আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وثمانين

وقعة دير الجماجم

পৃষ্ঠা - ৭২০৮


ও দুনিয়া রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাও ৷ সাঈদ ইবন জুরায়রও এরুপ বলতে থাকেন ৷ শাবী
বলেছিলেন যে, ওরা নিজেদের সৈন্যদেরকে বলছিল ওদের যুলুমের বিরুদ্ধে, দুর্কাদেরকে
অপদংষ্ক করার বিরুদ্ধে এবং নামাষে অবহেলার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাওা-শুএরপর
আলিমগণ নিজেরাও হাজ্জাজ বাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন ৷ প্রচণ্ড সাহ্সিকতা
নিয়ে তারা হামলা চালান ৷ তারা প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ৷ তারপর ফিরে আসে ৷ হঠাৎ
তারা তাদের নেতা জবােল্পাহ্ ইবন যাহাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে পান ৷ এতে তারা ভয়
পেয়ে যান ৷ তখনই হাজ্জাজের সৈন্যরা চীৎকার দিয়ে বলে উঠে, ওহে আল্লাহর শত্রুগণ, এই
যে, তােদের নেতাকে আমরা হত্যা করে ফেলেছি ৷ এর পরই হাজ্জাজের অশ্ববাহিনীর প্রধান
সেনাপতি সুফয়ান ইবন আবরাদ আশআছের নাম ইউনিটের উপর ,হামলা চালায় ৷ ওই
ইউনিটের দায়িত্বে ছিল আবরাদ ইবন মুররাহ তায়মী ৷ ভাল সামলাতে না পেরে আশআছ
বাহিনী পরাজয় বরণ করল ৷ তারা এ সময়ে খুব একটা যুদ্ধ করেনি ৷ সাধারণ সৈনিকেরা বাম
ইউনিটের এই দায়িতুহীনতার সমালোচনা করে ৷ মুলতঃ ইবন আশআছের বাম ইউনিটের এই
সেনাপতি আবরাদ ছিল একজন সাহসী ও দক্ষ সৈনিক ৷ সে পালিয়ে যাবার লোক ছিল না ৷
সবাই ধারণা করে যে, সে তখন অপ্রকৃতিস্থ ও অস্বাভাবিক অবন্থায় ন্ছিল ৷ বাম ইউনিটের
পরাজয়ের পর অবশিষ্ট সৈন্যদের মধ্যে বিশৃৎখলা দেখা দেয় ৷ সারিগুলো ভেঙ্গে যায় ৷ সৈন্যদের
একদল অপর দলের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে ৷ ইবন আশআছ সৈন্যদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতে
উৎসাহিত করছিলেন ৷ কিন্তু সৈনিকদের বিশৃত্খল অবস্থা দেখে তিনি তার অনুসারীদেরকে নিয়ে
পেছনে সরে যান এবং সরাসরি কুফা নগরীতে গিয়ে পৌছেন ৷ অতঃপর কুফার নাগরিকগণ
তাকে খলীফা মনোনীত করে তার হাতে ৰায়আত করে ৷ এবং এরপর এই বৎসর শাবান মাসে
জামাজিম মঠের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷

জামাজিম মঠের যুদ্ধ
ওয়াকিদী বলেন যে, ইবনুল আশআছ অতঃপর কুফা অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তার আগমনে
স্বাগত জানানোর জন্যে হাজার হাজার কুফাবাসী পথে বেরিয়ে আসে ৷ তাকে অভিনন্দন জানায় ৷
এবং তার সম্মুখে এসে সংহতি প্রকাশ করে ৷ অবশ্য হাজ্জাজের নিযুক্ত শাসনকর্তা মাতার ইবন
নাহিয়ার নেতৃত্বে অল্প কতক লোক তাকে বাধা দেয়ার এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার চেষ্টা
করেজ্জি ৷ তারা তাতে সক্ষম হয়নি ৷ ফলে তারা সরকারী প্রাসাদে ফিরে যায় ৷
ইবন আশআছ কুফার প্রবেশ করে কতগুলো মই ও সিড়ি আনার নির্দেশ দেন ৷ ওগুলো
স্থাপন করা হয় প্রশাসনিক ভবনে ৷ অতঃপর সিড়ি রেয়ে ভবনে ঢুকে শাসনকর্তা মাতার ইবন
নাজিয়াকে টেনে নামিয়ে আনা হয় ৷ ইবনুল আশআছ তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে
ধ্ করজােড়ে মিনতি করে বলল, আমাকে মারবেন না, আমাকে বীচিয়ে রাখুন ৷ আপনার
অশ্বারােহী সৈনিকদের চাইতে আমি অধিকতর দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৷ আমি আপনার পক্ষে কাজ
করব ৷ তাকে বন্দী করে রাখা হল ৷ এরপর ইবনুল আশআছ তাকে ডেকে আসে এবং বন্দীদশা
থেকে যুক্তি দেন ৷ তাকে ইবনুল আশআছের পক্ষে কুফার শাসন ক্ষমতা দৃঢ় করার নির্দেশ দেয়া
হয় বসরা থেকে যারা এসেছিল তারাও তার সাথে যোগ দেয় ৷ বসরা থেকে যারা এসেছিল
তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবদুর রহমান ইবন আব্বাস ইবন রারীআ ইবন আবদুল
যুত্তালিব ৷ ইবন আশআছ সকলদিকে সশস্ত্র পাহারা বসানাের জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ অতঃপর
সকল রাজপথ, সড়কপথ এবং গলিপথে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হল ৷


بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَكَانَ ابْنُ الْأَشْعَثِ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى الْقِتَالِ، فَلَمَّا رَأَى مَا النَّاسُ فِيهِ أَخَذَ مَنِ اتَّبَعَهُ وَذَهَبَ إِلَى الْكُوفَةِ، فَبَايَعَهُ أَهْلُهَا. [وَقْعَةُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ] ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَذَلِكَ أَنَّ ابْنَ الْأَشْعَثِ لَمَّا قَصَدَ الْكُوفَةَ خَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا، فَتَلَقَّوْهُ، وَحَفَوْا بِهِ، وَدَخَلُوا بَيْنَ يَدَيْهِ، غَيْرَ أَنَّ شِرْذِمَةً قَلِيلَةً أَرَادَتْ أَنْ تُقَاتِلَهُ دُونَ مَطَرِ بْنِ نَاجِيَةَ نَائِبِ الْحَجَّاجِ، فَلَمْ يُمَكِّنْهُمْ مِنْ ذَلِكَ، فَعَدَلُوا إِلَى الْقَصْرِ، فَلَمَّا وَصَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ إِلَى الْكُوفَةِ أَمَرَ بِالسَّلَالِيمِ فَنُصِبَتْ عَلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَأَخَذَهُ، وَاسْتَنْزَلَ مَطَرَ بْنَ نَاجِيَةَ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ، فَقَالَ لَهُ: اسْتَبْقِنِي; فَإِنِّي خَيْرٌ مِنْ فُرْسَانِكَ. فَحَبَسَهُ، ثُمَّ اسْتَدْعَاهُ فَأَطْلَقَهُ وَبَايَعَهُ، وَاسْتَوْثَقَ لِابْنِ الْأَشْعَثِ أَمْرُ الْكُوفَةِ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِ مَنْ جَاءَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ مِمَّنْ قَدِمَ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَمَرَ بِالْمَسَالِحِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَحُفِظَتِ الثُّغُورُ وَالطُّرُقُ وَالْمَسَالِكُ. ثُمَّ إِنَّ الْحَجَّاجَ رَكِبَ فَيْمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ الشَّامِيَّةِ مِنَ الْبَصْرَةِ فِي الْبَرِّ، حَتَّى مَرَّ بَيْنَ الْقَادِسِيَّةِ وَالْعُذَيْبِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُ الْأَشْعَثِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْعَبَّاسِ فِي خَيْلٍ عَظِيمَةٍ مِنَ الْمَصْرَيْنِ، فَمَنَعُوا الْحَجَّاجَ مِنْ نُزُولِ الْقَادِسِيَّةِ، فَسَارَ الْحَجَّاجُ حَتَّى نَزَلَ دَيْرَ قُرَّةَ، وَجَاءَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ الْبَصْرِيَّةِ وَالْكُوفِيَّةِ حَتَّى نَزَلَ دَيْرَ الْجَمَاجِمِ، وَمَعَهُ جُنُودٌ كَثِيرَةٌ، وَفِيهِمُ الْقُرَّاءُ مِنَ الْمِصْرَيْنِ، وَخَلْقٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭২০৯

ওদিকে হাজ্জাজ তার সিরীয় সৈন্যদেরকে নিয়ে ইবনুল আশআছের মুকাবিলা করার জংন্য
ম্পো বসরা থেকে যাত্রা করে ৷ সে যখন কাদিসিয়া এবং আযীব ফ্লোর মাঝামাঝি স্থানে
এসে পৌছে, তখন ইবনুল আশআছ আবদুর রহমান ইবন আব্বাসকে একদল মিসরীয় বিরাট
অশ্বারােহী বাহিনীর সেনাপতি বানিয়ে হাজ্জাজকেবাধা দেয়ার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তারা
হাজ্জাজকে কাদেসিয়া প্রাম্ভার বাধা দেয় ৷ ফলে সে কাররাহ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে ৷
ইবনুল আশআছ তার বসরী ও কুফী নাগরিক সমন্বয়ে গঠিত বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে
অগ্রসর হন ৷ তারা জামাজিম মঠসংলগ্ন প্রাস্তরে এসে শিবির স্থাপন করে ৷ তার সাথে তখন বহু
সৈন্য ৷ তাদের মধ্যে অনেক কিরআত বিশেষজ্ঞ কারী এবং সৎকর্মশীল-নেককার মানুষ ছিলেন ৷
ইবনুল আশআছ জামাজিম প্রাম্ভরে অবস্থান নিয়েছে এই সংবাদ শুনে হাজ্জাজ বলেছিল, মহান
আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করুন, আমি কাররাহ প্রাত্তার অবস্থান করছি ৷ আমাকে দেখে কি পক্ষীকুল
পালিয়ে যায়নি ? সে আবার জামাজিম প্রাস্তরে গিয়ে অবস্থান নিল কেন ?
ইবনুল আশআছের সাথে বেতনভােগী সৈনিক ছিল এক লক্ষ ৷ আর এক লক্ষের মত ছিল
মাওরালী বা নও মুসলিম ৷
এই সময়ে সিরিয়া থেকে হাজ্জাজের নিকট প্রচুর সেনা সাহায্য আসে ৷ উভয় পক্ষ
নিজেদের চারিপাশে পরিখা খনন করে ৷ যাতে প্রতিপক্ষ নিজেদের সীমানায় প্রবেশ করতে না
পারে ৷ তবে প্রতিদিন উভয়পহ্মে খণ্ডযুদ্ধ চলছিল ৷ যার ফলে যুদ্ধের গতি দিনে দিনে তীব্লতব্ল
হজ্জি ৷ ফুলে বহু নেতৃস্থানীয় কুরায়শী লোক নিহত হয় ৷ দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকে ৷
খলীফ্৷ আব্দ্যুণ্ব্ মালিবেল্ম উপদেষ্টাগণ তার সাথে পরামর্শ সভায় মিলিত হয়েছিল ৷ তারা প্রস্তাব
করেকাি যে, ইরাকী জনগণ যদি হাজ্জাজাক বরখাস্ত করলে সন্তুষ্ট হয়ে কেত্রীয় সরকারের হাতি
অনুগত হয় তাহলে দীর্ঘ যুদ্ধ ও প্রচুররক্তক্ষয়ের চাইতে তা করাই ভাল ৷
খলীফা আবদুল মালিক তাহার ডাই মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান এবং তার পুত্র আবদুল্লাহ
ইবন আবদুল মালিককে ড়াকলেন, তাদের সাথে ছিল বহু যোদ্ধা সৈনিক ৷ খলীফা তাদ্যো
মাধ্যমে ইরার্কীদ্যো নিকট এই মর্মে একটি চিঠি পাঠালেন যে, হাজ্জাজকে অপসারণ করলে
তোমরা যদি খুশী হও তাহালে আমি তাকে বরখাস্ত করব ৷ তোমাদের জন্যে বরদ্দকৃত ভাতা
আমি নিয়মিত সরবরাহ করব ৷ যেমনটি সিরীয়দেরকে সরবরাহ করি ৷ ইবনুল আশআছ যে
কোন রাজ্যের শাসনকর্তা হতে চাইবে তাকে ওই পদে নিয়োগ দিব এবং আমি যতদিন জীবিত
থাকি এবং সে যতদিন জীবিত থাকবে ওই পদে বহাল থাকবে ৷ আমার তইি মুহাম্মদ ইবন
মারওয়ান ইরাকের শাসনকর্তার দায়িতু পালন করবে ৷ এই শর্তে তারা রাযী হলে তা করা
হবে ৷ আর যদি তার তা না মানে তাহলে হাজ্জাজ যে প্াদে আছে সে পদে থাকবে এয়ুযুভৈদ্ধর
সৰ্বাধিনায়ক সে-ই থাকবে ৷ মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ও আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল মালিক তার
অধীনে কাজ করবে ৷ যুদ্ধের ব্যাপারে কিত্বা অন্য কোন ব্যাপারে তার সিদ্ধাত্তেট্রুর বাইরে তাদের

কিছু বলার থাকবে না ৷

খলীফা আবদুল মালিকের পাঠানো চিঠির মর্ম অনুযায়ী ইরাকীদেব্সম্মতির প্রেক্ষিতে
হাজ্জাজের পদচ্যুতি সম্পৃর্কিত বিষয় অবগতি হবার পর হাজ্জাজ দারুণভাবে চিস্তিত হয়ে পড়ে ৷
সে ভীষণভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ হাজ্জাজ তখন খলীফাকে লিখে “হে আমীরল্ল মু’মিনীনৰু
ইরাকীদের সম্মতিঃ৷ ভিত্তিতে আপনি যদি আমাকে অপসারণ করেন, তাহলে অল্পদিন পরেই ওরা
পুনরায় আপনার বিরোধিতা করবে এবং আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে ৷ আপনার এই
পদক্ষেপ ওদের শুধু দু৪সাহস-ই বৃদ্ধি করবে ৷ একথা কি আপনি শুনেননি যে, ইৱাকীরা


الصَّالِحِينَ، وَكَانَ الْحَجَّاجُ بَعْدَ ذَلِكَ يَقُولُ: قَاتَلَ اللَّهُ ابْنَ الْأَشْعَثِ، أَمَا كَانَ يَزْجُرُ الطَّيْرَ حَيْثُ رَآنِي قَدْ نَزَلْتُ دَيْرَ قُرَّةَ، وَنَزَلَ هُوَ بِدَيْرِ الْجَمَاجِمِ. وَكَانَ جُمْلَةُ مَنِ اجْتَمَعَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ مِائَةُ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، مِمَّنْ يَأْخُذُ الْعَطَاءَ، وَمَعَهُمْ مِثْلُهُمْ مِنْ مَوَالِيهِمْ، وَقَدِمَ عَلَى الْحَجَّاجِ فِي غُبُونِ ذَلِكَ أَمْدَادٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الشَّامِ، وَخَنْدَقَ كُلٌّ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ عَلَى نَفْسِهِ وَحَوْلَ جَيْشِهِ خَنْدَقًا، يُمْتَنَعُ بِهِ مِنَ الْوُصُولِ إِلَيْهِمْ، غَيْرَ أَنَّ النَّاسَ كَانَ يَبْرُزُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ فَيَقْتَتِلُونَ قِتَالًا شَدِيدًا فِي كُلِّ يَوْمٍ، حَتَّى أُصِيبَ مِنْ رُءُوسِ النَّاسِ خَلْقٌ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، وَاسْتَمَرَّ هَذَا الْحَالُ مُدَّةً طَوِيلَةً، وَاجْتَمَعَ الْأُمَرَاءُ مِنْ أَهْلِ الْمَشُورَةِ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، فَقَالُوا لَهُ: إِنْ كَانَ أَهْلُ الْعِرَاقِ يُرْضِيهِمْ مِنْكَ أَنْ تَعْزِلَ عَنْهُمُ الْحَجَّاجَ فَهُوَ أَيْسَرُ مِنْ قِتَالِهِمْ وَسَفْكِ دِمَائِهِمْ، فَاسْتَحْضَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ عِنْدَ ذَلِكَ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ، وَابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَمَعَهُمَا جُنُودٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَكَتَبَ مَعَهُمَا كِتَابًا إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ يَقُولُ لَهُمْ: إِنْ كَانَ يُرْضِيكُمْ مِنِّي عَزْلُ الْحَجَّاجِ عَنْكُمْ عَزَلْتُهُ، وَأَبْقَيْتُ عَلَيْكُمْ أُعْطِيَّاتِكُمْ مِثْلَ أَهْلِ الشَّامِ، وَلْيَخْتَرِ ابْنُ الْأَشْعَثِ أَيَّ بَلَدٍ شَاءَ يَكُونُ عَلَيْهِ أَمِيرًا مَا عَاشَ وَعِشْتُ، وَتَكُونُ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ. وَقَالَ فِي عَهْدِهِ هَذَا: فَإِنْ لَمْ يُجِبْ أَهْلُ الْعِرَاقِ إِلَى ذَلِكَ فَالْحَجَّاجُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ، وَإِلَيْهِ إِمْرَةُ الْحَرْبِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي طَاعَتِهِ وَتَحْتَ أَمْرِهِ، لَا يَخْرُجُونَ
পৃষ্ঠা - ৭২১০

আশতার নাখঈ-এর সাথী হয়ে হযরত উছমান (রা)-এর সম্মুখে বিক্ষোভ করেছিল ? হযরত
উছমান (রা) বলেছিলেন, তোমরা কি চাও ? তারা বলেহ্নিা, সাঈদ ইবনুল আস-এর- অপসারণ
চাই ৷ তিনি সাঈদ ইবনুল আসকে অপসারণ করলেন ৷ এরপর বৎসর না যেতেই তারা তার
উপর বাপিয়ে পড়ল ৷ শেষ পর্যন্ত তারা তাকে হত্যা করল ৷ লোহা সোজা করার জন্যে ণ্ লাহারই
প্রয়োজন ৷ আপনার অভিমতের ব্যাপারে আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন ৷ ওয়াসৃ সালা মু
আলায়কা ৷
খলীফা আবদুল মালিক তার পুর্বে ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবিচল থাকলেন ৷
ইরাকীদেৱ নিকট পুর্বোল্লিখিত প্রস্তাবগুলো পেশ করার ব্যাপারে অটল থাকলেন ৷ তার সিদ্ধান্ত
অনুসারে আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মালিক এবং মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান খলীফার পক্ষে
ইরাকীদেৱ নিকট এগিয়ে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ ঘোষণা দিয়ে বললেন, ওহে ইরাকী জনগণ !
আমি আবক্তোহ্, আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিবেল্ম পুত্র ৷ তিনি আপনাদের প্রতি এই এই
প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ৷ আবদুল মালিক যা যা পাঠিয়েছো তার সবগুলো তিনি উল্লেখ করলেন ৷
এরপর মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান বললেন, আমি আমার ভাই আমীরুল মু’মিনীন আবদুল
মালিকের পক্ষে আপনাদের প্রতি দুত রুপে এসেছি ৷ তিনি আপনাদের সমীপে এই এই প্রস্তাব
পাঠিয়েছেন ৷
রাকীরা বলল, আজ সকালবেলা আমরা ওই সব পর্যালোচনা করব এবং সন্ধ্যায়
আমাদের অভিমত আপনাদেরাক জানার ৷ ওরা চলে গেল ৷ ইবনুল আশআছ তার সকল
সেনাপতি :ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সভা আহ্বান করে ৷ তারা সকলে সমবেত হলো ৷ ইবনুল
আশআছ র্দাড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে খলীফার দেয়৷ প্রস্তাব
গ্রহণের আহ্বান জানালেন ৷ তিনি জানালেন, খলীফ৷ <;তাজার প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে
হাজ্জাজকে ইরাক থেকে অপসারণ, সরকারী ভাতা সরবরাহ এবং হাজ্জাজের পরিবর্তে মুহাম্মদ
ইবন মারওয়ানকে ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দিয়োছা ৷ র্তারআহ্বান্বেয় সাথে সাথে
চারিদিক থেকে লোকজন র্দাড়িয়ে গেল এবং প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলল, না, আল্লাহর কসম,
আমরা এটা গ্রহণ করব না ৷ এখন আমরা সােকবল ও অস্ত্রবলে অধিকতর বলীয়ান ৷ ওদের
অবস্থা সংকটমর ৷ আমরা ওদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছি ৷ ওরা আমাদের প্রতি অবনত
হয়েছে ৷ আল্লাহর কলম! আমরা এ সকল প্রস্তাব কখনো মেনে নেব না ৷ এরপর তারা পুনরায়
খলীফা আবদুল মালিক ও তার প্রতিনিধি হাজ্জাজের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়
এবং এই বিষয়ে তারা সকলে একমত হয় ৷ যথা সময়ে এই সংবাদ খলীফা পুত্র আবদুল্লাহ্
এবং তার চাচা মুহাম্মদের নিকট পৌছে ৷ তারা হাজ্জাজকে বলেন, এবার আপনি ওদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিতে পারেন ৷ খলীফার নির্দেশ অনুযায়ী এখন আমরা আপনার অনুগত থাকর ও ং
আপনার নির্দেশ পালন করে যার ৷ এরপর হাজ্জাজেব সাথে দেখা হলে তারা তাকে শাসনকর্তা
সুলভ অভিবাদন জানালেন ৷ সেও শাসনকর্তা সুলভ উত্তর দেয় ৷ হাজ্জাজ পুনরায় যুদ্ধের
সবপ্লিনায়্কতৃ গ্রহণ করে ৷ পুর্বের মত যুদ্ধের পরিকল্পনা করতে থাকে ৷

এ সময়ে উভয় দল যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মুখোমুখি হয় ৷ হাজ্জাজ তার সেনাবাহিনীর ডান ,
ইউনিটের সেনাপতি নিয়োগ করে আবদুর রহমান ইবন সুলায়মানকে ৷ বাম ইউনিটের
সেনাপতিতৃ দেয় আম্মারাহ ইবন তামীম লাখমীকে অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করে
সুফ্য়ান ইবন আবরাদকে ৷ আর পদাতিক বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত করে আবদুর রহমান
ইবন হাবীব হাকামীকে ৷ ইবন আশআছ তার ডান ইউনািটৱ দায়িত্ব দেন হাজ্জাজ ইবন


عَنْ رَأْيِهِ فِي الْحَرْبِ وَغَيْرِهِ. وَلَمَّا بَلَغَ الْحَجَّاجَ مَا كَتَبَ بِهِ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ عَزْلِهِ إِنْ رَضُوا بِهِ، شَقَّ عَلَيْهِ ذَلِكَ مَشَقَّةً عَظِيمَةً جِدًّا، وَعَظُمَ شَأْنُ هَذَا الرَّأْيِ عِنْدَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَ أَهْلَ الْعِرَاقِ نَزْعِي عَنْهُمْ لَا يَلْبَثُونَ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى يُخَالِفُوكَ وَيَسِيرُوا إِلَيْكَ، وَلَا يَزِيدُهُمْ ذَلِكَ إِلَّا جُرْأَةً عَلَيْكَ، أَلَمْ تَرَ وَتَسْمَعْ بِوُثُوبِ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَعَ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ عَلَى ابْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا سَأَلَهُمْ: مَا تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: نَزْعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَلَمَّا نَزَعَهُ لَمْ تَتِمَّ لَهُمُ السَّنَةُ حَتَّى سَارُوا إِلَيْهِ فَقَتَلُوهُ؟ وَإِنَّ الْحَدِيدَ بِالْحَدِيدِ يُفْلَحُ، كَانَ اللَّهُ لَكَ فِيمَا ارْتَأَيْتَ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. قَالَ: فَأَبَى عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَّا عَرْضَ هَذِهِ الْخِصَالِ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ كَمَا أَمَرَ، فَتَقَدَّمَ عَبْدُ اللَّهِ وَمُحَمَّدٌ، فَنَادَى عَبْدُ اللَّهِ: يَا مَعْشَرَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكُمْ كَيْتَ وَكَيْتَ، فَذَكَرَ مَا كَتَبَ بِهِ أَبُوهُ مَعَهُ إِلَيْهِمْ مِنْ هَذِهِ الْخِصَالِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ: وَأَنَا رَسُولُ أَخِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَيْكُمْ بِذَلِكَ. فَقَالُوا: نَنْظُرُ فِي أَمْرِنَا غَدًا، وَنَرُدُّ عَلَيْكُمُ الْخَبَرَ عَشِيَّةً، ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَاجْتَمَعَ جَمِيعُ الْأُمَرَاءِ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا،
পৃষ্ঠা - ৭২১১
وَنَدَبَهُمْ إِلَى قَبُولِ مَا عَرَضَ عَلَيْهِمْ مِنْ عَزْلِ الْحَجَّاجِ عَنْهُمْ، وَبَيْعَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَإِبْقَاءِ الْأُعْطِيَّاتِ، وَإِمْرَةِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ عَلَى الْعِرَاقِ بَدَلَ الْحَجَّاجِ. فَنَفَرَ النَّاسُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَقْبَلُ ذَلِكَ; نَحْنُ أَكْثَرُ عَدَدًا وَعُدَدًا، وَهُمْ فِي ضِيقٍ مِنَ الْحَالِ، وَقَدْ حَكَّمْنَا عَلَيْهِمْ وَذَلُّوا لَنَا، وَاللَّهِ لَا نُجِيبُ إِلَى ذَلِكَ أَبَدًا. ثُمَّ جَدَّدُوا خَلْعَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ ثَانِيَةً، وَاتَّفَقُوا عَلَى ذَلِكَ كُلُّهُمْ. فَلَمَّا بَلَغَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَعَمَّهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ الْخَبَرُ قَالَا لِلْحَجَّاجِ: شَأْنُكَ بِهِمْ إِذًا، فَنَحْنُ فِي طَاعَتِكَ كَمَا أَمَرَنَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَكَانَا إِذَا لَقِيَاهُ سَلَّمَا عَلَيْهِ بِالْإِمْرَةِ، وَيُسَلِّمُ هُوَ أَيْضًا عَلَيْهِمْ بِالْإِمْرَةِ، وَتَوَلَّى الْحَجَّاجُ أَمْرَ الْحَرْبِ وَتَدْبِيرَهَا، كَمَا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ بَرَزَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ لِلْقِتَالِ وَالْحَرْبِ، فَجَعَلَ الْحَجَّاجُ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سُلَيْمَانَ الْكَلْبِيَّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عُمَارَةَ بْنَ تَمِيمٍ اللَّخْمِيَّ، وَعَلَى الْخَيْلِ سُفْيَانَ بْنَ الْأَبْرَدِ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَبِيبٍ الْحَكَمِيَّ، وَجَعَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ عَلَى مَيْمَنَتِهِ الْحَجَّاجَ بْنَ حَارِثَةَ الْخَثْعَمِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْأَبْرَدَ بْنَ قُرَّةَ التَّمِيمِيَّ، وَعَلَى الْخَيَّالَةِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍّ الزُّهْرِيَّ، وَعَلَى الْقُرَّاءِ جَبَلَةَ بْنَ زَحْرِ بْنِ قَيْسٍ الْجُعْفِيَّ، وَكَانَ فِي الْقُرَّاءِ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى، وَكُمَيْلُ بْنُ زِيَادٍ - وَكَانَ شُجَاعًا فَاتِكًا عَلَى