আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭২২৭


ছোট উখু দারদা (র)
৮২ সনে যাদের মৃত্যু হয় সে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজন হলেন উন্মু দারদা সুগৃরা (র) ৷
তার মুল নাম হাজীমাহ্ ৷ কেউ বলেছেন জুহায়মা ৷ তিনি একজন মহিলা তাবেঈ ৷ ইবাদত-
কাবিণী, জ্ঞানবতী এবং ফিক্হ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ মহিলা ছিলেন ৷ দামেশকের জামে মসজিদের
উত্তর প্রাচীরের আড়ালে থেকে পুরুষগণ তাকে কুরআন পাঠ শুনাত এবং তার নিকট থেকে
ফিক্হ ও ইসলামী আইনের দীক্ষা নিত ৷ খলীফা আবদুল মালিক একজন রাষ্টীয় কর্ণধার হওয়া
সত্বেও তিনি ছিলেন ফিক্হ অন্বেষণকারী এবং ফিক্হ শাত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জনে আগ্রহী ৷ মহিলাদের
সাথে উম্মু দারদা’ (র) এর দরসে বসতেন ৷ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি সভুষ্ট হোন ৷

৮৩ হিস্ন্নী সন

এই সনের শুরুতে জনসাধারণ হাজ্জাজ এবং তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত
হয় ৷ হাজ্জাজ ও তার সৈন্যেরা অবস্থান করছিল দায়র আল-কাররায় ৷ ইবনুল আশআছ এবং
তীর সৈনিকগণ অবস্থান করছিল দায়র আল-জামাজিম অঞ্চলে ৷ প্রতিদিন উভয় পক্ষে যুদ্ধ
অব্যাহত ছিল ৷ অধিকাংশ সময় সিরীয়দের বিরুদ্ধে ইরাকীদের আধিপত্য ছিল ৷ এমনকি গুজব
উঠেছিল যে, ইরাকীরা সিরীয়দেরকে পরাজিত ও ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে ৷ হাজ্জাজের সৈনিকেরা
৮০ বারের উপর ওদের মুকাবিলায় পরাজিত হয় ৷ এতদ্সত্বেও হাজ্জাজ নিজের স্থানে অবিচল
ছিল ৷ প্রচণ্ড ধৈর্যের সাথে সে আপন স্থানো র্দা ড়িয়ে ছিল ৷ একটুও নড়েনি ৷ বরং কোন একদিন
যদি তার সৈন্যদের বিজয় হত, সেদিন তার সৈন্যদেরকে নিয়ে শত্রুর দিকে কিছুটা অগ্রসর
হত ৷ যুদ্ধ সম্পর্কে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে এভাবেই চলছিল ৷

এক পর্যায়ে হাজ্জাজ তার সেনাবাহিনীকে প্ৰতিপক্ষের কারী ও কিরআত বিশেষজ্ঞদের
দলের উপরা অাক্রমণ চালাতে নির্দেশ দিল ৷ কারণ, বিরোধী পক্ষের অন্যান্য সৈন্যরা কারী’দের
অনুসরণ করছিল ৷ কারী’ গণ ওদেরকে যুদ্ধে উৎসাহিত করছিলেন ৷ অবশিষ্ট সৈন্যেরাওাদেরই
নির্দেশ মান্য করছিল ৷ হাজ্জা জ বাহিনীর হামলার মুখে কারী’ গণ ধৈর্য অবলম্বন করে অবিচল
থাকেন ৷

এরপর হাজ্জাজ তার তীরন্দায বাহিনীকে একত্রিত করে তাদেরকে দিয়ে কারী’গণের উপর
হামলা চালায় ৷ মুহুর্তে তারা বহু কারী’কে হত্যা করে ফেলে ৷ এরপর হাজ্জাজ আক্রমণ চালায়
ইবনুল আশআছ এবং তার সাথে থাকা সৈনিকদের উপর ৷ আক্রমণ সামলাতে না পেরে ইবনুল
আশআছের সৈন্যরা পালিয়ে যায় ৷ তারা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পলায়ন করে ৷ অল্প সংখ্যক
সৈনিক নিয়ে ইবনুল আশআছ নিজেও পালিয়ে যান ৷ তাকে ধরার জন্যে হাজ্জাজ একটি বড়
সেনাদল প্রেরণ করে ৷ ওই দলের নেতৃত্বে ছিল আম্মারাহ ইবন গনোম লাখমী ৷ তার সাথে ছিল
হাজ্জাজের পুত্র মুহাম্মদ ৷ কিন্তু সেনাপতি ছিল আম্মারাহ ৷

তারা ইবনুল আশআহের পেছন পেছন অগ্রসর হয় ৷ তাদেরকে তাড়া করে, যাতে ওদেরকে
হত্যা ও বন্দী করতে চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারে ৷ তারা ওদেরকে ধাওয়া করছিল আর
প্রাম-নণর জনপদ অধিকার করছিল ৷ যেতে যেতে ইবনুল আশআছ কিরমান গিয়ে পৌছেন ৷
সিরীয় সৈনিকগণ ও তার পেছনে পেছনে এগিয়ে যায় ৷ যে প্রাসাদে পুর্বে ইরাকিগণ ছিল এমন
একটি প্রাসাদে গিয়ে সিরীয়গণ অবস্থান নিল ৷ তারা একটি চিঠি পেয়েছিল ৷ ইবনুল আশআছের
সঙ্গী পলাতক সৈন্যদের কেউ একজন সেটি লিখেছে ৷

০াা
— ১ পুে

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَثَمَانِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] اسْتُهِلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَالنَّاسُ مُتَوَاقِفُونَ لِقِتَالِ الْحَجَّاجِ وَأَصْحَابِهِ بِدَيْرِ قُرَّةَ، وَابْنُ الْأَشْعَثِ وَأَصْحَابُهُ بِدَيْرِ الْجَمَاجِمِ، وَالْمُبَارَزَةُ فِي كُلِّ يَوْمٍ بَيْنَهُمْ وَاقِعَةٌ، وَفِي غَالِبِ الْأَيَّامِ تَكُونُ النُّصْرَةُ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّ أَصْحَابَ ابْنِ الْأَشْعَثِ - وَهُمْ أَهْلُ الْعِرَاقِ - كَسَرُوا أَهْلَ الشَّامِ - وَهُمْ أَصْحَابُ الْحَجَّاجِ - بِضْعًا وَثَمَانِينَ مَرَّةً يَنْتَصِرُونَ عَلَيْهِمْ. وَمَعَ هَذَا فَالْحَجَّاجُ ثَابِتٌ فِي مَكَانِهِ صَابِرٌ وَمُصَابِرٌ، لَا يَتَزَحْزَحُ عَنْ مَوْضِعِهِ الَّذِي هُوَ فِيهِ، بَلْ إِذَا حَصَلَ لَهُ ظَفَرٌ فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ يَتَقَدَّمُ بِجَيْشِهِ إِلَى نَحْرِ عَدُّوِهِ، وَكَانَ لَهُ خِبْرَةٌ بِالْحَرْبِ، وَمَا زَالَ ذَلِكَ دَأْبَهُ وَدَأْبَهُمْ حَتَّى أَمَرَ بِالْحَمْلَةِ عَلَى كَتِيبَةِ الْقُرَّاءِ; لِأَنَّ النَّاسَ كَانُوا تَبَعًا لَهُمْ، وَهُمُ الَّذِينَ يُحَرِّضُونَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَالنَّاسُ يَقْتَدُونَ بِهِمْ، فَصَبَرَ الْقُرَّاءُ لِحَمْلَةِ جَيْشِهِ، ثُمَّ جَمَعَ الرُّمَاةَ مِنْ جَيْشِهِ وَحَمَلَ بِهِمْ، وَمَا انْفَكَّ حَتَّى قُتِلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى جَيْشِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَانْهَزَمَ أَصْحَابُ ابْنِ الْأَشْعَثِ وَذَهَبُوا فِي كُلِّ وَجْهٍ، وَهَرَبَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَمَعَهُ فَلٌّ قَلِيلٌ مِنَ النَّاسِ، فَأَتْبَعُهُ الْحَجَّاجُ جَيْشًا كَثِيفًا مَعَ عِمَارَةَ بْنِ تَمِيمٍ اللَّخْمِيِّ، وَمَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، وَالْإِمْرَةُ لِعِمَارَةَ، فَسَاقُوا وَرَاءَهُمْ يَطْرُدُونَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَظْفَرُونَ بِهِ قَتْلًا أَوْ
পৃষ্ঠা - ৭২২৮


তাতে আবু৷ র্খা লদাহ্ ইয়াশ বায়ীর নিম্নের পংক্তি গুলো ছিল :

আহ, দুঃখ, আহ্ অন্যুশাচনা, আহ্ আক্ষেপ, আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হরেছি তার
জন্যে ৷

৷ ৷ট্রুহ্র,ট্

আমরা দীনও ছেড়েছি ৷ দুনিয়াও হারিয়েছি ৷ আমাদের ত্রী পুত্রকে আমরা শত্রুর হাতে
সোপর্দ করে দিয়েছি ৷

এে

আমরা দীন বিষয়ে সাফল্য ও উন্নতি আশা না করলেও যদি দৃনিয়াদার হতাম, তবুও

আমাদের ত্রী-পুত্রদেরকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম ৷
£ট্রু,হ্নপুজ্রইধুাদ্বু এে,ঘ্র৷ ৷ শ্া ১াড্রু এ; ব্লুাঠুা৷১,,ট্রু ৷ট্রুহ্র,;

আমরা নিজেদের বাসস্থান ত্যাগ করে আক’ দুর্গের খাদ্য এবং উপত্যকার পানির সন্ধানে
চলেছি ৷ ’

অতঃপর ইবনুল আশআছ তার সাথীদেরকে নিয়ে তুর্কী সম্রাট রাতবীলের আশ্রয়ে চলে
যান ৷ র৷ ৷তবীল তাদেরকে সম্মান দেখায় ৷ আশ্রয় দেয় এবং বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয় ৷

ওয়াকিদী বলেন, ইবন আশআছ রাতবীলের দেশে যাবার সময়ত তারই নিযুক্ত জনৈক
শাসনকর্তার সাথে সাক্ষাত করেন ৷ ইরাক ফিরে যাবার সময় তিনি ওই শাসনকর্তাকে নিয়োগ
দান করেছিলেন ৷ ওই শাসনকর্তা তাকে খুব সমাদর ও সম্মান করে ৷ হাদিয়৷ ও উপচৌকন
প্রদান করে, তার ওখানে বসবাসের ব্যবস্থা করে ৷ মুলতঃ সে এতসব করেছে ঘড়যন্ত্র মুলক
ভাবে ৷ সে ইবন আশআছকে বলেছিল যে, আপনি আমার এখানে আসুন ৷ তাতে আপনি শত্রুর
হাত থেকে রেহাই পাবেন ৷ তবে আপনার সাথী কেউ যেন এই শহরে প্রবেশ না করে ৷ ইবন
আশআছ ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ৷ কিন্তু এটি ছিল ওই শাসনকর্তার প্রতারণা ও চক্রান্ত ৷ ইবনুল
আশআছের সাথীর৷ তাকে এই প্রস্তাব গ্রহণে নিষেধ করেছিল ৷ তিনি নিষেধ মানেননি ৷ ফলে
তার সাথীর৷ তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ৷ ইবনুল আশআছ ওই শহরে প্রবেশ করেন ৷ ওই
শাসনকর্তা তার উপর বাপিয়ে পড়ে ৷৩ তাকে লোহার শিকলে বেধে ফেলে, এবং তাকে
হাজ্জাজের নিকট প্রেরণ করতে চায় সে হাজ্জ্বাজের অনৃগ্নহভাজন হবার আকাক্ষোয় এরুপ
করেছিল ৷ ৰু

ইবনুল আশআছের আগমনে তুর্কী সম্রাট রাতবীল খুশী হয়েছিল ৷ রাসত শহরের
শাসনকর্তা ইবনুল আশআছের সাথে যে আচরণ করেছে সম্রাট রাতবীল তা অবগত হয় ৷
ৰুঅবিলন্বে সম্রাট রাতবীল সসৈন্যে বাসত অভিমুখে যায় এবং চারিদিক থেকে ওই নগরী ঘিরে
ফেলে ৷ ওই শাসনকর্তাকে সে সংবাদ পাঠায় যে, ইবনুল আশআছের কোন ক্ষতি হলে আমি
তোমার নগরে প্রবেশ করব এবং নগরের সকল লোককে খুন করে ফেলব ৷ ওই শাসনকর্তা
সম্রাটের কথায় ভয় পেয়ে যায় এবং ইবনুল আশআছকে সম্রাটের নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ সম্রাট
রাতবীল তাকে সসম্মানে সাথে করে নিয়ে যায় ৷


أَسْرًا، فَمَا زَالَ يَسُوقُ وَيَخْتَرِقُ الْأَقَالِيمَ وَالْكُورَ وَالرَّسَاتِيقَ، وَهُمْ فِي أَثَرِهِ، حَتَّى وَصَلَ إِلَى كَرْمَانَ وَاتَّبَعَهُ الشَّامِيُّونَ، فَنَزَلُوا فِي قَصْرٍ كَانَ فِيهِ أَهْلُ الْعِرَاقِ قَبْلَهُمْ، فَإِذَا فِيهِ كِتَابٌ قَدْ كَتَبَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ الَّذِينَ فَرُّوا مَعَهُ، مَنْ شِعْرِ أَبِي جِلْدَةَ الْيَشْكُرِيِّ، يَقُولُ: أَيَا لَهَفَا وَيَا حُزْنَا جَمِيعًا ... وَيَا حَرَّ الْفُؤَادِ لِمَا لَقِينَا تَرَكْنَا الدِّينَ وَالدُّنْيَا جَمِيعًا ... وَأَسْلَمْنَا الْحَلَائِلَ وَالْبَنِينَا فَمَا كُنَّا أُنَاسًا أَهْلَ دُنْيَا ... فَنَمْنَعُهَا وَلَوْ لَمْ نَرْجُ دِينًا تَرَكْنَا دَوْرَنَا لِطَغَامِ عَكٍّ ... وَأَنْبَاطِ الْقُرَى وَالْأَشْعَرِينَا ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الْأَشْعَثِ دَخَلَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْفَلِّ إِلَى بِلَادِ رُتْبِيلَ مَلِكِ التُّرْكِ، فَأَكْرَمَهُ رُتْبِيلُ، وَأَنْزَلَهُ عِنْدَهُ، وَأَمَّنَهُ وَعَظَّمَهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَمَرَّ ابْنُ الْأَشْعَثِ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى بِلَادِ رُتْبِيلَ عَلَى عَامِلٍ لَهُ فِي بَعْضِ الْمُدُنِ، كَانَ ابْنُ الْأَشْعَثِ قَدِ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَ رُجُوعِهِ إِلَى الْعِرَاقِ، فَأَكْرَمَهُ ذَلِكَ الْعَامِلُ، وَأَهْدَى إِلَيْهِ هَدَايَا وَأَنْزَلَهُ; فَعَلَ ذَلِكَ خَدِيعَةً بِهِ وَمَكْرًا، وَقَالَ لَهُ: ادْخُلْ إِلَى عِنْدِي إِلَى الْبَلَدِ لِتَتَحَصَّنَ بِهَا مِنْ عَدُوِّكَ، وَلَكِنْ لَا تَدَعْ أَحَدًا مِمَّنْ مَعَكَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ. فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، وَإِنَّمَا أَرَادَ الْمَكْرَ بِهِ، فَمَنْعَهُ أَصْحَابُهُ، فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُمْ، فَتَفَرَّقَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَدِينَةَ وَثَبَ عَلَيْهِ الْعَامِلُ
পৃষ্ঠা - ৭২২৯

ইবনুল আশআছ সম্রাটকে বললেন, ওই শাসনকর্তাকে আমি নিয়োগ দিয়েছিলাম ৷ সে
আমার অধীনস্থ ছিল ৷ এখন সে আমার বিরুদ্ধে পাদ্দারী করল ৷ এবং আপনি দেখলেন সে কী
আচরণ করেছে ৷ আপনি আমাকে অনুমতি দিন আমি তাকে হত্যা করি ৷ সম্রাট বললেন, না
তা হবে না ৷ আমি নিজে তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ ইবনুল আশআছের সাথে আবদুর রহমান
ইবন আইয়াশ ইবন আবু রাবীআ ছিল ৷ রাতবীলের এলাকায় তিনি সকলকে নিয়ে নামায
আদায় করতেন ৷ নামাযে ইমামতি করতেন ৷

হাজ্জাজের কবল থেকে পালিয়ে আসা ইবনুল আশআছের কতক সমর্থক এক জায়গায়
এসে একত্রিত হয় ৷ ওরা ইবনুল আশআছের সাথে থাকার জন্যে৩ তার খোজে বের হয় ৷ ওরা
ৎখ্যায় ছিল প্রায় ষ ট হাজার ৷ সিজিস্তান প্রদেশে এসে তারা জানতে পারে যে, ইবনুল
আশআছ রাতবীলের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তখন তারা সিজিন্তানে বল প্রয়োগ করে সেটি
দখল করে নেয় ৷ সেখানকার শাসনকর্তা আবদুল্লাহ্কে তারা খুব নির্যাতন করে ৷ আবদুল্লাহ এর
ভাই বেরাদর এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপরও তারা অত্যাচার চালায় ৷ সেখানকার সকল
ধ্ন-সম্পদ তারা দখল করে নেয় এবং সারা প্রদেশে ৷ছড়িয়ে গিয়ে সমগ্র এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে নেয় ৷ এরপর তারা ইবনুল আশআছকে লিখিতভাবে জানায় যে, আপনি আমাদের এখানে
চলে আসুন ৷ আপনার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমরা আপনাকে সাহায্য করব এবং আমরা
আপনার নেতৃত্বে খােরাসান প্রদেশ দখল করে নিব ৷ আমাদের এখানে যা আছে ওখানে
আমাদের সৈন্য ও সমর্থক তার চেয়ে অনেক বেশী ৷ অতঃপর খােরাসান জয় করে আমরা
ওখানে বসবাস করব যতক্ষণ না মহান আল্লাহ হাজ্জ জকিংব৷ আবদুল মালিককে ধ্বংস
করেন ৷ এরপর আমরা যা করার করব ৷ ইবনুল আশআছ তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের
সাথে যোগ দিলেন এবং তাদের সাথে খােরাসানের পথে কিছুদুর এগিয়ে গেলেন ৷ এরপর ঘটল
অনাকাডিক্ষত ঘটনা ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন সামুরার নেতৃত্বে অল্প সংখ্যক ইরাকী লোক দল ত্যাগ
করে চলে যায় ৷ এ ঘটনায় ইবনুল আশআছ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ৷ তিনি উপস্থিত লোকদের
উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেবার জন্যে দ৷ ৷ড়ান ৷ তিনি বক্তৃতায় তাদের গাদ্দারী এবং যুদ্ধে অস্বীকৃতির
প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং তাদেরকে বলেন যে, তোমাদের প্রতি আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷
আমি আমার বন্ধু রাতবীলের নিকট চলে যাচ্ছি ৷ আমি ওখানেই থাকর ৷ তিনি তাদেরকে ছেড়ে
চলে গেলেন ৷ সমর্থকদের মধ্য থেকেও অল্প সংখ্যক লোক তার সাথে চলে যায় ৷ কিন্তু তাদের
বিরাট অংশ সেখানে থেকে যায় ৷ ইবনুল আশআছ তাদেরকে ছেড়ে চলে যাবার পর তারা
আবদুর রহমান ইবন আইয়াশ ইবন আবু রাবীআ হাশেমীরহাতে বায়আত করে এবং তার
নেতৃত্বে খােরাসান গমন করে ৷ থােরাসানের শাসনকর্তা ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব বেরিয়ে আসেন
এবং তাদেরকে নগরীতে প্রবেশে বাধা দেন ৷ তিনি আবদুর রহমান ইবন আইয়াশকে এই মর্মে
চিঠি লিখেন যে, এই পৃথিবী বহু প্রশস্ত ও বিন্তুত ৷সুতরাৎ যেখানে কোন সুলতান কিত্ব৷ শাসক
নেই ৷ আপনি সেখানে চলে যান এবং সেখানে রাজত্ব করুন ৷ আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আমি
পসন্দ করি না ৷ আর আপনি যদি কোন ধন-সম্পদ চান আমি আপনার নিকট তা পাঠিয়ে দিব ৷
উত্তরে আবদুর রহমান লিখলেন যে, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ ৰিগ্রহে লিপ্ত হতে আসিনিঃ ৷
আমরা এসেছি একটু বিশ্রাম নিতে এবং আমাদের ঘোড়াগুলোকে ৰিশ্রামের সুযোগ দিতে ৷
এরপর আমরা অন্যত্র চলে যাব ৷ আপনি যা বলেছেন তার কিছুরই আমাদের প্রয়োজন নেই ৷

এরপর আবদুর রহমান তার অবস্থান ক্ষেত্রের আশেপাশে খােরাসানী প্রামগুলে৷ থেকে
খাযনা উসুল করার চেষ্টা করেন ৷ এবার তাকে বাধা দেয়ার জন্যে শাসনকর্তা ইয়াযীদ এবং তার


فَمَسَكَهُ وَأَوْثَقَهُ بِالْحَدِيدِ، وَأَرَادَ أَنْ يَتَّخِذَ بِهِ يَدًا عِنْدَ الْحَجَّاجِ، وَقَدْ كَانَ الْمَلِكُ رُتْبِيلَ سُرَّ بِقُدُومِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ مَا حَدَثَ لَهُ مِنْ جِهَةِ ذَلِكَ الْعَامِلِ بِمَدِينَةِ بُسْتَ، سَارَ حَتَّى أَحَاطَ بِبُسْتَ، وَأَرْسَلَ إِلَى عَامِلِهَا يَقُولُ لَهُ: وَاللَّهِ لَئِنْ آذَيْتَ ابْنَ الْأَشْعَثِ لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَسَتَنْزِلُكَ، وَأَقْتُلُ جَمِيعَ مَنْ فِي بَلَدِكَ. فَخَافَهُ ذَلِكَ الْعَامِلُ، وَسَيَّرَ إِلَيْهِ ابْنَ الْأَشْعَثِ، فَأَكْرَمَهُ رُتْبِيلُ، فَقَالَ ابْنُ الْأَشْعَثِ لرُتْبِيلَ: إِنَّ هَذَا الْعَامِلَ كَانَ عَامِلِي وَمِنْ جِهَتِي، فَغَدَرَ بِي، وَفَعَلَ مَا رَأَيْتَ فَأْذَنْ لِي فِي قَتْلِهِ. فَقَالَ: قَدْ أَمَّنْتُهُ. وَكَانَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ هُنَالِكَ فِي بِلَادِ رُتْبِيلَ، ثُمَّ إِنَّ جَمَاعَةً مِنَ الْفَلِّ الَّذِينَ هَرَبُوا مِنَ الْحَجَّاجِ اجْتَمَعُوا وَسَارُوا وَرَاءَ ابْنِ الْأَشْعَثِ; لِيُدْرِكُوهُ فَيَكُونُوا مَعَهُ، وَهُمْ قَرِيبٌ مِنْ سِتِّينَ أَلْفًا، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى سِجِسْتَانَ وَجَدُوا ابْنَ الْأَشْعَثِ قَدْ دَخَلَ إِلَى عِنْدِ رُتْبِيلَ فَتَغَلَّبُوا عَلَى سِجِسْتَانَ، وَعَذَّبُوا عَامِلَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ الْبِعَارَ وَإِخْوَتَهُ وَقَرَائِبَهُ، وَاسْتَحْوَذُوا عَلَى مَا فِيهَا مِنَ الْأَمْوَالِ، وَانْتَشَرُوا فِي تِلْكَ الْبِلَادِ وَأَخَذُوهَا، ثُمَّ كَتَبُوا إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ: أَنِ اخْرُجْ إِلَيْنَا حَتَّى نَكُونَ مَعَكَ; نَنْصُرُكَ عَلَى مَنْ يُخَالِفُكَ، وَنَأْخُذُ بِلَادَ خُرَاسَانَ، فَإِنَّ بِهَا جُنْدًا عَظِيمًا مِنَّا، فَنَكُونُ بِهَا حَتَّى يُهْلِكَ اللَّهُ الْحَجَّاجَ أَوْ عَبْدَ الْمَلِكِ، فَنَرَى بَعْدَ ذَلِكَ رَأَيْنَا، فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ ابْنُ الْأَشْعَثِ، وَسَارَ بِهِمْ قَلِيلًا إِلَى نَحْوِ خُرَاسَانَ، فَاعْتَزَلَهُ شِرْذِمَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَعَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، فَقَامَ فِيهِمُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৭২৩০
الْأَشْعَثِ خَطِيبًا، فَذَكَرَ غَدْرَهُمْ وَنُكُولَهُمْ عَنِ الْحَرْبِ، وَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي بِكُمْ، وَأَنَا ذَاهِبٌ إِلَى صَاحِبِي رُتْبِيلَ فَأَكُونُ عِنْدَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُمْ، وَتَبِعَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، وَبَقِيَ مُعْظَمُ الْجَيْشِ، فَلَمَّا انْفَصَلَ عَنْهُمُ ابْنُ الْأَشْعَثِ بَايَعُوا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ الْهَاشِمِيَّ، وَسَارُوا مَعَهُ إِلَى خُرَاسَانَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ أَمِيرُهَا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ ; لِيَمْنَعَهُمْ مِنْ دُخُولِ بِلَادِهِ، وَكَتَبَ يَزِيدُ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبَّاسٍ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ فِي الْبِلَادِ مُتَّسَعًا، فَاذْهَبْ إِلَى أَرْضٍ لَيْسَ بِهَا سُلْطَانٌ، فَإِنِّي أَكْرَهُ قِتَالَكَ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ مَالًا بَعَثْتُ إِلَيْكَ. فَقَالَ لَهُ: إِنَّا لَمْ نَجِئْ لِقِتَالِ أَحَدٍ، وَإِنَّمَا جِئْنَا نَسْتَرِيحُ وَنُرِيحُ خَيْلَنَا، ثُمَّ نَذْهَبُ، وَلَيْسَتْ بِنَا حَاجَةٌ إِلَى حَاجَةٍ مِمَّا عَرَضْتَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى أَخْذِ الْخَرَاجِ مِمَّا حَوْلُهُ مِنَ الْبِلَادِ مِنْ كُورِ خُرَاسَانَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَمَعَهُ أَخُوهُ الْمُفَضَّلُ فِي جُيُوشٍ كَثِيفَةٍ، فَلَمَّا صَادَفُوهُمُ اقْتَتَلُوا غَيْرَ كَثِيرٍ، ثُمَّ انْهَزَمَ أَصْحَابُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَقَتَلَ يَزِيدُ مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَأَسَرَ مِنْهُمْ أَسْرَى كَثِيرَةً، وَاحْتَازَ مَا فِي مُعَسْكَرِهِمْ، وَبَعَثَ بِالْأُسَارَى - وَفِيهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ - إِلَى الْحَجَّاجِ، وَيُقَالُ: إِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدٍ قَالَ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ: أَسْأَلُكَ بِدَعْوَةِ أَبِي لِأَبِيكَ لَمَا أَطْلَقْتَنِي. فَأَطْلَقَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: وَلِهَذَا الْكَلَامِ خَبَرٌ فِيهِ طُولٌ.
পৃষ্ঠা - ৭২৩১

ভাই মুফাযয়ল বহু সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসেন, উভয় দল মুখোমুখি হয় ৷ উভয় দলে ভীষণ যুদ্ধ
হয় ৷ এক পর্যায়ে আবদুর রহমান ইবন আইয়াশ ও তার সাথিগণ পরাজিত হয় ৷ শাসনর্কত
ইয়াযীদ ওদের বহু সৈন্যকে হত্যা করেন ৷ ওদের সেনা ছাউনিতে থাক ধন-সম্পদ দখল করে
নেন এবং বন্দী লোকদেরকে হজ্জাজের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ বন্দীদের মধ্যে হযরত সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কসের পুত্র মুহম্মদও ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, মুহাম্মদ ইবন সাদ
ইয়াযীদকে বলেছিলেন যে, আমার বাবা ৫৩ মার বাবার জন্যে যে দু আ করেছিলেন তোমাকে
তার দোহইি দিচ্ছি তুমি আমাকে ছেড়ে দাও ৷ অতঃপর ইয়াযীদ তাকে ছেড়ে দেয় ৷

ইবন জরীর বলেন যে, এই ঘটনার অনেক দীর্ঘ ফিরিস্তি রয়েছে ৷ ওই যুদ্ধে বন্দী
লোকদেরকে শাসনকর্তা হজ্জাজের নিকট নিয়ে আসা হলো ৷ ওদের অধিকৎশ লোককে সে
হত্যা করে এবং কম সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে ৷ হাজ্জ জ্জাজ বাহিনী যেদিন আগ আছ বাহিনীর
বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল সেদিন এক ঘোষক ঘোষণা দিয়েছিল যে, যারা প্রত্যাবর্তন করবে
তারা নিরাপত্তা পাবে এবং যারা রায় অঞ্চলে গিয়ে মুসলিম ইবন কুতায়বার সাথে মিলিত হয়ে
তারা নিরাপত্তা পাবে ৷ ইবনুল আশআছের দলে থাকা অনেক লোক অতঃপর মুসলিম ইবন
কুতায়বার সাথে যোগ দিল ৷ হজ্জজ তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছিল ৷ যারা মুসলিমের সাথে
যোগ দেয়নি হাজ্জাজ ওদের খোজে গুপ্তচর পাঠিয়ে দেয় ৷ খুজে পাওয়া বহু লোকজনকে হজ্জাজ
হত্যা করে ৷ সর্বশেষ তার জিঘৎসার শিকার হয়েছেন হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (র) ৷ এ
বিষয়ে একটু পরে আলোচনা হবে ৷

ইবনুল অশআছের পরাজিত অনুসারীদের মধ্যে যারা মুসলিমের সাথে যোগ দেন তাদের
মধ্যে ছিলেন হযরত শা ’বী (র) ৷ একদা হাজ্জাজত তার প্রসঙ্গে আলোচনা করছিল ৷ তখন তাকে
জানানো হল যে, শা বী (রা) তো মুসলিম ইবন কুতায়বার সাথে যোগ দিয়েছেন ৷ হাজ্জাজ
মুসলিমের নিকট চিঠি লিখল ৷ শা বীকে আমার নিকট পাঠিয়ে দা ও ৷

শা বী বলেন, আমি যখন হাজ্জাজের নিকট প্রবেশ করি তাকে শাসনকর্তাসুলভ সালাম ও
অভিবাদন জানাই ৷ এরপর বললম, শাসনকর্তা! লোকজন তো আমাকে পরামর্শ দিচ্ছে এমন
বিষয় উল্লেখ করে উযর পেশ করার জন্যে যেটি মহান আল্লাহর ইলমে সত্য নয় ৷ আল্লাহর
কসম! আমি এখানে সত্য বই মিথ্যা বলব না ৷ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ? আল্লাহর
কসম! আমরা আপনার বিপক্ষে বিদ্রোহ করেছি ৷ আপনার আনুগত্য প্রত্যাখ্যান করেছি ৷
আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছি ৷ একটুও কমতি করিনি ৷ আমরা কিন্তু কোন
শক্তিশালী দৃশ্চরিত্র লোক ছিলাম না কিংবা পরিপুর্ণ (নক্কার পুণ্যবান লোকও ছিলাম না ৷ মহান
আল্লাহ্ আপনাকে আমাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন ৷ বিজয় দান করেছেন ৷ এখন আপনি
আমাদের উপর শক্তিপ্রয়ােগ করলে, কঠোরত প্রয়োগ করলে তা আমাদের অপরাধের ফলশ্রুতি
আমাদের কর্মফল ৷ আর আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন তাহলে সেটি হবে আপনার
ধৈর্যের বহিঃপ্রকাশ ৷ মোদ্দাকথা, আমাদের বিরুদ্ধে আপনার ব্যবস্থা নেয়ার অইিনগত অধিকার
রয়েছে ৷

হাজ্জাজ বলল, ওহে শাবী! বিদ্রোহী গোষ্ঠী যাদের তরবাবি থেকে আমাদের তাজা রক্ত
ঝরেছে ৷ অথচ এসে বলে আমি কিছু করিনি আমি উপস্থিতও ছিলাম না তাদের সবার মধ্যে
আপনি আমার সর্বধিক প্রিয় ব্যক্তি বটে ৷ এরপর সে বলল, হে শা বী আমি আপনাকে নিরাপত্তা
দিলাম ৷


وَلَمَّا قَدِمَتِ الْأُسَارَى عَلَى الْحَجَّاجِ قَتَلَ أَكْثَرَهُمْ، وَعَفَا عَنْ بَعْضِهِمْ، وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ يَوْمَ ظَهَرَ عَلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ بِدَيْرِ الْجَمَاجِمِ نَادَى مُنَادِيهِ فِي النَّاسِ: مَنْ رَجَعَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ لَحِقَ بِقُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ بِالرَّيِّ فَهُوَ آمِنٌ، فَلَحِقَ بِهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَأَمَّنَهُمُ الْحَجَّاجُ، وَمَنْ لَمْ يَلْحَقْ بِهِ شَرَعَ الْحَجَّاجُ فِي تَتَبُّعِهِمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، حَتَّى كَانَ آخِرَ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَكَانَ الشَّعْبِيُّ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ صَارَ إِلَى قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، فَذَكَرَهُ يَوْمًا الْحَجَّاجُ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ سَارَ إِلَى قُتَيْبَةَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: أَنِ ابْعَثْ إِلَيَّ بِالشَّعْبِيِّ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَلَمَّا دَخَلْتُ عَلَيْهِ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ بِالْإِمْرَةِ، ثُمَّ قُلْتُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّ النَّاسَ قَدْ أَمَرُونِي أَنْ أَعْتَذِرَ إِلَيْكَ بِغَيْرِ مَا يَعْلَمُ اللَّهُ أَنَّهُ الْحَقُّ، وَايْمُ اللَّهِ لَا أَقُولُ فِي هَذَا الْمَقَامِ إِلَّا الْحَقَّ، قَدْ وَاللَّهِ تَمَرَّدْنَا عَلَيْكَ، وَحَرَّضْنَا وَجَهَدْنَا كُلَّ الْجَهْدِ، فَمَا آلَوْنَا، فَمَا كُنَّا بِالْأَقْوِيَاءِ الْفَجَرَةِ، وَلَا بِالْأَتْقِيَاءِ الْبَرَرَةِ، وَلَقَدْ نَصَرَكَ اللَّهُ عَلَيْنَا، وَأَظْفَرَكَ بِنَا، فَإِنْ سَطَوْتَ فَبِذُنُوبِنَا، وَمَا جَرَّتْ إِلَيْكَ أَيْدِينَا، وَإِنْ عَفَوْتَ عَنَّا فَبِحِلْمِكَ، وَبَعْدُ فَالْحُجَّةُ لَكَ عَلَيْنَا. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: أَنْتَ وَاللَّهِ يَا شَعْبِيُّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّنْ يَدْخُلُ عَلَيْنَا يَقْطُرُ سَيْفُهُ مِنْ دِمَائِنَا، ثُمَّ يَقُولُ: مَا فَعَلْتُ وَلَا شَهِدْتُ. قَدْ أَمِنْتَ
পৃষ্ঠা - ৭২৩২


শা বী বলেন, এরপর আমি ফিরে আসছিলাম ৷ এবন্টুখানি হাটার পর হাজ্জাজ আমাকে
ডাকল ৷ সে বলল, শা বী এদিকে আসুন তাতে আমার মনে ভয় সৃষ্টি হল ৷ এরপর সে যে
আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে তা আমার স্মরণ হল ৷ আমি নিশ্চিত হলাম ৷ স্বন্তি ফিরে পেলাম ৷ সে
বলল, শা বী ! আমরা সর্বময় ক্ষমতা গ্রহণের পর জনগনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া; ও মনোভাব কেমন
লক্ষ্য করছেন ? শাবী বলেন, আমি হাজ্জাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দেয়ার পুর্বে আমার প্রতি
তার শ্রদ্ধাবােধ ছিল ৷ আমি বললাম, মহান আল্লাহ শাসনকর্তার ভাল করুন ৷ আপনার ক্ষমতা
গ্রহণের পর আমার চোখে ঘুম নেই ৷ নম্র ও কোমল বিষয়কে আমি কঠোর দেখতে পাচ্ছি ৷ বদ
হজমী অনুভব করছি ৷ সর্বক্ষণ ভীতসন্ত্রস্ত থাকছি ৷ দুশ্চিত৷ নিত্য সঙ্গী হয়ে রয়েছে ৷ ভাল ভাল
তাই বন্ধুদেরকে হারিয়ে ফেলেছি ৷ শাসনকর্তার পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত হতে পারে তেমন কাউকে
দেখতে পাচ্ছি না ৷ হাজ্জাজ বলল, হে শাবী ! আপনি এখন চলে যান ৷ আমি প্রন্থান করলাম ৷
ইবন জারীর প্রমুখ এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু মিখনাক ইসমাঈল ইবন আবদুর রহমান সুদ্দী
সুত্রে শাবী থেকে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

বায়হাকী (র) উল্লেখ করেন যে, শাসনকর্তা হাজ্জাজ শা বীকে ফারায়েয বা উত্তরাধিক্লারিতু
বিষয়ে একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করেছিল ৷ মাসআলা ৷ঢি হল কোন মৃত ব্যক্তির শ্বাশুড়ী এবং
মৃত ব্যক্তির বোন সম্পত্তি পাবে কিনা ৷ এ বিষয়ে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) উমার (রা),
উছমান (রা) , আলী (বা) এবং ইবন মাসউদ (রা)-এর অভিমত কি ছিল ? এ বিষয়ে তাদের ণ্
প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে ৷ উত্তরে শাবী অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সকলের অভিমত
তুলে ধরেছিলেন ৷ হাজ্জাজ অবশ্য হযরত আলী (রা)-এর অভিমতটি ভাল বলে মন্তব্য করেছে,
বিৎ সে হযরত উছমান (রা)-এর অভিমত অনুযায়ী ফায়সালা দেয় ৷ এই প্রেক্ষাপটে সে শাবী ,
(রা)-কে যুক্তি প্রদান করে ৷ কথিত আছে যে, এই পর্যায়ে হাজ্জাজ তার প্রতিপক্ষ ইবনুল
আসআছের সমর্থক পাচ হাজার লোককে হত্যা করে ৷ সেনাপতি ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব
তাদেরকে বন্দী করে হাজ্জাজের নিকট পাঠিয়েছিলেন ৷

এরপর হাজ্জাজ কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ যে সেখানে প্রবের্শ করে ৷ অতঃপর তাদের
প্রত্যেক ব্যক্তির বায়আত গ্রহণের পুর্বে এই স্বীকারােক্তি আদায় করতে শুরু করে যে, বল
“আমি নিজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি কুফরী করেছি” ৷ সে বলত যে, হী আমি কুফরী ন্
করেছি সে তার বায়আত গ্রহণ করত ৷ যে ব্যক্তি ওই স্বীকারােক্তি প্রদানে অস্বীকার করত তাকে
হত্যা করত ৷ এভাবে কুফরীর সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করার বহুলোককে সে হত্যা করে ৷
একজন লোককে তার সম্মুখে উপস্থিত করা হয় ৷ লোকটি ছিল বাহ্যত দীনদার

পরহেযগার ৷ হাজ্জাজ ধারণা করেছিল যে, এই লোক তো নিজের ব্যাপারে কুফরীর সাক্ষ্য
দিবেনা ৷ হাজ্জাজ লোকটিকে প্রতারিত করার ইচ্ছা পোষণ করেছিল ৷ তখন লোকটি বলল,
আপনি কি আমার সাথে প্রতারণা করছেন ? বস্ততং আমি এই জগতের সবচাইতে কঠিন
কাফির ৷ আমি ফিরআওন, হামান এবং নমরুদের চাইতে ও জঘন্য কাফির ৷ বর্ণনাকা রী বলেন,
এই কথা শুনে হাজ্জাজ হেসে উঠল এবং লোকটিকে যুক্তি দিয়ে দিল ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেন আবু মিখনাফ থেকে যে হামাদানের কবি আশাকে হাজ্জ্ব ৷জেব
নিকট নিয়ে আসা হল ৷ একটি কবি৩ যে করি আশা হ জ্জাজ এবং আবদুল মালিকের নিন্দা ও
সমালোচনা করেছিলেন ৷ হাজ্জা জ কবিকে একটি কবিতা আবৃত্তি করার জন্যে নির্দেশ দিল ৷
করি দাল (; ;) অন্ত্যমিলযুক্ত একটি দীর্ঘ কবিতা পাঠ করলেন ৷ তাতে খলীফা আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ান এবং হাজ্জাজের প্রচুর প্রশংসা ছিল ৷ সিরীয় নাগরিকপণ বলছিল যে, আমীর!


عِنْدَنَا يَا شَعْبِيُّ. قَالَ: فَانْصَرَفْتُ، فَلَمَّا مَشَيْتُ قَلِيلًا قَالَ: هَلُمَّ يَا شَعْبِيُّ. قَالَ: فَوَجَلَ لِذَلِكَ قَلْبِي، ثُمَّ ذَكَرْتُ قَوْلَهُ: قَدْ أَمِنْتَ يَا شَعْبِيُّ، فَاطْمَأَنَّتْ نَفْسِي. فَقَالَ: كَيْفَ وَجَدْتَ النَّاسَ بَعْدَنَا يَا شَعْبِيُّ؟ قَالَ: - وَكَانَ لِي مُكْرِمًا - فَقُلْتُ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، قَدِ اكْتَحَلْتُ بَعْدَكَ السَّهَرَ، وَاسْتَوْعَرْتُ السُّهُولَةَ، وَاسْتَوْخَمْتُ الْجَنَابَ، وَاسْتَحْلَسْتُ الْخَوْفَ، وَاسْتَحْلَيْتُ الْهَمَّ، وَفَقَدْتُ صَالِحَ الْإِخْوَانِ، وَلَمْ أَجِدْ مِنَ الْأَمِيرِ خَلَفًا. قَالَ: انْصَرِفْ يَا شَعْبِيُّ. فَانْصَرَفْتُ. وَرَوَاهُ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنِ السِّرِّيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَنَّهُ سَأَلَهُ عَنِ الْمَسْأَلَةِ الْخَرْقَاءِ فِي الْفَرَائِضِ، وَهِيَ: أُمٌّ وَزَوْجٌ وَأُخْتٌ، وَمَا كَانَ يَقُولُهُ فِيهَا الصِّدِّيقُ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَابْنُ مَسْعُودٍ،
পৃষ্ঠা - ৭২৩৩

ইনি তাে খুব ভাল একটা কবিতা বলেছেন ৷ হাজ্জ জ্জাজ বলল, না-তা নয় ৷ সে ভাল কবিতা
বলেনি ৷ সে ৫৩ ৷ এটি বলেছে বানােয়াট ও প্রত তারণার কৌশল হিসেবে ৷ এরপর তার উপর অন্য
কবিতাটি আবৃতির জন্য চাপ সৃষ্টি করল ৷ আশা তখন অন্য কবিতাটি আবৃত্তি করলেন, সেটি
শোনার পর হাজ্জাজ ক্ষেপে যায় ৷ এবং কবি আশাকে হত্যার নির্দেশ দেয় ৷৩ তারই সামনে ঠাণ্ডা
মাথায় তাকে হত্যা করা হয় ৷ আলোচ্য করি আশার নাম হল আবদুর রহমান ইবন আবদুল্পাহ্
ইবন হারিছ ৷ আর মুসবিহ হামদানী কুফী ৷ তিনি ছিলেন আরবের বিখ্যাত কবি ৷ নামযাদা
শুদ্ধাচারী সাহিত্যিক ৷ জীবনের শুরুতে ইবাদত-বন্দেপীতে তার ভাল আগ্রহ ছিল ৷ পরবর্তীতে
ইবাদত বন্দেগী ত্যাগ করে কবিতার প্রতি মনোযোগ দেন এবং কবিরুগে খ্যাতিলাত করেন ৷
নুমান ইবন বাশীর যখন হিমসের শাসনকর্তা তখন করি আশা তার দরবারে উপস্থিত
হয়েছিলেন ৷ তিনি তার প্রশংসায় কবিতা রচনা করেছিলেন ৷ এ মাত্রায় পুরস্কার হিসেবে
শাসনকর্তা নু মান ও হিমসের সৈনিকদের পক্ষ থেকে তিনি চল্লিশ হাজার দীনার তথা স্বর্ণযুদ্রা
লাভ করেন ৷ তিনি শা বী (র) এর ভগ্নিপতি ছিলেন ৷ শাবীও তার ভগ্নিপতি ছিলেন ৷ ইবনুল
আশআছের সমর্থকরুগে করি আশা হাজ্জাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন ৷ ফলে
হাজ্জাজ তাকে হত্যা করে ৷

হাজ্জাজ একদল গুপ্তচর নিয়োগ করল ইবনুল আশআছের পেছনে ৷ উদ্দেশ্য ছিল পােহ্ন৷
দিক থেকে গিয়ে ইবনুল আশআছের সেনাদলেৱ অবস্থান জানবে এবং হাজ্জাজকে জানাৰে ৷
এরপর হাজ্জাজ ও ইবনুল আসআছ পুনরায় যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ এবার হাজ্জাজ পরাজিত হয়ে সৈন্য
সামত্তসহ পালিয়ে যায় ৷ তার অস্ত্র শস্ত্র ও মালামাল সেনা ছাউনিতে ফেলে যায় ৷ ইবনুল
আশআছ এগিয়ে আসেন ৷ হাজ্জাজের পরিত্যক্ত মালামাল ও অস্ত্রশস্ত্র দখল করে নেন ৷ অতঃপর
তারই সেনাছাউনিতে রাত্রি যাপন করতে থাকেন ৷

হাজ্জাজ বাহিনী রাতের বেলা সেখানে আগমন করে ৷ আশআছ বাহিনী তখন অস্ত্রশস্ত্র খুলে
ঘুমােচ্ছিল ৷ ওরা আশআছ বাহিনীর উপর হঠাৎ আক্রমণ করে ৷ হাজ্জাজ বাহিনী এসে তাদের
ঘিরে ফেলে ৷ তাদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয় ৷ ইবনুল আশআছের বহু সমর্থক নিহত হয় ৷ আর
অনেক সমর্থক দাজলা ও দুজায়ল নদীতে ডুবে মারা যায় ৷ হাজ্জাজ উপস্থিত হয় ইবনুল
আশআছের সেনাছাউনীতে ৷ সেখানে ওদের যাকেই পেয়েছে হত্যা করেছে ৷ এ পর্যায়ে বিরোধী
পক্ষের প্রায় ৪০০০ সৈন্যকে সে হত্যা করে ৷ তাদের মধ্যে অনেক নেতৃস্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি
ছিলেন ৷ হাজ্জাজ বাহিনী পুরোপুরিডাবে বিপক্ষের সেনা ক্যাম্প দখল করে নেয় ৷ ৩০০ অনুসারী
নিয়ে ইবনুল আশআছ পলায়ন করেন ৷ নিজেদের পশুপ্রাণী যবাই করে দিয়ে তারা নৌকায় চড়ে
দজলা নদী পার হয় এবং বসরা চলে যায় ৷ সেখান থেকে চলে যায় তুরস্কে এবং রাতবীলেৱ
নিকট আশ্রয় নেয় ৷

পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনুল আশআছের সমর্থকদেরকে খুজতে থাকে ৷ এবং একাকী কিংবা
জোড়ায় জোড়ায় ওদেরকে হত্যা করতে থাকে ৷ বলা হয়ে থাকে যে, সেই সময়ে হাজ্জাজ ঠাণ্ডা
মাথায় সজ্ঞানে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার লোককে হত্যা করে ৷ নাদর ইবন শুমায়ল হিশামী ইবন
হাসৃসানের বরাতে এই তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷ নিহত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন হযরত
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের পুত্র মুহাম্মদ (র) ৷ আরো বহু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও
উলামা-ই-কিরাম এই যাত্রায় হাজ্জ ৷জের হাতে নিহত হন ৷ সর্বশেষ তার জিঘাং সার শিকার হন
হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) ৷


وَكَانَ لِكُلٍّ مِنْهُمْ قَوْلٌ فِيهَا، فَنَقَلَ ذَلِكَ كُلَّهُ الشَّعْبِيُّ فِي سَاعَتِهِ، فَاسْتَحْسَنَ قَوْلَ عَلِيٍّ، وَحَكَمَ بِقَوْلِ عُثْمَانَ، وَأُطْلِقَ الشَّعْبِيُّ بِسَبَبِ ذَلِكَ. وَقِيلَ: إِنَّ الْحَجَّاجَ قَتَلَ خَمْسَةَ آلَافِ أَسِيرٍ، مِمَّنْ سَيَّرَهُمْ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ، ثُمَّ سَارَ إِلَى الْكُوفَةِ فَدَخَلَهَا، فَجَعَلَ لَا يُبَايِعُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِهَا إِلَّا قَالَ: أَتَشْهَدُ عَلَى نَفْسِكَ أَنَّكَ قَدْ كَفَرْتَ. فَإِذَا قَالَ: نَعَمْ. بَايَعَهُ، وَإِنْ أَبَى قَتَلَهُ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، مِمَّنْ أَبَى أَنْ يَشْهَدَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْكُفْرِ. قَالَ: فَأُتِيَ بِرَجُلٍ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: مَا أَظُنُّ هَذَا يَشْهَدُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْكُفْرِ; لِصَلَاحِهِ وَدِينِهِ، وَأَرَادَ الْحَجَّاجُ مُخَادَعَتَهُ، فَقَالَ: أَخَادِعِي أَنْتَ عَنْ نَفْسِي، أَنَا أَكْفَرُ أَهْلِ الْأَرْضِ، وَأَكْفَرُ مِنْ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَنَمْرَودَ. قَالَ: فَضَحِكَ الْحَجَّاجُ وَخَلَّى سَبِيلَهُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ أَبِي مِخْنَفٍ، أَنَّ أَعْشَى هَمْدَانَ أُتِيَ بِهِ إِلَى الْحَجَّاجِ، وَكَانَ قَدْ عَمِلَ قَصِيدَةً هَجَا فِيهَا الْحَجَّاجَ وَعَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، وَيَمْدَحُ فِيهَا ابْنَ الْأَشْعَثِ وَأَصْحَابُهُ، فَاسْتَنْشَدَهُ إِيَّاهَا فَأَنْشُدَهُ قَصِيدَةً طَوِيلَةً دَالِيَّةً، فِيهَا مَدْحٌ كَثِيرٌ لِعَبْدِ الْمَلِكِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، فَجَعَلَ أَهْلُ الشَّامِ يَقُولُونَ: قَدْ أَحْسَنَ أَيُّهَا الْأَمِيرُ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: إِنَّهُ لَمْ يُحْسِنْ، إِنَّمَا يَقُولُ هَذَا مُصَانَعَةٌ. ثُمَّ أَلَحَّ عَلَيْهِ حَتَّى أَنْشُدَهُ قَصِيدَتَهُ الْأُخْرَى، فَلَمَّا أَنْشَدَهَا غَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ الْحَجَّاجُ، وَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ. وَاسْمُ الْأَعْشَى هَذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، أَبُو الْمُصْبِحِ الْهَمْدَانِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭২৩৪
الْكُوفِيُّ، الشَّاعِرُ، أَحَدُ الْفُصَحَاءِ الْبُلَغَاءِ الْمَشْهُورِينَ، وَقَدْ كَانَ لَهُ فَضْلٌ وَعِبَادَةٌ فِي مُبْتَدَئِهِ، ثُمَّ تَرَكَ ذَلِكَ، وَأَقْبَلَ عَلَى الشِّعْرِ فَعُرِفَ بِهِ، وَقَدْ وَفَدَ عَلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ - وَهُوَ أَمِيرٌ بِحِمْصَ - فَامْتَدَحَهُ، وَكَانَ مَحْصُولُهُ فِي رِحْلَتِهِ إِلَيْهِ مِنْهُ وَمِنْ جُنْدِ حِمْصَ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَكَانَ زَوْجَ أُخْتِ الشَّعْبِيِّ، كَمَا أَنَّ الشَّعْبِيَّ كَانَ زَوْجَ أُخْتِهِ أَيْضًا، وَكَانَ مِمَّنْ خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَقَتَلَهُ الْحَجَّاجُ كَمَا ذَكَرْنَا، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ وَهُوَ مُوَاقِفٌ لِابْنِ الْأَشْعَثِ بَعَثَ كَمِينًا يَأْتُونَ جَيْشَ ابْنِ الْأَشْعَثِ مِنْ وَرَائِهِ، ثُمَّ تَوَاقَفَ الْحَجَّاجُ وَابْنُ الْأَشْعَثِ، وَهَرَبَ الْحَجَّاجُ بِمَنْ مَعَهُ، وَتَرَكَ مُعَسْكَرَهُ، فَجَاءَ ابْنُ الْأَشْعَثِ فَاحْتَازَ مَا فِي الْمُعَسْكَرِ، وَبَاتَ فِيهِ، فَجَاءَتِ السَّرِيَّةُ إِلَيْهِمْ لَيْلًا، وَقَدْ وَضَعُوا أَسْلِحَتَهُمْ، فَمَالُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً، وَرَجَعَ الْحَجَّاجُ بِأَصْحَابِهِ فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَغَرِقَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْهُمْ فِي دِجْلَةَ وَدُجَيْلٍ، وَجَاءَ الْحَجَّاجُ إِلَى مُعَسْكَرِهِمْ فَقَتَلَ مَنْ وَجَدَهُ فِيهِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ، مِنْهُمْ جَمَاعَةٌ مِنَ الرُّؤَسَاءِ وَالْأَعْيَانِ، وَاحْتَازُوهُ بِكَمَالِهِ، وَانْطَلَقَ ابْنُ الْأَشْعَثِ هَارِبًا فِي ثَلَاثمِائَةٍ، فَرَكِبُوا دُجَيْلًا فِي السُّفُنِ، وَعَقَرُوا دَوَابَّهُمْ، وَجَازَوْا إِلَى الْبَصْرَةِ، ثُمَّ سَارُوا مِنْ هُنَالِكَ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مِنْ دُخُولِهِمْ بِلَادَ رُتْبِيلَ مَا كَانَ، ثُمَّ شَرَعَ الْحَجَّاجُ فِي تَتَبُّعِ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَقَتَلَهُمْ مَثْنَى
পৃষ্ঠা - ৭২৩৫

ওয়াসিত নগরী প্রতিষ্ঠা :;ন্ৰুঙ্কু

ইবন জারীর (র) বলেছেন, এই সনে হ জ্জাজ ওয়াসিত শহর প্রতিষ্ঠা করে ৷ এর প্রেক্ষাপট

ছিল এই যে, একদিন হাজ্জাজ দেখল এক যাজককে যে, তার গর্দডীর পিঠে চড়ে সে দজলা
নদী অতিক্রম করল ৷ সে ওয়াসিত নামক স্থানে যাবার, পর তার গর্দডী ওখানে পেশার করে
দেয় ৷ যাজক সাথে সাথে গর্দভীর পিঠ ছেড়ে নীচে নেমে যায় ৷ এবং ও পেশাবের স্থানের মাটি
খুড়ে দজলা নদীতে ফেলে দেয় ৷ হাজ্জাজ বলল, ওই যাজককে আমার নিকট নিয়ে আস ৷ তাকে
নিয়ে আসা হল ৷ সে যাজককে বলল, তুমি এরুপ করলে ণ্কন ? উত্তরে যাজক বলল, আমরা
আমাদের কিতায়ে পেয়েছি যে, এই স্থানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়ে এবং এই পৃথিবীতে
যতদিন একজন তাওহীদপন্থীও জীবিত থাকবেত তদিন এই মসজিদে আল্লাহর ইবাদত করা
হবে ৷ অতংপর হাজ্জাজ ওয়াসিত নগরীর প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে একটি মসজিদ

করে ৷বাৎনায় ইসলামিক বই ডাউনলোড করতেও তিজিট বরুণঃ ইসলামি ব্ইডট ওয়ার্ডপ্রেস কম

এই ৮৩ সনে আতা ইবন রাফিয় নেতৃত্বে সিসিলির যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷

৮৩ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয়

আবদুর রহমান ইবন জুহয়েরা (র)

৮৩ সনে যীদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন আবদুর রহমান ইবন জুহায়রা খাওলানী
মিসরী ৷ বহু সাহাবী থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মিসরের শাসনকর্তা আবদুল আযীয
ইবন মারওয়ান র্তাকে একই সালে বিচারক, নসীহতকারী এবং রান্থীয় ণ্কাষাগ্যারর দায়িত্বশীল
হিসেবে নিয়োগ দান করেন ৷ তার বাৎসরিক সম্মানী নির্ধারিত হয় এক হাজার দীনড়ার স্বর্ণমুদ্রা ৷
তিনি ওই অর্থের কিছুই সঞ্চিত করতেন না ৷

তারিক ইবন শিহাৰ (বা)
৮৩ সনে যে সব বিশিষ্ট ব্যজিং ইনতিকাল হয় তাদের একজন হলেন তারিক ইবন শিহড়াব

ইবন আবৃদ শামৃস আহমাসী ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ণ্ক দেখতে পেয়েছিলেন ৷ প্রথম খলীফা

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) এবং দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমার (রা)-এর খিলাফতকালে
তিনি চল্পিশোর্ধ যুদ্ধে অংশ নেন ৷ ৮৩ সনে তিনি মদীনাতে ইনতিকাল করেন ৷

উবায়দৃল্লাহ্ ইবন আদী (বা)

এই সনে ইনতিকাল হয় এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইবন

আদী (র) ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যুগ’ পেয়েছিলেন ৷ বহু সাহাবী থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি মদীনা শরীফে কাযী বা বিচারক পদে দায়িত্ব পা ৷লন করেছেন ৷ তিনি কুরায়শ
বংশের অন্যতম ফকীহ ও আলিম ছিলেন ৷ তার পিতা আদী বদর যুদ্ধে ক৷ ৷ফির অবস্থায় নিহত
হয়েছিল ৷

৮৩ সনে ওফাত হয়েছে মারছাদ ইবন আবদুল্লাহ আবু খায়ব মুযানীর ৷ ইবনুল আশআছের
দলভুক্ত বহু কারী ও আলিম ব্যক্তি এই সনে হারিয়ে নিয়েছেন ৷ তাদের মধ্যে কতক পলায়ন

করেছেন ৷ কতক যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন এবং কতককে বন্দী অবস্থায় হ জ্জাজেব নিকট

পাঠিয়ে দেয়৷ হয় ৷ অতংপর হাজ্জাজ তাদেরকে হত্যা করে ৷ ওদের কতককে হাজ্জাজ খুজে
খুজে ধরে এনে হত্যা করে ৷ ইতিহাসবিদ খলীফা ইবন খাইয ত তাদের কয়েকজনের নাম
উল্লেখ করেছেন ৷ যেমন মুসলিম ইবন ইয়াসার মুযানী৷ আবু মুরানাহ্ আজালী ৷ ইনি নিহত


وَفُرَادَى، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ قَتَلَ مِنْهُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ صَبْرًا مِائَةَ أَلْفٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفًا. قَالَهُ النَّضِرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ. مِنْهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ، وَجَمَاعَاتٌ مِنَ السَّادَاتِ، حَتَّى كَانَ آخِرُهُمْ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ رَحِمَهُمُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُمْ، كَمَا سَيَأْتِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. [بِنَاءُ وَاسِطٍ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَنَى الْحَجَّاجُ وَاسِطًا، وَكَانَ سَبَبَ بِنَائِهِ لَهَا أَنَّهُ رَأَى رَاهِبًا عَلَى أَتَانٍ قَدْ أَجَازَ دِجْلَةَ، فَلَمَّا مَرَّ بِمَوْضِعِ وَاسِطٍ وَقَفَتْ أَتَانُهُ فَبَالَتْ، فَنَزَلَ عَنْهَا وَعَمَدَ إِلَى مَوْضِعِ بَوْلِهَا فَاحْتَفَرَهُ، وَرَمَى بِهِ فِي دِجْلَةَ، فَقَالَ الْحَجَّاجُ: عَلَيَّ بِهِ. فَأُتِيَ بِهِ، فَقَالَ لَهُ: لِمَ صَنَعْتَ هَذَا؟ قَالَ: إِنَّا نَجِدُ فِي كُتُبِنَا أَنَّهُ يُبْنَى فِي هَذَا الْمَوْضِعِ مَسْجِدٌ يُعْبَدُ اللَّهُ فِيهِ مَا دَامَ فِي الْأَرْضِ أَحَدٌ يُوَحِّدُهُ. فَعِنْدَ ذَلِكَ اخْتَطَّ الْحَجَّاجُ مَدِينَةَ وَاسِطٍ فِي ذَلِكَ الْمَكَانِ، وَبَنَى الْمَسْجِدَ فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ. وَفِيهَا كَانَتْ غَزْوَةُ عَطَاءِ بْنِ رَافِعٍ صَقَلِّيَةَ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُجَيْرَةَ الْخَوْلَانِيُّ الْمِصْرِيُّ رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ أَمِيرُ مِصْرَ قَدْ جَمَعَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭২৩৬


হয়েছিলেন ৷ উকবাহ্ ইবন আবদুল গাফফার ৷ তিনি নিহত হয়েছিলেন ৷ উকবা ইবন বিশাহ্ ৷
তিনি নিহত হয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন খালিদ জাহদামী ৷ তিনি নিহত হয়েছিলেন ৷ আবু
জাওযাহ বিরঈ ৷ তিনি নিহত হম্নেহিঃপ্সন ৷ নাদর ইবন আনাস (রা) আবু হামযা দাবাঈ-এর
পিতা ইমরান ৷ আবু মিনহাল সাইয়ড়াব ইবন সালামাহ রিয়াহী ৷ মালিক ইবন দীনাব ৷ মুররাহ
ইবন যুবাব হাদ্দাদী আবু নুজায়দ জাহদামী ৷ আবু সুবায়জ হিনাঈ ৷ সাঈদ ইবন আবু হাসান
বংতার ভাই হাসান বসরী (র) ৷
আইয়ুব বর্ণনা করেন যে, ইবনুল আশআছকে বলা হয়েছিল যে, উন্থষ্ট্ৰর যুদ্ধে হযরত
আইশার (রা) সওয়ারীর চারিদিকে সমবেত হয়ে জনগণ যেমন তার পক্ষে যুদ্ধ করেছিল আপনি
যদি চান যে, আপনার পাশে জনগণ সেভাবে যুদ্ধ করুক তাহলে হাসান বসরী (র)-কে আপনার
সাথে নিয়ে নিন ৷ অতঃপর ইবনুল আশআছ তাকে সাথে নিয়ে নেন ৷
ওই সময়ে কুফাবাসী যারা নিহত হন তাদের মধ্যে আছেন হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র,
আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা, আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ, শ্বা ৰী-, আবু উবায়দা ইবন
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ মা রুর ইবন সুত্তয়াইদ, মুহম্মেদ ইব্দ সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস,
ন্ আবুল বুখতারী, ত লহা ইবন যুসাররিফ্ল, যুৰায়দ ইবন হাবিস ইন্নামিখাং এবং আ তা ইবন
সইিব (র) ৷
আইয়ুব বলেন যে, ইবনুল আশঅস্কেছয় সাথে যারা সেদিন ধ্রা পড়েছিস্ফো তারা তাতে
অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ৷ আর যারা সেদিন আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তি পেয়েছিলেন তারা
মুক্তিদাতা মহান আল্লাহর প্রশংসা করেছিলেন ৷ ওই যাত্রার হাজ্জাজ ঠাণ্ডা মাথায় যে সব বিশিষ্ট
ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে ছিলেন ইমরান ইবন ইসামা দাবাঈ (রা) ৷ তিনি আবু
হুজাযাহ-এব পিতা ৷ তিনি বসরার প্রখ্যাত উলামা-ই-কিরামের একজন ছিলেন ৷ খুব
ইবাদতকারী ও নামাযী মানুষ ছিলেন ৷ বন্দী অবস্থায় তাকে হাজ্জাজের নিকট উপস্থিত করা হয়,
হাজ্জাজ তাকে বলেছিল, “তুমি নিজে কুফয়ী করেছ এ কথার সাক্ষ্য দাও” তাহলে আমি
তোমাকে ছেড়ে দিব ৷ তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম আমি ঈমান আনয়নের পর থেকে
আল্লাহর প্রতি সামান্য কুফরীও করিনি ৷ অতং পর হাজ্জাজ তাকে হত্যা করার নির্দো৷ দেয় ৷
তাকে হত্যা করা হয় ৷

হাজ্জাজের হাতে নিহত অপর বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) ৷
বহু সাহাবীর বরাতে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার পিতা আবু লায়লা (বা) প্রিয়নবী
(না)-এর সাহাবী ছিলেন ৷ আবদুর রহমান কুরআন শিক্ষা করেন হযরত আলী (রা) থেকে ৷
তিনি ইবনুল আশআছের সমর্থনে কেশ্ৰীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন ৷
অতঃপর তাকে বন্দী অবস্থায় হাজ্জাজের নিকট আনয়ন করা হয় ৷ নিষ্ঠুর হাজ্জাজ সজ্ঞানে ঠাণ্ডা
মাথায় এই মহান ব্যক্তিকে হত্যা করে ৷

তড়ারিক ইবন শিহাব (বা)

তার পুর্ণনাম তাবিক ইবন শিহাব হীৰ্৷ আবৃদ শামস আলআহমাসী (বা) ৷ তিনি ঐসব
ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত হার৷ রাসুল (সা) কে দেখেছেন এবং হযরত আবু বাকর সিদ্দীক (রা) ও
হযরত উমর (রা) এর আমলে সং ঘটিত ৪০ঢির অধিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ এ
বছরেই তিনি পবিত্র মদীনায় ইনতিকা ৷ল করেন ৷


بَيْنَ الْقَضَاءِ وَالْقَصَصِ وَبَيْتِ الْمَالِ، وَكَانَ رِزْقُهُ فِي الْعَامِ أَلْفَ دِينَارٍ، وَكَانَ لَا يَدَّخِرُ مِنْهَا شَيْئًا. طَارِقُ بْنُ شِهَابِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْأَحْمَسِيُّ مِمَّنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَغَزَا فِي خِلَافَةِ الصِّدِّيقِ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا بِضْعًا وَأَرْبَعِينَ غَزَاةً، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ هَذِهِ السَّنَةَ. عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَدَّثَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِنْ فُقَهَاءِ قُرَيْشٍ وَعُلَمَائِهِمْ، وَأَبُوهُ عَدِيٌّ مِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ كَافِرًا. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ كَانَ قَاضِي الْمَدِينَةِ، وَتُوُفِّيَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. مَرْثَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو الْخَيْرِ، الْيَزْنِيُّ وَفِيهَا فُقِدَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْقُرَّاءِ وَالْعُلَمَاءِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ ; مِنْهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭২৩৭
مَنْ هَرَبَ، وَمِنْهُمْ مَنْ قُتِلَ فِي الْمَعْرَكَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ أُسِرَ فَضَرَبَ الْحَجَّاجُ عُنُقَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ تَتَبَّعَهُ الْحَجَّاجُ حَتَّى قَتَلَهُ. وَقَدْ سَمَّى مِنْهُمْ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ طَائِفَةً مِنَ الْأَعْيَانِ ; فَمِنْهُمْ مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ الْمُزَنِيُّ، وَأَبُو مَرَّانَةَ الْعِجْلِيُّ قُتِلَ، وَعُقْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْغَافِرِ قُتِلَ، وَعُقْبَةُ بْنُ وَسَّاجٍ قُتِلَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ غَالِبٍ الْجَهْضَمِيُّ قُتِلَ، وَأَبُو الْجَوْزَاءِ الرَّبَعِيُّ قُتِلَ، وَالنَّضِرُ بْنُ أَنَسٍ، وَعِمْرَانُ وَالِدُ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ، وَأَبُو الْمِنْهَالِ سَيَّارُ بْنُ سَلَامَةَ الرِّيَاحِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، وَمُرَّةُ بْنُ دِبَابٍ الْهَدَادِيُّ، وَأَبُو نُجَيْدٍ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو شَيْخٍ الْهَنَائِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ، وَأَخُوهُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ. قَالَ أَيُّوبُ: قِيلَ لِابْنِ الْأَشْعَثِ: إِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ يُقْتَلَ النَّاسُ حَوْلَكَ كَمَا
পৃষ্ঠা - ৭২৩৮

উৰায়দুস্লাহ্ ইবন আদী (বা)

তার পুর্ণনড়াম উবায়দুল্পাহ্ ইবন আদী ইবনুল খিয়ার (রা) ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে
পেয়েছিলেন এবং আবদুল্লাহ ইবন কায়স ইবন মাখরামাহ (রা)-এর মত এক জমাআত্ত
সাহাবায়ে কিরাম হতে তিনি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি মদীনায় কাষী ছিলেন ৷ তিনি কুরায়শ
বংশীয় ফিকাহ্ বিশারদ ও উলমােয়ে কিরামের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তার পিতা আদী বদর যুদ্ধের
দিন কাফির অবস্থায় নিহত হয় ৷

এ বছরেই পবিত্র মদীনা শরীফে আবুল খায়ের মিরসাদ ইবন আবদুল্লাহ আল-ইয়ামড়ানী
ইনতিকাল করেন ৷ এ বছরেই কারীউল কুরআন ও উলাযায়ে কিরামের একটি বিরাট জামাআত
হারিয়ে যান যাৱাআল-অড়াশআহু-এর সঙ্গী ছিলেন ৷ তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ পালিয়ে যান;
কেউ কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন ৷ আবার কেউ কেউ বন্দী হন ৷ যিনি বন্দী হন তাকে হাজ্জাজ
নৃশংসভাবে হত্যা করে ৷ তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে হাজ্জাজ খুজে বের করে এবং হত্যা
করে ৷ খালীফাহ ইবন খইিয়াত এমন ধরনের একদল ব্যক্তিবর্পের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের
মধ্যে নিহতরা হলেন; মুসলিম ইবন আল ইয়াসার আল-মুযানী, আবুমারানা আল-আজালী,
উকবাহ্ ইবন আবদুল ণাফফার, উকবাহ্ ইবন বিশাহ, আব্দুল্লাহ ইবন খড়ালিদ আল-জাহদামী,
আবুল জাওযা আর রাবঈ, আন-নদর ইবন আনাস, আবু হামযাহ আদদাবয়ীর পিতা ইমরান,
আবুল মিনহাল, সায়্যার ইবন সালামাহ আররাইয়াহী, মালিক ইবন দীনার, মুৰ্বাজ ইবন যুবাব
আল-হাদাদী, আবু নুজায়দ আলজাহদামী, আবু সাবীজ আল-হানায়ী, সায়ীদ ইবন আবুল
হাসান এবং তার ভাই আলহাসান আল-বসরী ৷

ইতিহাসবিদ আযুবে বলেন, “ইবনুল আসআছকে বলা হল, যদি প্তৃমি চাও যে, তোমার
চভুদািক সােকজনকে হত্যা করা হোক যেমনভাবে উৰ্ষ্ট্রর যুদ্ধের দিন হযরত আইশা (না)-এর
উটের পিঠের হড়াওদারৰুচতম্পাস্থ:র্শ্ব লোকজন নিহত হয়েছিল তাহলে আল-হাসানকে তোমার
সাথে সগ্রোমে অন্তর্ভুক্ত করে নাও ৷ সে তাকে সগ্রোমে অন্তর্ভুক্ত করেছিল ৷

কুফাবাসীদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন : সাঈদ ইবন জুবায়র, আবদুর
রহমান ইবন আবুলাইলা,আবদুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদ, আশ-শাবী, আবু উবায়দা ইবন আবদুল্লাহ্
ইবন মাসউদ, মা’রুর ইবন সাওয়ীদ, মুহাম্মদ ইবন সাদ ইবন আবু ওযাক্কাস, আবুল বুখতারী,
তালহা ইবন মসেরাফ, ষুবায়দ ইবন আল-হারিস আলী ইয়ামিয়ান এবং আতা ইবন
আস-সায়িব ৷
ইতিহাসবিদ আয়ুবে বলেন ও তাদের মধ্য হতে যারা ইবনুল আশআছের সাথে নিহত
, হয়েছিলেন, তারা ইবনুল আশআছের প্রতি নারায ছিলেন ৷ আর ইবনুল আশআছের অনুসারীদের
যারা নিহত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা তাদের রক্ষাকারী আল্লাহ তাআলার প্রতি
প্রাণৎসা জ্ঞাপন করেছিলেন ৷ হাজ্জাজ যাদেরকে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে একজন ছিলেন
ইমরান ইবন ইসাম আদ দাবয়ী, আবু হাজমাহ এর পিতা ৷ তিনি বসরার উলামায়ে কিরামের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন ইৰাদতগুযার ও সত্লোক ৷ তাকে বন্দী অবস্থায় হাজ্জাজের কাছে
প্রেরণ করা হলে হাজ্জাজ তাকে বলে, তুমি তোমার জন্যে কুফরীর সাক্ষ্য দাও তাহলে আমি
তোমাকে ছেড়ে দিব ৷ ’ তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ, আমি যেদিন আল্পাহ্ তাআলার প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন করেছি, সেদিন থেকে আর কোন দিনও মহান আল্লাহর প্রতি কুফরী করি নাই ৷ ’
তারপর তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হল এবং তাকে হত্যা করা হল ৷ নিহত ব্যক্তিদের
মধ্যে অন্য একজন হলেন, আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা ৷ এক জামাআত সাহাবায়ে কিরাম

০ তো
হু

قُتِلُوا حَوْلَ هَوْدَجِ عَائِشَةَ يَوْمَ الْجَمَلِ فَأَخْرِجِ الْحَسَنَ مَعَكَ، فَأَخْرَجَهُ. وَمِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، وَالشَّعْبِيُّ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَالْمَعْرُورُ بْنُ سُوَيْدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ، وَطَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفِ، وَزُبَيْدُ بْنُ الْحَارِثِ الْيَامِيَّانِ، وَعَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ. قَالَ أَيُّوبُ: فَمَا مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ صُرِعَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ إِلَّا رَغِبَ عَنْ مَصْرَعِهِ، وَلَا نَجَا أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا حَمِدَ اللَّهَ الَّذِي سَلَّمَهُ. وَمِنْ أَعْيَانِ مَنْ قَتَلَ الْحَجَّاجُ عِمْرَانُ بْنُ عِصَامٍ الضُّبَعِيُّ وَالِدُ أَبِي جَمْرَةَ، كَانَ مِنْ عُلَمَاءِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ صَالِحًا عَابِدًا، أُتِيَ بِهِ أَسِيرًا إِلَى الْحَجَّاجِ، فَقَالَ لَهُ: اشْهَدْ عَلَى نَفْسِكَ بِالْكُفْرِ حَتَّى أُطْلِقَكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي مَا كَفَرْتُ بِاللَّهِ مُنْذُ آمَنْتُ بِهِ. فَأَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَلِأَبِيهِ
পৃষ্ঠা - ৭২৩৯
أَبِي لَيْلَى صُحْبَةٌ، أَخَذَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْقُرْآنَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ فَأُتِيَ بِهِ الْحَجَّاجُ أَسِيرًا، فَضُرِبَ عُنُقُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ صَبْرًا.