আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭১১৮



দয়াময়, পরম দয়ালু ৰুআল্লাহ্ব্ নামে
হিজরী ৭৪ হলে

এই সনে খলীফা আবদুঃাৰু-মালিক ইবন মারওয়ান পবিত্র মদীনায় শাসনকর্তার পদ থেকে
তারিক ইবন আমরকে বরখাস্ত করেন ৷ হাজ্জাজ় ইবন ইউসুফকে তার দায়িংতুর অতিরিক্ত
হিসেবে পবিত্র মদীনার শাসনকর্তারদায়িতৃ প্রদান করে ৷ হাজ্জাজ মদীনা শরীফ আগমন করে
এবং সেখানে কয়েক মাস অবস্থান করে ৷ তারপর উমরা, সম্পাদনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ গমন

করে ৷ সফর র্মাসে মদীনায় কাির আসে এবং তিন মাস মদীনা শরীফঅবস্থান করে ৷ এ যাত্রায়
সে ৰানু সালামা অঞ্চলে একটি মসজিদ নির্মাণ করে ৷ এখনও সেটি হাজ্জাজের মসজিদ নামে
পরিচিত ৷ কথিত আছে যে, এ যাত্রার হাজ্জাজ প্রখ্যাত সাহ্াবী হযরত জাবির (রা) ও সাহ্ল
ইবন সাদ (রা)-ণ্ক কটুকথ৷ গােনা য় ও তিরস্কার করে এই বলে যে, ক্লেন তারা হযরত উছমান
(রা) কে সহযোগিতা করেননি ? সে তাদের দৃজনকে কদর্যভাবে বকাবকি করে ৷ শাসনকর্তা

হাজ্জাজ ইয়ামানের বিচারক পদে আবু ইদরীস খাওলানীকে নিরুয়াগ ৫দয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল

জানেন ৷
ইবন জারী র বলেন, এই স্যন হাজ্জাজ় হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) কর্তৃক নির্মিত
পবিত্র কা বাগৃহের সম্প্রসারিত প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে এবং সেটিকে পুর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নেয় ৷
হাজ্জাজ সম্পুর্ণ কা বাগৃহ ভাঙ্গেনি ৷ বরং সিরীয় প্রাচীর নামে পরিচিত উত্তর দিকের দেয়ালঢি
ভোঙ্গছিল ৷ সে হিজ্বর বা হাতীমকে মুল গৃহ থেকে বের করে মুল ভবনের সীমানায় দেয়াল

তুলে দেয় ৷ আর অতিরিক্ত পাথরগুলো কা বার ভেতরে ঢুকািয় দেয় ৷

অন্য তিনটি দেয়াল, সে অক্ষত ও পুৰ্বাবহুায় রেখে দিয়েছিল ৷ এজন্যে পুর্ব ও পশ্চিম দেয়াল
ভুমির সাথে মিলানাে দেখা যায় ৷ তবে পশ্চিম দিকের দেয়াল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ৷ সেখানে
কোন দরযা রাখে নি ৷ আর পুর্ব দিকের প্রাচীরে একটি উচু ধাপ তৈরী করে দুেয় যেমনটি
জাহেলী যুগে কাি ৷

বন্তুত কা বাগৃহ সম্পর্কে হযরত অইিশ৷ (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে যে হাদীসটি বর্ণনা
করেছিলেন, সেটি সম্পর্কে হযরত আবল্লোহ্ ইবন যুবায়র অবহিত ছিলেন; কিন্তু হা জ্জাজ এবং
আবদুল মালিকের ণ্কহই অবহিত ছিলেন না ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এর খালা উ ম্মুল
মু মিনীন হযরত আইশ৷ (রা) রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর বরাত দিয়ে ইবন যুবায়ৱকে জ্বানিহ্রয়ছিলেন

যে, রাসুলুল্পাহ্ (না) তাকে (অইিশাকে) বলেছিলেনঃং ণ্ছুৰুট্রু: ন্ট্রু ণ্ এ্ছুঠুন্ট্রু , ৷ ১াটুত্র
প্ষ্:ষ্ষ্টু১া৷ৰু ৷প্রু;ম্পো ১াষ্টু তােমার সম্প্রদায় কুফরী যুগের কাছাকাছি না হলে (মাত্র অল্পদিন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا عَزَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ طَارِقَ بْنَ عَمْرٍو عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَأَضَافَهَا إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ، فَقَدِمَهَا الْحَجَّاجُ، فَأَقَامَ بِهَا شَهْرًا، ثُمَّ خَرَجَ مُعْتَمِرًا، ثُمَّ عَادَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي صَفَرٍ، فَأَقَامَ بِهَا ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ، وَبَنَى فِي بَنِي سَلَمَةَ مَسْجِدًا، وَهُوَ الَّذِي يُنْسَبُ إِلَيْهِ الْيَوْمَ، وَيُقَالُ: إِنَّ الْحَجَّاجَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَهَذِهِ الْمُدَّةِ خَتَمَ جَابِرًا، وَسَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، وَقَرَّعَهُمَا ; لِمَ لَا نَصَرَا عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، وَخَاطَبَهُمَا خِطَابًا غَلِيظًا - قَبَّحَهُ اللَّهُ وَأَخْزَاهُ - وَقَدِ اسْتَقْضَى أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيَّ - أَظُنُّهُ - عَلَى الْيَمَنِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّ الْحَجَّاجَ لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ صَعِدَ مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَطَبَ النَّاسَ وَقَالَ: يَا أَهْلَ خَبِيثَةَ - يَعْنِي طَيْبَةَ - أَنْتُمْ شَرُّ أُمَّةٍ وَأَخَسُّ، وَلَوْلَا أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَوْصَانِي بِكُمْ لَجَعَلْتُهَا مِثْلَ جَوْفِ حِمَارٍ، يَا أَهْلَ خَبِيثَةَ، تَمَنَّوْنَ، هَلْ تَعَوَّذُونَ إِلَّا بِأَعْوَادٍ يَابِسَةٍ - يَعْنِي الْمِنْبَرَ - وَرُمَّةٍ بَالِيَةٍ، وَأَشَارَ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَزَلَ إِلَى سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَنْصُرَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ؟ فَقَالَ: قَدْ فَعَلَتُ. فَقَالَ: كَذَبْتَ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَخُتِمَ فِي عُنُقِهِ
পৃষ্ঠা - ৭১১৯

আগে কুফরী ত্যাগ করেছে, নইলে) আমি নিব্লুজ এই কা বাপৃহ ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণ করতাম ৷
হাভীমকে মুল ভবনের অস্তভুক্ত করে দিতাম ৷ কা বাগৃহেব দুব্লুট৷ দরযা করতাম ৷ একটি পুর্ব
দিকে একটি পশ্চিম দিকে এবং দরযা দৃব্লুটাকেণ্ডু মির সমতলে স্থাপন করতাম ৷ কারণ, কা বা
ৎঙ্কাব্লুরর সময় তোমায় সম্প্রদায়ের লোকদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না ৷ কা বা সংস্কারের
জন্যে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ছিল চাহিদার তুলনায় কম ৷ তাই তারা গৃহটি ইব্রাহীম
(আ) এর সময়ের নির্ধারিত ভিব্লুটর উ পর স্থাপন করতে পারেনি ৷ হাভীমকে কা বার অন্তর্ভুক্ত
করতে সক্ষম হয়নি, আর তারা দরযা দুব্লুট৷ উচু করে দিয়েছিল যাতে তাদের ইচ্ছার বইিরে
কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে ৷ বরং তারা য্াব্লুক চা ইবে তাকে প্রবেশ করতে দিবে এবং;
যাকে চাইৰে প্রবেশ করতে দিবে না ৷ পরবর্তীতে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) যখন
প্নলীফা হলেন, তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাদীস মুতাবিক পবিত্র কার্ববাগৃহের সংস্কার
করেছিলেন ৷ কিন্তু এই সনে হাজ্জাজ সংস্কারকৃত অবস্থা পরিবর্তন করে পুৰ্বাবন্থায় নিয়ে যায় ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) এর এই হাদীস অবগত হবার পর খলীফা আবদুল মালিক বলেছিলেন যে,
ভাবতে আমার ভাল লাগে যে, যদি ইবন যুবায়র (রা) কে এবং তার সৎস্কারকে বহাল রেখে
দিতাম, তব্লুব কতই না ভাল হতো!

এই সনে মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরাকে আযারিকাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সেনাপতি নিযুক্ত-
করা হয় ৷ খলীফ৷ আবদুল মালিক তার ভাই বিশর ইবন মারওয়ানব্লুক নির্দেশ দিয়েছিলেন বসরা
ও কুফার সৈন্য সমন্বয়ে বাহিনী গঠন করে মুহাল্পাবের সেনাপতিব্লুতু খারিজীব্লুদর বিরুদ্ধে

অভিযান পরিচালনার জন্যো মুহাল্লাবের প্রতি বিশব্লুবর মনে বিদ্বেষ ছিল ৷ কিন্তু খলীফার নির্দেশ
পেয়ে তা না যেব্লুন তার উপায় ছিল না ৷ ফলে সে অনিচ্ছ৷ সব্লুত্ত্বও মুহাল্লাবকে সেনাপতি নিযুক্ত
করে অভিযান প্রেরণ করল ৷ কিন্তু গোপনে কুফার শাসনকর্তা আব্দুল্লাহ ইবন মিখনাফব্লুক
পরামর্শ কিং যে, মুহাল্লাব্লুবর কোন মত ও উপদেশ যেন তিনি গ্রহণ না করেন ৷
মুহাল্লাব এগিয়ে গেলেন ৷ বসরার সেনাদল নিয়ে তিনি রামহুয়মুয অঞ্চলে গিয়ে পৌছলেন ৷
সেখানে তিনি দশদিন অবস্থান করতে না করতেই তার নিকট বিশর বিন মারওয়াব্লুন র মৃত্যু
সংবাদ পৌছে যায় ৷ বিশরের মৃত্যু হয় বসরাব্লুত ৷ সেখানে তার স্থলাভিষিক্তৃ হয় খালিদ ইবন
আবল্লোহ্ ৷
বিশব্লুরর মৃত্যু সং বাদ পে ব্লুয় কতক সৈনিক পিছ টান দেয় ৷ তারা অভিযান ব্লুছব্লুড় বসরার
দিকে ফিরে যায়৷ সেনাপতি ৩মুহাল্লাব তাব্লুদরব্লুক ফিরিয়ে আনার জব্লুন্য লোক পাঠান ৷ শাসনকর্তা
খালিদ ইবন আবদুল্লাহ পলায়নকারীব্লুদরব্লুক লিব্লু খ পাঠান যে, সেনাপতির নিকট ফিরে না গেলে
তাদেরকে কঠোর শান্তি দেয়৷ হবে ৷ তিনি তাদেরকে খলীফার ব্লুৱাষানব্লুল পড়ার হুমকিও প্রদান
করেন৷ তারা কুফা গিয়ে অভিযানে যোগ দেয়ার বিষয়ে আমর ইবন হুরায়ছের সাথে পরামর্শ
করে ৷ তিনি তাদেরকে লিখলেন, তোমরা তোমাদের সেনাপতিকে ছেড়ে এব্লুসছ এবং বিদ্রোহ
ও অবাধ্যতার তালিকায় নাম লিখিব্লু য় ছ ৷ এখন তোমাদের জন্যে না আছে কোন অনুমতি আর
না আছে কোন নেতা ও নিৱাপত্তা ৷

এই উভয় পুেব্লুয় তারা নিজ নিজ সওয়ারীতে আব্লুরাহণ করে শহরের বিভিন্ন স্থাব্লুন পালিয়ে
যায় এবং লুকিয়ে লুকিয়ে জীবন যাপন করতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে বিশরের পদে শাসনকতা
নিযুক্ত হয়ে ইরাক আগমন করে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ হাজ্জাব্লুজৱ কর্মতৎপরতার বিবরণ পরে

আসবে
বাংলায় ইসলামিক বই ডাউনলোড করস্তুৰুলোঃ মোঃ ইসলামি বই ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ৷

بِرَصَاصٍ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ بِجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ; خَتَمَهُ فِي يَدِهِ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي عُنُقِهِ، وَكَانَ قَصْدُهُ يُذِلُّهُمْ بِذَلِكَ، فَقَالَ أَنَسٌ: إِنَّ أَهْلَ الذِّمَّةِ لَا يَجُوزُ أَنْ يُفْعَلَ بِهِمْ هَذَا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا نَقَضَ الْحَجَّاجُ بُنْيَانَ الْكَعْبَةِ الَّذِي كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بَنَاهُ، وَأَعَادَهَا عَلَى بُنْيَانِهَا الْأَوَّلِ. قُلْتُ: الْحَجَّاجُ لَمْ يَنْقُضْ بُنْيَانَ الْكَعْبَةِ جَمِيعَهُ؛ بَلْ إِنَّمَا هَدَمَ الْحَائِطَ الشَّامِيَّ، حَتَّى أَخْرَجَ الْحِجْرَ مِنَ الْبَيْتِ، ثُمَّ سَدَّهُ، وَأَدْخَلَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ مَا فَضَلَ مِنَ الْأَحْجَارِ، وَبَقِيَتِ الْحِيطَانُ الثَّلَاثَةُ بِحَالِهَا ; وَلِهَذَا بَقِيَ الْبَابَانِ الشَّرْقِيُّ وَالْغَرْبِيُّ وَهُمَا مُلْصَقَانِ بِالْأَرْضِ، كَمَا هُوَ الْمُشَاهَدُ إِلَى يَوْمِنَا هَذَا، وَلَكِنْ سَدَّ الْغَرْبِيَّ بِالْكُلِّيَّةِ، وَرَدَمَ أَسْفَلَ الشَّرْقِيِّ، حَتَّى جَعَلَهُ مُرْتَفِعًا كَمَا كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَلَمْ يَبْلُغِ الْحَجَّاجَ وَلَا عَبْدَ الْمَلِكِ مَا كَانَ بَلَغَ ابْنَ الزُّبَيْرِ مِنَ الْعِلْمِ النَّبَوِيِّ، الَّذِي كَانَتْ أَخْبَرَتْهُ بِهِ خَالَتُهُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ بِنْتُ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ - مِنْ قَوْلِهِ: «لَوْلَا أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ - وَفِي رِوَايَةٍ: بِجَاهِلِيَّةٍ - لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ، وَأَدَخَلْتُ فِيهَا الْحِجْرَ، وَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا شَرْقِيًّا، وَبَابًا غَرْبِيًّا، وَلَأَلْصَقْتُهُمَا بِالْأَرْضِ، فَإِنَّ قَوْمَكِ قَصُرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ، فَلَمْ يُدْخِلُوا فِيهَا الْحِجْرَ، وَلَمْ يُتَمِّمُوهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ، وَرَفَعُوا بَابَهَا لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا،
পৃষ্ঠা - ৭১২০
وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا» فَلَمَّا تَمَكَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بَنَاهَا كَذَلِكَ، وَلَمَّا بَلَغَ عَبْدَ الْمَلِكِ هَذَا الْحَدِيثُ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ: وَدِدْنَا أَنَا تَرَكْنَاهُ وَمَا تَوَلَّى مِنْ ذَلِكَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَلِيَ الْمُهَلَّبُ بْنُ أَبِي صُفْرَةَ حَرْبَ الْأَزَارِقَةِ عَنْ أَمْرِ عَبْدِ الْمَلِكِ لِأَخِيهِ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ أَنْ يُجَهِّزَ الْمُهَلَّبَ إِلَى الْخَوَارِجِ الْأَزَارِقَةِ فِي جُيُوشٍ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، وَوَجَدَ بِشْرٌ عَلَى الْمُهَلَّبِ فِي نَفْسِهِ، حَيْثُ عَيَّنَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ فِي كِتَابِهِ ; فَلَمْ يَجِدْ بُدًّا مِنْ طَاعَتِهِ فِي تَأْمِيرِهِ عَلَى النَّاسِ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَمَا كَانَ لَهُ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ، غَيْرَ أَنَّهُ أَوْصَى أَمِيرَ الْكُوفِيِّينَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مِخْنَفٍ أَنْ يَسْتَبِدَّ بِالْأَمْرِ دُونَهُ، وَأَنْ لَا يَقْبَلَ لَهُ رَأْيًا وَلَا مَشُورَةً، فَسَارَ الْمُهَلَّبُ بِأَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَأُمَرَاءِ الْأَرْبَاعِ مَعَهُ عَلَى مَنَازِلِهِمْ، حَتَّى نَزَلَ بِرَامَهُرْمُزَ، فَلَمْ يَقُمْ عَلَيْهَا إِلَّا عَشْرًا حَتَّى جَاءَ نَعْيُ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ، وَأَنَّهُ مَاتَ بِالْبَصْرَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَارْفَضَّ بَعْضُ الْجَيْشِ، وَرَجَعُوا إِلَى الْبَصْرَةِ، فَبَعَثُوا فِي آثَارِهِمْ مَنْ يَرُدُّهُمْ، وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى الْفَارِّينَ يَتَوَعَّدُهُمْ إِنْ لَمْ يَرْجِعُوا إِلَى أَمِيرِهِمْ، وَيَتَوَعَّدُهُمْ بِسَطْوَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَعَدَلُوا يَسْتَأْذِنُونَ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ فِي الْمَصِيرِ إِلَى الْكُوفَةِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ: إِنَّكُمْ تَرَكْتُمْ أَمِيرَكُمْ، وَأَقْبَلْتُمْ عَاصِينَ مُخَالِفِينَ، وَلَيْسَ لَكُمْ إِذَنٌ وَلَا إِمَامٌ وَلَا أُمَّانٌ. فَلَمَّا جَاءَهُمْ ذَلِكَ، أَقْبَلُوا إِلَى رِحَالِهِمْ فَرَكِبُوهَا، ثُمَّ سَارُوا إِلَى بَعْضِ الْبِلَادِ، فَلَمْ يَزَالُوا مُخْتَفِينَ بِهَا حَتَّى قَدِمَ الْحَجَّاجُ وَالِيًا عَلَى الْعِرَاقِ مَكَانَ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ قَرِيبًا.
পৃষ্ঠা - ৭১২১

এই সনে খলীফা আবদুল মালিক বুকায়র ইবন বিশাহ তামীমীকে থােরাসানের শাসনকর্তা
পদ থেকে অপসারণ করেন ৷ তার স্থলে উমা ইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন খালিদ ইবন উসায়দ
কুরাশীকে নিয়োগ করেন ৷ যাতে তার নেতৃত্বে সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হয় ৷ কারণ, আবদুল্লাহ
ইবন খুযায়মার পর খােরাসানে ভীষণ বিপর্যয় ও বিশৃৎখলা সৃষ্টি হয়েছিল ৷

উমাইয়া ইবন আবদুল্লাহ্শাসনকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ তিনি বুকায়র ইবন বিশাহকে ’
পুলিশ প্রধানের পদে নিয়ােগের প্রস্তাব দেন ৷ বুকায়র তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷ বুকায়র
তুখারিস্তানের শাসনকর্তার পদ চায় ৷ ক্লিন্তু সেখানেষ্ গিয়ে সে আনুগত্য প্রত্যাহার করে নিতে
পারে এই আশংকা প্রকাশ করার তিনি বুকায়রচক নিজের নিকটই রেখে দেন ৷

ইবন জারীর বলেন, এই বছর হ্ভ্রুজ্জর নেতৃর্তৃ দিয়েছে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ সে তখন
একই সাথে মক্কা, মদীনা, ইয়ামান ও ইয়ামামার শাসনকর্তা পদে অধিষ্ঠিত ছিল ৷ ইবন জারীর
এও বলেছেন যে, খলীফ৷ আবদুল মালিক এই সনে উমরাহ পালন করেন ৷ অবশ্য এই বর্ণনার
বিশুদ্ধত৷ সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই ৷

৭৪ হিজয়ী সনে যাদের ওফাত হয়

রাফি হুব্ান্ৰু খাদীজ (না)

তিনি হলেন রাফি ইবন খাদীজ ইবন রাফি আনস্যরী ৷ একজন উচু পর্যায়ের সাহাৰী ৷
উহুদ বা পরবর্তী যুদ্ধসমুহে তিনি অংশ নিয়েছেন ৷ হযরত আলী; (রা) এর পক্ষে তিনি
সিফ্ফীনেয় যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ৷ কৃষক ও চাষীদেরকে তিনি সাহায্য কঃাতেন ৷ ৮৬ বছর বয়সে
তার ওফাত হয় ৷ অবিচ্ছিন্ন সনঃদযুক্ত ৭৮টি হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন ৷ তার হাদীসগুলো
উন্নত পর্যায়ের ৷ উহুদ যুদ্ধে একটি তীর তার কণ্ঠমুলে বিদ্ধ হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তখন তাকে
ইখতিয়ার দিয়েছিলেন যে, তিনি চাইলে ওই তীর বের করে নিতে পারেন আর চাইলে
ক্ষতস্থানে তুলা গুজে দিয়ে ওটা সেখানে রেখে দিতে পারেন ৷ যাষ্ঠে কিয়ামতের দিন আমি ৰু
তোমার পক্ষে সাক্ষী হব’ ৷ তিনি দ্বিতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করলেন ৷ এই সনে অর্থাৎ ৭৪ হিজয়ী সনে
তার ক্ষতস্থানে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷ আল্লাহ তার প্রতি সদয় হোন ৷ ’
বাৎলায় ইসলামিক বই ডাউনলোড করতেও তিজিট করুণঃ ইসলামি বই ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ৷

আবু সাঈদ খুদরী (না)
৭৪ সনে যাদের ওফাত হয়, তাদ্দের অন্যতম হলেন হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) ৷ তিনি
হলেন সা দ ইবন মালিক ইবন সিনান আনসারী, খাযরাজী, উচু পর্যায়ের সাহাবী ৷ তিনি
অন্যতম ফিক্হবিদ সাহাবী ৷ অল্পবয়স্ক ছিলেন বলে উহুদ যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি ৷ জীবনের
প্রথম যুদ্ধে অংশ নেন খন্দকে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথী হয়েও তিনি ১২টি যুদ্ধে অংশ নেন ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এবং সাহাবীদের থেকে বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ বহু সাহাবী ও
তাবিঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, শ্রদ্ধাউাজন এবং
জ্ঞান সমৃদ্ধ সাহাবী ছিলেন ৷
ওয়াকিদী প্রমুখ ঐতিহাসিৰুগণ বলেছেন যে, ৭৪ সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ কেউ

বলেছেন, তারও দশ বছর পুর্বে অর্থাৎ ৬৪ হিজয়ী সনে তার ওফাত হয় ৷

তাবারানী বলেন, মিকদাম আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন,
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! কোন; প্রকারের মানুষ কঠিন থেকে কঠিন বিপদের সম্মুখীন


وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ بُكَيْرَ بْنَ وِشَاحٍ التَّمِيمِيَّ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ، وَوَلَّاهَا أُمَيَّةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ الْقُرَشِيَّ ; لِيَجْتَمِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ، فَإِنَّهُ قَدْ كَادَتِ الْفِتْنَةُ تَتَفَاقَمُ بِخُرَاسَانَ بَعْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ، فَلَمَّا قَدِمَ أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ خُرَاسَانَ عَرَضَ عَلَى بُكَيْرِ بْنِ وِشَاحٍ أَنْ يَكُونَ عَلَى شُرْطَتِهِ، فَأَبَى، وَطَلَبَ مِنْهُ أَنْ يُوَلِّيَهُ طُخَارِسْتَانَ، فَخَوَّفُوهُ مِنْهُ أَنْ يَخْلَعَهُ هُنَالِكَ، فَتَرَكَهُ مُقِيمًا عِنْدَهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْحَجَّاجُ، وَهُوَ عَلَى إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ وَالْيَمَنِ وَالْيَمَامَةِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ اعْتَمَرَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَا نَعْلَمُ صِحَّةَ ذَلِكَ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ رَافِعُ بْنُ خَدِيجِ بْنِ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا، وَصِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ، وَكَانَ يَتَعَانَى الْمَزَارِعَ وَالْفِلَاحَةَ، تُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ سِتٍّ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَأَسْنَدَ ثَمَانِيَةً وَسَبْعِينَ حَدِيثًا، وَأَحَادِيثُهُ جَيِّدَةٌ، وَقَدْ أَصَابَهُ يَوْمَ أُحُدٍ سَهْمٌ فِي تَرْقُوَتِهِ، فَخَيَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَنْ يَنْزِعَهُ مِنْهُ وَبَيْنَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৭১২২
يَتْرُكَ فِيهِ الْقُطْبَةَ، وَيَشْهَدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَاخْتَارَ هَذِهِ، وَانْتَقَضَ عَلَيْهِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَمَاتَ مِنْهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ سَعْدُ بْنُ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ، الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجَيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، مِنْ فُقَهَاءَ الصَّحَابَةِ، اسْتُصْغِرَ يَوْمَ أُحُدٍ، ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَشَاهِدِهِ الْخَنْدَقُ، وَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً، وَعَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ. كَانَ مِنْ نُجَبَاءَ الصَّحَابَةِ وَفُضَلَائِهِمْ وَعُلَمَائِهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ. وَقِيلَ: قَبْلَهَا بِعَشْرِ سِنِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا الْمِقْدَامُ بْنُ دَاوُدَ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ نِزَارٍ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبَى سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قُلْتُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً؟ فَقَالَ: النَّبِيُّونَ. قُلْتُ: ثُمَّ أَيْ؟
পৃষ্ঠা - ৭১২৩

হয়?’ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, “নাবীপণ”ন্ ৷ আমি বললাম, “এরপর?” তিনি বললেন, এরপর
লেক্কার তথা সংকর্মর্ণীল ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা কেউ কেউ ,এতাে অভাব ও দারিদ্রোর মুখোমুখি হন
যে, সম্পদ ,বর্লতে সতর ঢাকার জানা-কাপড় ব্যতীত তাদের কিছুই থাকে না ৷ তাদের কেউ
ক্লেউ উকুনের উপদ্রবের মুখোমুখি হয় ৷ উকুন বারে বারে পড়ে ৷ তারা সুখে থাকলে যত
আনন্দিত হয়, বিপদের সম্মুখীন হলে তার চাইতে অধিক আনন্দিত হয় ৷

কুতায়বা ইবন সাঈদ বলেন, লায়ছ ইবন সাদ আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন৪ একদিন তার পরিবারের লোকজন তাদের অভাব-অনটনের কথা তাকে
লাসায় ৷ তাদের জান্য ৱাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট আর্থিক সাহায্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বের
হলেন ৷ তিনি গিয়ে দেখলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিন্বরে ভাষণ দিচ্ছেন ৷ তিনি বলছেন ং


; ; : ; শ্ £ ;

ন্ ণ্ ! ’ : শ্ : : শ্ # : !) শ্

ন্ ৷

০ :

ছুট্রু৷ দ্ভুষ্টুপ্রু
হে লোক সকল ভিক্ষা চাওয়া ও সাহায্য প্রার্থনা করা থেকে বিরত থাকার সময়
এসেছে ৷ যে নিজেকে তিক্ষাবৃত্তি থেকে পবিত্র রাখবে মহান আল্লাহ তাকে তা থেকে পবিত্র
ধ্াকার ব্যবস্থা করে দিবেন ৷ যে ব্যক্তি নিজেকে পরমুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্ত রাখতে চায় আল্লাহ
তাকে মুক্ত রাখবেন ৷ মুহাম্মাদের (সা) প্রাণ যে সত্তার হাতে তার কসম৷ সবর ও ধৈর্য অপেক্ষা
অধিক স্বচ্ছেন্দাময়্ কোন দান মহান আল্পাহ্ কাউকে দেননি ৷ অবশ্য এরপরও তোমরা আমার
নিকট হাত পাতলে আমি তোমাদেরকে সাহায্য করব আমি যা পাই তা থেকে ৷” তাবারানী
আতা ইবন ইয়াসার সুত্রে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে অনুয়াপ বর্ণনা করেছেন ৷

শ্বৰঙ্গুন্নাহ্ ইবন উনার (বা)

তিনি হযরত ড্রাব্দুল্পাহ্ ইবন উনার ইবন খাত্তাব কুরায়শী আদাবী (রা) ৷ তার উপনাম
আবু আবদুর রহমান ৷ তিনি মকী এবং মাদানী ৷ সাবালক হবার পুর্বেই পিতা হযরত উনার
(না)-এর সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ পিতা পুব্ দু ’জীনই এক সাথে মদীনায় হিজরত
করেন ৷ তখন তার বয়স দশ বছর ৷ উহুদ যুদ্ধের দিবসে অপ্রাপ্তরয়স্ক বিবেচিত হওয়ায় যুদ্ধে
অ্যাংণর অনুমতি পাননি, তবে খন্দকের যুদ্ধে অংশঃাহণের অনুমতি পেয়েছিলেন ৷ তখন
তার বয়স ১৫ বছর ৷ পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে তিনি নিয়মিত অংশঃাহণ করেছেন ৷ উম্মুল মু’মিনীন
হযরত হাকসা (রা) এর তিনি সহোদর ভাই ৷ তাদের উভয়ের মতো হলেন উছম্ান ইবন ,
মাযউনের ণ্বান হযরত যায়নাব বিনুত মাযউন (রা) ৷

, হযরত আবদুল্লাহ (রা) একজন মধ্যম আকারের গাঢ় বাদামী বর্ণের ব্যক্তিতুসম্পন্ন পুরুষ

ছিলেন ৷ তার মাথায় ছিল দু’ র্কাধ পর্যন্ত ঝুলানাে বাবরী চুল ৷ তিনি হৃষ্টপুষ্ট স্বান্থের অধিকারী
হ্যিসন ৷ হলুদ রংয়ের খিযাব লাগাতেন ৷ পোফ কেটে ফেলাতন ৷ প্রতি ওয়াক্ত নানাযের জন্যে
উবু করতেন ৷ চোখের ভেতরে পানি প্রবেশ করাতেন ৷ তৃতীয় খলীফা হযরত উছনান (রা)
তাকে বিচারক পদে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি তাতে রাযী হননি ৷ তার পিতা হযরত
উনার (বা) তাকে অনুরুপ পদে নিযুক্ত করার ইচ্ছা করেছিলেন, কিভু তিনি তাতে সযত হননি ৷
ন্,ইয়ারমুক কাদেসিয়া, জালুলাসহ এই সব যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত সকল পারসিক
বিরোধী যুদ্ধে তিনি অংশ নেন ৷ মিসৱ বিজয় যুদ্ধেও তিনি সক্রিয় অংশঃাহণ করেছিলেন ৷


قَالَ: ثُمَّ الصَّالِحُونَ، إِنْ كَانَ أَحَدُهُمْ لَيُبْتَلَى بِالْفَقْرِ حَتَّى مَا يَجِدُ إِلَّا السُّتْرَةَ - وَفِي رِوَايَةٍ: إِلَّا الْعَبَاءَةَ - أَوْ نَحْوَهَا، وَإِنَّ أَحَدَهُمْ لَيُبْتَلَى فَيَقْمَلُ حَتَّى يَنْبِذَ الْقَمْلَ، وَكَانَ أَحَدُهُمْ بِالْبَلَاءِ أَشَدَّ فَرَحًا مِنْهُ بِالرَّخَاءِ» . وَقَالَ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ: ثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ أَهْلَهُ شَكَوْا إِلَيْهِ الْحَاجَةَ، فَخَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُ لَهُ شَيْئًا، فَوَافَقَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَهُوَ يَقُولُ: «أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَسْتَغْنُوا عَنِ الْمَسْأَلَةِ ; فَإِنَّهُ مَنْ يَسْتَعِفَّ يُعِفَّهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، مَا رَزَقَ اللَّهُ عَبْدًا مِنْ رِزْقٍ أَوْسَعَ لَهُ مِنَ الصَّبْرِ، وَلَئِنْ أَبَيْتُمْ إِلَّا أَنْ تَسْأَلُونِي لَأُعْطِيَنَّكُمْ مَا وَجَدْتُ» وَقَدْ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبَى سَعِيدٍ نَحْوَهُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، الْقُرَشِيُّ الْعَدَوِيُّ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، الْمَكِّيُّ ثُمَّ الْمَدَنِيُّ أَسْلَمَ قَدِيمًا مَعَ أَبِيهِ، وَلَمْ يَبْلُغِ الْحُلُمَ، وَهَاجَرَ وَعُمْرُهُ عَشْرُ سِنِينَ، وَقَدِ اسْتُصْغِرَ يَوْمَ أُحُدٍ وَكَانَ ابْنَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْخَنْدَقِ أَجَازَهُ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَشَهِدَهَا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ شَقِيقُ حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ،
পৃষ্ঠা - ৭১২৪
أُمُّهُمَا زَيْنَبُ بِنْتُ مَظْعُونٍ، أُخْتُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ. وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَبْعَةً مِنَ الرِّجَالِ، آدَمَ، لَهُ جُمَّةٌ تَضْرِبُ إِلَى مَنْكِبَيْهِ، جَسِيمًا، يَخْضِبُ بِالصُّفْرَةِ، وَيُحْفِي شَارِبَهُ، وَكَانَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ، وَيُدْخِلُ الْمَاءَ فِي أُصُولِ عَيْنَيْهِ، وَقَدْ أَرَادَهُ عُثْمَانُ عَلَى الْقَضَاءِ فَأَبَى ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ أَبُوهُ، وَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَالْقَادِسِيَّةَ وَجَلُولَاءَ، وَمَا بَيْنَهُمَا مِنْ وَقَائِعَ الْفُرْسِ، وَشَهِدَ فَتْحَ مِصْرَ، وَاخْتَطَّ بِهَا دَارًا، وَقَدِمَ الْبَصْرَةَ وَشَهِدَ غَزْوَ فَارِسَ، وَوَرَدَ الْمَدَائِنَ مِرَارًا، وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَكَانَ إِذَا أَعْجَبَهُ شَيْءٌ مِنْ مَالِهِ تَقَرَّبَ بِهِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَانَ عَبِيدُهُ قَدْ عَرَفُوا ذَلِكَ مِنْهُ، فَرُبَّمَا لَزِمَ أَحَدُهُمُ الْمَسْجِدَ ; فَإِذَا رَآهُ ابْنُ عُمَرَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ أَعْتَقَهُ، فَيُقَالُ لَهُ: إِنَّهُمْ يَخْدَعُونَكَ. فَيَقُولُ: مَنْ خَدَعَنَا بِاللَّهِ انْخَدَعْنَا لَهُ. وَكَانَ لَهُ جَارِيَةً يُحِبُّهَا كَثِيرًا، فَأَعْتَقَهَا وَزَوَّجَهَا لِمَوْلَاهُ نَافِعٍ، وَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: {لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ} [آل عمران: 92] وَكَانَ لَهُ نَجِيبٌ اشْتَرَاهُ بِمَالٍ، فَأَعْجَبَهُ لَمَّا رَكِبَهُ، فَقَالَ: يَا نَافِعُ، أَدْخِلْهُ فِي إِبِلِ الصَّدَقَةِ. وَأَعْطَاهُ ابْنُ جَعْفَرٍ فِي نَافِعٍ عَشَرَةَ آلَافِ دِينَارٍ، فَقِيلَ لَهُ: مَا تَنْتَظِرُ بِبَيْعِهِ؟ فَقَالَ: مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ، هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ. وَاشْتَرَى مَرَّةً غُلَامًا بِأَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَأَعْتَقَهُ، فَقَالَ الْغُلَامُ: يَا مَوْلَايَ، قَدْ أَعْتَقْتَنِي فَهَبْ لِي شَيْئًا أَعِيشُ بِهِ. فَأَعْطَاهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَاشْتَرَى مَرَّةً خَمْسَةَ عَبِيدٍ، فَقَامَ يُصَلِّي فَقَامُوا خَلْفَهُ يُصَلُّونَ، فَقَالَ: لِمَنْ صَلَّيْتُمْ هَذِهِ الصَّلَاةَ؟ فَقَالُوا: لِلَّهِ! فَقَالَ: أَنْتُمْ أَحْرَارٌ لِمَنْ صَلَّيْتُمْ لَهُ. فَأَعْتَقَهُمْ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ مَا مَاتَ حَتَّى أَعْتَقَ أَلْفَ رَقَبَةٍ، وَرُبَّمَا تَصَدَّقَ
পৃষ্ঠা - ৭১২৫


মিসরে তিনি একটি বাড়ী তৈরী করেছিলেন ৷ পরবম্ভীচিত তিনি বসরা নগরীতে আসেন এবং
পারস্য যুদ্ধে অংশ নেন ৷ তিনি একাধিকবার মাদায়েন আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন
ইনতিকাল করেন, তখন ইৰ্ন উমার (রা)-এর বয়স ছিল ২২ বছর ৷

তার ব্যক্তিগত কোন পসন্দের সম্পদ থাকলে তা আল্পাহ্র পথে সাদকা করে দিতেন ৷ তীর
ক্রীতদসিগণ তার এই বদান্যতার কথা জানত ৷ তাই তাদের কেউ কেউ দীর্ঘক্ষণ যাবত
মসজিদে অবস্থান করত ৷ ইবন উমার (বা) তা দেখে তার প্রতি খুশী হতেন এবং তাকে মুক্ত
করে দিতেন ৷ তাকে বলা হলো যে, ওরা তো আপনার সাথে প্রতারণা করে ৷ উত্তরে তিনি
বললেন, যে আল্লাহ্র নামে আমার সাথে প্রতারণা করে আমি তার জন্য প্রভাবিত হই ৷

তীর একটি ক্রীতদাসী ছিল ৷ তিনি তাকে খুব ভাল বাসতেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি তাকে
মুক্ত করে দিলেন এবং তার মুক্ত করা ক্রীতদাস নাফি এর সাথে তাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন ৷

প্রসঙ্গত তিনি বললেন, মহান আল্লাহ বলেছেন ৷ ৰু ৷,ন্’ম্বু@ঠু’; :ন্ ণ্ণ্ এ৷ ৷ ৷টুদ্বুঢ়; ট্রুণ্ )
(;,:,;:; তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্যলাভ করবে

না ৷ আলে ইমরান ৩£ ৯২) ৷ শ্
একবার তিনি একটি উট ক্রয় করেছিলেন, সেটিতে আরোহণ করার পর সেটি তীর খুব
পসন্দ হয়েছিল ৷ তিনি তার খাদিমকে ডেকে বললেন, হে নাফি ! এটি সাদকার উটগুলাের সাথে
যুক্ত করে দাও ৷ ন্
তার ক্রী তদাস নাফি কে কেনার জন্যে হযরত ইবন জা ফর ১০ হাজার দিরহাম মুল্য দিতে
চেয়েছিলেন ৷ তিনি বললেন, আমি যদি তার চাইতে উত্তম কিছু করি ? বস্তুত এই নাফি কে
আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে মুক্ত করে দিলাম ৷ যে এখন থেকে স্বাধীন ৷ প্
একবার তিনি চল্লিশ৷ হাজ ৷র দিরহাম দিয়ে একটি দাস ক্রয় করেছিলেন ৷ এরপর সেটিকে
মুক্ত করে দেন ৷ দাসটি বলল, মালিক! আপনি তো আমাকে স্বাধীন করে দিলেন এখন এমন
কিছু দান করুন যা অবলম্বন করে আমি বেচে থাকতে পারি ৷ তিনি তাকে চল্লিশ হ্াজার
দিরহাম দান করে দিলেন ৷
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রা) একবার পাচটি দাস ক্রয় করেছিলেন ৷ তিনি নামাযে
দাড়ালেন ৷ তারাও তার পেছনে নামাযে দাড়াল ৷ তিনি ওদেরকে বললেন, কার জন্যে নামায
আদায় করেছ ? তারা বলল, আল্লাহ্র জন্যে ৷ হযরত ইবন উনার (রা) বললেন, তোমরা যার
জন্যে নামায আদায় করেছ, তার খাতিরে ণ্তামরা যুক্ত! তিনি ওদেরকে মুক্তি দিলেন ৷ মোদ্দা
কথা, তিনি যখন মারা যান, তখন তার মুক্ত করা দাসের সংখ্যা হাজারে পৌছে গিয়েছিল ৷
কোন কোন সময় তিনি এক বৈঠকে ৩০টি পর্বত দাস যুক্ত করেছেন ৷ কোন কোন সময়
এক বৈঠকে দান করেছেন ত্রিশ হাজার দিরহাম ৷ এমন অবন্থাও কেটেছে তার, দিনের পর দিন
কেটেছে, মাস কেটেছে কিন্তু কোন ইয়াতীম শিশু সাথে না নিয়ে গােশত আহার করেননি ৷
আমীর মুআবিয়া (বা) যখন ইয়াষীদের বায়আতে তর ব্যাপারে মনস্থু করলেন, তখন তিনি
ট্রুবৃন উমার (রা) এর জন্যে এক লক্ষ দিরহাম হাদিয়৷ প্রেরণ করেন ৷ এক বছর অতিবাত
হতে না হতে ওই বিশাল অর্থের সবই শেষ হয়ে যায় ৷ তিনি বলক্ক তা যে, আমি কারো নিকট
কিছু চাই না ৷ কিন্তু মহান আল্লাহ্ জীবিকা রুপে আমাকে যা দেন তা আমি প্রত্যাখ্যান করি না ৷
মুসলমানদের রাজনৈতিক ফিতনা ও বিপর্যয়ের সময়ে যখন যিনি শাসনকর্তা হয়েছেন
তাদের সবার প্রতি তিনি আনুগত ৷ প্রকাশ করেছেন ৷ সবার ইকতিদায় নামায আদায় করেছেন
এবং সবার নিকট যাকাত পরিশোধ করেছেল্লু৷ জ্জর নিয়ম-কাবুল সম্পর্কে তিনি সবার চাইতে


فِي الْمَجْلِسِ الْوَاحِدِ بِثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَكَانَتْ تَمْضِي عَلَيْهِ الْأَيَّامُ الْكَثِيرَةُ وَالشَّهْرُ لَا يَذُوقُ فِيهِ لَحْمًا، وَمَا كَانَ يَأْكُلُ طَعَامَهُ إِلَّا وَعَلَى مَائِدَتِهِ يَتِيمٌ. وَبَعَثَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ بِمِائَةِ أَلْفٍ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يُبَايِعَ لِيَزِيدَ، فَمَا حَالَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ وَعِنْدَهُ مِنْهَا شَيْءٌ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنِّي لَا أَسْأَلُ أَحَدًا شَيْئًا، فَمَا رَزَقَنِي اللَّهُ فَلَا أَرُدُّهُ، وَكَانَ فِي مُدَّةِ الْفِتْنَةِ لَا يَأْتِي أَمِيرٌ إِلَّا صَلَّى خَلْفَهُ، وَأَدَّى إِلَيْهِ زَكَاةَ مَالِهِ، وَكَانَ أَعْلَمَ النَّاسِ بِمَنَاسِكَ الْحَجِّ، وَكَانَ يَتَتَبَّعُ آثَارَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّ مَكَانٍ صَلَّى فِيهِ، أَوْ قَعَدَ فِيهِ، حَتَّى إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ تَحْتَ شَجَرَةٍ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَتَعَاهَدُهَا، وَيَصُبُّ فِي أَصْلِهَا الْمَاءَ حَتَّى لَا تَيْبَسَ، وَكَانَ إِذَا فَاتَتْهُ الْعِشَاءُ فِي جَمَاعَةٍ أَحْيَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَكَانَ يَقُومُ أَكْثَرَ اللَّيْلِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ وَهُوَ فِي الْفَضْلِ مِثْلُ أَبِيهِ، وَكَانَ يَوْمَ مَاتَ خَيْرُ مَنْ بَقِيَ، وَمَكَثَ سِتِّينَ سَنَةً يُفْتِي النَّاسَ مِنْ سَائِرِ الْبِلَادِ. وَرَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً، وَرَوَى عَنِ الصِّدِّيقِ، وَعَنْ عُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَسَعْدٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَحَفْصَةَ وَعَائِشَةَ أُمَّيِ الْمُؤْمِنِينَ، وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ خَلَقٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ: مِنْهُمْ بَنُوهُ حَمْزَةُ، وَبِلَالٌ، وَزَيْدٌ، وَسَالِمٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، وَعُمَرُ - إِنْ كَانَ مَحْفُوظًا - وَأَسْلَمُ - مَوْلَى أَبِيهِ - وَأَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، وَالْحَسَنُ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَطَاوُسٌ، وَعُرْوَةُ، وَعَطَاءٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَمُجَاهِدٌ، وَابْنُ سِيرِينَ، وَالزُّهْرِيُّ، وَمَوْلَاهُ نَافِعٌ.
পৃষ্ঠা - ৭১২৬
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْ حَفْصَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالِحٌ ; لَوْ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ» فَكَانَ بَعْدُ يَقُومُ اللَّيْلَ. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: إِنَّ مِنْ أَمْلَكِ شَبَابِ قُرَيْشٍ لِنَفْسِهِ عَنِ الدُّنْيَا ابْنُ عُمَرَ. وَقَالَ جَابِرٌ: مَا مِنَّا أَحَدٌ أَدْرَكَ الدُّنْيَا إِلَّا مَالَتْ بِهِ، وَمَالَ بِهَا، إِلَّا ابْنَ عُمَرَ، وَمَا أَصَابَ أَحَدٌ مِنَ الدُّنْيَا شَيْئًا إِلَّا نَقَصَ مِنْ دَرَجَاتِهِ عِنْدَ اللَّهِ، وَإِنْ كَانَ عَلَيْهِ كَرِيمًا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: مَاتَ ابْنُ عُمَرَ يَوْمَ مَاتَ وَمَا مِنَ الدُّنْيَا أَحَدٌ أَحَبَّ أَنْ أَلْقَى اللَّهَ بِمِثْلِ عَمَلِهِ مِنْهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: لَا يُعْدَلُ بِرَأْيهِ، فَإِنَّهُ أَقَامَ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتِّينَ سَنَةً، فَلَمْ يَخْفَ عَلَيْهِ شَيْءٌ مِنْ أَمْرِهِ، وَلَا مَنْ أَمْرِ أَصْحَابِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ مَالِكٌ: بَلَغَ ابْنُ عُمَرَ سِتًّا وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَأَفْتَى فِي الْإِسْلَامِ سِتِّينَ سَنَةً، يَقْدَمُ عَلَيْهِ وُفُودُ النَّاسِ مِنْ أَقْطَارِ الْأَرْضِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَجَمَاعَةٌ: تُوُفِّيَ ابْنُ عُمَرَ سَنَةَ أَرْبَعٍ
পৃষ্ঠা - ৭১২৭

বেশী অভিজ্ঞ ছিলেন ৷ বিদায় হরুজ্জ রাসুলুল্লাহ্ (না) যেখানে যেখানে নামায আদায় করেছিলেন,
তিনি হাজ্জর সময় সে সকল স্থানে নামায আদায় করতেন ৷ এমনকি বিদায় হাজ্জ রাসুলুল্লাহ্
(সা) একটি বৃক্ষের ছায়ায় যাত্রা বিরতি করেছিলেন এবং অবস্থান করেছিলেন ৷ ইবন উমার
(রা) ওই বৃক্ষের নীচে যেতেন, সেটির গোড়ার পানি দিতেন ৷ কোন দিন ইশার জামাআত ছুটে
গেলে ওই রাতে সারারাত জেগে ইবাদত করতেন ৷ নিয়মিত রাতের অধিকাংশ সময় ইবাদতে
কটিাতেন ৷ বলা হয় যে, ইবন উমার (রা) যখন ইনতিকাল করেন, তখন তিনি তার পিতার
ন্যায় মর্যাদা র অধিকারী হয়েই ইনতিকা ৷ল করেন ৷ যখন তার মৃত্যু হয়, তখন জীবিতদের মধ্যে
তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন ৷ একাধারে ষাট বছর পর্যন্ত তিনি (দশ-বিদেশের
সকল লোকের সমস্যা সমাধানে ফাতওয়৷ দিয়ে গিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে
তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হযরত আবু বাকর সিদ্দীক (র), উমার (রা), উছমান
(রা), সাদ (রা), ইবন মাসউদ (রা), হাফসা (রা), আইশা (রা) ও অন্যদের থেকে হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ত তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেনত তার পুত্র হামযা, বিলাল, যায়দ, সালিম,
আবদুল্লাহ, উবায়দুল্লাহ্, উমার, তার পিতার মুক্ত করা ক্রীতদ স আসলাম, আনাস ইবন
সীরীন, হাসান, সাঈদ ইবন জুবায়র, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব, তউিস, উরওয়া, আতা, ইকরিমা,
মুজাহিদ, ইবন সীরীন , যুহরী এবং তার ক্রীতদাস নাফিসহ বহু লোক ৷

সহীহ হাদীস গ্রন্থে উদ্ধৃত আছে যে, হাফসা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেনং ৷ ( নিশ্চয়ই আবদুল্লাহ একজন
ভাল মানুষ ৷ সে যদি রাতে ইবাদত করত, তাহলে আরো ভাল হত !) ৷ এরপর থেকে তিনি
রাত ণ্জাগ ইবাদত করতেন ৷

হযরত ইবন মাসউদ (রা) বলেন, কুরায়শ বংশে সর্বাধিক আত্মসংষমী ও দৃনিয়াবিমুখ ,
যুবক হলেন ইবন উনার (রা) ৷ হযরত জাবির (বা) বলেন, আমাদের মধ্যে যে-ই পার্থিব
সুযোগ পেয়েছে, সে দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে আর দৃনিয়াও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে ৷
একমাত্র ইবন উমার (বা) তার ব্যতিক্রম ৷ আর যে-ই দুনিয়ার সুযোগ ভোগ করেছে আল্লাহর
নিকট তার মর্যাদাহ্রাস পেয়েছে, যদিও মহান আল্লাহ্ তার প্রতি মহানুভবত৷ দেখিয়েছেন ৷

সাইদ ইবন খুসায়াব বলেন, যেদিন ইবন উমার (রা) এর ইনৃতিকাল হয়, সেদিন
আল্লাহর সাক্ষাতে যেতে তার চাইতে অধিক আগ্রহী কেউ ছিল না ৷ এ আগ্রহ ছিল আল্লাহ্ব্র
সন্তুষ্টি বিধানে তার লেক আমলের বদৌলতে ৷ ’ প্

যুহরী বলেন, হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রা)ত তার রায় ও সিদ্ধান্ত ঘোষণার সত্যচ্যুত
হতেন না ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাতের পর তিনি ৬০ বছর জীবিত ছিলেন ৷
অন্যদিকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এবং তার সাহাবীদের কোন বিষয় তার অজানা ছিল না ৷

ইমাম মালিক বলেন, ইবন উমার (রা) ৮৬ বছর হায়াত পেয়েছিলেন ৷ তার মধ্যে ৬০
বছর তিনি ইসলামী দুনিয়ার ফাতওয়া প্রদান করেছেন ৷ দেশ-বিদ্যেশর বিভিন্ন স্থান থেকে
প্রতিনিধি দল তীর নিকট আগমন করত ৷ ওয়া ৷কিদী প্রমুখ একদল আ ৷লিম বলেছেন, ৭৪ হিজরী
সনে হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) এর ইনৃতিকাল হয় ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার ও
অন্যান্যরা বলেছেন যে, তার ওফ৷ ত হস্তুয়রুছুত্যুঃও১ন্যাক্কুব্লু ব্লুন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷

া৷

وَسَبْعِينَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَآخَرُونَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ. وَالْأَوَّلُ أَثْبَتَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ سَعْدٍ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ وَاسْتُخْلِفَ عَلِيٌّ، أَتَاهُ ابْنُ عُمَرَ، فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّكَ مَحْبُوبٌ إِلَى النَّاسِ، فَسِرْ إِلَى الشَّامِ فَقَدْ وَلَّيْتُكَهَا. فَقَالَ: أُذَكِّرُكَ اللَّهَ وَقَرَابَتِي وَصُحْبَتِي لِرَسُولِ اللَّهِ وَالرَّحِمِ إِلَّا مَا وَلَّيْتَ غَيْرِي وَأَعْفَيْتَنِي. فَأَبَى عَلَيْهِ، فَاسْتَعَانَ بِحَفْصَةَ أُخْتِهِ فَكَلَّمَتْهُ، ثُمَّ سَارَ مِنْ لَيْلَتِهِ إِلَى مَكَّةَ هَارِبًا مِنْهُ. وَقِيلَ: إِنَّ مَرْوَانَ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: أَلَا تَخْرُجُ إِلَى الشَّامِ فَيُبَايِعُوكَ؟ قَالَ: فَكَيْفَ أَصْنَعُ بِأَهْلِ الْعِرَاقِ؟ قَالَ: تُقَاتِلُهُمْ بِأَهْلِ الشَّامِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي مُلْكَ الْأَرْضِ، وَأَنَّ النَّاسَ كُلَّهَمْ بَايَعُونِي، وَقَدْ قُتِلَ مِنْهُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَمَا أُحِبُّ أَنَّهَا أَتَتْنِي وَرَجُلٌ يَقُولُ: لَا، وَآخَرُ يَقُولُ: نَعَمْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهِ الْحَجَّاجُ وَهُوَ مَرِيضٌ فَغَمَّضَ عَيْنَيْهِ، فَكَلَّمَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ. تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ بَعْدَ مُنْصَرَفِ النَّاسِ مِنَ الْحَجِّ فِي آخِرِ السَّنَةِ، وَعُمْرُهُ أَرْبَعٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً، وَدُفِنَ بِالْمُحَصَّبِ، وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِمَكَّةَ.
পৃষ্ঠা - ৭১২৮
وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ: أَبُو بَكْرٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَوَاقِدٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعُمَرُ وَحَفْصَةُ وَسَوْدَةُ، أُمُّهُمْ صَفِيَّةُ بِنْتُ أَبِي عُبَيْدٍ أُخْتُ الْمُخْتَارِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَسَالِمٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، وَحَمْزَةُ، وَأُمُّهُمْ أُمُّ وَلَدٍ، وَزَيْدٌ وَعَائِشَةُ لِأُمِّ وَلَدٍ، وَأَسْنَدَ أَلْفَيْنِ وَسِتَّمِائَةٍ وَثَلَاثِينَ حَدِيثًا. عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ قَتَادَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَامِرِ بْنِ جُنْدَعِ بْنِ لَيْثٍ، اللَّيْثِيُّ ثُمَّ الْجَنْدَعِيُّ، أَبُو عَاصِمٍ الْمَكِّيُّ قَاصُّ أَهْلِ مَكَّةَ. قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ: وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَرَآهُ أَيْضًا. رَوَى عَنْ أَبِيهِ - وَلَهُ صُحْبَةٌ - وَعَنْ عُمَرَ، وَعَلِيٍّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ عُمَرَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأُمِّ سَلَمَةَ، وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ وَغَيْرُهُمْ، وَوَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ.
পৃষ্ঠা - ৭১২৯


উবায়দ ইবন উমায়র

৭৪ সনে শীর্ষস্থানীয় যারা ইনতিক৷ ৷ল করেন তাদের একজন হলেন উবায়দ ইবন উমায়র
ইবন কাতাদা ইবন সা দ ইবন আমির ইবন খানদা ইবন লায়ছ লায়হী খানদাঈ তার উপনায
আবু আসিম যকী ৷ তিনি মক্কার বিচারক রুপে দায়িতু পালন করেছিলেন ৷ ণ্

মুসলিম ইবন হাজ্জাজ বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় উবায়দের জন্ম হয়,
কেউ কেউ বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে স্বচক্ষে দেখেছেন ৷ত তার পিতা উমায়র (রা)
থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ উমায়র (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবী ছিলেন ৷ হযরত
উমার (রা), আলী (রা), আবু হুরায়রা (রা), ইবন আব্বাস (রা), ইবন উমার (রা), উম্মু
সাবলামা (বা) এবং অন্যান্যদের বরাতেও উবায়দ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷৩ তাবিঈদের একটি দল

বংঅন্যান্যরা তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন মাঈন, আবু যুরআসহ অনেকে তাকে আহু ৷জন হাদীস বর্ণনাকারীরুপে আখ্যায়িত
করেছেন ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন উনার (বা) তার মজলিসে বসতেন এবং কাদতে ন ৷ উবায়দ
ইবন উমায়রের উপদেশমুলক কথাবার্তা তার ভাল লাগত ৷ উবায়দ একজন সুবক্ত৷ ছিলেন ৷
আল্লাহর তয়ে তিনি র্কাদতেন, খুব র্কাদতেন, তার চোখের পানিতে পাথরকুচি ভিজে যেত ৷

মাহ্দী ইবন মায়মুন গায়লান ইবন জারীর সুত্রে বলেন যে, উবায়দ ইবন উমায়র যখন
কারো সাথে ভ্রাতৃতু সম্পর্ক গড়তেন, তখন তাকে নিয়ে কিবলামুখী র্দাড়াতেন এবং বলতেন, হে
আল্লাহ ! আপনার নবী যা এসেছেন তার বরকতে আমাদেরকে সৌভাগ্যবান করে দিন ৷ মুহাম্মাদ
(সা)-কে আমাদের ঈমানের সাক্ষী বানিয়ে দিন ৷ আপনি তো বিলম্ব ব্যতীত পুর্বেই আমাদের
জন্যে কল্যাণ নির্ধারিত করে দিয়েছেন ৷ আমাদের অম্ভরে যেন কা ৷ঠিন্য না থাকে ৷ আমরা যেন
অসত্য কথা না বলি, যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই, যে বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন না করি ৷

ইমাম বুখায়ী (র) ইবন জুরায়জ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইবন উমার (রা) এর
পুর্বে উবায়দ ইবন উমায়রের ওফাত হয় ৷

ৰাৰু ম্বুহায়ক্ষা (না)

৭৪ সনে হাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন হযরত আবু ত্তুহায়ফ৷ ৷ ওয়াবে ইবন
আবদৃল্পাহ্ সাওয়াই (রা) ৷ তিনি সাহাবী ছিলেন স্বচক্ষে রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে দেখেছিলেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর ইনৃতিকালের সময় আবু জুহায়ফা (রা) নাবালক ছিলেন ৷ এতদ্সত্বেও
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আলী (রা) এবং বারা’
ইবন আবীর (রা) থেকেও তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ, হাকাম,
সালামা ইবন কুহায়ল, শাবী এবং আবু ইসহাক সুবায়ঈসহ অনেক তাবিঈ তার থেকে হাদীস
বর্ণনা করেছেন৷ তিনি কুফায় অবস্থান করতেন, সেখানে একটি বসতবাটি তৈরী করেছিলেন ৷
এই ৭৪ সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ কেউ বলেন যে, ৯৪ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ তিনি হযরত আলী (রা)-এর দেহরক্ষী ছিলেন ৷ হযরত আলী (রা)-এর
ৰুতবা দেয়ার সময় আবু জুহায়যহৃ৷ (না) তার মিম্বরের নীচে দীড়িয়ে থাকতেন ৷

সাশাযা ইবন আকওয়া

তিনি হলেন সালামা ইবন আকওয়া ইবন আমর ইবন সিনান আনসারী ৷ হুদায়বিয়ার
সন্ধির ঘটনায় বৃক্ষ-তলায় যারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাতে জিহাদের বায়আত করেছিলেন
হযরত সালামা (বা) তাদের একজন ৷ সাহাবীদের মধ্যে তিনি অশ্ব চালনায় খ্যাতি অর্জন


وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَجْلِسُ فِي حَلْقَتِهِ وَيَبْكِي، وَكَانَ يُعْجِبُهُ تَذْكِيرُهُ، وَكَانَ بَلِيغًا، وَكَانَ يَبْكِي حَتَّى يَبُلَّ الْحَصَى بِدُمُوعِهِ. قَالَ مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرٍ، قَالَ: كَانَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ إِذَا آخَى أَحَدًا فِي اللَّهِ اسْتَقْبَلَ بِهِ الْقِبْلَةَ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا سُعَدَاءَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكَ، وَاجْعَلْ مُحَمَّدًا شَهِيدًا عَلَيْنَا بِالْإِيمَانِ، وَقَدْ سَبَقَتْ لَنَا مِنْكَ الْحُسْنَى، غَيْرَ مُتَطَاوِلٍ عَلَيْنَا الْأَمَدُ، وَلَا قَاسِيَةٍ قُلُوبُنَا وَلَا قَائِلِينَ مَا لَيْسَ لَنَا بِحَقٍّ، وَلَا سَائِلَيْنِ مَا لَيْسَ لَنَا بِهِ عِلْمٌ. وَحَكَى الْبُخَارِيُّ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ مَاتَ قَبْلَ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. أَبُو جُحَيْفَةَ وَهْبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السُّوَائِيُّ صَحَابِيٌّ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ دُونَ الْبُلُوغِ عِنْدَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَكِنْ رَوَى عَنْهُ عِدَّةَ أَحَادِيثَ، وَعَنْ عَلِيٍّ، وَالْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ ; مِنْهُمْ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، وَالْحَكَمُ، وَسَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، وَالشَّعْبِيُّ، وَأَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، وَكَانَ قَدْ نَزَلَ الْكُوفَةَ وَابْتَنَى بِهَا دَارًا، وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ صَاحِبَ شُرْطَةِ عَلِيٍّ، وَكَانَ عَلِيٌّ إِذَا خَطَبَ يَقُومُ أَبُو جُحَيْفَةَ تَحْتَ مِنْبَرِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭১৩০
سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سِنَانٍ الْأَنْصَارِيُّ وَهُوَ أَحَدُ مَنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، وَكَانَ مِنْ فُرْسَانِ الصَّحَابَةِ، وَمِنْ عُلَمَائِهِمْ، كَانَ يُفْتِي بِالْمَدِينَةِ، وَلَهُ مَشَاهِدُ مَعْرُوفَةٌ، فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَعْدَهُ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، وَقَدْ جَاوَزَ السَّبْعِينَ سَنَةً. مَالِكُ بْنُ أَبِي عَامِرٍ، الْأَصْبَحِيُّ الْمَدَنِيُّ وَهُوَ جَدُّ الْإِمَامِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ، وَكَانَ فَاضِلًا عَالِمًا، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ. أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ مُقْرِئُ أَهْلِ الْكُوفَةِ بِلَا مُدَافَعَةٍ، وَاسْمُهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبٍ، قَرَأَ الْقُرْآنَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَسَمِعَ مِنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ، وَأَقْرَأَ النَّاسَ الْقُرْآنَ بِالْكُوفَةِ مِنْ خِلَافَةِ عُثْمَانَ إِلَى إِمْرَةِ الْحَجَّاجِ، قَرَأَ عَلَيْهِ عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ، وَخَلْقٌ غَيْرُهُ، تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ. أَبُو مُعْرِضٍ الْأَسَدِيُّ اسْمُهُ مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكُوفِيِّ، وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَامْتَدَحَهُ، وَلَهُ شِعْرٌ جَيِّدٌ وَيُعْرَفُ
পৃষ্ঠা - ৭১৩১


করেন ৷ তিনি অন্য৩ ম আলিম ও বিজ্ঞ সাহাবী ছিলেন ৷ মদীনা তাইয়িবায় তিনি ফাতাওয়া
প্রদান করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সময়ে এবং তার পরে জিহাদের ময়দানে সালামা
(রা)-এর বহু সাফলদুঃকীর্তিকর্মের ইতিহাস রয়েছে ৷ মদীনা মুনাওয়ারায় তার ওফাত হয় ৷
তখন তীর বয়স ছিল ৭০-এর অধিক ৷

মালিক ইবন আবু আমির (বা)

৭৪ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন মালিক ইবন আবু আমির আল-
আসবাহী আল-মাদানী; তিনি ইমাম মালিকের (র) দাদা, একদল সাহাবী ও অন্যান্যদের থেকে
তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ছিলেন একজন সম্মানিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ তার ওফাত হয়
মদীনায় ৷

আবু আবদুর রহমান সুলামী ৰু

আবু আবদুর রহমান সুলামী ছিলেন কুফাবাসীদের কুরআন শিক্ষাদানকারী ব্যক্তি ৷ তার
নাম আবদুল্লাহ, পিতার নাম হ বীর ৷৩ তৃতীয় খলীফ৷ হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (বা) এবং
হযরত আবদুল্লাহ ইবন মা ৷সউদের (রা) নিকন্ট তিনি কুরআন৩ তিলাওয়াত অনুশীলন করেছেন ৷
অন্যান্য সাহাবীদের (রা) থেকেও তিনি কুরআন পাঠ শুনেছেন ৷ হযরত উছমান (রা)-এর
খিলাফতকাল থেকে হাজ্জাজের শাসনকর্তারুপে দায়িতু পালন কাল পর্যন্ত তিনি কুফার
লোকদেরকে কুরআন পাঠ শিক্ষা দিয়েছেন ৷ আসিম ইবন আবু নাজুদসহ বহু লোক তার নিকট
থেকে কুরআন পাঠে বিশেষ দীক্ষা নিয়েছেন, কুফাতে তার ওফাত হয় ৷

আবুমাবিদ আল আসাদী

৭৪ ইিজরীতে র্ষাদের ইনতিকাল হয় তাদের একজন হলেন আবুম৷ রিদ আল আসাদী ৷
তার নাম মুগীর৷ ইবন আবদুল্লাহ কুফী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় তার জন্ম হয় ৷
পরিণত বয়সে খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দরবারে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন

বংতার প্রশংসা করেছিলেন কবিতার মাধ্যমে ৷ তিনি একজন ভাল কবি ছিলেন ৷ তার কতক
উচু মানের কবিতা রয়েছে ৷ তিনি আকতাশী’ নামে পরিচিত ছিলেন ৷ তার চেহারা ছিল
রক্তিম, চুল ছিল ঘন ও অধিক ৷ এই সনে কুফাতে তার ইনতিকাল হয়, তিনি প্রায় ৮০ বছর
আযু পেয়েছিলেন ৷

ৰিশর ইবন মারওয়ান

এই সনে যাদের ইনতিকাল হয় শীর্ষস্থানীয় তেমন ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন বিশর
ইবন মারওয়ান উমাবী ৷ তিনি খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের ভাই ৷ আপন ভাই
আবদুল মালিকের পক্ষে তিনি ইরাকে শাসনকর্তার পদে দায়িতু পালন করেছিলেন ৷ দামেস্কে
উকব৷ আল-লুবাবের পাশে তার একটি বাড়ী ছিল ৷ শাসনকর্তা বিশ্ব একজন সদালাপী ও
দানশীল ব্যক্তি ছিলেন ৷ তাকে হাজীর’ অঞ্চলে দিয়ার-ই-মারওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় ৷
মারজ রাহিত যুদ্ধে তিনি খালিদ ইবন হুসায়ন কিলাবীকে হত্যা করেন ৷ তিনি তার দরবারের
প্রবেশদ্বার বন্ধ করতেন না ৷ তাতে পুর্দাওণ্ঝুলাতেন না, তিনি বলতেন যে, পর্দা করার কথা
মহিলাদের পুরুষের নয়, তিনি সদা হাস্যমুখ ব্যক্তি ছিলেন ৷ এক একটি কবিতার জন্যে হাজার
হাজার দিরহাম পুরস্কার প্রদান করবেন ৷ করি ফ রা৷যদাক এবৎ করি আখতাল তার প্রশংসায়
কবিতা রচনা করেছেন ৷


بِالْأُقَيْشِرِ، وَكَانَ أَحْمَرَ الْوَجْهِ كَثِيرَ الشَّعْرِ، تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدْ قَارَبَ الثَّمَانِينَ سَنَةً. بِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ الْأُمَوِيُّ أَخُو عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَلِي إِمْرَةَ الْعِرَاقَيْنِ لِأَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَلَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ عِنْدَ عَقَبَةِ الْكَتَّانِ، وَكَانَ سَمْحًا جَوَادًا، وَإِلَيْهِ يُنْسَبُ دَيْرُ مَرْوَانَ عِنْدَ حَجِيرَا، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ خَالِدَ بْنَ حُصَيْنٍ الْكِلَابِيَّ يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ، وَكَانَ لَا تُغْلَقُ دُونَهُ الْأَبْوَابُ، وَيَقُولُ: إِنَّمَا تَحْتَجِبُ النِّسَاءُ. وَكَانَ طَلِيقَ الْوَجْهِ، وَكَانَ يُجِيزُ عَلَى الشِّعْرِ بِأُلُوفٍ، وَقَدِ امْتَدَحَهُ الْفَرَزْدَقُ، وَالْأَخْطَلُ. وَالْجَهْمِيَّةُ تَسْتَدِلُّ عَلَى الِاسْتِوَاءِ عَلَى الْعَرْشِ بِأَنَّهُ الِاسْتِيلَاءُ بِبَيْتِ الْأَخْطَلِ، فِيمَا مَدَحَ بِهِ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ، وَهُوَ قَوْلُهُ: قَدِ اسْتَوَى بِشْرٌ عَلَى الْعِرَاقِ ... مِنْ غَيْرِ سَيْفٍ وَدَمٍ مُهْرَاقِ وَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ ; فَإِنَّ هَذَا اسْتِدْلَالٌ بَاطِلٌ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، وَقَدْ كَانَ الْأَخْطَلُ نَصْرَانِيًّا. وَكَانَ سَبَبَ مَوْتِ بِشْرٍ أَنَّهُ وَقَعَتِ الْقُرْحَةُ فِي يَمِينِهِ. فَقِيلَ لَهُ: نَقْطَعُهَا
পৃষ্ঠা - ৭১৩২
مِنَ الْمِفْصَلِ. فَجَزِعَ، فَمَا أَمْسَى حَتَّى خَالَطَتِ الْكَتِفَ، ثُمَّ أَصْبَحَ وَقَدْ خَالَطَتِ الْجَوْفَ، ثُمَّ مَاتَ، وَلَمَّا احْتَضَرَ جَعَلَ يَبْكِي وَيَقُولُ: وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ عَبْدًا أَرْعَى الْغَنَمَ فِي الْبَادِيَةِ لِبَعْضِ الْأَعْرَابِ وَلَمْ أَلِ مَا وُلِيتُ. فَذُكِرَ قَوْلُهُ لِأَبِي حَازِمٍ - أَوْ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ - فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَهُمْ عِنْدَ الْمَوْتِ يَفِرُّونَ إِلَيْنَا، وَلَمْ يَجْعَلْنَا نَفِرُّ إِلَيْهِمْ، إِنَّا لَنَرَى فِيهِمْ عِبَرًا. وَقَالَ الْحَسَنُ: دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ يَتَمَلْمَلُ عَلَى سَرِيرِهِ، ثُمَّ نَزَلَ عَنْهُ إِلَى صَحْنِ الدَّارِ، وَالْأَطِبَّاءُ حَوْلَهُ. مَاتَ بِالْبَصْرَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَهُوَ أَوَّلُ أَمِيرٍ مَاتَ بِهَا، وَلَمَّا بَلَغَ عَبْدَ الْمَلِكِ مَوْتُهُ حَزِنَ عَلَيْهِ، وَأَمَرَ الشُّعَرَاءَ أَنْ يَرْثُوهُ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.