আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وثمانين

عبد الملك بن مروان والد الخلفاء الأمويين

পৃষ্ঠা - ৭২৬৭


এ বছরেই আবদুল মালিক তার ছেলে আবদুল্পাহ্কে মিসরে প্রতিষ্ঠিত করেন ৷ আর এটা
জ্যি তার ভাই আবদুল আযীযের মৃত্যুর পর ৷ জুমাদাল উখরা মাসে তিনি মিসর প্রবেশ করেন ৷
তার বয়স ছিল তখন মাত্র ২৭ বছর ৷

এ বছরেই রোমের বাদশা আল-আখরাম লাউরী মৃত্যু মুখে পতিত হয় ৷ আল্লাহ পাক যেন
তার উপর রহম না করেন ৷

এবছরেই৷ হ জ্জ্বাজ ইয়াযীদ ইবন অ ৷ল-মুহালুড়াবকে বন্দী করেন ৷ এ বছরেই হিশাম ইবন
ইসমাঈল আল মাখযুমী লোকজনকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ এ বছরেই আবু উমামা
বাহিনী ও আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (বা) ইনতিকাল করেন ৷ এক বর্ণনা অনুযায়ী আবদুল্লাহ
ইবন আল-হারিছ ইবন জুয-আয-যুবায়দী ইনতিকাল করেন ৷ তিন মিসর বিজয়ে অং শগ্নহণ
করেন, তথায় বসবাস করেন ৷ তিনিই মিসরে সর্বশেষ সাহাবী হিসেবে ইনতিকাল করেন ৷ এ
বছরের শাওয়াল মাসেই আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক ইনতিকাল করেন ৷

উমায়্যা খলীফাদের জনক আবদুল মালিক ইবন মারওরান

তার পুর্ণ নাম আবুল ওয়ালীদ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবন আল-হাকাম ইবন
আবুল আস ইবন উমায়্যা আল-উমাবী, আমীরুল মু’মিনীন ৷ তার মাতার নাম অইিশা বিনৃত
মুআবিয়াহ ইবন আল-মুগীরাহ্ ইবন আবুল আস ইবন উমায়্যা ৷ তিনি হযরত উছমান ইবন
আফ্ফান (রা) হতে হাদীস শ্রবণ করেন ৷ তিনি তার পিতার সাখেহযরত উছমান (রা)-এর
গৃহবন্দীর ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল মাত্র দশ বছর ৷ তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি
৪২ হিজরীতে রোমের শহরসমুহে ভ্রমণ করেন ৷ ;র বয়স যখন ১৬ বছর তখন তিনি মদীনায়
আমীর ছিলেন ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি ফকীহ, আলিম
ও পুণ্যবান ব্যক্তিদের মজলিসে উঠাবসা করতেন ৷ র্তর পিতা, জাবিৱ (রা), আবু সাঈদ আল-
খৃদরী (রা), আবুহুরায়র৷ (রা), ইবন উমর (রা), মুআবিয়৷ (রা), উম্মে সালাম৷ (বা) এবং
হযরত অইিশা (রা)এর দাসী বারীরা (বা) হতে হাদীস শ্রবণ করেছেন ৷ তার থেকেও একদল
উলাম৷ হাদীস শ্রবণ করেছেন ৷ যেমন খালিদ ইবন মিদান, উৱওয়াহ, আল-যুহরী, আমর ইবন
আল-হারিছ, রাজা ইবন হায়াত এবং জারীর ইবন উছমান ৷ মুহাম্মদ ইবন সীরীন (র) হতে
বর্ণিত রয়েছে যে, তার পিতা তার নাম রেখেছিলেন আল কাসিম তইি তার কুনিয়াত হয়েছিল
আবুল কাসিম ৷ তারপর তিনি তার নাম পরিবর্তাব্ করে নাম রাখেন আবদুল মালিক ৷ ইবন
আবু খায়ছামাহ আরো বলেন, ইসলামে আহমদ নামটিও এই প্রথম রাখা হলো ৷ তিনি ছিলেন
আল খালীল ইবন আহমদ আল আরুযীর পিতা ৷

আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা) এর খিলাফত আমলে তার পিতার জীবদ্দশায় ৬৫
হিজরীতে তার খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ সিরিয়া ও মিসরে তার আধিপত্য হ্নিা
সাত বছর যাবত ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা) ছিলেন রাজ্যের বাকী অংশের
খলীফা ৷ আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা) নিহত হওয়ার পর সারাদেশে তার খিলাফতের
পরিপুর্ণতা অর্জিত হয় ৷ আর এটা ছিল ৭৩ হিজরীর ঘটনা ৷ যেমন পুর্বেও এটা বর্ণনা করা
হয়েছে ৷ তার এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার জন্ম হয়েছিল ২৬ হিজরী-ৰুত ৷ খিলাফত অর্জিত
হবার পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন ঐসব বান্দাহ্গণের অন্তর্ভুক্ত যায়৷ ছিলেন পরহেযগার,
ফকীহ, কুরআন৩ তিলাওয়াতকারী ও মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত ৷ তার উচ্চতা ছিল মাঝারি
ধরনের বোট ৷ তার দাতণ্ডালা ছিল স্বসৌংজ্বালোঃজ্যোডাঃনা ৷ তার মুখ সব সময় খোলা থাকত ৷

[عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ وَالِدُ الْخُلَفَاءِ الْأُمَوِيِّينَ] وَهُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ، أَبُو الْوَلِيدِ الْأُمَوِيُّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأُمُّهُ عَائِشَةُ بِنْتُ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ. سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، وَشَهِدَ الدَّارَ مَعَ أَبِيهِ، وَلَهُ عَشْرُ سِنِينَ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَارَ بِالنَّاسِ فِي بِلَادِ الرُّومِ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَأَرْبَعِينَ، وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَلَهُ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةٍ، وَلَّاهُ إِيَّاهَا مُعَاوِيَةُ، وَكَانَ يُجَالِسُ الْفُقَهَاءَ وَالْعُلَمَاءَ وَالْعُبَّادَ وَالصُّلَحَاءَ. وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، وَجَابِرٍ، وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَابْنِ عُمَرَ، وَمُعَاوِيَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ، وَبَرِيرَةَ مَوْلَاةِ عَائِشَةَ. وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ: خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ، وَعُرْوَةُ، وَالزُّهْرِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، وَرَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ، وَجَرِيرُ بْنُ عُثْمَانَ. ذُكِرَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ قَدْ سَمَّاهُ الْقَاسِمَ، فَكَانَ يُكْنَى بِأَبِي الْقَاسِمِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ النَّهْيُ عَنِ التَّكَنِّي بِأَبِي الْقَاسِمِ، غَيَّرَ اسْمَهُ ; فَسَمَّاهُ عَبْدَ الْمَلِكِ.
পৃষ্ঠা - ৭২৬৮

অসতর্ক অবস্থায় তার মুখে মাছি ঢুকে পড়ত ৷ এ জন্যই তাকে আবু যুবাব বা মাছির পিতা বলা
হতো ৷ তিনি ছিলেন সাদা, মাঝারি পড়নের, হালকা-পাতলাও নয় আবার ৫ মাটাও নয় ৷ তার
দুই দ্রুন্ধ ছিল মিলিত এবং তিনি ছিলেন পােলাপী রৎ এর চোখ বিশিষ্ট ও বড় চক্ষুওয়ালা ৷ তিনি
পাতল৷ নাক, উজ্জ্বল চেহারা, সাদা চুল ও দাড়ি এবং চমৎকার চেহারার অধিকারী ছিলেন ৷ চুল
ও দাড়িতে তিনি খিযাব লাগাতেন না ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি জীব্যনর শেষভাগে
খিযাব লাপাতেন ৷
হযরত নাফি (র) বলেন, “আমি পবিত্র মদীনায় আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এব
চেয়ে অধিক দক্ষ যুবক, ফকীহ ও আল্লাহ্র কিতাবের তিলাওয়াতকারী আর কাউঃক পাই নাই ৷
আল-অ৷ মাশ আবু যিনাদ হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, পবিত্র মদীনায় ফকীহ ছিলেন
চারজন সাঈদ ইবন আল-মুসায়দ্রাব, উয়ওয়াহ, কাৰীসা ইবন যুওয়ায়ব এবং খিলাফ্ত
কার্যত্রনম প্রবেশের পুর্বে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা)
হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেনঃ লোকজন জন্ম দেন ছেলে আর মারওয়ান জন্ম দিয়েছেন পিতা
অর্থাৎ আবদুল মালিক ৷ তিনি তাকে একদিন দেখলেন এবং তবে সম্বন্ধে জনগণের বিত্মি
মতামতের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন তিনি বলেন, এ যদি যুবক হত তার ক্ষেত্রে লোকজনের
ঐকমত্য প্রকাশ পেত ৷ আবদুল মালিক একদিন বলেন, “আমি বুরায়দা ইবন আল-হাসীবের
কাছে উঠাবসা করতাম ৷ একদিন তিনি আমাকে বললেন, হে আবদুল মালিক ৷ তোমার মধ্যে
বেশ কতগুলো গুণাবলী রয়েছে ৷ তইি তুমি উষ্মতে মুহাষ্মদীয় খিলাফত পরিচালনার উপযুক্ত
ব্যক্তি ৷ তবে তুমি রক্তপাতকে এড়িয়ে চলবে ৷ আমি রাসুলুল্পাহ (সা) ণ্ক বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলেন, “জান্নাতের দিকে দৃষ্টিপাত করার পরও জান্নাত থেকে এমন এক ব্যক্তিকে বিতাজ্যি
করা হবে সামান্য একটু রক্তের জন্যে যা অন্যায়ভাবে কোন মুসলিমের শরীর থেকে সে
ঝরিন্নেছিল ৷ খিলাফতের দায়িত্ব নেওয়ার পুবে আমীর মুআবিয়া (রা) ও আমর ইবন আল-আস
(রা) তার দীর্ঘ প্রশংসা করেছিলেন ৷

সাঈদ ইবন দাউদ আয়-ষুৰা য়য়ী, মালিক ও ইয়াহ্ য়া ইবন সাঈদ ইবন দাউদ অষ্মে-যুবায়ৰী
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন যুহর ও আসরেৱ মধ্যবর্তী সময়ে যে প্রথম সালাত আদায়
করেছিল তিনি হলেন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ও তার সাথে কয়েকজন যুবক ৷ সাঈদ
ইবন আল-মুসায়্যাব (র) বলেন ; বেশী বেশী সালাত ও সিয়াম আদায়ের মধ্যেই ইবাদত
সীমিত নয়; বরং আল্লাহ্তা আলার ক্রিয়াকর্মে চিন্তা-ভাবনা করা ও মহান আল্লাহ্র নিষিদ্ধ
কার্যাবলী হতে সাবধানতা অবলম্বন করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত ৷ আশ-শ৷ বী (র) বলেনং আমি
যে কোন জ্ঞানী ব্যক্তির মজলিসে বলেছি নিজে তার থেকে কিছুটা বৃদ্ধি করতে ণেরেহি ৷ কিন্তু
আবদুল মালিক ইবন মারওযানবু;তীত ৷ কেননা, যখনইআমি কোন হাদীস তার কাছে পেশ
করলে তাঞ্জো তিনি কিছু বৃদ্ধি ৰনব দািজ্ঞা ৷ খাঙ্গীক৷ ইবন খ্যাঃর্ভ উল্লেখ করেন, সৌংরু
মুআজাি র্চুরা) সাঃওয়ুানের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ তিনি ছিলেন পকাি মদীনায় তার
নায়িব ৷ সনস্ব জ্যিখ্যাঃ হিজৰী৷ পত্রে তিনি শ্যিখন : তোমার ছেলে আক্ষ্যনালিককে
মুআবিয়াহ ইবন ফ্লিনাপ্নে পশ্চিনালীের ণ্স্ফোমুহেবঅভিংক্রো প্রেরণশ্ল্যাং ৷ তিনি
এসব শহরে তার যথার্ঘতা,ল্যায় নিন্ঠা, কর্তবৰুপবায়ণতা ও পরিশ্রামর বহু তথ্য ট্যাংকারন ৷
আবদ্যুক্ল মালিক মোঃ ঘটনা পর্যন্ত পবিত্র মদীনায় বসবাস করেছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন
যুবাষ্মর (রা) হিজাষের উপর কর্তৃতু বজায় রাখেন এবং সেখান থেকে বনী উমায়্যার


قَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سُمِّيَ فِي الْإِسْلَامِ بِعَبْدِ الْمَلِكِ. قَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: وَأَوَّلُ مَنْ سُمِّيَ فِي الْإِسْلَامِ بِأَحْمَدَ، وَالِدُ الْخَلِيلِ بْنِ أَحْمَدَ الْعَرُوضِيُّ. وَبُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ، فِي خِلَافَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَبَقِيَ عَلَى الشَّامِ وَمِصْرَ مُدَّةَ سَبْعِ سِنِينَ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى بَاقِي الْبِلَادِ ثُمَّ، اسْتَقَلَّ بِالْخِلَافَةِ عَلَى سَائِرِ الْبِلَادِ وَالْأَقَالِيمِ، بَعْدَ مَقْتَلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ، كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ. وَكَانَ مَوْلِدُهُ وَمَوْلِدُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَعِشْرِينَ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ قَبْلَ الْخِلَافَةِ مِنَ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ الْفُقَهَاءِ، الْمُلَازِمِينَ لِلْمَسْجِدِ، التَّالِينَ لِلْقُرْآنِ، وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الرِّجَالِ أَقْرَبَ إِلَى الْقِصَرِ. وَكَانَتْ أَسْنَانُهُ مُشَبَّكَةً بِالذَّهَبِ، وَكَانَ أَفْوَهَ مَفْتُوحَ الْفَمِ، فَرُبَّمَا غَفَلَ فَيَنْفَتِحُ فَمُهُ فَيَدْخُلُ فِيهِ الذُّبَابُ ; وَلِهَذَا كَانَ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الذُّبَّانِ، وَكَانَ أَبْيَضَ رَبْعَةً لَيْسَ بِالنَّحِيفِ وَلَا الْبَادِنِ، مَقْرُونَ الْحَاجِبَيْنِ، أَشْهَلَ كَبِيرَ الْعَيْنَيْنِ، دَقِيقَ الْأَنْفِ، مُشْرِقَ الْوَجْهِ، أَبْيَضَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، لَمْ يَخْضِبْ،
পৃষ্ঠা - ৭২৬৯
وَيُقَالُ: إِنَّهُ خَضَبَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ نَافِعٌ: لَقَدْ رَأَيْتُ الْمَدِينَةَ وَمَا فِيهَا شَابٌّ أَشَدَّ تَشْمِيرًا، وَلَا أَفْقَهَ وَلَا أَقْرَأَ لِكِتَابِ اللَّهِ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ: كَانَ فُقَهَاءُ الْمَدِينَةِ أَرْبَعَةً: سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةُ، وَقَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ ; قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ فِي الْإِمَارَةِ. وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: وَلَدَ النَّاسُ أَبْنَاءً، وَوَلَدَ مَرْوَانُ أَبًا - يَعْنِي عَبْدَ الْمَلِكِ - وَرَآهُ يَوْمًا وَقَدْ ذَكَرَ اخْتِلَافَ النَّاسِ، فَقَالَ: لَوْ كَانَ هَذَا الْغُلَامُ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ. وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: كُنْتُ أُجَالِسُ بِرَيْرَةَ قَبْلَ أَنْ أَلِيَ هَذَا الْأَمْرَ، فَكَانَتْ تَقُولُ: يَا عَبْدَ الْمَلِكِ إِنَّ فِيكَ خِصَالًا، وَإِنَّكَ لِجَدِيرٌ أَنْ تَلِيَ أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، فَاحْذَرِ الدِّمَاءَ ; فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيُدْفَعُ عَنْ بَابِ الْجَنَّةِ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا عَلَى مِحْجَمَةٍ مِنْ دَمٍ يُرِيقُهُ مِنْ مُسْلِمٍ بِغَيْرِ حَقٍّ» .
পৃষ্ঠা - ৭২৭০

সদস্যদেয়কে বিতাড়িত করেন ৷ তিনি তখন তার পিতার সাথে সিরিয়ার চলে যান ৷ তারপর
যখন তিনি তার পিতার সাথে খিলাফত লাভ করেন এবং সিরিয়াবাসীরা তার বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ যেমন পুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তার অনুকুলে বায়আত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তার
পিতা নয় মাস আমীর ছিলেন ৷ পিতার ইনৃতিকালের পর তিনি আমীরের দায়িত্ব লাভ করেন ৷
আবদুল মালিক পুর্ণাঙ্গ খলীফা হন ৬৫ হিজরীর রামাযান কিৎবা রবীউল আউয়ালর্চুমাসেৱ
পহেলা তারিখ ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এর নিহত হওয়ার পর জনগণ ৭৩ হিজরীর
জুমাদাল্ উলা মাস হতে ৮৬ হিজরী পর্যন্ত তাকে খলীফা রুপে গ্রহণ করে নেয় ৷

ছালাব ইবনু আরাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুল মালিক্যক যখন খিলাফ্তের
দায়িত্ব দেওয়া হল ৷ তখন তার কোলে ছিল কুরআন মজীদ ৷ তিনি তা র্ভাজ করে রাখলেন এবং
বললেন এখানেই আমার ও তোমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল ৷ আবু ভুফায়ল বলেন : একদিন
আবদুল মালিকের জন্য একটি বড় মজলিসের ব্যবস্থা করা হল ৷ তার জন্য পুর্বে এখানে একটি
গম্বুজ তৈরী করা হয়েফ্লি ৷ তিনি তাতে প্রবেশ করেন এবং বলেন, এটা তার জন্যে অবৈধ,বলে
তিনি মনে করেন ৷ কথিত আছে যে, যখন কুরআনুল কারীম তার কোলে রাখা হয়েছিল তখন
সে বলেছিল “এটা তোমার সাথে আমার শেষ দেখা ৷”

রক্তপাতের ব্যাপারে আবদুল মালিক অগ্রগামী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বুদ্ধিমান,
পারদর্শী ও অম্ভর্বৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ৷ পার্থিব ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞ ৷ পার্থিব ব্যাপারে তিনি কারো
উপর নির্জ্য করতেন না ৷ তার মায়ের নাম ছিল আইশা বিনৃত মুআবিয়া ইবন আল-মুগীরা
ইবন আবুল আস ৷ তার পিতা মুআবিয়া উহুদের দিন রাসুলুল্লাহ (সা) এর চাচা হযরত হামযা
(রা) এর নাক কর্তন্ করেছিল ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আযীয বলেন, আবদুল মালিক যখন
মুসআব ইবন আস-যুবায়র (রা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে তার সাথে
ইয়াযীদন্ ইবন আল-আসওয়াদ আল-জারশীও বের হয় ৷ যখন তারা মুকাবিলায় দণ্ডায়মান হয়,
তখন আবদুল মালিক বলেন : হে আল্লাহ ! এ দুটো পাহাড়ের মধ্যে আড়াল করে দাও এবং
ৰু তোমার কাছে যে বেশী প্রিয় তাকে খিলাফত দান কর ৷ তারপর আবদুল মালিক জয়লাভ
করেন ৷ মুসআব আবদুল মালিকের কাছে অধিক প্রিয় ছিলেন ৷ আল্লামা ইবন কা?হীর (র)
বলেন, ইভােপুর্বে মুসআবের হত্যার বিবরণ আমি উল্লেখ করেছি) সাঈদ ইবন আবদুল আযীয
বলেন : যখন আবদুল মালিকের খিলাফ্তের বায়আত গ্রহণ করা হয়, আবদুল্লাহ ইবন উমর
ইবন আল-খাত্তাব (বা) তার কাছে পত্র লিখেন এবং বলেন : পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর
নামে শুরু করছি ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিকের
প্রতিঃ আপনার উপর মহান আল্লাহর রহমত বর্নিত হোক ৷ আমি আপনার কাছে এখন আল্লাহর
প্রশংসা করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ যেই ৷ তারপর আপনি রাখালের ন্যায় দায়িতৃবান
আর প্রত্যেক রাখাল বা দায়িতৃপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে তার অধীনস্থ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে ৷ সুরায়ে
নিসার ৮ ৭নস্ আয়াতাৎশে আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেনং ন্ণ্

ষ্টু,৪ ৷
,চুেপ্রেএা
ন্অর্থাৎ আল্লাহ এমন যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ তিনি কিয়ামতের দিন

ণ্তামাদের সকলকে একত্রিত করবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই ৷ কে মহান আল্পাহ্ অপেক্ষা
অধিক সত্যবাদী ? (কেউ নয়) ৷ ওয়ান-সালাম ৷ পত্রটি সালামসহ প্রেরণ করেন তখন তারা


وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ قَبْلَ الْوِلَايَةِ مُعَاوِيَةُ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي قِصَّةٍ طَوِيلَةٍ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ دَاوُدَ الزَّنْبَرِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ صَلَّى مَا بَيْنَ الظَّهْرِ وَالْعَصْرِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ وَفِتْيَانٌ مَعَهُ، فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: لَيْسَتِ الْعِبَادَةُ بِكَثْرَةِ الصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ، إِنَّمَا الْعِبَادَةُ التَّفَكُّرُ فِي أَمْرِ اللَّهِ، وَالْوَرَعُ عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: مَا جَالَسْتُ أَحَدًا إِلَّا وَجَدْتُ لِي الْفَضْلَ عَلَيْهِ إِلَّا عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ ; فَإِنِّي مَا ذَاكَرْتُهُ حَدِيثًا إِلَّا زَادَنِي فِيهِ، وَلَا شِعْرًا إِلَّا زَادَنِي فِيهِ. وَذَكَرَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى مَرْوَانَ، وَهُوَ نَائِبُهُ عَلَى الْمَدِينَةِ سَنَةَ خَمْسِينَ: أَنِ ابْعَثِ ابْنَكَ عَبْدَ الْمَلِكِ عَلَى بَعْثِ الْمَدِينَةِ إِلَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ خَدِيجٍ. فَذَكَرَ مِنْ كِفَايَتِهِ وَغِنَائِهِ وَمُجَاهَدَتِهِ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ شَيْئًا كَثِيرًا، وَلَمْ يَزَلْ عَبْدُ الْمَلِكِ مُقِيمًا بِالْمَدِينَةِ حَتَّى كَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ، وَاسْتَوْلَى ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৭২৭১
الزُّبَيْرِ عَلَى بِلَادِ الْحِجَازِ، وَأَجْلَى بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ هُنَالِكَ، فَقَدِمَ مَعَ أَبِيهِ الشَّامَ، ثُمَّ لَمَّا صَارَتِ الْإِمَارَةُ مَعَ أَبِيهِ وَبَايَعَهُ أَهْلُ الشَّامِ كَمَا تَقَدَّمَ، أَقَامَ فِي الْإِمَارَةِ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ عَهِدَ إِلَيْهِ بِالْإِمَارَةِ مِنْ بَعْدِهِ، فَاسْتَقَلَّ عَبْدُ الْمَلِكِ بِالْخِلَافَةِ فِي مُسْتَهَلِّ رَمَضَانَ أَوْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ بَعْدَ مَقْتَلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ فِي جُمَادَى الْأُولَى إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ ثَعْلَبٌ عَنِ ابْنِ الْأَعْرَابِيِّ: لَمَّا سُلِّمَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بِالْخِلَافَةِ كَانَ فِي حِجْرِهِ مُصْحَفٌ، فَأَطْبَقَهُ، وَقَالَ: هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ. وَقَالَ أَبُو الطُّفَيْلِ: صُنِعَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ مَجْلِسٌ تُوُسِّعَ فِيهِ، وَقَدْ كَانَ بُنِيَ لَهُ فِيهِ قُبَّةٌ قَبْلَ ذَلِكَ فَدَخَلَهُ، وَقَالَ: لَقَدْ كَانَ ابْنُ حَنْتَمَةَ الْأَحْوَزِيُّ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - يَرَى أَنَّ هَذَا عَلَيْهِ حَرَامٌ. وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا وَضَعَ الْمُصْحَفَ مِنْ حِجْرِهِ قَالَ: هَذَا آخَرُ الْعَهْدِ مِنْكَ. وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ لَهُ إِقْدَامٌ عَلَى سَفْكِ الدِّمَاءِ، وَكَانَ عُمَّالُهُ عَلَى مَذْهَبِهِ ; مِنْهُمُ الْحَجَّاجُ وَالْمُهَلَّبُ، وَغَيْرُهُمْ، وَكَانَ حَازِمًا فَهِمًا فَطِنًا، سَائِسًا لِأُمُورِ الدُّنْيَا،
পৃষ্ঠা - ৭২৭২

দেখলেন যে, আমীরুল মু’মিনীনের নামের পুর্বে তার নাম লিখা হয়েছে৷ তারপর তারা
মুআৰিয়ার কাছে প্রেরিত পত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন তথায় এরুপ দেখতে পেলেন ৷ তইি
তারা এটা তার থেকে ক্ষমার চোখে দেখলেন ৷

আল্পামা ওয়াকিদী বলেন : ইবন আবু মায় সারাহ, আবু মুসা আল-খায়্যাব্বতর মাধ্যমে আবু
কাব হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আমি আবদুল মালিককে বলতে শ্যুনছি তিনি বলেন :
হে মদীনাবাসী৷ খ্রিলাফতের বিষয়টি পরিচালনার বেশী হকদার আমিই ৷ পুৰ্বাঞ্চল থেকে এ
ব্যাপারে আমাদের কাছে বন্যার ন্যায় বহু হাদীস এসেছে, কিন্তু এগুলোর শুদ্ধত৷ সম্পর্কে আমরা
জানিনা ৷ কুরআন পাঠ ব্যতীত অন্য কিছু আমরা জানি না ৷ কাজেই, ইমাম মাযলুম অর্থাৎ
হযরত উছমান (রা) কর্তৃক সং গৃহীত ফারযগুলো আকড়িয়ে ধরবে ৷ তিনি এ ব্যাপারে যায়দ
ইবন ছাবিত (রা) এর পরামর্শ নিয়েছেন ৷ ইসলামের জন্য তিনি কতইনা উত্তম পরামর্শদাতা
ছিলেন! তারা দুইজকুন যা যথার্থ পেয়েছেন তা গ্রহণ করেছেন আর যা গ্রহণযোগ্য ছিল না তা
বাদ রাখেন ৷ ইবন জুরায়জ় তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন
আস-যুৰায়র (রা)এর হত্যাকাণ্ডের দুইবহ্ব পর ৭৫ হিজরীতে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান
লােকজ্যাকে নিয়ে হজ্জাত পালন করেন ৷ তিনি আমাদের সামনে খুতবাহ পাঠ করেন ৷ তিনি
বলেন৪ আমার পুর্বের খলীফাগণ সরকারী সম্পদ আত্মসাৎ করতেন এবং অপরকে আত্মসাৎ
করার সুযোগ করে দিতেন ৷ আমি এ উষ্মতের এ রোগের তলােয়ার ব্যতীত কোন ঔষধ দেখতে
পাচ্ছি না ৷ আমি হযরত উছমান (রা) এর ন্যায় দুর্বল খলীফা নই, আমীর মুআবিয়া (রা) এর
ন্যায় তােষামােদকারী খলীফা নই এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবীয়া এর ন্যায় নীচুমনা খলীফা নই ৷
হে জনগণ যতক্ষণ না কোন বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে সৎগ্নাম
দানা বেধে উঠে আমরা তোমাদের যাবতীয় কর ইত্যাদি মাফ করে দেবাে ৷ আমর ইবন
সাঈদের কথা ধরুন তার অধিকারই তার অধিকার ৷ তার স্বজন তার ছেলে ৷ সে মাথার ইঙ্গিতে
বলছে হ্যা, আর আমরা তলোয়ারের মাধ্যমে এরুপ বলার উত্তর দেবাে ৷ সে যে আনুগত্য
আমার কাছ থেকে প্রত্যাহার করেছে সেহেতু আল্লাহর শপথ নিয়ে বলা হয়েছে এবং পরিণাম
অন্য কারো মাথায় রাখা হবে না, তার শ্বাস-প্রশ্বাসই এর স্বাদ আস্বাদন করবে ৷ উপস্থিত
ব্যক্তিবর্গ যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিবর্পকে তা জানিয়ে দেয় ৷
আল-আসমাঈ বলেন, আববাদ ইবন সালাম ইবন উছমান ইবন বিয়াদ তার দাদা থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান একটি পুর্ণ বয়স্ক উটের
উপর আরোহণ করেন ৷ তখন উট চালক একটি কবিতা পাঠ করে ৷ উক্ত কবিতাটি নিম্নরুপং
হে পুর্ণ বয়স্ক উট তোমাকে আমি দেখছি, তোমার উপর তোমার চলার পথে দেশে শাস্তি
স্থাপনকারী আরোহণ করে রয়েছে ৷ দুর্ভাপ্য তোমার, তুমি কি জান তোমার উপর আরোহণ
করেছে কে ? তোমার উপর রয়েছে আল্লাহ্র খলীফা, তোমার মত আর অন্য কোন পুর্ণ বয়স্ক
উটকে এত পসন্দ করেননি তিনি ,যভাে পসন্দ তোমাকে করেছেন ৷ ’
আবদুল মালিক যখন উপরোক্ত কবিতা করলেন, তখন তিনি বলেন, হে তুমি! এখানে
এসো, তোমার জন্যে দশ হাজার ড্রো প্রদানের বিষয়ে আমি আদেশ প্রদান করেছি ৷
আল-আসমাঈ (র) আরো বলেন, “একদিন আব্দুস মালিক খুত্ব৷ দিতে লাগলেন ৷ তিনি
বক্তব্যের মাঝে আটকিয়ে গেলেন ৷ তখন তিনি বললেন জিহ্বাণ্ড মানুষের শরীরের একটি
অংশ ৷ আমরা আটকিয়ে পেলে চুপ থাকি কিন্তু বাজে কথা বলি না ৷ আমরা কথার পণ্ডিত,
আমাদের কথার শিরা’উপশিরা খুবই মযবুত, কথা বা বাক্যের ডানাগুলো আমাদের মাঝে যেন


لَا يَكِلُ أَمْرَ دُنْيَاهُ إِلَى غَيْرِهِ، وَأُمُّهُ عَائِشَةُ بِنْتُ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَأَبُوهَا مُعَاوِيَةُ هُوَ الَّذِي جَدَعَ أَنْفَ حَمْزَةَ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَمَّا خَرَجَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْعِرَاقِ لِقِتَالِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، خَرَجَ مَعَهُ يَزِيدُ بْنُ الْأَسْوَدِ الْجُرَشِيُّ، فَلَمَّا الْتَقَوْا قَالَ: اللَّهُمَّ احْجِزْ بَيْنَ هَذَيْنَ الْجَبَلَيْنِ، وَوَلِّ الْأَمْرَ أَحَبَّهُمَا إِلَيْكَ. فَظَفِرَ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا كَيْفِيَّةَ قَتْلِهِ مُصْعَبًا، وَدُخُولِهِ الْكُوفَةَ، وَوَضْعِهِ رَأَسَ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَدْ كَانَ مِنْ أَعَزِّ النَّاسِ عَلَيْهِ، وَأَحَبِّهِمْ إِلَيْهِ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَمَّا بُويِعَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بِالْخِلَافَةِ، كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، سَلَامٌ عَلَيْكَ، فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ: فَإِنَّكَ رَاعٍ، وَكُلُّ رَاعٍ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ {اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ حَدِيثًا} [النساء: 87] ؟ لَا أَحَدَ، وَالسَّلَامُ. وَبَعَثَ بِهِ مَعَ سَالِمٍ، فَوَجَدُوا عَلَيْهِ ; إِذْ قَدَّمَ اسْمَهُ عَلَى اسْمِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، ثُمَّ نَظَرُوا فِي كُتُبِهِ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَوَجَدُوهَا كَذَلِكَ، فَاحْتَمَلُوا ذَلِكَ مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭২৭৩
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْحَنَّاطِ، عَنِ ابْنِ كَعْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، إِنَّ أَحَقَّ النَّاسِ أَنْ يَلْزَمَ الْأَمْرَ الْأَوَّلَ لَأَنْتُمْ، وَقَدْ سَالَتْ عَلَيْنَا أَحَادِيثُ مِنْ قِبَلِ هَذَا الْمَشْرِقِ وَلَا نَعْرِفُهَا، وَلَا نَعْرِفُ مِنْهَا إِلَّا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ، فَالْزَمُوا مَا فِي مُصْحَفِكُمُ الَّذِي جَمَعَكُمْ عَلَيْهِ الْإِمَامُ الْمَظْلُومُ، وَعَلَيْكُمْ بِالْفَرَائِضِ الَّتِي جَمَعَكُمْ عَلَيْهَا إِمَامُكُمُ الْمَظْلُومُ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَإِنَّهُ قَدِ اسْتَشَارَ فِي ذَلِكَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، وَنِعْمَ الْمُشِيرُ كَانَ لِلْإِسْلَامِ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَأَحْكِمَا مَا أَحْكَمَا وَأَسْقِطَا مَا شَذَّ عَنْهُمَا. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِيهِ: حَجَّ عَلَيْنَا عَبْدُ الْمَلِكِ سَنَةَ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ بَعْدَ مَقْتَلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِعَامَيْنِ، فَخَطَبَنَا فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ كَانَ مَنْ قَبْلِي مِنَ الْخُلَفَاءِ يَأْكُلُونَ مِنَ الْمَالِ، وَيُؤَكِّلُونَ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أُدَاوِي أَدْوَاءَ هَذِهِ الْأُمَّةِ إِلَّا بِالسَّيْفِ، وَلَسْتُ بِالْخَلِيفَةِ الْمُسْتَضْعَفِ - يَعْنِي عُثْمَانَ - وَلَا الْخَلِيفَةِ الْمُدَاهِنِ - يَعْنِي مُعَاوِيَةَ - وَلَا الْخَلِيفَةِ الْمَأْبُونِ - يَعْنِي يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ - أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّا نَحْتَمِلُ مِنْكُمْ كُلَّ اللَّغُوبَةِ مَا لَمْ يَكُنْ عَقْدَ رَايَةٍ، أَوْ وَثَوْبٍ عَلَى مِنْبَرٍ. هَذَا عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ، حَقُّهُ حَقُّهُ، وَقَرَابَتُهُ قَرَابَتُهُ، قَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا، فَقُلْنَا
পৃষ্ঠা - ৭২৭৪

ঝুলে রয়েছে ৷ আমাদের মর্যাদা সুউচ্চ প্রতিষ্ঠিত, এটাই প্রকৃত মর্যাদা ৷ আমাদের দৃষ্টিশক্তি
প্রখর, এটাই প্রকৃত তথ্য ৷ আমাদের আজকের দিনের পরও রয়েছে শক্তি পরীক্ষার

দিবসসমুহ ৷ ঐসব দিনে সুস্পষ্ট বক্তব্যের পরিচিতি ঘটবে এবং অনর্গল ও যথার্থ বক্তব্য শুনার
সুযোগ আসবে ৷

আল-আসমাঈ (র) আরো বলেনং আবদুল মালিককে বলা হল, তোমার বার্ধক্য অঅিদ্রুত
এসে যাচ্ছে ৷ তখন আবদুল মালিক প্রতিউত্তরে বলেনং কেন আসবে না ? আমি প্রতি শুত্রলার
একবার কিংবা একাধিকবার জনগণের কাছে আমার বুদ্ধিমত্তা পেশ করছি ৷
আল-আসমাঈ ব্যতীত অন্য এক বর্ণনাকারী বলেন, আবদুল মালিককে বলা হলো, তোমার
ৰুবার্ধক্য অতি দ্রুত আসছে ৷ তখন তিনি বলেন, তুমি কি আমার প্রতিনিয়ত জনগণকে উপদেশ
প্রদানের জন্যে মিম্বরে আরােহণের কথা ও ভুল করার আশংকাবােধ করার কথা ভুলে গেছ ?
এক ব্যক্তি আবদুল মালিকের কাছে ভুল করল ৷ যেমন, কথায় আলিফ উচ্চারণ করেনি তখন
আবদুল মালিক তাকে বললেন, তোমার কথায় আসিফ বৃদ্ধি কর ৷ ণ্লাকটি প্রতি উত্তরে বলল,
আপনিওা৷ ৷ আলিফ বৃদ্ধি করুন ৷ (া৷ ৷ মানে হাজার) ৷ কাজেই, এটার অর্থ হলো আপনি
এক হাজার দ্রে৷ অর্ঘ হিসেবে বৃদ্ধি করুন ৷

আয-যুহরী (ব) বলেনং আমি আবদুল মালিককে তার খুত্বায় বলতে শ্যুনছি ৷ তিনি
বলেনঃ ইল্মৃ বা জ্ঞান অতি দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাবে ৷ তইি যার কাছে ইলুমৃ বা জ্ঞান আছে সে
যেন অতিমুল্য বিহীন ও সীমাহীনভাবে তা প্রকাশ করে দেয় ৷
ইবন আবুদৃ দুনিয়া বর্ণনা করেন যে, আবদুল মালিক তার সফর সঙ্গীকে বলতেন, যদি
জ্ঞান বৃক্ষ উরুর্ধ্ব গমন করে আমাদেরকে নিয়ে শুন্যে চলে ণ্ যন আমরা ঐ বৃক্ষের কাছে পৌছতে
পারি ৷ আমাদেরকে নিয়ে বিজয়ধ্বনি দিয়ে যাক, যেন আমরা পাথরতুল্য সেই বৃক্ষের নিকটবর্তী
থাকি ৷ এ ধরনের বহু জ্ঞানগর্ভ কথাবার্তা তিনি বলতেন ৷

আল্লাম৷ বায়হাকী (র) বলেন, একদিন আবদুল মালিকের হাত থেকে ময়লা-আবর্জনার
কুপে একটি পয়সা পড়ে যায় ৷ তেব দীনারের বিনিময়ে একজন লোককে দিয়ে তিনি তা উদ্ধার
করেন ৷ এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঐ পয়সায় মহান আল্লাহর নাম
লিখা ছিল ৷ একাধিক বর্ণনাকারী বলেন : আবদুঃ৷ মালিক যখন জ্যাগগের মাঝে ঝগড়া বিবাদ
মিটানাের জন্যে আদালতে বিচার কার্যে বলতেন, তখন তলোয়ায়ধারীরা তলোয়ার দিয়ে তার
মাথার কাছে র্দাড়িয়ে যেত ৷ তখন তিনি নীচে বর্ণিত কবিতাটি পাঠ করতেন ৷ কেউ কেউ
বলেন, অন্যকে পাঠ করতে আদেশ প্রদান করতেন ৷ তিনি বলতেন ৪ যখন কুপ্রবৃত্তির
উপকরণাদি সোচ্চার হয়ে উঠে; আদালতে শ্রোতাদ্দেরকে বাংলার কথা শুনার জন্যে শ্চুপচাপ
থাকতে বলা হয়; জনগণ তাদের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে ণ্হােটট পেয়ে যায়; তখন আমরা তাদের
মাঝে একজন ন্যায়পরায়ণ ও সুক্ষ্ম বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন বিচাৱকের ন্যায়ফায়সাল৷ দিয়ে থাকি ৷
আমরা বাতিলকে হক বলে অভিহিত করি না, হক ব্যতীত বাতিল নিয়ে আলােচনাও করি না ৷
আমরা ভীত থাকি যেন আমাদের বুদ্ধিমত্তা বোকামী না করে ৷ ফলে আমরা য়েন মুর্থের ন্যায়
হককে ভুলে না যাই ৷

আল-আ মাশ (র) বলেনঙ্ক র্মুহাম্মদ ইবন আয-যুবায়র আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে,
একদিন হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) আবদুল মালিকের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ পত্রে
তিনি হাজ্জাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি তার পত্রে লিখেন যদি কোন ব্যক্তি
ঈসা ইবন মারইয়াম (আ) এর খিদমত করেন কিংবা র্তাকে দেখে থাকেন অথবা তার নস্পোর্শে


بِسَيْفِنَا هَكَذَا، وَإِنَّ الْجَامِعَةَ الَّتِي خَلَعَهَا مِنْ عُنُقِهِ عِنْدِي، وَقَدْ أَعْطَيْتُ اللَّهَ عَهْدًا أَنْ لَا أَضَعَهَا فِي رَأْسِ أَحَدٍ إِلَّا أَخْرَجَهَا الصُّعَدَاءَ، فَلْيُبْلِغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: ثَنَا عَبَّادُ بْنُ سَلْمِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: رَكِبَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بَكْرًا، فَأَنْشَأَ قَائِدُهُ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا الْبَكْرُ الَّذِي أَرَاكَا ... عَلَيْكَ سَهْلُ الْأَرْضِ فِي مَمْشَاكَا وَيْحَكَ هَلْ تَعْلَمُ مَنْ عَلَاكَا ... خَلِيفَةُ اللَّهِ الَّذِي امْتَطَاكَا لَمْ يَحْبُ بَكْرًا مِثْلَ مَا حَبَاكَا فَلَمَّا سَمِعَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ قَالَ: إِيْهًا يَا هَنَاهُ، قَدْ أَمَرْتُ لَكَ بِعَشَرَةِ آلَافٍ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: خَطَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ فَحَصِرَ فَقَالَ: إِنَّ اللِّسَانَ بَضْعَةٌ مِنَ الْإِنْسَانِ، وَإِنَّا نَسْكُتُ حَصْرًا، وَلَا نَنْطِقُ هَذْرًا، وَنَحْنُ أُمَرَاءُ الْكَلَامِ، فِينَا رَسَخَتْ عُرُوقُهُ، وَعَلَيْنَا تَدَلَّتْ أَغْصَانُهُ، وَبَعْدَ مَقَامِنَا هَذَا مَقَامٌ، وَبَعْدَ عِيِّنَا هَذَا مَقَالٌ، وَبَعْدَ يَوْمِنَا هَذَا أَيَّامٌ، يُعْرَفُ فِيهَا فَصْلُ الْخِطَابِ، وَمَوْضِعُ الصَّوَابِ. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قِيلَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ: أَسْرَعَ إِلَيْكَ الشَّيْبُ. فَقَالَ: وَكَيْفَ لَا وَأَنَا أَعْرِضُ عَقْلِي عَلَى النَّاسِ فِي كُلِّ جُمْعَةٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ!
পৃষ্ঠা - ৭২৭৫
وَقَالَ غَيْرُهُ: قِيلَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ: أَسْرَعَ إِلَيْكَ الشَّيْبُ. فَقَالَ: شَيَّبَنِي كَثْرَةُ ارْتِقَاءِ الْمِنْبَرِ، وَمَخَافَةُ اللَّحْنِ. وَلَحَنَ رَجُلٌ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَقَالَ لَهُ آخَرُ: زِدْ أَلِفَ. فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَأَنْتَ فَزِدْ أَلِفًا. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ الْعِلْمَ سَيُقْبَضُ قَبْضًا سَرِيعًا، فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ عِلْمٌ فَلْيُظْهِرْهُ، غَيْرَ غَالٍ فِيهِ وَلَا جَافٍّ عَنْهُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا، أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ كَانَ يَقُولُ لِمَنْ يُسَايِرُهُ فِي سَفَرِهِ إِذَا رُفِعَتْ لَهُ شَجَرَةٌ: سَبِّحُوا بِنَا حَتَّى نَأْتِيَ تِلْكَ الشَّجَرَةَ، وَكَبِّرُوا بِنَا حَتَّى نَأْتِيَ تِلْكَ الْحَجَرَ، وَنَحْوَ ذَلِكَ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ وَقَعَ مِنْهُ فَلْسٌ فِي بِئْرٍ قَذِرَةٍ، فَاكْتَرَى عَلَيْهِ بِثَلَاثَةَ عَشَرَ دِينَارًا حَتَّى أَخْرَجَهُ مِنْهَا، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّهُ كَانَ عَلَيْهِ اسْمُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِذَا جَلَسَ لِلْقَضَاءِ بَيْنَ النَّاسِ، يَقُومُ السَّيَّافُونَ عَلَى رَأْسِهِ بِالسُّيُوفِ، فَيُنْشِدُ - وَقَالَ بَعْضُهُمْ: يَأْمُرُ مَنْ يُنْشِدُ
পৃষ্ঠা - ৭২৭৬
ণ্ন্প্ষ্া৷এ্যা$

থেকে থাকেন, তাকে খ্রিক্টানরা চিনবে এবং ৰু তার মান, মর্যাদাও স্বীকার করাঠুবান্তাদের
বাদশাহ্পপর্তার দিৰেইি হিজরত করবে তাদের অন্ত্যর তার বিরাট মর্যাদা বিরাজমান

থকোব ৷ আর তারা তার জন্যে ত৷ যথাযােগ্য বলে মনে করবে অনুরুপভাবে যদি কোন ব্যক্তি

হযরত মুসা (আ)-এরখিদমত করেন্ন কিৎবা র্তাকে দেখে থাকেন, তাকেৰুইয়াহুদীরা চিনবে ৷
তারা তার সাথে যতদুর সম্ভব কল্যাণকর ও সৌহার্দপুর্ণ আচরণ করবে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর খাদিম ছিলাম, তাব সাথী ছিলাম, তবে আমি দেখেছি, তার সাথে খাওয়া-দাওয়া
করেছি, তার সাথে ঘরে প্রবেশ করেছি, তার সাথে ঘর থেকে বের হ্য়েছি এবং দুশমনের
বিরুদ্ধে তার সাথে যুদ্ধ করেছি ৷ হাজ্জাজ আমার ক্ষতি করেছে এবং এরুপ এরুপ ব্যবহার
করেছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, পত্র পড়ার সময় যিনি আবদুল মালিককে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি
আমার কাছে বর্ণনা করোহ্যা যে, পত্র পড়ার সময় আবদুল মালিক র্কাদতে ছিলেন এবং অত্যন্ত
রাগাষিত হয়েছিলেন ৷ তারপর তিনি ন্হাজ্জাজের কাছে শক্ত ভাষায় পত্র লিখেন ৷ পত্রটি যখন
হাজ্জাজের কাছে পৌছে তখন যে তা পাঠ করে এবং তার চেহারা মলিন হয়ে যায় ৷,তারপর সে
পত্রবাহকাক বলল, আমাকে তার কাছে নিয়ে চল ৷ আমি তাকে সভুষ্ট করব া
আবু বকর ইবন দুরায়দ বলেন : ইবনুল আশআছের সাথে বিরোধের সময় আবদুল মালিক

হাজ্জাজ়কে লিখেছিলেন, যে কাজে তুমি মহান আল্লাহ্র প্রতি অধিক মুখাপেক্ষী হবে, সে কাজে
তুমি অধিক সম্মানিত হবে ৷ আর যে কাজে তুমি সৃষ্টির প্রতি অধিক মুখাপেক্ষী হবে, সে কাজে
তুমি অধিক সজ্জিত হবে ৷ যদি কেউ তোমার কাছে মহান আল্লাহর আশ্রয় চায়, তুমি তাকে
ক্ষমা করে দেবে ৷ কেননা, তুমি তারই কাছে একদিন প্রত্যাবর্তন করবে ৷

কেউ কেউ বলেন, একদিন এক ব্যক্তি আবদুল মালিকের সাথে গোপনে কথা বলার আরবী
পেশ করে ৷ তখন তিনি তার কাছে যারা ছিল তাদেরকে একটু সরে যেতে বললেন ৷ যখন তিনি
একাকী হলেন এবং লোর্কটিও তার সাথে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করল ৷ আবদুল মালিক
তাকে বললেন, “তোমার কথা বলার কালে তিনটি বস্তু থেকে তুমি সতর্ক থাকবে, আমার
প্রশংসা করা হতে বিরত থাকবে ৷ কেননা, আমি আমার সম্বন্ধে তোমার চেয়ে বেশী জানি ৷
তুমি মিথ্যা বলা হতে বিরত থাকবে ৷ কেননা, মিথুদ্রকের কোন কথা গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আমার
কোন প্রজাকে দোষারোপ করা হতে বিরত থাকবে ৷ কেননা, তারা আমার নিকট থেকে যুলুম ও
অত্যাচার পাওয়ার চেয়ে আমার ন্যায়্বিচার ও ক্ষমা পাওয়ার বেশী যোগ্য ৷ এখন তুমি যদি চাও
তোমাকে আমার সাথে দেখা করার অনুমতি পত্র বাতিল করতে পারি ৷ লোকটি তখন বলল,
আমাকে ছুটি দিন ৷ আবদুল মালিক তখন তাকে ছুটি দিলেন ৷ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে
আগত দুতদেরকেও তিনি বলতেন, আমার কাছে চারটি বস্তু না বলে আমাকে খুশী করতে ,
পার, তা হলং আমাকে অনাহুত প্রশং সা করবে না, আমি তোমাকে য৷ বলি নাই তার উত্তর
দিতে চেষ্টা করবে না, আমার কাছে মিথ্যা বলবে না, আমার প্রজার বিরুদ্ধে আমাকে ক্ষেপিয়ে
তৃলবে না ৷ কেননা, তারা আমার থেকে মেহেরবানী ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিক যোগ্য ৷

আল্লামা আল আসমাঈ (র) স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেনৰুএবৎ বলেন ও আবদুল মালিকের
কাছে এমন এক ব্যক্তিকে আনা হল, যে ঐ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা তার বিরুদ্ধে সৎপ্রাম
করেছিল ৷ আবদুল মালিক তখন বললেন, তার পর্দান কর্তন করে ফেল ৷ লোকটি বলল, হে
আমীরুল মু মিনীন! এ শাস্তি আমি আপনার নিকট হতে প্রত্যাশা করিনা ৷ আবদুল মালিক
তখন বললেন, তুমি কি: ধরনের শাস্তি আশা করছ ? সে বললষ্ক আল্লাহ্র শপথ, আমি অমুকের
সাথে মিলে আপনার বিরুদ্ধে সগ্রোম করেছি শুধু আপনাকে দেখার জন্যে ৷ আমি একজন


فَيَقُولُ: إِنَّا إِذَا نَالَتْ دَوَاعِي الْهَوَى ... وَأَنْصَتَ السَّامِعُ لِلْقَائِلِ وَاصْطَرَعَ النَّاسُ بِأَلْبَابِهِمْ ... نَقْضِي بِحُكْمٍ عَادِلٍ فَاصِلِ لَا نَجْعَلُ الْبَاطِلَ حَقًّا وَلَا ... نَلُطُّ دُونَ الْحَقِّ بِالْبَاطِلِ نَخَافُ أَنْ تُسَفَّهَ أَحْلَامُنَا ... فَنَخْمُلُ الدَّهْرَ مَعَ الْخَامِلِ وَقَالَ الْأَعْمَشُ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يَشْكُو الْحَجَّاجَ، وَيَقُولُ فِي كِتَابِهِ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا خَدَمَ عِيسَى لَيْلَةً وَاحِدَةً، أَوْ خَدَمَهُ فَعَرَفَتْهُ النَّصَارَى لَنَزَلَ عِنْدَهُمْ، وَلَعَرَفُوا لَهُ ذَلِكَ، وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا خَدَمَ مُوسَى أَوْ رَآهُ فَعَرَفَتْهُ الْيَهُودُ فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَإِنِّي خَادِمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبُهُ، وَإِنَّ الْحَجَّاجَ قَدْ أَضَرَّ بِي وَفَعَلَ وَفَعَلَ. قَالَ: فَأَخْبَرَنِي مَنْ شَهِدَ عَبْدَ الْمَلِكِ يَقْرَأُ الْكِتَابَ وَهُوَ يَبْكِي، وَبَلَغَ بِهِ الْغَضَبُ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِكِتَابٍ غَلِيظٍ، فَجَاءَ إِلَى الْحَجَّاجِ، فَقَرَأَهُ فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ، ثُمَّ قَالَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭২৭৭


হতডাগ৷ লোক ৷ যার সাথেই আমি কখনও হ্নিনাম সে-ই পরাজিত হয়েছে, পরাস্ত হয়েছে ৷ আর
আমার এ দাবী আপনার কাছে বর্তমানে সুস্পষ্ট ৷ আপনার এক লাখ শুভাকাত্তক্ষী থেকেও আমি
আপনার বেশী মঙ্গলকামী ৷ আমি অমুকের সাথে ছিলাম, সে পরাজিত হয়েছে, তার দল ছত্রভঙ্গ
হয়েছে ৷ আমি অমুকেব সাথে আিম, সে নিহত হয়েছে, আমি আবার অমুকের সাথে ছিলাম,

সে পরাজিত ৩হয়েছে ৷ এভাবে সে বেশ কয়েকজন নেতা ও সেনাপতির নাম উল্লেখ করে ৷ তাতে
আবদুল মালিক হেসে উঠলেন এবং তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ ন্

একদিন আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করা হল, কোন ব্যক্তি আপনার কাছে উত্তম বলে
বিবেচিত ? তিনি বলেন, যিনি উচ্চ মর্যাদার অধিকারী সত্বেও বিনয়ের আশ্রয় নেন ৷ শক্তি ও
সমার্থবান হওয়া সত্বেও তাকওয়া অবলম্বন করেন এবং শক্তিমানকে অন্যায়ের ক্ষেত্রে সাহায্য
করা হতে বিরত থাকেন ৷ তিনি আরো বলেন, অভিজ্ঞতার পুর্বে শাস্তি লাভ হয় না ৷ কেননা,
অভিজ্ঞতার পুর্বে অর্জিত শাস্তি সুদৃঢ় হয় না ৷ তিনি আরো বলেন, যে সম্পদ প্রশ ৎসা কুড়ায় ও
বদনাম প্রতিরোধ করে সেটাই উত্তম সম্পদ ৷ হ্াদীসে বর্ণিত, তোমার নিকটবর্তী লোক থেকে
দান বিতরণ শুরু কর সর্বাবস্থায় এ রকম যেন কেউ না বলে ৷ কেননা, সৃষ্টির সকলে মহান
আল্লাহর বৎশধরতৃল্য অর্থাৎ কারোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ৷ হাদীসের মর্ম বিশেষ একটি
অবস্থার সাথে জড়িত ৷

আল মাদাইনী বলেনং একদিন আবদুল মালিক তার সন্তানদের শিক্ষককে বলেন তিনি
হলেন ইসমাঈল ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবুল মুহাজির আপনি তাদেরকে সতবােদিতা শিক্ষা
দিন ৷ যেমন কুরআন তাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে ৷৩ তাদেরকে হীনমনা লোকদের থেকে দুরে
রাখুন ৷ কেননা, জনগণের মধ্যে তারাই কল্যাণের দিকে উত্সাহিত হওয়ার ব্যাপারে নিকৃষ্টতর
ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের আদর ও শিষ্টাচার কম ৷ অকারণে লজ্জাবোধ থেকে তাদেরকে দুরে
রাখুন ৷ কেননা, এটা তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে ৷ তাদের থেকে কর্কশ ব্যবহারের
অনুভুতি দুর করে দিন ৷
তাদেরকে গোশত ভক্ষণ করতে দিন ৷ তাহলে তারা শক্তিশালী হয়ে ৷ তাদেরকে কবিতা
শিক্ষা দিন ৷ তাহলে তারা অন্যদের প্রশংসা করবে ও সাহায্য করবে ৷ তাদেরকে চওড়াভাবে
মিসওয়াক করতে শিক্ষা দিন ৷ বিরতি সহকারে পানি পান করতে শিক্ষা দিন ৷ তারা যেন
পেটপুরে না খায় ৷ তাদের খাবার গ্রহণ প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে আদর সহকারে খাদ্য
গ্রহণ করতে শিক্ষা দিন ৷ তারা যেন গোপনে খাদ্য ভক্ষণ করে তারুদং আশেপাশের লোকেরা
জানতে না পারে তাহলে তারা খাদ্য ভক্ষণে স্বস্তিবােধ করবে ৷ ণ্

আল-হায়ছাম ইবন আদী বলেন, একবার আবদুল মালিক জনগণকে বিশেষভাবে তার
সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি প্রদান করলেন ৷ একদিন মুখমণ্ডল অবিন্যস্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধ
লোক, প্রহরারত দারোয়ানকে অগ্রাহ্য করে প্রবেশ করলেন এবং আবদুল মালিকের সামনে
কুরআনুল কারীমের কিছু আয়াত লিখিত একটি কাগজ রেখে বের হয়ে চলে গেলেন ৷ কেউ
জানে না, তিনি কোথায় চলে গেলেন ৷৩ তাতে ছিল সুরায়ে সোয়াদেয় আয়াত নৎ ২৬ং হে

০ : ’ :

মানুষ! তোমাকে মহান আল্লাহ পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছো

ষ্ক;ট্রু,৷ অর্থাৎ কাজেই, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার
করবে এবং খেয়াল খুশীর অনুসরণ করবে না ৷ কোনো এটা তোমাকে মহান আল্লাহর পথ হতে


حَامِلِ الْكِتَابِ: انْطَلِقْ بِنَا إِلَيْهِ نَتَرَضَّاهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ دُرَيْدٍ: كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ فِي أَيَّامِ ابْنِ الْأَشْعَثِ: إِنَّكَ أَعَزُّ مَا تَكُونُ بِاللَّهِ أَحْوَجَ مَا تَكُونُ إِلَيْهِ، وَإِذَا عَزَزْتَ بِاللَّهِ فَاعْفُ لَهُ، فَإِنَّكَ بِهِ تَعِزُّ وَإِلَيْهِ تَرْجِعُ. قَالَ بَعْضُهُمْ: سَأَلَ رَجُلٌ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنْ يَخْلُوَ بِهِ، فَأَمَرَ مَنْ عِنْدِهِ بِالِانْصِرَافِ، فَلَمَّا تَهَيَّأَ الرَّجُلُ لِيَتَكَلَّمَ، قَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: إِيَّاكَ أَنْ تَمْدَحَنِي ; فَإِنِّي أَعْلَمُ بِنَفْسِي مِنْكَ، أَوْ تَكْذِبَنِي ; فَإِنَّهُ لَا رَأْيَ لِكَذُوبٍ، أَوْ تَسْعَى إِلَيَّ بِأَحَدٍ، وَإِنْ شِئْتَ أَقَلْتُكَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: أَقِلْنِي. فَأَقَالَهُ. وَكَذَا كَانَ يَقُولُ لِلرَّسُولِ إِذَا قَدِمَ عَلَيْهِ مِنَ الْآفَاقِ: اعْفِنِي مِنْ أَرْبَعٍ، وَقُلْ مَا شِئْتَ ; لَا تُطْرِنِي، وَلَا تُجِبْنِي فِيمَا لَا أَسْأَلُكَ عَنْهُ، وَلَا تَكْذِبْنِي، وَلَا تَحْمِلْنِي عَلَى الرَّعِيَّةِ ; فَإِنَّهُمْ إِلَى رَأْفَتِي وَمَعْدَلَتِي أَحْوَجُ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أُتِيَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِرَجُلٍ كَانَ مَعَ بَعْضِ مَنْ خَرَجَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: اضْرِبُوا عُنُقَهُ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا كَانَ هَذَا جَزَائِي
পৃষ্ঠা - ৭২৭৮
مِنْكَ! فَقَالَ: وَمَا جَزَاؤُكَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مَعَ فُلَانٍ إِلَّا بِالنَّظَرِ لَكَ، وَذَلِكَ أَنِّي رَجُلٌ مَشْئُومٌ، مَا كُنْتُ مَعَ رَجُلٍ قَطُّ إِلَّا غُلِبَ وَهُزِمَ، وَقَدْ بَانَ لَكَ صِحَّةُ مَا ادَّعَيْتُ، وَكُنْتُ عَلَيْكَ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ مَعَكَ. فَضَحِكَ وَخَلَّى سَبِيلَهُ. وَقِيلَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ: أَيُّ الرِّجَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: مَنْ تَوَاضَعَ عَنْ رِفْعَةٍ، وَزَهَدَ عَنْ قُدْرَةِ، وَتَرَكَ النُّصْرَةَ عَنْ قُوَّةٍ. وَقَالَ أَيْضًا: لَا طُمَأْنِينَةَ قَبْلَ الْخِبْرَةِ، فَإِنَّ الطُّمَأْنِينَةَ قَبْلَ الْخِبْرَةِ ضِدُّ الْحَزْمِ. وَقَالَ: خَيْرُ الْمَالِ مَا أَفَادَ حَمْدًا وَدَفَعَ ذَمًّا، وَلَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ: ابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ، فَإِنَّ الْخَلْقَ كُلُّهُمْ عِيَالُ اللَّهِ. وَيَنْبَغِي أَنَّ يُحْمَلَ هَذَا عَلَى غَيْرِ مَا ثَبَتَ بِهِ الْحَدِيثُ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِمُؤَدِّبِ أَوْلَادِهِ - وَهُوَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ -: عَلِّمْهُمُ الصِّدْقَ كَمَا تُعَلِّمُهُمُ الْقُرْآنَ، وَجَنِّبْهُمُ السَّفِلَةَ ; فَإِنَّهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭২৭৯


বিচ্যুত করবে, যারা মহান আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ৷
কারণ, তারা বিচারের কাি৫ক বিস্মৃত হয়ে আছে ৷ সুরায়ে আল-মুতাফফিফীন এর ৪নৎ আয়াত



হাত “
,াএে ৷ ট্রুন্ট্রুপু অর্থাৎ তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুখিত হবে মহা দিবসে ৷
যেদিন দাড়া৫ব সমস্ত মানুষজগত সমুহের প্রতিপালকের সম্মুখে ৷


সুরায়ে হু৫দ্যা ১০৩ ও ১০৪নং আয়াতম ন্টু এা১১ রু,াট্রু৷ ৷ ণ্া৷ ৰুপ্ ঙুশু১র্দু০’ং ণ্; ঞ১

০ ’ :

১ ষ্১ব্লাস্ ,ণ্ন্শ্ ৰু৷ ৷ §)§&; ৷শঃ ১ প্পু:০ অর্থাৎ তা ৫সদিন যেদিন সমস্ত মানুষকে একত্র করা

হবে, তা সেদিন যেদিন সকলকে উপস্থিত করা হবে এবং আমি নির্দিষ্ট কিছুকালের জন তা
স্থগিত রাখি মাত্র ৷
সুরায়ে নামলের (বর্তমানে
তুমি জীবিত, তারা জীবিত থাকলেও তোমার কাছে তারা পৌছতে পারত না) ৷ কেননা, এতো
তাদের ঘরবাড়ী, সীমা-লৎঘন ৫হতু যা জনশুন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ প্

’ ’ ’

সুরায়ে আস-সাফ্ফাতের ২২নং আয়াত

fl ’ ’

ট্রু;শুা^ অর্থাৎ আমি তোমাকে এমন দিনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন করছি যেদিন ৫ফ৫রশতাদের

বলা হবে, একত্র কর যালিম ও তাদের সহচরগণকে এবং তাদেরকে যাদের ইৰাদত করত
তারা’ ৷

সুরায়ে হ্রদের ১৮ নং আয়াত ,ন্া৷াষ্৷ ৷ ষ্া; ধ্া৷ ৷ ই০ ১৷ ৷ অর্থাৎ সাবধান আল্লাহর
লানত যালিমদের উপর” ৷

উপরোক্ত আয়াতসমুহ সম্বলিত কাপজর্টি দেখে আবদুল মালিকের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল ৷
তারপর তিনি তার হেরেমে প্রবেশ করেন এবং বেশ কয়েক দিন যাবত তার চেহারায় কষ্টের
ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছিল ৷ প্

যুবৃর ইবন হুবায়শ আবদুঃ৷ মালিকের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ পত্রের শেষে তিনি লিখেন
ম হে আমীরুল মু ’মিনীন! আপনার দীর্ঘ হায়াত যেন আপনার স্বা৫স্থ্য প্রতিফলিত হয়ে আপনাকে
৫লাভী করে না তোলে ৷ কেননা, আপনি আপনার সম্বন্ধে অধিক জানেন ৷ আপনার পুর্বপুরুষগণ
যা বলে ৫গৃ৫ছন তা একটু স্মরণ ককন ৷ তারা বলেছেন, “মানুষ যখন তাদের সন্তানদের জন্ম
দেয় বৃদ্ধাবন্থার দরুন তাদেরও শরীর নষ্ট হয়ে যায় ৷ তাদের অসুস্থতাও দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকে ৷
এটাকে এমন একটি শস্যক্ষেত্র বুঝ৫ত হবে যার কতনিকাল নিকটবর্তী হয়ে এসেছে ৷ আবদুল
মালিক পত্রটি পড়ার পর এমন ক্রন্দন করলেন যে, তার কাপড়ের কিনারা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে ৷
তারপর তিনি বলেনং : “খুব সত্য কথা ব৫ল৫ছ ৷ তবে, যদি যে আমাদের কাছে এর চেয়ে কম
লিখত, তাহলে এটা হযম করা হতো আমার জ্যা৷ সহজ ৷”

আবদুল মালিক তার সাথীদের একদলকে শুনতে পেলেন যে, তারা হযরত উমর ইবনুন্;ব্,
খাত্তাব (রা) এর চরিত্র নিয়ে আলোচনা, করছেন ৷ আবদুল মালিক বললেন, আমি
৫তামাদেরকে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এর চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে নিষেধ করছি ৷
কেননা, তিনি ছিলেন আমীরদেৱ জ্যা৷ আয়ন৷ স্বরুপ ৷ কিন্তু প্রজাদের জন্যে বিভ্রাস্তিকর” ৷


أَسْوَأُ النَّاسِ رِعَةً، وَأَقَلُّهُمْ أَدَبًا، وَجَنِّبْهُمُ الْحَشَمَ ; فَإِنَّهُمْ لَهُمْ مَفْسَدَةٌ، وَأَحْفِ شُعُورَهُمْ، تَغْلُظْ رِقَابُهُمْ، وَأَطْعِمْهُمُ اللَّحْمَ يَقْوُوا، وَعَلِّمُهُمُ الشِّعْرَ يَمْجُدُوا وَيُنْجُدُوا، وَمُرْهُمْ أَنْ يَسْتَاكُوا عَرْضًا، وَيَمُصُّوا الْمَاءَ مَصًّا، وَلَا يَعُبُّوا عَبًّا، وَإِذَا احْتَجْتَ أَنْ تَتَنَاوَلَهُمْ بِأَدَبٍ ; فَلْيَكُنْ ذَلِكَ فِي سِرٍّ لَا يَعْلَمُ بِهِمْ أَحَدٌ مِنَ الْغَاشِيَةِ، فَيَهُونُوا عَلَيْهِمْ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: أَذِنَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِلنَّاسِ فِي الدُّخُولِ عَلَيْهِ إِذْنًا خَاصًّا، فَدَخَلَ شَيْخٌ رَثُّ الْهَيْئَةِ لَمْ يَأْبَهْ لَهُ الْحَرَسُ، فَأَلْقَى بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ صَحِيفَةً، وَخَرَجَ فَلَمْ يَدْرِ أَيْنَ ذَهَبَ، وَإِذَا فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، يَا أَيُّهَا الْإِنْسَانُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَكَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عِبَادِهِ ; فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ، {وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ} [ص: 26] (ص: 26) {أَلَا يَظُنُّ أُولَئِكَ أَنَّهُمْ مَبْعُوثُونَ لِيَوْمٍ عَظِيمٍ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ} [المطففين: 4] (الْمُطُفِّفِينَ: 4 - 6) . {ذَلِكَ يَوْمٌ مَجْمُوعٌ لَهُ النَّاسُ وَذَلِكَ يَوْمٌ مَشْهُودٌ وَمَا نُؤَخِّرُهُ إِلَّا لِأَجَلٍ مَعْدُودٍ} [هود: 103] (هُودٍ: 103، 104) إِنَّ الَّذِي أَنْتَ فِيهِ لَوْ بَقِيَ لِغَيْرِكَ مَا وَصَلَ إِلَيْكَ، {فَتِلْكَ بُيُوتُهُمْ خَاوِيَةً بِمَا ظَلَمُوا} [النمل: 52] (النَّمْلِ: 52)
পৃষ্ঠা - ৭২৮০
وَإِنِّي أُحَذِّرُكَ يَوْمَ يُنَادِي الْمُنَادِي {احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ} [الصافات: 22] (الصَّافَّاتِ: 22) ، {أَنْ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ} [الأعراف: 44] (الْأَعْرَافِ: 44) قَالَ: فَتَغَيَّرَ وَجْهُ عَبْدِ الْمَلِكِ فَدَخَلَ دَارَ حَرَمِهِ، وَلَمْ تَزَلِ الْكَآبَةُ فِي وَجْهِهِ بَعْدَ ذَلِكَ أَيَّامًا. وَكَتَبَ زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ كِتَابًا، وَفِي آخِرِهِ: وَلَا يُطْمِعُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي طُولِ الْبَقَاءِ مَا يَظْهَرُ لَكَ مِنْ صِحَّتِكَ، فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِنَفْسِكَ، وَاذْكُرْ مَا تَكَلَّمَ بِهِ الْأَوَّلُونَ: إِذَا الرِّجَالُ وَلَدَتْ أَوْلَادَهَا ... وَبَلِيَتْ مَنْ كِبَرٍ أَجْسَادُهَا وَجَعَلَتْ أَسْقَامُهَا تَعْتَادُهَا ... تِلْكَ زُرُوعٌ قَدْ دَنَا حَصَادُهَا فَلَمَّا قَرَأَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بَكَى حَتَّى بَلَّ طَرْفَ ثَوْبِهِ، ثُمَّ قَالَ: صَدَقَ زِرٌّ، وَلَوْ كَتَبَ إِلَيْنَا بِغَيْرِ هَذَا كَانَ أَرْفَقَ. وَسَمِعَ عَبْدُ الْمَلِكِ جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ يَذْكُرُونَ سِيرَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: إِيهَا عَنْ ذِكْرِ عُمَرَ؛ فَإِنَّهُ إِزْرَاءٌ عَلَى الْوُلَاةِ، مَفْسَدَةٌ لِلرَّعِيَّةِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: كَانَ
পৃষ্ঠা - ৭২৮১

১২০

, ইব্রাহীম ইবনহিশাম ইবনইয়াহ্য়াআল-কাবানী (র) তার দাদা থেকে বর্ণনা করেনা
তিনি বলেন ৪ আবদুল মালিক উষ্মে দারদা’-এর হালকায় দামেষ্কের মসজিদের শেষ মাথায়
বসতেন ৷ একদিন উষ্মে দারদা’ তাকে বললেন, আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, তুমি ইবাদত
ও বন্দেগীর পর দুধপান করেছ ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ, আমি রক্তও পান
করেছি ৷ তারপর তার কাছে একজন গোলাম আসল, যাকে যে অন্য জায়গায় কোন প্রয়োজনে
প্রেরণ করেছিল ৷ তিনি তখন বললেন, ৫“ক তোমাকে এতক্ষণ বন্দী করে ৫রখেছিল, তোমার
উপর আল্লাহর লা নত?” উষ্মে দারদা’ (রা) বললেন, হে আমীরম্স মু মিনীন! এরুপ বলবেন
না ৷ কেননা, আমি আবু দারদা’ (রা) থেকে শুনেছি তিনি বলেন, আমি বাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক
বলতে শু৫নছি ৷ তিনি বলেন, “লা’নতকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷”

আবু বকর ইবন আবুদৃ দুনিয়া বলেন, আল-হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান আমার কাছে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (র) ৫ক একদিন বলা হল যে,
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বললেন, “আমি এমন হয়ে ৫গছি যে, ৫নক কাজ করলেও ধ্
আমার খুশী লাগে না, ড্ডাপ বদ কাজ করলেও কোন প্রকার দুংখ অনুভুত হয় না ৷” সাঈদ
বললেন, তাহলে তোমার অস্তরের মৃত্যু পরিপুর্ণ হয়েছে ৷”

আল-আসমাঈ তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদিন আবদুল মালিক
অত্যন্ত উচ্চস্ত৫রর ভাষণ প্রদান করলেন ৷ তবে ভাষণের মধ্যখানে ভাষণ বন্ধ রেখে অত্যন্ত
কান্নাকাটি করেন ৷ তারপর বলেনং : “হে আমার প্রতিপালক! আমার পাপ অনেক বড় ৷ আর
তোমার সামান্যতম ক্ষমা আমার পা৫পর চেয়ে অনেক বড় ৷ হে আল্লাহ! তোমার সামান্য ক্ষমা
দ্বারা আমার বিরাট পাপ মুছে দাও ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, এ ঘটনা হাসান বসরীর কাছে পৌছার পর তিনি ক্রন্দন করলেন এবং
বললেন, যদি কোন কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা যায়, তাহলে এ কথাটিই লিখে নাও ৷ এ ধরনের
বর্ণনা একাধিক বর্ণনাকারী হতে বর্ণিত রয়েছে ৷ তাদের কাছে যখন এ কথাটি পৌছল তখন
তারা হাসান বসরী (র)-এর ন্যায় মন্তব্য করেন ৷ মিসহাৱ আদদুো৫মশ্কী বলেন, একদিন
আবদুল মালিকের সামনে দস্তরখান বিছানাে হল ৷ তখন তিনি দারােয়ানকে বললেন, খালিদ
ইবন আনদৃল্লাহ্ ইবন খালিদ ইবন উসায়দকে ডেকে আন ৷ দারোয়ান বলল, হে আ মীরুল
মু’মিনীন! তিনি :তাে মারা ৫?া৫ছন ৷ আবদুল মালিক তখন বললেন, তার গ্রিতাঅবেল্লোহ্ ইবন
খ্যলিদ ইবন উসায়দকে ডেকে আন ’ ৷ দারোয়ান বলল, “তিনিও মারা গেছেন ৷” তখন তিনি ,
বললেন, “খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন ঘুআবিয়াকে ডেকে আন ৷” দারোয়ান বলল, “তিনিও ৫তা

মারা গেছেন ৷” এভাবে তিনি বলতে লাগলেন অমুককে ৫ড৫ক আন ও অমুক৫ক ডেকে আন,

এমনকি বেশ কয়েকজনেৱ নাম উল্লেখ করে ৷ তিনি বলেন, তাদেরকে ডেকে আন ৷ অথচ তিনি
আমাদের পুৰেইি জানেন যে, তারা সকলেই মারা গেছেন ৷ তারপর তিনি দস্তরখান উঠিয়ে
নেওয়ার ন্থকুম দিল্টো এবং নীচের কবিতাটি আবৃত্তি করেন০

“আমার সমবয়সী বন্ধুগণ চলে গিয়েছে এবং তাদের যুগও শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ আমি
তাদের পরে ধুলাবালিতে মিশ্রিত হয়ে ৫গছি ৷ হে আমার শ্রোতা ভাই জেনে ৫রখো, তুমি তো
চিরস্থায়ী হয়ে না ৷” ,

কথিত আছে যে, যখন তার কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয় তার পুত্র আল-ওয়ালীদ ঘরে প্রবেশ
করেন ও কান্নাকাটি করেন৷ তখন তাকে আবদুল মালিক বলেন, “এটা কী ? তুমি যে
ৰ্ার্দীদাসীদ্যো ন্যায় ল্দো করছ, যখন আমি মরে যাব তখন তাড়াতাড়ি করবে, আমাকে


عَبْدُ الْمَلِكِ يَجْلِسُ فِي حَلْقَةِ أُمِّ الدَّرْدَاءِ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ بِدِمَشْقَ، فَقَالَتْ لَهُ: بَلَغَنِي أَنَّكَ شَرِبْتَ الطِّلَاءَ بَعْدَ الْعِبَادَةِ وَالنُّسُكِ. فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ، وَالدِّمَاءَ أَيْضًا قَدْ شَرِبْتُهَا، ثُمَّ جَاءَهُ غُلَامٌ كَانَ قَدْ بَعَثَهُ فِي حَاجَةٍ، فَقَالَ: مَا حَبَسَكَ، لَعَنَكَ اللَّهُ؟ فَقَالَتْ أُمُّ الدَّرْدَاءِ: لَا تَفْعَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الْهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَعَّانٌ» . وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قِيلَ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ قَالَ: قَدْ صِرْتُ لَا أَفْرَحُ بِالْحَسَنَةِ أَعْمَلُهَا، وَلَا أَحْزَنُ عَلَى السَّيِّئَةِ أَرْتَكِبُهَا. فَقَالَ سَعِيدٌ: الْآنَ تَكَامَلَ مَوْتُ قَلْبِهِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَطَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَوْمًا خُطْبَةً بَلِيغَةً، ثُمَّ قَطَعَهَا وَبَكَى بُكَاءً شَدِيدًا، ثُمَّ قَالَ: يَا رَبِّ إِنَّ ذُنُوبِي عَظِيمَةٌ، وَإِنَّ قَلِيلَ عَفْوِكَ أَعْظَمُ مِنْهَا، اللَّهُمَّ فَامْحُ بِقَلِيلِ عَفْوِكَ عَظِيمَ ذُنُوبِي. قَالَ: فَبَلَغَ ذَلِكَ الْحَسَنَ فَبَكَى، وَقَالَ: لَوْ كَانَ كَلَامٌ يُكْتَبُ بِالذَّهَبِ لَكُتِبَ هَذَا الْكَلَامُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ نَحْوُ ذَلِكَ. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ الدِّمَشْقِيُّ: وُضِعَ سِمَاطُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَوْمًا بَيْنَ يَدَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭২৮২
فَقَالَ لِحَاجِبِهِ: ائْذَنْ لِخَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ. فَقَالَ: مَاتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَأُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ. قَالَ: مَاتَ. قَالَ: فَلِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: مَاتَ. قَالَ: فَلِفُلَانٍ وَفُلَانٍ لِأَقْوَامٍ قَدْ مَاتُوا - وَهُوَ يَعْلَمُ ذَلِكَ - فَبَكَى، وَأَمَرَ بِرَفْعِ السِّمَاطِ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ: ذَهَبَتْ لِدَّاتِي وَانْقَضَتْ أَيَّامُهُمْ ... وَغَيَّرْتُ بَعْدَهُمْ وَلَسْتُ بِخَالِدِ وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا احْتُضِرَ دَخَلَ عَلَيْهِ ابْنُهُ الْوَلِيدُ فَبَكَى، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: مَا هَذَا؟ أَتَحِنُّ حَنِينَ الْجَارِيَةِ وَالْأَمَةِ؟ إِذَا أَنَا مِتُّ فَشَمِّرْ وَاتَّزِرْ وَالْبَسْ جِلْدَ النَّمِرِ، وَضَعِ الْأُمُورَ عِنْدَ أَقْرَانِهَا، وَاحْذَرْ قُرَيْشًا، ثُمَّ قَالَ لَهُ: يَا وَلِيدُ، اتَّقِ اللَّهَ فِيمَا أَسْتَخْلِفُكُ فِيهِ، وَاحْفَظْ وَصِيَّتِي، وَانْظُرْ إِلَى أَخِي مُعَاوِيَةَ فَصِلْ رَحِمَهُ، وَاحْفَظْنِي فِيهِ، وَانْظُرْ إِلَى أَخِي مُحَمَّدٍ فَأَقِرَّهُ عَلَى الْجَزِيرَةِ، وَلَا تَعْزِلْهُ عَنْهَا، وَانْظُرِ ابْنَ عَمِّنَا عَلِيَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَإِنَّهُ قَدِ انْقَطَعَ إِلَيْنَا بِمَوَدَّتِهِ وَنَصِيحَتِهِ، وَلَهُ نَسَبٌ وَحَقٌّ، فَصِلْ رَحِمَهُ وَاعْرِفْ حَقَّهُ، وَانْظُرِ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ فَأَكْرِمْهُ ; فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي مَهَّدَ لَكُمُ الْبِلَادَ، وَقَهَرَ الْأَعْدَاءَ، وَأَخْلَصَ لَكُمُ الْمُلْكَ، وَشَتَّتَ الْخَوَارِجَ، وَأَنْهَاكَ وَإِخْوَتَكَ عَنِ الْفِرْقَةِ، وَكُونُوا أَوْلَادَ أُمٍّ وَاحِدَةٍ، وَكُونُوا فِي
পৃষ্ঠা - ৭২৮৩


ইষার পরাবে এবং চিতার চামড়া পরিধান করাবে ৷ অন্যান্য কাজযখোচিতভাবে সম্পাদন
করবে ৷ তবে কুরায়শদের ভয় করে চলবে ৷” তারপর তিনি তাকে বললেন, “হে ওয়ালীদা
ণ্তামাকে আল্লাহ্ তাআলা যে খিলাফতের দায়িত্ব দিয়েছেন তা সম্পাদনের ক্ষেত্রে মহান
আল্লাহ্কে ভয় করবে, আমার অসীরত মান্য করবে এবং আমার ভইি মুআবিয়াৱ দিকে লক্ষ্য
রাখবে, তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে ৷ আর আমাকে তার মধ্যে হিফাযত ও সংরক্ষণ
করবে, আমার ভইি মুহাম্মদের দিকে খেয়াল রাখবে ৷ তাকে আলজেরিয়ার আমীর নিযুক্ত করবে
এবং তাকে সেখান থেকে বরখাস্ত করবে না ৷ আমার চাচাতো ভাই আলী ইবনআব্বাসের প্রতি
লক্ষ্য রাখবে ৷ তার সাথে আমাদের মহব্বত ও নসীহতের সম্পর্ক ইতোমধ্যে জ্জি হয়ে গিয়েছে ৷
অথচ তার সাথে আমাদের বংশের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে ৷ আমাদের উপর তার ন্যায্য
অধিকার রয়েছে ৷ তাই, তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং তার ন্যায্য অধিকার তাকে
অবশ্যই প্রদান করবে ৷ আর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের দিকে লক্ষ্য রাখবে ৷ তাকে সম্মান করবে ৷
কেননা, যে বিভিন্ন দেশকে তোমার করতলগত করেছে এবং দৃশমনদেরকে নিপাত করেছে ৷
তোমার জন্য রাজত্ব নিষ্কন্টক করেছে ৷ আর খারিজীদেরকে ছিন্নত্মি করে দিয়েছে ৷ তোমার
এবং তোমার ভাইদের মধ্যে মত বিরোধ দুর করেছে ৷ কাজেই, তোমরা এখন একই মায়ের
সন্তান হিসেবে বসবাস করবে ৷ যুদ্ধের ব্যাপারে তোমরা স্বাধীনতার পরিচয় দেবে ৷ নেক
কাজকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করবে ৷ যুদ্ধ কােনকািও অকাল মৃত্যু ঘটায় না ৷ <নক কাজ
তার কর্তাকে প্রসিদ্ধ করে রাখে এবং অন্তার মহব্বতের আংলাড়ন সৃষ্টি করে ৷ সুনামের স্মৃতি
নিন্দাবাদকে পর্বুদস্ত ও লাঞ্ছিত করে থাকে ৷ কবির নিম্নবর্ণিত কবিতাটি কতইনা সুন্দর!
“বস্তুসমুহ যখন পরিপকৃতা অর্জন করে, ক্রোধ, কাম ও কঠোর আচরণ তা ধ্বংস করতে
চায় ৷ এগুলো সুদৃঢ় থাকে এবং সাধারণতঃ চুর্ণ -বিচুর্ণ হয় না ৷ যদি এগুলো কোন সময় ভেঙ্গে
যায়, তাহলে যিনি ভঙ্গ করেন তারদায়িত্বেই এটার পরিণাম ও ফলাফল আবর্তিত হয় ৷
তারপর তিনি বলেন, যখন আমি মারা যাব, তখন তুমি জনগণকে তোমার ৰায়আর্তের
প্রতি আহ্বান জানাবে ৷ যে অস্বীকার করবে তলােয়ারের মাধ্যমে তার সাথে ফারসালা হবে ৷
ণ্তামার বোনদের প্রতি তুমি ইহ্সান করবে, তাদেরকে সম্মান করবে ৷ আর জেনে ব্লেখো
তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আদারর হলো ফাতিমা ৷ এ ফাতিমাকে তিনি এক ঠু জাড়া মুল্যবান
কানের অলংকার ও অত্যন্ত মুল্যবান হীরক প্রদান করেছিলেন ৷ তারপর তিনি বলেন, হে
আল্লাহ! তার মা:ধ্যই আমার স্মৃতি তুমি রক্ষা ও হিফাযত কর ৷ তাকে উমর ইবন আবদুল
আযীষের সাথে বিয়ে দেন ৷ আর তিনি ছিলেন তার চাচাতো ভইি ৷ যখন তার মৃত্যু উপস্থিত
হয়, তখন তিনি একজন ধোপার কাপড় ধোয়ারআওয়ায শুনতে পেলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন
এটা কে ? উপস্থিত সদস্যগণ বলল, সে একজন ধোপা ৷ তখন তিনি বললেন, হার! আমি যদি
একজ্যা ধোপা হতাম, দিনের পরিশ্রম দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতাম এবং খিলাফতের দায়িত্ব
বহন না করতাম ৷ তারপর তিনি বর্ণনা করেন ও বলেন, আমার আয়ুর শপথ, আমি পৃথিবীতে
দীর্ঘকাল আয়ু পেলাম এবং তলেয়ােরের মাধ্যমে আমার জন্যে দুনিয়া সহজ হয়ে গিয়েছিল ৷
আমাকে দেওয়া হয়েছে প্রচুর সম্পদ, অধিকার ও বুদ্ধিমত্তা ৷ আর অত্যাচারী নৃপতিগণও আমার
বশ্যতা স্বীকার করেছে ৷ যে আমাকে আনন্দ দান করত সে যুগ যুগ ধরে আমার করায়ত্তে
দিনযাপন করেছে ৷ হার! যদি আমাকে খিলাফতের দায়িতু প্রদানের মাধ্যমে কোন একদিন
সাহায্য না করা হতো, তাহলে আমি জীবনের এরুপ সৃপা আরাম-আয়াশে নিমগ্ন হতাম না ৷


الْحَرْبِ أَحْرَارًا، وَلِلْمَعْرُوفِ مَنَارًا ; فَإِنَّ الْحَرْبَ لَمْ تُدْنِ مَنِيَّةً قَبْلَ وَقْتِهَا، وَإِنَّ الْمَعْرُوفَ يُشَيِّدُ ذِكْرَ صَاحِبِهِ، وَيُمَيِّلُ الْقُلُوبَ بِالْمَحَبَّةِ، وَيُذَلِّلُ الْأَلْسِنَةَ بِالذِّكْرِ الْجَمِيلِ، وَلِلَّهِ دَرُّ الْقَائِلِ: إِنَّ الْأُمُورَ إِذَا اجْتَمَعْنَ فَرَامَهَا ... بِالْكَسْرِ ذُو حَنَقٍ وَبَطْشٍ بِالْيَدِ عَزَّتْ فَلَمْ تُكْسَرْ وَإِنْ هِيَ بُدِّدَتْ ... فَالْكَسْرُ وَالتَّوْهِينُ لِلْمُتَبَدِّدِ ثُمَّ قَالَ: إِذَا أَنَا مِتُّ فَادْعُ النَّاسَ إِلَى بَيْعَتِكَ، فَمَنْ أَبَى فَالسَّيْفُ، وَعَلَيْكَ بِالْإِحْسَانِ إِلَى إِخْوَانِكَ فَأَكْرِمْهُنَّ، وَأَحَبُّهُنَّ إِلَيَّ فَاطِمَةُ - وَكَانَ قَدْ أَعْطَاهَا قُرْطَيْ مَارِيَةَ وَالدُّرَّةَ الْيَتِيمَةَ - ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ احْفَظْنِي فِيهَا، فَتَزَوَّجَهَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ ابْنُ عَمِّهَا. وَلَمَّا احْتُضِرَ سَمِعَ غَسَّالًا يَغْسِلُ الثِّيَابَ، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقَالُوا: غَسَّالٌ. فَقَالَ: يَا لَيْتَنِي كُنْتَ غَسَّالًا، أَكْسِبُ مَا أَعِيشُ بِهِ يَوْمًا بِيَوْمٍ، وَلَمْ أَلِ الْخِلَافَةَ، ثُمَّ تَمَثَّلَ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭২৮৪
لَعَمْرِي لَقَدْ عُمِّرْتُ فِي الْمُلْكِ بُرْهَةً ... وَدَانَتْ لِيَ الدُّنْيَا بِوَقْعِ الْبَوَاتِرِ وَأُعْطِيتُ جَمَّ الْمَالِ وَالْحُكْمَ وَالنُّهَى ... وَدَانَ قَمَاقِيمُ الْمُلُوكِ الْجَبَابِرِ فَأَضْحَى الَّذِي قَدْ كَانَ مِمَّا يَسُرُّنِي ... كَحُلْمٍ مَضَى فِي الْمُزْمَنَاتِ الْغَوَابِرِ فَيَا لَيْتَنِي لَمْ أُعْنَ بِالْمُلْكِ لَيْلَةً ... وَلَمْ أَسْعَ فِي لَذَّاتِ عَيْشٍ نَوَاضِرِ وَكُنْتُ كَذِي طِمْرَيْنِ عَاشَ بِبُلْغَةٍ ... مِنَ الْعَيْشِ حَتَّى زَارَ ضِيقَ الْمَقَابِرِ وَقَدْ أَنْشَدَ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ عِنْدَ مَوْتِهِ. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ: قِيلَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ فِي مَرَضِ مَوْتِهِ: كَيْفَ تَجِدُكَ؟ فَقَالَ: أَجِدُنِي كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَلَقَدْ جِئْتُمُونَا فُرَادَى كَمَا خَلَقْنَاكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَتَرَكْتُمْ مَا خَوَّلْنَاكُمْ وَرَاءَ ظُهُورِكُمْ} [الأنعام: 94] الْآيَةَ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَمَّا احْتُضِرَ عَبْدُ الْمَلِكِ أَمَرَ بِفَتْحِ الْأَبْوَابِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭২৮৫


কেউ কেউ বলেন, আমীর মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান (রা) মৃত্যু-শয্যায় এ কবিতাগুলাে
আবৃত্তি করেছিলেন ৷

আবু মিসহার বলেন, মৃত্যু শয্যায় শায়িত আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি
এখন কিরুপ অনুভব করছেন ? তখন তিনি বললেন, আমি এখন অনুভব করছি যেমন আল্লাহ
তা জানা সুরায়ে আনআম এর ৯৪নং আয়াতে ইরশাদ করোছনং

fl ’ fl ষ্ ’ ’ fl

; ৷ ,) ৰুাছুাঠু
’ণ্াম্বুছু ঢ়ট্রু ন্হ্র,টুছুট্র;
অর্থাৎ “তোমরা আমার নিকট নি৪সঙ্গ অবস্থায় এসেছ ৷ যেমন, প্রথমে তােমাদেৱকে সৃষ্টি
করেছিলাম; ণ্তামাংদরাক যা দিয়েছিলাৰুমআে তোমরা পশ্চাতে ফেলে এসেছ; তোমরা যাদেরকে
তোমাদের ব্যাপারে শরীক মনে করতে সে সুপারিশকারিগণকেও তোমাদের সাথে দেখছি না;
তোমাদের মধ্যকার সম্পর্ক অবশ্য ছিন্ন হয়েছে এবং তোমরা যা ধারণা করেছিলে তাও নিম্ফল
হয়েছে ৷ প্
সাঈদ ইবন আবদুল আযীয বলেন৪ যখন আবদুল মালিকের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন
তিনি তার প্রাসাদের দ্বার খোলার হুকুম দেন ৷ যখন দ্বার খোলা হয়, তখন তিনি উপত্যকায়
একজন কাপড় রঙ্গিনকারী লোকের আওয়ায শুনতে পান ৷ তিনি বলেন, এটা কে ? তারা বলল,
“কাপড় রঙ্গিনকারী” ৷ তখন তিনি বলেন, “হার ! আমি যদি কাপড় রঙ্গিনকারী হতাম ! যে তার
হাতের পারিশ্রমিক দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ৷” এযটনার কথা যখন সাঈদ ইবনুল
মুসায়িদ্রবের কাছে পৌছে তখন তিনি বলেন : আল্পাহ্র সমস্ত প্রশংসা, যিনি তাদেরকে এমন
পর্যায়ে পৌছিয়েছেন যে, এখন তারা আমাদের দিকে পলায়ন করছে ৷ আমরা তাদের দিকে
ধাবিত হচ্ছি না ৷

, বর্ণনাকারী আরো বলেন, যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে লজ্জাবােধ করতে থাকে,
ক্রন্দন করতে থাকে, মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং বলতে থাকে ৷ “এখন আমি
চাই যদি আমি সারা জীবনে দৈনন্দিন রোজ্বগার কয়তাম এবং আল্লাহ্র আনুগত্য ও ইবাদতে
মশগুল থাকতাম ৷ অন্য একজন বলছেন, “যখন আবদুল মালিকের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন
প্ তিনি তার ছোলাদয়ৰক ডাকেন এবং তাদেরকে ওসীয়ত করেন ৷ তারপর বলেন, “সমস্ত প্রশংসা
এমন আল্লাহর, যিনি তার সৃষ্টির মধ্য হতে ছেটি বড় কাউকেও জিজ্ঞাসা করবেন না ৷ তারপর
তিনি নীচের কবিতাটি আবৃত্তি করেন “যার্দেরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের মধ্যে কেউ
কি চিরস্থায়ী হয়ে আছে ? আর যারা এখনও বাকী আছে তাদের মৃত্যু সম্পর্কে কি কোন
প্রতারক আছে ?
কথিত আছে যে, একবার আবদুল মালিক তার কামরায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্পকে বললেন,
“আমাকে একটু উপরে উত্তোলন ক্যা ৷“ তারা তাকে উপরে উত্তোলন করল ৷ তিনি মুক্ত হাওয়ায়
নিঃশ্বাস নিলেন ও বললেন, “হে দুনিয়া তুমি কতই পবিত্র! তোমার দীর্ঘকালও ক্ষণস্থায়ী ৷
আর তোমার প্রচুর সম্পদ ও আখিরাতের তুলনায় অত্যন্ত স্বল্প ৷ আমরা তোমার প্রতারণায়
নিমজ্জিত ছিলাম ৷ তারপর তিনি নীচের দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন : “হে আল্লাহ্৷ তৃমি যদি
আমার হিসাব নাও, তাহলে এটা হবে আমার জন্যে আমার ৷ আর এ আমার সহ্য করা বা


قَصْرِهِ، فَسَمِعَ قَصَّارًا، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: قَصَّارٌ. فَقَالَ: يَا لَيْتَنِي كُنْتَ قَصَّارًا. فَلَمَّا بَلَغَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَوْلُهُ، قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَهُمْ يَفِرُّونَ إِلَيْنَا وَلَا نَفِرُّ إِلَيْهِمْ. وَقَالَ غَيْرُهُ: لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ جَعَلَ يَنْدَمُ وَيَضْرِبُ بِيَدِهِ عَلَى رَأْسِهِ، وَيَقُولُ: وَدِدْتُ أَنِّي أَكْسِبُ قُوتِي يَوْمًا بِيَوْمٍ، وَاشْتَغَلْتُ بِطَاعَةِ اللَّهِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ دَعَا بَنِيهِ فَوَصَّاهُمْ، ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَا يَنْسَى أَحَدًا مِنْ خَلْقِهِ صَغِيرًا أَوْ كَبِيرًا، ثُمَّ يُنْشِدُ: فَهَلْ مِنْ خَالِدٍ إِمَّا هَلَكْنَا ... وَهَلْ بِالْمَوْتِ يَا لِلنَّاسِ عَارُ وَيُرْوَى أَنَّهُ قَالَ: ارْفَعُونِي، فَرَفَعُوهُ حَتَّى شَمَّ الْهَوَاءَ، وَقَالَ: يَا دُنْيَا، مَا أَطْيَبَكِ! إِنَّ طَوِيلَكِ لَقَصِيرٌ، وَإِنَّ كَثِيرَكِ لَحَقِيرٌ، وَإِنْ كُنَّا بِكِ لَفِي غُرُورٍ. ثُمَّ تَمَثَّلَ بِهَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ، وَيُرْوَى أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَهُمَا فِي هَذِهِ الْحَالِ:
পৃষ্ঠা - ৭২৮৬
إِنْ تُنَاقِشْ يَكُنْ نِقَاشُكَ يَا رَبِّ ... عَذَابًا لَا طَوْقَ لِي بِالْعَذَابِ أَوْ تُجَاوِزْ فَأَنْتَ رَبٌّ صَفُوحٌ ... عَنْ مُسِيءٍ ذُنُوبُهُ كَالتُّرَابِ قَالُوا: وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدِمَشْقَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ. وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ. وَقِيلَ: الْخَمِيسِ فِي النِّصْفِ مِنْ شَوَّالٍ. وَقِيلَ: لِخَمْسٍ مَضَيْنَ مِنْهُ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْوَلِيدُ وَلِيُّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ سِتِّينَ سَنَةً، قَالَهُ: أَبُو مَعْشَرٍ، وَصَحَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَقِيلَ: ثَلَاثًا وَسِتِّينَ سَنَةً، قَالَهُ الْمَدَائِنِيُّ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. وَدُفِنَ بِبَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: ذِكْرُ أَوْلَادِهِ وَأَزْوَاجِهِ: مِنْهُمُ الْوَلِيدُ، وَسُلَيْمَانُ، وَمَرْوَانُ الْأَكْبَرُ - دَرَجَ - وَعَائِشَةُ، وَأُمُّهُمْ وَلَّادَةُ بِنْتُ الْعَبَّاسِ بْنِ جَزْءِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ جَذِيمَةَ بْنِ رَوَاحَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مَازِنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ قَطِيعَةَ بْنِ عَبْسِ بْنِ بَغِيضٍ. وَيَزِيدُ، وَمَرْوَانُ الْأَصْغَرُ، وَمُعَاوِيَةُ - دَرَجَ - وَأُمُّ كُلْثُومٍ، وَأُمُّهُمْ عَاتِكَةُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ. وَهِشَامٌ، وَأُمُّهُ أُمُّ هِشَامٍ عَائِشَةُ - فِيمَا قَالَهُ