আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وخمسين

ثم دخلت سنة ثلاث وخمسين

ثم دخلت سنة ثلاث وخمسين

ثم دخلت سنة ثلاث وخمسين

পৃষ্ঠা - ৬৪৩৫

হিজয়ী ৫৩ সন

এই হিজয়ী সনে আবদুর রহমান ইবন উম্মুল হাকাম ব্লোমান নপরগুলো আক্রমণ করেন
এবং সেগুলো দখল করেন ৷ এই বছরই মুসলমানগণ “রেজাে দ্বীপ জয় করেছিল ৷ এই
অভিযানে সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন জুনাদ৷ ইবন আবু উমর্হিয়৷ ৷ মুসলমানদের একদল
সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে ৷ যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে তীব্লভীবৈ আক্রমণ চালানো যায় ৷

তারা নদী পথে ক ফিবদেব উপর আক্রমণের চেষ্টা করে এবং ওদের যাতায়াত বন্ধ করার

প্রচেষ্টা চালায় ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) বায়ভুলমাল থেকে ওদের ভরপ-পােষণ ও উচ্চহারে
ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন ৷৩ তারা ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক ছিল ৷
তারা একটি সুরক্ষিত দুর্ণে রাত যাপন করত ৷ সেখানে তাদের খাদ্যণ্দ্বব্য, যানবাহন ও
প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপএ মজুদ ছিল ৷৩ তাদের পক্ষে সমুদ্রে গুপ্তচর ও পাহারাদার নিয়োজিত
ছিল যাতে শত্রুর আগমন কিংর৷ যে কোন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তারা মুল সেনাদলকে সতর্ক করে
দিতে পারে ৷ তারা এখানেই অবস্থান করছিল ৷ এরই এক পর্যায়ে আমীর মুআবিয়৷ (রা)-এর
ওফাত হয় এবং তার পুত্র ইয়াযীদ শাসন ক্ষমতা লাভ করে ৷ যে ঐ সেনাদলকে ওখান থেকে
প্রত্যাহার করে নেয় ৷ সেখানে মুসলমানদের প্রচুর ধন-সম্পদ ও (ক্ষত-খামার ছিল ৷ এই বছর

হরুজ্জর নেতৃত্ব দেন মদীনায় শাসনকর্তা সাঈদ ইবনুল আস (রা) ৷ আবুমাশাৱ ও ওয়াকিদী

এটা বলেছেন ৷ এই বছর জাবালা ইবন আয়হাম গাসৃসানী ইন্তিকাল্ করেন ৷ এই পর্বের শেষ
ভাগে তার জীবনী উল্লেখ করা হবে ৷

এই হিজয়ী সনে রাবী ইবন যিয়াদ হাব্লিহী ইনতিকাল করেন ৷ তিনি সাহাবী ছিলেন কিনা
সে বিষয়ে ম৩ ভেদ রয়েছে ৷ তিনি যিয়াদের পক্ষে খুরাসানের শাসনকর্তা ছিলেন ৷ হযরত হুজর
ইবন আদীর মর্মাস্তিক মৃত্যুর কথা তার নিকট আলোচনা করা হয়েছিল ৷ তিনি তার জন্য গভীর
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, আরব সম্প্রদায় যদি তার পক্ষে
প্রতিবাদ জানাত তাহলে তিনি এভাবে নিহত হতেন না ৷ তিঃ আরবগণ তার এই শাস্তি মেনে
নিয়েছিল ৷ ফলে (তিনি নিহত হলেন আর) আরবগণ লাঞ্ছিত হল ৷ এরপর জুমুআবারে মিস্বরে
দাড়িয়ে তিনি আল্লাহর দরবারে এই দু আ করেছিলেন যে, আল্লাহ যেন তাকে এই দুনিয়া থেকে
তুলে নেন ৷ ,

তঃপর পরবর্তী জুমু আ আসার আগেই তার ওফুাত হয়ে যায় ৷ তিনি তার পুত্র আবদুল্লাহ

ইবন বাবী কে তার ন্থলানিষিক্ত কছুর গিয়েছিলেন ৷ যিয়াদ তাতে সম্মতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু
দু মাস পর আবদুল্লাহ্ মারা যান ৷ তিনি খুলায়দ ইবন আবদুল্লাহ হানাফীকে খুরাসানের
শাসনকর্তা নিয়োগ করে গিয়েছিলেন ৷ যিয়াদ তাতে অনুমোদন দািয়ছিল ৷

রুওয়াইফ৷ ইবন ছাবিত (রা)

৫৩ হিজয়ী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন হযরত রুওরাইফা ইবন
ছাবিত (রা) ৷ তিনি একজন উচু মর্যাদার সাহাবী ছিলেন ৷ মিশর বিজয় অভিযানে তিনি অংশ
নিয়েছিলেন ৷ আফ্রিকার পশ্চিম শহর ও নগরগুলো-বিজয়ে তার গুরুত্বপুর্ণ ৰ্ন্ছুযিক্কা ছি ল ৷ মিশরের


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ] فَفِيهَا غَزَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنُ أُمِّ الْحَكَمِ الثَّقَفِيُّ بِلَادَ الرُّومِ وَشَتَّى بِهَا. وَفِيهَا افْتَتَحَ الْمُسْلِمُونَ - وَعَلَيْهِمْ جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ - جَزِيرَةَ رُودِسَ، فَأَقَامَ بِهَا طَائِفَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ كَانُوا أَشَدَّ شَيْءٍ عَلَى الْكُفَّارِ، يَعْتَرِضُونَ لَهُمْ فِي الْبَحْرِ، وَيَقْطَعُونَ سَبِيلَهُمْ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ يُدِرُّ عَلَيْهِمُ الْأَرْزَاقَ وَالْأُعْطِيَاتِ الْجَزِيلَةَ، وَكَانُوا عَلَى حَذَرٍ شَدِيدٍ مِنَ الْفِرِنْجِ، يَبِيتُونَ فِي حِصْنٍ عَظِيمٍ عِنْدَهُمْ فِيهِ حَوَائِجُهُمْ وَدَوَابُّهُمْ وَحَوَاصِلُهُمْ، وَلَهُمْ نَوَاطِيرُ عَلَى الْبَحْرِ يُنْذِرُونَهُمْ إِنْ قَدِمَ عَدُوٌّ أَوْ كَادَهُمْ أَحَدٌ وَمَا زَالُوا كَذَلِكَ حَتَّى كَانَتْ إِمَارَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَبِيهِ، فَأَقْفَلَهُمْ مِنْ تِلْكَ الْجَزِيرَةِ، وَقَدْ كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ بِهَا أَمْوَالٌ كَثِيرَةٌ وَزِرَاعَاتٌ غَزِيرَةٌ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ وَالِي الْمَدِينَةِ. قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ جَبَلَةُ بْنُ الْأَيْهَمِ الْغَسَّانِيُّ، كَمَا سَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ فِي آخِرِ هَذِهِ التَّرَاجِمِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ الرَّبِيعُ بْنُ زِيَادٍ الْحَارِثِيُّ اخْتُلِفَ فِي صُحْبَتِهِ، وَكَانَ نَائِبَ زِيَادٍ عَلَى خُرَاسَانَ وَكَانَ قَدْ ذَكَرَ حُجْرَ بْنَ عَدِيٍّ فَتَأَسَّفَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ ثَارَتِ الْعَرَبُ لَهُ لَمَا قُتِلَ صَبْرًا، وَلَكِنْ أَقَرَّتِ الْعَرَبُ فَذَلَّتْ. ثُمَّ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ دَعَا اللَّهَ عَلَى الْمِنْبَرِ أَنْ يَقْبِضَهُ إِلَيْهِ، فَمَا عَاشَ إِلَى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৬


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ ২ ৭

শাসনকর্তা মাসলামা ইবন মুখাল্লাদের পক্ষ থেকে “বারাকা” এর গভর্নরের দায়িত্ব প লনব৩
অবস্থায় তার ওফাত হয় ৷
এই হিজরী সনে যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান মারা যান ৷ তিনি যিয়াদ ইবন আবীহি এবং
যিয়াদ ইবন সুমাইয়া নামে পরিচিত ৷ সুমাইয়৷ তার মায়ের নাম ৷ ৫৩ হিজরী সনের রমাযান
মাসে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান ৷ তার মৃত্যুর পটভুমি এই যে, এক পর্যায়ে
তিনি আমীর মুআবিয়া (রা)-এর নিকট চিঠি লিখেছিলেন যে, আমি আমার নাম হাত দিয়ে
সমগ্র ইরাক নিয়ন্ত্রণ করছি, আমার ডান হাত খালি রয়েছে ৷ সুতরাং আমাকে এমন কিছু কাজ
দিন যা বাস্তবায়নে আমার ডান হাত কাজে লাগাতে পারি ৷ এত দ্বারা তিনি হিজায অঞ্চলের
শাসন ক্ষমতা লাভের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন ৷
তার এই অভিপ্রায়ের কথা অবগত হয়ে হিজায অঞ্চলের জনগণ হযরত আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা)-এর নিকট উপস্থিত হয় ৷ যিয়াদের দুরভিসন্ধির কথা তারা তাকে আমার এবং
যিয়াদ শাসন ক্ষমতা“ লাভ করলে হিজাযের লোকদেরকেও সেই দুঃখজনক ও করুণ পরিণতি
ভোগ করতে হবে-ষ্ যেমন ভোগ করেছে ইরাকী জনগণ ৷ এই আশংকার কথা তারা তার নিকট
পেশ করে ৷ হযরত ইবন উমর (রা)ত তখন কিবলামুখী হয়ে দাড়ালেন এবং যিয়াদের প্রতি
বদদুআ করলেন ৷ উপস্থিত লোকজন তার সাথে “আযীন-আমীন” বলল ৷ ফলে একদিন
যিয়াদ প্লেগ রোগে অক্রান্ত হল ৷ প্রথমে আক্রান্ত হল তার হাত ৷ ফলে তার বাহু অচল হয়ে
পড়ে ৷ তখন তিনি ইরাকে অবস্থান করছিলেন ৷ রোগাক্রান্ত হাতটি কেটে ফেলার ব্যাপারে তিনি
কাষী শুরায়হের সাথে পরামর্শ করেন ৷ কাষী শুরায়হ বললেন, হাত কেটে ফেলা আমি সমর্থন
করি না ৷ কারণ আপনি যদি হাত কাটেন আর মুলত আপনার আর আয়ু না থাকে তাহলে
আপনি আল্লাহর সাথে দেখা করবেন এমতাবস্থায় যে, আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের ভয়ে অর্থাৎ
মৃত্যু ভয়ে আপনি আপনার হাত কোট ফেলেছেন ৷ আর যদি হাত কাটার পর আপনি বেচে
থাকেন তাহলে আপনি বেচে থাকবেন হাত কটি৷ অবস্থায় ৷ তাতে লোকজন আপনার ছেলে-
মেয়েকে “হাত কাটা লোকের (হলে-মেয়ে বলে তিরস্কার করবে ৷ বস্তুত কাযী শুরায়হ্ন্তাকে
হাত কাটা থেকে বিরত রাখেন ৷ পরামর্শ শেষে বের হবার পর কিছু লোক এই সুপরামর্শের
জন্য কাযী শুরায়হের সমালোচনা করে ৷ তারা বলে, আপনি ঐ জালিমের হাত কেটে ফেলার
পরামর্শ দিলেন না কেন?’ উত্তরে কাযী শুরায়হ বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
পরাফর্ণদাতা হল আমানতদৃার ৷ ’
বর্ণিত আছে যে, যিয়াদ তখন বলেছিলেন, “আমি আর প্লেগ রোগ উভয়ে কি একই
বিছানায় ঘুমাবঃত্র’ শ্নে ষ পর্যন্ত তিনি তার বোপাক্রান্ত হাত কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ৷ হাত
কটিার জন্যে অস্রোপচারের যন্ত্রপাতি নিয়ে আসার পর তিনি ভয় পেয়ে যান এবং ঐ সিদ্ধান্ত
বাতিল করে দেন ৷
কথিত আছে যে, তার দেহের অভ্যন্তরে যে উত্তাপ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তার
চিকিৎসার জন্য তিনি ১৫০ জন অভিজ্ঞ ডাক্তার সংগ্রহ করেছিলেন ৷ তাদের মধ্যে তিনজন
এমন উচু পর্যায়ের ডাক্তার ছিল, যারা পারস্য সম্রটি কিসরা ইবন হুরমুষের ব্যক্তিগত চিকিৎসক
ছিল ৷ কিন্তু তারা সকলে মিলেও অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে তাকে র্বীচাতে পারে নি ৷ ঐ বছর
অর্থাৎ ৫৩ হিজরী সনের ওরা বসবাস তার মৃত্যু হয় ৷ তিনি পাচ বছর ইরাকের শাসনকর্তা
ছিলেন ৷ কুফা নগরীর বাইরে “ছাওইযা” নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷ তিনি তখন হিজায


عَمَلِهِ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الرَّبِيعِ، فَأَقَرَّهُ زِيَادٌ عَلَى ذَلِكَ، فَمَاتَ بَعْدَ ذَلِكَ بِشَهْرَيْنِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى عَمَلِهِ بِخُرَاسَانَ خُلَيْدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَنَفِيَّ، فَأَقَرَّهُ زِيَادٌ. وَرُوَيْفِعُ بْنُ ثَابِتٍ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ فَتْحَ مِصْرَ، وَلَهُ آثَارٌ جَيِّدَةٌ فِي فَتْحِ بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَمَاتَ بِبَرْقَةَ وَالِيًا مِنْ جِهَةِ مَسْلَمَةَ بْنِ مُخَلَّدٍ نَائِبِ مِصْرَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ زِيَادُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ - وَيُقَالُ لَهُ زِيَادُ ابْنُ أَبِيهِ وَ: زِيَادُ ابْنُ سُمَيَّةَ. وَهِيَ أُمُّهُ - فِي رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ مَطْعُونًا، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَقُولُ لَهُ: إِنِّي قَدْ ضَبَطْتُ لَكَ الْعِرَاقَ بِشِمَالِي، وَيَمِينِي فَارِغَةٌ. وَهُوَ يُعَرِّضُ لَهُ أَنْ يَسْتَنِيبَهُ عَلَى بِلَادِ الْحِجَازِ أَيْضًا، فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَ الْحِجَازِ ذَلِكَ جَاءُوا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَشَكَوْا إِلَيْهِ ذَلِكَ، وَخَافُوا أَنْ يَلِيَ عَلَيْهِمْ زِيَادٌ، فَيَعْسِفَهُمْ كَمَا عَسَفَ أَهْلَ الْعِرَاقِ، فَقَامَ ابْنُ عُمَرَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَدَعَا عَلَى زِيَادٍ وَالنَّاسُ يُؤَمِّنُونَ، فَطُعِنَ زِيَادٌ بِالْعِرَاقِ فِي يَدِهِ فَضَاقَ ذَرْعًا بِذَلِكَ، وَاسْتَشَارَ شُرَيْحًا الْقَاضِيَ فِي قَطْعِ يَدِهِ، فَقَالَ لَهُ شُرَيْحٌ: إِنِّي لَا أَرَى لَكَ أَنْ تَفْعَلَ ذَلِكَ بِنَفْسِكَ، فَإِنَّهُ إِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْأَجَلِّ فُسْحَةٌ لَقِيتَ اللَّهَ أَجْذَمَ قَدْ قَطَعْتَ يَدَكَ جَزَعًا مِنْ لِقَائِهِ، وَإِنْ كَانَ لَكَ أَجْلٌ بَقِيتَ فِي النَّاسِ أَجْذَمَ فَيُعَيَّرُ وَلَدُكَ بِذَلِكَ. فَصَرَفَهُ عَنْ ذَلِكَ، فَلَمَّا خَرَجَ شُرَيْحٌ مِنْ عِنْدِهِ عَاتَبَهُ بَعْضُ النَّاسِ وَقَالُوا: هَلَّا تَرَكَتْهُ فَقَطَعَ يَدَهُ؟ فَقَالَ: قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ ".» وَيُقَالُ: إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৭


অঞ্চলের শাসন ক্ষমতা হস্তপত করার জন্যে শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন ৷ তার
মৃত্যু সংবাদ শোনার পর হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেছিলেন, “হে সুমাইয়ার পুত্র
তৃমি৩ তে মোর পথেই যাও ৷ এখন দুনিয়াও তোমার সাথে নেই আর আখিরাতের সাল্দোওে তুমি
অর্জন করতে পার নি ৷

আবু বকর ইবন আবুদ দুনয়া হিশাম আবদুর রহমান ইবন সাঈদ আনসারী (রা) থেকে,
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন শাসনকর্তা যিয়াদ কুফার জনগণকে তীর দরবারে
হাযির হবার নির্দেশ দিলেন ৷ লোকজনের উপস্থিতিতে মসজিদ, উঠান-আঙ্গিনা এবং রাজ-
প্রাসাদ সব ভর্তি ৩হয়ে গেল ৷৩ তার উদ্দেশ্য ছিল এই বিশাল সমাবেশে তিনি হযরত আলী (রা)-
এর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিবেন ৷ বর্ণনাকারী আবদুর রহমান বলেন, আমি
কতক আনসারী সাহাবীর সাথে ঐ সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম ৷ এই ঘটনায় জনসাধারণ খুব
অস্বস্তিতে ছিল ৷

বর্ণনাকরীি বলেছেন যে, হঠাৎ আমার তন্দ্র৷ ও ঘুম৩ ভাব সৃষ্টি হয় ৷ তখন ঐ তন্দ্র৷ অবস্থায়
আমি দেখতে পাই যে, দীর্ঘ ঘাড় বিশিষ্ট কি যেন সামনে এগিয়ে আসছে ৷ সেটির ঘাড় ছিল উটের
ঘাড়ের ন্যায় ৷ সেটির চোখের ভ্রু ছিল লম্বা লম্বা এবং নীচের ঠোট ছিল ঝুলত ৷ আমি বললায,

ভুমি কিপ্ সেটি বলল, দীর্ঘ ঘাড় বিশিষ্ট রৰুরী রাখলে, আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে ঐ রাজ
কার্ষালয়ের প্রশাসকের প্রতি ৷ এরপর আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় ৷” অস্থির হয়ে আমি জেগে উঠি ৷
আমার সাথীদেরকে বলি যে, আমি যা দেখেছি আপনারা কি তা ণ্দখোছনঃ তারা বললেন,
না, আমরা তো কিছু দেখি নি ৷” আমি আমার স্বপ্নের কথা তাদেরকে জানালাম ৷ অতঃপর
রাজপ্রাসাদ থেকে আনক ব্যক্তি বের হয়ে ঘোষণা দিন যে, শাসনকর্তা যিয়াদ আপনাদের
উদ্দেশ্যে টুবলেছেন, আপনারা আজকের মত চলে যান আমি খুব বস্তি আছি ৷ মুলত তিনি
তখন প্লেগের বেদনায় জর্জাদ্বুত ছিলেন ৷

ইবন আবুদ দুনয়া , বর্ণনা করেছেন যে, কুফার শাসনকর্তা পদে নিয়োগ লাভের পর যিয়াদ
ঐ অঞ্চলে সবচইিতে বেশি ইবাদতকারী ব্যুক্তি সম্পর্কে বোজ নিয়েছিলেন ৷ তাকে জানান
হয়েত্যি যে, আবু মুগীরা হিমইয়ারী নামের এক ব্যক্তি হলেন“ এই অঞ্চলের রুম্া;ধ্য সবচইিতে ,
বেশি ইবাদতকারী ব্যক্তি ৷ যিয়াদের নির্দেশে ঐ ব্যক্তিকে তার নিকট উপস্থিত করা হয় ৷ যিয়াদ
তাকে বললেন আজ থেকে তুমি ঘর হতে বের হয়ে না ৷ ঘরের মধ্যেই থাকবে ৷ যত কা-
সম্পদ চাও আমি তােমাকে £সব ৷’ ট্যাং আবু মুগীরা হিন্সইয়ারী বলেছিলেন যে, আপনি যদি
আমাকে সমগ্র পৃথিবীর রাজত্বও দ্যো তবুও আর্মিঅ্যাংাভেনামায আদায়ব্বার জঃন্যৰাইক্সে
আসা ছাড়তে পারব না তা যিয়াদ বন্সেন্ডিং, , তবে তুমি শুধু জামা আংত আসবে ৷ ল্লি কারো
সাথে কোন কথা বলতে পারবে না ৷ উত্তরে তিনি বলেহিঃলন যে, “সব কাংজঃ আদেশ ও অসৎ
কাজের ধারণ করার দায়িত্ব তো আমি ছাড়তে পারব না ৷ এবার ক্ষেপে গিয়ে যিয়াদ তাকে
মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তাকে হত্যা করা হয় ৷ ,

যিয়াদের মৃত্যুর সময় তার ছেলে বলেহ্নিা, বাপ ! আমি আপনার জন্যে ৬০টি কাপড় প্রস্তুত
করে ৷;রখেছি ৷ ওগুলো দিয়ে আমি আপনার কাফনের ব্যবস্থা করব ৷ তখন যিয়াদ বলেছিলেন,

হে প্রিয় বৎস! এখন তোমার বাবা এমন এক অবস্থার সম্মুখীন যে, তার পরিধানে যে পোশাক

আছে তার চইিতে ভাল পোশাক হবেঅখব৷ অবিলম্বে সব পোশাক তার থেকে খুলে নেয়া ,
হবে ৷’


زِيَادًا جَعَلَ يَقُولُ: أَأَنَامَ أَنَا وَالطَّاعُونُ فِي فِرَاشٍ وَاحِدٍ؟ فَعَزَمَ عَلَى قَطْعِ يَدِهِ، فَلَمَّا جِيءَ بِالْمَكَاوِي وَالْحَدِيدِ خَافَ مِنْ ذَلِكَ، فَتَرَكَ ذَلِكَ. وَذُكِرَ أَنَّهُ جَمَعَ مِائَةً وَخَمْسِينَ طَبِيبًا لِيُدَاوُوهُ مِمَّا يَجِدُ مِنَ الْحَرِّ فِي بَاطِنِهِ، مِنْهُمْ ثَلَاثَةُ أَطِبَّاءَ مِمَّنْ كَانَ يَطِبُّ كِسْرَى بْنَ هُرْمُزَ فَعَجَزُوا عَنْ رَدِّ الْقَدَرِ الْمَحْتُومِ وَالْأَمْرِ الْمَحْمُومِ، فَمَاتَ فِي ثَالِثِ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَدْ قَامَ فِي إِمْرَةِ الْعِرَاقِ خَمْسَ سِنِينَ. وَدُفِنَ بِالثَّوِيَّةِ خَارِجَ الْكُوفَةِ، وَقَدْ كَانَ بَرَزَ مِنْهَا قَاصِدًا الْحِجَازَ أَمِيرًا عَلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُ مَوْتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: اذْهَبْ إِلَيْكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، فَلَا الدُّنْيَا بَقِيَتْ لَكَ، وَلَا الْآخِرَةَ أَدْرَكْتَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ ثَعْلَبَةَ أَبُو الْمُقَوَّمِ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ أُمِّهِ عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ أَبِيهَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ السَّائِبِ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ: جَمَعَ زِيَادٌ أَهْلَ الْكُوفَةِ، فَمَلَأَ مِنْهُمُ الْمَسْجِدَ وَالرَّحْبَةَ وَالْقَصْرَ ; لِيَعْرِضَهُمْ عَلَى الْبَرَاءَةِ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. قَالَ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَإِنِّي لَمَعَ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِي مِنَ الْأَنْصَارِ، وَالنَّاسُ فِي أَمْرٍ عَظِيمٍ مِنْ ذَلِكَ وَفِي حَصْرٍ. قَالَ: فَهَوَّمْتُ تَهْوِيمَةً - أَيْ نَعَسْتُ نَعْسَةً - فَرَأَيْتُ شَيْئًا أَقْبَلَ طَوِيلَ الْعُنُقِ، لَهُ عُنُقٌ مِثْلَ عُنُقِ الْبَعِيرِ، أَهْدَبَ أَهْدَلَ فَقُلْتُ: مَا أَنْتَ؟
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৮


সাসাআ ইবন নাজিয়া (বা)

এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৩ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের, অন্যতম হলেন
হযরত সাসাআ ইবন নাজিয়া ইবন আফ্ফান ইবন মুহাম্মদ ইবনসুফিয়ান ইবন মাশাজি ইবন
দারিম (বা) ৷ তিনি জাহিলী যুগে এবং ইসলামী যুগেও নেতৃস্থানীয় লোক ছিলেন ৷ কথিত আছে
যে, জাহিলী যুগে৩ তিনি ৩৬০টি মেয়ে শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়৷ থেকে রক্ষা করেছিলেন ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, তার হাতে প্রাণে বেচে যাওয়া শিশুর সং খ্যা ৪০০ জন ৷ আবার কেউ কেউ
বলেছেন যে, ৬৯ জন ৷ তার ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওাকে বলেছিলেন, ১! );ন্ষ্ এত্র
ণ্স্রপ্রাম্ঞ৬১০ ;ৰুাঠু,; মহান আল্লাহ যখন অনুগ্রহ করে তোমাকে ইসলামে দীক্ষিত
করেছেন তখন ঐ শিশুগুলােকে রক্ষার সওয়াবও তুমি পাবে ৷ এও বর্ণিত আছে যে, তিনিই
সর্বপ্রথম জীবন্ত কবরন্থিত শিশুকে প্ৰাণে রক্ষা করেন ৷ তার সর্বপ্রথম জীবন্ত কবরস্থিত শিশুকে
প্রাণে বাচানোর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, একদিন তার দুটো উট পালিয়ে গিয়েছিল ৷
তিনি উট দুটোর খোজে পথে বের হলেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাতের বেলা আমি পথ
অতিক্রম করহ্নিা৷ম ৷ হঠাৎ দেখি এক ঝলক আগুন ৷ সেটি একবার জ্বলছিল আবার নিচে
যাচ্ছিল ৷ ফলে আমি ঠিকমত ঐ আগুনের কাছে যেতে পাবছিলাম না ৷ লক্ষ্যস্থল চিত্যি করতে
পারজ্জিাম না ৷ তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ ! আমি আপনার নামে মানত করছি যে,
আপনি যদি আমাকে ঐ আগুনের নিকট পৌছে দেন, তবে আমি সেখানকার লোকদের মধ্যে
কোন অবিচার দুঃখ ও জুলুম দেখতে গেলে তা দুর করব ৷ তারপর আমি সেখানে গিয়ে
পৌছলাম ৷ সেখানে দেখলাম, এক বৃদ্ধ লোক আগুন জ্বালাচ্ছে ৷ তবে পাশে কতক মহিলা বসে
আছে ৷ আমি বললাম, কি ব্যাপার? ওর৷ বলল, মহিল্যঢি আজ তিনদিন যাবত যে আমাদের
ব্যতিব্যস্ত ণ্বখেছে ৷ সে বাচ্চা প্রসব করতে যাচ্ছে বাচ্চা প্রসবের ব্যথায়্ ভুপছে অথচ বাচ্চা
প্রসব হচ্ছে না ৷ বাড়ির মালিক বৃদ্ধ লোকটি আমাকে বলল, “তোমার ব্যাপারটি কি? কেন
এসেছ এখানে?” আমি বললাম, “আমাব দুটো উট পালিয়ে গিয়েছে, আমি ওগুলোর খোজ
বল্মছি ৷ সে বলল, ওহ ৷ উট দুটো তো আমি পেয়েছি ৷ ওগুলো আমার উটের গানের মধ্যে
আছে ৷ এরপর আমি ওখানে অবতরণ কংলাম ৷ আমি সেখানে অবস্থান নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে
শুনতে পেলাম যে, মহিলারা বলছে ঐ মহিলাটি বাচ্চা প্রসব করেছে ৷ সংবাদ শুনে বৃদ্ধ লােক টি
বলল, যদি বাচ্চাটি ছেলে হয় তবে তোমরা বাচ্চা নিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে ৷ আর যদি বাচ্চাটি
মেয়ে হয় তবে তার কান্নাব শব্দ আমার কানে আসার আগেই তাকে কবরস্থিত করে ফেলবে ৷

আমি বললাম, আল্লাহ্ আপনাকে বাচ্চা দান করেছেন ৷ ঐ বাচ্চাৱ জীবি কাৱ দায়িত্ব
আল্লাহর উপর, আপনি সেটিকে হত্যা করবেন কেনঃ’ সে বলল, ঐ কন্যা সন্তানের আমার
কোন প্ৰয়ােজ্যা নইি ৷ ’ আমি বললাম, তবে আমি আপনাকে মুক্তিপণ দিয়ে আপনার হাত থেকে
তাকে রক্ষা করব এবং সে আপনাবই নিকট থাকবে যতদিন স্বেচ্ছায় চলে না যায় কিংবা
মৃত্যুবরণ না করে ৷ বৃদ্ধ লোকটি বলল, মুক্তিপণ হিসেবে কি দেবে?’ আমি বললাম, আমার
উট দু টোব একটি আমি আপনাকে দিয়ে দেব ৷ সে বলল, না তাতে হবে না ৷ আমি
বললাম, তাহলে উট দুটোই দিয়ে দেব ৷’ সে বলল, না, তাতেও হবে না ৷ যদি তোমার সাথে
থাকা উটটিও দিয়ে দাও তবে আমি রাষী হব ৷ কারণ, তোমার এই উটঢিকে খুব সুন্দর ও
নওজোয়ান দেখতে পাচ্ছি’ ৷ আমি বললাম, তবে তাই হবে কিং আমাকে আমার বাড়ি
পৌছে দিতে হবে ৷’ সে বলল, তবে তা-ই হবে ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-১ ৭

فَقَالَ: أَنَا النَّقَّادُ ذُو الرَّقَبَةِ، بُعِثْتُ إِلَى صَاحِبِ هَذَا الْقَصْرِ. فَاسْتَيْقَظْتُ فَزِعًا، فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي: هَلْ رَأَيْتُمْ مَا رَأَيْتُ؟ قَالُوا: لَا. فَأَخْبَرْتُهُمْ، وَخَرَجَ عَلَيْنَا خَارِجٌ مِنَ الْقَصْرِ فَقَالَ: إِنَّ الْأَمِيرَ يَقُولُ لَكُمْ: انْصَرِفُوا عَنِّي، فَإِنِّي عَنْكُمْ مَشْغُولٌ. وَإِذَا الطَّاعُونُ قَدْ أَصَابَهُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا أَنَّ زِيَادًا لَمَّا وَلِيَ الْكُوفَةَ سَأَلَ عَنْ أَعَبْدِ أَهْلِهَا، فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْمُغِيرَةِ الْحِمْيَرِيُّ. فَجَاءَ بِهِ فَقَالَ لَهُ: الْزَمْ بَيْتَكَ وَلَا تَخْرُجْ مِنْهُ وَأَنَا أُعْطِيكَ مِنَ الْمَالِ مَا شِئْتَ. فَقَالَ: لَوْ أَعْطَيْتَنِي مُلْكَ الْأَرْضِ مَا تَرَكْتُ خُرُوجِي لِصَلَاةِ الْجَمَاعَةِ. فَقَالَ: الْزَمِ الْجَمَاعَةَ وَلَا تَتَكَلَّمْ بِشَيْءٍ. فَقَالَ: لَا أَسْتَطِيعُ تَرْكَ الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ. فَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَلَمَّا احْتَضَرَ قَالَ لَهُ ابْنُهُ: يَا أَبَةِ، قَدْ هَيَّأْتُ لَكَ سِتِّينَ ثَوْبًا أُكَفِّنُكَ فِيهَا. فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، قَدْ دَنَا مِنْ أَبِيكَ أَمْرٌ ; إِمَّا لِبَاسٌ خَيْرٌ مِنْ لِبَاسِهِ وَإِمَّا سَلْبٌ سَرِيعٌ. وَصَعْصَعَةُ بْنُ نَاجِيَةَ بْنِ عِقَالِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعِ بْنِ دَارِمٍ الدَّارِمِيُّ كَانَ سَيِّدًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَفِي الْإِسْلَامِ، يُقَالُ: إِنَّهُ أَحْيَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ثَلَاثَمِائَةٍ وَسِتِّينَ مَوْءُودَةً. وَقِيلَ: أَرْبَعَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سِتًّا وَتِسْعِينَ مَوْءُودَةً. فَلَمَّا أَسْلَمَ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَكَ أَجْرُ ذَلِكَ إِذْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ بِالْإِسْلَامِ ".»
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৯

ওদের ওখান থেকে বের হবার পর আমি উপলব্ধি করলাম যে, আমি যে কাজটি করেছি
এটি আল্লাহর দয়ায় ও অনুগ্রহে করেছি ৷ এটি নিশ্চয়ই ভাল কাজ করেছি ৷ বিশেষ দয়ায় মহান
আল্লাহ আমাকে দিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন ৷ তখন থেকে আমি আল্লাহর নামে শপথ করেছি
যে, এই বাচচাটিকে যেমন আমি বক্ষা করেছি ভবিষ্যতে এরকম জীবন্ত কবয়স্থিত করার যত
শিশু আমি পাব তার সবগুলোকে আমি রক্ষা করব ৷ তিনি বলেন, ইসলাম প্রকাশিত হবার পুর্ব
পর্যন্ত আমি এরকম ৯৬টি শিশুকে প্রাণে রক্ষা করেছি ৷ পরে মহান আল্লাহ ক্যুাআন অবতীর্ণ
করলেন এবং মুসলমানদের জন্য শিশু জীবন্ত কবরস্থিত করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন ৷

জাবাল৷ ইবন আয়হাম পাস্সানী

এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৩ ন্ হিজরী সনে মৃত্যুবরণকারীদের একজন হল জাবাল৷ ইবন
আয়হাম পাসৃসানী ৷ সে আরব খ্রিস্টানদের রাজা ছিল ৷ তার বৎশ্৷ পরিচয় হল জাবাল৷ ইবন
আয়হাম ইবন জাবাল৷ ইবন হারিছ ইবন আবুশিমার ৷ আবু শিমারের নাম হল মুনযির ইবন
হারিছ ৷ হারিছ হল দুনাক-ফুলের অধিকারিণী মারিয়ার পুত্র এবং সে হল হারিছ ইবন ছালাবা
ইবন আমব ইবন জাফনা ৷ জাফ্যা-এর নাম হল কাব-আবুআমীর ইবন হারিছা ইবন ইমরুল
কায়স ৷ মারিয়া-এর পরিচয় হল মারিয়া বিনৃত আরকাম ইবন ছালাবা ইবনআমর ইবন
জ-ফেন৷ ৷ তার ন্বংশ পরিচয় সম্পর্কে ভিন্ন অভিমতও রয়েছে ৷ তার উপনাম হল জাবাল৷ আবু
মুনযির পাসসানী জাফানী ৷ সে ছিল গাসৃসান গোত্রের রাজা ৷ পাসৃসান গোত্র হল হিরাক্লিয়াসের
শাসনামলের আরব খ্রিস্টানদের গোত্র ৷ ওরা হল আওস ও খাযরাজ সম্প্রদায়ভৃক্ত আনসারী
মুসলমানদের চাচার বংশধর ৷ জাবাল৷ ছিলেন পাস্সান সম্প্রদায়ের শেষ রাজা ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে তার নিকট একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ চিঠির
বাহক ছিলেন শুজা ইবন ওয়াহব (রা) ৷ দাওয়াত পেয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার
ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবহিত করেন ৷

ইবন আসাকিং৷ বলেছেন যে, সে কখনো ইসলাম গ্রহণ করে নি ৷ ওয়াকিদী এবং সাঈদ ;
ইবন আবদুল আযীযও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, জাবাল৷ ইবন আয়হাম কপনাে ইসলাম
গ্রহণ করে নি ৷ কিন্তু ওয়াকিদী বলেছেন যে, হযরত উমর (রা) এর শাসনামলে জাবাল৷ ইবন
আয়হাম রোমান সেনাদলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইয়ারমুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে
ণ্ এবং পরবর্তীতে হযরত উমর (রা) এর শাসনামলেই সে ইসলামে দীক্ষিত হয় ৷

ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, জাবাল৷ ইবন আয়হাম একদিন
মুযায়না গোত্রের এক লোকের চাদর মাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ ঘটনাটি ঘটেজ্জি দামেশক নগরীতে ৷
ঐ লোকটি চাদর মাড়ানাের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে জানালার মুখে থাপ্পড় মারে ৷ জানালা এর
সাথীণণ লোকটিকে ধরে এনে হযরত আবুউবায়দা (রা) এর দরবারে সোপর্দ করে এবং বলে
যে, এই লোক জ্বাবালার মুখে থাপ্পড় যেরেছে ৷ আবু উবায়দ৷ তার রায় ঘোষণা করে বললেন
যে, লোকটির অপরাধের দগু হিসেবে জাবাল৷ লোকটিকে থাপ্পড় মারবে’ ৷ ওরা বলল, রেল
শুধু থাপ্পড় মারবেঃ ওকে হত্যা করা হবে না কেন?” আবু উবায়দ৷ (রা) বললেন, না, হত্যা
করা হবে না ৷’ ওরা বলল, অন্তত যে হাতে গ্লুস গাস্সান রাজা জাবালাকে থাপ্পড যেরেছে ঔ
হাতও কর্তন করা হবে না প্’ আবু উবায়দা (বা) বললেন, না, তার হাতও র্তো বলা হবে না ৷


وَيُرْوَى عَنْهُ أَنَّهُ أَوَّلُ مَا أَحْيَى الْمَوْءُودَةَ أَنَّهُ ذَهَبَ فِي طَلَبِ نَاقَتَيْنِ شَرَدَتَا لَهُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا أَنَا فِي اللَّيْلِ أَسِيرُ إِذَا أَنَا بِنَارٍ تُضِيءُ مَرَّةً وَتَخْبُو أُخْرَى، فَجَعَلْتُ لَا أَهْتَدِي إِلَيْهَا، فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ لَكَ عَلَيَّ إِنْ أَوْصَلْتَنِي إِلَيْهَا أَنْ أَدْفَعَ عَنْ أَهْلِهَا ضَيْمًا إِنْ وَجَدْتُهُ بِهِمْ. قَالَ: فَوَصَلْتُ إِلَيْهَا، وَإِذَا شَيْخٌ كَبِيرٌ يُوقِدُ نَارًا، وَعِنْدَهُ نِسْوَةٌ مُجْتَمِعَاتٌ، فَقُلْتُ: مَا أَنْتُنَّ؟ فَقُلْنَ: إِنَّ هَذِهِ امْرَأَةٌ قَدْ حَبَسَتْنَا مُنْذُ ثَلَاثٍ، تَطْلَقُ وَلَمْ تَخْلُصْ. فَقَالَ الشَّيْخُ صَاحِبُ الْمَنْزِلِ: وَمَا خَبَرُكَ؟ فَقُلْتُ: إِنِّي فِي طَلَبِ نَاقَتَيْنِ شَرَدَتَا لِي. فَقَالَ: قَدْ وَجَدْتُهُمَا، إِنَّهُمَا لَفِي إِبِلِنَا. قَالَ: فَنَزَلْتُ عِنْدَهُ. قَالَ: فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ نَزَلْتُ إِذْ قُلْنَ: وَضَعَتْ. فَقَالَ الشَّيْخُ: إِنْ كَانَ ذَكَرًا فَارْتَحِلُوا، وَإِنْ كَانَ أُنْثَى فَلَا تُسْمِعْنَنِي صَوْتَهَا. فَقُلْتُ: عَلَامَ تَقْتُلُ وَلَدَكَ وَرِزْقُهُ عَلَى اللَّهِ؟ فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي بِهَا. فَقُلْتُ: أَنَا أَفْتَدِيهَا مِنْكَ وَأَتْرُكُهَا عِنْدَكَ حَتَّى تَبِينَ عَنْكَ أَوْ تَمُوتَ. قَالَ: بِكَمْ؟ قُلْتُ. بِإِحْدَى نَاقَتَيَّ. قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَبِهِمَا. قَالَ: لَا إِلَّا أَنَّ تَزِيدَنِي بَعِيرَكَ هَذَا، فَإِنِّي أَرَاهُ شَابًّا حَسَنَ اللَّوْنِ. قُلْتُ: نَعَمْ، عَلَى أَنْ تَرُدَّنِي إِلَى أَهْلِي. قَالَ: نَعَمْ. فَلَمَّا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِمْ، رَأَيْتُ أَنَّ الَّذِي صَنَعْتُهُ نِعْمَةٌ مِنَ اللَّهِ مَنَّ بِهَا عَلَيَّ هَدَانِي إِلَيْهَا، فَجَعَلْتُ لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ لَا أَجِدَ مَوْءُودَةً إِلَّا افْتَدَيْتُهَا كَمَا افْتَدَيْتُ هَذِهِ. قَالَ: فَمَا جَاءَ الْإِسْلَامُ حَتَّى أَحْيَيْتُ مِائَةَ مَوْءُودَةٍ إِلَّا أَرْبَعًا، وَنَزَلَ الْقُرْآنُ بِتَحْرِيمِ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْمَشَاهِيرِ الْمَذْكُورِينَ جَبَلَةُ بْنُ الْأَيْهَمِ الْغَسَّانِيُّ مَلِكُ نَصَارَى الْعَرَبِ، وَهُوَ جَبَلَةُ بْنُ الْأَيْهَمِ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شِمْرٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৪০


আল্লাহ তাআলা সমান প্ৰতিশোধ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ৷’ জাবালা বলল, আপনারা কি
মনে করেন “আমার মুখমণ্ডলকে আমি মদীনায় এক বোন থেকে আসা একজন ম্যানী লোকের
মুখমণ্ডলের সমানরুগে মেনে নেন? উহ, কত মন্দ ও নিকৃষ্ট দীন এটি !’ এরপর সে পুনরায়
খ্রিস্টধর্মে ফিরে যায় এবং তার পরিবায়-পৰিজন নিয়ে প্ রোমান এলাকায় চলে যায় ৷ এই ঘটনা
হযরত উমর (রা)-এর নিকট পৌছে ৷ বিষয়টি শুনে তিনি মর্মাহত হন ৷ তিনি হযরত হাসৃসান
(রা) কে ডেকে বললেন, “তোমার বন্ধু জাবালা তো ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে গিয়েছে ৷ ’
এই দুঃসং বাদ শুনে হযরত হাসসান (রা) “ইন্ন৷ লিল্লাহে ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহে রাজিউন” পাঠ
করলেন ৷ এরপর বললেন, সে কেন ইসলাম আগ করলঃ’ হযরত উমর (রা) বললেন, জনৈক
মুযানী লোক তাকে থাপ্পড় মেরেছে বলে ৷’ হযরত হাসৃসান (রা) উত্তেজনা বশত বলে
ফেললেন, তবে তাে সে ঠিকই করেছে ৷ হযরত হাসৃসানেয় কথা শুনে খলীফা উমর (রা) উঠে
গিয়ে হযরত হাসৃসান (রা) কে চাবুক দ্বারা অঘাত করলেন ৷ ওয়াকিদী এটা বর্ণনা করেছেন
যা মায় (রা) থেকে ৷ আর অন্যরা বর্ণনা করেছেন যুহরী থেকে ইবন আববাস সুত্রে এবং একদল
সাহাবী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ এটিই প্রসিদ্ধ বর্ণনা ৷

ইবনুল কালবী উল্লেখ করেছেন যে, জাবালা-এর ইসলাম গ্রহণের সংবাদ শুনে হযরত উমর
(রা) ভীষণ খুশি হয়েছিলেন ৷ লোক পাঠিয়ে তিনি জাবালাকে মদীনায় আগমনের আমন্ত্রণ
জানালেন ৷ অপর বর্ণনায় আছে যে, জাবালা নিজে মদীনা প্রবেশের জন্য খলীফা উমর (রা) এর
অনুমতি চেয়েছিল ৷ হযরত উমর (রা)৩ তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ জাবালা তার গোত্রের বহু
লোক সাথে নিয়ে মদীনায় ওড্রেশ্যে যাত্রা করে, ৷ কারো মতে তাদের স খ্যা ছিল ১৫০ জন আবার
কারো মতে ৫০০ জন ৷ এদিকে হযরত উমর (রা)এর পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য
উপহাররুউপচৌকম্সহ লোক পাঠানো হয়েজ্যি ৷ মদীনা থেকে কয়েক মইিল দুরে খলীফার
প্রতিনিধি দলের সাথে জাবালা-এর ক্লাফেলার সাক্ষাত হয় ৷ খলীফার পাঠানো উপহার-উপচৌকন
সেখানে তার নিকট হ্বাতর ক্রাঢুহয় ৷ তার মদীনা প্রবেশের দিনটি একটি স্মরণীয় দিন বটে ৷
মদীনায় প্রুব্লেশের্,সময় তার ঘোড়াগুলােৱ গলায় ছিল স্বর্ণ ও রুপার মালা ৷ তার মাথায় হ্নিা
মণি-মুক্ত৷ খচিত রাজ মুকুট ৷ তার নানী মারিয়া-এর নাক ফুল দু’টোও তার মুকুটে জড়ানাে ছিল ৷
মদীনায় নারীপুরুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেহ্নিয তাকে দেখার জন্য ৷ সে হযরত উমর (রা)-কে
সালাম দেয়ার পর হযরত উমর (রা) তাকে মদীনায় স্বাগত জানান এবং তার নিকটে বসার
ব্যবস্থা করেন ৷ একই বছর সে হযরত উমর (রা)-এয় সাথে হজ্জ পালন করো

হজ্জ পালন কালে তাওয়াফ বরোর সময় তার চাদয় পড়ে যায় জনৈক ফারাযী ব্যক্তির পায়ের
নীচে এবং চাদয়টি তার দেহ থেকে খুলে পড়ে যায় ৷ প্ৰতিশে ৷৷ধ হিসেবে সে বানু ফাযারা এর ৯
লোককে থাপ্পড় মারে তাতে তার নাক কেটে যায় ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, জাবালা ঐ সােকঢির
চোখ উপড়ে ফেলেছিল ৷ ক্ষতিঃম্ভে লোকটি ফাযারী গোত্রের একদল ণ্লাক নিয়ে হযরত উমর
(রা) এর নিকট জাবালা এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৷ খলীফা উমর (রা) জাবা লাকে তলব
করেন ৷ সে উপস্থিত হয়ে ঘটনা স্বীকার করে ৷ হযরত উমর (রা) তখন দণ্ড ঘোষণা করে
বললেন, আমি ঐ লোককে তোমার থেকে সমান সমান প্রতিশোধ নিতে দিব’ ৷

জাবালা বলল, হায় তা কেমন করে হবে, সে হল একজন সাধারণ মানুষ আর আমি হলাম
রাজা ৷’ খলীফা বললেন, ইসলাম তো তোমাকে ও ওকে এক কাতারে শামিল করে দিয়েছে;

€০া৷া



وَاسْمُهُ الْمُنْذِرُ بْنُ الْحَارِثِ، وَهُوَ ابْنُ مَارِيَةَ ذَاتِ الْقُرْطَيْنِ، وَهُوَ ابْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَفْنَةَ، وَاسْمُهُ كَعْبُ بْنُ عَامِرِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ، وَمَارِيَةُ هِيَ بِنْتُ أَرْقَمَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَفْنَةَ، وَيُقَالُ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، وَكُنْيَةُ جَبَلَةَ أَبُو الْمُنْذِرِ الْغَسَّانِيُّ الْجَفْنِيُّ، وَكَانَ مَلِكُ غَسَّانَ، وَهُمْ نَصَارَى الْعَرَبِ أَيَّامَ هِرَقْلَ، وَغَسَّانُ أَوْلَادُ عَمِّ الْأَنْصَارِ ; أَوْسِهَا وَخَزْرَجِهَا، وَكَانَ جَبَلَةُ آخِرَ مُلُوكِ غَسَّانَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابًا مَعَ شُجَاعِ بْنِ وَهْبٍ يَدْعُوهُ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَسْلَمَ وَكَتَبَ بِإِسْلَامِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: قِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يُسْلِمْ قَطُّ. وَهَكَذَا صَرَّحَ بِهِ الْوَاقِدِيُّ وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: شَهِدَ الْيَرْمُوكَ مَعَ الرُّومِ أَيَّامَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، ثُمَّ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، فَاتَّفَقَ أَنَّهُ وَطِئَ رَجُلًا مِنْ مُزَيْنَةَ بِدِمَشْقَ، فَلَطَمَهُ ذَلِكَ الْمُزْنِيُّ، فَرَفَعَهُ أَصْحَابُ جَبَلَةَ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ فَقَالُوا: هَذَا لَطَمَ جَبَلَةَ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: فَلْيَلْطِمْهُ جَبَلَةُ. فَقَالُوا: أَوَمَا يُقْتَلُ؟ ! قَالَ: لَا. قَالُوا: فَمَا تُقْطَعُ يَدُهُ؟ ! قَالَ: لَا، إِنَّمَا أَمَرَ اللَّهُ بِالْقَوَدِ. فَقَالَ جَبَلَةُ أَتَرَوْنَ أَنِّي جَاعِلٌ وَجْهِي بَدَلًا لِوَجْهِ مُزَنِيٍّ جَاءَ مِنْ نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ؟ بِئْسَ الدِّينُ هَذَا. ثُمَّ ارْتَدَّ نَصْرَانِيًّا، وَتَرَحَّلَ بِأَهْلِهِ حَتَّى دَخَلَ أَرْضَ الرُّومِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ فَشَقَّ عَلَيْهِ، وَقَالَ لِحَسَّانَ: إِنَّ صَدِيقَكَ جَبَلَةَ ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ. فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: لَطَمَهُ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ. فَقَالَ: وَحُقَّ لَهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ عُمَرُ بِالدِّرَّةِ فَضَرَبَهُ بِهَا. وَرَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৬৪৪১


শুধুমাত্র তাকওয়৷ ও আল্লাহ্ভীতি ব্যতীত তার উপর তোমার অন্য কোন মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠতৃ নেই ৷’
জাবালা বলল, আমি তো মনে করেছিলাম জাহিলী যুগে আমার যে সম্মান ও শ্রেষ্ঠতৃ ছিল ইসলাম
গ্রহণের পর আমার সম্মান ও শ্রেষ্ঠৎ আরো বৃদ্ধি পাবে ৷’ খলীফা বললেন, ভোমার সেই
মনোভাব ত্যাগ কর ৷ তুমি যদি ঐ লোককে সন্তুষ্ট করতে না পার আমি তোমার থেকে তাকে
প্ৰতিশোধ আদায় করে দেব ৷ ’ সে বলল, তাহলে আমি পুনরায় খ্রিস্টধর্মে ফিরে যাব ৷ খল্লীকা
বললেন, ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিস্টধরুর্মু ফিরে গেলে আমি তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেব ৷’ এই কঠিন
পরিস্থিতি দেখে জাবালা বলল, আমাকে সময় দিন ৷ আজ্ব রাতে আমি তোর দেখব, আমি কি
সিদ্ধান্ত নিতে পারি” ৷ সে খলীফার সম্মুখ থেকে ঢ়াল গেল ৷ রাত গভীর হবার পর সে তার গোত্রীয়
লোকজন ও অনুগতদেরকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সিরিয়া অতিক্রম করে ণ্রামান অঞ্চলে চলে
যায় ৷ সে কনস্টান্টিনােপল শহরে গিয়ে হিঃাক্লিয়াস্যের সাপ্নে সক্ষোত করে ৷ ইিরাক্লিম্মাস তাকে
সাদর অভ্যর্থনা জানার ৷ সে জাবালাএর নামে অনেকগুলো শহর বরাদ্দ করে দেয় ৷ তার জন্যে
প্রচুর খাদ্যটুস্দ্রব্য ও রন্তীয় ভাতা মঞ্জুর করে ৷ তাকে তার একান্ত উপহুদৃটু৷ নিয়োগ করে ৷ তারপর
জাবালা বহু দিন সেখানে অবস্থান করে ৷
পরে এক সময়ে হযরত উমর (রা) ব্লোম সম্রাট হিরাক্লিয়া সের নিকট একটি চিঠি লিখেন ৷

চিঠিটি নিয়ে গিয়েছিল জুছাম৷ ইবন মুসহিক কিনানী নামের এক ব্যক্তি ৷ উমর ইবন খাত্তাব (রা)-
এর চিঠি পাওয়ার পর সে পত্র বাহক জুছামাকে বলল, তোমার চাচাত ভাই জাবালা এর সাথে
সাক্ষাত করেছ কি? জুছামা বললেন, না, সাক্ষাত করি নি ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, যাও, তার সাথে
দেখা করে আস ৷ জুছাম৷ জাবালাশ্এর সাথে দেখা করলেন ৷ তার সাথে সাক্ষাতের পর তার উচ্চ
মার্গের খাবারদাবার, আমােদ-কুতিরি উপায়-উপবরণ, জামাকাপড়ের বাহরীি রুপ এবং ইসলাম
; ত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্ত দালানপ্রাসাদের যা যা দেখলেন তার বর্ণনা দিলেন ৷ জুছাম৷ আরো উল্লেখ
করেছেন যে, তিনি তাকে পুনরায় ইসলামে ফিরে আমার এবং সিরিয়ার বসবাস বন্যার আহ্বান
জানিঘ্নেছিলেন ৷ সে বলেজ্জি, এব্বার ইসলাম তা৷প করার পর পুনরায় তাতে ফিরে গেলে তা কি
গ্রহণযোগ্য হবেঃ জুছাম৷ বলেছিলেন, হ্যা, তা গ্রহণযােপ৷ হবে ভৈরকি ৷ ইতিপুর্বে আশ আছ ইবন
কায়স ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে, গিয়েছিল এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে তরবরীি হান্ডে যুদ্ধ
করেছিল ৷ পরবর্তীতে যে যখন সত্যের দিকে ফিরে আসে তখন তার এই ফিরে আনা ও পুনঃ
ইসলামে দীক্ষিত হওয়া মেনে নেয়া হয় ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) তার বোন উম্মু
ফারওয়াকে তার নিকট বিয়ে দেন ৷ জুছাম৷ বললেন, অতঃপর তিনি খাবার-দাবাবের প্রতি ৩আকৃষ্ট
হন এবং তা সেরে সেন ৷ এরপর মদ নিয়ে আসা হয় ৷ তিনি মদপানে অস্বীকৃতি ৩জানান ৷ কিন্তু
জাবালা প্রচুর পরিমাণে মদ পান করে ৷ মদপালে সে মাতাল হয়ে যায় ৷ সে তার পারিকাদেয় গান
গাওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ ওর৷ বাদ্যযন্ত্র বাজ্যিয় হযরত হাসৃসানের রচিত একটা প্রশংসা সঙ্গীত ন্
পইিতে শুরু করে ৷ ঐ সঙ্গীতে হযরত হাসৃসান (বা) তার হাতে বংশধর পাস্সানী লোকদের এবং
:«§é%% জাবালার পিতার প্রশংসা করেছিলেন ৷ ঐ কবিতাটি এই০ ং ৰু ,

)১ এ

এটি এক বিস্ময়কর ঘটনা যে ,পুর্বযুপে একদিন আমি ওদেরকে লাঞ্ছিত করেছিলাম ৷

মোঃ ১ষ্ব্লুা

মোঃ


الْوَاقِدِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَاقَ ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ إِلَى جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ أَشْهَرُ الْأَقْوَالِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ الْكَلْبِيِّ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُمَرَ لَمَّا بَلَغَهُ إِسْلَامُ جَبَلَةَ فَرِحَ بِإِسْلَامِهِ، ثُمَّ بَعَثَ يَسْتَدْعِيهِ لِيَرَاهُ بِالْمَدِينَةِ، وَقِيلَ: بَلِ اسْتَأْذَنَهُ جَبَلَةُ فِي الْقُدُومِ عَلَيْهِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَرَكِبَ فِي خَلْقٍ كَثِيرٍ مِنْ قَوْمِهِ، قِيلَ: مِائَةٌ وَخَمْسُونَ رَاكِبًا. وَقِيلَ: خَمْسُمِائَةٍ. وَتَلَقَّتْهُ هَدَايَا عُمَرَ وَنُزُلُهُ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمَدِينَةِ بِمَرَاحِلَ، وَكَانَ يَوْمُ دُخُولِهِ يَوْمًا مَشْهُودًا، دَخَلَهَا وَقَدْ أَلْبَسَ خُيُولَهُ قَلَائِدَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَلَبِسَ هُوَ تَاجًا عَلَى رَأْسِهِ، مُرَصَّعًا بِاللَّآلِئِ وَالْجَوَاهِرِ، وَفِيهِ قُرْطَا مَارِيَةَ جَدَّتِهِ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ رِجَالُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ عَلَى عُمَرَ رَحَّبَ بِهِ عُمَرُ وَأَدْنَى مَجْلِسَهُ، وَشَهِدَ الْحَجَّ مَعَ عُمَرَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ إِذْ وَطِئَ إِزَارَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ فَانْحَلَّ، فَرَفَعَ جَبَلَةُ يَدَهُ فَهَشَّمَ أَنْفَ ذَلِكَ الرَّجُلِ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ: إِنَّهُ قَلَعَ عَيْنَهُ. فَاسْتَعْدَى عَلَيْهِ الْفَزَارِيُّ عُمَرَ، وَمَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ بَنِي فَزَارَةَ، فَاسْتَحْضَرَهُ عُمَرُ، فَاعْتَرَفَ جَبَلَةُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَقِدْهُ. فَقَالَ جَبَلَةُ: كَيْفَ وَأَنَا مَلِكٌ وَهُوَ سُوقَةٌ؟ فَقَالَ: إِنَّ الْإِسْلَامَ جَمَعَكَ وَإِيَّاهُ، فَلَسْتَ تَفْضُلُهُ إِلَّا بِالتَّقْوَى. فَقَالَ جَبَلَةُ قَدْ كُنْتُ أَظُنُّ أَنْ أَكُونَ فِي الْإِسْلَامِ أَعَزَّ مِنِّي فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَقَالَ عُمَرُ: دَعْ ذَا عَنْكَ، فَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تُرْضِ الرَّجُلَ أَقَدْتُهُ مِنْكَ. فَقَالَ: إِذَنْ أَتَنَصَّرَ. فَقَالَ: إِنْ تَنَصَّرْتَ ضَرَبْتُ عُنُقَكَ. فَلَمَّا رَأَى الْجِدَّ قَالَ: سَأَنْظُرُ فِي أَمْرِي هَذِهِ اللَّيْلَةَ. فَانْصَرَفَ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ، فَلَمَّا ادْلَهَمَّ اللَّيْلُ رَكِبَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৪২


ওরা জাফানা এর বংশধর ওদের পি৩ তৃপুরুষের কবরের পাশে আছে মারিয়ব পুত্রের

কবর ৷ মারিয়া পুত্র অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজ ন ব্যক্তি ছিলেন’ ৷
ওদের নিকট যারা যেহমান হয় ওরা তাদেরকে ঘি মিশ্রিত দুধ পরিবেশন করে ৷ ওদের
শরীরে চাদর জড়ানাে থাকে এবং তারা র্থটি মদৃ পান করায়

ওদের মুখমগুল ফর্স, আলোকাে জ্জ্বল ওদের বংশ পরিচয় উচু স্তরের ৷৩ তরা উচু উচু নাক
বিশিষ্ট প্রথম সারির মানুষ ৷


ওরা প্রচুর দান খয়রাত করে এমনকি ওদের কুকুরগুলো অপরিচিত মানুষ দেখলে ঘেউ
যেউ করে না আর আগত যেহমান অতিথির তারা কখনো পরিচয় জানতে চায় না ৷’

জুছাম বলেন, পায়িকদের এই সঙ্গীত জানালা বেশ ভালভাবে উপভোগ করে এবং এটি
তার ভাল লাগে তারপর সে বলল, এটি তো আমাদের পক্ষে ও আমাদের রাজত্বের পক্ষে
হসৃসন (রা)-এর রচিত কবিতা এরপর সে আমাকে হযরত হাসৃসান (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করল আমি বললম, আমি তো তাকে দুর্বল ও বৃদ্ধ দেখে এসেছি এরপর সে পায়িকদেরকে
বলল, আমাকে আরো মজার মজার গান শোনও তারা গাইতে শুরু করলং :


ইয়রমুক ও সাম্মানের মধ্যবর্তী মগন অঞ্চলে ঘর-বড়িগুলো তো এখন বিধ্বস্ত প্রায়

জনমনবহীন’ ,
বিলমিস, দারিয় এবং সক জনপদগুলাে এখন বিধ্বস্ত ও অনাবড়াদী
জাসিম ও সফর উপত্যকা, সবগুলো এখন জনমনবহীন, ধু ধুপ্রাস্তর ৷’

-এটি হল রর্জা-বাদর্শাহ ও সম্রান্ত মানুষের বাসস্থান মানুষের কােলহল-জনসমাগম ও
জৌলুসের পর দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সেটির এই পরিণতি ৩৷ বিশাল বিশাল খুটি ও স্তম্ভ বিশিষ্ট
এই রাজপ্রাসাদগুলো ৷’


এগুলোতে নিয়মিত মসীহ-এর উপাসনা করা হত পদ্রী ও ধর্মযজকদের দু আ-ঘুনজাতে
প্রাণবন্ত ছিল এগুলো ৷’


যুগ যুগ ধরে এগুলো জাফনা ব০ শের বাসস্থান ছিল ৷ যুগের পরিবর্তন ও যুগ পরিক্রময়

গৌরব ঐতিহ্যের সকল চিহ্ন মুছে গিয়েছে


ণোমোঃ ওেতাে

فِي قَوْمِهِ وَمَنْ أَطَاعَهُ، فَسَارَ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ دَخَلَ بِلَادَ الرُّومِ، وَدَخَلَ عَلَى هِرَقْلَ فِي مَدِينَةِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَرَحَّبَ بِهِ هِرَقْلُ وَأَقْطَعَهُ بِلَادًا كَثِيرَةً، وَأَجْرَى عَلَيْهِ أَرْزَاقًا جَزِيلَةً، وَأَهْدَى إِلَيْهِ هَدَايَا جَمِيلَةً، وَجَعَلَهُ مِنْ سُمَّارِهِ، فَمَكَثَ عِنْدَهُ دَهْرًا ; ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ كَتَبَ كِتَابًا إِلَى هِرَقْلَ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: جَثَّامَةُ بْنُ مُسَاحِقٍ الْكِنَانِيُّ. فَلَمَّا بَلَغَ هِرَقْلَ كِتَابُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ لَهُ هِرَقْلُ: هَلْ لَقِيتَ ابْنَ عَمِّكَ جَبَلَةَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَالْقَهُ. فَذَكَرَ اجْتِمَاعَهُ بِهِ، وَمَا هُوَ فِيهِ مِنَ النِّعْمَةِ وَالسُّرُورِ وَالْحُبُورِ الدُّنْيَوِيِّ، فِي لِبَاسِهِ وَفَرْشِهِ وَمَجْلِسِهِ وَطِيبِهِ، وَجَوَارِيهِ حَوَالَيْهِ الْحِسَانِ مِنَ الْخَدَمِ وَالْقِيَانِ، وَمَطْعَمِهِ وَشَرَابِهِ وَسُرُرِهِ وَدَارِهِ الَّتِي تَعَوَّضَ بِهَا عَنْ دَارِ الْإِسْلَامِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ دَعَاهُ إِلَى الْإِسْلَامِ وَالْعَوْدِ إِلَى الشَّامِ فَقَالَ: أَبْعَدَ مَا كَانَ مِنِّي مِنَ الِارْتِدَادِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، إِنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ ارْتَدَّ وَقَاتَلَهُمْ بِالسَّيْفِ، ثُمَّ لَمَّا رَجَعَ إِلَى الْحَقِّ قَبِلُوهُ مِنْهُ، وَزَوَّجَهُ الصِّدِّيقُ بِأُخْتِهِ أُمِّ فَرْوَةَ. قَالَ: فَالْتَهَى عَنْهُ بِالطَّعَامِ وَالشَّرَابِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ الْخَمْرَ فَأَبَى عَلَيْهِ، وَشَرِبَ جَبَلَةُ مِنَ الْخَمْرِ شَيْئًا كَثِيرًا حَتَّى سَكِرَ، ثُمَّ أَمَرَ جَوَارِيَهُ الْقِيَانَ، فَغَنَّيْنَهُ بِالْعِيدَانِ مِنْ قَوْلِ حَسَّانَ، يَمْدَحُ بَنِي عَمِّهِ مِنْ غَسَّانَ، وَالشِّعْرُ فِي وَالِدِ جَبَلَةَ هَذَا الْحَيَوَانِ. لِلَّهِ دَرُّ عِصَابَةٍ نَادَمْتُهُمْ ... يَوْمًا بِجِلَّقَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ أَوْلَادِ جَفْنَةَ حَوْلَ قَبْرِ أَبِيهُمُ ... قَبْرِ ابْنِ مَارِيَةَ الْكَرِيمِ الْمُفْضِلِ
পৃষ্ঠা - ৬৪৪৩


সত্য আমাকে সেখানে খুজে পেয়েছে ৷ মুকৃট পরিহিত সম্রাটের পাশে ছিল আমার স্থান ও আসন’ ৷
ওরা ধ্বংস হয়েছে ৷ আমিও ৷ তাদেরকে ধ্বৎসশীল মনে করেছি ৷ যেদিন তারা হারিছ হাওলানীর
নিকট অবতরণ করেছে ৷’
অবশ্য মুক্তির সময় নিকটবর্তী হয়েছে ৷ কুমারী মেয়েরা মণি মুক্তর মালা পাথতে শুরু করেছে ৷’
এরপর জ্যবালা বলল, এটিও তো ফারি আহ-এর পুত্র হাসৃসানের কবিতা ৷ আমাদের বংশীয়
ঐতিহ্য, রাজত্ব ও দামেশৃক আমাদের ঘর-বাড়ি ও রাজ-প্রাসাদের বর্ণনায় যে এটি রচনা
করেছে ৷ এরপর সে কিছুক্ষণ চুপ থাকে ৷ তারপর পায়িকাদেরকে বলল, তোমরা আমাকে একটু
র্কাদাও ৷ অতঃপর তারা বাদ্যযন্ত্র ফেলে দিয়ে মাথা ঝুকিয়ে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করে,
একটি থাপ্পড়ের লজ্জায় সজ্জিত ৩হয়ে এই সম্রান্ত লোক খ্রিস্টধর্মে ফিরে এস্যেছ ৷ অথচ ঐ
ধর্মে (ইসলামে) অবিচল থাকলে কোন ক্ষতি ৩হত ন৷ ৷
দম্ভ ও অহৎ কার তখন আমাকে ঘিরে রেখেছিল ৷ আমি কানা চোখের বিনিময়ে ভাল চোখ
বিক্রি করে দিয়েছি’ ৷
া;;
আহ! আমার মাতা যদি আমাকে জন্ম না দিত ৷ আহ ! আমি যদি হযরত উমর (রা) এর
, দেয়৷ প্রস্তাব গ্রহণ করতাম ৷ ঐ কথায় ফিরে যেতাম
হার, আমি যদি বিন্তুত বেলাভুমিতে আমার উট চড়া৩া,ম আর আমি নিজে রাবী আ
কিংবা মুদার গোত্রে চলাফেরা করতাম
দ্দৌম্পোা
হয়ে, আমি যদি সিরিয়ার অবস্থান করে সাধার্ণ জীবন-যাপন করতাম আর চোখ-কান বন্ধ
রেখে আমার নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে মিলে মিশে জীবন কাটা৩াম
১ঠু১া
হায়, আমি যদি সেই দীন ও শরীয়ত মেনে চল৩ যে! আমার স্বগােত্রীয় ৷লাকজন যা মেনে
চলেছে ৷ প্রচণ্ড ঝড়ে বড় বড় ভাল পালাগুলো তাে ধৈর্যধারণ করে টিকে থাকে ৷’
বর্ণনাকারী জুছামা বলেন, এরপর জানালা হাতে মুখ ঢেকে কাদতে শুরু করে ৷ কোদ কেদে
তার চোখের পানিতে র্দাড়ি ভিজে যায় ৷ আমিও তার সাথে কেদেছি ৷ এরপর সে ৫০০ হিরাক্লীয়
স্বণএমুদ্র৷ আমার নির্দেশ দেয় ৷ সে আমাকে বলে যে, এটি গ্রহণ কর এবং হাসৃসানকে পৌছিয়ে
দিও ৷ আবার সে ৫০০ স্বর্ণ মুদ্র৷ আমার নির্দেশ দেয় ৷ এবং আমাকে বলল, নাও, এটি তোমার ৷’
আমি বললাম, স্বর্ণ মুদ্রার আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ আমি তোমার কিছুই দেব না কারণ মি
ইসলাম ধর্য ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে গিয়েছ’ ৷ বর্ণিত আছে যে, যে ঐ ৫০০ স্বর্ণ মুদ্র৷ হাসৃসানের


يَسْقُونَ مَنْ وَرَدَ الْبَرِيصَ عَلَيْهِمُ ... صَهْبًا تُصَفَّقُ بِالرَّحِيقِ السَّلْسَلِ بِيضِ الْوُجُوهِ كَرَيْمَةٍ أَحْسَابُهُمْ ... شُمِّ الْأُنُوفِ مِنَ الطِّرَازِ الْأَوَّلِ يُغْشَوْنَ حَتَّى مَا تَهِرُّ كِلَابُهُمْ ... لَا يَسْأَلُونَ عَنِ السَّوَادِ الْمُقْبِلِ قَالَ: فَأَعْجَبَهُ قَوْلُهُنَّ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَذَا شِعْرُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيِّ فِينَا وَفِي مُلْكِنَا، ثُمَّ قَالَ لِي: كَيْفَ حَالُ حَسَّانَ؟ قُلْتُ لَهُ: تَرَكْتُهُ ضَرِيرًا شَيْخًا كَبِيرًا. ثُمَّ قَالَ لَهُنَّ: أَطْرِبْنَنِي. فَانْدَفَعْنَ يُغَنِّينَ بِقَوْلِ حَسَّانَ أَيْضًا: لِمَنِ الدَّارُ أَقْفَرَتْ بِمَعَانِ ... بَيْنَ فَرْعِ الْيَرْمُوكِ فَالصَّمَّانِ فَالْقُرَيَّاتِ مِنْ بَلَاسَ فَدَارَيَّا ... فَسَكَّاءَ فَالْقُصُورِ الدَّوَانِي فَحِمَى جَاسِمٍ إِلَى مَرْجِ ذِي ... الصُّفَّرِ مَغْنَى قَبَائِلٍ وَهِجَانِ تِلْكَ دَارُ الْعَزِيزِ بَعْدَ أَلُوفٍ ... وَحُلُولٍ عَظِيمَةِ الْأَرْكَانِ صَلَوَاتُ الْمَسِيحِ فِي ذَلِكَ الدَّيْ ... رِ دُعَاءُ الْقِسِّيسِ وَالرُّهْبَانِ ذَاكَ مَغْنًى لِآلِ جَفْنَةَ فِي الدَّهْ ... رِ مَحَاهُ تَعَاقُبُ الْأَزْمَانِ فَأُرَانِي هُنَاكَ حَقَّ مَكِينٍ ... عِنْدَ ذِي التَّاجِ مَجْلِسِي وَمَكَانِي ثَكِلَتْ أُمُّهُمْ وَقَدْ ثَكِلَتْهُمْ ... يَوْمَ حَلُّوًا بِحَارِثِ الْجَوْلَانِ
পৃষ্ঠা - ৬৪৪৪


মুদ্রার সাথে যোগ করে মোট ১৩০০ স্বর্ণ মুদ্রা হাসৃসান (রা)শ্এর নিকট পাঠায় ৷ তারপর সে বলল,
খলীফা উমর ইবন খাত্তাব (রা) ও অন্য মুসলমানদেরকে আমার সালাম দিও ৷ জুছাম৷ বলেন,
খলীফার নিকট এসে আমি জাবালারঘিস্তারিত অবস্থান তাকে জানাই ৷ খলীফা বললেন, তুমি নিজে
দােখছ যে, সে মদ পান করছেঃ আমি বললাম, হীা, আমি নিজে দেখেছি ৷ খলীফা বললেন,
আল্পাহ্ তাকে দুরে নিক্ষেপ করুক ৷ সে স্থায়ী শান্তির বিনিময়ে ক্ষণস্থায়ী সুখ ক্রয় করেছে ৷ তার
এই ব্যবসায় সে লাভবান হবে না ৷ ’ এরপর খলীফা জিজ্ঞেস করলেন, সে হাসৃসান (রা)-এর জন্য
কি পাঠিয়েছেঃ আমি বাংলায়, ৫০০ হিরাক্লীয় স্বর্ণ মুদ্রা ৷’ খলীফা হযরত হাসসান (রা) কে ডেকে
এনে স্বর্ণ মুদ্রাগুলাে দিয়ে দিলেন ৷ ঐ স্বর্ণ মুদ্রা গ্রহণ করে হাসৃসান নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন০ ং
০া
জাফনা র পুত্র, সে তো এমন এক গোত্রের অবশিষ্ট ধত্ন্ন্ধ্র যাদের পিতৃপুরুষর্গণ কখনো
তাদেরকে পাল-মন্দ ও সমালোচনা দ্বারা কলুষিত করে নি’ ৷
সে যখন সিরিয়ায় রাজা জ্জি তখনও সে আমাকে ভুলে নি ৷ ব্লোমে অবস্থানকালেও সে
আমাকে সাহায্য করতে ভুলে নি ৷ কখনও ভ্যুবে না ৷’
“সে তাে প্রচুর দানখয়রাত করে ৷ সে প্রত্যেক বাক্তিকে এত বেশি দান করে, যেন সে
কপর্দকহীন ও সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিকে দান করছে ৷
আমি একদিন তার নিকট গিয়েছিলাম ৷ সে আমাকে তার কাছাকাছি বসিয়েছে এবং
আমাকে তৃপ্তি সহকারে পান করিয়েছে মন্দ পানীয়’ ৷
এরপর এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৩ হিজ্জী সনে আমীর ঘুআবিয়৷ (রা) আবদুল্লাহ ইবন
মাসৃআদা ফাযায়ীকে রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকট দুতরুপে প্রেরণ করেছিলেন ৷ সেখানে
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসৃআদাৰুএর সাথে জাবালা ইবন আয়হামের সাক্ষাত হয় ৷ জাবালা-এর পার্থিব
বিলাসিতা, ধ্ন-সম্পদ, ণ্স্বর্ণ-রৌপ্য, গাড়ি-ঘোড়া ও চাকরসেবকের প্রাচুর্য আব্দুল্লাহ্ ইবন
মাসআদ ?ষচক্ষে দেখতে পান ৷ জাবালা তাকে বলেছিল, আমি যদি নিশ্চিত হতাম্ন্যে, আমীর
ঘুআবিয়া আমাদের পৈত্রিক বসজ্জ্বমি “বাহীনা” আমাকে ফিরিয়ে দিবেন এবং তার সাথে
দামেশৃবেম্ম আরো ২০ টি গ্রাম, আমার অনুসারীদের জন্যে রষ্টীয় ভাতা এবং আমাদেরকে
আকর্ষণীয় উপহার দিবেন তাহলে আমি সিরিয়া ফিরে যেতামা আবদুল্লাহ ইবন মাসআদা
জাবালা এর কথাটি আমীর মুআবিয়াকে জানালেন ৷ আমীর ঘুআবিয়া (রা) বললেন, ঠিক আছে ৷
আমি তাকে তার সবই দিব ৷ এই বিষয়ে তিনি একটি চিঠি লিখে বাহকের মাধ্যমে জাবালার নিকট
প্রেরণকরেন ৷ কিন্তু বৃা হ্ক৩ তার নিকট পৌছার আগেই ঐ নাফ্যামানের মৃত্যু হার যায় ৷ আল্লাহ্
তার পরিণতি মন্দ থেকে মন্দতর করে দেন ৷ এই জাতীয় অধিকাংশ তথ্য আল্লামা আবু কারাজ
ইবনুল জাওযী তার “আল ঘুনতায়াম গ্রন্থে উল্লেখ করেছো ৷৩ তিনি জাবালার মৃত্যু সন ৫৩ হিজরী
বলে মন্তব্য করেছেন ৷ অবর্শী হাফিজ ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে আরো ব্যাপক ও বিন্তুত
আকারে জাবালা-এর জীবনী বর্ণনা করেছেন ৷ শেষে তিনি এই মন্তব্য কারছেন যে, আমার নিকট
তথ্য পৌছেছে যে, :<হু হিজয়ীর পর আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর শাসনামলে রোমান অঞ্চলে
জাবালার মৃত্যু হয় ৷


قَدْ - دَنَا الْفِصْحُ فَالْوَلَائِدُ يَنْظِمْ ... نَ سِرَاعًا أَكِلَّةَ الْمَرْجَانِ قَالَ: هَذَا لِابْنِ الْفُرَيْعَةِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فِينَا وَفِي مُلْكِنَا وَفِي مَنَازِلِنَا بِأَكْنَافِ غُوطَةِ دِمَشْقَ. قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ طَوِيلًا، ثُمَّ قَالَ لَهُنَّ: بَكِّينَنِي. فَوَضَعْنَ عِيدَانَهُنَّ وَنَكَّسْنَ رُءُوسَهُنَّ وَقُلْنَ: تَنَصَّرَتِ الْأَشْرَافُ مِنْ عَارِ لَطْمَةٍ ... وَمَا كَانَ فِيهَا لَوْ صَبَرْتُ لَهَا ضَرَرْ تَكَنَّفَنِي فِيهَا لَجَاجٌ وَنَخْوَةٌ ... وَبِعْتُ بِهَا الْعَيْنَ الصَّحِيحَةَ بِالْعَوَرْ فَيَا لَيْتَ أُمِّي لَمْ تَلِدْنِي وَلَيْتَنِي ... رَجَعْتُ إِلَى الْقَوْلِ الَّذِي قَالَهُ عُمَرْ وَيَا لَيْتَنِي أَرْعَى الْمَخَاضَ بِقَفْرَةٍ ... وَكُنْتُ أَسِيرًا فِي رَبِيعَةَ أَوْ مُضَرْ وَيَا لَيْتَ لِي بِالشَّامِ أَدْنَى مَعِيشَةٍ ... أُجَالِسُ قَوْمِي ذَاهِبَ السَّمْعِ وَالْبَصَرْ أَدِينُ بِمَا دَانُوا بِهِ مِنْ شَرِيعَةٍ ... وَقَدْ يَصْبِرُ الْعَوْدُ الْكَبِيرُ عَلَى الدَّبَرْ قَالَ: فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَبَكَى حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ بِدُمُوعِهِ، وَبَكَيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِخَمْسِمِائَةِ دِينَارٍ هِرَقْلِيَّةٍ، فَقَالَ: خُذْ هَذِهِ فَأَوْصِلْهَا إِلَى حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ. وَجَاءَ بِأُخْرَى فَقَالَ: خُذْ هَذِهِ لَكَ. فَقُلْتُ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا، وَلَا أَقْبَلُ مِنْكَ شَيْئًا وَقَدِ ارْتَدَدْتَ عَنِ الْإِسْلَامِ. فَيُقَالُ: إِنَّهُ أَضَافَهَا إِلَى الَّتِي لِحَسَّانَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ بِأَلْفِ دِينَارٍ هِرَقْلِيَةٍ، ثُمَّ قَالَ لِي: أَبْلِغْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنِّي السَّلَامَ وَسَائِرَ الْمُسْلِمِينَ. فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ أَخْبَرْتُهُ خَبَرَهُ، فَقَالَ: وَرَأَيْتَهُ يَشْرَبُ الْخَمْرَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: أَبْعَدَهُ اللَّهُ، تَعَجَّلَ فَانِيَةً بِبَاقِيَةٍ، فَمَا رَبِحَتْ تِجَارَتُهُ. ثُمَّ قَالَ: وَمَا الَّذِي وَجَّهَ بِهِ لِحَسَّانَ؟ قُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৬৪৪৫
خَمْسُمِائَةِ دِينَارٍ هِرَقْلِيَّةٍ، فَدَعَا حِسَانًا فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، فَأَخَذَهَا وَوَلَّى وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّ ابْنَ جَفْنَةَ مِنْ بَقِيَّةِ مَعْشَرٍ ... لَمْ يَغْذُهُمْ آبَاؤُهُمْ بِاللُّومِ لَمْ يَنْسَنِي بِالشَّامِ إِذْ هُوَ رَبُّهَا ... كَلًّا وَلَا مُتَنَصِّرًا بِالرُّومِ يُعْطِي الْجَزِيلَ وَلَا يَرَاهُ عِنْدَهُ ... إِلَّا كَبَعْضِ عَطِيَّةِ الْمَحْرُومِ وَأَتَيْتُهُ يَوْمًا فَقَرَّبَ مَجْلِسِي ... وَسَقَى فَرَوَّانِي مِنَ الْخُرْطُومِ ثُمَّ لَمَّا كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنْ أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ بَعَثَ مُعَاوِيَةُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعَدَةَ الْفَزَارِيَّ رَسُولًا إِلَى مَلِكِ الرُّومِ، فَاجْتَمَعَ بِجَبَلَةَ بْنِ الْأَيْهَمِ، فَرَأَى مَا هُوَ فِيهِ مِنَ السَّعَادَةِ الدُّنْيَوِيَّةِ وَالْأَمْوَالِ ; مِنَ الْخَدَمِ وَالْحَشَمِ وَالذَّهَبِ وَالْخُيُولِ، فَقَالَ لَهُ جَبَلَةُ: لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ يُقْطِعُنِي أَرْضَ الْبَثْنِيَّةِ فَإِنَّهَا مَنَازِلُنَا، وَعِشْرِينَ قَرْيَةً مِنْ غُوطَةِ دِمَشْقَ وَيَفْرِضُ لِجَمَاعَتِنَا، وَيُحْسِنُ جَوَائِزَنَا، لَرَجَعْتُ إِلَى الشَّامِ. فَأَخْبَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعَدَةَ مُعَاوِيَةَ بِقَوْلِهِ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنَا أُعْطِيهُ ذَلِكَ. وَكَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا مَعَ الْبَرِيدِ بِذَلِكَ، فَمَا أَدْرَكَهُ الْبَرِيدُ إِلَّا وَقَدْ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَذَكَرَ أَكْثَرَ هَذِهِ الْأَخْبَارِ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظِمِ "، وَأَرَّخَ وَفَاتَهُ هَذِهِ السَّنَةَ، أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ، وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " فَأَطَالَ التَّرْجَمَةَ وَأَفَادَ، ثُمَّ قَالَ فِي آخِرِهَا: بَلَغَنِي أَنَّ جَبَلَةَ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ بِأَرْضِ الرُّومِ، بَعْدَ سَنَةِ أَرْبَعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ.