আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وستين

ذكر شيء من فضائله

ذكر شيء من فضائله

পৃষ্ঠা - ৬৭৫৭


আবদ্বহুঢঢহ ইবন উমর (রা) বলেন, ইরঢকীরঢ মাছি হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করছে, অথচ তারা
রাসৃলুরঢহ (সা) এর কন্যার সত্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ৷ রঢসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ
করেন তারা দু জন (ইমাম হাসান রা ইমাম হুসায়ন রঢ) হলেন দুনিয়ার দুইটি ফুল ৷ ইমাম
ঢতরমিষী (র) উক্ত হাদীসঢি ঢবশুদ্ধ সনদে উকবা ইবন মুকবিমঢ হতে ৩বর্ণনা কঢরঢছন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইয়াকুব বলেন, এক ইরঢকী ব্যক্তি হররত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ঢক কাপড়ে মশার
রক্ত লাগলে কি করতে হবে এ মঢসআলঢ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা) বলেন, ইরঢকীঢদর প্রতি লক্ষ্য কর, তারা মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে অথচ
তারাই মুহাম্মদ (সা)এর কন্যার পুএঢক হত্যা করেছে ৷’ ইমাম তিরমিযী (র) পুর্ণ হঢদীসটি
বংনাি করেন এবং বলেন, এ হঢদীসটির সনদ বিশুদ্ধ ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু আহমদ হযরত আর হরঢয়রঢ (বা) হঢ ত বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রঢসৃলুল্লাহ (সা) ইরশাদ কঢরন, যে ব্যক্তি তাদের দুজনঢক (ইমাম হাসান বা ও
ইমাম হুনায়ন রা) ঢ ক ট্রুণ্ড,ঢলবঢসল সে আমঢঢকই ভালবঢসল ৷ আর: যে ব্রাক্তি ওর্তঢঢদর দু জঢনর
সাথে শত্রুতা ঢপঢষণ করল, সে যেন আমার সাথেই শত্রুতঢ ঢপাষণ্ করল ৷”
ইমাম আহমদ (র) তালীছ হযরত আবু হুরায়রা (রঢ)ন্ন্ছুঢত বর্ণনা করেন, একদিন
রাসুলুল্লাহ (সা), হযরত আলী (রা), হযরত ইমাম হাসান, হযরত ইমাম হুসঢয়ন (রা) ও
হযরত ফাতিমঢ (রা ) এর প্ৰতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করব যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তাদের সাথে আমি সন্ধি করব যঢরঢ

তামাদের সাথে সন্ধি করবে ৷’ উপরোক্ত দু টি বর্ণনঢই ইমাম আহমদ (র) এর একক
বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ ইবন নুমায়র, আবু হুরঢয়রঢ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসুলুল্লাহ (সা ) আমাদের নিকট আগমন করলেন, তার সাথে ছিলেন হযরত হাসান ও
হযরত ন্সঢযন (বা), একজন ছিলেন তার এক কঢধেব উপর এবং অন্যজন ছিলেন অপর
কঢধের উপর ৷ তিনি ট্টণ্ফ্তেজনঢক একবার চুমু খেতেন এবং অন্যজনঢক আবার চুযু ঢখতেন ৷
এভাবে তিনি আমাদের কাছে পৌছলেন ৷ এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা)ঢক প্সক্ষঢ করে বললেন,
ঢহআল্লাহ্র রাসুল (সা) ঢ আল্লাহর শপথ ! আপনি তাদেরকে অত্যন্ত ভালবঢ ঢঢসন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন “যারা এ দু জনকে ভালবাসার তারা আমাকে ভালবাসার, যারা এ দু জনের
সাথে শত্রুতা করল তারা যেন আমার সাথে ষ্পত্রুতঢ করল ৷” এটাও ইমাম আহমদ (র) এর
একক বর্ণনা ৷

আবু ইয়ঢলঢ আল মুসিলী আবু সাঈদ হযরত আনাস ইর্বন মালিক (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা)ঢক এ প্রশ্ন করা হল অঢপনঢর পবিবঢর-পরিজঢনর
মধ্যে ঢক আপনার বেশী প্রিয় ষ্’ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “হ্ান্া৷ন্াও হুসায়ন (বা) ৷” হযরত
আনাস (বা) বলেন “রঢসুলুল্লঢহ (সা) বলছেন, আমার কঢঢছু আমার সন্তানদেরকে ডেকে
আন ৷ তারপর তিনি তাদের প্রাণ নিঢতন এবং তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন ৷ ইমাম
তিরমিষী (র)ও হযরত ৩আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বষ্নাি করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে আসওয়াদ হযরত আবাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) দুই মাস যাবত হযরত ফঢতিমঢ (রঢ)-এর ঘর হয়ে ফজঢরর সালঢঢতর জন্যে


وَادَّعَتِ الطَّائِفَةُ الْمُسَمَّوْنَ بِالْفَاطِمِيِّينَ، الَّذِينَ مَلَكُوا الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ قَبْلَ سَنَةِ أَرْبَعِمِائَةٍ إِلَى مَا بَعْدَ سَنَةِ سِتِّينَ وَسِتِّمِائَةٍ، أَنَّ رَأْسَ الْحُسَيْنِ وَصَلَ إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَدَفَنُوهُ بِهَا وَبَنُوا عَلَيْهِ الْمَشْهَدَ الْمَشْهُورَ بِهِ بِمِصْرَ، الَّذِي يُقَالُ لَهُ: تَاجُ الْحُسَيْنِ. بَعْدَ سَنَةِ خَمْسِمِائَةٍ. وَقَدْ نَصَّ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّهُ لَا أَصْلَ لَذَلِكَ، وَإِنَّمَا أَرَادُوا أَنْ يُرَوِّجُوا بِذَلِكَ بُطْلَانَ مَا ادَّعَوْهُ مِنَ النَّسَبِ الشَّرِيفِ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ كَذَبَةٌ خَوَنَةٌ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الْقَاضِي الْبَاقِلَانِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ الْعُلَمَاءِ فِي دَوْلَتِهِمْ فِي حُدُودِ سَنَةِ أَرْبَعِمِائَةٍ، كَمَا سَنُبَيِّنُ ذَلِكَ كُلَّهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ فِي مَوَاضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهِ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهِ رَوَى الْبُخَارِيُّ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَمَهْدِيِّ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي نُعْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ عَنِ الْمُحْرِمِ يَقْتُلُ الذُّبَابَ، فَقَالَ: أَهْلُ الْعِرَاقِ يَسْأَلُونَ عَنْ قَتْلِ الذُّبَابِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৮


মসজিদে অগমন করতেন এবং বলতেন, হে আহলি বই ! সালাতের জন্যে তৈরী হও ৷
এরপর তিনি সৃরাব্বয আহ্যাবের ৩৩ নং আয়াতাং শ পাঠ করতেন,
াৰুণ্া৷


“ৰু€হ নবী পরিবার! অ ৷ল্লাহ্ তাে কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং
তােমাদেরকে সম্পুর্ণ পবিত্র করতে ৷ (৩৩ আহযাব : ৩৩)
ইমাম তিরমিযী (র) অন্য দ্বাক সনদে আবৃদ ইবন হুমায়দ অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন এবং
বলেন, এ হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা ছাড়া অন্য কে ন সুত্রে এটি বর্ণিত
হয়েছে বলে আমার জানা নেই ৷
, ইমাম তিরমিযী (র) মাহমুদ ইবন পায়লান হযরত আল-বাবা (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, “একদিন রাসুলুল্পাহ (সা) হযরত হাসান (রা) ও হযরত হুসায়ন (রা)-
এর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং বলেন, হে আল্লাহ আমি তাদের দু’জনকে ভালবাসি,
আপনিও তাদেরকে ভালবাসুন ৷ ” তারপর ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, অত্র হাদীসটি
বিশুদ্ধ ৷ ,
ইমাম আহমদ (র) মায়দ ইবন আল হুজ্বাৰু হযরত বুরাইদ৷ (রা)ওত তার পিতা হতে
: ন্ব্ংনাি করেন (য নিনি বলেছেন, একদ্যো বান্ালুল্লাহ (না) আমাদের সামনে খুতবাদিচ্ছিলেন,
এমন সময় হযরত হাসান (র৷ ) ও হযরত হুসায়ন (বা) আগমন করলেন ৷ তাদের দুজনের
পরনে ছিল লাল জাম৷ ৷ ৷রাত দুজন হাটছিলেন এবং হোচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) তাদেরকে দেখে মিম্বর থেকে নেমে গেলেন,৩ তাদেরকে উঠিয়ে নিলেন এবষ্ তাদেরকে
তার সামনে বসালেন আর বললেন আল্লাহ্ তাআলা ঠিকই বলেছেন ণ্ও১১া)৷) ,শ্রো)এ্৷ এে
হ্১১১ (সুরায়ে তাপাবুনং ৫১) অর্থাৎ “তে ৷মাদের সম্পদ ও সন্তান সস্ততি তোমাদের জন্য
পরীক্ষা ৷” আমি এ দু’টি বাচ্চার দিকে তাকালাম, তারা হাটছিল এবং হোচট খেয়ে
পড়ছিল ৷ তাই আমি ধৈর্য ধারণ করতে পারলাম না ৷ আমি আমার কথা বন্ধ করে দিলাম
এবং৩ তাদেরকে উঠিয়ে শ্লেলাম ৷ ইমাম তিরমিযী ন্(র) বলেন, এ হাদীসটি গরীব,এবং
শুধুমাত্র আল হুসাইন ইবন ওয়াকিদ ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার
জানা নেই ৷
ইমাম তিরমিযী (র) হাসান ইবন আরদা ইয়ালা ইবন মুররাহ হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “হুসায়ন আমার এবং আমি
হুসায়নের ৷ যে হুসায়নকে মুহব্বত করবে আল্লাহ তাকে মুহব্বত করবেন ৷ হুসায়ন (রা) শ্রেষ্ঠ
দৌগ্রিত্র ৷ তারপর ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ হাদীসটি হাসান (উত্তম) ৷ ইমাম আহমদ
(ব ) অব্দুল্লাহ ইবন উসমান ইবন খাইসাম হতে এবং ইমাম তাব্যরানী ইয়াল৷ ইবন মুরাহ হতে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, হযরত হাসান (রা) ও
, হযরত হযদ্দো ( ;ৰুন্ ) দৌহিত্রদের মধ্যে দু’ জন শ্রোঠ দৌহিত্র ৷”
ইমাম মাহমদ (র) আফ্ফান আবু সায়ীদ আল খুদরী (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, ,রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, হযরত হাসান (বা) ও হযরত হুসায়ন (রা)
জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷


وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُمَا رَيْحَانَتَايَ مِنَ الدُّنْيَا» ؟ ! وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ بِهِ نَحْوَهُ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: انْظُرُوا إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ يَسْأَلُونَ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ، وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» ". يَعْنِي حَسَنًا وَحُسَيْنًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا تَلِيدُ بْنُ سُلَيْمانَ، كُوفِيٌّ، ثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نَظَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَلِيٍّ وَالْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَفَاطِمَةَ فَقَالَ: «أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ، سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ ".» تَفَرَّدَ بِهِمَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا حَجَّاجٌ، يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ، هَذَا عَلَى عَاتِقِهِ، وَهَذَا عَلَى عَاتِقِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৯
وَهُوَ يَلْثَمُ هَذَا مَرَّةً وَهَذَا مَرَّةً، حَتَّى انْتَهَى إِلَيْنَا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتُحِبُّهُمَا. فَقَالَ: " مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، حَدَّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّمِيمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ أَهْلِ بَيْتِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ ". قَالَ: وَكَانَ يَقُولُ: " ادْعُ لِيَ ابْنَيَّ ". فَيَشُمُّهُمَا وَيَضُمُّهُمَا إِلَيْهِ.» وَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ وَعَفَّانُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمُرُّ بِبَيْتِ فَاطِمَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ إِذَا خَرَجَ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَيَقُولُ: " الصَّلَاةَ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ، {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » ". وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي التَّفْسِيرِ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَفَّانَ بِهِ، وَقَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْصَرَ حَسَنًا وَحُسَيْنًا
পৃষ্ঠা - ৬৭৬০


ইমাম তিরমিযী (র)ও অন্য এক ন্সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, এ হাদীসটি
বিশুদ্ধ ৷

আবুল কাসিম আল-বাগবী (র) দাউদ হযরত আবু সাঈদ আলখুদরী (বা) হতে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “হযরত হাসান (রা) ও হযরত
হুসায়ন (বা) দুই মামাত ভাই ব্যতিত জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷ তারা হলেন হযরত
ইয়াহইয়া (আ) ও হযরত ঈসা (আ) ৷ ইমাম নাসায়ী (র)ও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
সৃওয়ায়দ ইবন সাঈদ ও আবু সাঈদ আল-খুদরী (বা) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ওকী আবু সাধিত (রা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন হযরত হুসায়ন ইবন আলী (রা) মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ তখন জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার দেখতে চায় সে যেন উনার
, দিকে তাকায় ৷ কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ (যা) হতে এরুপ গুনেছি ৷ এ বর্ণর্নাটি ইমাম আহমদ

(ব) ইসরাঈল হযরত হুযাইফা (রা ) হতে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, একদিন তার মাতা

তাকে রাসুল (না)-এর কাছে প্রেরণ করেছিলেন যাতে আল্লাহর রাসুল (না) তার জন্য এবং
তার মাতার জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ হুযাইফা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা)
এর কাছে আগমন করলাম ও তার সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম ৷ তারপর তিনি
ইশার সালাভৈত র সময় ইশার সালাত আদায় করলেন এবং বাড়ীর দিকে রওয়ান৷ হলেন ৷
আমিও তার অনুসরণ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (না) আমার আওয়াজ শুনতে পেলেন, তখন তিনি
বললেন, কে এখানে ? হুযাইফা নাকি ? আমি বললাম , জী হ্যা ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার কি দরকার ?’ আল্লাহ তোমার ও তােমর মাতাকে
ক্ষমা করুন ৷’ এই এক ফেরেশত ৷, যমীনে আজকের রাত ব্যভীত কোন দিনও তিনি অবতরণ
করেন নি৷ তার প্ৰতিপালকের কাছে তিনি অনুমতি, চেয়েছিলেন যাতে তিনি আমাকে
অভিবাদন করতে পারেন এবং আমাকে একটি সুসংবাদ দিতে পারেন ৷ সুসংবাদটি হল এই
যে, হযরত ফাতিম৷ (রা) জন্নোতবাসী মহিলাদের সর্দার এবং হযরত হাসান ও হযরত
হুসায়ন (রা) জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷ তারপর ইমাম তিরমিষী (র) বলেন, এ হাদীসটি
বিশুদ্ধ ও গরীব ৷ ইসরাঈলের মাধ্যমে এট৷ এককভাবে বর্ণিত ৷ অনুরুপ হাদীস হযরত আলী
ইবন আবুত তালিব (রা), হযরত ইমাম হুসায়ন (রা), হযরত উমর ইবন খাত্তাব (বা), তার
পুত্র হযরত আবদুল্লাহ (রা), ইবন আব্বাস (রা), ইবন মাসউদ (রা) প্রমুখ থেকে বর্ণিত
আছে ৷ তাদের সকলের বর্ণিত হাদীসে কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয় ৷ আল্লাহই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী (র) মুসা হযরত আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) কে হযরত হাসান ও হযরত হুসায়ন (রা) সম্পর্কে বলতে
শুনেছি, যে আমাকে ভালবাসে সে যেন এ দু’জনকে ভালরাসে ৷

ইমাম আহমদ (র) সুলায়মান আতা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, একদিন এক ব্যক্তি
তাকে সংবাদ দিল যে, সে, রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছে যে, তিনি হযরত হাসান (রা) ও
হযরত হুসায়ন (রা) কে বুকে টেনে নিলেন এবং বললেন, “ণ্ হ অল্লোহ্৷ আমি এ দু জনকে
ভালবাসি ৷৩ তাই তুমিও তাদেরকে ভালবাস ৷”


فَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا» ". ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، وَأَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُنَا، إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَعَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ، يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمِنْبَرِ فَحَمَلَهُمَا، فَوَضَعَهُمَا بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " صَدَقَ اللَّهُ: " {إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ} [التغابن: 15] " فَنَظَرْتُ إِلَى هَذَيْنَ الصَّبِيَّيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قَطَعْتُ حَدِيثِي وَرَفَعْتُهُمَا» ". وَهَذَا لَفْظُ التِّرْمِذِيِّ، وَقَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ، أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا، حُسَيْنٌ سِبْطٌ مِنَ الْأَسْبَاطِ ".» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬১

২রর৩ ডসাম৷ ইবন যায়দ (বা) এবং সালমান ফাসী (বা) হতে এ ধরনের হাদীস বর্ণিত
রয়েছে তবে এগুলোর সনা;দকিছুন্টা দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই অধিক পব্রিজ্ঞাত ৷
ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে হযরত আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি রালাছন, একদিন আমর৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে ইশার সালাত আদায়
ন্ৰুকরাছলাম ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) যখন সিজদ৷ করতেন তখন হযরত হাসান (রা) ও হযরত
হুমায়ন (বা) তার পিাঠ চড়ে বসাতন ৷ যখনর্ট তনি মাথা উঠা৷ তন তখন তাদেরকে তিনি
র নরম হাতে ররা:তন ও যমীনে রেখে দিতেন ৷৩ তারপর তিনি যখন আবার সিজদা
করা,তন তখন তারা আবারো রড়াসুলুল্লাহ (যা) এর পিঠে চড়ে করতেন এবং রাসুলুল্লাহ
া৷ ) সিত হ্দ৷ হতে উঠার সময় তাদের নরম হাতে ধরতেন ও যমীনে রেখে দিতেন ৷ এভাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) সালাত শেষ করলেন এবং তাদের দু’জনকে কোলে বসালেন ৷ হযরত আবু
হুরাহ্ারা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকটবর্তী হলাম এবং বললাম হে আল্লাহর
রাসুল : আম কি তদের দুজনকে তাদের মায়ের কাছে ফেরত পৌছিয়ে দেবাে ? আবু
হুরায়রা ( রা) বললেন, এমন সময় বিদুশু চমকে উঠল ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তাদের দু’জনকে
রললেন্ৰুা, যাও তোমরা তোমাদের মায়ের কাছে চলে যাও ৷ হযরত আবু হুরায়রা (রা)
বলালন, বিদুা৷তর আলো থাকতে থাকতেই তারা দুজন তাদের মায়ের কাছে চলে গেল ৷
মসা ইবন উসমান আল হাদরামী, হযরত আবু হুরায়রা (বা) হতে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ হযরত আ ,া সাঈদ খুদরী (রা) এবং আবদুল্লাহ ইবৃ ৷ উমর (রা) হতেও প্রায় এ
ধরনের ব০ান৷ এসেছে ৷
ইমাম ৩া৷ চুমদ (র) ন্নাফ্ফান হযরত আলী (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসৃলুকু;াহ (সা) ন্আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, আমি ছিলাম নিদ্রিত ৷ হযরত হাসান
(রা)ক্কিত্বা হযরত ছসারন (বা) কিছু পান করতে চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনআমাদের
একটি বকর্বীকে দোহন করতে গেলেন ৷ বকরীঢি দােহন করা হল এবং দুধ পান করানো হল ৷
এরপর অপরজন এলেন তাকে তিনি সরিয়ে দিলেন ৷ হযরত ফাতিমা (রা) তখন বললেন,
মনে হয় যেন প্ৰথমজনই আপনার কাছে অধিকতর প্রিয় ঈ রাসৃসুল্লাহ্ (সা) বললেন, না’ সেশ্
তো প্রথম গান করতে চেয়ােছল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি, চু মি, এ দুজন
এ র এ ৰু ন্া৷ারত ব্যক্তি কিয়ামাতর ৷দন একই জায়ণ্া৷য় থাকবাে ৷ এটাই ইমামপ্লু আহমদ (র)-
এর একক বর্ণন৷ ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) অন্য এক সনদে হযরত আলী (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) এ দু জনকে সম্মান
করতেন কোলে উঠিয়ে নিতেন, ’ তাদেরকে উপচৌকন প্রদান করতেন, যেমন তাদের পিতাকে
উপচৌকনপ্ প্রদান করতেন ৷
একবার ইয়ামান থেকে ৷কছু চাদর আমল ৷ হযরত উমর (রা) সাহাবীদের পুত্রদের মধ্যে এ
গুলি বণ্টন করে দিলেন কিন্তু এ চাদরগুলো হতে হযরত হাসান ও হযরত হুসারন (রা) কে
কিছুই দিলেন না এবং বললেন এগুা,লার মধ্যে কোন একটিই তাদের উপযুত নয় ৷ তারপর
তিনি হয়ামানর পতর্নরের কাছে লোক প্রেরণ করলেন এবং তাদের উপযুক্ত দু’টি চাদর সংগ্রহ
করে দিতে আদেশ দিলেন ৷
আল-বিদাযৰু ওয়ান নিহায়া--৪ ৯
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

سَعْدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سِبْطَانِ مِنَ الْأَسْبَاطِ» ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ رُشَيْدٍ، عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا ابْنَيِ الْخَالَةِ يَحْيَى وَعِيسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ» ". وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَازِمٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَابِطٍ قَالَ: «دَخَلَ حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَسْجِدَ، فَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬২
إِلَى سَيِّدِ شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ". سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، «أَنَّ أُمَّهُ بَعَثَتْهُ لَيَسْتَغْفِرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَهَا. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْمَغْرِبَ، ثُمَّ صَلَّى حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ، فَسَمِعَ صَوْتِي فَقَالَ: " مَنْ هَذَا؟ حُذَيْفَةُ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَاجَتُكَ؟ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلِأُمِّكَ، إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلْ إِلَى الْأَرْضِ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ، اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ بِأَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَلَا يُعْرَفُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَمِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ نَفْسِهِ، وَعُمَرَ وَابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَغَيْرِهِمْ، وَفِي أَسَانِيدِهِ كُلِّهَا ضَعْفٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُطَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَقُولُ فِي الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ: " مَنْ أَحَبَّنِي فَلْيُحِبَّ هَذَيْنِ» ".
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৩


মুহাম্মদ ইবন সাদ কাবিসা আল ইযার ইবন হুরাইস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেন, একদিন আমর ইবনুল আস (বা) কারা শৃরীফের দুয়ারে বসে ছিলেন ৷ তিনি হযরত
ইমাম হুসায়ন (রা)-কে এগিয়ে আসতে দেখে বললেন, ইনিই আসমানবাসীর নিকট ও
ভুপৃষ্ঠবাসীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি ৷ ’ ন্
যুবাইর ইবন বাক্কার সুলাইমান জাফর ইবন মুহাম্মদের পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত হাসান (বা) এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাফর (বা) হতে
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ তারা ছেটি, বয়ঃপ্রাপ্ত হ্যা নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অপ্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে
বায়আত গ্রহণ করতেন না তবে কোন কোন সময় দয়া প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তা করতেন ৷ এ
হাদীসটি মুরসাল ও গরীব পর্যায়ের ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ ইয়ালা আবদুল্লাহ ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমাইর৷ (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত ৩ইমাম হুসায়ন ইবন আলী (রা) পায়ে হোট পচিশ
বার বায়তৃল্লাহ্ হজ্জ করেছেন তখন তার সামনে ছিল তার বাহনগুলো ৷ আবু নৃআইম
মুহাম্মদ হতে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) পায়ে হেটে হজ্জ
করেন, আর তার পেছনে তার সও য়ারীগুলো ৷ বিশুদ্ধ মতে এটিই ছিল হযরত ইমাম হুসায়ন
(রা)-এর ভাই হযরত হাসান (রা)-এর ঘটনা যেমন ইমাম বুখারী (র) এটা বর্ণনা করেছেন ৷
আল মাদায়িনী (র) বলেন, একবার হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর
মধ্যে কথা কাটাকাঢি হয় ৷ তারপর একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন ৷
এরপর হযরত ইমাম হাসান (রা) হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)এর কাছে গমন করেন এবং
তাকে চুমু খাওয়ার জন্য ইমাম হুসায়ন (রা)-এয় মাথার উপর ঝুকে পড়েন ৷ হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা)ও দাড়িয়ে ভাইকে চুমু খেলেন এবং বললেন, যে বস্তটি আমাকে একাজটি আগে
শুরু করতে বিরত রেখেছিল তা হলো যে, আপনি এ ব্যাপারে আমার থেকে বেশী উপযুক্ত ৷
তাই আমি আপনার অগ্ৰাধিকারের বিষয়ে আপনার সাথে মনোমালিন্য করা খারাপ মনে
করলাম ৷
আসমায়ী, ইবন আউন হতে বর্ণনা করেন, একদিন ইমাম হাসান (রা) কবিদেরকে দান
করার বিষয়ে দোষারোপ করে ইমাম হুসায়ন (রা) এর কাছে পত্র লিখলেন ৷ তখন ইমাম
হুসায়ন (রা) বললেন, যে সম্পদ ইয্যত-সম্মান রক্ষা করে সেটা উত্তম সম্পদ ৷
তাৰারানী আবু হানীফ৷ সুলাইমান ইবন হাইসাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত
হুসায়ন ইবন আলী (বা) একবার কাবা শরীফ তাওয়াফ করতে যান ৷ তিনি যখন ভিড়ের মধ্যে
হাজার আসওয়াদকে চুমু খেতে যান তখন লোকজন সরে তাকে জায়গা করে দেন ৷ করি
ফারাযদাককে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আবুল ফারাস ! এ ন্ন্লোকটি কে ? তখন
ফারাসযদাক তার সম্পর্কে বলেন :
তিনি এমন এক ব্যক্তি যাকে বাতহ৷ নামক উপত্যকাও তার পদচিহ্ন চিনে ৷ আল্লাহ্র ঘর
৩াকে চিনে, হারাম শরীফ ও তার বহির্ভুত অঞ্চলও তাকে চিনে ৷ তিনি আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَرْمَلَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّ رَجُلًا أَخْبَرَهُ «أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضُمُّ إِلَيْهِ حَسَنًا وَحُسَيْنًا وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا» ". وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ شَيْءٌ يُشْبِهُ هَذَا، وَفِيهِ ضَعْفٌ وَسَقَمٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا كَامِلٌ، وَأَبُو الْمُنْذِرِ أَنَا كَامِلٌ - قَالَ أَسْوَدُ: أَنَا الْمَعْنَى - عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «كُنَّا نُصْلِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ، فَإِذَا سَجَدَ وَثَبَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَى ظَهْرِهِ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ أَخَذَهُمَا أَخْذًا رَفِيقًا، فَيَضَعُهُمَا عَلَى الْأَرْضِ، فَإِذَا عَادَ عَادَا، حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ أَقْعَدَهُمَا عَلَى فَخِذَيْهِ. قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرُدُّهُمَا؟ فَبَرَقَتْ بَرْقَةٌ فَقَالَ لَهُمَا: " الْحَقَا بِأُمِّكُمَا ". قَالَ: فَمَكَثَ ضَوْءُهَا حَتَّى دَخَلَا.» وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُثْمَانَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعُمَرَ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৪


শ্রেষ্ঠ বান্দার সন্তান ৷ তিনি পরহেযপার, পাক পবিত্র ও জ্ঞানী ৷৩ তার প্রশস্ততার পরিচয় তাকে
প্রায় অবর দ্ধ করে রেখেছে ৷ রুকনুল হাতিমও তাকে চিহ্ন, যখন তিনি তাকে স্পর্শ করতে
আসেন ও কুরায়শ সম্প্রদায় ভীকে দেখে তখন তাদের নেতা বলে ওঠে, তিনি সম্মানের
সর্বোচ্চ চুড়ায় আরোহণ করে আছেন, লজ্জার কারণে তিনি নজর নীচু করে রাখেন, আর তার
ভয়ে অন্যরাও তার কাছে নতশিরে থাকেন ৷ তীর সাথে কেউ কথা বলতে সাহস করে না, তবে
যখন তিনি মুচকি হাসেন, তীর হাতে থাকে একটি যেত যা সুগন্ধিতে পরিপুর্ণ এবং যা
পরহেযগারদের হাতে থাকে, তার নাক উচু (উচ্চ বংশীয়) ৷ তার বংশ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
বত্শেরই অংশ বিশেষ ৷ তার বংশ মর্যাদার খ্যাতি দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে ৷ কোন দানশীল
তার দানশীলতার কাছে পৌছাতে সক্ষম নয় ৷ কোন সম্প্রদায়ের লোক তার পদমর্যাদায়
পৌছাতে ৩পারে নি ৷ যে তা ৷ল্লাহ্কে চিনে সে তার (ইমাম হুসায়নের) প্রাধান্য৩ ৷কে চিহ্ন ৷ আর
এ খবর থেকেই সকলে দীন অর্জন করে থাকে ৷ এমন কোন সমাজ আছে কি ? যাদের গর্দানে
এ সত্তার প্রাধান্য ও তার অনুগ্রহ বর্তায় না ?
তাবারানী তার মুজামুল কাবীরে ইমাম হুসায়ন (রা) এর জীবনী বর্ণনায় উপরোক্ত
কবিতাগুলোর অবতারণা করেছেন, তবে এটার সুত্র গরীব ৷ কেননা, প্রসিদ্ধ মতে এগুলো আলী
ইবন হুসায়ন (রা) এর সম্পর্কে ফারাযদাকের রচিত কবিতা ৷৩ তার পিতা ইমাম হুসায়ন (রা)
সম্পর্কে নয় ৷ আর এটাই অনেকটা যুক্তিসৎ গত ৷ ফারাযদাককে হরুজ্জ যাওয়ার পথে হযরত
ইমাম হুসায়ন (রা)-হু ক যখন দেখেন তখন হযরত ইমাম হুসায়ন (না) ইরাকের দিকে গমন
করছিলেন ৷ হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ফারাযদাককে জায়গা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেন তখন
ফারাযদাক ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কাছে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন ৷ তারপর হযরত ইমাম
হুনসায়ন (রা) ফারাযদাক থেকে বিদায় নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে শাহাদাত বরণ করেন, তাহলে
ফারাযদাক কেমন করে হযরত হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করার সময়
দেখেছিলেন ? আল্লা ইে অধিক পরিজ্ঞাত ৷
হিশাম, আওয়ানা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুফার গভর্নর উবায়দুল্লাহ্ ইবন
যিয়াদ কারবালায় প্রেরিত সেনাপতি উমর ইবন সা দকে বললেন, হযরত হুমাম হুসায়ন (রা)-
এর হত্যার সম্পর্কে যে একটি পত্র আমি তোমাকে লিখেছিলাম, সে পত্রটি এখন কোথায় ?
সেনাপতি বলল, আমি আপনার হুকুম পালন করেছি বিস্তু পত্রটি হারিয়ে গিয়েছে ৷ ইবন যিয়াদ
বললেন, তােমাকে পত্রটি অবশ্যই হাযির করতে হবে ৷ সেনাপতি বলল, এটা হারিয়ে
গিয়েছে ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, আল্লাহর শপথ ;! তোমাকে তা অবশ্যই হাযিৱ করতে হবে ৷
সেনাপতি, বলল, এটা হারিয়ে গিয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ ! এটা যদি থাকতো তাহলে
কুরায়শদের বৃদ্ধাদের কাছে তা পড়া হত এবং মদীনায় বসবাসকারী জন?াণের কাছে আমি
অজুহাত পেশ করতাম ৷ আল্লাহর শপথ ! হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) সম্পর্কে তোমাকে আমি
যে, নসিহত করেছিলাম সে নসিহত যদি আমি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)ষ্কে করতাম,
তাহলে আমি তার হক আদায় করতাম ৷ ইবন যিয়াভৈদের ভাই উসমান ইবন যিয়াদ বললেন,
আল্লাহর শপথ ! উমর ঠিক কথা বলেছে, আল্লাহর শপথ ! আমি চাই যে, ববু যিয়াদের
প্রত্যেকটি লোকের নাকে যেন কিয়াযত পর্যন্ত উটের নাকে পরাবার রিং বিদ্যমান থাকে যা
প্রমাণ করবে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) নিহত হন নি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর শপথ !
উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ তার কোন প্রতিউত্তর আর করলেন না ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، ثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي الْمِقَدْامِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَزْرَقِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا نَائِمٌ عَلَى الْمَنَامَةِ، فَاسْتَسْقَى الْحَسَنُ أَوِ الْحُسَيْنُ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَاةٍ لَنَا بَكِئٍ فَحَلَبَهَا فَدَرَّتْ، فَجَاءَهُ الْآخَرُ فَنَحَّاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهُ أَحَبَّهُمَا إِلَيْكَ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنَّهُ اسْتَسْقَى قَبْلَهُ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنِّي وَإِيَّاكِ وَهَذَيْنِ وَهَذَا الرَّاقِدَ فِي مَكَانٍ وَاحِدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي فَاخِتَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَنْ مَيْمُونَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ أُمَّيِ الْمُؤْمِنِينَ مِثْلُهُ أَوْ نَحْوُهُ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يُحِبُّهُمَا وَيُكْرِمُهُمَا وَيَحْمِلُهُمَا وَيُعْطِيهِمَا فِي الدِّيوَانِ كَمَا يُعْطِي أَبَاهُمَا، وَجِيءَ مَرَّةً بِحُلَلٍ مِنَ الْيَمَنِ، فَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ، وَلَمْ يُعْطِهِمَا مِنْهَا شَيْئًا، وَقَالَ: لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ يَصْلُحُ لَهُمَا. ثُمَّ بَعَثَ إِلَى نَائِبِ الْيَمَنِ، فَاسْتَعْمَلَ لَهُمَا حُلَّتَيْنِ تُنَاسِبُهُمَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৫
الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ قَالَ: بَيْنَمَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ إِذْ رَأَى الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ مُقْبِلًا، فَقَالَ: هَذَا أَحَبُّ أَهْلِ الْأَرْضِ إِلَى أَهْلِ السَّمَاءِ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَايَعَ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ، وَهُمْ صِغَارٌ لَمْ يَبْلُغُوا، وَلَمْ يُبَايِعْ صَغِيرًا إِلَّا مِنَّا» . وَهَذَا مُرْسَلٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْوَصَّافِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: حَجَّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ خَمْسًا وَعِشْرِينَ حَجَّةً مَاشِيًا، وَنَجَائِبُهُ تُقَادُ بَيْنَ يَدَيْهِ. وَحَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ حَجَّ مَاشِيًا، وَإِنَّ نَجَائِبَهُ تُقَادُ وَرَاءَهُ. وَالصَّوَابُ أَنَّ ذَلِكَ إِنَّمَا هُوَ الْحَسَنُ أَخُوهُ، كَمَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: جَرَى بَيْنَ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ كَلَامٌ فَتَهَاجَرَا، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقْبَلَ الْحَسَنُ إِلَى الْحُسَيْنِ، فَأَكَبَّ عَلَى رَأْسِهِ فَقَبَّلَهُ، وَقَالَ: إِنَّ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৬

পরিচ্ছেদ

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) রচিত কিছু কবিতা

আবু বকর ইবন কামিল, আবদুল্লাহ ইবন ইবরাহীমের আবৃত্তিকৃত যেসব কবিতা উল্লেখ
করেন তার একাৎশ নিম্নরুপ :
তািনঃ বলেন, এণ্ডালা হুসায়ন ইবন আলী (রা) রচিত
ব্লু
সৃষ্টিকে ছেড়ে স্রষ্টাকে ধরো, তাহলে তুমি সতবােদী ও মিথ্যাবাদীর পার্থক্য বুঝতে পারবে ৷
আল্লাহর কাছে তার রহমত ও রিযিক চাও ৷ আল্লাহ ব্যতীত কোন রিযিকদাতা নেই ৷ যে ব্যক্তি মনে
করে মানৃয় আল্লাহর মুখাপেক্ষী নয়, সে দয়ালু আল্লাহর প্ৰতি নির্ভরশীল নয় ৷ অথবা যদি কেউ মনে
করে যে সম্পদ তার অর্জিত জিনিস, তাই সে সৃষ্টিকর্তার কাছে তার সম্পদ পদস্থলন ঘটল ৷
আল আ মাশ হতে বর্ণিত যে, ইমাম হুসায়ন ইবন আলী (বা) বলেন,
<
সম্পদশালী ব;রহ্-; সম্পদ যখন অরুশুও বৃদ্ধি পায় তখন তার চিম্ভা-ভাবনা বৃদ্ধি পায় ও ব্যস্ত
তা বেড়ে যায় ৷ হে সুখশুস্বন্ন্য় জীবনযাপান ন্’শ্ ৰুৰুৰু; স্ষ্টিকট এবং ধ্বংস ও ক্ষয়ের আধার দুনিয়া ৷
তোমার মাধ্য যদি ৷ণ্-ণ্ৰুশু বৃহৎ আকারের পরবর-লাৰু রু ভারগস্ত হয়ে পড়ে তাহলে এ
ধরনের পরাং ষ্ভ্রণ্ছুণ্না৷ন্ ; ও পবা হ্য়প্া অর্জ্যন সফল হহ্র: ন্ন্ন্ৰু;ৰু; ৰুন্হ্র ৷
ণ্ ইসহাক ইবন ইবরাহীম হতে ৩বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইস্বহ্র৷ হ্না৷য়ন (বা) একবার জান্নাতুল
বাকীতে শহীভ্রুব্ভুৰুরুদর কবর যিয়ারত করেন এবং বলেন






আমি কবরবাসীদেরকে আহ্বান করলাম কিন্তু তারা চুপ করে রইল ৷৩ তাদের এ যৌনতা
অবলম্বন সম্পর্কে কবরের মাটি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলল, তুমি কি জান, আমি আমার
বাসিন্দাদের সাথে কিরুপ ব্যবহার করেছি ? তাদের মাংস ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছি এবং পরনের
কাপড় টুকরো টুকরো করে দিয়েছি ৷ তাদের চোখগুলােকে মাটিতে ভরে দিয়েছি ৷ যেগুলো
পুর্বে সামান্য আঘাতের জন্য কষ্টবােধ করত ৷ হাড়গুলাে সম্বন্ধে বলতে হয়, আমি
সেইণ্ডালাকেও টুকরো টুকরো করে দিয়েছি ফলে হড়ের জােড়াগুলাে এবং মাথার থুলির চামড়া
বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ এরুপে আমি পাথেয়ের অধিকারীকে তার আশা বিনষ্ট করে দেই এবং
তাদের হাড় গুলোকে ভক্ষন না করে রেখে দেই ৷ যাতে দুনিয়ার বালা মুসিবত তাদের উপর
বারবার পতি ত হয় ৷

হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) এর বলে কেউ কেউ নিম্নবর্ণিত কবিতাণ্ডলাে পেশ করেছেন ৷



مَنَعَنِي مِنِ ابْتِدَائِكَ بِهَذَا أَنِّي رَأَيْتُ أَنَّكَ أَحَقُّ بِالْفَضْلِ مِنِّي، فَكَرِهْتُ أَنْ أُنَازِعَكَ مَا أَنْتَ أَحَقُّ بِهِ. وَحَكَى الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ الْحَسَنَ كَتَبَ إِلَى الْحُسَيْنِ يَعِيبُ عَلَيْهِ إِعْطَاءَ الشُّعَرَاءِ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: إِنَّ خَيْرَ الْمَالِ مَا وَقَى الْعِرْضَ. وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو حَنِيفَةَ مُحَمَّدُ بْنُ حَنِيفَةَ الْوَاسِطِيُّ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْبَرَاءِ الْغَنَوِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ قَالَ: كَانَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَأَرَادَ أَنْ يَسْتَلِمَ، فَأَوْسَعَ لَهُ النَّاسُ، وَالْفَرَزْدَقُ بْنُ غَالِبٍ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَبَا فِرَاسٍ، مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ الْفَرَزْدَقُ: هَذَا الَّذِي تَعْرِفُ الْبَطْحَاءُ وَطْأَتَهُ ... وَالْبَيْتُ يَعْرِفُهُ وَالْحِلُّ وَالْحَرَمُ هَذَا ابْنُ خَيْرِ عِبَادِ اللَّهِ كُلِّهِمُ ... هَذَا التَّقِيُّ النَّقِيُّ الطَّاهِرُ الْعَلَمُ يَكَادُ يُمْسِكُهُ عِرْفَانَ رَاحَتِهِ ... رُكْنُ الْحَطِيمِ إِذَا مَا جَاءَ يَسْتَلِمُ إِذَا رَأَتْهُ قُرَيْشٌ قَالَ قَائِلُهَا ... إِلَى مَكَارِمِ هَذَا يَنْتَهِي الْكَرَمُ يُغْضِي حَيَاءً وَيُغْضَى مِنْ مَهَابَتِهِ ... فَمَا يُكَلَّمُ إِلَّا حِينَ يَبْتَسِمُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৭
فِي كَفِّهِ خَيْزُرَانٌ رِيحُهَا عَبِقٌ بِكَفِّ أَرْوَعَ فِي عِرْنِينِهِ شَمَمُ ... مُشْتَقَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ نِسْبَتُهُ طَابَتْ عَنَاصِرُهُ وَالْخِيمُ وَالشِّيَمُ ... لَا يَسْتَطِيعُ جَوَادٌ بُعْدَ غَايَتِهِ وَلَا يُدَانِيهِ قَوْمٌ إِنْ هُمُ كَرُمُوا ... أَيُّ الْعَشَائِرِ لَيْسَتْ فِي رِقَابِهِمُ لَأَوَّلِيَّةِ هَذَا أَوْ لَهُ نِعَمُ ... مَنْ يَعْرِفِ اللَّهَ يَعْرِفْ أَوَّلِيَّةَ ذَا فَالدِّينُ مِنْ بَيْتِ هَذَا نَالَهُ الْأُمَمُ هَكَذَا أَوْرَدَهَا الطَّبَرَانِيُّ فِي تَرْجَمَةِ الْحُسَيْنِ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ " وَهُوَ غَرِيبٌ، فَإِنَّ الْمَشْهُورَ أَنَّهَا مِنْ قِيلِ الْفَرَزْدَقِ فِي عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، لَا فِي أَبِيهِ، وَهُوَ أَشْبَهُ ; فَإِنَّ الْفَرَزْدَقَ لَمْ يَرَ الْحُسَيْنَ إِلَّا وَهُوَ مُقْبِلٌ إِلَى الْحَجِّ وَالْحُسَيْنُ ذَاهِبٌ إِلَى الْعِرَاقِ، فَسَأَلَ الْحُسَيْنُ الْفَرَزْدَقَ عَنِ النَّاسِ، فَذَكَرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ إِنَّ الْحُسَيْنَ قُتِلَ بَعْدَ مُفَارَقَتِهِ لَهُ بِأَيَّامٍ يَسِيرَةٍ، فَمَتَى رَآهُ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ؟ ! وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى هِشَامٌ، عَنْ عَوَانَةَ قَالَ: قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ: أَيْنَ الْكِتَابُ الَّذِي كَتَبْتُهُ إِلَيْكَ فِي قَتْلِ الْحُسَيْنِ؟ فَقَالَ: مَضَيْتُ لَأَمْرِكَ وَضَاعَ الْكِتَابُ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: لَتَجِيئَنَّ بِهِ. قَالَ: ضَاعَ. قَالَ: وَاللَّهِ لَتَجِيئَنَّ بِهِ. قَالَ: تُرِكَ وَاللَّهِ يُقْرَأُ عَلَى عَجَائِزِ قُرَيْشٍ أَعْتَذِرُ إِلَيْهِنَّ بِالْمَدِينَةِ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ نَصَحْتُكَ فِي حُسَيْنٍ نَصِيحَةً لَوْ نَصَحْتُهَا أَبِي سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ لَكُنْتُ قَدْ أَدَّيْتُ حَقَّهُ. فَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ زِيَادٍ أَخُو عُبَيْدِ اللَّهِ: صَدَقَ عُمَرُ وَاللَّهِ، وَلَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنَّهُ لَيْسَ مِنْ بَنِي زِيَادٍ رَجُلٌ إِلَّا وَفَى أَنْفِهِ خِزَامَةٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَأَنَّ حُسَيْنًا لَمْ يُقْتَلْ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ.