আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وستين

مقتل الحسين بن علي

فصل الإخبار بمقتل الحسين بن علي رضي الله عنهما

فصل الإخبار بمقتل الحسين بن علي رضي الله عنهما

পৃষ্ঠা - ৬৭৪৪


“আমার এই পুত্র (দৌহিত্র) কারবালা নামক ভুখণ্ডে নিহত হবে তোমাদের যে তা প্রত্যক্ষ
করবে সে যেন তাকে সাহায্য করে ৷” বর্ণা৷কারী বলেন, তাই আনাস ইবন হারিছ ক ৷রবালায়
যান এবং হযরত হুসায়নের সাথে নিহত হন ৷ রাবী বলেন, তিনি ছাড় অন্য কেউ তা বর্ণনা
করেছেন বলে আমার জানা (ন্ইি ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবন উবায়দ
বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে শাবাহীল ইবন মুদরিক বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ
ইবন ইয়াহইয়৷ থেকে আর তিনি তার ৩পি ৷ থেকে যে তিনি হযরত আলীর সাথে সফর
করাহুলেন আর তিনি তার ওযুর পাত্রবাহক ছিলেন ৷ সিফ্ফীন অভিমুখে রওয়ানা হয়ে পথিমধো
যখন তারা নায়নাওয়া তে পৌছলেন তখন হযরত আলী (রা) উচ্চস্বরে তােক বললেন,
ফোরাতের তীরে ধৈর্যধারণ কর আবু আবদুল্লাহ! ধৈর্যধারণ কর ৷ তখন আমি তাকে বললাম,
আপরলোঃদ্দশ্মন্কি ? তখন তিনি বললেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামেরসাক্ষাতেজ্যো কঃরদ্র্দখলাম তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত ৷ তখন আমি তাকে বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কাদঃছন কেন প্ তিনি বললেন, হ্যা এইমাত্র জিবরীল আমার কাছ
থেকে উঠে ণ্যেলন, তিনি আমাকে ৰুবলে পেলেন যে, ফোরাঢ৩ র তীরে হুসায়ন নিহত হবে ৷ ,

নবী করীম (সা) বলেন, এরপর তিনি বললেন, আমি কি আপনাকে সেখানকার মাটির ত্রাণ
শুকিয়েইংদিব : তিনি বলেন, অতংপর তিনি তার হাত প্রসারিন্তাবল্যাংনঃ এবং (সেখান থেকে)
এক মুষ্ঠি মাটি উঠিয়ে আমাছুক দিলেন, তখন আর আমি অশ্রুং সংবরণ করতে পারলাম না ৷
ইমাম আহমদ এককভাবে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ আলী ইবন মুহাম্মদ থেকে তিনি ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা থেকে তিনি
এক ব্যক্তি থেকে আর সে ব্যক্তি আমির শাবী থেকে আর তিনি আলী (রা) থেকে এমন একটি
বেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আলী (রা)এয় উদ্ধৃতিতে মুহাম্মদ ইবন সাদ ওঅন্যেরা
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সিফ্ফীন যাওয়ার পথে কারবালায় কিছু হানযাল গাছ অতিক্রমকালে
আর (সে স্থানের) নাম জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তখন কারবালা’ নাম বলা হলে তিনি বললেন, কারব
(বিপর্যয়) ও বালা (বিপদ) ৷ তখন তিনি নেমে সেখানকার একটি গাছের কাছে নামায পড়লেন ৷
তারপর বললেন, এস্থানে এমন শহীদগণ নিহত হবেন, যারা সাহাবাগণের পর শ্রেষ্ঠতম শহীদ
হবেন ৷ এরা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং তিনি সেখানকার একটি বিশেষ স্থানের
দিকে ইঙ্গিত করলেন, তখন লোকেরা স্থানটিকে চিহ্নিত করে রাখল আর পরবভীতে হুসায়ন (রা)
সেখানেই শহীদ হন ৷ কা ব আল আহবার (রা) থেকে কারবালা স ক্রান্ত একাধিক আছার
বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু৷ জানার আল কালবী ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন যে, এখনও কারবালাবাসী
হযরত হুসায়ন (রা)-এর শোকে জিনদের বিলাপ শুনতে পায় ৷ তারা বলে :

বর্ণনাকারী বলেন, “হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদাতের দিন ভোর বেলায় একজন
ক্রী দাসী মদীনা শবীফে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন এবং বলেন,






“গতরাতৈ আমি একজন ঘোষককে ঘোষণা দিতে শুনেছি ৷ তিনি বলছিলেন, হেহুসায়নকে
অন্যায়ভাবে হত্যাকারীরা ৷ তোমাদের হীন কৃতকর্মের জন্য তোমরা মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ

ওেতাে



وَمِمَّا أَنْشَدَهُ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ وَغَيْرُهُ لِبَعْضِ الْمُتَقَدِّمِينِ فِي مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ: جَاءُوا بِرَأْسِكَ يَابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... مُتَزَمِّلًا بِدِمَائِهِ تَزْمِيلَا وَكَأَنَّمَا بِكَ يَابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... قَتَلُوا جَهَارًا عَامِدِينَ رَسُولَا قَتَلُوكَ عَطْشَانًا وَلَمْ يَتَرَقَّبُوا ... فِي قَتْلِكَ التَّنْزِيلَ وَالتَّأْوِيلَا وَيُكَبِّرُونَ بِأَنْ قُتِلْتَ وَإِنَّمَا ... قَتَلُوا بِكَ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَا [فَصْلُ الْإِخْبَارِ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا] وَكَانَ مَقْتَلُ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ - وَقَالَ اللَّيْثُ وَأَبُو نُعَيْمٍ: يَوْمَ السَّبْتِ - يَوْمَ عَاشُورَاءَ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ. وَبِهِ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ. وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سِتِّينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ الطَّفُّ. بِكَرْبَلَاءَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَمَانٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً أَوْ نَحْوُهَا، وَأَخْطَأَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي قَوْلِهِ: إِنَّهُ قُتِلَ وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ خَمْسٌ أَوْ سِتٌّ وَسِتُّونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৫


গ্রহণ কর ৷ সমস্ত আকাশবাসী, নবী, ফেরেশতা ও শহীদ তোমাদের জন্য অভিসম্পাত দিচ্ছেন ৷
সুলাইমান ইবন দাউদ (আ), মুসা (আ) ও ঈসা (আ) তথা সমস্ত নবীর অভিসম্পাতও তোমরা
কুড়িয়ে নিঃয়ছ ৷”

ইবন হিশাম (র) বলেন, “আমাকে আমব ইবন হাইয়ুম আল কালবী তার মাতা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উপরোক্ত কবিতা আমি স্বয়ং শুনেছি ৷ আল-লাইস ও আবু
নুয়াইম বলেন, উপরোক্ত আওয়াজটি শনিবার দিন শোনা গিয়েছিল ৷” আবু আবদুল্লাহ আল-
হাকিম নিশাপুরী ও অন্যান্যরা ইমাম হুসায়ন (রা)এর শহােদাত সম্পর্কে কিছু সংখ্যক পুর্ববর্তী
যুগের আলিমের নিম্নরর্ণিত কবিতাগুলাে উল্লেখ করেন,

——
ঠো-এি

“হে মুহাম্মদ (না)-এর কন্যার পুত্র ! তারা তোমার শির মুবারক রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে
এসেছে এখানে ৷ তারা তোমাকে দিরাঃলাকে হত্যা করে যেন রাসুল (না)-কেই তারা হত্যা
করার ইচ্ছা পোষণ করেছে৷ হে মুহাম্মদ (না)-এর কন্যার পুত্র ! তোমাকে তারা পুিপাসার্ত
অবস্থায় হত্যা করেছে ৷ কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করে দেখে নি যে, তারা তোমার হত্যার
মাধ্যমে কুরআন এবং আল্লাহর বাণীকেই হত্যা করেছে ৷ তারা তোমাকে হত্যা করার মাধ্যমে
তাকবীর ও তাহলীল অর্থাৎ আল্লাহর প্রভুতু ও ৫শ্রষ্ঠতুকে অবমাননা করতে প্রয়াস
পেয়েছিল ৷”


قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا عُمَارَةُ، يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ «اسْتَأْذَنُ مَلَكُ الْقَطْرِ أَنْ يَأْتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَالَ لَأُمِّ سَلَمَةَ: " احْفَظِي عَلَيْنَا الْبَابَ لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ ". فَجَاءَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فَوَثَبَ حَتَّى دَخَلَ، فَجَعَلَ يَصْعَدُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَتُحِبُّهُ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَإِنَّ أُمَّتَكَ تَقْتُلُهُ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْمَكَانَ الَّذِي يُقْتَلُ فِيهِ. قَالَ: فَضَرَبَ بِيَدِهِ، فَأَرَاهُ تُرَابًا أَحْمَرَ، فَأَخَذَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ذَلِكَ التُّرَابَ، فَصَرَّتْهُ فِي طَرَفِ ثَوْبِهَا. قَالَ: فَكُنَّا نَسْمَعُ: يُقْتَلُ بِكَرْبَلَاءَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَوْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِإِحْدَاهُمَا: " «لَقَدْ دَخَلَ عَلِيَّ الْبَيْتَ مَلَكٌ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيَّ قَبْلَهَا، فَقَالَ لِي: إِنَّ ابْنَكَ هَذَا حُسَيْنٌ مَقْتُولٌ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْأَرْضَ الَّتِي يُقْتَلُ بِهَا ". قَالَ: " فَأَخْرَجَ تُرْبَةً حَمْرَاءَ ".» وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، وَفِيهِ قِصَّةُ أُمِّ سَلَمَةَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِ رِوَايَةِ أُمِّ سَلَمَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرُوِيَ ذَلِكَ مِنْ حَدِيثٍ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلُبَابَةَ أُمِّ الْفَضْلِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৬

পবিচ্ছেদ

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদাত ৬১ হিজরীর মুহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার

দিন সংঘটিত হয়েছিল ৷

হিশাম ইবনুল ক ৷লবী বলেন, “৬২ হিজরীতে ইমামহ্ ম্সায়ন (রা) এর শাহাদাত স ঘটিত
হয়েছিল ৷” আলী ইবনুল মাদীনীও এ অভিমত পোষণ করেন৷ ইবন লাহীইয়া বলেন, ৬২
কিৎব৷ ৬৩ হিজরীতে ইমাম হুসায়ন ন্(রা)-এর শাহাদাত সংঘটিত হয়েছিল ৷ অন্য একজন
ইতিহাসবিদ বলেন, ইমাম হুসায়ন (রা)-এর শাহাদাত ৬০ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল ৷ প্রথম
অভিমতটিই বিশুদ্ধ ৷ ইরাক ভুখণ্ডের কারবালা নামক মরুময় স্থানে হযরত ইমাম হুসায়ন (বা)
৫৮ বছর বয়সে শাহাদাত লাভ করেন ৷ আবু নুআয়ম যে তিনি ৫৬ বা ৫ ৭ বছর বয়সে শহীদ
হয়েছেন বলে উল্লেখ করোছা তা শুদ্ধ নয় ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুস সামাদ, আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, একদিন বৃষ্টির
ফেরেশতা রাসুল (সা) এর দরবারে প্রবেশের অনুমতি চান ৷৩ তাকে অনুমতি দেয়৷ হল ৷ তিনি
প্রবেশ করলেন, রাসুলুল্লাহ (না) তার শ্রী হযরত উম্মে সালামা (রা) কে বললেন, “তুমি
আমাদের দরজায় লক্ষ্য রাখবে যেন অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ না করে ৷” এমন সময় হযরত
হুসায়ন ইবন আলী (রা) ছুটে এসে ঘরে ঢুকলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর র্কাধে ও পিঠে
চ্ড়তে লাগলেন ৷

ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সা) কে বললেন, “আপনি কি তাকে খুব ভালবাসেন ? রাসুলুল্পাহ
(সা) বললেন, “হা৷ ৷” তখন ফেরেশতা বললেন, “আপনার উম্মতেরা তাকে খুন করবে ৷
আপনি যদি চান তাহলে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে যেখানে খুন করা হবে সে স্থানটি আমি
আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারি ৷” বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা তখন হাত দিয়ে মাটিতে
আঘাত করলেন এবং রাসুল (সা)-কে কিছু লাল মাটি দেখালেন ৷ হযরত উম্মে সালামা (বা)
যে মাটিটুকু নিয়ে নিলেন এবং তার কাপড়ের কােনায় বেধে রাখলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
থেকেই আমরা শুনে আসছিলাম যে, ইমাম হ্লায়ন (রা)-কে কারবালায় শহীদ করা হবে ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকীহযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) কিত্ব৷ হযরত উম্মে সালামা
(বা) হতে বর্ণনা শুনেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন বললেন, আজ আমার ঘরে এমন এক
ফেরেশতা আগমন করেছেন যিনি আর কোন দিন আসেন নি ৷ তিনি আমাকে বললেন,
আপনার এ পৌত্র ইমাম হুসায়ন (রা)-কে শহীদ করা হবে; আপনি যদি চান তাহলে আমি যে
মাটিতে তিনি শাহাদাত বরণ করবেন, তা আপনাকে দেখাতে পারি ৷” বর্ণনাকারী বলেন,
তারপর ফেরেশতা কিছু লাল মাটি বের করে দেখালেন ৷ উপরোক্ত হাদীসটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে
হযরত উম্মে সালামা (বা) হতে ৩বংনাি করা হয়েছে ৷ তাবারানী (র) আবু উসামা (বা) হতে এ
হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ এটাতে উম্মে সালামা (রা) এর একটি কাহিনী বর্ণিত ৩রয়েছে ৷ হযরত
উম্মে সালামা (রা)-এর ন্যায় হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) থেকেও মুহাম্মদ ইবন সা দ এ
হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক পরিজ্ঞাত

যয়নাব বিনৃত জাহাশ এবং হযরত আব্বাস (রা ) এর শ্রী উম্মুল ফযল লুবাবা (রা) হতেও
উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে ৷ একাধিক তাবিঈ মুরসাল হিসাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷


امْرَأَةِ الْعَبَّاسِ. وَأَرْسَلَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَارُونَ أَبُو بَكْرٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ وَعَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الرَّازِيُّ قَالَا: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَاقِدٍ الْحَرَّانِيُّ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ الْحَارِثِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ ابْنِي هَذَا - يَعْنِي الْحُسَيْنَ - يُقْتَلُ بِأَرْضٍ يُقَالُ لَهَا: كَرْبَلَاءُ. فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْصُرْهُ» ". قَالَ: فَخَرَجَ أَنَسُ بْنُ الْحَارِثِ إِلَى كَرْبَلَاءَ فَقُتِلَ مَعَ الْحُسَيْنِ. ثُمَّ قَالَ: وَلَا أَعْلَمُ رَوَى غَيْرَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُجَيٍّ، عَنْ أَبِيهِ «، أَنَّهُ سَارَ مَعَ عَلِيٍّ - وَكَانَ صَاحِبَ مَطْهَرَتِهِ - فَلَمَّا حَاذَى نِينَوَى وَهُوَ مُنْطَلِقٌ إِلَى صِفِّينَ فَنَادَى عَلِيٌّ: اصْبِرْ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، اصْبِرْ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ بِشَطِّ الْفُرَاتِ. قُلْتُ: وَمَاذَا؟ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَعَيْنَاهُ تَفِيضَانِ، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَغْضَبَكَ أَحَدٌ؟ وَمَا شَأْنُ عَيْنَيْكَ تَفِيضَانِ؟ قَالَ: " بَلْ قَامَ مِنْ عِنْدِي جِبْرِيلُ قَبْلُ، فَحَدَّثَنِي أَنَّ الْحُسَيْنَ يُقْتَلُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৭

