আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وخمسين

পৃষ্ঠা - ৬৪৮১

হিজরী ৫৬ সন

এই হিজরী সনও আমীর মুআবিয়া (রা)-এর শাসনকালের অন্তর্ভুক্ত ৷ এই হিজরী সনে
জুনাদ৷ ইবন আবী উমাইয়৷ রোমান শহরগুলো আক্রমণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, এই

ইয়াযীদ ইবন সামুরাহ নৌ অভিযান পরিচালনা করেন ৷ আর স্থল যুদ্ধে নেতৃতৃ দেন ইয়ায ইবন
হারিছ ৷

এই বছর রজব মাসে আমীর মু আবিয়৷ (রা) উমরাহ আদায় করেন ৷ এই হিজরী সনে
হবুজ্জ্ব নেতৃতু দেন ওয়ালীদ ইবনউ ৬তবা ইবন আবু সুফিয়ান ৷ এই সনে আমীর মুআবিয়া
(রা) হযরত উসমান (রা)-এর পুত্র সাঈদকে থােরাসানের প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ আর
উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে ঐ পদ থেকে অপসারিত করেন ৷ সাঈদ খােরাসাঃনর উদ্দেশ্যে

যাত্রা করলেন ৷ সেখানে তিনি সমরকন্দের সাগ৷ দ নামকন্থানেত র্কীদের মুখোমুখি হলেন ৷

উভয় পক্ষে যুদ্ধ হল ৷ বহু ণ্ডুর্কী সৈনিককে তারা হত্যা করলেন ৷ মুসলিম সৈনিকদের মধ্যে
থেকেও কতক লোক শহীদণ্ডু হলেন ৷ কারো কারো মতে কুসাম ইবন আব্বাস ইবন আবদুল
মুত্ত৷ ৷লিব ঐ যুদ্ধে শহীদ হন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, সাঈদ ইবন উসমান ইবন আফ্ফান র্তীকে থােরাসানের
শাসনকর্তা পদে নিয়োগ দানের জন্যে আমীর মুআবিয়৷ (রা) কে অনুরোধ করেছিলেন ৷ আমীর
মু আবিয়৷ (বা) বললেন, (ওখানে তা উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ কর্মরত আছে’ ৷ সাঈদ বললেন,
আমার পিত ৷উসমান (বা) আপনার জন্যে অনেক কিছু করেছেন ৷ তিনি আপনার এত উপকার
করেছেন, যার ফলে আপনি আজ সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন ৷ আপনি তে তা আমার পিতার
ঐ অনুগ্রহ ও কল্যাণ সাধনের শ্যেকরিয়া করেন নি, তার অবদানের প্রতিদান দেন নি, আপনি
বরং আপনার পুত্র ইয়াযীদের প্রতি ঝুকে পড়লেন এবং তার জন্যে বায়আত ও শপথ নিয়ে ,
নিলেন ৷ আল্লাহর কসম ! আমিও তা পিতৃপক্ষের বিচারে, মাতৃপক্ষের বিচারে এবং ব্যক্তিগত
প্রেক্ষাপটে তার চাইতে অনেক যোগ্য ও উত্তম ৷

আমীর মুআবিয়া (বা) র্তীকে বললেন, আমারপ্রতি তোমার পিতার অনুগ্রহ ও কল্যাণ
সাধনের বিনিময় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সম্পর্কে আমি বলছি যে, তিনি অবশ্যই কৃতজ্ঞতা পাওয়ার
যোগ্য ৷ আর ঐ কৃতজ্ঞতাস্বরুপ আমি তার থুনের বিচার দাবী করেছি, যার ফলে তার হত্যা
রহস্য উন্মোচিত হয়েছে ৷ আমি ঐ বিষয়ে কোন কমতি করেছি বলে মনে করি না ৷ আর
ইয়াযীদের পিতা ও তোমার পিতা সম্পর্কে আমি বলছি যে, আল্লাহর কসম ! তোমার পিতা
আমার চাইতে অনেক অনেক ভাল ছিলেন ৷ এবং তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অত তান্ত ঘনিষ্ঠ
ব্যক্তি ছিলেন ৷ আর ইয়াযীদের মায়ের তুলনায় তোমার মায়ের শ্রেষ্ঠতৃ সম্পর্কে আমি বলছি যে,
ঐ শ্রেষ্ঠতু অস্বীকার করার কোন উপায় নেই ৷ কারণ কুরায়শ বংশের একজন মহিলা কালব
গোত্রের একজন মহিলার চাইতে শ্রেষ্ঠ বটে ৷ তবে ইয়াযীদের চাইতে তোমার শ্রেষ্ঠতৃ সম্পর্কে
বক্তব্য হল, সাঈদ ইবন উসমানের ন্যায় লোকজন যদি দামেশকের প্রাম্ভর ভর্তি ৩হয়ে যায় তবুও
আমার নিকট সবচাইতে ভাল ও প্রিয় বিবেচিত হবে ইয়াযীদ ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَخَمْسِينَ] وَذَلِكَ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ. فَفِيهَا شَتَّى جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بِأَرْضِ الرُّومِ، وَقِيلَ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَسْعُودٍ. وَقِيلَ: فِيهَا غَزَا فِي الْبَحْرِ يَزِيدُ بْنُ شَجَرَةَ، وَفِي الْبَرِّ عِيَاضُ بْنُ الْحَارِثِ. وَفِيهَا اعْتَمَرَ مُعَاوِيَةُ فِي رَجَبٍ، وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ. وَفِيهَا وَلَّى مُعَاوِيَةُ سَعِيدَ بْنَ عُثْمَانَ بِلَادَ خُرَاسَانَ وَعَزَلَ عَنْهَا عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، فَسَارَ سَعِيدٌ إِلَى خُرَاسَانَ، وَالْتَقَى مَعَ التُّرْكِ عِنْدَ صُغْدِ سَمَرْقَنْدَ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَاسْتُشْهِدَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ - فِيمَا قِيلَ - قُثَمُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ سَأَلَ سَعِيدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مُعَاوِيَةَ أَنْ يُوَلِّيَهُ خُرَاسَانَ، فَقَالَ: إِنَّ بِهَا عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ. فَقَالَ سَعِيدٌ لِمُعَاوِيَةَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدِ اصْطَنَعَكَ أَبِي وَرَقَّاكَ، حَتَّى بَلَغْتَ بِاصْطِنَاعِهِ الْمَدَى الَّذِي لَا يُجَارَى إِلَيْهِ وَلَا يُسَامَى، فَمَا شَكَرْتَ بَلَاءَهُ وَلَا جَازَيْتَهُ بِآلَائِهِ، وَقَدَّمْتَ عَلَيَّ هَذَا - يَعْنِي يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ - وَبَايَعْتَ لَهُ، وَوَاللَّهِ لَأَنَا خَيْرٌ مِنْهُ أَبًا وَأُمًّا وَنَفْسًا. فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৮২


