আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وخمسين

পৃষ্ঠা - ৬৪৮৭


রোমান শহবগুলে৷ জয় করেছেন, উম্মু হারাম (রা)ত তাদের সাথে ছিলেন না ৷ পরবর্তী অভিযান
পরিচ ৷লিত হয়েছিল ৫১ হিজরী সনে ৷ ইয়াযীদ ইবন মুঅ৷ ৷বিয়৷ এবৎঅ ৷বু অইিয়ুব আনসারী (রা)
ঐ দলে শ্া৷মিল ছিলেন ৷ ঐ অভিযানে হযরত আবু অইিয়ুব (রা) ইন্তিকাল করেন এবং
কনষ্ট্যান্টিনােপলের প্রাচীরের নিকটে তাকে দাফন করা হয় ৷ সেখানে তার কবর রয়েছে ৷
দালাইলুন নুবুওয়াহ প্রসঙ্গে আমরা বিষয়টি প্ৰমাণসহ উল্লেখ করেছি ৷

হিজরী ৫৭ সন

এই হিজরী সনে আবদুল্লাহ্ ইবন কায়স রোমান নগরগুলােতে অভিযান পরিচালনা করেন ৷
ওয়াকিদী বলেছেন, এই হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আমীর মুআবিয়৷ (রা) মারওয়ান ইবন
হাকামকে মদীনায় শাসনকর্তার পদ থেকে অপসারণ করেন এবং ওয়ালীদ ইবন উত্ব৷ ইবন
আবুসুফিয়ানকে ঐ পদে নিয়োগ দেন ৷ এই বছর হজ্জ সম্পাদন করেন ওয়ালীদ ইবন উতৃব৷ ৷
কারণ তিনি ছিলেন মদীনায় শাসনকর্তার পদে অধিষ্ঠিত ৷ কুফার শাসনকর্তার পদে ছিলেন
দাহ্হাক ইবন করেন ৷ বসরায় উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ৷ থােরাসানে শাসনকর্তার পদে ছিলেন,
সাঈদ ইবন উসমান (রা) ৷

ইবনুল জাওযী (র) বলেছেন যে, এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৭ হিজরী সনে উসমান ইবন
, হুনায়ফ আনসারী আওসী (রা) ইন্তিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন উবাদ৷ ইবন হুনায়ফ ও সাহ্ল
ইবন হনায়ফের ভাই ৷ খলীফা উমর (রা) তাকে ইরাকের খাজনা সংগ্রহের জন্যে
পাঠিয়েহািলন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে কুফার, শাসনকর্তার পদে নিয়োগ করেছিলেন ৷ হযরত
তালহা ও ষুবায়র (বা) যখন হযরত আয়েশা (রা) এর সমর্থনে কুফা আসেন এবং আবদুল্লাহ
ইবন কায়স সরকারী কার্যালয় তাদের হাতে ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি ৩,জানান তখন তার র্দাভী,
চোখের ভ্রু ও পলক উপড়ে ফেলা হয় ৷ তার সমগ্র মুখমণ্ডল বিকৃত করা হয় ৷ পরবর্তীতে যখন
হযরত আলী (রা) এলেন এবং শহর তার হাতে ছেড়ে দিলেন তখন তিনি বললেন, আমীরুল
মুমিনীন! আমি আপনাকে যখন ছেড়ে এসেজ্জিাম তখন আমি ছিলাম দাড়িওয়ালা লোক আর
এখন আপনার সাথে যখন মিলিত হলাষ্কৃ৷ তখন আমি দাড়ি-গোফ বিহীন যুবক ৷ ’ তার কথা শুনে
হযরত আলী মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আল্লাহ্র নিকট তৃমি-এর পুরস্কার পাবে ৷’

মুসনাদ ও সুনান গ্রন্থে উসমান ইবন হনায়ফের এক অন্ধ ব্যক্তি সম্পর্কিত একটি হাদীস
রয়েছে ৷ এক অন্ধ লোক রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে
আবেদন করেছিল ৷ তিনি যেন আল্লাহর দরবারে দুআ করেন ৷ তারপর আল্লাহ্ তাআলা তার
দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন ৷ ইমাম নাসাঈ (ব)ত তার অন্য একটি হাদীসও উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবনুল
জাওযী ব্যতীত অন্য কেউ উসমান ইবন ছনায়ফের মৃত্যুত তারিখ উল্লেখ করেছেন বলে আমার
জানা নেই ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ] فِيهَا كَانَ مَشْتَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ بِأَرْضِ الرُّومِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي شَوَّالِهَا عَزَلَ مُعَاوِيَةُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ عَنِ الْمَدِينَةِ وَوَلَّى عَلَيْهَا الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَهُوَ الَّذِي حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ ; لِأَنَّهُ صَارَتْ إِلَيْهِ إِمْرَةُ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ عَلَى الْكُوفَةِ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَعَلَى خُرَاسَانَ سَعِيدُ بْنُ عُثْمَانَ. قَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، وَهُوَ أَخُو عُبَادَةَ وَسَهْلٍ ابْنَيْ حُنَيْفٍ، بَعَثَهُ عُمَرُ لِمِسَاحَةِ خَرَاجِ السَّوَادِ بِالْعِرَاقِ، وَاسْتَنَابَهُ عُمَرُ عَلَى الْكُوفَةِ، فَلَمَّا قَدِمَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ صُحْبَةَ عَائِشَةَ، وَامْتَنَعَ مِنْ تَسْلِيمِ دَارِ الْإِمَارَةِ نُتِفَتْ لِحْيَتُهُ وَحَوَاجِبُهُ وَأَشْفَارُ عَيْنَيْهِ وَمُثِّلَ بِهِ، فَلَمَّا جَاءَ عَلِيٌّ وَسَلَّمَهُ الْبَلَدَ قَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَارَقَتُكَ ذَا لِحْيَةٍ، وَاجْتَمَعْتُ بِكَ أَمَرَدَ. فَتَبَسَّمَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَالَ: لَكَ أَجْرُ ذَلِكَ عِنْدَ اللَّهِ. وَلَهُ فِي " الْمُسْنَدِ " وَ " السُّنَنِ " حَدِيثُ الْأَعْمَى الَّذِي سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৮
يَدْعُوَ لَهُ لِيَرُدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ ضَوْءَ بَصَرِهِ، فَرَدَّهُ اللَّهُ عَلَيْهِ. وَلَهُ حَدِيثٌ آخَرُ عِنْدَ النَّسَائِيِّ، وَلَمْ أَرَ أَحَدًا أَرَّخَ وَفَاتَهُ بِهَذِهِ السَّنَةِ سِوَى ابْنِ الْجَوْزِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.