سنة ستين من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৬৫৬৭

৬০ হিজরী

, এবছরেই মালিক বিন আবদুল্লাহ কর্তৃক ( ষ্ৎকালান ) সুারয়া৷হ( শহর) আত্রংম ণ সংঘটিত
হায়াছল ওয়াকিদী বলেন, এ বছরেই জুনাদ৷ বিন্ ৷ আর উমায়দ্ব৷ ৷াহা৷ডস১ এ প্রবেশ করেন
এবং এ বচ রেই যু আবিয়া (রা) দামেশৃাক উবায় ৷যদুল্লাহ বিন ৷যয়াদর সাহচর্যে আগত প্ৰতিনিাধ
দল থেকে ইয়াষীদের খিলাফতের সপক্ষে যায় তাতে গ্রহণ করেন ৷ এ বছরেই হযরত মু আবিয়া
(রা) ৷শষবারের মত অসুস্থ হন এবং রজব শ্া৷ স ইনতিকাল করেন ৷ যেমনটি আমরা অচিরেই
বর্ণনা করব ৷

আবু মুখান্নাকের সুত্রে ইবন জ বীর বচ্নাি করেছেন আমাকে আবদুল মালিক বিন নাওফাল
বিন মুসাহিক বিন আবদুল্লাহ মাখরামাহ আমাকে বর্ণনা করেছেন যে মুআবিয়৷ (রা) যখন
অন্তিম শয্যায় তখন তার ছেলে ইয়াযীদকে ডেকে বলেন হে বৎস ! আমি আমার প্রস্থান
পরবর্তী সকল পরিস্থিতির ব্যবস্থা তোমার অনুকুলে করেছিৰু সকল উপায়-উপকরণ তোমার
জন্য প্রস্তুত করেছি সকল পরাক্রমশালীকে বশীভুত করেছি৩ এবং আরবের গ্রীবাসমুহকে
তোমার অনুকুলে অবনমিত করেছি ৷ চার ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ এই ব্যাপারে তোমার
প্রভিদ্বন্দী হবে এই আশঙ্কা আমি করি না ৷

১ হুসায়ন বিন আলী ২আবদুল্লাহ্ বিন উমর, ৩ আবদুল্লাহ বিন যুবাইর এবং : আবদুর
রহমান বিন আবু বকর ৷ যদিও ওয়াকিদী এমনই বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু বিশুদ্ধ মত হল যে,
আবদুর রহমান বিন আবু বকর হযরত মুআবিয়ার দুই বছর পুর্বে ইস্তিকাল করেন, যেমন
আমরা ইতিপুর্বে উলেখ করেছি ৷ ইবন উমর (রা) হলেন, নিভরযােগ্য ব্যক্তি তাকে ইবাদত
বন্দেপী মশগুল রেখেছে ৷ যখন তিনি ছাড়া আর কেউ বার লাভ করতে বাকি থাকবে না ৷ তখন
তিনিও তোমার হাতে বায়আত করে ফেলবেন আর হুসাইন, ’ তার পেছনে ইরাকবাসী লেগে
রয়েছে, তারা র্তাকে তোমার বিরুদ্ধে খিলাফণ্ডে ন্র দাবীদার না করে ছাড়বে না ৷ যদি তিনি

তোমার বিরধদ্ধে লড়াই করেন আরত ৩ তাকে আয়ত্তে পাও তাহলে তার প্রতি সদাচার করোা
কেননা, তার রয়েছে নিকট আত্মীয়তা এবং (সদাচার লাভের) বিরাট অধিকার ৷ আর ইবন
আবু বকর এমন ব্যক্তি যিনি তার সঙ্গীদেরকে কিছু করতে দেখলে তার অনুরুপ করবেন ৷ নারী
ও আনন্দ বিনোদন ব্যতীত তার অন্য কোন বিষয়ে আগ্রহ নেই ৷ আর যে তোমার জন্য সিংহের
ন্যায় ওত পেতে থাকবে ও শৃ?া৷লের ন্যায় কৌশল অবলম্বন করবে এবং কোন সুযোগ পেলেই
আক্রমণ করে বলবে সে হল আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর ৷ যদি সে তোমার বিরুদ্ধাচরণ করে
তারপর তুমি ৩ার্কে বামে পাও তাহলে তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে ৷



১ বর্তমানে গ্রীস অধিকৃত পার্বত্য দ্বীপ ৷

২ এখানে বিদ্যমান ঠুাক্ষ্১া৷; এে১,দ্রা এর পরিবর্তে তাবারীভে (৬১ ৭৯) ;া;);া, ২াহ্ন)৷ আল কামিল-এ
(৪৬) ফুষ্);া;শ্রো এবং ইবন আছমে রয়েছে পুাগু;এট্র ১>এ পুবাপর অর্থের সাথে সামঞ্জস্য থাকার
অ অবুবা৷দ৩ ন্ ৷বারীতে বিদ্যমান শব্দদ্বয়কেই চয়ন করা হল ৷ অনুবাদক ,

৩ এখানে বিদ্যমান ;াগ্লু;া৷ শব্দের পরিবর্তে তাবারী ও কামিল গ্রন্থে ণ্া; ন্া (শত্রুগণ) শব্দ বিদ্যমান রয়েছে
এবং ৰুন্ডেহু ইবন আ ছামেন্এ স্থলে ঈষৎ পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত আকারে বক্তব্যটি উল্লেখিত হয়েছে ৷ দ্রং আল
ফুতুহু

আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া২৯


[سَنَةُ سِتِّينَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] فِيهَا كَانَتْ غَزْوَةُ مَالِكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَدِينَةَ سُورِيَّةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا دَخَلَ جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ جَزِيرَةَ رُودِسَ وَهَدَمَ مَدِينَتَهَا. وَفِيهَا أَخَذَ مُعَاوِيَةُ الْبَيْعَةَ لِيَزِيدَ مِنَ الْوَفْدِ الَّذِينَ قَدِمُوا صُحْبَةَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ إِلَى دِمَشْقَ. وَفِيهَا مَرِضَ مُعَاوِيَةُ مَرَضَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فِي رَجَبٍ مِنْهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ. فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ أَبِي مِخْنَفٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا مَرِضَ مَرْضَتَهُ الَّتِي هَلَكَ فِيهَا، دَعَا ابْنَهُ يَزِيدَ فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، إِنِّي قَدْ كَفَيْتُكَ الرِّحْلَةَ وَالرِّجَالَ، وَوَطَّأْتُ لَكَ الْأَشْيَاءَ، وَذَلَّلْتُ لَكَ الْأَعْدَاءَ، وَأَخْضَعْتُ لَكَ أَعْنَاقَ الْعَرَبِ، وَإِنِّي لَا أَتَخَوَّفُ أَنْ يُنَازِعَكَ هَذَا الْأَمْرَ الَّذِي اسْتَتَبَّ لَكَ إِلَّا أَرْبَعَةُ نَفَرٍ ; الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ - كَذَا قَالَ، وَالصَّحِيحُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ كَانَ قَدْ تُوُفِّيَ قَبْلَ مَوْتِ مُعَاوِيَةَ بِسَنَتَيْنِ كَمَا قَدَّمْنَا - فَأَمَّا ابْنُ عُمَرَ فَرَجُلٌ قَدْ وَقَذَتْهُ الْعِبَادَةَ، وَإِذَا لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ غَيْرُهُ بَايَعَكَ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ فَإِنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ لَا يَدْعُونَهُ حَتَّى يُخْرِجُوهُ، فَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৮


একাধিক বর্ণনাহা১ারী বলেন, মুআৰিয়৷ (রা)-এর অন্তিম মুহুর্তে ইয়াষীদ শিকারে১ বের
হায়ছিল ৷ ভাই মুআ৷বয়৷ (রা) দামেশৃকের পুলিশ প্রধান যাহ্হাক ইবন কায়স ফিহিরী ও
মুসলিম ইবন উকবাকে ডেকে প্া৷ঠালেন এবং তাদেরকে ওসীয়ত করে বলেন, তারা যেন
ইয়াঘীদকে তার সালাম পৌছে হিজ্যয়বাসীর সাথে তাল ন্ন্া৷চরণ করতে বলে ৷ আর ইরাকবাসী
যাদ প্রতিদিন তাদের একজন ণতর্নরকে অপসারণ এবং নতুন একজনকে নিয়োগ করতে বলে
তাহাল সে যেন তা ই করে ৷ (কননা একজন গভর্নরকে অপসারণ করা এক লক্ষ তরবারির
(মাকাবি তা করার চেয়ে প্রিয়তর ৷ তদ্রপ শামবাসীদের সাথও যেন সে ভাল আচরণ করে এবং
তাদেরকে তার আন,সার সাহায্যকারীরুপেএ্ ম্পৃণ করে এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার প্রদান
করে ৷ আর ডি ন ব্যক্তি ব্যতাত কুরাইশের কারো পক্ষ থেকে আমি তার কোন ৰিপদের আশঙ্কা
করি না ৷ হল রাইন ইবন উমর এবং ইবন যুবাইর (এখ্যা, ৷) তিনি আব্দুর রহমান ইবন আবু
বকরকে উা৫;াখ করেন নি৷ আর এটিই ৷রশুদ্ধতর মত ৷ আর ইবন উমর তিনি ইরাদত
বান্দপাতে মশগুল ৷ আর হুষ্া৷ইন তিনি (তা নরম রাত্তি ৷ আমার ধারণা তার বিষয়টি আল্লাহ
তোমাকে এ সকচ ৷ ৷লাক দ্বারাই সমাধান করে দিবেন, যারা ৷র,ত পিতাকে হত্যা করেছে এবং
তার ভ্রাতাকে নিষ্ন্াভ্র ব্লুায় কারহে ৷তাব্র রয়েছে নিকট আত্মীয়তা এবং ব্রিরাট (প্রাপ্য) অধিকার
এবং রাসৃালুল্লাহ্ ন্া৷ণ্া৷ণ্ণ্া৷ণ্ধ্ আচ্া৷ইাহ ওয়৷ সাদ্বা৷মের ?নকট্য ৷ আমার ধারণা, ইরাকবাসী তাকে
ণ্ভামার ৷ররুা,দ্ধ প্রা রা৷ঢত না করে ছাংদ্ভুদ্রার ন৷ ৷ যদি তুমি তাকে আয়ত্তে পাও, তবে ছেড়ে
াদও ৷ ( ন্ণ্াহ্না৷ প্৩া৷ ৷৷৷ যদিা৷-কাৎ ৷প সে আর তাকে ছেড়ে দিতাম ৷

হরন যন্ট্ট ৷ইর সোয়মন চতুর দ্রুত মান কৌাল৷ ৷ খা ণ্৷ সে তোমার বিরুদ্ধে র্দাড়িয়ে য়ায়
তাহাল তার ৰিরা,দ্ধ সরাতার যুদ্ধ (রাযণ৷ করবে ৷ অ৷ ৷র যদি সে সন্ধির প্রস্তাব দেয় তাহলে তা
গ্রহণ করবে আর ৷ন-ভ্রু ৷ম্পোদা৷শ্ন্ম্ র: প্া৷ন্ থেকে যথাসম্ভব সংয়ম অবলম্বন করার১ ৷ এরছর
রত্তার মাসের ওর-(ত হররত শ্া আঃার২া৷ (রা) ইম্ভিক্য৫ন্ করেন ৷হ৷ ৷ইর্বৃন কাল“বীর রালন বলা
ণ্শ্য় যে ৷ ৷ মধ্া রজার ই৷ ন্তকাল করেন ৷ এটা ওয়া৷কদার মত ৷ কা৷র৷ মতে রহম্পারার ২২
শে রওাব হল এার মতাকা৫৷ এট৷া৷দা৷হালার মত ৷ ইরন তা৷রার রণ্;ণ্ান ঐন্তি টুহ্াসিকগণ এ
ারষায় একমত যে তািণ্৷ এ র ৷রে র রওার মাসে ই৷ ন্তরল্পে র লোঃ ৷ তীর ণ্াকঢদ্বএ শ্া৷ন্ান্া
কর্তৃত্বের সুচনা হয়েছিল একচল্লিশ ৷হজরর জুমাদাল উভ্রুন্া৷ মাস ৫রাক ররন আওারত্ং নামক
স্থানে হযরত হাসান ইবন আলী তার হাতে বায় আত করেন ৷ কাজেই তার সরমেটি শাসনকাল
উনিশ বছর তি ন মাস ৷ শামে তিনি প্রায় বিশ বছর নায়েব ছিালনঃ৷ ৷ অবশ্য এ ক্ষেত্রে ন্ডিন্নমত
রয়েছে ৷ মৃতুাকালে তার বয়স ছিল তিহাতর বছর কারো মান্ ণ্াচাণ্ও র বছর আবার কারো
মতে আটাত্তর বছর ৷ অন্য একমতে পচাশি বছর৪ ৷ অবাশ্াষ্ট আ৷লাঢন৷ তার দ্রীরর্নী
প্ার্যা৷লাচনার শেষ দিকে আসছে ৷



া, ষ্া৷ ন্শ্রা গ্রন্থের ২২৬ পৃ€ ব রয়োঢ যে সময় ইয়াঘীদ বিন যুআ৷রহ্বা৷ দামেশাক অনুা দাল্লুত ছিল ৷
তার বিলস্ব দােখ ঘুআবিয়৷ তার ওসীয়তনামা যা ;হাক এবং মুসলিম ৷রন উকবার কাছে অর্পণ কারাহ্র ৷ৰুান্া;
এরপর ইয়াঘীদ ফিরে আসে ৷ তিনি পুনরায় তাকে তা পড়ে ৷ শানান তাররর মারা যান ৷ আল ইমামা ওসাহ্া

সিংা৷সাহগ্রান্থ (১২০৬) রয়েছে যে ইয়া৷ নীদ তার পিতার মৃত্যুর পর দ ৷মেশকে ফিরে আসে ৷

২ আত তাবারী ওসীয়ত অধ্যায় ৬১ ৭৯ ১৮০ আল কামিল ৪৫ ৬ আল আখবারদ্বষ্ ৩ তিওয়াল ২২৬ ফুতহ ইবন
আহম ৪২৫৬ এর পরবর্তী অং ণ আলবায়ানও আতৃতাবয়ীন ২১০ ৭

৩ মুলত শব্দটি আলকহ মুদ্রণ৩ ভুলে এখানে আজরুজ হয়েছে ৷ আল মৃনজিদ ৷ল্দো আলাম ৩৩ পৃ৪ দ্র৪ (অনুবাদক)

৪ তার জীবনকাল ও খিলাফত কাল নিয়ে বিজ্যি মত রয়েছে ৷ দেখুন-৩ তাবায়ী ৬১৮০ ১৮১ আল কামিল ৪৬-৭

আলইসার৷ ৩৪৩৩-৪৩৪; আল ইনা৩য়াব ৩৩৯৮ , উসদুল গাব৷ ৪-৩৮৬ ৷


خَرَجَ عَلَيْكَ فَظَفِرْتَ بِهِ فَاصْفَحْ عَنْهُ، فَإِنَّ لَهُ رَحِمًا مَاسَّةً، وَحَقًّا عَظِيمًا، وَأَمَّا ابْنُ أَبِي بَكْرٍ فَرَجُلٌ إِنْ رَأَى أَصْحَابَهُ صَنَعُوا شَيْئًا صَنَعَ مِثْلَهُ، لَيْسَ لَهُ هِمَّةٌ إِلَّا فِي النِّسَاءِ وَاللَّهْوِ، وَأَمَّا الَّذِي يَجْثُمُ لَكَ جُثُومَ الْأَسَدِ، وَيُرَاوِغُكَ رَوَغَانَ الثَّعْلَبِ، وَإِذَا أَمْكَنَتْهُ فُرْصَةٌ وَثَبَ، فَذَاكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَإِنْ هُوَ فَعَلَهَا بِكَ فَقَدَرْتَ عَلَيْهِ فَقَطِّعْهُ إِرْبًا إِرْبًا. قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: فَحِينَ حَضَرَتْ مُعَاوِيَةَ الْوَفَاةُ كَانَ يَزِيدُ فِي الصَّيْدِ، فَاسْتَدْعَى مُعَاوِيَةُ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ الْفِهْرِيَّ - وَكَانَ عَلَى شُرْطَةِ دِمَشْقَ - وَمُسْلِمَ بْنَ عُقْبَةَ فَأَوْصَى إِلَيْهِمَا أَنْ يُبَلِّغَا يَزِيدَ السَّلَامَ وَيَقُولَا لَهُ يَتَوَصَّى بِأَهْلِ الْحِجَازِ، وَإِنْ سَأَلَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ فِي كُلِّ يَوْمٍ أَنْ يَعْزِلَ عَنْهُمْ عَامِلًا وَيُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ آخَرَ فَلْيَفْعَلْ، فَعَزْلُ وَاحِدٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ مِنْ أَنْ يُسَلَّ عَلَيْكَ مِائَةُ أَلْفِ سَيْفٍ، وَأَنْ يَتَوَصَّى بِأَهْلِ الشَّامِ خَيْرًا، وَأَنْ يَجْعَلَهُمْ أَنْصَارَهُ، وَأَنْ يَعْرِفَ لَهُمْ حَقَّهُمْ، وَلَسْتُ أَخَافُ عَلَيْهِ مِنْ قُرَيْشٍ سِوَى ثَلَاثَةٍ ; الْحُسَيْنِ، وَابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ الزُّبَيْرِ - وَلَمْ يَذْكُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ وَهَذَا أَصَحُّ - فَأَمَّا ابْنُ عُمَرَ فَقَدْ وَقَذَتْهُ الْعِبَادَةُ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ فَرَجُلٌ خَفِيفٌ، وَأَرْجُو أَنْ يَكْفِيَكَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِمَنْ قَتَلَ أَبَاهُ وَخَذَلَ أَخَاهُ، وَإِنَّ لَهُ رَحِمًا مَاسَّةً وَحَقًّا عَظِيمًا، وَقَرَابَةً مِنْ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَظُنُّ أَهْلَ الْعِرَاقِ تَارِكِيهِ حَتَّى يُخْرِجُوهُ، فَإِنْ قَدَرْتَ عَلَيْهِ فَاصْفَحْ عَنْهُ، فَإِنِّي لَوْ أَنِّي صَاحِبُهُ عَفَوْتُ عَنْهُ، وَأَمَّا ابْنُ الزُّبَيْرِ فَإِنَّهُ خَبٌّ ضَبٌّ، فَإِنْ شَخَصَ لَكَ فَالْبَدْ لَهُ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৯
أَنْ يَلْتَمِسَ مِنْكَ صُلْحًا، فَإِنْ فَعَلَ فَاقْبَلْ مِنْهُ، وَاصْفَحْ عَنْ دِمَاءِ قَوْمِكَ مَا اسْتَطَعْتَ. وَكَانَ مَوْتُ مُعَاوِيَةَ لِاسْتِهْلَالِ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَهُ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقِيلَ: لِلنِّصْفِ مِنْهُ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَقِيلَ: يَوْمَ الْخَمِيسِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْهُ. قَالَهُ الْمَدَائِنِيُّ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَأَجْمَعُوا عَلَى أَنَّهُ هَلَكَ فِي رَجَبٍ مِنْهَا. وَكَانَ مُدَّةُ مُلْكِهِ اسْتِقْلَالًا مِنْ جُمَادَى سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ حِينَ بَايَعَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ بِأَذْرُحَ، فَذَلِكَ تِسْعَ عَشْرَةَ سَنَةً وَثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ، وَكَانَ نَائِبًا فِي الشَّامِ عِشْرِينَ سَنَةً، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، وَكَانَ عُمْرُهُ ثَلَاثًا وَسَبْعِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: خَمْسًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: خَمْسًا وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَسَيَأْتِي بَقِيَّةُ الْكَلَامِ فِي ذَلِكَ فِي آخِرِ تَرْجَمَتِهِ. وَقَالَ أَبُو السِّكِّينِ زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى: حَدَّثَنِي عَمُّ أَبِي زَحْرُ بْنُ حِصْنٍ، عَنْ جَدِّهِ حُمَيْدِ بْنِ مِنْهَبٍ قَالَ: كَانَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ عِنْدَ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيِّ، وَكَانَ الْفَاكِهُ مِنْ فِتْيَانِ قُرَيْشٍ، وَكَانَ لَهُ بَيْتٌ لِلضِّيَافَةِ يَغْشَاهُ النَّاسُ مِنْ غَيْرِ إِذْنٍ، فَخَلَا ذَلِكَ الْبَيْتُ يَوْمًا، فَاضْطَجَعَ الْفَاكِهُ وَهِنْدُ فِيهِ فِي وَقْتِ الْقَائِلَةِ، ثُمَّ خَرَجَ الْفَاكِهُ لِبَعْضِ شَأْنِهِ، وَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ يَغْشَاهُ، فَوَلَجَ الْبَيْتَ، فَلَمَّا رَأَى الْمَرْأَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৭০


আ সাকন যকরিয়া ইবন ইয়ভ্রু ইয় বলেন আমাকে আমার পিতার চাচা যুহার ইবন
হুসাইন তার দ ৷দ হুমইদ ইবন যুনহাব থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ, হলুদ ব্রিনৃতে
উতবাহ, ককীহ ইবন মৃগীরহ মখযুমীব ন্তী ছলেন ৷ আর ফার্কীহ ছিলেন কুরাইশের ড্ডাতমন্
৫নতৃস্থানীর রীরপুরন্র ৷ অতিথি আপয়নর জন্য তার একখন ঘর ছিল যেখানে রু৫ক;জন
বন অনুমতদ্ভ আসা যওয় করত ৷ একদিন সেই ঘব খালি ৫দখ ফকীহ ও তার শ্রী
দ্বিপ্ৰভ্রু রকাল সেখানে শুয়ে ঘিশ্রাম করছিল এরপর ফার্কীহ তার কোন প্রয়োজনে বের হলে
তার কাছে আসা যওয়কারী এক ব্যক্তি সখনে আগমন করল ৷ এরপর সেই ঘরে প্রবেশ করে
যখন সে হিন্দকে দখ৩ পেল তখন সে নৌড় প্লল ৷ আর ফকীহণ্ তাকে সেই ঘর থেকে
বের হওয়ার সময় দেখতে ৫ পল ৷ এরপর সে হনদের কাছে এসে তাকে শায়৩ পেয়ে প্ দিয়ে
আঘাত করে দ্ভাহ্শুণ্ নাসা করল, কে এই বওণ্, যে ৫৩ মার কাছে ছিল? সে বলল আমি ৫ত

কাউকে ৫দখ ন এবৎ৩ তু জাগনর পুর্বে আমি ঘুম থেকেও জপ নি ৷ তখব্ ন্ফাকীহ বলল,
ত: তমাব পদ্বুগৃহে চলে যাও ৷ এরপর থেকে লোকেরা তার ব্যাপারে কনযুষা শুরু করল ৷

আমাকে তোমার ব্যাপারটি খুলে বল ৷ যদি ৩ মেয়ে স্বযীর অভিযোগ তোমার বর্পারে সত্য
হয়ে থাকে, তা হলে তাকে ৩প্তহতা করে শেষ করে দিই ৷ তহলে,তােমার ব্যাপারে লোকদের
কনব্;,যও শের হ য় যাবে ৷ আর যদি সে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে তাহলে তাকে ইয়ামানের এক
গণকর ম্ৰুহ্ব্লেজ্যোরু শরণস্পো; করব ৷

হনদ ৩ান্ৰু প্রথা অনুযায়ী তার পিতার কাছে শপথ করে বলল, তার স্বামী তাকে মিথ্যা
অখবদ দযছ উত্বা ইবন রাৰি আ ফকীহকে বলেন, ৫হ লোক তুমি আমার মেয়ের-
চরিত্রে জঘন অপ্ম্বদ কাশিমা ৫লপন করেছ, যা পানি দিয়ে রান্না যায় না৷ আর৩
আরবদের মাঝে আমাদেরকে হেয় ও অপদস্থ করে ৫ছড়ছ ৷ যদি তুমি আমার নিকটবংশীয় না
হতে তাহলে ৫৩মাক হত্যা করতাম ৷ কিন্তু, এখন আমি তোমাকে ইয়ামানর গণকের
ফয়সালর দারস্থ করব ৷ তুমি আমাকে কোন একজন ইয়মানী গণকের ফয়সালায় নিয়ে চল ৷
, তখন ফকহ ৩ র নিকটাত্মীয় বনু মখযুমের একটি দলের সাথে এবং উত্বা তার নিকটত্মীর
বাবু আবদে মনফর একটি দলের সাথে তার কন্যা হিন্দ ও তার কতিপয় স ন্ চরী নিয়ে
ইয়ামানর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে ৷ এরপর যখন ন্রা ইয় মানর নিকটবর্তী হয়, তখন পরামর্শ
করে বলল, আমরা আগামীকাল গণকের কাছ যাব

এস্থহিন্দ যখন এ কথা ওনল, তখন তার অবস্থা পরিবর্তি৩ হল এবং তার চেহারা যিবর্ণ হল

ৎসে কদভে শুরু করল ৷ তার পিতা তাকে বলল, বছ ! আমি৫ তামার অবস্থার পরিবর্তন

এবং ক্রন্দনের আধিক দেখতে পাচ্ছি ৷ আমার ৫ মনে হয় নিচয় এটা তোমার ঘৃণ্য কোর
বিনয় এবং মন্দ কোন কাজ সং ঘটিত করার কারণে আমাদের ইয়ামান মাত্রার বিষয়টি
লোকদের মাব রটনা হওয়ার পুর্বেই ৫কন তুমি এমন করলে না? হিনদ বলল, আব্বা ! আমার
এই অবস্থা আমার দ্বারা কোন অপকর্ম সংঘটিত হওয়ার কারণে নয় ৷ আল্লাহর শপথ আমি
নিরপরাধ, নর্দোষ ৷ কিন্তু আপনি আমার যে বিষগ্নত ও অবস্থার পরিবর্ত্য দেখতে পাচ্ছেন,
তার কারণ হল আমি ভাবছি আপনারা এই গণকের ক৫ছ আমাকে নিয়ে যাবেন আর সে তো
একজন মানুষ তারও ভুল হতে পারে ৷ আমি আশঙ্কা করছি, হয়ত সে আমার বপারে এমন
কোন ভুল করে বসব যার কলঙ্ক আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে ৩হবে ৷ কিৎবা আমাকে এমন


وَلَّى هَارِبًا، وَأَبْصَرَهُ الْفَاكِهُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْبَيْتِ، فَأَقْبَلَ إِلَى هِنْدَ فَضَرَبَهَا بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: مَنْ هَذَا الَّذِي كَانَ عِنْدَكِ؟ قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا، وَلَا انْتَبَهْتُ حَتَّى أَنْبَهْتَنِي أَنْتَ. فَقَالَ لَهَا: الْحَقِي بِأَبِيكِ. وَتَكَلَّمَ فِيهَا النَّاسُ، فَقَالَ لَهَا أَبُوهَا: يَا بُنَيَّةُ، إِنَّ النَّاسَ قَدْ أَكْثَرُوا فِيكِ، فَأَنْبِئِينِي نَبَأَكِ، فَإِنْ يَكُنِ الرَّجُلُ عَلَيْكِ صَادِقًا دَسَسْتُ إِلَيْهِ مَنْ يَقْتُلُهُ فَيَنْقَطِعُ عَنْكِ الْقَالَةُ، وَإِنْ يَكُ كَاذِبًا حَاكَمْتُهُ إِلَى بَعْضِ كُهَّانِ الْيَمَنِ. فَحَلَفَتْ لَهُ بِمَا كَانُوا يَحْلِفُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّهُ لَكَاذِبٌ عَلَيْهَا. فَقَالَ عُتْبَةُ لِلْفَاكِهِ: يَا هَذَا، إِنَّكَ قَدْ رَمَيْتَ ابْنَتِي بِأَمْرٍ عَظِيمٍ، فَحَاكِمْنِي إِلَى بَعْضِ كُهَّانِ الْيَمَنِ. فَخَرَجَ الْفَاكِهُ فِي بَعْضِ جَمَاعَةٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ، وَخَرَجَ عُتْبَةُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَخَرَجُوا مَعَهُمْ بِهِنْدَ وَنِسْوَةٍ مَعَهَا، فَلَمَّا شَارَفُوا الْبِلَادَ وَقَالُوا: غَدًا نَرِدُ عَلَى الْكَاهِنِ. تَنَكَّرَتْ حَالُ هِنْدَ وَتَغَيَّرَ وَجْهُهَا، فَقَالَ لَهَا أَبُوهَا: يَا بُنَيَّةُ، قَدْ أَرَى مَا بِكِ مِنْ تَنَكُّرِ الْحَالِ، وَمَا ذَاكَ عِنْدَكِ إِلَّا لِمَكْرُوهٍ فَأَلَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ يُشْتَهَرَ فِي النَّاسِ مَسِيرُنَا؟ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ يَا أَبَتَاهُ مَا هَذَا الَّذِي تَرَاهُ مِنِّي لِمَكْرُوهٍ وَقْعَ مِنِّي، وَإِنِّي لَبَرِيئَةٌ، وَلَكِنَّ هَذَا الَّذِي تَرَاهُ مِنَ الْحُزْنِ وَتَغَيُّرِ الْحَالِ هُوَ أَنِّي أَعْلَمُ أَنَّكُمْ تَأْتُونَ هَذَا الْكَاهِنَ، وَهُوَ بَشَرٌ يُخْطِئُ وَيُصِيبُ، وَلَا آمَنُهُ أَنْ يَسِمَنِي مَيْسَمًا يَكُونُ عَلَيَّ سُبَّةً فِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৭১
الْعَرَبِ. فَقَالَ لَهَا أَبُوهَا: لَا تَخَافِي فَإِنِّي سَوْفَ أَخْتَبِرُهُ وَأَمْتَحِنُهُ قَبْلَ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِي شَأْنِكِ وَأَمْرِكِ، فَإِنْ أَخْطَأَ فِيمَا أَمْتَحِنُهُ بِهِ لَمْ أَدَعْهُ يَتَكَلَّمُ فِي أَمْرِكِ. ثُمَّ إِنَّهُ انْفَرَدَ عَنِ الْقَوْمِ - وَكَانَ رَاكِبًا مُهْرًا - حَتَّى تَوَارَى عَنْهُمْ خَلْفَ رَابِيَةٍ، فَنَزَلَ عَنْ فَرَسِهِ، ثُمَّ صَفَّرَ لَهُ حَتَّى أَدْلَى، ثُمَّ أَخَذَ حَبَّةَ بُرٍّ، فَأَدْخَلَهَا فِي إِحْلِيلِ الْمُهْرِ، وَأَوْكَى عَلَيْهَا بِسَيْرٍ، فَلَمَّا وَرَدُوا عَلَى الْكَاهِنِ أَكْرَمَهُمْ وَنَحَرَ لَهُمْ، فَلَمَّا تَغَدُّوا قَالَ لَهُ عُتْبَةُ: إِنَّا قَدْ جِئْنَاكَ فِي أَمْرٍ، وَلَكِنْ لَا أَدْعُكَ تَتَكَلَّمُ فِيهِ حَتَّى تُبَيِّنَ لَنَا مَا خَبَّأْتُ لَكَ، فَإِنِّي قَدْ خَبَّأْتُ لَكَ خَبِيئًا، فَانْظُرْ مَا هُوَ. قَالَ الْكَاهِنُ: ثَمَرَةٌ فِي كَمَرَةٍ. قَالَ: أُرِيدُ أَبْيَنَ مِنْ هَذَا. قَالَ: حَبَّةٌ مِنْ بُرٍّ فِي إِحْلِيلِ مُهْرٍ. قَالَ: صَدَقْتَ، فَخُذْ لِمَا جِئْنَاكَ لَهُ، انْظُرْ فِي أَمْرِ هَؤُلَاءِ النِّسْوَةِ. فَأَجْلَسَ النِّسَاءَ خَلْفَهُ، وَهِنْدُ مَعَهُمْ لَا يَعْرِفُهَا، ثُمَّ جَعَلَ يَدْنُو مِنْ إِحْدَاهُنَّ فَيَضْرِبُ كَتِفَهَا وَيَقُولُ: انْهَضِي. حَتَّى دَنَا مِنْ هِنْدَ، فَضَرَبَ كَتِفَهَا وَقَالَ: انْهَضِي، غَيْرَ رَسْحَاءَ، وَلَا زَانِيَةٍ، وَلَتَلِدِنَّ مَلِكًا يُقَالُ لَهُ: مُعَاوِيَةُ. فَوَثَبَ إِلَيْهَا الْفَاكِهُ فَأَخْذَ بِيَدِهَا، فَنَتَرَتْ يَدَهَا مِنْ يَدِهِ، وَقَالَتْ لَهُ إِلَيْكَ عَنِّي، وَاللَّهِ لَا يَجْمَعُ رَأْسِي وَرَأْسَكَ وِسَادَةٌ، وَاللَّهِ لَأَحْرِصَنَّ عَلَى أَنْ يَكُونَ هَذَا الْمَلِكُ مِنْ غَيْرِكَ. فَتَزَوَّجَهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَجَاءَتْ مِنْهُ بِمُعَاوِيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৭২

ণ্

২২৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

কোন কলঙ্কচিহ্নে চিহ্নিত করবে যা আমাকে চদুাটা আরবের নিন্দা ভভুসনার পাত্রী বানাচব ৷

ব্যাপারে কথা বলার পুর্বেই আমি তাকে যাচাই৩ ও পরীক্ষা করে চনব ৷ যদি সে আমার এই
পরীক্ষায়াভু৫ করোহচলত আর তাকে ৫৩ামার াবষচয় ধ্ ধ্া বলার সুযোগ দিব না ৷
এবপর সে (উত্বা) তার অশ্বশাবচক আরোহণরত অবস্থায়৩ তার সঙ্গীদের থেকে একাকী
হল এবং একটি ঢিলার আড়ালে চলে গেল ৷ এরপর সে তার অশ্বশাবক থেকে নামল ৷ এরপর
তাকে উদ্দেশ্য করে মুখ দিয়ে শিসের ন্যায়শব্দ করল ৷ সেই অশ্বশাবক তার পুরুষাঙ্গ চবব
করলা উত বা একটি শ্চামের দানানিয়ে তার পুরুষান্সের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে দিল এবং একটি
ফিতা দিয়ে তার অ্যাভাপ ভালভাবে বেধে দিল ৷ এরপর মুখ দিয়ে শিস দিলে তা পুর্বাবস্থায়
ফিরে গেল ৷ এরপর যখন উত্বা সাথীচদব কাছে ফিরে আসল, তখন তারা ডাবল সে তার
কোন (একদিক ) প্রয়োজন পুরচণ গিয়েছিল ৷ যখন তারা সকলে উক্ত গণচকর কাছে আসল সে
তখন তাদেরকে সসম্মাচন আপায়ন্ করল এবং তাদের জন্য উট জবাই করল ৷ উতবা তাকে
বলল একটি ব্যাপারে আমরাচ তামার দ্বারস্থ হয়েছি ৷ কিন্তু সে ব্যাপারে কথা বলার আগে
তোমাকে বলচত হবে আমিচ আমার থেকে কী গোপন করেছি? একটি জিনিস আমি তোমার ,
থেকে গোপন করেছি ৷ এখন তুমি বল দেখি তা কী প্ সে ব্যাপারে আমাদেরকে অবহিত কর ৷
গণক বলল, এক ছিদ্রে এক দানা ৷’ উ৩ বা বলল, আরো স্পষ্ট করে বল ৷ সে বলল,
৩াশ্বশাবচকর পুরুষান্সের ছিদ্রে গচমব দানা এরপর উত্বা বলল, তুমি সঠিক বচলছ ৷ এখন
আমরা যে উদ্দেশ্যে এসেছি তা শুরু কর ৷ এই নারীদের বিষয়ে তৌমার্নমত ব্যক্ত কর ৷ সে
তাদেরকে তার পিছনে বসাল এবং তার অজ্ঞার্তসারে হিবদও তাদের সাথে ছিল ৷ এরপর সে
তাদের একেক জনের নিকটবর্তী হতে লাগল এবং তার কাধে আঘাত করে তার সভীচতৃব
সাক্ষ্য দিয়ে বলতে লাগল, তুমি উচঠ-যাও ৷ অবশেষে সের্দুহিনদের নিকটবর্তী হয়ে তার কীচধ
আঘাত করে বলল, উঠে যাও, তুমি তো সতী ও চরিত্রবতীণ্া ভোমার গর্ভে এক বাদশাহ্ জন্ম
হবে ইাব নাম মুআঘিয়া তখন ফর্কীহ ব্া৷প দিয়ে গিয়ে তার হাত ধ্রল ৷ কিন্তু হিন্দ তার
থেকে হাতন্ সজোচর ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, তুমি আমার থােক দুর হও ৷ আল্লাহর কসমা
তোমার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আমি সর্বান্তকরণে কামনাপ্ করি
এই বাদশাহ অন্য কারও ঔরসজাত হবে ৷ এরপর তাকে মুআৰিয়া ইবন আবু সুফিযান বিবাহ ,
করেন এবং তার ঔরচস হিন্দ এই মুআবিয়ার জন্ম দেনা এক বর্ণনা মতে, হিন্দ এর পিতা
উত্বা ফকীহকে এ কহুাাবচলছিল ৷ আল্লাহ; অধিক জানেন ৷

হযরত মুআবিয়ার জীবন চরিত এবং তার শাসনকালের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

তার বং শানুত্রঔমিক পুর্ণ পরিচয় হল মুর্বৃআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান সখর ইবন হাবব ইবন
উমায়্যা ইবন আবদ শ্া৷ম্স ইবন আবৃদ মাসাফ ইবন কুসাই আল কুরায়শী আল আমাবী ৷ তার,
উপনাম আবু আব্দুর রহমান ৷ তিনি মুমিনগচণর মাতৃল এবং রাসুলের ওহী লেখক ৷ তার মা
হিন্দ বিনতে উত্বা ইবন রাবীআ ইবন অাবদ শামস ৷ হযরত মু আবিয়া (রা) পবিত্র মক্কা
বিজয়ের বছর ইন্াম ’ গ্রহণ করেন৷ তার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, আমি
ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ কিন্তু আমি আমার পি৩ার নিকট তা গোপন রেখেছিলাম ৷৩ তারপর তিনি
বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে বলেন এই চদখ, চ৩ামার ভাই ইয়াযীদ আর সে তো তোমার


[تَرْجَمَةُ مُعَاوِيَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - وَذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَيَّامِهِ وَدَوْلَتِهِ] [تَرْجَمَةُ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَيَّامِهِ، وَدَوْلَتِهِ، وَمَا وَرَدَ فِي مَنَاقِبِهِ وَفَضَائِلِهِ هُوَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، خَالُ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَاتِبُ وَحْيِ رَسُولِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. وَأُمُّهُ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ. أَسْلَمَ مُعَاوِيَةُ عَامَ الْفَتْحِ، وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: أَسْلَمْتُ يَوْمَ الْقَضِيَّةِ، وَلَكِنْ كَتَمْتُ إِسْلَامِي مِنْ أَبِي، ثُمَّ عَلِمَ بِذَلِكَ فَقَالَ لِي: هَذَا أَخُوكَ يَزِيدُ، وَهُوَ خَيْرٌ مِنْكَ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ. فَقُلْتُ لَهُ: لَمْ آلُ نَفْسِي جُهْدًا. قَالَ مُعَاوِيَةُ: وَلَقَدْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ وَإِنِّي لَمُصَدِّقٌ بِهِ، ثُمَّ لَمَّا دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ أَظْهَرْتُ إِسْلَامِي، فَجِئْتُهُ فَرَحَّبَ بِي، وَكَتَبْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَشَهِدَ مَعَهُ حُنَيْنًا، وَأَعْطَاهُ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَأَرْبَعِينَ أُوقِيَّةً مِنْ ذَهَبٍ، وَزَنَهَا لَهُ بِلَالٌ. وَشَهِدَ الْيَمَامَةَ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي قَتَلَ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابَ، حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَدْ يَكُونُ لَهُ شِرْكٌ فِي قَتْلِهِ، وَإِنَّمَا الَّذِي طَعَنَهُ وَحْشِيٌّ، وَجَلَّلَهُ أَبُو دُجَانَةَ سِمَاكُ بْنُ خَرَشَةَ بِالسَّيْفِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৩


চেয়ে উরুণ্প্রুন্স্া অথচ (স তার নিজ সষ্প্ৰদা৷ন্য়র ধর্মানৃসারী৷ তখন আমি তাকে বললাম, আমি
তা৷নার মনকে মানা৷ত ৷চষ্টার ত্রুটি করি নি ৷ ন্
মুআৰিয়৷ বালন উমরাতুলকাযার সময় যখন পবিত্র মক্কায় আমার সাথে রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
তা৷লান্থহি ন্য়া সা ল্লামর সাক্ষাৎ হয় তখন আমি তার প্রতি বিবুম্বাসী ৷ এরপর যখন পবিত্র মক্কা
বিা->া৷রর বছর তিনি পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করলেন তখন আমি তার কাছে এসে আমার ইসলাম
প্রকা৷ করদ্ভা৷ম ৷ এ সময়ে তিনি আমাকে স্বাগত জানালেন ৷ আমি তার সামান ওহীন্ লিখেছি৷
ওয়াকিদী বালন তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হনাইনের যুাদ্ধ
ৎশগ্নহণ করেন এবং তিনি তাকে এসময় একমত উট এবং চল্লিশ উকিয়৷ স্বর্ণ প্রদান করেন, যা
ওজন করেন হযরত বিলাল (বা) এবং তিনি ইয়ামাম৷ অভিযানে শবীক হন ৷ কোন কোন
ঐতিহাসিক দাবী করেন তিনিই মুসাইলামাকে হত্যা করেন ৷ ইবন আসাকির তা বর্ণনা করেন ৷
হতে পারে তার হত্যায় মু আবিয়ার আংশিক ভুমিকা ছিল ৷ তবে তাকে বর্শাঘাত করেছিল ওয়াহশী
আর আবৃ দৃ ’জানাহ সাম্মাক ইবন খারশাহ তরবারি নিায় তার উপর চড়াও হয়েছিলেন ৷
হযরত যুআবিয়ার ৷প৩ ৷ আবু সুফিয়ান ছিলেন কুরাইশের অন্যতম প্রধান নেতা ৷ বদর
, যুদ্ধের পর তিাণ্৷ একচ্ছত্র নেতৃতুাধিকারী হন ৷ এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং পরব৩ ত
একজন যুসলমা৷ন পারণত হন ৷ ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন এবং তার পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে
তার অনেক সম্মানজনক অবস্থান এবং ৎসনীয় কীর্তি ছিল ৷ আর মু আৰিয়ু৷ (রা) রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করে তার সামনে অন্যান্য ক৷ ৷তিবগণের সাথে
ওহী লিখেছেন এবং তার থেকে বহু হাদীস রিওয়ায়েত করেছেন যা বুখারী, মুসলিম এবং
অন্যান্য সুনাম ও যুসনাদ গ্রন্থে বিদ্যমান রয়েছে ৷ এছাড়া উল্লেখযোগ্য সং খ্যক সাহাবী ও
তাবেয়ী তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আবু বকর ইবন আবৃদ দুনয়৷ বলেন, মুআবিয়া
লম্বা; ফর্স৷ ও সুন্দর, হ্াসার সময় তার উপরের ঠেটি উন্টে যেত ৩আর তিনি থেযাব ব্যবহার
করতেন ৷ আমাকে মুহাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ আযদী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
আবু মুসহির বর্ণনা করেছেন, তিনি সায়ীদ ইবন আবদুল আযীয থেকে তিনি আৰু আবৃদ রাব্ব
থেকে তিনি বলেন, আমি মু আবিয়া৷ক দেখেছি তার দাড়ি সোনালী রঙে রঞ্জিত করে রাখাতন
যেন তা স্বর্ণ ৷ অন্যরা বলেন তিনি ছিলেন লম্বা ও ফর্সা ৷৩ তার মাথায় দু’ পাশের চুল ঝার টাক
পড়ে ছিল ৷ তার মাথার (অবশিষ্ট) চুল এবং দাড়ি ছিল সাদা, তাতে তিনি মেহেদী ইত্যাদির
থেয়াব লাগাতেন ৷ শেষ বয়সে তিনি তার মুখমণ্ডাল শ্বেত আক্রান্ত হন ৷ তাই তিনি তার
মুখমওল আবৃত করে রাখাতন এবং বলতেন, ঐ বান্দাক আল্লাহ রহম করুন, যে আমার
আারাগ্যের জন্য দুঅ৷ করেছে ৷ আমি আমার শরীরে সুন্দরতম ও প্রকাশ অংশে আক্রান্ত
হায়ছি ৷ ইয়াযীাদর ব্যাপারে আমি যদি প্ৰবৃত্তির অনুসরণ ন৷ করতাম, তাহলেই আমি ঠিক
করতাম ৷ তিনি ছিলেন ৰিচক্ষণ, সহনশীল, ভাবগস্তীর, মহানুভব ন্যায়পরায়ণ বীরবিক্রম এবং
(লোকজনের মা৷ঝ ) নেতৃস্থানীয় ৷ ন্
সালিহ ইবন কায়সান থেকে মাদায়িনী বলেন, দুরদর্শী কোন আরব শৈশবে মুআবিয়া (বা )
কে দেখে মন্তব্য করেছিল, আমার মনে হয় এই বালক তার গোত্রের নেতৃত্ব দিয়ে ৷ এ কথা
শুনে তার মা হিনদ বলল, যে যদি শুধু তার গোত্রের ৷নতৃতু দেয় তাহলে যেন সে না বা৷চ ৷
শাফয়ী বলেন, আবু হুরায়র৷ (রা) বর্ণনা করেছেন, হিনদকে আমি পবিত্র মক্কায় দেখেছি ৷ তার
চেহারা যেন চীদের টুকরা আর নি৩ স্ব অতি বিশাল ৷৩ তার সাথে ছিল ক্রীড়ারত এক শিশু ৷


وَكَانَ أَبُوهُ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَتَفَرَّدَ فِيهِمْ بِالسُّؤْدَدِ بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ، ثُمَّ لَمَّا أَسْلَمَ حَسُنَ بَعْدَ ذَلِكَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ لَهُ مَوَاقِفُ شَرِيفَةٌ، وَآثَارٌ مَحْمُودَةٌ فِي يَوْمِ الْيَرْمُوكِ وَمَا قَبْلَهُ وَمَا بَعْدَهُ. وَصَحِبَ مُعَاوِيَةُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَتَبَ الْوَحْيَ بَيْنَ يَدَيْهِ مَعَ الْكُتَّابِ، وَرَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَغَيْرَهُمَا مِنَ " السُّنَنِ " وَ " الْمَسَانِيدِ "، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعَينِ. قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: كَانَ مُعَاوِيَةُ طَوِيلًا أَبْيَضَ جَمِيلًا، إِذَا ضَحِكَ انْقَلَبَتْ شَفَتُهُ الْعُلْيَا، وَكَانَ يُخَضِّبُ. حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْأَدَمِيُّ، ثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ رَبٍّ قَالَ: رَأَيْتُ مُعَاوِيَةَ يُصَفِّرُ لِحْيَتَهُ كَأَنَّهَا الذَّهَبُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ أَبْيَضَ طَوِيلًا، أَجْلَحَ أَبْيَضَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، يُخَضِّبُهُمَا بِالْحِنَّاءِ وَالْكَتَمِ، وَقَدْ أَصَابَتْهُ لَقْوَةٌ فِي آخِرِ عُمْرِهِ، فَكَانَ يَسْتُرُ وَجْهَهُ، وَيَقُولُ: رَحِمَ اللَّهُ عَبْدًا دَعَا لِي بِالْعَافِيَةِ، فَقَدْ رُمِيتُ فِي أَحْسَنِي وَمَا يَبْدُو مِنِّي، وَلَوْلَا هَوَايَ فِي يَزِيدَ لَأَبْصَرْتُ رُشْدِي. وَكَانَ حَلِيمًا وَقُورًا رَئِيسًا سَيِّدًا فِي النَّاسِ، كَرِيمًا عَادِلًا شَهْمًا.
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৪


এমন এক
?; ; দু এ তার হ্রংত্রের ?নতৃতু দান করে তহ?,ল আল্লাহ তার মৃত্যু দান করুন ৷ আর সে হল
আলী হবৃন যুহম্মাদ
ইর্চুবৃন অবৃদৃত্বহ ইব ন তবদৃহুগৃহ্ ইবন আবু ইউসুফ অবহিত করে বলেছেন, বালক অবস্থায়
একরর আর সুর্টহণ্হন ব) মৃ আবিহর দিকে ৩কিয়ে তার শ্রী হিন্ ণ্ ৰুদকে বললেন, আমার এই
?হ?ট্রুল ৰিা মাথার আধকার-, সে তার গোত্রের নেতৃত্বের উপযুক্ত তখন হিন্দ বলেন শুধু
৩র ;পএ ! যদি সে গোটা নর?বর নেতৃত্ব দিতে ন পারে তাহলে যেন আমি তার সন্তানহার

নমর এই সন্তান সম্রন্তে ণ্ন্ ৩র্ভিজাত স্বজনদের প্রিরপাত্র এবং বিচক্ষণ সহ্নশীহ্ব

স অশ্রীলভঘী প্কিংব ইতর নয় , নয় যে অধৈর্য, নয় অস্থিরচিক্তবিরক্ত,





বর্ণনকরী ব?লন, এরপর যখন উমর (রা) ইয়ষীদ ইবন আবু সুফিয়নকে শামের প্রশাসক
ন্ন্;ন্ণ্ কর?,লন তখন মুআৰির তার কাছে আসলেন, এসময় আবু সুফিরন হিনৃদকে বলেন,
?দখ কেমনভা?ব তোমার ?ছলে আমার ছেলের অধীন হয়েছে ৷ , তখন সে বলল, যদি আরবদের
ম?র ৰিশু?ণ্ণ্ন্হ দেখা দেয়, তন্খন আপনি জানতে প্হৃবেন্, আমার ছেলের তুলনায় আপনার
ছোল কোন অবস্থানে থাভ্রুক এরপর যখন ইয়যীদ ইবন আবু সুফইয়নের মভ্যু হল এবং
সেব দুত উমর (র)এর কাছে তার মৃত্যু সংবাদ নিয়ে আসল তখন তিনি দুতকে ই নযীদের
স্কু?ল তার ভহ্ ঘুঅ্যাবয়?ক শামে র প্রশাসক নিহ্ন্ণ্ ন্হু ফয়মান দিয়ে শমে ফেরত পঠলেন
এরপর নবৃ সুফয়নকে তার ছেলে ইয়াহ?দর মৃত্যুতে ন্ন্তুন্ প্রদান করলেন তখন ৩ন্রু
ণ্নবৃ ঝুফহ র?ষ্ নমারুল মৃমনীন ! তার স্থলে আপনি কাকে নিয়েণ্ করেছেন? তিনি
আপনি
এ ত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেছেন হিনদ তার ? হ?ল যু নবিয়র কাছে প্রেরিত পত্রে লেখেন,
বাহু ! নল্লহ্র শ্ পথ ! খুব কম সম্রাস্ত অভিজাত নরাই তোমার মত সন্তানের জন দেয় আর
এ বক্ত যেহেত এই (শাসন) বিষয়ে ৫মকে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তাই তুমি ন্মর প্রিয়
নপ্রিয় সকল ৰিয?হ তার আনুগত্য করো আর৩ র পিতা তাকে বলেছিলেন, বৎস ! এই
গৃহজর গোষ্ঠী আমাদের (ঙ্গমন-হপ০মে ) আমাদের অগ্রবর্তী আর আমরা প্-চুত্বর্তী তাদের
অগ্রবর্তীতা তাদেরকে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের কাছে উচ্চ মর্যাদার উগ্নবর্তী করেছে ৷ আর
আমাদের ৰি৫ম্ব আমাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে ৷৩ তই তার হয়েছেন নেতৃত্ব ও কর্ততাধিকারী
নমর তাদের ননুগামী লুসার্বী তার তোমাকে ৩দের এক গুরুতৃপুর্ণবিযয়ের দায়িত্ব অর্পণ
ক?র?ছন কাজেই তাদের বিরোধিতা করে ন তমি এক নির্ধারিত, লক্ষ্যপনে ধবমান
এতিদ্বব্দী৩ ন্র সম্মুখীন হদি তুমি সেই লক্ষে উপনীত হতে পার, তাহলে তোমার অধস্তনকে
তার উত্তরসুরী করতে পারবে এরপর দেখ যায়, মৃঅবিয়া (র) হযরত উমর ও উসমান
’ ( ব এর পুর্ণ খিলাফতকাল শমের প্রশাসক ছিলেন


وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ: رَأَى بَعْضُ مُتَفَرِّسِي الْعَرَبِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ صَبِيٌّ صَغِيرٌ، فَقَالَ: إِنِّي لَأَظُنُّ هَذَا الْغُلَامَ سَيَسُودُ قَوْمَهُ. فَقَالَتْ هِنْدُ: ثَكِلْتُهُ إِنْ كَانَ لَا يَسُودُ إِلَّا قَوْمَهُ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: رَأَيْتُ هِنْدَ بِمَكَّةَ كَأَنَّ وَجْهَهَا فِلْقَةُ قَمَرٍ، وَخَلْفَهَا مِنْ عَجِيزَتِهَا مِثْلُ الرَّجُلِ الْجَالِسِ، وَمَعَهَا صَبِيٌّ يَلْعَبُ، فَمَرَّ رَجُلٌ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ: إِنِّي لَأَرَى غُلَامًا إِنْ عَاشَ لَيَسُودَنَّ قَوْمَهُ. فَقَالَتْ هِنْدُ: إِنْ لَمْ يَسُدْ إِلَّا قَوْمَهُ فَأَمَاتَهُ اللَّهُ. وَهُوَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ قَالَ: نَظَرَ أَبُو سُفْيَانَ يَوْمًا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَهُوَ غُلَامٌ، فَقَالَ لِهِنْدَ: إِنَّ ابَنِي هَذَا لَعَظِيمُ الرَّأْسِ، وَإِنَّهُ لَخَلِيقٌ أَنْ يَسُودَ قَوْمَهُ. فَقَالَتْ هِنْدُ: قَوْمَهُ فَقَطْ؟ ! ثَكِلْتُهُ إِنْ لَمْ يَسُدِ الْعَرَبَ قَاطِبَةً. وَكَانَتْ هِنْدُ تَحْمِلُهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَتَقُولُ: إِنَّ بُنَيَّ مُعْرِقٌ كَرِيمُ ... مُحَبَّبٌ فِي أَهْلِهِ حَلِيمُ لَيْسَ بِفَحَّاشٍ وَلَا لَئِيمُ ... وَلَا بِطُخْرُورٍ وَلَا سَئُومُ صَخْرُ بَنِي فَهْرٍ بِهِ زَعِيمُ ... لَا يُخْلِفُ الظَّنَّ وَلَا يَخِيمُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৫
قَالَ: فَلَمَّا وَلَّى عُمَرُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ مَا وَلَّاهُ مِنَ الشَّامِ، خَرَجَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ لِهِنْدَ: كَيْفَ رَأَيْتِ صَارَ ابْنُكِ تَابِعًا لِابْنِي؟ فَقَالَتْ: إِنِ اضْطَرَبَ حَبْلُ الْعَرَبِ فَسَتَعْلَمُ أَيْنَ يَقَعُ ابْنُكَ مِمَّا يَكُونُ فِيهِ ابْنِي. فَلَمَّا مَاتَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَنَةَ بِضْعَ عَشْرَةَ، وَجَاءَ الْبَرِيدُ إِلَى عُمَرَ بِمَوْتِهِ، رَدَّ عُمَرُ الْبَرِيدَ إِلَى الشَّامِ بِوِلَايَةِ مُعَاوِيَةَ مَكَانَ أَخِيهِ يَزِيدَ، ثُمَّ عَزَّى أَبَا سُفْيَانَ فِي ابْنِهِ يَزِيدَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَنْ وَلَّيْتَ مَكَانَهُ؟ قَالَ: أَخَاهُ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: وَصَلَتْكَ رَحِمٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَقَالَتْ هِنْدُ لِمُعَاوِيَةَ فِيمَا كَتَبَتْ بِهِ إِلَيْهِ: وَاللَّهِ يَا بُنَيَّ، إِنَّهُ قَلَّ أَنْ تَلِدَ حُرَّةٌ مِثْلَكَ، وَإِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدِ اسْتَنْهَضَكَ فِي هَذَا الْأَمْرِ، فَاعْمَلْ بِطَاعَتِهِ فِيمَا أَحْبَبْتَ وَكَرِهْتَ. وَقَالَ لَهُ أَبُوهُ: يَا بُنَيَّ، إِنَّ هَؤُلَاءِ الرَّهْطَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ سَبَقُونَا وَتَأَخَّرْنَا، فَرَفَعَهُمْ سَبْقُهُمْ، وَقَصَّرَ بِنَا تَأَخُّرُنَا، فَصَارُوا قَادَةً، وَصِرْنَا أَتْبَاعًا، وَقَدْ وَلَّوْكَ جَسِيمًا مِنْ أُمُورِهِمْ فَلَا تُخَالِفْهُمْ، فَإِنَّكَ تَجْرِي إِلَى أَمَدٍ فَنَافِسْ فِيهِ، فَإِنْ بَلَغْتَهُ أَوْرَثَتْهُ عَقِبَكَ. فَلَمْ يَزَلْ مُعَاوِيَةُ نَائِبًا عَلَى الشَّامِ فِي الدَّوْلَةِ الْعُمَرِيَّةِ وَالْعُثْمَانِيَّةِ مُدَّةَ خِلَافَةِ عُثْمَانَ، وَافْتَتَحَ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ جَزِيرَةَ قُبْرُسَ، وَسَكَنَهَا الْمُسْلِمُونَ قَرِيبًا
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৬


২৭ )হন্ন্ত্র)ই) সনে (রর্তম)ন প্রীসের) সাইপ্রাস দ্বীপ জয় করেন ৷ তার আমলে এবং তার পরে
ঘুসংাম)নণ্)ণ্া সেখানে প্রায় ষাট বছর (স্বাধীনভাবে) বসবাস করেছে ) তার ন্ণ্))সনবগ)ল জিহাদ
৪ বিজ সমহ অপ্ৰতি ৩ধ্ব্লুত গতিতে অব্যাহৰ্ন্ ছিল ৷ এরপর যখন হযরত আলী (রা) পর সাথে
জার )ব)র)ধ )দখ)ন্ )দল (এবং যুসলমানণ্াণ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়৫া) সে সময় আর কোন
বি জয়ই সং ঘটিত হয় নি ৷ না তার ধ্হ্)তে ন) হযরত আলী (রা) এর হাতে ৷ এ)দকে এই
সুযোগে রোম সম্রাট হযরত মুআবিয়াকে শায়েস্তা করার ফান্দ তা)টল ৷ ইতিপুর্বে সুআৰিয়)
(রা) তাকে তার সেনাবাহিনীকে পর্বুদস্ত ও বিতাড়িত করে তাকে ভীত ও অপদস্ত করে
ছেড়েছিলেন ৷ তাই সে যখন মুআবিয়) (রা)কে হযরত আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত
(দখল তখন সে মুআবিয়) (রা) কে পরা )জিত করার অভিল)ষে বিশাল বাহিনী নিয়ে সীমান্তের
নিকট পৌছে পেল ৷ তখন মুআবিয়া (রা)৩ তাকে লিখে পাঠালেন অ )ল্লাহ্র শপথ হে অভিশপ্ত)
যদি তুমি ক্ষ)ন্ত না হও এবং তোমার দেশে ফিরে ন) যাও তাহলে অবশ্যই আমি এবং আমার
চাচাত ভাই (আলী) তোমার বিরুদ্ধে সন্ধি করব এবং তোমাকে তোমার দেশ ছাড়) করব,
প্রশস্ত দুনিয়াকে তোমার জন্য সংকীর্ণ করে ফেলব ৷ তখন যে ম সম্রটি সস্কিত ৩হয়ে বিরত হল
এবং সন্ধি প্রার্থনা করে দুত প্রেরং) করল )

এরপর তাহর্কীম বিষয়ে ষ) স ঘটিত হয়েছিল তাতে) হয়েছিলই ৷ তদ্রাপ তারপর থেকে
হযরত হাসান ইবন আলীর সাথে আর সন্ধিক)ল পর্যন্ত য) কিছু সষ্ ঘটিত হয়েছিল তা ইতিপুর্বে
বিগত ৩হয়ে)ছ ৷ এরপর যু আবিয়া (রা) এর শাসন কর্তৃত্নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল এবং
প্রজ) সাধারণ একচল্লিশ হিজরী সনে তার হাতে বইিআ)৩ র ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছল ৷
যেমনটি ইতিপুর্বে উল্লেখিত হয়েছে ৷ এরপর থেকে এই বছরে তার মৃ৩ ত্যুকাল পর্যন্ত এই
দীর্ঘসময় তিনি একচ্ছত্র শাসন কর্তৃ) তুর, অধিকারী (শাসক) ছিলেন ৷ (তিনি যখন যার) যান)
তখন ন্াত্রু€ দেশসমৃ)হ জিহাদ অব))হত ছিল আল্লাহর কালেমা বৃলন্দ ছিল এবং পৃথিবীর বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে তার কাছে গনামতসমৃহ আসত ৷ মুসলমানের) তার থেকে স্বস্তি, ন))য়পর)য়ণতা
ক্ষমাও ম)র্জনা লাভ করত

ইকবিমা ইবন আম্মারের সুত্রে মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, তিনি রংনাি করেছেন আবু
যুম)ইল, সাম্মাক ইবন ওয়ালীদ থেকে তিনি, ইবন আব্বাস (রা) থেকে তিনি বলেন, (একবার)
আবু সুফিয়ান (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলেন হয়) রাসুল)ল্লাহ্! আমাকে তিনটি বিষয় দান
করুন ৷ তিনি (নবী (না)) বলেন, হ) ) ঠিক আছে (দান করব) ৷ আবু হু) করার (বা) বললেন
যুদ্ধের সময় অর্চামা)ক সেনাপতি নিয়োগ করবেন, যাতে আ)ম নুসণ্ ৷ এ) )দের বির দ্ধে যেরুপ
লড়াই করত)ম ক))ই)ণ্রদের বিরুদ্ধেও তদ্বুস্প লড়াই করতে পারি ) তিনি বললেন, ঠিক আছে ৷
এরপর আবু সুফিয়)ন বলেনঃ, ঘুআবিয়)কে আ নার ওহী লিখন: রজ্যোবেন ৷ তিনি (নবী সা)
বল)ণ্ ন ঠিক৩ আছে ৷ এরপর তিনি তৃডী র বিষয়টি উল্লেখ কর)লন আর তা হল-তিনি
)চ)ৰু)ান্থ)লনঃ রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আল)হদ্ধি ওয়) সাল্লা)মর স)) ) তার অপর কন)৷ আঘৃযা
)রন)ত দ্র))বু সৃফইৰু))ঘের )বর)হ দিতে ৷ এ ব))পারে তিনি তার বোন উম্মে হার্বীব)র সাহায্য
গ্রহণ কন্রঞ্ছিচুদ্রু)ন ৷ তখন নবী (সা) তী)ক বল)ষ্ন্ান, তা আমার জন্য হ)লাল হবে ন) ৷১ এ





ট,

ৰুলম ))হত্বর))হ্) কিরন্মের হণ্ণ্য়ীৰুহুৰু) তাঃা৷ঙ্গো ৪০ নং পরি))>;দ ১ ৰু৮ ;াহু হাদীস , মুসলিম শ্রীন্ ন্-;-
ন্ন্ ৰু’ট্ষ্ব্লুন্ধ্ন্ন্)ন্; ৩)মাের ন্)ৰু’হু ন্ণ্)দ্র কৃ’ন্;ণ্ ম্বু (বুষ্টুঠু সুন্দরী ন)বন্ন্ ট্রু?ম্ম ব)বা ৰি )( ব্র আবু চাফইয়ান্ ) র)য়ছে




مِنْ سِتِّينَ سَنَةً فِي أَيَّامِهِ وَمِنْ بَعْدِهِ، وَلَمْ تَزَلِ الْفُتُوحَاتُ وَالْجِهَادُ قَائِمًا عَلَى سَاقِهِ فِي أَيَّامِهِ فِي بِلَادِ الرُّومِ وَالْفِرِنْجِ وَغَيْرِهَا، فَلَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ وَأَمْرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٍّ مَا كَانَ، لَمْ يَقَعْ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ فَتْحٌ بِالْكُلِّيَّةِ، لَا عَلَى يَدَيْهِ وَلَا عَلَى يَدَيْ عَلِيٍّ، وَطَمِعَ فِي مُعَاوِيَةَ مَلِكُ الرُّومِ بَعْدَ أَنْ كَانَ قَدْ أَخْسَأَهُ وَأَذَلَّهُ، وَقَهَرَ جُنْدَهُ وَدَحَاهُمْ، فَلَمَّا رَأَى مَلِكُ الرُّومِ اشْتِغَالَ مُعَاوِيَةَ بِحَرْبِ عَلِيٍّ تَدَانَى إِلَى بَعْضِ الْبِلَادِ فِي جُنُودٍ عَظِيمَةٍ، وَطَمِعَ فِيهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ: وَاللَّهِ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ وَتَرْجِعْ إِلَى بِلَادِكَ يَا لَعِينُ لَأَصْطَلِحَنَّ أَنَا وَابْنُ عَمِّي عَلَيْكَ وَلَأُخْرِجَنَّكَ مِنْ جَمِيعِ بِلَادِكَ، وَلَأُضَيِّقَنَّ عَلَيْكَ الْأَرْضَ بِمَا رَحُبَتْ. فَعِنْدَ ذَلِكَ خَافَ مَلِكُ الرُّومِ وَانْكَفَّ، وَبَعَثَ يَطْلُبُ الْهُدْنَةَ. ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمْرِ التَّحْكِيمِ مَا كَانَ، وَكَذَلِكَ مَا بَعْدَهُ إِلَى وَقْتِ اصْطِلَاحِهِ مَعَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ كَمَا تَقَدَّمَ، فَانْعَقَدَتِ الْكَلِمَةُ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَاجْتَمَعَتِ الرَّعَايَا عَلَى بَيْعَتِهِ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ كَمَا قَدَّمْنَا، فَلَمْ يَزَلْ مُسْتَقِلًّا بِالْأَمْرِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ الَّتِي كَانَتْ فِيهَا وَفَاتُهُ، وَالْجِهَادُ فِي بِلَادِ الْعَدُوِّ قَائِمٌ، وَكَلِمَةُ اللَّهِ عَالِيَةٌ، وَالْغَنَائِمُ تَرِدُ إِلَيْهِ مِنْ أَطْرَافِ الْأَرْضِ، وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ فِي رَاحَةٍ وَعَدْلٍ وَصَفْحٍ وَعَفْوٍ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ سِمَاكِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثَلَاثٌ أَعْطِنِيهِنَّ. قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: تُؤَمِّرُنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৭


ারযা,য় স্বতন্ত্র একখণ্ডে আলোচনা করেছি ৷ সেথ্যান আমরা ইমামদের (হাদীস বিশারদ )
া;ণ্ব্লে ; এবং ইৰুা৷ম ৷সপ্লিম ( র) এর পক্ষে তাদের ?কাকরত উল্লেখ করেছি ৷ আর সকল
প্রশ্াহুস৷ আবৃদ্া৷হর প্রাপ্য ৷ ৷র৩৷ এ হাদীস উল্লেখ দ্বারা ৩া৷মাদের উদ্দেশ্য একথা সাব্যস্ত করা যে
ম আবিহ্া৷ (বা ) নর (সান্এর অন্যতম ওহী লেখক ছিলেন ৷
স্পোণ্৷ এাহমদ ন্ ম ম মুসলিম এবং হ্যাকম তার মুসতাদরাক গ্রন্থে আর আ ওয়ান৷ আল
এ ৷ ন্,াণ্ৰুা৷হ ইবন ট্টা৷রদুল্লাহ য়াশকুরীর সুত্রে ত্যিন আবু হামযা ইমরান ইবন আবু অন্নে ৷;থকে
াডান ইবন তা৷বরায (না) থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি (ইবন ৩া৷ক৷ ৷স ) বালন, একবার অ্যাম
বালকাদর ন্া৷থে থেলছিলাম ৷ তখন হঠাৎ রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে
উপস্থিত হালন ৷ তখন আমি ভাবলাম নিশ্চয় তিনি আমার কাছে এসেছেন ৷ তখন আমি এক
দরও ন্ড়ার আড়াল আত্মাণাপন করলাম ৷ তিনি আমার কাছে এসে আমাকে একটি বা দু’টি মৃদু
ধাক্কা ড়াদলেনঃ ৷ তারপর বললেন, যাও, আমার কথা বলে ঘু আবিয়াকে ডেকে আন ৷ উল্লেখ্য
যে তিনি ওহী লিখক ছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, তখন আমি গিায় র্তীকে ডাকলাম ৷
তখন আ-া৷া,ক বলা হল, যে খড়াচ্ছে ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাছে এসে বললাম, সে খাচ্ছে ৷ এ কথা শুান৩ তিনি বললেন, আবার যাও, ৷কেত ডেকে আন ৷
আমি দ্বিতীয়বার তাকে ৰুছুাকতে আসলাম ৷ এবারও আমাকে বলা হল, যে খাচ্ছে ৷ তখন গিয়ে
তাকে অবহিত করলাম ৷ তৃতীযবার তিনি বলেন, আল্লাহ তীকে তৃপ্ত না করুন ৷
রাবী বলেন, এরপর আর কখনও তিনি তৃপ্ত হন নি ৷ মু আবিয়া (বা) এই দৃ আ দ্বারা দুনিয়া ও
আগ্রিারাতে উপকৃত হয়েছেন ৷ দুনিয়ার উপকার হল, তিনি যখন শামের গভর্নর হন তখন দিনে
সাতরার আহার গ্রহণ করতেন, প্রচুর পারমাণ গোশতপুর্ণ পাত্র পেয়াজসহ তার কাছে আনা হ৩
এবং তিনি তা (যথেষ্ট পাবমাণ ) থাে৩ ন ৷ দিনের মধ্যে সা৩ ন্বারই তিনি গোশৃত সহযোগে
খাক্রা ৷ এছাড়া প্রচুর পরিমাণ মিষ্ট্যন্ন দ্রব্য এবং ফলমুল খেতে পারতেন এবং বলতেন,
আল্লাহর কসম ৷ (এতে) আমি তৃপ্ত হই না, ক্লান্ত হয়ে পড়ি ৷ আর এটা এমন নিআমত
পাকস্থলী যার আকাগ্রা সকল রাজাবাদশাহ করে থাকে ৷ আর আখিরাতের উপকারের বিষয়টি
হল ইমাম মুসলিম এই হাদীসের পর আরেকটি হাদীস উল্লেখ করেছেন যা ইমাম বুখারী এবং
অনা৷ন্য মুহাদ্দিস একাধিক সাহারা থেকে একাধিক সুত্রে বংনি৷ ৷কারছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন হে আল্লাহ ! আমিও তা একজন মানুষ ৷ তাই
আপনার যে বান্দাকেই আমি কটু কথা বলেছি কিংবা আঘাত করেছি কিৎব৷ বদদুআ করেছি





আমি ৩ কে আপনার সাথে বিবাহ দিব ৷ এই হাদীসখানি সাদৃশ্যগত দিক থেকে হাদীসে মশহুর ৷ তার কারণ
ার কইয়ান (বা) ইসলাম গ্রহণ করেছেন পবিত্র মক্কা বিজয়ের দিন অষ্টম হিজরীতে, যে ব্যাপারে কোন দ্বিধা
বা মদ্রিণ্া৩ ণ্নই ৷ অথচ নবী ( ণ্া৷) উম্মে হাবীবা (বা) কে বিবাহ করেছেন তার বেশ পুর্বে তিনি তাকে ষষ্ঠ কিংবা
সপ্তম হি জরাকে বিবাহ করেছেন অবশ্য তার বিবাহের স্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে ইবন সা দ বলেন, হাবশায়
থাকা এবন্থায় নাজ্জ ৷শী তা৷ক নবা (সা) এর সাথে বিবাহ দেন এবং খালিদ বিন সায়ীদ বিন আস তাকে নবী
দ ) ণ্ার কাছে নিায আসেন ৷ আর অন্যরা বলেন হাবশ৷ থেকে পবিত্র মদীনায় আগমনের পর তার বিবাহ
হ্: ৰু ওাধিকাহুভৈার মত হল হাবশায় ৷ আর এখানে আমরা যা সাবাস্ত করলাম অথাৎ আবু সৃফইয়ান তার কন্যা
এ ৭ ৭ ৷ কে তার সাথে বিবাহ দিতে চেয়েছেন এটাই অ্যাধিকারাযাণ্য ৷
১ ,ত্ব ৷ম শ্ারীাহু:ন্ মৃদু বারৰু৷ দিালন তিনি আমার উভয় র্কাধের মধ্যন্থলে হাত প্রসারিত করে (মৃদু) আঘাত
রয়েছে ৷
া৷দে আহমাদ ১২৯১; ৩৩৫ ৷ মুসলিম শরীফ পরিচ্ছেদ নং ২৫ হাদীস নং ৯৬ পৃচ্ নং ২০১০





الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ. قَالَ: " نَعَمْ ". وَذَكَرَ الثَّالِثَةَ، وَهُوَ أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يُزَوِّجَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِابْنَتِهِ الْأُخْرَى عَزَّةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ. وَاسْتَعَانَ عَلَى ذَلِكَ بِأُخْتِهَا أُمِّ حَبِيبَةَ، فَقَالَ: " إِنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ لِي» " وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي جُزْءٍ مُفْرَدٍ، وَذَكَرْنَا أَقْوَالَ الْأَئِمَّةِ وَاعْتِذَارَهُمْ عَنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْمَقْصُودُ مِنْهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ مِنْ جُمْلَةِ الْكُتَّابِ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْوَحْيَ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَالْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَوَانَةَ الْوَضَّاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْيَشْكُرِيِّ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كُنْتُ أَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَاءَ فَقُلْتُ: مَا جَاءَ إِلَّا إِلَيَّ. فَاخْتَبَأْتُ عَلَى بَابٍ، فَجَاءَنِي فَحَطَأَنِي حَطْأَةً ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَادْعُ لِي مُعَاوِيَةَ ". وَكَانَ يَكْتُبُ الْوَحْيَ. قَالَ: فَذَهَبْتُ فَدَعَوْتُهُ لَهُ، فَقِيلَ: إِنَّهُ يَأْكُلُ. فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِنَّهُ يَأْكُلُ. فَقَالَ: " اذْهَبْ فَادْعُهُ ". فَأَتَيْتُهُ الثَّانِيَةَ فَقِيلَ: إِنَّهُ يَأْكُلُ. فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ فِي الثَّالِثَةِ: " لَا أَشْبَعَ اللَّهُ بَطْنَهُ ". قَالَ: فَمَا شَبِعَ بَعْدَهَا» .
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৮
وَقَدِ انْتَفَعَ مُعَاوِيَةُ بِهَذِهِ الدَّعْوَةِ فِي دُنْيَاهُ وَأُخْرَاهُ. أَمَّا فِي الدُّنْيَا فَإِنَّهُ لَمَّا صَارَ فِي الشَّامِ أَمِيرًا، كَانَ يَأْكُلُ فِي الْيَوْمِ سَبْعَ مَرَّاتٍ، يُجَاءُ بِقَصْعَةٍ فِيهَا لَحْمٌ كَثِيرٌ وَبَصَلٌ فَيَأْكُلُ مِنْهَا، وَيَأْكُلُ فِي الْيَوْمِ سَبْعَ أَكَلَاتٍ بِلَحْمٍ، وَمِنَ الْحَلْوَى وَالْفَاكِهَةِ شَيْئًا كَثِيرًا، وَيَقُولُ: وَاللَّهِ مَا أَشْبَعُ، وَإِنَّمَا أَعْيَى. وَهَذِهِ نِعْمَةٌ وَمَعِدَةٌ يَرْغَبُ فِيهَا كُلُّ الْمُلُوكِ. وَأَمَّا فِي الْآخِرَةِ فَقَدِ أَتْبَعَ مُسْلِمٌ هَذَا الْحَدِيثَ بِالْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ هُوَ وَالْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُمَا، مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، فَأَيُّمَا عَبْدٍ سَبَبْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ أَوْ دَعَوْتُ عَلَيْهِ، وَلَيْسَ لِذَلِكَ أَهْلًا، فَاجْعَلْ ذَلِكَ كَفَّارَةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ".» فَرَكَّبَ مُسْلِمٌ مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَهَذَا الْحَدِيثِ فَضِيلَةً لِمُعَاوِيَةَ، وَلَمْ يُورِدْ لَهُ غَيْرَ ذَلِكَ. وَقَالَ الْمُسَيَّبُ بْنُ وَاضِحٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمانَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتَى جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَقْرِئْ مُعَاوِيَةَ السَّلَامَ، وَاسْتَوْصِ بِهِ خَيْرًا ; فَإِنَّهُ أَمِينُ اللَّهِ عَلَى كِتَابِهِ وَوَحْيِهِ، وَنِعْمَ الْأَمِينُ.» ثُمَّ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمانَ، ثُمَّ أَوْرَدَهُ أَيْضًا مِنْ رِوَايَةِ عَلِيٍّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَشَارَ جِبْرِيلَ فِي اسْتِكْتَابِهِ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ: اسْتَكْتِبْهُ فَإِنَّهُ أَمِينٌ» . وَلَكِنْ فِي الْأَسَانِيدِ إِلَيْهِمَا غَرَابَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৭৯

আল-ৰিদায়া ন্ণ্£ণ্ন্ন্ান নিহায়া ২৩৩

-৩াথচ সে তার ট্টপ্াযুল্গুৰু নয় তার জন্য আপনি তাকে প্াপ্ামাচনকারী এবং কিয়াঢাতের দিন
৩া৭নার নৈক ট্যর মাধ্যম করন্ন ৷
প্রথম হাদীনখানির সাথে এই হাদীস উল্লেখ করে এ দৃ’য়ের সংাহাণ্া থেকে ইমাম মুসলিম
হবরত ঘুতাবিরার কযীলত সাব্যস্ত করেছেন ৷ এ ছাড়াও নার অনৃবুাল তিনি আর কোান হাদীস
উল্লেখ করেন নি ৷ মুসায়রুাব ইবন ওয়াযিহ বর্ণনা করেন ৩াবু ইসহাক ফাযারা থেকে, তিনি
তারদুল চ্ান্ানৰ্ণ্শু ইবন আবু সুলাইমান থেকে, তিনি আতা ইবন আবু রবাহ থেকে, তিনি ইবন
ন্৩াববান (রা) (থকে যে তিনি (ইবন আব্বাস) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাদ্ভু:া৷মার কাছ ( একবার) জিবরীল (আ) এসে বলেন হে মুহাম্মদ ! §éfifi?fi£?fi সালাম
শুপ্ান্ন্ত্তুা ৷;দবেন এবং তার সাথে উত্তম ৩াা>রণ করা<ান ৷ (কননা তিনি ৩াছুাহ্ৰুা কি৩া<া ও তার
ওইার বাপার আমানতদার (ৰিশ্বস্ত); আ তম আ^ানতদার ৷ ইবন আসাকির তা আবদুল
মাষ্াক ইবন আবু সুলইিমান থেকে ভিন্নসুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর তিনি পুনরায় তা হযরত
আলী ও জানির ইবন আবদুল্লাহ্র রেওয়ায়ত থেকে উল্লেখ করেছেন যে রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
প্তালাইা ন্য়া সাল্পামা মু আবিহ্া (রা) কে ওহীর কাতব বানান্ার ব্যাপারে জিবরীল (আ) এর
পরামশ চাইলেন তিনি বলেন আপনিণ্ তাকে কাতিব নিয়োগ করুন কেননা সে বিশ্বস্ত ৷ কিন্তু
হযরত আলী ও জাবিরের সুত্র সমুাহ অংংপষ্টতা রয়েছে ৷ এরার তিনি অন্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে
;হ্রা বিনায় হযরত আলী (রা) সম্পর্কেও বহু অদ্ভুত৬ আভ্রনব হাদীসের অবতারণা করেছেন ৷
আবু আ-ওয়ানা বর্ণনা করেন সুলাইমান থেকে, তিনি আমর ইবন মুররাহ থেকে, তিনি
আবদৃল্লাহ্ ইবন হারিছ থেকে , যুহ্াইর ইবন আকমার আঘৃ যুবাইদী থেকে তিনি আবদুল্লাহ্ ইবন
৩ামর ৷;থকে তিনি বলেন মুআবিয়া (রা) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার পক্ষে
৪হী দিাখা,তন ৷
আবুল কাসিম তিবরানী বলেন, আমাদেরকে আহমদ ইবন মুহাম্মাদ সাইদালানী বর্ণনা
করেন তিনি বালন, আমাদেরকে সাররী বর্ণনা করেন আসিম থেকে, তিনি বলেন আমাদেরকে
ডারদুলাহ ইবন ইয়াহইয়া ইবন আবু কাহীর তার পি৩া থেকে বর্ণনা করেন তিনি হিশাম ইবন
উরওা ৷;থকে তিনি আয়েশা (বা ) থেকে, তিনি বলেন্া, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উম্মে হাবীবার কাছে অবস্থানের দিনে কোন এক আগন্তুক দরজায় করাঘাত করল ৷
তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা দেখ কে এই আগভ্রক? তারা
বলেন ঘুআবিহ্বা ৷ তিনি বলেন, তাকে ভেতরে নিয়ে আস ৷ তিনি ভেতরে প্রবেশ করলেন আর
, এ সময় তার লেখার কলম তার কানের উপর রাখা ছিল ৷ এ দেশে নবী করীম (না) বলেন,
মুআবিয়া তােমার কানের উপর এই কলমের কী ব্যাপার? তিনি বলেন; এটা আল্লাহ্ ও তীর
রাসুা লের জন্য প্রন্তুতকৃত নিবেদিত কলম ৷ তখন নবী কবীম (সা) বলেন, তোমার নবীর পক্ষ
থেকে আল্লাহ্ তোমাকে সর্বোত্তম বিনিময় দান করুন ৷ আল্লাহর কসম’ ! আল্লাহ্র ওহীর দ্বারাই
আমি তামাকে কাতিব নির্ধারণ করেছি ৷ ক্ষুদ্র বৃহৎ কোন কর্মই আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী
বাতাত করি না ৷ বলতো দোখ আল্লাহ্ যদি তোমাকে খিলাফা৩ র পোশাক পরিধান করানা
(হযরত মুআবিয়ার বোন) উম্মে হাৰীবা (রা) গিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া





১ ইমাম মুসলিম ৩ানাএা নিন মালিকের সুত্রে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ পরিচ্ছেদ নং ২৫ হাদীস নং ৯৫ পৃণ্ড্র
২০০৯া

আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহ্যয়া-৩০

ثُمَّ أَوْرَدَ عَنْ عَلِيٍّ فِي ذَلِكَ غَرَائِبَ كَثِيرَةً، وَكَذَا عَنْ غَيْرِهِ أَيْضًا. وَقَالَ أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ الْأَقْمَرِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَكْتُبُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْدَلَانِيُّ، ثَنَا السَّرِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُمِّ حَبِيبَةَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَقَّ الْبَابَ دَاقٌّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " انْظُرُوا مَنْ هَذَا ". قَالُوا: مُعَاوِيَةُ. قَالَ: " ائْذَنُوا لَهُ ". فَدَخَلَ وَعَلَى أُذُنِهِ قَلَمٌ لَمْ يُخَطَّ بِهِ، فَقَالَ: " مَا هَذَا الْقَلَمُ عَلَى أُذُنِكَ يَا مُعَاوِيَةُ؟ " قَالَ: قَلَمٌ أَعْدَدْتُهُ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. فَقَالَ: " جَزَاكَ اللَّهُ عَنْ نَبِيِّكَ خَيْرًا، وَاللَّهِ مَا اسْتَكْتَبْتُكَ إِلَّا بِوَحْيٍ مِنَ اللَّهِ، وَمَا أَفْعَلُ مِنْ صَغِيرَةٍ وَلَا كَبِيرَةٍ إِلَّا بِوَحْيٍ مِنَ اللَّهِ، كَيْفَ بِكَ لَوْ قَمَّصَكَ اللَّهُ قَمِيصًا؟ ". يَعْنِي الْخِلَافَةَ. فَقَامَتْ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮০

ক পরিধান
কশৃথেলা সৃষ্টি হবে ৷ তিনি





ণ্ ৰু ন্ করক ণ্ এবং এর ধ্বংস ও ষ্টঔভ্র (থকে রক্ষা করুন এবং দুনয়াও
এককভাবে আসিম

রন ষ্ণ্ কর বহু জাল হদস উল্লেখ করেছেন আশ্চর্যের বিষয় হল তার
এহ র কন্ন্ শক্তি এবং নন্ন্তৃত তার ত সত্বেও এই সকল হদীসের অ্যাহণযোগ্যতা এবং
আল্লাহ্ই সঠিক বস্তুর


হ্বতিপুরু র ৩নরা হযরত আবু হুরয়র (না), আসলে এবং ওয়ছিল ইবন অসকর সুত্রে
হট্রুদীসে চারফুরুপে বর্ণনা করেছি আমানত রক্ষক তিনজন, জিবরীল, আমি এবং মুআবিয়া
এই €রওহৃরতাট সব সুত্র তনুযরী বিশুদ্ধ নয় আর ইবন আব্বাসের সুত্রে বর্ণনা করেছি
স-ৰুনত রকক ন্ব০,ম লাওহ (ফলক) ইসরাফীল, মীকাঈল, জবরীল, আমি ও যু অবিয়া
এই হদীসঢিপ্ পুর্বের ষ্র চেয়ে অধিক অ্যাহণযোণ্য এবং সনদ বিবেচনায় দুর্বলতর ৷

আমাদেরকে বর্ণনা করেন তিনি
থেকে, তিনি হ বিছ ইবন যিয়াদ
থেবে ;,ণ্ ত্ব্রবৃ বহন (থকে ঔন ইরবয ইবন সরিয়া অসসুলমী থেকে, তিনি বলেন,
আমাদেরকে সহরীর জন্য
এরপর তাকে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ!
গ্রা’ধ্খা কে কতাহ্ববর জ্ঞান দ ন করুন, হিশাব শিক্ষা দিন এবং জাহান্নমের আরবি থেকে
রন্:৷ হরন্ন হ্র্দুচাম তহ:প্নে একাই হদীসঢি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইবন জারীর মাহ্দীর
ণ্<ণ্ৰুকশ্ (ণ্ণ্কে তা বর্ণনা করোছন তদ্র্যপ আসাদ ইবন মুসা ও বিশর ইবন সারি এবং
আর ৷দুহুহ্ হুৰ্ন ন্াৰুাহ্ (০ কে তার সুত্রে নুরুপ বর্ণনা করেন৷ আর বিশর ইবন সারির
ণ্রগ্র( ই অং ও বদমােন এবং ওকে৩ জান্নতে প্রবেশ করলে ৷ আর ইবন আদী ও অন্যরা
ট্টণ্চন ইবৃণ আবদুর রহমান জুচহীর থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি আতা থেকে,৩ তিনি ইবন
আররস ( ক ) থােক তিনি বলেন ব রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে
আনার

চহ, ন্ দ ইবন সা দ বলেন, আমাদেরকে সুলইমানঃ ইবন হবৃব এবং আল হুসাইন ইবন
হৃ স আ; রর বণ্ করেন তারা দ জন বলেন আমাদেরকে আবু হলাল হৃহজ্যো দইরন
ইবন আতিয়্যা বর্ণনা করেন,
চসৃলামা ইবন মাথলদ থেকে আশহব বলেন, আবু (হলল বলেন অথবা এক ব্যক্তি সে
তাকে
ওট্-ংঙ্করভ্র ব্যক্তি ;হু(,ক বর্ণনা করেছে যে, সে যুআবর (টুরা)ন্কে খেতে দোখঃ ভমর ইবন








খ্স্





أُمُّ حَبِيبَةَ، فَجَلَسَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ وَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ اللَّهَ مُقَمِّصُهُ قَمِيصًا؟ ! قَالَ: " نَعَمْ، وَلَكِنْ فِيهِ هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ وَهَنَاتٌ ". فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَادْعُ اللَّهَ لَهُ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اهْدِهِ بِالْهُدَى، وَجَنِّبْهُ الرَّدَى، وَاغْفِرْ لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَالْأُولَى ".» قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ السَّرِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِشَامٍ. وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ شُعَيْبِ بْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ بَعْدَ هَذَا أَحَادِيثَ كَثِيرَةً مَوْضُوعَةً، وَالْعَجَبُ مِنْهُ مَعَ حِفْظِهِ وَاطِّلَاعِهِ كَيْفَ لَا يُنَبِّهُ عَلَيْهَا وَعَلَى نَكَارَتِهَا وَضَعْفِ رِجَالِهَا. وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ لِلصَّوَابِ. وَقَدْ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَوَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ مَرْفُوعًا: " «الْأُمَنَاءُ ثَلَاثَةٌ ; جِبْرِيلُ، وَأَنَا، وَمُعَاوِيَةُ» ". وَلَا يَصِحُّ مِنْ جَمِيعِ وُجُوهِهِ. وَمِنْ رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «الْأُمَنَاءُ سَبْعَةٌ ; الْقَلَمُ، وَاللَّوْحُ، وَإِسْرَافِيلُ، وَمِيكَائِيلُ، وَجِبْرِيلُ، وَأَنَا، وَمُعَاوِيَةُ» ". وَهَذَا أَنْكَرُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الَّتِي قَبْلَهُ، وَأَضْعَفُ إِسْنَادًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، يَعْنِي ابْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮১


লাই৷ ব৷া৷ল্লানকে বনা,৩ শুাণ্া৷ছ, হে ট্টাহুন্বাহ ৷ আপানি
র্তা(,বৰু ইব দ্র৷ শি ত্রদ্রু৷ ৷ন্ণ্,শ্৷ ৷দাশ ব: র্তুহু ৷ণ্ করুন এবং আমার €’কেব রক্ষা করুন ৷ একাধিক
াবষ্টু এ হাদীস ঘুরুন্;াল রুা,প বর্ণনা করেন ৷ এদের মধে৷ ঘুহছুা উর€হ্া৷ ইবন রুওয়াইম,
:-ন্াহৃৰু ৷ব ইবন দ্ভস্যান ৩া৷নবহ্সা, ই৬নস ইবন মাহ্াসার৷ ইবনন্ হ্ালবান অন্যতম ৷
াদ্রবরান৷ বলেন, ন্১া৷না;দরাবন্ত আবৃ বার আ এবং আহাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন্৷ ইয়াহ্ইয়া
ট্রু<াণ্৷ হাময ৷ ;দুাদ্ দা৷মশ্াক আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন তারা দুননে বলেন, আমাদেরকে
আবু মুনইির বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমাদেরকে সায়ীদ ইবন আবদুল তা৷যীম বর্ণনা
করেন বাবীআ ইবন ইয়াযীদ থেকে তিনি আব্দুর রহমান ইবন আবু৮ উমাইয়৷ আলযুমানী
থেকে আর তিনি নাহাব৷ ৷ছিলেন যে বা৷লুদ্বা৷হ্ সাল্লাল্লাহু তা৷লাইহি ওয়া সাল্লাম মুআবিয়া
(বা) সম্বন্ধে বাগুা৷ন্ালণ্৷ হে ৩া৷ল্লাহ ! আপনি তাকে কিতাবেরদ্ভঞ কান দান করুন, হিসাব ৷শক্ষা
দিন এবং আবার থোকব রক্ষা করুন ৷ ইবনআসাকির বলেন এ :৷ পরীব’ হাদাস ৷ এই ননদে
বর্ণিত সংরক্ষিত হাদীনখ্যানিঃ হল ইববায ৷ রা)-এর হাদীন যা পুর্বে ৷ন্া ত হানছে ৷ তারপর
তিববানীর সুত্রে আবুযাবআহ থেকে, তান আবৃ ৰ্বানা৷ ছুর ৷থকে, তিনি সায়াদ থেকে, তিনি
রাবীর্বৃতা৷হ থোহাৰু, তিনি আব্দুর রহমান ইবন আবু উনাইরাহ আল যুবানী ,ংথেকে, ভান বলেন,
তা৷নি বাহুালুর্দুা৷হ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুআবিয়রে (রা) উদ্দেশ্যে বলাংত শ্যু,নছি
হে আল্লাহ ৷ আপনি র্তা৷ক হিদায়ে দ্রকারী এবং হিদায়েতপ্রাপ্ত বানান এবং তার মাধ্যমে
(ণ্ানা৷,ক ) হিদা৷য়ত দান করুন ৷ ইন মআহমদ বালন তা৷মাদ্যোকে আলী ইবন বাহ্ব বর্ণনা
করেন, ৷ন্ডা:ন বালন অমোঃদবাক ওহ্া৷লাদ ইবন মুসলিম বর্ণনা করেন তিনি বাল্কষ্ান,
আমাদেরাক নাহ্া৷দ ইবন আবদুল আযায বদ্া ন৷ করেন তিনি রা বী আ ইবন ইখ্া৷যীদ থেকে,
তিনি আবদুর রহমান ইত্ান্৷ আর আপ্লীব৷ থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইাব্ল ৷ ওয়া সাৰুা৷ম
থেকে যে ন্ড্া৷ সুআাবহ্া৷র ( বা ) উল্লেখ করে বলেন, হে তা৷ল্লাহ ! ত১া৷পনি তাকে ৷হ ৷৷য়দতকাবা
এবং ৷<দা৷খ্াশুগ্রাপ্ত বানান এবং ন্ার দ্বারা অন্যকে হিদায়েত করুন ৷
এ ৩ান্র্ণ৷ ইমাম ৷ষ্ব৷ প্য৷ মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া থেকে তিনি মুসাইর থেকে, :ি; ৷নায়ীদ
ইবন চাত্ববদুল ৩া৷ইা৷হ৷ থেকে হাদাচাখা৷শ্ন্৷ বর্ণনা করেন এবং বলেন তা আসলে, গরীব ৷ উমর
ইবন আবদুল ওয়া৷হদ এব ৎমুহাম্মাদ ইবন সুলাইমান আল হাররানী তা বর্ণনা করেন ৷
যেমনভাবে ডয়ালাদ ইবন মু;ালিম্ এবং আবু ঘুসাইর ৩৷ সায়ীদ থেকে, তিনি রাবীতা৷ হ্রবৃন
ইয়াযীদ থেকে তিনি আব্দুর রহমান ইবন আবু উমাইরা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আর মুহাস্মাদ
ইবন মুসাফ্ফা তা বর্ণনা করেন মারওয়ান ইবন মুহাম্মাদ তাতারী থেকে, তিনি সায়ীদ ইবন
আবদুল আষায থেকে তিনি রার্বীআ হবৃন্ ৷ ইয়াযীদ থেকে, তিনি আবু ইদরীস থেকে, তিনি
আবৃ উমাইয়া থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআবিয়া (রা) এর জন্য
দুআ করে বলেন হে আল্লাহ ! আপনিণ্ তাকে জ্ঞান শিক্ষা দিন এবং তাকে হিদায়ে৩ কারী ও
০ি ছুদায়েতপ্রাপ্ত করুন ৷ তাকে হিদায়েত করুন এবং তার দ্বারা অন্যদেরকে হিদায়েত করুন ৷
সালামা ৷বনি শাবীব, নফ্ওকুয়ান ইবন সালিহ, ঈসা ইবন হিলাল এবং ৷বুল আযহার মারওয়ান
তড়াতারা থেকে তা বর্ণনা করেছেন৷ কিন্তু তারা আর সুত্রে আবু ইদরীসের কথা উল্লেখ করেন

ম্ভা৷া৷৷ ৷৩৷ ট্রু

হ্ ন্া৷হু৷ ৷র্দুা৷২





১ ম্বননাদে আ হ্নদ : ১১৬ ৩৬৫ তিরামষী শরাক ৫৬৮৭ হাদীস নৎ ৩৮৪২া


صَالِحٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ سَيْفٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي رُهْمٍ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ السُّلَمِيِّ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُونَا إِلَى السَّحُورِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ: " هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ ". ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ عَلِّمْ مُعَاوِيَةَ الْكِتَابَ وَالْحِسَابَ، وَقِهِ الْعَذَابَ ".» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَسَدُ بْنُ مُوسَى، وَبِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. وَفِي رِوَايَةِ بِشْرِ بْنِ السَّرِيِّ: «وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ ".» وَرَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ عَلِّمْ مُعَاوِيَةَ الْكِتَابَ وَالْحِسَابَ، وَقِهِ الْعَذَابَ ".» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا سُلَيْمانُ بْنُ حَرْبٍ وَالْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الْأَشْيَبُ قَالَا: ثَنَا أَبُو هِلَالٍ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمٍ، ثَنَا جَبَلَةُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮২
مَسْلَمَةَ بْنَ مُخَلَّدٍ، وَقَالَ الْأَشْيَبُ: قَالَ أَبُو هِلَالٍ: أَوْ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ مَسْلَمَةَ بْنِ مُخَلَّدٍ. وَقَالَ سُلَيْمانُ بْنُ حَرْبٍ: أَوْ حَدَّثَهُ مَسْلَمَةُ عَنْ رَجُلٍ، أَنَّهُ رَأَى مُعَاوِيَةَ يَأْكُلُ، فَقَالَ لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: إِنَّ ابْنَ عَمِّكَ هَذَا لَمِخْضَدٌ. قَالَ: أَمَا إِنِّي أَقُولُ لَكَ هَذَا، وَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْكِتَابَ، وَمَكِّنْ لَهُ فِي الْبِلَادِ، وَقِهِ الْعَذَابَ ".» وَقَدْ أَرْسَلَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، مِنْهُمُ ; الزُّهْرِيُّ وَعُرْوَةُ بْنُ رُوَيْمٍ وَحَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ الرَّحَبِيُّ الْحِمْصِيُّ، وَيُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا أَبُو زُرْعَةَ وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ الدِّمَشْقِيَّانِ قَالَا: ثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ الْمُزَنِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: «اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْكِتَابَ وَالْحِسَابَ، وَقِهِ الْعَذَابَ ".» قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا غَرِيبٌ، وَالْمَحْفُوظُ بِهَذَا الْإِسْنَادِ حَدِيثُ الْعِرْبَاضِ الَّذِي تَقَدَّمَ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الطَّبَرَانِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ الْمُزَنِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৩


নি ৷ আর তিবরানী তা বর্ণনা করেন আবদান ইবন আহমদ থেকে, তিনি আলী ইবন সাহ্ল
রমলী ’া,থকে তিনি ওয়ালীদ ইবন মুসলিম থেকে, তিনি হালবাস থেকে, তিনি আবদুল আযীয
থেকে তিনি ইউনুস ইবন মায়সারা ইবন হালবাস থেকে তিনি আবদুর রহমান ইবন আবু
উমাইর৷ আহুন্ান্ঘৃযানী ৷থকে যে তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা-ক মৃআৰিয়া
(রা)ন্ কথা উল্লেখ করে বলতে শুা,নছেন,াহ আল্লাহ্ ! আপনি ৩াকে হিদাহ্তে কাবী এবং
হিদা৷হ্ার্তপ্রাপ্ত করুন এবং তাকে হিদায়েত দান করুন ৷’ ইবন আস্যাকর বলেন জামাতের
নক্তব্যই সঠিক ৷ আর ইবন আসাকির এই হাদীনখান গুরুত্বের সাথ গ্রহণ করেছেন এবং তার
রা৷া,৷ার দীর্ঘ, উওন উপভে ৷গ্য, উৎকৃষ্টও উপকারী আলোচনা করেন এবং এর চমৎকার
বিাহুাবণ করোচ্ছন ৷ স্মাল্লাহ র্তাকে বহন করুন ৷ এমন কতকস্থানে অনা৷ন৷ হাদীস সং রক্ষকও
ন-া৷ালাচকাদর উপর তার গ্রেষ্ঠতু প্রকাশ পেয়েছে ৷

ইমাম তিরমিষী বলেন আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন ইরাহইয়৷ বর্ণনা করেন তিনি বলেন,

ানা৷দবকে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ নুফাইলী বর্ণন৷ ৷কাবন্ ণ্,৷ তিনি বলেন আমাদেরকে আমর
ইবন ওয়া৷কদ বণ্ল্লি করেন, তিনি ইউনুস ইবন হালবাস থেকে, তিনি আবু ইদরীস খাওলানী
(পক্ষে, তিনি বলেন, হযরত উমর (রা) যখন উমাইর ইবন সাদকে অপসারণ করে মুআবিয়া
(রা)-াক শামের গভর্নর নিাৰা৷গ করেন, তখন লোকেরা বলল উমর (রা) উমায়েরকে অপসারণ
করে যুআবিয়াকেনিায়াপ করেন ৷ উমর বলেন, তোমরা যুআবিয়৷ সম্পর্কে ভাল কথা ছাড়া
অনাকিছু বলো না ৷ কেননা; আমি রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি
হে আল্লাহ্ ! আপনি তার দ্বারা সােকদেরকে হিদায়েত করুন ৷ ১ ইমাম তিরমিষী একইি হাদীসটি
উলেখ করেছেন এবং তাকে গরীব বলেছেন ৷ আর এর রণবী আমর ইবন ওয়াকিদ যয়ীফ ৷’
উমায়ের ইবন সা দ আনসারীর মুসনাদে আসহাবে আতরাফ’ এ ভাবেই তা উল্লেখ করেন ৷ আর
আমার মতে এটা উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর রেওয়ায়েত থেকে হওয়া উচিত ৷ আর সঠিক
৷ উমর (রা) বালন,৷ তোমরা মুআবিয়া সম্পর্কে ভাল ছাড়৷ মন্দ কিছু বলো না ৷ যাতে ত
থেকে প্রশাসক ৷নায়াগ তার অর্জুহাত হয় ৷ আর এই মতকে যে বিষয়টি দৃঢ় করে তা হল যে
াহ্শ্া৷ম ইবন আম্মার বলেন, আমাদেরকে ইবন আবুসৃ সাইব আর তিনি হলেন, আবদুল আযীয
ইবন ওয়ালিদ হবন সুলাইমা ন বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আ ৷মি আমার ৷প৩ ৷কে উল্লেখ করতে
শুা,নছি যে, যখন উগ্র ইবন খাত্তাব মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ানকে শামের প্রশাসক নিয়োগ
করলেন তখন ল্যোকর৷ বলাবলি করল, তিনি এক অল্পবয়সীকে (প্রশাসক) নিয়োগ করেছেন ৷
তিনি বালন র্তাকে পভনর নিয়োগ করায় ণ্,তামরা আমার সমালাচন৷ করছ৷ অথচ আমি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাগ্কে বলতে শুনেছি হে আল্পাহ্ ! আপনি তাকে
হিদান্দ্বুযত্তর্কাঘী এবং হিদায়েতপ্রাপ্ত বানান ৷ তার দ্বারা (অন্যদেরকে) হিদায়েত বব্রুম্ ৷ এখানে
বর্ণিত অংশটি বি৷ ৷চ্ছন্ন, তার পুর্ববর্তী অংশ তাকে দৃঢ় করে ৷

তিববানী বলেন, আমাদেরকে ইয়াহ্ইয়৷ ইবন উসমান ইবন সালিহ বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন জামাদেরাক নয়ীম ইবন হাম্মাদ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন
শুআইব ইবন সাবুর বর্ণনা করেন,৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে মারওয়ান ইবন জানাহ্ বপা৷



১ তিরমিষী শরীফ ৫৬৮ ৭ হাদীস নত্ষ্ক ৩৮৪৩ তাতে রায়া,ছ উমর (রা ) উমায়রকে হিম্মাস থেকে অপসারণ
করেছিলেন ৷


يَقُولُ لِمُعَاوِيَةَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا، وَاهْدِهِ وَاهْدِ بِهِ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ الْأَزْدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ ذَكَرَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ ".» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى عَنْ أَبِي مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رَوَاهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمانَ الْحَرَّانِيُّ، كَمَا رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ وَأَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الطَّاطَرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لِمُعَاوِيَةَ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْعِلْمَ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا، وَاهْدِهِ وَاهْدِ بِهِ ".» وَقَدْ رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ وَصَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ وَعِيسَى بْنُ هِلَالٍ وَأَبُو الْأَزْهَرِ، عَنْ مَرْوَانَ الطَّاطَرِيِّ، وَلَمْ يَذْكُرُوا أَبَا إِدْرِيسَ فِي إِسْنَادِهِ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ عَنْ عَبْدَانَ بْنِ أَحْمَدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ سَهْلٍ الرَّمْلِيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৪

করেন তিনি ইউনুস ইবন মায়সারাহ ইবন হালবাস থেকে তিনি আবদুল্লাহ ইবন বিশর থেকে
যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একটি বিষয়ে হযরত আবু বকর ও
উমরের পরামর্শ চেয়ে বলেন, তোমরা আমাকে পরামর্শ দাও ৷ র্তার৷ দু’জন বলেন, আল্লাহ ও
তার রাসুল অধিক অবগত ৷ তিনি বলেন যুআবিয়াকে ডেকে আন ৷ আবু বকর ও উমর (রা)
বলেন, আল্লাহর রাসুল এবং কুরাইশদের (নেতৃস্থানীয়) দুব্যক্তির মাঝে কি এমন কিছুর অভাব
রয়েছে না তাদের বিষয়কে নিপুণ ও নিখুত করবে ৷ ফলে, আল্লাহর রাসুল কুরাইশদের এক
বালককে’ ডেকে পাঠালেন ৷ একথা ওনেও তিনি বলেন তোমরা যুআবিয়াকে ডেকে আন ৷
তারপর যখন তিনি এসে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এসে র্দাড়ালেন,

তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তাকে তোমরা তোমাদের বিষয়ে উপস্থিত
(,রখো এবং সাক্ষী বানাও ৷ কেননা সে শক্তিম ন ও বিশ্বস্ত ৷ কেউ কেউ তা নায়ীম থেকে বর্ণনা
করেছেন এবং এই অংশ অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন আর তোমরা তাকে তোমাদের বিষয়ের
দায়িত্ব প্রদান কর ৷’ এরপর ইবন আসাকির, হযরত মু আ ৷বিয়ার ফযীলত সং ক্রান্ত নিশ্চিতভাবে বহু
জাল হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা তা বর্জ্য করেছি এবং জাল ও অগ্রহণযােগ্য হাদীসসমুহেয়
পরিবর্তে আমরা যে সবপ্স বিশুদ্ধ, উৎকৃষ্ট ও গ্রহণযোগ্য হা ৷দীস বর্ণনা করেছি, তাই আমাদের কাছে
যথেষ্ট মনে হয়েছে ৷ এরপর ইবন অ সাকিব বলেন, হযরত মুআবিয়ার ফযীলত ৎক্রাত
হাদীসসমুহের মধ্যে হযরত ইবন আব্বাসের সুত্রে বর্ণিত আবু জামরার হাদীসখানিই
বিশুদ্ধ৩ ম ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
কাতিব (ওহী লিখক) ছিলেন ৷ ইমাম মুসলিম তার সহীহতে হাদীসখানি বর্ণনা করেন ৷
এরপরের স্থানে রয়েছে ইরবায (রা) এর বর্ণিত হাদীসখানি হে আল্লাহ ! আপনি মুআৰিয়াকে
কিতাবের জ্ঞান শিক্ষা দিন’ ৷ তারপর ইবন আবু উমাইয়ার হাদীস হে আল্লাহ ! আপনি তাকে
হিদাষেতকা রী এবং হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন ৷ ন্
আমার বক্তব্য হল কিতাবুল মানাকিবে ইমাম বুখারী হযরত ম্আবিয়া ইবন আবু
সুফইয়ানের আলোচনা প্রসঙ্গে হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদেরকে আল হাসান
ইবন বিশর বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আল মুআফী,উসমান ইবন আসওয়াদ
থেকে, তিনি ইবন মুলাইক৷ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ইশার পর মুআবিয়া (রা) এক
ন্রাকআত বিতর পড়লেন ৷ এ সময় তার কাছে ইবন আব্বাস (রা)এর এক গোলাম ছিল ৷
(স ফিরে এসে ইবন আব্বাস (রা) কে বলল, ইশার পর মৃআবিয়৷ এক বাক আ১৩ বিভব
পড়েছেন ৷ তিনি বলেন, তার ব্যাপারে মাথা ঘামিয়ো না ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু অ লাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর সাহ্ব হ্চর্য পেয়েছেন ৷ এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেন, আমাদেরকে ইবন আবু
মারইয়াম বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদেরকে নাফে ইবন উমর বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমাদেরকে ইবন আবু মুলাইকা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, (একবার) ইবন
আব্বাসকে বলা হল, আমীরুল যু’মিনীন, যুআবিয়ার ব্যাপারে কি আপনার কোন বক্তব্য আছে?
কেননা, তিনি সবসময় এক রাকআত বিত্র পড়েন ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তিনি ঠিকই
করেন, তিনি একজন ফকীহ ৷



:ারবৃন হী৷ শহীাষ পারচ্ছেদ নং ২৮ হাদীস নং ৩৭৬৪ ৩৭৬ ৫ ফাতল্ ল বারী ৭১০৪
২দ্ভি নিহ্য কর কুবাইব মুহাম্মাদ বিন নাস র মারওয়াযী কিতাবুল বিতরে তা উল্লেখ কা,রচুহন ৷


عُمَيْرَةَ الْمُزَنِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ ".» قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَوْلُ الْجَمَاعَةِ هُوَ الصَّوَابُ. وَقَدِ اعْتَنَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَأَطْنَبَ فِيهِ وَأَطْيَبَ وَأَطْرَبَ، وَأَفَادَ وَأَجَادَ، وَأَحْسَنَ الِانْتِقَادَ، فَرَحِمَهُ اللَّهُ، كَمْ لَهُ مِنْ مَوْطِنٍ قَدْ بَرَّزَ فِيهِ عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الْحُفَّاظِ وَالنُّقَّادِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ قَالَ: لَمَّا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عُمَيْرَ بْنَ سَعْدٍ عَنِ الشَّامِ، وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ، قَالَ النَّاسُ: عَزَلَ عُمَيْرًا وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ عُمَيْرٌ: لَا تَذْكُرُوا مُعَاوِيَةَ إِلَّا بِخَيْرٍ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اهْدِ بِهِ ".» تَفَرَّدَ بِهِ التِّرْمِذِيُّ، وَقَالَ: غَرِيبٌ، وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ ضَعِيفٌ. هَكَذَا ذَكَرَهُ أَصْحَابُ الْأَطْرَافِ فِي مُسْنَدِ عُمَيْرِ بْنِ سَعْدٍ الْأَنْصَارِيِّ. وَعِنْدِي أَنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ مِنْ رِوَايَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَيَكُونُ الصَّوَابُ: فَقَالَ عُمَرُ: لَا تَذْكُرُوا مُعَاوِيَةَ إِلَّا بِخَيْرٍ. لِيَكُونَ عُذْرًا لَهُ فِي تَوْلِيَتِهِ لَهُ. وَمِمَّا يُقَوِّي هَذَا أَنَّ هِشَامَ بْنَ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّائِبِ، وَهُوَ عَبْدُ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৫
بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ: وَسَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَلَّى مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، فَقَالُوا: وَلَّى حَدَثَ السِّنِّ. فَقَالَ: تَلُومُونَنِي فِي وِلَايَتِهِ، وَأَنَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا، وَاهْدِ بِهِ ".» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ يُقَوِّيهِ مَا قَبْلَهُ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ سَابُورَ، ثَنَا مَرْوَانُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَشَارَ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فِي أَمْرٍ، فَقَالَ: " أَشِيرُوا عَلَيَّ ". فَقَالَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ: " ادْعُوا مُعَاوِيَةَ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ: أَمَا كَانَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجُلَيْنِ مِنْ رِجَالِ قُرَيْشٍ مَا يُتْقِنُونَ أَمْرَهُمْ حَتَّى يَبْعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى غُلَامٍ مِنْ غِلْمَانِ قُرَيْشٍ؟ ! فَقَالَ: " ادْعُوَ لِي مُعَاوِيَةَ ". فَدُعِيَ لَهُ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَحْضِرُوهُ أَمْرَكُمْ وَأَشْهِدُوهُ أَمْرَكُمْ، فَإِنَّهُ قَوِيٌّ أَمِينٌ» وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ نُعَيْمٍ، وَزَادَ: " وَحَمِّلُوهُ أَمْرَكُمْ ". ثُمَّ سَاقَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً مَوْضُوعَةً، بِلَا شَكٍّ، فِي فَضْلِ مُعَاوِيَةَ، أَضْرَبْنَا عَنْهَا صَفْحًا، وَاكْتَفَيْنَا بِمَا أَوْرَدْنَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ وَالْمُسْتَجَادَاتِ، عَمَّا سِوَاهَا مِنَ الْمَوْضَعَاتِ وَالْمُنْكَرَاتِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৬


;মা’মা৷দবঠক আনর ইবন আব্বাস বচ্নাি করেছেন তিনি বলেন আ বা৷দরাক জ ৷ফর বর্ণনা

ইমরান ইবন আধ্বর্শৰের্ট হযরত মু অ্াবিয়ার সুত্রে বলতে শুনােছ তোমরা এ নামায গড় যা

মআর৷ রাসলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাহ্ব:া৷ম এর দীর্ঘ সাহচযে থেকেও র্তাকে প্াড়ডে
াদখি ৷ন ৷ তিান ৷ ৷ তা থেকে নিঃঘেধ্ করেছেন অর্থাৎ আসরের পরবর্তী দুই বাক আত
এরপর ইমাম বুখারী হিন দ ইবন উত্বা ইবন রাবী আর কথা উল্লেখ করে বালন, আমাদেরকে
আবদান বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবদুল্লাহ ইবন ইউনুস বর্ণনা করেন যুহরী
থেকে, তিনি বলেন, আমাকে উরওয়া বর্ণনা করেন যে, অ্যায়শা (রা) বলেন, (একবার) আবু
সুফইয়ানের স্তী হিনৃদ৷ বিনত উত্বা, রাসুলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাছুা৷ম এর কাছে
এসে বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ পৃথিবীর বকে এমন কোন তাবুবাসী ছিল না, যাদের অপদস্থ তা
আমারকাছে আপনার গৃহবাসীর অপদস্থতার চেয়ে অধিক প্রিয় ছিল ৷ (তারপর আজ পৃথিবীর
বুকে এমন কোন তাবুবাসী নেই যাদের মর্যাদা লাভ করা আপনার গৃহবসাের মর্যাদা লাভের
চোর আমার কাছে অধিক ৷প্রয় ) ৷ তখন তিনি বলেন, ঐ সভার! শপথ যার কুদরতী হাতে
আমার প্রাণ ৷’ তখন হিন্দ বলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আবু সুফিয়ান খুব হিসেবী লোক ৷ তাই
আমি যদি তার অনুমতি ছাড়া তীর মাল ৷;থাক নিয়ে আপনার পােব্যদের খাওয়াই তাহলে কি
কোন অসুবিধা আছে? নবী কয়ীম ( সা) বলেন, না ৷ ম্যাহ্াসঙ্গত ছাড়া তা করা যাবে না ৷ আর
তার এই কথা আর আমিও শপথ করি ঐ সত্তার মার কুদরত্তী হাতে
আমার প্রাণ ৷ এর অর্থ হল যে, তিনি কামছু না করতেন যেন হিন্দ তার ন্ষ্জ়ন্৷ এবং প্রত্যেক
কাফির যেন তাদের কুকরীর অবস্থায় অপদস্থ হয় ৷ এরপর যখন তারা মুসলমান হন তখন
তিনি চাইতেন যেন তারা সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে ৷ এরপর আল্লাহ পাক তাদেরকে অর্থাৎ
তার স্বভ্রানাদর মর্যাদাবান করলেন ৷

ইমাম ৩া৷হমদ বলেনঃ, আমাদেরকে রুহ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবু
আমিয়া আার ইবন ইয়ড়াহ য়৷ ইবন সারীদ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার দাদাকে বর্ণনা
করতে ণ্ডা,নাছ যে আবৃ হুরায়রার পর মুআবির৷ (রা) ন্তঘুর পাত্র নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করেন ৷ আর (এসময়) আবু হয়ায়রা (রা) অসুস্থ হয়ে
পড়েছিালন ৷ এ কদি ৷ তািন যখন রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওয়ু
করা৷চ্ছলেন তিনি ওণ্৷ করা অবস্কু ৷য় একবার বা দুবার মাথা উঠালেন এবং বলেন, হে
মুআরিয়া ! যদি তুমি কোন শাসন কর্তৃতুলাভ কর, তাহলে আল্লাহ্কে ভয় করো এবং
ন্যায়পরায়ণত৷ অবলম্বন করে৷ ৷ মুআবিয়৷ বলেন, এরপর থেকে আমি সবসময় ধারণা করে
এ সছি যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর এই কথার কারণে আমি অবশ্যই কৈান
শাসন কর্ত্যহু দ্বারা পরীক্ষায় সম্মুথীনহব এবং অবশেষে আমি এই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি ৷চুৰ্
ইমব্লেন্ আহমদ একাকী এই ব্লেওয়ায়েতঢি উল্লেখ করেছেন ৷ আর আবু বকর ইবন আবুদ দুনয়া



?
১ এই গ্রন্থের পুব’মৃদ্রণে এ স্থলে আব্বান থেকে হামদান রয়েছে ৷
২ ফাতহল রারী ৭৪ ১ হাদীস নং ৩৮২৫ (কিত ৷বু মানাকিবুন আ ণোব ) ৷
৩ বগ্-ব্াভুও: অ:চুশ্চা৷টুকু ইমাম বৃখাবী সংযুক্ত অতিরিক্ত অংশ ৷
৪ লুসনা৷দ আহমাদ ৪১ : ১


ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَأَصَحُّ مَا رُوِيَ فِي فَضْلِ مُعَاوِيَةَ حَدِيثُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّهُ كَانَ كَاتِبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمَ» . أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ ". وَبَعْدَهُ حَدِيثُ الْعِرْبَاضِ: " «اللَّهُمَّ عَلِّمْ مُعَاوِيَةَ الْكِتَابَ» ". وَبَعْدَهُ حَدِيثُ ابْنِ أَبِي عُمَيْرَةَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ".» قُلْتُ: وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْمَنَاقِبِ: ذِكْرُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، ثَنَا الْمُعَافَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: أَوْتَرَ مُعَاوِيَةُ بَعْدَ الْعَشَاءِ بِرَكْعَةٍ، وَعِنْدَهُ مَوْلًى لِابْنِ عَبَّاسٍ، فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: دَعْهُ فَإِنَّهُ قَدْ صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: هَلْ لَكَ فِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مُعَاوِيَةَ؟ مَا أَوْتَرَ إِلَّا بِوَاحِدَةٍ! قَالَ: أَصَابَ، إِنَّهُ فَقِيهٌ. ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، ثَنَا ابْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৭


৩া৷বৃ ইসই ছুাকহ ৷মাযানী থেকে, তিনি সায়ীদ ইবন যানবুর ইবন ছাড়াবত থেকে তিনি আমর ইবন
ইহ্া৷হ্হয়৷ ইবন সায়ীদ থেকে তা বর্ণনা করেন এবং ইবন মানৃদাহ তা বচ্নাি করেন ধিশর ইবন
হাকা৷মর হাদীস থেকে, তিনি আমর ইবন ইয়াহ্ইয়৷ থেকে ৷ আবু ইয়াল৷ বলেন তা৷মাদেবকে

সু৪য়াইদ ইবন সায়ীদ বর্ণনা করেন তিনি বলেন আমাদেরকে আমর ইবন ইরাহ্ইৰুা৷ ইবন
সায়ীদ বর্ণনা করেন, তিনি তার দাদা থেকে, তিনি ঘৃআাবয়া (রা) থেকে, ৷তান বলেন একবার
অ্যাম ওঘুর পানি ৷নয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করলাম
ারপরত যখন তািন ওঘৃ করলেন, তখন আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, হে মু আবিয়৷ ! যাদ তুমি
কোন শ ৷৷সন কর্তৃতু লাভ কর, তাহলে আল্লাহ্কে ভয় করো এবং খােদাভীরুতা অবলম্বন করো ৷
এরপর (থকে আমি সব সময় ধারণা করে এসেছি যে, আমি কোন শাসনকার্ষ দ্বারা পরীক্ষার
সম্মুখীন হব ৷ অবশেষে আমি এই শাসনকর্তৃত্নের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম ৷ পালিব কাত্তান হাসান
থেকে তা বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, খুৎবা প্রদানকালে আমি ঘুআ৷বয়৷ (রা)-কে বলতে ৰু
শুানছি, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওঘুর পানি ঢেলে-
দিলাম ৷ তখন তিনি আমার দিকে মাথা উঠিয়ে বলেন, মনে রেখো, একসময় তুমি আমার
উম্মতের শাসন কর্তৃতৃ লাভ করবে ৷ তুমি যখন এই দায়িতু গ্রহণ করবে, তখন তাদের
সদাচারীগণের সমাদর করো এবং দুরাচায়ীদের ক্ষমা করো ৷ ঘৃআবিয়া বলেন, সেই থেকে
আমি প্ৰ ন্াশোয় ছিলাম এবং অবা শষে আমি তা৷মার বর্তমান অবস্থানে উপনীত হয়েছি ৷

বায়হাকী হাকেম থেকে, ইসমাঈল হবন ইব্রাহীম ইবন মু হাজির পর্যন্ত তার স ত্রে আর তেনি
আবদুল মালিক ইবন উমাইর থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, (একবার) মুআবিয়া (রা)
বলেন, রাসুনুলাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা ছা৩ ড়৷ অন্য কিছু আমাকে খিলাফতের
দাগ্লিতৃ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নি যদি৩ হ্রা৷সন কর্তৃত্বের অধিকারী হও, তাহলে সদাচারী হয়াে ৷
বায়হ ৷ক৷ বলেন এই ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম যয়ীফ রাব৷ ৷’ তবে হাদীসখানিব একাধিক

দ (সমর্থহু ণ্৷ এো৷যত ) বিদ্যমান ৷ আর ইবন আসা৷ণ্ান্তর নাহ্বাম্নে ইবনান্মাদ থেকে বর্ণিত
হ ব,ার্বুা ত্র বংান৷ করেছেন (হাম্মাদ বলেন) আমাদেরকে যুহাম্মাদ ইবন হাবব বর্ণনা করেন, আবু
বকর ইবন আবু মারয়াম থেকে,৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে ঘুহাষ্া৷দ ইবন যিয়াদ বণন৷ করেন,
আউক ইবন মালিক তা৷ল আশজায়ী থেকে, তিনি বলেন, একবার আমি ইউহান্ন৷ নামকাগ্র্জোহ্া
ঘুমিংর ছিলাম ৷ তথ্যা অবশ্য ত৷ ঘুসলমানাদর মসজিদে রুপান্তরিত হয়েছিল ৷ হঠাৎ ঘুম ভোল
দেখতে পেলাম আমার সামনে এক ংহ হাট্যহু ৷ আমি আমার তা৷স্ত্রর দিকে বা৷প ৷দলাম ৷
সিংহঢি বাল উঠল থাম আমি তোমার কাছে প্রেরিত হয়েছি এমন এক পত্রাহা৷াণ্৷ যা তুমি
৷ ণ্ন্ন্ ট্টানাক) পৌছে ৷দাব ৷ আমি বললান্ ৷ তোমাকে ৷ক পাঠা,য়ছে? সে বলল, আমাকে স্বনং
া৷লা<দু ৷৷াঠ রা,ছন মৃআবিযাকে র্তার সালাম পৌছানাের জন্য এবং তাকে এ কথা জানা৷নার
ডাঃ ৷ যে তািন জানৃা৩ ঠী ৷ তখন আমি তাকে বললাম ,যুআাবয়া কে? যে বলল, যুআবিয়া ইবন
ণ্ভ্রা৷ব শ্ ৷ কন্ন ৷তবরানী তা বর্ণনা করেন আবু ইয়াযীদ আল কৃরাডীসী থেকে তিনি আল মুআল্লা




১পুন্া


১ “ হ্নি ন্ন্ ন্ন্’ বন্ ম্হাজিব্র আল বাজালী অ্যালকৃয় ৷ ৷ গুরু৩ র ধরনের ভুলের শিকার হভেন্৷ ৷
ক’ণ্র্ণ শুাবেন্ ন্াণ্া৷খ্ গণ কষ্বছেন ইমা-৷ ণুখার৷ বলেন তার বা৷ পারে ক ন রয়েছে উকাদ্ালী তাকে
ন্,<ারু শুন্া ,, নান্ ণ্ৰু ৪াধ্াহাে ৭ষ্ বু;ন্দ্র্যপ ইবনহ্ দুষ্কৃড়ায়ান্যে ১২২ ব্লু

;






হুশু৷ ৷ > দে ত্৷ ৩া ন্ত ৩ ক্ত


سَمِعْتُ حُمْرَانَ عَنْ أَبَانٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: «إِنَّكُمْ لَتُصَلُّونَ صَلَاةً لَقَدْ صَحِبْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا رَأَيْنَاهُ يُصَلِّيهِمَا، وَلَقَدْ نَهَى عَنْهُمَا. يَعْنِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ ذَلِكَ: ذِكْرُ هِنْدَ بِنْتِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ: وَقَالَ عَبْدَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، ثَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: «جَاءَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ أَهْلِ خِبَاءٍ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَذِلُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَائِكَ، ثُمَّ مَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَهْلُ خِبَاءٍ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَعِزُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَائِكَ. فَقَالَ: " وَأَيْضًا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ". فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مِسِّيكٌ، فَهَلْ عَلَيَّ حَرَجٌ أَنْ أُطْعِمَ مِنَ الَّذِي لَهُ عِيَالَنَا؟ قَالَ: " لَا، بِالْمَعْرُوفِ ". فَالْمِدْحَةُ فِي قَوْلِهِ: " وَأَيْضًا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ". وَهُوَ أَنَّهُ كَانَ يَوَدُّ أَنَّ هِنْدَ وَأَهْلَهَا وَكُلَّ
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৮


ইবন ওয়ালীদফাকায়ী থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবন হাবীর থাওলানী থেকে, তিনি আবু বকর ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আবু মারয়াম আল গাসসানী থেকে আর এতে বেশ দুর্বল্ তা রয়েছে এবং এটা
অত্যন্ত অদ্ভুত, সম্ভবত এর সবটুকুই কোন স্বপ্নের বিবরণ ৷ আর সে ক্ষেত্রে হঠাৎ আমার ঘুম ভেসে
(গল অ ত্শটুকু প্ৰবিষ্ট যা ইবন আবু মারয়াম সং রক্ষণ করেননি ৷
মহাম্মাদ ইবন আটয বলেন, ওয়ালীদ থেকে, তিনি ইবন লাহীআ থেকে তিনি ইউনুস
থেকে, তিনি যুহৰী থেকে তিনি বলেন, উমর (রা ) জাবীয়ায় আগমন করলেন ৷ তিনি ওরাহবিল
(রা) (ক অপসারণ করলেন এবং আমর ইবনুল আস (রা) কে মিশর অভিমুখে যাত্রার নির্দেশ
দিলেন এবং শামকে দুই প্রশাসকের দায়িত্বে বণ্টন করে দিলেন ৷ একজন হলেন আবু উবাইদা
আর অপর জন ইয়াযীদ ৷ তারপর যখন আবু উবাইদ৷ মৃত্যুবরণ করলেন, তখন তার স্থলে
আযায ইবন গানামকে নিয়োগ করলেন ৷ তারপর ইয়াযীদ মৃত্যুমুখে পতিত হলে তার স্থলে
মুআ ৷বিয়াকে প্রশাসক নিয়োগ করলেন ৷ এরপর উমর ইয়াযীদের মৃত্যু স০ বাদে আবু সুফিয়ানকে
অবহিত করে বলেন ইয়াযীদ ইবন আবু সুফইয়ানের মৃত তাশোকে ধৈর্যধারণের সওয়াব আল্লাহর
কাছে সঞ্চিত রাখুন ৷ তিনি বলেন, তার স্থলে কাকে নিয়োগ করেছেন? উমর বলেন,
ষুআাবিয়াকে ৷ তিনি (আবু সুফিয়ান) বলেন, আমীরুল মুমিনীন ! আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক
রক্ষা করেছেন ৷ হযরত উমর (রা) এর শাহাদাতকাল পর্যন্ত হযরত মুআবিয়া এবং উমাইর
ইবন সাদ শামের গভর্নর ছিলেন ৷ ,
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, আমওয়াসের মহামারীতে (প্লেগ) হযরত আবু উবায়দা ইতি
কাল করেন এবং তিনি হযরত মু আযকে তার স্থলবর্তী নিয়োগ করেন ৷ এরপর হযরত মুআয
ইন্তিকাল করলে তার স্থলে ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান্ ৷কে নিয়োগ করেন ৷ এরপর ইয়াযীদ
মৃতুাযুখে পতিত হলে তার ভাই যুআৰিয়াকে৷ দ যিঙু বুঝিয়ে দিয়ে যান ৷ এরপর উমর ৷কেত
বহাল রাখেন এবং আমর ইবনুর্ল অ ৷সকে ফিলিস্তীন ও জর্ডা নের প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷ আর
মুআবিয়াকে দামেশৃক বা আলাবাক্ক এবং বালকার এবং সা দ ইবন আমীর ইবন জুযায়মকে
হিম্স এর শাসনভার অর্পণ করেন ৷ এরপর তিনি পরবর্তীতে সমগ শাম এলাকা মুআবিয়ার
শাসনাধীন করেন ৷ এরপর হযরত উসমান (রা)ত তাকে পুনরায় শামের গভর্নর নিয়োগ করেন ৷
’ ইসমা ঈল ইবন উমায়্যা বলেন, উমর মু আবিয়া (রা) কে শামের একক কর্তৃত্ব অর্পণ করেন এবং
তার জন্য মাসিক আশি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) ভাত ৷ নির্ধারণ করেন ৷ তবে স্বসঠিক হল হযরত
মুআবিয়াকে সমগ্র শামের কর্তৃহ্ দান করেন হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) ৷ আর হযরত
উমর (রা) মলত তাকে এর কয়েকটি অঞ্চলের শাসনভার প্রদান করেছিলেন ৷ কোন কোন
বর্ণনায় এসেছে ইয়াযীদ ইবন আবু সুফইয়ানের সৎ মা হিনৃদকে যখন তার মৃত্যুতে সাভুনা
দেওয়া হন, তখন তাকে বলা হল যে তিনি (উমর) ইয়াযীদের স্থলে মুআবিয়াকে আমীর
নিয়োগ করেছেন ৷ তিনি হিন্দ বলেন, যুআবিয়ার মত ব্যক্তিকে কি কারো স্থলবর্তী করা শোভা
পড়ায় ৷ আল্লাহর শপথ ! যদি সমগ্র আরববাসী একসাথে সমবেত হয় তারপর তাদের মাঝে
তীকে আক্রমণের লক্ষে৷ পরিণত করা হয়, তাহলে সে তাদের যে কোন পার্শ্ব দিয়ে ইচ্ছা বের
হতে সক্ষম ৷ অন্যরা বলেন, হযরত উমরের কাছে মু আৰিয়ার (রা) কথা আলোচিত ৩হল ৷ তিনি
বলেন কুরাইশের তরুণ বীর এবং সর্দার ছেলের কথা আর বলো না ৷ সে তো এমন লোক যে
ক্রুদ্ধ হয়েও হাসে আর তাকে সন্তুষ্ট না করে তার থেকে কিছু পাওয়া সম্ভব নয় এবং যার পায়ে
লুটিায় পড়া ছাড়া মাথার শিরস্ত্রাণ নেওয়া সম্ভব নয় ৷ ইবন আবুদ দুনৃয়া বলেন, আমাকে


كَافِرٍ يَذِلُّوا فِي حَالِ كُفْرِهِمْ، فَلَمَّا أَسْلَمُوا كَانَ يُحِبُّ أَنْ يَعِزُّوا، فَأَعَزَّهُمُ اللَّهُ» يَعْنِي أَهْلَ خِبَائِهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَدِّي يُحَدِّثُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَخَذَ الْإِدَاوَةَ بَعْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَتَبِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا - وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَدِ اشْتَكَى - فَبَيْنَمَا هُوَ يُوَضِّئُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَقَالَ: «يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ وُلِّيتَ أَمْرًا فَاتَّقِ اللَّهَ وَاعْدِلْ» ". قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَمَا زِلْتُ أَظُنُّ أَنِّي سَأُبْتَلَى بِعَمَلٍ ; لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى ابْتُلِيتُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمَذَانِيِّ سَعِيدِ بْنِ زُنْبُورِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَنْدَهْ مِنْ حَدِيثِ بِشْرِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بِهِ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا سُوِيدُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: اتَّبَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوءٍ، فَلَمَّا تَوَضَّأَ نَظَرَ إِلَيَّ فَقَالَ: «يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ وُلِّيتَ أَمْرًا فَاتَّقِ اللَّهَ وَاعْدِلْ ".» فَمَا زِلْتُ أَظُنُّ أَنِّي مُبْتَلًى بِعَمَلٍ ; لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى وُلِّيتُ. وَرَوَاهُ غَالِبٌ الْقَطَّانُ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ يَخْطُبُ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৫৮৯
صَبَبْتُ يَوْمًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضُوءَهُ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيَّ فَقَالَ: «أَمَا إِنَّكَ سَتَلِي أَمْرَ أُمَّتِي بَعْدِي، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَاقْبَلْ مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَتَجَاوَزْ عَنْ مُسِيئِهِمْ ".» وَقَالَ: فَمَا زِلْتُ أَرْجُو حَتَّى قُمْتُ مَقَامِي هَذَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ بِسَنَدِهِ إِلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: وَاللَّهِ مَا حَمَلَنِي عَلَى الْخِلَافَةِ إِلَّا قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ مَلَكْتَ فَأَحْسِنْ ".» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ هَذَا ضَعِيفٌ، إِلَّا أَنَّ لِلْحَدِيثِ شَوَاهِدَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادِهِ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَمَّادٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: بَيْنَمَا أَنَا رَاقَدٌ فِي كَنِيسَةِ يُوحَنَّا - وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مَسْجِدٌ يُصَلَّى فِيهَا - إِذِ انْتَبَهْتُ مِنْ نَوْمِي، فَإِذَا أَنَا بِأَسَدٍ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيَّ، فَوَثَبْتُ إِلَى سِلَاحِي، فَقَالَ الْأَسَدُ: مَهْ، إِنَّمَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكَ بِرِسَالَةٍ لِتُبَلِّغَهَا. قُلْتُ: وَمَنْ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: اللَّهُ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ لِتُبَلِّغَ مُعَاوِيَةَ السَّلَامَ، وَتُعْلِمَهُ أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ. فَقُلْتُ لَهُ: وَمَنْ مُعَاوِيَةُ؟ قَالَ: مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ أَبِي يَزِيدَ الْقَرَاطِيسِيِّ، عَنِ الْمُعَلَى بْنِ الْوَلِيدِ الْقَعْقَاعِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَرْبٍ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ الْغَسَّانِيِّ. وَفِيهِ ضَعْفٌ، وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَلَعَلَّ الْجَمِيعَ مَنَامٌ، وَيَكُونُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯০


মুহাম্মাদ ইবনাকুদাম আল জাওহারা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাকে আবদু৫
ন্সাযীয ইবন ইয়াহ্ইয়া তার জনৈক শায়খের বরাত দিয়ে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন উমর ইবন
খাত্তাব (রা) যখন শামে অপ্লোনকরলেন, তখন এক বিশাল সােকসমাবু ৷বেশ নিয়ে হযব ন্ত্র তাকে
অভ্যর্থনা জানালেন ৷ যখন তিনি উমর (বা;৷ন্এর নিকটে আসলেন তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে

বলেন, ডুমিই কি এই বিশাল জনসমাবেশেরব্যবস্থ৷ করেছে৷ ? তিনি বলেন, জ্বি হা, আমীরুল

মৃমিনীন ৷ উমর (রা) বলেন, এই “হল তোমার অবস্থা ৷ তদুপরি আমার কাছে এ সহুবান্ পৌছেছে
যে, প্রয়োজন প্রার্থীদের তোমার সাক্ষাতের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ৷
মৃ“আৰিয়৷ বলেন, এ বিষয়ে আপনার কাছে যা পৌছেছে তা অসতা নয় ৷ তিনি বলেন, ব্লুকন
তুমি এটা কর? আমি তো তোমাকে হিজায়ন্ পর্যন্ত খালি পায়ে হেটে যাওয়ার নির্দেশ দিতে
ণ্চয়েছিলাম ৷ তিনি বলেন আমীরুল মু’মিনীন ! আমরা এমন এক ভুখণ্ডে অবস্থান বরছি
শ্যৰুমানে শত্রুদের বহু গুপ্তচর ঘোরাফের৷ করে ৷ ত;াই শাসকের এমন শক্তিও প্ৰতিপত্তির প্রকাশ
আমাদের জন্য অপরিহার্য;য৷ ইসলাম ও মুসলমানদের শক্তির প্রকাশ এবং শত্রুদের ডীতিব
কারণ ৷ এখন আপনি যদি অনুমতিদেন, ল্পঃহলে আমি তা অব্যাহত রাখব আর যদি নিষেধ
করেন, তাহলে ক্ষাত হব ৷ উমর৩ তাকে বলেন, মুআৰিয়া যখনই আমিও আমাকে কোন বিষয়
সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছি তখনই তুমি আমাকে গুরুতর সংকটে পতিত করেছ যদি তোমার
বক্তব্য সঠিক হয়ে থাকে তাহলে, (ওে আমার সিদ্ধান্ত ৷ তা বিজ্ঞজনের সিদ্ধান্ত আর যদি তা অসতা
হয়ে থাকে তাহলে তা কথার যাদু ৷ বা শিল্পীর ধোক৷ তিনি বলেন, আমীরুল মুমিনীন ,
আস্ফী আমাকে যা ইচ্ছা নির্দেশ করুন ৷ উমর (রা) বলেন, আমি তোমাকে আদেশও করব না
নিষেধও করব না ৷ জনৈক ব্যক্তি বলল, আমীরুল মুমিনীন ! আপনি তাকে যে স্থানে অবতরণ
কবিয়েছিলেন তা থেকে তার প্র৩ ৷৷বর্তন কি সুন্দর ! তিনি বলেন, তার অবতরণ ৷ণ্ প্রত্যাবতনের
কুশলতার জন্যই তো আমরা তাকে যে দায়িতৃ আরোপ করার তা করেছি ৷ অন্য এক
রেওযাযেতে আছে হযরত উমর (রা) যখন শামে আগমন করট্রুল্ান তখন বিশাল জনসমাবেন
সহকারে হযব মুআবিয৷ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে (বর হলেন ৷ কিন্তু গাধায় আরোহী অবস্থায়
তিনি ও আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) অজ্ঞা তসারে তাকে অতিক্রম করে গেলেন ৷ তাকে
বলা হল আপনি আমীরুল মু মিনীনকে অতিক্রম করে এসেছেন ৷ তিনি ফিরে গেলেন, তারপর
যখন উমর (রা)-কে দেখতে পেলেন, তখন গাধ৷ থেকে নেমে পায়ে হেটে তার কাছে আসলেন
এবং তাকে ঐ সকল কথা বলতে লাগলেন যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি আব্দুর রহমান
ইবন আউক বলেন, আমীরুল মুমিনীন ! আপনি তাকে যে বিষয়ে অবতরণ করিয়েছেনত
থেকে তার প্রত্যাবর্তন কি সুন্দর তিনি বলেন যে কারণে আমরা ইাকে যে দায়িতভাব অর্পণ
করার তা করেছি ৷ ণ্
আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (রবৃ কিতাবুয যুহদে বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন বি ব
বর্ণনা করেন, মুসলিম ইবন জুনদুব থেকে,৩ তিনি উমর (রা) এর গোলাম আসলাম থেকে,৩ তিনি
বলেন, (একবার) আমাদের কাছে মুআবিয়া আসলেন, আর তখন তিনি ছিলেন উজ্জ্বল
ফর্সাদেহী ও তবতাজা শরীরের অধিকারী সৃপৃরুষ ৷ এরপর তিনি উমরের সাথে হব্লুজ্জ বের



১ আল ইসতিয়াব গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৩৯৭ পৃষ্ঠার ঈষৎ পরিবর্তন করে বক্তব্য উমর (রা) থেকে উদ্ধৃত হয়েছে :
এখানে মল কিভাবে উল্লেখিত বক্তব্যের পরিবর্তে তারই অনুবাদ করা হল ৷ অ নৃবাদক ৷

আল-বিদায়া ওমান নিহায়া৩ ১


قَوْلُهُ: إِذِ انْتَبَهْتُ مِنْ نَوْمِي. مُدْرَجًا لَمْ يَضْبِطْهُ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: قَدِمَ عُمَرُ الْجَابِيَةَ فَنَزَعَ شُرَحْبِيلَ، وَأَمَرَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ بِالْمَسِيرِ إِلَى مِصْرَ، وَبَقِيَ الشَّامُ عَلَى أَمِيرَيْنِ ; أَبِي عُبَيْدَةَ وَيَزِيدَ، ثُمَّ تُوُفِّيَ أَبُو عُبَيْدَةَ، فَاسْتَخْلَفَ عِيَاضَ بْنَ غَنْمٍ ثُمَّ تُوُفِّيَ يَزِيدُ، فَأَمَّرَ مُعَاوِيَةَ مَكَانَهَ، ثُمَّ نَعَاهُ عُمَرُ لِأَبِي سُفْيَانَ، فَقَالَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، احْتَسِبْ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ: مَنْ أَمَّرْتَ مَكَانَهُ؟ قَالَ: مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ: وَصَلَتْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ رَحِمٌ. فَكَانَ عَلَى الشَّامِ مُعَاوِيَةُ، وَعُمَيْرُ بْنُ سَعْدٍ، حَتَّى قُتِلَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: مَاتَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي طَاعُونِ عَمْوَاسَ وَاسْتَخْلَفَ مُعَاذًا، فَمَاتَ مُعَاذٌ، وَاسْتَخْلَفَ يَزِيدَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ فَمَاتَ، وَاسْتَخْلَفَ أَخَاهُ مُعَاوِيَةَ، فَأَقَرَّهُ عُمَرُ، وَوَلَّى عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فِلَسْطِينَ وَالْأُرْدُنَّ، وَمُعَاوِيَةَ دِمَشْقَ وَبَعْلَبَكَّ وَالْبَلْقَاءَ، وَوَلَّى سَعِيدَ بْنَ عَامِرِ بْنِ حِذْيَمٍ حِمْصَ، ثُمَّ جَمَعَ الشَّامَ كُلَّهَا لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، ثُمَّ اسْتَمَرَّ بِهِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى الشَّامِ. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ: أَفْرَدَ عُمرُ مُعَاوِيَةَ بِإِمْرَةِ الشَّامِ وَجَعَلَ لَهُ فِي كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯১


হলেন ৷ এসময় হযরত উমর (বা) তার দিকে তাকিয়ে অবাক হব্লুতনা তারপর ,মুআবিয়া (রা)
এর পিঠে তার হাত রাখতেন এরপর তাকে বিশেষভাবে ( দ্বুতার ফিতা থেকে উঠাব্লুনাৰ্ ন্যায়)
উঠিয়ে বিস্ময় প্রকাশক ধ্বনি করতেন এবং বলব্লুতন, তাহলে আমরা!ভাগ্যবান মানুষা দুনিয়া-
আখিরাত উভয়টির কল্যাণ আমাদের ভাগে জুব্লুটব্লুছ ৷ যুআবিয়া (রা) বলেন, আমীকল
মুমিনীন ! আমি আপনাকে বিষয়টি খুলে বলছিা আসলে আমরা (আমি) এমন ভুখণ্ডে বাস
করি যেখানে (উর্বর শস্যক্ষেত্র) প্রাচুর্য, (হাম্মামখানা) বিলাসিতা ও কামনা বাসনার আধিক্য
বিদ্যমানা
তখন উমর (রা) বলেন আমিইব্লু আমাকে বলছি ব্লুশান,৩ ’ তো সর্বোৎকৃষ্ট খাবার ব্লুখব্লুয়
ব্লুামাব৩ শরীরব্লুক কোমল কর ৷ আর পুর্বাহ্ন পর্যন্ত আরামে ঘুমাওা এদিকে প্ৰব্লুয়াজনপ্রস্তরা
তামার সাক্ষাব্লুত অপেক্ষমান ৷ তিনি বলেন, আমীকল মু’মিনীন ! আমাকে শিখিয়ে দিন আমি
আপনার নির্দেশ পালন করব ৷ আসলাম বলেন, আমরা যখন যু-৩ ৩আ’ নামক স্থানে পৌছলাম
তখন মুআবিয়া একজ্যেড়া কাপড় বের করে পরিধান করলেন ৷ উমর তা থেকে সুপন্ধির ন্যায়
সৃঘাণ ব্লুপয়ে বলেন, তোমাদের কাউকে দেখা যায় সামান্য পাব্লুথয় নিয়ে হব্লুজ্জ রওনা হয়েছে ৷
এরপর যখন আল্লাহর সবচেয়ে সম্মানিত শহরে পৌছার উপক্রম হয়েছে তখন: এমন কাপড়ের
জোড়া বের করে পরিধান করেছে যেন তা সুপন্ধিতে ড়ুবানাে ছিল ৷ এ কথা শুনে মুআবিয়া
বলেন, আমীকল মু মিনীনা আমার জ্ঞাতি গােষ্ঠীর লোকদের সাথে সাক্ষাব্লুত র জন্যই আমিত
পরিধান করেছিা আল্লাহর কসমা এখানে এবং শামে আপনার কথার কষ্ট আমার নাগাল
পেয়েছো আর আল্লাহ্ জানেন যে, আমি তাতেৰুলজ্জিত ৷ এরপর মুআবিয়া তার ক্কাপ্নড় ,জােড়া
খুলে ইহরামের কাপড়দ্বয় পরলেন ৷
আবু বকর ইবন আবুদ দুনৃয়া বলেন, আমাকে আমার পিতা বর্ণনা করেন স্থিাম ক্ট্ররন
মুহাম্মাদ থেকে, তিনি আবু আবদুর রহমান আল মাদানী থেকে, তিনি বলেন, উমর (রা) যখন
মুআবিয়া (রা)ব্লুক ব্লুদখতেন, তখন বল ৩ন, এ হল আরবের কিসৃরা এভাবেই মাদাইনী
উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি (উমর) তা বলেছেনা আম র ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন
সায়ীদ আল আমাবী ৩ার দাদার উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) সবুজ এক
জোড়া পোশাক পরে মুআবিয়া (রা) হযরত উমর (রা) এর সাব্লুথু সাক্ষাৎ করলেন, তখন
সাহাবাপণ সে ব্লুপাশাকের দিকে (কিছুটা অন্যভাব্লুৰ)৩ ৩াকালেনা তা ব্লুদখে হযরত উমর দােবৃরা
নিয়ে তার দিকে অ্যাসর হলেন এবং তাকে তা দিয়ে প্ৰহার করতে শুরু করলেন, আর
মু আবিয়া বলতে লাপলেন, আমীকল মু মিনীন ! আমার ব্যাপারে আল্লাহ্ব্লুক ভয় করুন ৷ উমর
(বা) তার উপবেশন স্থলে ফিরে আসলেন, এরপর লোকেরা বলল, আমীরুল মু’মিনীনা
আপনার তাকে প্রহাব্লুরর উদ্দেশ্য কি? আপনার সম্প্রদায়ের মাঝে কি তার মত কেউ নেই?
তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ ! ৩ার মাঝে আমি ভাল ছাড়া মন্দ কিছু দেখি নি এবং আমার
কাছে ভাল ছাড়া মন্দ কিছু পৌছে নিা যদি আমার কাছে ভিন্ন কিছু পৌছত, তাহলে তোমরা
তার প্রতি আমার ভিন্ন আচরণ দেখতে পেতো এরপর তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেন,
কিন্তু আমি তাকে দেখলাম ৷ তাই তার অহ্ৎ করে দুর করতে চইিলাম ৷



১ ইবন আবদুল বার এর ব্লুরওয়াব্লুয়ব্লুত আছে যে হযরত উমর (রা) মুআৰিযা (রা) এর ব্যাপারে এ কথা তখন
বলেছিলেন, যখন তার শামে আপমনকালে মুআবিয়া (রা) এক বিশাল জ়নসমাব্লুবশসহ তার সাথে সাক্ষাৎ
করেছিলেনা ,


شَهْرٍ ثَمَانِينَ دِينَارًا. وَالصَّوَابُ أَنَّ الَّذِي جَمَعَ لِمُعَاوِيَةَ الشَّامَ كُلَّهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَأَمَّا عُمَرُ إِنَّمَا وَلَّاهُ بَعْضَ أَعْمَالِهَا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمَّا عُزِّيَتْ هِنْدُ فِي يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ - وَلَمْ يَكُنْ مِنْهَا - قِيلَ لَهَا: إِنَّهُ قَدْ جَعَلَ مُعَاوِيَةَ أَمِيرًا مَكَانَهُ. فَقَالَتْ: أَوَ مِثْلُ مُعَاوِيَةَ يُجْعَلُ خَلَفًا مِنْ أَحَدٍ؟ ! فَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّ الْعَرَبَ اجْتَمَعَتْ مُتَوَافِرَةً، ثُمَّ رُمِيَ بِهِ فِيهَا لَخَرَجَ مِنْ أَيِّ أَعْرَاضِهَا شَاءَ. وَقَالَ آخَرُونَ: ذُكِرَ مُعَاوِيَةُ عِنْدَ عُمَرَ، فَقَالَ: دَعُوا فَتَى قُرَيْشٍ وَابْنَ سَيِّدِهَا، إِنَّهُ لَمَنْ يَضْحَكُ فِي الْغَضَبِ وَلَا يُنَالُ مِنْهُ إِلَّا عَلَى الرِّضَا، وَمَنْ لَا يَأْخُذُ مِنْ فَوْقِ رَأْسِهِ إِلَّا مِنْ تَحْتِ قَدْمَيْهِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ بَحْرٍ، عَنْ شَيْخٍ لَهُ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الشَّامَ تَلَقَّاهُ مُعَاوِيَةُ فِي مَوْكِبٍ عَظِيمٍ، فَلَمَّا دَنَا مِنْ عُمَرَ قَالَ لَهُ: أَنْتَ صَاحِبُ الْمَوْكِبِ الْعَظِيمِ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: مَعَ مَا بَلَغَنِي مِنْ طُولِ وُقُوفِ ذَوِي الْحَاجَاتِ بِبَابِكَ؟ قَالَ: مَعَ مَا بَلَغَكَ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ تَفْعَلُ هَذَا؟ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّا بِأَرْضٍ جَوَاسِيسُ الْعَدُوِّ فِيهَا كَثِيرَةٌ، فَيَجِبُ أَنْ يَظْهَرَ مَنْ عِزِّ السُّلْطَانِ مَا يُرْهِبُهُمْ بِهِ، فَإِنْ أَمَرْتَنِي فَعَلْتُ، وَإِنْ نَهَيْتَنِي انْتَهَيْتُ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ:
পৃষ্ঠা - ৬৫৯২
يَا مُعَاوِيَةُ، مَا سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا تَرَكْتَنِي فِي مِثْلِ رَوَاجِبِ الضِّرْسِ، لَئِنْ كَانَ مَا قُلْتَ حَقًّا، إِنَّهُ لَرَأْيُ أَرِيبٍ، وَلَئِنْ كَانَ بَاطِلًا إِنَّهُ لَخَدِيعَةُ أَدِيبٍ. قَالَ: فَمُرْنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: لَا آمُرُكَ وَلَا أَنْهَاكَ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا أَحْسَنَ مَا صَدَرَ الْفَتَى عَمَّا أَوْرَدْتَهُ فِيهِ! فَقَالَ عُمَرُ: لِحُسْنِ مَصَادِرِهِ وَمَوَارِدِهِ جَشَّمْنَاهُ مَا جَشَّمْنَاهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ تَلَقَّى عُمَرَ حِينَ قَدِمَ الشَّامَ وَمُعَاوِيَةُ فِي مَوْكِبٍ كَثِيفٍ، فَاجْتَازَ بِعُمَرَ وَهُوَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَاكِبَانِ عَلَى حِمَارٍ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِهِمَا، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ جَاوَزْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَرَجَعَ، فَلَمَّا رَأَى عُمَرَ تَرَجَّلَ، وَجَعَلَ يَقُولُ لَهُ مَا ذَكَرْنَا، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: مَا أَحْسَنَ مَا صَدَرَ عَمَّا أَوْرَدْتَهُ فِيهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ! فَقَالَ: مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ جَشَّمْنَاهُ مَا جَشَّمْنَاهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ فِي كِتَابِ " الزُّهْدِ ": أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنْ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ، وَهُوَ أَبْيَضُ أَوْ أَبَضُّ النَّاسِ وَأَجْمَلُهُمْ، فَخَرَجَ إِلَى الْحَجِّ مَعَ عُمَرَ، فَكَانَ عُمَرُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَيُعْجَبُ لَهُ، ثُمَّ يَضَعُ أُصْبُعَهُ عَلَى مَتْنِهِ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا عَنْ مِثْلِ الشِّرَاكِ، فَيَقُولُ: بَخٍ بَخٍ، نَحْنُ إِذًا خَيْرُ النَّاسِ ; أَنْ جُمِعَ لَنَا خَيْرُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: يَا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৩


আবু দ !উদ বলেন আমাদেরকে সুল!ইমান ইবন আবদুর রহমান দিমাশকী বর্ণনা করেন
তিনি বলেন, আমাদেরকে ইয়াহ্ইয়! ইবন হ!ময!হ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
ইবন আবু মারইহ্!!ম বর্ণনা করেন যে তাকে ক সিম ইবন মুখ!য়মারা জানিয়েছেন যে, আবু
মারইয়াম আযদী তাকে অবহিত করেন, তিনি বলেন, (একবার) আমি ঘুঅ!বিয়া (রা) এর
ষ্ স!ক্ষাতে প্রবেশ করলাম তখন তিনি বলেন হে অমুকের পিতা ! তোমাকে পেয়ে আমরা কী
সৌভাগ্যবান ! আমি বলল!ম, আমি আপনাকে আমার শোনা একটি হাদীস বর্ণনা !করব ! আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, “যাকে আল্লাহ মুসলম!নগণের বিষয়ে কোন ক৩ভু দান
করেন, আর এরপর সে তাদের প্রয়োজন ও অভাবঅনটন পুরণ করা থেকে নিজেকে আড়াল
করে রাখবে আল্লাহ্ও তার প্রয়োজন ও অভ!বরুঅনটন পুরণ করা থেকে নিজেকে অ!ড !ড়াল করে
রাখবেন ৷” তিনি বলেন, এই হাদীস শোনার পর মুআবিয়! (র!) মানুষের প্রয়োজন!দি পুরণের
জন্য এক বক্তিকে নিয়োগ করেন ৷ ইমাম তিরমিষী ও অন্যরা তা বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে মারওয়ান ইবন ঘুআবিয়া আল ফায!রী বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে হ!বীব ইবন শহীদ আবু যুজালি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
(একবার) হযরত মুআবিয়া ৫ল!কসমাৰেশে বের হলেন, সকলে তীর সম্মান!র্থে দাড়িয়ে গেল
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি চাইব যে লোকের! দ!ড়িয়ে

তাকে সম্মান প্রদর্শন করবে, সে যেন জ!হ!ন্ন!মে তার ঠিক!না নির্ধারিত করে নেয় ! অন্য

রেওয়ায়েতে আছে (একবার) মুঅ!বিয়া বের হয়ে ইবন আমীর এবং ইবনুয যুব!ইর এর কাছে
আসবেন ! ইবন আমীর তার সম্মানার্থে উঠে দ!ড়!লেন ৷ কিন্তু ইবনুয় যুব!ইর দাড়ালেন না !
ম্মুআবিয়! (র!) ইবন আমীরকে বলেন বসে পড় ! কেননা, আমি র!সুলুল্লাহ (স!) কে বলতে
শুনেছি, “যে ব্যক্তি চাইবে লোকেরা দ!ড়িয়ে তাকে সম্মান প্রদশ্নি করবে, সে যেন জ!হ!ন্নামে
তার ঠিকানা নির্ধারিত করে নেয় !”

হাবীব ইবন শাহীদের হাদীস থেকে ইমাম আবু দ!উদ ও তিরমিষী (র)৩ ৩! বর্ণনা
করেছেন ! ইমাম তিনমিযী বলেন, এ হাদীস হাসান স্তরের ! আবু দাউদ বর্ণনা করেন ছাওরীর
হাদীস থেকে, তিনি বর্ণনা করেন ছাওব ইবন ইয়াযীদ থেকে, তিনি রাশিদ ইবন সাদ আল
ম!কবুয়ী আল-র্হিম্ননীি থেকে,ংতিনিযুআৰিয়! (র!) থেকে, তিনি বলেন, রাসুল (স!) ইরশাদ
করেন, তুমি যদি মানুষের গোপন বিষয়!দির) পেছনে ল্যেগ থাক, তবে তাদেরকে নষ্ট করে
ফেলার ব! নষ্ট করার উপক্রম করবে ৷” তিনি (রাশিদ) বলেন এট! এক মুল্যবান কথা, য!
মু আবিয়! শুন্যেছন এবং ত! দ্বার! আল্লাহ তার উপকার করেছেন ! (ইমাম অ!হমদ একাকী এই
হাদীস বর্ণনা করেন) অর্থাৎ তিনি ছিলেন সুন্দর জীবন চরিত্রের অধিকারী ক্ষম!সুন্দর, উদার
এবং অন্যের দোষ ত্রুটি গোপনকারী ! অ ল্লাহ তাকে রহম করুন ! বুখারী ও মুসলিম শরীফে
ইমাম যুহরীর হাদীস য! হুম!ইদ ইবন আবদুর রহমান থেকে হযরত মুআবিয়ার বরাত দিয়ে
উল্লেখ কর! হয়েছে যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (স!) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ যার
কল্যাণ চান তাকে ধর্যজ্ঞান দান করেন, আর আমি শুধু বণ্টনকারী প্রদান করেন আল্লাহ
উম্মতের একটি দল সব সময় ,সতাপন্থী থাকবে, যারা তাদের সাথে অসহহ্রয!গিতা করবে এবং ণ্



১সুন্মনে
২ মুসনাদ্দে আহমাদ ৪৯১ ৷


الْمُؤْمِنِينَ، سَأُحَدِّثُكَ ; إِنَّا بِأَرْضِ الْحَمَّامَاتِ وَالرِّيفِ. فَقَالَ عُمَرُ: سَأُحَدِّثُكَ ; مَا بِكَ إِلْطَافُكَ نَفْسَكَ بِأَطْيَبِ الطَّعَامِ وَتَصَبُّحُكَ حَتَّى تَضْرِبَ الشَّمْسُ مَتْنَيْكَ، وَذَوُو الْحَاجَاتِ وَرَاءَ الْبَابِ. قَالَ: فَلَمَّا جِئْنَا ذَا طَوًى أَخْرَجَ مُعَاوِيَةُ حُلَّةً فَلَبِسَهَا، فَوَجَدَ عُمَرُ مِنْهَا رِيحًا كَأَنَّهُ رِيحُ طِيبٍ، فَقَالَ: يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَخْرُجُ حَاجًّا تَفِلًا، حَتَّى إِذَا جَاءَ أَعْظَمَ بُلْدَانَ اللَّهِ حُرْمَةً أَخْرَجَ ثَوْبَيْهِ كَأَنَّهُمَا كَانَا فِي الطِّيبِ فَلَبِسَهُمَا! فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنَّمَا لَبِسْتُهُمَا لِأَدْخُلَ فِيهِمَا عَلَى عَشِيرَتِي أَوْ قَوْمِي. وَاللَّهِ لَقَدْ بَلَغَنِي أَذَاكَ هَاهُنَا وَبِالشَّامِ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي لَقَدْ عَرَفْتُ الْحَيَاءَ فِيهِ. ثُمَّ نَزَعَ مُعَاوِيَةُ ثَوْبَيْهِ، وَلَبِسَ ثَوْبَيْهِ اللَّذَيْنِ أَحْرَمَ فِيهِمَا. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَدَنِيِّ قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِذَا رَأَى مُعَاوِيَةَ قَالَ: هَذَا كِسْرَى الْعَرَبِ. وَهَكَذَا حَكَى الْمَدَائِنِيُّ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: دَخَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى عُمَرَ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ خَضْرَاءُ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا الصَّحَابَةُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عُمَرُ وَثَبَ إِلَيْهِ بِالدِّرَّةِ، فَجَعَلَ يَضْرِبُهُ بِهَا، وَجَعَلَ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهَ اللَّهَ فِيَّ. فَرَجَعَ عُمَرُ إِلَى مَجْلِسِهِ، فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ: لِمَ ضَرَبْتَهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَمَا فِي قَوْمِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৪

তাদের বিরোধিতা করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ এমনকি মহান আল্লাহ্র
চুড়ান্ত নির্দো৷ এসে যাবে আর তখনও তারা (সত্যপন্থী) বিজয়ী ৷ অন্য এক ব্লুরওয়ায়েব্লুত
এসেছে “আর তখনও তারা সেই (বিজয়ী) অবস্থায় থাকবে ৷” একবার মুআবিয়া (বা) এই
হাদীস দ্বারা খুৎবা দিলেন ৷ তারপর বলেন, এই যে এখানে মালিক ইবন ইউখামির মাআয
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুছুম্াহ্ (সা) বলেছেন “শামবাসীরইি তাদের বিরােধীব্লুদর
বিরুদ্ধে সাহায্যপ্রাপ্ত ৷ উল্লেখ্য যে, এ সময় এরা সবইি শাব্লুম ছিলেন এবং এর মাধ্যমে
ঘুআবিয়৷ (রা) শামবাসীকে ইরাকবাসীব্লুদর ঘোকাবিলায় উৎসাহিত করছিলেন ৷ এই হাদীস
দ্বারা মুআবিয়া (বা) ইরাকবাসীর বিরুদ্ধে শামবাসীর পক্ষে যুদ্ধ করার প্রমাণ পেশ করতেন ৷
লাইছ ইবনস৷ দ বলেন, হযরত মু আবিয়া উনিশ হিজরীতে উমর (রা) এর শাসনকালে
কাৰুভ্রুাসারিয়্যা১ শহর জয় করেন ৷ অন্যেরা বলেন তিনি পচিশ সাতাশ কিংবা, আটাশ হিজরীতে
হযরত উসমান (রা) এর শাসনকালে সাইপ্রাস জয় করেন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, কনস্টান্টিব্লুন৷ পল-প্ৰণালীর অভিযান তার শাসনকালে ৩২ হিজরীতে

ৎঘটিত হয়েছিল সে সময় তিনিই ছিলেন মুসলিম বিশ্বের শাসনকর্তা ৷ হযরত ৩উসম৷ ৷ন (রা)
সমগ্র শামের কর্তৃত্ব দান করেন কারো মতে, অবশ্য হযরত উমর (রা) ৷৩ তব্লুব প্রথমটিই সঠিক ৷
আবুদ দারদা এরপর ঘুআবিয়৷ (রা) ফুযালা ইনৃন উরাইদব্লুক কাযী নিয়োগ করেন ৷ এরপর
হযরত উসমান (রা) এর হত্যাব্লুক কেন্দ্র করে রায় ও ইজতিহাদের ভিত্তিতে তার এবং হযরত
আলী (বা) এর মাঝে যা যটার তা ঘটল এবং তাদের দৃ’জনের নেতৃত্বে ব্যাপক যুদ্ধ সংঘটিত
হল, যেমন ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি ৷ আর এ সময় হযরত ৩আলী (রা) ই ছিলেন সত্য ও
সঠিক পন্থী ৷ আর অধিকাংশ পুর্ববর্তী ও পরবর্তী উলামায়ে কেরাব্লুমর মতে হযরত মুআবিয়া
ছিলেন নিরুপায় ৷ এই যুদ্ধে বিবাদমান উভয় পক্ষের অনৃকুব্লুলই সহীহ হাদীসসমুহ ইসলামের
সাক্ষ্য দিয়েছে ৷ যেমন, সহীহ হাদীসে এসেছে “ধর্মত্যাগী একটি দল মুসলমানদের সর্বোওম
একটি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে তখন সত্যের নিকটত র দলটি তাদেরকে নিধন (হত্যা)
করবে২ ৷

এই ধর্মতাগী দলটি ছিল খাওয়ারীজগণ’ আর হযরত ৩আলী ও তার অনুসারীগণ তাদেরকে
হত্যা করে ৷ এরপর হযরত আলী (রা) শহীদ হওয়ার পর একচল্লিশ হিজরীতে মুআবিয়৷ (রা)
মুসলমানদের শাসন কর্তৃব্লুত্র একক অধিকারী হন ৷ তিনি প্রতি বছর দৃ’বার রোমকদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন, একবার শীতকালে আর একবার গ্রীষ্মকালে ৷ আর তার
নির্দোশ তার গোত্রের একজন নােকব্লুদরব্লুক নিয়ে হজ্জ করত ৩৷ তিনি নিজে পঞ্চাশ হিজরীতে
হব্লুজ্জ গমন করেন, তার ছেলে ইয়াযীদ হজ্জ করে এবার হিজরীতে এবং এ বছরই কিংবা তার
পরের বছর৩ তিনি তাকে ব্লোমকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযানে পাঠান ৷ এসময় তার সাথে বহুসংখ্যক
বিশিষ্ট সাহাবাও এই অভিযানে শরীক হন এবং কনসট্যান্টিনোপল অবরোধ করেন৷ সহীহ
বুখারীব্লুত এব্লুসব্লুছ মুসলমানগব্লুণর সর্বপ্রথম সেনাদল যারা কনসট্যান্টিনােপল আক্রমণ করবে



১ বর্তমান তুরস্কের অর্ন্তগত এক শহর ৷

২ আবু সায়ীদের সুত্রে ইমাম মুসলিম হাদীসখানি উল্লেখ করেছেন, যাকাত প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ নং (৪ ৭) হাদীস
নং ( ১৫ : ১৫ ১) তাতে হাদীন্সের ভাষ্য ঈযৎ পরিবতা৷ বিদ্যমান ৷ আর আবু আহমাব্লুদর সুত্রে বর্ণিত রেওয়ায়েতে
রয়েছে-তাদেরকে সত্যের নিকটতর দলটি হত্যা করবে ৷ ২ ৭৪ ৬ হাদীস নং (১৫৩) ৷


مِثْلُهُ؟ ! فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ إِلَّا خَيْرًا، وَمَا بَلَغَنِي إِلَّا خَيْرٌ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُهُ - وَأَشَارَ بِيَدِهِ - فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَضَعَ مِنْهُ. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، ثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُخَيْمِرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا مَرْيَمَ الْأَزْدِيَّ أَخْبَرَهُ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: مَا أَنْعَمَنَا بِكَ أَبَا فَلَانٍ؟ - وَهِيَ كَلِمَةٌ تَقُولُهَا الْعَرَبُ - فَقُلْتُ: حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ أُخْبِرُكَ بِهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ وَلَّاهُ اللَّهُ - عَزَّ وَجَلَّ - شَيْئًا مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ، فَاحْتَجَبَ دُونَ حَاجَتِهِمْ وَخَلَّتِهِمْ وَفَقْرِهِمْ، احْتَجَبَ اللَّهُ دُونَ حَاجَتِهِ وَخَلَّتِهِ وَفَقْرِهِ ".» قَالَ: فَجَعَلَ رَجُلًا عَلَى حَوَائِجِ النَّاسِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، ثَنَا حَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ قَالَ: خَرَجَ مُعَاوِيَةُ عَلَى النَّاسِ، فَقَامُوا لَهُ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَتَمَثَّلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ".»
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৫


তার৷ মর্শ্বগফিরাতপ্রাপ্ত ৷” ওযড়াকী আমাশ ৷থেকে, তিনি আবু সালিহ থেকে বর্ণনা করেছেন
তিনি (আবু সালিহ) বলেন হুদী গায়ক (হযরত ৩উসমড়ানের খিলাফতকালে) উসমানের উল্লেখ
করার পর আবৃত্তি করত
১া

অর্থ, তার পর আমীর হলেন আলী যুবাইর হলেন সন্তোযভ৷ জন স্থলবর্তী ৷ তখন কার
বলল যে বরং ধুসর বর্ণ খচচরের আরোহী অর্থাৎ মুআবিয়া৷ ৫স বলল, আবু ঈ সহাক আপনি
একথা বলছেন অথচ এখানে আলী যুবাইর এবং মুহাম্মাদ (সা) এর অন্য সাথীরা রয়েছেন ৷

, গ্রষ্ষ্ষ্-১ ন্ঙু’

তিনি বলেন তুমি তার অধিকারী ৷ সাইফ বদর ইবন খলিল থেকে, তিনি উসমান ইবন
আতিয়ব্রু৷ আল আসাদী থ্রেকে,৩ তিনি বনী আস্যাদর জনৈক ব্যক্তি থেকে তা বর্ণনা করেন ৷ সে
বলেছে, হযরত উসমানের খিলাফতকালে হুদী পায়ককে “তারপর আমীর হলেন আলী, আর
যুরাইর হলেন সন্তোষভাজন স্থলবর্তী ৷ একথা আবৃত্তি, করতে শোনার পর থেকে মুআবিয়া
(রা)-এর আকাডধী ছিলেন ৷ তখন কাব বলেন, তুমি মিথ্যা রলেছ ৷ বরং ধুসর খচচরের
আরােহী অর্থাৎ মুআৰিয়া ৷ এরপর যখন মুআবিয়৷ (বা) সে ব্যাপারে তাকে বলেন, তখন তিনি
বলেন, আপনিই তারপরে আমীর ! কিন্তু, আল্লাহর শপথ ! আমার এই হাদীসকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন না করে তা আপনার নাগাল পারে না ৷ তখন বিষয়টি হররত মুআবিয়ার মনে,
ব্লেখাপাতকরল ৷ :

ইবন আবু দুনয়া বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন আববাদ মাকী বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমাদেরকে সুফিয়ান ইবন উয়াইনা বর্ণনা করেছেন,৩ তিনি আবু হারুন থেকে,৩ তিনি
বলেন, উমর (রা) বলেছেন,আমার পর তোমরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে সাবধান থেকে৷ ৷
যদি তোমরা তা করে৷ তাহলে শামে মুআব্লিয়া রয়েছে ৷ আর যদি তােমাদেরকে তোমাদের
নিজস্ব মতে তর সােপর্দ করা হয় ৷ তাহলে অচিরেই তোমরা জানতে পারবে, কিভাবে যে
তেমাদেব পদ দিয়ে তা কু ক্ষিগত ৩করে ৷ অন্য একটি সুত্রে ওয়াকিদী উমর (রা) থেকে তা বর্ণনা
করেন ৷ আর ইবন আসাকির আমীর ৷ বী থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (বা) যখন
সিফ্ফীনের যুদ্ধের পুর্বে জারীব ইবন আবদুল্লাহ আল-রাজালীকে হযরত মুআবিয়ার কাছে
পাঠালেনআর এটা ছিল যখন আলী (বা) শামে অভিযানের উদ্দেশ্যে সৈন্য সমবেত করে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিলেন তখন তিনি তার সাথে হযরত মুআবিয়ার বরাবর একটি পত্রও প্রেরণ
করেন, এতে তিনি উল্লেখ করেন যে (বর্তমান পরিস্থিতি) তার জন্যত তার বাই আত ওয়াজিব
হয়ে পড়েছে ৷ কেননা, ইতিমধ্যেই মুহাজির আনসারগণত তার বাইআত গ্রহণ করেছেন ৷ এরপর
, তিনি লেখেন, আর যদি তুমি বাইআত না কর, তাহলে আমি আল্লুদ্বুহ্র সাহায্য প্রার্থনা করে
তোমার বিরুদ্ধে লড়াই করব ৷ আর উসমানের হত্যাকারীদের ব্যাপারে তুমি অনেক বেশি কিছু
বল্যেছা ৷ সকলে যে বিষয়ে (কর্তৃত্বে) প্রবেশ করেছে তুমিও তাতে প্রবেশ কর ৷ তারপর
তোমার কর্তৃতৃাধীন লোকদের আমার কর্তৃত্বে সমর্পণ কর ৷ আমি তোমাকে এবং তাদেরকে
কিতাবুল্লাহ্র বিধানে পরিচালিত করব ৷ এরপর দীর্ঘ বক্তব্য রয়েছে যার অধিকাত্শ আমরা
ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ মুআবিয়া (বা) তার লোকদের তা পাঠ করে গােনালেন এবং জারীর
(বা) র্দাড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য তুলে ধরনের এবং তার বক্তব্যে মুআবিয়া (রা)-
কে শ্রবণ ও আনুপত্যের নির্দেশ দিলেন, বিরোধিতা ও হঠকারিতা থেকে তাকে সতর্ক করলেন ন্

া^৷মোঃ (হ্র ৷ ৷ব্র ৷৷€ র্নো০ ওো৷া



وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: خَرَجَ مُعَاوِيَةُ عَلَى ابْنِ عَامِرٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَامَ لَهُ ابْنُ عَامِرٍ، وَلَمْ يَقُمْ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِابْنِ عَامِرٍ: اجْلِسْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَتَمَثَّلَ لَهُ الْعِبَادُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ".» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ: مِنْ حَدِيثِ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ الْمُقْرَائِيِّ الْحِمْصِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكَ إِنْ تَتَبَّعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدْتَهُمْ. أَوْ: كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ ".» قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةٌ سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ نَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. يَعْنِي أَنَّهُ كَانَ جَيِّدَ السِّيرَةِ، حَسَنَ التَّجَاوُزِ، جَمِيلَ الْعَفْوِ، كَثِيرَ السِّتْرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهُهُ فِي الدِّينِ، وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللَّهُ يُعْطِي، وَلَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ ".» وَفِي رِوَايَةٍ: «وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ ".» وَقَدْ خَطَبَ مُعَاوِيَةُ بِهَذَا الْحَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৬
مَرَّةً ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا مَالِكُ بْنُ يُخَامِرَ يُخْبِرُ عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَهُمْ بِالشَّامِ» فَحَثَّ بِهَذَا أَهْلَ الشَّامِ عَلَى مُنَاجَزَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ - وَإِنَّ أَهْلَ الشَّامِ هُمُ الطَّائِفَةُ الْمَنْصُورَةُ عَلَى مَنْ خَالَفَهَا. وَهَذَا مِمَّا كَانَ يَحْتَجُّ بِهِ مُعَاوِيَةُ لِأَهْلِ الشَّامِ فِي قِتَالِهِمْ أَهْلَ الْعِرَاقِ. وَقَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ فَتَحَ مُعَاوِيَةُ قَيْسَارِيَّةَ سَنَةَ تِسْعَ عَشْرَةَ فِي دَوْلَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَفَتَحَ قُبْرُسَ سَنَةَ خَمْسٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ. فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ. قَالُوا: وَكَانَ عَامَ غَزْوَةِ الْمَضِيقِ - يَعْنِي مَضِيقَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ - فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ الْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ يَوْمَئِذٍ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَجَمَعَ عُثْمَانُ لِمُعَاوِيَةَ جَمِيعَ الشَّامِ، وَقَدِ اسْتَقْضَى مُعَاوِيَةُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ بَعْدَ أَبِي الدَّرْدَاءِ، ثُمَّ كَانَ مَا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَلِيٍّ بَعْدَ قَتَلِ عُثْمَانَ، عَلَى سَبِيلِ الِاجْتِهَادِ وَالرَّأْيِ، فَجَرَى بَيْنَهُمَا قِتَالٌ عَظِيمٌ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَكَانَ الْحَقُّ وَالصَّوَابُ مَعَ عَلِيٍّ، وَمُعَاوِيَةُ مَعْذُورٌ عِنْدَ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ سَلَفًا وَخَلَفًا، وَقَدْ شَهِدَتِ الْأَحَادِيثُ الصَّحِيحَةُ بِالْإِسْلَامِ لِلْفَرِيقَيْنِ مِنَ الطَّرَفَيْنِ ; أَهْلِ الْعِرَاقِ وَأَهْلِ الشَّامِ. كَمَا ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ " الصَّحِيحِ ": " «تَمْرُقُ مَارِقَةٌ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৭


এবং লোকদের মাঝে বািত দ বিশৃগ্রল৷ সৃষ্টি করা থেকে এবং তাদেরকে একে অন্যের বিরুদ্ধে
তরবাবি ধারণে বাধ্য করা থেকে নিষেধ করলেন ৷ মু আবিয়৷ বলেন, তুমি অপেক্ষা কর যাতে
আমি শামবাসীর মত গ্রহণ করতে পারি ৷ এরপর হযরত মুআবিয়া জনৈক ঘোষককে নির্দেশ
দিলেন যে লোকদের মাঝে ঘোষণা করল ! সালাতের সময় হয়ে গেছে ! এরপর যখন লোকজন
সমবেত হল তখন যুআবিয়৷ (রা) মিম্বরে আরোহণ করে খুৎব৷ দিলেন, তিনি বলেন, সকল
প্রশংসা ঐ অ ৷ল্লাহ্র যিনি মৌলিক পাচ বিধানকে ইসলামের স্তম্ভ করেছেন এবং শ্ারয়ী আ কীদ৷ ও
তবীকাসমুহকে ঈমানের চিহ্ন ও প্রমাণ করেছেন ৷ আর সুন্নাতের দ্বারা ঐ পবিত্র ভুখণ্ডে ইসলামের
প্রদীপ প্রোজ্জ্বল করেছেন, মহান আল্লাহ নবীগণের ও ওলীগণের ক্ষেত্র রানিয়েছেন ৷ তারপর
শামবানাকে সেখানে অবতরণ করিয়েছেন এবং তাদের জন্য তাকে মনোনীত করেন ৷ কেননা,
তীর সুরক্ষিত জ্ঞানে একথা লিপিবদ্ধ ছিল যে এরা এই ভুখণ্ডে প্রিয়জনগণের এবং তার
নির্দেশপালনকারী দীন ও দীনের মর্যাদা রক্ষায় লড়াইকারীদের অনুগত ও হিতাকাত্তক্ষী ৷
তারপর তাদেরকে এই উম্মতের জন্য করেছেন ভিত্তি ও অবলম্বন এবং কল্যাণকর্মে

মহাজ়ন৩ ৷ তাদের দ্বারা আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীদের প্রতিহত করবেন এবং যু’মিনগণের

মাঝে সৌহার্দ সমপ্রীতি বজায় রাখঃরেন ৷ যুসলমানগণের মাঝে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে এবং
ভৈনকট্য ও ঐক্যের পর যে দুরতু সৃষ্টি হয়েছে৩ তার সংশোধনের জ্যা আমরা আল্লাহ্রই সাহায্য

প্রার্থনা করছি ৷ হে আল্লাহ ! এমন সম্প্রদায়ের ৰিকদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন যারা ঘুমত
কে জাগ্রত করে, নিরাপদকে শঙ্কিত করে, যারা আমাদের রক্ত প্রবাহিত করতে চায় এবং

আমাদের পথসমুহকেণ্ড ভীতিপ্ৰদ করতে চায় ৷ আর আল্লাহ্ জানেন, আমরা :তালোঃকে শাস্তি
দিতে চাই না এরৎ৩ তাদেরকে বেআব্রু করতে চইি না ৷ তবে সর্ব প্রশংসিত আ ৷ল্লাহ্ আমাদেরকে
মর্যাদার যে পরিধেয় পরিয়েছেন, স্বেচ্ছায় আমরা তা থুলব না ৷ যত দিন শব্দ প্ৰতিধ্বনিত হবে
এবং শিশির পতিত হবে এবং হিদায়েত পরিজ্ঞাত হবে৷ আমরা ভাল ভাবেই জেনেছি যে,
আমাদের প্রতি অ্বিচার ও ঈর্ষা তাদেরকে আমাদের বিরােধি৩ ৷য় প্ররোচিত করেছে ৷ তদের
বিরুদ্ধে আমরা আল্লাহ্রই সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ (,হ লোক সকল তোমরা নিশ্চিতভাবে জান
যে, অমি আমীরুল মু’মিনীন ! উমর ইবনৃল খাত্তাবের নিয়োগকৃত৫ স্থলরর্তী এবং আমীরুল ,
মু মিনীন ৷ উসমান ইয্ন আফ্ফানের স্থলবর্তী ৷ তোমরা এও জানাে যে, আমি তোমাদের কোন
ব্যক্তিকে অনিষ্টে বা অপদস্থতায় ফেলে নি৷ আমি উসমানের ওলীৰু ও তার চাচাভাে ভইি ৷
আল্লাহ তার কিভাবে বলেছেন-

অর্থ০ আর কেউ তন্যো৷য়ভাবেঃ নিহত হলে তার উতরাধিকারাকে৫ তা আমি তা প্ৰতিকারের

অধিকার দিয়েছি ৷ (সৃরাইসরা ৩৩) ৷ আর আমরা তো জানাে যে, তিনি অন্যায়ভাবে নিহত
হয়েছেন উসমান হত্যার ব্যাপারে আমি চাই তোমরা আমাকে তোমাদের মনের কথা
জানাও’ ’



১ জারীর ইবন আরদুল্লাহর খুৎবা দ্রচ ফুতুহ ইধনুল আ ছাম ২৩৭৯-৩৮০

২ ইবন আ ছমে প্রদীপের অর্থবােধক ভিন্ন শব্দ রয়েছে ৷

২ ইবনল আ ছামে রয়েছে তারপর এই নিরাপদ শহরের জন্য সুশৃগ্রল ব্যবস্থা এবং তার পন্থাসমুহের জন্য
চিহ্ হ্নসমৃহ নির্ধারণ করেছেন ৷


الْمُسْلِمِينَ، فَيَقْتُلُهَا أَدْنَى الطَّائِفَتَيْنِ إِلَى الْحَقِّ» ". فَكَانَتِ الْمَارِقَةُ الْخَوَارِجَ، وَقَتَلَهُمْ عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ قُتِلَ عَلِيٌّ، فَاسْتَقَلَّ مُعَاوِيَةُ بِالْأَمْرِ سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ، وَكَانَ يَغْزُو الرُّومَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّتَيْنِ ; مَرَّةً فِي الصَّيْفِ، وَمَرَّةً فِي الشِّتَاءِ، وَيَأْمُرُ رَجُلًا مِنْ قَوْمِهِ فَيَحُجُّ بِالنَّاسِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ مُعَاوِيَةُ سَنَةَ خَمْسِينَ، وَحَجَّ ابْنُهُ يَزِيدُ سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ، وَفِيهَا أَوْ فِي الَّتِي بَعْدَهَا أَغْزَاهُ بِلَادَ الرُّومِ، فَسَارَ مَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ كُبَرَاءِ الصَّحَابَةِ حَتَّى حَاصَرَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ ": " «أَوَّلُ جَيْشٍ يَغْزُو الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ مَغْفُورٌ لَهُمْ» ". وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا كُلُّهُ. وَقَالَ وَكِيعٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ: كَانَ الْحَادِي يَحْدُو بِعُثْمَانَ فَيَقُولُ: إِنَّ الْأَمِيرَ بَعْدَهُ عَلِيُّ ... وَفِي الزُّبَيْرِ خَلَفٌ مَرْضِيُّ فَقَالَ كَعْبٌ: بَلْ هُوَ صَاحِبُ الْبَغْلَةِ الشَّهْبَاءِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ، تَقُولُ هَذَا، وَهَاهُنَا عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَأَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: أَنْتَ صَاحِبُهَا. وَرَوَاهُ سَيْفٌ، عَنْ بَدْرِ بْنِ الْخَلِيلِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَطِيَّةَ الْأَسَدِيِّ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ قَالَ: مَا زَالَ مُعَاوِيَةُ يَطْمَعُ فِيهَا مُنْذُ سَمِعَ الْحَادِي فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ يَقُولُ: إِنَّ الْأَمِيرَ بَعْدَهُ عَلِيُّ ... وَفِي الزُّبَيْرِ خَلَفٌ مَرْضِيُّ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৮


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

তখন সকল শামবাসী একযোগে বলে উঠল, অবশ্যই আমরা তার রক্তের বাংলা চাই ৷
তারাসে ব্যাপারেও তার আহবানে সাড়া দিয়ে তার হাতে তুন বই আত করল এবং তাকে এ
বিষয়ের নিশ্চয়তা দিল যে, এ ক্ষেত্রে তাদের জ ৷নমাল উৎসর্গ করবে, হয় তারা তার প্রতিশোধ
গ্রহণ কিংবা ৩ যে পুর্বেই মহান আল্লাহ্ত তাদের প্রাণসমুহ নিংশেষ করবেন ৷ এরপর জারীর যখন
মু,আবিয়া (রা) এর প্রতি শামবাসীর এইরুপ আনুগত্য প্রত্যক্ষ করল, তাকে তা শস্কিত ও
বিস্মিত করল ৷ এরপর মৃআবিয়া জারীরকে বলেন, আলী যদি আমাকে মিশর ও শামের
প্রশাসক নিাযাগ করেন তাহলে আমি তার হাতে এই শার্ত বাইআত করব যে, তার পরবর্তী
খলীফ৷ ৷হব আমি ৷ জারীর বলেন, তুমি আলীর কাছে ৷৩ আমার মনের ইচ্ছা র কথা লিখ, আমিও
, তোমার সাথে লিখব ৷ এরপর যখন হযরত আলীর কাছে পত্র পৌছল তিনি বলেন এটা
প্রতারণা ৷ আমি মদীনায় থাকা কালে মুপীর৷ ইবন শুব৷ আমাকে অনুরোধ করেছিল, যেন আমি
মু আবিয়াকে শামের গভর্নর করি ৷ কিন্তু আমি তা অস্বীক৷ র করেছি ——
)
আর আমি বিভ্রাতদের সাহায্য গ্রহণ করার নই (সুরা কাফং : ৫ ১ ) ৷
এরপর তিনি জারীরকে তার কাছে আগমনের নির্দেশ দিয়ে পত্র লিখলেন ৷ তার আগমনের
পুর্বেই যুদ্ধের উদ্দেশ্যে হযরত আলীর নেতৃত্বে সৈন্যদল সমবেত হয়েছিল ৷ এদিকে মুআৰিয়া
(রা) আমর ইবনুল আস (রা)-এর কাছে পত্র প্রেরণ করলেন ৷ হযরত উসমান (রা) নিহত
হওয়ার স্ময় তিনি ফিলিস্তীনে একাকী অবস্থান করছিলেন ৷ উসমান (যা) তাকে মিশরের
গভর্নর পদ থেকে অপসারণ করার পর তিনি এখানে স্বেচ্ছ৷ নির্বাসনে ছিলেন ৷ হযরত
মুআবিয়া তার বিষয়সমুহে তার পরামর্শ চেয়ে তাকে শামে আহবান করলেন ৷ তিনি তার কাছে
আগমন করলেন এবং হযরত আলীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হলেন ৷ মুআবিয়া (রা) যখন
শাম ও মিশরের কর্তৃতু চেয়ে হযরত আলীর কাছে পত্র প্রেরণ করেন তখন এব্যাপারে উক্বা
ইবন আবি যুআয়ত কথা বলেন ৷১ তখন তিনি এ ব্যাপারে মুআবিয়াকে (রা) তাসন৷ ও
তিরস্কার করে এবং কয়েকটি বিষয়ের প্ৰতি ইঙ্গিত করে লিখেন-



১ মুল গ্রন্থে এরুপই বিদ্যমান ৷ তার সঠিক হল ওয়ালীদ ইবন উকবা ইবন আবি মুআয়ত ৷ আর তার এই
কাব্যা শ ঐ কবিতার অ শ যা৩ তিনি মুআবিয়৷ (রা) ও তার ভইি উত্বা ইবন আবু সুফ্ইয়ানাক উদ্দেশ্য করে
রচনা করেন ৷ যাতে তিনি মুআবিয়া (রা) এর অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করেন এবং উত্রাকে উৎসাহিত করেন ৷
যার একা শ হল


অর্থং ৷হ উতৃবা! তোমার ভাইকে লড়াইয়ে উটুদ্বুদ্ধ কর, আর সন্ধিকাৰীর সন্ধি থেকে দুরে রাখ ৷ তুমি তো
প্রবাদ পুরুষ সখারর সাদৃশ্য লাভ করেছে৷ ৷ আর যে তার সদৃশ হবে যে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে ৷ অপর
এক কাব্যে মু আবিয়৷ (রা)-াক উৎসাহ দিয়ে বলেন,


অর্থ৪ আল্লাহর শপথ হিন্দ তোমার মা নয় ৷ যদি দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উসমান হত্যার বাংলা
সেরা না হয় ৷ গােত্রপতিকে হতা৷ কার্ গোত্রের গোলাম অথচ তোমরা তাকে হত্যা কর নি ৷ হার ! তোমার মা
যদি বন্ধ্য৷ হত তাহলেই ভাল হত ৷ আলশ্ইসতিয়াব ৩৬৩৬স্ফুতুহ্ ইবনুল আছাম২৩৯৫ ৷




فَقَالَ كَعْبٌ: كَذَبْتَ، بَلْ صَاحِبُ الْبَغْلَةِ الشَّهْبَاءِ بَعْدَهُ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ فِيَّ ذَلِكَ، فَقَالَ: نَعَمْ، أَنْتَ الْأَمِيرُ بَعْدَهُ، وَلَكِنَّهَا وَاللَّهِ لَا تَصِلُ إِلَيْكَ حَتَّى تُكَذِّبَ بِحَدِيثِي هَذَا، فَوَقَعَتْ فِي نَفْسِ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْمَكِّيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: إِيَّاكُمْ وَالْفُرْقَةَ بَعْدِي، فَإِنْ فَعَلْتُمْ فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، وَسَتَعْلَمُونَ إِذَا وُكِلْتُمْ إِلَى رَأْيِكُمْ كَيْفَ يَسْتَبِزُّهَا دُونَكُمْ. وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ عَلِيًّا حِينَ بَعَثَ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ إِلَى مُعَاوِيَةَ قَبْلَ وَقْعَةِ صِفِّينَ - وَذَلِكَ حِينَ عَزَمَ عَلِيٌّ عَلَى قَصْدِ الشَّامِ، وَجَمَعَ الْجُيُوشَ لِذَلِكَ - وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى مُعَاوِيَةَ يَذْكُرُ لَهُ فِيهِ أَنَّهُ قَدْ لَزِمَتْهُ بَيْعَتُهُ ; لِأَنَّهُ قَدْ بَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، فَإِنْ لَمْ تُبَايِعِ اسْتَعَنْتُ بِاللَّهِ عَلَيْكَ وَقَاتَلْتُكَ. وَقَدْ أَكْثَرْتَ الْقَوْلَ فِي قَتَلَةِ عُثْمَانَ، فَادْخُلْ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ، ثُمَّ حَاكِمِ الْقَوْمَ إِلَيَّ أَحْمِلْكَ وَإِيَّاهُمْ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ، وَقَدْ قَدَّمْنَا أَكْثَرَهُ فِيمَا سَلَفَ - فَقَرَأَهُ مُعَاوِيَةُ عَلَى النَّاسِ، وَقَامَ جَرِيرٌ فَخَطَبَ النَّاسَ، وَأَمَرَ فِي خُطْبَتِهِ مُعَاوِيَةَ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَحَذَّرَهُ مِنَ الْمُخَالَفَةِ وَالْمُعَانَدَةِ، وَنَهَاهُ عَنْ إِيقَاعِ الْفِتْنَةِ بَيْنَ النَّاسِ، وَأَنْ يَضْرِبَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِالسُّيُوفِ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: انْتَظِرْ حَتَّى آخُذَ رَأْيَ أَهْلِ الشَّامِ. فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَمَرَ مُعَاوِيَةُ مُنَادِيًا، فَنَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৯৯
الَّذِي جَعَلَ الدَّعَائِمَ لِلْإِسْلَامِ أَرْكَانًا، وَالشَّرَائِعَ لِلْإِيمَانِ بُرْهَانًا، يَتَوَقَّدُ مِصْبَاحُهُ بِالسَّنَةِ فِي الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ مَحِلَّ الْأَنْبِيَاءِ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِهِ، فَأَحَلَّهَا أَهْلَ الشَّامِ وَرَضِيَهُمْ لَهَا، وَرَضِيَهَا لَهُمْ ; لِمَا سَبَقَ مِنْ مَكْنُونِ عِلْمِهِ مِنْ طَاعَتِهِمْ وَمُنَاصَحَتِهِمْ أَوْلِيَاءَهُ فِيهَا، وَالْقُوَّامَ بِأَمْرِهِ، الذَّابِّينَ عَنْ دِينِهِ وَحُرُمَاتِهِ، ثُمَّ جَعَلَهُمْ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ نِظَامًا، وَفِي أَعْلَامِ الْخَيْرِ عِظَامًا، يَرْدَعُ اللَّهُ بِهِمُ النَّاكِثِينَ، وَيَجْمَعُ بِهِمْ أُلْفَةَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهَ نَسْتَعِينُ عَلَى مَا تَشَعَّثَ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ، وَتَبَاعَدَ بَيْنَهُمْ بَعْدَ الْقُرْبِ وَالْأُلْفَةِ، اللَّهُمَّ انْصُرْنَا عَلَى قَوْمٍ يُوقِظُونَ نَائِمًا، وَيُخِيفُونَ آمِنَنًا، وَيُرِيدُونَ هِرَاقَةَ دِمَائِنَا، وَإِخَافَةَ سَبِيلِنَا، وَقَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ أَنَّا لَا نُرِيدُ لَهُمْ عِقَابًا، وَلَا نَهْتِكُ لَهُمْ حِجَابًا، غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ الْحَمِيدَ كَسَانَا مِنَ الْكَرَامَةِ ثَوْبًا لَنْ نَنْزِعَهُ طَوْعًا مَا جَاوَبَ الصَّدَى، وَسَقَطَ النَّدَى، وَعُرِفَ الْهُدَى، وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ الَّذِي حَمَلَهُمْ عَلَى خِلَافِنَا الْبَغْيُ وَالْحَسَدُ لَنَا، فَاللَّهَ نَسْتَعِينُ عَلَيْهِمْ، أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي خَلِيفَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَأَنِّي خَلِيفَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ عَلَيْكُمْ، وَأَنِّي لَمْ أُقِمْ رَجُلًا مِنْكُمْ عَلَى خِزَايَةٍ قَطُّ، وَأَنِّي وَلِيُّ عُثْمَانَ وَابْنُ عَمِّهِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: {وَمَنْ قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا} [الإسراء: 33] . وَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّهُ قُتِلَ مَظْلُومًا، وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تُعْلِمُونِي ذَاتَ أَنْفُسِكُمْ فِي قَتْلِ عُثْمَانَ. فَقَالَ أَهْلُ الشَّامِ بِأَجْمَعِهِمْ: بَلْ نَطْلُبُ بِدَمِهِ. فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ وَبَايَعُوهُ، وَوَثَّقُوا لَهُ أَنْ يَبْذُلُوا فِي ذَلِكَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، أَوْ يُدْرِكُوا بِثَأْرِهِ، أَوْ يُفْنِيَ اللَّهُ أَرْوَاحَهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ. فَلَمَّا رَأَى جَرِيرٌ مِنْ طَاعَةِ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৬৬০০

১২৪ ৮ অলেণ্ণ্বিদহ্বয়া ওয়ান নিহম্পে

ম ন্সহ্ববিযা : শাম তামার সৌন্দর্য তিলক ৰু ৷কে রক্ষ করে খাল কেটে কুমিব ডেকে এধ্না না

;১দ্লী তোমার উত্তরের প্ৰতীক্ষারত তাকে তুমি এমন যুদ্ধের পথ দেখাও যা যােদ্ধাকে
ব্যর্ধকাগ্রস্ত করে ফেলে ৷






ণ্ ,০ধ্,
এবং ভ্রত্বর চারপাশে আত্রন্ ত্রাণ ও বর্শাঘাত নিয়ে চক্কর দেয় আর তুমি আহত কিংবা দৃরল
হয়ো না ৷
অন্যথায় আত্মসমর্পণ কর কেননা যে যুদ্ধ চায় না অযুদ্ধেত আর স্বস্তি, মৃআবিয়া তুমি যে
কোনটি বেছে নাণ্ন্ :
হহারবের ছেলে ৰু এক পত্র আমি লিখেছি এমন আকাক্ষোর বশবর্তী হয়ে যা তেমোর
উপর বহু৩ আপদ টেনে আনবে ৷
তাতে আমি আলীর কাছে চেয়েছি যা তুমি হয়ত পাবে না আর যদি পাও তাহলেও তো
স্বল্পকাল বাকী থাকবে ; ধ্
তীর পক্ষ থেকে ঐ চুড়ান্ত আক্রমণের পুর্ব পর্যন্ত যার পর আর র রুত্ব নেই ৰু কাত্তের্হি আশা
আকাংক্ষায় বিভোর হয়ো না !








আর আলীর ন্যায় ব্যক্তিকে তুমি (র্ধষ্ককত্ত্ব দ্ব বা প্রত ৷রিত করছ ! ইতিপুর্বে তুমি যা ধ্বংস
করেংছা তিনি তা পড়েছেন ৷


একবার যদি তিনি তোমাকে বাগে পান তাহলে হে তিনদের হোল ! তুমি কােড় ফেলার পর
তিনি তোমাকে ফেৱড় ফেলবেন ৷

একাধিক সুত্রে বর্ণিত আছে যে, আবু মুসলিম খাওলানী এবং তীর সাথে একদল লোক
ৰুহযরত মুআবিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তারপর তাকে বলেন, আপনি আলীর সাথে
প্ৰতিদ্বন্দিতা করছেন ! আপনি কি তার সমকক্ষ? ব্ংনি বলেন আল্লাহর শপথ ! আমি জানি, তিনি
আমার চেয়ে গ্রেষ্ঠ এবং উক্ত! এবং খিলাফভে র অধিক উপযুক্ত ; ৷কন্তু তোমরা কি জানাে না যে প্
উসম ন অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন আর আমি তার চাচাত ভ তার বিষয়টি আমার দায়িত্বে
ন্যস্ত এবং তার হত্যার বাংলা চাই গ্ কাজেই তােমরা তাকে বল, তিনি উসমান হত্যাকারীদের
আমার হাতে তুলে দিনত তাহলে আমি আম র শাসন কর্তৃতু তার হাতে তুলে দেব ৷ তখন তারা
হযরত আলীর কাছে এসে এ ব্যাপারে কথা বলেন, কিন্তু তিনি কাউকে তাদের হাতে তুলে
দিলেন না ৷ ফলে শমেৰাসীরা হযরত মুআবিয়ার পক্ষে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল ;





ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

الشَّامِ لِمُعَاوِيَةَ مَا رَأَى، أَفْزَعَهُ ذَلِكَ، وَعَجِبَ مِنْهُ. وَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِجَرِيرٍ: إِنْ وَلَّانِي عَلَى الشَّامِ وَمِصْرَ بَايَعْتُهُ عَلَى أَلَّا يَكُونَ لِأَحَدٍ بَعْدَهُ عَلَيَّ بَيْعَةٌ. فَقَالَ: اكْتُبْ إِلَى عَلِيٍّ بِمَا شِئْتَ، وَأَنَا أَكْتُبُ مَعَكَ. فَلَمَّا بَلَغَ عَلِيًّا الْكِتَابُ قَالَ: هَذِهِ خَدِيعَةٌ، وَقَدْ سَأَلَنِي الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ أَنْ أُوَلِّيَ مُعَاوِيَةَ الشَّامَ وَأَنَا بِالْمَدِينَةِ، فَأَبَيْتُ ذَلِكَ {وَمَا كُنْتُ مُتَّخِذَ الْمُضِلِّينَ عَضُدًا} [الكهف: 51] . ثُمَّ كَتَبَ إِلَى جَرِيرٍ بِالْقُدُومِ عَلَيْهِ، فَمَا قَدِمَ إِلَّا وَقَدِ اجْتَمَعَتِ الْعَسَاكِرُ إِلَى عَلِيٍّ، وَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - وَكَانَ مُعْتَزِلًا بِفِلَسْطِينَ حِينَ قُتِلَ عُثْمَانُ - وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ عَزَلَهُ عَنْ مِصْرَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ يَسْتَدْعِيهِ لِيَسْتَشِيرَهُ فِي أُمُورِهِ، فَرَكِبَ إِلَيْهِ، فَاجْتَمَعَا عَلَى حَرْبِ عَلِيٍّ. وَقَدْ قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، فِي كِتَابِ مُعَاوِيَةَ إِلَى عَلِيٍّ حِينَ سَأَلَهُ نِيَابَةَ الشَّامِ وَمِصْرَ، فَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يُؤَنِّبُهُ وَيَلُومُهُ عَلَى ذَلِكَ وَيُعَرِّضُ بِأَشْيَاءَ فِيهِ: مُعَاوِيَ إِنَّ الشَّامَ شَامُكَ فَاعْتَصِمْ ... بِشَامِكَ لَا تُدْخِلْ عَلَيْكَ الْأَفَاعِيَا وَحَامِ عَلَيْهَا بِالْقَبَائِلِ وَالْقَنَا ... وَلَا تَكُ مَخْشُوشَ الذِّرَاعَيْنِ وَانِيَا فَإِنَّ عَلِيًّا نَاظِرٌ مَا تُجِيبُهُ ... فَأَهْدِ لَهُ حَرْبًا تُشِيبُ النَّوَاصِيَا وَإِلَّا فَسَلِّمْ إِنَّ فِي الْأَمْنِ رَاحَةً ... لِمَنْ لَا يُرِيدُ الْحَرْبَ فَاخْتَرْ مُعَاوِيَا وَإِنَّ كِتَابًا يَا ابْنَ حَرْبٍ كَتَبْتَهُ ... عَلَى طَمَعٍ جَانٍ عَلَيْكَ الدَّوَاهِيَا سَأَلْتَ عَلِيًّا فِيهِ مَا لَا تَنَالُهُ ... وَلَوْ نِلْتَهُ لَمْ يَبْقَ إِلَّا لَيَالِيَا إِلَى أَنْ تَرَى مِنْهُ الَّتِي لَيْسَ بَعْدَهَا ... بَقَاءٌ فَلَا تُكْثِرْ عَلَيْكَ الْأَمَانِيَا
পৃষ্ঠা - ৬৬০১

আমর ইবন শাম্মার থেকে বর্ণিত আছে, জ)বের জু’অফী থেকে তিনি আমেব শা বী এবং
আবু জাফর আল বাক্কির থেকে,৩ তিনি বলেন, আলী (বা) এই মর্মে তার পক্ষ থেকে একজন
সতর্কক)বী পাঠ)লেন যে আলী (বা) ইরাকব)সীদের সাথে )নিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর
হচ্ছেনষু মআবিয়)র (রা) জন্য তোমাদের আনুগত্য যাচাই করে দেখার উদ্দেশ্যে ) এই ব্যক্তি
য়খন আগমন করল তখন মুআবিয়)র (রা) নিদোশ লোকদের মাঝে ঘোষণা দিয়ে সকলকে
মসজিদে সমবেত হওয়ার আহবান জানান হল ) এরপর যখন মানুষের ভিড়ে মসজিদ পুর্ণ হয়ে
গেল, তখন তিনি মিম্বরে আরোহণ করেত গু)র খুৎবায় বলেন, আলী (বা ) ইর)কবাসীদের নিয়ে
তোমাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হচ্ছেন ) এখন তোমাদের সিদ্ধান্ত কী প্
তখন উপস্থিত সকলে নিজ )নজ বুক চাপড়)ল, কেউ কোন কথা বলল না ) এমনকি তার
দিকে চোখ উঠিয়ে ত)কাল না ৷ তখন যুল কাল)ত্য নামে এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল ! আযীরুন
মু’মিনীন ) সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িতু আপনার ৷ আমাদের দায়িতু নির্দেশ পালন ৷ তারপর
মুআবিয়া (রা) লোকদের মাঝে (ৰুঘাষণ) করলেন, তিন দিনের মাঝে তোমরা তোমাদের সেনা
ছাউনিত বেরিয়ে পড় ) আর যে এরপর পিছিয়ে পড়বে সে নিজেকে দায়মুক্ত করে নিন, বিপন্ন
করল)
এরপর তারা সকলেই সেই সেনা ছাউনিধ্ব § সমবেত হল ) এরপর সেই ব্যক্তি (দুত ) ফিরে
গিয়ে আলী (রা) কে পরিস্থিতি;অরহিত করল ) আলী (বা) এর নির্দেশে জনৈক ঘোষক
সকলকে মসজিদে সমবেত হওয়ার আহবানজ্বানিয়ে ঘোষণা দিল তারপর লোকজন সমবেত
হলে আলী (রা) মিম্বরে আরোহণ করে বলেন, মুআবির) তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য
শামব)সীদের সমবেত করেছেন, এখন তোমাদের সিদ্ধ) )ন্ত কী ? একেক দল একেক কথা বলল
এবং তাদের কথাসমুহ তালগােল পাকিয়ে গেল এবং আলী (বা) তাদের কোন বক্তব্যই
সঠিকব) ৩ )বে বুঝতে পারলেন ন) ৷ তিনি ফিরে থেকে নামতে নামতে বললেন, ইন্ন)লিল্লাহি ওর)
ইন্ন) ইলারহি র)জিউন’ আল্লাহর শপথ ন্ কলিজ) তক্ষণকারিণীর (হিন্দ) ছোলই সফল হল ৷ ন্
এরপর উভয় পক্ষের মাঝে সিফ্ফীনে যা ঘট)র ঘটেছিল ৷ যেমন আমরা £ত ত্রিশ হিজরীর
আলোচনায় বিশদভ)বে উল্লেখ করেছি )
আবু বকর ইবন দৃরাইদ বলেন, আমাদেরকে আবু হ র্টম বর্ণনা করেছেন, তিনি আবু
উবায়দা থেকে তিনি বলেন, মুআ )বিয়া বলেছেন, সিফ্ফীন যুদ্ধের দিন রেক)বিৰব্লুত প) রাখ)মাত্র
পরাজয় মেনে নেওয়ার উপক্রম হয়েতািম কিন্তু, ইবনৃল আত্ন)ব)র কথা আমাকে তা থেকে
বিরত (রখেছিল ৷ সে বলছে

আমার চারিত্রিক শুঢিতা ও প্রচেষ্টা এবং লাভজনক মুল্যে প্রশংসা গ্রহণ অস্বীকার করেছে )
এবং যুদ্ধ বিপদে নিজেকে ব)ধ্য কর) এবং আম) কভুবিদ্ব অপ্রতিহত বীরের থুলি উড়িয়ে

দে ওয়া ,
এবং যখনই আমার মন শঙ্কিত ব) বিক্ষিপ্ত হয় তখন আমার তাকে একথা রলা স্বন্থানে
অবিচল থাক তাহলে প্রশংসিত হবে কিংবা চিরশান্তি পাবে ৷ ”



আল-বিদায়) ওয়ান নিহায়া৩২
, ণোমোঃ(হ্রাশ্রো)৪র্নো০ওে)))



وَمِثْلُ عَلِيٍّ تَغْتَرِرْهُ بِخَدْعَةٍ ... وَقَدْ كَانَ مَا جَرَّبْتَ مِنْ قَبْلُ كَافِيَا وَلَوْ نَشِبَتْ أَظْفَارُهُ فِيكَ مَرَّةً ... حَذَاكَ ابْنَ هِنْدَ بَعْدَ مَا كُنْتَ حَاذَيَا وَقَدْ وَرَدَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيَّ وَجَمَاعَةً مَعَهُ دَخَلُوا عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَقَالُوا لَهُ: أَنْتَ تُنَازِعُ عَلِيًّا أَمْ أَنْتَ مِثْلُهُ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّهُ خَيْرٌ مِنِّي وَأَفْضَلُ، وَأَحَقُّ بِالْأَمْرِ مِنِّي، وَلَكِنْ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ عُثْمَانَ قُتِلَ مَظْلُومًا، وَأَنَا ابْنُ عَمِّهِ، وَأَنَا أَطْلُبُ بِدَمِهِ، وَأَمْرُهُ إِلَيَّ؟ فَقُولُوا لَهُ فَلْيُسَلِّمْ إِلَيَّ قَتَلَةَ عُثْمَانَ، وَأَنَا أُسَلِّمُ لَهُ أَمْرَهُ. فَأَتَوْا عَلِيًّا، فَكَلَّمُوهُ فِي ذَلِكَ، فَلَمْ يَدْفَعْ إِلَيْهِمْ أَحَدًا، فَعِنْدَ ذَلِكَ صَمَّمَ أَهْلُ الشَّامِ عَلَى الْقِتَالِ مَعَ مُعَاوِيَةَ. وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شَمِرٍ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ أَوْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، قَالَ: بَعَثَ عَلِيٌّ رَجُلًا إِلَى دِمَشْقَ يُنْذِرُهُمْ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ نَهَدَ فِي أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَيْكُمْ ; لِيَسْتَعْلِمَ طَاعَتَهُمْ لِمُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا قَدِمَ، أَمَرَ مُعَاوِيَةُ فَنُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَمَلَئُوا الْمَسْجِدَ، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ عَلِيًّا قَدْ نَهَدَ إِلَيْكُمْ فِي أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَمَا الرَّأْيُ؟ فَضَرَبَ كُلٌّ مِنْهُمْ عَلَى صَدْرِهِ، وَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَلَا رَفَعُوا إِلَيْهِ أَبْصَارَهُمْ، وَقَامَ ذُو الْكَلَاعِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، عَلَيْكَ الرَّأْيُ وَعَلَيْنَا امْفِعَالٌ. يَعْنِي: الْفِعَالَ. ثُمَّ نَادَى مُعَاوِيَةُ فِي النَّاسِ أَنِ اخْرُجُوا
পৃষ্ঠা - ৬৬০২


বাইহাকী ইমাম আহমাদের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেছেন, খলীফা হলেনঃ, আবু বকর, উমর,
উসমান ও আলী ৷ র্তাকে প্রশ্ন করা হল তাহলে মুআবিয়া? তিনি বলেন, হযরত আলীর সময়ে
কেউই খিলাফতের ব্যাপারে তার চেয়ে অধিক হকদার বা উপযুক্ত ছিলেন না ৷ আর
মুআবিয়াকে আল্লাহ রহম করুন ৷ আলী ইবন মাদানী (র) বলেন, আমি সুফিয়ান ইবন
উইয়াইনাকে বলতে শুনেছি হযরত আলীর মাঝে এমন একটি বিষরও ছিল না, যা
খিলাফতের অনুপযুক্ত করতে পারে, তন্ধ্রপ ঘুআবিয়ার (বা) মাঝে এমন একটি গুণও ছিল না

যাদ্বারা তিনি আলীর প্রতিদ্বন্দী হতে পারেন ৷

কাষী শুরাইককে প্রশ্ন করা হল, মু আবিয়৷ কি ৰিচক্ষণ ছিলেন? তিনি বলেন, যিনি সত্য
বুঝেন নি এবং আলীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন,৩ তিনি কি বিচক্ষণ? ইবন আসাকির তা বর্ণনা
করেছেন ৷ সুফিয়ান ছাওরী বলেন, (তিনি) হাবীব থেকে, তিনি সায়ীদ ইবন জুবাইর থেকে,
তিনি ইবন আব্বাস থেকে যে, তিনি যখন আরাফ৷ র দিন সন্ধ্যায় তালবিয়া পাঠ করা সম্পর্কে
মুআবি য়ার আলোচনা করলেন তখন তার ব্যাপারে কঠোর কথা বলেন এবং যখন জানতে
পারলেন যে হযরত আলী (রা)ও আরাফার দিন সন্ধ্যায় তালবিয়া পাঠ করেছেন ৷ তিনি তাকে
ছেড়ে দিলেন ৷ আবু বকর ইবন আবুদ-দুনয়া বলেন, আমাকে আব্বাদ ইবন মুসা বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আলী, ইবন ছাবিত আল জাযরী বর্ণনা করেছেন, সায়ীদ
ইবন আবু আরুবা থেকে, তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয (ব) থেকে তিনি বলেন, (একবার)
আমি স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখতে পেলাম, আবু বকর, উমর তীর পাশে বসে
আছেন ৷ তখন আমি তাকে সালাম করে সেখানে বসে গেলাম ৷ আমি বসে আছি এমন সময়
তা অকস্ম৷ ৎ ৷আলী ও মুআবিয়ার আবির্ভাব হল ৷ এরপর তাদের দৃ’জনকে আমার চোখের সামনে
একটি ঘরে প্রবেশ করিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল ৷ এরপর কিছুক্ষণক্ক হতে ৩ন৷ হতেই আলী
(বা) বলতে বলতে বের হলেন, শপথ কা বার রবের ! আমার অনুকুলে ফয়সালা করা হয়েছে ৷
এরপর কিছুক্ষণ হতে না হতেই একথা বলতে বলতে মুআবিয়৷ বের হলেন, শপথ কাবার
রবের ! আমাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে ৷

ইবন আসাকির আবু যার আ আররাযী থেকে বর্ণনা করেন যে, (একবার) এক ব্যক্তি তাকে
বলল, আমি মুআবিয়াকে অপছন্দ করি ৷ তিনি তাকে বলেন, কেন? লোকটি বলল, কেননা,
তিনি আলী (বা) এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন৷ আবু যারআ তাকে বলেন, (হে নির্বোধ্ৰু)
তোমার সর্বনাশ হোক ! শুনে রাখ মুআবিয়ার প্ৰতিপালক দয়াময়, আর তার প্রতিপক্ষ মহৎ
হৃদয় ৷ কাজেই তাদের দু’ জনের মাঝে তোমার অনুপ্রবেশের কী প্রয়োজন? মহান আল্লাহ
তাদের উভয়ের প্রতি ৩প্ৰসন্ন থাকুন ৷ হযরত আলী ও ষুআবিয়ার বিবাদ সম্পর্কে ইমাম আহমদ
ইবন হাস্বলকে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি এই আয়াত পড়লেন-

া,১া ত্
; অর্থং; সেই উম্মত (লোকেরা) অতীত হয়েছে,ত তারা বা অত্তনি করেছে তা তাদের আর
তোমরায৷ অর্জন করেছে৷ তা তোমাদের ৷ আর তাদের কৃতকর্য সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে
না ৷ (আ ৷ল-বরাোক ১৩৪) ৷ একাধিক সালফে সালেহীন এরুপই মন্তব্য করেছেন ৷
আওযায়ী বলেন হযরত আলী ও উসমানের মাঝের ঘটন৷ সম্বন্ধে হাসান বসরীকে প্রশ্ন করা
হল, তিনি বলেন, ইসলামে এরও অদুাবর্তীতা ছিল, এরও ছিল ৷ তদ্রাপ এর যেমন আত্মীয়তার


إِلَى مُعَسْكَرِكُمْ فِي ثَلَاثٍ، فَمَنْ تَخَلَّفَ فَقَدْ أَحَلَّ بْنَفْسِهِ. فَاجْتَمَعُوا كُلُّهُمْ، فَرَكِبَ ذَلِكَ الرَّجُلُ إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَهُ، فَأَمَرَ عَلِيٌّ مُنَادِيًا فَنَادَى: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَاجْتَمَعُوا، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ قَدْ جَمَعَ النَّاسَ لِحَرْبِكُمْ، فَمَا الرَّأْيُ؟ فَقَالَ كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ مَقَالَةً، وَاخْتَلَطَ كَلَامُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ، فَلَمْ يَدِرِ عَلِيٌّ مِمَّا قَالُوا شَيْئًا، فَنَزَلَ عَنِ الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، ذَهَبَ وَاللَّهِ بِهَا ابْنُ آكِلَةِ الْأَكْبَادِ. ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمْرِ الْفَرِيقَيْنِ بِصِفِّينَ مَا كَانَ، كَمَا ذَكَرْنَاهُ مَبْسُوطًا فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَقَدْ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ دُرَيْدٍ: أَنْبَأَنَا أَبُو حَاتِمٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: لَقَدْ وَضَعْتُ رِجْلِي فِي الرِّكَابِ، وَهَمَمْتُ يَوْمَ صِفِّينَ بِالْهَزِيمَةِ، فَمَا مَنَعَنِي إِلَّا قَوْلُ ابْنِ الْإِطْنَابَةِ حَيْثُ يَقُولُ: أَبَتْ لِي عِفَّتِي وَأَبَى بَلَائِي ... وَأَخْذِي الْحَمْدَ بِالثَّمَنِ الرَّبِيحِ وَإِكْرَاهِي عَلَى الْمَكْرُوهِ نَفْسِي ... وَضَرْبِي هَامَةَ الْبَطَلِ الْمُشِيحِ وَقَوْلِي كُلَّمَا جَشَأَتْ وَجَاشَتْ ... مَكَانَكِ تُحْمَدِي أَوْ تَسْتَرِيحِي وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: الْخُلَفَاءُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ. فَقِيلَ لَهُ: فَمُعَاوِيَةُ؟ قَالَ: لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَحَقَّ بِالْخِلَافَةِ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ مِنْ عَلِيٍّ، وَرَحِمَ اللَّهُ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: مَا كَانَتْ فِي عَلِيٍّ خَصْلَةٌ تَقْصُرُ بِهِ عَنِ الْخِلَافَةِ، وَلَمْ يَكُنْ فِي مُعَاوِيَةَ خَصْلَةٌ يُنَازِعُ عَلِيًّا بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৬৬০৩
وَقِيلَ لِشَرِيكٍ الْقَاضِي: كَانَ مُعَاوِيَةُ حَلِيمًا؟ فَقَالَ: لَيْسَ بِحَلِيمٍ مَنْ سَفِهَ الْحَقَّ وَقَاتَلَ عَلِيًّا. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ ذَكَرَ مُعَاوِيَةَ وَأَنَّهُ لَبَّى عَشِيَّةَ عَرَفَةَ، فَقَالَ فِيهِ قَوْلًا شَدِيدًا، ثُمَّ بَلَغَهُ أَنَّ عَلِيًّا لَبَّى عَشِيَّةَ عَرَفَةَ، فَتَرَكَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي عَبَّادُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ جَالِسَانِ عِنْدَهُ، فَسَلَّمْتُ وَجَلَسْتُ، فَبَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ إِذْ أُتِيَ بَعَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، فَأُدْخِلَا بَيْتًا وَأُجِيفَ الْبَابُ وَأَنَا أَنْظُرُ، فَمَا كَانَ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ خَرَجَ عَلِيٌّ وَهُوَ يَقُولُ: قُضِيَ لِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. ثُمَّ مَا كَانَ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ وَهُوَ يَقُولُ: غُفِرَ لِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ الرَّازِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: إِنِّي أُبْغِضُ مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ لَهُ: وَلِمَ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ قَاتَلَ عَلِيًّا. فَقَالَ لَهُ أَبُو زُرْعَةَ: وَيْحَكَ! إِنَّ رَبَّ مُعَاوِيَةَ رَبٌّ رَحِيمٌ، وَخَصْمُ مُعَاوِيَةَ خَصْمٌ كَرِيمٌ، فَأَيْشِ دُخُولُكَ أَنْتَ بَيْنَهُمَا؟ ! رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَسُئِلَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَمَّا جَرَى بَيْنَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، فَقَرَأَ:
পৃষ্ঠা - ৬৬০৪


ভৈনকট্য ছিল, এরও ছিল ৷ এরপর এ পরীক্ষিত হলেন আর এ অব্যাহতি ৷পালন ৷ আর যখন
তাকে হযরত আলী ও মুআবিয়াব মধ্যবর্তী বিবাদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হল তখন তিনি
বলেন, এর আত্মীয়তার ?নকট্য ছিল এরও ছিল ৷ তবে এর ইসলামের আঃবর্তীতা ছিল, এর
ছিল না ৷ তারপর দু’ জলে পরীক্ষায় পতিত হলেন কুলছুম ইবন জাওশান বলেন, আর উমর
নায্র হাসান বসরীকে জিজ্ঞাসা করলেন, আবু বকর (রা) শ্রেষ্ঠ না কি আলী (বা)? তিনি বলেন
সুবহানাল্লাহ্ ! তারা বরাবর নয় ৷ আলীর এমন কতিপয় পুণ্যময় অ্যাবত্তীতি৷ রয়েছেযা আবু
বকরেরও রয়েছে, আর আলীর এমন কতিপয় যটনা’ রয়েছে যা আবু বকরের নেই ৷ আবু
বকরই উত্তম ৷ এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, উমর (রা) উত্তম নাকি আলী (বা)? তিনি আবু
বকরের ক্ষেত্রে তার কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, উমর উত্তম ৷ এরপর প্রশ্ন করলেন, উসমান
(বা) উত্তম নাকি আলী (রা)প্ তিনি তার পুর্বের কথইি বললেন ৷৩ তারপর বলেন, উসমান (বা)
উত্তম ৷ তারপর প্ৰশ্নকারী বলেন, আলী (রা) উত্তম নাকি ঘুআবিয়া (রা) ৷ তিনি বলেন,
সুবহানাল্লাহ্ ! তারা বরাবর নয় ৷ আলীর এমন কতিপয় পুণ্যময় অগ্রবর্তীতা রয়েছে যাতে
মুআৰিয়ার কােনঅংশ নেই আর আলী (রা)-এর এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যাতে তার সাথে
মুআবিয়া (রা) শরীক আছেন ৷ কাজেই আলী (রা) মুআবিয়া (রা) থেকে উত্তম ৷
হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি চারটি বিষয়কে মুআবিয়ার (বা) জন্য
আপত্তিকর মনে করতেন ৷ ১ হযরত আলীর বিরুদ্ধে তীর লড়াই করা ৷ ২ হাজার ইবন
আদীাক হত্যা করা ৷ ৩ যিয়াদ ইবন আবীহকে তার পিতার ঔরসভুক্ত করে নেওয়া ৷ ৪ নিজ
হোল ইয়াযীদের অনুকুালত্ষ্ তার বাই আত গ্রহণ করা ৷
জারীর ইবন আবদুল হামিদ মুগীরা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত মুআবিয়ার
কাছে যখন হযরত আলীর শ্া৷হাদাতর স বাদ পৌছল তিনি কাদতে লাপলেন ৷ তার স্তী তাকে
বলেন,৩ তার মৃভ্যুশোকে আপনি র্কাদছেন অথচ আপনি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ! তিনি
বলেন, তোমার সর্বনাশ হোক ! তুমি ভালো না মানুষ কি পরিমাণ ধর্মীয় তত্ত্বজ্ঞান, সাধারণ
জ্ঞান এবং মানবীয় গুণ হারাল ৷ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে তার শ্রী তাকে বলেন গতকাল
আপনি তার বিকদ্ধে লড়াই করলেন, আর আজ তার শোকে র্কাদছেন? আমাদের জানামতে
চল্লিশ হিজরীর রমযান মাসে হযরত আলী (রা) শহীদ হন ৷ একারণেই লাইছ ইবন সা দ
বলেন ইলিয়াতে মুআবিয়া (রা) এর অনুকুাল “ঐক্যের বাই আত গৃহীত হয় চল্লিশ হিজরীর
রমযান মাস, যখন শামবাসীর কাছে আলী (রা) এর শহীদ হওয়ার সং বাদ পৌছে ৷ কিন্তু,
তিনি কুফ্ায় প্রবেশ করেন একচল্লিশ হিজরীর রবীউল আওয়াল মাসে হযরত হাসান (রা) এর
, সাথে সন্ধি করার পর ৷ আর এটাই হল, ঐক্যেও বছর’ আর তা (ঐক্যের রাই আত) সংঘটিত
হয়েছিল আদরাজ নামক স্থানে ৷ কারো কারো মতে ৩, ;আনবারের একপ্ৰান্তে ইরাকের পল্লী
অঞ্চলের এক বসতি এলাকায় ৷ এরপর ষাটহিজরীতে র্তার মৃত্যু পর্যন্ত একচ্ছত্র কর্তৃাতৃর সাথে
শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেন ৷ কেউ কেউ বলেন, মুআবিয়ার (রা)-এর আত্টিতে প্রত্যেক
আমলের নওয়াব বিদ্যমান এই নকশা থােদিত ছিল ৷ আর কারো মতে, তা ছিল আল্মহ্র
সাহায্য ব্যতীত কারো কোন সামর্থ্য ৷নই’ ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন, আমাদেরকে আবু বকর ইবন আবু শাইবৃ৷ সায়ীদ ইবন
মানসুর বর্ণনা করেছেন, তারা বলেন, আমাদেরকে আবু ঘুআবিয়া বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, আমাদেরকে আ মাশ বর্ণনা করেছেন, তিনি আমর ইবন ঘুরর৷ থেকে, তিনি সায়ীদ


{تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَا كَسَبْتُمْ وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [البقرة: 134] . وَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: سُئِلَ الْحَسَنُ عَمَّا جَرَى بَيْنَ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ فَقَالَ: كَانَتْ لِهَذَا سَابِقَةٌ وَلِهَذَا سَابِقَةٌ، وَلِهَذَا قَرَابَةٌ وَلِهَذَا قَرَابَةٌ، فَابْتُلِيَ هَذَا وَعُوفِيَ هَذَا. وَسُئِلَ عَمَّا جَرَى بَيْنَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ فَقَالَ: كَانَتْ لِهَذَا قَرَابَةٌ وَلِهَذَا قَرَابَةٌ، وَلِهَذَا سَابِقَةٌ، وَلَمْ يَكُنْ لِهَذَا سَابِقَةٌ، فَابْتُلِيَا جَمِيعًا. وَقَالَ كُلْثُومُ بْنُ جَوْشَنٍ: سَأَلَ النَّضْرُ أَبُو عُمَرَ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ أَفْضَلُ أَمْ عَلِيٌّ؟ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! وَلَا سَوَاءَ، سَبَقَتْ لِعَلِيٍّ سَوَابِقُ شَرِكَهُ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَأَحْدَثَ عَلِيٌّ أَحْدَاثًا لَمْ يُشْرِكْهُ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، أَبُو بَكْرٍ أَفْضَلُ. فَقَالَ: فَعُمَرُ أَفْضَلُ أَمْ عَلِيٌّ؟ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِهِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ قَالَ: عُمَرُ أَفْضَلُ. ثُمَّ قَالَ: عُثْمَانُ أَفْضَلُ أَمْ عَلِيٌّ؟ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِهِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ قَالَ: عُثْمَانُ أَفْضَلُ. قَالَ: فِعَلِيٌّ أَفْضَلُ أَمْ مُعَاوِيَةُ؟ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! وَلَا سَوَاءَ، سَبَقَتْ لِعَلِيٍّ سَوَابِقُ لَمْ يُشْرِكْهُ فِيهَا مُعَاوِيَةُ، وَأَحْدَثَ عَلِيٌّ أَحْدَاثًا شَرِكَهُ فِيهَا مُعَاوِيَةُ، عَلِيٌّ أَفْضَلُ مِنْ مُعَاوِيَةَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ كَانَ يَنْقِمُ عَلَى مُعَاوِيَةَ أَرْبَعَةَ أَشْيَاءَ ; قِتَالَهُ عَلِيًّا، وَقَتْلَهُ حُجْرَ بْنَ عَدِيٍّ وَاسْتِلْحَاقَهُ زِيَادَ بْنَ أَبِيهِ، وَمُبَايَعَتَهُ لِيَزِيدَ ابْنِهِ. وَقَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ: لَمَّا جَاءَ خَبَرُ قَتْلِ عَلِيٍّ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৬০৫


ইবন সুওয়াইদ, থেকে তিনি বলেন, (একবার) মুআবিয়া (রা) কুফার বাইরে নাখিল৷ নামক
স্থানে পৃর্বাহ্নকালে আমাদেরকে জুমুআর নামায পড়ালেন ৷ তারপর আমাদেরকে খুৎব৷ দিয়ে
বলেন তোমরা সালাত আদায় করবে সাওম পালন করবে, হজ্জ করবে এবং যাকাত প্রদান
করবে, এজন্য আমি৫ আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করি নি ৷ আমার জানা ছিল তোমরা তা কর:
কিন্তু আমিও তামাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম তোমাদের শাসন কর্তৃতু লাভের জন্য ৷ আর

তোমাদের অনিচ্ছা সত্বেও আল্লাহ আমাকে তা দান করেছেন ’ ঘুহস্ফোদ ইবন সা দ৩ তা বর্ণনা
করেছেন, ইয়া ৷ল৷ ইবন উবায়দ থেকেআর তিনি আ মাশ থেকে ৷ মুহাম্মাদ ইবন সা দ বলেন,
আমাদেরকে আসিম বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমাদরেকে হাম্মাদ বিন ইয়াযীদ বর্ণনা
করেছেন মামর থেকে, তিনি যুহরী থেকে যে, যুআ ৷বিয়া (বা) তার শাসনকালের প্রথম দু’বছর
হযরত উমরের ন্যায় শাসনকার্য পরিচালনা করেন তাতে কোন ত্রুটি ছিল না ৷ এরপর তিনিত
থেকে দুরে সরে যান ৷ নায়ীম ইবন হাম্ম৷ দ বলেন, আমাদেরকে ইবন ফুযাইল বর্ণনা করেছেন ,
আসসারী ইবন ইসমাঈল্ থেকে, তিনি আশৃশাবী বলেন, আমাকে সৃফিয়ান ইবন লায়ল বর্ণনা
করেছেন তিনি বলেন, হযরত হাসান ইবন আলী (রা) যখনকুফা থেকে পবিত্র মদীনায়
আগমন করলেন, তখন আমি তাকে বললাম হে মু’যিনদেরকে অপছন্দকারী হৃ তিনি বলেন,
একথা বলো না ৷ কেননা, আমি রাসৃলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিন্-

“রাতদিন বিগত হবে না যত দিন না মুআবিয়া শাসন কর্তৃতু লাভ করবে ৷” তখনই অমি

বুঝতে পেরেছিলাম আল্লাহর ফ্য়সালা অবশন্তোবী ৷ তাই আমার ও তার বিবাদে মুসলমানদের
রক্তপাত হোক তা আমি চইি নি৷ মুজালিদ শাবী থেকে বলেন, , আর তিনি হারিছ আল
আওয়ার থেকে তিনি বলেন, সিফ্ফীন:থেকে ফেরার পর হযরত: অলীে (রা) বলেন, হে
সােকসকন ৷ তোমরা মুআৰিয়ার শাসনকে ঘৃণা করো না ৷ কেননা, যদি তোমরা তাকে
হারাতে, তাহলে দেখতে পেতে মাথাসমুহ খাত থেকে হানযাল ফলের ন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝড়ে
পড়ছে ৷ ইবন আসাকির আবু দাউদ তায়ালিসী থেকে তার সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেন, আমাদেরকে আইয়ুব ইবন জাবির বর্ণনা করেছেন আবু ইসহাক থেকে তিনি আল-
আসওয়াদ্দ ইবন ইয়াযীদ থেকে তিনি বলেন, (একবার) আমি আয়েশা (রা) কে প্রশ্ন করলাম,
পবিত্র মক্কা বিজয়কালে ছাড়প্রাপ্ত’ একব্যক্তির খিলাফতের দাবীতে রাসুল (সা) এর ঘনিষ্ট
সাহাবীদের সাথে প্ৰতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হওয়ায় আপনি কি আশ্চর্যবোধ করেন না ৷ তিনি বলেন, তাতে
আশ্চর্যের কী আছে? এটা হল মহান আল্লাহর ন্া৷সন কততৃ, পুণ্যবান পাপী সকলকেই তিনি তা
দান করে থাকেন ৷ ফিরআউন চারশ বছর মিশর শাসন করেছে ৷ তদ্রাপ অন্যান্য কাফির রাজা
মহারন্জাগণ ৷

যুহরী বলেন, আমাকে কাসিম ইবন মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন, হরুজ্জ্বর উদ্দেশ্যে মুআবিয়া
(রা) যখন পবিত্র মদীনায় আগমন করলেন, তিনি হযরত আয়েশা (রা) এর সাথে সাক্ষাৎ
করলেন এবং তার সাথে একাম্ভে কথা বলেন, এ সময় তাদের কাছে আবু উমর যাকওয়ান
এবং আয়েশা (না)-এর গোলাম ব্যতীত আর কেউ ছিল না ৷ হযরত আয়েশা (রা) তাকে
বলেন, এ বিষয়ে কি আপনি শঙ্কাযুক্ত যে, আমি এমন কাউকে লুকিয়ে রাখি নি, যে আমার ভাই
মুহাম্মাদকে হত্যার বিনিময়ে আপনাকে হত্যা করবেঃ তিনি বলেন, আপনি আমাকে সতাই
বলেছেন ৷ তারপর যখন যুআৰিয়া (বা) তার কথা শেষ করলেন তখন হযরত আয়েশা (বা)
কালেমা শাহাদাত পাঠ করলেন ৷ এরপর তিনি আল্লাহ তার রাসুলকে যে হিদায়েত ও সত্য দীন




مُعَاوِيَةَ جَعَلَ يَبْكِي، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: أَتَبْكِيهِ وَقَدْ قَاتَلْتَهُ؟ فَقَالَ: وَيْحَكِ! إِنَّكِ لَا تَدْرِينَ مَا فَقَدَ النَّاسُ مِنَ الْفَضْلِ وَالْفِقْهِ وَالْعِلْمِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ: بِالْأَمْسِ تُقَاتِلُهُ وَالْيَوْمَ تَبْكِيهِ؟ ! قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ مَقْتَلُ عَلِيٍّ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ كَمَا قَدَّمْنَا. وَلِهَذَا قَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ بُويِعَ لَهُ بِإِيلِيَاءَ بَيْعَةَ الْجَمَاعَةِ، وَدَخَلَ الْكُوفَةَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ. وَالصَّحِيحُ الَّذِي قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْجُمْهُورُ ; أَنَّهُ بُويِعَ لَهُ بِإِيلِيَاءَ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، حِينَ بَلَغَ أَهْلَ الشَّامِ مَقْتَلُ عَلِيٍّ، وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا دَخَلَ الْكُوفَةَ بَعْدَ مُصَالَحَةِ الْحَسَنِ لَهُ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ، وَهُوَ عَامُ الْجَمَاعَةِ، وَذَلِكَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: أَذْرُحُ. وَقِيلَ: بِمَسْكِنَ. مِنْ أَرْضِ سَوَادِ الْعِرَاقِ مِنْ نَاحِيَةِ الْأَنْبَارِ، فَاسْتَقَلَّ مُعَاوِيَةُ بِالْأَمْرِ إِلَى أَنْ مَاتَ سَنَةَ سِتِّينَ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ مُعَاوِيَةَ: لِكُلِّ عَمَلٍ ثَوَابٌ. وَقِيلَ: بَلْ كَانَ: لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَا ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ قَالَ: صَلَّى بِنَا مُعَاوِيَةُ بِالنُّخَيْلَةِ - يَعْنِي خَارِجَ الْكُوفَةِ - الْجُمُعَةِ فِي الضُّحَى، ثُمَّ خَطَبَنَا فَقَالَ: مَا قَاتَلْتُكُمْ لِتَصُومُوا، وَلَا لِتُصَلُّوا، وَلَا لِتَحُجُّوا، وَلَا لِتُزَكُّوا، قَدْ عَرَفْتُ
পৃষ্ঠা - ৬৬০৬
أَنَّكُمْ تَفْعَلُونَ ذَلِكَ، وَلَكِنْ إِنَّمَا قَاتَلْتُكُمْ لِأَتَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ، فَقَدْ أَعْطَانِي اللَّهُ ذَلِكَ وَأَنْتُمْ كَارِهُونَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ عَمِلَ سَنَتَيْنِ عَمَلَ عُمَرَ مَا يَخْرِمُ فِيهِ، ثُمَّ إِنَّهُ بَعِدَ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ السَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ بْنُ اللَّيْلِ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ لَمَّا قَدِمَ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ: يَا مُذِلَّ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: لَا تَقُلْ ذَلِكَ، فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: لَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى يَمْلِكَ مُعَاوِيَةُ. فَعَلِمْتُ أَنَّ أَمْرَ اللَّهِ وَاقِعٌ، فَكَرِهْتُ أَنْ تُهْرَاقَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ دِمَاءُ الْمُسْلِمِينَ. وَقَالَ مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَعْوَرِ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ بَعْدَ مَا رَجَعَ مِنْ صِفِّينَ: أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَكْرَهُوا إِمَارَةَ مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّكُمْ لَوْ فَقَدْتُمُوهُ رَأَيْتُمُ الرُّءُوسَ تَنْدُرُ عَنْ كَوَاهِلِهَا كَأَنَّهَا الْحَنْظَلُ. وَقَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادِهِ عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَلَا تَعْجَبِينَ لِرَجُلٍ مِنَ الطُّلَقَاءِ يُنَازِعُ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخِلَافَةِ؟ فَقَالَتْ: وَمَا تَعْجَبُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬০৭


দিয়ে পাঠিয়েছেন এবং তার পর তার খলীফাগণ যে বিধান প্রবর্তন করেছেন তা উল্লেখ
করলেন, আর মুআৰিয়াকে (বা) )গুা৷দর পদাঙ্ক অনুসরণের এবং ন্যায়পরায়্ণত৷ অবলম্বনের
নির্দেশ দিলেন ৷৩ তার এ বিষয়ের বক্তব্যে৩ তিনি তাকে কো ন অজুহাত পেশ করার সুযোগ দিলেন
না ৷ তিনি যখন তীর কথা শেষ করলেন তখন যুআবিয়া (র৷ ) র্তাকে বলেন, আল্লাহর শপথ !
ৰু রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশ সম্বন্ধে পৃণ্াজ্ঞাব্লের অধিকাবিণী এবং তদানুযায়ী আম্লকাবিণী ৷
আমাদের জন্য আপনি হিতাকাদ্ভখী স্নেহশীলা এবং মর্মস্পর্শী উপদেশ দানকারিণী ৷ আমাকে
আপনি কল্যাণ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং তার নির্দেশ প্রদান করেছেন ৷ আর আপনি
আমাদেরকে শুধু এমন বিবয়েরই ানির্দেশ্ দিয়েছেন যাতে নিহিত রয়েছে আমাদের প্রভুত
কল্যাণ ৷ আর আপনি অবশ্যই অনুসারণযোগ্য’ ৷’ ,

তিনি ’ও হযরত মুআবি য়া বহু কথা বলেন, এরপর হযরত মুআবিয়৷ যখন উঠে র্দাড়ালেন
তিনি যাক ৪যানেব কাধে ভর দিয়ে বলেন, আল্লাহর শপথ ! রাসুল (সা) ব্যতীত হযরত আয়েশার

চেয়ে মর্মস্পর্শী কোন বাত্মীকে আমি শুনি নি৷ যুহাম্মাদ ইবন সা দ বলেন, আমাদেরকে খালিদ

ইবন মুখাল্লাদ আল-বাজালী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমাদেরকে সুলাইমান ইবন বিলাল
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আলকাম৷ ইবন আবু আলকামা তার যা থেকে বর্ণনা
করেছেন,তিনি বলেন, হযরত মুআবিয়া (রা) (একবার) পবিত্র মদীনায় আগমন করে হযরত
আয়েশার (বা) কাছে এই মর্মে দুত পাঠালেন আমার কাছে রাসুল (সা) এর আমবাট্রুজানিয়া
(জুব্বাবিশে ষ ) এবং চুল মোবারক প্রাঠিয়ে দিন ৷ তিনি আমার সাথে তা পাঠিয়ে দিলেন, এরপর
আমি যখন তা বহন করে তার কাছে নিয়ে আসলাম, তখন তিনি আমবাজানিয়া নিয়েওা
পরিধান করলেন এবং কয়েকটি চুল নিলেন, তারপর পানি আ ৷নিয়ে তা ধুয়ে পান করলেন এবং
নিজ শরীরে ঢেলে দিলেন আসমায়ী হুযালী থেকে, আর তিনি শাবী থেকে তিনি (শাবী)
ন্ বলে , ঐক্যের বছর যখন হযরত মুআবিয়া পবিত্র মদীনায় আগমন করলেন তখন সম্রান্ত
কুরাইশদের একটি দল তাকে অভ্যহনাি জানিয়ে বলল, প্রশংসা আল্লাহর যিনি আপনার
’ সাহায্যকে প্রবল করেছেন এবং তার কর্তৃতৃ বিষয়কে সমুন্নত করেছেন ৷ কিন্তু তিনি তাদের
কথার কোন উত্তর দিলেন না ৷

এরপর যখন তিনি পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করলেন, তখন মসজিদে নববীত গিয়ে মিম্বরে
আরোহণ করলেন, আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনার পর তিনি বলেন, পর কথা হল, শপথ ,
আল্লাহর শপথ ! আমি যখন তোমাদের শাসনকর্তৃতু গ্রহণ করেছি তখন আমার জানা ছিল
আমার কর্তত গ্রহণ তোমাদের কাছে অপ্রিয় ও নিরানন্দ ৷ আর এ ব্যাপারে তোমাদের মনের
কথা আমি জা ৷নি ৷ কিন্তু আমি আমার এই তরবারি দ্বারা অ৩ র্কি৩ আক্রমণে তোমাদের থেকে
সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছি ৷ আবুকুহাফা পুত্রের ন্যায় দাফি পালনে আমি নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছি ৷
কিন্তু আমি নিজেকে সে দায়িত্বে র জন্য উপযুক্ত ও সমর্থভু পা ৷ই নি ৷

এরপর আমি নিজের সত্তাকে খাত্তাব পুত্রের বিকল্প নির্ধারণ করতে চেয়েছি কিন্তু সে তখন
এ দায়িত্ব থেকে আরো অধিক বিমুখ ও পলায়নােদ্যত হয়েছে ৷ এরপর তাকে উসমানের
সমন্নত ও সমুজ্জ্বল দায়িতৃ পালনে বাধ্য করতে সচেষ্ট হয়েছি ৷ কিন্তু সে তা পালনে অস্বীকৃতি
জানিয়েছে ৷ আসলে এদের দৃষ্টান্ত এরাই ৷ এদের ন্যায় দুরুহ ক ৷র্যসম্পাদনে কে ই বা সক্ষম?
আসলে পরবর্তী কারো পক্ষে তাদের গুণ ও শ্রেষ্ঠত্বের নাপাল পাওয়া সুদুর পরাহত ৷ আল্লাহ
তাদেরকে রহম করুন এবং তাদের প্রতি ৩প্রসন্ন থাকুন ! তবে আমি এই শাসনকার্য পরিচ৷ ৷লনায়
আমার জন্য উপকারী একপন্থা অবলম্বন করেছি আর এতে তোমাদেরও তদ্রুপ কল্যাণ রয়েছে হু


ذَلِكَ؟ هُوَ سُلْطَانُ اللَّهِ يُؤْتِيَهُ الْبَرَّ وَالْفَاجِرَ، وَقَدْ مَلَكَ فِرْعَوْنُ أَهْلَ مِصْرَ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ يُرِيدُ الْحَجَّ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَكَلَّمَهَا خَالِيَيْنِ لَمْ يَشْهَدْ كَلَامَهُمَا أَحَدٌ إِلَّا ذَكْوَانُ أَبُو عَمْرٍو مَوْلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ: أَمِنْتَ أَنْ أُخَبِّئَ لَكَ رَجُلًا يَقْتُلُكَ بِقَتْلِكَ أَخِي مُحَمَّدًا؟ فَقَالَ: صَدَقْتِ. فَكَلَّمَهَا مُعَاوِيَةُ، فَلَمَّا قَضَى كَلَامَهُ مَعَهَا تَشَهَّدَتْ عَائِشَةُ، ثُمَّ ذَكَرَتْ مَا بَعَثَ اللَّهُ بِهِ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ، وَالَّذِي سَنَّ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ، وَحَضَّتْ مُعَاوِيَةَ عَلَى اتِّبَاعِ أَمْرِهِمْ، فَقَالَتْ فِي ذَلِكَ فَلَمْ تَتَّرِكْ، فَلَمَّا قَضَتْ مَقَالَتَهَا قَالَ لَهَا مُعَاوِيَةُ: أَنْتِ وَاللَّهِ الْعَالِمَةُ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، النَّاصِحَةُ الْمُشْفِقَةُ الْبَلِيغَةُ الْمَوْعِظَةِ، حَضَضْتِ عَلَى الْخَيْرِ وَأَمَرْتِ بِهِ، وَلَمْ تَأْمُرِينَا إِلَّا بِالَّذِي هُوَ لَنَا، وَأَنْتِ أَهْلٌ أَنْ تُطَاعِي. وَتَكَلَّمَتْ هِيَ وَمُعَاوِيَةُ كَلَامًا كَثِيرًا. فَلَمَّا قَامَ مُعَاوِيَةُ اتَّكَأَ عَلَى ذَكْوَانَ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا سَمِعْتُ خَطِيبًا لَيْسَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْلَغَ مِنْ عَائِشَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مُخَلَّدٍ الْبَجَلِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ قَالَتْ: قَدِمَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ الْمَدِينَةَ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَائِشَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيَّ بِأَنْبِجَانِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَعْرِهِ، فَأَرْسَلَتْ بِهِ مَعِي أَحْمِلُهُ، حَتَّى دَخَلْتُ بِهِ عَلَيْهِ، فَأَخَذَ الْأَنْبِجَانِيَّةَ، فَلَبِسَهَا، وَأَخَذَ
পৃষ্ঠা - ৬৬০৮


চলন পদ্ধতি সঠিক হলে এবং আনুগত্য একনিষ্ঠ হলে প্রব্লুতাব্লুকরই তাতে উত্তম প)নাহ)ব্লুরর
ব্যবস্থা রয়েছে ৷ তোমরা যদি আমাকেব্লু তামাদের মাঝে সর্বোত্তম নাও পাও তবে আমি
তোমাদের জন্য উত্তম (কল্যাণকর) বব্লুট ৷ শপথ আল্লাহর ) যার কোন তরবারি নেই তার
বিরুদ্ধে আমি তরবারি উত্তোলণ করব ন) ) তামাদের জান) ইতিপুর্বে যা কিছু ঘটেছে তার
সবকিছু আমি কানের পশ্চাব্লুত ছুড়ে ফেলেছি ৷ আরব্লু তোমরা যদি দেখ, আমি তোমাদের সব
অধিকার প্ৰদানকরব্লুত পারছি ন), তাহলে আংশিক প্র)প্তিব্লু৩ই তৃষ্ট থেকে) ৷ কেননা, স)ধ্যের
বাইরে কারো কিছু দেওয়ার ব্লুনই, আর ঢল যখন আসবে তখন ত) মাটির স্পর্শ পাবেই ৷ আর
স্বল্প হলেও তা উপকার করবে ৷ আর গোলব্লুয)গ বিশৃগ্রল) থেকে ব্লুতামরা ব্লুবচৈ থেকাে, তার
নিকটবর্তী হয়ে) না ৷ কেননা, তা জীবব্লুনাপকরণ বিনষ্ট করে এবং জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দকে
দুর্বিষহতায় পর্যবসিত করে এবং সমুব্লুল বিনাশের কারণ সৃষ্টি করে ৷ আমি আমার ও তোমাদের
জন্য আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি আসতাগ ফিরুল্লাহ্ ৷৩ তারপর তিনি ফিরে থেকে নেমো
অ)সলেন ৷

আর স্পষ্টতই বোঝা যায় এই খুৎব)র সময়কাল ছিল চুয়)ল্লিশ বা পঞ্চাশ ইিজরীর হজ্জ
মৌসুমে, ঐক্যের বছর নয় ৷ লাইছ বলেন, আমাকে আলওয়ান ইবন সালিহ ইবন কায়সার
বর্ণনা করেছেন, শাসন কর্তৃব্লুতৃর দ্বন্দ্ব অবদানের পর হযরত মুঅ)রিয়া তার প্রথম হজ্জ উপলক্ষে
পবিত্র মদীনায় আগমন কব্লুরন ৷ হযরত হাসান, হুসায়ন (বা) এবং কুরাইশের ব্লুন৩ তন্থ)নীয়
ব্যক্তিপণের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ এরপর তিনি উসমান ইবন আফ্ফ)ন (রা) এর গৃহ)ভিমুখে
রওনা হন ৷ তিনি যখন গৃহ যন্টব্লুকর নিকটকর্তী হলেন, তখন আয়েশা বিন৩ উসমান উচ্চস্বব্লুর
তার পিতার মৃত্যুব্লুশাকে বিলাপ করতে লাগল, তখন ঘু আবিয়) তার সঙ্গীদের বলেন, আপনার)
বাড়ি ফিরে যান এই গৃহে আমার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে ৷ তার) চলে যাওয়ার পর মুআবিয়া
(রা) ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং আয়েশা বিনৃত উসমানকে সান্তুনা দিলেন এবং শ)স্ত হতে
বলেন, তিনি তাকে বলেন, ভাতিজী ৫ল)ব্লুকর) আমাদের শাসন কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছে তাই
আমার ক্রোধ সব্লুত্ত্বও তাদের সামনে ধৈর্য প্রদর্শন করেছি ৷ আর তারাও : অন্ত্যর বিব্লুদ্বষ পুষে
রেখে আমাদের প্ৰতি ৩আনুগভ্য দেখিয়েব্লুছ ৷ এভাবে আমরা এটার বিনিময়ে ওটা মেনে নিয়েছি
আর তারাও ওটার বিনিময়ে এট) মেনে নিয়েছে ৷ এখন যদি আমরা তাদেরকে এমন কিছু দিতে
যইি য) তার) আমাদের সাথে বিনিময় করে নি৷ তাহলে তার) আমাদের অধিকার প্রদানে
কার্পণ্য করবে আর আমরাও তাতে প্রাপ্য অধিকার অম্বীকারকারী হয়ে যাব ) আর তাদের
প্রত্যেকের সাথে তার দল ও গোষ্ঠী রয়েছে এবং সে তার দলের অবস্থান সঠিক গণ্য করে ৷
যদি আমরা তাদের সাথে কৃতপ্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করি তাহলে তারাও আমাদের সাথে কৃত
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে ৷ তারপব্লুরর পরিস্থিতি কি আমাদের অনুকুল হবে ন) কি প্রতিকুল ত)
আসর) জানি ন) ৷ আর তোমরা আমীরুল মুমিনীন ! উসম)নের কন্যা হয়ে আমার কাছে
মুসলমানদের ব)দী৩ ল্য হওয়ার চেয়ে উত্তম ) তামার পি৩ )ব পর আমি তোমার সবব্লুচ’
হিতাক)ল্পী অভিভ)বক ৷ ইবন আদী যয়ীফ রাবী আলী ইবন য)ইরের সুত্রে আবু ন)যরা থেকে,
তিনি আবু সায়ীদ থেকে, আর একটি সুত্র হল মুজ)লিদ আবুল ওদাক থেকে, আর তিনি আবু
সায়ীদ থেকে (এই সনদের রাবী যুজ)লিদ যয়ীফ) যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন,

“যখন তোমরা মুআবিয়)কে আমার মিম্বব্লুর দেখবে তখন তাকে হত্যা করে) ৷” এছাড়া আল
হ)কাম ইবন জহীরের সুত্রে ইবন অ)দী এ হাদীস মসন)দরুপে’ বর্ণনা করেছেন, এভাবে আল


شَعْرَهُ فَدَعَا بِمَاءٍ، فَغَسَلَهُ وَشَرِبَهُ، وَأَفَاضَ عَلَى جِلْدِهِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ الْهُذَلِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ عَامَ الْجَمَاعَةِ تَلَقَّتْهُ رِجَالٌ مِنْ وُجُوهِ قُرَيْشٍ فَقَالُوا: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَعَزَّ نَصْرَكَ، وَأَعْلَى أَمْرَكَ. فَمَا رَدَّ عَلَيْهِمْ جَوَابًا حَتَّى دَخَلَ الْمَدِينَةَ، فَقَصَدَ الْمَسْجِدَ وَعَلَا الْمِنْبَرَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي وَاللَّهِ مَا وَلِيتُ أَمْرَكُمْ حِينَ وَلِيتُهُ وَأَنَا أَعْلَمُ أَنَّكُمْ لَا تُسَرُّونَ بِوِلَايَتِي وَلَا تُحِبُّونَهَا، وَإِنِّي لَعَالِمٌ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ، وَلَكِنِّي خَالَسْتُكُمْ بِسَيْفِي هَذَا مُخَالَسَةً، وَلَقَدْ رُمْتُ نَفْسِي عَلَى عَمَلِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ فَلَمْ أَجِدْهَا تَقُومُ بِذَلِكَ، وَأَرَدْتُهَا عَلَى عَمَلِ ابْنِ الْخَطَّابِ، فَكَانَتْ أَشَدَّ نُفُورًا، وَحَاوَلْتُهَا عَلَى مِثْلِ سُنَيَّاتِ عُثْمَانَ، فَأَبَتْ عَلَيَّ، وَأَيْنَ مِثْلُ هَؤُلَاءِ؟ ! هَيْهَاتَ أَنْ يُدْرِكَ فَضْلَهُمْ أَحَدٌ مِمَّنْ بَعْدَهُمْ، رَحْمَةُ اللَّهِ وَرِضْوَانُهُ عَلَيْهِمْ، غَيْرَ أَنِّي سَلَكْتُ بِهَا طَرِيقًا لِي فِيهِ مَنْفَعَةٌ، وَلَكُمْ فِيهِ مِثْلُ ذَلِكَ، وَلِكُلٍّ فِيهِ مُؤَاكَلَةٌ حَسَنَةٌ، وَمُشَارَبَةٌ جَمِيلَةٌ، مَا اسْتَقَامَتِ السِّيرَةُ وَحَسُنَتِ الطَّاعَةُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُونِي خَيْرَكُمْ فَأَنَا خَيْرٌ لَكُمْ، وَاللَّهِ لَا أَحْمِلُ السَّيْفَ عَلَى مَنْ لَا سَيْفَ مَعَهُ، وَمَهْمَا تَقَدَّمَ مِمَّا قَدْ عَلِمْتُمُوهُ فَقَدْ جَعَلْتُهُ دَبْرَ أُذُنِي، وَإِنْ لَمْ تَجِدُونِي أَقُومُ بِحَقِّكُمْ كُلِّهِ فَارْضَوْا مِنِّي بِبَعْضِهِ، فَإِنَّهَا لَيْسَتْ بِقَائِبَةِ قُوبِهَا، وَإِنَّ السَّيْلَ إِذَا جَاءَ تَتْرَى - وَإِنْ قَلَّ - أَغْنَى، وَإِيَّاكُمْ وَالْفِتْنَةَ فَلَا تَهُمُّوا بِهَا، فَإِنَّهَا تُفْسِدُ الْمَعِيشَةَ، وَتُكَدِّرُ النِّعْمَةَ، وَتُورِثُ الِاسْتِئْصَالَ، أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ. ثُمَّ نَزَلَ. قَالَ أَهْلُ اللُّغَةِ: الْقَائِبَةُ: الْبَيْضَةُ، وَالْقُوبُ: الْفَرْخُ، قَابَتِ
পৃষ্ঠা - ৬৬০৯


হাক্যম, আসিম থেকে, তিনি যারব থেকে তিনি ইবন মাসউদ থেকে, আর এই আল হাকাম
ইবন জহীর এর হাদীস ঘুহাদ্দিসগণের মাপকাঠিতে তঅগ্রহণযোগ্য ৷ এই হাদীস যে জাল
এ ব্যাপারে কোন সংশয় নেই ৷ যদি তা সত্যবিশুদ্ধব হত জিতাহলে অবশ্যই সাহাবায়ে কেরাম তা
করার জন্য ছুটে যেতেন তত্পর হতেন ৷ কেননা, আল্লাহর (ও তার রাসুলের) নির্দেশ পালনে
তারা কোন নিন্দা ভহ্সনার পরওয়া করতেন না ৷ আর আমর ইবন উবাইদ হাসান বসরী থেকে
তা মুরসাল রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ আইয়ুব বলেন, এটা জাল হাদীস ৷ আর খতীব বাগদাদী
অজ্ঞাত সনদে’ আবুবৃ যুবাইর থেকে, আর তিনি জাবির (রা) থেকে মারফু রুপে বর্ণনা
করেছেন, “তোমরা যদি মুআবিয়াকে আমার এই মিস্বরে খুৎব৷ দিতে দেখ, তাহলে তাকে
হত্যা করো,কেননা, সে আস্থাভা জন এবং নিরাপদ ৷১ আবু যারঅ৷ দিমাশকী দাহিম থেকে
বলেন, তিনি ওয়ালীদ থেকে, তিনি আওযায়ী থেকে, তিনি বলেন, মুআবিয়া (রা)এর
” খিলাফতকালে বেশ কয়েকজন সাহাবী জীবিত ছিলেন, এদের মধ্যে অন্যতম হলেন, হযরত
উসামা, সাদ, জাবির, ইবন উমর, যায়দ ইবন ছাবিত, সালামা ইবন মুখাল্লাদ, আবু সায়ীদ,
রাফি ইবন খাদীজ়, ন্আ বু উমাযা, আনাস ইবন মালিক প্রমুখ ৷ আমরা হা৷দের নাম উল্লেখ
করলাম তারা ছাড়াও আরো বহুজ্রন র্যারা গুণে ও গণনায় এদের (অনেকের) চেয়ে অধিক ৷
এরা ছিলেন হেদায়েতের আ৷লাকবর্শ্বকিা, জ্ঞানের আধার ৷ তারা আল্লাহর কিতাব নাযিল
হওয়ার সময় এবং দীনের নতু ন বিধান প্রণীত হওয়ার সময় উপস্থিত থে কেছেন ৷৩ তারা দীন
ইসলামের এমন সব বিষয় অবহিত হয়েছেন যা অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয় ৷ কুরআনের
ব্যাখ্যা তারা সরাসরি আল্লাহর, রাসুল থেকে গ্রহণ করেছেন ৷ এছাড়া বহু বিশিষ্ট তা বেয়ী তার
থিলাফতকাল পেয়েছেন ৷ন্ এদের মাঝে মিসওয়ার ইবন মাখরামা, আবদুর রহমান ইবন
আসওয়াদ ইবন আবৃদ ইয়াপুছ, সায়ীদ ইবন যুসায়া৷ব এবং আবদুল্লাহ ইবন মুহায়রিম
উল্লেখযোগ্য ৷
আবু যাব আ দাহীম থেকে ওয়ালীদ থেকে তিনি সায়ীদ ইবন আষীয থেকে বর্ণনা করে
বলেন, হযরত উসমান যখন শহীদ হন, তখন যুসলমানগণের কোন ফৌজ শক্রুদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধরত ন্ ছিল না ৷ অবশেষে ঐক্যের বছর এল ৷ এরপর মুআবিয়া (বা) রোমক ভুন্াণ্ডে ষোলবার
অভিযান পরিচালনা করেন ৷ একদল সেনা গ্রীষ্মকালে গমন করত এবং রোমান ভুথণ্ডে শীতযাপন
করত অর্থাৎ শীতকান পর্যন্ত যুদ্ধরত থাকত ৷ তারপর এই দল ফিরে আসত এবং আরেক দল
তাদের স্থলবর্তী হত ৷ তিনি যাদেরকে যুদ্ধাতিযানে প্রেরণ;কারছিালন তাদের মধ্যে তার ছেলে
ইয়াযীদ ৷ একবার তিনি তাকে উল্লেখযোগ্য সং খ্যক সাহাবীর সাহচর্যে অভিযানে প্রেরণ করলেন,
এরপর তারা উপসাগর পাড়ি দিয়ে বনেসট্যান্টিনােপলের প্রবেশদ্বারে উপনীত হলেন এবং তার
, অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন ৷ এরপর ইয়াযীদ তাদেরকে নিয়ে শামে ফিরলেন ৷
হযরত মুআবিয়্ার (রা) সর্বশেষ ওসীয়ত ছিল, তোমরা ণ্রামকদের-র্টুটি চেপে ধর ৷
ইবন ওয়াহব ইউনুস থেকে, তিনি যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত মুআৰিয়৷ তার
শাসনকালে দৃ’বার সদলবলে হজ্জ করেন ৷ আর তার শাসনকাল ফ্লি বিশ বছরের মাত্র



১ মুল গ্রন্থে এমনই রয়েছে ৷ তবে মুদ্রিত গ্রন্থের টীকায় রয়েছে সম্ভবত এখানে “তাকে হত্যা করো” এর
পব্লিব্যর্ত “তাকেগ্রহণ করো হবে ৷ কেননা এর পরে ৰিদ্যমান (কানা, সে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ :এই, অর্থের
সাথে অধিক সঙ্গতিপুর্ণ ৷ ৰু


الْبَيْضَةُ تَقُوبُ إِذَا انْفَلَقَتْ عَنِ الْفَرْخِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذِهِ الْخُطْبَةَ كَانَتْ عَامَ حَجَّ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، أَوْ فِي سَنَةِ خَمْسِينَ، لَا فِي عَامِ الْجَمَاعَةِ. وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي عُلْوَانُ بْنُ دُوَادَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ أَوَّلَ حَجَّةٍ حَجَّهَا بَعْدَ اجْتِمَاعِ النَّاسِ عَلَيْهِ، فَلَقِيَهُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَرِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَتَوَجَّهَ إِلَى دَارِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَلَمَّا دَنَا إِلَى بَابِ الدَّارِ صَاحَتْ عَائِشَةُ بِنْتُ عُثْمَانَ، وَنَدَبَتْ أَبَاهَا، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِمَنْ مَعَهُ: انْصَرِفُوا إِلَى مَنَازِلِكُمْ فَإِنَّ لِي حَاجَةً فِي هَذِهِ الدَّارِ. فَانْصَرَفُوا وَدَخَلَ، فَسَكَّنَ عَائِشَةَ، وَأَمَرَهَا بِالْكَفِّ، وَقَالَ لَهَا: يَا بِنْتَ أَخِي، إِنَّ النَّاسَ أَعْطَوْنَا سُلْطَانًا فَأَظْهَرْنَا لَهُمْ حِلْمًا تَحْتَهُ غَضَبٌ، وَأَظْهَرُوا لَنَا طَاعَةً تَحْتَهَا حِقْدٌ، فَبِعْنَاهُمْ هَذَا، وَبَاعُونَا هَذَا، فَإِنْ أَعْطَيْنَاهُمْ غَيْرَ مَا اشْتَرَوْا شَحُّوا عَلَى حَقِّهِمْ، وَمَعَ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ شِيعَةٌ، وَهُوَ يَرَى مَكَانَ شِيعَتِهِمْ، فَإِنْ نَكَثْنَاهُمْ نَكَثُوا بِنَا، ثُمَّ لَا نَدْرِي أَتَكُونُ لَنَا الدَّائِرَةُ أَمْ عَلَيْنَا؟ وَأَنْ تَكُونِي ابْنَةَ عُثْمَانَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَكُونِي أَمَةً مِنْ إِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَنِعْمَ الْخَلَفُ أَنَا لَكِ بَعْدَ أَبِيكِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَدِيٍّ، مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَمِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ أَيْضًا، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬১০
أَبِي الْوَدَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا رَأَيْتُمْ مُعَاوِيَةَ عَلَى مِنْبَرِي فَاقْتُلُوهُ ".» أَسْنَدَهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ الْحَكَمِ بْنِ ظُهَيْرٍ، وَهُوَ مَتْرُوكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ مَرْفُوعًا. وَهَذَا الْحَدِيثُ كَذِبٌ بِلَا شَكٍّ، وَلَوْ كَانَ صَحِيحًا لَبَادَرَ الصَّحَابَةُ إِلَى فِعْلِ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا لَا تَأْخُذُهُمْ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ. وَأَرْسَلَهُ عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ. قَالَ أَيُّوبُ: وَهُوَ كَذِبٌ. وَرَوَاهُ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ بِإِسْنَادٍ مَجْهُولٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ مَرْفُوعًا «إِذَا رَأَيْتُمْ مُعَاوِيَةَ يَخْطُبُ عَلَى مِنْبَرِي فَاقْبَلُوهُ فَإِنَّهُ أَمِينٌ مَأْمُونٌ ".» وَقَدْ قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ، عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ قَالَ: أَدْرَكَتْ خِلَافَةَ مُعَاوِيَةَ عِدَّةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ أُسَامَةُ، وَسَعْدٌ، وَجَابِرٌ، وَابْنُ عُمَرَ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَمَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَرَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، وَأَبُو أُمَامَةَ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَرِجَالٌ أَكْثَرُ مِمَّنْ سَمَّيْنَا بِأَضْعَافٍ مُضَاعَفَةٍ، كَانُوا مَصَابِيحَ الْهُدَى، وَأَوْعِيَةَ الْعِلْمِ، حَضَرُوا مِنَ الْكِتَابِ تَنْزِيلَهُ، وَأَخَذُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأْوِيلَهُ ; وَمِنَ التَّابِعِينَ لَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِنْهُمُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ، وَفِي أَشْبَاهٍ لَهُمْ لَمْ يَنْزِعُوا يَدًا عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬১১

একমাস কম ৷ আবু বকর ইবন আয়্যাশ বলেন মু আবিয়৷ (বা ) লোকজন নিয়ে চুয়াল্পিশ হিজরী
এবং পঞ্চাশ হিজ়রীতে হজ্জ করেন কারো কারো মতে অবশ্য একান্ন হিং১ক্বীতৈ১ ; আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
লাইছ ইবন সাদ বলেন, আমাদেরকে বুকাইর বর্ণনা করেছেন, বিশর ইবন সায়ীদ থেকে
যে, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) বলেন, হযরত উসমানের পর এই দরজাওয়ালা অর্থাৎ
মুআবিয়ার চেয়ে কোন ন্যায়বিচারক আমি দেখি নি ৷ আবদুর রাঘৃমাক বলেন, আমাদেরকে
ম৷ মার বর্ণনা করেছেন যুহৰী থেকে তিনি হুমায়াদ ইবন আবদুর রহমান থেকে, তিনি বলেন
আমাদেরকে মিসওয়ার ইবন মাখরাম৷ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (একবার) দুতরুপে হযরত
মুআ ৷ৰিয়ার কাছে আসলেন ৷ তিনি ৩ন বলেন, তারপর যখন আমি তার সাক্ষার্ভে প্রবেশ করলাম
রাবী বলেন আমার ধারণা তিনি বলেন, তাকে সালাম করলাম” তিনি বলেন, হে মিসওয়ায়
শাসকদের বিরুদ্ধে৫ তামার নিন্দা সমালোচনার কি খবর? তিনি বলেন, আমি বললাম, এ বিষয়
থেকে আমাদের অব্যাহতি দিন এবং যে উদ্দেশ্য আমরা এসেছি তার সুব্যবস্থ৷ করুন ৷ তিনি
বলেন, তুমি আমাকে তোমার মনের কথা বল ৷ তিনি (মিসওয়ার) বলেন, আমি তার মাংঝে
সমালোচনা যোগ্য সবকিছু তাকে খুলে বললাম ৷ তিনি বলেন, তুমিও তো নিস্পাপ নও ৷
তোমার কি এমন পাপসমুহ রয়েছেঃ মহান আল্লাহর ক্ষমা না হলে যা তোমার সর্বনাশ করবে
বলে তুমি আশঙ্কা কর ? তিনি বলেন, আমি বললাম হা, আমার এমন অনেক পাপ রয়েছে যে
যদি আল্লাহ তাআল৷ তা ক্ষমা না করেন, তবে তা আমার সর্বনাশ ডেকে আনবে ৷ মুআবিয়া
বলেন, তাহলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশার ক্ষেত্রে কিসে তোমাকে আমার চেয়ে অধিক উপযুক্ত
বানাল ৷ আল্লাহর কসম ! আমার দায়িত্বে যে প্রজা সংশোধন, দণ্ড প্রয়োগ, মানুষের মাঝে ঐক্য
ও সম্প্রীতি স্থাপন, আল্লাহর রাহে জিহাদ এবং এমন সব বিশাল ও অসংখ্য বিষয়াদি , ও
কর্মকাণ্ড ন্যস্ত রয়েছে যা তোমার উল্লেখিত দোয়ত্রুটি ও পাপ থেকে অধিক (সংখ্যক) ৷ আর
আমি এমন এক ধর্মের অনুসারী যে ধর্মে মহান আল্লাহ পুণ্য কর্মসমুহকে কবুল করেন এর পাপ
ও অপরাধসমুহ ক্ষমা করে দেন ! মহান আল্লাহ এ ব্যাপারে সাক্ষী যে আমাকে মহান আল্লাহ ও
পায়রুল্লাহ্র মাঝে বেছে নেওয়ার ইচছাধিকার দেওয়া হলে আমি যে কারো পরিবতে মহান
আল্লাহ্কেই বেছে নি৩ ৷ম ৷ মিসওয়ার বলেন মুআবিয়া আমাকে এসকল কথা বলার পর আমি
তোর ণ্দখলাম, যুক্তিতর্কে তিনি আমাকে পরাস্ত করেছেন ৷ রাবী বলেন, এরপর মিসওয়ার
যখনই তার কথা উল্লেখ করতেন তার জন্য দু আ করতেন আর শুআইব যুহরী থেকে তিনি
উরওয়া থেকে, তিনি মিসওয়ার থেকে, প্রায় এর পই একটি রেওয়ায়েত বর্ণনা করেন ৷
ইবন দুরাইদ বলেন, আবৃ হাতিম থেকে, তিনি আ৩ ৷বী থেকে, তিনি বলেন, (একবার)
মু আবিয়া (বা) বলেন, হে মানবমণ্ডলী আমি তোমাদের সবেত্তিম ব্যক্তি নই, তোমাদের মাঝে ণ্
এমন ব্যক্তি রয়েছেন, হার৷ আমার চেয়ে উত্তম, যেমন আবদুল্লাহ ইবন উমর, আবদুল্লাহ ইবন
আমর ও তাদের মত গুণীজন ৷ কিন্তু শাসকরুপে সম্ভবত আমিইণ্ তামাদের জন্য অধিক
উপকারী ও কল্যাণবাহী এবং তোমাদের শত্রু নিধনে অধিক কার্যকরী ৷ রাবী মুহাম্মাদের
সঙ্গীগণ তা বর্ণনা করেছেন ইবন সা ৷দ এর সুত্রে আর তিনি মুহাম্মাদ ইবন মাস আর থেকে



১ একান্ন হিজরীতে সদলবলে হজ্জ করেন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া কেউ কেউ বলেন ইয়াযীদ হজ্জ করে পঞ্চাশ
হিজরীতে আর কারো মতে হযরত মুআৰিয়৷ ত-াবারী ৬১৬১দ্রংা


مُجَامَعَةٍ فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ لَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ غَازِيَةٌ تَغْزُو، حَتَّى كَانَ عَامُ الْجَمَاعَةِ فَأَغْزَا مُعَاوِيَةُ أَرْضَ الرُّومِ سِتَّ عَشْرَةَ غَزْوَةً، تَذْهَبُ سَرِيَّةٌ فِي الصَّيْفِ وَتَشْتُو بِأَرْضِ الرُّومِ، ثُمَّ تَقْفِلُ وَتَعْقُبُهَا أُخْرَى، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ أَغَزَا ابْنُهُ يَزِيدُ، وَمَعَهُ خَلْقٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَجَازَ بِهِمُ الْخَلِيجَ، وَقَاتَلُوا أَهْلَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ عَلَى بَابِهَا، ثُمَّ قَفَلَ بِهِمْ، وَكَانَ آخِرَ مَا أَوْصَى بِهِ مُعَاوِيَةُ أَنْ قَالَ: شُدُّوا خِنَاقَ الرُّومِ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: حَجَّ بِالنَّاسِ مُعَاوِيَةُ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ مَرَّتَيْنِ، وَكَانَتْ أَيَّامُهُ عِشْرِينَ سَنَةً إِلَّا شَهْرًا. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ: حَجَّ بِالنَّاسِ مُعَاوِيَةُ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَسَنَةَ خَمْسِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا بُكَيْرٌ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا بَعْدَ عُثْمَانَ أَقْضَى بِحَقٍّ مِنْ صَاحِبِ هَذَا الْبَابِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ،
পৃষ্ঠা - ৬৬১২


তিনি আবুবকর ইবন আবু মারইয়াম থেকে, তিনি মুআবিয়ার (রা) মাওলা (আযাদকৃত দাস)
ছাবিত থেকে, তিনি হযরত মুআবিয়াকে এরুপ বলতে শুনেছেন ৷ দামেশৃকের খতীব হিশাম
ইবন আম্মার বলেন, আমাদেরকে আমর ইবন ওয়াকিদ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে ইউনুস ইবন হালবাস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি হযরত মুআবিয়াৰুক
কোন এক জুমুআর দিনে দাৰুমশৃকের মিম্বৰুর বলতে শুৰুনছি, হে মানবমণ্ডলী ৰু আমার কথা
ভালভাবে বুঝে নাও ৷ একই সাথে দুনিয়া ও আখিরাৰুতর বিষয়ে আমার চেয়ে জ্ঞানী কাউকে
তোমরা পাবে না ৷ সালাৰুত তোমরা তোমাদের দিক ও সারি (কাতার) ঠিক রেখো, অন্যথায়
মহান আল্লাহ, তোমাদের অন্তরসমুহের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন ৷ তোমাদের নির্বোধৰুদর
নিবৃত্ত কর, অন্যথায় মহান আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের কর্তৃত্ব দান করবেন ৷ তখন তারা
তােমাদেরৰুক নিকৃষ্টতম শাস্তি ভোগ করাবে ৷ আর সাদক৷ কর ৷ কেউ যেন একথা না বলে যে
আমি স্বল্প আয়ের মানুষ ৷ কেননা, অসচ্ছলের দান সচ্ছল ব্যক্তির দান থেকে উত্তম ৷ আর
সতী-সাধবী নারীগৰুণর প্রতি অপবাদ আরোপ থেকে আত্মরক্ষ৷ কর ৷ আর কেউ যেন একথা না
বলে যে, আমি শুনছি’ আমার কাছে পৌছেছে ৷ তোমাদের কেউ যদি সেই নুহ (আ)-এর
কালের কোন নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তাহলেও সে কিয়ামৰুতর দিন সে সম্পর্কে
জিজ্ঞাসিত হবে ৷ আবু দাউদ তুায়ালসী বলেন, আমাদেরকে ইয়াযীদ ইবন ত্হ্মান আর রক্কাশী
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন সীরীন বর্ণনা করেন, তিনি বলেন
হযরত মুআবিয়া (রা) যখন রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে (হাদীস) বর্ণনা করতেন ৷ তখন তাকে
সন্দেহ করা হত না ৷
আবুল কাসিম আল বাহাবী সুওযাইদ বিন নায়ীদ থেৰুক তা বর্ণনা করেন, আর তিনি হাম্মাম
ইবন ইসমাঈল থেকে, তিনি আবু কুবাইল থেকে, তিনি বলেন, হযরত মুআরিয়৷ (তার
শাসনকালে) আবু জারটু৷ নামক এক বাক্তিৰুক প্রতিদিন পাঠাৰুতন এবং ৰুলাকটি বিভিন্ন লোক
সমাবেশে ঘুরে ঘুরে জিজ্ঞাসা করত, কাৰুর ৷ কি কোন নবজাতকজ্বন্মযহণ করেছে? কিৎব৷ কোন
প্রুতিনিধি (দল) কি আগমন কৰুরছেঃ যখন তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হত, তখন (তাকে
কোন সরবরাহের জন্য) তার নাম রেজিস্টারভুক্ত করে নেওয়া হত ৷ অন্যরা বলেন, হযরত
মুআ ৷বিয়৷ অতি বিনম্র ও কোমল হৃদয় ছিল, শিশুদের (গামছা সদৃশ চাবুক ব্যতীত) তার কোন
চাবুক ছিল না ৷৩ ত৷ দ্বারাই তিনি অপরাধীৰুদর মৃদু প্রহার করতেন ৷ হিশাম ইবন আম্মার আমর
ইবন ওয়াকিদ থেকে, তিনি ইউনুস ইবন মায়সারা ইবন হালবাস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
(ইউনুস) বলেন, দাৰুমশৃকের বাজারে আমি মুআবিয়া (রা) কে দেখেছি যে,৩ তিনি তার বাহৰুন
এক বালক দাসৰুক বসিয়েৰুছন, আর তার পরণে তালিযুক্ত কাপড় ৷ এ অবস্থায় তিনি
দামেশকের বাজারে বাজারে ঘুরছেন ৷ মুহাজ্যিদের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাশ বলেন, তিনি বলেন,
, যদি ভোমর৷ মু আবিয়া (রা) কে দেখতে ৩তাহলে বলতে ইনিই হিদায়েতপ্রাপ্ত ৷
আওআম থেকে হাশিম বর্ণনা করেছেন আর তিনি জানালা ইবন সুহাইষ্ম থেকে, তিনি
ইবন আম্ব্র থেকে, নিনিধ্ বলেন মু আবিয়ার চেয়ে অধিক ৰুনতৃ৩ ভাবসম্পৃন্ন কাউকে আমি
দেখি নি ৷ তিনি (জানালা) বলেন, আমি বললাম উমরও নয় কিং তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে
উমর রা)৩ তার চেয়ে উত্তম ছিলেন, আর মুআৰিয়া ছিলেন অধিক নেতৃভাবসম্পন্ন ৷ আবু
সুফিয়ান আল হিয়ারী আওয়াম ইবন হাওশাব থেকে তা বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন,
রাসুল (না)-এর পর আমি হযরত মুআবিয়ার চেয়ে অধিক ৰুনতৃভাবসম্পন্ন ব্যক্তি দেখি

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৩৩

ثَنَا الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ أَنَّهُ وَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، قَالَ: فَلَمَّا دَخَلْتُ عَلَيْهِ - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: سَلَّمْتُ عَلَيْهِ - فَقَالَ: مَا فَعَلَ طَعْنُكَ عَلَى الْأَئِمَّةِ يَا مِسْوَرُ؟ قَالَ: قُلْتُ: ارْفُضْنَا مِنْ هَذَا وَأَحْسِنْ فِيمَا قَدِمْنَا لَهُ. فَقَالَ: لَتُكَلِّمَنِّي بِذَاتِ نَفْسِكَ. قَالَ: فَلَمْ أَدَعْ شَيْئًا أَعِيبُهُ عَلَيْهِ إِلَّا أَخْبَرْتُهُ بِهِ. فَقَالَ: لَا بَرَاءَ مِنَ الذُّنُوبِ، فَهَلْ لَكَ مِنْ ذُنُوبٍ تَخَافُ أَنْ تُهْلِكَكَ إِنْ لَمْ يَغْفِرْهَا اللَّهُ لَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا يَجْعَلُكَ أَحَقَّ بِأَنْ تَرْجُوَ الْمَغْفِرَةَ مِنِّي، فَوَاللَّهِ لَمَا أَلِيَ مِنَ الْإِصْلَاحِ بَيْنَ النَّاسِ وَإِقَامَةِ الْحُدُودِ وَالْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْأُمُورِ الْعِظَامِ الَّتِي نُحْصِيهَا وَالَّتِي لَا نُحْصِيهَا أَكْثَرُ مِمَّا تَلِي، وَإِنِّي لَعَلَى دِينٍ يَقْبَلُ اللَّهُ فِيهِ الْحَسَنَاتِ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ، وَوَاللَّهُ عَلَى ذَلِكَ مَا كُنْتُ لِأُخَيَّرَ بَيْنَ اللَّهِ وَغَيْرِهِ إِلَّا اخْتَرْتُ اللَّهَ عَلَى مَا سِوَاهُ. قَالَ: فَفَكَّرْتُ حِينَ قَالَ لِي مَا قَالَ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ قَدْ خَصَمَنِي. قَالَ: فَكَانَ الْمِسْوَرُ إِذَا ذَكَرَهُ بَعْدَ ذَلِكَ دَعَا لَهُ بِخَيْرٍ. وَقَدْ رَوَاهُ شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ عَنْ أَبِي حَاتِمٍ، عَنِ الْعُتْبِيِّ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَا أَنَا بِخَيْرِكُمْ، وَإِنَّ مِنْكُمْ لَمَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، وَغَيْرُهُمَا مَنَ الْأَفَاضِلِ، وَلَكِنْ عَسَى أَنْ أَكُونَ أَنْفَعَكُمْ وِلَايَةً، وَأَنْكَاكُمْ فِي عَدُوِّكُمْ، وَأَدَرَّكُمْ حَلْبًا. وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৬১৩
مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ ثَابِتٍ مَوْلَى سُفْيَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ يَقُولُ نَحْوَ ذَلِكَ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ خَطِيبُ دِمَشْقَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقَدٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ حَلْبَسٍ قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ عَلَى مِنْبَرِ دِمَشْقَ يَوْمَ جُمُعَةٍ يَقُولُ: أَيُّهَا النَّاسُ، اعْقِلُوا قَوْلِي، فَلَنْ تَجِدُوا أَعْلَمَ بِأُمُورِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ مِنِّي، أَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ وَصُفُوفَكُمْ فِي الصَّلَاةِ، فَلَتُقِيمُنَّ وُجُوهَكُمْ وَصُفُوفَكُمْ، أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ، خُذُوا عَلَى أَيْدِي سُفَهَائِكُمْ، أَوْ لَيُسَلِّطُنَّهُمُ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَلْيَسُومُنَّكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ، تَصَدَّقُوا وَلَا يَقُولُنَّ الرَّجُلُ: إِنِّي مُقِلٌّ. فَإِنَّ صَدَقَةَ الْمُقِلِّ أَفْضَلُ مِنْ صَدَقَةِ الْغَنِيِّ، وَإِيَّاكُمْ وَقَذْفَ الْمُحْصَنَاتِ، وَأَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ: سَمِعْتُ. وَ: بَلَغَنِي. فَلَوْ قَذَفَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً عَلَى عَهْدِ نُوحٍ لَسُئِلَ عَنْهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ طَهْمَانَ الرَّقَاشِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ إِذَا حَدَّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُتَّهَمْ. وَرَوَى أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ ضِمَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَبْعَثُ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْجَيْشِ. فِي
পৃষ্ঠা - ৬৬১৪


নি৷ প্রশ্ন হল, আবু বকরও নয় কি? তিনি বলেন, আবু বকর, উমর, উসমান এরা
প্রতোকে তার চেয়ে উত্তম ৷ তবে তিনি অধিক নেতৃভাবসম্পদুধ্ ৷ আর তিনি ইবন উমর
(রা) থেকে একাধিক সুত্রে তার অনুরুপ (রেওয়ায়েত) বর্ণনা করেছেন ৷ মামার থেকে
আবদুর রাষ্যাক বর্ণনা করেন, আর তিনি হুমাম থেকে, তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস
(রা) কে বলতে শুনেছি, মুআবিয়৷ (রা)-এর চেয়ে রাজা-বাদশাদের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ
কোন ব্যক্তি আমি দেখি নি ৷ হাবল ইবন ইসহাক বলেন, আমাদেরকে আবু নয়ীম বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে ইবন আবু উতায়বা পবিত্র মদীনায় জনৈক শায়খ থেকে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, মুআবিয়া (একবার) বলেছিলেন, আমি হলাম মুসলমানদের
প্রথম বাদশাহ ৷

ইবন আবু খায়ছাম৷ বলেন, আমাদেরকে হারুন ইবন মারুফ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে হাময৷ বর্ণনা করেন, ইবন শাওয়াব থেকে তিনি বলেন, মুআৰিয়া (রা) বলভেন,
আমি হলাম (মুসলমানগণের) প্রথম বাদশাহ এবং শেষ খলীফা ৷ এ ব্যাপারে আমাদের মত
হল, সুন্নত বা সঠিক হল, হযরত মুআবিয়াকে বাদশাহ’ বলা ৷ হযরত সাফীনা বর্ণিত হাদীসের
কারণে তাকে খলীফ৷ বলা হয় না ৷ “আমার পর তিরিশ বছর হল খিলাফতকাল ৷ এরপর তা
অনাচার ও ফিৎন৷ এবং ৰাদশাহীতে পরিণত হয়ে ৷

আবদুল মালিক ইবন মারওরান একদিন হযরত মুআবিৰাৰ প্রসঙ্গে আলোচনা করে
বলেন, কিচক্ষণত ৷, সহনশীলত ৷ ও মহানুভবতায় আমি তার মত কাউকে দেখি নি৷ আর
ধীরস্থির এবং কোমল আর দান দক্ষিণায় উদারহস্ত আমি আর কাউকে দেখি নি ৷ কোন এক
বর্ণনায় এসেছে, একবার একব্যক্তি মুআব্রিয়া (রা) কে বেশ কঠিন মন্দ কথা শোনাল ৷
এরপর তাকে বলা হল, ইচ্ছা করলে আপনি তাকে পাকড়াও করতে পারতেন ৷ তিনি বলেন,
আমার শাসিত কোন প্রজার অপরাধ ক্ষমা করা থেকে আমার সহনশীলত৷ সংকীর্ণ হবে,
একথায় আমি মহান আল্লাহ থেকে লজ্জাবােধ করি ৷ এক বর্ণনায় এসেছে, একবার র্তাকে
এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আমীরুল মুমিনীন ! কীন্সে আপনাকে সহনশীল ও ক্ষমাগ্রবণ
করেছে?ত তিনি বলেন, কারো অপরাধ আমার সহনশীলত৷ ও ক্ষমার চেয়ে বড় হবে একথায়
আমি লজ্জাবােধ করি ৷

ছাওরী থেকে আসমায়ী বলেন, হযরত মুআবিয়া (রা) বলেন, এবিষয় থেকে আমি
লজ্জাবােধ করি যে, কোন পাপ আমার ক্ষমার চেয়ে বড় হবে কিংবা কোন মুর্থত৷ আমার
সহনশীলতার চেয়ে অধিক হবে কিং বা এমন কোন অনাবৃত বিষয় সৃষ্টি হবে যা আমি আমার
আবরণ দ্বারা য আবৃত ও রক্ষা করতে পারব না ৷



১ আবদুর রহমান ইবন আবু বাকরা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলতে শুনেহি, নবুওয়াতের খিলাফ্তকাল নদ? তিরিশ (৩০) বছর ৷ এরপর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা রাজ-ক্ষমতা দান
ণ্ করবেন ৷ তাই মুআবিয়া (রা) বলেন, আমরা বাদশাহী পেয়েই তুষ্ট হল্াম ৷ হাদীসখানি দেখুন; সুনানে আবু
দাউদ (বিল্টাবুস সুন্নাহ) ৪২১১; তিরমিযী শরীফ, কিতাবুল ফিতান ৪৫০৩; মুসনাদে আহমাদ ৪২৭৩;
দালাইলুল ৰায়হাকী ৬৩৪ ২; ন্

২ মুসনাদে আহমাদ ৫৪ : ৫২২ও; “এবং আবু দাউদ হাদীস নং ৪৬৪৬ রয়েছে-নবুওয়াতের ন্খিলাফত

ন্ হল তিরিশ বছর ৷ তারপর আল্লাহ যার্কে ইচ্ছা বাদশাহী দান করবেন ৷ আর সাফীনা থেকে; ইয়াকুব ইবন

, সুফিয়ানের সুত্রে রয়েছে, আমার উম্মতের খিলাফ্ত হবে তিরিশ বছর ৷ এরপর বাদাশাহীর পর বাদশাহী
হতে থাকবে ৷ ,:


كُلِّ يَوْمٍ، فَيَدُورُ عَلَى الْمَجَالِسِ يَسْأَلُ هَلْ وُلِدَ لِأَحَدٍ مَوْلُودٌ، أَوْ قَدِمَ أَحَدٌ مِنَ الْوُفُودِ، فَإِذَا أُخْبِرَ بِذَلِكَ أَثْبَتَ فِي الدِّيوَانِ. يَعْنِي لِيُجْرِيَ عَلَيْهِ الرِّزْقَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ مُعَاوِيَةُ مُتَوَاضِعًا، لَيْسَ لَهُ مَجَالِدُ إِلَّا كَمَجَالِدِ الصِّبْيَانِ الَّتِي يُسَمُّونَهَا الْمَخَارِيقَ، فَيَضْرِبُ بِهَا النَّاسَ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ قَالَ: رَأَيْتُ مُعَاوِيَةَ فِي سُوقِ دِمَشْقَ وَهُوَ مُرْدِفٌ وَرَاءَهُ وَصِيفًا، عَلَيْهِ قَمِيصٌ مَرْقُوعُ الْجَيْبِ، وَهُوَ يَسِيرُ فِي أَسْوَاقِ دِمَشْقَ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: لَوْ رَأَيْتُمْ مُعَاوِيَةَ لَقُلْتُمْ: هَذَا الْمَهْدِيُّ. وَقَالَ هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَسْوَدَ مِنْ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: قُلْتُ: وَلَا عُمَرَ؟ قَالَ: كَانَ عُمَرُ خَيْرًا مِنْهُ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَسْوَدَ مِنْهُ. وَرَوَاهُ أَبُو سُفْيَانَ الْحِمْيَرِيُّ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ بِهِ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْوَدَ مِنْ مُعَاوِيَةَ. قِيلَ: وَلَا أَبَا بَكْرٍ؟ قَالَ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ خَيْرًا مِنْهُ، وَهُوَ أَسْوَدُ مِنْهُمْ. وَرُوِيَ مَنْ طُرُقٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৬১৫


ইমাম ৷ বী ও আসমায়ী তার (আসমায়ীর) পিতা থেকে বলেন, হযরত মুআবিয়া এবং
আবু জাহম নামক এক ব্যক্তির মাঝে দীর্ঘ বাক্য-বিনিময় হল, এসময় আবু জাহ্ম হযরত
মুট্আবিয়ার প্রতি অসৌজন্যমুলক কিছু কথা বলল, এসময় তিনি মাথা নীচু করে থাকলেন ৷
তারপর মাথা উঠিয়ে বলেন, হে আবু জাহ্ম ! (সুলতান) শাসকের ব্যাপারে সতর্ক থেক্যে ৷
(কানা, সে অপরিণামদর্শী বালকের ন্যায় ক্রুদ্ধ হয় এবং সিংহের ন্যায় আক্রমণ করে ৷ তার
স্বল্পও লোকদের অধিককে করে করে ৷ এরপর মুআৰিয়া (রা) আবু জাহ্মকে উল্লেখযোগ্য
পরিমাণ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিলেন, তখন আবু জাহ্ম সেই প্রসঙ্গে তার প্রস সার আবৃত্তি



আমরা যখন তার প্রতি অবিচ্যর করি তখন যেন আমরা আমাদের পিতার প্ৰতি অবিচার করি ৷
১ ধুঝু ১ স্কু ধ্রুষ্



তার উভয় অবস্থা পরখ করার জন্য আমরা তাকে আঘাত করি, তখন আমরা তার ন্
কােমলতা ও মহানুভবতার সন্ধান পাই ৷ আমাশ বলেন, একবার হযরত হাসান ইবন আলী
(বা) হযরত মু-আবিয়৷ (রা) এর সাথে তাওয়াফ করছিলেন, এসময় হযরত মুআবিয়া তীর
সামনে হাটছিলেন, তখন হযরত হাসান (রা) বলেন, তার মা হিনদের নিতম্বের সাথে তার
নিতম্বের কী সাদৃশ্য? হযরত মুআবিয়া তার দিকে ফিরে বলেন, তুমি ঠিকই বসেছ, এই যে
সাদৃশ্য আবু সুফিয়ানকেও অবাক করত ৷ সৃআবিয়ার ভাগিনা আবদুর রহমান ইবন উম্মুল
হাকাম তাকে বলেন, অমুক ব্যক্তি আমাকে গালমন্দ করে ৷ তিনি তাকে বলেন, তুমি মাথা
ঝুকিয়ে তার সামনে দিয়ে চলে যাবে, তাহলে তা তোমাকে অতিক্রম করে যাবে ৷

ইবনুল আরাবী বলেন, এক ব্যক্তি মুআবিয়াকে বলেন, আপনার চেয়ে ইতর আমি দেখি
নি ৷ মুআবিয়৷ বলেন, আবশ্যই (ই৩ র ঐ ব্যক্তি) যে মানুষের সাথে এইভাবে কথা বলে ৷ আবু
বিন আ লা বলেন, হযরত মুআৰিয়া বলেন, মহানুতংতার পরিবর্তে লাল উটের পালও আমাকে
আনন্দিত করে না ৷ এবং তিনি আরও বলেন, তদ্র্য প সহনশীলতার বিনিময়ে বিজয়ের সম্মান
আমাকে আনন্দিত করে না ৷ তাদের কেউ বলেন, মুআবিয়৷ বলেন, হে বনী উমায়্যা !
ব্লিক্ষেণ্তো ও সহনশীলত ৷ দ্বারা তোমরা কুরাইশদের সাথে নিজেদের পার্থক্য গড়ে নাও ৷
আল্লাহর শপথ ! কখনও জ!হিলিয়াতে আমার সাথে কোন ব্যক্তির সাক্ষাৎ হত আর সে আমাকে
গালমন্দে ভরে দিত আর আমি সহনশীলতায় তাঃক ভরে দিতাম ৷ এরপর আমি যখন ফিরতাম
তখন সে আমার বন্ধু হয়ে যেত, আমি তার সাহায্য চইিলে যে আমাকে সাহায্য করত ৷ তার
সাহচর্য আমি (কারাে ধ্প্ৰতি) উত্তেজিত হলে সেও উত্তেজিত হত ৷ সহনশীলতা ও মার্জন৷ কোন
সম্রান্তের সম্মান হ্রাস করে নি, তা তার মহানুতংাতাই বৃদ্ধি করেছে ৷ তিনি আরো বলেন,
সহনশীলতার আপদ হল অপছদত৷ ৷ তিনি বলেন, ৩তক্ষণ তার মুর্থতার উপর সহনশীলতা
এবং কামনা বাংলা ও কুপ্রবৃত্তির উপর ধৈর্যশীলতা প্রবল হয় ৷ সহনশীলতার শক্তি ব্যতীত

কোন ব্যক্তি এই স্তরে উপনীত হতে পারে না ৷ ’
আবদুল্লাহ বিন জুবাইর বলেন, হিনদের ছেলের কৃতিত্ব হল, আমরা সকলে র্তাকে ভর
ও সমীহ করতাম ৷ আর সময় ও খাবার অধিকারী সিংহ সবচেয়ে দুঃ সাহসী, তখন তিনিও


وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ رَجُلًا كَانَ أَخْلَقَ بِالْمُلْكِ مِنْ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُتْبَةَ، عَنْ شَيْخٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنَا أَوَّلُ الْمُلُوكِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ: أَنَا أَوَّلُ الْمُلُوكِ وَآخِرُ خَلِيفَةٍ. قُلْتُ: وَالسُّنَّةُ أَنْ يُقَالَ لِمُعَاوِيَةَ: مَلِكٌ. وَلَا يُقَالُ لَهُ: خَلِيفَةٌ. لِحَدِيثِ سَفِينَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا عَضُوضًا» ". وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ يَوْمًا، وَذَكَرَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَهُ فِي حِلْمِهِ وَاحْتِمَالِهِ وَكَرَمِهِ. وَقَالَ قَبِيصَةُ بْنُ جَابِرٍ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَعْظَمَ حِلْمًا، وَلَا أَكْثَرَ سُؤْدُدًا، وَلَا أَبَعْدَ أَنَاةً، وَلَا أَلْيَنَ مَخْرَجًا، وَلَا أَرْحَبَ بَاعًا بِالْمَعْرُوفِ مِنْ مُعَاوِيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৬১৬


আমাদের সামনে ভয় প্রকাশ করতেন ৷ আর আমরা র্তাকে ঘোকা দিতাম ৷ এমতাবস্থায়
একদিন বয়সৰিগ্রিষ্টি কোন প্রাণীও তার চেয়ে চতৃর নয় ৷ তিনি আমাদের সামনে ধোকাগ্নস্ত
হওয়ার ডান করতেন ৷ আল্লাহ্র শপথ ৷ আমি আকাজ্জা করতাম এই পাহাড়ে একটি পাথর
থাকা পর্যন্ত যেন আমরা তার সাহচর্য লাভ করি ৷ এই বলে তিনি আবুকুবায়স পাহাড়ের দিকে
ইঙ্গিত করেন ৷ একব্যক্তি মুআবিয়৷ (রা)-কে জিজ্ঞাসা করল, নেতৃত্বের সবচেয়ে যোগ্য কােনৃ
ব্যক্তি? তিনি বলেন, দান প্রার্থনাকালে সবচেয়ে বদান্য, সমাবেশ ও বৈঠকে সবচেয়ে সদাচারী
এবং মুর্যতার শিকার হলে সবচেয়ে অধিক হলে সহনশীল ৷ আবু উবাইদ৷ মা মর বিন মুছান্না
বলেন, হযরত মুআবিয়৷ প্রায়শই এই পঙ্ক্তিগুলো আবৃত্তি করতেন,
সহনশীল৩ ৷র মত অন্যকিছু নির্বুদ্ধিতাকে নির্মুল করতে পারে না, সহনশীল ব্যক্তি তা
দ্বারা মুর্থতার প্রতিকার করে ৷
কাজেই ক্রোধে থাকলেও কারো প্রতি মুর্থ আচরণ করো না ৷ কেননা, মুর্থ (অশ্লীল)
আচরণ ইতরতার নামাস্তর ৷
অপরাধের কারণে ভ্রাতৃসম্পর্ক ছিন্ন করো না ৷ কেননা, মহৎ ব্যক্তিইন্ অপরাধ ক্ষমা করে
থাকে ৷ আল-আহকাম গ্রন্থে কায়ী মা-ওয়ারদী বলেন, বর্ণিত আছে যে, (একবার) হযরত
ঘুআবিয়ার কাছে কয়েকজন চোর আনা হল, তিনি একে একে তাদের হাত কাটতে লাগলেন,
পরিশেষে তাদের একজন বাকী থাকল , সে আবৃত্তি করে উঠল,
আমীরুল মু মিনীন ! আমার ডান হাতকে আমি আপনার ক্ষমার আশ্রয়ে দিচ্ছি, যেন সে
কোন নিন্দনীয় পরিণতির সাক্ষাৎ না পায় ৷
স্রও
আমার প্রিয় ডান হাত যদি বাম হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে’দুনিয়াতে বেচে থেকে
কী লাভ? হযরত মুআবিয়া বলেন, কিভাবে আমি তোমাকে রক্ষা করব, অথচ ইতিমধ্যে
তোমার অন্য সঙ্গীদের হাত কেটে ফেলা হয়েছে? এই চোরের৷ যা বলল, আপনি তাকে (হাত
না কাটাকে) আপনার ঐসকল অপরাধের অন্তর্ভুক্ত করে নিন যা থেকে আপনি আরো করেন ৷
তিনি তাকে মুক্ত করে দিলেন ৷ এটা ছিল ইসলামী শাসনের অধীনে প্রথম গুরুদগু মওকুফ ৷
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে,৩ তিনি বলেন, মুআবিয়া (বা) কি দ্বারা লোকদের কাবু
করেন তা আমি বুঝতে পেয়েছি ৷ সােবেন্মা যখন উড়ে (সরে) যায় তখন তিনি পতিত হন তথা
আগমন করেন ৷ আর তিনি যখন আগমন করেন তখন তারা সরে যায় ৷ অন্য বর্ণনাকারী বলেন,
ঘু আবিয়া (রা)ত তার মায়ের যিয়াদের কাছে নিয়ে পাঠালেন, প্ৰজাদের সব সময় যদি তাদের সাথে
কােমলতা বরাে হয়, তাহলে তারা অতি উদ্ধৃফুল্ল ও অবাধ্য হয়ে যাবে, আর যদি সবসময় কঠোরতা




وَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَسْمَعَ رَجُلٌ مُعَاوِيَةَ كَلَامًا شَدِيدًا، فَقِيلَ لَهُ: لَوْ سَطَوْتَ عَلَيْهِ! فَقَالَ: إِنِّي لَأَسْتَحْيِي أَنْ يَضِيقَ حِلْمِي عَنْ أَحَدٍ مِنْ رَعِيَّتِي. وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا أَحْلَمَكَ! فَقَالَ: إِنِّي لَأَسْتَحْيِي أَنْ يَكُونَ جُرْمُ رَجُلٍ أَعْظَمَ مِنْ حِلْمِي. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنِّي لَأَسْتَحِي أَنْ يَكُونَ ذَنْبٌ أَعْظَمَ مِنْ عَفْوِي، أَوْ جَهْلٌ أَكْبَرَ مِنْ حِلْمِي، أَوْ تَكُونَ عَوْرَةٌ لَا أُوَارِيهَا بِسَتْرِي. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ - وَالْأَصْمَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ - قَالَا: جَرَى بَيْنَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْجَهْمِ. وَبَيْنَ مُعَاوِيَةَ كَلَامٌ، فَتَكَلَّمَ أَبُو الْجَهْمِ بِكَلَامٍ فِيهِ غَمٌّ لِمُعَاوِيَةَ، فَأَطْرَقَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: يَا أَبَا الْجَهْمِ، إِيَّاكَ وَالسُّلْطَانَ، فَإِنَّهُ يَغْضَبُ غَضَبَ الصِّبْيَانِ، وَيَأْخُذُ أَخْذَ الْأَسَدِ، وَإِنَّ قَلِيلَهُ يَغْلِبُ كَثِيرَ النَّاسِ. ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِمَالٍ، فَقَالَ أَبُو الْجَهْمِ فِي ذَلِكَ يَمْدَحُ مُعَاوِيَةَ: نَمِيلُ عَلَى جَوَانِبِهِ كَأَنَّا ... إِذَا مِلْنَا نَمِيلُ عَلَى أَبِينَا نُقَلِّبُهُ لِنُخْبِرَ حَالَتَيْهِ ... فَنُخْبَرُ مِنْهُمَا كَرَمًا وَلِينًا وَقَالَ الْأَعْمَشُ: طَافَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مَعَ مُعَاوِيَةَ، فَكَانَ مُعَاوِيَةُ
পৃষ্ঠা - ৬৬১৭
يَمْشِي بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ الْحَسَنُ: مَا أَشْبَهَ أَلْيَتَيْهِ بِأَلْيَتَيْ هِنْدَ. فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ فَقَالَ: أَمَا إِنَّهُ كَانَ يُعْجِبُ أَبَا سُفْيَانَ. وَقَالَ ابْنُ أُخْتِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُمِّ الْحَكَمِ لِمُعَاوِيَةَ: إِنَّ فُلَانًا يَشْتُمُنِي. فَقَالَ لَهُ: تَطَأْطَأْ لَهَا تَمُرَّ فَتُجَاوِزَكَ. وَقَالَ ابْنُ الْأَعْرَابِيِّ: قَالَ رَجُلٌ لِمُعَاوِيَةَ: مَا رَأَيْتُ أَنْذَلَ مِنْكَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: بَلَى، مَنْ وَاجَهَ الرِّجَالَ بِمِثْلِ هَذَا. وَقَالَ أَبُو عَمْرِو بْنُ الْعَلَاءِ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: مَا يَسُرُّنِي بَدَلَ الْكَرَمِ حُمْرُ النَّعَمِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: يَا بَنِي أُمَيَّةَ، قَارِبُوا قُرَيْشًا بِالْحِلْمِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَلْقَى الرَّجُلَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَيُوسِعُنِي شَتْمًا وَأَوْسِعُهُ حِلْمًا، فَأَرْجِعُ وَهُوَ لِي صَدِيقٌ، أَسْتَنْجِدُهُ فَيُنْجِدُنِي، وَأَثُورُ بِهِ فَيَثُورُ مَعِي، وَمَا رَفَعَ الْحِلْمُ عَنْ شَرِيفٍ شَرَفَهُ، وَلَا زَادَهُ إِلَّا كَرَمًا. وَقَالَ: آفَةُ الْحِلْمِ الذُّلُّ. وَقَالَ أَيْضًا: لَا يَبْلُغُ الرَّجُلُ مَبْلَغَ الرَّأْيِ حَتَّى يَغْلِبَ حِلْمُهُ جَهْلَهُ، وَصَبْرُهُ شَهْوَتَهُ، وَلَا يَبْلُغُ ذَلِكَ إِلَّا بِقُوَّةِ الْحِلْمِ.
পৃষ্ঠা - ৬৬১৮


করা হয় তাহলে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে ৷ তাই তুমি রুঢ়তা, রুক্ষ্মতা ও কঠোরতার
পথ অবলম্বন করবে ৷ আর আমি কােমলতা, প্রজাবৎসলতা ও দয়ার্দ্রতা অবলম্বন করব ৷ যাতে করে
কোন ভীতশঙ্কিত আশ্রয়ের পথ খুজে পায় ৷
আবু মুসহির বলেন, সায়ীদ বিন আবদুল আযীয থেকে তিনি বলেন, মুআবিয়া (রা) হযরত
আয়েশা (রা)-এর পক্ষ থেকে আঠার হাজার দীনার ঋণ পরিশোধ করেন এবং মানুষকে দান
সদকা করার ফলে তার দায়িত্বে যে ঋণ ছিল তাও তিনি পরিশোধ করেন ৷ হিশাম বিন উরওয়া
তার পিতার সুত্রে বর্ণনা করেন একবার মুআবিয়া (বা) উম্মুল মুমিনীনআয়েশা (বা)এর
কাছে একলক্ষ দিরহাম (হাদিয়া) পাঠালেন, তৎক্ষণাৎ তিনি তা সকলের মাঝে বিলিয়ে দিলেন
এমনকি একটি দিরহামও অবশিষ্ট রইল না ৷ তার পরিচারিকা তাকে বলল, আপনি যদি একটি
দিরহাম রেখে দিতেন তাহলে আমরা কিছু গোশত কিনে তা দ্বারা ইফতার করতে পারতাম ৷
তিনি বলেন, তুমি যদি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিতে তাহলে আমি তা করতাম১ ৷ আতা বলেন,
হযরত আয়েশা (রা)এর পবিত্র মক্কার অবস্থানকালে হযরত মুআবিয়া (বা) তার খিদমতে
লক্ষ দিরহাম মুল্যের একটি পলার হার পাঠম্নে তখন তিনি তা গ্রহণ করেন ৷ যায়দ ইবনুল হুবাব
হুসাইন বিন ওয়াকিদ থেকে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি আবদুল্লাহ বিন বুরায়দা থেকে ৷ তিনি
বলেন, হযরত হাসান বিন আলী (রা) হযরত মুআবিয়ার কাছে আসলেন, তিনি বলেন,
তোমাকে আমি এমন পুরস্কার দিব যা ইতিপুর্বে কেউ দেয় নি ৷ এরপর তিনি তাকে চল্লিশ লক্ষ
দিরহাম প্রদান করেন ৷ ২

একবার হযরত হুসইিন (বা) প্রতিনিধিরুপে তীর কাছে আসলেন, “তিনি তত্ক্ষণাৎ তাদের
দুজনকে দৃইলক্ষ দিরহাম বখৃশিশ দিলেন এবং তাদেরকে বলেন, আমার পুর্বে কেউ এমন দেয়
নি ৷ হুসাইন (বা) বলেন, আর আপনি ইতিপুর্বে আমাদের চেয়ে উত্তম কাউকে দেন নি ৷ ইবন
আবুদদৃনৃয়া বলেন, আমাদেরকে ইউসুফ বিন মুসা বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
জারীর বর্ণনা করেছেন মুগীরা থেকে, তিনি বলেন, একবার হযরত হাসান বিন আলী (বা), এবং
আবদুল্লাহ্ বিন জাফর হযরত মুআবিয়ার কাছে অর্থ চেয়ে লোক পাঠালেন ৷ তিনি তাদের
উভয়ের কাছে একলক্ষ দিরহাম পাঠালেন ৷ এ সংবাদ যখন হযরত আলীর কানে পৌছর তিনি
তাদের দুজনকে বলেন, তোমরা কি লজ্জাবােধ কর না? সকাল বেলা আমরা যে ব্যক্তির চোখে
বশাঘাত করি আর সদ্যা বেলায় তোমরা তার কাছে অর্থ চেয়ে পাঠাও ? তারা দৃইজন বলেন,
আসলে আপনি আমাদের বঞ্চিত করেন আর তিনি আমাদের প্রতি রদান্য হয়েছেন ৷ ,

আসমায়ী বর্ণনা করেছেন, (একবার) হযরত হাসান ও আবদুল্লাহ্ বিন যুবইির হযরত
মুআবিয়ার কাছে প্রতিনিধিরুপে আসলেন, তিনি হযরত হাসানকে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
প্রতি স্বাগতম ! এরপর তাকে তিনলক্ষ দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷ আর ইবন যুবইিরকে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর ,ফুফাত ভইিকে স্বাগতম ! এরপর তাকে একলক্ষ দিরহাম



১ তৃবাকাতে ইবন সাদে (৮৬৬)-বর্ণনাটিকে হিশাম বিন উরওয়ার সুত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি বর্ণনা করেন,
ইবনুল মুনকাদির থেকে আর তিনি উম্মে যররা থেকে, তাতে রয়েছে, ইবন যুবইির হযরত আয়েশা (রা)এর
কাছে একলক্ষ দিরহাম পাঠিয়েছিলেন ৷ন্ ইবন হাজার তার আলইসাবা গ্রন্থে ইবন সাদের (৪ : ৩৬১) উদ্ধৃতিতে
তা উল্লেখ করেছেন, ৰিস্তু সেখানে তিনি উল্লেখ করেন নি, কে এই অর্থ পাঠিয়েছিলেন ৷

২ আল-ইসাবা গ্রন্থে রেওয়ায়েতটি আল-হাসান বিন শফিকের সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর তাতে রয়েছে চার
লক্ষের কথা (১ঙ্ক৩৩০) ৷


وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: لِلَّهِ دَرُّ ابْنِ هِنْدَ، وَاللَّهِ إِنْ كُنَّا لَنُفْرِقُهُ - وَمَا اللَّيْثُ عَلَى بَرَاثِنِهِ بِأَجْرَأَ مِنْهُ - فَيَتَفَارَقُ لَنَا، وَإِنْ كُنَّا لَنَخْدَعُهُ - وَمَا ابْنُ لَيْلَةٍ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ بِأَدْهَى مِنْهُ - فَيَتَخَادَعُ لَنَا، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّا مُتِّعْنَا بِهِ مَا دَامَ فِي هَذَا الْجَبَلِ حَجَرٌ. وَأَشَارَ إِلَى أَبِي قُبَيْسٍ. وَقَالَ رَجُلٌ لِمُعَاوِيَةَ: مَنْ أَسْوَدُ النَّاسِ؟ فَقَالَ: أَسْخَاهُمْ نَفْسًا حِينَ يُسْأَلُ، وَأَحْسَنُهُمْ فِي الْمَجَالِسِ خُلُقًا، وَأَحْلَمُهُمْ حِينَ يُسْتَجْهَلُ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَتَمَثَّلُ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ كَثِيرًا: فَمَا قَتَلَ السَّفَاهَةَ مِثْلُ حِلْمٍ ... يَعُودُ بِهِ عَلَى الْجَهْلِ الْحَلِيمُ فَلَا تَسْفَهْ وَإِنْ مُلِّئْتَ غَيْظًا ... عَلَى أَحَدٍ فَإِنَّ الْفُحْشَ لَوْمُ وَلَا تَقْطَعْ أَخًا لَكَ عِنْدَ ذَنْبٍ ... فَإِنَّ الذَّنْبَ يَغْفِرُهُ الْكَرِيمُ
পৃষ্ঠা - ৬৬১৯


প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷ আবু মারওয়ান আলমারওয়ানী বলেন, (একবার) হযরত মুআবিয়া
হাসান বিন আলীর কাছে একলক্ষ দিরহাম পাঠালেন, তিনি তা তার উপস্থিত সঙ্গীাদব মাঝে
বণ্টন করে দিলেন, তাদের সং খ্যা ছিল দশ ৷ তাই তারা প্রত্যেকে দশ হাজার করে পেলেন ৷
তদ্রাপ আবদুল্লাহ বিন জা ফরের কাছেও একলক্ষ দিরহাম পাঠালেন ৷ তার শ্রী ফাতিম৷ তীর
থেকে তা চেয়ে বললেন, তিনি তাকে একলক্ষ দিরহামই প্রদান করালন ৷ আর মারওরান
ইবনুল হাকাম-এর কাছে যখন একলক্ষ দিরহাম পাঠালেন, তখন তিনি পঞ্চার্শ হাজার দান
করলেন, আর পঞ্চাশ হাজার রেখে দিলে নৃ একইভাবে ইবন উমরের কাছেও একলক্ষ দিরহাম
পাঠালেন, তিনি নব্বই হাজার দিরহামবণ্টন করে দিলেন আর দশ হাজার রেখে দিলেন ৷
মুআবিয়া (রা) বলেন, তিনি মি৩ ব্যয়ী, মিতব্যয়ি৩ ৷ ভালবাসেন ৷ আর তিনি যখন আবদুল্লাহ
বিন যুবাইরের কাছে একলক্ষ দিরহাম পাঠালেন, তিনি দুতকে জিজ্ঞাসা করলেন, তা নিয়ে তুমি
দিনের বেলায় কেন আসলে? রাত্রে কেন আসলে না? তারপর তার সব নিজের কাছে রেখে
দিলেন, তা থেকে কাউকে কিছু দিলেন না ৷ যুআবিয়া (রা) বলেন, যে অত্যন্ত ন্চতৃর ও
কৌশলী ৷ কারো আয়ত্তে আমার পুবেই সে তার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখে ৷ ইবন দাআ-
ব বলেন, আবদুল্লাহ বিন জাফর প্রতি বছর মুআবিয়৷ (রা) থেকে দশলক্ষ দিরহ্ড়াম পেতেন ৷
এছাড়া তিনি তার আার৷ শত প্রয়োজন পুর্ণ করতেন ৷ একবছর৩ তিনি যখন তার কাছে আগমন
করলেন, তখন তিনি তাকে (উল্লেখিত পরিমাণ) অর্থ প্রদান করলেন এবং প্রয়োজনাদি পুর্ণ
ন্ করলেন, তবে একটি প্রয়োজন রয়ে গেল ৷ ন্

এদিকে তিনি তার দরবারে থাকা অবস্থায় সিজ্যিতানের লেতৃস্থানীয় একব্যক্তি এসে হযরত
মুআবিয়া (রা) এর কাছে তাকে সেখানকার শাসনক্ষমতা প্রদানের আবেদন করল এবং সে
অঙ্গীকার করল, যে তার এই প্রয়োজন পুরণ করবে, সে তাকে তার নিজের থােক দশলক্ষ
দিরহাম প্রদান করবে ৷ এরপর সে আহনাফ বিন কায়সের সাথে আগত শাম ও ইরাকের
নেতৃস্থানীয় সম্রাত ব্যক্তিবর্গ ও আমীর উমারাদের কাছে ঘোরাঘুবি করতে লাগল ৷ তারা
সকলেই তাকে বলল, তুমি আবদুল্লাহ বিন জা ফরের শরণাপন্ন হও ৷ এই ৷নর্তস্থানীয় ব্যক্তি ,
তার শরণাপন্ন হল, এরপর ইবন জা ফর তার ব্যাপারে হযরত মু আবিয়ার সাথে কথা বলেন,
তখন তিনি তার শততম প্রয়োজনরুপে তা পুর্ণ করে দিলেন এবং কাতিৰ্াক নির্দেশ দিলেন,
যে তার অনুকুলে খলীফার ফরমান লিখে দিল ৷ এরপর ইবন জা ফর যখন তা (সেই ফরমান)
তারকা৷হু নিয়ে আসলেন তখন সে তাকে সিজদা করল এবং তার সামনে দশলক্ষ দিরহাম
পেশ করলেন ৷ ইবন জাফর তাকে বলেন, মহান আল্পা হ্কে সিজদা করো, আর তে ৷মার অর্থ
তোমার গৃহে নিয়ে যাও ৷ আমরা এমন পরিবারের সদস্য, যারা অন্যুাহের সওদা করে না ৷ এ
ত্বাদ যখন মুআবিয়া (রা) এর কাছে পৌছল তখন তিনি বলেন, ইয়াযীদের একথা বলা
আমার কাছে সমগ্র ইরাকের কর ও খাজন৷ থেকে প্রিয়৩ তর ৷ আসলে মহানুভবতা বনু হাশিমের
মজ্জাগত ৷

অন্য বর্ণনাকারী বলেন, প্রতিবছর আব্দুল্লাহ বিন জা ফর (বা) হযরত মুআবিয়া (রা)
থেকে দশলক্ষ দিরহাম বখশিশ পেতেন ৷ একবার তিনি পাচলক্ষ দিরহাম বাদী হয়ে পড়লেন
এবং পাওনাদাররা তাকে তাগাদ৷ দিতে লাগল, তিনি তাদের কাছে অবকাশ চাইলেন যাতে
হযরত মু আবিয়ার কাছে আগমন করে তার বাৎসরিক বখৃশিশের কিছু অগ্রিম প্রদান করার কথা


وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ عَلِمْتُ بِمَ غَلَبَ مُعَاوِيَةُ النَّاسَ، كَانُوا إِذَا طَارُوا وَقَعَ، وَإِذَا وَقَعُوا طَارَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى نَائِبِهِ زِيَادٍ: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ نَسُوسَ النَّاسَ سِيَاسَةً وَاحِدَةً ; بِاللِّينِ فَيَمْرَحُوا، وَلَا بِالشِّدَّةِ فَنَحْمِلَ النَّاسَ عَلَى الْمَهَالِكِ، وَلَكِنْ كُنْ أَنْتَ لِلشِّدَّةِ وَالْفَظَاظَةِ وَالْغِلْظَةِ، أَكُونُ أَنَا لِلِّينِ وَالْأُلْفَةِ وَالرَّحْمَةِ، فَإِذَا خَافَ خَائِفٌ وَجَدَ بَابًا يَدْخُلُهُ. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: قَضَى مُعَاوِيَةُ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ أَلْفَ دِينَارٍ كَانَتْ عَلَيْهَا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَفَرَّقَتْهَا مِنْ يَوْمِهَا، فَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا دِرْهَمٌ، فَقَالَتْ لَهَا خَادِمَتُهَا: هَلَّا أَبْقَيْتِ لَنَا دِرْهَمًا نَشْتَرِي بِهِ لَحْمًا. فَقَالَتْ: لَوْ أَذْكَرْتِنِي لَفَعَلْتُ. وَقَالَ عَطَاءٌ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَائِشَةَ - وَهِيَ بِمَكَّةَ - بِطَوْقٍ قِيمَتُهُ مِائَةُ أَلْفٍ، فَقَبِلَتْهُ. وَقَالَ زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৬২০
قَدِمَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: لَأُجِيزَنَّكَ بِجَائِزَةٍ لَمْ يُجِزْ بِهَا أَحَدٌ كَانَ قَبْلِي. فَأَعْطَاهُ أَرْبَعَمِائَةِ أَلْفِ أَلْفٍ. وَوَفَدَ إِلَيْهِ مَرَّةً الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ فَأَجَازَهُمَا عَلَى الْفَوْرِ بِمِائَتَيْ أَلْفٍ، وَقَالَ لَهُمَا: مَا أَجَازَ بِهَا أَحَدٌ قَبْلِي. فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: وَلَمْ تُعْطِ أَحَدًا أَفْضَلَ مِنَّا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ: أَرْسَلَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَسْأَلَانِهِ الْمَالَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمَا أَوْ إِلَى كُلٍّ مِنْهُمَا بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا، فَقَالَ لَهُمَا: أَلَا تَسْتَحِيَانِ ; رَجُلٌ نَطْعَنُ فِي عَيْنِهِ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً تَسْأَلَانِهِ الْمَالَ؟ ! فَقَالَا: بَلْ حَرَمْتَنَا وَجَادَ لَنَا. وَرَوَى الْأَصْمَعِيُّ قَالَ: وَفَدَ الْحَسَنُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ لِلْحَسَنِ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا بِابْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثِمِائَةِ أَلْفٍ، وَقَالَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا بِابْنِ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ. وَقَالَ أَبُو مَرْوَانَ الْمَرْوَانِيُّ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَقَالَ: لِجُلَسَائِهِ: مَنْ أَخَذَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ. وَبَعَثَ إِلَى الْحُسَيْنِ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَقَسَمَهَا عَلَى جُلَسَائِهِ، وَكَانُوا عَشَرَةً، فَأَصَابَ كُلُّ وَاحِدٍ عَشَرَةَ آلَافٍ. وَبَعَثَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৬২১


বলতে পারেন ৷ এরপর তিনি তার কাছে পৌছলে মুআবিয়ড়া (রা)৩ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
আপনার আগমনের হেতু কী? হে ইবন জা ফর ! তিনি বলেন, ঋণের বোঝা, পাওনাদারেরা
যার তাগাদ৷ করে চলছে ৷ তিনি বলেন, তার পরিমাণ কত? ইবন জাফর বলেন, পাচলক্ষ
দিরহাম্ তখন তিনি তার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে বলেন, আপনার নামে দশলক্ষ
যথাসময়ে পৌছে যাবে ৷ ইবন সায়ীদ বলেন, আমাদেরকে মুসা বিন ইসমাঈল বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে ইবন হিলাল কৃাতাদা থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, অদ্ভুত হাসান
বিন আলীর বিষয়টি ৷ রুমাকুপের পানির সাথে ইয়ামানী মধু মিশিয়ে পান করলেন আর ত তার
কাল হল ৷ তারপর ইবন আব্বাস (রা)-কে বলেন, হাসান বিন আলীর মৃত্যুতে আল্লাহ যেন
আপনাকে দুঃখিত ও বেদনাহত না করে ৷ ইবন আব্বাস বলেন, আমীরুল মু’মিনীনকে আল্লাহ্
যত দিন জীবিত রাখবেন ততদিন আমাকে তিনি দৃংখিত ও রেদনাহত করবেন না ৷ কাতাদা
বলেন, তিনি তাকে নগদ দশলক্ষ দিরহাম এবং অন্যন্য দ্রব্য সামগ্রী প্রদান করলেন এবং বলেন,
এগুলো আপনি আপনার স্বজন পরিজনদের মাঝে বণ্টন করে দিন ৷
আবুল হাসান আল মাদায়িনী সালাম৷ বিন মুহারিব থেকে বর্ণনা করে বলেন, হযরত
মু আবিয়াকে প্রশ্ন করা হল, বনু হাশিম ও আপনাদের মাঝে কারা অধিক সম্রান্ত ? তিনি বলেন,
আমাদের মাঝে সম্রান্ত লোকের সংখ্যা অধিক ছিল ৷ কিন্তু সম্রান্ততার মানে” তারা অগ্রগামী ৷
তাদের মাঝে রয়েছেন হাশিম ৷ সমগ্র বনু আবৃদ মানাফের মাঝে তার ন্যায় সম্রাত কেউ নেই ৷
এরপর যখন তার মৃত্যু হল তখন আমরা লােকসংখ্যায় এবং সন্ত্রান্তজনের সংখ্যায় তাদের চেয়ে
অধিক হলাম ৷ আর এসময় তাদের মাঝে ছিলেন আবদুল মুত্তালিব, আর আমাদের মাঝে তার
মত কেউ ছিল না ৷ তিনি যখন মারা গেলেন তখনও আমরা লোকসং খ্যার ও সম্রাতজনের
ৎখ্যায় তাদের চেয়ে অধিক হলাম ৷ এসময় তাদের মাঝে আমাদের ন্যায় কোন সম্রান্তজন
ছিল না ৷ তারপর চক্ষুস্থির হতে না হতেই তারা বলল, আমাদের মাঝে এক নবীর আবির্ভাব
হয়েছে ৷ সত্যিই, তাদের মাঝে এমন এক নবীর আবির্ভাব হল, মার মত নবীর কথা কোন
কালে কেউ শুনেনি ৷ তিনি হলেন, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর
তাদের এই শ্রেষ্ঠতৃ ও সম্রান্ততার নাগাল পাবে কে?
ইবন আবু খায়ছামা বর্ণনা করেছেন, মুসা বিন ইসমাঈল থেকে, তিনি হাম্মাদ বিন সালামা
থেকে, তিনি ইবন আলী বিন যায়দ থেকে, তিনি ইউসুফ বিন মাহরান থেকে, তিনি ইবন
আব্বাস (রা) থেকে যে, হযরত আমর ইবনুল আস হযরত মুআবিয়৷ (রা) দেখেছেন যে,
তারা তাদের খিলাফতকালে বিভিন্নজনকে যে সকল ক্ষমতা (দায়িত্ব) প্রদান করেছেন, সে
ব্যাপারে তাদের হিসাব গ্রহণ করা হচ্ছে, আর মুআবিয়া (রা)-কে দেখেছেন তার ব্যাপারে দুই
ব্যক্তি নিযুক্ত রয়েছেন যারা তার শাসনকালে তার কৃতকর্সের হিসাব গ্রহণ করেছেন, মুআবিয়া
(রা) তাকে বলেন, কী আর তুমি দেখেহঃ এর পরে তো মিসারয় স্বর্ণমুদ্রার হিসাবও রয়েছে !
ইবনৃদুরইিদ বলেন, আবু হাতিম থেকে, তিনি আতাৰী থেকে, তিনি বলেন, (একবার) আমর
(রা) হযরত মুআবিয়ার সাথে সাক্ষাৎ, করলেন, এসময় তার কাছে জনৈক সাহাবীর মৃত্যুতে
সান্তুন৷ সম্বলিত একটি পত্র এসে পৌছেছিল,তাই হযরত মুআবিয়া “ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্না
ইলারহি রাল্টিন” পড়লেন, তখন আমর ইবনুল আস (রা) আবৃত্তি করলেন
সৎলােকেরা সব মৃত্যুবরণ করছেন আর আপনি জীবিত মৃত্যু আপনাকে অতিক্রম করে
যাচ্ছে তাই আপনি মৃত্যুবরণ করছেন না ৷ ন্


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَاسْتَوْهَبَتْهَا مِنْهُ امْرَأَتُهُ، فَأَطْلَقَهَا لَهَا. وَبَعَثَ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَقَسَمَ مِنْهَا خَمْسِينَ أَلْفًا، وَحَبَسَ خَمْسِينَ أَلْفًا، وَبَعَثَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَفَرَّقَ مِنْهَا تِسْعِينَ أَلْفًا، وَاسْتَبْقَى عَشَرَةَ آلَافٍ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنَّهُ لَمُقْتَصِدٌ يُحِبُّ الِاقْتِصَادَ، وَبَعَثَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمِائَةِ أَلْفٍ فَقَالَ لِلرَّسُولِ: لِمَ جِئْتَ بِهَا بِالنَّهَارِ؟ هَلَّا جِئْتَ بِهَا بِاللَّيْلِ. ثُمَّ حَبَسَهَا عِنْدَهُ، وَلَمْ يُعْطِ مِنْهَا أَحَدًا شَيْئًا، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنَّهُ لَخِبٌّ ضَبٌّ، كَأَنَّكَ بِهِ قَدْ رَفَعَ ذَنَبَهُ وَقُطِعَ. وَقَالَ ابْنُ دَابٍّ: كَانَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَلْفُ أَلْفٍ، وَيَقْضِي لَهُ مَعَهَا مِائَةَ حَاجَةٍ، فَقَدِمَ عَلَيْهِ عَامًا، فَأَعْطَاهُ الْمَالَ، وَقَضَى لَهُ الْحَاجَاتِ، وَبَقِيَتْ مِنْهَا حَاجَةٌ وَاحِدَةٌ، فَبَيْنَمَا هُوَ عِنْدَهُ إِذْ قَدِمَ أَصْبَهْبَذُ سِجِسْتَانَ يَطْلُبُ مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنْ يُمَلِّكَهُ تِلْكَ الْبِلَادَ، وَوَعَدَ مَنْ قَضَى لَهُ هَذِهِ الْحَاجَةَ مِنْ مَالِهِ أَلْفَ أَلْفٍ، فَطَافَ عَلَى رُءُوسِ الْأُمَرَاءِ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَأُمَرَاءِ الْعِرَاقِ، مِمَّنْ قَدِمَ مَعَ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ فَكُلُّهُمْ يَقُولُونَ لَهُ: عَلَيْكَ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ. فَقَصَدَهُ الدِّهْقَانُ، فَكَلَّمَ فِيهِ ابْنُ جَعْفَرٍ مُعَاوِيَةَ، فَقَضَى حَاجَتَهُ تَكْمِلَةَ الْمِائَةِ حَاجَةٍ، وَأَمَرَ الْكَاتِبَ فَكَتَبَ لَهُ عَهْدَهُ، وَخَرَجَ بِهِ ابْنُ جَعْفَرٍ إِلَى الدِّهْقَانِ، فَسَجَدَ لَهُ وَحَمَلَ إِلَيْهِ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ جَعْفَرٍ: اسْجُدْ لِلَّهِ، وَاحْمِلْ مَالَكَ إِلَى مَنْزِلِكَ، فَإِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا نُتْبِعُ الْمَعْرُوفَ بِالْمَنِّ. فَبَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: لَأَنْ يَكُونَ يَزِيدُ قَالَهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ خَرَاجِ الْعِرَاقِ، أَبَتْ بَنُو هَاشِمٍ إِلَّا كَرَمًا.
পৃষ্ঠা - ৬৬২২


তখন মুআবিয়৷ (রা) আবৃত্তি করলেন-

তুমি কি এই আশায় রয়েছো যে, অমি মৃত্যুবরণ করব আর তুমি চেয়ে দেখবে না ৷ তা
হবে না ৷ তুমি মৃত্যুবরণ না করলে আমার মৃত্যু হবে না ৷

ইবনুস সাম্মাক বলেন হযরত মুআবিয়া (রা) বলেন, সকল মানুষকে আমি সন্তুষ্ট করতে
পারি তবে ঐ ব্যক্তিকে নয় যে কোন নি আমত বা দানের কারণে কাউকে হিং না করে ৷ কেননা,
ঐ নি আমতের বিলুপ্তি ছাড়া অন্য কিছু তাকে তুষ্ট করতে পারে না ৷ যুহরী আবদুল মালিকের
সুত্রে বলেন, আরও তিনি আবু বাহ্বিয়্যা থেকে বলেন, হযরত মুআবিয়া বলেন, মানবিক মহত্ত্ব
চারটি বিষয়ে ১ ইসলামে সং বন ও সচচবিত্র ৷ ২ অর্থ সম্পদের সৃব্যবস্থাপনা ৷ ৩ ভ্রা৩ ট্রুবর্গের
রক্ষণাবেক্ষণ এবং ৪ প্রতিবেশীদের রক্ষণাবেক্ষণ ৷ আবু বকর আল-হুযালী বলেন, হযরত
মুআবিয়া (রা) কাব্য চর্চা করতে ন ৷ এরপর তিনি যখন খিলাফতে র দায়িতু লাভ করলেন,
তখন তার স্বজনেরা তাকে বলল, এখন তো আপনি আপনার চুড়ান্ত গন্তব্যে পৌছে গেছেন,
এখন আর কাব্য চ্র্চ৷ দ্বারা কী করবেন ? একদিন তিনি কিঞ্চিৎ স্বস্তি লাভ করে আবৃত্তি করলেন-

নির্বুদ্ধিতাকে কর্তন করেছি এবং বিচক্ষণতৃাব্কু:ম্বস্তি দািহ্াছি
শাবী থেকে মুর্গীরা বলেন, সর্বপ্রথম যিনি বসে খুৎবা দেন৩ তিনি হলেন হযরত মুআবিয়া

(রা) ৷ যখন তীর শরীরে প্রচুর মেদ জমেছিল এবং তার বিশালডিঙু নেমেছিল ৷ তদ্র্যপ
ইবরাহীমের সুত্রে মুগীরা থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেন, সর্বপ্রথম বসে জু মু আর খুৎবা
দেন হযরত মুআবিয়া (বা) ৷ আবুল মালীহ্ মায়মুন থেকে বলেন, সর্বপ্রথম মিম্বরে বসার
প্রচলন যটিয়েছেন হযরত ঘুআবিয়াং(রা) আর বসার জন্য তিনি সকলের অনুমতি গ্রহণ
করেছেন ৷ সায়ীদ বিন মুসায়্যাব থেকে কাতদাে বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন
সর্বপ্রথম আযান ইকামতের প্রচলন ঘটান মুআবিয়া (রা) ৷ আবু জা ফর আল-বাকির বলেন,
পবিত্র মক্কা র প্রবেশ দ্বারসমুহের কোন অর্পল (তালা) ছিল না ৷ সর্বপ্রথম যিনি মক্কায় অর্পলযুক্ত
ফটকের ব্যবস্থা করেন তিনি হলেন মু আবিয়৷ (রা) ৷ আবুল য়ামান শু আইব থেকে,৩ তিনি যুহরী
থেকে বর্ণনা করেন, এভাবেই সুন্নাহ প্রচলিত হয়ে এসেছে যে, কাফির মুসলমানের আর
মুসলমানপ্রুকাফিরের উত্তরাধিকারী হবে না ৷ প্রথম যে ব্যক্তিমুসলমানকে কাফিরের উত্তরাধিকারী
বানান তিনি হলেন ণ্মুআবিয়৷ (রা) ৷ ভারপরবনু উমায়্যা সে অনুযায়ী ফয়সাল৷ করেছে ৷
অবশেষে হযরত উমরন্বিন আবদুল আষীয (র) যখন খলীফা ৷হলেন তিনি সুন্নাহ এর অনুসরণ
করলেন ৷ হিশাম হযরত মুআবিয়া ও তার পরবর্তীতে বনু উমাযা৷র ফয়সালাকৃত্ত সব ফিরিয়ে
দিলেন ৷

ইমাম যুহরী এমত ব্যক্ত করেছেন এভাবে সুন্নাহ প্রচলিত হয়ে এসেছে যে যিম্মির দিয়ত’১
মুসলমানদের দিয়ং৩ র মত ৷ হযরত মুআবিয়া সর্বপ্রথম তাকে তার্ধেক নির্ধারণ করেন আর



১ প্রাণ হত্যার রক্তমুল্য বা ক্ষতিপুরণ যা শরীয়ত কতৃকি নির্ধারিত ৷


وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَلْفُ أَلْفٍ، فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ فِي بَعْضِ الْأَوْقَاتِ دَيْنٌ خَمْسُمِائَةِ أَلْفٍ، فَأَلَحَّ عَلَيْهِ غُرَمَاؤُهُ، فَاسْتَنْظَرَهُمْ حَتَّى يَقْدَمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَيَسْأَلَهُ أَنْ يُسْلِفَهُ شَيْئًا مِنَ الْعَطَاءِ، فَرَكِبَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَقْدَمَكَ يَا ابْنَ جَعْفَرٍ؟ فَقَالَ: دَيْنٌ أَلَحَّ عَلِيَّ غُرَمَاؤُهُ. فَقَالَ: وَكَمْ هُوَ: قَالَ: خَمْسُمِائَةِ أَلْفٍ. فَقَضَاهَا عَنْهُ. وَقَالَ لَهُ: إِنَّ الْأَلْفَ أَلْفٍ سَتَأْتِيكَ فِي وَقْتِهَا. وَقَالَ ابْنُ سَعِيدٍ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو هِلَالٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: يَا عَجَبًا لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ! شَرِبَ شَرْبَةَ عَسَلٍ يَمَانِيَّةً بِمَاءِ رُومَةَ فَقَضَى نَحْبَهُ. ثُمَّ قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: لَا يَسُوءُكَ اللَّهُ وَلَا يُخْزِيكَ فِي الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِمُعَاوِيَةَ: لَا يُخْزِينِي اللَّهُ وَلَا يَسُوءُنِي مَا أَبْقَى اللَّهُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَأَعْطَاهُ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَعُرُوضًا وَأَشْيَاءَ، وَقَالَ: خُذْهَا فَاقْسِمْهَا فِي أَهْلِكَ. وَقَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ مُحَارِبٍ قَالَ: قِيلَ لِمُعَاوِيَةَ: أَيُّكُمْ كَانَ أَشْرَفَ ; أَنْتُمْ أَوْ بَنُو هَاشِمٍ؟ قَالَ: كُنَّا أَكْثَرَ أَشْرَافًا وَكَانُوا أَشْرَفَ وَاحِدًا ; لَمْ يَكُنْ فِي عَبْدِ مَنَافٍ مِثْلُ هَاشِمٍ، فَلَمَّا هَلَكَ كُنَّا أَكْثَرَ عَدَدًا وَأَكْثَرَ أَشْرَافًا، وَكَانَ فِيهِمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَلَمْ يَكُنْ فِينَا مِثْلُهُمْ، فَصِرْنَا أَكْثَرَ عَدَدًا وَأَكْثَرَ أَشْرَافًا وَلَمْ يَكُنْ فِيهِمْ وَاحِدٌ كَوَاحِدِنَا، فَلَمْ يَكُنْ إِلَّا كَقَرَارِ الْعَيْنِ حَتَّى جَاءَ شَيْءٌ لَمْ يَسْمَعِ الْأَوَّلُونَ بِمِثْلِهِ، وَلَا يَسْمَعُ الْآخِرُونَ بِمِثْلِهِ ; مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৬৬২৩

অবশিষ্ট অর্ধেক নিজে গ্রহণ করেন ৷ ইবন ওয়াহব মালিক থেকে, তিনি যুহরী থেকে, তিনি
বলেন, (একবার) আসি সায়ীদ বিন ঘৃস!য়িবেকে রাসুলুল্লাহ (স!) এর সাহ!বীগণের সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বলে, হে যুহরী! তালভত্ত্ববে শুনে রাখ ! আবু বকর, উমর, উসম!ন ও
, আলীর মহব্বত যার অন্তরে নিয়ে মৃত্যুবরণ করল, র! সুলুল্লাহ্র নির্ধারিত দশজনের জন্য
; জ!ন্ন!তের সাক্ষ্য দিল এবং মুঅ!বিয়ার জন্য আল্লাহর রহমতক!মনা, করল; অ!ল্লা হ্ (অবশ্যই)
তার হিসাব নিক!শ গ্রহণ করবেন না ৷ সায়ীদ বিন ইয়াকুব তুলকানী বলেন, আমি আবদুল্লাহ
বিন মুব!রককে বলতে শুনেছি, হযরত মুআবিয়!র ন!কের ধুলাও উমর বিন আবদুল আযীযের
চেয়ে উত্তম ৷ মুহাম্মদ বিন ইয়াহ্ইয়! বিন সায়ীদ বলেন, (একবার) ইবনুল মুব!রককে
মু আ !বিয়! সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল তিনি বলেন, এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কী বলব, যিনি
বলেন ৷ তাকে প্রশ্ন করা হয়, হযরত য়ু আবিয়া ও উমর বিন আবদুল আযীয এ দু’ জনের মধ্যে
উত্তম কে ? তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ( স!) এর সাহচর্যে থাকা অবস্থায় হযরত মু অ! !বিয়!র ন!কের
ধুলিও উমর বিন আবদুল আযীযের চেয়ে উত্তম ৷ ইবনুল মুবারকের সুত্রে অন! কোন বর্পন!ক!রী
বলেন, হযরত মুঅ!বিয়! (র!) বলেন, আমাদের কাছে (সময়ে) পরীক্ষা রয়েছে ! এরপর যাকে
আমরা সেদিকে বাক! চােখে তাকাতে দেখব (সাহাবাগণের ব্যাপারে বিরুপ কথার ব্যাপারে)
ণ্ তাকে আমরা অভিযুক্ত করব ৷
যুহ!ম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন আম্ম!র ম!ওসিলী ও অন্যরা বলেন, মুঅ!ফী বিন ইমরানকে
জিজ্ঞাসা করা হল, কে উত্তম? হযরত মুআবিয়! নাকি উমর বিন আবদুল আযীয ৷ তিনি ক্রুদ্ধ
, হয়ে প্রশ্নক!রীকে বলেন, তুমি কি একজন সাহাবীকে একজন তাবেয়ীর সমান করতে চাও ন্
হযরত মুঅ!বিয়া আল্লাহর রাসুলের সঙ্গী, তার শ্রীর ভাই এবং৩ তার বিশ্বস্ত ওহী লিখক ৷ আর
র!সুলুল্লাহ্ (স!) ইরশ!দ করেছেন, “আমার সঙ্গী-স!থী এবং শ্বশুরকুলের সমালোচনা করো না ৷
র্ত!দের যে গ!লমন্দ করবে তার উপর আল্লাহর, ফিরিশতাদের এবং সকল মানুষের অভিশাপ
আপতিত হবে ৷” ফযন বিন উতায়বা এমনই বলেছেন ৷ আর আবু তাওবা অ!বৃরবী বিন ন!ফি
আল-হ!লাবী বলেন, মুআবিয়! হলেন, মুহাম্মাদ (না)-এর সাহাবীগণের (প্রথম) আবৱণ, ক্লেউ
যখন তা অপসারণ করে তখন সে পরবর্তী আবরণ অপসারণের দুঃসাহস লাভ করে ! মইিমুনী
বলেন, আহন!ফ বিন হাম্বল আমাকে বলেছেন, হে আবুল হাসান ! যখন তুমি কাউকে কোন
সাহ!বীর সমালোচন! করতে দেখবে,৩ তার ইসলামে খ!দ আছে জানবে ৷
ফযল বিন যিয়াদ বলেন, হযরত ঘু আবিয়া ও আমর ইবনুল অ!সের সমালোচনা করে এমন
এক ব্যক্তি সম্পর্কে আমি আবু আবদুল্লাহ্কে জিজ্ঞ!সিতবু হতে ৩শুনেছি যে, তাকে কি রাফেষী বল!
যাবো তিনি বলেন, মন্দ অভ্যন্তর ও উদ্দেশ্য ব্যতীত সে তাদের দুজনের প্রতি এই দুসােহস
ধ্দেখ!য় নি৷ আর অসৎ উদ্দেশ্য ব্যতীত কেউ কোন সাহ!বীর সমালোচনা করে নি৷ ইবনুল
যুবারক বলেন, মুহাম্মাদ বিন মুসলিম থেকে, তিনি ইব্রাহীম বিন মায়সারা থেকে তিনি বলেন,
হযরত মুআবিয়!য় সম!লােচন!কারী এক ব্যক্তি ব্যতীত আমি উমর বিন আবদুল অ!যীযকে কোন
মানুষের গায়ে হাত উঠ! দেখি নি ৷ ঐ ব্যক্তিকে তিনি কয়েক ঘ! চাবুক লাগিয়ে ছিলেন, স!লফে
, স!লেহীর্নদের একজন বলেন, যখন আমি শামের এক পাহাড়ে অবস্থান ক্যাহ্নি!!ম তখন এক
(অদৃশ্য) ঘোযককে বলতে শুনলাম সিদ্দীকের প্রতি বিদ্বের পােষণকারী হল যিনদীক, বর্মাদ্রাহী
(ফ! সিক) ৷ উমরের প্রতি বিদ্বেষীর ঠাই হল জ!হ!ন্ন!ম ৷ উসমান বিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ হলেন রহমান,



وَرَوَى ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَصَّ عَلَى مُعَاوِيَةَ مَنَامًا رَأَى فِيهِ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ، وَهُمْ يُحَاسَبُونَ عَلَى مَا وُلُّوهُ فِي أَيَّامِهِمْ، وَرَأَى مُعَاوِيَةَ وَهُوَ مُوَكَّلٌ بِهِ رَجُلَانِ يُحَاسِبَانِهِ عَلَى مَا عَمِلَ فِي أَيَّامِهِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: مَا رَأَيْتَ ثَمَّ دَنَانِيرَ مِصْرَ؟ ! وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ، عَنِ الْعُتْبِيِّ قَالَ: دَخَلَ عَمْرٌو عَلَى مُعَاوِيَةَ وَقَدْ وَرَدَ عَلَيْهِ كِتَابٌ فِيهِ تَعْزِيَةٌ لَهُ فِي بَعْضِ الصَّحَابَةِ، فَاسْتَرْجَعَ مُعَاوِيَةُ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَمُوتُ الصَّالِحُونَ وَأَنْتَ حَيٌّ ... تَخَطَّاكَ الْمَنَايَا لَا تَمُوتُ فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَتَرْجُو أَنْ أَمُوتَ وَأَنْتَ حَيٌّ ... فَلَسْتُ بِمَيِّتٍ حَتَّى تَمُوتَ وَقَالَ ابْنُ السَّمَّاكِ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: كُلُّ النَّاسِ أَسْتَطِيعُ أَنْ أُرْضِيَهُ إِلَّا حَاسِدَ نِعْمَةٍ ; فَإِنَّهُ لَا يُرْضِيَهُ إِلَّا زَوَالُهَا. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: الْمُرُوءَةُ فِي أَرْبَعٍ ; الْعَفَافِ فِي الْإِسْلَامِ، وَاسْتِصْلَاحِ الْمَالِ، وَحِفْظِ الْإِخْوَانِ، وَحِفْظِ الْجَارِ.
পৃষ্ঠা - ৬৬২৪
وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ الشِّعْرَ، فَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ قَالَ لَهُ أَهْلُهُ: قَدْ بَلَغْتَ الْغَايَةَ، فَمَاذَا تَصْنَعُ بِالشِّعْرِ؟ فَارْتَاحَ يَوْمًا فَقَالَ سَرَحْتُ سَفَاهَتِي وَأَرَحْتُ حِلْمِي ... وَفِيَّ عَلَى تَحَلُّمِيَ اعْتِرَاضُ عَلَى أَنِّي أُجِيبُ إِذَا دَعَتْنِي ... إِلَى حَاجَاتِهَا الْحَدَقُ الْمِرَاضُ وَقَالَ مُغِيرَةُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ: أَوَّلُ مَنْ خَطَبَ جَالِسًا مُعَاوِيَةُ حِينَ كَثُرَ شَحْمُهُ وَعَظُمَ بَطْنُهُ. وَكَذَا رَوَى مُغِيرَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ خَطَبَ جَالِسًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُعَاوِيَةُ. وَقَالَ أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مَيْمُونٍ: أَوَّلُ مَنْ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ مُعَاوِيَةُ، وَاسْتَأْذَنَ النَّاسَ فِي الْجُلُوسِ. وَقَالَ قَتَادَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: أَوَّلُ مَنْ أَذَّنَ وَأَقَامَ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالنَّحْرِ مُعَاوِيَةُ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ: كَانَتْ أَبْوَابُ مَكَّةَ لَا أَغْلَاقَ لَهَا، وَأَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ لَهَا الْأَبْوَابَ مُعَاوِيَةُ. وَقَالَ أَبُو الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: «مَضَتِ السُّنَّةُ أَنْ لَا يَرِثَ الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ، وَلَا الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ» ، وَأَوَّلُ مَنْ وَرَّثَ الْمُسْلِمَ مِنَ الْكَافِرِ مُعَاوِيَةُ، وَقَضَى بِذَلِكَ بَنُو أُمَيَّةَ بَعْدَهُ، حَتَّى كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَرَاجَعَ السُّنَّةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৬২৫


আলী রিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ হলেন নবী (সা) ৷ আর যে মুআবিয়ার প্ৰতি বিদ্বেয পোষণ করবে
(জ হান্ন৷ মের) ফেরেশৃতারা তাকে হেচডে নিয়ে যাবে ৷ উত্তপ্ত জাহান্নাৰুরুমর দিকে এবং সে নিক্ষিপ্ত
হবে উত্তপ্ত অগ্নি পহ্বরে ৷
জনৈক বর্ণনাকারী বলেন, একবার আমি (স্বপ্নযােগে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখলাম এসময়
তার কাছে আবু বকর উমর উযমান, আলী ও মুআবিয়৷ ছিলেন ৷ হঠাৎ এক ব্যক্তি উপস্থিত
হল ৷ উমর (রা) বললেন ! ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ আমাদের সমালোচনা করে ৷ একথা বলে তিনি
যেন রাসুলাল্লাহ্ (না)-কে তাকে ধমক দিতে বলেন ৷ ল্যেকটি বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমি
“এদের সমালোচনা করি না ৷ কিন্তু এর (মুআবিয়ার) সমালোচনা করি ৷ তিনি বলেন, তোমার
ৎ স হোক ! সে কি আমার সাহাবী নয়প্ তিনি একথা তিনবার বললেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একটি বর্শ৷ নিলেন এবং মুআৰিয়াকে তা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এটা তার বুকে বিদ্ধ কর ৷ তিনি
তা দ্বারা লােকটিকে আঘাত ৩করলেন, আর আমি তৎক্ষণাৎ ঘুম থেকে , জাগ্রত হলাম ৷ এরপর
সকাল-সকাল তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলাম, গতরাত্রে লোকটিকেত্রুজবাই করে হত্যা করা
হয়েছে ৷ আর সে লোকটি হল রাশিদ আল কিনৃদী ৷
ন্ ফুযইিল বিন আয়ায থেকে ইবন আসাকিং বর্ণনা করেন যে, তিনি বলতেন, হযরত মুআবিয়া
(বা) ছিলেন বিশিষ্ট সাহবী এবং বড় আলিম ৷ কিন্তু তিনি দুনিয়ার আসক্তি দ্বারা পরীক্ষিত
হয়েছিলেন ৷ আত ৷বী বলেন, (একবার) হযরত মু আবিয়াকে বলা হল, আপনার বার্ধক্য ত্বরান্বিত
হয়েছেঃ৩ তিনি বলেন, কীভাবে তা হবে না ? অথচ আরবের এক ব্যক্তি সবসময় আমার মাথার
উপর র্দাড়িয়ে আমার উদ্দেশ্যে এমন কথা উচ্চা ৷রণ করে যার উত্তর দেওয়া আমার জ্যা
অপরিহার্য ৷ এরপর আমি যদি সঠিক উত্তর দিই তাহলে কোন প্রশংসা পাই না, কিন্তু যদি ভুল
করে বলি তাহলে তার রাষ্ট্র হয়ে যায় ৷
ইমাম শা বী ও অন্যরা বলেন, শেষ বয়সে যুআবিয়ার (বা) সামনের দুই দাত পড়ে
গিয়েছিল ৷ ইবন আসাকির হযরত মুআবিয়ায় আযাদকৃত গোলাম খোজা খাদীজের জীবনী
আলোচনা প্রসঙ্গে তার উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন, (একবার) মু আবিরা (বা) একটি সুলীে ও ফর্সা
বাদী খরিদ করলেন, এরপর আমি তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় তার সামনে পেশ করলাম, এ সময় তার
হাতে একটি দণ্ড ছিল ৷ তিনি তা দ্বারা তার বিশেষ তাদের প্রতি নির্দেশ করে বলেন, এই সম্ভোগ
অঙ্গ যদি আমার হত ! তুমি তাকে ইয়াযীদ বিন যু আবিয়ার কাছে নিয়ে যাও ৷ তারপর বলেন, না !
তুমি আমার কাছে রাবী আ বিন আমৱ আল জুরাশী ৰুক ডেকে আন, উল্লেখ্য যে, ইনি বিশিষ্ট ফকীহ
ছিলেন ৷ রাবী আ যখন তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তখন তিনি তাকে বলেন, এই বাদীকে বিবস্ত্র
, , অবস্থায় আমার সামনে আনা হয়েছে এবং আমি তার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ দেখেছি, এখন আমি
তাকে ইয়াযীদের কাছে পাঠাতে চাই ৷ তিনি বললেন, না ৷ আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি তা করবেন
না ৷ কেননা, সে তার জন্য আর হালাল হবে না ৷ তিনি বলেন, তুমি অতি উত্তম রায় প্রদান করেছ ৷
রাবী বলেন, এরপর তিনি হযরত ফতিম৷ (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ বিন মাসআদা
আল ফাযারীকে বীদীটি দান করেন ৷ আর সে ছিল কৃষ্ণাঙ্গ, তইি তিনি তাকে বলেন, এর মাধ্যমে



১ আল বায়ান ওয়াৎ তাবয়ীন গ্রন্থে (৩২৩৪ ) জাহিয বলেন, যখন হযরত মু আরিছুা৷ৰু সামনের দুই দাত পড়ে
পেল তখন তিনি তার মুখমণ্ডল পাশ্চাড়ি পেচিয়ে আবৃত করে ব্লের হ্তেন এবং বলতেন, আমি যদি পরীক্ষিদ্ভ হয়ে
থাকি তাহলে আম৷ ৷র পুর্বেও অপরাধীরা শাস্তিপ্ৰাপ্ত হয়েছে ৷ তাদের অত্ততুক্তি হওয়া থেকে আমি নিরাপদ নই ৷
আমার শরীরের দু টি অঙ্গ যদি পড়েগ্ গিয়ে থাকে, তাহলে আরও অধিক সংখ্যক তো রয়ে গেছে ৷


وَأَعَادَ هِشَامٌ مَا قَضَى بِهِ مُعَاوِيَةُ وَبَنُو أُمَيَّةَ مِنْ بَعْدِهِ. وَبِهِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: «وَمَضَتِ السُّنَّةُ أَنَّ دِيَةَ الْمُعَاهَدِ كَدِيَةِ الْمُسْلِمِ» ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَوَّلَ مَنْ قَصَرَهَا إِلَى النِّصْفِ، وَأَخَذَ النِّصْفَ لِنَفْسِهِ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: اسْمَعْ يَا زُهْرِيُّ، مَنْ مَاتَ مُحِبًّا لِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، وَشَهِدَ لِلْعَشَرَةِ بِالْجَنَّةِ، وَتَرَحَّمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، كَانَ حَقِيقًا عَلَى اللَّهِ أَنْ لَا يُنَاقِشَهُ الْحِسَابَ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ يَقُولُ: تُرَابٌ فِي أَنْفِ مُعَاوِيَةَ أَفْضَلُ مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: سُئِلَ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: مَا أَقُولُ فِي رَجُلٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمْدَهُ ". فَقَالَ خَلْفَهُ: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ؟ ! فَقِيلَ لَهُ: أَيُّمَا أَفْضَلُ؟ هُوَ أَمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَقَالَ: لَتُرَابٌ فِي مَنْخَرَيْ مُعَاوِيَةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرٌ وَأَفْضَلُ مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَالَ غَيْرُهُ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ: مُعَاوِيَةُ عِنْدَنَا مِحْنَةٌ فَمَنْ رَأَيْنَاهُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ شَزْرًا اتَّهَمْنَاهُ عَلَى الْقَوْمِ. يَعْنِي الصَّحَابَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৬২৬


তোমার সন্তানাদিকে ফর্স৷ করে নাও ৷ এ ঘটনা হযরত মুআবিয়ার ধর্মীয় বিচক্ষণতা ও
অনুসন্ধিৎসার পরিচায়ক ৷ যেহেতু তিনি কামভাবের সাথে বীদীটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু
তাব ব্যাপারে নিজেকে দুর্বল গণ্য করেন (এবং তাকে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন) তাই তিনি
নিম্নের আঘাতের কারণে বাদীটি তার পুত্র ইয়াষীদকে দান করা থেকে বিরত থেবুকছেন ৷ ৷ঞে ৩
,০া৮ এ৷ ওে ণ্রুগ্ঙ্৷ ’রু’ওএ ৮রু তোমাদের পিতৃপুরুষগণ যে সকল ন ৷ন্রীবুক বিবাহ করেছেন তোমরা

তাদেরকে বিবাহ করে৷ না (আন নিসা ২২) ৷ আর ফকীহ রাবীআ বিন আমর আল-জুরাশী আদ-
দিমাশকী এ ব্যাপারে তার সাথে একমত হয়েছেন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, (একবার) আমর ইবনৃল আস (বা) মিশরীয় প্রতিনিধিদলের
সাথে হযরত মু আবিয়ার কাছে আগমন করলেন, পথিমবুধ্য তিনি তা ৷দেরকে বলেন, তোমরা যখন
তার সামনে প্রবেশ করবে তখন তাকে খলীফা সম্বোধন করে সালাম দিও না ৷ কেননা, তিনি তা
পছন্দ করেন না ৷ এরপর আমর যখন তাদের পুর্বে যুআবিয়া (রা)প্এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন
তখন তিনি তার দ্বাররক্ষীকে বলেন, তাদেরকে প্রবেশ করাও আর তিনি তাকে প্ৰবুবশকাবুল
তাদেরকে ভীত ও আতস্কিত করবুত ইঙ্গিত করলেন এবং বলেন, আমার ধারণা যে, আমর কোন
বিষয়ে পুকেহ তাদেরকে কিছু বলেছে ! এরপর হীন ও শঙ্কিত করার পর দ্বাররক্ষীর৷ যখন
তাদেরকে তার সাক্ষাবুত প্রবেশ করলে তখন তাদের একেকজন প্ৰবেশকাবুল বলতে লাগল :
শ্া৷ “হে আল্লাহর রাসুল ৷ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷”
এরপর যখন আমর সেখান থেকে উঠে আসলেন, তখন তাদেরকে ভব্লুসনা করে ববুলন, আল্লাহ
তোমাদের লাঞ্ছিত করুন, আমি তোমাদের নিষেধ করলাম তাকে খ লীফা সম্বোধন করে সালাম
করতে আর তোমরা তাকে নবী সম্বোধন করে সালাম করলে ৷

বর্ণিত আছে, একবার একব্যক্তি হযরত মুআবিয়া (রা) এর কাছে আবেদন করলেন তিনি
যেন তার বাড়ি নির্মাণে তাকে বার হাজার কড়ি-কাঠ সরবরাহ করে সহযোগিতা করেনা
মুআবিয়৷ (বা) তাবুক বলেন, তোমার বাড়ি কোথায়ঃ সে বলল, বসরায় ৷ তিনি বলেন, তার
পরিধি কতটুকু? সে বলল, ছয় মাইল দৈর্ঘ্য এবং ছয় মইিল প্রস্থ ৷ একথা শুনে হযরত মুআবিয়া
(রা) ববুলন, তুমি একথা বলো না আমার বাড়ি বসরায় বরং বলো, বসরা আমার বাড়িতে ৷ বর্ণিত
আছে, একবার এক ব্যক্তি তার ছেলে নিয়ে হযরত মু আবিয়ার দস্তরখাবুন শরীক হল, তখন তার
ছেলে খুব দ্রুত খেতে লাগল ৷ মুআবিয়৷ (বা) তাকে লক্ষ্য করতে লাগবুলন, আর তার পিতা
ইশারায় তাকে নিষেধ করতে চাইল ৷ কিন্তু ছেবুলটি তা বুঝতে পারল না ৷ এরপর যখন তারা
দুজন বের হয়ে আসল তখন ছেলেটির বাবা তাকে ভৎসন৷ করতে লাগল এবং এরপর তার
সাক্ষাৎ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখল ৷ তখন মুআবিয়া (রা)ত তাকে জিজ্ঞাসা করবুলন, কোথায়

তোমার পেটুক ছেলে ? লোকটি বলল, সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৷ত তিনি বলেন, আমি তখনই বুঝতে
বুপরেছিলাম তার এই আহার তাকে অসুস্থ কবুর ছাড়বে ৷

একবার আবা (ফতৃয়া জাতীয় পরিবুধয়) পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত মুআবিয়ার সামনে
দাড়িয়ে সম্বোধন করছিল ৷ হযরত মুআবিয়া তার দিবুক তুচ্ছ দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলেন, তখন
লোকটি বলল, আমীরুল মু মিনীন ! আপনি তো আমার পরিবুধয় আবা-বুক সম্বোধন করছেন না ৷
আপনি তো সম্বোধন করছেন তার পরিধানকারীকে ! হযরত মুআৰিয়া ববুলন, সর্বোত্তম হল ঐ
ব্যক্তি যে কিছু প্রদত্ত হলে কৃতজ্ঞতা ন্ জানায়, পরীক্ষিত হলে ধৈর্যধারণ করে ক্রুদ্ধ হবুল ক্রোধ


وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ الْمَوْصِليُّ وَغَيْرُهُ: سُئِلَ الْمُعَافَى بْنُ عِمْرَانَ أَيُّمَا أَفْضَلُ مُعَاوِيَةُ أَمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَغَضِبَ وَقَالَ لِلسَّائِلِ: تَجْعَلُ رَجُلًا مِنَ الصَّحَابَةِ مِثْلَ رَجُلٍ مِنَ التَّابِعِينِ؟ ! مُعَاوِيَةُ صَاحِبُهُ وَصِهْرُهُ وَكَاتِبُهُ وَأَمِينُهُ عَلَى وَحْيِ اللَّهِ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعَوْا لِي أَصْحَابِي وَأَصْهَارِي، فَمَنْ سَبَّهُمْ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ ".» وَكَذَا قَالَ الْفَضْلُ بْنُ عَنْبَسَةَ. وَقَالَ أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ الْحَلَبِيُّ: مُعَاوِيَةُ سِتْرٌ لِأَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا كَشَفَ الرَّجُلُ السِّتْرَ اجْتَرَأَ عَلَى مَا وَرَاءَهُ. وَقَالَ الْمَيْمُونِيُّ: قَالَ لِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: يَا أَبَا الْحَسَنِ، إِذَا رَأَيْتَ رَجُلًا يَذْكُرُ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ بِسُوءٍ فَاتَّهِمْهُ عَلَى الْإِسْلَامِ. وَقَالَ الْفَضْلُ بْنُ زِيَادٍ: سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ تَنَقَّصَ مُعَاوِيَةَ وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ: أَيُقَالُ لَهُ رَافِضِيٌّ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَجْتَرِ عَلَيْهِمَا إِلَّا وَلَهُ خَبِيئَةُ سُوءٍ، مَا انْتَقَصَ أَحَدٌ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا وَلَهُ دَاخِلَةُ سُوءٍ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৬২৭
قَالَ: مَا رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ ضَرَبَ إِنْسَانًا قَطُّ إِلَّا إِنْسَانًا شَتَمَ مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّهُ ضَرَبَهُ أَسْوَاطًا. وَقَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: بَيْنَا أَنَا عَلَى جَبَلٍ بِالشَّامِ إِذْ سَمِعْتُ هَاتِفًا يَقُولُ: مَنْ أَبْغَضَ الصِّدِّيقَ فَذَاكَ زِنْدِيقٌ، وَمَنْ أَبْغَضَ عُمَرَ فَإِلَى جَهَنَّمَ زُمَرَ، وَمَنْ أَبْغَضَ عُثْمَانَ فَذَاكَ خَصْمُهُ الرَّحْمَنُ، وَمَنْ أَبْغَضَ عَلِيَّ فَذَاكَ خَصْمُهُ النَّبِيُّ، وَمَنْ أَبْغَضَ مُعَاوِيَهْ، سَحَبَتْهُ الزَّبَانِيَهْ، إِلَى جَهَنَّمَ الْحَامِيَهْ، وَيُرْمَى بِهِ فِي الْهَاوِيَهْ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ وَعِنْدَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَمُعَاوِيَةُ، إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا يَنْتَقِصُنَا. فَكَأَنَّهُ انْتَهَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَا أَنْتَقِصُ هَؤُلَاءِ، وَلَكِنْ أَنْتَقِصُ هَذَا. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَيْلَكَ! أَوَ لَيْسَ هُوَ مِنْ أَصْحَابِي؟ ! قَالَهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرْبَةً، فَنَاوَلَهَا مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: جَأْ بِهَا فِي لَبَّتِهِ. فَضَرَبَهُ بِهَا، وَانْتَبَهْتُ فَبَكَّرْتُ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَإِذَا ذَلِكَ الرَّجُلُ قَدْ أَصَابَتْهُ الذَّبْحَةُ مِنَ اللَّيْلِ وَمَاتَ. وَهُوَ رَاشِدٌ الْكِنْدِيُّ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مُعَاوِيَةُ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنَ الْعُلَمَاءِ الْكِبَارِ، وَلَكِنِ ابْتُلِيَ بِحُبِّ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ৬৬২৮


সংবরণ করে, প্রতিশোধগ্রহদ্বুণর সামর্থ্য র্সক্রুত্ত্বও ক্ষমা করে, প্রতিশ্রুতি দিলে ৰুপুর্ণ করে এবং পাপ
করলে তওর৷ করে ৷ ৰু জনৈক মদীনাবাসী মুআবিয়া বিন আবু সুস্থইিয়ানের কাছে লিখে পাঠাল১-
া১া
“পুরুষদের সতাংনর৷ যখন জনক হয় আরবার্ধক্যের কারণে রাহুসমুহ নড়বড়ে হয়
আর যখন তারা রোগ ব্যাধিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তারা ঐ শস্যের ন্যায় মার কাটার
সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷
এ কবিতা শুনে হযরত ঘুআবিয়া বলেন, যে আমার কাছে আমার মৃত্যু সংবাদ পাঠিয়েছে ৷
ইবন আবুদদৃনৃয়া বলেন, আমাকে হারুনঃ বিন সুফিয়ান আবদুল্লাহ্ আস-স্যহ্মী থেকে
বংনাি ’ করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে ছুমামা বিন কুলছুম বর্ণনা করেছেন যে, হযরত
মুআবিয়া (বা) এর সর্বশেষ খুৎরাছিল এই হে মানবমণ্ডলী ৷ যে শস্য বপন করেছে তার
ফসল কাটার সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷ একদিন আমিণ্ আমাদেরকে শাসন করেছি, আমার পর
আমার চেয়ে উত্তম কেউ তােমাদেরক্ককা শাসন করবে না ৷ আমার চেয়ে নিকুষ্ট কেউই
তামাদেরকে শাসন করবে ৷ যেমনিভাবে আমার পুর্বে যারা তােমাদেরকে শাসন করেছে তারা
আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন ৷ আর হে যায়েদ ! আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসলে একজন বুদ্ধিমান
লোককে আমার পােসালর দায়িত্ব দিয়ে ৷ কেননা, আল্লাহর কাছে বুদ্ধিমানের বিশেষ মর্যাদা
রয়েছে ৷ তারপর সে যেন আমাকে ভালভাবে গোসল করার এবং উচ্চস্বরে তাকবির পড়ে ৷
এরপর জানাযার ঐ রুমাল নিয়ে আসবে যাতে রাসুলুল্পাহ্ (সা)ণ্এর: ব্যবহৃত একটি কাপড়
এবং তার চুল ও নখের কর্ভিত অ শ রয়েছে ৷ কর্ভিত এই নখ ও চুলসমুহকে আমার নাকে
মুখে, কানে ও চোখে দিয়ে দিবে৩ ৷ আর ঐ কাপড়কে আমার দেহ সংলগ্ন করে দিবে ৷ নােফাফা
ত্লগ্ন নয় ৷ হে ইয়াযীদ ! পিতামাতার রা৷পাব্রে আল্লাহ্র নির্দেশ রক্ষা করে৷ ৷ এরপর য্খন
তোমরা আমাকে আমার কাফনে প্রবেশ করাবে এবং আমার কবরে আমাকে রাখবে, তখন
যুআবিয়াকে পরম দয়াময়েয় সাথে ছেড়ে দিও ৷কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন, যখন মুআর্বিয়া
(রা) এর মৃত্যু উপস্থিত হন, তখন তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেন ,
,;স্পো
শপথ আমার জীবনকালের ! মহাকালের মাঝে আমি এককালের আযুষ্কাল পেয়েছি, আর
কর্তাকারী তরবারিসমুহের আঘাতে দুনিয়া আমার রশীভুত হয়েছে ৷
আর আমি লাভ করেছি অঢেল ও মহামুল্যবান ধন-সম্পদ এবং আদেশ-নিষেধের কর্তৃত্ব ৷
সকল পরাক্রমশালী বাদশাহরা আমার সামনে আত্মসমর্পণ করেছে ৷



১ লোকঢির নাম যিরর বিন হুবায়শ অথবা আয়মান বিন খুরায়ম-তাবারী ৬ঙ্ক১৮৭

২ মুরাবৃরিদে আল-কামিল গ্রন্থে রয়েছে আমার পরে এমন ব্যক্তিই আসবে, যার চেয়ে আমি উত্তম ৷ যেমন

আমার পুর্বে এমন বাক্তিরইি ছিলে যারা আমার চেয়ে উত্তম আন-কামিল ২৩৮১ ৷ ন্

৩ ইবনুল আ“ ছমে (৪২৬৪ ) এ রয়েছে জেনে ৱাখ, একদিন আমি নবীজী (সা) এর সামনে ছিলাম আর তিনি তার

নখ কাটছিলেন, তখন আমি তার কজ্যি নখ উঠিয়ে নিলাম এবং তা একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করলাম, আর
তা আমার কাছে রয়েছে, এছাড়া আমার কাছে তার কিছু ঢুলও রয়েছে ৷ আমি যখন মারা যাব আর তোমরা আমাকে

গোসল দিয়ে কাফন পরাবে তখন ঐ কর্তিত নখসমুহ কেটে আমার চোখে আর চুলগুলি“আমার মুখে ত্ত কানে দিও ৷


وَقَالَ الْعُتْبِيُّ: قِيلَ لِمُعَاوِيَةَ: أَسْرَعَ إِلَيْكَ الشَّيْبُ. فَقَالَ: كَيْفَ لَا وَلَا أَزَالُ أَرَى رَجُلًا مِنَ الْعَرَبِ قَائِمًا عَلَى رَأْسِي يُلْقِحُ لِي كَلَامًا يُلْزِمُنِي جَوَابَهُ، فَإِنْ أَصَبْتُ لَمْ أُحْمَدْ، وَإِنْ أَخْطَأْتُ سَارَتْ بِهَا الْبُرُدُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ وَغَيْرُهُ: أَصَابَتْ مُعَاوِيَةَ فِي آخِرِ عُمْرِهِ لَقْوَةٌ. وَذَكَرَ ابْنَ جَرِيرٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَدِمَ فِي وَفْدِ أَهْلِ مِصْرَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ لَهُمْ فِي الطَّرِيقِ: إِذَا دَخَلْتُمْ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَلَا تُسَلِّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ ; فَإِنَّهُ لَا يُحِبُّ ذَلِكَ. فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ عَمْرٌو قَبْلَهُمْ قَالَ مُعَاوِيَةُ لِحَاجِبِهِ: أَدْخِلْهُمْ. وَأَوْعَزَ إِلَيْهِ أَنْ يُخَوِّفَهُمْ فِي الدُّخُولِ وَيُرْعِبَهُمْ، وَقَالَ: إِنِّي لَأَظُنُّ عَمْرًا قَدْ تَقَدَّمَ إِلَيْهِمْ فِي شَيْءٍ. فَلَمَّا أَدْخَلُوهُمْ عَلَيْهِ - وَقَدْ أَهَانُوهُمْ - جَعَلَ أَحَدُهُمْ إِذَا دَخَلَ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَلَمَّا نَهَضَ عَمْرٌو مِنْ عِنْدِهِ قَالَ: قَبَّحَكُمُ اللَّهُ!
পৃষ্ঠা - ৬৬২৯

আর যা আমার জন্য আনন্দদারক ছিল তা হয়ে গেছে এমন শাসন কর্তৃত্নের ন্যায় যা অতীত
হয়েছে আদিকালের গর্ভে ৷
াএ্
হায় ! যদি অমি সামান্যকালও রাজত্বের প্রতি ৩গুরুতৃারোপ না করতাম এবং জীবনের সজীব
ভোগ ও আনন্দের মাঝে না দৌড়াতা ম!
আর যদি আমি দৃ’ খণ্ড জীর্ণ রত্রের অধিকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় হতাম, যে কৃচ্ছুতার জীবনযাপন
করে, আর এ অবস্থাতেই সে কবরের সংকীর্ণতার সাক্ষাৎ লাভ করে ৷
মুহাম্মদ বিন সা দ বলেন, আমাদেরকে আলী বিন মুহাম্মদ বর্ণনা করেছেন, তিনি মুহাম্মদ
বিন হাকাম থেকে, তিনি ভীর বর্ণনাকারী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত মুআবিয়৷ (রা) এর
যখন মৃতুকাল উপস্থিত হল তখন তিনি ভীর অর্ধেক সম্পদ রাইতৃলমালে ফিরিয়ে দেওয়ার
নির্দেশ দিলেন ৷ তিনি যেন চেয়েছিলেন তার ত্তন্যে (অবশিষ্ট অংশটুকু) রেখে দেওয়া হোক ৷
কেননা, উমর বিন খাত্তাব (রা)৩ ভীর কর্মচারীদের তা বন্টন করেন ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ
করেছেন, শেষ “বয়সে তিনি ভীষণ ঠাণ্ডাগ্নস্ত হয়ে পড়েন ৷ এসময় তিনি কােনতারী পোশাক পরিধান
কর₹ক্তা, তখন তীব্র পরমে তা তার শ্বাসরােধ করার উপক্রম ক্যাত ৷ এসময়৩ তিনি পাখীর পালক
দিয়ে পোশাক বানিয়ে নিয়েছিলেন ৷ পরবর্তীতে এ পােশ ৷কও ভীর কাছে অসহনীয় বোধ হতে লাগল ৷
তখন তিনি (দৃনিয়াকে সম্বোধন করে) বলেন, নিবাসরুপে তোমার ধ্বংস হোক ! চল্লিশ বছর
তোমাকে শাসন করেছি, শাসন করেছি বিশজন গভর্নর ও বিশজন প্রশাসককে’ তারপর তােমাতে
আমার এই অবস্থা, এই পরিণতি ! ধ্বংস হোক দুনিয়া ও দুনিয়ার মোহগ্রস্তরা ! মুহাম্মাদ বিন সাদ
বলেন, আমাদেরকে আবু উবায়দ৷ অবহিত করেন আবু ইয়াকুব আছুছাকাফী থেকে, তিনি আবদুল
মালিক বিন উমাইর থেকে, তিনি বলেন, হযরত ঘুআবিয়া যখন ঘুমুর্বু অবস্থায় উপনীত হলেন এবং
লোকেরা তার মৃত্যুর কথা আলোচনা কংতে লাগল ৷ তখন তিনি ভীর পরিবারের ণ্লাকদের
বলেন, আমার চোখ ভরে ইছমিদ (সুরমা বিশেষ) লাগিয়ে দাও ৷ আর মাথা ভরে তেল লাগিয়ে
দাও ৷ তখন তারা তার কথামত তার মাথা ও মুখমণ্ডল তেলে ঢুবিয়ে দিল ৷ এরপর তার জন্য
আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা করল, তিনি বলেন, আমাকে ঠেস দেওয়ার কোন উপকরণ দাও ৷
তারপর তিনি বলেন, সকলকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দাও ৷৩ তারা যেন র্দাড়ানাে অবস্থাতেই
আমাকে সালাম করে এবং তাদের কেউ যেন না বলে ৷ তখন একেকজন প্রবেশ করতে লাগল
এবং তাকে দাড়িয়ে সালাম করতে লাগল, তাকে সুরমা ও তেল ব্যবহার করতে দেখে কেউ কেউ
বলতে লাগল, আমীরুল মুমিনীন তো সম্পুর্ণ সুস্থ ! এরপর লোকজন চলে গেলে হযরত
মু আবিয়৷ (রা) আবৃত্তি করলেন
শত্রুদের সামনে অবিচল থাক, আমি তাদেরকে দেখার যে কালের দৃর্যোগে আমি নত ইে না ৷
মৃত্যু যখন তার থাব৷ বিস্তার করে, তখন আমি দেখেছি কোন রক্ষ্য-কবজ কাজে আসে না ৷ ’

হ্দ্র



১ ইবনুল আছমে (৪২৫ ২) রয়েছে তার ন্গ্ালায় একটি তাবিজ ছিল এসময় তিনি তা ছুড়ে দিলেন এবং এই
কবিতা আবৃত্তি করলেন, তবারীতে (৬১৮১ ) এবং ইবনুল আহীরের আল-কামিলে ( ৭৪ ) রয়েছে ৷


نَهَيْتُكُمْ عَنْ أَنْ تُسَلِّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ فَسَلَّمْتُمْ عَلَيْهِ بِالنُّبُوَّةِ! وَذَكَرَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنْ يُسَاعِدَهُ فِي بْناءِ دَارٍ بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفَ جِذْعٍ مِنَ الْخَشَبِ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَيْنَ دَارُكَ؟ قَالَ: بِالْبَصْرَةِ. وَكَمِ اتِّسَاعُهَا؟ قَالَ: فَرْسَخَانِ فِي فَرْسَخَيْنِ. قَالَ: لَا تَقُلْ دَارِي بِالْبَصْرَةِ، وَلَكِنْ قُلِ الْبَصْرَةُ فِي دَارِي. وَذَكَرَ أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ بِابْنٍ مَعَهُ، فَجَلَسَا عَلَى سِمَاطِ مُعَاوِيَةَ، فَجَعَلَ وَلَدُهُ يَأْكُلُ أَكْلًا ذَرِيعًا، فَجَعَلَ مُعَاوِيَةُ يُلَاحِظُهُ، وَجَعَلَ أَبُوهُ يُرِيدُ أَنْ يَنْهَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَلَا يَفْطِنُ، فَلَمَّا خَرَجَا لَامَهُ أَبُوهُ، وَقَطَعَهُ عَنِ الدُّخُولِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَيْنَ ابْنُكَ التِّلْقَامَةُ؟ قَالَ: اشْتَكَى. قَالَ: قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ أَكْلَهُ سَيُورِثُهُ دَاءً. قَالَ: وَنَظَرَ مُعَاوِيَةُ إِلَى رَجُلٍ وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ يُخَاطِبُهُ وَعَلَيْهِ عَبَاءَةٌ، فَجَعَلَ يَزْدَرِيهِ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ لَا تُخَاطِبُ الْعَبَاءَةَ، إِنَّمَا يُخَاطِبُكَ مَنْ فِيهَا. وَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَفْضَلُ النَّاسِ مَنْ عَقَلَ وَحَلُمَ ; مَنْ إِذَا أُعْطِيَ شَكَرَ، وَإِذَا ابْتُلِيَ صَبَرَ، وَإِذَا غَضِبَ كَظَمَ، وَإِذَا قَدَرَ غَفَرَ، وَإِذَا وَعَدَ أَنْجَزَ، وَإِذَا أَسَاءَ اسْتَغْفَرَ. وَكَتَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِذَا الرِّجَالُ وَلَدَتْ أَوْلَادُهَا ... وَاضْطَرَبَتْ مِنْ كِبَرٍ أَعَضَادُهَا
পৃষ্ঠা - ৬৬৩০


তিনি (আবদুল মালিক) বলেন, তার সামনের দুই র্দাত পড়ে গিয়েছিল ৷ এরপর সেদিনই
তিনি ইস্তিক!ল করেন ৷ মুসা বিন উকব হ বলেন, মৃতৃকােলে উপস্থিত হলে হযরত যুআবিয়!
বলেন, হায় ! আমি যদি যু-তুওয়াতে অবস্থানক! !রী কুর! !ইশের এক ব্যক্তি হত্যা! এবং খিল!ফত ও
শাসন কর্তৃত্বের কোন কিছুর দায়িত্ব গ্রহণ না করত!ম আবুস সাইব আল মাখয়ুমী বলেন, হযরত
যুআবিয়!র মৃভ্যুকাল উপস্থিত হলে কবির এই পঙ্ক্তিসমুহ আবৃত্তি করলেন্
হে রব ! যদি আপনি চুলচেরা হিসাব গ্রহণ করেন, তাহলে তা এমন শাস্তি হয়ে দীড়াবে য!
সহ্য করার সামর্থ্য আমার সেই ৷

অথবা ক্ষমা করুন আর এমন পাপীকে ম!ত্তনাি বব্রুন, যার গুনাহসমুহ ধুলির ন্যায় ৷১
বর্ণনাক!রী বলেন, হযরত মুআবিয়! (রা)এর অন্তিমক!ল্ উপস্থিত হলে তার স্বজনের! তাকে
চুমু খেতে লাগল ৷ তিনি তাদের বলেন, তোমরা কোন শায়খকে চুমু ত্থাচ্ছ, যদি আল্লাহ্ন্ তাকে
কাল (কিয়ামাতর দিন) জাহ!ন্ন!মের আগুন থেকে রক্ষা করেন ৷ মুহাম্মাদ বিন সীরীন বলেন,
অন্তিম মুহুর্তে হযরত যুঅ!বিয়া (র!) একবার এক পণ্ডদৈশ মাটিতে রাখছিলেন আরেকবার
অন্যটি, আর কেদে কেদে বলছিলেন হে আল্লাহ ! আপনার কিভাবে আপনি বলেছেন-
আল্লাহ তার সাথে শরীক (সাব্যস্ত) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না ! তবে এ ছাড়া অন্যান্য
অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন ৷ (সুরা আন-নিস!-৪৮) ৷ কাজেই হে আল্লাহ্ ! আপনি আমাকে
তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন য়!দের আপনি ক্ষমা ব্ব!র ইচ্ছা করেন ! আতাবী তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন, মৃভ্যুকালে হযরত মুআবিয়া এই কবিতা পঙ্ক্তি আবৃত্তি কঃরছিলেন-
“তা হল আমার মৃত্যু তা থেকে কোন নিষ্কৃতি নেই, আর মৃত্যুর পর আমরা যার আশঙ্কা
করি তাতে! আরো বীতংস ও গুরুতর!
এরপর তিনি বলেন, হে আল্লাহ ! আমার পদচ্যুতিহ্র!স করুন এবং পদস্থ!লন ক্ষম!রব্রুন ৷
আর আপনার সহনশীলতা দ্বারা তার মুর্থত! উপেক্ষা করুন ৷ যে শুধু আপনাকেই প্রত্যাশা করেলষ্
কেননা, সুব্যপ্ত ক্ষমার অধিকারী, আর পাপী ব্যক্তির পাপ থেকে আপনি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল ধ্
নেই ৷ ইবন দুরাইদ আবু হাতিম থেকে,৩ তিনি আবু উব!য়দা থেকে,৩ তিনি আবু আমর ইবনুল
আসা থেকে তা বর্ণনা করেন এবং তদ্রাপ উল্লেখ করেন, আর তিনি এরপর “তারপর তিনি
মৃত্যুবরণ করেন”-এই অংশটুকু বৃদ্ধি করেন ৷ অন্য বর্ণন!ক!রী বলেন, তিনি বেভুশ হওয়ার পর ণ্
চেতনা ফিরে পেয়ে তার আপনজনদের বলেন, তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ কেননা, যে
,আল্লাহ্কে ভয় করে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন, আর যে আল্লাহ্কে ভয় করে না, আল্লাহ্ তাকে
১ রক্ষা করেন না ৷ তারপর তিনি ইস্তিকাল করেন ৷ আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷



ন্ ইবনুল আছিরের কামিলে এ (৪৮) রয়েছে অথবা ক্ষমা করুন, কেননা আপনি ম!র্জন!কারী রব ৷ আর
প্ ফুতুহ্ ইবনুল আ“ ছম এ (৪২৬৪ ) রয়েছে অথবা ক্ষমা করুন ৷ কেননা, আপনি দয়াময় !

২ ইবনুল অ! ছমে রয়েছে৩ তিনি পাচদিন পর শনিবার, রজবের কয়েকদিন গত হাল ইনতিকাল করেন ৷

৩ইবনুল আ ছমে (৪২৬৪) এ রয়েছে এভাবে তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর ৷ কেননা, আল্লাহ্
ভীরুতা এক দৃর্ডেদ্য ঢাল ৷ সর্বন!শ তার যে আল্লাহকে ভয় করল না অথচ তার শাস্তি ভয়াবহ এবং সাজা
যন্ত্রণাদায়ক তারপর৩ তিনি পরদিন ইনতিকাল করেন ৷


وَجَعَلَتْ أَسْقَامُهَا تَعْتَادُهَا ... فَهِيَ زُرُوعٌ قَدْ دَنَا حَصَادُهَا فَقَالَ مُعَاوِيَةُ نَعَى إِلَيَّ نَفْسِي. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ السَّهْمِيِّ، حَدَّثَنِي ثُمَامَةُ بْنُ كُلْثُومٍ، أَنَّ آخِرَ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا مُعَاوِيَةُ أَنْ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي مِنْ زَرْعٍ قَدِ اسْتَحْصَدَ، وَإِنِّي قَدْ وَلِيتُكُمْ، وَلَنْ يَلِيَكُمْ أَحَدٌ بَعْدِي إِلَّا مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنِّي، كَمَا كَانَ مَنْ وَلِيَكُمْ قَبْلِي خَيْرًا مِنِّي، وَيَا يَزِيدُ، إِذَا وَفَى أَجْلِي فَوَلِّ غُسْلِي رَجُلًا لَبِيبًا ; فَإِنَّ اللَّبِيبَ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ، فَلْيُنْعِمِ الْغُسْلَ وَلْيَجْهَرْ بِالتَّكْبِيرِ، ثُمَّ اعْمِدْ إِلَى مَنْدِيلٍ فِي الْخِزَانَةِ فِيهِ ثَوْبٌ مِنْ ثِيَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقُرَاضَةٌ مِنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ، فَاسْتَوْدِعِ الْقُرَاضَةَ أَنْفِي وَفَمِي وَأُذُنَيَّ وَعَيْنَيَّ، وَاجْعَلِ الثَّوْبَ يَلِي جِلْدِي دُونَ أَكْفَانِي، وَيَا يَزِيدُ، احْفَظْ وَصِيَّةَ اللَّهِ فِي الْوَالِدَيْنِ، فَإِذَا أَدْرَجْتُمُونِي فِي جَرِيدَتِي، وَوَضَعْتُمُونِي فِي حُفْرَتِي فَخَلُّوا مُعَاوِيَةَ وَأَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمَّا احْتُضِرَ مُعَاوِيَةُ جَعَلَ يَقُولُ: لَعَمْرِي لَقَدْ عُمِّرْتُ فِي الدَّهْرِ بُرْهَةً ... وَدَانَتْ لِيَ الدُّنْيَا بِوَقْعِ الْبَوَاتِرِ وَأُعْطِيتُ حُمْرَ الْمَالِ وَالْحُكْمَ وَالنُّهَى ... وَسِلْمَ قَمَاقِيمِ الْمُلُوكِ الْجَبَابِرِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩১
فَأَضْحَى الَّذِي قَدْ كَانَ مِمَّا يَسُرُّنِي كَحُلْمٍ مَضَى فِي الْمُزْمِنَاتِ الْغَوَابِرِ ... فَيَا لَيْتَنِي لَمْ أُعْنَ فِي الْمُلْكِ سَاعَةً وَلَمْ أُعْنَ فِي لَذَّاتِ عَيْشٍ نَوَاضِرِ ... وَكُنْتُ كَذِي طِمْرَيْنِ عَاشَ بِبُلْغَةٍ مِنَ الْعَيْشِ حَتَّى زَارَ ضِيقَ الْمَقَابِرِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَكَمِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا احْتُضِرَ أَوْصَى بْنصْفِ مَالِهِ أَنْ يُرَدَّ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، كَأَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يُطَيَّبَ لَهُ ; لِأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَاسَمَ عُمَّالَهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ فِي آخِرِ عُمْرِهِ اشْتَدَّ بِهِ الْبَرْدُ، فَكَانَ إِذَا لَبِسَ أَوْ تَغَطَّى بِشَيْءٍ ثَقِيلٍ يَغُمُّهُ، فَاتُّخِذَ لَهُ ثَوْبٌ مِنْ حَوَاصِلِ الطَّيْرِ، ثُمَّ ثَقُلَ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ: تَبًّا لَكِ مِنْ دَارٍ، مَلَكْتُكِ أَرْبَعِينَ سَنَةً ; عِشْرِينَ أَمِيرًا، وَعِشْرِينَ خَلِيفَةً، ثُمَّ هَذَا حَالِي فِيكِ، وَمَصِيرِي مِنْكِ، تَبًّا لِلدُّنْيَا وَمُحِبِّيهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا أَبُو عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِي يَعْقُوبَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩২

আবু মাখাননাফ আবদুল মালিক বিন নওফাল থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,হযরত
যুআবিয়া (রা) যখন ইন্তিকাল করেন তখন যাহ্হাক বিন কায়স মিম্বরে আরোহণ করে খুৎবা
প্রদান করেন ৷ এসময় হযরত যুআবিয়া (বা) যিনি আরবদের সুউচচ গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক
ছিলেন এবং তাদের সাহায্যস্থল ছিলেন, যার দ্বারা মহান আল্লাহ ফিতনা (রাজনৈতিক
পােলযােগ ও বিশৃগ্রলা) নির্মুল করেন এবং যাকে দেশ জয় করিয়েছেন তিনি ইন্তিকাল
করেছেন ৷ আর এই হল তার কাফন ৷ এখন আমরা তাকে এই কাফন পরার এবং তাকে তার
করবে প্রবেশ করার এবং তাকে তার আমলের সাথে একাকী ছেড়ে দেব ৷ এরপর রয়েছে
বারযাখের ভয়াবহতা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত ৷ তাই তোমাদের মাঝে যে তাকে প্রত্যক্ষ করতে
চায় সে যেন প্রথমবারেই এসে যায় ৷ এরপর তিনি ফিরে থেকে নামলেন এবং ইয়াযীদ বিন
মুআবিয়ার কাছে ডাকদুত পাঠালেন, তার মাধ্যমে তিনি তাকে তার পিতার মৃত্যু সংবাদ
অবহিত করলেন এবং দ্রুত চলে আসার কথা জানালেনন্ এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই যে,
তিনি ষাট হিজরীর রজব মাসে দিমাশকে ইন্তিকাল করেন ৷ একদল বলেন, ষাট হিজরীর রজব
মাসের পনের তারিখ বৃহস্পতিবার রাত্রে ৷ কারো মতে, ষাট হিজরীর রজব মাসের বাইশ তারিখ
বৃহস্পতিবার রাতে ৷ ইবন ইসহাক এবং একাধিক ঐতিহাসিকের একই বক্তব্য ৷ আবার কারো
মতে, রজব মাসের চারদিন বিগত হওয়ার পর ৷ লাইছ বলেন, সাদ বিন ইব্রাহীম বলেন, রজব
মাসের শুরুতে ৷ মুহাম্মদ বিন ইসহাক ও শাফেয়ী বলেন, তার জানাযার নামায পড়িয়েছেন তার
ছেলে ইয়াযীদ ৷ একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মুআবিয়া ওসিয়ত করেছিলেন তাকে
যেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঐ কাপড়ে দাফন করা হয় যা তিনি তাকে পরিয়ে দিয়েছিলেন, আর তা
তার কাছে এই দিনের জন্য সংরক্ষিত ছিল ৷ এছাড়া তিনি আরোও ওসীয়ত করেছিলেন তার
ণ্ কাছে আল্লাহর রাসুলের যে চুল ও কর্তিত নখ ছিল তা তার মুখে, নাকে এবং কানে দিতে ৷
অন্যদের দাবী হল তার পুত্র ইয়াযীদ (তার মৃতুকােলে) অনুপস্থিত ছিল ৷ তাই তার
দিমাশৃকের মসজিদে জােহরের ন্নামায়ের পর যাহ্হাক বিন কায়স তার জানাযার নামায
পড়িয়েছিলেন ৷ তারপর তাকে দারুন ইমারা যা আল-খাযরাহ নামেও পরিচিত সেখানে দাফন
করা হয় ৷ কারও মতে বাবুস সগীর-এব কবরস্থানে ৷ আর এটা অধিকাংশের মত ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷ এ সময় তার বয়স ছিল আটাত্তর বছর ৷ কারও মতে তার বয়স আশির অধিক ছিল,
আর এ মতটিই প্রসিদ্ধতর ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ প্
তারপর (হযরত মুআবিয়ার দাফনের পর) যাহ্হাক বিন কায়স একদল ফৌজ নিয়ে
ইয়াযীদকে অভ্যর্থনা জানাতে বের হলেন, পুর্বে যেমন উল্লেখিত হয়েছে ইয়াযীদ এ সময়
হাওয়ারীন-এ অবস্থান করছিল ৷ এরা যখন ছানীয়াতৃল উকাবে পৌছলেন তখন ইয়াযীদ ও তার





১ তাবারী (৬১৮৩)-তে ইবনুল আহীর-এর কামিল (৪৯)-এ এবং ইবনুল আছমের আলফুতুহ্ (৪২৬৫)-
তে রয়েছে হযরত মুআবিয়া (রা)-এর অন্তিম অসুস্থতার সময়ে ইয়াযীদ শিকারের উদ্দেশ্যে এ্যা ৬-ৰুএঙু-

নামক স্থান অভিমুখে বের হয়েছিল ৷ তাই হযরত মুআবিয়ার মুত্যুকালে ইয়াযীদ তার কাছে উপস্থিত ছিল না ৷
, এরপর তার কাছে পত্র প্রেরণ করা হলে সে আগমন করল, তার পুর্বেই তার পিতাকে দাফন করা হয়েছিল ৷
তখন সে তার করবে এসে তার জানাযার নামায আদায় করল এবং আবৃত্তি করল ৬ ন্ন্ ণ্ঠেত্রষ্)£ৰু প্রু,া৷ ন্া৯
াষ্;াধ্া১;ব্র ;, এে , ধ্গ্ব্ল ডাকদুত কাগজের পত্র নিয়ে দ্রুতবেগে উপস্থিত হল ৷ তখন সেই কাগুজে
ৰুন্ ন্পৃত্রের কারণে আমার অন্তর এক অভিনব আতঙ্ক অনুভব করল ৷ ৷- শু fl < মোঃ ১; ন্া৷ শু১৬ ১ন্^ :শ্৷ চে-ঙা
৷, এ--এষ্শুঞ্জোহিনদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে ৷ আর তার সাথে মৃত্যু হয়েছে মহানুভবতার ৷ তারা যেমন
একসাথে ছিল তেমনি একই সাথে তাদের মৃত্যু হল ৷ ন্


عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: لَمَّا ثَقُلَ مُعَاوِيَةُ وَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّهُ بِالْمَوْتِ قَالَ لِأَهْلِهِ: احْشُوَا عَيْنَيَّ إِثْمِدًا، وَأَوْسِعُوا رَأْسِي دُهْنًا. فَفَعَلُوا وَبَرَّقُوا وَجْهَهُ بِالدُّهْنِ، ثُمَّ مُهِّدَ لَهُ فَجَلَسَ وَقَالَ: أَسْنَدُونِي. ثُمَّ قَالَ: ائْذَنُوا لِلنَّاسِ فَلْيُسَلِّمُوا عَلَيَّ قِيَامًا وَلَا يَجْلِسْ أَحَدٌ. فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَدْخُلُ فَيُسَلِّمُ قَائِمًا فَيَرَاهُ مُتَكَحِّلًا مُتَدَهِّنًا، فَيَقُولُ مُتَقَوِّلُ النَّاسِ: هُوَ لَمًّا بِهِ، وَهُوَ أَصَحُّ النَّاسِ. فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ قَالَ مُعَاوِيَةُ: وَتَجَلُّدِي لِلشَّامِتِينَ أُرِيهِمُ ... أَنِّي لِرَيْبِ الدَّهْرِ لَا أَتَضَعْضَعُ وَإِذَا الْمَنِيَّةُ أَنْشَبَتْ أَظْفَارَهَا ... أَلْفَيْتَ كُلَّ تَمِيمَةٍ لَا تَنْفَعُ قَالَ: وَكَانَ بِهِ الْتِفَاتَةٌ، يَعْنِي لَقْوَةً، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُقْبَةَ: لَمَّا نَزَلَ بِمُعَاوِيَةَ الْمَوْتَ قَالَ: يَا لَيْتَنِي كُنْتُ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ بِذِي طَوًى وَلَمْ أَلِ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ شَيْئًا. وَقَالَ أَبُو السَّائِبِ الْمَخْزُومِيُّ: لَمَّا حَضَرَتْ مُعَاوِيَةَ الْوَفَاةُ تَمَثَّلَ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ: إِنْ تُنَاقِشْ يَكُنْ نِقَاشُكَ يَا رَبِّ ... عَذَابًا لَا طَوْقَ لِي بِالْعَذَابِ أَوْ تُجَاوِزْ تَجَاوُزَ الْعَفْوِ فَاصْفَحْ ... عَنْ مُسِيءٍ ذُنُوبُهُ كَالتُّرَابِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৩


অনৃগামীদের সাক্ষাৎ পেলেন ৷ ইয়াযীদ তখন একটি থােরাসানী উটের আরে হী ছিল এবং
পিতৃশোকের চিহ্ন তার মাঝে সুস্পষ্ট ছিল ৷ তখন র্লোকেরা তাকে আমীর সম্বোধন করে সালাম
করল এবং তার পিতার ব্যা পারে তাকে সাজ্বনা দিল ৷ তখন ইয়াযীদ নিম্নস্বরে তাদের সালামের
উত্তর দিল ৷ এসময় সকলেই চুপ ছিল শুধুমাত্র যাহ্হাক বিন ক য় যস তার সাথে কথা বলছিলেন ৷
এরপর ইয়াযীদ বাবে-ভুমা-তে গিয়ে পৌছল ৷ লোকেরা ধারণা করল, যে সেখান দিয়ে শহরে
প্রবেশ করবে কিন্তু যে তা অতিক্রম করে পুর্বদ্বারে’ গিয়ে উপনীত হল ৷ তখন বলা হল যে এ
দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে ৷ কেননা, এট৷ বিজয়ী বীর খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা) এর প্রবেশদ্বার ৷
কিন্তু (,স তাও অতিক্রম করে বাবে সগীর আসল ৷ তখন লোকেরা বুঝতে ৩পারল, সে তার পিতার
কবরের উদ্দেশ্যে চলেছে ৷ তারপর যখন সে বারে সগীরে এসে পৌছল ৷ তখন পয়ে হেটে
কবরের কাছে গেল এবং সেখানে প্রবেশ করে (দাফনের পর) তার পিতার জানাযার নাময পড়ল ,
তারপর ফিরে গেল ৷১ সে যখন কবরস্থান থেকে বের হল তখন তার জ্যা৷ খলীফার বিশেষ বাহন
আনা হল এবং যে তাতে আরোহণ করে ফিরল ৷ এরপর ইয়াযীদ শহরে প্রবেশ করল এবং তার
নির্দেশে ল্যেকদেরকে মসজিদে সমবেত হওয়ার জন্য ঘোষণা শোনান হল ৷ এরপর সে খাযরাতে
প্রবেশ করে গোসল করল এবং সুন্দর পোশাক পরিধান করল ৷ এরপর বের হয়ে মুসলিম বিশ্বের
ব্রুশাসনকর্তারুপে সে তার প্রথম খুৎব৷ দিল ৷ হামদ ও ছানার পর সে বলল, হে মানবমণ্ডলী ৷
মুআবিয়া ছিলেন আল্লাহর বান্দাদের একজন ৷ আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ তারপর

তাকে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন ৷ তিনি তার পরবর্তীদের চেয়ে উত্তম আর পুর্ববভুণ্দের চেয়ে
পশ্চাদবর্তী ৷ আর আমি আল্লাহর কাছে তার পক্ষে সাফাই গাইছি না ৷ কেননা, তিনি তার সম্পর্কে
সর্বাধিক জ্ঞাত ৷ যদি তিনি তাকে ক্ষমা করেন তাহলে তার নিজ অনৃগ্নহে আর যদি তাকে শাস্তি
প্রদান করেন, তাহলে তার পাপের কারণে ৷ তারপর আমি তোমাদের শাসন কর্তৃত্বের দায়িত্ব
গ্রহণ করেছি ৷ কোন কিছুর অন্বেষণে আমি ব্যথিত নই এবং কোন কিছুর বর্জনে আমি কৈফিয়ত
দানকারী নই ৷ আল্লাহ যখন কিছু চান তখন তা সংঘটিতহয় ৷ এই ষ্টখুৎবায় সে তাদেরকে আরও
বলেছিল, ঘু আবিয়া (রা)ণ্ডে তােমাদেরকে নৌযুদ্ধে প্রেরণ করতেন ৷ কিন্ত আমি কোন মুসর্লমানকে
নৌযুদ্ধে প্রেরণ করব না ৷ তদ্র্যপ মুআবিয়া তােমাদেরকে রোমক ভুখণ্ডে শীতযাপন করাতেন ৷
কিন্তু আমি কাউকে রোম ভুখণ্ডে শী৩ যাপন করার না ৷ তিনি তোমাদের ভাতা তিনবারে দিতেন
আর আমি তা একসাথে প্রদান করব ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকজন তাকেই তাদের যােগ্যতম শাসক গণ্য করা অবস্থায়
সেখান থেকে প্রস্থান করল ৷ মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুল হাকাম বলেন, আমি ইমাম
শ্া৷ফেয়ীকে বলতে শুনেছি, অন্তিম শয্যায় হযরত মু আবিয়া (বা) তার ছেলে ইয়াযীদের কাছে দুত
প্রেরণ করলেন ৷ তারপর ডাকদুত যখন তার কাছে এসে পৌছল, তখন সে এই পঙ্ক্তিগুলো
আবৃত্তি করতে করতে বাহনে আরোহণ করলশ্




১ ফুরুহ ইবনুল আছমে (৫২) ন্নায়ছে হযরত মুআবিয়ার দাফ্নের তিনদিন পর সে দিমাশকে পৌছে ৷
ন্ ২ ফুভুহ আবনুল আছমে (৫৮) রম্নোহ হক বা মোঃ আদাম্নে আমি শিথিলতা করব না ৷ আর কোন অন্যায়

বাড়াবাড়িতে আমি কৈফিয়ত গ্রহণকারী নই ৷ পিতার মৃত্যুর পর ইয়াষীদেও ইখুত্বা দেখুন আল ইকদুল ফরীদ

(২ন্২৫০) ৷

৩ ইবনুল তা হয়ে এে১এ) রয়েছে ৷ ন্ন্

ণোমোঃ(হ্রা৷ব্রা৷৪র্নো০ওোড়া৷

وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمَّا احْتُضِرَ مُعَاوِيَةُ جَعَلَ أَهْلُهُ يُقَلِّبُونَهُ فَقَالَ لَهُمْ: أَيَّ شَيْخٍ تُقَلِّبُونَ؟ إِنْ نَجَّاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ غَدًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: جَعَلَ مُعَاوِيَةُ لَمَّا احْتُضِرَ يَضَعُ خَدًّا عَلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ يُقَلِّبُ وَجْهَهُ، وَيَضَعُ الْخَدَّ الْآخَرَ، وَيَبْكِي وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ قُلْتَ فِي كِتَابِكَ: {إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ} [النساء: 48] . اللَّهُمَّ فَاجْعَلْنِي مِمَّنْ تَشَاءُ أَنْ تَغْفِرَ لَهُ. وَقَالَ الْعُتْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ: تَمَثَّلَ مُعَاوِيَةُ عِنْدَ مَوْتِهِ بِقَوْلِ بَعْضِهِمْ وَهُوَ فِي السِّيَاقِ: هُوَ الْمَوْتُ لَا مَنْجَى مِنَ الْمَوْتِ وَالَّذِي ... نُحَاذِرُ بَعْدَ الْمَوْتِ أَدْهَى وَأَفْظَعُ ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَقِلِ الْعَثْرَةَ، وَاعْفُ عَنِ الزَّلَّةِ، وَتَجَاوَزْ بِحِلْمِكَ عَنْ جَهْلِ مَنْ لَمْ يَرْجُ غَيْرَكَ، فَإِنَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ، لَيْسَ لِذِي خَطِيئَةٍ مِنْ خَطِيئَتِهِ مَهْرَبٌ إِلَّا إِلَيْكَ. وَرَوَاهُ ابْنُ دُرَيْدٍ عَنْ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ، وَزَادَ: ثُمَّ مَاتَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ، فَقَالَ لِأَهْلِهِ: اتَّقُوا اللَّهَ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقِي مَنِ اتَّقَاهُ، وَلَا يَقِي مَنْ لَا يَتَّقِي. ثُمَّ مَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৪
وَقَدْ رَوَى أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَوْفَلٍ قَالَ: لَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ صَعِدَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَ النَّاسَ وَأَكْفَانُ مُعَاوِيَةَ عَلَى يَدَيْهِ، فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَنَاءِ عَلَيْهِ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ الَّذِي كَانَ عَوْدَ الْعَرَبِ وَحَدَّ الْعَرَبِ، قَطَعَ اللَّهُ بِهِ الْفِتْنَةَ، وَمَلَّكَهُ عَلَى الْعِبَادِ، وَفَتَحَ بِهِ الْبِلَادَ، أَلَا إِنَّهُ قَدْ مَاتَ وَهَذِهِ أَكْفَانُهُ، فَنَحْنُ مُدْرِجُوهُ فِيهَا، وَمُدْخِلُوهُ قَبْرَهُ وَمُخَلُّونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَمَلِهِ، ثُمَّ هُوَ الْبَرْزَخُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُرِيدُ أَنْ يَشْهَدَهُ فَلْيَحْضُرْ عِنْدَ الْأُولَى. ثُمَّ نَزَلَ وَبَعَثَ الْبَرِيدَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يُعْلِمُهُ وَيَسْتَحِثُّهُ عَلَى الْمَجِيءِ. وَلَا خِلَافَ أَنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ. فَقَالَ جَمَاعَةٌ: لَيْلَةَ الْخَمِيسِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ. وَقِيلَ: لَيْلَةَ الْخَمِيسِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقِيلَ: لِأَرْبَعٍ خَلَتْ مِنْ رَجَبٍ. قَالَهُ اللَّيْثُ. وَقَالَ سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: لِمُسْتَهَلِّ رَجَبٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَالشَّافِعِيُّ: صَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ يَزِيدُ. وَقَدْ وَرَدَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ أَوْصَى إِلَيْهِ أَنْ يُكَفَّنَ فِي ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَسَاهُ إِيَّاهُ، وَكَانَ مُدَّخَرًا عِنْدَهُ لِهَذَا الْيَوْمِ، وَأَنْ يَجْعَلَ مَا عِنْدَهُ مِنْ شَعْرِهِ وَقُلَامَةِ أَظْفَارِهِ فِي فَمِهِ وَأَنْفِهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৫


ডাকদুত কাগজের পত্র নিয়ে দ্রুত আগমন করল,তখন তার পত্র থেকে আমার অতয়ে এক
অজানা আশঙ্কা অনুভব করলাম ৷
তখন আমি বললাম, তোমার সর্বনাশ ৷হোক , কী রয়েছে তোমার পড়ে? সে বলল, খলীফা
রোগ ভারাক্রাত ও ব্যথক্রোত হয়ে অন্তিম শয্যা গ্রহণ করেছেন ৷
তখন পৃথিবী আমাদেরকে নিয়ে আনন্দিত হতে লাগল, আর মনে হল আগবার’ পাহাড় যেন
স্থানচ্যুত হয়েছে ৷
ণ্দ্বু
এরপর আমরা পথ চলার শীর্ণ বাহনে আরোহণ আর ৩দের আরোহী হয়ে কােনরুপ অবহেলা
না করে দ্রুত পথের পর পথ অতিক্রম করলাম ৷
, যখন আমরা সেখানে পৌছলাম তখন গৃহদ্বার রুদ্ধ-ছিল্ আর রমলার’ আওয়াজে অন্তর
শঙ্কিত ও বিদীর্ণ হল ৷
ন্ যাব মনপ্রাণ সর্বদা সুউচ্চ মর্যাদার অধিষ্ঠিত থেকেছে, সেই ব্যক্তির কর্তৃ তুসমুহ আজ পতিত
হওয়ার উপক্রম হয়েছে ৷”
হিনদের ছেলে গত হয়েছে আর সাথে গত ৩হয়েছে মর্যাদা ও মহানুভবতা, তারা দুগ্র জ্বনে একই
সাথে নিরাপদে একত্রীভুত হয়েছি ৷
৮ — এঠো
তিনি শ্যুভ্রাজ্জ্বল তার দােহইি দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়, মানুষের সাথে যদি তিনি বুদ্ধি ও
বিচক্ষণতার প্ৰতিদ্বন্দিত৷ করতেন, তাহলে তাদেরকে পরাভুত করতেন ৷




১ ইবনুল আহীরের আল-কামিলে (৪৯) এবং আত-তাবারীতে (৬১৮) এবং ইবনুল আছমে ণ্£;ঞ্জে রয়েছে ৷
রয়েছে ৷
৩ তাবাব্রী ইবনুল আহীর এবং ইবনুল আছমে এে;;৷ এর পরবর্তীতে ৷া১৷ রয়েছে ৷
৪ ইবনুল আহীর ও আলইকদৃল ফরীদে ;;ষ্;; এর পরিবর্তে ২;;
৫ ইবনুল আ ছমে ;া;)া৷; এর পরিবর্তো;;;া৷; শব্দ রয়েছে ৷ আর তাবারীও ইবনুল আহীরে কবিতা পঙ্ক্তিঢি
(নই
৬ ইবনুল আহীরে রয়েছো,ন্১ ণ্৷ প্ষ্ আর ইবনুল আছমে রয়েছে ধ্;) ন্া; স্৷ ,া৷,ন্; ১৷ :
৭ ইবনুল আহীরে রয়েছে ;ন্;;াষ্াব্ল ৷;গ্রা ;,; ৷;া£ আর ইবনুল আছমে রয্যেছা-মং ;);া; ৷ );; শ্রু,র; এর আর
আল-ইকদুল ফরীদে রয়েছে ৷; ;;;া;৷ঢ ৷;রু ৷ন্ধ্র এা;; আর তাবারীতে কবিতা পঙ্ক্তিটি নেই ৷
৮ ইবনুল-আছযেরয়েছে ৷;; ণ্ষ্প্>াশ্৷ ব্লু ষ্প্গ্রাম্বু;ধ্রু; ,া
রিঃ দ্রও এই পরিবর্তনে অর্থেও তেমন কোন পার্থক্য ঘটে নি ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া -৩৫


وَعَيْنَيْهِ وَأُذُنَيْهِ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ كَانَ ابْنُهُ يَزِيدُ غَائِبًا، فَصَلَّى عَلَيْهِ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ بَعْدَ صَلَاةِ الظُّهْرِ بِمَسْجِدِ دِمَشْقَ، ثُمَّ دُفِنَ فَقِيلَ: بِدَارِ الْإِمَارَةِ. وَهِيَ الْخَضْرَاءُ، وَقِيلَ: بِمَقَابِرِ بَابِ الصَّغِيرِ. وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ ثَمَانِيًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: جَاوَزَ الثَّمَانِينَ. وَهُوَ الْأَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَكِبَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فِي جَيْشٍ، وَخَرَجَ لِيَتَلَقَّى يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ يَزِيدُ بِحُوَّارِينَ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى ثَنِيَّةِ الْعُقَابِ تَلَقَّتْهُمْ أَثْقَالُ يَزِيدَ، وَإِذَا يَزِيدُ رَاكِبٌ عَلَى بُخْتِيٍّ وَعَلَيْهِ الْحُزْنُ ظَاهِرٌ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ النَّاسُ بِالْإِمَارَةِ، وَعَزَّوْهُ فِي أَبِيهِ، وَهُوَ يَخْفِضُ صَوْتَهُ فِي رَدِّهِ عَلَيْهِمْ، وَالنَّاسُ صَامِتُونَ لَا يَتَكَلَّمُ مَعَهُ إِلَّا الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ، فَانْتَهَى إِلَى بَابِ تُومَاءَ، فَظَنَّ النَّاسُ أَنَّهُ يَدْخُلُ مِنْهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَأَجَازَهُ مَعَ السُّورِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، فَقِيلَ: يَدْخُلُ مِنْهُ. لِأَنَّهُ بَابُ خَالِدٍ، فَجَازَهُ حَتَّى أَتَى الْبَابَ الصَّغِيرَ، فَعَرَفَ النَّاسُ أَنَّهُ قَاصِدٌ قَبْرَ أَبِيهِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى بَابِ الصَّغِيرِ تَرَجَّلَ عِنْدَ الْمَقْبَرَةِ، ثُمَّ دَخَلَ، فَصَلَّى عَلَى أَبِيهِ بَعْدَ مَا دُفِنَ، ثُمَّ انْفَتَلَ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنَ الْمَقْبَرَةِ أَتَى بِمَرَاكِبِ الْخِلَافَةِ، فَرَكِبَ، ثُمَّ دَخَلَ الْبَلَدَ، وَأَمَرَ فَنُودِيَ فِي النَّاسِ أَنِ الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. وَدَخَلَ الْخَضْرَاءَ، فَاغْتَسَلَ وَلَبِسَ ثِيَابًا حَسَنَةً، ثُمَّ خَرَجَ فَخَطَبَ النَّاسَ أَوَّلَ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَنَاءِ عَلَيْهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ عَبْدًا مِنْ عَبِيدِ اللَّهِ، أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَبَضَهُ إِلَيْهِ، وَهُوَ خَيْرٌ مِمَّنْ بَعْدَهُ، وَدُونَ مَنْ قَبْلَهُ، وَلَا أُزَكِّيهِ عَلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، هُوَ أَعْلَمُ بِهِ، إِنْ عَفَا عَنْهُ فَبِرَحْمَتِهِ، وَإِنْ عَاقَبَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৬


তিনি যা দুর্বল করে গেছেন লোকেরা শত চেষ্টাতেও তার মেরামত করতে পারবে না আর
তিনি যার মেরামত করে গেছেন লোকেরা তা দুর্বল করতে পারবে না ৷

এই কবিতা প্রসঙ্গে ইমাম শাফেয়ী মন্তব্য করে বলেন শেষোক্ত কবিতা পঙ্ক্তিদ্বয় ইয়াযীদ
করি তা ৷শার’ কাব্য থেকে উদ্ধৃত করেছে ৷ তব রার তিনি উল্লেখ করেন যে, সে৩ তার পিতার
মৃত্যুর পুর্বেই দড়ামেশৃকে আগমন করে এবং তিনি তাকে ওসীয়ত করেন ৷ এখানে উল্লেখ্য, যে,
ইবন ইসহাক এবং একাধিক ঐতিহাসিকের এইমত ৷ তবে অধির্কাৎশের মত হল ইয়াযীদ তার
পিতা ৷র মৃত্যুর পরই দামেশৃকে প্রবেশ করে এবং লোকজন নিয়ে তার কররে গিয়ে জানাযার
নামায আদায় করে ৷ যেমন আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জা নেন ৷ আবুল ওয়াবৃদ
আল আম্বা ৷রী হযরত মুআ ৷বিয়ার মৃত্যুশ্যেকে আবৃত্তি করেন-

১া৷

হার ! আমি যুআবিয়া বিন হারবের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করছি, যেমনভাবে ইহরামমুক্ত

ব্যক্তি পবিত্র মাস গত হওয়ায় ঘোষণা করে ৷

দুরের পথে পথে বিলাপকারিণীর তার মৃত্যু ঘোষণা করছে নত ৷রে যেন তারা

ঐ দেখ তারকারা সব নির্বাক, মহান নেতা মুআবিয়ার শোকে তারা মুহ্যমান ৷ আয়মানও বিন

খুরায়ম তার শোকগাথা বর্ণনা করেছেন
কালের আবর্তন হবৃব পরিবারের নারীদের এমন নির্ধারিত বিষয় দ্বারাছু আঘাত করেছে

যে, তারা তার সামনে হতভম্ব হতবুদ্ধি ৷ ন্

তা তাদের শুভ্রকেশ কৃষকােয় এবং দীপ্ত মুখমণ্ডলকে মলিন ও বিষাদক্লিষ্ট করেছে ৷
“ ;



তুমি হিন্দ ও রমলার কান্না দেখতে, যখন তারা শোকাভিভুত হয়ে গণ্ডদেশে চপেটাঘাত
করছিল ৷
তাহলে তুমি ঐ ৫রদনাহত বিলাপকারিণী মায়ের ন্যায় র্কাদতে ৷ যার একমাত্র ছেলে কালের
গ্রাসে পরিণত হয়েছে ৷



১ আল কালী রচিত আল আমালী গ্রন্থে (৩১ ১৫) এই কবিভ৷ পঙ্ক্তিগুলিকে করি কুমাইত বিন মারুফ আল-

আসাদীর বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷-

অর্থ দুঃখ রেদনা ৷

৩ আল আমালী এবং তারীখে ইবন আসাকির গ্রন্থে @ ১ প্১১ রয়েছে ৷ ন্

, ৪ আল আমালীতে রয়েছে ষ্া£ষ্ ১৷ আর ইবনুল আ ছমে রয়েছে মোঃ ;, ১ আর এসকল শব্দের পরিবর্তনে
অর্থে তেমন পরিবর্তন হয় না ৷

৫ আল আমালীতে রয়েছে (fl) হ্া,ন্ আর তারীখে ইবন আসাকিরে : ১১ ,া,£: হ্া, রয়েছে আর ইবনুল



فَبِذَنْبِهِ، وَقَدْ وَلِيتُ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ، وَلَسْتُ آسَى عَلَى طَلَبٍ، وَلَا أَعْتَذِرُ مِنْ تَفْرِيطٍ، وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ شَيْئًا كَانَ. وَقَالَ لَهُمْ فِي خُطْبَتِهِ هَذِهِ: وَإِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ يُغْزِيكُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ، وَإِنِّي لَسْتُ حَامِلًا أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ يُشَتِّيكُمْ بِأَرْضِ الرُّومِ، وَلَسْتُ مُشَتِّيًا أَحَدًا بِأَرْضِ الرُّومِ، وَإِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ يُخْرِجُ لَكُمُ الْعَطَاءَ أَثْلَاثًا، وَأَنَا أَجْمَعُهُ لَكُمْ كُلَّهُ. قَالَ: فَافْتَرَقَ النَّاسُ عَنْهُ وَهُمْ لَا يُفَضِّلُونَ عَلَيْهِ أَحَدًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ وَهُوَ مَرِيضٌ إِلَى ابْنِهِ يَزِيدَ، فَلَمَّا جَاءَهُ الْبَرِيدُ رَكِبَ وَهُوَ يَقُولُ: جَاءَ الْبَرِيدُ بِقِرْطَاسٍ يَخُبُّ بِهِ ... فَأَوْجَسَ الْقَلْبُ مِنْ قِرْطَاسِهِ فَزَعًا قُلْنَا لَكَ الْوَيْلُ مَاذَا فِي صَحِيفَتِكُمْ ... قَالَ الْخَلِيفَةُ أَمْسَى مُثْبَتًا وَجِعًا فَمَادَتِ الْأَرْضُ أَوْ كَادَتْ تَمِيدُ بِنَا ... كَأَنَّ أَغْبَرَ مِنْ أَرْكَانِهَا انْقَلَعَا ثُمَّ انْبَعَثْنَا إِلَى خُوصٍ مُضَمَّرَةٍ ... نَرْمِي الْفِجَاجَ بِهَا مَا نَأْتَلِي سُرَعًا فَمَا نُبَالِي إِذَا بَلَّغْنَ أَرْحُلَنَا ... مَا مَاتَ مِنْهُنَّ بِالْمَوْمَاةِ أَوْ ظَلَعَا
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৭
وَزَادَ غَيْرُهُ: لَمَّا انْتَهَيْنَا وَبَابُ الدَّارِ مُنْصَفِقٌ ... بِصَوْتِ رَمْلَةَ رِيعَ الْقَلْبُ فَانْصَدَعَا مَنْ لَا تَزَلْ نَفْسُهُ تُوفِي عَلَى شَرَفٍ ... تُوشِكُ مَقَادِيرُ تِلْكَ النَّفْسِ أَنْ تَقَعَا أَوْدَى ابْنُ هِنْدَ وَأَوْدَى الْمَجْدُ يَتْبَعُهُ ... كَانَا جَمِيعًا خَلِيطًا سَالِمَيْنِ مَعَا أَغَرُّ أَبْلَجُ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِهِ ... لَوْ قَارَعَ النَّاسَ عَنْ أَحْلَامِهِمْ قَرَعَا لَا يَرْقَعُ النَّاسُ مَا أَوْهَى وَإِنْ جَهِدُوا ... أَنْ يَرْقَعُوهُ وَلَا يُوهُونَ مَا رَقَعَا قَالَ الشَّافِعِيُّ: سَرَقَ يَزِيدُ هَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ مِنَ الْأَعْشَى. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ دَخَلَ قَبْلَ مَوْتِ أَبِيهِ دِمَشْقَ، وَأَنَّهُ أَوْصَى إِلَيْهِ. وَهَذَا قَدْ قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَلَكِنَّ الْجُمْهُورَ عَلَى أَنَّ يَزِيدَ لَمْ يَدْخُلْ دِمَشْقَ إِلَّا بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ، وَأَنَّهُ صَلَّى عَلَى قَبْرِهِ بِالنَّاسِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو الْوَرْدِ الْعَنْبَرِيُّ يَرْثِي مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَلَا أَنْعَى مُعَاوِيَةَ بْنَ حَرْبٍ ... نَعَاهُ الْحِلُّ لِلشَّهْرِ الْحَرَامِ نَعَاهُ النَّاعِجَاتُ بِكُلِّ فَجٍّ ... خَوَاضِعَ فِي الْأَزِمَّةِ كَالسِّهَامِ فَهَاتِيكَ النُّجُومُ وَهُنَّ خُرْسٌ ... يَنُحْنَ عَلَى مُعَاوِيَةَ الشَّآمِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৮

হযরত মুআবিয়ার ত্রী ও সতান-সম্ভতি

আবদুর রহমান নামে তার এক ছেলে ছিল ৷ তার নাম ধরেই তাকে আবদুর রহমান ডাকা
হত ৷ আরেক ছেলে ছিল আবদুল্লাহ ৷ সে ছিল কম বুদ্ধিসম্পন্ন ৷ এদের যা ছিল ফাখিতা বিনত
কৃরায৷ বিন আমর বিন নাওফাল বিন আবৃদ মানাফ ৷ তারপর তার বোন কানওয়াহ বিনত
কুবাযাকেও হযরত মুআবিয়া বিবাহ করেছিলেন যে সাইপ্রাস বিজয়কালে তার সাথে ছিল ৷
এছাড়া তিনি নাইলা বিনত উমারা আল-কালবিয়্যাহকেও বিবাহ করেন ৷৩ তার সৌন্দর্য তাকে
মুগ্ধ করে এসময় তিনি মায়সুন বিনত বাহদালকে বলেন, যাও, তােমার৷ চাচাতো বোনকে
দেখে আন ৷ এরপর যখন তাকে দেখে আসল, তখন তিনি তাকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করলেন, যে বলল, সে তো পরিপুর্ণ সৌন্দর্যের অধিকারিণী ৷ তবে আমি তার নাভির নীচে
একটি তিল দেখতে পেয়েছি ৷ আমার ধারণা তার স্বামী নিহত হবে এবং তার কোলে তার মাথা
রাখা হবে ৷ একথা শুনে হযরত মুআবিয়৷ তাকে তালাক দিয়ে দিলেন ৷৩ তারপর তাকে হাবীব
বিন মাসলাম৷ আল-ফিহিরী বিবাহ করেন, তারপর বিবাহ করেন আন নু যান বিন বশীর যিনি
পরবর্তীতে নিহত হন এবং তার মাথা তার (ত্রীর) কোলে রাখা হয় ৷

হযরত ঘুআবিয়ার সন্তানদের মাঝে ইয়াযীদ সৰ্বাধিক পরিচিতি ও প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ তার যা হল
মায়সুন বিনত বাহদাল বিন আনীফ বিন দুজালা বিন কুনাফা আল কালবী ৷ সে ই নাইলাকে দেখে এসে
হযরত মু আবিয়াকে তার সম্পর্কে মন্তব্য করেহ্নিা, সে ছিল বিচক্ষণ এবং তার সৌন্দর্য, নেতৃসুলভতা,
বুদ্ধিমত্তা ও ধার্মিকতা ছিল অসাধারণ ৷ একবার সঙ্গে এক থােজা খাদেম সাথে নিয়ে হযরত মু আবিয়া
তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন তখন সে তৎক্ষণাৎ তার আড়ালে গিয়ে বলল, আপনার সাথে এই ব্যক্তি
কে? তিনি বলেন, সে তো খোজা, তুমি সামনে আস ৷ সে বলল, আল্লাহ তার জন্য যা হারাম করেছেন
তার অঙ্গহানি তার জন্য তা বৈধ কংতে পারে না ৷ একথার পর হযরত ঘু আবিয়া তাকে (ঘোজ্যাক)

তার সামনে থেকে সরিয়ে নিলেন ৷ অন এক বর্ণনায় রয়েছে, যে তাকে বলল, শুধু আপনার অস্বীকার

করা তার জন্য এ বিষয়কে হালাল (বৈধ) করতে পারে না ৷ যা আল্লাহ তার জন্য হারাম করেছেন ৷
একারণেই (হয়তবা) আল্লাহ তার পর্ভ জাত হোল ইয়াযীদকে তার পিতার পর খিলার্ফত’ দান
করেছিলেন ৷ ইবন জারীর উল্লেখ ক্যরছেন এই নায়সুনের গর্ভে হযরত মু আবিয়ার এক কন্যা জন্মগ্নহণ
করেছিল তার নাম ছিল ষ্)া৷ ন্) ছু;৷ অর্থাৎ উদয়ালেসমুরুহ্ব প্রতিপালকের বাদী” সে শৈশবেই
মৃত্যুবরণ করে ৷

আর তার গর্ভজাত আরেক কন্যা হল রমলা ৷ হযরত উসমান (রা) এর ছেলে আমর তাকে
বিবাহ করেন ৷ দিমাশকে ষিকাকুরর রুম্মান’ পলি বরাবর আকাৰায়ে সামাক এর নিকট তার
বাড়ি ছিল ৷ ইবন আসাক্লির তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আরো বলেন, এখনও পর্যন্ত তার
একটি প্রসিদ্ধ যা৩ ৷কল রয়েছে ৷ আর হিন্দ বিন মুসারিয়াও ছিল তারই গর্ভজাত ৷ আবদুল্লাহ্
বিন আমির তাকে বিবাহ করেন ৷ জামে উমারির কাছে খায়ৱা নামক স্থানে তাকে যখন তার
(স্বামীর) একান্ত সাক্ষাতে পাঠানো হল ৷ তখন সে তাকে শারীরিকভাবে পেতে চইিল ৷ কিন্তু,



১ অথাৎআল-বিদায়ার গ্রস্থকার ইবন কানীর (র)-এর সময়কাল পর্যন্ত ৷

৫০ ৷ড়া



وَقَالَ أَيْمَنُ بْنُ خُرَيْمٍ يَرْثِيهِ أَيْضًا: رَمَى الْحِدْثَانُ نِسْوَةَ آلِ حَرْبٍ ... بِمِقَدْارٍ سَمَدْنَ لَهُ سُمُودَا فَرَدَّ شُعُورَهُنَّ السُّودَ بِيضَا ... وَرَدَّ وُجُوهَهُنَّ الْبِيضَ سُودَا فَإِنَّكَ لَوْ شَهِدْتَ بُكَاءَ هِنْدَ ... وَرَمْلَةَ إِذْ يُصَفِّقْنَ الْخُدُودَا بَكَيْتَ بُكَاءَ مُعْوِلَةٍ قَرِيحٍ ... أَصَابَ الدَّهْرُ وَاحِدَهَا الْفَرِيدَا [ذِكْرُ مَنْ تَزَوَّجَ مِنَ النِّسَاءِ وَمَنْ وُلِدَ لَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ] كَانَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَكَانَ ضَعِيفَ الْعَقْلِ، وَأُمُّهُمَا فَاخِتَةُ بِنْتُ قَرَظَةَ بْنِ عَبْدِ عَمْرِو بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، وَقَدْ تَزَوَّجَ بِأُخْتِهَا مُنْفَرِدَةً عَنْهَا بَعْدَهَا، وَهِيَ كَنُودُ بِنْتُ قَرَظَةَ، وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ مَعَهُ حِينَ افْتَتَحَ قُبْرُسَ، وَتَزَوَّجَ نَائِلَةَ بِنْتَ عُمَارَةَ الْكَلْبِيَّةَ، فَأَعْجَبَتْهُ، وَقَالَ لِمَيْسُونَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৩৯


যে তাকে বাধা দিল এবং কঠিনভারে অস্বীকার করল ৷ তখন আবদুল্লাহত তাকে চপেটাঘাত
করল ৷ আর তার আঘাতে সে চিৎকার করে উন্ঠল ৷ এদিকে তার সহচর বাদীরা যখন তার
চিৎকার শুনতে (পল ত খন৩ তারাও উচ্চস্বরে চিৎকার করল ৷ হযরত ঘুআবিয়া তাদের চিৎকার
শুনে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, কি ব্যাপার? তারা বল০ ৷ , আমরা আমাদের সায়িদাের চিৎকার
শুনতে পেয়েছি, তাই আমরা চিৎকার করেছি ৷ তখন তিনি ভেতরে প্রর্বেশ্৷ করে দেখতে পেলেন
তার কন্যা স্বামীর চপেটাঘাদুতর কারণে র্কাদছে ৷ এ অবস্থা দেখে তিনি ইবন আমিবকে
বললেন পােউঃ৷ কপাল তোমার ! এর মত দুমদুয়দুক এমন বাদুত এভাবে কেউ চপেট্াঘাত করো
এরপর তিনি তাকে বলেন এখন তুমি এখান থেকে (বের হয়ে) যাও ৷ ইবন আমির তখন
বেরিয়ে আসল আর মুআবিয়া (রা)৩ তার কন্যার সাথে একাকী থাকলেন, তিনি তাকে জিজ্ঞা ৷সা
করলেন বাছা৷ সে তো তোমার ৰিখ্যিম্মেত গতি, যাকে আল্লাহ্ তোমার জন্যে হালাল ও বৈধ
করেছেন ৷ তুমি কি কবির এই পঙ্ক্তি গােন নি
ঠুপ্রুণ্
লজ্জাশীলা সুন্দরী তারা অবৈধ কিছুতে তাব৷ কঠিন কিন্তু বৈধ বিযদুয়’ অনুগত৷
এরপর হযরত যুআবিয়া তার কাছ থেকে বের হয়ে এসে তার স্বামীদুক বলেন, যাও ৷
দুতামার জন্যে তার আচরণদুক কোমল ও উপযোগী করে এসেছি ৷ ইবন আমির তার কাছে
গিয়ে দুদখল, তার স্বভাব ও আচরণ তার অনুকুল ৷ যে তার থেকে তার শারীরিক প্রয়োজন
পৃরণ করল ৷ আল্লাহ্ তাদের সকলকে রহম করুন ৷ ,
হযরত মুআ ৷বিয়ার কাষীর দায়িত্বে ছিলেন হযরত ৩উমর (রা) এর নিয়ােগকৃত আবুদ দারদা
(রা) ৷ যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হল, তিনি সৃআবিয়া (রা) কে ফুযালা বিন ওয়াদকে কাযী
নিয়ােদুগর পরামর্শদিলেন ৷ তারপর ফুযালার মৃতু ৷ হলে৩ তিনি আবু ইদরিস আল খাওনীকে
তার কাযী নিয়োগ করেন ৷ তার প্রহরী প্রধান ছিল ফৌনক আযাদকৃ৩ দাস যার নাম ছিল
মুখতার ৷ কারো মতে মালিক ৷৩ তার উপনাম ছিল আবুল মাখারিক (যে বনু হিমদুয়রের মাওলা
াছল) হযরত মু আবিয়াই সর্বপ্রথম প্রহরী ও দেহরক্ষী গ্রহণ করেন ৷৩ তার প্রধান দ্বারর ক্ষী ছিল
তার আযাদ কৃত গোলাম সাদ, আর তার সিপাহী প্রধান ছিল কায়স বিন হাময৷ ৷ তারপর
যুমাইল বিন আমর আল উযারী ৷৩ তারপর আয্যাহ্হাক বিন কায়স আল ফিহিরী আর তার
একান্ত সহকারী ছিল সিরজাওন বিন মানসুর আর রুমী ৷ হযরত মুআবিয়৷ হলেন, প্রথম
মুসলিম প্রশাসক ৷ যিনি মোহরযুক্ত নথি সংরক্ষণ করেন নথিপত্র সীল মােহ্ৰ্ যুক্ত করার বিধি
প্রণ্’হ্ান করেন ৷২
আরও যারা এবছর অর্থাৎ ষাট হিজরীতে মারা যান বলে উল্লেখ রয়েছে, তাদের মধ্যে
সফ্ওয়ান ইবনুল মুআত্তা ল বিন রুখসাহ বিন আল মুআম্মাল বিন খুযাঅ৷ আবু আমর অন্যতম ৷



১ আবু যার আ আদ দিমাশকী বলেন, ফুযালার পরে আসেন নু মান বিন বশির আল-আনসারী ৷ তারপর বেলাল
বিন তা৷বুদ দারদা আল আনসারী ৷ তিনি ষাট হিজরীতে হযরত মুআবিয়া (রা) এর মৃত্যু পর্যন্ত স্বপদে বহাল
ছিলেন ৷ দেখুন পিয়ারু আল৷ মিন নুবাল৷ ২২৪ ১ আল ইসাৰা ৩৫৫৯ ৷

তাবারীদুত ( ৬১৮৪ ) এবং আল কামিলে ৪১ ১ রয়েছে আর তিনি চিঠি পত্রাদি একত্রে সপ্ রক্ষণ করেন যা
ইতিপুর্বে করা হত না ৷ আর দিওয়ানৃন খাতাম অনেকটা নথি সংরক্ষণ বিভাগের না৷য় ৷ দেখুন, আল আওয়াইল
১১৫৭ এই নর্থি সংরক্ষণ বিভাগের জন্য হযরত মুআবিয়া কয়েকজন তত্ত্বাবধ্ারক নিয়োগ দিয়েছিলেন,
তাদের অন্যতম হলেন আবদুল্লাহ বিন মৃহ্সিন আল হিময়ারী ৷ কাদুর৷ মতে, উবায়দ বিন আওস আল পাস্াসানী
এ ১ তাবারী ৬:১৮৪ আল কামিল ৪১ ১ খলীফা বিন খায়্যাব ২২৮ পৃন্তু দ্রষ্ক ৷


بِنْتِ بَحْدَلٍ: ادْخُلِي فَانْظُرِي إِلَى ابْنةِ عَمِّكِ، فَدَخَلَتْ فَسَأَلَهَا عَنْهَا، فَقَالَتْ: إِنَّهَا لَكَامِلَةُ الْجَمَالِ، وَلَكِنْ رَأَيْتُ تَحْتَ سُرَّتِهَا خَالًا، وَإِنِّي لَأُرَى هَذِهِ يُقْتَلُ زَوْجُهَا، وَيُوضَعُ رَأْسُهُ فِي حِجْرِهَا. فَطَلَّقَهَا مُعَاوِيَةُ فَتَزَوُّجَهَا بَعْدَهُ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيُّ، ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا بَعْدَهُ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، فَقُتِلَ وَوُضِعَ رَأْسُهُ فِي حِجْرِهَا. وَمِنْ أَشْهَرِ أَوْلَادِهِ يَزِيدُ، وَأُمُّهُ مَيْسُونُ بِنْتُ بَحْدَلِ بْنِ أُنَيْفِ بْنِ دُلْجَةَ بْنِ قُنَافَةَ الْكَلْبِيِّ، وَهِيَ الَّتِي دَخَلَتْ عَلَى نَائِلَةَ، فَأَخْبَرَتْ مُعَاوِيَةَ عَنْهَا بِمَا أَخْبَرَتْهُ، وَكَانَتْ حَازِمَةً عَظِيمَةَ الشَّأْنِ جَمَالًا وَرِيَاسَةً وَعَقْلًا وَدِينًا، دَخَلَ عَلَيْهَا مُعَاوِيَةُ يَوْمًا وَمَعَهُ خَادِمٌ خَصِيٌّ، فَاسْتَتَرَتْ مِنْهُ، وَقَالَتْ: مَا هَذَا الرَّجُلُ مَعَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ خَصِيٌّ، فَاظْهَرِي عَلَيْهِ. فَقَالَتْ: مَا كَانَتِ الْمُثْلَةُ لِتُحِلَّ لَهُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ. وَحَجَبَتْهُ عَنْهَا. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ: إِنَّ مُجَرَّدَ مُثْلَتِكَ لَهُ لَنْ تُحِلَّ مَا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ وَلِيَ ابْنُهَا يَزِيدُ الْخِلَافَةَ بَعْدَ أَبِيهِ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ مَيْسُونَ هَذِهِ وَلَدَتْ لِمُعَاوِيَةَ بِنْتًا أُخْرَى يُقَالُ لَهَا: أَمَةُ رَبِّ الْمَشَارِقِ. مَاتَتْ صَغِيرَةً. وَرَمْلَةُ، تَزَوَّجَهَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، كَانَتْ دَارُهَا بِدِمَشْقَ عِنْدَ عَقَبَةِ السَّمَكِ تُجَاهَ زُقَاقِ الرُّمَّانِ. قَالَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، قَالَ: وَلَهَا طَاحُونٌ مَعْرُوفَةٌ إِلَى الْآنَ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৪০
وَهِنْدُ بِنْتُ مُعَاوِيَةَ، تَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، فَلَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بِالْخَضْرَاءِ، أَرَادَهَا عَنْ نَفْسِهَا فَتَمَنَّعَتْ عَلَيْهِ، وَأَبَتْ أَشَدَّ الْإِبَاءِ، فَضَرَبَهَا فَصَرَخَتْ، فَلَمَّا سَمِعَ الْجَوَارِيَ صَوْتَهَا صَرَخْنَ وَعَلَتْ أَصْوَاتُهُنَّ، فَسَمِعَ مُعَاوِيَةُ، فَنَهَضَ إِلَيْهِنَّ، فَاسْتَعْلَمَهُنَّ مَا الْخَبَرُ، فَقُلْنَ: سَمِعْنَا صَوْتَ سَيِّدَتِنَا فَصِحْنَا. فَدَخَلَ فَإِذَا بِهَا تَبْكِي مِنْ ضَرْبِهِ، فَقَالَ لِابْنِ عَامِرٍ: وَيْحَكَ! مِثْلُ هَذِهِ تُضْرَبُ فِي مِثْلِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ؟ ! ثُمَّ قَالَ لَهُ: اخْرُجْ مِنْ هَاهُنَا. فَخَرَجَ وَخَلَا بِهَا مُعَاوِيَةُ فَقَالَ لَهَا: يَا بُنَيَّةُ، إِنَّهُ زَوْجُكِ الَّذِي أَحَلَّهُ اللَّهُ لَكِ، أَوَ مَا سَمِعْتِ قَوْلَ الشَّاعِرِ: مِنَ الْخَفِرَاتِ الْبِيضِ أَمَّا حَرَامُهَا ... فَصَعْبٌ وَأَمَّا حِلُّهَا فَذَلُولُ ثُمَّ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ مِنْ عِنْدِهَا، وَقَالَ لِزَوْجِهَا: ادْخُلْ فَقَدْ مَهَّدْتُ لَكَ خُلُقَهَا وَوَطَّأْتُهُ، فَدَخَلَ ابْنُ عَامِرٍ، فَوَجَدَهَا قَدْ طَابَتْ أَخْلَاقُهَا، فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا، رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى. [فَصَلُ مَنِ اتَّخَذَهُمْ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْقَضَاءِ وَالْحِرَاسَةِ وَالْحِجَابَةِ وَالشُّرْطَةِ] فَصْلٌ (فِيمَنِ اتَّخَذَهُمْ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْقَضَاءِ وَالْحِرَاسَةِ وَالْحِجَابَةِ وَالشُّرْطَةِ) وَكَانَ عَلَى قَضَاءِ مُعَاوِيَةَ فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثُمَّ مَاتَ فَضَالَةُ فَوَلَّى أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيَّ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৪১


তার প্রথম যুদ্ধাভিযান হল আল মুরায়সী ৷ এসময় তিনি আসসাকাতে অবস্থান করছিলেন ৷
তিনিই ঐ ব্যক্তি যাকে উড়িয়ে অপবাদ আরােপকাবীরা উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা)-
এর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করেছিল ৷ তারপর আল্লাহ তাদের উভয়কে নির্দোষ ও
পবিত্র ঘোষণ ৷ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন মুসলমানগণের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তার ’ ঘুম ছিল
অত্যন্ত গভীর ৷ এমনকি, সুর্য উদিত হয়ে গায়ে সুর্যতাপ লাণলেও তার ঘুম তা ঙত না ৷ তাই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলেছিলেন, যখন তুমি ঘুম থেকে জাগবে তখন নামায পড়ে নিও ৷
হযরত সাফওয়ান ঘাতকদের হাতে শ্ ৷হীদ হন ৷

আবুমুসলিম আল খাওলানী

তার নাম আবদ বিন ছুওয়াব আল খাওলানী ৷ ইয়ামানের খাওলান গোত্রের সদস্য ৷ ভণ্ড ও
মিথ্যা নবুওয়াভ্রুত তর দাবীদার আল আসওয়াদ আল আনাসী তাকে তার রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার
জন্যে আহ্বান করে রলেছিল, তুমি কি সাক্ষ্য দিয়ে থাক আমি আল্লাহর রাসুল?৩ তিনি বলেন,
আমি শুনি না ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ তখন সে তার অগ্নিকুণ্ড
প্রস্তুত করে তাকে তাতে নিক্ষেপ করল, কিন্তু তা তার কোন ক্ষতি করতে পারল না এবং আল্লাহ

তাকে সেই আগুন থেকে উদ্ধার করলেন ৷ উল্লেখিত কারণে তাকে ইবরাহীম খলীলের সাথে
তুলনা করা হত ৷ এরপর তিনি যখন হিজরত করে মদীনায় পৌছেন তখন দেখতে পান,
ইতিমধ্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ওফাত হয়েছে ৷ তখন তিনি হযরত আবু বকর (রা)-এর কাছে
আগমন করেন ৷ তিনি তাকে তার ও উমরের মাঝখানে বসালেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে
উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রশং সা আল্লাহর, যিনি আমাকে মৃত্যুর পুর্বে উম্মতে মুহাম্মাদীর মাঝে এমন
ব্যক্তির দর্শন দান করেছেন, যার সাথে হযরত ইবরাহীমের ন্যায় আচরণ করা হয়েছে ৷ এরপর
তিনি তার দু চোখের মাঝে (কপালে) চুযু খেলেন ৷৩ তার অনেক কারামতের কথা বর্ণিত আছে ৷
আল্লাহ্ তাআলা অধিক জানেন ৷ এবছরেই আন নুমান বিন বশীর ইস্তিকাল করেন ৷ কিন্তু,
অধিক গ্রহণযোগ্য মত হল এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন ৷ যেমনটি ইনশাআল্লাহ্ সামনে আসছে ৷

ইয়াযীদ বিন মুআবিয়া এবং তার শাসনকালের ঘটনাবলী

তার মৃত্যুর পর ষাট হিজরীর রজব সালে তার অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ তার
জন্মকাল ছিল ছাব্বিশ (২৬) হিজরী ৷ সেই হিসেবে যায় তাতে কালে তার বয়স ছিল চৌত্রিশ
বছর ৷ বিভিন্ন অঞ্চলে সে৩ তার পিতার নিয়ােগকৃত সকল প্রশাসক বা নায়েবকে বহাল রাখে
তাদের একজনকেও পদচ্যুত করে নি ৷ নিঃসন্দেহে এটা তার বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতার
পবিচায়ক ৷ আল খালবী আবু মুখানৃনাফ লুত বিন আল কুফী থেকে আল আখবারীতে বলেন, ষাট
হিজরীর রজব মাসের শুরুর দিকেই ইয়াযীদ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ এসময় পবিত্র
মদীনায় প্রশাসক আল ওয়ালীদ বিন উত্ব৷ বিন আবু সুফিয়ান, কুফার প্রশাসক আন নুমান বিন
বশীর, বসরার প্রশাসক উবায়দৃল্লাহ্ বিন যিয়াদ, “পবিত্র মক্কার প্রশাসক আমর ইবনুল সারিদ ইবনুল
আস ৷ খিলাফৰু তের দায়িত্বঘহণ কালে ইযাযীদের একমাত্র জ্যি৷ হ্নিাঐ এদলের আনুগত্যের-
বায়আত যারা ইযাযীদের অনুকুলে হযরত মুআবিয়ার কাছে বায়আত করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছিলেন ৷ তাই সে পবিত্র মদীনায় প্রশাসক আল ওয়ালিদ বিন উত্বাকে লিখে পাঠাল ৷ ’



১ আল ইনাম৷ ওয়াস সিয়াসাহতে ( ১২০৪ ) ওয়ালীদ বিন উত্বার পরিবর্তে খালিদ ইবনুল হাকাম রয়েছে ৷


وَكَانَ عَلَى حَرَسِهِ رَجُلٌ مِنَ الْمَوَالِي يُقَالُ لَهُ: الْمُخْتَارُ. وَقِيلَ: مَالِكٌ. وَيُكَنَّى أَبَا الْمُخَارِقِ، مَوْلًى لِحِمْيَرَ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَوَّلَ مَنِ اتَّخَذَ الْحَرَسَ، وَكَانَ عَلَى حُجَّابِهِ سَعْدٌ مَوْلَاهُ، وَعَلَى الشُّرْطَةِ قَيْسُ بْنُ حَمْزَةَ، ثُمَّ زِمْلُ بْنُ عَمْرٍو الْعُذْرِيُّ، ثُمَّ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الْفِهْرِيُّ، وَكَانَ صَاحِبَ أَمْرِهِ سَرْجُونُ بْنُ مَنْصُورٍ الرُّومِيُّ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ أَوَّلَ مَنِ اتَّخَذَ دِيوَانَ الْخَاتَمِ وَخَزْمِ الْكُتُبِ. [فَصْلُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] وَمِمَّنْ ذُكِرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتِّينَ - صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ بْنِ رَحَضَةَ بْنِ الْمُؤَمَّلِ بْنِ خُزَاعِيٍّ، أَبُو عَمْرٍو، وَأَوَّلُ مَشَاهِدِهِ الْمُرَيْسِيعُ، وَكَانَ فِي السَّاقَةِ يَوْمَئِذٍ، وَهُوَ الَّذِي رَمَاهُ أَهْلُ الْإِفْكِ بِأُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَبَرَّأَهُ اللَّهُ وَإِيَّاهَا مِمَّا قَالُوا، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانَ يَنَامُ نَوْمًا شَدِيدًا حَتَّى إِنَّهُ كَانَ رُبَّمَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ وَهُوَ نَائِمٌ لَا يَسْتَيْقِظُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِذَا اسْتَيْقَظْتَ فَصَلِّ» ". وَقَدْ قُتِلَ صَفْوَانُ شَهِيدًا.
পৃষ্ঠা - ৬৬৪২

হযরত হুসায়ন বিন আলী (না)-এর বৃত্তান্ত খিলাফত্বের
দাবীতে তার মক্কা ত্যাগ এবং শাহ ৷দত লাভ

শুরুতৈ তার জীবন বৃত্তান্তের কিছুটা আলোচনা করা যাক ৷ এরপর আমরা তার
ফষীলতসমুহ ও গুণাগুণ আলোচনা করব ৷ তািন হলেন হুসায়ন বিন আলী বিন আবদুল
মুওালিব বিন হিশাম আল কুরায়শী আল হাশেযী ৷ তার উপনাম আবদুল্লাহ্ ৷ রাসুল কন্যা
ফাতিমাতুয যাহ্রা এর ছেলে কারবালার শহীদ দৌহিত্র ৷ দুনিয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ণুষ্পকলি ৷ সহরুদা৷র হাসান (রা) এর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর হাসান (রা) জন্মগ্রহণ

হল একমাদিক(রজস্রোব থেকে ,প্াবিত্রতাংপু৷ সময়) এবং পর্ভধারণ কাল ৷ ঢ়তুর্থ ইিজয়ীর শৃ৷ বান
মাসের ছয় তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ কাতাদ৷ বলেন, হিজরী সন শুরুর ছুর ;হুর সাড়ে
পড়াচ মাসের মাথায় হুস্ায়ন (রা) জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর চুয়ান্ন বছর সাড়ে ছয় মাস বয়সে
একষট্টি হিজরীর মুহাররমের দশ তারিখ আশুরার দিন শুত্রুবাচু র তিনি শাহাদত প্রাপ্ত হন ৷
আল্লাহ পাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ ,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি তাহ্নীক’ করেছেন, অর্থাৎ জন্মের পরপর
দোয়ার উদ্দেশ্যে ৩ার থুতনী চলে দিয়েছেন এবং মুখে লালা দিয়েছেন, তার জন্য দু আ
করেছেন এবং হুসায়ন নাম রেখেছেন ৷ আর এর পুর্বেই তার পিতা নাম হারব রেখেছিলেন,
মতাম্ভরে জা ফর ৷ আবার কেউ বলে তিনি সপ্তম দিনে ৩ার নাম রেখেছিলেন এবং আকীকা
করেছেন ৷ একদল বর্ণনাকারী ইসরাঈল থেকে, তিনি আবু ইসহাক থেকে,৩ তিনি হানি বিন হানি
থেকে, তিনি আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (আলী (রা) বলেন, শরীরের বুক থেকে
মাথা পর্যন্ত অ০ শে হযরত হাসান ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ আর এর
নীচের অংশে হুসায়ন (রা) ছিলেন অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷

যুবায়র বিন বাক্কার বলেন, আমাকে মুহাম্মদ বিন যাহ্হাক আল হিযামী ব০নাি করেছেন,
তিনি বলেন, হযরত হাসানের মুখাবয়ব রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর মুখাবয়বের সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ছিল
আর হযরত হুসায়নের দেহাকৃতি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ ছিল ৷ মুহাম্মদ বিন
শিরিন ও তার বোন হাফসা হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইবন
যিয়াদের কাছে ছিলাম, এমন সময় হযরত হুসায়নের মাথা নিয়ে আসা হল ৷ তখন সে একটি
দণ্ড তার নাকে ঠেকিয়ে বলতে লাগল, এমন সুগঠিত ও সুন্দর নাসিক৷ আমি আর দেখি নি ৷
তখন আমি তাকে বললাম, সকলের মাঝে তিনিই ছিলেন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে সবচেয়ে
সাদৃশ্যপুর্ণ দেহাকৃতির অধিকারী ৷ সুফিয়ান বলেন, (একবার) আমি উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদকে
জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি হুসায়নকে দেখেছ? সে বলল, ছুা৷ র্তীকে দেখেছি ৷ সামনের



১ আল ইসতিয়াব গ্রন্থে কাতাদা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, হযরত হুসায়ন হযরত হাসানের একবছর
দশমাস পর জনাগহণ করেন ৷ ইিজরী সন শুরুর পাচ বছর ছয় মাসের মাথায় ৷ হাযিশুল ইসাবা-(১৩৭৮) ৷
২ তিরমিযী শরীফ কিতাবুল মানাকিব হাদীস নং (৩ ৭ ৭৯)-৫৬৬০) মুসনাদে আহমদ ১৯০ ৷


وَأَبُو مُسْلِمٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثُوَبٍ الْخَوْلَانِيُّ الْيَمَنِيُّ مِنْ خَوْلَانَ بِبِلَادِ الْيَمَنِ. دَعَاهُ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ إِلَى أَنْ يَشْهَدَ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ: لَا أَسْمَعُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَأَجَّجَ لَهُ نَارًا، وَأَلْقَاهُ فِيهَا، فَلَمْ تَضُرَّهُ، وَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ، فَكَانَ يُشَبَّهُ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، ثُمَّ هَاجَرَ فَوَجَدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَاتَ، فَقَدِمَ عَلَى الصِّدِّيقِ، فَأَجْلَسَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُمَرَ، وَقَالَ لَهُ عُمَرُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يُمِتْنِي حَتَّى أَرَانِي فِي أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فُعِلَ بِهِ كَمَا فُعِلَ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَقَبَّلَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَكَانَتْ لَهُ أَحْوَالٌ وَمُكَاشَفَاتٌ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِيهَا النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالْأَظْهَرُ أَنَّهُ مَاتَ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [إِمَارَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَمَا جَرَى فِي أَيَّامِهِ مِنَ الْحَوَادِثِ وَالْفِتَنِ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَبِيهِ فِي رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ، فَكَانَ يَوْمَ بُويِعَ ابْنَ أَرْبَعٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، فَأَقَرَّ نُوَّابُ أَبِيهِ عَلَى الْأَقَالِيمِ، لَمْ يَعْزِلْ أَحَدًا مِنْهُمْ، وَهَذَا مِنْ ذَكَائِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৩


কয়েকটি দাড়ি ব্যাভীত তার সমস্ত চুল দাড়ি কাবুলা ৷ আর অ মি জানি না, তিনি কি বুখজাব
ব্যবহার করার পর রাসুলুহ্রাহ্ (স ) এর সাথে সাদৃশ্যের জন্য ঐ স্থানটি ছেড়ে দিয়েছিলেন
নাকি ঐ কয়েকটি দাড়ি হুাড়া তার আর কোন চুলশ্দাড়ি সাদা হয় নি ৷ ইবন যুবায়র বলেন,
আমি উমর বিন আতাবুক বলতে শুবুনছি, আমি হুসায়ন বিন আলীবুক বুখজাব লাপাবুত
দেখেছি ৷ আর তার বয়স ছিল যা ট বছর কিন্তু তার চুল-দাড়ি ছিল ঘন কাবুলা ৷ আর দু’টি দুর্বল
সুত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (স ) এর মৃত্যু শয্যায় হযরত ফাতিমা (রা)৩ তার দুই
পুত্রবুক কিছু দেয়ার আবেদন করেছিলেন তা সঠিক নয় ৷ নির্ভরবুযাগ্য কোন হাদীস গ্রন্থে এর
অন্তিতু নেই ৷ হযরত হুসায়ন (রা) নবী করীম (সা)-বুকৰু পাচ বছরের মত জীবিত পেয়েছিলেন
এবং তিনি তাৱ থেকে কয়েকটি হাদীস বংনিা করেছেন ৷ ইমাম ঘুসাহ্নি ম বলেন, তিনি (হুসায়ন
(রা)) রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দর্শন লা ও করেছেন ৷ সালিহ বিন আহমদ বিন স্থানে তার পিতার
উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলেন, এটা অদ্ভুত বিষয় ৷ কেননা, হযরত হুসায়বুনর ব্যাপারে তার একথা বলা
যে, তিনি তাবুবঈ অধিক যুক্তিসঙ্গত ৷

এখন আমরা উল্লেখ করব, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুদর দু’জনবুক কিভাবে ভালবসাবুতন এবং
তাদের প্রতি স্নেহবাৎসল্য ও মায়া-মমতা প্রকাশ করতেন ৷ আর এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে,
হযরত হুসায়ন (রা) বাসুলুল্লাহ্ (সা) বুক জীবিত পেয়েছেন এবং ওফাত পর্যন্ত তার সাহচর্য
লাভ করেছেন এবং বৃতুকাে লে তিনি ৩ার প্রতি প্রসন্ন ছিলেন ৷৩ তবুব এসময় তিনি ছোট ছিলেন ৷
এছাড়া হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) তাবুক শ্রদ্ধা সম্মান করতেন ৷ তদ্র্যপ হযরত উমর ও
উসমান (রা)ও ৷ আর তিনি তার পিতা আালী (রা) এর সাহচর্য পেয়েছেন এবং তার কাছ থেকে
হাদীস বপনা করেছেন ৷ পিতার সকল যুদ্ধাভিযানে জামাবুল, সিফ্ফীনে তার সাথে ছিলেন ৷

মানুষের মাঝে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র ছিলেন ৷৩ তার পিতার শাহাদতকাল পর্যন্ত
তিনি তার অনুগত ছিলেন ৷ তারপর যখন তার ভাইবুয়র খিলাফত লাভের সম্ভাবনা দেখা
দিল ৷ আর তিনি সন্ধি করতে চড়াইবুলন, তখনো তার জন্য বিষয়টি মেনে নেয়া কঠিন হলো
এবং তিনি এক্ষেত্রে তার ভাইয়ের সিদ্ধান্তবুক সঠিক বলে মেনে নিতে পারলেন না ৷ বরং তিনি
তাকে শামবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ তখন হযরত হাসান (রা)
বললেন, আল্লাহর কসম ! আমার ইচ্ছা হয়েছে খিলাফবুতর এই বিষয় থেকে অবসর হওয়া
পর্যন্ত তোমাকে গৃহবন্দী করে রাখি ৷ ভাইয়ের এ অবস্থা দেখে হযরত হুসায়ন (রা) চুপ
হলেন এবং মেনে নিলেন ৷ এরপর যখন মুআবিয়া (রা)-এর খিলাফত সুস্থিত হল তখন
হযরত হুসায়ন (বা) তার ভাই হযরত হাসান ( রা) এর সাথে তার কাছে আসা যাওয়া
করতেন ৷ আর হযরত মু আবিয়াও তাদের দু’ জনকে উপযুক্ত অতিরিক্ত সমাদরও করতেন ৷

তাদেরকে সুাগতম ও অভিনন্দন ওানাতেন এবং প্রচুর হাদিয়া প্রদান করতে তন ৷ একদিন

তিনি ৩ ৷বুদর দু জনকে দুই লক্ষ দিরহাম প্রদান করে বললেন, হিনৃদের ছেলের পক্ষ থেকে
তোমরা তা গ্রহণ কর ৷ আল্লাহর কসম ! আমার পুর্বে বা পরে কেউ তােমাবুদরবুক এমনভাবে
দিয়ে না ৷ তখন হুসায়ন (বা) বললেন, আল্লাহর কসম ৷ আপনি এবং আপনার পুর্বে ও পরে
কেউ আমাদের চেয়ে উত্তম কাউবুক দিতে পারবে না ৷

হযরত হাসাবুনর মৃত্যুর পর হযরত হুসায়ন প্রতিবছর তার অনুসারীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে
হযরত মুআবিয়ার কাছে যেবুতন এবং তার যথাযথ সমাদর ও কদর করতেন এবং হ দিয
প্রদান করবুতন ৷ একা ন্ন হিজবীবুত তিনি ইয়াষীদ বিন মৃ আবিয়ার বুনতৃবুতৃ কনসট্যান্টিনােপাল


قَالَ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى الْكُوفِيِّ الْأَخْبَارِيِّ: وَلِيَ يَزِيدُ فِي هِلَالِ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَأَمِيرُ الْمَدِينَةِ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَمِيرُ الْكُوفَةَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، وَأَمِيرُ الْبَصْرَةِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَأَمِيرُ مَكَّةَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَلَمْ يَكُنْ لِيَزِيدَ هِمَّةٌ حِينَ وَلِيَ إِلَّا بَيْعَةُ النَّفَرِ الَّذِينَ أَبَوْا عَلَى مُعَاوِيَةَ الْبَيْعَةَ لِيَزِيدَ، فَكَتَبَ إِلَى نَائِبِ الْمَدِينَةِ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ يَزِيدَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، أَكْرَمَهُ اللَّهُ وَاسْتَخْلَفَهُ وَخَوَّلَهُ وَمَكَّنَ لَهُ، فَعَاشَ بِقَدَرٍ، وَمَاتَ بِأَجَلٍ، فَرَحِمَهُ اللَّهُ، فَقَدْ عَاشَ مَحْمُودًا، وَمَاتَ بَرًّا تَقِيًّا، وَالسَّلَامُ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ فِي صَحِيفَةٍ كَأَنَّهَا أُذُنُ الْفَأْرَةِ: أَمَّا بَعْدُ، فَخُذْ حُسَيْنًا وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ بِالْبَيْعَةِ أَخْذًا شَدِيدًا لَيْسَتْ فِيهِ رُخْصَةٌ حَتَّى يُبَايِعُوا، وَالسَّلَامُ. فَلَمَّا أَتَاهُ نَعْيُ مُعَاوِيَةَ فَظِعَ بِهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِ، فَبَعَثَ إِلَى مَرْوَانَ، فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَاسْتَشَارَهُ فِي أَمْرِ هَؤُلَاءِ النَّفَرِ، فَقَالَ: أَرَى أَنْ تَدْعُوَهُمْ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا بِمَوْتِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَإِنْ أَبَوْا ضُرِبَتْ أَعْنَاقُهُمْ. فَأَرْسَلَ مِنْ فَوْرِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ إِلَى الْحُسَيْنِ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَهُمَا فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ لَهُمَا: أَجِيبَا الْأَمِيرَ. فَقَالَا: انْصَرِفِ، الْآنَ نَأْتِيهِ. فَلَمَّا انْصَرَفَ عَنْهُمَا قَالَ الْحُسَيْنُ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: إِنِّي أَرَى طَاغِيَتَهُمْ قَدْ هَلَكَ. قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: وَأَنَا مَا أَظُنُّ غَيْرَهُ. قَالَ: ثُمَّ نَهَضَ حُسَيْنٌ فَأَخَذَ مَعَهُ مَوَالِيَهُ، وَجَاءَ بَابَ الْأَمِيرِ، فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنَ لَهُ، فَدَخَلَ وَحْدَهُ، وَأَجْلَسَ مَوَالِيَهُ عَلَى الْبَابِ، وَقَالَ: إِنْ سَمِعْتُمْ أَمْرًا يُرِيبُكُمْ فَادْخُلُوا. فَسَلَّمَ وَجَلَسَ وَمَرْوَانُ عِنْدَهُ، فَنَاوَلَهُ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ الْكِتَابَ، وَنَعَى إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৪
مُعَاوِيَةَ، فَاسْتَرْجَعَ وَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ مُعَاوِيَةَ، وَعَظَّمَ لَكَ الْأَجْرَ. فَدَعَاهُ الْأَمِيرُ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: إِنَّ مِثْلِي لَا يُبَايِعُ سِرًّا، وَمَا أَرَاكَ تَجْتَزِئُ مِنِّي بِهَذَا، وَلَكِنْ إِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ دَعَوْتَنَا مَعَهُمْ، فَكَانَ أَمْرًا وَاحِدًا. فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ وَكَانَ يُحِبُّ الْعَافِيَةَ: فَانْصَرِفْ عَلَى اسْمِ اللَّهِ حَتَّى تَأْتِيَنَا فِي جَمَاعَةِ النَّاسِ. فَقَالَ مَرْوَانُ لِلْوَلِيدِ: وَاللَّهِ لَئِنْ فَارَقَكَ وَلَمْ يُبَايِعِ السَّاعَةَ، لَيَكْثُرَنَّ الْقَتْلُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ، فَاحْبِسْهُ وَلَا تُخْرِجْهُ حَتَّى يُبَايِعَ، وَإِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ. فَنَهَضَ الْحُسَيْنُ وَقَالَ: يَابْنَ الزَّرْقَاءِ، أَنْتَ تَقْتُلُنِي؟ ! كَذَبْتَ وَاللَّهِ وَأَثِمْتَ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى دَارِهِ، فَقَالَ مَرْوَانُ لِلْوَلِيدِ: وَاللَّهِ لَا تَرَاهُ بَعْدَهَا أَبَدًا. فَقَالَ الْوَلِيدُ: وَاللَّهِ يَا مَرْوَانُ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَأَنِّي قَتَلْتُ الْحُسَيْنَ، سُبْحَانَ اللَّهِ! أَقْتُلُ حُسَيْنًا أَنْ قَالَ: لَا أُبَايِعُ؟ ! وَاللَّهِ إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ مَنْ يَقْتُلُ الْحُسَيْنَ يَكُونُ خَفِيفَ الْمِيزَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَبَعَثَ الْوَلِيدُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَامْتَنَعَ عَلَيْهِ وَمَاطَلَهُ يَوْمًا وَلَيْلَةً، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ رَكِبَ فِي مَوَالِيهِ وَاسْتَصْحَبَ مَعَهُ أَخَاهُ جَعْفَرًا، وَسَارَ إِلَى مَكَّةَ عَلَى طَرِيقِ الْفُرْعِ، وَبَعَثَ الْوَلِيدُ خَلْفَ ابْنِ الزُّبَيْرِ الرِّجَالَ وَالْفُرْسَانَ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى رَدِّهِ، وَقَدْ قَالَ جَعْفَرٌ لِأَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ وَهُمَا سَائِرَانِ، مُتَمَثِّلًا بِقَوْلِ صَبِرَةَ الْحَنْظَلِيِّ: وَكُلُّ بَنِي أُمٍّ سَيُمْسُونَ لَيْلَةً ... وَلَمْ يَبْقَ مِنْ أَعْقَابِهِمْ غَيْرُ وَاحِدِ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا أَرَدْتَ إِلَى هَذَا؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ بِهِ شَيْئًا يَسُوءُكَ. فَقَالَ: إِنْ كَانَ إِنَّمَا جَرَى عَلَى لِسَانِكَ فَهُوَ أَكْرَهُ إِلَيَّ. قَالُوا: وَتَطَيَّرَ بِهِ. وَأَمَّا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فَإِنَّ الْوَلِيدَ تَشَاغَلَ عَنْهُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَجَعَلَ كُلَّمَا بَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৫


আক্রমণকারী বাহিনীর সাথে শরীক ছিলেন ৷ আর হযরত মুআবিয়ার জীবদ্দশায় যখন
ইয়াযীদের অনৃকুলে বায়আত গ্রহণ করা হয় তখন হযরত হুসায়ন (রা), ইবনৃয যুবায়র (বা) ,
আবদুর রহমান বিন আবু বকর (রা), ইবন উমর (বা) এবং ইবন আব্বাস (বা) তা থেকে বিরত
থাকেন ৷ এরপর আবদুর রহমান বিন আবু বকর ইন্তিকাল করেন ৷ আর এ বিষয়ে তিনি তার পুর্ব
সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ৷ এরপর যখন ষাট হিজরীতে হযরত মুআবিয়৷ (রা) ইন্তিকাল করেন এবং
ইয়াযীদের অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় তখন ইবন উমর ও ইবন আ স (বা) পরিস্থিতি মেনে
বায়আত করেন ৷ কিন্তু হযরত হুসায়ন ও ইবন ষুবায়র৩ তাদের বিরােধিতার পুর্বন্থলে অটল
থাকলেন ৷ এবং (প্রতিকুলতার কারণে) মদীনা থেকে বের হয়ে মক্কায় গিয়ে আশ্রয় নেন ৷

এরপর লোকজন যখন হযরত যুআবিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এবং ইয়াযীদের খিলাফতের কথা
শুনতে পেল তখন তারা দলে দলে তার কাছে আসতে লাগল ৷ আর ইবন যুবায়র৩ তিনি কা ৷ব৷
গৃহের নিকটে তার নাময়ের স্থানে অবস্থান নিলেন ৷ ফ ৷কে কাকে লোকদের সাথে মিশে তিনি
হযরত হুসায়নের কাছে আসা যাওয়৷ করতে লাপলেন ৷ হযরত হুসায়ন (রা) থাকা অবস্থায়
তার মনের সুপ্তবাসন৷ বাস্তবায়নে তৎপর হওয়া র কোন সুযোগ ছিল না ৷ যেহেতু৩ তিনি জানতেন
মানুষ তাকে অখও শ্রদ্ধা করে এবং তার তুলনায় তাকে শ্রেষ্ঠতর (এবং খিলাফক্ক তর অধিক
হকদার) গণ্য করে ৷ তবে তার কারণে মক্কায় ঝটিকা বাহিনী প্রেরিত ৩হল ৷ কিন্তু আল্লাহ তাকে
দিয়ে তাদেরকে পারজিত করলেন যেমন এই মাত্র বর্ণিত হয়েছে ৷ ফলে ঝটিকা বাহিনীসমুহ
পর্বুদস্ত হয়ে মক্কা থেকে পলায়ন করল আর আবদুল্লাহ বিন যুবায়র তার ধ্ব০ স কামনাক ৷রী
ইয়াযীদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেন এবং তার (বিরুদ্ধে নেতৃতৃ দানকারী) ভাই প্রহার করলেন
এবং অপদস্ত ও বন্দী করে তার পুর্বাচরণের বদলা ৷নিলেন ৷ এ ঘটনার পর থেকে হিজায
অঞ্চলে ইবনুয যুবায়র পুর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদা ও গুরুত্বের অধিকারী হলেন, তিনি সুদুর বিন্তুত
প্রসিদ্ধি ও খ্যাতি লাভ করলেন ৷ অবশ্য এসব সত্বেও মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধা ও সম্মানের
পাত্ররুপে হযরত হুসায়নের অবস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারে নি ৷ বরং তখনো পর্যন্ত মানুষের
মনের আকর্ষণ ছিল হযরত হুসায়নের প্রতি ৷ কেননা, তিনি হলেন রাসুলের প্রিয় দৌহিত্র, মহান
নেতা ৷ যে সময় পৃথিবীর বুকে তার সমকক্ষ কেউ ছিল না ৷ কিন্তু গোটা ইয়াহুদী সাম্রাজ্য তার
শত্রু ছিল ৷

এ সময় ইরাক থেকে তার বহু পত্র আসতে লাগল এ সকল পত্রে ইরাকবাসীরা তবে
তাদের কাছে আমার আহ্বান জানানো ৷ যখন তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছল যে, হযরত
মুআবিয়ার মৃত্যুর পর ইয়াযীদ খলীফ৷ হয়েছে এর০ ইয়াযীদের বায়আত এড়ানোর জন্য
হযরত হুসায়ন বিন আলী (রা) মক্কায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ পত্র নিয়ে তার কাছে সর্বপ্রথম আগমন
করে আবদুল্লাহ বিন সাব৷ আল হামৃদানী এবং আবদুল্লাহ বিন ওয়াল তাদের সাথে একখানি
পত্র ছিল যাতে সালামের পর হযরত মুআবিয়ার মৃত্যুতে অভিনন্দন ছিল ৷ এ বছরের রমযান



১ ফুতুহ ইবনুল আছমে (৫৪৮) রয়েছে আবদুল্লাহ বিন মুসলিম বিন আল বাকরী ৷

২ আত তাবারী (৬১৯৭) ইবনুল আহীরের কামিল (৪২০)-এ রয়েছে, শিয়ারা সুলায়মান বিন মুরাদ আল
খুযাষির গৃহে সমবেত হল এবং তাদের কয়েকজনের পক্ষ থেকে একটি পত্র লিখন, তারা হল সুলায়মান বিন
মুরাদ আল খুযারী আলমুস্যার বিন নুজারা, রিফাআ বিন শাদ্দাদ, হারিব বিন মুযাহির ও অন্যরা (আল কামিলে
মুযাহিরের পরিবর্তে যুতাহ্হার ৷ উপরোক্ত দুই গ্রন্থে পএটি বিদ্যমান এছাড়া ফুতৃহ ইবনুল আছমে (৫৪৬)
এবং সাবু মুখাননাফের হুসায়নের হত্যা’ তে পএটি রয়েছে ৷


إِلَيْهِ يَقُولُ: حَتَّى تَنْظُرَ وَنَنْظُرَ. ثُمَّ جَمَعَ أَهْلَهُ وَبَنِيهِ، وَرَكِبَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ، لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، بَعْدَ خُرُوجِ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِلَيْلَةٍ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ سِوَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَإِنَّهُ قَالَ لَهُ: وَاللَّهِ يَا أَخِي، لَأَنْتَ أَعَزُّ أَهْلِ الْأَرْضِ عَلِيَّ، وَإِنِّي نَاصِحٌ لَكَ ; لَا تَدْخُلَنَّ مِصْرًا مِنْ هَذِهِ الْأَمْصَارِ، وَلَكِنِ اسْكُنِ الْبَوَادِيَ وَالرِّمَالَ، وَابْعَثْ إِلَى النَّاسِ، فَإِذَا بَايَعُوكَ وَاجْتَمَعُوا عَلَيْكَ فَادْخُلِ الْمِصْرَ، وَإِنْ أَبَيْتَ إِلَّا سُكْنَى الْمِصْرِ فَاذْهَبْ إِلَى مَكَّةَ، فَإِنْ رَأَيْتَ مَا تُحِبُّ، وَإِلَّا تَرَفَّعْتَ إِلَى الرِّمَالِ وَالْجِبَالِ. فَقَالَ لَهُ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا، فَقَدْ نَصَحْتَ وَأَشْفَقْتَ. وَسَارَ الْحُسَيْنُ إِلَى مَكَّةَ، فَاجْتَمَعَ هُوَ وَابْنُ الزُّبَيْرِ بِهَا، وَبَعَثَ الْوَلِيدُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ: بَايِعْ لِيَزِيدَ. فَقَالَ: إِذَا بَايَعَ النَّاسُ بَايَعْتُ. فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّمَا تُرِيدُ أَنْ يَخْتَلِفَ النَّاسُ وَيَقْتَتِلُوا حَتَّى يَتَفَانَوْا، فَإِذَا لَمْ يَبْقَ غَيْرُكَ بَايَعُوكَ! فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: لَا أُحِبُّ شَيْئًا مِمَّا قُلْتَ، وَلَكِنْ إِذَا بَايَعَ النَّاسُ فَلَمْ يَبْقَ غَيْرِي بَايَعْتُ. قَالَ: فَتَرَكُوهُ، وَكَانُوا لَا يَتَخَوَّفُونَهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمْ يَكُنِ ابْنُ عُمَرَ بِالْمَدِينَةِ حِينَ قَدِمَ نَعْيُ مُعَاوِيَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ هُوَ وَابْنُ عَبَّاسٍ بِمَكَّةَ، فَلَقِيَهُمَا وَهُمَا مُقْبِلَانِ مِنْهَا، الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَا: مَا وَرَاءَكُمَا؟ قَالَا: مَوْتُ مُعَاوِيَةَ وَالْبَيْعَةُ لِيَزِيدَ. فَقَالَ لَهُمَا ابْنُ عُمَرَ: اتَّقِيَا اللَّهَ، وَلَا تُفَرِّقَا بَيْنَ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ. وَقَدِمَ ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا جَاءَتِ الْبَيْعَةُ مِنَ الْأَمْصَارِ بَايَعَا مَعَ النَّاسِ، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُمَا قَدِمَا مَكَّةَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৬


মাসের দশ তারিখে তারা হযরত হুসায়ন (রা)-এর কাছে আগমন করে ৷ তারপর তার একদল
লোক প্রেরণ করে যাদের কায়স১ বিন ঘুহসির আয় যদাইয়ুযব্র, আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ
ইবনুল কাওয়৷ আল আরহাৰী২ উমার৷ বিন আবদুল্লাহ আস সালুণ্ ং অন্যতম ৷ আর এদের
সাথে হযরত হুসায়ন বরাবর একশত পঞ্চাংাটি৪ পত্র এসেছিল ৷ এরপর তারা হানি বিন সুবায়দী
এবং সাঈদ বিন আবদুল্লাহ আল হানাফীকে একখানি পত্র দিয়ে প্রেরণ করল ৷ যাতে দ্রুত তাদের
অভিমুখে যাত্রা করার আবেদন ছিল ৷ আর শা ৰিছ বিনুরিবঈ৷ হাজ্জ জ্জার ৷বিন আবজ৷ র, ইয়াযীদ বিন
হাবিস, ইয়াযীদ বিন রুওয়াইম, আমর বিন৷ হাজ্জ জ্জাজ আয় যুবাইদী এবং মুহাম্মদ বিন উমর বিন
ইয়াহ্ইয়া আৎ তামীমি তার কাছে পত্র লিখলেন পর কথা হল বাগ-বাগিচাসমুহা সজীব সবুজ
হয়েছে ফল্ফলাদি পবিপক্ক হয়েছে এবং আপনি চাইলে আপনার অনুগত সমবেত ও সংগ ত
এক বাহিনীর কাছে আগমন করতে পারেন ৷ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক !” এসময় সরল
দুত ও প্রতিনিধিগণ তাদের পত্রসমুহ নিয়ে হযরত হুসায়নের কাছে সমবেত হলো এবং ইয়াযীদ
ইবন মুআবিয়ার পরিবর্তে তারা যাতে তার কাছে বায়আতকরতে পারে এজন্য তাকে উদ্বুদ্ধ
করতে লাগল এবং তাকে তাদের কাছে আগমনের আবেদন জানাল ৷ তাদের পত্রে তারা উল্লেখ
করেছিল যে, তারা হযরত মুআবিয়ার মৃত্যুতে উৎফুল্ল এবং তারা তার সমালোচনা করে এবং
তার শাসন কতৃত্বের বৈধতা তার ব্যাপারে (নেতিবাচক) কথা বলে ৷
এছাড়া তারা আরো উল্লেখ করেছিল যে, এখনো পর্যন্ত কারো হাতে বায় তাতে করে নি এবং
তারা তার আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে ৷ তাই এসময় হযরত হুসায়ন (বা) তার চাচাতো ৷ভাই
মুসলিম বিন আকিল বিন আবু৩ তালিবকে প্রকৃত অবস্থা যাচাই এবং ইরাকবাসীর ঐক্যবদ্ধতা
পর্যবেক্ষণের জন্য ইরাকে পাঠান ৷ আর তাকে তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন যে, যদি সে
পরিস্থিতির আনুকুল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় এবং ইরাকবাসীদের ঐক্যকে সুদৃঢ় ও সুসংহত
পায়, তাহলে যেন তার ক ছে দুত প্রেরণ করে তাহলে তিনি তার স্বজন পরিজন নিয়ে রওনা
হবেন এবং তার বিরুদ্ধে শত্রুতা পোযণকারীদের তার আয়ত্তে আনার জন্য প্রথমে কুফায়
আগমন করবেন ৷ এছাড়া তিনি মুসলিম বিন আকিলের কাছে একটি পত্রও প্রেরণ করেন ৷
তারপর মুসলিম যখন মক্কা থেকে রওনা হয়ে মদীনা অতিক্রম করলেন তখন সেখান থেকে
দুজন পথ প্রদর্শক সাথে নিলেন ৷ এরপর তারা তাকে নিয়ে পবি৩ ত্যক্ত ও পথ চিহ্নবিহীন মক
প্ৰান্তরের পথ ধরন, যার ফলে প৷ ৷নির অভাবে তীব্র পিপাসায় তাদের একজন মৃত্যুবরণ করল ৷



১ আল আখবার আ ৷ৎ তিওয়৷ ৷ল গ্রন্থে (২২৯) রয়েছে বিশর বিন মুসহির আসৃ সয়দাবী ৷

২ আর আপনার আৎ তিওয়ালে আবদুর রহমান বিন উবায়দ আর তাবারীতে ৩আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ

বিন আল কাদান আ ল আরহাবী রয়েছে ৷

৩ এখানে ইবনুল আছম অতিরিক্ত আবদুল্লাহ বিন ওয়ালের উল্লেখ করেছেন, আর ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে যে,
সে হযরত হুসায়নের কাছে প্রথম আগযনকারীদ্বয়ের একজন ৷

৪ আৎ তাবারীতে রয়েছে তিপ্পান্নটি পত্র, আর আল-আখবারুৎ তিওয়ালে ষ্পঞ্চাশটির মত পত্র ৷

৫ আৎ তাবারী ও আল কামিলে রয়েছে উমায়র’ এদু’টি গ্রন্থে একটি নাম অতিরিক্ত রয়েছে আল কামিলে
উরওয়৷ বিন কায়স আর আ ৷ত্তবারীতে আযরাহ বিন কায়স ৷

৬ এখানে :ঞা এর পরিবর্তে আত ৩াবারীতে এ্আে এবং ইবনুল আছমে এঢ়১১৷ রয়েছে ৷

৭ আৎ তাবারীতে রয়েছে তাকে কায়স বিনমুসহির, উমরাহ বিনর উবায়দ আসৃ সুলালী এবং আবদুর রহমান
বিন আবদুল্লাহ বিন আল কাদান আল আরহাবীব সাথে প্রেরণ করেন ৷


فَوَجَدَا بِهَا عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَخَافَاهُ وَقَالَا: إِنَّا جِئْنَا عُوَّاذًا بِهَذَا الْبَيْتِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، عَزَلَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ ; لِتَفْرِيطِهِ، وَأَضَافَهَا إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ نَائِبِ مَكَّةَ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي رَمَضَانَ - وَقِيلَ: فِي ذِي الْقَعْدَةِ - وَكَانَ مُفَوَّهًا مُتَكَبِّرًا، وَسَلَّطَ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ - وَكَانَ عَدُوًّا لِأَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ - عَلَى حَرْبِهِ وَجَرَّدَهُ لَهُ، وَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ لِحَرْبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ أَبَا شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيَّ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ: ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الْأَمِيرُ أَنْ أُحَدِّثَكَ حَدِيثًا قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ ; إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " «إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، وَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ الْقِتَالُ فِيهَا لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي، وَلَمْ يَحِلَّ لِأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحِلَّ لِي إِلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ قَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ» ". وَفِي رِوَايَةٍ: " «فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا فَقُولُوا: إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ، وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ» ". فَقِيلَ لِأَبِي شُرَيْحٍ: مَا قَالَ لَكَ؟ فَقَالَ: قَالَ لِي: نَحْنُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ، إِنَّ الْحَرَمَ لَا يُعِيذُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৭
عَاصِيًا وَلَا فَارًّا بِدَمٍ، وَلَا فَارًّا بِخَرْبَةٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَلَّى عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ شُرْطَةَ الْمَدِينَةِ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ ; فَتَتَبَّعَ أَصْحَابَ أَخِيهِ وَمَنْ يَهْوَى هَوَاهُ، فَضَرَبَهُمْ ضَرْبًا شَدِيدًا، حَتَّى ضَرَبَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ ضَرَبَ أَخَاهُ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَجَمَاعَةً مِنَ الْأَعْيَانِ ثُمَّ جَاءَ الْعَزْمُ مِنْ يَزِيدَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ فِي تَطَلُّبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَأَنَّهُ لَا يَقْبَلُ مِنْهُ وَإِنْ بَايَعَ، حَتَّى يُؤْتَى بِهِ إِلَيَّ فِي جَامِعَةٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ مِنْ فِضَّةٍ تَحْتَ بُرْنُسِهِ، فَلَا تُرَى إِلَّا أَنَّهُ يُسْمَعُ صَوْتُهَا، وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قَدْ مَنَعَ الْحَارِثَ بْنَ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيَّ مِنْ أَنْ يُصَلِّيَ بِأَهْلِ مَكَّةَ، وَكَانَ نَائِبَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَلَيْهَا، فَحِينَئِذٍ صَمَّمَ عَمْرٌو عَلَى تَجْهِيزِ سَرِيَّةٍ إِلَى مَكَّةَ بِسَبَبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَاسْتَشَارَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ: مَنْ يَصْلُحُ أَنْ نَبْعَثَهُ إِلَى مَكَّةَ لِأَجْلِ قِتَالِهِ؟ فَقَالَ لَهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ: إِنَّكَ لَا تَبْعَثُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৮


তারা মুলত পথ হারিয়ে ৷ফসেছিল যার ফলে বাতান খাবিাতর১ আল মাষীক নামক স্থানে
এর র্বীাথ্ প্রদর্শক মারা ৷গল ৷ তখন মুসলিম বিন আকিল এ ঘটনাকে অশুভ মনে করলেন এবং
অগ্রসর না হয়ে সেখানেই অবস্থান করলেন ইত্যরসার অপর পথ প্রদর্শক মৃত্যুবরণ করল ৷
তখন তিনি তার মিশনের বিষয়ে হযরত হুসায়ানর পরামর্শ ৷চয়ে পত্র লিখলেন ৷ তখন তাকে
ইরাকে প্রবেশের এবং ফকু কাবাসীদের প্রকৃত অবস্থা সরেজমিনে যাচাইয়ের জন্য তাকে
কুফাবাসীদেব সাথে মিলিত হওয়ার কঠোর নির্দেশ দিলেন ৷
মুসলিম বিন আকিল যরন কুফায় আগমন করলেন তখন তিনি মুসলিম বিন আওসাজা আল
আসাদী নামক এক ব্যক্তির গৃহে অবস্থান নিলেন ৷ আর কারোও মতে তিনি আল মুখতার বিন
আছুছাকা ৷ফীর গৃহে অবস্থান করেছিলেন ৷ কোনটি সঠিক তা াআল্ল ৷হ্ই ভাল জানেন ৷ কুফাবাসী যখন
তার আগমন স বাদ শুনতে ৷পল তখন তারা তার কাছে এসে হযরত হুসায়ানর শাসন কর্তৃাতৃর
অনৃকুাল ব্যয় আত করল ৷ এবং তার সামনে শপথ করে বলল, অবশ্যই তারা জান-মাল দিয়ে
তাকে সাহায্য করবে ৷ এভাবে প্রথমে বার হাজার কুফাবাসী তার হাতে রায় তাতে করে ৷ পরবর্তীতে
এই স০ খ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আঠারো হাজারে পৌছে তখন মুসলিম বিন আকিং৷ হযরত হুসাযনের নিকটে
লিখে পাঠা৷লন যে; তার অনুকুলেণ্বায়ইআত গ্রহণের পর সুপম হয়েছে এবং সবপ্স পরিস্থিতি সন্তে
ারজনক ৷ সুতরাং তিনি যেন আগমন করেন ৷ এ সৎবা৷দ হযরত হুসায়ন (রা) প্রন্তুতি গ্রহণ করলেন
এবং কুফার উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে বেরিয়ে পড়লেন ৷“ শীঘ্রই আমরা এর আলোচনা করব ৷
তাদের এ স০ বাদ ছড়িয়ে পড়ল এমনকি তা ৩কুফার আমীর (প্রশাসক) আন নু মান বিন বশীার: ন্
কাছেও জনৈক ব্যক্তি তাকে এ বিষয়ে অবহিত করল ৷ তখন যে এ বিষয়টি এাড়য়ে ৷যাত লাগল
এবং তার প্রতি কোন ওরনছুা৷রাপ করল না ৷ কিন্তু সে লোকদের সম্মুখে খুৎবা দিয়ে তাদেরকে
মতভিন্নত৷ ও বিরোধ বিশৃৎখল৷ থেকে নিষেধ করল এবং ঐক্য ও সুন্নাহ অবলম্বানর নির্দেশ প্রদান
করল ৷ আমার বিরুদ্ধে যে লড়ইি করবে না আমিও তার বিরুদ্ধে লড়াই করব না ৷ মিথ্যা অপবাদ
বা কুধারণার কারণে আমি ৷তামাদেরকে পাকড়াও করব না ৷ কিন্তু শপথ আল্লাহর ! যিনি ব্যতীত
কোন উপাস্য নেই ৷ যদি তোমরা তোমাদের আমীর বর্জন কর এবং তার বায়ুৰ্টআত প্রত্া৷ব্লুছুাব্র কর
তাবন্ন্আমি ৷তামাদর বিরুদ্ধে লড়ইি করে যার যতক্ষণ আমার হাতে আমার তরব্যব্রির হাতল
অবশিষ্ট থাকে ৷ তখন আবদুল্লাহ বিন মুসলিম বিন শু বা২ আর হাযরযী নামে এক ব্যক্তি তার কাছে
; উঠে গিয়ে তাকে রলল কঠোর শাস্তি প্রদান ছাড়া এ বিষয়ে ৷ৎান্গুদ্া৷ধন করা যাবে না ৷ আপনি যে
পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হল দুর্বলদ্বের পন্থা ৷ তখন নু মা ৷ তা ৷৷ক বলল, আল্লাহর আনুগত্যের
পরিধিাত থেকে দুর্বল গণ্য হওয়া আমার কাছে তার নাফরমানীাত থেকে শক্তিযরও পরাক্রমশালী

হওয়ায় চেয়ে প্রিযত তর ৷ তারপর সে মিম্বর থেকে নেমে আসল, তখন ঐ ব্যক্তি ইয়াযীদের কাছেত
জানিয়ে পত্র লিখে পাঠাল ৷ এ ছাড়া উমারা বিন উক্বাহ এবং আমর৪ বিন সা দ বিন আবু



১ আল ন্সাবোরুত তিওয়ালে রয়েছে ;;ণ্;ন্া৷ ;)ন্১ আর ট্রুপ্রুা ৰুা৷ হল উপত্যকার নিম্নাৎশ আর এর সংখ্যা অনেক ৷
;ন্-)১া৷ হল সদা কুল বিশিষ্ট এক প্রকার উদ্ভিদ ৷ উৎকৃষ্ট চারণ ঘাস রুপে বিবেচিত হয় ৷

২ আত; তাক্রী ও আল কামিলে ও বার পরিবর্তে রয়েছে, আর আর আখরাকতৃ তিওয়া৷ল (২৩১ পৃ ) রয়েছে
রসলিম বিন সায়ীদ আল ৷যরয৷ ৷

ও :ি মতুন নুজুম আল আ ওয়ালীহ্বত (৩৫৯ ) উমর৷ ৷তৃবনুল ওয়ালিদ রয়েছে ৷

৪ আল-ারদায়া মুল পাণ্ডুলিপি এবং তা৷ল কান্ালে এরুপই রয়েছে, আর আত তাবারীাত রয়েছে উমর আর
ানটিই বিশুদ্ধ ৷

ওো৷া


مَنْ هُوَ أَنَكَى لَهُ مِنِّي. فَعَيَّنَهُ عَلَى تِلْكَ السَّرِيَّةِ، وَجَعَلَ عَلَى مَقْدُمَتِهِ أُنَيْسَ بْنَ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيَّ فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا عَيَّنَهُمَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ نَفْسُهُ، وَبَعَثَ بِذَلِكَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ فِي كِتَابٍ، فَعَسْكَرَ أُنَيْسٌ بِالْجُرْفِ، وَأَشَارَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ عَلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ أَنْ لَا يَغْزُوَ مَكَّةَ، وَأَنْ يَتْرُكَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بِهَا، فَإِنَّهُ عَمَّا قَلِيلٍ إِنْ لَمْ يُقْتَلْ يَمُتْ، فَقَالَ أَخُوهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ وَاللَّهِ لَنَغْزُوَنَّهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ، عَلَى رَغْمِ أَنْفِ مَنْ رَغِمَ. فَقَالَ مَرْوَانُ: وَاللَّهِ إِنَّ ذَلِكَ لَيَسُوءُنِي. فَسَارَ أُنَيْسٌ وَاتَّبَعَهُ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ فِي بَقِيَّةِ الْجَيْشِ، وَكَانُوا أَلْفَيْنِ، حَتَّى نَزَلَ بِالْأَبْطَحِ، وَقِيلَ: بِدَارِهِ عِنْدَ الصَّفَا. وَنَزَلَ أُنَيْسٌ بِذِي طَوًى، فَكَانَ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَيُصَلِّي وَرَاءَهُ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَأَرْسَلَ عَمْرٌو إِلَى أَخِيهِ يَقُولُ لَهُ: بَرَّ يَمِينَ الْخَلِيفَةِ، وَأْتِهِ وَفِي عُنُقِكَ جَامِعَةٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، وَلَا تَدَعِ النَّاسَ يَضْرِبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَاتَّقِ اللَّهَ فَإِنَّكَ فِي بَلَدٍ حَرَامٍ. فَأَرْسَلَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ لِأَخِيهِ: مَوْعِدُكَ الْمَسْجِدُ. وَبَعَثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ فِي سَرِيَّةٍ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ أُنَيْسِ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ، فَهَزَمُوا أُنَيْسًا هَزِيمَةً قَبِيحَةً، وَتَفَرَّقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الزُّبَيْرِ أَصْحَابُهُ، وَهَرَبَ عَمْرٌو إِلَى دَارِ ابْنِ عَلْقَمَةَ، فَأَجَارَهُ أَخُوهُ عُبَيْدَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَلَامَهُ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَالَ: تُجِيرُ مَنْ فِي عُنُقِهِ حُقُوقُ النَّاسِ! ثُمَّ ضَرَبَهُ بِكُلِّ مَنْ ضَرَبَهُ بِالْمَدِينَةِ إِلَّا الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَابْنَهُ ; فَإِنَّهُمَا أَبَيَا أَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৬৪৯
يَسْتَقِيدَا مِنْ عَمْرٍو، وَسَجَنَهُ وَمَعَهُ عَارِمٌ فَسُمِّيَ سِجْنَ عَارِمٍ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ الزُّبَيْرِ مَاتَ تَحْتَ السِّيَاطِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [قِصَّةُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَسَبَبُ خُرُوجِهِ بِأَهْلِهِ فِي طَلَبِ الْإِمَارَةِ وَكَيْفِيَّةُ مَقْتَلِهِ] قِصَّةُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَسَبَبُ خُرُوجِهِ بِأَهْلِهِ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْعِرَاقِ فِي طَلَبِ الْإِمَارَةِ وَكَيْفِيَّةِ مَقْتَلِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَلْنَبْدَأْ قَبْلَ ذَلِكَ بِشَيْءٍ مِنْ تَرْجَمَتِهِ، ثُمَّ نُتْبِعُ الْجَمِيعَ بِذِكْرِ مَنَاقِبِهِ وَفَضَائِلِهِ. هُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبِ بْنِ عَبَدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، السِّبْطُ الشَّهِيدُ بِكَرْبَلَاءَ، ابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ وَرَيْحَانَتُهُ مِنَ الدُّنْيَا، وُلِدَ بَعْدَ أَخِيهِ الْحَسَنِ، وَكَانَ مَوْلِدُ الْحَسَنِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّمَا كَانَ بَيْنَهُمَا طُهْرٌ وَاحِدٌ وَمُدَّةُ الْحَمْلِ. وَوُلِدَ لِخَمْسِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ شَعْبَانَ سَنَةَ أَرْبَعٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৫০

ওয়াককাস ও ইয়াযীদের কাছে পত্র লিখল ৷ তখন ইয়াযীদ দুত পাঠিয়ে নুমানকে কুফায়
প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করল এবং বসরার সাথে কুফাকেও উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদের
শাসন কর্তৃাতুর অধীন করে দিল ৷ আর তা মুলত সং ঘটিত হয়েছিল ইয়াযীদ বিন
মুআবিয়ার মাওদ্ভ ৷৷ সারজুনের ইশারায় ৷ সে ছিল ইয়াযীদেব পরামর্শদাত৷ ৷ সারজুন তাকে
বলেছিল, মু আবি য়৷ জীবিত থাকতেন যদি৩ তাহলে কি আপনিও ৷র পরামর্শ গ্রহণ করতেন? যে
বলল, হ্যা ৷ তখন সে বলল, তাহলে আমার পরামর্শ গ্রহণ করুন, আর তা হল কুফ্৷ ব পরিস্থিতি

অর্পণ ক ন ৷ ইয়াযীদ অবশ্য উরায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদকে অপছন্দ করত এবং সে তাকে বসরার
গভর্নর প ৷দ্ থেকেই অপসারণ করতে চাইতে৷ ৷ কিন্তু আল্লাহ তার ও তার অনুসারীদের দ্বারা যা
৮ ছিলেন তার কারণে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ইয়াযীদ তাকে বসরা ও কুফায়
শ্া৷সনকর্তৃত প্রদান করল ৷

অতঃপর ইয়াযীদ ইবন যিয়াদকে পত্রযােগে নির্দেন্ণ্৷ ৷প্রদান করল, তুমি কুফায় আণমন করে
মুসলিম বিন আকিলকে তলব করবে এরপর যদি তাকে আয়ত্তে পাও তবে তাকে হত্যা করবে
কিংবা নির্বাসিত করবে ৷ আর ইয়াযীদ মুসলিম বিন আমর আল বাহিনী থেকে অঙ্গীক৷ ৷র গ্রহণ
করে তার সাথে এই পত্র প্রেরণ করেছিল ৷ নির্দেশ পেয়ে ইবন যিয়াদ বসরা থেকে কুফাভিমুখে
রওনা হয়ে গেল ৷ সে যখন কুফায় প্রবেশ করল তখন কালো পাণড়ীব২ আড়ালে তার মুখ
আবৃত করে প্রবেশ করল ৷ এরপর যখনই সে কোন মানুষের দল অতিক্রম করছিল, তখনই
বলছিল, সালামুন আলায়কুম ! তখন তারাও উওরে বলছিল, ওয়া আলাইকুমুস সালাম,
রাসুলুল্লাহ্ সন্তানকে স্বাগতম ৷ তারা ধারণা করছিল সে হুসায়ন! কেননা, তারা তার আগমনের
প্রডীক্ষায় ছিল ৷ এসময় তাকে বিয়ে লোকদের ভীড় বেড়ে গেল ৷ আর সে সা তেরজন অশ্বারােহী
নিয়ে কুফায় প্রবেশ করেছিল ৷

তখন ইয়াযীদের পক্ষ থেকে মুসলিম বিন আমর বলল, তোমরা পিছু, হেটে সরে যাও ৷ এ হল
আমীর উবারছুল্লাহ্ বিন যিয়াদ ৷ লোকেরা যখন এই প্রকৃত ব্যাপার জানতে পারল তখন তীব্র
মনবেদনা “ও রিহ্াহ্রাতা তাদেরকে ছেয়ে (ফলন ৷ তখন উবায়দৃল্লাহ্ তার শ্রুত খবর সম্পর্কে নিশ্চিত
হল ৷ সে কুফায় প্রশাসকের বাসভবনে অবস্থান গ্রহণ করল ৷ তারপর যখন তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত
হল তখন সে আবু রিহ্মের মাওলাকে কারো মতে মা বলে নামে তার এক মাওলা কে তিন হাজার
দিরহাম দিয়ে পাঠাল হিমুস থেকে আগত এক আণম্ভক বেশে, যে এই বায়আতের জন্যই আণমন
করেছে৷ তখন সেই মাওলা গিয়ে সন্তর্পণে ও সুকৌশলে ঐ গৃহের অবস্থান জেনে নিল সেখানে
লোকেরা মুসলিম বিন আকিলের কাছে বায়আত করে ৷ এরপর যে সেই গৃহে প্রবেশ করল ৷ আর
তা ছিল হানি বিন উরওয়ার গৃহ ৷ যেখানে সে তার প্রথম গৃহ থেকে স্থানান্তরিত হয়েফ্লি এরপর সে
বায় আত করল এবং তারা তাকে মুসলিম বিন আ ৷কিলের সাক্ষাতে নিয়ে গেল ৷

এরপর সে কয়েকদিন সার্বক্ষণিক তাদের সাথে অবস্থান করে তাদের বিষয়ে রহস্যড়েদ
প্রকৃত অবস্থা অবগত হল ৷ আর মুসলিম বিন আকিলের নির্দেশে তার সাথে আনা অর্থ আবু



১ আত্ তাবারী ও আল-কামিলে রয়েছে ইযুআবিয়ার মাওলা আর ইবনুল আছমে রয়েছে, তীর পিতার গোলাম
তার নাম সারজুন ৷ , ন্

২ ইরণুল আছমে (৫৬৫ ) ধৃলর পাগড়ী আর আল আখবারুতৃ তিওয়ালে সে মুখের উপর নেকাব টেনে ৷
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩ ৭

ওো৷া



وَقَالَ قَتَادَةُ: وُلِدَ الْحُسَيْنُ لِسِتِّ سِنِينَ وَخَمْسَةِ أَشْهُرٍ وَنِصْفٍ مِنَ التَّارِيخِ، وَقُتِلَ يَوْمَ الْجُمُعَةَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فِي الْمُحَرَّمِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ، وَلَهُ أَرْبَعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً وَسِتَّةُ أَشْهُرٍ وَنِصْفٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ حَنَّكَهُ، وَتَفَلَ فِي فِيهِ، وَدَعَا لَهُ، وَسَمَّاهُ حُسَيْنًا، وَقَدْ كَانَ سَمَّاهُ أَبُوهُ قَبْلَ ذَلِكَ حَرْبًا، وَقِيلَ: جَعْفَرًا. وَقِيلَ: إِنَّمَا سَمَّاهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَعَقَّ عَنْهُ. وَقَالَ جَمَاعَةٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: الْحَسَنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ، وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهُ بِهِ مَا كَانَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ الْحِزَامِيُ قَالَ: كَانَ وَجْهُ الْحَسَنِ يُشْبِهُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ جَسَدُ الْحُسَيْنِ يُشْبِهُ جَسَدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৫১


ছুমামাহ আল আমীরকে সমর্পণ করল ৷ আর সেই নিয়ে আসা অর্থ সংরক্ষণ করত এবং তা দ্বারা
অস্ত্র ক্রয় করত ৷ আর সে ছিল আরবের অন্যতম সাহসী যোদ্ধা ৷ এরপর সেই মাওলা ফিরে এসে
উবায়দৃল্লাহ্কে সেই গৃহ ও গৃহকর্তার কথা অবহিত করল ৷ আর মুসলিম বিন আকিং ইতোমিধ্যে
হানি বিন হুমায়দ বিন উরওয়া আল মুরাদীয় গৃহে স্থানান্তরিত হয়েছিল ৷
এরপর শারীক ইবনুল আ ওয়ার আর সে ছিল সভ্রান্ত ও বিশিষ্ট আমীরদের একজন ৷ তার
কাছে স০ বাদ পৌছাল যে, উবায়দুল্লাহ্ (তার অসুস্থতার) তাকে দেখতে আসতে চায় ৷ তখন
সে হানি এর কাছে এই বলে লোক পাঠান, আপনি মুসলিম বিন আকিলকে পাঠিয়ে দিন
তিনি এসে আমার গৃহে অবস্থান করুক যাতে উবায়দুল্লাহ্ আমাকে দেখতে আসলে তিনি
তাকে হত্যা করতে পারেন ৷ তখন হানি তাকে তার কাছে পাঠাল ৷ শরীক তাকে বলল,
আপনি র্তাবুতে থাকবেন ৷ উবায়র্দুল্লাহ্ যখন আমার কাছে বসবে তখন আমি পানি চাইব,
আর এটাই আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি ইঙ্গিত ৷ তখন আপনি এসে তাকে হত্যা
করবেন ৷ এরপর আমীর উবায়দুল্লাহ্ এসে শরীফের শয্যা পাশে বসল আর এসময় তার
কাছে হানি বিন উরওয়া ছিল ৷ আর তার সামনে মাহরান নামে তার এক গোলাম দাড়িয়ে
থাকল ৷ বসে কতক্ষণ কথাবার্তা বলল, এরপর শরীক বলল, ণ্ কে আছে৷ আমাকে পানি পান
করাও ৷ তখন মুসলিম উরওয়াকে হত্যা করার সাহস হারিয়ে ফেললো, তখন পানপাত্র নিয়ে
এক র্বাদি বেরিয়ে আসল কিন্তু র্তাবুতে মুসলিম বিন আকিলকে দেখতে পেয়ে লজ্জার কারণে
সে তিনবার ফিরে গেল ৷
তারপর তিনি বললেন, তামর৷ আমাকে পানি পান করাও ! তাতে আমার প্রাণ যায় যাক ৷
তোমরা কি আমাকে পানি পান থেকে বাচিয়ে রাখছো? তখন মাহ্র৷ ষড়ষন্থের বিষয়টি বুঝতে
পেরে তার মনিবকে ইঙ্গিত করল ৷ ততক্ষণ সে উঠে দ্রুত বেরিয়ে আসল ৷ সে সময় শরীক
তাকে বলল, সম্মানিত আমীর ! আমি আপনার কাছে ওসীয়ত করতে চাই ৷ তখন সে বলল,
শীঘ্রই আমি আবার আসছি ৷ তখন তার গোলাম সেখান থেকে বের হয়ে আসল এবং তাকে
তার বাহনে আরোহণ করিয়ে দ্রুত হাকিয়ে আনলাে এবং বলতে লাগল, এরা আপনাকে হত্যার
ষড়যন্ত্র করেছিল ৷ তখন ইবন যিয়াদন্রলল, কী বল তৃমিঃ আমিতাে তাদের প্রতি কোমল ৷
কেন তারা এমন করবে? এদিকে শরীক মুসলিম বিন আকিলকে জিজ্ঞাসা করলেন, তাকে হত্যা
করতে আপনাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর একখানি হাদীস যা
আমার কাছে পৌছেছে যে, তিনি বলেছেন, ঞা১ণ্ মোঃম শ্রো৷ :১এ৷ ঈমান হল (গুপ্ত)
হত্যার বিপরীত ৷ কোন মু মিন কাউকে (গুপ্ত) হত্যা করতে পারে না ৷ আর আপনার গৃহে আমি



১ ইবনুল আছুমে এবং আল আখবারুৎ তিওয়ালে হানি বিন উরওয়া আল মাযহিব্জী ৷

২ বর্ণিত আছে যে, হানি অসুস্থ হয়ে উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদের কাছ লোক পাঠাল যে, সে চায় যে, আমীর
উবায়দুল্লাহকে দেখতে আসুক (আৎ তাবারী আল কামিল) আর আল আখবারুৎ তিওয়ালের বর্ণনা হল যে,
শরীক বিন আওয়ার হানির গৃহে অবস্থান করলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ আর এ সংবাদ উবায়দুল্লাহ্ বিন
যিয়াদের কাছে পৌছায়গৃ তখন সে দ্রুত মারফত জানাল যে, সে তাকে দেখতে আসবে ৷ (২৩৪ নং পৃ) আত্
তাবারী ও আল কামিলে রয়েছে হাসির অসুস্থতার এক সপ্তাহ পর শরীক অসুস্থ হন তখন উবায়দুল্লাহ্ হানি বিন
উরওয়ার গৃহে তাকে দেখতে আসে ৷ আল ইমাম৷ ওস সিয়াসাহ গ্রন্থে রয়েছে শীঘ্রই আমি অসুস্থতার ভাল করব
আর ইবন যিয়াদের কাছে আমার বিশেষ স্থান রয়েছে, তখন সে আমাকে দেখতে আসবে তখন তার গর্দান
উড়িয়ে দিও ৷ (২য় খও৫ নং পৃ) ৷


وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ وَأُخْتُهُ حَفْصَةُ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ، فَجِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ، فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبٍ فِي أَنْفِهِ وَيَقُولُ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا حُسْنًا. فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُ كَانَ مِنْ أَشْبَهِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ سُفْيَانُ: قُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ: رَأَيْتَ الْحُسَيْنَ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَسْوَدُ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ إِلَّا شَعَرَاتٍ هَاهُنَا فِي مُقَدَّمِ لِحْيَتِهِ، فَلَا أَدْرِي أَخَضَبَ وَتَرَكَ ذَلِكَ الْمَكَانَ تَشَبُّهًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ لَمْ يَكُنْ شَابَ مِنْهُ غَيْرُ ذَلِكَ؟ وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَطَاءٍ قَالَ: رَأَيْتُ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ يَصْبُغُ بِالْوَسْمَةِ، أَمَّا هُوَ فَكَانَ ابْنَ سِتِّينَ، وَكَانَ رَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ شَدِيدَيِ السَّوَادِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رُوِيَ مِنْ طَرِيقَيْنِ ضَعِيفَيْنِ، أَنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِ الْمَوْتِ أَنْ يَنْحَلَ وَلَدَيْهَا شَيْئًا، فَقَالَ: «أَمَّا الْحَسَنُ فَلَهُ هَيْبَتِي وَسُؤْدُدِي، وَأَمَّا الْحُسَيْنُ فَلَهُ جُرْأَتِي وُجُودِي ".» فَلَيْسَ بِصَحِيحٍ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৫২
أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ الْمُعْتَبَرَةِ، وَقَدْ أَدْرَكَ الْحُسَيْنُ مِنْ حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ سِنِينَ أَوْ نَحْوَهَا، وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ. وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ: لَهُ رُؤْيَةٌ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَى صَالِحُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ فِي الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّهُ تَابِعِيٌّ ثِقَةٌ. وَهَذَا غَرِيبٌ، فَلَأَنْ يَقُولَ فِي الْحُسَيْنِ: إِنَّهُ تَابِعِيٌّ بِطَرِيقِ الْأَوْلَى. وَسَنَذْكُرُ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْرِمُهُمَا بِهِ، وَمَا كَانَ يُظْهِرُ مِنْ مَحَبَّتِهِمَا وَالْحُنُوِّ عَلَيْهِمَا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْحُسَيْنَ عَاصَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَحِبَهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ، وَلَكِنَّهُ كَانَ صَغِيرًا، ثُمَّ كَانَ الصِّدِّيقُ يُكْرِمُهُ وَيُعَظِّمُهُ، وَكَذَلِكَ عُمَرُ وَعُثْمَانُ، وَصَحِبَ أَبَاهُ وَرَوَى عَنْهُ، وَكَانَ مَعَهُ فِي مَغَازِيهِ كُلِّهَا ; فِي الْجَمَلِ وَصِفِّينَ، وَكَانَ مُعَظَّمًا مُوَقَّرًا، وَلَمْ يَزَلْ فِي طَاعَةِ أَبِيهِ حَتَّى قُتِلَ، فَلَمَّا آلَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى أَخِيهِ، وَأَرَادَ أَنْ يُصَالِحَ مُعَاوِيَةَ شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ، وَلَمْ يُسَدِّدْ رَأْيَ أَخِيهِ فِي ذَلِكَ، بَلْ حَثَّهُ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ، فَقَالَ لَهُ أَخُوهُ: وَاللَّهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَسْجُنَكَ فِي بَيْتٍ، وَأُطْبِقَ عَلَيْكَ بَابَهُ حَتَّى أَفْرُغَ مِنْ هَذَا الشَّأْنِ، ثُمَّ أُخْرِجَكَ. فَلَمَّا رَأَى الْحُسَيْنُ ذَلِكَ سَكَتَ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ لِمُعَاوِيَةَ كَانَ الْحُسَيْنُ يَتَرَدَّدُ إِلَيْهِ مَعَ أَخِيهِ الْحَسَنِ، فَكَانَ مُعَاوِيَةُ يُكْرِمُهُمَا إِكْرَامًا زَائِدًا، وَيَقُولُ لَهُمَا: مَرْحَبًا وَأَهْلًا. وَيُعْطِيهِمَا عَطَاءً جَزِيلًا، وَقَدْ أَطْلَقَ لَهُمَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ مِائَتَيْ
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৩


নির্বিঘ্নে আমীরের বাসভবনে অবস্থান করতে পারতেন এবং তা বসরায় আপনার নিয়ন্ত্রণ
প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট হত ৷ আর আপনি তাকে হত্যা করতেন তাহলে আপনি এক স্বৈরাচারী
পাপিষ্ঠবুকই হত্যা করতেন ৷ এ ঘটনা র তিনদিন পর শরীক ইন্তিকাল করেন ৷
আর এদিকে কুফায় আগমন করে ইবন যিয়াদ যখন শাসবুকর দ্বাবুর অবগুষ্ঠিত অবস্থায়
উপস্থিত হল ৷ আর নুমান বিন বশীর তাকে হুসায়ন ভেবে প্রবেশ দ্বার বন্ধ করে বলল, আমি
আমার এই আমানত আপনাকে দান করতে পারব না ৷ তখন উবায়দৃল্লাহ্ তাকে বলল, দরজা
থােল ! আর যেন তোমাকে তা খুলতে না হয় ৷ একথা শুনে সে দরজা খুলল আর তখনও সে
তাকে হুসায়ন (রা) ধারণ৷ করছিল ৷ তারপর যখন সে নিশ্চিতভাবুব জানতে পারল যে, সে
উবায়দুল্লাহ্ তখন সে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ল ৷ এরপর উবায়দুল্লাহ্ আমীরের প্রাসাদে প্রবেশ করে
জ় নৈক ঘোষককে নির্দেশ দিবুল সকলকে মসজিদে সমবেত হওয়ার নির্দেশ ঘোষণা করল ৷
লোকেরা সমবেত হল ৷ তারপর সে বের হয়ে তাদের কাছে আসল ৷ মহান আল্লাহর হামদ ও
ছান৷ বয়ান করার পর সে বলল, পর কথা হল আমীরুল মু’মিনীন আমাকে তোমাদের শাসন
কর্তৃতু এবং সীমান্ত রক্ষা ও গনীমত বণ্টানর দায়িতৃ অর্পণ করেছেন ৷ তিনি আমাকে দিয়েছেন
আমি যেন তোমাদের মধ্যে যারা তাবিচারের শিকার তাদের এতি সুবিচার করি যারা বঞ্ছিত
তাদেরকে প্রদান করি, যারা অনুগত ও বামোঃ তাদের প্রতি ৩অ নুপ্রহ করি, আর যারা সংশয়গ্নস্ত
ও অবাধ্য তাদেরকে শায়েস্তা করি ৷ আমি তো তাদের ব্যাপারে তার নির্দেশ পালনঃকারী এবং তার
, সাথে কৃত অঙ্গীকার বাস্তবায়নকারী, এরপর সে মিম্বর থেকে সালে এবং পােয়েন্দাদের নির্দেশ
দিল তাদের আশেপাশের সন্দেহভাজন্ বিরোধী ও রষ্ট্রবুদ্রাহীবুদর সম্পর্কে তাকে লিখিতভাবে
অবহিত করতে ৩৷ আর সে ববুল দিল যে, গোয়েন্দা আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করবে না
তাকে শুলবিদ্ধ করা হবে কিত্বা রাষ্টীয় নিবন্ধন পুস্তক থেকে তার বুগায়েন্দা পদ বাতিল করে
, তাকে নির্বাসিত করা হবে ৷ আর হানি ছিল বিশিষ্ট উমারাদের অন্যতম ৷ উবায়দুল্লাহ্র কুফায়
আগমনের পর থেকে সে তার সাথে সাক্ষাৎ করল না বরং অসুস্থতার ডান করে থাকল ৷
এরপর উবায়দুল্লাহ্ (একদিন) তার কথা উল্লেখ করে বলল, হানির কি হয়েছে? অন্যান্য
উমারাবুদর সাথে সেবু তা আমার সাক্ষাবুত আসল না ৷ তখন উপস্থিত লোকেরা বলল,
সম্মানিত আমীর ! সে অসুস্থ ৷ তখন সে বলল, আমি বুজবুনছি যে, সে তার বাড়ির দরজার
সামনে ববুস থাকে ৷ কোন কোন বর্ণনাকারী দাবী করেছেন যে সে শ্া৷রীকুবনুল আওয়া র এর
পুর্বে হানির কাছে মুসলিম বিন আকীল থাকা অবস্থায় তাকে দেখবুর্ভুতট্রু গিয়েছিল ৷ আর তারা
তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল, বিজ্জ্ব হানির গৃহে হওয়ায় সে তাদেরকে সেই সুযোগ
দিল না ৷ তখন উমারাগণ হানি বিন উরওয়ার কাছে এস তাকে বুঝিয়ে শুনিবুয় উবায়দুল্লাহ্
ন্ বিন যিয়াদের সাক্ষাবুত উপস্থিত ৩করল ৷ তখন উবায়দুল্লাহ্ কায়ী শুরায়হের দিকে ফিরে কবির
এই পঙক্তি আবৃত্তি করল ৷ ণ্ ণ্শ্
আমি চাই যে জীবিত থাকুক আর সে আমার মৃত্যু কামনা করে, তোমার বন্ধুর ব্যাপারে কে
তোমাকে নির্দোষ প্রমাগ করবে বল?



১ আৎ তাবারী ও আল কাযিলে এখানে একটি পব্দ পরিবতিঃ রয়েছে ৷


أَلْفٍ، وَقَالَ: خُذَاهَا وَأَنَا ابْنُ هِنْدَ، وَاللَّهِ لَا يُعْطِيكُمَاهَا أَحَدٌ قَبْلِي وَلَا أَحَدٌ بَعْدِي. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: وَاللَّهِ لَنْ تُعْطِيَ أَنْتَ وَلَا أَحَدٌ قَبْلَكَ وَلَا بَعْدَكَ رَجُلَيْنِ أَفْضَلَ مِنَّا. وَلِمَا تُوُفِّيَ الْحَسَنُ كَانَ الْحُسَيْنُ يَفِدُ إِلَى مُعَاوِيَةَ فِي كُلِّ عَامٍ فَيُعْطِيهِ وَيُكْرِمُهُ، وَقَدْ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ غَزَوُا الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ مَعَ ابْنِ مُعَاوِيَةَ يَزِيدَ، فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَلَمَّا أَخُذَتِ الْبَيْعَةُ لِيَزِيدَ فِي حَيَاةِ مُعَاوِيَةَ، كَانَ الْحُسَيْنُ مِمَّنِ امْتَنَعَ مِنْ مُبَايَعَتِهِ هُوَ وَابْنُ الزُّبَيْرِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ، ثُمَّ مَاتَ ابْنُ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ مُصَمِّمٌ عَلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ سَنَةَ سِتِّينَ وَبُويِعَ لِيَزِيدَ، بَايَعَ ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَصَمَّمَ عَلَى الْمُخَالَفَةِ الْحُسَيْنُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ، وَخَرَجَا مِنَ الْمَدِينَةِ فَارِّينَ إِلَى مَكَّةَ فَأَقَامَا بِهَا، فَعَكَفَ النَّاسُ عَلَى الْحُسَيْنِ يَفِدُونَ إِلَيْهِ وَيَقْدَمُونَ عَلَيْهِ، وَيَجْلِسُونَ حَوَالَيْهِ وَيَسْتَمِعُونَ كَلَامَهُ، حِينَ سَمِعُوا بِمَوْتِ مُعَاوِيَةَ وَخِلَافَةِ يَزِيدَ، وَأَمَّا ابْنُ الزُّبَيْرِ فَإِنَّهُ لَزِمَ مُصَلَّاهُ عِنْدَ الْكَعْبَةِ، وَجَعَلَ يَتَرَدَّدُ فِي غُبُونِ ذَلِكَ إِلَى الْحُسَيْنِ فِي جُمْلَةِ النَّاسِ، وَلَا يُمْكِنُهُ أَنْ يَتَحَرَّكَ بِشَيْءٍ مِمَّا فِي نَفْسِهِ مَعَ وُجُودِ الْحُسَيْنِ ; لِمَا يَعْلَمُ مِنْ تَعْظِيمِ النَّاسِ لَهُ وَتَقْدِيمِهِمْ إِيَّاهُ عَلَيْهِ، غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ تَعَيَّنَتِ السَّرَايَا وَالْبُعُوثِ إِلَى مَكَّةَ بِسَبَبِهِ، وَلَكِنْ أَظْفَرَهُ اللَّهُ بِهِمْ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ آنِفًا، فَانْقَشَعَتِ السَّرَايَا عَنْ مَكَّةَ مَفْلُولِينَ، وَانْتَصَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى مَنْ أَرَادَ هَلَاكَهُ مِنَ الْيَزِيدِيِّينَ، وَضَرَبَ أَخَاهُ عَمْرًا وَسَجَنَهُ، وَاقْتَصَّ مِنْهُ وَأَهَانَهُ، وَعَظُمَ شَأْنُ ابْنِ الزُّبَيْرِ عِنْدَ ذَلِكَ بِبِلَادِ الْحِجَازِ، وَاشْتَهَرَ أَمْرُهُ وَبَعُدَ صِيتُهُ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৪
وَمَعَ هَذَا كُلِّهِ لَيْسَ هُوَ مُعَظَّمًا عِنْدَ النَّاسِ مِثْلَ الْحُسَيْنِ، بَلِ النَّاسُ إِنَّمَا مَيْلُهُمْ إِلَى الْحُسَيْنِ، لِأَنَّهُ السَّيِّدُ الْكَبِيرُ، وَابْنُ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ يُسَامِيهِ وَلَا يُسَاوِيهِ، وَلَكِنَّ الدَّوْلَةَ الْيَزِيدِيَّةَ كُلَّهَا تُنَاوِئُهُ. وَقَدْ كَثُرَ وُرُودُ الْكُتُبِ عَلَيْهِ مِنْ بِلَادِ الْعِرَاقِ يَدْعُونَهُ إِلَيْهِمْ، وَذَلِكَ حِينَ بَلَغَهُمْ مَوْتُ مُعَاوِيَةَ وَوِلَايَةُ يَزِيدَ، وَمَصِيرُ الْحُسَيْنِ إِلَى مَكَّةَ فِرَارًا مِنْ بَيْعَةِ يَزِيدَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ قَدِمَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَبْعٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَالٍ، مَعَهُمَا كِتَابٌ فِيهِ السَّلَامُ وَالتَّهْنِئَةُ بِمَوْتِ مُعَاوِيَةَ، فَقَدِمَا عَلَى الْحُسَيْنِ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، ثُمَّ بَعَثُوا بَعْدَهُمَا نَفَرًا ; مِنْهُمْ قَيْسُ بْنُ مُسْهِرٍ الصَّيْدَاوِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْكَوَّاءِ الْأَرْحَبِيُّ، وَعُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السَّلُولِيُّ، وَمَعَهُمْ نَحْوٌ مَنْ مِائَةٍ وَخَمْسِينَ كِتَابًا إِلَى الْحُسَيْنِ، ثُمَّ بَعَثُوا هَانِئَ بْنَ هَانِئٍ السَّبِيعِيَّ وَسَعِيدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَنَفِيَّ، وَمَعَهُمَا كِتَابٌ فِيهِ الِاسْتِعْجَالُ فِي السَّيْرِ إِلَيْهِمْ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَحَجَّارُ بْنُ أَبْجَرَ، وَيَزِيدُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رُوَيْمٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৫


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

তারপর হাসি উবায়দুল্লাহকে সালাম করলে সে বলল, হে হানি মুসলিম বিন আকীল কোথায়?
হানি বলল, আমি জানি না ৷ তখন হানির গৃহে হিমন্তের আপন্তুক বেশে প্রবেশ করে হানির
উপস্থিতিতে যে ব্যক্তি সে গৃহে বায়আত করেছিল সেই তামীমী ব্যক্তি উঠে দাড়াল ৷ এরপর
উবায়দুল্লাহ হ নিাক, জিজ্ঞাসা; করল,তু মি কি একে চিন? তখন সে বলল, হ্যা ৷ আর তাকে দেখা
মাত্র হানি নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে পড়া ৷ এরপর সে বলল, আল্লাহ আমাকে সৃমতি দান করুন ৷
আল্লাহর কসম ! আমি তাকে আমার বগৃহে আহ্বান করি নি ৷ তিনি নিজেই এসে আমার দায়িংতৃ
নিাজাক সমর্পণ করেছেন ৷ তখন উবায়দুল্লা হ বলল, তাহলে তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে এস ৷
তখনসে বলল, আল্লাহর কসম ! যদি সে আমার পায়ের নীচেও লুকিয়ে থাকত তাহলে আমি
তাকে অরক্ষিত করে আমার পা উঠ ৷তাম ন৷ ৷
তখন উবায়দুল্লাহ্ তার স্লিপাহীাদর বলল, তাকে আমার কাছে নিয়ে আস, ফলে তারা তাকে

ন্ হ্রার নিকটবর্তী করল ৷ তখন যে তার মুখমণ্ডাল বর্ষাঘাত করে তার ভ্রুর উপর ক্ষতের সৃষ্টি করল
এবং নাক ভেঙে দিল ৷ আর হানি ৷ক৷ যমুক্ত করার জন্য এক সিপাহীর তরবারি ধরল কিন্তু সে
বাধাপ্রাপ্ত হল ৷ এরপর উব্ারদৃল্লাহ বলল, এখন ৷৩ তামাক হত্যা করা আমার জন্য টুবধ, ৷কননা,
তুমি হারুরী ৷’ তারপর তার নির্দেশে তাকে সেই গৃাহ্র এক কোণে বন্দী করে রাখা হল ৷

এদিকে তার গোত্র বনু মবিহিাজর লোকেরা আমর বিন হাজ্জাজের সাথে এসে এই প্রাসাদের
সামান অবস্থান নিল, তারা ধারণা করছিল (ফ্লুহ্র,হানি নিহত হয়েছে ৷ তখন উরায়দুল্লাহ তাদের
, শোরগােল ৷কালাহল শুনাত াদুাল ৷ তখন সে তার কাছে বসে থাকা কায়ী শুরায়হ বলল, বের
হয়ে গিয়ে তাদরাক বলুন, ৩া৷মীব তাকে মুসলিম বিন আকীল সম্পর্কে জিজ্ঞাসারাদের জন্যই
আটকে ৷রাখাছ শুরায়হল্ গিয়ে তারদেরকে বলল, তোমাদের লোক জীবিত, সুলতান তাকে
ামরে ফেলার মত আঘাত করেন নি ৷ কাজেই ণ্৩ তামরা ফিরে যাও তার ও নিজেদের বিপদ টেনে
এন না ৷ তখন তারা নিজ নিজ গৃহে ফিরে ৷পল ৷ এদিাক মুসলিম বিন আকীল এই খবর শুনতে
পেলেন, তিনি তাশ্বা৷রাহণ করে তার পুর্ব নিধাবি৩ সা ৎকেতিক বাক্য ;া),ৰু;ৰুাৰু “হে মানসুর
(সাহায্যপ্রাপ্ত) মৃত্যু ঘটাও” ৷ বলে আহবান করল ৷ তখন চার হাজার কুফারাসী (ষোদ্ধা)৩ তা
আহ্বান সমবেত হল ৷ তার সাথে ছিল আল মুখতার বিন আর উরায়দ, রার সাথে ছিল সবুজ
ঝাও৷ ৷ আর ছিল আবদুল্লাহ বিন নাওফল বিন হাবিছ, যার সাথে ছিল লাল ঝাও৷ ৷ এদের
” দু জনকে ফৌজের ডা৷ন বামে বিনান্তু করে এবং নিাজ মধ্যভাগে অবস্থ ন নিায় মুসলিম
উরায়দুলাহর মুক৷ বিালার অগ্রসর হলেন ৷ আর উরায়দুল্মহ্ এসময় হানির ব্যাপারে ৷লাকদেরাক
৷ থুৎর৷ দিচ্ছিল এবং তাদেরাক বিচ্ছিন্ন ও বিরোধিতা থেকে সাবধান করছিল ৷৩ তার মিম্বরের নীচে
কুফার আমীর ও সর্ন্তা৷ম্ভ ৷লাকর৷ উপস্থিত ছিল ৷ ইবন যিয়াদ যখন এ অবস্থায় তখন তার
লোকেরা এাস রলল, মুসলিম বিন আর্কীল এসে পড়েছে ৷ তখন উরারদুল্লাহ এবং তার সাথে
যারা ছিল সকর্লে দ্রুত প্ৰাসীদৈ প্রবেশ র্করে দরজা বন্ধ করে দিন ৷ র্মুসলিম্ যখন তার বাহিনী
নিয়ে প্রাসাদের প্রবেশ দ্বা৷র উপনীত হলেন, তখন সেখানে থেমে অবস্থান গ্রহণ করলেন ৷

বিভিন্ন গোত্রের উমারা যারাণ্উবায়দুল্লাহ্র সাথে ছিল তারা প্রাসাদ থেকে উকি দিল এবং তাদের
গোত্রের যে সকল সদস্য যুসলিমের সাথে ছিল৩ তাদেরকে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করল, ভর
ও ন্ট্টদেখালো এবং হুমকি-ধামকি দিল ৷ এসময় উরায়দুল্লাহ কয়েকজন উমারা৷কআংদশ করল এবং



১ এদের মধ্যে কাছির বিন শিহাব আল হারিন্থী (আৎ তাবারীতে কাহীর বিন শিহাব আল হসিন আল হারিহী)
আল কাকা বিন ওর আয্ যুহালী, নাবিছ ৰিন্ণ্,রিবঈ আতৃ তা মীমী , হাজ্বজার বিনৰুআব্জার আল আজালী,


وَعَزْرَةُ بْنُ قَيْسٍ، وَعَمْرُو بْنُ حَجَّاجٍ الزُّبَيْدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ: أَمَّا بَعْدُ؛ فَقَدِ اخْضَرَّ الْجَنَابُ وَأَيْنَعَتِ الثِّمَارُ وَطَمَّتِ الْجِمَامُ، فَإِذَا شِئْتَ فَاقْدَمْ عَلَى جُنْدٍ لَكَ مُجَنَّدٍ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. فَاجْتَمَعَتِ الرُّسُلُ كُلُّهَا بِكُتُبِهَا عِنْدَ الْحُسَيْنِ، وَجَعَلُوا يَسْتَحِثُّونَهُ وَيَسْتَقْدِمُونَهُ عَلَيْهِمْ، لِيُبَايِعُوهُ عِوَضًا عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ ; وَيَذْكُرُونَ فِي كُتُبِهِمْ أَنَّهُمْ فَرِحُوا بِمَوْتِ مُعَاوِيَةَ، وَيَنَالُونَ مِنْهُ وَيَتَكَلَّمُونَ فِي دَوْلَتِهِ، وَأَنَّهُمْ لَمْ يُبَايِعُوا أَحَدًا إِلَى الْآنَ، وَأَنَّهُمْ يَنْتَظِرُونَ قُدُومَكَ إِلَيْهِمْ لِيُقَدِّمُوكَ عَلَيْهِمْ. فَعِنْدَ ذَلِكَ بَعَثَ ابْنَ عَمِّهِ مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْعِرَاقِ، لِيَكْشِفَ لَهُ حَقِيقَةَ هَذَا الْأَمْرِ وَالِاتِّفَاقِ، فَإِنْ كَانَ مُتَحَتِّمًا وَأَمْرًا حَازِمًا مُحْكَمًا، بَعَثَ إِلَيْهِ لِيَرْكَبَ فِي أَهْلِهِ وَذَوِيهِ، وَيَأْتِيَ الْكُوفَةَ لِيَظْفَرَ بِمَنْ يُعَادِيهِ، وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ بِذَلِكَ، فَلَمَّا سَارَ مُسْلِمٌ مِنْ مَكَّةَ اجْتَازَ بِالْمَدِينَةِ، فَأَخَذَ مِنْهَا دَلِيلَيْنِ، فَسَارَا بِهِ عَلَى بَرَارِيَّ مَهْجُورَةِ الْمَسَالِكِ، فَكَانَ أَحَدُ الدَّلِيلَيْنِ مِنْهُمَا أَوَّلَ هَالِكٍ، وَذَلِكَ مِنْ شِدَّةِ الْعَطَشِ، وَقَدْ أَضَلُّوا الطَّرِيقَ، فَهَلَكَ الدَّلِيلُ الْوَاحِدُ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْمَضِيقُ. مِنْ بَطْنِ خُبَيْتٍ، فَتَطَيَّرَ بِهِ مُسْلِمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৬


তাদেরকে বের হয়ে কুফার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ব্লুল৷ কদেরকে মুসলিম বিন আকীল থেকে সরিয়ে
নিতে নির্দেশ দিল ৷ তখন তারা তা করল ৷ তখন না তার ছেলে র কাছে বোন তার ভাইয়ের ক ৷ব্লুছ
এসে বলতে লাগল, বাড়িতে ফিরে চল ৷ লোকেরা ব্লুত ৷মাদের বাধা দিবে ৷ ড্ডাপ পিতা ৷পুত্রকে এবং
ভাই ভাইকে বলতে লাগল ৷ কাল যখন সাব্লুমর ফৌজ এব্লুস পৌছবে তখন তুমি কিভাবে তাদের
হাত থেকে নিতায় পারে? তখন লোকেরা মুসলিমব্লুক অসহায় অবস্থায় রেখে একে একে তার থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে সরে পড়ল এবং দেখা গেল তার সাথে পাচশ যোদ্ধা রয়েছে ৷ এরপর তাদের সং খ্যা
হ্রাস পেয়ে তিনশ তারপর ত্রিশে দ ৷ড়াল ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে মাগরিব পড়ব্লুলন এবং আবওয়াবে
কিনদ৷ অভিমুখী হলেন ৷ আর সেখান থেকে দশজন নিয়ে বের হলেন,ত তারপর এরাও সটকে
পড়ল ৷ তিনি সম্পুর্ণ একাকী হয়ে পড়লেন, তার সাথে না থাকল পথ দেখানোর মত কেউ, কিংবা
অতরঙ্গত৷ দান করার মত কেউ, কিংবা নিজ গৃহে আশ্রয় দান করার মত কেউ ৷ তখন তিনি
অজানা পতব্যের পথে বেরিয়ে পড়লেন, আর এদিকে অন্ধকার ঘনীভ্যুষ্ তহয়ে এসেছিল, আর তিনি
উদ্দেশ্যহীনভাব্লুব একাকী রাস্তায় পথ চলছিলেন ৷
এভাবে তিনি এক গৃহদ্বারে উপস্থিত হয়ে করাঘাত করলেন, তখন তুওয়৷ নামক এক
দ্রীব্লুলাক বের হল, আর সে ছিল আল আশআছ বিন কায়ব্লুসর ঔরব্লুস সন্তান জন্মদানকারিণী
বাদী ৷ বিলাল বিন উসয়াদ১ নামে অন্য স্বামীর ঔরসজাত তার একটি ছেলে ছিল ৷ সে
লোকদের সাথে বেরিয়ে যাওয়ায় তার মা দরজায় র্দাড়িব্লুয় তার জন্য অপেক্ষায় ছিল ৷ মুসলিম
বিনআর্কীল তাকে বললেন, আমাকে একটু পানি পান করান ৷ তখন সে তাকে পানি পান
করান “৷ তার-ৰুপর সে ভিতরে প্রবেশ করে আবার যখন বের হল তখন তাকে স্বস্থাব্লুনন্ পেল ৷ তাই
জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি পানি পান করেন নি? তখন তিনি বললেন, হী৷ ৷ অবশ্যই ৷ তখন
শ্রী ব্লুলাকটি বলল, তাহলে আপনি আপনার স্বজ নদের কাছে ফিরে যান ৷ আল্লাহ্ আপনাকে
সহীহ্-সালামব্লুত রাখুন ! কেননা, আমার ঘরের দরজায় এভাবে বসে থাকা আপনার জন্য ঠিক
হবে না ৷ , আমি নিজেও আপনার জন্য তা শোভনীয় মনে করি না ৷ তখন তিনি দাড়িয়ে
বললেন, হে আল্লাহ্র দাসী ! এই শহরে কোন বাড়ি ঘর কিং বা স্বজন পরিজন কিছুই নাই ৷
তামার কি আমার প্রতি একটু সদাচার ও অনুখহের সুব্লুযাগ আছে? যার পুরস্কার আমি পরে
তোমাকে দিব ৷ তখন সে বলল, তা কিং তিনি বললেন, আমি মুসলিম বিন আকীল ৷ এই
চুলাকের৷ আমার সাথে মিথ্যা বলেছে এব০ আমাকে ধোক৷ দিয়েছে ৷ সে বলল, আপনি মুসলিম
বিন আকীল? তিনি বললেন, হ্যা ৷ সে বলল, আপনি ভেতরে প্রবেশ করুন ৷ এরপর সে তাকে
তার বাড়ির অপেক্ষাকৃত একটি নিরাপদ ঘরে নিয়ে গেল এবং সেখানে তার শয্য৷ প্রস্তুত করে
আহারের ব্যবস্থা করল ৷ কিন্তু তিনি আহাব গ্রহণ করলেন না ৷
কিছুক্ষণ যেতে না যেব্লুতই সেই ছেলেটি এসে পৌছল এবং তার মাকে বারবার বের হতে
এবং প্রবেশ করতে ব্লুদব্লুখ তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাস৷ করল ৷ তখন সে বলল, বাছ ৷ ! এটা
নিয়ে মাথা ঘামিও না ৷ কিন্তু ছেলেটি পীড়াপীড়ি করার কা ৷উব্লুক অবহিত না করার শর্তে তার মা



(অপর পৃষ্ঠার বাকী অংশ) শাম্মার বিন ফি জাওশান আবৃযাবাবী (তাবারীব্লুত আল আমিরী), মুহাম্মদ বিন আল

আল আছ আর ইবন ;াল আছম শুধু কান্থীর বিন শিহাব-এর উল্লেখ করেছেন ৷

১ আল বিদায়ার মুল পাণ্ডুলিপি লাত তাবার৷ এবং আল কামিব্লুল এমনই রব্লুয়ব্লুছ৪ এই ন্তীব্লুলাক পুর্বে কায়স
কিনদীর শ্রী ছিল এরপর আসাদ বিন আল বাভীন নাব্লুম হাযরা মাওব্লুতর এক ব্যক্তি তাকে বিবাহ করে তখন তার

গর্ভে আসাদ নামে সন্তান জন্যুগ্নহণ করে ৷


عَقِيلٍ، فَتَلَبَّثَ مُسْلِمٌ عَلَى مَا هُنَالِكَ، وَمَاتَ الدَّلِيلُ الْآخَرُ، فَكَتَبَ إِلَى الْحُسَيْنِ يَسْتَشِيرُهُ فِي أَمْرِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَعْزِمُ عَلَيْهِ أَنْ يَدْخُلَ الْعِرَاقَ، وَأَنْ يَجْتَمِعَ بِأَهْلِ الْكُوفَةِ ; لِيَسْتَعْلِمَ أَمْرَهُمْ وَيَسْتَخْبِرَ خَبَرَهُمْ، فَلَمَّا دَخَلَ الْكُوفَةَ نَزَلَ عَلَى رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: مُسْلِمُ بْنُ عَوْسَجَةَ الْأَسَدِيُّ. وَقِيلَ: نَزَلَ فِي دَارِ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَتَسَامَعَ أَهْلُ الْكُوفَةِ بِقُدُومِهِ فَجَاءُوا إِلَيْهِ فَبَايَعُوهُ عَلَى إِمْرَةِ الْحُسَيْنِ، وَحَلَفُوا لَهُ لَيَنْصُرُنَّهُ بِأَنْفُسِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ، فَاجْتَمَعَ عَلَى بَيْعَتِهِ مِنْ أَهْلِهَا اثَنَا عَشَرَ أَلْفًا، ثُمَّ تَكَاثَرُوا حَتَّى بَلَغُوا ثَمَانِيَةَ عَشَرَ أَلْفًا، فَكَتَبَ مُسْلِمٌ إِلَى الْحُسَيْنِ لِيَقْدَمَ عَلَيْهِمْ فَقَدْ تَمَهَّدَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ وَالْأُمُورُ، فَتَجَهَّزَ الْحُسَيْنُ مِنْ مَكَّةَ قَاصِدًا الْكُوفَةَ كَمَا سَنَذْكُرُهُ، وَانْتَشَرَ خَبَرُهُمْ حَتَّى بَلَغَ أَمِيرَ الْكُوفَةِ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، أَخْبَرَهُ رَجُلٌ بِذَلِكَ، فَجَعَلَ يَضْرِبُ عَنْ ذَلِكَ صَفْحًا وَلَا يَعْبَأُ بِهِ وَلَكِنَّهُ خَطَبَ النَّاسَ، وَنَهَاهُمْ عَنْ الِاخْتِلَافِ وَالْفِتْنَةِ، وَأَمَرَهُمْ بِالِائْتِلَافِ وَالسُّنَّةِ، وَقَالَ: إِنِّي لَا أُقَاتِلُ مَنْ لَا يُقَاتِلُنِي، وَلَا أَثِبُ عَلَى مَنْ لَا يَثِبُ عَلِيَّ، وَلَا آخُذُكُمْ بِالظِّنَّةِ، وَلَكِنْ وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَئِنْ فَارَقْتُمْ إِمَامَكُمْ وَنَكَثْتُمْ بَيْعَتَهُ، لَأُقَاتِلَنَّكُمْ مَا دَامَ فِي يَدِي مِنْ سَيْفِي قَائِمَتُهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ سَعِيدٍ الْحَضْرَمِيُّ. فَقَالَ لَهُ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَصْلُحُ إِلَّا بِالْغَشْمِ، وَإِنَّ الَّذِي سَلَكْتَهُ أَيُّهَا الْأَمِيرُ مَسْلَكُ الْمُسْتَضْعَفِينَ. فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ: لِأَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ فِي طَاعَةِ اللَّهِ، أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْأَعَزِّينَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ. ثُمَّ نَزَلَ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৭
فَكَتَبَ ذَلِكَ الرَّجُلُ إِلَى يَزِيدَ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَكَتَبَ إِلَى يَزِيدَ عُمَارَةُ بْنُ عُقْبَةَ وَعُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَبَعَثَ يَزِيدُ، فَعَزَلَ النُّعْمَانَ عَنِ الْكُوفَةِ وَضَمَّهَا إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ مَعَ الْبَصْرَةِ، وَذَلِكَ بِإِشَارَةِ سَرْجُونَ مَوْلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَكَانَ يَزِيدُ يَسْتَشِيرُهُ، فَقَالَ سَرْجُونُ: أَكُنْتَ قَابِلًا مِنْ مُعَاوِيَةَ مَا أَشَارَ بِهِ لَوْ كَانَ حَيًّا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَاقْبَلْ مِنِّي، فَإِنَّهُ لَيْسَ لِلْكُوفَةِ إِلَّا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، فَوَلِّهِ إِيَّاهَا، وَكَانَ يَزِيدُ يُبْغِضُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، وَكَانَ يُرِيدُ أَنْ يَعْزِلَهُ عَنِ الْبَصْرَةِ فَوَلَّاهُ الْبَصْرَةَ وَالْكُوفَةَ مَعًا لِمَا يُرِيدُهُ اللَّهُ بِهِ وَبِغَيْرِهِ. ثُمَّ كَتَبَ يَزِيدُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ: إِذَا قَدِمْتَ الْكُوفَةَ فَتَطَلَّبْ مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلٍ فَإِنْ قَدَرْتَ عَلَيْهِ فَاقْتُلْهُ أَوِ انْفِهِ. وَبَعَثَ الْكِتَابَ مَعَ الْعَهْدِ مَعَ مُسْلِمِ بْنِ عَمْرٍو الْبَاهِلِيِّ، فَسَارَ ابْنُ زِيَادٍ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ، فَلَمَّا دَخَلَهَا دَخَلَهَا مُتَلَثِّمًا بِعِمَامَةٍ سَوْدَاءَ، فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ بِمَلَأٍ مِنَ النَّاسِ إِلَّا قَالَ: سَلَامٌ عَلَيْكَمْ. فَيَقُولُونَ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ، مَرْحَبًا يَابْنَ رَسُولِ اللَّهِ. يَظُنُّونَ أَنَّهُ الْحُسَيْنُ، وَقَدْ كَانُوا يَنْتَظِرُونَ قُدُومَهُ، وَتَكَاثَرَ النَّاسُ عَلَيْهِ، وَدَخَلَهَا فِي سَبْعَةَ عَشَرَ رَاكِبًا، فَقَالَ لَهُمْ مُسْلِمُ بْنُ عَمْرٍو الَّذِي مِنْ جِهَةِ يَزِيدَ: تَأَخَّرُوا، هَذَا الْأَمِيرُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ فَلَمَّا عَلِمُوا ذَلِكَ عَلَتْهُمْ كَآبَةٌ وَحُزْنٌ شَدِيدٌ، فَتَحَقَّقَ عُبَيْدُ اللَّهِ الْخَبَرَ، وَنَزَلَ قَصْرَ الْإِمَارَةِ مِنَ الْكُوفَةِ. وَلَمَّا انْتَهَى ابْنُ زِيَادٍ إِلَى بَابِ الْقَصْرِ وَهُوَ مُتَلَثِّمٌ ظَنَّهُ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ الْحُسَيْنَ قَدْ قَدِمَ، فَأَغْلَقَ بَابَ الْقَصْرِ، وَقَالَ: مَا أَنَا بِمُسْلِمٍ إِلَيْكَ أَمَانَتِي. فَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ: افْتَحْ لَا فَتَحْتَ. فَفَتَحَ وَهُوَ يَظُنُّهُ الْحُسَيْنَ، فَلَمَّا تَحَقَّقَ أَنَّهُ عُبَيْدُ اللَّهِ أُسْقِطَ فِي يَدِهِ، فَدَخَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، وَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৮


তাকে মুসলিম বিন আকীব্লুলর কথা বলল ৷ এরপর সে সকাল পর্যন্ত চুপচাপ শুয়ে থাকল ৷
এদিকে উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদ, সে ঈশাব পর তার সাব্লুথর আমীর উমারাব্লুদর নিয়ে প্রাসাদ
থেকে নামল এবং তাদেরকে নিয়ে জামে মসজিদে ঈশার নামায পড়ল ৷ তারপর উপস্থিত
লোকদের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য রাখল এবৎ তাদের থেকে মুসলিম বিন আকীলকে তলব করল
এবং তার খোব্লুজ তাদেরকে উৎসাহ দিল ৷ আর বলল, কারো আশ্রব্লুয় যদি তাকে পাওয়া যায়
আর সে তার ব্যাপারে না আমার তবে তাকে হত্যা বৈধ বিবেচনা করা হবে ৷ পক্ষান্তব্লুর যে
কে নিয়ে আসবে সে তার দিয়ত (রক্তমুল্য) পুরস্কার স্বরুপ লাভ করবে ৷ এ ব্যাপারে সে
তার অনুগত সিপাহীদলকে উদ্ভুদ্ধ করল এবং তাদেরকে হুমকি প্রদান করল ৷
এদিকে পরদিন সকালে সেই বৃদ্ধ শ্রী লোকের ছেলে আবদুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন আল
আশআছের কাব্লুছগ্ গিয়ে তাকে জানানো যে, মুসলিম বিন অ্যাকীল তাদের বাড়িতে আশ্রয়
নিয়েছেন ৷ তখন আবদুর রহমান এব্লুস তার পিতার কানে কানে তা বলল, আর সে সময় তার
পিতা ইবন যিয়াদের কাছে ছিল ৷ তখন ইবন যিয়াদ প্রশ্ন করল, যে তোমার কানে কানে কী
বলল? তখন সে তাকে বিষয়টি অবহিত করল ৷৩ তখন ইবন যিয়াদ একটি দণ্ড নিয়ে তার
পার্শ্বব্লুদশে ব্লুখাচ৷ মেরে বলল, যাও ! এখনি তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো ৷ এ সময় যিয়াদ
তার সিপাহী প্রধান আমর বিন হুরায়স আল মাখযুমীব্লুক এবং তার সাথে আবদুর রহমান ও
মুহাম্মদ ইবনুল আশআসকে সত্তর বা ণ্আশিজনন্ অশ্বাব্লুরাহীসহ পাঠাল ৷ এরপর মুসলিম বিন
আকীল এ বিষয়ে কিছু অনুভব করার পুকেহ সেই বাড়ি ঘিরে নেওয়া হল ৷ এরপর তারা ভিতরে
প্রবেশ করে তাকে কাবু করার চেষ্টা করল ৷ কিন্তু তিনি তরবারি দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত
করলেন এবং তিনবার৩ তাদেরকে বাড়ির ভিতর থেকে পিছু হটিয়ে দিলেন ৷ এসময় তার
উপরের ও নীচের ব্লুঠাট ক্ষতবিক্ষত হল ৷ এভাবে উদ্দেশ্য লাভে ব্যর্থ হয়ে তারা তাকে পাথর
নিক্ষেপ করতে লাগল এবং বাশের রশি ব্লুাত আগুন ধরিয়ে দিতে লাগল ৷ এবার তিনি নিরুপায়
হয়ে বেরিয়ে আসলেন এবং তার তরবারি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়ব্লুত লাগলেন, তখন আবদুর
রহমান তাকে আমার (জীবনের নিরাপত্তা) প্রদান করলেন ৷ তখন তিনি তার হাতে
আত্মসমর্পণ৩ করলেন ৷ তখন একটি খচচৱ এব্লুন তাকে তাতে আব্লুরাহণ করান হল এবং তার
তরবারি ছিনিব্লুয় নেওয়া হল ৷ এ সমস্যা তিনি আর নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে কেব্লুদ
ফেললেন এবং এও বুঝতে পারলেন তাকে হত্যা করা হবে ৷ তাই তিনি বাচার আশা ছেড়ে
দিলেন এবং বললেন, ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন ৷



১ ইবনুল আ ছমে রয়েছে : তার পুরস্কার হল দশৃ হাজার দিরহ্াম, ইয়াযী দ ব্রিন মু আবিয়ায় কাছে উচ্চ মর্যাদা
এবং প্রতিদিন তার একটি প্রয়োজন পুরণ করা হয়ে ৷

২ আৎ তাবারীতে আল কামিব্লুল এব্লুসব্লুছন্ত্র উবায়দুল্লা হ্ আমর বিন হারিছকে নির্দেশ দিল ইবনুল আশ আছের
সাথে কায়ছ ব্লুপাত্রের ষাট বা সত্তরজন যোদ্ধা প্রেরণ কর আর তার সাথে বনু কায়সেৱ আরো সত্তর বা ষাটজন
ব্লুক প্রেরণ কর আমর বিন উবায়দুল্লাহ বিন আব্বাস আস সালামীর নেতৃত্বে ৷ (মুরুজুয্ যাহাবে ৩৭২
আবদুল্লাহ বিন আস সালামী) আর ইবনুল আ ছমে (৫৯২) রব্লুয়ব্লুছও সে মুহাম্মাদৃবনুল আশ আছের সাথে তার
অনুসারীদের থেকে তিনশত বাহাদুর পদাতিক সৈন্য পাঠিব্লুয়ছিল ৷

৩ ইবনুল আ ছম বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমার্পণ করেননি বরৎ লড়াইরত অবস্থায় পেছন থেকে বর্শাঘাতে
তিনি ভুপতিত হন এবং তখন তাকে বন্দী করা হয় (৫৯৬) ৷ দেখুন আল ইমামাহ ওয়াসৃ নিয়াসাহ (২৫) ৷


أَنِ الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. أَصْلَحَهُ اللَّهُ، وَلَّانِي مِصْرَكُمْ وَثَغْرَكُمْ وَفَيْئَكُمْ، وَأَمَرَنِي بِإِنْصَافِ مَظْلُومِكُمْ، وَإِعْطَاءِ مَحْرُومِكُمْ، وَبِالْإِحْسَانِ إِلَى سَامِعِكُمْ وَمُطِيعِكُمْ، وَبِالشِّدَّةِ عَلَى مُرِيبِكُمْ وَعَاصِيكُمْ، وَأَنَا مُمْتَثِلٌ فِيكُمْ أَمْرَهُ وَمُنَفِّذٌ عَهْدَهُ. ثُمَّ نَزَلَ وَأَمَرَ الْعُرَفَاءَ أَنْ يَكْتُبُوا مَنْ عِنْدَهُمْ مِنَ الْحَرُورِيَّةِ وَأَهْلِ الرِّيَبِ وَالْخِلَافِ وَالشِّقَاقِ، وَأَيُّمَا عَرِيفٍ لَمْ يُطْلِعْنَا عَلَى ذَلِكَ صُلِبَ وَنُفِيَ وَأُسْقِطَتْ عِرَافَتُهُ مِنَ الدِّيوَانِ. فَلَمَّا اسْتَقَرَّ أَمْرُهُ أَرْسَلَ مَوْلًى لِبَنِي تَمِيمٍ - وَقِيلَ: كَانَ مَوْلًى لَهُ اسْمُهُ مَعْقِلٌ - وَمَعَهُ ثَلَاثَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ فِي صُورَةِ قَاصِدٍ مِنْ بِلَادِ حِمْصَ، وَأَنَّهُ إِنَّمَا جَاءَ لِهَذِهِ الْبَيْعَةِ، فَذَهَبَ ذَلِكَ الْمَوْلَى، فَلَمْ يَزَلْ يَتَلَطَّفُ وَيَسْتَدِلُّ عَلَى الدَّارِ الَّتِي يُبَايِعُونَ بِهَا مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلٍ، حَتَّى دَخَلَهَا، وَهِيَ دَارُ هَانِئِ بْنِ عُرْوَةَ الَّتِي تَحَوَّلَ إِلَيْهَا مِنَ الدَّارِ الْأُولَى، فَبَايَعَ وَأَدْخَلُوهُ عَلَى مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَلَزِمَهُمْ أَيَّامًا حَتَّى اطَّلَعَ عَلَى جَلِيَّةِ أَمْرِهِمْ، فَدَفَعَ الْمَالَ إِلَى أَبِي ثُمَامَةَ الصَّائِدِيِّ بِأَمْرِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ وَكَانَ هُوَ الَّذِي يَقْبِضُ مَا يُؤْتَى بِهِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَيَشْتَرِي السِّلَاحَ وَكَانَ مِنْ فُرْسَانِ الْعَرَبِ - فَرَجَعَ ذَلِكَ الْمَوْلَى، وَأَعْلَمَ عُبَيْدَ اللَّهِ بِالدَّارِ وَصَاحِبِهَا، وَقَدْ تَحَوَّلَ مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ مِنْ دَارِ هَانِئِ بْنِ عُرْوَةَ الْمُرَادِيِّ، إِلَى دَارِ شَرِيكِ بْنِ الْأَعْوَرِ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৫৯
وَكَانَ مِنَ الْأُمَرَاءِ الْأَكَابِرِ، وَبَلَغَهُ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ يُرِيدُ عِيَادَتَهُ، فَبَعَثَ إِلَى هَانِئٍ يَقُولُ لَهُ: ابْعَثْ مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلٍ حَتَّى يَكُونَ فِي دَارِي لِيَقْتُلَ عُبَيْدَ اللَّهِ إِذَا جَاءَ يَعُودُنِي. فَبَعَثَهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ شَرِيكٌ: كُنْ أَنْتَ فِي الْخِبَاءِ، فَإِذَا جَلَسَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَإِنِّي أَطْلُبُ الْمَاءَ، وَهِيَ إِشَارَتِي إِلَيْكَ، فَاخْرُجْ فَاقْتُلْهُ. فَلَمَّا جَاءَ عُبَيْدُ اللَّهِ جَلَسَ عَلَى فِرَاشِ شَرِيكٍ وَعِنْدَهُ هَانِئُ بْنُ عُرْوَةَ، وَقَامَ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ غُلَامٌ يُقَالُ لَهُ: مِهْرَانُ. فَتَحَدَّثَ عِنْدَهُ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ شَرِيكٌ: اسْقُونِي مَاءً. فَتَجَبَّنَ مُسْلِمٌ عَنْ قَتْلِهِ، وَخَرَجَتْ جَارِيَةٌ بِكُوزٍ مِنْ مَاءٍ، فَوَجَدَتْ مُسْلِمًا فِي الْخِبَاءِ فَاسْتَحْيَتْ وَرَجَعَتْ. قَالَهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: اسْقُونِي وَلَوْ كَانَ فِيهِ ذَهَابُ نَفْسِي، أَتَحْمُونَنِي مِنَ الْمَاءِ؟ فَفَهِمَ مِهْرَانُ الْغَدْرَ، فَغَمَزَ مَوْلَاهُ، فَنَهَضَ سَرِيعًا وَخَرَجَ، فَقَالَ شَرِيكٌ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُوصِيَ إِلَيْكَ. فَقَالَ: إِنِّي سَأَعُودُ إِلَيْكَ. فَخَرَجَ بِهِ مَوْلَاهُ، فَأَذْهَبَهُ وَجَعَلَ يَطْرُدُ بِهِ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ الْقَوْمَ أَرَادُوا قَتْلَكَ. فَقَالَ: وَيْحَكَ! إِنِّي بِهِمْ لَرَفِيقٌ، فَمَا بَالُهُمْ؟ ! وَقَالَ شَرِيكٌ لِمُسْلِمٍ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَخْرُجَ فَتَقْتُلَهُ؟ قَالَ: حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " «الْإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ، لَا يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ» ". وَكَرِهْتُ أَنْ أَقْتُلَهُ فِي بَيْتِكَ. فَقَالَ: أَمَا لَوْ قَتَلْتَهُ لَجَلَسْتَ فِي الْقَصْرِ لَمْ يَسْتَعِدَّ مِنْهُ أَحَدٌ وَلَتُكْفَيَنَّ أَمْرَ الْبَصْرَةِ، وَلَوْ قَتَلْتَهُ لَقَتَلْتَ ظَالِمًا فَاجِرًا. وَمَاتَ شَرِيكٌ بَعْدَ ثَلَاثٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৬০


তখন তার পাশ থেকে কেউ বলে উঠল , আপনি যে বিষয়ে প্রত্যাশী এই বিপদে পতিত
হয়ে কাদা তার ,জনট্রু শোভনীয় নয় ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম ! আমি নিজের
বিপদে র্কাদছি না, আমি কুাদছি হুসায়ন ও তার পরিবারের কথা ভেবে ৷ আজ কিৎবা
গতকাল তােমার্বুদয় উদ্যোশ্য সে মক্কা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে ৷ তারপর তিনি মুহাম্মদ
ই বনুল আশ আছের দিকে ফিরে বললেন, যদি তুমি হসায়নের নিকট একজন দুত পাঠিয়ে
আমার বরাত দিয়ে তাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পার তাহলে তা কর ৷ তখন
মুহাম্মদ ইবনুল আশআছ ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে হযরত হুসায়নের কাছে দুত
পাঠিয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি সে ব্যাপারে দুতের কথা বিশ্বাস করেন নি ! তিনি এসময় বললেন,
আ ল্ল,াহ্র য়৷ ফয়সালা তা হবেই ৷
ঐতিহাসিকপণ বলেন, মুসলিম বিন আকীল য়খন কুফা প্রশ,াসকের প্রাসাদ দ্বারে পৌছল,
তখন সাহাবার ছোলগণের ,মধ্য থেকে তবে পরিচিত একদল ৰুআমীরৰু,উমার৷ ছিলেন ৷ ইবন
;,যিয়াদের সক্ষোড়ের জন্য তার! অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন ৷ এদিকে মুসলিম গুরুতর আহত
তার মুখমণ্ডল ও কাপড় চােপড় রক্তে রঞ্জিত তিনি ভীষণ পিপাসার্ত আর এসময় সেখানে এক
কলস ঠাণ্ডা পানি ছিল ৷৩ তা থেকে গান করার জন্যও তিনি কননটি ধরতে তচাইলেন, তখন তাদের
,ন্া,!ক ব্যক্তি২ বলল,,আল্লাহ্র কসম ! জাহান্নামের তপ্ত; , পানি পান করার ৰুপুর্বেতৃযি তা থেকে, পান
করবে ,না, ৷ তখন তিনি তাকে;বললেন, (তামার সর্বনাৰুক্৷ হোক; ৷ হে বাচ্চা ! আমার চেয়ে ন্তৃমিই
জাহান্নামের তপ্ত পানির এবং সেখানে চিরস্থায়ী হওয়ার অধিক উপযুক্ত ৷ এরপর তিনি বসে
ণ্গনুেন এবং ক্লান্তি, অবসন্নতা ও :িাপানার কারাণ দেওয়ালে ৫হ্লান দিলেন ৷ তখন উমারা
ইবন উক্বা বিন আবু মুমায়ত ত২ তার এক ণ্পালামকে তার গৃহে পাঠাল এবং কম,াল দিয়ে ঢাকা
এক কলস পানি এবং একটি বড় (পয়ালা নিয়ে আসল ৷ এরপর হুসা তাকে ৫পয়ালার পানি
ঢেলে তারুক দিতে লাগল আর তিনি পান করতে লাপলেন, কিন্তু পানিতে মিশ্রিত রক্তের
আধিক্যেব কারণে তিনি তার £ঢুাকই গিলবুত পারলেন না ৷ এরুপ দু বার বা তিনবার হন ৷
এরপর য়খন নিনি পান করলেন, তখন পানির সাথে তার সৃামনের দুই দাত পড়ে ণ্:ণ্াল ৷ তখন
তিনি বললেন, আল্লাহ্ৱ প্রর্শং সা ! আমার নিধ্াবি ,বিযি কে শুধু এক ঢোক পানি অবশ্রিষ্ট ছিল ৷
এরপর তাকে ইবন যিয়াদের সাক্ষাতে প্রবেম্ ৷ করানো হল ৷ তিনি য়ল্ান তার সান্ান্বে দাড়ালেন
তখন তাকে সালাম করা থেকে বিরত থাকলেন ,! তাই প্রহরী তাংক বলুন তুমি কি আমীরকে
সাল,াম করবে নাপ্ উত্তরে তিনি রনলেন, না ৷ যে য়দি আমান্তুক হত্যা করতে চায়, তাহলে
তাঃক সালাম করার আমার কোন, প্ৰহ্র য়াজন যেই ৷ আর যদি সে আমাকে হত্যা করতে না চায়
তাহলে আমি তাকে অনেক সানাম করতে পারব ৷ তখন ইবন যিয়ান তার অভিমুখী হয়ে বলল,
হে ইবন আকীল ! লোকদেরবুক ঐক্যবদ্ধ ও অভিন মত অবস্থা থেকে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন করতে
এবং তাদের একজনকে অনাজনের হত্যায় প্ররোচির্ত করতেই তুমি এস্যেছা:২ তখন তিনি





১ আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহতে (২,৬) রয়েছেঙ্ক তিনি আমর বিন সায়ীদকে ওসীয়ত করলেন, তার
বিপদের কথা হযরত হুসায়নকে লিখে জানাতে ৷ ,

২ আতৃ ৩াবারী ৬১ ১২ আল কামিলে ৪৩৪ রয়েছে : মুসলিম বিন আমর বাহিনী ৷
৩ৰুন্ন্আৎ তাৰারীতে ও আল কামিলে এসেছে, তাকে কায়স বলা হত ৷ কুদাম৷ বিনন্সাঈদের সুত্রে আবু
মুখান্নাহুফর,ৰু-রর্ণনায় আছে যে, আমর বিন হুরায়ছ সৃলায়মান নামেতার এক গোলামবু,ক পাঠান তখন সে এক
কলস পানি নিয়ে আসল এবং তবে পান করাল ৷ ইবনুল আছম (৫৯ ৭) ৷


وَكَانَ هَانِئٌ أَحَدَ الْأُمَرَاءِ الْكِبَارِ وَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ مُنْذُ قَدِمَ وَتَمَارَضَ، فَذَكَرَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ، وَقَالَ: مَا بَالُ هَانِئٍ لَمْ يَأْتِنِي مَعَ الْأُمَرَاءِ؟ فَقَالُوا: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّهُ يَشْتَكِي. فَقَالَ: قَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ يَجْلِسُ عَلَى بَابِ دَارِهِ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ عَادَهُ قَبْلَ شَرِيكِ بْنِ الْأَعْوَرِ وَمُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ عِنْدَهُ، وَقَدْ هَمُّوا بِقَتْلِهِ، فَلَمْ يُمَكِّنْهُمْ هَانِئٌ لِكَوْنِهِ فِي دَارِهِ، فَجَاءَ الْأُمَرَاءُ إِلَى هَانِئِ بْنِ عُرْوَةَ، فَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى أَدْخَلُوهُ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَالْتَفَتَ عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى الْقَاضِي شُرَيْحٍ، فَقَالَ مُتَمَثِّلًا بِقَوْلِ الشَّاعِرِ: أُرِيدُ حَيَاتَهُ وَيُرِيدُ قَتْلِي ... عَذِيرُكَ مِنْ خَلِيلِكَ مِنْ مُرَادِ فَلَمَّا سَلَّمَ هَانِئٌ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ: يَا هَانِئُ، أَيْنَ مُسْلِمُ بْنَ عَقِيلٍ؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. فَقَامَ ذَلِكَ الْمَوْلَى التَّمِيمِيُّ - الَّذِي دَخَلَ دَارَ هَانِئٍ فِي صُورَةِ قَاصِدٍ مِنْ حِمْصَ، فَبَايَعَ فِي دَارِهِ، وَدَفَعَ الدَّرَاهِمَ بِحَضْرَةِ هَانِئٍ إِلَى مُسْلِمٍ - فَقَالَ: أَتَعْرِفُ هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. فَلَمَّا رَآهُ هَانِئٌ قُطِعَ بِهِ وَأُسْقِطَ فِي يَدِهِ، فَقَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، وَاللَّهِ مَا دَعَوْتُهُ إِلَى مَنْزِلِي، وَلَكِنَّهُ جَاءَ فَطَرَحَ نَفْسَهُ عَلَيَّ. فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَأْتِنِي بِهِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ كَانَ تَحْتَ قَدَمَيَّ مَا رَفَعْتُهُمَا عَنْهُ. فَقَالَ: أَدْنُوهُ مِنِّي. فَأَدْنَوْهُ فَضَرَبَهُ بِحَرْبَةٍ عَلَى وَجْهِهِ، فَشَجَّهُ عَلَى حَاجِبِهِ، وَكَسَرَ أَنْفَهُ، وَتَنَاوَلَ هَانِئٌ سَيْفَ شُرْطِيٍّ لِيَسُلَّهُ، فَدُفِعَ عَنْ ذَلِكَ، وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: قَدْ أَحَلَّ اللَّهُ لِي دَمَكَ ; لَأَنَّكَ حَرُورِيٌّ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ، فَحَبَسَهُ فِي جَانِبِ الدَّارِ، وَجَاءَ قَوْمُهُ مِنْ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৬৬৬১


বললেন কখনও না ! সে জন্য আমি ৩! সি নি ৷ কিন্তু শহরব!সীদের দ!বী হল তোমার পিতা
!দুদর উওম লোকদের হত্যা করেছে এবং তাদের রক্ত প্ৰর!ইিত কদুরদুছ ৷ তাই আমরা
ন!!যপ্বাযণতাব নিদুম্পে দেওয়ার জন্য এবং কিত!দুবর ফয়সাল!র দিদুক আহ্বান করার জন্য
!দুদরত ক!দুছ এদুসছি ৷ তখন সে রলল, হে বিদ্রোহী ! তোমার সাথে তবে কি সম্পর্ক? মদীন!য
যখন তুমি মদ পান করতে তখন দুকন তাদের মাঝে এসব করতে ন!:ণ্ ষ্
তিনি বলদুলন, আমি মদ!প!য়ী? অ !ল্লাহ্র কলম ! তিনি জানেন তুমি স৩বােদী নও এরৎ না
দুজদুন কথ! রলছ এবং দুস বিষয়ে আমার চেয়ে তুমি অধিক উপযুজ ! কেননা, তুমি যেমন
উদুল্লর্থ কদুরছ আমি দুতনন নই ! সেই র!ক্তিই আমার চেয়ে তার অধিক উপযুজ যে
ণ্ঘুসলম!নগদুণর রক্ত দুলহন কদুর এবং কোন প্র!ণের বিনিময় ব্যতীত আল্লাহ্ যে প্রাণ হত!
নিষিদ্ধ করেছেন ত! হত্যা করে, দুক্র!ধ ও কুধারণ !র বন !রর্তী হয়ে দুহদুস দুখলে অৰলীল!য ন! নুয
হত!! করে, যেন সে কিছুই করে নি !

তখন ইবন যিয়!দ ত!দুক বলল, দুহ বিদ্রোহী পাপাচ!রীদু আমার মন র!র অ!শ্!! দিচ্ছে
দুত!ন!র ও তার মাঝে আল্লাহ অন্তর!য় আর তিনি দুত!মা দুক তার উপযুক্ত দুক দুদখ!ন নি ! তিনি
বলদুলন হৈ ইরন যিয়!দ ! কে তার উপযুক্ত? দুস রলল, শ্অ!যীকল ঘুমিনীন ধ্যাযিদ ! দিনি
বলদুলন, সর্ব!বস্থায আল্লাহর ক্রীৎ স! ! অ!র্ম!দুদর ও দুত!ও!!দুদর মাদুঝ ফযসালাকবীরুদুপ
আল্লাহ্কে দুমদুন নিলাম! সে বলল, তৃমিণ্মদুন হয় ধারণা করছ যে, এই শাসন কর্তৃদুতু
তোমাদের কোন অংশ রয়েছে! তিনি বললেন নয়
নিশ্চিত বিশ্বাস !

এরপর সে সৃসদিম বিন আকীলদুক বলল, দুত!ম!দুক যদি এমনভাবে ই৩ ৩!! ন! কবির!
ইসলামে দুকত করে নি, তাহলে অ!ল্লাহ্ দুযন আমাকে হয়ত অপদস্থ করেন৷ তখন তিনি
বললেন, শুনে দুরখ ! ইসলামে যার! বিদঅ!দুতর উদ্ভাবন করেদুছ তুমি ত!দুদর অন্যতম
একজন ! শুদুন দুবথ ! তুমি তো নির্মম হত্যা, মৃ৩ দেহের কৃত্সিত বিকৃদিকবণ এবং দুত!ম!দুদর
একান্ত সহচর ও মুর্থদের থেকে অর্জিত চ!ল-চলদুনর পৈশাচিকত! (দু ন! ×র!মি) ত!!গ করদু র ন! !
এসময় ইবন যিয়!দ ত!দুক গ!লনন্দ করতে ল!গল এবং হ্সাযন ও ল!লীর সম্দুলাসাে করতে
লাগল আর মুসলিম কোন কথ! ল! বদুল নিচ্চুপ নন্ক্লেন !

আবু মুখ!ননাফ ও শিষ্যদের অন!!ন্য র!বী দুদকে ইবন জ্বারীর বর্ণন! কদুরছেন ! ত!রপর
ইবন যিয়!দ মুসলিম! ক লক্ষ্য করে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব ! তনি বললেন সত্যিই
নাকি ! দুস বলল, ছু!! ! তিনি বৃলদুলন, তাহলে আমার গোত্রের কারো ক!দুছ আমাকে ওসীযত
করার সুদুযাগ দাও ! দুস বলল, ঠিক আছে ! তুমি দুত!মা য় অসিযত কর ! তখন তিনি সেখানে
উপবেশ্! নক!বীদের ন!ঝে উমর বিন স! দ বিন আবু ওয!ক্কাসকে দুদখদুত দুপ্রদু য় ত! দুক বললেন
দুহ উমর! আমার ওদু তামার ম!দুঝ ৩!!ত্মীযত! রদু য়দুছ ! এখন তোমার কাছে আমার একটি
প্রয়োজন দেখা দিয়েছে য! দুপ!পনীয়, ৩ইি তুমি উঠে আমার সাথে প্রার্স!দুদর এক কোণে আন,
যাদুত আমি ত! তােম! দুক বলতে পারি ! কিন্তু সে তার সাথে উঠে যেতে অস্বীকৃতি জালাল !
অবশেষে ইবন যিয়!দ ত!দুক অনুমতি দিল ! তখন সে ইবন যিয!দের ব্যাংন্থ এক কোণে সদুর
দ!ড়াল ! তখন মুসলিম ত কে বলল, কুফ!য আমার সাতশ ’ দিরহাৰুম ঋণ রয়েছে আমার পক্ষ
থেকে ত ত! আদায় করে দিও ! আর ইবন যিয়!দ থেকে আমার মৃত দেহ চেয়ে নিয়ে
দ!ফদুনর ব্যবস্থা করে! ! আর হমায়দুনর ক!দুছ একজন দুত প!ঠিদুয (৩ ত!দুক সব জানিয়ে) দিও !

ণোমোঃ

مَذْحِجٍ مَعَ عَمْرِو بْنِ الْحَجَّاجِ، فَوَقَفُوا عَلَى بَابِ الْقَصْرِ، يَظُنُّونَ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ، فَسَمِعَ عُبَيْدُ اللَّهِ لَهُمْ جَلَبَةً، فَقَالَ لِشُرَيْحٍ الْقَاضِي وَهُوَ عِنْدَهُ: اخْرُجْ إِلَيْهِمْ فَقُلْ لَهُمْ: إِنَّ الْأَمِيرَ لَمْ يَحْبِسْهُ إِلَّا لَيَسْأَلَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ. فَقَالَ لَهُمْ: إِنْ صَاحِبَكُمْ حَيٌّ، وَقَدْ ضَرَبَهُ سُلْطَانُنَا ضَرْبًا لَمْ يَبْلُغْ نَفْسَهُ، فَانْصَرِفُوا وَلَا تُحِلُّوا بِأَنْفُسِكُمْ وَلَا بِصَاحِبِكُمْ. فَتَفَرَّقُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ، وَسَمِعَ مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ الْخَبَرَ، فَرَكِبَ وَنَادَى بِشِعَارِهِ: يَا مَنْصُورُ أَمِتْ. فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ مَعَهُ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَمَعَهُ رَايَةٌ خَضْرَاءُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ بِرَايَةٍ حَمْرَاءَ، فَرَتَّبَهُمْ مَيْمَنَةً وَمَيْسَرَةً، وَسَارَ هُوَ فِي الْقَلْبِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي أَمْرِ هَانِئٍ، وَيُحَذِّرُهُمْ مِنَ الِاخْتِلَافِ، وَأَشْرَافُ النَّاسِ وَأُمَرَاؤُهُمْ تَحْتَ مِنْبَرِهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَتِ النَّظَّارَةُ يَقُولُونَ: جَاءَ مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ. فَبَادَرَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَدَخَلَ الْقَصْرَ وَمَنْ مَعَهُ، وَأَغْلَقُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ، فَلَمَّا انْتَهَى مُسْلِمٌ إِلَى بَابِ الْقَصْرِ وَقَفَ بِجَيْشِهِ هُنَاكَ، فَأَشْرَفَ أُمَرَاءُ الْقَبَائِلِ الَّذِينَ عِنْدَ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي الْقَصْرِ، فَأَشَارُوا إِلَى قَوْمِهِمُ الَّذِينَ مَعَ مُسْلِمٍ بِالِانْصِرَافِ وَتَهَدَّدُوهُمْ وَوَعَدُوهُمْ وَتَوَعَّدُوهُمْ، وَأَخْرَجَ عُبَيْدُ اللَّهِ بَعْضَ الْأُمَرَاءِ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْكَبُوا فِي الْكُوفَةِ يُخَذِّلُونَ النَّاسَ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تَجِيءُ إِلَى ابْنِهَا وَأَخِيهَا فَتَقُولُ: ارْجِعِ، النَّاسُ يَكْفُونَكَ. وَيَقُولُ الرَّجُلُ لَابْنِهِ وَأَخِيهِ: كَأَنَّكَ غَدًا بِجُنُودِ الشَّامِ قَدْ أَقْبَلَتْ، فَمَاذَا تَصْنَعُ مَعَهُمْ؟ فَتَخَاذَلَ النَّاسُ وَقَصَّرُوا وَتَصَرَّمُوا وَانْصَرَفُوا عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ فَمَا أَمْسَى إِلَّا وَهُوَ فِي
পৃষ্ঠা - ৬৬৬২
خَمْسِمِائَةِ نَفْسٍ، ثُمَّ بَقِيَ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ، ثُمَّ لَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا ثَلَاثُونَ رَجُلًا، فَصَلَّى بِهِمُ الْمَغْرِبَ، وَقَصَدَ أَبْوَابَ كِنْدَةَ، فَخَرَجَ مِنْهَا فِي عَشَرَةٍ، ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَبَقِيَ وَحْدَهُ، لَيْسَ مَعَهُ مَنْ يَدُلُّهُ عَلَى الطَّرِيقِ، وَلَا مَنْ يُوَاسِيهِ بْنفْسِهِ، وَلَا مَنْ يَأْوِيهِ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَذَهَبَ عَلَى وَجْهِهِ، وَاخْتَلَطَ الظَّلَامُ وَهُوَ وَحْدَهُ يَتَرَدَّدُ فِي الطَّرِيقِ لَا يَدْرِي أَيْنَ يَذْهَبُ، فَأَتَى بَابًا فَنَزَلَ عِنْدَهُ وَطَرَقَهُ، فَخَرَجَتْ مِنْهُ امْرَأَةٌ يُقَالُ لَهَا: طَوْعَةُ - كَانَتْ أُمَّ وَلَدٍ لَلْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، وَقَدْ كَانَ لَهَا ابْنٌ مِنْ غَيْرِهِ يُقَالُ لَهُ: بِلَالُ بْنُ أُسَيْدٍ. خَرَجَ مَعَ النَّاسِ، وَأُمُّهُ قَائِمَةٌ بِالْبَابِ تَنْتَظِرُهُ - فَقَالَ لَهَا مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ: اسْقِنِي مَاءً. فَسَقَتْهُ، ثُمَّ دَخَلَتْ وَخَرَجَتْ فَوَجَدَتْهُ، فَقَالَتْ: أَلَمْ تَشْرَبْ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَتْ: فَاذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ. فَسَكَتَ، فَقَالَتْ لَهُ ذَلِكَ ثَلَاثًا وَهُوَ سَاكِتٌ، فَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا عَبْدَ اللَّهِ! قُمْ إِلَى أَهْلِكَ، عَافَاكَ اللَّهُ، فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَكَ الْجُلُوسُ عَلَى بَابِي، وَلَا أُحِلُّهُ لَكَ. فَقَامَ فَقَالَ: يَا أَمَةَ اللَّهِ، لَيْسَ لِي فِي هَذَا الْبَلَدِ مَنْزِلٌ وَلَا عَشِيرَةٌ، فَهَلْ لَكِ إِلَى أَجْرٍ وَمَعْرُوفٍ وَفِعْلٍ نُكَافِئُكِ بِهِ بَعْدَ الْيَوْمِ. فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: أَنَا مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ، كَذَّبَنِي هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ وَغَرُّونِي. فَقَالَتْ: أَنْتَ مُسْلِمٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتِ: ادْخُلْ. فَأَدْخَلَتْهُ بَيْتًا مِنْ دَارِهَا غَيْرَ الْبَيْتِ الَّذِي يَكُونُ فِيهِ، وَفَرَشَتْ لَهُ، وَعَرَضَتْ عَلَيْهِ الْعَشَاءَ فَلَمْ يَتَعَشَّ، فَلَمْ يَكُنْ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ جَاءَ ابْنُهَا فَرَآهَا تُكْثِرُ الدُّخُولَ وَالْخُرُوجَ، فَسَأَلَهَا عَنْ شَأْنِهَا فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، الْهُ عَنْ هَذَا. فَأَلَحَّ عَلَيْهَا، فَأَخَذَتْ عَلَيْهِ أَنْ لَا يُحَدِّثَ أَحَدًا، فَأَخْبَرَتْهُ خَبَرَ مُسْلِمٍ، فَاضْطَجَعَ وَسَكَتَ إِلَى الصَّبَاحِ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৬৩

কেননা আমি তাকে লিখেছিলাম যে, কুফাবসীর৷ তার সাথে আছে ৷ আর আমার মনে হয় সে
এসে পড়বে ৷ ,
যখন উমর গিয়ে ইবন যিয়াদের কাছে তার আবেদনগুলো পেশ করল ৷ তখন সে
সরগুলোর অনুমতি প্রদান করল এবং বলল, হুসায়ন যদি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে না
চায় তাহলে আমরাও তার বিরুদ্ধে লড়ব না ৷ কিন্তু যদি সে চায় তাহলে আমরাও বিরত থাকর
না ৷ তারপর ইবন যিয়াদের নির্দেশে মুসলিম বিন আকীলকে প্রাসাদের সর্বোম্রইস্থানে আরোহণ
করানো হল, আর এস ৷য় তিনি তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ ও ইসতিপফার পড়ছিলেন ৷
ফিবিশতাব্দর নামে দরুদ পাঠ করছিলেন, আর বলছিলেন, হে আল্লাহ! আমাদের ও ঐ
সম্প্রদায়ের মাঝে ফয়সালা করুন ৷ যারা আমাদের সাতে প্রতারণা করেছে এবং আমাদের
সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসহায় করেছে ৷ এরপর বুকায়র২ বিন হুমরান নামে এক ব্যক্তি তার
শিরচ্ছেদ করল এবং প্রথমে মাথা অতঃপর ধড় প্রাসাদের নীচে নিক্ষেপ করা হল ৷ তারপর তার
নির্দোশ সেখানকার ভেড়া ছাগল বিক্রির স্থানে হানি বিন উরওয়৷ আল মাজহিযীর শিরচ্ছেদ
করা হয় এবং তার মরদেহ কুনাসাহ’ নামে কুফার একস্থানে শৃ লবিদ্ধ করে রাখা হয় ৷ এ
বিষয়ে জনৈক করি৪ একটি কবিতা রচনা করেন,
ষ্ঢ়
মৃতু৷ কি৩ ৷যদি তোমার অজানা হয় তাহলে মেষ বাজারে (শুলবিদ্ধ) হানির প্রতি ৩লক্ষা
কর লক্ষ্য কর ইবন আকীলের পরিণতি ৷
আমীরের নির্দেশ তাদের উপর আপতিত হয়েছে, তাই তারা সকল পথের পথচাহীদের
আলোচনার বিষয়ে পারণত হয়েছে ৷

ক্রা



১ দেখুন ফুতুহ ইবনৃল আছমে (৫১ :০ ১ : ১ ) আল আখবারুত তিওয়াল ২৪ ১ পৃ৪ ৷

২ মুল গ্রন্থে ও তাবারীতে এমনই রয়েছে ৷ আর ইবনৃল আছম উল্লেখ করেছেন যে, বুকায়র ইবনৃল হুমরান

আল আহমারী যে সময় নিহত হয়, যখন ইবনৃল আ ছম ৩ এবার গৃহ থেকে মুসলিমকে বন্দী করতে যায় ৫৯৫ ৷

আল আখবারুৎ তিওয়ালে (২৪১ পৃঙ্ক) রয়েছে : ঐ ব্যক্তির নাম আহমার বিন বুকায়র ৷ আর যুসলিমকে হত্যা

করা হয়েছিল ষাট হিজরীর জিলহস্থজ্জর চার তারিখ মঙ্গল বার ৷ মুরুজুয যাহাব গ্রন্থে রয়েছে (৩৭৩) এই ব্যক্তি

হল বুকায়র আল আহমারী ৷ ইতিপুর্বে মুসলিম তাকে আঘাত করেছিল, আর ইবন যিয়াদ তাকে বলেছিল, তুমিই
৩ার ৷৷ৱচ্ছেদ কর যাতে তা তোমাকে তার আঘ৷ ৷তের প্রতিশোধ হয় ৷

৩ উবায়দুল্লাহ্ বিন যিয়াদের গোলাম রশিদ তার শিরচ্ছেদ করে ৷

৪ আৎ তাবারী ও আল কামিলের বর্ণনা মতে কবিতাটি আবদুল্লাহ বিন যুবায়র আল আসাদী আর ফুতুহ ইবনৃল

আছমে রয়েছে বনী আভুা৷দের এক ব্যক্তির উল্লেখ এবং মুরুজুয্ যাহাবে রয়েছে এভাবে করি বললেন

আত তাবারী ও মুরুজুষ্ যাহাবে প্রু১া৷ শব্দ রয়েছে ইবনৃল আ’ছমে রয়েছে গ্রা৷ শব্দ ৷

৬ আৎ তাবারীতে é; আর আল আখবারুত তিওয়ালে; ইবনৃল আ ছমে এবং নৃরুজুঘৃ যাহাবে ,ৰু

৭ ইবনৃল অ৷ ছমে রয়েছো, আর আল অ ৷খবার৩ তিওয়ালে এে৷ রয়েছে ৷



ফি

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া -৩৮

وَأَمَّا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ فَإِنَّهُ نَزَلَ مِنَ الْقَصْرِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَشْرَافِ بَعْدَ عِشَاءِ الْآخِرَةِ، فَصَلَّى بِهِمُ الْعِشَاءَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، ثُمَّ خَطَبَهُمْ وَطَلَبَ مِنْهُمْ مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلٍ، وَحَثَّ عَلَى طَلَبِهِ، وَمِنْ وُجِدَ عِنْدِهِ وَلَمْ يُعْلِمْ بِهِ فَدَمُهُ هَدَرٌ، وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَلَهُ دِيَتُهُ، وَطَلَبَ الشُّرَطَ، وَحَرَّضَهُمْ عَلَى تَطَلُّبِهِ وَتَهَدَّدَهُمْ وَتَوَعَّدَهُمْ، فَلَمَّا أَصْبَحَ ابْنُ تِلْكَ الْعَجُوزِ ذَهَبَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ، فَأَعْلَمَهُ بِأَنَّ مُسْلِمَ بْنَ عَقِيلٍ فِي دَارِهِمْ، فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَسَارَّ أَبَاهُ بِذَلِكَ وَهُوَ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ، فَقَالَ ابْنُ زِيَادٍ: مَا سَارَّكَ بِهِ؟ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَّ مُسْلِمًا فِي بَعْضِ دُورِنَا. فَنَخَسَ بِقَضِيبٍ فِي جَنْبِهِ، وَقَالَ: قُمْ فَأْتِنِي بِهِ السَّاعَةَ. وَبَعَثَ ابْنُ زِيَادٍ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ الْمَخْزُومِيَّ - وَكَانَ صَاحِبَ شُرْطَتِهِ - وَمَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ فِي سَبْعِينَ أَوْ ثَمَانِينَ فَارِسًا، فَلَمْ يَشْعُرْ مُسْلِمٌ إِلَّا وَقَدْ أُحِيطَ بِالدَّارِ الَّتِي هُوَ فِيهَا، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَقَامَ إِلَيْهِمْ بِالسَّيْفِ فَأَخْرَجَهُمْ مِنَ الدَّارِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَأُصِيبَتْ شَفَتُهُ الْعُلْيَا وَالسُّفْلَى، ثُمَّ جَعَلُوا يَرْمُونَهُ بِالْحِجَارَةِ وَيُلْهِبُونَ النَّارَ فِي أَطْنَانِ الْقَصَبِ وَيُلْقُونَهَا عَلَيْهِ، فَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ بِسَيْفِهِ فَقَاتَلَهُمْ، فَأَعْطَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَمَانَ، فَأَمْكَنَهُ مِنْ يَدِهِ، وَجَاءُوا بِبَغْلَةٍ، فَأَرْكَبُوهُ عَلَيْهَا، وَسَلَبُوا مِنْهُ سَيْفَهُ، فَلَمْ يَبْقَ يَمْلِكُ مِنْ نَفْسِهِ شَيْئًا، فَبَكَى عِنْدَ ذَلِكَ، وَعَرَفَ أَنَّهُ مَقْتُولٌ، فَيَئِسَ مِنْ نَفْسِهِ، وَقَالَ: إِنَّا لَلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৬৬৪
لَهُ بَعْضُ مَنْ حَوْلَهُ: إِنَّ مَنْ يَطْلُبُ مِثْلَ الَّذِي تَطْلُبُ لَا يَبْكِي إِذَا نَزَلَ بِهِ هَذَا. فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَسْتُ أَبْكِي عَلَى نَفْسِي، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَى الْحُسَيْنِ وَآلِ الْحُسَيْنِ، إِنَّهُ قَدْ خَرَجَ إِلَيْكُمُ الْيَوْمَ أَوْ غَدًا مِنْ مَكَّةَ. ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ فَقَالَ: إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَبْعَثَ إِلَى الْحُسَيْنِ عَلَى لَسَانِي تَأْمُرُهُ بِالرُّجُوعِ فَافْعَلْ. فَبَعَثَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ إِلَى الْحُسَيْنِ يَأْمُرُهُ بِالرُّجُوعِ، فَلَمْ يُصَدِّقِ الرَّسُولَ فِي ذَلِكَ، وَقَالَ: كُلُّ مَا حُمَّ وَاقِعٌ. قَالُوا: وَلَمَّا انْتَهَى مُسْلِمُ بْنُ عَقِيلٍ إِلَى بَابِ الْقَصْرِ إِذَا عَلَى بَابِهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ مِمَّنْ يَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونَهُ، يَنْتَظِرُونَ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُمْ عَلَى ابْنِ زِيَادٍ، وَمُسْلِمٌ مُخَضَّبٌ بِالدِّمَاءِ وَجْهُهُ وَثِيَابُهُ، وَهُوَ مُثْخَنٌ بِالْجِرَاحِ، فِي غَايَةِ الْعَطَشِ، وَإِذَا قُلَّةٌ مِنْ مَاءٍ بَارِدٍ هُنَالِكَ، فَأَرَادَ أَنْ يَتَنَاوَلَهَا لَيَشْرَبَ مِنْهَا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أُولَئِكَ: وَاللَّهِ لَا تَشْرَبُ مِنْهَا حَتَّى تَشْرَبَ مِنَ الْحَمِيمِ. فَقَالَ لَهُ: وَيْلَكَ يَا ابْنَ بَاهِلَةَ! أَنْتَ أَوْلَى بِالْحَمِيمِ وَالْخُلُودِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ مِنِّي. ثُمَّ جَلَسَ مُتَسَانِدًا إِلَى الْحَائِطِ مِنَ التَّعَبِ وَالْكَلَالِ وَالْعَطَشِ، فَبَعَثَ عُمَارَةُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ مَوْلًى لَهُ إِلَى دَارِهِ، فَجَاءَ بِقُلَّةٍ عَلَيْهَا مِنْدِيلٌ وَمَعَهُ قَدَحٌ، فَجَعَلَ يُفْرِغُ لَهُ فِي الْقَدَحِ، وَيُعْطِيهِ فَيَشْرَبُ، فَلَا يَسْتَطِيعُ مِنْ كَثْرَةِ الدِّمَاءِ الَّتِي تَعْلُو عَلَى الْمَاءِ، مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَلَمَّا شَرِبَ سَقَطَتْ ثَنْيَتَاهُ مَعَ الْمَاءِ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لَلَّهِ، لَقَدْ كَانَ لِي مِنَ الرِّزْقِ الْمَقْسُومِ شَرْبَةُ مَاءٍ. ثُمَّ أُدْخِلَ عَلَى ابْنِ زِيَادٍ، فَلَمَّا أُوقِفَ بَيْنَ يَدَيْهِ لَمْ يُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৬৬৫


লক্ষ্য কর, এমন বীরের প্রতি তরবাবি যার ঘুথমণ্ডলকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে আর আয়েকজনের
প্ৰতি যে নিহতের পােশ কে পতিত হচ্ছে ৷

তুমি এমন দেহ দেখতে পাবে, যাকে মৃত্যু বিবর্ণ করেছে এবং দেখতে পারে এমন রচঙ্ঘ ফোয়ারা
যা সকল দিকে ছড়িয়ে পড়েছে ৷
আর তোমরা যদিা আমাদের ভাইয়ের প্ৰতিশোধ গ্রহণ না বস্ত্র, তাহলে তোমরা এমন পতিতা নারী
তুলা যাকে সামান্য বিনিময়ে তুষ্ট করা হয়েছে ৷
এছাড়া ৷ইবন যিয়াদ তা ৷দের দু জনের সাথে আরো অনেককে হত্যা করে ৷ অতংপর তাদের দৃ জনের
মাথা শামে ইয়াষিদ বিন মৃআবিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং তাদের দৃ জনের বিষয়ে বিস্তারিত বৃত্তাত
উল্লেখ করে তাকে একটি পত্র প্রেরণ করে ৷
বর্ণিত আছে যে, কারা থেকে বের হওয়ার একদিন পুর্বে উবায়দৃরাহ্ বিন যিয়সিং বসরারাসীকে
উদ্দেশ্য করে এক মর্মস্পর্শী খুতব৷ প্রদান করেছিল এতে যে তাদেরকে উপদেশ দিয়েছিল এ বৎ
মতানৈক্য, বিচ্ছিন্ন৩ ৷, ও বিশৃগ্রলা থেকে সতক করেছিল এবং ভীতি প্রদর্শন করেতাি ৷ আর এর কারণ
ছিল যা হিশাম বিন কালবী এবং আবু মুখানৃনাফ বর্ণনা করেছেন ৷ কা র বিন যুহায়র থেকে তিনি আবু
উসমান আ ন ৷নাহ্দী থেকে তিনি বলেন, হযরত হুসায়ন (রা) সালমান নামে তার এক মাওলার মারফত
বসরার নেতৃস্থানীয় ও সস্রান্ত লোকের কাছে একটি পত্র পাঠিয়েছিলেন, এতে
পর কথা হল আল্লা হ্ সমস্ত সৃষ্টির মাঝে মুহাম্মদ (সা) কে মনোনীত করেছেন এবং তাকে নবুওত
দ্বারা সম্মাতি ৩করেছেন এবৎ৩ তার রিসালা লাভের জন্য নির্বাচিত করেছেন অতঃপর তাকে তার সান্নিধ্যে
উঠিয়ে নিয়েছেন ৷ আর তিনি তার (অ ল্লাহ্র) বান্দার প্রতি তার হিতাকাক্ষো পুর্ণ করেছেন এবং তার
কাছে প্রেরিত পয়গাম পৌছে দিয়েছেন ৷ আর আমরা তার আপনজন, অনুসারী ও উত্তরাধিকারী এবং
মানুষের মাঝে তার ও তার মাকামের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি হকদার ৷ বিস্তু আমাদের সম্প্রদায়ের
লোবেস্ত্র৷ আমাদেরকে বাদ দিয়ে তা কুক্ষিগত করেছে তা স্বড়েও আমরা তা মেনে নিরেছি ৷ কেননা
আমরা অনৈক্য ও বিচিনুেতাকে ঘৃণা করেছি এবং ঐক্য ও সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দিয়েছি ৷ আর আমরা
জনি যে, শাসন কর্তৃত্বের ঐ অধিকারের ব্যাপারে যারা তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে আমরা তার চেয়ে
বেশি হকদার ৷ অবশ্য তারা (তাদের সাধ্যমত) উত্তম আচরণ করেছে এবং সংশোধন করেছে এবং
যথাসাধ্য সত্যের সন্ধান করেছে ৷ তইি, আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদের ও তাদেরকে ক্ষমা
করেছেন ৷ আর তোমাদের কাছে এই পত্র৩ পাঠিয়ে তােমাদেরকে আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নাতের
দিকে আহ্বান করছি ৷ (কানা, সৃন্নাড়ের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে আর বিদআতকে পুনফ্লাজ্জীবিত বলা
হয়েছে ৷ কাজেই তোমরা আমাদের কথা গােন এবং আমার নির্দেশ মান, যদি তোমরা তা কর, তাহলে
আমিং আমাদেরকে সুপথ প্রদর্শন বস্ত্রব ৷ ওয়াস সালামৃ আলাছকুম ওয়া রা হমাতুল্লাহ্” ৷
আমার মতে এই পত্রটি হযরত হুসায়নের কিনা এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে ৷ বাহ্যিক অবস্থা দৃষ্টে
মনে হয় এটা কোন শিয়া বর্ণনাকারীয় অভিরঞ্জিত ও অলঙ্কারপুর্ণ কথা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, বসরার



১ এই পত্রের ভাষ্য ইবনুল আ হয়ে (৫১০৮ ) এবং আৎ তারারীতে (৬২১৫) বিদ্যমান ৷

২ আৎ তাবারী (৬২০০) তে সুলায়মান উল্লেখ করেছে ৷ আর হুসায়নের হত্যাকাণ্ড গন্থে রয়েছে, তার নাম
ছিল যাররাঅ, সে হযরত হুসায়নের দুধ ভাই ছিল ৷

৩ আৎ তাবারী (৬২০০ ) তে রয়েছে; তোমাদের কাছে আমার দৃতকে প্রেরণ করেছি ৷


الْحَرَسِيُّ: أَلَا تُسَلِّمُ عَلَى الْأَمِيرِ؟ ! فَقَالَ: لَا، إِنْ كَانَ يُرِيدُ قَتْلِي فَلَا حَاجَةَ لِي بِالسَّلَامِ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ يُرِدْ قَتْلِي فَسَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ كَثِيرًا. فَأَقْبَلَ ابْنُ زِيَادٍ عَلَيْهِ فَقَالَ: إِيهِ يَا ابْنَ عَقِيلٍ، أَتَيْتَ النَّاسَ وَأَمْرُهُمْ جَمِيعٌ وَكَلِمَتُهُمْ وَاحِدَةٌ ; لِتُشَتِّتَهُمْ، وَتُفَرِّقَ كَلِمَتَهُمْ، وَتَحْمِلَ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ؟ ! قَالَ: كَلَّا لَسْتُ لَذَلِكَ أَتَيْتُ، وَلَكِنْ أَهْلُ الْمِصْرِ زَعَمُوا أَنَّ أَبَاكَ قَتَلَ خِيَارَهُمْ، وَسَفَكَ دِمَاءَهُمْ، وَعَمِلَ فِيهِمْ أَعْمَالَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، فَأَتَيْنَاهُمْ لَنَأْمُرَ بِالْعَدْلِ وَنَدْعُوَ إِلَى حُكْمِ الْكِتَابِ. قَالَ: وَمَا أَنْتَ وَذَاكَ يَا فَاسِقُ، أَوَ لَمْ نَكُنْ نَعْمَلُ بِذَلِكَ فِيهِمْ إِذْ أَنْتَ بِالْمَدِينَةِ تَشْرَبُ الْخَمْرَ؟ فَقَالَ: أَنَا أَشْرَبُ الْخَمْرَ! وَاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَيَعْلَمُ أَنَّكَ غَيْرُ صَادِقٍ، وَأَنَّكَ قُلْتَ بِغَيْرِ عِلْمٍ، وَأَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِّي، فَإِنِّي لَسْتُ كَمَا ذَكَرْتَ، وَإِنَّ أَوْلَى بِهَا مِنِّي مَنْ يَلَغُ فِي دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ وَلَغًا، وَيَقْتُلُ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ بِغَيْرِ نَفْسٍ، وَيَقْتُلُ عَلَى الْغَضَبِ وَالظَّنِّ، وَهُوَ يَلْهُو وَيَلْعَبُ كَأَنَّهُ لَمْ يَصْنَعْ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: يَا فَاسِقُ، إِنَّ نَفْسَكَ تُمَنِّيكَ مَا حَالَ اللَّهُ دُونَكَ وَدُونَهُ، وَلَمْ يَرَكَ أَهْلَهُ. قَالَ: فَمَنْ أَهْلُهُ يَا ابْنَ زِيَادٍ؟ قَالَ: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ. قَالَ: الْحَمْدُ لَلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ، رَضِينَا بِاللَّهِ حَكَمًا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ. قَالَ: كَأَنَّكَ تَظُنُّ أَنَّ لَكُمْ فِي الْأَمْرِ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا هُوَ بِالظَّنِّ، وَلَكِنَّهُ الْيَقِينُ. قَالَ لَهُ: قَتَلَنِي اللَّهُ إِنْ لَمْ أَقْتُلْكَ قِتْلَةً لَمْ يُقْتَلْهَا أَحَدٌ فِي الْإِسْلَامِ مِنَ النَّاسِ. قَالَ: أَمَا إِنَّكَ أَحَقُّ مَنْ أَحْدَثَ فِي الْإِسْلَامِ مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ، أَمَا إِنَّكَ لَا تَدَعُ سُوءَ الْقِتْلَةِ، وَقُبْحَ الْمُثْلَةِ، وَخُبْثَ السِّيرَةِ الْمُكْتَسَبَةِ عَنْ آبَائِكُمْ وَجُهَّالِكُمْ. وَأَقْبَلَ ابْنُ زِيَادٍ يَشْتُمُهُ وَيَشْتُمُ حُسَيْنًا وَعَلِيًّا، وَمُسْلِمٌ