঝে এ দুই আঙ্গুলেৱ মত ফারাক ৷” আবদুর রাজ্জাক ইবন
উমর, ইসমাঈল হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আনাস (বা) ৯২ হিজরীতে
আল ওয়ালীদের দরবারে এসেছিলেন ৷ হযরত আনাস (মা) ও তা উল্লেখ করেছিলেন ৷ ইমাম
আয-যুহরী (র) বলেন, “আমি দামেস্কে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) এর কাছে উপস্থিত
ছিলাম ৷ তিনি কাদছিলেন ৷ আমি বললাম, আপনি কেন র্কাদছেন ? তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা)ও তার সাহাবীগণ যে রুপ সালাত (সময়মত) আদায় করতেন সেই সালাতের সাথে
তোমাদের এ সালাতের কোন মিল আমি পাই না ৷ দেরীতে সালাত আদায় করার অভ্যাস
তোমরা গড়ে তুলেছ ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেহ্নেৰ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যামানার
সালাত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ বনু উমাইয়ার খলীফারা সম্ভাব্য শেষ সময় পর্যও সালাতকে
বিলম্ব করে আদায় করতেন ৷ হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয (ব) ব্যতীত তারা সকলেই সব

সময় বিলম্বে সালাত আদায় করতেন ৷


فَقَالَ فِي ذَلِكَ كَعْبٌ الْأَشْقَرِيُّ، وَيُقَالُ: هِيَ لِرَجُلٍ مِنْ جُعْفِيٍّ: كُلَّ يَوْمٍ يَحْوِي قُتَيْبَةُ ... نَهْبًا وَيَزِيدُ الْأَمْوَالَ مَالًا جَدِيدَا بَاهِلِيٌّ قَدْ أُلْبِسَ التَّاجَ حَتَّى ... شَابَ مِنْهُ مَفَارِقٌ كُنَّ سُودَا دَوَّخَ الصُّغْدَ بِالْكَتَائِبِ ... حَتَّى تَرَكَ الصُّغْدَ بِالْعَرَاءِ قُعُودَا فَوَلِيدٌ يَبْكِي لِفَقْدِ أَبِيهِ ... وَأَبٌ مُوجَعٌ يُبَكِّي الْوَلِيدَا كُلَّمَا حَلَّ بَلْدَةً أَوْ أَتَاهَا ... تَرَكَتْ خَيْلُهُ بِهَا أُخْدُودَا وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ نَائِبَ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مَوْلَاهُ طَارِقًا عَنِ الْأَنْدَلُسِ، وَكَانَ قَدْ بَعَثَهُ إِلَى مَدِينَةِ طُلَيْطِلَةَ فَفَتَحَهَا، فَوَجَدَ فِيهَا مَائِدَةَ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَفِيهَا مِنَ الذَّهَبِ وَالْجَوَاهِرِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا، فَبَعَثُوا بِهَا إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَمَا وَصَلَتْ إِلَيْهِ حَتَّى مَاتَ فِيمَا قِيلَ فَقَدِمَ بِهَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৪


বললেন, তাহলে আমি হাওযের কাছে অর্থাৎ হাওয়ে কাওছারের নিকট থাকর ৷ কিয়ামতের দিন
এ তিনটি জায়গার যে কোন একটিতে আমি থাকতে ভুলব না ৷” ইমাম তিরমিযী (র) ও
অন্যগণ হারব ইবন মায়নুন থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ
’হাদীস হাসান বা উত্তম এবং গারীব বা কোন এক পর্যায়ে বর্ণনাকারীর সংখ্যা মাত্র একজ্যা ৷
বর্ণনার এই ধারা ব্যতীত অন্য কোন ধারায় হাদীস প্রসিদ্ধ নয় ৷

আল্লামা শুবা, ছাবিত (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (বা)
বলেছেন, “আমি কারোর সালাত, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সালাতের সাথে ইবন উম্মে সুলায়ম
অর্থাৎ আনাস ইবন মালিকের সালাতের চেয়ে অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ দেখতে পইিনি ৷ ’

ইবন সীরীন (র) বলেন : হযরত আনাস (রা) ছিলেন মুকীম ও ভ্রমণ অবস্থায় সালাতের
ব্যাপারে উৎকৃষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) বলেছেন : আমার থেকে সালাত শিখে নাও ৷
কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে সালাত শিখেছি ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) শিখেছেন আল্পাহ্
তাআলা হত্বে ৷ বর্তমানে আমার চেয়ে অধিক বিশ্বন্থ আর তুমি কাউকে পাবে না ৷ মু’তামার
ইবন সুলায়মান, তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-ণ্ক বলতে
শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “আমি ব্যতীত দুই কিবলার দিকে সালাত অদােয়কারী বর্তমানে আর
কেউ দুনিয়াতে বাকী নেই ৷ “মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, “আফফান আমাকে আবু জানার নামী
এক ওস্তাদ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আল-হরীিরীকে বলতে শুনেছি,
তিনি বলেন, “একদিন আনাস (রা)-ণ্ক “যাতে ইরক” নামক জায়গা থেকে হাজ্জর জন্য
ইহ্রাম বাধতে দেখেছি ৷ কিন্তু, হালাল হওয়া পর্যন্ত তাকে মহান আল্লাহর যিকির ব্যতীত কোন
কথা বলতে শুনি নাই ৷ তিনি আমাকে বললেন, “হে ভাতিজা ! এভাবে ইহ্রাম বীধতে হয় ৷ ”

সালিহ্ ইবন ইব্রাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ বলেন, এক জুযুআর দিন হযরত
আনাস (রা) আমাদের কাছে গমন করেন ৷ আর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কোন এক ত্রীর
ঘরে কথা বলছিলাম ৷ তিনি তখন আমাদেরকে বললেন, থামুন’ ৷ তারপর সালাত কায়েম করা
হলো ৷ তিনি বললেন, আমি ভয় করছি যে, থাযুন কথার দ্বারা আমি তো আমার জুমুআর
সালাত বাতিল করে দেইনি ৷

ইবন আবুদ্ দুনিয়া বলেন, বাশার ইবন মুসা আল খাফাফ, জা ফর ইবন সৃলায়মানের
মাধ্যমে ছাবিত হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন৪ আমি হযরত আনাস (রা) এর সাথে
ছিলাম ৷ তখন নিরাপত্তা মহিলা কর্মী এসে বলল, ণ্হ আবু হামযা ! পৃথিবী তৃষ্ণান্থ হয়ে পড়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত আনাস (রা) এ কথা শুনে উঠে পড়লেন, উয়ু করলেন এবং মাঠের
দিকে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তিনি দুই রাকাআত সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর দুঅ৷ করলেন ৷
আকাশে মেঘ ভারী হতে দেখলাম ৷ তারপর প্রচুর বৃষ্টি হলো এবৎ আমাদের মনে হতে লাগল,
সব কিছু যেন বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে ৷ যখন বৃষ্টি থামল, তখন হযরত আনাস (রা) তার
পরিবারের একজনকে প্রেরণ করেন এবং বলেন, দেখত বৃষ্টি আকাশের কতদুর পর্যন্ত গড়িয়েছে
? তিনি দেখলেন এবং বললেন, পৃথিবীর সামান্য অংশে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন : মুআয ইবন আগুনের মাধ্যমে মুহাম্মদ (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) যখন রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে ণ্কান হাদীস বর্ণনা করতেন,
তখন ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে যেতেন এবৎ হাদীস বর্ণনার শেষে বলতেন <র্দুপু ৷ ,া, , হ্া ৷ট্রুৰু , ৷
ণ্;াণ্ অর্থাৎ কিৎব৷ যেরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ৷


