আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وخمسين

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

ذكر من توفي من الأعيان في هذه السنة

পৃষ্ঠা - ৬৪৫৮

ইিত্তরীি ৫৫ সন

এই হিজরী সনে আমীর মুআবিয়৷ (রা) বসরার শাসনকর্তার পদ থেকে আবদুল্লাহ্ ইবন
গায়লানকে বরখাস্ত করেন এবং ঐ পদে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে নিয়োগ করেন ৷ তাকে
বরখাস্তের কারণ এই ছিল যে, আবদুল্লাহ ইবন পায়লান একদিন খৃত ব৷ দিচ্ছিলেন ৷ তখন
বানু দাব্বাহ গোত্রের এক লোক তার প্রতি কংকর ছুড়ে মারে ৷ তিনি কংকর নিক্ষেপকারীর
হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেন ৷ এতে তার পােত্রীয় লোকজন আবদুল্লাহ-এর নিকট আসে
এবং বলে যে, তার এ জাতীয় অপরাধের কারণে আপনি তার হাত কেটে দিয়েছেন ৷ এ
সংবাদ আমীর মু আবিয়া (রা) এর নিকট গিয়ে পৌছলে তিনি তার ব্যাপারে এবং গোত্রের
ব্যাপারে এমন ব্যবস্থা নিবেন, যা তিনি হুজর ইবন আদী (রা) এর বিষয়ে নিয়েছিলেন ৷
তাই আপনি একটি চিঠি দিয়ে দেন যে, সন্দেহাভীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়া সত্বেও তার
হাত কােট দেয়৷ হয়েছে৷ শাসনকর্তা আবদুল্লাহ্ তা লিখে দেন ৷ তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে
কিছুক্ষণ তাদের কাছে রাখে ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া (রা)-এর কাছে এসে অভিযোগ
করেন, আপনার নিযুক্ত শাসক আবদুল্লাহ্ ইবন গায়লান সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না
হওয়া সত্বেও আমাদের এই সোকেরহাত কে টে ফেলেছেন ৷ এখন আপনি তার কিসাস বা
বদলা নিয়ে, দিন ৷ আংমীর মুআবিয়৷ (রা) বললেন,আমার নিযুক্ত শাসনকর্তা থেকে তো
কিসাস নেয়া যাবে না, তবে দিয়াত বা রক্তপণ দেয়৷ যাবে ৷ তারপর তিনি ওদেরকে
দিয়াত বা রক্তপণ প্রদান করেন এবং ইবন গায়লানকে ওখান থেকে বরখাস্ত করলেন ৷
এরপর তিনি তাদেরকে বললেন, তােমর৷ কাকে শাসনকর্তা রুপে পেতে চাও তা জানাও ৷
তারা কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করল ৷ কিন্তু আমীর ঘুআবিয়া (রা) ওদেরকে পছন্দ
করলেন না ৷ তিনি বললেন, বরং আমার ভাতিজা উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে আমি
তোমাদের শাসনকর্তা নিয়োগ করব ৷ বস্তুত তিনি উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে সেখানকার
শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ তখন আসলাম ইবন ফুরাআকে
পােরাসানে তার স্থলাভিষিক্ত শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন ৷ তিনি কোন যুদ্ধও করেন নি,
কোন দেশ জয়ও করেন নি ৷ তিনি বসরার কাষী পদে নিয়োগ দেন যুরারা ইবন
আওফাকে ৷ পরবভীত্তিত তাকে অপসারণ করে ইবন আযীনাকে ঐ পদে নিয়োগ করেন ৷
সেখানকার পুলিশ প্রধানরুপে নিযুক্ত করেন আবদুল্পাহ্ ইবন হুসায়নকে ৷ এই বছর হজ্জ
পরিচালনা করেন মদীনায় শাসনকর্তা মারওয়ান ইবন হাকাম ৷ এই বছরই আমীর
মুআবিয়৷ (রা) আবদুল্লাহ ইবন খালিদ ইবন উসায়দকে কুফার শাসনকর্তা পদ থেকে
অপসারণ করে তার স্থলে দাহ্হাক ইবন কায়স (রা) কে নিয়োগ করেন ৷

হিজরী ৫৫ সনে যাদের ওফাত হয়

অরেকাম ইবন আবুআরকা ম (বা)

তার বংশ পরিচয় হল, আরকাম ইবন আবু আরকাম আবৃদ মানাফ ইবন আসাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মাৰ্বুম্ (রা) ৷ তিনি প্রথম ধাপে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-১৯


[ذِكْرِ مَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] الْأَرْقَمُ بْنُ أَبِي الْأَرْقَمِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ أَسْلَمَ قَدِيمًا، يُقَالُ: سَابِعُ سَبْعَةٍ. وَكَانَتْ دَارُهُ كَهْفًا لِلْمُسْلِمِينَ، يَأْوِي إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ أَسْلَمَ مِنْ قُرَيْشٍ، وَكَانَتْ عِنْدَ الصَّفَا، وَقَدْ صَارَتْ فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ لِلْمَهْدِيِّ، فَوَهَبَهَا لِامْرَأَتِهِ الْخَيْزُرَانِ أُمِّ مُوسَى الْهَادِي وَهَارُونَ الرَّشِيدِ، فَبَنَتْهَا وَجَدَّدَتْهَا، فَعُرِفَتْ بِهَا، ثُمَّ صَارَتْ لِغَيْرِهَا. وَقَدْ شَهِدَ الْأَرْقَمُ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا مِنَ الْمَشَاهِدِ، وَمَاتَ بِالْمَدِينَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، أَوْصَى بِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَلَهُ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً. سَحْبَانُ بْنُ زُفْرَ بْنِ إِيَاسِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ الْأَحَبِّ الْبَاهِلِيُّ الْوَائِلِيُّ الَّذِي يُضْرَبُ بِفَصَاحَتِهِ الْمَثَلُ، فَيُقَالُ: أَفْصَحُ مِنْ سَحْبَانِ وَائِلٍ. وَوَائِلٌ هُوَ ابْنُ مَعْنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَعْصُرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارٍ، وَبَاهِلَةُ امْرَأَةُ مَالِكِ بْنِ أَعْصُرَ، يُنْسَبُ إِلَيْهَا وَلَدُهَا، وَهِيَ بَاهِلَةُ بَنْتُ صَعْبِ بْنِ سَعْدِ الْعَشِيرَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৫৯


কথিত আছে যে, ইসলাম গ্রহণে তিনি ৭ম ব্যক্তি ৷ তার বাড়ি ছিল মুসলমানদের জন্যে সুরক্ষিত
দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে এবং কুরাইশী মুসলমানগণ সেখানে এসে আশ্রয় নিক্তে৷ ৷ তার
বাড়িটি ছিল সাফা পর্বতের কাছাকাছি ৷ পরবর্তী যুগে বাড়িটি খলীফা মাহদীর অধিকারে আসে ৷
তিনি সেটি তার শ্রী খায়যুরানকে উপহার দেন ৷ খায়যুরান ছিলেন মুসা আলহাদী এবং হারপ্স-
আল-রশীদের মাতা ৷ রাণী খায়যুরান বাড়িটি পুনঃনির্মাণ ও সুসজ্জিত করেন ৷ পরে এটি তীর
বাস গৃহরুপে প্ৰসিদ্ধি লাভ করে ৷ অবশ্য আরো পরে অন্য লোক সেটির মালিকানা লাভ করে ৷

হযরত আরকামৰু (রা) বদরের যুদ্ধসহ পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে অংশ নেন ৷ হিজরী ৫৫ সনে
মদীনায় -ইন্তিকাল করেন ৷ হযরত সা-দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা) তার জানাযায় ইমামতি
করেন তিনি সেই ওসীয়ৰু করে গিয়েছিলেন ৷ বস্তুত হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা)
তার জানাযার নামাযে ইমামতি করেন ৷ মৃত্যুকান্সে তার বয়স ৮০ বছর অতিক্রম করেছিল ৷

সাহবান ইবন যুফার ইবন ইয়াস (বা)

৫৫ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন সাহবান (রা) ইবন যুফার
ইবন ইয়াস ইবন আবৃদং শাম্স ইবন আজব বাহিনী ওয়াইলী ৷ তার ভাষার বিশুদ্ধত৷ ছিল
প্রবাদতৃল্য ৷ বলা হত, সংশ্লিষ্ট বক্তা কী সাহবান ওয়াইল থেকেও ভাল বক্তা?’ ওয়াইল-এর
বংশ পরিচয় হল ওয়াইল্ ইবন মাআদ ইবন মালিক ইবন আসার ইবন সাদ ইবন কায়স
ইবন পায়লান ইবন মুদার ইবন লিযার ৷ বাহিলা হল মালিক ইবন আসারের শ্রী ৷ তার পুত্র

:সাহরান র্তারন্নামেইৰু প্নব্রিট্রিতা--ত্াইৰুৰুরাহিল৷ রল৷ হয় ৷ সে হল বিনত সুার ইবন সাদ আল

আশীরা ৷

ইবন আসাকির বলেছেন সাহবান বেশি পরিচিত ছিলেন সাহবান ওয়াইল নামে ৷ আমার
নিকট বর্ণনা এসেছে যে, একবার তিনি কোন এক বিষয়ে প্রতিনিধি হয়ে আমীর মুআবিয়া
(রা)-এর নিকটে গিয়েছিলেন ৷ তিনি আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সাথে আলাপচারিতায় যেতে
উঠেছিলেন ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, “আপনি কি শায়খ? সাহবান বললেন,“ছুা৷, আল্লাহ্র
কসম৷ তা ছাড়াও আরো কিছু ৷ ” ইবন আসাকির এর বেশি বর্ণনা করেন নি ৷ ইবনুল জাওযী
তার “আল মুনতাযাম” গ্রন্থে সাহবানের বংশ তালিকা উল্লেখ করেছেন, যেমনটি আমরা উপরে
উল্লেখ করেছি ৷ এরপর তিনি বলেছেন যে, সাহবান ছিলেন একজন বিশুদ্ধভাষী পারদর্শী বক্তা ৷ ,
তীর ভাষার সৌকর্য প্রবাদ তুলা ৷ একদিন তিনি আমীর মুঅবিয়া (রা) এ-র নিকট গিয়েছিলেন ৷
মুআবিয়৷ (রা)-এর দরবারে তখন বিভিন্ন গোত্রের স্বনাম ধন্য বাশ্মী ও বক্তাগণ উপ৩
ছিলেন ৷ র্তাকে ঢুকতে দেখে সবাই ধরে নিল যে, কথায় তো তার সাথে কুলানাে যাবে না, তাই
তারা সকলে বেরিয়ে গেল ৷ তখন সাহবান বললেন,

ন্
ইয়ান্মানী গোত্রগুলো অবগত আছে যে, বক্তৃতাবৃ সুচনায় আমি যদি শুধু ১১ ৷ন্৷ (আম্মাবাদ-
তারপর সমাচার এই) বলি তবে বুঝা যায় যে, আমি একজন পারদর্শী বক্তা ৷’

মু আবিয়া (রা) বললেন, তবে বক্তৃতা শুরু করুন ৷’ সাহবান বলতে লাগলেন, ৷;,’, ’া:প্রুন্া
জন্যে একটি লাঠি নিয়ে আসুন ৷ ঐ লাঠি বাকা হয়ে
যাওয়া সােকদেরকে সেজাে করে দেবে ৷’ উপস্থিত লোকজন বলল, আপনি তো আমীরুল


قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: سَحْبَانُ الْمَعْرُوفُ بِسَحْبَانِ وَائِلٍ، بَلَغَنِي أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَتَكَلَّمَ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنْتَ الشَّيْخُ؟ فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ وَغَيْرُ ذَلِكَ. وَلَمْ يَزِدِ ابْنُ عَسَاكِرَ عَلَى هَذَا. وَقَدْ نَسَبَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظَمِ "، كَمَا ذَكَرْنَا، ثُمَّ قَالَ: وَكَانَ بَلِيغًا يُضْرَبُ الْمَثَلُ بِفَصَاحَتِهِ، دَخَلَ يَوْمًا عَلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ خُطَبَاءُ الْقَبَائِلِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ خَرَجُوا ; لِعِلْمِهِمْ بِقُصُورِهِمْ عَنْهُ، فَقَالَ سَحْبَانُ: لَقَدْ عَلِمَ الْحَيُّ الْيَمَانُونَ أَنَّنِي ... إِذَا قُلْتُ أَمَّا بَعْدُ أَنِّي خَطِيبُهَا فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: اخْطُبْ. فَقَالَ: انْظُرُوا لِي عَصَا تُقِيمُ مِنْ أَوَدِي. فَقَالُوا: وَمَاذَا تَصْنَعُ بِهَا وَأَنْتَ بِحَضْرَةِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: مَا كَانَ يَصْنَعُ بِهَا مُوسَى وَهُوَ يُخَاطِبُ رَبَّهُ. فَأَخَذَهَا وَتَكَلَّمَ مِنَ الظُّهْرِ إِلَى أَنْ قَارَبَتِ الْعَصْرُ، مَا تَنَحْنَحَ وَلَا سَعَلَ وَلَا تَوَقَّفَ وَلَا ابْتَدَأَ فِي مَعْنَى فَخَرَجَ عَنْهُ وَقَدْ بَقِيَتْ عَلَيْهِ بَقِيَّةٌ فِيهِ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: الصَّلَاةُ. فَقَالَ: الصَّلَاةُ أَمَامَكَ، أَلَسْنَا فِي تَحْمَيْدٍ وَتَمْجِيدٍ، وَعِظَةٍ وَتَنْبِيهٍ وَتَذْكِيرٍ، وَوَعْدٍ وَوَعِيدٍ؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنْتَ أَخْطَبُ الْعَرَبِ. قَالَ: الْعَرَبُ وَحْدَهَا؟ بَلْ أَخْطَبُ الْجِنِّ وَالْإِنَسِ. قَالَ: كَذَلِكَ أَنْتَ. سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَاسْمُهُ مَالِكُ بْنُ أُهَيْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابٍ، أَبُو إِسْحَاقَ الْقُرَشِيُّ الزُّهْرِيُّ، أَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ، أَسْلَمَ قَدِيمًا. قَالُوا: وَكَانَ يَوْمَ أَسْلَمَ عُمْرُهُ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৬৪৬০
وَثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ قَالَ: مَا أَسْلَمَ أَحَدٌ فِي الْيَوْمِ الَّذِي أَسْلَمْتُ فِيهِ، وَلَقَدْ مَكَثْتُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ وَإِنِّي لَثُلُثُ الْإِسْلَامِ. وَهُوَ الَّذِي كَوَّفَ الْكُوفَةَ وَنَفَى عَنْهَا الْأَعَاجِمَ، وَكَانَ مُجَابَ الدَّعْوَةِ، وَهَاجَرَ وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَكَانَ فَارِسًا شُجَاعًا مِنْ أُمَرَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ مُعَظِّمًا جَلِيلَ الْمِقْدَارِ، وَكَذَلِكَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، وَقَدِ اسْتَنَابَهُ عَلَى الْكُوفَةِ، وَهُوَ الَّذِي فَتَحَ الْمَدَائِنَ وَكَانَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ وَقْعَةُ جَلُولَاءَ وَكَانَ سَيِّدًا مُطَاعًا، وَعَزَلَهُ عُمَرُ عَنِ الْكُوفَةِ عَنْ غَيْرِ عَجْزٍ وَلَا خِيَانَةٍ، وَلَكِنْ لِمَصْلَحَةٍ ظَهَرَتْ لِعُمَرَ فِي ذَلِكَ، وَقَدْ ذَكَرَهُ فِي السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، ثُمَّ وَلَّاهُ عُثْمَانُ الْكُوفَةَ بَعْدَهَا، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنْهَا. وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ: شَهِدَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَابْنُ عُمَرَ دَوْمَةَ الْجَنْدَلِ يَوْمَ الْحَكَمَيْنِ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَنَّ ابْنَهُ عُمَرَ جَاءَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُعْتَزِلٌ فِي إِبِلِهِ فَقَالَ: النَّاسُ يَتَنَازَعُونَ الْإِمَارَةَ وَأَنْتَ هَاهُنَا؟ فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ الْتَقِيَّ» . قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: ذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ ابْنَ أَخِيهِ هَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ جَاءَهُ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَمُّ، هَاهُنَا مِائَةُ أَلْفِ سَيْفٍ يَرَوْنَكَ أَحَقَّ النَّاسِ بِهَذَا
পৃষ্ঠা - ৬৪৬১


মু’মিনীন মু-আৰিয়া (রা)হ্রএর সম্মুখে আছেন, আপনি লাঠি পুিয়েম্পুফিহ্র কৰুক্রো? তিনি
বললেন ,মুসা (আ) তার প্রতিপালকের সাথে কথা বলার সময় লাঠি দিলে যা করতেনআমিও
তা করব ৷’ তিনি লাঠি হাতে ৩নিলেন এবং জোহরেব ন্াস্হ্ন ( ত্ত্বকে বক্তৃতা দেয়৷ ও আলোচনা
শুরু করলেন ৷ এ অবস্থায় আসরের সম নিকটবর্তী ন্ণ্ন্ ণ্১ন্তু তি ন একটি কাশিও দেন নি
হাচিও দেন নি ৷ বক্তৃতার মাঝে থামেনও ন আর ম ঝে নতুন ,রষয়ের অবতারণাও করেন নি ৷
তিনি বক্তৃতা মোঃ করলেন ৷ কিপ্ত এই একটি বিষয়ের বহু কথা তখনও অবশিষ্ট ছিণ ৷ এ
পর্যায়ে মুআবিয়া (রা) বললেন, নামায ৷ সাহবান বললেন, সালাত তা আপনার সন্মুখেই
রয়েছে ৷ আমরা কি আল্লাহর প্রশং স, তর ণণাণ্৷ , ওহ্াজ নসাহত এবং অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতির
আলোনোয় নিয়োজিতনই? ,
এবার মুঅ৷ ৷বিয়৷ (বা) ব৩ ৷ লন, আপনি কি আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ বওন প্’ তিনি বললেন, হায় ও
আমি নি শুধু আ ৷রবের গ্রেষ্ঠ বক্তা? আমি বরং জিনইনসান সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বক্তা ৷’ মু আবিয়া
(রা) বললেন, তা বাট, আপনি তা-ই ৷

সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা)

তার নাম মালিক ইবন উহায়ব ইবন আবদ মানাফ ইবন যুহ্বা ইবন কিলাব ৷ আবু
ইসহাক কুরায়শী যুহরী ৷ তিনি আশারা-মুবাশৃশার৷ বা জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজনের
একজন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার ওফাতের পুর্ব পর্যন্ত যে ছয়জন উপদেষ্টার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন
তিনি (সই ছয়জনের অন্যতম ৷ ইসলামের সুচনা যুগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি যখন
ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তার বয়স ১৭ বছর ৷ বিশুদ্ধ সন,দে-৩ তার থেকে বর্ণিত আছে যে,
তিনি বলেছেন, আমি যেদিন ইসলাম গ্রহণ করেছি সেদিন অন্য কেউ ইসলাম গ্রহণ করে নি ৷
আমি সাতদিন কা ৷টিয়েছি, ৭ম দিন পর্যন্ত আমি ছিলাম ইসলাম গ্রহণকারী তুতীয় ব্যক্তি ৷ তিনি
কুফা নগরী সংস্কার ও উন্নতি বিধান করেন এবং সেখান থেকে অনারব অমৃসলিম ৷লাকদ্যোকে
বিতাড়িত করেন ৷ তিনি এমন এক মহান সাহাবী ছিলেন র্ষার দুআ আল্লাহর দরবারে কবুল হত ৷
তিনি হিজরত করেছেন ৷ বদর ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অং শমহণ করেছেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম আল্লাহ্র
পথে কাফিরদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করেন ৷ হযরত সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) দক্ষ ঘোড়
সওয়ার এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অন্যতম সাহসী সেনাপতি ছিলেন ৷
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর যুগেও তিনি উচ্চ পদস্থ এবং সম্মানযােগ্য ব্যজ্জিপে
পরিগণিত হয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর যুগেও তিনি উচ্চ পদ মর্যাদার অধিকারী
ছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি মাদাইন বিজয়ী
সেনাপতি ৩৷ জালুলার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তার সম্মুখে ৷ তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও
মান্যবর ,নেত৷ ৷ কোন অযােগ্যতা ও বিশ্বাস ভঙ্গের জন্যে নয় বরং খলীফা উমর (রা)এর
নিকট ন্পরিজ্ঞাত বিশেষ কৌশলের কারণে তিনি হযরত সাদ (রা) কে শাসনকর্তার পদ হতে
অপসারণ করেছিলেন ৷ অবশ্য তিনি তার ছয় উপদেষ্টার মধ্যে হযরত সা দ (রা) কে অন্তর্ভুক্ত
রেখেছিলেন ৷ পরবর্তীতে তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান (রা) তাকে শাসনকর্তা পদে নিয়োগ
দেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি তাকে ঐ পদ হতে অপসারণ করেন ৷ হুমাহ্াদী সুফিয়ান ইবন উয়ায়না
সুত্রে আমর ইবন দীনার (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (রা)-ও


الْأَمْرِ. فَقَالَ: أُرِيدُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ سَيْفًا وَاحِدًا ; إِذَا ضَرَبْتُ بِهِ الْمُؤْمِنَ لَمْ يَصْنَعْ شَيْئًا، وَإِذَا ضَرَبْتُ بِهِ الْكَافِرَ قَطَعَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي زَكَرِيَّا بْنُ عَمْرٍو، أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَقَامَ عِنْدَهُ شَهْرَ رَمَضَانَ يَقْصُرُ الصَّلَاةَ وَيُفْطِرُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: فَبَايَعَهُ: وَمَا سَأَلَهُ سَعْدٌ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ. قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: قَالَ سَعْدٌ: إِنِّي لَأَوَّلُ رَجُلٍ رَمَى بِسَهْمٍ فِي الْمُشْرِكِينَ، وَمَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَلَقَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: وَاللَّهُ إِنِّي لَأَوَّلُ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَقَدْ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا لَنَا طَعَامٌ نَأْكُلُهُ إِلَّا وَرَقَ الْحُبْلَةِ وَهَذَا السَّمُرُ، حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةَ مَا لَهُ خِلْطٌ، ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو
পৃষ্ঠা - ৬৪৬২


মুআ ৷বিয়৷ (রা) এর পক্ষে হযরত আবু মুসা আশআরী (বা) এবং আমর ইবনুল আস যেদিন
মীমাং সার জন্যে দুমাতৃল জানদালে মিলিত হয়েছিলেন, ণ্সদিন সেখানে সা দ ইবন আবী
ওয়াক্কাস (বা) এবং ইবন উমর (রা) উপ তছিলেন ৷

সহীহ্ মুসলিম গ্রন্থে আছে যে, তার পুত্র উমার একাদন তার নিকট এল ৷ তিনি তখন তার
উট বহর নিয়ে ল্যেকালয় থেকে দুরে একাকী দিন কাটাচ্ছিলেন ৷ তার পুত্র বলল, লোকজন
শাসন-ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত আর আপনি এখানে বসে আছেন?’ উত্তরে তিনি
বললেন, হে বাংলা আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্৩ তা আলা নির্লোভ,
পরিচয় বিমুখ ও মুত্তাকী বান্দাকে ভালৰাসেন ৷’
, ইবন আসাকির বলেছেন যে, কতক জ্ঞানীজন উল্লেখ করেছেন, সা দ ইবন আবী

ওয়াক্কাসের ভাতিজা হাশিম ইবন উতবা ইবন আবী ওয়াক্কাস তার নিকট এলেন এবং

বললেন, ,চচাে এখানে এক লক্ষ তরবারি (সময় বিশারদ লোক) আছে তারা মনে করছে যে,
আপনিই এ দায়িত্বের জন্যে উপযুক্ত লোক’ ৷ তিনি উত্তরে বললেন, “এই লক্ষ তরবারি (সমর
বিশারদ) থােক আমি মাত্র একটি তরবারি (সময় বিশারদ) চাই যাকে দিয়ে মু মিনকে আঘাত
করলে মু মিনের কোন ক্ষতি ৩হবে না ৷ কিন্তু কাফিরকে আঘাত করলে তাকে কাটা যাবে’ ৷

আবদুর রাষ্যাক ইবন জুরায়জ থেকে তিনি যাকারিয়৷ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) একবার আমীর মুআবিয়্যা (রা) এর নিকট প্রতিনিধি
হিসেবে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি তার নিকট অবস্থান করেছিলেন রমযানের পুরো এক মাস ৷ এই
পুরো মাসে তিনি নামায কসর করেছেন এবং রােযা ছোড়ছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে,
হযরত সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) আমীর মুআবিয়া৷ (রা)-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ
করেছেন এবং তিনি যত অনুরোধ করেছেন, আমীর মুআবিয়া৷ (রা) তার সবগুলো রক্ষা
করেছেন ৷

আবু ই য়াল৷ যুহায়র কায়স ইবন আবী হাযিম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত সা দ
ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) বলেছেন, আমি সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যে মুশরিকদের প্রতি তীর নিক্ষেপ
করেছি ৷ আমার পুর্বে কারো জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার পিতামাতা উভয়কে উৎসর্গ করার
কথা বলেন নি ৷ আমি শুনেছি তিনি বলেছিলেন, চুণ্’া) ;,হু৷ শ্রা১ ঙ্ ৰু)৷ তৃমি তীর নিক্ষেপ
করতেই থাক, আমার পিতা-মা ত ৷ তোমার জন্যে উৎসর্গ হোন ৷’

ইমাম ণ্অক্ষোদ (র) ইয়াযীদ ইবন হারুন কারন থেকে ৰর্ণন৷ করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি সাদ ইবন মালিক (রা)-ণ্ক বলতে শুৰুন্ব্ছি যে, আল্লাহ্র কসম ! আমিই সেই আরব
ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছে ৷ আমরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে যুদ্ধ
অভিধানে ছিলাম ৷ বৃক্ষের পাতা ছাড়া আমাদের কোন খাদ্য ছিল না ৷ এমন অবস্থা হয়েহ্নিা
যে, আমাদের সাথীগণ-বকরীর মলের ন্যায় বড়ি বড়ি মলতম্পে করত ৷ তাতে কোন তারল্য
ছিল না ৷ আর এখন এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, বানু আসাদ গোত্রের লোকেরা আমাকে দীন
সম্পর্কে দােষারােপ করে ৷ যদি তইি হয় তাহলে আমি ব্যর্থ আমার সকল আমল নিরর্থক ৷
’ শুৰা, ওয়াকী এবং অন্য একাধিক লোক এটি ইসমাঈল ইবন খালিদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন সাদ মাস (বা) থেকে বর্ণনা কারন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) টঃদ যুদ্ধের দিবসে আমার জন্যে র্তার পিতা-মাত্তা উভয়কে উত্সর্গকরার কথা


أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الدِّينِ، لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي. وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَوَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ سَعِيدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدٍ قَالَ: جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ يَوْمَ أُحِدٍ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ. وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَعْدٍ. وَرَوَاهُ النَّاسُ مِنْ حَدِيثِ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ: «فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي» . وَفِي رِوَايَةٍ: فَقَالَ: «ارْمِ وَأَنْتَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৩
الْغُلَامُ الْحَزَوَّرُ ".» قَالَ سَعِيدٌ: وَكَانَ سَعْدٌ جَيِّدَ الرَّمْيِ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: أَوَّلُ النَّاسِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ سَعْدٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفَدِّي أَحَدًا بِأَبَوَيْهِ إِلَّا سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ، وَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ: «ارْمِ سَعْدُ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بِهِ. وَرَوَاهُ شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ. وَرَوَاهُ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ بِنْتَ سَعْدٍ تَقُولُ: أَنَا ابْنَةُ الْمُهَاجِرِ الَّذِي فَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ بِالْأَبَوَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৪


বলেছেন ৷ এই হাদীস ইমাম আহমদ (র) গুনদুরইয়াহয়া ইবন সাঈদ আনসারী থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ লায়ছ ও অন্যরা এটি ইয়াহয়া অনসারী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ একাধিক
বর্ণনাকারী এটি সাঈদ ইবন মুসায়য়িব সুত্রে হযরত সাদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ কেউ
কেউ এটি আমির ইবন সা দ সুত্রে৩ তার পিতা সা দ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ কোন কোন বর্ণনার ,
আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বলেছেন, আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে উৎসর্গ হোন’ ৷
এক বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে বলেছেন ;;ড্র১া৷ ,১াট্রুৰুা৷ এা৷, ণ্)া৩ তীর
নিক্ষেপ করতেই থাক, তুমি তো শক্তিমান যুবক ৷’

সাঈদ বলেছেন, সা দ ছিলেন তীর নিক্ষেপে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৷ আ মাশ আবু খালিদ সুত্রে
জারির ইবন সামুরা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র পথে সর্বপ্রথম তীর
নিক্ষেপ করেছেন সা দ (রা) ৷ ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত আলী (রা) কে বলতে শুনেছি, সাদ ইবন
মালিক ব্যতীত অনাটুকারাে জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর পিতা-মাতাকে উৎসর্গ করতে বলেছেন
বলে আমি শুনি নি ৷ আমি উহুদ যুদ্ধের দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক বসতে শুনেছি ; ; ; ঝু)া

ওা , ;, ;fi ;;া;ষ্ হে সা দ তুমি৩ তীর নিক্ষেপ করাজী থাক, আমার মাতা-পিত৷ তোমার
জন্যে উৎসর্গ হোন ৷ ইমাম বুখারী (র) আবী নুয়ায়ম সুত্রে মিস আরের মাধ্যমে সা দ ইবন
ইব্রাহীম থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ শু বা এটি বর্ণনা করেছেন সা দ ইবন ইব্রাহীম থেকে ৷
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না ও অন্যরা এটি বর্ণনা করেছেন ইয়াহয়া ইবন সাঈদ আনসারী (রা) সুত্রে
সাঈদ ইবন মুসায়য়িব-এর মাধ্যমে আলী ইবন আবী তালিবের বরা তে ৷

আবদুর রায্য়াক মা মার আইয়ুব থেকে বর্ণনা করেছেন যে,৩ তিনি আয়েশা বিনএত সাদ
(রা) কে বলতে শুনেছেন, আমি সেই মুহাজির ব্যক্তির কন্যা র্ষার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
াপতা-মাতা উভয়কে উৎসর্গ করার কথা বলেছিলেন ৷ ওয়াকিদী যথাক্রমে উবায়দা ইবন
নাযিল, আয়ের্শ৷ বিনত সা দ, তার পিতা সা দ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিনে
’ আমি অনবরত তীর নিক্ষেপ করে যাচ্ছিলাম ৷ আর পৌর বর্ণের সুন্দর চেহারার এক লোক
আমার তীর কুড়িয়ে আমাকে ফেরত দিচ্ছিল আর আমি পুনরায় ঐ তীর কাফিরদেরকে লক্ষ্য
করে ছুড়ছিলাম ৷ আমি বিস্তু লোকটিকে চিনতে পারছিলাম না ৷ পরে আমি বুঝেছি যে, ঐ
লোক ছিলেন মুলত ফেরেশৃতা ৷ ণ্

ইমাম আহমদ (র) সুলায়ম ন ইবন দাউদ হাশেমী সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসসু (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছিলেন, আমি উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ডান
দিকে ও বাম দিকে দুজন লোক দেখেছি ৷ তারা র্তার পক্ষে যুদ্ধ করছিল, প্রচণ্ড যুদ্ধ ৷ আমি
ওদেরকে পুর্বেও কোন দিন দেখি নি, পরেও কোন দিন দেখি নি ৷

ওয়াকিদী উল্লেখ করেছেন যে, ইসহাক ইবন আবী আবদিল্পাহ্ সাদ (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বদর যুদ্ধের দিন দুজন লোককে (দখেছি তারা রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর পক্ষে যুদ্ধ করছিল ৷ একজন আর ডান দিকে অপরজন তার বাম দিকে ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখছিলাম যে, তিনি আনন্দের সাথে একবার এর দিকে আরেকবার ওর
দিকে তাকাচ্ছেন ৷ আল্লাহ্ ৷ আলা তাকে যে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি পরম আনন্দ
উপভোগ ক্যাছিলেন ৷

€০া৷া





وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عُبَيْدَةُ بِنْتُ نَابِلٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَرْمِي بِالسَّهْمِ يَوْمَ أُحُدٍ، فَيَرُدُّهُ عَلَيَّ رَجُلٌ أَبْيَضُ حَسَنُ الْوَجْهِ لَا أَعْرِفُهُ، حَتَّى كَانَ بَعْدُ، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ مَلَكٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ عَنْ يَمِينِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنْ يَسَارِهِ يَوْمَ أُحُدٍ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ، يُقَاتِلَانِ عَنْهُ كَأَشَدِّ الْقِتَالِ، مَا رَأَيْتُهُمَا قَبْلُ وَلَا بَعْدُ. وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ زِيَادٍ مَوْلَى سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ يُقَاتِلَانِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِهِ وَالْآخَرُ عَنْ يَسَارِهِ، وَإِنَّى لِأَرَاهُ يَنْظُرُ إِلَى ذَا مَرَّةً وَإِلَى ذَا مَرَّةً ; سُرُورًا بِمَا ظَفَّرَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৫


সুফিয়ান আবু ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, বদর যুদ্ধে আমাদের ভাগে গনীমতের যে অংশটুকু এসেছিল
তাতে আমি, সাদ এবং আম্মার (রা) শরীক ছিলাম ৷ ইতিমধ্যে সাদ দু’জন কাফির বন্দী লোক
নিয়ে এলেন ৷ আমি এবং ট্রুআত্মার কাউকে বন্দী করতে পারি নি৷ আমাশ ইব্রাহীম ইবন
ৰুআলকামা সুত্রে ইবন মাসউদ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বদর যুদ্ধে
সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)-ব্লুক দেখেছি, তিনি শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে
যাচ্ছেন ৷ তিনি যেন পদাতিক যোদ্ধার বিরুদ্ধে অশ্বারোহী যোদ্ধ৷ ৷ মালিক বর্ণনা করেছেন,
ইয়াহয়া ইবন সাঈদ থােক তিনি আবদুল্লাহ ইবন আযীরকে বলতে শুব্লুনছেন, হযরত আব্লুয়শা
(বা) বলেছেন, একরাব্লুত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে রাত্রিযাপন করছিলেন ৷ তখন তিনি
বললেন, আহ ! এ সময়ে যদি কোন ভাল মানুষ আমাকে পাহারা দিত তবে খুব ভাল হত ৷’
হযরত আয়েশ৷ (রা) বলেন, হঠাৎ আমরা অস্থের শব্দ শুনতে পেলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
ওখানে কে? আগন্তুক বলল, আমি সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমি আপনাকে
পাহারা দিব ( হযরত আব্লুয়শ৷ (রা) বললেন, এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)নিশ্চিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন ৷
আমি তার নাক ডাকার শব্দ শুনতে পচ্ছিা৷ম ৷ ইমাম বুখায়ী ও মুসলিম এই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন
ইয়াহয়া ইবন সাঈদ থেকে ৷ অপর বর্ণনায় এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (মা) এই ঘটনায় হযরত সা দ
(রা) এর জন্যে দু আ করেছিলেন, তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ৷
ইমাম আহমদ (র) কুতায়বা আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আ স (বা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন প্রু,া
হট্রুৰু; শুট্র৷ (এখন) এই দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম এমন একজন লোক প্রবেশ করবে, যে জান্নাব্লুতর
অধিকারী ৷ তারপর সে দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম প্রবেশ করলেন, হযরত সাদ ইবন আবী
ওয়াক্কাস (বা) ৷
আবু ইয়ালা, মুহাম্মদ ইবন মুছান৷ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরজায় বসা ছিলাম ৷ তিনি বললেন, এ১;
এই দরজা দিয়ে তোমাদের নিকট
একজন জান্নাভী মানুষ প্রবেশ করবে ৷’ তখন আমাদের সকলেই ধারণা করেছিলাম যে, নবী
পরিবারের কেউ ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন ৷ কিন্তু না, আমরা দেখলাম যে, ঐ দরজা দিয়ে
প্রবেশ করলেন হযরত সা দ ইবন আৰী ওয়াক্কাস (রা) ৷
হারমাল৷ ইবন ওয়াহব আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট বসাছিলাম ৷ তিনি বলে উঠলেন, চু,া৷৷ প্রুা ১,

তোমাদের নিকট একজন লোক উপস্থিত
হবে, যে জান্নাব্লুতয় অধিকারী ৷ তখন উপস্থিত হলেন হযরত সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) ৷
পরের দিন ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐ কথা বললেন ৷ ৫সদিনও যথা নিয়মে হযরত সা দ (রা)
প্রবেশ করলেন ৷ তার পরের দিন ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তইি বললেন ৷ সেদিনও পুর্বের ন্যায়
ন্ হযরত মাস (বা) প্রবেশ করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মজলিস শেষে উঠে যাবার পর

আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) উঠে এসে বললেন, আমি আমার পিতার সাথে রাগ
করেছি আর কসম করে বলেছি যে, তিন দিন তার নিকট যাব না ৷ আপনি যদি আমাকে আশ্রয়


قَالَ: اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ وَعَمَّارٌ يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا أَصَبْنَا مِنَ الْغَنِيمَةِ، فَجَاءَ سَعْدٌ بِأَسِيرَيْنِ، وَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَعَمَّارٌ بِشَيْءٍ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَوْمَ بَدْرٍ يُقَاتِلُ قِتَالَ الْفَارِسِ لِلرَّاجِلِ. وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ يَقُولُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «بَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرِقًا ذَاتَ لَيْلَةٍ، ثُمَّ قَالَ: " لَيْتَ رَجُلًا صَالِحًا يَحْرُسُنِي اللَّيْلَةَ ". قَالَتْ: إِذْ سَمِعْنَا صَوْتَ السِّلَاحِ، فَقَالَ: " مَنْ هَذَا؟ " قَالَ: أَنَا سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، أَنَا أَحْرُسُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَتْ: فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَمِعْتُ غَطِيطَهُ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ نَامَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْغِفَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৬
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ مِنْ هَذَا الْبَابِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ".» فَدَخْلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ الرَّقَاشِيُّ الْخَرَّازُ، بَصْرِيٌّ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ ذَا الْبَابِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ» ". قَالَ: فَلَيْسَ مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا وَهُوَ يَتَمَنَّى أَنْ يَكُونَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، فَإِذَا سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ قَدْ طَلَعَ. وَقَالَ حَرْمَلَةُ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَطْلُعُ عَلَيْكُمُ الْآنَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ". فَاطَّلَعَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَ: فَاطَّلَعَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَلَى تَرْتِيبِهِ الْأَوَّلِ، حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ، فَطَلَعَ عَلَى تَرْتِيبِهِ، فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَقَالَ: إِنِّي غَاضَبْتُ أَبِي، فَأَقْسَمْتُ أَنْ لَا أَدْخُلَ عَلَيْهِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُؤْوِيَنِي إِلَيْكَ حَتَّى تَنْحَلَّ يَمِينِي، فَعَلْتَ. قَالَ أَنَسٌ: فَزَعَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو أَنَّهُ بَاتَ مَعَهُ لَيْلَةً، حَتَّى إِذَا كَانَ مَعَ الْفَجْرِ فَلَمْ يَقُمْ تِلْكَ اللَّيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৭


দেন যাতে আমি আমার কসম পালন করতে পারি তবে খুব ভাল হয় ৷ বর্ণনাকাবী আনান (রা)
বলেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমরের কথায় হযরত সাদ (রা) রাষী হলেন ৷ আবদুল্লাহ (রা)
হযরত সাদ (রা)-এর বাড়ি একরাত কাটালেন ৷ তিনি দেখলেন যে, ফজর পর্যন্ত সাদ ইবন
আবু ওযাক্কাস (রা) পাের৷ থেকে উঠেন নি৷ তবে তিনি এতাটুকু করেছেন যে, বিছানায গিয়ে
আল্লাহর যিকব ও আল্লাহ আকবর পাঠ করেছেন ৷ ফজরের সময় ফজরের নামায আদায়
করেছেন ৷ ফরয নামায আদায়ের পর তিনি খুব ভালভাবে ওবু করেছেন এবং বোয৷ না রেখে
ভোর করেছেন ৷ অর্থাৎ সেদিন তিনি রোযা রাখেন নি ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (বা) বলেছেন, আমি এক নাগাড়ে তিন দিন তিন রাত তাকে
গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি ৷ আমি দেখেছি যে, এই তিন দিনে এর অতিরিক্ত কোন আমল
তিনি করেন নি ৷৩ তবে আমি দেখেছি যে, তিনি ভাল ছাড়া কোন মন্দ কথা বলেন নি ৷ তিন রাত
শেষ হবার পর আমি যখন তার এই fiflfi?$fifi!fi§-;fifi ও স্বল্প হিসেবে সাব্যস্ত করতে
যাচ্ছিলাম“”তখন আমি তাকে বললাম, মুলত আমার এবং আমার বাবার মধ্যে কোন
মনোমালিন্য ও রাগারাগি হয়নি ৷ একে একে তিনদিন তিন মজলিসে রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন
বলালন,“তােমাদের নিকট এখন একজন জান্নাতী লোক প্রবেশ করবে এবং তিনদিনই সে
সময়ে আপনি প্রবেশ করলেন, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমি আপনার সান্নিধ্যে থাকর,
আপনার দৈনন্দিন আমলগুলাে দেখব এবং আমিও অনুরুপ আমল করব, যাতে আপনি যে
মর্যাদা ও সম্মান লাভ করেছেন আমিও ত৷ অর্জন করতে পারি ৷ কিন্তু আমি তো আপনাকে খুব
বেশি আমল করতে দেখলাম না ৷ তাহলে বলুন তাে কিসের ভিত্তিতে আপনি রাসুলুল্লাহ্ (সা
এর ঘোষিত ঐ মর্যাদা লাভ করলেন?’
হযরত সাদ (রা) বললেন, মুলত আমার আমল তুমি যা দেখেছ তার বেশি কিছু নয় ৷
আবদুল্লাহ (রা) বলেন, এরপর আমি বিদায় নিতে যাচ্ছিলাম ৷ তিনি আমাকে ডাকলেন এবং
বললেন, আমার আমল তা-ই তুমি যা দেখেছ তবে একটু ব্যতিক্রা এই যে, আমি কোন মুসলমানের ন্
প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করি না, কারো অকলঙ্কুাণ কামনা করি না এবং কারো সাথে মন্দ কথা
বলি না৷ হযরত আবদুল্লাহ (রা) বললেন, ইা৷, এটিই, এটিই আপনাকে ঐ নর্যদ্যেয় অধিষ্ঠিত
করেছে ৷ আর আমি তেমনটি করতে পারি না ৷ সালিহ মিঘৃষী এটি বর্ণনা করেছেন, আমর
ইবন দীনার সালিমের পিতা সুত্রে ৷ সেটিও আনাসইবন মালিক (ক)-এর বর্ণনার অনুরুপ ৷
সহীহ্ মুসলিমে সুফিয়ান মান (বা) থেকে বর্ণিত আছে, ,
— ১০ি
যারা তাদের প্রতিপালককে প্রাতে ও সন্ধ্যায় র্তার সন্তুষ্টি লাতার্থে ডাকে, তাদেরকে আপনি
বিতাড়িত করবেন না ৷ তাদের কর্মের জবাবদিহিতার দায়িত্ব আপনার নয় এবং আপনার কর্মের
জবাবদিহিতার দায়িত্বও তাদের নয় যে, আপনি তাদের বিতাড়িত করবেন ৷ করলে আপনি
জালিমদ্রের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷ (সুরা ৬, আনআমঃ ৫২) এই আয়াত সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে,
ছয়জন লোককে উপলক্ষ করে এই আয়াত নাযিল হয়েছে ৷ আমি এবং ইবন মাসউন (রা) ঐ
ছয়জংনয় অন্তর্ভুক্ত ছিলাম ৷


شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا انْقَلَبَ عَلَى فِرَاشِهِ ذَكَرَ اللَّهَ، وَكَبَّرَهُ حَتَّى يَقُومَ مَعَ الْفَجْرِ، فَإِذَا صَلَّى الْمَكْتُوبَةَ أَسْبَغَ الْوُضُوءَ وَأَتَمَّهُ، ثُمَّ يُصْبِحُ مُفْطِرًا. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: فَرَمَقَتْهُ ثَلَاثَ لَيَالٍ وَأَيَّامَهُنَّ، لَا يَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ، غَيْرَ أَنِّي لَا أَسْمَعُهُ يَقُولُ إِلَّا خَيْرًا، فَلَمَّا مَضَتِ اللَّيَالِي الثَّلَاثُ وَكِدْتُ أَحْتَقِرُ عَمَلَهُ قُلْتُ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَيْنِي وَبَيْنَ أَبِي غَضَبٌ وَلَا هِجْرَةٌ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ قَبْلُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فِي ثَلَاثَةِ مَجَالِسَ: " يَطْلُعُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ". فَاطَّلَعْتَ أَنْتَ أُولَئِكَ الْمَرَّاتِ الثَّلَاثَ، فَأَرَدْتُ أَنْ آوِيَ إِلَيْكَ حَتَّى أَنْظُرَ مَا عَمَلُكَ فَأَقْتَدِيَ بِكَ، فَلَمْ أَرَكَ تَعْمَلُ كَثِيرَ عَمَلٍ، فَمَا الَّذِي بَلَغَ بِكَ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا هُوَ إِلَّا الَّذِي رَأَيْتَ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ انْصَرَفْتُ عَنْهُ، فَدَعَانِي حِينَ وَلَّيْتُ، فَقَالَ: مَا هُوَ إِلَّا مَا رَأَيْتَ، غَيْرَ أَنِّي لَا أَجِدُ فِي نَفْسِي سُوءًا لِأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَلَا أَنْوِي لَهُ شَرًّا وَلَا أَقُولُهُ. قَالَ: هَذِهِ الَّتِي بَلَغَتْ بِكَ، وَهِيَ الَّتِي لَا أُطِيقُ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ مَوْلَى آلِ الزُّبَيْرِ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ مِثْلَ رِوَايَةِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৮

অপর এক বর্ণনায় আছে হযরত সা দ (যা) বলেছেন যে,
:;:-——#-”—fi ক্ট-দ্বুন্এএ ম্পিস্প শ্চিহ্নন্ষ্ষ্র্ম্পএে ণ্<“গ্র ;—“
তবে তারা যদি অর্থাৎ পিতামাতা যদি তে ৷মার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন
কিছু শরীক করতে, মার সম্পর্কে তোমার কােন জ্ঞান নেই, তুমি তাদেরকে মেনে নেবে না ৷
আমারই নিকট৫ আমাদের প্রত্যাবতন ৷ তারপর আমি তােমাদেরাক জানিয়ে দেব তোমরা কি
করছিলে’ ৷ (সুরা-২৯, আনকাবুত ৩৪ ৮)
এই আয়াত নাযিল হয়েছে আমাকে উপলক্ষ করে ৷ ঘটনা এই ছিল যে, হযরত সা দ (রা)
ইসলাম গ্রহণ করার পর তার সাথে অভিযান করেত তার মাতা পানাহার ছেড়ে দেয়৷ ঈমানে
অবিচল হযরত সা দ (রা) তখন তার মাকে বলেছিলেন, মা, তৃমি শুনে রেখ, আল্লাহর কসম ৷
তোমার যদি ১০০ টি প্রাণ থাকে আ র আমার প্রতি অভিমানবশত পানাহার ত্যাগের ফলে একে
একে তোমার ১০০ টি প্রাণ বেরিয়ে যায়ত তবুও আমি আমার এই দীন-ধর্ম ত্যাগ করব না ৷ তুমি
চাইলে খাও ৷ নতুবা না খাও ৷’ এই প্রেক্ষিতে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয় ৷
দশজন লোকের জান্নাতী হবার সুসংবাদ বিষয়ক হাদীসঢি সহীহ্ গ্রন্থে সাঈদ ইবন যায়দ
(বা) থেকে বর্ণিত রয়েছে ৷ হেব৷ গুহাব ঘটনা বিষয়ক হাদীসটিতে হযরত সাদ ইবন আবু
ওয়াক্কাস (রা) এর নাম উল্লেখ আছে জান্নাতের সুসংবার্দ প্রাপ্ত দশজনের মধ্যে ৷ এটি সুহায়ল
আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণিত ৩হয়েছে ৷
, হুশায়ম প্রমুখ মুজালিছ জাষির (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ছিলাম ৷৩ তখন দেখতে পেলাম যে, হযরত সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(বা) আমাদের দিকে এগিয়ে আসহ্নে ৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চু,শুম্াপ্রু হু,া৷ হু ৷ব্লু
ন্ ণ্ওা৷১ ,,া)৷ ইনি আমার মামা ৷ আমার মামার মত মামা আর কেউ দেখাক তো ৷ এটি
উদ্ধৃত করেছেন ইমাম তিরমিযী (র) ৷
তাবরানী হুসায়ন ইবন ইসহ্াক তুসতারী হযরত জাষির (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন আমরা রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে ছিলাম ৷ হঠাৎ সেখানে হযরত
সাদ (রা) উপস্থিত হলেন ৷ তবে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ইনি আমার মামা ৷ ’
সহীহ্ গ্রন্থে উদ্ধৃত আছে যে, মালিক ও অন্যরা যুহ্রী সুত্রে আমীর ইবন সাদের মাধ্যমে
তীর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত সাদ (বা) এর শরীরের ব্যথা ভীব্রতর হবার
প্রেক্ষাপটে৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে দেখতে এসেছিলেন ৷ সেটি ছিল বিদায় হরুজ্জা বছর ৷ হযরত
সা দ (বা) বলেছিলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো বিত্তশালী মানুষ, আমার একমাত্র মেয়ে
ছাড়া আমার কোন ওয়ারিস নেই, আমি কি আমার সম্পদের ২৩ অংশ সাদকা করে দিব?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, তা করবে না ৷’ আমি বললাম, তাহ্লে কি ১২ অংশ সাদকা
করব? ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্া’ তিনি বললেন, না তাও নয় ৷ ’আমি বললাম, তবে ১৩ অংশ? তিনি
বললেন, হীা, ১৩ অংশ সাদকা করতে পারেন, ১৩ অং শ্ইি যথেষ্ট বেশি’ ৷ আপনার
ওয়ারিসদেরকে দরিদ্র লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় তেমন রেখে যাওয়ার চইিভে সচ্ছল ও
অভাবমুক্ত রেখে যাওয়া আপনার জন্যে অধিকতর কল্যাণকর ৷ আল্লাহ্র সম্ভষ্টি অর্জনের লক্ষে
আপনি যা-ই ব্যয় করবেন তাতে আপনি নওয়াব পাবেন ৷ এমনকি আপনার শ্রীর মুখে একটি


شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {وَلَا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ} [الأنعام: 52] . نَزَلَتْ فِي سِتَّةٍ، أَنَا وَابْنُ مَسْعُودٍ مِنْهُمْ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَنْزَلَ اللَّهُ فِيَّ {وَإِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا} [العنكبوت: 8] . وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا أَسْلَمَ امْتَنَعَتْ أُمُّهُ مِنَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ أَيَّامًا، فَقَالَ لَهَا: تَعْلَمِينَ وَاللَّهِ لَوْ كَانَتْ لَكِ مِائَةُ نَفْسٍ، فَخَرَجَتْ نَفْسًا نَفْسًا، مَا تَرَكْتُ دِينِي هَذَا لِشَيْءٍ، إِنْ شِئْتِ فَكُلِي، وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَأْكُلِي. فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ. وَأَمَّا حَدِيثُ الشَّهَادَةِ لِلْعَشَرَةِ بِالْجَنَّةِ، فَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ، مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، وَجَاءَ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي قِصَّةِ حِرَاءَ، ذَكَرَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ مِنْهُمْ. وَقَالَ هُشَيْمٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ سَعْدٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «هَذَا خَالِيَ، فَلْيُرَنِي امْرُؤٌ خَالَهُ» ". رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৬৯
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ التُّسْتَرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مَاعِزٍ التَّمِيمِيِّ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذْ أَقْبَلَ سَعْدٌ فَقَالَ: " هَذَا خَالِي» ". وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَهُ يَعُودُهُ عَامَ حِجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي ذُو مَالٍ وَلَا يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: فَالشَّطْرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". قُلْتُ: فَالثُّلُثُ؟ قَالَ: " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ بِهَا، حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِيِّ امْرَأَتِكَ» - وَفِي رِوَايَةٍ: «حَتَّى اللُّقْمَةَ تَضَعُهَا فِي فَمِ امْرَأَتِكَ - قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي؟ فَقَالَ: " إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلِّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيَضُرَّ بِكَ آخَرُونَ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي
পৃষ্ঠা - ৬৪৭০


লোকমা তৃলে দিলে তাতেও আপনি সওয়াব পাবেন ৷ ’ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷
আমার সাথীগণ মদীনায় চলে যাবে ৷ আমি কি হজ্জ করতে এসে মক্কাতেই মারা যাব?’
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আপনি যদি বেচে থাকেন এবং ঐ সময়ে আল্লাহর সম্ভষ্টির জানা
কাজ করতে থাকেন ৷ তবে তাতে আপনার মর্যাদা অধিক হারে উন্নত হবে ৷ সম্ভবত আপনি
দীর্ঘ দিন বেচে থাকবেন এবং আপনার মাধ্যমে একদল লোক উপকৃত হবে এবং অপর একদল
ক্ষআিস্ত হবে ৷’ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,

র্শী গ্লু১স্পে

শ্ব;

হে আল্লাহ ! আপনি আমার সাহাবীদের হিজরত পুর্ণ করে দিন ৷ ওদেরকে পেছনের দিকে
ফিরিয়ে দিবেন না ৷ তবে দুঃখ হয় সা দ ইবন খাওলার জন্যে ৷’ হযরত সা দ ইবন খাওলা (রা)
মদীনায় হিজরত করেছিলেন ৷ পরবর্তীতে বিদায় হাজ্জর সময় মক্কায় এসে ইন্তিকাল করেন ৷
এজন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জন্য দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইয়াহ্য়া ইব ন সাঈদ আয়েশা বিনৃত সাদ সুত্রে হযরত সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস (বা) থেকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ ঐ বর্ণনায়- আছে যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার কপালে হাত ব্লেখেছিলেন এবং স্বহস্তে তার মুখম;ণ্ডল, বুক এবং পেট
মাসেহ করে দিয়েছিলেন ৷ আর বলেছিলেন,
হে আল্লাহ সাদকে সুস্থ করে দিন এবৎ৩ তার হিজরত পুর্ণ করে দিন’ ৷ হযরত সা দ (রা)
বলেন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার অনবরত মনে হচ্ছে যে, আমি আমার কলি জায় তার
হাতের শী৩ ল স্পর্শ অনুভব করছি’ ৷ ইবন ওয়াহব মুসা ইবন আলী ইবন রিবাহ্ তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত সা দ (রা) কে তার অসুস্থতার সময় দেখতে
গিয়েছিলেন ৷ তিনি তখন এই দু আ করেছিলেন,
শ্ব
ই র্দুব্লষ্এষ্ন্শ্

হে আল্লাহ ! তার দুঃখ-কষ্টদু দুর করে দিন, হে মানুষের উপাস্য, মাবুদ৷ হে মানুষের
অধিপতি! আপনি মুক্তিদাতা, আপনি ব্যতীত তাকে রোগ থেকে মুক্তি দেয়ার কেউ নেই ৷
আল্লাহর নামে আমি তোমাকে কুক দিচ্ছি কৃদৃষ্টি ও হিংসাসহণ্ আমাকে কষ্ট দানকারী সব কিছু
থেকে ৷ হে আল্লাহ! আপনি ওর দেহ ও মন ভাল করে দিন ৷ তার ব্লোগ দুর করে দিন এবং
তার দুআ কবুল করুন ৷ ’

ইবন ওয়াহব আমর বাকর ইবন আশাজ্জ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত
সাদ (রা)-এর উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বক্তব্য সস্তুবত আপনি আরো কিছু সময় বেচে
থাকবেন এবং আপনার মাধ্যমে একদল উপকৃত হবে আর অপরদল ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷’ এর
ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম আমীর ইবন সাদের নিকট ৷ উত্তরে আমীর বললেন যে, পরবর্তী

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া--২০
€০া৷া



هِجْرَتَهُمْ، وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ ". يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْجَعْدِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَفِيهِ: قَالَ: «فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ، فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَصَدْرَهُ وَبَطْنَهُ، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا وَأَتِمَّ لَهُ هِجْرَتَهُ ". قَالَ سَعْدٌ: فَمَا زِلْتُ يُخَيَّلُ إِلَيَّ أَنِّي أَجِدُ بَرْدَ يَدِهِ عَلَى كَبِدِي حَتَّى السَّاعَةِ.» وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَ سَعْدًا فَقَالَ: " اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنْهُ الْبَاسَ، إِلَهَ النَّاسِ، مَلِكَ النَّاسِ، أَنْتَ الشَّافِي لَا شَافِيَ لَهُ إِلَّا أَنْتَ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مَنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ حَسَدٍ وَعَيْنٍ، اللَّهُمَّ أَصِحَّ قَلْبَهُ وَجِسْمَهُ، وَاكْشِفْ سَقَمَهُ وَأَجِبْ دَعْوَتَهُ ".» وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ قَالَ: سَأَلْتُ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ عَنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ: «وَعَسَى أَنْ تَبْقَى يَنْتَفِعُ بِكَ أَقْوَامٌ وَيَضُرُّ بِكَ آخَرُونَ ".» فَقَالَ: أُمِّرَ سَعْدٌ عَلَى الْعِرَاقِ، فَقَتَلَ قَوْمًا عَلَى الرِّدَّةِ فَضَرَّهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৭১




০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

১৫৪ আলৰুবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

সময়ে হযরত সা দ (বা) ইরাকে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ তখন ধর্মত ৷৷গী মুরতাদ
হবার কারণে তিনি একদল লোককে হত্যা করেছিলেন ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৷ অপর
একদল লোককে তিনি তাওব৷ করতে বলেছিলেন ৷ ওরা ভণ্ড নবী মুসায়লাম৷ কায্যাবের
অনুসারী ছিল৷ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা তাওব৷ করেছিল ৷ ফলে তার মাধ্যমে তারা
উপকৃত হল ৷ »
ইমাম আহমদ (র) আ বু হুাপীর৷ আবু উমাম৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে বসা ছিলাম ৷ তিনি আমাদেরকে খুব উপদেশ দিলেন
এবং মন নরম হয়ে ৷যায় এমন কথাবার্তা বললেন ৷ হযরত সা ৷দ (রা) কেদে ফেললেন ৷ তিনি খুব
কাদলেন আর বললেন, হায় ! আ ৷মি যদি মরে যেতাম ৷ ’ তখন রাসুলুল্লাহ (না) বললেন
হে সা দ আপনাকে যদি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করা হয়ে থাকে তাহলে আপনার আয়ু-৩ যত
বৃদ্ধি হবে এবং আপনার আমল যত ভাল হবে তা আপনার জন্যে ৩৩ বেশি কল্যাণৰুর হবে ৷’
মুসা ইবন উক্বা সা দ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,

হে আল্লাহ ! সা দ এর ভীরকে লক্ষ্যস্থল পৌছিয়ে দিবেন এবং তার দু আ কবুল করবেন ৷’
সাইয়ার ইবন বাশীর কায়স সুত্রে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,



তিনি বলেছেন, আমি ব্াসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি হযরত সাদ সম্বন্ধে

বলেছিলেন,
হে আল্লাহ তার তীর লক্ষ্যভেদী করে দিন, তার দু আ কবুল করুন এবং তাকে আপনার
বান্দাদের নিকট প্রিয় ও ভালবাসার পাত্র বানিয়ে দিন’ ৷
হযরত ইবন আব্বাস (রা)এর হাদীসে এসেছে অপর বর্ণনায় মুহাম্মদ অইিদ দামেশৃকী
মিকদাম ও অন্যদের থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত সাদ (রা) বলেছিলেন, ইয়াণ্
রাসুল্লাল্লাহ্ (সা) ! আল্লাহর নিকট দুআ করুন তিনি যেন আপনার দুআ কবুল করেন ৷’ উত্তরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত হ্ালাল ও পবিত্র খাদ্য খাবে না ততক্ষণ আল্লাহ
ঐ বান্দার দু আ কবুল করবেন না ৷’ এবার তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ আল্লাহর
নিকট দু আ করুন তিনি যেন আমাকে সর্বদা হালাল ও পবিত্র খাবার গ্রহণের ব্যবস্থা করে
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার জন্যে সেই দু আ করলেন ৷ বর্ণনাকারীপণ বলেছেন যে, হযরত
সাদের ক্ষেতে যদি বাইরে থেকে কোন শস্য ছড়া এসে পড়ত, তিনি সেটি গ্রহণ করতেন না
বরং যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরিয়ে দিতেন ৷ ফলে তিনি পরিণত হয়েছিলেন দুআ

কবুলযোগ্য এক বিশেষ ব্যক্তিতে ৩৷ তিনি দু আ করলে সেটি কবুল হত ৷

এ প্রসঙ্গে একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনা এই যে, সহীহ্ বুখাবী ও মুসলিষ্মে আবদুল মালিক ইবন
উমায়র সুত্রে জাবির ইবন সালামা (র ৷) থেকে বর্ণিত আছে, কুফার অধিবাসীগণ হযরত সা দ
(রা) এর বিরুদ্ধে খলীফা উমর (রা) এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছিল ৷ তারা তার সকল
কাত্তেইি তাকে দােষারোপ করেছিল ৷ এমনকি তারা বলেছিল যে, হযরত সাদ (রা) ভালভাবে


وَاسْتَتَابَ قَوْمًا كَانُوا سَجَعُوا سَجْعَ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، فَتَابُوا فَانْتَفَعُوا بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا مَعَانُ بْنُ رِفَاعَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: «جَلَسْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَّرَنَا وَرَقَّقَنَا، فَبَكَى سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، فَأَكْثَرَ الْبُكَاءَ، وَقَالَ: يَا لَيْتَنِي مِتُّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا سَعْدُ، أَعِنْدِي تَتَمَنَّى الْمَوْتَ! " فَرَدَّدَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ: " يَا سَعْدُ، إِنْ كُنْتَ لِلْجَنَّةِ خُلِقْتَ، فَمَا طَالَ عُمْرُكَ أَوْ حَسُنَ مِنْ عَمَلِكَ، فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» ". وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَغَيْرُهُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ سَدِّدْ رَمْيَتَهُ وَأَجِبْ دَعْوَتَهُ ".» وَرَوَاهُ بَيَانُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِسَعْدٍ: " «اللَّهُمَّ سَدِّدْ سَهْمَهُ وَأَجِبْ دَعْوَتَهُ، وَحَبِّبْهُ إِلَى عِبَادِكَ» ".
পৃষ্ঠা - ৬৪৭২
وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَفِي رِوَايَةِ مُحَمَّدِ بْنِ عَائِذٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ مُطْعِمِ بْنِ الْمِقْدَامِ وَغَيْرِهِ، «أَنَّ سَعْدًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُجِيبَ دَعْوَتِي. فَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَجِيبُ دَعْوَةَ عَبْدٍ حَتَّى يُطَيِّبَ مَطْعَمَهُ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُطَيِّبَ طُعْمَتِي. فَدَعَا لَهُ. قَالُوا: فَكَانَ سَعْدٌ يَتَوَرَّعُ مِنَ السُّنْبُلَةِ يَجِدُهَا فِي زَرْعِهِ، فَيَرُدُّهَا مِنْ حَيْثُ أُخِذَتْ» . وَقَدْ كَانَ كَذَلِكَ مُجَابَ الدَّعْوَةِ، لَا يَكَادُ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلَّا اسْتُجِيبَ لَهُ، فَمِنْ أَشْهَرِ ذَلِكَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنْ أَهْلَ الْكُوفَةِ شَكَوَا سَعْدًا إِلَى عُمَرَ فِي كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى قَالُوا: لَا يُحْسِنُ يُصَلِّي. فَقَالَ سَعْدٌ: أَمَّا إِنِّي لَا آلُو أَنْ أُصَلِّيَ بِهِمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أُطِيلُ الْأُولَيَيْنِ، وَأَحْذِفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ. فَقَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ. وَكَانَ قَدْ بَعَثَ مِنْ يَسْأَلُ عَنْهُ بِمَحَالِّ الْكُوفَةِ، فَجَعَلُوا لَا يَسْأَلُونَ أَهْلَ مَسْجِدٍ إِلَّا أَثْنَوْا خَيْرًا، حَتَّى مَرُّوا بِمَسْجِدٍ لِبَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: أَبُو سَعْدَةَ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ. فَقَالَ: إِنَّ سَعْدًا كَانَ لَا يَسِيرُ فِي السَّرِيَّةِ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৩

া৷মাযই আদায় করতে জানেন না ৷ হযরত সাদ (বা) বললেন, ওচদরচক নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর তবীকায় নামায আদাচয় তো আমি কমতি করি না ৷ প্রথম দু’রড়াকাআত লম্বা করি
আর শেষ দুরাকাআত সংক্ষিপ্ত করি ৷’ হযরত উমর (রা) বললেন এটি হল আপনার সম্পর্কে
সন্দেহ ও তাবিশ্বাস সৃষ্টি করার একটি অপকৌশল ৷ খলীফা উমার (বা ) গোপনে কুফা র মহল্লায়
মহল্পায় লোক পাঠিয়ে দিলেন এই অভিযোগের সত্য৩ তা যাচাইচয়র জন্যে ৷ তারা যে কোন
মসজিদে গিয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিল আর উত্তরে সবাই তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য
বহ্বছিল ৷ তদন্ান্তক ৷রী লোকজন এক পর্যায়ে বানু আবাস চগাত্রের একটি মসজিদে উপস্থিত হল ৷
সেখানে আবু সাদা উসাম৷ ইবন কা ৷তাদ৷ নামের একজন লোক দাড়িয়ে বলল, “হযরত সা দ
কোন সেনা অভিযানের সাথে যান না, বণ্টনচযাপ্য মালামাল সমানভ৷ বে বণ্টন করেন না এবং
জনগণের মধ্যে ন্যায় বিচার করেন না ৷” তার এই কথা হযরত সা দ (রা) এর কানে এল ৷
তখন তিনি বললেন, ইয়৷ আল্লাহ! ঐ চলাকটি যদি নিজের নাম জাহির করার জন্যে এবং
নিজেকে খ্যাতিমান করে তোলার জন্যে আমার সম্পর্কে এমন মিথ্যা কথা বলে থাকে, তবে
আপনি তার আবু দীর্ঘ করে দিন ৷ দাড্রিদ্রকেতার নিত্য সঙ্গী করে দিন, চোখ অন্ধ করে দিন
এবং তাকে ফিতনা-ফাসাদ ও অশান্তিতে নিক্ষেপ করুন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমি ঐ
লােকটিচক দেখেছি খুব বৃদ্ধ, বহু দিন বেচে থাকার কারণে তার ভ্রন্গুলো চোখের উপর ঝুচল
পড়েতাি ৷ সে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকত আর কুমারী মেয়েদের প্রতি চোখের ইশারা করত ৷ তার
এই অবস্থার কারণ জানতে চাইলে সে বলত, আমি ফিতনাংাস্ত এক বৃদ্ধ মানুষ ৷ আমার ব্যাপারে
হযরত সাদ (রা)-এর বদদুআ কার্যকর হয়েছে ৷ একটি অসমর্থিত সনদে বর্ণিত আছে যে, ঐ
চলাকটি মুখতার ইবন আবু উবায়দ (রা) এর সময় পর্যন্ত জীবিত ছিল এবং মুখতার ইবন আবু
উবাচয়চদর সময়ে সংঘটিত ফিতন৷ ও বিশৃগ্রলায় জড়িয়ে সে নিহত হয়েছে ৷
তাবাবানী ইউসুফ কাযী সাঈদ ইবন যুসায়্যাব (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন যাবর৷ নামে হযরত নামের একটি ক্রীতদাসী ঘর থেকে বের হল ৷ তার
গায়ে ছিল একটি নতুন জামা ৷ হঠাৎ বাতাস প্রবাচহ তার জামা থুচলযায় ৷ অসতর্কতার শাস্তি
স্বরুপ হযরত উমর (রা)৩ তাকে চবত্রাঘাত করেন ৷ হযরত সা দ (রা) হযরত উমর (রা) কে
বিরত রাখতে এগিয়ে এলেন, হযরত উমর (রা) এর চবত্রাঘাত হযরত সা দ (রা) এর পায়ে
গিয়েও লাগে ৷ হযরত সা দ (রা) তখন হযরত উমর (রা) এর বিরুদ্ধে বদদু আ করতে
যাচ্ছিচলন ৷ তখনই হযরত উমর (রা) চাবুকঢি হযরত সা দ (রা) এর হাতে দিয়ে বলেন, এই
নিন চাবুক ৷ চাবুকে আঘাত করে আপনি আমার থেকে প্রতিশোধ্ নিন ৷ তবুও বদদু আ করবেন
না ৷’ তখন হযরত সা দ (রা) খলীফা উমর (রা) চক ক্ষমা করে দিলেন ৷
আরো কথিত আছে যে, একবার হযরত সা দ (বা) এবং হযরত ইবন মাসউদ (রা)-
এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ৷ হযরত সা দ ইবন মাসউদের বিরুদ্ধে বদদু আ করতে
উদ্যত হলেন, তাতে ইবন মাসউদ (বা) খুব ভয় পেয়ে গেলেন এবং তাড়াতাড়ি পালিয়ে

সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ (র) বলেছেন, কাদেসিয়৷ যুদ্ধের দিলে হযরত সা দ (রা)
সেনাপতির দায়িতুরত ছিলেন ৷ যুদ্ধের ময়দানে তিনি আহত ছিলেন ৷ ফচল বিজয়ের দিলে তিনি
যুদ্ধে অংশ নিতে পারেন নি ৷ তার এই অনুপস্থিতির দিচক ৰ্ল্টাক্ষ করে বুজায়লা গোত্রের এক
লোক নিম্নের স্লোকটি উচ্চারণ কচরছিলং :

€০া৷া



وَلَا يِقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلَا يَعْدِلُ فِي الْقَضِيَّةِ. فَبَلَغَ سَعْدًا قَوْلُهُ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هَذَا قَامَ مَقَامَ رِيَاءٍ وَسُمْعَةٍ، فَأَطِلْ عُمْرَهُ وَأَدِمْ فَقْرَهُ، وَعَرِّضْهُ لِلْفِتَنِ. قَالَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ شَيْخًا كَبِيرًا، قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ، يَقِفُ فِي الطَّرِيقِ، فَيَغْمِزُ الْجَوَارِيَ، فَيُقَالُ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَيَقُولُ: شَيْخٌ مَفْتُونٌ أَصَابَتْهُ دَعْوَةُ سَعْدٍ. وَفِي رِوَايَةٍ غَرِيبَةٍ، أَنَّهُ أَدْرَكَ فِتْنَةَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ فَقُتِلَ فِيهَا. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا يُوسُفُ الْقَاضِي، ثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: خَرَجَتْ جَارِيَةٌ لِسَعْدٍ يُقَالُ لَهَا: زَبْرَاءُ. وَعَلَيْهَا قَمِيصٌ جَدِيدٌ، فَكَشَفَتْهَا الرِّيحُ، فَشَدَّ عَلَيْهَا عُمَرُ بِالدِّرَّةِ، وَجَاءَ سَعْدٌ لِيَمْنَعَهُ، فَتَنَاوَلَهُ عُمَرُ بِالدِّرَّةِ، فَذَهَبَ سَعْدٌ يَدْعُو عَلَى عُمَرَ، فَنَاوَلَهُ الدِّرَّةَ وَقَالَ: اقْتَصَّ. فَعَفَا عَنْ عُمَرَ. وَرَوَى أَيْضًا أَنَّهُ كَانَ بَيْنَ سَعْدٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ كَلَامٌ، فَهَمَّ سَعْدٌ أَنْ يَدْعُوَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৪


তুমি কি দেখছ না আল্লাহ্ তা আলা তো তার দীনকে বিজয়ী করেছেন ৷ আর না দ তখনো
কাদেসিয়ার প্ৰব্লুবশদ্বারে স্থির হয়ে বসে আছেন’ ৷
আমর৷ যুদ্ধ ময়দান থেকে ফিরে এসেছি এ অবস্থায় যে, অনেক মহিলা বিধবা হয়ে
গিয়েছে ৷ কিন্তু সা দের (বা) ন্তীদের মধ্যে কেউই বিধবা হয় নি ৷
এই মিথ্যা ও নিন্দনীয় অপবাদের কথা শুনে হযরত সাদ (রা) বললেন, হে আল্লাহ্ ৷
আপনি তার হাত ও জিহ্বা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন ৷’ অতঃপর একটি অজ্ঞাত তীর
এসে তাকে আঘাত করে ৷ তাতে সে বোব৷ হয়ে যায় এবং তার হাত দু ব্লুট৷ শুকিয়ে যায় ৷
যিয়াদ বুকাই এবং সায়ফ ইবন উমার ইবন উমর (রা) থেকে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷
এরপর হযরত সা দ বাইরে বেরিয়ে এলেন এবং জনগণকে তার পিঠের ক্ষতস্থান দেখালেন
যাতে তার অভিযানে অনুপস্থিত থাকার কারণ তারা জানতে পারে ৷
হুশায়ম উল্লেখ করেছেন, আবু বালহ সুত্রে মুস আব ইবন সা দ (রা)’ থেকে যে, এক লোক
হযরত আলী (রা) সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছিল ৷ হযরত সাদ (বা) তাকে নিষেধ
করেছিলেন কিন্তু সে বিরত থাকে নি ৷ তখন হযরত সাদ (রা) বললেন, ঐ অপকর্ম না ছাড়ব্লুল
আমি কিন্তু তোমার প্রতি ৩বদদৃ অ৷ করব ৷ তবুও সে৩ তা ছাড়ে নি ৷ হযরত সা দ (বা) তার প্রতি
আল্লাহ্ তা আলার নিকট বদদু আ করলেন ৷ একটি উন্মাদ উট এব্লুস তাকে দলিত-মথিত করে
কামব্লুড় মেরে ফেলল ৷
অন্য এক বর্ণনায় আমীর ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত সাদ (রা)
দেখলেন যে, একদল লোক এক ব্যক্তিকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে ৷ দুজব্লুনর র্ফাক দিয়ে মাথা
ঢুকিব্লুয় তিনি দেখতে পেলেন যে, ঐ লোক হযরত আলী (রা), তালহ৷ (রা) ও যুবায়র (রা)-
ব্লুক পালি দিচ্ছে ৷ তিনি তাকে বারণ করলেন ৷ সে বিরত থাকা না ৷ তিনি সতর্ক করে দিয়ে
বললেন যে, আমি কিন্তু ভোর জন্যে বদদৃআ করে দিব ৷ সে বলল, বাহ৷ আপনি দেখছি
আমাকে ভয় দেখাব্লুচ্ছন, যেন আপনি নবী ৷’ হযরত সাদ (রা) কাির এলেন ৷ তিনি এক
লোকের রাড়িব্লুত প্রবেশ করলেন ৷ তারপর ওয়ু করলেন ৷ দু’ৱাকআত নামায আদায় করলেন ৷
তারপর দৃ’হাত ভুলে বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি যদি জেনে থাক্কো যে, এই লোক এমন
কতক ব্যক্তিকে পালি দিচ্ছে যাদের ভাল মানুষ হওয়াটা বহু আগেই আপনার পক্ষ থােক
নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে এবং তাদেরকে পানি দিয়ে সে আপনাকে অসম্ভষ্ট কব্লুরব্লুছ, তাহলে আপনি
তাকে দৃষ্টাতমুলক শাস্তি প্রদান করুন যাতে তার পরিণতি দেখে অন্যরা শিক্ষা লাভ করে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন যে, তারপর এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি উন্মাদ বুখৃভী উট বের হল ৷
উটটি হন হন করে ছুব্লুট চলল ৷ কেউই সেটিকে রুখতে পারছিল না ৷ মানুষের ভীড় ঠেলে সেটি
গিয়ে পৌছাণ ঐ ব্লুলাকটির নিকট ৷ তারপর তাকে পাব্লুয়ুর নীচে ফেলে দুমব্লুড়-মুচড়ে মেরে
ফোাল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি ব্লুলাকজনব্লুক দেখেছি যে,র্দুং তারপর তারা সকলে হযরত সাদ
(রা) কে দ্রুত খুজে বের করল এবং বলল, হে আবু ইসহাক ৷ মহান আল্লাহ আপনার দুআ
কবুল করেছেন ৷’ এই হাদীসটি হাম্মাদ ইবন সালামা সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণিত ৩হব্লুয়ব্লুছ ৷


عَلَيْهِ، فَخَافَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَجَعَلَ يَشْتَدُّ فِي الْهَرَبِ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْقَادِسِيَّةِ كَانَ سَعْدٌ عَلَى النَّاسِ، وَقَدْ أَصَابَتْهُ جِرَاحٌ، فَلَمْ يَشْهَدْ يَوْمَ الْفَتْحِ، يَعْنِي فَتْحَ الْقَادِسِيَّةِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَجِيلَةَ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَظْهَرَ دِينَهُ ... وَسَعْدٌ بِبَابِ الْقَادِسِيَّةِ مُعْصَمُ فَأُبْنَا وَقَدْ آمَتْ نِسَاءٌ كَثِيرَةٌ ... وَنِسْوَةُ سَعْدٍ لَيْسَ فِيهِنَّ أَيِّمُ فَقَالَ سَعْدٌ: اللَّهُمَّ اكْفِنَا يَدَهُ وَلِسَانَهُ. فَجَاءَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ، فَأَصَابَهُ فَخَرِسَ وَيَبِسَتْ يَدَاهُ جَمِيعًا. وَقَدْ أَسْنَدَ زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ وَسَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ جَابِرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ، وَفِيهِ: ثُمَّ خَرَجَ سَعْدٌ، فَأَرَى النَّاسَ مَا بِهِ مِنَ الْقُرُوحِ فِي ظَهْرِهِ ; لِيَعْتَذِرَ إِلَيْهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৫
وَقَالَ هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَجُلًا نَالَ مِنْ عَلِيٍّ، فَنَهَاهُ سَعْدٌ فَلَمْ يَنْتَهِ، فَقَالَ سَعْدٌ: أَدْعُو عَلَيْكَ. فَلَمْ يَنْتَهِ، فَدَعَا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمَا بَرِحَ حَتَّى جَاءَ بَعِيرٌ نَادٌّ فَتَخَبَّطَهُ. وَجَاءَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ سَعْدًا رَأَى جَمَاعَةً عُكُوفًا عَلَى رَجُلٍ، فَأَدْخَلَ رَأْسَهُ مِنْ بَيْنِ اثْنَيْنِ، فَإِذَا هُوَ يَسُبُّ عَلِيًّا وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ، فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَلَمْ يَنْتَهِ، فَقَالَ: أَدْعُو عَلَيْكَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: تَتَهَدَّدُنِي كَأَنَّكَ نَبِيٌّ! فَانْصَرَفَ سَعْدٌ، فَدَخَلَ دَارَ آلِ فُلَانٍ، فَتَوَضَّأَ، وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ سَبَّ أَقْوَامًا قَدْ سَبَقَ لَهُمْ مِنْكَ سَابِقَةُ الْحَسَنَى، وَأَنَّهُ قَدْ أَسْخَطَكَ سَبُّهُ إِيَّاهُمْ، فَاجْعَلْهُ الْيَوْمَ آيَةً وَعِبْرَةً. قَالَ: فَخَرَجَتْ بُخْتِيَّةٌ نَادَّةٌ مِنْ دَارِ آلِ فُلَانٍ لَا يَرُدُّهَا شَيْءٌ حَتَّى دَخَلَتْ بَيْنَ أَضْعَافِ النَّاسِ، فَافْتَرَقَ النَّاسُ، فَأَخَذَتْهُ بَيْنَ قَوَائِمِهَا، فَلَمْ تَزَلْ تَتَخَبَّطُهُ حَتَّى مَاتَ. قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ يَشْتَدُّونَ وَرَاءَ سَعْدٍ يَقُولُونَ: اسْتَجَابَ اللَّهُ دُعَاءَكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ. وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৬


আবু বকর ইবন আবিদ দুনযা আবদুর রহমান ইবন আ ও৫ফর ক্রী৩ দাসী মীনা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন যে, জনৈক মহিলা লুকি৫য়ন্হযরত সা দ (রা) কে পর্যবেক্ষণ
করত ৷ হযরত সাদ (রা) তাকে এ কাজ থের্কেনি৫ষধ করেছিলেন ৷ সে বিরত থাকে নিা
একদিন ঐ মহিলা লুকিয়ে তাকে দেখছিল ৷ তখন তিনি ওঘু করছিলেন ৷ তিনি বললেন;
৫ত্ামার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাক ৷ ’ অবিলম্বে তার মুখমণ্ডল তার ঘাড়ের দিকে ঘুরে গেল ৷
কাহীর আল নুরী আবদুল্লাহ ইবন বুদায়ল থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন যে,
হযরত না দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) আমীর মুআবিয়া (রা) এর নিকট উপস্থিত হলেন ৷
আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে বললেন, আপনি আমাদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করছেন না ৫কন?’
;উত্তরে হযরত সাদ (রা) বললেন, আমার উপর প্রচণ্ড ঝড় প্রবাহিত হয়েছিল, তাতে চারিদিক
অন্ধকার হয়ে গেল ৷ তখন আমি রললাম, “আখ-আখ ৷ এরপর আমি আমার সওয়ারী বসিয়ে
দিলাম ৷ এক পর্যায়ে ঝড় থেমে ৫গল ৷ চারিদিক ফর্স৷ হয়ে গেল ৷ আমি পথ চিনতে পারলাম ৷
আমি আমার গন্তব্য;পথে যক্রো করলাম ৷’ হযরত মুআবিয়া (রা) বললেন, কুরআন মজীদে
“আখ-আং বলতে কোন ন্শৰ্র্দ্র যেই ৷ বরং আল্লাহ তা আলা বলেছেন,

মুমিন৫দর দু দল দ্ব৫ন্দ্ব লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে নিয়ে, তারপর
তীদের একদল অপর দলকে আক্রমণ করলে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে
যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে ৷ (সুরা ৪৯, হুজুরাতং ৯) ৷ ওহে সা দ!
আপনি ৫৩ ৷ এখন ন্যায়পন্থি দলের বিপক্ষে বিদ্রোহী দলের পক্ষেও নেই ৷ আবার বিদ্রোহী
দলের পক্ষে ন্যায় পন্থি৫দর বিপক্ষেও ৫নই ৷ হযরত সা দ (রা) বললেন, আমি সেই মানুযটির
বিরুদ্ধে কখনো অস্ত্রধারণ করতে পারব না যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন
তুমি আমার নিকট মুসা (আ)-এৱ নিকট হারু৫নর ন্যায় ৷ তবে ব্যতিক্রম হল আমার পরে
কোন নবী নেই ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) এর এই ৰার্ণীটি তার মুখ থেকে
আপনার সাথে আর কোন ব্যক্তি শু৫ননি?’ হযরত সা দ বললেন, অমুক অমুক এবং উম্মু
সালাম৷ (রা) শু৫নছেন ৷ হযরত মুআবিয়া (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখ থেকে
আমি যদি এই হাদীসটি শুনতাম তাহলে আমি আলী (রা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতাম না ৷
, অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত যুআবিয়৷ (রা) এরং হযরত সা দ -(রা) এর মধ্যে
এই আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েজ্জি মদীনাতে ৷ হজ্জ উপলক্ষে মুআবিয়া (রা) তখন মদীনায়
গিয়েছিলেন ৷ অতপর তারা দৃ’জ৫ন হযরত উম্মু সালাম৷ (রা) এর নিকটে গমন করেন এবং
এই হাদীস সম্পর্কে তার নিকট জানতে চান ৷ তিনি তাদের নিকট এই হাদীস হুবহু ভেমনটি
বর্ণনা করলেন ৷ যেমন হযরত সা দ (রা) বর্ণনা করেছিলেন ৷ মুআবিরা (পুরা) বললেন,
আজকের দিবসের পুর্বে যদি আমি এই হাদীসটি শুনতাম, তাহলে আমি হযরত আলী (রা)-
এর গোলাম হয়ে থাকতাম ৷ ততকাি পর্যন্ত আমি তার ক্রীতদাস হিসেবে থাকতাম, যতদিন না
আমার কিংবা তার মৃত্যু হত ৷’ অবশ্য এর সশদেদুর্বলতা আছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷




الْمُنْكَدِرِ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مِينا مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تَطَّلِعُ عَلَى سَعْدٍ، فَنَهَاهَا فَلَمْ تَنْتَهِ، فَاطَّلَعَتْ يَوْمًا وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَقَالَ: شَاهَ وَجْهُكِ. فَعَادَ وَجْهُهَا فِي قَفَاهَا. وَقَالَ كَثِيرٌ النَّوَّاءُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُلَيْلٍ قَالَ: دَخَلَ سَعْدٌ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ لَهُ: مَا لَكَ لَمْ تُقَاتِلْ مَعَنَا؟ فَقَالَ: إِنِّي مَرَّتْ بِي رِيحٌ مُظْلِمَةٌ فَقُلْتُ: أَخْ أَخْ. فَأَنَخْتُ رَاحِلَتِي حَتَّى انْجَلَتْ عَنِّي، ثُمَّ عَرَفَتِ الطَّرِيقَ فَسِرْتُ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ أَخْ أَخْ، وَلَكِنْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ} [الحجرات: 9] . فَوَاللَّهِ مَا كُنْتُ مَعَ الْبَاغِيَةِ عَلَى الْعَادِلَةِ، وَلَا مَعَ الْعَادِلَةِ عَلَى الْبَاغِيَةِ. فَقَالَ سَعْدٌ: مَا كُنْتُ لِأُقَاتِلَ رَجُلًا قَالَ لَهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي ".» فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: مَنْ سَمِعَ هَذَا مَعَكَ؟ فَقَالَ: فُلَانٌ وَفُلَانٌ وَأُمُّ سَلَمَةَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَمَا إِنِّي لَوْ سَمِعْتُهُ مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَا قَاتَلْتُ عَلِيًّا. وَفِي رِوَايَةٍ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَنَّ هَذَا الْكَلَامَ كَانَ بَيْنَهُمَا وَهُمَا بِالْمَدِينَةِ فِي حَجَّةٍ حَجَّهَا مُعَاوِيَةُ، وَأَنَّهُمَا قَامَا إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَاهَا فَحَدَّثَتْهُمَا بِمَا حَدَّثَ بِهِ سَعْدٌ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَوْ سَمِعْتُ هَذَا قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ لَكَنْتُ خَادِمًا لِعَلِيٍّ حَتَّى يَمُوتَ أَوْ أَمُوتَ. وَفِي إِسْنَادِ هَذَا ضَعْفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৭


হযরত সা দ (র!) থেকে বর্ণিত তিনি এক ব্যক্তিকে হযরত আলী (রা) ও হযরত খ!লিদ

(র!) সম্পর্কে সমালোচনা করতে তনেছিলেন ৷ তিনি বললেন, এই লোক মুলত আমাদের

দীনের ধর্মের গভীরে পৌছ’ত পারে নি ৷
মুহাম্মদ ইবন সীরীন বলেছেন, একর!তে হযরত সা দ (বা) তার ৯ জন ক্রীতদ!সীর সাথে
মিলিত হয়েছিলেন ! ১ :ম ক্রীতদাসীর নিকট যাওয়ার পর তিনি ক্লান্তিভে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ৷
ফলে ঐ ক্রীতদাসী তার ঘুম ভাঙ্গাতে লজ্জাবােধ করে ৷
হযরত সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) এর ভাল ভাল কথাগুলো ৭ একটি হল ৭ই যে, তিনি
তার পুত্র মুসআবকে বলেছিলে !, বৎস ! তুমি মখন কিছু চাইবে তখন অল্পে তুষ্ট হ্বার
মনোভাব নিয়ে চ!ইবে ৷ কারণ যার মধ্যে অল্পে তৃষ্ট হবার মনোভাব নেই প্রচুর ধন-সস্পদও
তাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে ন!’ ৷
হ!ম্মাদ ইবন সালাম! সিমাক ইবন হারব সুত্রে মুস অ!ব ইবন স!দ থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমার পিতার অন্তিমকালে তার মাথা ছিল আমার কোলে ৷ আমি তখন কেদে
উঠলাম ৷ বাবা বললেন, ,বৎস ! কাদছ কেনঃ আল্লাহ্র কসম ! মহ!ন আল্লাহ্ আমাকে কখনো

আয!ব দিবেন না, আর আমি তো জান্ন!তের অধিবাসী ৷ মহান আল্লাহ নিজ নিজ ভাল কাজের

অনুপাতে ঈমানদারাদরকে প্ৰতিদান দিবেন ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য আমল কর, আর
ভাল কাজের জন্য আল্লাহ ত!আলা প্রতিদান দিবেন ৷ তবে কাফিরদেরকে ভাল কাজের

অনুপাতে শাস্তি কমিয়ে দিবেন ৷ তাদের ভাল কাজ সব শেষ হয়ে গেলে, তিনি বলবেন, এবার

তোমরা যাও, যাদের জন্যে কাজ করেছিলে তাদের নিকট সওয়!ব ও প্রতিদ!নচাও ! ’

যুহরী (র) বলেছেন যে, হযরত সাদ (রা)এর মৃত্যু যখন সন্নিকটে তখন তিনি তার
পুরাতন জুব্বাটি আনতে বলংলন ! তারপর বললেন, ভোমর! এই জুব্বা দ্বারা আমাকে কাফন
পরাবে ৷ কারণ এই জুব্বা পরিধান করে আমি বদর দিবসে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি !

আজকের এই দিনে ব্যবহার করার জন্যে আমি এতদিন যাবৎ এটি লুব্দিয় ব্লেখেহ্নি!!ম ৷

হযরত স! দ (র!) এর যেতে হয় মদীনায় বাইরে আল-আর্কীক নামক স্থানে ৷ মানুষের
কাধে করে তার মরদেহ মদীনায় নিয়ে আসা হয় ৷ মারণ্ডয়ান তার জ!ন!য!য় ইমড়ামতি করেন !
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যে সকল সহধর্মিণী তখন জীবিত ছিলেন, তার! হযরত সা দ (রা)-এর
জান!য!য় অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ জাস্নাতৃল ব!কীতে তাকে দাফন করা হয় ৷ অধিকাংশ
ইতিহাসবিদের্ মতে তার ওফাত হয়েছিল এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৫ হিজরী সনে ! বিশুদ্ধ

অভিমত অনুসারে তখন তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছরের অধিক !

আলী ইবন ম!দীনী বলেছেন, আশারা ই-মুব!শশারা তথা জান্নাতের ফ্রাংব!দ প্রাপ্ত দশজনের
মধ্যে হযরত সা দ (বা) সবার শেষে ইন্তিক!ল করেন ! কেউ কেউ বলেছেন যে, হযরতস!দ
(বা) হলেন সবার শেষে ওফাত প্রাপ্ত মুহাজির ৷ হায়ছাম ইবন আদী বলেহ্নে! যে, হযরত ৩স! দ
(র!) ইন্তিকাল করেছেন ৫০ হিজরী সনে ! আবু মাশার ,এবং আবু নাঈম মুগীছ ইবন মুহাররির
বলেছেন যে, হযরত স!-দ (রা)ণ্এরপ্ ওফাত টু হয়েছে ৫৮ন্হিজ্জীম্সনে !“ মুগীছণ্ এও উল্লেখ
করেছো-যে, ৫৮ হিজরী সনে হযরত হাসানইবন আলী (বা), হযরত আয়েশা (বা) এবং হযরত

:উম্মু সালামা (র!) ইস্তিকাল করেন ৷ তবেন্বিশুদ্ধ অভিমত হল ৫৫ ইিজরী সনে হযরত সা দ (র!)

ইন্তিধাল করেছেন ৷ইতিহসেবিদদেব অভিমত যে, হযরত স! দ (র!) খর্বক!য়, মযরুত দেহ, শক্ত


وَقَدْ رُوِيَ عَنْ سَعْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يَتَكَلَّمُ فِي عَلِيٍّ وَفِي خَالِدٍ فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَبْلُغْ مَا بَيْنَنَا دِينَنَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: طَافَ سَعْدٌ عَلَى تِسْعِ جَوَارٍ فِي لَيْلَةٍ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى الْعَاشِرَةِ أَخَذَهُ النَّوْمُ، فَاسْتَحْيَتْ أَنْ تُوقِظَهُ. وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ أَنَّهُ قَالَ لِابْنِهِ مُصْعَبٍ: يَا بُنَيَّ، إِذَا طَلَبْتَ شَيْئًا فَاطْلُبْهُ بِالْقَنَاعَةِ، فَإِنَّهُ مَنْ لَا قَنَاعَةَ لَهُ لَمْ يُغْنِهِ الْمَالُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: كَانَ رَأْسُ أَبِي فِي حِجْرِي وَهُوَ يَقْضِي فَبَكَيْتُ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ يَا بُنَيَّ؟ وَاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُنِي أَبَدًا، وَإِنِّي مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِنَّ اللَّهَ يَدِينُ لِلْمُؤْمِنِينَ بِحَسَنَاتِهِمْ فَاعْمَلُوا لِلَّهِ، وَأَمَّا الْكُفَّارُ فَيُخَفَّفُ عَنْهُمْ بِحَسَنَاتِهِمْ، فَإِذَا نَفِدَتْ قَالَ: لِيَطْلُبْ كُلُّ عَامِلٍ ثَوَابَ عَمَلِهِ مِمَّنْ عَمِلَ لَهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: لَمَّا حَضَرَتْ سَعْدًا الْوَفَاةُ دَعَا بِخَلَقِ جُبَّةٍ فَقَالَ: كَفِّنُونِي فِيهَا، فَإِنِّي لَقِيتُ فِيهَا الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ، وَإِنَّمَا كُنْتُ أُخَبِّئُهَا لِهَذَا الْيَوْمِ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৮
وَكَانَتْ وَفَاةُ سَعْدٍ بِالْعَقِيقِ خَارِجَ الْمَدِينَةِ، فَحُمِلَ إِلَى الْمَدِينَةِ عَلَى أَعْنَاقِ الرِّجَالِ، فَصَلَّى عَلَيْهِ مَرْوَانُ، وَصَلَّى بِصَلَاتِهِ أُمَّهَاتُ الْمُؤْمِنِينَ الْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - سَنَةَ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ - عَلَى الْمَشْهُورِ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَكْثَرُونَ، وَقَدْ جَاوَزَ الثَّمَانِينَ، عَلَى الصَّحِيحِ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: وَهُوَ آخِرُ الْعَشَرَةِ وَفَاةً. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ آخِرَ الْمُهَاجِرِينَ وَفَاةً. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ وَأَبُو نُعَيْمٍ وَقَعْنَبُ بْنُ الْمُحَرِّرِ: تُوُفِّيَ سَعْدٌ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ قَعْنَبٌ: وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ وَعَائِشَةُ وَأُمُّ سَلَمَةَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ ; خَمْسٌ وَخَمْسِينَ. قَالُوا: وَكَانَ سَعْدٌ قَصِيرًا غَلِيظًا شَثْنَ الْأَصَابِعِ أَفْطَسَ، أَشْعَرَ الْجَسَدِ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৭৯


হাত “এবং ল্যেমশ ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি কাল থেযাব ব্যবহার করতেন ৷ তীর রেখে যাওয়া
সম্পত্তির পরিমাণছিল ২, ৫০, :০০ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) দিরহাম ৷

ফুদ ৷লা ইবন উবায়দ আনসারী আওসী (রা)

৫৫ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন হযরত ফুদাল৷ ইবন
উৰায়দ আনসারী আওসী (রা) ৷ নিনি , সর্বপ্রথম উহুদের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ বাইয়াতৃর
রিদওয়ান অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি সিরিয়া গমন ক্রেছিলেন ৷ মুআৰিয়া (রা)-
এর শাসনামলে আবুদ দাবৃদ৷ (না)-এর পর তিনি দামে-শৃকের বিচারক ও কাযী নিযুক্ত
হয়েছিলেন ৷ আবু উবায়দা বলেছেন যে, ফুদালা ইবন উবায়দ্ মারা,গিয়েছেন ৫৩ হিজরী
ৰুসনে ৷ কেউ কেউ বলেছেন ৬৭ হিজরী সনে ৷ ইবনুল জ়াওযী তার “আলমুনতযোম” গ্রন্থে
উল্লেখ বদরছেন যে, এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৫ হিজরী সনে ফুদালা (বা) ইস্তিকাল
করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

কুছাম ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)

কুছড়াম ইবন আব্বাস (রা) এর চেহারা প্রিয়নবী (সা) এর চেহারার সাথে অধিকতর

সা দৃশ্যপুর্ণ ছিল ৷ হযরত ৩আলী (রা) এর শাসনামলে কুছাম ইবন আব্বাস (রা) কে মদীনায়
প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ তিনি সমরকঢদর বিজয় অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং

,সেখানে শহীদ হয়েছিলেন ৷

কা ব ইবন আমর আবু য়ুসর (বা)

তিনি আনসারী সাহাবী ৷ সুলাবী হিসেবেও তিনি পরিচিত ৷ বাইআতুল আকাবাতে তিনি
উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বদর যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন ৷ সেদিন তিনি হযরত আব্বাস (রা) কে
বন্দী করে ফেলেন ৷ পরবর্তী সকল অভিযানে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অংশ নেন ৷
আবু হাতিম ও অন্যরাটুৰুবলোছন যে, ৫০ হিজরী সনে হযরত কাব ইবন আসর ইস্তিকাল
হ্নরেন ৷ বেল্ট কেউ বলেছেন যে, তিনি হলেন বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ঘুজাহিদদের মধ্যে
বাের শেষে ওফাতপ্রাপ্ত সাহাবী ৷ ন্


يُخَضِّبُ بِالسَّوَادِ، وَكَانَ مِيرَاثُهُ مِائَتَيْ أَلْفٍ وَخَمْسِينَ أَلْفًا. فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ أَوَّلُ مَشَاهِدِهِ أُحُدٌ وَشَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَدَخَلَ الشَّامَ، وَتَوَلَّى الْقَضَاءَ بِدِمَشْقَ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَبِي الدَّرْدَاءِ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: مَاتَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ. وَقَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظَمِ ": تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُثَمُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ كَانَ أَشْبَهَ النَّاسِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَوَلَّى نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ، وَشَهِدَ فَتْحَ سَمَرْقَنْدَ مِمَّا وَرَاءَ النَّهَرِ، فَاسْتُشْهِدَ بِهَا، رَحِمَهُ اللَّهُ. كَعْبُ بْنُ عَمْرٍو أَبُو الْيَسَرِ الْأَنْصَارِيُّ السُّلَمِيُّ شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا، وَأَسَرَ يَوْمئِذٍ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَشَهِدَ مَا بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ الْمَشَاهِدِ كُلِّهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ وَغَيْرُهُ: مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ. زَادَ غَيْرُهُ: وَهُوَ آخِرُ
পৃষ্ঠা - ৬৪৮০
مَنْ مَاتَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ.