আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وثمانين

خلافة الوليد بن عبد الملك

পৃষ্ঠা - ৭২৯২

দামেশ্কেৱ আমি মসজিদের নির্মাতা আলৰুওয়লীেদ ইবন আবদুস মালিক ইৰ্ন
মারওরাবের ণিস্াফ্ত

বাবুল জাৰিয়াতৃস-সাগীর নামক জারগার বাইরে খলীফা আবদুল মালিকের লাশ দাফনের
পর যখন আল ওয়ালীদ ফেরত আসেন তখন তিনি আপন ঘরে প্রবেশ না করে দামেশৃকের বড়
মসজিদের মিম্বরে আরোহণ করলেন; আর তা ছিল এ বছরের শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখ
বৃহস্পতিবার ৷ কেউ কেউ বলেন, শুক্রবার ৷ তিনি সােকজনের সামনে ৰুখুত্ব৷ দিলেন এবং
বললেন; ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলইিইি রাডিজাি অর্থাৎ আমরা আল্লাহর জন্যে এবং আল্লাহর
দিকেই প্রত্যাবর্তন করব ৷ আমীরুল মু’মিনীন সম্পর্কে আমরা যে মুসীবতে আছি এ ব্যাপারে
আমাদের সাহায্যকারী আল্লাহ তাআল৷ ৷ আল্লাহ তাআলা আমাদের যে খিলাফত দানংকরেছেন
তাই মহান আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা ৷ আপনারা সকলে দাড়িয়ে যান এবং বায়আত করুন ৷
তার দিকে তখন প্রথম যে ণ্লাকঢি এগিয়ে এল তার নাম আবদুল্লাহ ইবন হুমাম আস-সালুলী ৷
তিনি বলতেছিলেনং আল্লাহ তা আলা আপনাকে এমন একটি নিআমত প্রদান করলেন যার
থেকে বড় আর কিছু নেই ৷ তবে অস্বীকারর্কারীরা তার বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছে ৷ কিন্তু
আল্লাহ তা আলা আপনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে এ নিয়ামত দান করতে চাননি ৷ তারপর
আল্লাহ তা আলা আপনাকে এ নিআমতের হার পরিধান করালেন ৷

তারপর তিনি তার বায়আত গ্রহণ করেন এবং জনগণ তার পরে বায়আত গ্রহণ করেন

’ আল্লামা আল ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেন যে, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করেন ও তার
তা রীফ করেন ৷ তারপর বললেনং : হে মানবম্ণ্ডলী! আল্লাহ তা জানা যা দেরী করে প্রদান
করেন তা অতি দ্রুত আনয়নকারী অন্য কেউ নেই ৷ অন্যদিকে আল্লাহ তা আল৷ যা অতি দ্রুত
আনয়ন করেন তা অন্য কেউ দেরী করে আনয়ন করার মত নেই ৷ আর এটা ছিল মহান
আল্লাহর হুকুম এবং বহু পুর্বেইি তিনি নবীদের উপর আরশ বহনুকৃারী ও অন্যান্য ফোরশতাৰুদর
উপর মৃত্যু সম্পর্কে লিখেছিলেন ৷ আর এ মৃত্যু নেকবান্দাদের ঘরেও গমন করেছিল ৷ আর
নেককার বান্দারা এ উষ্মতেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ অর্থাৎ মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তার উপরই
মৃত্যু আপতিত করেছিলেন ৷ তিনি সন্দেহকারীর উপরে কঠিন হয়েছিলেন এবং ন্যায়পরায়ণ ও
সম্মানিত ব্যক্তিবদ্যা প্রতি বিনত হয়েছিলেন ৷ আল্লাহ তা জানা ইসলামের আলােকবর্তিকা কায়িম

করেছিলেন এবং ইসলামকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছিলেন ৷ যেসব ব্যক্তি এ ঘরের হজ্জাত পালন
করেন, এ সীমান্ত পর্যন্ত জিহাদ করেন, মহান আল্লাহর দুশমনের উপর লুন্ঠনকার্য পরিচালনা
করেন, আর এ লুন্ঠনের ব্যাপারে অক্ষমতা প্রকাশ করেননি এবং সীমালং ঘনও করেননি
তাদেরকে আল্লাহ তা আলা মহাসষ্মান দান করেছেন ৷

হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের আনুগত্য করা উচিত এবং জমাআতকে আকডিয়ে ধরা উচিত ৷
কেননা, শয়তান হল বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির সাথী ৷ হে মানবমণ্ডলীণ্ যে আমাদের ব্যাপারে নিজে
সংগ্রাম শুরু করে আমরা তার দুই চোখের উপর কঠোর আঘাত হানব, আর যে চুপ করে
থাকে সে তার ব্যাধি নিয়েই মৃত্যুবরণ করবে ৷ তারপর তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করেন এবং
লক্ষ্য করেন কেউ খিলাফতের বিরুদ্ধাচরণকারী আছে কিনা ৷ তাদেরকে তিনি শাসালেন ৷ আর
তিনি ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ও হিংস্র প্রকৃতির লোক ৷ আল-ওয়ালীদের খিলাফত লাভ প্রসঙ্গে
একটি গরীব হাদীস্ (যার কোন এক পর্যায়ে একজন বর্ণনাকারী পাওয়া যায়) বর্ণিত রয়েছে ৷
আর এ হাদীসেৱ নায়ক থােদ আল ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ যা পরে

বর্ণনা করা হবো


[خِلَافَةُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ] ِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ دَفْنِ أَبِيهِ خَارِجَ بَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ - وَكَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ، وَقِيلَ: الْجُمْعَةِ. لِلنِّصْفِ مِنْ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ - لَمْ يَدْخُلِ الْمَنْزِلَ حَتَّى صَعِدَ الْمِنْبَرَ - مِنْبَرَ الْمَسْجِدِ الْأَعْظَمِ بِدِمَشْقَ - فَخَطَبَ النَّاسَ، فَكَانَ مِمَّا قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مُصِيبَتِنَا بِمَوْتِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى مَا أَنْعَمَ بِهِ عَلَيْنَا مِنَ الْخِلَافَةِ، قُومُوا فَبَايِعُوا، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ قَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَمَّامٍ السَّلُولِيُّ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُ أَعْطَاكَ الَّتِي لَا فَوْقَهَا ... وَقَدْ أَرَادَ الْمُلْحِدُونَ عَوْقَهَا عَنْكَ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا سَوْقَهَا ... إِلَيْكَ حَتَّى قَلَّدُوكَ طَوْقَهَا ثُمَّ بَايَعَهُ، وَبَايَعَهُ النَّاسُ بَعْدَهُ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ: أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى بِمَا هُوَ أَهْلُهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَا مُقَدِّمَ لِمَا أَخَّرَ اللَّهُ، وَلَا مُؤَخِّرَ لِمَا قَدَّمَ اللَّهُ، وَقَدْ كَانَ مِنْ قَضَاءِ اللَّهِ وَسَابِقَتِهِ، وَمَا كَتَبَهُ عَلَى أَنْبِيَائِهِ وَحَمَلَةِ عَرْشِهِ وَمَلَائِكَتِهِ الْمَوْتُ، وَقَدْ صَارَ إِلَى مَنَازِلِ الْأَبْرَارِ بِمَا لَاقَى فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ - يَعْنِي بِالَّذِي يَحِقُّ لِلَّهِ عَلَيْهِ - مِنَ الشِّدَّةِ
পৃষ্ঠা - ৭২৯৩
عَلَى الْمُرِيبِ، وَاللَّيِّنِ لِأَهْلِ الْحَقِّ وَالْفَضْلِ، وَإِقَامَةِ مَا أَقَامَ اللَّهُ مِنْ مَنَارِ الْإِسْلَامِ، وَإِعْلَائِهِ مِنْ حَجِّ هَذَا الْبَيْتِ، وَغَزْوِ هَذِهِ الثُّغُورِ، وَشَنِّ هَذِهِ الْغَارَاتِ عَلَى أَعْدَاءِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمْ يَكُنْ عَاجِزًا وَلَا مُفَرِّطًا، أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمْ بِالطَّاعَةِ وَلُزُومِ الْجَمَاعَةِ ; فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الْفَرْدِ، أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ أَبْدَى لَنَا ذَاتَ نَفْسِهِ ضَرَبْنَا الَّذِي فِيهِ عَيْنَاهُ، وَمَنْ سَكَتَ مَاتَ بِدَائِهِ، ثُمَّ نَزَلَ فَنَظَرَ إِلَى مَا كَانَ مِنْ دَوَابِّ الْخِلَافَةِ، فَحَازَهَا وَكَانَ جَبَّارًا عَنِيدًا. وَقَدْ وَرَدَ فِي تَوْلِيَةِ الْوَلِيدِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَإِنَّمَا هُوَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَكَمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُهُ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، فِي بَابِ الْإِخْبَارِ عَنِ الْغُيُوبِ الْمُسْتَقْبَلَةِ، فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِدَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ. وَأَمَّا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ هَذَا فَقَدْ كَانَ صَيِّنًا فِي نَفْسِهِ، حَازِمًا فِي رَأْيِهِ، يُقَالُ: إِنَّهُ لَا تُعْرَفُ لَهُ صَبْوَةٌ. وَمِنْ جُمْلَةِ مَحَاسِنِهِ مَا صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ قَصَّ عَلَيْنَا قِصَّةَ قَوْمِ لُوطٍ فِي كِتَابِهِ مَا ظَنَنْتُ أَنَّ ذَكَرًا يَأْتِي ذَكَرًا كَمَا تُؤْتَى النِّسَاءُ. كَمَا سَيَأْتِي ذَلِكَ فِي تَرْجَمَتِهِ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَتِسْعِينَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَهُوَ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ الَّذِي لَا يُعْرَفُ فِي الْآفَاقِ أَحْسَنُ بِنَاءً مِنْهُ، وَقَدْ شَرَعَ فِي بِنَائِهِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَلَمْ يَزَلْ فِي بِنَائِهِ وَتَحْسِينِهِ مُدَّةَ خِلَافَتِهِ، وَهِيَ عَشْرُ سِنِينَ فَلَمَّا أَنْهَاهُ انْتَهَتْ أَيَّامُ خِلَافَتِهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ
পৃষ্ঠা - ৭২৯৪
ذَلِكَ مُفَصَّلًا، وَقَدْ كَانَ مَوْضِعُ هَذَا الْمَسْجِدِ كَنِيسَةً يُقَالُ لَهَا: كَنِيسَةُ يُوحَنَّا، فَلَمَّا فَتَحَتِ الصَّحَابَةُ دِمَشْقَ جَعَلُوهَا مُنَاصَفَةً، فَأَخَذُوا مِنْهَا الْجَانِبَ الشَّرْقِيَّ فَحَوَّلُوهُ مَسْجِدًا، وَبَقِيَ الْجَانِبُ الْغَرْبِيُّ كَنِيسَةً بِحَالِهِ مِنْ لَدُنْ سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ، فَعَزَمَ الْوَلِيدُ عَلَى أَخْذِ بَقِيَّةِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ مِنْهُمْ، وَعَوَّضَهُمْ عَنْهَا كَنِيسَةَ مَرْيَمَ لِدُخُولِهَا فِي جَانِبِ السَّيْفِ، وَقِيلَ: عَوَّضَهُمْ عَنْهَا كَنِيسَةَ تُومَا، وَهَدَمَ بَقِيَّةَ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ وَأَضَافَهَا إِلَى مَسْجِدِ الصَّحَابَةِ، وَجَعَلَ الْجَمِيعَ مَسْجِدًا وَاحِدًا، عَلَى هَيْئَةٍ بَدِيعَةٍ لَا يَعْرِفُ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَوْ أَكْثَرُهُمْ لَهَا نَظِيرًا فِي الْبُنْيَانِ وَالدِّيَارَاتِ وَالْآثَارِ وَالْعِمَارَاتِ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.