وَفِيهَا قَحَطَ أَهْلُ إِفْرِيقِيَّةَ وَأَجْدَبُوا جَدْبًا شَدِيدًا، فَخَرَجَ بِهِمْ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ يَسْتَسْقِي بِهِمْ، فَمَا زَالَ يَدْعُو حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَنْزِلَ عَنِ الْمِنْبَرِ قِيلَ لَهُ: أَلَا تَدْعُو لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: لَيْسَ هَذَا الْمَوْضِعُ مَوْضِعَ ذَاكَ. فَسَقَاهُمُ اللَّهُ مَطَرًا غَزِيرًا. وَفِيهَا ضَرَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ خُبَيْبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ خَمْسِينَ سَوْطًا بِأَمْرِ الْوَلِيدِ لَهُ بِذَلِكَ، وَصَبَّ فَوْقَ رَأْسِهِ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ بَارِدٍ فِي يَوْمٍ شَاتٍ، وَأَقَامَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ يَوْمَهُ ذَلِكَ فَمَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ مَوْتِ خُبَيْبٍ شَدِيدَ الْخَوْفِ لَا يَأْمَنُ، وَكَانَ إِذَا بُشِّرَ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ يَقُولُ: وَكَيْفَ وَخُبَيْبٌ لِي بِالطَّرِيقِ؟ وَفِي رِوَايَةٍ يَقُولُ: هَذَا إِذَا لَمْ يَكُنْ خُبَيْبٌ بِالطَّرِيقِ، ثُمَّ يَصِيحُ صِيَاحَ الْمَرْأَةِ الثَّكْلَى، وَكَانَ إِذَا أُثْنِيَ عَلَيْهِ يَقُولُ: خُبَيْبٌ وَمَا خُبَيْبٌ! إِنْ نَجَوْتُ مِنْهُ فَأَنَا بِخَيْرٍ. وَمَا زَالَ عَلَى الْمَدِينَةِ إِلَى أَنْ ضَرَبَ خُبَيْبًا فَمَاتَ، فَاسْتَقَالَ وَرَكِبَهُ الْحُزْنُ وَالْخَوْفُ مِنْ حِينِئِذٍ، وَأَخَذَ فِي الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ وَالْبُكَاءِ، وَكَانَتْ تِلْكَ هَفْوَةً مِنْهُ وَزَلَّةً، وَلَكِنْ حَصَلَ لَهُ بِسَبَبِهَا خَيْرٌ كَثِيرٌ; مِنْ عِبَادَةٍ وَبُكَاءٍ وَحُزْنٍ وَخَوْفٍ وَإِحْسَانٍ وَعَدْلٍ وَصَدَقَةٍ وَبِرٍّ وَعِتْقٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَفِيهَا افْتَتَحَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ وَهُوَ ابْنُ عَمِّ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ مَدِينَةَ الدَّيْبُلِ وَغَيْرَهَا مِنْ بِلَادِ الْهِنْدِ، وَكَانَ قَدْ وَلَّاهُ الْحَجَّاجُ غَزْوَ الْهِنْدِ، وَعُمْرُهُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৫


মুলাকাত করেন এবং বলেন, “আমার ও আপনার উদাহরণ হলো উত্তম প্রতিবেশীর ন্যায়, উভয়ে
একে অন্যের অনুগত থাকব ৷ এ নিয়ে যেন আমাদের মধ্যে আর কোন প্রকার কথা না উঠে ৷”

ইবন কুতায়ব৷ বলেনং হাজ্জাজ আনাস (রা) কে মন্দ কথা বলার পর আবদুল মালিক
হাজ্জ জ্জাজের কাছে পত্র লিখেনং

০০০০০

অর্থাৎ যার ত্রী-অঙ্গ সঙ্গমের সময় সং চিত হয়ে যায় তার সন্তান! তোমাকে আমি এমন
এক লাথি দেবার ইচ্ছে পোষণ করি যার মাধ্যমে তুমি জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হবে,তু মি
ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন দুই চোখের অধিকারী, বীক৷ দুই পাওয়ালা ও দুইটি কালো নিতন্বের ধারক!
তোমাকে আল্লাহ ধ্বংস করুন ৷ ” ,

আহমদ ইবন সালিহ্ আল আজালী বলেনং কোন সাহাবী তার কোন ত্রুটির কথা
বলেননি, শুধু৩ তার দুটো পা বাকা ছিল তাতে ছিল কুষ্ঠরোগ ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) এর
পায়ে ছিল সাদা সাদা দাগ ৷

আল হুমায়দী আবু জাফর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আমি আনাস (না)-কে
বড় বড় লুকমাহ্ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে দেখেছি ৷ আর তার গায়ের মধ্যে বহু সাদা সাদা দাগ-
দেখতে পেয়েছি ৷

আবু ইয়ালা বলেন ং আবদুল্লাহ ইবন মুআয ইবন ইয়াযীদ, আয়ুব্রব হতে ৩বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেনং সিয়াম পালন করার ফলে আনাস (রা) দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন ৷ত তারপর তিনি
খাদ্য প্রস্তুত করতে নির্দেশ দািলন এবং ত্রিশজন মিসকীনকে দাওয়াত করলেন ও তাদেরকে
খাদ্য খেতে দিলেন ৷ এ হাদীস ইমাম বুখারী সনদবিহীন তালীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷
অবশ্য তা সনদযুক্ত হাদীসের ন্যায় মুহাদ্দিসীনের কাছে গ্রহণযোগ্য ৷

শুবা, মুসা আস-সুনৃবুলাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন৪ আমি হযরত আনাস
(রা) কে বললাম, আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবিত সাহাবীদের মধ্যে সর্বশেষ সাহাবী ?
তিনি বললেন, মরুবাসীদের অনেকেই জীবিত আছেন ৷ তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণের
মধ্যে আমিই জীবিত সর্বশেষ সাহাবী ৷ তিনি যখন পীড়িত তখন তাকে বলা হয়েছিল, আপনার
জন্যে কি একজন চিকিৎসক ডেকে আনব না ? তিনি বলেন : চিকিৎসকই আমাকে পীড়িত
করেছেন ৷ তিনি আরো বলতেন : আমাকে মৃত্যুর সময় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর তালকীন
দেবে ৷ তখন তিনি ছিলেন মৃত্যু শয্যায় ৷ এ কথা বলতে বলতে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন ৷ তীর
কাছে ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেওয়া একটি ছেটি যষ্টি ৷ তার আদেশ মুতাবিক তার সাথে
এটাকেও দাফন করা হয়েছিল ৷ উমর ইবন শাব্বাহ ও অন্যরা বলেন, আনাস (রা) যখন
ইন্তিকাল করেন তখন তার বয়স ছিল একশত সাত বছর ৷ ইমাম আহমদ তার মাসনাদ
নামক কিভাবে বলেন : মুতামির ইবন সুলায়মান, হুমাইদ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ও
আসাম (বা) ৯৪ বছর জীবিত ছিলেন ৷ আল্লাম৷ আল ওয়াকিদী বলেন : বসরা শহরে তিনি
সর্বশেষ সাহাবী হিসেবে ইনৃতিকাল করেন ৷ অনুরুপ বলেছেন আলী ইবনুল মাদায়নী এবং
আল-ফাল্লাস ও অন্যগণ ৷ তার ইন্তিকালের বছর নিয়ে ঐতিহাসিকগণ মতভেদ করেছেন ৷
কেউ কেউ বলেন, ৯০ হিজরী কেউ কেউ বলেন; ৯১ হিজরী ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯২
হিজরী ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯৩ হিজরী এবং এটাই প্রসিদ্ধ ৷ জমহুর উলামা এ অভিমত
পেশ করেহ্নে৷ ৷


سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَسَارَ فِي الْجُيُوشِ فَلَقُوا الْمَلِكَ دَاهِرَ وَهُوَ مَلِكُ الْهِنْدِ فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ، وَمَعَهُ سَبْعَةٌ وَعِشْرُونَ فِيلًا مُنْتَخَبَةً، فَاقْتَتَلُوا فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ، وَهَرَبَ الْمَلِكُ دَاهِرُ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ أَقْبَلَ الْمَلِكُ وَمَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ جِدًّا، فَأَحَاطُوا بِالْمُسْلِمِينَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ الْمَلِكُ دَاهِرُ وَغَالِبُ مَنْ مَعَهُ، وَتَبِعَ الْمُسْلِمُونَ مَنِ انْهَزَمَ مِنَ الْهُنُودِ فَقَتَلُوهُ، ثُمَّ سَارَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ فَافْتَتَحَ مَدِينَةَ الْكَيْرَجِ وَبَرَّهَا، وَرَجَعَ بِغَنَائِمَ كَثِيرَةٍ وَأَمْوَالٍ لَا تُحْصَى كَثْرَةً; مِنَ الْجَوَاهِرِ وَالذَّهَبِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَفِيهَا عَزَلَ الْوَلِيدُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ يُخْبِرُهُ عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَنَّهُمْ فِي ضَيْمٍ وَضِيقٍ مَعَ الْحَجَّاجِ مِنْ ظُلْمِهِ وَغَشْمِهِ، فَسَمِعَ بِذَلِكَ الْحَجَّاجُ فَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ: إِنَّ عُمَرَ ضَعِيفٌ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَإِنَّ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِ الشَّرِّ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَدْ لَجَأُوا إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ، وَهَذَا وَهْنٌ وَضَعْفٌ فِي الْوِلَايَةِ، فَاجْعَلْ عَلَى الْحَرَمَيْنِ مَنْ يَضْبِطُ أَمْرَهُمَا. فَوَلِّ عَلَى الْمَدِينَةِ عُثْمَانَ بْنَ حَيَّانَ، وَعَلَى مَكَّةَ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ، فَفَعَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ الْحَجَّاجُ، فَخَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي شَوَّالٍ فَنَزَلَ السُّوَيْدَاءَ، وَقَدِمَ عُثْمَانُ بْنُ حَيَّانَ الْمَدِينَةَ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ.