আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وسبعين

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

من توفي في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭১৪৩

ইবন জারীর বলেন যে, এই সনে ইমরুল কায়েস গোত্রের সালিহ্ ইবন মুসাররাহ একটি
আন্দোলন গড়ে তোলে ৷ সে সুফারিয়্যাহ (খারিজীদের একটি শাখা) মতবাদের অনুসারী ছিল ৷
কারো কারো মতে সে ছিল সুফারিয়্যাহ মতবাদের গোড়া পত্তনকারী ৷ ঘটনা ছিল এই যে, এই
৭৫ সনে সে হজ্জ করতে গিয়েছিল ৷ শাবীব ইর্বৃন ইয়াযীদ,ধ্ বাভীন এবং এই পর্যায়ের খারিজী
নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিল ৷ ঘটনাক্রমে ওই বৎসর খলীফা আবদুল মালিক হজ্জ করতে
গিয়েছিলেন ৷ খারিজী নেতা শাবীব খলীফাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিভু তা সম্ভব
হয়নি ৷ হজ্জ থেকে ফিরে আসার পর খলীফা এই সংবাদ জানতে পারেন ৷ ফলে ওই দলের
লোকদেরকে ধরে আমার জন্যে খলীফ৷ শাসনকর্তা হাজ্জাজকে নির্দেশ দেন ৷ আলোচ্য সালিহ্
ইবন মুসাররাহ্ বারবার কুফ৷ যেত এবং সেখানে অবস্থান করত ৷ তার একদল অনুসারী ছিল ৷
তারা তার মজলিসে বসত ৷ তার বুযুগীতিত বিশ্বাস করত ৷ এদের অধিকাৎশ ছিল দারা ও
মুসেলের অধিবাসী ৷ সালিহ্ ওদেরকে কুরআন শিক্ষা দিত ৷ ওয়ায নসীহত করত ৷ তার গায়ের
রং ছিল হলুদ ৷ সে প্রচুর ইবাদত বন্দেপী করত ৷ ওয়ায করার সময় সে আল্লাহ্র
ৎসা-গুণগান ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে ওয়ায শুরু করত ৷
ওয়াযের মধ্যে যে দুনিয়ার প্রতি নির্লোভ থাকা, আখিরাতের প্রতি আগ্রহী হওয়া, মৃত্যুর কথা
বেশী বেশী স্মরণ করা ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা করত ৷ সে হযরত আবু বকর (বা) ও উমর
(রা) এর প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করত ৷ তাদের সুনাম সুকীর্তি বর্ণনা করত ৷ এরপর
হযরত উছমান (রা) এর বিষয় আলোচনায় আনত এবং তাকে গালমন্দ করত ৷ তার হত্যাকারী
পাপাচারী ঘাতকেরা তাকে যে সব দোষে অভিযুক্ত করেছিল ওইসব তথাকথিত দােষগুলো সে
উল্লেখ করত ৷ এরপর তা তার সাথীদেরকে খারিজীদের দলভুক্ত হয়ে খারিজী আন্দোলনে শরীক
হয়ে সৎকর্মের আদেশ ও মন্দ কর্মে নিষেধ করতে বেরিয়ে পড়ার জন্যে উদ্বুদ্ধ করত ৷ লোক
সমাজে প্রচলিত রসুম রেওয়াজের প্রতি ঘৃণাবােধ সৃষ্টিতে সে তার অনুসারীদেরকে কাজে
লাগতে ৷ সে তাদেরকে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে হেলায় মৃত্যুবরণ করতে দীক্ষা দিত ৷ সে দুনিয়ার
বিরুপ সমালোচনা করত ৷ পার্থিব বিষয়গুলােকে নিতান্ত তুচ্ছ ও গৌণ বিবেচনা করত ৷ হতে
হতে একদল লোক তার মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে উঠে ৷ এক পর্যায়ে তার সতীর্থ শাবীব নিজ
অনুসারীদেরকে নিয়ে তাকে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার আহ্বান জানান ৷ এরপর
সালিহের নিকট শাবীব নিজে এসে উপস্থিত হন ৷ সালিহ্ তখন “দাবা অঞ্চলে অবস্থান
করছিল ৷ আলাপ আলোচনার পর উভয়ে একমত হল যে, আগামী বছর ৭৬ সনের সফর
মাসের শুরুর দিকে তারা মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহ ও আন্দোলন শুরু করবে ৷ এই যাত্রার শাবীবের
সাথে তার ভাই মুসাদ, মুজাল্লাল এবং ফযল ইবন আমির সালিহের নিকট উপস্থিত হয়েছিল ৷
দারায় সালিহের নিকট তখন প্রায় ১২০ জনের মত নেতৃস্থানীয় খারিজী লোকের সমাবেশ
ঘটেছিল ৷ একদিন তারা শাসনকর্তা মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানের অশ্বগুলোর উপর আক্রমণ করে ৷
তারা অশ্বগুলোকে ছিনিয়ে নেয় এবং সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এরপর তারা কী কী ঘটিনা
ঘটিয়েছিল “৭৬ সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে আমরা তা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

৭৫ হিজধী সনে নেতৃন্থৰুনীয় যীরা ইন্তিকাল করেন

আবু মুসহির ও আবু উবায়দ এর অভিমত অনুসারে এই সনে হারা ইনৃতিকাল করেন
তাদের অন্যতম হলেন হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়৷ ৷ তিনি আবু নাজীহ সুলড়ামী উপনামেও
পরিচিত ৷ তিনি একজন বিশিষ্ট সাহাবী ৷ তিনি হিমস নগরীতে বসবাস করতেন ৷ ইসলামের


مِائَةٍ وَعَشَرَةِ أَنْفُسٍ، ثُمَّ وَثَبُوا عَلَى خَيْلٍ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، فَأَخَذُوهَا وَتَقْوَوْا بِهَا، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمَرِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] وَكَانَ مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي قَوْلِ أَبِي مُسْهِرٍ، وَأَبِي عُبَيْدٍ: الْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ السُّلَمِيُّ أَبُو نَجِيحٍ سَكَنَ حِمْصَ، وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، أَسْلَمَ قَدِيمًا هُوَ وَعَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَنَزَلَ الصُّفَّةَ، وَكَانَ مِنَ الْبَكَّائِينَ الْمَذْكُورِينَ فِي سُورَةِ بَرَاءَةٍ، كَمَا قَدْ ذَكَرْنَا أَسْمَاءَهُمْ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ} [التوبة: 92] (التَّوْبَةِ: 92) . وَهُوَ رَاوِي حَدِيثِ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، حَتَّى قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا. قَالَ: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ، كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ، عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي، وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ مِنْ بَعْدِي، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ ; فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ» رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৪৪

প্রথম যুগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার সাথে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন হযরত আমর
ইবন আম্বাসাহ (রা) ৷ তিনি তখন অবস্থান করেছিলেন মক্কার আল-সৃফ্ফা নামক স্থানে ৷

াটুপ্রু;

fl ৩ ×

৷ ;; ট্রু,;;;র্চু; ণ্;;;; ৷ ;
“ওদেরও কোন অপরাধ ণ্নই যারা আপনার নিকট বাহনের জন্যে আসার পর আপনি

বলেছিলেন তোমাদের জন্যে কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷ ওরা অর্থ ব্যয়ে অসামর্থজনির্ত দুঃখে
অশ্রু বিগলিত ণ্নত্রে ফিরে গেল ৷” (তাওবা ৯০ ৯২) ৷

এই আয়াতে ক্রন্দনকারী যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়া
তাদের অন্যতম ছিলেন ৷ ইতেড়াপুর্বে আমরা এই প্রসঙ্গে সাশ্রু নয়নে ফিরে যাওয়া
ক্রন্দনকারীদের নাম উল্লেখ করেছি ৷ তারা ছিলেন যেটি ৯ জন ৷ হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়া

একটি গুরুত্বপুর্ণ হাদীসের বর্ণন্যক্যরী ৷ সেটি হল০ ং




৷ ৷গ্লুট্রু;;
একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিলেন ৷ তাতে সকলের মন ভয়ে

প্রকম্পিত ও শিহরিত হয়ে উঠল, চক্ষুগুলো থেকে ঝর বার করে অশ্রু ঝরে পড়ল ) ৷ ইমাম
আহমদ (র) এবং সুনান সংকলনকারিগণ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী এবং
অন্যরা এটি বিশুদ্ধ হাদীস বলে মন্তব্য করেছেন৷ হযরত ইরবাদ ইবন মারিয়া এও বর্ণনা

করেছেন যে, ৷;গু; ৷ঠো ৷ পু ;৷ ৷া হু,া;;’; ছু,াব্র ,;ট্টা; ধ্১া; রুা৷ ৷ ;শ্ দু,ন্ট্ট৷ ৷ র্দু১া

হুটুা ৷ট্রু ১াক্ট্র ৷ ;ট্রু রাসুলুল্পাহ্ৰু (সা) প্রথম কাতারের জন্য তিনবার এবং দ্বিতীয় কাতারের
জনা একবার

ইরবাদ ইবন সারিয়া বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তিনি চইিতেন যে, মহান আল্লাহ য়েন তাকে


দুনিয়া থেকে তুলে নেন ৷ তিনি এই দুআ করতেন চে;া;; ট্রু)ট্রুট্রুট্রুং ;; ;;,;ৰু ষ্কধ্ন্া৷’া
;াপু ৷ং ;র্দু;;;া; হে আল্লাহ আমার বয়স বেশী হয়ে গিয়েছে ৷ আমি বার্ধক্যে পৌছে
গিয়েছি ৷ আমাকে আপনার নিকট তুলে নিন ৷ তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

আবু ছালাৰা খুশানী (বা)

৭৫ সনে যারা ইনৃতিকাল করেন তাদের একজন হলেন হয্রত আবু ছালাবা খুশানী (রা) ৷
তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত বায়আত-ই রিযওয়ানে উপস্থিত ছিলেন না ৷ তিনি
হুনায়নের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ যারা পশ্চিম দামেস্কে বসতি স্থাপন করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
তাদের একজন ৷ কেউ বলেছেন যে, তিনি পুর্ব দামেশকের বিলাত অঞ্চলে বসতি স্থাপন
করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

তার নাম এবং তার পিতার নাম সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে,
তার নাম জারছুম ইবন নাশির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এবং অনেক সাহাবী থেকে তিনি হাদীস


أَحْمَدُ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ. وَرَوَى أَيْضًا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي عَلَى الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلَاثًا، وَعَلَى الثَّانِي وَاحِدَةً» . وَقَدْ كَانَ الْعِرْبَاضُ شَيْخًا كَبِيرًا، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَكَانَ يَدْعُو: اللَّهُمَّ كَبِرَتْ سِنِّي، وَوَهَنَ عَظْمِي، فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ. وَرَوَى أَحَادِيثَ. أَبُو ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَغَزَا حُنَيْنًا، وَكَانَ مِمَّنْ نَزَلَ الشَّامَ بِدَارَيَّا غَرْبِيِّ دِمَشْقَ إِلَى جِهَةِ الْقِبْلَةِ، وَقِيلَ: بِبَلَاطِ - قَرْيَةٍ شَرْقِيِّ دِمَشْقَ - فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ، وَاسْمِ أَبِيهِ عَلَى أَقْوَالٍ كَثِيرَةٍ، وَالْأَشْهُرُ مِنْهَا: جُرْثُومُ بْنُ نَاشِرٍ. وَقَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ، وَعَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ ; مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَمَكْحُولٌ الشَّامِيُّ، وَأَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ، وَأَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ. وَكَانَ مِمَّنْ يُجَالِسُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ، وَكَانَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ يَخْرُجُ، فَيَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ، فَيَتَفَكَّرُ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْمَنْزِلِ فَيَسْجُدُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৭১৪৫


বর্ণনা করেছেন ৷ অনেক তাবিঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে হাদীস
বর্ণনাকারী তাবিঈদের মধ্যে আছেন সাঈদ ইবন মুসায়্যাৰ্ (র), মাকহুল শামী (বা), আবু
ঈদরীস খাওলানী (র), আবু কিলাবাহ্ জুরমী (র) প্রমুখ ৷ তিনি কা ব আল-আহবার (বা) এর
মজলিসে বেশী বেশী থাকতে তন ৷ প্রতি রাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে আকাশে তাকাতেন ৷
নভে,াজগত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতেন ৷ এরপর ঘরে গিয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদাবনত
হতেন ৷ তিনি প্রায়ই বলতেন যে, আমি আশা করছি যে, ৫তামাদেরকে যেমন দম আটকে
মরতে দেখি মহান আল্লাহ আমাকে সেভাবে দম বন্ধ করে মৃত্যু দিবেন না ৷

একরাতে তিনি নামায আদায় করছিলেন ৷ সিজদায় থাকা অবস্থায় মহান আল্লাহ তাকে

মৃত্যু দেন ৷ ওই মুহুব র্তে তার কন্যা স্বপ্ন দেখেন যে তার বাবা যেন মারা গিয়েছেন ৷৩ ভীত সস্ত্রস্ত
হয়েও তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠেন ৷ তার মাতাকে জিজ্ঞেস করেন যে, বাবা কোথায়? মাতা
বললেন,৩ তিনি তার জা ৷য়নড়ামাযে আছেন ৷ মেয়ে বাবাকে ডাক দেয় ৷ কিন্তু পিতা কোন উত্তর
দেননি ৷ মেয়ে তার নিকট উপস্থিত হয়ে তীকে নাড়৷ দেয় ৷ তিনি একদিকে পড়ে যান ৷ তখন
, দেখা যায় যে, তিনি মারা গিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করুন ৷

আবু উবায়দা, মুহাম্মদ ইবন সা দ, খলীফ৷ এবং অন্য অনেকে বলেছেন যে, ৭৫ সনে
, হযরত ইরবাদ ইবন মারিয়া ইনতিকাল করেন ৷ অন্যরা বলেছেন যে, তার ওফাত হয় আমীর
মুআবিয়ার (রা) শাসন কা লের প্রথম দিকে ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷

আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ

এই সনে যাদের যেতে হয় তাদের একজন হলেন আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ ৷ তিনি হযরত
ইবন মাসউদ (রা) এর সহচর ছিলেন ৷ তার পরিচয় হল আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ নাখঈ (র) ৷
তিনি উচ্চ পর্যায়ের তাবিঈ ছিলেন ৷ কুফাবাসীদের মধ্যে তিনি একজন অতি বৃদ্ধ লোক ছিলেন ৷
তিনি সবদিন রোযা রাখতেন ৷ অধিক রােযা রাখার ফলে তার দৃ’চােখ নষ্ট হয়ে যায় ৷ হজ্জ ও
উমর৷ মিলিয়ে সর্বমোট ৮০ বার তিন মক্কা মদীনায় যান ৷ হজ্জ ও উমর৷ উপলক্ষে তিনি ইহরাম
করতেন কুফ৷ থেকে ৷ ৭৫ সনে তার ইনতিকাল হয় ৷ রােযা রাখতে রাখতে তার শরীর হলুদ ও
সবুজ রংয়ের হয়ে গিয়েছিল ৷

মৃত্যুর মুখোমুখি হবার পর তিনি কেদে উঠলেন ৷ তাকে বলা হল যে, এত অন্থিরতার
কারণ কি ? উত্তরে তিনি বললেন যে, আমি অস্থির হব না কেন ? অস্থির হবার জন্যে আমার
চাইতে অধিক যোগ্য আর কে আছে ? আল্লাহ্র কসম ! আমি যদি জানতে পারতাম যে, মহান
আল্লাহ্ আমার জন্যে ক্ষমা মঞ্জুর করেছেন তাহলে আমার কৃতকর্মের জন্যে সজ্জিত ও অনুতপ্ত
হয়ে আমি মাটিতে মিশে যেতাম ৷ মানুষের প্রতি মানুষের দোষত্রুটি ও অপরাধ তো সামান্য
থাকে ৷ ৫সটি ক্ষমা করে দিলে দোষী ব্যক্তি চিরদিন ক্ষমাকারীর প্রতি লজ্জাবনত থাকে ৷

হামরান ইবন অবােন (র)

৭৫ সনে বাদের মৃত্যু হয় তাদের একজন হলেন হামরান ইবন আবান ৷ তিনি হযরত
উছমান ইবন আফ্ফাল (রা) এর মুক্ত দাস ছিলেন ৷ আয়নুত৩ তামর যুদ্ধে বন্দী হওয়ার প্রেক্ষিতে
তিনি দাসত্বের শৃত্খলে আবদ্ধ হয়েছিলেন ৷ হযরত উছমান (বা) তাকে খরিদ করেছিলেন ৷
তিনি হযরত উছমানের (রা) গৃহের প্রবেশ দ্বারে থাকতেন এবং কারো ভেতরে যাবার প্রয়োজন
হলে ভেতর থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে তন ৷ এই ৭৫ সনে তার ওফাত হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷


لَا يَخْنُقَنِي اللَّهُ عِنْدَ الْمَوْتِ كَمَا أَرَاكُمْ تَخْتَنِقُونَ. فَبَيْنَمَا هُوَ لَيْلَةً يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إِذْ قُبِضَتْ رُوحُهُ وَهُوَ سَاجِدٌ، وَرَأَتِ ابْنَتُهُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ أَبَاهَا قَدْ مَاتَ، فَانْتَبَهَتْ مَذْعُورَةً، فَقَالَتْ لِأُمِّهَا: أَيْنَ أَبِي؟ قَالَتْ: هُوَ فِي مُصَلَّاهُ. فَنَادَتْهُ فَلَمْ يُجِبْهَا، فَجَاءَتْهُ فَحَرَّكَتْهُ فَسَقَطَ لِجَنْبِهِ، فَإِذَا هُوَ مَيِّتٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَخَلِيفَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَتْ وَفَاتُهُ سَنَةَ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُمْ: كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي أَوَّلِ إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ: الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ صَاحِبُ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَهُوَ الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ النَّخَعِيُّ، مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ، وَمِنْ أَعْيَانِ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَمِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ يَصُومُ الدَّهْرَ، وَقَدْ ذَهَبَتْ عَيْنُهُ مِنْ كَثْرَةِ الصَّوْمِ، وَقَدْ حَجَّ الْبَيْتَ ثَمَانِينَ حَجَّةً وَعُمْرَةً، وَكَانَ يُهِلُّ مِنَ الْكُوفَةِ، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ يَصُومُ حَتَّى يَخْضَرَّ وَيَصْفَرَّ، فَلَمَّا احْتَضَرَ بَكَى، فَقِيلَ لَهُ: مَا هَذَا الْجَزَعُ؟ فَقَالَ: مَا لِيَ لَا أَجْزَعُ؟ وَمَنْ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِّي؟ وَاللَّهِ لَوْ أُنْبِئْتُ بِالْمَغْفِرَةِ مِنَ اللَّهِ لَأَهَمَّنِي الْحَيَاءُ مِنْهُ مِمَّا قَدْ صَنَعْتُ، إِنَّ الرَّجُلَ لَيَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الرَّجُلِ الذَّنَبُ الصَّغِيرُ فَيَعْفُو عَنْهُ، فَلَا يَزَالُ مُسْتَحْيِيًا مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭১৪৬
حُمْرَانُ بْنُ أَبَانٍ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ كَانَ مِنْ سَبْيِ عَيْنِ التَّمْرِ، اشْتَرَاهُ عُثْمَانُ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَأْذَنُ لِلنَّاسِ عَلَى عُثْمَانَ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.