আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭২৯৫


এ;ষ্৷ ৷ নামক অধ্যায়ে বনু উমায়্যার খিলাফত সম্পর্কে বহু কিছু উল্লেখ করা হয়েছে ৷
তার বর্তমান আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ব্যক্তিগত পর্যায়ে সতর্কতা অবলম্বন করতেন

এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অত্যন্ত বুদ্ধিমানের পরিচয় দিতেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি অজানা
সিদ্ধাত্তকে পসর্ম্প করতেন না ৷ তার গুণাবলীর মধ্যে যা শুদ্ধরুপে আমাদের কাছে এসে
পৌছেছে, তার মধ্যে একটি হল যে, তিনি বলতেন, যদি আয়াহ্ তা আলা তার কিতাবে লুত
(আ)এর সম্প্রদায়ের ঘটনা বর্ণনা না করতেন, তাহলে আমরা ধারণাও করতে পারতাম না যে,
পুরুষ ত্রীলোকের ন্যায় পুরুষের উপরও উদগত হয় ৷ এ ব্যাপারে অবশ্য তার জীরনীতে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ তিনি ছিলেন দামেশৃকের জামি মসজিদের নির্মাতা ৷ এ

এলাকায় এরুপ অত্যন্ত সুন্দর নির্মাণ কাজ আর ছিল না ৷ এ বছরের যুলুং-কা দাহ্ সালে তার
নির্মাণ কার্য আরম্ভ করা হয়েছিল ৷ কিত্তু, তার নির্মাণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজটি তার খিলাফাতর
পুর্ণ সময় ব্যয় হয়েছিল ৷ আর তা ছিল দশ বছর ৷ যখন মসজিদের কাজ শেষ হয়, তখন তার
খিলাফতের কািগুলোরও সমাপ্তি ঘটে ৷ যা পরে বিস্তারিত আলোনো করা হবে ৷ এ মসজিদের
জায়গাটি ছিল একটি বিরাট ইয়াহুদী ও খৃক্টানদের উপাসনালয় ৷ এর নাম ছিল “কানীসায়ে
ইউহান্না” ৷ সাহাবায়ে কিরাম যরন দামেশৃক জয় করেন, তখন তারা এ উপাসনালয়টি সমান
দুইভা₹র্গ ভাগ করেন ৷ তার পুর্বঅৎশের ভাপটি হস্তগত করেন এবং এটাকে মসজিদে পরিণত
করেন ৷ আর পশ্চিমের অংশটি ১৪ হিজরী হতে এ বছর পর্যন্ত উপসনালয় হিসেবে বাকী থাকে ৷
আল-ওয়ালীদ উপাসনালয়ের বাকী অংশটুকু হস্তপত করতে মনস্থ করলেন এবং
কানীসায়ে-মারইয়াম এটার পরিবর্তে প্রদান করলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, কানীসারে ণ্তামার’
এটার পরিবর্তে দান করেন ৷ বন্তুতঃ আল-ওয়ালীদ উপাননালরের বাকী অংশটুকু ধ্বংস করেন
এবং তা সাহাবায়ে কিরামের নির্মিত মসজিদের সাথে সৎযােজ্যা করেন ৷ সমস্ত জায়গা মিলে
তিনি এমন একটি সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করেন যার নির্মাণ কাজ ও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে
অধিকাংশ <লাকের কাছে অতুলনীয় ও নযীরবিহীন ৷

৮৭ হি;জয়ীর প্রানশুষ্

এ বছুরেই আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক হিশাম ইবন ইসমাঈলকে পবিত্র মদীনায়
আমীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং তার চাচাতো ভইি ও তার বোন ফাতিমা বিন্ত আবদুল
মালিকের স্বামী উমর ইবন আবদুল আষীযকে পবিত্র মদীনায় আমীর নিযুক্ত করেন ৷ তিনি ,
রাবীউল আউয়াল মাসে ৩০টি বাহন নিয়ে পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ তিনি মারওয়ানের
ঘরে অবতরণ করেন এবং জনগণ তাকে সালাম করার জন্যে তার কাছে আগমন করে ৷ তখন
তার বয়স ছিল ২৫ বছর ৷ যুহরের সালাত আদায় করার পর প্ তিনি পবিত্র মদীনায় দশজন
হৃস্ফীহকে ডাকলেন ৷ তারা হলেন : উরওয়াহ ইবন আয-যুবায়র; উৰায়দৃল্লাহ্ ইবনআবদুল্লাহ্
ইবন উত্বাহ্ অ,া-বু বকর ইবন সুলায়মান ইবন খাইসামা; সুলায়মান ইবন ইয়াসার;
আল-কাসিম ইবন মুহাম্মদ; সালিম ইবন আবদ্বল্পাহ্ ইবন উমর, তার ভাই উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উমর; আবদুল্লাহ্ ইবন আমির ইবন রাবীআ; খারিজ৷ ইবন যায়দ ইবন
সাবিত ৷ তারা তার কাছে প্রবেশ করলেন এবং আসন গ্রহণ করলেন ৷ উমর ইবন আবদুল
আযীয মহান আল্লাহ্র হামদ করলেন এবং যথোচিংচ প্ৰশং সা করলেন ৷ তারগ্লুর বললেন, আমি
আপনাদেরকে একটি কাজের জন্যে ডেকেছি যার জন্যে আপনাদেরকে পুরকার দেওয়া হবে ৷
আর এর দ্বারা আপনারা সত্যের সাহায্য করবেন ৷ আমি আপনাদের রায় ব্যতীত কোন কাজৈর


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا عَزَلَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ هِشَامَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا ابْنَ عَمِّهِ وَزَوْجَ أُخْتِهِ - فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ - عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَدَخَلَهَا فِي ثَلَاثِينَ بَعِيرًا فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا، فَنَزَلَ دَارَ مَرْوَانَ وَجَاءَ النَّاسُ لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ - وَعَمْرُهُ إِذْ ذَاكَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً - فَلَمَّا صَلَّى الظَّهْرَ دَعَا عَشَرَةً مِنْ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ وَهُمْ: عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتَبَةُ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، وَالْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَأَخُوهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَخَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَجَلَسُوا، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي إِنَّمَا دَعَوْتُكُمْ لِأَمْرٍ تُؤْجَرُونَ عَلَيْهِ، وَتَكُونُونَ فِيهِ أَعْوَانًا عَلَى الْحَقِّ، إِنِّي لَا أُرِيدُ أَنْ أَقْطَعَ أَمْرًا إِلَّا بِرَأْيِكُمْ، أَوْ بِرَأْيِ مَنْ حَضَرَ مِنْكُمْ، فَإِنْ رَأَيْتُمْ أَحَدًا يَتَعَدَّى، أَوْ بَلَغَكُمْ عَنْ عَامِلٍ لِي ظُلَامَةٌ، فَأُحَرِّجُ عَلَى مَنْ بَلَغَهُ
পৃষ্ঠা - ৭২৯৬


ফায়সালা করতে চাই না ৷ অথবা আপনাদের মধ্যে যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের অভিমত
ব্যতীত কোন কাজ সম্পাদন করতে চাই না ৷ যাদ আপনারা কাউকে যুলুম করতে দেখেন অথবা
আপনাদের কাছে সংবাদ পৌছে যে, কোন কর্মচারী কোন প্রকার যুলুম করেছে তাহলে যার
কাছে এ সংবাদ পৌছেছে সে যেন আমার বিরুদ্ধাচরণ করার পুর্বে আমার কাছে এ সংবাদটি
পৌছায় ৷ তখন তারা তার কাছ থেকে ভাল ধারণা নিয়ে বের হয়ে ণ্গলেন এবং এ কথার উপর
বিদায় হয়ে গেলেন ৷ খলীফা আল-ণ্ডয়লীেদ উমর ইবন আবদুল আযীষের কাছে লিখলেন ও
ন্ হিশাম ইবন ইসমাঈলকে যেন মাযওয়ানের ঘরে জনগণের জন্যে নযরবন্দী করে রাখা হয় ৷
তিনি তার সম্বন্ধে খারাপ ধারণা পোষণ করছিলেন ৷ কেননা, তিনি তার শাসনামলে পবিত্র ,
মদীনাবাসীদের সাথে খারাপ আচরণ করছিলেন ৷ তার শাসনামল ছিল প্রায় চার বছর ৷ তিনি
বিশেষ করে সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব ও আলী ইবনুল হুসায়নের সাথে দৃর্ব্যবহার করেছিলেন ৷
সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব তার ছেলে ও অধীনস্থুদেরকে বলেছিলেন, “তোমরা কেউ আমার জন্যে
এ সোকটির সাথে সংঘর্ষে পতিত হবে না ৷ এটা আমি আত্মীয়তার জন্যে মহান আল্লাহ্র কাছে
প্ ছেড়ে দিলাম ৷ তবে আমি তার সাথে আর কােনদিনও কথা বলব না ৷ আলী ইবনুল হুসায়ন
তার কাছ দিয়ে গমন করছিলেন ৷ আর তখন তিনি ছিলেন বন্দী ৷ কিতু, তিনি তার সাথে কোন
বাক্য ব্যয় করেননি ৷ তিনি তার বিশিষ্ট ণ্লাকাদরকে বলে রেখেছিলেন তাদের কেউ যেন তার ন্
সাথে ৫কানপ্রকার বাক-বিতণ্ডায় জড়িত না হয় ৷ যখন তিনি তার কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন

ও তাকে কিছুই বললেন না ৷ তখন হিসাম উচ্চস্বরে বললেন ট্রুট্রুশ্’ ১ঠু পু ট্রুপু ণ্ার্দুৰ্া
(fl£, অর্থাৎ আল্লাহ্ই ভাল জানেন যে কাকে তিনি দায়িত্ব দিবেন ৷ এ বছরেই মাসলামা

ইবন আবদুল মালিক রোমের শহরগুলোতে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি তাদের বহু লোককে হত্যা
করেন ৷ বহু দুর্গ জয় করেন এবং বহু যুদ্ধলব্ধ সম্পদ লাভ করেন ৷ কথিত আছে যে, এ বছর
যিনি রোমের বিজ্যি শহরে যুদ্ধ করেন তিনি হলেন হিশাম ইবন আবদুঃ৷ মালিক ৷ তখন তিনি
বুলক দুর্গ, আলআখরাম দুর্গ, বুহায়রাতৃল ফারমাসান দুর্গ, বুলস দুর্গ কুমায়কাম দুর্গ দখল
করেন ৷ প্রায় এক হাজার লোককে তিনি হত্যা করেন যারা অনারব ৷ কিন্তু, আরবদের অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিলেন ৷ আর তাদের ছেলে মেয়েদেরকে বন্দী করেন ৷

এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম তুরস্কের শহরগুলোতে যুদ্ধ করেন এবং তাদের শাসক
নাইযাক প্রচুর সম্পদের বিনিময়ে তার সাথে সন্ধি করেন ৷ আর অঙ্গীকার করেন যে, প্রতিটি
শহরে যত মুসলিম বন্দী রয়েছে তাদেরকে বিনাশর্তে ছেড়ে দৈবেন ৷ এ বছরেই কুতায়বা
বায়কা ন্দে যুদ্ধ করেন ৷ তৃর্কীদের বহু লোক বায়কান্দে কুতায়বার সাথে সাক্ষাত করেন বায়কান্দ
বুখারার একটি প্রদেশ ৷ যখন কুতায়বা তাদের অঞ্চলে আগমন করেন, তখন সুগদেরবি
বাসিন্দাসহ আশপাশের বহু তুর্কী জনগণ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আগমন করল ৷ তাদের
সংখ্যা ছিল বিরাট আকারের ৷ তারা কুতায়ৰার রাস্তা ও বইির্গমনের পথওলাে অবরোধ করে
ফেলে ৷ এর্তেকুতায়বাহ ও তার সাথীরা দুইমাসের জন্যে বন্দী হয়ে পড়েন ৷ তিনি তাদের কাছে
কোন দুত প্রেরণ করতে পারেননি এবং তারাও তার কাছে কোন দুত প্রেরণ করে নইি ৷
হাজ্জাজের কাছে তাদের সংবাদ পৌছতে দেরী হয়ে গেল ৷ এতে হাজ্জাজ তার জন্যে ভীত হয়ে
পড়লেন এবং তুহীংদররুলংখ্যা বেশী হওয়ায় তিনি মুসলমানদের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকা করতে
লাগলেন তিনি জনগগকে মসজ্যিদ মসজিদে তাদের জন্যে দুআ করতে বললেন এবং এ মর্মে
বিভিন্ন শহরে “বন্দরে পত্র লিখলেন ৷ কুতায়বা ও তার সাথী মুসলমানগণ দৈনিক তৃর্কীসৈন্যদেৱ
সাথে ষুদ্ধকরতেছিলেন ৷ কুতায়ৰার একজন অনারব গুপ্তচরছিল তার নাম ছিল তৃন্দার !


ذَلِكَ إِلَّا أَبْلَغَنِي، فَخَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ يَجْزُونَهُ خَيْرًا، وَافْتَرَقُوا عَلَى ذَلِكَ. وَكَتَبَ الْوَلِيدُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِأَنْ يُوقِفَ هِشَامَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ لِلنَّاسِ عِنْدَ دَارِ مَرْوَانَ، وَكَانَ سَيِّئَ الرَّأْيِ فِيهِ ; لِأَنَّهُ أَسَاءَ إِلَى النَّاسِ بِالْمَدِينَةِ فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ عَلَيْهِمْ، وَكَانَتْ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِ سِنِينَ، وَلَا سِيَّمَا إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَإِلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، فَلَمَّا أُوقِفَ لِلنَّاسِ قَالَ هِشَامٌ: مَا أَخَافُ إِلَّا مِنْ سَعِيدٍ وَعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ. فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ لِابْنِهِ وَمَوَالِيهِ: لَا يَعْرِضُ مِنْكُمْ أَحَدٌ لِهَذَا الرَّجُلِ، فَإِنِّي تَرَكْتُ ذَلِكَ لِلَّهِ وَلِلرَّحِمِ، وَأَمَّا كَلَامُهُ فَلَا أُكَلِّمُهُ أَبَدًا. وَأَمَّا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ فَإِنَّهُ مَرَّ بِهِ وَهُوَ مَوْقُوفٌ عِنْدَ دَارِ مَرْوَانَ فَلَمْ يَتَعَرَّضْ لَهُ، وَكَانَ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَى خَاصَّتِهِ أَنْ لَا يَعْرِضَ لَهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِهِ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ وَتَجَاوَزَهُ، نَادَاهُ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ فَقَالَ: " اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَاتِهِ ". وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الرُّومِ فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَفَتَحَ حُصُونًا كَثِيرَةً، وَغَنِمَ غَنَائِمَ جَمَّةً، وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي غَزَا بِلَادَ الرُّومِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَفَتَحَ حِصْنَ بِوَلْقَ، وَحِصْنَ الْأَخْرَمِ، وَبُحَيْرَةَ الْفُرْسَانِ، وَحِصْنَ بُولَسَ وَقُمَيْقِمَ، وَقَتَلَ مِنَ الْمُسْتَعْرِبَةِ نَحْوًا مِنْ أَلْفٍ، وَسَبَى ذَرَّارِيَّهُمْ، وَفِيهَا غَزَا قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ بِلَادَ التُّرْكِ، وَصَالَحَهُ مَلِكُهُمْ نَيْزَكُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭২৯৭


বুখারার বাসিন্দাগণ তাকে প্রচুর সম্পদ প্রদান করেছিল এ শর্তে যে, সে কুতড়ায়বার; কাছে গমন
করবে ও তাকে তাদের জন্যে অপমানিত করবে ৷ সে তার কাছে চুক্তি মুতাবিক আগমন করল
এবং একাকী তার সাথে দেখা করার জন্যে আরবী পোপ করল ৷ তখন তিনি তার সাথে একাকী
সাক্ষাত করলেন ৷ তবে কাছে শুধুমাত্র একজন ণ্লাক ছিল যার নাম দিরার ইবন হাশিম ৷ তুন্দার
তাকে বললং : ইনি একজন কর্মচারী ৷ আপনার কাছে হাজ্জাভ্রুজর অব্যাহতি পত্র নিয়ে দ্রুত
আগমন করেছেন অরে আপনি যদি আপনার লোকজন নিয়ে মারডের দিকে অগ্রসর হন এটা
হবে আপনার জানা মঙ্গলজসক ৷ তখন কুতায়বা তার শিয়া নামী পােলামকে তার গর্দান কর্তন
করার জন্যে হুকুম দিলেন ৷ গোলাম তাকে হত্যা করল ৷ তারপর তিনি দিরারকে বললেন£ ভুমি
ও আমি ব্যতীত অন্য কেউ এ ঘটনাটি দেখেও নাই শ্যুন ও নইি ৷ তাই আমি মহান আল্লাহর
নামে অঙ্গীকার করছি যে, যদি এটা আমাদের-যুদ্ধ শেষ হওয়ার পুর্বে প্রকাশ পায়, তাহলে আমি
তোমাকে তার কাছে পৌছিয়ে দিব অর্থাৎ হত্যা করব ৷ তাই তুমি তোমার জিহ্বাকে আমাদের
ব্যাপারে সত্য যত রাখবে ৷ কেননা, যদি বর্তমানে এটা প্রকাশ পায় তাহলে জনগণের সাহায্যে
ভাটা পড়বে এবং দুশমনের জন্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে ৷ ন্
তারপর কুতায়বা দণ্ডায়মান হলেন, জনগণকে যুদ্ধের জন্যে উৎসাহিত করলেন এবং ঝাণ্ডা
বহনকারীদের কাছেস্ব গিয়ে তাদেরকেও উৎসাহিত করতে লাণলেন ৷ তাতে জনগণ তুমুল যুদ্ধে
অংশ্যাহণ করলেন ৷ তারপর আল্লাহ তাআল৷ মুসলমানদের উপর ধৈর্য ও সংযম নাযিল করেন
আর দিনের অর্ধেক না হতেই আল্লাহ্ তাআলা তাদের উপর বিজয় ও সাহায্য নাযিল করেন
এবং তুকীরাি চরম ও পরম পরাজয় বরণ করে ৷ মুসলমানপণ ন্তাদ্দের পশ্চাদনুসরণ করেন ৷
তাদের বহু ণ্লাককে হত্যা করেন ৷ তাদের বাকী সঃব্রখ্যকঅধিবাষিপপ শহরে আশ্রয় নেয় ৷
কুতায়বা কযীদৈরকে আদেশ দিলেন যেন শহরঢিৱট্রুক ধ্বংস করে দেয় ৷ তখন তারা প্রচুর
সম্পদের বিনিময়ে সন্ধির আবেদন করে ৷ কুতায়বাহ তাদের সাথে সন্ধি করেন এবংণ্ৰুতাদের
মধ্য থেকে, একজনকে তাদের আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আর তার কাছে একদল সৈন্যও কর্তব্যে
নিয়োজিত রাখেন ন্ ৷ তারপর তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ যখন তিনি তাদের থেকে
১৫ মইিল দুরে আসলেন তারা তাদের সন্ধি ভঙ্গ ;করল, আমীরকে হত্যা করা এবং তাদের
সাথে যারা ছিল তাদ্দের নাক কোট দিল ৷ কুতায়বা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করেন এবং
তাদেরকে একমাসযাবত অবরোধ করে রাখেন ৷ দলনেতা ও কর্গীদেরকে হুকুম দেন যেন
তাদের নগর দেয়ালে কাঠখড়ি স্থাপন করা হয় ও তার মধ্যে অপ্লিৰুসংযো গ করা হয় ৷ ফলে নগর
দ্দেওয়াল বসে পড়ে ৷ চল্লিশজনক কর্মী নিহত হয় ৷ তখন তারা সন্ধির জন্য আবেদন করে ৷ ণ্
;বি১ন্তু, কুতায়বাহ তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান ৷ তারপর তিনি বিজয় লউিকরলেন এবং
যােদ্ধাদেরকে হত্যা করলেন, আর তাদের ছেলে মোয়দেরকে বন্দী করা হলো এবং পনীমত
হিসেবে প্রচুর অর্থসম্পদ অর্জিত হয় ৷ মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি লোক সগ্লোম করেছিল ৷ সে
ছিল কানা ৷ তাকে বন্দী করা :হলো ৷ তখন সে বলল, আমার জীবনের বিনিময়ে আমি ৫টি
দামী চীনা কাপড় প্রদান করছি যায় মুল্য এক লক্ষ মুদ্রা ৷ আমাকে মুক্তি দিন ৷ অন্যান্য নেতারা
তা গ্রহণ করার জন্য কুতায়বাকে ইঙ্গিত করলেন কিন্তু কুতায়বা বললেন, না আল্পাহ্র শপথ,
দ্বিতীয়বার কোন মুসলমানের ক্ষতি করার সুযোগ আর আমি তোমাকে প্রদান করব না ৷ তারপর
তিনি তাকে হত্যা করার হুকুম দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হয় ৷ এটা পার্থিব; সম্পদ থেকে
বিরত থাকার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ৷ তারপর সে যে মুক্তিপণ দেওয়ার জন্যে প্রস্তাব করেছিল
তাও পরে যুদ্ধলব্ধ সম্পদের মধ্যে অভুর্তুক্ত হয়েছিল ৷ কেননা, মুসলমানগণ বায়কান্দ হতে বহু


مَالٍ جَزِيلٍ، وَعَلَى أَنْ يُطْلِقَ كُلَّ مَنْ بِبِلَادِهِ مِنْ أُسَارَى الْمُسْلِمِينَ. وَفِيهَا غَزَا قُتَيْبَةُ بِيكَنْدَ فَاجْتَمَعَ لَهُ مِنَ الْأَتْرَاكِ عِنْدَهَا بَشَرٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَهِيَ مِنْ أَعْمَالِ بُخَارَى فَلَمَّا نَزَلَ بِأَرْضِهِمُ اسْتَنْجَدُوا عَلَيْهِ بِأَهْلِ الصَّغْدِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِنَ الْأَتْرَاكِ، فَأَتَوْهُمُ فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ، فَأَخَذُوا عَلَى قُتَيْبَةَ الطُّرُقَ وَالْمَضَايِقَ، فَتَوَاقَفَ هُوَ وَهُمْ قَرِيبًا مِنْ شَهْرَيْنِ، وَهُوَ لَا يَقْدِرُ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولًا، وَلَا يَأْتِيَهُ مِنْ جِهَتِهِمْ رَسُولٌ، وَأَبْطَأَ خَبَرُهُ عَلَى الْحَجَّاجِ حَتَّى خَافَ عَلَيْهِ، وَأَشْفَقَ عَلَى مَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ كَثْرَةِ الْأَعْدَاءِ مِنَ التُّرْكِ، فَأَمَرَ النَّاسَ بِالدُّعَاءِ لَهُمْ فِي الْمَسَاجِدِ، وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى الْأَمْصَارِ. وَقَدْ كَانَ قُتَيْبَةُ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقْتَتِلُونَ مَعَ التُّرْكِ فِي كُلِّ يَوْمٍ، وَكَانَ لِقُتَيْبَةَ عَيْنٌ مِنَ الْعَجَمِ يُقَالُ لَهُ: تَنْدُرُ، فَأَعْطَاهُ أَهْلُ بُخَارَى مَالًا جَزِيلًا عَلَى أَنْ يَأْتِيَ قُتَيْبَةَ فَيُخَذِّلَهُ عَنْهُمْ، فَجَاءَ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: أَخْلِنِي، فَأَخْلَاهُ، فَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ سِوَى رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: ضِرَارُ بْنُ حُصَيْنٍ، فَقَالَ لَهُ تَنْدُرُ: هَذَا عَامِلٌ يَقْدَمُ عَلَيْكَ سَرِيعًا بِعَزْلِ الْحَجَّاجِ، فَلَوِ انْصَرَفْتَ بِالنَّاسِ إِلَى مَرْوَ. فَقَالَ قُتَيْبَةُ لِمَوْلَاهُ سِيَاهٍ: اضْرِبْ عُنُقَهُ، فَقَتَلَهُ، ثُمَّ قَالَ قُتَيْبَةُ لِضِرَارٍ: لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ سَمِعَ هَذَا غَيْرِي وَغَيْرُكَ، وَإِنِّي أُعْطِي اللَّهَ عَهْدًا إِنْ ظَهَرَ هَذَا الْخَبَرُ حَتَّى يَنْقَضِيَ حَرْبُنَا لَأُلْحِقَنَّكَ بِهِ، فَامْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، فَإِنَّ انْتِشَارَ هَذَا يَفُتُّ فِي أَعْضَادِ النَّاسِ، ثُمَّ نَهَضَ قُتَيْبَةُ فَحَرَّضَ النَّاسَ عَلَى الْحَرْبِ، وَوَقَفَ عَلَى أَصْحَابِ الرَّايَاتِ يُحَرِّضُهُمْ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ قِتَالًا شَدِيدًا، وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ الصَّبْرَ، فَمَا انْتَصَفَ النَّهَارُ
পৃষ্ঠা - ৭২৯৮
حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّصْرَ، فَهُزِمَتِ التُّرْكُ هَزِيمَةً عَظِيمَةً، وَاتَّبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَ فِيهِمْ، وَيَأْسِرُونَ مَا شَاءُوا، وَاعْتَصَمَ مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ بِالْمَدِينَةِ، فَأَمَرَ قُتَيْبَةُ الْفَعَلَةُ بِهَدْمِهَا، فَسَأَلُوهُ الصُّلْحَ عَلَى مَالٍ عَظِيمٍ فَصَالَحَهُمْ، وَجَعَلَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا مِنْ أَهْلِهِ، وَعِنْدَهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَيْشِ، ثُمَّ سَارَ رَاجِعًا، فَلَمَّا كَانَ مِنْهُمْ عَلَى خَمْسِ مَرَاحِلَ نَقَضُوا الْعَهْدَ، وَقَتَلُوا الْأَمِيرَ، وَجَدَعُوا أُنُوفَ مَنْ كَانَ مَعَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ وَحَاصَرَهَا شَهْرًا، وَأَمَرَ النَّقَّابِينَ وَالْفَعَلَةَ فَعَلَّقُوا سُورَهَا عَلَى الْخَشَبِ، وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُضْرِمَ النَّارَ فِيهَا، فَسَقَطَ السُّورُ، فَقَتَلَ مِنَ الْفِعْلَةِ أَرْبَعِينَ نَفْسًا، فَسَأَلُوهُ الصُّلْحَ فَأَبَى، وَلَمْ يَزَلْ حَتَّى افْتَتَحَهَا، فَقَتَلَ الْمُقَاتِلَةَ، وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَغَنِمَ الْأَمْوَالَ. وَكَانَ الَّذِي أَلَّبَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ أَعْوَرُ مِنْهُمْ، فَأُسِرَ فَقَالَ: أَنَا أَفْتَدِي نَفْسِي بِخَمْسَةِ أَثْوَابٍ صِينِيَّةٍ، قِيمَتُهَا أَلْفُ أَلْفٍ، فَأَشَارَ الْأُمَرَاءُ عَلَى قُتَيْبَةَ بِقَبُولِ ذَلِكَ مِنْهُ، فَقَالَ قُتَيْبَةُ: لَا وَاللَّهِ لَا أُرَوِّعُ بِكَ مُسْلِمًا مَرَّةً ثَانِيَةً، وَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَقَدْ غَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ بِيكَنْدَ شَيْئًا كَثِيرًا مِنْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْأَصْنَامِ مِنَ الذَّهَبِ، وَكَانَ فِيهَا صَنَمٌ سُبِكَ فَخَرَجَ مِنْهُ مِائَةُ أَلْفٍ وَخَمْسُونَ أَلْفَ دِينَارٍ مِنَ الذَّهَبِ، وَوَجَدُوا فِي خَزَائِنِ الْمَلِكِ أَمْوَالًا كَثِيرَةً وَسِلَاحًا كَثِيرًا وَعِدَدًا مُتَنَوِّعَةً، وَجَوَاهِرَ نَفِيسَةً، وَأَخَذُوا مِنَ السَّبْيِ شَيْئًا كَثِيرًا، فَكَتَبَ قُتَيْبَةُ إِلَى الْحَجَّاجِ فِي أَنْ يُعْطِيَ ذَلِكَ لِلْجُنْدِ، فَأَذِنَ لَهُ فَتَمَوَّلَ الْمُسْلِمُونَ مَالًا كَثِيرًا جِدًّا، وَصَارَتْ لَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭২৯৯

স্বর্ণ ও রুপার পাত্র ও স্বর্ণের মুর্তি যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে লাভ করে ৷ এগুলোর মধ্যে একটি
ছিল সাবাক নামী একটি মুর্তি তার থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার দীনার মুলামান স্বর্ণ পাওয়া
গিয়েছিল ৷ রাম্বীয় কােষাপারে মুসলমানগণ প্রচুর সম্পদ, বহুসংখ্যক বিভিন্ন রকমের অস্ত্রশস্ত্র
পেয়েছিল ৷ তারা প্রচুর পরিমাণ বন্দীও পেয়েছিল ৷ কুতায়ব৷ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, সেনা সদস্যদেৱকে
প্রদান করার জন্যে হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখলেন ৷ হাজ্জাজ তাকে অনুমতি দিলেন ৷ ফলে,
মুসলমানগণ সম্পদশালী হলেন ৷ শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি অর্জন করলেন ৷ তাদের
প্রত্যেকের কাছে প্রচুর সম্পদ জমা হয় ৷ তারা বিভিন্ন রকম প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও ;ঘাড়ায়
অধিকারী হন ৷ এভাবে তারা সীমাহীন শক্তির অধিকারী হন ৷ মহান আল্লাহর জন্যে সমস্ত
প্রশং না ও কৃতজ্ঞতা

এ বছরেই পবিত্র মদীনায় নাইব উমর ইবন আবদুল আযীয (র) জনগণকে নিয়ে হজ্জব্রত
পালন করেন ৷ ভাষায় তার কাযী ছিলেন আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আসর ইবন হাযাম ৷
ইরাক ও সমস্ত পুর্বাঞ্চল ছিল হাজ্জাজের অধীনে ৷ বসরার নায়িব ছিলেন আল জার্বাহ ইবন
আবদুল্লাহ আল হাকামী ৷ তথায় কাযী ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন উয়ায়নাহ ৷ কুফায় যুদ্ধের
পরিচালনায় ছিলেন ষিয়াদ ইবন জায়ীর ইবন আবদুল্লাহ আল-বাজালী ৷ তপায় কাষী ছিলেন
আবু বকর ইবন আবু মুসা আল-আশআরী ৷ খুরাসান ও তার বিভিন্ন অংশের নাইব ছিলেন
কুতায়ব৷ ইবন মুসলিম ৷ এ বছরে যে সব ব্যক্তিত্ব ইনৃতিকাল করেন তাদের মধ্যে নিম্নবর্ণিত
ব্যক্তিবর্গ সুপ্রসিদ্ধ :

উতবা ইবন আবদ্ আল্-সুলার্মী (বা)

তিনি একজন সম্মানী সাহাবী ৷ হিমসে তিনি বসবাস করেন ৷ বর্ণিত রয়েছে যে, বনু
কুরায়যার যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ আল-ইরবায (বা) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলভেন,
তিনি ছিলেন আমার চেয়ে উত্তম ৷ আমার এক বছর পুর্বে তিনি মুসলমান হয়েছিলেন ৷ আল্লামা
ওয়াকিদী ও অন্যরা বলেন, তিনি এ বছরেই ইন্তিকাল করেন ৷ অন্যরা বলেন, ৯০ হিজরীর
পর তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী বলেন, উতবা ইবন আবদ্ আসৃসুলামী আহলে সুফ্ফার
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ বাকীয়াহ, বুজায়র, ইবন সা দ এবং তিনি, খালিদ ইবন মিদানের মাধ্যমে
উতবা ইবন আবদৃ আসৃ-সুলামী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যদি
কোন ব্যজ্যিক তার জন্মদিন থেকে মৃত্যুদিন পর্যন্ত কিৎবা বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত মহান আল্লাহর
সন্তুষ্টির মাঝে টেনে হেচড়ে নেওয়া হয়, ত ৷হলেও কিয়ামতের দিন তাকে কিছুটা লাঞ্ছিত হতে
হবে ৷

ইসমাঈল ইবন অইিয়াশ (র) উতবা ইবন আবদুস সালামী (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন : আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে বস্ত্রহীনতার অভিযোগ উত্থাপন করলাম ৷ তখন তিনি
আমাকে দুটি বস্তার কাপড় প্রদান করলেন ৷ এখন তুমি আমাকে দেখছ আমি সাহাবায়ে

কিরামকে কাপড় পরিধান করাচ্ছি ৷

আল-মিকদাম ইবন মাদীকারব (বা)

তিনি একজন সম্মানী সাহাবী ছিলেন ৷ তিনিও হিম্সে বসবাস করেন ৷ তার বর্ণিত
অনেকগুলো হাদীস রয়েছে ৷ একাধিক তাবিঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন
সা দ আল-ফাল্লাস এবং আবু উবায়দাহ বলেন তিনি এ বছরে ইনৃতিকাল করেন ৷ অন্যান্যরা
বলেন : ৯০ হিজরীর পর তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

১ ৭

أَسْلِحَةٌ وَعِدَدٌ، وَتَقْوَّوْا عَلَى الْأَعْدَاءِ قُوَّةً عَظِيمَةً، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ، وَقَاضِيهِ بِهَا أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَعَلَى الْعِرَاقِ وَالْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ، وَنَائِبُهُ عَلَى الْبَصْرَةِ الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ، وَقَاضِيهِ بِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُذَيْنَةَ، وَعَامِلُهُ عَلَى الْحَرْبِ بِالْكُوفَةِ زِيَادُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَقَاضِيهِ بِهَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، وَنَائِبُهُ عَلَى خُرَاسَانَ وَأَعْمَالِهَا قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: عُتْبَةُ بْنُ عَبْدٍ السُّلَمِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، نَزَلَ حِمْصَ، يُرْوَى أَنَّهُ شَهِدَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَعَنِ الْعِرْبَاضِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: هُوَ خَيْرٌ مِنِّي ; أَسْلَمَ قَبْلِي بِسَنَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: بَعْدَ التِّسْعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ: كَانَ عُتْبَةُ بْنُ عَبْدٍ السُّلَمِيُّ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ، وَرَوَى بَقِيَّةُ عَنْ بِجِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عُتْبَةَ بْنَ عَبْدٍ السُّلَمِيُّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ أَنَّ رَجُلًا يُجَرُّ عَلَى وَجْهِهِ مِنْ يَوْمِ وُلِدَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭৩০০
يَوْمِ يَمُوتُ هَرَمًا فِي مَرْضَاةِ اللَّهِ لَحَقَرَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ السُّلَمِيِّ قَالَ: اشْتَكَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعُرْيَ، فَكَسَانِي خَيْشَتَيْنِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَلْبَسُهُمَا، وَأَنَا أَكْسَى أَصْحَابِي. الْمِقْدَامُ بْنُ مَعْدِ يَكْرِبَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، نَزَلَ حِمْصَ أَيْضًا، لَهُ أَحَادِيثُ، وَرَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَالْفَلَّاسُ وَأَبُو عُبَيْدٍ: تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَالَ غَيْرُهُمْ: تُوُفِّيَ بَعْدَ التِّسْعِينَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَبُو أُمَامَةُ الْبَاهِلِيُّ وَاسْمُهُ صُدَيُّ بْنُ عَجْلَانَ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، نَزَلَ حِمْصَ، وَهُوَ رَاوِي حَدِيثِ تَلْقِينِ الْمَيِّتِ بَعْدَ الدَّفْنِ. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الدُّعَاءِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ لَهُ ذِكْرٌ فِي الْوَفَيَاتِ. قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ أَبُو سُفْيَانَ الْخُزَاعِيُّ الْمَدَنِيُّ وُلِدَ عَامَ الْفَتْحِ، وَأُتِيَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৩০১
النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَدْعُوَ لَهُ. رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَأُصِيبَتْ عَيْنُهُ يَوْمَ الْحَرَّةِ، وَكَانَ مِنْ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ لَهُ مَنْزِلَةٌ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَيَدْخُلُ عَلَيْهِ بِغَيْرِ إِذَنٍ، وَكَانَ يَقْرَأُ الْكُتُبَ إِذَا وَرَدَتْ مِنَ الْبِلَادِ، ثُمَّ يَدْخُلُ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَيُخْبِرُهُ بِمَا وَرَدَ مِنَ الْبِلَادِ فِيهَا، وَكَانَ صَاحِبَ سِرِّهِ، وَكَانَ لَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ بِبَابِ الْبَرِيدِ، وَتُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ. عُرْوَةُ بْنُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَلِيَ إِمْرَةَ الْكُوفَةِ لِلْحَجَّاجِ، وَكَانَ شَرِيفًا لَبِيبًا مُطَاعًا فِي النَّاسِ، وَكَانَ أَحْوَلَ، تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ. يَحْيَى بْنُ يَعْمُرَ كَانَ قَاضِيَ مَرْوَ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ نَقَطَ الْمَصَاحِفَ، وَكَانَ مِنْ فُضَلَاءِ النَّاسِ وَعُلَمَائِهِمْ، وَلَهُ أَحْوَالٌ وَمُعَامَلَاتٌ، وَلَهُ رِوَايَاتٌ، وَكَانَ أَحَدَ الْفُصَحَاءِ، أَخَذَ الْعَرَبِيَّةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيِّ. شُرَيْحُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ الْقَاضِي أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ، وَاسْتَقْضَاهُ عُمَرُ عَلَى الْكُوفَةِ، فَمَكَثَ بِهَا قَاضِيًا خَمْسًا وَسِتِّينَ سَنَةً، وَكَانَ عَالِمًا عَادِلًا كَثِيرَ الْخَيْرِ، حَسَنَ الْأَخْلَاقِ، فِيهِ دُعَابَةٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ كَوْسَجًا لَا شَعْرَ بِوَجْهِهِ وَكَذَلِكَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَالْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، وَقَيْسُ بْنُ عُبَادَةَ. وَقَدْ تَرْجَمْنَاهُ فِي " التَّكْمِيلِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي نَسَبِهِ وَسِنِّهِ
পৃষ্ঠা - ৭৩০২
وَعَامِ وَفَاتِهِ عَلَى أَقْوَالٍ، وَرَجَّحَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.