আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ستين من الهجرة النبوية

إمارة يزيد بن معاوية وما جرى في أيامه من الحوادث والفتن

পৃষ্ঠা - ৬৬৪২

হযরত হুসায়ন বিন আলী (না)-এর বৃত্তান্ত খিলাফত্বের
দাবীতে তার মক্কা ত্যাগ এবং শাহ ৷দত লাভ

শুরুতৈ তার জীবন বৃত্তান্তের কিছুটা আলোচনা করা যাক ৷ এরপর আমরা তার
ফষীলতসমুহ ও গুণাগুণ আলোচনা করব ৷ তািন হলেন হুসায়ন বিন আলী বিন আবদুল
মুওালিব বিন হিশাম আল কুরায়শী আল হাশেযী ৷ তার উপনাম আবদুল্লাহ্ ৷ রাসুল কন্যা
ফাতিমাতুয যাহ্রা এর ছেলে কারবালার শহীদ দৌহিত্র ৷ দুনিয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ণুষ্পকলি ৷ সহরুদা৷র হাসান (রা) এর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর হাসান (রা) জন্মগ্রহণ

হল একমাদিক(রজস্রোব থেকে ,প্াবিত্রতাংপু৷ সময়) এবং পর্ভধারণ কাল ৷ ঢ়তুর্থ ইিজয়ীর শৃ৷ বান
মাসের ছয় তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ কাতাদ৷ বলেন, হিজরী সন শুরুর ছুর ;হুর সাড়ে
পড়াচ মাসের মাথায় হুস্ায়ন (রা) জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর চুয়ান্ন বছর সাড়ে ছয় মাস বয়সে
একষট্টি হিজরীর মুহাররমের দশ তারিখ আশুরার দিন শুত্রুবাচু র তিনি শাহাদত প্রাপ্ত হন ৷
আল্লাহ পাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ ,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি তাহ্নীক’ করেছেন, অর্থাৎ জন্মের পরপর
দোয়ার উদ্দেশ্যে ৩ার থুতনী চলে দিয়েছেন এবং মুখে লালা দিয়েছেন, তার জন্য দু আ
করেছেন এবং হুসায়ন নাম রেখেছেন ৷ আর এর পুর্বেই তার পিতা নাম হারব রেখেছিলেন,
মতাম্ভরে জা ফর ৷ আবার কেউ বলে তিনি সপ্তম দিনে ৩ার নাম রেখেছিলেন এবং আকীকা
করেছেন ৷ একদল বর্ণনাকারী ইসরাঈল থেকে, তিনি আবু ইসহাক থেকে,৩ তিনি হানি বিন হানি
থেকে, তিনি আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (আলী (রা) বলেন, শরীরের বুক থেকে
মাথা পর্যন্ত অ০ শে হযরত হাসান ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ আর এর
নীচের অংশে হুসায়ন (রা) ছিলেন অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷

যুবায়র বিন বাক্কার বলেন, আমাকে মুহাম্মদ বিন যাহ্হাক আল হিযামী ব০নাি করেছেন,
তিনি বলেন, হযরত হাসানের মুখাবয়ব রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর মুখাবয়বের সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ছিল
আর হযরত হুসায়নের দেহাকৃতি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ছিল ৷ মুহাম্মদ বিন
শিরিন ও তার বোন হাফসা হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইবন
যিয়াদের কাছে ছিলাম, এমন সময় হযরত হুসায়নের মাথা নিয়ে আসা হল ৷ তখন সে একটি
দণ্ড তার নাকে ঠেকিয়ে বলতে লাগল, এমন সুগঠিত ও সুন্দর নাসিক৷ আমি আর দেখি নি ৷
তখন আমি তাকে বললাম, সকলের মাঝে তিনিই ছিলেন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে সবচেয়ে
সাদৃশ্যপুর্ণ দেহাকৃতির অধিকারী ৷ সুফিয়ান বলেন, (একবার) আমি উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদকে
জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি হুসায়নকে দেখেছ? সে বলল, ছুা৷ র্তীকে দেখেছি ৷ সামনের



১ আল ইসতিয়াব গ্রন্থে কাতাদা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, হযরত হুসায়ন হযরত হাসানের একবছর
দশমাস পর জনাগহণ করেন ৷ ইিজরী সন শুরুর পাচ বছর ছয় মাসের মাথায় ৷ হাযিশুল ইসাবা-(১৩৭৮) ৷
২ তিরমিযী শরীফ কিতাবুল মানাকিব হাদীস নং (৩ ৭ ৭৯)-৫৬৬০) মুসনাদে আহমদ ১৯০ ৷


وَأَبُو مُسْلِمٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ الْخَوْلَانِيُّ الْيَمَنِيُّ مِنْ خَوْلَانَ بِبِلَادِ الْيَمَنِ. دَعَاهُ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ إِلَى أَنْ يَشْهَدَ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ: لَا أَسْمَعُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَأَجَّجَ لَهُ نَارًا، وَأَلْقَاهُ فِيهَا، فَلَمْ تَضُرَّهُ، وَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ، فَكَانَ يُشَبَّهُ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، ثُمَّ هَاجَرَ فَوَجَدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَاتَ، فَقَدِمَ عَلَى الصِّدِّيقِ، فَأَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُمَرَ، وَقَالَ لَهُ عُمَرُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَقَبَّلَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَكَانَتْ لَهُ أَحْوَالٌ وَمُكَاشَفَاتٌ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِيهَا النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالْأَظْهَرُ أَنَّهُ مَاتَ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِمَارَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَمَا جَرَى فِي أَيَّامِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ وَالْفِتَنِ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَبِيهِ فِي رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ، فَكَانَ يَوْمَ بُويِعَ ابْنَ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، فَأَقَرَّ نُوَّابُ أَبِيهِ عَلَى الْأَقَالِيمِ، لَمْ يَعْزِلْ أَحَدًا مِنْهُمْ، وَهَذَا مِنْ ذَكَائِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৩


কয়েকটি দাড়ি ব্যাভীত তার সমস্ত চুল দাড়ি কাবুলা ৷ আর অ মি জানি না, তিনি কি বুখজাব
ব্যবহার করার পর রাসুলুহ্রাহ্ (স ) এর সাথে সাদৃশ্যের জন্য ঐ স্থানটি ছেড়ে দিয়েছিলেন
নাকি ঐ কয়েকটি দাড়ি হুাড়া তার আর কোন চুলশ্দাড়ি সাদা হয় নি ৷ ইবন যুবায়র বলেন,
আমি উমর বিন আতাবুক বলতে শুবুনছি, আমি হুসায়ন বিন আলীবুক বুখজাব লাপাবুত
দেখেছি ৷ আর তার বয়স ছিল যা ট বছর কিন্তু তার চুল-দাড়ি ছিল ঘন কাবুলা ৷ আর দু’টি দুর্বল
সুত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (স ) এর মৃত্যু শয্যায় হযরত ফাতিমা (রা)৩ তার দুই
পুত্রবুক কিছু দেয়ার আবেদন করেছিলেন তা সঠিক নয় ৷ নির্ভরবুযাগ্য কোন হাদীস গ্রন্থে এর
অন্তিতু নেই ৷ হযরত হুসায়ন (রা) নবী করীম (সা)-বুকৰু পাচ বছরের মত জীবিত পেয়েছিলেন
এবং তিনি তাৱ থেকে কয়েকটি হাদীস বংনিা করেছেন ৷ ইমাম ঘুসাহ্নি ম বলেন, তিনি (হুসায়ন
(রা)) রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দর্শন লা ও করেছেন ৷ সালিহ বিন আহমদ বিন স্থানে তার পিতার
উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলেন, এটা অদ্ভুত বিষয় ৷ কেননা, হযরত হুসায়বুনর ব্যাপারে তার একথা বলা
যে, তিনি তাবুবঈ অধিক যুক্তিসঙ্গত ৷

এখন আমরা উল্লেখ করব, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুদর দু’জনবুক কিভাবে ভালবসাবুতন এবং
তাদের প্রতি স্নেহবাৎসল্য ও মায়া-মমতা প্রকাশ করতেন ৷ আর এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে,
হযরত হুসায়ন (রা) বাসুলুল্লাহ্ (সা) বুক জীবিত পেয়েছেন এবং ওফাত পর্যন্ত তার সাহচর্য
লাভ করেছেন এবং বৃতুকাে লে তিনি ৩ার প্রতি প্রসন্ন ছিলেন ৷৩ তবুব এসময় তিনি ছোট ছিলেন ৷
এছাড়া হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) তাবুক শ্রদ্ধা সম্মান করতেন ৷ তদ্র্যপ হযরত উমর ও
উসমান (রা)ও ৷ আর তিনি তার পিতা আালী (রা) এর সাহচর্য পেয়েছেন এবং তার কাছ থেকে
হাদীস বপনা করেছেন ৷ পিতার সকল যুদ্ধাভিযানে জামাবুল, সিফ্ফীনে তার সাথে ছিলেন ৷

মানুষের মাঝে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র ছিলেন ৷৩ তার পিতার শাহাদতকাল পর্যন্ত
তিনি তার অনুগত ছিলেন ৷ তারপর যখন তার ভাইবুয়র খিলাফত লাভের সম্ভাবনা দেখা
দিল ৷ আর তিনি সন্ধি করতে চড়াইবুলন, তখনো তার জন্য বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন হলো
এবং তিনি এক্ষেত্রে তার ভাইয়ের সিদ্ধান্তবুক সঠিক বলে মেনে নিতে পারলেন না ৷ বরং তিনি
তাকে শামবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ তখন হযরত হাসান (রা)
বললেন, আল্লাহর কসম ! আমার ইচ্ছা হয়েছে খিলাফবুতর এই বিষয় থেকে অবসর হওয়া
পর্যন্ত তোমাকে গৃহবন্দী করে রাখি ৷ ভাইয়ের এ অবস্থা দেখে হযরত হুসায়ন (রা) চুপ
হলেন এবং মেনে নিলেন ৷ এরপর যখন মুআবিয়া (রা)-এর খিলাফত সুস্থিত হল তখন
হযরত হুসায়ন (বা) তার ভাই হযরত হাসান ( রা) এর সাথে তার কাছে আসা যাওয়া
করতেন ৷ আর হযরত মু আবিয়াও তাদের দু’ জনকে উপযুক্ত অতিরিক্ত সমাদরও করতেন ৷

তাদেরকে সুাগতম ও অভিনন্দন ওানাতেন এবং প্রচুর হাদিয়া প্রদান করতে তন ৷ একদিন

তিনি ৩ ৷বুদর দু জনকে দুই লক্ষ দিরহাম প্রদান করে বললেন, হিনৃদের ছেলের পক্ষ থেকে
তোমরা তা গ্রহণ কর ৷ আল্লাহর কসম ! আমার পুর্বে বা পরে কেউ তােমাবুদরবুক এমনভাবে
দিয়ে না ৷ তখন হুসায়ন (বা) বললেন, আল্লাহর কসম ৷ আপনি এবং আপনার পুর্বে ও পরে
কেউ আমাদের চেয়ে উত্তম কাউবুক দিতে পারবে না ৷

হযরত হাসাবুনর মৃত্যুর পর হযরত হুসায়ন প্রতিবছর তার অনুসারীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে
হযরত মুআবিয়ার কাছে যেবুতন এবং তার যথাযথ সমাদর ও কদর করতেন এবং হ দিয
প্রদান করবুতন ৷ একা ন্ন হিজবীবুত তিনি ইয়াষীদ বিন মৃ আবিয়ার বুনতৃবুতৃ কনসট্যান্টিনােপাল


قَالَ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى الْكُوفِيِّ الْأَخْبَارِيِّ: وَلِيَ يَزِيدُ فِي هِلَالِ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَأَمِيرُ الْمَدِينَةِ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَمِيرُ الْكُوفَةَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، وَأَمِيرُ الْبَصْرَةِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَأَمِيرُ مَكَّةَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَلَمْ يَكُنْ لِيَزِيدَ هِمَّةٌ حِينَ وَلِيَ إِلَّا بَيْعَةُ النَّفَرِ الَّذِينَ أَبَوْا عَلَى مُعَاوِيَةَ الْبَيْعَةَ لِيَزِيدَ، فَكَتَبَ إِلَى نَائِبِ الْمَدِينَةِ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ يَزِيدَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، أَكْرَمَهُ اللَّهُ وَاسْتَخْلَفَهُ وَخَوَّلَهُ وَمَكَّنَ لَهُ، فَعَاشَ بِقَدَرٍ، وَمَاتَ بِأَجَلٍ، فَرَحِمَهُ اللَّهُ، فَقَدْ عَاشَ مَحْمُودًا، وَمَاتَ بَرًّا تَقِيًّا، وَالسَّلَامُ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ فِي صَحِيفَةٍ كَأَنَّهَا أُذُنُ الْفَأْرَةِ: أَمَّا بَعْدُ، فَخُذْ حُسَيْنًا وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ بِالْبَيْعَةِ أَخْذًا شَدِيدًا لَيْسَتْ فِيهِ رُخْصَةٌ حَتَّى يُبَايِعُوا، وَالسَّلَامُ. فَلَمَّا أَتَاهُ نَعْيُ مُعَاوِيَةَ فَظِعَ بِهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِ، فَبَعَثَ إِلَى مَرْوَانَ، فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَاسْتَشَارَهُ فِي أَمْرِ هَؤُلَاءِ النَّفَرِ، فَقَالَ: أَرَى أَنْ تَدْعُوَهُمْ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا بِمَوْتِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَإِنْ أَبَوْا ضُرِبَتْ أَعْنَاقُهُمْ. فَأَرْسَلَ مِنْ فَوْرِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ إِلَى الْحُسَيْنِ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَهُمَا فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ لَهُمَا: أَجِيبَا الْأَمِيرَ. فَقَالَا: انْصَرِفِ، الْآنَ نَأْتِيهِ. فَلَمَّا انْصَرَفَ عَنْهُمَا قَالَ الْحُسَيْنُ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: إِنِّي أَرَى طَاغِيَتَهُمْ قَدْ هَلَكَ. قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: وَأَنَا مَا أَظُنُّ غَيْرَهُ. قَالَ: ثُمَّ نَهَضَ حُسَيْنٌ فَأَخَذَ مَعَهُ مَوَالِيَهُ، وَجَاءَ بَابَ الْأَمِيرِ، فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنَ لَهُ، فَدَخَلَ وَحْدَهُ، وَأَجْلَسَ مَوَالِيَهُ عَلَى الْبَابِ، وَقَالَ: إِنْ سَمِعْتُمْ أَمْرًا يُرِيبُكُمْ فَادْخُلُوا. فَسَلَّمَ وَجَلَسَ وَمَرْوَانُ عِنْدَهُ، فَنَاوَلَهُ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ الْكِتَابَ، وَنَعَى إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৪
مُعَاوِيَةَ، فَاسْتَرْجَعَ وَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ مُعَاوِيَةَ، وَعَظَّمَ لَكَ الْأَجْرَ. فَدَعَاهُ الْأَمِيرُ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: إِنَّ مِثْلِي لَا يُبَايِعُ سِرًّا، وَمَا أَرَاكَ تَجْتَزِئُ مِنِّي بِهَذَا، وَلَكِنْ إِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ دَعَوْتَنَا مَعَهُمْ، فَكَانَ أَمْرًا وَاحِدًا. فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ وَكَانَ يُحِبُّ الْعَافِيَةَ: فَانْصَرِفْ عَلَى اسْمِ اللَّهِ حَتَّى تَأْتِيَنَا فِي جَمَاعَةِ النَّاسِ. فَقَالَ مَرْوَانُ لِلْوَلِيدِ: وَاللَّهِ لَئِنْ فَارَقَكَ وَلَمْ يُبَايِعِ السَّاعَةَ، لَيَكْثُرَنَّ الْقَتْلُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ، فَاحْبِسْهُ وَلَا تُخْرِجْهُ حَتَّى يُبَايِعَ، وَإِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ. فَنَهَضَ الْحُسَيْنُ وَقَالَ: يَابْنَ الزَّرْقَاءِ، أَنْتَ تَقْتُلُنِي؟ ! كَذَبْتَ وَاللَّهِ وَأَثِمْتَ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى دَارِهِ، فَقَالَ مَرْوَانُ لِلْوَلِيدِ: وَاللَّهِ لَا تَرَاهُ بَعْدَهَا أَبَدًا. فَقَالَ الْوَلِيدُ: وَاللَّهِ يَا مَرْوَانُ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَأَنِّي قَتَلْتُ الْحُسَيْنَ، سُبْحَانَ اللَّهِ! أَقْتُلُ حُسَيْنًا أَنْ قَالَ: لَا أُبَايِعُ؟ ! وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ مَنْ يَقْتُلُ الْحُسَيْنَ يَكُونُ خَفِيفَ الْمِيزَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَبَعَثَ الْوَلِيدُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَامْتَنَعَ عَلَيْهِ وَمَاطَلَهُ يَوْمًا وَلَيْلَةً، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ رَكِبَ فِي مَوَالِيهِ وَاسْتَصْحَبَ مَعَهُ أَخَاهُ جَعْفَرًا، وَسَارَ إِلَى مَكَّةَ عَلَى طَرِيقِ الْفُرْعِ، وَبَعَثَ الْوَلِيدُ خَلْفَ ابْنِ الزُّبَيْرِ الرِّجَالَ وَالْفُرْسَانَ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى رَدِّهِ، وَقَدْ قَالَ جَعْفَرٌ لِأَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ وَهُمَا سَائِرَانِ، مُتَمَثِّلًا بِقَوْلِ صَبِرَةَ الْحَنْظَلِيِّ: وَكُلُّ بَنِي أُمٍّ سَيُمْسُونَ لَيْلَةً ... وَلَمْ يَبْقَ مِنْ أَعْقَابِهِمْ غَيْرُ وَاحِدِ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا أَرَدْتَ إِلَى هَذَا؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ بِهِ شَيْئًا يَسُوءُكَ. فَقَالَ: إِنْ كَانَ إِنَّمَا جَرَى عَلَى لِسَانِكَ فَهُوَ أَكْرَهُ إِلَيَّ. قَالُوا: وَتَطَيَّرَ بِهِ. وَأَمَّا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فَإِنَّ الْوَلِيدَ تَشَاغَلَ عَنْهُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَجَعَلَ كُلَّمَا بَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৫


আক্রমণকারী বাহিনীর সাথে শরীক ছিলেন ৷ আর হযরত মুআবিয়ার জীবদ্দশায় যখন
ইয়াযীদের অনৃকুলে বায়আত গ্রহণ করা হয় তখন হযরত হুসায়ন (রা), ইবনৃয যুবায়র (বা) ,
আবদুর রহমান বিন আবু বকর (রা), ইবন উমর (বা) এবং ইবন আব্বাস (বা) তা থেকে বিরত
থাকেন ৷ এরপর আবদুর রহমান বিন আবু বকর ইন্তিকাল করেন ৷ আর এ বিষয়ে তিনি তার পুর্ব
সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ৷ এরপর যখন ষাট হিজরীতে হযরত মুআবিয়৷ (রা) ইন্তিকাল করেন এবং
ইয়াযীদের অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় তখন ইবন উমর ও ইবন আ স (বা) পরিস্থিতি মেনে
বায়আত করেন ৷ কিন্তু হযরত হুসায়ন ও ইবন ষুবায়র৩ তাদের বিরােধিতার পুর্বন্থলে অটল
থাকলেন ৷ এবং (প্রতিকুলতার কারণে) মদীনা থেকে বের হয়ে মক্কায় গিয়ে আশ্রয় নেন ৷

এরপর লোকজন যখন হযরত যুআবিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এবং ইয়াযীদের খিলাফতের কথা
শুনতে পেল তখন তারা দলে দলে তার কাছে আসতে লাগল ৷ আর ইবন যুবায়র৩ তিনি কা ৷ব৷
গৃহের নিকটে তার নাময়ের স্থানে অবস্থান নিলেন ৷ ফ ৷কে কাকে লোকদের সাথে মিশে তিনি
হযরত হুসায়নের কাছে আসা যাওয়৷ করতে লাপলেন ৷ হযরত হুসায়ন (রা) থাকা অবস্থায়
তার মনের সুপ্তবাসন৷ বাস্তবায়নে তৎপর হওয়া র কোন সুযোগ ছিল না ৷ যেহেতু৩ তিনি জানতেন
মানুষ তাকে অখও শ্রদ্ধা করে এবং তার তুলনায় তাকে শ্রেষ্ঠতর (এবং খিলাফক্ক তর অধিক
হকদার) গণ্য করে ৷ তবে তার কারণে মক্কায় ঝটিকা বাহিনী প্রেরিত ৩হল ৷ কিন্তু আল্লাহ তাকে
দিয়ে তাদেরকে পারজিত করলেন যেমন এই মাত্র বর্ণিত হয়েছে ৷ ফলে ঝটিকা বাহিনীসমুহ
পর্বুদস্ত হয়ে মক্কা থেকে পলায়ন করল আর আবদুল্লাহ বিন যুবায়র তার ধ্ব০ স কামনাক ৷রী
ইয়াযীদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেন এবং তার (বিরুদ্ধে নেতৃতৃ দানকারী) ভাই প্রহার করলেন
এবং অপদস্ত ও বন্দী করে তার পুর্বাচরণের বদলা ৷নিলেন ৷ এ ঘটনার পর থেকে হিজায
অঞ্চলে ইবনুয যুবায়র পুর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদা ও গুরুত্বের অধিকারী হলেন, তিনি সুদুর বিন্তুত
প্রসিদ্ধি ও খ্যাতি লাভ করলেন ৷ অবশ্য এসব সত্বেও মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধা ও সম্মানের
পাত্ররুপে হযরত হুসায়নের অবস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারে নি ৷ বরং তখনো পর্যন্ত মানুষের
মনের আকর্ষণ ছিল হযরত হুসায়নের প্রতি ৷ কেননা, তিনি হলেন রাসুলের প্রিয় দৌহিত্র, মহান
নেতা ৷ যে সময় পৃথিবীর বুকে তার সমকক্ষ কেউ ছিল না ৷ কিন্তু গোটা ইয়াহুদী সাম্রাজ্য তার
শত্রু ছিল ৷

এ সময় ইরাক থেকে তার বহু পত্র আসতে লাগল এ সকল পত্রে ইরাকবাসীরা তবে
তাদের কাছে আমার আহ্বান জানানো ৷ যখন তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছল যে, হযরত
মুআবিয়ার মৃত্যুর পর ইয়াযীদ খলীফ৷ হয়েছে এর০ ইয়াযীদের বায়আত এড়ানোর জন্য
হযরত হুসায়ন বিন আলী (রা) মক্কায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ পত্র নিয়ে তার কাছে সর্বপ্রথম আগমন
করে আবদুল্লাহ বিন সাব৷ আল হামৃদানী এবং আবদুল্লাহ বিন ওয়াল তাদের সাথে একখানি
পত্র ছিল যাতে সালামের পর হযরত মুআবিয়ার মৃত্যুতে অভিনন্দন ছিল ৷ এ বছরের রমযান



১ ফুতুহ ইবনুল আছমে (৫৪৮) রয়েছে আবদুল্লাহ বিন মুসলিম বিন আল বাকরী ৷

২ আত তাবারী (৬১৯৭) ইবনুল আহীরের কামিল (৪২০)-এ রয়েছে, শিয়ারা সুলায়মান বিন মুরাদ আল
খুযাষির গৃহে সমবেত হল এবং তাদের কয়েকজনের পক্ষ থেকে একটি পত্র লিখন, তারা হল সুলায়মান বিন
মুরাদ আল খুযারী আলমুস্যার বিন নুজারা, রিফাআ বিন শাদ্দাদ, হারিব বিন মুযাহির ও অন্যরা (আল কামিলে
মুযাহিরের পরিবর্তে যুতাহ্হার ৷ উপরোক্ত দুই গ্রন্থে পএটি বিদ্যমান এছাড়া ফুতৃহ ইবনুল আছমে (৫৪৬)
এবং সাবু মুখাননাফের হুসায়নের হত্যা’ তে পএটি রয়েছে ৷


إِلَيْهِ يَقُولُ: حَتَّى تَنْظُرَ وَنَنْظُرَ. ثُمَّ جَمَعَ أَهْلَهُ وَبَنِيهِ، وَرَكِبَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ، لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، بَعْدَ خُرُوجِ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِلَيْلَةٍ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ سِوَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَإِنَّهُ قَالَ لَهُ: وَاللَّهِ يَا أَخِي، لَأَنْتَ أَعَزُّ أَهْلِ الْأَرْضِ عَلِيَّ، وَإِنِّي نَاصِحٌ لَكَ ; لَا تَدْخُلَنَّ مِصْرًا مِنْ هَذِهِ الْأَمْصَارِ، وَلَكِنِ اسْكُنِ الْبَوَادِيَ وَالرِّمَالَ، وَابْعَثْ إِلَى النَّاسِ، فَإِذَا بَايَعُوكَ وَاجْتَمَعُوا عَلَيْكَ فَادْخُلِ الْمِصْرَ، وَإِنْ أَبَيْتَ إِلَّا سُكْنَى الْمِصْرِ فَاذْهَبْ إِلَى مَكَّةَ، فَإِنْ رَأَيْتَ مَا تُحِبُّ، وَإِلَّا تَرَفَّعْتَ إِلَى الرِّمَالِ وَالْجِبَالِ. فَقَالَ لَهُ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا، فَقَدْ نَصَحْتَ وَأَشْفَقْتَ. وَسَارَ الْحُسَيْنُ إِلَى مَكَّةَ، فَاجْتَمَعَ هُوَ وَابْنُ الزُّبَيْرِ بِهَا، وَبَعَثَ الْوَلِيدُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ: بَايِعْ لِيَزِيدَ. فَقَالَ: إِذَا بَايَعَ النَّاسُ بَايَعْتُ. فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّمَا تُرِيدُ أَنْ يَخْتَلِفَ النَّاسُ وَيَقْتَتِلُوا حَتَّى يَتَفَانَوْا، فَإِذَا لَمْ يَبْقَ غَيْرُكَ بَايَعُوكَ! فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: لَا أُحِبُّ شَيْئًا مِمَّا قُلْتَ، وَلَكِنْ إِذَا بَايَعَ النَّاسُ فَلَمْ يَبْقَ غَيْرِي بَايَعْتُ. قَالَ: فَتَرَكُوهُ، وَكَانُوا لَا يَتَخَوَّفُونَهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمْ يَكُنِ ابْنُ عُمَرَ بِالْمَدِينَةِ حِينَ قَدِمَ نَعْيُ مُعَاوِيَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ هُوَ وَابْنُ عَبَّاسٍ بِمَكَّةَ، فَلَقِيَهُمَا وَهُمَا مُقْبِلَانِ مِنْهَا، الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَا: مَا وَرَاءَكُمَا؟ قَالَا: مَوْتُ مُعَاوِيَةَ وَالْبَيْعَةُ لِيَزِيدَ. فَقَالَ لَهُمَا ابْنُ عُمَرَ: اتَّقِيَا اللَّهَ، وَلَا تُفَرِّقَا بَيْنَ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ. وَقَدِمَ ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا جَاءَتِ الْبَيْعَةُ مِنَ الْأَمْصَارِ بَايَعَا مَعَ النَّاسِ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُمَا قَدِمَا مَكَّةَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৬


মাসের দশ তারিখে তারা হযরত হুসায়ন (রা)-এর কাছে আগমন করে ৷ তারপর তার একদল
লোক প্রেরণ করে যাদের কায়স১ বিন ঘুহসির আয় যদাইয়ুযব্র, আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ
ইবনুল কাওয়৷ আল আরহাৰী২ উমার৷ বিন আবদুল্লাহ আস সালুণ্ ং অন্যতম ৷ আর এদের
সাথে হযরত হুসায়ন বরাবর একশত পঞ্চাংাটি৪ পত্র এসেছিল ৷ এরপর তারা হানি বিন সুবায়দী
এবং সাঈদ বিন আবদুল্লাহ আল হানাফীকে একখানি পত্র দিয়ে প্রেরণ করল ৷ যাতে দ্রুত তাদের
অভিমুখে যাত্রা করার আবেদন ছিল ৷ আর শা ৰিছ বিনুরিবঈ৷ হাজ্জ জ্জার ৷বিন আবজ৷ র, ইয়াযীদ বিন
হাবিস, ইয়াযীদ বিন রুওয়াইম, আমর বিন৷ হাজ্জ জ্জাজ আয় যুবাইদী এবং মুহাম্মদ বিন উমর বিন
ইয়াহ্ইয়া আৎ তামীমি তার কাছে পত্র লিখলেন পর কথা হল বাগ-বাগিচাসমুহা সজীব সবুজ
হয়েছে ফল্ফলাদি পবিপক্ক হয়েছে এবং আপনি চাইলে আপনার অনুগত সমবেত ও সংগ ত
এক বাহিনীর কাছে আগমন করতে পারেন ৷ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক !” এসময় সরল
দুত ও প্রতিনিধিগণ তাদের পত্রসমুহ নিয়ে হযরত হুসায়নের কাছে সমবেত হলো এবং ইয়াযীদ
ইবন মুআবিয়ার পরিবর্তে তারা যাতে তার কাছে বায়আতকরতে পারে এজন্য তাকে উদ্বুদ্ধ
করতে লাগল এবং তাকে তাদের কাছে আগমনের আবেদন জানাল ৷ তাদের পত্রে তারা উল্লেখ
করেছিল যে, তারা হযরত মুআবিয়ার মৃত্যুতে উৎফুল্ল এবং তারা তার সমালোচনা করে এবং
তার শাসন কতৃত্বের বৈধতা তার ব্যাপারে (নেতিবাচক) কথা বলে ৷
এছাড়া তারা আরো উল্লেখ করেছিল যে, এখনো পর্যন্ত কারো হাতে বায় তাতে করে নি এবং
তারা তার আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে ৷ তাই এসময় হযরত হুসায়ন (বা) তার চাচাতো ৷ভাই
মুসলিম বিন আকিল বিন আবু৩ তালিবকে প্রকৃত অবস্থা যাচাই এবং ইরাকবাসীর ঐক্যবদ্ধতা
পর্যবেক্ষণের জন্য ইরাকে পাঠান ৷ আর তাকে তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন যে, যদি সে
পরিস্থিতির আনুকুল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় এবং ইরাকবাসীদের ঐক্যকে সুদৃঢ় ও সুসংহত
পায়, তাহলে যেন তার ক ছে দুত প্রেরণ করে তাহলে তিনি তার স্বজন পরিজন নিয়ে রওনা
হবেন এবং তার বিরুদ্ধে শত্রুতা পোযণকারীদের তার আয়ত্তে আনার জন্য প্রথমে কুফায়
আগমন করবেন ৷ এছাড়া তিনি মুসলিম বিন আকিলের কাছে একটি পত্রও প্রেরণ করেন ৷
তারপর মুসলিম যখন মক্কা থেকে রওনা হয়ে মদীনা অতিক্রম করলেন তখন সেখান থেকে
দুজন পথ প্রদর্শক সাথে নিলেন ৷ এরপর তারা তাকে নিয়ে পবি৩ ত্যক্ত ও পথ চিহ্নবিহীন মক
প্ৰান্তরের পথ ধরন, যার ফলে প৷ ৷নির অভাবে তীব্র পিপাসায় তাদের একজন মৃত্যুবরণ করল ৷



১ আল আখবার আ ৷ৎ তিওয়৷ ৷ল গ্রন্থে (২২৯) রয়েছে বিশর বিন মুসহির আসৃ সয়দাবী ৷

২ আর আপনার আৎ তিওয়ালে আবদুর রহমান বিন উবায়দ আর তাবারীতে ৩আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ

বিন আল কাদান আ ল আরহাবী রয়েছে ৷

৩ এখানে ইবনুল আছম অতিরিক্ত আবদুল্লাহ বিন ওয়ালের উল্লেখ করেছেন, আর ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে যে,
সে হযরত হুসায়নের কাছে প্রথম আগযনকারীদ্বয়ের একজন ৷

৪ আৎ তাবারীতে রয়েছে তিপ্পান্নটি পত্র, আর আল-আখবারুৎ তিওয়ালে ষ্পঞ্চাশটির মত পত্র ৷

৫ আৎ তাবারী ও আল কামিলে রয়েছে উমায়র’ এদু’টি গ্রন্থে একটি নাম অতিরিক্ত রয়েছে আল কামিলে
উরওয়৷ বিন কায়স আর আ ৷ত্তবারীতে আযরাহ বিন কায়স ৷

৬ এখানে :ঞা এর পরিবর্তে আত ৩াবারীতে এ্আে এবং ইবনুল আছমে এঢ়১১৷ রয়েছে ৷

৭ আৎ তাবারীতে রয়েছে তাকে কায়স বিনমুসহির, উমরাহ বিনর উবায়দ আসৃ সুলালী এবং আবদুর রহমান
বিন আবদুল্লাহ বিন আল কাদান আল আরহাবীব সাথে প্রেরণ করেন ৷


فَوَجَدَا بِهَا عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَخَافَاهُ وَقَالَا: إِنَّا جِئْنَا عُوَّاذًا بِهَذَا الْبَيْتِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، عَزَلَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ ; لِتَفْرِيطِهِ، وَأَضَافَهَا إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ نَائِبِ مَكَّةَ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي رَمَضَانَ - وَقِيلَ: فِي ذِي الْقَعْدَةِ - وَكَانَ مُفَوَّهًا مُتَكَبِّرًا، وَسَلَّطَ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ - وَكَانَ عَدُوًّا لِأَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ - عَلَى حَرْبِهِ وَجَرَّدَهُ لَهُ، وَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ لِحَرْبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ أَبَا شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيَّ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ: ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الْأَمِيرُ أَنْ أُحَدِّثَكَ حَدِيثًا قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ ; إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " «إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، وَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ الْقِتَالُ فِيهَا لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي، وَلَمْ يَحِلَّ لِأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحِلَّ لِي إِلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ قَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ» ". وَفِي رِوَايَةٍ: " «فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا فَقُولُوا: إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ، وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ» ". فَقِيلَ لِأَبِي شُرَيْحٍ: مَا قَالَ لَكَ؟ فَقَالَ: قَالَ لِي: نَحْنُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ، إِنَّ الْحَرَمَ لَا يُعِيذُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৭
عَاصِيًا وَلَا فَارًّا بِدَمٍ، وَلَا فَارًّا بِخَرْبَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَلَّى عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ شُرْطَةَ الْمَدِينَةِ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ ; فَتَتَبَّعَ أَصْحَابَ أَخِيهِ وَمَنْ يَهْوَى هَوَاهُ، فَضَرَبَهُمْ ضَرْبًا شَدِيدًا، حَتَّى ضَرَبَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ ضَرَبَ أَخَاهُ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَجَمَاعَةً مِنَ الْأَعْيَانِ ثُمَّ جَاءَ الْعَزْمُ مِنْ يَزِيدَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ فِي تَطَلُّبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَأَنَّهُ لَا يَقْبَلُ مِنْهُ وَإِنْ بَايَعَ، حَتَّى يُؤْتَى بِهِ إِلَيَّ فِي جَامِعَةٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ مِنْ فِضَّةٍ تَحْتَ بُرْنُسِهِ، فَلَا تُرَى إِلَّا أَنَّهُ يُسْمَعُ صَوْتُهَا، وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قَدْ مَنَعَ الْحَارِثَ بْنَ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيَّ مِنْ أَنْ يُصَلِّيَ بِأَهْلِ مَكَّةَ، وَكَانَ نَائِبَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَلَيْهَا، فَحِينَئِذٍ صَمَّمَ عَمْرٌو عَلَى تَجْهِيزِ سَرِيَّةٍ إِلَى مَكَّةَ بِسَبَبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَاسْتَشَارَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ: مَنْ يَصْلُحُ أَنْ نَبْعَثَهُ إِلَى مَكَّةَ لِأَجْلِ قِتَالِهِ؟ فَقَالَ لَهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ: إِنَّكَ لَا تَبْعَثُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৮


তারা মুলত পথ হারিয়ে ৷ফসেছিল যার ফলে বাতান খাবিাতর১ আল মাষীক নামক স্থানে
এর র্বীাথ্ প্রদর্শক মারা ৷গল ৷ তখন মুসলিম বিন আকিল এ ঘটনাকে অশুভ মনে করলেন এবং
অগ্রসর না হয়ে সেখানেই অবস্থান করলেন ইত্যরসার অপর পথ প্রদর্শক মৃত্যুবরণ করল ৷
তখন তিনি তার মিশনের বিষয়ে হযরত হুসায়ানর পরামর্শ ৷চয়ে পত্র লিখলেন ৷ তখন তাকে
ইরাকে প্রবেশের এবং ফকু কাবাসীদের প্রকৃত অবস্থা সরেজমিনে যাচাইয়ের জন্য তাকে
কুফাবাসীদেব সাথে মিলিত হওয়ার কঠোর নির্দেশ দিলেন ৷
মুসলিম বিন আকিল যরন কুফায় আগমন করলেন তখন তিনি মুসলিম বিন আওসাজা আল
আসাদী নামক এক ব্যক্তির গৃহে অবস্থান নিলেন ৷ আর কারোও মতে তিনি আল মুখতার বিন
আছুছাকা ৷ফীর গৃহে অবস্থান করেছিলেন ৷ কোনটি সঠিক তা াআল্ল ৷হ্ই ভাল জানেন ৷ কুফাবাসী যখন
তার আগমন স বাদ শুনতে ৷পল তখন তারা তার কাছে এসে হযরত হুসায়ানর শাসন কর্তৃাতৃর
অনৃকুাল ব্যয় আত করল ৷ এবং তার সামনে শপথ করে বলল, অবশ্যই তারা জান-মাল দিয়ে
তাকে সাহায্য করবে ৷ এভাবে প্রথমে বার হাজার কুফাবাসী তার হাতে রায় তাতে করে ৷ পরবর্তীতে
এই স০ খ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আঠারো হাজারে পৌছে তখন মুসলিম বিন আকিং৷ হযরত হুসাযনের নিকটে
লিখে পাঠা৷লন যে; তার অনুকুলেণ্বায়ইআত গ্রহণের পর সুপম হয়েছে এবং সবপ্স পরিস্থিতি সন্তে
ারজনক ৷ সুতরাং তিনি যেন আগমন করেন ৷ এ সৎবা৷দ হযরত হুসায়ন (রা) প্রন্তুতি গ্রহণ করলেন
এবং কুফার উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে বেরিয়ে পড়লেন ৷“ শীঘ্রই আমরা এর আলোচনা করব ৷
তাদের এ স০ বাদ ছড়িয়ে পড়ল এমনকি তা ৩কুফার আমীর (প্রশাসক) আন নু মান বিন বশীার: ন্
কাছেও জনৈক ব্যক্তি তাকে এ বিষয়ে অবহিত করল ৷ তখন যে এ বিষয়টি এাড়য়ে ৷যাত লাগল
এবং তার প্রতি কোন ওরনছুা৷রাপ করল না ৷ কিন্তু সে লোকদের সম্মুখে খুৎবা দিয়ে তাদেরকে
মতভিন্নত৷ ও বিরোধ বিশৃৎখল৷ থেকে নিষেধ করল এবং ঐক্য ও সুন্নাহ অবলম্বানর নির্দেশ প্রদান
করল ৷ আমার বিরুদ্ধে যে লড়ইি করবে না আমিও তার বিরুদ্ধে লড়াই করব না ৷ মিথ্যা অপবাদ
বা কুধারণার কারণে আমি ৷তামাদেরকে পাকড়াও করব না ৷ কিন্তু শপথ আল্লাহর ! যিনি ব্যতীত
কোন উপাস্য নেই ৷ যদি তোমরা তোমাদের আমীর বর্জন কর এবং তার বায়ুৰ্টআত প্রত্া৷ব্লুছুাব্র কর
তাবন্ন্আমি ৷তামাদর বিরুদ্ধে লড়ইি করে যার যতক্ষণ আমার হাতে আমার তরব্যব্রির হাতল
অবশিষ্ট থাকে ৷ তখন আবদুল্লাহ বিন মুসলিম বিন শু বা২ আর হাযরযী নামে এক ব্যক্তি তার কাছে
; উঠে গিয়ে তাকে রলল কঠোর শাস্তি প্রদান ছাড়া এ বিষয়ে ৷ৎান্গুদ্া৷ধন করা যাবে না ৷ আপনি যে
পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হল দুর্বলদ্বের পন্থা ৷ তখন নু মা ৷ তা ৷৷ক বলল, আল্লাহর আনুগত্যের
পরিধিাত থেকে দুর্বল গণ্য হওয়া আমার কাছে তার নাফরমানীাত থেকে শক্তিযরও পরাক্রমশালী

হওয়ায় চেয়ে প্রিযত তর ৷ তারপর সে মিম্বর থেকে নেমে আসল, তখন ঐ ব্যক্তি ইয়াযীদের কাছেত
জানিয়ে পত্র লিখে পাঠাল ৷ এ ছাড়া উমারা বিন উক্বাহ এবং আমর৪ বিন সা দ বিন আবু



১ আল ন্সাবোরুত তিওয়ালে রয়েছে ;;ণ্;ন্া৷ ;)ন্১ আর ট্রুপ্রুা ৰুা৷ হল উপত্যকার নিম্নাৎশ আর এর সংখ্যা অনেক ৷
;ন্-)১া৷ হল সদা কুল বিশিষ্ট এক প্রকার উদ্ভিদ ৷ উৎকৃষ্ট চারণ ঘাস রুপে বিবেচিত হয় ৷

২ আত; তাক্রী ও আল কামিলে ও বার পরিবর্তে রয়েছে, আর আর আখরাকতৃ তিওয়া৷ল (২৩১ পৃ ) রয়েছে
রসলিম বিন সায়ীদ আল ৷যরয৷ ৷

ও :ি মতুন নুজুম আল আ ওয়ালীহ্বত (৩৫৯ ) উমর৷ ৷তৃবনুল ওয়ালিদ রয়েছে ৷

৪ আল-ারদায়া মুল পাণ্ডুলিপি এবং তা৷ল কান্ালে এরুপই রয়েছে, আর আত তাবারীাত রয়েছে উমর আর
ানটিই বিশুদ্ধ ৷

ওো৷া


مَنْ هُوَ أَنَكَى لَهُ مِنِّي. فَعَيَّنَهُ عَلَى تِلْكَ السَّرِيَّةِ، وَجَعَلَ عَلَى مَقْدُمَتِهِ أُنَيْسَ بْنَ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيَّ فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا عَيَّنَهُمَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ نَفْسُهُ، وَبَعَثَ بِذَلِكَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ فِي كِتَابٍ، فَعَسْكَرَ أُنَيْسٌ بِالْجُرْفِ، وَأَشَارَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ أَنْ لَا يَغْزُوَ مَكَّةَ، وَأَنْ يَتْرُكَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بِهَا، فَإِنَّهُ عَمَّا قَلِيلٍ إِنْ لَمْ يُقْتَلْ يَمُتْ، فَقَالَ أَخُوهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ وَاللَّهِ لَنَغْزُوَنَّهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ، عَلَى رَغْمِ أَنْفِ مَنْ رَغِمَ. فَقَالَ مَرْوَانُ: وَاللَّهِ إِنَّ ذَلِكَ لَيَسُوءُنِي. فَسَارَ أُنَيْسٌ وَاتَّبَعَهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ فِي بَقِيَّةِ الْجَيْشِ، وَكَانُوا أَلْفَيْنِ، حَتَّى نَزَلَ بِالْأَبْطَحِ، وَقِيلَ: بِدَارِهِ عِنْدَ الصَّفَا. وَنَزَلَ أُنَيْسٌ بِذِي طَوًى، فَكَانَ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَيُصَلِّي وَرَاءَهُ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَأَرْسَلَ عَمْرٌو إِلَى أَخِيهِ يَقُولُ لَهُ: بَرَّ يَمِينَ الْخَلِيفَةِ، وَأْتِهِ وَفِي عُنُقِكَ جَامِعَةٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، وَلَا تَدَعِ النَّاسَ يَضْرِبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَاتَّقِ اللَّهَ فَإِنَّكَ فِي بَلَدٍ حَرَامٍ. فَأَرْسَلَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ لِأَخِيهِ: مَوْعِدُكَ الْمَسْجِدُ. وَبَعَثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ فِي سَرِيَّةٍ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ أُنَيْسِ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ، فَهَزَمُوا أُنَيْسًا هَزِيمَةً قَبِيحَةً، وَتَفَرَّقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الزُّبَيْرِ أَصْحَابُهُ، وَهَرَبَ عَمْرٌو إِلَى دَارِ ابْنِ عَلْقَمَةَ، فَأَجَارَهُ أَخُوهُ عُبَيْدَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَلَامَهُ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَالَ: تُجِيرُ مَنْ فِي عُنُقِهِ حُقُوقُ النَّاسِ! ثُمَّ ضَرَبَهُ بِكُلِّ مَنْ ضَرَبَهُ بِالْمَدِينَةِ إِلَّا الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَابْنَهُ ; فَإِنَّهُمَا أَبَيَا أَنْ