আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثمانين

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭২০১

তারা দখল করে নেয় ৷ হাজ্জাজের নিকট তার বাহিনী পরাজিত হরার এবং মাছাব ও দুর্গ
পতনের সংবাদ পৌছে ৷ সে তখন দাড়িয়ে বক্তৃতা করছিল ৷ সে বলল লোক সকল! তোমরা
রসরাতে ফিরে যাও ৷ কারণ, সেটা সেনাবাহিনীর জন্য অনুকুল স্থান ৷ ফলে লোকজন ফিরে
যাচ্ছিল ৷ আশআছের সৈন্যরা ওদেরকে তাড়া করতে লাগল ৷ তারা যাকেই নাগালের মধ্যে
পাফ্লি হত্যা কৱজ্জি ৷ হাজ্জাজ নিজে পালিয়ে গেল ৷ কোন দিকেই তার ভ্রক্ষেপ ছিল না ৷ সে
পালিয়ে এসে যাবিয়াতে অবস্থান নেয়, সেখানে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় ও সেনা ক্যাম্প স্থাপন
করে ৷ সে বলছিল, “মুহাল্লাব আসলেই সফল ও দক্ষ সেনাপতি ৷ সে আমাদেরকে একটা ভাল
প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু আমরা তা গ্রহণ কবিনি ৷ হাজ্জাজ সেখানে অবস্থান নিয়ে সেনাদল প্রস্তুত
করতে থাকে ৷ সেনাবাহিনী গঠন করতে গিয়ে যে সেখানে ১৫ কোটি দিরহাম ব্যয় করে ৷ তার
সেনা ক্যাম্পের চারিদিকে পরিখা খনন করে ৷ ইরার্কীরা বসরা প্রবেশ করে ৷ তারা তাদের
পরিবার-পরিজনের সাথে মেলে ৷ প্ছোল মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের ঘ্রাণ নেয় ৷

ইবনুল আশআছ বসরা এসে অবতরণ করেন, ৷ তিনি ড্ডাসাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন ৷
ওদের থেকে বায়আত নেন এবং তারা আবদুল মালিক ও হাজ্জাজ দু’জন থেকেই বায়আত
প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ৷ ইবনুল আশআছ ওদেরকে বলেছিলেন হাজ্জাজ কোন ব্যাপারই নয় ৷
আমাদেরকে বরং আবদুল মালিকের নিকট নিয়ে যাও ৷ আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ ওই
সময়ে বসরায় অবন্থনিকারী সকল আলিম-উলামা ন্ফর্কীহ, কিরআন্ডৰিদ এবং যুবক বৃদ্ধ
, নির্বিশেষে সকলেই হাজ্জাজ ও আবদুল মালিকের প্রতিংপ্রদত্তবায়আত প্রত্যাহারে সমর্থন

জানান, এরপর ইবনুল আশআছ বসরা নগরীর চারিদিকে পরিখা খননের নির্দেশ দেন ৷ পরিখা

খনন করা হয় ৷ এরসব ঘটনা ঘটেছিল ৮ ১ সনের যিলহাজ্জ মাসের শেষ দিকে ৷

ওয়াকিদী ও আবু যা পরে বলে যে, এই সনে হজ্জ পরিচালনা করেন ইসহ্াক ইবন ঈসা ৷
খলীফ৷ আবদুল মালিকের নিযুক্ত আফ্রিকার রাজ্যগুলোর শাসনকর্তা মুসা ইবন ৰুসায়র ণ্,স্পন
জয় করার জন্যে এই সনে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ তিনি ওই অভিযানে অনেক শহর নগর
এবং আবাদী জমি দখল করে নেন ৷ তিনি প্রচণ্ড গতিতে পশ্চিমী শহরগুলােতে প্রবেশ করেন ৷
তিনি পশ্চিমে আটলান্টিকেৱ উপকুল পর্যন্ত দখল করে নেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ ন্

এই হিজয়ী সনে যাদের ওফাত হয়

বুজায়র ইবন ওয়ারকা সারীমী

৮১ হিজরী সনে যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তির ওফাত হয়৩ তাদের একজন হলেন বুজায়র ইবন
ওয়ারকা সারীমী ৷ তিনি খােরাসানের শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি ইবন খাযিমের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং তাকে হত্যা করেন ৷ তিনি বুকায়ব ইবন বিশাহ্কে হত্যা করেন ৷

পর এই৮১ সনেতিনিনিজেইনিহতহন ৷ ,

সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ ইবন আওসাজা ৮১ হিজৰী সনে যাদের ইনতিকাল হয় তাদের
অন্যতম হল সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ্ ইবন আওসম্পো ইবন আমির ৷ আবু উমাইয়৷ জুফী কুফী ৷
তিনি ইয়ারনুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ বহু সাহাবী থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তিনি জাহেলী যুগ ও ইসলামী যুগ উভয় যুগে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি
হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না) যে বত্সয়ে দৃনিয়াতে আগমন করেছেন ওই বৎসরেই সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ
(রা) এর জন্য হয় ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পেছনে নামায পড়েছেন ৷ তবে বিশুদ্ধ অভিমত


مَعْشَرٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِيهَا غَزَا مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ أَمِيرُ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ، فَافْتَتَحَ مُدُنًا كَثِيرَةً، وَأَرَاضِيَ عَامِرَةً، وَأَوْغَلَ فِي بِلَادِ الْمَغْرِبِ إِلَى أَنْ وَصَلَ إِلَى الزُّقَاقِ الْمُنْبَثِقِ مِنَ الْبَحْرِ الْأَخْضَرِ الْمُحِيطِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: بُحَيْرُ بْنُ وَرْقَاءَ الصُّرَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ أَحَدُ الْأَشْرَافِ بِخُرَاسَانَ، وَالْقُوَّادِ وَالْأُمَرَاءِ، وَهُوَ الَّذِي حَارَبَ ابْنَ خَازِمٍ وَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ بُكَيْرَ بْنَ وِشَاحٍ. ثُمَّ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ: سُوِيدُ بْنُ غَفْلَةَ بْنِ عَوْسَجَةَ بْنِ عَامِرٍ أَبُو أُمَيَّةَ الْجَعَفِيُّ الْكُوفِيُّ، شَهِدَ الْيَرْمُوكَ، وَحَدَّثَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ الْمُخَضْرَمِينَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَّى مَعَهُ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَرَهُ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ عَامَ وُلِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ. وَعَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً، لَمْ يُرَ يَوْمًا مُحْتَبِيًا وَلَا مُتَسَانِدًا، وَافْتَضَّ بِكْرًا عَامَ وَفَاتِهِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، قَالَهُ أَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৭২০২

হলো যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেননি ৷ কেউ কেউ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দুনিয়াতে আগমনের দুই বৎসর পর সুওয়াইদের জন্ম হয় ৷ তিনি ১২০ বৎসর জীবিত ছিলেন ৷
এই সময়ের মধ্যে কেউ তাকে কুজাে হয়ে হাটতে দেখেনি, আর তীর হাতে লাঠিও দেখেনি,
তার ওফাতের বৎসর অর্থাৎ ৮১ সনে তিনি জনৈকা কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেন ৷ আবু উবায়দ
ও অন্যান্যরা এই তথ্য দিয়েছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ৮২ সনে৩ তার ইনদিক ল হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবদুল্লাহ ইধ্ন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ

যীরা ৮১ সনে ইনৃতিকাল করেছেন তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ ইবনুল
হাদ (র) ৷ তিনি ইবাদতকারী ও পরহেযগার লোক ছিলেন ৷ বিশিষ্ট জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি
বহু ওসিয়ত এবং উপদেশমুলক বাণী রচনা করে গিয়েছেন ৷ সাহাবীদের বরাতে একাধিক
হাদীস এবং তাবিঈদের বরাতে বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবু তালিব (বা)

৮১ সনে ওফৰুতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্যতম এই মুহাম্মদ ইবন আলী (বা) ৷ তিনি আবুল
কাসিম এবং আবু আবদুল্লাহ উভয় উপনামে পরিচিত ৷ ইবনুল হানাফিয়্যাহ নামে তিনি
ততোধিক পরিচিত ছিলেন ৷৩ তার মাতা হানাফিয়্যাহ ছিলেন বানু হানীফ৷ গোত্রের একজন
কালো মহিলা ৷ তার মুলনাম খাওলা ৷ হযরত উম৷ ৷র ইবন খাত্তাব (রা) এর শাসনামলে মুহাম্মদ
ইবন আলীর জন্ম হয় ৷ পরিণত বয়সে তিনি আমীর মুআবিয়া এবং আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের দরবারে গিয়েছিলেন ৷ উংষ্ট্রর যুদ্ধের দিন তিনি মারওয়ানকে মাটিতে ফেলে
দিয়েছিলেন এবং তার বুকের উপর চড়ে বলেছিলেন ৷ তিনি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷
কিন্তু মারওয়ান কাক্কুতি-মিনতি এবং আল্লাহর দােহাই দিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চায় ৷ পরে তিনি তাকে
ছেড়ে দেন ৷ খলীফ৷ আবদুল মালিকের রাজত্বকালে তীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে আবদুল
মালিক এই ঘটনার উল্লেখ করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আলী ঘটনায় জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷

খলীফ৷ ক্ষমা মনয়ুর করেন এবং তাকে বহু উপহার-উপচৌকন প্রদান করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন আলী (রা) কুরায়শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি প্রসিদ্ধ বীর সাহসী
এবং শক্তিমান পুরুষদের একজন ছিলেন ৷ হযরত ইবন যুবায়র (না)-কে খলীফ৷ ঘোষণা করে
যখন তীর পক্ষে বায়আত গ্রহণ করা হয় তখন মুহাম্মদ ইবন আলী (রা) বায়আত করেননি ৷
ফলে র্তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে ৷ এমনকি খলীফ৷ ইবন যুবায়র
মুহাম্মদ ইবন আলী এবং তীর পরিবারের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ পরবর্তীতে
হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র নিহত হলেন ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের খিলাফত
নিষ্কন্টক হলো ৷ এ সময়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রা) আবদুল মালিকের প্রতি বায়আত
ও আনুগত্য প্রকাশ করেন ৷ তীর অনুসরণে মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যাহ্ও খলীফার প্রতি আনুগত্য
প্রকাশ করেন ৷ এ সময়ে তিনি মদীনায় আগমন করেন ৷ এবং ৮১ সনে সেখানে ইনৃতিকাল
করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন তার ওফাত হয়েছে ৮২ সনে ৷ আবার কেউ বলেছেন ৮০ সনে,
জান্ ত্ত্বা৷তুল বাকী গোরস্তানে র্তাকে দাফন করা হয় ৷ বাফিযী সম্প্রদায়ের ধারণা যে, মুহাম্মদ
ইবনুল হানাফিয়ব্র৷ রিজভী পর্বতে অবস্থান করছেন, তিনি জীবিত আছেন রিযকপ্ৰাপ্ত আছেন ৷


وَثَمَانِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ كَانَ مِنَ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ الْعُلَمَاءِ، وَلَهُ وَصَايَا وَكَلِمَاتٌ حِسَانٌ، وَقَدْ رَوَى عِدَّةَ أَحَادِيثَ عَنِ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭২০৩
আল-বিদা ৷য়া ওয়ান নিহায়৷ :ন্ন্ ৭৩

তারা তার আগমনের অপেক্ষায় আছে ৷ এই প্রসঙ্গে করি কুছায়িৰুর আয্যাহ্ নিম্নের কবিতা
আবৃতি করেন০ :


জেনে নাও যে, ইমামও খলীফা হবে কুরড়ায়শ বংশ থেকে ৷ তারা প্রকৃত খলীফা ৷ তারা
ৎখ্যায় চারজন ৷

একজন হলেন হযরত আলী (রা) ৷ আর তিনজন তার বংশধর, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দৌহিএ ৷ তাদের যোগ্যতা ও উপযুক্ততায় কোন অস্প্াষ্টতা নেই ৷


এক দৌহিত্র তিনি ছিলেন ঈমান ও সৎ পুণ্যের মুত প্রতীক ৷ (হযরত হাসান (রা)) ৷ অপর

এক দৌহিএ কারবালা তাকে লোকচক্ষু থেকে অদৃশ্য করে দিয়েছোহযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৷
টু ৷ঠুা

অপর এক দৌহিত্র ৷ তাকে এখন চোখে দেখা যাচ্ছে না ৷ এক সময় তিনি ঘোড়ায় চড়ে

তাক৷ উচিয়ে আবির্ভুত হবেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) যখন মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা এর প্রতি দুব্যবহ ব শুরু
করলেন এবং তার প্রতি অত্যাচ৷ ৷র করার চেষ্টা করলেন, তখন মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা আবু
তােফায়লের নেতৃত্বে কুফায় অবস্থানকারী শীআ দেরকে এ বিষয়ে অবহিত করলেন ৷ তখন
কুফার শাসনকর্তা ছিল মুখতার ইবন উবায়দুল্লাহ্ ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) মুহাম্মদ
ইবন হানাফিয়্যা এর ঘরের দরযায় প্রচুর কাঠ তুপীকৃত করেছিলেন যে, ওগুলোতে আগুন
ধরিয়ে মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা ও তার পরিবারকে পুড়িয়ে দিবেন ৷ মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যার
(র) চিঠি মুখতারের নিকট গিয়ে পৌছে ৷ মুখতার নিজে ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইমাম মাহ্দী
জ্ঞান করত এবং তার নেতৃত্বের প্রতি জনগণকে আহবান করত ৷ এই পরিস্থিতিতে মুখতার আবু
আবদুল্লাহ বাজালীর নেতৃত্বে বানু হাশিম গোত্রের লোকদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবার জন্যে
চার হাজার সৈন্য পাঠায় ৷৩ তারা ইবন যুবায়র (রা) এর কবল থেকে বানু হাশিম গোত্রের
লোকদেরকে মুক্ত করে নিয়ে যায় ৷ হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) ও তাদের সাথে যাত্রা
করেন ৷ তায়েফে তার ইনৃতিকাল হয় ৷ ইবন হানাফিয়্যাহ তার শীআ মতাবলম্বী অনুসারীদের
মধ্যে অবস্থান করতে থাকেন ৷ ইবন যুবায়র (রা) তাকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ দেন ৷ তিনি
সাথীদেরকে নিয়ে সিরিয়া চলে যান ৷ তাদের সং খ্যা ছিল প্রায় সাত হাজার ৷

: তারা আয়লা নামক স্থানে পৌছার পর খলীফা আবদুল মালিক এই মমে চিঠি লিখলেন
যে, আপনারা হয় আমার আনুগত্য স্বীক৷ ৷র করে এখানে বসবাস করেন, না হয় অন্যত্র চলে
যাবেন ৷ উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা লিখলেন, আপনি আমার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করবেন এই শর্তে আমি আপনার প্রতি ৩আনুগত্য প্রকাশ করতে পারি ৷ খলীফা আবদুল মালিক
বললেন হা, তাই হবে ৷ অতংপর ইবনুল হানাফিয়্যা তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে
দাড়ালেন ৷ মহান আল্পাহ্র প্রশং না ও গুণগান করার পর তিনি বললেন, প্রশং সা মহান আল্লাহ্র


مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَبُو الْقَاسِمِ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا، وَهُوَ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَكَانَتْ أُمُّهُ أَمَةً سَوْدَاءَ سِنْدِيَّةً مِنْ سَبْيِ بَنِي حَنِيفَةَ، اسْمُهَا خَوْلَةُ. وُلِدَ مُحَمَّدٌ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَوَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَعَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَقَدْ صَرَعَ مَرْوَانَ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَقَعَدَ عَلَى صَدْرِهِ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ، فَنَاشَدَهُ مَرْوَانُ بِاللَّهِ، وَتَذَلَّلَ لَهُ فَأَطْلَقَهُ، فَلَمَّا وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ ذَكَّرَهُ بِذَلِكَ، فَقَالَ: عَفْوًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَعَفَا عَنْهُ، وَأَجْزَلَ لَهُ الْجَائِزَةَ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ، وَمِنَ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَمِنَ الْأَقْوِيَاءِ الْمَذْكُورِينَ، وَلَمَّا بُويِعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ لَمْ يُبَايِعْهُ، فَجَرَى بَيْنَهُمَا شَرٌّ عَظِيمٌ، حَتَّى هَمَّ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِهِ وَبِأَهْلِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَبَايَعَهُ ابْنُ عُمَرَ، تَابَعَهُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَمَاتَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبِلَهَا، أَوْ فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَالرَّافِضَةُ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ بِجَبَلِ رَضْوَى، وَأَنَّهُ حَيٌّ يُرْزَقُ، وَهُمْ يَنْتَظِرُونَهُ، وَقَدْ قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ فِي ذَلِكَ: أَلَا إِنَّ الْأَئِمَّةَ مِنْ قُرَيْشٍ ... وُلَاةُ الْحَقِّ أَرْبَعَةٌ سَوَاءُ عَلَيٌّ وَالثَّلَاثَةُ مِنْ بَنِيهِ ... هُمُ الْأَسْبَاطُ لَيْسَ بِهِمْ خَفَاءُ فَسِبْطٌ سِبْطُ إِيمَانٍ وَبِرٍّ ... وَسِبْطٌ غَيَّبَتْهُ كَرْبُلَاءُ
পৃষ্ঠা - ৭২০৪

যিনি তোমাদের রক্তের হিফাযত করলেন, জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলেন এবং তোমাদের
দীন রক্ষা করলেন ৷ এখন তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নিজ দেশে নিরাপদে বসবাস করতে
পারবে বলে মনে কর এবং সেখানে যেতে চাও, তবে যেতে পার ৷ এই ঘোষণার পর তীর
অনুসারীদের বেশীর ভাগ নিজ নিজ অঞ্চলে চলে যায় ৷ তার সাথে থাঃক মাত্র সাত শত পুরুষ ৷

এ পর্যায়ে ইবনুল হানাফিয়্যা উমরার ইহরাম বাধলেন, সাথে মালা পরিয়ে কুরবানীর জন্য
পশু নিলেন এবং মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ হারাম শরীফে প্রবেশের প্রাক্কালে ইবন
যুবায়রের পাঠানো অশ্বারােহী বাহিনী তাকে বাধা দেয় ৷ তিনি ইবন যুবায়রের (রা) নিকট

ৎবাদ পাঠালেন যে, আমরা যুদ্ধ-ব্বিাহের জন্যে আস্লিনি ৷ আমাদের পথ ছেড়ে দিন ৷ উমরা
শেষ করে আমরা ফিরে যাব ৷ ইবন যুবায়র (বা) তাতে রাষী হলেন না ৷ ইবনুল হানাফিয়্যার
সাথে মালা জড়ানাে কুরবানীর পশু ছিল তাই ইহরাম অবস্থায় মদ্রীনা শরীফ ফিরে গেলেন এবং
ইহরাম অবস্থায় সেখানে অবস্থান করতে লাপলেন ৷

এরই মধ্যে হাজ্জাজ আসল ৷ মক্কা শরীফ আক্রমণ করে সে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র
(রা) কে হত্যা করল ৷ তখনো ইবনুল হানাফিয়্যা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন ৷ হাজ্জাজ ইরাক
ফিরে গেল ৷ ইবনুল হানাফিয়্যা মক্কা শরীফ গিয়ে উমরা আদায় করে এলেন ৷ ইহরাম করার
কয়েক বৎসর পর তিনি এই উমরা আদায় করলেন, এই দীর্ঘসম ত্যেয় তার মাথায় প্রচুর উকুন
জন্ম নিয়েছিল ৷ উকুনগুলো মাথা থেকে বারে বারে পড়ত ৷ উমরা শেষ করে তিনি মদীনা শরীফ
ফিরে যান ৷ তিনি ইনতিকাল পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে থাকেন ৷

কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) নিহত হবার পর হাজ্জাজ এসে ইবনুল

হানাফিয়্যাকে বলেছিল এখনতে৷ ওই আল্লাহর দুশমন নিহত হয়েছে এখন আপনি খলীফা
আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করুন ৷ উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা লিখেছিলেন যে, সকল
মানুষের বায়আত শেষ হলে আমি বায়আত করব ৷ প্রত্যুত্তরে হাজ্জাজ বলেহ্নি ৷ আল্লাহর কসম ৷
আমি অবশ্যই আপনাকে কতল করব ৷ পাল্টা উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা বলেছিলেন, মহান
আল্লাহ্ প্রতিদিন ৩৬০ বার লাওহ-ই মাহফুয়ে দৃষ্টি দেন ৷ প্ৰতি দৃষ্টিতে ৩৬০টি বিষয়ে ফায়সালা
করেন৷ আশা করি একটি ফায়সাল৷ মহান আ ল্লাহ্ আমার সম্পর্কে করবেন ফলে তোমার হাত
থেকে তিনি আমাকে রক্ষা করবেন ৷ ইবনুল হানাফিয়্যা-এর এই বক্তব্য হাজ্জাজ খলীফ৷ আবদুল
মালিককে লিখে জানান ৷ এই মন্তব্য খলীফার রে শ পসন্দ হয় ৷ তিনি হাজ্জাজকে লিখট্যাং,
মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা-এর বক্তব্যে তো কোন বিদ্রোহ কিৎবা বিরোধিতা নেই ৷ সুতরাং তার
প্রতি সদয় আচরণ করবে ৷ এক পর্যায়ে তিনি নিজেই আসবেন এবং বায়আত করবেন ৷

এক সময় খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবনুল হানাফিয়্যা এর এই বক্তব্যটি রোমান সম্রাটাক
লিখে পাঠান “মহান আল্লাহ্ প্রতিদিন ৩৬০ বার লাওহ-ই মা হকুযে নজর করেন ৷” কারণ,
রোমান সম্রাট খলীফ৷ আবদুল মালিককে এই মর্মে ধমক দিয়েছিল যে, এক বিশাল বাহিনী
নিয়ে সে খলীফার উপর আক্রমণ করবে ৷ ওই আক্রমণ ঠেকানাের কোন শক্তি খলীফার থাকবে
না ৷ উত্তরে খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবনুল হানাফিয়্যাহ এর বক্তব্যটি রোমান সম্রাটের নিকট
পৌছে দেন ৷ তখন রোমান সম্রাট বলেছিল, এটি তো আবদুল মালিকের বক্তব্য নয় ৷ এটি
নিশ্চয় নবী পরিবারের কারো মুখ থেকে বের হয়েছে ৷

আরৰের জনগণ যখন খলীফ৷ আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করার জন্যে উপস্থিত হয়

তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) ইবনুল হানাফিয়্যাকে বলেছিলেন, এখন তো আর

সমস্যা নেই সুতরাং আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করে নিন, ইবনুল হানাফিয়্যা তার


وَسِبْطٌ لَا تَرَاهُ الْعَيْنُ حَتَّى ... يَقُودَ الْخَيْلَ يَقْدُمُهَا لِوَاءُ تَغَيَّبَ لَا يُرَى عَنْهُمْ زَمَانًا ... بِرَضْوَى عِنْدَهُ عَسَلٌ وَمَاءُ
পৃষ্ঠা - ৭২০৫

বায়আতের কথা লিখিতভাবে আবদুল মালিককে জানিয়ে দিলেন ৷ এবং আরো পরে তিনি
সশরীরে আবদুল মালিকের নিকট এসে সাক্ষাত করেন ৷

মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা র্মুহাররম মাসে মদীনায় ইন্তিকাল করেন ৷ তখন তার বয়স
ছিল ৬৫ বৎসর ৷ মৃত্যুকালে তিনি আবদুল্পাহ্, হামযা, আলী, বড় জা ফর, হাসান, ইব্রাহীম,
কাসিম, আবদুর রহমান, ছোট জাফর আওন এবং রুকায়্যা নামের পুত্র-কন্যাগণকে রেখে
যান ৷ এদের প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মাতা ছিলেন ৷

যুবায়র ইবন বাককার বণেন যে, ইবনুল হানাফিয়্যা এর অনুসারীরা মনে করে যে, তিনি
মারা যাননি ৷ এ প্রসঙ্গে সাইয়েদ ইসমাঈল হিমইয়ারী বলেছেন ং


“ওহে পথিক, ভারপ্রাপ্ত অতিভাবককে (শুগ্রা) বলে দাও, আমার প্রাণ আপনার জন্যে
কুরবান হোক্ ৷ আপনি তো দীর্ঘদিন ওই পাহাড়ে অবস্থান করছেন ৷


তাকে নিয়ে একদল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ ওরা আপনাকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ৷
ওরা আপনাকে খলীফা ও ইমাম নামে আখ্যায়িত করেছে ৷


পৃথিবীর অধিবাসিগণ হিংসা-বিদ্বৈষবশতঃ আপনার ব্যাপারে সীমা লংঘন করেছে ৷ আপনি
তো ষটি বৎসর ওদের মাঝে ছিলেন ৷


খাওলার পুত্র তো মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেনি ৷ আর কোন মাটি তার হাডিদ্ৰ দেহ নিঃজয়
মধ্যে লুকিয়ে রাখেনি ৷




তিনি অবস্থান করছেন রিজভী পার্বত্য উপত্যকার ৷ ফেরেশতাগণ তার সাথে
আলাপচারিতায় মগ্ন থাকে ৷


সেখানে তিনি শাস্তিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন ৷ এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতায়
যেতে থাৰেম্স ৷

আল্লাহ্ আমাদের হিদারাত দান করেছেন ৷ তোমরা এমন এক বিষয়ের অপেক্ষায় আছ
তাকে দিয়ে আল্লাহ্ যেটি পুর্ণ করবেন ৷

মহান আল্লাহ্য় নুরের পুর্ণত৷ স্বরুপ ইবনুল হ্লানাফিয়্যাহ মাহদীরুপে আবির্ভুত হবেন ৷
তোমরা একের পর এক তার পরিচিতি, পতাকা ও নিদশনিঃ দেখতে পারে ৷


وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَتْ شِيعَتُهُ تَزْعُمُ أَنَّهُ لَمْ يَمُتْ، وَفِيهِ يَقُولُ السَّيِّدُ: أَلَا قُلْ لِلْوَصِيِّ فَدَتْكَ نَفْسِي ... أَطَلْتَ بِذَلِكَ الْجَبَلِ الْمُقَامَا أَضَرَّ بِمَعْشَرٍ وَالَوْكَ مِنَّا ... وَسَمَّوْكَ الْخَلِيفَةَ وَالْإِمَامَا وَعَادَوْا فِيكَ أَهْلَ الْأَرْضِ طُرًّا ... مَقَامُكَ عَنْهُمُ سِتِّينَ عَامَا وَمَا ذَاقَ ابْنُ خَوْلَةَ طَعْمَ مَوْتٍ ... وَلَا وَارَتْ لَهُ أَرْضٌ عِظَامَا لَقَدْ أَمْسَى بِمُورِقِ شِعْبِ رَضْوَى ... تُرَاجِعُهُ الْمَلَائِكَةُ الْكَلَامَا وَإِنَّ لَهُ بِهِ لَمَقِيلَ صِدْقٍ ... وَأَنْدِيَةً تُحَدِّثُهُ كِرَامَا هَدَانَا اللَّهُ إِذْ حُزْتُمْ لِأَمْرٍ ... بِهِ وَعَلَيْهِ نَلْتَمِسُ الْتَمَامَا تَمَامَ مَوَدَّةِ الْمَهْدِيِّ حَتَّى ... تَرَوْا رَايَاتِهِ تَتْرَى نِظَامَا وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ الرَّافِضَةِ إِلَى إِمَامَتِهِ، وَأَنَّهُ يُنْتَظَرُ خُرُوجُهُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا يَنْتَظِرُ طَائِفَةٌ أُخْرَى مِنْهُمُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الْعَسْكَرِيَّ، الَّذِي يَخْرُجُ فِي زَعْمِهِمْ مِنْ سِرْدَابِ سَامَرَّا، وَهَذَا مِنْ خُرَافَاتِهِمْ وَهَذَيَانِهِمْ وَجَهْلِهِمْ وَضَلَالِهِمْ وَبُهْتَانِهِمْ، وَسَنَزِيدُ ذَلِكَ وُضُوحًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.