আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وخمسين

ما وقع فيها من أحداث

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

ذكر من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৬৪২৭

তিনি খুব ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে আত্মসমর্পণ করেহিঃলন বলে তীর নাম রাখা
হয়েছে আবু বাকারা বা ভোরের মানুষ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (যা) তাকে দাসতৃ থেকে মুক্তি
দিয়েছিলেন ৷ সেদিন যত ক্রীতদাস নিজ নিজ মালিকের নিকট থেকে পালিয়ে মুসলমানদের
নিকট এসেছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সকলকে দাসতৃ থেকে মুক্তি দিরেহিঃলন ৷ আবু
বাকারা (রা)-এর মা হলেন সুমইিয়া (রা); যিনি যিয়াদেরও মাতা বটে ৷ আবু বাৰুরো ও যিয়াদ
দু’জনে হযরত মুগীরা (রা)-এর বিরুদ্ধে যিনার অতািযাগ এনেস্কিলন ৷ র্তাদের সাথে সাহ্ল ইবন
মার্ববাদ (বা) এবং নাফি ইবন হারিছ ছিলেন ৷ সাক্ষ্য প্রদানের সময় ষিয়াদের বক্তব্য অস্পষ্ট
হওয়ায় তাদের সাক্ষ্য গৃহীত হয়নি ৷ বরং তারা নিজেরা দোষী সাব্যস্ত হলেন ৷ হযরত উমর (বা)
তাদের তিনজনকে বেত্রদণ্ড দিলেন এবং তাওবা করতে বললেন ৷ তারা তাওবা করলেন ৷ কিন্তু
আবু বাকারা (রা) ছিলেন ব্যতিক্রম ৷ তিনি শেষ পষ্স্তি তীর সাদ্যে অৰিচল ছিলেন ৷ মুগীৱা (রা)
বলেছিলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! এই ক্রীতদাসের অত্যাচার থেকে আমাকে রক্ষা বব্রুন ৷ এই
কথার হযরত উমর (রা) মুগীরা (রা)-কে ধমক দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, মামুন! এখন
চারজনের নাক্ষ্য পুর্ণ হলে আমি আপনাকে পাথর মেরে হত্যা কদ্রুতড়াম ৷ এই সাক্ষীবৃন্দের মধ্যে
হযরত আবু বাকারা (রা) ছিলেন উত্তম সাক্ষী ৷ হযরত আলী (রা) ও মুআৰিয়া (রা)-এর
মধ্যকার মতবিরোধ ও ফিতনার সময় তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন ৷ উত্তম পক্ষের দলেও যোগ দেন
নি ৷ ৫১ হিজরী সনে র্তার ওফাত হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার এক বছর পুর্বে অর্থাৎ ৫০
হিজরী সনে তার ইনতিকাল হয় ৷ কেউ বলেছো, তার এক বহ্ব পর অর্থাৎ ৫২ হিজ্জী সনে
তিনি ইনৃধিকাল করেন ৷ আবু বারযা আসলামী তার জানাযায় ই ফুন্ৰুতি করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সৰু)
আবু বাআরা (রা,ও এবং আবু বারযা (রা)-এর মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেছিলেন ৷ এই হিজরী
সনে অর্থাৎ ৫১ হিজরী সনে উম্মুল মৃ’মিনীন হযরত মায়মুনা বিনভ হারিছ হিলালিয়্যা (রা) ইতি
কাল করেন ৷ ৭ম হিজরীতে উমরাতৃল কাযা বা উমরাহ কাযা মোঃ সফরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হযরত মায়মুনা (রা)-কে বিয়ে করেছিলেন ৷ হযরত ইবন আব্বাস (রা) ছিলেন হযরত মায়মুনা
(রা)-এর ত্ণ্;ন্হ্রন্বন্৷ ৷ ইবন আব্বাস (না)-এর মাতা ছিলেন উম্মুল ষ্ণাযন্লুববাে বিনৃত হারিছ (রা) ৷
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইহ্রাম বীধা অবস্থার হযরত মায়মুনা (রা)-কে
বিয়ে করেন ৷ পক্ষান্তরে সহীহ্ মুসলিম গ্রন্থে হযরত মায়মুনা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে,
বিয়ের সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও মায়মুনা (রা) দৃজ়নে হালাল বা ইহ্রামযুক্ত ছিলেন ৷ অধিকাংশ
উলামা-ই-কিরামের মতে হযরত ইবন আব্বাস (রা)শ্এর বক্তব্যের চাইতে হযরত মায়মুনা (রা)
এর বক্তব্য অ্যাধিকারযােগ্য ৷ ইমাম তিরমিযী (র) আবু রাফি (বস্তু) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে,
তখন তারা দু’জনই হালাল বা ইহ্রামবিহীন ছিলেন ৷ বর্ণনকােৰী আবু রাফি এই বিয়েতে
মধ্যস্ততাকারী ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, হযরত মায়মুনা (রা)ণ্এর নাম ছিল ৰাররা ৷’
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রেখেছিলেন মায়মুনা ৷ এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫১ হিজরী সনে মক্কা
ও মদীনায় মধ্যবর্তী সারিফ নামক স্থানে তিনি ইন্তিকাল করেন ৷ এই সারিফ’ নামক স্থানেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার বাসর রাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ৬৩ হিজরী
সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ বলেছেন, ৬৬ হিজ্জী সনে ৷ তবে প্রসিদ্ধ অভিমত হল তিনি ৫১
হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷ তীর ভাংপ্ন হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (র!) তার জানাযার
নামাযে ইমামতি করেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سُنَّةُ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] فِيهَا غَزَا بِلَادَ الرُّومِ وَشَتَّى بِهَا سُفْيَانُ بْنُ عَوْفٍ الْأَزْدِيُّ، فَمَاتَ هُنَالِكَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْجُنْدِ بَعْدَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ مَسْعَدَةَ الْفَزَارِيَّ، وَقِيلَ: إِنَّ الَّذِي كَانَ أَمِيرَ الْغَزْوِ بِبِلَادِ الرُّومِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ، وَمَعَهُ سُفْيَانُ بْنُ عَوْفٍ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُمَا. وَغَزَا الصَّائِفَةَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ. وَعُمَّالُ الْأَمْصَارِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَّالُهَا فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] خَالِدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ كُلَيْبٍ، أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا وَالْعَقَبَةَ وَالْمَشَاهِدَ كُلَّهَا، وَشَهِدَ مَعَ عَلِيٍّ قِتَالَ الْحَرَورِيَّةِ، وَفِي دَارِهِ كَانَ نُزُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرًا مِنْ مَكَّةَ، فَأَقَامَ عِنْدَهُ شَهْرًا حَتَّى بَنَى الْمَسْجِدَ وَمَسَاكِنَهُ حَوْلَهُ، ثُمَّ تَحَوَّلَ إِلَيْهَا، وَقَدْ كَانَ أَبُو أَيُّوبَ أَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُفْلِ الدَّارِ، ثُمَّ تَحَرَّجَ مِنْ أَنْ يَعْلُوَ فَوْقَهُ، فَسَأَلَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَصْعَدَ إِلَى الْعُلْوِ، وَيَكُونُ هُوَ وَأُمُّ أَيُّوبَ فِي السُّفْلِ، فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২৮

হিজয়ী ৫২ সন

এই হিজয়ী সনে সুফিয়ান ইবন আওফআযদী রোমান নপৱগুলােভে অজািান“পরিচালনাৰু
করে সেগুলো দখল করেন এবংন্:সেখানে তার মৃত্যু হয়৷ তার মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ্ ইবন
মাস্আ দাহ ফাযায়ী সেনাপতি নিযুক্ত হন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে ন্এই বছর রোমানদের:
বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন বুসর ইবন আবী আরতাত ৷ আর
তার সাথে ছিলেন সুফিয়ান ইবন আওফ্ ৷ এই বছর হজ্যের নেতৃত্ব দেন মদীনায় শ্া৷সনকর্তা
সাঈদ ইবনুল আস ৷ আবু মাশার এবং ওয়াকিদী এটা বলেছেন ৷ এই বছর মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ ছাকাফী “সাইফা” যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ পুর্বতন বছরের্ষারা যে স্থানে শাসনর্কর্ভায়
দায়িত্বে ছিলেন এই বছরও তারা নিজ নিজ স্থানে শাসনকর্তাব পদে বহাল ছিলেন ৷

হিজয়ী ৫২ সনে যারা ইস্তিকাল্ করেন

খালিদ ইবন যায়দ ইবন কুলায়ব

এই হিজয়ী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন, খ লিদ ইবন যায়দ ইবন
কুলায়ব (রা) ৷ তিনি হলেন আবু অইিয়ুব আনসারী খাযরাজী ৷ তিনি আকাবার শপথ, বদরের
যুদ্ধ এবং অন্যান্য সকল বড় বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ হযরত আলী (রা) এর সাথী হয়ে
তিনি হারুব্লিয়৷ যুদ্ধেও অংশ (নন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরত করে মদীনায় আগমন করে ,
সর্বপ্রথম তার ঘরে অবস্থান করেন ৷ তিনি সেখানে এক মাস অবস্থান করেন ৷ এই সময়ে তিনি
সেখানে মসজিদে নববী এবং তার পাশে হুজ র৷ তৈরী করেন ৷ এরপর তিনি ঐ হুজরাগুব্লাতে
অবস্থান নেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (যা) তার গৃহে আগমন করলে আবু আইয়ুব (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ক্লে র্তার গৃহের নীচ তলায় থাকতে দেন ৷ পরবর্তীতে নীচতলা থেকে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
যাতায়াতে অসুবিধা সৃষ্টি হবে মনে করে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে উপর তলায় উঠে আসারন্ন্
অনুরোধ করেন এবং আবু অইিয়ুব ও তার শ্রী নীচ তলায় চলে যাবেন এই প্রস্তাব দেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) ঐ অনুরোধে সাড়া দেন এবং উপর তলায় উঠে আসেন ৷ ণ্
ইবন আব্বাস (রা) থেকে আমরা উদ্ধৃত করেছি যে, ইবন আব্বাস (বা) যখন বসরায়
গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত তখন হযরত আবু অইিয়ুব আনস্যরী (রা) বসরায় আগমন করেছিলেন ৷
তখন ইবন আব্বাস (রা) নিজ বাসস্থান ছেড়ে দিয়ে সেখানে আবু আইয়ুব (রা) কে থাকতে
দিয়েছিলেন ৷ আবু অইিয়ুব (রা) যখন বসরা থেকে চলে আসার প্রস্তুতি নিলেন তখন গৃস্কহ যত
মালপত্র ছিল ইবন আব্বাস (বা) তার সবই আবু অইিয়ুব (রা) কে দিয়ে দিলেন এবং তার
ৰু সম্মানার্থে অতিরিক্ত হাদীয়া-তােহ্ফা ও ৪০ হাজার দি-রহাম উপহার প্রদান করলেন ৷ অতিরিক্ত
আরো ৪০ টি ক্রীতদাস ওাকে উপহার দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আপন ঘরে থাকতে
দেয়ায় তিনি এই সম্মান দেয়া হয় ৷ বস্তুত এটি ছিল তার,জন্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার বিষয় ৷ ,
হযরত আয়েশা (রা) সম্পর্কে যখন বিরুপ মন্তব্য শুরু হয়েছিল আর মুনাফিকগণ্
অসদুদ্দেশ্যে তা প্রচার করছিল ৷ তখন আবু অইিয়ুব আনসারী (রা)-এর ত্রী উম্মু অইিয়ুব আবু


وَقَدْ رُوِّينَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَيْهِ أَبُو أَيُّوبَ الْبَصْرَةَ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَائِبَهَا، فَخَرَجَ لَهُ عَنْ دَارِهِ وَأَنْزَلَهُ بِهَا، فَلَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ خَرَجَ لَهُ عَنْ كُلِّ شَيْءٍ بِهَا، وَزَادَهُ تُحَفًا وَخَدَمًا كَثِيرًا، وَأَعْطَاهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا وَأَرْبَعِينَ عَبْدًا ; إِكْرَامًا لَهُ لِمَا كَانَ أَنْزَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِهِ، وَقَدْ كَانَ مِنْ أَكْبَرِ الشَّرَفِ لَهُ. وَهُوَ الْقَائِلُ لِزَوْجَتِهِ أُمِّ أَيُّوبَ حِينَ قَالَتْ لَهُ: أَمَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فِي عَائِشَةَ؟ فَقَالَ لَهَا: أَكُنْتِ فَاعِلَةً ذَلِكَ يَا أُمَّ أَيُّوبَ؟ فَقَالَتْ: لَا وَاللَّهِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَهِيَ خَيْرٌ مِنْكِ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنْفُسِهِمْ خَيْرًا} [النور: 12] الْآيَةَ [النُّورِ: 12] . وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِبِلَادِ الرُّومِ قَرِيبًا مِنْ سُورِ قُسْطَنْطِينِيَّةَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبِلَهَا. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَكَانَ فِي جَيْشِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَإِلَيْهِ أَوْصَى، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا هَمَّامٌ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ رَجُلٍ مِنَ أَهْلِ مَكَّةَ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ كَانَ أَمِيرًا عَلَى الْجَيْشِ الَّذِي غَزَا فِيهِ أَبُو أَيُّوبَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عِنْدَ الْمَوْتِ، فَقَالَ لَهُ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَاقْرَءُوا عَلَى النَّاسِ مِنِّي السَّلَامَ، وَأَخْبِرُوهُمْ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا جَعَلَهُ اللَّهُ فِي الْجَنَّةِ ".» وَلِيَنْطَلِقُوا بِي فَيَبْعُدُوا بِي فِي أَرْضِ الرُّومِ مَا اسْتَطَاعُوا. قَالَ: فَحَدَّثَ النَّاسَ لَمَّا مَاتَ أَبُو أَيُّوبَ، فَاسْتَلْأَمَ النَّاسُ وَانْطَلَقُوا بِجِنَازَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২৯


আইয়ুব (রা) কে বলেছিলেন, আষেশ্ ৷ (রা) সম্পর্কে লোকজন কি বলাবলি করছেত তা কি
আপনি শুনেছেন?’ উত্তরে আবু আইয়ুব (রা) তার ত্রীকে বলেছিলেন, তুমি কি ঐ ধরনের কোন
অশ্লীল কাজে লিপ্ত হবেঃ’ উত্তরে তার শ্রী বলেছিলেন, না আল্লাহর কলম! মোটেই নয় ৷
তারপর আবু আইয়ুব (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম! হযরত আয়েশা তোমার চাইতে অনেক
তলে ও উত্ত্বম’ ৷ এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা আলা নাযিল করেন,
;৷ ১ড্রো
ড্রুন্া৷এ্,

একথা শোনার পর মুমিন পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের বিষয়ে সৎ ধারণা করে নি
এবং বলে নি, “এটি তে তা সুস্পষ্ট অপবাদ ৷ (সুরা ২৪, নুরষ্ক ১২)

৫২ হিজরী সনে কনস্টান্টিনােপলের প্রাচীরের সন্নিকট এক রোমান শহরে তার ওফাত
হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তার ওফাত হয়েছে ৫১ হিজরী সনে, আবার কারো মতে ৫৩
হিজরী সনে ৷ তখন তিনি ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়৷ (রা)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সেনাদলের
অস্তভুক্তি ছিলেন ৷ তিনি তার ওসীয়তগুলাে ইয়াযীদকে জানিয়ে যান এবং ইয়াযীদ তার
জানাযায় ইমামতি করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) উসমান জনৈক মক্কাবাসী থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত আবু
আইয়ুব (রা)ত তার শেষ অভিযানে যে সেনাদলের অন্ততুংন ছিলেন তার সেনাপতি ছিল ইয়াযীদ
ইবন ব্লুআবিয়া (রা) ৷ হযরত আবু আইয়ুব (রা) ওফাতের মুহুর্তে ইয়াযীদ ভুার নিকটে
উপস্থিত হয় ৷ তিনি ইয়াযীদকে বলেন যে, আমি যদি মারা যাই তাহলে আমার পক্ষ থেকে
লোকজনকে সালাম জানাবে আর বলবে যে, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি-


যে বাক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীকু না করা অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে
স্থুান দিনুেন ৷ আর ওর৷ যেন আমাকে নিয়ে রোমান এলাকার ভেতরে বহু দুরে চলে যায় এবং
আমাকে সেখানে দাফ্ন করে ৷’ ব্র্ণনাকারী বলেন, তারপর হযরত আবু আইয়ুব (রা) যখন
মারা যান তখন ইরাযীদ ঐ হাদীসটি নােকজসকে শোনার এবং অনেক লোক তখন ইসলাম
গ্রহণ করে ৷ এবং তারা তার লাশ রোমান এলাকার ভেতরে নিয়ে যায় ৷

ইমাম আহমদ (র) আসওয়াদ ইবন আমীর আবু সুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা) ইয়াযীদের সাথী হয়ে এক যুদ্ধ অভিযানে বের
হয়েছিলেন ৷ তখন আবু আইয়ুব (না) তাকে বলেছিলেন যে, আমি মারা গেলে আমাকে শত্রু
অঞ্চলের ভেতরে নিয়ে যাবে এবং,তােমরা যেখানে শত্রু পক্ষের সাথে যুদ্ধ করবে সেখানে
তোমাদের পদতলে আমাকে দাফন করবেন ৷ এরপর তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলতে শুনেছি “যে ব্যক্তি আল্লাহর
সাথে কাউকে শিরক না করা অবস্থায় মারা যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷”

ইমাম আহমদ (র) এই হাদীসটি ইবন নুমাযর এবং ই য়ালা ইবন উবায়দ সুত্রে আ মাশ
থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আ মাশ্৷ বলেছেন, আমি আবু যুবয়ানকে বলতে শুনেছি হাদীসের
অবশিষ্টাত্শ পুর্ববর্তী হাদীসের মত ৷ তবে তাতে এতর্টুকু অতিরিক্ত আছে যে, আবুআইয়ুব (রা)
বলেছিলেন, আমি ঙ্গাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শোনা একটি হাদীস আপনাদেরকে বলব, আমার

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-১৬

وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ قَالَ: غَزَا أَبُو أَيُّوبَ مَعَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: فَقَالَ: إِذَا مُتُّ فَأَدْخَلُونِي فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ، فَادْفِنُونِي تَحْتَ أَقْدَامِكُمْ حَيْثُ تَلْقَونَ الْعَدُوَّ. قَالَ: ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخْلَ الْجَنَّةَ ".» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَيَعْلَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، سَمِعْتُ أَبَا ظَبْيَانَ، فَذَكَرَهُ، وَقَالَ فِيهِ: وَسَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَوْلَا حَالِي هَذَا مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخْلَ الْجَنَّةَ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ قَاصُّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ: قَدْ كُنْتُ كَتَمْتُ عَنْكُمْ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَوْلَا أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ لَخَلَقَ اللَّهُ قَوْمًا يُذْنِبُونَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ ".» وَعِنْدِي أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ وَالَّذِي قَبِلَهُ هُوَ الَّذِي حَمَلَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ عَلَى طَرَفٍ مِنَ الْأَرْجَاءِ، وَرَكِبَ بِسَبَبِهِ أَفْعَالًا كَثِيرَةً أُنْكِرَتْ عَلَيْهِ كَمَا سَنَذْكُرُهُ فِي تَرْجَمَتِهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. . قَالَ الْوَاقِدِيُّ: مَاتَ أَبُو أَيُّوبَ بِأَرْضِ الرُّومِ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ، وَدُفِنَ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৩০


এই মৃমুর্ষ অবস্থা না হলে আমি তা আপনাদেরকে গোনাতাম না৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
বলতে শুনেছিন্ যে ব্যক্তি আল্লাহ্র
সাথে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷ ’
, ইমাম আহমদ (র) ইসহাক ইবন ঈসা আবু আইয়ুব আনসারী (যা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, মৃত্যুকালে তিনি বলেছিলেন, “রাসুলুল্পাহ্ (সা) থেকে আমার শোনা একটি হাদীস
আমি এতদিন আপনাদের থেকে গোপন রেখেছিলাম ৷ আমি তাকে বলতে শুনেছি —
—— ণ্-শুষ্এ স্পো

তোমরা যদি পাপাচারিতায় লিপ্ত না হতে তাহলে আল্লাহ তায়ালা এমন একদল লোক সৃষ্টি
করতেন যারা পাপাচারিতায় লিপ্ত হত তারপর তিনি তাদের ক্ষমা করতেন ৷ ’

আমি বলি যে, এই হাদীস এবং পুর্ববর্তী হাদীস এই দুটো হাদীস ইযাযীদকে ক্ষমার
প্রত্যাশা দেখিয়ে তার অপকর্ম সংঘটনে উৎসাহিত করেছে এবং এই প্রেক্ষাপটে যে অনেক
অন্যায় কর্ম সংঘটিত করেছে ৷ ইয়াঘীদের জীবনীতে আমি সেগুলো উল্লেখ করব ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (বা) ৫২ হিজরী সনে রোমান অঞ্চলে
মৃত্যুবরণ করেন ৷ কনস্টান্টিনােপলে তাকে দাফন করা হয় ৷ সেখানে তার কবর বিদ্যমান
রয়েছে ৷ রোমান জাতি ৩অনাবৃষ্টি ও খরার করলে পড়লে তার কবরের উসিলা দিয়ে আল্লাহর
দরবারে বৃষ্টির প্রার্থনা ৷জানায় ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, কনস্টান্টিনােপলের সীমানা প্রাচীরে
র্তীকে দাফন করা হয় ৷ তার কবরের উপর মাযার নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেখানে একটি
মসজিদ তৈরী করা হয়েছে ৷ ওরা ঐ মাযার ও কবরকে সম্মান দেখায় ৷

আবু যুরঅ৷ দামেশৃকী বলেছেন যে, ৫৫ হিজরী সনে হযরত আবু আইয়ুব (রা)ষ্এর ওফাত
হয় ৷ কিন্তু প্রথমােক্ত অভিমত অধিকতর বিশুদ্ধ ও সঠিক ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবু বকর ইবন খাল্লান হারিছ ইবন আবু উসামা আবু আইয়ুব আনসারী (রা) থেকে
এবং৩ তিনি রাটুসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,


দু’জন মানুষ মসজিদের দিকে যায় ৷ দু’জন নামায আদায় করে ৷ অতঃপর একজন ফিরে
আসে এ অবস্থায় যে, তার নামাযের ওজন অন্যজনের নামাযের চেয়ে অনেক বেশি ৷ আর অন্য
জন ফিরে আসে এ অবস্থায় যে, তার নামাযের ওজন অণু পরিমাণও নয় ৷ প্রথম ব্যক্তি ন্
মর্যাদা তখন পারে যদি সে আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মগুলো বর্জনে অধিকতর সতর্ক থাকে এবং তা
কাজে অধিকতর অগ্রগামী হয় ৷’

হযরত আবু অ ইয়ুব (রা ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট তাকে সংরু ক্ষাপ কিছু শিখিয়ে দেয়ার জন্য আবেদন করেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)

তাকে বলেছিলেন,




الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ وَقَبْرُهُ هُنَالِكَ يَسْتَسْقِي بِهِ الرُّومُ إِذَا قَحَطُوا. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَدْفُونٌ فِي حَائِطِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَعَلَى قَبْرِهِ مَزَارٌ وَمَسْجِدٌ، وَهُمْ يُعَظِّمُونَهُ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ. وَالْأَوَّلُ أَثْبَتُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلَّادٍ: حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ أَبِي أُسَامَةَ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، ثَنَا مَيْسَرَةُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَيْنِ لَيَتَوَجَّهَانِ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيُصَلِّيَانِ، فَيَنْصَرِفُ أَحَدُهُمَا وَصَلَاتُهُ أَوزَنُ مِنْ أُحِدٍ وَيَنْصَرِفُ الْآخَرُ وَمَا تَعْدِلُ صَلَاتُهُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ ". فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعَدِيُّ: وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " إِذَا كَانَ أَحْسَنَهُمَا عَقْلًا ". قَالَ: وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ؟ قَالَ: " إِذَا كَانَ أَوْرَعَهُمَا عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ وَأَحْرَصَهُمَا عَلَى الْمُسَارَعَةِ إِلَى الْخَيْرِ، وَإِنْ كَانَ دُونَهُ فِي التَّطَوُّعِ ".» وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ سَأَلَهُ أَنْ يُعَلِّمَهُ وَيُوجِزَ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৩১


া১া

যখন তুমি নামায আদায় করার সেটিকে জীবনের শেষ নামায মনে করে আদায় করবে ৷
এমন কোন কথা বলবে না যার জন্যে পরে ক্ষমা চাইতে হয় ৷ মানুষের হাতে যা আছে তার
প্ৰতি সম্পুর্ণ নাির্লাভ ও নিমেহি হয়ে থাকবে ৷

এই হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবন কায়স ইবন সালীম, ইবন
হাদার ইবন হাবৃব ইবন আমীর ইবন গাঘৃয ইবন বকর ইবন আমীর ইবন আফার ইবন ওয়াইল
ইবন নাজিরা ইবন জামাহির ইবন আশ আর আল আশ আরী (বা) ৷ তিনি তার স্বদেশ ভুমিতে
ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং হযরত ৩জা ফর (রা) ও তার সাথীদের সাথে খাযবারের যুদ্ধের
বছর মদীনায় আগমন করেছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক উল্লুখ করেছেন যে, তিনি প্রথমে মক্কায় ও পরে ইয়ামানে হিজরত
করেন ৷ অবশ্য এই অভিমত তেমন প্রসিদ্ধ নয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু মুসা আশ আরী (রা) কে
হযরত মুআয (রা) এর সাথে ইয়ামানের প্রশাসক পদে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ হযরত উমর (রা)

তীকে বসরার প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন ৷ তিনি “তৃসতার” জ য় করেছিলেন ৷
জাবিয়াতে প্রদত্ত হযরত উমরের খুত্বা তিনি শুনেছিলেন ৷ ঐ সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন ৷
হযরত উসম ন (রা) তাকে কুফায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন ৷ হযরত আলী (বা) এবং
মুআবিয়া (রা) এর দ্বন্দ্ব নিরসনের দৃ’ই সদস্য বিশিষ্ট মীমাং সা কমিটিতে তিনি অন্যতম সদস্য
ছিলেন ৷ সালিশী বৈঠকে অপর সদস্য আমীর ইবনুল আস (রা) তার সাথে প্রতারণামুলক
, আচরণ করেন ৷ তিনি কৃারী ও ফকীহ্ সাহাবীদের অন্যতম ছিলেন ৷ সমকালীন লোকদের মধ্যে
তিনি সর্বাপেক্ষা সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী সাহাবী ছিলেন ৷ আবু উসমান নাহ্দী বলেছেন যে,
আবু মুসা (রা) এর কণ্ঠস্বরের চাইতে মধুর কোন ণ্সতারা-দো৩ ৷রা কিংবা রাশির সুর আমি
শুনি নি ৷ হাদীসে এসেছে যে, রাসুলুল্লুাহ্ (সা) বলেছেন,
’১প্া১ এ৷ ১১ৰুা)১ একে তাে দাউদ পরিবারের বাদ্যগুলোর একটি বাদ্য দেয়া হয়েছে ৷
হযরত উমর (রা) হযরত আবু মুসা (রা) কে বলতেন, হে আবু মুসা ! আমাদেরকে একটু
আমাদের প্রতিপালকের কথা স্মরণ করিয়ে দিন ৷ তারপর হযরত আবু র্মুন৷ (রা) কুরআন
তিলাওয়াত করতেন আর অন্যরা তা শুনতেন ৷

শা বী (র) বলেছেন যে, হযরত উমর (বা) তার ওসীয়তলিপিতে একথা লিখেছিলেন যে,
আমার নিযুক্ত কোন কর্মচারী কিত্ব৷ প্রশাস্ফ্লু এক জায়গায় এক বছরের বেশি থাকতে পারবে
না ৷ তবে আবু মুসা আশআরী (রা) এর বিবযটি ব্যতিক্রম ৷ তিনি : বছর এক জায়গায়
থাকবেন ৷

ইবনুল জাওযী তার আল ষুনতাযা ম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আবু মুসা
আশআরী (বা) এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫২ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেছেন ৷ আরো কেউ কেউ
এমনটি বলেছেন ৷ আবার অন্য কেউ ৫১ হিজরী সনে, কেউ ৪২ হিজরী সনে তার মারা যাবার
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ কেউ অন্য মন্তব্যও করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
মীমাং সা কমিটির ফলাফলে প্রতিপক্ষ কর্তক প্র৩ ৷রিত হবার পর তিনি লোকজনের স০ স্পর্শ
বর্জ্য করে একাকী জীবন শুরু করেন ৷ তারই এক পর্যায়ে মক্কায় তিনি ইস্তিকাল করেন ৷ কেউ

;
ণ্ড্র


فَقَالَ لَهُ: «إِذَا صَلَّيْتَ صَلَاةً فَصَلِّ صَلَاةَ مُودِّعٍ، وَلَا تَكَلَّمَنَّ بِكَلَامٍ تَعْتَذِرُ مِنْهُ، وَأَجْمِعِ الْيَأْسَ مِمَّا فِي أَيْدِي النَّاسِ ".» وَفِيهَا كَانَتْ وَفَاةُ أَبِي مُوسَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ سُلَيْمِ بْنِ حِضَارِ بْنِ حَرْبِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عَنْزِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عُذْرِ بْنِ وَائِلِ بْنِ نَاجِيَةِ بْنِ جُمَاهِرِ بْنِ الْأَشْعَرِ الْأَشْعَرِيِّ الْيَمَانِيِّ، أَسْلَمَ بِبِلَادِهِ، وَقَدِمَ مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ عَامَ خَيْبَرَ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُ هَاجَرَ أَوَّلًا إِلَى مَكَّةَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَلَيْسَ هَذَا بِالْمَشْهُورِ. وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ مُعَاذٍ عَلَى الْيَمَنَ، وَاسْتَنَابَهُ عُمَرُ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَفَتَحَ تُسْتَرَ وَشَهِدَ خُطْبَةَ عُمَرَ بِالْجَابِيَةِ، وَوَلَّاهُ عُثْمَانُ الْكُوفَةَ وَكَانَ أَحَدَ الْحَكَمَيْنِ بَيْنَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا اجْتَمَعَا خَدَعَ عَمْرٌو أَبَا مُوسَى. وَكَانَ مِنْ قُرَّاءِ الصَّحَابَةِ وَفُقَهَائِهِمْ، وَكَانَ أَحْسَنَ الصَّحَابَةِ صَوْتًا فِي زَمَانِهِ. قَالَ أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ: مَا سَمِعْتُ صَوْتَ صَنْجٍ وَلَا بِرَبْطٍ وَلَا مِزْمَارٍ أَطْيَبَ مِنْ صَوْتِ أَبِي مُوسَى. وَثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقَدْ أُوتِيَ هَذَا مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ ".» وَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ لَهُ: ذَكِّرْنَا رَبَّنَا يَا أَبَا مُوسَى.
পৃষ্ঠা - ৬৪৩২

ণ্০া৷া৪া৷া৪ ন্


বলেছেন, কুফ৷ থেকে দু’মাইল দুরত্বে “আল ছাওইয নামক স্থানে তিনি মারা যান ৷ তিনি
আকা রে খাটো, হালকা পাত লা শরীর এবং দাড়িবিহীন লোক ছিলেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি
সন্তুষ্ট হোন ৷

আবদুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফ্ার্শ্বমুযানী

আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনে যে সকল সাহাবী প্রসিদ্ধ ছির্লেন;শুাদ্রেৰু একজন হলেন হযবত
আবদুল্লাহ ইবন মুপাফ্ফাল মুযানী ৷ মানুষকে ধর্মীয় জ্ঞান প্রদানের জন্যে হযরত উমর (রা) যে
দশজনকে বসর৷ পাঠিয়েছি লেন তাদের অন্যতম ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবন মুপাফ্ফাল
মুযানী (রা) ৷ মুসলমানগণ তৃসতাব জয় করার পর তিনিই সর্বপ্রগ্রম ঐ শহরে প্রবেশ করেন ৷
তিনি ৫২ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷৩ তবে ইমাম বুখারী (র) মুসাদ্দাদ থেকে যেটি বর্ণনা
করেছেন যে আবদুল্লাহ ইবন মুপাফ্ফাল (রা) এর ওফাত হয়েছে ৫৭ হিজ্জী সনে, সেটিই
বিশুদ্ধ অভিমত ৷ ইবন আবদুল বার বলেছেন যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন মুপাফ্ফাল (রা)
ইস্তিকাল করেছেন ৬০ হিজরী সনে ৷

কেউ কেউ বলেছেন, ৬১ হিজরী সনে ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তার থেকে বর্ণিত আছে
যে, তিনি একদিন স্বপুে দেখেছিলেন যে, কিয়ামত অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে এবং সেখানে এমন
একটি স্থান রয়েছে যেখানে পৌছতে পারলে মানুষ মুক্তি পাচ্ছে ৷ তিনি ঐ স্থানে পৌছার জন্য
ন্ প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ৷৩ তখন তাকে বলা হল যে, তুমি কি ওখানে পৌহ্বার চেষ্ট৷ বরেছ,
অথচ তোমার নিকট তো পার্থিব সম্পদ রয়েছে ৷ হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায় ৷ তিনি জেগে
ওঠেন এবং তার যে থলির্বৃত প্ৰচুর স্বর্ণ সঞ্চিত ছিল সেই থলি বের করে আনলেন ৷ তারপর
, ভোর হবার আগেই শরীর ও মিসকীন ও তার আত্মীয়-স্বজনদের নিকট তার সবটুকু বিলিয়ে
দেন ৷ মহান আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ ,

ইম্রান ইবন হুসায়নইবন উবায়দন্নি (বা)

৫২ হিজরী সনে যারা ইস্তিকাল করেছেনঃ৩ তাদের একজন হলেন হযরত ইমরান ইবন
হুসায়ন ইবন উবায়দ (বা) ৷ তার বা শ পরিচয় হল ইমরান ইবন হুসায়ন ইবন উবায়দ ইবন
খালফ আবু নাজীদ আল খুযাঈ (রা) ৷ তিনি এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা) দৃজনেই
খায়বারের যুদ্ধের বছর ইসলাম গ্রহণ করেন৷ পরবর্তীতে একাধিক যুদ্ধে তিনি অং হণ
করেছেন ৷ তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাহাবী ছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আমির (রা) তাকে
বসরার বিচারক পদে নিয়ােগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করে তিনি বসরার
ন্ বিচারকের দায়িতু পালন করছিলেন ৷ পরবর্তীতে তিনি নিজেই ঐ পদে ইস্তফ৷ দািলন ৷ তার
ইস্তফা মঞ্জুর হয়েছিল ৷ এরপরেও তিনি বসরার বসবাস করেছিলেন ৷
অবশেষে এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫২ হিজরী সনে সেখানে তার ওফাত হয় ৷ হযরত হাসান
বসরী ও ইবন সীরীন বসরি বলেছেন যে, ইমরান ইবন হুসায়ন (বা) অপেক্ষা ভাল কোন
আরােহী আগন্তুক বসরার আগমন করে নি ৷ গুফরেশতাগণ তাকে সালাম দিতেন ৷ এক পর্যায়ে
তিনি চিকিৎসার জন্যে শরীরে গরম নােহ্াব্র দাগ গ্রহণ করেছিলেন ৷ তখন থেকে ফেরেশৃতাগণ

তাকে সালাম দেয়৷ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ অবশ্য তার ইনৃতিকালের কিছুদিন পুর্ব থেকে তারা


فَيَقْرَأُ وَهُمْ يَسْمَعُونَ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَتَبَ عُمَرُ فِي وَصِيَّتِهِ أَنْ لَا يُقَرَّ لِي عَامِلٌ أَكْثَرَ مِنْ سَنَةٍ إِلَّا أَبَا مُوسَى، فَلْيُقَرَّ أَرْبَعَ سِنِينَ. وَذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظِمِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِهِمْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ قَبْلَهَا بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَّةَ لَمَّا اعْتَزَلَ النَّاسَ بَعْدَ التَّحْكِيمِ، وَقِيلَ: بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الثَّوِيَّةُ. عَلَى مِيلَيْنِ مِنِ الْكُوفَةِ. وَكَانَ قَصِيرًا نَحِيفَ الْجِسْمِ، أَثَطَّ، أَيْ لَا لِحْيَةَ لَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا مِنَ الصَّحَابَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغَفَّلِ الْمُزَنِيُّ وَكَانَ أَحَدَ الْبَكَّائِينَ، وَأَحَدَ الْعَشَرَةِ الَّذِينَ بَعَثَهُمْ عُمَرُ إِلَى الْبَصْرَةِ لِيُفَقِّهُوا النَّاسَ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ دَخَلَ تُسْتَرَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حِينَ فَتْحِهَا. لَكِنِ الصَّحِيحَ مَا حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُسَدَّدٍ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: تُوُفِّيَ سَنَةَ سِتِّينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيُرْوَى عَنْهُ أَنَّهُ رَأَى فِي مَنَامِهِ كَأَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، وَكَانَ هُنَاكَ مَكَانٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৩


আবার তাকে স নাম দিতে শুরু করেছিলেন ৷ মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তারা তাকে সালাম দিতে
থাকেন ৷ আল্লাহ তায়াল৷ তার প্রতি ও তার পিতারপ্ৰতি ৩সন্তুষ্ট হোন ৷

কাব ইবন উত্তরো আনসারী আবু মুহাম্মদ মাদানী

৫২ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন হযরত কাব ইবন উজরা
আনসারী (রা) ৷ তিনি উচু স্তরের সাহাবী ছিলেন ৷ হজ্জ আদায়কালে অক্ষমতার কারণে ফিদইয়া
প্রদানের আয়াতঢি তাকে উপলক্ষ করে নাযিল হয়েছিল ৷ ৫২ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷
কেউ বলেছেন ৫১ হিজরী সনে তিনি ইন্তিকাল করেছেন ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫

ৎব৷ ৭৭ বছর ৷

মু আবিয়া ইবন খুদায়জ (বা)

৫২ ইিজয়ী সনে মৃতৃাববণকায়ীদের একজন হলেন হযরত ঘুআবিয়৷ ইবন খুদায়জ (রা) ৷
তার বংশ পরিচয় হল মুআবিয়া ইবন খুদায়জ জাফনা ইবন কাতীরা আল কিনদী আল-
খাওলানী আল-মিসরী (রা) ৷ অধিকাত্শ ইতিহাসবিদদের মতে তিনি সাহাবী ৷ অবশ্য ইবন
হিব্বান তাকে আস্থাভাজন তাবিঈ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৷ প্রথম অভিমত বিশুদ্ধ ও সঠিক ৷
তিনি মিসর বিজয় অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ৷ আলেকজাদ্রিয়া বিজয়ের সংবাদ নিয়ে যে
প্রতিনিধি দল হযরত উমর (রা)-এব দরবারে এসেছিলেন তিনি তার সদস্য ছিলেন ৷ হযরত
আবদুল্লাহ্ ইবন সাদ ইবন আবু আরহ্-এর সাথে তিনি বারবার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
পরিচালিত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ওই দিন তার চক্ষু বিনষ্ট হয়ে যায় ৷ আফ্রিকার পশ্চিমা
নগরগুলাে বিজয়ের লক্ষে প্রেরিত: বহু অভিযানে তিনি সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৷
হযরত আলী (রা)-এব শাসনামলে তিনি মিশরে উসমান (রা) সমর্থকরুপে পরিচিতি
, ছিলেন ৷ তিম্মিহযরত আলী (রা) এর হাতে বায় আত করেন নি ৷ আমীর মু অ ৷বিয়া (রা) ৰুযখন

মিশর দখল করেন, তখন তিনি মুআবিয়া ইবন খুদায়জ (রা) কে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আসের পর তাকে মিসরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ কারণ
আমর ইবনুল আসের পর তার পুত্র আবদুল্লাহ দুই বছর মিশরের শাসনকর্তা ছিলেন ৷ এরপর
আমীর ঘু আবিয়৷ (রা) র্তাকে ঐ পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং তার স্থলে আলোচ্য ঘুআৰিয়া
ইবন খুদায়জ (রা) কে নিয়োগ দেন ৷ এরপর থেকে তিনি মিসাবই অবস্থান কংাছিলেন ৷
অবশেষে এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫২ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷

হানী ইবন নিয়াব আবুবুরদাহ বালাবী (রা)

তিনি তার জন্য বিশেষভাবে অনুমোদিত কুররানীতে এক বছর বয়সী মাদী বকরী জবইি

করতেন ৷ তিনি আকাবার শপথ, বদরের যুদ্ধ এবং পরবর্তী সকল যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷

মক্কা বিজয়ের দিনে বানু হাব্লিছা গোত্রের পতাকা তার হাতে ছিল ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি
সন্তুষ্ট হোন ৷



১ তার নাম মুআবিয়া ইবন হুদায়জও বলা হয়েছে ৷ (ইসদামী বিশ্বকোষ ইফাবা, খ ১৯)

€০া৷া



وَصَلَ إِلَيْهِ نَجَا، فَجَعَلَ يُحَاوِلُ الْوُصُولَ إِلَيْهِ، فَقِيلَ لَهُ: أَتُرِيدُ أَنْ تَصِلَ إِلَيْهِ وَعِنْدَكَ مَا عِنْدَكَ؟ فَاسْتَيْقَظَ، فَعَمَدَ إِلَى عَيْبَةٍ عِنْدَهُ فِيهَا ذَهَبٌ كَثِيرٌ، فَلَمْ يُصْبِحْ عَلَيْهِ الصَّبَاحُ إِلَّا وَقَدْ فَرَّقَهَا فِي الْمَسَاكِينِ وَالْمَحَاوِيجِ وَالْأَقَارِبِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ خَلَفٍ، أَبُو نُجَيدٍ الْخُزَاعِيُّ أَسْلَمَ هُوَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ عَامَ خَيْبَرَ وَشَهِدَ غَزَوَاتٍ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، اسْتَقْضَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ عَلَى الْبَصْرَةِ فَحَكَمَ بِهَا، ثُمَّ اسْتَعْفَاهُ فَأَعْفَاهُ، وَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ الْحَسَنُ وَابْنُ سِيرِينَ: مَا قَدِمَ الْبَصْرَةَ رَاكِبٌ خَيْرٌ مِنْهُ. وَقَدْ كَانَتِ الْمَلَائِكَةُ تُسَلِّمُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا اكْتَوَى انْقَطَعَ عَنْهُ سَلَامُهُمْ، ثُمَّ عَادُوا فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِقَلِيلٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْ أَبِيهِ أَيْضًا. كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ الْمَدَنِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَهُوَ الَّذِي نَزَلَتَ فِيهِ آيَةُ الْفِدْيَةِ فِي الْحَجِّ. مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: قَبْلَهَا بِسَنَةٍ. عَنْ خَمْسٍ أَوْ سَبْعٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً. مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجِ بْنِ جَفْنَةَ بْنِ قَتِيرَةَ الْكِنْدِيُّ الْخَوْلَانِيُّ الْمِصْرِيُّ صَحَابِيٌّ
পৃষ্ঠা - ৬৪৩৪
عَلَى قَوْلِ الْأَكْثَرِينَ، وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي التَّابِعَيْنِ مِنَ " الثِّقَاتِ "، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ شَهِدَ فَتَحَ مِصْرَ، وَهُوَ الَّذِي وَفَدَ إِلَى عُمَرَ بِفَتْحِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ وَشَهِدَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ قِتَالَ الْبَرْبَرِ، وَذَهَبَتْ عَيْنُهُ يَوْمَئِذٍ، وَوَلِيَ حُرُوبًا كَثِيرَةً فِي بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَكَانَ عُثْمَانِيًّا فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ بِبِلَادِ مِصْرَ، وَلَمْ يُبَايِعْ عَلِيًّا بِالْكُلِّيَّةِ، فَلَمَّا أَخَذَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ مِصْرَ أَكْرَمَهُ، ثُمَّ اسْتَنَابَهُ بِهَا بَعْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَإِنَّهُ نَابَ بِهَا بَعْدَ أَبِيهِ سَنَتَيْنِ، ثُمَّ عَزَلَهُ مُعَاوِيَةُ وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ بْنَ حُدَيْجٍ هَذَا، فَلَمْ يَزَلْ بِمِصْرَ حَتَّى مَاتَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. هَانِئُ بْنُ نِيَارٍ، أَبُو بُرْدَةَ الْبَلْوِيُّ، وَهُوَ خَالُ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ الْمَخْصُوصُ بِذَبْحِ الْعَنَاقِ وَإِجْزَائِهَا عَنْ غَيْرِهَا مِنَ الْأَضَاحِيِّ، وَشَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَالْمَشَاهِدَ كُلَّهَا، وَكَانَتْ رَايَةُ بَنِي حَارِثَةَ مَعَهُ يَوْمَ الْفَتْحِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.