আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وخمسين

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৬৪৪৭


সে ম৷ ওয়ার৷ আন নাহর অতিক্রম করে বুখারার পার্ব৩ অঞ্চলের দিকে যাত্রা করে ৷ বুখারার
দুটো প্রদেশ রামিস এবং বীকান্দ এর অর্ধাত্শ জয় করে নেয় ৷ সেখানে সে তুকীল্কিদর
মুখোমুখি হয় ৷ ওদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ চালায় ৷ সে ওদেরকে দ্রুত শোচনীয়ভারে পরাজিত
করে ৷ এত ড্রুত ওদেরকে পরাজিত করে যে, ওদের রাণী পালাভুনার সময় পায়ের সোজা
পরিধান করার সময়ও পায় নি ৷ একটি মোজা পরিধান করেনআরেকটি রেখে পালিয়ে যায় ৷
মুসলিম সৈন্যগণ ঐ মোজা উদ্ধার করে এবং সেটিতে সং যুক্ত মণি-মুক্তার মুল্য ধার্য করে ২
লক্ষ দিরহামা তার৷ অন্যান্য মালামালও দখল করে প্রচুর পরিমাণে ৷ উবায়দুল্লাহ্ শাসনকর্তা
হিসাবে দু বছর থােরাসানে অবস্থান করে৷ এই বছর হজ্জ পরিচালনা করেন মদীনায়
শাসনকর্তা মারওয়ান ইবন হাকাম ৷ তখন কুফার শাসনকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন খালিদ
ইবুন উসায়দ ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তখন কুফার শাসনকর্তা ছিলেন দাহ্হাক ইবন
কায় স ৷ বসরার শাসনক৷ ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন পায়লান ৷

হিজ্জী ৫৪ সনে যারা ইস্তিকাল করেন

উসামা ইবন যায়দ ইবন হ্ারিছ৷ কালবী (বা)

হিজয়ী ৫৪ সনে শীর্ষস্থানীয় যে সবল্দো লোক ইন্তিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন
হযরত উসামা ইবন যায়দ ইবন হারিছা আবু মুহাম্মদ মাদানী কালবী (বা) ৷ তিনি রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর আযাদকৃত ক্রীতদাস ৷ তার পিতাও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আযাদকৃত ক্রীতদাস
ছিলেন ৷ তিনি এবং৩ তার পিতা দু জবৃনই রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর প্রিয়তম ছিলেন ৷ তার মাতা উম্মু
আয়মান ছিলেন রাসুলুল্লাহ (না)-এর ক্রীতদাসী ও তার পরির্চর্যাকারিণী ৷ তার পিতা শহীদ
হবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে সেনাপতি নিযুক্ত করেন ৷ তাতে কেউ কেউ কানাঘুযা
করছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন যে,
০া


তােমরা যদি তার সেনাপতিতৃ নিঃয় বিরুপ সমালোচনা কর তবে ইতিপুর্বে তোমরা তার

পুিআৱ সেনাপতি নিয়েও বিরুপ সমালোচনা করেছিলে ৷ আল্লাহর কসম! উসামা সেনাপতিতু
করারশ্পরিপুর্ণভাবে যোগ এবং তার পিতার পর সেই আমার অন্যতম প্রিয় মানুষ ৷’

সহীহ বুখারীতে উসামা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন যে, “বাসুলুল্পাহ (সা)
হাসান (বা) কে তার এক উকতে আর উসামাহ্ক অন উকতে বসাতেন আর বল্ভাে,

£হ আল্লাহ আমি এই দু জনকে ভালবাসি, সুতরাং আপনিও ওদের দু জনকে ভাল বাসুন’ ৷

বম্ভত উসামা ইবন যায়দ (বা) অনেক সম্মানের অধিকারী ছিলেন ৷ রাস্ফোহ্ (সা) য়খন ইস্তিকাল
করেন তখন উসামা (রা)শ্এর বয়স ছিল ১৯ বহ্ব ৷ তার সাথে সাক্ষাত হলে হযরত, উমর (রা) :
ণ্ আব্দুল বার বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণ কঃরছেন যে, এই হিজ্জী সনে অর্থাৎ ৫৪ হিজ়ধীর্চু সনৈ ওার
ওফাত হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ৫৮ হিজয়ী সনে কিংবা ৫৯ সনে, আবার কেউ বলেছেন, হযরত
উসমান (বা) নিহত হবার পর তার ওফাত হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ন্

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-১৮

عَلَى نِيَابَةِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ زِيَادٌ قَدِ اسْتَخْلَفَهُ عَلَيْهَا. وَقَدَّمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَكْرَمَهُ وَسَأَلَهُ عَنْ نُوَّابِ أَبِيهِ عَلَى الْبِلَادِ، فَأَخْبَرَهُ عَنْهُمْ، ثُمَّ وَلَّاهُ إِمْرَةَ خُرَاسَانَ وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً، فَسَارَ إِلَى مُقَاطَعَتِهِ، وَتَجَهَّزَ مِنْ فَوْرِهِ غَادِيًا إِلَيْهَا، فَقَطَعَ النَّهْرَ إِلَى جِبَالِ بُخَارَى، فَفَتَحَ رَامِيثَنَ وَنِصْفَ بَيْكَنْدَ - وَهُمَا مِنْ مُعَامَلَةِ بُخَارَى - وَلَقِيَ التُّرْكَ هُنَاكَ، فَقَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، وَهَزَمَهُمْ هَزِيمَةً فَظِيعَةً، بِحَيْثُ إِنَّ الْمُسْلِمِينَ أَعْجَلُوا امْرَأَةَ الْمَلِكِ أَنَّ تَلْبِسَ خُفَّيْهَا، فَلَبِسَتْ وَاحِدَةً وَتَرَكَتِ الْأُخْرَى، فَأَخَذَهَا الْمُسْلِمُونَ فَقَوَّمُوا جَوْرَبَهَا بِمِائَتَيْ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَغَنِمُوا مَعَ ذَلِكَ غَنَائِمَ كَثِيرَةً، وَأَقَامَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِخُرَاسَانَ سَنَتَيْنِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. وَكَانَ عَلَى الْكُوفَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ عَلَيْهَا الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ. وَكَانَ عَلَى الْبَصْرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ غَيْلَانَ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] أُسَامَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ الْكَلْبِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَابْنُ مَوْلَاهُ، وَحِبُّهُ وَابْنُ حِبِّهِ، وَأُمُّهُ بَرَكَةُ أُمَّ أَيْمَنَ مَوْلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَاضِنَتُهُ، وَلَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْإِمْرَةَ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهِ، فَطَعَنَ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِمْرَتِهِ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৪৮


ছাওবান ইবন মুজাদ্দিদ (বা)

ছাওবান ইবন মুজাদ্দিদ (বা) ৫৪ হিজরীতে ইস্তিকালকারীদের একজন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ
(সা) এর মুক্ত করা ক্রীতদাস ছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর “ক্রীতদাস ও সেবকদের”
অধ্যায়ে তার জীবনী উল্পেচু৷ করা হয়েছে ৷ তিনি মুলত আরব বংশের লোক ৷ ঘটনাক্রমে তিনি
বন্দী হয়ে ক্রী৩ দাসে পরিণত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ক্রয় করেন এবং মুক্ত কন্নুর দেন ৷
এরপর থেকে বাড়িতে-সফরে সার্বক্ষণিকভাবে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে থাকতেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনুতিকালের পর তিনি রামাল্লাতে বসবাস করতে থাকেন ৷ পরে সেখান
থেকে হিম্স চলে যান, ওখানে একটি বাড়ি তৈরী করেন এবং সেখানে বসবাস করেন ৷
, অবশেষে এই হিজরী অর্থাৎ ৫৪ হিজরী সনে তিনি সেখানে ইন্তিকাল করেন ৷ এটি বিশুদ্ধন্
অভিমত ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ৪৪ হিজ্জী সনে তার ওফাত হয়েছে ৷ রস্তু৩ এটি ভুল
তথ্য ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, তিনি মারা গেছেন মিশরে, তাও ঠিক নয় ৷ বরং তিনি
হিমৃসে মারা গিয়েছিলেন ৷

’ জুবয়েরইবনমুর্তইম(রা)
ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ৫০ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেছেন ৷

হারিছ ইবন বিবৃঈ (রা)

, ৫৪ হিজরী সনে যাদের ইন্তিকাল হয় তাদের একজন হলেন হারিছ ইবন বিবৰুঈ আবু
, কাতাদা আনসারী (রা) ৷ ওয়াকিদী বলেছেন যে, তার নাম হল নু মান ইবন বিবৃঈ ৷ কেউ কেউ
বলেছেন, তীর নাম ছিল আমর ইবন বিবৃঈ ৷ তিনি হলেন আবু তক৷ ৷দা আনসারী সুলামী
মাদানী ৷ মুসলমানদের অন্যতম দক্ষ ৫র্চুা৷ড় সওয়ার ৷ উহুদ ও পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে৩ তিনি অংশ
নিয়েছিলেন ৷ সুল কারাছ যুদ্ধে৩ তিনি সাফল্যজনক ঐতিহাসিক ভুমিকা রাখেন৷ ঐ যুদ্ধের
বর্ণনায় আমরা সেটি উল্লেখ করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেদিন বলেছিলেন,



আজ আমাদের শ্রেষ্ঠ অশ্বারােহী যোদ্ধা হল আবু কাত ৷দ৷ আর শ্রেষ্ঠ পদাতিক যোদ্ধা
হলৰু সালাম ইবন আকওয়৷ ৷

আবু আহমদ হাকিম উল্লেখঃ করেছেন যে, আবু কাতাদা (রা) বদরের যুদ্ধে অৎশ্যাহণ
করেছিলেন ৷ কিন্তু এই অভিমত প্রসিদ্ধ নয় ৷ হযরত আবু সাঈদ থুদরী (রা) বলেছেন, “আমার
চাইতে উত্তম যে ব্যক্তি সেই আবু কাতাদা আনসারী (বা) আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) হযরত আম্মার একটি বিদ্রোহী
গোষ্ঠি তোমাকে হত্যা কংবে ৷’

ওয়াকিদী ও অন্যরা বলেছেন যে, ৫৪ হিজরী সনে মদীনায় আবু কাতাদা (রা) এর ইন্তি
কাল হয় ৷ তখন তার বয়স ছিল ৭০ বছর ৷ হায়ছাম ইবন “আদী ও অন্যান্যরা মনে করেন যে,
৩৮ হিজরী সনে কুফাতে৩ তার ইন্তিকাল হয়েছে এবং হযরত আলী (বা) তার জানাযায় ইমামতি

করেন ৷ এই বর্ণনা নিতান্তই অপ্ৰসিদ্ধ ৷




رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ طَعَنْتُمْ فِي إِمْرَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلِهِ، وَايْمُ اللَّهِ إِنَّ كَانَ لَخَلِيقًا بِالْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ ".» وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُجْلِسُ الْحَسَنَ عَلَى فَخِذِهِ، وَيُجْلِسُ أُسَامَةَ عَلَى فَخْذِهِ الْأُخْرَى وَيَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا» . وَفَضَائِلُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُمْرُهُ تِسْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَكَانَ عُمَرُ إِذَا لَقِيَهُ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْأَمِيرُ. وَصَحَّحَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ ثَمَانٍ أَوْ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ تُوُفِّيَ بَعْدَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثَوْبَانُ بْنُ بُجْدُدٍ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ فِي الْمَوَالِي، وَمَنْ كَانَ يَخْدُمُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. أَصْلُ ثَوْبَانَ مِنَ الْعَرَبِ، فَأَصَابَهُ سِبَاءٌ، فَاشْتَرَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعْتَقَهُ، فَلَزِمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَفَرًا وَحَضَرًا، فَلَمَّا مَاتَ أَقَامَ بِالرَّمْلَةِ، ثُمَّ انْتَقَلَ مِنْهَا إِلَى حِمْصٍ فَابْتَنَى بِهَا دَارَا، وَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، عَلَى الصَّحِيحِ. وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَهُوَ غَلَطٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৪৯


হাকীম ইবন হিযাম

৫৪ হিজরী সনে যারা ইস্তিক ল করেন৩ তাদের একজন হলেন হাকীম ইবন হিযাম ৷ তার
ৎশ পরিচয় হল হাকীম ইবন হিযাম ইবন খুওযাইলিদ ইবন আসাদ ইবন আবদুল উয্যা, ই-বৃন
কুসাই ইবন কিলাব আল কুরায়শী আল আসাদী আল যকী ৷ তার মাত৷ হলেন ফাখত৷ ৰিনৃত
যুহায়র ইবন হারিছ ইর্বৃন আসাদ ইবন আবদুল উয্যা ৷ তার ফুফু হলেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহধর্মিণী উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা বিনত খুওযাইলিদ (রা) ৷ হযরত খাদীজ৷ (রা)
ইব্রাহীম (রা) ব্যতীত ৩রাসুলুল্লাহ (সা) এর অন্য সকল সম্ভান-সন্ততির মা৩ ৷ ৷ হাতির বছরের
তের বছর পুর্বে কা বা গৃহের অভ্যন্তরে হাকীম ইবন হিযাম জন্মগ্রহণ করেন ৷ তার মা কা বা
গৃহ যিযারতে ৩এসে গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ৷ আর ঠিক তখনই তার প্রসব বেদনা শুরু
হয় ৷ অবশেষে কা বা গৃহের অভ্যন্তরে একটি কাপড়ের উপর তিনি হাকীম ইবন হিযামকে প্রসব
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি হাকীমের ছিল প্রচণ্ড ভালবাসা ৷ যে সময়ে, হাশিম গোত্র ও
আবদুল মুত্তালিব গোত্র গিরিসংকটে অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছিল ৷ বেস্ট তাদের সাথে ণ্রচাকেনা
ও বিয়েশাদী করছিল না তখন হাকীম ইবন হিযাম সিরিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী কাফেলার
সকল খাদ্যদ্রব্য ও জামা-কাপড় কিনে বাহনে করে নিয়ে গিয়ে বাহনকে প্রহার করতেন, যাতে
সেগুলো মালামালসহ গিরিসংকটে গিয়ে প্রবেশ করত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও হযরত খাদীজা
(রা) এর প্রতি আন্তবিকত৷ ও শ্রদ্ধার আকর্যণে তিনি তা ই করতেন ৷
হাকীম ইবন হিযাম (বা) যায়দ ইবন হারিছা (রা) কে ক্রয় করেছিলেন ৷ তারপর উম্মুল
মু মিনীন হযরত ৩খাদীজা (রা) যায়দকে তার নিকট থেকে কিনে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দান
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে মুক্ত করে দেন ৷ এই হাকীম ইবন হিযাম রাজা যী ইযাযন-এর
রাজ পোশাক ক্রয় করে রাণুলুল্লাহ্ (সা) ৫-ক উপহার দিয়েছিলেন ৷ ৱাসুলুল্লা হ্ (সা) সেটি পবিধান্
করেছিলেন ৷ হাকীম বলেন, এ (পাশাকে তাকে বড়ই সুন্দর ও চমৎকার দেখাচ্ছিল ৷ এতদসাত্ত্বও
তিনি মক্কা বিজয়ের পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন নি ৷ মক্কা বিজয়ের দিনে সকল পুত্রকনা৷সহ৩ তিনি
ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
ইমাম বুখারী (রা) প্রমুখ বলেছেন যে, তিনি জাহিলী যুগে ৬০ বছর কাটিয়েছেন, আর
ইসলামী যুগে ৬০ বছর বয়স কাটিয়েছেন ৷ তিনি ছিলেন কুরইিশ বংশের অন্যতম নেতা,
অভিজাত এবং কুলজী শাস্তে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ৷ দান-সাদকা, পরােপকার ও ন্দাস-মুক্তিতে তিনি
ছিলেন উদার ৷ ইসলাম গ্রহণ করার পর তার জাহিলী যুগের ভাল কাজগুলোর পরিণাম সম্পর্কে
তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ,া; ;;১া
তোমার অতীতের ভাল কাজের ফলশ্রুতিতে তুমি ইসলাম গ্রহণ
করতে পােরছ ৷ হাকীম ইবন হিযাম মুশবিক দলে শামিল হয়ে বদর যুদ্ধে এসেছিলেন ৷
ঘটনাক্রমে তিনি বদর কুপের কাছাকাছি চলে আসেন ৷ আর তখনই হযরত হ্াময৷ (রা)
তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করতে যাচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ এক খণ্ড মেঘ এসে হযরত হামযা
(বা) এর দৃষ্টি থেকে হ্াকীমকে আড়াল করে ফেলে ৷ এজন্যে যখনই তিনি কঠোর কসম
করতেন, তখন বলতেন, সেই মহান সত্তার কসম ! যিনি আমাকে বদর দিবসে রক্ষা
করেছিলেন ৷


وَيُقَالُ إِنَّهُ تُوُفِّيَ بِمِصْرَ. وَالصَّحِيحُ بِحِمْصَ. جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ تَقَدَّمَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ. سَنَةَ خَمْسِينَ. الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ أَبُو قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: اسْمُهُ النُّعْمَانُ بْنُ رِبْعِيٍّ. وَقَالَ غَيْرُهُ: عَمْرُو بْنُ رِبْعِيٍّ. وَهُوَ أَبُو قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ السُّلَمِيُّ الْمَدَنِيُّ فَارِسُ الْإِسْلَامِ، شَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ لَهُ يَوْمَ ذِي قَرَدٍ سَعْيٌ مَشْكُورٌ كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ: «خَيْرُ فُرْسَانِنَا الْيَوْمَ أَبُو قَتَادَةَ، وَخَيْرُ رَجَّالَتِنَا سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ ".» وَزَعَمَ أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ أَنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا، وَلَيْسَ هَذَا بِمَعْرُوفٍ. وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ: أَخْبَرَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي أَبُو قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ".» قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - يَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ - بِالْمَدِينَةِ عَنْ سَبْعِينَ سَنَةً. وَزَعَمَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ وَغَيْرُهُ أَنَّهُ تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. وَهَذَا غَرِيبٌ. حَكِيمُ بْنُ حِزَامِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ أَبُو خَالِدٍ الْمَكِّيُّ وَأُمُّهُ فَاخِتَةُ بِنْتُ زُهَيْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَسَدِ
পৃষ্ঠা - ৬৪৫০


রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মুজাহিদদের নিয়ে অভিযানে ৫বর হলেন ৷ র্তারা
মাররুয যাহরান” এসে পৌ৫ছন ৷ এদিকে মুশরিক পক্ষে আবু সুফিয়ান ও হাকীম ইবন হিযাম
গোপনে মুসলমানদের অবস্থান জানার জন্যে বেরিয়ে আসে ৷ তাদের দুজনের সাথে হযরত
আব্বাস (ৱা)-এর সাক্ষাত হয় ৷ তিনি আবু সুফিয়ানকে ধরে পেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)
থেকে তার জ ন্যে নিরাপত্তা মঞ্জুর করে নেন ৷ ঐ রাতেই বাধ্য হয়ে আবুসুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ ঐ রাত শেষে ভোরের বেলা হাকীম ইবন হিযাম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে হনায়নেব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ যুদ্ধ বিজয়ের পর রাসুলুল্পাহ্ (সা)
তাকে ১ : :টি উট প্রদান করেন ৷ তিনি আরো চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে তাও দিলেন ৷
ত্ারপর বললেন-
ব্লু;১া৷১
হে হাকীম এই ধ্ন-সম্পদ মিষ্টি ও চমৎকার ৷ তবে যে ব্যক্তি দানশীল৩ ৷র মনোভাব নিয়ে
এটি গ্রহণ করবে, তার জন্যে তাতে বরকত দেয়৷ হবে ৷ আর যে এটি ৫লাভ-লালসার মনোভাব
নিয়ে গ্রহণ করবে তার জন্যে তাতে বরকত দেয়৷ হবে না ৷ ৫স হবে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খায়
আর খায় কিন্তু তৃপ্ত হয় না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একথা শুনে হাকীম (রা)বললেন, যেই মহান সত্তা আপনাকে সত্যসহ
প্রেরণ করেছেন, তীর কসম ! এই যে, আপনার নিকট চাইলাম, এরপর থেকে আমি আর কারো
কাছে কিছু চাইব না ৷ কারে৷ দান গ্রহণ করব না ৷ বস্তুত এরপর থেকে তিনি কারো দান গ্রহণ
করেন নি ৷ হযরত আবু বকর (রা)৩ তার শাসনামলে হাকীম (রা) কে উপহার দিতে চেয়েছিলেন,
তিনি যেন নি ৷ উমর (রা) ও তার শাসনামলে তাকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন, তিনি যেন
নি ৷ তিনি উপহার দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন তা সত্বেও হাকীম ৫নন নি ৷ এই বিষয়ে উমর (রা)
মুসলমানদেরকে সাক্ষী রেখেছিলেন ৷ কারো দান ও উপহার ন৷ নিয়েও হযরত হাকীম (রা)
বেশ সচ্ছল ও ধনী ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি অন্য৫দরকে দান-খয়রাত করতেন এবং ঋণ প্রদান
করতেন ৷

