আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وخمسين

ذكر من توفي في هذه السنة من الأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من الأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من الأعيان

ذكر من توفي في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৬৪৯৩




আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ১৬৯

আহ ! কেমন করে আমি তাকে ভুলব, আমার সাথে হৃদয় জুড়ে তো তার উপলব্ধি ৷ তার
জন্যে তো আমার অন্তর ধৈর্যচুাত হয়ে পড়েছে’ ৷
, এবার মুআবিয়া (রা) বললেন, তবে আমি মহিলা টিকে ইখতিয়ার দেব যে আমি, তুমি ও
ইবন উম্মু হাকাম এই তিনজনের যে কোন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে ৷ এবার
মহিলাটি নিম্নের কবি৩ ৷ আবৃত্তি করলশ্
এই লোক যদিও সে রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে গিয়েছে, যদিও সে দরিদ্র ও সম্পদহীন হয়ে
গিয়েছে
তবুও সে আমার প্রিয়তম মানুষ ৷ সে আমার পিতা, আমার আশ্রয়দাতা এবং কাড়ি কাড়ি
বিশ্বাসঘাতক৩ ৷ করলে আগুনে জ্বলতে হবে ৷ সেই ভয়ও আমার রয়েছে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, মহিলাটির কথা শুনে আমীর মুআবিয়৷ হেসে উঠলেন এবং ঐ যুবককে দশ
হাজার রৌপ্য, মুদ্রা এবং একটি সওয়ারী উপহার দিলেন ৷ আর মহিলাঢিরইদ্দত শেষ হবার
পর তাকে ঐ যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে তার হাতে সোপর্দ করে দিলেন ৷ অবশ্য এখানে আমরা
দীর্ঘ হবার আশঙ্কায় কতক কবিতা ছেড়ে দিয়েছি ৷
এই হিজরী সনে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এবং খারেজী সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘ সংঘর্ষ
বিদ্যমান থাকে ৷ যে অনেক খারেজীকে হত্যা করে এবং অন্যদেরকে বন্দী করে ফেলে ৷ তার
০পিতা : যিয়াদের মত সেও খারেজীদের প্রতি ছিল কঠোর এবৎ খড়গহংষ্ক ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল
জ্যানন ৷

হিজরী ৫৮ সনে যাদের ওফাত হয়
সাঈদ ;ইবনুল ভৃা৷স ইবন উমাই-য়৷ ইবন আবৃদ শামৃস
ইবন আবৃদ মানাফ কুৰায়শী উমাবী

এই হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷৩ তার পিতা বদর দিবসে কাফির অবস্থায় নিহত হয় ৷
হযরত আলী (যা) তাকে হত্যা করেন ৷ হযরত সাঈদ লালিত-পালিত হয়েছিলেন হযরত
উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর নিকট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাগ্লু৩ র সময় সাঈদ (রা) এর
বয়স ছিল নয় বছর ৷ তিনি নে৩ তৃস্থানীয় মুসলমান এবং দানশীল ব্যক্তিরুপে প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ তার
নানা সাঈদ ইবনুল আস ওরফে আবু আজনিহাহ্ শীর্ষস্থানীয় কুরাইশ নেতা ছিলেন ৷ তার
উপাধি ছিল ঘু-৩ আজ বা মুকুটধারী ব্যক্তি ৷ কারণ তিনি যখন পাগড়ি পরিধান করতেন তখন

তার সম্মানার্থে অন্য কেউ পাগড়ি পরিধান করত না ৷

হযরত সাঈদ (বা) দ্বিতীয় খলীফ৷ হযরত উমর (রা) এর শাসনামলে সুওয়াদ অঞ্চলের
প্রশাসক ছিলেন ৷ হযরত উসমান (রা)৩ তাকে কুরআনের কপি লেখকদের দলভুক্ত করেছিলেন ৷
এটি করেছিলেন তার ভাষাগত দক্ষতার কারণে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র দাড়ির সাথে তার ন্

আল বিদায়া ওয়ান নিহাযা -২২ ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪গাে০ওোড়া

[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مُنَافٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، قُتِلَ أَبُوهُ يَوْمَ بَدْرٍ كَافِرًا، قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَشَأَ سَعِيدٌ فِي حِجْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ عُمْرُ سَعِيدٍ يَوْمَ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ سِنِينَ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَالْأَجْوَادِ الْمَشْهُورِينَ، وَكَانَ جَدُّهُ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ - وَيُكَنَّى بِأَبِي أُحَيْحَةَ - رَئِيسًا فِي قُرَيْشٍ، يُقَالُ لَهُ: ذُو التَّاجِ. لِأَنَّهُ كَانَ إِذَا اعْتَمَّ لَا يَعْتَمُّ أَحَدٌ يَوْمَئِذٍ ; إِعْظَامًا لَهُ، وَكَانَ سَعِيدٌ هَذَا مِنْ عُمَّالِ عُمَرَ عَلَى السَّوَادِ وَجَعَلَهُ عُثْمَانُ فِيمَنْ يَكْتُبُ الْمَصَاحِفَ ; لِفَصَاحَتِهِ، قَالُوا: وَكَانَ أَشْبَهُ النَّاسِ لَهْجَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا الَّذِينَ يَسْتَخْرِجُونَ الْقُرْآنَ وَيُعَلِّمُونَهُ وَيَكْتُبُونَهُ، مِنْهُمْ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ. وَاسْتَنَابَهُ عُثْمَانُ عَلَى الْكُوفَةِ بَعْدَ عَزْلِهِ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، فَافْتَتَحَ طَبَرِسْتَانَ وَجُرْجَانَ، وَنَقَضَ الْعَهْدَ أَهْلُ أَذْرَبِيجَانَ فَغَزَاهُمْ فَفَتَحَهَا، فَلَمَّا مَاتَ عُثْمَانُ اعْتَزَلَ الْفِتْنَةَ، فَلَمْ يَشْهَدِ الْجَمَلَ وَلَا صِفِّينَ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ الْأَمْرُ لِمُعَاوِيَةَ وَفَدَ إِلَيْهِ، فَعَتَبَ عَلَيْهِ، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَعَذَرَهُ، فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৪



দাড়ির মিল ছিল সর্বাধিক ৷ কুরআন মজীদ প্রকাশ, কুরআন শিক্ষা প্রদান এবং কুরআন লেখার
জন্যে মনে নীত ১২ সদস্যের কমিটিতে তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য ৷ ঐ কমিটিতে হযরত
উবাই ইবন কা ব (রা) এবং হযরত যায়দ ইবন ছাবিত (রা) ও ছিলেন ৷

হযরত উসমান (রা) তার শাসনামলে ওয়ালীদ ইবন উকবাকে কুফার শ্া৷সনকর্তার পদ
থেকে অপসারিত করে সাঈদ ইবনুল আসকে ঐ পদে নিয়োগ করেন ৷ তিনি তখন তাবার স্থান
ও জুরজান প্রদেশ জয় করেন ৷ আজরবাইজানের জনগণ সমঝোতা চুক্তি ভঙ্গ করলে তিনি
ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচা ৷লন৷ করেন এবং সেই প্রদেশ জয় করেন ৷ ,

হযরত উর্সমান (রা) এর ইনৃতিকালের পর হযরত আলী (রা) ও হযরত আয়েশা (রা) এবং
আমীর মু আবিয়া (রা) এর মধ্যে যে বিবাদ সৃষ্টি হয়৩ তিনি তার সৎ স্পর্শ থেকে নিজেকে দুরে
রাখেন ৷ তিনি জামাল যুদ্ধেও অং শ নেন নি ৷ সিফ্ফীন যুদ্ধেও অংশ নেন নি ৷ অবশেষে আমীর
যুআৰিয়৷ (বা) নিজের পক্ষে যখন রত্রীয় ক্ষমতা সুসংহত করে নেন, তখন তিনি তার নিকট
প্রতিনিধিরুপে আসেন ৷ মুআৰিয়া তার সমালোচনা করেন ৷ সাঈদ ইবনুল আস ওযর পেশ
করেন ৷ দীর্ঘ বক্তাব্যর পর আমীর মুআবিয়া (বা) ঐ ওযর গ্রহণ করেন ৷ তিনি তাকে দৃ বার
মদীনায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেন এবং দৃ’বারই মারওয়ান ইবন হাকামকে তার পদে নিরো৷গ
দিয়ে তাকে বরখাস্ত করেন ৷

সাঈদ ইবনৃল আস (র) হযরত আলী (রা) কে মন্দ বলতেন না ৷ মারওয়ান হযরত আলী
(রা) কে মন্দ বলত ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে, উনার ইবন খাত্তাব (রা) থেকে, উসমান
ইবন আফ্ফান (রা) থেকে এবং হযরত অয়েশা (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অন্য
দিকে তার দু’ পুত্র আমর ও আবু সাঈদ সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমার, উরওয়া ইবন
যুবায়র (রা) প্রমুখ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য সিহাহ্ সিত্তাহ ও মুসনাদ গ্রন্থে
তার কোন হাদীস নেই ৷

তিনি একজন সৎ ও ধনাঢা ব্যক্তি ছিলেন ৷ প্রতি জুমআ পরে তিনি তার বন্ধুবান্ধবদেরকে ৰু
দাওয়াত দিয়ে খাবার খাওয়াতেন ৷ জামা-কাপড় প্রদান করতেন এবং বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্যে
অন্যান্য উপহার ও কল্যাণকর বস্তু প্রদান করতেন ৷ তিনি টাকার পলি বেধে রাখতেন এবং
জুমআবারে মসজিদে উপস্থিত গরীবংদুঃখী মুসল্লীদের সেগুলো বিলি করে দিতেন ৷

ইবন আসাকির বলেছেন যে, সাঈদ ইবনুল আসের দামেদ্বুশৃকে একটি বাড়ি ছিল ৷ সেটি দার-
ই-জুনাঈম এবং হাম্মামইনাঈমনামে পরিচিত ত্যি ৷ সেটির অবস্থান ছিল দীমামএর পাশে ৷
পরবর্তীতে তিনি মদীনায় ফিরে আসেন এবং সেখানেই ইন্তিকাল করেন ৷ তিনি একজন দানশীল,
সম্রাত ও প্ৰশং সা যােগ্য লোক ছিলেন ৷ এরপর ইবন আসাকির ইয়াকুব ইবন সুফ্য়ান সুত্রে বর্ণিত
সাঈদ ইবনুল অ ৷সের একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ সেটি এই আবু সাঈদ জুফী সাঈদ
ইবনুল আস থেকে বর্ণনা করেন যে, নিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন

তােমাদের মধ্যে জাহেলী যুগে যারা ভাল ছিল (ইসলাম গ্রহণের পর) ইসলামী যুগেও তারা
তাল ৷ অন্যদিকে যুবাযর ইবন বাক্কার সাঈদ সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ন্
যে, একদিন এক মহিলা একটি চাদ্রর নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন
যে, আমি মানত করেছি এই চাদরটি দান করব আরবের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিকে ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনলেন, তাহলে চাদরটি এই বালককে দিয়ে দাও ৷’ অর্থাৎ সাঈদ ইবনুল


جِدًّا، وَوَلَّاهُ الْمَدِينَةَ مَرَّتَيْنِ، وَعَزَلَهُ عَنْهَا مَرَّتَيْنِ بِمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَكَانَ سَعِيدٌ هَذَا لَا يَسُبُّ عَلِيًّا، وَمَرْوَانُ يَسُبُّهُ، وَرَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ، وَعَائِشَةَ، وَعَنْهُ ابْنَاهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَغَيْرُهُمْ، وَلَيْسَ لَهُ فِي " الْمُسْنَدِ " وَلَا فِي الْكُتُبِ السِّتَّةِ شَيْءٌ. وَقَدْ كَانَ حَسَنَ السِّيرَةِ، جَيِّدَ السَّرِيرَةِ، وَكَانَ كَثِيرًا مَا يَجْمَعُ أَصْحَابَهُ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَيُطْعِمُهُمْ وَيَكْسُوهُمُ الْحُلَلَ، وَيُرْسِلُ إِلَى بُيُوتِهِمْ بِالْهَدَايَا وَالتُّحَفِ وَالْبِرِّ الْكَثِيرِ، وَكَانَ يُصِرُّ الصُّرَرَ فَيَضَعُهَا بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّينَ مِنْ ذَوِي الْحَاجَاتِ فِي الْمَسْجِدِ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ كَانَتْ لَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ تُعْرَفُ بَعْدَهُ بِدَارِ نَعِيمٍ، وَحَمَّامِ نَعِيمٍ، بِنَوَاحِي الدِّيمَاسِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَأَقَامَ بِهَا إِلَى أَنْ مَاتَ، وَكَانَ كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا. ثُمَّ أَوْرَدَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خِيَارُكُمْ فِي الْإِسْلَامِ خِيَارُكُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ ".»
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৫
وَمِنْ طَرِيقِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبَانٍ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبُرْدٍ، فَقَالَتْ: إِنِّي نَوَيْتُ أَنْ أُعْطِيَ هَذَا الثَّوْبَ أَكْرَمَ الْعَرَبِ. فَقَالَ: " أَعْطِيهِ هَذَا الْغُلَامَ "،» يَعْنِي سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ وَهُوَ وَاقِفٌ، فَلِذَلِكَ سُمِّيَتِ الثِّيَابَ السَّعِيدِيَّةَ. وَأَنْشَدَ الْفَرَزْدَقُ قَوْلَهُ فِيهِ: تَرَى الْغُرَّ الْجَحَاجِحَ مِنْ قُرَيْشٍ ... إِذَا مَا الْخَطْبُ فِي الْحَدَثَانِ عَالَا قِيَامًا يَنْظُرُونَ إِلَى سَعِيدٍ ... كَأَنَّهُمُ يَرَوْنَ بِهِ هِلَالَا وَذَكَرَ أَنَّ عُثْمَانَ عَزَلَ عَنِ الْكُوفَةِ الْمُغِيرَةَ، وَوَلَّاهَا سَعِيدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، فَأَقَامَ بِهَا حِينًا، وَلَمْ تُحْمَدْ سِيرَتُهُ فِيهِمْ وَلَمْ يُحِبُّوهُ، ثُمَّ رَكِبَ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ - وَهُوَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ - فِي جَمَاعَةٍ إِلَى عُثْمَانَ، وَسَأَلُوهُ أَنْ يَعْزِلَ عَنْهُمْ سَعِيدًا، فَلَمْ يَعْزِلْهُ، وَكَانَ عِنْدَهُ بِالْمَدِينَةِ فَبَعْثَهُ إِلَيْهِمْ، وَسَبَقَ الْأَشْتَرُ إِلَى الْكُوفَةِ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَحَثَّهُمْ عَلَى مَنْعِهِ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِمْ، وَرَكِبَ الْأَشْتَرُ فِي جَيْشٍ يَمْنَعُونَهُ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৬

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ ৭ ১

আসকো স ঈদ ইবনুল আস তখন ওখানে র্দাড়ানো ছিলেন ৷ এজন্যে জামা-কাপড়কে
সাঈদিয়াস বলা হয় ৷ত তার সসন্ধে করি ফারা যদা ক বলেছেন-


যুবক শ্রেণীর মধ্যে সাঈদ ইবনুল তাসের বক্তৃতা যখন বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারিত হয় তখন
তুমি কুরায়শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে দুেখবে যে,’

— ¥—“ ,

তারা দণ্ডায়মান অবস্থায় স্থির তাকিয়ে আছে সাঈদের দিকে ৷ তারা যেন তাকে দেখে নতুন
র্চাদ দেখছে ৷’

বর্ণিত আছে যে, হযরত উসমান (রা)ত তার শাসনামলে মুগীরা (রা) কে কুফা র শাসনকর্তার
পদ থেকে অপসারিত করে সাঈদ ইবনুল আস (বা) কে ঐ পদে নিয়োগ করেছিলেন ৷ এরপর
সাঈদকে বরখাস্ত করে ওয়ালীদ ইবন উত্বাকে নিয়োগ দেন ৷ পরবর্তীতে আবার ওয়ালীদকে
বরখাস্ত করে সাঈদকে নিয়োগ দেন ৷ তারপর কিছু দিন তিনি ঐ পদে বহাল থাকেন ৷ কিন্তু
কুফাবাসীদের ব্যাপারে ৩ার কর্ম তৎপরতা সন্তোষজনক ছিল না তারা তাকে পসন্দ করত
না ৷ এক পর্যায়ে মালিক ইবন হারিছ ওরফে আশৃতার নাখঈ একদল লোক নিয়ে খলীফা
উসমান (রা) এর নিকট আসে এবং সাঈদকে কুফা থেকে প্রত্যাহার করার আবেদন করে ৷
হযরত উসমান (রা)ত তাদের আবেদনে সাড়া দিলেন না ৷ সাঈদ অবশ্য তখন মদীনায় খলীফার
নিকট অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি সাঈদকে কুফা পাঠালেন ৷

এদিকে তার আগেই আশৃতার কুফা চলে আসে ৷ সে কুফাবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয়
এবং সাঈদকে কুফা প্রবেশে বাধাদানের জন্যে প্ৰরো চিত করে ৷ আশৃতার নিজে একদল লোক
নিয়ে সাঈদকে বাধা দানের জন্যে পথে বের হয় ৷ রাছা এর পথে কুফা প্রবেশের মুখে তারা
আৰীব নামক স্থানে সাঈদের গতিরোধ করে ৷৩ তারা তাকে প্রচণ্ডভাবে বাধা দেয় ৷ শেষ পর্যন্ত
সাঈদ খলীফার নিকট মদীনায় ফিরে আসতে বাধ্য হন ৷ এদিকে আশৃ তার নাখঈ হযরত আবু
মুসা আশ আরী (রা) কে নামায পড়ানো এবং সীমান্ত পাহারার দায়িৎ দিল ৷ আর হুযায়ফাকে
দায়িতু দিল যুদ্ধলব্ধ মালামাল সং রক্ষণ ও বণ্টনের ৷ কুফাবাসীগণ এটি সমর্থন করল এবং এটি
অনুমােদনের জন্যে তারা খলীফার নিকট লোক পাঠাল ৷ খলীফা এটি অনুমোদন করেন এবং
তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ কিন্তু খলীফা উসমান (যা) মুলত প্রশাসনিককার্যে এই প্রথম
দুর্বলতা দেখালেন ৷ সাঈদ ইবনুল আসকে তিনি মদীনায় ব্লেখে দিলেন ৷ অরভ্রুশ্াষে হযরত
উসমান (রা) যখনাগৃহে অবরুদ্ধ হলেন তখন সাঈদ ইবনুল আস তার পক্ষে ছিলেন ৷
পরবর্তীতে হযরত আয়েশা (রা) যখন তালহা ও যুবায়র (রা)-কে সাথে নিয়ে হযরত উসমান
(রা)-এর খুনীদের বিচারের দাবীতে মদীনা যাত্রা করলেন তখন হযরত সাঈদ তাদের সাথে
যোগ দিলেন ৷ এরপর সাঈদ ও মুগীরা ইবন তারা (বা) এবং অন্য কতক লোক ঐ দল ছেড়ে
চলে গেলেন ৷ তারপর সাঈদ ইবনুল আস তায়িফ গিয়ে বসবাস করতে থাকেন ৷ সকল যুদ্ধের
সমাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন ৷

আমীর মুআবিয়া (বা) ক্ষমতা সুসং হত করার পর ৪৯ হিজরী সনে তিনি মারওয়ানকে
বরখাস্ত করার পর সাঈদ ইবনুল আসকে মদীনার শাসনকতা নিয়োগ করেন ৷ তিনি ৭ দিন ঐ
পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং মারওয়ান এই ৭ দিন পদচ্যুত অবস্থায় থাকে ৷ণ্ ৭ দিন পর
পুনরায় মারওয়ানকে ঐ পদে নিয়োগ দেয়া হয় ৷


الدُّخُولِ، قِيلَ: تَلَقَّوْهُ إِلَى الْعُذَيْبِ - وَقَدْ نَزَلَ سَعِيدٌ بِالْعُذَيْبِ - فَمَنَعُوهُ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى رَدُّوهُ إِلَى عُثْمَانَ، وَوَلَّى الْأَشْتَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ عَلَى الصَّلَاةِ وَالثَّغْرِ، وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ عَلَى الْفَيْءِ، فَأَجَازَ ذَلِكَ أَهْلُ الْكُوفَةِ، وَبَعَثُوا إِلَى عُثْمَانَ فِي ذَلِكَ فَأَمْضَاهُ، وَسَرَّهُ ذَلِكَ فِيمَا أَظْهَرَهُ، وَلَكِنْ كَانَ هَذَا أَوَّلَ وَهَنٍ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ. وَأَقَامَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى كَانَ زَمَنُ حَصْرِ عُثْمَانَ، فَكَانَ عِنْدَهُ بِالدَّارِ، ثُمَّ لَمَّا رَكِبَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ مَعَ عَائِشَةَ مِنْ مَكَّةَ يُرِيدُونَ قَتَلَةَ عُثْمَانَ رَكِبَ مَعَهُمْ، ثُمَّ انْفَرَدَ عَنْهُمْ هُوَ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَغَيْرُهُمَا، فَأَقَامَ بِالطَّائِفِ حَتَّى انْقَضَتْ تِلْكَ الْحُرُوبُ كُلُّهَا، ثُمَّ وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ إِمْرَةَ الْمَدِينَةِ سَنَةَ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَعَزَلَ مَرْوَانَ، فَأَقَامَ سَبْعًا، ثُمَّ رَدَّ مَرْوَانَ. وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ جَابِرٍ قَالَ: بَعَثَنِي زِيَادٌ فِي شُغُلٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ أُمُورِي قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لِمَنْ يَكُونُ الْأَمْرُ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَسَكَتَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: يَكُونُ بَيْنَ جَمَاعَةٍ، أَمَّا كَرِيمَةُ قُرَيْشٍ فَسَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَأَمَّا فَتَى قُرَيْشٍ حَيَاءً وَدَهَاءً وَسَخَاءً فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، وَأَمَّا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَرَجُلٌ سَيِّدٌ كَرِيمٌ، وَأَمَّا الْقَارِئُ لِكِتَابِ اللَّهِ الْفَقِيهُ فِي دِينِ اللَّهِ، الشَّدِيدُ فِي حُدُودِ اللَّهِ فَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَأَمَّا رَجُلُ نَفْسِهِ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَأَمَّا رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৭
يَرُدُّ الشَّرِيعَةَ مَعَ دَوَاهِي السِّبَاعِ وَيَرُوغُ رَوَغَانَ الثَّعْلَبِ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ. وَرُوِّينَا أَنَّهُ اسْتَسْقَى يَوْمًا فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ، فَأَخْرَجَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ دَارِهِ مَاءً فَشَرِبَ، ثُمَّ بَعْدَ حِينٍ رَأَى ذَلِكَ الرَّجُلَ يَعْرِضُ دَارَهُ لِلْبَيْعِ، فَسَأَلَ عَنْهُ: لِمَ يَبِيعُ دَارَهُ؟ فَقَالُوا: عَلَيْهِ دَيْنٌ ; أَرْبَعَةُ آلَافِ دِينَارٍ، فَبَعَثَ إِلَى غَرِيمِهِ فَقَالَ: هِيَ لَكَ عَلَيَّ. وَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبِ الدَّارِ فَقَالَ: اسْتَمْتِعْ بِدَارِكَ. وَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ يُجَالِسُونَهُ قَدِ افْتَقَرَ وَأَصَابَتْهُ فَاقَةٌ شَدِيدَةٌ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: إِنَّ أَمِيرَنَا هَذَا يُوصَفُ بِكَرَمٍ، فَلَوْ ذَكَرْتَ لَهُ حَالَكَ فَلَعَلَّهُ يَسْمَحُ لَكَ بِشَيْءٍ. فَقَالَ: وَيْحَكِ، لَا تُخْلِقِي وَجْهِي، فَأَلَحَّتْ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّاسُ عَنْهُ مَكَثَ الرَّجُلُ جَالِسًا فِي مَكَانِهِ، فَقَالَ لَهُ سَعِيدٌ: أَظُنُّ جُلُوسَكَ لِحَاجَةٍ. فَسَكَتَ الرَّجُلُ، فَقَالَ سَعِيدٌ لِغِلْمَانِهِ: انْصَرِفُوا. ثُمَّ قَالَ لَهُ سَعِيدٌ: لَمْ يَبْقَ غَيْرِي وَغَيْرُكَ. فَسَكَتَ، فَأَطْفَأَ الْمِصْبَاحَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: رَحِمَكَ اللَّهُ، لَسْتَ تَرَى وَجْهِي، فَاذْكُرْ حَاجَتَكَ. فَقَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، أَصَابَتْنَا فَاقَةٌ وَحَاجَةٌ فَأَحْبَبْتُ ذِكْرَهَا لَكَ فَاسْتَحْيَيْتُ. فَقَالَ لَهُ: إِذَا أَصْبَحْتَ فَالْقَ فُلَانًا وَكِيلِي. فَلَمَّا أَصْبَحَ الرَّجُلُ لَقِيَ الْوَكِيلَ، فَقَالَ لَهُ الْوَكِيلُ: إِنَّ الْأَمِيرَ قَدْ أَمَرَ لَكَ بِشَيْءٍ فَأْتِ بِمَنْ يَحْمِلُهُ مَعَكَ. فَقَالَ: مَا عِنْدِي مَنْ يَحْمِلُهُ. ثُمَّ انْصَرَفَ الرَّجُلُ إِلَى امْرَأَتِهِ فَلَامَهَا، وَقَالَ: حَمَلْتِينِي عَلَى بَذْلِ وَجْهِيَ لِلْأَمِيرِ، فَقَدْ أَمَرَ لِي بِشَيْءٍ يَحْتَاجُ إِلَى مَنْ يَحْمِلُهُ، وَمَا أَرَاهُ أَمَرَ لِي إِلَّا بِدَقِيقٍ أَوْ طَعَامٍ، وَلَوْ كَانَ مَالًا لَمَا احْتَاجَ إِلَى مَنْ يَحْمِلُهُ، وَلَأَعْطَانِيهِ. فَقَالَتْ لَهُ الْمَرْأَةُ: فَمَهْمَا أَعْطَاكَ فَإِنَّهُ يَقُوتُنَا
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৮


আবদুল মালিক ইব ন উমায়র কাবীসা ইবন জাবির সুত্রে বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন,
যিয়াদ একটি কাজ দিয়ে আমীর মুআৰিয়৷ (রা)-এর নিকট আমাকে পাঠিয়েছিল ৷ নির্ধারিত
কাজ শেষ হবার পর আমি বললাম, আযীরুল মু’মিনীনৰু, আপনার পর খলীফার পদে কে
বসবেন?’ তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন ৷ তারপর বললেন, কয়েকজনের মধ্যে যে কোন
একজনের হাতে যাবে খিলাফবু তর দায়িত্ব ৷ হয়ত কুরায়শের সম্রাম্ভ ব্যক্তি সাঈদ ইবনুল
আসের হাতে যাবে অথবা আত্মসম্মানবােধ সম্পন্ন দানশীল কুরায়শী যুবক আবদুল্লাহ ইবন
আমিরের হাতে ৷ অথবা নেতৃতু ণ্ডণসম্পন্ন অভিযাত কুরায়শ বংশীয় ব্যক্তিত্ব ইমাম হাসান ইবন
আলী (রা) এর হাতে অথবা আল্লাহর কিতাবের পাঠক, দ্রীনের ,ফকীহ্, আল্লাহ্র সীমা রক্ষায়
কঠোর মারওয়ান ইবন হাকামের হাতে অথবা ফকীহ আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) এর হাতে
অথবা হিংস্রতা ও শৃগালের ধুততাসম্পন্ন ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের হাতে ৷’
আমরা বর্ণনা করেছি যে, একদিন মদীনায় এক রাস্তায় চলার সময় তিনি পানি র্চইিলেন ৷
একটি গৃহ থেকে পানি এনে তাকে পান করতে দেয়৷ হল ৷ তিনি ঐ পানি পান করলেন ৷
কয়েক দিন পর তিনি দেখতে পেলেন যে, ঐ গৃহের মালিক পৃহটি বিক্রি করার ঘোষণা দিচ্ছে ৷
তিনি বললেন, সে গৃহ বিক্রি করছে কেন? লোকজন বলল, তার প্রায় চার হাজার দীনার ঋণ
আছে ৷ ঋণ পরিশোধের জন্য গৃহ বিক্রি করতে চাচ্ছে ৷ ’তিনি তার ঋণ দাতাকে লোক পাঠিয়ে
বলে দিলেন যে, ওর কাছে পাওনা ঋণের টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে ৷ আর গৃহের
মালিককে সংবাদ দিলেন যে, তুমি নির্বিঘ্নে তোমার গৃহ ব্যবহার কর ৷’
সাঈদ ইবনুল আসের মজলিসে বসত এমন একজন কিরাআত বিশেষজ্ঞ লোক একবার
অভাবগ্নস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রচণ্ড দুঃখের সম্মুখীন হয় ৷ তার শ্রী বলল, আমাদের শাসনকর্তা তো
দানশীল হিসেবে পরিচিত ৷ আপনি যদি আমাদের দুঃখ-দারিদ্রের কথা তাকে জানান,৩ তিনি হয়ত
আমাদেরকে কিছুটা সাহায্য-সহষেশিতা বহ্ববেন ৷’ লোকটি বলল, হায়! আমার মুখে কালি দিও
না ৷’ শ্রী কিন্তু নাছোড়বান্দা, বারবার কথাটি বলছিল ৷ তাই লোকটি শাসনকর্তা সাঈদেয় নিকট
এল ৷ তার নিকট বসল ৷ দরবারে উপস্থিত সকল লোক চলে যাবার পরও সে ওখানে বনে থাকে ৷
, সাঈদ ইবনুল আস তাকে বললেন, আমার তো মনে হয় আপনি কোন প্রয়োজনে বসে আছেন?’
লোকটি কিছুই বলল না ৷ সাঈদ তীর খাদেমদেরকে বললেন, তােমরা এখান থেকে সরে যাও ৷’
এরপর তিনি ণ্লাকঢিকে বললেন, এখন তো আমি ও আপনি ব্যতীত কেউ নেই ৷ আপনার
প্রয়োজনের কথা বলুন ৷’ লোকটি৩ তবুও কিছু বলল না ৷ সাঈদ ইবনুল আস এবার বাতি নিভিয়ে
দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন ৷ আপনি তো এখন আমার চেহারা দেখতে
পাচ্ছেন না ৷ সুতরাং আপনার প্রয়োজনের কথা বলুন ৷ ’ এবার সে বলল, মহান আল্লাহ
শাসনকর্তার মঙ্গল কবুন ৷ আমরা অভাবগ্নস্ত হয়ে পড়েছি ৷ একথা আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম ৷
কিন্তু তা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম ৷ সাঈদ বললেন, আপনি কাল সকালে অমুক কর্মচারীর সাথে
দেখা করবেন ৷’ ভোরে সে নিল্টি কর্মচারীর সাথে দেখা করে ৷ কর্মচারী তাকে বলল, শাসনকর্তা
আপনার জন্যে কিছু জিনিস বরাদ্দ করেছেন, ওগুলো বহন করে নেয়ার জন্যে আপনি লোক নিয়ে
আসুন ৷ সে বলল, মালামাল বহন করার কোন লোক আমার নিকট নেই ৷’ একথা বলে লোকটি
তার ত্রীর নিকট ফিরে গেল এবং ত্রীকে পালমন্দ করে বলল, তুমি আমাকে আমীরের নিকট মুখ
বিক্রি করার জন্যে পাঠিয়েছিলে ৷ তিনি আমাকে এমন দ্রব্য-সামগী দিয়েছেন যা বহন করে আনার
জন্যে লোক দরকার ৷ আমার মনে হয় আটা ও খাদ্যশ্দ্রব্যই বরাদ্দ করেছেন ৷ অন্য শ্মালপত্র হলে


فَخُذْهُ. فَرَجَعَ الرَّجُلُ إِلَى الْوَكِيلِ، فَقَالَ لَهُ الْوَكِيلُ: إِنِّي أَخْبَرْتُ الْأَمِيرَ أَنَّهُ لَيْسَ لَكَ أَحَدٌ يَحْمِلُهُ، وَقَدْ أَرْسَلَ بِهَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ السُّودَانِ يَحْمِلُونَهُ مَعَكَ. فَذَهَبَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى مَنْزِلِهِ إِذَا عَلَى رَأْسِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَقَالَ لِلْغِلْمَانِ: ضَعُوا مَا مَعَكُمْ وَانْصَرِفُوا. فَقَالُوا: إِنَّ الْأَمِيرَ قَدْ أَطْلَقْنَا لَكَ، فَإِنَّهُ مَا بَعَثَ مَعَ خَادِمٍ هَدِيَّةً إِلَى أَحَدٍ إِلَّا كَانَ الْخَادِمُ الَّذِي يَحْمِلُهَا مِنْ جُمْلَتِهَا. قَالَ: فَحَسُنَ حَالُ ذَلِكَ الرَّجُلِ. وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بَعَثَ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِهَدَايَا وَأَمْوَالٍ وَكِتَابٍ ذَكَرَ فِيهِ أَنَّهُ يَخْطُبُ إِلَيْهِ ابْنَتَهُ أُمَّ عُثْمَانَ مِنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، فَلَمَّا وَصَلَتِ الْهَدَايَا وَالْأَمْوَالُ وَالْكِتَابُ قَرَأَهُ، ثُمَّ فَرَّقَ الْهَدَايَا فِي جُلَسَائِهِ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا لَطِيفًا فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى} [العلق: 6] [الْعَلَقِ: 6، 7] . وَالسَّلَامُ. وَرُوِّينَا أَنَّ سَعِيدًا خَطَبَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عَلِيٍّ مِنْ فَاطِمَةَ، الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَأَجَابَتْ إِلَى ذَلِكَ وَشَاوَرَتْ أَخَوَيْهَا فَكَرِهَا ذَلِكَ - وَفِي رِوَايَةٍ: إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ الْحُسَيْنُ وَأَجَابَ الْحَسَنُ - فَهَيَّأَتْ دَارَهَا وَنَصَبَتْ سَرِيرًا وَتَوَاعَدُوا لِلْكِتَابِ، وَأَمَرَتِ ابْنَهَا زَيْدَ بْنَ عُمَرَ أَنْ يُزَوِّجَهَا مِنْهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا بِمِائَةِ أَلْفٍ - وَفِي رِوَايَةٍ: بِمِائَتَيْ أَلْفٍ - مَهْرًا. وَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ أَصْحَابُهُ لِيَذْهَبُوا مَعَهُ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৯


তা আনার জন্যে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হত না ৷ এমনিতেই আমাকে দিয়ে দিতেন ৷’ শ্রী
বলল, যাই দিয়ে থাকুন, নিয়ে আসুন ৷ তাতে আমাদের খাবারের ব্যবস্থা হবে ৷
লোকটি উক্ত কর্মচারীর নিকট ফিরে গেল ৷ কর্মর্চারী বলল, বরাদ্দকৃত মালামাল বহন করার
জন্যে আপনার কোন লোক নেই এটা আমি আমীর সাঈদকে জানিয়েছি ৷ তারপর তিনি এই
তিনজন সুদানী লোক আপনার জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তারা আপনার মালামাল বাড়ি
পৌছিয়ে দিবে ৷ ওদেরকে সাথে নিয়ে ল্যেকঢিযাত্রা করল ৷ বাড়ি গিয়ে দেখল তিনজন মুটের
প্রত্যেকের মাথায় দশ হাজার দিরহাম করে মুদ্র৷ পাঠিয়ে দেয়৷ হয়েছে ৷ লোকটি ওদেরকে
বলল, তবে এগুলো এখানে রুপ এবং তোমরা চলে যাও ৷’ তারা বলল, বস্তুত আমীর
আমাদেরকে আপনার জন্যে বরাদ্দ করে দিয়েছেন ৷ কারণ তিনি যে খাদেমেব মাধ্যমে কারো
নিকট উপহার প্রদান করেন, উপহারের সাথে ঐ খাদেমও তাকে দিয়ে দেন ৷’ বর্ণনাকারী
বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির অবস্থা ভাল হয়ে যায় ৷
ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন যে, যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান সাঈদ ইবনুল আসের
মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে সাঈদের নিকট প্রচুর মালামাল, উপহার সামগ্রী ও একটি
চিঠি দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন ৷৩ তার মেয়েটির নাম ছিল উম্মু উসমান ৷৩ তার শ্রী আমিনা ৰিনৃত
জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালীর গর্ভে মেয়েটির জন্ম হয় ৷ উপহার সামগ্রী, মালপত্র ও চিঠি
তার হস্তপত হবার পর তিনি চিঠিটি পাঠ করেন ৷৩ তারপর উপহার সামগ্রীগুলাে তার বন্ধু
বান্ধবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন ৷ এরপর যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ানের নিকট এভাবে চিঠির উত্তর
লিখেন “ৰিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহ্ তা জানা বলেছেন :৷ শু ;া এ :এেঘ্রাপু৷ ৷ হ্রা;<
,,-াত্ত;ব্লু৷ fl; বস্তুত মানুষওে তা সীমালং ৎঘন করেই থাকে ৷ কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে
করে ৷ (সুরা : আলাক৪ ৬ ৭)
আমরা আরো বর্ণনা করেছি যে, সাঈদ ইবনুল আস হযরত ফাতিমার গর্ভে জন্ম নেয়া হযরত
আলী (রা) এর কন্যা উম্মু কৃলছুমকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ উম্মু ক্যুছুম (বা) এক সময়
হযরত উমর (রা)-এর সহধর্মিণী ছিলেন ৷ উম্মু কুলছুম ঐ প্রস্তাব গ্রহণ কঃতে রাযী হয়েছিলেন ৷
কিন্তুতার ভাইদের সাথে পরামর্শ করার পর এটি পছন্দ করেন নি ৷ অবশ্য এক বর্ণনায় আছে যে,
ইমাম হুসায়ন (রা)৩ তা সমর্থন করেন সি, আর ইমাম হাসান (রা) সমর্থন করেছিলেন ৷
উম্মু কুলছুম (রা) নিজ উদ্যোগে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন এবং নিজ পুত্র যায়দ
ইবন উমর (রা)কে বিবাহকার্ষ সম্পাদনের নির্দেশ দিলেন ৷ এদিকে সাঈদ ইবনুল আস দেন-
মোহর বাবদ এক লক্ষ দিরহাম উন্মু কুলছুমেঠুব নিকট পাঠিয়ে দিলেন ৷ অপর বর্ণনায় দেন-
মোহর বাবদ দুই লক্ষ দিরহাম প্রদান করেন ৷ ত্রীকে তুলে নেয়ার জন্যে সাঈদের সাথীগণ
সাঈদের সাথে উপস্থিত হয় ৷ কিন্তু যায়দ বলে দেন যে, আমি আমার মা ফাতিমাকে ঘর থেকে
বের করে দিতে রাযী নই ৷ একথা শুনে সাঈদ ইবনুল আস উম্মু কুলছুমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত
ত্যাগ করেন এবং দেন-মােহয়রুপে পাঠানো রৌপ্য মুদ্রা তাকে দিয়ে চলে যান ৷
ইবন সাঈদ এবং আবদুল আ লা ইবন হাম্মাদ বলেছেন যে, এক আরব বেদৃইন সাঈদ
ইবনুল আসের নিকট সাহায্য চেয়েছিল ৷ তিনি তাকে পাচশত’ দেয়ার জন্যে কর্মচারীকে
নিয়োগ দিলেন ৷ কর্মচারী বলল, পাচশত দিরহাম দিব নাকি পাচশত দীনার দিব?ৰু উত্তরে তিনি



১ উম্মু কুলছুমের স্থলে এরুপই মুদ্রিত রয়েছে ৷

ওেতাে



فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُحْرِجَ ابْنَيْ فَاطِمَةَ. فَتَرَكَ التَّزْوِيجَ، وَأَطْلَقَ جَمِيعَ ذَلِكَ الْمَالِ لَهَا. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ وَعَبْدُ الْأَعَلَى بْنُ حَمَّادٍ: سَأَلَ أَعْرَابِيٌّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ فَأَمَرَ لَهُ بِخَمْسِمِائَةٍ، فَقَالَ الْخَادِمُ: خَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ أَوْ دِينَارٍ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا أَمَرْتُكَ بِخَمْسِمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَإِذْ قَدْ جَاشَ فِي نَفْسِكَ أَنَّهَا دَنَانِيرُ، فَادْفَعْ إِلَيْهِ خَمْسَمِائَةِ دِينَارٍ. فَلَمَّا قَبَضَهَا الْأَعْرَابِيُّ جَلَسَ يَبْكِي، فَقَالَ لَهُ: مَالِكٌ؟ أَلَمْ تَقْبِضْ نَوَالَكَ؟ قَالَ: بَلَى وَاللَّهِ، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَى الْأَرْضِ كَيْفَ تَأْكُلُ مِثْلَكَ. وَقَالَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ: جَاءَ رَجُلٌ فِي حَمَالَةِ أَرْبَعِ دِيَاتٍ سَأَلَ فِيهَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، فَقِيلَ لَهُ: عَلَيْكَ بِالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، أَوْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَوْ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، أَوْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. فَانْطَلَقَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَإِذَا سَعِيدٌ دَاخِلٌ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقِيلَ: سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ. فَقَصَدَهُ فَذَكَرَ لَهُ مَا أَقْدَمَهُ، فَتَرَكَهُ حَتَّى انْصَرَفَ مِنَ الْمَسْجِدِ إِلَى الْمَنْزِلِ، فَقَالَ لِلْأَعْرَابِيِّ: ائْتِ بِمَنْ يَحْمِلُ مَعَكَ؟ فَقَالَ: رَحِمَكَ اللَّهُ، إِنَّمَا سَأَلْتُكَ مَالًا لَا تَمْرًا. فَقَالَ: أَعْرِفُ، ائْتِ بِمَنْ يَحْمِلُ مَعَكَ؟ فَأَعْطَاهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَأَخَذَهَا الْأَعْرَابِيُّ، وَانْصَرَفَ وَلَمْ يَسْأَلْ غَيْرَهُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ، أَخْزَى اللَّهُ الْمَعْرُوفُ إِذَا لَمْ يَكُنِ
পৃষ্ঠা - ৬৫০০
ابْتِدَاءً مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ، فَأَمَّا إِذَا أَتَاكَ الرَّجُلُ تَكَادُ تَرَى دَمَهُ فِي وَجْهِهِ، أَوْ جَاءَكَ مُخَاطِرًا لَا يَدْرِي أَتُعْطِيهِ أَمْ تَمْنَعُهُ، فَوَاللَّهِ لَوْ خَرَجْتَ لَهُ مِنْ جَمِيعِ مَالِكِ مَا كَافَأْتَهُ. وَقَالَ سَعِيدٌ: لِجَلِيسِي عَلَيَّ ثَلَاثٌ ; إِذَا دَنَا رَحَّبْتُ بِهِ، وَإِذَا جَلَسَ أَوْسَعْتُ لَهُ، وَإِذَا حَدَّثَ أَقْبَلْتُ عَلَيْهِ. وَقَالَ أَيْضًا: يَا بُنَيَّ، لَا تُمَازِحِ الشَّرِيفَ فَيَحْقِدَ عَلَيْكَ، وَلَا الدَّنِيءَ فَتَهُونَ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَيَجْتَرِئَ عَلَيْكَ. وَخَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: مَنْ رَزَقَهُ اللَّهُ رِزْقًا حَسَنًا فَلْيَكُنْ أَسْعَدَ النَّاسِ بِهِ، إِنَّمَا يَتْرُكُهُ لِأَحَدِ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا مُصْلِحٌ فَيَسْعَدُ بِمَا جَمَعْتَ لَهُ وَتَخِيبُ أَنْتَ، وَالْمُصْلِحُ لَا يَقِلُّ عَلَيْهِ شَيْءٌ، وَإِمَّا مُفْسِدٌ فَلَا يَبْقَى لَهُ شَيْءٌ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: جَمَعَ أَبُو عُثْمَانَ طُرَفَ الْكَلَامِ. وَرَوَى الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ: مَوْطِنَانِ لَا أَسْتَحْيِي مِنْ رِفْقِي فِيهِمَا وَالتَّأَنِّي عِنْدَهُمَا، مُخَاطَبَتِي جَاهِلًا أَوْ سَفِيهًا، وَعِنْدَ مَسْأَلَتِي حَاجَةً لِنَفْسِي. وَدَخَلَتْ عَلَيْهِ امْرَأَةٌ مِنَ الْعَابِدَاتِ، وَهُوَ أَمِيرُ الْكُوفَةِ، فَأَكْرَمهَا وَأَحْسَنَ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: لَا جَعَلَ اللَّهُ لَكَ إِلَى لَئِيمٍ حَاجَةً، وَلَا زَالَتِ الْمِنَّةُ لَكَ فِي أَعْنَاقِ الْكِرَامِ، وَإِذَا أَزَالَ عَنْ كَرِيمٍ نِعْمَةً جَعَلَكَ سَبَبًا لِرَدِّهَا عَلَيْهِ. وَقَدْ كَانَ لَهُ عَشَرَةٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০১


বললেন, আমি তো মুলত পাচশত দিরহাম দেয়ার নির্দেশ দি৫য়ছিলাম ৷ তোমার অন্তরে যখন
পাচশত দীনারের কথা ৫জগে৫ছ তখন তাকে পাচশত দীনারই দাও ৷ পাচশত দীনাৱ গ্রহণ
করার পর আরব বেদুইন বসে বসে কাদতে থাকে ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কাদছ
কেন? তুমি তো দান-দক্ষিণা ৫প৫য়ছ ৷-’ সে বলল, হীা, আল্পাহ্র কসম !“ আমি আমার দান-
দক্ষিা৷ গ্রহণ করেছি তবে মাটির বিষয় চিন্তা করে কাদছি যে, আপনার ন্যায় মহৎ মানুষকে
মাটি কেমন করে গ্রাস করবে ?
আবদুল হামৃদ ইবন জা ফর বলেছেন, এক লোক চারজ৫নর রক্তপ৫ণর দায় মাথায় নিয়ে
উপস্থিত হয় এবং তা আদায়ের জন্যে মদীনাবাসীদের সাহায্য কামনা করে ৷ তাকে বলা হল,
তুমি হাসান ইবন আলী (রা)-এর নিকট যাও ৷ কিংবা তুমি যাও আবদুল্লাহ ইবন জাফরের
নিকট কিংবা সাঈদ ইবনুল-“আসেন নিকট কিংবা আবদুল্লাহ্ ইব ন আব্বাসের নিকট ৷ লোকটি
মসজিদের দিকে গেল ৷ সেখানে তার সাক্ষাত হল সাঈদ ইবনুল আসের সাথে ৷ তিনি
মসজিদে প্রবেশ করছিলেন ৷ লোকটি জিজ্ঞেস করল, ইনি ৫কগু উত্তর দেয়া হল যে, ইনি
সাঈদ ইবনুল আস ৷ সে তার নিকট গিয়ে কি উদ্দেশ্যে এসেছে তা তাকে জানাল ৷ তিনি
তা৫ক তখন কিছু বললেন না ৷- অবশেষে তিনি মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরে ৫গ৫লন এবং
৫লাকটি ৫ক বললেন, তােমার সাথে আর কে কে এটি বহন করে নিয়ে যাবে তাদেরকে নিয়ে
এস ৷’ বেদুইন লোকটি বলল, আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন, আমি তাে খেজুর চাই নি,
আমি ৫চ৫য়ছি মাল, অর্থ, কড়ি ৷ সাঈদ বললেন, হ্যা আমি তা বুঝেছি ৷ এগুলো বহন করবে
তাকে নিয়ে এস ৷’ তারপর তিনি চল্লিশ হাজার দিরহাম দিয়ে দিলেন ৷ ৫লাকটি খুশি
মনে চলে গেল ৷ অন্য কারো নিকট আর সাহায্য প্রার্থনা করে নি ৷ তার পুন সাহায্য চাওয়ার
প্রয়োজন হয় নি ৷
সাঈদ ইবনুল আস তার পুত্রকে বলেছিলেন, বৎস! কেউ না চইিতে তাকে দান করার মত
সৎকর্মের প্রতিদান আল্লাহর নিকট র৫য়৫ছই ৷ তবে মুখে বিন৫য়র শব্দ আর রক্তিম চেহারা নিয়ে
কেউ যদি তোমার নিকট কিছু চায় কিংবা তুমি দিবে কি দিয়ে না এমন সংশয়যুক্ত মন নিয়ে
যদি তোমার নিকট হাত পা৫ত তাহলে সেই লোককে যদি তোমার সকল মালও দিয়ে দজৈ
তবুও তার উপযুক্ত বিনিময় হবে না ৷’
সাঈদ ইবনুল আস (রা) বলেছেন আমার বন্ধুর প্রতি আমার তিনটি কর্তব্য রয়েছে ৷ আমার
নিকট এলে আমি তাকে সাদরে বরণ করে নিব ৷ সে আমার নিকট বসলে আমি তার স্বাচ্ছ৫ন্দা
বসার ব্যবস্থা করব ৷ সে যখন কথা বলবে আমি তখন একান্ত মনাে৫যাগে তার কথা শুনব ৷’
তিনি আরো ব৫ল৫ছন,৫হ বৎস, কোন ড্ড মানুষের সাথে কৌতুক কর না তাহলে সে তোমার
প্রতি ঘৃণা পোষণ করবে ৷ আর নিম্নস্ত৫রর লো৫কং৷ সাথেও কৌতুক করো না, তাহলে সে
তোমার সাথে ৫বয়াদবী করার দুঃসাহস দেখাবে ৷
সাঈদ ইবনুল আস একদিন খুত্বায় বললেন, মহান আল্লাহ যাকে তাল জীবিকা দিয়েছেন
সে যেন অন্যতম সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ৷ কারণ সে মারা যাবার সময় তার ২
সম্পদ দু’প্রকারের মানুষের যে কোন এক প্রকারের জন্যে রেখে যাবে ৷ হয়ত ভাল মানুষের
জন্যে রেখে যাবে, এতে তার সঞ্চিত সম্পদ দ্বারা পরবর্তী লোকটি পুণ্য অর্জন করবে ৷ অথচ
যে সঞ্চয় করল যে বঞ্চিত হল ৷ উত্তরাধিকারী ভাল মানুষটি কিন্তু সম্পদ ব্যয়ের মাধ্যমে কল্যাণ
অর্জনে একটুও কমতি করবে না ৷ অথবা মুল ব্যক্তি সম্পদ ছেড়ে যাবে মন্দ মানুষের জন্য ৷


الْوَلَدِ ذُكُورًا وَإِنَاثًا، وَكَانَتْ إِحْدَى زَوْجَاتِهِ أُمَّ الْبَنِينَ بِنْتَ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ أُخْتَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ. وَلَمَّا حَضَرَتْ سَعِيدًا الْوَفَاةُ جَمَعَ بَنِيهِ، وَقَالَ لَهُمْ: لَا يَفْقِدْنَ أَصْحَابِي غَيْرَ وَجْهِي، وَصِلُوهُمْ بِمَا كُنْتُ أَصِلُهُمْ بِهِ، وَأَجْرُوا عَلَيْهِمْ مَا كُنْتُ أُجْرِي عَلَيْهِمْ، وَاكْفُوهُمْ مُؤْنَةَ الطَّلَبِ ; فَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا طَلَبَ الْحَاجَةَ اضْطَرَبَتْ أَرْكَانُهُ، وَارْتَعَدَتْ فَرَائِصُهُ ; مَخَافَةَ أَنْ يُرَدَّ، فَوَاللَّهِ لَرَجُلٌ يَتَمَلْمَلُ عَلَى فِرَاشِهِ يَرَاكُمْ مَوْضِعًا لِحَاجَتِهِ، أَعْظَمُ مِنَّةً عَلَيْكُمْ مِمَّا تُعْطُونَهُ. ثُمَّ أَوْصَاهُمْ بِوَصَايَا كَثِيرَةٍ، مِنْهَا أَنْ يُوَفُّوا مَا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ وَالْوُعُودِ، وَأَنْ لَا يُزَوِّجُوا أَخَوَاتِهِمْ إِلَّا مِنَ الْأَكْفَاءِ، وَأَنْ يُسَوِّدُوا أَكْبَرَهُمْ. فَتَكَفَّلَ بِذَلِكَ كُلِّهِ ابْنُهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ، فَلَمَّا مَاتَ دَفَنَهُ بِالْبَقِيعِ، ثُمَّ رَكِبَ عَمْرٌو إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَعَزَّاهُ فِيهِ، وَاسْتَرْجَعَ مُعَاوِيَةُ وَحَزِنَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: هَلْ تَرَكَ مِنْ دَيْنٍ عَلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَكَمْ؟ قَالَ: ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: ثَلَاثُ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: هِيَ عَلَيَّ. فَقَالَ ابْنُهُ: لَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ أَوْصَانِي أَنْ لَا أَقْضِيَ دَيْنَهُ إِلَّا مِنْ ثَمَنِ أَرَاضِيهِ. فَاشْتَرَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ أَرَاضِيَ بِمَبْلَغِ الدَّيْنِ، وَسَأَلَ مِنْهُ عَمْرٌو أَنْ يَحْمِلَهَا لَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَحَمَلَهَا لَهُ، ثُمَّ شَرَعَ عَمْرٌو يَقْضِي مَا عَلَى أَبِيهِ مِنَ الدَّيْنِ حَتَّى لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ طَالَبَهُ شَابٌّ مَعَهُ رُقْعَةٌ مِنْ أَدِيمٍ فِيهَا عِشْرُونَ أَلْفًا، فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: كَيْفَ اسْتَحْقَقْتَ هَذِهِ عَلَى أَبِي؟ فَقَالَ الشَّابُّ: إِنَّهُ كَانَ يَوْمًا يَمْشِي وَحْدَهُ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَهُ حَتَّى يَصِلَ إِلَى مَنْزِلِهِ فَلَمَّا وَصَلَ قَالَ: هَلْ مِنْ حَاجَةٍ؟ فَقُلْتُ: لَا إِلَّا أَنِّي رَأَيْتُ الْأَمِيرَ يَمْشِي وَحْدَهُ فَاخْتَرْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَهُ حَتَّى يَصِلَ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَقَالَ: أَبْغِنِي رُقْعَةً مِنْ أَدِيمٍ. فَذَهَبْتُ إِلَى الْخَرَّازِينَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০২
فَأَتَيْتُهُ بِهَذِهِ، فَكَتَبَ لِي فِيهَا هَذَا الْمَبْلَغَ، وَاعْتَذَرَ بِأَنَّهُ لَيْسَ عِنْدَهُ الْيَوْمَ شَيْءٌ. فَدَفَعَ إِلَيْهِ عَمْرٌو ذَلِكَ الْمَالَ، وَزَادَهُ شَيْئًا كَثِيرًا. وَيُرْوَى أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ: مَنْ تَرَكَ مِثْلَكَ لَمْ يَمُتْ. ثُمَّ قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا عُثْمَانَ. ثُمَّ قَالَ: قَدْ مَاتَ مَنْ هُوَ أَكْبَرُ مِنِّي وَمَنْ هُوَ أَصْغَرُ مِنِّي، ثُمَّ أَنْشَدَ قَوْلَ الشَّاعِرِ: إِذَا سَارَ مَنْ دُونَ امْرِئٍ وَأَمَامَهُ ... وَأَوْحَشَ مِنْ إِخْوَانِهِ فَهُوَ سَائِرُ وَكَانَتْ وَفَاةُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَتْ وَفَاتُهُ قَبْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ بِجُمُعَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. شَدَّادُ بْنُ أَوْسِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ، أَبُو يَعْلَى الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَهُوَ ابْنُ أَخِي حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ. وَحَكَى ابْنُ مَنْدَهْ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: شَهِدَ بَدْرًا. قَالَ ابْنُ مَنْدَهْ: وَهُوَ وَهْمٌ. وَكَانَ مِنَ الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ، كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ يُعَلِّقُ عَلَى فِرَاشِهِ، وَيَتَقَلَّبُ عَلَيْهِ وَيَتَلَوَّى كَمَا تَتَلَوَّى الْحَيَّةُ، وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّ خَوْفَ النَّارِ قَدْ أَقْلَقَنِي. ثُمَّ يَقُومُ إِلَى صَلَاتِهِ. قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ: كَانَ شَدَّادٌ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَالْحِلْمَ.
পৃষ্ঠা - ৬৫০৩


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ১৭৫

ফলে সে সব সম্পদ নষ্ট করে ফেলবে ৷ একটুও অবশিষ্ট রাখবে না ৷’ এ প্রসঙ্গে আবু মুআবিয়া
বলেছেন যে, আবু উসমান খুব সুক্ষ্ম কথা বলেছেন ৷
আসমাঈ হাকীম ইবন কায়স র্বণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, ৰ্বাসাঈদ ইবনুল আস
বলেছেন দু টো ক্ষেত্রে আমি বিনয় প্রদর্শন ও বিলম্বিত করতে লজ্জাবােধ করি না ৷ প্রথমত, সুর্য
ও অজ্ঞ ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় ৷ দ্বিতীয়ত, আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অ ৷বেদন-নিরেদন
করার সময় ৷’
একদিন জনৈক ইবাদতকারিণী মহিলা তার নিকট উপস্থিত হন৷ তখন তিনি কৃফার
শাসনকর্তা পদে অধিষ্ঠিত ৷ তিনি মহিলাটিকে যথেষ্ট সম্মান ও সমাদর করলেন ৷ মহিলাটি তার
জন্যে দুঅ৷ করে বললেন, মহান আল্লাহ্ যেন কোন অযােগ্য লোকের প্রতি আপনাকে
ঘুখাপেক্ষী না করেন ৷ আপনি যেন চিরদিন সম্মানিত মানুষদেরকে সম্মান ও দয়া দেখিয়ে
যেতে পারেন ৷ আর কোন সম্মানিত মানুষ যখন তার সম্মান হারিয়ে ফেলেন, তখন আপনার
মাধ্যমে যেন তিনি তার হারানো সম্মান ফিরে পান ৷
সাঈদ ইবনুল আসের (হলে-মেয়ে মিলিয়ে মোট ১০ জন সন্তান-সন্ততি ছিল ৷ তার একজন
স্তীর পরিচয় হল উন্মুল বানীন বিনৃত হাকীম ইবন আবু আস ৷ সে ছিল মায়ওয়ান ইবন
হাকামের বোন ৷ হযরত সাঈদ (রা) যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন তিনি তার ছোলদেরফে কাছে
ডাকলেন ৷ তাদেরকে বললেন, আমার মৃত্যুর পর আমার বন্ধু-বান্ধবেরা যেন শুধু আমার
ঢেহারাকেই চোখের আড়ালে পায় ৷ অন্যথায় আমি যেমন তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেছি
তােমরাও তা-ই করবে ৷ আমি ওদেরকে যেমন উপহার-উপচৌকন দিয়েছি ৷তামরাগু দিবো
ওদের যেন কোন সময় কিছু চাওয়ার কষ্টটুকু ভোগ করতে না হয় ৷: ,কারং ৷ ; £কটুহৃয়খন তার
প্রয়োজনীয় বস্তুর জন্যে প্রার্থনা জানায়, তখন প্রত্যথ্যোত হবার আশংকায় তার অঙ্গন্প্রত্যঙ্গ
অস্থির হয়ে ওঠে তার ঘাড়ের রগ কেপে উঠে ৷ আল্লাহ্র কলম ! কোন অতাবগ্রস্ত মানুষ যদি
তার বিছানায় গড়াগডি খেয়ে তার অভাবের কথাতােমাদেরকে জানায় তবে তোমরা তাকে
কিছু দিয়ে তার খা যতটুকু অনুমহ দেখাবে, ওে ৷মাদের প্রতি তার অনুকম্পা তার চাইতে
বেশি হয়ে যাবে ৷’ এরপর তিনি তাদেরকে অনেক ওসীয়ত করেন ৷ ন্
এর একটি হল তার গৃহীত ঋণ ও প্রতিশ্রুতি যেন তারা পরিশোধ ও পালন করো
সমশ্রেণীর লোক ব্যতীত অন্যের সাথে যেন বিবাহ বন্ধহ্ন আবদ্ধ না হয় ৷ নিজেদের মধ্যে যে
বয়ােজ্যেষ্ঠ তাকে যেন নেতৃত্বের আসনে বসায় ৷ তার পুত্র আমর ইবন সাঈদ আল আসদাক
তার এসব ওসীয়ত রক্ষা করার দায়িতু নেয় ৷ তীর ওফাতের পর তাকে জওন্নৰুতুপ্স বার্কীতে
দাফন করা হয় ৷
এরপর তার পুত্র আমর আমীর মুআৰিয়া (রা) এর সাথে দেখা করে এবং পিতার মৃত্যুর
ৎবাদ তারুক জানায় ৷ তার মৃত্যুতে মুআবিয়৷ (রা) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং
তিনি কোন ঋণ রেখে নিয়েছেন কিনা তা জানতে চান ৷ আমর বললেন, ইা, ঋণ রেখে
নিয়েছেন ৷ ’ কি পরিমাণ ঋণ’ আমীর মুআবিয়া জিজ্ঞেস করলেন ৷ আমর বললেন, তিন লক্ষ
দিরহাম ৷’ অপর বর্ণনায় আছে ত্রিশ লক্ষ দিরহাম ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, সেটি গােধ করার
দায়িত্ব এখন আমি নিয়েন্ণ্নিলায় ৷’ আমর ইবনন্ সাঈদ বলল, রুআমীরুল মু’মিনীন ৷ বাবা তাে এ
মর্মে ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তার জমি বিক্রির মুল্য ব্যতীত অন্য কোন খাত থেকে যেন
আমরা ঋণের টাকা শোধ না করি ৷ তার ওসীয়ত রক্ষায় আমীর মুআবিয়া (রা) র্ভার:ত্যাজ্য


نَزَلَ شَدَّادٌ فِلَسْطِينَ وَبَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، ابْنُ خَالِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وُلِدَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَفَلَ فِي فِيهِ، فَجَعَلَ يَبْتَلِعُ رِيقَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " إِنَّهُ لَمِسْقَاءٌ ". فَكَانَ لَا يُعَالِجُ أَرْضًا إِلَّا ظَهَرَ لَهُ الْمَاءُ، وَكَانَ كَرِيمًا مُمَدَّحًا مَيْمُونَ النَّقِيبَةِ، اسْتَنَابَهُ عُثْمَانُ عَلَى الْبَصْرَةِ بَعْدَ أَبِي مُوسَى، وَوَلَّاهُ بِلَادَ فَارِسَ بَعْدَ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، فَفَتَحَ خُرَاسَانَ كُلَّهَا وَأَطْرَافَ فَارِسَ وَسِجِسْتَانَ وَكَرْمَانَ وَبِلَادَ غَزْنَةَ، وَقُتِلَ كِسْرَى مَلِكُ الْمُلُوكِ فِي أَيَّامِهِ - وَهُوَ يَزْدَجِرْدُ - ثُمَّ أَحْرَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ بِحَجَّةٍ - وَقِيلَ: بِعُمْرَةٍ - مِنْ تِلْكَ الْبِلَادِ، شُكْرًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَفَرَّقَ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَمْوَالًا كَثِيرَةً جَزِيلَةً، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ لَبِسَ الْخَزَّ بِالْبَصْرَةِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ الْحِيَاضَ بِعَرَفَةَ وَأَجْرَى إِلَيْهَا الْمَاءَ الْمَعِينَ وَالْعَيْنَ، وَلَمْ يَزَلْ عَلَى الْبَصْرَةِ حَتَّى قُتِلَ عُثْمَانُ، فَأَخَذَ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ وَتَلَقَّى بِهَا طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ، وَحَضَرَ مَعَهُمُ الْجَمَلَ، ثُمَّ سَارَ إِلَى دِمَشْقَ، وَلَمْ يُسْمَعْ لَهُ بِذِكْرٍ فِي صِفِّينَ، وَلَكِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৪


সম্পত্তি থেকে এই পরিমাণ জমি ক্রয় করলেন যার মুল্য দ্বারা ঋণ শোধ করা যায় ৷ ঐ মুল্য
আমরকে হস্তান্তর করে মদীনায় গিয়ে ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ করে দিতে বললেন : আমর
মদীনায় ফিরে গেলেন এবং তার বাবার ঋণ গােধ্ করতে শুরু করলেন ৷ সবার ঋণ গোধ করে
দিলেন ৷ কেউ অবশিষ্ট রইল না ৷

যারা ঋণের টাকা দাবী করেছিল, তাদের মধ্যে এক যুবকও ছিল ৷ সে একটি চামড়ার
টুকর৷ এনে তাতে লেখা ২০,০০০ দিরহাম দাবী করে ৷ আমর তাকে বললেন, তুমি কোন সুত্রে
আমার বাবার নিকট এই পাওন৷ দাবী করছপ্ সে বলল, একদিন আপনার বাবা একাকী
, হাটছিলেন ৷ তখন আমি তার সাথে ইাটতে আগ্রহী হলাম ৷ আমি তার সাথে হাটছিলাম ৷ এক
পর্যায়ে তিনি তার গৃহে এসে পৌছেন এবং বলেন যে, আমাকে এক টুকরা চামড়া যােগাড় করে
দাও ৷ আমি গেলাম কসাইদের নিকট এবং এই চামড়া খণ্ড এসে তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম ৷
তিনি আমাকে এই পরিমাণ প্রদানের জন্যে চামড়ার লিখে দেন ৷ সাথে সাথে এই ওযরও পেশ
করেন যে, আজ আমার নিকট কোন টাকা পয়সা নেই ৷ আমর ঐ যুবককে চামড়ার উল্লেখিত
পরিমাণ দিরহাম দিয়ে দিলেন ববৃৎ আরো অনেক অতিরিক্ত দান করলেন ৷

বর্ণিত আছে যে, আমীর মুআবিয়৷ (বা) একদিন আমর ইবন সাঈদকে বলেছিলেন,

তােমার মত, সন্তান যে রেখে যায় সে মরেও অমর ৷ এরপর আমীর মু আরিয়৷ (রা) বললেন,

মহান আল্লাহ আবু উসমানকে যেন দয়া করেন ৷’ তারপর বললেন, আমার চাইতে বড় যে
ছিল সেও; সারা গেল আমার চাইতে যে ছোট ছিল সেও মারা পেল’ ৷ এরপর তিনি জনৈক
কবির রচিত নিম্নের প ৎক্তিমালা আবৃত্তি করেন ৷

ক্রো

:যখন কোন মানুষের পেছনে অবস্থানকারীগণ চলতে থাকে আর সম্মুখের অবস্থানও চলতে
থাকে তখন সে নিজেও পথ চলতে বাধ্য হয় ৷’

হযরত সাঈদ ইবনুল আসের মৃত্যু হয় এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৮ হিজরী সনে ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, ন্ তার এক বছর পুর্বে ৷ আবার কেউ বলেছেন, এক বছর , পরে তিনি মারা
, নিয়েছেন ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমিরের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পুর্বে সাঈদ
ইবসুল আসের মৃত্যু হয় ৷

শাদ্দাদ ইবন আওস ইবন ছাবিত (রা)

’ ৫৮ হ্নিজ্বরীৰুসনে যারাংইস্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন শা দ্দাদ ইবন আওর্স ইবন

ছাবিত ইবন মুনয়ির ইবন হারাম (রা) ৷ তার উপনাম আবু ইয়ালা আনসারী খাযরাব্জী ৷
তিনি একজন উচু স্তরের সাহাবীছিলেন ৷ তিনি হযরত হাসৃসান-এর (রা) ভাতিজা ছিলেন ৷
ইবন মানৃদা মুসা ইবন উকবাহ থেকে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত শাদ্দাদ (রা) বদর যুদ্ধে
অংশ নিয়েছিলেন ৷ তারপর ইবন মান্দা মন্তব্য করেছেন যে, মুসা ইবন উকবা এর এই
তথ্য সঠিক নয় ৷
হযরত শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) অত্যন্ত ইৰাতোপ্রমী লোক ছিলেন ৷ তিনি যখন শয়ন
করতেন তখন বিছানার্ সাথে বুালে থাকতেন এবং সাপের ন্যায় বিছানায় গড়াগ্রড়ি দিক্তে৷ আর
বলতেন, হায় আল্লাহ ! জাহান্নামের ভয় তো আমাকে অস্থির করে ব্লেখেছে ৷ তারপর উঠে
শ্ শ্নামামে র্দাড়াতেন ৷

€০া৷া


وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ الْبَصْرَةَ بَعْدَ صُلْحِهِ مَعَ الْحَسَنِ، وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِأَرْضِهِ بِعَرَفَاتٍ، وَأَوْصَى إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ. لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ، وَلَيْسَ لَهُ فِي الْكُتُبِ شَيْءٌ. رَوَى مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ ".» وَقَدْ زَوَّجَهُ مُعَاوِيَةُ بِابْنَتِهِ هِنْدَ، وَكَانَتْ جَمِيلَةً، فَكَانَتْ تَلِي خِدْمَتَهُ بِنَفْسِهَا مِنْ مَحَبَّتِهَا لَهُ، فَنَظَرَ يَوْمًا فِي الْمِرْآةِ، فَرَأَى صَبَاحَةَ وَجْهِهَا وَشَيْبَةً فِي لِحْيَتِهِ فَطَلَّقَهَا، وَبَعَثَ إِلَى أَبِيهَا أَنْ يُزَوِّجَهَا بِشَابٍّ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَهُوَ أَكْبَرُ وَلَدِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَ: وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ. وَأُمُّهُ أُمُّ رُومَانَ أُمُّ عَائِشَةَ فَهُوَ شَقِيقُهَا، بَارَزَ يَوْمَ بَدْرٍ وَأُحُدٍ مَعَ الْمُشْرِكِينَ، وَأَرَادَ قَتْلَ أَبِيهِ أَبِي بَكْرٍ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَبُوهُ أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْتِعْنَا بْنفْسِكَ ".» ثُمَّ أَسْلَمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৫
بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْهُدْنَةِ، وَهَاجَرَ قَبْلَ الْفَتْحِ، وَرَزَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ كُلَّ سَنَةٍ أَرْبَعِينَ وَسْقًا، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ. وَهُوَ الَّذِي دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ، وَعَائِشَةُ مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِهَا، وَمَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سِوَاكٌ رَطْبٌ، فَأَمَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَرَهُ، فَأَخَذَتْ عَائِشَةُ ذَلِكَ السِّوَاكَ، فَقَضَمَتْهُ وَطَيَّبَتْهُ، ثُمَّ دَفَعَتْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَنَّ بِهِ أَحْسَنَ اسْتِنَانٍ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ فِي الرَّفِيقِ الْأَعَلَى ".» ثُمَّ قَضَى. قَالَتْ: فَجَمَعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ، وَمَاتَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، فِي بَيْتِي وَيَوْمِي، لَمْ أَظْلِمْ فِيهِ أَحَدًا. وَقَدْ شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَتْحَ الْيَمَامَةِ وَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ سَبْعَةً، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ مُحَكَّمَ بْنَ الطُّفَيْلِ صَدِيقَ مُسَيْلِمَةَ عَلَى بَاطِلِهِ، كَانَ مُحَكَّمٌ وَاقِفًا فِي ثُلْمَةِ حَائِطٍ، فَرَمَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَسَقَطَ مُحَكَّمٌ، فَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ تِلْكَ الثُّلْمَةِ فَخَلَصُوا إِلَى مُسَيْلِمَةَ فَقَتَلُوهُ. وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ الشَّامَ، وَكَانَ مُعَظَّمًا بَيْنَ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، وَنُفِلَ لَيْلَى بِنْتَ الْجُودِيِّ مَلِكِ عَرَبِ الشَّامِ، نَفَلَهُ إِيَّاهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَمَا سَنَذْكُرُهُ مُفَصَّلًا.
পৃষ্ঠা - ৬৫০৬


উবাদা ইবন সামিত (রা) বলেছেন যে, সকল লোককে একই সাথে ইলুম ও হিলুম অর্থাৎ ,
জ্ঞান ও ধৈর্য দেয়া হয়েছে শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) তাদের অন্যতম ৷ তিনি ফিলিস্তীন ও
বায়তুল যুকাদ্দাস এলাকায় বসবাস করতেন ৷ ৫৮ হিজরী সনে ৭৫ বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল
করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার ইন্তিকাল হয়েছে ৬৪ হিজরী সনে ৷ আবার কেউ বলেছেন,
৪ ১ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন আমীর (বা)

৫৮ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয় তাদের অন্যতম হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমীর
(রা) ৷ তার বংশ পরিচয় হল আবদুল্লাহ ইন আমীর ইবন কুরায়য ইবন রাবীআ ইবন হাবীব
ইবন আবৃদ শামৃস ইবন আবৃদ মানাফ ইবন কুসাই কুরায়শী আবশামী ৷ তিনি হযরত উসমান
ইবন আফ্ফান (রা) এর মামার্তো’ ভাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় তার জন্ম হয়া
রাসুলুল্লাহ (সা) নিজেই তার মুখে নিজের লালা মুবারক দিয়ে দেন ৷ তখন শিশু আবদুল্লাহ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র লালা স্বাচ্ছান্দা গিলে ফেললেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন
এই শিশু তো সব সময় পিপাসাহীন পরিতৃপ্ত থাকবে’ ৷ বস্তুত হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমীর
(বা) যেখানেই যো৩ তন সেখানেই পানি উৎসাবিত হত ৷ তিনি একজন ভদ্র, দানশীল,

ৎসনীয় ও ভাল লোক ছিলেন ৷

তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান (রা) আবু মুসা আশআরী (রা)-কে বসরার শাসনকর্তার পদ
হতে অপসারণ করে আবদুল্লাহ ইবন আমীর (রা)-কে ঐ পদে নিয়োগ করেন এবং উসমান
ইবন আবু আসের পর তাকে পারস্য অঞ্চলের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয় ৷ তখন তীর বয়স
মাত্র ২৫ বছর ৷ তিনি সমগ্র থােরাসান রাজ্য জয় করেন এবং পারস্যের পার্শ্ববর্তী দেশসমুহ,
সিজিন্থান, কিরমান ও গজনীর শহর নগরগুলাে দখল করেন ৷ পারস্য সম্রাট তার শাসনামলেই
নিহত হয় ৷ ঐ পারস্য আেটের নাম ছিল ইয়াঘৃদগিরদ ৷ এ সকল দেশ ও রাজ্য বিজয়ের
শোকরিয়া হিসেবে আবদুল্লাহ ইবন আমীর (রা) সেখান থেকে হাজার ইহ্রাম বীধেন ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, উমরাহ্র ইহ্রাম বেধেছিলেন ৷ তা ছাড়া শোকরিয়া হিসেবে তিনি মদীনার
অধিবাসীদেরকে প্রচুর ধন-সম্পদ উপহার দিয়েছিলেন ৷ বসরায় সর্বপ্রথম তিনিই ব্লেশম জাতীয়
পোশাক পরিধান করেন ৷ মহান আল্লাহই ভাল জানেন ৷

তিনি সর্বপ্রথম আরাফাতের ময়দানে পানির কুপ খনন করেন এবং ওখানে পানি সরবরাহের

ব্যবস্থা করেন ৷ হযরত উসমান (রা) হত্যার সময়কাল পর্যন্ত তিনি বসরার শাসনক্র্তার পদে
বহাল ছিলেন ৷ হযরত উসমান (রা) নিহত হবার পর বায়তুলমালের অর্থ-সম্পদ নিয়ে তিনি
হযরত তাল্হা ও যুবায়র (রা)-এর সাথে মিলিত হন এবং তাদের সাথে উাষ্ট্ৰর যুদ্ধে অংশ
নেন ৷ এরপর তিনি দামেশৃক চলে যান ৷ তিনি সিফ্ফীনের যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলে কোন
তথ্য পাওয়া যায় না ৷ হযরত হাসান (রা)-এর সাথে আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সমঝোতা
চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে বসরার শাসনকর্তা পদে পুনঃনিয়ােপ
দেন ৷ ৫৮ হিজরী সনে তার প্রিয় আরাফাত অঞ্চলে তিনি ইন্তিকাল করেন এবং হযরত
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এর নিকট ওসীয়তের বিষয়গুলো বলে যান ৷৩ তার বরাতে একটি
হাদীস বর্ণিত আছে ৷ তবে প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থওলােতে ৩তার হাদীস নেই ৷

নাোল্ ন্বিচামা এমান মিন্থামা ১এ

وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ - وَلَمْ يُجَرَّبْ عَلَيْهِ كَذْبَةٌ قَطُّ - ذَكَرَ عَنْهُ حِكَايَةً ; أَنَّهُ لَمَّا جَاءَتْ بَيْعَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِمَرْوَانَ: جَعَلْتُمُوهَا وَاللَّهِ هِرَقْلِيَّةً وَكِسْرَوِيَّةً. يَعْنِي جَعَلْتُمْ مُلْكَ الْمَلِكِ لِمَنْ بَعْدَهُ مِنْ وَلَدِهِ. فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: اسْكُتْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكَ: {وَالَّذِي قَالَ لِوَالِدَيْهِ أُفٍّ لَكُمَا أَتَعِدَانِنِي أَنْ أُخْرَجَ} [الأحقاف: 17] . فَقَالَتْ عَائِشَةُ: وَاللَّهِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِينَا شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ، إِلَّا أَنَّهُ أَنْزَلَ عُذْرِي. وَيُرْوَى أَنَّهَا بَعَثَتْ إِلَى مَرْوَانَ تَعْتِبُهُ وَتُؤَنِّبُهُ وَتُخْبِرُهُ بِخَبَرٍ فِيهِ ذَمٌّ لَهُ وَلِأَبِيهِ لَا يَصِحُّ عَنْهَا. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ بَعْدَ أَنْ أَبَى الْبَيْعَةَ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَرَدَّهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهَا، وَقَالَ: أَبِيعُ دِينِي بِدُنْيَايَ؟ ! وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ فَمَاتَ بِهَا. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، ثَنَا مَالِكٌ قَالَ: تُوُفِّيَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৭
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي نَوْمَةٍ نَامَهَا. وَرَوَاهُ أَبُو مُصْعَبٍ عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، فَذَكَرَهُ وَزَادَ: فَأَعْتَقَتْ عَنْهُ عَائِشَةُ رِقَابًا. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، فَذَكَرَهُ. وَلَمَّا تُوُفِّيَ كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْحُبْشِيُّ - عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ مِنْ مَكَّةَ. وَقِيلَ: اثْنَيْ عَشَرَ مِيلًا - فَحَمَلَهُ الرِّجَالُ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ حَتَّى دُفِنَ بِأَعَلَى مَكَّةَ فَلَمَّا قَدِمَتْ عَائِشَةُ مَكَّةَ زَارَتْهُ، وَقَالَتْ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ شَهِدْتُكَ لَمْ أَبْكِ عَلَيْكَ، وَلَوْ كُنْتُ عِنْدَكَ لَمْ أَنْقُلْكَ مِنْ مَوْضِعِكَ الَّذِي مِتَّ فِيهِ. ثُمَّ تَمَثَّلَتْ بِشِعْرِ مُتَمِّمِ بْنِ نُوَيْرَةَ فِي أَخِيهِ مَالِكٍ: وَكُنَّا كَنَدْمَانَيْ جَذِيمَةَ حِقْبَةً ... مِنَ الدَّهْرِ حَتَّى قِيلَ لَنْ يَتَصَدَّعَا فَلَمَّا تَفَرَّقْنَا كَأَنِّي وَمَالِكًا ... لِطُولِ اجْتِمَاعٍ لَمْ نَبِتْ لَيْلَةً مَعَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ. وَرَوَى ابْنُ سَعْدٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَأَى فُسْطَاطًا مَضْرُوبًا عَلَى قَبْرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - ضَرَبَتْهُ عَائِشَةُ بَعْدَ مَا ارْتَحَلَتْ - فَأَمَرَ ابْنُ عُمَرَ بِنَزْعِهِ وَقَالَ: إِنَّمَا يُظِلُّهُ عَمَلُهُ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذَا الْعَامِ فِي قَوْلِ كَثِيرٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ، وَيُقَالُ: إِنَّ