আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ستين من الهجرة النبوية

صفة مخرج الحسين وما جرى له بعد ذلك

পৃষ্ঠা - ৬৬৭০

হযরত হুসায়নের ইরাক পম৫নর প্রেক্ষাপট

হ্রাকবাসীর পক্ষ থেকে যখন হযরত হুসায়৫নর কাছে একের পর এক পত্র আসতে লাগল
এর তার ও আেদের মাঝে বারংবার দুত বিনিময় হলা তদুপরি তাকে সপরিবারে সেখানে
আগমনের অনুরোধ সম্বলিত মুসলিম বিন আর্কীলের পত্র যখন তার কাছে আসল তখন তিনি
হরাকের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকর হলেন ৷ যদিও এসময়েরই মাঝে তার
অজ্ঞাতসারে মুসলিম বিন আকীল নিহত হলেনা আর মক্কা থেকে তিনি মুসলিম বিন আকীল
হত্যার একদিন পুর্বে৩ তালবিয়ার দিন রওনা হন ৷ কেননা, মুসলিম নিহত হন আরাফা র দিনা
আর ৫লাকেরা যখন ইরাক গমনের বিষয় অবহিত হল, তখন তারা তার ব্যাপারে শস্কিত হল
এবং দুরদর্শী ও হিতাকা তফীরা তাকে ইরাক না যাওয়ার এরৎ মক্কায় অবস্থানের পরামর্শ দিলা
এসময় তারা তাকে তার পিতাও ভাইয়ের সাথে ইরাকবাসীর আচরণ স্মরণাকরিয়ে দিল ৷
সুফিয়ান বিন উআয়না বর্ণনা করেন, ইবরাহীম বিন মায়সারাহ থেকে, তিনি ছুাউসণ্ থেকে, তিনি
ইবন আব্বাস থেকে, তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, ইরাক ণমনের ব্যাপারে হুসায়ন আমার
পরামর্শ চাইল, তখন আমি তাকে বললাম, যদি এই আশঙ্কা,ৰুনা করতাম যে, ৫লাকেরা
আমাদেরকে অরজ্ঞা করবে, তাহলে আমি আমার হাত দিয়ে তোমার মাথা আকড়ে ধরতাম
এবং তোমাকে যেতে তাম না ৷ তখন সে আমাকে যে উত্তর দিন তা হল, অমুক, অমুক স্থানে
আমার নিহত ৩হওয়া আমার কাছে মক্কায় নিহত হওয়ার চেয়ে প্রিয় ৷ তিনি বলেন, এই বিষয়টিই
তার ব্যাপারে আমার মনকে সা ন্তুনা দিয়েছো
আর আবু মুখাননাফ বর্ণনা করেন, আর হাবিস বিন কাব আল ওয়ালিবী থেকে তিনি
উক্বা: বিন সামআন থেকে যে, হযরত হুসায়ন (রা) যখন, কুযব্া পমনের চুড়ান্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করলেন, তখন ইবন আব্বাস (বা) তার কাছে এসে বললেন, ৫হ চাচার ছেলো ৫লা৫করা গুজব
ছড়াচ্ছে যে তুমি ইরাক রওনা হচ্ছ, আমাকে খুলে বল, আসলে তুমি কি করতে যাচ্ছ? তখন
’ তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ্ আমি এই দু দিনের যে কোন; এক দিনে রওনা হচ্ছিা তখন ইবন
আব্বাস তাকে বললেন, আমার পরামর্শ হল যদি তারা তাদের বর্তমান শাসককে হত্যা করে,
তাদের শক্রাদর বিতাড়িত করে তারপর তাদের দেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে থাকে,
তাহলে তুমি তাদের কাছে যাও ৷ আর যদি তাদের শাসক জীবিত থাকে এবং তাদের উপর
তার প্রবল শাসন কর্তৃতু প্রতিষ্ঠিত থাকে, আর৩ র কর্মচারীরা তাদের দেশের কর ও খাজনা
উসুল করতে থাকে তাহলে তারা৫ তামা৫ক নিছক ভৈনরাজ্য বিশৃগ্রলা এবং যুদ্ধ বিপ্রহের জন্য
৫ডকেছো তদুপরি আমি আশঙ্কা করি যে, তারা জনসাধারণকে তোমার বিরুদ্ধে ৫ক্ষপিয়ে
তুলবে এবং তাদের মনোভাব বিপরীতমুখী করে ফেলবো তখন যে তোমাকে আহ্বান করেছে
সেই ৫৩ তামার ঘোর বিরোধীতে পরিণত হবো তখন হু সায়ন (রা) বললেন, আমি আল্লাহর কাছে
কল্যাণ প্রাহুনিা করছি এবং চিন্তাভাবনা করছিা এরপর ইবন আব্বাস বের হয়ে গেলেন এবং
ইবনুয যুবাইর (বা) প্রবেশ করলেনা তিনি তাকে (হুসায়ন (রা) ৫ক) বললেন, আমি জানি না



১ আতৃ তাবারীতে (৬২১৬) এবং আল কামি৫ল (৪৩ ৭) রয়েছেং যুদ্ধের দিকে’া
২ আতৃ তাবারীতে উতবা রয়েছো


[صِفَةُ مَخْرَجِ الْحُسَيْنِ وَمَا جَرَى لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ] لَمَّا تَوَاتَرَتِ الْكُتُبُ إِلَى الْحُسَيْنِ مِنْ جِهَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَتَكَرَّرَتِ الرُّسُلُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ، وَجَاءَهُ كِتَابُ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ بِالْقُدُومِ عَلَيْهِ بِأَهْلِهِ، ثُمَّ وَقَعَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ مَا وَقَعَ مِنْ مَقْتَلِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ وَالْحُسَيْنُ لَا يَعْلَمُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، بَلْ قَدْ عَزَمَ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَيْهِمْ وَالْقُدُومِ عَلَيْهِمْ، فَاتَّفَقَ خُرُوجُهُ مِنْ مَكَّةَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ قَبْلَ مَقْتَلِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ - فَإِنَّ مُسْلِمًا قُتِلَ يَوْمَ عَرَفَةَ - وَلَمَّا اسْتَشْعَرَ النَّاسُ خُرُوجَهُ أَشْفَقُوا عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ، وَحَذَّرُوهُ مِنْهُ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ ذَوُو الرَّأْيِ مِنْهُمْ وَالْمَحَبَّةِ لَهُ بِعَدَمِ الْخُرُوجِ إِلَى الْعِرَاقِ، وَأَمَرُوهُ بِالْمُقَامِ بِمَكَّةَ، وَذَكَّرُوهُ مَا جَرَى لِأَبِيهِ وَأَخِيهِ مَعَهُمْ. قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: اسْتَشَارَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي الْخُرُوجِ فَقُلْتُ: لَوْلَا أَنْ يُزْرَى بِي وَبِكَ لَشَبِثْتُ يَدِي فِي رَأْسِكَ. فَكَانَ الَّذِي رَدَّ عَلَيَّ أَنْ قَالَ: لَأَنْ أُقْتَلَ فِي
পৃষ্ঠা - ৬৬৭১


আমরা এই সম্প্রদায়ের জন্য কি ত্যাগ করেছি? অথচ আমরা মুহাজির সন্তান এবং তাদের
পরিবর্তে এই শাসন কর্তৃত্বে র প্রকৃত অধিকারী ৷ আমাকে বল দেখি, তুমি কি করতে চড়াচ্ছ?
তখনর হুসায়ন (রা ) বললেন, আল্লাহর কসম ৷ আমার কুফা য় যা ৷ওয়ার ব্যাপারে আমার মন
সায় দিচ্ছে ৷ সেখান থেকে আমার অনুসারীও সেখানকার সস্রান্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের কাছে
আগমনের জন্য আমাকে লিখেছে, আর আমি আল্লাহর কল্যাণ প্রার্থনা করছি ৷

তখন ইরনুয যুবাইর বললেন, তোমার মত অনুসায়ীবৃন্দ যদি সেখানে আমারও থাকত
তাহলে আমিওত ৷থেকে মুখ ফিরাতাম না ৷১ তারপর তিনি যখন তার কাছ থেকে বের হয়ে
গেলেন তখন হুসায়ন (রা ) বললেন, ইবনুঘৃ ষুবাইরের জানা আছে, আমার সাথে থাকা অবস্থায়
এ বিষয়ে তার কে ন সুযোগ নেই এবং লোকেরা আমার কোন বিকল্প দেখে না ৷৩ তাই তিনি

কামনা করেছেন, যেন আমার চলে যাওয়ায় লোকেরা তার অনুসরণের জন্য যুক্ত হয় ৷ এরপর

, যখন সন্ধ্য৷ বা সকাল হল, তখন ইবন আব্বাস (রা) আবার হুসায়নের কাছে এসে বললেন, হে
আমার চাচার সন্তান ৷ আমি ধৈর্যধারণ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু ধারণ করত পারছি না ৷ আমি
আশঙ্কা ৷করছি, এ পথে অগ্রসর হলে তুমি নিহত হবে ৷ ইরাকবাসী প্রতারণা প্রবণ সম্প্রদায় ৷
কাজেই তুমি তাদের দ্বারা প্ৰত৷ ৷রিত হয়াে না ৷ তুমি এই পবিত্র ও নিরাপদ শহরে অবস্থান কর,
যতক্ষণ না ইরাকবাসী তাদের শত্রুদের বিতাড়িত করে ৷ তারপর তাদের কাছে গমন করে৷ ৷
আর যদি তা তোমার মনপুত না হয় তাহলে ইয়ামন অভিমুখে রওনা হয়ে যাও ৷ কেননা,
সেখানে বহু দৃর্ভেদা ঘাঢি রয়েছে, তাছাড়া সেখানে তোমার পিতার অনুসারীরাও বিদ্যমান ৷
সেখানে গিয়ে জনসশ্রেব এড়িয়ে চলবে, তাদের কাছে পত্র লিখবে, তাদের মাঝে তোমার
দাঈদের ছড়িয়ে দিবে ৷ আমার প্রত্যাশা যদি তুমি তা করতে পার তাহলে তোমার মনবাসনা
পুর্ণ হবে ৷

তখন হুসায়ন (রা) বললেন, হে আমার চাচার সন্তান ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আমি জানি তুমি
আমার হিতাকাডক্ষী ও ভ্রাতৃবৎসল ৷ কিন্তু আমি কুফাভিমুখে রওনা হওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে
ফেলেছি ৷ তখন তিনি বললেন, যদি তুমি যেতেই চাও তাহলে অন্তত তোমার ন্তী সন্তানদের সাথে
নিও না আল্লাহর কসম ৷ আমার আশঙ্কা হয় হযরত উসমানের ন্যায় তোমাকেও ত্রী সন্তানের
চোখের সামনে হত্যা করা হবে ৷ তারপর ইবন আব্বাস (বা) বললেন, আর হিজায ছেড়ে দিয়ে
তুমি ইবনুয যুবাইরের চক্ষু জুড়িয়ে দিয়েছো ৷ শপথ, আল্লাহর ৷ যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই,
যদি আমি নিশ্চিত হতাম যে,আমি তোমার মাথা জাকড়ে ধরলে তুমি আমার কথা শুনবে এবং
মক্কায় থেকে যাবে, তাহলে আমাদেরকে এ অবস্থায় দেখে লোকজন জড়ো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
থাকলেও আমি তা অবশ্যই করতায ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তার কাছ থেকে বেরিয়ে



১ আল আখৰারুৎ তিওয়ালে (২৪৪ পৃ) রয়েছে যে, ইবনুয যুবাইর আগমন করে হযরত হুনায়নের সাথে
সাক্ষাত করলেন, তারপর তাকে বললেন, যদি তুমি এই হারামেই অবস্থান করতে এবং তোমার দুতদের দেশে
ছড়িয়ে দিতে এবং ইরাকে তোমার অনুসারীদের তোমার কাছে আগমন করার জন্য লিংখ পাঠাতে আর
তোমাকে সর্বাঅক ও সার্বিক সহযোগিতা আমার কর্তব্য ৷ আর মুরুযুয যাহাবে (৩৬৯) যে, ইবনুয্ যুবাইর
হুসায়নকে বললেন, সত্যিই আমার যদি তোমার ন্যায় অনুসারী ও আনসার থাকত তাহলে আমি তা থেকে মুখ
ফিরাতাম না ৷ তারপর তিনি আশকো করলেন, হসায়ন তাকে ভুল বুঝবেন, তখন বললেন, আর তুমি যদি
স্বস্থানে থেকেই আমাদেরকে এবং হিজাযবাসীকে তোমার বায়আতে আহ্বান করতে তাহলে আমরা তাতে দ্রুত
ধাবিত হতাম ৷


مَكَانِ كَذَا وَكَذَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُقْتَلَ بِمَكَّةَ. قَالَ: فَكَانَ هَذَا الَّذِي سَلَا نَفْسِي عَنْهُ. وَرَوَى أَبُو مِخْنَفٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ الْوَالِبِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ سَمْعَانَ، أَنَّ حُسَيْنًا لَمَّا أَجْمَعَ الْمَسِيرُ إِلَى الْكُوفَةِ أَتَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ: يَا ابْنَ عَمِّ، إِنَّهُ قَدْ أَرْجَفَ النَّاسُ أَنَّكَ سَائِرٌ إِلَى الْعِرَاقِ، فَبَيِّنْ لِي مَا أَنْتَ صَانِعٌ. فَقَالَ: إِنِّي قَدْ أَجْمَعْتُ الْمَسِيرَ فِي أَحَدِ يَوْمَيَّ هَذَيْنِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَخْبِرْنِي إِنْ كَانَ قَدْ دَعَوْكَ بَعْدَ مَا قَتَلُوا أَمِيرَهُمْ وَنَفَوْا عَدُوَّهُمْ وَضَبَطُوا بِلَادَهُمْ، فَسِرْ إِلَيْهِمْ، وَإِنْ كَانَ أَمِيرُهُمْ عَلَيْهِمْ قَاهِرًا لَهُمْ، وَعُمَّالُهُ تَجْبِي بِلَادَهُمْ، فَإِنَّهُمْ إِنَّمَا دَعَوْكَ لِلْفِتْنَةِ وَالْقِتَالِ، وَلَا آمَنُ عَلَيْكَ أَنْ يَسْتَنْفِرُوا إِلَيْكَ النَّاسَ، فَيَكُونُ الَّذِينَ دَعَوْكَ أَشَدَّ النَّاسِ عَلَيْكَ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: إِنِّي أَسْتَخِيرُ اللَّهَ وَأَنْظُرُ مَا يَكُونُ. فَخَرَجَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنْ عِنْدِهِ، وَدَخَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَدْرِي مَا تَرْكُنَا لِهَؤُلَاءِ الْقَوْمِ، وَنَحْنُ أَبْنَاءَ الْمُهَاجِرِينَ، وَوُلَاةُ هَذَا الْأَمْرِ دُونَهُمْ، أَخْبِرْنِي مَا تُرِيدُ أَنْ تَصْنَعَ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: وَاللَّهِ لَقَدْ حَدَّثْتُ نَفْسِي بِإِتْيَانِ الْكُوفَةِ، وَلَقَدْ كَتَبَ إِلَيَّ شِيعَتِي بِهَا وَأَشْرَافُ أَهْلِهَا، وَأَسْتَخِيرُ اللَّهَ. فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: أَمَا لَوْ كَانَ لِي بِهَا مِثْلُ شِيعَتِكَ مَا عَدَلْتُ عَنْهَا. فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ الْحُسَيْنُ: قَدْ عَلِمَ أَنَّهُ لَيْسَ لَهُ مِنَ الْأَمْرِ مَعِي شَيْءٌ، وَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْدِلُوهُ بِي،
পৃষ্ঠা - ৬৬৭২

গেলেন এবং ইবনুয যুবাইর তার সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন, হে
যুব ৷ইর তনয় ! তোমার চক্ষু জুড়িয়েব্লুছ কি? তারপর আবৃত্তি করলেন,


তৃণ পানি ও দানায় পুর্ণ ভুখণ্ডের বাসিন্দ৷ হে সৌভাগ্যবান ভারুই পাখি ! তোমার আকাশ

আজ যুক্তৃ ৷ সুতরাং তুমি সান্ন্দে শিস দিয়ে গাও এবং ডিম দাও ৷


যত ইচ্ছা দানা খুব্লুট খাও আর সুসংবাদ নাও যে, তোমার শিকারী আজ ধরাশায়ী ৷

এরপর ইবন আব্বাস বললেন, এই যে আমাদের হুসায়ন তোমার জন্য হিজায ছেড়ে দিয়ে
ইরাকে রওনা হচ্ছে ৷ একাধিক বর্ণনাকারী শাবাবাহ বিন সাওয়ার থেকে বলেন, আমাদেরকে
ইয়াহ্ইয়া বিন ইসমাঈল বিন আ ৷লীম আল আসাদী বর্ণনা করেছেন৩ তিনি বলেন, আমি শা বিব্লুক
ইবনট্রুউমরের বরাত দিয়ে বর্ণনা করতে শুব্লুনছি, তিনি মক্কায় অবস্থানকালে জানতে পারলেন,
যে, হুসায়ন বিন আলী ইরাক অভিমুখে রওনা করেছেন ৷ তখন তিনি তিনদিব্লুনর পথ অতিক্রম
করে তীর সাথে মিলিত হলেন, তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হুসায়ন তুমি কোথায় যাচ্ছা
তিনি বললেন, ইরাকে ৷ আর এসময়ে তিনি তার কাছে রক্ষিত, বেশ কিছু চিঠিপত্রন্ দেখিয়ে
তাকে বললেন, এই দেখুন তাদের পত্র ও বায়আত নামাসমুহ ৷ তিনি বললেন, তুমি তাদের
কাছে যেও না ৷ কিন্তু হু সায়ন (রা) অস্বীকার করলেন ৷ তখন ইবন উমর বললেন, তাহলে গােন
আমি তোমাকে একটি হাদীস বর্ণনা করছি, একবার জিবরাঈল (আ) নবী করীম (সা) এর
কাছে আগমন করলেন এবং তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোন একৃটিকে বেছে নিতে
বললেন, তখন তিনি আখিরাত কে বেছে নিলেন, দুনিয়া চাইলেন না ৷ আর তুমি আল্লাহর
রাসুলের শরীরের অঙ্গ তুলা ৷ আল্লাহর কসম ! তোমাদের কেউ কখনো এই কতৃতু লাভ করবে
না ৷ আল্লাহ তোমাদের থেকে তা ফিরিয়ে রেখেছেন তার চেয়ে উত্তম বিষয় ভোমব্লুদর জন্য
সঞ্চিত সং রক্ষিত রাখার কারণে ৷ কিন্তু তিনি (হুসায়ন)ত তার মত পরিবর্তন করতে অস্বীকার
করলেন
রাবী বলেন, তখন ইবন উমর (রা)৩ তাকে জড়িয়ে ধরে র্কাদতে র্কাদব্লুত বললেন,
শহীদরুগে আমিব্লু তোমাকে আল্লাহর হাওলা করছি ৷ ইয়াহ্ইয়া বিন মায়ীন বলেন,
আমাদেরকে আবু উবায়দা বর্ণনা করেছেন, সাঈদ বিন মিনা থেকে তিনি বলেন, আমি
আবদুল্লাহ্ বিন আমরকে বলতে শুনেছি, হুসায়নত তার ভাগ্যবিধানকে রান্বিত করেছেন ৷
আল্লাহ্র শপথ ! যদি আমি তার নাগাল পেতাম তাহলে আমাকে পরাজিত না করে তাকে
বের হতে দিতাম না ৷ বনী হাশিম দ্বারা এই বিষয়ের সুচনা হয়েছে এবং বনী হাশিম দ্বারাই-
এর ইতি ঘটবে ৷৩ তাই যদি দেখ ব্লুকান হাশিমী শাসন কর্তৃব্লুতু র অধিকারী হয়েছে, তাহলে
বুঝবে সময় শেষ হয়ে গিয়েছে ৷



১ মুরুজুয্ ষাহাব্লুব (৩৩৯) এবং ইবনুল আছমে (৫১ ১৪ ) শব্দটির অন্য বানান ব্যবহৃত হয়েছে ৷

২ ফুতুহ্ ইবনুল আ হয়ে এই দুই পঙক্তির পরে রয়েছে ৷শু,শুৰুম্ এ ১১৷ ;ন্ ১এ্ শ্ব ব্লু;;া১এএ ৷১শু^১ ণ্এে ঞ্চে ১ভ্র
এ);শ্ব্লুব্র র্ফাদ তো উঠিয়ে নেয়া হয়েছে সুতরাৎ৩ তোমার ভয় কিসের অপেক্ষা কর একদিন অবশ্যই তোমাকে
শিকার করা হবে ৷


فَوَدَّ أَنِّي خَرَجْتُ لِتَخْلُوَ لَهُ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْعَشِيِّ أَوْ مِنَ الْغَدِ جَاءَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى الْحُسَيْنِ فَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ عَمِّ، إِنِّي أَتَصَبَّرُ وَلَا أَصْبِرُ، إِنِّي أَتَخَوَّفُ عَلَيْكَ فِي هَذَا الْوَجْهِ الْهَلَاكَ، إِنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَوْمٌ غُدُرٌ فَلَا تَغْتَرَّنَّ بِهِمْ، أَقِمْ فِي هَذَا الْبَلَدِ حَتَّى يَنْفِيَ أَهْلُ الْعِرَاقِ عَدُوَّهُمْ، ثُمَّ اقْدَمْ عَلَيْهِمْ، وَإِلَّا فَسِرْ إِلَى الْيَمَنِ فَإِنَّ بِهِ حُصُونًا وَشِعَابًا، وَلِأَبِيكَ بِهِ شِيعَةٌ، وَكُنْ عَنِ النَّاسِ فِي مَعْزِلٍ، وَاكْتُبْ إِلَيْهِمْ، وَبُثَّ دُعَاتَكَ فِيهِمْ، فَإِنِّي أَرْجُو إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ مَا تُحِبُّ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: يَا ابْنَ عَمِّ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ نَاصِحٌ شَفِيقٌ، وَلَكِنِّي قَدْ أَزْمَعْتُ الْمَسِيرَ. فَقَالَ لَهُ: فَإِنْ كُنْتَ وَلَا بُدَّ سَائِرًا فَلَا تَسِرْ بِنِسَائِكَ وَصِبْيَتِكَ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَخَائِفٌ أَنْ تُقْتَلَ كَمَا قُتِلَ عُثْمَانُ وَنِسَاؤُهُ وَوَلَدُهُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَقْرَرْتَ عَيْنَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بِتَخْلِيَتِكَ إِيَّاهُ بِالْحِجَازِ، وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ إِذَا أَخَذْتُ بِشَعْرِكَ وَنَاصِيَتِكَ حَتَّى يَجْتَمِعَ عَلَيَّ وَعَلَيْكَ النَّاسُ أَطَعْتَنِي وَأَقَمْتَ، لَفَعَلْتُ ذَلِكَ. قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ فَلَقِيَ ابْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: قَرَّتْ عَيْنُكَ يَا ابْنَ الزُّبَيْرِ. ثُمَّ قَالَ: يَا لَكِ مِنْ قُنْبَرَةٍ بِمَعْمَرِ ... خَلَا لَكِ الْجَوُّ فَبِيضِي وَاصْفِرِي وَنَقِّرِي مَا شِئْتِ أَنْ تُنَقِّرِي
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৩

এখন আমার বক্তব্য হল, এই হাদীসখানি আবদুল্লাহ ইবন উমরেয় হাদীসের সমার্থক রুপে
একথা প্রমাণ করে যে (মিসরীয়) ফাতিমীগণ মিথ্যা দাবীদার ৷ তারা হযরত ফ স্মি৷ (বা) এর
বংশভুক্ত নয় ৷ যেমনটি একাধিক ইমাম (ইতিহাসবেত্তা ) উল্লেখ করেছেন ৷ ইনশাআল্লাহ্
যথাস্থানে আমরাও বিষয়টি উল্লেখ করব ৷

ইয়াকুব বিন সুফিয়ান বলেন, আমাদেরকে আবু বকর আল হুমইিদী বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, আমাদেরকে সুফিয়ান বর্ণনা করেছেন,৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে আবদুল্লাহ নিন শরীক
বৰুনাি করেছেন বিশর বিন পানির থেকে তিনি বলেন, ইবনুয ঘুবাইর হুসাইন (রা)-কে জিজ্ঞাসা
করলেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ? তুমিকি এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ, যারা তোমার
পিতাকে হত্যা করেছে আর তোমার ভাইকে অপবাদ দিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, অমুক
কিংবা অমুক স্থানে নিহত হওয়া আমার কাছে আমার কারণে মক্কা হালাল (হত্যা বৈধস্থান)
হওয়া থেকে উত্তম ৷ আয্ যুবাইর বিন বাক্কার বলেন, আমাকে আমার চাচা মুস,আব বিন
আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, যিনিহিশাম বিন ইউসুফকে মামারের বরাত দিয়ে বলতে শুনেছেন,
তিনি (মামর) বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে হযরত হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে,
তিনি আবদুল্লাহ বিন যুব ইবকে বলেন, আমার কাছে এমন চল্লিশ হাজার লোকের
ব্যয় আতনামা পৌছেঃছ যারা স্তীর তালাক এবং ক্রীত দাসের মুক্তির শপথ করে বলেছে যে,

তারা আমার সাথে আছে ৷ তখন ইবনুয যুবাইর তাকে বললেন, তুমি কি এমন সম্প্রদায়ের প্

কাছে যাচ্ছ যারা তোমার পিতাকে হত্যা করেছে এবং ভ্রাতাকে বহিষ্কার করেছে ! হিশাম
বললেন, তখন আমি যা মারকে বর্ণনাকারী লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, উত্তরে তিনি
বললেন, লোকটি নির্ভরযেগ্যে ৷

আঘৃ থুবইিব বলেন, আর আমার চাচা বলেন; কেউ কেউ দাবী করেন একথার কথক
হলেন, ইবন আব্বাস (রা) ৷ ওয়াকেদীর কাতিব মুহাম্মাদ বিন সাদ এটাকে চমৎকার ও
বিশদভাবে বংনাি করেছেন ৷ তিনি বলেন আমাদেরকে আলী বিন মুহাম্মাদ অবহিত করেছেন,
ইয়াহ্ইয়া বিন ইসমাঈল বিন আবুল মুহাজির থেকে, তারা দু’জন মুহাম্মাদ বিন বশীরন্ আল
হামদানী ও অন্যান্য এবং মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ থেকে, তারা আবদুল মালিক বিন উমাইর
থেকে, তিনি হারুন বিন ঈসা থেকে, তিনি ইউনুস বিন ইসহাক থেকে, তিনি তার পিতা থেকে,
তিনি শাবী থেকে,৩ তিনি (শাবী) বলেন, মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, এরা ছাড়াও অনেকে
আমাকে এই হাদীসের অং শ বিশেষ বর্ণনা করেছেন, আর আমি তাদের সকলের বর্ণিত
হাদীসের সবটুকু হযরত হুসায়নের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বর্ণনা করেছি ৷ আল্লাহ তার প্রতি রাযী
হোন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, লোকেরা যখন ইয়াযীদের অনৃকুলে হযরত ৩মুআবিয়ায় (বা) হাতে
বায় আত করল, তখন হারা বায় আত করে নি হযরত হুসায়ন (রা) ছিলেন তাদের অন্যতম ৷
আর হযরত মুআৰিয়ার খিলাফতকালে কুফাবাসী বারবার তাকে তাদের কাংছ আগমনের
আহ্বান জানিয়ে পত্র লিখে ৷ কিন্তু প্রতিবার তিনি তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ৷ তখন
তাদের এক গোষ্ঠী মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যার কাছে এসে তাকে তাদের সাথে রওনা হওয়ার
অনুরোধ জানায়, কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন-৷ আর তারা হযরত হুসায়ন (রা)-এব কাছে
এসেও তাদের প্রস্তাব পেশ করে ৷ তখন হুসায়ন (রা) তাদেরকে বললেন,, লোকেরা
আমাদেরকে মাধ্যম বানিয়ে অন্যায় ভাবে গ্রাস করতে চায় এবং বাহাদুরী দেখাতে চায় আর


ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هَذَا حُسَيْنٌ يَخْرُجُ إِلَى الْعِرَاقِ وَيُخَلِّيكَ وَالْحِجَازَ. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ شَبَابَةَ بْنِ سَوَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ الْأَسَدِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ بِمَاءٍ لَهُ، فَبَلَغَهُ أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَدْ تَوَجَّهَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَلَحِقَهُ عَلَى مَسِيرَةِ ثَلَاثِ لَيَالٍ، فَقَالَ لَهُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ فَقَالَ لَهُ: الْعِرَاقَ. وَإِذَا مَعَهُ طَوَامِيرُ وَكُتُبٌ. فَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُهُمْ وَبَيْعَتُهُمْ. فَقَالَ: لَا تَأْتِهِمْ. فَأَبَى، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا ; إِنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَيَّرَهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْآخِرَةَ، وَلَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا، وَإِنَّكَ بَضْعَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَا يَلِيهَا أَحَدٌ مِنْكُمْ أَبَدًا، وَمَا صَرَفَهَا اللَّهُ عَنْكُمْ إِلَّا لِلَّذِي هُوَ خَيْرٌ لَكُمْ. فَأَبَى أَنْ يَرْجِعَ. قَالَ: فَاعْتَنَقَهُ ابْنُ عُمَرَ، وَبَكَى وَقَالَ: أَسْتَوْدِعُكَ اللَّهَ مِنْ قَتِيلٍ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ، ثَنَا سُلَيْمُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ: عَجَّلَ حُسَيْنٌ قَدَرَهُ، عَجَّلَ حُسَيْنٌ قَدَرَهُ، وَاللَّهِ لَوْ أَدْرَكْتُهُ مَا كَانَ لِيَخْرُجَ إِلَّا أَنْ يَغْلِبَنِي ; بِبَنِي هَاشِمٍ فُتِحَ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৪

মানুষের ও আমাদের রক রারাতে চায় ৷ এরপর হযরত হুসায়ন (বা) কিছুকাল দ্বিধা ও দ্বুশ্চিন্তার
মাঝে অতিবাহিত করেন ৷ একবার তাদের কাছে যাওয়ার কথা ড্রাবেন আরেকবার তাদের
থেকে দুরে অবস্থানের সৃত্কল্প গ্রহণ করেন ৷ তখন হযরত আবু সাঈদ খুদরী ব্লো ) তার কাছে
এসে বললেন হে আবু আরদুল্লাহ্ ! আমি তোমাদের হিতাকাভৃফী এবং ওে তমোদের প্রতি
স্নেহশীল ৷ আসার কাছে ;সং বাদ পৌছেছে যে কু ফায় অবস্থানকারীা তামাদের অনুসারী এক
পাে,ষ্ঠী পত্র যোপ্লো তামা ৰুক তাদের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, আমার পরামর্শ হল তুমি
তাদের কাছে যে ও না ৷ কেননা, কুফা র আমি তাদের সম্পর্কে তোমার পিতাকে বলতে শুনেছি,
আল্লাহ্র শ্ব পথ ৷ তারা আমার বিরক্তি ও অবজ্ঞার পাংএ পরিণত হ্রয়ে,াছ আৱ আমিও তাদের
বিরক্তি ও শুত্মবজ্ঞার পাএ হয়েছি ৷ তাদের, পক্ষ থেকে কস্মিনকালেও ওফ্াদারী পাওয়াসম্ভব
নয় ৷ তাদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি যে ,£:পল, ৷ৰুরৰু যেন অত্শহীন কারু৷ তীর , রাত করল ৷ আল্লাহর
বস্ত্রয ৷ তাদ্রের র্দুন্ন৷ আছে ক্লোন সু স্থির ইচ্ছুা: ও বিরত ৷ না আছে কোন বিষয়ের স কল্প বা
প্রতিজ্ঞা, আর: না আছে তরবাবির অ ঘুা৩ সহ্য করার ধৈর্য ৷ তিনি বলেন, হযরত হাসা৷নর
মৃত্যুর :পর আল ঘুরায়া৷র বিন উতব৷ আল ফায়ারী সদলরর্বুল হযরত হুসায়নের ক্লাল্কছু আসল্ল
এবং তারা র্তাকে হযরত মুআবিয়ার; রায় আত প্রত্যাখ্যানে আহ্রান করে বলল, আমরা
আপনার ও আপনার ভাইয়ের রায় সম্পর্কে অবগ হর্ভুয়ছি ৷ ; ন্

তখন তিনি (হুসায়ন হুরা)) বললেন, আমি অশ্যে কবি আল্লাহ আম্ার ভাইকে তার সন্ধি
,ব্লুরয়তার ইচ্ছুার :ক্বাৱ€ংা;ৰিন্নিময়ৰু প্রদান করবেন এরৎৰুৰু , আমাকে আন্তিনদের বিরঅ্যাং১জ্বিহাদ
বুপ্রিয়কার ফ্লিতেক করেণে ব্লিনিঃায় প্রদান করবেন ৷ এসময় ন্মাবওয়ান হযরত লুআবিয়াকে লিখে
পাঠান, আমি আশঙ্কা করছি যে, হুসায়ন বিদ্রোহের উষ্ণা হয়ে দাড়াহ্ব; ত পারে এবং আমার প্রবল
ধারণা যে হুসায়নের সাথে তোমাদের এই বিরােধের সময় দীর্ঘ হয়ে ৷ ন্

তখন হযরত মুআবিয়৷ (বা) হযরত হুসায়নকে লিখলেন; ণ্ক্রো আল্লাহ্হ্মে তার শপথ ও

অঙ্গীকার প্রদান কঃরছে সে অবশ্যই ৷ পালনে দায়বদ্ধ ৷ আমি অবহিত হয়েছি যে, কুফার
একটি গোষ্ঠী তােমারুক রািরাব ও বিচ্ছিন্নত ৷ব পথে আহ্বান করেছে ৷ আর ইরাকবাসীর
আচরণের অভিজ্ঞতা তাে৫ তামার ইতিপুর্বে অর্জিত হয়েছে, তারা তোমার পিতা ও ভ্রাতার
সাথে অতি নিকৃষ্ট ও বির্মম আচরণ কবেছে ৷ কাজৈই তুমি ওাল্লাহ্াক ভয় কর এবং দেয়া
প্রতিশ্রুতি স্মরইাকর ৷ কেননা, তুমি যদি আমার বিরুদ্ধে কৌশলের আশ্রয় নাও৩ তাহলে আমিও
তোমার বিরুদ্ধে কৌশলের অশ্রিয নিব ৷ তখন হযরত ছুসায়ন (বা) তাকে লিখলেন, আপনার
পত্র আমার কাছে পৌছেছে আর আমার সম্পর্কে আপনার কাছে যা পৌছেছে আমায় অবস্থা
সেরুপ নয় ৷ আর একমাএ আল্লাইে পুণ্যের পথ দ্যোান ৷ আমি আপনার বিরোধিতা র্কিংবা
লভুাই কােনটাই চাই না ৷ আর আমি ধারণা কবি না আম্চুাব্ বিরুদ্ধে জিহাদ বজনে আল্লাহ্র
কাছে আমার কোন কৈফিরত অন্থে ৷ আর আপনার এই উম্মাহব শ্া৷সন কঘিও,ব রধিক্াৰী
ছুওয়ার চেয়ে গুরুতর কোন ফি৩ নার কথা আমৃার জানা নেই ৷ তখন হযরত মুআবিয়া
বলষ্টুলন, আবু আবদুল্লাহ দ্বারা আমাদের অক্ল্যাণের উত্তেজনাই সৃষ্টি হল ৷ হযরত মু আবিয়া

তার সম্পর্কে তার কাছে পৌছা কোন বিষয়ে আরো লিখেন আমার ধারণা ণ্তমোর মাথায়
আমার সাথেপ্ এবিদ্বন্দি৩াব প্রবণত ৷ দেখা দিয়েছে, আমি রুাম্ন্৷ করি যে, আমি তার প্রতিকার
করে তোমাকে তা (থুকে কম করে দিন ৷

আলবিদায়া ওয়ান নিহায়াষ্ন্৩৯

وَبِبَنِي هَاشِمٍ خُتِمَ، فَإِذَا رَأَيْتَ الْهَاشِمِيَّ قَدْ مَلَكَ فَقَدْ ذَهَبَ الزَّمَانُ. قُلْتُ: وَهَذَا مَعَ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْفَاطِمِيِّينَ أَدْعِيَاءُ، لَمْ يَكُونُوا مِنْ سُلَالَةِ فَاطِمَةَ، كَمَا زَعَمُوا، وَإِنَّمَا كَانُوا كَذَبَةً فِيمَا ادَّعَوْهُ، كَمَا نَصَّ عَلَى ذَلِكَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَرِيكٍ، عَنْ بِشْرِ بْنِ غَالِبٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لِلْحُسَيْنِ: أَيْنَ تَذْهَبُ؟ ! إِلَى قَوْمٍ قَتَلُوا أَبَاكَ وَطَعَنُوا أَخَاكَ؟ فَقَالَ: لِأَنْ أُقْتَلَ بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ تُسْتَحَلَّ بِي. يَعْنِي مَكَّةَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي عَمِّي مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ هِشَامَ بْنَ يُوسُفَ يَقُولُ، عَنْ مَعْمَرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا يُحَدِّثُ عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ: أَتَتْنِي بَيْعَةُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا يَحْلِفُونَ بِالطَّلَاقِ وَالْعَتَاقِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ أَوْ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: أَتَخْرُجُ إِلَى قَوْمٍ قَتَلُوا أَبَاكَ وَأَخْرَجُوا أَخَاكَ؟ قَالَ هِشَامٌ: فَسَأَلْتُ مَعْمَرًا عَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৫
الرَّجُلِ فَقَالَ: هُوَ ثِقَةٌ. قَالَ الزُّبَيْرُ: وَقَالَ عَمِّي: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ هُوَ الَّذِي قَالَ هَذَا. وَقَدْ سَاقَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ كَاتِبُ الْوَاقِدِيِّ هَذَا سِيَاقًا حَسَنًا مَبْسُوطًا، فَقَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ لُوطِ بْنِ يَحْيَى الْغَامِدِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ نَشْرٍ الْهَمْدَانِيِّ وَغَيْرِهِ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَعَنْ هَارُونَ بْنِ عِيسَى، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَغَيْرُ هَؤُلَاءِ قَدْ حَدَّثَنِي أَيْضًا فِي هَذَا الْحَدِيثِ بِطَائِفَةٍ، فَكَتَبْتُ جَوَامِعَ حَدِيثِهِمْ فِي مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، قَالُوا: لَمَّا بَايَعَ النَّاسُ مُعَاوِيَةَ لِيَزِيدَ كَانَ الْحُسَيْنُ مِمَّنْ لَمْ يُبَايِعْ لَهُ، وَكَانَ أَهْلُ الْكُوفَةِ يَكْتُبُونَ إِلَى حُسَيْنٍ يَدْعُونَهُ إِلَى الْخُرُوجِ إِلَيْهِمْ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ، كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَى، فَقَدِمَ مِنْهُمْ قَوْمٌ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ يَطْلُبُونَ إِلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهُمْ، فَأَبَى وَجَاءَ إِلَى الْحُسَيْنِ فَأَخْبَرَهُ بِمَا عَرَضُوا عَلَيْهِ وَقَالَ: إِنَّ الْقَوْمَ إِنَّمَا يُرِيدُونَ أَنْ يَأْكُلُوا بِنَا، وَيُشِيطُوا دِمَاءَنَا. فَأَقَامَ حُسَيْنٌ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ مِنَ الْهُمُومِ، مَرَّةً
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৬


ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, যে হযরত যুআবিয়া (রা)-এরযখঃন অস্তিমংগৃহুর্ত ঘনি৫য় এল তখন
তিনি ইয়াযীদ৫ক তাকিয়ে যা ওসীয়ত করার করলেন এবং তাকে বললেন, হুসায়ন বিন আলী রাসুল
কন্যা ফাতিমা (রা)-এর প্রতি লক্ষ্য ৫রখো ৷ কেননা, তিনি মানুষের সবচেয়ে প্রিয়র্পাত্র, তার সাথে
আত্মীয়তাব সম্পর্ক ৩াটুট ৫রখো এবং তার সাথে কােনন আচরণ ক৫রা,তাহলে ৫তামার জন্য তার
বিষয় অনুকুল থাকবে ৷ আর যদি তার পকন্থে৫ক বিদ্রোহ জাতীয় কিছু দেখা ৫দরৰুৰুতাহলেন্ন্হুছুা৷মারষ্
ধারচ্া৷ ঐ সকল লোকদের দ্ব৷ ৷রইি আল্লাহ তা৫ক৫ আমার থেকে নিবৃত্ত করবেন ৷ যার৷ তার পিতাকে
হত্যা করেছে এবং তার ভ্রাতা৫ক অসহায় অবস্থায় ত্যাগ করেছে ৷

হযরত মুআবিয়া (রা) রাট হিজরীর রযব মাসের প৫নর তারিখে ইস্তিকাল করেন, এরপর
লোকেরা ইয়াযীদের হাতে তবায় তাতে করে ৷ তখন ইয়া ৷যীদ বিন উত্বা আবু সুযইিয়া৫নর কাছে
পড়াঠাল লোকদের আহ্বান করে তাদের বাআত গ্রহণ শুক কর কুরায়শের ’৫নতস্থানীয়৫দর
দ্বারা ৷ যাদের দ্বারা তুমি ব্যয় আত গ্রহণ শুরু করবে হসায়ন বিন আলী যেন তাদের প্রথমজ়ন
হয় ৷ কেননা, আমীরুল মু মিনীন আমা৫ক তার ব্যাপারে কােন্নন্সতা অবলম্বন এবং আনুকুল্য ও
সন্ংপ্রীতি বজায় রাখার নির্দেশ দি৫র৫ছন ৷ এহী পত্র ৫প৫য ওয়ালীদ তৎক্ষণাং সেই মধ্য রাত্রে
মুআবিয়া (রা) এর মৃত্যু সংবাদ জার্নাল এবং ইয়াযীদের আনুর্গত৷ স্বীকার ক৫র রায় আ৫তর
আহ্বান জানান ৷ তখন তারা দু জন বললেন, আমরা সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি

৫লা৫কংান্ কি করে? একথা বলে হযরত হুসায়নঃ (বা) লাফিয়ে ৫রবি৫য় পড়েন এবং তার সাথে
ইবনৃয যুবায়রও ৫বর হলেন এবং তায়া একযোগে বললেন, সে তো ঐ ইয়াযীদ যাকে আমরা
ভালভাবেই জানি ৷ আল্লাহর শপথ ৷ তার না আছে কোন সিদ্ধান্ত, না আছে কোন ব্যক্তিত্ব ৷
আর ওয়ালীদ পুর্ব থেকেই হযরত হুসায়নের প্রতি রুঢ় ছিল, তইি হুসায়ন (বা) তার সমালোচনা
করলেন এবং তার পাগড়ীন্ন্ধ৫র টেনে তা মাথা থেকে খুলে ফেল৫লন ৷ ওয়ালীদ তখন বলল,
আবু আবদৃল্লাহ্র দ্বারা আমাদের ৰুৰুঅকল্যাণের উত্তেজনাই সৃষ্টি হল ৷ তখন মারওরান কিংবা তার
কোন অনুচর তাকে বলল, আপনি তাকে হত্যা করুন ৷ তখন ওয়ালীদ বলল, করে ৷ প্রাণ অতি
মুল্যবান, বনু আবদ মানা৫ফর মাঝে সংরক্ষিত ধন ৷ , ৰু

ঐতিহাসিকগণ ব৫লন, হযরত হুসাযন ও ইবনুয ;যুবাইর ৫সই রা৫এই পবিএ মক্কার উদ্দেশ্যে
রেব্লি৫য় পড়৫লন ৷ আর লোকজন সকালে ইয়াযীদের আনুপ৫ত্যর বায় আত করে ৷ আর যখন
হুস্ায়ন্ (রা) ও ইবনুয যুবইিরকে তলব করা হল তখন তা৫দব্লকে পাওয়া হোন না ৷ আল
মিসওয়ার বিন মাখরামাহ বলেন, হযরত হুসায়ন (বা) তৃরা ক৫র মােসর হলেন, আর ইবনৃয
যুবইি ৰ (রা)ত আর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন এরপর তারা মক্কায় আগমন করলেন ৷ তখন হযরত
হুসায়ন (রা) অবস্থান এহণ করলেন হযরত আব্বাস (রা) এর গৃহে ৷ আর ইবনু,য যুবাইর (রা)
হাজবে আসণ্ডয়া৫দর সন্নিকটে অবস্থান নিলেন ৷ এরপর তিনি মুঅ্াফিবা (পরি৫ধ্ য়ু বিশেষ)
পরিধান করে ৫নাকদের৫ক বনু উমাইয়ার বিরুদ্ধে প্র৫রাচিত করতে ল্া৷গৃলেন ৷ আর তিনি এতিদিন
সকাল সন্ধ্যায হযরত হুসা রনের কা৫ছ ৫য৫তন এবং তাকে ইরাক পম৫নর পারমর্শ দিয়ে বল৫তন,
তারা তোমার অনৃস৷ ৷রী এবং তোমার পিতার অনুসারী ৷ আর ইবন আব্বাস (রা) তাকে তা থেকে
নিষেধ কর৫ত ন ৷ আবদুল্লাহ বিন মুতি তী৫ক বলেন, আমি, আমার পিতা-মাত৷ আপনার জন্য
উত্সর্গিত ৷ আপনি আমাদেরকে সাহচর্য দান করুন ৷ ইরাক ষ্ামন্ কর৫বন না ৷ অ ৷ল্লাহয় শপথ ৷
এই গোষ্ঠী যদি আপনাকে হত্যা করে, তাহলে তারা আমাদেরকে দাস বানিয়ে ছাড়৫ব ৷


يُرِيدُ أَنْ يَسِيرَ إِلَيْهِمْ، وَمَرَّةً يُجْمِعُ الْإِقَامَةَ. فَجَاءَهُ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، إِنِّي لَكُمْ نَاصِحٌ، وَإِنِّي عَلَيْكُمْ مُشْفِقٌ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ كَاتَبَكَ قَوْمٌ مِنْ شِيعَتِكُمْ بِالْكُوفَةِ يَدْعُونَكَ إِلَى الْخُرُوجِ إِلَيْهِمْ، فَلَا تَخْرُجْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبَاكَ يَقُولُ بِالْكُوفَةِ: وَاللَّهِ لَقَدْ مَلِلْتُهُمْ وَأَبْغَضْتُهُمْ، وَمَلُّونِي وَأَبْغَضُونِي، وَمَا بَلَوْتُ مِنْهُمْ وَفَاءً، وَمَنْ فَازَ بِهِمْ فَازَ بِالسَّهْمِ الْأَخْيَبِ، وَاللَّهِ مَا لَهُمْ ثَبَاتٌ وَلَا عَزْمٌ عَلَى أَمْرٍ، وَلَا صَبْرٌ عَلَى السَّيْفِ. قَالَ: وَقَدِمَ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ الْفَزَارِيُّ فِي عِدَّةٍ مَعَهُ إِلَى الْحُسَيْنِ بَعْدَ وَفَاةِ الْحَسَنِ، فَدَعَوْهُ إِلَى خَلْعِ مُعَاوِيَةَ وَقَالُوا: قَدْ عَلِمْنَا رَأْيَكَ وَرَأْيَ أَخِيكَ. فَقَالَ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ يُعْطِيَ اللَّهُ أَخِي عَلَى نِيَّتِهِ فِي حُبِّهِ الْكَفَّ، وَأَنْ يُعْطِيَنِي عَلَى نِيَّتِي فِي حُبِّي جِهَادَ الظَّالِمِينَ. وَكَتَبَ مَرْوَانُ إِلَى مُعَاوِيَةَ: إِنِّي لَسْتُ آمَنُ أَنْ يَكُونَ حُسَيْنٌ مَرْصَدًا لِلْفِتْنَةِ، وَأَظُنُّ يَوْمَكُمْ مِنْ حُسَيْنٍ طَوِيلًا. فَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْحُسَيْنِ: إِنَّ مَنْ أَعْطَى اللَّهَ صَفْقَةَ يَمِينِهِ وَعَهْدِهِ لَجَدِيرٌ بِالْوَفَاءِ، وَقَدْ أُنْبِئْتُ أَنَّ قَوْمًا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ قَدْ دَعَوْكَ إِلَى الشِّقَاقِ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ مَنْ قَدْ جَرَّبْتَ ; قَدْ أَفْسَدُوا عَلَى أَبِيكَ وَأَخِيكَ، فَاتَّقِ اللَّهَ وَاذْكُرِ الْمِيثَاقَ ; فَإِنَّكَ مَتَى تَكِدْنِي أَكِدْكَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْحُسَيْنُ: أَتَانِي كِتَابُكَ وَأَنَا بِغَيْرِ الَّذِي بَلَغَكَ عَنِّي جَدِيرٌ، وَالْحَسَنَاتُ لَا يَهْدِي لَهَا إِلَّا اللَّهُ، وَمَا أَرَدْتُ لَكَ مُحَارَبَةً وَلَا عَلَيْكَ خِلَافًا، وَمَا أَظُنُّ لِي عِنْدَ اللَّهِ عُذْرًا فِي تَرْكِ جِهَادِكَ، وَمَا أَعْلَمُ فِتْنَةً أَعْظَمَ مِنْ وِلَايَتِكَ أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنَّ أَثَرْنَا بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ إِلَّا أَسَدًا. وَكَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৭


বর্ণনাকায়ীগণ বলেন, উমরাহ্ থেকে ফিরার পথে আবদুল্লাহ্ বিন উমরআবদুল্পাহ্ বিন
আব্বাস এবং ইবন আবু রাৰীআ র্ভাদের দুজনের সাথে আবওয়াতে সাক্ষাত করেন ৷ তখন
ইবন উমর (রা)ত তাদেরকে বললেন, তােমাদেরকে আল্লাহর দোহাই যদি তোমরা তোমাদের
মত থেকে না ফের এবং অন্য, লোকেরা যে, সঠিক ও সময়োপযােগী বিষয়ে প্রবেশ করেছে
তা৷;ত প্রবেশ না কর, তাহলে অপেক্ষা কর, যদি লোকেরা তার (ইয়াযীদের) আনুগত্য স্বীকারে
একমত হয়, তাহলে তোমরা দু’জন বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকে৷ না ৷ আর যদি তারা তার আনুপত্যের
ব্যাপারে বিচ্ছিন্ন ও বিভক্ত হয় তাহলে তােমদের অজ্যিাষ পুর্ণ হতে পারে ৷ ইবন উমর হুসায়ন
(রা) কে বললেন, তুমি বের হয়াে না ৷ কেননা, আল্লাহ্ তার রাসুলকে দুনিয়া ও আখিরাতের যে
কোন একটি বেছে নেওয়ার ইখতিয়ার দিয়েছেন ৷ আর তিনি আখিরাতকে বেছে নিয়েছেন ৷ আর
তুমি তারই দেহের একাংশ ৷ সুতরাং ভুমি তা (দুনিয়া) পারে না ৷ এরপর তিনি তাকে আলিঙ্গন
করলেন এবংক কাদতে কাদতে তাকে বিদায় জানালেন ৷
ইবন উমর (ব ) বলতেন, হুনায়ন বিন আলী আমাদেরকে পরাজিত করে বেরিয়ে গেল ৷
আমার জীবনকালের শপথ ! সেত তার পিতা ও ভাইয়ের মাঝে শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেজ্জি ৷
যে এমন বিপদ এবং মানুষের অসহযােগিত৷ প্রত্যক্ষ করেছিল, যার পর তার কর্ত্য৷ ছিল
সাব জীবন কােনরুপ নড়াচড়৷ না করা এবং লোকেরা যে সম্য়োপযোগী সঠিক বিবরুয় প্রবেশ
করেছিল তাতে প্রবেশ করা ৷ কেননা, (যে কোন অবস্থায়) ঐক্য উত্তম ৷
ইবন আব্বাস তাকে বললেন, হে ফাতিমার নন্দন তুমি কোথায় চলেছ? তখন তিনি
বললেন, ইরাক অভিমুখে আমার অনুসারীদের কাছে ৷ তখন তিনি বললেন, তোমার জন্য আমি
এটা অপছন্দ করি ৷ তুমি কি ন্ এমন এক গোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছ, যারা তোমার পিতাকে হত্যা
করেছে আর ভ্রাতাকে অন্যায় অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, ফলে তিনি ক্রোধ্ ও বিরজ্যিত
তাদেরকে ত্যাগ করেছেন ৷ আল্লাহর দোহাই তুমি নিজের দ্বারা প্র৩ ৷রিত হয়ো না ৷ আবু
সাঈদ খুদ্রী (না) বলেন, ইরাক অভিমুখে বের হওয়ার ব্যাপারে হুসায়ন আমাকে পরাজিত
করন ৷ তখন;আমিৰুশ্তাকে রললাম নিজের ব্যাপারে আল্লাহ্কে ভয় কর এবং নিজ গৃহে অবস্থান
কর আর ইমামের (শাসকের) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো না৷ আবু ;ওয়াকেদী আল লায়হী বলেন,
আমার কাছে হুসায়ন বিন আলী (রা) এর রওনা হওয়ার স০বৃাদ পৌছল তখন আমি মান্ব০া৷হা১
নামক স্থানে গিয়ে তাকে পেলাম ৷ তখন আমি তাকে বের না হওয়ার অর্থাৎ আর অগ্সর না
হওয়ার জন্য আল্লাহর দোহইি দিলাম ৷ কেননা,৩ তিনি ভুল লক্ষ্যপানে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ তখন
তিনি বললেন, আমি আর ফিরব না ৷
হযরত জ৷ ৷বির বিন আবদুল্লাহ বলেন, আমি হুসায়নকে বললাম, আল্লাহ্কে ভয় কর আর
মানুষের একজনকে অন্যজন দ্বারা হত্যা করে৷ না ৷ আল্লাহর শপথ ! কিন্তু তিনি আমার কথা
শুনলেন না৷ আর সায়ীদইবনুল মুসায়্যাব বলেন, হুসায়ন যদি বের না হতেন, তাহলেই তার
জন্য তা কল্যাণকরন্ হত ৷ণ্আবু সালামা বিন আবদুর রহমান বলেন, হুসায়ানর উচিত ছিল
ইরাকাবাসীকে চিনতে পারা এবং তাদের কাছে না যাওয়া ৷ ইবনুয যুবায়র তাকে সে বিষয়ে
উদ্বুদ্ধ করেন ৷ মিসওয়ার বিন মাখরাম৷ তাকে লিখেন, ইরাকরাসীদের পত্র দ্বারা প্রভাবিত
হায়৷ না ৷ আর ইবনুয যুব ইবেব একথা দ্বারাও না “তাদের কাছে যাও , তারা তোমাকে



১ মক্কার পথে দুই হারামের মধ্যবর্তী স্থান ন্া


إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَيْضًا فِي بَعْضِ مَا بَلَغَهُ عَنْهُ: إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ فِي رَأْسِكَ نَزْوَةً، فَوَدِدْتُ أَنِّي أُدْرِكُهَا فَأَغْفِرَهَا لَكَ. قَالُوا: فَلَمَّا حَضَرَ مُعَاوِيَةُ دَعَا يَزِيدَ فَأَوْصَاهُ بِمَا أَوْصَاهُ بِهِ، وَقَالَ لَهُ: انْظُرْ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيِّ، ابْنِ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّهُ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَى النَّاسِ، فَصِلْ رَحِمَهُ، وَارْفُقْ بِهِ، يَصْلُحْ لَكَ أَمْرُهُ، فَإِنْ يَكُنْ مِنْهُ شَيْءٌ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ يَكْفِيَكَهُ اللَّهُ بِمَنْ قَتَلَ أَبَاهُ وَخَذَلَ أَخَاهُ. وَتُوُفِّيَ مُعَاوِيَةُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَبَايَعَ النَّاسُ يَزِيدَ، فَكَتَبَ يَزِيدُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُوَيْسٍ الْعَامِرِيِّ - عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ - إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَهُوَ عَلَى الْمَدِينَةِ ; أَنِ ادْعُ النَّاسَ فَبَايِعْهُمْ، وَابْدَأْ بِوُجُوهِ قُرَيْشٍ، وَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَنْ تَبْدَأُ بِهِ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَهِدَ إِلَيَّ فِي أَمْرِهِ الرِّفْقَ بِهِ وَاسْتِصْلَاحَهُ. فَبَعَثَ الْوَلِيدُ مِنْ سَاعَتِهِ نِصْفَ اللَّيْلِ إِلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَأَخْبَرَهُمَا بِوَفَاةِ مُعَاوِيَةَ، وَدَعَاهُمَا إِلَى الْبَيْعَةِ لِيَزِيدَ، فَقَالَا: نُصْبِحُ وَنَنْظُرُ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ. وَوَثَبَ الْحُسَيْنُ، فَخَرَجَ وَخَرَجَ مَعَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَهُوَ يَقُولُ: هُوَ يَزِيدُ الَّذِي نَعْرِفُ، وَاللَّهِ مَا حَدَثَ لَهُ حَزْمٌ وَلَا مُرُوءَةٌ. وَقَدْ كَانَ الْوَلِيدُ أَغْلَظَ لِلْحُسَيْنِ، فَشَتَمَهُ الْحُسَيْنُ، وَأَخَذَ بِعِمَامَتِهِ، وَنَزَعَهَا مِنْ رَأْسِهِ، فَقَالَ الْوَلِيدُ: إِنْ هِجْنَا بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ إِلَّا أَسَدًا. فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ أَوْ بَعْضُ جُلَسَائِهِ: اقْتُلْهُ. فَقَالَ: إِنَّ ذَلِكَ لَدَمٌ مَضْنُونٌ بِهِ فِي بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ. قَالُوا: وَخَرَجَ الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ مِنْ لَيْلَتِهِمَا إِلَى مَكَّةَ، وَأَصْبَحَ النَّاسُ فَغَدَوْا عَلَى الْبَيْعَةِ لِيَزِيدَ، وَطُلِبَ الْحُسَيْنُ وَابْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৮


সাহায্য করবে ৷ দেখবেন যে, আপনাকে সাহাযে,ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আপনার বিরুদ্ধে
লড়াই করবে আর এমন ব্যক্তি আপনার সাহায্য ত্যাগ করবে যার কাছে আপনি তার
সাহায্যকারীয় চেয়ে প্রিয় ৷ আপনার নিজের ব্যাপারে আমি আপনাকে আল্লাহর দোহাই
দিচ্ছি ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, হে আমার চাচাতাে ভাই ! আল্লাহ ওে ৷মাকে উত্তম
বিনিময় দান করুন ৷ ইবন আব্বাস (রা) তাকে বললেন, তুমি হারামেই অবস্থানঃ কর, তোমার
কাছে যদি তাদের প্রয়োজন থাকে তাহলে তারাই তোমার কাছে এসে হাযির হবে ৷ তখন
তুমি উপযুক্ত উপায়-উপকরণ ও শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে বের হতে পারবে ৷ তখন তিনি তাকে
উত্তম ৰিনিমায়র জন্য দুআ করলেন, এ ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রাহ্নিা
করছি ৷ তিনি যা করার ইরাদ৷ করেছেন, তা গুরুতর সাংঘাতিক বংনাি করে উমরাহ্ বিন্ত
আবদুর রহমান তাকে পত্র লিখলেন ৷ তিনি তাকে শাসকের আনুগত্য এবং সকলের সাথে
ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে জানালেন, যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তিনি
তার ব ধ্যতৃমির দিকেই চালিত হবেন ৷

তিনি বলেন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি খ্যাঃশ্া৷ (রা) কে ব্ল্তে শুনেছি যে, তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে বলতে শুব,নছেন, এেম্ ১১১৬ স্পো৷ এঞ বাবিল ভুখণ্ডে হুসায়ন নিহত ’
হবে ৷ তারপর হযরত হ্লায়ন (রা) যখন তার পত্র পাঠ করলেন ৷ তখন বললেন, তাহলে তো

অবশ্যই আমাকে আমার মৃত্যু ৷স্থানে পৌছাতে হয়ে এরপর অগ্রসর হলেন ৷ তার কাছে বকর

বিন আবদুর রহমান বিন আল হারিস বিন হিশাম এসে বললেন, হে চাচার ছেলে ! ইরাকবাসী
আপনার ৷পত৷ ও ভাইয়ের সাথে কি আচরণ করেছে৩ তা আপনি দেখেছেন, অথচ তারপরও
আপনি তাদের কাছে যেতে চান ৷ তারা তো দুনিয়া পুজা ৷রী ৷

তাহুপুাহ্ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ণ্ আল্লাহ যে বিষয়েরই সিদ্বাত করেন তা
অবধারিত ৷ তখন আবু বকর বললেন, ইন্নালিল্লাইি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাল্টিন, আমরা
আল্লাহর কাছে আবু আবদুল্লাহ্রশাহাদতের সওয়াব আশা করি ৷ এছাড়া হযরত আবদুল্লাহ্ বিন
আফর (বা) তার কাছে পত্র লিখেন ৷ এতে তিনি ভীকে“ইরাকবাসীদেয় ব্যাপারে সতর্ক
করেন,এবং তাদের অভিমুখে রওন্য না হওয়ার জন্য আল্লাহ্র দােহাই দেন ৷ণ্তখন হুসায়ন
(রা) তাকে লিখেন, আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি তিনি
আমাকে এমন একটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছেন, যার উদ্দেশ্যে আমি ড্ডাসর হচ্ছি ৷ আর
কাজের৩ সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আমি যে বিষয়ে কাউকে অবহিত করব না ৷



১ আবদুল্লাহ্ বিন জ ৷ফরের পত্র এবং হযরত হসায়ন (রা) এর উত্তরের জন্য ফুতুহ ইবনুল আ হুম্ ৫১১৫ ১১৬

এবং আৎ তাবাৰী ৬২১৯ তে বিদ্যমান ৷

২; আৎ তাবারী (৬২১৫), আল কাযিল (৪ ৩ ৭) , ফুতুহ ইবনুল আছম (৫১ ১ :)-এ রয়েছে উমর বিন আবদুর
রহমান মুরুজুঘৃ যাহাবে (৩৬৯) আবু বকর বিন আল হারিস বিন হিশাম৷ আবু মুখাননাফের আল মাকতালে

রয়েছে উমর ইবন আল হারিস বিন আবদুর রহমান আল মাখযুযী ৷ ন্ ,

৩ আৎ তাবারী ও ইবনুল আন্থীৱ,ছুা, এই টাকাকড়ির গোলাম ৷ দেখবেন যে, আপনাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

াদয়েছে যে আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে, আর এমন ব্যক্তি আপনার সাহায্য ত্যাগ করবে যার কাছে আপনি

তার সাহায্যকারীর চেয়ে প্রিয় ৷ আপনার নিজের ব্যাপারে আমি আপনাকে আল্লাহর দােহইি দিচ্ছি ৷ তখন তিনি

তাকে বললেন হে আমার চাচাতাে ভাই ! আল্লাহ্ওে তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷


الزُّبَيْرِ، فَلَمْ يُوجَدَا، فَقَالَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ: عَجِلَ الْحُسَيْنُ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ يَلْفِتُهُ وَيُزْجِيهِ إِلَى الْعِرَاقِ لِيَخْلُوَ بِمَكَّةَ. فَقَدِمَا مَكَّةَ، فَنَزَلَ الْحُسَيْنُ دَارَ الْعَبَّاسِ، وَلَزِمَ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْحِجْرَ، وَلَبِسَ الْمَعَافِرِيَّ، وَجَعَلَ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى بَنِي أُمَيَّةَ، وَكَانَ يَغْدُو وَيَرُوحُ إِلَى الْحُسَيْنِ، وَيُشِيرُ عَلَيْهِ أَنْ يَقْدَمَ الْعِرَاقَ، وَيَقُولُ: هُمْ شِيعَتُكَ وَشِيعَةُ أَبِيكَ. فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَنْهَاهُ عَنْ ذَلِكَ وَيَقُولُ: لَا تَفْعَلْ. وَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ: إِنِّي فِدَاؤُكَ وَأَبِي وَأُمِّي، فَأَمْتِعْنَا بِنَفْسِكَ وَلَا تَسِرْ إِلَى الْعِرَاقِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلَكَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ لَيَتَّخِذُونَا عَبِيدًا وَخَوَلًا. قَالُوا: وَلَقِيَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ بِالْأَبْوَاءِ مُنْصَرِفِينَ مِنَ الْعُمْرَةِ، فَقَالَ لَهُمَا ابْنُ عُمَرَ: أُذَكِّرُكُمَا اللَّهَ إِلَّا رَجَعْتُمَا فَدَخَلْتُمَا فِي صَالِحِ مَا يَدْخُلُ فِيهِ النَّاسُ، وَتَنْظُرَا، فَإِنِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ لَمْ تَشِذَّا، وَإِنِ افْتَرَقَ عَلَيْهِ كَانَ الَّذِي تُرِيدَانِ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لِلْحُسَيْنِ: لَا تَخْرُجْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيَّرَهُ اللَّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَاخْتَارَ الْآخِرَةَ، وَإِنَّكَ بَضْعَةٌ مِنْهُ وَلَا تَنَالُهَا. يَعْنِي الدُّنْيَا، وَاعْتَنَقَهُ وَبَكَى وَوَدَّعَهُ، فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: غَلَبَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ بِالْخُرُوجِ، وَلَعَمْرِي لَقَدْ رَأَى فِي أَبِيهِ وَأَخِيهِ عِبْرَةً، وَرَأَى مِنَ الْفِتْنَةِ وَخِذْلَانِ النَّاسِ لَهُمَا مَا كَانَ يَنْبَغِي لَهُ أَلَّا يَتَحَرَّكَ مَا عَاشَ، وَأَنْ يَدْخُلَ فِي صَالِحِ مَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ، فَإِنَّ الْجَمَاعَةَ خَيْرٌ. وَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَيْنَ تُرِيدُ يا ابْنَ فَاطِمَةَ؟ فَقَالَ: الْعِرَاقَ وَشِيعَتِي. فَقَالَ: إِنِّي لَكَرِهٌ لِوَجْهِكَ هَذَا ; تَخْرُجُ إِلَى قَوْمٍ قَتَلُوا أَبَاكَ وَطَعَنُوا أَخَاكَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৭৯

হার মাযরুনব নারুয়ব আমর বিন সায়ীদ ইবনুল আস তার কাছে লিখেন আমি আল্লাহর
কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন£ তোমাকে সুমতি দান করেন এবং তোমাকে ধ্ব সকারী বিষয়
থেকে নিবৃও করেন ৷ আমি জানতে পেয়েছি যে তুমি ইরাক অভিমুখে রওনা হওয়ার ব্যাপারে
প্রতিজ্ঞা ৷বদ্ধ ৷ এই বিচ্ছিন্ন ও বিরোধ থেকে আমি তোমাকে অ ৷ল্লাহ্র আশ্রমে সপৈ দিচ্ছি৩ ৷৩
যদি( আমার জীবনের ব্যাপা রে আশঙ্কাবােধ কর তাহলে আমার কাছে চলে আন ৷ আমার কাছে

তুমি নিরাপত্তা সদাচ র ও সুসম্পর্ক বন্ধন লাভ করবে ৷ হুসায়ন তাকে লিখে পাঠালেন যদি

আপনি আপনার পত্র দ্বারা আমার প্রতি সদাচার ও সুসম্পর্ক প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আপনি
দুনিয়া ও আতখিরাঃ এর উত্তম বিনিময় প্রাপ্ত হোন ৷ আর সে বিচ্ছিন্ন ও বিরোধী নয়, যে
আল্লাহর দিকে আহবান করে, নেক আমল করে এবং নিজেকে মুসলমান বলে উল্লেখ করে ৷
আর আল্লাহর নিরাপত্তাই সবেত্তিম নিরাপত্তা ৷ যে দুনিয়াতে আল্লাহ-কে ভয় করল না, সেতো
আল্লাহ্কে ৰিশ্বাসই করল না ৷ তাই দুনিয়াতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে এমন ভর প্রার্থনা
করি যা কিয়ামতেরন্দিন তার কাছে২ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ৷ ,

ঐতিহাসিকগণ বলেন, এসময় ইয়াযীদবিনংমুআবিয়া ইবন আব্বাস (রা)৩-এর কাছে
হযরত হুসায়নের পবিত্র মক্কায় রওনা হওয়া সম্পর্কে অবহিত করে পত্র লেখেন-আর আমার ধারণা
পুর্বাঞ্চলের কিছু লোক তার কাছে এসে তাকে খ্রিলাফত লাভের আ ৷শ৷ দিয়েছে, আর আপনার তো
তাদের বৃত্তান্ত জানা আছে এবং তাদের আচরণের পুর্ব অভিজ্ঞতা আছে ৷, আর হ্সায়ন যদি এমন
কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে তাহলে তো যে আমাদের সুদৃঢ় আত্মীয়তার ব্ব্ধনৰুছিন্ন করার
উপক্রম হয়েছে ৷ আর আপনি আপনার গোষ্ঠীর ব য়োজােষ্ঠ্য ও সর্বমান্য তাই আপনি তাকে
বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির চেষ্টা থেকে বিরত রাখুন ৷ এরপর সে তার উদ্দোক্ট্রা এবং মৃক্কা- মদীনায়
অবস্থানরত কুরায়শীদের উদ্দেশ্যে এই পঙ্ক্তিগুলো লিখে পাঠাল,শ্ শ্

একের পর এক মনযিল অতিক্রমকারী শক্তিশালী উটের হে ঐ আরোহী যার বাহন দৌড়ে
ছুটেচল্যেছ ৷
ত্রু-ণ্ন্৮-ও)হু ৮-ম্রা


কুরায়শকে তাদের সাক্ষাৎ স্থল দুরবর্তী হওয়া সত্বেও পৌছে দাও ৷ আমার ও হুসায়নের

ধ্ মাঝে রয়েছেন আল্লাহ, রয়েছে আত্মীয়তার বন্ধন ৷



১ ইবনুল আছম (৫১১৬)-এ রয়েছে, সায়ীদ ইবনুল আস ৷ এটা ভুল, কেননা, পুর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে,
মদীনার তিন মাইল দুরত্বে আরসাহ নামক স্থানে নিজ প্রাসাদে আটান্ন ইিজরীতে সায়ীদ ইনতিকাল করেন
এবং ড্ডাতু;ং৷ বাকীতে সমাধিস্থ হন ৷ দেখুন ভাহযীবুত তাহ্ষীব ( : ৪৯) ৷

২ আল হারিছ বিন কাব আল ওয়ালিবীর বরাতে ৩আবু মুখানৃনাফের বর্ণনায় রয়েছে যে আমর আবদুল্লাহ বিন
জাফর এবং ইয়াহইয়৷ বিন নারীদের মাধ্যমে তার পত্র পাঠিয়ে ছিলেন ৷ আত তাবাবী ৬হ১৯ ৷

ও মুল গ্রন্থে ইবন আসাকিংর ৪৩৩০ আর ইবনুল আ ছমে রয়েছে; ইয়াযীশুসর পক্ষ থেকে মদীনাবায়ী কুরায়শ
ও বনী হা শিমের নিকট প্রেরিত পত্র ৷

৪ ইবন আসাকিরে ৷ ণ্১১ ১); প্লু;,১া১;) রয়েছে ৷

৫ ইবনুল আছমে ও ইবন আসাকাির ৷


حَتَّى تَرَكَهُمْ سَخْطَةً وَمَلَالَةً لَهُمْ؟ ! أُذَكِّرُكَ اللَّهَ أَنْ تَغْرُرَ بِنَفْسِكَ. وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ: غَلَبَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَى الْخُرُوجِ، وَقَدْ قُلْتُ لَهُ: اتَّقِ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ وَالْزَمْ بَيْتَكَ، وَلَا تَخْرُجْ عَلَى إِمَامِكَ. وَقَالَ أَبُو وَاقَدٍ اللِّيثِيُّ: بَلَغَنِي خُرُوجُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَأَدْرَكْتُهُ بِمَلَلٍ، فَنَاشَدْتُهُ اللَّهَ أَنْ لَا يَخْرُجَ، فَإِنَّهُ يَخْرُجُ فِي غَيْرِ وَجْهِ خُرُوجٍ، إِنَّمَا خَرَجَ يَقْتُلُ نَفْسَهُ. فَقَالَ: لَا أَرْجِعُ. وَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: كَلَّمْتُ حُسَيْنًا فَقُلْتُ: اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تَضْرِبِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ، فَوَاللَّهِ مَا حُمِدْتُمْ مَا صَنَعْتُمْ. فَعَصَانِي. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ لَوْ أَنَّ حُسَيْنًا لَمْ يَخْرُجْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُ. وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: قَدْ كَانَ يَنْبَغِي لِحُسَيْنٍ أَنْ يَعْرِفَ أَهْلَ الْعِرَاقِ وَلَا يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ، وَلَكِنْ شَجَّعَهُ عَلَى ذَلِكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ إِيَّاكَ أَنْ تَغْتَرَّ بِكُتُبِ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَبِقَوْلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ: الْحَقْ بِهِمْ فَإِنَّهُمْ نَاصِرُوكَ. إِيَّاكَ أَنْ تَبْرَحَ الْحَرَمَ، فَإِنَّهُمْ إِنْ كَانَتْ لَهُمْ بِكَ حَاجَةٌ فَسَيَضْرِبُونَ إِلَيْكَ آبَاطَ الْإِبِلِ حَتَّى يُوَافُوكَ فَتَخْرُجَ فِي قُوَّةٍ وَعُدَّةٍ. فَجَزَاهُ خَيْرًا وَقَالَ: أَسْتَخِيرُ اللَّهَ فِي ذَلِكَ. وَكَتَبَتْ إِلَيْهِ عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ تُعَظِّمُ عَلَيْهِ مَا يُرِيدُ أَنْ يَصْنَعَ، وَتَأْمُرُهُ بِالطَّاعَةِ وَلُزُومِ الْجَمَاعَةِ، وَتُخْبِرُهُ أَنَّهُ إِنَّمَا يُسَاقُ إِلَى مَصْرَعِهِ، وَتَقُولُ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «يُقْتَلُ الْحُسَيْنُ بِأَرْضِ بَابِلَ» ". فَلَمَّا قَرَأَ كِتَابَهَا قَالَ: فَلَا بُدَّ لِي إِذًا مِنْ مَصْرَعِي. وَمَضَى. وَأَتَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮০
هِشَامٍ فَقَالَ: يا ابْنَ عَمِّ، إِنَّ الرَّحِمَ تَظْأَرُنِي عَلَيْكَ، وَمَا أَدْرِي كَيْفَ أَنَا عِنْدَكَ فِي النَّصِيحَةِ لَكَ؟ قَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا أَنْتَ مِمَّنْ يُسْتَغَشُّ وَلَا يُتَّهَمُ، فَقُلْ. قَالَ: قَدْ رَأَيْتَ مَا صَنَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ بِأَبِيكَ وَأَخِيكَ، وَأَنْتَ تُرِيدُ أَنْ تَسِيرَ إِلَيْهِمْ، وَهُمْ عَبِيدُ الدُّنْيَا، فَيُقَاتِلُكَ مَنْ قَدْ وَعَدَكَ أَنْ يَنْصُرَكَ، وَيَخْذُلُكَ مَنْ أَنْتَ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِمَّنْ يَنْصُرُهُ، فَأُذَكِّرُكَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ. فَقَالَ: جَزَاكَ اللَّهُ يا ابْنَ عَمِّ خَيْرًا، وَمَهْمَا يَقْضِ اللَّهُ مِنْ أَمْرٍ يَكُنْ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّا لِلَّهِ، عِنْدَ اللَّهِ نَحْتَسِبُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ كِتَابًا يُحَذِّرُهُ أَهْلَ الْكُوفَةِ وَيُنَاشِدُهُ اللَّهَ أَنْ يَشْخَصَ إِلَيْهِمْ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْحُسَيْنُ: إِنِّي رَأَيْتُ رُؤْيَا، وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَنِي بِأَمْرٍ، وَأَنَا مَاضٍ لَهُ، وَلَسْتُ بِمُخْبِرٍ بِهَا أَحَدًا حَتَّى أُلَاقِيَ عَمَلِي. وَكَتَبَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ نَائِبُ الْحَرَمَيْنِ: إِنِّي أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يُلْهِمَكَ رُشْدَكَ، وَأَنْ يَصْرِفَكَ عَمَّا يُرْدِيكَ، بَلَغَنِي أَنَّكَ قَدْ عَزَمْتَ عَلَى الشُّخُوصِ إِلَى الْعِرَاقِ، وَإِنِّي أُعِيذُكَ بِاللَّهِ مِنَ الشِّقَاقِ، فَإِنْ كُنْتَ خَائِفًا فَأَقْبِلْ إِلَيَّ، فَلَكَ عِنْدِي الْأَمَانُ وَالْبِرُّ وَالصِّلَةُ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْحُسَيْنُ: إِنْ كُنْتَ أَرَدْتَ بِكِتَابِكَ بِرِّي وَصِلَتِي فَجُزِيتَ خَيْرًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِنَّهُ لَمْ يُشَاقِقْ مَنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالَحًا، وَقَالَ: إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَخَيْرُ الْأَمَانِ أَمَانُ اللَّهِ، وَلَمْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ مَنْ لَمْ يَخَفْهُ فِي الدُّنْيَا، فَنَسْأَلُ اللَّهَ مَخَافَةً فِي الدُّنْيَا تُوجِبُ لَنَا أَمَانَ الْآخِرَةِ عِنْدَهُ وَقَالُوا: وَكَتَبَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ يُخْبِرُهُ بِخُرُوجِ الْحُسَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮১


,
আর কাব৷ প্রাঙ্গনের এক স্থানের দােহাই আমি তাকে দিচ্ছি এবং যা দ্বারা অঙ্গীকারসমুহ
পুর্ণ করা হয় ৷

মাতৃপর্ভে তোমরা তোমাদের সমগ্র সম্প্রদায়কে ছাড়িয়ে গিয়েছো, এমন যা আমার
জীবনকালের শপথ ! যিনি সতী সাধ্বী ও পুণ্যবভী ও গুণবতী ৷
ঐ নারী তিনি, বোউণ্যীর গুণ ও (শ্রষ্ঠত্বের নাপাল পায় না ৷ রাসুল ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের
ণ্,কন্যা যা সকলের জানা আছে ৷
তার শ্রেষ্ঠৎ ণ্তামাদেব শ্রেষ্ঠতৃ আর ওে ৷মাদের গোষ্ঠীর অন্যদেরওত তার শ্রেষ্ঠত্বে অংশ
আছে ৷
আর আমি নিশ্চিত রুপে জানি কিংবা নিশ্চিতরুপে যে জানে তার ন্যায় ধারণা করি ৷ আর
ধারণা কখনো সত্যে পরিণত হয় ৷

তৌমরা যার দিকে আহবান করছো অচিরেই তা তােমাদেরকে এমন মরাতে পরিণত
করবে, যা নিয়ে বাজ ও শকুনেরা কাড়াকাড়ি করবে ৷
ণ্
হে আমাদের সম্প্রদায় ! যুদ্ধকে উসকে দিও না ৷ যখন তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, আর
শক্তভাবে সন্ধির রজ্জ্ব অবলম্বন কর এবং তা আকড়ে ধর ৷
ইং ণ্শ্ষ্শ্বা
তামাদের পুর্বের মানবগােষ্ঠীরা যুদ্ধর্কে পরখ করে দেখছে, আর তার কারণে বহু জাতি
নিশ্চিহৃ হয়েছে ৷
াস্ফো
তোমাদের গোষ্ঠীর সাথে ইনসাফ কর, ক্রোধে ধ্বংস সহয়ে৷ না ৷ কেননা, ক্রুদ্ধ ব্যক্তির
পদস্থালন ঘটে ৷ ন্



১ ইবনুল আছমে (ন্ৰুষ্ঙুৰু ;১রয়েছে ৷


৪ ইবনুল আছমে উভয়স্থানে (fl এর পরিবর্তে রু১এ রয়েছে ৷


إِلَى مَكَّةَ وَيَحْسَبُهُ قَدْ جَاءَهُ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ هَذَا الْمَشْرِقِ فَمَنَّوْهُ الْخِلَافَةَ، وَعِنْدَكَ مِنْهُمْ خِبْرَةٌ وَتَجْرِبَةٌ، فَإِنْ كَانَ فَعَلَ فَقَدْ قَطَعَ وَاشِجَ الْقَرَابَةِ، وَأَنْتَ كَبِيرُ أَهْلِ بَيْتِكَ وَالْمَنْظُورُ إِلَيْهِ، فَاكْفُفْهُ عَنِ السَّعْيِ فِي الْفُرْقَةِ، وَكَتَبَ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ إِلَيْهِ وَإِلَى مَنْ بِمَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ مِنْ قُرَيْشٍ: يَا أَيُّهَا الرَّاكِبُ الْغَادِي لِطَيَّتِهِ ... عَلَى عُذَافِرَةٍ فِي سَيْرِهَا قُحَمُ أَبْلِغْ قُرَيْشًا عَلَى نَأْيِ الْمَزَارِ بِهَا ... بَيْنِي وَبَيْنَ حُسَيْنِ اللَّهُ وَالرَّحِمُ وَمَوْقِفٌ بِفِنَاءِ الْبَيْتِ أَنْشُدُهُ ... عَهْدَ الْإِلَهِ وَمَا تُوفَى بِهِ الذِّمَمُ عَنَّيْتُمُ قَوْمَكُمْ فَخْرًا بِأُمِّكُمُ ... أُمٌّ لَعَمْرِي حَصَانٌ بَرَّةٌ كَرَمُ هِيَ الَّتِي لَا يُدَانِي فَضْلَهَا أَحَدٌ ... بِنْتُ الرَّسُولِ وَخَيْرُ النَّاسِ قَدْ عَلِمُوا وَفَضْلُهَا لَكُمُ فَضْلٌ وَغَيْرُكُمُ ... مِنْ قَوْمِكُمْ لَهُمْ فِي فَضْلِهَا قِسَمُ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَوْ ظَنًّا كَعَالِمِهِ ... وَالظَّنُّ يَصْدُقُ أَحْيَانًا فَيَنْتَظِمُ أَنْ سَوْفَ يَتْرُكُكُمْ مَا تَدَّعُونَ بِهَا ... قَتْلَى تَهَادَاكُمُ الْعِقْبَانُ وَالرَّخَمُ يَا قَوْمَنَا لَا تُشِبُّوا الْحَرْبَ إِذْ سَكَنَتْ ... وَأَمْسِكُوا بِحِبَالِ السِّلْمِ وَاعْتَصِمُوا قَدْ غَرَّتِ الْحَرْبُ مَنْ قَدْ كَانَ قَبْلَكُمُ ... مِنَ الْقُرُونِ وَقَدْ بَادَتْ بِهَا الْأُمَمُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮২


বর্ণনাকারী বলেন, তখনইবন আব্বাস (রা) তাকে লিখলেন, আমি আশা করি হুসায়নের
গমন তোমার আপত্তিকর কোন উদ্দেশ্যে হবে না ৷ যা দ্বারা সম্প্রতি সৃষ্টি হয় এবং উত্তেজনা
প্রশমিত হয়, এমন প্রতিটি বিষয়ে আমি তাকে হাি তাপদেশ না দিয়ে ছাড়ব না ৷ এরপর ইবন
আব্বাস (রা) হযরত হুসায়নের সাথে সাক্ষাৎ করলেন এবং তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন,
তিনি র্তাকে বললেন, দােহইি তোমার ! (ইরাক অভিমুখে বের হয়ে) আগামীকাল তুমি
ধ্বংসাত্মক অবস্থায় আত্মবিসর্জ্যধ্ দিও না ৷ তুমি ইরাক যেও না: ৷ আর যদি দ্মি ইরাক যেতেই
চাও তাহলে হজ্জ মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত এখানে অপেক্ষা কর এবং লোকদের সাথে সাক্ষাৎ
করে তাদের মনোভাব অনুমান কর ৷ এরপর তৃমি তোমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে৷ ৷ আর
এটা ছিল যুলশ্হাজ্জাহর তারিখ ৷ কিন্তু হুসায়ন (রা) তার ইরাক গমনের সিদ্ধান্তে অটল
থাকলেন ৷ তখন ইবন আব্বাস (রা) তাকে বললেন, আল্লাহর কসম ৷ আমার প্রবল ধারণা
হচ্ছে যে হযরত উসমানের ন্যায় তৃমিও কাল তোমার শ্রী কন্যাদের চোখের সামনে নিহত
হবে ৷ আল্লহর কসম ! আমি আশঙ্কা বলছি তোমাকে হত্যা করেই উসমান হত্যার বদলা নেয়া
হবে ৷ হার ! আমাদের দৃর্ভাগ৷ ! ইন্নালিল্লাহ্ ওইন্নাইলইিহি রাজিউন ৷ তখন হুসায়ন (রা)তাকে
বললেন, হে আবুল আব্বাস ও আপনি বয়ােবৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৷ তখন ইবনআব্বাস (রা) তাকে
বললেন, যদি না আমার ও তোমার জন্য অবজ্ঞাজনক না হত তাহলে আমি আমার হাত দিয়ে
তোমার মাথা ঝাপটে ধর৩ তাম ৷ আর যদি আমি নিশ্চিত হতাম যে, তুমি অবস্থানঃ করবে তাহলে
আমরা তাই করতর্যে ৷ কিন্তু আমি ধারণা করি না তা তোমাকে বিরত রাখবে ৷ তখন হুসায়ন
বললেন, আমাকে মক্কায় হত্যা করা হবে এবং আমার কারণে মক্কার পবিত্রত৷ লগ্রিত হবে ৷
এর চেয়ে অমুক অমুক স্থানে নিহত হওয়া আমার কাছে প্রিয়তর ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
ইবন আব্বাস (রা) কেদে বললেন, এদ্বারা তুমি ইবনুয যুবায়রের চক্ষুকে শীতল করলে ৷ আর
তাই তার বা৷পাবর আমাকে প্রবোধ্ দিয়েছে ৷ এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে ইবন আব্বাস (বা) তার কাছে
থােক দ্ভুব্র হয়ে আসলেন, আর এ সময় হযরত হুসায়হ্বনর সাথে সাক্ষাতের জন্য ইবনুয যুবায়র
দরর্জায় দাড়িয়ে ছিলেন ৷ তিনি যখন তাকে দেখতে পেলেন তখন তাকে বললেন, হে ইবনুয
যুবায়র! তোমার অভিলাষ পুর্ণহয়েছে এবং চক্ষু শীতল হয়েছে৷ আবু আবদুল্লাহ হেজাযকে
তোমার জন্য ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন ৷ এরপর তিনি আবৃত্তি করলেন, প্
ক্তএশ্ষ্ম্বী-ম্শ্-ষ্এি
তৃণ, পানি ও দানাপুর্ণ ভুখণ্ডের বাসিন্দা হে ভারুই পাখী ৷ তোমার আকাশ আজ মুক্ত তাই
তুমি সানন্দে শিস দাও; ডিম দাও ৷ ন্
শ্
তোমার যত ইচ্ছা ঠোকর দাও, তোমার শিকারী আজ ধরাশায়ী কাজেই তুমি উত্ফুল্ল হও ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত ৩হুসায়ন বনী আবদুল যুত্তালিবের ক্ষুদ্র একটি দলকে তীর
কাছে নিয়ে আমার জন্য লোক পাঠালেন ৷ এদের সং খ্যা ছিল নারী পুরুষ মিলে উনিশ জন ৷
এদের মাঝে তার ভ্রাতা কন্যা ও শ্ৰীগণ ছিলেন ৷ এ সময় মুহাম্মাদ ইবনুল ৷নাফিয়্যা তাদেরকে
অনুসরণ করে আসলেন এবং হযরত হুসায়নকে পবিত্র মক্কায় পেলেন ৷ ছুনি ৩াকে পরামর্শ
দিলেন ৷ এ সময় তার (ইরাকের উদ্দেশ্যে) বের হওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক, নয় ৷ কিন্তু হযরত


فَأَنْصِفُوا قَوْمَكُمْ لَا تَهْلِكُوا بَذَخًا ... فَرُبَّ ذِي بَذَخٍ زَلَّتْ بِهِ الْقَدَمُ قَالَ: فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يَكُونَ خُرُوجُ الْحُسَيْنِ لِأَمْرٍ تَكْرَهُهُ، وَلَسْتُ أَدَعُ النَّصِيحَةَ لَهُ فِي كُلِّ مَا يَجْمَعُ اللَّهُ بِهِ الْأُلْفَةَ وَتُطْفَى بِهِ النَّائِرَةُ. وَدَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَلَى الْحُسَيْنِ، فَكَلَّمَهُ لَيْلًا طَوِيلًا، وَقَالَ لَهُ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ أَنْ تَهْلِكَ غَدًا بِحَالِ مَضِيعَةٍ، لَا تَأْتِ الْعِرَاقَ، وَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَأَقِمْ حَتَّى يَنْقَضِيَ الْمَوْسِمُ، وَتَلْقَى النَّاسَ وَتَعْلَمَ مَا يُصْدِرُونَ، ثُمَّ تَرَى رَأْيَكَ. وَذَلِكَ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ. فَأَبَى الْحُسَيْنُ إِلَّا أَنْ يَمْضِيَ إِلَى الْعِرَاقِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّكَ سَتُقْتَلُ غَدًا بَيْنَ نِسَائِكَ وَبَنَاتِكَ، كَمَا قُتِلَ عُثْمَانُ بَيْنَ نِسَائِهِ وَبَنَاتِهِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخَافُ أَنْ تَكُونَ الَّذِي يُقَادُ بِهِ عُثْمَانُ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. فَقَالَ: أَبَا الْعَبَّاسِ، إِنَّكَ شَيْخٌ قَدْ كَبِرْتَ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَوْلَا أَنْ يُزْرِيَ ذَلِكَ بِي أَوْ بِكَ لَنَشِبْتُ يَدِي فِي رَأْسِكَ، وَلَوْ أَعْلَمُ أَنَّا إِذَا تَنَاصَيْنَا أَقَمْتَ لَفَعَلْتُ، وَلَكِنْ لَا إِخَالُ ذَلِكَ نَافِعِي. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: لَأَنْ أُقْتَلَ بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ تُسْتَحَلَّ بِي. يَعْنِي مَكَّةَ، قَالَ: فَبَكَى ابْنُ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: أَقْرَرْتَ عَيْنَ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِذَلِكَ، وَذَلِكَ الَّذِي سَلَا نَفْسِي عَنْهُ. قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى الْبَابِ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: يا ابْنَ الزُّبَيْرِ، قَدْ أَتَى مَا أَحْبَبْتَ، قَرَّتْ عَيْنُكَ، هَذَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ يَخْرُجُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৩

হুসায়ন (বা) তার পরামর্শ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিরা৷
তার সন্তানদের আটকে রাখলেন এবং তাদের একজনকেও পাঠালেন না ৷ ফলে হযরত হুসায়ন
(রা) তীর প্রতি মনােকষ্ট গেলেন এবং তাকে বললেন, আমি আক্রান্ত হব এমন কোন স্থান
থেকে তুমি কি তোমার নিজের সন্তানদের আটকে রাখবেঃ তখন তিনি বললেন এর কী
প্রয়োজন আছে যে, আপনি আক্রান্ত হবেন আর সাথে তারাও আক্রান্ত হবে? যদিও আপনার
আক্রান্ত হওয়ার বিপদ আমাদের কাছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার তুলনায় গুরুতর ৷
ঐতিহাসিকগণ ৷বলেন, ইরাকবাসী হযরত হুসায়নের কাছে পত্র ও দুত পাঠিয়ে তাকে
তাদের কাছে আগমনের আহবান জানান ৷ তখন তিনির্তার পরিবার পরিজন এবং ষাটজন
কুফাবা ৷সীর সাহচর্যে তাদের উদ্দোশ্য বেরিয়ে পড়লেন ৷ আর এটা ছিল যিল হাজ্জর দশ তারিখ
সোমবার ৷ তখন মারওয়ান ইবন যিয়ড়াদকে লিখে পাঠাল, পর কথা হুসায়ন বিন আলী তোমার
অভিমুখে রওনা হয়ে গিয়েছেন, আর মনে রেখো তিনি হলেনফাতিমা (রা)-এর পুত্র হুসায়ন,
আর ফাতিম৷ (রা) তিনি হলেন আল্লাহর রাসুলেরৰুন্ কন্যা৷ আর আল্লাহর কসম ৷ আল্লাহর
নিরাপত্তা লাভকারী কেউই আমাদের কাছে হুসায়নের চেয়ে অধিক প্রিয় না ৷ কাজেই সতর্ক
থােকা নিজের বিরুদ্ধে এমন কিছু উসৃকে দিও না যাকে কোন কিছু বোধ করতে পারে না,
আর সর্বসাধারণ যা ভুলৰে না এবং শেষকাল পর্যন্ত যার আলোচনা ছাড়বে না ৷ ওয়াসৃসালাম ৷
আমর বিন সায়ীদ ইবনুল আস তাকে লিখন পরকথা হল, হুসায়ন৩ তামার দিকে যাত্রা
করছেন ৷ আর এমন কঠিন পরিস্থিতির মােকাবেলায় ই তুমি স্বাধীনতা ও সম্মান লাভ করতে
পার ৷ কি০ বা ক্রী৩ দাসের ন্যায় দাসে পরিণত তপার ৷ আঘৃ যুবায়র বিন বাক্কার বলেন,
আমাকে মুহাম্মাদ বিন যাহ্হাক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবন
যিয়াদকে লিখন, আমার কাছে স বাদ পৌছেছে যে, হুসায়ন কুফাভিমুখে রওনা হয়েছেন৩ তার
(এ পদক্ষেপ) দ্বারাণ্ তামার শাসনের স্থান ও কাল বিশেষভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে এবং
প্রশাসকদের মাঝে তুমি বিশেষভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে৷ ৷ আর এ পরীক্ষার ফল দ্বারাই
তুমি স্ব৷ ৷ধীন৩ ৷ ও সম্মান লাভ করবে কিংবা ক্রীতদাসের ন্যায় দাসতু ও অপমান বরণ করবে ৷
একারণেই ইবন যিয়াদ তাকে হত্যা করে এবং ইয়াষীদের কাছে তার মাথা পাঠিয়ে দেয় ৷
তবে আমার মতে, সঠিক হল যে , হযরত হুসায়নের মাথা শামে পাঠায়নি, যেমন একটু
পরেই আসছে ৷ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ইয়াযীদ ইবন যিয়াদকে লিখে পাঠান, আমার কাছে
সংবাদ পৌছেছে যে, হুসায়ন ইতিমধ্যেই ইরাকের উদ্দেশ্যে যে দিকে রওনা হয়েছেন ৷ কাজেই
পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও অস্ত্রাগার স্থাপন কর এবং পুর্ণ সতর্কতা অবলম্বন কর ৷ আর যার সম্পর্কে
নেতিবাচক ধারণা হয়, তাকে আটকে রাখ, আর অভিযুক্তকে শক্তভাবে পাকড়াও কর ৷ তবে
তামার বিরুদ্ধে লড়াইক৷ রী ব্যতীত কাউকে হত্যা করে৷ না ৷ আর ইতিবাচক কিছু যা ঘটে সে
ব্যাপারে আমাকে লিখে জানাও ওয়াসৃসলাম” ?
আয্ যুবায়র বিন বাক্কার বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ বিন আয্ যাহ্হাক বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) যখন মক্কা থােক (বের হয়ে) কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, তখন তিনি মসজিদুল হারামের ,দয়টুজঃদিয়ে অতিক্রমকালে আবৃত্তি



১ ইবনুল আ ছমে ৫১২০ রয়েছে: তার সাথে তার পরিবার পরিজন এবং অনুসারীসহ মোট বিরাশিজন ছিল ৷


وَيَتْرُكُكَ وَالْحِجَازَ. ثُمَّ قَالَ: يَا لَكِ مِنْ قُنْبَرَةٍ بِمَعْمَرِ ... خَلَا لَكِ الْجَوُّ فَبِيضِي وَاصْفِرِي وَنَقِّرِي مَا شِئْتِ أَنْ تُنَقِّرِي قَالَ: وَبَعَثَ الْحُسَيْنُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَقَدِمَ عَلَيْهِ مَنْ خَفَّ مَعَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهُمْ تِسْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا وَنِسَاءٌ وَصِبْيَانٌ مِنْ إِخْوَانِهِ وَبَنَاتِهِ وَنِسَائِهِمْ، وَتَبِعَهُمْ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ فَأَدْرَكَ حُسَيْنًا بِمَكَّةَ، فَأَعْلَمَهُ أَنَّ الْخُرُوجَ لَيْسَ لَهُ بِرَأْيِ يَوْمِهِ هَذَا، فَأَبَى الْحُسَيْنُ أَنْ يَقْبَلَ، فَحَبَسَ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ وَلَدَهُ، فَلَمْ يَبْعَثْ مَعَهُ أَحَدًا مِنْهُمْ حَتَّى وَجَدَ الْحُسَيْنُ فِي نَفْسِهِ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَقَالَ: تَرْغَبُ بِوَلَدِكَ عَنْ مَوْضِعٍ أُصَابُ فِيهِ؟ فَقَالَ مُحَمَّدٌ: وَمَا حَاجَتِي أَنْ تُصَابَ، وَيُصَابُونَ مَعَكَ؟ وَإِنْ كَانَتْ مُصِيبَتُكَ أَعْظَمَ عِنْدَنَا مِنْهُمْ. قَالُوا: وَبَعَثَ أَهْلُ الْعِرَاقِ إِلَى الْحُسَيْنِ الرُّسُلَ وَالْكُتُبَ يَدْعُونَهُ إِلَيْهِمْ، فَخَرَجَ مُتَوَجِّهًا إِلَى الْعِرَاقِ فِي أَهْلِ بَيْتِهِ وَسِتِّينَ شَيْخًا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَذَلِكَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتِّينَ. فَكَتَبَ مَرْوَانُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَدْ تَوَجَّهَ إِلَيْكَ، وَهُوَ الْحُسَيْنُ ابْنُ فَاطِمَةَ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِاللَّهِ مَا أَحَدٌ يُسَلِّمُهُ اللَّهُ أَحَبَّ إِلَيْنَا مِنَ الْحُسَيْنِ، فَإِيَّاكَ أَنْ تُهَيِّجَ عَلَى نَفْسِكَ مَا لَا يَسُدُّهُ شَيْءٌ، وَلَا تَنْسَاهُ الْعَامَّةُ وَلَا تَدَعُ ذِكْرَهُ، وَالسَّلَامُ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: أَمَّا بَعْدُ فَقَدْ تَوَجَّهَ إِلَيْكَ الْحُسَيْنُ، وَفِي مِثْلِهَا تُعْتَقُ أَوْ تَكُونُ عَبْدًا تُسْتَرَقُّ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৪

)া
স্৷ ত্রুারু ;৷ ণ্,ন্এ
আবু মুখ৷ ৷ননাফ বলেন, আবু জানার ইয়াহ্ইরা বিন আবু খায়ছাম৷ বর্ণনা করেন, আদী বিন
হারমালাহ আল আসাদী থেকে তিনি আবদুল্লাহ বিন সুলায়ম আসাদী ও আল-মুনযিব বিন
আল ঘুশমাঈল অসােদী থেকে, তারা ব্দুজনে বলেন, কুফ৷ থেকে হম্ভজ্জর উদ্দেশ্যে বের হয়ে
শ্ণ্আমর৷ পবিত্র মক্কায় আগমন করলাম ৷ এরপর ৩ালবিযার দিন পুবাহ্নক লে আমরা হযরত
হুসায়ন ও ইবনুয যুবায়রকে হাজ্বরে আসওয়াদ ও কা বা ঘরের দরজ়াব মাঝামাঝি স্থানে
দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম ৷ এরপর আমরা ইবনুয যুবায়রকে শুনতে পেলাম তিনি হযরত ,
হুসায়নকে বলছেন, যদি তুমি এখানে অবস্থান করে নিজেই এই দায়িতু গ্রহণ করতে চাও
তাহলে তা কর ৷ তখন আমরা তোমাকে সর্বাতাক সাহায্য-সহয়োগিতা করব এবং তোমার
হাতে রড়ায়আ ত করব এবং তোমার সার্বিক হিতাকাডক্ষী হব ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন
আমার ৷পতা আমাকে বর্ণনা করেছেন, এই হ রামের একটি বধ্য প্রাণ’ (বলি) রয়েছে, যে
, নিহত হয়৩ তার পবিত্রতা লজািত হবে৷ আর আমি সেই বলির পাঠা’ হতে ৩চাই না ৷ তখন
ইবস্থুয় যু রায়য় তাকে বললেন তাহলে তুমি এখানে অবস্থান করে আমাকে এই দায়িতৃ অর্পণ
কর ৷ আর সেক্ষেত্রেও ভোমাবই আনুগত্য করা হবে কােনরুপ অবাধ্যত৷ করা হবে না ৷ তিনি
বলেন আমি এটাও চাই না ৷ তারপর নিম্নস্বরে কথা বলতে শুরু করার আমরা আর কিছু শুনতে
পেলাম না ৷ এভাবে তারা একান্তে কথা বলতে থাকলেন, এমনকি দ্বিপ্রহর হয়ে যাওয়ায় আমরা
প্রার্থনাকারী হাজীদেরকে মিনাভিমুখে যেতে দেখলাম ৷ বর্ণনাকারীদ্বয় বলেন এরপর হযরত
হুসায়ন (রা) কা বার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়াব মাঝে সাঈ করে মাথার চুলের
কসর’ করলেন এবং তার উমরাহব ইহরাম মুক্ত হলেন ৷ এরপর তিনি কুফাভিযুখে বওন ৷ হয়ে
থেলেন, আর আমরা লোকদের সাথে মিনার দিকে চলে গেলাম ৷
তৃা৷বু মুখানাফ বলেন, আমাকে আল হারিছ বিন কা ব আল ওয়ালিবী বর্ণনা করেছেন উক্বা
বিন নাম আন থেকে তিনি বলেন হযরত হুসায়ন (বা) যখন (ইরাকের উদ্দেশ্যে) মক্কা থেকে
বের হলেন তখন মক্কার নায়েব প্রশাসক আমর বিন সায়ীদের দুতপণ১ তার গতিরোধ করে
র্দাড়াল ৷ আর এদের নেতৃত্বে ছিল আমরেব ভাই ইয়াইেয়া বিন সায়ীদ ৷ তারা র্তাকে বলল,
আপনি কোথায় চলেছেন? ফিরে চলুন ৷ কিন্তু তিনি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে অগ্রসর
হলেন ৷ এসময় উভয় দল পরস্পর ধাক্কাধাক্কি এবং চাবুক ও লাঠি দ্বারা ম বাম বি শুরু করল,
এরপর হযরত হুসায়ন (রা) ও তীর সঙ্গীরা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তৃললেন এবং
তারা তাদের লক্ষো অগ্রসর হলেন তখন (ইয়াহ্ইয়া) তাকে আহবান করে বলল, হে হুসায়ন !
আপনি কি আল্লাহ কে ভয় করেন না ৷ আপনি কি উম্মতেব মাঝে ৷বিঙে দ সৃষ্টি করতে চান?
বর্ণনাক৷ রী বলেন তখন হযরত হুসায়ন (বা) এই আয়াত পাঠ করে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন
— এ
আমার কর্মের দায়িতু আমার আর তোমাদের কর্মের দায়িত, তোমাদের, আমি যা করি যে
বিষয়ে তোমরা দায়ী নও এবং তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি দায়ী নই ৷ (ইউনুসঃ : ১)



১ আল আখৃবারুত তিওয়ালে ( ২৪ ৪পৃ ) রয়েছে লিপাহীদলেয় প্রধান যার আমির আমর বিন সায়ীদ ইরনুল
আন ৷

আলবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৪ :


كَمَا تُسْتَرَقُّ الْعَبِيدُ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَتَبَ يَزِيدُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، أَنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ حُسَيْنًا قَدْ سَارَ إِلَى الْكُوفَةِ وَقَدِ ابْتُلِيَ بِهِ زَمَانُكَ مِنْ بَيْنِ الْأَزْمَانِ، وَبَلَدُكَ مِنْ بَيْنِ الْبُلْدَانِ، وَابْتُلِيتَ بِهِ أَنْتَ مِنْ بَيْنِ الْعُمَّالِ، وَعِنْدَهَا تُعْتَقُ أَوْ تَعُودُ عَبْدًا كَمَا تُعْتَبَدُ الْعَبِيدُ. فَقَتَلَهُ ابْنُ زِيَادٍ، وَبَعَثَ بِرَأْسِهِ إِلَيْهِ. قُلْتُ: وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَبْعَثْ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ إِلَى الشَّامِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّ يَزِيدَ كَتَبَ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ: قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ الْحُسَيْنَ قَدْ تَوَجَّهَ نَحْوَ الْعِرَاقِ. فَضَعِ الْمَنَاظِرَ وَالْمَسَالِحَ، وَاحْتَرِسْ وَاحْبِسْ عَلَى الظِّنَّةِ وَخُذْ عَلَى التُّهْمَةِ، غَيْرَ أَنْ لَا تَقْتُلَ إِلَّا مَنْ قَاتَلَكَ، وَاكْتُبْ إِلَيَّ فِي كُلِّ مَا يَحْدُثُ مِنْ خَبَرٍ، وَالسَّلَامُ. قَالَ الزُّبَيْرُ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ قَالَ: خَرَجَ الْحُسَيْنُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْعِرَاقِ فَلَمَّا مَرَّ بِبَابِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৫


বংনািকারী বলেন, তারপর হযরত “হুসায়ন (রা) তানঈম১’ অতিক্রমকালে সেখানে
ইয়ামাব্লুনর প্রশাসক বুজায়র বিন যিয়াদ২ আল হিময়ারী প্রেরিত এক কাফেলার সাক্ষাৎ পেলেন,
যা সে ইয়ামান থেকে ইয়াযীদ বিন মুআবিয়ার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিল ৷ আর তাতে মুল্যবান
ওয়ারসৃংএবং বহু জোড়া কাপড় (চা দেয় ও লুঙ্গি) ছিল ৷ হযরত হুসায়ন (রা) সেগুলো নিয়ে নেন
এবং সেগুলো কুফ৷ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য উট মালিকদের ভাড়া করেন এবং তাদের প্রাপ্য
মজুরী তখনই তাদেরকে প্রদান করেন ৷ এরপর আবু মুখানৃনাফ তার প্রথম সুত্রে বর্ণনা করেন
যে পথিমধ্যে করি ফ ৷রায়দাক হযরত হুসায়ব্লুনর সাক্ষাৎ পায় ৷ তখন সে তাকে সালাম করে
বলল, আল্লাহ আপনাকে আপনার প্রার্থিত বিষয় দান করুন এবং কাজ্জিত বিষয়ে
কর্তৃতুাঘিকায়ী করুন ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা) তাকে সােকজব্লুনর মনোভাব এবং তা দেখে
আসা অবস্থার কথা জিজ্ঞা ৷সা করলেন, মানুষের মন প্রাণ আপনার সাথে আর তরবারিসমুহ বনী
উমায়্যার সাথে ৷ আর চুড়ান্ত ফয়সালাব্লু তা আসবে আসমান থেকে আর আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন
তা ই করেন৷ তখন তিনি বললেন, তুমি সভ্য বব্লুলছো ৷ পুর্বাপর সকল বিষয়ের কর্তৃতু
আল্লাহর, তিনি যা ইচ্ছা করেন ৷ প্রতিদিন আমাদের প্রতিপালক গুরুতুপুর্ণ ও নিত্য নতৃনঃ
দায়িত্বে রত ৷ যদি আমাদের কাডিক্ষত ভাগ্য বিধান অবতীর্ণ হয় তাহলে আমরা আল্লাহ্র দান
ও অনৃগ্রহের জন্য তার ব্লুশাকর আদায় করব ৷ আর ব্লুশাকর আদায়ের জন্য তিনিই সাহায্যের
স্থল ৷ আর যদি আকাম্ভক্ষা ও প্ৰত্যাশার পথে তাগ্যবান অন্তরায় হয়, তাহলে যার নিয়ত ও ইচ্ছা
সৎ এবং যার গোপনীয় বিষয় তাক্ওয়া ও থােদাভীরুতা ৷ সে সীমালঙ্ঘনকারী নয় ৷ তারপর
হযরত হুসায়ন (রা) তার বাহনব্লুক সাড়া দিয়ে বললেন আসসালামু আলায়কুম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ্ ৷ এরপর পৃথক হয়ে গেলেন ৷

হিশাম ইবনুল কালবী বলেন, আওয়ানাতৃবনুল হাকাম থেকে তিনি লীতৃ৷ বিন পানির বিন
আল ফারাযদাক থেকে তিনি তার পিতা থেকে, তিনি বলেন, ষাট হিত্তারীতে আমি আমার মাকে
নিয়ে হজ্জ করছিলাম ৷ হব্লুজ্জর দিনসমুহ শুরু হওয়ার পর কোন একদিন আমি তার উটকে
হাকিব্লুয় নিচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ হযরত হুসায়ব্লুনর সাক্ষাৎ পেলাম ৷ ব্লুদওলোম,৩ তিনি তার ঢাল-
তরবাব্রিসহ মক্কা থেকে বের হচ্ছেন ৷ তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুলের সন্তান ৷
আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক ৷ এত দ্রুত আপনি হজ্জ থেকে ফিরব্লুছন?
তখন তিনি বললেন, দ্রুত না ফিরব্লুল আমাকে বন্দী করা হবে ৷ অতঃপর তিনি আমাকে
জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার পরিচয়? আমি বললাম, আমি ইরাকের বাসিন্দা ৷ তিনি আমাকে



১ মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী মক্কার নিবল্টবর্তী একটি স্থান ৷

২ আৎ তাবারী (৬২১৮) ; আলকামিল (৪০)এ রায়সান আল হিমৃয়ারী রয়েছে ৷

৩ ইয়ামান অঞ্চলের হলুদ বর্ণ উদ্ভিদ বিশেষ, যা থেকে মুখমণ্ডলের প্রসাধন বিশেষ সংগৃহীত হয় ৷ আল
আখবারুৎ তিওয়ালে (২৪ ৫পৃং) রয়েছে ওয়ারসৃ ও ব্লুমহেদি ৷

৪ আল আখৃবারুত তিওয়াব্লুল (২৪৫পৃচ ) এবং আৎ তবারীব্লুত (৬২১৮) এসেছে যে, সিফাহ নামক স্থানে
র্তার সাক্ষাৎ পায় ৷ আরত৷ হল হুসায়ন এবং হারামের চিহ্নসমুহের মধ্যবর্তী স্থান যা মক্কাভিমুখী পথের বামে ৷
আর সিফাহ নুমান হল মক্কা ও তাব্লুয়ব্লুফর মধ্যবর্তী কয়েকটি পর্বত ৷ ইবনুল আছব্লুম রয়েছে যে আশশাকুক’
নামক স্থানে তার সাক্ষাৎ পায় ৷ আর তা হল ওয়াকিসার পর কুফা থেকে মক্কার পথের একটি মনষিল বা বিশ্রাম
হল মুজামুল বুলদান আর ফরাযদাক @)১া৷, ,;১>াএ৷ শুপ্রু১; ৰু৮১ণ্ ১৷ ষ্গুষ্হু :শ্-ষ্-৷ এ্যা সিফাহ ভুখণ্ডে
আমি হুসায়ব্লুনর সাক্ষাৎ পেলাম তিনি তখন আবা পরিহি ত এবং চামড়ার ঢালধারী ৷


لَا ذَعَرْتُ السَّوَامَ فِي فَلَقِ الصُّبْ ... حِ مُغِيرًا وَلَا دُعِيتُ يَزِيدَا يَوْمَ أُعْطَى مَخَافَةَ الْمَوْتِ ضَيْمًا ... وَالْمَنَايَا تَرْصُدْنَنِي أَنْ أَحِيدَا وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: قَالَ أَبُو جَنَابٍ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسَدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمٍ وَالْمَذْرِيِّ بْنِ الْمُشْمَعِلِّ الْأَسَدِيَّيْنِ قَالَا: خَرَجْنَا حَاجَّيْنَ مِنَ الْكُوفَةِ حَتَّى قَدِمْنَا مَكَّةَ فَدَخَلْنَا يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، فَإِذَا نَحْنُ بِالْحُسَيْنِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَائِمَيْنِ عِنْدَ ارْتِفَاعِ الضُّحَى فِيمَا بَيْنَ الْحِجْرِ وَالْبَابِ، فَسَمِعْنَا ابْنَ الزُّبَيْرِ وَهُوَ يَقُولُ لِلْحُسَيْنِ: إِنْ شِئْتَ أَنْ تُقِيمَ أَقَمْتَ فَوُلِّيتَ هَذَا الْأَمْرَ، فَآزَرْنَاكَ وَسَاعَدْنَاكَ وَنَصَحْنَا لَكَ وَبَايَعْنَاكَ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: إِنَّ أَبِي حَدَّثَنِي أَنَّ لَهَا كَبْشًا يَسْتَحِلُّ حُرْمَتَهَا، فَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْكَبْشَ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: فَأَقِمْ إِنْ شِئْتَ وَوَلِّنِي أَنَا الْأَمْرَ فَتُطَاعَ وَلَا تُعْصَى. فَقَالَ: وَمَا أُرِيدُ هَذَا أَيْضًا. قَالَا: ثُمَّ إِنَّهُمَا أَخْفَيَا كَلَامَهُمَا دُونَنَا، فَمَا زَالَا يَتَنَاجَيَانِ، حَتَّى سَمِعْنَا دُعَاءَ النَّاسِ رَائِحِينَ مُتَوَجِّهِينَ إِلَى مِنًى عِنْدَ الظَّهِيرَةِ. قَالَا: فَطَافَ الْحُسَيْنُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَقَصَّرَ مِنْ شِعْرِهِ، وَحَلَّ مِنْ عُمْرَتِهِ، ثُمَّ تَوَجَّهَ نَحْوَ الْكُوفَةِ، وَتَوَجَّهْنَا نَحْنُ مَعَ النَّاسِ إِلَى مِنًى. وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ كَعْبٍ الْوَالِبِيُّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ سَمْعَانَ قَالَ: لَمَّا خَرَجَ الْحُسَيْنُ مِنْ مَكَّةَ اعْتَرَضَهُ رُسُلُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ - يَعْنِي نَائِبَ مَكَّةَ - عَلَيْهِمْ أَخُوهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، فَقَالُوا لَهُ: انْصَرِفْ، أَيْنَ تَذْهَبُ؟
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৬
فَأَبَى عَلَيْهِمْ وَمَضَى، وَتَدَافَعَ الْفَرِيقَانِ فَاضْطَرَبُوا بِالسِّيَاطِ، ثُمَّ إِنَّ حُسَيْنًا وَأَصْحَابَهُ امْتَنَعُوا مِنْهُمُ امْتِنَاعًا قَوِيًّا، وَمَضَى الْحُسَيْنُ عَلَى وَجْهِهِ، فَنَادَاهُ: يَا حُسَيْنُ، أَلَا تَتَّقِي اللَّهَ! تَخْرُجُ مِنَ الْجَمَاعَةِ وَتُفَرِّقُ بَيْنَ هَذِهِ الْأُمَّةِ؟ ! قَالَ: فَتَأَوَّلَ الْحُسَيْنُ قَوْلَهُ تَعَالَى: {لِي عَمَلِي وَلَكُمْ عَمَلُكُمْ أَنْتُمْ بَرِيئُونَ مِمَّا أَعْمَلُ وَأَنَا بَرِيءٌ مِمَّا تَعْمَلُونَ} [يونس: 41] . قَالَ: ثُمَّ إِنَّ الْحُسَيْنَ مَرَّ بِالتَّنْعِيمِ، فَلَقِيَ بِهَا عِيرًا قَدْ بَعَثَ بِهَا بَحِيرُ بْنُ رَيْسَانَ الْحِمْيَرِيُّ نَائِبُ الْيَمَنِ، قَدْ أَرْسَلَهَا مِنَ الْيَمَنِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَلَيْهَا وَرْسٌ وَحُلَلٌ كَثِيرَةٌ، فَأَخَذَهَا الْحُسَيْنُ وَانْطَلَقَ بِهَا، وَاسْتَأْجَرَ أَصْحَابَ الْجِمَالِ عَلَيْهَا إِلَى الْكُوفَةِ وَدَفَعَ إِلَيْهِمْ أُجْرَتَهُمْ. ثُمَّ سَاقَ أَبُو مِخْنَفٍ بِإِسْنَادِهِ الْأَوَّلِ أَنَّ الْفَرَزْدَقَ لَقِيَ الْحُسَيْنَ فِي الطَّرِيقِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ لَهُ: أَعْطَاكَ اللَّهُ سُؤْلَكَ وَأَمَلَكَ فِيمَا تُحِبُّ. فَسَأَلَهُ الْحُسَيْنُ عَنْ أَمْرِ النَّاسِ وَمَا وَرَاءَهُ، فَقَالَ لَهُ: قُلُوبُ النَّاسِ مَعَكَ، وَسُيُوفُهُمْ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ، وَالْقَضَاءُ يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَاللَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ. فَقَالَ لَهُ: صَدَقْتَ، لِلَّهِ الْأَمْرُ، يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ، وَكُلَّ يَوْمٍ رَبُّنَا فِي شَأْنٍ، إِنْ نَزَلَ الْقَضَاءُ بِمَا نُحِبُّ فَنَحْمَدُ اللَّهَ عَلَى نَعْمَائِهِ، وَهُوَ الْمُسْتَعَانُ عَلَى أَدَاءِ الشُّكْرِ، وَإِنْ حَالَ الْقَضَاءُ دُونَ الرَّجَاءِ، فَلَمْ يَعْتَدِ مَنْ كَانَ الْحَقُّ نِيَّتَهُ، وَالتَّقْوَى سَرِيرَتَهُ، ثُمَّ حَرَّكَ الْحُسَيْنُ رَاحِلَتَهُ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ. ثُمَّ افْتَرَقَا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ، عَنْ عَوَانَةَ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ لَبَطَةَ بْنِ الْفَرَزْدَقِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৭

লোকজ!নর (মনোভাব) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি তাকে বললাম, অন্তরসমুহ আপনার
সাথে আর তরব!বিসমুহ বনী উম!য়্যার সাথে, এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় উল্লেখ করেছেন ৷

আলশ্ফ!র!যদাক বলেন, আমি হযরত হুস!য়নকে কয়েকটি বিষ্য় এবং হজের হকুম-আহক!ম
সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম তিনি আম! কে সে সম্পর্কে অবহিত করলেন ! তিনি বলেন, এসময় তিনি
প্লুয়িনি!ত১ আক্রান্ত হওয়ার তার জিহ্ ব্!য় জড়ত! সৃষ্টি হয়েছিল ৷ আর তার সঙ্গী ইরাকী!দর
জো তার এ; !রাপ সংক্রামিত হয়েছিল! তিনি বলেন, ও!রপর আমি অ্যাসর হয়ে হ ব!মেব
সীমানার মধ্যে এক সুন্তুশ্য ও বিশাল আকৃতির, তাবু ম!ট!!ন! দেখতে পেলাম, দেখতে পেল!ম
আবদুল্লাহ বিন আমর ইরনুল আসকে ! তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি তাকে জ!ন!ল!ম
যে, আমি হুস!য়নের সাথে সাক্ষাৎ করেছে! তখনও তিনি বললেন, তাহলে তুমি ত!র অনুসরপ্!
করলে,,ন! !কন?ৰুকেনন!, হুসায়নের ক্ষেত্রে তরবাবি অকেজে! এবং তার ওত!র ত!নুস!ন্থী!দৃর
ব্যাপারে অবৈধ ! তখন ফারাযদাক আক্ষেপ করল এবং৩ তীর সাথে নিয়ে মিল!ত চ!ইৰুম্বু এবং
ইবন অ!ম!রর কথা তার মনে !পুগ্নে গেল ! অতঃপর আ !ম্বিয়!!য় !করা!মর শাহ ,!দ্!তর কথা স্মরণ
: করলাম এর! ত! আমাকে তার সাথে গিরে মিলিত হওয়!ন্ থেকে বিরত রাখৃল ৷ এরপর যখন তার
কাছে সংবাদ পৌছল যে, তিন্নি নিহত হ!রফ্রো, তরন £ স ইরন অ!মর!ক ল! নত করল ৷ ইরন
আমর বলত অ!র!হ্র কসম ! !ক!ন বৃক্ষ রিংব! ! ক!ন র!লক বযপ্রোপ্ত হবে ন! যতক্ষণ ন! এই
বিষয় চুড়ান্ত সীমায় উপনীত হার এবং প্রক!শ প্!! ব ! ত!র ব্যাপারে আর অ!ক!জ !’ ত!র একথা
দ্বার! ঐ অস্ত্রকে বুবাি!য়ছে, যার দ্বারা তার হতট্রু! নিধারি৩ !নই ! কেউ কেউ অন্য কথ ! বলেছেন
আর কেউ কেউ বলেছেন, (য় ক!ব্লাষ্দাহ্মের সাথে ঠ!ট্টা ক!র!হ ! ঐতিহ!সিকপণ ব!লন, এরপর
আর কোন দিকে ভ্রু! ক্ষপ ন! করে সরাসরি য!ত ঈরবেদ্বু’২ যাত্রা বিরতি করলেন !

আবু মখ!নন!ফ বলেন, আমাকে আল হ্!বিছু বিন ক! ব আল ওয়ালিৰী বর্ণনা করেছেন,
আলী বিন হুসায়ন বিন আলী থেকে, তিবি বলেন, আমর! যখন মক্কা থেকে বের হয়ে
ব্লুঅ!সন্ন!ন্া,ওখন্ন্ অ!বর্দুল্ল!হ বিন জ! ফর হযরত হুস!য়!নর কাছে পএ লিখে তার দুই পুত্র অ!ওন
দং ;দািয় প!ঠ্!!লন, পর কথা হল, আমি তো ম!!ক ৩! ল্লাহব !দ!হাই দিয়ে বলছি,
অ্যাং এই পত্র পাঠ ন! কবে ভুমি অগ্রসর হয়ে! ন! ! তুমি যে লক্ষোর অভিমৃখী হয়েছে! তাতে
আমি আশংকা করছি, তাতে তুমি নিহত হবে এবং! তামার পরিব!র-শ্ন্পরিজন সমুলে উত্প!টিড়
হবে ৷ আর যদি এখন ভুমি নিহত হও তাহলে ইসলামেরং ক্যু নির্বাপিত হবে, €রক্ষানা তুমি
“হিদ!!য়ত লাভকার্বীর্দের বিশ্বাস এবং মু’মিনদের আশা ! কাজেই তুমি তুর! করে! না ! !কনন!,
আমি আম! র পত্রের পি!হ পি!ছই আসছি ! ওয়াসস!লার্ম !

এরপর আবদুল্লাহ বিন জা ফর মক্কার প্রর্শ!সক আমব বিন স!য়ীদের ক!ছেভ্রুগ্ গিয়ে তাকে

বললেন জীবনের নিরাপত্তা এবং সদ!চ!র ও সুসম্পর্ক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুমি হুস!য়নের
কাছে একটি পত্র বিখে পাঠাও এব০ তাকািব আমার অনু!রার জন্যেও; তাহলে !স তাতে






১ পুবিমি, ফুসফুসের অ!ক্টরৰু বি!ল্লীর প্রর্দ!হজনিত ব্যাধি, যার ফলে মানুষ অনেক সময় প্রলাপ রকে !
২ইরাকবাসীদের ইহরামবাধার স্থান ! এটা হল নজদ ও তিহ!মা অঞ্চলের মিলনস্থুল ! আর কারো মতে, ঈরক

মক্কার এক পাহাড় এবং ত! থেকে যাত ঈরক !

৩ আৎ ত!বারীতে ৬২১৯ এব০ ইবনুল আ ছ!ম ৫১ ১৫ তে র!য়!দ্বুছশু পুং!বীর নুর ৷

& ইবনুল অ্! ছু!ম রয়েছে: আমি ইয!যীদ থেকে এবং বনী উম!য়!!র সকলের থেকে তোমার নিজের জন্য এবং

!ত!মার পরিবার পরিজন সন্তান-সস্ততি এবং সম্পদের জন্য নিরাপত্তার প্রতািদ্রুতি নিয়ে আসছি ! ওয় !সস!লাম !

ণোমোঃ

أَبِيهِ قَالَ: حَجَجْتُ بِأُمِّي، فَبَيْنَمَا أَنَا أَسُوقُ بَعِيرَهَا حِينَ دَخَلْتُ الْحَرَمَ فِي أَيَّامِ الْحَجِّ، وَذَلِكَ سَنَةَ سِتِّينَ، إِذْ لَقِيتُ الْحُسَيْنَ خَارِجًا مِنْ مَكَّةَ مَعَهُ أَسْيَافُهُ وَتِرَاسُهُ، فَقُلْتُ لَهُ: بِأَبِي وَأُمِّي يَا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ، مَا أَعْجَلَكَ عَنِ الْحَجِّ؟ فَقَالَ: لَوْ لَمْ أَعْجَلْ لَأُخِذْتُ. ثُمَّ سَأَلَنِي: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقُلْتُ: امْرُؤٌ مِنَ الْعِرَاقِ. فَسَأَلَنِي عَنِ النَّاسِ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. ثُمَّ ذَكَرَ الْفَرَزْدَقُ اجْتِمَاعَهُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَقَوْلَهُ لَهُ: إِنَّ الْحُسَيْنَ لَا يَحِيكُ فِيهِ السِّلَاحُ. فَنَدِمَ الْفَرَزْدَقُ أَنْ لَا يَكُونُ تَابَعَ الْحُسَيْنَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ قَتْلُهُ، جَعَلَ يَتَذَكَّرُ قَوْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو: لَا يَحِيكُ فِيهِ السِّلَاحُ. وَلَمْ يَفْهَمْ عَنْهُ، إِنَّمَا أَرَادَ أَنَّ السِّلَاحَ لَا يَضُرُّهُ فِي آخِرَتِهِ. وَكَذَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ. ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، وَقِيلَ: أَرَادَ الْهَزْلَ بِالْفَرَزْدَقِ. قَالُوا: ثُمَّ سَارَ الْحُسَيْنُ لَا يَلْوِي عَلَى شَيْءٍ حَتَّى نَزَلَ ذَاتَ عِرْقٍ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ كَعْبٍ الْوَالِبِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: لَمَّا خَرَجْنَا مِنْ مَكَّةَ كَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ إِلَى الْحُسَيْنِ مَعَ ابْنَيْهِ عَوْنٍ وَمُحَمَّدٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَسْأَلُكَ بِاللَّهِ لَمَا انْصَرَفْتَ حِينَ تَنْظُرَ فِي كِتَابِي هَذَا، فَإِنِّي مُشْفِقٌ عَلَيْكَ مِنَ الْوَجْهِ الَّذِي تَوَجَّهْتَ لَهُ أَنْ يَكُونَ فِيهِ هَلَاكُكَ وَاسْتِئْصَالُ أَهْلِ بَيْتِكَ، إِنْ هَلَكْتَ الْيَوْمَ طَفِئَ نُورُ الْأَرْضِ، فَإِنَّكَ عَلَمُ الْمُهْتَدِينَ، وَرَجَاءُ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَا تَعْجَلْ بِالسَّيْرِ، فَإِنِّي فِي إِثْرِ كِتَابِي، وَالسَّلَامُ. ثُمَّ نَهَضَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৮

আশ্বস্ত হয়ে ফিরে আসবে ৷ তখন আমর ৷৫কত বলল, আমার পক্ষ থেকে আপনি যা ভাল মনে
করেন লিখে আনন আমি৩ তাতে আমার সিলমােহর লাগিয়ে দেব ৷ তখন ইবন জা ফর আমর
বিন নারীদের পক্ষ থেকে তার ইচ্ছানুযায়ী পত্র লিখলেন ৷ এরপর তা আমরের কাছে নিয়ে
আস্৫লন তখন যে তাতে তার সিল মো র লাগি৫র দিল ৷ আবদুল্লাহ বিন জা ফর আমর বিন
সায়ীদ৫ক বললেন আমার সাথে ৫তামাব নি রাপত্তার যামিন্ৰ্ পাঠাও, তখন সে তার সাথে তার
ভাই ইয়াহইয়া৫ক পাঠাল ৷ এরপর তারা দৃজন রওনা হয়ে গেলেন এবং হুসায়৫নর সাথে
মিলিত হলেন, এরপর তার তাকে ৫সই পত্র পাঠ করে ৫শানালেন, কিন্তু হুসায়ন (রা) ফিরতে
অস্বীকৃতি জ নিয়ে বললেন, স্বপ্ন৫যাগে আমি আল্লাহর রাসুল৫ক দেখেছি, তিনি আমাকে একটি
বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন, আর তারই উদ্দেশ্যে আমি অগ্রসর হচ্ছি ৷ তখন তারা দু জন প্রশ্ন
করলেন র্কী সেই স্বপ্ন? হুসায়ন (রা) বললেন আমার র৫রর সা৫থ সাক্ষাতের পুর্বে আমি
কাউ৫ক তা বলর না ৷
আবু মুখানৃনাফ র৫লন আমা৫ক মুহাম্মাদ বিন কায়স রর্গন্৷ করেছেন যে, হযরতন্ণ্হুসারন
(রা) যখন্ অগ্রসর হয়ে যার্তন যীর বিম্মাহব১ হাজির’ এ উপনীত হলেন তখন তিনি কায়স
বিন ঘুসহিব আসৃ ,সরদাবী৫ক তার দু৩রুপে কুফা বাসীর কাছে পাঠালেন ৷ বিনিতিাব সা৫থ
৷৫দব কা৫ছু লিখে পাঠা৫লন পরম ককপাময আল্লাহর না৫ম; হুসারন বিন আলীর পক্ষ থেকে
তার মু মিন্ ও মুসলমান ভাইদের প্রতি ঐ ,অ্ ৷ল্লুা,হ্র প্রশংস৷ করছি, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য
৫নই ৷ পরকথা হল, মুসলিম বিন আকীলেব পত্র আমার কাছে পৌ৫ ছ৫ছ, সে আমাদেরকে
সাহায্য করার এবং আমাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপা৫র ৫তামা৫দর উতুম সিদ্ধান্ত এবং
ঐক্যের কথা জা ৷নিয়ে৫ছ ৷ আল্লাহ্র কাছে আমাদের প্রার্থনা তিনি আমাদের কর্ম৫ক সুন্দর করেন
এবং আমাদের তার জন্ম সর্ববৃহৎ বিনিময় দান করেন ৷ যিলহ৫জ্জর আট ৩ারিখ নঙ্গলবার
তালবিয়ার দিন আমি মক্কা ৫খ৫ক৫ ৫তামা ৫দর উদ্দে৫ শড্রু ৫বর হ৫য়্ছি ৷ আমার দু৩ যখন
তোমাদের কাছে পৌছব্রে তখন তোমাদের বিষয় গোপন ৫ রখে৷ এবৎ৫ তামাদের,ষ্ ল৫ক্ষ্য স৫ঢ়ষ্ট
৫থ৫কা, ইনশাআল্পাহ্, আমি এই কয়েকদি৫নর মাঝে তোমাদের মা৫ঝ এ৫স যার ৷ ওযাসসালামু
আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্পাহ্ ৷ ,,,
ব র্ণনাকারী বলেন হযরত হুসায়ন (রা) নিহত হওয়ার সাতাশ দিন প৫র৩ ৩ার কা৫ছু মুসবিম
বিন আকী৫লর ৫ন পত্র পৌ৫ছছিল ৷ আর তার ভাষ্য ছিল, নিম্নরুপশ্ পরকথ৷ হল পথপ্রদর্শ্বক
তার স্বজন৫ক মিথ্যা বলে না ৷ কুফাৰাসী সকলেই আপনার সমর্থক ৷ আমার পত্র পাঠ য়্াত্র
আপনি রওনা করুন ৷ আর আমার সালাম নিবেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, কায়স বিন মুসহির আসৃ সয়দাবী হযরত হুসায়৫নর পত্র নিয়ে কুফায়
রওনা হলেন, তিনি যখন কাদিসিয়্যাতে পৌছ৫নন ৷ তখন আল হুসায়ন বিন নুমায়র তাকে বন্দী
করে উবাদুল্লাহ্ বিন যিয়া৫দর কাছে পাঠিয়ে দিল ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাকে বলল, প্রাসাদের
চুড়ায় আরোহণ কর তারপর মিথুাকের পুত্র মিথুকে আলী বিন আবু৩ তালিব এবং পুত্র হুসায়ন৫ক
পালি দাও ৷ তখন তিনি সেখানে আরোহণ করে হামদ ও ছান৷ পড়লেন, তারপর ৫লাকদের



১ নজদ অঞ্চলের এক বিশাল নিম্ন ভুমি বেশ কয়েকটি উপত্যকা তা৫ত পানি সরবরাহ হয় ৷
২ আত তাবারী (৬২২৫ ) এ তখন তােমর্ভা৷ ৷দৃঢ় প্রত্যয় হও ৷ আল আখবারুত তিওয়ালের ২৪৫ পৃষ্ঠার পত্রঢির
অন্য নৃনথ৷ দেখুন ৷


جَعْفَرٍ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ نَائِبِ مَكَّةَ، فَقَالَ: اكْتُبْ إِلَى الْحُسَيْنِ كِتَابًا تَجْعَلُ لَهُ فِيهِ الْأَمَانَ، وَتُمَنِّيهِ فِيهِ الْبِرَّ وَالصِّلَةَ، وَتُوَثِّقُ لَهُ فِي كِتَابِكَ، وَتَسْأَلُهُ الرُّجُوعَ ; عَلَّهُ يَطْمَئِنُّ إِلَى ذَلِكَ فَيَرْجِعَ. فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: اكْتُبْ عَنِّي مَا شِئْتَ وَأْتِنِي بِهِ حَتَّى أَخْتِمَهُ. فَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ مَا أَرَادَ، ثُمَّ جَاءَ بِالْكِتَابِ إِلَى عَمْرٍو، فَخَتَمَهُ بِخَاتَمِهِ، وَقَالَ لَهُ: ابْعَثْ مَعِي أَخَاكَ. فَبَعَثَ مَعَهُ أَخَاهُ يَحْيَى، فَانْصَرَفَا حَتَّى لَحِقَا الْحُسَيْنَ، فَقَرَآ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَأَبَى أَنْ يَرْجِعَ، وَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ، وَقَدْ أَمَرَنِي بِأَمْرٍ، وَأَنَا مَاضٍ لَهُ. فَقَالَا: مَا تِلْكَ الرُّؤْيَا؟ فَقَالَ: مَا حَدَّثْتُ بِهَا أَحَدًا وَلَا أُحَدِّثُهُ حَتَّى أَلْقَى رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ أَنَّ الْحُسَيْنَ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا بَلَغَ الْحَاجِرَ مِنْ بَطْنِ الرُّمَّةِ، بَعَثَ قَيْسَ بْنَ مُسْهِرٍ الصَّيْدَاوِيَّ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَتَبَ مَعَهُ إِلَيْهِمْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ إِلَى إِخْوَانِهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، سَلَامٌ عَلَيْكُمْ، فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكُمُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ كِتَابَ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ جَاءَنِي يُخْبِرُنِي فِيهِ بِحُسْنِ رَأْيِكُمْ، وَاجْتِمَاعِ مَلَئِكُمْ عَلَى نَصْرِنَا، وَالطَّلَبِ بِحَقِّنَا، فَنَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يُحْسِنَ لَنَا الصَّنِيعَ، وَأَنْ يُثِيبَكُمْ عَلَى ذَلِكَ أَعْظَمَ الْأَجْرِ، وَقَدْ شَخَصْتُ إِلَيْكُمْ مِنْ مَكَّةَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِثَمَانٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، فَإِذَا قَدِمَ عَلَيْكُمْ رَسُولِي فَاكْمِشُوا أَمْرَكُمْ وَجِدُّوا فَإِنِّي قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فِي أَيَّامِي هَذِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. قَالَ: وَكَانَ كِتَابُ مُسْلِمٍ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، وَمَضْمُونُهُ:
পৃষ্ঠা - ৬৬৮৯


ন্ সম্বোধন করে বললেন ৫হ ৫লাকসকল ! এই হুসায় ন বিন আ ৷লী হলেন, আল্লাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ
মাখলুক ৷ তিনি হলেন রাসুলুল্লাহর কন্যা ফাতিমা ৩নয, আর আমি তোমাদের কাছে তার প্রেরিত
দুত ৷ বাতন যির রিম্মাহর হাজিয়ে অ্যাম তাকে ৫ছ৫ড় এসেছি ৷ কাজেই তোমরা তার আহবা৫ন
ণ্ শ্:স্রাড়া দাও এবং তার কথা ৫শান এবং তার আনুগত্য কর ৷ এরপর তািন উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদ ও
তরে পিতাকে লানত করলেন, আর হযরত আলী ও হুসায়নের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৷
শু এরপর ইবন যিয়াদের নির্দেশে তাকে প্রাসাদের চুড়া থেকে ফেলে দেওয়া হল এবং তার
দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল ৷ আর কারো মতে, তার হাড়গােড় সব ভেঙ্গে প্রাণের ৫শয অং শ রয়ে
গিয়েছিল, তখন আবদুল মা ৷লিক বিন উমর আল বজোলী গিয়ে তাকে জবাই করল এবং বলল,
আমি তাকে যন্ত্রণ৷ থেকে নিষ্কৃতি দিতে চেয়েছি ৷ কারণ এই বাতি আবদুল মালিক বিন
উমায়র নয়, তার মত দেখতে এক ব্যক্তি ৷ অপর এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত হুসায়নের পত্র
নিয়ে যিনি আগমন করেছিলেন, তিনি হলেন, তার দুধ ভাই আবদুল্লাহ বিন আক্তার ৷ এরপর
তাকেই প্রাসাদ চুড়া থেকে ফেলে দেয় হয় ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
তারপর হযরত হুসারন (রা) কুফাভিমু৫খ অগ্রসর হলেন, অথচ তিনি এসম য়ের মাঝে ঘটে

যাওয়া কোন ঘটনইি জানেন না ৷ আবুমুখানৃনাক আবু আলী আল আনসারী থেকে তিনি বাকর
বিন মুসআব আল মুযানী থেকে বলেন, হযরত হুসায়্ন (রা) কোন পানির উৎস অতিক্রম
করলেই তারা তাকে অনুশর ণ করত ৷ আবু মুখানৃনাফ আবু আমার থেকে তিনি আদী বিন
হারমল৷ থেকে তিনি আবদুল্লাহ্ বিন সালীম আল আসাদী ও আল মানযির১ বিন আল মুশমাঈল
আল আসাদী থেকে তারা দু’জন বলেন, হজ্জ সমাপন করার পর আমাদের একমাত্র ভাবনার
বিষয় ছিল হযরত হুসায়নের সাথে মি ত হওয়া ৷ এরপর আমরা যখন তার নাগাল ৫পলাম
তখন বনী আমাদের এক ব্যক্তি তাকে অতিক্রম করল, যে সময় তিনি তার সাথে কথা বলতে
এবং তাকে জিজ্ঞাসা করত উদ্যত হলেন, পরে আর তা করলেন না ৷ তখন আমরা দু জন
৫লাকটির কাছে এসে তাকে ৫লাকজ৫নব ম৫নাভাব ও খবরাখবর জিজ্ঞাসা করলাম ৷, তখন সে
বলল, আল্লাহর শপথ আমি কুফা থেকে বের হওয়ার পুর্বেই মুসলিম বিন আর্কীল এবং হানি
বিন ন্উরওয়া নিহত হয়েছেন, আমি তাদের দু জনকে ৫দ৫থু এসেছি যে, তাদের (লাশ) পা
বে৫ ধ বাজা৫র হেচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ তারা দু জন বলেন, এরপর আমরা হযরত হুসায়নের
কাহে গিয়ে তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম তখন তিনি৷ ব ৷রবার ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়াইন্ন৷ ইলাইহি
রাজ্বিউন পড়তে লাপ৫লন ৷ আমরা তাকে বললাম, এরপর আপনি নিজের ব্যাপারে আল্লাহ্কে
ভয় করুন ৷ তখন তিনি বললেন, তা৫দর দু জ৫নর মৃত্যুর পর আর আমার ৫ব৫চ যে কী লাভ ৷
আমরা বললাম, এখন আপনার অগ্রসর না হওয়ার মাঝেই আল্লাহ কল্যাণ নিহিতন্রেখে৫ছন ৷
এ সময় কোন এক সঙ্গী তা৫ক বলল, আল্লাহ্র কসম ! আপনি মুসলিম বিন আকীলেয় মত
নন ৷ আপনি যদি কুফায় ৫পা৫ছুনত তাহলে লোকজন অতি ৩দ্রুত ৩আপনাকে ঘিরে সমবেত হবে ৷





২ আতৃ তাবারী৫ত রয়েছে যে হল বুকায়র বিন ঘুছুঈবাহ ৷ আর ইবনুল আছম যাত ঈর৫কন্ৰনীইআসাদের
এক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাভের কথা উল্লেখ করেছেন, যে অপ্ৰসিদ্ধ, সে হুসায়ন (বা) -কে ইরাক ও

কুফাৰাস্তী৫দর খবরা খবর দিয়েছিল কিং মুসলিম ও হানির নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ-আসে নি(৫১২০) ৷ আর আল

আখবারুত তিওয়ালে (২৪ ৭পৃ৪) রয়েছে যে, হযরত হুসায়ন বনী আমাদের এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ৫প৫য়ছিলেন

এবং সে যাওয়াদ থেকে রওয়ান৷ হওয়ার পর মুসলিম নিহত হয়েছেন বলে তাকে অবহিত করেছিল ৷


أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الرَّائِدَ لَا يَكْذِبُ أَهْلَهُ، وَإِنَّ جَمِيعَ أَهْلِ الْكُوفَةِ مَعَكَ، فَأَقْبِلْ حِينَ تَقْرَأُ كِتَابِي هَذَا، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. قَالَ: وَأَقْبَلَ قَيْسُ بْنُ مُسْهِرٍ الصَّيْدَاوِيُّ إِلَى الْكُوفَةِ بِكِتَابِ الْحُسَيْنِ، حَتَّى إِذَا انْتَهَى إِلَى الْقَادِسِيَّةِ أَخَذَهُ الْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، فَبَعَثَ بِهِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: اصْعَدْ إِلَى أَعْلَى الْقَصْرِ فَسُبَّ الْكَذَّابَ ابْنَ الْكَذَّابِ. فَصَعِدَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ خَيْرُ خَلْقِ اللَّهِ، ابْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا رَسُولُهُ إِلَيْكُمْ، وَقَدْ فَارَقْتُهُ بِالْحَاجِزِ مِنْ بَطْنِ الرُّمَّةِ، فَأَجِيبُوهُ. ثُمَّ لَعَنَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَأَبَاهُ، وَاسْتَغْفَرَ لِعَلِيٍّ وَالْحُسَيْنِ. فَأَمَرَ بِهِ ابْنُ زِيَادٍ، فَأُلْقِيَ مِنْ رَأَسِ الْقَصْرِ فَتَقَطَّعَ، وَيُقَالُ: بَلْ تَكَسَّرَتْ عِظَامُهُ وَبَقِيَ فِيهِ بَقِيَّةُ رَمَقٍ، فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ اللَّخْمِيُّ فَذَبَحَهُ، وَقَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتُ إِرَاحَتَهُ مِنَ الْأَلَمِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ رَجُلٌ يُشْبِهُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عُمَيْرٍ وَلَيْسَ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الَّذِي قَدِمَ بِكِتَابِ الْحُسَيْنِ إِنَّمَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُقْطُرٍ أَخُو الْحُسَيْنِ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَأُلْقِيَ مِنْ أَعْلَى الْقَصْرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ أَقْبَلَ الْحُسَيْنُ يَسِيرُ نَحْوَ الْكُوفَةِ، وَلَا يَعْلَمُ بِشَيْءٍ مِمَّا وَقَعَ مِنَ الْأَخْبَارِ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ بَكْرِ بْنِ مُصْعَبٍ الْمُزَنِيِّ قَالَ: وَكَانَ الْحُسَيْنُ لَا يَمُرُّ بِمَاءٍ مِنْ مِيَاهِ الْعَرَبِ إِلَّا اتَّبَعُوهُ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৯০


উপরোক্ত দুজন ছাড়া অন্য বর্ণনাকারীব্যলন, হযরত হুসায়নের অনুসারীরা যখন মুসলিম
বিন আর্কী৫লর নিহত হওয়ার কথা শুনল,’তখন বনু আকীল বিন আবু তালিবের লোকজন
বাপিয়ে পড়ে বলল, আল্লাহর কসম ! আমরা আমাদের প্ৰতিশোধ গ্রহণ করার কিত্ব৷ আমাদের
ভাইয়ের পরিণতি বরণ করার পুর্বে আপনি ফিরবেন না ৷ এরপর হযরত হুসায়ন (বা) অগ্রসর
হলেন ৷ তিনি যখন যারুদ১’ নামক স্থানে পৌছলেন তখনর্তার কাছে সংবাদ পৌছল যে, মক্কা
থেকে রওয়ানা হয়ে হাজির পৌছার পর যে দুতকে তিনি তার পত্র দিয়ে কুফাবাসীর নিকট
প্রেরণ করেছিলেন তা৫কও হত্যা করা হয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, আমাদের শিআরা
আমাদের সাহায্য ত্যাগ করেছে ৷ সুতরাং তোমাদের মাঝে যে এখন ফিরে যেতে চায় ৫স
স্বাচ্ছ৫ন্দা ফিরে যাক, আমাদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোন নিন্দাভিযােগ নেই ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন লোকেরা তাকে ছেড়ে ডা৫ন বামে যে যার পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে
গেল, আর তার সাথে শুধু তারাই রইলেন যারা মক্কা থেকে তার অনুসরণ কবছিল ৷ আর
হযরত তা করলেন ৷ কেননা, তার প্রবল ধারণা ছিল, যে সকল মরুবাসী আরব তার অনুসরণ
করেছিল তারা মুলত একথা ৫ভ৫বই তার অনুসরণ করেছিল যে তিনি এমন এক শহরে
চলেছেন, ৫যখানকার অধিবাসীরা তার পুর্ণ আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে ৷ তাই তিনি চ ৷ইলেন
না যে, তারা কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তা না ৫জ৫নই তার সাথে পথ চলুক ৷ আর
তার জানা ছিল যে, তিনি যখন বিষয়টি তাদেরকে স্পষ্ট করে দিবেন তখন যারা মৃত্যু৫তও তার
’ সমব্যথী৫ হতে ৩চায় শুধু তারাই তার সঙ্গী হবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যখন ভোরের আভাস দেখা
দিল রাতের ৫শষ প্রহর হল, তখন হযরত হুসায়ন (বা) তার সঙ্গীদেরকে অধিক পরিমাণ পানি
সংগ্রহ করে নিতে বললেন, অত ংপর সামনে অগ্রসর হয়ে৩ তিনি বাত্ন আল আকা বা অতিক্রম
করে বিরতি করলেন ৷”

মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, আমাদেরকে মুসা বিন ইসমাঈল বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
আমা৫দর৫ক্জা ফর বিন সুলায়মানঃ বর্ণনা করেছেন, ইয়াযীর্দত্মার্রশৃক থেকে, তিনি বলেন,
আমাকে হযরত হুসায়নের সাথে ক৫থাপকথনকারী এক ব্যক্তিরর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, তৃণ
পানি শুন্য বিন্তুর্ণ এক ভুখ৫৩ কয়েকটি তাবু খাটানাে দেখতে ৫পয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম
এগুলো কার প্ লোকেরা বলল, এগুলো হুসায়ন বিন আলীর ৷৩ তখন আমি তার উদ্দেশ্যে অ্যাসর
হলাম, তার কাছে এসে দেখলাম তিনি কুরআন৩ তিলাওয়াত করছেন, আর তার পণ্ডদ্বয় ও
ং দাড়িতে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, তখন আমি তাকে বললাম, ৫হ আল্লাহর
রাসুলের ৫দীহিএ ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্পিত হোক ৷ কিসে আপনাকে তৃণ
পানিহীন এই বিজন বিভুহ৫য় নিয়ে এসেছে? তখন তিনি বলেন, এগুলো আমার কাছে প্রেবিত
কুফাবাসীর পত্র ৷ কিন্তু আমার ধারণা তারাই আমার ঘাতক হবে ৷ যদি তারা তা করে তাহলে
আর আল্লাহর এমন কোন পবিত্র বিষয় থাকল না, যায় পবিত্রতা তারা লঙ্ঘন করে নি ৷

এরপর আল্লাহ এমন কোন লোককে তাদের কর্তৃত্ব দান করবেন, যে তাদেরকে জঘন্যতম
অপদ্স্থতা য বাধ্য করবে, আর আমাদেরকে আলী ইবন মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন, আল হাসান
ইবন দীনার থেকে তিনি মু আ ৷বিয়া ইবন কুবৃরা থেকে তিনি বলেন, (সে সময়) হযরত হুসায়ন (রা)
বলেন, তোমরা আমার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করবে যেমনভা৫ব বনী ইসরাঈল শনিবা৫রর ব্যাপারে



১ রামলন্এর পরে মক্কার পথে একটি স্থান ৷


سُلَيْمٍ وَالْمَذْرِيِّ بْنِ الْمُشْمَعِلِّ الْأَسَدِيَّيْنِ قَالَا: لَمَّا قَضَيْنَا حَجَّنَا لَمْ يَكُنْ لَنَا هِمَّةٌ إِلَّا اللَّحَاقُ بِالْحُسَيْنِ - فَذَكَرَا أَنَّهُمَا اتَّبَعَاهُ - فَأَدْرَكْنَاهُ وَقَدْ مَرَّ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ، فَهَمَّ الْحُسَيْنُ أَنْ يُكَلِّمَهُ وَيَسْأَلَهُ فَتَرَكَ ذَلِكَ، فَجِئْنَا ذَلِكَ الرَّجُلَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ أَخْبَارِ النَّاسِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَمْ أَخْرُجْ مِنَ الْكُوفَةِ حَتَّى قُتِلَ مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ وَهَانِئُ بْنُ عُرْوَةَ، وَرَأَيْتُهُمَا يَجُرَّانِ بِأَرْجُلِهِمَا فِي السُّوقِ. قَالَا: فَلَحِقْنَا الْحُسَيْنَ فَأَخْبَرْنَاهُ، فَجَعَلَ يَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. مِرَارًا. فَقُلْنَا لَهُ: اللَّهَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ. فَقَالَ: لَا خَيْرَ فِي الْعَيْشِ بَعْدَهُمَا. فَقُلْنَا: خَارَ اللَّهُ لَكَ. وَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: وَاللَّهِ مَا أَنْتَ مِثْلُ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، وَلَوْ قَدِمْتَ الْكُوفَةَ لَكَانَ النَّاسُ إِلَيْكَ أَسْرَعَ. وَقَالَ غَيْرُهُمَا: لَمَّا سَمِعَ أَصْحَابُ الْحُسَيْنِ بِمَقْتَلِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ وَثَبَ عِنْدَ ذَلِكَ بَنُو عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَرْجِعُ حَتَّى نُدْرِكَ ثَأْرَنَا، أَوْ نَذُوقَ مَا ذَاقَ أَخُونَا. فَسَارَ الْحُسَيْنُ حَتَّى إِذَا كَانَ بِزَرْوَدَ بَلَغَهُ خَبَرُ مَقْتَلِ الَّذِي بَعَثَهُ بِكِتَابِهِ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ بَعْدَ أَنْ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ وَوَصْلَ إِلَى حَاجِرٍ، فَقَالَ: قَدْ خَذَلَتْنَا شِيعَتُنَا، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمُ الِانْصِرَافَ فَلْيَنْصَرِفْ مِنْ غَيْرِ حَرَجٍ عَلَيْهِ، وَلَيْسَ عَلَيْهِ مِنَّا ذِمَامٌ. قَالَ: فَتَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ أَيَادِيَ سَبَا يَمِينًا وَشِمَالًا، حَتَّى بَقِيَ فِي أَصْحَابِهِ الَّذِينَ جَاءُوا مَعَهُ مِنْ مَكَّةَ وَإِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ ظَنَّ أَنَّ مَنِ اتَّبَعَهُ مِنَ الْأَعْرَابِ إِنَّمَا اتَّبَعُوهُ لِأَنَّهُ يَأْتِي بَلَدًا قَدِ اسْتَقَامَتْ لَهُ طَاعَةُ أَهْلِهَا، فَكَرِهَ أَنْ يَسِيرُوا مَعَهُ إِلَّا وَهُمْ يَعْلَمُونَ عَلَامَ يُقْدِمُونَ، وَقَدْ عَلِمَ أَنَّهُ إِذَا بَيَّنَ لَهُمُ الْأَمْرَ لَمْ يَصْحَبْهُ إِلَّا مَنْ يُرِيدُ مُوَاسَاتَهُ فِي الْمَوْتِ مَعَهُ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ مِنَ السَّحَرِ أَمَرَ فِتْيَانَهُ أَنْ يَسْتَقُوا
পৃষ্ঠা - ৬৬৯১
مِنَ الْمَاءِ فَأَكْثَرُوا مِنْهُ، ثُمَّ سَارَ حَتَّى مَرَّ بِبَطْنِ الْعَقَبَةِ، فَنَزَلَ بِهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ شَافَهَ الْحُسَيْنَ قَالَ: رَأَيْتُ أَبْنِيَةً مَضْرُوبَةً بِفَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذِهِ؟ قَالُوا: هَذِهِ لِحُسَيْنٍ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا شَيْخٌ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَالدُّمُوعُ تَسِيلُ عَلَى خَدَّيْهِ وَلِحْيَتِهِ. قَالَ: قُلْتُ: بِأَبِي وَأُمِّي يَابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ! مَا أَنْزَلَكَ هَذِهِ الْبِلَادَ وَالْفَلَاةَ الَّتِي لَيْسَ بِهَا أَحَدٌ؟ فَقَالَ: هَذِهِ كُتُبُ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَيَّ وَلَا أَرَاهُمْ إِلَّا قَاتِلِيَّ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ لَمْ يَدَعُوَا لِلَّهِ حُرْمَةً إِلَّا انْتَهَكُوهَا، فَيُسَلِّطُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَنْ يُذِلُّهُمْ حَتَّى يَكُونُوا أَذَلَّ مِنْ فَرَمِ الْأُمَّةِ. يَعْنِي مِقْنَعَتَهَا. وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ قَالَ: قَالَ الْحُسَيْنُ: وَاللَّهِ لَيُعْتَدَنَّ عَلَيَّ كَمَا اعْتَدَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي السَّبْتِ. وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيِّ قَالَ: قَالَ الْحُسَيْنُ: وَاللَّهِ لَا يَدْعُونِي حَتَّى يَسْتَخْرِجُوا هَذِهِ الْعَلَقَةَ مِنْ جَوْفِي، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَنْ يُذِلُّهُمْ حَتَّى يَكُونُوا أَذَلَّ مِنْ فَرَمِ الْأَمَةِ. فَقُتِلَ بِنِينَوَى يَوْمَ عَاشُورَاءَ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৬৬৯২


সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ৷ আর যদি তাও করতে ন! চাও তাহলে আমাকে তুংর্লিদের কাছে নিয়ে চল
যাতে আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মরতে পারি ৷ তখন সে হুসায়নের এই প্রস্তাব জানিয়ে
ইবন যিয়!দের কাছে দুত পাঠাল ৷ এ সময় ইবন যিয়াদ তাকে ইই!!যীদের ক ছে নিয়ে যাওয়ার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে উদ্যত হয়েছিল !কন্তু শাম্ম!র বিন যিল জাওশ!ন বলে উঠল, ন! ! আপনার
রায় মেনে আত্মসমর্পণ করা ছাড়! আপনি তাকে কোন সুযোগ দিবেন না ৷ তখন যে সেই
সিদ্ধান্ত জানিয়ে ৷হযৱত হুসায়স্তুনর কাছে দুত পাঠান ৷ তখন হন!য়ন (রা) বললেন, আল্লাহর
শপথ ! আমি তা করব না ৷ এদিকে উমর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে বিলম্ব করায় ইবন
যিয়াদ শাম্মার বিন যিল জাওশ!নকে এই নির্দেশ দিয়ে পাঠাল, উমর যদি যুদ্ধে অগ্রসর হয়
তাহলে ভুমিও তাদের সাথে শরীক হবে আর যদি সে পড়িমসি করে, তবে তাকে হত্যা করে
তুমি তার শ্রুস্থলবর্তী হবে ৷ তোমাকে আমি এই যুদ্ধে সর্বাধিন!য়ক নিয়োগ করলাম ! এদিকে
কুফার প্রায় তিবিশজন নেত স্থানীয় ও সস্রান্ত ব্যক্তি উমবেব সমর্থক ছিলেন, তার! শাম্মারকে
বলল, আল্লাহর রাসুলের দৌহিত্র তােমাদেবকে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দিচ্ছেন, অথচ তোমরা

তার একটিও গ্রহণ করছ না? তখন তার! স্বপক্ষ ত্যাগ করে হযরত হুসায়নের সাথে যোগ দিয়ে

তার পক্ষে লড়াই করলেন ৷

আবু যার আ বলেন, আমাদেরকে সায়ীদ বিন সুল!য়ম!ন বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,

আমাদেরকে আব্ব!দুবনুল আওআম বর্ণনা করেছেন হাসীন থেকে, তিনি বলেন, হযরত
হুসায়নের শ!হ!দতকাল থেকে আমি বয়ঃপ্রাপ্ত ৷ তিনি বলেন, আমাকে সাদ বিন উবায়দা বর্ণনা
করাে,ছন৩ তিনি বলেন, চাদরের জুব্বা পরিহিত ৩অবস্থায় আমি হযরত হুসায়নকে দেখতে পেলাম
এসময় আমির বিন খালিদ আত্তহ্বী নামক জনৈক ব্যক্তি তাকে একটি তীর নিক্ষেপ করল,
এরপর ন্,৩!!মি তীরঢি তার জুব্বায় ঝুলন্ত দেখলাম ৷ ইবন জারীর বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ
বিন অ!ম্মার আররাযী বর্মন! করেছেন তিনি বলেন, আমাকে সায়ীদ বিন সুলায়মান বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আব্বাদুবনুল আওআম বর্ণনা করেছেনৰুন্র্তিনি বলেন,
আমাদেরকে হাসীন বর্ণনা করেছেন, হযরত হুস!রনেবৃ ক!হ্বছকুফাবাযী এই মর্মে দুত প্রেরণ
করেছিল যে, আপনার সাথে এক লক্ষ যোদ্ধা থাকবে ৷ এরপর তিনি মুসলিম বিন আকীলকে
পাঠান ৷ এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় ম্সলিমবিনঃ আকীলের হত্যকােণ্ডের ঘট্যা উল্লেখ করেন ৷
হাসীন বলেন, আর হিল!ল বিন ইয়াস!ফ আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন যিয়াদ তার
৫ল!কদের নির্দেশ দিল, ওয়!কিসাহ থেকে একদিকে শামেরপ্ !খ অন্যদিকে বসরার পথ পর্যন্ত
পড়াহ!রা দিয়ে সংরক্ষিত করে রাখতে ৷ এই এলাকার মাঝে তার! কাউকে প্রঘেশ্! করতে দিবে
না এবং এখান থেকে ক উকে বেরও হতে ভৈদবে ন! ! এদিকে হযরত হুস!ই!ন (র!) এসবের
;কিছু অনুভব করার পুর্বেই মরুব!সীদের বসতিতে উপনীত১ হলেন ! তখন তিনি তাদেরকে ইবন
ষিয়!দের লোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তার! বলল, আল্লাহর কসম ! আমরা কিছু জানি ,
ন!, তবে এতটুকু বলতে পারি আপনি বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না, আর

ভেতর থােক বের হতে পারবেন ন! !
বর্ণন!করি! বলেন, এরপর তিনি ইয়াযীদ বিন মুআবিয়ার উদ্দেশে! পথ চলতে ল!ক্ট্র!ট্রুলন ৷
এরপর ইবন যিয়াদের প্রেরিত অশ্ব!রোহী বাহিনী কারবালায় তার গতিরে!ধ করল ৷ তিনি ৩খন



১ আত, ভাবারীতে ৬২২২ রয়েছে সাক্ষাৎ পেলেন ৷


سُفْيَانُ، ثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ قَالَ: كُنْتُ فِي الْجَيْشِ الَّذِي بَعَثَهُمُ ابْنُ زِيَادٍ إِلَى الْحُسَيْنِ، وكَانُوا أَرْبَعَةَ آلَافٍ يُرِيدُونَ قِتَالَ الدَّيْلَمِ، فَصَرَفَهُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى الْحُسَيْنِ، فَلَقِيتُ حُسَيْنًا، فَرَأَيْتُهُ أَسْوَدَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، فَقُلْتُ لَهُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ. فَقَالَ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ. وَكَانَتْ فِيهِ غُنَّةٌ، فَقَالَ: لَقَدْ بَاتَتْ مِنْكُمْ فِينَا سَلَّةٌ مُنْذُ اللَّيْلَةِ. يَعْنِي: سَرَقٌ. قَالَ شِهَابٌ: فَحَدَّثْتُ بِهِ زَيْدَ بْنَ عَلِيٍّ فَأَعْجَبَهُ، وَكَانَتْ فِيهِ غُنَّةٌ. قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: وَهِيَ فِي الْحُسَيْنِيَّيْنِ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْكَاهِلِيِّ قَالَ: لَمَّا صَبَّحَتِ الْخَيْلُ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ ثِقَتِي فِي كُلِّ كَرْبٍ وَرَجَائِي فِي كُلِّ شِدَّةٍ، وَأَنْتَ لِي فِي كُلِّ أَمْرٍ نَزَلَ بِي ثِقَةٌ وَعُدَّةٌ، فَكَمْ مِنْ هَمٍّ يَضْعُفُ فِيهِ الْفُؤَادُ، وَتَقِلُّ فِيهِ الْحِيلَةُ، وَيَخْذُلُ فِيهِ الصَّدِيقُ، وَيَشْمَتُ فِيهِ الْعَدُوُّ، فَأَنْزَلْتُهُ بِكَ وَشَكَوْتُهُ إِلَيْكَ، رَغْبَةً فِيكَ إِلَيْكَ عَمَّنْ سِوَاكَ، فَفَرَّجْتَهُ وَكَشَفَتْهُ وَكَفَيْتَنِيهِ، فَأَنْتَ وَلِيُّ كُلِّ نِعْمَةٍ، وَصَاحِبُ كُلِّ حَسَنَةٍ، وَمُنْتَهَى كُلِّ غَايَةٍ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ: حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ بَعْضِ مَشْيَخَتِهِ قَالَ: قَالَ الْحُسَيْنُ حِينَ نَزَلُوا كَرْبَلَاءَ: مَا اسْمُ هَذِهِ الْأَرْضِ؟ قَالُوا: كَرْبَلَاءُ. قَالَ: كَرْبٌ وَبَلَاءٌ. وَبَعَثَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ يُقَاتِلُهُمْ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: يَا عُمَرُ ; اخْتَرْ مِنِّي إِحْدَى ثَلَاثِ خِصَالٍ ; إِمَّا أَنْ تَتْرُكَنِي أَرْجِعُ كَمَا جِئْتُ ; فَإِنْ أَبَيْتَ هَذِهِ فَسَيِّرْنِي إِلَى يَزِيدَ فَأَضَعَ يَدِي فِي يَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৩


বাধ্য হয়ে যাত্রা বিরতি করলেন এবং তাদেরকে তার পথ ছেড়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ ও
ইসলামের দােহাই দিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, ইবন যিয়াদ তার বিরুদ্ধে আমর বিন সাদ,
শাম্ম র বিন যিল জা ৷ওশান এবং হাসীন বিন নুমায়রকে পাঠিয়েছিল ৷ তাই তিনি তাদেরকে
আল্লাহ্ও ইসলামের দােহ ই দিয়ে তাকে আমীরুল মু মিনীনের কাছে উপস্থিত হয়ে ত র হাতে
হাত র ৷খার সুযোগ দিতে বললেন, কিন্তু তার তা প্রতা৷থ্যান করে বলল, না আপনাকে ইবন
যিয়াদের রায়ের উপরই আত্মসমর্পণ করতে হবে ৷ সে সময় তাদের সাথে অন্যান্যের মাঝে
আশহুর বিন ইয়াযীদ আল হানযলীও ছিল, যে বেশ কয়েকজন অশ্বারোহীর নেতৃত্বে ছিল ৷ সে
যখন হযরত হুসায়নের বক্তব্য শুনল, তখন তাদের বলল, তোমাদের কি আল্লাহর ভয় নেই ৷
আল্লাহর শপথ ! তুর্কী কিংবা দায়লামীরাও যদি ভোমাদেরকে এই প্রস্তাব দিত তাহলে
তোমাদের জন্য তা প্রতা৷খ্যান করা বৈধ হত না ৷ কিন্তু ইবন যিয়াদের সিদ্ধান্ত মেনে
আত্মসমর্পণ ছাড়া সবকিছু প্রত্যাখ্যান করল ৷ তখন হুর বিন ইয়াযীদ তার ঘোড়ার মুখে আঘাত
করে হযরত হুসায়নের দিকে অ্যাসর হল ৷ তখন সকলে ধারণা করল যে তাদের বিরুদ্ধে
লড়তে এসেছে ৷ কিন্তু সে যখন তাদের নিকটবর্তী হল তখন তার ঢাল উল্টে তাদেরকে সালাম
করল এরপর ইবন যিয়াদের প্রেরিত বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়ে দু জনকে হত্যা করল,
এরপর নিজে শহীদ হল ৷ আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷
এ ছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যে যুহায়র ইবনুল কায়স আল বাজালী হজ্জ করতে
গিয়ে হযরত হসায়নের সাক্ষাৎ পান তারপর তার সাথে১ আগমন করেন ৷ আর ইবন আবু
মাখৃরামাহ২ আল মুরাদী এবং আমর বিন হাজ্জাজ ও মাআন আস-সুলামী নামক দুই ব্যক্তি
সাথে এসে মিলিত হন ৷ আর হযরত হুসায়ন (রা) ইবন যিয়াদের প্রেরিত লোকদের সাথে কথা
বলতে লাগলেন, এসময় তার পরণে ৷ছিল চাদরের জুব্বা ৷ কথা শেষে তিনি যখন ফিরে
যাচ্ছিলেন তখন আমর তহবী নামে বনু তামীমের এক ব্যক্তি তাকে তার উভয় কাধের মাঝে
তীর নিক্ষেপ করল ৷ আমি যেন দুই কাধের মাঝে তার জুব্বার সাথে ভীরটি ঝুলন্ত দেখছি ৷
পরিশেষে তারা যখন তার অনুসারীদের সারিতে ফিরে গেলেন, আমার চোখে ভাসছে, তাদের
ৎখ্যা প্রায় একশ’র মত ৷ এদের মাঝে পাচজন আলাভী (হযরত আলীর বংশধর), বনী
হাশ্যিমর ষোলজন, তাদের মিত্র বনু সুলায়মের একজন বনু কিনানার একজন এবং ইবন
যিয়াদের এক পিতৃব্য পুত্র ৷
হাসীন বলেন, আমাকে সাদ বিন উবায়দ৷ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, শীতলতা লাভের
উদ্দেশ্যে উমর বিন সাদের সাথে আমরা পানিতে ৩অবস্থান করছিলাম ৷ এমন সময় তার কাছে
এক ব্যক্তি এসে তাকে কানে কানে বলল, ইবন যিয়াদ আপনার কাছে জুওয়ায়রিয়াহ বিন বদর
আ ৩ তামিমীকে এই নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছে যে, আপনি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু না করলে
যে আপনার গর্দান উড়িয়ে দািব ৷ বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে তিনি তৎক্ষণাৎ লাফ দিয়ে
তার ঘোড়ার আরোহণ করলেন এবং তার তরবারি বর্ম ই৩ ৷৷দি আনতে নির্দোণ দিলেন, এরপর

ষ্

১ আল আখবারুত তিওয়ালে (২৪৬পৃ) রয়েছে যে, তিনি যারুদে’ হযরত হুসায়নের সাক্ষাৎ পান ৷ তিনি হজ্জ
সমাপন্ করে মক্কা থেকে কুফায় অব্লেছিল্দো ৷ এসময় তিনি ত্রীকে তালাক দিয়ে তার স্বজনদ্যো কাদ্বে পাঠিয়ে
দেন এরং হ্ য়বত হুসায়নের সাথে মৃত্যু নৱণের প্রতাঃ৷ নিয়ে তার অনুসরণ করেন ৷
২ আত তনারীত্তে (৬২২২ ) ইবন আবু বাহরিয়া৷হ রয়েছে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (৮ম খণ্ড)- ৪ ১
€০া৷া



فَيَحْكُمَ فِيَّ مَا رَأَى، فَإِنْ أَبَيْتَ هَذِهِ فَسَيِّرْنِي إِلَى التُّرْكِ فَأُقَاتِلَهُمْ حَتَّى أَمُوتَ. فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ بِذَلِكَ، فَهَمَّ أَنْ يُسَيِّرَهُ إِلَى يَزِيدَ، فَقَالَ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ: لَا، إِلَّا أَنْ يَنْزِلَ عَلَى حُكْمِكَ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِذَلِكَ، فَقَالَ الْحُسَيْنُ: وَاللَّهِ لَا أَفْعَلُ. وَأَبْطَأَ عُمَرُ عَنْ قِتَالِهِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ ابْنُ زِيَادٍ شَمِرَ بْنَ ذِي الْجَوْشَنِ فَقَالَ لَهُ: إِنْ تَقَدَّمَ عُمَرُ فَقَاتَلَ، وَإِلَّا فَاقْتُلْهُ وَكُنْ أَنْتَ مَكَانَهُ. وَكَانَ مَعَ عُمَرَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَقَالُوا لَهُمْ: يَعْرِضُ عَلَيْكُمُ ابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ خِصَالٍ، فَلَا تَقْبَلُوا مِنْهَا شَيْئًا؟ ! فَتَحَوَّلُوا مَعَ الْحُسَيْنِ فَقَاتَلُوا مَعَهُ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ حُصَيْنٍ قَالَ: أَدْرَكْتُ ذَاكَ - يَعْنِي مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ - قَالَ: فَحَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ عُبَيْدَةَ قَالَ: فَرَأَيْتُ الْحُسَيْنَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ بَرُودٌ، وَرَمَاهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ الطُّهَوِيُّ. بِسَهْمٍ، فَنَظَرْتُ إِلَى السَّهْمِ مُعَلَّقًا بِجُبَّتِهِ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمَّارٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، ثَنَا حُصَيْنٌ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بَعَثَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْكُوفَةِ: إِنَّ مَعَكَ مِائَةَ أَلْفٍ. فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ. فَذَكَرَ قِصَّةَ مَقْتَلِ مُسْلِمٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ حُصَيْنٌ: فَحَدَّثَنِي هِلَالُ بْنُ يَسَافٍ، أَنَّ ابْنَ زِيَادٍ أَمَرَ بِأَخْذِ مَا بَيْنَ وَاقِصَةَ إِلَى طَرِيقِ الشَّامِ إِلَى طَرِيقِ الْبَصْرَةِ، فَلَا يَدَعُونَ أَحَدًا يَلِجُ وَلَا أَحَدًا يَخْرُجُ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৪

ঘোড়ার আরোহণ করা অবস্থায় তা পরিধান করলেন এবৎন্ন্ন্তার লোকজন নিয়ে তাদের দিকে
অ্যাসর হলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন, এরপর যখন ইবন যিয়াব্লুদর কাছে হযরত
হুসায়ব্লুনর কর্তিত মাথা নিয়ে আসা হল, তখন সে তার হাতের দণ্ড দিয়ে তার নাকের দিকে
ইঙ্গিত করে বলতে লাগল, আবু আবদুল্লাহ চুল-দাড়ি সাদম্বুহ হব্লুত শুরু করেছিল ৷

বর্ণনাক ৷রী বলেন, এরপর তার শ্রী পুত্র কন্যা ও স্বজনব্লুদর নিয়ে আসা হল, আর ইবন যিয়াদ
সর্বোত্তম যে কাজটি করেছিল, তা হল যে তাদের জন্য নিস্থিৰিলি ও পৃথকন্থাব্লুন একটি বাড়ির
ব্যবস্থাকব্লুরছিল এবংৰুতাব্লুদর খাদ্য পানীব্লুয়র সুব্যবস্থা করেছিল আর তাদের জন্য খরচ ও
পোশাক পরিচ্ছদ সরবরাব্লুহর নির্দেশ দিয়েছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এসময় আবদুল্লাহ বিন
জা ফব্লুরর কিৎব৷ ইবন আবু জা ফব্লুরর দুজন বালক পুত্র গিয়ে বনু৩ ৩ঈর এক ব্যক্তির আশ্রব্লুয়
নিরাপত্তা প্রা২নাি করে ৷ তখন সে তাদেরকে হত্যা করে ইবন যিয়াব্লুদর সামনে তাদের মাথা
উপস্থিত করো বর্ণনাকারী বলেন, তার এই ধৃষ্টতার শাস্তি প্রদানের জন্য ইবন রিঃা৷দ তার
পর্দান উড়িয়ে দিতে উদ্যত হল এবং তার নির্দেশে তার বাড়ি ধ্সিব্লুয় দেয়া হল ৷ রর্ণনাকাবী
বলেন, হযরত ঘুআবিয়৷ বিন আবু সুফিয়াব্লুনর এক মাওলা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
হযরত হুসায়ব্লুনর মাথা যখন ইযা যীব্লুদর সামনে রাখা, হল তখন আমি তাকে র্কাদব্লুত দেখেছি
এবং বলতে শুব্লুনছি, যদি ইবন যিয়াদের সাথে তার আত্মীয়তায় (রক্ত সম্পর্ক) থাকত তাহলে
যে এ কাজ করত না ৷ হাসীন বৃব্লুলন, হুসায়ন (রা) শহীদ হওয়া র দুই কিৎব৷ তিন মাস পর্যন্ত
সুব্লুর্বৃাদয়কালে ব্লুবশ কিছুক্ষণ এমন ব্লুদখাত যেন ব্লুদয়ালসমুহে রক্ত ব্লুম খে আছে ৷
আবু ঘুখাননাফ বলেন, আমাকে লাওযান বর্ণনা করেছেন, তিনি রব্লুলন, আমাব্লু ক ইকবিন
বর্ণনা করেছেন যে, তার এক চাচা হযরত হুসায়নকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কােহীায়
চলেব্লুছন? তখন তিনি তাব্লুক হাদীস বর্ণনা করলেন ৷ তখন তিনি তাকে (হুসায়ন (রা) বললেন,
, আমি আপনাকে আল্লাহর ব্লুদাহইি দিচ্ছি আপনি ফিরে চলুন ৷ আল্লাহর শপথ আপনার সামনে
লোকদের এমন ব্লুকউ নেই, যে আপনাকে রক৷ করবে কিংবা আপনার সাথে লড়াই করবে ৷
আল্লাহর শপথ ! আপনি উদতে বর্শা ও তরবারির দিকে অগসহৃ৷ হচ্ছেন ৷ ব্লুকননা, এই এরা
যাবা আপনার কাছে দৃ৩ প ঠিব্লুযছে তারা যদি নিজেরাই লডাইব্লুযব দায়িতৃ পালন করে
আপনাকে তা থেকে অব্যাহতি দিত এবং সকল বিষয় আপনার জন্য প্রস্তুত করে রাখত ত৷ হত

তাদের আন্তরিকতা ও দুরদর্শিতার পরিচায়ক ৷ আর বতমান পরিস্থিতিতে আপনার অগ্রসর

হওয়া আমি মেনে নিতে পারি না ৷ তখন হযরত হুসায়ন (মা) তাকে বললেন, তুমি যাৰুবব্লুলব্লুছা
এবৎ ভৈব্লুবব্লুছা তা আমার অজ্ঞাত নয় ৷ কিং আল্লাহর ফয়সালা অরধারির্ত ৷ অতঃপর তিনি
কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেন ৷ খালিদ ইরনৃল আস বলেন,


কোন কোন উপব্লুদশ দানকাক ধোক৷ দেয় এবং ধ্বংসের র্পব্লুথ নিয়ে যায় আবার
অদৃশ্যের ধারণাক৷ রী হিতাকার্ডক্ষীর সন্ধানশায় ৷

এবছর আমব বিন ন ৷য়ীদুৰ্নুল আস লোকদের নিয়ে হজ্জ করেন ৷ আর তিনি ইয়াযীদের
পক্ষ থেকে মক্কা ও মদীনায় গভনর ছিলেন ৷ এবছরের রমযান মাসে ইয়াযীদ আল ওয়ালীদ
বিন উর্তৃলাংক নদীনাহৃ৷ গভর্নর নিয়ােপ করেন ৷ ণ্ ম্হ্ানংহ্ও পবিত্র আল্লাৰুছুইউাল্ জানেন ৷





১ আত তবারীব্লুত (৬২১৩) আল ছুারিছু বিন থালিদ বিন ন্আনন্আস বিন হিশায় রয়েছে ৷ ’


وَأَقْبَلَ الْحُسَيْنُ وَلَا يَشْعُرُ بِشَيْءٍ حَتَّى أَتَى الْأَعْرَابَ فَسَأَلَهُمْ، عَنِ النَّاسِ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَدْرِي، غَيْرَ أَنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَلِجَ وَلَا تَخْرُجَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ يَسِيرُ نَحْوَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَتَلَقَّتْهُ الْخُيُولُ بِكَرْبَلَاءَ، فَنَزَلَ يُنَاشِدُهُمُ اللَّهَ وَالْإِسْلَامَ. قَالَ: وَكَانَ بَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُ زِيَادٍ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَشَمِرَ بْنَ ذِي الْجَوْشَنِ وَحُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ، فَنَاشَدَهُمُ الْحُسَيْنُ اللَّهَ وَالْإِسْلَامَ أَنْ يُسَيِّرُوهُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ، فَيَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ. فَقَالُوا لَهُ: لَا ; إِلَّا عَلَى حُكْمِ ابْنِ زِيَادٍ. وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ بَعَثَهُمْ إِلَيْهِ الْحُرُّ بْنُ يَزِيدَ الْحَنْظَلِيُّ ثُمَّ النَّهْشَلِيُّ عَلَى خَيْلٍ، فَلَمَّا سَمِعَ مَا يَقُولُ الْحُسَيْنُ قَالَ لَهُمْ: أَلَا تَقْبَلُونَ مِنْ هَؤُلَاءِ مَا يَعْرِضُونَ عَلَيْكُمْ، وَاللَّهِ لَوْ سَأَلَكُمْ هَذَا التُّرْكُ وَالدَّيْلَمُ مَا حَلَّ لَكُمْ أَنْ تَرُدُّوهُمْ. فَأَبَوْا إِلَّا عَلَى حُكْمِ ابْنِ زِيَادٍ، فَضَرَبَ الْحُرُّ وَجْهَ فَرَسِهِ، وَانْطَلَقَ إِلَى الْحُسَيْنِ وَأَصْحَابِهِ، فَظَنُّوا أَنَّهُ إِنَّمَا جَاءَ لِيُقَاتِلَهُمْ، فَلَمَّا دَنَا مِنْهُمْ قَلَبَ تُرْسَهُ، وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ كَرَّ عَلَى أَصْحَابِ ابْنِ زِيَادٍ فَقَاتَلَهُمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ رَجُلَيْنِ ثُمَّ قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَذُكِرَ أَنَّ زُهَيْرَ بْنَ الْقَيْنِ الْبَجَلِيَّ لَقِيَ الْحُسَيْنَ، وَكَانَ حَاجًّا، فَأَقْبَلَ مَعَهُ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ ابْنُ أَبِي بَحْرِيَّةَ الْمُرَادِيُّ وَرَجُلَانِ آخَرَانِ ; وَهَمَا عَمْرُو بْنُ الْحَجَّاجِ وَمَعْنٌ السُّلَمِيُّ، قَالَ الْحَصِينُ: وَقَدْ رَأَيْتُهُمَا. قَالَ: وَأَقْبَلَ الْحُسَيْنُ يُكَلِّمُ مَنْ بَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُ زِيَادٍ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ بَرُودٍ، فَلَمَّا كَلَّمَهُمُ انْصَرَفَ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ يُقَالُ لَهُ: عَمْرٌو الطُّهَوِيُّ. بِسَهْمٍ، فَإِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَى السَّهْمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৫

৬১ হিজরীর সুচনা

এ বছরের সুচনা হল যখন হযরত হুসায়ন বিন আলী (রা) মক্কা ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থান
দিয়ে তার স্বজন পরিজন ও অনুসারীদের নিয়ে কুফ৩ ৷ভিমুখে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ অতঃপর তিনি
ং এই বছরের র্মুহাররম মাসের দশ তারিখে আশুরড়ার দিন নিহত হন ৷ ঐটাই প্রসিদ্ধ মত যার
বিশুদ্ধত৷ প্রস্া৷ণ্৷ করেছেন ওয়াকিদী এবং অন্য ঐতিহাসিকগণ ৷ কেউ কেউ অবশ্য দাবী
করেছেন যে, তিনি এ বছরের সফর মাসে নিহত হয়েছেন ৷ তবে প্রথম মতটিই বিংদ্ধেতর ৷

শিয়াদের মিথ্যাবর্জির্ত নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিকা দর বর্ণনার
উদ্ধৃতিতে তার হত্যাকাণ্ডের স্বরুপ

আবু মুখানৃনাফ বর্ণনা করেছেন আবু আমার থেকে তিনি আদী বিন হারমাল৷ থেকে তিনি
আবদুল্লাহ বিন হারমাল৷ থেকে তিনি আবদুল্লাহ বিন স্ালীম্ আল আসাদী এবং আল মুযায়ী
বিন যুশমাঈল আল আসাদী থেকে তারা দু জন বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) যখন পথিমধ্যে
বারাফ’১ নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করলেন, তখন রাতের শেষ প্রহরে৩ তার সঙ্গীদের বলেন,

তোমরা যত বেশি পার পানি সংগ্রহ করে নাও ৷ এরপর তারা পুর্বাহ্নকাল পর্যন্ত পথ চললেন,
তখন হযরত হুসায়ন (বা) এক ব্যক্তিকে তাকবীর বলতে শুনে জিজ্ঞ৷ ৷সা করলেন, কী কারণে
তুমি তাকবীরবললে? তখন ,সে বলল, আমি খেজুর গাছ দেখতে পেয়েছি ৷ ন্তখন আসাদী

ব্যক্তিরয তীকে;ব্ল্ল্ন্ এই স্থাহুন, পুর্বে কেউ খেজুর গাছ দেখে নি ৷ তখন হযরত হুসায়ন (রা)

বললেন, তাহলে তোমরা কী মনে কর? যে কী দেখেছে? তখন তারা দু’জন বলল, আসলে
অশ্বরোহী দল এসে পড়েছে ৷ তখন হুসায়ন (রা) বললেন, আমাদের কি এমন কোন আশ্রয়স্থল
যেই যাকে আমরা পশ্চাতে রেখে সকলে একমুথী হয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে পারি ৷ তারা
দু জন বলল, অবশ্যই রয়েছে, য়ু হাসান২ তখন তিনি বাম দিকের পথ ধরে সেদিকে অগ্রসর
হহুলম্র এরপর যাহ্বর্াবিরতি ৩করে সেখানেত তাবুসমুহ খাটাতে বললেন ৷ এরপর হুর বিন ইয়াযীদ
আত তামীমীব্র £নত তৃত্বে এক হাজার অশ্বারােহীর যোদ্ধা দল এসে হাযির হল আর এরা ছিল
ইবন যিয়াদের প্রেরিত বাহিনীর অগ্রন্নর্তী দল ৷ আর মোটামুটি দ্বিপ্রহরকালে তার মুখোমুখি
অবস্থান গ্রহণ করল ৷ আর এ সময় হযরত হুসায়ন (বা) এবং তবে সঙ্গীর৷ পাগড়ী পরিহিত
অবস্থায় তরবারি ধারণ করেছিলেন ৷ এ সময় হযরত হুসায়ন (বা) তবে সঙ্গীদের পানি পান
করতে এবং তাদের ঘোড়াগুলে৷ এবং শত্রুদের ঘোড়াগুলােকে পান করাতে নির্দো৷ দিলেন ৷
পুর্বোক্ত বর্ণনাকারী এবং অন্যরা বলেন, জোহরের ওয়াক্ত হলে হযরত হুসাযন (রা ) আল
হাজ্জ জ বিন মাসরুক আল জুফীকে নির্দেশ প্রদান করলে তিনি আষান দিলেন, অতঃপর
হযরত হুসায়ন (রা) লুঙ্গি চাদয় ও পাদুকা পরিহিত অবস্থায় বের হয়ে আসলেন এবং শত্রু-মিত্র
উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রখলেন এবং এই পর্যন্ত আমার ব্যাপারে তার কৈফিয়ত
অজুহাত তুলে ধরলেন এবং যে কুফাবাসী এই মর্মে তার কাছে পত্র প্রেরণ করেছে যে, তাদের



১ আত তবারী ৬২২৬ এ্াপ্রু; (রা এর পরে অতিরিক্ত আলিফসহ); এর অবন্থ ন হল ওয়াকিসাহ এবং আল
কাৱআ এর মধ্যবর্তী, বনু ওয়াহবের বাসস্থল আল আহস৷ থেকে আট মইিল দুরে, আর শারাফ থেকে
ওয়ঃরুিসার দুরতৃ দু মাইল (মু জামুকৃ৷ ৰুলদান)

২ আল আখবারুত তিওয়ালে (২৪৮পৃ৪ ) এ ঘু জাশাম রয়েছে ৷




مُتَعَلِّقًا بِجُبَّتِهِ، فَلَمَّا أَبَوْا عَلَيْهِ رَجَعَ إِلَى مَصَافِّهِ، وَإِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَهُمْ قَرِيبٌ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ، فِيهِمْ لِصُلْبِ عَلِيٍّ خَمْسَةٌ، وَمِنْ بَنِي هَاشِمٍ سِتَّةَ عَشَرَ، وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حَلِيفٌ لَهُمْ، وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ حَلِيفٌ لَهُمْ، وَابْنُ عَمِّ ابْنِ زِيَادٍ. وَقَالَ حُصَيْنٌ: وَحَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ عُبَيْدَةَ قَالَ: إِنَّا لَمُسْتَنْقَعُونَ فِي الْمَاءِ مَعَ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ، إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَقَالَ لَهُ: قَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ ابْنُ زِيَادٍ جُوَيْرِيَةَ بْنَ بَدْرٍ التَّمِيمِيَّ، وَأَمَرَهُ إِنْ لَمْ تُقَاتِلِ الْقَوْمَ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَكَ. قَالَ: فَوَثَبَ إِلَى فَرَسِهِ فَرَكِبَهَا، ثُمَّ دَعَا بِسِلَاحِهِ فَلَبِسَهُ وَإِنَّهُ لَعَلَى فَرَسِهِ، وَنَهَضَ بِالنَّاسِ إِلَيْهِمْ فَقَاتَلُوهُمْ، فَجِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبِهِ فِي أَنْفِهِ، وَيَقُولُ: إِنَّ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ قَدْ كَانَ شَمِطَ. قَالَ: وَجِيءَ بِنِسَائِهِ وَبَنَاتِهِ وَأَهْلِهِ. قَالَ: وَكَانَ أَحْسَنَ شَيْءٍ صَنَعَهُ أَنْ أَمَرَ لَهُمْ بِمَنْزِلٍ فِي مَكَانٍ مُعْتَزِلٍ، وَأَجْرَى عَلَيْهِمْ رِزْقًا، وَأَمَرَ لَهُمْ بِنَفَقَةٍ وَكُسْوَةٍ. قَالَ: وَانْطَلَقَ غُلَامَانِ مِنْهُمْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ - أَوِ ابْنِ ابْنِ جَعْفَرٍ - فَأَتَيَا رَجُلًا مِنْ طَيِّئَ فَلَجَآ إِلَيْهِ، فَضَرَبَ أَعْنَاقَهُمَا، وَجَاءَ بِرَأْسَيْهِمَا حَتَّى وَضَعَهُمَا بَيْنَ يَدَيِ ابْنِ زِيَادٍ. قَالَ: فَهَمَّ ابْنُ زِيَادٍ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، وَأَمَرَ بِدَارِهِ فَهُدِمَتْ. قَالَ: وَحَدَّثَنِي مَوْلًى لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: لَمَّا أُتِيَ يَزِيدُ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَأَيْتُهُ يَبْكِي وَيَقُولُ: لَوْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ رَحِمٌ مَا فَعَلَ هَذَا. يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ. قَالَ الْحُصَيْنُ: وَلَمَّا قُتِلَ الْحُسَيْنُ لَبِثُوا
পৃষ্ঠা - ৬৬৯৬
شَهْرَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً، كَأَنَّمَا تُلَطَّخُ الْحَوَائِطُ بِالدِّمَاءِ سَاعَةَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ. وَقَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَكَانَ عَامِلَ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ لِيَزِيدَ، وَقَدْ عَزَلَ يَزِيدُ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ، وَوَلَّاهَا عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْهَا. وَكَانَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَلَى الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ.