আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ستين من الهجرة النبوية

فصل من توفي في هذه السنة

পৃষ্ঠা - ৬৬৪১


তার প্রথম যুদ্ধাভিযান হল আল মুরায়সী ৷ এসময় তিনি আসসাকাতে অবস্থান করছিলেন ৷
তিনিই ঐ ব্যক্তি যাকে উড়িয়ে অপবাদ আরােপকাবীরা উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা)-
এর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করেছিল ৷ তারপর আল্লাহ তাদের উভয়কে নির্দোষ ও
পবিত্র ঘোষণ ৷ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন মুসলমানগণের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তার ’ ঘুম ছিল
অত্যন্ত গভীর ৷ এমনকি, সুর্য উদিত হয়ে গায়ে সুর্যতাপ লাণলেও তার ঘুম তা ঙত না ৷ তাই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলেছিলেন, যখন তুমি ঘুম থেকে জাগবে তখন নামায পড়ে নিও ৷
হযরত সাফওয়ান ঘাতকদের হাতে শ্ ৷হীদ হন ৷

আবুমুসলিম আল খাওলানী

তার নাম আবদ বিন ছুওয়াব আল খাওলানী ৷ ইয়ামানের খাওলান গোত্রের সদস্য ৷ ভণ্ড ও
মিথ্যা নবুওয়াভ্রুত তর দাবীদার আল আসওয়াদ আল আনাসী তাকে তার রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার
জন্যে আহ্বান করে রলেছিল, তুমি কি সাক্ষ্য দিয়ে থাক আমি আল্লাহর রাসুল?৩ তিনি বলেন,
আমি শুনি না ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ তখন সে তার অগ্নিকুণ্ড
প্রস্তুত করে তাকে তাতে নিক্ষেপ করল, কিন্তু তা তার কোন ক্ষতি করতে পারল না এবং আল্লাহ

তাকে সেই আগুন থেকে উদ্ধার করলেন ৷ উল্লেখিত কারণে তাকে ইবরাহীম খলীলের সাথে
তুলনা করা হত ৷ এরপর তিনি যখন হিজরত করে মদীনায় পৌছেন তখন দেখতে পান,
ইতিমধ্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ওফাত হয়েছে ৷ তখন তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর কাছে
আগমন করেন ৷ তিনি তাকে তার ও উমরের মাঝখানে বসালেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে
উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রশং সা আল্লাহর, যিনি আমাকে মৃত্যুর পুর্বে উম্মতে মুহাম্মাদীর মাঝে এমন
ব্যক্তির দর্শন দান করেছেন, যার সাথে হযরত ইবরাহীমের ন্যায় আচরণ করা হয়েছে ৷ এরপর
তিনি তার দু চোখের মাঝে (কপালে) চুযু খেলেন ৷৩ তার অনেক কারামতের কথা বর্ণিত আছে ৷
আল্লাহ্ তাআলা অধিক জানেন ৷ এবছরেই আন নুমান বিন বশীর ইস্তিকাল করেন ৷ কিন্তু,
অধিক গ্রহণযোগ্য মত হল এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন ৷ যেমনটি ইনশাআল্লাহ্ সামনে আসছে ৷

ইয়াযীদ বিন মুআবিয়া এবং তার শাসনকালের ঘটনাবলী

তার মৃত্যুর পর ষাট হিজরীর রজব সালে তার অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ তার
জন্মকাল ছিল ছাব্বিশ (২৬) হিজরী ৷ সেই হিসেবে যায় তাতে কালে তার বয়স ছিল চৌত্রিশ
বছর ৷ বিভিন্ন অঞ্চলে সে৩ তার পিতার নিয়ােগকৃত সকল প্রশাসক বা নায়েবকে বহাল রাখে
তাদের একজনকেও পদচ্যুত করে নি ৷ নিঃসন্দেহে এটা তার বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতার
পবিচায়ক ৷ আল খালবী আবু মুখানৃনাফ লুত বিন আল কুফী থেকে আল আখবারীতে বলেন, ষাট
হিজরীর রজব মাসের শুরুর দিকেই ইয়াযীদ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ এসময় পবিত্র
মদীনায় প্রশাসক আল ওয়ালীদ বিন উত্ব৷ বিন আবু সুফিয়ান, কুফার প্রশাসক আন নুমান বিন
বশীর, বসরার প্রশাসক উবায়দৃল্লাহ্ বিন যিয়াদ, “পবিত্র মক্কার প্রশাসক আমর ইবনুল সারিদ ইবনুল
আস ৷ খিলাফৰু তের দায়িত্বঘহণ কালে ইযাযীদের একমাত্র জ্যি৷ হ্নিাঐ এদলের আনুগত্যের-
বায়আত যারা ইযাযীদের অনুকুলে হযরত মুআবিয়ার কাছে বায়আত করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছিলেন ৷ তাই সে পবিত্র মদীনায় প্রশাসক আল ওয়ালিদ বিন উত্বাকে লিখে পাঠাল ৷ ’



১ আল ইনাম৷ ওয়াস সিয়াসাহতে ( ১২০৪ ) ওয়ালীদ বিন উত্বার পরিবর্তে খালিদ ইবনুল হাকাম রয়েছে ৷


وَكَانَ عَلَى حَرَسِهِ رَجُلٌ مِنَ الْمَوَالِي يُقَالُ لَهُ: الْمُخْتَارُ. وَقِيلَ: مَالِكٌ. وَيُكَنَّى أَبَا الْمُخَارِقِ، مَوْلًى لِحِمْيَرَ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَوَّلَ مَنِ اتَّخَذَ الْحَرَسَ، وَكَانَ عَلَى حُجَّابِهِ سَعْدٌ مَوْلَاهُ، وَعَلَى الشُّرْطَةِ قَيْسُ بْنُ حَمْزَةَ، ثُمَّ زِمْلُ بْنُ عَمْرٍو الْعُذْرِيُّ، ثُمَّ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الْفِهْرِيُّ، وَكَانَ صَاحِبَ أَمْرِهِ سَرْجُونُ بْنُ مَنْصُورٍ الرُّومِيُّ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَوَّلَ مَنِ اتَّخَذَ دِيوَانَ الْخَاتَمِ وَخَزْمِ الْكُتُبِ. [فَصْلُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] وَمِمَّنْ ذُكِرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتِّينَ - صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ بْنِ رَحَضَةَ بْنِ الْمُؤَمَّلِ بْنِ خُزَاعِيٍّ، أَبُو عَمْرٍو، وَأَوَّلُ مَشَاهِدِهِ الْمُرَيْسِيعُ، وَكَانَ فِي السَّاقَةِ يَوْمَئِذٍ، وَهُوَ الَّذِي رَمَاهُ أَهْلُ الْإِفْكِ بِأُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَبَرَّأَهُ اللَّهُ وَإِيَّاهَا مِمَّا قَالُوا، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ يَنَامُ نَوْمًا شَدِيدًا حَتَّى إِنَّهُ كَانَ رُبَّمَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ وَهُوَ نَائِمٌ لَا يَسْتَيْقِظُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِذَا اسْتَيْقَظْتَ فَصَلِّ» ". وَقَدْ قُتِلَ صَفْوَانُ شَهِيدًا.