আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وستين

পৃষ্ঠা - ৬৬৯৭


কোন ইমাম নেই ৷ আপনি যদি আমাদের কাছে আগমন করেন তাহলে আমরা আপনার হাতে
ব্যয় আত করব এবং আপনার নেতৃত্বে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করব ৷ এরপর নামাযের প্রস্তুতি
গ্রহণ করা হল ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) হুরকে বললেন, শ্বা তৃমি কি৫ তামার সঙ্গীদের সাথে
আলাদা নামায পড়তে চাও? সে বলল না; আপনিই ইনতি করুন আমরা আপনার পেছনে
নামায পড়ব ৷ তখন হুসায়ন (রা) তাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন ৷ এরপর তিনি তার তাবুত্তে
প্রবেশ করলেন এবং তার সঙ্গীরা তার সাথে মিলিত হল ৷ আর হুরত তার বাহিনীর কাছে ফিরে
গেল, যারা সব৷ ই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিল ৷ ৰু

অত০পর যখন আসরের সময় হল তখনও হযরত হুসায়ন (রা) সকলকে নিয়ে নামায
পড়লেন ৷ অতঃপর নামায শেষে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিলেন এবং তাদের তার আনুগত্যে
ও সহযোগিতায় উদ্বুদ্ধ করলেন এবংত তাদের শত্রু জালিম শাসকের আনুগত্য ও যায় তাতে
প্রত্যাহার করে নেয়ার আহবান জানালেন ৷ তখন হয় তাকে বলল, আমরা জানি না এই সকল
পত্র কী এবং কারা তা দিয়েছে ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) পত্রপুর্ণ দু’টি চামড়ার থলে উপস্থিত
করলেন এবং সেগুলো তার সামনে ছড়িয়ে দিলেন এবং তার বেশ কয়েকটি পাঠ করলেন ৷
তখন হুর বলল, আপনার কাছে যায়৷ পত্র লিখেছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ৷
আর আমাদেরকে নির্দেশ দেয়৷ হয়েছে, আপনার সাক্ষাৎ পাওয়ার পর থেকে উবায়দুল্লাহ্ বিন
যিয়াদের কাছে আপনাকে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত আমরা যেন আপনার পিছু না ছাড়ি ৷ তখন হযরত
হুসায়ন (রা) বললেন এর চেয়ে মৃভ্যুই শ্রেয় ৷

তংপর তিনি তার সঙ্গীদের যার যার বাহনে আরোহণের নির্দেশ দিলেন ৷ তখন তারা

এবং কাফেলার মেয়েরা যার যার বাহনে আরোহণ করল ৷ অতঃপর যখন তারা অগ্রসর
হতে চাইলেন তখন হুর-এর বাহিনী তাদের পথ বোধ করে দাড়াল ৷ তখন হযরত হুসায়ন
(রা) হুর কে বললেন, তোমাকে হারিয়ে তোমার মা সন্তান হারা হোক ! কী চাও তুমি?
তখন হুরতাকে বলল, আল্লাহর শপথ ! আপনার অবস্থায় থেকে অন্য কোন আরব যদি
আমাকে একথা বলত তাহলে অবশ্যই আমি তা থেকে বাংলা নিতাম এবং মাকেও অভিশাপ
না দিয়ে ছাড়তাম না ৷ কিন্তু আপনার মাকে আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে
উল্লেখ করা ছাড়া কোন উপায় নেই ৷ আর এ সময় লোকেরা পরস্পর কথা বলাবলি করতে
করতে পিছু হটল ৷ তখন হয় তাকে বলল, আমাকে আপনার ব্রিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ
দেয়৷ হয় নি ৷ আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুফায় ইবন যিয়াদের কাছে নিয়ে যাওয়ার
পুর্বে আপনার পিছু না ছাড়তে ৷ আপনি তার কাছে যেতে না চান তাহলে কুফা ও মদীনায়
পথ ছাড়া ততীয় কোন পথ অবলম্বন করুন এবং আপনি যদি চান তাহলে আপনি
ইয়াযীদের কাছে লিখুন আর আমি ইবন ইয়াযীদের কাছে লিখি ৷ তাহলে হয়ত আল্লাহ
এমন ব্যবস্থা করবেন, যাতে আমি আপনার বিষয়ে কোন কিছু দ্বারা পরীক্ষার সম্মুখীন
হওয়া থেকে বেচে যাব ৷ বংনািকারী বলেন, হুর্এর এ পরামর্শের পর হযরত হুসায়ন (রা)
আল উযায়ব ও আল কাদিসিয়্যার১ পথ ছেড়ে বাম দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন, আর
বাহিনী নিয়ে হুর বিন ইরাষীদ তার সাথে চলছিল এবং তাকে বলছিল ! হে হুসায়ন ৷ আমি



১ আল উযায়ব কুফা থেকে এক মনয়িল দুরত্বে অবস্থিত ৷ বনু তাযীমের পানির উৎসছুল ৷আর এ নামের কারণ এটা
আরব ভুখণ্ডের এক প্রান্তে ৷ এর ও কাদিসিয়া৷র মাঝেই চার মাইল দুরত্ব ৷ আর আল কাদিনিয়্যা হল শ্নো ভরের
দিক থেকে কুফার নিকটবর্তী জনবসতি ৩া


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَسِتِّينَ] [مَقْتَلُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ] [صِفَةُ مَقْتَلِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَأْخُوذَةً مِنْ كَلَامِ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ لَا كَمَا يَزْعُمُهُ أَهْلُ التَّشَيُّعِ] اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ سَائِرٌ إِلَى الْكُوفَةِ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْعِرَاقِ، وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ وَقَرَابَاتُهُ، فَقُتِلَ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ مِنْ شَهْرِ الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، عَلَى الْمَشْهُورِ الَّذِي صَحَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قُتِلَ فِي صَفَرٍ مِنْهَا. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَهَذِهِ صِفَةُ مَقْتَلِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مَأْخُوذَةً مِنْ كَلَامِ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ، لَا كَمَا يَزْعُمُهُ أَهْلُ التَّشَيُّعِ مِنَ الْكَذِبِ الصَّرِيحِ وَالْبُهْتَانِ قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمٍ وَالْمَذْرِيِّ بْنِ الْمُشْمَعِلِّ الْأَسَدِيَّيْنِ قَالَا: أَقْبَلَ الْحُسَيْنُ، فَلَمَّا نَزَلَ شَرَافَ قَالَ لِغِلْمَانِهِ وَقْتَ السَّحَرِ: اسْتَقَوْا مِنَ الْمَاءِ. فَأَكْثَرُوا ثُمَّ سَارُوا إِلَى صَدْرِ النَّهَارِ، فَسَمِعَ الْحُسَيْنُ رَجُلًا يُكَبِّرُ فَقَالَ لَهُ: مِمَّ كَبَّرْتَ؟ فَقَالَ: رَأَيْتُ النَّخْلَ. فَقَالَ لَهُ الْأَسَدِيَّانِ: إِنَّ هَذَا الْمَكَانَ لَمْ يَرَ أَحَدٌ مِنْهُ نَخْلَةً. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: فَمَاذَا تَرَيَانِهِ رَأَى؟
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৮


আপনাকে আপনার নিজের ব্যাপারে আল্লাহ্কে স্মরণ করছি ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যদি
আপনি আক্রমণ করেন তাহলে অবশ্যই নিহত হবেন, আর যদি আক্রান্ত হন তাহলেও
ধ্বংস হবেন ৷ এটাই আমার ধারণা ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, ভুমি কী
আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাচ্ছ ? আমি তেমনি বলব যেমনটি আওসের এক ব্যক্তি তার
পিতৃব্য পুত্রকে বলেছিল, যখন সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহায্যের উদ্দেশ্যে গমনের পথে
তার সাক্ষাৎ পেয়ে তাকে বলতে শুনেছিল, “কোথায় যাচ্ছ ? সেখানে গিয়ে তুমি নিহত
হবে” তখন বলেছিল


অনুসারী নিভীক মুসলমান হয় ৷

এবং নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে নেক লোকদের সহযোগিতা করে, আর অপদস্থতাব পঙ্কে
জীবন-যাপনের আশঙ্কায় ভয়ভীতি ত্যাগ করে ৷
কবিতা পক্তি দু’টি ঈষৎ পরিবর্তিত রুপেও বর্ণিত হয়েছে-
মৃত্যুপানে আমি অ্যাসর হব, আর পুরুষের জন্য মৃত্যুতে কোন কলঙ্ক নেই যদি সে
সত্যের অনুসারী ও নিরাপরাধ হয় ৷
এেষ্এ
মৃত্যুবরণ করলে অনুতপ্ত হব, আর বেচে থাকলে যন্ত্রণাবিদ্ধ হয় না, আর হীন ও অপমানিত
হওয়ায় মৃতৃরুণে যথেষ্ট ৷ অতঃপর হয় যখন তীর মুখে এই প্রত্যয় শুনতে পেল, তখন সে তার
থেকে দুরে সরে গেল এবং তার সঙ্গীদের নিয়ে তার থেকে দুরতৃ রেখে চলতে লাগল ৷
অবশেষে তারা উযায়বুল হিজানাত২ ’নামক স্থানে উপনীত হয়ে দেখতে পেলেন চার ব্যক্তি
কুফা থেকে আগমন করেছে যারা তাদের বাহনে আরোহণ করে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে এবং আল
কামিল নামে নাফি বিন হিলালের একটি ঘোড়াকে পৃথক করে আনছে ৷ তারা কুফা থেকে
আগমন করেছিল হযরত হুসায়নের উদ্দেশ্যে, আর তাদের পথপ্রদর্শক ছিল আত তিরিম্মাহ বিন
আদী নামক অস্খারোহী৩ এক ব্যক্তি ৷ সে আবৃত্তি করছিল-




১ এ
রয়েছে, ছাড় ৷প্রু> ;;গ্লুাএ্, ৷ ;, থু এপুা;, ফুভুহ ইবন আছমে রয়েছে ছাড় আর ঈষৎ পরিবর্তিত
এ বর্ণনাশুলির অর্থ ও আল ৰিদায়া প্রদত্ত পংক্তি অর্থের কাছাকাছি ৷

২কুফা থেকে হাজীদের অণ্যতম মনযিল ৷ কারোযতে পল্লীঅঞ্চলের সীমানা ৷ (যুজা মুল বুলদান)

৩ ইবনুল মাছমের বর্ণনায় রয়েছে যে হযরত হুসায়ন অপ্রচলিত কোন পথের কথা জানতে চাইলেন ৷ তখন
আততিরিম্মাহ বলল, আমি ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন, তাহলে আমাদের সামনে সামনে চল ৷


فَقَالَا: هَذِهِ الْخَيْلُ قَدْ أَقْبَلَتْ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: أَمَا لَنَا مَلْجَأٌ نَجْعَلُهُ فِي ظُهُورِنَا وَنَسْتَقْبِلُ الْقَوْمَ مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ؟ فَقَالَا: بَلَى، ذُو حُسُمٍ. فَأَخَذَ ذَاتَ الْيَسَارِ إِلَى ذِي حُسُمٍ فَنَزَلَ، وَأَمَرَ بِأَبْنِيَتِهِ فَضُرِبَتْ، وَجَاءَ الْقَوْمُ وَهُمْ أَلْفُ فَارِسٍ مَعَ الْحُرِّ بْنِ يَزِيدَ التَّمِيمِيِّ، وَهُمْ مُقَدِّمَةُ الْجَيْشِ الَّذِينَ بَعَثَهُمُ ابْنُ زِيَادٍ، حَتَّى وَقَفُوا فِي مُقَابَلَتِهِ فِي نَحْرِ الظَّهِيرَةِ، وَالْحُسَيْنُ وَأَصْحَابُهُ مُعْتَمُّونَ مُتَقَلِّدُونَ سُيُوفَهُمْ، فَأَمَرَ الْحُسَيْنُ أَصْحَابَهُ أَنْ يَتَرَوَّوْا مِنَ الْمَاءِ وَيَسْقُوا خُيُولَهُمْ، وَأَنْ يَسْقُوا خُيُولَ أَعْدَائِهِمْ أَيْضًا. وَرَوَى هُوَ وَغَيْرُهُ قَالُوا: لَمَّا دَخَلَ وَقْتُ الظُّهْرِ أَمَرَ الْحُسَيْنُ الْحَجَّاجَ بْنَ مَسْرُوقٍ الْجُعْفِيَّ فَأَذَّنَ، ثُمَّ خَرَجَ الْحُسَيْنُ فِي إِزَارٍ وَرِدَاءٍ وَنَعْلَيْنِ، فَخَطَبَ النَّاسَ مِنْ أَصْحَابِهِ وَأَعْدَائِهِ وَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ فِي مَجِيئِهِ هَذَا إِلَى هَاهُنَا، بِأَنَّهُ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْكُوفَةِ أَنَّهُمْ لَيْسَ لَهُمْ إِمَامٌ، وَإِنْ أَنْتَ قَدِمْتَ عَلَيْنَا بَايَعْنَاكَ وَقَاتَلْنَا مَعَكَ. ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَقَالَ الْحُسَيْنُ لِلْحُرِّ: تُرِيدُ أَنْ تُصَلِّيَ بِأَصْحَابِكَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ صِلِّ أَنْتَ وَنُصَلِّي نَحْنُ وَرَاءَكَ. فَصَلَّى بِهِمُ الْحُسَيْنُ، ثُمَّ دَخَلَ إِلَى خَيْمَتِهِ، وَاجْتَمَعَ بِهِ أَصْحَابُهُ، وَانْصَرَفَ الْحُرُّ إِلَى جَيْشِهِ، وَكُلٌّ عَلَى أُهْبَتِهِ، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الْعَصْرِ صَلَّى بِهِمُ الْحُسَيْنُ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لَهُ وَخَلْعِ مَنْ عَلَيْهِمْ مِنَ الْأَدْعِيَاءِ السَّائِرِينَ بِالْجَوْرِ فِي الرَّعِيَّةِ. فَقَالَ لَهُ الْحُرُّ: إِنَّا لَا نَدْرِي مَا هَذِهِ الْكُتُبُ، وَلَا مَنْ كَتَبَهَا. فَأَحْضَرَ الْحُسَيْنُ خُرْجَيْنِ مَمْلُوءَيْنِ كُتُبًا، فَنَثَرَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَرَأَ مِنْهَا طَائِفَةً، فَقَالَ الْحُرُّ: لَسْنَا مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ كَتَبُوا إِلَيْكَ، وَقَدْ أُمِرْنَا إِذَا نَحْنُ لَقِينَاكَ أَنْ لَا نُفَارِقُكَ حَتَّى نُقْدِمَكَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৯


হে আমার উটনী ৷ আমার তাড়া খেয়ে আতঙ্কিত হব্লুয়া না আর ভোর হওয়ার পুর্বেই ছুটে
চল

সবেত্তিম আরোহীও মুসাফির নিয়ে যাতে তুমি অলকৃত হব্লুত পার সদ্ব০শীয় মযদািবানসম্রাম্ভ,
বিশ্া৷ ল হৃদয়ের অধিকারী আরোহী দ্বারা যাব্লুক আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সব্লুর্বাত্তম বিষয়ের জন্য ৷

আর সেখানে তাকে কালের ন্যায় স্থায়ী করেছেন ৷

এসময় হুর হযরত হুসায়নের মাঝে বাধা সৃষ্টি করতে চাইল ৷ কিন্তু হুসায়ন (বা) তাকে তা
থেকে নিবৃত্ত করলেন, এরপর যখন তারা তার কাছে গিয়ে পৌছল্ তখন তিনি তাদেরকে
বললেন, তোমাদের পশ্চাব্লুতর লোকজন (অর্থাৎ তাদের মনোভাব ও অবস্থা) লশ্ৰুৰু০াকে আনাকে
অবহিত কর ৷ তখন সেই চারণের অন্যতম মুজা ম্মা বিন আবদুল্লাহ আল আমিরী তাকে রলল,
নেতৃস্থানীয় ও সস্রান্ত স্রো কের৷ আপনার বিরােধিতায় একজােট ৷ কেননা বিরাট বিরাট অংকের
উৎব্লুকাচ তাদের রব্লুলসমুহ পুর্ণ করে দেয়া হয়েছে এবং তা দ্বার৷ তাদের বন্ধুত্ব হৃদ্যত৷ ও সমর্থন
ক্রয় করে নেয়া হয়েছে আ র সকল হিতাকাগ্রা কৃক্ষিপত করে নেয়া হয়েছে ৷ তাই তারা স্বাভাবিক
ভাবেই আপনার শত্রুতায় একব্লুজাট ৷ আর তন্য সকল মানুষ তাদের অম্ভরসমুহ তারনার প্রতি
আকৃষ্ট ৷ কিন্তু আপাযীকাল দেখা যাছুব তাদের তরবাবিসমুহ আপনার বিকব্লুদ্ধ উদাত ৷ এরপর
তিনি ৷দেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, ৫৩ ৷মর৷ কি আমার দুত সম্পর্কে কিছু জান ? তার৷ বলল, কে
আপনার দুত ? তিনি বললেন, কায়স বিন মুসহির আসসয়দাবী, তারা বললেন, হ্যা আল
হাসীন বিন নৃমায়র তাকে বন্দী করে ইবন যিয়াদের কাছে পাঠায় ৷ এরপর ইবন যিয়াদ তাকে
নির্দেশ দেয় আপনাকে ও আপনার পিতাকে লানতণ্ণ্করব্লুত, তখন তিনি আপনার ও আপনার
পিতার জন্য র্দুআকরেন এবং ইবন যিরাদও তারন্পিভাকে সালতকরেন; আরব্লুলোঃব্লুক
আপনার সাহায্যে আহবান করে তাদেরকে আপনার আগমনের কথা অবল্ডিংঅ্যাংাএরপর
ইবন যিরাদের নির্দেশে র্তাক্ক-ক প্রাসাদের;ষ্কৃড়া থােকংনীষ্কে ব্লুকম্ভল লোঃা হব্লুলর্ন্ততিনি নিহত হন ৷
নিজের দুভো৷ ;এই মর্মান্তিক পবিণতির কথ৷ শুনে হযরত হুসারচনর চক্ষুদ্বয় তশ্রু সিক্ত হয়ে
উঠল এর আল্লাহর বাণী স্মরণ করলেন ৷ ন্

ণ্ ,

তাদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে আর ব্লুকউ ব্লুকউ প্রর্ণীক্ষায রয়েছে ৷ (আল



, অত০পর তিনি বললেন, গুহ আল্লাহ ! জ ন্নাব্লুত তাদের আপত্নায়ন বিরাস করুন আর
আপনার কাছে সঞ্চিত বিনিময়েয় আঃাহে এবং আপনার ত ন্যুাহের ঠীইয়ে র্তীদেরকে ও

আমাদেরকে একত্র করুন ৷ এরপর আত-তিরিম্মাহ বিন আদী হযরত হসায়নকে বললেন,
আপনি দেখুন আপনার সাথে কী আছে ? এই অতি ৩অল্প স খ্য ক লোক ছাড়া তো আমি আর
কাউকে আপনার সাথে দেখছি না ৷ আর আমি এই যেত তাদের র্দুযাদ্ধৃাদল যারা আপনার সাথে
চলছে তাব্লুদরব্লুকই আপনার সঙ্গীদের মোকাবিলায যথেষ্ট মনে করি ৷ তাহলে আপনার উদ্দেশ্যে

রওনা হওয়ার জন্য কফার উপকণ্ঠে যে বিশ ল তশ্বৰাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, তাদের
মোকাবিলা কীভাবে হবে ?




عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ الْحُسَيْنُ: الْمَوْتُ أَدْنَى إِلَيْكَ مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ الْحُسَيْنُ لِأَصْحَابِهِ: ارْكَبُوا، فَرَكِبُوا وَرَكِبَ النِّسَاءُ، فَلَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ حَالَ الْقَوْمُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الِانْصِرَافِ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ لِلْحُرِّ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، مَا تُرِيدُ؟ فَقَالَ لَهُ الْحُرُّ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُهَا لِي مِنَ الْعَرَبِ وَهُوَ عَلَى مِثْلِ الْحَالِ الَّتِي أَنْتَ عَلَيْهَا لَأَقْتَصَّنَّ مِنْهُ، وَلَمَا تَرَكْتُ ذِكْرَ أُمِّهِ، وَلَكِنْ لَا سَبِيلَ إِلَى ذِكْرِ أُمِّكَ إِلَّا بِأَحْسَنِ مَا نقَدْرُ عَلَيْهِ. وَتَقَاوَلَ الْقَوْمُ وَتَرَاجَعُوا، فَقَالَ لَهُ الْحُرُّ: إِنِّي لَمْ أُؤْمَرْ بِقِتَالِكَ، وَإِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ لَا أُفَارِقَكَ حَتَّى أُقْدِمَكَ الْكُوفَةَ عَلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَإِذَا أَبَيْتَ فَخُذْ طَرِيقًا لَا تُقْدِمُكَ الْكُوفَةَ وَلَا تَرُدَّكَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَأَكْتُبُ أَنَا إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، وَاكْتُبْ أَنْتَ إِلَى يَزِيدَ، أَوْ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ إِنْ شِئْتَ، فَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَأْتِيَ بِأَمْرٍ يَرْزُقُنِي فِيهِ الْعَافِيَةَ مِنْ أَنْ أُبْتَلَى بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِكَ. قَالَ: فَأَخَذَ الْحُسَيْنُ يَسَارًا عَنْ طَرِيقِ الْعُذَيْبِ وَالْقَادِسِيَّةِ، وَالْحُرُّ بْنُ يَزِيدَ يُسَايِرُهُ وَهُوَ يَقُولُ لَهُ: يَا حُسَيْنُ، إِنِّي أُذَكِّرُكَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ، فَإِنِّي أَشْهَدُ لَئِنْ قَاتَلْتَ لَتُقْتَلَنَّ، وَلَئِنْ قُوتِلْتَ لَتَهْلِكَنَّ فِيمَا أَرَى. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: أَفَبِالْمَوْتِ تُخَوِّفُنِي؟ وَلَكِنْ أَقُولُ كَمَا قَالَ أَخُو الْأَوْسِ لِابْنِ عَمِّهِ وَقَدْ لَقِيَهُ وَهُوَ يُرِيدُ نُصْرَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَيْنَ تَذْهَبُ فَإِنَّكَ مَقْتُولٌ؟ فَقَالَ: سَأَمْضِي وَمَا بِالْمَوْتِ عَارٌ عَلَى الْفَتَى ... إِذَا مَا نَوَى حَقًّا وَجَاهَدَ مُسْلِمًا وَآسَى الرِّجَالَ الصَّالِحِينَ بِنَفْسِهِ ... وَفَارَقَ خَوْفًا أَنْ يَعِيشَ وَيُرْغَمَا وَيُرْوَى عَلَى صِفَةٍ أُخْرَى:
পৃষ্ঠা - ৬৭০০


আল্লাহর দোহাই আপনি যদি তাদের দিকে এক বিঘত পরিমাণ অগ্রসর না হতে পারেন
তাহলে তা ই করুন ৷ আর যদি আপনি এমন ভুখণ্ডে অবস্থান গ্রহণ করতে চান সেখানে আল্লাহ
আপনাকে পাসসানী ও হিময়ারী বাদশাহদের থেকে, নুমান বিন মুনযির থেকে এবং কৃষ্ণাঙ্গ
শ্বেতাঙ্গ১ন্ সকলের থেকে রক্ষা করবেন (তাহলে তাও করতে পারেন) আল্লাহর শপথ ৷
আমাদেরকে কখনো পরাজয়ের অপদস্থতা স্পর্শ করে নি ৷ আমার সাথে চলুন আপনাকে আমি
নিরাপদ বসতিতে পৌছে দিই ৷ তারপর আপনি বনু তাঈ-এর রাজা এবং সালামা উপগােত্রের
কাছে দুত (সাহায্যের জন্য) পাঠালেন ৷ এরপর আমাদের সাথে যতদিন ইচ্ছা অবস্থান
করবেন ৷ আমি এমন দশ হাজা বা২ তাঈ র (সাহায্যের) দায়িতু গ্রহণ করছি যারা আপনার সামনে
তাদের তরবারি নিয়ে সদা প্রস্তুত থাকবে ৷৩ তাদের মাঝে একটি চক্ষু নড়াচড়া করা পর্যন্ত কেউ
: উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ আর তিনি তার সিদ্ধান্তে স্থির থাকলেন ৷ তখন আত-তিরিম্মাহ
তাকে বিদায় জানালেন এবং হযরত হুসায়ন (রা) অগ্রসর হলেন ৷ এরপর যখন রাত্রি হল তখন
তিনি তার সঙ্গীদের যথেষ্ট পরিমাণ পানি সংগ্রহ করে নিতে বললেন ৷ এরপর রাত্রিকালেও পথ
চলা অব্যাহত রাখলেন ৷ এসময় তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন এমনকি তার মাথা বাকি থেল এবং
তিনি জাপতে জাগতে বলেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলইিহি রাল্টিন ৷ সকল প্রশং সা রাববুল
আলামীন আল্লাহর ৷ অতঃপর তিনি বললেন, আমি দেখলাম এক অশ্বারোহী বলছে, তারা পথ
চলছে আর মৃত্যু সং বাদ আমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে ৷ এরপর যখন সুবৃভ্রুহ সাদিক হল
, তখন তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে নামায পড়লেন ৷ অতঃপর দ্রুত বাহলে আরোহণ করে বাম
দিকে পথ চলে অবশোষ নায়না ও য়াওে ভ্রুং গিয়ে;তখন পৌছলেন দেখা গেল এক আরোহী৪ ধনুরু
কাধে ফেলে কুফা থেকে আগমন করল ৷
এরপর সে হুর বিন ইয়াযীদে র একটি পত্র দিল ৷ সে পত্রের মর্য হল, সে যেন হুসায়নকে
ইরাকের দিকে ফিরিয়ে অ ৷নার পথে কোন বসতি বা দুর্গ অতিক্রম না করে যতক্ষণ না তার
কাছে প্রেরিত দুত ও সৈন্যবাহিনী পৌছে ৷ আর সেদিন ছিল একষট্টি হিজরীর মুহাররম মাসের
দুই তারিখ বৃহস্পতিবার ৷ তিন চার হাজ্বার যোদ্ধা নিয়ে উমর বিন সা দ বিন আবু ওয়াক্কাস
উপস্থিত হল ৷ আর ইবন যিয়াদ এদেরকে দায়লামার বিরুদ্ধে অভিযানের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ সরঞ্জাম
দ্বারা প্রস্তুত করেছিল ৷ ইতিমধ্যে হযরত হুসায়নের বিষয়টি উদ্ভুত হওয়ায় সে আমরকে নির্দেশ
দিল এ খন মি মিতার (হুসায়নের) দিকে অগ্রসর হয়ে যাও ৷ তার বিষয় থেকে যখন অবসর হবে
তখন দায়ল্ামেৰু উদ্দেশ্যে রওনা হবে ৷ তখন উমর বিন সা দ৩ তার কাছে এ দায়িতৃ থেকে
অব্যাহতি চাইল ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাকে বলল, যদি তুমি চাও তাহলে তোমাকে এই দায়িত্ব
থেকে অব্যাহতি দিব ৷ যার নাইব (স্থলবভী প্রশাসক) ণ্ডুআমি তামাকৈ বানিয়েছি ৷ তখন সে
বলল, আমাকে একটু অবকাশ দিন, আমি আমার বিষয়ে চিন্তা-ভাবন৷ করে দেখি ৷ তখন যে
যার কাছে পরামর্শ চাইল সে তাকে হুসায়নের বিরুদ্ধে অভিযানে বের হতে নিফো করল ৷
এমনকি তার ভগ্নিপুত্র হামযাহ বিন মুগীরা তাকে বলল, খবরদার ৷ তুমি হুসায়নের বিরুদ্ধে



১ ইবৃনুল আন্থীরের আল কামিলে (৪৫০) এ রয়েছে (া) ঠুএর্মু৮ )^১১া৷) অর্থাৎ লাল ও শ্বেত বর্ণওয়ালা ৷
২ আত তাবারী ও আল কামিলে বিশ হাজারের উল্লেখ রয়েছে ৷
৩ ইবনৃল আছম বলেন অথবা আল গাযিরিয়ব্লাহ, আর তা হল কুফার উপকষ্ঠে কারবালার নিকটবর্তী এক
বসতি ৩৷ আর নায়নাওয়৷ হল কুফার গ্রামাঞ্চলের একপ্রান্ত, কারবালা তারই অ শ ৷-মুজামুল বুলদান ৷
৪ আৎ তাবারী তার নাম মালিক বিন মুসায়র আল বুদ্দী উল্লেখ করেছেন ৷
ামোঃ (হ্রা,৷ ৷ব্র ৷৷৪র্নো০ ওো৷া




سَأَمْضِي وَمَا بِالْمَوْتِ عَارٌ عَلَى امْرِئٍ ... إِذَا مَا نَوَى حَقًّا وَلَمْ يُلْفَ مُجْرِمًا فَإِنْ مِتُّ لَمْ أَنْدَمْ وَإِنْ عِشْتُ لَمْ أُلَمْ ... كَفَى بِكَ مَوْتًا أَنْ تُذَلَّ وَتُرْغَمَا فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْحُرُّ مِنْهُ تَنَحَّى عَنْهُ وَجَعَلَ يَسِيرُ بِأَصْحَابِهِ نَاحِيَةً عَنْهُ، فَانْتَهَوْا إِلَى عُذَيْبِ الْهِجَانَاتِ، وَكَانَ بِهَا هَجَائِنُ النُّعْمَانِ تَرْعَى هُنَالِكَ، وَإِذَا سَفْرٌ أَرْبَعَةٌ - أَيْ أَرْبَعَةُ نَفَرٍ - قَدْ أَقْبَلُوا مِنَ الْكُوفَةِ عَلَى رَوَاحِلِهِمْ يَخُبُّونَ وَيَجْنُبُونَ فَرَسًا لِنَافِعِ بْنِ هِلَالٍ يُقَالُ لَهُ: الْكَامِلُ. يَقْصِدُونَ الْحُسَيْنَ، وَدَلِيلُهُمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الطِّرِمَّاحُ بْنُ عَدِيٍّ. رَاكِبٌ عَلَى فَرَسٍ وَهُوَ يَقُولُ: يَا نَاقَتِي لَا تُذْعَرِي مِنْ زَجْرِي ... وَشَمِّرِي قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ بِخَيْرِ رُكْبَانٍ وَخَيْرِ سَفْرِ ... حَتَّى تَحَلِّي بِكَرِيمِ النَّجْرِ الْمَاجِدِ الْحُرِّ رَحِيبِ الصَّدْرِ ... أَتَى بِهِ اللَّهُ لِخَيْرِ أَمْرِ ثُمَّتَ أَبْقَاهُ بَقَاءَ الدَّهْرِ فَأَرَادَ الْحُرُّ أَنْ يَحُولَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْحُسَيْنِ، فَمَنَعَهُ الْحُسَيْنُ مِنْ ذَلِكَ، فَلَمَّا خَلَصُوا إِلَيْهِ قَالَ لَهُمْ: أَخْبِرُونِي عَنِ النَّاسِ وَرَاءَكُمْ. فَقَالَ لَهُ مُجَمِّعُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَائِذِيُّ أَحَدُ النَّفَرِ الْأَرْبَعَةِ: أَمَّا أَشْرَافُ النَّاسِ فَهُمْ أَلْبٌ وَاحِدٌ عَلَيْكَ ; لِأَنَّهُمْ قَدْ عَظُمَتْ رِشْوَتُهُمْ وَمُلِئَتْ غَرَائِرُهُمْ، يُسْتَمَالُ بِذَلِكَ وُدُّهُمْ وَيُسْتَخْلَصُ بِهِ نَصِيحَتُهُمْ، وَأَمَّا سَائِرُ النَّاسِ فَأَفْئِدَتُهُمْ تَهْوَى إِلَيْكَ، وَسُيُوفُهُمْ غَدًا مَشْهُورَةٌ عَلَيْكَ. قَالَ لَهُمْ: فَهَلْ لَكَمَ بِرَسُولَيْ عِلْمٍ؟ قَالُوا: وَمَنْ رَسُولُكَ؟ قَالَ: قَيْسُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৭০১


অভিযানে যেও না, তাহলে তুমি তোমার রবেয় নাফয়মানী করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন

করবে ৷ আল্লাহর কসম ৷ তোমার গোটা দুনিয়ার বাদশাহী ত্যাগ করাও আমার কাছে হুসায়নের
রক্ত নিয়ে ওে ৷মার আল্লাহর সামনে হাযির হওয়া থেকে প্রিয় ৷

তখন সে বলল, ইনশাআল্লাহ্ আমি তাই করব ৷ এরপর উৰায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদ তাকে
তার পদ থেকে অপসারণের হুমকি দিল এবং হত্যার ভয় দেখান ৷ তখনসে (নিরুপায় হয়ে)

হযরত হুসায়নের বিরুদ্ধে অভিযানে রওনা হল এবং পুর্বে উল্লিখিত স্থানে তার বিরুদ্ধে রুখে

দাড়াল ৷ অতঃপর সে হযরত হুসায়নের কাছে দুত পাঠিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কেন
এসেছেন ? তখন তিনি বললেন, কুফাবাসী আমার কাছে পত্র লিখেছে তাদের কাছে আগমনের
জন্য ৷ এখন যখন তারা আমাকে চাচ্ছে না তাই আমি তোমাদের সাথে দ্বন্দে না জড়িয়ে মক্কায়
ফিরে যেতে চাই ৷ উমর বিন সা দের কাছে যখন একথা পৌছল তখন সে বলল, আমি আশা ন্
করি যে, আল্লাহ আমাকে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে অব্যাহতি দিবেন ৷ এরপর সে এই

মর্মে ইবন যিয়াদের কাছে পত্র প্রেরণ করল ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাকে লিখন, ভুমি ও পানির
উৎসের মাঝে প্ৰতিবন্ধকত৷ সৃষ্টি কর যেমনটি করা হয়েছিল নিরপরাধ, আল্লাহ্ভীরট্ ও মজলুম
খলিফা আমিরুল্ মুমিনীন উসমান বিন আফ্ফান (রা)-এর সাথে ৷ আর হুসায়ন ও তার

সঙ্গীদের কাছে আমিরুল মু মিনীন ইয়াযীদের আনুগত্যের বায় আতের জন্য প্রস্তাব পেশ কর ৷

যদি তারা তা করে তাহলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব ৷ এরপর থেকে উমর বিন
সাদের সঙ্গীর৷ হযরত হুসায়নের সঙ্গীদের পানি সঞ্চাহে ৰুণ্া৷ধ্৷ দিতে লাগল ৷ আর তাদের
একটি দলের অধিনায়ক ছিল আমর বিন হাজ্জীজ ৷ তিনি তাদের পির্পাসায়ন্জন্য দুর্টআ করলেন,
তখন এই ব্যক্তি তীব্র পিপাসায় মারা গেল ৷

এরপর হযরত হুসায়ন (রা) উমর বিন সাদৈর কাছে তার সাথে দুই বাহিনীর মধ্যস্থলে

মিলিত হওয়ার প্রস্তাব ভুা াঠালেন ৷ তখন তারা উভয়ে বিশজনের মত অশ্বারোহী নিয়ে ,

পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয়ে মিলিত হলেন, এবং তারা দু জন দীর্ঘক্ষণ একাম্ভে কথা বললেন,

এমনকি রাতের এক প্ৰহর অতিবাহিত হয়ে গেল ৷ বিক্ষ্ম কেউ জানল না তাদের আলোচনার
বিষয়বস্তু কী ? কেউ কেউ ধারণা করল যে, হযরত হুসায়ন (রা) উমরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন
দুই বাহিনীকে ব-স্ব স্থা৷ন রেখে তার শামে ইয়াযীদ বিন মু আবিয়ার কাছে গমন করতে ৷ তখন

উমর বলল, তাহলে ইবন যিয়াদ আমার রাড়িঘর নিশ্চিহ্ন করে দেবে ৷ হুসায়ন বললেন, আমি

তোমাকে আরো সুন্দর বাড়িঘর বানিয়ে দেব ৷ সে বলল, তাহলে সে আমার ভুসম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত ন্ করবে ৷ তিনি বললেন, আমার হিজাযেৱ সম্পত্তি থেকে তোমাকে তার চেয়ে বেশী

ৰু দিব ৷

বণ্টাকারী বলেন, কিস্তু উমর বিন সা দত তা পছন্দ করল ন৷ ৷ আর কেউ বলেছেন, তিনি
তার কাছে প্রথমত তাদের উভয়ের ইয়াষীদের কাছে যাওয়ার প্রস্তাব করেন অথবা তাকে হিজায
ফিরে যাওয়ার কিংবা কোন সীমান্তে গিয়ে তৃকীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগ দিতে বলেন ৷
তখন উমর উবায়দুল্লাহ্কে এ কথা জানিয়ে পত্র পাঠায় ৷ তার পত্র শেষে ইবন যিয়াদ বলে, হ্যা ৷



১ আৎ তাবারীতে (৬২৩৫) আযরাহ বিন কায়স, ইবনুল আছমে (৫১৫৫) উবওয়৷ বিন কায়স, আর আল
আখবারুত তিওয়ালে (২৫৩ পৃ৪) রয়েছে, কুররা বিন সুফিয়ান আল হানযলী ৷
২ আৎ তাবারীতে (৬ ২৩৪)-এ উমর বিন-সাদের পত্রের ভাষ্য বিদ্যমান ৷


مُسْهِرٍ الصَّيْدَاوِيُّ. قَالُوا: نَعَمْ، أَخَذَهُ الْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، فَبَعَثَ بِهِ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَأَمَرَهُ ابْنُ زِيَادٍ أَنْ يَلْعَنَكَ وَيَلْعَنَ أَبَاكَ، فَصَلَّى عَلَيْكَ وَعَلَى أَبِيكَ، وَلَعَنَ ابْنَ زِيَادٍ وَأَبَاهُ، وَدَعَا النَّاسَ إِلَى نُصْرَتِكَ وَأَخْبَرَهُمْ بِقُدُومِكَ، فَأَمَرَ بِهِ، فَأُلْقِيَ مِنْ رَأَسَ الْقَصْرِ فَمَاتَ. فَتَرَقْرَقَتْ عَيْنَا الْحُسَيْنِ، وَقَرَأَ قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا} [الأحزاب: 23] . اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَنَازِلَهُمُ الْجَنَّةَ، وَاجْمَعْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فِي مُسْتَقَرٍّ مِنْ رَحْمَتِكَ، وَرَغَائِبِ مَذْخُورِ ثَوَابِكَ. ثُمَّ إِنَّ الطِّرِمَّاحَ بْنَ عَدِيٍّ قَالَ لِلْحُسَيْنِ: أَنْظُرُ فَمَا أَرَى مَعَكَ أَحَدًا إِلَّا هَذِهِ الشِّرْذِمَةَ الْيَسِيرَةَ، وَإِنِّي لَأَرَى هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ الَّذِينَ يُسَايِرُونَكَ أَكْفَاءً لِمَنْ مَعَكَ، فَكَيْفَ وَظَاهِرُ الْكُوفَةِ مَمْلُوءٌ بِالْخُيُولِ وَالْجُيُوشِ يُعْرَضُونَ لِيَقْصِدُوكَ؟ ! فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ لَا تُقْدِمَ إِلَيْهِمْ شِبْرًا إِلَّا فَعَلْتَ، فَإِنْ أَرَدْتَ أَنْ تَنْزِلَ بَلَدًا يَمْنَعُكَ اللَّهُ بِهِ حَتَّى تَرَى رَأْيَكَ، فَسِرْ مَعِي حَتَّى أُنْزِلَكَ مَنَاعَ جَبَلِنَا، وَهُوَ أَجَأٌ مَنَعَنَا اللَّهُ بِهِ مِنْ مُلُوكِ غَسَّانَ وَحِمْيَرَ، وَمِنَ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ، وَمِنَ الْأَسْوَدِ وَالْأَحْمَرِ، وَاللَّهِ إِنْ دَخَلَ عَلَيْنَا ذُلٌّ قَطُّ ; فَأَسِيرُ مَعَكَ حَتَّى أُنْزِلَكَ الْقُرَيَّةَ، ثُمَّ نَبْعَثُ إِلَى الرِّجَالِ مِنْ أَجَأَ وَسَلْمَى مِنْ طَيِّئٍ، ثُمَّ أَقِمْ فِينَا مَا بَدَا لَكَ، فَأَنَا زَعِيمٌ بِعَشَرَةِ آلَافِ طَائِيٍّ يَضْرِبُونَ بَيْنَ يَدَيْكَ بِأَسْيَافِهِمْ، وَاللَّهِ لَا يُوصَلُ إِلَيْكَ أَبَدًا وَمِنْهُمْ عَيْنٌ تَطْرِفُ. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا. وَلَمْ يَرْجِعْ عَمَّا هُوَ بِصَدَدِهِ، فَوَدَّعَهُ الطِّرِمَّاحُ، وَمَضَى الْحُسَيْنُ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ أَمَرَ فِتْيَانَهُ أَنْ يَسْتَقُوا مِنَ الْمَاءِ كِفَايَتَهُمْ، ثُمَّ سَرَى، فَنَعَسَ فِي مَسِيرِهِ حَتَّى خَفَقَ بِرَأْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭০২

আমি তার প্রস্তাব গ্রহণ করলাম ৷ তখন শাম্মার ,বিন যুল জাওশান দাড়িয়ে বলল , না ! আল্লাহর
শপথ এটা !হতে পারে না ! তার ও ত র সঙ্গীদের আপনার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই আত্মসমর্পণ
করতে করে ৷ এরপর সে বলল, আল্লাহর শপথ ! আমার কাছে এ স বাদ পৌ!ছ!ছ ইবন সা দ
হুস!য়!নর সাথে দুই বাহিনীর মাঝে বসে স!র!র!ত আলোচনা করে ক টিয়ে!ছ ! তখন ইবন
যিয়ার্দ ভীকে বলল,; তাহলে তোমার কথাই থাক! ন্
আবু মুখ!নন!ফ রিওয়ায়েত করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আবদুর রহমান বিন জুনদুব
বপন! করেছেন, তিনি উক্বা বিন আমআন থেকে তিনি বলেন, মক্কা থেকে রওনা হওয়ার

সময় থেকে নিহত হওয়া পর্যতআমি হযরত হুসায়!নর সাথে ছিল!ম ৷ “আল্লাহর কসম ! যখনই ন্

কোন স্থা!ন৩ তিনি কোন কথ! বলেছেন, আ !মি ৩! শ্রবণ করেছি ! আর তিনি কখনো ইয়াযীদের
কাছে গিয়ে তার হাতে হাত মিলানাে কিংবা কোন সীম!ন্তে যাওয়ার প্রস্তাব পেশ করেননি ৷
তিনি তাদের কাছে র্দু’টি’ন্বিষ!প্য়র প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে
যাবেন, ত!থবা ত!!ক আল্লাইব্ এই সুবিন্তুত ভুত!গের অন্য কোথাও যেতে দিতে যাতে তিনি
মানুষের এ বিষয়ের পরিণতি এই করতে পারেন ৷ অতঃপর উবায়দুল্লাহ্ শাম্ম ব বিন যুল
জাওশানকে এই বলে পাঠ!ল, তুমি যাও ! আমার সিদ্ধান্তের শতে আত্মসমর্পণ করে যদি
হুসায়ন ও তার সঙ্গীর! আসে৩ তবে ভাল, অন্যথ!র্য উমর বিন স! দকে৩ তাদের বিরুদ্ধে লড়াই
করতে বল, যদি সে৩ ! করতে পড়িমসি করে তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দািব এবহু তার স্থলে
তুমি লৰ্বাফ্লি!য়ক হ!র ! আর ইবন বিযদ্দে হযরত হস!য!নর্বু বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে বিলম্ব
কর!য় ডী!র বিন স! ন!ক হুমকি দিয়ে পত্র দিয়ে পত্র লিখল আর তাকে নির্দেশ দিল হযরত
হুসায়ন (র!) যদি কাছে আসতে অস্বীকার করে তাহলে ত!র ও তার ত!নুসারী!দর বিকদ্ধে
লড়!ই করতে কেননা মুসলমানদের ঐক্য ছিন্নকারী !
এসময় উব!য়দুল্লাহ্ বিন আবুল মাহ্ল, হযরত ৩আলীর ঔরসজাত এবং ফুফু উন্মুল ব!নীন
বিনত হির্যামের পর্ভজ!ত সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করল ! আর তার! হল আব্বাস,
আবদুরাহ্, জ! ফর এ বষ্ উসম!ন ! তখন ইবন যিয়াদ তাদের জন্য একটি নিরাপত্তা পত্র লিখে
দিল এবং উব!য়দুল্লাহ্ বিন আবুল মাহ্ল ফিরমান নামে তার এক মাওল!!ক দিয়ে তা প!ঠিয়ে
দিল ! এরপর যখন তাদের কাছে এ নিরাপত্ত! পত্র পৌছল তখন তার! বলল সুমইিয়্যার
ছেলের নিরাপত্তার আমাদের প্ৰ!য়!জন নেই ! আমরা ত!র প্রদত্ত নিরাপত্তার চেয়ে উত্তম
নিরাপত্তার প্র৩ !!শা করি ! অ!য় উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদের পত্র নিয়ে প!ম্ম!র বিন যুল জাওশান
উমর বিন সা দের কাছে উপস্থিত হন, তখন উমর ত!ক্যেবলল,;আল্লাহ্ তোমার বাড়িঘর ধ্বংস
করুন এবং তোমার আনীত চক্র!ত ব্যর্থ করুন ! আল্লাহর শপথ ”! আমার নিশ্চিতধারণা যে,
হুস!য়!নর প্রার্থিত যে তিনটি বিষয় আমি তার ক!!ছ!পশ করেছি, ত! থে!কতুমিই তাকে
’ বিচ্যুত করেছে! ! তখন শম্মি!র ত!!কৰুশুবলল,ন্এখন আমাকে বল কি করবে ? তুমি কি নিজেই
তাদের বিরুদ্ধে লড়বে ন্!!রুি ত!দেয়কে আমার হাতে ছেড়ে দিয়ে ? তখন উমর তাকেবলল,
না, তোমাকে সে সম্ম!ন দিচ্ছি ন! ! আমি নিজেই ! আঞ্জাম দেব ! আর উমর তাকে পদাতিক
বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করল, এবং তার! মুহরর!মর নয় তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্য!য়
তাদেরণ্দিকে অগ্রসরইল ! তখন শাম্ম!র দাড়িয়ে বললন্ আমাদের বোনের ছেলের! কোথায় ?



১ আত ভাবারী (৬২৩৬) !ত আবদুল্লাহ রয়েছে ! দেখুন ইবনুল আছম ৫১৬ড়ৰু আলকামিঃল ৪হ্ন৫৬!
আলবিদায়! ওয়ান নিহায়া (৮ম খণ্ড) ৪ ২




وَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ فَارِسًا عَلَى فَرَسٍ وَهُوَ يَقُولُ: الْقَوْمُ يَسِيرُونَ وَالْمَنَايَا تَسْرِي إِلَيْهِمْ. فَعَلِمْتُ أَنَّهَا أَنْفُسُنَا نُعِيَتْ إِلَيْنَا. فَلَمَّا طَلَعَ الْفَجْرُ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ وَعَجَّلَ الرُّكُوبَ، ثُمَّ تَيَاسَرَ فِي مَسِيرِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى نِينَوَى، فَإِذَا رَاكِبٌ مُتَنَكِّبٌ قَوْسًا قَدْ قَدِمَ مِنَ الْكُوفَةِ فَسَلَّمَ عَلَى الْحُرِّ بْنِ يَزِيدَ، وَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَى الْحُسَيْنِ، وَدَفَعَ إِلَى الْحُرِّ كِتَابًا مِنِ ابْنِ زِيَادٍ، وَمَضْمُونُهُ أَنْ يَعْدِلَ بِالْحُسَيْنِ فِي السَّيْرِ إِلَى الْعِرَاقِ فِي غَيْرِ قَرْيَةٍ وَلَا حِصْنٍ، حَتَّى تَأْتِيَهُ رُسُلُهُ وَجُنُودُهُ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْخَمِيسِ الثَّانِي مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ قَدِمَ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، وَكَانَ قَدْ جَهَّزَهُ ابْنُ زِيَادٍ فِي هَؤُلَاءِ إِلَى الدَّيْلَمِ، وَخَيَّمَ بِظَاهِرِ الْكُوفَةِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِمْ أَمْرُ الْحُسَيْنِ قَالَ لَهُ: سِرْ إِلَيْهِ، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنْهُ فَسِرْ إِلَى الدَّيْلَمِ. فَاسْتَعْفَاهُ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ مِنْ ذَلِكَ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: إِنْ شِئْتَ أَعْفَيْتُكَ وَعَزَلْتُكَ عَنْ وِلَايَةِ هَذِهِ الْبِلَادِ الَّتِي قَدِ اسْتَنَبْتُكَ عَلَيْهَا. فَقَالَ: حَتَّى أَنْظُرَ فِي أَمْرِي. فَجَعَلَ لَا يَسْتَشِيرُ أَحَدًا إِلَّا نَهَاهُ عَنِ الْمَسِيرِ إِلَى الْحُسَيْنِ، حَتَّى قَالَ لَهُ ابْنُ أُخْتِهِ حَمْزَةُ بْنُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: إِيَّاكَ أَنْ تَسِيرَ إِلَى الْحُسَيْنِ فَتَعْصِيَ رَبَّكَ وَتَقْطَعَ رَحِمَكَ، فَوَاللَّهِ لَأَنْ تَخْرُجَ مِنْ سُلْطَانِ الْأَرْضِ كُلِّهَا أَحَبُّ إِلَيْكَ مِنْ أَنْ تَلْقَى اللَّهَ بِدَمِ الْحُسَيْنِ. فَقَالَ: إِنِّي أَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. ثُمَّ إِنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ تَهَدَّدَهُ وَتَوَعَّدَهُ بِالْعَزْلِ وَالْقَتْلِ، فَسَارَ إِلَى الْحُسَيْنِ، فَنَازَلَهُ فِي الْمَكَانَ الَّذِي ذَكَرْنَا، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الْحُسَيْنِ الرُّسُلَ: مَا الَّذِي أقْدَمَكَ؟ فَقَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ أَهْلُ الْكُوفَةِ أَنْ أَقَدَمَ عَلَيْهِمْ، فَإِذْ قَدْ كَرِهُونِي فَأَنَا أَرْجِعُ إِلَى مَكَّةَ وَأَذَرُكُمْ. فَلَمَّا بَلَغَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ هَذَا قَالَ: أَرْجُو أَنْ يُعَافِيَنِي اللَّهُ مِنْ حَرْبِهِ. وَكَتَبَ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ بِذَلِكَ، فَرَدَّ عَلَيْهِ ابْنُ زِيَادٍ أَنْ حُلْ بَيْنِهِمْ وَبَيْنَ الْمَاءِ، كَمَا فُعِلَ بِالتَّقِيِّ الزَّكِيِّ
পৃষ্ঠা - ৬৭০৩
الْمَظْلُومِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَاعْرِضْ عَلَى الْحُسَيْنِ أَنْ يُبَايِعَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ رَأَيْنَا رَأْيَنَا. وَجَعَلَ أَصْحَابُ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ يَمْنَعُونَ أَصْحَابَ الْحُسَيْنِ مِنَ الْمَاءِ وَعَلَى سَرِيَّةٍ مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ الْحَجَّاجِ، فَدَعَا عَلَيْهِ الْحُسَيْنُ بِالْعَطَشِ، فَمَاتَ هَذَا الرَّجُلُ مِنْ شِدَّةِ الْعَطَشِ. ثُمَّ إِنَّ الْحُسَيْنَ طَلَبَ مِنْ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ أَنْ يَجْتَمِعَ بِهِ بَيْنَ الْعَسْكَرَيْنِ، فَجَاءَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا فِي نَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ فَارِسًا، فَتَكَلَّمَا طَوِيلًا حَتَّى ذَهَبَ هَزِيعٌ مِنَ اللَّيْلِ، وَلَمْ يَدْرِ أَحَدٌ مَا قَالَا، وَلَكِنْ ظَنَّ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّهُ سَأَلَهُ أَنْ يَذْهَبَ مَعَهُ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَيَتْرُكَا الْعَسْكَرَيْنِ مُتَوَاقِفَيْنَ، فَقَالَ عُمَرُ: إِذَنْ يَهْدِمُ ابْنُ زِيَادٍ دَارِي. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: أَنَا أَبْنِيهَا لَكَ. قَالَ: إِذَنْ يَأْخُذُ ضَيَاعِي. قَالَ: أَنَا أُعْطِيكَ خَيْرًا مِنْهَا مِنْ مَالِي بِالْحِجَازِ. قَالَ: فَتَكَرَّهَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ مِنْ ذَلِكَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ سَأَلَ مِنْهُ إِمَّا أَنْ يَذْهَبَا إِلَى يَزِيدَ، أَوْ يَتْرُكَهُ يَرْجِعُ إِلَى الْحِجَازِ، أَوْ يَذْهَبُ إِلَى بَعْضِ الثُّغُورِ فَيُقَاتِلَ التُّرْكَ. فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بِذَلِكَ، فَقَالَ: نَعَمْ، قَدْ قَبِلْتُ. فَقَامَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ حَتَّى يَنْزِلَ عَلَى حُكْمِكَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ حُسَيْنًا وَعُمَرَ بْنَ سَعْدٍ يَجْلِسَانِ بَيْنَ الْعَسْكَرَيْنِ فَيَتَحَدَّثَانِ عَامَّةَ اللَّيْلِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: فَنِعْمَ مَا رَأَيْتَ. وَقَدْ رَوَى أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُنْدَبٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ سَمْعَانَ قَالَ: لَقَدْ صَحِبْتُ الْحُسَيْنَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى حِينِ قُتِلَ، وَاللَّهِ مَا مِنْ كَلِمَةٍ قَالَهَا فِي مَوْطِنٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭০৪

আল-যিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৩১

ভাষায় হামদ, ছানা ও দরুদের পর তার সঙ্গীদের উদ্দেশে বললেন, তোমাদের মাঝে যে এই
রাত্রে তারাজন পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় আমি ভী৫ক অনুমতি দিলাম কেননা, তারা
তখন তিনি বললেন, এই রাতের অন্ধকার ৫তামাদেরকে আবৃত করেছে ৷ কাজেই তোমরা
তাকে আবরণরু৫প গ্রহণ কর ৷ তোমাদের প্রত্যক ব্যক্তি আমারাজনদের একজনের হাত ধর
এবং এই বিন্তুর্ণ মরু প্রান্ত৫র রাতের অন্ধকা৫রর আড়ালে তোমাদের নিজ দেশে নিজ শহরে
চলে যাও ৷ কেননা, তারা মুলত আমাকে চায় ৷ যদি তারা আমাকে পেয়ে যায় তাহলে
অন্যদের ব্যাপারে মাথা ঘামা৫ব না সুতরাৎ তোমরা যাও যাতে আল্লাহ তোমাদের সংকট দুর
কব্লুনা তখন তার ভাই, ছেলে এবং ভাইয়ের ছেলেরা বললেন আপনার পর আমাদের কোন
৩,৫নই ৷ তিনি আপনা র ব্যাপারে আমাদেরকে অপ্রিয় কিছু না৫দখান ৷
ম্ভিএরপর হযরত হুসায়ন (বা) বললেন, হে বনু আকীল ! ৫৩ামার পক্ষে তোমাদের ভাই
মুসলিম্হু^ যথেষ্ট (করেছে)া তোমরা নিরাপদ আশ্রমে চ৫ল যাও আমি ৫তামাদের৫ক অনুমতি
দিলাম ৷ তারা বলল, যদি আমরা আমাদের শায়খ, ৫ন৩া এবং পিতৃব্য পুত্রগ ণকে ছেড়ে চলে
যাই অথচ ভী৫দর সাথী হ৫য় একটি তীর নিক্ষেপ না করি, একটি বর্শাঘাত নাকরি এবং
তররারি দি৫য়া শ্াত্রুদের একটি আঘাত না কবি৩ তাহলে মানুষ কী বলবে ? না আল্লাহ্রা শ্াপথা
আমরা তা করব না ৷ আমরা করব না আমরা আপনার জন্য অর্থ-সম্পদ,াজন-পরিজন এবং
আমাদের প্রাণ বিসর্জন দিব এবং আপনার সাথে লড়াই করে আপনার পরিণতি বরণ করবা
আপনার পর জীবন ধারণকে আল্লাহ কলাণশুন্য করুন ৷
এছাড়া মুসলিম বিন আউসাজা আল আসাদীও এরুপ কথাবার্তা বললেন ৷ তন্ধ্রপ সায়ীদ
বিন আবদুল্লাহ আল হানাফী (রা) বললেন, আল্লাহর শপথা আমরা আপনাকে ছেড়ে যাব না ,
যতক্ষণ না আল্লাহ দেখবেন যে আপনার শ্ ব্যাপারে আমরা ভীর রাসু৫লর সংরক্ষণ করছি ৷
আল্লাহর শপথ ! যদি আমি জানতাম যে, আমাকে আপনার সামনে এক হাজার বারহ্ত্যা করা
হলে তা দ্বারা আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারের এই সকল যুবকদের প্রাণ রক্ষা
করবেন, তাহলে আ ই আকা ক্ষো করতাম ৷ কিন্তু হায় ! আমাকে ৫তা একবার মাত্র হত্যা
করা যাবে ৷ আর তার সঙ্গী৫দর আরও অনেকে পরস্পর আদর্শপুর্ণ এ ধরনের কথা বললা
তারা একযোগে বলল, আল্লাহর শপথ ! আমরা আপনাকে ছেড়ে যাব না ৷ আমাদের জান প্রাণ
আপনার জন্য উসৎর্পিত ৷ আপনাকে রক্ষা করতে আমরা আমাদের বুক , ৫প৫ত দিব, মাথা
বাড়িয়ে দিব এবং আমাদের হাত দিয়ে সর্বশবীর দিয়ে আপনাকে রক্ষা করবা এরপর যখন
আমরা নিহতহ ব তখন আমরা আমাদের উপর আরোপিত দায়িতৃ পুর্ণ করব ৷ তবে তাই
আব্বাস (রা) বললেন, আপনাকে হ বানােব দিন যেন আল্লাহ আমাদের না দেখান ৷ আপনার
পর আর আমাদের বেচে থাকার কোন প্রয়োজন নেই ৷ এরপর তার সঙ্গীরা একের পর এক
তার অনুসরণ করল ৷
আবু মুখানৃনাফ বলেন, আমাকে হারিছ বিন কাব এবং আবুয যাহ্হ-াক, আলী বিন হুসায়ন
যায়নুল আবিদীন থেকে বংনাি করেছেন, তিনি বলেন, যেই সকালে আমার পি৩া নিহত হন
তার পুর্বের সন্ধ্যায় অমি বসেছিলাম আর আমার ফুফু আমার শুশ্রাযা করছিলেন এমন সময়
তার কাছে হঠাৎ আমার আব্বা তার তাবু৫ত তার সঙ্গীদের সাথে একান্তে মিলিত হলেনা ৫স


إِلَّا وَقَدْ سَمِعْتُهَا، وَإِنَّهُ لَمْ يَسْأَلْ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى يَزِيدَ فَيَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ، وَلَا أَنْ يَذْهَبَ إِلَى ثَغْرٍ مِنَ الثُّغُورِ وَلَكِنْ طَلَبَ مِنْهُمْ أَحَدَ أَمْرَيْنِ ; إِمَّا أَنْ يَرْجِعَ مِنْ حَيْثُ جَاءَ، وَإِمَّا أَنْ يَدَعُوهُ يَذْهَبُ فِي الْأَرْضِ الْعَرِيضَةِ حَتَّى يَنْظُرَ مَا يَصِيرُ أَمْرُ النَّاسِ إِلَيْهِ. ثُمَّ إِنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ بَعَثَ شَمِرَ بْنَ ذِي الْجَوْشَنِ فَقَالَ: اذْهَبْ فَإِنْ جَاءَ حُسَيْنٌ وَأَصْحَابُهُ عَلَى حُكْمِي، وَإِلَّا فَمُرْ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ أَنْ يُقَاتِلَهُمْ، فَإِنْ تَبَاطَأَ عَنْ ذَلِكَ فَاضْرِبْ عُنُقَهُ، ثُمَّ أَنْتَ الْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ. وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ يَتَهَدَّدُهُ عَلَى تَوَانِيهِ فِي قِتَالِ الْحُسَيْنِ، وَأَمَرَهُ إِنْ لَمْ يَجِئِ الْحُسَيْنُ إِلَيْهِ أَنْ يُقَاتِلَهُ وَمَنْ مَعَهُ، فَإِنَّهُمْ مُشَاقُّونَ. فَاسْتَأْمَنَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الْمُحِلِّ لِبَنِي عَمَّتِهِ أُمِّ الْبَنِينَ بِنْتِ حِزَامٍ مِنْ عَلِيٍّ ; وَهُمُ الْعَبَّاسُ وَعَبْدُ اللَّهِ وَجَعْفَرٌ وَعُثْمَانُ. فَكَتَبَ لَهُمُ ابْنُ زِيَادٍ كِتَابَ أَمَانٍ، وَبَعْثَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الْمُحِلِّ مَعَ مَوْلًى لَهُ يُقَالُ لَهُ: كُزْمَانُ. فَلَمَّا بَلَغَهُمْ ذَلِكَ قَالُوا: أَمَّا أَمَانُ ابْنِ سُمَيَّةَ فَلَا نُرِيدُهُ، وَإِنَّا لَنَرْجُو أَمَانًا خَيْرًا مِنْ أَمَانِ ابْنِ سُمَيَّةَ. وَلَمَّا قَدِمَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ عَلَى عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ بِكِتَابِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ لَهُ عُمَرُ: أَبْعَدَ اللَّهُ دَارَكَ، وَقَبَّحَ مَا جِئْتَ بِهِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّكَ الَّذِي صَرَفْتَهُ عَنِ الَّذِي عَرَضْتُ عَلَيْهِ مِنَ الْأُمُورِ الثَّلَاثَةِ الَّتِي طَلَبَهَا الْحُسَيْنُ. فَقَالَ لَهُ شَمِرٌ: فَأَخْبِرْنِي مَا أَنْتَ صَانِعٌ ; أَتُقَاتِلُهُمْ أَنْتَ أَوْ تَارِكِي وَإِيَّاهُمْ؟ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: لَا، وَلَا كَرَامَةَ لَكَ، أَنَا أَتَوَلَّى ذَلِكَ. وَجَعَلَهُ عَلَى الرَّجَّالَةِ، وَنَهَضُوا إِلَيْهِمْ عَشِيَّةَ يَوْمِ الْخَمِيسِ التَّاسِعِ مِنَ الْمُحَرَّمِ، فَقَامَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ فَقَالَ: أَيْنَ بَنُو أُخْتِنَا؟ فَقَامَ إِلَيْهِ الْعَبَّاسُ وَعَبْدُ اللَّهِ وَجَعْفَرٌ وَعُثْمَانُ بَنُو عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ: أَنْتُمْ آمِنُونَ. فَقَالُوا: إِنْ أَمَّنْتَنَا وَابْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِلَّا فَلَا حَاجَةَ لَنَا بِأَمَانِكَ. قَالَ: ثُمَّ نَادَى عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ فِي الْجَيْشِ: يَا خَيْلَ اللَّهِ ارْكَبِي وَأَبْشِرِي. فَرَكِبُوا وَزَحَفُوا
পৃষ্ঠা - ৬৭০৫


সময় তার কাছে আবু যর গিফারীর ম!ওলা হুওয়াই তার! তরবারি ন্যেড়চেড়ে ঠিকঠাক করছিল,
আর আমার আব্ব! আবৃত্তি করছিলেন,
হ কাল ! ধিক তোমাকে বন্ধুরুপে সকাল সন্ধ্য!য় তোমার কত’
নিহত সঙ্গী প্রার্থী রয়েছে আর কাল সে বিকল্প তুষ্ট নয় ৷’
“আর বিষয়টি গুরুতর রুপ ধারণ করছে :আর প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যু পথয!ত্রী-’

এরপর আরো দুব!র ব! তিনবার তিনি এর , পুনরাবৃত্তি করলেন, এমনি তা আমার:মুখস্থ
হয়ে গেল এব০ আমি তার উদ্দেশ্যে বুঝতে পারলাম ৷ তখন অশ্রু আমার শ্বাসরােধ্ করল,
এরপর আমি তা সৎবরণ করলাম এবং নিবাক হয়ে থাকলাম ! আমি বুঝতে ৩প!রলাম বিপদ
এসে গেছে ! আর আমার ফুফু৩ তিনি অনাবৃত মাথায় তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং
, বললেন, হায়, দুর্ভাগ্য ! আজ যদি মৃত্যু আমাকে জীবন থেকে নিকৃতি দিত ? আমার আম্মাজান
ফাতিমা, আব্বাজ!ন আলী এবং ত!ইজা ন হাস্তান তে! পুর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন ! হে
বিপতজনের স্থলবডী স্মৃতি এবং অবশিষ্টদের শেষ চুমুক ! তখন তিনি তার দিকে তাকিয়ে
বললেন, বোন আমার ! শয়তান যেন তোমাকে অধৈর্য ও অস্থির না করে তিনি বললেন, হে
আবু আবদুল্লাহ ! আপনার জন্য আমার পিত!ম!তা কুরবান হোন ! আপনি কেন অ!ত্মবিসর্জন ,
দিচ্ছেন ? (একথা বলার পর তিনি) নিজের মুখমণ্ডলে চপেটাঘ!ত, করলেন, তার ক!মিছের
ৎশবিশেষ ছিড়ৰুলন এবং জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলেন ! তখন তিনি উঠে গিয়ে তার মুখমণ্ডলে
পানি ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, বোন আমার ! আল্লাহ্কে ভয় কর, ধৈর্যধারণ কর এবং আল্লাহ্
প্রদত্ত স!ন্তুন! দ্বারা সান্তুন! লাভ কর ! আর জোন রাখ যমনিবাসী সকলেই মৃত্যুবরণ করবে,
আসম!নবাসীরা !ও জীবিত থাকবে ন! এবং ঐ আল্লাহ্র সত্তা ছাড়া সব কিছু ধ্ব০ স প্র!প্তহবে,
যিনি আপন কুদরতে কুল ম!খলুক সৃষ্টি করেছেন, এবং তার প্রবল পরাক্রম ও ক্ষমতা দ্বার!
তাদেরকে নৃত্যুদান করবেন, এবং তাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন! তাই তার! শুধু তারই
ইবাদাত করে আর তিনি এক ও একক ! আর এও জেনে র!খ যে, আমার আব্বাজ!ন আমার
চেয়ে উত্তম ! আমার জন্য, তাদের জন্য এবং মুসলমানদের জন্য র!সু লুল্লাহ্ (স!) এর মাঝে
উত্তম (অনুসরগীয়) আদর্শ রয়েছে ! এরপর তিনি তাকে তার মৃত্যুর পর এসবের কোন কিছুই
ন! করতে বললেন ! অত০পর তিনি তার হাত ধরে আমার কাছে ফিরিয়ে আনলেন ! অত০পর
সঙ্গীদের দিকে বেরিয়ে গেলেন এবং তাদের ত!বুসমুহকে এমনভাবে পরস্পর স০ লগ্ন করার
নির্দেশ দিলেন যেন শত্রুর জন্য একদিক ছাড়! তাদের কাছে পৌছার কৌন পথ ন! থাকে আর
তাবুগুলো তাদের ভাবে বামে ও পশ্চ!রুত থাকে ! এরপর হযরত হুসায়ন ও তার সঙ্গীরা রাতভর
নামায, দু অ! ইসৃতাি!ফার এবং অ!ক্ট্র!!হ্র দরবারে সকাতরে অনুনয় বিনয়ে অতিবাহিত
করলেন ! আর এদিকে শত্রুদের অশ্ব!রােহী প্রহরীদল আয্র!হ বিন কায়স আল অ!হ্মাসীর

ন্যেতৃত্বে তাদের পশ্চ!তে ঘোর!ফেরা করছিল! আর হযরত হুস!য়ন পড়ছিলেন-



১ ইবনুল আছমে রয়েছে, উরওয়! বিন কায়স


إِلَيْهِمْ بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ مِنْ يَوْمِئِذٍ، هَذَا وَحُسَيْنٌ جَالِسٌ أَمَامَ خَيْمَتِهِ مُحْتَبِيًا بِسَيْفِهِ، وَنَعَسَ فَخَفَقَ بِرَأْسِهِ، وَسَمِعَتْ أُخْتُهُ زَيْنَبُ الضَّجَّةَ فَدَنَتْ مِنْهُ فَأَيْقَظَتْهُ، فَرَجَعَ بِرَأْسِهِ كَمَا هُوَ، وَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ لِي: " «إِنَّكَ تَرُوحُ إِلَيْنَا» ". فَلَطَمَتْ وَجْهَهَا، وَقَالَتْ: يَا وَيْلَتَا. فَقَالَ: لَيْسَ لَكِ الْوَيْلُ يَا أُخَيَّةُ، اسْكُنِي رَحِمَكِ الرَّحْمَنُ. وَقَالَ لَهُ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَلِيٍّ: يَا أَخِي، جَاءَكَ الْقَوْمُ. فَقَالَ: اذْهَبْ إِلَيْهِمْ فَسَلْهُمْ مَا بَدَا لَهُمْ. فَذَهَبَ إِلَيْهِمْ فِي نَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ فَارِسًا فَقَالَ: مَا لَكُمْ؟ فَقَالُوا: جَاءَ أَمْرُ الْأَمِيرِ ; إِمَّا أَنْ تَأْتُوا عَلَى حُكْمِهِ، وَإِمَّا أَنْ نُقَاتِلَكُمْ. فَقَالَ: مَكَانَكُمْ حَتَّى أَذْهَبَ إِلَى أَبِي عَبْدِ اللَّهِ فَأُعْلِمَهُ. فَرَجَعَ وَوَقَفَ أَصْحَابُهُ، فَجَعَلُوا يَتَرَاجَعُونَ الْقَوْلَ وَيُؤَنِّبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، يَقُولُ أَصْحَابُ الْحُسَيْنِ: بِئْسَ الْقَوْمُ أَنْتُمْ، تُرِيدُونَ قَتْلَ ذُرِّيَّةَ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخِيَارَ النَّاسِ فِي زَمَانِهِمْ؟ ! ثُمَّ رَجَعَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَلِيٍّ مِنْ عِنْدِ الْحُسَيْنِ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ لَهُمْ: يَقُولُ لَكُمْ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: انْصَرِفُوا عَشِيَّتَكُمْ هَذِهِ حَتَّى يَنْظُرَ فِي أَمْرِهِ اللَّيْلَةَ. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ لِشَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ: مَا تَقَولُ؟ فَقَالَ: أَنْتَ الْأَمِيرُ وَالرَّأْيُ رَأْيُكَ. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْحَجَّاجِ بْنِ سَلَمَةَ الزُّبَيْدِيُّ: سُبْحَانَ اللَّهِ! وَاللَّهِ لَوْ سَأَلَكُمْ ذَلِكَ رَجُلٌ مَنَ الدَّيْلَمِ لَكَانَ يَنْبَغِي إِجَابَتُهُ. وَقَالَ قَيْسُ بْنُ الْأَشْعَثِ: أَجِبْهُمْ إِلَى مَا سَأَلُوكَ، فَلَعَمْرِي لَيُصَبِّحُنَّكَ بِالْقِتَالِ غُدْوَةً. وَهَكَذَا جَرَى الْأَمْرُ، فَإِنَّ الْحُسَيْنَ لَمَّا رَجَعَ الْعَبَّاسُ قَالَ لَهُ: ارْجِعْ فَارْدُدْهُمْ هَذِهِ الْعَشِيَّةَ، لَعَلَّنَا نُصَلِّي لِرَبِّنَا هَذِهِ اللَّيْلَةَ وَنَدْعُوهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، فَقَدْ عَلِمَ اللَّهُ مِنِّي أَنِّي أُحِبُّ الصَّلَاةَ لَهُ، وَتِلَاوَةَ كِتَابِهِ، وَالِاسْتِغْفَارَ وَالدُّعَاءَ. وَأَوْصَى الْحُسَيْنُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ إِلَى أَهْلِهِ، وَخَطَبَ
পৃষ্ঠা - ৬৭০৬

ক!ফিররা যেন কিছুতেই মনে ন! করে আমি অবকাশ দেই তাদের মঙ্গলের জন্য, আমি
অবকাশ দিয়ে থাকি যাতে তাদের পাপ বৃদ্ধি পায় এবং তাদের জন্য ল!ঞ্চুন!দ!য়ক শাস্তি
রয়েছে ৷ অসৎকে সৎ থেকে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রয়েছ আল্লাহ
যু’মিনগণকে সেই অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন ন! ! (আল ইমরান ১ ৭৮)
তখন ইবন যিয়!দের প্রহরী অশ্ব!রাে !হীদলেব এক ব্যক্তি তা শুনে বলল, শপথ কাব!র রবের !
আমর!ই সৎ আল্লাহ আমাদের থেকে তোমাদেরকে পৃথক করেছেন ৷ তিনি বলেন, তখন আমি
তাকে চিনতে পারলাম এবং য!য়দ বিন হুস !য়নকে বলল!ম, আপনি জানেন এ কে ? তিনি
বললেন, না ৷ তখন আমি তাকে বললাম, এ হল আবু হারব আস সুবায়য়ী উব!য়দুল্লাহ্ বিন
শিশ্মীর ৷ সে ছিল বেকার ভাড় আর তিনি ছিলেন সম্রান্ত ও দুঃস!হসী বীর ৷ আর কখনো
কখনো সায়ীদ বিন কায়স তাকে তীর র্ত!বুতে আটকে র!খতেন৷ তখন ইয়!যীদ বিন হাসীন৩
তাকে বলল, হে পাপিষ্ঠ! তুই কবে থেকে সৎ হয়ে গেলি ? তখন সে ক্রুদ্ধ হয়ে বলল,
ইন্নালিল্লাহ্ ! আল্লাহর শপথ ! হে আল্লাহর দুশমনতু মি ধ্বংস হও ৷ কেন সে তোমাকে হত্যা
করতে চায় ? তিনি বলেন, তখন আমি তাকে বলল!ম, হে আবু হারব ! তৃমি কি তোমার এ
জঘন্য পাপ!চারগুলো বর্জন করে সৎ হবে ? আল্লাহর শপথ ! আমরাই সৎ আর ওে !মর!ই
অসৎ ৷ তখন সে বলল, হ্যা, আমি তার সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷ তখন তিনি বললেন, তোমার বোধোদয়
হোক ! তোমার জ্ঞান কি! আমার উপকার করে ন! ৷ তিনি বললেন, তখন আমাদেরকে প্রহর!য়
fi£::flfi@ রেখে খণ্ডিত বাহিনীর কমান্ডার আয্ব!হ বিন কায়স তাকে ধমক দিল এবং যে
আমাদের চৰুছু!ড় চলে গেল ৷
-বংনািকারী বলেন, শুক্রবার মত !ন্তরে শ্!নিব!র উমর বিন স! দ তার সঙ্গীদের নিয়ে ফজরের
নামায শেষে যুদ্ধের জন্য সাবি বেধে দাড়িয়ে গেল ৷ উল্লেখ্য যে, সে দিন ছিল আশুর!র দিন
এদিকে হযরত হুস!য়ন (র!) ও তার সঙ্গীদের নিয়ে নামায পড়লেন ! আর তার! ছিলেন
বত্রিশজন অশ্বারোহী এবং চল্লিশজন পদাতিক যোদ্ধা ৷ এরপর তিনি তাদেরকে সারিবদ্ধ
করলেন, ড!নপাশের কমান্ডার বানালেন যুহায়রুবনুল কায়সকে আর বাম পাশের জন্য নির্ধারণ
করলেন হ!বীবুবনৃল মুতাহ্হ!রকে৪ ৷ তার ঝাণ্ডা প্রদান করলেন তার ভইি আব্বাসন্বিন আলীকে,
আর র্তাদের সঙ্গের মেয়েদেরসহ র্ত!বুগুলিক্তৃক তাদের পশ্চাতভ!গে নিয়ে আসলেন ! এদিকে
হযরত হুসায়নের নির্দেশমত রাত্রেই তার! তাদের র্ত!বুর পশ্চ!তভ!গে পরিখা খনন করে তাতে
জ্বালানি কাঠ, বাশ ইত্যাদি ফেলে ব্লেখেছিলেন ! এরপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়! হয়েছিল
যাতে পশ্চ!দ দিক থেকে কেউ তাদের র্তাবুর কাছে ঘেষতে ন! পারে ! আর উমর বিন সাদ





১ মুল গ্রন্থে এমনই রয়েছে, আর আৎ ত!বারীতে (৬২৪ :) বুরায়দ বিন হয!য়ব-

২ আৎ ত!ব!রীতে আবদুল্লাহ বিন শাহর রয়েছে ৷

ও মুল গ্রন্থে এমন আর আৎ তাব!রীতে (২৬৪ :) বুরায়দ বিনহুয!য়র-

ল্গু আৎ ত!ব!রীতে মুযাহির রয়েছে, আর আল আখবারুত তিওয়!লে মুযইির (২৫৬পৃষ্ক)


أَصْحَابَهُ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ، فَحَمِدَ اللَّهَ تَعَالَى وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَصَلَّى عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعِبَارَةٍ فَصِيحَةٍ بَلِيغَةٍ، وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْصَرِفَ إِلَى أَهْلِهِ فِي لَيْلَتِهِ هَذِهِ، فَقَدْ أَذِنْتُ لَهُ، فَإِنَّ الْقَوْمَ إِنَّمَا يُرِيدُونَنِي. فَقَالَ مَالِكُ بْنُ النَّضْرِ: عَلَيَّ دَيْنٌ وَلِي عِيَالٌ. فَقَالَ: هَذَا اللَّيْلُ قَدْ غَشِيَكُمْ فَاتَّخِذُوهُ جَمَلًا، لِيَأْخُذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ بِيَدِ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي، ثُمَّ اذْهَبُوا فِي بَسِيطِ الْأَرْضِ فِي سَوَادِ هَذَا اللَّيْلِ إِلَى بِلَادِكُمْ وَمَدَائِنِكُمْ، فَإِنَّ الْقَوْمَ إِنَّمَا يُرِيدُونَنِي، فَلَوْ قَدْ أَصَابُونِي لَهَوْا عَنْ طَلَبِ غَيْرِي، فَاذْهَبُوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ لَهُ إِخْوَتُهُ وَأَبْنَاؤُهُ وَبَنُو أَخِيهِ: لَا بَقَاءَ لَنَا بَعْدَكَ، وَلَا أَرَانَا اللَّهُ فِيكَ مَا نَكْرَهُ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: يَا بَنِي عَقِيلٍ، حَسْبُكُمْ بِمُسْلِمٍ أَخِيكُمْ، اذْهَبُوا فَقَدْ أَذِنْتُ لَكُمْ. قَالُوا: فَمَا يَقُولُ النَّاسُ! أَنَّا تَرَكْنَا شَيْخَنَا وَسَيِّدَنَا وبَنِي عُمُومَتِنَا خَيْرَ الْأَعْمَامِ، لَمْ نَرْمِ مَعَهُمْ بِسَهْمٍ، وَلَمْ نَطْعَنْ مَعَهُمْ بِرُمْحٍ، وَلَمْ نَضْرِبْ مَعَهُمْ بِسَيْفٍ، رَغْبَةً فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا؟ ! لَا وَاللَّهِ لَا نَفْعَلُ، وَلَكِنْ نَفْدِيكَ بِأَنْفُسِنَا وَأَمْوَالِنَا وَأَهْلِينَا، وَنُقَاتِلُ مَعَكَ حَتَّى نَرِدَ مَوْرِدَكَ، فَقَبَّحَ اللَّهُ الْعَيْشَ بَعْدَكَ. وَقَالَ نَحْوَ ذَلِكَ مُسْلِمُ بْنُ عَوْسَجَةَ الْأَسَدِيُّ، وَكَذَلِكَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَنَفِيُّ: وَاللَّهِ لَا نُخَلِّيكَ حَتَّى يَعْلَمَ اللَّهُ أَنَّا قَدْ حَفِظْنَا غَيْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيكَ، وَاللَّهِ لَوْ عَلِمْتُ أَنِّي أُقْتَلُ دُونَكَ أَلْفَ قَتْلَةٍ، وَأَنَّ اللَّهَ يَدْفَعُ بِذَلِكَ الْقَتْلَ عَنْكَ وَعَنْ أَنْفُسِ هَؤُلَاءِ الْفِتْيَةِ مِنْ أَهْلِ بَيْتِكَ، لَأَحْبَبْتُ ذَلِكَ، فَكَيْفَ وَإِنَّمَا هِيَ قَتْلَةٌ وَاحِدَةٌ. وَتَكَلَّمَ جَمَاعَةُ أَصْحَابِهِ بِكَلَامٍ يُشْبِهُ بَعْضُهُ بَعْضًا مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نُفَارِقُكَ، وَأَنْفُسُنَا الْفِدَاءُ لَكَ، نَقِيكَ بِنُحُورِنَا وَجِبَاهِنَا، وَأَيْدِينَا وَأَبْدَانِنَا، فَإِذَا نَحْنُ قُتِلْنَا وَفَّيْنَا وَقَضَيْنَا مَا عَلَيْنَا. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৭০৭


তার বাহিনীর ডান প!শ্বের কমান্ডার বানান আমর বিন হ!জ্জাজ আবু! যুব!য়দীকে, আর বাম
প!ৰুর্শ্বর জন্য শাম্ম!র বিন যুল জাওশানকে আর যুল জাওশ!নের পুংনািম হল শুর!হ বিন আল
প্আওয়!র বিন আমর বিন মুআবিয়! ন্অ!ঘৃ যর!বী আল কিল!বী ! তার অশ্বারোহী বাহিনীর
নেতৃ!,ন্ন্ ছিং ! আবৃর!হ বিন ক!য়স আল অ!হমাসী আর পদাতিক বাহিনীর নে৩ ট্রুতে ছিল শাবীছ
কি! রিরয়ীর, আর সে তার ঝাণ্ডা প্রদান করেছিল, তার ম!ওলা ওয়!রদানকে ! লোকের!
উভয়পক্ষ স্ব-স্ব স্থানে অবস্থায় স্থির হয়ে থাকল !

এসময় হযরত হুস!য়ন (র!) পুর্ব থেকে খাটানাে একটি র্ত!বুতে গেলেন এরপর সেখানে
ণ্ল!মন!শক ব্যবহার করে গোসল করলেন, প্রচুর মেশকের সুগন্ধি ম!খলেন ৷ হযরত হুসায়নের পর
তার সঙ্গী কোন কোন আযীরওণ্ সেখানে গেলেন এবং তার অনুসরণ করলেন! তখন তাদের
একজন অপরজনকেৰ বলল, এ সময়ে এসব কী ? আবার কেউ বলল, এসব এখন থাক ! এখনতাে
অনর্থক কিছুর সময় নয় ! তখন ইয়!যীদ বিন হ!সীন৩ বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমার গোত্র ভাল
করেই জানে যে, যুবক কিংবা পৌঢ় কোন অবস্থাতেই আমি অনর্থক কিছু পছন্দকরি না ! আসলে
আমার আল্লাহর শপথ আমাদের পরবর্তী যে মহ!সৌভ!গ্য ল!ভা করতে ম!চ্ছি তার কথা ভেবে
ব্লুপ্উংফুলু! আল্লাহর শপথ ! আমাদের ও জান্ন!তের হ্রদের মাঝে শুধু একটুকু ব্যাবধান যে, এরা
ং আমাদের উপর আক্রমণ করে আমাদেরকে হত! করা ম!ত্রই আমরা তাদের সান্নিধ্যে পৌছে যাব !

এরপর হযরত হুস!য়ন (র!) তীর অশ্বে আরোহণ করলেন এবং একখ!নি কুরআন শরীফ
নিয়ে তার সামনে রেখে দু’হাত উঠিয়ে ৰুদুআ করতে করতে শত্রুর মুখোমুখি হলেন যার ভাষ্য
ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে হে অ!ল্ল!হ্ ! সকল বিপদে আপনি আমার নির্ভরত!রষ্স্থল এবং সকল
কেটে আপনি আমার আশার স্থল ণ্দুশ্!ষ পর্যন্ত ৷ আর তার পর আলী শুবিন হুসায়ন যিনি সে
সময় হযরত হুস!য়ন যিনি সেন্সময়্ দুর্বল ও অসুস্থ ছিলেন আল আহমাক৫ নামে একটি ঘোড়ার
আরোহণ করলেন ! এসময় হযরত হুসায়নঃণ্রুি!) ঘোষণা দিয়ে বট্রুললেন, হে (ল!কসকল !
আমার থেকে একটি উপদ্যেশর কথা শোন, যা আমি তোমাদেরকে বলছি, তখন লোকের!
নিবকি হয়ে৩ তার প্রতি উৎকর্ণ হল ৷ আল্লাহর হামদ ও ছ!ন!র পর তিনি ৰ্লল্টো, হে
লোকসকল ! যদি তোমরা আমার কথা গ্রহণ কর এবং আমার সাথে ইনস!ফ কর তাহলে
তোমরা তা দ্বার! অধিক সৌভাগ্য লাভ করবে, আর আমার বিরুদ্ধে অস্ত্রধ!বণেব কোন বৈধতা
পাবে ন! ৷ আর যদি তোমরা আমার কথা গ্রহণ না কর তাহলে




তাহলে তোমরা যাদেরকে শরীক করেছে ত!দেরসহ তোমাদের কর্তব্য স্থির করে নাও, পরে
যেন কর্তব্য বিষয়ে তোমাদের কোন স শয় না থাকে ! আমার সম্বন্ধে তোমাদের কর্ম নিষ্পন্ন



১ আতবারীত্তে শিবছ বিন রিবয়ী রয়েছে !

২ তা! !ৎ তাব!রীভে, যুওয়ায়দ, আর আল আখবারুত তিওয়!ল্লে,যায়দ !
৩ পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে !

৮ : আত ত!ব!রীতে সাক্ষ!ই পেতে যাচ্ছি !

৫ আৎ ত!বারীতে ল!ইক’ রয়েছে !,

ণোমোঃ

أَخُوهُ الْعَبَّاسُ: لَا أَرَانَا اللَّهُ يَوْمَ فَقْدِكَ، وَلَا حَاجَةَ لَنَا فِي الْحَيَاةِ بَعْدَكَ. وَتَتَابَعَ أَصْحَابُهُ عَلَى ذَلِكَ. وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ كَعْبٍ وَأَبُو الضَّحَّاكِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ قَالَ: إِنِّي لَجَالِسٌ تِلْكَ الْعَشِيَّةَ الَّتِي قُتِلَ أَبِي فِي صَبِيحَتِهَا، وَعَمَّتِي زَيْنَبُ تُمَرِّضُنِي، إِذِ اعْتَزَلَ أَبِي فِي خِبَائِهِ، وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ، وَعِنْدَهُ حُوَيٌّ مَوْلَى أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ، وَهُوَ يُعَالِجُ سَيْفَهُ وَيُصْلِحُهُ، وَأَبِي يَقُولُ: يَا دَهْرُ أُفٍّ لَكَ مِنْ خَلِيلِ ... كَمْ لَكَ بِالْإِشْرَاقِ وَالْأَصِيلِ مِنْ صَاحِبٍ أَوْ طَالِبٍ قَتِيلِ ... وَالدَّهْرُ لَا يَقْنَعُ بِالْبَدِيلِ وَإِنَّمَا الْأَمْرُ إِلَى الْجَلِيلِ ... وَكُلُّ حَيٍّ سَالِكُ السَّبِيلِ قَالَ: فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَفَهِمْتُ مَا أَرَادَ، فَخَنَقَتْنِي الْعَبْرَةُ، فَرَدَدْتُهَا وَلَزِمْتُ السُّكُوتَ، وَعَلِمْتُ أَنَّ الْبَلَاءَ قَدْ نَزَلَ، وَأَمَّا عَمَّتِي فَقَامْتَ حَاسِرَةً حَتَّى انْتَهَتْ إِلَيْهِ، فَقَالَتْ: وَاثُكْلَاهُ، لَيْتَ الْمَوْتَ أَعْدَمَنِي الْحَيَاةَ الْيَوْمَ، مَاتَتْ أُمِّي فَاطِمَةُ، وَعَلِيٌّ أَبِي، وَحَسَنٌ أَخِي، يَا خَلِيفَةَ الْمَاضِي وَثِمَالَ الْبَاقِي. فَنَظَرَ إِلَيْهَا وَقَالَ: يَا أُخَيَّةُ، لَا يُذْهِبَنَّ حِلْمُكِ الشَّيْطَانُ. فَقَالَتْ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، اسْتُقْتِلْتَ. وَلَطَمَتْ وَجْهَهَا، وَشَقَّتْ جَيْبَهَا، وَخَرَّتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، فَقَامَ إِلَيْهَا فَصَبَّ عَلَى وَجْهِهَا الْمَاءَ، وَقَالَ: يَا أُخَيَّةُ، اتَّقِي اللَّهَ وَتَعَزِّي بِعَزَاءِ اللَّهِ، وَاعْلَمِي أَنَّ أَهْلَ الْأَرْضِ يَمُوتُونَ، وَأَنَّ أَهْلَ السَّمَاءِ لَا يَبْقَوْنَ، وَأَنَّ كُلَّ شَيْءٍ هَالِكٌ
পৃষ্ঠা - ৬৭০৮


করে ফেল, আর আমাকে অবকাশ দিও না ৷ আমার অভিভাবক আল্লাহ ৷ যিনি কিতাব নাযিল
করেছেন, আর তিনিই সৎকর্ম পরায়ণদের অভিভাবকতু করে থাকেন ৷ (সুরা ইউনুস : ৭১)
তারপর যখন তার ভগ্নি ও কন্যার৷ তার কথা শুনতে পেলেন তখন তারা উচচস্বরে কেদে
উঠলেন, তখন তিনি বললেন, ইবন , আব্বাস ঠিকই বলেছিলেন অর্থাৎ তিনি যখন পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত ৫ময়েদেরকে সাথে নিয়ে বের না হয়ে তাদেরকে মক্কায় রেখে আসতে
পরামর্শ দিয়েছিলেন এরপর তিনি তার ভাই আব্বাসকে পাঠিয়ে তাদেরকে চুপ করালেন ৷
তারপর তিনি লোকদের কাছে তার ফযীলত ৷বৈশিষ্ট্য)ণ্বংশীয় আভিজাত্য এবং উচ্চমর্যাদার
কথা উল্লেখ করে বলেন এখন তোমরা নিজেদের প্রতি ফিরে ভেবে দেখ আমার ন্যায় ব্যক্তি
বিরুদ্ধে কি এখন পৃথিবীর বুকে আমিই একমাত্র নবী দোহিত্র ৷ আলী হলেন আমার পিতার
জা ফর আত তয়্যার (রা) হলেন আমার পি৩ বতৃা, শহীদ শ্রেষ্ঠ হামযাহ্ (রা) হলেন আমার
পিতৃব্য ৷ আল্লাহর রাসুল (সা) আমার ও আমার ভাই সম্বন্ধে বলেছেন,
“এরা দু জন জা ন্নাতী যুবকের সর্দার’-’ ওে ৷মর৷ যদি আমার কথা বিশ্বাস করে থাক
তাহলে জেনে রাখ তাই সত্য ৷ আল্লাহর শপথ ৷ যখন থেকে আমি জোনছি মহান আল্লাহ্
আমার “জন্য মিথ্যাবচন ঘৃণা করেনঃত”খনঃ থােকৰুৰুণ্আমি প্কোন ন্মিখ্যা বলি নি ৷ অন্যথায়
(আমার কথায় সন্দিহান হলে) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবী, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবু
সায়ীদ, সাহ্ল বিনন্সাদ, যায়দ বিন আরকাম, আনার্সবিন মালিককে জিজ্ঞাসা কর ৷ তারা
তোমাদেরকে সে বিষয়ে অবহিত কররেনন্ন্৷ কী ব্যাপার তোমাদের ? তোমরা কিন্আল্লাহ্কে ন্
ভয় কর না ৷ আমার রক্ত প্রবাহিত করার পথে অন্তরায় হওয়ার জন্য তোমাদের জন্য কি
এতে কিছুই নেই ? তখনর্দীাম্মার বিন যুল জাওশান বলল, সে এক দ্বিধার সাথে অন্মোহ্র
ইবাদত করে ৷ আমি জানি না ণ্রুার্দুস কী বলে ? ;ৰুতখন হাবীব বিন ঘুতাহহরে১ তাকে বলল,
আল্লাহর শপথ ! হে শাম্মার ৷ তুমি তো সত্তর দ্বিধার সাথে আল্লাহর ইবাদত কর ৷ আর
আমার আল্লাহর শপথ খুব ভালভাবেই জানি তিনি কী বলছেন ৷ আসলে তোমার অন্তর
মােহর করে দেয়া হয়েছে ৷ ন্
অতঃপর তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে লোকসকল ! আমার পথ ছেড়ে দাও, ২ আমি
আমার নিরাপদ ভুথণ্ডে ফিরে যাই ৷ তখন তারা বলল, পিতৃব্যকুলের নিদ্ধান্তে অ্যাংর্পণ ন্শ্
করতে আপনার বাধা ৫কাথায় ? তিনি বললেন, আল্লাহ পানাহ ! ন্
র্মী
বিচা র দির্বসে যারা বিশ্বাস করে না সেই সকল উদ্ধৃত ব্যক্তি থােক আমি আমার ও
তোমাদের প্রতিপালকেয় শরণাপন্ন হয়েছি ৷ সুরা পাফির (মুমিন)ং ২৭
এরপর তিনি তার বাহুর্লেকে বসালেন এবং উক্ব৷ বিন সামআনকে নির্দেশ দিলে তিনি
তাকে বাধলেন ৷ অতঃপর বললেন, তোমরা আমাকে বল, তোমরা কি আমাকে তোমাদের
৷ কো ন নিহতের বদলায় হত্যা করতে চাও মাকে আমি হু৩া৷ করেছি ? কিৎব৷ তোমাদের কোন
অর্থ-র্সম্পদ আতাসাঙ্গু৩ র কারণে, কিংবা কো ন গুরুতর ত্া৷মাতের প্ৰনিবিধানরুপে ৷



১ মুল গ্রন্থে এরুপ বিদ্যমান, আর আততাবারীতে মুযাহির এবং আল কামিলে মুতাহ্হ্াৰ্ ৷
২ আতৃ তাবারীভে ং যদি তোমরা আমাকে অপছন্দ কর তাহলে আমকে আমার


إِلَّا وَجْهَ اللَّهِ الَّذِي خَلَقَ الْخَلْقَ بِقُدْرَتِهِ، وَيُمِيتُهُمْ بِقَهْرِهِ وَعِزَّتِهِ، وَيُعِيدُهُمْ فَيَعُودُونَ، وَهُوَ فَرْدٌ وَحْدَهُ، وَاعْلَمِي أَنَّ أَبِي خَيْرٌ مِنِّي وَأُمِّي خَيْرٌ مِنِّي، وَأَخِي خَيْرٌ مِنِّي، وَلِي وَلَهُمْ وَلِكُلِّ مُسْلِمٍ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ. ثُمَّ حَرَّجَ عَلَيْهَا أَلَّا تَفْعَلَ شَيْئًا مِنْ هَذَا بَعْدَ مَهْلِكِهِ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهَا فَرَدَّهَا إِلَى عِنْدِي، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُقَرِّبُوا بُيُوتَهُمْ بَعْضَهَا مِنْ بَعْضٍ، حَتَّى تَدْخُلَ الْأَطْنَابُ بَعْضُهَا فِي بَعْضٍ، وَأَلَّا يَجْعَلُوا لِلْعَدُوِّ مَخْلَصًا إِلَيْهِمْ إِلَّا مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ، وَتَكُونُ الْبُيُوتُ عَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَمِنْ وَرَائِهِمْ. وَبَاتَ الْحُسَيْنُ وَأَصْحَابُهُ طُولَ لَيْلِهِمْ يُصَلُّونَ وَيَسْتَغْفِرُونَ وَيَدْعُونَ وَيَتَضَرَّعُونَ، وَخُيُولُ حَرَسِ عَدُوِّهِمْ تَدُورُ مِنْ وَرَائِهِمْ، عَلَيْهَا عَزْرَةُ بْنُ قَيْسٍ الْأَحْمَسِيُّ وَالْحُسَيْنُ يَقْرَأُ: {وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّمَا نُمْلِي لَهُمْ خَيْرٌ لِأَنْفُسِهِمْ إِنَّمَا نُمْلِي لَهُمْ لِيَزْدَادُوا إِثْمًا وَلَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ مَا كَانَ اللَّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ حَتَّى يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ} [آل عمران: 178] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 179، 178] . فَسَمِعَهَا رَجُلٌ مِنْ تِلْكَ الْخَيْلِ الَّتِي كَانَتْ تَحْرُسُ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ زِيَادٍ، فَقَالَ: نَحْنُ وَرَبِّ الْكَعْبةِ الطَّيِّبُونَ، مَيَّزَنَا اللَّهُ مِنْكُمْ. قَالَ: فَعَرَفْتُهُ، فَقُلْتُ لِبُرَيْرِ بْنِ خُضَيْرٍ أَتَدْرِي مَنْ هَذَا؟ قَالَ: لَا. فَقُلْتُ: هَذَا أَبُو حَرْبٍ السَّبِيعِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَهْرٍ، وَكَانَ مِضْحَاكًا بَطَّالًا، وَكَانَ شَرِيفًا شُجَاعًا فَاتِكًا، وَكَانَ سَعِيدُ بْنُ قَيْسٍ رُبَّمَا حَبَسَهُ فِي جِنَايَةٍ. فَقَالَ لَهُ بُرَيْرُ بْنُ خُضَيْرٍ:
পৃষ্ঠা - ৬৭০৯


বর্ণনাকারী বলেন তখন তারা তার কথার কোন উত্তর দিল না এবং তিনি উচ্চংররে ডেকে
বললেন, হে শাবীছ বিন রিবয়ী, হে হাজ্জাজ বিন আবজার, হে কায়স বিন আশ আছ, হে
যায়দ বিন হারিছ ! তোমরা কি আমার কাছে পত্রে লিখনি যে, কল থেকে এসেছে ৷ কাজেই
ন্ আপনি আমাদের কাছে আগমন করুন ৷৩ তাহলে দেখবেন আপনি এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর কাছে
আগমন করেছেন ৷ তখন তারা তাকে বলল, আমরা তা করি নি৷ তখন তিনি বললেন,
সুবহানাল্লাহ্ শপথ আল্লাহর ৷ তোমরা অবশ্যই তা করেছ ৷
তারপর বললেন, হে সোকসকল ! তোমরা যখন আমাকে অপছন্দ করেছ তখন আমার পথ
শ্ ছেড়ে দাও আমি ৫৩ ৷মাদের ছেড়ে চলে যাব ৷ কায়সুবনুল আশ আছ তাকে বলল, আপনি কি
আপনার পিতৃব্য পুত্রের সিদ্ধান্তে আত্মসমর্পণ করবেন না; তারা আপনাকে কোন কষ্ট দেবে না ৷
তাদের থেকে আপনি অপ্রিয় কোন কিছু দেখবেন না ৷ তখন হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, তৃ
তোমার ভাইয়ের সদৃশ ৷৩ তুমি কি চাও রনী হাশিম মুসলিম বিন আকীলের রক্তের বদলার চেয়ে
বোশ কিছু৫ আমার কাছে দাবী করুক ৷ না; আল্লাহর শপথ ! আমি অপদস্থ হয়ে তাদের হাতে
হাত রাখর না এবং ক্রীতদাসের ন্যায় তাদের আনুগত্য স্বীকার করব্ল;,না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তারা আক্রমণের উদ্দেশ্যে তার দিকে অগ্রসর হল ৷ আর
ইতিমধ্যে তাদের তিরিশ জনের মত অশ্বারোহী স্বপক্ষ ত্যাগ করে হযরত হুসায়নের পক্ষে যোগ
দিয়েকাি ৷ এদের মধ্যে ইবন যিয়াদ বাহিনীর অগ্রবর্তীদলেব কমান্ডার ৰু ,হুর বিন ইয়াযীদ ছিল ৷
সে তখন তার পুর্বাচরণের জন্য হযরত হুসায়নের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলল, ইতিপুর্বে যদি
, আমি তাদের ইচ্ছার কথা জানতাম, তাহলে আমি আপনার সাথে ইয়াযীদের কাছে যেতাম ৷
তখন হযরত হুসায়ন (বা) তার এ বক্তব্য গ্রহণ করলেন ৷ এরপর সে হযরত হুসায়নের
নঙ্গীদের সামনে দিয়ে অগ্রসর হয়ে উমর বিন নাদ্যক সম্বোধন করে রললেন, দৃর্ভাপ্য
তোমাদের রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দৌহিত্রের প্রস্তাবিত তিনটি বিষয়ের একটিও কি তোমরা গ্রহণ
করবে না ? তখন সে বলল, তা গ্রহণ করার ক্ষমতা যদি আমার থাকত তাহলে আমি তা
বর্ণনাকা রী বলেন, এ সময় হযরত হুসায়নের সঙ্গীদের মধ্যে থেকে যুহায়কবনুল কায়স পুর্ণ
অস্ত্রশস্তে সজ্জিত হয়ে৩ তার একটি অশ্বে আরোহণ করে বের হলেন ৷ অতঃপর তিনি ইবন
ব্লিয়াদ্রের প্রেরিত বাহিনীর উদ্দেশ্যে বললেন, হে কুফাৰাসী ! আল্লাহর আমার থেকে সতর্ক হও,
সাবধান হও, মুসলমানের অপরিহার্য কর্তা ৷ আর আমরা তোমরা এখনওণ্পর্যন্ত ভাইভাই
একই দীন ও মিল্লাতের অনুসারী ৷ মুসলমান ভাইয়ের কল্যাণ কামনা করা কর্তব্য যতক্ষণ না
, আমাদের মাঝে লড়াই শুরু হচ্ছে ৷ আর যখন লড়াই শুরু হবে তখন আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন
হয়ে যাবে ৷ তখন তোমরা একদল আমরা অন্য দল হয়ে যাব ৷ আল্লাহ তার নবীর বংশধর
(দৌহিত্র) দ্বারা আমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলেছেন ৷ তিনি দেখতে চান তোমরা এবং আমরা কী
করি ? আমরা তার সাহায্যের জন্য এবং জালিম পুত্র জ্বালিম উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদকে
বর্জনের জন্য তােমাদেরকে আহ্বান করছি ৷ কেননা তাদের দৃ’জনের পক্ষ থেকে তোমরা
ক্ষমতা ও কর্তাতৃয় বা৷পক অনিষ্ট ছাড়া কিছুই লাভ কর নি, যা তোমাদের চক্ষু কুড়ে দেয়, হাত
পা কোট দেয়, তোমাদের নিহতদের দেহ ৰিকৃতি ঘটায় এবং তোমাদের উত্তম ব্যক্তিও



১ উদ্ধৃতি ভ্রান্থসমহেছু ন্শিবছ’ রয়েছে সেটাই সঠিকৰুান্টু


يَا فَاسِقُ، مَتَى كُنْتَ مِنَ الطَّيِّبِينَ؟ ! فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ، وَيْلَكَ؟ ! قَالَ: أَنَا بُرَيْرُ بْنُ خُضَيْرٍ. قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ، هَلَكْتَ وَاللَّهِ، عَزَّ وَاللَّهِ عَلَيَّ يَا بُرَيْرُ قَتْلَكَ. قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا حَرْبٍ، هَلْ لَكَ أَنْ تَتُوبَ إِلَى اللَّهِ مِنْ ذُنُوبِكَ الْعِظَامِ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّا لَنَحْنُ الطَّيِّبُونَ وَإِنَّكُمْ لَأَنْتُمُ الْخِبِيثُونَ. قَالَ: نَعَمْ، وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدَيْنِ. قَالَ: وَيْحَكَ! أَفَلَا تَنْفَعُكَ مَعْرِفَتُكَ؟ ! قَالَ: فَانْتَهَرَهُ عَزْرَةُ بْنُ قَيْسٍ أَمِيرُ السَّرِيَّةِ الَّتِي تَحْرُسُنَا، فَانْصَرَفَ عَنَّا. قَالَ: فَلَمَّا صَلَّى عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ الصُّبْحَ بِأَصْحَابِهِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَقِيلَ: يَوْمَ السَّبْتِ - وَكَانَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ - انْتَصَبَ لِلْقِتَالِ، وَصَلَّى الْحُسَيْنُ أَيْضًا بِأَصْحَابِهِ، وَهُمُ اثَنَانِ وَثَلَاثُونَ فَارِسًا وَأَرْبَعُونَ رَاجِلًا، ثُمَّ انْصَرَفَ فَصَفَّهُمْ، فَجَعَلَ عَلَى مَيْمَنَتِهِ زُهَيْرَ بْنَ الْقَيْنِ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ حَبِيبَ بْنَ مُظَهِّرٍ، وَأَعْطَى رَايَتَهُ الْعَبَّاسَ بْنَ عَلِيٍّ أَخَاهُ، وَجَعَلُوا الْبُيُوتَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْحَرَمِ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ، وَقَدْ أَمَرَ الْحُسَيْنُ مِنَ اللَّيْلِ، فَحَفَرُوا وَرَاءَ بُيُوتِهِمْ خَنْدَقًا، وَقَذَفُوا فِيهِ حَطَبًا وَخَشَبًا وَقَصَبًا، ثُمَّ أُضْرِمَتْ فِيهِ النَّارُ ; لِئَلَّا يَخْلُصَ أَحَدٌ إِلَى بُيُوتِهِمْ مِنْ وَرَائِهَا. وَجَعَلَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عَمْرَو بْنَ الْحَجَّاجِ الزُّبَيْدِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ شَمِرَ بْنَ ذِي الْجَوْشَنِ - وَاسْمُ ذِي الْجَوْشَنِ شُرَحْبِيلُ بْنُ الْأَعْوَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ الضِّبَابُ بْنُ كِلَابٍ - وَعَلَى الْخَيْلِ عَزْرَةَ بْنَ قَيْسٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭১০


আলিমপণকে হত্যা করে ৷ যেমন হাজার বিন আদী ও তার ম্ঙ্গীষ্াণ্া, আর হানি বিন উরওয়া ও
তার সতীর্থরা ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তার! তী;কগালমন্দ করল এবং ইবন যিয়াদের প্রশংসা
করে তার জন্য দুআ করল ৷ আর বলল, তোমার ;নত! ও তীর সঙ্গীদের হত্যা না করে আমরা
ক্ষান্ত হচ্ছি না, এ স্থান৩ ত্যাগ করছি না ! তখন তিনি তাদেরকে বললেন নবী কন্যা ফাতিমা
“ ৩নয় অবশ্যই সুমায়্যা পুত্রের চেয়ে সকলের ভালবাসা ও সাহায্য লাভের অধিক উপযুক্ত ৷ আর
যদি তোমরা র্তাকে সাহায্য না কর তাহলে তাকে হত্যা করা থেকে তোমাদের;ক আল্লাহর
আশ্র;য় দিচ্ছি ৷ এই ব্যক্তি ও তার পিতৃব্য পুত্র ইয়াষীদ বিন মুআবিয়ার মাঝে অন্তর!য় হয়াে
না ৷ তিনি যেখ!;ন চান আমরা সেখানে চলে যাব ৷ আমার জীবনকালের শপথ ! হুস!য়নের
হত্যা ব্যতীতই ইয়াযীদ তোমাদের আনুপত্যে সন্তুষ্ট থাকবে ৷
বর্ণনাকারীন্ বলেন, তখন শস্ফোর বিন যুল জাওশান র্ত!;ক একটি তীর নিক্ষেপ করে
বললেন, চুপ থাক ! আল্পাহ্ তোমাকে নিশ্চল করুন, তোমার দীর্ঘ কথার আমরা ন্অভীষ্ঠন্ হয়ে
ৰুপড়েছি ৷ তখন যুহ!য়র তাকে বলল, ;হ নপুংস;কর ;ছ;ল ! তোমাকে আমি সম্বোধন করছি না ৷
তুই তো একটি পশু ৷ আমার তো মনে হয় না তুই কিত!বুল্লাহ্র দু’টি আয়াত ভালভাবে পড়তে
পারিস ৷ কাল কিয়াম; ;তর দিন অপদন্থত! ও যন্ত্রণ!দ!য়ক শাস্তির সুসং বাদ গ্রহণ কর ৷ তখন
শ!ম্মার তাকে বলল, কিছুক্ষণ প;র ;ত!ম!কে ও তোমার প্রিয় ;নত!কে আল্লাহ হত্যাট্রুকরবেন ৷
তখন যুহ!য়র তাকে বলল, তুই কি আমাকে মৃত্যু ভয় ;দখাচ্ছিস ,? আল্লাহর শপথ ! ভোর
ণ্সাথে অমর জীবন লাভ করার চেয়ে তীর সাথেমৃত্যু বরণ কর! আমার কাছে অধিক প্রিয়্ ৷
তঃপর যুহায়র ;ল!কদের;ক লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে বলতে লাগল, হে লোক সকল, আল্লাহর
বঅ!ন্দ!গণ ! এই নিষ্ঠুর রুঢ় ও হঠক!রী ও তার মত লোকের! যেন ,;ত!ম!দের দী;নর ব্যাপারে

;ত!মাদেরকে ধোক!য় না ফেলে ৷ আল্লাহর শপথ ! যার! মুহাম্মদ (সা) এর বংশধরের রক্ত
প্রবাহিত কঃ!বে এবং তা;দৱ সাহায্যক!রী এবং সময় রক্ষাকারীদের হত্যা করবে তার! কিছুতেই

এসময় হুর বিন ইয়াযীদ উম্রর বিন সাদকে বলল, আল্লাহ তোমাকে সুমতি দান করুন ৷
তুমি কি এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ইি করবে ? সে বলল,, অবশ্যই ! আল্লাহর শপথ ! আমি তা
করব আর তার সাধারণ অবস্থা হবে মাথাসমুহের বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং হাত সমুহের লক্ষ্যভ্রষ্ট
হওয়া ৷ উল্লেখ্য যে, হুর ছিল কুফার সবচে’ সাহসী বীর ৷ তবে কোন সঙ্গী হযরত হসায়;নর
, পক্ষ অবলম্বন করার তাকে ভত্সনা করল তখন ;স তা;ক বলল, আল্লাহর শপথ ! আমি
ন্ নিজেকে জান্ন!ত-জ!হ!ন্ন!;মর যে কোন একটি বেছে নেয়ার ইচ্ছাব্লিকন্নে দিয়েছি ৷ আর অ!ল্লাহ্র
শপথ ! আমাকে টুকরো টুকরো করা হলে কিংবা জ্বালিয়ে পুড়িরে মারা হলেও তাে আমি
জ!ন্না;তর পরিবর্তে অন্য কিছু;ক অগ্ৰাধিকার দিতে পারি না ৷

অতঃপর সে তার ঘোড়াকে আসর হওয়ার জন্য আঘাত করল এবং হর্যরত হল!র;নর
সাথে গিয়ে মিলিত হল এবং পুর্বোল্লেখিত ভাষায় তার কাছে অজুহ!ত পেশ করল ৷ অতঃপর

সে বলল, হে কুফ!বাসী ! তোমাদের মায়ের! সম্ভানহারা হোক ! হসায়ন;ক তোমরা তোমাদের
কাছে আহ্বান করেছ ৷ এরপর যখন তিনি তোমাদের কাছে এসে, উপস্থিত, হয়েছেন, তোমরা
তাকে অন্যের ন্হা;তং;ছ;ড়ৰুদিয়েছ, তোমরা দাবীন্ণ্ণ্কঃরছ তার প্রাণরক্ষায় ন্ন্;ত!মর! আত্মৰিসর্জন
দিবে, কিন্তু এরপর তোমরা র্তাকে হত্যার জন্য তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে ;লগেছ ৷ আর আল্লাহর


الْأَحْمَسِيَّ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ، وَأَعْطَى الرَّايَةَ ذُوَيْدًا مَوْلَاهُ، وَتَوَاقَفَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ، فَعَدَلَ الْحُسَيْنُ إِلَى خَيْمَةٍ قَدْ نُصِبَتْ لَهُ، فَاغْتَسَلَ فِيهَا، وَاطَّلَى بِالنُّورَةِ، وَتَطَيَّبَ بِمِسْكٍ كَثِيرٍ، وَدَخَلَ بَعْدَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ، فَفَعَلُوا كَمَا فَعَلَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: مَا هَذَا فِي هَذِهِ السَّاعَةِ؟ ! فَقَالَ بَعْضُهُمْ: دَعْنَا مِنْكَ، وَاللَّهِ مَا هَذِهِ بِسَاعَةِ بَاطِلٍ. فَقَالَ بُرَيْرُ بْنُ خُضَيْرٍ: وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ قَوْمِي أَنِّي مَا أَحْبَبْتُ الْبَاطِلَ شَابًّا وَلَا كَهْلًا، وَلَكِنْ وَاللَّهِ إِنِّي لَمُسْتَبْشِرٌ بِمَا نَحْنُ لَاقُونَ، وَاللَّهِ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْحُورِ الْعِينِ إِلَّا أَنْ يَمِيلَ عَلَيْنَا هَؤُلَاءِ فَيَقْتُلُونَا. ثُمَّ رَكِبَ الْحُسَيْنُ عَلَى فَرَسِهِ، وَأَخَذَ مُصْحَفًا فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَ الْقَوْمَ رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو بِمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ: اللَّهُمَّ أَنْتَ ثِقَتِي فِي كُلِّ كَرْبٍ، وَرَجَائِي فِي كُلِّ شِدَّةٍ. إِلَى آخِرِهِ. وَأَرْكَبَ ابْنَهُ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ - وَكَانَ ضَعِيفًا مَرِيضًا - فَرَسًا يُقَالُ لَهُ: لَاحِقٌ. وَنَادَى الْحُسَيْنُ: أَيُّهَا النَّاسُ، اسْمَعُوا مِنِّي نَصِيحَةً أَقُولُهَا لَكُمْ. فَأَنْصَتَ النَّاسُ كُلُّهُمْ، فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ والثَنَاءِ عَلَيْهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنْ قَبِلْتُمْ مِنِّي وَأَنْصَفْتُمُونِي، كُنْتُمْ بِذَلِكَ أَسْعَدَ، وَلَمْ يَكُنْ لَكُمْ عَلَيَّ سَبِيلٌ، وَإِنْ لَمْ تَقْبَلُوا مِنِّي {فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ وَشُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ اقْضُوا إِلَيَّ وَلَا تُنْظِرُونِ} [يونس: 71] ، {إِنَّ وَلِيِّيَ اللَّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ} [الأعراف: 196] . فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ أَخَوَاتُهُ وَبَنَاتُهُ ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُنَّ بِالْبُكَاءِ، فَقَالَ عِنْدَ ذَلِكَ: لَا يَبْعَدُ ابْنُ عَبَّاسٍ. يَعْنِي حِينَ أَشَارَ عَلَيْهِ أَلَّا يَخْرُجَ بِالنِّسَاءِ مَعَهُ، وَيَدَعَهُنَّ بِمَكَّةَ إِلَى أَنْ يَنْتَظِمَ لَهُ الْأَمْرُ. ثُمَّ بَعَثَ أَخَاهُ الْعَبَّاسَ وَابْنَهُ عَلِيًّا فَسَكَّتَاهُنَّ، ثُمَّ شَرَعَ يَذْكُرُ لِلنَّاسِ فَضْلَهُ وَعَظَمَةَ نَسَبِهِ، وَعُلُوَّ قَدْرِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭১১


বিশাল বিন্তুত ভুখণ্ডের অভিমুখী হতে তাকে বাধা দিণ্ায়ছ, অথচ সেখানে কুকুর শুকরও
অবাধে বিচরণ করে ৷
চরমপিপাসার্ত অবস্থায়ও তোমরা তাদের মাঝে এবং ফোরাতের প্রবহমান পানির মাঝে
প্ৰতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছ ৷ অথচ তা থেকে কুকুর শুক্রও দির্মিাব্ল পানি পান করছে ! মুহাম্মদ
(সা) এর পর তার বৎশধরদের সাথে কি নিকৃষ্ট আচরণই না৷ তোমরা করছো’ যদি তোমরা
আজ এই মুহুর্তে তোমাদের এই আচরণ পবিবর্তন না কর এবং তা থেকে তওবা না কর
তাহলে আল্লাহ্ যেন মহা পিপাসার দিন কাল কিয়ামত দিবসে ৷তামাদেরকে পান না করান ৷
তখন তাদের একদল যোদ্ধা তীর নিক্ষেপেয় মাধ্যমে তাকে আক্রমণ করল ৷
এরপর তিনি এসে হযরত হুসায়ানর সামনে র্দাড়া৷লন, উমর বিন সাদ তখন তাদেরকে বলল,
আমার যদি পুর্ণ কতু ৩থাকত, তাহলে আমি হুসায়ানর প্রস্তাব গ্রহণ কহুতােম বিস্তু উবায়দুল্লাহ্ বিন
যিয়াদ আমার যে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তার বক্তৃতায় ৷সৰুকুফাবাসীকে তীব্র ভত্সনা
তিরকার ও গালমন্দ করেছে ৷ তখন হুরশ্ বিন ইয়াযীদ;তা৷দরাক বলল, তােমরানিপাত যাও ৷
হুসায়ন ও তীর , ত্রী কন্যাদরকৈ ৷তামবান্ফোরাতের পানি পা৷ন বাধা দিয়েছ অথচ তা থেকে
ইয়াহুদ, নাসারাও পান করে এবং ফোরাত পাড়ের কুকুর ও শুকরদলতাতে গড়াগড়ি খায় ৷তাহাল
’ ৷তা সে তোমাদের হাতে বন্দীর ন্যায় যাব নিজের জন্য ভালমন্দ কিছুই করার সামর্থ নেই ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এসময় আমর বিন সা দ অগ্রসর হয়ে তার মাওলাকে বলল, হে দৃরায়দ !
তোমার ঝাও৷ কা৷ছ আন ৷ তখন যে তা কাছে আমল, অতঃপর সে তার বাহু উন্মুক্ত করে একটি
তীর নিক্ষেপ করল এবং বলল, তামব৷ সাক্ষী রইলে আমিই প্রথম তীর নিাক্ষপকারী ৷ বর্ণনাক্যরী
বলেন, এরপর লোকেরা পরস্পর তীর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ এসময় যিয়াদের মাওলা২ ইয়াসার
এবং উবাদুল্লাহ্র মাওল৷ সালিম অগ্রসর হয়ে বলল, কে আমাদের সাথে দ্বন্দ্বযুাদ্ধ লড়াব ? তখন
হযরত হুসায়ানর অনুমতি নিয়ে উবায়দুল্লাহ্ বিন উমরং কালর্বী তাদের বিকদ্ধে দ্বন্দ্বযুা দ্ধ অবতীর্ণ
হলেন ৷ প্রথমে তিনি ইয়াসারাক তারপর সা ৷লিমকে হত্যা করলেন, তবে নিহত হওয়ার পুর্বে
লিনাম একটি আঘাতে তার নাম হা৷৩ র আঙ্লসমুহ ফেলে দেয় ৷ আবদুল্লাহ, বিন হাওযাহ্
নামক এক ব্যক্তি আক্রমণ করতে গিয়ে হয়রত হুসায়ালর সামনে গিয়ে দাড়ায় এবং বলে, হে
হুসায়ন ! তুমি জাহান্না৷মর সুসৎবাদ গ্রহ্ণ কর ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন, কখানাই না ৷ হে
দুতাগ৷ ! আমিা আে এমন এক রাবর সান্নিধ্যে গমন করছি যিনি দয়াময় এবং সর্বমান
সুপাবিশ ৷কারী; তুমি বরং জাহান্না৷মর অধিক নিকটবর্তী ৷
বর্ণনাকারী বালনঃ, এরপর যখন সে ফিরে মাচ্ছিল তখন তার ৷ঘাড়া তা৷ক পিঠ থেকে ছুাড়
ধ্াকাল তার ঘাড় মটাক দেয় আর এদিাক তার প ৷ ৷রকাবিতে আটাক ঝুলে থাকে ৷ হযরত
হুসায়ন (রা) যখন তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তখন সে বলেছিল, আমি হাওযার
, পুত্র ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) হাত উঠিয়ে তার নামে ঐ শব্দনুল ব্যবহার বলর দু আ
কারছিালন-



১ আল আখবারুত তিওয়াল (হ৫৬পুল্প) যায়দ আর আৎ তাবায়ীত্তে যুওয়াদ রয়েছে ৷

২ যিয়াদ বিন আবু সুজাির ৷ ৰু
৩ আৎ তাবারীতে (৬৪৪ ৫) আল কাষিাল (৪৬৫) উষায়য়-রয়েহে আর ইরনুন আ হুমে (৫১৮৯) ওয়াহব
বিন আবদুল্লাহ বিন হুবাব আল কালবী ৷ ,


وَشَرَفَهُ، وَيَقُولُ: رَاجِعُوا أَنْفُسَكُمْ، هَلْ يَصْلُحُ لَكُمْ قِتَالُ مِثْلِي، وَأَنَا ابْنُ بِنْتِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ ابْنُ بِنْتِ نَبِيٍّ غَيْرِي، وَعَلِيٌّ أَبِي، وَجَعْفَرُ ذُو الْجَنَاحَيْنِ عَمِّي، وَحَمْزَةُ سَيِّدُ الشُّهَدَاءِ عَمُّ أَبِي، وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِأَخِي: " «هَذَانَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» ". فَإِنْ صَدَّقْتُمُونِي بِمَا أَقُولُ فَهُوَ الْحَقُّ، وَاللَّهِ مَا تَعَمَّدْتُ كَذِبَةً مُنْذُ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ يَمْقُتُ عَلَى الْكَذِبِ، وَإِلَّا فَاسْأَلُوا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ ; جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبَا سَعِيدٍ، وَسَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، وَزَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، وَأَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُخْبِرُوكُمْ بِذَلِكَ، وَيْحَكُمْ! أَمَا تَتَّقُونَ اللَّهَ؟ ! أَمَا فِي هَذَا حَاجِزٌ لَكُمْ عَنْ سَفْكِ دَمِي؟ ! فَقَالَ عِنْدَ ذَلِكَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ: هُوَ يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ، إِنْ كُنْتُ أَدْرِي مَا يَقُولُ. فَقَالَ لَهُ حَبِيبُ بْنُ مُظَهِّرٍ: وَاللَّهِ يَا شَمِرُ، إِنَّكَ لَتَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى سَبْعِينَ حَرْفًا، وَإِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا يَقُولُ ; لِأَنَّ اللَّهَ قَدْ طَبَعَ عَلَى قَلْبِكَ. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، ذَرُونِي أَرْجِعْ إِلَى مَأْمَنِي مِنَ الْأَرْضِ. فَقَالُوا: وَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَنْزِلَ عَلَى حُكْمِ بَنِي عَمِّكَ؟ فَقَالَ: مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ أُعْطِيَهُمْ بِيَدِي إِعْطَاءَ الذَّلِيلِ وَأُقِرَّ إِقْرَارَ الْعَبِيدِ، عِبَادَ اللَّهِ {إِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمْ مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ} [غافر: 27] . ثُمَّ أَنَاخَ رَاحِلَتَهُ، وَأَمَرَ عُقْبَةَ بْنَ سَمْعَانَ فَعَقَلَهَا، ثُمَّ قَالَ: أَخْبِرُونِي أَتَطْلُبُونِي بِقَتِيلٍ لَكُمْ قَتَلْتُهُ؟ أَوْ مَالٍ لَكُمْ أَكَلْتُهُ؟ أَوْ بِقِصَاصٍ مِنْ جِرَاحَةٍ؟ قَالَ: فَأَخَذُوا لَا يُكَلِّمُونَهُ. قَالَ: فَنَادَى: يَا شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ، يَا حَجَّارُ بْنَ أَبْجَرَ،
পৃষ্ঠা - ৬৭১২


হে আল্লাহ ! আপনি তাকে জ্যহান্নামে ঠেলে দিন ৷ তখন ইবন হাওযাহ্ ক্রুদ্ধ হয়ে
৫জারপুর্বক তার ৫ঘড়ােকে তার উপর আক্রমণের জন্য চালিত করতে চাইল ৷ উল্লেখ যে,
এসময় তাদের দু’জনের মাঝে পবিখার ব্যবধান ছিল ৷ তখন তার ঘোড়া তাকে পিঠ থেকে
ফেলে দি৫ল তার একপা পায়ের ৫পা ছা ও উরুসহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর অপর পার্শ্ব ৫রক৷ ৷বিতে
লটকে থাকে ৷ তখন মুসলিম বিন আওসাজাহ্ তরবারির আঘাতে তার ডান পা উড়িয়ে দিলেন
আর তার ঘোড়া তাকে নিয়ে পবিখায় নেমে পড়ল, তখন সে অতিক্রমকাদ্দৌ প্রতিটি পাথরের
সাথে তার মাথা ঠু৫ক দিতে লাগল এবং এভা ৷বেই তার মৃত্যু হল ৷

আবু মুখাননাফ আবু জানাবের উদ্ধৃতিতে বলেন, আমাদের মাঝে আবদুল্লাহ বিন নুমায়র১
নামে বনী উলায়মের এক ব্যক্তি ছিল ৷ হামাদান গোত্রের আল জা দ কুপের নিকট একটি বাড়ি

বানিয়ে ৫স বাস করত ৷ আন নাসির বিন কাসিত বংশীয় তার এক শ্রী ও তার সাথে থাকত ৷
সে যখন ৫লাকদেরকে হযরত হুসায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে ৫দখল তখন
বলল, আল্লাহর শপথ ! মুশরিরুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি আংা-হী ছিলাম ৷ আমি আশা করি
যে, অল্লোহুর র্াসুলের ,দৌহিত্রের পক্ষে এদের বিরুদ্ধে আমার জিহাদ মুশরিকদের বিরুদ্ধে
জিহাদের চেয়ে উত্তম হবে এবং তা দ্বারা আল্লাহর কাছে সাওয়াব লাভও সহজ হবে ৷ এরপর
সে তার স্তীর কাছে গিয়ে তার সৎকল্পের কথা জালাল ৷ তখন সে বলল, আপনি সঠিক ন্সিদ্ধাতই
গ্রহণ করেছেন ৷ আল্লাহ আপনাকে আপনার বিষয়ে সবচেয়ে কল্যাণকর সিদ্ধান্তে পৌছে দিন ৷
আপনি তা করুন এবং আমাকেও আপনার সাথে নিন ৷ ,

বর্ণনাকারী বলেন, তখন সে তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল এবৎ হযরত হুসায়নের কাছে এসে

পৌছল ৷ এরপর তিনি আমর বিন সাদের তীর নিক্ষেপের ঘটনা এবং এই ব্যক্তি কতকি
যিয়াদের মাওলা ইয়াসার এবং ইবন যিয়াদের মাওলা সালিমকে হত্যার ঘটনা এভাবে উল্লেখ
করেহ্নে৷ যে, আবদুল্লাহ বিন উমার র তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বযুদ্ধের জন্য হযরত
হুসায়নের অনুমতি চাইল, তখন তিনি তার দিকে লক্ষ্য করে দেখলেন যে প্রশস্ত বাধ ও
শক্তিশালী বাহুর অধিকারী :দীর্ঘকায়: ও বাদাযীবর্ণ বিশিষ্ট পুরুষ ৷ তখন হুসায়ন (বা) বললেন,
আমার মনে হয়, সে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইকারী ৷ ভুমি চইিলে অগ্রসর হও ৷ তখন
সে অগ্রসর হলে তারা দু’জন (ইয়াসার ও সালিম) বলল, কে তুমি প্ তান ৫সন্ তাদের
দু ’জনকে নিজের পরিচয় দিল ৷ তখন তারা দৃ জন বলল, আমরা ৫ত ৷মাকে চিনি ন৷ ৷

অতঃপর যখন সে ইয়াসারকে আক্রমণ করল, তখন তার যেন কোন অস্তিরুত্ত্বই থাকল না,
সে যখন তাকে নিয়ে ব্যস্ত হঠাৎ ইবন যিয়াদেৱ মাওলা সালিম তাকে আক্রমণ করে বসল,
এসময় কেউ একজন চিৎকার করে তাকে সাবধান করল বিস্তু সে সতর্ক হল না ৷ ফলে সে
তাকে অক্রমণ করে এবং তার বাম হাতের আঙুলসমুহ তরবারির আঘাতে উড়িয়ে দিল ৷
অতঃপর ৫স কাল্বীর দিকে মনযােগী হল এবং তরবারির আঘাতে শেষ করে দিয়ে আবৃত্তি
করতে

০া>





১ আতৃ তাবারীতে (,,ৰু১ ;া১ ৷) ৷ ৷এট্ট ষ্এ ১ এৰুট্ট :া) ৫তামরান্যদিও আমাকে চিনতে না পার তাহলে জেনে
রাখ, আমি কালুব গোত্রের সন্তান আর আবু ঘুখাননাফের আল মাকতালে রয়েছে যদি ৰিশাল বাহুর ও
প্রচণ্ড আঘাতের অধিকারী ৷


يَا قَيْسُ بْنَ الْأَشْعَثِ، يَا زَيْدُ بْنَ الْحَارِثِ، أَلَمْ تَكْتُبُوا إِلَيَّ أَنَّهُ قَدْ أَيْنَعَتِ الثِّمَارُ وَاخْضَرَّ الْجَنَابُ، فَاقْدَمْ عَلَيْنَا، فَإِنَّكَ إِنَّمَا تَقْدَمُ عَلَى جُنْدٍ مُجَنَّدٍ. فَقَالُوا لَهُ: لَمْ نَفْعَلْ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ فَعَلْتُمْ. ثُمَّ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِذْ قَدْ كَرِهْتُمُونِي فَدَعُونِي أَنْصَرِفْ عَنْكُمْ. فَقَالَ لَهُ قَيْسُ بْنُ الْأَشْعَثِ: أَلَا تَنْزِلُ عَلَى حُكْمِ بَنِي عَمِّكَ؟ فَإِنَّهُمْ لَنْ يُؤْذُوكَ، وَلَا تَرَى مِنْهُمْ إِلَّا مَا تُحِبُّ. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: أَنْتَ أَخُو أَخِيكَ، أَتُرِيدُ أَنْ تَطْلُبَكَ بَنُو هَاشِمٍ بِأَكْثَرَ مِنْ دَمِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ؟ لَا وَاللَّهِ لَا أُعْطِيهِمْ بِيَدِي إِعْطَاءَ الذَّلِيلِ، وَلَا أُقِرُّ لَهُمْ إِقْرَارَ الْعَبِيدِ. قَالَ: وَأَقْبَلُوا يَزْحَفُونَ نَحْوَهُ، وَقَدْ تَحَيَّزَ إِلَى جَيْشِ الْحُسَيْنِ مِنْ أُولَئِكَ طَائِفَةٌ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثِينَ فَارِسًا فِيمَا قِيلَ، مِنْهُمُ الْحُرُّ بْنُ يَزِيدَ أَمِيرُ مُقَدِّمَةُ الْكُوفِيِّينَ، فَاعْتَذَرَ إِلَى الْحُسَيْنِ مِمَّا كَانَ مِنْهُمْ. قَالَ: وَلَوْ أَعْلَمُ أَنَّهُمْ عَلَى هَذِهِ النِّيَّةِ لَسِرْتُ مَعَكَ إِلَى يَزِيدَ. فَقَبِلَ مِنْهُ الْحُسَيْنُ، ثُمَّ تَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ، فَخَاطَبَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ، فَقَالَ: وَيْحَكُمْ! أَلَا تَقْبَلُونَ مِنِ ابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَعْرِضُ عَلَيْكُمْ مِنَ الْخِصَالِ الثَّلَاثِ وَاحِدَةً مِنْهَا؟ فَقَالَ: لَوْ كَانَ ذَلِكَ إِلَيَّ قَبِلْتُ، وَلَكِنْ أَبَى عَلَيَّ
পৃষ্ঠা - ৬৭১৩


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

৩৪০ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

তোমরা দু’জন যদি আমাকে চিনতে না পার তাহলে জেনে রাখ আমি বনু কালবের সন্তান,
আমার (বর্তমান) বংশ পরিচয় আমার গৃহ আর বনু উলায়ম আমার আভিজাত্য ৷
আমি ক্রোধ ও আত্মমর্যাদার অধিকারী এক ব্যক্তি, আর ষুদ্ধকালে আমি ভীরু নই ৷
হে উম্মে ওয়াহব ! আমি ৫৩ ৷মা৫ক নিশ্চয়তা দিচ্ছি অ্যাবর্তী হয়ে তাদের মাঝে রর্শ৷ ও
তরবারির আঘাতের রবে বিশ্বাসী যীরযোদ্ধার আঘাছুতর ৷
তখন উ৫স্মৃ ওয়াহব একটি তাবুর খুটি নিল এবং তার স্বামীর দিকে অগ্রসর হয় তাকে
বলল, তোমার জন্য আমার পি৩ ৷মাত৷ উৎসর্গিত হোক ! মুহাম্মদ (সা) এর বংশধর এই
৫নক ৫লাকেদের পক্ষে লড়াই কর ৷ তখন সে তার দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে মেয়েদের
দি৫ক ফিরিয়ে পাঠিয়ে দিতে চইিল ৷ কিন্তু সে তার কাপড় টেনে ধরে রেখে বলল, আমাকে
তোমার সাথে থাকতে দাও ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) তাকে তােক ধ্ল্ল্টো, তুমি
মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের সাথে বসে থাক ৷ মেয়েদের কোন যুদ্ধ নেই ৷ এরপর যে
তাদের কাছে চলে গেল ৷
বর্ণনাকারী বলেন, সেদিন দুপক্ষের মাঝে অনেক দ্বন্দ্বষুদ্ধ হল, যার বিজয় ছিল হযরত
হুসায়ন (রা) এর সঙ্গীদের ৷ কারণ তারা ছিল একদিকে প্রচণ্ড শজ্যি অধিকারী, অন্যদিকে
মরিয়৷ ৷ নিজেদের তরবারি হড়াে আত্মরক্ষার আর কোন অবলম্বন তাদের ছিল না ৷ তাই কোন
কোন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উমর ইবন সা দকে রন্দ্বষুাদ্ধ অং শগ্রহ্প না করার পরামর্শ দিয়েছিল ৷
এরপর ইবন যিস্নাদ ঝাইর্নীর ডানপার্শের অধিনায়ক আমর ইবন হাজ্জাজ আক্রমণ করে
বলতে লাগল, (তার সঙ্গীদেৱ, উদ্দেশে) তাদের বিরনদ্ধ লড়াই কর যার৷ ধ্র্মচ্যুত হয়েছে এবং
মুসলমানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হায়ইে ৷ তখন হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, দৃর্ভাগ্য তোমার
হজ্জিাজ তুমি কি আমার বিরুদ্ধে লোকদের প্ররােচিত করছ ? আমরা ধর্মচ্যুত হয়ে গেলাম আর
তুমি ধর্মে অষিচল ? অচিরেই যখন আমাদের প্রাণবায়ু নির্গত হয়ে তোমরা জানতে পারবে কারা
জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হওয়ার অধিক যোগ্য ৷ মুসলিম ইবন আওসাজা এই আক্রমণে
নিহত হন ৷ হযরত হুসায়ন (বা) এর মাঝে তিনিই প্রথম শহীদ হন ৷
এ সময় হযরত হুসায়ন (রা) হেটে তার কাছে গেলেন এবং তার জন্যে আল্লাহর রহমতের
দুআ করলেন ৷ এ সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাসত্যান্৷ করছিলেন, তখন হাবীব ইবন মুতাহ্হার
তাকে বললেন, তৃর্মি জান্না৫তর সুসংবাদগ্রহণ কর ৷, তখন তিনি ক্ষীণণ্’ও দুর্বল কণ্ঠে বললেন,
আল্লাহ তোমাকে বজ্যাণের সুসংবাদ দান করন্দা ৷ অতঃপর হার্বীব তাকে বললেন, যদি আমার
জানা না থাকত যে, আমিও তোমার পদচিহ্নের অনুসারী হয়ে তোমার সাথে মিলিত হচ্ছি,
তাহলে তোমার ওসীরত পুর্ণ বন্মতাম ৷ তখন মুসলিম ইবন আওসাজা হযরত হুসায়নের দিকে



১ আৎ তাৰারী৫ত (এেওম্া১শ্ এ্যাগ্ ং)ংা১) যুদ্ধকালে প্রচণ্ড শক্তি ও ৫পশীর অধিকারী ৷
, ২ আত তাবারী ও আল কামিলেশ্ ইম্মমরমাে ছ ৷ , ,

৩তাকে হত্যা করে মুসলিম ইবন আব্ক্তল্পোহ্ আযু যবাবী এবং আব্দুর রহমান ইবন আবু খুশকারাহ আল
বাজালী ৷


ابْنُ زِيَادٍ. ثُمَّ خَاطَبَ أَهْلَ الْكُوفَةِ، فَسَبَّهُمْ وَأَنَّبَهُمْ وَقَالَ: وَيْحَكُمْ! دَعَوْتُمُوهُ، حَتَّى إِذَا جَاءَ خَذَلْتُمُوهُ، وَمَا كَفَاكُمْ ذَلِكَ حَتَّى جِئْتُمْ لِتُقَاتِلُوهُ، وَقَدْ مَنَعْتُمُوهُ وَنِسَاءَهُ الْمَاءَ مِنَ الْفُرَاتِ ; الَّذِي يَشْرَبُ مِنْهُ الْيَهُودِيُّ وَالنَّصْرَانِيُّ وَالْمَجُوسِيُّ، وَتَتَمَرَّغُ فِيهِ خَنَازِيرُ السَّوَادِ وَكِلَابُهُ، فَهُوَ كَالْأَسِيرِ فِي أَيْدِيكُمْ لَا يَمْلِكُ لِنَفْسِهِ نَفْعًا وَلَا ضَرًّا. قَالَ: فَتَقَدَّمَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، وَقَالَ لِمَوْلَاهُ: يَا ذُوَيْدُ، أَدْنِ رَايَتَكَ. فَأَدْنَاهَا، ثُمَّ شَمَّرَ عُمَرُ عَنْ سَاعِدِهِ، وَرَمَى بِسَهْمٍ، وَقَالَ: اشْهَدُوا أَنِّي أَوَّلُ مَنْ رَمَى الْقَوْمَ. قَالَ: فَتَرَامَى النَّاسُ بِالنِّبَالِ، وَخَرَجَ يَسَارٌ مَوْلَى زِيَادٍ وَسَالِمٌ مَوْلَى عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَا:
পৃষ্ঠা - ৬৭১৪


আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৪১

ইশ্ারা কব্লুর-ত তাকে বললেন এর ব্যাপারে আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি, তাব্লুক রক্ষা করতে
তার সামনে যেন (তামার মৃত্যু হয়া

ইতিহাসবিদগণ বলেন এরপর বামদিকের সেনাদল নিয়ে শাম্মার ইবন যুল জাওপান
আক্রমণ হানল এবং তারা হযরত হুসায়ন (বা) যে লক্ষ্য করে অগ্রসর হল ৷ তখন তার
অশ্বারোহী সঙ্গীরাণ্তাকে রক্ষায় প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তৃলল এবংজব্লুক আগব্লুল প্রচণ্ড লড়াই
করল ৷ তখন তারা উমর ইবন সাব্লুদর কাছে একদল পদাতিক ভীরন্দাজ চেয়ে পাঠালা তখন
আমর তাদের সাহায্যাব্লুর্থ প্রায় পাচশ পদাতিক তীরন্দাজ পাঠালা তখন এরা;হযরত হুসায়ব্লুনর
সঙ্গীব্লুদর ঘোড়াগুলােব্লুক তীর নিক্ষেপ করতে লাগল, এমনক্লিরু তারা তাদের সবগুলােব্লুক
গুরুতরভাব্লুব আহত করল ৷ৰুকব্লুল ষোদ্ধারা সকলেই অশ্ববিহীন পদাতিকব্লুম্াদ্ধার পরিণত হল ৷
তারা যখন হুর ইবন ইয়াযীদের ব্লুঘাড়াব্লুক গুরুতররুব্লুপ আহত করল, উদ্যত তরবারি হাতে সে

তার পিঠ থেকে নেমে সিংব্লুহ্ব ন্যায় অগ্রসর হল এবং আবৃত্তি করলং :
ড্রু১ ধ্দ্বুপ্এ স্পো

যদি তোমরা আমার ঘোড়াকে যখন করে থাক তাহলে আমি তার পরওয়া , করি না কেননা,
আমি হুরের ছেলে ব্লুকশরওয়ালা সিংহের চেয়ে সাহসী ৷

বলা হয় যে, এ সময় উমর ইবন সা দ ঐ সবতা তাবু ভেঙে দিতে বলল যেগুলো তাদের
দিক থেকে যুদ্ধের জন্য প্রতিবন্ধক হয়েছিলা তখন যারা তা করতে আসল হযরত হুসারব্লুনর
সঙ্গীরা তাদের হত্যা করতে লাগলা তখন সে এগুলোকে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিলা তখন
হুসায়ন (রা) বললেন, তাদেরকে পোড়াব্লুত দাওা গোড়ার পরও সেগুলো অতিক্রম করে তারা

আসতে পারবে না ! এ সময় শাম্মার হযরত হুসায়নের জন্যে খাটানাে তাবুর কাছে এসে তাতে

বর্শাঘাত করল এবং রলল, আগুন নিয়ে আস ভেতরে যারা আছে, তাদেরকে সহ আমি এই
তাবু পুড়িব্লুয় দিই ৷ তখন মেয়েরা চিৎকার করে তাবু থেকে বেরিয়ে আসব্লুল না তখন হযরত
ছুসায়ন (রা) তাব্লুক বললেন, আল্লাহ্ ,তােমাব্লুক আগুনে ,ব্লু পড়ােন ৷ এ সময় শারীছ ইবন ব্লিবয়ী
দুরাচার শাম্মাব্লুরর কাছে এসে বলল, তোমার কথা, কাজ এবং এই ত্ালোঃাব্ল মোঃ কু;র্কাত
কিছু আমি দেখি নি, তুমি কি ম্নে ব্লুয়দেরব্লুকও আতংকিত করতে চাও ? তখন যে সজ্জিত হয়ে ন্
ফিরতে উদ্যত হলা

হসায়ন ইবন মুললিম্ৰলেন আমি শাম্মারকে ৰ্ল্ল্ান্া সুরহানাল্পাহ্া এটা তোমার জন্য
ব্লুশাভনীয় নয়া তুমি কি তোমার বিরুদ্ধে দু টি অপরাধ একত্র করতে চাও ? আল্লাহর প্
(আগুব্লুনর) শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিয়ে আর নিরপরাধ নারী শিশুদের হত্যা করবে ব্লু আল্লাহর
শপথ ! তোমার নর হত্যার তোমার আমীরব্লুক সন্তুষ্ট করার জন্য যথেষ্টা হুমায়দ বলেন,
তখন সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি ব্লুক ? আমি ৰ্লোঃ, আমি তোমাকে আমার পরিচয়
দিব না আর আমার আশং কা ছিল আমার পরিচয় দিলে সে আমাকে চিব্লুন ব্লুকলত এবং
আমীব্লুরর কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ করত ৷



১ ইবনুল আছমে খো :এাপ্রুা;া ষ্ত্ত )থ্রা () যদি তোমরা আমাকে চিনতে না করে তাহলে ৫জ্বানরাখ, আর্মি
হুর পুত্রা আল মাকতাব্লুল )১া ,ণ্ওাএ ব্লু;শোাধ্দ্বুও :া যদি তোমরা আমার অশ্বব্লুক আহত করে থাক তাহলে
জেনে রাখ, আমি হুরা শু

২ মুল গ্রন্থে এরুপ বিদ্যমানা অন্যন্য উদ্ধৃতি গ্রন্থে ৫; ; এর পরিবর্তে ন্এে সাবিছ রয়েছো


مَنْ يُبَارِزُ؟ فَبَرَزَ لَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَيْرٍ الْكَلْبِيُّ بَعْدَ اسْتِئْذَانِهِ الْحُسَيْنَ، فَقَتَلَ يَسَارًا أَوَّلًا، ثُمَّ قَتَلَ سَالِمًا بَعْدَهُ، وَقَدْ ضَرَبَهُ سَالِمٌ ضَرْبَةً أَطَارَ أَصَابِعَ يَدِهِ الْيُسْرَى، وَحَمَلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَوْزَةَ. حَتَّى وَقَفَ بَيْنَ يَدَيِ الْحُسَيْنِ، فَقَالَ لَهُ: يَا حُسَيْنُ، أَبْشِرْ بِالنَّارِ. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: كَلَّا، وَيْحَكَ! إِنِّي أَقْدَمُ عَلَى رَبٍّ رَحِيمٍ، وَشَفِيعٍ مُطَاعٍ، بَلْ أَنْتَ أَوْلَى بِالنَّارِ. قَالُوا: فَانْصَرَفَ فَوَقَصَتْهُ فَرَسُهُ فَسَقَطَ، وَتَعَلَّقَتْ رِجْلُهُ الْيُسْرَى بِالرِّكَابِ. وَشَدَّ عَلَيْهِ مُسْلِمُ بْنُ عَوْسَجَةَ، فَضَرَبَهُ فَأَطَارَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى، وَغَارَتْ بِهِ فَرَسُهُ، فَلَمْ يَبْقَ حَجَرٌ يَمُرُّ بِهِ إِلَّا ضَرَبَهُ فِي رَأْسِهِ حَتَّى مَاتَ. وَرَوَى أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ قَالَ: كَانَ مِنَّا رَجُلٌ يُدْعَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَيْرٍ مِنْ بَنِي عُلَيْمٍ، كَانَ قَدْ نَزَلَ الْكُوفَةَ، وَاتَّخَذَ دَارًا عِنْدَ بِئْرِ الْجَعْدِ مِنْ هَمْدَانَ، وَكَانَتْ مَعَهُ امْرَأَةٌ لَهُ مَنَ النَّمِرِ بْنِ قَاسِطٍ، فَرَأَى النَّاسَ يَتَهَيَّئُونَ لِلْخُرُوجِ إِلَى قِتَالِ الْحُسَيْنِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشِّرْكِ حَرِيصًا، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ جِهَادِي مَعَ ابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِهَؤُلَاءِ أَفْضَلَ مِنْ جِهَادِ الْمُشْرِكِينَ، وَأَيْسَرَ ثَوَابًا عِنْدَ اللَّهِ. فَدَخَلَ إِلَى امْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرَهَا بِمَا هُوَ عَازِمٌ عَلَيْهِ، فَقَالَتْ: أَصَبْتَ - أَصَابَ اللَّهُ بِكَ - أَرْشَدَ أُمُورِكَ، افْعَلْ
পৃষ্ঠা - ৬৭১৫


এদিকে হযরতহ্ সামনের সঙ্গীদের মধ্য ষুহায়রুবনুল কারন কয়েকজন১ যোদ্ধা নিয়ে
শাম্মার ইবন যুল জাওশানের উপর আক্রমণ করে তাকে তার অবস্থান থেকে হটিয়ে দিল এবং
শাম্মারের সহযোদ্ধা আবু আঘৃযাহ আঘৃ যবাবীকে হত্যা করল ৷ আর হযরত হুসায়নের সঙ্গীদের
কেউ যখন নিহত হত তখন তাদের মাঝে শুন্যন্থান সৃষ্টি হত কিন্তু ইবন যিয়াদ পক্ষের বহুজন
নিহত হলেও তাদের স খ্যাধিক্যের কারণে তাদের মাঝে কোন শুন্যতা প্রকাশ পেত না ৷
ইতিমধ্যে জোহরের নামাযের সময় হল, তখন হযরত হুসায়ন (রা) বললেন, তাদেরকে বল,
আপাতত যুদ্ধন্ণ্থেকে বিরত হতে যাতে আমরা নামায পড়ে নিতে পারি ৷ তখন কুফাবাসী এক
ব্যক্তি বলল, তোমাদের পক্ষ থেকে এটা গ্রহণ করা হবে না ৷ তখন হাবীব ইবন মুতাহ্হার
তাকে বললেন, হতভাগা৷ তোমাদের থেকে গ্রহণ করা হবে, আর রাসুল পরিবারের পক্ষ থেকে
গ্রহণ করা হবে না ? এ যুদ্ধে হাবীব প্রচণ্ড লড়াই করেন ৷ বনী আকফানের বুদায়ল ইবন
সুরায়ম নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেন,

— :ণ্
আমি হাবীব আর আমার পিতা মুতাহ্হার প্রচণ্ড লড়ইি ও তব্রে বুদ্ধের অশ্বারোহী

তোমরা অধিক অস্ত্রশস্ত্র ও স খ্যার অধিকারী আর আমরা যুদ্ধকালে, তোমাদের চেয়ে

অধিক বিশ্বস্ত এবং ধৈর্যশীল ৷

যুক্তি ও প্ৰমাণে আমরাই (শ্রষ্ঠতর আর মথাহুইি স্পষ্টতর ৷ আর আমরা তোমাদের চেয়ে
§?>fi€§ ও পবিত্রতর ৷

এরপর বনু তামীমের এক ব্যক্তি এই হাবীবের উপর আক্রমণ করে এবং তাকে বর্শাঘাত
করে ধরাশায়ী করে ৷ তিনি উঠে দাড়াতে চেষ্টা করলে হাসীন ইবন তার মাথায় তরবাবি
দিয়ে আঘাত করে তখন তিনি পতিত হন৷ এরপর তামীমী লোকটি নেমে তার মাথা কেটে
বিচ্ছিন্ন করে র্বৃকলে এবং (যুদ্ধ শেষে) তাকে ইবন যিয়াদেব কাছে নিয়ে যায় ৷ তখন হাবীবের
পুত্র তার পিতার মাথা দেখে চিনতে পারে, তখন যে ঐ ব্যক্তিকে বলে, আমার পিতার মাথা
আমাকে দাও ৷ আমি তা দাফন করব ৷ একথা বলে সে কেদে ফেলে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর বালকটি যখন বয়৪প্রাপ্ত ও শক্তসামর্থ্য হল তখন তার একমাত্র
চিন্তা ছিল তার পিতহন্তাকে হত্যা করা ৷ এরপর যখন মুস আব ইবন উমায়র কুফার গভর্নর
হলেন, তখন সেই বালক একদিন সুযোগ বুঝে যুসআব ইবন উমায়রের৫ সেনা ছাউনীতে
প্রবেশ করে (দখল তার পিতৃহন্ত সেই ব্যক্তি তার তাবুতেই রয়েছে ৷ তখন দ্বিপ্রহরকালে
বিশ্রামরত তাবস্থুায় সে তার তাবুতে প্রবেশ করে তাকে তরবারির আঘাতে শেষ করে দিল ৷



১ আৎ তাবারীতে (২২ ১৫ ) দশজন সঙ্গী নিয়ে ৷ , ণ্
২ আৎ তাবারীতে মুতাহহার-এর স্থলে মুযাহির এবং ) চ্এে এর স্থলে গ্লু আর আল মাকতালে ভো)
;গ্রাব্ল(শক্তিমান সিংহ) রয়েছে ৷

৩ আৎ তাবারীতে ;£, ও১ং১ং৷ অধিক অস্ত্রশস্ত্র ও স খ্যাধিকারী ৷

৪ আৎ তাবারীতে ;))ণ্া; ণ্ৎ :ও৷ রুট্ট১ আর আমরা তোমাদের চেয়ে আল্লাহ্ভীরুও ৷

৫ এটা ছিল ঘুসআবের রাজমীর৷ অভিযানকালে আর হাবীব পুত্রের নাম ছিল আসিম ৷


وَأَخْرِجْنِي مَعَكَ. قَالَ: فَخَرَجَ بِهَا لَيْلًا حَتَّى أَتَى الْحُسَيْنَ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ رَمْيِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ بِالسَّهْمِ، وَقِصَّةَ قَتْلِهِ يَسَارًا مَوْلَى زِيَادٍ، وَسَالِمًا مَوْلَى ابْنِ زِيَادٍ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَيْرٍ اسْتَأْذَنَ الْحُسَيْنَ فِي الْخُرُوجِ إِلَيْهِمَا، فَنَظَرَ إِلَيْهِ الْحُسَيْنُ، فَرَأَى رَجُلًا آدَمَ طَوِيلًا شَدِيدَ السَّاعِدَيْنِ، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: إِنِّي لَأَحْسَبُهُ لِلْأَقْرَانِ قَتَّالًا، اخْرُجْ إِنْ شِئْتَ. فَخَرَجَ فَقَالَا لَهُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَانْتَسَبَ لَهُمَا. فَقَالَا: لَا نَعْرِفُكَ. فَقَالَ لَهُمَا: يَا أَوْلَادَ الزَّانِيَةِ، أَوَ بِكُمْ رَغْبَةٌ عَنْ مُبَارَزَةِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ؟ ! وَهَلْ يَخْرُجُ إِلَيْكُمَا أَحَدٌ إِلَّا وَهُوَ خَيْرٌ مِنْكُمَا؟ ثُمَّ شَدَّ عَلَى يَسَارٍ، فَكَانَ كَأَمْسِ الذَّاهِبِ، فَإِنَّهُ لَمُشْتَغِلٌ بِهِ إِذْ حَمَلَ عَلَيْهِ سَالِمٌ مَوْلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَصَاحَ بِهِ: قَدْ رَهِقَكَ الْعَبْدُ. قَالَ: فَلَمْ يَنْتَبِهْ لَهُ حَتَّى غَشِيَهُ، فَضَرَبَهُ عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى، فَأَطَارَ أَصَابِعَهُ، ثُمَّ مَالَ عَلَيْهِ الْكَلْبِيُّ، فَضَرَبَهُ حَتَّى قَتَلَهُ وَأَقْبَلَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: إِنْ تُنْكِرَانِي فَأَنَا ابْنُ كَلْبِ ... حَسْبِي بَيْتِي فِي عُلَيْمٍ حَسْبِي إِنِّي امْرُؤٌ ذُو مِرَّةٍ وَعَصْبِ ... وَلَسْتُ بِالْخَوَّارِ عِنْدَ الْكَرْبِ
পৃষ্ঠা - ৬৭১৬


আবু মুখা নৃনাফ বলেন, আমাকে মুহাম্মদ ইবন কায়স বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, যখন
হাবীব ইবন মৃতাহ্হার নিহত হলেন, তখন হযরত হুসায়ন (রা) এর মন ভেঙে গেল এবং
তিনি বললেন, এবার আমি আমার নিজের প্রাণের বিনিময় অ ল্লা৷হ্র কাছে প্রত্যাশা করছি ৷ আর
হুর আবৃত্তি করে হযরত হুসায়ন (আঃ কে বললেন,
শপথ করেছি আমার আগে আপনাকে নিহত হতে দুেব না, এবং আজ আমাকে পশ্চাত
থেকে আঘাত করা যাবে না ৷
তরবারি দ্বারা তাদেরকে অপ্রতিহত কতনকা ৷রী আঘাত করব যা তাদের থেকে ফিরে আসবে
না এবং ব্যর্থ হয়ে না ৷
তারপর তিনি ষুহায়র ইবন আল কায়নের বিরুদ্ধে তীব্র লড়হিয়ে লিপ্ত হলেন ৷ তাদের
একজন যখন প্ৰতিপক্ষের উপর আক্রমণ করতে গিয়ে অন্যদের দ্বারা পবিবেষ্টিত ৩হরে পড়হ্নিা;
তখন অন্যজন তার উপরে পাল্টা আক্রমণ করে তবে সে অবস্থা থেকে উদ্ধার করছিল ৷
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ অতিবাহিত হল ৷ এরপর শত্রুপক্ষের কয়েকজন হুর ইবন ইয়াযীদের
উপর একযোগে আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷ আর আবু সুমাম৷ আস সাইদী তার শত্রু
তার এক চাচাত ভাইকে হত্যা কর্বে ৷ এরপর হযরত হুসায়ন (রা) র্তার ন্হ্নন্সঙ্গীদের নিয়ে
জোহব্রের ঙ্গালাভুল খ্যাঃফ আদায় করলেন ৷ তারপর উভয় পক্ষ তুমুল লড়ইিয়ে লিপ্ত হল ৷ এ
ং সময় হযরত হুসায়নের প্রধান সঙ্গীরা জকে রক্ষায় প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তৃলল ৷ যুহায়র ইবন
আল কায়ন ভীব্রে লড়াই করলেন ৷৩ তীর এক সঙ্গী যখন তীর বিদ্ধ হয়ে হযরত রসায়নের সামনে
ধরাশায়ী হল, তখন তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেন,
আমি যুহায়ৱ আমি কারন পুত্র ৷ তরবাব্লির আঘাতে হুসায়ন থেকে আমি তোমাদের প্রতিহত
করব ৷ বর্ণনাকাল্লী বলেন, এরপর তিনি হযরত হনা-রনের কাধ চাপড়ে বলতে লাগলেন,
ন্ হে সুপথপ্রাপ্ত ও সুপথ প্রদশ্নিকারী আপনি অ্যাসৰু হোন কেননা আজ আপনি আপনার
নান৷ ৷-নর্বী করীম (সা) এর সাক্ষাত পারেন ৷
৷ , ২১

আরো সাক্ষাত পাবেন হাসানের, আলী মুর৩ তযার, অস্ত্রধারী বীর জা ফব তায়া৷রের এবং
শেরে ক্তৃখা দৃ৷ যিনি অমর শহীদ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় কাহীর ইবন আবদুল্লাহ আশৃশারী এবং মুহাজিব্র ইবন আওস
একযোগে তারউপব আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে৷ তিনি আরও বলেন, নাফে২ ইবন





২ মুল গ্রন্থে রয়েছে, তদ্র্যপ আতৃ তাবারী ও আল কামিলে আর ইবনুল আ ছমে (৫২০০) রয়েছে হিলাল ইবন
রাক্ষে আন বজািলী ৷ “


إِنِّي زَعِيمٌ لَكِ أُمَّ وَهْبِ ... بِالطَّعْنِ فِيهِمْ مُقْدِمًا وَالضَّرْبِ ضَرْبِ غُلَامٍ مُؤْمِنٍ بِالرَّبِّ فَأَخَذَتْ أُمُّ وَهْبٍ عَمُودًا، ثُمَّ أَقْبَلَتْ نَحْوَ زَوْجِهَا تَقُولُ لَهُ: فِدَاؤُكَ أَبِي وَأُمِّي، قَاتِلْ دُونَ الطَّيِّبِينَ ذُرِّيَّةِ مُحَمَّدٍ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. فَأَقْبَلَ إِلَيْهَا يَرُدُّهَا نَحْوَ النِّسَاءِ، فَأَقْبَلَتْ تُجَاذِبُهُ ثَوْبَهُ. قَالَتْ: دَعْنِي أَكُونُ مَعَكَ. فَنَادَاهَا الْحُسَيْنُ: انْصَرِفِي إِلَى النِّسَاءِ فَاجْلِسِي مَعَهُنَّ، فَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ قِتَالٌ. فَانْصَرَفَتْ إِلَيْهِنَّ. قَالَ: وَكَثُرَتِ الْمُبَارَزَةُ يَوْمَئِذٍ بَيْنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَالنَّصْرُ فِي ذَلِكَ لِأَصْحَابِ الْحُسَيْنِ ; لِقُوَّةِ بَأْسِهِمْ، وَأَنَّهُمْ مُسْتَمِيتُونَ، لَا عَاصِمَ لَهُمْ إِلَّا سُيُوفُهُمْ، فَأَشَارَ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ عَلَى عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ بِعَدَمِ الْمُبَارَزَةِ، وَحَمَلَ عَمْرُو بْنُ الْحَجَّاجِ أَمِيرَ الْمَيْمَنَةِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: قَاتِلُوا مَنْ مَرَقَ مِنَ الدِّينِ، وَفَارَقَ الْإِمَامَ وَالْجَمَاعَةَ. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: وَيْحَكَ يَا حَجَّاجُ! أَعَلَيَّ تُحَرِّضُ النَّاسَ؟ ! أَنَحْنُ مَرَقْنَا مِنَ الدِّينِ وَأَنْتُمْ ثَبَتُّمْ عَلَيْهِ؟ ! سَتَعْلَمُونَ إِذَا فَارَقَتْ أَرْوَاحُكُمْ أَجْسَادَكُمْ مَنْ أَوْلَى بِصِلِيِّ النَّارِ. وَقَدْ قُتِلَ فِي هَذِهِ الْحَمْلَةِ مُسْلِمُ بْنُ عَوْسَجَةَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ، فَمَشَى إِلَيْهِ الْحُسَيْنُ، فَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَهُوَ عَلَى آخِرِ رَمَقٍ، وَقَالَ لَهُ حَبِيبُ بْنُ مُظَهِّرٍ: أَبْشِرْ بِالْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ بِصَوْتٍ ضَعِيفٍ: بَشَّرَكَ اللَّهُ بِالْخَيْرِ. ثُمَّ قَالَ لَهُ حَبِيبٌ: لَوْلَا أَنِّي أَعْلَمُ أَنِّي عَلَى إِثْرِكَ لَاحِقُكَ، لَكُنْتُ أَقْضِي مَا تُوصِينِي بِهِ. فَقَالَ لَهُ مُسْلِمُ بْنُ عَوْسَجَةَ: أُوصِيكَ بِهَذَا - وَأَشَارَ إِلَى الْحُسَيْنِ - أَنْ تَمُوتَ
পৃষ্ঠা - ৬৭১৭


হিলাল আল জামালী ছিলেন হযরত হুসায়ন (রা) এর অন্যতম সঙ্গী ৷ তিনি তার তীরের
পশ্চা দভাগে লিখে বিষ মাখিব্লুয় তা নিক্ষেপ করতে লাগলেন এবং আবৃত্তি করতে লাগলেন


তার পশ্চাদভাগ চিহ্নিত করে আমি তা নিক্ষেপ করছি

আর আমি হলাম জামালী আলীর অনুসারী ৷

এভাবে তিনি উপর ইবন সাদের বাব্লুরাজন যােদ্ধাকে হত্যা করেন ৷ আর যাদেরকে আহত
করেন তাদের সংখ্যা স্বতন্ত্র ৷ এরপর আঘাত করে তার বাহুদ্বয় উড়িয়ে দেয়৷ হয় ৷ অতঃপর
শত্রুর৷ ভীকে বন্দী করে উমর ইবন সাদের কাছে নিয়ে আসে, তখন সে তাকে বলল, দুর্তোপ
আছে তোমার কপালে ৷ হে রাফে! নিজের এই পরিণতি বরণে কিসে তাের্মাকে প্রব্লুরাচিত
করল ৷ তখন তিনি বললেন, আমি কি ব্লু চব্লুয়ছি তা আমার রবই ভাল জানেন, এ সময় তার
শরীর এবৎদ র্দাড়িব্লুত রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল ৷

তারপর তিনি নিজেই বললেন, আল্লাহর শপথ আহতব্লু,দর ছাড়াই আমি তোমাদের বারজন
যােদ্ধাকে হত্যা করেছি ৷ আর ব্লু৩ ৷মাদের বিরুদ্ধে আমি যে প্রাণান্ত লড়াই করেছি তার জন্য
আমি নিজেকে তর্শ্বসনা করছি না ৷ আর আমার একটি বাহুও যদি অক্ষত থাকত তাহলে তোমরা
আমাকে বন্দী করতে পারব্লুত না ৷ তখন শাম্মার উমরকে বলল, তাকে হত্যা করুন ৷ তখন সে
বলল, তুমি তাকে নিয়ে এসেছ, তুমি চাইলে তুমিই তাকে হত্যা কর ৷ তখন শাম্মার অগ্রসর
হয়ে তার তরবারি উদ্যত করল, তখন নাফে তাকে বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ হে শস্ফোর তুমি
যদি মুসলমান হতে তবে আমাদের রক্ত মেখে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার ত্তন্যে
সম্ভব হত না ৷ প্রশংসা আল্লাহর যিনি তার নিকৃষ্টতম মাখলুব্লুকর হাতেই আমাদের মৃত্যু নির্ধারণ
করেছেন৷ এরপর সে তাকে হত্যা করল ৷ তারপর শাম্মার অগ্রসর হয়ে হ্বরত হুসায়ন (রা)
কে পরিবেষ্টনকারী অবশিষ্ট সঙ্গীব্লুদর উপর আক্রমণ করল ৷ এ সময় তার সাথে যোদ্ধা সংখ্যা
বহু বৃদ্ধি গেল এবং তারা হযরত হুসায়ব্লুনর অতি নিকটে পৌছে যাওয়ার উপক্রম হল ৷
হযরত হুসুায়ন (রা) এর সঙ্গীরা যখন ব্লুদখল যে শত্রুরা সং খ্যাধিব্লুক্য তাদেরকে পরাজিত

করে ফেব্লুলছে এবং এখন আর তারা হযরত হুসায়ন (রা) ব্লুক রক্ষায় কিংবা আত্মরক্ষায় সক্ষম

নয় তখন তারা তার সামনে আত্মবিসর্জ্য৷ দেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করল ৷ এ সময়
আযরাহ৩ গিফারীর দুই পুত্র আব্দুর রহমান ও আব্দুল্লাহ এসে হযরত হুসায়ন (রা) কে
বললো , হে আবু আবদুল্লাহ! আপনার উপর শাস্তি বর্ষিত হোক ৷ শত্রু আমাদেরকে আপনার



২ইবনুল আছমে রয়েছে :৮ :১ :১ ১১ :১১ :া : ১১ :ড়ু১পৌখো ণ্১গ্রা তা আমি তাযীমী অতপৱ

বাজালী বীর আমার দীন হুসায়ন ইৰ্ন আলীর দীন :া১৷ :শা ক্ট্র৷ র্ত্যাএ এা১এ ,,া ৷১দ্বু ণ্;১া৷ ঢো তা
যদি আমি আজ নিহত হই তাহলে এটাই আমার কাজ; আর আমার আবার সাক্ষাত পাওয়া পর্যন্ত সেটাই আমার
রায়

৩ আল কাষিব্লুল (৪৭২) আয়ওয়াদ৷ ইবনুল আ ছলে (৫১৯৪ ) কুরর৷ ইবন আবু কুররা আল গিফারী যার

নুরুল আয়ব্লুন, মুররা ইবন মুররা রয়েছে ৷

دُونَهُ. قَالُوا: ثُمَّ حَمَلَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ بِالْمَيْسَرَةِ، وَقَصَدُوا نَحْوَ الْحُسَيْنِ، فَدَافَعَتْ عَنْهُ الْفُرْسَانُ مِنْ أَصْحَابِهِ دِفَاعًا عَظِيمًا، وَكَافَحُوا دُونَهُ مُكَافَحَةً بَلِيغَةً، فَأَرْسَلُوا يَطْلُبُونَ مِنْ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ طَائِفَةً مِنَ الرُّمَاةِ الرَّجَّالَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ نَحْوًا مِنْ خَمْسِمِائَةٍ، فَجَعَلُوا يَرْمُونَ خُيُولَ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ، فَعَقَرُوهَا كُلَّهَا حَتَّى بَقِيَ جَمِيعُهُمْ رَجَّالَةً، وَلَمَّا عَقَرُوا جَوَادَ الْحُرِّ بْنِ يَزِيدَ نَزَلَ عَنْهُ وَفِي يَدِهِ السَّيْفُ كَأَنَّهُ لَيْثٌ وَهُوَ يَقُولُ إِنْ تَعْقِرُوا بِي فَأَنَا ابْنُ الْحُرِّ ... أَشْجَعُ مِنْ ذِي لِبْدَةٍ هِزَبْرِ وَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ أَمَرَ بِتَقْوِيضِ تِلْكَ الْأَبْنِيَةِ الَّتِي تَمْنَعُ مِنَ الْقِتَالِ مَنْ أَتَى مِنْ نَاحِيَتِهَا، فَجَعَلَ أَصْحَابُ الْحُسَيْنِ يَقْتُلُونَ مَنْ يَتَعَاطَى ذَلِكَ، فَأَمَرَ بِتَحْرِيقِهَا، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: دَعُوهُمْ يَحْرِقُونَهَا، فَإِنَّهُمْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَجُوزُوا مِنْهَا وَقَدِ أُحْرِقَتْ. وَجَاءَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ قَبَّحَهُ اللَّهُ، إِلَى فُسْطَاطِ الْحُسَيْنِ، فَطَعَنَهُ بِرُمْحِهِ - يَعْنِي الْفُسْطَاطَ - وَقَالَ: ائْتُونِي بِالنَّارِ لِأُحَرِّقَهُ عَلَى مَنْ فِيهِ. فَصَاحَتِ النِّسْوَةُ وَخَرَجْنَ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: أَنْتَ تُرِيدُ أَنْ تَحْرِقَ أَهْلِي؟ ! أَحْرَقَكَ اللَّهُ بِالنَّارِ. وَجَاءَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ إِلَى شَمِرٍ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، فَقَالَ لَهُ: مَا رَأَيْتُ أَقْبَحَ مِنْ قَوْلِكَ وَمَوْقِفِكَ هَذَا، أَتُرِيدُ أَنْ تُرْعِبَ النِّسَاءَ؟ ! فَاسْتَحْيَا، وَهَمَّ بِالرُّجُوعِ.
পৃষ্ঠা - ৬৭১৮


কাছে হীকিয়ে নিয়ে এসেছে ৷ , কাজেই, এখন আমরা চাই আপনাকে রক্ষায় আপনার সামনে
নিহত হতে ৷ তখন তিনি বললেন, তোমাদের দৃ’জন৫ক স্বাগতম ৷ তোমরা আমার কাছে এসে
যাও ৷ তখন তারা দু’জন তার নিকটবর্তী হলেন এবং তার অতি কাছে থেকে লড়ইি করতে
লাগলেন ৷ এ সময় তারা দু’জন আবৃত্তি করছিলেন-
বানু পিফার অতঃপর বানু নিযার অতঃপর বানু খিনৃদিফ নিশ্চিতভাবে ৫জ৫ন৫ছ-


আমরা অবশ্যই পাপিষ্ঠ দলকে প্রতিটি অপ্রতিহত ও ধারালাে তরবারি দ্বারা আঘাত করব


হে সম্প্রদায় ! শ্রেষ্ঠ পিতাদের সন্তানদের পক্ষে লড় অত;াৎকৃষ্টত তরবারি ও আ৫ন্দালিত বর্শা
দ্বারা ৷

এরপর তার সঙ্গীরা একজন একজন এবং দু’জন দু জন করে তার কাছে আসতে লাগ৫লন
এবং তার সামনে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাপ৫লন ৷ আর হযরত হ্বফ্লো (রা) তাদের
জন্য দুআ করে বলছি৫লন,আল্পাহ্ তােষাদের৫ক মৃত্তাকী৫দর সর্বোত্তম বিনিময় দান করুন ৷
তারা:এ৫ক্যা পর একএ৫স হযরত হুসায়ন (রা)ষ্৫ক সালাম করতে লাগলেন এবং শত্রুর
বিরুদ্ধে লডইি করে নিহত হতে লাগ৫লন ৷ এরপর;আবি ইবন আবু শাকীবংএসে বললেন, হে
আবু আবদুল্লাহ এখন পৃথিবীর বুকে আমারত্এমন৫কান আত্মীয় বা অনাত্মীয় নেই যে; আমার
কাছে আপনার চেয়ে প্রিয় ৷ যদি আমি আমার প্রাণের চেয়ে মুল্যবান ন্৫কান কিছুর দ্বার উঃ আপনার
থেকে এই জুলুম ও হত্যা প্রতিহত করতে পারতাম তাহলে অবশ্যই তা কবতাম ৷ ৫হ আবু
আবদুল্লাহ ৷ আপনার উপর শাস্তি বর্ষিত হোক ৷ আমার জন্য সাক্ষী থাকুন যে, আমি আপনার
তরীকারঅনুসায়ী ৷

অতঃপর তিনি তার উন্মুক্ত ও চকচ৫ক তরবারি হাতে অগ্রসর হলেন ৷ উল্লেন্ যে তার
কপালে তরবারির আঘাতের চিহ্ন ছিল, আর তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী পুরুষ ৷ এরপর ছুাক
দিয়ে বললেন, কে আছু একজনের মোকাবেলযে একজন ? এস আমাব মোকাবেলযে ৷ তখন
তারা তা৫ক চিনতে পেরে ভীর থেকে পিছু হটল ৷ ণ্
তারপর উমর ইবন সা দ বলল, পাথর ছুড়ে তাকে শেষ করে দাও ৷ তখন তাকে লক্ষ্য
করে চারদিক হতে পাথর ছোড়া হতে লাগল ৷ তিনি যখন এ অবস্থা দেখলেন তখন তার বর্ম ও
শিরস্ত্রাণ ছুড়ে ফেললেন ৷ এবপব শক্রাদব উপর আক্রমণ ব্বালন ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আমি
তাকে দু’শর ৫বশি শত্রুযোদ্ধা৫ক একসাথে তাড়া করে ফিরতে ৫দ৫খছি ৷ এরপর তারা চতুর্দিক
থেকে ৫বষ্টন করে নেয় এবং তিনি নিহত হন ৷ আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ এরপর আমি
একাধিক ব্যক্তিকে তার মাথা ধরে রাখতে দেখেছি, প্রত্যেকের দাবী সে তাকে হত্য ৷ করেছে ৷
এরপর যখন তারা বিষয়টির মীমাংসার জন্য উমর ইবন সা৫দর কাছে তার মাথা নিয়ে
উপস্থিত হল, তখন সে বলল, তার হত্যার ব্যাপারে বিবাদ করা না ৷ ৫কনন৷ একজন তা৫ক
হত্য ৷ করে নি ৷ একথা ব৫ল ৫স তাদের৫ক বিচ্ছিন্ন করে দিন ৷





ন্ ১ আভু তারারী৫ত র৫য়্৫ছু ;া)১ন্৷ স্বাধীন ৷ ন্ ,

আলৰিদায়া ওয়ান নিহায়া-৪ :


وَقَالَ حُمَيْدُ بْنُ مُسْلِمٍ: قُلْتُ لِشَمِرٍ: سُبْحَانَ اللَّهِ! إِنَّ هَذَا لَا يَصْلُحُ لَكَ، أَتُرِيدُ أَنْ تَجْمَعَ عَلَى نَفْسِكَ خَصْلَتَيْنِ ; تُعَذِّبُ بِعَذَابِ اللَّهِ، وَتَقْتُلُ الْوِلْدَانَ وَالنِّسَاءَ! وَاللَّهِ إِنَّ فِي قَتْلِكَ الرِّجَالَ لَمَا تُرْضِي بِهِ أَمِيرَكَ. قَالَ: فَقَالَ لِي: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: لَا أُخْبِرُكَ مَنْ أَنَا. وَخَشِيتُ أَنِّي إِنْ أَخْبَرْتُهُ فَعَرَفَنِي، أَنْ يَسُوءَنِي عِنْدَ السُّلْطَانِ. وَشَدَّ زُهَيْرُ بْنُ الْقَيْنِ فِي رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ عَلَى شَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ، فَأَزَالُوهُ عَنْ مَوْقِفِهِ، وَقَتَلُوا أَبَا عَزَّةَ الضِّبَابِيَّ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ شَمِرٍ، وَكَانَ الرَّجُلُ مِنْ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ إِذَا قُتِلَ بَانَ فِيهِمُ الْخَلَلُ، وَإِذَا قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ زِيَادٍ الْجَمَاعَةُ الْكَثِيرَةُ لَمْ يَتَبَيَّنْ ذَلِكَ فِيهِمْ لِكَثْرَتِهِمْ، وَدَخَلَ عَلَيْهِمْ وَقْتُ الظُّهْرِ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: مُرُوهُمْ فَلْيَكُفُّوا عَنِ الْقِتَالِ حَتَّى نُصَلِّيَ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ: إِنَّهَا لَا تُقْبَلُ مِنْكُمْ. فَقَالَ لَهُ حَبِيبُ بْنُ مُظَهِّرٍ: وَيْحَكَ! أَتُقْبَلُ مِنْكُمُ الصَّلَاةُ وَلَا تُقْبَلُ مِنْ آلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! وَقَاتَلَ حَبِيبٌ قِتَالًا شَدِيدًا حَتَّى قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৭১৯


» এরপর হযরত হুসায়নের সঙ্গীরা ভীর সামনে লড়াই করতে করতে সবইি নিহত হলেন
এবং একমাত্র সুওয়ায়দ ইবন আমর ইবন আবু মুতাপ আল খাছআমী১ ব্যতীত তার সাথে আর
কেউ থাকল না ৷ আর হযরত হুসায়নের স্বজন ও বনু আবু তালিবের প্রথম যে ব্যক্তি নিহত হন
তিনি হলেন, আলী-আকবার ইবন হুসায়ন ইবন আলী ৷ তার মা হলেন; লড়ায়লা বিনৃত আবু
মুবৃর৷ ইবন্৷ উরওয়া ইবন মাসউদ আছুছাকাফী ৷ মুবৃর৷ ইবন মুনকিয্ ইবন নুমান আল গাবদী
বর্শাঘাতে তাকে হত্যা করে ৷ কেননা, তিনি তার পিতাকে রক্ষা করছিলেন আর সে (মুবৃরা)
ভীকে আক্রমণ করতে চাচ্ছিল, তখন আলী ইবন হুসায়ন আবৃত্তি করলেন,

ৰু,,া,৷ ;ঘ্রা
আমি আলী ইবন হুসায়ন ইবন আলী শপথ আল্লাহর ঘরের আমরা নবীর ঘনিষ্টতর
আল্লাহর শপথ ৷ পিতৃ পরিচয়ে সন্দেহযুক্ত ব্যক্তির পুত্র আমাদের ব্যাপারে ফয়সালা করতে
পারবে না ৷ আর দেখ কিভাবে আমি আমার পি৩ ৷র চারপাশে বুহ্য রচনা কারছি ৷
ৰুহ্রপ্রথমে মুবৃর৷ তাকে বর্শাঘাত করল তারপর অন্যেরা ভীকে চারপাশ থেকে বেষ্টন করে নিল
এবং তরবারির আঘাতে ভীকে কেটে ফেলল ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) বললেন বৎসা
তােমাকেযারা হত্যা করল আল্লাহ যেন তাদেরকে হতা৷ করেনৰুহুআল্লাহ্র প্রতি এবং তার
পবিত্র ৰিষয়াদির পবিত্রত৷ লঙ্ঘনের প্ৰতি তাদের কী স্পর্ধা ? তোমার পর দুনিয়া ধ্বংস হোক ৷
, :ষ্ বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় সুর্যের ন্যায় উজ্জ্বল সৌন্দর্যের অগ্নিকারিণী এক তরুণী বেরিয়ে
এসে বললেন, হায় ৬াইজ ন ৷ হার ভাতিজা ৷ ইনি ছিলেন হযরত আলী ও ফাতিমার কন্যা
যায়নাব (রা) ৷ন্ এরপর তিনি তার ধরাশায়ী ভাতিজার উপর :ঝুকে পড়লেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
তখন হযরত হুসায়ন (রা) এসে তার হাত ধরে ভীকে ভীবুতেপ্ৰবেশক্লরালেনণ্ ৷ এরপর হযরত
হুসায়নের নির্দেশে আলী আকবারকে সেখান থেকে তার ভীবুর সামনে তার কাছে নিয়ে আসাং
হল ৷ এরপর প্রখবুম্ৰুন্আবদৃল্লাহ্ ইবন মুসলিম, ইবন ত্ষ্হ্নার্কীল,৪ তারপর আবদৃল্লাহ্ ইবন



১ আৎ তাবারীতে (৬২৫৫) বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং হ্রশীর ইবন আমর আল হাষরমী ৷ আর অহুল-কামিলে
(৪৭৩) রয়েছে আখ ষাহহাক ইবন আব্দুল্লাহ আল মাশ্ারাফী এবং তারা দু জুদ্বুা, বলেন, তিনি হযরত হু সা য়নের
কাছে এসে বললেন যদি আমি কোন যোদ্ধ৷ না দেখি তাহলে আমি প্র৩া৷বর্তন থেকে দায়মুক্ত প্ তখন হযরত
হুসায়ন (রা) তাকে বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ ৷ তিনি বলেন, তখন আমি আমার অশ্বে আরোহণ করলাম এবং
লোকদের উপর আক্রমণ করলাম এবং সালাম করলাম ৷ ,

২ আতৃ তাবারীতে (৬২৫৬) এবং আল-কামিলে (৪৭৪ ) কা বাগৃা;হর শপথ আমরা

৩ আতৃ তাব্বরী আলকামিল ও যুরুজুয়য়হিাব থেকে প্রথম পত্ক্তিটি আর ইবনুল আ ছমে (৫২০৯)
রয়েছে ৷ দ্বু১া£া ড্রু আল্লাহ্র শ্াপথ পিতৃ পরিচয়ে
সন্দেহযুক্ত ব্যক্তির সন্তান আমাদের ব্যাপারে ফয়সালা করতে পারব্রে না, আমি তোমাদের এমন বর্শাঘাত করব
যে, তা বেকে য়াবে ৷ শুণ্)ও ঞাং ণ্ট্টা০ ১৬৪ ১ :ণ্ , ণ্^১৷ এ্যাহু ণ্র্ন্তএ)১৷ পিতাকে রক্ষার্থে আমি
তোমাদের তরবারি দ্বারা আঘাত করব আলাভী কৃরায়শী ৰীরের আঘাত ৷

৪ ইবনুলবুআ ছমবু বলেন, হযরত হুসায়নের ছেলে ও ভ্রাতাদের মধ্যে সর্বপ্রথম যারাণ্ণ্ণ্বর হন তারা: হলেন,
আন্দুল্লাহ্ ইবন মুসলিম ইবন আকীল ৷ অতঃপর জাফর ইবন আকীল, তারপর তার,ভাই আব্দুর রহমান্ইবন
আকীল ৷ তারপর মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন জা ফর, অতঃপর আওন ইবন আব্দুল্লাহ ইবন জাফর অতঃপর
আব্দুল্লাহ্ ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু তালিব (রা) ৷ অতঃপর হযরত হুসায়নের ভাই আবু বকর ইবন
আলী অগ্রসর হলেন আর তার মা হলেন লায়লা বিনৃত মাসউদ ইরন খালিদ রিবয়ী যিনি তামীমী ছিলেন ৷


ثُمَّ صَلَّى الْحُسَيْنُ بِأَصْحَابِهِ الظُّهْرَ صَلَاةَ الْخَوْفِ، ثُمَّ اقْتَتَلُوا بَعْدَهَا قِتَالًا شَدِيدًا، وَوُصِلَ إِلَى الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَدَافَعَ عَنْهُ صَنَادِيدُ أَصْحَابِهِ، فَقُتِلَ زُهَيْرُ بْنُ الْقَيْنِ بَيْنَ يَدَيِ الْحُسَيْنِ، وَقَاتَلَ دُونَهُ نَافِعُ بْنُ هِلَالٍ الْجَمَلِيُّ، فَقَتَلَ اثْنَيْ عَشَرَ مِنْ أَصْحَابِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ سِوَى مَنْ جَرَحَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৬৭২০


জা ফরের দুই পুত্র আব্দুর রহমান ও জা ফর এবং তাদের পর কাসিম ইবন হাসান ইবন আলী
(রা) নিহত হলেন ৷
আর মুখৃখানৃনাফ বলেন, আমাকে ফুযায়ল ইবন খাদীজ জালকিব্ৰদী বর্ণনা করেছেন যে
ইয়াষীদ ইবন যিয়াদ যিনি ছিলেন, দক্ষ ভীরন্দাজ আবু শৃশাছা আল কিনানীন্ এবং বনু
বাহ্দ্দালা গোত্রের সদস্য ৷ হযরতহুসায়নের সামনে ইাটু গেড়ে বব্লুস একশত ভীর নিক্ষেপ
করলেন যাব পাচটি ভীরও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি ৷ তিনি যখন তীর নিক্ষেপ শেষ করলেন, তখন
বললেন, আমার মনে হয় আমি পাচজনব্লুক হত্যা করেছি ৷
আমি ইয়াষীদ আমি যুহাজির, শক্তিশালী ও বিশালব্লুদহী সিংহের চেয়ে সাহসী ৷
আমার রবের কসন৷ আমি হুসায়নের সাহায্যর্কাবী আর ইবন সাব্লুদর কপালে রয়েছে
পরিতা৷গক৷ ৷রী ৷’
ঐতিহাসিকগণ বলেন, এরপর হযরত হুসায়ন (রা) একাকী অৰছুাহৃাদীর্ঘক্ষণ অবস্থান
করলেন, যে ই তার দিকে অগ্রসর হয় সে ই ফিরে যায় ৷ তার হত্যার দায় বহন করতে চায়
না ৷ অবশেষে ম৷ ৷লিক ইবন বশীর নামে বানু বাদ্দার এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে হযবত হুসায়ন
(রা) এব মাথায় তরব৷ ৷রি দ্বারা আঘাত করে তার মাথা রক্তাক্ত করে দিল ৷
হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথায় যে টা ধরনের টুপি ছিল ৷ সোকটির আঘাত তা ভেদ
করেন্ন্র্তার মাথায় আঘাত করল ৷ ফলে তার মাথার সেই টুপি রক্তে ভরে উঠল ৷ তখন
হুসায়ন (বা) তাকে বললেন, তা দ্বারা যেন তোমার পানাহার না হয়৷ তোমার হাশর যেন
জালিমদের সাথে হয় ৷ এবপব তিনি সেই টুপি খুলে তার পাগড়ী লাগিয়ে তা পরিধান
করলেন ৷
আবু যুখাননাফ বলেন, আমাকে সুলায়মান ইবন আবু রাশীদ হুসায়ন থেকে বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, (এ সময়) চীদের টুকরোর ন্যায় এক কিশোর তরবারি হাতে আমাদের দিকে
অগ্রসর হল ৷ এ সময় তার পবনে ছিল লুঙ্গি ও কুর্তা আর তার পায়ের জুতাদ্বয়ের একটির ফিতা
শ্ ডঃছিড়ে গিয়েছিল ৷ আমার ভালভাবে স্মরণ আছে যে, সেটি ছিল বাম পায়ের জুতা ৷ তখন
উমর-ছু ইবন সাদ ইবন ন্নুফায়ল আল আয্দী আমাদেরকে বলল, আল্লাহর কলম! আমি তার
শ্ উপর আক্রমণ করব ৷ তখন আমি তাকে বললাম, সৃবহানাল্পৰু হ্ ৷ তা করে তোমার কি লাভ ?



অতঃপর তার ভাই উমর ইবন আলী তার মা হলেন সাহ্বা ৰিনত রবী আ ইবন বুজায়র যিনি বানু তাপলিব
গোত্রের মেয়ে জাম্রহ্ারাভু আনসাবিল আরব ৩৩ ৪পৃ তারপর উসমান ইবন আলী তারপৱ জাফর ইবন আবু
তালিৰ্ অতঃপর আব্বাস ইবন আলী এবং তারপর আংনর হন আলী ইবন হসায়ন ৷ আল ষ্ণুতৃহ্ ৫২০ ২ পৃ৪
পরবর্তী অংশ দ্রষ্ক

১ আতৃ তারারীত্তে (৬২৩২ঘ্র২৫৫) এবং আল কামিলে (৪৭৩) আ ৷লফিনৃদী রয়েছে ৷

২ আৎ তাবারীতে )১া৷ ঞ ৰু এ্যা :এ ৫গ্রা৷ )১শ্লো! ষ্এ৷ ; ১১ তা আমি ইয়াষীদ আর আমার পিতা
সিংহ পুরুষ গুহাবাসী সিংহের চেয়ে অধিক সাহসী ৷

৩ আতৃ তাবারীতে আল কামিলে রয়েছে আননুসায়র, সে বনু কিনৃদার এক বাক্তি ৷

৪ আৎ তাবারী ও আল কামিলে রংয়ব্লুছ আমব ইবন সা দ, আর এ ব্যক্তি উক্ত বাহিনীর সর্বাধিনায়ক উমর ইবন
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস নয় ৷


أُسِرَ وَكُسِرَتْ عَضُدَاهُ وَمَعَ هَذَا ضَرَبَ عُنُقَهُ بَيْنَ يَدَيْ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ، ثُمَّ حَمَلَ شَمِرٌ عَلَى أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ وَهُوَ يَقُولُ خَلُّوا عُدَاةَ اللَّهِ خَلُّوا عَنْ شَمِرْ ... يَضْرِبُهُمْ بِسَيْفِهِ وَلَا يَفِرْ وَصَمَّمَ عَلَيْهِمُ الْأَعْدَاءُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ وَتَكَاثَرُوا عَلَيْهِمْ، وَتَفَانَى أَصْحَابُ
পৃষ্ঠা - ৬৭২১
ণ্ শ্প্৩৪৮ প্ শ্আঃর্দুৰিদারাঃণ্ষ্মানণ্ষিহায়৷

র্যাদেরকে তারা বেষ্টন করে নিয়েছে তাদেরকে হত্যা করা-ই তোমার (উদ্দেশ্য পুরণে) যথেষ্ট ৷
কিন্তু সে বলল, আল্লাহর শপথ আমি তার উপর আক্রমণ করবই ৷
তখন ফৌজের অধিনায়ক উমর ইবন সা দতার উপর আক্রমণ করল এবং তাকে তরবারি
দ্বারা আঘাত করল ৷ তখন বালকটি চিৎকার করে বলল, চাচাজান৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
হযরত হুসায়ন উমর ইবন সাদের উপর সিংহ বিক্রমে বাপিরে পড়লেন ৷ আমরকে তিনি
তরবারি দ্বারা আঘাত করলেন, তখন সেতার বাহুদ্বারা আঅ্রক্ষা করল, তখন তিনি কনুই
থেকে তা বিচ্ছিন্ন করে দিলেন এবং সে চিৎকার করে দুরে প্ সরে গেল ৷
এ সময় কৃফার অশ্ববাহিনী উমরকে হযরত হুসায়ন (রা)-এর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য
আক্রমণ করল ৷ তারা উমরকে অগ্রভাগে করে নিল আর তাদের খুরসমুহ নাড়৷ দিল ৷ আর
অশ্বারােহী দল তার চারদিকে চক্কর দিল ৷ এরপর ধুলাবালি অপসারিত হলে দেখা গেল, হযরত
হুসায়ন (রা) বালকটির শিয়রে দাড়িয়ে আছেন আর বালকটি মৃত্যু যন্ত্রণায় তড়পাচ্ছে ৷ পা
দিয়ে মাটিতে আঘাত করছে ৷ আর হুসায়ন (বা) বলছেন, ধ্বংস হোক তারা,: যারা তোমাকে
হত্যা করল ৷ তোমার ব্যাপারে কাল কিয়ামতে তাদের প্রতিপক্ষ হবেন তোমার নানা (আল্লাহ্র
রাসুল (না)) ৷
তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ ৷ তোমার চাচার জন্য এ বিষয়টি মেনে নেয়া
কঠিন যে, তুমি তাকে সাহায্যের জন্য আহ্বান করলে অথচ সে তোমার আহ্বানে সাড়া
দিতে পারল না অথবা সাড়া দিয়েও তোমার কোন উপকার করতে পারল না ৷ তোমার এ
আর্তচিৎকার এমন, যার প্রতি অবিচারকারীর স খ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং
সহাৰুঙুতিবােধকারীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৷ এরপর তিনিণ্তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন ৷
, আমি যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি বালকটির প৷ দু’টি মাটিতে তাচড় কটিছে আর তার বুক
হযরত হুসায়ন (রা) এর বুকের সাথে মিলে আছে ৷ বহন করে এসে তিনি তাকে নিজ পুত্র
আলী আকবর এবং৩ তার পরিবারের অন্যদেরকে নিজেদের সাথে রাখলেন ৷ এরপর আমি
বালকটির সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলা হল যে হল, কাসিম ইবন হাসান ইবন আলী ইবন
আবু তালিব ৷
হানী ইবন ছাবিত আল হায় বশীর ভাষ্য, হযরত হুসায়ন (রা) যেদিন শহীদ হন সেদিন
দশজনের একজন হয়ে আমিও ছিলাম ৷ আর আমাদের প্রত্যেকেই ছিল অশ্বারােহী ৷ হঠাৎ
হুসায়ন (রা) পরিবারের এক এক বালক তাবুর একটি খুটি হতে বেরিয়ে আসল ৷ তার পরনে
ছিল লুঙ্গি ও কুর্তা ৷ ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে সে ডানে বামে তাকাচ্ছিল ৷ আমি যেন স্পষ্ট
দেখতে পাচ্ছি সে ফিরে দেখছিল তখনই তার দুই কানে দুটি মােতির দুল দুলছিল ৷ এমন
সময় ঘোড়া হীকিয়ে এক ব্যক্তি তার দিকে অগ্রসর হল ৷ যখন সে বালকটির কাছে পৌছে গেল
তখন সে তার ঘোড়া থেকে ঝুকে বালকটিকে ধরে ফেলল ৷ এরপর তরবারির আঘাতে তাকে
হত্যা করল ৷ হিশাম আস, সাকুনী বলেন, হানী ইবন ছাবিজী এই বালকের হড্যাকারী ৷
সমালোচনার তার যে নিজেকে আড়াল করে এভাবে ঘটনাটি বর্ণনা করেছে ৷



১ সাভ্ তাৰারী ও আল কামিলে রয়েছে কাসিমকে যে আক্রমণ করেছিল যে হল আমর ইবন সা দ ইবন
নুফায়ল; ফৌজের অধিনায়ক উমর ইবন সা দ নয় যেমন কাসিমের হত্যা নিয়ে ইবন কাহীরের উদ্ধৃতিতে তা
এসেছে ৷


الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدَيْهِ، حَتَّى لَمْ يَبْقَ مَعَهُ أَحَدٌ إِلَّا سُوِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْمُطَاعِ الْخَثْعَمِيُّ. وَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ قُتِلَ مِنْ بَنِي أَبِي طَالِبٍ يَوْمَئِذٍ عَلِيٌّ الْأَكْبَرُ ابْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَأُمُّهُ لَيْلَى بِنْتُ أَبِي مُرَّةَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيِّ، طَعَنَهُ مُرَّةُ بْنُ مُنْقِذِ بْنِ النُّعْمَانِ الْعَبْدِيُّ فَقَتَلَهُ، وَيُرْوَى أَنَّهُ جَعَلَ يُقَاتِلُ عَنْ أَبِيهِ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ عَلِي ... نَحْنُ وَرَبِّ الْبَيْتِ أَوْلَى بِالنَّبِي تَاللَّهِ لَا يَحْكُمُ فِينَا ابْنُ الدَّعِي ... كَيْفَ تَرَوْنَ الْيَوْمَ سَتْرِي عَنْ أَبِي فَلَمَّا طَعَنَهُ مُرَّةُ احْتَوَشَتْهُ الرِّجَالُ، فَقَطَّعُوهُ بِأَسْيَافِهِمْ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: قَتَلَ اللَّهُ قَوْمًا قَتَلُوكَ يَا بُنَيَّ، مَا أَجْرَأَهُمْ عَلَى اللَّهِ وَعَلَى انْتِهَاكِ مَحَارِمِهِ! فَعَلَى الدُّنْيَا بَعْدَكَ الْعَفَاءُ. قَالَ: وَخَرَجَتْ جَارِيَةٌ كَأَنَّهَا الشَّمْسُ حُسْنًا، فَقَالَتْ: يَا أُخَيَّاهُ وَيَا ابْنَ أُخَيَّاهُ. فَإِذَا هِيَ زَيْنَبُ بِنْتُ عَلِيٍّ مِنْ فَاطِمَةَ، فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ وَهُوَ صَرِيعٌ. قَالَ: فَجَاءَ الْحُسَيْنُ فَأَخَذَ بِيَدِهَا، فَأَدْخَلَهَا الْفُسْطَاطَ، وَأَمَرَ بِهِ الْحُسَيْنُ فَحُوِّلَ مِنْ هُنَاكَ إِلَى بَيْنِ يَدَيْهِ عِنْدَ فُسْطَاطِهِ، ثُمَّ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، ثُمَّ قُتِلَ عَوْنٌ وَمُحَمَّدٌ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، ثُمَّ قُتِلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَجَعْفَرٌ ابْنَا عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ قُتِلَ الْقَاسِمُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: وَحَدَّثَنِي فُضَيْلُ بْنُ خَدِيجٍ الْكِنْدِيُّ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৭২২


বর্ণনকারী বলেন তারপর হযরত হুসয়ন (র)৩ ভীষণ ক্লান্ত হয়েতার তবুর সামনে বসে
পড়লেন ৷ এ সময় আবদুল্লাহ নামে তার এক ছট শিশুকে তার কাছে আন হল তখন তিনি
তাকে কোলে রসালেন, তারপর তাকে চুমু খত লাপলন, তার ঘ্রণ শুকত লাগলন এবং
তাকে বিদায় জানিয়েত র স্বজনদের ওসীয়ত করতে লাপলন ৷ তখন “আগুন প্রজ্বলিতকরীর
পুত্র” নামক এক ব্যক্তি ভীর নিক্ষেপ করে শিশুটিকে হত্যা করল ৷ তখন হযরত হুসয়ন তার
রক্ত হাতে নিয়ে আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে বললেন, হে আমার বব আপনি যদি আমাদের
থেকে আসমানী মদদ আটকে রেখে থাকেন তাহলে যা আরো উত্তম তার জন তাকে নির্ধারণ
করুন এবং আমাদেরকে জান্সিমদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করুন ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন
উক্বা আল গানরী আবু বকর ইবন হুসয়নকও তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করল
তারপর হযরত হুসয়নর ভাই আবদুল্লাহ, আব্বাস, ন্উলমন, ৰু জাফর ও র্দুঘুহম্মর্দ নিহত
হন ৷ এদিকে হযরত হুসয়ন (রা) তীব্রপিপাসায়অস্থির হয়ে পড়েন এবং ফারতের পানি পান
করার: জ্রন সেদিকে গৌছর চেষ্টা করেন কিন্তু শত্রুর তকে বাধা প্রদান করার তিনি তা
করতে সক্ষম হলেন ন অবশেষে যখন এক ঢোক পানি পান করলেন, তখন হাসীন ইবন
তামীম নামক এক ব্যক্তিত র চােয়ালে তীর বিদ্ধ করল ৷ হযরত হুসয়ন (বা) তার চােয়াল
থেকে যখন তা টেনে বের করলেন, তখন ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হল তিনি তখন দু’ হত
তা নিলেন এবং রক্তে রঞ্জিত: দুই হাত অসঘানর দিকে উঠিয়ণ্ন্ সেই রক্ত সেদিকে নিক্ষেপ
করে বললেন, হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে সং খ গুণ বষ্টন করে রাখুন এবং তাদ্যোকে
, বিচ্ছিন্ন করে হ্ত্যা করন্ত্র ন ৷ আর পৃথিবীর বুকে তাদের কাউকে ছেড়ে দিবেন না ৷ এভাবে তিনি
তাদের বিরুদ্ধে মর্মাষ্পর্শীভ র দু অ করলেন
বর্ণাকারী বলেন, আল্লাহর কলম! কিছুক্ষণ যেতে ন যতই হযরত হুসয়ন (রা) ক তীর
নিক্ষেপকরী ব্যক্তিকে আল্লাহ ভীষণ পিপসাঃ আক্রান্ত করলেন ৷ তখন আর কিছুতেই তার
পিপাস দুর হচ্ছিল ন এবং তাকে পানি ঠণ্ডা করে পন করানো হতে লাগল ৷ কখনও র পানি
ও দুধ একত্রে ঠ ও করে পান করনাে হতে লাপল কিন্তু আর পিপসা দুর হল ন ৷ বরং সে
বলতে লপল, তমদেৱ কি হল ? আমাকে পান করাও পিপসায় আমি মরে গেলাম ৷
বর্ণনকােরী বলেন, আল্লাহর কসম কিছুক্ষণ যেতে ন যতেই তার পট উটের পটর
নর ফেটে গল৩ ৷ এরপর শম্মার মুল জাওশান কুফ র দশজনর মত পদাতিক যেদ্ধ নিয়ে
, হযরত হসরন (র)-এর তবুর দিকে অগ্রসর হল যেখানে তার পােষ্য-পরিজন এবং সমনপএ
ছিল তখন তিনি হেটে তদর দিকে অগ্রসর হলেন, কিন্তু তার তার ও,তার তবুরৰুমঝে বাধা
হয়ে র্দড়াল ৷ তখন হযরত হুসয়ন তাদেরকে বললেন, হার তোমাদের দুর্ভাগ্যা তোমাদের যদি
কোন দীন ন তাকে অতত দুনিয়তে স্বাধীন ও সম্রাতদের ন্যায় আচরণ কর ৷ আমার শ্রী
পরিজন ও সামনপত্রকে অততপক্ষে তোমাদের দুরচর ও মুর্থদের থেকে রক্ষা কর ৷ তখন





২ অতৃ তবরীতে রয়েছে; তার মুংখ ৷ অলকামিন্সে (৪৭৬) তাকে ভীর নিক্ষেপ করেছিল হাসীন ইবন
নুময়র ৷ কারো মতে তীর নিক্ষেপকারী ছিল বনু অব্তন ইবন দরিমের জনৈক ব্যক্তি ৷ ইবনুন আছমে শ্
(৫ ২১৫) আবুল জানুব নমক ব্যক্তি তাকে কপলে তীর নিক্ষেপ করেছিল ৷

হল ৷



زِيَادٍ - وَكَانَ رَامِيًا، وَهُوَ أَبُو الشَّعْثَاءِ الْكِنْدِيُّ مِنْ بَنِي بَهْدَلَةَ - جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ بَيْنَ يَدَيِ الْحُسَيْنِ، فَرَمَى بِمِائَةِ سَهْمٍ مَا سَقَطَ مِنْهَا عَلَى الْأَرْضِ خَمْسَةُ أَسْهُمٍ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الرَّمْيِ قَالَ: قَدْ تَبَيَّنَ لِي أَنِّي قَتَلْتُ خَمْسَةَ نَفَرٍ، وَكَانَ فِي أَوَّلِ مَنْ قُتِلَ، وَكَانَ رَجَزُهُ يَوْمَئِذٍ: أَنَا يَزِيدُ وَأَبِي مُهَاصِرْ ... أَشْجَعُ مِنْ لَيْثٍ بَغِيلٍ خَادِرْ يَا رَبِّ إِنِّي لِلْحُسَيْنِ نَاصِرْ وَلِابْنِ سَعْدٍ تَارِكٌ وَهَاجِرْ قَالُوا: وَمَكَثَ الْحُسَيْنُ نَهَارًا طَوِيلًا لَا يَأْتِي إِلَيْهِ رَجُلٌ إِلَّا رَجَعَ عَنْهُ ; لَا يُحِبُّ أَنْ يَلِيَ قَتْلَهُ، حَتَّى جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَدَّاءَ يُقَالُ لَهُ: مَالِكُ بْنُ النُّسَيْرِ. فَضَرَبَ الْحُسَيْنَ بِالسَّيْفِ عَلَى رَأْسِهِ فَجَرَحَهُ، وَكَانَ عَلَيْهِ بُرْنُسٌ، فَامْتَلَأَ دَمًا، فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: لَا أَكَلْتَ بِهَا وَلَا شَرِبْتَ، وَحَشَرَكَ اللَّهُ مَعَ الظَّالِمِينَ. ثُمَّ أَلْقَى الْحُسَيْنُ ذَلِكَ الْبُرْنُسَ، وَدَعَا بِعِمَامَةٍ فَاعْتَمَّ بِهَا. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ الْحُسَيْنَ أَعْيَا،
পৃষ্ঠা - ৬৭২৩


শাম্মার বলল, হে ফাতিমার ছেলে ! তোমাকে সে নিশ্চয়তা দেয়া হল ৷ এরপর তারা তীকে ঘিরে
ফেলল’এবং শাম্মার তাকে হত্যার জন্য তাদেরকে প্ররােচিত করতে লাগল ৷ তখন আবুল
জানুব তাকে বলল, তাকে হত্যা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিচ্ছে ? তখন শাম্মার তাকে
বলল, আমাকে তুমি একথা বলছ ? আবুল জানুব বলল, (তাহলে কেন) আমাকে তু তা
বলছ ? এভাবে বেশ কিছুক্ষণ তারা একে অন্যেকে পালমন্দ করল ৷াপরিত্বশষে বিরক্ত হয়ে
আবুল জানুব তাকে বলল, আর সে ছিল সাহসী বীর, আল্লাহর শপথ ! আমার ইচ্ছা হয়
তোমার চোখে এই বর্শা ফলা পেথে দিই ৷ তখন শাম্মার তার থেকে সরে পেল ৷ এরপর
শ্াম্মা ম্মার সাহসী লোকদের একটি দল নিয়ে এসে হযরত হুসায়ন (রা) কে ঘিরে ফেলল ৷ এ
সময় তিনি তার র্তাবুর কাছে ছিলেন, আর তার ও তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাড়াবার মত কেউ
ছিল না ৷ হঠাৎ তখন৩ তাবু থেকে পুর্ণচদ্রের ন্যায় সুদর্শন এক বালক দৌড়ে বের হল, তার
কানে ছিল মােতির দুল ৷ তখন তাকে বাধা দেয়ার জন্য যায়নাব বিনৃত আলী (রা) বের হয়ে
আসলেন ৷ কিন্তু বালক তার বাধা উপেক্ষা করে চাচার থেকে আত্রণ্ মণ প্রতিহত করতে লাগল ৷
তখন তাদের এক ব্যক্তি> তরবারি দ্বারা তাকে আঘাত করলে সে তার হাত দিয়ে সে আঘাত
ঠেকাল, ফলে তার সে হাত কর্তিত হয়ে চামড়ার ঝুলে রইল ৷ তখন সে আর্তনাদ করে বলল,
ৰু চাচা জান তখন হযরত হুসায়ন (রা) ভীকে বললেন, বৎসা তোমার শাহাদাতের বিনিময় আমি
আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করছি ৷ আর তুমি তো এখনই তোমার নেকখার পিতৃপুরুষদের সাথে
মিলিত হচ্ছ ৷
এরপর সকলে মিলে চতুর্দিক থেকে হযরত হুসায়ন (রা)-এর উপর আক্রমণ করল আর
তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে তরবারি চালনা করছিলেন ৷ তখনতারা এমনঃভাবের্তাব্র থেকে সরে
যাচ্ছিল যেমনভার্বে হিংচুা২ প্রাণী থেকে যেষপাল ছুটে পালায় ৷ এ সময় তার বোন যায়নাব
বিনৃত ফাতিমা (বা) তার দিকে বেরিয়ে এসে বলতে ৩,লাগলেন হার! আসমান যদি জযিনের
উপর ভেঙে পড়ত ৷ এরপর তিনি উমর ইবন সাদের দিকে লক্ষ্য করে তাকে বললেন, হে
উমর! আবু আবদুল্লাহ্ নিহত হবেন আর তুমি তা দেখতে থাকবে এটা কি তুমি মেনে নিয়েছ ?
একথা শুনে তার র্দাড়ি যেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল আর তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ৷
এরপর আর কেউই তাকে হত্যা করতে অগ্রসর হচ্ছিল না ৷ অবশেষে যখন শাম্মার ইবন যুল
জাওশান ঘোষণা করে বলল, হতভাগারা তাকে নিয়ে তোমরা কিসের অপেক্ষা করছ ?
তোমাদের মায়েরাসন্তান হারা হোক ৷ (এখনই) তাকে শেষ করে দাও ৷ তখন শত্রুরাচারদিক
থেকে হযরত হুসায়ন (রা) এর উপর আক্রমণ করল আর যুর আ ইবন শারীক আ৩ তামীমী
তীর বাম কাধের মুল অস্থিতে এবং কাধ্ ও ঘাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে আঘাত করল ৷ এরপর তারা
তাকে ছেড়ে চলে গ্লেল্া আর তিনি অতি কষ্টে উঠে র্দাড়াচ্ছিলেন আর উপুড় হয়ে পড়ে
যাচ্ছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর, সিনান ইবন আবু আমর ইবন আনাস আনৃনাখ তার কাছে এসে



১ এই ব্যক্তি হল বাহ্র ইবন কার ইবন উবায়দুল্লাহ্ ৷ বনু তায়মুল্লাহ্ ইবন ছালাবা ইবন উক্ৰা এর সদস্য
(দেখুন আৎ তাবাবী ও আল কামিল) ৷

২ আতৃ তাবায়ী ও আল কামিলে নেকড়ে যখন তাতে (মেষপালে) হানা দেয় ৷

৩ আৎ তাবারীতে (৬২৬০) : সিনান ইবন আনাস ইবন আমর আর ইবনুল আছমে সিনান ইবন আনাস
আননাখয়ী তাকে বুকে তীর ৰিদ্ধ করে আর সালিহ ইবন ওয়াহব আলয়াযানী তার কােমড়ে বর্শাঘাতকরে ৷ ফলে
তিনি মাটিতে পড়ে যান ৷


فَقَعَدَ عَلَى بَابِ فُسْطَاطِهِ، وَأُتِيَ بِصَبِيٍّ صَغِيرٍ مِنْ أَوْلَادِهِ، فَأَجْلَسَهُ فِي حِجْرِهِ، ثُمَّ جَعَلَ يُقَبِّلُهُ وَيَشُمُّهُ وَيُوَدِّعُهُ وَيُوصِي أَهْلَهُ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ مُوقِدِ النَّارِ. بِسَهْمٍ فَذَبَحَ ذَلِكَ الْغُلَامَ، فَتَلَقَّى حُسَيْنٌ دَمَهُ فِي يَدِهِ، وَأَلْقَاهُ نَحْوَ السَّمَاءِ، وَقَالَ: رَبِّ إِنْ تَكُ قَدْ حَبَسْتَ عَنَّا النَّصْرَ مِنَ السَّمَاءِ فَاجْعَلْهُ لِمَا هُوَ خَيْرٌ، وَانْتَقِمْ لَنَا مِنَ الظَّالِمِينَ. وَرَمَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُقْبَةَ الْغَنَوِيُّ أَبَا بَكْرِ بْنَ الْحُسَيْنِ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ أَيْضًا، ثُمَّ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ وَالْعَبَّاسُ وَعُثْمَانُ وَجَعْفَرٌ وَمُحَمَّدٌ بَنُو عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِخْوَةُ الْحُسَيْنِ لِأَبِيهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، وَقَدِ اشْتَدَّ عَطَشُ الْحُسَيْنِ، فَحَاوَلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى مَاءِ الْفُرَاتِ فَمَانَعُوهُ دُونَهُ، فَخَلَصَ إِلَى شَرْبَةٍ مِنْهُ، فَلَمَّا أَهْوَى إِلَيْهَا رَمَاهُ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ بِسَهْمٍ فِي حَنَكِهِ فَأَثْبَتَهُ، فَانْتَزَعَهُ الْحُسَيْنُ مِنْ حَنَكِهِ، فَفَارَ الدَّمُ فَتَلَقَّاهُ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ رَفَعَهُمَا إِلَى السَّمَاءِ وَهُمَا مَمْلُوءَتَانِ دَمًا، ثُمَّ رَمَى بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا وَاقْتُلْهُمْ بِدَدًا، وَلَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ
পৃষ্ঠা - ৬৭২৪

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৫১

তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করল তখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন ৷ এরপর সে নেমে তাকে
জব ই করে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং তা খাওলাবিনত ইয়াযীদের কাছে দিয়ে দিল ৷
কারো মতে, তাকে হত্যা করে শাম্মার আবার কারো মতে, ববু মাজহিষের এক ব্যক্তি ওন্৷ আবার
কারো মতে, উমর ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস ৷ কিন্তু তা ভিত্তিহীন ৷ যেই যোদ্ধা দল
হযরত হুসায়ন (বা) কে হত্যা করে, উমর শুধুত তার অধিনায়ক ছিল মাত্র ৷ আর প্রথম বর্ণনাই টিই
অধিক প্রসিদ্ধ ৷
আবদুল্লাহ ইবন আম্মার বলেন, শত্রুরা যখন হযরত হুসায়ন (রা)-কে ঘিরে নিয়েছিল তখন
আমি দেখেছি তিনি একাই তার ভানদিকের আক্রমণকারীদের হটিয়ে দিচ্ছেন ৷ আল্লাহর শপথা
আমি এমন কোন লোক দেখি নি যে, তার সন্তান ও সঙ্গীরা নিহত হওয়ার পর বহু সং খ্যক শত্রু
পরিবেষ্টিত অবস্থায়ত তার চেয়ে সাহসী ও দৃঢ় চিত্ত ৷ অ ল্লাহব শপথ! তার পুর্বে ও পরে আমি
তার মত ক উকে দেখি নি ৷ বর্ণনাক রী বলেন, এ সময় উমর ইবন সা দ হযরত হুসায়নের
নিকটবর্তী হলে তার বোন হযরত যায়নাব (বা) তাকে বললেন, হে উমর ! আবু আবদুল্লাহ
তোমার সামনে নিহত হবেন আর তুমি চেয়ে দেখবে ? তখন উমর কেদে ফেলল এবং তার
দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিল ৷
আবু মুথানৃনাফ বলেন, আমাকে আসৃ সক্আব ইবন যুহায়র বর্ণনা করেছেন, হুমায়দ ইবন
মুসলিম থেকে তিনি বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) একথা বলতে বলতে শত্রুদের উপর আক্রমণ
করতে লাগলেন, আমাকে হত্যার ব্যাপারেই কি তোমরা জোট বেধেছ ৷২ শুনে বাখ ! আল্লাহর
শপথ ! আমাকে হত্যার পর তোমরা আল্লাহর এমন কে ন বান্দাকে হত্যা করবে না, যাকে
হত্যার কারণোতিনি তোমাদের প্রতি আমাকে হত্যার কারণোযতথানি ক্রুদ্ধ হবেন তার চেয়ে
বেশী ক্রুদ্ধ হবেন ৷ আর আল্লাহর কসম ! অমি আশা করি আল্লাহ তোমাদেরকে অপদস্থ
করবেন এবং আমাকে সম্মানিত করবেন ৷ এরপর আল্লাহ আমার পক্ষে এমনভাবে তোমাদের
থেকে প্রতিশ্যেধ নিবেন যে, তোমরা তা অনুভব করতে পারবে না ৷ তবে বাখ! যদি তোমরা
আমাকে হগ্রা কর, ৩াহ্ণে আল্লাহু ণ্তামাদের নিজেদের মাঝে পরস্পর লড়াই ও রক্তপাতের
সুচনাঘটাবেন ৷ আর এতেও তিনি তুষ্ট হবেন না যতক্ষণ না (আখিরাতে) তোমাদের জন্য
যন্ত্রণাদায়কা াস্তি দ্বিগুণ করবেন ৷
বর্ণনাকা রী বলেন, এভাবে দিনের দীর্ঘসময অতিবাহিত হল যদি শত্রুরা এ সময়ের মাঝে
তাকে হত্যা করতে চাইত, তাহলে তারা তা করতে পারত ৷ কিন্তু তার হত্যার দায় থেকে তারা
একজন অন্যজন দ্বারা বীচতে চাইছিল ৷ এরা চাচ্ছিল ওরা আর ওরা চাচ্ছিল এরা তাদের হয়ে
তার হত্যার দায়ভার বহন করুক ৷ অবশেষে শাম্মার ইবন যুল জাওশান যখন তাদেরকে
আহ্বান করে বলল, তার হত্যার জন্য তোমরা কিসের অপেক্ষা করছ ? তখন যুর আ ইবন
শারীক আত তামীমী তার দিকে অগ্রসর হল এবং তার কাধে তরবারি দ্বারা আঘাত করল ৷
এরপর সিনান ইবন আনাস ইবন আমর নাখায়ী তাকে বর্শাদ্বারা আঘাত করল ৷ অতঃপর নেমে





১ ইবনুল আ ছরুম (৫২১৮) খাওলা বিনত ইয়াষীদ আালআসবাহী তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ৷ কিন্তু আত ৩াবারী
আল কামিল ও মুরুজুযযাহাব (বিদায়ার) মুলগ্রন্থের ন্যায় রয়েছে ৷ আর আল আখবারুত তিওয়ালে (২৫৮)
তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে শিবল ইবন ইয়াযীদ ৷ ণ্

২ আৎ তাবারীতে পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করছ ৷


مِنْهُمْ أَحَدًا. وَدَعَا عَلَيْهِمْ دُعَاءً بَلِيغًا. ثُمَّ جَاءَ شَمِرٌ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الشُّجْعَانِ حَتَّى أَحَاطُوا بِالْحُسَيْنِ وَهُوَ عِنْدَ فُسْطَاطِهِ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ أَحَدٌ يَحُولُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ، فَجَاءَ غُلَامٌ يَشْتَدُّ مِنَ الْخِيَامِ كَأَنَّهُ الْبَدْرُ فِي أُذُنَيْهِ دُرَّتَانِ تَذَبْذَبَانِ، فَخَرَجَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ عَلِيٍّ لِتَرُدَّهُ فَامْتَنَعَ عَلَيْهَا، وَجَاءَ يُحَاجِفُ عَنْ عَمِّهِ، فَضَرَبَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ بِالسَّيْفِ، فَاتَّقَاهُ بِيَدِهِ، فَأَطَنَّهَا سِوَى جِلْدَةٍ، فَقَالَ: يَا أَبَتَاهُ. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: يَا بُنَيَّ، احْتَسِبْ أَجْرَكَ عِنْدَ اللَّهِ، فَإِنَّكَ تَلْحَقُ بِآبَائِكَ الصَّالِحِينَ. ثُمَّ حَمَلَ عَلَى الْحُسَيْنِ الرِّجَالُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ وَهُوَ يَجُولُ فِيهِمْ بِالسَّيْفِ يَمِينًا وَشِمَالًا، فَيَتَنَافَرُونَ عَنْهُ كَتَنَافُرِ الْمِعْزَى عَنِ السَّبُعِ، وَخَرَجَتْ أُخْتُهُ زَيْنَبُ بِنْتُ فَاطِمَةَ إِلَيْهِ، فَجَعَلَتْ تَقُولُ: لَيْتَ السَّمَاءَ تَقَعُ عَلَى الْأَرْضِ. وَجَاءَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، فَقَالَتْ: يَا عُمَرُ، أَرَضِيتَ أَنْ يُقْتَلَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَأَنْتَ تَنْظُرُ؟ فَتَحَادَرَتِ الدُّمُوعُ عَلَى لِحْيَتِهِ، وَصَرَفَ وَجْهَهُ عَنْهَا، ثُمَّ جَعَلَ لَا يُقْدِمُ أَحَدٌ عَلَى قَتْلِهِ، حَتَّى نَادَى شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ: وَيْحَكُمْ! مَاذَا تَنْتَظِرُونَ بِالرَّجُلِ؟ اقْتُلُوهُ ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ. فَحَمَلَتِ الرِّجَالُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ عَلَى الْحُسَيْنِ، وَضَرَبَهُ زُرْعَةُ
পৃষ্ঠা - ৬৭২৫


তার মাথা কেটে খাওলার কাছে দিয়ে দিল ৷ ইবন আসাকির শাম্মার ইবন যুল জাওশানের
জীবনীতে উল্লেখ করেছেন ৷ উল্লেখ্য যে, যুল জাওশান নামক একজন বিশিষ্ট সাহাবীবয়েছেন ৷
কারো মতে তার নাম শুরাহবীল আবার কারো মতে উসমান ইবন নাওফাল ৷ আবার বলা হয়,
ইবন আ ৷উস ইবন আল আ ওয়ার আল আমিরী আঘৃ যবাবী, বনী কিলাবের এক উপ-গােঠত্রয়
সদস্য ৷ উপনাম আবুস সাবিন৷ ৷
অতঃপর উমর ইবন শাব্বার সুত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবু
আহদ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আমার চাচা ফুযাতুল ইবন যুবায়র, আব্দুর রহীম
ইবনন্মায়মুন থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাসান থেকে বর্ণনা
করেছেন তিনি বলেন, কারবালা প্রীন্তরে আমরা হযরত হুসায়নঃ (রা)-এর সাথে ছিলাম ন্৷ তখন
তিনি শাম্মার ,ইব নযুল জাওশানের দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহ ও তবে রার্মুন সত্য বলেন,
রাসুলুল্লাহি সল্লোবাহুণ্ৰুৰুআলাইহি ঔয়৷ সাল্লাম বলে ঠর্গছেন, “আমি যেন ত্রক ’ঠডারকেটি৷ কুকুর
দেখতে পাচ্ছি, যে আমার স্বজনশ্পবিজঠনর রক্তপান করবে ৷” আর অভিশপ্ত শাম্মার কুষ্ঠাক্রাত
ছিল ৷ হযরত হুসায়ন (রা) নিহত হওয়ার পর সিনান ও অন্যরা র্তার সালাব (যুদ্ধকালে
পরাজিত বা নিহত প্রতিপক্ষের অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু বিজয়ী নিয়ে নেয় তাকে সালাব বলে)
নিঠয় ঠন্নয় ৷ আর শক্ররা তীর সকল অর্থ সম্পদ এবহ তাৰুস্থ সব কিছু নিয়ে নেয় ৷ এমনকি
মেয়েদের বাড়তি পোশাক পবিঠধয় পর্যন্ত ৷
আবু মুখানৃনার্ফ জ৷ ফর ইবন মুহাম্মদের উদ্ধৃতিঠত বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, নিহত
হওয়ার পর আমরা হযরত হসা য়নঃ (রা) এর ঠদঠহ তেত্রিশটি র্থোরাত এবং চৌত্রিশটি
৩ববাবির আথাঃত র চিহ্ন পেয়েছি ৷ আর: এ সময় পাম্মার আলী আসপৱ অ্যাং হযরত যাযনুল
আবিদীনঃ (বা) যে হত্যা করতে উদ্যত হয়, আর তখন তিনি ঠছটি ও অসুস্থ ৷ কিন্তু তার এক
সঙ্গীহমায়দ ইবনন্মুসলিম তাকে তা থেকে নিবৃত্ত করে ৷ এরপর উমরইবন সাদ এসে বলল, ন্
সবাই অঠন রাখ ৷ঠকউ যেন এই মেয়েদের তাবুঠপুত প্রবের্শ না করে এবং এই বালককে হত্যা না
করে ৷ আর যে তাদৈয়কোম্ সামানপত্র নিয়েছে, সে যেনতাবিয়িঠয় ণ্ঠ’র্দয় ৷কনিাকাষ্টুবী বলেন,
আল্লাহ্র কসম ! পরে কেউই কিছুফিরিঠক্ট্র ণ্ঠনয় নি ৷ তখন আলী ইর্বৃন হুষ্ণ্া৷য়ন্৷ তাকে
(উমরকে) বললেন, তুমি সর্বোত্তম প্রতিদান প্রাপ্ত হও ৷ তোমার কথার্ষীরা আল্লাহ আমাবৰু থেকে
বিরাট অকল্যাং দুর কঠরঠহন ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, এরপর সিনান ইবন আনাস উমর ইবন
সা দেরতাবুর দরজায় কাছে এসে তাঠক ঠড়ঠক উচচস্বঠর আবৃত্তি কবল,
স্বর্ণ রৌঠপ৷ আমার বাহঠনর পিঠ বোঝাই করুন কেননা আমি মহামর্ষাদাবান বাদশাহ্কে
হত্যা কঠরছি ৷

ব্রু , ণ্ৰু



১ আল কামিলে (৪৭৮); আতৃ তারারীতে (৬২৬া১) রয়েছেং তার তরৰাবি ঠনয় বনুনাহশাল ইবন দারিঠমর
এক ব্যক্তি ৷ ইবনুল আ ছমে (৪২১৯) তার তরবারি ঠনয় আল-পাসওয়াদ ইবন হানযাল৷ বনী তামীঠমর এক
বাক্তি ৷ ষ্- ১গ্ ঢো ণ্এে ;প্এ শু৷ ¢ আৰু নৌ )গ্রা ;,:’$ আর তার জুত৷ দুটি নেয় আসও য়াদ আল সাওদী,
আয় র্ভাৰু৷ পায়জামাগুন্সি ঠনয় বাহব ইবন কা ব (আৎ তাৰারীআল কামিল) আব ইবনুল আর্দু ফাং ভাৰর্দ্রমতে তা

নেয় ইয়াহইয়া ইবন আমর আলহাবশী এবং তার পাগড়ী ঠনয় জাবির ইবন যায়দ অসে আম্দী আর তার বর্ম
নেয় মালিক ইবন বিশৃর আল ক্লিনৃদী ৷


بْنُ شَرِيكٍ التَّمِيمِيُّ عَلَى كَفِّهِ الْيُسْرَى، وَضَرَبَ عَلَى عَاتِقِهِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُ وَهُوَ يَنُوءُ وَيَكْبُو، ثُمَّ جَاءَ إِلَيْهِ سِنَانُ بْنُ أَنَسِ بْنِ عَمْرٍو النَّخَعِيُّ، فَطَعَنَهُ بِالرُّمْحِ فَوَقَعَ، ثُمَّ نَزَلَ فَذَبَحَهُ وَحَزَّ رَأْسَهُ، ثُمَّ دَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى خَوَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ. وَقِيلَ: إِنَّ الَّذِي قَتَلَهُ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ. وَقِيلَ: رَجُلٌ مِنْ مَذْحِجٍ. وَقِيلَ: عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ. وَلَيْسَ بِشَيْءٍ، وَإِنَّمَا كَانَ عُمَرُ أَمِيرَ السَّرِيَّةِ الَّتِي قَتَلَتِ الْحُسَيْنَ فَقَطْ.
পৃষ্ঠা - ৬৭২৬



তখন উমর ইবন স৷ দ বললেন,৩ তাকে আমার কাছে নিয়ে আস ৷ সে যখন ভেতরে প্রবেশ
করল তখন উমর ৰুতাকে চাবুক ছুড়ে সালে এবং বলল, হতভাগ৷ কােথাকার ৷ তুমি কি উন্মাদ ?
আল্লাহর শপপষ্ট্র ইবন যিয়াদ যদি তোমাকে একথা বলতে শুনে তাহলে রু তামার গর্দান১ উড়িয়ে
দেবে ৷ আর উমর ইবন সাদ উক্বা ইবন সামআনকে হত্যা থেকে অব্যাহতি দেয় ৷ যখন সে
তাকে জানায় যে, সে মাওলা ৷ আর তাদের মধ্য থেকে সে ছাড়া কেউ £রহইি পায় নি ৷ আর
আল মুরাক্কা ইবন ইয়ামানা২ বন্দী হয় ৷ এরপর ইবন যিয়াদ তাকে মুক্ত করে দেয় ৷ হযরত
হুসায়ন (রা) এর সঙ্গীদের থেকে বাহাত্তর জন নিহত হন ৷ নিহত হওয়ার একদিন পর
আথিরিয়া৷র অধিবাসী বনী আমাদের লোকের৷ তাদেরকে দাফন করে ৷
বর্ণনাকারী বলেন অতঃপর উমর ইবন সা দ নির্দে৷ দেয় হযরত হুসায়সের মৃত দেহকে
অশ্বপাল দ্বারা পদদলিত করতে, তবে বর্ণনাটি বিশুদ্ধ নয় ৷ আর আল্লাহ্ই ঠিক জানেন ৷ এদিকে
উমর ইবন সা দের (লাকদের থেকে আট শি জন, নিহত হয় ৷ মুহাম্মাদুবনৃল হ নাফিয়্যা থেকে
বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হযরত হুসাযনের সাথে সতের জন নিহত হন যাদের প্রত্যেক
ফাতিম৷ (রা) এর সন্তান ৷ হযরত হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন,
হযরত হুসায়ন (রা) এর মতের জন নিহত হন যারা তার পরিবারের সদস্য ৷ আর গোটা
দুনিয়া৷ৰুত তাদের কোন সদৃশ ছিল না ৷
অন্য বণ্নািকারী বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) এর সাথে তার পুএ ভ্রাতা এবং স্বজনদের
£তইশজন নিহত হন৷ হযরত আলীর পুত্রদের মধ্যে জাফর, হুসায়ন, আব্বাস, মুহাম্মদ,
উসম৷ ৷ন ও আবু বকর ৷ হযরত হুস৷ য়ন (রা) এর ছেলেদের মধ্যে আলী আকবর ও আবদুল্লাহ
আর তার ভাই হাসা হ্রনর পুত্রদের মধ্যে৩ তিনজন আবদুল্লাহ, কাসিম ও আবু বকর ৷ আবদুল্লাহ
ইবন জা ফরের পুএদের মধ্যে দু’জন আগুন ও মুহাম্মদ ৷ আকীলের পুএদের মধ্যে জা ফর,
আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, মুসলিম পুর্বেই নিহত হন ৷ যেমন পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই
চারজন তার ঔরসজাত পুত্র ৷ আর দু জন আব্দুল্লাহ ইবন মুসলিম ইবন আকীল ও মুহাম্মদ
ইবন আবু সায়ীদ ইবন আকীল তার পৌত্র ৷ অর্থাৎ আকীলের অধ্স্তন্ ছয়জন ৷ এদের
ব্যাপারেই করি৩ বলেছেন-
মি; আলীর ঔরসজাত নয়জন এবং আকীলের ঔরসজাত ছয়জন নিহতের মৃত্যু শোকে
বিলাপ কর ৷




১ তাহ্যীব ইবন, আসাকির (৩৩৪২) এবং ঘুরুজুয য়াহ্াবে (৩৭৫) এবং সিমতৃন নুতুম আল আওয়ালীতে

ণ্ ৩৭৬ রয়েছে এটা যে ইবন যিয়াদের সামানই আবৃত্তি করে ৷ আর ইবনুল আ ছমে ৫২২১ এ রয়েছে বিশৃর
ইবন মালিক ইবন যিয়াদের সামনে তা আবৃত্তি করলে ইবন যিয়াদ তার গর্দান উড়িয়ে দেয় ৷

২ আৎ তাবারী ও আল আখবারুত তিওয়ালে ( ২৫৯) এবং আল কামিলে মুরাক্ক৷ ইবন ছুমাম৷ আল আসাদী ৷

৩ এই করি বনী হাশিমের মাওলা মুসলিম ইবন কুতায়বা মুরুজুযযাহাব ৩৭৭ ৷

৪ মুরুজুয যাহাবে এবং আকীলের পাচজন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান ৷নহায়া-৪ ৫


وَأَخَذَ سِنَانٌ وَغَيْرُهُ سَلَبَهُ، وَتَقَاسَمَ النَّاسُ مَا كَانَ مِنْ أَمْوَالِهِ وَحَوَاصِلِهِ، وَمَا فِي خِبَائِهِ، حَتَّى مَا عَلَى النِّسَاءِ مِنَ الثِّيَابِ الظَّاهِرَةِ. وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ: وُجِدَ بِالْحُسَيْنِ حِينَ قُتِلَ ثَلَاثٌ وَثَلَاثُونَ طَعْنَةً، وَأَرْبَعٌ وَثَلَاثُونَ ضَرْبَةً. وَهَمَّ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ بِقَتْلِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ الْأَصْغَرِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ، وَهُوَ صَغِيرٌ مَرِيضٌ، حَتَّى صَرَفَهُ عَنْ ذَلِكَ حُمَيْدُ بْنُ مُسْلِمٍ أَحَدُ أَصْحَابِهِ. وَجَاءَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، فَقَالَ: أَلَا لَا يَدْخُلَنَّ عَلَى هَذِهِ النِّسْوَةِ أَحَدٌ وَلَا يَقْتُلْ هَذَا الْغُلَامَ أَحَدٌ وَمَنْ أَخَذَ مِنْ مَتَاعِهِمْ شَيْئًا فَلْيَرُدَّهُ عَلَيْهِمْ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ أَحَدٌ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ: جُزِيتَ خَيْرًا، فَقَدْ دَفَعَ اللَّهُ عَنِّي بِمَقَالَتِكَ شَرًّا. قَالُوا: ثُمَّ جَاءَ سِنَانُ بْنُ أَنَسٍ إِلَى بَابِ فُسْطَاطِ عُمَرِ بْنِ سَعْدٍ، فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ: أَوْقِرْ رِكَابِي فِضَّةً وَذَهَبًا ... أَنَا قَتَلْتُ الْمَلِكَ الْمُحَجَّبَا قَتَلْتُ خَيْرَ النَّاسِ أُمًّا وَأَبَا وَخَيْرَهُمْ إِذْ يُنْسَبُونَ نَسَبَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ: أَدْخِلُوهُ عَلَيَّ. فَلَمَّا دَخَلَ رَمَاهُ بِالسَّوْطِ، وَقَالَ: وَيْحَكَ أَنْتَ مَجْنُونٌ! وَاللَّهِ لَوْ سَمِعَكَ ابْنُ زِيَادٍ تَقُولُ هَذَا لَضَرَبَ عُنُقَكَ. وَمَنَّ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى عُقْبَةَ بْنِ سَمْعَانَ حِينَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ مَوْلًى، فَلَمْ يَنْجُ مِنْهُمْ غَيْرُهُ، وَالْمُرَقَّعُ بْنُ ثُمَامَةَ أُسِرَ، فَمَنَّ عَلَيْهِ ابْنُ زِيَادٍ. وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ اثَنَانِ وَسَبْعُونَ نَفْسًا، فَدَفَنَهُمْ أَهْلُ الْغَاضِرِيَّةِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৭২৭


আর নবীর সমনাম তাদের মাঝে আনা হল, তখন তারা ধারালাে তরবারি নিয়ে তার উপর
চড়াও হল ৷

এছাড়া আরো যারা কারবালা প্ৰাতরে হযরত হুসায়ন (রা) এর সাথে নিহত হন তাদের
মধ্যে তার দুই ৩াই আবদুল্লাহ ইবন রাকতার অন্যতম ৷ অবশ্য কারো কারো মতে ইতিপুবেই
তিনি নিহত হন যখন হযরত হুসায়ন (রা)৩ তাকে পত্র দিয়ে কুফাবাসীর কাছে পাঠান ৷ কেননা
সে সময় তাকে বন্দী করে ইবন যিয়াদের কাছে নেয়া হলে সে তাকে হত্যা করে ৷ আর
আহতরা ছ ডাই উমর ইবন সা দের বাহিনী অর্থাৎ কুফাবাসীর নিহতের সং খ্যা আটাশ্যিত
পৌছে ৷ উমর ইবন সা দ তাদের জানায৷ পড়িয়ে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করে ৷

বলা হহ্া, উমর ইবন সাদের নির্দোশ দশর্জন অশ্বারােহী তাদের অশ্বখুর দ্বারা হযরত
হ্ম্সায়ন (রা) এর মৃতদেহকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়, আর তার নির্দেশে সেদিনই হযরত
হুসায়ন (রা) এর মাথা খাওল৷ ইবন ইয়াঘীদ আসবাহির মাধ্যমে ইবন যিয়াদের কাছে পাঠান
হয় ৷ সে, যখন তা নিয়ে ইবনযিয়াদের প্রাসাদে পৌছে, তখন দেখে প্রাসাদ ফটক বন্ধ ৷ তখন
যে তা নিয়ে নিজ গৃহে ফিরে আসে এবং মাথাটিকে একটি পাত্র (থাল৷ জাতীয়) দিয়ে ঢেকে
রাখে এবং ৷রত শ্রী নাওয়ার ৰিনত মালিককে বলে, আমি তোমার জন্য যহাকালের মহা মর্যাদা
নিয়ে এসেছি ৷ শ্রী বলল, কি তা ? সে উত্তর দিল, হুসায়নের মাথা ৷

তখন সে বলল, সবাই নিয়ে এসেছে সােনা-রুপা আর তুমি কিন৷ নিয়ে এসেছ বাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দৌহিত্রের মাথা ? আল্লাহর শপথ ওে আমার সাথে আমার সম্পর্কের এখানেই ইতি ৷
একথা বলে সে তাকে ছেড়ে বিছানা থেকে উঠে চলে গেল ৷ তখন সে বনু আসাদ গোত্রীয় তার
অপর স্তীকে ডেকে পাঠাল এবং তার কাছে ঘুমা ল ৷৩ তার এই দ্বিতীয় স্তী বর্ণনা করেছে, আল্লাহর
শপথ! হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথাকে আবৃতক্ারী সেই পা এ থেকে আমি আকাশের দিকে
উজ্জ্বল আলোর আভ৷ বিচছুঝিত হতে এবং শ্বে৩ শুভ্র পক্ষীকৃলগ্লুক তার চার পাশে ডানা
ঝাপটাতে দেখেছি ৷ পরদিন সকালে সে৩ তা নিয়ে ইবন যিয়াদের সামনে উপস্থিত করল ৷

বলা হয়, তার কাছে হযরত হুসায়ন (রা) এর অন্য সকল সঙ্গীদের মাথাও ছিল ৷ আর
সেটাই প্রসিদ্ধ বর্ণনা ৷ আর তার সমষ্টি ছিল বা হাত্তরটি ৷ আর এর কারণ হল যখন কাউকে
হত্যা করা হত তখনই তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ইবন যিয়াদের সামনে উপস্থিত করা হত ৷
এরপর ইবন যিয়াদ এ সকল মাথা শামে ইয়াঘীদ ইবন মু আবিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেয়) ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে হুসায়ন বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
জারীর বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ থেকে, তিনি আনাস থেকে, গ্রিনি বলেন উবায়দুল্লাহ্ ইবন
যিয়াদের কাছে হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথা এনে একটি তশতরীতে রাখা হল, তখন যে
তাতে ঘোচ৷ দিতে লাগল এবং তার সৌন্দর্যের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করল ৷ এরপর হযরত
অন্তোস (রা) বলেন, তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে
সাদৃশ্যপুর্ণ ণ্দহাকৃতি ও অবয়য়ের অধিকারী ৷ আর এ সময় তীর চুল-দাড়িতে খেযাব লাগানো
ছিল১ ইমাম বুখারী মানাকিব’ অধ্যায়ে ইবন ইশকাব মুহাম্মদ ইবন হাসান ইবন ইবরাহীমের



১ ইমাম তিরমিবী মানাকিব অধ্যায়ে তা উল্লেখ করেছেন, অধ্যায় (৩১) হাদীস (৩৭৭৮) (যে খণ্ড ৬৫৯ পৃন্

আর ইমাম বুখারী ফাযাইলুস সাহাবা’ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন অধ্যায় (২২) হাদীস (৩৭৪৮) ফাতহুল বারী
( ৭৯৪ ) ৷


بَنِي أَسَدٍ بَعْدَ مَا قُتِلُوا بِيَوْمٍ رَحِمَهُمُ اللَّهُ وَأَكْرَمَهُمْ. وَرُوِيَ عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ أَنَّهُ قَالَ: قُتِلَ مَعَ الْحُسَيْنِ سَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، كُلُّهُمْ مِنْ أَوْلَادِ فَاطِمَةَ. وَعَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قُتِلَ مَعَ الْحُسَيْنِ سِتَّةَ عَشَرَ رَجُلًا، كُلُّهُمْ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ لَهُمْ شِبْهٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: قُتِلَ مَعَهُ مِنْ وَلَدِهِ وَإِخْوَتِهِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ ثَلَاثَةُ وَعِشْرُونَ رَجُلًا، فَمِنْ أَوْلَادِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ; جَعْفَرٌ، وَالْحُسَيْنُ، وَالْعَبَّاسُ، وَمُحَمَّدٌ، وَعُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ. وَمِنْ أَوْلَادِ الْحُسَيْنِ عَلِيٌّ الْأَكْبَرُ وَعَبْدُ اللَّهِ. وَمِنْ أَوْلَادِ أَخِيهِ الْحَسَنِ ثَلَاثَةٌ ; عَبْدُ اللَّهِ، وَالْقَاسِمُ، وَأَبُو بَكْرٍ بَنُو الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَمِنْ أَوْلَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ اثَنَانِ ; عَوْنٌ وَمُحَمَّدٌ. وَمِنْ أَوْلَادِ عَقِيلٍ ; جَعْفَرٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَمُسْلِمٌ قُتِلَ قَبْلَ ذَلِكَ كَمَا قَدَّمْنَا. فَهَؤُلَاءِ أَرْبَعَةٌ لِصُلْبِهِ، واثَنَانِ آخَرَانِ ; هُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي سَعِيدِ
পৃষ্ঠা - ৬৭২৮

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৫৫

উদ্ধৃড়িতে তা বর্ণনা করেছেন,া যিনি হুসায়ন ইবন মুহাম্মদ থেকে আর তিনি জারীর ইবন
হাযিম থেকে, যিনি মুহা ম্মদ ণ্ ইবন সীরীন থেকে আর তিনি, আমার থেকে তা উল্লেখ
করেছেন ৷ তাছাড়া ইমাম তিরমিযী হযরত আনাসের সুত্রে হাফসা বিনত সীরীনের হাদীস
থেকে তা বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসটিকে হাসান সহীহ আখ্যা দিয়েছেনা আর তাতে
রয়েছে “তখন সে তার হাতের একটি দও দিয়ে তার নাকাটাকা দিয়ে বলতে লাগল এর

ম৩ সুপুরু,ষ অ্ামি দেখি নিা

বাঘৃযার বলেন, আমাদেরকে মুকাররিজ ইবন ওজা ইবন উবায়দুরাহ্ আল মাওসিলী রংনিা

করেছেন, তিনি ,বলেন আমাদেরকে চ্াসৃসান ইবন রাবী আ বর্ণনাকরেছেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে ইউনুস ইবন উবারদা বর্ণনা করেছেন ছাবিত ও হুমায়দ থেকে আর তারা দু’ জন

রর্ণনা করেছেন, আনাস থেকে তিনি বলেন, উবাযদুল্লাহ ইবন যিরাদ্রেৰু সামনে যখন হযরত

ন্সাযশেব নাথা উপস্থিত করা হল তখন সে তার হাতের, ছড়ি দ্বারা তার সামনের দাতে টোকা
দিতে লাগল এবৎ বলতে লার্বুাল, সে ছিল রাবী রলেন, আমার ধারণা তিনি (আনাস) সৃপুরুষ

, ট্রুাব্দ বলেছেনা তখন আমি রললাম, আল্লাহর শপথ ! আমি ণ্৩ামাকে নিকৎসাতহি করবই

,,টুাইামাব ছ,াড় তার দাড়ের যে স্কুা,ন স্পর্শ করছে সেস্থাৰুন্ আমি রাসুলুরাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া স্ল্লোরক্লে চুমু থে বু ত দেখেছি া

খ্মানাস বলেন, তখন সে স০ কুচিত হহুর পড়ল ৷ এই সুত্রে রায্যার এককতাবে এই হাদীস

বর্ণনা করেছেন এর০ বলেছেন, হুমারদ থেকে ইটুনুস ইবন তৃাবৃদা রাতীত অন্য কেউ তা

বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা ৫নইা আর এই রাক্তি হল, এক প্রসিদ্ধ ব্সরাবাসী ৷ তার

রনাি গ্রহণে াকুান অসুরুিধৃা নেইা এছাড়া অ্াবুইয়ালা আল মাওসিলী, ইররাহীম ইবন হাজ্জাজ
থেকে তিনি হাম্মাদ ইবন স নাম থেকে তিনি আলী ইবন যায়দ ,,থেকোইনি হযরত অানাস
থেকে তা বর্ণনাকরেছেনা তদ্রদ্প কুররা ইবন থালিদ হাসারুনর সুত্রে হযরত আনাস থেকে তা
বর্ণন,া করেছেন ৷

আবু মুখানৃনাক রর্ণনা করেছেন সুলারমান ইবন আবু রাশিদু থেকে, তিনি হুাৰুয়দ্ ইবন
মুসলিম থেকে,াষ্নি বলেন, উমর ইবন সা দ আমাকে ড়েকে তার বিজয় ও অক্ষত থাকার
সুসং বাদ দেয়ার জনা তার শ্রী পবিজনেব কা,ছে পাঠলো সেখারে গিয়ে আমি ইবন ষিরাদকে
মজনিসে দেখতে পেলামা এসময় আপত প্রদিনিধি দল তার সাক্ষ,াতে প্রবেপ করলা ,

তখন আমিও তাদের সাথে প্ৰবেশ্া করলামাতরে প্রবেশ করে দেখলাম তার সামনে

হররত হুসাযন (রা) এর মাথা রাহা হয়েছে আর সে একটি ছডি দিয়ে তার সামনের

তাছাদন্ত থেকে তোমার হুড়ি সরিয়ে নাওা শপথ আরাহ্র ! যিনি রাভীত কোন উপালা নেই

ৰু ন্ আমি রাসুলুরাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সারামের উভয়াঠীট্;ক এই দুটি দাতে চুযু দিতে
দেখেছিা এরপর এই বৃদ্ধ সাহাবী কানার ভেঙ্গে পড়লেনা এসময় ইবন যিয়াদ তাকে রক্ষা,

রাহাতামার শ্চোথরু ৰু ক দাকৃ৩ থাকুন ৷ আল্লাহর শপথ যদি না তুমি মতিভ্রম্নেয় শিকার
ৰুদ্ধিভ্রষ্ট বৃদ্ধ না হতে তাহলে আমি তোমার স্টুার্দান উড়িয়ে দিতামা

বর্ণনা কারী বলেন তখন তিনি উাঠ সেখান থেকে চলে গেলেনা তিনি যখন বেরিয়ে পেলেন

তখন লোকেরা রলারলি করল আরাহ্র শপথ যায়দ ইবন আরকাম এমন কথা বলেছেন যদি

ইবন যিরাদ তা ওনত তাহলে তাকে হত্যা করতা

াাান্(হ্রাশ্রোা৪র্নোা০ওোড়া

بْنِ عَقِيلٍ، فَكَمَلُوا سِتَّةً مِنْ وَلَدِ عَقِيلٍ، وَفِيهِمْ يَقُولُ الشَّاعِرُ: وَانْدُبِي تِسْعَةً لِصُلْبِ عَلِيٍّ ... قَدْ أُصِيبُوا وَسِتَّةً لِعَقِيلِ وَسَمِيُّ النَّبِيِّ غُودِرَ فِيهِمْ ... قَدْ عَلَوْهُ بِصَارِمٍ مَصْقُولِ وَمِمَّنْ قُتِلَ مَعَ الْحُسَيْنِ بِكَرْبَلَاءَ أَخُوهُ لِأُمِّهِ مِنَ الرَّضَاعَةِ - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُقْطُرٍ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا قُتِلَ قَبْلَ ذَلِكَ حِينَ بَعَثَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَحُمِلَ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ فَقَتَلَهُ. وَقُتِلَ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنْ أَصْحَابِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ ثَمَانِيَةٌ وَثَمَانُونَ رَجُلًا سِوَى الْجَرْحَى، فَصَلَّى عَلَيْهِمْ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ وَدَفَنَهُمْ. وَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ نَدَبَ عَشَرَةَ فُرْسَانٍ، فَدَاسُوا الْحُسَيْنَ بِأَفْرَاسِهِمْ حَتَّى أَلْصَقُوهُ بِالْأَرْضِ يَوْمَ الْمَعْرَكَةِ، وَسُرِّحَ بِرَأْسِهِ مِنْ يَوْمِهِ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ مَعَ خَوَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الْأَصْبَحِيِّ، فَلَمَّا انْتَهَى بِهِ إِلَى الْقَصْرِ وَجَدَهُ مُغْلَقًا، فَرَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَوَضَعَهُ تَحْتَ إِجَّانَةٍ، وَقَالَ لِامْرَأَتِهِ نَوَارَ بِنْتِ مَالِكٍ: جِئْتُكِ بِعِزِّ الدَّهْرِ. فَقَالَتْ: وَمَا هُوَ؟ فَقَالَ: هَذَا رَأْسُ الْحُسَيْنِ. فَقَالَتْ: جَاءَ النَّاسُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَجِئْتَ أَنْتَ بِرَأْسِ ابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! وَاللَّهِ لَا يَجْمَعُنِي وَإِيَّاكَ فِرَاشٌ أَبَدًا. ثُمَّ نَهَضَتْ عَنْهُ مِنَ الْفِرَاشِ، وَاسْتَدْعَى بِامْرَأَةٍ لَهُ أُخْرَى مِنْ بَنِي أَسَدٍ، فَنَامَتْ عِنْدَهُ. قَالَتِ الثَّانِيَةُ: فَوَاللَّهِ مَا زِلْتُ أَرَى النُّورَ سَاطِعًا مِنْ تِلْكَ الْإِجَّانَةِ إِلَى السَّمَاءِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭২৯

বর্ণনাকারী বলেন, তখন অমি (তাদেরকে) জিজ্ঞাসা করলাম তিনি কি বলেছেন ? তারা
বলন্ন্া, আমাদেরকে অতিক্রম করার সময়ও তিনি আবৃত্তি ধ্ন্শ্রছিলেন্ান্ ’ ন্
এক ক্রীতদাস বহু ক্রীতদাসয় বাদশ্া৷ বানাছ, এরপর সে তাদেরকে ৷নতা বানিাযাহু ৷
াহ আরবগণ আজকের পর থেকে ৷তামর৷ দা৷স পরিণত হয়েছ ৷ নবীদুহিতা ফ বিমা
তনয়কে হত্যা করে, মারজানার পুত্রাক তোমরা কর্তৎ দিয়েছ ৷ আর সে তোমাদের
স্বজনদেরকে হতা৷ করছে আর দুর্জনাদর দা৷স পরিণত করছে ৷ নিপাত যাক ঐ ব্যক্তি, যে
অপদস্থতা ৷মান ৷নয় ৷ আবু দাউদের সুত্রে৩ তার সনদে যায়দ ইবন আরকাম থেকে মোটামুটি
এমনই বর্ণিত হয়েছে ৷ আর তারা ৷রানী ছাবিত এর সুত্রে যাযদ থেকে তা বর্ণনা করেছেন ৷
আর ইমাম তিরবিষী বলেন, আম্াদেরকে ওয়াসিল ইবন আব্দুল আলা বর্ণনা করেছেন,
, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবু মুআবিয়৷ বর্ণনা করেছেন আমল থেকে, তিনি উমার৷ ইবন
উমায়র থেকে, তিনি বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ও তার সঙ্গীাদর মাথাসন্মুই আন যখন
(কুফার) মসজিদের আঙ্গিনায় রাখা হয় তখন আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে ৷লাকাদর বলতে
শুনলাম, ঐ যে এসেছে, ঐ যে এসেছে, হঠাৎ ৷ধ্খতে ৷পলাম্ একটি সাপ এসে মাথাগুলাের
মধ্যে দিয়ে গিয়ে উবায়দুল্লাহ্ ইরন যিয়াদের নাকর ছিদ্র দিয়ে ৷ততরে প্রঝো করল এবং
কিছুক্ষণ ভেতরে থাকার পর বেরিয়ে অ ৷ড়ালে চলে গেল ৷ এরপর আবার লোকেরা বলে উঠল,
এসেছে, এসেছে ৷ এভাবে দু বাব বা তিনবার সাপটি তা (পুর্বের না৷য়) করল ৷ হাদীসটিাক
ইমাম তিরমিয়ী হাসান সহীহ বলেছেন ৷ , ,
এদিকে ইবন যিয়াদের পক্ষ থেকে ৷লাকজনাক মসজিদে সমবেত হওয়ার নিার্দপ ৷ঘাষি৩
হল ৷ ৷লাকজন সমবেত হওয়ার পর সে এসে মিম্বার আরোহণ করল ৷ এরপর সে হুসায়ন (রা)-
াক হত্যার মাধ্যাম আল্লাহ তাকে যে বিজয় দান করেছেন তার উল্লেখ করল ৷ যিনি তাদের
শাসন কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিতে এবং তাদের ঐক৷ বিনষ্ট করত ৩াচয়েছিলেন ৷৩ তখন আবদুল্লাহ ইবন
আক্লীফ আবৃদী দাড়িয়ে তার দিকে অগ্রসর হয়ে বললেন, দুর্ভাপবু; ৷৩ামাদেব ৷হ ইবন যিয়াদ ৷
ামরা নবী রাসুলদের সন্তানদের হত্যা করছ, আর কথা বলহু সিদ্দীকগণেব ওারায়
তখন এ করোণ ইবন যিরাদের নির্দেশে তাক হতা৷ করে শুলবিদ্ধ করা হল ৷ এরপর তার
নির্দেশে হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথ৷ কুফার জ়নসম ক্ষে রেখে দেয়া হল এবং তা নিয়ে কুফার
অলিতে পলিাত প্রদক্ষিণ করান৷ হল ৷ তারপর সে যুহার ইবন কা য়াসর মাধ্যমে তার ও তার
সঙ্গীদের মাথাসমুহ্ শ্া৷মে ইয়ায়ীদ ইবন মু আব্লিয়ার কা৷ছ পাঠিয়ে দিল ৷ এসময় যুহারের সাথে
অশ্বারোহীদের একটি দল ছিল যাদের মধ্যে আবুবুরদা ইবন আওর্ফ আল আযদী৩ ৷রিক ইবন
আবু যুবয়ান আযদী ছিল ৷ কুফ৷ থেকে রওনা করে এরা সবওলে ৷ মাথা ইয়াযীদ ইবন
মু আবিয়ার কাছে উপস্থিত করেছিল ৷
হিশাম বলেন ,ণ্আমা৷ক আবদুল্লাহ ইবন ইরাষীদ ইবন রুহ ইরন যানবা আল জুযামী তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি বনু হিময়া ৷রের নাম ইবন রাবী আ আল-জুরাশী থেকে
বর্ণনা করে বলেন, আল্লাহর শপথ আমি যখন দামেশাক ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে





১ মানাকিব’ অধ্যায়ে তিরবিষী হাদীসটি উালখ করোছন,অধ্া৷য় (ও১)-,হাদীস নং (৩৭৮০) ৫ম খণ্ড ৬৬০
পৃদ্ভ


وَطُيُورًا بَيْضَاءَ تُرَفْرِفُ حَوْلَهَا. فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا بِهِ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَأَحْضَرَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ مَعَهُ رُءُوسُ بَقِيَّةِ أَصْحَابِهِ، وَهُوَ الْمَشْهُورُ. وَمَجْمُوعُهَا اثَنَانِ وَسَبْعُونَ رَأْسًا، وَذَلِكَ أَنَّهُ مَا قُتِلَ قَتِيلٌ إِلَّا احْتَزُّوا رَأَسَهُ، وَحَمَلُوهُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، ثُمَّ بَعَثَ بِهَا ابْنُ زِيَادٍ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الشَّامِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُحَمَّدِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: أُتِيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ، فَجُعِلَ فِي طَسْتٍ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ عَلَيْهِ، وَقَالَ فِي حُسْنِهِ شَيْئًا، فَقَالَ أَنَسٌ: إِنَّهُ كَانَ أَشْبَهَهُمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ مَخْضُوبًا بِالْوَسْمَةِ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي الْمَنَاقِبِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، هُوَ ابْنُ إِشْكَابٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسٍ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُفَرِّجُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْمَوْصِلِيُّ، ثَنَا غَسَّانُ بْنُ الرَّبِيعِ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَبْدَةَ، عَنْ ثَابِتٍ وَحُمَيْدٍ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا أُتِيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ جَعَلَ يَنْكُتُ بِالْقَضِيبِ ثَنَايَاهُ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৩০
প্ণ্লোঃৰুগ্ধ্ষ্ৰু ,

০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আলবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ৩৫ ৭

উপস্থিত ছিলাম তখন যুহার ইবন কায়স আগমন করে ইয়াযীদের সাথে সাক্ষাত করল ৷
ইযড়াযীদ তাকে বলল, কি সংবাদ নিয়ে এসেছ তুমি ? বল, তখন সে বলল, আমীরুল মু’মিনীনা
আপনি সুসং বাদ গ্রহণ করুন ৷ আল্লাহ আপনাকে সাহায্য ও বিজয় দান করেছেন ৷ হুসায়ন ইবন
আলী ইবন আবৃত তাওলিবার পরিবারের আঠার জন এবং অনুসারী সত্তরজনকে সাথে নিয়ে
আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করলেন ৷ তখন আমরা৩ তাদের কাছে গিয়ে তাদেরকে

আমাদের আমীর উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের ফয়সালা মােন নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে অথবা

আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বললাম ৷ কিন্তু তারা যুদ্ধকেই বেছে নিল ৷

এরপর আমরা দিনের প্রারম্ভেই তাদের দিকে অগ্রসর হলাম এবং চতুর্কিংন্ থেকে তাদেরকে
বেষ্টন করে নিলাম ৷ এরপর আমাদের তরবারিসমুহ৩ তাদের মাথার থুলির যথার্থ স্থানে পতিত
হতে লাগল ৷ তখন তারা পালাতে চাইল কিন্তু পালা নো র স্থান খুজে গেল না ৷ অবশেষে বাধ্য

হয়ে টিলা ও গর্তসমুহে আশ্রয় নিয়ে আমাদের থেকে আত্মরক্ষা করতে লাগল ৷ যেমনভাবে

কবুতর রাজের থাব৷ থেকে আত্মরক্ষা করে ৷ আল্লাহর শপথ! অল্পক্ষণেই তারা জবাইকৃত পশুর
কর্তিত মাস পিণ্ডে কিংবা দ্বিপ্রহরে শয়নকারী ব্যক্তির নিরব নিদ্রায় পরিণত হল ৷ এমনকি
আমরা তাদের শেষজনও হত্যা করলাম ৷ এখন তাদের ধড়সমুহ মুণ্ডু শুন্য, পরিধেয় ছিন্নভিন্ন
আর গওসমুহ ধুলিধুসবিত, সুর্যতাপ তাদেরকে দগ্ধ করছে,বায়ুপ্রবাহ তাদেরকে আঘাত করছে
এবং বাজ ও শকুব্লুনর দল তাদের দেখাশোনা করছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এ বর্ণনা শুনে ইয়াযীদের চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হল এবং সে বলল,
হুসায়নকে হত্যা করা ছ ডাই তোমাদের আনুগত্যে আমি খুশী হতাম ৷ হয়ে! আল্লাহর শপথ!
আমি যদি তার প্রতিপক্ষ হতাম তাহলে তাকে হত্যা করতাম না ৷ হুসায়নকে আল্লাহ রহম
করুন ৷ এরপর যে ব্যক্তি তার মাথা নিয়ে এসেছিল তাকে ইয়াযীদ কোন কিইে দিল না ৷
হুসায়ন (র) এর মাথা যখন ইয়াযীদের সামনে রাখা হল, তখন সে তাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

হায় আল্লাহর শপথ আ ৷মি যদি তােমা র প্রতিপক্ষ হতাম তাহলে তোমাকে হত্যা করতাম না ৷

এরপর যে করি হুসায়ন ইবন হাম্মাম আল ল-মুবৃরীর এই পঙ্ক্তি ওন্আবৃত্তি করল-

সৌং
(তরবাবিসমুহ) এমন লোকদের মাথার খুলি দ্বিখণ্ডিত করে যারা আমাদের কাছে সম্মানের

পাএ তবে তারা অবাধ্যতায় ও অবিচারে অগ্রবর্তী ছিল ৷

আবু মুখাননাফ বলেন, আমাকে আবু জা ফর আল আবায়ী বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
তখন মারওয়ান ইবন হাকামের ভাই ইয়াহয়া ইবন হাকাম২ দাড়িয়ে আবৃত্তি করল-



১ আত তাবারী (৬২৬৪) এবং আল কামিলে (৪৮৪) , ,া,স্ অর্থাৎ তাদের দেখাশোনাকারী মুলখন্থে
বিদ্যমান শব্দের পরিবর্তে টীকার এই শব্দটির অনুবাদ করা হল-অনুবাদক ৷

২ ২ মুরুজুয যাহাবে (৩৭৫) রয়েছে ৷ আমরা আমাদের প্রিয়লোকদের মাথার খুলি দ্বিখণ্ডিত করি ৷ আর আল-
আখবারুত তিওয়ালে (২৬১ পৃ৪ ) রয়েছে আমরা দ্বিখণ্ডিত করি আর মিসতুন নুজুম আল সালসওয়ালীতে রয়েছে,
(তরবারিসমুহ) দ্বিখণ্ডি৩ করে ৷ আর ইবনুল আন্থীরে (৪৮৫) এবং সিমতুন নুজুমে (৩৭৩) এর পুর্বে করি
হাসীনের একটি পঙ্ক্তি রয়েছে ,,ন্৷ এ১া,ন্ব্ক্ত র্বু



এে

ন্ৰুন্শ্ষ্ান্১া৷ )পুন্ান্৷ আমাদের লোকেরা আমাদের সাথে ইনসাফ করতে অস্বীকার করল তখন

আমাদের ডান হাতে ধারণকৃত ধারাল তরবারিসমুহ রক্তস্নাত হয়ে ইনসাফ আদায় করে নিল ৷)


يَقُولُ لَقَدْ كَانَ - أَحْسَبُهُ قَالَ - جَمِيلًا. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَأَسُوءَنَّكَ، إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْثَمُ حَيْثُ يَقَعُ قَضِيبُكَ» . قَالَ: فَانْقَبَضَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبَزَّارُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَالَ: لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنْ حُمَيْدٍ غَيْرُ يُوسُفَ بْنِ عَبْدَةَ، وَهُوَ رَجُلٌ مَنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ مَشْهُورٌ، وَلَيْسَ بِهِ بَأْسٌ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: دَعَانِي عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ فَسَرَّحَنِي إِلَى أَهْلِهِ لِأُبَشِّرَهُمْ بِفَتْحِ اللَّهِ عَلَيْهِ وَبِعَافِيَتِهِ، فَأَقْبَلْتُ حَتَّى أَتَيْتُ أَهْلَهُ، فَأَعْلَمْتَهُمْ ذَلِكَ، ثُمَّ أَقْبَلْتُ حَتَّى أَدْخَلَ، «فَأَجِدُ ابْنَ زِيَادٍ قَدْ جَلَسَ لِلنَّاسِ، وَقَدْ دَخَلَ عَلَيْهِ الْوَفْدُ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَيْهِ، فَدَخَلْتُ فِيمَنْ دَخَلَ، فَإِذَا رَأَسُ الْحُسَيْنِ مَوْضُوعٌ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَإِذَا هُوَ يَنْكُتُ بِقَضِيبٍ بَيْنَ ثَنِيَّتَيْهِ سَاعَةً، فَقَالَ لَهُ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ: اعْلُ بِهَذَا الْقَضِيبِ عَنْ هَاتَيْنِ الثَّنِيَّتَيْنِ، فَوَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ، لَقَدْ رَأَيْتُ شَفَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى هَاتَيْنِ الشَّفَتَيْنِ يُقَبِّلُهُمَا. ثُمَّ انْفَضَخَ الشَّيْخُ يَبْكِي، فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: أَبْكَى اللَّهُ عَيْنَيْكَ، فَوَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّكَ شَيْخٌ
পৃষ্ঠা - ৬৭৩১



ফোরাত র্তাহ্বরর পাশে পতিত মন্তকসহৃাহ ভেগালবংশীয় ক্রীতদাস ইবন যিয়াদের চেয়ে
নিকটতর ৷
মৈং
সুমায়া৷র বংশধর বৃদ্ধি পেয়েছে কঙ্করের সংখ্যায় অথচ নবী পরিবারের বংশধর আজ
নেই বললেই চলে ৷

বর্ণনাকায়ী বলেনঃ, তখন ইয়াষীদ ইয়াইয়৷ ইবন হাকামের বুকে আঘাত করে বললেন, চুপ ষ্
কর ৷ মুহাম্মদ ইবন হুমায়দ আররাযী (উল্লেখ্য যে, তিনি একজন শিয়া,) বলেন, আমাদেরকে
মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া আল আহৃমারী বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমাদেরকে লাইছ বর্ণনা
করেছেন যুজাহির থেকে, তিনি বলেন, যখন হযরত হুসায়নের মাথা এনে ইয়াযীদের সামনে
রাখা হল, তখন সে এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করল ৷

বদরে নিহত আমার পিতৃপুরুষের৷ যদি দেখত বর্শাপতনকালে খাযরাজের আতঙ্ক ৷
ঙুট্রু১১৷ ৷ দ্দৌ৷ , ৷ স্টোাএ্
তাহলে উচ্চস্বরে হর্ষধ্বনি করত অতঃপর আমাকে বলত
আমরা তোমাদের দ্বিগুণ সম্রাম্ভজনকে বধ করেছি এবং বদরের পরাজয়ের পাল্লাকে,

সমান করোছ ৷ ,

-মুজাহিদ বলেন, যে তাতে €নফাকী করেছে ৷ আল্লাহর শপথের পর শপথ তার বাহিনীর !
এমন কেউ রইল না যে তার নিন্দা সমালোচনা করল না ৷ আর হযরত হুসায়ন (রা ) এর
মাতার পরিণতিয় ব্যাপারে আলিমগণ এই মর্মে মত ভেদ করেছেন যে, ইবন যিয়াদ ত শামে
ইয়াযীন্াজ্জা কাছে পাঠিয়েছিল, না পাঠায় নি ৷ তার মত দু টিব মধ্যে পাঠানোর মতই অধিক
যুক্তিসন্সত ৷ এর সমর্থনে বহু আছার বর্ণিত হয়েছে ৷ আর সঠিক বিষয় আ ল্লা৷হ্ই ভাল জানেন ৷

আবু মুখানৃনাফ বর্ণনা করেছেন আবু হামযাহ আছ ছুলামী থেকে তিনি আবদুল্লাহ
তা৷চ্শ্ায়ামনী২ থেকে তিনি কাসিম ইবন বাখীত থেকে বলেন, হযরত হুসায়নের মাথা যখন



১ মুদ্রিত গ্রন্থের চীকায় রয়েছে ? এই সময়ে ইয়াষীদ কর্তৃক এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করা কল্পনাভীত ৷ কেননা,
সকল ঐতিহাসিক একাযাগে উল্লেখ করেছেন যে, মদীনা মুনাওয়ারায় হাররার ঘটনা এবং আনসারদের
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সং বাদ পাওয়ার পর সে এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করে ৷ আর হারবার ঘটনা আমাদের
আলোচ্য ঘটনার পরই সংঘটিত হয়েছে ৷ এছাড়াও হযরত হুসায়ন (রা) এর ঘটনায় খাযরাজের কেউ উপস্থিত
ছিলেন না ৷ আরবদের ইতিহাসেও যুদ্ধ-রিঃাহের ঘট নাসমুহের অবনতিৱ মাধ্যমে তা জানা সম্ভব ৷ আর অল্লাহই
ভাল জানেন ৷ আর এই কবিতা পঙ্ক্তিগুলি আবদুল্লাহ ইবন ফিবআরীর ৷

২ আত-তাবাৰী আছছুলামী


قَدْ خَرِفْتَ، وَذَهَبَ عَقْلُكَ لَضَرَبْتُ عُنُقَكَ. قَالَ: فَنَهَضَ فَخَرَجَ» ، فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ النَّاسُ: وَاللَّهِ لَقَدْ قَالَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ كَلَامًا لَوْ سَمِعَهُ ابْنُ زِيَادٍ لَقَتَلَهُ. قَالَ: فَقُلْتُ: مَا قَالَ؟ قَالُوا: مَرَّ بِنَا وَهُوَ يَقُولُ: مَلَكَ عَبْدٌ عَبْدًا، فَاتَّخَذَهُمْ تُلَدًا، أَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ الْعَبِيدُ بَعْدَ الْيَوْمِ، قَتَلْتُمُ ابْنَ فَاطِمَةَ، وَأَمَّرْتُمُ ابْنَ مَرْجَانَةَ، فَهُوَ يُقَتِّلُ خِيَارُكُمْ، وَيَسْتَعْبِدُ شِرَارَكُمْ، فَرَضِيتُمْ بِالذُّلِّ، فَبُعْدًا لِمَنْ رَضِيَ بِالذُّلِّ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ ثَابِتٍ، عَنْ زَيْدٍ. وَقَدْ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَأَصْحَابِهِ، نُصِبَتْ فِي الْمَسْجِدِ فِي الرَّحْبَةِ، فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِمْ، وَهُمْ يَقُولُونَ: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَإِذَا حَيَّةٌ قَدْ جَاءَتْ تُخَلِّلُ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي مِنْخَرَيْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَمَكَثَتْ هُنَيْهَةً، ثُمَّ خَرَجَتْ، فَذَهَبَتْ حَتَّى تَغَيَّبَتْ، ثُمَّ قَالُوا: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَفَعَلَتْ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৩২


ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়াব সামনে রাখা হল তখন সে তার হাতের ছড়ি দিয়ে তার মুখে ধৌচা
দিতে লাগল ৷ আর বলল, এর ও আমাদের অরস্থান হল হাসীন ইবন হাম্মা ন আলযুররী যেমন
বর্ণনা করেছেন প্
মোঃধ্

( ৩ববাবিস্ম্হ্) এমন লোকদের মাথার খুলি দ্বিখণ্ডিত করে যারা আমাদের কাছে সম্মানে

পাত্র তবে অবাধ্যত৷ ও অবিচারে তার৷ অগ্রবভী ছিল ৷

তখন আবু বারঘাহ্ আল-আসলাইা৷১ তাকে বললেন, শুনে বাখ ৷ তোমার এই ছড়ি এমন
স্থানে পতিত হচ্ছে যেখানে আ মি আল্লাহর রাসুলকে ঢুমু দিতে দেখেছি ৷ তারপর বললেন, শুনে
রাখা এ কিয়মাে৩ তর দিন উপস্থিত হবে আর তার শাফায়াতকারী থাকবেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর তুমি উপস্থিত হবে ইবন যিয়াদকে শাফায়াতকারী রুব্লুপ নিয়ে ৷
এরপর তিনি উঠে চলে গেলেন ৷ এছাড়া ইবন আবুদ দুনয়া৩ তা বর্ণনা করেছেন আবদুল
ওয়া ৷লীদ থেকে,৩ তিনি খালিদ ইবন আসাদ থেকে ,৩ তিনি আম্মার ই বৃনৰুআদ্দুহনী থেকে, তিনি

জাফর থেকে, তিনি বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) এর মাথা যখন ইয়াযীদের সামনে রাখা হল

এবং হযরত আবু বারবার উপস্থিতিতে সে ছড়ি দিয়ে তাতে ঘোচ৷ দিতে লাগল, তখন তিনি

তাকে বললেন, তোমার ছড়ি উঠিয়ে নাও ৷ কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সারাল্লা হ আলাইহি ওয়া

সাল্লামকে তাতে চুমু দিতে দেখেছি ৷ ,

, ইবন আবুদ দুনই য়৷ বৰু লন, আমাকে মাসলাম৷ ইবন শাবীব বর্ণনা করেছেন হুমারদী থেকে,

, তিনি সুফিরান (থ,ভ্রুক, তিনি বলেন, আমি সালিম ইব ন আবু হাফসাৰেহুন্ত বলতে ,ওনেছি হাসান

; বলেন, হযরত হুসায়নের মাথা যখন উপস্থিত করা হল, তখন ছভি দিয়ে ইয়াষীদ তাতে থােচা
মারতে লাগল ৷ সুফিরান বলেন, আমার কাছে সহুবাদ পৌছেছে যে, এ ঘটনা ৷র পর হ সীন আবৃত্তি

, ,


সৃকারা৷র বংশধর বৃদ্ধি পেয়ে কঙ্করের সৎখ্যায় পৌছেছে অথচ নবী কনা৷র (কান বংশধর

নেই ৷

হযরত হুসারনের স্তী সন্তান ও স্ত্রজনদের প্রহরা ও ৩ত্ত্বাবধানেব জন্য উমর ইবন সা দ

রতন্ত্র লোক নিয়োগ করল ৷ এরপর তারা তাদেরকে তাদের বছেঃনৃর হাওদায় উঠ্া ল ৷
আরোহণ করাল ৷ এরপর সকাস্থুল যখন রর্চাক্ষেত্র অতিত্র: মক৷ লে হযরত হুসুারন ন্ (ব্া) এবং ৷রত

, সঙ্গীদের সেখানে তুরষ্ঠিৎ অবস্থায় দেখল ৷ তখন যেয়েরর্দুা, তার শ্যেকে উচ্চস্থরে কাদতে
ল লাগল ৷ আর যারনাব (রা) র্তার্ ভাই হুসাযন (রা) ও স্বজনদ্রের নৃত্য শে কে কেদে কেদে

রল তে লাহৃালেন, হে মুহাম্মদ £হ মুহাম্মদ ৷ আল্লাহ আপনার প্রতি ত্ানহ করুন ৷ আর
আনমক্রোর (ফরেশতা আপনার জন্য অনুগ্রহ কামনা করুক ৷ এই হুস্ায়ন (রা) উন্মুক্ত প্রাতরে ৷
দেহ তার রক্তম্নাত ৷ অঙ্গ প্রতাঙ্গ ছিন্ন-ভিন্ন ৷

হে মুহাম্মদ ৷ আর আপনার কন্যার৷ যুদ্ধ বন্দিনী আর রৎশধবৃররা নিহত হয়ে পড়ে আছে ৷
পৃবালী বাতাস ৩াবুদর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন তার এই করুণও
মর্মস্পশী শোকবিলাপ৷ ৷এষ্ মিত্র সকলকে ক৷ ৷দিয়ে ফেলল ৷



১ আর তার নাম নবৃলাহ্ ন্থবৃ-ন্দ্রআর্বীদ তাহ্যীবুয তাহযীব ( $ :৪ ৪৬)


وَأَمَرَ ابْنُ زِيَادٍ أَنَّ الصَّلَاةَ جَامِعَةٌ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ ذَكَرَ مَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنْ قَتْلِ الْحُسَيْنِ الَّذِي أَرَادَ أَنْ يَسْلُبَهُمُ الْمُلْكَ، وَيُفَرِّقَ الْكَلِمَةَ عَلَيْهِمْ، فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَفِيفٍ الْأَزْدِيُّ، فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا ابْنَ زِيَادٍ! تَقْتُلُونَ أَوْلَادَ النَّبِيِّينَ وَتَتَكَلَّمُونَ بِكَلَامِ الصِّدِّيقِينَ. فَأَمَرَ بِهِ ابْنُ زِيَادٍ، فَقُتِلَ وَصُلِبَ. ثُمَّ أَمَرَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ، فَنُصِبَ بِالْكُوفَةِ وَطِيفَ بِهِ فِي أَزِقَّتِهَا، ثُمَّ سَيَّرَهُ مَعَ زَحْرِ بْنِ قَيْسٍ وَمَعَهُ رُءُوسُ أَصْحَابِهِ، إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَكَانَ مَعَ زَحْرٍ جَمَاعَةٌ مِنَ الْفُرْسَانِ ; مِنْهُمْ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ عَوْفٍ الْأَزْدِيُّ، وَطَارِقُ بْنُ أَبِي ظَبْيَانَ الْأَزْدِيُّ، فَخَرَجُوا حَتَّى قَدِمُوا بِالرُّءُوسِ كُلِّهَا عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. قَالَ هِشَامٌ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْغَازِ بْنِ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ ; مِنْ حِمْيَرَ قَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَعِنْدَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِدِمَشْقَ، إِذْ أَقْبَلَ زَحْرُ بْنُ قَيْسٍ، فَدَخَلَ عَلَى يَزِيدَ، فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: وَيْلَكَ! مَا وَرَاءَكَ؟ فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِفَتْحِ اللَّهِ عَلَيْكَ وَنَصْرِهِ، وَرَدَ عَلَيْنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَسِتُّونَ رَجُلًا مِنْ شِيعَتِهِ، فَسِرْنَا إِلَيْهِمْ، فَسَأَلْنَاهُمْ أَنْ يَسْتَسْلِمُوا وَيَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ الْأَمِيرِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ أَوِ الْقِتَالَ، فَاخْتَارُوا الْقِتَالَ، فَغَدَوْنَا عَلَيْهِمْ مَعَ شُرُوقِ الشَّمْسِ، فَأَحَطْنَا بِهِمْ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ حَتَّى أَخَذَتِ السُّيُوفُ مَأْخَذَهَا مِنْ هَامِ الْقَوْمِ، فَجَعَلُوا يَهْرَبُونَ إِلَى غَيْرِ مَهْرَبٍ وَلَا وَزَرٍ، وَيَلُوذُونَ مِنَّا بِالْآكَامِ وَالْحُفَرِ لِوَاذًا كَمَا لَاذَ الْحَمَامُ مِنْ صَقْرٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৩


কুরর৷ ইবন কায়স বলেন, যেয়ের৷ নিহতদের অতিক্রম করল তখন তারা উচ্চস্বরে ৫কদে
উঠল এবং নিজেদের গণ্ডদেশ চাপড়াতে ৩ল’াপল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সেদিন আমি তাদের থেকে
যে দৃশ্য দেখেছি, তার চেয়ে সুন্দর কোন দৃশ্য কোন মেয়েদের আমি কখনো ংদেখি নিা
আল্লাহর কসম, তারা ছিল বীরীন ভুখণ্ডের নীল নাইয়ের চেয়ে সুন্দর ৷ এরপর তিনি পুর্বোল্লিখিত
রুপে হাদীসখানি উল্লেখ করেছেন ৷ অতঃপর রাবী বলেন, এরপর তারা তাদেরকে নিয়ে
কারবাল৷ থেকে রওয়ান৷ হয়ে কুফায় প্রবেশ করল ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাদের প্রতি সম্মান
প্রদর্শন করল এবং তাদের জন্য পোশাক পবিচ্ছদ, ভরণ পোষণ ইত্যাদি বরাদ্দ করে দিল ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় অতি সাধারণ পরিধেয়, অপরিচি৫৩ তর বেশে দাসী-বীদী পরি বষ্টিত
অবস্থায় যায়নাব ইবন ফাতিমা (রা) আসলেন ৷ এরপর তিনি যখন উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের
সামনে“ প্রবেশ করলেন, তখন সে বলল, এ কে ? তখন তিনি কোন কথা বললেন না ৷ তার
ন্ কোন এক বাদী বলল, ইনি হলেন যায়নাব ইবন ফাতিমা (রা) ৷ তখন সে বলল, সকল প্রশংসা
আল্লাহ্র! যিনি ৫তামাদেরকে হতা৷ ও অপদস্থতার শিকার করেছেন এবৎ৫ ৫তামাদের অভিনব
দাবীকে মিথ্যা সাব্যস্থ করেছেন ৷
তখন তিনি তার উত্তরে বললেন, বরং প্রশংসা আল্লাহর যিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম দ্বারা আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন এবং আমাদেরকে অতি উত্তমরুপে পবিত্র
করেছেন আর তুমি যা বলছ তা তোমার দাবী ৷ শুনে রাখ, অপদস্থন্ৰুৰুহল ফাসিক আর
মিথ্যাৰাদী সাব্যস্থ হয় ফাজির (পাপিষ্ঠ) ৷ সে বলল, তোমাদের আহলে বায়তের সাথে আল্লাহর
আচরণ কেমন দেখলে ? তিনি বললেন, মহান আল্লাহ্ তাদের জন্য শহীদ হওয়ার ফয়সালা
লিখে ৫রখেছিলেন তাই তারা তাদের বধ্যভুমিতে বেরিয়ে পডেছিল ৷ অচিরেই আল্লাহ তোমাকে
তাদের সাথে সমবেত করবেন, তখন তারা তোমাকে বিচারের জন্য আল্লাহর দরবারে পেশ
করবেন ৷ একথায় ইবন যিয়াদ প্রচণ্ডক্রোধে জ্বলে উঠল, ৫বসামাল হয়ে পড়ল ৷ তখন আমর
ইবন হুরায়ছ৩ তাকে বললেন, আল্লাহ আযীরকে সুমতি দিন ৷ তিনি ৫৩ ৷ একজন নারী ৷ কোন
কথার কারণে কি কোন নারীকে শাস্তি দেওয়া যায় ? কথার কারণে ডাঃর্কশাস্তি দেয়া যায় না,
আর নির্বুদ্ধি তার কারণে তাকে ভর্চুসনাও করা যায় না ৷
আবু মুখননাফ্ মুজালিদ ইবন সায়ীদ থেকে বর্ণনা করে বলেন, ইবন যিয়াদ যখন আলী
ইবন হুসায়ন (যাষনুনৰুন্ন্আবিদীন্ রা) কে দেখতে পেল ৷ তখন এক সিপাহীকে বলল, খোজ
নিয়ে দেখ এই বালক বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে কি না ৷ যদি সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে থাকে তাকে নিয়ে হত্যা
করে ফেল ৷ তখন সে তার লুঙ্গি সরিয়ে দেখে বলল, হ্যা সে বয়ংপ্রাপ্ত হয়েছে ৷ ইবন যিয়াদ
তখন বলল, যাও তাকে নিয়ে হত্যা করে ফেল ৷ আলী ইবন হুসায়ন (রা)৩ তা৫ক বললেন, যদি
তুমি মনে কর আমার ব্ৰু এই ৫ময়েদেব মাঝে কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে, তাহ্লে তাদের
৫দখাশোনায় জন্য একজন ভাল লোক পাঠিয়ে দাও ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাকে বলল, তাহলে
মিতুই আস ৷ তখন যে তাকে তাদের সাথে পাঠিয়ে দিল ৷ আবু মুখানৃনাফ বলেন, আর
সুলায়মান ইবন আবু রশিদ দিনি আমাকে ছুসায়ন ইবন মুসলিম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, আলী ইবন হুসায়নকে যখন ইবন যিয়াদের সাম৫ন উপস্থিত করা হয়, তখন আমি তার



১ ইবনুল অরুছদে (৫২২৮) ; আত তাবারীতে (৬২৬৩); ইবনুল আহীরেশ্৪৮২ তে মুৰুরী ইৰুন্ মুআয আল-
আসমারীর নাম উল্লেখ রয়েছে ৷ শু


فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلَّا جَزْرُ جَزُورٍ أَوْ نَوْمَةُ قَائِلٍ، حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى آخِرِهِمْ، فَهَاتِيكَ أَجْسَادُهُمْ مُجَرَّدَةً، وَثِيَابُهُمْ مُرَمَّلَةً، وَخُدُودُهُمْ مُعَفَّرَةً، تَصْهَرُهُمُ الشَّمْسُ وَتَسْفِي عَلَيْهِمُ الرِّيحُ، زُوَّارُهُمُ الْعِقْبَانُ وَالرَّخَمُ. قَالَ: فَدَمَعْتَ عَيْنَا يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَقَالَ: قَدْ كُنْتُ أَرْضَى مِنْ طَاعَتِكُمْ بِدُونِ قَتْلِ الْحُسَيْنِ، لَعَنَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَنِّي صَاحِبُهُ لَعَفَوْتُ عَنْهُ، وَرَحِمَ اللَّهُ الْحُسَيْنَ. وَلَمْ يَصِلْ زَحْرَ بْنَ قَيْسٍ بِشَيْءٍ. وَلَمَّا وُضِعَ الْحُسَيْنُ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَنِّي صَاحِبُكَ مَا قَتَلْتُكَ. ثُمَّ أَنْشَدَ قَوْلَ الْحُصَيْنِ بْنِ الْحُمَامِ الْمُرِّيِّ الشَّاعِرِ: يُفَلِّقْنَ هَامًا مِنْ رِجَالٍ أَعِزَّةٍ ... عَلَيْنَا وَهُمْ كَانُوا أَعَقَّ وَأَظْلَمَا قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ الْعَبْسِيُّ، عَنْ أَبِي عُمَارَةَ الْعَبْسِيِّ قَالَ: وَقَامَ يَحْيَى بْنُ الْحَكَمِ أَخُو مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَقَالَ: لَهَامٌ بِجَنْبِ الطَّفِّ أَدْنَى قَرَابَةً ... مِنِ ابْنِ زِيَادِ الْعَبْدِ ذِي الْحَسَبِ الْوَغْلِ سُمَيَّةُ أَضْحَى نَسْلُهَا عَدَدَ الْحَصَى ... وَبِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ لَيْسَ لَهَا نَسْلُ قَالَ: فَضَرَبَ يَزِيدُ فِي صَدْرِ يَحْيَى بْنِ الْحَكَمِ، وَقَالَ: اسْكُتْ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَهُوَ شِيعِيٌّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْأَحْمَرِيُّ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ تَمَثَّلَ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ: لَيْتَ أَشْيَاخِي بِبَدْرٍ شَهِدُوا ... جَزَعَ الْخَزْرَجِ مِنْ وَقْعِ الْأَسَلْ فَأَهَلُّوا وَاسْتَهَلُّوا فَرَحًا ثُمَّ ... قَالُوا لِي هَنِيًّا لَا تَسَلْ حِينَ حَكَّتْ بِقُبَاءٍ بِرْكَهَا ... وَاسْتَحَرَّ الْقَتْلُ فِي عَبْدِ الْأَشَلْ قَدْ قَتَلْنَا الضَّعْفَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ ... وَعَدَلْنَا مَيْلَ بَدْرٍ فَاعْتَدَلَ قَالَ مُجَاهِدٌ: نَافَقَ فِيهَا، وَاللَّهِ ثُمَّ وَاللَّهِ مَا بَقِيَ فِي جَيْشِهِ أَحَدٌ إِلَّا تَرَكَهُ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ بَعْدَ هَذَا فِي الرَّأْسِ هَلْ سَيَّرَهُ ابْنُ زِيَادٍ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى يَزِيدَ بِالشَّامِ أَمْ لَا؟ عَلَى قَوْلَيْنِ، وَالْأَوَّلُ أَشْبَهُ وَقَدْ وَرَدَ فِي ذَلِكَ آثَارٌ كَثِيرَةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৪


কাছে দাড়িয়ে, ইবন যিয়াদ তাকে বলল, তোমার নাম কি ? তিনি বললেন, আলী ইবন
হুসায়ন ৷ সে তখন বলল, আল্লাহ কি আলী ইবন হুসায়নকে শেষ করেন নি ? কিন্তু তিনি চুপ
থাকলেন ৷ ইবন যিয়াদ তাকে নিপুচুপ দেখে বলল, কি হয়েছে তোমার ? কথা বলছ না কেন ?
তখন তিনি বললেন,
;,১শুন্ন্ খু ৷ ব্লুা৷
হ্রদু১া

আল্লাহ জীবসমুহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় ষ্সুরা যুমার ? ৪২ ৷ আল্লাহর
অনুমতি ব্যতীত কোন প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে না-আল ইমরান : ১৪৫ ৷

তখন সে বলল, আল্লাহর শপথ! তুমিও তাদেরই একজন, দুর্তাগ্য তোমার ৷ দেখ তো সে
বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে কি না ? আল্লাহর শ পথ ৷ আমার তো মনে হয় সে প্রাপ্তবয়স্ক ৷ তখন মুবরী ইবন
মুআল তার বস্ত্র উন্মোচন করে বলল, হ্যা, সে প্রাপ্তবয়স্ক ৷ তখন সে বলল, তাহলে তাকে হত্যা
করে ফেল ৷ তখন আলী ইবন হুসায়ন বললেন, তাহলে এই মেয়েদের দেখাশোনার দায়িতৃ কে
গ্রহণ করবে ? এ সময় তার ফুফু যায়নাব তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, হে ইবন যিয়াদা
আমাদের সাথে যে আব্রেণ তুমি করেছ তাই কি যথেষ্ট নয় ? তুমি কি আমাদের রক্তে এ খনাে
তৃপ্ত হও নি ? আমাদের পুরুষদের কাউকে কি তুমি জীবিত রেখেছ ? ,

বর্ণনড়াকারী বলেন, তিনি আলীকে জড়িয়ে ধরে বললেন, যদি তুমি মু’মিন হয়ে থাক, তাহলে
তীর সাথে আমাকেও হত্যা করে ফেল ৷ তখন আলী ইবন হুসায়ন ইবন যিয়াদকে আহ্বান করে
বলল, হে ইবন যিয়াদ ! যদি তুমি মনে কর তোমার ও তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন
রয়েছে, তাহলে তাদের সাথে একজন আল্লাহ্ভীরু লোক পাঠাও, যে ইসলামের বিধান রক্ষা
করে তাদের সাথে অবস্থান করবে ৷ বংনািকারী বলেন, তখন সে কিছুক্ষণ তাদের দিকে
তাকিয়ে থেকে সমবেত লোকদের দিকে ফিরে বলল, রক্তের টান বড় অদ্ভুত ৷ আল্লাহর শপথ !
আমার নিশ্চিত ধারণা যে, সে আন্তরিকভাবেই আকাহ্মে৷ করেছে যে, তীর ভাতিজার সাথে
আমি যেন র্তাকেও হত্যা করি ৷ বালকটিকে ছেড়ে দাও ৷ যাও তুমি তোমার পরিবারের
মেয়েদের সাথে ৷

বর্ণনাকাবী বলেন, এরপর ইবন যিয়াদের নির্দোশ হযরত হুসায়নের শ্রী পুত্র কন্যা ও
স্বজনদেরকে ইয়াযীদের কাছে রওয়ানা হওয়ার জন্য সফরের প্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণ
সরবরাহ করা হল ৷ আর আলী ইবন হুসাযন (রা)-এর হাতে বেড়ি পড়িয়ে তা তার গলার সাথে
যুক্ত করে দেওয়া হল ৷ এরপর তাদেরকে মাহকর ইবন ছালাবা আল-কুরাশী১ এবং দুরাত্মা
শাম্মার ইবন বল জাওশানের সাথে পাঠিয়ে দিল ৷ তারপর যখন তারা ইয়াযীদের প্রাসাদ দ্বারে
পৌছল তখন মাহকার ইবন ছালাবা আল আইনী উচ্চস্বরে বলল, এ হল মাহকার ইবন ছালাবা
যে আমীরুল মু’মিনীনের দরবারে হায়ির হয়েছে অপরাধী ও ইতরদের নিয়ে ৷ তখন ইয়াষীদ
ইবন মুআবিয়া বলল, মাহকরের মায়ের পুত্র তো দেখছি নিকৃষ্টতর ও ইতরতর ৷

এরপর যখন নিহতের মাথাসমুহ এবং যেয়েদেরকে ইয়াযীদের সামনে উপস্থিত করা হল
তখন সে শামের সম্রাত ও নেতৃস্থানীয় লোকদের আহ্বান করে তার চারপাশে বসাল ৷ অতঃপর



১ আত-তাবারীতে (৬২৬৪ ) মাহকার আল-কামিলে ( : ৮৪ ) যুহাফ্ফার আর আল-আখবারুত তিওয়ালে (পৃ৪
২৬০) মাহকন রয়েছে ৷ ,
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪ ৬


قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الثُّمَالِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ بُخَيْتٍ قَالَ: «لَمَّا وُضِعَ رَأْسُ الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ جَعَلَ يَنْكُتُ بِقَضِيبٍ كَانَ فِي يَدِهِ فِي ثَغْرِهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ هَذَا وَإِيَّانَا كَمَا قَالَ الْحُصَيْنُ بْنُ الْحُمَامِ الْمُرِّيُّ: يُفَلِّقْنَ هَامًا مِنْ رِجَالٍ أَعِزَّةٍ ... عَلَيْنَا وَهُمْ كَانُوا أَعَقَّ وَأَظْلَمَا فَقَالَ لَهُ أَبُو بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيُّ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ أَخَذَ قَضِيبُكَ هَذَا مَأْخَذًا، لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْشُفُهُ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: أَمَا إِنَّ هَذَا سَيَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشَفِيعُهُ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَجِيءُ وَشَفِيعُكَ ابْنُ زِيَادٍ. ثُمَّ قَامَ فَوَلَّى» . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ أَسَدٍ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ قَالَ: «لَمَّا وُضِعَ رَأْسُ الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَرْزَةَ جَعَلَ يَنْكُتُ بِالْقَضِيبِ عَلَى لِثَتِهِ وَيَقُولُ: يُفَلِّقْنَ هَامًا. فَقَالَ لَهُ أَبُو بَرْزَةَ: ارْفَعْ قَضِيبَكَ، فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْثَمُهُ» . قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَحَدَّثَنِي مَسْلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، عَنِ الْحُمَيْدِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ، سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ أَبِي حَفْصَةَ قَالَ: قَالَ الْحَسَنُ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ جَعَلَ يَزِيدُ يَطْعَنُ بِالْقَضِيبِ. قَالَ: سُفْيَانُ: وَأَخْبِرْتُ أَنَّ الْحَسَنَ كَانَ يُنْشِدُ عَلَى إِثْرِ هَذَا سُمَيَّةُ أَمْسَى نَسْلُهَا عَدَدَ الْحَصَى ... وَبِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ لَيْسَ لَهَا نَسْلُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৫


আলী ইওব ন হুনায়ন এবং হযরত হুসারন (রা) এর দ্রী শিশু ও অন্যান্য স্বজনাদর ডেকে
পাঠাল ৷ তখন সকলের সামনে তারা প্রবেশ করল ৷ এরপর ইয়াযীদ আলী ইবন হুসায়নকে
বলল, €হ আলী! তোমার পি৩ তা আমার আত্মীয়তা ছিন্ন করে আমার অধিকার ভুল আমার
সাথে ক্ষমতার দ্বান্দ্ব লিপ্ত হয়েছিল ৷ও তার পরিণতিাত আল্লাহর করসালা কি তা তুমি ক্ষেখেছ ?
তখন আলী বললেন, ,
াএ
পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে ৷তামাদের উপর যে বিপর্যয় আসে পুাইে তা লিপিবদ্ধ
থাকে ৷ (আল হাদীস) তখন ইয়াযীদ তার পুত্র খালিদকে বলল, তাকে উত্তর দাও ৷
বর্ণনাকারী বলেন, কিন্তু খালিদ কি উত্তর দেবে তা খুজে গেল না ৷ তখন ইয়াযীদ তাকে
শিখিয়ে দিয়ে বলল, বল, ণ্
াএ
তোমাদের যে বিপদ-আপদ: ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মের ফল এবং তোমাদের
অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে থাকেন ৷ (সৃর৷ শুরা ৩০)
এরপর সে তার ব্যাপারে কিছুক্ষণ চুপ থাকল তারপর নারী ও শিশুদের ডেকে পাঠীল ৷
তাদের হতশ্ৰী অবস্থা দেখে সে বলল, মারজানার ছেলেকে আল্লাহ লাঞ্ছি৩ করুন ৷ যদি তার ও
তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকত তাহলে সে তাদের সাথে এরুপ আচরণ করত না
এবং তোমাদেরকে এ অবস্থায় প্রেরণ করত না ৷ ১ ন্গুন্ শ্
আবু ঘুখান নাফ হারিছ ইবন কার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ফাতিমা বিনত আলী থেকে
, তিনি বলেন, আমাদেরকে যখন ইয়াযীদের সামনে এানবসান হল, তখন সে দরাপরবশ হয়ে

প্রয়োজনীয় সব কিছুর নির্দেশ দিল ৷ এরপর লালাভ বর্ণের এক ব্যক্তি দাড়িয়ে ইয়াযীদের কাছে

াগয়ে আমাকে লক্ষ্য করে বলল আমীরুল ঘুমিনীন৷ এা ক আমার দান কক্লন ৷ আর আমি
ছিলাম উজ্জ্বল বাংবি তরুণী ৷৩ তার কথায় আমি তার কেপে উঠলাম এরই ধাবঘারবিলামন্এটা
তাদের জন্য বৈধ বিষয় ৷ তখন আমি আম ৷র বোন যায়নারাক আকডে ধরলাম ৷ আর তিনি
আমার চেয়ে জ্যেষ্ঠ ও বৃদ্ধিমতি ছিলেন এবং জানতেন যে, তা তাদের জন্য বৈধ নয় ৷৩ তাই
তিনি ঐ ব্যক্তিাক বললেন, আল্লাহর শপথ! তুমি মিথ্যা রালছ এবং ই৩ রামির পরিচর দিয়েছ ৷
(তামার র৷ তার কারাে সে অধিকার নেই ৷ তখন ইয়াযীদ ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে বলল, তুমিই মিথ্যা
বলেছ ৷ আল্লাহর শপথ! আমার যে অধিকার রয়েছে ৷ যদি আমি ইচ্ছ৷ কবি তাহলে তা করতে
পারি ৷ তখন যায়নাব বললেন, কখনও নয় ৷ আল্লাহ তোমাকে সে অধিকার দেন নি, তবে যদি
তুমি আমাদের দীন্ ৷ ও মিল্লাত ৩া৷গ করে অন্য কোন দীানর অনুসারী হয়ে থাক তাহলে সে
কথা ভিন্ন ৷
ফাতিমা বলেন, ইরাযীদ তখন ক্রো৷ধ ৷বনামাল হয়ে বলল, আমার সাথে মি তোমার
এমন স্পর মুলক কথা, অথচ দীন ত্যাগ করেছে তোমার পি ৷, তোমার ভাই ৷ তখন যায়নাব
বলল, আল্লাহর দীানর মাধ্যমে, আমার পিতা ও ভ্রাতার দীানর মাধ্যমে, আমার মাতামহের
দীানর মাধ্যমে তু তোমার ৷পত ৷ ও পিতামহ তোমরা সকলে দীানর পথ পেয়েছ ৷ তখন সে
বলল হে আল্লাহর শত্রু না৷য়ী তুমি মিথ্যা বালছ ৷ তখন যায়নাব বললেন, তুমি অামীরুল
মু মিনী ৷ অপ্রতিহত ফ্তেমার অধিকারী অনা৷য়ভাবে কটু কথা বলছ এবং তোমার কর্ততু


وَأَمَّا بَقِيَّةُ أَهْلِهِ وَنِسَاؤُهُ وَحَرَمُهُ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَكَلَ بِهِمْ مَنْ يَحْرُسُهُمْ وَيَكْلَؤُهُمْ، فَأَرْكَبُوهُمْ عَلَى الرَّوَاحِلِ فِي الْهَوَادِجِ، فَلَمَّا مَرُّوا بِمَكَانِ الْمَعْرَكَةِ رَأَوُا الْحُسَيْنَ وَأَصْحَابَهُ مُجَدَّلِينَ، هُنَالِكَ بَكَتْهُ النِّسَاءُ، وَصَرَخْنَ وَنَدَبَتْ زَيْنَبُ أَخَاهَا الْحُسَيْنَ وَأَهْلَهَا، فَقَالَتْ وَهِيَ تَبْكِي: يَا مُحَمَّدَاهُ، يَا مُحَمَّدَاهُ، صَلَّى عَلَيْكَ مَلَائِكَةُ السَّمَاءِ، هَذَا حُسَيْنٌ بِالْعَرَاءِ، مُزَمَّلٌ بِالدِّمَاءِ، مُقَطَّعُ الْأَعْضَاءِ، يَا مُحَمَّدَاهُ، وَبَنَاتُكَ سَبَايَا، وَذُرِّيَّتُكَ مُقَتَّلَةٌ تَسْفِي عَلَيْهَا الصَّبَا. قَالَ: فَأَبْكَتْ وَاللَّهِ كُلَّ عَدُوٍّ وَصَدِيقٍ. قَالَ: ثُمَّ سَارُوا بِهِمْ فِي الْهَوَادِجِ مِنْ كَرْبَلَاءَ حَتَّى دَخَلُوا الْكُوفَةَ، فَأَكْرَمَهُمُ ابْنُ زِيَادٍ، وَأَجْرَى عَلَيْهِمُ النَّفَقَاتَ وَالْكَسَاوِيَ وَالصِّلَاتِ. ثُمَّ سَيَّرَهُمْ فَرَدَّهُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى الشَّامِ مَعَ شَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ وَمُحَفِّزِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْعَائِذِيِّ مِنْ قُرَيْشٍ، وَمَعَهُمْ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ زَيْنُ الْعَابِدِينَ، وَكَانَ أَرَادَ ابْنُ زِيَادٍ قَتْلَهُ، فَصَرَفَهُ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمَّا بَعَثَهُمْ سَيَّرَهُ مَعَ أَهْلِهِ، وَلَكِنَّهُ مَغْلُولٌ إِلَى عُنُقِهِ، وَبَقِيَّةُ الْأَهْلِ فِي حَالٍ سَيِّئَةٍ عَلَى مَا ذَكَرَ بَعْضُهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৬


জাদুর করছ ৷ ফাতিম৷ বলেন আল্লাহর শ্৷ পথ ৷ একথা শুনে ইয়াযীদ যেন লজ্জা পেল তখন সে
চুপ হ্যয় স্পোংা
এরপর সেই লোকটি আবার দাড়িয়ে বলল, আমীরুল ঘুমিনীন ! একে আমার দান করুন ৷
তখন ইয়াযীদ (বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ) হয়ে তাকে বলল, দুর হও তুমি ৷ আল্লাহ তোমাকে চুড়াত মরণ
দান করুন ৷ অতঃপর ইয়াযীদ নুমান ইবন বশীরকে নির্দেশ দিলেন একজন বিশ্বস্ত ৷লা৷কর
তত্তুাবধা৷ন একদল অশ্বারোহীব প্ৰহরায় তাদেরকে পবিত্র মদীনায় পাঠিয়ে দিতে ৷ আর এ সময়
আলী ইবন হুসায়নকে তাদের সাথে রাখতে ৷ এরপর সে হুসায়ন পরিবারের এই যেয়েদেরকে
খলীফার’শাহী মহলের অন্তঃ পুরুর দিয়ে পেল সেখানে ঘুআবিয়া পরিবারের মেয়েরা হুস্যয়ন
(বা) এর শোাক কান্ন৷ ও বিলাপরত অবস্থাযত তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাল ৷ এরপর তারা তিন
দিন আয়োজন করে শোক বিলাপ করল ৷ আর দিনে বা রাতে ইয়াযীদ যখনই খাবার গ্রহ্ণ্া
করত, তখনই হযরত হুসায়নের দুই পুত্র আলী ও উমরকে তার সাথে রাখত ৷ একদিন ইয়্াযীদ
ঠাট্টাচ্ছলে তার ন্পুএ খালিদের দিকে ইঙ্গিত করে ছোট্ট উমর ইবন হুসায়নকেণ্জিজ্ঞাসা করল,
তৃমিন্কি এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে? তখন সে বলল, আমাকেত্রকটি তরবারিষ্ণ্ৰুএবং তাকে
একটি তরবারি দিন, §¥:£’fi?£>:flfi$ লড়াই করতে পারি ৷ তখনইয়াষীদ তাকে ক্ষো৷ল জড়িয়ে
ধরে বলল, যেমন বাপ তেমন যেটা২ সিংহের শাবকসিংহই হয়ে থাকে ৷
এরপর মদীনায় পথে ইয়াযীদ যখন তাদেরকে বিদায় জানলে তখন বলল, সুমায়ীাব্র
ছেলেকে আল্লাহ লাঞ্ছিত কর ন ৷ শুনে রাখ, আমি যদি তোমার পি৩ ৷র প্রতিপক্ষ হতাম্
তাহলে তিনি আমার কাছে যে প্রস্তাব দিতেন আমি তা ই গ্রহণ করতাম এবং সর্বোপা৷য়
এমনকি আমার কোন সন্তানের মৃত তার বিনিময় হলেও তার মৃত্যু রোধ করতাম ৷ কিন্তু
আল্লাহর ফয়সালা (ছিল অন্য রকম) তাে তুমি দেখেই ৷ এরপর সে তাকে: সফরের সকল
উপায় উপকরণ এবং বহু অর্থ-সম্পদ প্রদান করল এবং তাদের সকলকে মুল্যবান পবিধেয়
উপহার দিল ৷ আর তাদের সাথে প্রেরিত তার দুতকে তাদের দিকে বিশেষতাবে লক্ষ্য
রাখতে নি র্দেশা দিয়ে রলল, তোমার প্রতিটি প্রয়োজন আমাকে লিখে জানাবে ৷ হুসায়ন
পবিবারের মেছুয়দের সাথে প্রেরিত সে তত্ত্বাবধায়ক দুত পথে তাদের থেকে পৃথক হয়ে পথ
চলত এবং তাদের দৃষ্টিসীমার নাগালের সর্বোচ্চ অবস্থান করে তাদেরকে প্রয়োজনীয়
সহযোগিতা করত ৷ এভাৰে তার৷ মদীনায় পৌছে যান ৷ ন্
যন ৷তিম৷ বিনত আলী বলেন, পবিত্র মদীনায় পৌছে আমি আমার বোন যায়নাবকে বললাম
আমাদের সাথে প্রেরিত এই বাতিল্পঃা,৷মা৷দরাক অতি উতমতাব সাহচর্য দান করেছে, আল্লাহর
শপথ আমাদের ণ্হুনাপ্াত্র ছুাড়া তাকে দেয়ার মত আমাদের সাথে কিছুই নেই ৷ তিনি বলেন,
তখন আবি তাকে বললাম, ত৷ হলে আমরা তাকে আমাদের গহন্াই দিই ৷ তিনি বাল্যা, তখন
আমি আমার হাতের কঙ্কন ও ৰ্ন্জুৰুহৃর্দু এবং আমার বোন তার হাং৩ র বাল৷ ও বাজুবন্ধ নিয়ে
বিনীতভ ৷বে লোকটির কাছে এই বলে পাঠালাম আমাদেরকে উত্তম সাহচর্য দানের জন্য ,এটা
আপনার প্রাপ্য বিনিময় ৷ তখন ণ্লাকটি বাল পাঠাল, আপনাদের সাথে আমার কৃত আচরণ
যদি দুনিয়ার্বী বিশিমঘেব জন৷ হত, তাহান আপনাদের হুএবিত বস্তু আমার প্ৰা৷পার চেয়ে



১ আখবাররুত তিওয়ালে ( ১ ৬১ পৃব্লু) একই অর্থবােধক ভিন্ন আরবী শব্দ রয়েছে ৷
২ এখানে একটি আরবী প্রবাদ (টক৷ সম্বলিত) রয়েছে ৷ অনুবাদ তার মমা ৷র্থ দেয়া হল ৷ অনুবাদক

জৈশ্ ণোমোঃ(হ্রা৷শ্রোা৪র্নোা০ওোড়া

فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ: يَا عَلِيُّ، أَبُوكَ الَّذِي قَطَعَ رَحِمِي، وَجَهِلَ حَقِّي، وَنَازَعَنِي سُلْطَانِي، فَصَنَعَ اللَّهُ بِهِ مَا قَدْ رَأَيْتَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: {مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنْفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَبْرَأَهَا} [الحديد: 22] . فَقَالَ يَزِيدُ لِابْنِهِ خَالِدٍ: ارْدُدْ عَلَيْهِ. قَالَ: فَمَا
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৭


বেশী, কিন্তু আল্লাহর শপথ! একমাত্র আল্লাহর সম্ভষ্টির উদ্দেশ্যে এবং র!সুলুর!হ সাল্লাল্লাহু
!লাইহি ওয়া স !র!মের সাথে আপনাদের ভৈনকটোর কথা৫ তবেই আমি তা করেছি ৷

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, ইয়াযীদ যখন হযরত হুসায়নের হুম!থ! দেখল তখন বলল,
তোমরা কি জ!ন ফাতিম!চু পুত্র কোথা থেকে আগমন করেছে ? তার কৃত কর্মে কি র্ত্যকে
প্ররে!চিত করেছে ? এবং কি সে তাকে এই পরিণতির শিকার করেছে ? উপস্থিত লোকের!
রলল, না ! ইয়াযীদ তখন বলতে ল!গল, তার দাবী ছিল তার পিতা আমার পিতার চেয়ে উত্তম,
তার যা আমার মায়ের চেয়ে উত্তম এবং তার ম!ত!মহ আল্লাহর রাসুল আমার পিত!মহের চেয়ে
উত্তম এবং সে নিজে আমার চেয়ে উত্তম এবং খিল!ফতে র ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক
:,হ্রকদ!র ! আর তার এই দাবী যে, তার পিতা আমার পিতার ঢেয়ে উত্তম, এ ব্যাপারে আমার
বক্তব্য হল, আমার পিতা তার পিতার সাথে বিবাদের মীমাংসা বিষয় আল্লাহর কাছে সােশু!!র্দ
করেন ! আর তারপর ফয়্স!লা কার পক্ষে হয়েছে ত! সকলেরইজান! ! আর তার এই দাবী
য,তার ম! আমার মায়ের চেয়ে উত্তম, সে ব্যাপারে আমি :বলর, আমারব্রব্জীবনক!লের শপথ !
, আর!হ্র র!সুলের কন্যা ফাতিম! (র!) অবশ্যই আমার মায়ের চোণ্য় উত্তম ! আর তার এই দাবী
যে, তার মাতাম হু আমার প্লিতু!মহের তুলনায় উত্তম ! সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল, আমার
জীবনক! !লের শপথ! আল্লাহ্ ও শেষ দিবসে বিশ্বাসকারী এমন কেউ নেই, যে আমাদের মাঝে
প্ ৱ!সুলুর!হ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স!র!মের কোন সমকক্ষ ব! প্রতিপক্ষ আছে বলে মনে

করে ৷ কিন্তু সে আ র!হ্র এই বাণী ?!ডীরভ!বে উপলব্ধি করেনি ৰু;;শ্


বল, হে সার্বরুতাম শক্তি ও কর্তৃ€তৃর মালিক আল্লাহ্! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান
করেন এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা ক্ষম৩ ! কেড়ে নেন ! আর যাকে ইচ্ছা পরাক্রমশালী করেন

আর যাকে ইচ্ছা হীনবল করেন ! (আলইমরানষ্ক ২৬) ন্-
শ্ , আল্লাহ য!কেইচ্ছ! স্বীর কর্তৃতু দান করেন ! আল বাক! !রা০ : ২৪ ৭
হ্স!য়ন-পবিব!বেব মেয়ের! যখন ইয়াষীদের সাক্ষাতে প্রদ্যো করলেন তব্!ন্ধ্ষ্ হুসন্’য়নৃ কন্যা
ফাতিমা যিনি সুকায়ন! র বড় ছিলেন, বললেন, হে ইয়াযীদ র!সুল কন!!রা যুদ্ধ বব্দিনী ! র্তখন
ইয়াযীদ বলল, ভ!তিজী! এক!ৱণেই আমি এসব অপছন্দ কর৩ !ম ! তিনি বলেন, তখন আমি
বলল!ম, আল্লাহর শপথ!৫ল!শুকর! আমাদের কানের একটি দুল পর্যন্ত বাকী রাখে নি ! তখন
সে বলল, ভ!তিজী তোমার কাছে যা আসবে তা; তোমার য! গোয়া গিয়েছে তার মোঃউত্তন !
অত০পর তাদেরকে তার নিজ’ ব!লগৃহে লিরে গেল এবং তাদের প্রত্যেকজনের কাছে তার কি
থোয়া গোহু তা জানতে চ!ইল ! এরপর তাদের প্রত্যেবের্দু যা ই দ!বী করল, পরিমাণ যা ই
হোক, সে তাদেরকে তার দ্বিগুণ দিল !

হিশাম আবু মুখ!নৃনার্ফ ব৪!ন্!৷ করেন, তিনি ব!লন, আমাকে আবু হ!মন্নু হ আই ছুল!মী বর্ণনা
করেছেন, অন্দুল্লাস্থ আছ-ছুল!মী থেকে তি!ই ক! !সিম ইবন ব!খীত১ থােক তিনি ববুলন, কুক!র



১ আল বিদ!য়!র মুদ্রিত কপিতে ন!জীর !র্দুকুব্দ্যঘাণ্ন্ !


دَرَى خَالِدٌ مَا يَرُدُّ عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: قُلْ: {وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ} [الشورى: 30] . فَسَكَتَ عَنْهُ سَاعَةً، ثُمَّ دَعَا بِالنِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ، فَرَأَى هَيْئَةً قَبِيحَةً، فَقَالَ: قَبَّحَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ، لَوْ كَانَتْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ قَرَابَةٌ وَرَحِمٌ مَا فَعَلَ هَذَا بِكُمْ، وَلَا بَعَثَ بِكُمْ هَكَذَا. وَرَوَى أَبُو مِخْنَفٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَلِيٍّ قَالَتْ: لَمَّا أُجْلِسْنَا بَيْنَ يَدَيْ يَزِيدَ، رَقَّ لَنَا وَأَمَرَ لَنَا بِشَيْءٍ وَأَلْطَفنَا، ثُمَّ إِنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ أَحْمَرَ قَامَ إِلَى يَزِيدَ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَبْ لِي هَذِهِ. يَعْنِينِي، وَكُنْتُ جَارِيَةً وَضِيئَةً، فَارْتَعَدْتُ فَزِعَةً مِنْ قَوْلِهِ، وَظَنَنْتُ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَهُمْ، فَأَخَذْتُ بِثِيَابِ أُخْتِي زَيْنَبَ، وَكَانَتْ أَكْبَرَ مِنِّي وَأَعْقَلَ، وَكَانَتْ تَعْلَمُ أَنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ، فَقَالَتْ لِذَلِكَ الرَّجُلِ: كَذَبْتَ وَاللَّهِ وَلَؤُمْتَ، مَا ذَلِكَ لَكَ وَلَا لَهُ. فَغَضِبَ يَزِيدُ، فَقَالَ لَهَا: كَذَبْتِ، وَاللَّهِ إِنَّ ذَلِكَ لِي، وَلَوْ شِئْتُ أَنْ أَفْعَلَهُ لَفَعَلْتُ. قَالَتْ: كَلَّا وَاللَّهِ، مَا جَعَلَ اللَّهُ ذَلِكَ لَكَ، إِلَّا أَنْ تَخْرُجَ مِنْ مِلَّتِنَا وَتَدِينَ بِغَيْرِ دِينِنَا. قَالَتْ: فَغَضِبَ يَزِيدُ وَاسْتَطَارَ، ثُمَّ قَالَ: إِيَّايَ تَسْتَقْبِلِينَ بِهَذَا؟ إِنَّمَا خَرَجَ مِنَ الدِّينِ أَبُوكِ وَأَخُوكِ. فَقَالَتْ زَيْنَبُ: بِدِينِ اللَّهِ وَدِينِ أَبِي وَدِينِ أَخِي وَجَدِّي، اهْتَدَيْتَ أَنْتَ وَأَبُوكَ وَجَدُّكَ. قَالَ: كَذَبْتِ يَا عَدُوَّةَ اللَّهِ. قَالَتْ: أَنْتَ أَمِيرٌ مُسَلَّطٌ، تَشْتُمُ ظَالِمًا وَتَقْهَرُ بِسُلْطَانِكَ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ لَكَأَنَّهُ اسْتَحْيَا فَسَكَتَ، ثُمَّ قَامَ الشَّامِيُّ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَبْ لِي هَذِهِ. فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: اعْزُبْ وَهَبَ اللَّهُ لَكَ حَتْفًا قَاضِيًا.
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৮


প্রতিনিধি দল যখন হযরত হুসায়নের মাথাসহ আগমন করল, তখন তারা (প্রথব্লুম)৩ তা নিয়ে
দামেশকের মসজিদে প্রবেশ করল ৷ তখন মারওয়ান ইবন হাকাম৩ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করল,
তোমরা কিভাবে বিজয় লাভ করলে ? তারা বলল,৩ তাদের আঠার জন যোদ্ধা আমাদের
বিরুদ্ধে আগমন করল, তখন আল্লাহ্র কসম ৷ আমরা তাদের সকলকে শেষ করে দিলাম ৷
এই হল তাদের মাথা ও বন্দীগণ ৷ তখন সে লাফ দিয়ে উঠে চলে গেল ৷ এরপর তার ভাই
ইয়াইেয়া ইবন হাজাম তাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, কিভাবে ব্লুতামরা বিজয় লাভ
করলে ? তখন তারা তেমনই বলল যেমন তার ভাইকে রলেছিল ৷ তখন সে তাদেরকে বলল,
কাল কিয়ামব্লু৩ র দিন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আল ৷ইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তােমাব্লুদরব্লুক দুরে রাখা
হবে ৷ কোন দিন কোন বিষয়ে আমি তোমাদের সাথে (একমত) হব না ৷ অতঃপর সে উঠে
চলে গেল ৷

রর্ণনাক্বাৰী বলেন, মদীনাবাসীর কাব্লুহু যখন হযরত হুসায়নের নিহত হওয়ার স বাদ
পৌছাল, তখন বনু হাশিব্লুমর নারীর৷ তার মৃত্যু ব্লুশ্ ৷৷কে কাদল এবং বিলাপ করল ৷ বর্ণিত ৩আব্লুছ
যে, যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে ইয়াযীদ লোকদের কাব্লুছ পরামর্শ চাইল ৷ তখন কতিপয় অভিশপ্ত
লোক বলল, আমীরুল মুমিনীন! সাপ মেরে তার বাচ্চা ছেড়ে রাখ৷ নিরাপদ নয় ৷ আলী ইবন
হুসায়নব্লুক শেষ করে দিন, তাহলে আর হুসায়নের কোন বংশধর অবশিষ্ট থাকবে না ৷ তখন
ইয়াযীদ ঢুপ করে রইল, আর নুমান ইবন বশীর বললেন, আমীরুল মুমিনীনা তাদেরকে এই
অবস্থায় দেখলে রাসৃলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেরুপ আচরণ করা তন আপনিও
যেরুপ আচরণ করুন ৷ তখন ইয়াযীদ তাদের প্রতি সদয় হল এবং তাদেরকে হাম্মামখানায়
নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল এবং৩ তাদের জন্য খাবার, পােশ ক ও উপব্লুচীকব্লুনর ব্যবস্থা করল
এবং নিজ গৃহে৩ তাদের আপ্যায়ন করল ৷ আর এই বর্ণন৷ দ্বারা রাফেযীব্লুদর মিথ্যা দাবী
প্রত্যাখ্যাত হয় যে, তাদেরকে উটের পিঠে বিবস্ত্র ও বন্দী অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ আর
জদের মধ্যে ঐ লোকেরা মহামিথুকে, যারা বলে যে, র্তীব্লুদরসতর আবৃত করার জন্যই সেদিন
থেকে বুখভীচুব৷ ব্লুখারাসানী উটের দেহে কুজের সৃষ্টি হয়েছে ৷

তারপর ইবন যিয়াদ হারামাযুব্লুনর প্রশাসক আমর ইবন সায়ীব্লুদর কাছে হযরত হুসায়ন
(রা)-এর নিহত হওয়ার সুসৎবাদ দিয়ে পত্র প্রেরণ করল ৷ তখন সে জনৈক ঘোষককে১ নির্দেশ
দিলে যে তা ঘোষণা করে দিল ৷ বনু হাশিব্লুমর নারীর৷ যখন এ সংবাদ শুনল তখন তারা
উচ্চস্বব্লুর কান্না-বিলাপ করতে লাগল ৷ তখন আমর ইবন সায়ীদ বলতে লাগল, এ হল উসমান
ইবন আফ্ফাব্লুনর গােকে বিলাপকারিণীব্লুদর কান্নার বদলা ৷ আবদুল মালিক ইবন উমায়র
বলেন,: একদিন আমি উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের সাক্ষাব্লুতশ্ প্রবেশ করে দেখতে পেলাম তার
সামনে একটি চালের উপর হুসায়ন ইবন আলীর মাথা ৷ আল্লাহ্র শপথ৷ এরপর কিছুদিন যেতে
না যেতেই মুখতার ইবন আবু উবায়দের সাক্ষাব্লুত গিয়ে দেখি তার সামনে একটি ঢালের উপর
উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের মাথা ৷ আল্লাহ্র শপথ এরপর কিছুদিন যেতে না যেব্লু৩ই আব্দুল
মালিক ইবন মারওয়াব্লুনর সাক্ষাব্লুত গিয়ে দেখি ব্লুসখাব্লুন তার সামনে একটি ঢালের উপর
মুস আব ইবন যুবায়ব্লুরর মাথা ৷



১ আত-তাবারীতে (৬২২৮) আব্দুল মালিক ইবন অা৷বুল হারিছ আস-সৃলামী ৷ তাকেই উবায়দুল্লাহ ইবন
যিয়াদ হযরত হুসায়নের নিহত হওয়ার সংবাদ দিয়ে আমর ইবন সায়ীদুবনুল আসের কাছে প্রেরণ করেছিল ৷


ثُمَّ أَمَرَ يَزِيدُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ أَنْ يَبْعَثَ مَعَهُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ رَجُلًا أَمِينًا، مَعَهُ رِجَالٌ وَخَيْلٌ، وَيَكُونُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ مَعَهُمْ، ثُمَّ أَنْزَلَ النِّسَاءَ عِنْدَ حَرَمِهِ فِي دَارِ الْخِلَافَةِ، فَاسْتَقْبَلَهُنَّ نِسَاءُ آلِ مُعَاوِيَةَ يَبْكِينَ وَيَنُحْنَ عَلَى الْحُسَيْنِ، ثُمَّ أَقَمْنَ الْمَنَاحَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَكَانَ يَزِيدُ لَا يَتَغَدَّى وَلَا يَتَعَشَّى إِلَّا وَمَعَهُ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ وعَمْرُو بْنُ الْحَسَنِ، فَقَالَ يَزِيدُ يَوْمًا لِعَمْرٍو، وَهُوَ صَغِيرٌ جِدًّا: أَتُقَاتِلُ هَذَا؟ يَعْنِي ابْنَهُ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ، فَقَالَ: أَعْطِنِي سِكِّينًا وَأَعْطِهِ سِكِّينًا حَتَّى نَتَقَاتَلَ. فَأَخْذُهُ يَزِيدُ فَضَمَّهُ إِلَيْهِ، وَقَالَ: شِنْشِنَةٌ أَعْرِفُهَا مَنْ أَخْزَمَ، هَلْ تَلِدُ الْحَيَّةُ إِلَّا حَيَّةً؟ ! وَلَمَّا وَدَّعَهُمْ يَزِيدُ قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ: قَبَّحَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَنِّي صَاحِبُهُ، مَا سَأَلَنِي خَصْلَةً إِلَّا أَعْطَيْتُهُ إِيَّاهَا، وَلَدَفَعْتُ الْحَتْفَ عَنْهُ بِكُلِّ مَا اسْتَطَعْتُ، وَلَوْ بِهَلَاكِ بَعْضِ وَلَدِي، وَلَكِنَّ اللَّهَ قَضَى مَا رَأَيْتَ. ثُمَّ جَهَّزَهُ وَأَعْطَاهُ مَالًا جَزِيلًا، وَقَالَ لَهُ: كَاتِبْنِي بِكُلِّ حَاجَةٍ تَكُونُ لَكَ، وَكَسَاهُمْ وَأَوْصَى بِهِمْ ذَلِكَ الرَّسُولَ. فَكَانَ ذَلِكَ الرَّسُولُ الَّذِي أَرْسَلَهُ مَعَهُنَّ يَسِيرُ بِمَعْزِلٍ عَنْهُنَّ مِنَ الطَّرِيقِ، ويبَعُدُ عَنْهُنَّ بِحَيْثُ يُدْرِكُهُنَّ طَرَفُهُ، وَهُوَ فِي خِدْمَتِهِنَّ حَتَّى وَصَلْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৩৯


আবু জা ফর ইবন জারীর আত তাবরী তার তারীখে১ (ইতিহাস গ্রন্থে) বলেন, আমাকে

যাক ৷বিয়া৷ ইবন ইয়াহইয়৷ তা যে যারীর বংনি৷ করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আহমদ ইবন
জানার আল ঘুসায়সী বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন

আবদুল্লাহ আল কাসরী বর্ণনা ,কভৈরছেন,৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে আত্মার আদ্দুহুনী বর্ণনা

করেছেন৩ তিনি বলেন আমি আমার পি তা জাফরকে আবু জাফরকে বললাম, আমাকে হযরত

হুসায়নের নিহত হওয়ার ঘটনাটি এমনভাবে বলুন যেন আমি তার প্রতাক্ষদর্শী ৷ তখন তিনি

বললেন, মুসলিম ইবন আকীল যে পত্রে হযরত হুসায়নকে তার কাছে আগ্যানের নির্দেশ
দিয়েছিলেন তা নিয়ে তিনি কুফাভিন্নুখে অগ্রসর হলেন, তিনি যখন কাদিসিয়্যা থেকে তিন

মাইল দুরত্বে এসে পৌছরুলন, তখন হুর ইবন ইয়াযীদের সাথে তার সাক্ষাত হল ৷ হয় তাকে

জিজ্ঞাসা করল, আপনি কে ৷থায় চল্যেছন ? তিনি বলংল্যা, আমি এই শহরে (কুফায়) যাচ্ছি ৷

তখন সে তাকে বলল, আপনি ফিরে যান ৷ কেননা, আমি আমার পশ্চাতে চুপ্ৰত্যাশিত কোন

কল্যাণ দেখতে পাইনি ৷ ণ্

তার একথায়, হযরত হুসায়ন ফিরে যেতে উদাত হলেন কিন্তু তার সাথে মুসলিম ইবন

আকীলের ভাইয়ের৷ ছিল তারা বলল, আল্লাহর শপথ আমাদের ভাইকে যায়৷ হত্যা করেছে

তাদের থেকে প্রতিশোধ না নিয়ে কিৎবা প্রাণ বিসর্জ্য৷ না দিয়ে আমরা ফিরে যাব না৪ তখন

হুসায়ন (রা) বললেন, তোমাদের ছাড়৷ জীবনের কোন মুল্য নেই ৷ এরপর তিনি অগ্রসর হয়ে

ইবন যিয়াদের প্রেরিত অশ্ববাহিনীব অ্যাবর্তী দলের মুখোমুখি হলেন ৷ তারপর তিনি যখন

বাধাপ্রাপ্ত হলেন তখন কারবালায় ফিরে আসলেন এবং পশ্চাদ দিকে নলখাগড়া ও বাশ

জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড়ে রেখে অবস্থান নিলেন, যাতে তাকে এক দিকের সেখানে

অবতরণ করে তিনি র্তাবু পাড়লেন ৷ আর সঙ্গী ছিল পয়তাল্লিশ জন অশ্বারােহী এ বং একর্বুা
, পদাতিক যোদ্ধা ৷

এদিকে ইবন্ ৷ যিয়াদ উমর ইবন সা দ ইবন আবু ওণ্ ৷ক্কাসকে রায় অঞ্চলের প্রশাসক

নিয়োগ করে তাকে তার দায়িত ৩, অর্পণ করে বলল, তোমার দরিঃৎ যাওয়ার পুর্বে আমাকে এই

ব্যক্তি থেকে অব্যাহতি দিয়ে যাও ৷ তখন উমর তাকে বলল, এ দায়িত্দ্বু থেকে আমাকে
অব্যাহতি দিন ৷ কিন্তু ইবন যিয়াদ তা অস্বীকার করল ৷ তখন সে বলল, তাহলে আজ রাত্রের
মত আমাকে অবকাশ দিন ৷ তখন সে তাকে অবকাশ দিলে সে চিন্তা ভাবনা করল ৷ যখন
স ক্াল হল তখন সে তার কাছেগ্ গিয়ে তার নিদের্শি পালনে তার সম্মতির কথা জামাল ৷ এরপর
উমর ইবন সা দ হযরত হুসায়নের বিরুদ্ধে অগ্রসর হল ৷ যখন সে তার সাক্ষাত পেন তখন
হুসায়ন তাকে বললেন আমার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাবের যে কোন একটি গ্রহণ কর ৷ হয়
ন্আমার পথ ছেড়ে দাও আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানে ফিরে বাই ৷ কিংবা আমাকে
ইয়াযীদের কাছে যেতে দাও কিদ্বহুবা আমার পথ ছেড়ে দাও আমি কোন সীমান্তে গিয়ে জিহাদ



১ দেখুন আত তাবারী ৬২৩০ ৷

২ মুদ্রিত গ্রন্থে খব্বায় রয়েছে বা ভুল ৷

৩ আল যিদায়ার মুদ্রিত গ্রন্থে রয়েছে আবদুল্লাহ কসৃবী থেকে ইয়াযীদ যা ণ্ডুণ ৷
৪ আত ৩৷ ৷বারীতে ভিন্ন শব্দ বিশিষ্ট সমার্থক বাক্য রয়েছে ৷

৫ আততাবারীতে একই অর্থ জ্ঞাপক ভিন্ন শন্দাবলী রয়েছে ৷


الْمَدِينَةَ فَجَمَعْنَ شَيْئًا مِنْ حُلِيِّهِنَّ، فَدَفَعْنَهُ إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهُ، وَقَالَ: إِنَّمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ لِلَّهِ وَلِقَرَابَتِكُمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ الرَّافِضَةِ: إِنَّهُمْ حُمِلُوا عَلَى جَنَائِبِ الْإِبِلَ سَبَايَا عَرَايَا. حَتَّى كَذَبَ مَنْ زَعَمَ مِنْهُمْ أَنَّ الْإِبِلَ الْبَخَاتِيَّ إِنَّمَا نَبَتَتْ لَهَا الْأَسْنِمَةُ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪০

করি ; তখন উমর তার এ প্রস্তাব গ্রহণ করে চুড়াম্ভ অনুমােদনের জন্য ইবন যিয়াদের কারু ছে
লোক পাঠান তখন উবাযদুল হ ইবন যিয়াদ তাকে লিখন, না তা হবে না ৷ আমার হাতে সে
তার হাত রাখা পর্যন্ত কোন ছ ড় নেই ৷
তখন হযরত হুসায়ন (রা) বললেন, না, আল্লাহর শপথ ! কখনো তা হতে পারে না ৷
এরপর সে উগ্র তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবভীর্ণ হল এবং হযরত হুসায়নের সকল সঙ্গী নিহত
হলেন ৷ যাদের মাঝে তার নিজ পরিবারের দশাধিক যুবক ছিলেন ৷ এ সময় একটি তীর এসে
তার কোলে তার এক শিশু পুত্রকে হ৩ ত্যা করে ৷ তখন তিনি তার রক্ত মুছতে লাপলেন এবং
বলতে লাপলেন, হে আলাহ্! আমাদের মাঝে এবং এমন সম্প্রদায়ের মাঝে ফয়সালা করুন
যারাআমাদেরদুক সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে ডেকে এনে হত্যা করেছে ৷ এরপর তিনি একটি
ইয়ামানী চাদর অানিয়ে তা দু’ভাগ করে পরলেন এবং তার তরবারি নিয়ে অগ্রসর হয়ে লড়াই
করতে করতে নিহত হলেন ৷ বনু মাজইিযের এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করল এবং তার মাথা
বিচ্ছিন্ন করে তা ইবন যিয়াদের কাছে নিয়ে গেল এবং আবৃত্তি করল,
আমার বাহনার্ণ-রৌপো বোঝাই করুন, অতি মর্যাদাবান বাদশাহকে আমি হত্যা করেছি ৷
বর্ণনাকারী বলেন, ইবন যিয়াদ তাকে তার প্ৰতিনিধিরুগে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে
প্রেরণ করল ৷ গিয়ে সে যখন হযরত হুসায়ন (র)-এর মাথা ইয়াযীদের সামনে রাখল তখন
সেখানে সাহাবী আবু বারযাহ্ আল আসলাযী উপস্থিত ছিলেন ৷ এ সময়ৰুইয়াঘীদ ছড়ি দিয়ে
তার মুখের অ্যাভাগে বোচা দিতে লাগল এবং আবৃত্তি করতে লাগল, ং ণ্
াাশু সৌং
ন্ ; তারা (তরবারিসমুহ) আমাদের প্রিয়জনদের খুলি দ্বিখণ্ডিত করে, কেননা তার অবাধ্যতায় ও
অন্যায়ে অগ্রসর ছিল ৷
তখন আবু ৰারযাহ্ তাকে বললেন, তোমার ছড়ি উঠিয়ো না ও ৷ আল্লাহ্র শপথা কখনো
কখনো আমি তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার মুখে মুখ রেখে চুমু খেতে
দেখেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এছাড়া উমর ইবন সাদ তার স্তী-কন্যা ও পােষ্যদের ইবন
বিয়াদের কাছে প্রেরণ করল ৷ আরহুসায়নের পুত্রদের মাঝে একটি মাত্র বালক বেচে ছিল ৷
যুদ্ধকালে অসুস্থ থাকায় সে মেয়েদের সাথে ছিল ৷ পরবর্তীতে ইবন যিয়াদ যখন তাকে হত্যার
নির্দেশ দিল তখন তার ফুফু যায়নাব তাকে আগলে রেখে বললেন, আল্লাহ্র শপথ ! আমাকে
হত্যা না করে তোমরা তাকে হত্যা করতে পারবে না ৷ তখন ইবন যিয়াদ দয়াপরবশ হয়ে
তাকে হত্যা করা থেকে নিবৃত্ত হল ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে (ইবন যিয়াদ) তাদের সকলকে ইয়াযীদের কাছে পাঠিয়ে
দিল ৷ ইয়াযীদ তখন তার কাছে উপস্থিত সম্রান্ত ও নে৩ ট্রুস্থানীয় শামবাসীদের সমবেত করল ৷
অতঃপর তারা তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে বিজয়াভিনন্দন জানাল ৷ তখন তাদের লাল বর্ণ
নীল চক্ষু বিশিষ্ট এক ব্যক্তি তার (হুসায়নের) এক কিশোরী কন্যাকে দেখে দাড়িয়ে ইয়াযীদকে
বলল, আমীকল মু মিনীন! একে আমার দান করুন ৷ তখন তার বোন যায়নাব বললেন, না তা
হতে পারে না ৷ তাকে পাওয়ার না তোমার কোন মর্যাদা আছে, না তার ৷৩ তবে যদি তোমরা

৫০াড়া



لِتَسْتُرَ عَوْرَاتِهِنَّ. وَكَتَبَ ابْنُ زِيَادٍ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ أَمِيرِ الْحَرَمَيْنِ يُبَشِّرُهُ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى بِذَلِكَ فِي الْمَدِينَةِ. فَلَمَّا سَمِعَ نِسَاءُ بَنِي هَاشِمٍ ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُنَّ بِالْبُكَاءِ وَالنَّوْحِ، فَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ يَقُولُ: هَذَا بِبُكَاءِ نِسَاءِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ فِي " تَارِيخِهِ ": فَحَدَّثَنِي زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى الضَّرِيرُ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ، ثَنَا عَمَّارٌ الدُّهْنِيُّ قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي جَعْفَرٍ: حَدِّثْنِي عَنْ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ كَأَنِّي حَضَرْتُهُ. فَقَالَ: أَقْبَلَ الْحُسَيْنُ بِكِتَابِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ الَّذِي كَانَ قَدْ كَتَبَهُ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ فِيهِ بالْقُدُومِ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقَادِسِيَّةِ ثَلَاثَةُ أَمْيَالٍ، لَقِيَهُ الْحُرُّ بْنُ يَزِيدَ التَّمِيمِيُّ فَقَالَ لَهُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ فَقَالَ: أُرِيدُ هَذَا الْمِصْرَ. فَقَالَ لَهُ: ارْجِعْ، فَإِنِّي لَمْ أَدَعْ لَكَ خَلْفِي خَيْرًا أَرْجُوهُ. فَهَمَّ الْحُسَيْنُ أَنْ يَرْجِعَ، وَكَانَ مَعَهُ إِخْوَةُ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَرْجِعُ حَتَّى نَأْخُذَ بِثَأْرِنَا مِمَّنْ قَتَلَ أَخَانَا أَوْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪১

৩৬৮ আলৰুবিদায়া ওয়ান নিহায়া

, অ আল্লাহর দীন ত্যাগ করে থাক, তাহলে ভিন্ন কথা বর্ণনাকারী বলেন, নীল চক্ষু লােকটি আবার
তার কথার পুনরাবৃত্তি করল ৷ তখন ইয়াযীদ তাকে বলল তুমি এ বিষয় থেকে ক্ষান্ত হও ৷
এরপর ইয়াযীদ তীদেরকে তার নিজ পােষ্য পরিজ্বনের অন্তর্ভুক্ত করে রাখল্ ৷ তারপর
তাদেরকে পবিত্র মদীনায় পাঠিয়ে দিলা৩ তারা যখন মদীনায় প্রবেশ করল, তথুন বনু আবদুল
মুত্তালিবের জনৈক ত্রীলােক এলোভৈমলো চুলে তা র কামিলের হা৩ তা মাথায় রেখে ব্লেব্লিদ্বু য় আসে
তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাল এবং কেদে কেদে আবৃত্তি করলন্
া১সৈ



তোমরা কি জওয়াব দিয়ে যদি নবী (সা)তে তোমাদের জিজ্ঞাসা করেন, শেষ (নবীর) উম্মত
হয়ে তোমরা কি আচরণ করেছ ?
আমার সন্তানশ্সন্ততি ওাজন পরিজনদের সাথে আমার মৃতু ৰুর পর, তাদের (কত বন্দী
আর কেউ রক্তে বঞ্জিত ,
ষ্ৰু
তোমাদের কল্যাণ কামনার বিনিময়ে এটা আমার প্রাপ্য ছিল না যে তোমরা আমার
, রক্তসম্পকীয়দের সাথে আমার পরে মন্দ আচরণ করবো
আবু মুখানৃনাফ বর্ণনা করেছেন সুলায়মান ইবন আবু রাশিদ থেকে তিনি আবুল কানুদ
আব্দুর রহমান ইবন উবায়দ থেকে যে, আকীলের কন্যাই এই কবিতার কথকা আর ঘুবায়র
ইবন বাক্কারও এমন বর্ণনা করেছেন যে, আর্কীল ইবন আবৃত তালিবের ছোট কন্যা যায়নাবইভ
আবৃত্তি করেছিল যখন , হুসায়ন পরিবার মদীনায় প্রবেশ করে ৷ আবু বকর ইবন আল আানসারী ,
তার সনদে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী ও ফাতিমার কন্যা যায়নাব যিনি আবদুল্লাহ ইবন
জাফরের শ্রী ও সন্তানদের মা ৷ তিনি কারবালার দিন অর্থাৎ হযরত হুসায়ানর নিহত হওয়ার
দিন তার মুখাবরণ উঠিয়ে এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করেছিলেন ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷ হিশাম ইবন আল-কালবী বলেন, আমাকে আমাদের এক সঙ্গী বর্ণনা করেছেন আমর
ইবন আবুল মিকদাম থেকে, তিনি বলেন, আমাকে আমর ইবন ইকরিমা বর্ণনা করেছেন৩ তিনি
বলেন, হযরত হুসায়ন নিহত হওয়ার পর দিন সকালে আমরা মদীনায় ছিলামা হঠাৎ আমাদের
এক দাসী বলল,

ষ্এো





১, আল ইরশাদ ও ক্যশফুল গুম্মাতে রয়েছে : এ সময় উম্মে লুকমান বিনৃত আকীল ইবন আবু তালিব এবং
তার সাথে তার বোনেরা উম্মে যুসাফী, সৃালমা,রমলা, যায়না ব বের হ্রুয়ুতাদের নিহতদের শ্লোকের্ভুকাদছির্লা
আর মুরুজুয্ যাহাবে (৩৮৩) রয়েছে আকীল ইবন আবুতালিৰের কন্যা তারাগােত্রের উন্মুক্ত মস্তক ও শোক
বিহ্বল নারীদের সাথে বেরিয়ে এসেছিল ৷ আর ইবনুল আ ছমে (৫২৪৫)অতংপর আলী ইবন হুসায়ন আবৃত্তি
করতে লাগলেন, আত তাবারীতে ষ্১ও’; গ্রা ণ্১ তাদের কতক বন্দী ও কতক নিহত ৷ আর মুরুজুয যাহাবে
(৩৮৩) এে গ্রা এগু১ অর্ধেক বন্দী অর্ধেক নিহত ৷
২ মুরুজুয যাহাবে)ট্টএে রয়েছে ৷

৩ ইবনুল আহীরে (৪৯০) রয়েছে : হযরত হুসায়নের নিহত হওয়ার রাত্রে কোন এক মদীনাবাসী এক
ঘোষককে ঘোষণা করতে শুনলা আর ইবনুল আ ছমে (৫২৫০) অতঃপর তারা যখন দামেশক থেকে বিচ্ছিন্ন
হল তখন অদৃশ্য এক ঘোষককে শুন্য থেকে আবৃত্তি করতে শুনল ৷


نُقْتَلَ. فَقَالَ: لَا خَيْرَ فِي الْحَيَاةِ بَعْدَكُمْ. فَسَارَ فَلَقِيَهُ أَوَائِلُ خَيْلِ ابْنِ زِيَادٍ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَادَ إِلَى كَرْبَلَاءَ، فَأَسْنَدَ ظَهْرَهُ إِلَى قَصْبَاءٍ وَخَلًا ; لِئَلَّا يُقَاتِلَ إِلَّا مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ، فَنَزَلَ وَضَرَبَ أَبْنِيَتَهُ، وَكَانَ أَصْحَابُهُ خَمْسَةً وَأَرْبَعِينَ فَارِسًا وَمِائَةَ رَاجِلٍ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَدْ وَلَّاهُ ابْنُ زِيَادٍ الرَّيَّ، وَعَهِدَ إِلَيْهِ عَهْدَهُ، فَقَالَ: اكْفِنِي هَذَا الرَّجُلَ. فَقَالَ: أَعْفِنِي. فَأَبَى أَنْ يُعْفِيَهُ. فَقَالَ: أَنْظِرْنِي اللَّيْلَةَ. فَأَخَّرَهُ فَنَظَرَ فِي أَمْرِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَيْهِ رَاضِيًا بِمَا أَمَرَهُ بِهِ، فَتَوَجَّهَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ، فَلَمَّا أَتَاهُ قَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: اخْتَرْ وَاحِدَةً مِنْ ثَلَاثٍ ; إِمَّا أَنْ تَدَعُوَنِي فَأَنْصَرِفَ مِنْ حَيْثُ جِئْتُ، وَإِمَّا أَنْ تَدَعُوَنِي فَأَذْهَبَ إِلَى يَزِيدَ، وَإِمَّا أَنْ تَدَعُوَنِي فَأَلْحَقَ بِالثُّغُورِ. فَقَبِلَ ذَلِكَ عُمَرُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ لَا وَلَا كَرَامَةَ حَتَّى يَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِي. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: لَا وَاللَّهِ لَا يَكُونُ ذَلِكَ أَبَدًا. فَقَاتَلَهُ، فَقُتِلَ أَصْحَابُ الْحُسَيْنِ كُلُّهُمْ، وَفِيهِمْ بِضْعَةَ عَشَرَ شَابًّا مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَجَاءَهُ سَهْمٌ، فَأَصَابَ ابْنًا لَهُ مَعَهُ فِي حِجْرِهِ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ الدَّمَ عَنْهُ وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ احْكُمْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ دَعَوْنَا لِيَنْصُرُونَا، فَقَتَلُونَا. ثُمَّ أَمَرَ بِحِبَرَةٍ فَشَقَّهَا، ثُمَّ لَبِسَهَا وَخَرَجَ بِسَيْفِهِ، فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْ مَذْحِجٍ، وَحَزَّ رَأْسَهُ، فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ، وَقَالَ فِي ذَلِكَ أَوْقِرْ رِكَابِي فِضَّةً وَذَهَبًا ... فَقَدْ قَتَلْتُ الْمَلِكَ الْمُحَجَّبَا قَتَلْتُ خَيْرَ النَّاسِ أُمًّا وَأَبَا ... وَخَيْرَهُمْ إِذْ يُنْسَبُونَ نَسَبًا قَالَ: «فَأَوْفَدَهُ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَوَضَعَ رَأْسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَعِنْدَهُ أَبُو بَرْزَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪২


পতরাত্রে আমি এক ঘোষককে এই বলে ঘোষণা দিতে শুনেছি-


হে হুসায়নের যালিম ঘাতকগণ€ তামর৷ আযাব ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির সুসং বাদ গ্রহণ কর ৷


আসমানের সকল বাসিন্দা নবী, ফেরেশতা ও নিহত (শহীদ) সকলে ৫তামাহ্ দর বিরুদ্ধে

ফরিয়াদ করেছে ৷
ওশ্বা

তোমরা তো অভিশপ্ত হয়েছে দাউদ, মুসা ও ইঞ্জিল বাহকের মুখে ৷

ইবন হিশাম বলেন, আমাকে আমর ইবন হাযবুম কালবী তার মায়ের উদ্ধৃতিতে বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন আমি এই কণ্ঠস্বর (কবিতা পঙ্ক্তিসমুহ) শুনেছি ৷ লাইছও আবু নায়ীম
বলেন, শনিবার ৷ আল হাকিম আবু আবদুল্লাহ নিশাপুরী এবং অন্যান্যেরা হযরত হুসায়নের
হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে পুর্ববর্তীদেয় কোন একজনের এই কবিতা আবৃত্তি করেছেন


হে মুহাম্মদ (না)-এর দৌহিত্র ! তারা আপনার রক্তে রঞ্জি ত মস্তক নিয়ে এসেছে ৷

ষ্ন্থেগ্লুৰে
হে মুহাম্মদ (সা) এর দৌহিত্র! আপনাকে হত্যা করে তারা যেন স্বেচ্ছায় ইচ্ছাকৃতভ
কোন রাসুলকে হত্যা করেছে ৷


পিপাসার্ত অবস্থায় তারা আপনাকে হত্যা করেছে অথচ আপনাকে হত্যা করার ব্যাপারে
তারা নাযিলকৃড় কুরআন ভেবে দেখেনি ৷
আপনাকে হত্যা করে তারা তাকবীর বলে, বিস্তু আপনাকে হত্যা করে তারা তো তাকবীর
তাহলীলকেও হত্যা করেছে ৷

হযরত হুসায়নের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল একষট্টি হিজরীর মুহাররম মাসের দশ তারিখ
আশুরার দিন শুত্রুবারে ৷ কিন্তু হিশাম ইবন কালবী বলেন, বাষট্টি হিজরীতে ৩৷ আর আলী ইবন
মাদীনীও এইমত পোষণ করেন, ইবন লাহীযার মতে বাষট্টি কিংবশ্যে তযট্টি হিজরীতে ৷

অপর এক ঐতিহাসিকের মতে ষাট হিজরীতে ৷ তবে প্রথম মতটিই বিশুদ্ধ ৷ আর এ
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল ইরাকভুমির ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা নামক স্থানে ৷ এ
সময় হযরত হুসায়ন (রা) এর বয়স ছিল আটান্ন বছরের মত ৩৷ আর তিনি পয়ষট্টি কিংবা
ছেষট্টি বছর বয়সে নিহত ৩ইয়েছেন ঐতিহাসিক আবুনায়ীমের এ উক্তি সঠিক নয় ৷









১ আত-তাবারীতে ১াৰুরু :এণ্গ্রা ৷ৰুাহ অজ্ঞ মুর্থ কথকগণ ৷

২ ইবনুল আহীরে ১ ;ভ্র, ণ্া১াপ্রু ; আততাবায়ীতে ১ , এা, আর ইবনুল আছমে এহুদ্ৰ; ),, রয়েছে;
স্পষ্টতর হওয়ায় এই শেষটিরই অনুবাদ দেয়া হল ৷

৩ ইবনুল আহীরে এবং ইবন আসাকিরে (৪৩৪ ১) ান্া; (ওয়ালা অর্থে) ৷

৪ তার পিতার উদ্ধৃতিতে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া--৪ ৭
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

الْأَسْلَمِيُّ فَجَعَلَ يَزِيدُ يَنْكُتُ بِالْقَضِيبِ عَلَى فِيهِ، وَيَقُولُ: يُفَلِّقْنَ هَامًا مِنْ رِجَالٍ أَعِزَّةٍ ... عَلَيْنَا وَهُمْ كَانُوا أَعَقَّ وَأَظْلَمَا فَقَالَ لَهُ أَبُو بَرْزَةَ ارْفَعْ قَضِيبَكَ، فَوَاللَّهِ لَرُبَّمَا رَأَيْتُ فَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فِيهِ يَلْثَمُهُ» . قَالَ: وَسَرَّحَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ بِحَرَمِهِ وَعِيَالِهِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ مِنْ آلِ بَيْتِ الْحُسَيْنِ إِلَّا غُلَامٌ كَانَ مَرِيضًا مَعَ النِّسَاءِ، فَأَمَرَ بِهِ ابْنُ زِيَادٍ لِيُقْتَلَ، فَطَرَحَتْ زَيْنَبُ نَفْسَهَا عَلَيْهِ وَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَا يُقْتَلُ حَتَّى تَقْتُلُونِي. فَرَقَّ لَهَا فَتَرَكَهُ وَكَفَّ عَنْهُ. قَالَ: وَجَهَّزَهُمْ وَحَمَلَهُمْ إِلَى يَزِيدَ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ جَمَعَ مَنْ كَانَ بِحَضْرَتِهِ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، ثُمَّ أَدْخَلُوهُمْ فَهَنَّئُوهُ بِالْفَتْحِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَحْمَرُ أَزْرَقُ، وَنَظَرَ إِلَى وَصِيفَةٍ مِنْ بَنَاتِهِمْ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَبْ لِي هَذِهِ. فَقَالَتْ زَيْنَبُ: لَا وَاللَّهِ وَلَا كَرَامَةَ لَكَ وَلَا لَهُ، إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ مِنْ دِينِ اللَّهِ. قَالَ: فَأَعَادَهَا الْأَزْرَقُ، فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: كُفَّ عَنْ هَذَا. ثُمَّ أَدْخَلَهُمْ عَلَى عِيَالِهِ، فَجَهَّزَهُمْ وَحُمِلُوا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا دَخَلُوهَا خَرَجَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، نَاشِرَةً شَعْرَهَا وَاضِعَةً كُمَّهَا عَلَى رَأْسِهَا، تَتَلَقَّاهُمْ وَهِيَ تَبْكِي وَتَقُولُ: مَاذَا تَقُولُونَ إِنْ قَالَ النَّبِيُّ لَكُمْ ... مَاذَا فَعَلْتُمْ وَأَنْتُمْ آخِرُ الْأُمَمِ بِعِتْرَتِي وَبِأَهْلِي بَعْدَ مُفْتَقَدِي ... مِنْهُمْ أُسَارَى وَقَتْلَى ضُرِّجُوا بِدَمِ مَا كَانَ هَذَا جَزَائِي إِذْ نَصَحْتُ لَكُمْ ... أَنْ تَخْلُفُونِي بِسُوءٍ فِي ذَوِي رَحِمِي وَقَدْ رَوَى أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৩


মাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে আবদুস সমাদ ইবন হাসৃসান বর্ণনা করেছেন, তিনি
বৱলন, আমাদেরকে উমার৷ অর্থাৎ ইবনরাযান বর্ণনা করো;ছন ছাবিত থেকে, আর তিনি জানান
াথকে তিনি বলেন, (একবার) ’কাতারের গোত্রপতি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের সাক্ষা৷তর অনুমতি চাইল ৷ তখন তিনি ত ৰুক (ভেতরে প্রবেশের) অনুমতি দিলেন ৷
আর হযরত উম্মে সালাম৷ (রা)শ্কে বলে রাখলেন, দরজার প্রতি লক্ষ্য রেখো কেউ যেন
আমাদের কাছে প্রবেশ না করে ৷ সে সময় হঠাৎ হুসাযন ইবন আলী এসে লাফ দিয়ে ভেতরে
প্রবেশ করলেন এবং নবী (না)-এর র্কাধে চড়তে লাপলেন ৷ তখন সেই গোত্রপতি বলল,
আপনি কি ভীকে ভালবাসেন ?ৰু তিনি বললেন, হ্যা ৷ তখন সে বলল, আপনার উম্মতের
লোকেরা তাকে হত্যা করবে ৷ আর (আপনি) চাইলে আমি আপনাকে৩ তার বধ্যভুমি দেখিয়ে
াদতে পারি ৷ বর্ণণাকাবী বলেন, তখন সে হাত দিয়ে আঘাত করে তাকে লাল মাটি দেখাল ৷
তখন হযরত উম্মে সালাম৷ (রা) সেই মাটি নিয়ে তার কাপড়ের আচ্াল বেধে রাখৃন্নেন্ট্া

বংনিাকারী বলেন, আমরা শুনতাম যে, সে কারবালায় নিহত হবে ৷ আর ইমাম আহমদ
বলেন আমাদেরকে ওয়াকী বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমাকে আবদুল্লাহ ইবন সায়ীদ
বংনি৷ করেছেন, তার পি৩ ৷ থেকে আর তিনি হযরত আয়েশা (রা) থেকে অথবা উম্মে সালামা
(না) থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, একবার আমার
গৃহে , আমার সাক্ষাতে এক গোত্রপতি প্রবেশ করল, যে ইতিপুর্বে কখনো প্রবেশ করে নি ৷

এরপর সে আমাকে বলল, আপনার এই দৌহিত্র হুসায়নঃ নিহত, হবে ৷ যদি আপনি চান তাহলে
আমি আপনাকে তার বধ্যভৃমি দেখিয়ে দিই ৷ তিনি বলেন, তখন সে লাল মাটি বের
করল ৷ এই হাদীসখানি হযরত উম্মে সালামা (বা) থেকে একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু
উমাম৷ থেকে তিবরনীি তা বর্ণনা করেছেন, আর তাতে হযরত উম্মে সালামার কা ৷হিনী রয়েছে ৷
এছাড়া মুহাম্মদ ইবনা৷ দ হযরত আয়েশা (বা ) থেকে হযরত উর্ষে৷ সালাম৷ (রা) এর ন্যায়
বনাি করেছেন ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহই ভাল জানেন ৷ যায়নাব বিনত জাহশ এবং হযরত
আব্বাস (রা) এর শ্রী উম্মুল ফযল লুবাব৷ থেকেও বর্ণি৩ হয়েছে ৷ আর একাধিক তুাবেয়ী
হাদীসটিকে মুরসাল’ রুপে বর্ণনা করেছেন ৷

৩া৷বু৫ ৷ কা ৷সিম বাগাবী বলেন, আমাদেরকে আবু বকর মুহাম্মদ ইবন হারুন বর্ণনা করেছেন,
াতনি বলেন আমাদেরকে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ রাকী এবং আলী ইবন হাসান আররাযী
বর্ণনা করেছেন ৷৩ তারা দু’ জন বলেন, আমাদেরকে আবুং ওয়াকিদী আল হাররানী সায়ীদ ইবন
আব্দুল মালিক বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আত৷ ইবন মুসলিম বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে ন্আশআছ ইবন সাহীম্ বর্ণনা করেছেন৩ তার পি৩ ৷ থেকে তিনি
বলেন, আমি আনাস ইবন হারিছকেছুবর্লতে শুনেছি, “আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া
সৃাল্লামাকে বলতে শুনেছি,




১ মুসনাদে আহমদ ৩২ও৫ ৷
২ মুসনাদে আহমদ ৬২৯৪ ৷


عُبَيْدٍ أَبِي الْكَنُودِ، أَنَّ بِنْتَ عَقِيلٍ هِيَ الَّتِي قَالَتْ هَذَا الشِّعْرَ. وَهَكَذَا حَكَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَنَّ زَيْنَبَ الصُّغْرَى بِنْتَ عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ هِيَ الَّتِي قَالَتْ ذَلِكَ حِينَ دَخَلَ آلُ الْحُسَيْنِ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ. وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ الْأَنْبَارِيِّ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مِنْ فَاطِمَةَ، وَهِيَ زَوْجُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أُمُّ بَنِيهِ، رَفَعَتْ سِجْفَ خِبَائِهَا يَوْمَ كَرْبَلَاءَ يَوْمَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ، وَقَالَتْ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْمِقْدَامِ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عِكْرِمَةَ قَالَ: أَصْبَحْنَا صَبِيحَةَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ بِالْمَدِينَةِ، فَإِذَا مَوْلَاةٌ لَنَا تُحَدِّثُنَا قَالَتْ: سَمِعْتُ الْبَارِحَةَ مُنَادِيًا يُنَادِي وَهُوَ يَقُولُ: أَيُّهَا الْقَاتِلُونَ جَهْلًا حُسَيْنًا ... أَبْشِرُوا بِالْعَذَابِ وَالتَّنْكِيلِ كُلُّ أَهْلِ السَّمَاءِ يَدْعُو عَلَيْكُمْ ... مِنْ نَبِيٍّ وَمَلْأَكٍ وَقَبِيلِ قَدْ لُعِنْتُمْ عَلَى لِسَانِ ابْنِ دَاوُ ... دَ وَمُوسَى وَحَامِلِ الْإِنْجِيلِ قَالَ هِشَامٌ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ حَيْزُومٍ الْكَلْبِيُّ، عَنْ أُمِّهِ قَالَتْ: سَمِعْتُ هَذَا الصَّوْتَ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৪


“আমার এই পুত্র (দৌহিত্র) কারবালা নামক ভুখণ্ডে নিহত হবে তোমাদের যে তা প্রত্যক্ষ
করবে সে যেন তাকে সাহায্য করে ৷” বর্ণা৷কারী বলেন, তাই আনাস ইবন হারিছ ক ৷রবালায়
যান এবং হযরত হুসায়নের সাথে নিহত হন ৷ রাবী বলেন, তিনি ছাড় অন্য কেউ তা বর্ণনা
করেছেন বলে আমার জানা (ন্ইি ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবন উবায়দ
বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে শাবাহীল ইবন মুদরিক বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ
ইবন ইয়াহইয়৷ থেকে আর তিনি তার ৩পি ৷ থেকে যে তিনি হযরত আলীর সাথে সফর
করাহুলেন আর তিনি তার ওযুর পাত্রবাহক ছিলেন ৷ সিফ্ফীন অভিমুখে রওয়ানা হয়ে পথিমধো
যখন তারা নায়নাওয়া তে পৌছলেন তখন হযরত আলী (রা) উচ্চস্বরে তােক বললেন,
ফোরাতের তীরে ধৈর্যধারণ কর আবু আবদুল্লাহ! ধৈর্যধারণ কর ৷ তখন আমি তাকে বললাম,
আপরলোঃদ্দশ্মন্কি ? তখন তিনি বললেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামেরসাক্ষাতেজ্যো কঃরদ্র্দখলাম তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত ৷ তখন আমি তাকে বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কাদঃছন কেন প্ তিনি বললেন, হ্যা এইমাত্র জিবরীল আমার কাছ
থেকে উঠে ণ্যেলন, তিনি আমাকে ৰুবলে পেলেন যে, ফোরাঢ৩ র তীরে হুসায়ন নিহত হবে ৷ ,

নবী করীম (সা) বলেন, এরপর তিনি বললেন, আমি কি আপনাকে সেখানকার মাটির ত্রাণ
শুকিয়েইংদিব : তিনি বলেন, অতংপর তিনি তার হাত প্রসারিন্তাবল্যাংনঃ এবং (সেখান থেকে)
এক মুষ্ঠি মাটি উঠিয়ে আমাছুক দিলেন, তখন আর আমি অশ্রুং সংবরণ করতে পারলাম না ৷
ইমাম আহমদ এককভাবে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ আলী ইবন মুহাম্মদ থেকে তিনি ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা থেকে তিনি
এক ব্যক্তি থেকে আর সে ব্যক্তি আমির শাবী থেকে আর তিনি আলী (রা) থেকে এমন একটি
বেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত আলী (রা)এয় উদ্ধৃতিতে মুহাম্মদ ইবন সাদ ওঅন্যেরা
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সিফ্ফীন যাওয়ার পথে কারবালায় কিছু হানযাল গাছ অতিক্রমকালে
আর (সে স্থানের) নাম জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তখন কারবালা’ নাম বলা হলে তিনি বললেন, কারব
(বিপর্যয়) ও বালা (বিপদ) ৷ তখন তিনি নেমে সেখানকার একটি গাছের কাছে নামায পড়লেন ৷
তারপর বললেন, এস্থানে এমন শহীদগণ নিহত হবেন, যারা সাহাবাগণের পর শ্রেষ্ঠতম শহীদ
হবেন ৷ এরা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং তিনি সেখানকার একটি বিশেষ স্থানের
দিকে ইঙ্গিত করলেন, তখন লোকেরা স্থানটিকে চিহ্নিত করে রাখল আর পরবভীতে হুসায়ন (রা)
সেখানেই শহীদ হন ৷ কা ব আল আহবার (রা) থেকে কারবালা স ক্রান্ত একাধিক আছার
বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু৷ জানার আল কালবী ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন যে, এখনও কারবালাবাসী
হযরত হুসায়ন (রা)-এর শোকে জিনদের বিলাপ শুনতে পায় ৷ তারা বলে :

বর্ণনাকারী বলেন, “হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদাতের দিন ভোর বেলায় একজন
ক্রী দাসী মদীনা শবীফে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন এবং বলেন,






“গতরাতৈ আমি একজন ঘোষককে ঘোষণা দিতে শুনেছি ৷ তিনি বলছিলেন, হেহুসায়নকে
অন্যায়ভাবে হত্যাকারীরা ৷ তোমাদের হীন কৃতকর্মের জন্য তোমরা মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ

ওেতাে



وَمِمَّا أَنْشَدَهُ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ وَغَيْرُهُ لِبَعْضِ الْمُتَقَدِّمِينِ فِي مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ: جَاءُوا بِرَأْسِكَ يَابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... مُتَزَمِّلًا بِدِمَائِهِ تَزْمِيلَا وَكَأَنَّمَا بِكَ يَابْنَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ ... قَتَلُوا جَهَارًا عَامِدِينَ رَسُولَا قَتَلُوكَ عَطْشَانًا وَلَمْ يَتَرَقَّبُوا ... فِي قَتْلِكَ التَّنْزِيلَ وَالتَّأْوِيلَا وَيُكَبِّرُونَ بِأَنْ قُتِلْتَ وَإِنَّمَا ... قَتَلُوا بِكَ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَا [فَصْلُ الْإِخْبَارِ بِمَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا] وَكَانَ مَقْتَلُ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ - وَقَالَ اللَّيْثُ وَأَبُو نُعَيْمٍ: يَوْمَ السَّبْتِ - يَوْمَ عَاشُورَاءَ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ. وَبِهِ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ. وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سِتِّينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ الطَّفُّ. بِكَرْبَلَاءَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَمَانٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً أَوْ نَحْوُهَا، وَأَخْطَأَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي قَوْلِهِ: إِنَّهُ قُتِلَ وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ خَمْسٌ أَوْ سِتٌّ وَسِتُّونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৫


গ্রহণ কর ৷ সমস্ত আকাশবাসী, নবী, ফেরেশতা ও শহীদ তোমাদের জন্য অভিসম্পাত দিচ্ছেন ৷
সুলাইমান ইবন দাউদ (আ), মুসা (আ) ও ঈসা (আ) তথা সমস্ত নবীর অভিসম্পাতও তোমরা
কুড়িয়ে নিঃয়ছ ৷”

ইবন হিশাম (র) বলেন, “আমাকে আমব ইবন হাইয়ুম আল কালবী তার মাতা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উপরোক্ত কবিতা আমি স্বয়ং শুনেছি ৷ আল-লাইস ও আবু
নুয়াইম বলেন, উপরোক্ত আওয়াজটি শনিবার দিন শোনা গিয়েছিল ৷” আবু আবদুল্লাহ আল-
হাকিম নিশাপুরী ও অন্যান্যরা ইমাম হুসায়ন (রা)এর শহােদাত সম্পর্কে কিছু সংখ্যক পুর্ববর্তী
যুগের আলিমের নিম্নরর্ণিত কবিতাগুলাে উল্লেখ করেন,

——
ঠো-এি

“হে মুহাম্মদ (না)-এর কন্যার পুত্র ! তারা তোমার শির মুবারক রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে
এসেছে এখানে ৷ তারা তোমাকে দিরাঃলাকে হত্যা করে যেন রাসুল (না)-কেই তারা হত্যা
করার ইচ্ছা পোষণ করেছে৷ হে মুহাম্মদ (না)-এর কন্যার পুত্র ! তোমাকে তারা পুিপাসার্ত
অবস্থায় হত্যা করেছে ৷ কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করে দেখে নি যে, তারা তোমার হত্যার
মাধ্যমে কুরআন এবং আল্লাহর বাণীকেই হত্যা করেছে ৷ তারা তোমাকে হত্যা করার মাধ্যমে
তাকবীর ও তাহলীল অর্থাৎ আল্লাহর প্রভুতু ও ৫শ্রষ্ঠতুকে অবমাননা করতে প্রয়াস
পেয়েছিল ৷”


قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا عُمَارَةُ، يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ «اسْتَأْذَنُ مَلَكُ الْقَطْرِ أَنْ يَأْتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَالَ لَأُمِّ سَلَمَةَ: " احْفَظِي عَلَيْنَا الْبَابَ لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ ". فَجَاءَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فَوَثَبَ حَتَّى دَخَلَ، فَجَعَلَ يَصْعَدُ عَلَى مَنْكِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَتُحِبُّهُ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَإِنَّ أُمَّتَكَ تَقْتُلُهُ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْمَكَانَ الَّذِي يُقْتَلُ فِيهِ. قَالَ: فَضَرَبَ بِيَدِهِ، فَأَرَاهُ تُرَابًا أَحْمَرَ، فَأَخَذَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ذَلِكَ التُّرَابَ، فَصَرَّتْهُ فِي طَرَفِ ثَوْبِهَا. قَالَ: فَكُنَّا نَسْمَعُ: يُقْتَلُ بِكَرْبَلَاءَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَوْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِإِحْدَاهُمَا: " «لَقَدْ دَخَلَ عَلِيَّ الْبَيْتَ مَلَكٌ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيَّ قَبْلَهَا، فَقَالَ لِي: إِنَّ ابْنَكَ هَذَا حُسَيْنٌ مَقْتُولٌ، وَإِنْ شِئْتَ أَرَيْتُكَ الْأَرْضَ الَّتِي يُقْتَلُ بِهَا ". قَالَ: " فَأَخْرَجَ تُرْبَةً حَمْرَاءَ ".» وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، وَفِيهِ قِصَّةُ أُمِّ سَلَمَةَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِ رِوَايَةِ أُمِّ سَلَمَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرُوِيَ ذَلِكَ مِنْ حَدِيثٍ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلُبَابَةَ أُمِّ الْفَضْلِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৬

পবিচ্ছেদ

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদাত ৬১ হিজরীর মুহররম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার

দিন সংঘটিত হয়েছিল ৷

হিশাম ইবনুল ক ৷লবী বলেন, “৬২ হিজরীতে ইমামহ্ ম্সায়ন (রা) এর শাহাদাত স ঘটিত
হয়েছিল ৷” আলী ইবনুল মাদীনীও এ অভিমত পোষণ করেন৷ ইবন লাহীইয়া বলেন, ৬২
কিৎব৷ ৬৩ হিজরীতে ইমাম হুসায়ন ন্(রা)-এর শাহাদাত সংঘটিত হয়েছিল ৷ অন্য একজন
ইতিহাসবিদ বলেন, ইমাম হুসায়ন (রা)-এর শাহাদাত ৬০ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল ৷ প্রথম
অভিমতটিই বিশুদ্ধ ৷ ইরাক ভুখণ্ডের কারবালা নামক মরুময় স্থানে হযরত ইমাম হুসায়ন (বা)
৫৮ বছর বয়সে শাহাদাত লাভ করেন ৷ আবু নুআয়ম যে তিনি ৫৬ বা ৫ ৭ বছর বয়সে শহীদ
হয়েছেন বলে উল্লেখ করোছা তা শুদ্ধ নয় ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুস সামাদ, আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, একদিন বৃষ্টির
ফেরেশতা রাসুল (সা) এর দরবারে প্রবেশের অনুমতি চান ৷৩ তাকে অনুমতি দেয়৷ হল ৷ তিনি
প্রবেশ করলেন, রাসুলুল্লাহ (না) তার শ্রী হযরত উম্মে সালামা (রা) কে বললেন, “তুমি
আমাদের দরজায় লক্ষ্য রাখবে যেন অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ না করে ৷” এমন সময় হযরত
হুসায়ন ইবন আলী (রা) ছুটে এসে ঘরে ঢুকলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর র্কাধে ও পিঠে
চ্ড়তে লাগলেন ৷

ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সা) কে বললেন, “আপনি কি তাকে খুব ভালবাসেন ? রাসুলুল্পাহ
(সা) বললেন, “হা৷ ৷” তখন ফেরেশতা বললেন, “আপনার উম্মতেরা তাকে খুন করবে ৷
আপনি যদি চান তাহলে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে যেখানে খুন করা হবে সে স্থানটি আমি
আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারি ৷” বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা তখন হাত দিয়ে মাটিতে
আঘাত করলেন এবং রাসুল (সা)-কে কিছু লাল মাটি দেখালেন ৷ হযরত উম্মে সালামা (বা)
যে মাটিটুকু নিয়ে নিলেন এবং তার কাপড়ের কােনায় বেধে রাখলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
থেকেই আমরা শুনে আসছিলাম যে, ইমাম হ্লায়ন (রা)-কে কারবালায় শহীদ করা হবে ৷

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকীহযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) কিত্ব৷ হযরত উম্মে সালামা
(বা) হতে বর্ণনা শুনেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন বললেন, আজ আমার ঘরে এমন এক
ফেরেশতা আগমন করেছেন যিনি আর কোন দিন আসেন নি ৷ তিনি আমাকে বললেন,
আপনার এ পৌত্র ইমাম হুসায়ন (রা)-কে শহীদ করা হবে; আপনি যদি চান তাহলে আমি যে
মাটিতে তিনি শাহাদাত বরণ করবেন, তা আপনাকে দেখাতে পারি ৷” বর্ণনাকারী বলেন,
তারপর ফেরেশতা কিছু লাল মাটি বের করে দেখালেন ৷ উপরোক্ত হাদীসটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে
হযরত উম্মে সালামা (বা) হতে ৩বংনাি করা হয়েছে ৷ তাবারানী (র) আবু উসামা (বা) হতে এ
হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ এটাতে উম্মে সালামা (রা) এর একটি কাহিনী বর্ণিত ৩রয়েছে ৷ হযরত
উম্মে সালামা (রা)-এর ন্যায় হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা) থেকেও মুহাম্মদ ইবন সা দ এ
হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক পরিজ্ঞাত

যয়নাব বিনৃত জাহাশ এবং হযরত আব্বাস (রা ) এর শ্রী উম্মুল ফযল লুবাবা (রা) হতেও
উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে ৷ একাধিক তাবিঈ মুরসাল হিসাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷


امْرَأَةِ الْعَبَّاسِ. وَأَرْسَلَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَارُونَ أَبُو بَكْرٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ وَعَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الرَّازِيُّ قَالَا: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَاقِدٍ الْحَرَّانِيُّ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ الْحَارِثِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ ابْنِي هَذَا - يَعْنِي الْحُسَيْنَ - يُقْتَلُ بِأَرْضٍ يُقَالُ لَهَا: كَرْبَلَاءُ. فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْصُرْهُ» ". قَالَ: فَخَرَجَ أَنَسُ بْنُ الْحَارِثِ إِلَى كَرْبَلَاءَ فَقُتِلَ مَعَ الْحُسَيْنِ. ثُمَّ قَالَ: وَلَا أَعْلَمُ رَوَى غَيْرَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُجَيٍّ، عَنْ أَبِيهِ «، أَنَّهُ سَارَ مَعَ عَلِيٍّ - وَكَانَ صَاحِبَ مَطْهَرَتِهِ - فَلَمَّا حَاذَى نِينَوَى وَهُوَ مُنْطَلِقٌ إِلَى صِفِّينَ فَنَادَى عَلِيٌّ: اصْبِرْ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، اصْبِرْ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ بِشَطِّ الْفُرَاتِ. قُلْتُ: وَمَاذَا؟ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَعَيْنَاهُ تَفِيضَانِ، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَغْضَبَكَ أَحَدٌ؟ وَمَا شَأْنُ عَيْنَيْكَ تَفِيضَانِ؟ قَالَ: " بَلْ قَامَ مِنْ عِنْدِي جِبْرِيلُ قَبْلُ، فَحَدَّثَنِي أَنَّ الْحُسَيْنَ يُقْتَلُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৭

আবুল কাসিম আল বাগাবী (র) মুহাম্মদ ইবন হারুন হযরত আ নান ইবনৃল হারিস
(বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি, আমার
দৌইিত্র হুসায়ন (রা) যেই ভুখ্যাঃ শাহাদাত বরণ করবে তার নাম “কারবালা ৷ তোমাদের
মধ্যে যে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে তারা যেন তার সাহায্য-সহযোগিতা করে ৷ এ হযরত আনাস
ইবনুল হারিন কারবালায় গমন করেন এবং হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর সাথে শত্রুর
বিরুদ্ধে জিহাদ করে শাহাদাত বরণ করেন ৷ বনািকারী বলেন, অন্য কেউ এ হাদীসটি বংনিা
করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷
ধ্ ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আবদুল্লাহ ইবন ইয়াহইয়ার পিতা হতে বর্ণনা
করেন যে, একদিন তিনি হযরত আলী (রা) এর সাথে ভ্রমণে গেলেন ৷ তিনি ছিলেন তার
পবিত্র তা মজনে বাবহৃত সামগ্রীর বহনকারী সাথী ৷ যখন তারা নিনেতায় পৌছলেন যেখান
দিয়ে সিফ্ফীনের দিকে যেতে হয়, তখন আলী (রা) তা৷বদুল্লাহর পুিড়াকে বললেন, হ আবু
আবদুল্লাহ! ফুরাত নদীর তীরে থাম, হে আবু আবদুল্লাহ! ফ্লুরাত নদীর তীরে থাম ৷ আমি
বললাম, ব্যাপার কি? ’তিনি বললেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর ঘরে প্রবেশ
করলাম, দেখলাম, তার দু চোখ যেয়ে অশ্রু ঝ রছে ৷ আমি যললাম, ’হে আল্লাহর রাসুল
আপনি কি কাদছেন ? তিনি বললেন, হ্যা এইমাত্র জিবরাঈল (আ) আমার কাছ থেকে উঠে
চলে গেলেন ৷ তিনি আমাকে বলে গেলেন, হুসায়ন (রা) ফুরাত নদীর তীরে শাহাদাতবরণ
করবে ৷ ’ বণ্নািকারী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আপনি কি আমাকে এ মাটি; থেকে
ঘ্রাণ নিতে দিবেন ? ফেরেশতা হাত বাড়ালেন এক ঘুঠে৷ মাটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা)-ন্এৱ হাতে
অর্পণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এ জন্যে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারি নি ৷
এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আলী ইবন মুহাম্মদ হযরত আলী (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ ঘুহাম্মদ ইবন সা দ এবং অন্যরা কয়েকটি সনদে আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) হতে
বর্ণনা করেন যে, একদিন তিনি কারবালার ময়দানের পাশ দিয়ে হানযাল পাছ-গাছরার নিকট
দিয়ে সির্ফফীনে যাঢািন, তিনি তখন জায়গাটিৱ নাম জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকজন বলল, এ
জায়গাটির নাম কারবালা ৷ হযরত আলী (রা) বলেন, এটার নামই কারব ও বালা ৷ তারপর
তিনি অবতরণ করলেন ৷ হানষাল গাছের কাছে সালাত আদায় করলেন এবং বললেন, এখানেই
অনেক লোক শাহাদাতবরণ করবেন এবং তারাই হবেন সাহাবীদের পরে শ্রেষ্ঠ ন্ণহীদান ৷ আর
তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন ৷
হযরত আলী (বা) ঐ জায়গার দিকে ইঙ্গিত করলেন এবং উপস্থিত জনগণ কোন একটি
বস্তু দিয়ে এ জাযণাটিতে চিহ্নিত করলেন ৷ আর পরে এখানেই হযরত হুসায়ন (রা) শাহাদাত
বরণ করেন ৷ কা ব আল আহবার হতে কারবাল৷ সম্পর্কে বহু রিওয়ায়েত বর্ণিত রয়েছে ৷
আবুল জানাব আল্-কাল্রী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন যে, কাররালাবাসীরা হযরত ৩ইমাম হুসায়ন
ন্ (রা-) এর শাহাদাত ব রণের পর হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর জন্য জিন জাতির বিলাপ
শুনতে পেয়েছিলেন তারা বলছিল,




بِشَطِّ الْفُرَاتِ ". قَالَ: " فَقَالَ: هَلْ لَكَ أَنْ أُشِمَّكَ مِنْ تُرْبَتِهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَمَدَّ يَدَهُ، فَقَبَضَ قَبْضَةً مِنْ تُرَابٍ فَأَعْطَانِيهَا، فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ أَنْ فَاضَتَا» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ مَرَّ بِكَرْبَلَاءَ، عِنْدَ أَشْجَارِ الْحَنْظَلِ، وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى صِفِّينَ، فَسَأَلَ عَنِ اسْمِهَا فَقِيلَ: كَرْبَلَاءُ. فَقَالَ: كَرْبٌ وَبَلَاءٌ. فَنَزَلَ وَصَلَّى عِنْدَ شَجَرَةٍ هُنَاكَ، ثُمَّ قَالَ: يُقْتَلُ هَاهُنَا شُهَدَاءُ هُمْ خَيْرُ الشُّهَدَاءِ غَيْرَ الصَّحَابَةِ، يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ. وَأَشَارَ إِلَى مَكَانٍ هُنَاكَ، فَعَلَّمُوهُ بِشَيْءٍ، فَقُتِلَ فِيهِ الْحُسَيْنُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ آثَارٌ فِي كَرْبَلَاءَ. وَقَدْ حَكَى أَبُو الْجَنَابِ الْكَلْبِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ أَهْلَ كَرْبَلَاءَ لَا يَزَالُونَ يَسْمَعُونَ نَوْحَ الْجِنِّ عَلَى الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُنَّ يَقُلْنَ: مَسَحَ الرَّسُولُ جَبِينَهُ ... فَلَهُ بَرِيقٌ فِي الْخُدُودِ أَبَوَاهُ مِنْ عَلْيَا قُرَيْ ... شٍ جَدُّهُ خَيْرُ الْجُدُودِ وَقَدْ أَجَابَهُمْ بَعْضُ النَّاسِ فَقَالَ: خَرَجُوا بِهِ وَفَدًا إِلَيْ ... هِ فَهُمْ لَهُ شَرُّ الْوُفُودِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৮

“রাহৃা ণ্ন্৷ (না) তার কপাল মুবারক মাসেহ করলেন ৷ তার পাল দু’টিখ্ন্ জ্বল জুল করছিল ৷
তার মাতা৷প্ ৷তা ছিলেন সম্রাস্ত কুরায়শ বংশের এবং তার নান্ ৷৷ ছিলেন নানা৫দর মধ্যে
সর্বশ্রেষ্ঠা

কিছু সংরাক ৫লাক তাদের নিয়ে বলছিল, ,


শত্রুরাপ্ পতিনিধি প্রেরণ করেছিল তারই কাছে, তারাই ছিল তার জন্যে অতি নিকৃষ্ট
প্র৷ ৩াণ্া৷ধ দল, ৩ ৷ব৷ তাদের নবীর কন্যার সন্তান৫ক হত্যা করেছিল এবং এ হত্যার মাধ্যমে
তা দের সাথে ৩া৷ন্৷ ৩ ৬ওপ্তপ্ তনিার দলকে শান্ত করতে প্রয়াস পেয়েছিল ৷

ইবন আসাকির বংনি৷ করেন এক দল লোক কোন এক যুদ্ধে ৫রাম শহরে গিয়েছিল, তারা
সেখানে ৷প৫া৷য় লিখিত একটি কবিতা দেখতে ৫পল, কবি৩াটি ছিল নিম্নরুপং :,



এমন একটি দল যারা ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নির্মমভা৫ব হ৩ ত্যা করেছিল তারা কি
হিসা৫বর দিন তার নানার শাফাআতের আশা করতে পারে ?
তারা তখন ৫লাকজনকে জিজ্ঞেস করল, এ কবিতাটি ৫ক লিখেছে ? উত্তরে লোকজন বলল,
“এ লেখাটি তোমাদের নবীর নবুওয়াত ৩প্রাপ্তির তিনশত বছর পুর্ব হতে বিদ্যমান ছিল ৷” ন্
বাণ্তি র৫ ৷৫ছ যে, যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নৃশংসতাবে হত্যা করেছিল, তারা
কারবলাে ময়দান থেকে একটি জায়গায় প্ৰ৩ ত্যাবর্ভা করে সেখানে রাত্রি যাপন করল ৷ তারা
শরাব পান করল এবং তাদের সাথে হযরত হুসায়ন (রা) এর শির ঘুবারক ছিল ৷ এ সময়
একটি ৫লাহার কলম তাদের সামনে বেরিয়ে আসল এবং হযরত ৩ইমাম হুসায়ন (রা)-এর রক্ত
দি৫য দেয়ালের মধ্যে নীচের কবিতাটি লিখে চলে ৫গলং : ’
“এমন একটি দল যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৫ক নির্মমতা ৷৫ব হত্যা করেছিল, তারা
কি হিসাব বিকাশের দিন তার নানার শাফায়াতের আ শা করতে পারে ?
ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে তিনি বলেছেন, “একদিন আমি রাসুলুল্পাহ (সা) ৫ক দুপুর বেলায় ংঘৃমের মধ্যে স্বপ্নে
দেখলাম তার চুল অবিনাস্ত ও ধুল৷ মিশ্রিত ছিল ৷৩ তার সাথে ছিল একটি বোতল যার মধ্যে
ছিল কিছু রক্ত ৷ তখন আ ৷মি বললাম, ৫হ আল্লাহর রাসুল ! আপনার প্ৰতি আমার মতো ও পিতা
কুরবান হোন, এটাতে কি ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এটাতে ইমাম হুসায়ন (না) ও তার
সাথীদের রক্ত ৷ আডর্হি আমি এগুলো সংগ্রহ করলাম ৷ বর্ণনাকারী হযরত আম্মার ইবন
ইয়াসির (রা) বলেন, আমরা ৷ঐ দিনটি হিসাব করে দেখলাম যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) ঐ
দিনই শাহাদা৩বয়ণ করেছিলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (র) এর একক বংলি৷ এবং তার সনদ
অত্যন্ত মজবুত ৷
ইবন আবুদ দুনৃয়৷ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আলী ইবন যায়দ ইবন জাদআন (র) হতে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “একদিন ধ্যব আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ঘুম থেকে
জাগ্র৩ হলেন, ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন পাঠ করলেন এবং বললেন, “আল্লাহর
শপথ ! হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেছেনা” তখন তার সাথীগণ তাকে


قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ نَبِيِّهِمْ ... سَكَنُوا بِهِ نَارَ الْخُلُودِ وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ طَائِفَةً مِنَ النَّاسِ ذَهَبُوا فِي غَزْوَةٍ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، فَوَجَدُوا فِي كَنِيسَةٍ مَكْتُوبًا: أَتَرْجُو أُمَّةٌ قَتَلَتْ حُسَيْنًا ... شَفَاعَةَ جَدِّهِ يَوْمَ الْحِسَابِ فَسَأَلُوهُمْ: مَنْ كَتَبَ هَذَا؟ فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا مَكْتُوبٌ هَاهُنَا مِنْ قَبْلِ مَبْعَثِ نَبِيِّكُمْ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ. وَرُوِيَ أَنَّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ رَجَعُوا، فَبَاتُوا وَهُمْ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ، وَالرَّأْسُ مَعَهُمْ، فَبَرَزَ لَهُمْ قَلَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَرَسَمَ لَهُمْ فِي الْحَائِطِ بِدَمٍ هَذَا الْبَيْتَ أَتَرْجُو أُمَّةٌ قَتَلَتْ حُسَيْنًا ... شَفَاعَةَ جَدِّهِ يَوْمَ الْحِسَابِ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ بِنِصْفِ النَّهَارِ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، مَعَهُ قَارُورَةٌ فِيهَا دَمٌ، فَقُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ قَالَ: " هَذَا دَمُ الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ، لَمْ أَزَلْ أَلْتَقِطُهُ مُنْذُ الْيَوْمِ ". قَالَ عَمَّارٌ: فَأَحْصَيْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَوَجَدْنَاهُ قَدْ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ قَوِيٌّ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ هَانِئٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪৯


বললেন, কেমন করে আপনি এ বিষয় অবগত হলেন হে ইবন আব্বাস (রা) ?’ উত্তরে তিনি
বললেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্বপ্নে দেখলাম এবং তীর সাথে এক বোতল রক্তও
দেখলাম ৷” তিনি বললেন, হে ইবন আব্বাস (রা) ! তুমি কি জান, আমার পরে আমার
উম্মতে র লোকজন কি করেছে ? তারা হুসায়ন (রা) কে হত্যা করেছে এটা ইমাম হুসায়ন (রা)
ও তার সাথীদের রক্ত ৷ এগুলোকে আমি (হাশরের দিন) আল্লাহর সামনে উঠিয়ে ধরব ৷”
হযরত ইবন আব্বাস (বা) এ হাদীসঢি লিখে রাখলেন যখন এরুপ কথােপকথন অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ৷ চব্বিশ দিন পর তাদের কাছে মদীনায় সংবাদ আসল যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা)
ঐ দিনই এবং ঐ সময়ই শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৷

ইমাম তিরমিষী (র) আবু সাঈদ আমর হযরত সালমা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,

তিনিসবলেন, একদিন আমি উম্মে সালামা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি র্কাদছেন ৷
তখন আমি রললাম, আপনি কেন র্কাদছেন ? তিনি বললেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্বপ্নে
দেখলাম, তার মাথা ও দীড়ি মুবারন্কে ধুলা লেগে রয়েহে ৷ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল
(সা) ! আপনার কি হয়েছে ? রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, “এই মাত্র আমি ইমাম হ্সায়ন (রা)
এর শাহাদাতবরণ প্রত্যক্ষ করলাম ৷”

মুহাম্মদ ইবন সা দ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ শাহর ইবন হাওশাব (বা) হতে ৩বর্ণনা

করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ত্রী হযরত উম্মে সালামা (রা) এর কাছে

অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ একটি চীৎকারের আওয়াজ শুনতে হুপলাম, আমি এগিয়ে গেলাম
এবং হযরত উম্মে সালামা (রা)-এর কাছে পৌছলাম, তখন তিনি বললেন, হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেছেন ৷ তিনি আবার বললেন, শত্রুরা একাজটি সমাপ্ত
করেছে ৷ আল্লাহ তাদের কবর কিত্বা ঘর-বাড়ি আগুনে পরিপুর্ণ করে দিন, একথা বলে তিনি
সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললেন এবং আমরা সেখান থেকে চলে এলাম ৷’
ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান হযরত আম্মার (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি হযরত উম্মে সালামা (রা) ক্লে বলতে শুনেছি, আমি জিনদের ইমাম হুসায়ন

(রা) এর জন্যে কান্নাকাটি করতে শুরু নছি এবং জ্বিনদেরকে ইমাম হুসায়ন (রা) এর জন্যে

মাতম করতে শুনেছি ৷

আল হুসাইন ইবন ইদ্রিস (র) উম্মে সালামা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে তিনি
বলেছেন, আমি জিন জাতিকে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর জ্যা মা৩ ম করতে শুনেছি, তারা

বলছিল , ,

হে; ইমাম হুসায়ন (রা)কে অজ্ঞভাবে হত্যক্যেরীরা! তোমাদের জন্যে মর্যন্তুদ আযাবের
সুসংবাদ গ্রহণ কর ৷ আসমানবাসীর সকলেই তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করে এমনকি নবী,
রাসুল ও শহীদানরাও তোমাদের প্রতি অভিসম্পাত করেন ৷ সুলইিমান ইবন দাউদ (আ), মুসা

(আ) ও ঈসা (আ) এর অভিসম্পাত তোমাদের সকলের জন্য রয়েছে ৷

অন্য সনদে হযরত উম্মে সালামা (রা) হতে অন্য ধরনের কবিতাও বর্ণিত ৩রয়েছে ৷ আল্পাহ্
তা আলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷


النَّحْوِيُّ، ثَنَا مَعْدِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ قَالَ اسْتَيْقَظَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنْ نَوْمِهِ فَاسْتَرْجَعَ، وَقَالَ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ وَاللَّهِ. فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: كَلَّا يَابْنَ عَبَّاسٍ كَلَّا! قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ زُجَاجَةٌ مِنْ دَمٍ، فَقَالَ، أَلَا تَعْلَمُ مَا صَنَعَتْ أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي؟ قَتَلُوا ابْنِي الْحُسَيْنَ، وَهَذَا دَمُهُ وَدَمُ أَصْحَابِهِ أَرْفَعُهُمَا إِلَى اللَّهِ. قَالَ: فَكُتِبَ ذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي قَالَ فِيهِ وَتِلْكَ السَّاعَةُ، فَمَا لَبِثُوا إِلَّا أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ يَوْمًا حَتَّى جَاءَهُمُ الْخَبَرُ بِالْمَدِينَةِ أَنَّهُ قُتِلَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ وَتِلْكَ السَّاعَةِ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْأَحْمَرِ، عَنْ رَزِينٍ، عَنْ سَلْمَى قَالَتْ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَهِيَ تَبْكِي، فَقُلْتُ: مَا يُبْكِيكِ؟ فَقَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ وَعَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: شَهِدْتُ قَتْلَ الْحُسَيْنِ آنِفًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرْنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، أَنْبَأَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ: إِنَّا لَعِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعْنَا صَارِخَةً، فَأَقْبَلَتْ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَقَالَتْ: قُتِلَ الْحُسَيْنُ. فَقَالَتْ: قَدْ فَعَلُوهَا، مَلَأَ اللَّهُ قُبُورَهُمْ - أَوْ بُيُوتَهُمْ - عَلَيْهِمْ نَارًا.
পৃষ্ঠা - ৬৭৫০


আল-খতীব (র) বলেন, আহমদ ইবন উসমান হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) হতে
সায়ীদ ইবন যুবাইর বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা)
এর কাছে ওহী প্রেরণ করেন ৷ ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়া (আ)-কে হত্যা করার দায়ে সত্তর
হাজার লোক নিহত হয়েছিল আর আপনার কন্যার সন্তানদের হত্যার দায়ে সত্তর হাজার এবং
আরো সত্তর হাজার নিহত হবে ৷ (এ হাদীসটি অত্যন্ত পরীব কোন এক পর্যায়ে একজন মাত্র
বর্ণনাকারী পাওয়া যায়) হাকীম তার মুসতাদরাক গ্রন্থে এ হাদীসটি র্বণনা করেছেন ৷

শীআ সম্প্রদায় আগুরার দিন সম্পর্কে তারা অনেক মিথ্যা ও অশ্লীল হাদীস রচনা করেছে ৷
যেমন তারা বলেছেং আগুরার দিন এমন অন্ধকারময় সুর্যগ্রহণ হয়েছিল যে, তখন দিনের
বেলায় তারকা উদিত হয়েছিল এবং সেদিন যেকোন পাথর তার জায়গা হতে ৩উত্তোলন করলে

তার নীচে রক্ত পাওয়া যেত ৷ আসমানের দিগন্ত ল লবর্ণ ধারণ করেছিল ৷ ঐ দিন সুর্য যখন

উদিত হয়, তখন রক্তাক্ত আভা ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ সারা আকাশ ঝুলন্ত ছাদে পরিণত হয়েছিল ৷
তারকাগুলো একটির উপর একটি খোসা পড়েছিল ৷ আসমান রক্তের বৃষ্টি বর্যণ করেছিল ৷
আসমান এরুপ লালবর্ণ আর কখনো হয় নি ৷ এ ধরনের আরো অনেক তথ্য তারা পরিবেশন
করেছিল ৷
ইবনু লাহীয়া আবু কাবীল আল-মাফিরীরু হতে ৩বর্ণন৷ করেন যে, তিনি বলেছেন, “আশুরার
দিন জোহরের সময় এমন অহ্মকারময সুর্যগ্রহণ হয় যে, আকাশে তারকা দৃষ্টিগােচর হয়েছিল ৷

তিন দিন ঘাবত সারা দুনিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ৷ কেউ যদি জাফরান কিংবা অন্য কোন

সুগন্ধি স্পর্শ করত মানুষের অঙ্গ পুড়ে যেত ৷ বাইতৃল মুকাদ্দাসের যে কোন পাথর উত্তোলন
করলে তার নীচে তাজা রক্ত পাওয়া যাবে ৷ ইমাম হুসায়ন (রা) এর যে উটগুলো শত্রু সৈন্যরা
গনীমত হিসাবে লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল ৷ এগুলোর (গোশ৩ ) পাকানাের পর মাকাল ফলে
পরিণত হয়েছিল ৷ এ ধরনের অস০ খ্য মিথ্যা হাদীস শী আ সম্প্রদায় রচনা করেছিল, যেগুলোর
মধ্য হতে একটিরও কোন ভিত্তি নেই ৷ তবে ইমাম হুসায়ন (রা) নিহত হওয়ার পর শত্রু
সৈন্যরা যে সব দুর্যোগ ও নানা মুসীবতে আক্রান্ত হয়েছিল সে অধিকাংশ হাদীসই বিশুদ্ধ বলে
প্রমাণিত হয়েছে ৷ কেননা মারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-কে হত্যা করেছিল তাদের খুব কম
লোকই দুনিয়ার বিভিন্ন প্রকার বালাশ্মুসীবত হতে রক্ষা পেয়েছিল ৷৩ তাদের প্রায় প্রত্যেকেই
কোন না কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল ৷ আর তাদের অধিকাং শই পাগল হয়ে গিয়েছিল ৷
হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর নিহত হওয়া সম্পর্কে শী আ এবং রাফিষীরা আরো বহু
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হাদীস রচনা করেছে যা উল্লেখ করার মত নয় ৷ ইবন জারীর (র)-এর ন্যায়
ইমাম ও হাফিজদের বর্ণিত বর্ণনা না থাকলে আমি (আল্লামা ইবন কাসীর (র) যেগুলো হাদীস

বর্ণনা করেছি, সেগুলোর বর্ণনা করত ৷ম না ৷ এখানে যা কিছু বর্ণনা করা হয়েছে অধিকাং শই

আবু মিখৃনাফ লুত ইবন ইয়াহইয়া-এর বর্ণনা হতে নেয়া হয়েছে ৷ সে ছিল শী আ হাদীসের
ইমামদের কাছে দুর্বল হাদীস বর্ণনাকারী ৷ সে ছিল ইতিহাস প্ৰণে৩ ৷, তার কাছে এমন ইতিহাস
পাওয়া যেত যা অন্যের কাছে পাওয়া যেত না ৷ এ জন্যই এ সম্পর্কে অনেক লেখকই তার
থেকে সাহায্য নিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

৪০০ হিজরী এবং তার কাছাকাছি কয়েক বছর ধরে বনু বুওয়াইয়ার আমলে রাফিষীরা
অতিরঞ্জিত অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করেছে ৷ বাগদাদের ন্যায় অন্যান্য শহরেও আশুরার দিন ঢোল
বাজানো হত এবং বাজারে ও রাস্তাঘাটে ছাই, তৃয ইত্যাদি আবর্জন৷ ছিটানাে হত ৷ বাজারের

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৪৮ ন্

وَوَقَعَتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، وَقُمْنَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا، حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ: عَنْ عَمَّارٍ قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ الْجِنَّ يَبْكِينَ عَلَى حُسَيْنٍ، وَسَمِعْتُ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى حُسَيْنٍ. وَرَوَاهُ الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ الْجِنَّ تَنُوحُ عَلَى الْحُسَيْنِ، وَهُنَّ يَقُلْنَ أَيُّهَا الْقَاتِلُونَ ظُلْمًا حُسَيْنًا ... أَبْشِرُوا بِالْعَذَابِ وَالتَّنْكِيلِ كُلُّ أَهْلِ السَّمَاءِ يَدْعُو عَلَيْكَمْ ... مِنْ نَبِيٍّ وَمُرْسَلٍ وَقَبِيلِ قَدْ لُعِنْتُمْ عَلَى لَسَانِ ابْنِ دَاوُدَ ... وَمُوسَى وَصَاحِبِ الْإِنْجِيلِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِشِعْرٍ آخَرَ غَيْرِ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ مَيَّاحٍ السُّكَّرِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الشَّافِعِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَدَّادٍ الْمِسْمَعِيُّ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي قَتَلْتُ بِيَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا سَبْعِينَ أَلْفًا، وَأَنَا قَاتِلٌ بِابْنِ ابْنَتِكَ سَبْعِينَ أَلْفًا وَسَبْعِينَ أَلْفًا» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫১


া,দাকানগুালাতে চটন্ ও কালো ঝুলানো হত ৷ জনগণ দুঃখ ও শোক প্রকাশ করত, ত্রুন্দন করত,
তাদের তাধিকাৎশইন্ ইমাম হুসায়ন (রা)-এর প্রতি একাতাতা প্রমাণের জন্যে এ রাতে পানি পান
করত না ৷ কেননা, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) তৃষ্ণার্ত অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৷
মহিলারা আওরার দিন খোলা ৰুমুখে রাস্তায় বের হতো, ইমাম হুসায়ন (রাঠুণ্এর জন্য মাতম
করত এবং বুকে ও মুখে প্রচণ্ড আঘাত করত ৷ তারা খালি পায়ে বাজার ও রাস্তাঘাট প্রদক্ষিণ
করত ৷ রাফিযীর৷ এ ধরনের বহু বিদআত, স্বকপোলকল্পিত আচার আচরণ, রুচিজ্ঞান^বর্হিভুত
অশ্রীলপ্ প্ৰদশনীর প্রচলন করেছেন ৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল বনু উমাইয়ার ৷খলাফতের বিরুদ্ধে
জনগণকে উত্তেজিত করা এবং বনৃ উমাইয়ার খিলাফতকে দােষারোপ করা ৷ কেননা, বনু
উম ৷ ইয়ার খিলা ফতকা৷লই হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) শাহাদাত বরণ করেন ৷

র্গোরয়াবাসীদের একদল রাফিযী ও শী আ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নাসিবী’রা আবির্ভুত
হয়েছিক্ট্র৷ ৷ তারা আশৃরার দিন ভাল ভাল খাবার রান্ন৷ করত, গোসল করত, খােশবু লাগতে,
উত্তম পােশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করত ৷ আর এ ণ্দিনঢিকেশ্ন্ ন্ঈদেৱ দিন হিসাবে গণ্যষ্করড় ৷
বিড়িন্ন ধরনের উত্তম ও রামী খাবারের ব্যবস্থা করত, আনন্দ উৎসবে যেতে উঠত ৷ শ্ তাদের
উদ্দেশ্য ছিল শীআ ও রাফিঘীদের বিরুদ্ধাচরণ করা ৷

যারা যরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে হত্যা করে তাদের ব্যাখ্যা হলো এই যে, মুসলমানদের
মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হওয়ারশুপর মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা) আগমন করেছিলেন ৷ জনগণের মধ্যে যারা ইয়াঘীদের হাতে বায়আত গ্রহণ
করেছিল তাদের বায়আত প্রত্যাহার করার জন্য তিনি এসেছিলেন :এবং জনগণকে নিয়ে
ইয়াঘীদের বিরুদ্ধে তিনি লোকদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে এরুপ আচরণ
থেকে বিরত থাকার, এটাকে ভর করার এবং এটার বিরুদ্ধে সকলে মিলে সংগ্রাম করার জন্য
হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ অজ্ঞ দলটি এরুপ ব্যাখ্যার আলোকে হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) কে
হত্যা করে ৷ অথচ তাদের পক্ষে এ হত্যা উচিত হয় নি৷ বরং তাদের উপর ওরাজিব ফ্লি
উপরে৷ ৷ক্ত তিনটি বস্তুর বাপারে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা ৷

কেননা, অভ্যাচাবীদের কাছে কোন একটি দল ৰুযদি কোন দোষত্রুটিন্ করে, তাহলে তারা
এ ব্যাপারে সমস্ত ব্যক্তিকে দােষারােপ করে ; এবং সমগ জাতির নবীর বিরুদ্ধেও তারা নানা
অভিযোগ উথা,পন করে ৷ প্রকৃতপক্ষে তারা যেরুপ ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাপারটি ঐরুপ নয় আর
তারা যেরুপ আচরণ করেছে এ আচরণটি মোটেই ঠিক নয় এবং গ্রহণযোগ্য নয ৷ পুর্বের এবং
পরের যুগের উলামায়ে কিরামের অধিকাংশই ইমাম হুসায়ন (রা) ও তার সাথীদের শাহাদাত
বরণকে অত্যন্ত হীন কাজ বলে আখ্যায়িত করেন ৷ শুধুমাত্র কুফার একটি ছোট দল ৷ (আল্লাহ
তাদের ধ্ব স ককক) তাদের হী ৷ উদ্দেশ্য চরিতাথ করার জন্যে তারা পরস্পর ৷যাণ্া৷াহন্া৷গ
স্থাপন করে, ৷রাত হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কাছে পত্র লিখে এবং ইমাম হুসায়ন (রং) ও
তার সাথীদেরাক জালিম সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্যে আহ্বান জানায় ৷

কুফার গভর্নর ইবন যিরাদ তাদের এ হীন চক্রান্ত সম্মন্ধে যখন অবগত হল তখন সে
তাদেরকে পার্থিব সুখ নাচ্ছন্দা, প্রয়ােত্ত ৷নীয় আর্থিক সাহ য্যে-সহযোগিত৷ ও বিভিন্ন প্রকারের
সুযােগশ্সুবিধা দিয়ে এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভয়্ভীতি প্রদর্শন করে তাদেরকে ইমাম
হুসায়ন (বা) হতে সমর্থন প্রত্যাহার করে ওৰুতীকে ত্যাগ করে এবং সর্বশেষে তাকে হত্যা
করে ৷ তবে সেনাবাহিনীর সকলেই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতি রাজি ছিল না ৷ কিন্তু সে এটাকে


رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ ". وَقَدْ ذَكَرَ الطَّبَرَانِيُّ هَاهُنَا آثَارًا غَرِيبَةً جِدًّا. وَلَقَدْ بَالَغَ الشِّيعَةُ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ، فَوَضَعُوا أَحَادِيثَ كَثِيرَةً وَكَذِبًا فَاحِشًا ; مِنْ كَوْنِ الشَّمْسِ كَسَفَتْ يَوْمَئِذٍ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ، وَمَا رُفِعَ يَوْمَئِذٍ حَجَرٌ إِلَّا وُجِدَ تَحْتَهُ دَمٌ، وَأَنَّ أَرْجَاءَ السَّمَاءِ احْمَرَّتْ، وَأَنَّ الشَّمْسَ كَانَتْ تَطْلُعُ وَشُعَاعُهَا كَأَنَّهُ دَمٌ، وَصَارَتِ السَّمَاءُ كَأَنَّهَا عَلَقَةٌ، وَأَنَّ الْكَوَاكِبَ صَارَ يَضْرِبُ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَأَمْطَرَتِ السَّمَاءُ دَمًا أَحْمَرَ، وَأَنَّ الْحُمْرَةَ لَمْ تَكُنْ فِي السَّمَاءِ قَبْلَ يَوْمِئِذٍ. وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ الْمُعَافِرِيِّ، أَنَّ الشَّمْسَ كَسَفَتْ يَوْمَئِذٍ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ وَقْتَ الظُّهْرِ. وَأَنَّ رَأْسَ الْحُسَيْنِ لَمَّا دَخَلُوا بِهِ قَصْرَ الْإِمَارَةِ جَعَلَتِ الْحِيطَانُ تَسِيلُ دَمًا. وَأَنَّ الْأَرْضَ أَظْلَمَتْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ. وَلَمْ يُمَسَّ زَعْفَرَانٌ وَلَا وَرْسٌ مِمَّا كَانَ مَعَهُ يَوْمَئِذٍ إِلَّا احْتَرَقَ مَنْ مَسَّهُ. وَلَمْ يُرْفَعْ حَجَرٌ مِنْ حِجَارَةِ بَيْتِ الْمَقَدْسِ إِلَّا ظَهَرَ تَحْتَهُ دَمٌ عَبِيطٌ. وَأَنَّ الْإِبِلَ الَّتِي غَنِمُوهَا مِنْ إِبِلِ الْحُسَيْنِ حِينَ طَبَخُوهَا صَارَ لَحْمُهَا مِثْلَ الْعَلْقَمِ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَكَاذِيبِ وَالْأَحَادِيثِ الْمَوْضُوعَةِ الَّتِي لَا يَصِحُّ مِنْهَا شَيْءٌ. وَأَمَّا مَا رُوِيَ مِنَ الْأُمُورِ وَالْفِتَنِ الَّتِي أَصَابَتْ مَنْ قَتَلَهُ فَأَكْثَرُهَا صَحِيحٌ ; فَإِنَّهُ قَلَّ مَنْ نَجَا مِنْهُمْ فِي الدُّنْيَا إِلَّا أُصِيبَ بِمَرَضٍ، وَأَكْثَرُهُمْ أَصَابَهُ الْجُنُونُ. وَلِلشِّيعَةِ وَالرَّافِضَةِ فِي صِفَةِ مَصْرَعِ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَذِبٌ كَثِيرٌ وَأَخْبَارٌ طَوِيلَةٌ، وَفِيمَا ذَكَرْنَاهُ كِفَايَةٌ، وَفِي بَعْضِ مَا أَوْرَدْنَاهُ نَظَرٌ، وَلَوْلَا أَنَّ ابْنَ جَرِيرٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫২


থ) র)পও ))ণ্) হ::),র )ন ) সম্ভবত )রহ৩১ পুর্বে ইর)যী)দর যদি সু)য গ হতো তাহলে )স হযরত
ইমম পাের ) (র) ) কে কম) করে )দ৩ ) কেনন) তার দিতি)ও তাকে এক) করার জন্যে
ওস ))ত ক) ) ))’ন্হৃ)ন্থিরু)নঃ ) ট্ট))র )স এ্যাক)ৰু)ৰু )ন)০ন্)ও এরুপ )ন)জর মত ব্যক্ত করেছিল ) ইমাম
হস)যন( (বা) এর ন্ণ্))হ)দ)তের জ)ন) সে গতর্নর)ক অভিসম্পাত করেছিপ্স এবং তাকে ভর্ধসন)ও
করেজ্যি) ) কিন্তু তা )কে সেজন্য বরখাস্ত করে নি, কােনরুপ শাড্রিও দেয় নি এবং তাকে এ
পারে যার) ৩)কক)প্ )দয )য যোগ ও করে নি ) আল্লাহ তা ৩))ল লাই অধিক পরিজ্ঞ)ত
শোপ্রতিটি মুসলমানের উচিত হযরত ইমাম হুস)য়ন (রা) এর ন্ণ্ ) )দ )তে ব্য)থত হওয়া ) কেননা,
তিনি ছিলে ৷ন মুস)৮ )ম সরদার)দর অন্যতম ) সাহ)ব)য়ে কির))মর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন বড়
আলিম ও জ্ঞানী ) তিনি ছিলেন র)সলুল্ল)হ (না)-এর শ্রেষ্ঠ কন্যার ত)ত)ত আদরপীয় সন্তান ) তিনি
ছিলেন একজন মুত্তাকী আবিদ, সাহসী ও দ)নশীল ব্যক্তিতু ) তবে শীয়) সম্প্রদায় যেরুপ
ভ্র)নৃনয় বিনয়, আহ)জারী ও লে)ক দেখানোর জন্য ম)তমব)জী করত সেগুলো তিনি পছন্দ
করতেন ন) ) তার পিতা হযরত আলী (র))৩ ত)র থেকেও শ্রেষ্ঠ ছিলেন ) তিনিও শ)হ)দ)ত বরণ
করেছেন ) কিছু) হযরত হম ম হস)য়ন (র) ) ও তবে ৩) ত্মীয-স্বজনগং )ত)র শাহ )দা)৩ র দিন
ম)তম করেন নি যেরুপ হযরত ইমাম হস)য়ন (র)) এর অনুসারীগণ ত)র শাহ)দ)ত ব)র্ষিকীতে
ম)তম করে থাকে ) তার পিতা হযরত আলী (র) ) জুমু আর দিন নিহত হন ৷ তখন তিনি ফজরের
স)ণ্))ত আদায় করছিলেন ) যেই দিনটি ছিল ৪০ হিজয়ীর র)ময))নর ১ ৭ তারিখ ৷ এভাবে হযরত
উসম)ন (রা) আহলে সুন্ ))ত ওয়াল জ)ম) আ)তর অভিমত অনুযায়ী হযরত আলী (বা) হতে শ্রেষ্ঠ
ছিলেন তিনিও শ) হ)দ)ত বরণ করেন ) তিনি ৩৬ হিজরীর যুলহজ্জ মাসের কুরব)নীরই এদের পরে
তিন দিন শ্)ত্রু কর্তৃক নিজ গৃহে অন্তবীণ হয়ে প)ড়ছিলে )ন ৷ তাকে য)বহ করে হত্যা কর) হ))য়ছিল
কিন্তু ল্যেকত )ন ত)র শাহাদ)ত ব)র্বিকীতে অনুরুপ ম)তম করে ন) ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা) হযরত উসম)ন (র) ) ও হযরত আলী (বা) হতে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ৷ তিনিও শাহাদ)ত বরণ
করেন ৷ যখন তিনি মিহর))ব স)লাতে ফজর আদায়ক))ল কুরআনৃল ক)রীম পাঠ করছিলেন ৷
জনগণ ত)ব শাহ)দ)ত ব)র্ষিফীতেও অনুরুপ ম)তম করে ন) ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (র))ৰুও
হযরত উমর (র) ) হতে শ্রেষ্ঠ ছিলেন ৷ জনগণ তার ওফ)ত বার্ষিকী)ত ম)তম করে ন) ৷ র)সুলুল্লাহ
(সা) দুনঃয়) এবং আ)খরাতে আদম সন্তানদের সর্দার ৷ তিনি অন্যান্য নবীর ন্যায় মৃত্যুবরণ করে
আল্লাহ ত)আলার সান্নিধ্যে চলে যান কিন্তু জনগণ তাদের কারো মৃত্যু ব)র্ষিকীতে ম)তম করে
ন) ) শীয) ও র)ফিযী সম্প্রদায় ইমাম ন্স)য়ন (র))-এর শ)হ)দ)ত ব)র্মিকীতে যেসব ত))হ)জ)রী ও
ম)তম করে থাকে, এরুপ তার) কিছুই করেন ন) ) আ ত))দর মৃত্যুর সময় এসব ঘটনা সংঘটিত
হয় নি যেগুলো )ইম)ম হস)য়ন (র) ) এর শ হ দ) তর দিন সংঘটিত হওয়া সম্পর্কে শীয়)
সম্প্রদায় দাবী করে যেমন সুর্যগ্নহণ এবং আকাশে লাল আ৩ ) দেখ) ))দয়) )ই৩ ))দি )
ইমাম হস)হ্ )ন (র)) এর শ)হ)দ)৩ তর ন্যায় অন্য যটন)সমু)হর স্মবণক)লে কী বল) উত্তম, এ
সম্পর্কে হযরত আলী ইবনুল হস)ইন, হযরত ইমাম হুস)যন (র) ) এর মান) র)সুণুল্ল)হ (সা)
থেকে বর্ণন) করেছেন ৷ তিনি বলেন, “যদি কোন মুসলমান কোন ঘুসীবতে পতিত হয় এবং
পরে ত) স্মরণ করে ঘটনাটি ইন) লিল্ল)হি ওয়া ইন্ন) ইল)ইহি র)জিউন সহ উল্লেখ করে, তাহলে
আল্লাহ ত)তা)লা তাকে এ ঘটনাটি ৎঘটিত হওয়ার দিন যেরুপ পুণ্য দান করেছিলেন, স্মরণের
দিনও তাকে যেরুপ পুণ্য দান করবেন ) ইমাম আহমদ (র) এবং ইমাম ইবন ম)জাহ্ (র) এ
হ)দীসটি বর্ণন) করেন )

ণোমোঃ (হ্র )) )৪ ))৪ র্নো০ ওে)))

وَغَيْرَهُ مِنَ الْحُفَّاظِ الْأَئِمَّةِ ذَكَرُوهُ مَا سُقْتُهُ، وَأَكْثَرُهُ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى، وَقَدْ كَانَ شِيعِيًّا، وَهُوَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ، وَلَكِنَّهُ أَخْبَارِيٌّ حَافِظٌ، عِنْدَهُ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ مَا لَيْسَ عِنْدَ غَيْرِهِ، وَلِهَذَا يَتَرَامَى عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْمُصَنِّفِينَ مِمَّنْ بَعْدَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَسْرَفَ الرَّافِضَةُ فِي دَوْلَةِ بَنِي بُوَيْهٍ فِي حُدُودِ الْأَرْبَعِمِائَةٍ وَمَا حَوْلَهَا، فَكَانَتِ الدَّبَادِبُ تُضْرَبُ بِبَغْدَادَ وَنَحْوِهَا مِنَ الْبِلَادِ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ، وَيُذَرُّ الرَّمَادُ وَالتِّبْنُ فِي الطُّرُقَاتِ وَالْأَسْوَاقِ، وَتُعَلَّقُ الْمُسُوحُ عَلَى الدَّكَاكِينِ، وَيُظْهِرُ النَّاسُ الْحُزْنَ وَالْبُكَاءَ، وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ لَا يَشْرَبُ الْمَاءَ لَيْلَتَئِذٍ مُوَافَقَةً لَلْحُسَيْنِ، لَأَنَّهُ قُتِلَ عَطْشَانَ، ثُمَّ تَخْرُجُ النِّسَاءُ حَاسِرَاتٍ عَنْ وُجُوهِهِنَّ يَنُحْنَ وَيَلْطِمْنَ وُجُوهَهُنَّ وَصُدُورَهُنَّ، حَافِيَاتٍ فِي الْأَسْوَاقِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْبِدَعِ الشَّنِيعَةِ، وَالْأَهْوَاءِ الْفَظِيعَةِ، وَالْهَتَائِكِ الْمُخْتَرَعَةِ، وَإِنَّمَا يُرِيدُونَ بِهَذَا وَأَشْبَاهِهِ أَنْ يُشَنِّعُوا عَلَى دَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ ; لَأَنَّهُ قُتِلَ فِي أَيَّامِهِمْ. وَقَدْ عَاكَسَ الرَّافِضَةَ وَالشِّيعَةَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ النَّوَاصِبُ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فَكَانُوا فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ يَطْبُخُونَ الْحُبُوبَ وَيَغْتَسِلُونَ وَيَتَطَيَّبُونَ وَيَلْبَسُونَ أَفْخَرَ ثِيَابِهِمْ، وَيَتَّخِذُونَ ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا، يَصْنَعُونَ فِيهِ أَنْوَاعَ الْأَطْعِمَةِ، وَيُظْهِرُونَ السُّرُورَ وَالْفَرَحَ ; يُرِيدُونَ بِذَلِكَ عِنَادَ الرَّوَافِضِ وَمُعَاكَسَتَهُمْ. وَقَدْ تَأَوَّلَ عَلَيْهِ مَنْ قَتَلَهُ أَنَّهُ جَاءَ لَيُفَرِّقَ كَلِمَةَ الْمُسْلِمِينَ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৩

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কবর

পরবর্তী যুগের উলামার অনেকের প্রসিদ্ধ মত এই যে ইমাম হসায়ন (রা)-এর কবর
হযরত আলী (রা) এর কবরের পাশের ক ববালা নদীর তীরে উচুতুমিওত অবস্থিত ৷ কথিত
আছে যে, তার কবরের উপরেই বর্তমান স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

ইবন জারীর (র) ও অন্যান্য ইতিহাসবিদ উল্লেখ করেন যে, হযরত ইমামহস সায়ন (রা) এর
শাহাদাতেবৃ জায়গার চিহ্নটুকুমুছে গেছে, এমনকি কেউ এ নির্দিষ্ট জায়পাজ্যি কোন তথ্য দিতে
পারে নি ৷ যারা হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কবরের স্থান সম্পর্কে জানেন বলে ন্ ধারণা
করেন আবু নুয়াইম, আল ফযল ইবন দাকীন তাদের দাবীকে নাকচ করেন ৷ হিশাম ইবন
আল-কালবী উল্লেখ করেন যে, হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর কবরওক মুছে ফেলার জন্যে
শত্রুর৷ তার কবরের উপর অনবরত কয়েকদিন যাবত প্রবল ধারায় পানি ঢালতে থাকে ৷ কিন্তু
চল্লিশ দিন পর সেই পানি শুকিয়ে যায় এবং বনু আমাদের এক ওবদুঈন ব্যক্তি সেখানে আগমন
করে মুঠো মুঠাে মাটি সংগ্লুহকরে ও মাটির ত্রাণ নিতে থাকেন ৷ তিনি “যখন শেষ পর্যন্ত ঘ্রাণের
মাধ্যন্ধেহ্যরত ইমষ্মে হুসন্য়নক্ল-(রা)এর কবরের সন্ধান পান তখন তিনি-র্কাদতে লাগলেন এবং
করতে লাগলেন, “আপনার জন্যে আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক, আপনি এবং আপনার
কবরের মাটি কতই ন৷ সুগন্ধময় ৷ অতঃপর তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন ৷ কবিতাটি
নিম্নরুপং :

ষ্পৌ ৮১
ন্ “শত্রুর৷ শত্রুত ৷ করে তার কবরওক গোপন রাখতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু কবরের মাটির

সুগন্ধিই কবর ওকাথায় আছে তার সন্ধান দিয়ে দিলা”
, ৰু ,ইহীরতস্থমামৰুছুসায়্নঃ (রা)ন্এরশিরমুবারক

ইতিহাসবিদ ও জীবনীক্যৱগণের প্রসিদ্ধ মত হল, ইবন যিরাদ, হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-
এর শির ;ঘুবহৃরকওব্রুক ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে প্রেরণ কয়েজ্যি ৷ আবার কেউ কেউ
এটাকে অস্বীকার করেছে ৷ আমি বলি, “আমার কাছে প্রথম অভিমতই ওবশী প্রসিদ্ধ ৷ অাল্লাহ্ই
অধিক পরিজ্ঞাত ৷ অত ং পর ইতিহাসবিদপর্ণ শির মুবারক যেখানে দাফন করা হয়েছে ওন
জায়গাটি নিওম্নও মতভেদৰুওরছেন ৷ ন্

মুহাম্মদ ইবন সা দ “(§) বর্ণনা করেন, ইয়াযীদ হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির
মুবারক মদীনায় গভর্নর আমর ইবন সাঈওদর কাছে প্রেরণ কওরছির্ল ৷ তিনি জান্নাতুল বাকী
নামক কবরস্থানে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)এর মাতার কবরের পাশে শির মুবারক দাফন
করেছিলেন ৷ ইবন আবুদ দুনৃয়া, উসমান ইবন আবদুর রহমান ও মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন
সাযিহ এ দৃ’দুর্বল বর্ণনাকারীর বরাওতউ’ওল্লন্খ করেন ও,য শির মুবারক ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়ার ট্রেজারীওত তার মৃত্যু পর্যন্ত সং রক্ষা করে রাখা ইওয়ছিল ৷ ইয়াযীদের মৃত্যুর পর
সেখান থেকে শির মুব:ারক নিয়ে যাওয়া হয়; তাকে কারন দেয়৷ হয় এবং দামেশৃক শহরের


اجْتِمَاعِهَا، وَلِيَخْلَعَ مَنْ بَايَعَهُ النَّاسُ وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ، وَقَدْ وَرَدَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " الْحَدِيثُ بِالزَّجْرِ عَنْ ذَلِكَ، وَالتَّحْذِيرِ مِنْهُ، وَالتَّوَعُّدِ عَلَيْهِ، وَبِتَقَدْيرِ أَنْ تَكُونَ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَهَلَةِ قَدْ تَأَوَّلُوا عَلَيْهِ وَقَتَلُوهُ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ قَتْلُهُ، بَلْ كَانَ يَجِبُ عَلَيْهِمْ إِجَابَتُهُ إِلَى مَا سَأَلَ مِنْ تِلْكَ الْخِصَالِ الثَّلَاثَةِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهَا، فَإِذَا ذُمَّتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْجَبَّارِينَ لَمْ تُذَمَّ الْأُمَّةُ بِكَمَالِهَا وَتُتَّهَمْ عَلَى نَبِيِّهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ، وَلَا كَمَا سَلَكُوهُ، بَلْ أَكْثَرُ الْأُمَّةِ قَدْيمًا وَحَدِيثًا كَارِهٌ مَا وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ وَقَتْلِ أَصْحَابِهِ سِوَى شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، وَأَكْثَرُهُمْ كَانُوا قَدْ كَاتَبُوهُ لَيَتَوَصَّلُوا بِهِ إِلَى أَغْرَاضِهِمْ وَمَقَاصِدِهِمُ الْفَاسِدَةِ، فَلَمَّا عَلِمَ ذَلِكَ ابْنُ زِيَادٍ مِنْهُمْ بَلَّغَهُمْ مَا يُرِيدُونَ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَخَذَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَحَمَلَهُمْ عَلَيْهِ بِالرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ، فَانْكَفُّوا عَنِ الْحُسَيْنِ وَخَذَلُوهُ ثُمَّ قَتَلُوهُ، وَلَيْسَ كُلُّ ذَلِكَ الْجَيْشِ كَانَ رَاضِيًا بِمَا وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ، بَلْ وَلَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ بِذَلِكَ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - وَلَا كَرِهَهُ، وَالَّذِي يَكَادُ يَغْلِبُ عَلَى الظَّنِّ أَنَّ يَزِيدَ لَوْ قَدَرَ عَلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ لَعَفَا عَنْهُ، كَمَا أَوْصَاهُ بِذَلِكَ أَبُوهُ، وَكَمَا صَرَّحَ هُوَ بِهِ مُخْبِرًا عَنْ نَفْسِهِ بِذَلِكَ. وَقَدْ لَعَنَ ابْنَ زِيَادٍ عَلَى فِعْلِهِ ذَلِكَ وَشَتَمَهُ فِيمَا يَظْهَرُ وَيَبْدُو، وَلَكِنْ لَمْ يَعْزِلْهُ عَلَى ذَلِكَ وَلَا عَاقَبَهُ وَلَا أَرْسَلَ يَعِيبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৪
فَكُلُّ مُسْلِمٍ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْزِنَهُ هَذَا الَّذِي وَقَعَ مِنْ قَتْلِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَعُلَمَاءِ الصَّحَابَةِ، وَابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي هِيَ أَفْضَلُ بْناتِهِ، وَقَدْ كَانَ عَابِدًا وَشُجَاعًا وَسَخِيًّا، وَلَكِنْ لَا يُحْسِنُ مَا يَفْعَلُهُ الشِّيعَةُ مِنْ إِظْهَارِ الْجَزَعِ وَالْحُزْنِ الَّذِي لَعَلَّ أَكْثَرَهُ تَصَنُّعٌ وَرِيَاءٌ، وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ أَفْضَلَ مِنْهُ، وَهُمْ لَا يَتَّخِذُونَ مَقْتَلَهُ مَأْتَمًا كَيَوْمِ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، فَإِنَّ أَبَاهُ قُتِلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ فِي السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، وَكَذَلِكَ عُثْمَانُ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ عَلِيٍّ، عِنْدَ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَقَدْ قُتِلَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فِي دَارِهِ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ مِنْ شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَقَدْ ذُبِحَ مِنَ الْوَرِيدِ إِلَى الْوَرِيدِ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسُ يَوْمَ مَقْتَلِهِ مَأْتَمًا، وَكَذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَهُوَ أَفْضَلُ مِنْ عُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، قُتِلَ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الْفَجْرِ، وَهُوَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسَ يَوْمَ قَتْلِهِ مَأْتَمًا، وَكَذَلِكَ الصِّدِّيقُ كَانَ أَفْضَلَ مِنْهُ، وَلَمْ يَتَّخِذِ النَّاسُ يَوْمَ وَفَاتِهِ مَأْتَمًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَقَدْ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ كَمَا مَاتَ الْأَنْبِيَاءُ قَبْلَهُ، وَلَمْ يَتَّخِذْ أَحَدٌ يَوْمَ مَوْتِهِ مَأْتَمًا يَفْعَلُونَ فِيهِ مَا يَفْعَلُهُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ مِنَ الرَّافِضَةِ يَوْمَ مَصْرَعِ الْحُسَيْنِ، وَلَا ذَكَرَ أَحَدٌ أَنَّهُ ظَهَرَ يَوْمَ مَوْتِهِمْ وَقِبَلَهُمْ شَيْءٌ مِمَّا ادَّعَاهُ هَؤُلَاءِ يَوْمَ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ مِنَ الْأُمُورِ الْمُتَقَدِّمَةِ، مِثْلَ كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْحُمْرَةِ الَّتِي تَطْلُعُ فِي السَّمَاءِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَأَحْسَنُ مَا يُقَالُ عِنْدَ ذِكْرِ هَذِهِ الْمَصَائِبِ وَأَمْثَالِهَا مَا رَوَاهُ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৫


বাবৃল ফ ৷রাদীন্সের অভ্যন্তরে দাফন করা হয় ৷ আমি বলি, “শির মুবারকের দাফনের জায়গাটি
দ্বিতীয় ফা ৷রাদীসের দরজার অভ্যন্তরে অবস্থিত যা আজকাল মসজিদুর-রাস’ নামে
পরিচিত
ইবন ত্মাসাকির তার ইতিহাসে ইয়াযীদের চরিত্র বর্ণন৷ করতে গিয়ে লিখেন, ইয়াযীদের
সামনে যখন ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির মুরারক রাখ৷ হল তখন সে ইবনু যা ৷বরীর একটি
কবিতা দিয়ে উদাহরণ পেশ করে : ন্
“যদি বদরের মাঠে আমার পুর্ব বৎশধররা আসলে নামক ঘটনা র প্রেক্ষিতে খাযরাজ গোত্রের
আর্তনাদ প্রত্যক্ষ করত ৷
বর্ণনাকারী বলেন, অ্ত৪পর সে শির মুবারককৈ তিন দিনের জন্যে দামেশৃক শহরের
সাধারণ প্ৰনর্শনীতে রাখল ৷ এরপর অস্ত্রাপারে রেখে দিল ৷ খলীফ৷ সুলাইম ন ইবন আবদুল
মালিকের আমলে এ শির মুবারককে খলীফার কাছে আনয়ন করা হল তখন শুধুমাত্র সাদা
হাড়টুকু পরিলক্ষিত হল ৷ খলীফা তাতে কাফন দিলেন, খুশবু লাগালেনঃ, তার সালাতে জানাযা
আদায় করলেন এবং মুসলমানদের কবরস্থানে সসম্মানে দাফন করালেন ৷ যখন আববাসীয়
, বংশের খিলাফত শুরু হয় তখন তারান্হযরত ইমাম হুসায়নষ্(রা)-এর শির ন্ন্নুবারককে মাটি
প্ খনন কন্থেবুবের করেন এবং তা তাদের সাথে নিয়ে ণ্ন্ান ৷ ইবন আসার্কির উল্লেখ করেন যে,
বনু উমাইয়ার খিলাফাতপ্সমাপ্তির একশত বছর পর শির ণ্ণ্মুবারক বিদ্যমান ছিল ৷ আল্লাহ্ই
অধিক পরিজ্ঞাত ৷
যারা ফাতিমী তথা হযরত ফ৷ ৷তিমা ৷(রা) এর বংশধর বলে আখ্যায়িত তার৷ : :০ হিজরী হতে
৬৬রহু হিত্তরীি পর্যন্ত মিসরের অধিপতি ছিলেন ৷ তারা দাবী করেন যে, ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির
যুবারক মিসর শহরে পৌছানাে হয় এবং তারা তা র্দুসখানে দাফন করেন ৷ আর ৫০০ হিজ্জীর পর
এ কবরের উপর একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করা হয় যেটা তাজুল হুসায়ন’ নামে প্রসিদ্ধ ৷
অনেক জ্ঞানী লোক বলেছেন যে, উপরোক্ত ঘটনার কোন ভিত্তি নেই, বরং তারাযে সম্ভাভ
বংশের দাবী করেছিল ণ্এটাকে;প্রমাণ করার জন্যে তারা এটি প্ৰৰ্চলন করেছিল ৷ এ ব্যাপারে
ত্াররুমিথুারু ৰিশ্বাসঘাতক ছিল ৷ কাযী বাকিল্লানী এবং অন্যান্য উলামায়ে-কিরাম এন্ণ্ঘটনা
তাদের রাজত্বকালে ৪০০ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল বলে দ্গীল পেশ করেন ৷ এ ব্যাপারে
যথাস্থানে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷ আমি বলি, ঐ কালের অনেক লোক
মিলিত হয়ে এটার প্রচলন করে ৷ কেননা, তার৷ একটি শির মুবারক নিয়ে আসে এবং ঐ
মসজিদের জায়গায় ত৷ রেখে দের ৷ আর বল্লে, এটাই হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির
ধ্ মুবারক ৷ এরপর এটা তাদের মাধ্যমে প্রচলিত হয় এবৎ৩ তারা এটা মনে প্রার্বৃ০৷ বিশ্বাল করতে
লাগল ৷ আল্লাহ তা আলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম হুসায়ন (না)-এর গুণাবলী

ইমাম বুখারী (র) শু র৷ ইবন আবু ;নুঅইিম (র) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বরুলভ্রুছন,ট্আমি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে শুনেছি, এক ইরাকী ব্যক্তি মাছি হত্যা করার
অবৈধত৷ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-কে জিজ্ঞেস করল ৷ তখন হযরত


عَنْ جَدِّهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصَابُ بِمُصِيبَةٍ فَيَتَذَكَّرُهَا وَإِنْ تَقَادَمَ عَهْدُهَا، فَيُحْدِثُ لَهَا اسْتِرْجَاعًا، إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلَ يَوْمٍ أُصِيبَ بِهَا» ". رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ. [قَبْرُ الْحُسَيْنِ] وَأَمَّا قَبْرُ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَدِ اشْتُهِرَ عِنْدَ أَكْثَرِ الْمُتَأَخِّرِينَ أَنَّهُ فِي مَشْهَدِ عَلِيٍّ بِمَكَانٍ مِنَ الطَّفِّ عِنْدَ نَهْرِ كَرْبَلَاءَ، فَيُقَالُ: إِنَّ ذَلِكَ الْمَشْهَدَ مَبْنِيٌّ عَلَى قَبْرِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ أَنَّ مَوْضِعَ مَقْتَلِهِ عَفَا أَثَرُهُ، حَتَّى لَمْ يَطَّلِعْ أَحَدٌ عَلَى تَعْيِينِهِ بِخَبَرٍ. وَقَدْ كَانَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ يُنْكِرُ عَلَى مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُ يَعْرِفُ قَبْرَ الْحُسَيْنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ أَنَّ الْمَاءَ لَمَّا أُجْرِيَ عَلَى قَبْرِ الْحُسَيْنِ لَيُمْحَى أَثَرُهُ نَضَبَ الْمَاءُ بَعْدَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ مِنْ بَنِي أَسَدٍ، فَجَعَلَ يَأْخُذُ قَبْضَةً قَبْضَةً، وَيَشُمُّهَا حَتَّى وَقَعَ عَلَى قَبْرِ الْحُسَيْنِ، فَبَكَى وَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا كَانَ أَطْيَبَكَ وَأَطْيَبَ تُرْبَتِكَ! ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: أَرَادُوا لَيُخْفُوا قَبْرَهُ عَنْ عَدُوِّهِ ... فَطِيبُ تُرَابِ الْقَبْرِ دَلَّ عَلَى الْقَبْرِ [رَأْسُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَأَمَّا رَأْسُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَالْمَشْهُورُ بَيْنَ أَهْلِ التَّارِيخِ وَعُلَمَاءِ السِّيَرِ أَنَّهُ بَعَثَ بِهِ ابْنُ زِيَادٍ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ، وَعِنْدِي أَنَّ الْأَوَّلَ أَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ اخْتَلَفُوا بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْمَكَانَ الَّذِي دُفِنَ فِيهِ الرَّأْسُ ; فَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৬
أَنَّ يَزِيدَ بَعَثَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ نَائِبِ الْمَدِينَةِ فَدَفَنَهُ عِنْدَ أُمِّهِ بِالْبَقِيعِ. وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ صَالِحٍ - وَهُمَا ضَعِيفَانِ - أَنَّ الرَّأْسَ لَمْ يَزَلْ فِي خِزَانَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ حَتَّى تُوُفِّيَ، فَأُخِذَ مِنْ خِزَانَتِهِ، فَكُفِّنَ وَدُفِنَ دَاخِلَ بَابِ الْفَرَادِيسِ مِنْ مَدِينَةِ دِمَشْقَ. قُلْتُ: وَيُعْرَفُ مَكَانُهُ بِمَسْجِدِ الرَّأْسِ الْيَوْمَ دَاخِلَ بَابِ الْفَرَادِيسِ الثَّانِي. وَذَكَرَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " فِي تَرْجَمَةِ رَيَّا حَاضِنَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ يَزِيدَ حِينَ وَضَعَ رَأَسَ الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدَيْهِ تَمَثَّلَ بِشِعْرِ ابْنِ الزِّبْعَرَى، يَعْنِي قَوْلَهُ: لَيْتَ أَشْيَاخِي بِبَدْرٍ شَهِدُوا جَزَعَ الْخَزْرَجِ مِنْ وَقْعِ الْأَسَلْ قَالَتْ: ثُمَّ نَصَبَهُ بِدِمَشْقَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ وُضِعَ فِي خَزَائِنِ السِّلَاحِ، حَتَّى كَانَ زَمَانُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَجِيءَ بِهِ إِلَيْهِ، وَقَدْ بَقِيَ عَظْمًا أَبْيَضَ، فَكَفَّنَهُ وَطَيَّبَهُ وَصَلَّى عَلَيْهِ، وَدَفَنَهُ فِي مَقَابِرِ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا جَاءَتِ الْمُسَوِّدَةُ - يَعْنِي بَنِي الْعَبَّاسِ - نَبَشُوا عَنْ رَأْسِ الْحُسَيْنِ وَأَخَذُوهُ مَعَهُمْ. وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ هَذِهِ الْمَرْأَةَ بَقِيَتْ بَعْدَ دَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ وَقَدْ جَاوَزَتِ الْمِائَةَ سَنَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৭


আবদ্বহুঢঢহ ইবন উমর (রা) বলেন, ইরঢকীরঢ মাছি হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করছে, অথচ তারা
রাসৃলুরঢহ (সা) এর কন্যার সত্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ৷ রঢসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ
করেন তারা দু জন (ইমাম হাসান রা ইমাম হুসায়ন রঢ) হলেন দুনিয়ার দুইটি ফুল ৷ ইমাম
ঢতরমিষী (র) উক্ত হাদীসঢি ঢবশুদ্ধ সনদে উকবা ইবন মুকবিমঢ হতে ৩বর্ণনা কঢরঢছন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইয়াকুব বলেন, এক ইরঢকী ব্যক্তি হররত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ঢক কাপড়ে মশার
রক্ত লাগলে কি করতে হবে এ মঢসআলঢ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা) বলেন, ইরঢকীঢদর প্রতি লক্ষ্য কর, তারা মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে অথচ
তারাই মুহাম্মদ (সা)এর কন্যার পুএঢক হত্যা করেছে ৷’ ইমাম তিরমিযী (র) পুর্ণ হঢদীসটি
বংনাি করেন এবং বলেন, এ হঢদীসটির সনদ বিশুদ্ধ ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু আহমদ হযরত আর হরঢয়রঢ (বা) হঢ ত বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রঢসৃলুল্লাহ (সা) ইরশাদ কঢরন, যে ব্যক্তি তাদের দুজনঢক (ইমাম হাসান বা ও
ইমাম হুনায়ন রা) ঢ ক ট্রুণ্ড,ঢলবঢসল সে আমঢঢকই ভালবঢসল ৷ আর: যে ব্রাক্তি ওর্তঢঢদর দু জঢনর
সাথে শত্রুতা ঢপঢষণ করল, সে যেন আমার সাথেই শত্রুতঢ ঢপাষণ্ করল ৷”
ইমাম আহমদ (র) তালীছ হযরত আবু হুরায়রা (রঢ)ন্ন্ছুঢত বর্ণনা করেন, একদিন
রাসুলুল্লাহ (সা), হযরত আলী (রা), হযরত ইমাম হাসান, হযরত ইমাম হুসঢয়ন (রা) ও
হযরত ফাতিমঢ (রা ) এর প্ৰতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করব যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তাদের সাথে আমি সন্ধি করব যঢরঢ

তামাদের সাথে সন্ধি করবে ৷’ উপরোক্ত দু টি বর্ণনঢই ইমাম আহমদ (র) এর একক
বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ ইবন নুমায়র, আবু হুরঢয়রঢ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসুলুল্লাহ (সা ) আমাদের নিকট আগমন করলেন, তার সাথে ছিলেন হযরত হাসান ও
হযরত ন্সঢযন (বা), একজন ছিলেন তার এক কঢধেব উপর এবং অন্যজন ছিলেন অপর
কঢধের উপর ৷ তিনি ট্টণ্ফ্তেজনঢক একবার চুমু খেতেন এবং অন্যজনঢক আবার চুযু ঢখতেন ৷
এভাবে তিনি আমাদের কাছে পৌছলেন ৷ এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা)ঢক প্সক্ষঢ করে বললেন,
ঢহআল্লাহ্র রাসুল (সা) ঢ আল্লাহর শপথ ! আপনি তাদেরকে অত্যন্ত ভালবঢ ঢঢসন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন “যারা এ দু জনকে ভালবাসার তারা আমাকে ভালবাসার, যারা এ দু জনের
সাথে শত্রুতা করল তারা যেন আমার সাথে ষ্পত্রুতঢ করল ৷” এটাও ইমাম আহমদ (র) এর
একক বর্ণনা ৷

আবু ইয়ঢলঢ আল মুসিলী আবু সাঈদ হযরত আনাস ইর্বন মালিক (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা)ঢক এ প্রশ্ন করা হল অঢপনঢর পবিবঢর-পরিজঢনর
মধ্যে ঢক আপনার বেশী প্রিয় ষ্’ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “হ্ান্া৷ন্াও হুসায়ন (বা) ৷” হযরত
আনাস (বা) বলেন “রঢসুলুল্লঢহ (সা) বলছেন, আমার কঢঢছু আমার সন্তানদেরকে ডেকে
আন ৷ তারপর তিনি তাদের প্রাণ নিঢতন এবং তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন ৷ ইমাম
তিরমিষী (র)ও হযরত ৩আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বষ্নাি করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে আসওয়াদ হযরত আবাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) দুই মাস যাবত হযরত ফঢতিমঢ (রঢ)-এর ঘর হয়ে ফজঢরর সালঢঢতর জন্যে


وَادَّعَتِ الطَّائِفَةُ الْمُسَمَّوْنَ بِالْفَاطِمِيِّينَ، الَّذِينَ مَلَكُوا الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ قَبْلَ سَنَةِ أَرْبَعِمِائَةٍ إِلَى مَا بَعْدَ سَنَةِ سِتِّينَ وَسِتِّمِائَةٍ، أَنَّ رَأْسَ الْحُسَيْنِ وَصَلَ إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَدَفَنُوهُ بِهَا وَبَنُوا عَلَيْهِ الْمَشْهَدَ الْمَشْهُورَ بِهِ بِمِصْرَ، الَّذِي يُقَالُ لَهُ: تَاجُ الْحُسَيْنِ. بَعْدَ سَنَةِ خَمْسِمِائَةٍ. وَقَدْ نَصَّ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّهُ لَا أَصْلَ لَذَلِكَ، وَإِنَّمَا أَرَادُوا أَنْ يُرَوِّجُوا بِذَلِكَ بُطْلَانَ مَا ادَّعَوْهُ مِنَ النَّسَبِ الشَّرِيفِ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ كَذَبَةٌ خَوَنَةٌ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الْقَاضِي الْبَاقِلَانِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ الْعُلَمَاءِ فِي دَوْلَتِهِمْ فِي حُدُودِ سَنَةِ أَرْبَعِمِائَةٍ، كَمَا سَنُبَيِّنُ ذَلِكَ كُلَّهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ فِي مَوَاضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهِ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِهِ رَوَى الْبُخَارِيُّ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَمَهْدِيِّ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي نُعْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ عَنِ الْمُحْرِمِ يَقْتُلُ الذُّبَابَ، فَقَالَ: أَهْلُ الْعِرَاقِ يَسْأَلُونَ عَنْ قَتْلِ الذُّبَابِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৮


মসজিদে অগমন করতেন এবং বলতেন, হে আহলি বই ! সালাতের জন্যে তৈরী হও ৷
এরপর তিনি সৃরাব্বয আহ্যাবের ৩৩ নং আয়াতাং শ পাঠ করতেন,
াৰুণ্া৷


“ৰু€হ নবী পরিবার! অ ৷ল্লাহ্ তাে কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং
তােমাদেরকে সম্পুর্ণ পবিত্র করতে ৷ (৩৩ আহযাব : ৩৩)
ইমাম তিরমিযী (র) অন্য দ্বাক সনদে আবৃদ ইবন হুমায়দ অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন এবং
বলেন, এ হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা ছাড়া অন্য কে ন সুত্রে এটি বর্ণিত
হয়েছে বলে আমার জানা নেই ৷
, ইমাম তিরমিযী (র) মাহমুদ ইবন পায়লান হযরত আল-বাবা (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, “একদিন রাসুলুল্পাহ (সা) হযরত হাসান (রা) ও হযরত হুসায়ন (রা)-
এর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং বলেন, হে আল্লাহ আমি তাদের দু’জনকে ভালবাসি,
আপনিও তাদেরকে ভালবাসুন ৷ ” তারপর ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, অত্র হাদীসটি
বিশুদ্ধ ৷ ,
ইমাম আহমদ (র) মায়দ ইবন আল হুজ্বাৰু হযরত বুরাইদ৷ (রা)ওত তার পিতা হতে
: ন্ব্ংনাি করেন (য নিনি বলেছেন, একদ্যো বান্ালুল্লাহ (না) আমাদের সামনে খুতবাদিচ্ছিলেন,
এমন সময় হযরত হাসান (র৷ ) ও হযরত হুসায়ন (বা) আগমন করলেন ৷ তাদের দুজনের
পরনে ছিল লাল জাম৷ ৷ ৷রাত দুজন হাটছিলেন এবং হোচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) তাদেরকে দেখে মিম্বর থেকে নেমে গেলেন,৩ তাদেরকে উঠিয়ে নিলেন এবষ্ তাদেরকে
তার সামনে বসালেন আর বললেন আল্লাহ্ তাআলা ঠিকই বলেছেন ণ্ও১১া)৷) ,শ্রো)এ্৷ এে
হ্১১১ (সুরায়ে তাপাবুনং ৫১) অর্থাৎ “তে ৷মাদের সম্পদ ও সন্তান সস্ততি তোমাদের জন্য
পরীক্ষা ৷” আমি এ দু’টি বাচ্চার দিকে তাকালাম, তারা হাটছিল এবং হোচট খেয়ে
পড়ছিল ৷ তাই আমি ধৈর্য ধারণ করতে পারলাম না ৷ আমি আমার কথা বন্ধ করে দিলাম
এবং৩ তাদেরকে উঠিয়ে শ্লেলাম ৷ ইমাম তিরমিযী ন্(র) বলেন, এ হাদীসটি গরীব,এবং
শুধুমাত্র আল হুসাইন ইবন ওয়াকিদ ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার
জানা নেই ৷
ইমাম তিরমিযী (র) হাসান ইবন আরদা ইয়ালা ইবন মুররাহ হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “হুসায়ন আমার এবং আমি
হুসায়নের ৷ যে হুসায়নকে মুহব্বত করবে আল্লাহ তাকে মুহব্বত করবেন ৷ হুসায়ন (রা) শ্রেষ্ঠ
দৌগ্রিত্র ৷ তারপর ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, এ হাদীসটি হাসান (উত্তম) ৷ ইমাম আহমদ
(ব ) অব্দুল্লাহ ইবন উসমান ইবন খাইসাম হতে এবং ইমাম তাব্যরানী ইয়াল৷ ইবন মুরাহ হতে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, হযরত হাসান (রা) ও
, হযরত হযদ্দো ( ;ৰুন্ ) দৌহিত্রদের মধ্যে দু’ জন শ্রোঠ দৌহিত্র ৷”
ইমাম মাহমদ (র) আফ্ফান আবু সায়ীদ আল খুদরী (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, ,রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, হযরত হাসান (বা) ও হযরত হুসায়ন (রা)
জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷


وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُمَا رَيْحَانَتَايَ مِنَ الدُّنْيَا» ؟ ! وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ بِهِ نَحْوَهُ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: انْظُرُوا إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ يَسْأَلُونَ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ، وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» ". يَعْنِي حَسَنًا وَحُسَيْنًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا تَلِيدُ بْنُ سُلَيْمانَ، كُوفِيٌّ، ثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نَظَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَلِيٍّ وَالْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَفَاطِمَةَ فَقَالَ: «أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ، سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ ".» تَفَرَّدَ بِهِمَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا حَجَّاجٌ، يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ، هَذَا عَلَى عَاتِقِهِ، وَهَذَا عَلَى عَاتِقِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৫৯
وَهُوَ يَلْثَمُ هَذَا مَرَّةً وَهَذَا مَرَّةً، حَتَّى انْتَهَى إِلَيْنَا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتُحِبُّهُمَا. فَقَالَ: " مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، حَدَّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّمِيمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ أَهْلِ بَيْتِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ ". قَالَ: وَكَانَ يَقُولُ: " ادْعُ لِيَ ابْنَيَّ ". فَيَشُمُّهُمَا وَيَضُمُّهُمَا إِلَيْهِ.» وَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ وَعَفَّانُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمُرُّ بِبَيْتِ فَاطِمَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ إِذَا خَرَجَ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَيَقُولُ: " الصَّلَاةَ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ، {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » ". وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي التَّفْسِيرِ عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَفَّانَ بِهِ، وَقَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْصَرَ حَسَنًا وَحُسَيْنًا
পৃষ্ঠা - ৬৭৬০


ইমাম তিরমিযী (র)ও অন্য এক ন্সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, এ হাদীসটি
বিশুদ্ধ ৷

আবুল কাসিম আল-বাগবী (র) দাউদ হযরত আবু সাঈদ আলখুদরী (বা) হতে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “হযরত হাসান (রা) ও হযরত
হুসায়ন (বা) দুই মামাত ভাই ব্যতিত জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷ তারা হলেন হযরত
ইয়াহইয়া (আ) ও হযরত ঈসা (আ) ৷ ইমাম নাসায়ী (র)ও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
সৃওয়ায়দ ইবন সাঈদ ও আবু সাঈদ আল-খুদরী (বা) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ওকী আবু সাধিত (রা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন হযরত হুসায়ন ইবন আলী (রা) মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ তখন জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার দেখতে চায় সে যেন উনার
, দিকে তাকায় ৷ কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ (যা) হতে এরুপ গুনেছি ৷ এ বর্ণর্নাটি ইমাম আহমদ

(ব) ইসরাঈল হযরত হুযাইফা (রা ) হতে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, একদিন তার মাতা

তাকে রাসুল (না)-এর কাছে প্রেরণ করেছিলেন যাতে আল্লাহর রাসুল (না) তার জন্য এবং
তার মাতার জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ হুযাইফা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা)
এর কাছে আগমন করলাম ও তার সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম ৷ তারপর তিনি
ইশার সালাভৈত র সময় ইশার সালাত আদায় করলেন এবং বাড়ীর দিকে রওয়ান৷ হলেন ৷
আমিও তার অনুসরণ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (না) আমার আওয়াজ শুনতে পেলেন, তখন তিনি
বললেন, কে এখানে ? হুযাইফা নাকি ? আমি বললাম , জী হ্যা ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার কি দরকার ?’ আল্লাহ তোমার ও তােমর মাতাকে
ক্ষমা করুন ৷’ এই এক ফেরেশত ৷, যমীনে আজকের রাত ব্যভীত কোন দিনও তিনি অবতরণ
করেন নি৷ তার প্ৰতিপালকের কাছে তিনি অনুমতি, চেয়েছিলেন যাতে তিনি আমাকে
অভিবাদন করতে পারেন এবং আমাকে একটি সুসংবাদ দিতে পারেন ৷ সুসংবাদটি হল এই
যে, হযরত ফাতিম৷ (রা) জন্নোতবাসী মহিলাদের সর্দার এবং হযরত হাসান ও হযরত
হুসায়ন (রা) জান্নাতবাসী যুবকদের সর্দার ৷ তারপর ইমাম তিরমিষী (র) বলেন, এ হাদীসটি
বিশুদ্ধ ও গরীব ৷ ইসরাঈলের মাধ্যমে এট৷ এককভাবে বর্ণিত ৷ অনুরুপ হাদীস হযরত আলী
ইবন আবুত তালিব (রা), হযরত ইমাম হুসায়ন (রা), হযরত উমর ইবন খাত্তাব (বা), তার
পুত্র হযরত আবদুল্লাহ (রা), ইবন আব্বাস (রা), ইবন মাসউদ (রা) প্রমুখ থেকে বর্ণিত
আছে ৷ তাদের সকলের বর্ণিত হাদীসে কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয় ৷ আল্লাহই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী (র) মুসা হযরত আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) কে হযরত হাসান ও হযরত হুসায়ন (রা) সম্পর্কে বলতে
শুনেছি, যে আমাকে ভালবাসে সে যেন এ দু’জনকে ভালরাসে ৷

ইমাম আহমদ (র) সুলায়মান আতা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, একদিন এক ব্যক্তি
তাকে সংবাদ দিল যে, সে, রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছে যে, তিনি হযরত হাসান (রা) ও
হযরত হুসায়ন (রা) কে বুকে টেনে নিলেন এবং বললেন, “ণ্ হ অল্লোহ্৷ আমি এ দু জনকে
ভালবাসি ৷৩ তাই তুমিও তাদেরকে ভালবাস ৷”


فَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا» ". ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، وَأَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُنَا، إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَعَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ، يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمِنْبَرِ فَحَمَلَهُمَا، فَوَضَعَهُمَا بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " صَدَقَ اللَّهُ: " {إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ} [التغابن: 15] " فَنَظَرْتُ إِلَى هَذَيْنَ الصَّبِيَّيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قَطَعْتُ حَدِيثِي وَرَفَعْتُهُمَا» ". وَهَذَا لَفْظُ التِّرْمِذِيِّ، وَقَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ، أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا، حُسَيْنٌ سِبْطٌ مِنَ الْأَسْبَاطِ ".» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬১

২রর৩ ডসাম৷ ইবন যায়দ (বা) এবং সালমান ফাসী (বা) হতে এ ধরনের হাদীস বর্ণিত
রয়েছে তবে এগুলোর সনা;দকিছুন্টা দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই অধিক পব্রিজ্ঞাত ৷
ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে হযরত আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি রালাছন, একদিন আমর৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে ইশার সালাত আদায়
ন্ৰুকরাছলাম ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) যখন সিজদ৷ করতেন তখন হযরত হাসান (রা) ও হযরত
হুমায়ন (বা) তার পিাঠ চড়ে বসাতন ৷ যখনর্ট তনি মাথা উঠা৷ তন তখন তাদেরকে তিনি
র নরম হাতে ররা:তন ও যমীনে রেখে দিতেন ৷৩ তারপর তিনি যখন আবার সিজদা
করা,তন তখন তারা আবারো রড়াসুলুল্লাহ (যা) এর পিঠে চড়ে করতেন এবং রাসুলুল্লাহ
া৷ ) সিত হ্দ৷ হতে উঠার সময় তাদের নরম হাতে ধরতেন ও যমীনে রেখে দিতেন ৷ এভাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) সালাত শেষ করলেন এবং তাদের দু’জনকে কোলে বসালেন ৷ হযরত আবু
হুরাহ্ারা (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকটবর্তী হলাম এবং বললাম হে আল্লাহর
রাসুল : আম কি তদের দুজনকে তাদের মায়ের কাছে ফেরত পৌছিয়ে দেবাে ? আবু
হুরায়রা ( রা) বললেন, এমন সময় বিদুশু চমকে উঠল ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তাদের দু’জনকে
রললেন্ৰুা, যাও তোমরা তোমাদের মায়ের কাছে চলে যাও ৷ হযরত আবু হুরায়রা (রা)
বলালন, বিদুা৷তর আলো থাকতে থাকতেই তারা দুজন তাদের মায়ের কাছে চলে গেল ৷
মসা ইবন উসমান আল হাদরামী, হযরত আবু হুরায়রা (বা) হতে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ হযরত আ ,া সাঈদ খুদরী (রা) এবং আবদুল্লাহ ইবৃ ৷ উমর (রা) হতেও প্রায় এ
ধরনের ব০ান৷ এসেছে ৷
ইমাম ৩া৷ চুমদ (র) ন্নাফ্ফান হযরত আলী (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন রাসৃলুকু;াহ (সা) ন্আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, আমি ছিলাম নিদ্রিত ৷ হযরত হাসান
(রা)ক্কিত্বা হযরত ছসারন (বা) কিছু পান করতে চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনআমাদের
একটি বকর্বীকে দোহন করতে গেলেন ৷ বকরীঢি দােহন করা হল এবং দুধ পান করানো হল ৷
এরপর অপরজন এলেন তাকে তিনি সরিয়ে দিলেন ৷ হযরত ফাতিমা (রা) তখন বললেন,
মনে হয় যেন প্ৰথমজনই আপনার কাছে অধিকতর প্রিয় ঈ রাসৃসুল্লাহ্ (সা) বললেন, না’ সেশ্
তো প্রথম গান করতে চেয়ােছল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি, চু মি, এ দুজন
এ র এ ৰু ন্া৷ারত ব্যক্তি কিয়ামাতর ৷দন একই জায়ণ্া৷য় থাকবাে ৷ এটাই ইমামপ্লু আহমদ (র)-
এর একক বর্ণন৷ ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) অন্য এক সনদে হযরত আলী (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) এ দু জনকে সম্মান
করতেন কোলে উঠিয়ে নিতেন, ’ তাদেরকে উপচৌকন প্রদান করতেন, যেমন তাদের পিতাকে
উপচৌকনপ্ প্রদান করতেন ৷
একবার ইয়ামান থেকে ৷কছু চাদর আমল ৷ হযরত উমর (রা) সাহাবীদের পুত্রদের মধ্যে এ
গুলি বণ্টন করে দিলেন কিন্তু এ চাদরগুলো হতে হযরত হাসান ও হযরত হুসারন (রা) কে
কিছুই দিলেন না এবং বললেন এগুা,লার মধ্যে কোন একটিই তাদের উপযুত নয় ৷ তারপর
তিনি হয়ামানর পতর্নরের কাছে লোক প্রেরণ করলেন এবং তাদের উপযুক্ত দু’টি চাদর সংগ্রহ
করে দিতে আদেশ দিলেন ৷
আল-বিদাযৰু ওয়ান নিহায়া--৪ ৯
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

سَعْدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سِبْطَانِ مِنَ الْأَسْبَاطِ» ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ رُشَيْدٍ، عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا ابْنَيِ الْخَالَةِ يَحْيَى وَعِيسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ» ". وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَازِمٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَابِطٍ قَالَ: «دَخَلَ حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَسْجِدَ، فَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬২
إِلَى سَيِّدِ شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ". سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، «أَنَّ أُمَّهُ بَعَثَتْهُ لَيَسْتَغْفِرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَهَا. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْمَغْرِبَ، ثُمَّ صَلَّى حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ، فَسَمِعَ صَوْتِي فَقَالَ: " مَنْ هَذَا؟ حُذَيْفَةُ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَاجَتُكَ؟ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلِأُمِّكَ، إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلْ إِلَى الْأَرْضِ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ، اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ بِأَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَلَا يُعْرَفُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَمِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ نَفْسِهِ، وَعُمَرَ وَابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَغَيْرِهِمْ، وَفِي أَسَانِيدِهِ كُلِّهَا ضَعْفٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُطَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَقُولُ فِي الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ: " مَنْ أَحَبَّنِي فَلْيُحِبَّ هَذَيْنِ» ".
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৩


মুহাম্মদ ইবন সাদ কাবিসা আল ইযার ইবন হুরাইস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেন, একদিন আমর ইবনুল আস (বা) কারা শৃরীফের দুয়ারে বসে ছিলেন ৷ তিনি হযরত
ইমাম হুসায়ন (রা)-কে এগিয়ে আসতে দেখে বললেন, ইনিই আসমানবাসীর নিকট ও
ভুপৃষ্ঠবাসীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি ৷ ’ ন্
যুবাইর ইবন বাক্কার সুলাইমান জাফর ইবন মুহাম্মদের পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত হাসান (বা) এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাফর (বা) হতে
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ তারা ছেটি, বয়ঃপ্রাপ্ত হ্যা নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অপ্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে
বায়আত গ্রহণ করতেন না তবে কোন কোন সময় দয়া প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তা করতেন ৷ এ
হাদীসটি মুরসাল ও গরীব পর্যায়ের ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ ইয়ালা আবদুল্লাহ ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমাইর৷ (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত ৩ইমাম হুসায়ন ইবন আলী (রা) পায়ে হোট পচিশ
বার বায়তৃল্লাহ্ হজ্জ করেছেন তখন তার সামনে ছিল তার বাহনগুলো ৷ আবু নৃআইম
মুহাম্মদ হতে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন, হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) পায়ে হেটে হজ্জ
করেন, আর তার পেছনে তার সও য়ারীগুলো ৷ বিশুদ্ধ মতে এটিই ছিল হযরত ইমাম হুসায়ন
(রা)-এর ভাই হযরত হাসান (রা)-এর ঘটনা যেমন ইমাম বুখারী (র) এটা বর্ণনা করেছেন ৷
আল মাদায়িনী (র) বলেন, একবার হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর
মধ্যে কথা কাটাকাঢি হয় ৷ তারপর একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন ৷
এরপর হযরত ইমাম হাসান (রা) হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)এর কাছে গমন করেন এবং
তাকে চুমু খাওয়ার জন্য ইমাম হুসায়ন (রা)-এয় মাথার উপর ঝুকে পড়েন ৷ হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা)ও দাড়িয়ে ভাইকে চুমু খেলেন এবং বললেন, যে বস্তটি আমাকে একাজটি আগে
শুরু করতে বিরত রেখেছিল তা হলো যে, আপনি এ ব্যাপারে আমার থেকে বেশী উপযুক্ত ৷
তাই আমি আপনার অগ্ৰাধিকারের বিষয়ে আপনার সাথে মনোমালিন্য করা খারাপ মনে
করলাম ৷
আসমায়ী, ইবন আউন হতে বর্ণনা করেন, একদিন ইমাম হাসান (রা) কবিদেরকে দান
করার বিষয়ে দোষারোপ করে ইমাম হুসায়ন (রা) এর কাছে পত্র লিখলেন ৷ তখন ইমাম
হুসায়ন (রা) বললেন, যে সম্পদ ইয্যত-সম্মান রক্ষা করে সেটা উত্তম সম্পদ ৷
তাৰারানী আবু হানীফ৷ সুলাইমান ইবন হাইসাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত
হুসায়ন ইবন আলী (বা) একবার কাবা শরীফ তাওয়াফ করতে যান ৷ তিনি যখন ভিড়ের মধ্যে
হাজার আসওয়াদকে চুমু খেতে যান তখন লোকজন সরে তাকে জায়গা করে দেন ৷ করি
ফারাযদাককে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আবুল ফারাস ! এ ন্ন্লোকটি কে ? তখন
ফারাসযদাক তার সম্পর্কে বলেন :
তিনি এমন এক ব্যক্তি যাকে বাতহ৷ নামক উপত্যকাও তার পদচিহ্ন চিনে ৷ আল্লাহ্র ঘর
৩াকে চিনে, হারাম শরীফ ও তার বহির্ভুত অঞ্চলও তাকে চিনে ৷ তিনি আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَرْمَلَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّ رَجُلًا أَخْبَرَهُ «أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضُمُّ إِلَيْهِ حَسَنًا وَحُسَيْنًا وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا» ". وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ شَيْءٌ يُشْبِهُ هَذَا، وَفِيهِ ضَعْفٌ وَسَقَمٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا كَامِلٌ، وَأَبُو الْمُنْذِرِ أَنَا كَامِلٌ - قَالَ أَسْوَدُ: أَنَا الْمَعْنَى - عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «كُنَّا نُصْلِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ، فَإِذَا سَجَدَ وَثَبَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَى ظَهْرِهِ، فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ أَخَذَهُمَا أَخْذًا رَفِيقًا، فَيَضَعُهُمَا عَلَى الْأَرْضِ، فَإِذَا عَادَ عَادَا، حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ أَقْعَدَهُمَا عَلَى فَخِذَيْهِ. قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرُدُّهُمَا؟ فَبَرَقَتْ بَرْقَةٌ فَقَالَ لَهُمَا: " الْحَقَا بِأُمِّكُمَا ". قَالَ: فَمَكَثَ ضَوْءُهَا حَتَّى دَخَلَا.» وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُثْمَانَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعُمَرَ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৪


শ্রেষ্ঠ বান্দার সন্তান ৷ তিনি পরহেযপার, পাক পবিত্র ও জ্ঞানী ৷৩ তার প্রশস্ততার পরিচয় তাকে
প্রায় অবর দ্ধ করে রেখেছে ৷ রুকনুল হাতিমও তাকে চিহ্ন, যখন তিনি তাকে স্পর্শ করতে
আসেন ও কুরায়শ সম্প্রদায় ভীকে দেখে তখন তাদের নেতা বলে ওঠে, তিনি সম্মানের
সর্বোচ্চ চুড়ায় আরোহণ করে আছেন, লজ্জার কারণে তিনি নজর নীচু করে রাখেন, আর তার
ভয়ে অন্যরাও তার কাছে নতশিরে থাকেন ৷ তীর সাথে কেউ কথা বলতে সাহস করে না, তবে
যখন তিনি মুচকি হাসেন, তীর হাতে থাকে একটি যেত যা সুগন্ধিতে পরিপুর্ণ এবং যা
পরহেযগারদের হাতে থাকে, তার নাক উচু (উচ্চ বংশীয়) ৷ তার বংশ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
বত্শেরই অংশ বিশেষ ৷ তার বংশ মর্যাদার খ্যাতি দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে ৷ কোন দানশীল
তার দানশীলতার কাছে পৌছাতে সক্ষম নয় ৷ কোন সম্প্রদায়ের লোক তার পদমর্যাদায়
পৌছাতে ৩পারে নি ৷ যে তা ৷ল্লাহ্কে চিনে সে তার (ইমাম হুসায়নের) প্রাধান্য৩ ৷কে চিহ্ন ৷ আর
এ খবর থেকেই সকলে দীন অর্জন করে থাকে ৷ এমন কোন সমাজ আছে কি ? যাদের গর্দানে
এ সত্তার প্রাধান্য ও তার অনুগ্রহ বর্তায় না ?
তাবারানী তার মুজামুল কাবীরে ইমাম হুসায়ন (রা) এর জীবনী বর্ণনায় উপরোক্ত
কবিতাগুলোর অবতারণা করেছেন, তবে এটার সুত্র গরীব ৷ কেননা, প্রসিদ্ধ মতে এগুলো আলী
ইবন হুসায়ন (রা) এর সম্পর্কে ফারাযদাকের রচিত কবিতা ৷৩ তার পিতা ইমাম হুসায়ন (রা)
সম্পর্কে নয় ৷ আর এটাই অনেকটা যুক্তিসৎ গত ৷ ফারাযদাককে হরুজ্জ যাওয়ার পথে হযরত
ইমাম হুসায়ন (রা)-হু ক যখন দেখেন তখন হযরত ইমাম হুসায়ন (না) ইরাকের দিকে গমন
করছিলেন ৷ হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ফারাযদাককে জায়গা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেন তখন
ফারাযদাক ইমাম হুসায়ন (রা)-এর কাছে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন ৷ তারপর হযরত ইমাম
হুনসায়ন (রা) ফারাযদাক থেকে বিদায় নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে শাহাদাত বরণ করেন, তাহলে
ফারাযদাক কেমন করে হযরত হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) কে বায়তৃল্লাহ্ তাওয়াফ করার সময়
দেখেছিলেন ? আল্লা ইে অধিক পরিজ্ঞাত ৷
হিশাম, আওয়ানা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুফার গভর্নর উবায়দুল্লাহ্ ইবন
যিয়াদ কারবালায় প্রেরিত সেনাপতি উমর ইবন সা দকে বললেন, হযরত হুমাম হুসায়ন (রা)-
এর হত্যার সম্পর্কে যে একটি পত্র আমি তোমাকে লিখেছিলাম, সে পত্রটি এখন কোথায় ?
সেনাপতি বলল, আমি আপনার হুকুম পালন করেছি বিস্তু পত্রটি হারিয়ে গিয়েছে ৷ ইবন যিয়াদ
বললেন, তােমাকে পত্রটি অবশ্যই হাযির করতে হবে ৷ সেনাপতি বলল, এটা হারিয়ে
গিয়েছে ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, আল্লাহর শপথ ;! তোমাকে তা অবশ্যই হাযিৱ করতে হবে ৷
সেনাপতি, বলল, এটা হারিয়ে গিয়েছে ৷ আল্লাহর শপথ ! এটা যদি থাকতো তাহলে
কুরায়শদের বৃদ্ধাদের কাছে তা পড়া হত এবং মদীনায় বসবাসকারী জন?াণের কাছে আমি
অজুহাত পেশ করতাম ৷ আল্লাহর শপথ ! হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) সম্পর্কে তোমাকে আমি
যে, নসিহত করেছিলাম সে নসিহত যদি আমি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)ষ্কে করতাম,
তাহলে আমি তার হক আদায় করতাম ৷ ইবন যিয়াভৈদের ভাই উসমান ইবন যিয়াদ বললেন,
আল্লাহর শপথ ! উমর ঠিক কথা বলেছে, আল্লাহর শপথ ! আমি চাই যে, ববু যিয়াদের
প্রত্যেকটি লোকের নাকে যেন কিয়াযত পর্যন্ত উটের নাকে পরাবার রিং বিদ্যমান থাকে যা
প্রমাণ করবে হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) নিহত হন নি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর শপথ !
উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদ তার কোন প্রতিউত্তর আর করলেন না ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، ثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي الْمِقَدْامِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَزْرَقِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا نَائِمٌ عَلَى الْمَنَامَةِ، فَاسْتَسْقَى الْحَسَنُ أَوِ الْحُسَيْنُ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَاةٍ لَنَا بَكِئٍ فَحَلَبَهَا فَدَرَّتْ، فَجَاءَهُ الْآخَرُ فَنَحَّاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهُ أَحَبَّهُمَا إِلَيْكَ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنَّهُ اسْتَسْقَى قَبْلَهُ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنِّي وَإِيَّاكِ وَهَذَيْنِ وَهَذَا الرَّاقِدَ فِي مَكَانٍ وَاحِدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» ". تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي فَاخِتَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَعَنْ مَيْمُونَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ أُمَّيِ الْمُؤْمِنِينَ مِثْلُهُ أَوْ نَحْوُهُ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يُحِبُّهُمَا وَيُكْرِمُهُمَا وَيَحْمِلُهُمَا وَيُعْطِيهِمَا فِي الدِّيوَانِ كَمَا يُعْطِي أَبَاهُمَا، وَجِيءَ مَرَّةً بِحُلَلٍ مِنَ الْيَمَنِ، فَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ، وَلَمْ يُعْطِهِمَا مِنْهَا شَيْئًا، وَقَالَ: لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ يَصْلُحُ لَهُمَا. ثُمَّ بَعَثَ إِلَى نَائِبِ الْيَمَنِ، فَاسْتَعْمَلَ لَهُمَا حُلَّتَيْنِ تُنَاسِبُهُمَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৫
الْعَيْزَارِ بْنِ حُرَيْثٍ قَالَ: بَيْنَمَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ إِذْ رَأَى الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ مُقْبِلًا، فَقَالَ: هَذَا أَحَبُّ أَهْلِ الْأَرْضِ إِلَى أَهْلِ السَّمَاءِ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَايَعَ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ، وَهُمْ صِغَارٌ لَمْ يَبْلُغُوا، وَلَمْ يُبَايِعْ صَغِيرًا إِلَّا مِنَّا» . وَهَذَا مُرْسَلٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْوَصَّافِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: حَجَّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ خَمْسًا وَعِشْرِينَ حَجَّةً مَاشِيًا، وَنَجَائِبُهُ تُقَادُ بَيْنَ يَدَيْهِ. وَحَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ حَجَّ مَاشِيًا، وَإِنَّ نَجَائِبَهُ تُقَادُ وَرَاءَهُ. وَالصَّوَابُ أَنَّ ذَلِكَ إِنَّمَا هُوَ الْحَسَنُ أَخُوهُ، كَمَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: جَرَى بَيْنَ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ كَلَامٌ فَتَهَاجَرَا، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقْبَلَ الْحَسَنُ إِلَى الْحُسَيْنِ، فَأَكَبَّ عَلَى رَأْسِهِ فَقَبَّلَهُ، وَقَالَ: إِنَّ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৬

পরিচ্ছেদ

হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) রচিত কিছু কবিতা

আবু বকর ইবন কামিল, আবদুল্লাহ ইবন ইবরাহীমের আবৃত্তিকৃত যেসব কবিতা উল্লেখ
করেন তার একাৎশ নিম্নরুপ :
তািনঃ বলেন, এণ্ডালা হুসায়ন ইবন আলী (রা) রচিত
ব্লু
সৃষ্টিকে ছেড়ে স্রষ্টাকে ধরো, তাহলে তুমি সতবােদী ও মিথ্যাবাদীর পার্থক্য বুঝতে পারবে ৷
আল্লাহর কাছে তার রহমত ও রিযিক চাও ৷ আল্লাহ ব্যতীত কোন রিযিকদাতা নেই ৷ যে ব্যক্তি মনে
করে মানৃয় আল্লাহর মুখাপেক্ষী নয়, সে দয়ালু আল্লাহর প্ৰতি নির্ভরশীল নয় ৷ অথবা যদি কেউ মনে
করে যে সম্পদ তার অর্জিত জিনিস, তাই সে সৃষ্টিকর্তার কাছে তার সম্পদ পদস্থলন ঘটল ৷
আল আ মাশ হতে বর্ণিত যে, ইমাম হুসায়ন ইবন আলী (বা) বলেন,
<
সম্পদশালী ব;রহ্-; সম্পদ যখন অরুশুও বৃদ্ধি পায় তখন তার চিম্ভা-ভাবনা বৃদ্ধি পায় ও ব্যস্ত
তা বেড়ে যায় ৷ হে সুখশুস্বন্ন্য় জীবনযাপান ন্’শ্ ৰুৰুৰু; স্ষ্টিকট এবং ধ্বংস ও ক্ষয়ের আধার দুনিয়া ৷
তোমার মাধ্য যদি ৷ণ্-ণ্ৰুশু বৃহৎ আকারের পরবর-লাৰু রু ভারগস্ত হয়ে পড়ে তাহলে এ
ধরনের পরাং ষ্ভ্রণ্ছুণ্না৷ন্ ; ও পবা হ্য়প্া অর্জ্যন সফল হহ্র: ন্ন্ন্ৰু;ৰু; ৰুন্হ্র ৷
ণ্ ইসহাক ইবন ইবরাহীম হতে ৩বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইস্বহ্র৷ হ্না৷য়ন (বা) একবার জান্নাতুল
বাকীতে শহীভ্রুব্ভুৰুরুদর কবর যিয়ারত করেন এবং বলেন






আমি কবরবাসীদেরকে আহ্বান করলাম কিন্তু তারা চুপ করে রইল ৷৩ তাদের এ যৌনতা
অবলম্বন সম্পর্কে কবরের মাটি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলল, তুমি কি জান, আমি আমার
বাসিন্দাদের সাথে কিরুপ ব্যবহার করেছি ? তাদের মাংস ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছি এবং পরনের
কাপড় টুকরো টুকরো করে দিয়েছি ৷ তাদের চোখগুলােকে মাটিতে ভরে দিয়েছি ৷ যেগুলো
পুর্বে সামান্য আঘাতের জন্য কষ্টবােধ করত ৷ হাড়গুলাে সম্বন্ধে বলতে হয়, আমি
সেইণ্ডালাকেও টুকরো টুকরো করে দিয়েছি ফলে হড়ের জােড়াগুলাে এবং মাথার থুলির চামড়া
বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ এরুপে আমি পাথেয়ের অধিকারীকে তার আশা বিনষ্ট করে দেই এবং
তাদের হাড় গুলোকে ভক্ষন না করে রেখে দেই ৷ যাতে দুনিয়ার বালা মুসিবত তাদের উপর
বারবার পতি ত হয় ৷

হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) এর বলে কেউ কেউ নিম্নবর্ণিত কবিতাণ্ডলাে পেশ করেছেন ৷



مَنَعَنِي مِنِ ابْتِدَائِكَ بِهَذَا أَنِّي رَأَيْتُ أَنَّكَ أَحَقُّ بِالْفَضْلِ مِنِّي، فَكَرِهْتُ أَنْ أُنَازِعَكَ مَا أَنْتَ أَحَقُّ بِهِ. وَحَكَى الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ الْحَسَنَ كَتَبَ إِلَى الْحُسَيْنِ يَعِيبُ عَلَيْهِ إِعْطَاءَ الشُّعَرَاءِ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: إِنَّ خَيْرَ الْمَالِ مَا وَقَى الْعِرْضَ. وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو حَنِيفَةَ مُحَمَّدُ بْنُ حَنِيفَةَ الْوَاسِطِيُّ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْبَرَاءِ الْغَنَوِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ قَالَ: كَانَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَأَرَادَ أَنْ يَسْتَلِمَ، فَأَوْسَعَ لَهُ النَّاسُ، وَالْفَرَزْدَقُ بْنُ غَالِبٍ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَبَا فِرَاسٍ، مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ الْفَرَزْدَقُ: هَذَا الَّذِي تَعْرِفُ الْبَطْحَاءُ وَطْأَتَهُ ... وَالْبَيْتُ يَعْرِفُهُ وَالْحِلُّ وَالْحَرَمُ هَذَا ابْنُ خَيْرِ عِبَادِ اللَّهِ كُلِّهِمُ ... هَذَا التَّقِيُّ النَّقِيُّ الطَّاهِرُ الْعَلَمُ يَكَادُ يُمْسِكُهُ عِرْفَانَ رَاحَتِهِ ... رُكْنُ الْحَطِيمِ إِذَا مَا جَاءَ يَسْتَلِمُ إِذَا رَأَتْهُ قُرَيْشٌ قَالَ قَائِلُهَا ... إِلَى مَكَارِمِ هَذَا يَنْتَهِي الْكَرَمُ يُغْضِي حَيَاءً وَيُغْضَى مِنْ مَهَابَتِهِ ... فَمَا يُكَلَّمُ إِلَّا حِينَ يَبْتَسِمُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৭
فِي كَفِّهِ خَيْزُرَانٌ رِيحُهَا عَبِقٌ بِكَفِّ أَرْوَعَ فِي عِرْنِينِهِ شَمَمُ ... مُشْتَقَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ نِسْبَتُهُ طَابَتْ عَنَاصِرُهُ وَالْخِيمُ وَالشِّيَمُ ... لَا يَسْتَطِيعُ جَوَادٌ بُعْدَ غَايَتِهِ وَلَا يُدَانِيهِ قَوْمٌ إِنْ هُمُ كَرُمُوا ... أَيُّ الْعَشَائِرِ لَيْسَتْ فِي رِقَابِهِمُ لَأَوَّلِيَّةِ هَذَا أَوْ لَهُ نِعَمُ ... مَنْ يَعْرِفِ اللَّهَ يَعْرِفْ أَوَّلِيَّةَ ذَا فَالدِّينُ مِنْ بَيْتِ هَذَا نَالَهُ الْأُمَمُ هَكَذَا أَوْرَدَهَا الطَّبَرَانِيُّ فِي تَرْجَمَةِ الْحُسَيْنِ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ " وَهُوَ غَرِيبٌ، فَإِنَّ الْمَشْهُورَ أَنَّهَا مِنْ قِيلِ الْفَرَزْدَقِ فِي عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، لَا فِي أَبِيهِ، وَهُوَ أَشْبَهُ ; فَإِنَّ الْفَرَزْدَقَ لَمْ يَرَ الْحُسَيْنَ إِلَّا وَهُوَ مُقْبِلٌ إِلَى الْحَجِّ وَالْحُسَيْنُ ذَاهِبٌ إِلَى الْعِرَاقِ، فَسَأَلَ الْحُسَيْنُ الْفَرَزْدَقَ عَنِ النَّاسِ، فَذَكَرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ إِنَّ الْحُسَيْنَ قُتِلَ بَعْدَ مُفَارَقَتِهِ لَهُ بِأَيَّامٍ يَسِيرَةٍ، فَمَتَى رَآهُ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ؟ ! وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى هِشَامٌ، عَنْ عَوَانَةَ قَالَ: قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ: أَيْنَ الْكِتَابُ الَّذِي كَتَبْتُهُ إِلَيْكَ فِي قَتْلِ الْحُسَيْنِ؟ فَقَالَ: مَضَيْتُ لَأَمْرِكَ وَضَاعَ الْكِتَابُ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: لَتَجِيئَنَّ بِهِ. قَالَ: ضَاعَ. قَالَ: وَاللَّهِ لَتَجِيئَنَّ بِهِ. قَالَ: تُرِكَ وَاللَّهِ يُقْرَأُ عَلَى عَجَائِزِ قُرَيْشٍ أَعْتَذِرُ إِلَيْهِنَّ بِالْمَدِينَةِ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ نَصَحْتُكَ فِي حُسَيْنٍ نَصِيحَةً لَوْ نَصَحْتُهَا أَبِي سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ لَكُنْتُ قَدْ أَدَّيْتُ حَقَّهُ. فَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ زِيَادٍ أَخُو عُبَيْدِ اللَّهِ: صَدَقَ عُمَرُ وَاللَّهِ، وَلَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنَّهُ لَيْسَ مِنْ بَنِي زِيَادٍ رَجُلٌ إِلَّا وَفَى أَنْفِهِ خِزَامَةٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَأَنَّ حُسَيْنًا لَمْ يُقْتَلْ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৮
ত))--ন্) বিদ)য়) ওয় যান নিহ)য়) ৩৮৯

দুনির)কে যদি মুল্যবান বত হিসেবে পর) কর) হয় তাহলে আল্লাহর কাছে পুণ) পাওয়ার ঘর
অর্থাৎ ত)))হ)র)ত হবে তার চাইতে শ্রেষ্ঠ ও অধিক মর্য)দ)সম্পন্ন ) মানুষের শরীরগুলােণ্ক যদি
মভ্যুর জ্যন্))ই সৃষ্টি কর) হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহর রাস্তায় তলে য))রব মাধ্যমে কোন ব্যক্তির
নিহত হওয়)ট) শ্রেষ্ঠ ব)ল ণ) কর) হবে ) যদি মানুষের বিযিক পুব হতেই নির)বিত হয়ে র ;
তাহলে বি)যক অন্বেষণে মানুষের চেষ্টা নিত)ত কম হওয় ই অধিক ব)ঞ্চুনীয ৷ যদি ধন-
সম্পদকে মৃত্যুর পর দুনির)য় রেখে য ওয)ট ই বাস্তব হয়, তাহলে মানুষের এ পরিত্যক্ত লংন্)দ
নিয়ে কৃপণত) অক)ম্বা )র কি প্রয়োজন রয়েছে ?

যুব)ইব ইবন )ব)যহ))র বলেন, হযরত হুসায়ন (বা) তার ন্ধীর করার বিন৩ এ) প্ভ্রুন্দ্বণ্হ্ন
(কট্ট র)গুদা শ্লিত ইমরপ্ল ক)ইস ইবন আদী ইবন আউল আল ক)লর্বী ) রহ্ এ ; ণ্ ( ক্রুহৃ

,
ণুপত্ত্বর্চ,’শ্বধ্ ষ্)ধ্ ই’শ্ব ’পু,;ন্ ষ্ষ্ন্; স্বত্র,ষ্ ধ্)ন্ন্)ণ্ é) এ) <’;;fi )






তোমার আরব )পথ ) আমি এ যরটি)ক অবশ্যই পছন্দ করি যেটাতে সুক)য়ন) ও করার
রসব)স করে ) অর্জন ও ) শে র দুঙানরে১ও ৩)ণর)সি এবং ৩)ওর র জন) আমার সমস্ত সম্পদ ব্যয়
কবি ) তাই আমার তিরক)রক)বীর এ ব্যাপারে তিরক)র করার কোন আকাক্ষো কিংব
যে )ডির ত) নেই ) তারপরও যদি তার) আম য তিরস্কার করে আমি সার )জীবনে এবং
দ্)নর ২)))নর )রও ত)পে র )))থ কম নই )

কর)রের পতা হযরত উমর ইরনৃল থ)ও)ব (রা) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ) হযরত
উমর) ন্:; ) তা; ক তার সম্প্রদায়ের আমীর নিযুক্ত করেন ৷ যখন তিনি হযরত উমর (র) )এর
এ র ;;র :ন্থদ্ত বের হন তখন হযরত আলী (রা)৩ ত)র পুত্র হাসান (বা) কিং হযরত হুসায়ন
;রট্র ১ এর স্যাথ তার কোন একটি কন্যার বিয়ের প্রস্তাব দেন ) হযরত হাসান (র))-এর সাথে
তার কন্যা সাল লামার বিয়ে সম্পঢু) হয় এবং হযরত হুসায়ন ( র)) )এর সাথে তার অন) এক কন্যা
কর )রের বিয়ে সম্পন্ন হয় ; আর হযরত আলী (রা) এর সাথে একই সময় তার তৃতীয় কন্যা

)হইয) বিনত ইমকল ক ইক্রে র বিয়ে দিয়ে দেন ৷ তারপর ইমাম হুসায়ন (র))৩ ত)র শ্রী
কব)বকে অত)ত ভ)লব)সতেন )) তিনি ৩ )র প্রতি অ৩ ত)ত মুগ্ধ ছিলেন এবং ৩ )ব নম্পর্কে কবিতা
রচন; করেন ) যখন তিনি ক)রর)ল)য় শ্))ন্ )শ্ ) ৩ বরণ করেন তখন করার ত)র স))র ছিদ্দো ন ;
হযরত ইমাম চু সায়ন ) ব) ) এর জন্য তিনি অ )তত পেরেশান হয়ে পড়েছিলেন ) বর্ণিত র)য়ভৈচ
যে , তিনি হযরত ইমাম হুস)য়ন (রা) এর কররের পাশে এক বছর য)বত অবস্থান করুরছিদুম্ভ)ণ্দ্ভ )
তারপর তিনি সেখান থেকে চলে আসেন এবং বলেন-


একবছর পর্যন্ত তোমার প্রতি আমি সালাম প্রেরণ করতে থাকি ৷ যে ব্যক্তি কারো জন্য পুর্ণ
এক বছর ক)দতে থাকে , সে তার প্ৰতি পুর্ণ ওযর পােণ্) করতে (পরেছে )

হযরত ইমাম ছুসায়ন (রা) এর শাহ)দাতের পর কুরায়শ বংশের বহু গণ্যম)ন) ব্যক্তি তার

কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন ) তিনি বিয়ের প্রস্তাব প্র ন্))থ্যান করে বলেন, আমি র)সুলুল)হ্ (সা)
ব্যতীত অন্য কাউকে আমার শ্বশুর বংশীয় প্রতিরন্ চ)কারী ব)চ) মনে কবি ন) ) আল্লাহ র শ পহু )
হযরত ইমাম হুসায়ন (র))-এ র পর কোন ব)ক্তিকেও আমাকে কোন ছাদ আশ্রয় দে রে না )



ওে)))

[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ أَشْعَارِهِ الَّتِي رُوِيَتْ عَنْهُ] فَمِنْ ذَلِكَ مَا أَنْشَدَهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ كَامِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَذَكَرَ أَنَّهُ لَلْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: اغْنَ عَنِ الْمَخْلُوقِ بِالْخَالِقِ ... تَغْنَ عَنِ الْكَاذِبِ وَالصَّادِقِ وَاسْتَرْزِقِ الرَّحْمَنَ مِنْ فَضْلِهِ ... فَلَيْسَ غَيْرَ اللَّهِ مِنْ رَازِقٍ مَنْ ظَنَّ أَنَّ النَّاسَ يُغْنُونَهُ ... فَلَيْسَ بِالرَّحْمَنِ بِالْوَاثِقِ أَوْ ظَنَّ أَنَّ الْمَالَ مِنْ كَسْبِهِ ... زَلَّتْ بِهِ النَّعْلَانِ مِنْ حَالِقٍ وَعَنِ الْأَعْمَشِ أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَالَ: كُلَّمَا زِيدَ صَاحِبُ الْمَالِ مَالًا ... زِيدَ فِي هَمِّهِ وَفِي الِاشْتِغَالِ قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا مُنَغِّصَةَ الْعَيْ ... شِ وَيَا دَارَ كُلِّ فَانٍ وَبَالِ لَيْسَ يَصْفُوَا لِزَاهِدٍ طَلَبُ الزُّهْ ... دِ إِذَا كَانَ مُثْقَلًا بِالْعِيَالِ وَعَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ الْحُسَيْنَ زَارَ مَقَابِرَ الشُّهَدَاءِ بِالْبَقِيعِ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৭৬৯
نَادَيْتُ سُكَّانَ الْقُبُورِ فَأَسْكَتُوا ... وَأَجَابَنِي عَنْ صَمْتِهِمْ نَدْبُ الْجُثَى قَالَتْ أَتَدْرِي مَا صَنَعْتُ بِسَاكِنِيَّ ... مَزَّقْتُ أَلْحُمَهُمْ وَخَرَّقْتُ الْكُسَا وَحَشَوْتُ أَعْيُنَهُمْ تُرَابًا بَعْدَ مَا ... كَانَتْ تَأَذَّى بِالْيَسِيرِ مِنَ الْقَذَى أَمَّا الْعِظَامُ فَإِنَّنِي مَزَّقْتُهَا ... حَتَّى تَبَايَنَتِ الْمَفَاصِلُ وَالشَّوَى قَطَّعْتُ ذَا مِنْ ذَا وَمِنْ هَذَا كَذَا ... فَتَرَكْتُهَا رِمَمًا يَطُولُ بِهَا الْبِلَى وَأَنْشَدَ بَعْضُهُمْ لَلْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَيْضًا: لَئِنْ كَانَتِ الدُّنْيَا تُعَدُّ نَفِيسَةً ... فَدَارُ ثَوَابِ اللَّهِ أَعَلَى وَأَنْبَلُ وَإِنْ كَانَتِ الْأَبْدَانُ لَلْمَوْتِ أُنْشِئَتْ ... فَقَتْلُ سَبِيلِ اللَّهِ بِالسَّيْفِ أَفْضَلُ وَإِنْ كَانَتِ الْأَرْزَاقُ شَيْئًا مُقَدَّرًا ... فَقِلَّةُ سَعْيِ الْمَرْءِ فِي الْكَسْبِ أَجْمَلُ وَإِنْ كَانَتِ الْأَمْوَالُ لَلتَّرْكِ جُمِّعَتْ ... فَمَا بَالُ مَتْرُوكٍ بِهِ الْمَرْءُ يَبْخَلُ وَمِمَّا أَنْشَدَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ مِنْ شِعْرِهِ فِي امْرَأَتِهِ الرَّبَابِ بِنْتِ أُنَيْفٍ، وَيُقَالُ:
পৃষ্ঠা - ৬৭৭০


তারপর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত বেশভুষাহীন শোকতাপে কা ৷লাতিপাত করেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি
হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)ন্এর শাহাদাব্লু৩ র পর সামান্য কিছুদিন জীবিত ছিলেন ৷ আল্লাহ ই
অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তার কন্যা সুকায়না বিনৃত হুসায়ন ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী ৷ এমনকি ঐ সময়
তার মত সুন্দরী মদীনায় আর কেউ ছিল না ৷ আল্লাহই অধিক পবিজ্ঞাত ৷
আবু মিখৃনাফ, আবদুর রহমান ইবন জুনদুব (বা) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদতের পর কুফার গভর্নর ইবন যিয়াদ কুফাবাসীব্লুদর সম্রাত
লোকদের থােজ খবর নেন ৷ তিনি উবায়দুল্লাহ ইবনুল হুর ইবন ইয়াযীদব্লুক খুজে পেলেন না ৷
তিনি বারবার তার ঘোজ করলেন ৷ কিছুদিন পর উবায়দুল্লাহ ইবনুল হয় তার সাথে সাক্ষাত
ন্ করতে আসলেন ৷ তখন নিনি বললেন, ব্লুহ ইবনুল হুর;; এতদিন তুমি কোথায় ছিলে ? ইবনুল
হুর বললেন, আমি অসুস্থ ছিলাম ৷ তিনি বললেন, মনের অসুস্থতা ?৩ তিনি বললেন, আমার মন
অসুস্থ হয়নি ৷ তবে আমার শরীর সুস্থ করে দিয়ে ? fi¥§!§ তাআলা আমার প্রতি মেহেরবানী
করেছেন ৷ ইবন যিয়াদ র্তাকে বললেন, তুমি মিথ্যা বলেছো, তুমি আমাদের দুশম্নুেরু সাথে
ছিলে ৷ আল হয় বললেন, যদি আমি তোমার ন্দুশমব্লুনরসাথে হ্া৷কতাম তবে আমার মত
লোকের অবস্থান গোপন থাকতো না ৷ আর লোকজন এটা ব্লুদখত ৷ ণ্
বর্ণনাকারী বলেন, তিন্নি ইবন যিয়াদের বাধা কেটে বের হয়ে আসলেন এবং ঘোড়ার চেপে
বললেন ৷ উপস্থিত ব্লুলাকজনকে বললেন, তোমরা তাকে বলে দিও, আল্লাহর শপথ ! আমি তার
কাছে আর স্বেচ্ছায়;ৰ্ক্খনাে ফিরে আসর না ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, ইবনুল হুর কোথায় ?
দারােয়ান বলল, যে বের হয়ে গ্যেছ ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে এস ৷
তখন পুলিশ তার খোজে ৰুব্ৰু হলো ও তাকে গ্রেপ্তার করল ৷ তিনি কর্মচারীব্লুদরব্লুক অত্যন্ত
গালমব্দু করেন ও ইমাম হুসায়ন (রা)৩ তার ভাই এবং পিতা সম্পর্কে সম্ভষ্টি প্রকাশ করেন ৷
এরপর তিনি তাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে ইবন যিয়াদকে অকখ্য ভাষায় ণালিগালাজ করেন ৷
তারপর তিনি তাদের হাত থেকে আত্মরক্ষ৷ করেন এবং ইমাম হুসায়ন (রা) ও তার সাথীদের
সম্পর্কে কবিতা রচনা করেন ৷ কবিতাগুলো নিম্নরুপ ৷ ,

কট্টর বিশ্বাসঘার্তক আমর বলেছে, সাবধান তুমি ফাতিমা (রা) এর পুত্র শহীদকে (হযরত
ইমাম হুসর্কিং (রা) কে হত্যা করনি কেন ? আন্নিণ্ডু তাকে সাহাযু৷ করতে পারে নি ৷৩ তাই আমার
জন্য কি লজ্জা ! আর লজ্জা প্রতিটি ব্যক্তি৩সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য ৷ যদি সে তার প্রয়োজনীয়
কাজে ভিন্নতা ঘোষণা করে থাকে ৷ যারা তার সাহায্যে শত্রুর মোকাবিলা করেছে আল্লাহ
র্তাব্লুদররুহ্গুলোকে রহমতের বারি দ্বারা সর্বদা সিঞ্চিত ও পরিতৃপ্ত করুন ৷ আমি এখন তাদের
কবরন্হ্নও’ স্মৃতিসৌধের পাশের্দাড়িব্লুয় আছি ৷ আমার অন্তরআত্মা ও শরীরের ভেতর যা কিছু
আছে সবই যেন চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যাচ্ছে, আমার নয়ন অশ্রুপাত করছে ৷ আমার আয়ুর শপথ ৷
হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর সাথীরা ডঃলায়ারে সুসজ্জিত হয়ে আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রের
দিকে তড়িৎ গতিতে হাযির হয়েছিলেন ৷ তারা তাদের নবীর কন্যা সন্তানব্লুক সাহায্য করার জন্য
দের মজবুত তলোয়ার নিয়ে সিংহের-মত অ্যাসর হয়েছিলেন ৷৩ তারা উপলব্ধি করেছিলেন
যে, এসব পবিত্র আত্মাব্লুক যদি শত্রুর৷ নিহত করে ফেলে তাহলে আল্লাহর যমীব্লুন সবকিছু


بِنْتُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ أَوْسٍ الْكَلْبِيِّ، أُمِّ ابْنَتِهِ سُكَيْنَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ لَعَمْرُكَ إِنَّنِي لَأُحِبُّ دَارًا ... تَحُلُّ بِهَا سُكَيْنَةُ وَالرَّبَابُ أُحِبُّهُمَا وَأَبْذُلُ جُلَّ مَالِي ... وَلَيْسَ لِلَائِمِي فِيهَا عِتَابُ وَلَسْتُ لَهُمْ وَإِنْ عَتَبُوا مُطِيعًا ... حَيَاتِيَ أَوْ يُغَيِّبَنِي التُّرَابُ وَقَدْ أَسْلَمَ أَبُوهَا عَلَى يَدَيْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَأَمَّرَهُ عُمَرُ عَلَى قَوْمِهِ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ خَطَبَ إِلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُزَوِّجَ ابْنَهُ الْحَسَنَ أَوِ الْحُسَيْنَ مِنْ بَنَاتِهِ، فَزَوَّجَ الْحَسَنَ ابْنَتَهُ سَلْمَى، وَالْحُسَيْنَ ابْنَتَهُ الرَّبَابَ، وَزَوَّجَ عَلِيًّا ابْنَتَهُ الثَّالِثَةَ، وَهِيَ الْمُحَيَّاةُ بِنْتُ امْرِئِ الْقَيْسِ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ، فَأَحَبَّ الْحُسَيْنُ زَوْجَتَهُ الرَّبَابَ حُبًّا شَدِيدًا، وَكَانَ بِهَا مُعْجَبًا، يَقُولُ فِيهَا الشِّعْرَ، وَلَمَّا قُتِلَ بِكَرْبَلَاءَ كَانَتْ مَعَهُ، فَوَجَدَتْ عَلَيْهِ وَجْدًا شَدِيدًا، وَذُكِرَ أَنَّهَا أَقَامَتْ عَلَى قَبْرِهِ سَنَةً، ثُمَّ انْصَرَفَتْ وَهِيَ تَقُولُ: إِلَى الْحَوْلِ ثُمَّ اسْمُ السَّلَامِ عَلَيْكُمَا ... وَمَنْ يَبْكِ حَوْلًا كَامِلًا فَقَدِ اعْتَذَرْ وَقَدْ خَطَبَهَا بَعْدَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ، فَقَالَتْ: مَا كُنْتُ لِأَتَّخِذَ حَمًى بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَاللَّهِ لَا يُؤْوِينِي وَرَجُلًا بَعْدَ الْحُسَيْنِ سَقْفٌ أَبَدًا. وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭১
تَزَلْ عَلَيْهِ كَمِدَةً حَتَّى مَاتَتْ، وَيُقَالُ: إِنَّهَا إِنَّمَا عَاشَتْ بَعْدَهُ أَيَّامًا يَسِيرَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَابْنَتُهَا سُكَيْنَةُ بِنْتُ الْحُسَيْنِ كَانَتْ مِنْ أَجْمَلِ النِّسَاءِ، حَتَّى إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي زَمَانِهَا أَحْسَنُ مِنْهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُنْدُبٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ بَعْدَ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ تَفَقَّدَ أَشْرَافَ أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَلَمْ يَرَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْحُرِّ بْنِ يَزِيدَ، فَتَطَلَّبَهُ حَتَّى جَاءَهُ بَعْدَ أَيَّامٍ فَقَالَ: أَيْنَ كُنْتَ يَابْنَ الْحُرِّ؟ قَالَ: كُنْتُ مَرِيضًا. قَالَ: مَرِيضُ الْقَلْبِ أَمْ مَرِيضُ الْبَدَنِ؟ قَالَ: أَمَّا قَلْبِي فَلَمْ يَمْرَضْ، وَأَمَّا بَدَنِي فَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْعَافِيَةِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: كَذَبْتَ، وَلَكِنَّكَ كُنْتَ مَعَ عَدُوِّنَا. قَالَ: لَوْ كُنْتُ مَعَ عَدُوِّكَ لَمْ يَخْفَ مَكَانُ مِثْلِي، وَلَكَانَ النَّاسُ شَاهَدُوا ذَلِكَ. قَالَ: وَغَفَلَ عَنْهُ ابْنُ زِيَادٍ غَفْلَةً، فَخَرَجَ ابْنُ الْحُرِّ، فَقَعَدَ عَلَى فَرَسِهِ، ثُمَّ قَالَ: أَبْلِغُوهُ أَنِّي لَا آتِيهِ وَاللَّهِ طَائِعًا. فَقَالَ ابْنُ زِيَادٍ: أَيْنَ ابْنُ الْحُرِّ؟ قَالُوا: خَرَجَ. فَقَالَ: عَلَيَّ بِهِ. فَخَرَجَ الشُّرَطُ فِي طَلَبِهِ، فَأَسْمَعَهُمْ غَلِيظَ مَا يَكْرَهُونَ، وَتَرَضَّى عَنِ الْحُسَيْنِ وَأَخِيهِ وَأَبِيهِ، ثُمَّ أَسْمَعَهُمْ فِي ابْنِ زِيَادٍ غَلِيظًا مِنَ الْقَوْلِ، ثُمَّ امْتَنَعَ مِنْهُمْ، وَقَالَ فِي الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ شِعْرًا: يَقُولُ أَمِيرٌ غَادِرٌ حَقُّ غَادِرٍ ... أَلَا كُنْتَ قَاتَلْتَ الشَّهِيدَ ابْنَ فَاطِمَهْ فَيَا نَدَمِي أَنْ لَا أَكُونَ نَصَرْتُهُ ... أَلَا كُلُّ نَفْسٍ لَا تُسَدِّدُ نَادِمَهْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭২
وَإِنِّي لِأَنِّي لَمْ أَكُنْ مِنْ حُمَاتِهِ لَذُو حَسْرَةٍ مَا إِنْ تُفَارِقُ لَازِمَهْ ... سَقَى اللَّهُ أَرْوَاحَ الَّذِينَ تَأَزَّرُوا عَلَى نَصْرِهِ سَقْيًا مِنَ الْغَيْثِ دَائِمَهْ ... وَقَفْتُ عَلَى أَجْدَاثِهِمْ وَمَجَالِهِمْ فَكَادَ الْحَشَا يَنْفَضُّ وَالْعَيْنُ سَاجِمَهْ ... لَعَمْرِي لَقَدْ كَانُوا مَصَالِيتَ فِي الْوَغَى سِرَاعًا إِلَى الْهَيْجَا حُمَاةً خَضَارِمَهْ ... تَآسَوْا عَلَى نَصْرِ ابْنِ بِنْتِ نَبِيِّهِمْ بِأَسْيَافِهِمْ آسَادَ غِيلٍ ضَرَاغِمَهْ ... فَإِنْ يُقْتَلُوا فَكُلُّ نَفْسٍ تَقِيَّةٍ عَلَى الْأَرْضِ قَدْ أَضْحَتْ لَذَلِكَ وَاجِمَهْ ... وَمَا إِنْ رَأَى الرَّاءُونَ أَفْضَلَ مِنْهُمُ لَدَى الْمَوْتِ سَادَاتٍ وَزَهْرًا قَمَاقِمَهْ ... أَتَقْتُلُهُمْ ظُلْمًا وَتَرْجُو وِدَادَنَا فَدَعْ خُطَّةً لَيْسَتْ لَنَا بِمُلَائِمَهْ ... لَعَمْرِي لَقَدْ رَاغَمْتُمُونَا بِقَتْلِهِمْ فَكَمْ نَاقِمٍ مِنَّا عَلَيْكُمْ وَنَاقِمَهْ ... أَهُمُّ مِرَارًا أَنْ أَسِيرَ بِجَحْفَلٍ إِلَى فِئَةٍ زَاغَتْ عَنِ الْحَقِّ ظَالِمَهْ ... فَيَا بْنَ زِيَادٍ اسْتَعَدَّ لِحَرْبِنَا وَمَوْقِفِ ضَنْكٍ يَقْصِمُ الظَّهْرَ قَاصِمَهْ وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: قَالَ سُلَيْمَانُ ابْنُ قَتَّةَ يَرْثِي الْحُسَيْنَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَإِنَّ قَتِيلَ الطَّفِّ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... أَذَلَّ رِقَابًا مِنْ قُرَيْشٍ فَذَلَّتِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৩

নিথর নিস্তব্দ হয়ে পড়বে ৷৩ তাদের থেকে শ্রেষ্ঠতর ব্যক্তিবর্গ ও সর্দারদেরকে যদি কেউ দেখতে
চায় তাহলে তাদের মরণকালে ও হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী
সর্দারদের ন্যায় কাউকে দেখা যাবে না ৷ শত্রুরা কির্তাদেরকে হত্যা করতে চায় এবং অন্য
দিকে আমাদের সাহায্য ও বন্ধুতৃ করতে চায় ? তাহলে তাদের কেউ আমাদের সাথে অনুকুল
সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে না ৷ আমার আয়ুর শপথ ৷ হে শত্রু সৈন্যরা ! তাদেরকে তোমরা
নির্মম ভাবে হত্যা করে আমাদেরকে তোমাদের প্ৰতি রাগান্বিত করে তুলেছ এবং তোমাদের
থকে প্রতিশোধ গ্রহণ করে তবে তােমাদেরকে ছাড়বে ৷ আমি বারবার বিরাট সেনাবাহিনী নিয়ে
এমন একটি দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি যারা সত্য পথ থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে জালিম
হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণিত করেছে ৷ তাই হে ইবন যিয়াদ ! আমাদের সাথে যুদ্ধের জন্য
তৈরী হয়ে যাও ৷ তোমরা এমন এক সংকীর্ণ অবস্থায় পতিত হবে যখন চুর্ণ-বিচুর্ণকারীরা
তোমাদের পিঠ চুর্ণ বিচুর্ণ করে দিয়ে ৷
যুবাইর ইবন বাক্কার বলেন, হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর মরণোত্তর পোকগাথায়
সুলাইমান ইবন কুতাইব৷ বিম্নবর্ণিত কবিতা গুলো নযরানা পেশ করেন-
ষ্া
হাশিমৈর বংশধর থেকে একদল আঅোৎসর্গকারী আবির্ভুত হয় যারা কুরায়শদের মধ্যে
ৎথ্যার দিক দিয়ে অত্যন্ত নগণ্য ৷ অতএব তারা নগণ্য হওয়া সত্বেও ত দেব কতযি৷ তারা
যথাযথভাবে সুসম্পন্ন করেন ৷ এদের শত্রুর৷ যদি এ অল্প সংখ্যক পরিবারটিকে ধ্বংস করার
জনান্তৎপর হয়, ৰু তাহলে তাদেরকে জানতে হবে যে, তারা তাদের জন্য আদ সম্প্রদায়ের
ধ্বংস ডেকে আমার ৷ যারা হিদায়ত থেকে অন্ধের ন্যায় আচরণ করে নিজেদেরকে ৰহিষ্কার
করে নিয়েছে ৷ ফলে তারা বিভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছে ৷
আমি মুহাম্মদ (সা) এর বংশধরদের বিভিন্ন মার আগমন করলাম, যেখানেই আমি গেলাম
তাদের ঘরগুলােকে এবইি রকমের দেখতে পেলাম অর্থাৎ নবী পরিবারের সকল সদস্যই একই
রকমের নির্মলর্চরিত্রের অধিকারী ৷ তারা ছিলেন আমাদের জন্য গনীমতের মালের ন্যায় পবিত্র ৷
কিন্তু তারা এখন আকস্মিক দুর্যোগের করলে পরিণত হয়েছেন ৷ আর এ দুর্যোগ বিরাট আকার
ধারণ করেছে ও মারাত্মক রুপ পরিঃাহ করেছে ৷ তাদেরা৷হাদাত বরণের কারণে যদি এলাকা
শুন্য হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ যেন অত্র এলাকা তার অন্যান্য বাসিন্দাকে তার রহমত থেকে
বঞ্চিত না করেন ৷ যখন তুমি কায়স গোত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করবে তখন তার অসহায়
ল্যেকগুলো আমাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে আর যখন আমাদের পদন্থালন হবে তখন
তাদের ধনীয়া আমাদেরকে তোমাদের সহায়তায় নিহত করার চেষ্টা করবে ৷ ইয়াযীদ বাহিনী
আমাদের যে রক্ত ঝরিয়েছে একদিন আমরা তাদের থেকে বিভিন্ন স্থানে প্রতিশোধ গ্রহণ করব ৷
তুমি কি দেখ না হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শাহাদাতের কারণে পৃথিবী রোপাক্রাত হয়ে
পড়েছে এবং শহরগুলো প্রকস্পিত হয়েছে ৷

হযরত ইমাম হুসায়ন (বা) এর শাহাদাতের পর ৬১ হিজরীতে

সংঘটিত অন্যান্য ঘটনাবলী
এ বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়৷ সিজ্যিান ও থুরাসানের প্রতিনিধিরুপে আগত সালাম
ইবন যিয়াদকে সেখানকার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল ২৪ বছর ৷ ইয়াযীদ


فَإِنْ تُتْبِعُوهُ عَائِذَ الْبَيْتِ تُصْبِحُوا كَعَادٍ تَعَمَّتْ عَنْ هُدَاهَا فَضَلَّتِ ... مَرَرْتُ عَلَى أَبْيَاتِ آلِ مُحَمَّدٍ فَأَلْفَيْتُهَا أَمْثَالَهَا حَيْثُ حَلَّتِ ... وَكَانُوا لَنَا غُنْمًا فَعَادُوا رَزِيَّةً لَقَدْ عَظُمَتْ تِلْكَ الرَّزَايَا وَجَلَّتِ ... فَلَا يُبْعِدُ اللَّهُ الدِّيَارَ وَأَهْلَهَا وَإِنْ أَصْبَحَتْ مِنْهُمْ بِرَغْمِي تَخَلَّتِ ... إِذَا افْتَقَرَتْ قَيْسٌ جَبَرْنَا فَقِيرَهَا وَتَقْتُلُنَا قَيْسٌ إِذَا النَّعْلُ زَلَّتِ ... وَعِنْدَ غَنِيٍّ قَطْرَةٌ مِنْ دِمَائِنَا سَنَجْزِيهِمْ يَوْمًا بِهَا حَيْثُ حَلَّتِ ... أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْأَرْضَ أَضْحَتْ مَرِيضَةً لِقَتْلِ حُسَيْنٍ وَالْبِلَادَ اقْشَعَرَّتِ وَمِمَّا وَقَعَ مِنَ الْحَوَادِثِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ - بَعْدَ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ ; فَفِيهَا وَلَّى يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ سَلْمَ بْنَ زِيَادٍ سِجِسْتَانَ وَخُرَاسَانَ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ أَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَعَزَلَ عَنْهَا أَخَوَيْهِ عَبَّادًا وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ، وَسَارَ سَلْمٌ إِلَى عَمَلِهِ، فَجَعَلَ يَنْتَخِبُ الْوُجُوهَ وَالْفُرْسَانَ، وَيُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى الْجِهَادِ، ثُمَّ خَرَجَ فِي جَحْفَلٍ عَظِيمٍ لَيَغْزُوَ بِلَادَ التُّرْكِ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ أُمُّ مُحَمَّدٍ بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، فَكَانَتْ أَوَّلَ امْرَأَةٍ مِنَ الْعَرَبِ قُطِعَ بِهَا النَّهْرُ، وَوَلَدَتْ هُنَاكَ وَلَدًا أَسْمَوْهُ صُغْدِيًّا، وَبَعَثَتْ إِلَيْهَا امْرَأَةُ صَاحِبِ الصُّغْدِ بِتَاجِهَا مِنْ ذَهَبٍ وَلَآلِئَ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يُشَتُّونَ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، فَشَتَّى بِهَا سَلْمُ بْنُ زِيَادٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৪
وَبَعَثَ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ إِلَى تِلْكَ الْمَدِينَةِ الَّتِي هِيَ لِلتُّرْكِ، وَهِيَ خُوَارَزْمُ، فَحَاصَرَهُمْ حَتَّى صَالَحُوهُ عَلَى نَيِّفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَكَانَ يَأْخُذُ مِنْهُمْ عُرُوضًا عِوَضًا، فَيَأْخُذُ الشَّيْءَ بْنصْفِ قِيمَتِهِ، فَبَلَغَتْ قِيمَةُ مَا أَخَذَ مِنْهُمْ خَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، فَحَظِيَ بِذَلِكَ الْمُهَلَّبُ عِنْدَ سَلْمِ بْنِ زِيَادٍ ثُمَّ بَعَثَ مِنْ ذَلِكَ مَا اصْطَفَاهُ لَيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَعَ مَرْزُبَانٍ، وَمَعَهُ وَفْدٌ، وَصَالَحَ سَلْمٌ أَهْلَ سَمَرْقَنْدَ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ عَلَى مَالٍ جَزِيلٍ. وَفِيهَا عَزَلَ يَزِيدُ عَنْ إِمْرَةِ الْحَرَمَيْنِ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ، وَأَعَادَ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَوَلَّاهُ الْمَدِينَةَ ; وَذَلِكَ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَمَّا بَلَغَهُ مَقْتَلُ الْحُسَيْنِ شَرَعَ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَيُعَظِّمُ قَتْلَ الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ جِدًّا، وَيَعِيبُ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَهْلِ الْعِرَاقِ مَا صَنَعُوهُ مِنْ خِذْلَانِهِمُ الْحُسَيْنَ، وَيَتَرَحَّمُ عَلَى الْحُسَيْنِ وَيَلْعَنُ مَنْ قَتَلَهُ، وَيَقُولُ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ قَتَلُوهُ، طَوِيلًا بِاللَّيْلِ قِيَامُهُ، كَثِيرًا فِي النَّهَارِ صِيَامُهُ، أَمَا وَاللَّهِ مَا كَانَ يَسْتَبْدِلُ بِالْقُرْآنِ الْغِنَاءَ وَالْمَلَاهِيَ، وَلَا بِالْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ الْحُدَاءَ، وَلَا بِالصِّيَامِ شُرْبَ الْحَرَامِ، وَلَا بِالْجُلُوسِ فِي حِلَقِ الذِّكْرِ تَطْلَابَ الصَّيْدِ - يُعَرِّضُ فِي ذَلِكَ بِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ - فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا. وَيُؤَلِّبُ النَّاسَ عَلَى بَنِي أُمَيَّةَ، وَيَحُثُّهُمْ عَلَى مُخَالَفَتِهِمْ وَخَلْعِ يَزِيدَ، فَبَايَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ فِي الْبَاطِنِ، وَسَأَلُوهُ أَنْ يُظْهِرَهَا، فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ مَعَ وُجُودِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَكَانَ شَدِيدًا عَلَيْهِ وَلَكِنْ فِيهِ رِفْقٌ، وَقَدْ كَانَ كَاتَبَهُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ وَغَيْرُهُمْ، وَقَالَ النَّاسُ: أَمَّا إِذْ قُتِلَ الْحُسَيْنُ فَلَيْسَ أَحَدٌ يُنَازِعُ ابْنَ الزُّبَيْرِ. وَبَلَغَ ذَلِكَ يَزِيدَ، وَقِيلَ لَهُ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৫
لَوْ شَاءَ لَبَعَثَ إِلَيْكَ بِرَأْسِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، أَوْ يُحَاصِرُهُ حَتَّى يُخْرِجَهُ مِنَ الْحَرَمِ. فَبَعَثَ فَعَزَلَهُ، وَوَلَّى الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: فِي مُسْتَهَلِّ ذِي الْحِجَّةِ. فَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَحَلَفَ يَزِيدُ لَيَبْعَثَنَّ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فَلَيُؤْتَيَنَّ بِهِ فِي سِلْسِلَةٍ مِنْ فِضَّةٍ، وَبَعَثَ بِهَا مَعَ الْبَرِيدِ وَمَعَهُ بُرْنُسٌ مِنْ خَزٍّ ; لِتَبَرَّ يَمِينُهُ، فَلَمَّا مَرَّ الْبَرِيدُ عَلَى مَرْوَانَ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ، وَأَخْبَرَهُ بِمَا هُوَ قَاصِدٌ لَهُ وَمَا مَعَهُ مِنَ الْغُلِّ أَنْشَأَ مَرْوَانُ يَقُولُ: فَخُذْهَا فَمَا هِيَ لَلْعَزِيزِ بِخُطَّةٍ ... وَفِيهَا مَقَالٌ لَامْرِئٍ مُتَذَلِّلِ أَعَامِرَ إِنَّ الْقَوْمَ سَامُوكَ خُطَّةً ... وَذَلِكَ فِي الْجِيرَانِ غَزْلٌ بِمِغْزَلِ أَرَاكَ إِذَا مَا كُنْتَ فِي الْقَوْمِ نَاصِحًا ... يُقَالُ لَهُ بِالدَّلْوِ أَدْبِرْ وَأَقْبِلِ فَلَمَّا انْتَهَتِ الرُّسُلُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، بَعَثَ مَرْوَانُ ابْنَيْهِ عَبْدَ الْمَلِكِ وَعَبْدَ الْعَزِيزِ لَيَحْضُرَا مُرَاجَعَتَهُ فِي ذَلِكَ، وَقَالَ: أَسْمِعَاهُ قَوْلِي فِي ذَلِكَ. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَلَمَّا جَلَسَ الرُّسُلُ بَيْنَ يَدَيْهِ جَعَلْتُ أُنْشِدُهُ ذَلِكَ وَهُوَ يَسْمَعُ وَلَا أُشْعِرُهُ، فَالْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: أَخْبِرَا أَبَاكُمَا أَنِّي أَقُولُ: إِنِّي لَمِنْ نَبْعَةٍ صُمٍّ مَكَاسِرُهَا ... إِذَا تَنَاوَحَتِ الْقَصْبَاءُ وَالْعُشَرُ وَلَا أَلِينُ لَغَيْرِ الْحَقِّ أَسْأَلُهُ ... حَتَّى يَلِينَ لِضِرْسِ الْمَاضِغِ الْحَجَرُ قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَمَا أَدْرِي أَيُّهُمَا كَانَ أَعْجَبَ! قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: لَا خِلَافَ بَيْنَ أَهْلِ السِّيَرِ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ حَجَّ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৬
৩৯ ২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তার দুভ্রাই আব্বাদ ওআবদুর রহমানকে বরখাস্ত করে ৷ সালাম তার তাতে এ যোগদান করেন
এবং নতুন নতুন আফসার ও সেনাপ্ৰধানঃ নিযুক্ত করেন ৷ জনগণাক জিহাদের জন্য উৎস্যাহত
কর ত লাগলেন ৷ তারপর তুর্কীদের বিভিন শহরে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বিরাট সেনা
বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হতে লাগলেন ৷৩ তার সাথে ছিল তার শ্রী উম্মে মুহাম্মদ বিনত আবদুল্লাহ
ইবন উসমান ইবন আবদুল তাস ৷ তিনিই ছিলেন আরবের প্রথম মহিলা যিনি নহর অতিক্রম
করেন ও সেখানে একটি সন্তান প্ৰসব করেন ৷ যার নাম রাখা হয় ছুপদী ৷ ছুগদী অঞ্চলের
শাসকের শ্রী ৩াকে স্বর্ণ ও হীরাকর একটি যুকুট উপচৌকন হিসেবে প্রদান করেছিল ৷ ঘুসলমানরা
পুাব এসব শহরে আক্রমণ করতেন না ৷
কিন্তু এবার সালাম ইবন যিয়াদ এখানে আক্রমণ করলেন এবং আল মুহাল্লাব ইবন আবু
সুফরাকে তুর্কীাদর এক শহরে প্রেরণ করেন ৷ যার নাম হচ্ছে খাওয়াবিযম ৷ তিনি শহরবাসীদেরাক
অবরোধ করলেন ৷ তারা তখন বিশ লক্ষের অধিক দিনারর বিনিময়ে মুসলমানদের সঙ্গে সন্ধি
স্থাপন করল ৷ আল যুহ ৷ল্লাব তাদের থেকে বিনিময়ে পণা৷দ্রি গ্রহণ করেন ৷ আর অর্ধেক মুল্যে
তিনি এওলাে গ্রহণ করতেন ৷ ফলে এ গুলোর মোট মুল্য দাড়ায় ৫০ লক্ষ দীনার ৷ এ সম্পদের
বিনিময়ে আল মুহাল্লাব সালাম ইবন যিয়াদের সান্নিধ্য ও ভৈনকট্য লাভ করেন ৷ এ সম্পদ থেকে
বাছাইকৃত কিছু অংশ এক সামন্ত শাসকেব নেতৃত্বে এক একটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে ইয়াযীদ
ইবন মু মাবিয়ার কাছে প্রেরণ করে৷ এ অভিযানে সময় কানন্দবাসীদের সাথেও বিপুল অর্থ
সামগ্রীর বিনিময়ে সালাম ইবন যিয়াদ সন্ধি স্থাপন করেন ৷
এ বছরেই ইয়াযীদ, আ মর ইবন সাঈদকে হারামইিনের (মক্কা ও মদীনা) প্রশাসনের দায়িত্ব
থেকে বরখাস্ত করেন এবং পুনরায় আল ওয়ালীদ ইবন উত্ব৷ ইবন আবু সুফিয়ানাক ফেরত
ডেকে পাঠান এবং মদীনার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ এর কারণ হল এই যে, হযরত ইমাম
হুসায়ন (রা) এর শাহাদাতের পর আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) জনগণের কাছে বক্তব্য রাখতে
শুরু করেন এবং হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ও তার সাথীাদর শাহাদা৩ কে একটি বিরাট ঘটনা
বলে আখ্যায়িত করেন ৷ ইরাক ও কুফাবাসীরা হযরত ইমাম হুসায়্ন (রা)-কে যে অপমদস্ত
করেছে তার জন্য দােষারােপ করতে লাগলেন ৷ হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর জন্য
সহমর্মিত৷ প্রকাশ করতে লাগলেন এবং তার হত্যাকারীদের প্রতি অভিসম্পাত প্রেরণ করতে
লাগলেন ৷ তিনি আরো বলতে লাগলেন, আল্লাহর শপথ ৷ তারা এমন এক সত্তাক হত্যা
করেছে যিনি রাতের বেলায় তানকক্ষণ যাবত ইবাদাত দণ্ডায়মান থাকতেন এবং দিনের
বেলায় আধকাং শ সময় ারায৷ রাখতেন ৷ আল্লাহর শপথ ! কুরমান৩ তিলাওয়া৩ র পরিবর্তে
তিনি গান বাদ ও হাসি-র্তামাশা করতেন না ৷ আল্লাহ্র ভয়ে ক্রন্দন করার পরিবা৩ তিনি নানা
ধরনের অসার ও ভিত্তিহীন গল্প ওজবে মত্ত থাকতেন না ৷ তিনি রােয৷ থাকার পরিবর্তে খাদ্য
পান করতেন না ও হারাম দ্রব্য আহার করতেন না ৷ তিনি হালকায় যিকিরে বসার পরিবর্তে
শিকার করে ৷বড়াতেন্৷ না ৷
উপরোক্ত বক্তাব্য তিনি পরোক্ষভ্যবে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার চরিত্রাক তুলে ধরেছেন
(হয়াযীদ হবন মু আবিয়৷ ও তার সাথীর৷ শীঘ্রই অধ৪পতনে পতিত হবে)৩ তিনি বনুউংা৷য়া৷দের
বিরুদ্ধে জনগণকে তা৷া পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতেন ৷ ইয়াঘীদের বায়আত পরিত্যাগ করে তার
বিরোধিতা করার জন্য প্ররোচিত করতেন ৷ গোপনে তার হাতে অনেক লোক যায় তাতে করে
এবং তা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়ার জন্য তাকে আহ্বান জানায় ৷ কিন্তু আমর ইবন সাঈদ বর্তমান


بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَهُوَ أَمِيرُ الْحَرَمَيْنِ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَعَلَى خُرَاسَانَ وَسِجِسْتَانَ سَلْمُ بْنُ زِيَادٍ أَخُو عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ شُرَيْحٌ، وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ هِشَامُ بْنُ هُبَيْرَةَ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَمَعَهُ بِضْعَةَ عَشَرَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، قُتِلُوا جَمِيعًا بِكَرْبَلَاءَ، وَقِيلَ: بِضْعَةٌ وَعِشْرُونَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقُتِلَ مَعَهُمْ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَبْطَالِ وَالْفُرْسَانِ. جَابِرُ بْنُ عَتِيكِ بْنِ قَيْسٍ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ حَامِلَ رَايَةِ بَنِي مُعَاوِيَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ. كَذَا قَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ. قَالَ: وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ إِحْدَى وَسَبْعِينَ سَنَةً. حَمْزَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلُ الْقَدْرِ، ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «سَأَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَمْرَو رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৭


নম্রত৷ অবলম্বন করি না ৷ অন্যায় অৰিচার দুর করার জন্য আমি সংগ্রাম করে থাকি যতক্ষণ না
ভক্ষণকারী বন্য পাথর নরম হয়ে যায় ৷ অর্থাৎ অসম্ভব রিণতি হয় ৷ আবদুল আযীয বলেন তার
বক্তব্যের কোনটা যে আমি পছন্দনীয় তা আমি নিরুপণ করতে পারছি না ৷

আবু মড়াশার বলেন, জীবনীকারদের মাঝে এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই যে, ওয়ালীদ
ইবন উত্বা এ বছর লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করে৷ কেননা তিনি ছিলেন মক্কা ও
মদীনায় আমীর ৷ বসরা ও কুফার আমীর ছিলেন উৰাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদ ৷ খুরাসান ও সিজিংগু
ানের আমীর ছিলেন, উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদের ভাই সালামা ইবন যিয়াদ ৷ কুফার কাযী
ছিলেন শুরাইহ এবং বসরার কাযী ছিলেন হিশাম ইবন হুবাইরা ৷

এবছর যেসব ব্যক্তিত্ব ইনতিকাল করেন

আল হুসাইন ইবন আলী (বা) ও তার সাথে নবী পরিবারের বারজনের অধিক সদস্য
কারবালা ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, র্তারা ছিলেন ২২ জনের অধিক ৷
তা ছাড়া তাদের সাথে শাহাদাত বরণ করেছিলেন একদল সাহসী বীর ও অশ্বারোহী সৈনিক দল ৷

জাবির ইবন আভীক করেন

তার কুনিয়াত ছিল আবু আবদুল্লাহ এবং উপাধি ছিল আল আনসারী আস-সুলামী ৷ তিনি
বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন, এরপর অন্যান্য যুদ্ধেও অং শ গ্রহণ করেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন
তিনি ছিলেন আনসারদের পতাকাবহনকারী ৷ ইবন জাওষী এরুপ বলেছেন ৷ তিনি আরো
বলেন, ৭১ বছর বয়সে তিনি এবছর অর্থাৎ হিজরী ৬১ সালে ইনতিকাল করেন ৷

শ্হ্াম্যা ইবন আমৱ আল-আস্লামী (বা)

তিনি ছিলেন একজন উচুদরের সাহসী ব্যক্তি ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে হযরত
আয়েশা সিদ্দীক৷ (রা) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, হযরত হামযা ইবন আমর (রা)
রাসুল (সা) ৷ণ্:ন্প্ জ্ঞস করলেন, আমি খুব বেশি বেশি ;রাযা রাখি, আমি কি সফ্রেও ;রাযা
রাখতে পারবো ; ৰুা৷সুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন, যদি তুমি চাও তাহলে তুমি ;রায৷ রাখতে
পার আর যদি তুামি চা ও নাও রাখতে পার ৷ তিনি সিরিয়ার বিজয়ে অশংগ্রহণ করেছিলেন ৷ আর
তিনিই হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ;ক মৃতু ত্যুশয্যায় আজনাদায়ন যুদ্ধের বিজয় সংবাদ
পরিবেশন করেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, তিনিই হযরত কা ব ইবন মালিক (রা) কে তার
তাওব৷ কবুল হবার সুসংবাদ দিয়েছিলেন ৷ তখন তিনি তাকে নিজের দুটি কাপড়ই প্রদান
করেছিলেন ৷ ইমাম বুখড়ারী (র) উত্তম সনদে তার থেকে নিম্নবর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি বলেন, এক অন্ধকার রাতে আমরা রাসুল (না)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ হঠাৎ আমার
আঙুলগুলাে থেকে আলো বের হতে লাগল, আমি যে আলোতে আমার সম্প্রদায়ের সমস্ত
আসবাবপত্র এক জায়গায় জমা করে নিলাম ৷ ইতিহাসবিদগণ ঐক্যমত ৩যে, তিনি এবছর অর্থাৎ
৬ ১ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷

শায়ব৷ ইবন উসমান ইবন আবু তালহ৷ আল-আবদারী আল হাজাবী

তিনি ছিলেন কা বা শরীফের চাবি রক্ষক ৷ তীর ৷প৩ ৷ ছিলেন ঐ সব লোকের অন্তর্ভুক্ত
যাদেরকে কাফির অবস্থায় উহুদের যুদ্ধে হযরত ৩আলী (রা) হত্যা করেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন


فَقَالَ: إِنِّي كَثِيرُ الصِّيَامِ، أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ؟ فَقَالَ لَهُ " إِنْ شِئْتَ فَصُمْ، وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ» . وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ الشَّامَ وَكَانَ هُوَ الْبَشِيرَ لِلصِّدِّيقِ يَوْمَ أَجْنَادِينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُوَ الَّذِي بَشَّرَ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْهِ، فَأَعْطَاهُ ثَوْبَيْهِ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، فَأَضَاءَتْ لِي أَصَابِعِي حَتَّى جَمَعْتُ عَلَيْهَا كُلَّ مَتَاعٍ كَانَ لَلْقَوْمِ» . اتَّفَقُوا عَلَى أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ. شَيْبَةُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيُّ الْحَجَبِيُّ صَاحِبُ مِفْتَاحِ الْكَعْبَةِ، كَانَ أَبُوهُ مِمَّنْ قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ أُحُدٍ كَافِرًا، وَأَظْهَرَ شَيْبَةُ الْإِسْلَامَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَشَهِدَ حُنَيْنًا وَفِي قَلْبِهِ شَيْءٌ مِنَ الشَّكِّ، وَقَدْ هَمَّ بِالْفَتْكِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَطْلَعَ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا هَمَّ بِهِ، فَأَسْلَمَ بَاطِنًا، وَجَادَ إِسْلَامُهُ، وَقَاتَلَ يَوْمَئِذٍ وَصَبَرَ فِيمَنْ صَبَرَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ أَشْيَاخِهِ: «إِنَّ شَيْبَةَ قَالَ: كُنْتُ أَقُولُ وَاللَّهِ لَوْ آمَنَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৮


শায়বা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি হুনাইন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার তার অম্ভরে
কিছু সব্লুন্দহ ছিল ৷ তিনি রাসুল (না)-কে গোপনে হত্যা করতে মনস্থ করেছিলেন, আল্লাহ
তাআলা রাসুল (না)-কে তা জানিয়ে দেন ৷ রাসুল (মা) তাকে তার অভিমন্ধির কথা
জনিয়ে দেন ৷ তখন গোপনে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উভয় ইসলামের অধিকারী
হন ৷ ঐদিন তিনি যুদ্ধ করেন এবং ধৈর্যধারণকারীদের সাথে অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয়
দিয়েছিলেন ৷ ওয়াকিদী (র) তার , উস্তাদগণ হতে বর্ণনা , করেন যে, একদিন শায়বা
বলেছিলেন, দুনিয়ার সমস্ত লোক যদি মুহাম্মদ (না)-এর প্ৰতি বিশ্বাস স্থাপন করে, আমি
এর পরেও ইসলাম গ্রহণ করব না ৷ যখন মক্কা বিজয় হল এবং মক্কা বিজয়ের পর রাসুল
(সা) হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বের হলেন আমিও রাসুল (সা) এর সাথে
বের হলাম এ আশায় যে সুযোপমত আমি কুরায়শদের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে রাসুল
(সা) থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব ৷
শায়বা বলেন, একদিন লোকজনের খুবই ভিড় পরিলক্ষিত হল, রাসুল (সা) তার খচচর
হতে অবতরণ করলেন আমি তার নিকটবর্তী হলাম এবং তলোয়ার দ্বারা রাসুল (সা) কে
আঘাত করার জন্যে নিজ তালায়ার উত্তোলন কঃলাম, হঠাৎ আগুনের একটি শিখা উচু হয়ে
উপরের দিকে উঠে আমাকে যেন গ্রাস করে ফেলে ৷ রাসুল (সা) আমার দিকে তাকা ৷লেন এবং
বললেন, হে শায়বা ! আমার কাছে আস ৷ আমি রাসুল (না)-এর কাছে গেলাম ৷ রাসুল (সা)
নিজের হাত মুবারক আমার বুকে রাখলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ্ ! শায়বাতে তুমি
শয়তানের অনিষ্ট হতেবক্ষা ন্কং ৷ শায়বা বলেন আল্লাহর শপথ ! রাসুল (সা) যখন তার হাত
মুবারক উপরের দিকে উঠালেন তখন হাতটি আমার কাছে আমার কান ও আমার চোখ হতে ৰু
অধিকতর প্রিয় মনে হতে লাগল ৷
তারপর রাসুল (সা) বললেন, যাও, যুদ্ধ কর ৷ শায়বা বলেন, আমি দৃশমলের দিকে এগিয়ে
গেলাম ৷ আল্লাহর শপথ ! যদি আমার পিতাও আমার সামনে পড়ত এবং জীবিত থাকত
তাহলে আমি তাকে হত্যা করতে পারতাম ৷ যখন লোকজন যুদ্ধ থেকে ফেরত রওয়ান৷ হল,
তখন রাসুল (সা) আমাকে বললেন, হে শায়বা তোমার সম্বন্ধে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন তা
তোমার ব্যাপারে তোমার ইচ্ছা থেকে উত্তম ৷
তারপর তিনি বলেন, আমার মনের মধ্যে যা ছিল আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ জানত না ৷
আমাকে সে সম্বন্ধে তিনিই সংবাদ দিলেন ৷ তখন আমি তাশাহ্দ পাঠ করলাম ও বাংলায়
(আস্তাগ ফিরুল্লাহ) ঞা )হ্রান্া৷ হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি ৷ রাসুল
(সা) বললেন, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন ৷ উসমান ইবনত৷ ৷লহ৷ (রা) এর পর তিনি কা বা
ারীফের চাবিরক্ষক নিযুক্ত হন ৷ এ দায়িত্ব তার ছেলে ও গোত্রের মধ্যে আজ পর্যন্ত কা বা
শরীফের চাবিরক্ষক ৷ খলীফা ইবন খাইয়াত এবং অন্যরা বলেন, ৫৯ হিজরীদুত শায়বা
ইনতিকাল করেন এবং মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি ইয়াযীদ ইবন মুঅ৷ ৷বিয়ার যুগ পর্যন্ত
জীবিত ছিলেন ৷ ইবনুল জাওযী তার মুনতাযাম কিভাবে বলেন, এবছর আরো যিনি ইনতিকাল
করেন তিনি হলেন, আবদুল মুত্তালিৰ ইবন রাবীয়া ইবনুল হারিছ ইবন আবদুল ঘুত্তালিব ইবন
হাশিম ৷, তিনি একজন সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি দামেশৃকে স্থানান্তরিত হন ৷ সেখানে তার একটি
বাড়ি ছিল ৷ যখন তিনি ইনতিকাল করেন তখন তিনি ইয়াযীদ ইবনন্ ষুআবিয়াকে ওসীয়ত
করেন ৷ আর ইয়াযীদ তখন আমীরুল মু’মিনীন ৷


بِمُحَمَّدٍ جَمِيعُ النَّاسِ مَا آمَنْتُ بِهِ. فَلَمَّا فَتَحَ مَكَّةَ، وَخَرَجَ إِلَى هَوَازِنَ خَرَجْتُ مَعَهُ ; رَجَاءَ أَنْ أَجِدَ فُرْصَةً آخُذُ بِثَأْرِ قُرَيْشٍ كُلِّهَا مِنْهُ. قَالَ: فَاخْتَلَطَ النَّاسُ ذَاتَ يَوْمٍ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَغْلَتِهِ، فَدَنَوْتُ مِنْهُ، وَانْتَضَيْتُ سَيْفِي لِأَضْرِبَهُ بِهِ، فَرُفِعَ لِي شُوَاظٌ مِنْ نَارٍ كَادَ يَمْحَشُنِي، فَالْتَفَتَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " يَا شَيْبَةُ، ادْنُ مِنِّي ". فَدَنَوْتُ مِنْهُ، فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى صَدْرِي، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنَ الشَّيْطَانِ " قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا رَفَعَ يَدَهُ حَتَّى لَهْوَ يَوْمَئِذٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ سَمْعِي وَبَصَرِي، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَقَاتِلْ ". قَالَ: فَتَقَدَّمْتُ إِلَى الْعَدُوِّ، وَاللَّهِ لَوْ لَقِيتُ أَبِي لَقَتَلْتُهُ لَوْ كَانَ حَيًّا، فَلَمَّا تَرَاجَعَ النَّاسُ قَالَ لِي: " يَا شَيْبَةُ، الَّذِي أَرَادَ اللَّهُ بِكَ خَيْرٌ مِمَّا أَرَدْتَ لَنَفْسِكَ ". ثُمَّ حَدَّثَنِي بِكُلِّ مَا كَانَ فِي نَفْسِي مِمَّا لَمْ يَطَّلِعْ عَلَيْهِ أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَتَشَهَّدْتُ وَقُلْتُ: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ. فَقَالَ: " غَفَرَ اللَّهُ لَكَ» ". وَلِيَ الْحِجَابَةَ بَعْدَ عُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ، وَاسْتَقَرَّتِ الْحِجَابَةُ فِي بَنِيهِ وَبَيْتِهِ إِلَى الْيَوْمِ، وَإِلَيْهِ يُنْسَبُ بَنُو شَيْبَةَ، وَهُمْ حَجَبَةُ الْكَعْبَةِ. قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: بَقِيَ إِلَى أَيَّامِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظَمِ ": مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৭৯

আল-ওয়ালীদ ইবন উক্বা ইবন আবু মুঅইিত

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু ওহাব আল ওয়ালীদ ইবন উক্বা ইবন আবু মুআইত ইবন আবান
ইবন আবু আমর যাকওয়ান ইবন উমাইয়৷ ইবন আবদি শামস ইবন আবদি মানাফ ইবন কুসাই
আল কুরায়শী আল আবসাঘী ৷ তিনি ছিলেন হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) এর
বৈপিত্রেয় ভাই ৷ উসমান ইবন ৩ ৷ফফা (ব ) এর মাতার নাম ছিল আরওয়া বিনৃত কুরায়য
ইবন রাবী আ ইবন হার্বীব ইবৃান আবদি শামৃস ৷ আরওয়া এর মায়ের নাম উম্মে হার্কীম আল-
রাইদা বিনত আবদুল ঘুত্তালিব ৷ ওয়ালীদের ভাই বোনদের মধ্যে খালিদ, উম্মারাহ, উম্মে
কুলসুম বিাশয়ভা৷ব ৰিখা৷ত ৷ রাসুল (সা) বদরের যুদ্ধের পর অন্যান্য বন্দীদের মধ্য থেকে
তার পিতাকে সামনে এসে হত্যা করেন ৷

যে তখন রাসুল (সা) কে বলে, “হে মুহাম্মদ (সা) ৷ আমার মেয়েদের জন্য কে রইল ?
রাসুল (সা) বলেন “তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম ৷ এরকমভাবে নযর ইর্বৃন আল-হারিসের
সাথেও অনুরুপ আচরণ করা হয় ৷ আলোচ্য ওয়ালীদ মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
রাসু০৷ (মা) তাকে বনৃ মুসৃতালিক এর সাদক৷ আদায়ের জন্য প্রেরণ করেন ৷ তখন তাকে
অভ্যর্থনা জানাবার জন্য৩ তারা বের হয়ে আসলেন ৷ কিন্তু তিনি ধারণা করলেন যে, তারা তাকে
হত্যা করার জন্য বেরিয়ে এসেছে ৷ তাই তিনি প্ৰ৩া৷বর্ত্যৰ করলেন ৷ রাসুল (সা) কে এ
ব্যাপারে অবগত করানো হল ৷ রাসুল (সা) তাদের প্রতি সৈন্য প্রেরণ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ
করলেন ৷ এ খবর তাদের কাছে পৌছলে তাদের মধ্য থেকে কিছু সরু খক লোক রাসুলুল্পাহ
(সা) এর কাছে আগমন করলেন, কৈফিয়ত পেশ করলেন এবং প্রকৃত ঘটনা সম্বন্ধে রাসুল
(সা) )-হ্রক অবহিত করলেন ৷ তারপর আল্লাহ তা জানা ওয়ালীদের সম্বন্ধে সুরায়ে হুজুরাত ৪৯ :
৬ আয়াত অরভীর্ণকরেনশ্ ন্
১৷ ৷


হে ঘৃ মিনপণ ৷ যদি কোন পাপম্পোচারী তামাদের নিকট কোন কথা-বাত৷ আনয়ন করে,
দেখলে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না কর এবং পরে তোমাদের
কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও ৷’ একাধিক ঘুফাসৃসির এ তাফসীরটি পেশ করেন ৷ আল্লাহ

তা আল৷ এটার শুদ্ধ৩ ৷ সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত ৩৷ আবু আমর ইবন আবদুল বারএ বা৷পারে

ইজমা সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ৷

হযরত উমর (রা) তাকে বনু তাগলিবের সাদকা আদায়ের জন্য উসৃলকারী নিযুক্ত করেন ৷
হযরত উসমান (রা) ও ২৫ হিজরাতে তাকে সাদ ইবন আবু ওয় ৷ক্কাস (রা) এর পর কুফার
গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷৩ তারপর তিনি মদ্য পান করেন ও তার সঙ্গীদেরর্কে নিয়ে সালাত আদায়
করেন ৷ সালাত আদায় করার পর তিনি সকলের দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি কি
বেশী পড়ে ফেলেছি? আসলে তার থেকে ত্রুটি-ৰিচ্যুতি হয়েছিল ৷ হযরত উসমান (র) র্তাক
বেত্রাঘাত করেন এবং চার বছর পর কুফার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন ৷ তারপর তিনি
কফাতেই বসবাস করেন ৷ এরপর আলী (রা) যখন ইরাকে আসেন, তখন তিনি আয়-রিক্কায়
চলে যান ও সেখানে নিজের জন্য এক টুকরো যমীন খরিদ করে ৷ আর হযরত আলী (রা) ও
আমীরে সুআবিয়৷ (রা)-এর মধ্যে ত্ঘঢিত যুদ্ধও ওপরে যত যুদ্ধ হয়ে ছ তা যে কে তিনি সম্পুর্ণ


عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، مِمَّنِ انْتَقَلَ إِلَى دِمَشْقَ، وَلَهُ بِهَا دَارٌ، وَلَمَّا مَاتَ أَوْصَى إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ بْنِ أَبَانِ بْنِ أَبِي عَمْرٍو ذَكْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، أَبُو وَهْبٍ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، وَهُوَ أَخُو عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لِأُمِّهِ أَرْوَى بِنْتِ كُرَيْزِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَأُمُّهَا أُمُّ حَكِيمٍ الْبَيْضَاءُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَلِلْوَلِيدِ مِنَ الْإِخْوَةِ خَالِدٌ وَعُمَارَةُ وَأُمُّ كُلْثُومٍ، وَقَدْ قَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَاهُ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ مِنْ بَيْنِ الْأَسْرَى صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مَنْ لِلصِّبْيَةِ؟ فَقَالَ: " لَهُمُ النَّارُ " وَكَذَلِكَ فَعَلَ بِالنَّضْرِ بْنِ الْحَارِثِ. وَأَسْلَمَ الْوَلِيدُ هَذَا يَوْمَ الْفَتْحِ، وَقَدْ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَدَقَاتِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَخَرَجُوا يَتَلَقَّوْنَهُ، فَظَنَّ أَنَّهُمْ إِنَّمَا خَرَجُوا لَقِتَالِهِ، فَرَجَعَ فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرَادَ أَنْ يُجَهِّزَ إِلَيْهِمْ جَيْشًا، فَبَلَغَهُمْ ذَلِكَ، فَجَاءَ مَنْ جَاءَ مِنْهُمْ لَيَعْتَذِرُوا إِلَيْهِ وَيُخْبِرُوهُ بِصُورَةِ مَا وَقَعَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْوَلِيدِ: {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ} [الحجرات: 6] الْآيَةَ [الْحُجُرَاتِ: 6] . ذَكَرَ ذَلِكَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّةِ ذَلِكَ. وَقَدْ حَكَى
পৃষ্ঠা - ৬৭৮০


পৃথক থাকেন ৷এ এবছরেই তিনি তার যমীনেরক রৰুন্াছে ইনতিকাল করেন ৷ আর রিক্ক৷ থেকে ১৫
মাঈল দুরে ব্-ৰু ,র নমীন ও বাড়ীর কাছে৩ তাকে দাফন করা হয় ৷ কেউ কেউ বলেন হযরত
আমীরে মু আাবয়৷ বা ) এর আমলে তিনি ইনতিকা ল করেন ৷ আল্লাহ্ই আধক পবিদ্ভন্ত্রাত ৷

ইমা ৷ আশ্চ ৷হ্মদ (বা) ও আবু দাউদ (বা) মক্কা বিজয় সম্পর্কে তার থেকে একটি হাদীস

’ বর্ণনা করেন ৷ ইবন্ ৷ল জাগুযী (র) এ বছরহু তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ৷ তিনি উন্মুল
ম্ম্বিনীম্ হযরত মাইঘৃন৷ বিরত হাবিছ আহী হিলালীয়ার এ বছরেই মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ
করেন ৷ তবে ৫১ হিজরীতে তার ওফাত হয়েছে বলে পুর্বেই উল্লেখ করা হয়ে রুছু ৷ আবার কেউ

কেউ বলেন তিনি ৬৩ হিজরীব্লুত ইনতিকাল করেন ৷ আরার কেউ কেউ বলেন তিনি ৬৬
হিজবীব্লুষ্ ইনতিকাল করেন ৷ আমি বলি আমি পুর্বে যা বর্ণন৷ করেছি৩ ই সঠিক ৷

উন্মুল সুন্ষিনীন হযরকৰুউম্মে :সাল৷ না (বা)

তার নাম ছিল হিন্দ বিরত আবু উমাইয়৷ হুইাইফা ৷ কেউ কেউ বলেন, সহল ইবন আলশ্
মুগীরা ইবন আবদুল্লাহ ইনৃর উমর ইর্বৃন মাখবুম ৷ তিনি ছিলেন আ৷কবাশীযা আল
মাখয়ুমীয়৷ ৷ প্রথম তার বিয়ে হয়েছিল তারই র্চাচারু৩ ৷ ভাই আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ
এর সাথে ৷ স্বামার মৃত্যুর পর রাসুল (সা) এর সাথে তার বিয়ে হয় ৷ বদরের যুদ্ধের পর দ্বিতীয়
হিজরীর শাওয়াল মাসে রাসুল (সা)৩ তার সাথে বাসর ভুার সুসম্পন্ন করেন ৷ তিনি তার পুর্বের
স্বামী আবু সালাম৷ (রা) এর কাংছ রাসুল (না) হতে একটি হাদীস শ্রবণ করেছিলেন ৷ রাসুল
(সা) ইরশাদ করেন যদি কোন বাক্তি কোন মুসীবতে পতিত হয় আর যে রদি বলে এ ৷১া

ষ্,ন্ ন্ ন্াএ ৰুা৷াপ্রুা, আমরা তো ৷আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাৰেট্টও তার দিকেই ণ্প্ৰ৩া৷ব৩নকারী ৷” পরে
ণ্
,ধ্ ম্বীক্ষ্মান্এ
;; ণ্হেণ্ আল্লাহ এ মুসীৰত শোক আমাংক উদ্ধার কর এবং এর পরিবর্তে আমাকে তার
চাইতে অধিক মঙ্গলদান কর ৷ তাহলে আল্লাহ তা জানা তাকে তার পবিবর্তে অধিকন্ক্ষ্বট্টৰুল্যাণবদ্রর
ৰিয়ামত দান করবেন ৷
তিনি বলেন, যখন আবু সালাম৷ (বা) ইনতিকাল করেন তখন আমি উৰুক্ত দু আটি পাঠ

করলাম এবং মনে মনে বলতে আপনার, প্রথম হিজয়তকারী ব্যক্তি আবু সাল্যাং (রা) হতে
আর অধিক উত্তম কে হতে পারে ? এরপর আল্লাহ্ তাআল৷ আমার জন্য রাসুল (সা) কে
নির্ধারণ করলেন এবং আমি বললাম, আল্লাহ তা আলা আমাকে তার থেকে উত্তম নিয়ামত দান
করবেন ৷ আর তিনি হলেন; খোদ রাসুল (সা) ৷ হযরত উম্মে সালাম৷ (রা) ছিলেন ৩াভি সুন্দরী
ও ইবাদর্তগুজার মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ শ্ ’ ণ্
আল ওয়াকিদী (রা) বলেন, তিনি ৫৯ ইিজরীতে ইনজ্জিাল করেন ও আবু হ্বাযর৷ (রা)
তার জানাব৷ সালাতে কলোঃাকোরন ৷ ইবন আবু খায়সামা বঃল্র্চল্, হবক৩ উম্মে সালাম৷ (রা)
ইয়াযীন ইবন ঘু আবিকর আমলে ইনতিকাল করেন ৷

আমি বলি, হযরত ইমাম হুসাইন (রা) এর শাহাদা৩ ৰুসম্পর্কেন্যে সব হাদীস পুর্বে বর্ণনা
বল্ম৷ হয়েছে এগুলোর :দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি হুসইিন (রা) এর শাহাদাতের পরও জীবিত
ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই অধিক পবিজ্ঞাত




أَبُو عَمْرِو بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَلَى ذَلِكَ الْإِجْمَاعَ. وَقَدْ وَلَّاهُ عُمَرُ صَدَقَاتِ بَنِي تَغْلِبَ، وَوَلَّاهُ عُثْمَانُ نِيَابَةَ الْكُوفَةِ بَعْدَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ، ثُمَّ شَرِبَ الْخَمْرَ وَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: أَزِيدُكُمْ؟ وَوَقَعَ مِنْهُ تَخْبِيطٌ، ثُمَّ إِنَّ عُثْمَانَ جَلَدَهُ وَعَزَلَهُ عَنِ الْكُوفَةِ بَعْدَ أَرْبَعِ سِنِينَ فَأَقَامَ بِهَا، فَلَمَّا جَاءَ عَلِيٌّ إِلَى الْعِرَاقِ سَارَ إِلَى الرَّقَّةِ، وَاشْتَرَى لَهُ عِنْدَهَا ضَيْعَةً، وَأَقَامَ بِهَا مُعْتَزِلًا جَمِيعَ الْحُرُوبِ الَّتِي كَانَتْ أَيَّامَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ وَمَا بَعْدَهَا إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ بِضَيْعَتِهِ هَذِهِ، وَدُفِنَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَهِيَ عَلَى خَمْسَةَ عَشَرَ مِيلًا مِنَ الرَّقَّةِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. رَوَى لَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ حَدِيثًا وَاحِدًا فِي فَتْحِ مَكَّةَ، وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَذَكَرَ أَيْضًا وَفَاةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ وَفَاتِهَا فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ، وَقِيلَ: إِنَّهَا تُوُفِّيَتْ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. وَالصَّوَابُ مَا ذَكَرْنَاهُ. أُمُّ سَلَمَةَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ هِنْدُ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ حُذَيْفَةَ - وَقِيلَ: سُهَيْلٌ - بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيَّةُ الْمَخْزُومِيَّةُ، كَانَتْ أَوَّلًا تَحْتَ ابْنِ عَمِّهَا أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ، فَمَاتَ عَنْهَا، فَتَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَخَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৮১

৬২ হিজরী সন

কথিত আছে যে, এবছব্লুর ই মদীনা শরীফ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়৷ (রা)শ্এর দরবারে আগমন করে ৷ ইয়ুায়ীদ তাদেরকে সম্মান করেন এবং মুল্যবান
উপব্লুচীকন দান করেন ৷৩ তারা উপচৌকনগুলাে নিয়ে ইয়াযীদের কাছ থেকে মদীনা প্রত্যাবর্তন
করেন এবং ই য়া ষীদের আনুগ৩ প্রত্যাখ্যান করেন ও আবদুল্লাহ ইবন হানৃযালা আলশ্গাসীল
(আ) কে তাদের নেতা নির্বাচিত করেন ৷ পরের বছর ইয়াযীদ তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য পরিচালনা
করেন, যা হারবার ঘটনা বলে প্রসিদ্ধ ৷ ইয়াযীদ হিজায থেকে আমর ইবন সাঈদ ইবন সা দকে
বরখাস্ত করেন এবং ওয়ালীদ ইবন উতবাইবন আবু লুফিরানকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন ৷
ওয়ালীদ যখন মদীনায় প্রবেশকরেন তখন সরকাব্লুরর সমন্তু সম্পদ সম্পত্তি দখল করেন আর
ইবন সায়ীব্লুদর ব্লুপালামব্লুদরব্লুকও হ্স্তপত করেন ৷ তারা ছিল সং খ্যায় তিনশত জন ৷ আমর ইবন
সায়ীদ ইয়াযীদের কাছে লোক প্রেরণ করে তাদেরকে কব্লুয়দখানা থেকে ব্লুবর হয়ে তার সাথে
যােগাব্লুযাগ করার জন্য আদেশ ,,র্দিব্লুলনঃ ৷৩ তাব্লুদর জন্য উট তৈরী রাখলেন যাতে তারা তাতে
সওয়ার হতে পারে৷ তারা তা করল এবং তার সাথে মিলিত হওয়ার পর তিনি ইয়াযীদের
দরবারে পৌছলেনঃ ৷ ইয়াযীদ তাকে সম্মান করলেন ও ইঘৃযত দিলেন এবং তাকে ব্লুখাশ
আমদেদ জানালেন ৷ তাকে নিকটে বসাব্লুলন ৷ তারপর আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) সম্পর্কে
ব্যর্থতার জন্য অনৃব্লুযাপ করলেন ৷

তখন তিনি বললেনছুং ব্লুহ আমীরুল মুমিনীন ! অনুপস্থিত ব্যক্তি বা জানে না উপস্থিত ব্যক্তি

তা দেশে ও জানে ৷ সমগ্ন মক্কা ও হিজাযের জনগণ আমাদের থেকে তাকে বেশী সালে ও
ভালরাব্লুস ৷ আমার কাছে এরকম শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে, যার মাধ্যমে আমি তাদেরকে

থোমকাব্লুল দমন করতে পারি ৷ তিনি অবশইি আমাকে ভয় করেন এবং সব সম্হুন্ আমার
ব্লুথব্লুক দুরে থাকতে চেষ্টা করেন ৷ আমি তার প্ৰতি অনেক সময় নরম ব্যবহার করেছি এবং
সুযোগ সৃষ্টি করে ব্লুরখেছি যাতে আমি তাকে বিদ্রোহের কালে মজবুত হাতে ধরতে পারি ৷ তা
সত্বেও আমি তার প্রতি সংকট আব্লুরাপচু করে ব্লুরখেছি এবং অনেক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ
করেছি ৷ আসি মক্কার রাস্তায় ও র্ঘাটিগুলােব্লুত পাহারাদার নিযুক্ত করে রেখেছি ৷ তারা নিনবর্ণিত
তথ্যগুলো পরিবেশন ব্যতীত শহরে ঢুকতে দেয় না ৷ প্রথমে নিজের নাম ও পিতার নাম লিখতে
হরে কোন শহর থেকে সে এসেছে এবৎ কার জন্য এসেছে ও কি উদ্দেশ্যে এসেছে ৷ যদি সে
তার ব্লুল্যুক হয় কিংবা বুঝা যায় যে, তারই উদ্দেশ্যে এসেছে, তখন তাকে অপমান করে ফেরত
পাঠানো হয় ৷ অন্যথায় তাকে যেতে দেয়৷ হয় ৷

আপনি ওয়ালীদকে নিযুক্ত করেছেন, যে আপনার কাছে নিব্লুজর কার্যকলাপ ও দায়িত্ব
পালনের প্রতিব্লুবদন; য়ব্রান দাখ্রিল করবে, তখন আপনি আমার ন্শ্রচেষ্ট৷ ও আপনার সম্পর্কে
আমার কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিধি জানতে পারবে না ৷ আল্লাহৃ আপনার মঙ্গল করুন
এবং আপনার ভ্রাত্রুকে দমন বক্ষ্মন ৷ ইয়াযীদ তাকে বললেন, যে ব্লুতামার বদনাম করেছে, যে
তে মাের ব্লিরুদ্ধে আমাকে ৰু উত্তেজিত করেছে, তার থেকে তুমি অধিক মত্যবাদী বলে মনে হয় ৷
তুমি এমন ব্লুলাকদের অন্তর্গত যাদের উপর আমি নির্ভর করতে পারি, যাদের সাহায্য আশা


بِهَا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، وَقَدْ كَانَتْ سَمِعَتْ مِنْ زَوْجِهَا أَبِي سَلَمَةَ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصَابُ بِمُصِيبَةٍ فَيَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا. إِلَّا أَبْدَلَهُ اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا» ". قَالَتْ: فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ ذَلِكَ، ثُمَّ قُلْتُ: وَمَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ أَوَّلِ رَجُلٍ هَاجَرَ؟ ! . ثُمَّ عَزَمَ اللَّهُ لِي فَقُلْتُهَا، فَأَبْدَلَنِي اللَّهُ خَيْرًا مِنْهُ، رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَتْ مِنْ حِسَانِ النِّسَاءِ وَعَابِدَاتِهِنَّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَتْ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهَا أَبُو هُرَيْرَةَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: تُوُفِّيَتْ فِي أَيَّامِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قُلْتُ: وَالْأَحَادِيثُ الْمُتَقَدِّمَةُ فِي مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ تَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا عَاشَتْ إِلَى مَا بَعْدَ مَقْتَلِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا.