আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭২০৬


রাফেযী সম্প্রদায়ের একটি অংশ মুহাম্মদইবন হানাফিয়্যাকে ইমাম মাহদী মনে করে ৷
তারা অপেক্ষায় আছে যে, শেষ যুগে তিনি ইমাম মাহ্দীরুপে আবির্ভুত হবেন ৷ যেমন তাদের
অন্য একদল হাসান ইবন মুহাম্মদ আল আসকারীর আগমনের অপেক্ষায় আছে ৷ তাদের মতে
হাসান ইবন মুহাম্মদ বেরিয়ে আসবেন সামুরা অঞ্চলের পাতাল গৃহ থেকে ৷

বস্তুতও ওদের এসব আকীদা ও বিশ্বাস সম্পুর্ণ বাতিল, গোমরাহী, অসত্য, বোকামি ও
মিথ্যার বেসড়াতী ৷ যথাস্থানে আমরা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা ক্যাব ইনশাআল্লাহ্ ৷

৮২ হিজরী সন

এই সনে ইবন আশআছ ও হাজ্জাজের মধ্যে যাবিয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়৷ এটি হয়েছিল
মুহাররাম মাসের শেষ দিকে ৷ প্রথম দিন ইরাকী সৈন্যরা সিরীয় সৈন্যদের উপর চাপ সৃষ্টি
করেছিল ৷ দ্বিতীয় দিন উভয় দল সমানে সমানে ছিল ৷ এই দিনে সুফয়ান ইবন আবরাদ নামে
এক সিরীয় সেনাপতি ইবনুল আশআছের ডানদিকের সৈনিকদের উপর আক্রমণ চালায়, সে
তাদেরকে পরাজিত করে ৷ এবং এই দিনে ইবনুল আশআছের সমর্থক বহু কারী’ ও
ইবাদতকারী মানুষকে সে হত্যা করে ৷ ,

হাজ্জাজ এতক্ষণ হাট্রু পেড়ে বসেছিল ৷ এ সংবাদ ণ্শানার পর সে আল্লাহর প্রতি
সিজদাবনত হল ৷ তার তরবারির কিছু অংশ খাপমুক্ত করল ৷ তারপর মুসআব ইবন যুবায়রের
জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছিল আর বলছিল, কত ভাল মানুষ ছিলেন তিনি ৷ মৃত্যু নিশ্চিত ৫জনেও
ধৈর্যধারণ করেছিলেন ৷ ৰু

এই আক্রমণে ইবনুল আশআছের সমর্থকদের মধ্যে আবু তুফায়ল ইবন আমির ইবন
ওয়াইলা লাইহী (রা)ও নিহত হন ৷

ইবনুল আশআছের সৈনিকদের পরাজয়ের পর অবশিষ্ট লোকদেরকে নিয়ে তিনি পেছনের
দিকে সরে আসেন ৷ তিনি কুফায় ফিরে যান ৷ এই সময়ে বসরার অধিবাসিগণ আবদুর রহমান
ইবন আইয়াশ ইবন রাবীআ ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিবের হাতে বায়আত করে তাকে
নেতা বানিয়ে নেয় ৷ অতঃপর আবদুর রহমানের নেতৃত্বে তারা এক্যদিক্রষ্মে পাচদিন হাজ্জাজের
বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ পরিচালনা করে ৷ এরপর আবদুর রহমান পেছনে সরে গিয়ে ইবনুল
আশআছের সাথে মিলিত হন ৷ বসরার একদল লোক তার সাথে সাথে গমন করে ৷

এদিকে বসরা নগরী জয় করার পর হাজ্জাজ তার পক্ষে আইয়ুব ইবন হড়াকাম ইবন আবু
আকীলকে সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করে ৷ ,

ইবনুল আশআছ কুফা প্রবেশ করেন ৷ সেখানকার জনগণ খলীফা আবদুল মালিক ও
হাজ্জাজের প্রতি প্রদত্ত বায়আত প্রত্যাহার করে ইবনুল আশআছের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ৷
অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল ৷ দিনে দিনে ইবনুল আশআছের সমর্থাং বৃদ্ধিই পাচ্ছিল ৷ এতে করে
রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিলতড়ার দিকে যাচ্ছিল ৷ মুসলমানদের মধ্যেবিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হল ৷ তালি
কাপড়ে ছেড়া আরো বৃদ্ধি পেল ৷ ’

ওয়াকিদী বলেন, যাবিয়াহ্তে ইবনুল আশআছ ও ,হাজ্জাজের সৈন্য যুদ্ধে লিপ্ত হবার পর
হাজ্জাজের সৈন্যরা প্রতিপক্ষের উপর একের পর এক আক্রমণ রচনা করেছিল ৷ ইবনুল
আশআছের সমর্থাং কারী’ তথা বিজ্ঞ উলামইি কিরাম জাবাল্পাহ ইবন যাহার-এর নেতৃত্বাধীন
থেকে চীৎকার করে ডেকে ডেকে সপক্ষীয় সৈন্যদেরকে বলছিলেন ওহে সৈনিকগণ ৷ তোমাদের
কেউ যদি পালিয়ে যায় তবে তার চাইতে লজ্জা ও লাহুৰুন্নুার কিছু নেই ৷ তোমরা নিজেদের দীন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ] [وَقْعَةُ الزَّاوِيَةِ بَيْنَ ابْنِ الْأَشْعَثِ وَالْحَجَّاجِ] فَفِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا كَانَتْ وَقْعَةُ الزَّاوِيَةِ بَيْنَ ابْنِ الْأَشْعَثِ وَالْحَجَّاجِ فِي آخِرِهِ، وَكَانَ أَوَّلُ يَوْمٍ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ، ثُمَّ تَوَاقَعُوا يَوْمًا آخَرَ، فَحَمَلَ سُفْيَانُ بْنُ الْأَبْرَدِ - أَحَدُ أُمَرَاءِ أَهْلِ الشَّامِ - عَلَى مَيْمَنَةِ ابْنِ الْأَشْعَثِ فَهَزَمَهَا، وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ فِي هَذَا الْيَوْمِ، وَخَرَّ الْحَجَّاجُ لِلَّهِ سَاجِدًا بَعْدَمَا كَانَ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَسَلَّ شَيْئًا مِنْ سَيْفِهِ، وَجَعَلَ يَتَرَحَّمُ عَلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَيَقُولُ: مَا كَانَ أَكْرَمَهُ حِينَ صَبَرَ نَفْسَهُ لِلْقَتْلِ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ: أَبُو الطُّفَيْلِ بْنُ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ اللَّيْثِيُّ. وَلَمَّا فَرَّ أَصْحَابُ ابْنِ الْأَشْعَثِ رَجَعَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ، وَمَنِ اتَّبَعَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَسَارَ حَتَّى دَخَلَ الْكُوفَةَ، فَعَمَدَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَبَايَعُوهُ، فَقَاتَلَ الْحَجَّاجَ خَمْسَ لَيَالٍ أَشَدَّ الْقِتَالِ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَلَحِقَ بِابْنِ الْأَشْعَثِ، وَتَبِعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَاسْتَنَابَ الْحَجَّاجُ عَلَى الْبَصْرَةِ أَيُّوبَ بْنَ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي عَقِيلٍ،
পৃষ্ঠা - ৭২০৭
وَدَخَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ الْكُوفَةَ، فَبَايَعَهُ أَهْلُهَا عَلَى خَلْعِ الْحَجَّاجِ وَعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ، وَكَثُرَ مُتَابِعُو ابْنِ الْأَشْعَثِ عَلَى ذَلِكَ، وَاشْتَدَّ الْحَالُ، وَتَفَرَّقَتِ الْكَلِمَةُ جِدًّا، وَعَظُمَ الْخَطْبُ، وَاتَّسَعَ الْخَرْقُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا الْتَقَى جَيْشُ الْحَجَّاجِ وَجَيْشُ ابْنِ الْأَشْعَثِ بِالزَّاوِيَةِ، جَعَلَ جَيْشُ الْحَجَّاجِ يَحْمِلُ عَلَيْهِمْ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ، فَقَالَ الْقُرَّاءُ - وَكَانَ عَلَيْهِمْ جَبَلَةُ بْنُ زَحْرٍ -: أَيُّهَا النَّاسُ، لَيْسَ الْفِرَارُ مِنْ أَحَدٍ بِأَقْبَحَ مِنْهُ مِنْكُمْ، فَقَاتِلُوا عَنْ دِينِكُمْ وَدُنْيَاكُمْ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ نَحْوَ ذَلِكَ، وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: قَاتِلُوهُمْ عَلَى جَوْرِهِمْ، وَاسْتِذْلَالِهِمُ الضُّعَفَاءَ، وَإِمَاتَتِهِمُ الصَّلَاةَ. ثُمَّ حَمَلَتِ الْقُرَّاءُ - وَهُمُ الْعُلَمَاءُ - عَلَى جَيْشِ الْحَجَّاجِ حَمْلَةً صَادِقَةً، فَبَدَّعُوا فِيهِمْ، ثُمَّ رَجَعُوا فَإِذَا هُمْ بِمُقَدَّمِهِمْ جَبَلَةُ بْنُ زَحْرٍ صَرِيعًا، فَهَدَّهُمْ ذَلِكَ، فَنَادَاهُمْ جَيْشُ الْحَجَّاجِ: يَا أَعْدَاءَ اللَّهِ، قَدْ قَتَلْنَا طَاغِيَتَكُمْ. ثُمَّ حَمَلَ سُفْيَانُ بْنُ الْأَبْرَدِ - وَهُوَ عَلَى خَيْلِ الْحَجَّاجِ - عَلَى مَيْسَرَةِ ابْنِ الْأَشْعَثِ - وَعَلَيْهَا الْأَبْرَدُ بْنُ قُرَّةَ التَّمِيمِيُّ - فَانْهَزَمُوا، وَلَمْ يُقَاتِلُوا كَثِيرَ قِتَالٍ، فَأَنْكَرَ النَّاسُ مِنْهُمْ ذَلِكَ، وَكَانَ أَمِيرُ مَيْسَرَةِ ابْنِ الْأَشْعَثِ - الْأَبْرَدُ - شُجَاعًا لَا يَفِرُّ، وَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ خَامَرَ، فَنُقِضَتِ الصُّفُوفُ، وَرَكِبَ النَّاسُ
পৃষ্ঠা - ৭২০৮


ও দুনিয়া রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাও ৷ সাঈদ ইবন জুরায়রও এরুপ বলতে থাকেন ৷ শাবী
বলেছিলেন যে, ওরা নিজেদের সৈন্যদেরকে বলছিল ওদের যুলুমের বিরুদ্ধে, দুর্কাদেরকে
অপদংষ্ক করার বিরুদ্ধে এবং নামাষে অবহেলার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাওা-শুএরপর
আলিমগণ নিজেরাও হাজ্জাজ বাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন ৷ প্রচণ্ড সাহ্সিকতা
নিয়ে তারা হামলা চালান ৷ তারা প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ৷ তারপর ফিরে আসে ৷ হঠাৎ
তারা তাদের নেতা জবােল্পাহ্ ইবন যাহাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে পান ৷ এতে তারা ভয়
পেয়ে যান ৷ তখনই হাজ্জাজের সৈন্যরা চীৎকার দিয়ে বলে উঠে, ওহে আল্লাহর শত্রুগণ, এই
যে, তােদের নেতাকে আমরা হত্যা করে ফেলেছি ৷ এর পরই হাজ্জাজের অশ্ববাহিনীর প্রধান
সেনাপতি সুফয়ান ইবন আবরাদ আশআছের নাম ইউনিটের উপর ,হামলা চালায় ৷ ওই
ইউনিটের দায়িত্বে ছিল আবরাদ ইবন মুররাহ তায়মী ৷ ভাল সামলাতে না পেরে আশআছ
বাহিনী পরাজয় বরণ করল ৷ তারা এ সময়ে খুব একটা যুদ্ধ করেনি ৷ সাধারণ সৈনিকেরা বাম
ইউনিটের এই দায়িতুহীনতার সমালোচনা করে ৷ মুলতঃ ইবন আশআছের বাম ইউনিটের এই
সেনাপতি আবরাদ ছিল একজন সাহসী ও দক্ষ সৈনিক ৷ সে পালিয়ে যাবার লোক ছিল না ৷
সবাই ধারণা করে যে, সে তখন অপ্রকৃতিস্থ ও অস্বাভাবিক অবন্থায় ন্ছিল ৷ বাম ইউনিটের
পরাজয়ের পর অবশিষ্ট সৈন্যদের মধ্যে বিশৃৎখলা দেখা দেয় ৷ সারিগুলো ভেঙ্গে যায় ৷ সৈন্যদের
একদল অপর দলের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে ৷ ইবন আশআছ সৈন্যদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতে
উৎসাহিত করছিলেন ৷ কিন্তু সৈনিকদের বিশৃত্খল অবস্থা দেখে তিনি তার অনুসারীদেরকে নিয়ে
পেছনে সরে যান এবং সরাসরি কুফা নগরীতে গিয়ে পৌছেন ৷ অতঃপর কুফার নাগরিকগণ
তাকে খলীফা মনোনীত করে তার হাতে ৰায়আত করে ৷ এবং এরপর এই বৎসর শাবান মাসে
জামাজিম মঠের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷

জামাজিম মঠের যুদ্ধ
ওয়াকিদী বলেন যে, ইবনুল আশআছ অতঃপর কুফা অভিমুখে যাত্রা করেন ৷ তার আগমনে
স্বাগত জানানোর জন্যে হাজার হাজার কুফাবাসী পথে বেরিয়ে আসে ৷ তাকে অভিনন্দন জানায় ৷
এবং তার সম্মুখে এসে সংহতি প্রকাশ করে ৷ অবশ্য হাজ্জাজের নিযুক্ত শাসনকর্তা মাতার ইবন
নাহিয়ার নেতৃত্বে অল্প কতক লোক তাকে বাধা দেয়ার এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার চেষ্টা
করেজ্জি ৷ তারা তাতে সক্ষম হয়নি ৷ ফলে তারা সরকারী প্রাসাদে ফিরে যায় ৷
ইবন আশআছ কুফার প্রবেশ করে কতগুলো মই ও সিড়ি আনার নির্দেশ দেন ৷ ওগুলো
স্থাপন করা হয় প্রশাসনিক ভবনে ৷ অতঃপর সিড়ি রেয়ে ভবনে ঢুকে শাসনকর্তা মাতার ইবন
নাজিয়াকে টেনে নামিয়ে আনা হয় ৷ ইবনুল আশআছ তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে
ধ্ করজােড়ে মিনতি করে বলল, আমাকে মারবেন না, আমাকে বীচিয়ে রাখুন ৷ আপনার
অশ্বারােহী সৈনিকদের চাইতে আমি অধিকতর দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৷ আমি আপনার পক্ষে কাজ
করব ৷ তাকে বন্দী করে রাখা হল ৷ এরপর ইবনুল আশআছ তাকে ডেকে আসে এবং বন্দীদশা
থেকে যুক্তি দেন ৷ তাকে ইবনুল আশআছের পক্ষে কুফার শাসন ক্ষমতা দৃঢ় করার নির্দেশ দেয়া
হয় বসরা থেকে যারা এসেছিল তারাও তার সাথে যোগ দেয় ৷ বসরা থেকে যারা এসেছিল
তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবদুর রহমান ইবন আব্বাস ইবন রারীআ ইবন আবদুল
যুত্তালিব ৷ ইবন আশআছ সকলদিকে সশস্ত্র পাহারা বসানাের জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ অতঃপর
সকল রাজপথ, সড়কপথ এবং গলিপথে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হল ৷


بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَكَانَ ابْنُ الْأَشْعَثِ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى الْقِتَالِ، فَلَمَّا رَأَى مَا النَّاسُ فِيهِ أَخَذَ مَنِ اتَّبَعَهُ وَذَهَبَ إِلَى الْكُوفَةِ، فَبَايَعَهُ أَهْلُهَا. [وَقْعَةُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ] ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ دَيْرِ الْجَمَاجِمِ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَذَلِكَ أَنَّ ابْنَ الْأَشْعَثِ لَمَّا قَصَدَ الْكُوفَةَ خَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا، فَتَلَقَّوْهُ، وَحَفَوْا بِهِ، وَدَخَلُوا بَيْنَ يَدَيْهِ، غَيْرَ أَنَّ شِرْذِمَةً قَلِيلَةً أَرَادَتْ أَنْ تُقَاتِلَهُ دُونَ مَطَرِ بْنِ نَاجِيَةَ نَائِبِ الْحَجَّاجِ، فَلَمْ يُمَكِّنْهُمْ مِنْ ذَلِكَ، فَعَدَلُوا إِلَى الْقَصْرِ، فَلَمَّا وَصَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ إِلَى الْكُوفَةِ أَمَرَ بِالسَّلَالِيمِ فَنُصِبَتْ عَلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَأَخَذَهُ، وَاسْتَنْزَلَ مَطَرَ بْنَ نَاجِيَةَ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ، فَقَالَ لَهُ: اسْتَبْقِنِي; فَإِنِّي خَيْرٌ مِنْ فُرْسَانِكَ. فَحَبَسَهُ، ثُمَّ اسْتَدْعَاهُ فَأَطْلَقَهُ وَبَايَعَهُ، وَاسْتَوْثَقَ لِابْنِ الْأَشْعَثِ أَمْرُ الْكُوفَةِ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِ مَنْ جَاءَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ مِمَّنْ قَدِمَ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأَمَرَ بِالْمَسَالِحِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَحُفِظَتِ الثُّغُورُ وَالطُّرُقُ وَالْمَسَالِكُ. ثُمَّ إِنَّ الْحَجَّاجَ رَكِبَ فَيْمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ الشَّامِيَّةِ مِنَ الْبَصْرَةِ فِي الْبَرِّ، حَتَّى مَرَّ بَيْنَ الْقَادِسِيَّةِ وَالْعُذَيْبِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُ الْأَشْعَثِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْعَبَّاسِ فِي خَيْلٍ عَظِيمَةٍ مِنَ الْمَصْرَيْنِ، فَمَنَعُوا الْحَجَّاجَ مِنْ نُزُولِ الْقَادِسِيَّةِ، فَسَارَ الْحَجَّاجُ حَتَّى نَزَلَ دَيْرَ قُرَّةَ، وَجَاءَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ الْبَصْرِيَّةِ وَالْكُوفِيَّةِ حَتَّى نَزَلَ دَيْرَ الْجَمَاجِمِ، وَمَعَهُ جُنُودٌ كَثِيرَةٌ، وَفِيهِمُ الْقُرَّاءُ مِنَ الْمِصْرَيْنِ، وَخَلْقٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭২০৯

ওদিকে হাজ্জাজ তার সিরীয় সৈন্যদেরকে নিয়ে ইবনুল আশআছের মুকাবিলা করার জংন্য
ম্পো বসরা থেকে যাত্রা করে ৷ সে যখন কাদিসিয়া এবং আযীব ফ্লোর মাঝামাঝি স্থানে
এসে পৌছে, তখন ইবনুল আশআছ আবদুর রহমান ইবন আব্বাসকে একদল মিসরীয় বিরাট
অশ্বারােহী বাহিনীর সেনাপতি বানিয়ে হাজ্জাজকেবাধা দেয়ার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তারা
হাজ্জাজকে কাদেসিয়া প্রাম্ভার বাধা দেয় ৷ ফলে সে কাররাহ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে ৷
ইবনুল আশআছ তার বসরী ও কুফী নাগরিক সমন্বয়ে গঠিত বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে
অগ্রসর হন ৷ তারা জামাজিম মঠসংলগ্ন প্রাস্তরে এসে শিবির স্থাপন করে ৷ তার সাথে তখন বহু
সৈন্য ৷ তাদের মধ্যে অনেক কিরআত বিশেষজ্ঞ কারী এবং সৎকর্মশীল-নেককার মানুষ ছিলেন ৷
ইবনুল আশআছ জামাজিম প্রাম্ভরে অবস্থান নিয়েছে এই সংবাদ শুনে হাজ্জাজ বলেছিল, মহান
আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করুন, আমি কাররাহ প্রাত্তার অবস্থান করছি ৷ আমাকে দেখে কি পক্ষীকুল
পালিয়ে যায়নি ? সে আবার জামাজিম প্রাস্তরে গিয়ে অবস্থান নিল কেন ?
ইবনুল আশআছের সাথে বেতনভােগী সৈনিক ছিল এক লক্ষ ৷ আর এক লক্ষের মত ছিল
মাওরালী বা নও মুসলিম ৷
এই সময়ে সিরিয়া থেকে হাজ্জাজের নিকট প্রচুর সেনা সাহায্য আসে ৷ উভয় পক্ষ
নিজেদের চারিপাশে পরিখা খনন করে ৷ যাতে প্রতিপক্ষ নিজেদের সীমানায় প্রবেশ করতে না
পারে ৷ তবে প্রতিদিন উভয়পহ্মে খণ্ডযুদ্ধ চলছিল ৷ যার ফলে যুদ্ধের গতি দিনে দিনে তীব্লতব্ল
হজ্জি ৷ ফুলে বহু নেতৃস্থানীয় কুরায়শী লোক নিহত হয় ৷ দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকে ৷
খলীফ্৷ আব্দ্যুণ্ব্ মালিবেল্ম উপদেষ্টাগণ তার সাথে পরামর্শ সভায় মিলিত হয়েছিল ৷ তারা প্রস্তাব
করেকাি যে, ইরাকী জনগণ যদি হাজ্জাজাক বরখাস্ত করলে সন্তুষ্ট হয়ে কেত্রীয় সরকারের হাতি
অনুগত হয় তাহলে দীর্ঘ যুদ্ধ ও প্রচুররক্তক্ষয়ের চাইতে তা করাই ভাল ৷
খলীফা আবদুল মালিক তাহার ডাই মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান এবং তার পুত্র আবদুল্লাহ
ইবন আবদুল মালিককে ড়াকলেন, তাদের সাথে ছিল বহু যোদ্ধা সৈনিক ৷ খলীফা তাদ্যো
মাধ্যমে ইরার্কীদ্যো নিকট এই মর্মে একটি চিঠি পাঠালেন যে, হাজ্জাজকে অপসারণ করলে
তোমরা যদি খুশী হও তাহালে আমি তাকে বরখাস্ত করব ৷ তোমাদের জন্যে বরদ্দকৃত ভাতা
আমি নিয়মিত সরবরাহ করব ৷ যেমনটি সিরীয়দেরকে সরবরাহ করি ৷ ইবনুল আশআছ যে
কোন রাজ্যের শাসনকর্তা হতে চাইবে তাকে ওই পদে নিয়োগ দিব এবং আমি যতদিন জীবিত
থাকি এবং সে যতদিন জীবিত থাকবে ওই পদে বহাল থাকবে ৷ আমার তইি মুহাম্মদ ইবন
মারওয়ান ইরাকের শাসনকর্তার দায়িতু পালন করবে ৷ এই শর্তে তারা রাযী হলে তা করা
হবে ৷ আর যদি তার তা না মানে তাহলে হাজ্জাজ যে প্াদে আছে সে পদে থাকবে এয়ুযুভৈদ্ধর
সৰ্বাধিনায়ক সে-ই থাকবে ৷ মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ও আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল মালিক তার
অধীনে কাজ করবে ৷ যুদ্ধের ব্যাপারে কিত্বা অন্য কোন ব্যাপারে তার সিদ্ধাত্তেট্রুর বাইরে তাদের

কিছু বলার থাকবে না ৷

খলীফা আবদুল মালিকের পাঠানো চিঠির মর্ম অনুযায়ী ইরাকীদেব্সম্মতির প্রেক্ষিতে
হাজ্জাজের পদচ্যুতি সম্পৃর্কিত বিষয় অবগতি হবার পর হাজ্জাজ দারুণভাবে চিস্তিত হয়ে পড়ে ৷
সে ভীষণভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ হাজ্জাজ তখন খলীফাকে লিখে “হে আমীরল্ল মু’মিনীনৰু
ইরাকীদের সম্মতিঃ৷ ভিত্তিতে আপনি যদি আমাকে অপসারণ করেন, তাহলে অল্পদিন পরেই ওরা
পুনরায় আপনার বিরোধিতা করবে এবং আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে ৷ আপনার এই
পদক্ষেপ ওদের শুধু দু৪সাহস-ই বৃদ্ধি করবে ৷ একথা কি আপনি শুনেননি যে, ইৱাকীরা


الصَّالِحِينَ، وَكَانَ الْحَجَّاجُ بَعْدَ ذَلِكَ يَقُولُ: قَاتَلَ اللَّهُ ابْنَ الْأَشْعَثِ، أَمَا كَانَ يَزْجُرُ الطَّيْرَ حَيْثُ رَآنِي قَدْ نَزَلْتُ دَيْرَ قُرَّةَ، وَنَزَلَ هُوَ بِدَيْرِ الْجَمَاجِمِ. وَكَانَ جُمْلَةُ مَنِ اجْتَمَعَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ مِائَةُ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، مِمَّنْ يَأْخُذُ الْعَطَاءَ، وَمَعَهُمْ مِثْلُهُمْ مِنْ مَوَالِيهِمْ، وَقَدِمَ عَلَى الْحَجَّاجِ فِي غُبُونِ ذَلِكَ أَمْدَادٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الشَّامِ، وَخَنْدَقَ كُلٌّ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ عَلَى نَفْسِهِ وَحَوْلَ جَيْشِهِ خَنْدَقًا، يُمْتَنَعُ بِهِ مِنَ الْوُصُولِ إِلَيْهِمْ، غَيْرَ أَنَّ النَّاسَ كَانَ يَبْرُزُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ فَيَقْتَتِلُونَ قِتَالًا شَدِيدًا فِي كُلِّ يَوْمٍ، حَتَّى أُصِيبَ مِنْ رُءُوسِ النَّاسِ خَلْقٌ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، وَاسْتَمَرَّ هَذَا الْحَالُ مُدَّةً طَوِيلَةً، وَاجْتَمَعَ الْأُمَرَاءُ مِنْ أَهْلِ الْمَشُورَةِ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، فَقَالُوا لَهُ: إِنْ كَانَ أَهْلُ الْعِرَاقِ يُرْضِيهِمْ مِنْكَ أَنْ تَعْزِلَ عَنْهُمُ الْحَجَّاجَ فَهُوَ أَيْسَرُ مِنْ قِتَالِهِمْ وَسَفْكِ دِمَائِهِمْ، فَاسْتَحْضَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ عِنْدَ ذَلِكَ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ، وَابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَمَعَهُمَا جُنُودٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَكَتَبَ مَعَهُمَا كِتَابًا إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ يَقُولُ لَهُمْ: إِنْ كَانَ يُرْضِيكُمْ مِنِّي عَزْلُ الْحَجَّاجِ عَنْكُمْ عَزَلْتُهُ، وَأَبْقَيْتُ عَلَيْكُمْ أُعْطِيَّاتِكُمْ مِثْلَ أَهْلِ الشَّامِ، وَلْيَخْتَرِ ابْنُ الْأَشْعَثِ أَيَّ بَلَدٍ شَاءَ يَكُونُ عَلَيْهِ أَمِيرًا مَا عَاشَ وَعِشْتُ، وَتَكُونُ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ. وَقَالَ فِي عَهْدِهِ هَذَا: فَإِنْ لَمْ يُجِبْ أَهْلُ الْعِرَاقِ إِلَى ذَلِكَ فَالْحَجَّاجُ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ، وَإِلَيْهِ إِمْرَةُ الْحَرْبِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي طَاعَتِهِ وَتَحْتَ أَمْرِهِ، لَا يَخْرُجُونَ
পৃষ্ঠা - ৭২১০

আশতার নাখঈ-এর সাথী হয়ে হযরত উছমান (রা)-এর সম্মুখে বিক্ষোভ করেছিল ? হযরত
উছমান (রা) বলেছিলেন, তোমরা কি চাও ? তারা বলেহ্নিা, সাঈদ ইবনুল আস-এর- অপসারণ
চাই ৷ তিনি সাঈদ ইবনুল আসকে অপসারণ করলেন ৷ এরপর বৎসর না যেতেই তারা তার
উপর বাপিয়ে পড়ল ৷ শেষ পর্যন্ত তারা তাকে হত্যা করল ৷ লোহা সোজা করার জন্যে ণ্ লাহারই
প্রয়োজন ৷ আপনার অভিমতের ব্যাপারে আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন ৷ ওয়াসৃ সালা মু
আলায়কা ৷
খলীফা আবদুল মালিক তার পুর্বে ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবিচল থাকলেন ৷
ইরাকীদেৱ নিকট পুর্বোল্লিখিত প্রস্তাবগুলো পেশ করার ব্যাপারে অটল থাকলেন ৷ তার সিদ্ধান্ত
অনুসারে আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মালিক এবং মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান খলীফার পক্ষে
ইরাকীদেৱ নিকট এগিয়ে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ ঘোষণা দিয়ে বললেন, ওহে ইরাকী জনগণ !
আমি আবক্তোহ্, আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিবেল্ম পুত্র ৷ তিনি আপনাদের প্রতি এই এই
প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ৷ আবদুল মালিক যা যা পাঠিয়েছো তার সবগুলো তিনি উল্লেখ করলেন ৷
এরপর মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান বললেন, আমি আমার ভাই আমীরুল মু’মিনীন আবদুল
মালিকের পক্ষে আপনাদের প্রতি দুত রুপে এসেছি ৷ তিনি আপনাদের সমীপে এই এই প্রস্তাব
পাঠিয়েছেন ৷
রাকীরা বলল, আজ সকালবেলা আমরা ওই সব পর্যালোচনা করব এবং সন্ধ্যায়
আমাদের অভিমত আপনাদেরাক জানার ৷ ওরা চলে গেল ৷ ইবনুল আশআছ তার সকল
সেনাপতি :ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সভা আহ্বান করে ৷ তারা সকলে সমবেত হলো ৷ ইবনুল
আশআছ র্দাড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে খলীফার দেয়৷ প্রস্তাব
গ্রহণের আহ্বান জানালেন ৷ তিনি জানালেন, খলীফ৷ <;তাজার প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে
হাজ্জাজকে ইরাক থেকে অপসারণ, সরকারী ভাতা সরবরাহ এবং হাজ্জাজের পরিবর্তে মুহাম্মদ
ইবন মারওয়ানকে ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দিয়োছা ৷ র্তারআহ্বান্বেয় সাথে সাথে
চারিদিক থেকে লোকজন র্দাড়িয়ে গেল এবং প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলল, না, আল্লাহর কসম,
আমরা এটা গ্রহণ করব না ৷ এখন আমরা সােকবল ও অস্ত্রবলে অধিকতর বলীয়ান ৷ ওদের
অবস্থা সংকটমর ৷ আমরা ওদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছি ৷ ওরা আমাদের প্রতি অবনত
হয়েছে ৷ আল্লাহর কলম! আমরা এ সকল প্রস্তাব কখনো মেনে নেব না ৷ এরপর তারা পুনরায়
খলীফা আবদুল মালিক ও তার প্রতিনিধি হাজ্জাজের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়
এবং এই বিষয়ে তারা সকলে একমত হয় ৷ যথা সময়ে এই সংবাদ খলীফা পুত্র আবদুল্লাহ্
এবং তার চাচা মুহাম্মদের নিকট পৌছে ৷ তারা হাজ্জাজকে বলেন, এবার আপনি ওদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিতে পারেন ৷ খলীফার নির্দেশ অনুযায়ী এখন আমরা আপনার অনুগত থাকর ও ং
আপনার নির্দেশ পালন করে যার ৷ এরপর হাজ্জাজেব সাথে দেখা হলে তারা তাকে শাসনকর্তা
সুলভ অভিবাদন জানালেন ৷ সেও শাসনকর্তা সুলভ উত্তর দেয় ৷ হাজ্জাজ পুনরায় যুদ্ধের
সবপ্লিনায়্কতৃ গ্রহণ করে ৷ পুর্বের মত যুদ্ধের পরিকল্পনা করতে থাকে ৷

এ সময়ে উভয় দল যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মুখোমুখি হয় ৷ হাজ্জাজ তার সেনাবাহিনীর ডান ,
ইউনিটের সেনাপতি নিয়োগ করে আবদুর রহমান ইবন সুলায়মানকে ৷ বাম ইউনিটের
সেনাপতিতৃ দেয় আম্মারাহ ইবন তামীম লাখমীকে অশ্বারোহী বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করে
সুফ্য়ান ইবন আবরাদকে ৷ আর পদাতিক বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত করে আবদুর রহমান
ইবন হাবীব হাকামীকে ৷ ইবন আশআছ তার ডান ইউনািটৱ দায়িত্ব দেন হাজ্জাজ ইবন


عَنْ رَأْيِهِ فِي الْحَرْبِ وَغَيْرِهِ. وَلَمَّا بَلَغَ الْحَجَّاجَ مَا كَتَبَ بِهِ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ عَزْلِهِ إِنْ رَضُوا بِهِ، شَقَّ عَلَيْهِ ذَلِكَ مَشَقَّةً عَظِيمَةً جِدًّا، وَعَظُمَ شَأْنُ هَذَا الرَّأْيِ عِنْدَهُ، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَ أَهْلَ الْعِرَاقِ نَزْعِي عَنْهُمْ لَا يَلْبَثُونَ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى يُخَالِفُوكَ وَيَسِيرُوا إِلَيْكَ، وَلَا يَزِيدُهُمْ ذَلِكَ إِلَّا جُرْأَةً عَلَيْكَ، أَلَمْ تَرَ وَتَسْمَعْ بِوُثُوبِ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَعَ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ عَلَى ابْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا سَأَلَهُمْ: مَا تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: نَزْعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَلَمَّا نَزَعَهُ لَمْ تَتِمَّ لَهُمُ السَّنَةُ حَتَّى سَارُوا إِلَيْهِ فَقَتَلُوهُ؟ وَإِنَّ الْحَدِيدَ بِالْحَدِيدِ يُفْلَحُ، كَانَ اللَّهُ لَكَ فِيمَا ارْتَأَيْتَ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. قَالَ: فَأَبَى عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَّا عَرْضَ هَذِهِ الْخِصَالِ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ كَمَا أَمَرَ، فَتَقَدَّمَ عَبْدُ اللَّهِ وَمُحَمَّدٌ، فَنَادَى عَبْدُ اللَّهِ: يَا مَعْشَرَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكُمْ كَيْتَ وَكَيْتَ، فَذَكَرَ مَا كَتَبَ بِهِ أَبُوهُ مَعَهُ إِلَيْهِمْ مِنْ هَذِهِ الْخِصَالِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ: وَأَنَا رَسُولُ أَخِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَيْكُمْ بِذَلِكَ. فَقَالُوا: نَنْظُرُ فِي أَمْرِنَا غَدًا، وَنَرُدُّ عَلَيْكُمُ الْخَبَرَ عَشِيَّةً، ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَاجْتَمَعَ جَمِيعُ الْأُمَرَاءِ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا،
পৃষ্ঠা - ৭২১১
وَنَدَبَهُمْ إِلَى قَبُولِ مَا عَرَضَ عَلَيْهِمْ مِنْ عَزْلِ الْحَجَّاجِ عَنْهُمْ، وَبَيْعَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَإِبْقَاءِ الْأُعْطِيَّاتِ، وَإِمْرَةِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ عَلَى الْعِرَاقِ بَدَلَ الْحَجَّاجِ. فَنَفَرَ النَّاسُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَقْبَلُ ذَلِكَ; نَحْنُ أَكْثَرُ عَدَدًا وَعُدَدًا، وَهُمْ فِي ضِيقٍ مِنَ الْحَالِ، وَقَدْ حَكَّمْنَا عَلَيْهِمْ وَذَلُّوا لَنَا، وَاللَّهِ لَا نُجِيبُ إِلَى ذَلِكَ أَبَدًا. ثُمَّ جَدَّدُوا خَلْعَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ ثَانِيَةً، وَاتَّفَقُوا عَلَى ذَلِكَ كُلُّهُمْ. فَلَمَّا بَلَغَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَعَمَّهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ الْخَبَرُ قَالَا لِلْحَجَّاجِ: شَأْنُكَ بِهِمْ إِذًا، فَنَحْنُ فِي طَاعَتِكَ كَمَا أَمَرَنَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَكَانَا إِذَا لَقِيَاهُ سَلَّمَا عَلَيْهِ بِالْإِمْرَةِ، وَيُسَلِّمُ هُوَ أَيْضًا عَلَيْهِمْ بِالْإِمْرَةِ، وَتَوَلَّى الْحَجَّاجُ أَمْرَ الْحَرْبِ وَتَدْبِيرَهَا، كَمَا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ بَرَزَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ لِلْقِتَالِ وَالْحَرْبِ، فَجَعَلَ الْحَجَّاجُ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سُلَيْمَانَ الْكَلْبِيَّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عُمَارَةَ بْنَ تَمِيمٍ اللَّخْمِيَّ، وَعَلَى الْخَيْلِ سُفْيَانَ بْنَ الْأَبْرَدِ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَبِيبٍ الْحَكَمِيَّ، وَجَعَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ عَلَى مَيْمَنَتِهِ الْحَجَّاجَ بْنَ حَارِثَةَ الْخَثْعَمِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْأَبْرَدَ بْنَ قُرَّةَ التَّمِيمِيَّ، وَعَلَى الْخَيَّالَةِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبَّاسِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍّ الزُّهْرِيَّ، وَعَلَى الْقُرَّاءِ جَبَلَةَ بْنَ زَحْرِ بْنِ قَيْسٍ الْجُعْفِيَّ، وَكَانَ فِي الْقُرَّاءِ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى، وَكُمَيْلُ بْنُ زِيَادٍ - وَكَانَ شُجَاعًا فَاتِكًا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭২১২

হারিছাহ জাশামীকে, বাম ইউনিটে আবরাদ ইবন কুররাহ্ তামীমীকে; অশ্বারোহী বাহিনীর
দায়িত্বে আবদুর রহমান ইবন আইয়াশ ইবন আবু রাৰীআকে, আর পদাতিক বাহিনীর
সেনাপতিতু দেন মুহাম্মদ ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস যুহরীকে ৷ কারীদের নেতৃত্বে থাকেন
জবািল্লাহ্ ইবন যাহর ইবন কায়ীস জুফ ৷ তার দলে আরো ছিলেন সাঈদ ইবন জুবা য়র, আমির
শা’বী, আবদুর রহমান ইবন আবুলায়লা, কৃমায়ল ইবন যিয়াদ-বার্ধক্য সত্বেও তিনি খুব সাহসী
ও উদ্যমী লোক ছিলেন ৷ তা ছাড়া ছিলেন আবুবুহতারী তাঈ ও অন্যান্য অনেক লোকজন ৷

, উভয় পক্ষে প্রতিদিন যুদ্ধ অব্যাহত ছিল ৷ ইরাকীদের নিকট বিভিন্ন রাজ্য ও প্রদেশ থেকে
নিয়মিত খাদ্য ও রসদপত্র আসছিল ৷ ওদের গো খদ্যেও সরবরাহ করা হচ্ছিল নিয়মিত ৷
পক্ষাম্ভরে হাজ্জাজের সাথে থাকা সিরীয় সৈন্যদের অবস্থা হয়েছিল সহুকটাপন্ন-শোচনীয় ৷ তাদের
খাদ্য ছিল খুবই কম ৷ গোশত তো ছিলই না ৷ এই সন পুরোটান্তেই দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ
অব্যাহত ছিল ৷ কখনো যুদ্ধ চলজ্যি প্রতি দিন আবার মাঝে মাঝে যুদ্ধ চলছিল একদিন পরপর ৷
তবে অধিকাংশ দিনে ইরাকীদের প্রাধান্য ছিল সিরীয়দের বিরুদ্ধে ৷ এই সময়ে হাজ্জাজের পক্ষে
যিয়াদ ইবন গনোম নিহত হয় ৷ ইৰ্নুল আশআছের সমর্থক বুসতাম ইবন মুসকালাহ্ বার
হাজার সৈনিকসহ যুদ্ধ করতে করতে তাদের তরৰারির খাপ ভেঙ্গে ফেলে ৷ তারা স্বেচ্ছায় নিহত
হতে প্রস্তুত হয় ৷

এই হিজরী সনে যাদের ওফাত হয়
সেনাপতি মুহাল্লাব

এই সনে সেনাপতি মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরাহশ্এর দ্বুত্যু হয় ৷ তার উপনাম আবু সাঈদ
আযদী ৷ তিনি ছিলেন বসরার তশ্যিতম বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ বসরার নেতৃস্থানীয় সন্ত্রাত, দানশীল এবং
সজ্জনদের একজন ৷ ৮ ম সনে মক্কা বিজয়ের বৎসরে ওার জ্যা হয় ৷ তার গোত্র তখন ওমান
এবং বাহরাইনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাস করছিল ৷ তার সম্প্রদায় হযরত আবু বাকর
(বা) এর সময়ে মুরতাদ ও ধর্মত্যাগী হয়ে যায় ৷ ইকরিমা ইবন আবু জাহ্ল এ সময়ে তাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেন ৷ ওদেরকে বন্দী করে খলীফা আবু বাকর
(রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ এদের মধ্যে আবু সুফরাহ্ এবং তার পুত্র মুহন্মোবও ছিল ৷
সৃহাল্লাব তখনাে অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ ৷
এরপর মুহাল্পাব বসরাতে চলে আসেন, তিনি ৪৪ হিজরী সনে আমীর মুআবিয়ার
শাসনামলে সে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন ৷ ৬৮ হিজরী সনে হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন যুবায়র
(বা) এর খিলাফতকালে তিনি জাযীরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন ৷ এরপর হাজ্জজ্যি
শাসনকালের প্রথম যুগে৩ তিনি খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ৷ একই অভিযানে তিনি
চার হাজার আটশত জন খারিজীকে হত্যা করেন ৷ তাতে হাজ্জাজেব্ নিকট তার মর্যাদা বেড়ে
যায় ৷ মুহাল্লাব একজন সাহসী, অভিজাত এবং সন্নান্ত, ব্যক্তি ছিলেন ৷ দানশীলতায় ও তার
খ্যাতি রয়েছে ৷ তিনি আত্ম প্রশং সা পসন্দ করতেন ৷ তার বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর মন্তব্য রয়েছে ৷
যেমনং দানশীলত৷ কত উত্তম কাজ ৷ তাতে ৩সব্রান্ত ব্যক্তির গোপনীয়তা গোপন থাকে ৷
নিকৃষ্ট ব্যক্তির নিকৃষ্টতা ধামাচাপা দেয়৷ হয় এবং দানশীল ব্যক্তি সকলের প্রীতি ভাজন হয় ৷
তিনি বলতে ন মানুষের দুটো চরিত্র আমার পসন্দ হয় ৷ যখন দেখি যে, তার বক্তব্যের চাইতে
তার জ্ঞান-বুদ্ধি বেশী ৷ আর যখন দেখি যে, তার জ্ঞানের চাইতে বক্তব্যু ও কথা বেশী নয় ৷


كِبَرِ سِنِّهِ - وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيُّ وَغَيْرُهُمْ. وَجَعَلُوا يَقْتَتِلُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ تَأْتِيهِمُ الْمِيرَةُ مِنَ الرَّسَاتِيقِ وَالْأَقَالِيمِ، مِنَ الْعَلَفِ وَالطَّعَامِ وَغَيْرِهِ، وَأَمَّا أَهْلُ الشَّامِ الَّذِينَ مَعَ الْحَجَّاجِ فَفِي ضِيقٍ مِنَ الْعَيْشِ، وَقِلَّةٍ مِنَ الطَّعَامِ، وَقَدْ فَقَدُوا اللَّحْمَ بِالْكُلِّيَّةِ فَلَا يَجِدُونَهُ، وَمَا زَالَتِ الْحَرْبُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا، حَتَّى انْسَلَخَتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُمْ عَلَى حَالِهِمْ وَقِتَالِهِمْ فِي كُلِّ يَوْمٍ، أَوْ يَوْمٍ بَعْدَ يَوْمٍ، وَالدَّائِرَةُ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ فِي أَكْثَرِ الْأَيَّامِ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْحَجَّاجِ زِيَادُ بْنُ غَنْمٍ، وَكَسَرَ بِسْطَامُ بْنُ مِصْقَلَةَ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ جُفُونَ سُيُوفِهِمْ، وَاسْتَقْتَلُوا، وَكَانُوا مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الْأَشْعَثِ. [وَفَاةُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَفَاةُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ وَهُوَ الْمُهَلَّبُ بْنُ أَبِي صُفْرَةَ ظَالِمٌ، أَبُو سَعِيدٍ الْأَزْدِيُّ، أَحَدُ أَشْرَافِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَوُجُوهِهِمْ وَدُهَاتِهِمْ وَأَجْوَادِهِمْ وَكُرَمَائِهِمْ، وُلِدَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانُوا يَنْزِلُونَ فِيمَا بَيْنَ عُمَانَ وَالْبَحْرَيْنِ، وَقَدِ ارْتَدَّ قَوْمُهُ فَقَاتَلَهُمْ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ فَظَفِرَ بِهِمْ، وَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭২১৩

“মারড আর রাওয এলাকায় যুদ্ধাভিযানে তার মৃত্যু হয় ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ৭৬
বৎসর ৷ তার পুত্র-কন্যারা ছিল দশ জন ৷ তারা হল ইয়াযীদ, যিয়াদ, মুফাদ্দাল, মুদবিক,
হাবীব, মুগীরা কাবীসা, মুহাম্মদ, হিন্দ ও ফাতিমা ৷ ৮ ২ সনের যুলহাজ্জ সালে তার মৃত্যু হয় ৷
তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন ৷ তার অনেক কীর্তি ও কৃতিত্ব রয়েছে ৷ আযারিক সম্প্রদায়
এবং অন্যান্য খারিজী উপদলের বিরুদ্ধে তার সফল অভিযানের অনেক বিবরণ ইতিহাসে স্থান
পেয়েছে ৷ তার মৃত্যুর পর থােরাসানের শাসনকর্তা পদ তার পুত্র ইয়াযীদ গ্রহণ করবে বলে
তিনি সিদ্ধান্ত দিয়ে যান ৷ খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এবং শাসনকর্তা হাজ্জাজ তা
বহাল রাখেন ৷

আসমা ইবন ধ্ায়িগ্রাস্ট্রহ্ ফ্যােয়ী কুক্ষী,

এই সনে যাদের ওফাত হয় তাদের অন্যতম হলেন, আসমা ইবন খারিজা ফাযারী কুফী ৷
তিনি একজন বিশিষ্ট দানশীল এবং র্কীর্তিমান পুরুষ ছিলেন ৷ একদিন তিনি তার দরযার সম্মুখে
একযুবককে দেখতে পেলেন যে, যে ওখানে বসে আছে ৷ তিনি তাকে ওখানে বসে থাকার
কারণ জিজ্ঞেস করলেন ৷ সে বলল, একটা বিশেষ প্রয়েজ্যোন বসে আছি তবে তা মুখে বলা
যাবে না ৷ তার প্রয়োজনের কথাটি ব্যক্ত করার জন্যে তিনি বার বার চাপ দিচ্ছিলেন ৷ অবশেষে
সে বলল, একটি ক্রীতদাসী আমি দেখেছি এই বাড়ীতে প্রবেশ ৰুন্নেহে ৷ এত সুন্দর যেয়ে আমি
জীবনে কােনদিন দেখিনি ৷ সে আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে ৷ তিনি তাকে হাতে ধরে
অন্দর মহলে নিয়ে গেলেন ৷ তার বাড়ীতে থাকা সকল মেয়েকে একে একে তার সম্মুখে
উপস্থিত করলেন ৷ নিল্টি যেয়েটি আসার পর সে বলল, এই যে, এই ণ্ময়েটিকেই আমি
দেখেছিলাম ৷ আসমা বললেন, তবে এখন তুমি বেরিয়ে যাও ৷ দরযার যেখানে বসেছিলে
ওখানে গিয়ে বস ৷ যুবকঢি বেরিয়ে গেল ৷ পুর্বস্থানে গিয়ে বসল ৷ কিছুক্ষণ পর আসমা ইবন
খারিজা ওই দাসীটিকে নান৷ প্রকারের গহনায় সাজিয়ে সাথে করে যুবকটির নিকট নিয়ে গেলেন
এবং বললেন এই দাসীকে বাড়ির ভিতর তোমার নিকট হস্তান্তর না করার কারণ হল এই যে,
মুলতঃ দাসীটি আমার বোনের ৷ যে এটি বিনা মুল্যে দান করতে রধো ইিস না ৷ তাই আমি
তিন হাজার দিরহামে সেটি কিনে নিয়েছি ৷ এ সব গহনা তাকে পরিয়েহি ৷ এই গহনাসহ
দাসীটি তোমাকে দিয়ে দিলাম ৷ যুবকঢি দাসীটিকে নিয়ে চলে যায় ৷

মুপীন্না ইবন মুহাল্লাৰ

ইবন আবী সুফরা মুগীরা ইবন মুহাল্লাব এই সনে ইনতিকাল করেন ৷ তিনি একজন
দানশীল, সাহসী ও বীরত্বের অধিকারী লোক ছিলেন ৷ তার ৷ঙ্গীয়নে বহ্ কৃতিতুপুর্ণ ঘটনা
ঘটেছে ৷

হারিছ ইবন আবদুল্লাহ (র)

হারিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ মাখযুমী এই সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি কু বা
নামে অধিক পরিচিত ছিলেন ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুৰায়র (রা) এর খিসড়াফতকালে তার
পক্ষে তিনি বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন উসামা ইবন যায়দ ইবন হারিহা (র)

মুহাম্মদ ইবন উসামা (র) এই ৮২ সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ সাহারা-ই ক্কিন্নামের পরবর্তী
প্রজন্মে তথা তাদের পুত্রদের মধ্যে মুহাম্মদ ইবন উসামা (র) বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ও
সম্মানী ব্যক্তিত্ব ছিলেন ৷ তার ওফাত্ত হয় মদীনা শরীফে ৷ জান্নাতুস্ বন্টোতে তাকে দাফন করা
হয় ৷


الصِّدِّيقِ، وَفِيهِمْ أَبُو صُفْرَةَ، وَابْنُهُ الْمُهَلَّبُ غُلَامٌ لَمْ يَبْلُغِ الْحِنْثَ، ثُمَّ نَزَلَ الْمُهَلَّبُ الْبَصْرَةَ وَقَدْ غَزَا فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ أَرْضَ الْهِنْدِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَوَلِيَ الْجَزِيرَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ، ثُمَّ وَلِيَ حَرْبَ الْخَوَارِجِ أَوَّلَ دَوْلَةِ الْحَجَّاجِ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ فِي وَقْعَةٍ وَاحِدَةٍ أَرْبَعَةَ آلَافٍ وَثَمَانَمِائَةٍ، فَعَظُمَتْ مَنْزِلَتُهُ عِنْدَ الْحَجَّاجِ. وَكَانَ فَاضِلًا شُجَاعًا كَرِيمًا، يُحِبُّ الْمَدْحَ، وَلَهُ كَلَامٌ حَسَنٌ، فَمِنْهُ: نِعْمَ الْخَصْلَةُ السَّخَاءُ، تَسْتُرُ عَوْرَةَ الشَّرِيفِ، وَتَلْحَقُ خَسِيسَةَ الْوَضِيعِ، وَتُحَبِّبُ الْمَزْهُودَ فِيهِ. وَقَالَ: يُعْجِبُنِي فِي الرَّجُلِ خَصْلَتَانِ: أَنْ أَرَى عَقْلَهُ زَائِدًا عَلَى لِسَانِهِ، وَلَا أَرَى لِسَانَهُ زَائِدًا عَلَى عَقْلِهِ. تُوُفِّيَ الْمُهَلَّبُ غَازِيًا بِمَرْوِ الرُّوذِ، وَعُمْرُهُ سِتَّةٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً رَحِمَهُ اللَّهُ، وَكَانَ لَهُ عَشْرَةٌ مِنَ الْوَلَدِ وَهُمْ: يَزِيدُ، وَزِيَادٌ، وَالْمُفَضَّلُ، وَمُدْرِكٌ، وَحَبِيبٌ، وَالْمُغِيرَةُ، وَقَبِيصَةُ، وَمُحَمَّدٌ، وَهِنْدٌ، وَفَاطِمَةُ. تُوُفِّيَ الْمُهَلَّبُ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ، وَلَهُ مَوَاقِفُ حَمِيدَةٌ، وَغَزَوَاتٌ مَشْهُورَةٌ فِي التُّرْكِ وَالْأَزَارِقَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَنْوَاعِ الْخَوَارِجِ، وَجَعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ عَلَى إِمْرَةِ خُرَاسَانَ، فَأَمْضَى لَهُ ذَلِكَ الْحَجَّاجُ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ. وَفِي جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا عَزَلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭২১৪
إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا هِشَامَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيَّ، وَكَانَتْ وِلَايَةُ أَبَانٍ عَلَى الْمَدِينَةِ سَبْعَ سِنِينَ وَثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ يَوْمًا، وَكَانَ عَلَى إِمْرَةِ بِلَادِ الْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، وَالنُّوَّابُ فِي الْأَقَالِيمِ مِنْ تَحْتِ يَدِهِ، وَهُوَ مَشْغُولٌ عَنْ تَدْبِيرِ الْمَمَالِكِ بِحَرْبِ ابْنِ الْأَشْعَثِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا. قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ الَّذِي كَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَسْمَاءُ بْنُ خَارِجَةَ الْفَزَارِيُّ الْكُوفِيُّ كَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، حُكِيَ عَنْهُ أَنَّهُ رَأَى يَوْمًا شَابًّا عَلَى بَابِ دَارِهِ جَالِسًا، فَسَأَلَهُ عَنْ قُعُودِهِ عَلَى بَابِهِ، فَقَالَ: حَاجَةٌ لَا أَسْتَطِيعُ ذِكْرَهَا. فَأَلَحَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: جَارِيَةٌ رَأَيْتُهَا دَخَلَتْ هَذِهِ الدَّارَ لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهَا، وَقَدْ خَطَفَتْ قَلْبِي مَعَهَا، فَأَخَذَ بِيَدِهِ، وَأَدْخَلَهُ دَارَهُ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ كُلَّ جَارِيَةٍ عِنْدَهُ، حَتَّى مَرَّتْ تِلْكَ الْجَارِيَةُ، فَقَالَ: هَذِهِ. فَقَالَ لَهُ: اخْرُجْ فَاجْلِسْ عَلَى الْبَابِ مَكَانَكَ. فَخَرَجَ الشَّابُّ فَجَلَسَ مَكَانَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْهِ بَعْدَ سَاعَةٍ وَالْجَارِيَةُ مَعَهُ، قَدْ أَلْبَسَهَا أَنْوَاعَ الْحُلِيِّ، وَقَالَ لَهُ: مَا مَنَعَنِي أَنْ أَدْفَعَهَا إِلَيْكَ وَأَنْتَ دَاخِلَ الدَّارِ إِلَّا أَنَّ الْجَارِيَةَ كَانَتْ لِأُخْتِي، وَكَانَتْ ضَنِينَةً بِهَا، فَاشْتَرَيْتُهَا لَكَ مِنْهَا بِثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَأَلْبَسْتُهَا هَذَا الْحُلِيَّ، فَهِيَ لَكَ بِمَا عَلَيْهَا، فَأَخَذَهَا الشَّابُّ وَانْصَرَفَ.
পৃষ্ঠা - ৭২১৫

আবদুল্লাহ ইবন আবু তালহ৷ ইবন আবুল আসওয়াদ (ব)

৮২ সনে যীরা ইনৃতিকাল করেন তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ্ ইবন আবুতালহ৷ ৷
তিনি প্রসিদ্ধ ফকীহ ইসহাকের পিতা ৷ যে রাতে তার মাতা উন্মু সুলায়মের একটি পুত্র মারা
যায়, সে রাতেই আবদুল্লাহ তার মাতার গর্ভে আসেন ৷ ভোরবেলা তার পিতা আবু তালহ৷ (না)
গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এই সংবাদ জানান ৷ তখনধ্রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, তোমরা
বাসর উদযাপন করেছ ৷ তোমাদের রাত্রি-যাপনে আল্লাহ তা জানা বরকত দান করুন ৷ হযরত
আবদুল্লাহ (র) জন্মগ্রহণ করার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) খেজুর দিয়ে তার তাহনীক তথা মুখে
খাবার গ্রহণের সুচনা করেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন কা ব ইবন মালিক (র)

তিনি হযরত কা ব (রা) এর পথ চলাচলে সাহায্যকারী ছিলেন ৷ হযরত কা ব (বা) যখন
অন্ধ হয়ে পড়েন তখন তার এই পুত্র আবদুল্লাহ্ তাকে ধরে ধরে এখানে সেখানে নিয়ে যেতেন ৷
তার সেরা করতেন ৷ তিনি অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এই ৮২ সনে তীর ওফাত হয় ৷

আফুফান ইবন ওয়াহ্ব (বা)

তার প্রসিদ্ধ নাম আবু আয়মান আল খাওলানী মিসরী ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাহাবী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে হাদীসও বর্ণনা করেছেন ৷ পশ্চিমাঞ্চলীয় যুদ্ধে তিনি অংশ
নিয়াছিলেন ৷ তিনি মিসরে বসবাস করতেন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷

জামীল ইবন আবদুল্লাহ (র)
তিনি হলেন জামীল ইবন আবদুল্লাহ ইবন মামার ইবন সাবাহ ইবন যুবয়ান ইবন হাসান ৰু
ইবন রাবীআ ইবন হারাম ইবন দাবৃবা ইবন উবায়দ ইবন কাহীর ইবন আযরাহ ইবন সাদ
ইবন হুযায়ম ইবন যায়দ ইবন লায়ছ ইবন সারহাদ ইবন আসলাম ইবন ইনহাফ ইবন কুদাআ
(র) ৷ তিনি হলেন করি আবু আমর ৷ তিনি বুছায়না এর প্রেমিক ৷ তিনি বুছায়নাকে বিয়ে করার
প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ বিক্ষ্ম কুছায়না তা প্রত্যাখ্যান করে ৷ এই প্রেক্ষিতে তিনি একটি বিরহ কাব্য
রচনা করেছিলেন এবং ওই কাব্যের মাধ্যমে তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটে ৷ তিনি ছিলেন আরবের
প্রসিদ্ধ প্রেমিক ব্যক্তি ৷ তিনি ওয়াদী কুরা নামক স্থানে বসবাস করতেন ৷ তিনি ছিলেন সৎ,
পবিত্র, লজ্জাশীল, দীন অনুসারী এবং ইসলামী করি ৷ তিনি তার যুগের বিশুদ্ধভাষী শ্রেষ্ঠ কবি
ছিলেন ৷ কুছায়িদ্রর আয্যাহ ছিলেন তার শিষ্য ৷ তার কবিতা সংরক্ষণকারী ৷ জামীল নিজে হুদবা
ইবন খাছরাম সুত্রে হাতিআ থেকে যুহায়র ইবন আবু সালামা এবং তার পুত্র কা ব ইবন
যুহায়রের কবিতা বর্ণনা করতেন ৷
কুছ৷ ৷য়িদ্রর আবৃযাহ মন্তব্য করেছেন যে, জামীল ছিলেন আরবের শ্রেষ্ঠ করি ৷ জামীল
বলেছেন

১াইষ্টুছুহ্রাট্রু
তোমরা দু জন তো আমাকে বলেছিলে যে, গ্রীষ্মকাল শেষ হলে লায়লা এসে তায়মা তে
বসবাস করবে ৷

শু;াছু,ট্র

এই যে গ্রীষ্মকালীন মাসগুলো তাে অতিবাহিত হয়ে গেল ৷ তবুও দুরতু ও ব্যবধান
লায়লাকে কেন দুরে নিক্ষেপ করছে?


الْمُغِيرَةُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ كَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا شُجَاعًا، لَهُ مَوَاقِفُ مَشْهُورَةٌ. الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَعْرُوفُ بِقُبَاعٍ، وَلِيَ إِمْرَةَ الْبَصْرَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ. مُحَمَّدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ كَانَ مِنْ فُضَلَاءِ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ وَأَعْقَلِهِمْ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ بْنِ الْأَسْوَدِ وَالِدُ الْفَقِيهِ إِسْحَاقَ، حَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ أُمُّ سُلَيْمٍ لَيْلَةَ مَاتَ ابْنُهَا، فَأَصْبَحَ أَبُو طَلْحَةَ فَأَعْلَمَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعَرَسْتُمْ؟ بَارَكَ اللَّهُ لَكُمَا فِي لَيْلَتِكُمَا» وَلَمَّا وُلِدَ حَنَّكَهُ بِتَمَرَاتٍ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ كَانَ قَائِدَ كَعْبٍ حِينَ عَمِيَ، لَهُ رِوَايَاتٌ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ هَذِهِ السَّنَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭২১৬
سُفْيَانُ بْنُ وَهْبٍ أَبُو أَيْمَنَ، الْخَوْلَانِيُّ الْمِصْرِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَغَزَا الْمَغْرِبَ، وَسَكَنَ مِصْرَ، وَبِهَا مَاتَ. جَمِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ صَبَّاحِ بْنِ ظَبْيَانَ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَرَامِ بْنِ ضِنَّةَ بْنِ عَبْدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ عُذْرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ هُذَيْمِ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَيْثِ بْنِ سُودِ بْنِ أَسْلَمَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ، أَبُو عَمْرٍو الشَّاعِرُ صَاحِبُ بُثَيْنَةَ، كَانَ قَدْ خَطَبَهَا فَمُنِعَتْ مِنْهُ، فَتَغَزَّلَ فِيهَا وَاشْتَهَرَ بِهَا، وَكَانَ أَحَدَ عُشَّاقِ الْعَرَبِ، كَانَتْ إِقَامَتُهُ بِوَادِي الْقُرَى، وَكَانَ عَفِيفًا صَيِّنًا،
পৃষ্ঠা - ৭২১৭


আমীলেয় অন্য কয়টি পংক্তি এইং ;

ওহে বাছনা ৷ তুমি আমার সাথে অনবরত যে আচরণ করে যাচ্ছ আর আমি যেভাবে ব্যথিত
হচ্ছি ৷ আমার বিরহ ব্যথার বর্ণনা করে যদি আমি কবুতরকে র্কাদাতেচইি, তাহলে কবুতর
আমার জন্যে বগদবে ৷


প্রেম পাগলামিতে আমার সমালোচকেরা সমালোচনা করে তোমার প্রতি আমার আসক্তিই
বৃদ্ধি করেছে ৷ আর আমার বাৱণকারীর সংখ্যা যত বৃদ্ধি হয়েছে আমার প্রেম তত গভীর ও দৃঢ়
হয়েছে ৷

’ : ’ :


দীর্ঘ ৰিছেদ ও দুরত্ব আমাদের মাঝে স্বস্তি সৃষ্টি করেনি ৷ আর দীর্ঘ দিনের সহ অব ন্থান
আমাদের মাঝে বিরক্তির জন্ম দেইনি ৷

ণ্৷ ৷
গ্রিরতম৷ তুমি কি আর না আর মোঃ পাংাশ্কুমারী ষ্র্কুমি কি উপস্ক্কি গ্রাপ্ত পায় না যে,
তোমার মিষ্টি ঢেহারার দর্শন না পেলে আমি ভুষিত, পিপাসা র্ত ঢাতক হয়ে থাকর ?

আমি আশংকা করছি যে, হঠাৎ আমি মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তবে তখরুন৷ আমার হৃদয়ে

তোমার প্রতি ভালবাসা থাকবে যেমন ছিল পুর্বে ৷
জামীল আরো বলেছেন :

া;ব্লুছুৰুা ; ৷
আমি তো তোমাদের গোপন কথাগুলো সংরক্ষণ করি ৷ আমি খুশী হন ৷ আমার ভাল লাগে
তখন যখন তুমি জানতে পার যে, আমার আলোচনা হয় সুনামের সাথে ৷ লোকে আমার সুনাম
করে ৷
তিনি এও বলেছেনং

প্রিয়া তুমি আর আমাকে দেয়া তোমার প্রতিশ্রুতি হলো মেঘের বিদ্যুৎ চমকানাের ন্যায় ৷
যেটি শুধু বিদ্যুৎ চমকায়, বৃষ্টি বর্ষণ করে না ৷
উমাৱ ইবন আবু রাবীআ এর কবিতা উদ্ধৃত করে, করি জামীল বলেছেনং ;



আমি তো গভীর দৃষ্টিতে দেখে দেখে প্রেমিকার গােত্রকে খুজছিলাম ৷ এক পর্যায়ে আমাকে
নিয়ে যাওয়া হয় হাওদাজ বিশিষ্ট এক কুমারীর নিকট ৷


আমি চুপি চুপি তার নিকটবর্তী হলাম ৷ শেষ পর্যন্ত আমি একেবারে গোপন কক্ষে গিয়ে
প্রবেশ করি ৷


دَيِّنًا شَاعِرًا إِسْلَامِيًّا، مِنْ أَفْصَحِ الشُّعَرَاءِ فِي زَمَانِهِ. وَكَانَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ رَاوِيَتَهُ، وَهُوَ يَرْوِي عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَشْرَمٍ، عَنِ الْحُطَيْئَةِ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى، وَابْنِهِ كَعْبٍ. قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ: كَانَ جَمِيلٌ أَشْعَرَ الْعَرَبِ، حَيْثُ يَقُولُ: وَخَبَّرْتُمَانِي أَنَّ تَيْمَاءَ مَنْزِلٌ لِلَيْلَى ... إِذَا مَا الصَّيْفُ أَلْقَى الْمَرَاسِيَا فَهَذِي شُهُورُ الصَّيْفِ عَنَّا قَدِ انْقَضَتْ ... فَمَا لِلنَّوَى تَرْمِي بِلَيْلَى الْمَرَامِيَا وَمِنْهَا قَوْلُهُ: وَمَا زِلْتِ بِي يَا بُثْنُ حَتَّى لَوَ انَّنِي ... مِنَ الشَّوْقِ أَسَتَبْكِي الْحَمَامَ بَكَى لِيَا وَمَا زَادَنِي الْوَاشُونَ إِلَّا صَبَابَةً ... وَلَا كَثْرَةُ النَّاهِينَ إِلَّا تَمَادِيَا وَمَا أَحْدَثَ النَّأْيُ الْمُفَرِّقُ بَيْنَنَا ... سُلُوًّا وَلَا طُولُ اللَّيَالِي تَقَالِيَا أَلَمْ تَعْلَمِي يَا عَذْبَةَ الرِّيقِ أَنَّنِي ... أَظَلُّ إِذَا لَمْ أَلْقَ وَجْهَكِ صَادِيَا لَقَدْ خِفْتُ أَنْ أَلْقَى الْمَنِيَّةَ بَغْتَةً ... وَفِي النَّفْسِ حَاجَاتٌ إِلَيْكِ كَمَا هِيَا وَمِمَّا أَوْرَدَهُ لَهُ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ فِي الْوَفِيَّاتِ قَوْلُهُ:
পৃষ্ঠা - ৭২১৮

জামীলের কবিতা ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন :

সে বলল, আমার ভইিয়ের যিন্দেপীর কলম, আমার পিতার অস্কুগহের কসম, তুমি যদি
বেরিয়ে না আস, তাহলে আমি গোত্রের মধ্যে লুটতরাজ চালিয়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিব ৷

ব্লুপু;ট্রু ঠু ,ট্রুগ্লু£ ;াঠুট্রুা ব্লুা৷
ধ্ আমি আমার মাথা বের করে দিলাম ৷ যাতে সে স্পর্শ দ্বারা বুঝতে পারে যে, এটি আমার
মাথা, আমার চুলগুলাে ছিল এলোম্যেলা, খিযাব লাগানো ৷

আমি বের হলাম তার সম্প্রদায়ের ভয় বক্ষে ধারণ করে ৷ তখন সে হেসে উঠল ৷ আমি
বুঝলাম যে, তার শপথে এখন আর কোন ক্ষতি ৩হবে না ৷
এবার আমি তার মুখে চুমু থেলাম ৷ দু হতে তার চুলের বেণী ধরে ৷ অতংপর
ঠাণ্ডা-শীতল লাল৷ এক চুমুকে পান করলাম ৷
কুছায়িদ্রর আয্যাহ বলেন যে, একদিন বুছায়না-এর প্রেমিক জামীলের সাথে আমার
সাক্ষাত হলো ৷ তিনি আমাকে বললেন, তুমি কােখেকে আসছ ? আমি বললাম, আমি আসছি
এই প্রেমিকার নিকট থেকে ৷ তিনি বললেন, তুমি যা বে কোথায় ? আমি বললাম, যাব তো ওই
প্রেমিকার কাছে ৷ অর্থাৎ আয্যাহ্ এর নিকট ৷ জামীল বললেন, আমি তোমাকে দােহাই দিচ্ছি
যদি তমি বুছায়না র নিকট গিয়ে আমার জন্যে তার সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি এনে না দাও ৷ কারণ,
আমি তাকে দেখেছি গ্রীষ্মকালের শুরুতে ৷ সর্ব শেষ তার সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে ওয়াদীল
কুরা উপত্যকায় ৷ তখন সে আর তার বা দুই জলে একটি কাপড় ধৌত করছিল ৷ অতঃপর আমার
উপস্থিতি দেখে তারা দু’ জনে আমার সাথে গল্প করেছে সন্ধ্য৷ পর্যন্ত ৷

কুছায়ির বলেন, তার অনুরোধে আমি বুছায়নার বাড়ীর দিকে ফিরে বাই ৷ ওদের বাড়ী
গিয়ে বাহন থেকে নামি ৷ আমাকে দেখে তার বাবা বলল, ভাতিজা ! কোন কারণে বাড়ী না গিয়া
এখানে ফিরে এসেছ ? আমি বললাম, আমি কিছু পত্ক্তি রচনা করেছি ওগুলো আপনাকে
শুনানাের জন্যে এসেছি ৷ সে বলল, ওই পংক্তিগুলাে কই ? আমি পংক্তিগুলে৷ উচ্চারণ করতে
লাগলাম ৷ বুছায়না পদার আড়াল থেকে তা শুনছিল ৷

,,,,,,

াচুন্’৷ ট্রু;াছুটুম্ন

আমি তাকে বললাম, ওহে আষ্যাহ, আমার বন্ধু তোমার নিকট একজন বাহক প্রেরণ
করেছে ৷ বাহককে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছে ৷


বাহক প্রেরণ করেছে এই মর্মে যে, তুমি আমার আর তোমার মধ্যে সাক্ষাতের একটি
সময় ও স্থান নির্ধারণ করে দাও ৷ আর তৃমিঙু আমাকে জানিয়ে দাও যে, তখন আমি কি করব ৷




إِنِّي لَأَحْفَظُ غَيْبَكُمْ وَيَسُرُّنِي ... لَوْ تَعْلَمِينَ بِصَالِحٍ أَنْ تَذْكُرِي إِلَى أَنْ قَالَ: مَا أَنْتِ وَالْوَعْدُ الَّذِي تَعِدِينَنِي ... إِلَّا كَبَرْقِ سَحَابَةٍ لَمْ تُمْطِرِ وَقَوْلُهُ - وَرُوِيَ لِعُمَرَ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ فِيمَا نَقَلَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ -: مَا زِلْتُ أَبْغِي الْحَيَّ أَتْبَعُ فَلَّهُمْ ... حَتَّى دُفِعْتُ إِلَى رَبِيبَةِ هَوْدَجِ فَدَنَوْتُ مُخْتَفِيًا أُلِمُّ بِبَيْتِهَا ... حَتَّى وَلَجْتُ إِلَى خَفِيِّ الْمَوْلِجِ قَالَتْ وَعَيْشِ أَخِي وَنِعْمَةِ وَالِدِي ... لَأُنَبِّهَنَّ الْحَيَّ إِنْ لَمْ تَخْرُجِ فَتَنَاوَلَتْ رَأْسِي لِتَعْرِفَ مَسَّهُ ... بِمُخَضَّبِ الْأَطْرَافِ غَيْرِ مُشَنَّجِ فَخَرَجْتُ خِيفَةَ أَهْلِهَا فَتَبَسَّمَتْ ... فَعَلِمْتُ أَنَّ يَمِينَهَا لَمْ تَحَرَّجِ فَلَثَمْتُ فَاهَا آخِذًا بِقُرُونِهَا ... شُرْبَ النَّزِيفِ بِبَرْدِ مَاءِ الْحَشْرَجِ
পৃষ্ঠা - ৭২১৯
قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ: لَقِيَنِي جَمِيلُ بُثَيْنَةَ، فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ؟ فَقُلْتُ: مِنْ عِنْدِ هَذِهِ الْحَبِيبَةِ. فَقَالَ: وَإِلَى أَيْنَ؟ فَقُلْتُ: إِلَى هَذِهِ الْحَبِيبَةِ - يَعْنِي عَزَّةَ - فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا رَجَعْتَ إِلَى بُثَيْنَةَ فَوَاعَدْتَهَا لِي; فَإِنَّ لِي مِنْ أَوَّلِ الصَّيْفِ مَا رَأَيْتُهَا، وَكَانَ آخِرُ عَهْدِي بِهَا بِوَادِي الْقُرَى، وَهِيَ تَغْسِلُ هِيَ وَأُمُّهَا ثَوْبًا، فَتَحَادَثْنَا إِلَى الْغُرُوبِ. قَالَ كُثَيِّرٌ: فَرَجَعْتُ حَتَّى أَنَخْتُ بِهِمْ، فَقَالَ أَبُو بُثَيْنَةَ: مَا رَدَّكَ يَا ابْنَ أَخِي؟ فَقُلْتُ: أَبْيَاتٌ قُلْتُهَا، فَرَجَعْتُ لِأَعْرِضَهَا عَلَيْكَ، فَقَالَ: وَمَا هِيَ؟ فَأَنْشَدْتُهُ، وَبُثَيْنَةُ تَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ: فَقُلْتُ لَهَا يَا عَزُّ أَرْسَلَ صَاحِبِي ... إِلَيْكِ رَسُولًا وَالرَّسُولُ مُوَكَّلُ بِأَنْ تَجْعَلِي بَيْنِي وَبَيْنَكِ مَوْعِدًا ... وَأَنْ تَأْمُرِينِي مَا الَّذِي فِيهِ أَفْعَلُ وَآخِرُ عَهْدِي مِنْكِ يَوْمَ لَقِيتِنِي ... بِأَسْفَلِ وَادِي الدَّوْمِ وَالثَّوْبُ يُغْسَلُ
পৃষ্ঠা - ৭২২০


তোমার সাথে আমার শেষ সাক্ষাত হয়েছিল আল-দাওম উপত্যকায় ৷ যখন একটি কাপ
বৌতঅ করা হচ্ছিল ৷
তঃপর রাতের বেলা বুছায়না তার প্রতিশ্রুত স্থানে আগমন করে ৷ জামীল ও তথায়
উপস্থিত হন ৷ আমি ওদের সাথে ছিলাম ৷ ওই রাতের চাইতে অধিক আনন্দের এবং অধিক
প্রেম ভালবাসার রাত আমি কখনো দেখিনি ৷ ওই মজলিস জমে উঠল, আমি বুঝতে পারলাম
না তাদের দু’ জনের মধ্যে কে তার প্রতিপক্ষের মনের খবর অধিক অবগত ৷

যুবাযব ইবন বাক্কার বর্ণনা করেন আব্বাস ইবন সাহ্ল সাইদী থেকে যে জামীলের মৃত্যুর
সময় তিনি তার নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন, জাযীল তাকে বলেছিলেন, একজন মানুষ যে
আল্লাহ ব্যতীত ইলাহ্ নেই বলে সাক্ষ্য দেয় এবং যে কখনো মদ পান করেনি, ব্যভিচারে লিপ্ত
হয়নি, চুরি করেনি, নরহ্ত্যায় জড়ায়নি তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী ? উত্তরে যুবায়র
বললেন, আমি মনে করি যে মুক্তি পাবে এবং আমি আশা করি যে জ ৷ন্নাত লাভ করবে ৷ তবে
তেমন লোকটি কে ? জামীল বললেন, তেমন লোক হলড়াম আমি ৷ যুবায়র বলেন, আমি তখন
আশ্চর্য হয়ে বললাম ৷ আমি তাে মনে করি না যে, আপনি ওই সব পাপাচা ৷রিত ৷ থেকে পবিত্র
আছেন ৷ অথচ দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত বুছায়না নামের এক মেয়ের প্রেমে আসক্ত হয়ে আপনি
জীবন কাটিয়েছেন ৷

জামীল বললেন, এখন আমি পার্থিব জীবনের শেষ দিনে এবং পরকালীন জীবনের প্রথম
দিনে উপনীত হয়েছি ৷ আমি স্পষ্ট করে বলছি যদি কোন মন্দ উদ্দেশ্যে আমি তার শরীরে
আমার হাত রেখে থাকি তাহলে মুহা স্মদ (সা) এর শাফাআত আমার ভাগ্যে জুটবে না ৷ য়ুবায়র
বলেন, আমরা ওখানে থাকতে থাকতে তিনি মৃত্যুর কোলে চলে পড়লেন ৷

আমি (গ্রন্থকার) বলি, তার ওফাত হয়েছে মিসরে ৷ কারণ, তিনি এক সময়ে আবদুল
আযীয ইবন মারওয়ানের দরবারে এসেছিলেন ৷ আবদুল আযীয তাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ
করেন এবং বুছায়না-এর সাথে ভালবাসার সম্পর্ক বিষয়ে খোজ খবর নেন ৷ জামীল বলেন,
এখনো তাকে ভীষণভাবে ভালবড়াসি৷ আবদুল আযীয কতক কবিতা ও তার প্রশং সাগীতি
শোনার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন ৷ জামীল কতক কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ আবদুল আযীয তাকে আশ্বাস
দেন যে, বুছায়না এর সাথে তার মিলন ঘটিয়ে দিবেন ৷ বিক্ষ্ম জামীলের মৃত্যু আর সে সুযোগ
দেয়নি ৷ ৮২ সনে জামীলের ওফাত হয় ৷ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করুন ৷

জনৈক ব্যক্তির বরাত দিয়ে আসমাঈ উল্লেখ করেছেন যে, জামীল তাকে বলে গিয়েছিলেন,

তুমি কি বুছায়নার গোত্রের নিকট আমার একটা চিঠি পাঠিয়ে দিতে পারবে ৷ তাহলে তুমি

আমার নিকট যা আছে তা পাবে ৷ লোকটি বলল, হ্যা, পারব ৷ জামীল বললেন, আমি মারা
গেলে তুমি আমার উখ্রীটিতে আরোহণ করবে ৷ আমার এই জামা পরিধান করবে এবং
কতগুলো পৎক্তি ওখানে গিয়ে আবৃত্তি করবে ৷ তার একটি এই ং

শ্ ণ্৷ ষ্ ! # : : ’

ওহে বুছায়না! র্দাড়াও, বিলাপকর, মাতম কর এবং কান্না কর এমন এক বন্ধুর জন্যে, যে
বন্ধু অনন্য অতুলনীয় ৷
বাহক লোকটি বুছায়না এর গোত্রের নিকট গেল এবং নির্ধারিত পৎক্তিগুলো আবৃত্তি করল ৷

পংত্তিল্ম আবৃত্তি শুনে বুছায়না বেরিয়ে এল তার মুখ যেন মেহেদী রাঙানাে পুর্ণিমার চাদ ৷ খুব
দ্রুত বের হয়েছিল সে ৷ ওড়নায় পা পেচিয়ে যাচ্ছিল ৷ সে বলল, তোমার জন্য আফসোসা তুমি


قَالَ: فَضَرَبَتْ بُثَيْنَةُ جَانِبَ خَدْرِهَا، وَقَالَتِ: اخْسَأْ، اخْسَأْ. فَقَالَ أَبُوهَا: مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: كَلْبٌ يَأْتِينَا إِذَا نَامَ النَّاسُ، مِنْ وَرَاءِ الرَّابِيَةِ. ثُمَّ قَالَتْ لِجَارِيَتِهَا: ابْغِينَا مِنَ الدَّوْمَاتِ حَطَبًا لِيُشْوَى بِهِ لِكُثَيِّرٍ شَاةٌ. فَقُلْتُ: أَنَا أَعْجَلُ مِنْ ذَلِكَ. وَانْطَلَقْتُ إِلَى جَمِيلٍ، فَقُلْتُ: مَوْعِدُكُ الدَّوْمَاتُ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ أَقْبَلَتْ بُثَيْنَةُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي وَاعَدَتْهُ إِلَيْهِ، وَجَاءَ جَمِيلٌ، وَكُنْتُ مَعَهُمْ، فَمَا رَأَيْتُ لَيْلَةً أَعْجَبَ مِنْهَا، وَلَا أَحْسَنَ مُنَادِمَاتٍ، وَانْفَضَّ ذَلِكَ الْمَجْلِسُ وَمَا أَدْرِي أَيُّهُمَا أَفْهَمُ لِمَا فِي ضَمِيرِ صَاحِبِهِ مِنْهُ. وَذَكَرَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى جَمِيلٍ وَهُوَ يَمُوتُ فَقَالَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي رَجُلٍ لَمْ يَشْرَبِ الْخَمْرَ قَطُّ، وَلَمْ يَزْنِ قَطُّ، وَلَمْ يَسْرِقْ، وَلَمْ يَقْتُلِ النَّفْسَ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: أَظُنُّهُ قَدْ نَجَا، وَأَرْجُو لَهُ الْجَنَّةَ، فَمَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَنَا. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَظُنُّكَ سَلِمْتَ، وَأَنْتَ تُشَبِّبُ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً بِبُثَيْنَةَ. فَقَالَ: لَا نَالَتْنِي شَفَاعَةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَفِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الْآخِرَةِ وَآخَرِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا إِنْ كُنْتُ
পৃষ্ঠা - ৭২২১
وَضَعْتُ يَدِي عَلَيْهَا بِرِيبَةٍ. قَالَ: فَمَا بَرِحْنَا حَتَّى مَاتَ. قُلْتُ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمِصْرَ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ قَدِمَ عَلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، فَأَكْرَمَهُ وَسَأَلَهُ عَنْ حُبِّهِ بُثَيْنَةَ، فَقَالَ: شَدِيدٌ، وَاسْتَنْشَدَهُ مِنْ أَشْعَارِهِ وَمَدَائِحِهِ فَأَنْشَدَهُ، فَوَعَدَهُ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا، فَعَاجَلَتْهُ الْمَنِيَّةُ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ، رَحِمَهُ اللَّهُ آمِينَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ رَجُلٍ، أَنَّ جَمِيلًا قَالَ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُبْلِغٌ عَنِّي رِسَالَةً إِلَى حَيِّ بُثَيْنَةَ، وَلَكَ مَا عِنْدِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَارْكَبْ نَاقَتِي، وَالْبَسْ حُلَّتِي هَذِهِ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَقُولَ أَبْيَاتًا مِنْهَا قَوْلُهُ: قُومِي بُثَيْنَةَ فَانْدُبِي بِعَوِيلِ ... وَابْكِ خَلِيلًا دُونَ كُلِّ خَلِيلِ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى حَيِّهِمْ أَنْشَدَ الْأَبْيَاتَ، قَالَ: فَخَرَجَتْ بُثَيْنَةُ كَأَنَّهَا بَدْرٌ بَدَا فِي دُجْنَةٍ، وَهِيَ تَتَثَنَّى فِي مَرْطِهَا، فَقَالَتْ لَهُ: وَيْحَكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا فَقَدْ قَتَلْتَنِي، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَقَدْ فَضَحْتَنِي. فَقُلْتُ: بَلَى، وَاللَّهِ صَادِقٌ، وَهَذِهِ حُلَّتُهُ وَنَاقَتُهُ. فَلَمَّا تَحَقَّقَتْ ذَلِكَ صَاحَتْ بِأَعْلَى صَوْتِهَا، وَصَكَّتْ وَجْهَهَا، وَاجْتَمَعَ نِسَاءُ الْحَيِّ إِلَيْهَا يَبْكِينَ مَعَهَا، ثُمَّ صَعِقَتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، ثُمَّ أَفَاقَتْ، وَهِيَ تَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭২২২


যদি সতবােদী হয়ে থাক, তাহলে তৃমি ওই সংবাদ শুনিয়ে আমার মৃত্যু ডেকে এনেছ ৷ আর
তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক, তাহলে এত দ্বারা তুমি আমার ইয্যত নষ্ট করেছ ৷ লোকটি
বলল, আমি তখন বললাম, আল্লাহর কসম, আমি সত্য বলেছি ৷ এই যে তার জ্জা এবং
জামা ৷ বুছায়না যখন নিশ্চিত হলো যে, জামীল মারা গিয়েছেন ৷ তখন সে জামীলের জন্যে
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এবং অনুতাপ ও অনুগােচনায় দগ্ধ হয়ে কতক কবিতা আবৃত্তি করল ৷
তাতে সে এ কথা প্রকাশ করল যে, জামীলকে হারানোর পর তার জীবন এখন নিরানন্দ ও
নিরর্থক ৷ তার জীবনে আর কোন স্বাদ থাকল না ৷ অতঃপর অবিলম্বে তখনই বুছায়না মারা
গেল ৷ বাহক লোকটি বলল, সেদিন আমি জামীল ও বুছায়নাকে যেমন র্কাদতে দেখেছি অন্য
কোন পুরুষ ও রমণীকে কোন দিন তেমন র্কাদতেদেখিনি ৷

ইবন আসাকির জামীল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন দামেস্কে ছিলেন তখন তাকে
কেউ একজন বলেছিল, ওহ্, আপনি যদি কবিতা ছেড়ে কুরআন মুখস্ত করতেন তবে অনেক
ভাল হত ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, হযরত আনাস ইবন মালিক (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে
আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ধ্ষ্ধু;ফু স্পে ৷ ট্রু,প্রু ৷ নিশ্চয়
কোন কোন কবিতায় প্রজ্ঞা রয়েছে)

উনার ইবন উৰায়দুল্লাহ্ (র)

৮২ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন উমার ইবন উবড়ায়দুল্লাহ্ ইবন না যায়
ইবন উসমান আবু হাফস কারশী তামীমী (র) ৷ তিনি সমকালীন সমাজে একজন দানশীল
সেনাপতি ও সজ্রান্ত ব্যক্তিরুপে পরিচিত ছিলেন ৷ তার হাতে বহু নগর-শহর বিজিত হয়েছিল ৷
হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন যুবায়র (রা) এর খিলাফতকালে উমার ইবন উবায়দুল্লাহ্ তার পক্ষে
বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন খ৷ ৷যিমের সাথে মিলে যৌথভাবে তিনি
কাবুল জয় করেন ৷ তিনিই কাতারী ইবন কুজাআহ্কে হত্যা করেছিলেন ৷ হযরত ইবন উমার
(বা), হযরত জাবির (রা) ও অন্যান্যদের থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আত ৷ ইবন
রাহাহ এবং ইবন আওন থেকেও তিনি হ৷ ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি খলীফ৷ আবদুল মালিকের
নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ অতঃপর ৮২ সনে দামেশকে তার মৃত্যু হয় ৷ এ তথ্য দিয়েছেন
মাদাইনী ৷ বর্ণিত আছে যে, একলোক একটি দাসী ক্রয় করেছিল ৷ দাসীটি খুব সুন্দরভাবে
কুরআন পাঠ করত, কবিতা আবৃত্তি করত এবং তার আরো অনেক গুণ ছিল ৷ সােকটি ওই
দাসীকে খুবই ভালবেসেফি৷ ৷ সে তার পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল ৷ এক পর্যায়ে তার সব
সম্পদ শেষ হয়ে সে দেউলিয়৷ হয়ে যায় ৷ ওখন এই দাসী ব্যতীত তার অন্য কোন সম্পদ
অবশিষ্ট থাকল না ৷

একদিন দাসীটি তাকে বলল, আপনার সৈন্য ও অভারের কথা আমি বুঝতে পেয়েছি ৷
আপনি যদি আমাকে বিক্রি করে অর্থ নিজের কাজে ব্যয় করেন তাহলে তা আপনার জন্যে ভাল ণ্
হবে ৷ লোকঢি তার ওই দাসীটি উমার ইবন উবায়দুল্লাহ্ এর নিকট এক লক্ষ দিরহামে বিক্রি
করল ৷ তিনি তখন বসরার শাসনকর্তা ছিলেন ৷ মুল্যগ্রহণ করার পর মালিক নিজেও অনুতপ্ত হল
দাসীছুও অনুতপ্ত হলো ৷ অতঃপর কয়েকটি পংক্তির মাধ্যমে দাসীটি তার মালিককে মনের কথা
বলে ল :

ব্লু,


وَإِنَّ سُلُوِّي عَنْ جَمِيلٍ لِسَاعَةٍ ... مِنَ الدَّهْرِ مَا حَانَتْ وَلَا حَانَ حِينُهَا سَوَاءٌ عَلَيْنَا يَا جَمِيلُ بْنُ مَعْمَرٍ ... إِذَا مُتَّ بَأْسَاءُ الْحَيَاةِ وَلِينُهَا قَالَ الرَّجُلُ: فَمَا رَأَيْتُ أَكْثَرَ بَاكِيًا وَلَا بَاكِيَةً مِنْ يَوْمئِذٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْهُ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ بِدِمَشْقَ: لَوْ تَرَكْتَ الشِّعْرَ وَحَفِظْتَ الْقُرْآنَ؟ فَقَالَ: هَذَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يُخْبِرُنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ لِحِكْمَةً» . عُمَرُ بْنُ عَبِيدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ عُثْمَانَ، أَبُو حَفْصٍ الْقُرَشِيُّ التَّمِيمِيُّ أَحَدُ الْأَجْوَادِ، وَالْأُمَرَاءِ الْأَمْجَادِ، فُتِحَتْ عَلَى يَدَيْهِ بُلْدَانٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ نَائِبًا لِابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَقَدْ فَتَحَ كَابُلَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ قُطْرِيَّ بْنَ الْفُجَاءَةِ. رَوَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ وَغَيْرِهِمَا، وَعَنْهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، وَابْنُ عَوْنٍ. وَوَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَتُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ، قَالَهُ الْمَدَائِنِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৭২২৩


আমাকে বিক্রি করে যে মুল্য আপনি গ্রহণ করলেন তা তো আপনার জন্যে তৃপ্তিকর ও
মজার বব্লুট ৷ কিন্তু আমার হাতে তো এখন দুশ্চিন্তা ও বিরহ ব্যখ৷ ছাড়া কিছুইশ্রু রইল না ৷

আমার আত্মা এখন জীবন-দুংখে জজরিত ৷ আমি সেটিকে বলছি ব্লুয, তুমি দুঃখ বেশী
ভোগ কর, আর কম জীবন সাথী কিন্তু পৃথক হয়ে চলে গিয়েছে ৷


এই সংকট উত্তরব্লুণ তোমার নিকট যখন কোন কৌশল নেই এবং ধৈর্য ধারণ ব্যভীত যখন
কোন উপায় নেই, তখনধৈর্যই ধারণ কর ৷ উত্তরেতার ৷মালিক রললং :

র্ভু১ট্টড্রু:ণ্পুট্ বুওত্র১

যুগ পরিক্রম৷ যদি তােমা র ব্যাপারে আমাকে এই সং কব্লুট না ব্লুফল৩ ,তাহলে মৃত্যু ব্যতীত

অন্য কিছুই আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাব্লুত পারত না ৷ এখন ধৈর্যই ধারণ কর ৷

তোমার ব্লুবদনাদায়ক বিব্লুচ্ছদে আমি বারবার দুঃখ ও অনুতাপে ভুগছি ৷ দীর্ঘ সময় তোমাকে
স্মরণ করে আমি আমার হৃদয়ের সাথে একান্ত আলাপ করছি ৷



ব্লু তামাকে বিদায়ী সালাম ৷ আমাদের মাঝে আর দেখা হবে না ৷ আর মিলন যটবে না যদি
না যা মারের বংশধর উমাব ইচ্ছা করেন ৷
ইবন মা মার যখন দাসীটির প্রেম ভালবাসার কথা শুন,লেন তখন বললেন, আমি কখনো
ভালবাসার পা ৷ত্র পাত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাব না ৷ উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ বেদনা দেখতে পেয়ে
মুল্য বাবদ প্রাপ্ত সব টাকা এবং ওই দাসী দুটোই বিক্রেতাব্লুক দিয়ে দিলেন, ব্লুলাকটি মুল্য বাবদ
প্রাপ্ত দিরহাম এবং ওই দাসী নিয়ে চলে গেল ৷

উমার ইবন উবায়দুল্পাহ্ ইবন মামার ব্লুপ্নগ রোগে আক্রান্ত হয়ে দামেশব্লুক ইনতিকাল
করেন৷ খলীফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান নিজে তার জ নায৷ পড়িয়েছেন এবং তার
লাশের সাথে কবরস্তাব্লুন গিয়ে তার দাফনে উপস্থিত ছিলেন এবং মৃত্যুর পর তার সুনাম
করেছেন ৷ তার একটি পুত্র সন্তান ছিল ৷ তার নাম ছিল তালহ৷ ৷ তিনি কৃরায়শের ব্লুনতন্থানীয়
ব্যক্তি ছিলেন ৷ ফাতিম৷ বিনত কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন জারকে তিনি বিয়ে করেন ৷ ৪০
হাজার দীনার ছিল ওই বিবাহের দেনমােহর ৷ ওই ঘরে তার একপুত্রও এক কন্যা জন্ম নেয় ৷
তারা হলেন ইব্রাহীম এবং রামল৷ ৷ রামলাকে বিয়ে করেন ইসমাঈর্ল ইবন আলী ইবন
আব্বাস (বা) ৷ দেনমােহর নির্ধারিত ছিল এক লক্ষ দীনার ৷

কুমায়ল ইবন যিয়াদ (র)
৮২ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন কুমায়ল ইবন যিয়াদ ইবন নাহীক ইবন
খাযছাম নাখঈ কুফী ৷ তিনি হযরত ৩উমার (রা), উছমান (রা), আলী (রা), ইবন মাসউদ
(বা) এবং আবু হুরায়রা (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হযর ৩আলী (রা) এর পক্ষ
হয়ে সিফ্ফীব্লুনর যুদ্ধে অৎ শ নেন ৷ ড্রি,,নিত্যুঃএক্ললোঃৰুব্লাহসী ও বীর ব্যক্তি ছিলেন ৷ সৎযমী,

وَحُكِيَ أَنَّ رَجُلًا اشْتَرَى جَارِيَةً كَانَتْ تُحْسِنُ الْقُرْآنَ وَالشِّعْرَ وَغَيْرَهُ، فَأَحَبَّهَا حُبًّا شَدِيدًا، وَأَنْفَقَ عَلَيْهَا مَالَهُ كُلَّهُ حَتَّى أَفْلَسَ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ شَيْءٌ سِوَى هَذِهِ الْجَارِيَةِ، فَقَالَتْ لَهُ الْجَارِيَةُ: قَدْ أَرَى مَا بِكَ مِنْ قِلَّةِ الشَّيْءِ، فَلَوْ بِعْتَنِي وَانْتَفَعْتَ بِثَمَنِي صَلُحَ حَالُكَ، فَبَاعَهَا لِعُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ هَذَا - وَهُوَ يَوْمئِذٍ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ - بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمَّا قَبَضَ الْمَالَ نَدِمَ وَنَدِمَتِ الْجَارِيَةُ، فَأَنْشَأَتْ تُخَاطِبُ مَوْلَاهَا الَّذِي بَاعَهَا: هَنِيئًا لَكَ الْمَالُ الَّذِي قَدْ أَخَذْتَهُ ... وَلَمْ يَبْقَ فِي كَفِّي إِلَّا تَفَكُّرِي أَقُولُ لِنَفْسِي وَهِيَ فِي كَرْبِ غَشْيَةٍ ... أَقَلِّي فَقَدْ بَانَ الْخَلِيطُ أَوْ أَكْثَرِي إِذَا لَمْ يَكُنْ فِي الْأَمْرِ عِنْدَكِ حِيلَةٌ ... وَلَمْ تَجِدِي بُدًّا مِنَ الصَّبْرِ فَاصْبِرِي فَأَجَابَهَا سَيِّدُهَا، فَقَالَ: وَلَوْلَا قُعُودُ الدَّهْرِ بِي عَنْكِ لَمْ يَكُنْ ... لِفُرْقَتِنَا شَيْءٌ سِوَى الْمَوْتِ فَاعْذُرِي أَءُوبُ بِحُزْنٍ مِنْ فِرَاقِكِ مُوجِعٍ ... أُنَاجِي بِهِ قَلْبًا طَوِيلَ التَّذَكُّرِ عَلَيْكِ سَلَامٌ لَا زِيَارَةَ بَيْنَنَا ... وَلَا وَصْلَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ ابْنُ مَعْمَرِ فَلَمَّا سَمِعَهُمَا ابْنُ مَعْمَرٍ قَدْ شَبَّبَتْ، قَالَ: وَاللَّهِ لَا فَرَقْتُ بَيْنَ مُحِبَّيْنِ أَبَدًا.
পৃষ্ঠা - ৭২২৪
ثُمَّ أَعْطَاهُ الْمَالَ - وَهُوَ مِائَةُ أَلْفٍ - وَالْجَارِيَةَ; لَمَّا رَأَى مِنْ تَوَجُّعِهِمَا عَلَى فِرَاقِ كُلٍّ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ، فَأَخَذَ الرِّجْلُ الْجَارِيَةَ وَثَمَنَهَا وَانْطَلَقَ. تُوُفِّيَ عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ هَذَا بِدِمَشْقَ بِالطَّاعُونِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَمَشَى فِي جِنَازَتِهِ، وَحَضَرَ دَفْنَهُ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ بَعْدَ مَوْتِهِ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ طَلْحَةُ، وَهُوَ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ، تَزَوَّجَ فَاطِمَةَ بِنْتَ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى صَدَاقٍ أَرْبَعِينَ أَلْفِ دِينَارٍ، فَأَوْلَدَهَا إِبْرَاهِيمَ وَرَمْلَةَ، فَتَزَوَّجَ رَمْلَةَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَلَى صَدَاقٍ مِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. كُمَيْلُ بْنُ زِيَادِ بْنِ نَهِيكِ بْنِ الْهَيْثَمِ، النَّخَعِيُّ الْكُوفِيُّ رَوَى عَنْ عُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَشَهِدَ مَعَ عَلَيٍّ صِفِّينَ، وَكَانَ شُجَاعًا فَاتِكًا، وَزَاهِدًا عَابِدًا، قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، - وَقَدْ عَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ - قَتَلَهُ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَإِنَّمَا نَقَمَ عَلَيْهِ; لِأَنَّهُ طَلَبَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الْقِصَاصَ مِنْ لَطْمَةٍ لَطَمَهَا إِيَّاهُ، فَلَمَّا أَمْكَنَهُ عُثْمَانُ مِنْ نَفْسِهِ عَفَا عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: أَوَ مِثْلُكَ يَسْأَلُ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْقِصَاصَ؟ ثُمَّ أَمَرَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৭২২৫

পরহেযগার ও ইবাদতকারী মানুষ ছিলেন ৷ এই সনে হাজ্জাজ তাকে হত্যা করে ৷ তিনি ১০০
বৎসর বেচে ছিলেন ৷ ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে হাজ্জাজ তাকে হত্যা করে ৷ কারণ, এক
সময় হযরত উছমান (রা) তাকে একটি চড় যেরেছিলেন এবং তিনি ওই চড়ের বদলা দাবী
করেছিলেন ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল হড়াজ্জাজ ৷ অবশ্য হযরত উছমড়ান (বা) পরে কুমায়লকে
সুযোগ দিয়েছিলেন যে, এখন তুমি তোমার প্রতিশোধ নাও ৷ কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পর কুমায়ল
হযরত উছমানকে (রা) ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ৷ প্রতিশোধ নেননি ৷ হাজ্জাজ র্তাকে বলেছিল,
, তোমার মত সেকে আর্মীরুন মু’মিনীনের নিকট প্রতিশোধ দাবী করতে পারে ? এরপর
হাজ্জাজের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয় ৷

ঐতিহাসিকপণ বলেছেন যে, এই প্রেক্ষাপটে একদিন হাজ্জাজ হযরত আলী (রা)-এর
প্রসঙ্গ আলোচনা করে ৷ সে হযরত আলী (রা)-এর সুনাম ও সমালোচনা করে ৷ আর কুমড়ায়ল
হযরত আলীর (রা) জন্যে দুআ করেন ৷ তাতে হাজ্জাজ আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয় ৷ হাজ্জাজ
বলেছিল, আমি তোমার নিকট এমন লোক পাঠাব তুমি আলী (রা)-কে যত বেশী মহব্বত
কর যে তাকে তার চাইতে বেশী ঘৃণা করে ৷ অতঃপর সে ইবন আছহামকে তীর নিকট পাঠায় ৷
ইবন আহহাম ছিল হিমস নগরীর লোক ৷ কেউ বলেছেন, এই পর্যায়ে হাজ্জাজ পড়াঠিয়েছিল্ আবু
জাহান ইবন কিনানাকে ৷ সে হযরত কুমায়লকে (র) হত্যা করে ৷

বহু তাবেঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আলী (রা)-এর একটি সুন্দর বাণী

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

পাত্র স্বরুপ ৷ সুতরাং যে অম্ভর যত বেশী সংরক্ষণকারী হবে সৈটি তে বেশী উত্তম বলে
বিবেচিত হবে ৷ এটি একটি দীর্ঘ হাদীস বটে ৷ বহু আস্থাভাজন হাফিয-ই হাদীস এটি বর্ণনা
করেছেন ৷ সেটিতে বহু নসীহত এবং উপদেশ রয়েছে ৷ যিনি এ বক্তব্য পেশ করেছেন মহান
আল্লাহ্ তার প্রতি সভুষ্ট হোন ৷

যাযান আবু আমর আন কিন্দী (র)

এই সনে যাদের ইন্তিকাল হয় তাদের অন্যতম হলেন যাযান আবু আমর আল কিন্দী
(র) ৷ তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের তাবেঈ ছিলেন ৷ জীবনের প্রথম যুগে তিনি নেশা পান
করতেন এবং তড়ানপুরা বাজাতেন ৷ অতঃপর মহান আল্পাহ্ হযরত আবদুল্পাহ্ ইবন মাসউদের
হাতে তাকে তাওবার সুযোগ দেন ৷ এরপর তিনি সত্য ও ন্যায়ের প্রতি ফিরে আসেন ৷ তার
মনে প্রচণ্ড আল্লাহ্ডীতি জন্ম নেয় ৷ নামাযে দীড়ালে মনে হত যেন একটি কাষ্ঠখণ্ড ৷

যির্র ইৰ্নহ্ৰায়শ (র)

ইতিহাসবিদ খলীফা বলেছেন যে, এই সনে যির্র ইবন হুবড়ায়শের ইনৃতিকাল হয় ৷ তিনি
হযরত আইশা (না) এবং হযরত ইবন মাসউদ (রা)-এর শিষ্য ছিলেন ৷ ১২০ বৎসর বয়সে
তার ইনতিকাল হয় ৷ আবু উৰারদ বলেছেন যে, তার মৃত্যু হয়েছে ৮১ সনে ৷ তার জীবনী
আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা করেছি তার পরম বন্ধু আবু ওয়াইল শাকীক ইবন সালামার
জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে ৷ তিনি ৮২ সনে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি জাহেলী যুগের সাত বৎসর
পেয়েছিলেন ৷ রাসুঙ্গুন্নাহ্ (সা) এর ঙ্গীৰুলোঃঢুহুয় তিনি সলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷

০াড়া

وَذَكَرَ الْحَجَّاجُ عَلِيًّا فِي غُبُونِ ذَلِكَ فَنَالَ مِنْهُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ كُمَيْلٌ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: وَاللَّهِ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكَ مَنْ يُبْغِضُ عَلِيًّا أَكْثَرَ مِمَّا تُحِبُّهُ أَنْتَ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ ابْنَ أَدْهَمَ، وَكَانَ مِنْ أَهْلِ حِمْصَ، وَيُقَالُ: أَبَا الْجَهْمِ بْنَ كِنَانَةَ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ. وَقَدْ رَوَى عَنْ كُمَيْلٍ جَمَاعَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَلَهُ الْأَثَرُ الْمَشْهُورُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الَّذِي أَوَّلُهُ: الْقُلُوبُ أَوْعِيَةٌ، فَخَيْرُهَا أَوْعَاهَا. وَهُوَ طَوِيلٌ، قَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْحُفَّاظِ الثِّقَاتِ، وَفِيهِ مَوَاعِظُ وَكَلَامٌ حَسَنٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْ قَائِلِهِ. زَاذَانُ أَبُو عَمْرٍو الْكِنْدِيُّ أَحَدُ التَّابِعِينَ، كَانَ أَوَّلًا يَشْرَبُ الْمُسْكِرَ وَيَضْرِبُ بِالطُّنْبُورِ، فَرَزَقَهُ اللَّهُ التَّوْبَةَ عَلَى يَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَحَصَلَتْ لَهُ إِنَابَةٌ وَرُجُوعٌ إِلَى الْحَقِّ، وَخَشْيَةٌ شَدِيدَةٌ، حَتَّى كَانَ فِي الصَّلَاةِ كَأَنَّهُ خَشَبَةٌ. وَقَالَ مَرَّةً: إِنِّي جَائِعٌ. فَنَزَلَ عَلَيْهِ مِنَ الرَّوْزَنَةِ رَغِيفٌ مِثْلُ الرَّحَا. وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ ابْنِ مَعِينٍ وَغَيْرِهِ. قَالَ خَلِيفَةُ: تُوَفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ. قَالَ خَلِيفَةُ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ، أَحَدُ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭২২৬
وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهِ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: مَاتَ سَنَةَ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ لَهُ تَرْجَمَةٌ. وَشَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ أَبُو وَائِلٍ أَدْرَكَ مِنْ زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ سَبْعَ سِنِينَ، وَأَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أُمُّ الدَّرْدَاءِ الصُّغْرَى اسْمُهَا هُجَيْمَةُ، وَيُقَالُ: جُهَيْمَةُ، تَابِعِيَّةٌ عَابِدَةٌ عَالِمَةٌ فَقِيهَةٌ، كَانَ الرِّجَالُ يَقْرَءُونَ عَلَيْهَا وَيَتَفَقَّهُونَ فِي الْحَائِطِ الشَّمَالِيِّ بِجَامِعِ دِمَشْقَ وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ يَجْلِسُ فِي حَلْقَتِهَا مَعَ الْمُتَفَقِّهَةِ، يَشْتَغِلُ عَلَيْهَا وَهُوَ خَلِيفَةٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.