আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وخمسين

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من المشاهير والأعيان

পৃষ্ঠা - ৬৫২৫


আবু মাশার ও ওয়াকিদী বলেন, এ বছর উসমান ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু সুফিয়ান
লোকদের নিয়ে হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ এ সময় মদীনাব গভর্নর ও-জ্বা৷লীদ ইবন উত্ব৷ ইবন
আবু সুফিয়ান কুফার গভর্নর নুমান ইবন বশীর ৰুণ্বং কাযী শুরাযহ, বসরার গভর্নর
উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ, সিজিসৃতানের গভর্নর আব্বাদ্ ইবন যিয়াদ আর উবায়দুল্লাহ্’ ইবন
যিয়াদের পক্ষ থেকে কিরমানের প্রশাসক শারীক ইবন আলআওয়ার আল হারিহী ৷

এ বছর যে সকল বিশিষ্টজন মৃত্যুবরণ করেন

ইবন জ্যওযী বলেন, এ বছর হযরত উসামা ইবন যায়দ (রা) ইস্তিকাল করেন ৷ ৩ারশব্ল
বিশুদ্ধমত হল, যেমন পুর্বে বিগত হয়েছে তিনি এর পুর্বেই ইন্তিকাল করেন ৷

করি হুতাইয়াহ্

তার নাম জিরওয়াল ইবন মালিক ইবন জিরওয়াল ইবন মালিক ইবন জুওয়াইয়া ইবন
মাখবুয় ইবন কুতায়আ ইবন ঈস৷ ইবন ঘুৰুা৷য়কা১ ৷ সে বিশিষ্ট কবি ৷ খর্বাকৃতি হওয়ায় তাকে
হুতাইআ উপাধি দেয়৷ হয় ৷ সে জাহেলী যুগ পেয়েছিল আর ইসলাম গ্রহণ করেছিল হযরত
আবু বকর (রা) এর খিলাফত কালে ৷ সে ছিল অতি নিন্দুক করি ৷ বলা হয় সে তার মা, বাবা
চাচা, মামা শ্রী এমনাক নিজের নিন্দায়ও কুৎসা ক বা রচনা করেছে ৷ মায়ের নিন্দায় তার
কুৎসা কাব্যের একাং শ-
আমার থেকে দুরে গিয়ে রস ৷ তোমার থেকে আল্লাহ্ জগ৩ বাসীকে পরিত্রাং ৷ দিন’ ৷
স্পোা
তাযাকে কোন গোপন কথা বলা হলে চালুনির ন্যায় তুমি তা ফাস করে দাও, আর
মানুষের কথা শুনে কুটনিপনা করে বেড়াও ৷ শ্ ণ্

বৃদ্ধাবস্থায় আল্লাহ্ তোমাকে নিকৃষ্ট প্রতিদান দিন এবং সন্তান সন্তুতির অবাধ্য৩ ৷র সম্মুখীন
করুন ৷
নিজ পি৩ ,৷ পিতৃব্য ও মাভুলের নিন্দায় তার কাব্যের একাত্শ



১ আল ইসাব৷ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৩৭৮ পৃষ্ঠায় তার পুরা নাম জিরওয়াল বিন আউল বিন মালিক বিন হাইওয়া
ণ্ বিন মাখযুম বিন পালিব কতায়আ বিন আবস আল-আবাসী রয়েছে ৷ দ্রষ্ক আল আগামী ২১ ৫ ৭ ; তাবাকাৎ ইবন
সালাম ৯৩ পৃ; কাব্য ও কবি’ ২৩৮ পৃব্রু

১ আল আগানী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠায় এবং আল ইসাবা গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৩৭৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে তাকে
হুতাইয়৷ উপাধি দেয়ার কারণ, একবার সে ভর মজলিসে বাতকর্ন করলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হল এটা কী ?
তখন সে ব,লল এটা হুতাইআ ৷ তখন থেকে তার উপাধি-নামহু তাইআ ৷ আর হুতাইআ শব্দটি হাতআ শব্দের
ক্ষুদ্রতাজ্ঞাপক রুপ, যার অর্থ একটি ক্ষুদ্র বাতকর্মবা পাদ তাজুল আরুস ৷

২াঘুব ররাদের আল কামিল গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৩৫৪ পৃষ্ঠায়, ফাওয়াভুল ওফায়াত গ্রন্থের ১ম খন্ডের ২৭৬ পৃষ্ঠায়

এবং আল আপানী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ১৬৩ পৃষ্ঠার ভিন্ন ধাতৃমুল থেকে নির্গত অজ্যি অর্থবােধক শব্দ রয়েছে ৷

৩ শব্দটির অর্থ কুটনা, কারও মতে অলস কারও মতে যার থেকে কথা গোপন করা হয় ৷ আবার কারও মতে,
চালুনি ৷


[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ] ذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِيهَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ. وَالصَّحِيحُ قَبْلَهَا كَمَا تَقَدَّمَ. الْحُطَيْئَةُ الشَّاعِرُ وَاسْمُهُ جَرْوَلُ بْنُ أَوْسِ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُؤَيَّةَ بْنِ مَخْزُومِ بْنِ مَالِكِ بْنِ قُطَيْعَةَ بْنِ عَبْسٍ، أَبُو مُلَيْكَةَ، الشَّاعِرُ الْمُلَقَّبُ بِالْحُطَيْئَةِ لِقَصَرِهِ، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ، وَأَسْلَمَ فِي زَمَنِ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ كَثِيرَ الْهِجَاءِ، حَتَّى يُقَالَ: إِنَّهُ هَجَا أَبَاهُ وَأُمَّهُ، وَخَالَهُ وَعَمَّهُ، وَنَفْسَهُ وَعِرْسَهُ. فَمِمَّا قَالَ فِي أُمِّهِ قَوْلُهُ: تَنَحِّي فَاقْعُدِي عَنِّي بَعِيدًا ... أَرَاحَ اللَّهُ مِنْكِ الْعَالَمِينَا أَغِرْبَالًا إِذَا اسْتُودِعْتِ سِرًّا ... وَكَانَونًا عَلَى الْمُتَحَدِّثِينَا جَزَاكِ اللَّهُ شَرًّا مِنْ عَجُوزٍ ... وَلَقَّاكِ الْعُقُوقَ مِنَ الْبَنِينَا وَقَالَ فِي أَبِيهِ وَعَمِّهِ وَخَالِهِ: لَحَاكَ اللَّهُ ثُمَّ لَحَاكَ حَقًّا ... أَبًا وَلَحَاكَ مِنْ عَمٍّ وَخَالِ
পৃষ্ঠা - ৬৫২৬


া>দ্বু
নিশ্চিতত ৷:বট ২ আল্লাহ তোমাকে পিতা, পিতৃব্য ও মাতুল ভাগ্যে অভিশপ্ত করেছেন ৷

তাই অপদন্থতায় ও হীনকর্মে তুমি কত পারন্সম, আর মহতৃ ও উদারতায় তুমি কত
নিকৃষ্ট ৷

নিজের কুৎসায়ত তার রচিত কাব্যের একাৎশ —


আজ আমার ওষ্ঠদ্বয় কোন মন্দ কথায় সবাক হতে চায় না, জানি না আমি আজ কাকে তা
প্ররুন্াব ৷



এপ্রুন্৫
নিজের এমন চেহারা দেখতে পাচ্ছি, যার গঠন আল্লাহ বিকৃত করেছেন ৷ নিপাত যাক
এমন চেহারা , নিপাত যাক তার বহনকারী ৷’
লোকেরা তার বিরুদ্ধে হযরত উমর (রা)-এর কাছে নালিশ করলে তিনি তাকে ধরে এনে
আটকে রাখেন ৷ এর মুল কারণ ছিল, যিবিরকান ইবন বদর (রা) হযরত উমর (রা)এর কাছে
অভিযোগ দায়ের করেন যে, এই বলে হুতাইআ তার নিন্দা করেছে
গ্লু১
: মহত্ত্ব লা ভের আশা ছেড়ে দাও, তার খোজে বের হয়ো না ৷ ঘরে বসে (আরাম করতে)
থাক ৷ কেননা তুমি তো (অন্যের বোঝা) খেয়ে পরেই তুষ্ট ৷ ’
এ কবিতা শুনে হযরত উমর (রা) যিবিরকান (রা) কে বললেন, আমার তো মনে হয় না
সে তোমার কোন নিন্দা করেছে ৷ তুমি কি খাদ্য বন্ধের সংস্থানকারী হতে ঢাও নাঃ’ যিবিরকান,
বললেন, আমীরুল ঘু’মিনীন ! এর চেয়ে ভীব্রে নিন্দা আর হয় না ৷ তার এ কথার পর হযরত উমর
হাসৃসা ন (রা) এর কাছে লোক পাঠিয়ে৷ ত ৷কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তখন তিনি বললেন,
আমীরুল মু মিনীন ! সে তার নিন্দা করে নি; বরং সে তার উপর মলত্যাগ করেছে ৷ তখন হযরত
উমর তাকে আটকে রেখে বললেন, হে খৰীছু ! অবশ্যই আমি তােকে মুসলমানদের মানহা৷ন করা
থেকে বিরত রাখব ৷ এরপর হযরত আনর ইবনুল আসের সুপা ৷বিশে তিনি তাকে যুক্ত করে দেন ৷
তবে আর কারো নিন্দা না করার ব্যাপারে তার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন এবং তাকে তওব৷ করান ৷
’বর্ণিত আছে যে হযরত ৩উমর তার জিহ্বা কেটে দিতে চ ছিলেন কিন্তু লোকদের সুপারিশে
তিনি তাকে ছেড়ে দেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, আমাকে মুহাম্মদ ইবন যাহ্হাক ইবন
উসমান আল হারামী বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ ইবন মুসআব থেকে, তিনি আমাকে বর্ণনা
করেছেন, রাবী আ ইবন উসমান থেকে, তিনি যায়দ ইবন আসলাম থেকে, তিনি তার পিতা
থেকে তিনি বলেন, আমর ইবনুল আসও অন্যদের সুপারিশে হযরত ৩উমর (রা)হুত তাইয়াহকে
বন্দীখান৷ ৷থেকে বের করার নির্দেশ দেন ৷ তাকে যখন বের করে আনা হয় আমি তখন সেখানে
উপস্থিত, তখন সে বলতে লাগল-



৪ মুবাররাদের আল কামিল গ্রন্থে এবং ফারওয়াতুল ওফায়াত গ্রন্থে রয়েছে, একদা সে কোন হাউযের পানিতে
উকি দিয়ে নিজের কুৎসিত চেহারা দেখতে পায় ৷ তখন সে এই পঙ্াক্ত আবৃত্তি করে ৷
৫ আল কামিল ও ফাওয়াতুল ওফায়াত গ্রন্থে৩ ভিন্ন ধাতুমুল নির্গত প্রায় সমার্থক শব্দ বিদ্যমান ৷


فَنِعْمَ الشَّيْخُ أَنْتَ لَدَى الْمَخَازِي ... وَبِئْسَ الشَّيْخُ أَنْتَ لَدَى الْمَعَالِي وَمِمَّا قَالَ فِي نَفْسِهِ يَذُمُّهَا: أَبَتْ شَفَتَايَ الْيَوْمَ إِلَّا تَكَلُّمًا ... بِشَرٍّ فَمَا أَدْرِي لِمَنْ أَنَا قَائِلُهْ أَرَى لِي وَجْهًا شَوَّهَ اللَّهُ خَلْقَهُ ... فَقُبِّحَ مِنْ وَجْهٍ وَقُبِّحَ حَامِلُهْ وَقَدْ شَكَاهُ النَّاسُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَحْضَرَهُ وَحَبَسَهُ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ الزِّبْرِقَانَ بْنَ بَدْرٍ شَكَاهُ لِعُمَرَ أَنَّهُ قَالَ لَهُ يَهْجُوهُ: دَعِ الْمَكَارِمَ لَا تَرْحَلْ لِبُغْيَتِهَا ... وَاقْعُدْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الطَّاعِمُ الْكَاسِي فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا أَرَاهُ هَجَاكَ، أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ طَاعِمًا كَاسِيًا؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ لَا يَكُونُ هِجَاءٌ أَشَدَّ مِنْ هَذَا. فَبَعَثَ عُمَرُ إِلَى حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا هَجَاهُ وَلَكِنْ سَلَحَ عَلَيْهِ. فَعِنْدَ ذَلِكَ حَبَسَهُ عُمَرُ، وَقَالَ: يَا خَبِيثُ، لَأَشْغَلَنَّكَ عَنْ أَعْرَاضِ الْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ شَفَعَ فِيهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَأَخْرَجَهُ، وَأَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ أَنْ لَا يَهْجُوَ النَّاسَ وَاسْتَتَابَهُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَقْطَعَ لِسَانَهُ، فَشَفَعُوا فِيهِ حَتَّى أَطْلَقَهُ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ الْحِزَامِيٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُصْعَبٍ حَدَّثَنِي عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَمَرَ عُمَرُ بِإِخْرَاجِ الْحُطَيْئَةِ مِنَ الْحَبْسِ، وَقَدْ كَلَّمَهُ فِيهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ
পৃষ্ঠা - ৬৫২৭


তৃণ-পানিশুন৷ য়ু মারাখে’ অবস্থানকারী কচি কোমল শিশুদের আপনি কী উত্তর দিবেন?’
তাদের তরণপোযণকারীকে আপনি অন্ধকার পহ্বরে আটকে রেখেছেন, হে উমর ! মানব
প্রভু আপনাকে সুমতি দান করুন ৷’
নিজ সঙ্গীর পর আপনিই যোগ্য নেতা, যার হাতে মানবকুল কর্তৃ৫তৃর চাবিকঠি অর্পণ
করেছে ৷ ’
এএ১া
এর জন্য আপনাকে আঃবর্তী করে তারা নিজেদের উপর আপনাকে প্রাধান্য দেয় নি,
আসলে আপনার (সাহচর্যের) কারণে তাদের মাঝে মহত্বের উদ্ভব হয়েছে ৷’
সুতরাং আপনি মরুবাসী শিশুদের প্রতি ৩অনুগ্নহ করুন, যাদের আবাস পাথুরে৬ ভুমি, যেখানে
তারা ভাগ্যের আশ্রয়ে’ ৷
আমার প্রাণ আপনার জন্য উৎসর্ণীত হোক, আমার এবং তাদের মাঝে এমন (বিশাল)
উপত্যকার ব্যবধান যেখানে সংবাদ পথ হারায় ৷’
বর্ণনাক৷ রী বলেন,হ্ ৩াইয়াহ যখন য়ু মারাখে অবস্থানরত কচি কোমল শিশুদের আপনি কি
উত্তর দিবেন আবৃত্তি করল, তখন হযরত উমর (রা) কেদে ফেললেন ৷ তা দেখে আমর ইবনুল
আস (রা) বললেন, হুতাইআকে মুক্ত করে দিয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তির চেয়ে ন্যায়পরায়ণ কোন
ব্যক্তিকে আসমান ছায়া দেয় নি এবং য়মীন তার তার বহন করেনি,
এরপর বর্ণনাকারীগণ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তার জিহ্বা কেটে দিতে চাইলেন যাতে সে
আর কারো নিন্দা (উচ্চারণ) করতে না পারে ৷ এই উদ্দেশ্যে যখন তাকে চেয়ারে বসিয়ে ক্ষুর
আনা হল তখন লোকেরা বলল, আমীরুল মু’মিনীন ! (তাকে ছেড়ে দিন) যে আর এ কাজ
করবে না ৷ এ সময় তারা ইঙ্গিতে বলল, বল আমি আর এ কাজ করব না ৷ তখন উমর (রা)
তাকে বললেন, যাও দ্রুত সরে পড় ৷ সে যখন ফিরে চলল তখন হযরত উমর তাকে ডেকে
বললেন, হুতাইআ শুনে যাও ৷ তখন সে ফিরে আসলে তিনি তাকে বললেন, আমি যেন
তোমাকে এক কুরায়শী যুবকের একান্তসাহচ্যর্য দেখতে পাচ্ছি, সে তোমাকে একটি গদি ভীজ
করে এবং আরেকটি গদি বিছিয়ে দিয়ে বলল, হুতাইআ ! তুমি আমাদেরকে গেয়ে গােনাও ৷
আর তখন তুমি তাকে মুসলমানদের কুৎসা গেয়ে গােনাতে শুরু করে দিলে ৷
আসলাম বলেন, (হযরত উমর (রা) এর মৃত্যুর পর) একদিন আমিহু তইিআকে উবায়দুল্পাহ্
ইবন উমরের আসবে দেখতে পেলাম, সে তাকে একটি গদি ভাজ করে এবং আরেকটি বিছিয়ে



১ ঘুমারাখ ইয়াকুত বলেন, এটা ফাদাক ও ওয়াৰিশিয়াবে মধ্যবর্তী একটি বৃক্ষবহুল স্থান ৷ কোন কোন বর্ণনার
ঘুআমাব উল্লেখ রয়েছে, আর সেটা বনু গাতফানের বসতিস্থুল নজদেয একটি অঞ্চল ৷
২ মুবাররিদের আল-কামিল গ্রন্থে এ) এর পরিবর্তে )১ (লাল) শব্দটি বিদ্যমান ৷


وَغَيْرُهُ، فَأُخْرِجَ وَأَنَا حَاضِرٌ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: مَاذَا تَقُولُ لِأَفْرَاخٍ بِذِي مَرَخٍ ... زُغْبِ الْحَوَاصِلِ لَا مَاءٌ وَلَا شَجَرُ غَادَرْتَ كَاسِبَهُمْ فِي قَعْرِ مُظْلِمَةٍ ... فَارْحَمْ هَدَاكَ مَلِيكُ النَّاسِ يَا عُمَرُ أَنْتَ الْإِمَامُ الَّذِي مِنْ بَعْدِ صَاحِبِهِ ... أَلْقَى إِلَيْكَ مَقَالِيدَ النُّهَى الْبَشَرُ لَمْ يُؤْثِرُوكَ بِهَا إِذْ قَدَّمُوكَ لَهَا ... لَكِنْ لِأَنْفُسِهِمْ كَانَتْ بِكَ الْإِثَرُ فَامْنُنْ عَلَى صِبْيَةٍ بِالرَّمْلِ مَسْكَنُهُمْ ... بَيْنَ الْأَبَاطِحِ يَغْشَاهُمْ بِهَا الْقَدْرُ نَفْسِي فِدَاؤُكَ كَمْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمُ ... مِنْ عَرْضِ دَاوِيَّةٍ يَعْمَى بِهَا الْخُبُرُ قَالَ: فَلَمَّا قَالَ الْحُطَيْئَةُ: مَاذَا تَقُولُ لِأَفْرَاخٍ بِذِي مَرَخٍ بَكَى عُمَرُ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلَا أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ أَعْدَلَ مِنْ رَجُلٍ يَبْكِي عَلَى تَرْكِهِ الْحُطَيْئَةَ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ أَرَادَ قَطْعَ لِسَانِ الْحُطَيْئَةِ لِئَلَّا يَهْجُوَ بِهِ النَّاسَ، فَأَجْلَسَهُ عَلَى كُرْسِيٍّ، وَجِيءَ بِالْمُوسَى، فَقَالَ النَّاسُ: لَا يَعُودُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَأَشَارُوا إِلَيْهِ قُلْ: لَا أَعُودُ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: النِّجَاءَ. فَلَمَّا وَلَّى قَالَ لَهُ عُمَرُ: ارْجِعْ يَا حُطَيْئَةُ. فَرَجَعَ، فَقَالَ لَهُ: كَأَنِّي بِكَ عِنْدَ شَابٍّ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ كَسَرَ لَكَ نُمْرُقَةً، وَبَسَطَ لَكَ أُخْرَى، وَقَالَ: يَا حُطَيْئَةُ، غَنِّنَا. فَانْدَفَعْتَ تُغَنِّيهِ بِأَعْرَاضِ النَّاسِ. قَالَ أَسْلَمُ: فَرَأَيْتُ الْحُطَيْئَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عِنْدَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَقَدْ كَسَرَ لَهُ نُمْرُقَةً، وَبَسَطَ لَهُ أُخْرَى، وَقَالَ: يَا حُطَيْئَةُ، غَنِّنَا. فَانْدَفَعَ حُطَيْئَةُ يُغَنِّي،
পৃষ্ঠা - ৬৫২৮
فَقُلْتُ لَهُ: يَا حُطَيْئَةُ، أَتَذْكُرُ يَوْمَ عُمَرَ حِينَ قَالَ لَكَ مَا قَالَ؟ فَفَزِعَ وَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ ذَلِكَ الْمَرْءَ، لَوْ كَانَ حَيًّا مَا فَعَلْنَا هَذَا. فَقَلَتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ: إِنِّي سَمِعْتُ أَبَاكَ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا، فَكُنْتَ أَنْتَ ذَلِكَ الرَّجُلَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ عُمَرُ لِلْحُطَيْئَةِ: دَعْ قَوْلَ الشِّعْرِ. قَالَ: لَا أَسْتَطِيعُ. قَالَ: لِمَ؟ قَالَ: هُوَ مَأْكَلَةُ عِيَالِي، وَنَمْلَةٌ عَلَى لِسَانِي. قَالَ: فَدَعِ الْمِدْحَةَ الْمُجْحِفَةَ. قَالَ: وَمَا هِيَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: تَقُولُ: بَنُو فُلَانٍ أَفْضَلُ مِنْ بَنِي فُلَانٍ. امْدَحْ وَلَا تُفَضِّلْ. فَقَالَ: أَنْتَ أَشْعَرُ مِنِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَمِنْ مَدِيحِهِ الْجَيِّدِ الْمَشْهُورِ قَوْلُهُ: أَقِلُّوا عَلَيْهِمْ لَا أَبَا لِأَبِيكُمُ ... مِنَ اللَّوْمِ أَوْ سُدُّوا الْمَكَانَ الَّذِي سَدُّوا أُولَئِكَ قَوْمِي إِنْ بَنَوْا أَحْسَنُوا الْبِنَا ... وَإِنْ عَاهَدُوا أَوْفُوا وَإِنْ عَقَدُوا شَدُّوا وَإِنْ كَانَتِ النَّعْمَاءُ فِيهِمْ جَزَوْا بِهَا ... وَإِنْ أَنْعَمُوا لَا كَدَّرُوهَا وَلَا كَدُّوا قَالُوا: وَلَمَّا احْتُضِرَ الْحُطَيْئَةُ قِيلَ لَهُ: أَوْصِ. فَقَالَ: أُوصِيكُمْ بِالشِّعْرِ. ثُمَّ قَالَ: الشِّعْرُ صَعْبٌ وَطَوِيلٌ سُلَّمُهْ ... إِذَا ارْتَقَى فِيهِ الَّذِي لَا يَعْلَمُهْ زَلَّتْ بِهِ إِلَى الْحَضِيضِ قَدَمُهْ ... وَالشِّعْرُ لَا يَسْطِيعُهُ مَنْ يَظْلِمُهْ
পৃষ্ঠা - ৬৫২৯


দিয়ে বলল হুতাইয়া তুমি আমাদেরকে গেয়ে শোনাও ৷ তখনহু ভাইয়া গাইাত শুরু করল ৷
আমি তখন তাকে বললাম, হুতাইআ ! উমর (রা) এর সেদিানর সেই কথা কি তোমার স্মরণ
আছে? যেদিন তিনি ৷ত ৷মাক যা বলার বলেছিলেন ৷ (আমার এ কথায়) সে শঙ্কিত হয়ে বলল,
ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ রহম করুন ৷ তিনি জীবিত থ্াকলে আর আমাদের এসব করা হত না ৷’
এরপর আমি উরায়দুল্লাহ্কে বললাম, তোমার পিতাকে আমি এমন এমন কথা বলতে শুনেছি
তাহলে তৃমিই ছিলে সেই ব্যক্তি ৷
যুবাই র বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ ইবন য়াহ্হাক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, একবার উমর (রা)হু তাইআকে বললেন, তৃমি কাব্যচর্চ৷ ছেড়ে দাও ৷ তখন সে
বলল, আমি তা করতে অক্ষম ৷ দিনি বললেন, কেন? সে বলল, তা হল আমার পােষ্যগু
পরিজানর জীবিকার উৎস এবং জিহ্বার দুরারাগ্য ব্যাধি ৷ তিনি বললেন, তাহলে অন্তত
বিনাশী প্রশং স৷ কাব্য ত্যাগ কর ন্৷ সে ব,লল তা কী? আমীরুল মু মিনীন ৷ তিনি বললেন,
ত ৩াহল তোমার এ কথা যে অমুক গোত্র অমুক গোত্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, উত্তম ৷ প্রশ সা কর তবে
কাউকে কারো চেয়ে উত্তম বল না ৷’ সে তখন বলল আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার
কাবাজ্ঞান (দেখছি) আমার চেয়ে অধিক ৷ তারহুৰুঅনাতম প্রসিদ্ধ ও উৎকৃষ্ট প্রশ স৷ কাব্যের
একাং

তোমাদের পিতা পিতৃহীন হোন তাদের ভৎসনাহ্রাস কর কিংবা তারা যে শুন্যস্থান পুর্ণ
করেছে তা পুর্ণ করে দেখাও ৷’
এ্যা ৰুা
ওরা আমার ণ্স্বগােত্র যখন তারা নির্মাণ:কার তখন নিপুণভাবে নির্মাণ করে আর যদি তারা
ন্ অঙ্গীকার করে তাহলে তা পুর্ণ করে, যদি চুক্তি করে তাহলে তা অটুট রাখে

অনুগ্রহপ্রাপ্ত হলে তারা তার উপযুক্ত প্ৰতিদান দিয়ে থাকে, আর নিজেরা অনুগ্রহ করলে
তাকে কোন প্রকায়ে কলুষিত্ত ব৷ ক্লিষ্ট করে না’ ৷
কথিত আছে, অন্তিম মুহুর্তে হুতইিআকে বলা হল, ওসীয়ত করে যাও ৷ তখন সে বলল,
আমি তােমাদেরকে কাব্যচর্চার ওসীয়ত করছি এরপর সে আবৃত্তি করল,

মোঃ
কব্যচর্চা কঠিন বিষয় এবং অজ্ঞ ,ব্যক্তির জন্য কার্ব্যসােপান আরােহনকালে সুদীর্ঘ

তাতে, তার পদস্থালন ঘটে এবং সে;ৰুঅেতল) গৃহ্বার পতিত হয়, আর কাব্যের প্রতি সে
অনাচার করে সে কাব্য রচনায় সক্ষম হয় না ৷ , ণ্

কতবি ৷৷ক সে সৰাক (বাঙ্ময়) করতে গিয়ে নির্বাক (অর্থহীন) করে দেয় ৷
আবৃল ফারাজ ইবনুল জাওষী আল মুনিতাজ্যমে বলেন, করি হুতাইঅ৷ এ বছর মৃত্যুবরণ
করে ৷ এ ছাড়া এ বছরে তিনি আবদুল্লাহ ইবন আমীর: ইবন কুরায়যের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ
করেছেন যেমন পুর্বে উল্লেখিত হয়েছে ৷


يُرِيدُ أَنْ يُعْرِبَهُ فَيُعْجِمُهْ قَالَ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظَمِ ": تُوُفِّيَ الْحُطَيْئَةُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَذَكَرَ أَيْضًا فِيهَا وَفَاةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَالِكِ بْنِ الْقِشْبِ وَاسْمُهُ جُنْدَبُ بْنُ نَضْلَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ الْأَزْدِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ، حَلِيفُ بَنِي الْمُطَّلِبِ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ بُحَيْنَةَ، وَهِيَ أُمُّهُ بُحَيْنَةُ بِنْتُ الْأَرَتِّ، وَاسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَصَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ نَاسِكًا صَوَّامًا قَوَّامًا، وَكَانَ مِمَّنْ يَسْرُدُ صَوْمَ الدَّهْرِ كُلِّهِ. قَالَ ابْنُ سَعْدٍ: كَانَ يَنْزِلُ بَطْنَ رِيمٍ عَلَى ثَلَاثِينَ مِيلًا مِنَ الْمَدِينَةِ. وَمَاتَ فِي عَمَلِ مَرْوَانَ فِي الْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ، مَا بَيْنَ سَنَةِ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ إِلَى ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ، وَالْعَجَبُ أَنَّ ابْنَ الْجَوْزِيِّ نَقَلَ مِنْ كَلَامِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، ثُمَّ إِنَّهُ ذَكَرَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، يَعْنِي سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ كَأَبِيهِ، لَهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " حَدِيثٌ، وَهُوَ الْقِيَامُ لِلْجِنَازَةِ، وَلَهُ فِي " الْمُسْنَدِ " حَدِيثٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৩০


আবদুল্লাহ ইবন মালিক ইবন কাশাব

তীর পুর্ণ নাম জুনদুব ইবন নামৃল) ইবন রাষিও আল অ)যদী ৷ তার উপনাম আবু মুহাম্মাদ )
তিনি বানু আবদুল ঘুও)লিবের মিত্র এবং ইবন ৰুহ)য়ন) নামে সুপরিচিত ৷ আর বুহ)য়ন) হল তার
ম), যিআর)ৎ এর কন্যা ৷ আর আরাত এর পুর্ণ নাম হল হ))রছ ইবন মুত্তালিব ইবন আবৃদ
ম)ন)ফ ৷ তিনি বেশ পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাহ্ন )লুল্ল)হ্ (না) এর দীর্ঘ সাহচর্য লাভ
করেন ৷ তিনি দুনিয়া বিমুখ এবং নামায বোমার পাবন্দ ছিলেন ৷ তিনি স)ওমে দাহ্ব’ ব)
ব্বি)মহীন রোযা রাখভৈ৩ তন ৷ ইবন স দ বর্ণনা করেন তিনি মদীনা থেকে তিরিশ মাইল দুরবর্তী
ত্ন রীম নামক স্থানে বাস করতেন মারওয়ানের দ্বিতীয়বার (মদীন)ব) গভর্নর থাক)কাংণ
(৫ : ৫৮) ইিজরীর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি ইন্তিক)ল করেন ৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, ইবনুল জ) ও বী
এই মুহাম্মাদ ইবন স) দেব বর্ণনা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন, অথচ তিনিই এ বছর (৫:

হিজবীকৃ৩ ) তার মৃত্যুর উল্লেখ করেছেন ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ ভাল জানেন )

কায়স ইবন স) দ ইবন উব)দ) খ)যরাজী (রা)

)পত)র ন্যায় তিনিও একজন বিবিষ্টি সাহাৰী, সহীহ)য়ন অর্থাৎ বুখ)রী ও মুসলিম) প ফ
“জ)নাযার জন্য উঠে দ)ড়)ন’ শিরােন) নামে ৩)র বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে ৷ এ ছাড়) মুসনাদে
আশুরাব রােয)’ প্রসঙ্গে একটি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ত)দের গৃহে
গোসল (দয়া প্রসঙ্গে’ একটি এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে আরে) কয়েকটি হাদীস রয়েছে) দশ বছর

একাধারে তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমত করেছেন ৷ বুখ)রী শরীফে
হযরত অ)ন)স (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কায়স ইবন স)দ নবী (না)-এর জন্য
এমন (অপরিহার্য) ছিলেন যেমন হয়ে থাকে সিপাহী প্রধান রাষ্ট্রপ্ৰধ)নের জন্য ৷ ৫ক)ন কোন
গবৃওয়)তে তিনি র)সুলুল্লাহ্ স )ল্লাল্লাহু অ) )লাইহি ওয়া স )ল্ল)মের ঝাণ্ডাবাহী ছিলেন ৷ এ ছাড়া তিনি
গু)কে যাকাত উ সুলের দ)য়িত্বেও নিয়োজিত করেছেন ৷ নবী (না) যখন তিনশত ঘুহ)জির ও
আনস)র সাহাবী )র সমভিব্যহ)রে আবু উব)য়দা ইবন জাবৃরাহকে প)ঠ)লেন, আর পথিমধ্যে তার)
নিদ)রুণ অনাহার ও কষ্টে নিপতিত, হলেন, সে সময় কায়স ইবন স)দ (রা) র্ত)দের আহ)র-
আপ্য)য়নের জন্য তার নয়টি উট জব)ই করলেন ৷ আর অবশেষে তার) সমুদ্রভীরে সেই
বিন)লকার সামুদ্রিক প্রাণীর (মাছ) সন্ধান পেয়ে ত) খাওয়া শুরু করেন এবং তাদের অনাহার
সংকট কোট যায় ৷ এমনকি একম)স যাবৎ ত) খেতে খেতে তার) সকলে মােট)সােটা হয়ে যান )
কায়স ইবন স) দ (রা) ছিলেন বীর মহ)নুভব প্ৰশংস)ভাজন ৩ ম)ন্যবর সেনাপতি ৷ হযরত
আলী (ব) ) র্তাকে মিশরের নায়িব নিযুক্ত করেন ৷ এ সময় তিনি তীর চতৃরতা, কুট কৌশল ও
রাজনৈতিক দুরদর্শিত) দ্ব) )) হযরত মু অ)াবয়া ও অ)মর ইবনুল অ)লের প্রতিদ্বন্দিত) করতেন )
আর হযরত যু ম)বিয়) তার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে থাকেন এবং
অবশেষে হযরত আল (র) ) ৩)হ্মে অপসারণ করে মুহাম্মাদ ইবন আবু বকরকে মিশরের নতুন
ণ৩ র্ধব নিয়োগ করেন তখন মু অ)বিয়) (রা) তাকে লঘুতর’ গণ্য করেন এবং পর্যায়ক্রমে তার
থেকে গোটা মিশরের কতৃ নিয়ে (নন, যেমন আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি )
এরপর ক)য়স (রা) হযরত আলীর সাহচার্বৃর্য অবস্থান করেন এবং তীর পক্ষে সিফ্ফীন ও
ন)হবাওয়)নের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ হযরত আলী (রা) শাহ)দাতের পুর্ব পর্যন্ত তিনি তীর


صَوْمِ عَاشُورَاءَ، وَحَدِيثُ غُسْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِهِمْ، وَغَيْرُ ذَلِكَ، وَخَدَمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْزِلَةِ صَاحِبِ الشُّرْطَةِ مِنَ الْأَمِيرِ. وَحَمَلَ لِوَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ الْغَزَوَاتِ، وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى الصَّدَقَةِ. وَلَمَّا بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجِرَّاحِ، وَمَعَهُ ثَلَاثُمِائَةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، فَأَصَابَهُمْ ذَلِكَ الْجَهْدُ الْكَثِيرُ، فَنَحَرَ لَهُمْ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ تِسْعَ جَزَائِرَ، حَتَّى وَجَدُوا تِلْكَ الدَّابَّةَ عَلَى سَيْفِ الْبَحْرِ، فَأَكَلُوا مِنْهَا، وَأَقَامُوا عَلَيْهَا شَهْرًا حَتَّى سَمِنُوا. وَكَانَ قَيْسٌ سَيِّدًا مُطَاعًا كَرِيمًا مُمَدَّحًا شُجَاعًا، وَلَّاهُ عَلِيٌّ نِيَابَةَ مِصْرَ، وَكَانَ يُقَاوِمُ بِدَهَائِهِ وَخَدِيعَتِهِ وَسِيَاسَتِهِ لِمُعَاوِيَةَ وَعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَلَمْ يَزَلْ مُعَاوِيَةُ يَعْمَلُ عَلَيْهِ حَتَّى عَزَلَهُ عَلِيٌّ عَنْ مِصْرَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَاسْتَخَفَّهُ مُعَاوِيَةُ، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخَذَ مِنْهُ مِصْرَ كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ. وَأَقَامَ قَيْسٌ عِنْدَ عَلِيٍّ، فَشَهِدَ مَعَهُ صِفِّينَ وَالنَّهْرَوَانَ، وَلَزِمَهُ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ صَارَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا اجْتَمَعَتِ الْكَلِمَةُ عَلَى مُعَاوِيَةَ جَاءَهُ لِيُبَايِعَهُ، كَمَا بَايَعَهُ أَصْحَابُهُ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ: قَدِمَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ ;
পৃষ্ঠা - ৬৫৩১

সাহচযেই ছিলেন ৷ তার শাহদােতের পর তিনি মদীনায় গমন করেন ৷ পরবর্তীতে যখন হযরত
মুআবিয়ার শাসন কর্তৃত্বের অনৃকুলে (প্রায় সকলের) ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তিনি
ইতিপুর্বে বায়আতকারী তার সঙ্গীদের ন্যায় বায়আত করার উদ্দেশ্যে তার কাছে আসেন ৷
ইবন উয়ারনার সুত্রে আব্দুর রায্যাক বলেন, কায়স ইবন সাদ হযরত মুআবিয়৷ (বা) এর
কাছে আগমন করলেও তিনি তাকে বললেন, হে কায়স ! অন্যদের সাথে তুমিও (আ জ) আমাকে
বাধ্যবাধকতার দায়ে আটকে ফেলেছ ৷ আল্লাহর কসম ! আমি কামনা করতাম যে, এইদিনে
তুমি আমার কাছে আমার পুর্বেই যেন আমার বেদনাদায়ক খাবার আয়ত্তে তুমি এসে পড় ৷
তখন কায়স বললেন, আল্লাহর কলম ! এই স্থানে দাড়িয়ে ণ্তামাকে এই সম্ভাষণে সম্ভা ষিত
করাকে আমিও অপছন্দ করতাম ৷াআৰিয়৷ (রা) বললেন, বোন? ও ! আর তুমি তো এক
ইন্হদী যাভাক ছাড়া আর কিছু? তখন কায়স বললেন, হে মুআৰিয়৷ ! তুমি তো ছিলে
জাহিলিয়াতের এক মুর্তি ৷ অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছ আর স্বেচ্ছায় তা থেকে বেরিয়ে
এসেছ ৷ তখন মুআবিয়৷ (রা) বললেন, আল্লাহ তুমি (তাকে) ক্ষমা কর ৷ (কায়স ৷ এখন)
আাম তোমার সাহায্য চাই ৷ তখন কায়স ইবন স৷ দ বললেন, তুমি চাইলে আমি তোমাকে
অনেক সাহায্য করব ৷ ন্ ,
মুসা ইবন উক্বা বলেন, একবার এক বৃদ্ধা কায়স ইবন সাদকে তার অর্ডারের কথা
জানিয়ে বললেন, আমার বাড়িতে ইদুরের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৷ এ কথা শুনে কায়স বললেন,
অভাব বুঝাতে কি চমৎকার ইঙ্গিত ! রুটি গোশত এবং ঘি#খেজুরে তার নয় তবে দাও ৷ অন্য
একজন বর্ণনাকারী বলেন, হযরত কায়স যেখানেই যেতেন তার সাথে (খাবারপুর্ণ) একটি
বড়সড় পাত্র থাকত আর এক ঘোষক ঘোষণা করত তাই সকল ! গােশত ও ছারীদ নিয়ে
যান ৷ তার পুর্বে তার পিতা ও পিতামহও এমন করতেন ৷
উরওয়৷ ইবন যুবায়র বলেন, (একবার) কায়স ইবন সাদ নব্বই হাজার দিরহামে তার
একখণ্ড ভুমি হযরত মুআবিয়ার কাছে বিক্রি করলেন ৷ এরপর (তার মুল্য নিয়ে) তিনি মদীনায়
আগমন করলে তার ঘোষক ঘোষণা করল, যার করব গ্রহণের প্রয়োজন আছে সে যেন আসে ৷
এরপর তিনি পঞ্চাশ হাজার দিরহাম করব দিলেন, আর অবশিষ্ট চল্লিশ হাজার বিলিয়ে দিলেন ৷
এর কিছুদিন পর তিনি অসুস্থ হলেন, কিন্তু পুর্বের তুলনায় এবার তার দর্শনার্থীর সং খ্যা কম
হল ৷ তখন তিনি তার ত্রীকে, যিনি ছিলেন হযরত আবু বকরের ভপ্লী, কুরায়ব৷ বিনত আবু
আতিক, বললেন, এবারের অসুস্থতার দেখছি আমার দর্শনাথী বেশ কম ৷ আমার মনে হয়
লোকজনের কাছে আমার ঋণের প্রাপ্য অর্থের কারশ্চেইি এমন হয়েছে ৷ এরপর তিনি তার ঋণ
গ্রহীতাদের প্ৰতে কােক পুর্ব লিখিত ঋণপত্র মারফত প্রাপ্য ঋণ মওকুফের কথা অবহিত
করলেন ৷ কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তার ঘোষককে নির্দেশ দিলে সে এই মমে

ঘোষণা দিল যে, কায়স ইবন সা দের সকল ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণের দায় থেকে মুক্ত ৷ এ

ঘোষণার পর সন্ধ্য৷ হতে না হতেই দর্শনার্থীদের ভীডে তাদে পদাঘাতে তার বাড়ির দরজার
চৌকাঠ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি দু আ করতেন, হে আল্লাহ! আমাকে অর্থ-সম্পদ দান করুন এবং
মহৎ ও, কল্যাণ কর্মের তা ওফীক দান করুন ৷ কাোন৷ অর্থ-সম্পদ-ব্যভীর্ভ মহৎকর্ম সম্ভব নয় ৷
সুফিয়ান ছাওরী বলেন, একবার এক ব্যক্তি কায়স ইবন সাদ (বা) থেকে তিরিশ হাজার
দিরহাম করব নিল ৷ এরপর যখন সে তার করয পরিশোধ করতে আসল তখন কায়স তাকে
বললেন, আমরা কাউকে কিছু দিয়ে তা আর ফিরিয়ে নিই না ৷ হায়ছাম ইবন আদী বলেন


لِيُبَايِعَهُ كَمَا بَايَعَ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: وَأَنْتَ يَا قَيْسُ تُلْجِمُ عَلَيَّ مَعَ مَنْ أَلْجَمَ؟ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ لَا تَأْتِيَ هَذَا الْيَوْمَ إِلَّا وَقَدْ ظَفِرَ بِكَ ظُفْرٌ مِنْ أَظَافِرِي مُوجِعٌ. فَقَالَ لَهُ قَيْسٌ: وَأَنَا وَاللَّهِ قَدْ كُنْتُ كَارِهًا أَنْ أَقُومَ فِي هَذَا الْمُقَامِ فَأُحَيِّيَكَ بِهَذِهِ التَّحِيَّةِ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: وَلِمَ؟ وَهَلْ أَنْتَ إِلَّا حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ يَهُودَ؟ فَقَالَ لَهُ قَيْسٌ: وَأَنْتَ يَا مُعَاوِيَةُ كُنْتَ صَنَمًا مِنْ أَصْنَامِ الْجَاهِلِيَّةِ، دَخَلَتْ فِي الْإِسْلَامِ كَارِهًا، وَخَرَجْتَ مِنْهُ طَائِعًا. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: اللَّهُمَّ غَفْرًا، مُدَّ يَدَكَ. فَقَالَ لَهُ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ: إِنْ شِئْتَ زِدْتَ وَزِدْتُ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: قَالَتْ عَجُوزٌ لِقَيْسٍ: أَشْكُو إِلَيْكَ قِلَّةَ الْجِرْذَانِ. فَقَالَ قَيْسٌ: مَا أَحْسَنَ هَذِهِ الْكِنَايَةَ! امْلَئُوا بَيْتَهَا خُبْزًا وَلَحْمًا وَسَمْنًا وَتَمْرًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَكَانَتْ لَهُ صَحْفَةٌ يُدَارُ بِهَا حَيْثُ دَارَ، وَكَانَ يُنَادِي لَهُ مُنَادٍ: هَلُمُّوا إِلَى اللَّحْمِ وَالثَّرِيدِ. وَكَانَ أَبُوهُ وَجَدُّهُ مِنْ قَبْلِهِ يَفْعَلَانِ كَفِعْلِهِ. وَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: بَاعَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ مِنْ مُعَاوِيَةَ أَرْضًا بِتِسْعِينَ أَلْفًا، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَنَادَى مُنَادِيهِ: مَنْ أَرَادَ الْقَرْضَ فَلْيَأْتِ. فَأَقْرَضَ مِنْهَا خَمْسِينَ أَلْفًا وَأَطْلَقَ الْبَاقِيَ، ثُمَّ مَرِضَ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَلَّ عُوَّادُهُ، فَقَالَ لِزَوْجَتِهِ قُرَيْبَةَ بِنْتِ أَبِي عَتِيقٍ أُخْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ: إِنِّي أَرَى قِلَّةَ عُوَّادِي فِي مَرَضِي هَذَا، وَإِنِّي لَأَرَى ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৩২
مِنْ أَجْلِ مَا لِي عَلَى النَّاسِ مِنَ الْقَرْضِ. فَبَعَثَ إِلَى كُلِّ رَجُلٍ مِمَّنْ كَانَ لَهُ عَلَيْهِ دَيْنٌ بِصَكِّهِ الْمَكْتُوبِ عَلَيْهِ، فَوَهَبَهُمْ مَا لَهُ عَلَيْهِمْ، وَقِيلَ: إِنَّهُ أَمَرَ مُنَادِيَهُ فَنَادَى: مَنْ كَانَ لِقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ عَلَيْهِ دِينٌ فَهُوَ مِنْهُ فِي حِلٍّ. فَمَا أَمْسَى حَتَّى كُسِرَتْ عَتَبَةُ بَابِهِ مِنْ كَثْرَةِ الْعُوَّادِ، وَكَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي مَالًا وَفَعَالًا، فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ الْفَعَالُ إِلَّا بِالْمَالِ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ: اقْتَرَضَ رَجُلٌ مِنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، فَلَمَّا جَاءَ لِيُوَفِّيَهُ إِيَّاهَا قَالَ لَهُ قَيْسٌ: إِنَّا قَوْمٌ إِذَا أَعْطَيْنَا أَحَدًا شَيْئًا لَا نَرْجِعُ فِيهِ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: اخْتَلَفَ ثَلَاثَةٌ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فِي أَكْرَمِ أَهْلِ زَمَانِهِمْ، فَقَالَ أَحَدُهُمْ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ. وَقَالَ الْآخَرُ: قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ. وَقَالَ الْآخَرُ: عَرَابَةُ الْأَوْسِيُّ. فَتَمَارَوْا فِي ذَلِكَ حَتَّى ارْتَفَعَ ضَجِيجُهُمْ عِنْدَ الْكَعْبَةِ، فَقَالَ لَهُمْ رَجُلٌ: فَلْيَذْهَبْ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ إِلَى صَاحِبِهِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ أَكْرَمُ مِنْ غَيْرِهِ، فَلْيَنْظُرْ مَا يُعْطِيهِ وَلْيُحْكَمْ عَلَى الْعَيَانِ. فَذَهَبَ صَاحِبُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ إِلَيْهِ، فَوَجَدَهُ قَدْ وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ لِيَذْهَبَ إِلَى ضَيْعَةٍ لَهُ، فَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، ابْنُ سَبِيلٍ وَمُنْقَطَعٌ بِهِ. قَالَ: فَأَخْرَجَ رِجْلَهُ مِنَ الْغَرْزِ وَقَالَ: ضَعْ رِجْلَكَ وَاسْتَوِ عَلَيْهَا، فَهِيَ لَكَ بِمَا عَلَيْهَا، وَخُذْ مَا فِي الْحَقِيبَةِ وَلَا تُخْدَعَنَّ عَنِ السَّيْفِ، فَإِنَّهُ مِنْ سُيُوفِ عَلِيٍّ. فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ بِنَاقَةٍ عَظِيمَةٍ، وَإِذَا فِي الْحَقِيبَةِ أَرْبَعَةُ آلَافِ دِينَارٍ، وَمَطَارِفُ مِنْ خَزٍّ وَغَيْرُ ذَلِكَ، وَأَجَلُّ ذَلِكَ سَيْفُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৩


একবার কা বা চতৃ(র৩ তিন ব্যক্তি তাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ বদান্য (ক এই ব্যাপারে বিবাদে লিপ্ত
হল ৷ একজন বলল, আব্দুল্লাহ ইবন জা ফর ৷ অন্যজন বলল, কারন ইবন সা দ ৷ আর
তৃতীয়জন দাবী করল, উরাবা ইবন আওসী ৷ এরপর তারা এ বিষয়ে এমন ঘোরতর
বাদানুবাদে লিপ্ত হল যে, কাবা চতৃ(র উচ্চস্বর কোলাহলের সৃষ্টি হল ৷ তখন এক ব্যক্তি
তাদেরকে বলল, (এত বিবাদের কী প্রয়োজন) (তামা(দর মধ্যে যে যার পক্ষে দাবী করছে, (স
তার কাছেগ্ গিয়ে (দথুক৩ তাকে কী দেয়, আর (স চাক্ষুষভাবে (দখে ফয়সালা করুক ৷ তখন
আব্দুল্লাহ ইবন জা ফরের (শ্রষ্ঠ(ৎ র দাবীদার তার কাছে গিয়ে (দখল, তিনি নিজের একখণ্ড
ভুমির তদারকির উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই সওয়ারের রেকাবীতে (পা দানি) পা রেখেছেন ৷ (লাকটি
র্তা(ক বলল, (হ রাসুলুল্লাহ্র পিত তব্য পুত্র ৷ আমি একজন পথাশ্রয়ী মুসাফির যার পাথেয় ফুরিয়ে
(গছে ৷ এ কথা শুনে তৎক্ষণাৎ তিনি (রকাবী থেকে পা (বর করে তাকে বললেন, তুমি এই
রেকাবীতে পা রেখে এই বাহনে উঠে রস, সবকিছুসহ তা (তামার, আর এই থলে(ত যা আছে
নিয়ে নাও আর তরবারিটির অমর্যাদা করেত তার ব্যাপারে প্রতারিত হয়ো না ৷ কেননা তা (শ(র
(খাদা হযরত আলী (রা)-এর তরবারি ৷ এরপর (লাকটি বিশাল এক উটনী(ত আরােহন করে
তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে (দখল তার থলে(ত চার হাজার স্বর্ণমুদ্রা, কয়েকটি মুল্যবান (রশমী
চাদর এবং অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে মুল্যবান ছিল হযরত আলীর (রা)
তরবারিখানি ৷
এদিকে কায়স ইবন সা (দর (শ্রষ্ঠত্বের দাবীদার তার কাছে গিয়ে তাকে ঘৃমন্ত (পল ৷ তখন
তার বাদী (লাকটিকে জিজ্ঞাসা করল, তার কাছে আপনার কী প্রয়োজন? তখন (স বলল, আমি
পথাশ্রয়ী এক মুসাফির, মার পাথেয় ফুরিয়ে গেছে ৷ এ কথা শুনে বীদী বলল, তাহলে অবশ্য
তাকে (চয়ে আপনার প্রয়োজন মেটানাে সহজতর ৷ এই নিন, এই থলােত সাতশ ৰুদীনার
আছে ৷ আজ এই গৃহে এ ছাড়া কোন অর্থ (নই ৷ আর আপনি আমাদের উটরক্ষকের কাছে
উটের বাগানে গিয়ে সেখান থেকে একটি উটনী এবং একজন গোলাম (বছে নিন ৷ আপনার ,
যাত্রা কল্যাণময় হোক ৷ এরপর কায়সইবন সাদ ঘুম থেকে জাগ(ল ৰ্বাদী তাকে আণন্তু(কর
সাথে তার কৃত আচরণ অবহিত করল ৷ তখন তিনি অত্যন্ত প্রীত হয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা
স্বরুপ তাকে আযাদ করে দিলেন এবং বললেন, কেন তুমি আমাকে ঘুম থেকে জাপালে না?
তাহলে আমি তাকে এমন পরিমাণ দিতে পারতাম যা তার বাকী জীবনের জন্য যথেষ্ট হত ৷
এরপর উরাবা আওসীর (শ্রষ্ঠ দাবীদার তার কাছে গিয়ে (দখল তিনি নামাযের উদ্দেশ্যে
বাড়ি থেকে (বর হ(য়৩ তার দুই গোলামের কাধে ভর দিয়ে (মসজিদের দিকে) চলেছেন ৷
উল্লেখ্য যে, ইতিপুর্বেই তিনি তীরদৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন ৷ আগন্তুক তাকে সম্বোধন করে
বলল, (হ উরাবা ! (আমি কিছু বলতে চইি) ৷ তখন তিনি বললেন, বল ৷ সে বলল, আমি এক
সহায়-সৃম্বলহীন পথাশ্রয়ী মুসাফির ৷ এ কথা শুনে তিনি তার গোলাম দু জনকে ছেড়ে দিয়ে জুন

হাত দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে তৃড়ি দিলেন, তারপর বললেন, হার আফসোস ! ( যখনতু মি

প্রার্থী হয়ে এসেছ তখন) এমন অবস্থায় আমি সকাল-সন্ধ্য৷ যাপন করি নি (য, প্রাপ্যসমুহ

আমার (কান অর্থ,-সম্পদ অবশিষ্ট (রখেছে ৷ তবে অন্তত এই গোলাম দু’টি তুমি নিয়ে যাওা

প্রার্থী (লাকটি তখন বলল, তা আমি করতে পারব না ৷ তার এ কথা শুনে উরাবা বললেন, যদি
তুমি তাদেরকে গ্রহণ না কর তাহলে তারা আযাদ ৷ এখন ইচ্ছা করলে তুমি তাদেরকে নিয়ে
যেতে পার ৷ ইচ্ছা করলে আযাদ রেখে যেতে পার ৷ এ কথা বলে তিনি দেয়াল হাতড়াতে


طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمَضَى صَاحِبُ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ إِلَيْهِ، فَوَجَدَهُ نَائِمًا، فَقَالَتْ لَهُ الْجَارِيَةُ: مَا حَاجَتُكَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: ابْنُ سَبِيلٍ وَمُنْقَطَعٌ بِهِ. قَالَتْ: فَحَاجَتُكَ أَيْسَرُ مِنْ إِيقَاظِهِ، هَذَا كِيسٌ فِيهِ سَبْعُمِائَةِ دِينَارٍ مَا فِي دَارِ قَيْسٍ مَالٌ غَيْرُهُ الْيَوْمَ، وَاذْهَبْ إِلَى مَوْلَانَا فِي مَعَاطِنِ الْإِبِلِ، فَخُذْ لَكَ نَاقَةً وَعَبْدًا، وَاذْهَبْ رَاشِدًا. فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ قَيْسٌ مِنْ رَقْدَتِهِ أَخْبَرَتْهُ الْجَارِيَةُ بِمَا صَنَعَتْ، فَأَعْتَقَهَا شُكْرًا عَلَى صَنِيعِهَا ذَلِكَ، وَقَالَ: هَلَّا أَيْقَظْتِنِي حَتَّى أُعْطِيَهُ مَا يَكْفِيهِ، فَلَعَلَّ الَّذِي أَعْطَيْتِهِ لَا يَقَعُ مِنْهُ مَوْقِعَ حَاجَتِهِ. وَذَهَبَ صَاحِبُ عَرَابَةَ الْأَوْسِيِّ إِلَيْهِ، فَوَجَدَهُ وَقَدْ خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِهِ يُرِيدُ الصَّلَاةَ، وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَبْدَيْنِ، وَقَدْ كُفَّ بَصَرُهُ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَرَابَةُ. فَقَالَ: قُلْ. فَقَالَ: ابْنُ سَبِيلٍ وَمُنْقَطَعٌ بِهِ. قَالَ: فَخَلَّى عَنِ الْعَبْدَيْنِ ثُمَّ صَفَّقَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى، ثُمَّ قَالَ: أَوَّهْ أَوَّهْ، وَاللَّهِ مَا أَصْبَحْتُ وَلَا أَمْسَيْتُ وَقَدْ تَرَكَتِ الْحُقُوقُ مِنْ مَالِ عَرَابَةَ شَيْئًا، وَلَكِنْ خُذْهُمَا. يَعْنِي الْعَبْدَيْنِ. فَقَالَ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ. فَقَالَ: إِنْ لَمْ تَأْخُذْهُمَا فَهُمَا حُرَّانِ فَإِنْ شِئْتَ فَأَعْتِقْ، وَإِنْ شِئْتَ فَخُذْ. وَأَقْبَلَ يَلْتَمِسُ الْحَائِطَ بِيَدِهِ، قَالَ: فَأَخَذَهُمَا وَجَاءَ بِهِمَا. قَالَ: فَحَكَمَ النَّاسُ عَلَى أَنَّ ابْنَ جَعْفَرٍ قَدْ جَادَ بِمَالٍ عَظِيمٍ، وَأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِمُسْتَنْكَرٍ لَهُ، إِلَّا أَنَّ السَّيْفَ أَجَلُّهَا، وَأَنَّ قَيْسًا أَحَدُ الْأَجْوَادِ ; حَكَّمَ مَمْلُوكَتَهُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمِهِ، وَاسْتِحْسَانِهِ مَا فَعَلَتْهُ، وَعِتْقِهِ لَهَا وَمَا تَكَلَّمَ بِهِ وَأَجْمَعُوا عَلَى أَنَّ أَسْخَى الثَّلَاثَةِ عَرَابَةُ الْأَوْسِيُّ ; لِأَنَّهُ جُهْدٌ مِنْ مُقِلٍّ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ: قَسَّمَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مَالَهُ بَيْنَ أَوْلَادِهِ، وَخَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَمَاتَ بِهَا، فَوُلِدَ لَهُ وَلَدٌ بَعْدَ وَفَاتِهِ، فَجَاءَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৪


লাপলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন লোকটি গোলাম দু’টি নিয়ে তার অন্য দুই নদীর সাথে
এসে মিলিত হল ৷ অবশেষে সকলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, ৷ইবন জাফর বিপুল পরিমাণ
অর্থ দান করেছেন ৷ আর তার জন্য এটা অভাবনীয় কিছু নয় ৷ ভারত তার দানকৃত সবকিছুর
মধ্যে তরবাবিঢিই শ্রেষ্ঠ দান ৷ তদ্র্যপ কায়স ইবন সাদও বিশিষ্ট দানবীর রুপে নিজেকে
প্ৰম৷ ৷ণিত করেছেন ৷ তার অজ্ঞাতস৷ রে বাদী নির্ধিধায় তার অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে সিদ্ধ৷ ৷ত গ্রহণ
করেছে এবং তিনি তার এই কাজে প্রীত হয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরুপত তাকে আযাদ করে দিয়েছেন ৷
তবে এ ব্যাপারে সকলেই একমত হলেন যে (সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়) উর৷ বা ইবন আওসীই
গ্রেষ্ঠতর দানবীর ৷ কেননা তিনি তার সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন, আর এটা হল স্বল্পাধিকারীর
কার্জিত দান ৷

সুফিয়ান ছাওরী বর্ণনা করেছেন আমর থেকে, তিনি আবু সালিহ থেকে তিনি বলেন, হযরত
সা দ ইবন উবাদা (রা)৩ তার সমুদয় অর্থ-সম্পদ তার সন্তান-সন্ততিদের মাঝে বণ্টন করে শামে
গমন করেন এবং সেখানে গিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ তার মৃত্যুর পর তার একজন সন্তান
জনাযহণ করে ৷ তখন হযরত আবু বকর ও উমর (রা) কায়স ইবন সাদের কাছে এসে
বললেন, তোমার পিতা তো তার সমুদয় অর্থসম্পদ বণ্টন করে ফেলেছেন কিন্তু মাতৃগর্ভে
থাকায় (হয়ত) এই নবজা তকের কথা খেয়াল করেন নি৷ এখন তোমাদের বণ্টনে তাকেও
, শরীক করে নাও ৷ এ কথা শুনে কায়স বললেন, তিনি যে বন্টন করে গেছেন তা আমি
পরিবর্তন করতে পারব না তবে আমার (প্রাপ্য) অৎশ তার ৷ আর আব্দুর রাযযাক মামার
থেকে, তিনি আইয়ুব থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবন সীরীন থেকে তা উল্লেখ করেছেন ৷ এ ছাড়া
আব্দুর রাঘৃযাক ইবন জুরায়জ থেকে তিনি আত৷ থেকে তা উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন আবু
থায়ছামা বলেন, আমাদেরকে আবু নায়ীম বর্ণনা করেছেন৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে মিসৃসার
বর্ণনা করেছেন যা বদ ইবন খালিদ থেকে, তিনি বলেন, কায়স ইবন সা দ সবসময় এভাবে
তার তত্তনীি উঠিয়ে রাখতেন অর্থাৎ দু আ করতেন ৷ হিশাম ইবন আম্মার বলেন, আমাদেরকে
জাররাহ ইবন মালীহ বর্ণনা করেছেন, তিনি আবু রাফি বর্ণনা করেছেন কায়স ইবন সা দ
থেকে, তিনি বলেন, যদি না আমি রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে
শুনতাম )া-শ্-ঘা ষ্ ন্তু ত্রুন্ ১হৃা৷ এ১া৷ অর্থাৎ বোক৷ প্রতারণা এবং চক্রান্ত ষড়যদ্রের
পরিণাম হল জাহান্নাম তাহলে আমি হতাম এই উম্মতে র অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃট কৌশলী ৷

ইমাম যুহরী বলেন, খিলাফত স ক্রাম্ভ ফিতনা ও বিশৃগ্রলার সময় আরবের শ্রেষ্ঠতম

কুটকৌশলী ছিলেন পাচজন, মু আবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান, আসর ইবনুল আস, মুগীরা ইবন
শুবা, কায়স ইবন সা দ এবং আবদুল্লাহ ইবন বুদায়ল ৷ এদের শেষ দু’জন হযরত আলীর
সাথে ছিলেন ৷ আর মুপীর৷ নিষ্সঙ্গ অবস্থায়৩ তাইফে ছিলেন ৷ অবশ্যেষ যখন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী
(হযরত আলী ও ঘু অ ৷বিয়া) শাসক হলেন তখন তিনি, যুআবিয়া (রা) এর পক্ষ নিলেন ৷ আর
ইতিপুর্বে এ আলোচনা বিগত হয়েছে যে, মুহাম্মাদ ইবন আবু হুযায়ফ৷ মিশরের কর্তৃতু গ্রহণ
করে আমর ইবনুল আস এর পরে হযরত উসমান (রা)-এর নায়িব আবদুল্লাহ্ ইবন আবু

সারহকে বহিষ্কার করে ৷ এরপর হযরত আলী কিছুকাল তাকে স্বপদে বহাল রাখেন তারপর
তাকে অপসারিত করে কায়স ইবন সা দকে তার স্থলবর্তী করেন ৷ এ সময় সেখানে আগমন
করে কায়স উত্তমরুপে শ্া৷সনকার্য পরিচালনা করেন এবং সেখানে কর্তৃ তৃও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা
করেন ৷ আর এটা হল ছত্রিশতম হিজরীর ঘটনা ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-২৬

أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ فَقَالَا: إِنَّ أَبَاكَ قَسَّمَ مَالَهُ، وَلَمْ يَعْلَمْ بِحَالِ هَذَا الْوَلَدِ إِذْ كَانَ حَمْلًا، فَاقْسِمُوا لَهُ مَعَكُمْ. فَقَالَ قَيْسٌ: إِنِّي لَا أُغَيِّرُ مَا فَعَلَهُ سَعْدٌ، وَلَكِنَّ نَصِيبِي لَهُ. وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: كَانَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ لَا يَزَالُ هَكَذَا رَافِعًا أُصْبُعَهُ الْمُسَبِّحَةَ. يَعْنِي يَدْعُو. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: ثَنَا الْجَرَّاحُ بْنُ مَلِيحٍ، ثَنَا أَبُو رَافِعٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْمَكْرُ وَالْخَدِيعَةُ فِي النَّارِ ".» لَكُنْتُ مِنْ أَمْكَرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: دُهَاةُ الْعَرَبِ حِينَ ثَارَتِ الْفِتْنَةُ خَمْسَةٌ ; مُعَاوِيَةُ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ، وَكَانَا مَعَ عَلِيٍّ، وَكَانَ الْمُغِيرَةُ مُعْتَزِلًا بِالطَّائِفِ حَتَّى حَكَمَ الْحَكَمَانِ، فَصَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ كَانَ قَدْ تَغَلَّبَ عَلَى مِصْرَ، وَأَخْرَجَ مِنْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ نَائِبَ عُثْمَانَ بَعْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৫




০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

২০২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

মিশরে হযরত কায়সের ক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি হযরত মুআবিয৷ ও আযর ইবনৃল
আসের উপর চাপ সৃষ্টি করে ৷ তখন তারা দু জন তাকে হযরত আলীর বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ্ণ
অবলম্বন করতে বললেন ৷ কিন্তু কায়স তা থেকে বিরত থাকলেন ৷ তবে বাহ্যিকভাবে তাদের
দুজনের প্ৰতি কল্যাণকামি৩ ৷ ও সুসম্পর্ক প্রকাশ করলেন ৷ যদিও প্রকৃতপক্ষে মৃলত তিনি
হযরত আলীরই সমর্থক ছিলেন ৷ এদিকে হযরত আ ৷লীর কাছে৩ তার এ বাহ্যিক অবস্থা পৌছলে
তিনি তাকে স্মপসারিত করে আশৃ৩ তার আনৃনাখয়ীকে মিশরাভিযুখে পাঠালেন, কিন্তু মিশরে
পৌছার পু চুর্বহ রামলা’ নামক স্থানে৩ তিনি মৃধু> ত্যুমুখে পতিত হলেন ৷ এরপর হযরত অ৩ালী (বা)
তার স্থলে মুহাম্মাদ ইবন আবু বকরকে পাঠালেন ৷ ফলে৩ তার বিষয়টি সামাল দেয়৷ হযরত
যুআাবয়া ও আমরের জন্য বেশ সহজ হয়ে গেল ৷ অব্যাহত রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে
তারা তীর থেকে গোটা মিশরের কর্তৃতৃ ছিনিয়ে নেন ৷ এরপর মুহাম্মাদ ইবন আবু বকর নিহত
হলে তার মরদেহ মৃত পাধার দেহের সাথে একত্রে পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ এ ঘটনার পর কায়স
মদীনায় গমন করেন এবং সেখান থেকে ইরাকে হযরত আলী (রা)-এর কাছে যান ৷ এরপর
থেকে তিনি হযরত আলী (রা)-এর (রা) যুদ্ধসমুহে তার সাথে সাথে ছিলেন ৷ আর হযরত
আলী নিহত হলে হযরত হাসান (বা) যখন হযরত মুআবিয়ার (রা) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রওয়ানা
হন তখন তিনি তীর ফৌজের অগ্নরর্তী দলে ছিলেন ৷ কিন্তু শেষমেয যখন (যুদ্ধের পরিবর্তে)
হযরত হাসান (সন্ধির ভিত্তিতে) হযরত মুআবিহ্ৰুার হাতে বায়আত গ্রহণ করেন তখন এটা
তার যন৪পুত না হয়ে র্তা:ৰু মর্মড়াহত করে ৷ ফলে তখন তিনি হযরত মুআবিয়ার আনুগত্য ও
বায়আত থেকে বিরত থাকেন এবং সেখান থেকে মদীনায় চলে যান ৷ ,
কিছুদিন পর আনসারদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে হযরত মুআবিয়ার কাছে আগমন
করেন ৷ এ সময় উভয়ের মাঝে অত্যন্ত রুঢ় কথাবার্তা ও তীব্র ভর্ধসনা ৰিনিময়ের পর তিনি তার
হাতে বাযআত গ্রহণ করেন ৷ এরপর অবশ্য হযরত মুআবিয়া তাকে বিশেষ সম্মান ও সমাদর
করেন ৷ মদীনা থেকে আগত এই প্রতিনিধি দলের সাথে যে সময় তিনি হযরত মুআবিয়ার
কাছে অবস্থান করছিলেন ঠিক যে সময়ে হযরত মুআবিয়ার কাছে রোম সম্রাটের এক পত্র
পৌছে ৷ তাতে ছিল, আমার কাছে আরবের দীর্ঘতম ব্যক্তির পায়জাম৷ পাঠিয়ে দিন ৷’ তখন
সাদকে মুআবিয়া বললেন, আমি তো দেখতে পাচ্ছি তোমার পায়জামাই আমাদের প্রয়োজন
হবে ৷ উল্লেখ্য যে, কায়স ইবন সাদ ছিলেন অত্যন্ত দীর্ঘ্যদহী ৷ সাধারণ দীর্ঘকায় ব্যক্তির
উচ্চতা তার বুক পর্যন্তও পৌছত না ৷ হযরত মুআবিয়াৱ কথা শুনে কায়স (রা) তৎক্ষণাৎ উঠে
আড়ালে গিয়ে তীর পায়জামা খুলে হযরত ঘুআবিয়াকে দিলেন ৷ তখন হযরত ৩মুআবিয়া তাকে
বললেন, তুমি তোমার মনযিলে ব্লিায়ে এটা আমাদের কাছে পাঠলেই চলত ৷ কায়স তখন
আবৃত্তি করলেন-
ত৷ দ্বারা আমি চেরেছি প্রতিনিধিদলের সাক্ষ্য দ্বারা লোকেরা জানতে পারে এটা কায়সের
পায়জামা’ ৷
“আর তারা যেন না বলে কায়স চলে গেল আর এটা ছামুদ জাতির পরিত্যক্ত পায়জাম৷ ৷


ণ্

, ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

عَلَى مُدَّةٍ يَسِيرَةٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ بِقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، فَلَمَّا دَخَلَهَا سَارَ فِيهَا سِيرَةً حَسَنَةً وَضَبَطَهَا، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، فَثَقُلَ أَمْرُهُ عَلَى مُعَاوِيَةَ وعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَكَاتَبَاهُ لِيَكُونَ مَعَهُمَا عَلَى عَلِيٍّ فَامْتَنَعَ، وَأَظْهَرَ لِلنَّاسِ مُنَاصَحَتَهُ لَهُمَا، فَشَاعَ الْخَبَرُ حَتَّى بَلَغَ عَلِيًّا فَعَزَلَهُ، وَبَعَثَ إِلَى مِصْرَ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، فَمَاتَ الْأَشْتَرُ فِي الرَّمْلَةِ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهَا، فَبَعَثَ عَلِيٌّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَخَفَّ أَمْرُهُ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَعَمْرٍو، فَلَمْ يَزَالَا حَتَّى أَخَذَا مِنْهُ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ، وَقُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَأُحْرِقَ فِي جِيفَةِ حِمَارٍ، وَسَارَ قَيْسٌ إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ سَارَ إِلَى عَلِيٍّ بِالْكُوفَةِ، فَكَانَ مَعَهُ فِي حُرُوبِهِ حَتَّى قُتِلَ عَلِيٌّ، ثُمَّ عَلَى مُقَدِّمَةِ الْحَسَنِ، فَلَمَّا بَايَعَ الْحَسَنُ مُعَاوِيَةَ سَاءَ قَيْسًا ذَلِكَ، وَامْتَنَعَ مِنْ طَاعَةِ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي وَفْدٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَبَايَعَ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ مُعَاتَبَةٍ، وَكَلَامٍ فِيهِ غِلْظَةٌ، ثُمَّ أَكْرَمَهُ مُعَاوِيَةُ وَقَدَّمَهُ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، فَبَيْنَمَا هُوَ مَعَ الْوُفُودِ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ قَدِمَ كِتَابُ مَلِكِ الرُّومِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَفِيهِ أَنِ ابْعَثْ إِلَيَّ بِسَرَاوِيلِ أَطْوَلِ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِقَيْسٍ: مَا أَظُنُّنَا إِلَّا قَدِ احْتَجْنَا إِلَى سَرَاوِيلِكَ. وَكَانَ قَيْسٌ مَدِيدُ الْقَامَةِ جِدًّا، لَا يَصِلُ أَطْوَلُ الرِّجَالِ إِلَى صَدْرِهِ، فَقَامَ قَيْسٌ فَتَنَحَّى، ثُمَّ خَلَعَ سَرَاوِيلَهُ، فَأَلْقَاهَا إِلَى مُعَاوِيَةُ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، مَا أَرَدْتُ إِلَى هَذَا، هَلَّا ذَهَبْتَ إِلَى مَنْزِلِكَ ثُمَّ أَرْسَلْتَ بِهَا إِلَيْنَا. فَأَنْشَأَ قَيْسٌ يَقُولُ عِنْدَ ذَلِكَ: أَرَدْتُ بِهَا كَيْ يَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّهَا ... سَرَاوِيلُ قَيْسٍ وَالْوُفُودُ شُهُودُ وَأَنْ لَا يَقُولُوا غَابَ قَيْسٌ وَهَذِهِ ... سَرَاوِيلُ عَادِيٌّ نَمَتْهُ ثَمُودُ وَإِنِّي مِنَ الْحَيِّ الْيَمَانِي لَسَيِّدٌ ... وَمَا النَّاسُ إِلَّا سَيِّدٌ وَمَسُودُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৬
فَكِدْهُمْ بِمِثْلِي إِنَّ مِثْلِي عَلَيْهِمُ شَدِيدٌ وَخَلْقِي فِي الرِّجَالِ مَزِيدُ ... وَفَضَّلَنِي فِي النَّاسِ أَصْلِي وَوَالِدِي وَبَاعٌ بِهِ أَعْلُو الرِّجَالَ مَدِيدُ قَالَ: فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ أَطْوَلَ رَجُلٍ فِي الْوَفْدِ، فَوَضَعَهَا عَلَى أَنْفِهِ فَوَقَعَتْ بِالْأَرْضِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ مَلِكَ الرُّومِ بَعَثَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِرَجُلَيْنِ مِنْ جَيْشِهِ يَزْعُمُ أَنَّ أَحَدَهُمَا أَقْوَى الرُّومِ، وَالْآخَرَ أَطْوَلُ الرُّومِ، فَإِنْ كَانَ فِي جَيْشِكَ مَنْ يَفُوقُهُمَا فِي قُوَّةِ هَذَا وَطُولِ هَذَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ مِنَ الْأَسَارَى كَذَا وَكَذَا وَمَنَ التُّحَفِ كَذَا وَكَذَا، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي جَيْشِكَ مَنْ يُشْبِهُهُمَا فَهَادِنِي ثَلَاثَ سِنِينَ. فَلَمَّا حَضَرَا عِنْدَ مُعَاوِيَةَ قَالَ: مَنْ لِهَذَا الْقَوِيِّ؟ فَقَالُوا: مَا لَهُ إِلَّا أَحَدُ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، أَوْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ. فَجِيءَ بِمُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَهُوَ ابْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ قَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَتَعْلَمُ فِيمَ أُرْسَلْتُ إِلَيْكَ؟ قَالَ: لَا. فَذَكَرَ لَهُ أَمْرَ الرُّومِيِّ وَشِدَّةَ بِأُسِهِ. فَقَالَ لَهُ: مَا تُرِيدُ؟ فَقَالَ: تَجْلِسُ لِي أَوْ أَجْلِسُ لَكَ، وَتُنَاوِلُنِي يَدَكَ أَوْ أُنَاوِلُكَ يَدِي، فَأَيُّنَا قَدَرَ عَلَى أَنْ يُقِيمَ الْآخَرَ مِنْ مَكَانِهِ غَلَبَهُ، وَإِلَّا فَقَدْ غُلِبَ. فَقَالَ لَهُ: مَاذَا تُرِيدُ ; تَجْلِسُ أَوْ أَجْلِسُ؟ فَقَالَ لَهُ الرُّومِيُّ: بَلِ اجْلِسْ أَنْتَ. فَجَلَسَ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ وَأَعْطَى الرُّومِيَّ يَدَهُ، فَاجْتَهَدَ الرُّومِيُّ بِكُلِّ مَا يَقَدْرُ عَلَيْهِ مِنَ الْقُوَّةِ أَنْ يُزِيلَهُ مِنْ مَكَانَهِ أَوْ يُحَرِّكَهُ لِيُقِيمَهُ، فَلَمْ يَقَدِرْ عَلَى ذَلِكَ، وَلَا وَجَدَ إِلَيْهِ سَبِيلًا، فَغَلَبَ الرُّومِيَّ عِنْدَ ذَلِكَ، وَظَهَرَ لِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْوُفُودِ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ أَنَّهُ قَدْ غَلَبَ، ثُمَّ قَامَ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৭


আর আমি ইয়ামানী ;গাত্রের ;নতা, আর মানুষের ;কউ ;নতা আর ;কউ ;কউ ;ন ততুাধীন ৷
াড্রু দ্ভুম্নেষ্১ধ্ন্ষ্ ঙ্গুঙ্ ণ্ া১ত্৭

আমার নৰুায় ;লাক দিয়ে তাদেরকে ;বকায়দায় ;ফলুন ৷ ;কনন৷ আমার মত লোক তাদের
জন্য প্রবল, আর লোকদের মাঝে আমার ;দহাকৃতি ৩দীর্ঘ ৷
মানুষের মাঝে আমাকে শ্রেষ্ঠ করেছে আমার বংশ কৌলিন্য ও মহান এক পিতা এবং
সুবিন্তুত বাহু (কীর্তি) যা দ্বারা আমি উচ্চতায় সকলকে ছাড়িয়ে যাই ৷ ’
বনািকায়ী বলেন, এরপর হনরত মুআবিয়া সেই রোমক প্রতিনিধি দলের সবচেয়ে দীঘরিঃায়
ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলে যে তা ৷ররু:ায়;সরন্ পায়জামা) তীর নাক বরাবর ধরন ৷ তখন তার নিচের
অংশ মাটিতে গিয়ে ;ঠকল ৷ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ৷দ্বুরাম সম্রাট হযরত মুআবিয়ার কাছে
এই বলে ৷ ৷ সৈন্যবাহিনীর দুজন সদস্যকে পাঠালেন যে, তাদের একজন ;রামকদের মাঝে
সবচেয়ে শক্তিশালী আর অনাজন সবচেয়ে দীর্ঘকায় ৷ তিনি লিখলেন, ঘোজ নিয়ে দেখুন,
আপনার লোকদের মাঝে এদের চেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘ ;কউ আছে কি না ৷ যদি
আপনাদের মাঝে এমন ;লাক থাকে তাহলে আ৷ম আপনার কাছে এত স০ খ্যক বন্দী ফেরত
পাঠাব এবং৩ তার সাথে উপহারশ্উপচৌকন ৷ আর যদি আপনাদের মাঝে তাদের চেয়ে
শক্তিশালী ও দীর্ঘকায় ;কউ না থাকে তাহলে আপনাকে আমার সাথে তিন বছর সন্ধি ও যুদ্ধ
বিরতি বজায় রাখতে হবে ৷’ পত্রে উল্লেখিত দুই :ব্যক্তি যখন হযরত: মুআবিয়ার সামনে
উপস্থিত হল তখন তিনি বললেন, আমাদের মাঝে ;ক এই শক্তিমানের মোকাবিলাৰু উপযুক্ত?
তখন উপস্থিত লোকেরা বলল, এর ;মাকাবিলা করা ;কবল মুহাম্মাদ ইবন হানাফিয়৷ কিংবা
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের পক্ষেই সম্ভব ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন হানাফিয়াকে তলব করা হল ৷
আর তিনি হলেন হযরত ৩আলী ইবন আবু ৷লিবেরত ;ছলে ৷
তারপর সকলে সমবেত হলে হযরত মুআৰিয়৷ মুহাম্মাদ ইবন হানাফিয়া৷কে বললেন,
তুমি কি জান কী ব্যাপারে আমরা তোমাকে ডেকে পাঠিয়েহিঃ তিনি বললেন, না ৷ তখন তিনি
তাকে রোমক ;লাকটির প্রচণ্ড শক্তিমত্তার কথা এবং তার সাথে ;মাকাবিলার কথা তা;ক
বললেন, এ কথা শোনার পর ইবন হানাফিয়া৷ আর রোমক প্রতিপক্ষকে বললেন, হয়ত
প্রথমে আমার মুখোমুখি বসে আমাবে তোমার হাত দিবে অথবা আমি তোমার মুখোমুখি
বসে ;র্তামাকে আমার হাত দিব ৷ এরপর আমাদের মাঝে যে ই তার প্রতিদ্বন্ দ্বী ক তার স্থান
থেকে উঠিয়ে দাড় করাতে পারবে সেই বিজয়ী হয়ে, অন্যথায় সে পরাজিত গণ্য হবো
এরপর তিনি তাকে বললেন এখ ন তুমি ;কানটি চাও? তমি প্রথমে বস;ব না আমিঃ তখন
রোমক ;লাকটি তাহ্মে বলল, তুযিই বরং প্রথমে বস ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন হানাফিয়া৷ বসে
;রামক;ক তার হাত ৷দটু;লন ৷ কিন্তু সে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সর্বা ৩ ত,াক চেষ্টা করেও ইবন
হানাফিয়া৷;ক ন্থানচ্যুত করতে কিংবা দাড় করানোর জন্য তাকে নড়াতে সক্ষম হল না এবং
তার ণাব্ল কোন উপায়ও ;দখল না ৷ সুতরা০ শ র্চ অনুযায়ী ;রামক ;লাকটি পরাজয় মেনে নিল
এব০ তার সাথে আগত ;রানক প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও বুঝতে ৩পারল যে তাদের প্রতিদ্বন্দী
পরাস্ত হয়েছে ৷


لِلرُّومِيِّ: اجْلِسْ لِي. فَجَلَسَ وَأَعْطَى مُحَمَّدًا يَدَهُ، فَمَا لَبِثَ أَنْ أَقَامَهُ سَرِيعًا، وَرَفَعَهُ فِي الْهَوَاءِ، ثُمَّ أَلْقَاهُ عَلَى الْأَرْضِ، فَسُرَّ بِذَلِكَ مُعَاوِيَةُ سُرُورًا عَظِيمًا، وَنَهَضَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، فَتَنَحَّى عَنِ النَّاسِ، ثُمَّ خَلَعَ سَرَاوِيلَهُ، وَأَعْطَاهَا لِذَلِكَ الرُّومِيِّ الطَّوِيلِ، فَلَبِسَهَا فَبَلَغَتْ إِلَى ثَدْيَيْهِ وَأَطْرَافُهَا تَخُطُّ بِالْأَرْضِ، فَاعْتَرَفَ الرُّومُ بِالْغَلَبِ، وَبَعَثَ مَلِكُهُمْ مَا كَانَ الْتَزَمَهُ لِمُعَاوِيَةَ، وَعَاتَبَ الْأَنْصَارُ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ فِي خَلْعِهِ سَرَاوِيلَهُ بِحَضْرَةِ النَّاسِ، فَقَالَ ذَلِكَ الشِّعْرُ الْمُتَقَدِّمَ مُعْتَذِرًا بِهِ إِلَيْهِمْ، وَلِيَكُونَ ذَلِكَ أَلْزَمَ لِلْحُجَّةِ الَّتِي تَقُومُ عَلَى الرُّومِ، وَأَقْطَعَ لِمَا حَاوَلُوهُ. وَرَوَاهُ الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ: كَانَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ رَجُلًا ضَخْمًا جَسِيمًا صَغِيرَ الرَّأْسِ، لَهُ لِحْيَةٌ فِي ذَقَنِهِ، وَكَانَ إِذَا رَكِبَ الْحِمَارَ خَطَّتْ رِجْلَاهُ فِي الْأَرْضِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ فِي آخِرِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. وَذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَتَبِعْنَاهُ فِي ذَلِكَ. مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ الْمُزَنِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَكَانَ هُوَ الَّذِي يَرْفَعُ أَغْصَانَ الشَّجَرَةِ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَايِعُ النَّاسَ تَحْتَهَا، وَكَانَتْ مِنَ السَّمُرِ، وَهِيَ الْمَذْكُورَةُ فِي الْقُرْآنِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৮


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

২০৪ আন-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

এরপর মুহাম্মদ দাড়িয়ে তার প্রতিপক্ষকে বললেন, এবার তুমি আমার মুখোমুখি হয়ে রস ৷
তখন সে বসে তাকে তার হাত দিল ৷ এবার ইবন হান ফিয্য৷ কিন্তু তাকে কোন বিলম্বের
অবকাশ না দিয়েই দাড় করিয়ে ফেললেন এবং তাকে হাত দিয়ে শুন্যে উঠিয়ে আছড়ে
ফেললেন ৷ ইবন হানাফিয়্যার এই শক্তিমত্তা দর্শনে হযরত মুআবিয়৷ (বা) অত্যন্ত প্রীত হলেন ৷
এরপর হযরত কায়স ইবন সাদ-এর দর্শনে হযরত মুআৰিয়া (রা) অত্যন্ত গ্রীত হলেন ৷
এবার হযরত কায়স ইবন সাদের প্রতিদ্বন্দিতার পালা আসর্ল ৷ তখন তিনি আড়ালে উঠে গিয়ে
তার পায়জাম৷ খুলে এসে তার প্রতিপক্ষ দীর্ঘকায় রোমক লোকটিকে দিলেন ৷ ল্যেকটি যখনত
পরিধান করল তখন পায়জামার উপরের অংশ তার বুক পর্যন্ত পৌছল আর নীচের অংশ মাটি
স্পর্শ করল ৷ তখন রোমক লোকটি নিজের পরা জয় মেনে নিল ৷

এ ঘটনার পর বো মসম্রাট তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন ৷ আর আনসারগণ লোকদের
উপস্থিতরি আড়ালে পায়জাযা খােলায় কায়সকে (রা) ভর্ষসনা করলেন ৷ তখন তিনি তার
কৈফিয়ত দিয়ে উল্লেখিত কবিতা আবৃত্তি করলেন ৷ আর বললেন, এটা তিনি করেছেন যাতে তা
রােমকদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণরুপে সাব্যস্ত হয় এবং তা তাদের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে
দেয় ৷ হুমায়দি সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে তিনি আমর ইবন দীনার থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, হযরত কায়স ইবন সাদ (রা) ছিলেন অতিকায় ও বিশালদেহী পুরুষ ৷ আর তার
মাথা ছিল ক্ষুদ্রকায় এবং চিবুকে ছিল সামান্য দাড়ি ৷ তিনি যখন উচু গাধার পিঠে আরোহণ
করতেন তখন তার পা দু’টি মাটি হেচড়ে যেত ৷ ওয়াকিদী, খলিফা ইবন খয়্যাত এবং একাধিক
ঐতিহাসিক বলেন, হযরত মুআবিয়ার খিলাফতকালের শেষ দিকে তিনি মদীনায় ইন্তিকাল করেন ৷

তবে ইবন জাওযী এ বছরেই তার ওফাভৈত র কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আর এ ক্ষেত্রে আমরা তারই

অনুসরণ করেছি ৷



ইনি বিশিষ্ট সাহাবী ৷ হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন ৷ সে সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন গাছের
নীচে সকলের বায়আত গ্রহণ করছিলেন তখন তিনিই তার মুখমণ্ডল থেকে আড়াল সৃষ্টিকারী
শাখাসমুহ উঠিয়ে ধরেছিলেন ৷ গাছটি ছিল বাবলা জাতীয় ৷ যার কথা কুরআনে উল্লেখিত
হয়েছে


মু’মিনরা যখন বৃক্ষতলে আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাল্কদর প্রতি
সন্তুষ্ট হলেন ৷’ (সুরা আল ফাত্হং ১৮) ৷

হযরত উমর (রা)ত তাকে বসরার আমীর নিযুক্ত করেন ৷ তখন মা কাল (রা) সেখানে নহর

খনন করান ৷ তার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় এটা নহরে মা কাল’ নামে পরিচিত ৷ সেখানে তার

একটি শ্বাড়িও রয়েছে ৷ হাসান বসরী (র) বলেন, হযরত মাকাল ইবন ইয়াসারের মৃত্যু
শষ্যায় উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ তাকে দেখতে আসল ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, আমি
তোমাকে একটি হাদীস বর্ণনা করছি, যা আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে শুনেছি ৷ আমি যদি এই
(অন্তিম) অবস্থায় না হতাম তাহলে তোমাকে তা বর্ণনা করতাম না ৷ আমি তাকে বলতে
শুনেছিষ্-ণ্


{لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ} [الفتح: 18] . وَقَدْ وَلَّاهُ عُمَرُ إِمْرَةَ الْبَصْرَةِ، فَحَفَرَ بِهَا النَّهْرَ الْمَنْسُوبَ إِلَيْهِ، فَيُقَالُ: نَهْرُ مَعْقِلٍ. وَلَهُ بِهَا دَارٌ. قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: دَخَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ يَعُودُهُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ: إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَوْ لَمْ أَكُنْ عَلَى حَالَتِي هَذِهِ لَمْ أُحَدِّثْكَ بِهِ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَنِ اسْتَرْعَاهُ اللَّهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يُحِطْهَا بْنصِيحَةٍ، لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ مِائَةِ عَامٍ ".» وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو هُرَيْرَةَ الدَّوْسِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ وَاسْمِ أَبِيهِ عَلَى أَقْوَالٍ مُتَعَدِّدَةٍ قَدْ بَسَطْنَا أَكْثَرَهَا فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ "، وَقَدْ بَسَطَ ذَلِكَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ "، وَالْأَشْهُرُ أَنَّ اسْمَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَخْرٍ، وَهُوَ مِنَ الْأَزْدِ، ثُمَّ مِنْ دَوْسٍ. وَيُقَالُ: كَانَ اسْمُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَبْدَ شَمْسٍ. وَقِيلَ: عَبْدَ نِهْمٍ. وَقِيلَ: عَبْدَ غَنْمٍ. وَيُكَنَّى بِأَبِي الْأُسُودِ، فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ. وَقِيلَ: عَبْدَ الرَّحْمَنِ. وَكَنَّاهُ بِأَبِي هُرَيْرَةَ. وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: وَجَدْتُ هُرَيْرَةً وَحْشِيَّةً، فَأَخَذْتُ أَوْلَادَهَا، فَقَالَ لِي أَبِي: مَا هَذِهِ فِي حِجْرِكَ؟ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: أَنْتَ أَبُو هُرَيْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৩৯




ট্রু,
আল্লাহ্ যাকে অধীনন্থদের তত্ত্বাবধানের দায়িতু অর্পণ করলেন, কিন্তু সে তাদের প্রতি
ক্লা৷ণকামিত৷ (দায়িত্ব পালন) পুর্ণ করল না, সে জ্যন্নাতের সাণও পাবে না ৷ অথচ একশত
বছরের (পথ চলার) দুরতৃ থেকে তার সুঘ্রাণ পাওয়া যায় ৷ ’
আরও হার৷ এ বছর মৃত্যুবরণ করেন তাদের অন্যতম হলেন

আবুহুরায়রা আদ্দাওসী (রা)

জাহেলী যুগে এবং ইসলামী ১যুগে৩ তার ও তার পিতার নামের ব্যাপারে একাধিক বক্তব্যভিত্তিক
“মতভিন্নত৷ ব্যক্ত করা হয়েছে ৷ আমাদের রচিত আৎ তাকমীল গ্রন্থে এর অধিকাংশ আমরা
বিশদভাবে বর্ণনা করেছি ৷ তদ্র্যপ ইবন আসাকির ও তার তারীখে’ তা ৰিশদভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷ আর এ ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধতম মত হল তার নাম আবদুর রহমান ইবন সাখৃর ৷ তিনি
আযদ এর শাখাগােত্র মাসে এর সদস্য ৷ বলা হয় জাহেলী যুগে তার নাম ছিল আবদ্-
শামস ৷ কারো মতে আবদ্ নাহ্ম ৷ আবার কারো মতে আবদ্ পানায্ ৷ তার উপনাম আবুল
আসওযাদ ৷ পরবত্মীত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নাম রাখেন আবদুল্লাহ,
মতান্তরে আব্দুর রহমান এবং তীর উপনাম দেন আবু হুরায়র৷ ৷ তার থেকেই বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, (একবার আমি) একটি বুনাে বিড়াল দেখতে পেয়ে তার ছানাগুলো নিয়ে আসি ৷
(তা দেখতে পেয়ে) আমার আব্বা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, এগু’লো কী? তখন আমি তাকে
ব্যাপারটি জানালে তিনি বললেন, তা হলে তুমি আবু হুরাযরা (অর্থাৎ ৰিড়ালছানা ওয়ালা) ৷
তবে সহীহ্ বুখারীতে ৩এসেছে রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্পাম তাকে আবু হিব বলে
সম্বোধন করেছেন এবং এও এসেছে যে, তিনিতাকে আবু হুবাযব৷ সম্বোধন করেছেন ৷
মুহাম্মাদ ইবন সা দ ইবন কালৰী এবং তিবরানী বলেন, তার মায়ের নাম মাইমুনা বিনৃত
সাফীহ ইবন হারিছ ইবন আবু সা ব ইবন সা দ ছা লাব৷ ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং
মুসলমান অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেন ৷ হযরত আবু হুরায়রা (রা) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম থেকে বহু সংখ্যক উৎকৃষ্ট হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হাফিজে-হাদীস
সাহাবীগণের অন্যতম ৷ তিনি হযরত আবুবকর, উমর উবাই ইবন কা ব, উসামা ইবন যায়দ,
নাযরা ইবন আবুনাযরাহ, ফযল ইবন আব্বাস, কাব আল আহবার এবং উম্মুল মুযিনীন
হযরত আয়েশা (রা) থেকে হাদীস রেওয়ায়েত করেছেন ৷ তদ্র্যপ তার থেকেও বহু সংখ্যক
আহলে ইল্ম হাদীস রেওয়ায়েত করেছেন ৷ আত তাকমীল গ্রন্থে বর্ণত্রুম অনুসারে সুবিন্যস্ত
ভাবে আমরা তাদের উল্লেখ করেছি যেমন আমাদের শইিখ তার তাহযীবে উল্লেখ করেছেন ৷
ইমাম বুখারী বলেন, প্রায় আটশত বা তারও অধিক স খ্যক আহলে ইল্ম সাহাবী, তাবেয়ী
ও অন্যরা তার উদ্ধৃতিতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আমর ইবন আলী আল ফাল্লাস বলেন,
তিনি (আবু হুবায়রা) পবিত্র মদীনায় রাস করতেন ৷ আর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন থায়বার





১ বিশদ ৰিবরগ্নের জন্য দেখুন আল ইসাবা ৪২০ ২, আল ইসতিয়াব,৪২০২, তাবাকাত ইবন সাদ ৪৩২৫,
সফ্ওয়াতস সফওয়া ১৬৮৫, উসদুল গাৰা ৫৩১৫ ৷
২ ইবন সাদ হারিছ বিন শার্বী বিন আবু সাব বিন হানিয়্যা রয়েছে ৷


وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " يَا أَبَا هِرٍّ ". وَثَبَتَ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ".» قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَابْنُ الْكَلْبِيِّ وَالطَّبَرَانِيُّ: وَاسْمُ أُمِّهِ مَيْمُونَةُ بِنْتُ صُبَيْحِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي صَعْبِ بْنِ هُنَيَّةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ. أَسْلَمَتْ وَمَاتَتْ مُسْلِمَةً. وَرَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَثِيرَ الطَّيِّبَ، وَكَانَ مِنْ حُفَّاظِ الصَّحَابَةِ، وَرَوَى عَنْ أَبَى بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَبَصْرَةَ بْنِ أَبِي بَصْرَةَ، وَالْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ، وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ. وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلَائِقُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، قَدْ ذَكَرْنَاهُمْ مُرَتَّبِينَ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ فِي " التَّكْمِيلِ "، كَمَا ذَكَرَهُمْ شَيْخُنَا فِي " تَهْذِيبِهِ ". قَالَ الْبُخَارِيُّ: رَوَى عَنْهُ نَحْوٌ مِنْ ثَمَانِمِائَةِ رَجُلٍ أَوْ أَكْثَرُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، مِنَ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ: كَانَ يَنْزِلُ الْمَدِينَةَ، وَكَانَ إِسْلَامُهُ سَنَةَ خَيْبَرَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ لَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ دَارٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ آدَمَ اللَّوْنِ، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، ذَا ضَفِيرَتَيْنِ، أَفْرَقَ الثَّنِيَّتَيْنِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ أَبِي خَلْدَةَ خَالِدِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪০
أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا أَسْلَمْتُ «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مِمَّنْ أَنْتَ؟ " فَقُلْتُ: مِنْ دَوْسٍ. فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ وَقَالَ: " مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ فِي دَوْسٍ رَجُلًا فِيهِ خَيْرٌ» ". وَقَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدٍ، «عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ» . وَرَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: جِئْتُ يَوْمَ خَيْبَرَ بَعْدَ مَا فَرَغُوا مِنَ الْقِتَالِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا الدَّرَاوَرْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي خُثَيْمُ بْنُ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ سِبَاعُ بْنُ عُرْفُطَةَ» . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرًا فَصَلَّيْتُ الصُّبْحَ وَرَاءَ سِبَاعٍ، فَقَرَأَ فِي السَّجْدَةِ الْأُولَى سُورَةَ " مَرْيَمَ "، وَفِي الثَّانِيَةِ " وَيْلٌ لِلْمُطَفِّفِينَ ". قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَيْلٌ لِأَبِي فُلَانٍ. لِرَجُلٍ كَانَ بِأَرْضِ الْأَزْدِ، كَانَ لَهُ مِكْيَالَانِ ; مِكْيَالٌ يَكْتَالُ بِهِ لِنَفْسِهِ، وَمِكْيَالٌ يَبْخَسُ بِهِ النَّاسَ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «أَنَّهُ ضَلَّ غُلَامٌ لَهُ فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي اجْتَمَعَ فِي صَبِيحَتِهَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ جَعَلَ يُنْشِدُ: يَا لَيْلَةً مِنْ طُولِهَا وَعَنَائِهَا عَلَى ... أَنَّهَا مِنْ دَارَةِ الْكُفْرِ نَجَّتِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪১

২০৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

বিজ্বব্লুয়র বছর ৷ ওয়াকিদী বব্লুলনঃ যুল হুলাইফাব্লুত তার একটি বাড়ি ছিল ৷ আর অন্যেরা বলেন,
তার গায়ের রঙ ছিল বাদামী এবং উভয় কাব্লুধর মাঝে বেশ দুরত্ব ছিল ৷ এছাড়ব্ তার শরীরে
দু ’টি বড় আচিল বা উদ্ভিন্ন অং শ ছিল ৷৩ ৩ার সামনের দাত দু টি ছিল দীর্ঘ ও বক্র ৷ আবু দাউদ
তয়ালসী এবং একাধিক বংনিাকারী আবু খা ালদা অর্থাৎ খালিদ ইবন দিনার থেকে তিনি আবুল
আলিয়া থেকে তিনি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন তিনি অর্থাৎ আবু হুরাইরাহ বলেন, আমি
যখন ইসলাম গ্রহণ করলাম তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আল লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা
করলেন, তুমি কোন গোত্রের লোক? আমি নিবেদন করলাম, দাওস গোত্রের ৷ তিনি কপাব্লুল
হাত রেখে বললেন, আমি মনে করতাম না দাওস গোত্রের কারও মাঝে কোন কল্যাণ ও সুবোধ
আছে ৷ ,
ইমাম যুহরী, সায়ীদ থেকে তিনি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা কব্লুরন, তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাব্লুমর সাথে খায়বার অভিযানে শরীক ছিলাম ৷ আর
আব্দুর রায্যাক সুফিয়ান ইবন উয়াইনাহ থেকে তিনি ইসমাঈল থেকে তিনি কায়স থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি-কায়স বলেন, আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, খয়বার অভিযানে যুদ্ধ শেষ হওয়ার
পর আমি আগমন করেছিলাম ৷ আর ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন, আমাদেরকে সায়ীদ ইবন
মারয়াম তিনি বলেন, আমাদেরকে দারাওয়ারদী বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাকে

খায়ছামা ইরাফ ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি৩ার পিতা থেকে আর তিনি

আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, (খায়বার অভিযানকাব্লুল) রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হলেন এবং সাব্বা ইবন আরফাতাকে পবিত্র মদীনায় র্তার
স্থলবর্তী নিয়োগ করলেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আর আমি যখন পবিত্র মদীনায় আগমন
করলাম, তখন সকলেই (খয়বারের উদ্দেশ্যে পবিত্র মদীনা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছিব্লুলন, ফলে
আমি সাব্বা এর পিছনে ফজব্লুরর নামায পড়লাম ৷ প্রথম রাকআতে তিনি সুরা মারয়াম আর
দ্বিতীয় রাআকাতে সুরা মুতাফ্ফিফীন পড়লেন ৷ আবু হুরায়রা বলেন, তখন আমি মনে মনে
বললাম, অমুক ব্যক্তির ধ্বৎস তাহলে অনিবার্য আমার এ কথার লক্ষ্যস্থল ছিল আযুদ গোত্রের
এক ব্যক্তি যার দু ’টিপরিমাংা ছিল যার একটি দ্বারা যে নিজের জন্য পুর্ণ করে যোগ নিত আর
অন্যটি দ্বারা সে ব্লুলাকব্লুদরব্লুক মাপে কম দিত ৷’

বুখারীশারীব্লুফ এসেছে, যেদিন সকালে তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সাক্ষাতে যান, তার পুর্বের রাত্রে তার এক গোলাম হারিয়ে যায় ৷ তিনি আবৃত্তি করতে

হায

এরপর তিনি যখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে হাযির হলেন,

তিনি তাকে বললেন, এই যে তোমার গোলাম ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র ওয়াস্তে সে আযাদ ৷
ইসলাম গ্রহণের পর আবু হুবায়বা (রা) সর্বক্ষণ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাব্লুমর
সান্নিধ্যে অবস্থান করতেন ৷ পবিত্র মদীনায় অবস্থানকালে কিংবা সফরকাব্লুল কোন অবস্থাতেই
তিনি তার দল ছাড়তেন না ৷ তার থেকে হাদীস শ্রবণ এবং তার তত্ত্বজ্ঞান লাভের ব্যাপাব্লুর
তিনি ছিলেন অত্যন্ত আগ্রহী ৷ কােনমব্লুত ক্ষুধা নিবারণ করে তিনি সব সময় তার সাথে
থাকব্লুতন ৷


فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " هَذَا غُلَامُكَ ". فَقَالَ: هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَدْ لَزِمَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، فَلَمْ يُفَارِقْهُ فِي حَضَرٍ وَلَا سَفَرٍ، وَكَانَ أَحْرَصَ شَيْءٍ عَلَى سَمَاعِ الْحَدِيثِ مِنْهُ، وَتَفَقَّهَ عَنْهُ، وَكَانَ يَلْزَمُهُ عَلَى شِبَعِ بَطْنِهِ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ - وَقَدْ تَمَخَّطَ يَوْمًا فِي قَمِيصٍ لَهُ مِنْ كَتَّانٍ -: بَخٍ بَخٍ أَبُو هُرَيْرَةَ يَتَمَخَّطُ فِي الْكَتَّانِ! لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَخِرُّ فِيمَا بَيْنَ الْمِنْبَرِ وَالْحُجَرِ مِنَ الْجُوعِ، فَيَمُرُّ الْمَارُّ فَيَقُولُ: بِهِ جُنُونٌ. وَمَا بِي إِلَّا الْجُوعُ، وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَقَدْ كُنْتُ أَعْتَمِدُ بِكَبِدِي عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْجُوعِ، وَأَشُدُّ الْحَجَرَ عَلَى بَطْنِي مِنَ الْجُوعِ، وَلَقَدْ كُنْتُ أَسْتَقْرِئُ أَحَدَهُمُ الْآيَةَ وَأَنَا أَعْلَمُ بِهَا مِنْهُ، وَمَا بِي إِلَّا أَنْ يَسْتَتْبِعَنِي إِلَى مَنْزِلِهِ فَيُطْعِمُنِي شَيْئًا. وَذَكَرَ حَدِيثَ اللَّبَنِ مَعَ أَهْلِ الصُّفَّةِ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ فِي ذِكْرِ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي أَبُو كَثِيرٍ، وَهُوَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أُذَيْنَةَ السُّحَيْمِيُّ الْأَعْمَى، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَالَ لَنَا: «وَاللَّهِ مَا خَلَقَ اللَّهُ مُؤْمِنًا يَسْمَعُ بِي وَلَا يَرَانِي إِلَّا أَحَبَّنِي. قُلْتُ: وَمَا عِلْمُكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ قَالَ: إِنَّ أُمِّي كَانَتِ امْرَأَةً مُشْرِكَةً، وَإِنِّي كُنْتُ أَدْعُوهَا إِلَى الْإِسْلَامِ وَكَانَتْ تَأْبَى عَلَيَّ، فَدَعَوْتُهَا يَوْمًا، فَأَسْمَعَتْنِي فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَكْرَهُ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي
পৃষ্ঠা - ৬৫৪২


আবু হুরায়র৷ (রা) বলেন, একবার তিনি কাতানের রুমালে নাকের ময়হুান্; পাইাঙ্কাব করে
বললেন, বাহ বাহ ৷ আবু হুরায়র৷ আজ কাতানের রুমালে নাক পরিষ্কার করছে অথচ আমার
অবস্থা এমন ছিল যে, ক্ষুধার তাড়নায় ( ৩ারসামা বিয়ে) আাম মিস্বর ও হুজরাসমুভ্রুছুর
মধ্যবর্তী স্থানে পড়ে যেতাম ৷ তখন কোন অতিক্রমকারী আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়
বলত, এর মস্তিষ্ক রিকৃতি রয়েছে ৷ অথচ প্রকৃত ব্যাপার হল ক্ষুধা ছাড়া আমাদের আর কোন
রোগ ছিল না ৷ ঐ আল্লাহর কসম ! যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য (নই, ইধার তাড়নায় আমি
আমার যকৃৎ মাটিতে চেপে ধরতাম ৷ আর কখনও বা পেটে পাথর ৰীধতাম ৷ কখনও কাউকে
একটি আয়াত জিজ্ঞাসা করতাম অথচ সে সম্পর্কে আমি তার চেয়ে অধিক অবগত ৷ আসলে
আমার উদ্দেশ্য হত হয়তোবা তিনি আমাকে তার গৃহ পর্যন্ত অনুসরণ করতে বলবেন এবং কিছু
খাওয়াবেন ৷ এরপর তিনি সুফ্ফাবাসীগণাক দুধ পান করানো বিষয়ক হাদীসঢি উল্লেখ করেন ৷
যেমন আমরা দালাইলুন নুবুওয়াহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে আব্দুর রহমান বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে
ইকরিমা ইবন আমীর বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আবু কাহীর অর্থাৎ ইয়াযীদ ইবন
আব্দুর রহমান ইবন উয়াইনা সুহইিমী যিনি অন্ধশ্ছিলেন বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমাকে
আবু হুরাইরাহ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহর কসম ! আল্লাহ্ এমন কোন মু’মিন বান্দা
পয়দা করেন নি যে আমাকে না দেখেও শুধু আমার কথা শুনে আমাকে ভালবাসবে না ৷ তখন
আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা ! এ ব্যাপারে আপনার কী (প্রমাণ) জানা আছেঃ তিনি বললেন,
আমার আশা মুশরিক ছিলেন ৷ আমি তাকে ইসলামের দাওয়াত দিতাম ৷ কিন্তু তিনি তা অস্বীকার
করতেন ৷ একদিন আমি যখন তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলাম তিনি আমাকে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যাপারে অপ্রিয় কটু কথা শুনিয়ে দিলেন ৷ আমি কীদতে

র্কাদতে নবীজীর খিদমতে হাযির হ;হৃ৷ বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি আমার আম্মাকে

ইসলামের দাওয়াত দিতাম আর তিনি ৩ ৷ অস্বীকার করতে ন ৷ আজ যখন আমি তাকে ইসলামের
দাওয়াত দিলাম, তখন তিনি আপনার শানে আমাকে কটু কথা শুনিয়ে দিলেন ৷ আপনি আল্লাহর
কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি আবু হুরায়রার আম্মাকে হিদায়েত দান করেন ৷ তিনি বললেন,
হে আল্লাহ ৷ আপনি আবু হুরায়রার আম্মাকে হিদায়েত দান করুন ৷ তিনি (আবু হুরায়রা)
বালন, আমি তাকে আল্লাহর রাসুলের দুআর সুসংবাদ দেওদ্া৷র জন্য দৌড়তে দৌড়তে বের
হলাম ৷ বাড়র দরজায় পৌছে দেখলাম তা বন্ধ ৷ আর তখন আমি পদ ধ্বনি শুনতে পেলাম
এবং আমার আম্মা (ভেতর থেকে) বললেন, আবু হুরায়রা €র্কুাভাবে আছ সেভাবেই থাকে৷ ৷
এরপর তিনি তার জামা পরে ওড়না মাথায় দেওয়ার পুর্বেই আমাকে দরজা খুলে দিয়ে বললেন,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনও মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) তার বান্ দা ও

রাসুল ৷ আমি খুশিতে র্কীদতে র্কাদতে রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে

ফিরে আসলাম যেমন ইতিপুর্বে দুঃখে কেদেছিলাম ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি
সুসংবাদ গ্রহণ করুন ৷ আল্লাহ আপনার দু আ কবুল করছেন ৷ আবু হুবায়রার আম্মাকে আল্লাহ্
হিদায়েত দান করেছেন ৷ এরপর আমি আরও বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহর কাছে দু আ
করুন যেন তিনি আমাকে এবং আমার আম্মাকে তার মু’মিন বান্দাগণের প্রিয়পাত্র বানান ৷
তিনি বললেন, হে আল্লাহ ৷ আপনার এই বান্দা ও তার আম্মাকে আপনি আপনার মুমিন
বান্দাগণের প্রিয়পাত্র বানান এবং তাদেরকেও তাদের (দুজনের) প্রিয়পাত্র বানান ৷ আবু


كُنْتُ أَدْعُو أُمِّي إِلَى الْإِسْلَامِ فَكَانَتْ تَأْبَى عَلَيَّ، وَإِنِّي دَعَوْتُهَا الْيَوْمَ فَأَسْمَعَتْنِي فِيكَ مَا أَكْرَهُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَهْدِيَ أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ " فَخَرَجْتُ أَعْدُو أُبَشِّرُهَا بِدُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَتَيْتُ الْبَابَ إِذَا هُوَ مُجَافٍ، وَسَمِعْتُ خَضْخَضَةَ الْمَاءِ، وَسَمِعْتُ خَشْفَ رِجْلٍ - يَعْنِي وَقْعَهَا - فَقَالَتْ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، كَمَا أَنْتَ. ثُمَّ فَتَحَتِ الْبَابَ، وَقَدْ لَبِسَتْ دِرْعَهَا، وَعَجِلَتْ عَنْ خِمَارِهَا، فَقَالَتْ: إِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبْكِي مِنَ الْفَرَحِ كَمَا بَكَيْتُ مِنَ الْحُزْنِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبْشِرْ، فَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ دُعَاءَكَ، وَقَدْ هَدَى أُمَّ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُحَبِّبَنِي وَأُمِّي إِلَى عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ وَيُحَبِّبَهُمْ إِلَيْنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ حَبِّبْ عُبَيْدَكَ هَذَا وَأُمَّهُ إِلَى عِبَادِكَ الْمُؤْمِنِينَ، وَحَبِّبْهُمْ إِلَيْهِمَا ". قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمَا خَلَقَ اللَّهُ مِنْ مُؤْمِنٍ يَسْمَعُ بِي وَلَا يَرَانِي أَوْ يَرَى أُمِّي إِلَّا وَهُوَ يُحِبُّنِي» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةِ بْنِ عَمَّارٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، فَإِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ مُحَبَّبٌ إِلَى جَمِيعِ النَّاسِ، وَقَدْ شَهَرَ اللَّهُ ذِكْرَهُ بِمَا قَدَّرَهُ مِنْ إِيرَادِ هَذَا الْخَبَرِ عَنْهُ، الَّذِي رَوَاهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عِنْدَ الْخُطْبَةِ، عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ فِي الْمَحَافِلِ الْكَثِيرَةِ الْمُتَعَدِّدَةِ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ، وَهَذَا قَدَّرَهُ اللَّهُ وَيَسَّرَهُ مِنْ شَهْرِ ذِكْرِهِ، وَمَحَبَّةِ النَّاسِ لَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৩


হুরায়রা বলেন, তাই আল্লাহ এমন কোন মুমিন বান্দা পয়দ৷ করেন নি যে আমার কথা শুনবে,
যদিও সে আমাকে অথবা আমার আম্মাকে দেখে নি, অথচ আমাকে মহব্বত করবে না ৷১
আম্মার থেকে ইকরিমার বর্ণিত হাদীস থেকে ইমাম মুসলিম এরুপ রেওয়ায়েত উল্লেখ
করেছেন ৷ আর এই হাদীসখানি দালাইলুনৃ নুবুওয়াহ’ গ্রন্থের ৷
এভাবে আবু হুরায়রা সকলের ৷প্রয়পাত্র ৷ আর এভাবে আল্লাহ্ তাকে সুথ্যাতি দান করেছেন,
যে তার নির্ধারণ অনুযায়ী আবু হুরায়রা র রেওয়ায়ের্ভ থেকে সকল এলাকায় শত সহস্র মসজিদে
জুমআর দিন খুৎবার শুরুতে সকল মানুষের উপস্থিতিতে ইমাম মিম্বরে থাকা অবস্থায় এই
হাদীসের উদ্ধৃতি দেওয়া হয় ৷ আর এটা মহাজ্ঞানী মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র নির্ধারণ এবং
তার প্রতি মানুষের ভালবাসার প্রকাশ ৷ হিশাম ইবনআম্মার বলেন, আমাদেরকে সায়ীদ বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবদুল হামিদ ইবন জাফর বর্ণনা করেছেন, তিনি
মাকবুরী থেকে, তিনি নাযরীদের মাওলা সালিম থেকে, তিনি আবুহুরায়রাকে বলতে শুনেছেন-
আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাযকে বলতে শুনেছি ঘুহাম্মাদ একজন মানুষ,
অন্যান্য মানুষের ন্যায় আমি (মুহাম্মাদও) রাগান্বিত হই ৷ আমি আপনার কাছে একটি
প্রতিশ্রুতির আবেদন করছি রুিছুম্ভ ৩ই আপনি তা ভঙ্গ করবেন না ৷ যে কোন মুসলমানকে আমি
যে কষ্ট দিয়েছি কিংবা পালি দিয়েছি কিংবা আঘাত করেছি তাকে আপনি তার জন্য কিয়ামতের
দিন আপনার ভৈনকট্য লাভের মাধ্যম করে দিন ৷
আবু হুরায়রা বলেন, একবার আমাকে প্রহার করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তার চাবুক উঠালেন, আর আমার কাছে তা দ্বারা আমাকে তার প্রহার করা লাল
উটের পাল থেকে অধিক প্রিয় ছিল ৷ এর কারণ ছিল আমি প্রত্যাশা করি যে, আমি একজন
মুমিন এবং রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম-এর দুআ অবশ্যই মাকবুল ৷ ইবনে
আবি যিব সায়ীদ মাকবুরী থেকে আর তিনি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (আবু
হুরায়রা) বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আপনার থেকে বহু হাদীস শ্রবণ করি কিন্তু তা ভ্যুল
যাই ৷ তখন তিনি বললেন, তোমার চাদর বিছিয়ে দা ও ৷ আমি তা বিহািয় দিলাম ৷ তারপর
তিনি বললেন, এবার তুমি তা পায়ে জড়িয়ে নাও ৷ আমি তা পায়ে জড়িয়ে নিলাম ৷ এরপর
আমি কোন হাদীস ভুলি নি বুখারী ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে সুফিয়ান বর্ণনা করেছেন তিনি যুহরী থেকে, তিনি
আব্দুর রহমান আল আরজ থেকে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রাকে বলতে শুনেছি, তোমরা
বলে বেড়াও আবু হুরায়রা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম থেকে বহু হাদীস বর্ণনা
করেন, আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিশ্রুতি মীমাংসাস্থলে থাকবেন ৷ আসলে আমি ছিলাম (পরিবার
পরিজনহীন) নিঃস্ব ব্যক্তি ৷ কােনমতে ক্ষুধা নিবারণ করে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া
সাল্লাম-এর সাথে খাকতাম ৷ আর মুহাজিরগণকে ব্যস্ত রাখত বাজারের ত্রুয়-বিত্রুয় চুক্তি ৷ আর



১ ইমাম মুসলিম তার সহীহ্ভে সাহবায়ে কিরামের ফযীলত প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, হাদীস নৎ৩৫ অধ্যায় নং
১৫৮ পৃষ্ঠা নং ১৯৩৮ ৷ এছাড়া ইমাম আহমাদ তার মুসনাদেও উল্লেখ করেছেন ৷ ২য় খণ্ড পৃ৪ নং ৩২০ ৷

২ ইমাম বুখারী কিতাবুল ইলুম এর ৪২ নং অধ্যায়ে এবং কিতাবুল মান্যকিব-এর ২৮ নং অধ্যায়ে তা উল্লেখ
করেছেন ৷ হাদীস নং ৩৬৪৮ ফাতহুল বারী ষষ্ঠ খণ্ড ৬৩৩ পৃং দ্রহু ৷ধ্ইমাম তিরমিযী তার মানাকির অধ্যায়ে
হাদীসখানি উল্লেখ করেছেন ৷ হাদীস নং ৩৮৩৫ যে খণ্ড ৬৮৪ পৃন্হ্র ৷


وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: ثَنَا سَعِيدٌ، ثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ مَوْلَى النَّصْرِيِّينَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّمَا مُحَمَّدٌ بَشَرٌ، أَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُ الْبَشَرُ، وَإِنِّي قَدِ اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ آذَيْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ أَوْ جَلْدَتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ قُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَقَدْ رَفَعَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا الدِّرَّةَ لِيَضْرِبَنِي بِهَا، لَأَنْ يَكُونُ ضَرَبَنِي بِهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ ; ذَلِكَ بِأَنِّي أَرْجُو أَنْ أَكُونَ مُؤْمِنًا، وَأَنْ يُسْتَجَابَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعْوَتُهُ» وَقَالَ ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَسْمَعُ مِنْكَ حَدِيثًا كَثِيرًا أَنْسَاهُ. فَقَالَ: " ابْسُطْ رِدَاءَكَ ". فَبَسَطْتُهُ، ثُمَّ قَالَ: " ضُمَّهُ ". فَضَمَمْتُهُ، فَمَا نَسِيتُ حَدِيثًا بَعْدُ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «إِنَّكُمْ تَزْعُمُونَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يُكْثِرُ الْحَدِيثَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهُ الْمَوْعِدُ، إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مِسْكِينًا، أَصْحَبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مِلْءِ بَطْنِي، وَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ يَشْغَلُهُمُ الصَّفْقُ بِالْأَسْوَاقِ، وَكَانَتِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৪
الْأَنْصَارُ يَشْغَلُهُمُ الْقِيَامُ عَلَى أَمْوَالِهِمْ، فَحَضَرْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَجْلِسًا، فَقَالَ: " مَنْ بَسَطَ رِدَاءَهُ حَتَّى أَقْضِيَ مَقَالَتِي ثُمَّ يَقْبِضُهُ إِلَيْهِ، فَلَنْ يَنْسَى شَيْئًا سَمِعَهُ مِنِّي ". فَبَسَطْتُ بُرْدَةً عَلَيَّ حَتَّى قَضَى حَدِيثَهُ، ثُمَّ قَبَضْتُهَا إِلَيَّ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا نَسِيتُ شَيْئًا سَمِعْتَهُ مِنْهُ.» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَلَهُ طُرُقٌ أُخَرُ عَنْهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ هَذَا كَانَ خَاصًّا بِتِلْكَ الْمَقَالَةِ الْمُعَيَّنَةِ لَمْ يَنْسَ مِنْهَا شَيْئًا، بِدَلِيلِ أَنَّهُ نَسِيَ بَعْضَ الْأَحَادِيثِ كَمَا هُوَ مُصَرَّحٌ بِهِ فِي " الصَّحِيحِ "، حَيْثُ نَسِيَ حَدِيثَ: «لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ ".» مَعَ حَدِيثِهِ «لَا يُورِدُ مُمَرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ ".» وَقِيلَ: إِنَّ هَذَا كَانَ عَامًّا فِي تِلْكَ الْمَقَالَةِ وَغَيْرِهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ: " لَقَدْ ظَنَنْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَلَّا يَسْأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ أَحَدٌ أَوَّلُ مِنْكَ ; لِمَا رَأَيْتُ مِنْ حِرْصِكَ عَلَى الْحَدِيثِ، إِنَّ أَسْعَدَ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، خَالِصًا مِنْ قِبَلِ نَفْسِهِ ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو ابْنِ أَبِي عَمْرٍو بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৫


আনসারগণ তাদের ক্ষেত খামার ও পশুপালের তত্তুাবধাব্লুন নিব্লুয়াজিত থাকব্লু৩ ন ৷ একদিন
আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক মজলিসে উপন্থিত ছিলাম ৷ হঠাৎ
তিনি বললেন আমি আমার কথা শেষ করা পর্যন্ত যে র্তার৷ চ ৷দর বিছিয়ে রাখলে, এরপর তা
গায়ে জড়িয়ে ব্লুনবে, সে আমার থেকে শোনা তার কোনও কথা কিছুতেই ভুলবে না ৷’ তখন
আমি আমার পায়ের চাদর বিছিয়ে দিলাম ৷
অবশেষে যখন তিনিওার কথা শেষ করলেন ৷ তখন আমি তা আমার গায়ে জড়িয়ে
নিলাম ৷ শপথ ঐ সত্তার মার কুদরভী হাতে আমার প্রাণ, এরপর তার থেকে শোনা কোনও
কথা আমি ভুলিনি ৷১ ইবন ওয়াহাব উইৰুস থেকে তিনি যুহ্রী থেকে, তিনি সায়ীদ বিন
মুসয়্যাব থেকে, তিনি আবু হুরায়রা থেকে, তিনি তা বংনাি করেছেন আর তার থেকে এর
আরও একাধিক বংনিাসুএ রয়েছে ৷ অবশ্য একথাও বলা হয়েছে এবিষয়টি বিশেষভাবে ঐ
কথার সাথে সম্পৃক্ত তিনি এর কিছু ভুব্লুলন নি ৷ আর৩ার প্রমাণ হল যে, তিনি কোন কোন
হাদীসে বিস্মৃত হয়েছেন, যা স্পষ্টরুপে “সহীহ্’ন্ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন তিনি ;দ্দু,ন্াণ্
ম) ,;)১;ষ্ম হাদীসখানি তার গ্লুএেণ্শ্ ষ্১ ষ্ণ্ )ণ্ ১;,এ্ষ্কা হাদীসের সাথে বিস্মৃত হয়েছেনঃ ৷
আবার বলা হয়েছে, বিষয়টি ঐ কথা এবং অন্যান্য কথা সকল ক্ষেত্রে প্ৰব্লুযজ্যে, আর আল্লাহ্ই
অধিক জানেন ৷
দারা ওয়ারদী আমর বিন আবু আমর থেকে তিনি সায়ীদ মাকবুরী থেকে, তিনি আবু
হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন (একবার আমি আরয করলাম) “ ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! কিয়ামতের দিন আপনার শাফাআতের দ্বারা সর্বাধিক সৌভাগ্য লাভ করবে
কোন ব্যক্তি ? তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা ! মানুষের (অবস্থা জানার) প্রতি ব্লুতামার আগ্নহ
দেখে আমি ধারণা করেছিলাম যে, এই হাদীস সম্পর্কে তোমার, পুর্বে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা
করবে না ৷ আমার শাফাআত দ্বারা ব্লুকয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি সর্বাধিক সৌভাগ্য লাভ করবে,
যে র্খাটি মনে না ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্ বলবে” ৷ আমর বিন আবু আমব্লুরর হাদীস থেকে ইমাম
বুথারী এই হাদীস ব্লুরওয়ায়েত করেছেন ৷ ইবন আবু যিব সায়ীদ মাকবুরী থেকে, তিনি আবু
হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন-“আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে দুটি পাত্র সংরক্ষণ
করেছি, তার একটি আমি লোকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি, আর অন্যটি যদি ছড়াতাম তাহলে
আমার এই কণ্ঠনালী দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেত” ৷ ইমাম বুখারী ইবন আবু যিবের হাদীস থেকে তা
বর্ণনা করেছেন ৷ আর একাধিক রাবী আবু হুরায়রা থােক বর্ণনা করেছেন, আর এই পাত্র যা
তিনি প্রকাশ করতেন না ৷ তাহলো ফিতন৷ অর্থাৎ গোলব্লুযাগ বিশৃত্খলা এবং যুদ্ধ বিগ্রহসমুহ
এবং লোকদের মাঝে সংঘটিত হত লড়াই-বিবাদ ইত্যাদি ৷ আর যা সংঘটিতব্য তা ঘটার
পুব্লুইে যদি তিনি তা অবহিত করতেন, তাহলে বহু মানুষ তাকে অবিশ্বাস করতেন যদি আমি
তােমাদেরব্লুক বলতাম যে তোমরা তোমাদের ইমামকে (নেতা) হত্যা করবে এবং নিজেদের
মাঝে একে অন্যের বিরুদ্ধে ৩রবারি দিয়ে লড়াই করবে তাহলে কিছুব্লুত তোমরা আমাকে
বিশ্বাস করতে না ৷
প্রবৃত্তির অনুসারী বিদআতপন্থী ও দৃষ্কর্যপরায়ণ অনেক গোষ্ঠী কখনও কখনও এই
হাদীসব্লুক (যুক্তিরুপে) অবলম্বন করে এবং তাকে আবু হুরায়রা (রা)- এর না-বল৷ এই জওয়াবের



১ মুসনাদে আহমাদ ৩২৪০-

আলশ্বিদায়া ওয়ান নিহায়া-২৭াজ্যো(হ্র,৷ ৷ব্র ৷৷৪র্নো০ওোড়া



وَقَالَ ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: «حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وِعَاءَيْنِ، فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَبَثَثْتُهُ فِي النَّاسِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَلَوْ بَثَثْتُهُ لَقُطِعَ هَذَا الْبُلْعُومُ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَذَا الْوِعَاءُ الَّذِي كَانَ لَا يَتَظَاهَرُ بِهِ هُوَ الْفِتَنُ وَالْمَلَاحِمُ، وَمَا وَقَعَ بَيْنَ النَّاسِ مِنَ الْحُرُوبِ وَالْقِتَالِ وَمَا سَيَقَعُ، الَّتِي لَوْ أَخْبَرَ بِهَا قَبْلَ كَوْنِهَا لَبَادَرَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ إِلَى تَكْذِيبِهِ، وَرَدُّوا مَا أَخْبَرَ بِهِ مِنَ الْحَقِّ، كَمَا قَالَ: لَوْ أَخْبَرْتُكُمْ أَنَّكُمْ تَقْتُلُونَ إِمَامَكُمْ وَتَقْتَتِلُونَ فِيمَا بَيْنَكُمْ بِالسُّيُوفِ لَمَا صَدَّقْتُمُونِي. وَقَدْ يَتَمَسَّكُ بِهَذَا الْحَدِيثِ طَوَائِفُ مِنْ أَهْلِ الْأَهْوَاءِ وَالْبِدَعِ الْبَاطِلَةِ، وَالْأَعْمَالِ الْفَاسِدَةِ، وَيُسْنِدُونَ ذَلِكَ إِلَى هَذَا الْجِرَابِ الَّذِي لَمْ يَقُلْهُ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَيَعْتَقِدُونَ أَنَّ مَا هُمْ عَلَيْهِ كَانَ فِي هَذَا الْجِرَابِ الَّذِي لَمْ يُخْبِرْ بِهِ أَبُو هُرَيْرَةَ، وَمَا مِنْ مُبْطِلٍ - مَعَ تَضَادِّ أَقْوَالِهِمْ وَأَعْمَالِهِمْ - إِلَّا وَيَدَّعِي شَيْئًا مِنْ هَذَا، وَكُلُّهُمْ يَكْذِبُونَ، فَإِذَا لَمْ يَكُنْ أَبُو هُرَيْرَةَ قَدْ أَخْبَرَ بِهِ فَمَنْ عَلِمَهُ مِنْ بَعْدِهِ؟ ! وَإِنَّمَا كَانَ الَّذِي فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ قَدْ أَخْبَرَ بِهَا هُوَ وَغَيْرُهُ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِمَّا ذَكَرْنَاهُ وَمِمَّا سَنَذْكُرُهُ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ ". وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، ثَنَا أَبُو الزُّعَيْزِعَةِ كَاتِبُ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّ مَرْوَانَ دَعَا أَبَا هُرَيْرَةَ - وَأَقْعَدَهُ خَلْفَ السَّرِيرِ - وَجَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৬


দিকে সম্পৃক্ত করে এবং৩ তারা এই বিশ্বাস পোষণ করে তারা যে অবস্থায় রয়েছে তা আবু
হুরায়রা (রা) এর না বলা এই জওয়াবে বিদ্যমান ছিল ৷ আর সকল ভ্রাতপন্থীই তাদের কথার
স্ববিরােধিতা সত্বে ও এই দাবী করে, আসলে এরা সকলেই মিথ্যাচারী ৷ আর আবু হুরায়রা যদি
এ বিষয়ে অবহিত না করে থাকেন, তাহলে এরপর কে তা ন্াক্ষা দিয়েছে ?
যেমন তিনি ও অন্যান্য সাইাবাপণ জানিয়েছেন, যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি এবং
গোলযােগাবিশৃৎখলা ও র্মুদ্ধ-কািহ অধ্যায়ে আলোচনা করব ৷ হাম্মাদ বিন যাইদ বলেন,
আমাদেরকে আমর বিন উবাইদ আল আনসারী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
মারওয়ান বিন হাকামের কাতিব আবু জুআয়জিআহ্ বর্ণনা করেছেন যে, মারওয়ান আবু
হুরায়রাকে ডেকে তার সিংহাসনের পিছনে বসাল এরপর মারওয়ান প্রশ্ন করতে থাকল ,আর
আমি তার হয়ে লিখতে থাকলাম এবং বছরের শেষের দিকে তাকে পুনরায় ডেকে পর্দার
আড়ালে বসাল আর সেই কিতাব সম্বন্ধে প্রশ্ন করতে লাগল ৷ পরে দেখা গেল, তিনি কোন
প্রকার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটান নি এবং কোন কিছু আং-পশ্চাত করেননি ৷ আবু বকর বিন আয়্যাশ ও
অন্যান্য অনেকেই আমাশ থেকে, তিনি আবু সালিহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন যে; তিনি (আবু
সালিহ্) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) ছিলেন প্রখরতম স্মৃতিশক্তির অধিকারী সাহাবী ৷ তবে
তিনি তাদের শ্রেষ্ঠ৩ ম ছিলেন না ৷ ইমাম শাফে য়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে রাবী অ বলেন, আবু
হুরায়রা(রা) তার যুগে হাদীস বর্ণনাকারী রাবীগণের মাঝে প্ৰখরতম স্মৃতিশ্াক্তির অধিকারী
আবুল কাসিম বাগাবী বলেন, আমাদেরকে আবু খইিছামাহ বর্ণনা করেছেন, বিলি বলেন,
আমাদেরকে ওয়ালিদ বিন মুসলিম বর্ণনা করেছেন,৩ তিনি বলেন, আমাদেরকে সায়ীদ বিন
আবদুল আযীয মাকহুল থােক বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, কোন এক রাত্রে লোকেরা হযরত
ঘুআ বিয়্ার এক তাবুতে একত্র হল ৷৩ তখন সেখানে আবু হুরায়রা (রা) র্দাড়িয়ে সকাল পর্যন্ত
নবী সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করলেন ৷
সুফিয়ান বিন উয়াইনাহ্ না যায় থেকে, তিনি ওয়াহব বিন মুনাব্বিস্থ থেকে, তিনি তার ভাই
হুমাম বিন যুনাব্বিহ থেকে, তিনি (হুমাম) বলেন, আমি আবু হ্বায়রা (রা)-কে বলতে ওনেছি,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কোন সাহাবী তার থেকে আমার চেয়ে অধিক হাদীস বর্ণনা করে নি ৷
একমাত্র আব্দুল্লাহ্ বিন আমর ব্যতীত ৷ আর তীর কারণ, তিনি লিখতেন কিন্তু আমি লিখতাম
না ৷ আবু যারআ দিমেশকী বলেন, আমাকে মুহাম্মদ বিন যারআি৷ রুঅইিনী বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে মারওয়ান বিন মুহাম্মদ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
সায়ীদ বিন আবদুল আযীয, তিনি ইসমাঈল বিন আবদুল্লাহ্ থােক, তিনি সাইব বিন ইয়াষীদ
থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (সইিব) বলেন, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে আবু
হুরায়রাকে লক্ষ্য করে বলতে ওনেছি, অবশ্যই তোমাকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা
ছাড়তে হবে ৷ অন্যথায় তোমাকে দাওস গোত্রের আবাসভুমিতে পাঠিয়ে দিব এবং তিনি (কার
আল আহবার) (রা) বলেছিলেন, অবশ্যই তৃমি প্রথম থেকে হাদীস বর্ণনা ছাড়বে অন্যথায়
তোমাকে বীদরদের আবাসভুমিতে পৌছে দেব ৷ আবু যারআ বলেন, আর আমি আবু
মুসহিরকে সায়ীদ বিন আবদুল আযীয থেকে এরুপ বর্ণনা করতে ওনেছি ৷ তবে তিনি তার
সনদ বা সুত্র উল্লেখ করেন নি ৷


مَرْوَانُ يَسْأَلُ وَجَعَلْتُ أَكْتُبُ، حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوَلِ دَعَا بِهِ - وَأَقْعَدَهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ - فَجَعَلَ يَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ الْكِتَابِ، فَمَا زَادَ وَلَا نَقْصَ، وَلَا قَدَّمَ وَلَا أَخَّرَ. وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَغَيْرُهُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ مِنْ أَحْفَظِ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَكُنْ بِأَفْضَلِهِمْ. وَقَالَ الرَّبِيعُ: قَالَ الشَّافِعِيُّ: أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْفَظُ مَنْ رَوَى الْحَدِيثَ فِي دَهْرِهِ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: تَوَاعَدَ النَّاسُ لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي إِلَى قُبَّةٍ مِنْ قِبَابِ مُعَاوِيَةَ، فَاجْتَمَعُوا فِيهَا، فَقَامَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَصْبَحَ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ وَهَبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَخِيهِ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: مَا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدٌ أَكْثَرُ حَدِيثًا عَنْهُ مِنِّي، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ; فَإِنَّهُ كَانَ يَكْتُبُ وَلَا أَكْتُبُ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زُرْعَةَ الرُّعَيْنِيُّ، ثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: لَتَتْرُكَنَّ الْحَدِيثَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৭
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ لَأُلْحِقَنَّكَ بِأَرْضِ دَوْسٍ. وَقَالَ لِكَعْبِ الْأَحْبَارِ: لَتَتْرُكَنَّ الْحَدِيثَ أَوْ لَأُلْحِقَنَّكَ بِأَرْضِ الْقِرَدَةِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ وَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا مُسْهِرٍ يَذْكُرُهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَحْوًا مِنْهُ، وَلَمْ يُسْنِدْهُ. وَهَذَا مَحْمُولٌ مِنْ عُمَرَ عَلَى أَنَّهُ خَشِيَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الَّتِي يَضَعُهَا النَّاسُ عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهَا، وَأَنَّهُمْ يَتَّكِلُونَ عَلَى مَا فِيهَا مِنْ أَحَادِيثِ الرُّخْصِ، أَوْ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَكْثَرَ مِنَ الْحَدِيثِ رُبَّمَا وَقَعَ فِي أَحَادِيثِهِ بَعْضُ الْغَلَطِ أَوِ الْخَطَأِ فَيَحْمِلُهَا النَّاسُ عَنْهُ، أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ. وَقَدْ جَاءَ أَنَّ عُمَرَ أَذِنَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْحَدِيثِ، فَقَالَ مُسَدَّدٌ: ثَنَا خَالِدٌ الطَّحَّانُ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «بَلَغَ عُمَرَ حَدِيثِي، فَأَرْسَلَ إِلَيَّ فَقَالَ: كُنْتَ مَعَنَا يَوْمَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ فُلَانٍ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، وَقَدْ عَلِمْتُ لِمَ سَأَلَتْنِي عَنْ ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ سَأَلْتُكَ؟ قُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَئِذٍ: " مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ". قَالَ: إِمَّا لَى فَاذْهَبْ فَحَدِّثْ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - ثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ - وَكَانَ يَبْتَدِئُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৮



আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২১১

আর হযরত উমর (রা)-এর অবস্থানের ব্যাখ্যা হল, তিনি ঐ সকল হাদীসের ব্যাপারে , ,
শঙ্কিত ছিলেন, যেগুলো মানুষ অস্থানে৷ প্রয়োগ করে এবং অবকাশমুলক হাদীসসমুহেব বিরুদ্ধে
, সমালোচনার কথাণ্বলে ৷ এছাড়া কোন ব্যক্তি যখন অধিক হাদীস বর্ণনা করে, তখন প্রায়শ্ইি
তার হাদীসসমুহে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে এবং লোকেরা তার থেকে তা বয়ে যেড়ায় কিংবা এ
জাতীয় কিছু ৷ বর্ণিত আছে যে, এরপর হযরত উমর তাকে হাদীস বর্ণনার অনুমতি প্রদান


মুসাদ্দাদ বলেন আমাদেরকে খালিদ আত্-তিহান বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে
ইয়াহ্ইয়া বিন অ ৷রদুল্লাহ্ত্ত তার পিতা থেকে তিনি আবু হুরায়রা (রা) থােক বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন উমরের কাছে আমার হাদীস অর্থাৎ বর্ণনার আধিক্যের কথা পৌছলে তিনি আমাকে ডেকে
পাঠালেন এবং বললেন, অঘুকের গৃহে যেদিন আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে ছিলা ৷ম সেদিন কি
তুমি আমাদের সাথে ছিলো তিনি (আবু হুরায়রা) বলেন, আমি বললাম, হী৷ ৷ আর আমি বুঝতে
ন্ পেরেছি কেন আপনি আমাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন, তিনি বললেন-কেন আমি তোমাকে
জিজ্ঞাসা করেছি? আমি বললাম, সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
“ইচ্ছাকৃতভাবে যে আমা র নামে মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার টাইি ঠিক করে নেয় ৷
এরপর উমর বললেন, তাহলে (কোন অসুবিধা নেই) তুমি যাও, হাদীস বর্ণনা কর ৷ ইমাম
আহমদ বলেন, আমাদেরকে আফ্ফান বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আবদুল
ওয়াহিদ অর্থাৎ ইবন যিয়াদ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে আসিম বিন কুলাইব
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আমার আব্বা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি আবু
হুরায়রাকে বলতে শুনেছি- আর তিনি এই বলেত নর হাদীস শুরু করতেন-আল্পাহ্র সত্যবাদী
ও সত্যায়িত রাসুল বলেছেন — ণ্
“ইচ্ছাকৃতভাবে যে আমার নামে মিথ্যা বলবে সে যেন জ্বাহান্নামে তার ঠীই করে
নেয়” ৷ আর তিনি অন্যসুত্রে তার থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ওয়াহব
বলেন, আমাকে ইয়াহ্ইয়া বিন আইয়ুব মুহাম্মদ বিন ন্আজ়লান থেকে বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা বলতে তন, আমি (এখন) এমন সব হাদীস বর্ণনা করি, যদি আমি
উমরেরকালে (বা উমরের কাছে) সে ব্যাপারে মুখ থুলতাম,ত্স্ তাহলে তিনি আমার মাথা
কাটিয়ে দিতেন ৷ ,
সালিহ বিন আবুল আখযার সুরহী থেকে, তিনি আবু সালামা থেকে বলেন, আমি (আবু
সালামা) আবু হুরায়রাকে বলতে শুনেছি উমরের ওফাত পর্যন্ত আমরা “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন’ একথা বলতে পারতাম না ৷ মুহাম্মদ বিন ইয়াহ্ইয়া আযযুহলী বলেন, আমাদেরকে
আবদুর রাজ্জাক মা মার থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি যুহরী থেকে, তিনি (যুহরী)বলেন, উমর
(রা) বলেছেন-
আমলের বিষয় ব্যতীত রাসুলুল্পাহ্ (না) থেকে যথাসম্ভব কম হাদীস বর্ণনা কর ৷ তিনি
বলেন, তারপর আবু হুরায়রা বলেন, উমরের জীবদ্দশায় কি আমি তােমাদেরকে এই সবল



€০া৷া



حَدِيثَهُ بِأَنْ يَقُولَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو الْقَاسِمِ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ -: «مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ".» وَرُوِيَ مِثْلُهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ: إِنِّي لَأُحَدِّثُ أَحَادِيثَ لَوْ تَكَلَّمْتُ بِهَا فِي زَمَانِ عُمَرَ - أَوْ عِنْدَ عُمَرَ - لَشَجَّ رَأْسِي. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: مَا كُنَّا نَسْتَطِيعُ أَنْ نَقُولَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. حَتَّى قُبِضَ عُمَرُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: أَقِلُّوا الرِّوَايَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا فِيمَا يُعْمَلُ بِهِ. قَالَ: ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَفَكُنْتُ مُحَدِّثَكُمْ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ وَعُمَرُ حَيٌّ؟ ! أَمَا وَاللَّهِ إِذًا لَأَيْقَنْتُ أَنَّ الْمِخْفَفَةَ سَتُبَاشِرُ ظَهْرِي. فَإِنَّ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ: اشْتَغِلُوا بِالْقُرْآنِ، فَإِنَّ الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ. وَلِهَذَا لَمَّا بَعَثَ أَبَا مُوسَى إِلَى الْعِرَاقِ قَالَ لَهُ: إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا لَهُمْ فِي مَسَاجِدِهِمْ دَوِيٌّ بِالْقُرْآنِ كَدَوِيِّ النَّحْلِ، فَدَعْهُمْ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ، وَلَا تَشْغَلْهُمْ بِالْأَحَادِيثِ، وَأَنَا شَرِيكُكَ فِي ذَلِكَ. وَهَذَا مَعْرُوفٌ عَنْ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৪৯


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

২১ ২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

হাদীস রংট্রুন৷ করতামত্ব শপক্ট্র৷ আল্লাহ্র ! তাহলে আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, কেননা উমর
বলহুতন তোমরা কুরআনে মনোনিবেশ কর ৷ কেননা, কুরআন আল্লাহর বাণী এজন্য যখন
তিনি আবু মুসা (রা)-হুক ইরাকে পাঠাহুলন তখন তাকে বললেন, তুমি এমন এক সম্প্রদায়ের
কাছে যাচ্ছ, যাদের মসজিদসমুহুহ মৌমাছির গুঞ্জন রয়েছে ৷ তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে
দিও, হাদীসে ম শগুল করো না ৷ আর এ ব্যাপারে আমি তোমার অং শীদার ৷ এটা উমর (রা)
থেকে সুবিদিত ৷ ন্
ইমাম আহমদ বলেন আমাদেরকে হাশিম বর্ণনা করেছেন, তিনি ইয়৷ ৷ল৷ বিন আতা থেকে,
তিনি ওয়ালীদ বিন আবদুর রহমান থেকে,৩ তিনিইব ন উমর থেকে যে, তিনি (ইবন উমর)
একবার আবু হুরায়রাকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, আর তিনি হাদীস বর্ণনা করছিলেন-
ন্
“জানাযার অনুসরণ করে যে জানাযার নামায আদায় করল যে এক ক্লীরাত পরিমাণ
হুনকী পাবে, আর যদি সে দাফহুন শরীক হয় তাহলে তার হুনকীর পরিমাণ হয়ে দুই
কীরাত, আর এক কীরাত হল উহুদ পাহাড়ের চেয়ে বৃহত্তর ৷১” তখন ইবন উমর ৩াহুক

বললেন, আবু হির ! ভেবে দেখ তুমি রাসুলুলাহ (সা) থেকে কী হাদীস বর্ণনা করছ ৷ তখন

ণ্

আবু হুরায়রা তাকে নিয়ে উন্মুল মু মিনীন আহুয়শা (বা) এর কাছে গিয়ে তাকে বললেন, হে
উম্মুল মুমিনীন ৷ আল্লাহ্ব দোহাই বলুন তো আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন
“যে ব্যক্তি জানাযার অনুসরণ করে, তারপর জানাযার নামায (পড়ে সে এক ক্লীরাত হুনকী
লাভ করে আর যে তার দাফহুন শরীক হয়, যে দুই ব্দীরাত হুনকী লাভ করে ৷” তখন তিনি
বললেন আল্লাহ সাক্ষী হ্যা ৷ তখন আবু হুরায়রা (বা) বললেন, উপ৩ ৷কৃার ভুমি চাষাবাদ এবং
বাজারের ক্রয়-বিত্রুয় আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহর্চর্য থেকে ব্যস্ত রাখত না ৷ আমি
রাসৃলুল্লাহ্ (না)-এর এমন কোন কথার প্রতা৷শায় থাকতাম যা তিনি আমাকে শিক্ষা দিবেন

কিংবা এমন কোন খাবারের, যা তিনি আমাকে খাওয়াহুবন ৷ তখন ইবন উমর র্তীকে বললেন,

হে আবু হির ! আমাদের মাঝে তুমিই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সৰ্বাধিক সাহচর্যপ্রাপ্ত এবংতার
হাদীস সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত”২

ওয়াকিদী বলেন, আমাকে আবদুল্লাহ বিন নাকে তার পিতা থেকে বর্ণন৷ কহুরহুছা, তিনি
(রায়ে ) বলেন, আবু হুরায়রা (বা) জানাযার অগ্নভাহুপ হাটছিলেন আর তার জন্য রহমত কামনা
করছিলেন, এসময় তিনি বলছিলেন, এই ব্যক্তি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রাসুলের হাদীসের

অন্যতম সংরক্ষক ছিলেন৩ ৷ বর্ণিত আছে যে, হযরত আহুয়শা (রা) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত





২ যুসনাদে আহমাদ ৫ম খণ্ড ২৭৬ পৃঙ্ক দ্র৪
৩তাবাকাহুত ইবন সাদ-৪৩৪ :


عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ مَرَّ بِأَبِي هُرَيْرَةَ وَهُوَ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ تَبِعَ جِنَازَةً فَصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ، فَإِنْ شَهِدَ دَفْنَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ، الْقِيرَاطُ أَعْظَمُ مِنْ أُحُدٍ ".» فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرُ: أَبَا هِرٍّ، انْظُرْ مَا تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَامَ إِلَيْهِ أَبُو هُرَيْرَةَ حَتَّى انْطَلَقَ بِهِ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَ لَهَا: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْشُدُكِ بِاللَّهِ أَسَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَبِعَ جِنَازَةً فَصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ، فَإِنْ شَهِدَ دَفْنَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ "؟» ؟ فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. «فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَشْغَلُنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَرْسُ الْوَدِيِّ وَلَا صَفْقٌ بِالْأَسْوَاقِ، إِنِّي إِنَّمَا كُنْتُ أَطْلُبُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَةً يُعَلِّمُنِيهَا، أَوْ أَكْلَةً يُطْعِمُنِيهَا. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: أَنْتَ يَا أَبَا هِرٍّ كُنْتَ أَلْزَمَنَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعْلَمَنَا بِحَدِيثِهِ.» وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي جِنَازَةِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَهُوَ يَمْشِي أَمَامَهَا وَيُكْثِرُ التَّرَحُّمَ عَلَيْهِ، وَيَقُولُ: كَانَ مِمَّنْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ. وَقَدْ رَوَى أَنَّ عَائِشَةَ تَأَوَّلَتْ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَوَهَّمَتْهُ فِي بَعْضِهَا. وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهَا عَابَتْ عَلَيْهِ سَرْدَ الْحَدِيثِ. أَيِ الْإِكْثَارَ مِنْهُ فِي السَّاعَةِ الْوَاحِدَةِ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا بِشْرُ بْنُ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৫০


হু হাদীসের (বিকল্প) ব্যাখ্যা করেছেন এবং কোন কোন হাদীসের ক্ষেত্রে তাকে বিভ্রাস্তগ্রশু!
বলেছেন ৷
সহীহ বুখারীতে এসেছে তিনি তার হাদীস বর্ণনার অর্থাৎ একই সময়ে অধিক হাদীস বর্ণনার
সমালোচনা করেছেন ৷ আবুল কাসিম বা ৷গাবী বলেন, আমাদেরকে বিশর বিন ওয়ালিদ আল কিনদী
বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমাদেরকে ইসহাক ৰিন সাদ বর্ণনা করেছন, আর তিনি সায়ীদ
থেকে যে, আয়েশা (রণ্) (একবার) আবু হুরায়র৷ (রা)-কে বললেন, হে আবু হুরায়রা ! আপনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বড় বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আবু হুরায়র৷ বললেন, আল্লাহর
শপথ ! সুরমাদানি আর থেযাব আমাকে আল্লাহ্র রাসুল থেকে বিরত রাখত না, কিন্তু আমার
মনে হয় আমি যে অধিক হাদীস বর্ণনা করেছি তা থেকে আপনাকে তা (ঐ বিষয়টি) ব্যস্ত
রেখেছে ৷ তিনি বললেন, সম্ভব৩ ৩তা ই হবে ৷
আবু ইয়ালা বলেন, আমাদেরকে ইবরাহীম শামী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদের
হাম্মাদ বিন সালামা বর্ণনা করেছেন,৩ তিনি সালিন থেকে,৩ তিনি আবু রাফি থেকে কুরাইশের
এক ব্যক্তি আবু হুরায়রা (রা) এর কাছে জোড়াপোশাৰু (সেট) পরিধান করে গর্বিতচালে
এসে বলল, হে আবু হুরায়রা ! আ ৷ঢপনি তা রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বহু হাদীস বর্ণনা করেন
আপনি তাকে আমার এই পােশাকের ব্যাপারে কিছু বলতে শুনেছেন৩ ৷ তিনি বললেন,
আল্লাহ্র শপথ ! হ্তামর৷ আমাদেরকে কষ্ট দাও ৷ আল্লাহ্ যদি আহলে কিতাব থেকে এই

অঙ্গীকার না নিতেন -



মোঃ
তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না ৷ (অলে-
ইমরান : ১৮৭) ৷ তাহলে তােমাদেরকে কোন কিছুই বর্ণনা করতাম না ৷ আমি আবুল কাসিম
০)
“তোমাদের পুর্ববর্তী এক সম্প্রদায়ের ৰুকােন্ন এক ব্যক্তি তার জোড়াপোশাকে গর্বভরে
হীটছিল, এমন সময় মহান আল্লাহ্ তাকে ভু-গর্ভে বসিয়ে দিলেন ৷ আর কিয়ামত পর্যন্ত সে,
অভ্যন্তরে (গভীর)প্ৰবেশ করতে থাকবে” ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আমি জানি না সম্ভবত সে
তোমার গোত্রভুক্ত কিংবা পােষ্ঠীভুক্ত ছিল ৷ সন্দেহের কারণে আবু ইয়ালা কিংবা বলেছেন,
মুহাম্মদ বিন সাদ ন্ বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মদ বিন উমর বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে কাহীর বিন যাইদ বর্ণনা করেছেন, তিনি ওয়ালিদ বিন রবাহ্ থেকে, তিনি
(ওয়ালীদ) বলেন, আমি আবু হুরায়রাকে মারওয়ানের উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্র
কসম ! তৃমিঃ৩ ৷ ওলী নও, ওলী অন্য কেউ ৷ কাজেই৩ ৷ ৷ত্যাগ কর-অর্থাৎ যখন লোকেরা
হযরত হাসান (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে দাফন করতে চেয়েছিল আর তুমি
অস্ধিকার চর্চা করছ ৷ আসলে ভুমি তোমার এ আচরণ দ্বারা অনুপস্থিত একজন অর্থাৎ



১ বুখারী শরীফ, কিতাবুল লিবাস ৫নং পরিচ্ছেদ, কিতাবু আহাদীসুল আম্বিয়া ৫৪নং পরিচ্ছেদ মুসলিম শরীফ
কিতাবুল লিবাস ৪৯নং পরিচ্ছেদ ৷


سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، «أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: أَكْثَرَتِ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ. قَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا كَانَتْ تَشْغَلُنِي عَنْهُ الْمُكْحُلَةُ وَالْخِضَابُ، وَلَكِنِّي أَرَى ذَلِكَ شَغَلَكَ عَمَّا اسْتَكْثَرْتُ مِنْ حَدِيثِي. قَالَتْ: لَعَلَّهُ» . وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ الشَّامِيُّ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ أَتَى أَبَا هُرَيْرَةَ فِي حُلَّةٍ يَتَبَخْتَرُ فِيهَا، فَقَالَ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، إِنَّكَ تُكْثِرُ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهَلْ سَمِعْتَهُ يَقُولُ فِي حُلَّتِي هَذِهِ شَيْئًا؟ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكُمْ لَتُؤْذُونَنَا، وَلَوْلَا مَا أَخَذَ اللَّهُ عَلَى أَهْلِ الْكِتَابِ لَيُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلَا يَكْتُمُونَهُ مَا حَدَّثْتُكُمْ بِشَيْءٍ، سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ رَجُلًا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بَيْنَمَا هُوَ يَتَبَخْتَرُ فِي حُلَّةٍ إِذْ خَسَفَ اللَّهُ بِهِ الْأَرْضَ، فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِيهَا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ".» فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي لَعَلَّهُ كَانَ مِنْ قَوْمِكَ. أَوْ: مِنْ رَهْطِكَ. شَكَّ أَبُو يَعْلَى. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ لِمَرْوَانَ: وَاللَّهِ مَا أَنْتَ وَالٍ، وَإِنَّ الْوَالِيَ لَغَيْرُكَ فَدَعْهُ - يَعْنِي حِينَ أَرَادُوا أَنْ يَدْفِنُوا الْحَسَنَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَكِنَّكَ تَدَخَّلُ فِيمَا لَا يَعْنِيكَ، إِنَّمَا تُرِيدُ بِهَذَا إِرْضَاءَ مَنْ هُوَ غَائِبٌ عَنْكَ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ. قَالَ: فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ مَرْوَانُ مُغْضَبًا، فَقَالَ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، إِنَّ النَّاسَ قَدْ قَالُوا: إِنَّكَ أَكْثَرْتَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَدِيثَ. وَإِنَّمَا قَدِمْتَ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَسِيرٍ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: نَعَمْ، قَدِمْتُ وَاللَّهِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ سَنَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৫৫১
سَبْعٍ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ زِدْتُ عَلَى الثَّلَاثِينَ سَنَةً سَنَوَاتٍ، وَأَقَمْتُ مَعَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ، أَدُورُ مَعَهُ فِي بُيُوتِ نِسَائِهِ وَأَخْدِمُهُ، وَأَنَا وَاللَّهِ يَوْمَئِذٍ مُقِلٌّ، وَأُصَلِّي خَلْفَهُ وَأَغْزُو وَأَحُجُّ مَعَهُ، فَكُنْتُ وَاللَّهِ أَعْلَمَ النَّاسِ بِحَدِيثِهِ، قَدْ وَاللَّهِ سَبَقَنِي قَوْمٌ - بِصُحْبَتِهِ وَالْهِجْرَةِ - مِنْ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ، فَكَانُوا يَعْرِفُونَ لُزُومِي لَهُ، فَيَسْأَلُونِي عَنْ حَدِيثِهِ، مِنْهُمْ عُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، فَلَا وَاللَّهِ مَا يَخْفَى عَلَيَّ كُلُّ حَدَثٍ كَانَ بِالْمَدِينَةِ، وَكُلُّ مَنْ أَحَبَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَكُلُّ مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلَةٌ، وَكُلُّ صَاحِبٍ لَهُ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ صَاحِبَهُ فِي الْغَارِ، وَغَيْرُهُ قَدْ أَخْرَجَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ أَنْ يُسَاكِنَهُ. يُعَرِّضُ بِأَبِي مَرْوَانَ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ. ثُمَّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: لِيَسْأَلْنِي أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ هَذَا وَأَشْبَاهِهِ، فَإِنَّهُ يَجِدُ عِنْدِي مِنْهُ عِلْمًا جَمًّا وَمَقَالًا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا زَالَ مَرْوَانُ يَقْصُرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَيَتَّقِيهِ بَعْدَ ذَلِكَ وَيَخَافُهُ وَيَخَافُ جَوَابَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لِمَرْوَانَ: إِنِّي أَسْلَمْتُ وَهَاجَرْتُ اخْتِيَارًا وَطَوْعًا، وَأَحْبَبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُبًّا شَدِيدًا، وَأَنْتُمْ أَهْلُ الدَّارِ وَمَوْضِعُ الدَّعْوَةِ، أَخْرَجْتُمُ الدَّاعِيَ مِنْ أَرْضِهِ، وَآذَيْتُمُوهُ وَأَصْحَابَهُ، وَتَأَخَّرَ إِسْلَامُكُمْ عَنْ إِسْلَامِي إِلَى الْوَقْتِ الْمَكْرُوهِ إِلَيْكُمْ. فَنَدِمَ مَرْوَانُ عَلَى كَلَامِهِ لَهُ وَاتَّقَاهُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عُمَرَ أَوْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ - يَعْنِي عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৫২


মুআবিয়াব্লুক সন্তুষ্ট করতে চাও ৷ ওয়ালীদ বলেন, তখন মারওয়ান ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে বলল,
ব্লুহ আবু হুরায়রা ৷ সকলে বলে, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনেক বেশি হাদীস বর্ণনা
করেছ ৷ অথচ নবী (না)-এর ওফাতের পর কিছুদিন পুর্বে (পবিত্র মদীনায়) আপমন
করেছ ৷ তখন আবু হুরায়রা (রা) বললেন, ইা৷, সপ্তম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বাব্লুর
অবস্থানকালে আমি এসেছি ৷ আর তখন আমার বয়স তিরিশের চেয়ে কয়েক বছর্, বেশি
এরপর ওফাত পর্যন্ত আমি তার সাথে ছিলাম ৷ তার পবিত্র হীংাণেরও গৃহে গৃহে তার
খিদমব্লুত আমি তার সাহচার্য লাভ করেছি ৷ আল্লাহ্র শপথ ! তখন আমি তার হাদীস
বর্ণনাকারী ছিলাম ৷ তার পিছব্লুন নামায পড়লাম ৷ তার সাথে হজ্জ ও জিহাদ করতাম ৷
আল্লাহর শপথ ! আমি ছিলাম তার হাদীস সম্পর্কে সৰ্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ আল্লাহর শপথ ! ণ্
কুরাইশপণ ও আনসারগণের এক সম্প্রদায় তার সাহচার্য ও তার কাছে হিজরত দ্বারা আমার
অগ্রবর্তী হয়েছে ৷ তারাও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আমার সার্বক্ষণিক অবস্থানের কথা
জানব্লুতা, তাই আমাকে তার হাদীস সম্পব্লু র্ক জিজ্ঞাসা করত ৷ এদের মধ্যে উত্তম উসমান,
আলী ত,ালহা যুবাইর প্রমুখ রয়েছেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! তাই পবিত্র মদীনায় ব্লুকান হাদীস
এবং এমন কোন ব্যক্তি যিনি আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে ভালবাসেন এবং এমন ব্যক্তি,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এবং তবে সকল সাহাবী আমার
অজ্ঞাত নয় ৷
আবু বকর (রা) সেই ছাওর ওহায় এবং অন্যান্য ব্লুক্ষত্রেত তার সহচর ছিলেন ৷ হিজরতের
সময় তার সাথে বাস করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না) তবে মদীনা তাব্যিবাহ থেকে বের করে
এসেছিলেন ৷ মারওয়ানের পিতা হাকাম বিন আব্লুসর দিকে ইঙ্গিত করে আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, আবদুল মালিক এবং এর সদৃশদের সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করে ব্লুদখুন,তাহব্লুল
আমার কাছে পযাপ্ত জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় কথা পাবেন ৷ রাৰী বলেন, আল্লাহর কসম ৷ এরপর
থেকে মারওয়ান সবসময় আবু হুরায়রা (রা) থেকে পিছিয়ে থাকত এবংত তাকে এড়িয়ে চলত
এবং তাকে ও তার জওয়াবকে ভয় করত ৷ ,
এক রিওয়ায়েতে আছে যে, একবার আবু হুরায়রা (রা) মারওয়ানকে বলেন, আমি স্বেচ্ছায়
ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং ব্লুস্বচ্ছায় হিজৱত (স্বদেশ ত্যাগ) করেছি এবং আল্লাহর রাসুলকে
গভীরভাবে ভালব্লুবব্লুসছি ৷ অথচ তোমরা আল্লাহর রাসুলের স্বদেশবাসী এবং তার দাওয়াব্লুতর
স্থল হয়ে এই দাঈব্লুক স্বব্লুদশ থেকে বহিষ্কার করেছ এবং তাকে ও তার সাহাবাগণকে কষ্ট
দিয়েছ ৷ আর ব্লু৩ ৷মাদের ইসলাম গ্রহণ ব্লুথব্লুকব্লু তামাদের অপ্রিয় সময়কাল পর্যন্ত বিলযিত
হয়েছে ৷ তখন মারওয়ান তাব্লুক (আবু হুরায়রাকে) উদ্দেশ্য করে তার কথার জন্য অনুতপ্ত হল
এবং তাকে এড়িয়ে ব্লুপল ৷ ইবন আবু খাইছমা বলেন, আমাদেরকে হারুন বিন মারুফ বর্ণনা
করেছন, তিনি বলেন আমাদেরকে মুহাম্মদ বিন সালামা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে উমর: কিংবা উসমান বিন উরওয়াহ্ থেকে, তিনি তার ৷পত ৷ থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমার পিতা যুবাইর আমাকে বলেন, আমাকে এই ইয়ামানী ব্যক্তির
(অর্থাৎ আবু হুরাইরার) কাছে নিয়ে চল ৷ কেননা, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে অত্যধিক
হাদীস বর্ণনা করে থাকেন ৷ উরওয়াহ্ বলেন, তখন আমি তাকে তার কাছে নিয়ে গেলাম ৷
এরপর হাদীস বর্ণনা করতে শুরু করলেন, আর ’ যুবাইর বলতে লাগলেন, এ ১ন্থ দ্;১, )
প্রু১চ দ্হু১ ৰু উরওয়াস্থ বলেন, আমি বললাম, আব্বাজান ! আপনার একথার শ্দ্বু১ ন্


بْنِ الْعَوَّامِ - قَالَ: قَالَ لِي أَبِي الزُّبَيْرُ: أَدْنِنِي مِنْ هَذَا الْيَمَانِيِّ - يَعْنِي أَبَا هُرَيْرَةَ - فَإِنَّهُ يُكْثِرُ الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَأَدْنَيْتُهُ مِنْهُ، فَجَعَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ، وَجَعَلَ الزُّبَيْرُ يَقُولُ: صَدَقَ، كَذَبَ، صَدَقَ، كَذَبَ. قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَهْ، مَا قَوْلُكَ: صَدَقَ، كَذَبَ؟ قَالَ: يَا بُنَيَّ، أَمَّا أَنْ يَكُونَ سَمِعَ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا أَشُكُّ، وَلَكِنَّ مِنْهَا مَا وَضَعَهُ عَلَى مَوَاضِعِهِ، وَمِنْهَا مَا وَضَعَهُ عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهِ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي أَنَسِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، وَاللَّهِ مَا نَدْرِي هَذَا الْيَمَانِيُّ أَعْلَمُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكُمْ، أَمْ يَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ يَقُلْ؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: وَاللَّهِ مَا نَشُكُّ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ نَسْمَعْ، وَعَلِمَ مَا لَمْ نَعْلَمْ، إِنَّا كُنَّا قَوْمًا أَغْنِيَاءَ، لَنَا بُيُوتَاتٌ وَأَهْلُونَ، وَكُنَّا نَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَفَيِ النَّهَارِ، ثُمَّ نَرْجِعُ، وَكَانَ مِسْكِينًا لَا مَالَ لَهُ وَلَا أَهْلَ، وَإِنَّمَا كَانَتْ يَدُهُ مَعَ يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ يَدُورُ مَعَهُ حَيْثُمَا دَارَ، فَمَا نَشُكُّ أَنَّهُ قَدْ عَلِمَ مَا لَمْ نَعْلَمْ، وَسَمِعَ مَا لَمْ نَسْمَعْ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ بْنحْوِهِ. وَقَالَ شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا أَيُّوبَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقِيلَ لَهُ: أَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ؟ ! فَقَالَ: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدْ سَمِعَ مَا لَمْ نَسْمَعْ، وَإِنِّي أَنْ أُحَدِّثَ عَنْهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. يَعْنِي: مَا لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৩


(১ হ্র ) তাৎপর্য কী? তিনি বললেন বৎস ! সে যে এসকল হাদীস রাসুলুল্লাহ (না) থেকে
শুনেছে এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহে নিশ্চিত ৷ তবে তার কোনটিকে সে যথাযথভাবে উপস্থাপন
করেছে কোনটিকে করে নাই ৷

আলী বিন মাদীনী বলেন তিনি ওয়াহব বিন জ বীর তিনি তার পি৩ ৷ থেকে, তিনি
মুহাম্মদ বিন ইসহাক থেকে,৩ তিনি মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম থেকেও তিনি আবুল ইয়াসার বিন
আবু আমীর বলেন একবার আমি তাল্হা বিন উবাইদুল্লাহ্ব কাছে ছিলাম ৷ এক ব্যক্তি তার
সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আবু মুহাম্মদ আমরা জানিনা এই ইয়ামানী ব্যক্তি কি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর (হাদীসের) ব্যাপারে আপনাদের চেয়ে অধিক অবগত না কি? তিনি যা
( ৷৷নেন নি কিংবা রাসুলুল্পাহ্ (না) যা বলেন নি, তিনি তার সালে তা বলে বেড়ান ৷ তালহা
বলেন, আল্লাহর শপথ ৷ আমরা নিঃসন্দেহ যে, তিনি রাসুল (না) থেকে এমন কথা শুন্যেছন
যা আমরা শুনি নি এবং এমন বিষয় ণ্জনেছেন যা আমরা জানি, নি ৷ আমরা রাসুল (সা) এর
কাছে আসতাম দিনের দুই প্রান্তে (সকাল-সন্ধ্যয়ে) ৷ এরপর ফিরে যে৩ ৷ম ৷ আর তিনি ছিলেন
স্বজন পরিজন ও সহায় সম্পদহীন এবং নিংস্ব ব্যক্তি তার (সার্বক্ষণিক) অবস্থান ছিল রাসুল
(না)-এর সাথে ৷ তিনি (রাসুলুল্পাহ্) যেখানে যেতেন তার সাথে তিনিও সেখানে যেতেন ৷
,কাজেই কোন সন্দেহ নেই যে, তিনি এমন বিষয় জেনেছেন যা আমরা জানি না ৷ এবং এমন
কথা শুনেছেন যা আমরা শুনি নি৷

ইমাম তিরমিযী (র) হাদীস খানি প্রায় এরকমভাবেই ব্লেওয়ায়েত করেছেন ৷ শু বা বলেন,
আশ আছ বিন সুলাইম থেকে তিনি তার পিতা থেকে,৩ তিনি বলেন, একবার আমি আবু
আইয়ুবকে আবু হুরায়রা (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনলাম ৷ তখন তাকে বলা হল,
আপনি নিজে আল্লাহর রাসুলের সাহাবী হয়ে আবু হুরায়রা (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
তখন তিনি বললেন, আবু হুরায়রা (বা) এমন অনেক কথা শুনেছেন যা আমরা শুনি নাই ৷ যে
বিষয়ে তার থেকে হাদীস রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে শুনি নাই যে বিষয়ে তার থেকে হাদীস বর্ণণা
করা আমার কাছে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে হাদীস বর্ণনা করা থেকে অধিক পছন্দনীয় ৷

ইমাম মুসলিম (বিন হাজ্জাজ) বলেন, আমাদেরকে আবদুল্লাহ বিন আবদুর রাহমান দারিমী
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে ,যারওয়ান দামোশৃকী বর্ণনা করেছেন লাইছ বিন সাদ
থেকে, তিনি বলেন, আমাকে বুকাইর বিন আশাজ্জ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমাদেরকে
বিশর বিন সায়ীদ বলেন-তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং হাদীস (বর্ণনা করা) থেকে আত্মরক্ষা
কর ৷ আল্লাহর কসম ! আমরা আবু হুরায়রার মজলিসে থাকতাম আর তিনি আমাদেরকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করতেন এবং কাবৰুআহবার থেকেও হাদীস বর্ণনা করতেন
এরপর তিনি উঠে যেতেন ৷ এরপর আমি আমাদের কোন কোন শ্রো তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
হাদীস কা বের সুত্রে এবং কা বের হাদীস রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ কোন
রিওয়ায়েতে কা বের বক্তব্যকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নামে এবং রাসুলুল্লাহ্-এর বক্তব্যকে কা বের
নামে বর্ণনা করত ৷ কাজেই আল্পাহ্কে ভয় কর এবং হাদীস বর্ণনা ৷র ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন



১ তিরমিযী শরীফ কিতাৰুল মানাকিব-হাদীস নং ৩৮৩৭ মে খণ্ড ৬৮৪ পৃং দ্র৪ ৷ ইমাম তিরমিযী বলেন,
হাদীসটি প্রু; প্রুন্ (হাসান পরীব) মুহাম্মদ বিন ইসহাক-এর সুত্র ছাড়া এ হাদীসের আর কোন সনদ
আমাদের জানা নেই ৷


وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، ثَنَا مَرْوَانُ الدِّمَشْقِيُّ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ الْأَشَجِّ قَالَ: قَالَ لَنَا بُسْرُ بْنُ سَعِيدٍ: اتَّقُوا اللَّهَ وَتَحَفَّظُوا مِنَ الْحَدِيثِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا نُجَالِسُ أَبَا هُرَيْرَةَ، فَيُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُحَدِّثُنَا عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، ثُمَّ يَقُومُ فَأَسْمَعُ بَعْضَ مَنْ كَانَ مَعَنَا يَجْعَلُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كَعْبٍ، وَحَدِيثَ كَعْبٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي رِوَايَةٍ: يَجْعَلُ مَا قَالَهُ كَعْبٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كَعْبٍ، فَاتَّقُوا اللَّهَ وَتَحَفَّظُوا فِي الْحَدِيثِ. وَقَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ: سَمِعْتُ شُعْبَةَ يَقُولُ: أَبُو هُرَيْرَةَ كَانَ يُدَلِّسُ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَكَانَ شُعْبَةُ يُشِيرُ بِهَذَا إِلَى حَدِيثِهِ: «مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا فَلَا صِيَامَ لَهُ ".» فَإِنَّهُ لَمَّا حُوقِقَ عَلَيْهِ قَالَ: أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ، وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ شَرِيكٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: كَانَ أَصْحَابُنَا يَدَعُونَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَرَوَى الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: مَا كَانُوا يَأْخُذُونَ بِكُلِّ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ. قَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: كَانُوا يَرَوْنَ فِي أَحَادِيثِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৪


কর ৷ ইয়াযীদ বিন হারুন বলেন, আমি শুবাকে বলতে শুনেছি, আবু হুরায়রা হাদীস বংনািয়

তদলীসের শিকার হতেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শ্রুত এবং করে (বা) থেকে শ্রুত হাদীসের
মাঝে বর্ণনাক লে তিনি পার্থক্য করতে পারতেন না ৷ ইবন ৩৷ সাকিব বিষয়টি উল্লেখ করেছন ৷
আর শুবা মুলত এর দ্বারা তার এই হাদীসের দিকে ইঙ্গিত করেছেন ম্র,ও ৷ বৃএ্হ্ন ৰুন্ষ্ ;,
শু৷ ,ৰুাৰুশু “জুনুবী বা নাপাক অবস্থায় যার সকাল হয়,৩ তার কোন সাওম বা রােয৷ নেই ৷
কেননা এ ব্যাপারে যখন গিং বির্তকের সম্মুখীন হলেন, তখন বললেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে
কথাটি বলেছে, রাসুলুল্লাহৃ (সা ) থেকে আমি তা শুনি নি ৷

শারীক, ন্নুগীর৷ থেকে তিনি ইবরাহীম থেকে বলেন, তিনি (ইবরাহীম) বলেন, আমাদের

সাহাবীগণ আবু হুরায়রা এর কোন কোন হাদীস ছেড়ে দিতেন ৷ আ মাশ ইবরাহীম থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তারা আবু হুরায়রা (রা) এর হাদীস গ্রহণ করতেন না ৷ ছাওরী মানসুর থেকে
তিনি ইবরাহীম থেকে বলেন, তারা আবু হুরায়রা (রা) এর হাদীসে বিবৃতবােধ্ করতেন তাই

তার বর্ণিত সকল হাদীস গ্রহণ করতেন না ৷ তবে জ ৷ন্নাতজাহান্নামের বর্ণনা কিংবা কোন লেক
আমলের উৎসাহবোধক কিংবা কুরআনে বর্ণিত কোন পাপের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত হাদীসকে
তারা এর ব্যতিক্রম গণ্য কবভৈতর্ন ৷ অবশ্য ইবন আসাকির আবু হুরায়রার পক্ষালস্বন করে
ইবরাহীম নাখয়ী এর বক্তব্যকে প্রতা৷খ্যান করেছেন ৷ কুফাবাসী হাদীস বিশারদগণের একদল
ইবরাহীম নাখয়ীর অনুরুপ মত ব্যক্ত করেছেন, তবে অধিকাংশ মুহাদ্দিস-এর অবস্থানরে
বিপরীত ৷

হযরত আবুহ্ ব্ায়রা (রা) এর মাঝে বিরাট মাত্রায় সত্যবাদিতা, স্মৃতিশজ্যি প্রখরতা,

ধার্মিকতা, দুনিয়া বিমুখতা এবং লেক আমলের প্রবণতা বিদ্যমান ছিল ৷ হাম্মাদ বিন যইিদ
(বলেন) আব্বাস জারীরী থেকে তিনি আবু উসমান নাহ্দী থেকে, তিনি বলেন, হযরত আবু
হুরায়রা (রা) নিজে রাত্রের এক ততীয়াংশ তার ত্রী এক তভীয়াৎশ এবং কন্যা এক তভীয়াৎশ
ব্যাপী ইবাদত বন্দেগী করতেন ৷ এ নামায পড়তেন ৷৩ তারপর একে জাগিয়ে দিতেন, তারপর
এ (দ্বিতীয়জন) আবার একে (তৃ৩ ততীয়জনকে) জাগিয়ে দিতেন ৷ বুখারী ও মুসলিম শরীফে তার
থেকে বর্ণিত আছে,৩ তিনি বলেন “আমার খলীল (সা) আমাকে ওসীয়ত করেছেন, প্রতি মাসে
তিনদিন বোযা রাখার, চাশতের দৃ’রাকাআত নামায পড়ার এবং ফুা৷নাের পুর্বেই বিভব নামায
আদায় করার” ৷ ইবন জুরইিজ তার বর্ণনাকারীর সুত্রে বলেন-তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা)
বলেছেন, আমি আমার রাত্রিকে তিন অংশে ভাগ করে নিয়েছি ৷ এক অং শ কুরআন৩ তিলাওয়াতের
জন্য, এক অংশ ঘুমানাের জন্য এবং এক অংশ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর হাদীস স্মরণ (মুখস্থু) করার
জন্য ৷ মুহাম্মদ বিন সাদ বলেন, আমাদেরকে মুসলিম বিন ইবরাহীম বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেন, আমাদেরকে আবু আইয়ুব বর্ণনা করেছেনতিনি বলেন, আবু হুরায়রা ভাড়ারঘরে,
গৃহাভ্যন্তরে, কক্ষাভ্যম্ভরে এবং বাড়িতে প্রবেশের সময় তিনি এ সবকটি স্থানে নামায আদায়
করতেন ৷ ইকরামাহ বলেন, হযরতন্আবু হুরায়রা (রা) প্রতি রাতে বার হাজার তাসবীহ পাঠ
করতেন ৷ তিনি বলতেন, আমি আমার দিয়ত’ পরিমাণ তাসবীহ পাঠ করি ৷



১ সিফাতুস সফওয়া গ্রন্থে আৰু উসমান নাহ্দী থেকে বর্ণিত আছে তিনি নিজে তার শ্রী এবং তার থাদিম
তিনভাগ করে পালাক্রাম রাত্রি জাগরণ করতেন ৷ এ নামায পড়তেন তারপর একে জাগিয়ে দিতেন, তারপর সে
নামায পড়ে আবার একে (তৃভীয়জন) জাগিয়ে দিতেন-১৬৯২ পৃ৪ ৷


أَبِي هُرَيْرَةَ شَيْئًا، وَمَا كَانُوا يَأْخُذُونَ مِنْ حَدِيثِهِ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ حَدِيثِ جَنَّةٍ أَوْ نَارٍ. وَقَدِ انْتَصَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ، وَرَدَّ هَذَا الَّذِي قَالَهُ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ. وَقَدْ قَالَ مَا قَالَهُ إِبْرَاهِيمُ طَائِفَةٌ مِنَ الْكُوفِيِّينَ، وَالْجُمْهُورُ عَلَى خِلَافِهِمْ. وَقَدْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ الصِّدْقِ وَالْحِفْظِ وَالدِّيَانَةِ وَالْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ. قَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجَرِيرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقُومُ ثُلُثَ اللَّيْلِ، وَامْرَأَتُهُ ثُلُثَهُ، وَابْنَتُهُ ثُلُثَهُ، يَقُومُ هَذَا، ثُمَّ يُوقِظُ هَذَا، ثُمَّ يُوقِظُ هَذَا وَهَذَا. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «أَوْصَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيِ الضُّحَى، وَأَنْ أُوَتِرَ قَبْلَ أَنْ أَنَامَ.» وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَمَّنْ حَدَّثَهُ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنِّي أُجَزِّئُ اللَّيْلَ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ، فَجُزْءٌ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ، وَجُزْءٌ أَنَامُ فِيهِ، وَجُزْءٌ أَتَذَكَّرُ فِيهِ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا أَبُو أَيُّوبَ قَالَ: كَانَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ مَسْجِدٌ فِي مُخْدَعِهِ، وَمَسْجِدٌ فِي بَيْتِهِ، وَمَسْجِدٌ فِي حُجْرَتِهِ، وَمَسْجِدٌ عَلَى بَابِ دَارِهِ، إِذَا خَرَجَ صَلَّى فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৫
جَمِيعِهَا، وَإِذَا دَخَلَ صَلَّى فِيهَا جَمِيعِهَا. وَقَالَ عِكْرِمَةُ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُسَبِّحُ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أَلْفَ تَسْبِيحَةٍ، وَيَقُولُ: أُسَبِّحُ عَلَى قَدْرِ دِيَتِي. وَقَالَ هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي مَيْسَرَةَ قَالَ: كَانَتْ لِأَبِي هُرَيْرَةَ صَيْحَتَانِ فِي كُلِّ يَوْمٍ، أَوَّلَ النَّهَارِ يَقُولُ: ذَهَبَ اللَّيْلُ وَجَاءَ النَّهَارُ، وَعُرِضَ آلُ فِرْعَوْنَ عَلَى النَّارِ. وَإِذَا كَانَ الْعَشِيُّ يَقُولُ: ذَهَبَ النَّهَارُ وَجَاءَ اللَّيْلُ، وَعُرِضَ آلُ فِرْعَوْنَ عَلَى النَّارِ. فَلَا يَسْمَعُ أَحَدٌ صَوْتَهُ إِلَّا اسْتَعَاذَ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: ثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَا تَغْبِطَنَّ فَاجِرًا بِنِعْمَةٍ، فَإِنَّ مِنْ وَرَائِهِ طَالِبًا حَثِيثًا طَلَبُهُ ; {جَهَنَّمُ كُلَّمَا خَبَتْ زِدْنَاهُمْ سَعِيرًا} [الإسراء: 97] . وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ صَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمًا، فَلَمَّا سَلَّمَ رَفْعَ صَوْتَهُ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ الدِّينَ قَوَامًا، وَجَعَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ إِمَامًا، بَعْدمَا كَانَ أَجِيرًا لِابْنةِ غَزْوَانَ عَلَى شِبَعِ بَطْنِهِ وَحُمُولَةِ رِجْلِهِ. ثُمَّ يَقُولُ: وَاللَّهِ يَا أَهْلَ الْإِسْلَامِ، إِنْ كَانَتْ إِجَارَتِي مَعَهُمْ إِلَّا عَلَى كِسْرَةٍ يَابِسَةٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৬


ইয়ালা বিন আত৷ থেকে হাশিম বলেন, তিনি মাইমুর্ন বিন আবু মাইসারাহ থেকে, তিনি
বলেন, আবু হুরায়র৷ (রা) প্রতিদিন দু’বার দু’টি চিৎকার করতেন, দিবসের শুরুতে চিৎকার
করে বলতেন-রাত গত হয়েছে, দিন উপস্থিত হয়েছে এবং ফিরআওন সম্প্রদায়কে
জাহান্নামের সামনে সমুপস্থিত করা হয়েছে, আবার সন্ধ্যাকালে চিৎকার করে বলতেন, দিন গত
হয়েছে এবং রাত উপস্থিত হয়েছে আর ফির আওন সম্প্রদায়কে জাহান্নচেমর সামনে সমুপস্থিত
করা হয়েছে ৷ ভৈযই একথা বলার সময় তবে কণ্ঠস্বর শুন ত সেই জাহান্নাম থেকে আল্লাহর কাছে
পানাহ চাইত ৷ আবদুল্লাহ বিন মুবারক বলেন, আমাদেরকে মুসা বিন উবাইদাহ্ যিয়াদ বিন
ছাওবান থেকে, তিনি আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (আবু হুরায়রা )রলেন-
কোন পাপাসক্ত ব্যক্তিকে কোন নিআমতের কারভৃং৷ ঈর্ষ৷ করো না ৷ কেননা, তার পশ্চাতে তার
এক দ্রুতগামী অনুসৰ্ণকারী রয়েছে যে হল জাহান্নাম “যখনই তা ন্তিমিত হবে তখন আমি
তাদের জন্যে অগ্নিশিখ৷ বৃদ্ধি করে দিব” ৷ ইবন লাহীআহ আবু ইউনুস থেকে, তিনি আবু
ছুরায়র৷ থেকে বর্ণনা করোছা যে, একবার তিনি নামচেযর ইমামভী করলেন ৷ যখন সালাম
ফিরচেলন, তখন উচ্চস্বরে বললেন, সকল প্রশং না ঐ আল্লাহর যিনি দীনকে সরল সঠিক
করেছেন এবং আবু হুরাযরাকে ইমাম বানিয়েছেন অথচ সে ছিল গঘৃওয়ান কন্যার পেটভাতা
মজুর, যার কাজ ছিল পায়ে হেটে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করা ৷
ইবরাহীম বিন ইসহাক হারবী বলেন, আমাদেরকে আফ্ফান বর্ণনা করেছেন, তিন বলেন,
আমাদেরকে সুলাইম বিন হায়্যান বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছিলাম, তিনি (আবু হুরায়রা) বলেছেন আমি ইসাতিম
অবস্থায় লালিত পালিত হয়েছি এবং নিঃস্ব অবস্থায় হিজরত করেছি আর আমি ছিলাম গযওয়ান
কন্যার পেট ভা৩ ৷ মজুর যার কাজ ছিল পায়ে ভৈহটে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করা ৷ যখন তারা
আরোহণ করত তখন আমি তাদের বাহন হাকিয়ে নিতাম আর যখন অবতরণ করত, তখন
তাদের জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতাম ৷ কাজেই প্রশং না ঐ আল্লাহর যিনি দীনঙ্গুক সরল সঠিক
করেছেন এবং আবু হুরায়রাকে ইমাম ও নেতা বা ৷নিয়েছেন ৷ তাবপব বলেন হে ঘুসলমানগণ !
আল্লাহ্র শপথ ! আমি তাদের মজুর ছিলাম শুকনো রুটিব টুকরোৱ বিনিময়ে যার কাজ ছিল
ধুলিধুসর অন্ধকার রাত্রে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করা ৷ এরপর আল্লাহ্ আবার তচেক আমার শ্রী
করলেন এবং তারা যখন আরোহণ করত আমিও তখন আরোহণ করতাম, তারা যখন সেবা
গ্রহণ করত আমিও তখন সেবা গ্রহণ করতাম এবং তারা যখন অবতরণ করত আমিও তখন
অবতরণ করতাম ৷
ইব্রাহীম বিন ইয়াকুব জুরজানী বলেন, আমাদেরকে হিলাল বিন আবদুর রহমান হানাফী
বর্ণনা করেছেন-৩ তিনি বলেন, তিনি আ৩ ৷ বিন মায়মুন৷ থেকে তিনি আবু সালাম৷ থেকে, তিনি
বলেন, আবু হুরায়র৷ (রা)এবংঅ ৷বু বর (বা) বলেছেন, ইলমের একটি অধ্যায় শিক্ষ৷ করা
আমাদের কাছে হাজার রাকআত নফল নামায থেকে উত্তম এবং ইলুহ্মর একটি অধ্যায়ে শিক্ষা
দেওয়া আমাদের কাছে একশ রাকাঅত সফল নামায থেকে উত্তম ৷ আমরা সে অনুযায়ী আমল
করি বা না করি ৷ তারা দু’জনে বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি “ইলম
তলবের অবস্থায় যদি তালিবে ইলমের মৃত্যু এসে যায় তবে সে শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করল ৷”
এই সুত্রে এ হাদীস ন্ ;ব্লুগ্লু ৷

স্পা ল্ডিং ০র্পো ল্ডিং ৷

وَعُقْبَةٍ فِي لَيْلَةٍ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ، ثُمَّ زَوَّجَنِيهَا اللَّهُ، فَكُنْتُ أَرْكَبُ إِذَا رَكِبُوا، وَأَخْدِمُ إِذَا نَزَلُوا. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَرْبِيُّ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا سُلَيْمُ بْنُ حَيَّانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نَشَأَتُ يَتِيمًا، وَهَاجَرَتُ مِسْكِينًا، وَكُنْتُ أَجِيرًا لِابْنةِ غَزْوَانَ بِطَعَامِ بَطْنِي وَعُقْبَةِ رِجْلِي، أَحْدُو بِهِمْ إِذَا رَكِبُوا، وَأَحْتَطِبُ إِذَا نَزَلُوا، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ الدِّينَ قَوَامًا وَجَعَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ إِمَامًا. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجَوْزَجَانِيُّ: ثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ نُصَيْرٍ، ثَنَا هِلَالُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَنَفِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو ذَرٍّ: بَابٌ مِنَ الْعِلْمِ نَتَعَلَّمُهُ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ أَلْفِ رَكْعَةٍ تَطَوُّعًا، وَبَابٌ نُعَلِّمُهُ - عَمِلْنَا بِهِ أَوْ لَمْ نَعْمَلْ بِهِ - أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ مِائَةِ رَكْعَةٍ تَطَوُّعًا. وَقَالَا: سَمِعَنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا جَاءَ طَالِبَ الْعِلْمِ الْمَوْتُ وَهُوَ عَلَى هَذِهِ الْحَالِ، مَاتَ وَهُوَ شَهِيدٌ» ". وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَتَعَوَّذُ فِي سُجُودِهِ أَنْ يَزْنِيَ أَوْ يَسْرِقَ أَوْ يَكْفُرَ أَوْ يَعْمَلَ بِكَبِيرَةٍ. فَقِيلَ لَهُ: أَتَخَافُ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: مَا يُؤَمِّنُنِي وَإِبْلِيسُ حَيٌّ، وَمُصَرِّفُ الْقُلُوبِ يُصَرِّفُهَا كَيْفَ يَشَاءُ؟
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৭


একাধিক বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি তার সিজদায় ব্যভিচার
করা থেকে চুরি করা থেকে, কুফরী করা থেকে কিংবা কোন কবীরা গোন হ করা থেকে মহান
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন ৷ যখন তাকে প্রশ্ন করা হল আপনি কি এসবের আশঙ্কা করেন?
তখন তিনি বলেন ইবলীস বেচে থাকতে আমাকে তার নিশ্চয়তা দিবে কিসে? আর অম্ভরসমুহের
পরিবতনকারী যেভাবে ইচ্ছা তার পরিবর্জা ঘটান ৷
একবার তার কন্যা তাকে বলেন, আব্বাজান৷ অন্যদের মেয়েরা আমাকে লজ্জা দিয়ে বাল,
তামার পিতা কেন তোমাকে স্বর্ণালঙ্কায় পরতে দেয় না ৷ তখন তিনি বললেন, বাছ৷ তুমি
তাদেরকে বলে দিও, আমার পিতা আমার ব্যাপারে (জাহান্নায়ের) অপ্লিশিখার উত্তাপ ভয়
করেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলেন, (একবার) আমি উমর বিন খাত্তাবর সাক্ষাত এসে দাড়িয়ে
রইলাম ৷ তিনি তখন তাসবীহ পাঠ করছিলেন ৷ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় পর তিনি উঠে দাড়ালেন,
তখন আমি তার নিকট গিয়ে বললাম, আমাকে কিতাবুল্লাহ্র কয়েকটি আয়াত শিখিায় দিন ৷
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমার উদ্দেশ্য ছিল কিছু খাবার তখন তিনি আমাকে সুরা আল-
ইমরানর কয়েকটি আয়াত শি খিয়ে দিলেন, এরপর যখন তিনি তার গৃহে পৌছলেন তখন
আমাকে দরজার সামনে রেখে ভেতরে প্রবেশ করলেন ৷ আমি ভাবলাম, তিনি মনে হয় কাপড়
পরিবর্তন করছেন ৷ এরপর হয়ত আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ
অতিবাহিত হওয়ার পরও আমি কোন সাড়া পেলাম না এবং যখন দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হল,
তখন আমি সেখান থেকে প্রস্থান করলাম ৷ এরপর ইাটাত ছুাটাত রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাক্ষাৎ
পেলাম ৷ আমার সাথে কথা বলার পর তিনি বললেন, আবু হুরায়র৷ ! আজ রাতে তোমার
মুাখর গন্ধ অত্যন্ত তীব্র? তখন আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্ ! অবশ্যই (আপনি ঠিক
বলেছেন) আমি আজ রোয৷ রেখেছিলাম ৷ কিন্তু এখনও ইফতার করি সি, আর ইফতার করার
মত কিছু ৷নইও ৷ তিনি বললেন, চল তাহলে তখন আমি তার সাথে চললাম ৷ অবশেষে যখন
তিনি তার গৃহে পৌছলেন তখন তার এক কৃষ্ণকায় বাদীকে ডেকে বললেন আমাদের কাছে
সেই পাত্রটি নিয়ে আস ৷ তখন যে আমাদের কাছে একটি পাত্র নিয়ে আসল যাতে সামান্য
উচ্ছিষ্ট খাবার বাকী ছিল ৷ আমার মনে হয় তা ছিল যব-ছাতু যা খাওয়া হয়েছিল আর পাত্রের
চারপাশে কিছু অং শ অর্থাৎ সামান্য কিছু অবশিষ্ট ছিল ৷ তখন আমি বিসমিল্লাহ্ বলেত তা খুজে
খুজে যেতে শুরু করলাম, এমনকি তৃপ্ত হয়ে পেলাম ৷
তিবরানী বলেন, আমাদেরকে ইসহাক বিন ইবরাহীম (রা) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন,
আমাদেরকে আবদুর রাযযাক বর্ণনা কারাছন,৩ তিনি মা মার থেকে তিনি আইয়ুব ,থেকে,৩ তিনি
মুহাম্মদ বিন সীরিন থেকে যে, আবু হুরায়রা (রা)৩ তার মেয়েকে বলেছিলেন, স্বর্ণালঙ্কার
পরিধান করে৷ না ৷ আমি ৷ত তামার ব্যাপারে অগ্নিশিখার উত্তাপের আশঙ্কা করি ৷ এই বর্ণনাটি
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে একাধিক সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ বলেন,
আমাদেরকে হাজ্জাজ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে শু ব৷ বর্ণনা করেছেন, সাম্মাক
ন্বিন হাবৃব থেকে, তিনি বলেন এ আবর্জনা তামাদের দুনি য়৷ আখিরাত বরবাদকারী-অর্থাৎ
কুপ্রবুত্তিসমুহ, বস্তুসমুহ ও আহার্য বস্তুসমুহরুাৰু৩ তিবরানী ইবন সীরিন থেকে, তিনি আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,:প্ৰশাসবেল্ম দায়িত্ব প্রদানের জন্য হযরত উমর (রা) তাকে
ডেকে পাঠালেন ৷ কিন্তু তিনি তার হয়ে প্রশাসকের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তখন


وَقَالَتْ لَهُ ابْنَتُهُ: يَا أَبَتِ، إِنَّ الْبَنَاتَ يُعَيِّرْنَنِي يَقُلْنَ: لِمَ لَا يَحْلِيكِ أَبُوكِ بِالذَّهَبِ؟ فَقَالَ: يَا بُنَيَّةُ، قُولِي لَهُنَّ: إِنَّ أَبِي يَخْشَى عَلَيَّ حَرَّ اللَّهَبِ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: «أَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقُمْتُ لَهُ وَهُوَ يُسَبِّحُ بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَانْتَظَرْتُهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ دَنَوْتُ مِنْهُ، فَقُلْتُ: أَقْرِئْنِي آيَاتٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ - قَالَ: وَمَا أُرِيدُ إِلَّا الطَّعَامَ - قَالَ: فَأَقْرَأَنِي آيَاتٍ مِنْ سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ "، فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَهُ دَخَلَ وَتَرَكَنِي عَلَى الْبَابِ فَأَبْطَأَ، فَقُلْتُ: يَنْزِعُ ثِيَابَهُ ثُمَّ يَأْمُرُ لِي بِطَعَامٍ. فَلَمْ أَرَ شَيْئًا، فَلَمَّا طَالَ عَلَيَّ قُمْتُ فَمَشَيْتُ، فَاسْتَقْبَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَلَّمَنِي فَقَالَ: " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، إِنَّ خُلُوفَ فَمِكَ اللَّيْلَةَ لَشَدِيدٌ ". فَقُلْتُ: أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ ظَلَلْتُ صَائِمًا وَمَا أَفْطَرْتُ بَعْدُ، وَمَا أَجِدُ مَا أُفْطِرُ عَلَيْهِ. قَالَ: " فَانْطَلَقَ ". فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَى بَيْتَهُ، فَدَعَا جَارِيَةً لَهُ سَوْدَاءَ، فَقَالَ: " ائْتِينَا بِتِلْكَ الْقَصْعَةِ ". فَأَتَتْنَا بِقَصْعَةٍ فِيهَا وَضُرٌ مِنْ طَعَامٍ، أَرَاهُ شَعِيرًا قَدْ أُكِلَ وَبَقِيَ فِي جَوَانِبِهَا بَعْضُهُ وَهُوَ يَسِيرٌ، فَسَمَّيْتُ وَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُهُ، فَأَكَلْتُ حَتَّى شَبِعْتُ» . وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لِابْنَتِهِ: لَا تَلْبَسِي الذَّهَبَ، فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكِ حَرَّ اللَّهَبِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ طُرُقٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৮

,

উমর (রা) বললেন, তুমিই দায়িত্ব পালন অপছন্দ করছ অথচ, তোমার থেকে উত্তম ব্যক্তি এ
দায়িতু পালন করছেন ৷ কিত্বা তিনি বলে,ছেন অথচ তোমার চেয়ে উত্তমজন এই দায়িত্ব চেয়ে

নিয়েছেন ৷ তিনি (আবু হুরায়রা) বললেন তিনি কে ষ্ উমর (রা) বললেন, তিনি হলেন ইউসুফ
আলাইহিস সালাম ৷

তখন আবু হুরায়রা (রা) বলেন ইউসুফ হলেন নবীর ছেলে নবী, আর আমি আবু হুরায়রা
বিন উমাইমা (রা) ৷৩ তাই আমি দু’টি বা তিনটি বিপদের আশঙ্কা করি ৷ না জেনে বলব এবং
বিনা প্রজ্ঞায় (সহনশীলতায়) ফয়সালা করব ৷ তখন আমার পশ্চাতে আঘাত করা হবে, মাল
ছিনিয়ে নেওয়া হবে এবং আমাকে পালমন্দ করা হবে ৷ সায়ীদ বিন আবু হিন্দ আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, “তুমি কি আমার কাছে এই সকল
গনীমত থেকে চাইবে না, যা থেকে তোমার সাথীরা চেয়েছে ৷ আমি তাকে বললাম-আমি চাই ৷
আল্পাহ্ আপনাকে যে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন আপনি আমাকে তা থেকে শিক্ষা দিবেন ৷ তিনি
বলেন, তিনি (রাসুলুল্লাহ্ (না) আমার পিঠ (পা) থেকে চাদর (সাদা-কাল ভোর৷ কাটা) টেনে
নিয়ে আমার ও তার মাঝে এমনভাবে বিছালাম যে, আমি তার উপর বিচরণরত উকুন দেখতে
পাচ্ছিলাম ৷ এরপর তিনি আমাকে (হাদীস) বর্ণনা করলেন,৩ তারপর যখন তার বর্ণনা পুর্ণ
করলেন ৷ তখন বলেন, এবার তা (চাদর) তোমার গায়ে ভালভাবে জড়িয়ে নাও ৷ এরপর তিনি
আমাকে যা কিছু বর্ণনা করেছিলেন আমি তার একটি বর্ণও বিস্মৃত হই নি ৷

আবু উসমান নাহ লী বলেন, আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কীভাবে বোযা
রাখেন ৷ তিনি বললেন, আমি মাসের শুরুতে তিন দিন রােয৷ রাখি ৷ আর যদি কোন ঘটনা
ঘটে (এবং বোমা রাখতে না পারি) তাহলেও আমি আমার মাসের সওয়াব পাব ৷ হাম্মাদ-
বিন সালামা ছাবিত থেকে, তিনি আবু উসমান নাহ্দী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একবার
আবু হুরায়রা (রা) সফরে ছিলেন, তার সাথে একদল লোক ছিল ৷ এরপর তারা যখন
একস্থানে অবতরণ করে দস্তরখান৷ বিছাল, তখন তারাতাদের সাথে খাওয়ার জন্য তার
কাছে লোক পাঠান ৷ তিনি বলে পাঠালেন, আমি রোযা রেখেছি ৷ এরপর যখন তারা তাদের
খাবার শেষ করার উপক্রম হল, তখন তিনি এসে খাওয়া শুরু করলেন ৷ তখন লোকেরা
তাদের প্রেরিত ব্যক্তির দিকে তাকাতে লাগল যাকে তারা তার কাছে পাঠিয়েছিল ৷ তখনসে
তাদের উদ্দেশ্যে বলল, তোমরা দেখছি আমার দিকে তাকাচ্ছ, আল্লাহ্র কসম (! তিনি
আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি ব্লোযা রেখেছেন ৷ তখন আবু হুরায়রা বলেন, যে সত্য
বলেছে ৷ আসলে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি এক মাসের রােয৷ হল সবরের
বোযা, আর প্রতি মাসের বোয়৷ হল সাওমে দাহর ৷ আর আমি (এই) মাসের শুরুতে তিন ,
দিন রােয৷ রেখেছি ৷ আল্লাহ্ প্রদত্ত অবকাশে আমি বোযাদার নই ৷ তবে সওয়াব বহুগুণ
বৃদ্ধির হিসেবে আমি রােযাদার ৷

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন, আমাদেরকে আবদুল মালিক বিন আমর বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে ইসমাঈল বর্ণনা করেছেন আবদুল মুতাওয়াক্কিল থেকে,৩ তিনি আবু
হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ও তার কয়েকজন সঙ্গী যখন রোয৷ রাখতেন, তখন
মসজিদে অবস্থান করতেন এবং বলা, ত,ন আমরা আমাদের রোমাকে পবিত্র রাখছি ৷ ইমাম



১ অর্থাৎ ব্লোয৷ না রেখেও আমি এই দিনগুলোর বোযার সওয়াব পাই ৷

وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ هَذِهِ الْكُنَاسَةَ مَهْلَكَةُ دُنْيَاكُمْ وَآخِرَتِكُمْ. يَعْنِي الشَّهَوَاتِ وَمَا يَأْكُلُونَهُ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ دَعَاهُ لِيَسْتَعْمِلَهُ، فَأَبَى أَنْ يَعْمَلَ لَهُ، فَقَالَ: أَتَكْرَهُ الْعَمَلَ، وَقَدْ عَمِلَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ - أَوْ قَالَ: قَدْ طَلَبَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ؟ - قَالَ: مَنْ؟ قَالَ: يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُوسُفُ نَبِيٌّ ابْنُ نَبِيٍّ، وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ بْنُ أُمَيْمَةَ، فَأَخْشَى ثَلَاثًا وَاثْنَتَيْنِ. فَقَالَ عُمَرُ: أَفَلَا قُلْتَ خَمْسًا؟ قَالَ: أَخْشَى أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ، وَأَقْضِيَ بِغَيْرِ حُكْمٍ، وَأَنْ يُضْرَبَ ظَهْرِي، وَيُنْتَزَعَ مَا لِي، وَيُشْتَمَ عِرْضِي. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " «أَلَا تَسْأَلُنِي مِنْ هَذِهِ الْغَنَائِمِ الَّتِي يَسْأَلُنِي أَصْحَابُكَ؟ " فَقُلْتُ: أَسْأَلُكَ أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ. قَالَ: فَنَزَعْتُ نَمِرَةً عَلَى ظَهْرِي، فَبَسَطْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَهُ حَتَّى كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى الْقَمْلِ يَدِبُّ عَلَيْهَا، فَحَدَّثَنِي حَتَّى إِذَا اسْتَوْعَبَ حَدِيثَهُ قَالَ: " اجْمَعْهَا إِلَيْكَ فَصُرَّهَا ". فَأَصْبَحْتُ لَا أُسْقِطُ حَرْفًا مِمَّا حَدَّثَنِي.» وَقَالَ أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ: قُلْتُ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: كَيْفَ تَصُومُ؟ قَالَ: أَصُومُ أَوَّلَ الشَّهْرِ ثَلَاثًا، فَإِنْ حَدَثَ بِي حَدَثٌ كَانَ لِي أَجْرُ شَهْرِي.
পৃষ্ঠা - ৬৫৫৯
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ فِي سَفَرٍ وَمَعَهُ قَوْمٌ، فَلَمَّا نَزَلُوا وَضَعُوا السُّفْرَةَ وَبَعَثُوا إِلَيْهِ لِيَأْكُلَ مَعَهُمْ فَقَالَ: إِنِّي صَائِمٌ. فَلَمَّا كَادُوا أَنْ يَفْرَغُوا مِنْ أَكْلِهِمْ جَاءَ فَجَعَلَ يَأْكُلُ، فَجَعَلَ الْقَوْمُ يَنْظُرُونَ إِلَى رَسُولِهِمُ الَّذِي أَرْسَلُوهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمْ: أَرَاكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَيَّ، قَدْ وَاللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ صَائِمٌ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: صَدَقَ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «صَوْمُ شَهْرِ الصَّبْرِ وَصَوْمُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ صَوْمُ الدَّهْرِ» ". وَقَدْ صُمْتُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ أَوَّلِ الشَّهْرِ، فَأَنَا مُفْطِرٌ فِي تَخْفِيفِ اللَّهِ، صَائِمٌ فِي تَضْعِيفِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمرٍو، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ هُوَ وَأَصْحَابٌ لَهُ إِذَا صَامُوا يَجْلِسُونَ فِي الْمَسْجِدِ، وَقَالُوا: نُظَهِّرُ صِيَامَنَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ الْحِدَادُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ الشَّحَّامُ أَبُو سَلَمَةَ، ثَنَا فَرْقَدٌ السَّبَخِيُّ قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، وَهُوَ يَقُولُ: وَيْلٌ لِي مِنْ بَطْنِي، إِنْ أَشْبَعْتُهُ كَظَّنِي، وَإِنْ أَجَعْتُهُ أَضْعَفَنِي. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৬৫৬০


আহমদ বলেন, আমাদেরকে আবু উবাইদা আল হাদ্দাদ বংনাি করেছেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে ফারহাদ সাবখি বর্ণনা করে বলেন, আবু হুরায়রা (বা) কারা ঘর তাওয়াফ করা
অবস্থায় বলতেন আমার এই পেট আমার সর্বনাশ ডেকে আগে, আমি যদি তাকে ক্ষুধার্ত
রাখি তাহা ৷ দুর্বল করে দেয় ৷ ইমাম আহমদ ইকরাম৷ থেকে বণ্নি৷ করেছেন তিনি বলেন
যে, আবু হুরায়রা বলেছেন, আমি প্রতিদিন আল্পাহ্র কাছে বার হাজার বার ৩ ওবা ও
ইসতিগফার করি ৷ আর তা হল আমার দিয়ত পরিমাণ ৷ আবদুল্লাহ বিন আহমদ আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তার বার হাজার গির৷ ৷যুক্ত ন্দএকটি সুতা ছিল, প্রতিদিন
ঘুমেৰু আগে তিনি তা দিয়ে তাসবীহ পাঠ করতেন ৷ অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক হাজার
গিরা তা দ্বারা তাসবীহ পাঠ পুর্ণ না করে তিনি ঘুমাতেন না ৷ আর পুর্বেরটির তুলনায় এটি
বিশুদ্ধতর রেওয়ায়েত ৷
যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হল, তখন তিনি কেদে (ফললেন ৷ এসময় তাকে জিজ্ঞাসা করা
হয়, আপনি কাদছেন কেন ? তিনি উত্তর দিলেন, আমি তোমাদের এই দুনিয়ার বিচ্ছেদে কাদছি
না ৷ আমি আমার সফরের দুরতু ও পাথেয়েব স্বল্পতার কথা ভেবে র্কাদছি ৷ জান্নাতের উচ্চতা ও
জাহান্নামের গভীরতা আমার সামনে সমুপস্থিত ৷ জানি না, তাদের কােনটির দিকে আমাকে
নিয়ে যাওয়া হবে ৷ কুতইিবা বিন সায়ীদ (র) বর্ণনা করেছেন, আমাদেরকে ফারাজ বিন ফুযালা
বর্ণনা করেছেন তিনি আবু সায়ীদ থেকে তিনি আবু হুরায়রা (রা) থেকে তিনি (আবুহুরায়রা)
বলেন, যখন তোমরা তোমাদের মসজিদসমুহ নকশা ও কারুকার্যখচিত করবে এবং
কুরআনসমুহকে অলঙ্কার খচিত করবে, তখন তোমাদের ন্ধ্বংস অনিবার্ষ ৷ তিবরানী মামার
থেকে বর্ণনা করেছেন,তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা) সম্পর্কে আমার কাছে পৌছেছে যে,
কোন জানায৷ যখন তাকে অতিক্রম করে যেত, তখন তিনি বলতেন, সন্ধ্যাকালে তোমরা
(তুমি) গমন কর, আমরা সন্ধ্যাকালে আসছি অথবা প্ৰভাতকালে তোমরা গমন কর আমরা
সন্ধ্যাকালে আসছি, মর্মস্পর্শী উপদেশ এবং দ্রুতগামী উপলব্ধি ৷প্রথমজন বিদায় নিচ্ছে আর
শেষজন থেকে যাচ্ছে ৷ অথচ তার কোন বোধ ও উপলব্ধি নেই ৷
হাফেজ আবু বকর বিন মালিক বলেন, আমাদেরকে আবদুল্লাহ বিন আহমদ বিন হাবল
বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আবু বকর লাইছ বিন খালিদ বাজালী বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেন, আমাদেরকে আবদুল মু মিন বিন আবদুল্লাহ সা দুসী বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন,
আমি আবু ইয়াযীদ মাদীনীকে বলতে শুনেছি, আবু হুরায়রা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মিম্বরে
তার র্দাড়ানোর স্থানের একধাপ নীচে র্দাড়ালেন, তারপর বলেন, আসন্ন অনিষ্টের কারণে
আরবদের দৃর্তোগ ঘনিয়ে এসেছে, তাদের দৃর্ভোগ ঘনিয়ে এসেছে নাবালকদের শাসনের
কারণে ৷ যারা প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে তাদের শাসন পরিচালনা করবে এবং ক্রোধবশত
(নিরা পরার) মানুষ হত্যা করবে ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আমাদেরকে আলী বিন ছাবিত বর্ণনা করেছেন, তিনি উসামা বিন
ণ্শ্যাইদ থেকে, তিনি ইবন আব্বাসের মাওলা আবু যিয়াদ থেকে, তিনি আবু হুরায়রা থেকে, তিনি
বলেন, আমার কাছে পনেরটি, খেজুর ছিল, তার পাচঢি পরবর্তী ইফতারের জন্য রেখে দিলাম ৷
আহমদ বলেন, আমাদেরকে আবদুল মালিক বিন আমর বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
আমাদেরকে ইসমাঈল (অর্থাৎ) আবদী বর্ণনা করেছেন, তিনি আবুল মুতাওয়াক্কিল থেকে যে,


عَزَّ وَجَلَّ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ كُلَّ يَوْمٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أَلْفَ مَرَّةٍ، وَذَلِكَ عَلَى قَدْرِ دِيَتِي. وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ لَهُ خَيْطٌ فِيهِ اثَنَا عَشَرَ أَلْفَ عُقَدْةٍ يُسَبِّحُ بِهِ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَلْفَا عُقَدْةٍ، فَلَا يَنَامُ حَتَّى يُسَبِّحَ بِهِ. وَهُوَ أَصَحُّ مِنَ الَّذِي قَبِلَهُ. وَلِمَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بَكَى فَقِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ فَقَالَ: مَا أَبْكِي عَلَى دُنْيَاكُمْ هَذِهِ، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَى بُعْدِ سَفَرِي وَقِلَّةِ زَادِي، وَإِنِّي أَصْبَحْتُ فِي صُعُودٍ مُهْبِطٍ عَلَى جَنَّةٍ وَنَارٍ، لَا أَدْرِي إِلَى أَيِّهِمَا يُؤْخَذُ بِي. وَرَوَى قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: إِذَا زَوَّقْتُمْ مَسَاجِدَكُمْ وَحَلَّيْتُمْ مَصَاحِفَكُمْ فَالدَّمَارُ عَلَيْكُمْ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ عَنْ مَعْمَرٍ قَالَ: بَلَغَنِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا مَرَّ بِجِنَازَةٍ قَالَ: رُوحُوا فَإِنَّا غَادُونَ، أَوِ اغْدُوَا فَإِنَّا رَائِحُونَ، مَوْعِظَةٌ بَلِيغَةٌ، وَغَفْلَةٌ سَرِيعَةٌ، يَذْهَبُ الْأَوَّلُ وَيَبْقَى الْآخِرُ لَا عَقْلَ لَهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ مَالِكٍ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ لَيْثُ بْنُ خَالِدٍ الْبَلْخِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْمُؤْمِنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السَّدُوسِيُّ
পৃষ্ঠা - ৬৫৬১


আবু হুরায়রা (রা ) এক হবশী ৰ্বাদী ছিল একদিন সে তার কাজদ্বর তাদেরকে কষ্ট দিন তিনি

তাকে মারার জন্য চাবুক উঠালেন ৷ তারপর বলেন কাল কিয়মতের দিন কিসাস বাধ্
প্রতিবিধানের ব্যবস্থা না থাকত ৩তাহলে আমি তা দ্বারা তোমাকে প্রহর করতম কিন্তু, এখন
আমি উপযুক্ত মুল্য প্ৰদ নকয়ীর কাছে তোমাকে বিক্রি করে দিব ৷ আ তার খুব ষুখাপেক্ষী ৷
যাও আল্লাহর ওয়স্তে তুমি অযদ

হম্মদ বিন সালামা বর্ণনা করেছেন আইয়ুব থেকে, তিনি ইয়হ্ইয়া বিন আবু কাহীব
থেকে, তিনি আবু সালামা থেকে যে (একবার) আবু হুরায়রা (রা) অসুস্থ হলে আমি তাকে
দেখতে গেলাম সাক্ষাৎ লাভের পর বললম, হে আল্লাহ্ আবু হুরায়রাকে অরেগ্য দান
করুন তিনি বলেন, হে আল্লাহ আপনি তা ফিরিয়ে দিবেন না ৩ তারপর তিনি বলেন, হে আবু

সালামা এমন এক যুগ অত্যসন্ন, যখন মানুষের কাছে মৃত্যু সাল স্বর্ণের চেয়ে অধিক প্রিয়
হবে আবুহুরায়রা (বা) বলেন, যখন তোমরা ছয়টি বিষয় দেখতে পারে, তখন যদি তোমাদের
কারও প্রাণ তার হাতে আবদ্ধ হয়ে থাকে, তবে যেন তাকে মুক্ত করে দেয় এজন্যই আমি মৃত্যু
কামনা করি, আমার আশঙ্কা হয় যে, সেগুলো আমার নপাল পেয়ে যাবে (সেগুলো হল) ১
য়খন নিবেধরা শাসন কর্তৃতৃ লাভ করবে এবং ২ হুকুমফয়সালা বিক্রি হয়ে ৩ বক্তপাত
সাধারণ ব্যাপার হয়ে র্দড়বে ৪ অত্মীয়তর সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে এবং ৫ পইিক
পেয়দসিপাহীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ৬ এমন প্রজন্মের উদ্ভব হয়ে যারা কুরআনকে
বশীরুপে গ্রহণ করবে

ইবন ওয়হব বলেন আমাদেরকে আমর বিন হরিছ বর্ণনা করেছেন, তিনি ইয়ষীদ বিন
যিয়দ কুরাষী থেকে যে,৩ তকে ছলমা বিন আবু মালিক কুরাষী বর্ণনা করেছেন যে,
(একবার) আবু হুরায়রা (বা) দুই বোঝা জ্বালানী কাঠ বহন করে বাজারে আনলেন, তখন
তিনি মরওয়ান বিন হকমেয় পক্ষ থেকে প্রশাসক এবং বলেন হে আবু মালিকের ছেলে !
অমীরের জন্য পথ ছেড়ে দাড়ও তখন আমি বনলাম, আল্লাহ আপনাকে রহম করুন
ন্ এতটুকৃই যথেষ্ট এরপর তিনি বলেন, অমীরের পথ ছেড়ে র্দড়ও, ত র উপরে বোঝা
রয়েছে

হযরত আবু হুরায়রা (বা) ছিলেন বহু সদগুণ, সুর্কীর্তি, সৎবক্য ও বহু সদুপদেশের
অধিকারী তিনি খয়বারের, বছর ইসলাম গ্রহণ করেন৷ যেমন আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ
করেছি এরপর থেকে সবসময় তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে ছিলেন কখনও তার সঙ্গ

ত্যাগ করেন নি তবে শুধুমাত্র ঐ সময় যখন নবী (না) জানা বিন হযরমীর সাথে র্তরুক
বহরাইনে পঠিয়েছিলেন এসময় তিনি আমাকে৩ র্বীর ব্যাপারে ওসীয়ত করেছিলাম আর
ভালো তাকে তা র অগ্রগামী ঘোষক নির্ধারণ করেছিলেন, আবু হুরায়রা (রা) কে বলেছিলেন, হে
আমীর

হযরত উমর (রা) তার থিলফ৩ কালে তাকে সেখানকার (বাহরাইনেয়) গভর্নর নিয়োগ
করেছিলেন এবং সবক্ষা সরকারী কর্মচরীগণের সাথে তকেও শপথ করন আবদুর রায্যাক
বলেন, অমদৈরকে মামার বর্ণনা করেছেন, তিনি অইিয়ুব থেকে, তিনি ইবন সীরিন থেকে যে,
উমর (রা) ন্অবু হুরায়রাকে বহরইিনের গআর নিয়োগ করলেন, এরপর তিনি সেখান থেকে
দশ হাজার (দিরহাম) নিয়ে আসলেন তখন উমর (রা) তীকে বলেন, হে আল্লাহর দুশমন ও


قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا يَزِيدَ الْمَدِينِيَّ يَقُولُ: قَامَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعُتْبَةَ، فَقَالَ: وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، وَيْلٌ لَهُمْ مِنْ إِمَارَةِ الصِّبْيَانِ ; يَحْكُمُونَ فِيهِمْ بِالْهَوَى وَيَقْتُلُونَ بِالْغَضَبِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِي زِيَادٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَتْ لِي خَمْسَ عَشْرَةَ ثَمَرَةً، فَأَفْطَرْتُ عَلَى خَمْسٍ، وَتَسَحَّرْتُ بِخَمْسٍ، وَأَبْقَيْتُ خَمْسًا لِفِطْرِي. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنِ عَمْرٍو، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ - يَعْنِي الْعَبْدِيَّ - عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَتْ لَهُمْ زِنْجِيَّةٌ قَدْ غَمَّتْهُمْ بِعَمَلِهَا، فَرَفَعَ عَلَيْهَا يَوْمًا السَّوْطَ، ثُمَّ قَالَ: لَوْلَا الْقِصَاصُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَأَغْشَيْتُكِ بِهِ، وَلَكِنْ سَأَبِيعُكِ مِمَّنْ يُوَفِّينِي ثَمَنَكِ أَحْوَجَ مَا أَكُونُ إِلَيْهِ، اذْهَبِي فَأَنْتِ حُرَّةٌ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ مَرِضَ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ أَعُودُهُ، فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ اشْفِ أَبَا هُرَيْرَةَ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تُرْجِعْهَا. ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا سَلَمَةَ، يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَكُونُ الْمَوْتُ أَحَبَّ إِلَى أَحَدِهِمْ مِنَ الذَّهَبِ الْأَحْمَرِ. وَرَوَى عَطَاءٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ سِتًّا، فَإِنْ كَانَتْ نَفْسُ أَحَدِكُمْ فِي يَدِهِ فَلْيُرْسِلْهَا، فَلِذَلِكَ أَتَمَنَّى الْمَوْتَ أَخَافُ أَنْ تُدْرِكَنِي ; إِذَا أُمِّرَتِ السُّفَهَاءُ،
পৃষ্ঠা - ৬৫৬২


আল্লাহর কিতাবের দুশমন ! তুমি এই অর্থ কুক্ষিগত করেছ? আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি
আল্লাহর শত্রু নই বরং আমি তার শত্রু যে তাদের (অ ল্লাহ ও আল্লাহর কিতাবের) সাথে
শত্রুতা করে ৷ উমর (রা) বলেন, তাহলে এই অর্থ তুমি কোথায় পেলে? আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, আমার অশ্বপাল বাচ্চা দিয়েছে এবং আমার ভুমির আর ও দাস-দাসী ছিল এবং একের
পর এক হাদিয়া ও বখশিশ লাত করেছি৷ এরপর যাচাই করে দেখা গেল তার কথা সঠিক ৷
এরপর যখন উমর (র )ও তাকে গভর্নর নিয়ােগের জন্য আহবান করেছিলেন তখন তিনি তার ,
গভর্নর হতে অস্বীকৃতি জা নিয়েছিলেন ৷
উমর (রা) তাকে বলেন, তুমি কি এই দায়িতু গ্রহণ অপছন্দ করছ, অথচ তোমার চেয়ে
উত্তম তিনি যিনি তাতে আগ্নহ করেছেন ৷ ইউসুফ আলাইহিস সালাম তা চেয়েছেন, তিনি
বলেন, ইউসুফ (আ) হলেন, নবী, তদুপরি তার পিতা নবী, পিতামহ নবী প্রপি৩ তামহও নবী ৷-
আর আমি হ্লাম উমায়্যার ছেলে আবু হুরায়রা ৷ আর আমি তিনটি ও দু’টি বিষয়ের আশঙ্কা
করি ৷ উমর (রা) বলেন, কেন তুমি পাচ বললে না? তিনি বলেন, আমি আশঙ্কা করি যে, জানা
ছাড়া বলব, প্রজ্ঞাও সহনশীলতা ছাড়া ফয়সালা করব কিংবা আমার পিঠে আঘাত করা হয়ে
এবং আমার সম্পদ ন্থিনিয়ে নেওয়া হবে এবং আমাকে গালমন্দ করা হবে ৷ অন্য বর্ণনা মতে
হযরত উমর প্রথমবার গভনরের দায়িত্ব পালনকালে তাকে বার হাজার (দিরহাম) জরিমানা
করেন ৷ একারণে তিনি দ্বিতীয়বার এ দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন ৷
আবদুর রাঘৃযাক বলেন, তিনি মা মার থেকে, আর তিনি মুহাম্মদ বিন যিয়াদ থেকে
তিনি বলেন, হযরত মুআবিয়া আবু হুরায়রাকে পবিত্র মদীনায় প্রশাসক করে পাঠান ৷
এরপর তিনি যখন তার প্রতি অপ্রসন্ন হলেন তখন তাকে অপসারিত করে মারওয়ান বিন
হাকামকে নিয়োগ করেন ৷ এরপর যখন আবু হুরায়রা (রা) মারওয়ানের সাক্ষাতে আসলেন,
তখন মারওয়ানের দ্বাররক্ষীরা তাকে ফিরিয়ে দিল ৷ কিছুকাল পর মারওয়ান অপসারিত হল
এবং আবু হুরায়রা (রা) পুনরায় প্রশাসক হলেন ৷ তখন তিনি তার মাওলা দ্বাররক্ষীকে বলে
রাখলেন কোন সাক্ষাৎ প্রার্থীকে ফিরিয়ে দিও না,৩ তবে মারওয়ানকে বাধা দিও ৷ এরপর
যখন মরে ওয়ান তার সাক্ষাতে আসল, তখন সেই দ্বাররক্ষী গোলাম তাকে বুকে ধাক্কা দিয়ে
সরিয়ে দিল এবং বহু কষ্টে সে ভিতরে প্রবেশে সক্ষম হল ৷ এরপর ভেতরে প্রবেশ করে সে
আবুহুরায়রা (রা)-কে বলল, আপনার দ্বাররক্ষী আমাকে আপনার সড়াক্ষাতে বাধা দিয়েছে ৷
তখন আবু হুরায়রা তাকে বলেন, তা থেকেন্ ক্রুদ্ধ না হওয়া তোমার অতি কর্তব্য ৷ প্রসিদ্ধ
বর্ণনামতে মারওয়ানই আবু হুরায়রা (রা) কে পবিত্র মদীনায় প্রশাসনে নায়েব বা
স্থলবর্তীরুপে চাইত ৷ কিন্তু সে ক্ষেত্রে যে মুআবিয়া (রা) এর পক্ষ থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে
থাকবে ৷ আল্লাহ অধিক অবগত ৷
হাম্মাদ বিন সালামা বলেন-ছাবিত থােক তিনি আবু রাফি থেকে কখনও কখনও
মারওয়ান আবু হুরায়রা (রা) কে পবিত্র মদীনায় (অস্থায়ী) প্রশাসক নিয়োগ করত ৩৷ তিনি
গাধায় আরোহণ করে বের হতেন এবং পথে কারও সাক্ষাৎ পেলে বলতেন, আমীর যাচ্ছেন,
পথ করে দাও ৷ আমীর থাকা অবস্থায় তিনি ক্রীড়ারত গ্রাম্য আরব বালকের পাশ দিয়ে
অতিক্রম; করেণ্যেতেন ৷ আর তারা কিছু অনুতং করার পুকেহ তিনি তাদের মাঝে হয়ে
যেতেন এবং তাদেরকে হাসানোর জন্য পাগলের ন্যায় দৃপা আছড়াতেন: ৷ তখন বালকেরা
ভয় পাওয়ার ভানন্ করে এদিক সেদিক আশ্রয় নিত এবং সকগৈ হেসে লুটোপুটি থেত ৷ আবু


وَبِيعَ الْحُكْمُ، وَتُهُوِّنُ بِالدَّمِ، وَقُطَّعَتِ الْأَرْحَامُ، وَكَثُرَتِ الْجَلَاوِزَةُ، وَنَشَأَ نَشْءٌ يَتَّخِذُونَ الْقُرْآنَ مَزَامِيرَ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ الْقُرَظِيِّ، أَنَّ ثَعْلَبَةَ بْنَ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَقْبَلَ فِي السُّوقِ يَحْمِلُ حُزْمَةَ حَطَبٍ - وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرٌ لِمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ - فَقَالَ: أَوْسِعِ الطَّرِيقَ لِلْأَمِيرِ يَا ابْنَ أَبِي مَالِكٍ. فَقُلْتُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ يَكْفِي هَذَا. فَقَالَ: أَوْسِعِ الطَّرِيقَ لِلْأَمِيرِ وَالْحُزْمَةُ عَلَيْهِ. وَلَهُ فَضَائِلُ وَمَنَاقِبُ وَمَآثِرُ وَكَلَامٌ حَسَنٌ وَمَوَاعِظُ جَمَّةٌ، أَسْلَمَ كَمَا قَدَّمْنَا عَامَ خَيْبَرَ، فَلَزِمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُفَارِقْهُ إِلَّا حِينَ بَعَثَهُ مَعَ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ إِلَى الْبَحْرَيْنِ، وَوَصَّاهُ بِهِ، فَجَعَلَهُ الْعَلَاءُ مُؤَذِّنًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ: لَا تَسْبِقْنِي بِآمِينَ أَيُّهَا الْأَمِيرُ. وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَلَيْهَا فِي أَيَّامِ إِمَارَتِهِ، وَقَاسَمَهُ مَعَ جُمْلَةِ الْعُمَّالِ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، أَنَّ عُمَرَ اسْتَعْمَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْبَحْرَيْنِ، فَقَدِمَ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: اسْتَأْثَرْتَ بِهَذِهِ الْأَمْوَالِ أَيْ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّ كِتَابِهِ؟ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: لَسْتُ بِعَدُوِّ اللَّهِ وَلَا عَدُوِّ كتَابِهِ، وَلَكِنِّي عَدُوُّ مَنْ عَادَاهُمَا. فَقَالَ: فَمِنْ أَيْنَ هِيَ لَكَ؟ قَالَ: خَيْلٌ
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৩
نُتِجَتْ، وَغَلَّةٌ وَرَقِيقٌ لِي، وَأَعْطِيَةٌ تَتَابَعَتْ عَلَيَّ. فَنَظَرُوا فَوَجَدُوهُ كَمَا قَالَ. فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ دَعَاهُ عُمَرُ لِيَسْتَعْمِلَهُ، فَأَبَى أَنْ يَعْمَلَ لَهُ، فَقَالَ لَهُ: تَكْرَهُ الْعَمَلَ، وَقَدْ طَلَبَهُ مَنْ كَانَ خَيْرًا مِنْكَ؟ طَلَبَهُ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَقَالَ: إِنَّ يُوسُفَ نَبِيٌّ ابْنُ نَبِيٍّ ابْنِ نَبِيٍّ ابْنِ نَبِيٍّ، وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ بْنُ أُمَيْمَةَ وَأَخْشَى ثَلَاثًا وَاثْنَتَيْنِ. قَالَ عُمَرُ: فَهَلَّا قُلْتَ خَمْسَةً؟ قَالَ: أَخْشَى أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ، وَأَقْضِيَ بِغَيْرِ حُكْمٍ، أَوْ يُضْرَبَ ظَهْرِي، وَيُنْتَزَعَ مَالِي، وَيُشْتَمُ عِرْضِي. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ عُمَرَ أَغْرَمَهُ فِي الْعِمَالَةِ الْأُولَى اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، فَلِهَذَا امْتَنَعَ فِي الثَّانِيَةِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ يَبْعَثُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ، فَإِذَا غَضِبَ عَلَيْهِ عَزَلَهُ وَوَلَّى مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَإِذَا جَاءَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِلَى مَرْوَانَ حَجَبَهُ عَنْهُ، فَعَزَلَ مَرْوَانَ وَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ، فَقَالَ لِمَوْلَاهُ: مَنْ جَاءَكَ فَلَا تَرُدَّهُ، وَاحَجُبْ مَرْوَانَ. فَلَمَّا جَاءَ مَرْوَانُ دَفَعَ الْغُلَامُ فِي صَدْرِهِ، فَمَا دَخَلَ إِلَّا بَعْدَ جُهْدٍ، فَلَمَّا دَخَلَ قَالَ: إِنَّ الْغُلَامَ حَجَبَنَا عَنْكَ. فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنَّكَ أَحَقُّ النَّاسِ أَنْ لَا تَغْضَبَ مِنْ ذَلِكَ. وَالْمَعْرُوفُ أَنَّ مَرْوَانَ هُوَ الَّذِي كَانَ يَسْتَنِيبُ أَبَا هُرَيْرَةَ فِي إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَلَكِنْ كَانَ يَكُونُ عَنْ إِذْنِ مُعَاوِيَةَ فِي ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ: كَانَ مَرْوَانُ رُبَّمَا
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৪


রাফি বলেন, তখনও আবু হুরায়রা (রা) আমাকে রাতে র খাবারে ডেকে নিয়েছেন ৷ তার
খাওয়ার সময় বলতেন, পােশভের টুকরাগুলাে আমীরের জন্য ছেড়ে দাও ৷ আবু রফি
বলেন, আমি তাকিয়ে (দখতাম সেখানে (ত তল মিতশ্রি ছারীদ ছাড়া কিছু নেই (আসলে তিনি
পরিহাস করতেন) ৷

ইবন ওয়াহব বলেন, ইয়াযীদ বিন যিয়াদ কুরাষী থেকে আমর বিন হারিছ বর্ণনা করেছেন
যে, ছালাব৷ বিন আবু মালিক বর্ণনা করেছেন মারওয়ানের স্থলবর্তী প্রশাসক থাকা অবস্থায়
একবার আবু হুরায়রা (রা) জ্বালানী কাঠের বোঝা বহন করে বাজারে প্রবেশ করলেন এবং
বলেন, আমীরের জন্য পথ ছেড়ে দাও ! হে আবু মালিকের ছেলে ! আমি বললাম, মহান
আল্লাহ্ আপনার সংশোধন করুন ৷ কেন আপনি এই কষ্ট করছেন ৷ তিনি বলেন, আমীরের পথ
ছেড়ে দাও তীর উপর বোঝা রয়েছে ৷ আর এটা বর্ণিত হয়েছে ৷ একাধিক সুত্রে এর সদৃশ
বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ মারওয়ানের কাতিবআবু জুআইজিআ বলেন, একবার মারওয়ান আবু
হুরায়রা (রা) এর কাছে একশদীনার পাঠাল ৷ পরদিন সকালে সে এই বলে লোক পাঠান,
আমার ক্তৃ৷ হয়েছে, আসলে আমি সেটা অন্য একজনের কাছে পাঠাতে চেয়েছিলাম ৷ তখন
আবু হুরায়রা (বা) বলে পাঠালেন, আমি সেটা ব্যয় করে ফেলেছি ৷ যখন আমার ভাতা আসবে
তখন তা থেকে নিয়ে নিও ৷ আসলে তিনি তা দান করে ছিলেন, আর মারওয়ান তাকে পরীক্ষা
করতে চেয়েছিল ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন আমাদেরকে আবদুল আল৷ বিন আবদুল জব্বার বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, আমাদেরকে হাম্মাদ বিন সালাম৷ বর্ণনা করেছেন ইয়াহ্ইয়া বিন
সায়ীদ বিন ঘুসায়িব থেকে, তিনি বলেন, মু আবিয়৷ যখন আবু হুরায়রাকে দিতেন তখন তিনি
নিরব থাকতেন, আর যখন বিরত থাকতেন তখন তিনি কথা বলতে ন ৷ একাধিক বর্ণনাকারী
আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন, একবার তার কাছে এক যুবক এসে বলল, হে আবু
হুরায়রা! আমি আজ রোয৷ রেখেছিলাম এরপর যখন আমার আব্বার সাক্ষাতে গেলাম তখন
তিনি আমার জন্য রুটি ওউটের পােশৃত নিয়ে আসলেন আর আমি ভুলক্রমে তা: থেকে খেয়ে
ফেলেছি ৷ তিনি বলেন, কোন অসুবিধা নেই, এই (বিশেষ) খাবার আল্লাহ্ তোমাকে
খাইয়েছেন ৷ এরপর সে বলল, তারপর আমার ত্রীর গৃহে প্রবেশ করেছিলাম ৷ তখন সে
আমার জন্য উটের দুধ নিয়ে আসল, তখন আমি ভুলক্রমেত তা পান করে ফেলেছি ৷ তিনি
(আবু হুরায়রা) বলেন, কোন অসুবিধা নেই ৷ সে বলল, এরপর আমি ঘুমিয়েছি এবং ঘুম
থেকে জেগে আবার (ভুলক্রমে) পানি পান করেছি কোন বর্ণনায় সহবাস করেছি ৷ তখন আবু
হুরায়রা (বা) বলেন, ভাতিজা ! তুমি রোযার সী ম৷ অতিক্রম করনি (অর্থাৎ তোমার বোযা
ভাঙ্গে নি)

একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা, করেছেন, আবু হুরায়রা (বা) যখন জানাযা দেখতেন তখন
বলতেন, তোমরা সন্ধ্যাকালে যাচ্ছ আমরা আগামী সকালে আসছি ৷ অথবা তোমরা সকালে
যাচ্ছ আমরা সন্ধ্যাকালে আসছি ৷ একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন যে, যখন তার মৃত্যু
উপস্থিত হল, তখন তিনি কেদে ফেললেন ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি র্কাদছেন কেন?
তিনি বললেন পাথেয়ের স্বল্পতা ও নাজান্ব৩ র কঠিনতার কারণে ৷ আমি এক দুর্গম গিরিপথে
রয়েছি, এরপর হয় জান্নাতে নয় জাহান্নামে, জানি না আমার শেষ গতব্য কোথায়? মালিক
বর্ণনা করেছেন, সায়ীদ বিন আবু সায়ীদ মাকবুরী থেকে যে, তিনি বলেন, মৃতুশেয্যায় মারওয়ান


اسْتَخْلَفَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ، فَيَرْكَبُ الْحِمَارَ وَيَلْقَى الرَّجُلَ فَيَقُولُ: الطَّرِيقَ، قَدْ جَاءَ الْأَمِيرُ. يَعْنِي نَفْسَهُ، وَكَانَ يَمُرُّ بِالصِّبْيَانِ وَهُمْ يَلْعَبُونَ بِاللَّيْلِ لُعْبَةَ الْأَعْرَابِ، فَلَا يَشْعُرُونَ بِهِ حَتَّى يُلْقِي نَفْسَهُ بَيْنَهُمْ وَيَضْرِبُ بِرِجْلَيْهِ كَأَنَّهُ مَجْنُونٌ، فَيَفْزَعُ الصِّبْيَانُ مِنْهُ وَيَفِرُّونَ. قَالَ أَبُو رَافِعٍ: وَرُبَّمَا دَعَانِي أَبُو هُرَيْرَةَ إِلَى عَشَائِهِ بِاللَّيْلِ، فَيَقُولُ: دَعِ الْعِرَاقَ لِلْأَمِيرِ - يَعْنِي قِطَعَ اللَّحْمِ - قَالَ: فَأَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ ثَرِيدٌ بِزَيْتٍ. وَقَالَ أَبُو الزُّعَيْزِعَةِ كَاتِبُ مَرْوَانَ: بَعَثَ مَرْوَانُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ بَعْثَ إِلَيْهِ: إِنِّي غَلِطْتُ وَلَمْ أُرِدْكَ بِهَا، وَإِنِّي إِنَّمَا أَرَدْتُ غَيْرَكَ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: قَدْ أَخْرَجْتُهَا، فَإِذَا خَرَجَ عَطَائِي فَخُذْهَا مِنْهُ. وَكَانَ قَدْ تَصَدَّقَ بِهَا. وَإِنَّمَا أَرَادَ مَرْوَانُ اخْتِبَارَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ: كَانَ مُعَاوِيَةُ إِذَا أَعْطَى أَبَا هُرَيْرَةَ سَكَتَ، وَإِذَا أَمْسَكَ عَنْهُ تَكَلَّمَ. وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ جَاءَهُ شَابٌّ فَقَالَ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، إِنِّي أَصْبَحْتُ صَائِمًا، فَدَخَلْتُ عَلَى أَبِي، فَجَاءَنِي بِخُبْزٍ وَلَحْمٍ، فَأَكَلْتُ نَاسِيًا. فَقَالَ: طُعْمَةٌ أَطْعَمَكَهَا اللَّهُ، لَا عَلَيْكَ. قَالَ: ثُمَّ دَخَلْتُ دَارًا لِأَهْلِي فَجِيءَ بِلَبَنِ لَقْحَةٍ، فَشَرِبْتُهُ نَاسِيًا. قَالَ: لَا عَلَيْكَ. قَالَ: ثُمَّ نِمْتُ، فَاسْتَيْقَظْتُ، فَشَرِبْتُ مَاءً - وَفِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৫


আবু হুরায়রা (রা) কে দেখতে এসে বলল হে আবু হুরায়রা ! আমি আপনার সাক্ষাৎ ভালবাসি
কাজেই আপনিও আমার সাক্ষাৎ ভালবাসুন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মারওয়ান যাওয়ার অল্পক্ষণের
মধ্যেই আবু হুরায়রা (বা) ইন্তিক৷ ৷ল করেন ৷

হয় কর বিন সুফিয়ান দাইিম থেকে তিনি ওয়ালীদ বিন জাবির থেকে, তিনি উমায়ের
বিন হানি থেকে , তিনি বলেন আবু হুরায়রা (বা) বলেছেন হে আল্লাহ ৷ ষাটতম হিজরী সন
যেন আমার নাপাল না পায় ৷ তিনি বলেন, তাই তিনি সে বছর কিৎবা তার একবছর পুর্বে
ইন্তিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী এমনই বলেছেন যে, তিনি ৭৮ বছর বয়সে উনষাট হিজরীতে
ইস্তিকাল করেন ৷ ওয়াকিদী আরও বলেন, তিনি উনর্ষ৷ হিজরীতে রমযান মাসে আয়েশা
(রা) এর এবং শাওয়ালে উম্মে সালামা (বা) এর জানাযার নামায পড়ান ৷ তারপর সে
বছরই তাদের দু জনার পর ইন্তিকাল করেন ৷ যদিও তিনি (ওয়াকিদী) এমনই বলেছেন,
কিন্তু সঠিক হল উম্মে সালামা (রা) আবু হুরায়রা (রা) এর পরে ইন্তিকাল করেন ৷ আর
একাধিক ঐতিহাসিকের মত হল-৩ তিনি আবু হুরায়রা (বা) উনষাট হিজরীতে ইনতিকাল
করেন ৷ আর কারো মতে, আটান্ন হিজরীতে আবার কারো মতে সাতান্ন হিজরীতে ৷ তবে
প্রসিদ্ধ মত হল, উনষাট হিজরী ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, পবিত্র মদীনায় তৎকালীন নায়েব
ওয়ালীদ বিন উ৩ তবাহ বিন আবু সুফিয়ান তার জানাযার নামায পড়ান ৷ এসময় আবদুল্লাহ
ইবন উমর আবু সায়ীদ এবং অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগণ উপস্থিত ছিলেন ৷ তার
জানাযার নামায হয়েছিল আসরের সময় ৷ আর তার ওফাত হয়েছিল আকীক অঞ্চলে তার
নিজ গৃহে ৷ সেখান থেকে তাকে পবিত্র মদীনায় বহন করে আনা হয় ৷ তারপর জানাযার
নড়ামাযের পর তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয় ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম করুন
এবং তার প্রতি রাযী খুশি থাকুন ৷

ওয়ালীদ বিন উ৩ বা যুআবিয়৷ (রা) এর বরাবর আবু হুরায়রা (রা) এর ওফাং৩ র বিষয়ে
লিখলেন ৷ তখন মুআবিয়৷ (রা)৩ তার কাছে লিখে পাঠালেন, “তার উত্তরসুয়ীদের খোজখবর
নাও এবং তাদের প্ৰতি সদাচার কর ৷৩ তাদের খরচের জন্য দশ হাজার দিরহাম পৌছে দাও,

তাদেরকে উত্তম আশ্রয়দান কর এবং তাদের হি৩ সাধন কর ৷ কেননা, তিনি উসমানের অন্যতম

সাহায্যকারী ছিলেন এবং পবিত্র মদীনায় তার সাথে ছিলেন ৷ মহান আল্লাহ্ তাদের উভয়কে
রহম করুন ৷


رِوَايَةٍ: وَجَامَعْتُ نَاسِيًا - فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنَّكَ يَا ابْنَ أَخِي لَمْ تَعَوَّدِ الصِّيَامَ. وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ، أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ بَكَى، فَقِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: عَلَى قِلَّةِ الزَّادِ وَشِدَّةِ الْمَفَازَةِ، وَأَنَا عَلَى عَقَبَةِ هُبُوطٍ ; إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ أَوْ إِلَى نَارٍ، فَمَا أَدْرِي إِلَى أَيِّهِمَا أَصِيرُ. وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ قَالَ: دَخَلَ مَرْوَانُ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فِي شَكْوَاهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ: شَفَاكَ اللَّهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّ لِقَاءَكَ فَأَحِبَّ لِقَائِي. قَالَ: فَمَا بَلَغَ مَرْوَانُ أَصْحَابَ الْقَطَا حَتَّى مَاتَ أَبُو هُرَيْرَةَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: اللَّهُمَّ لَا تُدْرِكْنِي سَنَةَ سِتِّينَ. قَالَ: فَتُوُفِّيَ فِيهَا أَوْ قَبْلَهَا بِسَنَةٍ. وَهَكَذَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ عَنْ ثَمَانٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَى عَائِشَةَ فِي رَمَضَانَ، وَعَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ، ثُمَّ تُوُفِّيَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَهُمَا فِيهَا. كَذَا قَالَ، وَالصَّوَابُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ تَأَخَّرَتْ بَعْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ - وَقِيلَ: سَبْعٍ - وَخَمْسِينَ. وَالْمَشْهُورُ تِسْعٌ
পৃষ্ঠা - ৬৫৬৬
وَخَمْسِينَ. قَالُوا: وَصَلَّى عَلَيْهِ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ نَائِبُ الْمَدِينَةِ وَفِي الْقَوْمِ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُو سَعِيدٍ وَخَلْقٌ، وَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي دَارِهِ بِالْعَقِيقِ، فَحُمِلَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ، ثُمَّ دُفِنَ بِالْبَقِيعِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. وَكَتَبَ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِوَفَاةِ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَنِ انْظُرْ وَرَثَتَهُ فَأَحْسِنْ إِلَيْهِمْ، وَاصْرِفْ إِلَيْهِمْ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَأَحْسِنْ جِوَارَهُمْ، وَاعْمَلْ إِلَيْهِمْ مَعْرُوفًا ; فَإِنَّهُ كَانَ مِمَّنْ نَصَرَ عُثْمَانَ، وَكَانَ مَعَهُ فِي الدَّارِ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى.