আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وسبعين

ثم دخلت سنة تسع وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭১৭৫

নাবিপ৷ আশজ৷ দী ও অন্যান্যরা

এই সনে যাদের মৃত্যু হয় তাদের একজ্জা হলেন নাবিগ৷ আলজা দী ৷ তিনি একজন প্রসিদ্ধ
কবি ছিলেন ৷ ৭৮ হিজরীতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আরো যায়৷ ইন্তিকাল করেন তারা
হলেন সইিব ইবন ইয়াযীদ কিনদী, সুফয়ান ইবন সালামা আসাদী, মুআবিয়৷ ইবন কুররাহ
বসরী এবং যিরর ইবন হুৰায়শ প্রমুখ (র) ৷

৭৯ হিজরী সন

এই সনে সিরিয়াতে মহামারীরুপে প্লেগ রোগের আবির্ভাব ঘটে ৷ এই রোগে প্রায় সকল
সিরীয় নাগরিক শেষ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল ৷ রােগাক্রাম্ভ হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং শুধু
অল্প কয়েকজন লোক বেচে থাকায় এই সনে কোন সিরীয় নাগরিক £ কানযুদ্ধে অংশ নেয়নি ৷ :
রোমানদের একটি বিশাল বাহিনী যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ইনতাকিয়৷ অঞ্চলে এসে পৌছেছিল ৷ ন্
ইনতাকিয়ায় বহু লোককে তারা হতাহত করে ৷ তারা জানতষ্টে যে, রোগে আক্রান্ত হয়ে এরা
দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং যুদ্ধে অক্ষম হয়ে গিয়েছে ৷

এই সনে উবায়দুল্পাহ্ ইবন আবু বাকরা তুরস্ক অধিপতি রাতবীলেৱ বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা
করেন ৷ তিনি তুর্কী নপরগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন ৷ এরপর ভুর্কীগণ বার্ষিক নির্দিষ্ট হারে
কর পরিশোধেৱ শর্তে সন্ধি সম্পাদন করে ৷

এই সনে খলীফা আবদুল মালিক ভণ্ডনবী হারিছ ইবন সাঈদ মুতানাববীকে হত্যা করেন ৷
তার নাম ছিল হারিছ ইবন আবদুর রহমান ইবন সাঈদ দামেন্ধী ৷ সে ছিল আবু জাল্লাস
আবদারীর ক্রীতদাস ৷ কেউ বলেছেন, হাকাম ইবন মারওয়ানের ক্রীতদাস, মুলতঃ সে ছিল
জাওলা অঞ্চলের লোক ৷ সে দামেস্কে এসে বসতি স্থাপন করেছিল ৷ সেখানে থাকা অবস্থায় সে
খুবই ইৰাদত বন্দেগী করত ৷ দুনিয়া বিমুখ-সৎসার বিরাগী হয়ে পরহেয়পারী দেখাত ৷ এক
পর্যায়ে সে চক্রাত্তে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রতারণার আশ্রয় নেয় ৷ মুরতাদ হয়ে যায়, আল্লাহ্র কিছু
আয়াত্তেব্র অর্থ বিকৃত করে ছেড়ে দেয় ৷ সফলকাম ঈমানদারদের দল পরিত্যাগ করে ৷
শয়তানের অনুসরণ করডঃ পােমরাহ ও পথভ্রষ্টদের দলভুক্ত হয় ৷ শয়তানুতার ঘাড়ে আঘাত
কৱাত থাকে এবং তার দুনিয়া ও আখিরাত নষ্ট করে দেয় ৷ তাকে লাঞ্ছিত-লজ্জিত ও দুর্ভাগা
করে ছাড়ে ৷ আমরা আল্লাহর অধীন, আল্লাহ্ই আমাদের জন্যে যথেষ্ট ৷ মহান আল্লাহর দেয়া
শক্তি ও সাম-র্থ ব্যতীত কোনশক্তি সামর্থ নেই-ৰু৷ আবু ব্ৰকরইবন আবু খায়ছামাহ আবদুল
ওয়াহ্হাব আবদুর রহমান ইবন টুহাসসানপ্নেকে ংবর্ণনা;করেনযে, তিনি বলেছেন, ভওনবী
মিখ্যাচারী-হ্ারিছ ছিল দামেশকের অধিবাসী ৷ সে আবু জাল্পাসের ক্রীতদা-স ছিল ৷ জাওলাহ্
অঞ্চলে তার পিতা বসবাস করত ৷ একপর্ষায়ে সে ইবলীসের খপ্পরে পড়ে ৷ মুলতং সে একজন
ইবাদত্বকা রী মুত্তাকী পরহেযগায় সােকু ছিস্ া সোনালী জুব্ব৷ পরিধান করলেও তার মধ্যে
তাকওয়৷ ও পরহেযগারীর চিহ্ন ক্যুটু,, র্দু : ৷ মোঃয়খৃনমহ্রান আল্লাহ্র প্রশংসা শুরু করত তখন
শ্রোতাদের মনে হত যে, মহান সৃন্দব প্রশংসা-ভাষ্য তারা জীবনে ৫কানদিন
শুনেনি ৷ তার ভাষা ছিল খুবই সুন্দরও শ্রুতিমধুর ৷
এক পর্যায়ে জাওলা অঞ্চলে অবহুানকারী তার পিতাকে সে লিখল যে, বাবা, আপনি
তাড়াতাড়ি আমার নিকট এসে পড়ুন ৷ কারণ, আমি এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি যাতে আমি
আশংকা করছি যে, শয়তান আমার পিছু নিয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তার পিতা তার
গোমরাহীর্ উপর আরো পােমরাহী বৃদ্ধি করে দেয় ৷ তার পিতা তাকে লিখে পাঠাল যে, বৎস!

€০া৷া





[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَسَبْعِينَ] فَفِيهَا وَقَعَ طَاعُونٌ عَظِيمٌ بِالشَّامِ، حَتَّى كَادُوا يَفْنُونَ مَنْ شِدَّتِهُ، وَلَمْ يَغْزُ فِيهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ ; لِضَعْفِهِمْ وَقِلَّتِهِمْ، وَوَصَلَتِ الرُّومُ فِيهَا أَنْطَاكِيَّةَ، فَأَصَابُوا خَلْقًا مِنْ أَهْلِهَا ; لِعِلْمِهِمْ بِضَعْفِ الْجُنُودِ وَالْمُقَاتِلَةِ. وَفِيهَا غَزَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ رُتْبِيلَ مَلِكَ التُّرْكِ حَتَّى أَوْغَلَ فِي بِلَادِهِ، ثُمَّ صَالَحَهُ عَلَى مَالٍ يَحْمِلُهُ إِلَيْهِ فِي كُلِّ سَنَةٍ. وَفِيهَا قَتَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الْحَارِثَ بْنَ سَعِيدٍ الْمُتَنَبِّئَ الْكَذَّابَ، وَيُقَالُ لَهُ: الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ، مَوْلَى أَبِي الْجُلَاسِ الْعَبْدَرِيِّ. وَيُقَالُ: مَوْلَى الْحَكَمِ بْنِ مَرْوَانَ. كَانَ أَصْلُهُ مِنَ الْحُولَةِ، فَنَزَلَ دِمَشْقَ، وَتَعَبَّدَ بِهَا، وَتَنَسَّكَ وَتَزَهَّدَ، ثُمَّ مُكِرَ بِهِ، وَرَجَعَ الْقَهْقَرَى عَلَى عَقِبِهِ، وَانْسَلَخَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ تَعَالَى، وَفَارَقَ حِزْبَ اللَّهِ الْمُفْلِحِينَ، وَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ، وَلَمْ يَزَلِ الشَّيْطَانُ يَزُخُّ فِي قَفَاهُ حَتَّى أَخْسَرَهُ دِينَهُ وَدُنْيَاهُ، وَأَخْزَاهُ وَأَشْقَاهُ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَحَسْبُنَا اللَّهُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৭১৭৬


ভোমাকে যা আদেশ করা হহুচ্ছ শুধু সেগুলো পালন কর কারণ, আল্লাহ তা জানা বলেছেনং ং

শ্শ্শ্শ্শ্

আমি জানার কার উপর শয়তানগণ অবতীর্ণ হয় ? ওরাভাে অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক ঘোর

মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট (শুআরা ২৬ ২২১ ,২২২) ৷ তুমি তো মিথ্যাবাদীও নও
পাপাচারীও নও ৷ সুতরাং তোমাকে যা প্ আদেশ করা হয় তা তুমি পালন করে যেও ৷ এরপর
থেকে সে মসজ্যিদর মুসল্লীদের নিকট আসত ৷ প্রত্যেকের সাথে ব্যক্তিগত আলাপ করত ৷ এবং
তার পক্ষে ও অনুকুলে কিছু দেখলে তা পালনের জন্যে লোকজন থেকে অঙ্গীকার নিত ৷ আর
বিপক্ষে কিছু দেখলে সেটি গোপন করে রাখার অঙ্গীকার নিত ৷

বর্ণনাকারী বলেন, যে লোকজনকে অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক কিছু বিষয় দেখাত ৷ সে মসজিদে
স্থাপিত মর্মর পাথরের নিকট আসত ৷ নিজ হাতে সেটির মধ্যে ছিদ্ব করত ৷ তারপর ওই পাথর
উচ্চস্বরে ও সুন্দরডাবে তাসবীহ পাঠ করত ৷ এত সুন্দরভাবে পাঠ করত যে, উপস্থিত জনগণের
মধ্যে গুঞ্জন-গুঞ্জরণ সৃষ্টি হত ৷

আমি (গ্রন্থকারী) আমাদের শায়খ আল্লামা আবু আব্বাস ইবন তায়মিয়া (র)-কে বলতে
শুনেছি যে, ওই মিখ্যাচারী ভণ্ড মসজিদের গম্বুজে স্থাপিত মর্মর পাথরের নিকট এসে সেটিতে
ছিদৃ করত আর সেটি তখন তাসবীহ পাঠ শুরু করত ৷ ওই ভাংতাে ধর্মহীন যিন্দীক ছিল ৷

ইবন আবু খায়ছামা তার বর্ণনায় বলেছেন যে, ওই ভণ্ড হারিছ তাদেরকে গ্রীষ্মকালে
শীতকালীন ফলমুল এনে খেতে দিত ৷ আর শীতকালে এনে দিত গ্রীষ্মকালের ফলমুল ৷ সে
তাদেরকে বলত, চল, আমার সাথে বাইরে অসে আমি তােমাদেরকে ফেরেশতা দেখার ৷ সে
ওদেরকে নিয়ে “আল-মারাক বালি তুপের নিকট যেত এবং তাদেরকে দেখাত অশ্বারোহী
কতক পুরুষ লোকশ্ তার এই ণ্তলেসমাতি দেখে বহু লোক তার ভক্ত ও অনুসারীতে পরিণত
হয় ৷ মসজিদে মসজিদে তার এই অলৌকিকত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে ৷ তার ভক্ত ও অনুসারীর
সংখ্যা বাড়তে, থাকে ৷ যেতে যেতে কাসিম ইবন মুখায়মার৷ এর নিকট তার সংবাদ পৌছে ৷ সে
নিজে কাসিমের নিকট যায়, তার কর্মকাণ্ডের কথা তার নিকট পেশ করে এবং প্রতিশ্রুতি নেয়
যে, এটি য়দি০র্তার পসন্দ হয় তাহলে তিনি এটি গ্রহণ করবেন, আর যদি এসব র্চুকাসিমের
অপসন্দ হয় তবে সেটি তিনি গোপন রাখবেন ৷ হারিছ বলেছিল, আমি নবী ৷ কাসিম বললেন,
হে আল্লাহর দুশমন, ঙুইি তাে মিথ্যাৰাদী তুই নবী নস ৷ অন বর্ণনায় এসেছে যে, কাসিম তাকে
বলেছিলেন ভৃই বরং ওইসব মিথ্যাৰাদী দাজ্জালদের একজন ৷ যাদের কথা রাসুলুল্লাহ্ (না) বলে

গিয়েছেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেনং : ,“,টুা৷রুট্রু ৷

; ৷ ণ্;, ;;’¢’’$ ণ্,,ট্রুার্দুাদ্বু (ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবেন৷ যতক্ষণ পর্যন্ত ৩০

জন মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের না হবে ৷ ওদের প্রত্যেকেই দাবী করবে যে সে নবী) ৷ ওহে পাপিষ্ঠ
তুই ন্তাে ওই ত্রিশজনের একজন ৷ ভোর সাথে কোন অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি ও সমঝোতা নেই ৷

কাসিম সেখান থােক বেরিয়ে গেলেন ৷ তিনি গেলেন আবুইদরীসের নিকট ৷ আবুইদরীস
তখন দামেশকের কাযী ৷ হারিছের বিষয়টি তিনি আবু ইদরীসকে জানালেন ৷ আবু ইদরীস
বললেন, আমরা তো তাকে চি নি ৷ এরপর আবু ইদরীস বিষয়টি খলীফ৷ আবদুল মালিককে
অবহিত করলেন ৷

অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, মাকহুল এবং আবদুল্লাহ ইবন আবুযাইদা হারিছের নিকট
গিয়েছিলেন ৷ সে তাদেরকে তার নবুওয়াত মেনে নেয়ার আহ্বান জানায় ৷ তারা তাকে


قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ الْحَوْطِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُبَارَكٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَّانَ، قَالَ: كَانَ الْحَارِثُ الْكَذَّابُ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ، وَكَانَ مَوْلًى لِأَبِي الْجُلَاسِ، وَكَانَ لَهُ أَبٌ بِالْحُولَةِ، فَعَرَضَ لَهُ إِبْلِيسُ وَكَانَ رَجُلًا مُتَعَبِّدًا زَاهِدًا، لَوْ لَبِسَ جُبَّةً مِنْ ذَهَبٍ لَرُئِيَتْ عَلَيْهِ الزَّهَادَةُ وَالْعِبَادَةُ، وَكَانَ إِذَا أَخَذَ فِي التَّحْمِيدِ لَمْ يَسْمَعِ السَّامِعُونَ مِثْلَ تَحْمِيدِهِ، وَلَا أَحْسَنَ مِنْ كَلَامِهِ، فَكَتَبَ إِلَى أَبِيهِ، وَكَانَ بِالْحُولَةِ: يَا أَبَتَاهُ، أَعْجِلْ عَلَيَّ، فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَشْيَاءَ أَتَخَوَّفُ أَنْ يَكُونَ الشَّيْطَانُ قَدْ عَرَضَ لِي. قَالَ: فَزَادَهُ أَبُوهُ غَيًّا عَلَى غَيِّهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُوهُ: يَا بُنَيَّ، أَقْبِلْ عَلَى مَا أُمِرْتَ بِهِ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: {هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ} [الشعراء: 221] وَلَسْتَ بِأَفَّاكٍ وَلَا أَثِيمٍ، فَامْضِ لِمَا أُمِرْتَ بِهِ. فَكَانَ يَجِيءُ إِلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ رَجُلًا رَجُلًا فُيُذَاكِرُهُمْ أَمْرَهُ، وَيَأْخُذُ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، إِنْ هُوَ يَرَى مَا يَرْضَى قَبِلَ وَإِلَّا كَتَمَ عَلَيْهِ. قَالَ: وَكَانَ يُرِيهِمُ الْأَعَاجِيبَ ; كَانَ يَأْتِي إِلَى رُخَامَةٍ فِي الْمَسْجِدِ، فَيَنْقُرُهَا بِيَدِهِ فَتُسَبِّحُ تَسْبِيحًا بَلِيغًا، حَتَّى يَضِجَّ مِنْ ذَلِكَ الْحَاضِرُونَ. قُلْتُ: وَقَدْ سَمِعْتُ شَيْخَنَا الْعَلَّامَةَ أَبَا الْعَبَّاسِ ابْنِ تَيْمِيَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، يَقُولُ: كَانَ يَنْقُرُ هَذِهِ الرُّخَامَةَ الْحَمْرَاءَ الَّتِي فِي الْمَقْصُورَةِ فَتُسَبِّحُ، وَكَانَ زِنْدِيقًا.
পৃষ্ঠা - ৭১৭৭
قَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ فِي رِوَايَةٍ: وَكَانَ الْحَارِثُ يُطْعِمُهُمْ فَاكِهَةَ الشِّتَاءِ فِي الصَّيْفِ، وَفَاكِهَةَ الصَّيْفِ فِي الشِّتَاءِ، وَكَانَ يَقُولُ لَهُمْ: اخْرُجُوا حَتَّى أُرِيَكُمُ الْمَلَائِكَةَ. فَيَخْرُجُ بِهِمْ إِلَى دَيْرِ الْمُرَّانِ، فَيُرِيهِمْ رِجَالًا عَلَى خَيْلٍ، فَتَبِعَهُ عَلَى ذَلِكَ بِشْرٌ كَثِيرٌ، وَفَشَا أَمَرُهُ فِي الْمَسْجِدِ، وَكَثُرَ أَصْحَابُهُ وَأَتْبَاعُهُ، حَتَّى وَصَلَ الْأَمْرُ إِلَى الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ: فَعَرَضَ عَلَى الْقَاسِمِ أَمْرَهُ، وَأَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ ; إِنْ هُوَ رَضِيَ أَمْرًا قَبِلَهُ، وَإِنْ كَرِهَهُ كَتَمَهُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ: إِنِّي نَبِيٌّ. فَقَالَ الْقَاسِمُ: كَذَبْتَ يَا عَدُوَّ اللَّهِ، مَا أَنْتَ نَبِيٌّ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَلَكِنَّكَ أَحَدُ الْكَذَّابِينَ الدَّجَّالِينَ الَّذِينَ أَخْبَرَ عَنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৭১৭৮

মিখ্যাবাদী আখ্যায়িত করেন এবং তার দাবী প্রত্যাখ্যান করেন ৷ এরপর তারা দুজনেই খলীফা
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিকট গমন করেন এবং হারিছের ভণ্ডামীর কথা ওাকে
জানান ৷ খলীফা আবদুল মা ৷লিক অবিলম্বে তাকে খলীফার দরবারে উপস্থিত হবার নির্দেশ জারি
করেন ৷

হারিছ পালিয়ে যায় ৷ গোপনে সে বায়তুল মুকাদ্দাস এলাকায় চলে যায় এবং গোপনে
মানুষকে তার মতাদর্শের দিকে আহ্বান করতে থাকে ৷ কিংন্তু খলীফা তার বিষয়টিকে অত্যন্ত
গুরুতর বলে বিবেচনা করেন এবং নিজে নাসিরিয়াহ নগরীর দিকে যাত্রা করেন ৷ তিনি সেখানে
গিয়ে অবস্থান নেন ৷ নাসিরিয়্যাহ অঞ্চলের এক লোক খলীফার সাথে সাক্ষাত করে ৷ লোকটি
হারিছের নিকট যাতায়াত করত ৷ হারিছ তখন ৰায়তৃল মুকাদ্দাস এলাকায় অবস্থান করছিল ৷
খলীফা প্রতারক হারিছের অবস্থান জানতে চান ৷ লোকটি হারিছের অবস্থান সম্পর্কে খলীফাকে
অবহিত করে ৷ সে খলীফাকে অনুরোধ করে তার সাথে একদল তৃর্কীসৈন্য পাঠাতে, যাতে
ওদেরকে নিয়ে সে হারিছকে ঘিরে ফেলতে পারে এবং ধরে আনতে পারে ৷ তিনি তার সাথে
একদল সৈন্য পাঠালেন ৷ এবং ৰায়তৃল মুকাদ্দাসের উপ-প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন এই
লোকটির আনুগত্য করতে এবং তার কথামত কাজ করতে ৷ লোকটি তার সাথী সৈন্যদেরকে
নিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসের নাসিরিয়্যাহ অঞ্চলে গিয়ে পৌছিল ৷ বায়তুল মুকাদ্দাস এলাকার
প্রশাসক তার খিদমতে হাযির হল ৷ লোকটি তাকে যত পারা যায় মোমবাতি সংগ্রহ করার
জ্যন্য নির্দেশ দিল এবং সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির হাতে একটি করে মােমবাতি প্রদান করার জন্যে,
সে সকলকে নির্দেশ দিল যে, তার ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র সকলে যেন রাতের অন্ধকারে সড়ক ও
গলিপখে সর্বত্র মোমবাতি জ্বালিয়ে নেয় ৷ যাতে হারিছ কোন প্রকারেই লুকিয়ে থাকতে না
পারে ৷

নাসিরিয়্যাহ-এর লোকটি নিজে হারিছের আস্তানায় প্রবেশ করল ৷ প্রহরীকে বলল, আমি
নবীর সাথে দেখা করার অনুমতি চাই ৷ প্রহরী বলল, এত রাতে অনুমতি দেয়৷ যাবে না ৷ ভোর
হলে দেখা যাবে ৷ তখন নাসিরীয় লোকটি চীৎকার দিয়ে বলল, সকলে মােমবাতি জ্বালাও ৷
অবিলম্বে সকলে মােমবাতি জ্বালিয়ে কাি ৷ এখন চারিদিকে আলো আর আলো ৷ রাত যেন দিনে
পরিণত হল ৷ নাসিরীয় লোকটি হারিছকে পাকড়াও করতে গেল, সে একটি গর্ভে লুকিয়ে গেল
তার সাঙ্গপাঙ্গরা বলতে লাগল, হার এই দৃর্মুথেরা আল্লাহ্র নবীকে পাকড়াও করতে চায় ৷
তাকে তাে আসমানে ভুলে নেয়া হয়েছে ৷ নাসিরীয় লোকটি মাটির গর্ভে হাত ঢুকিয়ে দিল ৷ সে
হাতে হারিছের জামা-কাপড়ের নাগাল পেল ৷ সে প্রচণ্ড শক্তিতে জামা ধরে টান দিল ৷ টেনে
হারিছকে বের করে আনল ৷ সে সাথী তুর্কী সৈনিকদেরকে বলল, এবার তোমরা একে বন্দী
কর ৷ তারা তাকে শিকলে বেধে ফেলল ৷ কথিত আছে যে, তার গলায় আটকানাে শিকল

একাধিকবার গলা থেকে খসে পড়ে গিয়েছিল ৷ তারা বার বার সেটি অটিকে দিয়েছিল ৷ প্রতারক
হারিছ তখন বলছিলং ৷ ট্রুাএ

আ ৷মি বিভ্রান্ত হলে বিভ্রান্তির পরিণম আমারই ৷
যবংদি আমি সৎপথে থাকি তবে তা এ জন্যে যে, আমার প্রতি আমার প্রতিপালক ওহী

প্রেরণকরেন ৷ তিনিসর্বশ্রোতা, সন্নিকট ৷ (সারা ষ্৩৪৪ ৫০) ৷

হারিছ তাকে গ্রেপ্তারকারী তুর্কী সৈন্যদেরকে উদ্দেশ্য করে বলল : :-,: ১াৰুঠু ছু,ন্া১ষ্ণ্া
এ ৷ , ট্রুাটুহুন্নু ণ্ তামরা কি এমন এক লোককে হত্যা করতে চাও যে বলে, আমার


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ السَّاعَةَ لَا تَقُومُ حَتَّى يَخْرُجَ ثَلَاثُونَ، دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ» ، وَأَنْتَ أَحَدُهُمْ وَلَا عَهْدَ لَكَ. قَالَ: ثُمَّ قَامَ فَخَرَجَ إِلَى أَبِي إِدْرِيسَ - وَكَانَ عَلَى الْقَضَاءِ بِدِمَشْقَ - فَأَعْلَمَهُ بِمَا سَمِعَ مِنَ الْحَارِثِ، فَقَالَ أَبُو إِدْرِيسَ: نَعْرِفُهُ. ثُمَّ أَعْلَمَ أَبُو إِدْرِيسَ عَبْدَ الْمَلِكِ بِذَلِكَ. وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى أَنَّ مَكْحُولًا، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي زَكَرِيَّا دَخْلَا عَلَى الْحَارِثِ فَدَعَاهُمَا إِلَى نُبُوَّتِهِ، فَكَذَّبَاهُ وَرَدَّا عَلَيْهِ مَا قَالَ، وَدَخَلَا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَأَعْلَمَاهُ بِأَمْرِهِ، فَتَطَلَّبَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ طَلَبًا حَثِيثًا، وَاخْتَفَى الْحَارِثُ، وَصَارَ إِلَى دَارٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، يَدْعُو إِلَى نَفْسِهِ سِرًّا، وَاهْتَمَّ عَبْدُ الْمَلِكِ بِشَأْنِهِ، حَتَّى رَكِبَ إِلَى الصِّنَّبْرَةِ فَنَزَلَهَا، فَوَرَدَ عَلَيْهِ هُنَاكَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، مِمَّنْ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى الْحَارِثِ وَهُوَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَأَعْلَمَهُ بِأَمْرِهِ وَأَيْنَ هُوَ، وَسَأَلَ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنْ يَبْعَثَ مَعَهُ بِطَائِفَةٍ مِنَ الْجُنْدِ الْأَتْرَاكِ لِيَحْتَاطَ عَلَيْهِ، فَأَرْسَلَ مَعَهُ طَائِفَةً وَكَتَبَ إِلَى نَائِبِ الْقُدْسِ ; لِيَكُونَ فِي طَاعَةِ هَذَا الرَّجُلِ، وَيَفْعَلَ مَا يَأْمُرُهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৭৯

প্রতিপালক আল্পাহ্ ৷ (মু’মিন ৪ : : ২৮) ৷ উত্তারৰুসৈন্যগণ তাদের স্থানীয় ভাষায় বলেছিল,
এ;া ,ও ;াষ্ ৷া ,হ্র ৷ ; এসব তো আমাদের কুরআনের আয়াত, তোমার কুরআনের
আয়াত বল দেখি ৷

তারা হারিছকে নিয়ে খলীফা আবদুল মালিকের নিকট গেল ৷ তিনি শুলিতে চড়িয়ে তাকে
হত্যা করার আদেশ দেন ৷ এক লোককে নির্দেশ দেনতাকে বর্শার আঘাত করার ৷ সে তাকে
আঘাত করল ৷ কিভু আঘাত গিয়ে লাগল হারিছের পাজরে ৷ খলীফা জল্পাদকে জিজ্ঞেস
করলেন, তোমার জন্য আফসােস ! তুমি কি আঘাত করার সময় বিসমিল্পাহ্ পড়েছ ? সে বলল,
না, আমি ভুলে গিয়েছিলাম ৷ খলীফা বললেন, বিসমিল্লাহ্ পড়ে আঘাত করবে ৷ সে বিসমিল্লাহ্
পড়ে নিল এবং তারপর বর্শার আঘাত করল ৷ আঘাতে তার শরীর এ ফৌড় ওফোড় হয়ে গেল
এবং সে মারা গেল ৷

অবশ্য খলীফা আবদুল মালিক তাকে গুলিতে চড়ানাের পুর্বে আটক করে ব্লেখেছিলেন এবং
কতক গুণীজন ও জ্ঞানী ব্যক্তিকে বলেছিলেন, ওকে ৰুঝান্বতউপদেশ দিতে ৷ যাতে সে মিথ্যা
দাবী থেকে ফিরে আসে এবং এটা উপলব্ধি করে যে, তার পেছনে যে রয়েছে যে
শয়তান-ইব্লীস ৷ তারা তাকে বুঝিয়েছিলেন ৷ কিন্তু সে তাদের কথা মেনে নিতে অস্বী তি-
জানায় ৷ পরবর্তীতে তাকে শুলিতে চড়ানাে হয় ৷ এটা হল পুর্ণ ন্যায়পরায়ণতা, ইনসাফ ও
, বিধান ৷

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম ইবন জাবির আল৷ ইবন যিয়াদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, খলীফা আবদুল মালিকের রাজ্য শাসনের কোন দিক নিয়েই আমি ঈর্ষাম্বির্ত নই ৷ শুধু
একটি বিষয়ে তার প্রতি আমার ঈর্ষা রয়েছে তা হল তিনি প্রতারক হারিছকে হত্যা করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন০

শ্ ( ন্ শ্ ; শ্ ষ্ ! ’ ৷


শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্ ৫ : ! ! :

“ততক্ষণ কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবেনা যতক্ষণ না ৩০ জন মিথ্যাচারী দাজ্জালের আবির্ভাব
ঘটবে ৷ ওদের প্রত্যেকেই দাবী করবে যে সে নবী ৷ অতএব, যে ব্যক্তি এরুপ দাবী,করবে
তােমর৷ তাদের হত্যা করবে ৷ যে ওদের একজনকে হত্যা করতে পারবে সে জান্নাত পাবে ৷’’

ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেছেন, আমি জানতে পেয়েছি যে, খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়া আবদুল মালিককে বলেছিল যে, ওই মুহুর্তে আমি উপস্থিত থাকলে হারিছকে হত্যার
কথা আমি আপনাকে বলতাম না, আবদুর মালিক বললেন, কেন ? সে বলল, তার মন-মগজ
থেকে ওই কুচিত্তা দুর করার পথ ছিল যে ৷ আপনি যদি ওকে উপােষ রাখতেন তাহলে সহজেই
তার মাথা থেকে ওই ভুত নেমে যেত ৷ মন-মগজ থেকে ওই কুচিন্তা দুর হয়ে যেত ৷

ওয়ালীদ বলেছেনমুনযির ইবন নাফি থেকে তিনি বলেছেন যে, আমি খালিদ ইবন
জাল্পাহকে শুনেছি তিনি গায়লানকে বলছিলেন ৷ এরপর তুমি হারিছের অনুসারী বনে গেলে ৷
তার ন্তীর সাথে পর্দা করতে এবং এই ধারণা পোষণ করতে যে, তার ত্রী মু’মিনদের মা স্বরুপ ৷
এরপর তুমি হয়ে গেলে কদরিয়্যাহ মাযহাবের অনুসারী যিন্দীক-বিধর্ষী ৷

ন্ এই নাম উবায়দুল্পাহ্ ইবন আবু বকর৷ তৃর্কী সম্রাট রাতবীলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তৃর্কীরা
কখনো মুসলমানদের সাথে আপােষমুলক আচরণ করছিল আবার কখনো শত্রুতামুলক আচরণ
করত ৷ এক পর্যায়ে শাসনকর্তা হাজ্জাজ ঘেনাপতি ইবন আবুবাকরাকে লিখিত নির্দেশ দিলেন-
তার সাথী মুসলমানদেরকে নিয়ে রাতবীলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে ৷ তিনি এ


بِهِ، فَلَمَّا وَصَلَ الرَّجُلُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ بِمَنْ مَعَهُ انْتَدَبَ نَائِبَ الْقُدْسِ لِخِدْمَتِهِ، فَأَمْرَهُ أَنْ يَجْمَعَ مَا يَقْدِرُ عَلَيْهِ مِنَ الشُّمُوعِ، وَيَجْعَلُ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ شَمْعَةً، فَإِذَا أَمَرَهُمْ بِإِشْعَالِهَا فِي اللَّيْلِ أَشْعَلُوهَا كُلُّهُمْ فِي سَائِرِ الطُّرُقِ وَالْأَزِقَّةِ، حَتَّى لَا يَخْفَى أَمْرُهُ، وَذَهَبَ الرَّجُلُ بِنَفْسِهِ، فَدَخَلَ الدَّارَ الَّتِي فِيهَا الْحَارِثُ، فَقَالَ لِبَوَّابِهِ: اسْتَأْذِنْ لِي عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ. فَقَالَ: فِي هَذِهِ السَّاعَةِ لَا يُؤْذَنُ عَلَيْهِ حَتَّى يُصْبِحَ. فَصَاحَ الْبَصْرِيُّ: أَسْرِجُوا. فَأَسْرَجَ النَّاسُ شُمُوعَهُمْ حَتَّى صَارَ اللَّيْلُ كَأَنَّهُ النَّهَارُ، وَهَجَمَ الْبَصْرِيُّ عَلَى الْحَارِثِ، فَاخْتَفَى مِنْهُ فِي سِرْبٍ هُنَاكَ، فَقَالَ أَصْحَابُهُ: هَيْهَاتَ، تُرِيدُونَ أَنْ تَصِلُوا إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ. قَالَ: فَأَدْخَلَ الْبَصْرِيُّ يَدَهُ فِي ذَلِكَ السِّرْبِ فَإِذَا بِثَوْبِهِ، فَاجْتَرَّهُ فَأَخْرَجَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلْفَرْغَانِيِّينَ مِنْ أَتْرَاكِ الْخَلِيفَةِ: تَسَلَّمُوا. قَالَ: فَأَخَذُوهُ فَرَبَطُوهُ فَقَيَّدُوهُ، فَيُقَالُ: إِنَّ الْقُيُودَ وَالْجَامِعَةَ سَقَطَتْ مِنْ عُنُقِهِ مِرَارًا، وَيُعِيدُونَهَا، وَجَعَلَ يَقْرَأُ: {قُلْ إِنْ ضَلَلْتُ فَإِنَّمَا أَضِلُّ عَلَى نَفْسِي وَإِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِي إِلَيَّ رَبِّي إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ} [سبأ: 50] ، وَقَالَ لِأُولَئِكَ الْأَتْرَاكِ: {أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ} [غافر: 28] فَقَالُوا لَهُ بِلِسَانِهِمْ وَلُغَتِهِمْ: هَذَا كُرَانُنَا فَهَاتِ كُرَانَكَ. أَيْ: هَذَا قُرْآنُنَا فَهَاتِ قُرْآنَكَ. فَلَمَّا انْتَهَوْا بِهِ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ أَمَرَ بِصَلْبِهِ عَلَى خَشَبَةٍ، وَأَمَرَ رَجُلًا فَطَعَنَهُ بِحَرْبَةٍ، فَانْثَنَتْ فِي ضِلْعٍ مِنْ أَضْلَاعِهِ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَيْحَكَ، أَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ حِينَ طَعَنْتَهُ؟ فَقَالَ: نَسِيتُ. فَقَالَ: وَيْحَكَ، سَمِّ اللَّهَ، ثُمَّ اطْعَنْهُ. قَالَ: فَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ ثُمَّ طَعَنَهُ فَأَنْفَذَهُ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ
পৃষ্ঠা - ৭১৮০
حَبَسَهُ قَبْلَ صَلْبِهِ، وَأَمَرَ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ أَنْ يَعِظُوهُ وَيُعْلِمُوهُ أَنَّ هَذَا الَّذِي بِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُمْ، فَصَلَبَهُ بَعْدَ ذَلِكَ، وَهَذَا مِنْ تَمَامِ الْعَدْلِ وَالدِّينِ. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، فَحَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ عُتْبَةَ الْأَعْوَرَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الْعَلَاءَ بْنَ زِيَادٍ الْعَدَوِيَّ يَقُولُ: مَا غَبَطْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بِشَيْءٍ مِنْ وِلَايَتِهِ إِلَّا بِقَتْلِهِ حَارِثًا ; حُدِّثْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ ثَلَاثُونَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَمَنْ قَالَهُ فَاقْتُلُوهُ، وَمَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ أَحَدًا فَلَهُ الْجَنَّةُ» . وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: بَلَغَنِي أَنَّ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ: لَوْ حَضَرْتُكَ مَا أَمَرْتُكَ بِقَتْلِهِ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ إِنَّهُ إِنَّمَا كَانَ بِهِ الْمَذْهَبُ، فَلَوْ جَوَّعَتَهُ لَذَهَبَ ذَلِكَ عَنْهُ. وَقَالَ الْوَلِيدُ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ نَافِعٍ: سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ اللَّجْلَاجِ يَقُولُ لِغَيْلَانَ: وَيْحَكَ يَا غَيْلَانُ، أَلَمْ يَأْخُذْكَ فِي شَبِيبَتِكَ تُرَامِي النِّسَاءَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِالتُّفَّاحِ، ثُمَّ صِرْتَ حَارِثِيًّا يَحْجُبُ امْرَأَتَهُ، وَيَزْعُمُ أَنَّهَا أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، ثُمَّ تَحَوَّلْتَ فَصِرْتَ قَدَرِيًّا زِنْدِيقًا. وَفِيهَا غَزَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ رُتْبِيلَ - مَلِكَ التُّرْكِ الْأَعْظَمَ فِيهِمْ - وَقَدْ كَانَ يُصَانِعُ الْمُسْلِمِينَ تَارَةً، وَيَتَمَرَّدُ أُخْرَى، فَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى ابْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৭১৮১


নির্দেশ দেন যে, রাতবীলের শাসনাধীন অঞ্চলে লুটতরাজ চালাতে হবে ৷ ওদের দুর্গ ও সেনা
ছাউনি ধ্বংস করতে হবে এবং তাদের যুদ্ধক্ষম ব্যক্তিদেরকে হত্যা করতে হবে ৷ নির্দেশক্রাম
সেনাপতি উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবু বকরা কুফী ও বসরী বহু সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে
নিজ দেশ থেকে বের হল রাতবীলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ সেনাপতি উবায়দুল্লাহ্ তুর্কী
সম্রটি রাতবীলের মুখোমুখি হলেন ৷ তার রাজ্যের বিজ্যি অঞ্চল লুটে পুটে বিনষ্ট করে দিলেন ৷
প্রচণ্ড আক্রমণে তার শক্তি সামর্থ ধুলিসাৎ করে দিলেন ৷ বীর বিক্রমে মুসলিম সৈন্য রাতবীলের
রাজ্যে প্রবেশ করল ৷ তারা তার বহু শহর নগর ও জনপদ দখল করে নিল, সেখানে তারা
ব্যাপক ধ্বং যজ্ঞ চালাল ৷ সম্রটি রাতবীল আক্রমণ সামলাতে না পেরে পেছনে সরে গেল ৷ সে
অনবরত পেছনে সরে যেতে লাগল ৷ সে তাদের প্রধান শহরের কাছাকাছি গিয়ে পৌছল ৷
এমনকি তাদের অবস্থান তখন শহর থেকে মাত্র ১৮ ফারসাখ (৫৪ মইিল) দুরে ৷ মুসলমানদের
ভয়ে তুর্কীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ হঠাৎ পরিস্থিতির মোড় ঘুরে গ্রেল ৷ ভুর্কীরা মুসলমানদের
সামনে পেছনে সকল রাস্তা বন্ধ করে দিল ৷ তাদের যাতায়াত সংকটজনক করে দিল ৷ এ মুহুর্তে
সকল মুসলমান ধরে নিল যে, মৃত্যু তাদের জন্যে অনিবার্য হয়ে পড়েছে ৷ এ পরিস্থিতিতে
মুসলিম সেনাপতি উবায়দুল্পাহ্ রাতবীলের প্রতি সন্ধি স্থাপনের প্রস্তাব দিলেন ৷ তার প্রস্তাব ছিল
যে, রাতবীলকে তারা ৭ লক্ষ দিরহাম পরিশোধ করবে এবং মুসলমানদের বের হবার পথ খুলে
দিবে ৷ সে পথে মুসলমানগণ বের হয়ে নিজ দেশে ফিরে যাবে ৷ ন্

কিন্তু এই মুহুর্তে শুরায়হ্ ইবন হানী (রা) মুসলমানদেরকে আপোষ যীমাংসা প্রত্যাখ্যান
করে যুদ্ধে অংশ্যাহণের আহ্বান জানালেন ৷ তিনি ছিলেন একজন সাহাবী এবং হযরত আলী
(রা)-এর বয়ােবৃদ্ধ সাথী ৷ তিনি তখন কুফী সৈন্যদের সম্মুখভাগে অবস্থান করছিলেন ৷ তার
আহ্বানে মুসলিম সৈনিকপণ সাড়া দিল, তারা বীর বিক্রমে তীর নিক্ষেপ, তরবারি পরিচালনা
এবং বর্শা ছোড়ার মাধ্যমে তৃর্কী সৈনিকদের উপর আক্রমণ চালাল ৷ সেনাপতি উবায়দুল্পাহ্
সাহাবী শুরায়হ ইবন হানী (রা) কে এই যুদ্ধ পরিচালনায় বারণ করেছিলেন; কিন্তু তিনি বিরত
থাবেপ্সনি ৷ বীর-সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী কতক লোক তার সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হন ৷ তাদের
সাথে হযরত শুরাযহ ইবন হানী (রা) তুর্কীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলেন ৷ অবশেষে
অধিক৷ ×শ মুসলমান নিহত হল ৷ মহান আল্লাহ তাদের প্রতি স ন্তুষ্ট হোন ৷ কথিত আছে যে,
হযরত শুরায়হ (বা) যুদ্ধ চলাকালে নিম্নলিখিত রণ-সঙ্গীত আবৃত্তি করেছিলেন-


আমি এখন দুঃখ ভারাক্রাত হয়ে পড়েছি ৷ বার্ধক্যের কষ্ট ভোগ করছি ৷ আমি তো
মুশরিকদের সমাজে বহুকাল অতিবাহিত করেছি ৷

ষ্ ষ্ ন্


আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর যুগ পেয়েছি ৷ তাৱপরে সিদ্দীক-ই-আকবর (বা) এবং হযরত
উমারের (রা) শাসনকালও পেয়েছি ৷

আমি ৫মহরারুনর যুদ্ধে অংশ নিয়েছি ৷ তুসতরের যুদ্ধেও ছিলাম ৷ সিফ্ফীন এবং
নাহ্রাওয়ানের যুদ্ধেও আমি শরীক ছিলাম ৷

াপ্রুছু
হার, এই জীবন কতেইি না দীর্ঘ


أَبِي بَكْرَةَ أَنْ نَاجِزْهُ بِمَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَسْتَبِيحَ أَرْضَهُ، وَتَهْدِمَ قِلَاعَهُ، وَتَقْتُلَ مُقَاتِلَتَهُ. فَخَرَجَ فِي جَمْعٍ مِنَ الْجُنُودِ مِنْ بِلَادِهِ، وَخَلْقٍ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، ثُمَّ الْتَقَى مَعَ رُتْبِيلَ - مَلِكِ التُّرْكِ - فَكَسَرَهُ، وَهَدَمَ أَرْكَانَهُ بِسَطْوَةٍ بِتَّارَةٍ، وَجَاسَ ابْنُ أَبِي بَكْرَةَ وَجُنْدُهُ خِلَالَ دِيَارِهِمْ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى كَثِيرٍ مِنْ أَقَالِيمِهِ وَمُدُنِهِ وَأَمْصَارِهِ، وَتَبَّرَ مَا هُنَالِكَ تَتْبِيرًا، ثُمَّ إِنَّ رُتْبِيلَ تَقَهْقَرَ مِنْهُ مُنْشَمِرًا، وَمَا زَالَ يَتْبَعُهُ حَتَّى اقْتَرَبَ مِنْ مَدِينَتِهِ الْعُظْمَى، حَتَّى كَانُوا مِنْهَا عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ فَرْسَخًا، وَخَافَتِ الْأَتْرَاكُ مِنْهُمْ خَوْفًا شَدِيدًا، ثُمَّ إِنَّ التُّرْكَ أَخَذَتْ عَلَيْهِمُ الطُّرُقَ وَالشِّعَابَ، وَضَيَّقُوا عَلَيْهِمُ الْمَسَالِكَ، حَتَّى ظَنَّ كُلٌّ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَنَّهُ لَا مَحَالَةَ هَالِكٌ، فَعِنْدَ ذَلِكَ طَلَبَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَنْ يُصَالِحَ رُتْبِيلَ عَلَى أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ سَبْعَمِائَةِ أَلْفٍ، وَيَفْتَحُوا لِلْمُسْلِمِينَ طَرِيقًا يَخْرُجُونَ مِنْهُ، وَيَرْجِعُونَ عَنْهُمْ إِلَى بِلَادِهِمْ، فَانْتَدَبَ شُرَيْحَ بْنَ هَانِئٍ الْحَارِثِيَّ - وَكَانَ صَحَابِيًّا، وَكَانَ مِنْ أَكْبَرِ أَصْحَابِ عَلَيٍّ، وَهُوَ الْمُقَدَّمُ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ - فَنَدَبَ النَّاسَ إِلَى الْقِتَالِ وَالْمُصَابَرَةِ، وَالنِّزَالِ وَالْجِلَادِ بِالسُّيُوفِ وَالرِّمَاحِ وَالنِّبَالِ، فَنَهَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ فَلَمْ يَنْتَهِ، وَأَجَابَهُ شِرْذِمَةٌ مِنَ النَّاسِ مِنَ الشُّجْعَانِ وَأَهْلِ الْحَفَائِظِ، فَمَا زَالَ يُقَاتِلُ بِهِمِ التَّرْكَ حَتَّى فَنِيَ أَكْثَرُ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. قَالُوا: وَجَعَلَ شُرَيْحُ بْنُ هَانِئٍ يَرْتَجِزُ، وَيَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭১৮২


এরপর তিনি যুদ্ধ শুরু করলেন এবং শহীদ হলেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷
তার বহু সাথী ওই যুদ্ধে মারা গিয়েছে ৷ এরপর যারা বের হতে চেয়েছে তারা উরায়দৃল্লাহ্
ইবন আবু বাকরা এর সাথে রাতবীলেৱ এলাকা থেকে বেরিয়ে আসে ৷ এদের সংখ্যা ছিল খুব
কম ৷ এই পরাজয়ের সংবাদ হাজ্জাজের নিকট পৌছে যায় ৷ সে ভাল মন্দ সব মেনে নেয় ৷ এবং
খলীফা আবদুল মালিককে তা অবহিত করে ৷ এ প্রসঙ্গে বুতবীলেৱ বিরুদ্ধে নতুন অভিযান
প্রেরণ করার বিষয় পরামর্শ চায়, হাজ্জাজের চিঠি যখন খলীফা আবদুল মালিকের নিকট পৌছে
তখন তিনি হাজ্জাজের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে সেনা প্রেরণের নির্দেশ দেন, এবং খুব
তাড়াতাড়ি অভিযান পরিচালনার আদেশ দেন ৷ হাজ্জাজে র নিকট চিঠি পৌছাৱ পর অবিলম্বে
হাজ্জাজ সৈন্য সমাবেশ করতে থাকে ৷ , সে বহু সৈন্যের এক বিশাল যোদ্ধা দল গঠন করে ৷
পরবর্তী বৎসরের আলোচনায় আমরা এটি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করব ৷
কেউ কেউ বলেছেন, রাতবীলেৱ বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে হযরত শুরায়হ ইবন হানী (রা)-এর
সাথে প্রায় ত্রিশ হাজার মুসলিম সৈনিক নিহত হয় ৷ সে মুহুর্তে একটি রুটি বিক্রি হয়েছিল এক
দীনারে ৷ মুসলিম ণ্যাদ্ধাণণ ভীষণ কষ্ট ভোগ করেছে ৷ তাদের বহু লোক অনাহারে মারা গেছে ৷
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন ৷ অবশ্য মুসলমানগণ বহু তুর্কী সৈন্যকে হত্যা ,
করেছিল ৷ ওই যুদ্ধে মুসলমানদের দ্বিগুণ তুর্কী সৈন্য নিহত হয়েছিল ৷
কথিত আছে যে, এই সনে বিচারপতি কাষী শুরায়হ উক্ত পদে ইস্তিফা দিয়েছিলেন ৷
হাজ্জাজ তার ইস্তিফা গ্রহণ করে তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে ৷ ওই পদে আবু
বুরদাহ ইবন আবু মুসা আশআরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়, গত সনে অর্থাৎ ৭৮ হিজরী সনের
আলোচনায় বিচারপতি ৩শুরায়হ এর জীবনী উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
ওয়াকিদী, আবু মাশার ও অন্যান্য ইতিহাসবিদ বলেছেন যে, এই সনে হরুজ্জ ণ্নতৃতু
দিয়েছেন আবান ইবন উছমান (রা) ৷ তিনি তখন মদীনা শরীফের শাসনকর্তা ৷ খারিজী নেতা,
অড়াবুনুআমাহ কাতারী ইবন ফুজাআ তামীমী এই সনে নিহত হয়, সে একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহসী,
বীর ও সুপুরুষ ছিল ৷ কথিত আছে যে, সে ২০ বৎসর যাবত এমন ছিল যে, তার ভক্ত ও
অনুসারীগণ তাকে খলীফা জ্ঞানে সালাম দিত ৷ হাজ্জাজের নিযুক্ত সেনাপতি মুহাল্লাবের
সৈন্যদের সাথে তার বহু যুদ্ধ বিগ্রহ হয় ৷ এই বিষয়ে কিছু আলোচনা আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ
করেছি ৷
তার আবির্ভাব ঘটেছিল হযরত মুসআব ইবন যুবায়য়েয় (বা) সময়ে ৷ সে বহু রাজ ও
সেনাছাউনি দখল করে নিয়েছিল ৷ তার এ সকল ঘটনা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে ৷
এক পর্যায়ে বিশাল এক সেনাদল প্রেরণ করা হয়েছিল তাকে শায়েস্তা করার জন্যে ৷ কিন্তু সে
ওই সেনাদলকে পরাজিত করে ৷
কথিত আছে যে, একদিন এক হারুরী লোক কাতারীর উপর আক্রমণ করার জন্যে এগিয়ে
যায়, কাতারী তখন একটি দুর্বল ঘোড়ার পিঠে উপবিষ্ট ৷ তার হাতে ছিল লোহার একটি বড়,
হারুরী লোকটি কাতারীর কাছাকাছি গিয়ে পৌছে ৷ কাতারী তার মুখের পর্দা সরিয়ে ফেলে ৷
তার মুখ দেখেই হারুরী ভয়ে দৌড়াতে থাকে, পালাতে থাকে ৷ কাতারী ডেকে ডেকে বলছিল
ওহে যাচ্ছ কোথায় ? শুধু মুখ দেখেই মার-পিট আঘাতের স্বাদ না নিয়েই দৌড়াচ্ছ, লজ্জা
ব্বছে না ? উত্তরে ওই লোক বলছিল, আপনার মত লোক দেখে পালানােতে কেউ লজ্জাবােধ
ৰ্ল্মবে না ৷


أَصْبَحْتُ ذَا بَثٍّ أُقَاسِيَ الْكِبَرَا ... قَدْ عِشْتُ بَيْنَ الْمُشْرِكِينَ أَعْصُرَا ثُمَّتَ أَدْرَكْتُ النَّبِيَّ الْمُنْذِرَا ... وَبَعْدَهُ صِدِّيقَهُ وَعُمَرَا وَيَوْمَ مِهْرَانَ وَيَوْمَ تُسْتَرَا ... وَالْجَمْعَ فِي صِفِّينِهِمْ وَالنَّهَرَا هَيْهَاتَ مَا أَطْوَلَ هَذَا عُمُرَا ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقُتِلَ مَعَهُ خَلْقٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، ثُمَّ خَرَجَ مَنْ خَرَجَ مِنَ النَّاسِ صُحْبَةَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ مِنْ أَرْضِ رُتْبِيلَ، وَهُمْ قَلِيلٌ، وَبَلَغَ ذَلِكَ الْحَجَّاجَ فَأَخْذَهُ مَا تَقَدَّمَ، وَمَا تَأَخَّرَ، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَيَسْتَشِيرُهُ فِي بَعْثِ جَيْشٍ كَثِيفٍ إِلَى بِلَادِ رُتْبِيلَ ; لِيَنْتَقِمُوا مِنْهُ بِسَبَبِ مَا حَلَّ بِالْمُسْلِمِينَ فِي بِلَادِهِ، فَحِينَ وَصَلَ الْبَرِيدُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ كَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِالْمُوَافَقَةِ عَلَى مَا رَأَى مِنَ الْمَصْلَحَةِ فِي ذَلِكَ، وَأَنْ يُعَجِّلَ ذَلِكَ سَرِيعًا، فَحِينَ وَصَلَ الْبَرِيدُ إِلَى الْحَجَّاجِ بِذَلِكَ أَخَذَ فِي جَمْعِ الْجُيُوشِ، فَجَهَّزَ جَيْشًا كَثِيفًا لِذَلِكَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ بَعْدَهَا. وَقِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مَعَ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ ثَلَاثُونَ أَلْفًا، وَابْتِيعَ الرَّغِيفُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ بِدِينَارٍ، وَقَاسَوْا شَدَائِدَ، وَمَاتَ بِسَبَبِ الْجُوعِ مِنْهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ أَيْضًا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَقَدْ قَتَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنَ التُّرْكِ خَلْقًا كَثِيرًا أَيْضًا، قَتَلُوا أَضْعَافَهَمْ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ اسْتَعْفَى شُرَيْحٌ مِنَ الْقَضَاءِ فَأَعْفَاهُ الْحَجَّاجُ مِنْ ذَلِكَ، وَوَلَّى مَكَانَهُ أَبَا بُرْدَةَ بْنَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ
পৃষ্ঠা - ৭১৮৩
تَرْجَمَةُ شُرَيْحٍ عِنْدَ وَفَاتِهِ فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو مَعْشَرٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قُتِلَ قَطَرِيُّ بْنُ الْفُجَاءَةِ التَّمِيمِيُّ، أَبُو نَعَامَةَ الْخَارِجِيُّ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَشَاهِيرِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ مَكَثَ عِشْرِينَ سَنَةً يُسَلِّمُ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ بِالْخِلَافَةِ، وَقَدْ جَرَتْ لَهُ خُطُوبٌ وَحُرُوبٌ مَعَ جَيْشِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ وَغَيْرِهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا مِنْهَا طَرَفًا صَالِحًا فِي أَمَاكِنِهِ. وَكَانَ خُرُوجُهُ فِي زَمَنِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَتَغَلَّبَ عَلَى قِلَاعٍ كَثِيرَةٍ وَأَقَالِيمَ وَغَيْرِهَا، وَوَقَائِعُهُ مَشْهُورَةٌ، وَقَدْ أَرْسَلَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ جُيُوشًا كَثِيرَةً فَهَزَمَهَا، وَقِيلَ: إِنَّهُ بَرَزَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ بَعْضِ الْحَرُورِيَّةِ، وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ أَعْجَفَ، وَبِيَدِهِ عَمُودُ حَدِيدٍ، فَلَمَّا قَرُبَ مِنْهُ كَشَفَ قَطَرِيٌّ عَنْ وَجْهِهِ، فَوَلَّى الرَّجُلُ هَارِبًا، فَقَالَ لَهُ قَطَرِيٌّ: إِلَى أَيْنَ؟ أَمَا تَسْتَحِي أَنْ تَفِرَّ وَلَمْ تَرَ طَعْنًا وَلَا ضَرْبًا؟ فَقَالَ: إِنَّ الْإِنْسَانَ لَا يَسْتَحِي أَنْ يَفِرَّ مِنْ مِثْلِكَ. ثُمَّ إِنَّهُ فِي آخِرِ أَمْرِهِ تَوَجَّهَ إِلَيْهِ سُفْيَانُ بْنُ الْأَبْرَدِ الْكَلْبِيُّ فِي جَيْشٍ، فَاقْتَتَلُوا بِطَبَرِسْتَانَ، فَعَثَرَ بِقَطَرِيٍّ فَرَسُهُ فَوَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ، فَتَكَاثَرُوا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، وَحَمَلُوا رَأْسَهُ إِلَى الْحَجَّاجِ. وَقِيلَ: إِنَّ الَّذِي قَتَلَهُ سَوْدَةُ بْنُ الْحُرِّ الدَّارِمِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৭১৮৪


শেষ পর্যায়ে সুফয়ান ইবন আবরাদ কালবী একটি সেনাবহর নিয়ে কাতারীব মুকাবিলা
করার জন্যে গমন করে, তাবারিস্তা নে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, কাতারীকে নিয়ে তার
ঘোড়া পায়ে হোচট যায় ৷ ঘোড়ার পা পিছলে যায় ৷ কাতারী ঘোড়ার পিঠ থেকে মাটিতে পড়ে
যায় ৷ অবিলম্বে হাজ্জাজ বাহিনী কাতারীকে সম্মিলিত আঘাত করে ৷ তারা তাকে হত্যা করে ৷
তার মাথা হাজ্জাজের নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ কেউ বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কাতারীকে হত্যা
করেছিল তার নাম সাওদাহ ইয়ুন হুরর দারামী ৷ কাতারী একই সাথে সাহসী যোদ্ধা, আরব
বাশ্মী, স্পষ্ট ভাষী ও ভাল করি ছিল ৷ তার উচ্চমানের কবিতার একটি এইং

; ৷,;;
আমি আমার আত্মাকে বললাম, শত্রুপক্ষীয় বীরদের তার যে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল,
ধুত্তুরী ভয় পেয়ো না ৷
ট্রু, ;ভ্রুা’; ন্দ্বু
তোমার নির্ধারিত আযুয় উপর যদি একদিনও বেশী তুমি থাকতে চাও-, তোমাকে ত৷ দেয়া
হবে না ৷

সুতরাং মৃত্যু-ঝঞার মধ্যে তোমাকে ধৈর্যধারণ করতে হবে, শুধুই ধৈর্যধারণ, কারণ,
চিরস্থায়িতু তুমি তাে পাবে না ৷
৷ ’; ;ট্রু,ক্ট্র ৰুাঠু
এবং ইয্যতের জামা দিয়ে জীবনের জামা পাওয়া যায় না ৷ যে কাপুরুষ ও লাঞ্ছিত জন
থেকে ওই জামা গুটিয়ে নেয়া হবে ৷
; ৷ র্দুাহু;ঠু;

মৃত্যুর পথই সকল জীবের চুড়ান্ত সীমা ৷ সুতরাং পৃথিবীবাসীকে মৃত্যুর দিকে আহ্বান
কারী ই হলো প্রকৃত আহ্বানকারী ৷

; ’ ৰু৷ ট্রু,টু;ট্র
যে ব্যক্তির কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবে না, সে বৃদ্ধ হবে জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়বে ৷
এবং স্বাভাবিক মৃত্যু তাকে বিচ্ছেদের হাতে সোপর্দ করবে ৷


মানুষের জীবন যদি জড় পদার্থের ন্যায় ন্থবির হয়ে পড়ে, তবে সেই জীবনে কোন কল্যাণ
নেই ৷ উল্লেখ্য যে, দিওয়ান-ই-হাম্মাসা-এর গ্রন্থকার এই কবিত৷ উদ্ধৃত করেছেন এবং ইবন
খাল্লিকান এটিকে খুব সুন্দর কবিতা বলে মন্তব্য করেছেন ৷


وَكَانَ قَطَرِيُّ بْنُ الْفُجَاءَةِ - مَعَ شَجَاعَتِهِ الْمُفَرِطَةِ وَإِقْدَامِهِ - مِنْ خُطَبَاءَ الْعَرَبِ الْمَشْهُورِينَ بِالْفَصَاحَةِ وَالْبَلَاغَةِ، وَجَوْدَةِ الْكَلَامِ، وَالشِّعْرِ الْحَسَنِ، فَمِنْ مُسْتَجَادِ شِعْرِهِ قَوْلُهُ يُشَجِّعُ نَفْسَهُ وَغَيْرَهُ، وَمَنْ سَمِعَهَا انْتَفَعَ بِهَا: أَقُولُ لَهَا وَقَدْ طَارَتْ شَعَاعًا ... مِنَ الْأَبْطَالِ وَيْحَكِ لَنْ تُرَاعِي فَإِنَّكِ لَوْ سَأَلْتِ بَقَاءَ يَوْمٍ ... عَلَى الْأَجَلِ الَّذِي لَكَ لِمَ تُطَاعِي فَصَبْرًا فِي مَجَالِ الْمَوْتِ صَبْرًا ... فَمَا نَيْلُ الْخُلُودِ بِمُسْتَطَاعِ وَلَا ثَوْبُ الْحَيَاةِ بِثَوْبِ عِزٍّ ... فَيُطْوَى عَنْ أَخِي الْخَنَعِ الْيَرَاعِ سَبِيلُ الْمَوْتِ غَايَةُ كُلِّ حَيٍّ ... وَدَاعِيهِ لِأَهْلِ الْأَرْضِ دَاعِي وَمَنْ لَا يَغْتَبِطْ يَسْأَمْ وَيَهْرَمْ ... وَتُسْلِمْهُ الْمَنُونُ إِلَى انْقِطَاعِ وَمَا لِلْمَرْءِ خَيْرٌ فِي حَيَاةٍ ... إِذَا مَا عُدَّ مِنْ سَقَطِ الْمَتَاعِ ذَكَرَهَا صَاحِبُ الْحَمَاسَةِ، وَاسْتَحْسَنَهَا ابْنُ خَلِّكَانَ فِي تَارِيخِهِ كَثِيرًا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَهُوَ أَمِيرُ الْجَيْشِ الَّذِي دَخَلَ بِلَادَ التُّرْكِ، وَقَاتَلُوا رُتْبِيلَ - مَلِكَ التُّرْكِ - وَقَدْ قُتِلَ مِنْ جَيْشِهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مَعَ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ. وَقَدْ دَخَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَلَى الْحَجَّاجِ مَرَّةً، وَفِي يَدِهِ خَاتَمٌ، فَقَالَ لَهُ الْحَجَّاجُ: كَمْ خَتَمْتَ بِخَاتَمِكَ هَذَا؟ قَالَ: عَلَى أَرْبَعِينَ أَلْفِ أَلْفِ دِينَارٍ. قَالَ: فَفِيمَ أَنْفَقْتَهَا؟ قَالَ: فِي اصْطِنَاعِ الْمَعْرُوفِ، وَرَدِّ الْمَلْهُوفِ، وَالْمُكَافَأَةِ بِالصَّنَائِعِ، وَتَزْوِيجِ الْعَقَائِلِ. وَقِيلَ: إِنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ عَطَشَ يَوْمًا
পৃষ্ঠা - ৭১৮৫
فَأَخْرَجَتْ لَهُ امْرَأَةٌ كُوزَ مَاءٍ بَارِدٍ، فَأَعْطَاهَا ثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَقِيلَ: إِنَّهُ أُهْدِيَ إِلَيْهِ وَصَيْفٌ وَوَصِيفَةٌ، وَهُوَ جَالِسٌ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ لِبَعْضِ أَصْحَابِهِ: خُذْهُمَا لَكَ. ثُمَّ فَكَّرَ، وَقَالَ: وَاللَّهِ، إِنَّ إِيثَارَ بَعْضِ الْجُلَسَاءِ عَلَى بَعْضٍ لَشُحٌّ قَبِيحٌ، وَدَنَاءَةٌ رَدِيئَةٌ، ثُمَّ قَالَ: يَا غُلَامُ، ادْفَعْ إِلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْ جُلَسَائِي وَصَيْفًا وَوَصِيفَةً. فَأُحْصِيَ ذَلِكَ فَكَانُوا ثَمَانِينَ وَصَيْفًا وَوَصِيفَةً. تُوُفِّيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ بِبُسْتَ. وَقِيلَ: بِذَرِيحَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.