হযরত যুবায়র (রা) যেদিন মারা যান ৫সদির তার নিকট হাকীম (রা) এর এক লক্ষ

দিরহাম পাওনা ছিল ৷ তিনি যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন রাফাদাস্থ এবং দারুন নাদওয়া
-গৃহটি তার মালিকানায ছিল ৷ পরবর্তীতে সেটি আমীর মুআবিয়া (রা) এর নিকট এক লক্ষ
দিরহামে বিক্রি করে দেন ৷ কেউ বলেছেন, ৪০ হাজার দীনারে বিক্রি করেছেন ৷ তখন ইবন
যুবায়র (বা) বলেছিলেন আপনি কুরাইশ বং৫ পর ঐতিহ্য বিক্রি করে ৫ফললেন?’ উত্তরে
;হাকীম্ (রা) বললেন, ভাতিজা ! ঐসব কৃত্রিম ঐতিহ্য ও পৌরবের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে ৷
এখন ঐতিহ্য ও গৌরব হল তাকওয়৷ ও আল্লাহ্ডীতির মধ্যে ৷ ভাতির্জা! জাহিলী যুগে মাত্র এক
বোতল মদ নিয়ে আমি ওটি ক্রয় করেছিলাম ৷ এখন সেটির বিক্রয় মুল্য দিয়ে আমি জান্নাত
ক্রয় করব ৷ আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি বিক্রয় মুল্য আল্পাহ্র পথে দান করে
দিলাম ৷ বস্তুত এই গৃহ কুরাইশদের নিকট ইনসাফ ও ন্যায়পরায়ণ৩ ৷র প্রতীক জ্যি ৷ ৪০ বছর
বয়সী না হওয়া পর্যন্ত ৫কউ ঐ গৃহে প্রবেশ করতে পারত না, সেটির সদস্য হতে পারত না ৷


بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَعَمَّتُهُ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُّ أَوْلَادِهِ سِوَى إِبْرَاهِيمَ. وَلَدَتْهُ أُمُّهُ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ قَبْلَ الْفِيلِ بِثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً ; وَذَلِكَ أَنَّهَا دَخَلَتِ الْكَعْبَةَ تَزُورُ، فَضَرَبَهَا الطَّلْقُ، فَوَضَعَتْهُ عَلَى نِطْعٍ. وَكَانَ شَدِيدَ الْمَحَبَّةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمَّا كَانَ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ فِي الشِّعْبِ لَا يُبَايَعُونَ وَلَا يُنَاكَحُونَ، كَانَ حَكِيمٌ يُقْبِلُ بِالْعِيرِ تَقْدَمُ مِنَ الشَّامِ فَيَشْتَرِيهَا مَكَانَهَا، ثُمَّ يَذْهَبُ بِهَا، فَيَضْرِبُ أَدْبَارَهَا حَتَّى تَلِجَ الشِّعْبَ تَحْمِلُ الطَّعَامَ وَالْكِسْوَةَ ; تَكْرِمَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِعَمَّتِهِ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَهُوَ الَّذِي اشْتَرَى زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ أَوَّلًا، فَابْتَاعَتْهُ مِنْهُ عَمَّتُهُ خَدِيجَةُ، فَوَهَبَتْهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْتَقَهُ. وَهُوَ الَّذِي اشْتَرَى حُلَّةَ ذِي يَزَنَ، فَأَهْدَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَبِسَهَا. قَالَ: فَمَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْهُ فِيهَا. وَمَعَ هَذَا مَا أَسْلَمَ إِلَّا يَوْمَ الْفَتْحِ هُوَ وَأَوْلَادُهُ كُلُّهُمْ. قَالَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ: عَاشَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ سِتِّينَ سَنَةً، وَفِي الْإِسْلَامِ سِتِّينَ سَنَةً، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ وَكُرَمَائِهِمْ وَأَعْلَمِهِمْ بِالنَّسَبِ، وَكَانَ كَثِيرَ الصَّدَقَةِ وَالْبِرِّ وَالْعَتَاقَةِ، فَلَمَّا أَسْلَمَ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: «أَسْلَمْتَ عَلَى مَا أَسْلَفْتَ مِنْ خَيْرٍ ".» وَقَدْ كَانَ حَكِيمٌ شَهِدَ مَعَ الْمُشْرِكِينَ بَدْرًا، وَتَقَدَّمَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৪৫১
الْحَوْضِ، فَكَادَ حَمْزَةُ أَنْ يَقْتُلَهُ، فَمَا سُحِبَ إِلَّا سَحْبًا مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَلِهَذَا كَانَ إِذَا اجْتَهَدَ فِي الْيَمِينِ يَقُولُ: لَا وَالَّذِي نَجَّانِي يَوْمَ بَدْرٍ. وَلَمَّا نَزَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ وَمَعَهُ الْجُنُودُ خَرَجَ حَكِيمٌ وَأَبُو سُفْيَانَ يَتَجَسَّسَانِ الْأَخْبَارَ، فَلَقِيَهُمَا الْعَبَّاسُ، فَأَخَذَ أَبَا سُفْيَانَ فَأَجَارَهُ، وَأَخَذَ لَهُ أَمَانًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَسْلَمَ أَبُو سُفْيَانَ لَيْلَتَئِذٍ كُرْهًا وَمِنْ صَبِيحَةِ ذَلِكَ الْيَوْمَ أَسْلَمَ حَكِيمٌ، وَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُنَينًا، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: «يَا حَكِيمُ، إِنَّ هَذَا الْمَالُ حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ، وَإِنَّهُ مَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ ".» فَقَالَ حَكِيمٌ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا. فَلَمْ يَرْزَأْ أَحَدًا بَعْدَهُ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَعْرِضُ عَلَيْهِ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى، وَكَذَلِكَ عُمَرُ يَعْرِضُ عَلَيْهِ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى، فَكَانَ عُمَرُ يُشْهِدُ عَلَيْهِ الْمُسْلِمِينَ. وَمَعَ هَذَا كَانَ مِنْ أَغْنَى النَّاسِ ; مَاتَ الزُّبَيْرُ يَوْمَ مَاتَ وَلِحَكِيمٍ عَلَيْهِ مِائَةُ أَلْفٍ. وَقَدْ كَانَ بِيَدِهِ، حِينَ أَسْلَمَ، الرِّفَادَةُ وَدَارُ النَّدْوَةِ، فَبَاعَهَا بَعْدُ مِنْ مُعَاوِيَةَ بِمِائَةِ أَلْفٍ، وَفِي رِوَايَةٍ: بِأَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: بِعْتَ مَكْرُمَةَ قُرَيْشٍ؟ فَقَالَ لَهُ حَكِيمٌ: ذَهَبَتِ الْمَكَارِمُ إِلَّا التَّقْوَى، يَا ابْنَ أَخِي، إِنِّي اشْتَرَيْتُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِزِقِّ خَمْرٍ، وَلَأَشْتَرِيَنَّ بِهَا دَارًا فِي الْجَنَّةِ، أُشْهِدُكَ أَنِّي قَدْ جَعَلْتُهَا فِي
পৃষ্ঠা - ৬৪৫২
আল-বিদায়া ওয়ুান নিহায়৷ ১৪ ১

ব্যতিক্রম ছিলেন হার্কীম ইবন হিযাম ৷ মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সেটিতে প্রবেশ করেন
সেটির সদস্য হন ৷ এই তথ্য উল্লেখ করেছেন যুবায়র ইবন বাক্কার ৷
যুবায়র উল্লেখ করেছেন যে, এক বছর হাকীম ইবন হিযাম হজ্জ করতে গিয়েছিলেন ৷ তিনি
কুরবানীর জন্যে ১০০ টি উট ও ১০০০ টি বকরী মালা পড়িয়ে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তার
সাথে আরাফাংতর ময়দানে অবস্থান করেছিল ১ :০ যুবক ক্রীতদাস ৷ তাদের সকলের গলায়
রুপার মালা ঝুলানাে ছিল এবং তাতে লেখা ছিল যে, এরা সকলে হাকীম ইবন হিযামের পক্ষ
থেকে তা ৷ল্লাহ্র নামে মুক্ত করা ক্রীত দাস ৷ তিনি ওদেরকে মুক্ত করে দিলেন এবং ঐসব উট ও
বকরী হাদী হিসাবে আল্লাহ্র নামে কুরবানী করলেন ৷ বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী এই হিজরী
সনে অর্থাৎ ৫৪ হিজরী সনে হাকীম ইবন হিযাম (বা) ইন্তিকাল করেন ৷ কেউ কেউ অন্য কোন
সনে তার ইনৃতিকালের কথা বলেছেন ৷ ইনৃতিকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ১২০ বছর ৷

হুওয়াইতিব ইবন আবদুল উষ্য৷ আমিরী (বা)

৫৪ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেনত তাদের একজন হলেন হুওয়াইতিব ইবন আবদুল
উযযা আমিরী (বা) ৷ তিনি উচু পর্যায়ের সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন মক্কা
বিজয়ের বছর ৷ তিনি সুদীর্ঘক ল জীবিত ছিলেন ৷ এজন্যে খলীফা উমর (রা) র্তীকে হারাম
শরীফের সীমানা স্তম্ভ স স্কার কমিটির সদস্য মনোনীত করেছিলেন ৷ বদরের যুদ্ধে তিনি
মুশরিকদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ তিনি স্বচক্ষে সেদিন আকাশ ও পৃপুিবীর
মাঝখানে ফেরেশৃতাদের দেখেছিলেন ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধির ঘটনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং
সন্ধি সম্পাদনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন ৷ উমরাতৃল-কাযা আদায়ের সময়ে মুসলমানগণ
মক্কা পৌছে উমরাহ পালন শেষ করার পর হুওয়াইতিব ও সুহায়ল দু’জনে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
মক্কা থেকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ দেন ৷ উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্পাহ্ (সা) হযরত
ৰিলাল (রা)-কে নির্দেশ দেন যেন সুর্যাস্তের পুর্বে সকল মুসলমান মক্কার বাইরে চলে যায় ৷
হুওরইিতিব বলেন, এই সব ঘটনায় ইসলামকে আমি গুরুতু দিয়েছি তবে আমার তখনও
ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়ে আল্পাহ্র ইচ্ছাই প্রাধান্য পেয়েছে ৷ মক্কা বিজয় অতিযানকালে
মুসলমানদের ভয়ে আমি খুব ভীত হয়ে পড়ি এবং পালিয়ে থাকার চেষ্টা করি ৷ হঠাৎ আবু যার
(রা) এর সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ জ্বাহিলী যুগে৩ তিনি আমার বন্ধু ছিলেন ৷ তিনি বললেন,
হ্ওয়াইতিব! ওে আমার কি হয়েছে?’ আমি বললাম, আমি তো ভী৩ ত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি ৷ তিনি
বললেন, ভয় পেও না ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (যা) খুব ভাল মানুষ এবং অন্যদের সাথে মিলে
মিশে থাকার মানুষ ৷ আমি ৫তামার আশ্রয় দাতা ৷ তুমি আমার ৰুসাথে এস ৷ আমি তীর সাথে
গেলাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি তখন বাত্হা অঞ্চলে
ছিলেন ৷৩ তার সাথে ছিলেন আবু বকর (রা) ও উমর (রা) ৷ আবু যার (রা) ইতিপুর্বে আমাকে
জানিয়ে দিয়েছিলেন আমি যেন বলি,


হে নবী ! আপনার প্রতি সালাম, আপনার উপর আল্লাহর রহ্মত ও বরকত নাযিল হোক ৷
সেখানে পৌছে আমি যখন তাকে সালাম দিলাম, তিনি বললেন, “কে, হুওয়াইতিব?” আমি
বললাম, হ্যা, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্পাহ্ব্যতীত ৩কােন ইলাহ নেই এবং আপনি আল্লাহর


سَبِيلِ اللَّهِ، وَهَذِهِ الدَّارُ كَانَتْ لِقُرَيْشٍ بِمَنْزِلَةِ دَارِ الْعَدْلِ، وَكَانَ لَا يَدْخُلُهَا أَحَدٌ إِلَّا وَقَدْ صَارَ سِنُّهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، إِلَّا حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، فَإِنَّهُ دَخَلَهَا وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. ذَكَرَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ. وَذَكَرَ الزُّبَيْرُ أَنَّ حَكِيمًا حَجَّ عَامًا، فَأَهْدَى مِائَةَ بَدَنَةٍ مُجَلِّلَةٍ، وَأَلْفَ شَاةٍ، وَأَوْقَفَ مَعَهُ بِعَرَفَاتٍ مِائَةَ وَصَيْفٍ فِي أَعْنَاقِهِمْ أَطَوِقَةُ الْفِضَّةِ، وَقَدْ نُقِشَ فِيهَا: هَؤُلَاءِ عُتَقَاءُ اللَّهِ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ. فَأَعْتَقَهُمْ وَأَهْدَى جَمِيعَ تِلْكَ الْأَنْعَامِ. رِضَى اللَّهِ عَنْهُ. تُوُفِّيِّ حَكِيمٌ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الصَّحِيحِ.، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمَرِ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى الْعَامِرِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانَ قَدْ عُمِّرَ دَهْرًا طَوِيلًا، وَلِهَذَا جَعَلَهُ عُمَرُ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ جَدَّدُوا أَنْصَابَ الْحَرَمِ، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ الْمُشْرِكِينَ، وَرَأَى الْمَلَائِكَةَ يَوْمَئِذٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ وَسَعَى فِي الصُّلْحِ «، فَلَمَّا كَانَ عُمْرَةُ الْقَضَاءِ كَانَ هُوَ وَسُهَيْلٌ هُمَا اللَّذَانِ أَمَرَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخُرُوجِ مِنْ مَكَّةَ، فَأَمَرَ بِلَالًا أَنْ لَا تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَبِمَكَّةَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ. قَالَ: وَفِي كُلِّ هَذِهِ الْمَوَاطِنِ أَهُمُّ بِالْإِسْلَامِ، وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا مَا يُرِيدُ، فَلَمَّا كَانَ زَمَنُ الْفَتْحِ خِفْتُ خَوْفًا شَدِيدًا وَهَرَبْتُ، فَلَحِقَنِي أَبُو ذَرٍّ، وَكَانَ لِي خَلِيلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ: يَا حُوَيْطِبُ، مَا لَكَ؟ فَقُلْتُ: خَائِفٌ. فَقَالَ: لَا تَخَفْ ; فَإِنَّهُ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ، وَأَنَا جَارٌ لَكَ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৫৩


রাসুল ৷’ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এা১;ষ্ ;;১ ৰু৷ ৰুা৷ ১ ;ট্রুাৰু সকল প্রশংসা আল্লাহ
তায়ালার যিনি৫ আমাকে সৎগথ দেখিয়েছেন ৷ তিনি এতে খুব খুশি হলেন ৷ তিনি আমার
নিকট কিছু অর্থ কড়ি স্বর্ণ চাইলেন ৷ আমি তাকে ৪০ হাজার দিরহাম ঋণ দিলাম ৷ আমি তীর
সাথে হুনায়নের যুদ্ধে এবং তায়িফের যুদ্ধে অং শ নিই ৷ হুনায়নের যুদ্ধের গনীমত তথা যুদ্ধলব্ধ
মালামাল থেকেও তিনি আমাকে ১০০ টি উট প্রদান করেন ৷

এরপর ইওয়াইতিব মদীনায় আগমন করেন এবং সেখানে বসবাস করতে থাকেন ৷ সেখানে
তার একটি বাড়ি ছিল ৷ মারওয়ান ইবন হাকাম যখন মদীনা র শাসনকর্তা নিযুক্ত হলেন তখন
হুওয়াইতিব (রা), হাকীম ইবন হিযাম (রা), মাখৃরামা ইবন নাওফাল (রা) প্রমুখ৩ তার নিকট

আসেন ৷ তাকে সালাম দেন এবং তার সাথে আলাপ চারিতায় বসেন ৷ এরপর তারা চলে যান ৷

অন্য একদিন হুওয়াইতিব (রা) একা মারওয়ানের সাথে সাক্ষাত করেন ৷ মারওয়ান তাকে তার
বয়স জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি বয়সের কথা বলেন ৷ পরে মারওয়ান বলেন, হে শায়খ ও বয়স্ক
মুরববী, আপনি ইসলাম গ্রহণে বিলস্ব করলেন কেন? অথচ অল্প বয়সী লোকেরা আপনার পুর্বে
ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং অনেক অগ্রগতি লাভ করেছে ৷ ’ হওয়াইতিব (বা) বললেন,
আল্লাহ্ই একমাত্র সহায়স্থল ৷ আমি একাধিকবার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু
প্রতিবারই আপনার পিতা আমাকে বাধা দিয়েছেন ৷ তিনি বলতেন যে, তুমি কি তোমার মর্যাদা
বিসর্জন দেবে? একটা নতুন ধর্মের অনুসরণ করতে গিয়ে পিত তপুরুষের ধর্ম ছেড়ে দিবে?তু
নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে অনুসারীর কাতারে নেমে যাবে?’ একথা শুনে মারওয়ান চুপ মেরে গেলেন
এবং তার পুর্ব বক্তব্যের জন্যে সজ্জিত হলেন ৷ এরপর হুওয়ইিতিব (রা) বললেন, হযরত
উসমান ইসলাম গ্রহণ করার পর আপনার পিতার পক্ষ ন্ থেকে কী আচরণের মুখোমুখি
হয়েছিলেন, হযরত উসমান (বা) কি তা আপনাকে জানান নি?’ এতে মারওয়ানের দুঃখ ও
লজ্জা আরো বেড়ে গেল ৷ হযরত উসমান (রা) এর দাফনের সময়ে যারা সেখানে উপস্থিত
ছিলেন হযরত হুওয়াইতিব (বা) তাদের অন্যতম ছিলেন ৷

হুওয়ইিতিবের মক্কার বাড়িটি আমীর মুআবিয়া (বা) ৪০ হাজার দীনারে (স্বর্ণ মুদ্রার) ক্রয়
করেছিলেন ৷ এই মুল্যকে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সম্পদ মনে করেছিল ৷ তখন হুওয়াইতিয়
বলেছিলেন ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জন্য এই সম্পদ তেমন বেশি কিছু তো নয় ৷

ইমাম শ্া৷ফিঈ (বা) বলেছেন যে, হুওয়াইতিব (বা) একজন উন্নত মনের মুসলমান ছিলেন ৷
জাহিলী যুগে৩ তিনি কুরইিশ বংশের অন্যত তম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন,
হুওয়াইতির (বা) ইসলাম-পুর্ব যুগে ৬০ বছর এবং ইসলামী যুগে ৬০ বছর বয়স পেয়েছেন ৷ এই
হিত্তরীি সনে অর্থাৎ ৫৪ হিজরী সনে ১২০ বহ্ব বয়সে মদীনায় তিনি ইন্তিকাল করেন ৮অন্যরা
বলেছেন যে, তার ইন্তিকাল হয়েছে সিরিয়ার ৷ কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে তার বর্ণিত একটি হাদীস
রয়েছে ৷ হাদীসটি ইমাম বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ (র) সাইব ইবন ইয়াযীদ হতে আবদুল্লাহ ইবন
সা দী সুত্রে হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীসঢি “আযীয” বা সুদুঢ় হাদীস ৷ কারণ
সেটির সনদে : জন সাহাবীর সমাবেশ ঘটেছে ৷ আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷

মা বাদ ইবন ইয়ারবু ইবন আনবাছ৷ (বা)

৫৪ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয়েছেত ওাদের একজন হলেন, মা “বাদ ইবন ইযাববু ইবন
আনকাছা ইবন আমীর ইবন মাখবুম (বা) ৷ তিনি মক্কা বিজয়ের সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷


فَاقْدَمْ مَعِي. فَرَجَعْتُ مَعَهُ، فَوَقَفَ بِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَقَدْ عَلَّمَنِي أَبُو ذَرٍّ أَنْ أَقُولَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. فَلَمَّا قُلْتُ ذَلِكَ قَالَ: " حُوَيْطِبٌ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاكَ ". وَسُرَّ بِذَلِكَ وَاسْتَقْرَضَنِي مَالًا، فَأَقْرَضْتُهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَشَهِدْتُ مَعَهُ حُنَيْنًا وَالطَّائِفَ، وَأَعْطَانِي مِنْ غَنَائِمِ حُنَيْنٍ مِائَةَ بَعِيرٍ» ثُمَّ قَدِمَ حُوَيْطِبٌ بَعْدَ ذَلِكَ الْمَدِينَةَ فَنَزَلَهَا، وَلَهُ بِهَا دَارٌ. وَلَمَّا وَلِيَ عَلَيْهَا مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ جَاءَهُ حُوَيْطِبٌ وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ وَمَخْرَمَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ، وَجَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ عِنْدَهُ، ثُمَّ تَفَرَّقُوا، ثُمَّ اجْتَمَعَ حُوَيْطِبٌ بِمَرْوَانَ يَوْمًا آخَرَ، فَسَأَلَهُ مَرْوَانُ عَنْ عُمْرِهِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ لَهُ: تَأَخَّرَ إِسْلَامُكَ أَيُّهَا الشَّيْخُ حَتَّى سَبَقَكَ الْأَحْدَاثُ. فَقَالَ حُوَيْطِبٌ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ، وَاللَّهِ لَقَدْ هَمَمْتُ بِالْإِسْلَامِ غَيْرَ مَرَّةٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَعُوقُنِي أَبُوكَ يَقُولُ: تَضَعُ شَرَفَكَ وَتَدَعُ دِينَ آبَائِكَ لِدِينٍ مُحْدَثٍ وَتَصِيرُ تَابِعًا؟ قَالَ: فَأَسْكَتَ مَرْوَانُ وَنَدِمَ عَلَى مَا كَانَ قَالَ لَهُ. ثُمَّ قَالَ حُوَيْطِبٌ: أَمَا كَانَ أَخْبَرَكَ عُثْمَانُ مَا كَانَ لَقِيَ مِنْ أَبِيكَ حِينَ أَسْلَمَ؟ قَالَ: فَازْدَادَ مَرْوَانُ غَمًّا. وَكَانَ حُوَيْطِبٌ مِمَّنْ شَهِدَ دَفْنَ عُثْمَانَ. وَاشْتَرَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ دَارَهُ بِمَكَّةَ بِأَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَاسْتَكْثَرَهَا النَّاسُ، فَقَالَ حُوَيْطِبٌ: وَمَا هِيَ فِي رَجُلٍ لَهُ خَمْسَةٌ مِنَ الْعِيَالِ؟ قَالَ الشَّافِعِيُّ: كَانَ حُوَيْطِبٌ حَمِيدَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৫৪

তিনি হনায়নের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ঐ যুদ্ধে প্রাপ্ত মালামাল থেকে বাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে
৫০ টি উট প্রদান করেছিলেন ৷ তার নাম ছিল সারম বা আসরাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার নাম
রাখলেন মা বাদ ৷ হারাম শরীফের সীমানা স্তম্ভ সংস্কারের জন্যে হযরত উমর (বা) যে কমিটি
করেছিলেন, তিনি সেই কমিটির সদস্য ছিলেন ৷ পরবভীরিত তার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় ৷
হযরত উমর (রা) এই বিপদে সমবেদনা জানানোর জন্যে সশরীরে তার বাড়িতে
এসেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (র) এই তথ্য উদ্ধৃত করেছেন ৷ ওয়াকিদী, খালীফ৷ প্রমুখ
বলেছেন যে, ৫৪ হিজরী সনে মদীনাভে তার যেতে হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি মারা
গিয়েছিলেন মক্কাতে ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১২০ বছর ৷ কেউ কেউ বলেছেন, বয়স
আরো বেশি হয়েছিল ৷

মুবৃরা ইবন শারাহী ল হামাদানী (না)

৫৪ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয়েছে তাদের একজন হলেন মুররা ইবন শার ৷হীল্
শ্হ্ামাদানী (রা) ৷ তাকে মুরর৷ আল তাইন্নেব এবং মুররা আল খায়রও বলা হত ৷ তিনি আবু
বকর (রা); উমর (রা), আলী (রা) এবং ইবন মাসউদ (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেনা
তিনি দিলে-রাতে মিলিয়ে ১০০০ বাক আত নামায আদায় করতেন ৷ বৃদ্ধ হয়ে যাবার পর
আদায় করতেন দৈনিক ৪০০ রাক আত ৷ কথিত অছে যে, সিজদ৷ করতে করতে মাটি তার
কপাল ক্ষয় করে ফেলেছিল ৷ তার মৃত্যুর পর কেউ কেউ তাকে স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, তার
কপালের ঐ ক্ষতন্থান্ঢি জ্যোর্ডিংয় হয়ে রয়েছে ৷৩ তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আপনি
এখন কোথায় অবস্থান করছেন? তিনি বলেছিলেন, আমি এমন এক স্থানে বসবাস করছি
যেখানকার অধিবাসীগণ স্থানান্তরিত হয় না, মারাও যায় না ৷’

নু আয়মান ইবন আমর (বা)

৫২১ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন নুআয়মান ইবন আমর ইবন
রিফাআ ইবন হয় (বা) ৷ তিনি বদরের, যুদ্ধ ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশগ্রহণ করেছেন ৷ কথিত

আছে যে, তিনি প্রচুর পানীয় পান করতেন ৷ এ অবস্থা দেখে জনৈক ব্যক্তি বলেছিল্, তার উপর
আল্লাহর লানত, যে কত বেশি পনীিয় পান করে৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেৰুইালন, ওর ৰু
প্রতি লানত দিও না, কারণ সে আল্পাহ্কে এবং তার রাসুলকে ভালবা সে ৷ৰু

সাতদ৷ বিনত নাম অ৷ (বা)

৫৪ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন উন্মুল মুমিনীন, প্রিয়নবী
(সা) এর সহধর্মিণী হযরত সাওদা বিনৃত যামআ কুরায়শী আমেরী (রা) ৷ হযরত খাদীজা
(রা)এর ইনৃতিকালের পর রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বিয়ে করেন ৷ ইতিপুর্বে তিনি সাকরান ইবন
আমর এর শ্রী ছিলেন ৷ সাকরান হলেন সুহায়ল ইবন আমরের ভাই ৷ হযরত সাওদা (রা) বৃদ্ধ
হয়ে যাবার পর রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে তালাক দিয়ে দেয়ার চিন্তা করেছিলেন ৷ কেউ কেউ
বলেছেন যে, তালাক দিয়েই ফেলেছিলেন ৷৩ তারপর তিনি তাকে শ্রী হিসেবে রাখার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (না) কে অনুরোধ করেন এবং এটাও বলেন যে, তার প্রাপ্য পালাটি তিনি হযরত


الْإِسْلَامِ، وَكَانَ أَكْثَرَ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ رَبْعًا جَاهِلِيًّا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: عَاشَ حُوَيْطِبٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ سِتِّينَ سَنَةً، وَفِي الْإِسْلَامِ سِتِّينَ سَنَةً، وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِالْمَدِينَةِ وَلَهُ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَالَ غَيْرُهُ: تُوُفِّيَ بِالشَّامِ. لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ، رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ عَنْهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّعْدِيِّ عَنْ عُمَرَ فِي الْعُمَالَةِ، وَهُوَ مِنْ عَزِيزِ الْحَدِيثِ ; لِأَنَّهُ اجْتَمَعَ فِيهِ أَرْبَعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، رِضَى اللَّهِ عَنْهُمْ. سَعِيدُ بْنُ يَرْبُوعِ بْنِ عَنْكَثَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ مَخْزُومٍ أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَشَهِدَ حُنَيْنًا، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسِينَ مِنَ الْإِبِلِ، وَكَانَ اسْمُهُ صُرْمًا، وَفِي رِوَايَةٍ: أَصْرَمَ، فَسَمَّاهُ سَعِيدًا، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ النَّفَرِ الَّذِينَ أَمَرَهُمْ عُمَرُ بِتَجْدِيدِ أَنْصَابِ الْحَرَمِ، وَقَدْ أُصِيبَ بَصَرُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَأَتَاهُ عُمَرُ يُعَزِّيهِ فِيهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৫৫


আয়েশা (রা) এর জন্যে ছেড়ে দিবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার এই অনুরোধ রক্ষা করেন ৷ এই
প্রেক্ষিতে অল্লোহ্ তায়াল৷ নাযিল করলেন





১াদ্দৌ
স্পেশ্রা

কোন শ্রী যদি তার স্বামীর দুর্বব্যহার ও উপেক্ষার আশঙ্কা করে তবে তারা আপোষ
নিন্ষ্ষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আগোষ-নিষ্পত্তিই ণ্শ্রয় ৷ মানুষ লোভ
হেতু স্বভাবত কৃপণ, যদি তোমরা সৎকর্ম পরায়ণ হও ও মুত্তাকী হও তবে তোমরা যা কর
আল্লাহ্ তার খবর রাখেন’ ৷ (সুরা-৪, নিসা ং ১২৮) ৷

উম্মুল মু ’মিনীন হযরত সাওদা (রা) খুবই ইবাদতকারিণী ও পরছুহযগার মহিলা ছিলেন ৷
হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন যে, হযরত সাওদা (রা) ব্যতীত অন্য কোন মহিলার প্রতি
আমার এত বেশি আন্তরিকতা ছিল না ৷ অবশ্য তার মধ্যে তেমন গুণও ছিল বটে, যদিও তীর
মধ্যে তেজও ছিল বটে ৷ ইবনুল জাওযী বলেছেন যে, ৫৪ হিজরী সনে হযরত সাওদা (রা) এর
ওফাত হয় ৷ ইবন আবু খায়সামা বলেছেন, উমর ইবনুল পাতায় (বা) এর খিলাফতের শ্নেষ
দিকে তার ইন্তিকাল হয় ৷ ,


وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَخَلِيفَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِالْمَدِينَةِ - وَقِيلَ: بِمَكَّةَ - وَهُوَ ابْنُ مِائَةٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. مُرَّةُ بْنُ شُرَاحِيلَ الْهَمْدَانِيُّ وَيُقَالُ لَهُ: مُرَّةُ الطَّيِّبُ، وَمُرَّةُ الْخَيْرِ. رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَغَيْرِهِمْ. كَانَ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَلْفَ رَكْعَةٍ، فَلَمَّا كَبُرَ صَلَّى أَرْبَعَمِائَةِ رَكْعَةٍ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَجَدَ حَتَّى أَكَلَ التُّرَابُ جَبْهَتَهُ، فَلَمَّا مَاتَ رُئِيَ فِي الْمَنَامِ وَقَدْ صَارَ ذَلِكَ الْمَكَانُ نُورًا، فَقِيلَ لَهُ: أَيْنَ مَنْزِلُكَ؟ فَقَالَ: بِدَارٍ لَا يَظْعَنُ أَهْلُهَا وَلَا يَمُوتُونَ. النُّعَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ رَفَاعَةَ بْنِ الْحَارِثِ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ هُوَ الَّذِي كَانَ يُؤْتَى بِهِ فِي الشَّرَابِ فَيَجْلِدُهُ النَّبِيُّ، فَقَالَ رَجُلٌ: لَعَنَهُ اللَّهُ، مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتَى بِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَلْعَنُهُ فَإِنَّهُ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ".» سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ الْقُرَشِيَّةُ الْعَامِرِيَّةُ، أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ خَدِيجَةَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ السَّكْرَانِ بْنِ عَمْرٍو أَخِي سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو فَلَمَّا كَبِرَتْ هَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِطَلَاقِهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ طَلَّقَهَا. فَسَأَلَتْهُ أَنْ يُبْقِيَهَا فِي نِسَائِهِ وَتَهَبَ يَوْمَهَا لِعَائِشَةَ، فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهَا وَأَبْقَاهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ:
পৃষ্ঠা - ৬৪৫৬
{وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا} [النساء: 128] الْآيَةَ [النِّسَاءِ: 128] . وَكَانَتْ ذَاتَ عِبَادَةٍ وَوَرَعٍ وَزَهَادَةٍ. قَالَتْ عَائِشَةُ: مَا مِنِ امْرَأَةٍ أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ فِي مِسْلَاخِهَا إِلَّا سَوْدَةَ، إِلَّا أَنَّ فِيهَا حِدَّةً تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ. ذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَفَاتُهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: تُوُفِّيَتْ فِي آخِرِ خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.