আবুল কাসিম আল বাগাবী (র) মুহাম্মদ ইবন হারুন হযরত আ নান ইবনৃল হারিস
(বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি, আমার
দৌইিত্র হুসায়ন (রা) যেই ভুখ্যাঃ শাহাদাত বরণ করবে তার নাম “কারবালা ৷ তোমাদের
মধ্যে যে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে তারা যেন তার সাহায্য-সহযোগিতা করে ৷ এ হযরত আনাস
ইবনুল হারিন কারবালায় গমন করেন এবং হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর সাথে শত্রুর
বিরুদ্ধে জিহাদ করে শাহাদাত বরণ করেন ৷ বনািকারী বলেন, অন্য কেউ এ হাদীসটি বংনিা
করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷
ধ্ ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আবদুল্লাহ ইবন ইয়াহইয়ার পিতা হতে বর্ণনা
করেন যে, একদিন তিনি হযরত আলী (রা) এর সাথে ভ্রমণে গেলেন ৷ তিনি ছিলেন তার
পবিত্র তা মজনে বাবহৃত সামগ্রীর বহনকারী সাথী ৷ যখন তারা নিনেতায় পৌছলেন যেখান
দিয়ে সিফ্ফীনের দিকে যেতে হয়, তখন আলী (রা) তা৷বদুল্লাহর পুিড়াকে বললেন, হ আবু
আবদুল্লাহ! ফুরাত নদীর তীরে থাম, হে আবু আবদুল্লাহ! ফ্লুরাত নদীর তীরে থাম ৷ আমি
বললাম, ব্যাপার কি? ’তিনি বললেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর ঘরে প্রবেশ
করলাম, দেখলাম, তার দু চোখ যেয়ে অশ্রু ঝ রছে ৷ আমি যললাম, ’হে আল্লাহর রাসুল
আপনি কি কাদছেন ? তিনি বললেন, হ্যা এইমাত্র জিবরাঈল (আ) আমার কাছ থেকে উঠে
চলে গেলেন ৷ তিনি আমাকে বলে গেলেন, হুসায়ন (রা) ফুরাত নদীর তীরে শাহাদাতবরণ
করবে ৷ ’ বণ্নািকারী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আপনি কি আমাকে এ মাটি; থেকে
ঘ্রাণ নিতে দিবেন ? ফেরেশতা হাত বাড়ালেন এক ঘুঠে৷ মাটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা)-ন্এৱ হাতে
অর্পণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এ জন্যে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারি নি ৷
এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আলী ইবন মুহাম্মদ হযরত আলী (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ ঘুহাম্মদ ইবন সা দ এবং অন্যরা কয়েকটি সনদে আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) হতে
বর্ণনা করেন যে, একদিন তিনি কারবালার ময়দানের পাশ দিয়ে হানযাল পাছ-গাছরার নিকট
দিয়ে সির্ফফীনে যাঢািন, তিনি তখন জায়গাটিৱ নাম জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকজন বলল, এ
জায়গাটির নাম কারবালা ৷ হযরত আলী (রা) বলেন, এটার নামই কারব ও বালা ৷ তারপর
তিনি অবতরণ করলেন ৷ হানষাল গাছের কাছে সালাত আদায় করলেন এবং বললেন, এখানেই
অনেক লোক শাহাদাতবরণ করবেন এবং তারাই হবেন সাহাবীদের পরে শ্রেষ্ঠ ন্ণহীদান ৷ আর
তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন ৷
হযরত আলী (বা) ঐ জায়গার দিকে ইঙ্গিত করলেন এবং উপস্থিত জনগণ কোন একটি
বস্তু দিয়ে এ জাযণাটিতে চিহ্নিত করলেন ৷ আর পরে এখানেই হযরত হুসায়ন (রা) শাহাদাত
বরণ করেন ৷ কা ব আল আহবার হতে কারবাল৷ সম্পর্কে বহু রিওয়ায়েত বর্ণিত রয়েছে ৷
আবুল জানাব আল্-কাল্রী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন যে, কাররালাবাসীরা হযরত ৩ইমাম হুসায়ন
ন্ (রা-) এর শাহাদাত ব রণের পর হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর জন্য জিন জাতির বিলাপ
শুনতে পেয়েছিলেন তারা বলছিল,




بِشَطِّ الْفُرَاتِ ". قَالَ: " فَقَالَ: هَلْ لَكَ أَنْ أُشِمَّكَ مِنْ تُرْبَتِهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَمَدَّ يَدَهُ، فَقَبَضَ قَبْضَةً مِنْ تُرَابٍ فَأَعْطَانِيهَا، فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ أَنْ فَاضَتَا» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ مَرَّ بِكَرْبَلَاءَ، عِنْدَ أَشْجَارِ الْحَنْظَلِ، وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى صِفِّينَ، فَسَأَلَ عَنِ اسْمِهَا فَقِيلَ: كَرْبَلَاءُ. فَقَالَ: كَرْبٌ وَبَلَاءٌ. فَنَزَلَ وَصَلَّى عِنْدَ شَجَرَةٍ هُنَاكَ، ثُمَّ قَالَ: يُقْتَلُ هَاهُنَا شُهَدَاءُ هُمْ خَيْرُ الشُّهَدَاءِ غَيْرَ الصَّحَابَةِ، يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ. وَأَشَارَ إِلَى مَكَانٍ هُنَاكَ، فَعَلَّمُوهُ بِشَيْءٍ، فَقُتِلَ فِيهِ الْحُسَيْنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ آثَارٌ فِي كَرْبَلَاءَ. وَقَدْ حَكَى أَبُو الْجَنَابِ الْكَلْبِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ أَهْلَ كَرْبَلَاءَ لَا يَزَالُونَ يَسْمَعُونَ نَوْحَ الْجِنِّ عَلَى الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُنَّ يَقُلْنَ: مَسَحَ الرَّسُولُ جَبِينَهُ ... فَلَهُ بَرِيقٌ فِي الْخُدُودِ أَبَوَاهُ مِنْ عَلْيَا قُرَيْ ... شٍ جَدُّهُ خَيْرُ الْجُدُودِ وَقَدْ أَجَابَهُمْ بَعْضُ النَّاسِ فَقَالَ: خَرَجُوا بِهِ وَفَدًا إِلَيْ ... هِ فَهُمْ لَهُ شَرُّ الْوُفُودِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৮

“রাহৃা ণ্ন্৷ (না) তার কপাল মুবারক মাসেহ করলেন ৷ তার পাল দু’টিখ্ন্ জ্বল জুল করছিল ৷
তার মাতা৷প্ ৷তা ছিলেন সম্রাস্ত কুরায়শ বংশের এবং তার নান্ ৷৷ ছিলেন নানা৫দর মধ্যে
সর্বশ্রেষ্ঠা

কিছু সংরাক ৫লাক তাদের নিয়ে বলছিল, ,


শত্রুরাপ্ পতিনিধি প্রেরণ করেছিল তারই কাছে, তারাই ছিল তার জন্যে অতি নিকৃষ্ট
প্র৷ ৩াণ্া৷ধ দল, ৩ ৷ব৷ তাদের নবীর কন্যার সন্তান৫ক হত্যা করেছিল এবং এ হত্যার মাধ্যমে
তা দের সাথে ৩া৷ন্৷ ৩ ৬ওপ্তপ্ তনিার দলকে শান্ত করতে প্রয়াস পেয়েছিল ৷

ইবন আসাকির বংনি৷ করেন এক দল লোক কোন এক যুদ্ধে ৫রাম শহরে গিয়েছিল, তারা
সেখানে ৷প৫া৷য় লিখিত একটি কবিতা দেখতে ৫পল, কবি৩াটি ছিল নিম্নরুপং :,



এমন একটি দল যারা ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নির্মমভা৫ব হ৩ ত্যা করেছিল তারা কি
হিসা৫বর দিন তার নানার শাফাআতের আশা করতে পারে ?
তারা তখন ৫লাকজনকে জিজ্ঞেস করল, এ কবিতাটি ৫ক লিখেছে ? উত্তরে লোকজন বলল,
“এ লেখাটি তোমাদের নবীর নবুওয়াত ৩প্রাপ্তির তিনশত বছর পুর্ব হতে বিদ্যমান ছিল ৷” ন্
বাণ্তি র৫ ৷৫ছ যে, যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নৃশংসতাবে হত্যা করেছিল, তারা
কারবলাে ময়দান থেকে একটি জায়গায় প্ৰ৩ ত্যাবর্ভা করে সেখানে রাত্রি যাপন করল ৷ তারা
শরাব পান করল এবং তাদের সাথে হযরত হুসায়ন (রা) এর শির ঘুবারক ছিল ৷ এ সময়
একটি ৫লাহার কলম তাদের সামনে বেরিয়ে আসল এবং হযরত ৩ইমাম হুসায়ন (রা)-এর রক্ত
দি৫য দেয়ালের মধ্যে নীচের কবিতাটি লিখে চলে ৫গলং : ’
“এমন একটি দল যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নির্মমতা ৷৫ব হত্যা করেছিল, তারা
কি হিসাব বিকাশের দিন তার নানার শাফায়াতের আ শা করতে পারে ?
ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে তিনি বলেছেন, “একদিন আমি রাসুলুল্পাহ (সা) ৫ক দুপুর বেলায় ংঘৃমের মধ্যে স্বপ্নে
দেখলাম তার চুল অবিনাস্ত ও ধুল৷ মিশ্রিত ছিল ৷৩ তার সাথে ছিল একটি বোতল যার মধ্যে
ছিল কিছু রক্ত ৷ তখন আ ৷মি বললাম, ৫হ আল্লাহর রাসুল ! আপনার প্ৰতি আমার মতো ও পিতা
কুরবান হোন, এটাতে কি ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এটাতে ইমাম হুসায়ন (না) ও তার
সাথীদের রক্ত ৷ আডর্হি আমি এগুলো সংগ্রহ করলাম ৷ বর্ণনাকারী হযরত আম্মার ইবন
ইয়াসির (রা) বলেন, আমরা ৷ঐ দিনটি হিসাব করে দেখলাম যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) ঐ
দিনই শাহাদা৩বয়ণ করেছিলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (র) এর একক বংলি৷ এবং তার সনদ
অত্যন্ত মজবুত ৷
ইবন আবুদ দুনৃয়৷ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আলী ইবন যায়দ ইবন জাদআন (র) হতে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “একদিন ধ্যব আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ঘুম থেকে
জাগ্র৩ হলেন, ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন পাঠ করলেন এবং বললেন, “আল্লাহর
শপথ ! হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেছেনা” তখন তার সাথীগণ তাকে


قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ نَبِيِّهِمْ ... سَكَنُوا بِهِ نَارَ الْخُلُودِ وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ طَائِفَةً مِنَ النَّاسِ ذَهَبُوا فِي غَزْوَةٍ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، فَوَجَدُوا فِي كَنِيسَةٍ مَكْتُوبًا: أَتَرْجُو أُمَّةٌ قَتَلَتْ حُسَيْنًا ... شَفَاعَةَ جَدِّهِ يَوْمَ الْحِسَابِ فَسَأَلُوهُمْ: مَنْ كَتَبَ هَذَا؟ فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا مَكْتُوبٌ هَاهُنَا مِنْ قَبْلِ مَبْعَثِ نَبِيِّكُمْ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ. وَرُوِيَ أَنَّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ رَجَعُوا، فَبَاتُوا وَهُمْ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ، وَالرَّأْسُ مَعَهُمْ، فَبَرَزَ لَهُمْ قَلَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَرَسَمَ لَهُمْ فِي الْحَائِطِ بِدَمٍ هَذَا الْبَيْتَ أَتَرْجُو أُمَّةٌ قَتَلَتْ حُسَيْنًا ... شَفَاعَةَ جَدِّهِ يَوْمَ الْحِسَابِ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ بِنِصْفِ النَّهَارِ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، مَعَهُ قَارُورَةٌ فِيهَا دَمٌ، فَقُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ قَالَ: " هَذَا دَمُ الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ، لَمْ أَزَلْ أَلْتَقِطُهُ مُنْذُ الْيَوْمِ ". قَالَ عَمَّارٌ: فَأَحْصَيْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَوَجَدْنَاهُ قَدْ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ قَوِيٌّ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ هَانِئٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৯


বললেন, কেমন করে আপনি এ বিষয় অবগত হলেন হে ইবন আব্বাস (রা) ?’ উত্তরে তিনি
বললেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্বপ্নে দেখলাম এবং তীর সাথে এক বোতল রক্তও
দেখলাম ৷” তিনি বললেন, হে ইবন আব্বাস (রা) ! তুমি কি জান, আমার পরে আমার
উম্মতে র লোকজন কি করেছে ? তারা হুসায়ন (রা) কে হত্যা করেছে এটা ইমাম হুসায়ন (রা)
ও তার সাথীদের রক্ত ৷ এগুলোকে আমি (হাশরের দিন) আল্লাহর সামনে উঠিয়ে ধরব ৷”
হযরত ইবন আব্বাস (বা) এ হাদীসঢি লিখে রাখলেন যখন এরুপ কথােপকথন অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ৷ চব্বিশ দিন পর তাদের কাছে মদীনায় সংবাদ আসল যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা)
ঐ দিনই এবং ঐ সময়ই শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৷

ইমাম তিরমিষী (র) আবু সাঈদ আমর হযরত সালমা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,

তিনিসবলেন, একদিন আমি উম্মে সালামা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি র্কাদছেন ৷
তখন আমি রললাম, আপনি কেন র্কাদছেন ? তিনি বললেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্বপ্নে
দেখলাম, তার মাথা ও দীড়ি মুবারন্কে ধুলা লেগে রয়েহে ৷ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল
(সা) ! আপনার কি হয়েছে ? রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, “এই মাত্র আমি ইমাম হ্সায়ন (রা)
এর শাহাদাতবরণ প্রত্যক্ষ করলাম ৷”

মুহাম্মদ ইবন সা দ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ শাহর ইবন হাওশাব (বা) হতে ৩বর্ণনা

করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ত্রী হযরত উম্মে সালামা (রা) এর কাছে

অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ একটি চীৎকারের আওয়াজ শুনতে হুপলাম, আমি এগিয়ে গেলাম
এবং হযরত উম্মে সালামা (রা)-এর কাছে পৌছলাম, তখন তিনি বললেন, হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেছেন ৷ তিনি আবার বললেন, শত্রুরা একাজটি সমাপ্ত
করেছে ৷ আল্লাহ তাদের কবর কিত্বা ঘর-বাড়ি আগুনে পরিপুর্ণ করে দিন, একথা বলে তিনি
সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললেন এবং আমরা সেখান থেকে চলে এলাম ৷’
ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান হযরত আম্মার (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি হযরত উম্মে সালামা (রা) ক্লে বলতে শুনেছি, আমি জিনদের ইমাম হুসায়ন

(রা) এর জন্যে কান্নাকাটি করতে শুরু নছি এবং জ্বিনদেরকে ইমাম হুসায়ন (রা) এর জন্যে

মাতম করতে শুনেছি ৷

আল হুসাইন ইবন ইদ্রিস (র) উম্মে সালামা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে তিনি
বলেছেন, আমি জিন জাতিকে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর জ্যা মা৩ ম করতে শুনেছি, তারা

বলছিল , ,

হে; ইমাম হুসায়ন (রা)কে অজ্ঞভাবে হত্যক্যেরীরা! তোমাদের জন্যে মর্যন্তুদ আযাবের
সুসংবাদ গ্রহণ কর ৷ আসমানবাসীর সকলেই তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করে এমনকি নবী,
রাসুল ও শহীদানরাও তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করেন ৷ সুলইিমান ইবন দাউদ (আ), মুসা

(আ) ও ঈসা (আ) এর অভিসম্পাত তোমাদের সকলের জন্য রয়েছে ৷

অন্য সনদে হযরত উম্মে সালামা (রা) হতে অন্য ধরনের কবিতাও বর্ণিত ৩রয়েছে ৷ আল্পাহ্
তা আলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷


النَّحْوِيُّ، ثَنَا مَعْدِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ قَالَ اسْتَيْقَظَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنْ نَوْمِهِ فَاسْتَرْجَعَ، وَقَالَ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ وَاللَّهِ. فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: كَلَّا يَابْنَ عَبَّاسٍ كَلَّا! قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ زُجَاجَةٌ مِنْ دَمٍ، فَقَالَ، أَلَا تَعْلَمُ مَا صَنَعَتْ أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي؟ قَتَلُوا ابْنِي الْحُسَيْنَ، وَهَذَا دَمُهُ وَدَمُ أَصْحَابِهِ أَرْفَعُهُمَا إِلَى اللَّهِ. قَالَ: فَكُتِبَ ذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي قَالَ فِيهِ وَتِلْكَ السَّاعَةُ، فَمَا لَبِثُوا إِلَّا أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ يَوْمًا حَتَّى جَاءَهُمُ الْخَبَرُ بِالْمَدِينَةِ أَنَّهُ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ وَتِلْكَ السَّاعَةِ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْأَحْمَرِ، عَنْ رَزِينٍ، عَنْ سَلْمَى قَالَتْ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَهِيَ تَبْكِي، فَقُلْتُ: مَا يُبْكِيكِ؟ فَقَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ وَعَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: شَهِدْتُ قَتْلَ الْحُسَيْنِ آنِفًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرْنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، أَنْبَأَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ: إِنَّا لَعِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعْنَا صَارِخَةً، فَأَقْبَلَتْ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَقَالَتْ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ. فَقَالَتْ: قَدْ فَعَلُوهَا، مَلَأَ اللَّهُ قُبُورَهُمْ - أَوْ بُيُوتَهُمْ - عَلَيْهِمْ نَارًا.
পৃষ্ঠা - ৬৭৫০


আল-খতীব (র) বলেন, আহমদ ইবন উসমান হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) হতে
সায়ীদ ইবন যুবাইর বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা)
এর কাছে ওহী প্রেরণ করেন ৷ ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া (আ)-কে হত্যা করার দায়ে সত্তর
হাজার লোক নিহত হয়েছিল আর আপনার কন্যার সন্তানদের হত্যার দায়ে সত্তর হাজার এবং
আরো সত্তর হাজার নিহত হবে ৷ (এ হাদীসটি অত্যন্ত পরীব কোন এক পর্যায়ে একজন মাত্র
বর্ণনাকারী পাওয়া যায়) হাকীম তার মুসতাদরাক গ্রন্থে এ হাদীসটি র্বণনা করেছেন ৷

শীআ সম্প্রদায় আগুরার দিন সম্পর্কে তারা অনেক মিথ্যা ও অশ্লীল হাদীস রচনা করেছে ৷
যেমন তারা বলেছেং আগুরার দিন এমন অন্ধকারময় সুর্যগ্রহণ হয়েছিল যে, তখন দিনের
বেলায় তারকা উদিত হয়েছিল এবং সেদিন যেকোন পাথর তার জায়গা হতে ৩উত্তোলন করলে

তার নীচে রক্ত পাওয়া যেত ৷ আসমানের দিগন্ত ল লবর্ণ ধারণ করেছিল ৷ ঐ দিন সুর্য যখন

উদিত হয়, তখন রক্তাক্ত আভা ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ সারা আকাশ ঝুলন্ত ছাদে পরিণত হয়েছিল ৷
তারকাগুলো একটির উপর একটি খোসা পড়েছিল ৷ আসমান রক্তের বৃষ্টি বর্যণ করেছিল ৷
আসমান এরুপ লালবর্ণ আর কখনো হয় নি ৷ এ ধরনের আরো অনেক তথ্য তারা পরিবেশন
করেছিল ৷
ইবনু লাহীয়া আবু কাবীল আল-মাফিরীরু হতে ৩বর্ণন৷ করেন যে, তিনি বলেছেন, “আশুরার
দিন জোহরের সময় এমন অহ্মকারময সুর্যগ্রহণ হয় যে, আকাশে তারকা দৃষ্টিগােচর হয়েছিল ৷

তিন দিন ঘাবত সারা দুনিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ৷ কেউ যদি জাফরান কিংবা অন্য কোন

সুগন্ধি স্পর্শ করত মানুষের অঙ্গ পুড়ে যেত ৷ বাইতৃল মুকাদ্দাসের যে কোন পাথর উত্তোলন
করলে তার নীচে তাজা রক্ত পাওয়া যাবে ৷ ইমাম হুসায়ন (রা) এর যে উটগুলো শত্রু সৈন্যরা
গনীমত হিসাবে লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল ৷ এগুলোর (গোশ৩ ) পাকানাের পর মাকাল ফলে
পরিণত হয়েছিল ৷ এ ধরনের অস০ খ্য মিথ্যা হাদীস শী আ সম্প্রদায় রচনা করেছিল, যেগুলোর
মধ্য হতে একটিরও কোন ভিত্তি নেই ৷ তবে ইমাম হুসায়ন (রা) নিহত হওয়ার পর শত্রু
সৈন্যরা যে সব দুর্যোগ ও নানা মুসীবতে আক্রান্ত হয়েছিল সে অধিকাংশ হাদীসই বিশুদ্ধ বলে
প্রমাণিত হয়েছে ৷ কেননা মারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-কে হত্যা করেছিল তাদের খুব কম
লোকই দুনিয়ার বিভিন্ন প্রকার বালাশ্মুসীবত হতে রক্ষা পেয়েছিল ৷৩ তাদের প্রায় প্রত্যেকেই
কোন না কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল ৷ আর তাদের অধিকাং শই পাগল হয়ে গিয়েছিল ৷
হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর নিহত হওয়া সম্পর্কে শী আ এবং রাফিষীরা আরো বহু
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হাদীস রচনা করেছে যা উল্লেখ করার মত নয় ৷ ইবন জারীর (র)-এর ন্যায়
ইমাম ও হাফিজদের বর্ণিত বর্ণনা না থাকলে আমি (আল্লামা ইবন কাসীর (র) যেগুলো হাদীস

বর্ণনা করেছি, সেগুলোর বর্ণনা করত ৷ম না ৷ এখানে যা কিছু বর্ণনা করা হয়েছে অধিকাং শই

আবু মিখৃনাফ লুত ইবন ইয়াহইয়া-এর বর্ণনা হতে নেয়া হয়েছে ৷ সে ছিল শী আ হাদীসের
ইমামদের কাছে দুর্বল হাদীস বর্ণনাকারী ৷ সে ছিল ইতিহাস প্ৰণে৩ ৷, তার কাছে এমন ইতিহাস
পাওয়া যেত যা অন্যের কাছে পাওয়া যেত না ৷ এ জন্যই এ সম্পর্কে অনেক লেখকই তার
থেকে সাহায্য নিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

৪০০ হিজরী এবং তার কাছাকাছি কয়েক বছর ধরে বনু বুওয়াইয়ার আমলে রাফিষীরা
অতিরঞ্জিত অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করেছে ৷ বাগদাদের ন্যায় অন্যান্য শহরেও আশুরার দিন ঢোল
বাজানো হত এবং বাজারে ও রাস্তাঘাটে ছাই, তৃয ইত্যাদি আবর্জন৷ ছিটানাে হত ৷ বাজারের

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৪৮ ন্

وَوَقَعَتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، وَقُمْنَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا، حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ: عَنْ عَمَّارٍ قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ الْجِنَّ يَبْكِينَ عَلَى حُسَيْنٍ، وَسَمِعْتُ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى حُسَيْنٍ. وَرَوَاهُ الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى الْحُسَيْنِ، وَهُنَّ يَقُلْنَ أَيُّهَا الْقَاتِلُونَ ظُلْمًا حُسَيْنًا ... أَبْشِرُوا بِالْعَذَابِ وَالتَّنْكِيلِ كُلُّ أَهْلِ السَّمَاءِ يَدْعُو عَلَيْكَمْ ... مِنْ نَبِيٍّ وَمُرْسَلٍ وَقَبِيلِ قَدْ لُعِنْتُمْ عَلَى لَسَانِ ابْنِ دَاوُدَ ... وَمُوسَى وَصَاحِبِ الْإِنْجِيلِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِشِعْرٍ آخَرَ غَيْرِ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَيَّاحٍ السُّكَّرِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الشَّافِعِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَدَّادٍ الْمِسْمَعِيُّ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي قَتَلْتُ بِيَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا سَبْعِينَ أَلْفًا، وَأَنَا قَاتِلٌ بِابْنِ ابْنَتِكَ سَبْعِينَ أَلْفًا وَسَبْعِينَ أَلْفًا» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫১


া,দাকানগুালাতে চটন্ ও কালো ঝুলানো হত ৷ জনগণ দুঃখ ও শোক প্রকাশ করত, ত্রুন্দন করত,
তাদের তাধিকাৎশইন্ ইমাম হুসায়ন (রা)-এর প্রতি একাতাতা প্রমাণের জন্যে এ রাতে পানি পান
করত না ৷ কেননা, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) তৃষ্ণার্ত অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৷
মহিলারা আওরার দিন খোলা ৰুমুখে রাস্তায় বের হতো, ইমাম হুসায়ন (রাঠুণ্এর জন্য মাতম
করত এবং বুকে ও মুখে প্রচণ্ড আঘাত করত ৷ তারা খালি পায়ে বাজার ও রাস্তাঘাট প্রদক্ষিণ
করত ৷ রাফিযীর৷ এ ধরনের বহু বিদআত, স্বকপোলকল্পিত আচার আচরণ, রুচিজ্ঞান^বর্হিভুত
অশ্রীলপ্ প্ৰদশনীর প্রচলন করেছেন ৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল বনু উমাইয়ার ৷খলাফতের বিরুদ্ধে
জনগণকে উত্তেজিত করা এবং বনৃ উমাইয়ার খিলাফতকে দােষারোপ করা ৷ কেননা, বনু
উম ৷ ইয়ার খিলা ফতকা৷লই হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেন ৷

র্গোরয়াবাসীদের একদল রাফিযী ও শী আ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নাসিবী’রা আবির্ভুত
হয়েছিক্ট্র৷ ৷ তারা আশৃরার দিন ভাল ভাল খাবার রান্ন৷ করত, গোসল করত, খােশবু লাগতে,
উত্তম পােশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করত ৷ আর এ ণ্দিনঢিকেশ্ন্ ন্ঈদেৱ দিন হিসাবে গণ্যষ্করড় ৷
বিড়িন্ন ধরনের উত্তম ও রামী খাবারের ব্যবস্থা করত, আনন্দ উৎসবে যেতে উঠত ৷ শ্ তাদের
উদ্দেশ্য ছিল শীআ ও রাফিঘীদের বিরুদ্ধাচরণ করা ৷

যারা যরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে হত্যা করে তাদের ব্যাখ্যা হলো এই যে, মুসলমানদের
মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হওয়ারশুপর মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা) আগমন করেছিলেন ৷ জনগণের মধ্যে যারা ইয়াঘীদের হাতে বায়আত গ্রহণ
করেছিল তাদের বায়আত প্রত্যাহার করার জন্য তিনি এসেছিলেন :এবং জনগণকে নিয়ে
ইয়াঘীদের বিরুদ্ধে তিনি লোকদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে এরুপ আচরণ
থেকে বিরত থাকার, এটাকে ভর করার এবং এটার বিরুদ্ধে সকলে মিলে সংগ্রাম করার জন্য
হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ অজ্ঞ দলটি এরুপ ব্যাখ্যার আলোকে হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) কে
হত্যা করে ৷ অথচ তাদের পক্ষে এ হত্যা উচিত হয় নি৷ বরং তাদের উপর ওরাজিব ফ্লি
উপরে৷ ৷ক্ত তিনটি বস্তুর বাপারে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা ৷

কেননা, অভ্যাচাবীদের কাছে কোন একটি দল ৰুযদি কোন দোষত্রুটিন্ করে, তাহলে তারা
এ ব্যাপারে সমস্ত ব্যক্তিকে দােষারােপ করে ; এবং সমগ জাতির নবীর বিরুদ্ধেও তারা নানা
অভিযোগ উথা,পন করে ৷ প্রকৃতপক্ষে তারা যেরুপ ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাপারটি ঐরুপ নয় আর
তারা যেরুপ আচরণ করেছে এ আচরণটি মোটেই ঠিক নয় এবং গ্রহণযোগ্য নয ৷ পুর্বের এবং
পরের যুগের উলামায়ে কিরামের অধিকাংশই ইমাম হুসায়ন (রা) ও তার সাথীদের শাহাদাত
বরণকে অত্যন্ত হীন কাজ বলে আখ্যায়িত করেন ৷ শুধুমাত্র কুফার একটি ছোট দল ৷ (আল্লাহ
তাদের ধ্ব স ককক) তাদের হী ৷ উদ্দেশ্য চরিতাথ করার জন্যে তারা পরস্পর ৷যাণ্া৷াহন্া৷গ
স্থাপন করে, ৷রাত হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কাছে পত্র লিখে এবং ইমাম হুসায়ন (রং) ও
তার সাথীদেরাক জালিম সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্যে আহ্বান জানায় ৷

কুফার গভর্নর ইবন যিরাদ তাদের এ হীন চক্রান্ত সম্মন্ধে যখন অবগত হল তখন সে
তাদেরকে পার্থিব সুখ নাচ্ছন্দা, প্রয়ােত্ত ৷নীয় আর্থিক সাহ য্যে-সহযোগিত৷ ও বিভিন্ন প্রকারের
সুযােগশ্সুবিধা দিয়ে এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভয়্ভীতি প্রদর্শন করে তাদেরকে ইমাম
হুসায়ন (বা) হতে সমর্থন প্রত্যাহার করে ওৰুতীকে ত্যাগ করে এবং সর্বশেষে তাকে হত্যা
করে ৷ তবে সেনাবাহিনীর সকলেই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতি রাজি ছিল না ৷ কিন্তু সে এটাকে


رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ ". وَقَدْ ذَكَرَ الطَّبَرَانِيُّ هَاهُنَا آثَارًا غَرِيبَةً جِدًّا. وَلَقَدْ بَالَغَ الشِّيعَةُ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ، فَوَضَعُوا أَحَادِيثَ كَثِيرَةً وَكَذِبًا فَاحِشًا ; مِنْ كَوْنِ الشَّمْسِ كَسَفَتْ يَوْمَئِذٍ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ، وَمَا رُفِعَ يَوْمَئِذٍ حَجَرٌ إِلَّا وُجِدَ تَحْتَهُ دَمٌ، وَأَنَّ أَرْجَاءَ السَّمَاءِ احْمَرَّتْ، وَأَنَّ الشَّمْسَ كَانَتْ تَطْلُعُ وَشُعَاعُهَا كَأَنَّهُ دَمٌ، وَصَارَتِ السَّمَاءُ كَأَنَّهَا عَلَقَةٌ، وَأَنَّ الْكَوَاكِبَ صَارَ يَضْرِبُ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَأَمْطَرَتِ السَّمَاءُ دَمًا أَحْمَرَ، وَأَنَّ الْحُمْرَةَ لَمْ تَكُنْ فِي السَّمَاءِ قَبْلَ يَوْمِئِذٍ. وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ الْمُعَافِرِيِّ، أَنَّ الشَّمْسَ كَسَفَتْ يَوْمَئِذٍ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ وَقْتَ الظُّهْرِ. وَأَنَّ رَأْسَ الْحُسَيْنِ لَمَّا دَخَلُوا بِهِ قَصْرَ الْإِمَارَةِ جَعَلَتِ الْحِيطَانُ تَسِيلُ دَمًا. وَأَنَّ الْأَرْضَ أَظْلَمَتْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ. وَلَمْ يُمَسَّ زَعْفَرَانٌ وَلَا وَرْسٌ مِمَّا كَانَ مَعَهُ يَوْمَئِذٍ إِلَّا احْتَرَقَ مَنْ مَسَّهُ. وَلَمْ يُرْفَعْ حَجَرٌ مِنْ حِجَارَةِ بَيْتِ الْمَقَدْسِ إِلَّا ظَهَرَ تَحْتَهُ دَمٌ عَبِيطٌ. وَأَنَّ الْإِبِلَ الَّتِي غَنِمُوهَا مِنْ إِبِلِ الْحُسَيْنِ حِينَ طَبَخُوهَا صَارَ لَحْمُهَا مِثْلَ الْعَلْقَمِ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَكَاذِيبِ وَالْأَحَادِيثِ الْمَوْضُوعَةِ الَّتِي لَا يَصِحُّ مِنْهَا شَيْءٌ. وَأَمَّا مَا رُوِيَ مِنَ الْأُمُورِ وَالْفِتَنِ الَّتِي أَصَابَتْ مَنْ قَتَلَهُ فَأَكْثَرُهَا صَحِيحٌ ; فَإِنَّهُ قَلَّ مَنْ نَجَا مِنْهُمْ فِي الدُّنْيَا إِلَّا أُصِيبَ بِمَرَضٍ، وَأَكْثَرُهُمْ أَصَابَهُ الْجُنُونُ. وَلِلشِّيعَةِ وَالرَّافِضَةِ فِي صِفَةِ مَصْرَعِ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَذِبٌ كَثِيرٌ وَأَخْبَارٌ طَوِيلَةٌ، وَفِيمَا ذَكَرْنَاهُ كِفَايَةٌ، وَفِي بَعْضِ مَا أَوْرَدْنَاهُ نَظَرٌ، وَلَوْلَا أَنَّ ابْنَ جَرِيرٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫২


থ) র)পও ))ণ্) হ::),র )ন ) সম্ভবত )রহ৩১ পুর্বে ইর)যী)দর যদি সু)য গ হতো তাহলে )স হযরত
ইমম পাের ) (র) ) কে কম) করে )দ৩ ) কেনন) তার দিতি)ও তাকে এক) করার জন্যে
ওস ))ত ক) ) ))’ন্হৃ)ন্থিরু)নঃ ) ট্ট))র )স এ্যাক)ৰু)ৰু )ন)০ন্)ও এরুপ )ন)জর মত ব্যক্ত করেছিল ) ইমাম
হস)যন( (বা) এর ন্ণ্))হ)দ)তের জ)ন) সে গতর্নর)ক অভিসম্পাত করেছিপ্স এবং তাকে ভর্ধসন)ও
করেজ্যি) ) কিন্তু তা )কে সেজন্য বরখাস্ত করে নি, কােনরুপ শাড্রিও দেয় নি এবং তাকে এ
পারে যার) ৩)কক)প্ )দয )য যোগ ও করে নি ) আল্লাহ তা ৩))ল লাই অধিক পরিজ্ঞ)ত
শোপ্রতিটি মুসলমানের উচিত হযরত ইমাম হুস)য়ন (রা) এর ন্ণ্ ) )দ )তে ব্য)থত হওয়া ) কেননা,
তিনি ছিলে ৷ন মুস)৮ )ম সরদার)দর অন্যতম ) সাহ)ব)য়ে কির))মর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন বড়
আলিম ও জ্ঞানী ) তিনি ছিলেন র)সলুল্ল)হ (না)-এর শ্রেষ্ঠ কন্যার ত)ত)ত আদরপীয় সন্তান ) তিনি
ছিলেন একজন মুত্তাকী আবিদ, সাহসী ও দ)নশীল ব্যক্তিতু ) তবে শীয়) সম্প্রদায় যেরুপ
ভ্র)নৃনয় বিনয়, আহ)জারী ও লে)ক দেখানোর জন্য ম)তমব)জী করত সেগুলো তিনি পছন্দ
করতেন ন) ) তার পিতা হযরত আলী (র))৩ ত)র থেকেও শ্রেষ্ঠ ছিলেন ) তিনিও শ)হ)দ)ত বরণ
করেছেন ) কিছু) হযরত হম ম হস)য়ন (র) ) ও তবে ৩) ত্মীয-স্বজনগং )ত)র শাহ )দা)৩ র দিন
ম)তম করেন নি যেরুপ হযরত ইমাম হস)য়ন (র)) এর অনুসারীগণ ত)র শাহ)দ)ত ব)র্ষিকীতে
ম)তম করে থাকে ) তার পিতা হযরত আলী (র) ) জুমু আর দিন নিহত হন ৷ তখন তিনি ফজরের
স)ণ্))ত আদায় করছিলেন ) যেই দিনটি ছিল ৪০ হিজয়ীর র)ময))নর ১ ৭ তারিখ ৷ এভাবে হযরত
উসম)ন (রা) আহলে সুন্ ))ত ওয়াল জ)ম) আ)তর অভিমত অনুযায়ী হযরত আলী (বা) হতে শ্রেষ্ঠ
ছিলেন তিনিও শ) হ)দ)ত বরণ করেন ) তিনি ৩৬ হিজরীর যুলহজ্জ মাসের কুরব)নীরই এদের পরে
তিন দিন শ্)ত্রু কর্তৃক নিজ গৃহে অন্তবীণ হয়ে প)ড়ছিলে )ন ৷ তাকে য)বহ করে হত্যা কর) হ))য়ছিল
কিন্তু ল্যেকত )ন ত)র শাহাদ)ত ব)র্বিকীতে অনুরুপ ম)তম করে ন) ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা) হযরত উসম)ন (র) ) ও হযরত আলী (বা) হতে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ৷ তিনিও শাহাদ)ত বরণ
করেন ৷ যখন তিনি মিহর))ব স)লাতে ফজর আদায়ক))ল কুরআনৃল ক)রীম পাঠ করছিলেন ৷
জনগণ ত)ব শাহ)দ)ত ব)র্ষিফীতেও অনুরুপ ম)তম করে ন) ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (র))ৰুও
হযরত উমর (র) ) হতে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ৷ জনগণ তার ওফ)ত বার্ষিকী)ত ম)তম করে ন) ৷ র)সুলুল্লাহ
(সা) দুনঃয়) এবং আ)খরাতে আদম সন্তানদের সর্দার ৷ তিনি অন্যান্য নবীর ন্যায় মৃত্যুবরণ করে
আল্লাহ ত)আলার সান্নিধ্যে চলে যান কিন্তু জনগণ তাদের কারো মৃত্যু ব)র্ষিকীতে ম)তম করে
ন) ) শীয) ও র)ফিযী সম্প্রদায় ইমাম ন্স)য়ন (র))-এর শ)হ)দ)ত ব)র্মিকীতে যেসব ত))হ)জ)রী ও
ম)তম করে থাকে, এরুপ তার) কিছুই করেন ন) ) আ ত))দর মৃত্যুর সময় এসব ঘটনা সংঘটিত
হয় নি যেগুলো )ইম)ম হস)য়ন (র) ) এর শ হ দ) তর দিন সংঘটিত হওয়া সম্পর্কে শীয়)
সম্প্রদায় দাবী করে যেমন সুর্যগ্নহণ এবং আকাশে লাল আ৩ ) দেখ) ))দয়) )ই৩ ))দি )
ইমাম হস)হ্ )ন (র)) এর শ)হ)দ)৩ তর ন্যায় অন্য যটন)সমু)হর স্মবণক)লে কী বল) উত্তম, এ
সম্পর্কে হযরত আলী ইবনুল হস)ইন, হযরত ইমাম হুস)যন (র) ) এর মান) র)সুণুল্ল)হ (সা)
থেকে বর্ণন) করেছেন ৷ তিনি বলেন, “যদি কোন মুসলমান কোন ঘুসীবতে পতিত হয় এবং
পরে ত) স্মরণ করে ঘটনাটি ইন) লিল্ল)হি ওয়া ইন্ন) ইল)ইহি র)জিউন সহ উল্লেখ করে, তাহলে
আল্লাহ ত)তা)লা তাকে এ ঘটনাটি ৎঘটিত হওয়ার দিন যেরুপ পুণ্য দান করেছিলেন, স্মরণের
দিনও তাকে যেরুপ পুণ্য দান করবেন ) ইমাম আহমদ (র) এবং ইমাম ইবন ম)জাহ্ (র) এ
হ)দীসটি বর্ণন) করেন )

ণোমোঃ (হ্র )) )৪ ))৪ র্নো০ ওে)))

وَغَيْرَهُ مِنَ الْحُفَّاظِ الْأَئِمَّةِ ذَكَرُوهُ مَا سُقْتُهُ، وَأَكْثَرُهُ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى، وَقَدْ كَانَ شِيعِيًّا، وَهُوَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ، وَلَكِنَّهُ أَخْبَارِيٌّ حَافِظٌ، عِنْدَهُ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ مَا لَيْسَ عِنْدَ غَيْرِهِ، وَلِهَذَا يَتَرَامَى عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْمُصَنِّفِينَ مِمَّنْ بَعْدَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَسْرَفَ الرَّافِضَةُ فِي دَوْلَةِ بَنِي بُوَيْهٍ فِي حُدُودِ الْأَرْبَعِمِائَةٍ وَمَا حَوْلَهَا، فَكَانَتِ الدَّبَادِبُ تُضْرَبُ بِبَغْدَادَ وَنَحْوِهَا مِنَ الْبِلَادِ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ، وَيُذَرُّ الرَّمَادُ وَالتِّبْنُ فِي الطُّرُقَاتِ وَالْأَسْوَاقِ، وَتُعَلَّقُ الْمُسُوحُ عَلَى الدَّكَاكِينِ، وَيُظْهِرُ النَّاسُ الْحُزْنَ وَالْبُكَاءَ، وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ لَا يَشْرَبُ الْمَاءَ لَيْلَتَئِذٍ مُوَافَقَةً لَلْحُسَيْنِ، لَأَنَّهُ قُتِلَ عَطْشَانَ، ثُمَّ تَخْرُجُ النِّسَاءُ حَاسِرَاتٍ عَنْ وُجُوهِهِنَّ يَنُحْنَ وَيَلْطِمْنَ وُجُوهَهُنَّ وَصُدُورَهُنَّ، حَافِيَاتٍ فِي الْأَسْوَاقِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْبِدَعِ الشَّنِيعَةِ، وَالْأَهْوَاءِ الْفَظِيعَةِ، وَالْهَتَائِكِ الْمُخْتَرَعَةِ، وَإِنَّمَا يُرِيدُونَ بِهَذَا وَأَشْبَاهِهِ أَنْ يُشَنِّعُوا عَلَى دَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ ; لَأَنَّهُ قُتِلَ فِي أَيَّامِهِمْ. وَقَدْ عَاكَسَ الرَّافِضَةَ وَالشِّيعَةَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ النَّوَاصِبُ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فَكَانُوا فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ يَطْبُخُونَ الْحُبُوبَ وَيَغْتَسِلُونَ وَيَتَطَيَّبُونَ وَيَلْبَسُونَ أَفْخَرَ ثِيَابِهِمْ، وَيَتَّخِذُونَ ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا، يَصْنَعُونَ فِيهِ أَنْوَاعَ الْأَطْعِمَةِ، وَيُظْهِرُونَ السُّرُورَ وَالْفَرَحَ ; يُرِيدُونَ بِذَلِكَ عِنَادَ الرَّوَافِضِ وَمُعَاكَسَتَهُمْ. وَقَدْ تَأَوَّلَ عَلَيْهِ مَنْ قَتَلَهُ أَنَّهُ جَاءَ لَيُفَرِّقَ كَلِمَةَ الْمُسْلِمِينَ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৩

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কবর

পরবর্তী যুগের উলামার অনেকের প্রসিদ্ধ মত এই যে ইমাম হসায়ন (রা)-এর কবর
হযরত আলী (রা) এর কবরের পাশের ক ববালা নদীর তীরে উচুতুমিওত অবস্থিত ৷ কথিত
আছে যে, তার কবরের উপরেই বর্তমান স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

ইবন জারীর (র) ও অন্যান্য ইতিহাসবিদ উল্লেখ করেন যে, হযরত ইমামহস সায়ন (রা) এর
শাহাদাতেবৃ জায়গার চিহ্নটুকুমুছে গেছে, এমনকি কেউ এ নির্দিষ্ট জায়পাজ্যি কোন তথ্য দিতে
পারে নি ৷ যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কবরের স্থান সম্পর্কে জানেন বলে ন্ ধারণা
করেন আবু নুয়াইম, আল ফযল ইবন দাকীন তাদের দাবীকে নাকচ করেন ৷ হিশাম ইবন
আল-কালবী উল্লেখ করেন যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর কবরওক মুছে ফেলার জন্যে
শত্রুর৷ তার কবরের উপর অনবরত কয়েকদিন যাবত প্রবল ধারায় পানি ঢালতে থাকে ৷ কিন্তু
চল্লিশ দিন পর সেই পানি শুকিয়ে যায় এবং বনু আমাদের এক ওবদুঈন ব্যক্তি সেখানে আগমন
করে মুঠো মুঠাে মাটি সংগ্লুহকরে ও মাটির ত্রাণ নিতে থাকেন ৷ তিনি “যখন শেষ পর্যন্ত ঘ্রাণের
মাধ্যন্ধেহ্যরত ইমষ্মে হুসন্য়নক্ল-(রা)এর কবরের সন্ধান পান তখন তিনি-র্কাদতে লাগলেন এবং
করতে লাগলেন, “আপনার জন্যে আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক, আপনি এবং আপনার
কবরের মাটি কতই ন৷ সুগন্ধময় ৷ অতঃপর তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন ৷ কবিতাটি
নিম্নরুপং :

ষ্পৌ ৮১
ন্ “শত্রুর৷ শত্রুত ৷ করে তার কবরওক গোপন রাখতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু কবরের মাটির

সুগন্ধিই কবর ওকাথায় আছে তার সন্ধান দিয়ে দিলা”
, ৰু ,ইহীরতস্থমামৰুছুসায়্নঃ (রা)ন্এরশিরমুবারক

ইতিহাসবিদ ও জীবনীক্যৱগণের প্রসিদ্ধ মত হল, ইবন যিরাদ, হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-
এর শির ;ঘুবহৃরকওব্রুক ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে প্রেরণ কয়েজ্যি ৷ আবার কেউ কেউ
এটাকে অস্বীকার করেছে ৷ আমি বলি, “আমার কাছে প্রথম অভিমতই ওবশী প্রসিদ্ধ ৷ অাল্লাহ্ই
অধিক পরিজ্ঞাত ৷ অত ং পর ইতিহাসবিদপর্ণ শির মুবারক যেখানে দাফন করা হয়েছে ওন
জায়গাটি নিওম্নও মতভেদৰুওরছেন ৷ ন্

মুহাম্মদ ইবন সা দ “(§) বর্ণনা করেন, ইয়াযীদ হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির
মুবারক মদীনায় গভর্নর আমর ইবন সাঈওদর কাছে প্রেরণ কওরছির্ল ৷ তিনি জান্নাতুল বাকী
নামক কবরস্থানে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)এর মাতার কবরের পাশে শির মুবারক দাফন
করেছিলেন ৷ ইবন আবুদ দুনৃয়া, উসমান ইবন আবদুর রহমান ও মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন
সাযিহ এ দৃ’দুর্বল বর্ণনাকারীর বরাওতউ’ওল্লন্খ করেন ও,য শির মুবারক ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়ার ট্রেজারীওত তার মৃত্যু পর্যন্ত সং রক্ষা করে রাখা ইওয়ছিল ৷ ইয়াযীদের মৃত্যুর পর
সেখান থেকে শির মুব:ারক নিয়ে যাওয়া হয়; তাকে কারন দেয়৷ হয় এবং দামেশৃক শহরের


اجْتِمَاعِهَا، وَلِيَخْلَعَ مَنْ بَايَعَهُ النَّاسُ وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ، وَقَدْ وَرَدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " الْحَدِيثُ بِالزَّجْرِ عَنْ ذَلِكَ، وَالتَّحْذِيرِ مِنْهُ، وَالتَّوَعُّدِ عَلَيْهِ، وَبِتَقَدْيرِ أَنْ تَكُونَ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَهَلَةِ قَدْ تَأَوَّلُوا عَلَيْهِ وَقَتَلُوهُ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ قَتْلُهُ، بَلْ كَانَ يَجِبُ عَلَيْهِمْ إِجَابَتُهُ إِلَى مَا سَأَلَ مِنْ تِلْكَ الْخِصَالِ الثَّلَاثَةِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا، فَإِذَا ذُمَّتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَبَّارِينَ لَمْ تُذَمَّ الْأُمَّةُ بِكَمَالِهَا وَتُتَّهَمْ عَلَى نَبِيِّهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ، وَلَا كَمَا سَلَكُوهُ، بَلْ أَكْثَرُ الْأُمَّةِ قَدْيمًا وَحَدِيثًا كَارِهٌ مَا وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ وَقَتْلِ أَصْحَابِهِ سِوَى شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، وَأَكْثَرُهُمْ كَانُوا قَدْ كَاتَبُوهُ لَيَتَوَصَّلُوا بِهِ إِلَى أَغْرَاضِهِمْ وَمَقَاصِدِهِمُ الْفَاسِدَةِ، فَلَمَّا عَلِمَ ذَلِكَ ابْنُ زِيَادٍ مِنْهُمْ بَلَّغَهُمْ مَا يُرِيدُونَ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَخَذَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَحَمَلَهُمْ عَلَيْهِ بِالرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ، فَانْكَفُّوا عَنِ الْحُسَيْنِ وَخَذَلُوهُ ثُمَّ قَتَلُوهُ، وَلَيْسَ كُلُّ ذَلِكَ الْجَيْشِ كَانَ رَاضِيًا بِمَا وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ، بَلْ وَلَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ بِذَلِكَ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - وَلَا كَرِهَهُ، وَالَّذِي يَكَادُ يَغْلِبُ عَلَى الظَّنِّ أَنَّ يَزِيدَ لَوْ قَدَرَ عَلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ لَعَفَا عَنْهُ، كَمَا أَوْصَاهُ بِذَلِكَ أَبُوهُ، وَكَمَا صَرَّحَ هُوَ بِهِ مُخْبِرًا عَنْ نَفْسِهِ بِذَلِكَ. وَقَدْ لَعَنَ ابْنَ زِيَادٍ عَلَى فِعْلِهِ ذَلِكَ وَشَتَمَهُ فِيمَا يَظْهَرُ وَيَبْدُو، وَلَكِنْ لَمْ يَعْزِلْهُ عَلَى ذَلِكَ وَلَا عَاقَبَهُ وَلَا أَرْسَلَ يَعِيبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৪
فَكُلُّ مُسْلِمٍ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْزِنَهُ هَذَا الَّذِي وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَعُلَمَاءِ الصَّحَابَةِ، وَابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي هِيَ أَفْضَلُ بْناتِهِ، وَقَدْ كَانَ عَابِدًا وَشُجَاعًا وَسَخِيًّا، وَلَكِنْ لَا يُحْسِنُ مَا يَفْعَلُهُ الشِّيعَةُ مِنْ إِظْهَارِ الْجَزَعِ وَالْحُزْنِ الَّذِي لَعَلَّ أَكْثَرَهُ تَصَنُّعٌ وَرِيَاءٌ، وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ أَفْضَلَ مِنْهُ، وَهُمْ لَا يَتَّخِذُونَ مَقْتَلَهُ مَأْتَمًا كَيَوْمِ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، فَإِنَّ أَبَاهُ قُتِلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ فِي السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، وَكَذَلِكَ عُثْمَانُ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ عَلِيٍّ، عِنْدَ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَقَدْ قُتِلَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فِي دَارِهِ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ مِنْ شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَقَدْ ذُبِحَ مِنَ الْوَرِيدِ إِلَى الْوَرِيدِ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسُ يَوْمَ مَقْتَلِهِ مَأْتَمًا، وَكَذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَهُوَ أَفْضَلُ مِنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، قُتِلَ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الْفَجْرِ، وَهُوَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسَ يَوْمَ قَتْلِهِ مَأْتَمًا، وَكَذَلِكَ الصِّدِّيقُ كَانَ أَفْضَلَ مِنْهُ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسُ يَوْمَ وَفَاتِهِ مَأْتَمًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَقَدْ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ كَمَا مَاتَ الْأَنْبِيَاءُ قَبْلَهُ، وَلَمْ يَتَّخِذْ أَحَدٌ يَوْمَ مَوْتِهِ مَأْتَمًا يَفْعَلُونَ فِيهِ مَا يَفْعَلُهُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ مِنَ الرَّافِضَةِ يَوْمَ مَصْرَعِ الْحُسَيْنِ، وَلَا ذَكَرَ أَحَدٌ أَنَّهُ ظَهَرَ يَوْمَ مَوْتِهِمْ وَقِبَلَهُمْ شَيْءٌ مِمَّا ادَّعَاهُ هَؤُلَاءِ يَوْمَ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ مِنَ الْأُمُورِ الْمُتَقَدِّمَةِ، مِثْلَ كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْحُمْرَةِ الَّتِي تَطْلُعُ فِي السَّمَاءِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَأَحْسَنُ مَا يُقَالُ عِنْدَ ذِكْرِ هَذِهِ الْمَصَائِبِ وَأَمْثَالِهَا مَا رَوَاهُ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ،