আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وسبعين

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭১৫৫


এক পিঠে নিজের নাম অৎকন করে ৷ এরপর ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের শাসনামলে
ইউসুফ ইবন হুবায়রা মুদ্রা তৈরীতে উৎকর্ষ সাধন করেন ৷ এরপর হিশামের শাসনামলে খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ কাসারী মুদ্রার সাথে ও ডিজাইনে আরো উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ৷ এরপর
ইউসুফ ইবন উমার সর্বাধিক উন্নত পদ্ধতিতে মুদ্রায় উৎকর্ষ সাধন করেন ৷ এজন্য আব্বাসী
খলীফ৷ মানসুর হুবায়াবিয়্যাহ খালিদিয়া এবং ইউসুফিয়্যাহ মুদ্র৷ ব্যতীত অন্য মুদ্রা গ্রহণ করতেন
না ৷

উল্লেখ্য যে, সে যুগে মুসলিম রাষ্ট্ৰসমুহে বিভিন্ন প্রকারের মুদ্রার প্রচলন ছিল ৷ যেমন
বালিয়্যা দিরহাম এটির মুল্যমান ছিল ৮ দানিক ৷ তাবারিয়্যা দিরহাম এটির মুল্যমান ছিল :
দানিক ৷ ইয়ামানীদিরহাম এটির মুল্যমান ছিল ১ দানিক ৷ হযরত উনার (রা) বালিয়্যা এবং
তাবারিয়ব্র দিরহামকে একত্রিত করে পরে দুভাগেভাণ করে এক দিরহামের মুল্যমান নির্ধারণ
করেছেন ৷ ফলে এক দিরহাম-ই-শারঈ হল ই ৫ ৫ ই) মিছকাল ৷ ঐতিহাসিকপণ বলেন
যে, মিছকালের ওযন পরিবর্তিত হয় না ৷ জাহেলী যুগেও হয়নি ইসলামী যুগেও পরিবর্তন
হয়নি ৷ অবশ্য এই মন্তব্য সন্দেহমুক্ত নয় ৷ আল্লাইে ভাল জানেন ৷

এই সনে মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ইবন হাকামের জন্ম হয়; তিনি

মারওয়ান মাল হিমার নামে পরিচিত ৷ তিনি ছিলেন উমাইয়৷ বংশের শেষ খলীফ৷ ৷ তার নিকট
থেকেই আব্বাসীণণ খিলাফত ছিনিয়ে নেন ৷ এই সনে মদীনায় শাসনকর্তা আবান ইবন উছমান
ইবন আফফান ন(রা) হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ এই সনে ইরাকের শাসনকর্তা পদে নিয়োজিত
ছিল হাজ্জাজ ৷ খােরাসানে উমাইয়া ইবন আংদুল্লাহ্ ৷ আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

৭৬ হিজরী সনে ওফ্াতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

আবু উছমান আন নাহ্দী

৭৬ সনে ওফাতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একজন হলেন আবু উছমান আন নাহ্দী (রা) ৷
তার নাম আবদুর রহমান ইবন মার ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর জীবদ্দশায় তিনি ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ জালুলা,ধ্কাদেসিয়া, তৃসতর, নিহাদওয়ান্দ, আযরবায়জান ও অন্যান্য যুদ্ধে তিনি অংশ
নেন ৷ তিনি খুব ইবাদতগুয়ার লোক ছিলেন ৷ দুনিয়া বিরাগী, জ্ঞান বিশারদ ও সংযমী ছিলেন
আবুউছমান ৷ তিনি দীনের বেলায় রোযা রাখতেন এবং রাতের বেলায় ইবাদতে কাটাতেন ৷
তিনি ১৩০ বছর বয়সে কুফায় ইনৃতিকাল করেন ৷

সাল্লাহ্ ইবন আশীম আদাবী (র)

তিনি বসরার অধিবাসী, বিশিষ্ট তাবিঈদের একজন ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সম্মানিত
পরহেযণার, দুনিয়া বিমুখ ও ইবাদতকারী মানুষ ৷ তীর উপনাম আবু সাহবা ৷ খুব নামাযী
ছিলেন তিনি ৷ নামায পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যেতেন ৷ তারপর বিছানায় আসতেন হামাগুডি
দিয়ে ৷৩ তার বহু গৌরবজনক কীর্তি ৩রয়েছে ৷ যুব সম্প্রদায়কে হাসি-তামাশায় মগ্ন দেখে তিনি
বলতেন, তোমরা বল দেখি এমন কতক লোক মারা বহু দুরে যাবার লক্ষে সফরে বেরিয়েছে ৷
তারপর তারা দিনভর ভুল পথে চলেছে আর রাতভর ঘুমিয়ে কাটিয়েছে, তাহলে কেমন করে
তারা মনযিলে মকসুদে পৌছবে ? একদিন তিনি একথা বলার পর জনৈক যুবক বলল, ওহে
আমার সাথীরা, উনি তে ৷ আমাদের কথা বলেছেন ৷ আমরা দিনভর থেলাধুলায় কাটাচ্ছি আর
রাতের বেলা ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি ৷ সেদিন থেকে ওই যুবক সাল্লাহ্ এর সঙ্গ অবলম্বন করে এবং
তার সাথে ইবাদতে নিয়োজিত হয় ৷ ঞ্জোপ্লুর্যত ম্বুবকটি তার সঙ্গ ছাড়েনি ৷

ান্যো৪ য়ুশো০ওো৷৷

الْحِمَارُ، آخِرُ مَنْ تَوَلَّى الْخِلَافَةَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بِالشَّامِ، وَمِنْهُ أَخَذَهَا بَنُو الْعَبَّاسِ. وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ لَأَبَانِ بْنِ عُثْمَانَ، وَعَزَلَ عَنْهَا يَحْيَى بْنَ مَرْوَانَ عَمَّهُ، وَاسْتَدْعَاهُ إِلَى الشَّامِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبَانِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ عَلَى إِمْرَةِ الْعِرَاقِ الْحَجَّاجُ، وَعَلَى خُرَاسَانَ أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ الْقُضَاعِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلَّ، أَسْلَمَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَغَزَا جَلُولَاءَ وَالْقَادِسِيَّةَ وَتُسْتَرَ وَنَهَاوَنْدَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَغَيْرَهَا، وَكَانَ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ، زَاهِدًا عَالِمًا، يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ، تُوُفِّيَ وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً بِالْكُوفَةِ. صِلَةُ بْنُ أَشْيَمَ الْعَدَوِيُّ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ ذَا فَضْلٍ وَوَرَعٍ وَعِبَادَةٍ وَزُهْدٍ، كُنْيَتُهُ أَبُو الصَّهْبَاءِ، كَانَ يُصَلِّي حَتَّى مَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَأْتِيَ الْفِرَاشَ إِلَّا حَبْوًا، وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، مِنْهَا أَنَّهُ كَانَ يَمُرُّ عَلَيْهِ شَبَابٌ يَلْهُونَ
পৃষ্ঠা - ৭১৫৬

একদিন এক যুবক তার পাশ দিয়ে যাফ্লি ৷ সে তার লুঙ্গি পরিধান করেছিল পায়ের গিরার
নীচে ৷ তার সাথিগণ এই গর্হিত কাজের জন্যে যুবকটিকে গালি-গালাজ ও মন্দ বলতে
চেয়েছিল ৷ তিনি বললেন থাক, আমি তাকে দেখব, তোমরা কিছু করোনা ৷ এরপর তিনি
যুবকটিকে ডাকলেন এবং বললেন, ভাতিজা! তোমার নিকট আমার একটু প্রয়োজন আছে ৷ সে
বলল, আমার নিকট কী প্রয়োজন আপনার ? তিনি বললেন, তুমি কি তোমার লুঙ্গিটি একটু
উপরে উঠিয়ে নিবে ? সে বলল, ছুা৷, অবশ্যই কত ভাল আপনার দৃষ্টি ৷ কত ভাল আপনার
চোখ ৷ এরপর সে তার লুঙ্গি উপরে উঠিয়ে নেয় ৷ সাল্লাহ্ (র)ত তার সাথীদেরকে বললেন
তোমরা যা করতে চেয়েছিলে তার চাইতে এটি অনেক ভাল হল তো! তোমরা যদি ওকে গাল্লি
দিতে সেও তােমাদেরকে পালি দিত ৷
এই প্রসঙ্গে জা ফর ইবন যায়দ বলেন যে, আমরা এক যুদ্ধে বের হয়েছিলাম ৷ সেনা দলে
হযরত সাল্লাহ্ ইবন আশীমও ছিলেন ৷ ইশার সময় সবাই যাত্রা বিরতি তকরল ৷ বাহন থ৷ মিয়ে
নেমে পড়ল ৷ আমি মনে মনে বললাম যে, আজ রাত আমি সাল্লাহ্ (র) এর আমল ও কর্ম
গভীরতা ব দেখব ৷ আমি দেখলাম হযরত সাল্পাহ্ (র) এক ঝোপের মধ্যে প্রবেশ করলেন ৷
আমি তার পেছনে পেছনে গেলাম ৷ তিনি নামায়ে দাড়ালেন ৷ একটি সিংহ এল ৷ সেটি তার খুব
কাছাকাছি পৌছে গেল ৷ আমি একটি গাছে উঠে গেলাম ৷ আমি দেখতে পাচ্ছিলাম যে, সিংহটি
এদিক সেদিক তাকাচ্ছিল আর গর্জন করছিল ৷ হযরত সাল্লাহ্ রীতিমত সিজদায গেলেন ৷ আমি
মনে মনে বললাম, এবার তাকে ছিড়ে ফেড়ে শেষ করে দিবে ৷ তিনি সিজদা থেকে উঠলেন ৷
বসলেন, তারপর সালাম ফিরালেন ৷ এরপর বললেন, ওহে হিংস্র পশু আমাকে হত্যা করা
সম্পর্কিত যদি কোন নির্দেশ থাকেত তবে তা করে নাও ৷ নতুবা তোমার জীবিকার সন্ধানেশ্অন্যএ
চলে যাও ৷ সিংহ চলে গেল ৷ সিংহ যাচ্ছিল গর্জন করতে করতে যে, তার গর্জনে পর্বত কেপে
কেপে উঠছিল ৷ ভোরবেলা তিনি বসলেন ৷ এমন সুন্দর ভাষায় মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন

যে, আমি তেমন ভাষা কােনদিন শুনিনি ৷ এরপর বললেন, ইয়৷ অ ৷ল্পাহ্! আমি আপনার নিকট
নিবেদন পেশ করছি যে, আপনি আমাকে জ ৷হান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন ৷ আমার মত লোক কি
জান্নাত প্রার্থনা করার সাহস দেখাতে পারে ?

এরপর তিনি সেনাদলের নিকট ফিরে গেলেন, তিনি এমন তার দেখালেন যে, তিনি
রাতভর আরামে শুয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন ৷ আর এদিকে রাত জাগার ও ঘুম নষ্ট হওয়ার কারণে
আমার যা করুণ অবস্থা ৷ তা আল্লাহ্ই জানেন ৷

বর্ণনাকারী আরো বলেন যে, পিঠে মালপএ নিয়ে হযরত সাল্লাহ্ (র)-এর সওয়ারী হারিয়ে
গিয়েছিল ৷ তিনি দুআ করে বললেন, হে আলুাহ্ আমি নিবেদন পেশ করছি যে, আপনি
আমার খচ্চর মালপত্রসহ ফিরিয়ে দিবেন ৷ অবিলম্বে খচ্চর ফিরে এল এবং তা সম্মুখে দাড়িয়ে
গেল ৷

বর্ণনাকারী জাফর ইবন যায়দ বলেন, তারপর আমরা শত্রুপক্ষের মুখোমুখি হলাম ৷
হযরত সাল্লাহ্(র) এবং হিশাম ইবন আমির শত্রুপক্ষের উপর হামলা করলেন ৷ আমরা ওদের
প্রচুর ক্ষতি সাধন করলাম ৷ আমাদের পক্ষে তারা দুজন ওদেরকে আক্রমণে আক্রমণে
নাস্তানাবুদ্ করে ফেললেন ৷ ওরা বলল, হার আরবের মাত্র দুজন লোক আমাদের এই দশা করে
ছেড়েছে, ওদের সবাই যদি যুদ্ধে নামে তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে ! বরং মুসলমানেরা যা
চায় তা ওদেরকে দিয়ে দাও ৷ ওদের সিদ্ধান্ত মেনে নাও ৷


وَيَلْعَبُونَ، فَيَقُولُ: أَخْبِرُونِي عَنْ قَوْمٍ أَرَادُوا سَفَرًا، فَحَادُوا فِي النَّهَارِ عَنِ الطَّرِيقِ، وَنَامُوا اللَّيْلَ، فَمَتَى يَقْطَعُونَ سَفَرَهُمْ؟ فَقَالَ لَهُمْ يَوْمًا هَذِهِ الْمَقَالَةَ، فَقَالَ شَابٌّ مِنْهُمْ: وَاللَّهِ يَا قَوْمِ إِنَّهُ مَا يَعْنِي بِهَذَا غَيْرَنَا، نَحْنُ بِالنَّهَارِ نَلْهُو وَبِاللَّيْلِ نَنَامُ. ثُمَّ تَبِعَ صِلَةَ، فَلَمْ يَزَلْ يَتَعَبَّدُ مَعَهُ حَتَّى مَاتَ، وَمَرَّ عَلَيْهِ فَتًى يَجُرُّ ثَوْبَهُ، فَهَمَّ أَصْحَابُهُ أَنْ يَأْخُذُوهُ بِأَلْسِنَتِهِمْ، فَقَالَ: دَعُونِي أَكْفِكُمْ أَمْرَهُ. ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ: يَابْنَ أَخَى، لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ. قَالَ: وَمَا حَاجَتُكَ؟ قَالَ: أَنْ تَرَفَعَ إِزَارَكَ. قَالَ: نَعَمْ، وَنِعْمَتْ عَيْنٌ. فَرَفَعَ إِزَارَهُ، فَقَالَ صِلَةُ: هَذَا أَمْثَلُ مِمَّا أَرَدْتُمْ، لَوْ شَتَمْتُمُوهُ لَشَتَمَكُمْ. وَمِنْهَا مَا حَكَاهُ جَعْفَرُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: خَرَجْنَا فِي غَزَاةٍ، وَفَى الْجَيْشِ صِلَةُ بْنُ أَشْيَمَ، فَنَزَلَ النَّاسُ عِنْدَ الْعَتَمَةِ، فَقُلْتُ: لَأَرْمُقَنَّ عَمَلَهُ اللَّيْلَةَ. فَدَخَلَ غَيْضَةً، وَدَخَلْتُ فِي أَثَرِهِ، فَقَامَ يُصَلِّي، وَجَاءَ الْأَسَدُ حَتَّى دَنَا مِنْهُ، وَصَعِدْتُ أَنَا فِي شَجَرَةٍ. قَالَ: فَتُرَاهُ الْتَفَتَ، أَوْ عَدَّهُ جِرْوًا حَتَّى سَجَدَ؟ فَقُلْتُ: الْآنَ يَفْتَرِسُهُ. فَجَلَسَ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَالَ: أَيُّهَا السَّبْعُ، إِنْ كُنْتَ أُمِرْتَ بِشَيْءٍ فَافْعَلْ، وَإِلَّا فَاطْلُبِ الرِّزْقَ مِنْ مَكَانٍ آخَرَ. فَوَلَّى الْأَسَدُ وَإِنَّ لَهُ لَزَئِيرًا تَصَّدَّعُ مِنْهُ الْجِبَالُ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الصَّبَاحِ جَلَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ بِمَحَامِدَ لَمْ أَسْمَعْ بِمِثْلِهَا، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنْ تُجِيرَنِي مِنَ النَّارِ، أَوَ مِثْلِي يَجْتَرِئُ أَنْ يَسْأَلَكَ الْجَنَّةَ؟ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْجَيْشِ، فَأَصْبَحَ كَأَنَّهُ بَاتَ عَلَى الْحَشَايَا، وَأَصْبَحْتُ وَبِي مِنَ الْفَتْرَةِ شَيْءٌ اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ. قَالَ: وَذَهَبَتْ بِغْلَتُهُ بِثِقَلِهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنْ تَرُدَّ عَلَيَّ بَغْلَتِي
পৃষ্ঠা - ৭১৫৭

হযরত সাল্লাহ্ (র) বললেন, এক যুদ্ধে আমি ভীষণভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি ৷ আমি তখন
ইাটছিলাম আর আল্লাহর নিকট মিনতি করে খাদ্য প্রার্থনা করছিলাম ৷ হঠাৎ আমার পেছনে
থাদ্য রাখার শব্দ পেলাম ৷ আমি পেছনে তাকালাম ৷ দেখলাম একটি সাদা রুমাল তার মধ্যে
তাজা খেজুর ভর্তি একটি বাক৷ ৷ আমি ওই বাক৷ থেকে থেলাম ৷ আমি তৃপ্ত হলায় ৷ তখন
প্রায় সন্ধ্য৷ ৷ আমি জনৈক ইয়াহুদী যাজকের গৃহে উঠলাম ৷ এই ঘটনা তাকে জানালাম ৷ সে
আমার নিকট ওই তাজা খেজ্বব খেতে চাইল ৷ আমি তাকে খাওয়ালাম ৷ অনেক দিন পর আমি
ওই যাজকের গৃহে উপস্থিত হই ৷ সেখানে দেখতে পাই কতক সুন্দর সুন্দর খেজুর গাছ ৷ সে
বলল, এই খেজুর গাছ, এগুলো ওই তাজা খেজুরের বিচি থেকে ভাজানো যে খেজুর আপনি
আমাকে খেতে দিয়েছিলেন ৷ সাল্লাহ্ (র) ওই সাদা রুমাল তার ত্রীর নিকট নিয়ে এসেছিলেন ৷
তার ত্রী ওই রুমাল লোকজনকে দেখাতেন ৷

তার শ্রী মু আযাহকে যখন তার নিকট হাদিয়া রুপে প্রেরণ করা হয়, তার ভাতিজা তাকে
গোসলখানায় পাঠায় ৷ তাররপর তাকে সুসজ্জিত ও সুশোভিত এক বাসর গৃহে পাঠায় ৷ সেখানে
তিনি নামায পড়তে শুরু করেন ৷ মুআযাহ ও তার সাথে নামায পড়তে শুরু করে ৷ দুজনেই
নামায পড়তেছিলেন ৷ এভাবেই রাত কেটে গিয়ে ভোর হয় ৷ তার ভাতিজা বলেন, আমি ভোরে
তার নিকট উপস্থিত হই ৷ আমি তাকে বলি চাচা আমি তো আপনার চাচাত ণ্বানকে আজ
রাতে আপনার নিকট হাদিয়া রুপে পাঠাই ৷ আর আপনি সারা রাত তাকে ছেড়ে নামায আদায়
করলেন ? সাল্লাহ (র) বললেন, তুমি তো প্রথমে দিনের প্রথম ভাগে একটি গৃহে ঢুকি য়েছ ৷
সেটি দ্বারা তুমি আমাকে জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছ ৷ আর দিনের শেষ বেলায় তুমি
আমাকে একটি গৃহে প্রবেশ করিয়েছ ৷ সেটি দ্বারা তুমি আমাকে জান্নড়াতের কথা স্মরণ করিয়ে
দিয়েছ ৷ তারপর ওই দৃটোর অর্থাৎ জ ন্না৩ আর জাহান্নামের ফিকর ও চিন্তা ভাবনায় মগ্ন
থাকতে থাকতে ভোর হয়ে যায় ৷ যে গৃহ তাকে জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেটি
হল পোসলথানা ৷ আর যে গৃহ তাকে জান্নাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেটি হল বাসর
গৃহ

এক ব্যক্তি হযরত সাল্লাহ্ (র)-কে বলেছিল যে, আমার জন্যে দুআ করল ৷ সাল্পাহ্ (র)
বললেন, মহান আল্লাহ্ চিরস্থায়ী বিষয়গুলাের প্রতি তোমার আগ্রহ সৃষ্টি করে দিন এবং অস্থায়ী
বিষয়গুলোৱ প্রতি তোমার অনাসক্তি সৃষ্টি করে দেন ৷ আল্লাহ তোমাকে সেই ইয়াকীন ও বিশ্বাস ,
দিন যার মাধ্যমে শুধু তারই প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং যে ইয়ার্কীনের মাধ্যমে দীনী বিষয়ে ,
তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন হয় ৷

অন্য একটি ঘটনা ৷ স ৷ল্লাহ্ (র) একটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ওই যুদ্ধে তার সাথে তার
পুত্রও ছিল ৷ পুত্রকে তিনি বললেন, বৎস! তুমি এগিয়ে যাও, লড়াই কর ৷ আমি তোমার
মাধ্যঘুম ছাওয়াবের আশা করি, যে এগিয়ে গেল ৷ যুদ্ধ করল ৷ এবং এক পর্যায়ে সে নিহত হলা
এরপর সাল্লাহ্ এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি নিজে যুদ্ধ করলেন ৷ এবং এক পর্যায়ে তিনি নিজেও
শহীদ হলেন ৷ এই প্রেক্ষিতে শোক প্রকাশ ও সান্তুনা দেয়ার জন্যে মহিলাগণ তার শ্রী মুআযাহ
আদাবিয়্যার নিকট উপস্থিত হয় ৷ তার শ্রী বললেন, আপনারা যদি আমাকে ধন্যবাদ জানাতে
এসে থাকেন তবে আপনাদের প্রতি সাদর সন্তাষণ ৷ আর যদি আপনারা আমার প্রতি শোক
প্রকাশ ও সমবেদনা জানাতে আসেন তবে তার দরকার নেই আপনারা ফিরে যান ৷ ইতিহাস
খ্যাত এই বুষুর্গব্যড়ি এবং তার পুত্র এই ৭৬ সনে পারস্যের এক যুদ্ধে নিহত হন ৷


بِثِقَلِهَا. فَجَاءَتْ حَتَّى قَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: فَلَمَّا الْتَقَيْنَا الْعَدُوَّ حَمَلَ هُوَ وَهِشَامُ بْنُ عَامِرٍ، فَصَنَعَا بِهِمْ طَعْنًا وَضَرْبًا، فَقَالَ الْعَدُوُّ: رَجُلَانِ مِنَ الْعَرَبِ صَنَعَا بِنَا هَذَا؛ فَكَيْفَ لَوْ قَاتَلُونَا كُلُّهُمْ؟ أَعْطُوا الْمُسْلِمِينَ حَاجَتَهُمْ. يَعْنِي انْزِلُوا عَلَى حُكْمِهِمْ. وَقَالَ صِلَةُ: جُعْتُ مَرَّةً فِي غَزَاةٍ جَوْعًا شَدِيدًا، فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ أَدْعُو رَبِّي وَأَسْتَطْعِمُهُ، إِذْ سَمِعْتُ وَجْبَةً مِنْ خَلْفِي، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِمِنْدِيلٍ أَبْيَضَ، فَإِذَا فِيهِ دَوْخَلَةٌ مَلْآنَةٌ رُطَبًا، فَأَكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى شَبِعْتُ، وَأَدْرَكَنِي الْمَسَاءُ، فَمِلْتُ إِلَى دَيْرِ رَاهِبٍ فَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيثَ، فَاسْتَطْعَمَنِي مِنَ الرُّطَبِ فَأَطْعَمْتُهُ، ثُمَّ إِنِّي مَرَرْتُ عَلَى ذَلِكَ الرَّاهِبِ بَعْدَ زَمَانٍ فَإِذَا نَخَلَاتٌ حِسَانٌ، فَقَالَ: إِنَّهُنَّ لَمِنَ الرُّطَبَاتِ الَّتِي أَطْعَمْتَنِي. وَجَاءَ بِذَلِكَ الْمِنْدِيلِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَكَانَتْ تُرِيهُ لِلنَّاسِ. وَلَمَّا أُهْدِيَتْ مُعَاذَةُ إِلَى صِلَةَ، أَدْخَلَهُ ابْنُ أَخِيهِ الْحَمَّامَ، ثُمَّ أَدْخَلَهُ بَيْتَ الْعَرُوسِ ; بَيْتًا مُطَيَّبًا، فَقَامَ يُصَلِّي، فَقَامَتْ تُصَلِّي مَعَهُ، فَلَمْ يَزَالَا يُصَلِّيَانِ حَتَّى بَرَقَ الصُّبْحُ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ، فَقُلْتُ لَهُ: أَيْ عَمِّ، أَهْدَيْتُ إِلَيْكَ ابْنَةَ عَمِّكَ اللَّيْلَةَ، فَقُمْتَ تُصَلِّي وَتَرَكْتَهَا. قَالَ: إِنَّكَ أَدَخَلْتَنِي بَيْتًا أَوَّلَ النَّهَارِ أَذْكَرْتَنِي بِهِ النَّارَ، وَأَدْخَلْتَنِي بَيْتًا آخِرَ النَّهَارِ أَذْكَرْتَنِي بِهِ الْجَنَّةَ، فَلَمْ تَزَلْ فِكْرَتِي فِيهِمَا حَتَّى أَصْبَحْتُ. الْبَيْتُ الَّذِي أَذْكَرَهُ بِهِ النَّارَ هُوَ الْحَمَّامُ، وَالْبَيْتُ الَّذِي أَذْكَرَهُ بِهِ الْجَنَّةَ هُوَ بَيْتُ الْعَرُوسِ.
পৃষ্ঠা - ৭১৫৮
وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: ادْعُ اللَّهَ لِي. فَقَالَ: رَغَّبَكَ اللَّهُ فِيمَا يَبْقَى، وَزَهَّدَكَ فِيمَا يَفْنَى، وَرَزَقَكَ الْيَقِينَ الَّذِي لَا تَرْكَنُ إِلَّا إِلَيْهِ، وَلَا تُعَوِّلُ فِي الدِّينِ إِلَّا عَلَيْهِ. وَكَانَ صِلَةُ فِي غَزَاةٍ، وَمَعَهُ ابْنُهُ، فَقَالَ لَهُ: أَيْ بُنَيَّ، تَقَدَّمْ فَقَاتِلْ حَتَّى أَحْتَسِبَكَ. فَحَمَلَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ تَقَدَّمَ صِلَةُ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَاجْتَمَعَ النِّسَاءُ عِنْدَ امْرَأَتِهِ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، فَقَالَتْ: إِنْ كُنْتُنَّ جِئْتُنَّ لِتُهَنِّئْنَنِي فَمَرْحَبًا بِكُنَّ، وَإِنْ كُنْتُنَّ جِئْتُنَّ لِغَيْرِ ذَلِكَ فَارْجِعْنَ. تُوُفِّيَ صِلَةُ فِي غَزَاةٍ هُوَ وَابْنُهُ نَحْوَ بِلَادِ فَارِسَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. زُهَيْرُ بْنُ قَيْسٍ الْبَلَوِيُّ شَهِدَ فَتْحَ مِصْرَ وَسَكَنَهَا، لَهُ صُحْبَةٌ، قَتَلَتْهُ الرُّومُ بِبَرْقَةَ مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَذَلِكَ أَنَّ الصَّرِيخَ أَتَى الْحَاكِمَ بِمِصْرَ - وَهُوَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ - أَنَّ الرُّومَ نَزَلُوا بَرْقَةَ، فَأَمَرَهُ بِالنُّهُوضِ إِلَيْهِمْ، فَسَاقَ زُهَيْرٌ وَمَعَهُ أَرْبَعُونَ نَفْسًا، فَوَجَدَ الرُّومَ، فَأَرَادَ أَنْ يَكُفَّ عَنِ الْقِتَالِ حَتَّى يَلْحَقَهُ الْعَسْكَرُ، فَقَالُوا: يَا أَبَا شَدَّادٍ، احْمِلْ بِنَا عَلَيْهِمْ. فَحَمَلُوا، فَقُتِلُوا جَمِيعًا. الْمُنْذِرُ بْنُ الْجَارُودِ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. تَوَلَّى بَيْتَ الْمَالِ، وَوَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.