আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وتسعين

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭৩২৪


না ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ মসজিদে প্রবেশ করেন ও মসজিদে ঘুরতে থাকেন ৷ এখানে সেখানে
সালাত আদায় করেন ৷ আর আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাকেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
বলেন, আমি সাঈদের জায়গা থেকে খলীফাকে সরিয়ে রাখতে তৎপর ছিলাম এ ভয়ে যে
খলীফা যেন তাকে না দেখে ৷ কিন্তু খলীফার দৃষ্টি তার দিকে নিপতিত হল ৷ তিনি বললেন,
এটা কে ? সাঈদ ইবন আল মুসায়িদ্রব নয় ? আমি বললাম “হ্যা, হে আযীরুল যু’মিনীন! সে
যদি জানত যে আপনি আসতেছেন ৷ তাহলে, যে আপনার দিকে আসত এবং আপনাকে সালাম
করত ৷ খলীফা বললেন, আমি জানি যে, আমাদের প্রতি সে হিহ্সা বিদ্বেয় রাখে ৷ তখন আমি
বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে এরুপ, এরুপ এবং আমি তার প্রশং যা করতে লাগলাম ৷
অশ্ল-ওয়ালীদও তার জ্ঞান এবং দীনদারীর প্রশংসা করতে লাগলেন ৷ তখন আমি বললাম, “হে
আমীরপ্স মু’মিনীন৷ তিনি চোখে একটু কম দেখেন ৷” আমার এটা বলার উদ্দেশ্য হল তার
পক্ষ থােক অজুহাত পেশ করা ৷ খলীফা বললেন, “তার কাছে যাওয়া ও তার সাথে সাক্ষাত
করার ব্যাপারে আমরাই বেশী হকদার ৷ তখন খলীফা আসলেন এবং তার কাছে দণ্ডায়মান
হলেন ৷ সাঈদ খলীফাকে সালাম করলেন ৷ কিন্তু, তার জন্যে দাড়ালেন না ৷ তারপর
আল ওয়ালীদ বললেন, ওস্তাদ কেমন আছেন ? উত্তরে তিনি বললেন, ভালো, আলহাম্দু
লিল্লাহ্ ৷ আমীরুল মু’মিনীন কেমন আছেন ? আল ওয়ালীদ বললেন, “ভালো, এক আল্পাহ্র
জন্যই প্রশং সা ৷” তারপর খলীফা চলে গেলেন এবং উমর ইবন আবদুল আষীযকে বলছিলেন,
“তিনি একজন বিখ্যাত ফর্কীহ ৷” উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন, “হ্যা, আমীরুল
মুমিনীন! ঐতিহাসিকগণ বলেন, তারপর আল-ওয়ালীদ ৱাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মিম্বারে খুতবা
পাঠ করেন ৷ প্রথম খুত্বায় তিনি বসে ছিলেন এবং দ্বিতীয় খুতৃবায় তিনি দণ্ডায়মান ছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, খলীফা বললেন, এ রকমই উছমান (রা) খুতবা দিয়েছিলেন ৷ তারপর
খলীফা বিদায় হয়ে চলে গেলেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনাৰাসীদের জন্য প্রচুর স্বর্ণ ও রৌপ্য খরচ
করেন ৷ তারপর তিনি মসজিদে নববীকে কাপড়ের গিলাফ পরালেন যেমন কাবা শরীফকে
গিলাফ পরালেন ৷ গিলাফটি ছিল ভারী ব্লেশমী কাপড়ের ৷

এ বছরেই আস-সইিব ইবন ইয়ফুঈদ ইবন সাদ ইবন তামামা ইনৃতিকাল করেন ৷ তার
পিতা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছিলেন ৷ ঐ সময় আস-সাঈবের বয়স ছিল
সাত বছর মাত্র ৷ এ হাদীসটি, ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন ৷ এ জন্যই আল্লামা ওয়াকিদী
বলেন যে, তিনি তিন হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯১ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ কেউ
কেউ বলেন, তিনি ছয় হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি ৮৮
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷

সাহল ইবন সা দ আস-সাঈদী (বা)

তিনি একজন সম্মানিত মাদানী সাহাবী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইনৃতিকাল করেন, তখন
তার বয়সছিল ১৫ বছর ৷ হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ যখন মারা যায় তখন আনাস ইবন মালিক
(রা) ও জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) জীবিত ছিলেন ৷ যে তাদেরকে অপমানিত ও লঞ্ছিত করত
যাতে জনগণ তাদের অভিমত শ্রবণ না করে ৷ আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, সাহল (রা)
একশত বছর বয়সে ৯১ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন পবিত্র মদীনায় সর্বশেষ
সাহাবী ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেন, এতে কোন মতভেদ নেই ৷ ইমাম বুখারী (র) ও অন্যরা
বলেন, তিনি ৮৮ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷


الْوَلِيدُ: كَيْفَ الشَّيْخُ؟ فَقَالَ: بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، كَيْفَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ الْوَلِيدُ: بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَحْدَهُ. ثُمَّ انْصَرَفَ، وَهُوَ يَقُولُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: هَذَا بَقِيَّةُ النَّاسِ. فَقَالَ: أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالُوا: ثُمَّ خَطَبَ الْوَلِيدُ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ فِي الْخُطْبَةِ الْأُولَى، وَانْتَصَبَ قَائِمًا فِي الثَّانِيَةِ، وَقَالَ: هَكَذَا خَطَبَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. ثُمَّ انْصَرَفَ، فَصَرَفَ عَلَى النَّاسِ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَهَبًا كَثِيرًا وَفِضَّةً كَثِيرَةً، ثُمَّ كَسَا الْمَسْجِدَ النَّبَوِيَّ كُسْوَةً مِنْ كُسْوَةِ الْكَعْبَةِ الَّتِي مَعَهُ، وَهِيَ مِنْ دِيبَاجٍ غَلِيظٍ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ ثُمَامَةَ وَقَدْ حَجَّ بِهِ أَبُوهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عُمْرُ السَّائِبِ سَبْعَ سِنِينَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. فَلِهَذَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّهُ وُلِدَ سَنَةَ ثَلَاثٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَتُوُفِّيَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَتِسْعِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سِتٍّ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ السَّاعِدِيُّ، صَحَابِيٌّ مَدَنِيٌّ جَلِيلٌ، تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَكَانَ مِمَّنْ خَتَمَهُ الْحَجَّاجُ فِي عُنُقِهِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ، هُوَ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي يَدِهِ; لِيُذِلَّهُمْ كَيْلَا يَسْمَعَ النَّاسُ مِنْ رَأْيِهِمْ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَتِسْعِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৩২৫
عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ، وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ فِي الْمَدِينَةِ مِنَ الصَّحَابَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: لَيْسَ فِي هَذَا خِلَافٌ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.