আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وثمانين

ثم دخلت سنة أربع وثمانين

ثم دخلت سنة أربع وثمانين

ثم دخلت سنة أربع وثمانين

ثم دخلت سنة أربع وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭২৪০

থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তারা পিতা আবু লায়লা (রা) সাহাবী ছিলেন ৷ আবদুর
রহমান হযরত আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে কুরআন শিক্ষা করেন ৷ তিনি ইবনুল
আশআছের সাথে সগ্রোমে নেমেছিলেন ৷ তাকে হাজ্জাজের সামনে পেশ করা হল এবং তার
সামনেই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল ৷

৮৪ হিজরীর আগমন

আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মালিক মাসীসাহ্
জয়লাভ করেন ৷ আর এ বছরেই মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান আরমিনিয়ায় যুদ্ধ করেন ৷
আরমিনিয়াবাসীর অনেককে তিনি হত্যা করেন এবং তাদের গির্জা ও ধনসম্পদ দখল করেন ৷ এ
বছরটিকে সানাতুল হারীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ৷ এ বছরেই আল-হাজ্জাজ মুহাম্মদ
ইবনুল কাসিম আছ-ছাকাফীকে পারস্যের শাসক নিযুক্ত করে এবং কুর্দীদের হত্যা করার জন্য
তাকে নির্দেশ দেয় ৷ এ বছরেই আবদুল মালিক আইয়াদ ইবন পানাম আল-বুজায়নীকে
আল-ইস্কান্দারীয়ার শাসক নিযুক্ত করেন এবং আবদুল মালিক ইবন আবুল কানুদকে বরখাস্ত
করেন ৷ যাকে পুবৰির্তী বছরে শাসক নিযুক্ত করা হয়েছিল ৷ আর এ বছরেই মুসা ইবন নুছায়ব
পশ্চিমাঞ্চলীয় ণ্দশসমুভৈহর বেশ কতগুলো শহর জয়লাভ করেন, তার মধ্যে একটি শহর
আরুমা’ ৷ ঐ শহরের অনেক ; লোককে তিনি হত্যা করেন এবং প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোককে
বন্দী করেন ৷ এ বছরেই হাজ্জাজ ইবনুলহুআশঅফ্লহুছুর অনুসারীদের বড় একটি দলকে হত্যা
করে ৷

আয়ুরুব ইবন আল-কেরীয়া

আয়ুত্রব ইবন আল-কেরীয়া ছিলেন বাশ্মী, স্বচ্ছন্দভাষী এবং ধর্মোপদেশদাতা ৷ হাজ্জাজ
তাকে নিজের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করে ৷ কথিত আছে যে, হাজ্জাজ তার নিহত হওয়ায়
লজ্জিত হয় ৷ তার পুর্ণনাম আবু সুলায়মা ন আয়ুদ্রব ইবন যায়দ ইবন কারন আল-হিলালী ৷ তিনি
ইবনুল কেরিয়া হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ অন্য যারা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন : আবদুল্লাহ
ইবন আল-হারিছ ইবন নওফল; সাদ ইবন ইয়াশ আশ-শায়বানী, আবু গুনাইনামা
আলখাওলানী (রা), তিনি সাহাবী ছিলেন এবং একজন হাদীস বর্ণনাকারী ছিলেন ৷ তিনি
হিমসে বসবাস করতেন এবং তথায় তিনি ইনৃতিকালও করেন ৷ তিনি প্রায় একশত বছরের
কাছাকাছি বয়স পেয়েছিলেন ৷ যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের অন্য একজন হলেন, আবদুল্লাহ
ইবন কাতাদাহ ৷ উপরোল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও তাদের একটি দলকে হাজ্জাজ হত্যা করেছিল
এবং তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ইনৃতিকাল করেছিলেন ৷ তাদের মধ্যে একজন হলেন আবু
যুরআ আল-জাযামী আল-ফিলিন্তীনী ৷ তিনি সিরিয়াবাসীদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি
ছিলেন ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে ভয় করতেন ৷ আবুযুরআ তা উপলব্ধি করেন এবং তিনি
আমীর মুআবিয়াহ (রা)-কে বলেন : হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি আপনার সংসদের কোন
সদস্যকে তার নিয়তির উপর নির্জ্য করে ধ্বংস করে দেবেন না ৷ আপনি যাকে আপনার গোপন
রহৰস্যর সাথী হিসেবে গ্রহণ করেছেন তাকে চিস্তিত করবেন না ৷ যে দুশমনবেঃ আপনি
পরাজিত করেছেন তাকে নিরাশ করবেন না ৷ তারপর হযরত আমীর মুআবিয়া (রা) তার থেকে
বিরত থাকেন ৷ ষ্ ,

এ বছরে উতবা ইবন যুনযির আস-সুলামী ইনতিকাল করেন ৷ তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের
সাহাবী ছিলেন ৷ তাকে আহলে সুফ্ফার মধ্যে গণ্য করা হতো ৷ ইমরান ইবন হত্তোন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِيهَا افْتَتَحَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ الْمِصِّيصَةَ. وَفِيهَا غَزَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ أَرْمِينِيَّةَ فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَحَرَّقَ كَنَائِسَهُمْ، وَضِيَاعَهُمْ. وَتُسَمَّى سَنَةَ الْحَرِيقِ. وَفِيهَا اسْتَعْمَلَ الْحَجَّاجُ عَلَى فَارِسَ مُحَمَّدَ بْنَ الْقَاسِمِ الثَّقَفِيَّ وَأَمَرَهُ بِقَتْلِ الْأَكْرَادِ. وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةَ عِيَاضَ بْنَ غَنْمٍ التُّجَيْبِيَّ، وَعَزَلَ عَنْهَا عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ أَبِي الْكَنُودِ الَّذِي كَانَ قَدْ وَلِيَهَا فِي الْعَامِ الْمَاضِي. وَفِيهَا افْتَتَحَ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ طَائِفَةً مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مِنْ ذَلِكَ بَلَدُ أَوْرَبَةَ، وَقَتَلَ مِنْ أَهْلِهَا بَشَرًا كَثِيرًا جِدًّا، وَأَسَرَ نَحْوًا مِنْ خَمْسِينَ أَلْفًا. وَفِيهَا قَتَلَ الْحَجَّاجُ أَيْضًا جَمَاعَةً مِنْ رُؤَسَاءِ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ مِنْهُمْ: أَيُّوبُ بْنُ الْقِرِّيَّةِ وَكَانَ فَصِيحًا بَلِيغًا وَاعِظًا، قَتَلَهُ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৭২৪১
وَيُقَالُ: إِنَّهُ نَدِمَ عَلَى قَتْلِهِ، وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ زَيْدِ بْنِ قَيْسٍ أَبُو سُلَيْمَانَ الْهِلَالِيُّ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْقِرِّيَّةِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَسَعْدُ بْنُ إِيَاسٍ الشَّيْبَانِيُّ. وَأَبُو عِنَبَةَ الْخَوْلَانِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، سَكَنَ حِمْصَ، وَبِهَا تُوُفِّيَ، وَقَدْ قَارَبَ الْمِائَةَ سَنَةٍ. عَبْدُ اللَّهِ بْنِ قَتَادَةَ. وَغَيْرُ هَؤُلَاءِ جَمَاعَةٌ ; مِنْهُمْ مَنْ قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ. وَمِنْهُمْ مَنْ تُوُفِّيَ أَبُو زُرْعَةَ الْجُذَامِيُّ الْفِلَسْطِينِيُّ كَانَ ذَا مَنْزِلَةٍ عِنْدَ أَهْلِ الشَّامِ فَخَافَ مِنْهُ مُعَاوِيَةُ، فَفَهِمَ مِنْهُ ذَلِكَ أَبُو زُرْعَةَ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَهْدِمْ رُكْنًا بَنَيْتَهُ، وَلَا تُحْزِنُ صَاحِبًا سَرَرْتَهُ، وَلَا تُشْمِتْ عَدُوًّا كَبَتَّهُ، فَكَفَّ عَنْهُ مُعَاوِيَةُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُتْبَةُ بْنُ النَّدْرِ السُّلَمِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ.
পৃষ্ঠা - ৭২৪২


আল-খারিজী প্রথমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের সদস্য ছিলেন ৷ তারপর তিনি একজন
খারিজী অত্যন্ত সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তাকে ভালবাসেন ৷ আর তিনি নিজে ছিলেন
কুৎসিত চেহারার লোক ৷ তিনি তার শ্রীকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের দিকে স্থানান্তর
করার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন; কিন্তু তার শ্রী অস্বীকার করেন ৷ তারপর তিনি তার শ্রীর
মাযহাবে স্থানান্তর হলেন ৷ তিনি প্রসিদ্ধ কবিদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম ৷ তিনি হযরত আলী
(রা)-এর শাহাদত ও তার হত্যাকারীর সম্বন্ধে বলেন : “হে পরহেযগাৱ মুত্তাকীকে
, আঘাতকারী! এ আঘাতের দ্বারা তুমি শুধু ইচ্ছে করেছ, আরশের মালিক আল্লাহ্ তাআলার
সন্তুষ্টিকে তোমার মতে অর্জন করার জন্যে ৷ নিশ্চয়ই আমি তাকে স্মরণ করছি এমন একদিনে,
যখন আমি মহান আল্লাহর কাছে জনগণের মধ্যে তাকে একটি পাল্লা হিসেবে বিবেচনা করছি ৷
তিনি এমন সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তি যাদের কবর বা ঠিকানা হচ্ছে জান্নাতে
বিচরণকারী পাখীদের উদয় ৷ তারা তাদের ধর্মকে পাপ এবং হিংসা বিদ্বেষের সাথে মিশ্রিত
করেনি ৷

ইমাম আস-সাওরী তার নিম্নবর্ণিত কবিতাগুলোর দ্বারা দুনিয়ার পরহেযগারী অবলম্বন
করার আদর্শ হিসেবে প্রায়শঃন্উদাহরণ পেশ করতেন ৷ জনগণের মধ্যে হতভাগা লোকদেরকে
,আমি লক্ষ্য করেছি যে, তারা এ দুনিয়াকে পরিত্যাগ করছে না, যদিও তারা এ দুনিয়ার নগ্ন ও
ক্ষুধার্ত অবস্থায় কালাতিপতৃত করছে ৷ যদিও তারা দুনিয়াকে মহব্বত করে, কিন্তু আমি
দুনিয়াটাকে দেখছি গ্রীষ্মৰুালেয় এক খণ্ড মেঘের ন্যায় যা অতি তাড়াত ৷ড়ি বিলীন হয়ে যায় ৷
দুনিয়ার বাসিন্দারা আসলে একটি কাফেলার ন্যায় যারা তাদের প্রয়োজন নির্বাপিত করেছে এবং
তাদের সামনে যে প্রকাশ্য বিন্তুত রাস্তা রয়েছে তা দিয়ে তারা প্রত্যাবর্ভা করছে ৷”

৮৪ হিজরীত্তে ইমরান ইবন হাত্তান মারা যায় ৷ কোন কোন আলিম, আলী (রা)-এর
শাহাদত সম্পর্কে পুর্বে উল্লিখিত তার কবিতাগুলোর বদলে অনুরুপ ছন্দ ও কবিতার পরিমাণে
নিম্নবর্থিত কবিতড়াগুলো উল্লেখ করেন ৷ “হতভাগার তরফ থেকে যে আঘাত এসেছে, এ
আঘাতের দ্বারা যে ইচ্ছে করেছে যে, আরশের মালিক থেকে যেন সে আরও ক্ষতি অর্জন
করতে পারে ৷ আমি উক্ত হতভাগাকে এমন একদিনে স্মরণ করছি, যাকে আমি মহান আল্লাহর
নিকট অবস্থিত দাড়িপাল্লার নিরিখে জনগণের মধ্যে তাকে অধম বলে আমি বিবেচনা করি ৷

রাওহ ইবন যাম্বা আল-জুযামী

তিনি ছিলেন সিরিয়ার নেতাদের অন্যতম ৷ খলীফা আবদুল মালিক খিলাফতের কাজে তার
থেকে পরামর্শগ্রহণ করতেন ৷ ৰু

এ বছরেই আবদুর রহমান ইবন আল-আশআছ আল-কিন্দী মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ কেউ
কেউ বলেন, এর পরের বদুর মৃত্যুযুখে পতিত হয় ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ঘটনাটি ছিল নিম্নরুপ : হাজ্জাজ তুরস্কের বাদশা, রাতবীলের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷
ইবনুল আশআছ তুরস্কের বাদশার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল ৷ হাজ্জাজ পত্রে তুরস্কের বাদশাকে
বলে ঐ আল্লাহর শপথ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন মা’বুদ নেই ৷ যদি তুমি এ পত্রটি পাওয়ার পর
ইবনুল আশআছকে আমার কাছে ফেরত না পাঠাও আমি তোমার দেশে এক লাখ সৈন্য প্রেরণ
করব এবং তোমার দেশকে তছনছ করে দেবাে ৷ হাজ্জাজ থেকে প্রাপ্ত এ হুমকী সম্বন্ধে যখন
বাদশা নিশ্চিত হলেন তখন এ ব্যাপারে তার কিছু সং খ্যক আমীরের সাথে পরামর্শ করেন,
আমীররা তখন হাজ্জাজ কতৃক তাদের দেশ ধ্বং সপ্রাপ্ত হওয়া এবং তাদের ধন-সম্পদ লুষ্ঠিত


عِمْرَانُ بْنُ حِطَّانَ الْخَارِجِيُّ كَانَ أَوَّلًا مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، فَتَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ الْخَوَارِجِ حَسَنَةً جَمِيلَةً جِدًّا فَأَحَبَّهَا، وَكَانَ هُوَ دَمِيمَ الشَّكْلِ، فَأَرَادَ أَنْ يَرُدَّهَا إِلَى السُّنَّةِ فَأَبَتْ، فَارْتَدَّ مَعَهَا إِلَى مَذْهَبِهَا. وَقَدْ كَانَ مِنَ الشُّعَرَاءِ الْمُطْبِقِينَ، وَهُوَ الْقَائِلُ فِي قَتْلِ عَلِيٍّ وَقَاتِلِهِ: يَا ضَرْبَةً مِنْ تَقِيٍّ مَا أَرَادَ بِهَا ... إِلَّا لِيَبْلُغَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ رِضْوَانَا إِنِّي لَأَذْكُرهُ يَوْمًا فَأَحْسَبُهُ ... أَوْفَى الْبَرِيَّةِ عِنْدَ اللَّهِ مِيزَانَا أَكْرِمْ بِقَوْمٍ بُطُونُ الطَّيْرِ قَبْرُهُمُ ... لَمْ يَخْلِطُوا دِينَهُمُ بَغْيًا وَعُدْوَانَا وَقَدْ كَانَ الثَّوْرِيُّ يَتَمَثَّلُ بِأَبْيَاتِهِ هَذِهِ فِي الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا، وَهِيَ قَوْلُهُ: أَرَى أَشْقِيَاءَ النَّاسِ لَا يَسْأَمُونَهَا ... عَلَى أَنَّهُمْ فِيهَا عُرَاةٌ وَجُوَّعُ أَرَاهَا وَإِنْ كَانَتْ تُحَبُّ فَإِنَّهَا ... سَحَابَةُ صَيْفٍ عَنْ قَلِيلٍ تَقَشَّعُ كَرَكْبٍ قَضَوْا حَاجَاتِهِمْ وَتَرَّحَلُوا ... طَرِيقَهُمُ بَادِي الْعَلَامَةِ مَهْيَعُ
পৃষ্ঠা - ৭২৪৩
مَاتَ عِمْرَانُ بْنُ حِطَّانَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ، وَقَدْ رَدَّ عَلَيْهِ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ فِي أَبْيَاتِهِ الْمُتَقَدِّمَةِ فِي قَتْلِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِأَبْيَاتٍ عَلَى قَافِيَتِهَا وَوَزْنِهَا: بَلْ ضَرْبَةٌ مِنْ شَقِيٍّ مَا أَرَادَ بِهَا ... إِلَّا لِيَبْلُغَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ خُسْرَانَا إِنِّي لَأَذْكُرُهُ يَوْمًا فَأَحْسَبُهُ ... أَشْقَى الْبَرِيَّةِ عِنْدَ اللَّهِ مِيزَانَا رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيُّ كَانَ مِنْ أُمَرَاءِ الشَّامِ، وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَسْتَشِيرُهُ فِي أُمُورِهِ. وَفِيهَا كَانَ مَهْلِكُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا فَاللَّهُ أَعْلَمُ ; وَذَلِكَ أَنَّ الْحَجَّاجَ كَتَبَ إِلَى رُتْبِيلَ مَلِكِ التُّرْكِ الَّذِي لَجَأَ ابْنُ الْأَشْعَثِ إِلَيْهِ يَقُولُ لَهُ: وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَئِنْ لَمْ تَبْعَثْ إِلَيَّ بِابْنِ الْأَشْعَثِ لَأَبْعَثَنَّ إِلَى بِلَادِكَ أَلْفَ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، وَلِأُخَرِّبَنَّهَا. فَلَمَّا تَحَقَّقَ الْوَعِيدُ مِنَ الْحَجَّاجِ اسْتَشَارَ فِي ذَلِكَ بَعْضَ الْأُمَرَاءِ فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِتَسْلِيمِ ابْنِ الْأَشْعَثِ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُخَرِّبَ الْحَجَّاجُ دِيَارَهُ، وَيَأْخُذَ عَامَّةَ أَمْصَارِهِ، فَأَرْسَلَ إِلَى الْحَجَّاجِ يَشْتَرِطُ عَلَيْهِ أَنْ لَا يُقَاتِلَ عَشْرَ سِنِينَ، وَأَنْ لَا يُؤَدِّيَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مِنْهَا إِلَّا مِائَةَ أَلْفٍ مِنَ الْخَرَاجِ، فَأَجَابَهُ الْحَجَّاجُ إِلَى ذَلِكَ، وَقِيلَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ وَعْدَهُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৭২৪৪


হওয়ার পুর্বে ইবন আশআছকে হাজ্জাজের কাছে সমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন ৷ বাদশা তখন
ইবনুল আশআছকে হাজ্জাজের কাছে এ শর্তে প্রেরণ করেন যে, হাজ্জাজ দশ বছর যুদ্ধ করবে না
এবং প্রতি বছর এক লাখ দীনার কর আদায় করবে ৷ হাজ্জাজ তা কবুল করে নিল ৷ কেউ কেউ
বলেন, হাজ্জাজ তার কাছে ওয়াদা করেছিল যে, বাদশার কাছ থেকে সাত বছর আর কোন কর
নিয়ে না ৷ তারপর রাতবীল ইবন আশআছের ন্ সাথে বিশ্বাসঘাতকত৷ করে ৷ কেউ কেউ বলে
তাকে তার সামনে নৃশৎসভাবে হত্যা করার নির্দেশ দেয় এবং তার মস্তককে হাজ্জাজের কাছে
প্রেরণ করে ৷ কেউ কেউ বলেন, বরং ইবনুল আসআছ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ৷ তখন
রাতবীল তাকে হত্যা করে ৷ তখন তার প্রাণ ছিল ওষ্ঠাগত ৷ তবে প্রসিদ্ধ ঘটনা হল এ যে,

রাতবীল ইবনুল আশআছ ও আরো ত্রিশজনকে শিকলে আবদ্ধ করে এবং হাজ্জাজের তরফ
থেকে প্রেরিত দুতদের মাধ্যমে সে তাদেরকে হাজ্জাজের কাছে প্রেরণ করে৷ যখন তারা
পথিমধ্যে আর্বাজহ নামক স্থানে পৌছে তখন ইবনুল আশআছ তার শিকলসহ একটি প্রাসাদের
ছাদে উঠে ৷ তার সাথে একটি লোক ছিল যাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল সে যেন পালিয়ে যেতে না
পারে পাহারা দেওয়ার জন্য ৷ ইবনুল আশআছ তখন ঐ প্রাসাদের উপর থেকে নীচে বাপিয়ে
পড়ে ৷ আর তার সাথে নিযুক্ত ব্যক্তিটিও নীচে পড়ে যায় ৷ তখন দুইজ্যনই মারা যায় ৷ দুত
ইবনুল আশআছের মস্তক কর্তন করে ৷ ইবনুল আশআছের সাথীদেরকে হত্যা করা হয় এবং
তাদের মস্তক হাজ্জাজের কাছে প্রেরণ করা হয় ৷ হাজ্জাজ তখন আশআছের মস্তক ইরাকে
প্রদক্ষিণ করার জন্য নির্দেশ দেয় ৷ত তারপর ঐ মস্তকটি আবদুল মালিকের কাছে প্রেরণ করা হয় ৷
মস্তকটিকে সিরিয়ার অলিতে পলিতে প্রদক্ষিণ করা হয় ৷ তারপর এটাকে তার ভাই আবদুল
আযীযের কাছে মিসরে প্রেরণ করা হয় ৷ সেখানেও এটাকে অলিতে গলিতে প্রদক্ষিণ করা হয় ৷
তারপর তারা আশআছের মস্তকটি মিসরে দাফন করে এবৎ তার শরীরঢি আর্বাজহ নামক স্থানে
দাফন করা হয় ৷ এ সম্পর্কে কোন কবি বলেন, “শরীরের স্থান মাথা থেকে বহুদুরে; মাথা
অবস্থান করছে মিসরে আর শরীর আৰ্বাজহ নামক স্থানে ৷” ৮৫ হিজরীতে ইবনুল আশআছের
মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ইবন জারীর উল্লেখ করেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

উপরোক্ত আবদুর রহমানের পুর্ণ নাম আবু মুহাম্মদ আবদুর রহমান ইবনুল আশআছ ইবন
কইিছ ৷ আবার কেউ কেউ বলেনং তিনি হলেন আবদুর রহমান ইবন কায়স ইবন মুহাম্মদ ইবন
আল আশআছ ইবন কা য়স আল কিন্দী আল-কুফী ৷ আবু দাউদ ও নাসাঈ তার থেকে একটি
হাদীস বর্ণনা করেন ৷ সে তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে এবং তার দাদা ইবন
মাসউদ হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ হাদীসটি হল নিম্নরুপঃ যখন ক্রেতা ও বিক্রেতা কে৷ ন বস্তু বিক্রয়
সম্পর্কে মতভেদ করে আর বন্তুটিও দৃইজনের সামনে থাকে অবস্থিত, তখন বিক্রেতার কথাই
এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য ৷ অথবা দুইজনেই স্বীয় অভিমত প্রকাশ করবে ৷ তার থেকে আবুল
উমায়স বর্ণনা করেন এবং এটাও বলা হয়েছে যে, হাজ্জাজ তাকে ৯০ হিজরীর পর হত্যা করে ৷
মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত

তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে, তাদের হাতে খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয়
অথচ তারা কুরায়শের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ উদাহরণ স্বরুপ, ইবনুল আশআছ কিন্দী বংশের এবং
ইয়ামান থেকে আগত অথচ সার্কীফার দিন সাহাবায়ে কিরাম ঐকমত্যে পৌছেন যে খিলাফত
শুধু কুরায়শদের জন্যই ৷ এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস দ্বারা হযরত আবু বাকর সিদ্দীক (রা) দলীল
পেশ করেন ৷ আনসারগণ চেয়েছিলেন মুহাজির আমীরের সাথে তাদের থেকেও যেন একজন
আমীর হয় ৷ কিন্তু হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)৩ তাদের এ কথায় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন ৷
তারপর এত কিছু সত্বেও সাদ ইবন উব্লুমোঃ হুরাচ্) ত রুণুায়ার উঠালেনঃ, যিনি আনসারদের পক্ষে

fl :

يُطْلِقَ لَهُ خَرَاجَ أَرْضِهِ سَبْعَ سِنِينَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ غَدَرَ رُتْبِيلُ بِابْنِ الْأَشْعَثِ، فَقِيلَ: إِنَّهُ أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَبَعَثَ بِرَأْسِهِ إِلَى الْحَجَّاجِ وَقِيلَ: بَلْ كَانَ ابْنُ الْأَشْعَثِ قَدْ مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا فَقَتَلَهُ وَهُوَ بِآخِرِ رَمَقٍ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ قَبَضَ عَلَيْهِ وَعَلَى ثَلَاثِينَ مِنْ أَقْرِبَائِهِ فَقَيَّدَهُمْ فِي الْأَصْفَادِ، وَبَعَثَ بِهِمْ مَعَ رُسُلِ الْحَجَّاجِ إِلَيْهِ، فَلَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الرُّخَّجُ، صَعِدَ ابْنُ الْأَشْعَثِ وَهُوَ مُقَيَّدٌ بِالْحَدِيدِ إِلَى سَطْحِ قَصْرٍ، وَمَعَهُ رَجُلٌ مُوكَّلٌ بِهِ; لِئَلَّا يَفِرَّ، وَأَلْقَى نَفْسَهُ مِنْ ذَلِكَ الْقَصْرِ، وَسَقَطَ مَعَهُ الْمُوكَّلُ بِهِ فَمَاتَا جَمِيعًا، فَعَمَدَ الرَّسُولُ إِلَى رَأْسِ ابْنِ الْأَشْعَثِ فَاحْتَزَّهُ، وَقَتَلَ مَنْ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَبَعَثَ بِرُءُوسِهِمْ إِلَى الْحَجَّاجِ، فَأَمَرَ فَطِيفَ بِرَأْسِهِ فِي الْعِرَاقِ، ثُمَّ بَعَثَهُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ فَطِيفَ بِرَأْسِهِ فِي الشَّامِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِمِصْرَ فَطِيفَ بِرَأْسِهِ هُنَالِكَ، ثُمَّ دَفَنُوا رَأْسَهُ بِمِصْرَ وَجُثَّتَهُ بِالرُّخَّجِ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: هَيْهَاتَ مَوْضِعُ جُثَّةٍ مِنْ رَأْسِهَا ... رَأْسٌ بِمِصْرَ وَجُثَّةٌ بِالرُّخَّجِ وَإِنَّمَا ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ مَقْتَلَ ابْنِ الْأَشْعَثِ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هَذَا هُوَ ابْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ قَيْسِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، قَدْ رَوَى
পৃষ্ঠা - ৭২৪৫
لَهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، حَدِيثُ: «إِذَا اخْتَلَفَ الْمُتَبَايِعَانِ وَالسِّلْعَةُ قَائِمَةٌ، فَالْقَوْلُ مَا قَالَ الْبَائِعُ، أَوْ يَتَتَارَكَانِ» وَعَنْهُ أَبُو الْعُمَيْسِ وَيُقَالُ: إِنَّ الْحَجَّاجَ قَتَلَهُ بَعْدَ التِّسْعِينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْعَجَبُ كُلُّ الْعَجَبِ مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوهُ بِالْإِمَارَةِ، وَلَيْسَ مِنْ قُرَيْشٍ وَإِنَّمَا هُوَ كِنْدِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ الصَّحَابَةُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ عَلَى أَنَّ الْإِمَارَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا فِي قُرَيْشٍ، وَاحْتَجَّ عَلَيْهِمُ الصِّدِّيقُ بِالْحَدِيثِ فِي ذَلِكَ، حَتَّى إِنَّ الْأَنْصَارَ سَأَلُوا أَنْ يَكُونَ مِنْهُمْ أَمِيرٌ مَعَ أَمِيرِ الْمُهَاجِرِينَ، فَأَبَى الصِّدِّيقُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ، ثُمَّ مَعَ هَذَا كُلِّهِ ضَرَبَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ - الَّذِي دَعَا إِلَى ذَلِكَ أَوَّلًا، ثُمَّ رَجَعَ عَنْهُ - كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ، فَكَيْفَ يَعْمِدُونَ إِلَى خَلِيفَةٍ قَدْ بُويِعَ لَهُ بِالْإِمَارَةِ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مِنْ سِنِينَ، فَيَعْزِلُونَهُ وَهُوَ مِنْ صَلِيبَةِ قُرَيْشٍ، وَيُبَايِعُونَ لِرَجُلٍ كِنْدِيٍّ بَيْعَةً لَمْ يَتَّفِقْ عَلَيْهَا أَهْلُ الْحَلِّ وَالْعَقْدِ؟ وَلِهَذَا لَمَّا كَانَتْ هَذِهِ زَلَّةٌ وَفَلْتَةٌ نَشَأَ بِسَبَبِهَا شَرٌّ كَثِيرٌ هَلَكَ فِيهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. أَيُّوبُ ابْنُ الْقِرِّيَّةِ وَهِيَ أُمُّهُ، وَاسْمُ أَبِيهِ يَزِيدُ بْنُ قَيْسِ بْنِ زُرَارَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، النَّمِرِيُّ الْهِلَالِيُّ، كَانَ أَعْرَابِيًّا أُمِّيًّا، وَكَانَ يُضْرَبُ بِهِ الْمَثَلُ فِي فَصَاحَتِهِ وَبَيَانِهِ وَبَلَاغَتِهِ، صَحِبَ الْحَجَّاجَ، وَوَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ بَعَثَهُ رَسُولًا إِلَى ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৭২৪৬


থেকে একজন আমীর হওয়ার জন্যে প্রথমে দাবী করেছিলেন ৷ তারপর তিনি তার এ অভিমত
প্রত্যাখ্যান করেন ৷ এ বিষয়ে পুর্বে বিস্তারিত বর্ণনা রাখা হয়েছে ৷ কাজেই তারা কেমন করে
অন্য বংশের একজন খলীফার প্রতি মনােযোগী হবেন ৷ মুসলমানগণ কর্তৃক কয়েক বছর আগে
যার খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয়েছে এখন তারা তাকে বরখাস্ত করবে অথচ তিনি
কুরায়শ বংশোদ্ভুত ৷ আর কিন্দী গোত্রের এক ব্যক্তিকে খলীফ৷ করার জন্য বায়আত গ্রহণ
করবে ৷ মুসলমানদের মধ্যে যারা গণ্যমান্য তারা কি এ ব্যাপারে একমত হতে পারেন ? যখন
এ ধরনের পদস্থালন ও ত্রুটি দেখা দিল তার কারণেই বিরাট বিপর্যয়ের সৃষ্টি হল এবং তাতে
শত শত লোক নিহত হল ৷ কাত্তুইে আমরা সকলে আল্লাহর জন্যে এবং৩৷ আল্লাহর দিকে
সকলকে প্রতব্রুাবর্তন করতে হবে ৷

আয়ুবে ইবন আল-কিরিয়াহ
আল-কিরিয়াহ্ তার মায়ের নাম ৷ তার পিতার নাম ইয়ড়াযীদ ইবন কায়স ইবন ষুরারাহ
ইবন মুসলিম আন্নামারী আল হিলালী ৷ তিনি একজন বেদুঈন উঘী অথচ বাশ্মীত৷ ৷-বাক পটুতা
ও স্বচ্ছন্দ ভাষী হিসেবে তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ ৷ তিনি হাজ্জাজের সঙ্গী ছিলেন ৷ তিনি আবদুল
মালিকের দরবারে প্রতিনিধি হিসেবে গমন করেছিলেন ৷ তিনি তাকে দুত হিসেবে ইবনুল
আশআছের কাছে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তখন ইবনুল আশআছ তাকে বলেছিলেন যদি তুমি
আমার এখানে খভীব হিসেবে অবস্থান না করে৷ এবং হাজ্জাজের সঙ্গ ত্যাগ না কর আমি
তোমাকে মেরে ফেলব ৷ কাজেই সে হ জ্জাজের সঙ্গ ত্যাগ করে ইবনুল আশআছের কাছে
অবস্থান করতে লাগল ৷ যখন হাজ্জাজের কাছে এ কথাটি প্রকাশ পেল তখন হাজ্জাজ তাকে
ডেকে পাঠাল এবং কয়েক দফা তার সাথে বৈঠক হল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাজ্জাজ তাকে হত্যা
করল ৷ এ হত্যার জন্য সে লজ্জিত হলো কিন্তু তার এ লজ্জিত হওয়া কোন কাজে আসেনি ৷
যেমন বিজ্ঞ লোকেরা বলেন, “ঘনিষ্ঠত৷ রক্ষা করা উত্তম বলে বিবেচিত ৩ হয় যখন আর ঘনিষ্ঠতা
কোন উপকারে আসে না ৷” ,
ইবন আসাকির তার ইতিহাসে এবং ইবন খাল্লিকান তার আ ল ওয়া ৷ফিয়াত নামক কিভাবে
এ সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং আয়ুদ্রব ইবন কিরিয়ার জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করেন আর তথায় আরো কিছু মুল্যবান তথ্য উল্লেখ করেন ৷ বর্ণনাকা রী বলেন , ’:;,: এর
ব্রব্লে এ যের এবং র্চে এ তাশদীদ দিয়ে পড়তে হবে ৷ তিনি ছিলেন তার দাদী ৷ তার নাম
হলো জামাআত বিনত জাশাম ৷ ইবনুল৷ খ৷ ল্লিকান বলেন০ কেউ কেউ তার অস্তিত্ব ও মাজনুনে
লায়লার অস্তিত্ব অস্বীকা ৷ব করেন ৷ ইবন আবু আকার মহা কাব্যের ধারক ছিলেন ৷ আর তিনিই
ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবুল আকার ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

রাওহ ইবন যাম্বা

তার পুর্ণ নাম আবু যুরআহ রাওহ ইবন যাম্ব৷ ইবন সালড়ামা আল-জুয়ড়ামী আদ-দামাশৃকী ৷
কেউ কেউ বলেন, আবু যুরআহ-এর স্থলে তার কুনিয়া ৷ত ছিল আবু যাম্ব৷ ৷ তার বাসস্থান ছিল
দামেশকে, মহাকাব্যের ধারক ইবন আকার-এর বাসন্থানের কাছে ৷ তিনি ছিলেন একজন উচু
পর্যায়ের তাবিঈ ৷ তিনি তার পিতা হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি একজন সাহাবী ৷ অন্যান্য
যাদের থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেন, তারা হলেনৃং : তামীমুদ্দারী, উবাদাহ ইবনুল সামিত,
মুআবিয়া, কাবুল আহ্বার ও অন্যান্য ৷ তার থেকে একদল আলিম হাদীস বর্ণন৷ করেনা
তাদের মধ্যে একজন হলেন উবাদাহ ইবন নাসী ৷ রাওহ আবদুল মালিকের কাছে একজন মদ্রীর


الْأَشْعَثِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الْأَشْعَثِ: لَئِنْ لَمْ تَقُمْ خَطِيبًا فَتَخْلَعُ الْحَجَّاجَ لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ. فَفَعَلَ، وَأَقَامَ عِنْدَهُ فَلَمَّا ظَهَرَ الْحَجَّاجُ اسْتَحْضَرَهُ، وَجَرَتْ لَهُ مَعَهُ مَقَامَاتٌ وَمَقَالَاتٌ فِي الْكَلَامِ، ثُمَّ فِي آخِرِ الْأَمْرِ ضَرَبَ عُنُقَهُ، وَنَدِمَ بَعْدَ ذَلِكَ عَلَى مَا فَعَلَ مِنْ ضَرْبِ عُنُقِهِ، وَلَكِنْ نَدِمَ حَيْثُ لَا يَنْفَعُهُ النَّدَمُ كَمَا قِيلَ: وَجَادَتْ بِوَصْلٍ حِينَ لَا يَنْفَعُ الْوَصْلُ وَقَدْ ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ، وَابْنُ خَلِّكَانَ فِي الْوَفِيَّاتِ، وَأَطَالَ تَرْجَمَتَهُ، وَذَكَرَ فِيهَا أَشْيَاءَ حَسَنَةً. قَالَ: والْقِرِّيَّةُ بِكَسْرِ الْقَافِ وَتَشْدِيدِ الْيَاءِ، وَهِيَ جَدَّتُهُ، وَاسْمُهَا خُمَاعَةُ بِنْتُ جُشَمَ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ أَنْكَرَ وَجُودَهُ، وَوُجُودَ مَجْنُونِ لَيْلَى، وَابْنِ أَبِي الْعَقَبِ صَاحِبِ الْمَلْحَمَةِ، وَهُوَ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْعَقَبِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رَوحُ بْنُ زِنْبَاعِ بْنِ سَلَامَةَ الْجُذَامِيُّ أَبُو زُرْعَةَ وَيُقَالُ: أَبُو زِنْبَاعٍ الدِّمَشْقِيُّ، دَارُهُ بِدِمَشْقَ فِي طَرَفِ الْبُزُورِيِّينَ، عِنْدَ دَارِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৭২৪৭
أَبِي الْعَقَبِ صَاحِبِ الْمَلْحَمَةِ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَبِيهِ - وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ - وَتَمِيمٌ الدَّارِيُّ، وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، وَمُعَاوِيَةُ، وَكَعْبُ الْأَحْبَارِ وَغَيْرُهُمْ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ عُبَادَةُ بْنُ نُسَيٍّ. كَانَ رَوْحٌ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ كَالْوَزِيرِ; لَا يَكَادُ يُفَارِقُهُ، وَكَانَ مَعَ أَبِيهِ مَرْوَانَ يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ وَقَدْ أَمَّرَهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ عَلَى جُنْدِ فِلَسْطِينَ. وَزَعَمَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ أَنَّ رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ كَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ، وَلَمْ يُتَابَعْ مُسْلِمٌ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ تَابِعِيٌّ وَلَيْسَ بِصَحَابِيٍّ. وَمِنْ مَآثِرِهِ الَّتِي تَفَرَّدَ بِهَا أَنَّهُ كَانَ كُلَّمَا خَرَجَ مِنَ الْحَمَّامِ يُعْتِقُ نِسْمَةً. قَالَ ابْنُ زَبْرٍ: مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ بِالْأُرْدُنِّ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ بَقِيَ إِلَى أَيَّامِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَقَدْ حَجَّ مَرَّةً، فَنَزَلَ عَلَى مَاءٍ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَأَمَرَ فَأُصْلِحَتْ لَهُ أَطْعِمَةٌ مُخْتَلِفَةُ الْأَلْوَانِ، ثُمَّ وُضِعَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَأْكُلُ إِذْ جَاءَ رَاعٍ مِنَ الرُّعَاةِ يَرِدُ الْمَاءَ، فَدَعَاهُ رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ إِلَى الْأَكْلِ مِنْ ذَلِكَ الطَّعَامِ، فَجَاءَ الرَّاعِي فَنَظَرَ إِلَى طَعَامِهِ، وَقَالَ: إِنِّي صَائِمٌ. فَقَالَ لَهُ رَوْحٌ: فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ الطَّوِيلِ الشَّدِيدِ الْحَرِّ تَصُومُ يَا رَاعِي؟ فَقَالَ الرَّاعِي: أَفَأَغْبِنُ أَيَّامِي مِنْ أَجْلِ طُعَيِّمَكَ؟ ثُمَّ إِنَّ الرَّاعِيَ ارْتَادَ لِنَفْسِهِ مَكَانًا فَنَزَلَهُ، وَتَرَكَ رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ، فَقَالَ رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ:
পৃষ্ঠা - ৭২৪৮
لَقَدْ ضَنِنْتَ بِأَيَّامِكَ يَا رَاعِي ... إِذْ جَادَ بِهَا رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعِ ثُمَّ إِنَّ رَوْحًا بَكَى طَوِيلًا، وَأَمَرَ بِتِلْكَ الْأَطْعِمَةِ فَرُفِعَتْ، وَقَالَ: انْظُرُوا، هَلْ تَجِدُونَ لَهَا آكِلًا مِنْ هَذِهِ الْأَعْرَابِ أَوِ الرُّعَاةِ؟ ثُمَّ سَارَ مِنْ ذَلِكَ الْمَكَانِ، وَقَدْ أَخَذَ الرَّاعِي بِمَجَامِعِ قَلْبِهِ، وَصَغُرَتْ إِلَيْهِ نَفْسُهُ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.