এরপর ইয়াষীদ তার পিতা আমীর মু আৰিয়৷ (রা) কে বলল, আমীৱপ্স মু মিনীন৷ সাঈদ
তো আপনার চাচাত ভইি ৷ তার ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আপনাবই বেশি ৷ সে আমার বিষয়
নিয়ে আপনাকে দােষারোপ করছে ৷ আপনিও তাকে দোষ সৃষ্টি হয় এমন কাজে নিয়োজিত
করে দিন ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া (রা) সাঈদ ইবন উসমান (রা) ৷ক থাের সোনে যুদ্ধের
ন্দায়িতু দিলেন ৷ তিনি সমরকন্দ এলেন ৷ সাশাদের ভুর্কীগণ তার পথ বোধ করে ৷ তিনি যুদ্ধ
করেন ৷ ওরা পরাজিত হয় ৷ তিনি ওদেরকে ওদের শহরে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ শেষ পর্যন্ত
ওরা সন্ধি স্থাপন করে ৷ তারা ৫০ জন যুবককে মুসলমানদের হাতে যিশ্মী কার রাখে ৷ ওরা
সকলে ছিল সে দেশের নেতৃস্থানীয় লোকদের সন্তান ৷ তিনি তিরমির নপরে অবস্থান
করছিলেন ৷ কিন্তু তুর্কীগণ তাদের প্রতিশ্রু তি পালন করে নি৷ সাঈদ ইবন উসমান (বা) ঐ
ঘুবক দেরকে মদীনায় নিয়ে আসেন ৷
এই বছর অর্থাৎ ৫৬ হিজরী সান আমীর মু আবিয়া (রা) তার পুত্র ইয়াযীদাক সিংহাসনের
উত্তরাধিকারী মনোনীত করে জনগণ থেকে বায় আত গ্রহণ করেন ৷ অবশ্য মুগীরা ইবন শু বা
(রা) জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি একবার এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু তখন তা সফল
হয়নি ৷ এই প্রসঙ্গে ইবন জারীর শাৰী থেকে বর্ণনা করেছেন, মুমীর৷ ইবন শুবা (রা) আমীর
মুআবিয়া (রা) এর সাথে সাক্ষাত করতে এসেছিলেন ৷ তখন মুগীরা (রা) এর বার্ধক্য ও
দুর্বলতার প্রেক্ষিতে আমীর মু আবিয়া (রা) তাকে কুফার শাসনকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেন
এবং ঐ পদে সাঈদ ইবনৃল আসাক নিয়ােপের সিদ্ধান্ত নেন ৷ এই সংবাদ শুনে মুগীৱ৷
অপমানবােধ করলেন ৷ তিনি ইয়াযীদের নিকট গেলেন এবং তাকে পরামর্শ দিালনন্যে, সে যেন
”তার পিতাকে অনুরোধ করে যাতে তিনি তাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনয়ন করেন ৷
ইয়াষীদ তার পিতাকে অনুরোধ করে ৷ পিতা জিজ্ঞেস করলেন, তােযাকে এই পরামর্শ কে
দিয়েছে?’ সে বলল, মুগীরা দিয়েছেন’ ৷
মুগীরার এই উদ্যোগ আমীর মৃআবিয়া (রা) এর ভাল লেগে রায় ৷ কলে তিনিষুগীবাকে
পুনরায় তার পদে বহাল করেন এবং তাকে ইয়াযীদের বিষয়ে কার্যকরী প্রচেষ্টা চালানোর
নির্দেশ দেন ৷ মুপীরা ণ্চষ্টর্দু ৷ চালাচ্ছিালন ৷ ইতিমধে৷ ইয়াযীদের উত্তরাধিকার বিষয়ে আমীর
মুআবিয়া (বা) যিয়াদের পরামর্শ চইিলেন ৷ ইয়াযীদের রালখিল্যতা, াখলাধুল৷ ও শিকারের
প্রতি তার দুর্নিবার আকর্ষণের কথা যিয়াদের জান্৷ ছিল ৷ তাই তিনি এটি সলত মনে করেন
নি ৷ মুআবিয়৷ (রা) কে এই কাজ থেকে বিরত রাখার জন্যে তিনি উবায়দ ইবন কা র ইবন
নুমায়রীকে মুআবিয়া (রা) এর নিকট পাঠান ৷ উবায়দ ইবন কার জ্জি যিয়াদের অন্যতম
বুদ্ধিমান বন্ধু ৷ সে দামেশৃকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ প্রথমে তার সাথে ইয়াযীদের দেখা হয়ে
যায় ৷ উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয় ৷ সে ইয়াষীদকে উত্তরাধিকারী দাবী করতে বারণ করে ৷ সে
ইয়াযীদা ক বুঝাতে চেষ্টা করে যে, উত্তরাধিকারীতৃ দাবী করার চইিতে দাবী না করা তার জন্যে
লাভজনক হবে ৷ এই কথার ইয়াষীদ তার দাবী ছেড়ে দেয় ৷ উবায়দ ইবন কা ব গিয়ে আমীর
ঘৃআবিয়া (রা) এর সাথে দেখা করে ৷ তারা দু জলে আপাতত ঐ প্রাচষ্ট৷ স্থগিত রাখার
ব্যাপারে এক মত হন ৷ , :
যিরাদ মারা যাবার পর এই হিজরী সান অর্থাৎ ৫৬ হিজরী সান আমীর মু আৰিয়৷ (রা) পুর্ব
প্রস্তাব বাস্তবায়ন এবং ইয়াযীদের পক্ষে বায় আত গ্রহণের চেষ্টা শুক করেন ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি
তার পুত্র ইয়াযীদের পক্ষে করা তাতে আদায় করেন এবং তার পক্ষে বায় আত করার জন্যে

আল-বির্দায়া ওয়ান নিহায়া২১

لَهُ مُعَاوِيَةُ: أَمَّا بَلَاءُ أَبِيكَ عِنْدِي فَقَدْ يَحِقُّ عَلَيَّ الْجَزَاءُ بِهِ، وَقَدْ كَانَ مِنْ شُكْرِي لِذَلِكَ أَنِّي طَلَبْتُ بِدَمِهِ حَتَّى تَكَشَّفَتِ الْأُمُورُ، وَلَسْتُ بِلَائِمٍ لِنَفْسِي فِي التَّشْمِيرِ، وَأَمَّا فَضْلُ أَبِيكَ عَلَى أَبِيهِ، فَأَبُوكَ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِنِّي وَأَقْرَبُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا فَضْلُ أُمِّكَ عَلَى أُمِّهِ فَمَا لَا يُنْكَرُ، فَإِنَّ امْرَأَةً مِنْ قُرَيْشٍ خَيْرٌ مِنِ امْرَأَةٍ مِنْ كَلْبٍ، وَأَمَّا فَضْلُكَ عَلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ الْغُوطَةَ دُحِسَتْ لِيَزِيدَ رِجَالًا مِثْلَكَ. يَعْنِي أَنَّ الْغُوطَةَ لَوْ مُلِئَتْ رِجَالًا مِثْلَ سَعِيدِ بْنِ عُثْمَانَ كَانَ يَزِيدُ خَيْرًا وَأَحَبَّ إِلَيَّ مِنْهُمْ. فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، ابْنُ عَمِّكَ وَأَنْتَ أَحَقُّ مَنْ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ، وَقَدْ عَتَبَ عَلَيْكَ فِيَّ فَأَعْتِبْهُ. قَالَ: فَوَلَّاهُ حَرْبَ خُرَاسَانَ: فَأَتَى سَمَرْقَنْدَ فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُ الصُّغْدِ مِنَ التَّرْكِ، فَقَاتَلَهُمْ وَهَزَمَهُمْ وَحَصَرَهُمْ فِي مَدِينَتِهِمْ، فَصَالَحُوهُ وَأَعْطَوْهُ رَهْنًا خَمْسِينَ غُلَامًا يَكُونُونَ فِي يَدِهِ مِنْ أَبْنَاءِ عُظَمَائِهِمْ، فَأَقَامَ بِالتِّرْمِذِ، وَلَمْ يَفِ لَهُمْ، وَجَاءَ بِالْغِلْمَانِ الرَّهْنِ مَعَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَفِيهَا دَعَا مُعَاوِيَةُ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ لِيَزِيدَ وَلَدِهِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَكَانَ قَدْ عَزَمَ قَبْلَ ذَلِكَ عَلَى هَذَا فِي حَيَاةِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ; فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ الْمُغِيرَةَ كَانَ قَدْ قَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَاسْتَعْفَاهُ مِنْ إِمْرَةِ الْكُوفَةِ فَأَعْفَاهُ لِكِبَرِهِ وَضَعْفِهِ، وَعَزَمَ عَلَى تَوْلِيَتِهَا سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الْمُغِيرَةَ كَأَنَّهُ نَدِمَ، فَجَاءَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَسْأَلَ مِنْ أَبِيهِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، فَسَأَلَ ذَلِكَ يَزِيدُ مِنْ أَبِيهِ فَقَالَ: مَنْ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: الْمُغِيرَةُ. فَأَعْجَبَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ مِنَ الْمُغِيرَةِ وَرَدَّهُ إِلَى عَمَلِ الْكُوفَةِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْعَى
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৩


সারা দেশে নির্দেশ পাঠান ৷ সমগ্র রাজ্যে লোকজন ইয়াযীদেব পক্ষে বায়আত প্রদান করে ৷
তবে আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা), আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা), ইমাম হুসারন ইবন
আলী (রা), আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এবং আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ব্যয় আত প্রদান
থেকে বিরত থাকেন ৷ এক পর্যায়ে উমরাহ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আমীর মুআৰিয়া (রা) মক্কা
আগমন করেন ৷ ফেরত ষ্াবার পথে তিনি মদীনা উপস্থিত হন এবং ঐ পাচজানর সবাইকে
াডকে আনেন ৷ তিনি তা৷দরাক বার আত না করার ব্যাপারে শাসিায় দেন, হুমকি ধমকি ৷দন ৷
ন্ৰুতারা আমীর মুআবিয়াএর কথায় প্রতিবাদ করেন ৷ তবে সবচাইতে কঠিন ভাষায় প্রতিবাদ
করেন হম রর্ত আবদুর রহমান ইবন আবু বকর সিদ্দীক (বা) ৷ আর নম্র ভাষা ব্যবহার
করেছিলেন, হল্কবৃভু আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ৷ তারা পাচজন মিম্বারর পাশে বসা ছিলেন
এমন সময় আমীর ঘুআবিয়া (বা) একটি ভাষণ দিলেন এবং ইয়াযীদের পক্ষে ৰায়আতৰু করার
আহ্বান জানালেন ৷ এ সময়ে উল্লেখিত পাচজন নিজেরা রায় আত করেন নি আবার বায়আাত
বাধা>রাদন নি ৷ হতে হতে পুর্ণ রাজ্যে ইয়াযীদেব পরবর্তী খলীফা হিসেবে ৰায় আত গ্রহণ শেষ
হয় এবং সারা দেশ থেকে ট্রুশুাভচ্ছা প্রতিনিধি দল ইয়াযীাদর নিকট আসতে থাকে ৷ আগত
দুাল অন্যান্যদের মধ্যে আহনাফ ইবন কায়সও ছিলেন ৷

আমীর মুআবিয়া (রা) আহ্লাফ ইবন কায়সকে ইয়াযীদেব সাথে একান্তে আলাপ করার
জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ দু জ়ান আলাপ মিলিত হল ৷ পরে আহনাফ ৷বরিয়ে এলেন ৷ মু আবিয়া
(রা) বললেন, তোমার ভাতিজা৷ক ৷কমন দেখতে ৷পলে?’ উত্তরে আহনাফ বললেন, মিথ্যা
বলতে গেলে আল্লাহ্য় শাস্থির ভর আছে আর সত্য বললে আপনার ৷রাষানলে পতিত হবার ভয়
আছে ৷ বরং তার দিবাশ্রাত্রিরন্ কর্ম সম্পর্কে, তার ভেতর ও বাহির সম্পর্কে, তার প্রবেশ পথ ও
াবরুানার পথ সম্পর্কে, আপনি সব চাইতে, বেশি অবগত আছেন ৷ আর আপনি যা করতে
চাচ্ছেন তাও আপনি ভাল জানেন ৷ তবে আমাদের কর্তব্য হল সবেচ্চি পদাসীন ব্যজ্যি
আনুগত্য করা আর আপনার দায়িত্ব হল জনসাধারণের কল্যাণ সাধন কং৷ ৷

এদিাক আমীর মু আবিয়া (রা) যখন ইমাম হাসান (রা) এর সাথে আপোৰ্-র্মীম্স্তো৷ করেন
তখন এই শার্ত মীমা না হয় যে, আমীর মুআবিয়া (রা) এর পরে খলীফ্৷ হবেন ইমাম হারান
(রা) ৷ ইতিমধ্যে ইমাম হাসান (রা) এর মৃত্যু হওয়ায় আমীর মুআৰিয়া (রা) এর নিকট
ইরাষীাদর বিষয়টি আরা শক্তিশালী হয়ে উঠে ৷ তিনি মনে করতে থাকেন যে, ইয়াযীদই
সিংহাসনে আ৷রাহ্া,ণব্ যোগ্য ব্যক্তি ৷ এটি হয়েছে পুত্রের প্রতি পিউার মাত্রাতিজিং স্নেহের
কারণে এবং বিশেষত পার্থিব ব্যাপারে ইরাযীদের যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার কারণে ৷ তাছাড়া
তার রাজপুএ হওয়া, যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী হওয়া এবং ৱার্জকার্যে সুশৃগ্রন কর্ম তৎপরতার
কারণে ৷ আমীর মুআবিয়৷ (বা) মনে করতেন যে, সাহাবীদের মধ্যে কেউই এত যোগ্যতা
সম্পন্ন নন ৷ এজ়ান৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)এর সাথে আলাপ করার সময়
বলেছিলেন, আমি আশংকা করছি যে, আমি এর সাধারণকে রাখালবিহীন বকরী পালের ন্যায়

ছেড়ে না যইি ৷ ইবন উমর (রা) বলেছিলেন, যদি সবইি তার হাতে বায় আত করে, তাব

আমিও করব বটে যদিও সে কানকাটা ক্রীতদাস হয় ৷’

ইয়াষীদকে পরবর্তী খৃলী ফা মনোনীত করার যারা আমীর মুআবিয়া (রা) এর সমালোচনা
করেছিলেন, র্তা৷দর অন্যতম হলেন, সাঈদ ইবন উসমান ইবন আফ্ফান (বা) ৷ তিনি
ইরাষীাদর পরিবর্তে তা৷ক খলীফা মনােনরানর দাবী করেছিলেন ৷ সাঈদ তার বক্তব্যে এও


فِي ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ سَعَى الْمُغِيرَةُ فِي تَوْطِيدِ ذَلِكَ، وَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى زِيَادٍ يَسْتَشِيرُهُ فِي ذَلِكَ، فَكَرِهَ زِيَادٌ ذَلِكَ ; لِمَا يَعْلَمُ مِنْ لَعِبِ يَزِيدَ وَإِقْبَالِهِ عَلَى اللَّعِبِ وَالصَّيْدِ، فَبَعَثَ زِيَادٌ إِلَيْهِ مَنْ يَثْنِي رَأْيَهُ عَنْ ذَلِكَ، وَهُوَ عُبَيْدُ بْنُ كَعْبٍ النُّمَيْرِيُّ - وَكَانَ صَاحِبًا أَكِيدًا لِزِيَادٍ - فَسَارَ إِلَى دِمَشْقَ، فَاجْتَمَعَ بِيَزِيدَ أَوَّلًا، فَكَلَّمَهُ عَنْ زِيَادٍ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ لَا يَطْلُبَ ذَلِكَ، فَإِنَّ تَرْكَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنَ السَّعْيِ فِيهِ، فَانْزَجَرَ يَزِيدُ عَمَّا يُرِيدُ مِنْ ذَلِكَ، وَاجْتَمَعَ بِأَبِيهِ وَاتَّفَقَا عَلَى تَرْكِ ذَلِكَ فِي هَذَا الْوَقْتِ، فَلَمَّا مَاتَ زِيَادٌ، وَكَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ، شَرَعَ مُعَاوِيَةُ فِي نَظْمِ الْبَيْعَةِ لِيَزِيدَ وَالدُّعَاءِ إِلَيْهَا، وَعَقَدَ الْبَيْعَةَ لِوَلَدِهِ يَزِيدَ، وَكَتَبَ إِلَى الْآفَاقِ بِذَلِكَ، فَبَايَعَ لَهُ النَّاسُ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ، إِلَّا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَالْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَابْنَ عَبَّاسٍ، فَرَكِبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا، فَلَمَّا اجْتَازَ بِالْمَدِينَةِ مَرْجِعَهُ مِنْ مَكَّةَ اسْتَدْعَى كُلَّ وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ الْخَمْسَةِ، فَأَوْعَدَهُ وَتَهَدَّدَهُ بِانْفِرَادِهِ، فَكَانَ مِنْ أَشَدِّهِمْ عَلَيْهِ رَدًّا وَأَجْلَدِهِمْ فِي الْكَلَامِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَكَانَ أَلْيَنَهُمْ كَلَامًا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، ثُمَّ خَطَبَ مُعَاوِيَةُ وَهَؤُلَاءِ حُضُورٌ تَحْتَ مِنْبَرِهِ، وَبَايَعَ النَّاسُ لِيَزِيدَ وَهُمْ قُعُودٌ، وَلَمْ يُوَافِقُوا وَلَمْ يُظْهِرُوا خِلَافًا ; لِمَا تَهَدَّدَهُمْ وَتَوَعَّدَهُمْ، فَاتَّسَقَتِ الْبَيْعَةُ لِيَزِيدَ فِي سَائِرِ الْبِلَادِ، وَوَفَدَتِ الْوُفُودُ مِنْ سَائِرِ الْأَقَالِيمِ إِلَى يَزِيدَ. فَكَانَ فِيمَنْ قَدِمَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَأَمَرَهُ مُعَاوِيَةُ أَنْ يُحَادِثَ يَزِيدَ، فَجَلَسَا ثُمَّ خَرَجَ الْأَحْنَفُ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: مَاذَا رَأَيْتَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ؟ فَقَالَ: إِنَّا نَخَافُ اللَّهَ إِنْ كَذَبْنَا وَنَخَافُكُمْ إِنْ صَدَقْنَا، وَأَنْتَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৪


বলেছিলেন যে, আমার পিতা সব সময় আপনার কল্যাণ্ব্ৰতী ছিলেন, যার ফলে আপনি সম্মান
ও মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত জােছন ৷ এখন আপনি আপনার পুত্রব্লুক আমার উপর
প্রাধান্য দিচ্ছেন অথচ আমি পিতা-মাতার দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ব্যক্তিগত দৃষ্টিব্লুকাণ থেকে তার
চাইতে অনেক উত্তম ৷ উত্তব্লু র আমীর মুআৰিয়া (রা) তাকে বললেন, আমার প্রতি তোমার
ফ্রীতার অনুগ্রহ ও অবদান অনস্বীকার্য ৷ ইয়াযীদের পিতার চাইতে তোমার পিতার ব্লুশ্রষ্ঠৎ তাও
সত্য ৷ তোমার মাতা হলেন কুরায়শ বংশীয় মহিলা, আর তার মাতা হল কালবী বংশীয় ৷ এই
বিচারে তোমার মাতা তার মাতার চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷ কিন্তু ব্যক্তিগত বিচারে তুমি তার চাইতে উত্তম
হবার যে কথাটি তুমি বলেছ, সে বিষয়ে আমার বক্তব্য হল, তোমার মত ৩হাজার মানুষে যদি
দামেশৃব্লুকর প্রান্তর ভর্তি হয়ে যায় তবুও তোমাদের সকলের চাইতে ইয়াষীদই হবে আমার
নিকট অধিক প্রিয় ও উত্তম ৷
আমরা আমীর মু আব্লিয়া (রা) থেকে বর্ণনা করেছি যে, একদিন তিনি খু৩ তবায় বব্লুলছিলেনশ্
,
হে আল্লাহ ! ইয়াযীদকে আমি যে পদের জন্যে মনোনীত করেছি আপনি যদি মনে করেন
যে, যে ঐ পদের জন্যে উপযুক্ত, তাহলে এই মব্লুনানয়ব্লুন পুর্ণতা দান করুন ৷ আর যদি আপনি
তাকে অযােগ্য মনে করেন এবং এটা মনে করেন যে, শুধু পি৩ তৃন্সেহে বিভাের হয়ে আমি তাকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছি তবে তাতে পুর্ণতা দিবেন না’ ৷
হাফিজ ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন যে, একরাব্লুত আমীর মুআবিয়৷ (না) তার
উপদেষ্টা ৷ব্লুদর সাথে এক পরামর্শ সভায় মিলিত ৩হব্লুলন ৷ তিনি তাদেরকে এমন একজন মহিলার
বর্ণনা দিতে বললেন, যার পুত্র হবে সাহসী ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ৷ তারা এমন মহিলার
বর্ণনা দিল যাদের প্রসব করা সন্তানদের মধ্যে নেতৃত্বে র গুণাবলী থাকবে ৷ আমীর মুআবিব্লা
(রা) বললেন, “ঐ রকম একজন মহিলার খোজ পাওয়া গেলে তো ভালই হত ৷ তার উপদেষ্টা
পরিষদের জনৈক সাস্যে বলল, আমীরুল মু’মিনীন! আমার নিকট ঐ, গুণে গুণবতী একজন
মহিলার খোজ আছে ৷ ’ আমীর মুআবিয়া (বা) বললেন, ব্লুক সে?’ যে বলল আমীরুল
মু’মিনীন ! সে হল আমার কন্যা ৷’ তারপর আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে বিয়ে করেন এবং ঐ
মহিলার পেটে ইয়াযীদের জন্ম হয় ৷ ফলে একজন মেধাবী, বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ নেতা হিসাবে
ইয়াষীদজন্মগ্রহণ করে ৷
এরপর আমীর মুআবিয়া (রা)অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন ৷ ঐ শ্রীর গর্ভে একটি পুত্র
সন্তানের জন্ম হয় ৷ এদিকে আমীর মুআরিয়া (রা) ইয়াযীদের মাতাব্লুক অবজ্ঞ৷ করেন ৷ ফলে
সে ঘরের একপাব্লুশ বসবাস করত ৷ একদিন আমীর মুআবিয়া (রা) পর্যব্লুবক্ষব্লুণ বের হলেন ৷
তার সাথে ছিল দ্বিতীয় ;শ্রী ৷ হঠাৎ তিনি দেখলেন যে, ইয়াযীদের মাতা তার চুল জাচড়ে
দিচ্ছিল ৷ তা দেখে মুআবিয়া (রা)-এর দ্বিতীয় শ্রী ঘৃণা ভরে বব্লুলছিল তাকে এবং যে যার চুল
তাচড়াব্লুচ্ছ তাকে আল্লাহ্ লাঞ্ছিত করুন ৷ একথা শুনে মুআবিয়া (রা) বললেন, তা কেন?
আল্লাহর কসম ৷ ওর ছেলে তােমারণ্ ছেলে অপেক্ষা অনেক সাহসীক্তও বুদ্ধিমান ৷ তুমি চাইলে
আমি তা প্রমাণ করে দেব ৷; এরপরতিনিদ্বিতীয় শ্রীর গর্ভে, জন্ম নেয়া ব্লুছব্লুলব্লুক ডাকলেন ৷




أَعْلَمُ بِهِ فِي لَيْلِهِ وَنَهَارِهِ، وَسِرِّهِ وَعَلَانِيَتِهِ، وَمَدْخَلِهِ وَمَخْرَجِهِ، وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ بِمَا أَرَدْتَ، وَإِنَّمَا عَلَيْنَا أَنْ نَسْمَعَ وَنُطِيعَ، وَعَلَيْكَ أَنْ تَنْصَحَ لِلْأُمَّةِ. وَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ لَمَّا صَالَحَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ عَهِدَ لِلْحَسَنِ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ، فَلَمَّا مَاتَ الْحَسَنُ قَوِيَ أَمْرُ يَزِيدَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ، وَرَأَى أَنَّهُ لِذَلِكَ أَهْلًا، وَذَاكَ مِنْ شِدَّةِ مَحَبَّةِ الْوَالِدِ لِوَلَدِهِ، وَلِمَا كَانَ يَتَوَسَّمُ فِيهِ مِنَ النَّجَابَةِ الدُّنْيَوِيَّةِ، وَسِيَّمَا أَوْلَادِ الْمُلُوكِ وَمَعْرِفَتِهِمْ بِالْحُرُوبِ وَتَرْتِيبِ الْمُلْكِ وَالْقِيَامِ بِأُبَّهَتِهِ، وَكَانَ يَظُنُّ أَنَّهُ لَا يَقُومُ أَحَدٌ مِنْ أَبْنَاءِ الصَّحَابَةِ فِي الْمُلْكِ مَقَامَهُ، وَلِهَذَا قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِيمَا خَاطَبَهُ بِهِ: إِنِّي خِفْتُ أَنْ أَذَرَ الرَّعِيَّةَ مِنْ بَعْدِي كَالْغَنَمِ الْمَطِيرَةِ لَيْسَ لَهَا رَاعٍ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: إِذَا بَايَعَهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ بَايَعْتُهُ، وَلَوْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا مُجَدَّعَ الْأَطْرَافِ. وَقَدْ عَاتَبَ مُعَاوِيَةَ فِي وِلَايَتِهِ يَزِيدَ سَعِيدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَطَلَبَ مِنْهُ أَنْ يُوَلِّيَهُ مَكَانَهُ، فَقَالَ لَهُ: وَاللَّهِ لَوْ مُلِئَتِ الْغُوطَةُ رِجَالًا مِثْلَكَ لَكَانَ يَزِيدُ أَحَبَّ مِنْكُمْ كُلِّكُمْ. وَرُوِّينَا عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمًا فِي خُطْبَتِهِ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي وَلَّيْتُهُ لِأَنَّهُ فِيمَا أَرَاهُ أَهْلٌ لِذَلِكَ فَأَتْمِمْ لَهُ مَا وَلَّيْتُهُ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي إِنَّمَا وَلَّيْتُهُ لِأَنِّي أُحِبُّهُ فَلَا تُتْمِمْ لَهُ مَا وَلَّيْتُهُ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ قَدْ سَمَرَ لَيْلَةً، فَتَكَلَّمَ أَصْحَابُهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৫


তাকে বললেন, আমীরুল মু মিনীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তুমি তার নিকট যা চাইলে তিনি তা
ই দেবেন এবার তুমি তোমার আকাক্ষোর কথা তাকে জানাও, তোমার কাম্য বস্তু তার নিকট
চাও ৷ ছেলেটি বলল, আমি আমীরুল মু মিনীনের নিকট আবেদন করছি, তিনি যেন আমাকে
শিকার করার জন্যে কতগুলো কুকুর এবং ঘোড়া দেন ৷ আর কতক মানুষ দেন যারা
শিকারকার্যে আমার সহযোগিতা করবে ৷ ’ মুআবিয়া (বা) বললেন, তােমাকে ওগুলো সরবরাহ
করার জন্য আমিনির্দে৷ দিলাম ৷ ’ এরপর তিনি ইয়াযীদকে ডাকলেন ৷ তার ভাইকে যে প্রস্তাব
দিয়েছিলেন তাকেও সেই প্রস্তাব দিলেন ৷ ইয়াযীদ বলল, এই মুহুর্তে যদি আমীরুল মুমিনীন
আমাকে এই “চাওয়া” থেকে ব্লেহাই দেন তাহলে ভাল হয় ৷ মু অ ৷বিয়া (বা) বললেন, এখনই
চাইতে হবে৷ এখনই তোমার চাহিদার কথা জানাতে হবো’ ইয়াযীদ বলল, আমীরুল
র্মু’মিনীন ৷ আল্লাহ আপনার হায়াত দারাজ করুন ৷ আমি চাই যে, আপনার পর আমি

ৎহাসনের উত্তরাধিকারী হব ৷ কারণ আমি জানতে পেয়েছি যে, ন্যায়পরায়ণতার সাথে প্রজা
সাধারণের উপর একদিনের শাসন পরিচালনা ৫০০ বছরের ইবাদতের চাইতে উত্তম ৷’

মু আবিয়া (বা) বললেন, আমি তে ৷মার আবেদন মঞ্জুর করলাম ৷ এরপর তিনি তার দ্বিতীয়

শ্রীকে বললেন, কেমন দেখলে?’ তখন সে আপন পুত্রের উপর ইয়াযীদের শ্রেষ্ঠতৃ ও মর্যাদা

উপলব্ধি করল ৷
ইবনুল জাওযী উল্লেখ করেছেন যে, উবাদা ইবন উবাদা ইবন সামিতে র শ্রী উম্মু হারাম
বিনত মিলহান এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৬ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷ কিন্তু বিশুদ্ধ

অভিমত হল উম্মু হারাম:(রা) ইস্তিকাল করেন, হযরত উসমান (রা)-এর শাসনামলে ২৭

হিজরী সনে ৷ উম্মু হারাম ও তার স্বামী উবাদা (রা) দু’জনই হযরত মুআবিয়া (রা)-এর
সাথে ছিলেন, যখন হযরত মুআবিয়া (রা) সাইপ্রাস আক্রমণ করেন ৷ ঐ সময়ে উম্মু

হারামের খচচর তাকে পদদলিত করে এবং তিনি সেখানে ইন্তিক ল করেন ৷ তার কবর
রয়েছে সেই সাইপ্রাস অঞ্চলে ৷

ইবনুল জাওযী যে উল্লেখ করেছেন ৫৬ হিজরী সনে উম্মু হারাম ইস্তিকাল করেছেন, তার
এমন বক্তব্য আশ্চর্যজনক বটে ৷ কারণ ইবনুল জাওযী হযরত উম্মু হারামের জীবনী উল্লেখ করতে
গিয়ে তার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা) এর বর্ণিত হাদীসটি এসেছেন ৷ সহীহ্ বুখারী ও যুসলিমে
উল্লেখিত ঐ হাদীস আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন উম্ম হারাম (রা) এর গৃহে দিবা ফ্লিায়
মগ্ন হয়েছিলেন ৷ তখন তিনি স্বপ্ন দেখলেন যে, তার উম্মতের একদল লোক আল্লাহর পথে
জিহাদ করতে গিয়ে বিজয়ী রাজা-মহারাজার মত উত্তাল সমুদ্রের মাঝখানে চলে গিয়েছে ৷ উন্মু
হারাম (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অনুরোধ করলেন, তাকে ঐ মুজাহিদ দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে
তিনি যেন আল্লাহর দরবারে দৃআ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মু হারামের ঐ দলে অন্তর্ভুক্তির
জন্যে আল্লাহর নিকট দুআ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আবার ঘুমিয়ে পড়লেন এবং একই স্বপ্ন

দেখলেন ৷ উম্মু হারাম বললেন, “আমাকে ঐ দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে আল্লাহর দরবারে দৃআ

করুন ৷ ’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, এই দলের অন্তর্ভুক্ত নও , তুমি বরং প্রথম নৌ-অভিযাত্রী

দলের অন্তর্ভুক্ত ৷’ এই প্রথম নৌ অভিযাত্রী হল সেই দল যারা নৌ অভিযানের মাধ্যমে সইিপ্রাস
জয় করেছে ৷ উম্মু হারাম (বা) ঐ দলে শামিল ছিলেন এবং বাহনের পদদলনে নিহত
হয়েছিলেন ৷ এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল ২৭ হিজ্জী সনে ৷ পরবর্তী নৌ-অভিযানে যারা


الْمَرْأَةِ الَّتِي يَكُونُ وَلَدُهَا نَجِيبًا، فَذَكَرُوا صِفَةَ الْمَرْأَةِ الَّتِي يَكُونُ وَلَدُهَا نَجِيبًا. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: وَدِدْتُ لَوْ عُرِّفْتُ بِامْرَأَةٍ تَكُونُ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ. فَقَالَ أَحَدُ جُلَسَائِهِ: قَدْ وَجَدْتُ ذَلِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: وَمَنْ؟ قَالَ: ابْنَتِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَتَزَوَّجَهَا مُعَاوِيَةُ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، فَجَاءَ نَجِيبًا ذَكِيًّا حَاذِقًا. ثُمَّ خَطَبَ امْرَأَةً أُخْرَى فَحَظِيَتْ عِنْدَهُ، وَوَلَدَتْ لَهُ غُلَامًا آخَرَ، وَهَجَرَ أُمَّ يَزِيدَ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ فِي جَنْبِ دَارِهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَوْمًا فِي النَّظَّارَةِ، وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ الْأُخْرَى، إِذْ نَظَرَ إِلَى أُمِّ يَزِيدَ وَهِيَ تُسَرِّحُهُ، فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ: قَبَّحَهَا اللَّهُ وَقَبَّحَ مَا تُسَرِّحُ. فَقَالَ: وَلِمَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّ وَلَدَهَا لَأَنْجَبُ مِنْ وَلَدِكِ، وَإِنْ أَحْبَبْتِ بَيَّنْتُ لَكِ ذَلِكَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى وَلَدَهَا، فَقَالَ لَهُ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَنَّ لَهُ أَنْ يُطْلِقَ لَكَ مَا تَتَمَنَّاهُ عَلَيْهِ، فَاطْلُبْ مِنِّي مَا شِئْتَ. فَقَالَ: أَسْأَلُ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ يُطْلِقَ لِي كِلَابًا لِلصَّيْدِ، وَخَيْلًا وَرِجَالًا يَكُونُونَ مَعِي فِي الصَّيْدِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: قَدْ أَمَرْنَا لَكَ بِذَلِكَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى يَزِيدَ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَ لِأَخِيهِ، فَقَالَ يَزِيدُ: أَوَيُعْفِينِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي هَذَا الْوَقْتِ عَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: لَا بُدَّ أَنْ تَسْأَلَ حَاجَتَكَ. فَقَالَ: أَسْأَلُ - وَأَطَالَ اللَّهُ عُمُرَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ - أَنْ أَكُونَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ، فَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ عَدْلَ يَوْمٍ فِي الرَّعِيَّةِ كَعِبَادَةِ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ. فَقَالَ: قَدْ أَجَبْتُكَ إِلَى ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: كَيْفَ رَأَيْتِ؟ فَعَلِمَتْ وَتَحَقَّقَتْ فَضْلَ يَزِيدَ عَلَى وَلَدِهَا. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَفَاةَ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ الْأَنْصَارِيَّةِ امْرَأَةِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، وَالصَّحِيحُ الَّذِي لَمْ يَذْكُرِ الْعُلَمَاءُ غَيْرَهُ أَنَّهَا تُوُفِّيَتْ سَنَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৬
سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ، وَكَانَتْ هِيَ وَزَوْجُهَا مَعَ مُعَاوِيَةَ حِينَ دَخَلَ قُبْرُسَ وَقَصَتْهَا بَغْلَتُهَا فَمَاتَتْ هُنَاكَ وَقَبْرُهَا بِقُبْرُسَ، وَالْعَجَبُ أَنَّ ابْنَ الْجَوْزِيِّ أَوْرَدَ فِي تَرْجَمَتِهَا حَدِيثَهَا الْمُخَرَّجَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " فِي «قَيْلُولَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهَا، وَرُؤْيَاهُ فِي مَنَامِهِ قَوْمًا مِنْ أُمَّتِهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ الْبَحْرِ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَأَنَّهَا سَأَلَتْهُ أَنْ يَدْعُوَ لَهَا أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ، فَدَعَا لَهَا، ثُمَّ نَامَ فَرَأَى كَذَلِكَ، فَقَالَتِ: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ، فَقَالَ: " أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ» وَهُمُ الَّذِينَ فَتَحُوا قُبْرُسَ، فَكَانَتْ مَعَهُمْ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ، وَلَمْ تَكُنْ مِنَ الْآخِرِينَ الَّذِينَ غَزَوْا بِلَادَ الرُّومِ سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ مَعَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ! وَمَعَهُمْ أَبُو أَيُّوبَ، وَقَدْ تُوُفِّيَ هُنَاكَ، فَقَبْرُهُ قَرِيبٌ مِنْ سُورِ قُسْطَنْطِينِيَّةَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا مُقَرَّرًا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ.