আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৩২৯

তারা তাকে বরখাস্ত করে এবং তারঘুন খানের ভাই সুরাক খানকে তারা তাদের আমীর নিযুক্ত
করে ৷ তারপর তারা বিদ্রোহ করে ও চুক্তি তংগ করে ৷ তাদের পরবর্তী সংবাদ পরে বর্ণিত
হবে ৷

, এ বছরেই কুতায়বা সিজিস্তানে যুদ্ধ করেন ৷ উদ্দেশ্য হলো ভুর্ক আজমের বাদশাহ
রুতবীলকে পরাস্ত করা ৷ তখন তিনি রুতবীলের প্রথম রাজ্যে পৌছেন, তখন তার দুতগণ
কুতারবার কাছে পৌছে প্রচুর সম্পদ, ঘোড়া, গোলাম ও শাহী মহিলাদের বিনিময়ে সন্ধির
প্রস্তাব পেশ করে ৷ তখন তিনি রুতবীলের সাথে সন্ধি করেন ৷ এ বছরেই পবিত্র মদীনায় নইিব
উমর ইবন আবদুল আযীয লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ এবছরে যে সব ব্যক্তিতু ,
ইনৃতিকাপ্স করেন ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আবু সাঈদ মালিক ইবন আওস ইবন আল
হাদছান আননাযরী আলমাদানী ৷ তার সাহাবী হওয়ার ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মাঝে

মতবিরোধ রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি জাহিলিয়াতের যুগে সাওয়ারীতে আরোহণ
করেছেন এবং হযরত আবু বাকর সিদ্দীক (রা)-কে দেখেছো ৷ মুহাম্মদ ইবনসাদ (র) বলেন,
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক দেখেছেন ৷ তবে রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে তিনি কোন হাদীস সংগ্রহ
করেন নাই ৷ ইবনু মুঈন, ইমাম বুখারী এবং আবু হাতিম এ অভিমতে র বিরোধিতা করেন ৷
ঐতিহাসিকগণ মনে করেন, তার সাহাবী হওয়ার ব্যাপারটি শুদ্ধ নয় ৷ তিনি এ বছরেই
ইনুতিকাস করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, পুর্ববর্তী বছর তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান
আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ণ্ তুওনারস্ দাস্-মুপলী
তীর পুর্ণ নাম আবু আবদুল যুনইম ঈসা ইবন আবদুল্লাহ আল-মাদানী, বনু মাখযুমের
মিত্র ৷ তিনি তার পেশার ছিলেন দক্ষ ৷ তিনি ছিলেন অস্বাভাবিক লম্বা ও টেরাচক্ষু বিশিষ্ট ৷ তিনি
ছিলেন অপয়া ৷ কেননা, যেদিন রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইনৃতিকাল করেন তিনি ঐদিন জন্মগ্রহণ
করেন ৷ যেদিন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইনৃতিকাল করেন তিনি ঐদিন থেকে মাতৃদুগ্ধ
ছেড়েছিলেন ৷ যে দিন হযরত উমর (রা) শহীদ হন, তিনি ঐদিন বয়ােপ্রাপ্ত হন ৷ যেদিন হযরত
উছমান (রা) শহীদ হন তিনি সেদিন বিয়ে করেন ৷ যেদিন হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) শাহাতে
বরণ করেন, সেদিন তার প্রথম সন্তান জন্ম নেয় ৷ কেউ কেউ বলেন, যেদিন হযরত আ ৷লী (রা)
শহীদ হন, সেদিন তার প্রথম সন্তান জন্ম নেয় ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি ইবন খাল্লিকান ও অন্যরা
পেশ করেন ৷ এ বছরেই তিনি ৮২ বছর বয়সে সাবীদে ইনৃতিকাল করেন যা পবিত্র মদীণ্ম্ ৷
থেকে ৩২ মাইল দুরে অবস্থিত ৷
আল-আখতাল ছিলেন একজন পুর্ণাৎগ করি ৷ কবিতায় তিনি তার সমকালীন কবিদের
, মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ৷

৯৩ হিজরীর প্রারশু

এ বছরেই মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক রোম সাম্রাজেব্রর বহু দুর্গ জয় করেন ৷

এগুলোর মধ্যে আল-হাদীদ, পাযালা, মনসা ইত্যাদি প্রসিদ্ধ ৷ এ বছরেই আল আব্বাস ইবন

, আল ওরনীিদ যুদ্ধ করেন ও সামসাভীয়৷ জয়লাভ করেন ৷ এ বছর মারওয়ান ইবন আল ওয়ালীদ

রোমে যুদ্ধ করেন ৷ এবং হানজারাহ পর্যন্ত পৌছেন ৷ এ বছরেই খাওয়ারিযম শাহ কুতায়বার

কাছে পত্র শিখে সন্ধির দিকে আহবান করেন এ শর্তের উপর যে, তিনি তার দেশের কয়েকটি
শহর তাকে প্রদান করবেন ৷ আর তাকে বহু সম্পদ ও গোলাম প্রদান করার অ গীক৷ ৷র করেনএ


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] وَفِيهَا افْتَتَحَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حُصُونًا كَثِيرَةً مِنْ بِلَادِ الرُّومِ; مِنْهَا حِصْنُ الْحَدِيدِ، وَغَزَالَةُ، وَمَاسَةُ، وَغَيْرُ ذَلِكَ، وَفِيهَا غَزَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ فَفَتَحَ سَبَسْطِيَةَ، وَفِيهَا غَزَا مَرْوَانُ بْنُ الْوَلِيدِ الرُّومَ حَتَّى بَلَغَ خَنْجَرَةَ. وَفِيهَا كَتَبَ خَوَارِزْمُ شَاهْ إِلَى قُتَيْبَةَ يَدْعُوهُ إِلَى الصُّلْحِ، وَأَنْ يُعْطِيَهُ مِنْ بِلَادِهِ مَدَائِنَ، وَأَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ أَمْوَالًا وَرَقِيقًا كَثِيرًا عَلَى أَنْ يُقَاتِلَ أَخَاهُ، وَيُسَلِّمَهُ إِلَيْهِ، فَإِنَّهُ قَدْ أَفْسَدَ فِي الْأَرْضِ وَبَغَى عَلَى النَّاسِ، وَعَسَفَهُمْ، وَكَانَ أَخُوهُ هَذَا لَا يَسْمَعُ بِشَيْءٍ حَسَنٍ عِنْدَ أَحَدٍ إِلَّا بَعَثَ إِلَيْهِ فَأَخَذَهُ مِنْهُ، سَوَاءٌ كَانَ مَالًا أَوْ نِسَاءً أَوْ صِبْيَانًا أَوْ دَوَابَّ أَوْ غَيْرَهُ، فَأَقْبَلَ قُتَيْبَةُ نَصَرَهُ اللَّهُ فِي الْجُيُوشِ فَسَلَّمَ إِلَيْهِ خَوَارِزْمُ شَاهْ مَا صَالَحَهُ عَلَيْهِ، وَبَعَثَ قُتَيْبَةُ إِلَى بِلَادِ أَخِي خَوَارِزْمَ شَاهْ جَيْشًا، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا وَأَسَرُوا أَخَاهُ وَمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافِ أَسِيرٍ، فَدَفَعَ أَخَاهُ إِلَيْهِ وَأَمَرَ قُتَيْبَةُ بِالْأُسَارَى فَضُرِبَتْ أَعْنَاقُهُمْ بِحَضْرَتِهِ; قَتَلَ أَلْفًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَلْفًا عَنْ يَمِينِهِ، وَأَلْفًا عَنْ شِمَالِهِ، وَأَلْفًا مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ; لِيُرْهِبَ بِذَلِكَ الْأَعْدَاءَ مِنَ الْأَتْرَاكِ وَغَيْرِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩০

শর্তের উপর যে, কুতায়বা তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও পরাস্ত করে তার ভাইকে তার
কাছে সোপর্দ করবেন ৷ কেননা, সে ইতোমধ্যে দেশে বিশৃৎখলা সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের
প্রতি যুলুম ও নির্যাতন করেছে ৷ আর তার ভাইটির জঘন্য অভ্যাস ছিল, যখনই সে শুনত যে,
কারোর কাছে কোন একটি ভাল জিনিস আছে, সেখানে সে লোক প্রেরণ করত এবং তার
থেকে তা ছিনিয়ে নিত, ঐ বস্তুটি সম্পদ হোক কিত্বা মহিলা হোক কিৎবা ছোল-মেয়ে হোক
কিংবা চতুষ্পদ ত্তস্থে হোক কিংবা অন্য কিছু হোক ৷ কুতায়বা তার সাহায্য করার জহ্বন্য এগিয়ে
আসলেন এবং আল্লাহ তাআলা তাকে বিজয় দান করলেন ৷ তখন খাওয়ারিযম শাহ যেসব
জিনিসের শর্তে সন্ধি করেছিলেন তার সব কিছুই কুতায়বার কাছে সমর্পণ করেন ৷ কুতায়বাহ্
খাওয়ারিযম শাহের ভাইয়ের শহভৈর সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা শত্রুদের বহু লোককে হত্যা
করে, তার ভাইকে বন্দী করে যার সাথে ছিল চার হাজার প্রবীণ বন্দী এবং তাকে তার ভইিয়ের
কাছে সোপর্দ করে ৷ তুর্কী ও অন্যান্য দুশমনদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করার জন্যে কুতায়বা বন্দীদের
সম্পর্কে আদেশ দিলেন যে, তাদেরকে হত্যা করা হোক : তার সামনে দুই হাজার, ডানে দুই
হাজার, বামে দুই হাজার এবং পিছনের দিক দিয়ে দুই হাজারকে যেন হত্যা করা হয় ৷ আর
তইি করা হলো ৷

সমরকন্দ বিজয়

উপরোক্ত কার্যকলাপ থেকে কুতায়বা যখন অবসর গ্রহণ করেন, তখন তিনি তার দেশে
ফিরে যাওয়ার মনস্থু করেন ৷ তখন তাকে একজন আমীর বললেন, সুপদেৱ বাসিন্দারা
আপনাকে শুধু এ এক বছরের জন্যেই নিরাপত্তা দিয়েছে ৷ এখন যদি আপনি তাচদ্যা দিকে
অগ্রসর হতে চান এ অবস্থায় যে, তারা তা জানে না তাহলে এখনই সময়ং৷ আপনি যদি তা
করেন তাহলে চিরদিনের জন্য আপনি তা নিয়ে নিতে পারেন ৷ কুতায়বা তখন এ আমীরাক
বললেন, তুমি কি একথাটি কাউকে বলেছ ? সে বলল, না’ ৷ কুতায়বা বললেন, যদি একথাটি
কেউ তোমার থেকে শুনে থাকে, তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ তারপর কুতইিৰা তার
ভইি আবদুর রহমান, ইবন মুসলিমকে ২০ (বিশ) হাজার সৈন্য সহ সামনের দিকে প্রেরণ
করেন ৷ তার তাই তার পুর্বেই সমরকন্দ পৌছে ৷ অবশ্য কুতায়বা বাকী সৈন্যদ্যোকে নিয়ে তার
সাথে মিলিত হন ৷ ভুর্কীরা যখন তাদের দিকে মুসলমানদের আগমনের কথা শুনল, তখন তারা
তাদের সাহসী বাদশাহ্ ও আমীরদের সম্ভানদেরকে তাদের মধ্য থেকে নির্বাচন করলেন এবং
তাদেরকে আদেশ করলেন যেন তারা রাতের অন্ধকারে কুতায়বার দিকে অগ্রসর হন ৷ এবং
মুসলিম সৈন্যদের ছিন্নভিন্ন করে দেন ৷ তাদের এ দুরভিসন্ধির সংবাদ যখন কুতায়বার কাছে
পৌছে তখন তিনি তার ভাই সালিহ্কে ছয়শত সাহসী অশ্বারোহী সৈন্য সহকারে প্রেরণ করেন
এবং নির্দেশ দেন যে, “তাদেরকে রাস্তায় পাকড়াও কর ৷ ” তখন তারা অগ্রসর হলো এবং তারা
রাস্তার মধ্যে দাড়িয়ে গেল ৷ আর তারা নিজেদেরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করল ৷ তখন শত্রু
সৈন্যরা রাতের অন্ধকারে তাদেরকে অতিক্রম করতে যাচ্ছিল, তারা মুসলিম সৈন্যদের উপস্থিতি
সম্বন্ধে পুরাপুরি অজ্ঞ ছিল, তখনই মুসলিম সৈন্যরা তাদের উপর হামলা চালাল ও তাদেরকে
হত্যা করল ৷ মাত্র কিছু সংখ্যক তুর্কী সৈন্য বাকী রইল এবং তারা নিহত সৈন্যদের মাথা কেটে
নিল ও তাদের সাথে সোনা দিয়ে মােড়ানাে যে সব হাতিয়ার ছিল এবং আসবাবপত্র ছিল তারা
সবকিছু গনীমত হিসেবে লাভ করল ৷ তাদের কেউ কেউ তাদেরকে বলল, তোমরা জেনে
রেখো, এ জায়গায় তোমরা যাদেরকে হত্যা করেছ তারা সকলেই রাজপুত এবং হাতে গোনা
সাহসী একশত কিংবা এক হাজার অশ্বারোহী সৈন্য ৷ তখন কুতায়বা শত্রু সৈন্যদের থেকে প্রাপ্ত
সমুদয় স্বর্ণও অক্কুদ্বশস্ত্র গনীমত হিসেবে মুসলিম সেনাদেরকে অর্পণ করেন এবং সুগদের বড় শহর
সমরকন্দের নিকটবর্তী হলেন ৷ সেখানে পাথর নিক্ষেপণ যন্ত্র স্থাপন করেন এবং প্রস্তর নিক্ষেপ


[فَتْحُ سَمَرْقَنْدَ] وَذَلِكَ أَنَّ قُتَيْبَةَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ هَذَا كُلِّهِ، وَعَزَمَ عَلَى الرُّجُوعِ إِلَى بِلَادِهِ، قَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: إِنَّ أَهْلَ الصُّغْدِ قَدْ أَمِنُوكَ عَامَكَ هَذَا، فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَعْدِلَ إِلَيْهِمْ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ، فَإِنَّكَ مَتَى فَعَلْتَ ذَلِكَ أَخَذْتَهَا إِنْ كُنْتَ تُرِيدُهَا يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ. فَقَالَ قُتَيْبَةُ لِذَلِكَ الْأَمِيرِ: هَلْ قُلْتَ هَذَا لِأَحَدٍ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَلَئِنْ يَسْمَعْهُ مِنْكَ أَحَدٌ أَضْرِبْ عُنُقَكَ، ثُمَّ بَعَثَ قُتَيْبَةُ أَخَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مُسْلِمٍ بَيْنَ يَدَيْهِ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا، فَسَبَقَهُ إِلَى سَمَرْقَنْدَ، وَلَحِقَهُ قُتَيْبَةُ فِي بَقِيَّةِ الْجَيْشِ، فَلَمَّا سَمِعَتِ الْأَتْرَاكُ بِقُدُومِهِمْ إِلَيْهِمُ انْتَخَبُوا مِنْ بَيْنِهِمْ كُلَّ شَدِيدِ السَّطْوَةِ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ وَالْأُمَرَاءِ، وَأَمَرُوهُمْ أَنْ يَسِيرُوا إِلَى قُتَيْبَةَ فِي اللَّيْلِ، فَيَكْبِسُوا جَيْشَ الْمُسْلِمِينَ، وَجَاءَتِ الْأَخْبَارُ إِلَى قُتَيْبَةَ بِذَلِكَ، فَجَرَّدَ أَخَاهُ صَالِحًا فِي سِتِّمِائَةِ فَارِسٍ مِنَ الْأَبْطَالِ الَّذِينَ لَا يُطَاقُونَ، وَقَالَ: خُذُوا عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ. فَسَارُوا فَوَقَفُوا لَهُمْ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، وَتَفَرَّقُوا ثَلَاثَ فِرَقٍ، فَلَمَّا اجْتَازُوا بِهِمْ فِي اللَّيْلِ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ بِأَمْرِهِمْ ثَارُوا عَلَيْهِمْ، فَاقْتَتَلُوا هُمْ وَإِيَّاهُمْ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْ أُولَئِكَ الْأَتْرَاكِ إِلَّا النَّفَرُ الْيَسِيرُ، وَاحْتَزُّوا رُءُوسَهُمْ، وَغَنِمُوا مَا كَانَ مَعَهُمْ مِنَ الْأَسْلِحَةِ الْمُحَلَّاةِ بِالذَّهَبِ وَالْأَمْتِعَةِ، وَقَالَ لَهُمْ بَعْضُ أُولَئِكَ: تَعْلَمُونَ أَنَّكُمْ لَمْ تَقْتُلُوا فِي مَقَامِكُمْ هَذَا إِلَّا ابْنَ مَلِكٍ، أَوْ بَطَلًا مِنَ الْأَبْطَالِ الْمَعْدُودِينَ بِمِائَةِ فَارِسٍ، أَوْ بِأَلْفِ فَارِسٍ، فَنَفَلَهُمْ قُتَيْبَةُ جَمِيعَ مَا غَنِمُوهُ مِنْهُمْ مِنْ ذَهَبٍ وَسِلَاحٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩১


বন্দিনীদের মধ্যে তিনি ইরানের শাহ ইয়াযদিগারদের বংশের একজন বাদী পেলেন ৷ তিনি
তাকে হাদিয়৷ স্বরুপ আল-ওয়ালীদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ তার গর্ভে জন্ম নেয় ইয়াযীদ ইবন
আল ওয়ালীদ ৷৩ তারপর কুতায়বা সমরকন্দবাসীদের ডাকালন এবং তাদেরকে বললেন, আমি
আপনাদের সাথে যেরুপ সন্ধি করেছি তার থেকে বেশী কিছু চাই না ৷ তবে আমাদের পক্ষ
থেকে আপনাদের মাঝে শান্তি রক্ষার জন্যে একদল সৈন্য থাকবে, শহরের প্রশাসক গাওরাক
খান সেখান থেকে স্থানান্তর হন ৷ তখন কুতায়বা সুরায়ে নাজমের ৫০ ও ৫১ আয়াতদ্বয়

তিলাওয়াত করেন : প্রু৷ অর্থাৎ “আর এই যে,
তিনিই আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন এবং ছামুদ সম্প্রদায়কেও কাউকেও তিনি বাকী

রাখেননি ৷” এরপর কুতায়বা সেখান থেকে মারভ শহরের দিকে প্রত্যাগমন করেন এবং
সমরকন্দে তার ভাই আবদুল্লাহ ইবন মুসলিমকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে যান ৷ আর তাকে
বলেন, সমরকন্দ শহরের দরজায় মাটি দ্বারা প্রচলিত মােহরকৃত হস্ত ব্যতীত মুশবিকদের
কাউকে তুমি প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না ৷ তারপর তাকে মােহরের মাটির আর্দ্রতা শুকাবার
বেশী সময় পর্যন্ত অবস্থান করার অনুমতি দেবে না ৷ আর যদি মাটির আর্দ্রতাৰুশুকিয়ে যায় ও
তুমি তাকে সেখানে দণ্ডায়মান দেখতে পাও তাহলে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ আর তাদের
মধ্যে যার সাথে তুমি কোন অস্ত্র বা ছুরি দেখতে পারে তাকে সেখানে হত্যা করবে ৷ যখন তুমি
শহরের দরযা বন্ধ করে দেবে এবং সেখানে কাউকে পাবে তাকেও হত্যা করার ৷ এ সম্পর্কে
কাব আল-আশকারী বলেন, আবার কেউ কেউ বলেন, এ কবিতাটি জুফী বংশের কোন এক
ব্যক্তির যা নিম্নরুপ :

“প্রতিদিন কুতায়বা লুটের মাল জমা করছে, সম্পদের সাথে আরো নতুন সম্পদ বৃদ্ধি করে
যাচ্ছে ৷ কোন কোন বাসিন্দাকে সে মুকুট পরিয়েছে ৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার ও ভয়াবহতার কারণে তার
কালো চুলের সিথি সাদা হয়ে গেছে ৷ বিভিন্ন ধরনের সেনাবাহিনী প্রবেশের মাধ্যমে সুগদকে
কুতায়ব৷ লাঞ্ছিত করেছে ৷ এমনকি সুগদকে বস্ত্রহীন অবস্থায় উপবিষ্ট করে হেড়েছে ৷ সন্তান তার
পিতাকে হারিয়ে কাদছে এবং পিতা তার সন্তানের জন্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে র্কাদছে ৷ যখনই সে
কোন শহরে অবতরণ করছে কিত্বা কোন শহরে আগমন করছে সেই শহরের জীব-জন্তু ও
জানোয়ারকে গভীর গর্ভে নিপতিত করা হচ্ছে ৷

এ বছরেই মরক্কোর নাইব মুসা ইবন নুসায়র তার আযাদকৃত ক্রীতদাস তারিককে
আন্দুলুস থেকে বরখাস্ত করেন ৷ তিনি তাকে তালীতালাহ নামক শহরে প্রেরণ করেছিলেন ৷
তিনি এটাকে জয় করেন এবং সেখানে সুলায়মান ইবন দাউদ (আ)-এর দস্তরখান দেখতে
পান ৷ তার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মুক্ত৷ আরো কত কিছু ৷ তিনি এটাকে আল-ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিকের কাছে প্রেরণ করেন ৷ যখন এ দস্তরখান তার কাছে পৌছে, তখন তিনি মারা প্
যান এবং তার ভাই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক আমীরুল মু’মিনীন মনোনীত হয়েছেন ৷ এ
দস্তরখান সম্বন্ধে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ এটার মধ্যে এমন এমন জিনিস রয়েছে
যা মানুষকে অবাক করে দেয় ৷ এর চেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কােথায়ও দেখতে পাওয়া যায়

া৷ মুসা ইবন নুসায়র নিজ আযাদকৃত গোলাম তারিক ইবন যিয়াদের পরিবর্তে নিজের ছেলে

আবদুল আযীয ইবন মুসা ইবন নুসায়রকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷

এ বছরেই মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরগুলাে তে সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা আন্দুলুস
দ্বীপের বহু শহর জয় করে ৷ এগুলোর মধ্যে কর্তোডা ও তানজা অভ্যস্ত প্রসিদ্ধ ৷ তারপর মুসা
নিজেই আন্দুলুসের পশ্চিমপ্রাত্তে অগ্রসর হন এবং বাজাহ শহর ও শুভ্র শহরের ন্যায় অন্যান্য বড়


وَاقْتَرَبَ قُتَيْبَةُ مِنَ الْمَدِينَةِ الْعُظْمَى الَّتِي بِالصُّغْدِ، وَهِيَ سَمَرْقَنْدُ، فَنَصَبَ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقَ، فَرَمَاهَا بِهَا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يُقَاتِلُهُمْ لَا يُقْلِعُ عَنْهُمْ، وَنَاصَحَهُ مَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ بُخَارَى وَخَوَارِزْمَ، فَقَاتَلُوا أَهْلَ الصُّغْدِ قِتَالًا شَدِيدًا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ غَوْزَكُ مَلِكُ الصُّغْدِ: إِنَّمَا تُقَاتِلُنِي بِإِخْوَتِي وَأَهْلِ بَيْتِي، فَأَخْرِجْ إِلَيَّ الْعَرَبَ. فَغَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ قُتَيْبَةُ، وَمَيَّزَ الْعَرَبَ مِنَ الْعَجَمِ وَأَمَرَ الْعَجَمَ بِاعْتِزَالِهِمْ، وَقَدَّمَ الشُّجْعَانَ مِنَ الْعَرَبِ، وَأَعْطَاهُمْ جَيِّدَ السِّلَاحِ، وَانْتَزَعَهُ مِنْ أَيْدِي الْجُبَنَاءِ، وَزَحَفَ بِالْأَبْطَالِ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَرَمَاهَا بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ فِيهَا ثُلْمَةً، فَسَدَّهَا التُّرْكُ بِغَرَائِرِ الدُّخْنِ، وَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَوْقَهَا، فَجَعَلَ يَشْتُمُ قُتَيْبَةَ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِسَهْمٍ فَقَلَعَ عَيْنَهُ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ قَفَاهُ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ قَبَّحَهُ اللَّهُ فَأَعْطَى قُتَيْبَةُ الَّذِي رَمَاهُ عَشَرَةَ آلَافٍ، ثُمَّ دَخَلَ اللَّيْلُ فَلَمَّا أَصْبَحُوا رَمَاهُمْ بِالْمَجَانِيقِ فَثَلَمَ أَيْضًا ثُلْمَةً، وَصَعِدَ الْمُسْلِمُونَ فَوْقَهَا، وَتَرَامَوْا هُمْ وَأَهْلُ الْبَلَدِ بِالنُّشَّابِ، فَقَالَتِ التَّرْكُ لِقُتَيْبَةَ: ارْجِعْ عَنَّا يَوْمَكَ هَذَا، وَنَحْنُ نُصَالِحُكَ غَدًا. فَرَجَعَ عَنْهُمْ، وَصَالَحُوهُ مِنَ الْغَدِ عَلَى أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَةِ أَلْفٍ يَحْمِلُونَهَا إِلَيْهِ فِي كُلِّ عَامٍ، وَعَلَى أَنْ يُعْطُوهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ ثَلَاثِينَ أَلْفَ رَأْسٍ مِنَ الرَّقِيقِ، لَيْسَ فِيهِمْ صَغِيرٌ وَلَا شَيْخٌ وَلَا عَيْبٌ، وَفِي رِوَايَةٍ: مِائَةَ أَلْفٍ مِنْ رَقِيقٍ، وَعَلَى أَنْ يَأْخُذَ حِلْيَةَ الْأَصْنَامِ، وَمَا فِي بُيُوتِ النِّيرَانِ، وَعَلَى أَنْ يُخْلُوا الْمَدِينَةَ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ حَتَّى يَبْنِيَ فِيهَا قُتَيْبَةُ مَسْجِدًا، وَيُوضَعُ لَهُ فِيهِ مِنْبَرٌ يَخْطُبُ عَلَيْهِ، وَيَتَغَدَّى وَيَخْرُجُ، فَأَجَابُوهُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩২

মুক্তা ও স্বর্ণ ইত্যাদি নিয়ে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এভাবে বনু উমায়্যার মধ্যে জিহাদের প্রেরণা
উজ্জীবিত ছিল ৷ এছাড়া তাদের অন্য কোন পেশার দিকে মনোযোগও ছিল না ৷ পৃথিবীর প্রাচ্যে
ও প্রতীচ্যে, সাগরে ও নগরে ইসলামের আওয়ায সমুন্নত হলো; তারা কুফরী ও কাফিরদেরকে
পর্বুদন্থ করল ৷ মুশরিকদের অন্তর মুসলমানদের৩ ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ৷ মুসলমানগণ বিভিন্ন
এলাকার যেই দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন তা জয়লাভ করে নিতেন ৷ জিহাদেরত সৈন্যদের
মধ্যে পুণ্যবান, আওলিয়া এবং প্রবীণ তাবিঈগণের উলামায়ে কিরাম অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷
প্রত্যেকটি সৈন্যদলেই এ ধরনের একটি বড় জামাআত যাকত, মহান আল্লাহ তাদের ওসীলায়
ইসলামের বিজয় দান করেন ৷

কুতায়বা ইবন মুসলিম তুর্কী শহরগুলোতে বিজয়ের ধ্বনি সমুন্নত রাখেন ৷ তিনি শত্রু
সেনাদ্দেরকে হত্যা করছিলেন, বন্দী করছিলেন এবং তাদের থেকে প্রচুর গনীমতের মাল অর্জ্যা
করছিলেন ৷ তিনি শহরের পর শহর জয় করছিলেন এমনকি চীনের সীমান্ত পর্যন্ত তিনি পৌছে
যান ণ্৷ সেখানকার বাদশাহর কাছে তিনি দুত পাঠান ৷ এতে ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে বাদশাহ তার কাছে
উপচৌকন হিসেবে প্রচুর সম্পদ প্রেরণ করেন এবং অত্যন্ত ক্ষমতা ও প্রচুর সৈন্য থাকা সাত্ত্বও
সদাচরণের খাতিরে তিনি দুত পাঠান ৷ এভাবে আশেপাশের বাদশাহগণ তার প্ৰতি ভীত হয়ে
কর আদায় করতে লাগলেন ৷ যদি হাজ্জাজ বেচে থাকত, তাহলে চীনের শহরগুলো হতে সৈন্য
প্রত্যাহার করা হত না এবং চীনের বাদশাহর সাথে মুসলমানদের সৌজন্য সাক্ষাত হতো ৷ কিন্তু
হাজ্জাজ য খন মারা যায়, তখন মুসলিম সৈন্যরা প্রত্যাবর্তন করেন ৷

তারপর কুতায়বা নিহত হন ৷ সম্ভবত কোন মুসলমানই তাকে হত্যা করে ৷ অন্যদিকে
মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, আমীরুল মু ’মিনীন আল-ওয়ালীব্বদ্যা ছেলে ও
তার অন্য তাই রোমের শহরগুলোতে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত ব্লেখেছিল ৷ তারা সিরিয়ার
সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল এবং তারা কুস্তানতীনয়া পৌছে যায় ৷ মাসলামাহ সেখানে একটি
জামে মসজিদ তৈরী করেন, যেখানে মহান আল্লাহর ইবাদত করা হয় ৷ ফ্রান্সের বাসিন্দাদের
অন্তর মুসলমানদের প্রতি ভীত-প্সস্ত্রস্ত হয়ে উঠে ৷ অন্যদিকে হাজ্জাজের ভাতিজ৷ মুহাম্মদ ইবন
কাসিম হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করছিল এবং বিভিন্ন শহর জয় করছিল ৷

মুসা ইবন নুসায়র মরক্কোর শহরাঃলোতে যুদ্ধ করছিল বিভিন্ন শহর জয়লাভ করছিল, এবং
মিসরীয় শহরগুলােস্থতও জয় অব্যাহত ছিল ৷

এ এলাকাগুলোর বাসিন্দাগণ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় প্রবেশ করে এবং দেব-দেবীর পুজা
প্রত্যাহার করে ৷ এর পুর্বে সাহাবায়ে কিরাম হযরত উমর (না) ও হযরত উছমান (রা)-এর
যুগে এসব এলাকায় কিছু শহর জয় করে প্রবেশাধিকার অর্জন করেন ৷ তইি পরে মুসলমানগণ
বিরাট এলাকা যেমন সিরিয়া, মিসর, ইরাক, ইয়ামান ও তুর্কীয় প্রধান শহরগুলো জয় করেন ৷
তারা মাওরাউনৃনাহার’ ও মরক্কোর প্রধান শহরগুলো পর্যন্ত পৌছে যান ৷ রাসুপুল্লাহ্ (সা)-এর
হিজরতের পর থেকে প্রথম শতাব্দীতে বনু উমায়্যার খিলাফতের সমাপ্তি পর্যন্ত মুসলমানদের
মধ্যে জিহাদের চেতনা বিদ্যমান থাকে ৷ আবার বনু আব্বান্সের খিলাফতকালে যেমন খলীফা
মানসুর ও তার আওলাদ, খলীফা হারুনুর রশীদ ও তার আওলাদেৱ মধ্যে জিহাদের চেতনা
বিরাজমান ছিল ৷ মাহমুদ সুবুক্তগীন ও তার সন্তান, তা,দ্যো যুগে হিন্দুস্তানের বহু শহর জয়
করেন ৷ বনু উমায়্যা থােক যারা মরক্কোতে পালিয়ে গিয়েজ্যি ৷ তারা ফ্রান্সের ভুমিতে জিহাদের
চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছিল ৷ তারপর যখন এ সব এলাকায় জিহাদের চেতনা স্তিমিত হয়ে গেল ৷
ঐ সব এলাকা শত্রুদের দখলে চলে গেল এবং মুসলমানরা দুর্বল হয়ে পড়ল ৷ তারপর যখন


إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا دَخَلَهَا قُتَيْبَةُ دَخَلَهَا وَمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنَ الْأَبْطَالِ، وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ بُنِيَ الْمَسْجِدُ، وَوُضِعَ فِيهِ الْمِنْبَرُ، فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ وَخَطَبَ وَتَغَدَّى، وَأُتِيَ بِالْأَصْنَامِ الَّتِي لَهُمْ فَسُلِبَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأُلْقِيَتْ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ، حَتَّى صَارَتْ كَالْقَصْرِ الْعَظِيمِ، ثُمَّ أَمَرَ بِتَحْرِيقِهَا، وَقَالَ الْمَجُوسُ: إِنَّ فِيهَا أَصْنَامًا قَدِيمَةً مَنْ أَحْرَقَهَا هَلَكَ. وَجَاءَ الْمَلِكُ غَوْزَكُ فَنَهَى عَنْ ذَلِكَ، وَقَالَ لِقُتَيْبَةَ: إِنِّي لَكَ نَاصِحٌ. فَقَالَ: أَنَا أُحَرِّقُهَا بِيَدِي، ثُمَّ أَخَذَ شُعْلَةً مِنْ نَارٍ، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا، وَهُوَ يُكَبِّرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَلْقَى فِيهَا النَّارَ فَاحْتَرَقَتْ، فَوَجَدَ مِنْ بَقَايَا مَا كَانَ فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ خَمْسِينَ أَلْفَ مِثْقَالٍ مِنْ ذَهَبٍ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا أَصَابَ قُتَيْبَةُ فِي السَّبْيِ جَارِيَةً مِنْ وَلَدِ يَزْدَجِرْدَ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْحَجَّاجِ، فَأَهْدَاهَا إِلَى الْوَلِيدِ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى قُتَيْبَةُ بِأَهْلِ سَمَرْقَنْدَ فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي لَا أُرِيدُ مِنْكُمْ أَكْثَرَ مِمَّا صَالَحْتُكُمْ عَلَيْهِ، وَلَكِنْ لَا بُدَّ مِنْ جُنْدٍ يُقِيمُونَ عِنْدَكُمْ مِنْ جِهَتِنَا، فَانْتَقَلَ عَنْهَا مَلِكُهَا غَوْزَكُ خَانَ فَتَلَا قُتَيْبَةُ: {وَأَنَّهُ أَهْلَكَ عَادًا الْأُولَى وَثَمُودَ فَمَا أَبْقَى} [النجم: 50] (النَّجْمِ: 50، 51) الْآيَاتِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ عَنْهَا قُتَيْبَةُ إِلَى بِلَادِ مَرْوَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى سَمَرْقَنْدَ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُسْلِمٍ، وَقَالَ لَهُ: لَا تَدَعَنَّ مُشْرِكًا يَدْخُلُ بَابَ سَمَرْقَنْدَ إِلَّا مَخْتُومَ الْيَدِ، ثُمَّ لَا تَدَعْهُ بِهَا إِلَّا مِقْدَارَ مَا تَجِفُّ طِينَةُ خَتْمِهِ، فَإِنْ جَفَّتْ وَهُوَ بِهَا فَاقْتُلْهُ، وَمَنْ رَأَيْتَهُ مِنْهُمْ وَمَعَهُ حَدِيدَةٌ أَوْ سِكِّينَةٌ فَاقْتُلْهُ بِهَا، وَإِذَا أَغْلَقْتَ الْبَابَ فَوَجَدْتَ بِهَا أَحَدًا مِنْهُمْ فَاقْتُلْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৩


এটা প্রমাণিত যে, তার মাতা তাকে নিয়ে অন্য এক বর্ণনায় তার চাচা, মায়ের স্বামী আবু
তাল;হা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! এর নাম
আনাস, বুদ্ধিমান, আপনার খিদমত করবে ৷ তিনি তাকে এ কাজের জন্য দান করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (যা) তাকে গ্রহণ করেন ৷ তার যা তার জন্যে দু আ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
অনুরোধ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু আ করলেন গ্রষ্৷ , ষ্টুএটুপ্রু ৰু৷ ৷ ঢ় ,£ ৷ স্পোা৷ ৷
ধ্ন্! ৷ হে আল্পাহ্! তার সম্পদ বৃদ্ধি করুন তার আওলাদ বৃদ্ধি করুন এবংজ জান্নাতে তাকে

দাখিল করুন ৷

হযরত আনাস (বা) হতে বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি
খেজুর গাছ দান করেছিলেন ৷ তার থেকে আমি ফল সংগ্রহ করতাম ৷ হযরত আবু বকর (রা)
এরপরে হযরত উমর (রা) তাকে বাহরায়ন প্রদেশের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন এবং উত্তম
সেবার জন্যে তাকে তারা ধন্যবাদ দিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনৃতিকালের পর তিনি
বসরায় বসবাস করেন ৷ সেখানে তার চারটি বাড়ী জ্যি ! হাজ্জাজ তাকে কষ্ট দিয়েছিল ৷ আর
এটা ঘটেছিল ইব ন আশআছের সমস্যার সময় ৷ হাজ্জাজ ধারণা করেছিল, এ ব্যাপারে আনাস
(রা)-এর হাত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে তিনি ফাতওয়া প্রদান করেছেন ৷ ’হাজ্জাজ তার গর্দানে
ষোহর £মরেছিল ৷ এটা ছিল হাজ্জাজের ধৃষ্টতা ৷ আনাস (বা) খলীফা আবদুল মালিকের কাছে
অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ এ ব্যাপারে পুর্বে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷ হাজ্জাজের কাছে
আবদুল মালিক কঠোর ভাষায় পত্র লিখেছিলেন ৷ ফলে হাজ্জাজ ডীত হয়েছিল এবং আনাস
(রা)-এর সাথে সন্ধি করেছিল ৷ খলীফা আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের আমলে হযরত
ন্নড়াস (বা) প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে তার দরবারে এসেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ৯২
হিজরীতে এ ঘটনা ঘটেছিল ৷ তিনি দামেস্কের জামে মসজিদ তৈরী করছিলেন ৷ মাকহ্ন৷ (র)
বলেন, আমি দামেস্কের মসজিদে হযরত আনাস (রা)-কে হাটতে দেখেছি ৷ তিনি বলেন, আমি
তার কাছে গেলাম এবং জানাযার সালাতের পর উয়ু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন,
এরপর কোন উয়ু করতে হবে না ৷ আল-আওযায়ী (র) বলেন : ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আবুল মুহাজির আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, একবার আল ওয়ালীদের কাছে
আনাস (বা) আগমন করেন ৷ তাকে আল-ওয়ালীদ বলেন, কিয়ামত সম্পর্কে তুমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে কিছু বলতে শুনেছ ? তিনি বললেন “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি
বলতেন, তোমরা ও কিয়ামতের মাঝে এ দুই আঙ্গুলেৱ মত ফারাক ৷” আবদুর রাজ্জাক ইবন
উমর, ইসমাঈল হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আনাস (বা) ৯২ হিজরীতে
আল ওয়ালীদের দরবারে এসেছিলেন ৷ হযরত আনাস (মা) ও তা উল্লেখ করেছিলেন ৷ ইমাম
আয-যুহরী (র) বলেন, “আমি দামেস্কে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) এর কাছে উপস্থিত
ছিলাম ৷ তিনি কাদছিলেন ৷ আমি বললাম, আপনি কেন র্কাদছেন ? তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা)ও তার সাহাবীগণ যে রুপ সালাত (সময়মত) আদায় করতেন সেই সালাতের সাথে
তোমাদের এ সালাতের কোন মিল আমি পাই না ৷ দেরীতে সালাত আদায় করার অভ্যাস
তোমরা গড়ে তুলেছ ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেহ্নেৰ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যামানার
সালাত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ বনু উমাইয়ার খলীফারা সম্ভাব্য শেষ সময় পর্যও সালাতকে
বিলম্ব করে আদায় করতেন ৷ হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয (ব) ব্যতীত তারা সকলেই সব

সময় বিলম্বে সালাত আদায় করতেন ৷


فَقَالَ فِي ذَلِكَ كَعْبٌ الْأَشْقَرِيُّ، وَيُقَالُ: هِيَ لِرَجُلٍ مِنْ جُعْفِيٍّ: كُلَّ يَوْمٍ يَحْوِي قُتَيْبَةُ ... نَهْبًا وَيَزِيدُ الْأَمْوَالَ مَالًا جَدِيدَا بَاهِلِيٌّ قَدْ أُلْبِسَ التَّاجَ حَتَّى ... شَابَ مِنْهُ مَفَارِقٌ كُنَّ سُودَا دَوَّخَ الصُّغْدَ بِالْكَتَائِبِ ... حَتَّى تَرَكَ الصُّغْدَ بِالْعَرَاءِ قُعُودَا فَوَلِيدٌ يَبْكِي لِفَقْدِ أَبِيهِ ... وَأَبٌ مُوجَعٌ يُبَكِّي الْوَلِيدَا كُلَّمَا حَلَّ بَلْدَةً أَوْ أَتَاهَا ... تَرَكَتْ خَيْلُهُ بِهَا أُخْدُودَا وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ نَائِبَ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مَوْلَاهُ طَارِقًا عَنِ الْأَنْدَلُسِ، وَكَانَ قَدْ بَعَثَهُ إِلَى مَدِينَةِ طُلَيْطِلَةَ فَفَتَحَهَا، فَوَجَدَ فِيهَا مَائِدَةَ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَفِيهَا مِنَ الذَّهَبِ وَالْجَوَاهِرِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا، فَبَعَثُوا بِهَا إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَمَا وَصَلَتْ إِلَيْهِ حَتَّى مَاتَ فِيمَا قِيلَ فَقَدِمَ بِهَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৪


বললেন, তাহলে আমি হাওযের কাছে অর্থাৎ হাওয়ে কাওছারের নিকট থাকর ৷ কিয়ামতের দিন
এ তিনটি জায়গার যে কোন একটিতে আমি থাকতে ভুলব না ৷” ইমাম তিরমিযী (র) ও
অন্যগণ হারব ইবন মায়নুন থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ
’হাদীস হাসান বা উত্তম এবং গারীব বা কোন এক পর্যায়ে বর্ণনাকারীর সংখ্যা মাত্র একজ্যা ৷
বর্ণনার এই ধারা ব্যতীত অন্য কোন ধারায় হাদীস প্রসিদ্ধ নয় ৷

আল্লামা শুবা, ছাবিত (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (বা)
বলেছেন, “আমি কারোর সালাত, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সালাতের সাথে ইবন উম্মে সুলায়ম
অর্থাৎ আনাস ইবন মালিকের সালাতের চেয়ে অধিক সামঞ্জস্যপুর্ণ দেখতে পইিনি ৷ ’

ইবন সীরীন (র) বলেন : হযরত আনাস (রা) ছিলেন মুকীম ও ভ্রমণ অবস্থায় সালাতের
ব্যাপারে উৎকৃষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) বলেছেন : আমার থেকে সালাত শিখে নাও ৷
কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে সালাত শিখেছি ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) শিখেছেন আল্পাহ্
তাআলা হত্বে ৷ বর্তমানে আমার চেয়ে অধিক বিশ্বন্থ আর তুমি কাউকে পাবে না ৷ মু’তামার
ইবন সুলায়মান, তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-ণ্ক বলতে
শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “আমি ব্যতীত দুই কিবলার দিকে সালাত অদােয়কারী বর্তমানে আর
কেউ দুনিয়াতে বাকী নেই ৷ “মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, “আফফান আমাকে আবু জানার নামী
এক ওস্তাদ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আল-হরীিরীকে বলতে শুনেছি,
তিনি বলেন, “একদিন আনাস (রা)-ণ্ক “যাতে ইরক” নামক জায়গা থেকে হাজ্জর জন্য
ইহ্রাম বাধতে দেখেছি ৷ কিন্তু, হালাল হওয়া পর্যন্ত তাকে মহান আল্লাহর যিকির ব্যতীত কোন
কথা বলতে শুনি নাই ৷ তিনি আমাকে বললেন, “হে ভাতিজা ! এভাবে ইহ্রাম বীধতে হয় ৷ ”

সালিহ্ ইবন ইব্রাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ বলেন, এক জুযুআর দিন হযরত
আনাস (রা) আমাদের কাছে গমন করেন ৷ আর আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কোন এক ত্রীর
ঘরে কথা বলছিলাম ৷ তিনি তখন আমাদেরকে বললেন, থামুন’ ৷ তারপর সালাত কায়েম করা
হলো ৷ তিনি বললেন, আমি ভয় করছি যে, থাযুন কথার দ্বারা আমি তো আমার জুমুআর
সালাত বাতিল করে দেইনি ৷

ইবন আবুদ্ দুনিয়া বলেন, বাশার ইবন মুসা আল খাফাফ, জা ফর ইবন সৃলায়মানের
মাধ্যমে ছাবিত হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন৪ আমি হযরত আনাস (রা) এর সাথে
ছিলাম ৷ তখন নিরাপত্তা মহিলা কর্মী এসে বলল, ণ্হ আবু হামযা ! পৃথিবী তৃষ্ণান্থ হয়ে পড়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, হযরত আনাস (রা) এ কথা শুনে উঠে পড়লেন, উয়ু করলেন এবং মাঠের
দিকে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তিনি দুই রাকাআত সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর দুঅ৷ করলেন ৷
আকাশে মেঘ ভারী হতে দেখলাম ৷ তারপর প্রচুর বৃষ্টি হলো এবৎ আমাদের মনে হতে লাগল,
সব কিছু যেন বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে ৷ যখন বৃষ্টি থামল, তখন হযরত আনাস (রা) তার
পরিবারের একজনকে প্রেরণ করেন এবং বলেন, দেখত বৃষ্টি আকাশের কতদুর পর্যন্ত গড়িয়েছে
? তিনি দেখলেন এবং বললেন, পৃথিবীর সামান্য অংশে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন : মুআয ইবন আগুনের মাধ্যমে মুহাম্মদ (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আনাস (রা) যখন রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে ণ্কান হাদীস বর্ণনা করতেন,
তখন ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে যেতেন এবৎ হাদীস বর্ণনার শেষে বলতেন <র্দুপু ৷ ,া, , হ্া ৷ট্রুৰু , ৷
ণ্;াণ্ অর্থাৎ কিৎব৷ যেরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ৷


وَفِيهَا قَحَطَ أَهْلُ إِفْرِيقِيَّةَ وَأَجْدَبُوا جَدْبًا شَدِيدًا، فَخَرَجَ بِهِمْ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ يَسْتَسْقِي بِهِمْ، فَمَا زَالَ يَدْعُو حَتَّى انْتَصَفَ النَّهَارُ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَنْزِلَ عَنِ الْمِنْبَرِ قِيلَ لَهُ: أَلَا تَدْعُو لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: لَيْسَ هَذَا الْمَوْضِعُ مَوْضِعَ ذَاكَ. فَسَقَاهُمُ اللَّهُ مَطَرًا غَزِيرًا. وَفِيهَا ضَرَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ خُبَيْبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ خَمْسِينَ سَوْطًا بِأَمْرِ الْوَلِيدِ لَهُ بِذَلِكَ، وَصَبَّ فَوْقَ رَأْسِهِ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ بَارِدٍ فِي يَوْمٍ شَاتٍ، وَأَقَامَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ يَوْمَهُ ذَلِكَ فَمَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعْدَ مَوْتِ خُبَيْبٍ شَدِيدَ الْخَوْفِ لَا يَأْمَنُ، وَكَانَ إِذَا بُشِّرَ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ يَقُولُ: وَكَيْفَ وَخُبَيْبٌ لِي بِالطَّرِيقِ؟ وَفِي رِوَايَةٍ يَقُولُ: هَذَا إِذَا لَمْ يَكُنْ خُبَيْبٌ بِالطَّرِيقِ، ثُمَّ يَصِيحُ صِيَاحَ الْمَرْأَةِ الثَّكْلَى، وَكَانَ إِذَا أُثْنِيَ عَلَيْهِ يَقُولُ: خُبَيْبٌ وَمَا خُبَيْبٌ! إِنْ نَجَوْتُ مِنْهُ فَأَنَا بِخَيْرٍ. وَمَا زَالَ عَلَى الْمَدِينَةِ إِلَى أَنْ ضَرَبَ خُبَيْبًا فَمَاتَ، فَاسْتَقَالَ وَرَكِبَهُ الْحُزْنُ وَالْخَوْفُ مِنْ حِينِئِذٍ، وَأَخَذَ فِي الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ وَالْبُكَاءِ، وَكَانَتْ تِلْكَ هَفْوَةً مِنْهُ وَزَلَّةً، وَلَكِنْ حَصَلَ لَهُ بِسَبَبِهَا خَيْرٌ كَثِيرٌ; مِنْ عِبَادَةٍ وَبُكَاءٍ وَحُزْنٍ وَخَوْفٍ وَإِحْسَانٍ وَعَدْلٍ وَصَدَقَةٍ وَبِرٍّ وَعِتْقٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَفِيهَا افْتَتَحَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ وَهُوَ ابْنُ عَمِّ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ مَدِينَةَ الدَّيْبُلِ وَغَيْرَهَا مِنْ بِلَادِ الْهِنْدِ، وَكَانَ قَدْ وَلَّاهُ الْحَجَّاجُ غَزْوَ الْهِنْدِ، وَعُمْرُهُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৫


মুলাকাত করেন এবং বলেন, “আমার ও আপনার উদাহরণ হলো উত্তম প্রতিবেশীর ন্যায়, উভয়ে
একে অন্যের অনুগত থাকব ৷ এ নিয়ে যেন আমাদের মধ্যে আর কোন প্রকার কথা না উঠে ৷”

ইবন কুতায়ব৷ বলেনং হাজ্জাজ আনাস (রা) কে মন্দ কথা বলার পর আবদুল মালিক
হাজ্জ জ্জাজের কাছে পত্র লিখেনং

০০০০০

অর্থাৎ যার ত্রী-অঙ্গ সঙ্গমের সময় সং চিত হয়ে যায় তার সন্তান! তোমাকে আমি এমন
এক লাথি দেবার ইচ্ছে পোষণ করি যার মাধ্যমে তুমি জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হবে,তু মি
ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন দুই চোখের অধিকারী, বীক৷ দুই পাওয়ালা ও দুইটি কালো নিতন্বের ধারক!
তোমাকে আল্লাহ ধ্বংস করুন ৷ ” ,

আহমদ ইবন সালিহ্ আল আজালী বলেনং কোন সাহাবী তার কোন ত্রুটির কথা
বলেননি, শুধু৩ তার দুটো পা বাকা ছিল তাতে ছিল কুষ্ঠরোগ ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) এর
পায়ে ছিল সাদা সাদা দাগ ৷

আল হুমায়দী আবু জাফর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আমি আনাস (না)-কে
বড় বড় লুকমাহ্ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে দেখেছি ৷ আর তার গায়ের মধ্যে বহু সাদা সাদা দাগ-
দেখতে পেয়েছি ৷

আবু ইয়ালা বলেন ং আবদুল্লাহ ইবন মুআয ইবন ইয়াযীদ, আয়ুব্রব হতে ৩বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেনং সিয়াম পালন করার ফলে আনাস (রা) দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন ৷ত তারপর তিনি
খাদ্য প্রস্তুত করতে নির্দেশ দািলন এবং ত্রিশজন মিসকীনকে দাওয়াত করলেন ও তাদেরকে
খাদ্য খেতে দিলেন ৷ এ হাদীস ইমাম বুখারী সনদবিহীন তালীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷
অবশ্য তা সনদযুক্ত হাদীসের ন্যায় মুহাদ্দিসীনের কাছে গ্রহণযোগ্য ৷

শুবা, মুসা আস-সুনৃবুলাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন৪ আমি হযরত আনাস
(রা) কে বললাম, আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবিত সাহাবীদের মধ্যে সর্বশেষ সাহাবী ?
তিনি বললেন, মরুবাসীদের অনেকেই জীবিত আছেন ৷ তবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণের
মধ্যে আমিই জীবিত সর্বশেষ সাহাবী ৷ তিনি যখন পীড়িত তখন তাকে বলা হয়েছিল, আপনার
জন্যে কি একজন চিকিৎসক ডেকে আনব না ? তিনি বলেন : চিকিৎসকই আমাকে পীড়িত
করেছেন ৷ তিনি আরো বলতেন : আমাকে মৃত্যুর সময় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর তালকীন
দেবে ৷ তখন তিনি ছিলেন মৃত্যু শয্যায় ৷ এ কথা বলতে বলতে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন ৷ তীর
কাছে ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেওয়া একটি ছেটি যষ্টি ৷ তার আদেশ মুতাবিক তার সাথে
এটাকেও দাফন করা হয়েছিল ৷ উমর ইবন শাব্বাহ ও অন্যরা বলেন, আনাস (রা) যখন
ইন্তিকাল করেন তখন তার বয়স ছিল একশত সাত বছর ৷ ইমাম আহমদ তার মাসনাদ
নামক কিভাবে বলেন : মুতামির ইবন সুলায়মান, হুমাইদ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ও
আসাম (বা) ৯৪ বছর জীবিত ছিলেন ৷ আল্লাম৷ আল ওয়াকিদী বলেন : বসরা শহরে তিনি
সর্বশেষ সাহাবী হিসেবে ইনৃতিকাল করেন ৷ অনুরুপ বলেছেন আলী ইবনুল মাদায়নী এবং
আল-ফাল্লাস ও অন্যগণ ৷ তার ইন্তিকালের বছর নিয়ে ঐতিহাসিকগণ মতভেদ করেছেন ৷
কেউ কেউ বলেন, ৯০ হিজরী কেউ কেউ বলেন; ৯১ হিজরী ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯২
হিজরী ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৯৩ হিজরী এবং এটাই প্রসিদ্ধ ৷ জমহুর উলামা এ অভিমত
পেশ করেহ্নে৷ ৷


سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَسَارَ فِي الْجُيُوشِ فَلَقُوا الْمَلِكَ دَاهِرَ وَهُوَ مَلِكُ الْهِنْدِ فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ، وَمَعَهُ سَبْعَةٌ وَعِشْرُونَ فِيلًا مُنْتَخَبَةً، فَاقْتَتَلُوا فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ، وَهَرَبَ الْمَلِكُ دَاهِرُ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ أَقْبَلَ الْمَلِكُ وَمَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ جِدًّا، فَأَحَاطُوا بِالْمُسْلِمِينَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ الْمَلِكُ دَاهِرُ وَغَالِبُ مَنْ مَعَهُ، وَتَبِعَ الْمُسْلِمُونَ مَنِ انْهَزَمَ مِنَ الْهُنُودِ فَقَتَلُوهُ، ثُمَّ سَارَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ فَافْتَتَحَ مَدِينَةَ الْكَيْرَجِ وَبَرَّهَا، وَرَجَعَ بِغَنَائِمَ كَثِيرَةٍ وَأَمْوَالٍ لَا تُحْصَى كَثْرَةً; مِنَ الْجَوَاهِرِ وَالذَّهَبِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَفِيهَا عَزَلَ الْوَلِيدُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ يُخْبِرُهُ عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَنَّهُمْ فِي ضَيْمٍ وَضِيقٍ مَعَ الْحَجَّاجِ مِنْ ظُلْمِهِ وَغَشْمِهِ، فَسَمِعَ بِذَلِكَ الْحَجَّاجُ فَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ: إِنَّ عُمَرَ ضَعِيفٌ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَإِنَّ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِ الشَّرِّ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَدْ لَجَأُوا إِلَى الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ، وَهَذَا وَهْنٌ وَضَعْفٌ فِي الْوِلَايَةِ، فَاجْعَلْ عَلَى الْحَرَمَيْنِ مَنْ يَضْبِطُ أَمْرَهُمَا. فَوَلِّ عَلَى الْمَدِينَةِ عُثْمَانَ بْنَ حَيَّانَ، وَعَلَى مَكَّةَ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ، فَفَعَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ الْحَجَّاجُ، فَخَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي شَوَّالٍ فَنَزَلَ السُّوَيْدَاءَ، وَقَدِمَ عُثْمَانُ بْنُ حَيَّانَ الْمَدِينَةَ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৬


ইমাম আহমদ বলেন ষ্ আবু নুআয়ম (র) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি
বলেনঃ আনাস ইবন মালিক ও জাবির ইবন যায়দ ৯৩ হিজরীব্ল একই জুমুআয় ইনৃতিকাল
করেন ৷ কাতাদা (র) বলেনঘ্র যখন আনাস (রা) ইন্তিকাল করেন তখন মুয়াররাক
আল-আজালী বলেন : আজ অর্ধেক ইলম চলে গেল ৷ তাকে বলা হলো, কেমন করে ৰু ? হে
আবুল মুতামির! তিনি বলেন ;; প্রবৃত্তির অনুসারী ব্যক্তিবর্গ যখন হাদীস সম্পর্কে আমাদের
বিরোধিতা করত তখন আমরা তাদেরকে বলতাম, তোমরা আস, এমন এক ব্যক্তির কাছে
যিনি রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে খােদ শ্রবণ করেছেন ৷

উমর ইৰ্ন আবদুল্লাহ ইৰ্ন আবু রাবীআ
তার পুর্ণ নাম উমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ ইবনুল মুপীরা ইবন আবদুল্লাহ
ইবন উমর ইবন মাখবুম ৷ তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ করি ৷ কথিত আছে যে, যেদিন উমর
ইবনুল খাত্তাব (রা) ইনতিকাপ্স করেন, সেদিন সে জন্মগ্রহণ করে ৷ আর যেদিন উছমান (রা)
শহীদ হন সেদিন তার খাতনা করা হয় ৷ যেদিন হযরত আলী (রা) শহীদ হন, সেদিন সে বিয়ে
করে ৷ সে উচ্চাৎগের সুরুচিসম্পন্ন প্রেমের কবিতা রচনা করত ৷ সে একজন মহিলা সম্পর্কে
প্রেমের কবিতা রচনা করত যার নাম ছিল ছুরায়ব্রু৷ বিনৃত আলী ইবন আবদুল্লাহ আল-
উমুবিয়াহ ৷ আর তাকে বিয়ে করেত্যি সুহায়ল ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ আবৃণ্যুহ্য়ী ৷
এ সম্পর্কে উমর ইবন আবু রাবীআ বলেন : হে ছুরায়্যাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধকারী সৃহায়লা
তোমাকে আল্লাহ দীর্ঘ আযু দান করুন ৷ কেমন করে তোমরা একে অন্যের সাথে অবাধে
মিশরে ৷ ছুরায়্যা যখন স্বয়ংসম্পুর্ণা হবে, তখন সে হবে শামী (সিরিয়ার অধিবাসী) আর সুহায়ল
যখন স্বয়ংসম্পুর্ণ হবে, তখন সে হবে ইয়ামানী (ইয়ামানের অধিবাসী) ৷
উমরের সাম্প্রতিক কবিতাগুলো থেকে নীচের কবিতাগুলো ইবন খাল্লিকান উপস্থাপন
করেছেন : বিনিদ্রিতকে কষ্ট দেওয়ার পর হে উত্তপ্ত প্রেমিক সাক্ষাতের জন্যে এগিয়ে অসে ৷ ধীরে
ধীরে রাতের অন্ধকার দুর হওয়ার পর দিনে সাক্ষাত করার আশায় তুমি নিঘাহীন তারকার ন্যায়
বিনিদ্রিত রজনী যাপন করছ ৷ তুমি বলছ আমাদের অবস্থা দেখ, আমরা হাল্কা হয়ে গিয়েছি ৷
এর পুর্বে তো আমরা শ্রবণকারী ও দ্রষ্টা জ্জিড়াম ৷ জবাবে সে বলল, “আমরা এমনি আছি যেমনি
তুমি আশা করতে, তবে অলংকারই তার ধারককে বিবস্ত্র থাকতে প্রারাচিত করেছে ৷”

বিলাল ইৰ্ন আবুদ দারদা

তিনি দামেশৃকের আমীর নিযুক্ত হন ৷ তারপর তিনি সেখানের কাযী নিযুক্ত হন ৷ তারপর
তাকে আবদুল মালিক বরখাস্ত করেন এবং আবু ইটুদরীসআল-খাওলানীকে নিযুক্ত করেন ৷
বিলাল ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অত্যন্ত ইবাদতগুযার ৷ প্রকাশ থাকে যে, বাবুস সাগীরে
যে কবরটি অবস্থিত এবং কবরে বিলাল নামে পরিচিত, এটা বিলাল ইবন আবুদ দারদার
কবর ৷ এটা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মুআঘৃযিন হযরত বিলাল ইবন হামমােহর কবর নয় ৷
কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুআয্যিন হযরত বিলাল (রা)-কে দারায়্যায় দাফন করা হয় ৷
মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

বিশর ইবন সাঈদ

তিনি ছিলেন আল-মুযানী ৷ তিনি একজন সরদার, ইবাদতগুযার ও ফকীহ ছিলেন ৷ তিনি
ৎসারত্যাগী, প্রসিদ্ধ পরহেযগার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ মদীনায় তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷


[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ أَنَسُ بْنُ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ ضَمْضَمَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ جُنْدُبِ بْنِ عَامِرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ أَبُو حَمْزَةَ وَيُقَالُ: أَبُو ثُمَامَةَ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ، خَادِمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبُهُ، وَأُمُّهُ أُمُّ حَرَامٍ مُلَيْكَةُ بِنْتُ مِلْحَانَ بْنِ خَالِدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَرَامٍ، زَوْجَةُ أَبِي طَلْحَةَ زَيْدِ بْنِ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيِّ. رَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ جَمَّةً، وَأَخْبَرَ بِعُلُومٍ مُهِمَّةٍ، وَرَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَغَيْرِهِمْ، وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ. قَالَ أَنَسٌ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَأَنَا ابْنُ عَشْرِ سِنِينَ، وَتُوُفِّيَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ ثُمَامَةَ قَالَ: قِيلَ لِأَنَسٍ: أَشَهِدْتَ بَدْرًا؟ فَقَالَ: وَأَيْنَ أَغِيبُ عَنْ بَدْرٍ لَا أُمَّ لَكَ؟ قَالَ الْأَنْصَارِيُّ: شَهِدَهَا يَخْدِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ: لَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْمَغَازِي. قُلْتُ: الظَّاهِرُ أَنَّهُ إِنَّمَا شَهِدَ مَا بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ الْمَغَازِي. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৭
وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ أُمَّهُ أَتَتْ بِهِ وَفِي رِوَايَةٍ: عَمُّهُ زَوْجُ أُمِّهِ أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَنَسٌ خَادِمٌ لَبِيبٌ يَخْدِمُكَ. فَوَهَبَتْهُ لَهُ، فَقَبِلَهُ، وَسَأَلَتْهُ أَنْ يَدْعُوَ لَهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ» وَثَبَتَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: كَنَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَقْلَةٍ كُنْتُ أَجْتَنِيهَا. وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ عَلَى عِمَالَةِ الْبَحْرَيْنِ وَشَكَرَاهُ فِي ذَلِكَ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «خَدَمْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ فَمَا ضَرَبَنِي، وَلَا سَبَّنِي، وَلَا عَبَسَ فِي وَجْهِي، وَلَا قَالَ لِي لِشَيْءٍ: لِمَ لَا فَعَلْتَ كَذَا؟» وَقِيلَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لَهُ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ كَثِّرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَطَوِّلْ حَيَاتَهُ» وَكَانَ أَنَسٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْعِبَادَةِ. وَقَدِ انْتَقَلَ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَكَنَ الْبَصْرَةَ، وَكَانَ لَهُ بِهَا أَرْبَعُ دُورٍ، وَقَدْ نَالَهُ أَذًى مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ، وَذَلِكَ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الْأَشْعَثِ; تَوَهَّمَ الْحَجَّاجُ مِنْهُ أَنَّهُ دَاخِلٌ فِي الْأَمْرِ، وَأَنَّهُ أَفْتَى فِيهِ، فَخَتَمَهُ الْحَجَّاجُ فِي عُنُقِهِ: هَذَا عَتِيقُ الْحَجَّاجِ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৮
وَقَدْ شَكَاهُ أَنَسٌ كَمَا قَدَّمْنَا إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ يُعَنِّفُهُ، فَفَزِعَ الْحَجَّاجُ مِنْ ذَلِكَ وَصَالَحَ أَنَسًا. وَقَدْ وَفَدَ أَنَسٌ عَلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي أَيَّامِ وِلَايَتِهِ، قِيلَ: فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ، وَهُوَ يَبْنِي جَامِعَ دِمَشْقَ. قَالَ مَكْحُولٌ: رَأَيْتُ أَنَسًا يَمْشِي فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ، فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْوُضُوءِ مِنَ الْجِنَازَةِ، فَقَالَ: لَا وُضُوءَ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ قَالَ: قَدِمَ أَنَسٌ عَلَى الْوَلِيدِ، فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ: مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ بِهِ السَّاعَةَ؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَنْتُمْ وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ» وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: قَدِمَ أَنَسٌ عَلَى الْوَلِيدِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بِدِمَشْقَ وَهُوَ يَبْكِي، فَقُلْتُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: لَا أَعْرِفُ مِمَّا كَانَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ إِلَّا هَذِهِ الصَّلَاةَ، وَقَدْ صَنَعْتُمْ فِيهَا مَا صَنَعْتُمْ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَهَذِهِ الصَّلَاةُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩৯

যুরাৱাহ্ ইবন আওফা

তার পুর্ণ নাম যুরারাহ ইবন আওফা ইবন হাজির আল-আমিরী ৷ তিনি ছিলেন বসরার
কাষী ৷ তিনি বসরাবানী বড় বড় বিদ্বান ও ণ্নক্কার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তার বর্ণনাকৃত
হাদীসের সং খ্যা অনেক ৷ একদিন সালাতে ফজ্যর তিনি সুরায়ে আল মুদৃদাহ্ছির তিলাওয়াত

করেন ৷ যখন তিনি , ন্এএে ৷ মুে ,;; ৷া৷ অর্থাৎ “যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে,

সেদিন হয়ে এক সংকটের দিন” ৷ এ আয়াতে পৌছেন, তখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ৷
তিনি বসরায় ইনতিকাল করেন এবং তার বয়স হয়ে ছিল প্রায় ৭০ বৎসর ৷

খুবায়ব ইবন আবদুল্লাহ

তার পুর্ণ নাম খুবায়ব ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আয-যুবায় র ৷ আল-ওয়ালীদের নির্দোশ উমর
ইবন আবদুল আযীয তাকে বেত্রাঘাত করেন ৷ ফলে, তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ কিছুদিন পরে
উমর বরখাস্ত হন ৷ তাকে প্ৰহার করার জন্যে তিনি আফসোস করতেন ও মহান আল্পাহ্র
দরবারে কান্নাকাটি করতেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় ইনৃতিকাল করেন ৷

হাবদৃস ইবন আসিম

তার পুর্ণ নাম হাফ্স ইবন আনিম ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব আল-মাদানী ৷ তার বর্ণিত
হাদীসের সংখ্যা অনেক ৷ তিনি সৎ ও যোগ্য বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তিনি পবিত্র
মদীনায় ইনৃতিকাল করেন ৷

সাঈদ ইবন আবদুর রহমান

তার পুর্ণ নাম সাঈদ ইবন আবদুর রহমান ইবন ইতাব ইবন উসায়দ আল উমাবী ৷ তিনি
বসরার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পের অন্যতম ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দানশীল ও প্রশংসিত ব্যক্তি ৷
বদান্যতায় চিহ্নিত ব্যক্তিদের অন্যতম ৷ কথিত আছে যে, তিনি এক কব্যিক ত্রিশ হাজার মুন্না
দান করেছিলেন ৷

ফারওয়াহ ইবন মুঙ্গাইিদ

কথিত আছে যে, তিনি আবদাল (ওলী আল্লাহ্গণের বিশেষ এক শ্রেণী)-এর অন্তর্ভুক্ত
ছিলেন ৷ একবার তিনি বন্দী হন ৷ তিনি ছিলেন একটি যুদ্ধে ৷ তার সাথে ছিল একটি দল ৷
তাদের কাছে সেখানের বাদশাহ্ আগমন করলেন এবং তাদেরকে একটি জায়গায় আটক ও
বন্দী রাখার জন্যে হুকুম দিলেন ৷ রাত ভোর হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর অত্যাচার করতে নির্দেশ
দিলেন ৷ ভোর হওয়ার পর তাদের ক্ষেত্রে তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন ৷ ফারওয়াহ তাদেরকে
বললেন : আমাদের শহরে আমাদের ফিরে যাওয়া সম্পর্কে তোমাদের কি কোন আপত্তি আছে?
তারা বলল, তুমি তো দেখছ, আমাদের এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই ৷ তিনি তখন তাদের
হাতে অবস্থিত শিকলগুলাের উপর হাতে স্পর্শ করলেন ৷ অমনি শিকলগুলো তাদের হাত থেকে
উধাও হয়ে গেল ৷ তারপর তিনি কারাগারের দরযায় আগমন করলেন ৷ তা নািজ্যা হাতে স্পর্শ
করলেন অমনি দরযাটি খুলে গেল ৷ তারা এ দরযা দিয়ে বের হয়ে পড়লেন এবং চলে
,আসলেন ৷ শহরে পৌছার পুর্বেই তারা মুসলিম বাহিনীতে মিলিত হয়ে গেলেন ৷

আবু শা’হা জাৰির ইবন যায়দ

তিনি তিনটি কাজে সরকারী রাজস্ব আদায় করতেন না ৷ পবিত্র মক্কায় সফরকালে, আযাদ
বন্যার জন্যে গোলাম খরিদ করার সময় এবং কুরবানীর পশু খরিদকালে ৷ তিনি আরো বলতেন,


ضُيِّعَتْ. يَعْنِي مَا كَانَ يَفْعَلُهُ خُلَفَاءُ بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ تَأْخِيرِ الصَّلَاةِ إِلَى آخِرِ وَقْتِهَا الْمُوَسَّعِ; كَانُوا يُوَاظِبُونَ عَلَى التَّأْخِيرِ إِلَّا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: جَاءَتْ بِي أُمِّي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا غُلَامٌ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُنَيْسٌ فَادْعُ اللَّهَ لَهُ. فَقَالَ: «اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ» . قَالَ: فَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَتَيْنِ، وَأَنَا أَرْجُو الثَّالِثَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ أَنَسٌ: فَوَاللَّهِ إِنَّ مَالِي لَكَثِيرٌ حَتَّى نَخْلِي وَكَرْمِي لَيُثْمِرُ فِي السَّنَةِ مَرَّتَيْنِ، وَإِنَّ وَلَدِي وَوَلَدَ وَلَدِي لَيَتَعَادُّونَ عَلَى نَحْوِ الْمِائَةِ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَإِنَّ وَلَدِي لِصُلْبِي مِائَةٌ وَسِتَّةٌ. وَلِهَذَا الْحَدِيثِ طُرُقٌ كَثِيرَةٌ، وَأَلْفَاظٌ مُنْتَشِرَةٌ جِدًّا، وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ أَنَسٌ: وَأَخْبَرَتْنِي ابْنَتِي أَمِينَةُ: أَنَّهُ دُفِنَ لِصُلْبِي إِلَى حِينِ مَقْدَمِ الْحَجَّاجِ عِشْرُونَ وَمِائَةٌ. وَقَدْ تَقَصَّى ذَلِكَ بِطُرُقِهِ وَأَسَانِيدِهِ، وَأَوْرَدَ أَلْفَاظَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَنَسٍ، وَقَدْ أَوْرَدْنَا طَرَفًا مِنْ ذَلِكَ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ فِي أَوَاخِرِ السِّيرَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৪০
وَقَالَ ثَابِتٌ لِأَنَسٍ: هَلْ مَسَّتْ يَدُكَ كَفَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَعْطِنِيهَا أُقَبِّلْهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: كَانَ أَنَسٌ صَاحِبَ نَعْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِدَاوَتِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: عَنْ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ الذَّارِعِ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: مَا مِنْ لَيْلَةٍ إِلَّا وَأَنَا أَرَى فِيهَا حَبِيبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ يَبْكِي. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خُوَيْدِمُكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، ثَنَا حَرْبُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَشْفَعَ لِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، قَالَ: أَنَا فَاعِلٌ قُلْتُ: فَأَيْنَ أَطْلُبُكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟ قَالَ: اطْلُبْنِي أَوَّلَ مَا تَطْلُبُنِي عَلَى الصِّرَاطِ. قُلْتُ: فَإِذَا لَمْ أَلْقَكَ؟ قَالَ: فَأَنَا عِنْدَ الْمِيزَانِ. قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عِنْدَ الْمِيزَانِ؟ قَالَ: فَأَنَا عِنْدَ الْحَوْضِ، لَا أُخْطِئُ هَذِهِ الثَّلَاثَ مَوَاطِنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ حَرْبِ بْنِ مَيْمُونٍ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৭৩৪১
الْخَطَّابِ الْأَنْصَارِيِّ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنِ ابْنِ أُمِّ سُلَيْمٍ، يَعْنِي أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ. وَقَالَ أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ: كَانَ أَحْسَنَ النَّاسِ صَلَاةً فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ. وَقَالَ أَنَسٌ: يَا ثَابِتُ خُذْ مِنِّي; فَإِنِّي أَخَذْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَسْتَ تَجِدُ أَوْثَقَ مِنِّي. وَقَالَ مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: مَا بَقِيَ أَحَدٌ صَلَّى الْقِبْلَتَيْنِ غَيْرِي. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ لَنَا يُكَنَّى أَبَا حُبَابٍ، سَمِعْتُ الْجَرِيرِيَّ يَقُولُ: أَحْرَمَ أَنَسٌ مِنْ ذَاتِ عِرْقٍ، فَمَا سَمِعْنَاهُ مُتَكَلِّمًا إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৭৩৪২


যে বস্তু দ্বারা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা হয় এটাতে কোন প্রকার রাজস্ব আদায় করবে
না ৷ ইবন সীবীন (র) বলেন, দীনার ও দিবহামের ক্ষেত্রে ট্টআবু শা ছা ছিলেন একজন খাটি
মুসলিম ৷ তার সম্বন্ধে নিম্নবর্গিত কবিতাটি প্রসিদ্ধং :
, আমি তাকে দেখেছি; তাকে অন্য কেউ ধারণা করো না ; তার কাছে দিরহাম হলো

পরহেযপারীর বস্তু ৷ যখন তুমি তা ব্যয় কঃা৷র ক্ষমতা রাখ ৷ তারপর তুমি তা ছেড়ে দিলে অর্থাৎ
ব্যয় করলে না, তাহলে জেনে রেখো তোমার ব্যয় না করার পরহেযগারীই একজন খাটি
মুসলিমের পরহেযগারী ৷

আবু শ৷ ছা বলেনং ইয়াতীম এবং মিসকীনের জন্যে এক দিরহাম সাদকা করা ইসলামের
দৃষ্টিতে হ্যজ্জর পর হজ্জ করার চেয়ে আমার কাছে বেশী প্রিয় ৷ আবু শা ছ৷ শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি বসরায় ফাতওয়া প্রদান করতেন ৷ জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)-এর
ন্যায় কোন সাহাবীকে বসরায় বাসিন্দারা কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেন ৷ তোমরা
আমাকে কেমন করে এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করছ অথচ ণ্তামাদ্যে৷ মধ্যে রয়েছেন আবু শাছ৷ ?

জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ তাকে বলেন £ হে ইবন যায়দ ! আপনি বসরায় ফকীহগণের
অন্তর্ভুক্ত ৷ আপনিই অদুর ভবিষ্যতে ফাতওয়া প্রদান করবেন ৷ কাংজ্জী আপনি সত্যের প্রবক্তা
হিসেবে পবিত্র কুরআন কিত্ব৷ পুর্বের সুন্নাতের ভিত্তিতে ফাতওয়া দান করুন ৷ আপনি যদি এ
ছাড়া অন্য কাজ করেন তাহলে আপনি নিজে ধ্বংস হবেন এবং অন্যকেও ধ্বংস করবেন ৷

আমর ইবন দীনার বলেন : ফাতওয়া প্রদান সংক্রান্ত ব্যাপারে জাবির ইবন যায়দ হতে
অধিক জ্ঞানী আমি আর কাউকে দেখতে পাইনি ৷

ইয়াস ইবন মুআবিয়৷ বলেন : আমি বসরাবাসিগণকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তাদের
মুফতী ছিলেন উমাৰনর বাসিন্দা আল্লাম৷ জাবির ইবন যায়দ ৷ যেদিন জাবির ইবন যায়দকে
দাযপ্স করা হল সেদিন আল্লাম৷ কাতাদা ৪বলেন আজকের দািন দুনিয়াবাসীদের সবচেয়ে বেশী
শিক্ষিত লোককে দাফন বরো হল ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাহ আমর ইবন দীনার হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেনং
আল-হাকাম ইবন আব্যুব কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে কাযীরুপে প্রেরণ করেন ৷ আমি তাদের মধ্যে
একজন ৷ এ ব্যাপারে যদি আমি কখনও কোন সমস্যার সম্মুখীন হতাম, সওয়ার হতাম ও তার
কাছে দৌড়িয়ে যেতাম ৷

আবুস-শা ছা বলতেনং পুণ্যের কার্যগুলাের প্রতি আমি লক্ষ্য করলাম, দেখলাম যে সালাত
শরীরকে কষ্ট দেয় ৷ কিন্তু, সম্পদকে স্পর্শ করে না ৷ সিয়াম সাধনাও অনুরুপ ৷ কিন্তু, হজ্জ
সম্পদ ও শরীর উভয়টাকে শ্রম দিতে বাধ্য করে ৷ তইি আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে,
এগুলোর মধ্যে হ্জ্জই অধিক মর্যাদার অধিকারী ৷ একদিন তিনি একটি৷ বা গান থেকে এক মুষ্টি
মাটি নিলেন ৷ যখন ভোর হলো তখন তিনি তা বাগানে নিক্ষেপ করলেন আর বা ৷গানঢি ছিল
অন্য এক সম্প্রদায়ের ৷ তারা তখন বলতে লাগল, যদি তিনি যখনই এখান দিয়ে গমন করেন,
এরুপ এক মুষ্টি মাটি নিয়ে নিতেন, তাহলে বাগানের আর কিছুই বাকী থাকত না ৷

আবুস শ৷ ছা বলতেন, যখন তুমি জুমুআর দিন মসজিদে আসবে, দরযায় দা ৷ড়িয়ে পড়বেঃ
হু:াভ্রু;ও ;,;


بِذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى أَحَلَّ. فَقَالَ لِي: يَا ابْنَ أَخِي، هَكَذَا الْإِحْرَامُ. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: دَخَلَ عَلَيْنَا أَنَسٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَنَحْنُ فِي بَعْضِ أَبْيَاتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَتَحَدَّثُ فَقَالَ: مَهْ. فَلَمَّا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ قَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَكُونَ قَدْ أَبْطَلْتُ جُمُعَتِي بِقَوْلِي لَكُمْ: مَهْ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا ثَنَا بَشَّارُ بْنُ مُوسَى الْخَفَّافُ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ أَنَسٍ فَجَاءَ قَهْرَمَانُهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، عَطِشَتْ أَرْضُنَا. قَالَ: فَقَامَ أَنَسٌ، فَتَوَضَّأَ وَخَرَجَ إِلَى الْبَرِّيَّةِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَا، فَرَأَيْتُ السَّحَابَ يَلْتَئِمُ، ثُمَّ مَطَرَتْ حَتَّى مَلَأَتْ كُلَّ شَيْءٍ، فَلَمَّا سَكَنَ الْمَطَرُ بَعَثَ أَنَسٌ بَعْضَ أَهْلِهِ فَقَالَ: انْظُرْ أَيْنَ بَلَغَتِ السَّمَاءُ، فَنَظَرَ فَلَمْ تَعْدُ أَرْضَهُ إِلَّا يَسِيرًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، ثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ: كَانَ أَنَسٌ إِذَا حَدَّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا فَفَرَغَ مِنْهُ قَالَ: أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ: بَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৩
أَمِيرٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ إِلَى أَنَسٍ شَيْئًا مِنَ الْفَيْءِ، فَقَالَ: أَخُمُسٌ؟ قَالَ: لَا. فَلَمْ يَقْبَلْهُ. وَقَالَ النَّضِرُ بْنُ شَدَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ: مَرِضَ أَنَسٌ، فَقِيلَ لَهُ: أَلَا نَدْعُو لَكَ الطَّبِيبَ؟ فَقَالَ: الطَّبِيبُ أَمْرَضَنِي. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ: ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: كُنْتَ فِي الْقَصْرِ مَعَ الْحَجَّاجِ وَهُوَ يَعْرِضُ النَّاسَ لَيَالِيَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَجَاءَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ الْحَجَّاجُ: هِي يَا خَبِيثُ، جَوَّالٌ فِي الْفِتَنِ، مَرَّةً مَعَ عَلِيٍّ، وَمَرَّةً مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَمَرَّةً مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ الْحَجَّاجِ بِيَدِهِ لَأَسْتَأْصِلَنَّكَ كَمَا تُسْتَأْصَلُ الصِّمْغَةُ، وَلَأُجَرِّدَنَّكَ كَمَا يُجَرَّدُ الضَّبُّ. قَالَ: يَقُولُ أَنَسٌ: مَنْ يَعْنِي الْأَمِيرُ؟ قَالَ: إِيَّاكَ أَعْنِي، أَصَمَّ اللَّهُ سَمْعَكَ. قَالَ: فَاسْتَرْجَعَ أَنَسٌ، وَشُغِلَ الْحَجَّاجُ، فَخَرَجَ أَنَسٌ فَتَبِعْنَاهُ إِلَى الرَّحْبَةِ، فَقَالَ: لَوْلَا أَنِّي ذَكَرْتُ وَلَدِي وَخِفْتُهُ عَلَيْهِمْ لَكَلَّمْتُهُ بِكَلَامٍ فِي مَقَامِي هَذَا لَا يَسْتَحْيِينِي بَعْدَهُ أَبَدًا. وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ أَنَّ أَنَسًا بَعَثَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يَشْكُو إِلَيْهِ الْحَجَّاجَ، وَيَقُولُ فِي كِتَابِهِ: إِنِّي خَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ، وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৪
الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَدْرَكُوا رَجُلًا خَدَمَ نَبِيَّهُمْ لَأَكْرَمُوهُ. وَذَكَرَ لَهُ أَذِيَّةَ الْحَجَّاجِ لَهُ، فَلَمَّا قَرَأَ عَبْدُ الْمَلِكِ كِتَابَهُ حَصَلَ عِنْدَهُ أَمْرٌ عَظِيمٌ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَقُولُ: وَيْلَكَ، لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ لَا يَصْلُحَ عَلَى يَدَيَّ أَحَدٌ. وَذَكَرَ لَهُ كَلَامًا فِيهِ غِلْظَةٌ، وَيَقُولُ فِيهِ: إِذَا جَاءَكَ كِتَابِي فَقُمْ إِلَى أَنَسٍ، وَاعْتَذِرْ لَهُ. فَجَاءَ كِتَابُ عَبْدِ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ بِالْغِلْظَةِ فِي ذَلِكَ، فَهَمَّ أَنْ يَنْهَضَ إِلَى أَنَسٍ، فَأَشَارَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ الَّذِي قَدِمَ بِالْكِتَابِ أَنْ لَا يَذْهَبَ إِلَى أَنَسٍ، وَأَشَارَ عَلَى أَنَسٍ أَنْ يُبَادِرَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِالْمُصَالَحَةِ وَكَانَ إِسْمَاعِيلُ صَدِيقَ الْحَجَّاجِ فَجَاءَ أَنَسٌ، فَقَامَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ يَتَلَقَّاهُ، وَقَالَ: إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُكَ، كَمَا قِيلَ: إِيَّاكِ أَعْنِي وَاسْمَعِي يَا جَارَةُ. أَرَدْتُ أَنْ لَا يَبْقَى لِأَحَدٍ عَلَيَّ مَنْطِقٌ. وَقَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ لَمَّا قَالَ لِأَنَسٍ مَا قَالَ: يَا ابْنَ الْمُسْتَفْرِمَةِ بِحَبِّ الزَّبِيبِ، لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَرْكُلَكَ رَكْلَةً تَهْوِي بِهَا إِلَى نَارِ
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৫

অর্থাৎ “হে আল্লাহ! অদ্য যারা তোমার প্রতি ম৫নাযােগী হবে, তাদের মধ্যে আমাকে অধিক
মনােযােগী কর, যারা তোমার নৈকট্য লাভ করবে, তাদের মধ্যে আমাকে অধিক নৈকট্য
অর্জ্যকারী কর, আর যারা তোমাকে ডাক৫ব ও তোমার প্ৰতি আকৃষ্ট হবে, তাদের মধ্যে
আমাকে অধিক সফলকাম কর ৷”

সায়্যার বলেনঃ হাষ্মাদ ইবন যায়দ, আলহাজ্জাজ ইবন আবু উয়ায়নাহ হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন : জাবির ইবন যায়দ আমাদের সালাত আদায়ের জায়গায় আসজ্যে ৷ তিনি একদিন ;
আমাদের কাছে আগমন করলেন ৷ আর তার পায়ে ছিল একজােড়৷ পুরানো জুতা ৷ তিনি
বললেন, আমার আয়ুর ষাট বছর চলে গেল আমার এ জুতাগুলো আমার কাছে অন্যগুলোর
চেয়ে অধিক প্রিয় ৷ তবে ছুদ্রা, যদি পুর্বে আমি কোন কল্যাণ আঞ্জাম দিয়ে থাকি তা ভিন্ন কথা ৷
সৃালিহ্ আদ-দিহান বলেন জাবির ইবন যায়দের হাতে যদি কোন স৫ ন্দহজনক কিংবা অচল
মুদ্রা এসে ৫যত তিনি তা ধ্বংস করে ফেলে দিতেন যাতে অন্য কোন মুসলিম প্রতারিত না হন ৷

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন : মালিক ইবন দীনার হতে আবু আবদুস সামাদ
আল-আমী আমার কাছে হাদীস বণ্নি৷ করেন ৷ তিনি বলেন৪ একদিন জাবির ইবন যায়দ
আমার ঘরে প্রবেশ করেন, তখন আমি কুরআন শরীফ কাগজে লিখছিলাম ৷ আমি তাকে
বললাম, ৫হ আবু শা ছা! আমার এ ৫পশা কেমন মনে করেন ? তিনি বললেন, ৫তামার এ
পেশা একটি উত্তম ৫পশা ৷ মহান আল্লাহর কিতাব তুমি পৃঠ৷ থেকে পৃঠা, আয়াত থেকে আয়াত
এবং শব্দ থেকে শব্দ কপি করছ ৷ এ হালাল কাজে কোন ক্ষতি ৫নই ৷ মালিক ইবন দীনার
আরো বলেন : আমি তাকে সুরায়ে বনী ইসরাঈলের ৭৫নং আয়াত-এর অর্থ নম্বন্ধে জিজ্ঞাসা

করলাম ৷ আয়াত হলো : ৰু৷ ৷ এ

অর্থ হচ্ছে : তাহলে অবশ্য তোমাকে ইহজীবনে দ্বিগুণ ও পরজীবনে দ্বিগুণ শাস্তি আস্বাদন
করাতাম; তখন আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্যে কোন সাহায্যকারী পেতে না ৷ ”
সুফিয়ান বলেন : আবু উমায়র আল-হারিছ ইবন উমায়রু আমার কাছে হাদীসন্বণ্নাি
করেন ৷ তিনি বলেন : ঘরের মধ্যে উপস্থিত লোকজন মৃত্যুর সময় জাবির ইবন যায়দ৫ক
বলেন, তোমার মনে কি চায় ? তিনি বলেন৪ হাসানের দিকে নযর করতে মন চ ৷য় ৷ ছাবিত
হতে বর্ণিত বর্ণনায় রয়েছে যে ছাবিত বলেন, যখন জাবির ইবন যায়দের মৃত্যু আসন্ন, তখন
তাকে বলা হলো, তুমি কি চাও ? তিনি বললেন : হাসা৫নর দিকে নযর করতে মন চায় ৷
ছাবিত বলেনহ্র আমি হাসানের কাছে গেলাম ও তাকে অবহিত করলাম ৷ সে তার কাছে
যাওয়ার হয়ে আসল ৷ যখন সে ঘরে ঢুকল তিনি তখন পরিবার পরিজন৫ক বললেন, আমাকে
বসাও ৷ তিনি বললেন এবং বলতে লাগলেন, আমি মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম ও মন্দ
হিসাব থেকে আশ্রয় চাইছি ৷”
হামাদ ইবন যায়দ বলেন : হাজ্জাজ ইবন আবু উয়ায়নাহ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, উপস্থিত নারীদের মধ্যে উত্তম, হিন্দ ৰিনৃত আল-মুহাল্লাব ৷ ইবন আবু
সুফরাহ-এর কাছে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ যখন জাবির ইবন আবদুল্লাহ্র কথা উল্লেখ করেন ও তারা
বললেন, তিনি কী আবদুল্লাহ ইবন ইবাদ আত তামীমী আল খারিজীর অনুসারী ছিলেন ? হিন্দ
বললেনং জাবির ইবন যায়দ আমার সাথে ও আমার মায়ের সাথে সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল তার
বিরুদ্ধে আমি কিছুই জানি না ৷ যে বস্তুটি আমাকে মহান অ ৷ল্পাহ্র ভৈনকট্য লাভে সাহায্য করবে


جَهَنَّمَ، قَاتَلَكَ اللَّهُ أُخَيْفِشَ الْعَيْنَيْنِ، أُقَيْبِلَ الرِّجْلَيْنِ، أَسْوَدَ الْجَاعِرَتَيْنِ. وَمَعْنَى قَوْلِهِ: الْمُسْتَفْرِمَةِ بِحَبِّ الزَّبِيبِ، أَيْ: تُضَيِّقُ فَرْجَهَا عِنْدَ الْجِمَاعِ بِهِ. وَمَعْنَى: أَرْكُلُكَ، أَيْ: أَرْفُسُكَ بِرِجْلِي. وَسَيَأْتِي بَسْطُ ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ الْحَجَّاجِ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ الْعِجْلِيُّ: لَمْ يُبْتَلَ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ إِلَّا رَجُلَيْنِ; مُعَيْقِيبٌ كَانَ بِهِ الْجُذَامُ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ; كَانَ بِهِ وَضَحٌ. وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ: عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ قَالَ: رَأَيْتُ أَنَسًا يَأْكُلُ، فَرَأَيْتُهُ يَلْقَمُ لُقَمًا عِظَامًا، وَرَأَيْتُ بِهِ وَضَحًا شَدِيدًا. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا عِمْرَانُ، عَنْ أَيُّوبَ قَالَ: ضَعُفَ أَنَسٌ عَنِ الصَّوْمِ فَصَنَعَ جَفْنَةً مِنْ ثَرِيدٍ،
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৬
وَدَعَا ثَلَاثِينَ مِسْكِينًا فَأَطْعَمَهُمْ، وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا. وَقَالَ شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى السُّنْبُلَانِيِّ، قُلْتُ لِأَنَسٍ: أَنْتَ آخِرُ مَنْ بَقِيَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: قَدْ بَقِيَ قَوْمٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، فَأَمَّا مِنْ أَصْحَابِهِ فَأَنَا آخِرُ مَنْ بَقِيَ. وَقِيلَ لَهُ فِي مَرَضِهِ: أَلَا نَدْعُو لَكَ طَبِيبًا؟ فَقَالَ: الطَّبِيبُ أَمْرَضَنِي. وَجَعَلَ يَقُولُ: لَقِّنُونِي لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَهُوَ مُحْتَضِرٌ، فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُهَا حَتَّى قُبِضَ، وَكَانَتْ عِنْدَهُ عُصَيَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ بِهَا فَدُفِنَتْ مَعَهُ. قَالَ عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: مَاتَ وَلَهُ مِائَةٌ وَسَبْعُ سِنِينَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي مُسْنَدِهِ: ثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّ أَنَسًا عُمِّرَ مِائَةَ سَنَةٍ غَيْرَ سَنَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِالْبَصْرَةِ، وَكَذَا قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ والْفَلَّاسُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُؤَرِّخُونَ فِي سَنَةِ وَفَاتِهِ; فَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعِينَ. وَقِيلَ: إِحْدَى وَتِسْعِينَ. وَقِيلَ: ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ، وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৭
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: تُوُفِّيَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَجَابِرُ بْنُ زَيْدٍ فِي جُمُعَةٍ وَاحِدَةٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ. وَقَالَ قَتَادَةُ: لَمَّا مَاتَ أَنَسٌ قَالَ مُوَرِّقُ الْعِجْلِيُّ: ذَهَبَ الْيَوْمَ نِصْفُ الْعِلْمِ. قِيلَ لَهُ: وَكَيْفَ ذَاكَ يَا أَبَا الْمُعْتَمِرِ؟ قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْأَهْوَاءِ، إِذَا خَالَفُونَا فِي الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَا لَهُمْ: تَعَالَوْا إِلَى مَنْ سَمِعَهُ مِنْهُ. عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ يُقَالُ: إِنَّهُ وُلِدَ يَوْمَ تُوُفِّيَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَخُتِنَ يَوْمَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ، وَتَزَوَّجَ يَوْمَ مَقْتَلِ عَلِيٍّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ مَشْهُورًا بِالتَّغَزُّلِ الْمَلِيحِ الْبَلِيغِ، كَانَ يَتَغَزَّلُ فِي امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: الثُّرَيَّا بِنْتُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأُمَوِيَّةُ، وَقَدْ تَزَوَّجَهَا سَهْلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ: أَيُّهَا الْمُنْكِحُ الثُّرَيَّا سُهَيْلًا ... عَمْرَكَ اللَّهَ كَيْفَ يَلْتَقِيَانِ هِيَ شَامِيَّةٌ إِذَا مَا اسْتَقَلَّتْ ... وَسُهَيْلٌ إِذَا اسْتَقَلَّ يَمَانِ وَمِنْ مُسْتَجَادِ شِعْرِهِ مَا أَوْرَدَهُ ابْنُ خَلِّكَانَ:
পৃষ্ঠা - ৭৩৪৮
حَيِّ طَيْفًا مِنَ الْأَحِبَّةِ زَارَا ... بَعْدَ مَا صَرَّعَ الْكَرَى السُّمَّارَا طَارِقًا فِي الْمَنَامِ تَحْتَ دُجَى اللَّيْ ... لِ ضَنِينًا بِأَنْ يَزُورَ نَهَارَا قُلْتُ مَا بَالُنَا جَفَيْنَا وَكُنَّا ... قَبْلَ ذَاكَ الْأَسْمَاعَ وَالْأَبْصَارَا قَالَ إِنَّا كَمَا عَهِدْتَ وَلَكِنْ ... شَغَلَ الْحَلْيُ أَهْلَهُ أَنْ يُعَارَا