আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمانين من الهجرة النبوية

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭১৮৯


যাচ্ছিলেন ৷ যখনই তিনি যে অঞ্চল দখল করেছেন সেখানে তার পক্ষে একজন শাসক নিয়োগ

করে যাচ্ছিলেন, আশংকাজনক স্থানে সেনাছাউনি স্থাপন করে আসছিন্মেন ৷ এই যাত্রায় তিনি
রাতবীলের শাসনাধীন বহু শহর নগর দখল করে নেন ৷

ওদের বহু ণ্লাককে তারা বন্দী করে আনেন ৷ গনীমতের মাল হিসেরে বহু ধনসম্পদ
হস্তগত করা হয় ৷ ,

এরপর ইবনুল আশআছ তার লোকজনকে সম্মুখে অগ্নসর হতে বারণ করেন, বরং৩ তিনি
তাদেরকে নির্দেশ দেন যেন তারা বিজিত এলাকা সুন্দরড়াবে আবাদ করে, সেখানকার ষ্লমুল্
ও শস্য ইত্যাদি ভোগ করে নিজেরা কিছুট৷ শক্তি সঞ্চয় করে ৷

অতঃপর পরবর্তী বৎসরে পুনরায় শত্রুর উপর আক্রমণ চালাবে ৷ শহরের পর শহর নগর
দখল করতে করতে পৌছে ষাবে তাদের বড় শহরে ৷ ঘেরাও করে ফেলবে রাতবীল ও তার
সৈন্যদেরকে ৷ হস্তগত করবে ওদের তাবৎ ধনসম্পদ এবং হত্যা করবে ওদের যুদ্ধক্ষম
ব্যক্তিবর্গকে ৷ এই ছিল ইবনুল আশআছের আপাততঃ পরিকল্পনা ও কর্মসুচী ৷

সেনাপতি ইবন আশআছ এই পরিকল্পনার কথা লিখিতভাবে জানান শাসনকর্তা

হাজ্জাজকে ৷ ইতোমধ্যে অর্জিত সাহল্যে ও বিজয়ের কথাও তাকে অবগত করেন ৷

কেউ কেউ বলেন যে, হাজ্জাজ ইতোমধ্যে হিময়ান ইবন আদী সাদুসীকে সশস্ত্র অবস্থায়
কিরমান প্রেরণ করে যাতে সে প্রয়োজনে সিজিস্তান ও সিন্ধুর শাসনকর্তাদ্বয়কে সাহায্য করতে
পারে ৷ কিন্তু হিময়ান ও তার সাথীরা অবিলম্বে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷
ওদেরকে দমন করার জন্যে হাজ্জাজ সেনাপতি ইবন আশআছকে প্রেরণ করে ৷ তিনি হিময়ানও
তার সাথীদেরকে পরাজিত করেন ৷ অতঃপর ইবন আশআছ ওহীানেই অবস্থান করছিলেন,
ইতোমধ্যে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবু ৰাকরা-এৱ ইনতিকাল হয় ৷ হাজ্জাজ ইবন আশআছকে
উরায়দৃন্নাহ্-এর স্থলে সিত্তিন্তোনের শাসনকর্তা নিয়োগ করে ৷ নিয়মিত ভাতার অতিরিক্তদুলক্ষ
দিরহ্াম ব্যয় করে ৷ একটি সুসজ্জিত ও সুদক্ষসেনাদল গঠন করে হাজ্জাজ তাদেরকে ইবন
আশআছের নিকট পাঠায় ৷ এই বাহিনী ময়ুর বাহিনী নামে পরিচিত ৷ সে ইবন আশআছকে
রাতবীলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় ৷ ফলে ইবন আশআছ হাজ্জাজ্যো
,আনুগত্য ত্যাগ করা সংক্রান্ত চিঠি পাঠান ৫সনাপতি, মুহাল্লাবের নিকট ৷ ওয়াকিদী ও আবু
মা শাৱ বর্ণনা করেন যে, এই সনে হন্থজ্জ নেতৃত্ব দিয়েছেন আবান ইবন উছমান (রা) ৷ অন্যরা
বলেছেন, না, এই বৎসর বরং হহুজ্জ নেতৃত্ব দিয়েছেন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক ৷ এই
সনে সাইফা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ৷ মদীনা শরীফের
শাসনকর্তা আবান ইবন উছমান (রা) ৷ পুর্বাঞ্চলীয় সকল এলাকার শাসনকর্তা ছিল হাজ্জাজ ৷
কুকার বিচারকের পদে আবু বুরদাহ্ ইবন আবু মুসা এবং বসরার বিচারকের পদে কর্মরত
ছিলেন মুসা ইবন আনাস ইবন মালিক (রা) ৷ ণ্

৮০ ইিজরী সনে ওন্ন্জ্যোপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

হযরত উমারের (রা) আযাদকুত দাস আসলাম (র)
তিনি হলেন আবু যায়দ ইবন আসলাম ৷ তিনি “আয়নুন নাহ্র যুদ্ধে বন্দী হওয়া লোকের
ৎশধর ৷ ১১ সনে হজ্জ করতে গিয়ে হযরত উমার (রা) তাকে মক্কা শরীফ থেকে কিনে


وَمَاتَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، فَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ بِإِمْرَةِ سِجِسْتَانَ مَكَانَ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، وَجَهَّزَ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ جَيْشًا أَنْفَقَ عَلَيْهِ أَلْفَيْ أَلْفٍ سِوَى أُعْطِيَاتِهِمْ، وَكَانَ يُدْعَى هَذَا الْجَيْشُ جَيْشَ الطَّوَاوِيسِ، وَأَمَرَهُ بِالْإِقْدَامِ عَلَى رُتْبِيلَ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَعَهُ مَا تَقَدَّمَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ. وَقَالَ غَيْرُهُمَا: بَلْ حَجَّ بِهِمْ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَكَانَ عَلَى الصَّائِفَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ، وَعَلَى الْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى، وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ مُوسَى بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَسْلَمُ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: وَهُوَ أَبُو زَيْدِ بْنُ أَسْلَمَ، أَصْلُهُ مِنْ سَبْيِ عَيْنِ التَّمْرِ، اشْتَرَاهُ عُمَرُ بِمَكَّةَ لَمَّا حَجَّ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ، وَتُوُفِّيَ وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَرَوَى عَنْ عُمَرَ عِدَّةَ أَحَادِيثَ، وَرَوَى عَنْ غَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِهِ أَيْضًا، وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ. جُبَيْرُ بْنُ نُفَيْرِ بْنِ مَالِكٍ الْحَضْرَمِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَكَانَ مِنْ عُلَمَاءِ
পৃষ্ঠা - ৭১৯০

আনেন ৷ ১ ১ é বৎসর বয়সে তার ওফাত হয় ৷ তিনি হযরত উনার (রা) থেকে একাধিক হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত উমারের (রা) সমসাময়িক অন্যান্য লোকদের থেকেও তিনি হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ তার বহু প্ৰশংসাযােগ্য কীর্তি রয়েছে ৷

জুবায়ব ইবন নুফায়র (বা)

৮০ হিজরী সনে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তির ওফাত হয় তাদের একজন হলেন জুবায়ব ইবন
নুফায়র ইবন মালিক হাযরামী (রা) ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহচর্য লাভ করেছিলেন এবং
তার বরাতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি সিরিয়ার নামজাদা আলিম ও জ্ঞানী লোকদের
অন্যতম ছিলেন ৷ ইবাদত বন্দেগী এবং জ্ঞান অর্জনে তার খুব প্রসিদ্ধি ছিল ৷ ১২০ বৎসর বয়সে
তিনি সিরিয়াতে ইনৃতিকাল করেন ৷ অবশ্য কেউ বলেছেন, মৃত্যুকালে তার বয়স ১২০ বৎসরের
কম ছিল ৷ আবার কেউ বলেছেন তার চইিতে বেশী ছিল ৷

আবদুল্লাহ ইবনজাকন্ন ইবন আবু তালিব (বা)

৮০ সনে র্ষাদের ওফাত হয়তাদেব্ অন্যতম হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইবন
আবুতালিব (বা) ৷ তার জন্ম হয়েছিল আবিসিনিয়ায়, তার মাতা হযরত আসমা বিনত উমায়স ’
(রা) ৷ বানু হাশিম গোত্রে রাসুলুল্পাহ (সা) কে দেখেছেন এমন লোৰুদ্যো মধ্যে তিনি সর্বশেষ
ওফাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৷ তিনি মদীনায় বসবাস করতেন ৷ মুতার যুদ্ধে তার বাবা হযরত জা ফর (রা)
শহীদ হবার পর রাসুলুল্পাহ্ (সা) সশরীরে তার মায়ের নিকট এসে বললেন, আমার
ভাতিজাদেরকে আমার নিকট নিয়ে আসুন ৷ তাদেরকে রাসুলুল্পাহ (সা) এর নিকট আনা হলো ৷
তখন তারা ছোট্ট ছোট্ট পাখীর বাচ্চার ন্যায় ৷ তিনি ফৌরকার ডাকাত বললেন ৷ তাদের মাথা
ন্যাড়া করলেন ৷ তারপর বললেন,

মোঃহে আল্লাহ জা ফর (বা) এর পরিবারে তার যোগ্য প্রতিনিধি তৈরী করে দিন এবং
আবদুল্লাহ-এর ব্যবসা বাণিজ্যে বরকত দান কৃরুন ৷ আবদুল্লাহ-এরমাতা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সম্মুখে উপস্থিত হলেন ৷ এবং তাকে জানালেন যে, তাদের নিকট অর্থকড়ি খাদ্যদ্রব্য কিছুই
নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওদের পিতার পরিবর্তে আমি আছি ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন
জাফর (র) এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ৰুদুজনে রাসুলুল্লাহ (না)-এর হাতে বায়আত
করেছিলেন তাদের বয়স তখন মাত্র সাত বৎসর ৷ তারা দুজন ব্যতীতঅন্য কারো ভাগ্যে এই
সুযোগ ঘটেনি ৷

হযরত আবদুল্লাহ ইবন জা ফর (বা) অসাধারণ দাতা ও দানশীল ছিলেন ৷ তিনি প্রচুর দান
দক্ষিণা ও উপহার উপচৌকন প্রদান করতেন ৷ একবার তিনি একসাথে ২০ ,০০ :০০ (বিশ লক্ষ
দিবহাম দান করেছিলেন ৷ অন্য এক সময়ে একজনকে দিয়ে দিয়েছেন ৬০ (ষাট) হাজার
দিরহাম ৷ অপর এক সময় এক ব্যক্তিকে দান করেছিলেন : হাজার দীনার বা স্বর্ণমুদ্র৷ ৷ এক
সময় এক লোক মদীনা শরীফে বিক্রয়ের জন্য ইক্ষু নিয়ে এসেছিল লোকজন সেগুলো ক্রয়ে
আগ্রহী হয়নি ৷ কেউ সেগুলো ক্রয় করেনি ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাফর তার ম্যানেজারকে বললেন,
নগদ টাকায় ওই ইক্ষু কিনে নাও এবং লোকজনের মধ্যে সেগুলো বিলিয়ে দাও ৷


أَهْلِ الشَّامِ، وَكَانَ مَشْهُورًا بِالْعِبَادَةِ وَالْعِلْمِ، تُوُفِّيَ بِالشَّامِ وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَقِيلَ أَكْثَرُ، وَقِيلَ أَقَلُّ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: وُلِدَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ وَأُمُّهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ وَهُوَ آخِرُ مَنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ وَفَاةً، سَكَنَ الْمَدِينَةَ، «وَلَمَّا اسْتُشْهِدَ أَبُوهُ جَعْفَرٌ بِمُؤْتَةَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُمِّهِمْ فَقَالَ: ائْتُونِي بِبَنِي أَخِي. فَأُتِيَ بِهِمْ كَأَنَّهُمْ أَفْرُخٌ، فَدَعَا بِالْحَلَّاقِ فَحَلَقَ رُءُوسَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ اخْلُفْ جَعْفَرًا فِي أَهْلِهِ، وَبَارِكْ لِعَبْدِ اللَّهِ فِي صَفْقَتِهِ فَجَاءَتْ أُمُّهُمْ فَذَكَرَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَيْسَ لَهُمْ شَيْءٌ، فَقَالَ: أَنَا لَهُمْ عِوَضًا مِنْ أَبِيهِمْ» . وَقَدْ «بَايَعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعُمْرُهُمَا سَبْعُ سِنِينَ» ، وَهَذَا لَمْ يَتَّفِقْ لِغَيْرِهِمَا. وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ مِنْ أَسْخَى النَّاسِ، يُعْطِي الْجَزِيلَ الْكَثِيرَ وَيَسْتَقِلُّهُ، وَقَدْ تَصَدَّقَ مَرَّةً بِأَلْفَيْ أَلْفٍ، وَأَعْطَى مَرَّةً رَجُلًا سِتِّينَ أَلْفًا، وَمَرَّةً أَعْطَى رَجُلًا أَرْبَعَةَ آلَافِ دِينَارٍ، وَقِيلَ: إِنَّ رَجُلًا جَلَبَ مَرَّةً سُكَّرًا إِلَى الْمَدِينَةِ فَكَسَدَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَشْتَرِهِ أَحَدٌ، فَأَمَرَ ابْنُ جَعْفَرٍ قَيِّمَهُ أَنْ يَشْتَرِيَهُ، وَأَنْ يَهَبَهُ لِلنَّاسِ. وَقِيلَ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا حَجَّ وَنَزَلَ الْمَدِينَةَ فِي دَارِ مَرْوَانَ قَالَ يَوْمًا لِحَاجِبِهِ: انْظُرْ هَلْ تَرَى بِالْبَابِ الْحَسَنَ أَوِ الْحُسَيْنَ أَوِ ابْنَ جَعْفَرٍ أَوْ فُلَانًا - وَعَدَّ جَمَاعَةً - فَخَرَجَ فَلَمْ يَرَ
পৃষ্ঠা - ৭১৯১
أَحَدًا، فَقِيلَ لَهُ: هُمْ مُجْتَمِعُونَ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ يَتَغَدَّوْنَ. فَأَتَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: مَا أَنَا إِلَّا كَأَحَدِهِمْ. ثُمَّ أَخَذَ عَصًا فَتَوَكَّأَ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَتَى بَابَ ابْنِ جَعْفَرٍ، فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ، وَدَخَلَ فَأَجْلَسَهُ فِي صَدْرِ فِرَاشِهِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَيْنَ غَدَاؤُكَ يَا ابْنَ جَعْفَرٍ؟ فَقَالَ: وَمَا تَشْتَهِي مِنْ شَيْءٍ فَادْعُ بِهِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَطْعِمْنَا مُخًّا. فَقَالَ: يَا غُلَامُ هَاتِ مُخًّا. فَجَاءَ بِصَحْفَةٍ فَأَكَلَ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ لِغُلَامِهِ: هَاتِ مُخًّا. فَجَاءَ بِصَحْفَةٍ أُخْرَى مَلْآنَةً مُخًّا، إِلَى أَنْ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَتَعَجَّبَ مُعَاوِيَةُ وَقَالَ: يَا ابْنَ جَعْفَرٍ مَا يَسَعُكَ إِلَّا الْكَثِيرُ مِنَ الْعَطَاءِ. فَلَمَّا خَرَجَ مُعَاوِيَةُ أَمَرَ لَهُ بِخَمْسِينَ أَلْفَ دِينَارٍ. وَكَانَ ابْنُ جَعْفَرٍ صَدِيقًا لِمُعَاوِيَةَ، وَكَانَ يَفِدُ عَلَيْهِ كُلَّ سَنَةٍ فَيُعْطِيهِ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَيَقْضِي لَهُ مِائَةَ حَاجَةٍ، وَلَمَّا حَضَرَتْ مُعَاوِيَةَ الْوَفَاةُ أَوْصَى ابْنَهُ يَزِيدَ بِهِ. فَلَمَّا قَدِمَ ابْنُ جَعْفَرٍ عَلَى يَزِيدَ قَالَ لَهُ: كَمْ كَانَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يُعْطِيكَ كُلَّ سَنَةٍ؟ قَالَ: أَلْفَ أَلْفٍ. فَقَالَ لَهُ: قَدْ أَضَعَفْنَاهَا لَكَ. وَكَانَ يُعْطِيهِ أَلْفَيْ أَلْفٍ كُلَّ سَنَةٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا قُلْتُهَا لِأَحَدٍ قَبْلَكَ، وَلَا أَقُولُهَا لِأَحَدٍ بَعْدَكَ. فَقَالَ يَزِيدُ: وَلَا أَعْطَاكَهَا أَحَدٌ قَبْلِي، وَلَا يُعْطِيكَهَا أَحَدٌ بَعْدِي. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ عِنْدَ ابْنِ جَعْفَرٍ جَارِيَةٌ تُغَنِّيهِ تُسَمَّى عِمَارَةَ، وَكَانَ يُحِبُّهَا مَحَبَّةً عَظِيمَةً، فَحَضَرَ عِنْدَهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ يَوْمًا، فَغَنَّتِ الْجَارِيَةُ، فَلَمَّا سَمِعَهَا يَزِيدُ
পৃষ্ঠা - ৭১৯২

কথিত আছে যে, আমীর মুআবিয়া যখন হগ্লুর্দুজ্জ গিয়েছিলেন, তখন মারওয়ানের বাড়ীতে ন্
উঠেছিলেন এবং একদিন তার নিরাপত্তা প্রহরীকে বললেন, র্দেখ তো দরযায় হযরত হাসান
ক্লিৎবা হুসায়ন কিৎবা আবু জাফর কিৎবা অমুক-অমুককে পাও কিনা ? তিনি আরো
কয়েকজনের নাম বলে দিলেন ৷ প্রহরী বের হলো ৷ ফিরে এসে বলল, না, কাউকেই দেখা গেল
না ৷ পরে র্তাকেজানানাে হলো যে, তারা সকলে আবদুল্লাহ্ ইবন জাফরের বাড়ীতে দুপুরের
খাবার খেতে বলেছেন ৷ প্রহরী গিয়ে সংবাদটি মুআবিয়াকে জানাল ৷ তিনি বললেন, আমিও তো
তাদেরই মত একজন ৷ মুআবিয়া (রা) লাঠিটি হাতে নিয়ে তাতে ভর দিয়ে হযরত ইবন
জাফরের (বা) বাড়ীর দরযায় উপস্থিত হলেন ৷ ভেতরে প্রবেৰুশর অনুমতি চাইলেন ৷ ভেতরে
প্রবেশ করলেন ৷ হযরত আবদুল্লাহ্ তাকে সবার মাঝখানে বসালেন ৷ মুআবিয়া (রা) তাকে
বললেন, জাফর পুত্র তোমার খাবার কোথায় ? ইবন জাফ্যা (রা) বললেন, আপনার বা খাবার
আগ্রহ আছে তা আনয়নের নির্দেশ দিন ৷ মুআবিয়া (র) বললেন, আমাকে মগজ খাওয়ড়াবে ৷
ইবন জাফ র (বা) খাদেমকে বললেন, মগজ নিয়ে আস ৷ সে প্লেট ভর্তি মগজ নিয়ে এল ৷
আমীর মুআবিয়া তা খেলেন ৷ এরপর ইবন জাফর গােলামকে আর এক প্লেট মগজ আনতে
নির্দেশ দিলেন ৷ সে মগজভর্তি আরেকটি প্লেট নিয়ে আসে ৷ এভাবে তিন বারে তিন প্লেট মগজ
আনা হলো এবং আমীর মুআবিয়া (বা) তা খেলেন ৷ এ আয়োজন দেখে তিনি অবাক হয়ে
গেলেন এবং বললেন, ওহে ইবন জাফর ! প্রচুর দান-সাদাকা না করলে আপনার তৃপ্তি আসে না
তইি না ? ভােজন শে ষে আমীর মুআবিয়া (রা) ঘর থেকে বের হবার পর তিনি তাকে ৫ ০
(পঞ্চাশ) হাজার দীনার উপহার প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাফর (রা)
আমীর মুআবিয়ার (রা) বন্ধু ছিলেন ৷ প্রতি বৎসর তিনি অন্তত একবার আমীর মুআবিয়া
(রা)-এর দরবারে যেতেন ৷ অতঃপর আমীর মুআবিয়া (ৱা)র্তাকে দশ লক্ষ দিরহাম উপহার
স্বরুপ দিতেন এবং তার, একশটি প্রয়োজন পুরণ করতেন ৷ আমীর মুআবিয়া (বা) তার মৃত্যুর
পুর্বে পুত্র ইয়াযীদকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করে গিয়েছিলেন ৷ পরবর্তীতে যেহমানরুপে ইবন
জাফর ইয়াযীদের নিকট উপস্থিত হন ৷ ইয়াযীদ বলল, আমার আব্বা ন্আমীরুল মু’মিনীন
মুআবিয়া (রা) আপনাকে প্রতি বৎসর উপহার স্বরুপ কী দিতেন ? ইবন জাফর বললেন ১০
(দশ) লক্ষ দিরহাম ৷ ইয়াযীদ বলল, আমি তার দ্বিগুণ বৃদ্ধি মনযুর করলাম ৷ অতঃপর ইয়াযীদ
র্তাকে ফি বৎসর ২০ (বিশ) লক্ষ দিরহাম উপহার প্রদান করত ৷ এই প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ্ ইবন
জাফর (রা) ইয়াযীদকে বলেছিলেন, এ কথাটি ইতোপুর্বে আমি আপনি ব্যতীত কাউকে বলিনি
আর পরবর্তীতেও কাউকে বলব না ৷ উত্তরে ইয়াযীদ বলল, এ পরিমাণ উপহার আমার পুর্বে
কেউ আপনাকে ণ্দয়নি আর পরবর্তীতেও কেউ দিবে না ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, ইবন জাফরের একটি দাসীছিল ৷ সে ভাল গান গাইতে পারত ৷
তার নাম ছিল আম্বারাহ ৷ তিনি ওই দাসীকে খুবই ভালবাসতেন ৷ একদিন ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়া তার বাড়ীতে উপস্থিত হয় ৷ দাসীটি তখন পান গাইছিল ৷ তার গান শুনে ইয়াযীদের
মনে তার প্ৰতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়, বিৎ ইবন জাফরের নিকট ওই দাসী চাওয়ার সাহস তার
ছিল না ৷ বিত্তু তার মনে দাসীর প্রতি আকর্ষণ থেকেই যায়, এবং তা বরাবর বাড়তেই থাকে ৷
ইতোমধ্যে তার পিতা মুআবিয়া (বা) মারা যান ৷ এ সময়ে ইয়াযীদ ওই দাসীটির সম্পর্কে
পৌজখবর জানার জন্য গোপনে একজন লোক পাঠায় ৷ লোকটি মদীনা শরীফ আগমন করে
এবং ইবন জাফর (রা)-এর বাড়ীর কাছাকাছি অবস্থান করতে থাকে ৷ সে তার নিকট প্রচুর
হাদিয়া-তােহফা নিয়ে যায়, তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ণ্তালেৰুা, এক পর্যায়ে সে দাসীটি হস্তগত
করে এবং সেটিকে ইয়াযীদের নিকট নিয়ে আসে ৷


افْتُتِنَ بِهَا وَلَمْ يَجْسُرْ عَلَى ابْنِ جَعْفَرٍ أَنْ يَطْلُبَهَا مِنْهُ، خَوْفًا أَنْ يَمْنَعَهُ إِيَّاهَا، فَلَمْ يَزَلْ فِي نَفْسِ يَزِيدَ مِنْهَا حَتَّى مَاتَ أَبُوهُ مُعَاوِيَةُ، فَبَعَثَ يَزِيدُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ تِجَارَةً، وَأَمَرَهُ أَنَّ يَتَلَطَّفَ فِي أَمْرِ هَذِهِ الْجَارِيَةِ، فَقَدِمَ الرَّجُلُ الْمَدِينَةَ، وَنَزَلَ جِوَارَ ابْنِ جَعْفَرٍ، وَأَهْدَى إِلَيْهِ هَدَايَا وَتُحَفًا كَثِيرَةً، وَأَنِسَ بِهِ، وَلَا زَالَ حَتَّى أَخَذَ الْجَارِيَةَ، وَأَتَى بِهَا يَزِيدَ، وَكَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ يَذُمُّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ عَلَى سَمَاعِهِ الْغِنَاءَ وَاللَّهْوِ، وَشِرَائِهِ الْمُوَلَّدَاتِ، وَيَقُولُ: أَمَا يَكْفِيهِ هَذَا الْأَمْرُ الْقَبِيحُ الَّذِي هُوَ مُتَلَبِّسٌ بِهِ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ وَغَيْرِهَا؟ حَتَّى زَوَّجَ الْحَجَّاجَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ الْحَجَّاجُ يَقُولُ: إِنَّمَا تَزَوَّجْتُهَا لِأَذِلَّ بِهَا آلَ أَبِي طَالِبٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يَصِلْ إِلَيْهَا. وَقَدْ كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَيْهِ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَطَلَّقَهَا. أَسْنَدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ ثَلَاثَةَ عَشَرَ حَدِيثًا . أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ اسْمُهُ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، لَهُ أَحْوَالٌ وَمَنَاقِبُ، كَانَ يَقُولُ: قَلْبٌ نَقِيٌّ فِي ثِيَابٍ دَنِسَةٍ خَيْرٌ مِنْ قَلْبٍ دَنِسٍ فِي ثِيَابٍ نَقِيَّةٍ. وَقَدْ تَوَلَّى الْقَضَاءَ بِدِمَشْقَ، وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرْجَمَتَهُ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ". مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ الْقَدَرِيُّ يُقَالُ: إِنَّهُ مَعْبَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ رَاوِي
পৃষ্ঠা - ৭১৯৩

হযরত হাসান বসরী (র) হযরত আবল্লোহ্ ইবন জা ফর (বা) কে পান-বাজ্যা৷ শ্রবণ এবং
গায়িকা ক্রয়ের জন্যে মন্দ বলতেন, তার সমালোচনা করতেন ৷ তিনি বলতেন হায়, এসব
অপকর্ম করেও তার তৃপ্তি হয় না ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বংশধর এক মেয়েকে সে
হা জ্জাষ্কজর সাথে বিয়ে দেয় ৷ এ প্রসঙ্গে হাজ্জাজ বলত যে, আমি তো ওই মেয়েকে বিয়ে করেছি
আবু অলিবের বংশকে অপমান করার জন্যে ৷ কথিত আছে যে, হাজ্জাজ ওই মেয়ের সাথে

মিলিত হতে পারেনি ৷ আবদুঃ৷ মালিক ওই মেয়েকে তালাক দেয়ার জন্যে তাকে লিখিত নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ ফলে সে তাকে তালাক দেয় ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন জা ফর (বা) তার সনদে

সর্বমেটি ১৩টি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

আবু ইদরীস খাওলানী (র)

৮০ সনে যারা ইনতিকাল করেন তাদের একজন হলেন আবুইদ্গীস খাওলানী ৷ তার নাম
আইযুল্লাহ্ ইবন উবায়দৃল্লাহ্ ৷ তার বহু সুকীর্তি ও গৌরবজনক কর্মকাণ্ড রয়েছে ৷ তিনি প্রায়ই
বলতেন যে, ময়লা কাপড়ে আবৃত পরিচ্ছন্ন অন্তর পরিষ্কার কাপড়ে ঢাকা নােৎরা অন্তরের
চাইতে অনেক ভাল ৷ তিনি দামেশকের বিচারক পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ৷ আল তাকমীল
গ্রন্থে আমরা তার জীবনী উল্লেখ করেছি ৷

এই সনে মা বাদ জুহানী মারা যায় ৷ তার বংশ শপরিচয়ে কেউ কেউ বলেছেন, মাবাদ ইবন
আবদুল্লাহ্ ইবন আলীম ৷ সে মোঃ ৰুাপ্াব্লুষ্£ ব্লু৷ ৷ ৰু, ৷ৰুন্ব্র;ৰু; ১৷ তােমরা মৃত

প্রাণী থেকে কোন কল্যাণ অর্জন করে৷ না ৷ না তার চামড়া থেকে আর না তার শিরা-উপশিরা
ও রণ থেকে এই হাদীসের বর্ণনাকারী ৷ তবে বংশ পরিচয় সম্পর্কে আরো নানা মন্তব্য
রয়েছে ৷ হযরত ইবন আব্বাস (বা), ইবন উনার (রা), মুআবিয়৷ (বা), ইমরান ইবন হুসায়ন
ও অন্যান্যদের থেকে হাদীস শুনেছে ও বর্ণনা করেছে ৷ সিফ্ফীন যুদ্ধের যীমাংস৷ দিবসে সে
উপস্থিত ছিল ৷ এ প্রসেঙ্গ সে আবুমুসাকে (বা) কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে এবংভীকে উপদেশ
দেয় ৷ এরপর সে আমর ইবন আ স (রা)-এর সাথে মিলিত হয় ৷ সে ভীকেও উপদেশ দেয় ৷ এ
প্রসঙ্গে আমর ইব্ৰুল আস (মা) তাকে বলেছিলেন, ওহে জুহায়না গোত্রের ঘপল৷ গোপন ও
প্রকাশ্য সকল বিষয় সম্পর্কে জানবার মত যোগ্যতা তো তোর নেই ৷ কোন সত্য তোর বল্যাণ
করবে না কোন অসত্য তোর ক্ষতি করবে না ৷ এটি তার সম্পর্কে হযরত আমর ইবনুল
আসেরও সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ৷ এ জন্যে সেই হলো প্রথম ব্যক্তি যে তাকদীর সম্পর্কেঅসত্য ও ভুল
বতল্য রাখে ৷
কেউ কেউ বলেন যে, মা বাদ আল জুহানী এই মতবাদ গ্রহণ করেছিল জনৈক খৃটান
থেকে ৷ খৃক্টান লোকটিৱ নাম ছিল সুস ৷ সে ইরাকে বসবাস করত ৷ আর গারলান কাদরিয়া
মতবাদ গ্রহণ করেছে মা বাদ আল জুহানী থেকে ৷ মা বাদ মুলতঃ একজন ইবাদতকারী ও
পরহেয়ুপার লোক ছিল ৷ ইবন মাঈনৃ প্রমুখ হাদীস বর্ণনায় তাকে আস্থাভাক্রা বলে চিহ্নিত
করেন্ডো ৷
হাসান বসরী (র) বলেন, ণ্তামরা মাবাক্কদ্যা সংস্পর্শ থেকে দুরে থাকবে ৷ কারণ, সে নিজে
পথভ্রষ্ট বিভ্রাস্ত এবং অন্যকে বিভ্রাতকারী ৷ ইবন আশআছের সাথী হয়ে যারা কেদ্রীয় শাসনের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল মা বাদ তাদের দলে ছিল ৷ এ জন্যে ধরা পড়ার পর শাসনকর্তা
হাজ্জাজ তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে ৷ এরপর তাকে হত্যা করে ৷ ক্লিত্ত্ব সাঈদ ইবন উফায়র
বলেছেন যে, খলীফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ৮০ সনে তাকে দামেশৃকে শুলিতে চড়িয়ে
হত্যা করেন ৷ খঙ্গীযষ্৷ ইবন খইিরাত বলেছেন, ৯০ সনের পুর্বে মা বাদের মৃত্যু হয় ৷ আল্লাহ্ই


حَدِيثِ «لَا تَنْتَفِعُوا مِنَ الْمَيْتَةِ بِإِهَابٍ وَلَا عَصَبٍ» وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ. سَمِعَ الْحَدِيثَ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ عُمَرَ، وَمُعَاوِيَةَ، وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، وَغَيْرِهِمْ، وَشَهِدَ يَوْمَ التَّحْكِيمِ، وَسَأَلَ أَبَا مُوسَى فِي ذَلِكَ، وَوَصَّاهُ، ثُمَّ اجْتَمَعَ بِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَوَصَّاهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ: إِيهًا يَا تَيْسَ جُهَيْنَةَ، مَا أَنْتَ مِنْ أَهْلِ السِّرِّ وَلَا الْعَلَانِيَةِ، وَإِنَّهُ لَا يَنْفَعُكَ الْحَقُّ وَلَا يَضُرُّكُ الْبَاطِلُ. وَهَذَا تَوَسُّمٌ فِيهِ مِنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ; وَلِهَذَا كَانَ هُوَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَخَذَ ذَلِكَ عَنْ رَجُلٍ مِنَ النَّصَارَى مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ يُقَالُ لَهُ: سَوْسَنُ. وَأَخَذَ غَيْلَانُ الْقَدَرَ مِنْ مَعْبَدٍ. وَقَدْ كَانَتْ لِمَعْبَدٍ عِبَادَةٌ، وَفِيهِ زَهَادَةٌ، وَوَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ فِي حَدِيثِهِ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: إِيَّاكُمْ وَمَعْبَدًا ; فَإِنَّهُ ضَالٌّ مُضِلٌّ. وَكَانَ مِمَّنْ خَرَجَ مَعَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَعَاقَبَهُ الْحَجَّاجُ عُقُوبَةً عَظِيمَةً بِأَنْوَاعِ الْعَذَابِ، ثُمَّ قَتَلَهُ، وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ: بَلْ صَلَبَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانِينَ بِدِمَشْقَ، ثُمَّ قَتَلَهُ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৭১৯৪
خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: مَاتَ قَبْلَ التِّسْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.