আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وثمانين

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

وفاة المهلب بن أبي صفرة

পৃষ্ঠা - ৭২১২

হারিছাহ জাশামীকে, বাম ইউনিটে আবরাদ ইবন কুররাহ্ তামীমীকে; অশ্বারোহী বাহিনীর
দায়িত্বে আবদুর রহমান ইবন আইয়াশ ইবন আবু রাৰীআকে, আর পদাতিক বাহিনীর
সেনাপতিতু দেন মুহাম্মদ ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস যুহরীকে ৷ কারীদের নেতৃত্বে থাকেন
জবািল্লাহ্ ইবন যাহর ইবন কায়ীস জুফ ৷ তার দলে আরো ছিলেন সাঈদ ইবন জুবা য়র, আমির
শা’বী, আবদুর রহমান ইবন আবুলায়লা, কৃমায়ল ইবন যিয়াদ-বার্ধক্য সত্বেও তিনি খুব সাহসী
ও উদ্যমী লোক ছিলেন ৷ তা ছাড়া ছিলেন আবুবুহতারী তাঈ ও অন্যান্য অনেক লোকজন ৷

, উভয় পক্ষে প্রতিদিন যুদ্ধ অব্যাহত ছিল ৷ ইরাকীদের নিকট বিভিন্ন রাজ্য ও প্রদেশ থেকে
নিয়মিত খাদ্য ও রসদপত্র আসছিল ৷ ওদের গো খদ্যেও সরবরাহ করা হচ্ছিল নিয়মিত ৷
পক্ষাম্ভরে হাজ্জাজের সাথে থাকা সিরীয় সৈন্যদের অবস্থা হয়েছিল সহুকটাপন্ন-শোচনীয় ৷ তাদের
খাদ্য ছিল খুবই কম ৷ গোশত তো ছিলই না ৷ এই সন পুরোটান্তেই দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ
অব্যাহত ছিল ৷ কখনো যুদ্ধ চলজ্যি প্রতি দিন আবার মাঝে মাঝে যুদ্ধ চলছিল একদিন পরপর ৷
তবে অধিকাংশ দিনে ইরাকীদের প্রাধান্য ছিল সিরীয়দের বিরুদ্ধে ৷ এই সময়ে হাজ্জাজের পক্ষে
যিয়াদ ইবন গনোম নিহত হয় ৷ ইৰ্নুল আশআছের সমর্থক বুসতাম ইবন মুসকালাহ্ বার
হাজার সৈনিকসহ যুদ্ধ করতে করতে তাদের তরৰারির খাপ ভেঙ্গে ফেলে ৷ তারা স্বেচ্ছায় নিহত
হতে প্রস্তুত হয় ৷

এই হিজরী সনে যাদের ওফাত হয়
সেনাপতি মুহাল্লাব

এই সনে সেনাপতি মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরাহশ্এর দ্বুত্যু হয় ৷ তার উপনাম আবু সাঈদ
আযদী ৷ তিনি ছিলেন বসরার তশ্যিতম বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ বসরার নেতৃস্থানীয় সন্ত্রাত, দানশীল এবং
সজ্জনদের একজন ৷ ৮ ম সনে মক্কা বিজয়ের বৎসরে ওার জ্যা হয় ৷ তার গোত্র তখন ওমান
এবং বাহরাইনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাস করছিল ৷ তার সম্প্রদায় হযরত আবু বাকর
(বা) এর সময়ে মুরতাদ ও ধর্মত্যাগী হয়ে যায় ৷ ইকরিমা ইবন আবু জাহ্ল এ সময়ে তাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেন ৷ ওদেরকে বন্দী করে খলীফা আবু বাকর
(রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ এদের মধ্যে আবু সুফরাহ্ এবং তার পুত্র মুহন্মোবও ছিল ৷
সৃহাল্লাব তখনাে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ ৷
এরপর মুহাল্পাব বসরাতে চলে আসেন, তিনি ৪৪ হিজরী সনে আমীর মুআবিয়ার
শাসনামলে সে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন ৷ ৬৮ হিজরী সনে হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন যুবায়র
(বা) এর খিলাফতকালে তিনি জাযীরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন ৷ এরপর হাজ্জজ্যি
শাসনকালের প্রথম যুগে৩ তিনি খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ৷ একই অভিযানে তিনি
চার হাজার আটশত জন খারিজীকে হত্যা করেন ৷ তাতে হাজ্জাজেব্ নিকট তার মর্যাদা বেড়ে
যায় ৷ মুহাল্লাব একজন সাহসী, অভিজাত এবং সন্নান্ত, ব্যক্তি ছিলেন ৷ দানশীলতায় ও তার
খ্যাতি রয়েছে ৷ তিনি আত্ম প্রশং সা পসন্দ করতেন ৷ তার বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর মন্তব্য রয়েছে ৷
যেমনং দানশীলত৷ কত উত্তম কাজ ৷ তাতে ৩সব্রান্ত ব্যক্তির গোপনীয়তা গোপন থাকে ৷
নিকৃষ্ট ব্যক্তির নিকৃষ্টতা ধামাচাপা দেয়৷ হয় এবং দানশীল ব্যক্তি সকলের প্রীতি ভাজন হয় ৷
তিনি বলতে ন মানুষের দুটো চরিত্র আমার পসন্দ হয় ৷ যখন দেখি যে, তার বক্তব্যের চাইতে
তার জ্ঞান-বুদ্ধি বেশী ৷ আর যখন দেখি যে, তার জ্ঞানের চাইতে বক্তব্যু ও কথা বেশী নয় ৷


كِبَرِ سِنِّهِ - وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيُّ وَغَيْرُهُمْ. وَجَعَلُوا يَقْتَتِلُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ تَأْتِيهِمُ الْمِيرَةُ مِنَ الرَّسَاتِيقِ وَالْأَقَالِيمِ، مِنَ الْعَلَفِ وَالطَّعَامِ وَغَيْرِهِ، وَأَمَّا أَهْلُ الشَّامِ الَّذِينَ مَعَ الْحَجَّاجِ فَفِي ضِيقٍ مِنَ الْعَيْشِ، وَقِلَّةٍ مِنَ الطَّعَامِ، وَقَدْ فَقَدُوا اللَّحْمَ بِالْكُلِّيَّةِ فَلَا يَجِدُونَهُ، وَمَا زَالَتِ الْحَرْبُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا، حَتَّى انْسَلَخَتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُمْ عَلَى حَالِهِمْ وَقِتَالِهِمْ فِي كُلِّ يَوْمٍ، أَوْ يَوْمٍ بَعْدَ يَوْمٍ، وَالدَّائِرَةُ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ فِي أَكْثَرِ الْأَيَّامِ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْحَجَّاجِ زِيَادُ بْنُ غَنْمٍ، وَكَسَرَ بِسْطَامُ بْنُ مِصْقَلَةَ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ جُفُونَ سُيُوفِهِمْ، وَاسْتَقْتَلُوا، وَكَانُوا مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ. [وَفَاةُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَفَاةُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ وَهُوَ الْمُهَلَّبُ بْنُ أَبِي صُفْرَةَ ظَالِمٌ، أَبُو سَعِيدٍ الْأَزْدِيُّ، أَحَدُ أَشْرَافِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَوُجُوهِهِمْ وَدُهَاتِهِمْ وَأَجْوَادِهِمْ وَكُرَمَائِهِمْ، وُلِدَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانُوا يَنْزِلُونَ فِيمَا بَيْنَ عُمَانَ وَالْبَحْرَيْنِ، وَقَدِ ارْتَدَّ قَوْمُهُ فَقَاتَلَهُمْ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ فَظَفِرَ بِهِمْ، وَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭২১৩

“মারড আর রাওয এলাকায় যুদ্ধাভিযানে তার মৃত্যু হয় ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ৭৬
বৎসর ৷ তার পুত্র-কন্যারা ছিল দশ জন ৷ তারা হল ইয়াযীদ, যিয়াদ, মুফাদ্দাল, মুদবিক,
হাবীব, মুগীরা কাবীসা, মুহাম্মদ, হিন্দ ও ফাতিমা ৷ ৮ ২ সনের যুলহাজ্জ সালে তার মৃত্যু হয় ৷
তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন ৷ তার অনেক কীর্তি ও কৃতিত্ব রয়েছে ৷ আযারিক সম্প্রদায়
এবং অন্যান্য খারিজী উপদলের বিরুদ্ধে তার সফল অভিযানের অনেক বিবরণ ইতিহাসে স্থান
পেয়েছে ৷ তার মৃত্যুর পর থােরাসানের শাসনকর্তা পদ তার পুত্র ইয়াযীদ গ্রহণ করবে বলে
তিনি সিদ্ধান্ত দিয়ে যান ৷ খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এবং শাসনকর্তা হাজ্জাজ তা
বহাল রাখেন ৷

আসমা ইবন ধ্ায়িগ্রাস্ট্রহ্ ফ্যােয়ী কুক্ষী,

এই সনে যাদের ওফাত হয় তাদের অন্যতম হলেন, আসমা ইবন খারিজা ফাযারী কুফী ৷
তিনি একজন বিশিষ্ট দানশীল এবং র্কীর্তিমান পুরুষ ছিলেন ৷ একদিন তিনি তার দরযার সম্মুখে
একযুবককে দেখতে পেলেন যে, যে ওখানে বসে আছে ৷ তিনি তাকে ওখানে বসে থাকার
কারণ জিজ্ঞেস করলেন ৷ সে বলল, একটা বিশেষ প্রয়েজ্যোন বসে আছি তবে তা মুখে বলা
যাবে না ৷ তার প্রয়োজনের কথাটি ব্যক্ত করার জন্যে তিনি বার বার চাপ দিচ্ছিলেন ৷ অবশেষে
সে বলল, একটি ক্রীতদাসী আমি দেখেছি এই বাড়ীতে প্রবেশ ৰুন্নেহে ৷ এত সুন্দর যেয়ে আমি
জীবনে কােনদিন দেখিনি ৷ সে আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে ৷ তিনি তাকে হাতে ধরে
অন্দর মহলে নিয়ে গেলেন ৷ তার বাড়ীতে থাকা সকল মেয়েকে একে একে তার সম্মুখে
উপস্থিত করলেন ৷ নিল্টি যেয়েটি আসার পর সে বলল, এই যে, এই ণ্ময়েটিকেই আমি
দেখেছিলাম ৷ আসমা বললেন, তবে এখন তুমি বেরিয়ে যাও ৷ দরযার যেখানে বসেছিলে
ওখানে গিয়ে বস ৷ যুবকঢি বেরিয়ে গেল ৷ পুর্বস্থানে গিয়ে বসল ৷ কিছুক্ষণ পর আসমা ইবন
খারিজা ওই দাসীটিকে নান৷ প্রকারের গহনায় সাজিয়ে সাথে করে যুবকটির নিকট নিয়ে গেলেন
এবং বললেন এই দাসীকে বাড়ির ভিতর তোমার নিকট হস্তান্তর না করার কারণ হল এই যে,
মুলতঃ দাসীটি আমার বোনের ৷ যে এটি বিনা মুল্যে দান করতে রধো ইিস না ৷ তাই আমি
তিন হাজার দিরহামে সেটি কিনে নিয়েছি ৷ এ সব গহনা তাকে পরিয়েহি ৷ এই গহনাসহ
দাসীটি তোমাকে দিয়ে দিলাম ৷ যুবকঢি দাসীটিকে নিয়ে চলে যায় ৷

মুপীন্না ইবন মুহাল্লাৰ

ইবন আবী সুফরা মুগীরা ইবন মুহাল্লাব এই সনে ইনতিকাল করেন ৷ তিনি একজন
দানশীল, সাহসী ও বীরত্বের অধিকারী লোক ছিলেন ৷ তার ৷ঙ্গীয়নে বহ্ কৃতিতুপুর্ণ ঘটনা
ঘটেছে ৷

হারিছ ইবন আবদুল্লাহ (র)

হারিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ মাখযুমী এই সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি কু বা
নামে অধিক পরিচিত ছিলেন ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুৰায়র (রা) এর খিসড়াফতকালে তার
পক্ষে তিনি বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন উসামা ইবন যায়দ ইবন হারিহা (র)

মুহাম্মদ ইবন উসামা (র) এই ৮২ সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ সাহারা-ই ক্কিন্নামের পরবর্তী
প্রজন্মে তথা তাদের পুত্রদের মধ্যে মুহাম্মদ ইবন উসামা (র) বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ও
সম্মানী ব্যক্তিত্ব ছিলেন ৷ তার ওফাত্ত হয় মদীনা শরীফে ৷ জান্নাতুস্ বন্টোতে তাকে দাফন করা
হয় ৷


الصِّدِّيقِ، وَفِيهِمْ أَبُو صُفْرَةَ، وَابْنُهُ الْمُهَلَّبُ غُلَامٌ لَمْ يَبْلُغِ الْحِنْثَ، ثُمَّ نَزَلَ الْمُهَلَّبُ الْبَصْرَةَ وَقَدْ غَزَا فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ أَرْضَ الْهِنْدِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَوَلِيَ الْجَزِيرَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ، ثُمَّ وَلِيَ حَرْبَ الْخَوَارِجِ أَوَّلَ دَوْلَةِ الْحَجَّاجِ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ فِي وَقْعَةٍ وَاحِدَةٍ أَرْبَعَةَ آلَافٍ وَثَمَانَمِائَةٍ، فَعَظُمَتْ مَنْزِلَتُهُ عِنْدَ الْحَجَّاجِ. وَكَانَ فَاضِلًا شُجَاعًا كَرِيمًا، يُحِبُّ الْمَدْحَ، وَلَهُ كَلَامٌ حَسَنٌ، فَمِنْهُ: نِعْمَ الْخَصْلَةُ السَّخَاءُ، تَسْتُرُ عَوْرَةَ الشَّرِيفِ، وَتَلْحَقُ خَسِيسَةَ الْوَضِيعِ، وَتُحَبِّبُ الْمَزْهُودَ فِيهِ. وَقَالَ: يُعْجِبُنِي فِي الرَّجُلِ خَصْلَتَانِ: أَنْ أَرَى عَقْلَهُ زَائِدًا عَلَى لِسَانِهِ، وَلَا أَرَى لِسَانَهُ زَائِدًا عَلَى عَقْلِهِ. تُوُفِّيَ الْمُهَلَّبُ غَازِيًا بِمَرْوِ الرُّوذِ، وَعُمْرُهُ سِتَّةٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً رَحِمَهُ اللَّهُ، وَكَانَ لَهُ عَشْرَةٌ مِنَ الْوَلَدِ وَهُمْ: يَزِيدُ، وَزِيَادٌ، وَالْمُفَضَّلُ، وَمُدْرِكٌ، وَحَبِيبٌ، وَالْمُغِيرَةُ، وَقَبِيصَةُ، وَمُحَمَّدٌ، وَهِنْدٌ، وَفَاطِمَةُ. تُوُفِّيَ الْمُهَلَّبُ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ، وَلَهُ مَوَاقِفُ حَمِيدَةٌ، وَغَزَوَاتٌ مَشْهُورَةٌ فِي التُّرْكِ وَالْأَزَارِقَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَنْوَاعِ الْخَوَارِجِ، وَجَعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ عَلَى إِمْرَةِ خُرَاسَانَ، فَأَمْضَى لَهُ ذَلِكَ الْحَجَّاجُ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ. وَفِي جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا عَزَلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭২১৪
إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا هِشَامَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيَّ، وَكَانَتْ وِلَايَةُ أَبَانٍ عَلَى الْمَدِينَةِ سَبْعَ سِنِينَ وَثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ يَوْمًا، وَكَانَ عَلَى إِمْرَةِ بِلَادِ الْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، وَالنُّوَّابُ فِي الْأَقَالِيمِ مِنْ تَحْتِ يَدِهِ، وَهُوَ مَشْغُولٌ عَنْ تَدْبِيرِ الْمَمَالِكِ بِحَرْبِ ابْنِ الْأَشْعَثِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا. قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ الَّذِي كَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَسْمَاءُ بْنُ خَارِجَةَ الْفَزَارِيُّ الْكُوفِيُّ كَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، حُكِيَ عَنْهُ أَنَّهُ رَأَى يَوْمًا شَابًّا عَلَى بَابِ دَارِهِ جَالِسًا، فَسَأَلَهُ عَنْ قُعُودِهِ عَلَى بَابِهِ، فَقَالَ: حَاجَةٌ لَا أَسْتَطِيعُ ذِكْرَهَا. فَأَلَحَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: جَارِيَةٌ رَأَيْتُهَا دَخَلَتْ هَذِهِ الدَّارَ لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهَا، وَقَدْ خَطَفَتْ قَلْبِي مَعَهَا، فَأَخَذَ بِيَدِهِ، وَأَدْخَلَهُ دَارَهُ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ كُلَّ جَارِيَةٍ عِنْدَهُ، حَتَّى مَرَّتْ تِلْكَ الْجَارِيَةُ، فَقَالَ: هَذِهِ. فَقَالَ لَهُ: اخْرُجْ فَاجْلِسْ عَلَى الْبَابِ مَكَانَكَ. فَخَرَجَ الشَّابُّ فَجَلَسَ مَكَانَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْهِ بَعْدَ سَاعَةٍ وَالْجَارِيَةُ مَعَهُ، قَدْ أَلْبَسَهَا أَنْوَاعَ الْحُلِيِّ، وَقَالَ لَهُ: مَا مَنَعَنِي أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكَ وَأَنْتَ دَاخِلَ الدَّارِ إِلَّا أَنَّ الْجَارِيَةَ كَانَتْ لِأُخْتِي، وَكَانَتْ ضَنِينَةً بِهَا، فَاشْتَرَيْتُهَا لَكَ مِنْهَا بِثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَأَلْبَسْتُهَا هَذَا الْحُلِيَّ، فَهِيَ لَكَ بِمَا عَلَيْهَا، فَأَخَذَهَا الشَّابُّ وَانْصَرَفَ.
পৃষ্ঠা - ৭২১৫

আবদুল্লাহ ইবন আবু তালহ৷ ইবন আবুল আসওয়াদ (ব)

৮২ সনে যীরা ইনৃতিকাল করেন তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ্ ইবন আবুতালহ৷ ৷
তিনি প্রসিদ্ধ ফকীহ ইসহাকের পিতা ৷ যে রাতে তার মাতা উন্মু সুলায়মের একটি পুত্র মারা
যায়, সে রাতেই আবদুল্লাহ তার মাতার গর্ভে আসেন ৷ ভোরবেলা তার পিতা আবু তালহ৷ (না)
গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এই সংবাদ জানান ৷ তখনধ্রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তোমরা
বাসর উদযাপন করেছ ৷ তোমাদের রাত্রি-যাপনে আল্লাহ তা জানা বরকত দান করুন ৷ হযরত
আবদুল্লাহ (র) জন্মগ্রহণ করার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর দিয়ে তার তাহনীক তথা মুখে
খাবার গ্রহণের সুচনা করেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন কা ব ইবন মালিক (র)

তিনি হযরত কা ব (রা) এর পথ চলাচলে সাহায্যকারী ছিলেন ৷ হযরত কা ব (বা) যখন
অন্ধ হয়ে পড়েন তখন তার এই পুত্র আবদুল্লাহ্ তাকে ধরে ধরে এখানে সেখানে নিয়ে যেতেন ৷
তার সেরা করতেন ৷ তিনি অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এই ৮২ সনে তীর ওফাত হয় ৷

আফুফান ইবন ওয়াহ্ব (বা)

তার প্রসিদ্ধ নাম আবু আয়মান আল খাওলানী মিসরী ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাহাবী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে হাদীসও বর্ণনা করেছেন ৷ পশ্চিমাঞ্চলীয় যুদ্ধে তিনি অংশ
নিয়াছিলেন ৷ তিনি মিসরে বসবাস করতেন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷

জামীল ইবন আবদুল্লাহ (র)
তিনি হলেন জামীল ইবন আবদুল্লাহ ইবন মামার ইবন সাবাহ ইবন যুবয়ান ইবন হাসান ৰু
ইবন রাবীআ ইবন হারাম ইবন দাবৃবা ইবন উবায়দ ইবন কাহীর ইবন আযরাহ ইবন সাদ
ইবন হুযায়ম ইবন যায়দ ইবন লায়ছ ইবন সারহাদ ইবন আসলাম ইবন ইনহাফ ইবন কুদাআ
(র) ৷ তিনি হলেন করি আবু আমর ৷ তিনি বুছায়না এর প্রেমিক ৷ তিনি বুছায়নাকে বিয়ে করার
প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ বিক্ষ্ম কুছায়না তা প্রত্যাখ্যান করে ৷ এই প্রেক্ষিতে তিনি একটি বিরহ কাব্য
রচনা করেছিলেন এবং ওই কাব্যের মাধ্যমে তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে ৷ তিনি ছিলেন আরবের
প্রসিদ্ধ প্রেমিক ব্যক্তি ৷ তিনি ওয়াদী কুরা নামক স্থানে বসবাস করতেন ৷ তিনি ছিলেন সৎ,
পবিত্র, লজ্জাশীল, দীন অনুসারী এবং ইসলামী করি ৷ তিনি তার যুগের বিশুদ্ধভাষী শ্রেষ্ঠ কবি
ছিলেন ৷ কুছায়িদ্রর আয্যাহ ছিলেন তার শিষ্য ৷ তার কবিতা সংরক্ষণকারী ৷ জামীল নিজে হুদবা
ইবন খাছরাম সুত্রে হাতিআ থেকে যুহায়র ইবন আবু সালামা এবং তার পুত্র কা ব ইবন
যুহায়রের কবিতা বর্ণনা করতেন ৷
কুছ৷ ৷য়িদ্রর আবৃযাহ মন্তব্য করেছেন যে, জামীল ছিলেন আরবের শ্রেষ্ঠ করি ৷ জামীল
বলেছেন

১াইষ্টুছুহ্রাট্রু
তোমরা দু জন তো আমাকে বলেছিলে যে, গ্রীষ্মকাল শেষ হলে লায়লা এসে তায়মা তে
বসবাস করবে ৷

শু;াছু,ট্র

এই যে গ্রীষ্মকালীন মাসগুলো তাে অতিবাহিত হয়ে গেল ৷ তবুও দুরতু ও ব্যবধান
লায়লাকে কেন দুরে নিক্ষেপ করছে?


الْمُغِيرَةُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ كَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا شُجَاعًا، لَهُ مَوَاقِفُ مَشْهُورَةٌ. الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَعْرُوفُ بِقُبَاعٍ، وَلِيَ إِمْرَةَ الْبَصْرَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ. مُحَمَّدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ كَانَ مِنْ فُضَلَاءِ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ وَأَعْقَلِهِمْ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ بْنِ الْأَسْوَدِ وَالِدُ الْفَقِيهِ إِسْحَاقَ، حَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ أُمُّ سُلَيْمٍ لَيْلَةَ مَاتَ ابْنُهَا، فَأَصْبَحَ أَبُو طَلْحَةَ فَأَعْلَمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعَرَسْتُمْ؟ بَارَكَ اللَّهُ لَكُمَا فِي لَيْلَتِكُمَا» وَلَمَّا وُلِدَ حَنَّكَهُ بِتَمَرَاتٍ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ كَانَ قَائِدَ كَعْبٍ حِينَ عَمِيَ، لَهُ رِوَايَاتٌ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ هَذِهِ السَّنَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭২১৬
سُفْيَانُ بْنُ وَهْبٍ أَبُو أَيْمَنَ، الْخَوْلَانِيُّ الْمِصْرِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَغَزَا الْمَغْرِبَ، وَسَكَنَ مِصْرَ، وَبِهَا مَاتَ. جَمِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ صَبَّاحِ بْنِ ظَبْيَانَ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَرَامِ بْنِ ضِنَّةَ بْنِ عَبْدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ عُذْرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ هُذَيْمِ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَيْثِ بْنِ سُودِ بْنِ أَسْلَمَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ، أَبُو عَمْرٍو الشَّاعِرُ صَاحِبُ بُثَيْنَةَ، كَانَ قَدْ خَطَبَهَا فَمُنِعَتْ مِنْهُ، فَتَغَزَّلَ فِيهَا وَاشْتَهَرَ بِهَا، وَكَانَ أَحَدَ عُشَّاقِ الْعَرَبِ، كَانَتْ إِقَامَتُهُ بِوَادِي الْقُرَى، وَكَانَ عَفِيفًا صَيِّنًا،
পৃষ্ঠা - ৭২১৭


আমীলেয় অন্য কয়টি পংক্তি এইং ;

ওহে বাছনা ৷ তুমি আমার সাথে অনবরত যে আচরণ করে যাচ্ছ আর আমি যেভাবে ব্যথিত
হচ্ছি ৷ আমার বিরহ ব্যথার বর্ণনা করে যদি আমি কবুতরকে র্কাদাতেচইি, তাহলে কবুতর
আমার জন্যে বগদবে ৷


প্রেম পাগলামিতে আমার সমালোচকেরা সমালোচনা করে তোমার প্রতি আমার আসক্তিই
বৃদ্ধি করেছে ৷ আর আমার বাৱণকারীর সংখ্যা যত বৃদ্ধি হয়েছে আমার প্রেম তত গভীর ও দৃঢ়
হয়েছে ৷

’ : ’ :


দীর্ঘ ৰিছেদ ও দুরত্ব আমাদের মাঝে স্বস্তি সৃষ্টি করেনি ৷ আর দীর্ঘ দিনের সহ অব ন্থান
আমাদের মাঝে বিরক্তির জন্ম দেইনি ৷

ণ্৷ ৷
গ্রিরতম৷ তুমি কি আর না আর মোঃ পাংাশ্কুমারী ষ্র্কুমি কি উপস্ক্কি গ্রাপ্ত পায় না যে,
তোমার মিষ্টি ঢেহারার দর্শন না পেলে আমি ভুষিত, পিপাসা র্ত ঢাতক হয়ে থাকর ?

আমি আশংকা করছি যে, হঠাৎ আমি মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তবে তখরুন৷ আমার হৃদয়ে

তোমার প্রতি ভালবাসা থাকবে যেমন ছিল পুর্বে ৷
জামীল আরো বলেছেন :

া;ব্লুছুৰুা ; ৷
আমি তো তোমাদের গোপন কথাগুলো সংরক্ষণ করি ৷ আমি খুশী হন ৷ আমার ভাল লাগে
তখন যখন তুমি জানতে পার যে, আমার আলোচনা হয় সুনামের সাথে ৷ লোকে আমার সুনাম
করে ৷
তিনি এও বলেছেনং

প্রিয়া তুমি আর আমাকে দেয়া তোমার প্রতিশ্রুতি হলো মেঘের বিদ্যুৎ চমকানাের ন্যায় ৷
যেটি শুধু বিদ্যুৎ চমকায়, বৃষ্টি বর্ষণ করে না ৷
উমাৱ ইবন আবু রাবীআ এর কবিতা উদ্ধৃত করে, করি জামীল বলেছেনং ;



আমি তো গভীর দৃষ্টিতে দেখে দেখে প্রেমিকার গােত্রকে খুজছিলাম ৷ এক পর্যায়ে আমাকে
নিয়ে যাওয়া হয় হাওদাজ বিশিষ্ট এক কুমারীর নিকট ৷


আমি চুপি চুপি তার নিকটবর্তী হলাম ৷ শেষ পর্যন্ত আমি একেবারে গোপন কক্ষে গিয়ে
প্রবেশ করি ৷


دَيِّنًا شَاعِرًا إِسْلَامِيًّا، مِنْ أَفْصَحِ الشُّعَرَاءِ فِي زَمَانِهِ. وَكَانَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ رَاوِيَتَهُ، وَهُوَ يَرْوِي عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَشْرَمٍ، عَنِ الْحُطَيْئَةِ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى، وَابْنِهِ كَعْبٍ. قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ: كَانَ جَمِيلٌ أَشْعَرَ الْعَرَبِ، حَيْثُ يَقُولُ: وَخَبَّرْتُمَانِي أَنَّ تَيْمَاءَ مَنْزِلٌ لِلَيْلَى ... إِذَا مَا الصَّيْفُ أَلْقَى الْمَرَاسِيَا فَهَذِي شُهُورُ الصَّيْفِ عَنَّا قَدِ انْقَضَتْ ... فَمَا لِلنَّوَى تَرْمِي بِلَيْلَى الْمَرَامِيَا وَمِنْهَا قَوْلُهُ: وَمَا زِلْتِ بِي يَا بُثْنُ حَتَّى لَوَ انَّنِي ... مِنَ الشَّوْقِ أَسَتَبْكِي الْحَمَامَ بَكَى لِيَا وَمَا زَادَنِي الْوَاشُونَ إِلَّا صَبَابَةً ... وَلَا كَثْرَةُ النَّاهِينَ إِلَّا تَمَادِيَا وَمَا أَحْدَثَ النَّأْيُ الْمُفَرِّقُ بَيْنَنَا ... سُلُوًّا وَلَا طُولُ اللَّيَالِي تَقَالِيَا أَلَمْ تَعْلَمِي يَا عَذْبَةَ الرِّيقِ أَنَّنِي ... أَظَلُّ إِذَا لَمْ أَلْقَ وَجْهَكِ صَادِيَا لَقَدْ خِفْتُ أَنْ أَلْقَى الْمَنِيَّةَ بَغْتَةً ... وَفِي النَّفْسِ حَاجَاتٌ إِلَيْكِ كَمَا هِيَا وَمِمَّا أَوْرَدَهُ لَهُ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ فِي الْوَفِيَّاتِ قَوْلُهُ:
পৃষ্ঠা - ৭২১৮

জামীলের কবিতা ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন :

সে বলল, আমার ভইিয়ের যিন্দেপীর কলম, আমার পিতার অস্কুগহের কসম, তুমি যদি
বেরিয়ে না আস, তাহলে আমি গোত্রের মধ্যে লুটতরাজ চালিয়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিব ৷

ব্লুপু;ট্রু ঠু ,ট্রুগ্লু£ ;াঠুট্রুা ব্লুা৷
ধ্ আমি আমার মাথা বের করে দিলাম ৷ যাতে সে স্পর্শ দ্বারা বুঝতে পারে যে, এটি আমার
মাথা, আমার চুলগুলাে ছিল এলোম্যেলা, খিযাব লাগানো ৷

আমি বের হলাম তার সম্প্রদায়ের ভয় বক্ষে ধারণ করে ৷ তখন সে হেসে উঠল ৷ আমি
বুঝলাম যে, তার শপথে এখন আর কোন ক্ষতি ৩হবে না ৷
এবার আমি তার মুখে চুমু থেলাম ৷ দু হতে তার চুলের বেণী ধরে ৷ অতংপর
ঠাণ্ডা-শীতল লাল৷ এক চুমুকে পান করলাম ৷
কুছায়িদ্রর আয্যাহ বলেন যে, একদিন বুছায়না-এর প্রেমিক জামীলের সাথে আমার
সাক্ষাত হলো ৷ তিনি আমাকে বললেন, তুমি কােখেকে আসছ ? আমি বললাম, আমি আসছি
এই প্রেমিকার নিকট থেকে ৷ তিনি বললেন, তুমি যা বে কোথায় ? আমি বললাম, যাব তো ওই
প্রেমিকার কাছে ৷ অর্থাৎ আয্যাহ্ এর নিকট ৷ জামীল বললেন, আমি তোমাকে দােহাই দিচ্ছি
যদি তমি বুছায়না র নিকট গিয়ে আমার জন্যে তার সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি এনে না দাও ৷ কারণ,
আমি তাকে দেখেছি গ্রীষ্মকালের শুরুতে ৷ সর্ব শেষ তার সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে ওয়াদীল
কুরা উপত্যকায় ৷ তখন সে আর তার বা দুই জলে একটি কাপড় ধৌত করছিল ৷ অতঃপর আমার
উপস্থিতি দেখে তারা দু’ জনে আমার সাথে গল্প করেছে সন্ধ্য৷ পর্যন্ত ৷

কুছায়ির বলেন, তার অনুরোধে আমি বুছায়নার বাড়ীর দিকে ফিরে বাই ৷ ওদের বাড়ী
গিয়ে বাহন থেকে নামি ৷ আমাকে দেখে তার বাবা বলল, ভাতিজা ! কোন কারণে বাড়ী না গিয়া
এখানে ফিরে এসেছ ? আমি বললাম, আমি কিছু পত্ক্তি রচনা করেছি ওগুলো আপনাকে
শুনানাের জন্যে এসেছি ৷ সে বলল, ওই পংক্তিগুলাে কই ? আমি পংক্তিগুলে৷ উচ্চারণ করতে
লাগলাম ৷ বুছায়না পদার আড়াল থেকে তা শুনছিল ৷

,,,,,,

াচুন্’৷ ট্রু;াছুটুম্ন

আমি তাকে বললাম, ওহে আষ্যাহ, আমার বন্ধু তোমার নিকট একজন বাহক প্রেরণ
করেছে ৷ বাহককে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছে ৷


বাহক প্রেরণ করেছে এই মর্মে যে, তুমি আমার আর তোমার মধ্যে সাক্ষাতের একটি
সময় ও স্থান নির্ধারণ করে দাও ৷ আর তৃমিঙু আমাকে জানিয়ে দাও যে, তখন আমি কি করব ৷




إِنِّي لَأَحْفَظُ غَيْبَكُمْ وَيَسُرُّنِي ... لَوْ تَعْلَمِينَ بِصَالِحٍ أَنْ تَذْكُرِي إِلَى أَنْ قَالَ: مَا أَنْتِ وَالْوَعْدُ الَّذِي تَعِدِينَنِي ... إِلَّا كَبَرْقِ سَحَابَةٍ لَمْ تُمْطِرِ وَقَوْلُهُ - وَرُوِيَ لِعُمَرَ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ فِيمَا نَقَلَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ -: مَا زِلْتُ أَبْغِي الْحَيَّ أَتْبَعُ فَلَّهُمْ ... حَتَّى دُفِعْتُ إِلَى رَبِيبَةِ هَوْدَجِ فَدَنَوْتُ مُخْتَفِيًا أُلِمُّ بِبَيْتِهَا ... حَتَّى وَلَجْتُ إِلَى خَفِيِّ الْمَوْلِجِ قَالَتْ وَعَيْشِ أَخِي وَنِعْمَةِ وَالِدِي ... لَأُنَبِّهَنَّ الْحَيَّ إِنْ لَمْ تَخْرُجِ فَتَنَاوَلَتْ رَأْسِي لِتَعْرِفَ مَسَّهُ ... بِمُخَضَّبِ الْأَطْرَافِ غَيْرِ مُشَنَّجِ فَخَرَجْتُ خِيفَةَ أَهْلِهَا فَتَبَسَّمَتْ ... فَعَلِمْتُ أَنَّ يَمِينَهَا لَمْ تَحَرَّجِ فَلَثَمْتُ فَاهَا آخِذًا بِقُرُونِهَا ... شُرْبَ النَّزِيفِ بِبَرْدِ مَاءِ الْحَشْرَجِ
পৃষ্ঠা - ৭২১৯
قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ: لَقِيَنِي جَمِيلُ بُثَيْنَةَ، فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ؟ فَقُلْتُ: مِنْ عِنْدِ هَذِهِ الْحَبِيبَةِ. فَقَالَ: وَإِلَى أَيْنَ؟ فَقُلْتُ: إِلَى هَذِهِ الْحَبِيبَةِ - يَعْنِي عَزَّةَ - فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا رَجَعْتَ إِلَى بُثَيْنَةَ فَوَاعَدْتَهَا لِي; فَإِنَّ لِي مِنْ أَوَّلِ الصَّيْفِ مَا رَأَيْتُهَا، وَكَانَ آخِرُ عَهْدِي بِهَا بِوَادِي الْقُرَى، وَهِيَ تَغْسِلُ هِيَ وَأُمُّهَا ثَوْبًا، فَتَحَادَثْنَا إِلَى الْغُرُوبِ. قَالَ كُثَيِّرٌ: فَرَجَعْتُ حَتَّى أَنَخْتُ بِهِمْ، فَقَالَ أَبُو بُثَيْنَةَ: مَا رَدَّكَ يَا ابْنَ أَخِي؟ فَقُلْتُ: أَبْيَاتٌ قُلْتُهَا، فَرَجَعْتُ لِأَعْرِضَهَا عَلَيْكَ، فَقَالَ: وَمَا هِيَ؟ فَأَنْشَدْتُهُ، وَبُثَيْنَةُ تَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ: فَقُلْتُ لَهَا يَا عَزُّ أَرْسَلَ صَاحِبِي ... إِلَيْكِ رَسُولًا وَالرَّسُولُ مُوَكَّلُ بِأَنْ تَجْعَلِي بَيْنِي وَبَيْنَكِ مَوْعِدًا ... وَأَنْ تَأْمُرِينِي مَا الَّذِي فِيهِ أَفْعَلُ وَآخِرُ عَهْدِي مِنْكِ يَوْمَ لَقِيتِنِي ... بِأَسْفَلِ وَادِي الدَّوْمِ وَالثَّوْبُ يُغْسَلُ
পৃষ্ঠা - ৭২২০


তোমার সাথে আমার শেষ সাক্ষাত হয়েছিল আল-দাওম উপত্যকায় ৷ যখন একটি কাপ
বৌতঅ করা হচ্ছিল ৷
তঃপর রাতের বেলা বুছায়না তার প্রতিশ্রুত স্থানে আগমন করে ৷ জামীল ও তথায়
উপস্থিত হন ৷ আমি ওদের সাথে ছিলাম ৷ ওই রাতের চাইতে অধিক আনন্দের এবং অধিক
প্রেম ভালবাসার রাত আমি কখনো দেখিনি ৷ ওই মজলিস জমে উঠল, আমি বুঝতে পারলাম
না তাদের দু’ জনের মধ্যে কে তার প্রতিপক্ষের মনের খবর অধিক অবগত ৷

যুবাযব ইবন বাক্কার বর্ণনা করেন আব্বাস ইবন সাহ্ল সাইদী থেকে যে জামীলের মৃত্যুর
সময় তিনি তার নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন, জাযীল তাকে বলেছিলেন, একজন মানুষ যে
আল্লাহ ব্যতীত ইলাহ্ নেই বলে সাক্ষ্য দেয় এবং যে কখনো মদ পান করেনি, ব্যভিচারে লিপ্ত
হয়নি, চুরি করেনি, নরহ্ত্যায় জড়ায়নি তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী ? উত্তরে যুবায়র
বললেন, আমি মনে করি যে মুক্তি পাবে এবং আমি আশা করি যে জ ৷ন্নাত লাভ করবে ৷ তবে
তেমন লোকটি কে ? জামীল বললেন, তেমন লোক হলড়াম আমি ৷ যুবায়র বলেন, আমি তখন
আশ্চর্য হয়ে বললাম ৷ আমি তাে মনে করি না যে, আপনি ওই সব পাপাচা ৷রিত ৷ থেকে পবিত্র
আছেন ৷ অথচ দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত বুছায়না নামের এক মেয়ের প্রেমে আসক্ত হয়ে আপনি
জীবন কাটিয়েছেন ৷

জামীল বললেন, এখন আমি পার্থিব জীবনের শেষ দিনে এবং পরকালীন জীবনের প্রথম
দিনে উপনীত হয়েছি ৷ আমি স্পষ্ট করে বলছি যদি কোন মন্দ উদ্দেশ্যে আমি তার শরীরে
আমার হাত রেখে থাকি তাহলে মুহা স্মদ (সা) এর শাফাআত আমার ভাগ্যে জুটবে না ৷ য়ুবায়র
বলেন, আমরা ওখানে থাকতে থাকতে তিনি মৃত্যুর কোলে চলে পড়লেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি, তার ওফাত হয়েছে মিসরে ৷ কারণ, তিনি এক সময়ে আবদুল
আযীয ইবন মারওয়ানের দরবারে এসেছিলেন ৷ আবদুল আযীয তাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ
করেন এবং বুছায়না-এর সাথে ভালবাসার সম্পর্ক বিষয়ে খোজ খবর নেন ৷ জামীল বলেন,
এখনো তাকে ভীষণভাবে ভালবড়াসি৷ আবদুল আযীয কতক কবিতা ও তার প্রশং সাগীতি
শোনার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন ৷ জামীল কতক কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ আবদুল আযীয তাকে আশ্বাস
দেন যে, বুছায়না এর সাথে তার মিলন ঘটিয়ে দিবেন ৷ বিক্ষ্ম জামীলের মৃত্যু আর সে সুযোগ
দেয়নি ৷ ৮২ সনে জামীলের ওফাত হয় ৷ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করুন ৷

জনৈক ব্যক্তির বরাত দিয়ে আসমাঈ উল্লেখ করেছেন যে, জামীল তাকে বলে গিয়েছিলেন,

তুমি কি বুছায়নার গোত্রের নিকট আমার একটা চিঠি পাঠিয়ে দিতে পারবে ৷ তাহলে তুমি

আমার নিকট যা আছে তা পাবে ৷ লোকটি বলল, হ্যা, পারব ৷ জামীল বললেন, আমি মারা
গেলে তুমি আমার উখ্রীটিতে আরোহণ করবে ৷ আমার এই জামা পরিধান করবে এবং
কতগুলো পৎক্তি ওখানে গিয়ে আবৃত্তি করবে ৷ তার একটি এই ং

শ্ ণ্৷ ষ্ ! # : : ’

ওহে বুছায়না! র্দাড়াও, বিলাপকর, মাতম কর এবং কান্না কর এমন এক বন্ধুর জন্যে, যে
বন্ধু অনন্য অতুলনীয় ৷
বাহক লোকটি বুছায়না এর গোত্রের নিকট গেল এবং নির্ধারিত পৎক্তিগুলো আবৃত্তি করল ৷

পংত্তিল্ম আবৃত্তি শুনে বুছায়না বেরিয়ে এল তার মুখ যেন মেহেদী রাঙানাে পুর্ণিমার চাদ ৷ খুব
দ্রুত বের হয়েছিল সে ৷ ওড়নায় পা পেচিয়ে যাচ্ছিল ৷ সে বলল, তোমার জন্য আফসোসা তুমি


قَالَ: فَضَرَبَتْ بُثَيْنَةُ جَانِبَ خَدْرِهَا، وَقَالَتِ: اخْسَأْ، اخْسَأْ. فَقَالَ أَبُوهَا: مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: كَلْبٌ يَأْتِينَا إِذَا نَامَ النَّاسُ، مِنْ وَرَاءِ الرَّابِيَةِ. ثُمَّ قَالَتْ لِجَارِيَتِهَا: ابْغِينَا مِنَ الدَّوْمَاتِ حَطَبًا لِيُشْوَى بِهِ لِكُثَيِّرٍ شَاةٌ. فَقُلْتُ: أَنَا أَعْجَلُ مِنْ ذَلِكَ. وَانْطَلَقْتُ إِلَى جَمِيلٍ، فَقُلْتُ: مَوْعِدُكُ الدَّوْمَاتُ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ أَقْبَلَتْ بُثَيْنَةُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي وَاعَدَتْهُ إِلَيْهِ، وَجَاءَ جَمِيلٌ، وَكُنْتُ مَعَهُمْ، فَمَا رَأَيْتُ لَيْلَةً أَعْجَبَ مِنْهَا، وَلَا أَحْسَنَ مُنَادِمَاتٍ، وَانْفَضَّ ذَلِكَ الْمَجْلِسُ وَمَا أَدْرِي أَيُّهُمَا أَفْهَمُ لِمَا فِي ضَمِيرِ صَاحِبِهِ مِنْهُ. وَذَكَرَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى جَمِيلٍ وَهُوَ يَمُوتُ فَقَالَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي رَجُلٍ لَمْ يَشْرَبِ الْخَمْرَ قَطُّ، وَلَمْ يَزْنِ قَطُّ، وَلَمْ يَسْرِقْ، وَلَمْ يَقْتُلِ النَّفْسَ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: أَظُنُّهُ قَدْ نَجَا، وَأَرْجُو لَهُ الْجَنَّةَ، فَمَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَنَا. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَظُنُّكَ سَلِمْتَ، وَأَنْتَ تُشَبِّبُ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً بِبُثَيْنَةَ. فَقَالَ: لَا نَالَتْنِي شَفَاعَةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَفِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الْآخِرَةِ وَآخَرِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا إِنْ كُنْتُ
পৃষ্ঠা - ৭২২১
وَضَعْتُ يَدِي عَلَيْهَا بِرِيبَةٍ. قَالَ: فَمَا بَرِحْنَا حَتَّى مَاتَ. قُلْتُ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمِصْرَ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ قَدِمَ عَلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، فَأَكْرَمَهُ وَسَأَلَهُ عَنْ حُبِّهِ بُثَيْنَةَ، فَقَالَ: شَدِيدٌ، وَاسْتَنْشَدَهُ مِنْ أَشْعَارِهِ وَمَدَائِحِهِ فَأَنْشَدَهُ، فَوَعَدَهُ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا، فَعَاجَلَتْهُ الْمَنِيَّةُ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ، رَحِمَهُ اللَّهُ آمِينَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ رَجُلٍ، أَنَّ جَمِيلًا قَالَ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُبْلِغٌ عَنِّي رِسَالَةً إِلَى حَيِّ بُثَيْنَةَ، وَلَكَ مَا عِنْدِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَارْكَبْ نَاقَتِي، وَالْبَسْ حُلَّتِي هَذِهِ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَقُولَ أَبْيَاتًا مِنْهَا قَوْلُهُ: قُومِي بُثَيْنَةَ فَانْدُبِي بِعَوِيلِ ... وَابْكِ خَلِيلًا دُونَ كُلِّ خَلِيلِ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى حَيِّهِمْ أَنْشَدَ الْأَبْيَاتَ، قَالَ: فَخَرَجَتْ بُثَيْنَةُ كَأَنَّهَا بَدْرٌ بَدَا فِي دُجْنَةٍ، وَهِيَ تَتَثَنَّى فِي مَرْطِهَا، فَقَالَتْ لَهُ: وَيْحَكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا فَقَدْ قَتَلْتَنِي، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَقَدْ فَضَحْتَنِي. فَقُلْتُ: بَلَى، وَاللَّهِ صَادِقٌ، وَهَذِهِ حُلَّتُهُ وَنَاقَتُهُ. فَلَمَّا تَحَقَّقَتْ ذَلِكَ صَاحَتْ بِأَعْلَى صَوْتِهَا، وَصَكَّتْ وَجْهَهَا، وَاجْتَمَعَ نِسَاءُ الْحَيِّ إِلَيْهَا يَبْكِينَ مَعَهَا، ثُمَّ صَعِقَتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، ثُمَّ أَفَاقَتْ، وَهِيَ تَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭২২২


যদি সতবােদী হয়ে থাক, তাহলে তৃমি ওই সংবাদ শুনিয়ে আমার মৃত্যু ডেকে এনেছ ৷ আর
তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক, তাহলে এত দ্বারা তুমি আমার ইয্যত নষ্ট করেছ ৷ লোকটি
বলল, আমি তখন বললাম, আল্লাহর কসম, আমি সত্য বলেছি ৷ এই যে তার জ্জা এবং
জামা ৷ বুছায়না যখন নিশ্চিত হলো যে, জামীল মারা গিয়েছেন ৷ তখন সে জামীলের জন্যে
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এবং অনুতাপ ও অনুগােচনায় দগ্ধ হয়ে কতক কবিতা আবৃত্তি করল ৷
তাতে সে এ কথা প্রকাশ করল যে, জামীলকে হারানোর পর তার জীবন এখন নিরানন্দ ও
নিরর্থক ৷ তার জীবনে আর কোন স্বাদ থাকল না ৷ অতঃপর অবিলম্বে তখনই বুছায়না মারা
গেল ৷ বাহক লোকটি বলল, সেদিন আমি জামীল ও বুছায়নাকে যেমন র্কাদতে দেখেছি অন্য
কোন পুরুষ ও রমণীকে কোন দিন তেমন র্কাদতেদেখিনি ৷

ইবন আসাকির জামীল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন দামেস্কে ছিলেন তখন তাকে
কেউ একজন বলেছিল, ওহ্, আপনি যদি কবিতা ছেড়ে কুরআন মুখস্ত করতেন তবে অনেক
ভাল হত ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, হযরত আনাস ইবন মালিক (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে
আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ধ্ষ্ধু;ফু স্পে ৷ ট্রু,প্রু ৷ নিশ্চয়
কোন কোন কবিতায় প্রজ্ঞা রয়েছে)

উনার ইবন উৰায়দুল্লাহ্ (র)

৮২ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন উমার ইবন উবড়ায়দুল্লাহ্ ইবন না যায়
ইবন উসমান আবু হাফস কারশী তামীমী (র) ৷ তিনি সমকালীন সমাজে একজন দানশীল
সেনাপতি ও সজ্রান্ত ব্যক্তিরুপে পরিচিত ছিলেন ৷ তার হাতে বহু নগর-শহর বিজিত হয়েছিল ৷
হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন যুবায়র (রা) এর খিলাফতকালে উমার ইবন উবায়দুল্লাহ্ তার পক্ষে
বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন খ৷ ৷যিমের সাথে মিলে যৌথভাবে তিনি
কাবুল জয় করেন ৷ তিনিই কাতারী ইবন কুজাআহ্কে হত্যা করেছিলেন ৷ হযরত ইবন উমার
(বা), হযরত জাবির (রা) ও অন্যান্যদের থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আত ৷ ইবন
রাহাহ এবং ইবন আওন থেকেও তিনি হ৷ ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি খলীফ৷ আবদুল মালিকের
নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ অতঃপর ৮২ সনে দামেশকে তার মৃত্যু হয় ৷ এ তথ্য দিয়েছেন
মাদাইনী ৷ বর্ণিত আছে যে, একলোক একটি দাসী ক্রয় করেছিল ৷ দাসীটি খুব সুন্দরভাবে
কুরআন পাঠ করত, কবিতা আবৃত্তি করত এবং তার আরো অনেক গুণ ছিল ৷ সােকটি ওই
দাসীকে খুবই ভালবেসেফি৷ ৷ সে তার পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল ৷ এক পর্যায়ে তার সব
সম্পদ শেষ হয়ে সে দেউলিয়৷ হয়ে যায় ৷ ওখন এই দাসী ব্যতীত তার অন্য কোন সম্পদ
অবশিষ্ট থাকল না ৷

একদিন দাসীটি তাকে বলল, আপনার সৈন্য ও অভারের কথা আমি বুঝতে পেয়েছি ৷
আপনি যদি আমাকে বিক্রি করে অর্থ নিজের কাজে ব্যয় করেন তাহলে তা আপনার জন্যে ভাল ণ্
হবে ৷ লোকঢি তার ওই দাসীটি উমার ইবন উবায়দুল্লাহ্ এর নিকট এক লক্ষ দিরহামে বিক্রি
করল ৷ তিনি তখন বসরার শাসনকর্তা ছিলেন ৷ মুল্যগ্রহণ করার পর মালিক নিজেও অনুতপ্ত হল
দাসীছুও অনুতপ্ত হলো ৷ অতঃপর কয়েকটি পংক্তির মাধ্যমে দাসীটি তার মালিককে মনের কথা
বলে ল :

ব্লু,


وَإِنَّ سُلُوِّي عَنْ جَمِيلٍ لِسَاعَةٍ ... مِنَ الدَّهْرِ مَا حَانَتْ وَلَا حَانَ حِينُهَا سَوَاءٌ عَلَيْنَا يَا جَمِيلُ بْنُ مَعْمَرٍ ... إِذَا مُتَّ بَأْسَاءُ الْحَيَاةِ وَلِينُهَا قَالَ الرَّجُلُ: فَمَا رَأَيْتُ أَكْثَرَ بَاكِيًا وَلَا بَاكِيَةً مِنْ يَوْمئِذٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْهُ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ بِدِمَشْقَ: لَوْ تَرَكْتَ الشِّعْرَ وَحَفِظْتَ الْقُرْآنَ؟ فَقَالَ: هَذَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يُخْبِرُنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ لِحِكْمَةً» . عُمَرُ بْنُ عَبِيدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ عُثْمَانَ، أَبُو حَفْصٍ الْقُرَشِيُّ التَّمِيمِيُّ أَحَدُ الْأَجْوَادِ، وَالْأُمَرَاءِ الْأَمْجَادِ، فُتِحَتْ عَلَى يَدَيْهِ بُلْدَانٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ نَائِبًا لِابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَقَدْ فَتَحَ كَابُلَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ قُطْرِيَّ بْنَ الْفُجَاءَةِ. رَوَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ وَغَيْرِهِمَا، وَعَنْهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، وَابْنُ عَوْنٍ. وَوَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَتُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ، قَالَهُ الْمَدَائِنِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৭২২৩


আমাকে বিক্রি করে যে মুল্য আপনি গ্রহণ করলেন তা তো আপনার জন্যে তৃপ্তিকর ও
মজার বব্লুট ৷ কিন্তু আমার হাতে তো এখন দুশ্চিন্তা ও বিরহ ব্যখ৷ ছাড়া কিছুইশ্রু রইল না ৷

আমার আত্মা এখন জীবন-দুংখে জজরিত ৷ আমি সেটিকে বলছি ব্লুয, তুমি দুঃখ বেশী
ভোগ কর, আর কম জীবন সাথী কিন্তু পৃথক হয়ে চলে গিয়েছে ৷


এই সংকট উত্তরব্লুণ তোমার নিকট যখন কোন কৌশল নেই এবং ধৈর্য ধারণ ব্যভীত যখন
কোন উপায় নেই, তখনধৈর্যই ধারণ কর ৷ উত্তরেতার ৷মালিক রললং :

র্ভু১ট্টড্রু:ণ্পুট্ বুওত্র১

যুগ পরিক্রম৷ যদি তােমা র ব্যাপারে আমাকে এই সং কব্লুট না ব্লুফল৩ ,তাহলে মৃত্যু ব্যতীত

অন্য কিছুই আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাব্লুত পারত না ৷ এখন ধৈর্যই ধারণ কর ৷

তোমার ব্লুবদনাদায়ক বিব্লুচ্ছদে আমি বারবার দুঃখ ও অনুতাপে ভুগছি ৷ দীর্ঘ সময় তোমাকে
স্মরণ করে আমি আমার হৃদয়ের সাথে একান্ত আলাপ করছি ৷



ব্লু তামাকে বিদায়ী সালাম ৷ আমাদের মাঝে আর দেখা হবে না ৷ আর মিলন যটবে না যদি
না যা মারের বংশধর উমাব ইচ্ছা করেন ৷
ইবন মা মার যখন দাসীটির প্রেম ভালবাসার কথা শুন,লেন তখন বললেন, আমি কখনো
ভালবাসার পা ৷ত্র পাত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাব না ৷ উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ বেদনা দেখতে পেয়ে
মুল্য বাবদ প্রাপ্ত সব টাকা এবং ওই দাসী দুটোই বিক্রেতাব্লুক দিয়ে দিলেন, ব্লুলাকটি মুল্য বাবদ
প্রাপ্ত দিরহাম এবং ওই দাসী নিয়ে চলে গেল ৷

উমার ইবন উবায়দুল্পাহ্ ইবন মামার ব্লুপ্নগ রোগে আক্রান্ত হয়ে দামেশব্লুক ইনতিকাল
করেন৷ খলীফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান নিজে তার জ নায৷ পড়িয়েছেন এবং তার
লাশের সাথে কবরস্তাব্লুন গিয়ে তার দাফনে উপস্থিত ছিলেন এবং মৃত্যুর পর তার সুনাম
করেছেন ৷ তার একটি পুত্র সন্তান ছিল ৷ তার নাম ছিল তালহ৷ ৷ তিনি কৃরায়শের ব্লুনতন্থানীয়
ব্যক্তি ছিলেন ৷ ফাতিম৷ বিনত কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন জারকে তিনি বিয়ে করেন ৷ ৪০
হাজার দীনার ছিল ওই বিবাহের দেনমােহর ৷ ওই ঘরে তার একপুত্রও এক কন্যা জন্ম নেয় ৷
তারা হলেন ইব্রাহীম এবং রামল৷ ৷ রামলাকে বিয়ে করেন ইসমাঈর্ল ইবন আলী ইবন
আব্বাস (বা) ৷ দেনমােহর নির্ধারিত ছিল এক লক্ষ দীনার ৷

কুমায়ল ইবন যিয়াদ (র)
৮২ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন কুমায়ল ইবন যিয়াদ ইবন নাহীক ইবন
খাযছাম নাখঈ কুফী ৷ তিনি হযরত ৩উমার (রা), উছমান (রা), আলী (রা), ইবন মাসউদ
(বা) এবং আবু হুরায়রা (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হযর ৩আলী (রা) এর পক্ষ
হয়ে সিফ্ফীব্লুনর যুদ্ধে অৎ শ নেন ৷ ড্রি,,নিত্যুঃএক্ললোঃৰুব্লাহসী ও বীর ব্যক্তি ছিলেন ৷ সৎযমী,

وَحُكِيَ أَنَّ رَجُلًا اشْتَرَى جَارِيَةً كَانَتْ تُحْسِنُ الْقُرْآنَ وَالشِّعْرَ وَغَيْرَهُ، فَأَحَبَّهَا حُبًّا شَدِيدًا، وَأَنْفَقَ عَلَيْهَا مَالَهُ كُلَّهُ حَتَّى أَفْلَسَ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ شَيْءٌ سِوَى هَذِهِ الْجَارِيَةِ، فَقَالَتْ لَهُ الْجَارِيَةُ: قَدْ أَرَى مَا بِكَ مِنْ قِلَّةِ الشَّيْءِ، فَلَوْ بِعْتَنِي وَانْتَفَعْتَ بِثَمَنِي صَلُحَ حَالُكَ، فَبَاعَهَا لِعُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ هَذَا - وَهُوَ يَوْمئِذٍ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ - بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمَّا قَبَضَ الْمَالَ نَدِمَ وَنَدِمَتِ الْجَارِيَةُ، فَأَنْشَأَتْ تُخَاطِبُ مَوْلَاهَا الَّذِي بَاعَهَا: هَنِيئًا لَكَ الْمَالُ الَّذِي قَدْ أَخَذْتَهُ ... وَلَمْ يَبْقَ فِي كَفِّي إِلَّا تَفَكُّرِي أَقُولُ لِنَفْسِي وَهِيَ فِي كَرْبِ غَشْيَةٍ ... أَقَلِّي فَقَدْ بَانَ الْخَلِيطُ أَوْ أَكْثَرِي إِذَا لَمْ يَكُنْ فِي الْأَمْرِ عِنْدَكِ حِيلَةٌ ... وَلَمْ تَجِدِي بُدًّا مِنَ الصَّبْرِ فَاصْبِرِي فَأَجَابَهَا سَيِّدُهَا، فَقَالَ: وَلَوْلَا قُعُودُ الدَّهْرِ بِي عَنْكِ لَمْ يَكُنْ ... لِفُرْقَتِنَا شَيْءٌ سِوَى الْمَوْتِ فَاعْذُرِي أَءُوبُ بِحُزْنٍ مِنْ فِرَاقِكِ مُوجِعٍ ... أُنَاجِي بِهِ قَلْبًا طَوِيلَ التَّذَكُّرِ عَلَيْكِ سَلَامٌ لَا زِيَارَةَ بَيْنَنَا ... وَلَا وَصْلَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ ابْنُ مَعْمَرِ فَلَمَّا سَمِعَهُمَا ابْنُ مَعْمَرٍ قَدْ شَبَّبَتْ، قَالَ: وَاللَّهِ لَا فَرَقْتُ بَيْنَ مُحِبَّيْنِ أَبَدًا.
পৃষ্ঠা - ৭২২৪
ثُمَّ أَعْطَاهُ الْمَالَ - وَهُوَ مِائَةُ أَلْفٍ - وَالْجَارِيَةَ; لَمَّا رَأَى مِنْ تَوَجُّعِهِمَا عَلَى فِرَاقِ كُلٍّ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ، فَأَخَذَ الرِّجْلُ الْجَارِيَةَ وَثَمَنَهَا وَانْطَلَقَ. تُوُفِّيَ عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ هَذَا بِدِمَشْقَ بِالطَّاعُونِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَمَشَى فِي جِنَازَتِهِ، وَحَضَرَ دَفْنَهُ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ بَعْدَ مَوْتِهِ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ طَلْحَةُ، وَهُوَ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ، تَزَوَّجَ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى صَدَاقٍ أَرْبَعِينَ أَلْفِ دِينَارٍ، فَأَوْلَدَهَا إِبْرَاهِيمَ وَرَمْلَةَ، فَتَزَوَّجَ رَمْلَةَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَلَى صَدَاقٍ مِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. كُمَيْلُ بْنُ زِيَادِ بْنِ نَهِيكِ بْنِ الْهَيْثَمِ، النَّخَعِيُّ الْكُوفِيُّ رَوَى عَنْ عُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَشَهِدَ مَعَ عَلَيٍّ صِفِّينَ، وَكَانَ شُجَاعًا فَاتِكًا، وَزَاهِدًا عَابِدًا، قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، - وَقَدْ عَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ - قَتَلَهُ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَإِنَّمَا نَقَمَ عَلَيْهِ; لِأَنَّهُ طَلَبَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الْقِصَاصَ مِنْ لَطْمَةٍ لَطَمَهَا إِيَّاهُ، فَلَمَّا أَمْكَنَهُ عُثْمَانُ مِنْ نَفْسِهِ عَفَا عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: أَوَ مِثْلُكَ يَسْأَلُ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْقِصَاصَ؟ ثُمَّ أَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৭২২৫

পরহেযগার ও ইবাদতকারী মানুষ ছিলেন ৷ এই সনে হাজ্জাজ তাকে হত্যা করে ৷ তিনি ১০০
বৎসর বেচে ছিলেন ৷ ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে হাজ্জাজ তাকে হত্যা করে ৷ কারণ, এক
সময় হযরত উছমান (রা) তাকে একটি চড় যেরেছিলেন এবং তিনি ওই চড়ের বদলা দাবী
করেছিলেন ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল হড়াজ্জাজ ৷ অবশ্য হযরত উছমড়ান (বা) পরে কুমায়লকে
সুযোগ দিয়েছিলেন যে, এখন তুমি তোমার প্রতিশোধ নাও ৷ কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পর কুমায়ল
হযরত উছমানকে (রা) ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ৷ প্রতিশোধ নেননি ৷ হাজ্জাজ র্তাকে বলেছিল,
, তোমার মত সেকে আর্মীরুন মু’মিনীনের নিকট প্রতিশোধ দাবী করতে পারে ? এরপর
হাজ্জাজের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয় ৷

ঐতিহাসিকপণ বলেছেন যে, এই প্রেক্ষাপটে একদিন হাজ্জাজ হযরত আলী (রা)-এর
প্রসঙ্গ আলোচনা করে ৷ সে হযরত আলী (রা)-এর সুনাম ও সমালোচনা করে ৷ আর কুমড়ায়ল
হযরত আলীর (রা) জন্যে দুআ করেন ৷ তাতে হাজ্জাজ আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয় ৷ হাজ্জাজ
বলেছিল, আমি তোমার নিকট এমন লোক পাঠাব তুমি আলী (রা)-কে যত বেশী মহব্বত
কর যে তাকে তার চাইতে বেশী ঘৃণা করে ৷ অতঃপর সে ইবন আছহামকে তীর নিকট পাঠায় ৷
ইবন আহহাম ছিল হিমস নগরীর লোক ৷ কেউ বলেছেন, এই পর্যায়ে হাজ্জাজ পড়াঠিয়েছিল্ আবু
জাহান ইবন কিনানাকে ৷ সে হযরত কুমায়লকে (র) হত্যা করে ৷

বহু তাবেঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আলী (রা)-এর একটি সুন্দর বাণী

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

পাত্র স্বরুপ ৷ সুতরাং যে অম্ভর যত বেশী সংরক্ষণকারী হবে সৈটি তে বেশী উত্তম বলে
বিবেচিত হবে ৷ এটি একটি দীর্ঘ হাদীস বটে ৷ বহু আস্থাভাজন হাফিয-ই হাদীস এটি বর্ণনা
করেছেন ৷ সেটিতে বহু নসীহত এবং উপদেশ রয়েছে ৷ যিনি এ বক্তব্য পেশ করেছেন মহান
আল্লাহ্ তার প্রতি সভুষ্ট হোন ৷

যাযান আবু আমর আন কিন্দী (র)

এই সনে যাদের ইন্তিকাল হয় তাদের অন্যতম হলেন যাযান আবু আমর আল কিন্দী
(র) ৷ তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের তাবেঈ ছিলেন ৷ জীবনের প্রথম যুগে তিনি নেশা পান
করতেন এবং তড়ানপুরা বাজাতেন ৷ অতঃপর মহান আল্পাহ্ হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন মাসউদের
হাতে তাকে তাওবার সুযোগ দেন ৷ এরপর তিনি সত্য ও ন্যায়ের প্রতি ফিরে আসেন ৷ তার
মনে প্রচণ্ড আল্লাহ্ডীতি জন্ম নেয় ৷ নামাযে দীড়ালে মনে হত যেন একটি কাষ্ঠখণ্ড ৷

যির্র ইৰ্নহ্ৰায়শ (র)

ইতিহাসবিদ খলীফা বলেছেন যে, এই সনে যির্র ইবন হুবড়ায়শের ইনৃতিকাল হয় ৷ তিনি
হযরত আইশা (না) এবং হযরত ইবন মাসউদ (রা)-এর শিষ্য ছিলেন ৷ ১২০ বৎসর বয়সে
তার ইনতিকাল হয় ৷ আবু উৰারদ বলেছেন যে, তার মৃত্যু হয়েছে ৮১ সনে ৷ তার জীবনী
আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা করেছি তার পরম বন্ধু আবু ওয়াইল শাকীক ইবন সালামার
জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে ৷ তিনি ৮২ সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি জাহেলী যুগের সাত বৎসর
পেয়েছিলেন ৷ রাসুঙ্গুন্নাহ্ (সা) এর ঙ্গীৰুলোঃঢুহুয় তিনি সলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷

০াড়া

وَذَكَرَ الْحَجَّاجُ عَلِيًّا فِي غُبُونِ ذَلِكَ فَنَالَ مِنْهُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ كُمَيْلٌ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: وَاللَّهِ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكَ مَنْ يُبْغِضُ عَلِيًّا أَكْثَرَ مِمَّا تُحِبُّهُ أَنْتَ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ ابْنَ أَدْهَمَ، وَكَانَ مِنْ أَهْلِ حِمْصَ، وَيُقَالُ: أَبَا الْجَهْمِ بْنَ كِنَانَةَ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ. وَقَدْ رَوَى عَنْ كُمَيْلٍ جَمَاعَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَلَهُ الْأَثَرُ الْمَشْهُورُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الَّذِي أَوَّلُهُ: الْقُلُوبُ أَوْعِيَةٌ، فَخَيْرُهَا أَوْعَاهَا. وَهُوَ طَوِيلٌ، قَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْحُفَّاظِ الثِّقَاتِ، وَفِيهِ مَوَاعِظُ وَكَلَامٌ حَسَنٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ قَائِلِهِ. زَاذَانُ أَبُو عَمْرٍو الْكِنْدِيُّ أَحَدُ التَّابِعِينَ، كَانَ أَوَّلًا يَشْرَبُ الْمُسْكِرَ وَيَضْرِبُ بِالطُّنْبُورِ، فَرَزَقَهُ اللَّهُ التَّوْبَةَ عَلَى يَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَحَصَلَتْ لَهُ إِنَابَةٌ وَرُجُوعٌ إِلَى الْحَقِّ، وَخَشْيَةٌ شَدِيدَةٌ، حَتَّى كَانَ فِي الصَّلَاةِ كَأَنَّهُ خَشَبَةٌ. وَقَالَ مَرَّةً: إِنِّي جَائِعٌ. فَنَزَلَ عَلَيْهِ مِنَ الرَّوْزَنَةِ رَغِيفٌ مِثْلُ الرَّحَا. وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ ابْنِ مَعِينٍ وَغَيْرِهِ. قَالَ خَلِيفَةُ: تُوَفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ. قَالَ خَلِيفَةُ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ، أَحَدُ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭২২৬
وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهِ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: مَاتَ سَنَةَ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ لَهُ تَرْجَمَةٌ. وَشَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ أَبُو وَائِلٍ أَدْرَكَ مِنْ زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ سَبْعَ سِنِينَ، وَأَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أُمُّ الدَّرْدَاءِ الصُّغْرَى اسْمُهَا هُجَيْمَةُ، وَيُقَالُ: جُهَيْمَةُ، تَابِعِيَّةٌ عَابِدَةٌ عَالِمَةٌ فَقِيهَةٌ، كَانَ الرِّجَالُ يَقْرَءُونَ عَلَيْهَا وَيَتَفَقَّهُونَ فِي الْحَائِطِ الشَّمَالِيِّ بِجَامِعِ دِمَشْقَ وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ يَجْلِسُ فِي حَلْقَتِهَا مَعَ الْمُتَفَقِّهَةِ، يَشْتَغِلُ عَلَيْهَا وَهُوَ خَلِيفَةٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.